এক ষোড়শীর জন্মোৎসবে
আমাদের মনে আছে, তোমার অসুখে বিনিদ্র রাত কাটিয়েছেন – ডাক্তারের কাছে ছুটে গিয়েছেন, তোমার খেলার সাথি যোগাড় করে দিয়েছেন, ভাল স্কুলে পাঠানোর জন্যে চাকুরি ও বাড়ি বদল করেছেন। আজ সেসব সিড়ি ডিংগিয়ে তুমি ষোড়শীর মঞ্ছে উঠে বসেছো। শারিরিক ও মানসিক দিক থেকে তুমি বাল্যকাল ও কৈশোরের সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছো। তোমার মাঝে শিশুসুলভ চপলতা যেমন রয়ে গেছে, তেমনি একটু গম্ভির ভাবও যেন আমরা দেখতে পাচ্ছি। তোমার এই দুটো রূপই আমরা আনন্দের সাথে উপভোগ করি। তোমার চোখেমুখে বহির্বিশ্বের স্বাধিনতার হাতছানি, নিজেকে আবিস্কারের ঔৎসুক্য, নিজের ক্ষমতা যাচাই এর অভিগ্রহ। এই বিবর্তন সবার জীবনেই এসেছে, পৃথিবীতে শত কোটিবার, কিন্তু প্রতিবারেই নুতন ভাবে, প্রতিবারেই একটি স্বকীয়তা নিয়ে। তোমারটিও তাই অতুলনীয়।