মরণ-প্রান্তিক অভিজ্ঞতা

Looking into the Asian Root থেকে নেওয়া। আমার বিশ বছর বয়স কালে চারটি নিশ্চিত মৃত্যর হাত থেকে বেঁচে যাই। প্রায় সাতান্ন বছর হয়ে গেছে। কিন্তু স্মৃতিতে প্রতিটি মূহুর্ত এখনও ছবির মত পরিষ্কার। প্রথম ঘটনা - মরণপ্রান্তিক অভিজ্ঞতা ১৯৬৭ সালের জুন মাসে এক বিরাট ভরা নদীতে আমি ডুবেই গিয়েছিলাম। মৃত্যুর একেবারে কিনার থেকে বেঁচে যাই। উচ্চতর [...]

ওয়াশিকুর বাবুর লেখা সমগ্র

২০১৫ সালের তিরিশে মার্চ ব্লগার ওয়াশিকুর বাবু'কে তাঁর বাসা থেকে পাঁচশ গজ দূরে অফিসে যাবার পথে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে বাংলাদেশের জঙ্গি ও তাদের সাঙ্গোপাঙ্গ। বাবুকে হারিয়ে ফেলার এক বছর পর বাবু'র স্মরণে তার ক্ষুরধার লেখাগুলো ‘ফাল দিয়া ওঠা কথা’ সংকলিত করে তা ই-বুক আকারে প্রকাশ করা হয়েছিলো। যুক্তিবাদী বাবুর প্রজ্ঞার আলো ছড়িয়ে দিন [...]

তিমির অবগুণ্ঠনে/পৃথিবীর মাহসা আমিনিরা – ১

আমাদের স্কুলে মেয়েদেরকে উড়না এবং মাথায় ঘোমটা প’রে আসতে হতো। আমরা তখন সপ্তম শ্রেণীতে পড়ি। আমাদের সহপাঠী একটি মেয়ে, নাম রাণু (ছদ্মনাম), একদিন পাতলা উড়না প’রে স্কুলে এসেছিল। আমাদের বাংলা ব্যাকরণ পড়াতেন তাপস স্যার। শ্রেণীকক্ষে ঢুকেই সেদিন স্যার রাণুর দিকে তর্জনী নির্দেশ ক’রে বড় বিদ্রূপের স্বরে বললেন, এইযে মশারি, তুই মশারি প’রে স্কুলে এসেছিস কেন? [...]

ফেব্রুয়ারি ২৬ – অভিজিৎ রায় এর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী

সেদিন ছিল ২৬শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫। বইমেলা থেকে ফেরার পথে টি এস সি’র সামনে অভিজিৎ রায় ও বন্যা আহমেদের উপর নৃশংস হামলা হয়। বন্যা আহমেদ প্রাণে বেচে গেলেও অভিজিৎ রায়কে বাচানো সম্ভব হয় নি। ১ অভিজিৎ রায়। একদম সাদামাটা তার চাল-চলন-ভাষা; কোনো বক্রতা নেই, কোনো কুটিলতা নাই। অভিজিৎ রায় যখন কিছু বলতেন তা সরাসরিই বলতেন, এর [...]

এক মানবিক পৃথিবীর পথ

গন্তব্য ছিলো সিলেটের কুলাউড়া হয়ে পাথারিয়ার বিস্তীর্ণ টিলাময় অঞ্চল, সেইসঙ্গে ওখানকার গ্রামগুলো আর অপরূপ পাহাড়ী ঝর্ণা মাধবকুণ্ড। চারিদিকে দৃশ্যপট পরিবর্তিত হচ্ছিল। ঢাকা থেকে দূরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবুজের পরিমাণ বাড়ছিল। কখনো কালভার্ট কখনো ব্রিজ আর মাঝেমাঝে দ্বিগন্ত বিস্তৃত বিশাল প্রান্তর। হঠাৎ দ্বিজেন দা বলে উঠলেন দেখ, ইউক্লিপট্যাস গাছগুলোকে কেমন বিসাদৃশ লাগছে। এগুলো অত্যাধিক পানি শোষন [...]

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিচারণ: প্লেটোনিক ভালোবাসার দীর্ঘনিঃশ্বাস

লিখেছেনঃ মোস্তফা সারওয়ার পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে আমাদের ক্লাস শুরু হয়েছিল ১৯৬৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমার পড়াশোনার সময়টা ছিল বাংলার ইতিহাসের অন্যতম ঘটনাবহুল ক্রান্তিকাল। আমাদের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি শেষ হওয়ার কথা ছিল ১৯৭১ সালে। কিন্তু তা পিছিয়ে গেল প্রায় দুই বছর। ১৯৬৯ সালের স্বায়ত্তশাসন ভিত্তিক এগারো দফার গণঅভ্যুত্থান, ছদ্মবেশি সামরিক একনায়ক আইয়ুবের এক দশকের স্বৈরশাসনের অবসানে [...]

মাটি- মহাকাশের সঙ্গে জীবনের যোগ খুজতে

জামাল নজরুল ইসলাম (১৯৩৯ সাল ২৪ ফেব্রুয়ারি -২০১৩ সালে ১৬ মার্চ) ১৯৮৮ সালের কথা। কৃষ্ণবিবর বা ব্লাকহোল নিয়ে ভীষণ আগ্রহ। এ সম্পর্কে টুকরো টুকরো লেখা পড়েছি। দ্রুত কোনো কিছু পাওয়ার জন্য ইন্টারনেট ব্যবস্থা ছিল না তখন। ব্রিটিশ কাউন্সিল, জার্মান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও ভারতীয় হাইকমিশন এবং ব্যান্সডকের মতো গ্রন্থাগারগুলো একমাত্র সহায়। এ রকম একটি সময় ব্রিটিশ [...]

‘অনন্ত বিজয়’ এর ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী

আজ ১২ ই মে, অনন্ত বিজয়ের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী! বেশিদিন আগের কথা নয়। মুক্তচিন্তা, বিজ্ঞানমনস্কতা, ধর্মান্ধতা ও কুসংস্কারবিরোধিতা ব্যাপারগুলো কিছু বুদ্ধিজীবীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। তাদের কেউ কেউ এগুলো নিয়ে জটিল থেকে জটিলতর কিছু কথা লেখতেন, কেউ হয়ত পাঠ করত, কেউ সম্মান দেখিয়ে তুলে রাখত। কিন্তু একটি শোষণ-নিপীড়ণহীন, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠণের জন্য মুক্তচিন্তা, ইহজাগতিকতা, বিজ্ঞানমনস্কতা ও কুসংস্কারবিরোধিতা [...]

একজন রণেশ দাশগুপ্ত হয়ে ওঠা

উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রণেশ দাশগুপ্তের ১০৯তম জন্মতিথি উদযাপন উপলক্ষে উদীচী কানাডা সংসদের পক্ষ থেকে ‘শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় রণেশ দাশগুপ্ত’ শিরোনামে যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে, সেখানে একটি অংশ রণেশ দাশগুপ্তের জীবনী পাঠ | কিন্তু এখানে এই দূরদেশে তাঁর জীবন নিয়ে একটি রচনা লেখার মাল-মসলা খুঁজে পাইনি | আন্তর্জাল ঘেটে অমিত রঞ্জন দে, মফিদুল [...]

বিজয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছেন যিনি

লিখেছেন: অনামিকা অনন্ত বিজয়, আমাদের প্রিয় অনন্ত দা। শুনেছিলাম ছোটবেলায় তিনি বেশ খানিকটা ডানিপিটে ছিলেন, হালকা-পাতলা ছিলেন। যখন ভার্সিটি শুরু করলেন তখন স্বাস্থ্য কিছুটা ভাল হয়। আমার সাথে তার যখন পরিচয় তখন তিনি সম্ভবত ভার্সিটিতে অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। অসম্ভব পড়ুয়া,নিরহঙ্কার, অমায়িক মানুষটি অতি অল্প দিনেই খুব ঘনিষ্ট হয়ে উঠেন। সবার সাথে ভাল ও [...]

Go to Top