পবিত্রতার চরণতলে
উত্তর পুরুষ
কোন কিছু জানা বা জানতে চাওয়া মানুষের প্রাকৃতিক স্বভাব। শিশু বয়স থেকে শুরু হয় এর অপ্রতিরোধ্য যাত্রা। শেষ হয় মৃত্যুর বাকস্তব্ধ থাবায়। প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে আছে ঢেউ খেলানো অসংখ্য প্রশ্নের ছড়াছড়ি। জীবনে তার কিছু কিছু অংশ হয় জানা, আবার অনেক কিছু রয়ে যায় বাকি। যা জানা হয়েছে তাতেও আছে বিশ্বাস, সন্দেহ আর অজানা রহস্যের দ্বন্ধাঘাতে এক মিশ্র যন্ত্রনা। জানার সাগরে এ যেন এক ফোটা জল নিয়ে আমরা শুধু খেলা করে যাচ্ছি। তাই জানতে চাওয়া নিশ্চয়ই কোন অপরাধ নয়।
আমরা পবিত্র হওয়ার জন্য কত কথা বলি। সুন্দরের জন্য কী না করি ! পরিচ্ছন্নতার মধ্যে সুস্বাস্থ্যের সোনালী বীজকে খুজি। পরিচ্ছন্নতার মধ্যে পবিত্রতার অমিয় সুধাপান করি। পবিত্রতার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর সাহ্নিধ্য পাবার ব্যাকুল কামনা করি। পবিত্রতার প্রশ্নে সৃষ্টির মহাত্মতা ঘোষিত হয়। পবিত্রতার প্রশ্নে স্বর্গের সম্পর্ক স্থাপিত হয় এক সুন্দর নিপুণতায়। আল্লাহকে যখন মাথা নুইয়ে প্রণিপাত করবো, তখন দেহ মন স্থান ও বেশ-ভুষা সবই হতে হবে পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন। এটাই প্রার্থনার পূর্বশর্ত। প্রার্থণার আগে পানি দ্বারা অযু কালীন সময়ে হাত মুখ ধৌত করতে গিয়ে একটা চুল শুকনো থাকলে তা শুদ্ধ হচ্ছে না। পেট থেকে সামান্য বায়ু বাহির হলেও রেহাই নেই, আবার পবিত্র হতে হবে। পবিত্র হতে হবে আবার সকল অঙ্গ প্রত্যঙ্গ নিয়ে। অথচ আমাদের পেটের মধ্যে পচনশীল সমস্ত খাদ্য দ্রব্যই ঘুরপাক খাচ্ছে অবিরত বাইশ ফুট লম্বা ক্ষুদ্রান্ত্রের মধ্যে। সেখানে মল এবং কীট কৃমি কেঁচোরও বসবাস। কিডনীর ভেতরে ও গ্রন্থিগুলোতে আছে ঝাঁঝালো ও গন্ধেভরা ক্ষার ও অম্লযুক্ত পানি। ভেতরের এই ময়লা আবর্জনা নিয়েই আমরা ধর্মীয় প্রার্থণা চালিয়ে যাচ্ছি। এ পবিত্রতা আমার কাছে “লেফাফা দুরস্ত” বলে মনে হয়। তাহলে আমরা একটি বিষয় দেখতে পাচ্ছি বাইরে পবিত্র এবং ভেতরে অপবিত্র। অথচ ভেতরের এই নাপাকিকে উপেক্ষা করে আমরা পবিত্রতা সম্বন্ধে নিশ্চিন্ত। ব্যাপারটি আমার কাছে ঘোলাটে। তাই মনে প্রশ্ন এসেছে এবং এর উত্তর ও খুঁজছি।
আল্লাহতো ইচ্ছে করলে আমাদের ভেতরটা গাছপালার মত তৈরি করতে পারতেন, যেখানে কোন ময়লার আদান প্রদান হতনা। অথবা ময়লা দুর্গন্ধ সৃষ্টি না হওয়ার জন্য শরীরের মধ্যে এমন ধরনের কেমিক্যাল বা জৈব-রস উৎপাদন করতে পারতেন যার প্রভাবে কিছুতেই শরীরের ভেতরের অর্গান গুলোতে কোন ময়লা দুর্গন্ধের নাম নিশানা থাকতোনা। ধর্মীয় কেতাবের বর্ণনা অনুযায়ী আল্লাহ তো মহাবিজ্ঞানী, মহাপ্রকৌশলী। তাঁর কাছে এসব সৃষ্টি বা তৈরি করণ কোন কঠিনও নয়, অসম্ভবও নয়, অথচ তা তিনি করেননি। কেন করেননি কেউ তা জানেনা। এটা আমার কাছে রহস্যময়। রক্ষণশীলদের কাছে এ প্রশ্ন অবান্তর বা অযৌক্তিক। অযৌক্তিক এজন্য যে তারা এর সঠিক জবাব জানেন না। আর জানেন না বলেই উনারা ধমক দেন প্রশ্নকারীকে। আখ্যাদেন নাস্তিক, কমিউনিষ্ট ইত্যাদি। তাহলে সবচেয়ে ভাল ভীরু কাপুরুষদের মতো চুপ করে থাকা। মনের মধ্যে এক অব্যক্ত যন্ত্রনা নিয়ে রোগীর মত পড়ে থাকা। অথচ আল্লাহ অন্তরের খবর জানেন বলে চুপ করে থাকতে পারিনে।
একই ভাবে মানুষ জাতি তার বাঁচার তাগিদে মাছ ও পশুপক্ষী, শাক সবজি ইত্যাদি নিধন করে। অথচ যে কোন হত্যা বা নিধন মানবতার দৃষ্টিতে, বিবেকের দৃষ্টিতে পাপ বা অপরাধ বলেই মনে হয়। ইশ্বরের প্রতিনিধি হিসেবে দাবিদার রসুলগণ বা অবতারগণ ভেবে দেখলেন যে এসব জীব হত্যা ব্যতীত মানুষের বাঁচার কোন বিকল্প পথ নেই কিন্তু মানুষকে তো বাঁচতেই হবে। আবার মানুষের মনের ভেতর থেকে পাপবোধ বা অপরাধ বোধটাকে ও তাড়াতে হবে। তাইতো অনেক চিন্তা ভাবনা করে বলা হলো এসব স্থলচর জলচর প্রাণী হত্যার পূর্বে ইশ্বরের নাম নাও এতেই আল্লাহ খুশ হয়ে যাবেন। আমার প্রশ্ন এতে ইশ্বর বা আল্লাহর খুশ হওয়ার কারণ কি ? তাঁর মুনাফা’ই বা কি ? ভীষণ কষ্টের মধ্যে একটি প্রাণী যখন ছটফট করে মারা যায় তখন আল্লাহ খুশি হওয়ার কথা নয়। কারণ তিনি ভোজন বিলাসী নন। লাভ আর ক্ষতি হওয়ার কথা মানুষ জাতির। কারণ তারা ক্ষুধায় আক্রান্ত তৃষ্ণায় জর্জরিত। আচ্ছা ! মনকে শান্তনা দেবার জন্য হয়তো ধরে নিলাম আল্লাহ জীব হত্যায় খুশি হন। তবে খুশিতে ডগমগ হবার প্রমাণ কোথায় ? যে প্রাণী বাঁচার তাগিদে কিংবা হত্যার পূর্বে প্রাণপনে পলায়ন করতে চায়, সেই নিরীহ প্রাণী ও খুশি হবার কথা নয়। ধর্মীয় রক্ষণশীলরা বলেন ওসব প্রাণীকে নিধন করার জন্য ইশ্বর নাকি বোবা করে সৃষ্টি করেছেন যাতে প্রাণীটি প্রতিবাদ করতে না পারে। তাই যদি হয় তাহলে তো ইশ্বর নিশ্চয়ই প্রাণীর মগজের মধ্যে এই অনুভুতিটা ও দিয়ে দেবার কথা যে যখনই মানুষ ওদেরকে হত্যা করতে চায় ওরা তখনই যেন কোন সাড়া শব্দ না করে খুশিতে ডগমগ হয়ে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ে গলাটা লম্বা করে বাগিয়ে দেয়, যাতে অতি সহজেই আল্লাহর নামে তাদেরকে জবাই কিংবা হত্যা করা যায়। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় প্রাণীগুলো প্রাণে বাঁচার জন্য সে তার সর্বশক্তি নিয়োগ করে। শিং, দাত, পা, নখ কিংবা বিষাক্ত কাঁটা ইত্যাদি অস্ত্র হিসেবে প্রয়োগ করে বাঁচতে চায়। ধর্মীয় রক্ষণশীলরা এর পক্ষে ও নানাবিধ যুক্তি দেখান। যেমন: মানুষ আল্লাহর উপাসনা করবে বলেই তো মানুষকে তিনি ভালবাসেন। মানুষ আল্লাহর মায়ার বান্দা। আর সেজন্য মানুষের আহার হিসেবে ঐ প্রাণীগুলোকে বোবা করে সৃষ্টি করেছেন। এখানে একটি যুক্তি দেখানো হয়েছে আল্লাহ মানুষকে ভালবাসেন, মানুষ আল্লাহর মায়ার বান্দা। সুতরাং এই মায়ার বান্দা খেয়ে দেয়ে আল্লাহর উপাসনা করবে। সে জন্য নিয়ামত স্বরূপ আল্লাহ এসব প্রাণীকে হত্যা করা হালাল করে দিয়েছেন। খুবই মানান সই যুক্তি ! আল্লাহ মানুষকে ভালবাসেন, আল্লাহর মায়ার বান্দা মানুষ। মানুষ যদি আল্লাহর মায়ার বান্দা আর আল্লাহ যদি মানুষকে ভালবেসে থাকেন তাহলে এই মায়ার মানুষকে আল্লাহ কেন বার বার গজব দেন ? এই যে ফসলে গজব, শরীরে গজব, অভাবের গজব, দুশ্চিন্তার গজব, দুর্ঘটনার গজব জীবনভর লেগেই আছে । উপাসনা করলেও গজব না করলেও গজব। কাজেই আপনি মায়ার বান্দা হলেন কি ভাবে ?।
আপনি হয়তো পুনরায় বলবেন এসব গজব টজব হয় ঈমান পরীক্ষার জন্য। তাই যদি হয় তাহলে ইমানের বীর শ্রেষ্ঠ দাবীদার পুরুষ হযরত মোহাম্মদকে যুদ্ধের ময়দানে ঠেলে দিয়ে আল্লাহ কেন দাত ভাঙ্গালেন ? কেন মাথায় ও শরীরে হৃদয় বিদারক জখমে জর্জরিত করেছিলেন। কেন লৌহ কঠিন ইমানের অধিকারী মায়ার বান্দা সাহাবীগণের অনেকেই করুণ ভাবে মৃত্যু বরণ করেন ? আর তাদের স্ত্রী ও শিশুরা ইয়াতীম হয়ে রাস্তার ভিখারীতে পরিণত হলো ? বিধবারা অসহনীয় কান্না ও অভাবের যাতনায় আজীবন দরিদ্রের কষাঘাতে মৃত্যু বরন করেছেন ? এত কিছুর পর ও বলা হবে এসব ত্যাগ তিতীক্ষার জন্য রয়েছে মৃত্যু পরবর্তী “ জান্নাত ”। হাঁ যখন কোন যুক্তিতে কাজ আসে না, প্রমাণ ও দেয়া সম্ভব হয়না তখন শেষ অস্ত্র হিসেবে এর জবাব দেয়া হয় ‘ জান্নাত’। স্বর্গ !!!!! যেখানে সুখ আর আনন্দের সীমা নেই, মৃত্যু নেই। শুধু সুখ আর সুখ। এটি হচ্ছে মানুষকে হাবাগোবা বানিয়ে শান্তনা দেয়ার শ্রেষ্ঠ এবং শেষ মহৌষধ। যার জন্য কোন প্রশ্ন করা হয়না, প্রমাণ দেয়া লাগেনা। ঈমান তথা অন্তরের বিশ্বাস দিয়ে সমস্ত ধোঁকাবাজিকে জীবন্ত কবর দেবার এটাই সর্বর্শ্রেষ্ঠ হাতিয়ার। আমি যদি বলি ঘুমিয়ে যাবার পর আপনি যেমন দুনিয়া ও সংসার কিছুই বুঝেন না ঠিক তেমনি মৃত্যুর পর আপনি আর কিছুই বুঝবেন না। আর যদি বুঝেও থাকেন সেটা হবে ভয়-উদ্বেগ বিহীন এক জীবন। যে জীবনের বোধ নিয়ে আপনি ভালমন্দ দুখ কষ্ট কিছুই বুঝবেন না। আপনার জীবন ওখানেই হয়ে যাবে বিলীন, নিরুদ্দেশ। তাহলে বিষয়টি আপনি অবিশ্বাস করবেন কোন যুক্তিতে ? আসলে ঈমান পরীক্ষা বলে কিছু নেই এসব হচ্ছে ধর্মকে টিকিয়ে রাখার জন্য কতকগুলো যুক্তির সমাবেশ। প্রাণী হত্যার কথায় ফিরে যাচ্ছি। প্রাণী হত্যায় পুণ্য কিংবা প্রাণী হত্যা আল্লাহ জায়েজ করেছেন এসব ভুয়া কথা বাদ দিয়ে সোজাসুজি বলেন:
“ আমরা বেঁচে থাকার তাগিদেই প্রাণী হত্যা করতে হয়। এছাড়া আমাদের উপায় নেই। সুতরাং এই প্রাণী হত্যা করতে গিয়ে মানুষ হিসেবে মনের মধ্যে যে পাপবোধ বা অপরাধবোধ কাজ করে সেটা থেকে শান্তনা পাওয়ার জন্য ধর্মের উপর বাহানা দিয়ে, অদৃশ্য আল্লাহর নামে কতকগুলো ভুয়া কথাকে সাজিয়ে গুছিয়ে প্রতারণা করছি মাত্র”। এরকম সত্যবাদি বক্তব্য হবে সুন্দর ও সৃষ্টিকর্তার প্রতি সম্মান দেখানোর প্রমাণ।
ধর্মের বাণী থেকে জানতে পারি মানুষের অন্তরে যখন আল্লাহর প্রতি কোন সন্দেহ থাকে সে অন্তর ব্যধিপূর্ণ। যে অন্তরে দুষ্টুমী চিন্তা বা কলুষতা থাকে সে অন্তর নিশ্চয় শুদ্ধ নয়, আর শুদ্ধ নয় মানেই তো পবিত্র নয়। পরিষ্কার নয়। অতএব ভিতর থেকে কলুষতা, অপবিত্রতা দুর না হলে প্রার্থণা, উপাসনা কিছুই কার্যকরী হবে না। তাই পবিত্রতার জন্য মন বা অন্তকরণ পরিষ্কার অত্যাবশ্যক। অথচ দেহের ক্ষেত্রে দেহের ভিতরটা তদ্রূপ পরিষ্কার ও পবিত্র হওয়া উচিৎ ছিল। কিন্তু তা না হওয়াতে এক অজানিত কৌতুহলে আমি হাবুডুবু খাচ্ছি। হৃদয়ের একুল ওকুল, দু’কুলে লেগে আছে আগ্রহের ব্যাকুল বাতাস। হয়তো দেহের সাথে আত্নার কোন সম্বন্ধ নেই তবু দেহের উপর আসছে বহু নীতিগত চাপ। মহাবিশ্ব সৃষ্টির মহানায়ক আল্লাহর তরফ থেকে এ জবাব কি ভাবে খুঁজে পাব ভেবে পাচ্ছি না। ভেবে পাচ্ছিনা পবিত্রতার চরণতলে কিভাবে সৎচিন্তাশীল মানুষেরা নিজেদের উৎসর্গ করবে ? কেউ কি আছেন আমার এই প্রশ্নটির সুন্দর ও যুক্তিপূর্ণ জবাব দিতে পারেন ? কেউ যদি এমন জবাব দেন যে উহা তো কোরআান হাদীসে বলা হয়েছে এভাবেই মানুষ পবিত্র হবে, এটা আল্লাহর নির্দেশ। তাহলে আমি বলবো এ উত্তর আমার জানা। এটা আল্লাহর নির্দেশ হলে কষ্ট করে আমি এই নিবন্ধটি লিখতামনা। এর বাইরে যদি যুক্তি ও বিবেকি কোন উত্তর আপনার জানা থাকে তা হলে বলুন, কিন্তু অন্যের ধার করা যুক্তি আমার মাথায় চাপাবেন না। বরং নিজের মাথায় যা আসে তাই বলুন।
আমি হারিয়ে যাচ্চি
উত্তর পুরুষ
আল্লাহ সর্বশক্তিমান ও প্রজ্ঞাময়। তিনি অন্তরযামী। অতীত ভবিষ্যৎ সব তিনি জানেন। একজন মানুষের অন্তরের কণায় কণায় কি আছে, না আছে তা তিনি জানেন। বিশ্বের প্রতিটি বস্তুকণা তিনি তৈরি করেছেন এবং তিনি নিয়ন্ত্রণ করেন। তিনি ইচ্ছে করলে প্রতিটি মানুষকে এমন ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, যাতে সেই মানুষের মনে পাপ কিংবা দুরর্নীতির উদ্রেক হলে তাকে (তাহাকে) বিরত থাকার ক্ষমতা দিতে পারেন। তিনি কারো কারো মন বক্র করে রাখেন, কারো হৃদয়ে চিন্তা, জ্ঞান ইত্যাদির সীমিত পরিমাণ দিয়ে সীলমোহর করেন। আবার তিনি মানুষের পেছনে লেলিয়ে দিয়েছেন শয়তান। যে শয়তান তার প্রভাব ফেলে অহরহ রক্তে, হৃদয়ে। অতএব মানুষতো পথ ভ্রষ্ট হবেই। তাঁর এ খেলার জবাব নেই বলেই আমরা দিশেহারা। কোরআনে যা কিছু লিখা আছে, তার প্রত্যেকটি বাক্যকে বিশ্বাস না করা হলে ঈমান থাকবেনা। হতে হবে বেঈমান। এজন্য বার বার ঈমানের উপর প্রচুর আয়াত বা বাক্য সমুহ আছে। বেঈমান হলে কিন্তু উপায় নেই “মৃত্যুর পর তৈরি আছে প্রজ্জ্বলিত অগ্নি। আরও অসংখ্য রকমের শাস্তি। এক এক পাপের জন্য একেক রকম শাস্তি। যা শুধু শুনতে ভয়ঙ্কর নয়, ভাবতে ও শিউরে উঠতে হয়।এই বিভীষিকাময় ভয় হচ্ছে একটি বিশাল শক্তিশালী মারণাস্ত্র। ধর্মীয় মহাপুরুষ নামে খ্যাতিমান ব্যক্তিগণ, এই অস্ত্র দিয়েই কাবু করেছেন পৃথিবীর তাবৎ বিশ্বাসী মানুষদের। তাদের মগজে ঢুকিয়ে দিয়েছেন এক সর্বনাশা ভয়ের বিষ। এবিষ একবার যার মগজে প্রভাব ফেলেছে, ঐ প্রভাব আর কোন দিন মুছেনা। সাদা কাগজে কিংবা কাপড়ে সিগারেটের আগুনের সামান্য ফুলকিতে যে দাগ পড়ে, সেটা কি কখনও মোছা যায় ? ঠিক তদ্রূপ। দুর্বল মানুষ জাতি জীবনের অভিজ্ঞতায় বুঝতে পেরেছে ‘মৃত মানুষ শ্বাস প্রশ্বাস নিতে পারেনা, একটু নড়াচড়া ও করতে পারেনা। মাটিতে পুতে না রাখলে কিংবা না পুড়ালে সেই শরীর পঁচে গলে যায়’। এসব দেখে শোনে মানুষজাতি ভয়ে দিশেহারা। এখন যদি মৃত্যুর পর আবার জীবিত করে শাস্তি দেয়া হয় তাহলে কী হবে ? কী মর্মান্তিক ব্যাপার তাই না ? এই ভয়ের অস্ত্র দিয়েই ধর্মাবতারগণ প্রতিষ্ঠিত করেছেন তাদের বিশাল ধর্মীয় বিশ্বাসের সাম্রাজ্য।
এখন আর সেই যুগ কিংবা কাল নেই যে, যা ইচ্ছে তাই বিশ্বাস করতে হবে। এজন্য ধর্মাবতারগণ আগে বাগেই পলায়ন করেছেন, বোকা মানব গোষ্ঠীর সাথে নানা ভাবে কৌশল ও চালাকি করে। এখন আর তাদের আর্বিভাবের প্রয়োজন হবেনা। আর্বিভাব হলে এ যুগের সাধারণ স্কুল পড়ুয়া বিজ্ঞানের ছাত্রের কাছে তাঁরা হেরে যাবেন এতে কোন সন্দেহ নেই। তাই আগে বাগে কৌশল করে সকলে বলে গেছেন তাদের নিজ নিজ ধর্ম, শেষ ধর্ম এবং এটা ইশ্বর কর্তৃক নির্ধারিত। বিজ্ঞান মানুষের অতীত বর্তমান এবং সভ্যতার বির্বতন নিয়ে গবেষণা করে প্রচুর সত্য তত্ত্ব আবিস্কার করেছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের আওতায় মানুষের মনোজগত নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা ও গবেষণা করে আরও বাস্তব সত্য তথ্য আবিস্কৃত হয়েছে। ব্রেইনের কোষগুলো কি ভাবে তৈরি, এগুলো কি ভাবে কাজ করে ? এসব কোষ কি কি রাসায়নিক প্রভাবে প্রভাবিত ইত্যাদি। প্রকৃতি ও সমাজের সঙ্গে মানুষের যে নিবিড় সম্পর্ক দিনে দিনে স্থাপিত হয়, তখন এই ব্রেইন কোষগুলো কিভাবে সময়ের তালে তালে কাজ করে ও বহুমুখী প্রভাব বিস্তার করে ? এসব বিস্তারিত ব্যাপার নিয়ে লিখা হয়েছে বিশাল বিশাল পুস্তক। এসব পুস্তক পাঠ করে কেবল বিস্মিত হতে হয়। সুতরাং এসব বিশ্বাস করার পেছনে যেমন বাস্তবতা আছে তেমনি যুক্তি ও আছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের এসব তথ্যের উপর ভিত্তি করে আজকাল ব্রেইন এবং হৃদপিণ্ডের চিকিৎসা, অস্ত্রোপচার ইত্যাদি হচ্ছে নির্দ্বিধায়। অথচ শয়তান নামের প্রাণী মানুষকে যে অহরহ ধোঁকা দিচ্ছে তার তো কোন প্রমাণ নেই। নিজেদের অসৎ কাজকে অপরের ঘাড়ে ফেলে দিয়েই আমরা বাঁচতে চাই। কারণ আমাদের ব্রেইন ও মনোজগত কি ভাবে কাজ করে তার কোন ব্যাখ্যা আমরা জানিনা বলে শয়তান নামের এক অদ্ভুত ও অদৃশ্য প্রাণীর আমদানি হয়েছে ঐ ধর্মীয় বুদ্ধিমানদের কথা অনুযায়ী। সত্যতার নিরীখে আরও বলা যায় পৃথিবীর সকল বস্তু বা প্রাণীর যেমন বিভিন্ন গুণাগুণের উপাদান থাকে। মানুষের মনে ও তদ্রূপ থাকে। প্রত্যেকটি গুণাগুণের বিপরীতে অন্য ধর্মী আরেকটি উপাদান থাকে। মানুষের মনে যেমন ক্রোধ থাকে, তদ্রূপ এর বিপরীতে দয়া মায়া ও থাকে। ঠিক এভাবে মানুষের মনে যেমন সততা থাকে তদ্রূপ অপর পার্শে কুবুদ্ধি বা অগঠনমুলক উপাদান থাকে। এগুলো বিভিন্ন সময়ে মাথা চাড়া দিয়ে উঠে এবং সক্রিয় হয়। এবিষয়টি আগের ধর্মাবতারগণ জানতেন না। তাই তারা অনুমানের উপর নির্ভর করে শয়তানের উৎপাদন ঘটিয়েছেন মানুষের জীবনে। না হয় লোক মুখে শোনা প্রাচীন উপকথা থেকে এসব ধার করা । যাইহোক এভাবে যা কিছু ধর্মগ্রন্থে বলা হবে তাই বিশ্বাস করতে হবে। কিন্তু এই বিশ্বাসের কোন ভিত্তি যদি না থাকে তাহলে সেটা বিশ্বাস করা যায় কেমনে ? এক সাধারণ বিবেকবান ব্যক্তি একদিন খুব গোস্বা করে বলে ছিলেন:- মানুষের কাঁধে দু’জন ফেরেশতা থাকেন সেটা যদি কোন ধর্মীয় প্রতিনিধি দেখাতে পারেন তাহলে আমি তাকে দু’কোটি টাকা উপহার দেব। নইলে এমনতর মিথ্যে বেঈমানী কথা আপনারা বাদ দেন। আমাদের বিশ্বাসকে পুঁজি করে আপনারা মানুষের সাথে ভুয়া ও প্রতারণা করছেন। এক ধর্মীয় ক্লাসের ছাত্র তার শিক্ষককে বলেছিল ‘মেহরাজের (উর্ধাআকাশে গমন) সময়ে নবী যখন বোরাকে সওয়ার হয়ে সাত আসমান জমিন ঘুরেছিলেন তখন কত বেগ অক্সিজেন সাথে নিয়েছিলেন’? এবং সুর্যের আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি থেকে বাঁচার জন্য কি কি ধরনের কাপড় চোপড় নিয়েছিলেন ? অষ্টম শ্রেণীর এই ছাত্রের কোন জবাব শিক্ষক দিতে পারেন নি। ভবিষ্যতে বেশি করে হাদিস পড়লে সব বুঝতে পারবে বলে সেদিন তিনি মুখ রক্ষা করেছিলেন। ইসলাম যদি শেষ ধর্ম, তাহলে আল্লাহ কেন মানব সভ্যতার প্রথমেই তা দিয়ে দিলেন না ? তাহলে মানুষের মধ্যে বহুজাত, বহু ধর্মের বিভেদ সৃষ্টি হতনা। তিনি কেন নানা বর্ণের মানুষ সৃষ্টি করে বর্ণ বৈষম্যের বিভেদ বাড়ালেন ? এক ভূখণ্ডে মুল্যবান খনিজ সম্পদ দিলেন, অন্য ভূখণ্ডে মরুভূমি, অন্য ভূখণ্ডে জলের বন্যা। একজাতির মগজে জ্ঞানের প্রচুর ভাণ্ডার। অন্য জাতিদের মগজে তার চেয়ে বহু কম। এসবের কারণ এবং যুক্তি আমরা ধর্মীয় উপদেশ বাণীর পু্স্তকেও পাই। সব কিছু দেখেশোনে মনে হচ্ছে মানুষ যে ভাবে তার কল্পনা প্রবণ মন দিয়ে ইশ্বরের গল্প তৈরি করে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সাথে মার্জ বা মিল দিয়েছে, তাতে করে মনে হচ্ছে ইশ্বর বা আল্লাহ এমন চরিত্রের যিনি “ সবকুলের তাতী ও মাঝের বৈরাতি ” এই ভুমিকা পালন করে যাচ্ছেন।
দুনিয়াতে কেউ তো নিজ ধর্ম বা সমাজিক আচার আচরণের বিশ্বাস থেকে হঠতে চায়না। তাইতো পৃথিবীতে এত জাতের সৃষ্টি। সুতরাং এসব থেকে ও ইতিহাস থেকে এটা স্পষ্ট প্রমাণিত যে, যুগের উপযোগি মহাপুরষদের আগমন সব সময়েই ঘটেছে। দোষ করেছে কেবল বিগত কয়েক শতাব্দি। যে কারণে মহাপুরুষদের আগমন পৃথিবীতে বন্ধ হয়ে গেল। পৃথিবীতে আজকাল যে পরিবর্তন ও যুগ এসেছে, এ যুগের সাথে অতীত যুগ গুলোর দিনরাত তফাৎ। পৃথিবীর প্রতিটি ভূখণ্ডে বেড়েছে বিশাল জনতা। আমরা মানবজাতি এখনও বহুমত বহুনীতি নিয়ে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন ও দিশেহারা। জীবনের তৎপরতা এমনভাবে বেড়েছে যে, আমরা ভাল বা সুস্থ মনে শ্বাসটি নেবারও সময় পাচ্ছি না। এঅবস্থায় আমরা অনেকেই ভাবনার সাগরে দিশেহারা। সৃষ্টিকর্তা যদি এ যুগের জন্য আমাদেরকে আরেকজন খাঁটি মহাপুরষ পাঠাতেন তা হলে হয়তো আমরা আর বিভ্রান্ত হতাম না। হৃদয়ে অসংখ্য চিন্তার ভিড়। ঐ ভিড়ের মধ্যে আমি হারিয়ে যাচ্ছি। এই হারিয়ে যাওয়া থেকে কেউ কি আমায় উদ্ধার করতে পারেন ?
@আহমাদ আব্দুল্লাহ
নিচের লিঙ্কে আপনার প্রশ্নের উত্তর ছোট আকারে হলেও পাবেনঃ
http://blog.mukto-mona.com/?p=5773
@ উত্তর পুরুষ,
পাঠকবৃন্দ যাহাতে আপনার নিবন্ধ পড়িয়া হারিয়া না যাই, সেই হারিয়া যাওয়া অবস্থা হইতে উদ্ধারের ব্যবস্থা করিবার নিমিত্ত কিছু তাবিজ প্রদান করিলাম।
নিচের তাবিজগুলো প্রত্যহ সকাল বিকাল গলধ:করণ করিতে হইবে।
১) অভিজিৎ এর- ক) বিজ্ঞানময় কিতাব খ) ধর্ম ও নৈতিকতা
২) আকাশ মালিক এর- ক) ইসলামের অপর পৃষ্ঠা খ) আশেয়া
৩) আবুল কাসেম এর – ক) ইসলামিক ভুদুস।
৪) ফতেহ মোল্লা এর – ক) ইসলাম ও শরিয়া।
আপাতত এই তাবিজগুলো সঙ্গে রাখিবেন। কাজ না হইলে পরে ব্যবস্থা লওয়া যাইবে।
@মাহফুজ,
একটা শুদ্ধিকরণ: আশেয়া হবে আয়েশা।
@মাহফুজ,
জ্বী স্যার! তাবিজগুলোর মধ্যে ৩ নং তাবিজ বাধি নাই। দু নম্বর বাধিয়া ছিলাম কিন্ত ছিড়ে গেল। বাকী তাবিজগুলো ভাল ভাবেই আছে, তবে লিখাগুলোতে একটু মরিচা পড়িয়াছে এই আর কি !
উত্তর পুরুষ
আপনার কাছে আমার একটা প্রশ্ন,
যদি আপনাকে কেউ বলে যে সে একদিন মধ্যপ্রাচ্যের কোন এক মরুভূমি তে হাটছিল হঠাত বালুর মধ্য থেকে সে একটা আনকোরা নতুন মোবাইল সেট পেয়ে গেল। ধরে নেয়া হচ্ছে যে সেই সেটটা যথেষ্ঠ গভীর বালুর মধ্য থেকে পাওয়া গেল এবং আরো ধরে নেওয়া হচ্ছে যে সেটা সেখানে পৌছানোর মত কোন মনুষ্য যোগাযোগের সম্ভাবনা নাই। আপনাকে যদি বলা হয় এটা লাখো বছরের আবর্তন বিবর্তনে ভূমিকম্প ও বন্যার ফলে বিবর্তিত হয়ে এই অবস্থায় পৌঁছেছে। আপনি কি বিশ্বাস করবেন?
@আহমাদ আব্দুল্লাহ,
যুক্তি হিশাবে আরো বলা হল যেহেতু মোবাইএল সেট তৈরীর মূল উপাদান সিলিকনের সিলিকা আসে বালু থেকে, প্লাস্টিক আসা সম্ভব পেট্রোলিয়াম থেকে, অন্যান্য ধাতুগুলো তো সবই মাটির নিচে পাওয়া যায়। এভাবেই বহু বছরে এগুলো একসাথে মিশে আবর্তন, বিবর্ত্ দৈব বিপাক, প্রাকৃতিক পরিবর্তন এসবের ফলে এরকম একটা মোবাইল তৈরী হয়ে গেছে। আপনি কি বিশ্বাস করবেন?
@আহমাদ আব্দুল্লাহ,
আহা! অনেক কষ্ট করলেন!
কী দরকার ছিলো? মূল এনালোজী টিই তুলে দিতেন না হয়! (নাকী খেরেস্তানের বলে লজ্জা লাগলো!!!)
এমন প্রশ্ন কেনো করেন যার উত্তর কয়েক লক্ষ বার দেয়া হয়ে গেছে। ইন্টারনেট ঘাটলেই তো পারেন।
http://philosophy.lander.edu/intro/paley.shtml
এখান থেকে পড়ে নিন। তারপর প্রশ্ন থাকলে করুন কিন্তু দয়া করে না পড়ে করবেন না।
bai dyবাই দ্য ওয়ে, bbfdagvfdafaBTWbdfjsaআপনার কাছে কী মনে হবে?
পাপ করেছে বলে উপর থেকে নিক্ষিপ্ত হয়েছে?!!!!বেশ মজাতো।
হৃদয়ে অসংখ্য চিন্তার ভিড়। ঐ ভিড়ের মধ্যে আমি হারিয়ে যাচ্ছি। এই হারিয়ে যাওয়া থেকে কেউ কি আমায় উদ্ধার করতে পারেন ?
হ্যা, অসংখ্য চিন্তার মধ্য কুশল চিন্তাকে জড়িয়ে দরুণ। যেমন- নদীতে বাসিয়ে যাওয়া মানুষ যেমন কোন একটা কে জড়িয়ে ধরে বাজতে চাই, তেমনি আপনি ও মনের সত্যর স্রুত ধারা কে জড়িয়ে দরুণ। যে কুশল কর্ম সম্পাদন করা হ্য় তার প্রতি আত্মবিশ্বাস রাখুন। কারণ কর্মই ধর্ম।
চমৎকার এই লেখাটি উপহার দেবার উত্তরপুরুষকে ধন্যবাদ। অনেক প্রশ্ন ও উত্তরের সদ্ধান মিলে লেখাটিতে।
এই হারিয়ে যাওয়া থেকে কারো উদ্ধার নেই। হয় আপনাকে প্রশ্নের ভিড়ে হারিয়ে থাকতে হবে অথবা ধর্মের আফিম খেয়ে বুদ হয়ে পরে থাকতে হবে। এ ছাড়াতো কোন উপায় দেখছিনা।
অনেক ধন্যবাদ। :deadrose:
তাহলে মানুষের মধ্যে বহুজাত, বহু ধর্মের বিভেদ সৃষ্টি হতনা।
——
বেশ লিখেছেন তো।
যতো ধর্ম ততো বিভেদ। একই ধর্মের লো্কের সংখ্যা বাড়াতে কতো ই না কারুকাযি আর ফন্দি।
মধ্য প্রাচ্যে দুটো ধর্ম পয়দা না হলে আমাদের এই মহাদেশ ই হত সব চাইতে সুন্দর ও শান্তির যায়গা।ধর্মই তৈরী করেছে সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু বলে দুটো বদ শব্দ।মারা মারি কাটা কাটি খুনো খুনি আরো কত কি।
এডমিনের কল্যাণে লেখাটি আরেকবার পড়া হলো।
এখন আছে মোল্লার দল। তারা প্রতিনিয়ত ভয় দেখিয়ে চলেছে সমাজের সাধারণ মানুষদের।
@মাহফুজ,
সত্যি করে বলুনতো কার কল্যাণে পড়েছেন? ( এরপর থেকে আমিও আপনার পদ্ধতি অনুসরণ করব, এডমিন,মডু সবাই খুশি থাকবে 😀 )
@রামগড়ুড়ের ছানা,
আসল গোমরটা ফাস করে দেই। এডমিন সাহেব লেখাটা মুছে দিয়েছেন। কিন্তু এডমিনের বদলে ভুলক্রমে প্রথমবার আমি মডারেটর লিখি। দেখলাম আমি তো ভুল করেছি।
এখন কী করি, আমি মন্তব্য মুছে ফেলার কায়দা-কৌশলও জানি না।
তাই দ্বিতীয় বার ঠিক করে এডমিন লিখলাম।
যাহোক ভালই হলো- আপনার কথামত এডমিন, মডু সবাই খুশি থাকবে।
ভুলও মাঝে মাঝে মঙ্গল ডেকে আনে, তা আজ প্রমাণ পাওয়া গেল।
মডারেটরের কল্যাণে লেখাটি আরেকবার পড়লাম।
এখন আছে মোল্লার দল। তারা প্রতিনিয়ত ভয় দেখিয়ে চলেছে সমাজের সাধারণ মানুষদের।
আপনার লেখাটা বেশ কৌ্তুহল উদ্দিপক। চিন্তার খোরাক আছে।
আপনি একই পোস্ট দুবার প্রকাশ করেছেন। প্রথমটি রেখে দ্বিতীয়টি মুছে দেয়া হচ্ছে।
মনে রাখবেন, একবার পোস্ট মুছে ফেললে মন্তব্যগুলো হারিয়ে যায়। কাজেই আগের পোস্টটি না মুছে আপনি কনটেন্ট এডিট করতে পারতেন।
@মুক্তমনা এডমিন,
তাই তো ফুয়াদ ভাইয়ের কমেন্টগুলি খুঁজিয়া পাইতেছিনা।
ফুয়াদ ভাই বড় উদ্গ্রীব হইয়া আপনার উত্তরের অপেক্ষায় আছি। বাই দ্যা ওয়ে, গতকাল বাড়ি হইতে পত্র মারফত অবগত হইয়াছি যে, আমাদের বাড়ির দক্ষিণ পার্শে অবস্থিত গোয়াল ঘর খানা অক্ষত অবস্থায় রাখিয়া, পাঞ্জেগানা মসজিদ খানি বন্যার পানিতে ভাসাইয়া লইয়া গিয়াছে। এমতাবস্থায় নতুনভাবে মাটি কাটাইয়া ভিটায় মসজিদ তুলিতে হইবে, অন্যতায় বে-নামাজী গরুদিগকে বাহির করিয়া দিয়া সেই ঘরেই নামাজের ব্যবস্থা করিতে হইবে।
পত্রখানি পাইয়া মসজিদের উপর আল্লাহর গজব নাজিল হওয়ার কারণ আবিষ্কার করিতে না পারিয়া যারপর নাই চিন্তিত হইলাম। আমার মনে হইল , আল্লাহ যে এই বিশ্বকে লইয়া বিরাট শিশুর মত আনমনে খেলিতেছেন, সব কিছু আপন মনে গড়িতেছেন ভাঙ্গিতেছেন তারা তাহা বুঝিতে পারিতেছেনা।
পত্রোত্তরে আমি তাহাদিগকে বলিয়াছি, যদিও আল্লাহর ঘর তোমরাই গড়িয়াছিলে তবুও আল্লাহর যেহেতু তার ঘরখানি ভাঙ্গিবার ইচ্ছা জাগিয়াছে, তোমরা তাহার ইচ্ছার বিরোদ্ধে আরেক খানি মসজিদ বানাইয়া না-ফরমানী কাজ করিয়া আখেরাতে আগুনে পুড়িয়া মরিতে যাইওনা।
আমি কি তাহাদিগকে সঠিক উত্তর দিতে পারিলাম বুঝিতে পারিতেছিনা, এই ব্যাপারে আপনার পরবর্তি মন্তব্যে সু-পরামর্শ দিয়া বাধিত করিবেন।
ইতি-
আকাশ।
@আকাশ মালিক,
বন্যার পানিতে আপনাদের মসজিদ খানি ভাসাইয়া নিয়াছে শুনিয়া দুঃখীত হইলাম। আমার মনে একটি প্রশ্ন জাগিতেছে, সেটা হইলো আপনি বলিতেছেন আল্লাহ “সব কিছু আপন মনে গড়িতেছেন ভাঙ্গিতেছেন“,
কিন্তু মনের খেয়ালে তিনি আপনাদের মসজিদখানা ভাঙ্গিয়া দিলেন, ভালো কথা, তদ্রুপ মনের খেয়ালে তিনি কি আপনাদের মসজিদখানা গড়িয়া দিতে পারেন না?
ভাঙ্গিবার বেলায় তিনি ওস্তাদ, গড়িবার বেলায় মানুষের সাহায্য ছাড়া কাজটি হইতেছেনা কেন? সবই কেমন যেন গোলমেলে। :-/
@আকাশ মালিক,
আমি শুনিয়াছি- কেয়ামতের সময় আল্লাহ পবিত্র কাবা ঘরকে তাহার নিজের কাছে তুলিয়া লইবেন। আর সেই কারণেই আমার মনে হইতেছে- এত বড় কাবাঘরকে তুলিয়া লইবার আগে ছোট ছোট মসজিদ তুলিয়া লইয়া প্র্যাক্টিস করিতেছেন বা মহড়া দিতেছেন। যাহাতে কেয়ামতের দিন কাবা ঘরকে তুলিতে অসুবিধা না হয়।
আপনি সঠিক জবাব দিয়াছেন কিনা তাহা বুঝিতে পারিতেছেন না। মনে হইতেছে বড়ই সন্দেহের মধ্যে হাবুডুবু খাইতেছেন। সন্দেহ না করিয়া পূর্ণ বিশ্বাস করুন- যাহা বলিয়াছেন তাহা সত্যই বলিয়াছেন।
@আকাশ মালিক,
আমার মন্তব্যখানা গায়েব হয়েগিয়েছে বিধায় আমি আর এই লেখায় মন্তব্য করার ইচ্ছা খানা হারিয়ে ফেলেছিলাম। হঠাত করে কি মনে করে লেখাটি একটু দেখতে এসে আপনার মন্তব্যটি দেখতে পারেন। যাইহোক, আমি বুঝতে পেরেছি মন্তব্য খানা মডারেটরের দোষ নয় বরং লেখকের দোষে ডিলিট হয়ে গেছে। একটি মন্তব্য লিখতে যতেষ্ট কষ্ট হয়, তাই লেখকরা যদি এ ব্যাপারে লক্ষ্য রাখেন তাহলে ভাল হয়।
গোয়াল ঘরের সাথে মসজিদের তুলনা করা নিতান্তই আপনার মত মানুষের কাছে সাজায়। ব্যাপার যাইহোক, আল্লাহ পাক পৃথিবীর মধ্যে কিছু নিয়মের সৃষ্ঠি করেছেন। এই নিয়ম গুলি এমন যে তিনি ছাড়া এবং তিনি যাদের চান তারা ছাড়া কেউ এর বাহিরে নয়। মসজিদ কিংবা মুমিনের ঘর ও এর বাহিরে নয়। আগুনের কাজ হল পুড়িয়ে ফেলা, সে সামনে যা পাবে তাকেই পুড়িয়ে ফেলবে। গুলির কোন মা-বাপ নেই, সামনে যাকে পাবে তাকেই বিদ্ধ করতে চাইবে। এ ধরনের বহু সংখ্যক নিয়ম এই পৃথিবীর মধ্যে বিদ্যমান। এখন গোয়াল ঘরের অবস্থান যদি এরূপ জায়গায় হয়, যে তাকে বন্যায় কিছু করতে পারবে না, তাহলে তার তো কিছু না হওয়ার ই কথা। আপনি নিশ্চই জানেন, কাবা ঘরে মানুষের গোলা পরে ভালই ভেংগে ছিল, তার তা ভাংগার ও কথা কারন এটি শুধুই ঘর ছাড়া আর কিছুই নয়।
আল্লাহ মানুষকে পরিক্ষা দিয়েছেন, আর এখানে মানুষকেই আল্লাহ পাকের ঘরের মর্যাদা রক্ষা করতে হবে আর এটিই পরিক্ষা। তবে ইদানিং কালে মানুষ তার নিজের দোষ আল্লাহ পাকে ঘাড়ে চাপাতে উস্তাদ হয়ে গিয়েছে। যেমনঃ “সব ছেলে রা অসাধারন সুন্দরি মেয়ে বিবাহ করতে চায়” এই অসাধারন সুন্দর্য সাধরন সুন্দর্যতেই থাকত যদি না এই সব ছেলেরা শুধুই ফ্লিমের নাইকা দের না দেখত, সিনেমা ছবি তো মানুষ-ই বের করেছে, অতএব, এর দায় দায়িত্ব ও মানুষের, কিন্তু নিজের দোষ গোপন কইরা সব দোষ আল্লাহ পাক আল্লাহ পাক, জফা শুরু করছেন। এই পৃথিবীতে যত প্রকার অন্যায় হচ্ছে তার জন্য সব সময় মানুষ-ই দায়ী, এবং আল্লাহ পাক পরিক্ষার জন্য হয়ত মানুষের কাজ গুলিতে নাক গলান না। তিনি যদি চাইতেন তাহলে তিনি সব মানুষকেই আরাম দায়ক পরিবেশে রাখতে পারতেন। আবার এমন ও তিনি করতে পারেন, যে কষ্টের অনুভূতি ই চেইঞ্জ করে দিলেন মৃত্যুর পর, উল্টিয়ে দিলেন কষ্টের অনুভূতি, তখন পৃথিবীতে যে যত বেশী কষ্ট করেছে, সে নিজেকে তত বেশী সুখী মনে করবে। সুখ আর দুঃখ এগুলোও আপেক্ষিক এবং আল্লাহ পাক যখনে যেভাবে চান, সেভাবেই এগুলোকে আবর্তন করেন। তাই, ভাংগা গড়ার এই নিয়মে কিছু আসে যায় না।
উপরের লেখকের লেখাঃ
উনার পুরো লেখাই একটি গোলমালে চিন্তাভাবনা। আরে ভাই, আল্লাহ যদি সাত আসমানের উপরে নিতেই পারেন, তাহলে অক্সিজেন ছাড়া বাচাতেও পারেন, তা ক্লাস ফাইভের ছেলেও বুঝে। তাই এ সব অবান্তর প্রশ্ন করে মানুষের কিছু বাহবা পাইতে পারেন, কারন ইদানিং মানুষ নিজেই পৃথিবীকে বিষাক্ত করে, আল্লাহ পাকের উপর দায় চাপিয়ে অনন্দ পায়, অথবা মেনের দুঃখ দূর করে। আসলে আল্লাহ পাক হয়ত মানুষের বিষাক্ত কর্মের অনুমতি দিয়েদেন, তাই তারা তা করতে পারে। কিন্তু সব পরিক্ষা বিধায়, আল্লাহ পাক হয়ত ইচ্ছা করে সব কিছু চেইঞ্জ করেন না, অথবা মাঝে মাঝে করেন।
@ফুয়াদ,
আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আশা করি আপনি আপনার মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের মহা অনুগ্রহে ভালই আছেন। আর ভালো থাকুন এই কামনা করি।
যদিও এখানে আকাশ মালিক ভাই-এর মন্তব্য করার কথা। তিনি এলে অবশ্যই মন্তব্য করবেন। আপনার মন্তব্য দেখে আমার মনের মধ্যে একটু সংশয় হয়েছে বিধায় আমি মন্তব্য করছি।
আপনার মন্তব্যটি খুব মনোযোগসহকারে পড়লাম। তার মধ্যে একটি বাক্যের দিকে আমার দৃষ্টি পড়ল-
কাবা ঘর হচ্ছে পৃথিবীর সমস্ত ঘর হতে উৎকৃষ্ট। এর সঙ্গে কোন ঘরের তুলনা দেয়া কি উচিত? এই ঘরের দিকে মুখ করে পেশাব ফেরাও নাজায়েজ কাম। এই পবিত্র ঘরের ঠিক উপরে রয়েছে আল্লাহর আরশ। প্রতি বছর হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ মানুষ এই ঘরের সান্নিধ্য লাভ করার জন্য ছুটে যায়। তাই এই পবিত্র কাবাকে ‘এটি শুধুই ঘর ছাড়া আর কিছুই নয়’ বলাটা কি যুক্তিসংগত হলো? এরজন্য কি আপনার কোনই গুনাহ হবে না? শিগগির তাওবা করুন।
যাহা হোক আমার প্রশ্ন অন্যখানে- উত্তর পুরুষ যে ধর্মের আড়ালে বিবেকের আর্তনাদে জর্জড়িত হয়েছেন, সেখান থেকে তিনি পরিত্রাণ/নাজাত/ মুক্তি লাভ করতে চান। তার অনেক প্রশ্ন রয়েছে। আসুন আমরা তার প্রশ্নের দিকে মনোযোগী হয়ে তাকে উদ্ধার করতে সচেষ্ট হই।
@মাহফুজ,
যে বিষয় বুঝেন না, এই বিষয় নিয়ে কথা বলা আপনাদের একটা বিশেষ স্বভাব। আগে নিজের জ্ঞান খানা ঠিক করে আসেন, তারপর কথা বলেন। শুধু শুধু পাগলামীর বক্তব্য দিয়ে আরেক নাস্তিকের কাছ হতে পাচ তারা পেতে পারেন, কিন্তু এতে তোমন কোন লাভ হবে না। যেটা যে রূপ সে রূপেই থেকে যাবে।
একথা বুঝুন আগে এই যে, আল্লাহ পাক কাবা ঘরকে সম্মানিত করে সৃষ্টি করেছেন বিধায় এটি সম্মান্নিত এর মানে এই নয় যে এটি সয়ং আল্লাহ পাক। আল্লাহ পাকের যদি ইচ্ছা হয়, যে কাবার দিকে আসা সকল বাহিনীকে হাতি বাহিনীর মত ধ্বংশ করে দিবেন, তাও তিনি পারেন, আবার যদি মনে করেন, তিনি কিছুই করবেন না, সেটাও তিনি পারেন। তিনি যদি কাবা ঘরকে সম্মান্নিত করে সৃষ্টি না করে মনে করুন বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ কে সম্মান্নিত করে সৃষ্টি করতেন, তাহলে এর ক্ষেত্রেও কাবার মত কথা খাঠত।
@ফুয়াদ,
নিয়ামাতি লাকুম ওয়াচ্ছালামু মিনাল্লাহ।
আগের মন্তব্যে আমি আপনাকে ইসলামী কায়দায় সালাম দিয়েছি। কোন জবাব পাই নাই। আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে- সালামের জবাব দেয়া ওয়াজিব।
যাহা হউক, আপনি হয়ত আমাকে নাস্তিক ভেবে সালামের জবাব দেন নাই। আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমি এখনও নাস্তিক হতে পারি নাই। ঐ পথ বড়ই কঠিন! জ্ঞানীর পথ, বিজ্ঞানীর পথ, বিবর্তনের পথ। আমার মত একজন নাদান মূর্খের পক্ষে সে পথের সন্ধান পাওয়া এত সহজ নয়। তবে চেষ্টাই রত রয়েছি। দোয়া করবেন আল্লাহ-ই যেন আমার মকছুদ পুরা করেন।
আপনি কোরানের গরু সুরা হইতে কয়েকটি কালাম আমার উদ্দেশ্যে পেশ করেছেন। আপনি হয়ত আরবী ভালো মত বুঝেন। কিন্তু আমি আরবী কুতিয়া কুতিয়া পড়তে পারলেও বুঝতে অক্ষম। তবুও আরবী পড়াতে আমার যে নেকি হলো, তা আপনার উপর বকশাইয়া দিলাম।
ভাইরে, আমি তো আপনার মন্তব্য থেকে একটি বাক্য তুলে এনে আপনার ভুল ধরিয়ে দিতে চেয়েছি। এই ভুল ধরিয়ে দেয়াটা আমার হয়তো অন্যায়-ই হয়েছে। এজন্য আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিবেন।
আমি এক নাদান, কাবা ঘরকে এত তুচ্ছ মনে করি না। বলি না- ’এটি ঘর ছাড়া আর কিছুই নয়।’ আপনার এই কথাটি আমার নিকট ভালো ঠ্যাকে নাই বিধায় জানিয়েছি। এতে আপনি আমাকে নাস্তিকের পাঁচ তারা দেখিয়ে দিলেন। ভাইরে, এ পর্যন্ত আমি স্বচক্ষে একজন নাস্তিকের সাক্ষাত পেলাম না। এটাই আমার বড় আফসোস! দোয়া করবেন যেন সাক্ষাত পেয়ে ধন্য হই। জীবনে তো বহু আস্তিকের সাথে উঠবস করলাম। তাতে দোযখের ভয়, আর বেহেস্তের লোভ (হুর, শরাব) ছাড়া আর কিছুই পেলাম না।
গরু সুরার ১৪২ আয়াতে বলা হয়েছে- “তিনি যাকে ইচ্ছা সরল পথে চালান।” এখন আমি যদি নাস্তিকের পথে চলি সেটাও আল্লাহ পাকের ইচ্ছা।
এখানে আপনার আমার করার কিছুই নাই।
১৫১ নং আয়াতটি কাহাদের উদ্দেশ্যে নাজিল হয়েছে। এটা কি বাঙালীদের উদ্দেশ্যে নাকি শুধু আরববাসীদের উদ্দেশ্যে?
এই প্রশ্ন রেখে এখনকার মত বিদায় চাচ্ছি। খোদা হাফেজ।
বি.দ্র. আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। টাইপ করবার সময় একটু মর্যাদা দিয়ে টাইপ করবেন। বানানে বেশি ভুল থাকলে পড়তে ইচ্ছে করে না।
@মাহফুজ,
আপনার আর ফুয়াদ ভাইয়ের মধ্যে অতি চমৎকার আলোচনা চলিতেছে। জ্ঞান বিকাশের সহায় হইবে বিধায় ফলো করিয়া যাইতেছি।
@আতিক রাঢ়ী,
আমার গুরু আকাশ মালিক ভাইকে পাইতেছি না। শুধু প্রক্সি দিতাছি। গুরুর কাম শিষ্য দিয়া কি আর হয়? একটু প্র্যাকটিস করতাছি, এই আর কি? বুঝি প্রচুর পড়াশুনা করিতে হইবে।
শুধু ফলো নয়, একটু অংশগ্রহণও করুন। আপনার কাছ থেকেও কিছু জ্ঞান লাভ করি।
@মাহফুজ,
অচিরেই জ্ঞানের একখানা গোলা মুক্তমনাতে নিক্ষেপ করিতে যাইতেছি। আপনার ভয়ে বানান ঠিক করিতে করিতে রুহু আসিতেছে আর যাইতেছে।
দুই এক দিনের মধ্যে জ্ঞানের বন্যায় চারিপাশ ভাসাইয়া দেওয়ার ইচ্ছা আছে।
দেখি কতদূর কি করিতে পারা যায়।
@আতিক রাঢ়ী,
সেই ককটেলের অপেক্ষায় চাতক পাখির ন্যায় চেয়ে আছি। তাড়াতাড়ি পাঠান।
@মাহফুজ,
আমি দুই বছরের শিশু নই যে লেখার স্টাইল দেখে বুঝবো না, কোনটা টিটকারী আর কোনটা আসল। তাই আপনার লিখা উপরের অধিকাংশ লেখার কোন জবাব দিবার দরকার মনে করি না।
জী জনাব, আমি আমার মার্তৃভাষায় লেখি, আর আমার মার্তৃভাষা হল বাংলাদেশে প্রচলিত ভাষা। আমি বাংলাদেশে জন্মগ্রহন করেছি, তাই এখানকার ভাষাই আমার মার্তৃভাষা। অতএব, আমার ভাষাকে অপমান করার অধিকার আপনার নেই। যদি মনে করেন জ্ঞান ফলাবেন, তাহলে গিয়ে অন্য কাউরো কাছে জ্ঞান ফলান। আমারে জ্ঞান দেখাইতে হবে না, কারন আপনি যে জ্ঞানী এটি আমি মেনে নেই, কিন্তু এই মেনে নেওয়ার মানে এই নয় যে আপনি যা খুশি তাই বলে যাবেন।
@ফুয়াদ,
প্রিয় ভাই আমার,
আপনার সাথে আমার একটা সখ্যতা গড়ে উঠেছে, এটা আমি আমার অন্তর থেকেই উপলব্ধি করি। কারণ আপনার কাছ থেকেও অনেক কিছু শিখছি। আপনাকে আপন মনে করেই বানানের দিকে একটু দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়েছি।
আপনি তো জানেন- নীতিমালায় লেখা আছে:
২.১৪। লেখায় বানান ভুলের প্রতি সদস্যরা সচেতনতা দেখাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। অতিরিক্ত বানান ভুল থাকলে লেখা প্রকাশ করা হবে না কিংবা লেখা সরিয়ে ফেলা হবে।
আসলে উপযাচক হয়ে কাউকে পরামর্শ দিতে নাই। আজ তা আরো একবার বুঝলাম। আমি ভুলে গিয়েছিলাম ড. আহমদ শরীফের কথা। তিনি বলেছেন- অপরকে অযাচিত উপদেশ-পরামর্শ দেয়ার ধৃষ্টতা যে অপরিশীলিত বর্বর রুচি-বুদ্ধিরই পরিচায়ক, তা তথাকথিত শিক্ষিত -সংস্কৃতিবানেরাও উপলব্ধি করে না।
আমার মনে হয়, আপনার সঙ্গে বাতচিত করাটা আমার জন্য অপরিশীলিত বর্বর রুচি-বুদ্ধিরই পরিচায়ক হয়েছে। তাই কথা আর আগাতে চাই না।
ভালো থাকবেন। বাই, বাই।
@মাহফুজ,
আপনি মনে হয় ফুয়াদ ভাই এর প্রথম দিককার কমেন্টগুলি দেখেননি। দেখলে এই কথা বলতেন না। ওগুলি পড়তে গেলে ভুল ধরার চাইতে ঠিক বের করাই চ্যালেঞ্জিং হত। সাথে আঞ্চলিক উচ্চারন, মিলিয়ে ওনার লেখার মানে বোঝা হত খুবই বেদনাদায়ক। ফুয়াদ ভাই এখন অনেক অনেক উন্নতি করেছেন। উনি তা নিজেও স্বীকার করেন। উনি এই বিষয়ে উন্নতির জন্য অনেকের সাথে অভিজিতের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
@আদিল মাহমুদ,
মন্তব্য মুছে যাওয়ায় পড়ার সৌভাগ্য হয়নি। আমি বিষয়টা জানতাম না। যাহোক এখানে ক্লাস করতে করতে যে উন্নতি হচ্ছে সেটা তো বড়ই সুসংবাদ। মুক্তমনা কি জয়!
@ফুয়াদ, অন্যান্য আরও অনেকের সাথেই অসাদৃশ্যপূর্ণভাবে, হরেক রকম পাগল-ছাগল একেবারেই আমার ঔৎসুক্য বা কৌতুহল জাগ্রত করে না। তারপরও আপনার সাম্প্রতিক আদান-প্রদানের গতিবিধি দেখে একপ্রকার মনোবেদনাতেই একটা মন্তব্য করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম।
এটা প্রসংশাযোগ্য যে আপনি আপনার কল্পনাশক্তিকে কাজে লাগাচ্ছেন। সর্বপোরি এই কল্পনাশক্তিই মানুষের ইউনিক বৈশিষ্ট। কিন্তু আপনার এই কল্পনাশক্তিকে আপনি যদি কাজে লাগাতেন এমন কোন খাতে যেইখানে মানুষের আসলেও উপকার রয়েছে- যেমন একটা অঙ্ক করে, একটা নতুন কিছু ভেবে বের করে, মানুষের জ্ঞানের পুলে অবদান রাখার জন্য শিক্ষিত হয়ে, বিজ্ঞান শিক্ষা করে, তবে খুব ভালো হতো। কেননা আপনি আপনার কল্পনার তরী যেই সুমুদ্রে ভাসিয়েছেন, যথা সাত আসমান, আল্লা, ফেরেস্তা, অক্সিজেন ইত্যাদি, এটা না করে আপনি যদি বরং উদ্ধার করার চেষ্টা করতেন- বোটকা কালো স্কন্ধকাটা পেত্নী কি ধরণের ল্যাজানিয়া খেতে ভালোবাসে- উভয়ের বুদ্ধিগত মূ্ল্য হতো একই সমান।
অপরের জ্ঞান নিয়ে আপনার ভাবতে হবে না, আগে আপনি আপনার নিজের জ্ঞানের কথা ভাবুন। আল্লা বিষয়ে আপনার কি জ্ঞান সেটা শুনতে কেউ ই আগ্রহী নয়, কেননা মানুষের সময়ের মূ্ল্য রয়েছে। এখন যদি একটা পৈতা গলায় ভ্রাহ্মণ এসে বিজাতিয় ভাষায় ‘দ্রিঘাংচু’ মন্ত্রমালা আওড়াতে শুরু করে এটা কি তাকে জ্ঞানী হিসেবে প্রতিয়মান করবে সবার কাছে? আপনি একজাগায় সৌন্দর্য বানান দেখলাম লিখেছেন সুন্দর্য। এটা কি টাইপো? না, এটা দুবার ঘটেছে। বাংলা ভাষার উপর আপনার দখল বিষয়ে একটা মন্তব্য করার লোভ সামলানো কঠিন। ‘সৌন্দর্য’র মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি শব্দের বানান না জেনে তো মনে হয় না একটা মানসম্মত প্রেমপ্রত্রও লেখা সম্ভব, আর লিখলেও শ্যাওড়া গাছের পেত্নীর কাছ থেকেও সেই প্রত্রের কোন জবাব আসা সম্ভব, আর জবাব যদি এসেই পরে তবে ঐ জবাবদানকারির মানসিক সুচিকিতসার ব্যাবস্থা করতে হবে। অন্যান্য মানুষ কিভাবে নিজেদের জীবন যাপন করবে সেই বিষয়ে আপনার কোন মত প্রকাশ করে আসার আগে বোধহয় জরুরী ভিত্তিতে আপনার প্রয়োজন একটি সুশিক্ষা।
আরও একটা কথা, শেষের দিকে এসে আমরা আপনাকে বাতচিত শুরু করতে দেখি আরব ভাষায়। আপনি বলতে যা চেয়েছেন তার কোন মূল্যবৃদ্ধিই করেনি এটা, আপনার বক্তব্যকে কোন গভীর মহিমা প্রদান করেনি? বরং খুবই খুবই কুৎসিত, ইনফ্ল্যামেটরি এবং আগ্রাসী দেখাচ্ছে। একান্তই ব্যক্তিগত মতামত- এটা না করে থাকতে পারলেই ভালো হয়।
@ফুয়াদ,
ভাই, আপনাদের সমস্যা কি? মাহফুজ ভাই বলেছিলেন,
বিঃদ্রঃ এই কথায় আমি একজন নাস্তিক হিসেবেও “অফেন্ডেড” হওয়ার মত কিছু পাচ্ছিনা আর আস্তিক হিসাবেও না।
কিন্তু আপনার উত্তর শুনেনঃ
কিসের মদ্ধে কি পান্তা ভাতে ঘি! কি ভাই আপনাদেরকে যাই বলা হোক না কেন না শুনে না বুঝে চুলকানি অনুভব কইরা খেইপা গিয়া আজাইরা আক্রমন করার ব্যর্থ চেষ্টা করেন ক্যান?
@লীনা রহমান,
এই মাত্র আপনি নিজের অজান্তে বিনোদনের এক মহাসাগরে পতিত হলেন।
আপনাকে স্বাগতম।
@আতিক রাঢ়ী,
আসলেই ভাই মজায় আছি। ধন্যবাদ। আপনার জ্ঞানের গোলার অপেক্ষায় থাকলাম। হেলমেট, বর্ম এইসব কিনতে হইব নাকি? 😛
@লীনা রহমান,
বয়া বা লাইফ জ্যকেট কেনাই ঠিক হবে। কারন এখানে ভেসে যাবার ভয় আছে। 😀
সবাই এই গানটা শুনে নেন। (ফুয়াদ ভাইকে ডেডিকেট করলাম)
httpv://www.youtube.com/watch?v=OA5QAon8w2g
@লীনা রহমান,
ফুয়াদ ভাইয়ের কোন মন্তব্যের জবাব দিবনা বলেই ভেবেছিলাম। কিন্তু আতিক ভাই বিনোদনের প্রসংগ তোলায় আর না এসে থাকতে পারলাম না। বলতে পারেন এই আসাটা আসলে বিনোদন লাভের উদ্দ্যেশ্যেই আসা। কারন আপনি হয়ত জানেন না যে, ফুয়াদ ভাইয়ের সাথে তর্ক করার থেকে বড় বিনোদনের খোজ পৃথিবীর আর কোথাও আপনি পাবেননা। ওনার অন্তর নিসৃত প্রতিটি বর্ণ, শব্দ, বাক্য, পংক্তি নির্মল নিষ্কলুষ বিনোদন আর হাস্যরসের এক সুবৃহৎ আধার। এজন্য ফুয়াদ ভাইয়ের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা চিরদিনের, চিরঅম্লান।
@আতিক রাঢ়ী, :laugh: :laugh: :laugh:
@লীনা রহমান,
আপনি একদিনেই উপলব্ধি করেছেন। আফসোস ফুয়াদ ভাইয়ের জন্য, তিনি যদি বিষয়টি একটু উপলব্ধি করতেন। তিনি চোখ থাকতেও দেখেন না, কান থাকতেও শুনেন না।
@লীনা রহমান,
আপনাকে আমি চিনি না, এবং চিনার কোন কারন ও নেই, কিন্তু মুক্তমনাদের আমি চিনি এবং এই চিনার পিছনে যতেষ্ঠ সংখ্যক যুক্তি সংঘত কারন আছে। আমি বুঝতে পারি কোনটা টিটকারী আর কোনটা নয়। এর মানে আবার এই নয় যে আমি টিটকারী চিনতে ভুল করি না। আমি টিটকারী চিনতেও ভুল করতে পারি, কারন আমি ভুল ত্রুটির উর্দ্ধে নই। উপরের সাহেবের লেখা, আমার কাছে টিটকারীই মনে হয়েছে, তারপর-ও আপনাকে আমার ঐ জবাব-মূলক কমেন্টের মূলবক্তব্য বলে নেই, আমার মূল কথা হল, ইসলাম মানে কাবার পুজো নয়, বরং কাবার মালিকের পুজো। ব্যাপারটি আশা করি আপনার নিকট পরিষ্কার হল।
@ফুয়াদ,
যথেষ্ঠ সংখ্যক যুক্তিসঙ্গত কারণগুলো একটু খুলে বলুন। আমিও একটু চিনে নেই ওদের।
@ফুয়াদ,
আমারও মাহফুজ ভাইএর মত আপনার কাছে একই প্রশ্ন। যুক্তিসংগত কারণগুলো বলেন। আলোকিত হই। আমি মুক্তমনায় খুব বেশি নতুন নই। তবে সম্প্রতি মন্তব্য করা শুরু করেছি। এদেরকে চিনে নিই। তবে আপনাকে কিন্তু আমার চেনা চেনা লাগছে। কেন যেন মনে হচ্ছে আপনার কোন মন্তব্য আমাকে আগে কখনো বিমলানন্দ দিয়েছিল। 😛
@ফুয়াদ,
আচ্ছা ভাই ফুয়াদ, মুহাম্মদ যে আল্লাহর প্রেরিত পুরুষ তার প্রমান কি ? সাী কে ? আপনার উত্তর হলো – কোরান হলো তার সাী , কারন কোরানে তার কথা লেখা আছে। তাই না ? এখন বলেন তো কোরান কার কাছে নাজিল হয়েছে ? মোহাম্মদের কাছে , তাই না ? তাহলে বিষয়টা কি দাড়াল? কোর্টের কাঠ গড়ায় দাড়িয়ে এক চোর নিজেই নিজের সাী দিচ্ছে- সে চোর না, সে চুরি করেনি। এ ধরনের আত্মপ সমর্থন করলে কি তাকে নিরপরাধ হিসাবে বিচারক রায় দিয়ে মুক্তি দেবে ? দেবে না । এ েেত্র বাদী প যদি অন্য সাী প্রমান হাজির করে দেখায় যে সে-ই চুরি করেছে তাহলে তার সাজা হয়ে যাবে। এখন দেখেন- মোহাম্মদ নিজেই নিজেকে পয়গম্বর দাবী করছেন, কোরান তার কাছে নাজিল হয়েছে তাও নিজেই দাবী করছেন- কোন সাী নেই। কেউ দেখেনি যে জিব্রাইল প্রায়ই তার কাছে এসে কোরানের বানী বলে যাচ্ছে। এমনকি তার প্রিয়তমা স্ত্রী আয়শাও কখনো তা দেখেনি। আবার তৃতীয় কোন ব্যক্তিও কিন্তু সাী দিতে এগিয়ে আসছে না। যারা আসছে তারা হলো- আপনাদের মত অন্ধবিশ্বাসী মানুষজন যারা অন্ধ আর বোবার মত খালি চিৎকার করে বলছে- আমরা বিশ্বাস করি, আর কিছু না। এখন যে জিনিস অন্ধ বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে দাড়িয়ে আছে তা নিয়ে এত জোর গলায় যারা কথা বলে তাদের কি বলা যেতে পারে? কুপমন্ডুক নাকি অন্ধকারের জীব কোন টা ? এর পর কিন্তু অন্য ভাবেও প্রমান করা যায় যে মোহাম্মদ নবী কিনা বা কোরান আল্লাহর কিতাব কি না। সেটা হলো- নবীর জীবনের কার্যকলাপ আর কোরানের বিশ্লেষণ। আমরা ছোটবেলা থেকে একতরফা জেনে এসেছি মোহাম্মদ হলেন আল আমীন, সত্যবাদী,মহান , শ্রেষ্ট মানুষ। কারা এসব আমাদেরকে শুনিয়েছে? আপনাদের মত অন্ধবিশ্বাসী মানুষ। নিরপেভাবে কখনো জানার সুযোগ হয়নি আসলেই মোহাম্মদ মহামানব কি না। বর্তমানে সহি হাদিসের অনেক ঘটনাই বিশ্লেষণ করে বোঝা যাচ্ছে যে মোহাম্মদকে যে মহামানব হিসাবে প্রচার করে আসা হয়েছে তা ঠিক না।যেমন- তার ১৩/১৪ টা বিয়ে, যে সব বিয়েকে প্রচার করা হয় উপযুক্ত কারনে করা হয়েছিল কিন্তু হাদিস পড়ে বোঝা যায় তা ভিত্তিহীন, ৫১ বছর বয়সে ৬ বছরের আয়শাকে বিয়ে, নিজ পালকপূত্র জায়েদের স্ত্রীকে কায়দা করে বিয়ে, নিরাপরাধ জনপদে আতর্কিতে হামলা করে তাদের পুরুষদের হত্যা করে পরে তাদের নারীদের কে গনিমতের মাল হিসাবে ধর্ষন, তাদের মালামাল লুন্ঠন ইত্যাদি কাজ গুলো একজন আল্লাহ প্রেরিত নবীর জন্য একেবারেই মানান সই নয়, এটা একজন শক্তিশালী গোষ্ঠি সর্দারের জন্যই বেশী মানানসই। সেকারনেই ইদানিং একদল পন্ডিত বের হয়েছে যারা আর হাদিসকে স্বীকার করে না, এই মুক্ত মনা ফোরামেও তাদের দেখা পাওয়া যায় মাঝে মাঝে। এখন কোরানের কথায় আসি। এই কোরানে আছে ব্যকরনগত ভুল, ইতিহাসগত ভুল, বিজ্ঞান সম্পর্কিত ভুল- আর সেসব ভুল শত শত। এসব ভুল নিয়ে এই মুক্ত মনা ফোরামেও বহু লেখা আছে। আমি আজ পর্যন্ত এসব লেখার বিরুদ্ধে কোথায় যুক্তি সঙ্গতভাবে বক্তব্য উপস্থাপন করতে দেখিনি। কারন তা সম্ভবও না। টুইন টাওয়ার ধ্বংসের আগে আসলে কোরান হাদিস নিয়ে মানুষ তেমন মাথা ঘামাত না, তাই ওর মধ্যে কি আছে তা কেউ তেমন জানত না। কিন্তু এখন দিন পাল্টে গেছে। সবাই ইন্টারনেটের কল্যানে কোরান হাদিস পাঠ করছে। তাই জানতে পারছে ওতে কি লেখা। মানুষকে বেশীদিন চোখে ধুলো দিয়ে রাখা যায় না, তা হলে মানুষের সভ্যতা এগোত না একটুও, আমরা তাহলে এখনও গুহাবাসী মানুষই থাকতাম। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। এখনও বুঝতে না পারল- দয়া করে আপনি নিজে কোরান আর হাদিসকে একটু খোলা মনে পড়ে ফেলুন, দেখবেন আপনি নিজেই ওগুলোর অসারতা জানতে পারবেন। অন্য কারও সাহায্য আপনার লাগবে না। জাকির নায়েক , হারুন ইয়াহিয়ার ফাদা গল্পে কান দিলে কিন্তু আরও অন্ধকারে থেকে যাবেন। কারন ওরা কিন্তু সৌদি রাজ পরিবার থেকে বিপুল পেট্রোডলার পায়, সৌদি রাজ পরিবার চায় তাদের দেশের ও দুনিয়ার মুসলমানরা যেন অন্ধকারে থাকে চিরদিন, কোরান হাদিস নিয়ে পড়ে থাকে সারা জীবন , তাহলে তারা বহাল তবিয়তে বংশ পরম্পরায় সিংহাসনে বসে থেকে এ দুনিয়াতেই অসংখ্য হুর পরী নিয়ে মজা ফুর্তি করে যেতে পারবে। এর পরেও যদি না বুঝে থাকেন তাহলে আল্লাহর উপরেই আপনার হেফাজতের ভার দিলাম।
@ভবঘুরে,
শুধু এটাই নয়, সবচেয়ে বড় কথা হলো সৌদি আরব প্রতি বৎসর হজের মাধ্যমে যে বিরাট ব্যবসা করে মুসলমানদের বোধদয় হলে সেটাতে মহা সমস্যা দেখা দিবে।
@ফুয়াদ,
ইদু ভাই কতবারে মেট্রিক পাশ করেছিলেন এখন আর মনে নেই। তবে আমার ধারণা তিনি কোরানে মুহাম্মদের লেখা গরু সুরা থেকে ভাল রচনা নিশ্চয়ই লিখতে পারতেন।
মুহাম্মদ বারবার আসমানের দিকে তাকান, তা দেখে আল্লাহ বুঝতে পারলেন মুহাম্মদের মনে কী বাসনা জেগেছে, তাই তাকে সান্তনা দিয়ে একটি বাক্য লিখলেন। হায়রে ফিরিতি, হায়রে ভন্ডামী। এই বাক্যটার মূলে আছেন সন্ত্রাসী ওমর ইবনে খাত্তাব।
এরপর ফিরিতের বন্ধুরে ওয়ার্নিং দেয়া হচ্ছে- তুমি তাদের পথ অনুসরণ করলে তুমিও হবে অন্যায়কারী। উহ, কি দারুণ নাটক!
তবে পৃথিবীর শ্রেষ্ট নাট্যকার, অভিনেতা মুহাম্মদের বহুমুখী প্রতিভার প্রশংসা করি।
@ফুয়াদ,
এই আয়াতে রয়েছে বুদ্ধিমানদের জন্য নিদর্শন। আল্ল্যা আর মুহাম্মদ যে একই ব্যক্তি তা এ আয়াতেই আঁচ করা যায়।
@ফুয়াদ,
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কেন তিনি মানুষকেই আরাম দায়ক পরিবেশে রাখতে চান না? তার কি ক্ষতি মানুষ করেছে যে তিনি মানুষকে কষ্ট দেন? যেখানে মানুষের কষ্টে মানুষ ব্যথিত হয়, কষ্ট পায় সেখানে সৃষ্টিকর্তা হয়ে তার ব্যথা লাগেনা কেন?
বলবেনতো সব তার পরীক্ষা। কিন্তু কেন তিনি নিজের সৃষ্টিকে কষ্ট দিয়ে এই পরীক্ষার খেলায় মেতেছেন? যদি তার মনে হয়, যে যত কষ্ট পায় তাকে বেহেশতে তত বেশী পুরস্কৃত করবেন, কিন্তু এই নিদারুন কষ্টের বিনিময়ে পুরস্কারের ব্যবস্থা না করে কি অন্যভাবে পুরস্কারের ব্যবস্থা করা যেতোনা?
পৃথিবীতে এতো ধর্ম এসেছে, এতো মহামানব এসেছেন, কৈ এসব প্রশ্নের উত্তরতো কারো জানা নেই? আপনারা যাঁরা এইসব ব্যাপারে বিজ্ঞ তাঁদেরকে প্রশ্ন করলে তো একটাই উত্তর ‘সবই পরীক্ষা’।
@ব্রাইট স্মাইল্,
কেন তিনি (প্রভু) নিজের সৃষ্টিকে কষ্ট দিয়ে এই পরীক্ষার খেলায় মেতেছেন?
ভাবসম্প্রসারণ করুন-
(১)
খেলিছ, এ বিশ্ব লয়ে, বিরাট শিশুর আনমনে খেলিছ——
ভাঙ্গিছ গড়িছ তুমি ক্ষণে ক্ষণে
নিরজনে প্রভু নিরজনে খেলিছ—।
(২)
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচে পুতুলের কী দোষ
@আকাশ মালিক,
হায়রে! এখানেও পরীক্ষা… :-/
মারফতী কথাবার্তার মূল ভাবই যেখানে মাথায় খেলেনা, তার আর সম্প্রসারণ করি কি করে?:-X :-Y
@আকাশ মালিক,
ভাবসম্প্রসারণ নয় মূলভাব বলিয়া দিতেছি।
১) অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে
তব ঘৃণা তারে যেন তৃণ সম দহে।
২) মন্ত্রের সাধন কিম্বা শরীর পতন।
@মাহফুজ,
বাহ, চমৎকার, চমৎকার। :guru: :guru:
@আকাশ মালিক,
প্লিজ লজ্জায় ফেলবেন না। আপনিই তো আমার গুরু। আপনি আমার ইসলামিক টিচার। ইসলামের আড়ালের ঘটনা তো আপনার কাছ থেকেই শিখছি। আপনার ‘না বলা কিছু কথা’ পড়তে গিয়ে আবেগকে ধরে রাখতে পারিনি। যখন মাওলানা সাহেব আপনাকে বেত দিয়ে মারছিল তখন আমার কান্না এসে গেছে। আপনার ‘জবানবন্দী’র প্রকাশভঙ্গী এবং ভাষা অপূর্ব। এজন্য লাল সালাম। এখান থেকেও শিখেছি অনেককিছু।
অতএব আপনিই আমার :guru: এই গুরুর প্রতি প্রকৃত সম্মান এখনও দেখাতে পারি নাই। এখন দেখাচ্ছি :rose2: দিয়ে।
@মাহফুজ,
প্রশ্ন আছে আমার।
“তৃণ সম দহে” নাকি “তৃণ সম দুহে”
আর একটা করলাম না।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
দাদা,
ব্যাকরণ বই ঘাটিয়া দেখিলাম- ‘দহে’ ঠিক আছে।
@মাহফুজ,
ব্যাকরণের কথা কহি নাই। সংখ্যাতত্বের কথা কহিয়াছি।
‘দহে’ –> তৃণের মত আগুনে পুড়ে যাওয়ার কথা কি বলা হয়েছে এখানে?
নাকি “অন্যায় করা এবং অন্যায় করা” এক আর একে দুই। দুই জনকেই সমান ঘৃণা করার কথা বলা হয়েছে? কোনটা হবে?
(আমি নিজেও সিউর না। তবে তোমারে ধরাইয়া দেওয়ার চেষ্টা করিয়াছি মাত্র। এখন দেখি নিজেরই ধরা খাওয়ার যোগাড়। এমন কি আছে এখানে আমার সাপোর্ট দেওয়ার? তিন খানা তাজা রক্ত গোলাপ দেওয়া হইবে আমারে ধরা খাওয়ার হাত হইতে বাঁচানোর জন্য।)
@মাহফুজ,
মাহফুজ, তুমি গেলা কই। হার মাঞ্ছ নাকি? :guli:
@নৃপেন্দ্র সরকার,
হার মানলাম। এখন আপনারে সাপোর্ট দিতাছি। আমারে তিনটা গোলাপ দেন।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
খাইছে। :-X
আমি অন্যের কথা কইচি। যাওগ গ্যা। তোমারে একটি দিয়া বিদায় করি। তাও ছুডো :rose:
@নৃপেন্দ্র সরকার,
এত ছুডো! ধুর, কিপটার লগে আর মাতুম না।
@মাহফুজ,
যা দিচি, তাই নিয়া খুশি থাক। আমি ধরা খাইচি। তানাইলে এইডাও পাইতানা।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
আচ্ছা দাদা। সন্তুষ্ট থাকলাম। তা নাহলে যে, আমও যাবে ছালাও যাবে।
আজ বিদায় (কয়েক ঘন্টার জন্য)। যদি নেট ঠিক ঠাক কাজ করে তাহলে আবার আসবো। আপনার লেখায় গিয়ে কিছুতেই মন্তব্য করতে পারছি না। এত বেশি মন্তব্যের কারণে ফাইলটা বড় হয়ে গেছে। ওপেন করতে গেলেই অর্ধেক আসে, বাকীগুলো আসে না। এর একমাত্র কারণ নেট সমস্যা। অন্যদের মন্তব্যগুলোও পড়তে পারছি না। কবে যে নেট সমস্যা দূর হবে, তাই ভাবি। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে গ্রামে যাবো। তখন তো আর মুক্তমনা ঢুকতেই পারবো না।
ভালো থাকবেন।
@মাহফুজ,
ভাল থেকো।
তোমার সাথে আমার একটা ভাল bondage হয়ে গেছে এর মধ্যে।
তোমাকে খুবই মিস করব।
@ফুয়াদ,
মালিক ভাইদের বাড়ির বন্যার ঘটনায় যদি উল্টাটা হত; মানে মসজিদ অক্ষত থেকে যদি গোয়াল ঘরটাই ভেসে যেত তাহলে কি সেটাকে আল্লাহর অসীম কুদরত বা অলৌকিকতার নিদর্শন স্বরূপ অনেকেই উল্লেখ করতেন না?
@আদিল মাহমুদ,
একবার এমনটি ঘটেছিল আমাদের পাশের এক গ্রামে। পত্রিকা সাংবাদিক, টিভি ক্যামেরাম্যানদের বদৌলতে গ্রামটি কিছুদিনের জন্যে হলেও ঐতিহাসিক গ্রামে রূপ নিয়েছিল। মসজিদকে সামনে রেখে, সম্পূর্ণ উপুড় হয়ে বড় একটি বটগাছ এমন ভাবে পড়েছিল, দূর থেকে মনে হয় যেন ন্যাংটা বক্রানো জড় সমেত পাছা উপরে তুলে গাছটি সেজদায় গিয়েছে।
@ফুয়াদ,
কত হাজার দিবস কত বিনিদ্র রজনী এই ফোরামের সামনে বসে কাটিয়েছি, কাউকে কোনদিন এমন সুন্দর কথা বলতে দেখি নাই। আপনি অসাধারণ, অনন্য, অদ্বিতীয়। যারা নিজেকে প্রকাশ্যে বানর বলে ঘোষণা দিয়ে বসেছেন তাদের জ্ঞান আর কতটুকু তা তো আপনি জানেন ই। কেউ আবার বলছেন- লেজবিহীন বানর হয়েছি সত্য তবে মনকি (Monkey) নয়। আরে ভাই মনকি হউক আর ডনকি হউক পশু তো পশুই।
একদম কোরানের ভাষায় যুক্তি খন্ডন করেছেন। সুবহাল্লাহ। তবে ক্লাস ফাইভ কেন, মানুষ কেন, এই কথাটা কুরবানীর চাঁদের অপেক্ষায় ব্যাকুল, আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন, ঐ পুকুর পারে কাঁঠাল পাতা মুখে নিয়ে বসা ছাগলেও বুঝে।
আপনাকে নিয়ে ওরা হাসাহাসি করছে। হাসুক, হাসতে দিন, ওরা পেট ফাটায়ে হাসুক একদিন পস্তাবে। এরকম ঘটনা আগেও ঘটেছে এইখানে দেখুন-
9/64
মুনাফেকরা এ ব্যাপারে ভয় করে যে, মুসলমানদের উপর না এমন কোন সূরা নাযিল হয়, যাতে তাদের অন্তরের গোপন বিষয় অবহিত করা হবে। সুতরাং আপনি বলে দিন, ঠাট্টা-বিদ্রপ করতে থাক; আল্লাহ তা অবশ্যই প্রকাশ করবেন যার ব্যাপারে তোমরা ভয় করছ।
9/59 কতই না ভাল হত, যদি তারা সন্তুষ্ট হত আল্লাহ ও তার রসূলের উপর এবং বলত, আল্লাহই আমাদের জন্যে যথেষ্ট, আল্লাহ আমাদের দেবেন নিজ করুণায় এবং তাঁর রসূলও, আমরা শুধু আল্লাহকেই কামনা করি।
9/82
অতএব, তারা সামান্য হেসে নিক এবং তারা তাদের কৃতকর্মের জন্যে অনেক বেশী কাঁদবে।
তবে একখান কথা অবশ্য অস্বীকার করার উপায় নেই যে, কাফের মুশরিক ইহুদী নাসারারা সবসময় দাবী করে আসছে, তারা আল্লাহকে নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ, হাসি-তামাসা কোনদিনই করে নাই, করেছে মুহাম্মদের কথাবার্তা কার্যকলাপ নিয়ে। অথচ কোরান বলছে কাফেরেরা আল্লাহকে নিয়ে হাসি বিদ্রুপ করেছে। অজ্ঞানেরা বুঝতেই পারেনা, মুহাম্মদকে নিয়ে হাসি-তামাসা করা আর আল্লাহকে নিয়ে করা যে একই কথা।
আপনি মাঝে মাঝে এখানে এসে তাদেরকে হেদায়ত করে আপনার ঈমানী দায়ীত্ব পালন করে যাবেন। আজ শুক্রবার, আমি এখন মসজিদে যাই, আমি বানর হতে চাইনা। এই দিনেই বিবর্তনের পথ ধরে মানুষ থেকে বানরের জন্ম হয়েছিল, বানর থেকে মানুষ হয় নাই। এ আল্লাহর পবিত্র কোরানের বাণী।
ইতি-
আপনার অধম শিষ্য
আকাশ।
@ফুয়াদ,
১৯৭১ সালে দেশের লাখ লাখ মা বোনের ইজ্জত লুটলো আল্লাহর বান্দারা (পাক সেনা, রাজাকার, আল বদর)। এটাও কি আল্লাহ পাকের ইচ্ছা এবং পরীক্ষা? দেশের এত বড় ক্ষতি তিনি (আল্লাহ) চেইঞ্জ করলেন না কেন?
@মাহফুজ,
আবারো প্রমানিত হল, নাস্তিকরা মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী বেচে খায়, এখানে মুক্তিযুদ্ধের কি কথাই হইল আর কিভাবে এই কথা আসল। সিস্টেম, নাস্তিক বাদী সিস্টেম। আচ্চা জনাব, তার আগে এই কথা কন, মুক্তিযুদ্ধের ৭ জন বীর শ্রেষ্ঠের কয়জন নাস্তিক আছিল?
শুনেছি, ভন্ডের শেষ আশ্রয় নাস্তিকথা।
@ফুয়াদ,
“নাস্তিকতা” হবে না, হবে “প্রেম”
টাইপো মিস্টেইক
@ফুয়াদ,
শালোম আলাই কা।
ভাইরে, আমার মনের মধ্যে একটা প্রশ্ন জেগেছে- সেই প্রশ্নের জবাব চেয়েছি। এখানে নাস্তিকের কথা উঠলো কেন? নাস্তিকেরা মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী বেঁচে খায় কি-না জানি না। তবে আপনার মত লোকেরা যে আল্লাহকে বেঁচে খায় তা বুঝতে একটুও কষ্ট হয় না।
আমি জানতে চেয়েছি- সাড়ে তিন লাখ মা বোনকে যে ধর্ষণ করলো পাক-সাফ মানুষেরা (?), এইটা কি আল্লাহর পরীক্ষা?
আমি সঠিক জানি না। তবে তারা দেশের জন্য জান কোরবান করেছেন। শহীদী মর্তবা পেয়েছেন, এইটুকু জানি। আজ যেহেতু প্রশ্নটা উঠলোই, তখন তো তাদের জীবনী পড়ে দেখতেই হবে।
শুনা কথায় এত কান দিতে নেই। এমন কথা আগে শুনিনি। এই প্রথম আপনার কাছ থেকে শুনলাম। আমি শুধু জানি- মানবতাবাদীরা প্রেমকে ছড়িয়ে দেয়।
ভালো থাকবেন।
@মাহফুজ,
আহা ফুয়াদ ভাইকে একা পেয়ে সবাই কি শুরু করলেন?
@রামগড়ুড়ের ছানা,
ফুয়াদ ভাই একা হবেন কেন? আমি তো তার সাথে থাকতেই চেয়েছিলাম। কতভাবে তাকে সাহায্য করতে গেছি। কাবা ঘরের প্রতি সম্মান, ভাষার (বানানের) প্রতি নজর, এসব বিষয়ে অযাচিত সাহায্য করতে গিয়ে গুতানী খেলাম। মনে করলেন- আমি বুঝি টিটকারী করছি। আমাকে উনি সন্দেহ করে নাস্তিক্যর শিখরে আরোহণ করালেন। তাই আমি নিজেই বিদায় নিলাম। ভেবে দেখুন, কত তমিজের সাথে সালাম দিলাম। ভাই ব’লে ডাকলাম।
আর তিনি এমন ভাব করলেন- “ভাই বোলে ডাকো যদি দেবো গলা টিপে।”
তাই গলা টেপার আগেই পালিয়ে এলাম। আমি এত তাড়াতাড়ি মরতে চাই না। আরো বেশি দিন মুক্তমনা সাথে থাকতে চাই।