টুপটুপ করে বৃষ্টির ফোঁটাগুলো আছড়ে পড়ে উইন্ডশিল্ডের উপরে। তা দেখেই দরজা খুলে ছেলেটা নেমে আসে বাইরে। চোখ তুলে তাকায় আকাশের দিকে। ঘন কালো মেঘে ছেয়ে গেছে পুরোটা আকাশ। গাড়ির পিছন ঘুরে অন্য পাশে চলে আসে সে। প্যাসেঞ্জার সিটের দরজা খুলে গাড়ির ভিতরে উঁকি দিয়ে মোলায়েম স্বরে বলে, ‘এসো’।
মেয়েটা যেমন ছিল ঠিক তেমনি বসে থাকে। পাথরে গড়া কোনো মূর্তি যেন। আবারো কোমল কণ্ঠে ছেলেটা আকুতি জানায়, ‘কই এসো, বৃষ্টি পড়ছেতো।‘
মিলপুকুরে অসংখ্যবার বৃষ্টিতে ভিজেছে তারা। কখনোই মেয়েটিকে অনুরোধ করতে হয় নি। বৃষ্টির শব্দ পাওয়ামাত্রই চপলা হরিণীর মত ঘাসের উপর খালি পায়ে নেমে যেত সে। একা বৃষ্টিতে নেমেই ক্ষান্ত হতো না। জোর করে ছেলেটিকেও ডেকে নিত। বৃষ্টির চাদর গায়ে মেখে পাগলের মত ছুটোছুটি করতো এদিক সেদিক। জলে ভিজতে ভিজতে গুনগুন করে সুরেলা কণ্ঠে গান ধরতো। মেয়েটির এই পাগলামিকে হাসিমুখে প্রশ্রয় দিত ছেলেটি। মাঝে মাঝে জড়িয়ে ধরে নাকের সাথে নাক ঘষে শুধু বলতো, ‘পাগলি কোথাকার’। জবাবে মুখ গোল করে জিভ বের করে ভেংচি কাটতো মেয়েটি। বলতো, ‘তুমি-ই একটা পাগল। নইলে কি আর আমার মত একটা পাগলিকে ভালবাসতে’।
অনিচ্ছুক মেয়েটিকে হাত ধরে গাড়ি থেকে বের করে আনে ছেলেটি। দু’বাহুতে হাত রেখে মুখোমুখি দাঁড় করায়। মেয়েটির মাথা ঝুঁকে আছে মাটির দিকে। বাহু ছেড়ে দিয়ে নিজের করতলে মেয়েটির মুখটাকে নিয়ে নেয় ছেলেটি। কালো চোখ দুটোতে মুক্তোদানার মত অশ্রুবিন্দু টলমল করছে। গভীর ভালবাসায় মেয়েটির দুই চোখে চুমু খায় ছেলেটি। সারা কপাল, সারা মুখে আলতো করে ঠোঁটের আদর ছুঁইয়ে দেয়।
কেঁপে কেঁপে উঠে মেয়েটির সমস্ত শরীর। মোলায়েম আদর, নাকি বৃষ্টির শীতল স্পর্শে বোঝা যায় না। দুহাত দিয়ে আঁকড়ে ধরে ছেলেটির একহারা দীর্ঘ শরীরটাকে। মুখ গুঁজে দেয় চওড়া বুকে। জামার উপর দিয়েই ছেলেটির বুকে মুখ ঘষতে থাকে মেয়েটি। পরিচিত গন্ধটা নাকে আসতেই টলে উঠে মাথাটা। অদ্ভুত একটা ঘ্রাণ আছে ছেলেটার বুকে, শরীরে। অনেকটা দীর্ঘ খরার পরে পলিমাটির উপর প্রথম বৃষ্টি পড়ার পরে যেরকম একটা মেটে সোঁদা গন্ধ বের হয় সেরকম। এই গন্ধ নাকে যাওয়ামাত্র নেশার ঘোর লাগে মেয়েটির। মহুয়া ফুলের গন্ধে যেমন নেশা জাগে সাঁওতাল রমণীদের, ছেলেটির শরীরের মাটি মাটি গন্ধটাও মেয়েটিকে সেরকমই মাতাল করে তোলে।
‘মণি, তোমার সঙ্গে আর কোনোদিন দেখা হবে না আমার, তাই না?’ ছেলেটির বুকে মুখ ঘষতে ঘষতেই কষ্টমাখা অস্ফুট স্বরে বলে মেয়েটি।
মেয়েটির কথা শুনে আচমকা স্থির হয়ে যায় ছেলেটির শরীর। ডান হাতটা মেয়েটির রেশম কোমল ভেজা চুলের ভিতরে আদরের চিরুনি বুলোচ্ছিল। সেটাও থেমে যায় কিছুক্ষণের জন্যে। একটুক্ষণ চুপ করে থেকে শান্ত কণ্ঠে বলে সে, ‘কে বলেছে দেখা হবে না? নিশ্চয়ই হবে।‘
ছেলেটির বুকের মধ্যে মেয়েটি মাথা এদিক ওদিক নাড়ে। আরো জোরে আঁকড়ে ধরে ছেলেটিকে। ছেলেটির পিঠে বসে যায় মেয়েটির কম্পমান আঙুলগুলো।
‘আমি জানি, আর কোনোদিন দেখা হবে না আমাদের’। বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে বলে সে।
মেয়েটির চুলের অরণ্যে চুমু খায় ছেলেটি। নাক ডুবিয়ে বড় করে ঘ্রাণ নেয়। এই রেশমের মত চুলগুলো তার বড় প্রিয়। বৃষ্টির তীব্রতা বাড়ায় ভিজে গিয়েছে চুলগুলো। কিন্তু তারপরেও পরিচিত সুগন্ধটা পেতে কোনো অসুবিধে হয় না তার। নিকষ কালো আঁধারেও মেয়েটিকে চিনতে তার কোনোদিনই সমস্যা হবে না। এই চুলের গন্ধ দিয়ে ঠিকই সে চিনে নিতে পারবে তাকে। এরকম মিষ্টি গন্ধ আর কোনো মেয়ের চুলে আছে বলে মনে হয় না।
‘দেখো ঠিকই দেখা হবে আমাদের আবার।‘ আগের মতই আবারও আশ্বাস দেয় সে।
‘তুমি আমার হলে কার কী ক্ষতি হতো বলো?’ ব্যাকুল কণ্ঠে মেয়েটি বলে। কান্নার দমক আরো বেড়ে যায় মেয়েটির। মেয়েটির কান্নার সাথে পাল্লা দিতেই যেন আকাশের কান্নাও আরো তীব্রতা পায়। প্রবল বর্ষণে ভেসে যেতে থাকে চারদিক।
তার এই দীর্ঘ জীবনে ভালবাসা কাকে বলে জানতো না সে। অনাদর আর অবহেলা পেয়েই অভ্যস্ত। বুকের ভিতরে জমে থাকা ভালবাসার নদীটা কখন যে মরে গিয়েছিল নিজেও জানতো না। খয়েরি চোখের এই শান্ত ছেলেটিই তার মরা নদীকে অশান্ত করে তুলেছে। তাকে ভালবাসা শিখিয়েছে, গভীরভাবে ভালবেসেছে, তার ভিতরের ভালবাসাকে জাগিয়ে তুলেছে। মানুষ হিসাবে তাকে মর্যাদা দিয়েছে, পরিপূর্ণতা দিয়েছে।
কত কিছু স্বপ্ন ছিল তার একে জড়িয়ে। কোনো কিছুই হলো না। ইচ্ছে ছিল একদিন সূর্যোদয়ের ভোরে ধূসর সাগরবেলা ধরে লাল টকটকে বিশাল সূর্যের দিকে হাত ধরাধরি করে হেঁটে যাবে তারা দুজনে। ইচ্ছে ছিল দুজনে মিলে রক্তরাঙা সূর্যাস্ত দেখবে। ইচ্ছে ছিল একটা সন্ধ্যা ছেলেটির কোলে মাথা রেখে খোলা আকাশের দিকে তাকিয়ে কাটিয়ে দেবে সে। ইচ্ছে ছিল অচেনা কোনো অরণ্যের বুনোপথে সোঁদামাটির গন্ধ মেখে হেটে যাবে অজানার দিকে। এক বরষাভেজা রাতে হঠাৎ করেই যে দেখা হয়েছিল দুজনের, আজকে আরেক বরষার দিনেই বোধহয় শেষ হতে চলেছে তা। কেন এমন হয়? এত নিষ্ঠুর কেন পৃথিবীটা?
ছেলেটিকে জড়িয়ে ধরে আকুল হয়ে কাঁদতে থাকে দুঃখি মেয়েটি। নিজের শক্ত দুই হাত দিয়ে সজোরে মেয়েটিকে বুকের গভীরে আঁকড়ে ধরে মুখ উঁচু করে বিষণ্ণ আকাশের দিকে তাকায় ছেলেটি। কিন্তু কিছুই দেখতে পায় না। কিশোরী মেয়ের মত অভিমানে ফুলে ফুলে উঠা ক্রন্দনরত নীলিমার অশ্রুবিন্দু আর নিজের চোখের জলে মাখামাখি হয়ে ঝাপসা হয়ে গিয়েছে তার চশমার কাঁচ দুটো।
বৃষ্টির তোড় থেকে বাঁচার জন্য পাশের একটা গাছের ডালে পাতার আড়ালে আশ্রয় নিয়েছিল একজোড়া ছোট্ট মকিং বার্ড। গায়ের সাথে গা লাগিয়ে কৌতুহলহীন উদাস চোখে তারা তাকিয়ে থাকে প্রবল বৃষ্টিতে কাকভেজা হওয়া মানবযুগলের দিকে। বৃষ্টির ঝাপটা এড়াতে আর কিছুটা উষ্ণতার জন্য হয়তো মেয়ে পাখিটি আরেকটু গুটিসুটি মেরে পুরুষটির বুকের নীচে ঢুকে যেতে চায়। পুরুষটিও তার ডানা কিছুটা উঠিয়ে জায়গা করে দেয় মেয়েটির জন্য।
ধূসর নীলিমা কেঁদে চলে তার সমস্ত অভিমান আর দুঃখ নিয়ে।
httpv://www.youtube.com/watch?v=1fIOm4R9_TE&feature=related
|
____________________________________
স্বাধীন এবং ব্রাইটস্মাইলের উদ্দেশ্যে নিবেদিত।
দুজন বড়ই সৌভাগ্যবান। এমন সৌভাগ্যের আশায় দিন গুনি যেদিন আমার নামে নিবেদিত হবে এমন গল্প।
:-X
গানটা শুনে ভাল লেগেছে।
ডাউনলোড করতে চাইলাম। দেখলাম একটা অপশানও আছে।
যা ডাউনলোড হল তা একটা .exe ফাইল।
কিভাবে কি করবো??????
@আসরাফ,
ইস্নিপ্স এখন সরাসরি ডাউনলোড করতে দেয় না। চোরাই একটা খুব সহজ বুদ্ধি আছে, কিন্তু এখানে অতখানি ব্যাখ্যা করা যাবে না। আপনার ইমেইল এড্রেসটা বরং আমাকে দিন (আমার ইমেইল এড্রেস হচ্ছে [email protected]), গানটি পাঠিয়ে দেব আপনাকে।
@ফরিদ আহমেদ,
গানটি আজ পর্যন্ত একশ বার শুনেছি।
ভালই লাগে।
এ সময়ে এরকম গান খুব একটা হয়না বলেই মনে হয়।
@আসরাফ,
আমিও অসংখ্যবার শুনেছি গানটা। শাওনের গাওয়া সেরা গান এটি।
@ ফরিদ আহমেদ, গানটা বড়ই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
@ফাহিম রেজা,
ধন্যবাদ। লেখাটা কেমন লাগলো সেটাতো বললেন না।
আপনার কাঁঠালের আমসত্ত্বের দ্বিতীয় পর্বের অপেক্ষায় আছি। বড়ই সুস্বাদু ছিল আমসত্ত্বটা। 🙂
@ফরিদ আহমেদ, আপনার লেখাটাও সুস্বাদু, ইয়ে মানে থুক্কু চ্রম হয়েছে। গায়ের গন্ধ থেকে সোঁদামাটির গন্ধ পর্যন্ত – স্বাদে গন্ধে রসে টইটুম্বুর 😉 ।
@ফাহিম রেজা,
হা হা হা। আপনি বড় রসিক স্বাদগন্ধবাজ লোক হে। এরকম ধারালো রসবোধ মুক্তমনায় খুব কম লোকেরই আছে। 😀
তীব্র্র আপত্তি জানাচ্ছি। এমন করুন সুরের মূর্ছনায়, বিরহ কাতর পরিবেশে হাসি তামশার সজোড় প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বন্যাপুরা না হয় অভিদাদেরকে পেয়েছে, পেয়ে খুশীতে আত্মহারা, তাই বলে কি তারা কি বিরহীর যন্ত্রনা বুঝবেনা? 😛
গানটি আগে শোনা ছিল না। চমৎকার গান। মন্তব্যে দেখলাম গানটি শাওনের গাওয়া। কিন্তু এটি কি শাওনের কোন এলবামের, নাকি কোন সিনেমার? কার সুর করা? পেছনের হামিং শুনে মনে হচ্ছে তো টুটুলের সুর করা।
গতকালই একবার পড়েছি এবং শুনেছি, কিন্তু মন্তব্য করা হয়নি। বন্ধের দিনগুলোতে কাজের দিনের চেয়ে ব্যস্ত থাকি 😥 । গান নিয়ে লেখা মাঝে মাঝেই দিয়েন নিঃসঙ্কোচে। যুক্তি নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও অবচেতনে যে সবার মাঝেই একটি আবেগী মন লুকিয়ে আছে সেটা তো এই লেখার মন্তব্যেই দেখা যাচ্ছে 😛 । আর নিবেদন আনন্দ ও ধন্যবাদের সহিত গৃহীত হলো। :rose2:
@স্বাধীন,
এলবামের নাম ‘যে থাকে আঁখি পল্লবে’। টুটুল আর শাওনের দ্বৈত এলবাম এটি। ‘চলো বৃষ্টিতে ভিজি’ নামের একটা টেলিফিল্মে এই গানটা ব্যবহার করা হয়েছে মনে হয়। ওই এলবামে ‘এই, চল না বৃষ্টিতে ভিজি’ নামেরও চমৎকার একটা যুগলসঙ্গীতও আছে। গানের কথা হুমায়ুন আহমেদের, সুর টুটুলের।
httpv://www.youtube.com/watch?v=_C9L7gJavkw
@ফরিদ আহমেদ,
তাহলে সুরকার তো ঠিকই ধরেছি
@স্বাধীন,
হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন। শুধু হামিং শুনেই টুটুলকে চিনে ফেলায় বুঝতে অসুবিধে হচ্ছে না যে, গানের সাথে আপনার বেশ সুসম্পর্ক বিদ্যমান।
‘এই, চলো না বৃষ্টিতে ভিজি’ গানটিও তুলে দিলাম।
@ফরিদ আহমেদ,
গীতিকার কে, এটা নিয়ে চিন্তা করতে হয়নি, ওটা অবধারিত ছিল। মনে কোন প্রশ্নও জাগে নি 😀 ।
@ফরিদ আহমেদ, ‘এই, চলো না বৃষ্টিতে ভিজি’ গানটির ভিডিওটি দেখতে পেলে ভালো লাগতো।
@ব্রাইট স্মাইল্,
দুঃখিত। ভিডিও নেই। তবে আপনার জন্যে অন্য একটা গান দিচ্ছি। এটি ছাড়া বরষার গানের রোম্যান্টিকতা সম্পূর্ণতা পাবে না কিছুতেই।
httpv://www.youtube.com/watch?v=tZTETYHX3YY
@ফরিদ আহমেদ,
গানটির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। কেন জানি ব্লগে গান শুনতে বেশী ভালো লাগে। মনে হয় অন্য সবার সাথে গানটি শেয়ার করছি সেই ভাবনাটা কাজ করে।
@ফরিদ আহমেদ,
অনেক ধন্যবাদ ! নিয়াজ মুহাম্মদের ‘আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে’ গানটা আছে কি?
শুভেচ্ছা।
মনজুর
@মনজুর মুরশেদ,
আপনি কি এমপিথ্রি ফর্ম্যাটে চাইছেন? নাকি শুধু শুনতে চাইছেন? এই যে গানটা।
httpv://www.youtube.com/watch?v=-nK-Syq2qcw&feature=related
@ফরিদ আহমেদ,
অনেক ধন্যবাদ আবারো।
মনজুর
ফরিদ,
শীতকালে চৈত্র মাসের ওয়াজের মত অগ্রহায়ণে ( শুধু আক্ষরিক ভাবেই অগ্রহায়ণ নয়) আষাঢ় শাওনের গান ও কথা কেন?
লেখাটি অনেকেরই দুঃখজাগানিইয়া স্মৃতিকে উথলে দিয়েছে। কাজেই লেখার উদ্দেশ্য সার্থক হয়ে গেল।
কলম বিরতি কম দিও। গতটা থেকে এবারের বিরতি অবশ্য সহনীয় মাত্রায় ছিল। তোমার কলমের চলা অব্যাহত থাকুক।
@গীতা দাস,
তালেবে এলম অবস্থায় আছি দিদি। এখনও বড় হুজুর হতে পারি নাই। তাই মাঝে মাঝে ভুল সময়ে ভুল ওয়াজ করে ফেলি। 😛
@ফরিদ ভাই,
I object!!!! ব্যক্তিগত ইমেইলের কোন রেফারেন্স ব্লগে টানা চলবে নাআআআআ!!! তাইলে কিন্তু আমিও …… হুঁ হুঁ বাবা ……
[রাফিদা, দেখসিস ফরিদ ভাই খেপে গেসে! আমার স্বভাব আমার নামের মতোই, সেই আমাকে খামাখা খুঁচায় খুঁচায় এইসব কাজে কেন যে নামাস!!]
@স্নিগ্ধা,
অবজেকশন ডিনাইড। ব্যক্তিগত ইমেইলের কোনো রেফারেন্সই এখানে টানা হয় নি। সব তথ্য পাবলিক ডোমেইন থেকেই এসেছে। মাঠ সমতলই আছে। 😀
আমি খেপি নাই, খেপসেন আপনি। আর খেপার চোটে আপনার উস্কানিদাতার নামটাও পর্যন্ত মুখ ফস্কে বের হয়ে গেছে। হে হে হে। :laugh:
@স্নিগ্ধা, চন্দ্রবিন্দু দিয়ে দিয়ে কাঁন্দিস ক্যাঁন? ফরিদ ভাইএর সাথে পারতেসিস না, সাহায্য লাগবে?
@স্নিগ্ধা,
বছরের সেরা কৌতুক কমেন্ট। :lotpot:
ফরিদ ভাই, এটা কি সিরিয়াস লেখা? সবাই যেভাবে দুঃখ কষ্টের কথা বলছে তা তে করে তো মনে হচ্ছে বেশ সিরিয়াস লেখা :-/ । এটা নিয়ে কি হাসাহাসি করা এলাউড?
@বন্যা আহমেদ,
হাসাহাসি করা এলাউড মানে? হাজারবার এলাউড, লক্ষ কোটিবার এলাউড। স্বাধীন আর ব্রাইট স্মাইল গান নিয়া পোস্ট দিতে কইছিল। তাই দিলাম একখান লেখা, সাথে একখান বৃষ্টির গান। ভাবলাম সবাই মিলা বৃষ্টির গানগুলা নিয়া আলোচনা করমু, পোস্ট করমু। এখন দেখি বৃষ্টি বাদ দিয়া সবাই নিজেগো চোখেই বৃষ্টি ঝরাইতাছে। হায়রে কপাল আমার। কই যাই কও? :-Y
@ফরিদ আহমেদ, ওহহ তাই বলেন, গল্পটা তাহলে কোন গল্প না, গানটার শানে নযুল!
@বন্যা আহমেদ,
ঠিক ধরছো। ওটা কোনো গল্প না। ট্যাগে দেখবা ‘গল্প’ লিখি নাই, ‘ব্লগাড্ডা’ আর ‘গান’ লিখছি। 🙂
অ ফরিদ ভাই – গল্প না হয়েই যেরকম ‘চপলা হরিণী’রা হাপুস নয়নে কানতেসে, আর ‘মোলায়েম আদর’ পেয়ে আইসক্রীমের মত গলে যাচ্ছে (অবশ্য সাথে কলসি কলসি অশ্রুপাতটাও একটা কারণ মনে হয়), তাতে গল্প হলে আর ঐ মেয়েকে হয়তো আর খূঁজেই পাওয়া যেতো না!! বিবর্তনের পথে দুইধাপ পিছায় ও হয়তো পানি বা বাতাস বা এ্যামিবা বা কিছুমিছু একটা হয়ে উবে যেতো। তখন তাইলে আমরা কী করতাম?! আর ঐ সারাজীবন অনাদর অবহেলা পাওয়া ইয়েমতো ভদ্রলোকটাই বা কী করতো, বলেন??
[আমার এই মন্তব্যের সমস্ত দায়ভার আরেকজনের! আমাকে না উস্কালে আমি কক্ষনো ফাজলামি করি না, কভি নেহি!!]
@স্নিগ্ধা, হাপুস নয়নে শুধু কাঁদলেই হবে নাকি, বাকি সব কই? বাংলা সিনেমা হিসেবে মহা ফ্লপ, হিন্দিতেও ফ্লপ। নায়ক ভিজলো ( আমি শিউর সালমান খান মার্কা ফিনফিনা জর্জেটের সার্ট পড়েই নেমেছিল বিচ্ছিরি মাসল বা নো-মাসল দেখানোর জন্য), আর নায়িকা গাড়িতেই বসে থাকলো? ফিনাফিনাতর একটা সাদা সিফন শাড়ি পড়ে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে নাচানাচি না করলে হলটা কি? কিছুই না..
@স্নিগ্ধাপু,
আপ্নেরে না কত ভালু পাই আমি। আপনার ‘ন্যাজে’ কোনোদিন পাড়া দিছি বলেতো মনে পড়ে না। অথচ সেই আপনি-ই কি না অন্যের উস্কানিতে নাচানাচি শুরু করলেন। কলিকাল আর কাকে বলে। 🙁
আপনার বর্ণনা,উপমা এবং ভাষা সুন্দর। কিন্তু বিষয় বস্তু ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না।
@আসরাফ,
এটা আমারই ব্যর্থতা। বিষয়বস্তুকে এর থেকে বেশি ব্যাখ্যা করা মনে হয় সম্ভবপরও নয়। তবে বিষয়বস্তু এখানে মূখ্য নয়, গানটাই মূখ্য। ওটা কেমন লাগলো?
অফিসে লান্স আওরে বসেই পড়লাম চলে এসো এক বরষায়।
নামটাতেই এক এমরাস(amorous) ভাব লুকান। বিচ্ছেদ ভাব এই রোমান্টিসিজমকে করেছে আরো মর্মস্পর্সি। কি সুন্দর লেখা।
@সেন্টু টিকাদার,
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
গানটা সুন্দর! কার গাওয়া?
ব্যক্তিগতভাবে আমার আপনার অ-আবেগী লেখাগুলো বেশি ভালো লাগে 🙂
@স্নিগ্ধা,
শাওনের গাওয়া।
আমার সব লেখাই যে আবেগী। 🙁
@ফরিদ ভাই,
আপনার লেখাটি পড়ে মন খারাপ হয়ে গেল। মাথার ভেতর বেজে উঠলো জেমসের গান- ভালোবেসে চলে যেও না, ভালোবেসে চলে যেতে নেই। আপনার লেখাগুলো মনকে ছুয়ে যায়, ভিজিয়ে দেয়, আপ্লুত করে। ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।
@সুমন,
অনেকদিন পরে সুমনের দেখা মিললো অবশেষে। দয়ার্দ্র কথাগুলোতে আমারও মন ভিজে গেলো। 😀 জেমসের গানটা আসলেই সুন্দর।
httpv://www.youtube.com/watch?v=7RLOGRUy4kU
যদিও আপনি পুরুষবাদী আর আমি হলাম সুবিধাবাদী। তবু আপনার লেখার একজন আন্তরিক পাঠক আমি। গল্পটি যেমন ভাল তেমনি মনটা খারাপ হল। সত্যি দারুন লেগেছে। আপনার কাছ থেকে আরও বেশী বেশী লেখা চাই। :rose2:
:yes:
@সুমিত দেবনাথ,
বাদ-বিবাদ বাদ দেন আজকে। বৃষ্টিস্নাত এই দিনে আসেন একটা গান শোনেন।
httpv://www.youtube.com/watch?v=Laeq6MgYVPk&playnext=1&list=PLC62DE9A088F61A9C&index=8
@ফরিদ আহমেদ,
লতা মুঙ্গেশকরের চমৎকার একটি ভাল লাগা গান। এই গানটি আগেও বহুবার শুনেছি, এখনও শুনলাম। যতবার শুনি ততবারই ভাল লাগে। এই ছবিটি দেখেছি কিন্তু নাম ভুলে গেছি।
ভালো লাগলো তবে একটূ মনও খারাপ হলো………………
@রনি,
মাঝে মাঝে মন খারাপ হওয়াটা মনে হয় খুব একটা খারাপ কিছু না। 🙂
প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম বৃষ্টিভেজা ক্ষণগুলো! এই গভীর রোমান্টিকতা গুলো জীবনের ফাইলের নীচে চাপা পড়ে যায়, মানতে পারিনা। খুব বেশী কিছু কি চেয়েছিলাম? শুধু শুধু তো বৃষ্টি ভেজা সবুজ পাতার মত সতেজতায় ঝলমল করা সময়গুলোই দু’হাতে আঁকড়ে ধরে থাকতে চেয়েছি। প্রেমের আমার দরকার নেই, ভালবাসাই যথেষ্ট! অনুভূতিটুকু আরেকটা হৃদয়ের জন্য হোক অথবা বৃষ্টির জন্য। অথবা নিছকই একটা কবিতার জন্য। এগুলোকে বলে পাগলামী, কিন্তু হৃদয় তো স্বচ্ছ সেখানে। জীবনে যদি সত্যি বেঁচে থাকি কখনো, স্বচ্ছ মুহূর্তেই বেঁচেছি। যে বলে বলুক, বাঁচার জন্য রোমান্টিকতার দরকার হয় না। আমার তাতে কিছুই আসে যায় না। ধুকপুকানী যন্ত্রের চেয়ে অনেক বেশী জীবন্ত একটা মন আছে আমার! আর কি চাই?
আপনি একটানে আমাকে আমার ক্যাম্পাসে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন।
@নীল রোদ্দুর,
দারুণ! মূল লেখার চেয়েও আপনার এই মন্তব্যের বর্ণনা সুন্দরতর।
@নীল রোদ্দুর,
কি মুশকিল! এতদিন তো ভাবতাম
রোমান্টিকতা + ভালোবাসা = প্রেম
ভালোও বাসবো, রোমান্টিকতাও থাকবে, আবার প্রেমও হবে না! সে আবার কি? এত দেখি খুবই বাজে ইনভেস্টমেন্ট! ধুকপুকানী তো নিতান্তই বাহ্যিক, পিটুইটারি ফায়ারিং, অক্সিটোসিন মত অমূল্য হরমোনের স্রোত – সবই বৃথা?
@বন্যা আহমেদ, ইয়ে মানে আপু, প্রেম করতে তৈল লাগে, আর ভালবাসাটা তৈল থাক না থাক, মনের মধ্যে থাকেই। আমার ঐটা নাই বলেই তো কইছি, প্রেমের দরকার নাই আমার।
আমার আজকের ফেসবুক স্ট্যাটাস হইল,” Brian CoX এর প্রেমে পড়ে গেছি, মাথা ঠিক রাখাই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। :S” আমার প্রেম হল এইরকম। এইরকম প্রেমিক হলে লাফাইতে লাফাইতে প্রেম করুম নে। এইরকম দুর্দান্ত সায়েন্টিস্ট, ইন্টারেস্টিং গবেষনা, মোহনীয় কথন এবং সন্দেহাতীত ভাবে সুদর্শন। মাকাল ফল মাকাল ফলই, আর এই পার্টিকেল ফিজিসিস্ট আর যাই হোক কেবল মাকাল ফলের মত সুদর্শন না। পিটুইটারি ফায়ারিং, অক্সিটোসিনের মত অমূল্য হরমোন স্রোত আর তখন বৃথা যাবে না। 😀
অসম্ভব মন খারাপ করা একটা গান। আমার যখন প্রচন্ড প্রচন্ড মন খারাপ থাকে তখন গানটা শুনি। ফরিদ ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন মন খারাপ করানোর জন্য :rose2: ।
@মিঠুন,
মন খারাপ করানোর জন্যও তাহলে ধন্যবাদ এবং সতেজ গোলাপ পাওয়া যায় আজকাল। 🙂
@ফরিদ আহমেদ,
মন খারাপ না করাতে পরলে যে ভালবাসার সৌন্দর্যটা বোঝাতে পারতেননা। তাই লাল গোলাপ……..:yes:
এমন একটি বিরহকাতর সুন্দর গল্প আর তার সঙ্গে একটি শ্রুতিমধুর গান উপহার দেয়ার জন্য ফরিদ আহমেদকে অসংখ্য ধন্যবাদ। গানটি গল্পটির জন্য একটি চমৎকার সিলেকশন। নিবেদনে আমাকে উল্লেখ করায় :rose2:
@ব্রাইট স্মাইল্,
আপনার এবং স্বাধীনের আগ্রহের কারণেই এটা লেখা। ধন্যবাদ বরং আপনাদেরই প্রাপ্য।
মনটাই খারাপ হয়ে গেল। ভালবেসে চলে যেতে হয়না। ভালবাসাকে পূর্নতা দিতে হয়।
@মিঠুন,
সব ভালবাসা পূর্ণতা পায় না। এটাই জগতের নিষ্ঠুর নিয়ম।