“আমি একজনকে পরীক্ষা করতে গেলাম। তাঁর নাম বলবো না, তিনি একজন জ্ঞানী হিসেবে পরিচিত। তাঁর সাথে কিছুক্ষণ কথা বলার পর আমি না ভেবে পারলাম না যে তিনি জ্ঞানী নন, যদিও অনেক লোক এবং তিনি নিজেও নিজেকে খুব জ্ঞানী ভাবেন। এর ফল কি হল? সেই লোকটি এবং তাঁর বন্ধু-বান্ধব আমার শত্রু হয়ে গেল। আসার সময় বলে এলাম, আপনি বা আমি কেউ জ্ঞানী নই। আপনার চেয়ে আমার জ্ঞান শুধু এইমাত্র বেশী যে, আমি জানি আমি কিছুই জানি না– কিন্তু এ জ্ঞানটুকুও আপনার নেই।
তারপর আমি আর একজনের কাছে গেলাম–যার জ্ঞানের অভিমান আরও বেশী ছিলো। কিন্তু একই ফল পেলাম।
আমি একের পর আর একজনের কাছে যেতে লাগলাম–ক্রমশ আমার শত্রু বাড়তে লাগলো। ……আমি দেখলাম যারা বেশী খ্যাতিমান তারাই সবচেয়ে অল্প জানেন। … এই অনুসন্ধানের ফলে আমার শত্রু সংখ্যা অগণিত হল। “
গণআদালতের সামনে দাঁড়িয়ে এ কথাগুলো বলেছিলেন সক্রেটিস আজ থেকে প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে। অনেকের জ্ঞানের অহঙ্কার সক্রেটিসের কাছে চূর্ণ হয়েছিল। তিনি দেশের বিখ্যাত জ্ঞানীদের কাছে গিয়ে তাদের জ্ঞানের পরিধি পরীক্ষা করতেন। বলা বাহুল্য শেষ পর্যন্ত সক্রেটিসের যুক্তির কাছে পরাস্ত হয়ে সেই সমস্ত প্রাজ্ঞমানীরা ক্রুদ্ধ হয়ে উঠতেন। কেউ কেউ আদর্শগতভাবেই সক্রেটিসের নতুন চিন্তাধারার বিরোধী ছিলেন। কিন্তু সক্রেটিসের বক্তব্য ছিল—যে কোন চিন্তা বা কাজকেই যুক্তি দ্বারা বিচার করা উচিত। Think deeper—এই ছিল সক্রেটিসের প্রধানতম বাণী। তিনি প্রকাশ্যভাবে ঘোষণা করতেন, “আমার কোন জ্ঞান নেই।”—“কিছুই জানি না আমি, এইটুকু মাত্র জানি।”
সক্রেটিসের প্রশ্নের উত্তর দিতে না পেরে তথাকথিত জ্ঞানীরা তাকে হেমলক বিষ পানে মেরেছিলো শেষমেশ। জ্ঞানী ভাব নেয়া ভন্ড মূর্খরা প্রশ্নকে আজও ভয় পায়। তাই প্রশ্নকর্তাকে দমিয়ে রাখতে হেন কাজ নেই যে এরা করতে দ্বিধা করেনা। চাপাতি হাতে আক্রমন করে, জেল-জরিমানা করে, দেশ থেকে বিতাড়ণ আর সামাজিকভাবে অসম্মান করে, গালি দেয়, এবং তারা পাল্টা প্রশ্ন করে, ‘দুই পাতা পড়ে কি এমন জ্ঞানী হয়েছ যে আমাদের হাজার বছরের প্রতিষ্ঠিত ধর্মের সমালোচনা করো? সর্বশক্তিমান ঈশ্বর যে আছেন সেটা কি বোঝনা?’
ধার্মিকরা এই কথাগুলো অত্যন্ত জোরের সাথেই বলেন। যেনও তারা নিশ্চিত, ঈশ্বর আছেন, এবং তাঁরা এইটাও নিশ্চিত যে তিনি কেমন, কি তাঁর প্রকৃতি, কি তাঁর ক্ষমতা ও ইচ্ছা। এই ঈশ্বর ‘কল্পনা’ হাজার বছর ধরেই পৃথিবীতে চলছে। বিজ্ঞান এখন পর্যন্ত বলছে, ঈশ্বর বলে কেউ নেই। যুক্তিবিদ্যা পাল্টা প্রশ্নে বলছে, সবকিছুরই যদি সৃষ্টিকর্তা থাকতেই হবে তবে ঈশ্বরের সৃষ্টিকর্তা কে? আরও ভালো করে বললে, ঈশ্বর নামক হাইপোথিসিস যদি সত্যি হয়েও থাকে তবে তার রূপ হতে পারে অনেক রকম।
কিছু উদাহরণ দেই,
হতে পারে এক-অদ্বিতীয় ঈশ্বর সত্যিই আছেন এবং তিনি সচেতন তাঁর সৃষ্টির ব্যাপারে। সময়ে সময়ে তিনি তাঁর সৃষ্টিকে ‘সঠিক পথে’ পরিচালনা করার ‘চেষ্টা’ করেন। তিনি হয়ত একাই তা করেন অথবা এই পরিচালনা করতে তার হয়ত ফেরেশতা, নবী, উপদেবতা কিংবা অবতারের সহায়তা নিতে হয়।
হতে পারে, এই এক-অদ্বিতীয় ঈশ্বর আছেন এবং সৃষ্টির ব্যাপারে সচেতন ও দেখছেন সবকিছু কিন্তু তাতে নাক গলাতে পছন্দ করেন না মোটেই।
এমনকি এও হতে পারে, এই এক-অদ্বিতীয় ঈশ্বর আছেন কিন্ত তিনি উদাসীন তাঁর সৃষ্টির ব্যাপারে। সৃষ্টি করাতেই তাঁর আনন্দ, এরপরে কি হচ্ছে না হচ্ছে তা নিয়ে তাঁর মাথাব্যথা নেই। তাঁর মত বিশাল সত্ত্বা এই ক্ষুদ্র সৃষ্টিকে নিয়ে সময় নষ্ট করতে পছন্দ করেন না।
হতে পারে, সর্বশক্তিমান ঈশ্বর একজন নন, দুইজন। জাপানিজ মিথলোজির সেই ‘ইন-ইয়াং’ এর মত। একজন ভালোকে প্রতিনিধিত্ব করে আর একজন খারাপকে। একজন আলো, একজন অন্ধকার। কিন্তু কেউ কাউকে ছাড়া স্বয়ংসম্পূর্ণ নন, দুইয়ে মিলে দ্বন্দ্ব চলছে সেই আবহমান কাল থেকে। সেই কারণেই কখনো অন্ধকার জেতে আর কখনও আলো। এ কারণেই হয়ত প্রকৃতিতে শৃঙ্খলার পাশাপাশি এত বিশৃঙ্খলা, এনট্রপির বৃদ্ধি। আনন্দের পাশাপাশি এত দুঃখ। বিজ্ঞানও নিজেও কিন্তু আজকাল এমন কিছুই বলছে, পজেটীভ-নেগেটিভ এনার্জি, ম্যাটার-এন্টিম্যাটার এইসব।
ইসলাম সহ বাকি আব্রাহামিক ধর্মগুলোতে প্রায় কাছাকাছি কনসেপ্ট আমরা পাই, ঈশ্বর আর শয়তান। যদিও এ ধর্মগুলোতে ধরে নেয়া হয়েছে শয়তান নিজেও ঈশ্বরের সৃষ্টি এবং সবশেষে ঈশ্বরই জিতবেন।
এমনও হতে পারে, ঈশ্বর আসলে একাধিক। সেই একাধিক ঈশ্বরেরা আবার সৃষ্টি সম্পর্কে সচেতন হতেও পারেন নাও পারেন। যদি সচেতন হন সেক্ষেত্রে কিন্তু হতে পারে আরও বিভাজন। হয় তারা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটাভুটি করে দুনিয়াটা চালাচ্ছেন, অথবা তাদের মাঝেও চলে একনায়কতন্ত্র। বিভিন্ন মিথলোজিতে ওডিন, জিউস সহ আরও অনেক একনায়ক কিন্তু আমরা পেয়েছি।। সন্দেহবাদীরা বলবেন, এমন হলে তো তাদের মাঝে মতের অমিল হবে, ঝগড়া হবে, সৃষ্টির ভাগ্য হবে বিপন্ন। হয়ত কথাটা ঠিকও। তাদের মাঝে মতের অমিল হয় বলেই হয়ত এসব ভূমিকম্প, সুনামি আমরা দেখি।
অথবা এমন হতে পারে, প্রকৃতি নিজেই ঈশ্বর। আবার এই প্রকৃতি রূপী ঈশ্বর হতে পারেন চিরকালীন ধরে অবস্থান করা কোনও সচেতন সত্ত্বা অথবা মস্তিষ্ক না থাকা অসচেতন সত্ত্বা। হতে পারে প্রকৃতির কোনও স্রষ্টা নেই, সে নিজেই আদি থেকে অন্ততে ছিলো-আছে-থাকবে।
আমরা হয়ত, সৃষ্টির সৃষ্টি। স্রষ্টা হয়ত এমন একদল প্রাণী তৈরি করেছিলেন বহুকাল আগে। সেই মহাজাগতিক প্রাণীগুলো বিবর্তিত হতে হতে প্রচন্ড বুদ্ধিমান হয়ে এক পর্যায়ে এসে তৈরি করেছে আমাদেরকে। আমরা আসলে গবেষণার বস্তু, ল্যাব-র্যাট, গিনিপিগ। তারা আসলে আমাদের মাধ্যমে বুঝতে চায় তাদেরকে সৃষ্টির মূল রহস্য। এবং এই প্রাণীগুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, অথবা শুধু পর্যবেক্ষণ করে যেতে পারে।
আমরা হতে পারি, এক বা একাধিক ঈশ্বরের স্বপ্নে ভিতরে বিচরণ করা প্রাণী, ঘুম ভেঙ্গে গেলেই কেয়ামত নামবে। অথবা হতে পারি, সেই ম্যাট্রিক্স সিনেমাটার মত কম্পিউটার সিমুলেশন।
উদাহরণ বাড়িয়ে পাঠককে আর বিরক্ত করতে চাচ্ছিনা। বিরুদ্ধবাদীরা হয়ত বলবেন কিসব গাঁজাখুরি লিখছি। কিন্তু সত্যিটা এইটাই। ঈশ্বর যদি থেকেও থাকেন তবে এই অনুমানগুলোর যে কোনটাই হতে পারেন। অথবা তিনি এমন কিছু যা আমাদের অনুমানের বাইরে।
আমাদের দেশে বিজ্ঞানের ছাত্র অনেক। ‘মেধাবী’ ও কম নয়। কিন্তু বিজ্ঞানমনস্কতা আছে ক’জনের? সমসম্ভাব্য কারণগুলো র প্রতিটাকে বিচার-বিবেচনা-পরীক্ষা-নীরিক্ষার মাধ্যমে একক সিদ্ধান্তে আসার চেষ্টাটাই বিজ্ঞানমনস্কতা। যিনি লজিক ছাড়াই সবগুলো কারণ থেকে কোনও একটা বিশেষ কারণকে সঠিক ভাবেন, আঁকড়ে ধরেন তিনি বিজ্ঞানের যত ভালো ছাত্রই হন না কেনও, বিজ্ঞানমনস্ক মোটেই নন।
পৃথিবীতে চার হাজারের উপর ধর্ম রয়েছে, অর্থাৎ ঈশ্বরের ব্যাপারে চার হাজার কাছাকাছি মডেল আমদের হাতে রয়েছে। এর মাঝে কোনটা সঠিক কে জানে? সবাই নিজ নিজ পরিবারে প্রচলিত ধর্মকেই গ্রহণ করে ভাবে যে সে সত্যিকারের ঈশ্বরের উপাসনা করছে, বাকি ধর্মগুলো সব ভন্ডদের কারবার, যত্তসব বুজরুকি। কিন্তু না জেনেশুনে এইভাবে গ্রহণ-বর্জন বিজ্ঞানমনস্কতা নয়। ঈশ্বরের এত রকম হাইপোথিসিস থেকে যারা কোনও প্রকার প্রমাণ ব্যতীত এক-অদ্বিতীয়-সচেতন ঈশ্বর মডেলকে সত্য বলে মানছেন ও যত্রতত্র প্রচার করছেন তারা সকলেই অন্তত এই ব্যাপারে অন্ধবিশ্বাসী।
এখন নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সংশয়বাদীরা আসলে ঠিক এই জায়গাতেই আটকে আছেন। তারা অন্যান্য মানুষের মত অনেক ব্যাপারেই কম জানেন, কম বোঝেন, কম পড়েছেন। রিপুর তাড়না, হিংসাসহ অন্যান্য সংকীর্ণতা তাদেরও রয়েছে। কিন্তু তারা অন্তত এইটুকু জানেন যে, হাজার বছর আগের সেই পুরনো বৃদ্ধ সক্রেটিসের মত তারাও কিছুই জানেন না। এবং ঈশ্বর সম্পর্কে জানেন না বলেই মানেন না।
কৃতজ্ঞতাঃ প্লেটোর লেখনীতে ‘এপোলজি’ তথা সক্রেটিসের জবানবন্দী অংশটুকুর অনুবাদ নেয়া হয়েছে সুনীলের ‘বরণীয় মানুষ স্মরণীয় বিচার’ বই থেকে।
ধন্যবাদ রনি ভাই ।
আপনি ভাল লিখেছেন ।
সনাতন ধর্মের প্রতিমা পূজা সমন্ধে কিছু মুক্ত ধারনা চাচ্ছি ।
লেখাটা পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ
ধন্যবাদ রনি ভাই, লেখাটা ভালো লেগেছে।
আমার মতে শুধু বিজ্ঞান মনষ্ক হলেই হবেনা সাথে সমাজ বিজ্ঞান এবং ভূগোল সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান বিতরন ও প্রয়োজন।বাংলাদেশের ফিল্ডে সমাজ বিজ্ঞানের ভালো প্রয়োগ(চাকুরীর অর্থে) নেই বললেই চলে।সমাজ বিজ্ঞানের মাধ্যমে একজন মানুষ সামাজিক হতে শেখে। এখানে প্রশ্ন আসতে পারে যে সমাজ বিজ্ঞান না জানা মানুষ কি সামাজিক নয়? কিছু মানুষ স্বশিক্ষার মাধ্যমে সামাজিক হয়, কিন্তু বড় একটা অংশই সামাজিক হতে পারেনা। অন্য একজন ধারার মানুষের রিতী নিতী,মুল্যবোধের সম্মান দিতে জানলে একজন মানুষ আর যাই হোক মৌলবাদী হয়ে উঠতে পারেনা।
ভূগোলের ব্যাপারটা এজন্যই প্রাসঙ্গিক যে, যেকোন ধর্মের নাড়ী পোতা থাকে সেই সময়ের সম-সাময়িক ব্যবস্থা এবং ভৌগলিক কাঠামোর মধ্যে। প্রকৃতির বৈচিত্রতায় একেক অঞ্চলের মানুষের সাথে আরেক অঞ্চলের মানুষের জীবন যাপনের বৈচিত্র থেকেও শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু আছে।
আপনার পরবর্তী লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
ভালো থাকবেন।
বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় বিজ্ঞান শেখার সুযোগ আছে কিন্তু প্রশ্ন করার অধিকার নেই। আর একারনেই এদেশে হাজার হাজার ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার পয়দা হলেও ভালো কোন বিজ্ঞানী কোনদিন পয়দা হবেনা। কালেভাদ্রে যে দু-একজন অভিজিতকে আমরা পাই তা নেহাত আমাদের কপালের জোর। বুয়েট-মেডিকেলের মত জায়গা থেকে ছাগু উতপাদনের ঘটনা থেকেই বুঝা যায় এদেশের বিজ্ঞানচর্চার কতটা বেহাল দশা। এখানে মেডিকেলে ভর্তী হয়েই শিক্ষার্থীরা ব্যস্ত হয়ে পরে কিভাবে এসব জ্ঞান কাজে লাগিয়ে ডারউইনের ধর্মবিরোধী বিবর্তনবাদকে ভুল বলে ব্যখ্যা করবে। এবং পকেটে সার্টিফিকেট ও মাগজভর্তী না বুঝে মুখস্ত করা কিছু বিদ্যা থাকার কারনে বিভিন্নরকম এটা-সেটা থিওরীর ঘোজামিল দিয়ে একটা বিবর্তনবাদবিরোধী (অপ)ব্যখ্যা অশিক্ষিতদের মধ্যে চালিয়েও দিতে সক্ষম হয়। এই হলো পুরো প্রক্রিয়া। অথচ লুত নবীর সময়ে আল্লাহর অভিশাপে যে মানুষ থেকে বানরে পরিনত হয়েছিলো সে বিবর্তন মেনে নিতে এদের কোন সূত্র, ব্যখ্যা, বিজ্ঞানের দরকার পরেনা। আসলে ধর্ম এমনই ঠুনকো ভিত্তির ওপরে দাঁড়ানো যে এটার অসাড়তা প্রমানে রকেট সায়েন্স জানার দরকার হয়না, অভি-অনন্তদের মত মেধার এই বিষয় নিয়ে পরে থাকা মেধার নিদারুন অপচয়। কিন্তু তারপরও কেন আমারা এসব নিয়ে এত যুক্তি-তর্ক করেও সামান্য কমন সেন্সের ব্যাপারটাকেও বুঝাতে পারিনা! কারন কমন সেন্স বুঝার মত শিক্ষাও এদেশের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরই নেই, অশিক্ষিত তো পরের হিসেব। আমরা যতই লেখালেখি করিনা কেন, যতদিন এদেশে সার্টিফিকেটের জন্য পড়াশুনা করা, মুহূর্মূহু জিপিএ ফাইভের বন্যায় ভাসিয়ে মেধা যাচাই প্রক্রিয়াকে ব্যহত করা, এসব ঘটনা না কমবে, যতদিন বাচ্চারা বুঝে পড়া শুরু না করবে ততদিন আমরা খুব বেশি আগাতে পারবোনা। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা পৃথিবীতে মেধা নষ্টের সর্ববৃহৎ আয়োজন বলেই মনে হয়। আগে এই অশিক্ষিত কিংবা কুশিক্ষিত জাতিকে সুশিক্ষিত করেন, এরপর আপনার দেখিয়ে দেয়া লাগবেনা, এরা নিজে থেকেই বলবে ধর্মের অসাড়তা প্রমানে এত যুক্তি লাগে নাকি, এটা তো কমন সেন্সের ব্যাপার।
লেখাটি খুবই মানসন্মত। পরে খুব মজ্ পেলাম।
আমরা সাধারণত জানি যে জ্ঞানের তিনটি স্তর প্রখম স্তরে যারা থাকে তার নিজেক খুব বেশি প্রকাশ করে আর দ্বতীয় স্তরে যারা থাকে তারা অন্যের কথা শুনে এবং বুঝার চেষ্ট্রা করে আর যার সর্বশেষ স্তরে যারা থাকে তাদের মুখে শুধু শুনা যায় তার কিছুই জানে না জানার অনেক বাকী।
যারা নাস্তিক তার সর্বশেষ স্তরের মানুষ।
ধন্যবাদ।