অনেক অনেক দিন আগের কথা তখন আরবের লোকেরা …… নাহ, অত আগের কথা না তবে খুব সম্ভবত আমি তখন চতুর্থ কিংবা পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ি। আব্বার চাকরীর সুবাদে আমরা সরকারী কোয়ার্টারে থাকি। আমাদের বিল্ডিংটার সামনে দিয়েই সরু একটা পাকা রাস্তা চলে গেছে। রাস্তার ওপাশে বাগান করার জন্য বেশ কিছুটা যায়গা বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘেরা। আশে পাশের সবাই সেখানে বছর জুড়ে শাকসব্জি চাষ করত। বাগানের পরেই ছিল বিশাল বড় একটা খোলা মাঠ। সেই মাঠে আমরা ছেলে-মেয়েরা সবাই শীত, গ্রীস্ম, বর্ষা সব ঋতুতেই ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, গোল্লাছুট, দাড়িয়াবান্ধা সহ সব ধরনের খেলায় সারা বছর নিজেদের ব্যস্ত রাখতাম। আমাদের বাসার ঠিক সরাসরি বাগানের পরেই মাঠের যেখানে শুরু ঠিক সেইখানটাতেই একটা তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে ছিল। কাঠ ফাটা গরমের দিনে পাকা তাল যখন ধাপুর ধুপুর করে মাটিতে পড়ত তখন আমাদের মধ্যে দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়ে যেত কে আগে গিয়ে সেই তাল কুড়িয়ে নিতে পারে।
ইউ টিউব ভিডিও ১:
ইউ টিউব ভিডিও ২:
http://www.youtube.com/watch?v=4XRzD-2iuGU
একদিন সন্ধ্যা হব হব করছে এরকম সময়ে বাসার ব্যাল্কনির রেলিঙয়ে হাত রেখে হাতের উপর মুখটা রেখে গভীর ভাবে কিছু একটা ভাবছিলাম। তখনকার আবহাওয়া কেমন ছিল ঠিক মনে নেই। আকশে বজ্রপাত হয়েছিল কিনা তাও মনে নেই। তবে এটুকু মনে আছে যে শেষ বিকেলের মরা আলোয় চারপাশটা কেমন যেন বিষন্ন হয়ে ছিল। হঠাত চোখের কোনে উজ্জ্বল কিছু একটা জিনিষের নড়াচড়া ধরা পড়তেই হাতের উপর থেকে মাথা তুলে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকিয়ে দেখি আমাদের খেলার মাঠটার উল্টাপাশে তিন-চারতলা বিল্ডিংয়ের সমান উচুতে ফুটবলের থেকে আকাড়ে একটু ছোট গোল একটা জিনিষ জ্বলজ্বল করছে, অনেকটা ভরা পূর্ণিমার চাঁদের মত উজ্বল। প্রথম দেখায় জিনিষটাকে স্থির মনে হলেও দু-এক মুহুর্ত পরেই বুঝতে পারলাম আসলে জিনিষটা ভেসে ভেসে মাঠের এই পাশের তালগাছ বরাবর ভেসে ভেসে আসছে। প্রায় বিশ পঁচিশ সেকেন্ড ধরে বলটা আকাশে ভাসতে ভাসতে একসময় তালগাছের মাথায় ঘন পাতার মধ্যে হারিয়ে গেল। অনেকক্ষন গভীর মনযোগ দিয়ে বোঝার চেষ্টা করলাম বলটার কি হল। কিন্তু কিছুই দেখতে কিংবা বুঝতে পারলাম না। তালগাছের মাথাটা সন্ধ্যার ম্রিয়মান আলোয় আগের চাইতে আরো বেশি অন্ধকার মনে হল।
আমি যে অল্প কয়েকজন মানুষের সাথে আমার এই অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছি তাদের প্রায় সবাই আমাকে বলেছে এটা জ্বিন কিংবা ভূত ছিল। কিন্তু আমি জানতাম জ্বিন কিংবা ভূত এই ঘটনার যৌক্তিক কোন ব্যাখ্যা না। খুব ছোটবেলা থেকেই গল্পের বই পড়ার প্রচন্ড নেশা হয়ে ছিল। ছোটদের উপযোগি সব ধরনের বই পড়া তখন শেষ। ঠাকুরমার ঝুলি, রাশিয়ান উপকথা, হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান এন্ডারসনের বইয়ের মত রুপকথা, রাক্ষস-খোক্ষস, এবং ভূতের গল্পের বইগুলি প্রায় মুখস্থ হয়ে গেছে। এসব সত্ত্বেও সেই বয়সে একটা জিনিষ খুব ভাল করেই মনে গেঁথে গিয়েছিল যে পৃথিবীতে ভূত-প্রেত বলে কিছু নেই। যা কিছুই ঘটুক না কেন তার পিছনে একটা যৌক্তিক ব্যাখ্যা থাকতেই হবে। ব্যাখ্যা খুঁজে না পাওয়া মানে এই নয় যে তার কোন ব্যাখ্যা নেই। আর এ কারনেই উজ্জ্বল গোলকটা নিজের চোখে দেখা সত্ত্বেও আমার মনে একবারের জন্যেও মনে হয়নি যে এটা জ্বীন-ভূত হতে পারে। আমার মনে দৃড় বিশ্বাস ছিল এর একটা যৌক্তিক ব্যাখ্যা অবশ্যই আছে, থাক্তেই হবে। এর পর মাঝখানে বেশ অনেকগুলো বছর কেটে গেছে। ব্যাপারটা প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম। বছর দুয়েক আগে ইউটিউবে একটা ভিডিও খুঁজতে যেয়ে হঠাত করেই বজ্র গোলকের (Ball lightning) উপর একটা ভিডিও খুঁজে পেলাম। এতগুলো বছর না পাওয়া অমিমাংসিত রহস্যের সমাধান বোধহয় শেষ পর্যন্ত খুঁজে পেলাম।
আমরা সবাই বজ্রপাত বা বিজলীচমকের সাথে পরিচিত। ধারণা করা হয় যে পৃথিবীতে প্রতি ৩০ থেকে ১৫০ জনে অন্ততঃ একজন বজ্র গোলক আকাশে ভেসে বেড়াতে দেখেছে, দেয়াল ভেদ করে চলে যেতে দেখছে, এমনকি কখনও কখনও মানুষের মৃত্যুর কারনও হতে দেখছে। যদিও এই উজ্ঝ্বল গোলক অবলোকনের গল্প মধ্যযুগ, এমনকি প্রাচীন গ্রিক সভ্যতায়ও পাওয়া যায় তথাপিও প্রথম লিপিবদ্ধ অবলোকনের সন্ধান পাওয়া যায় যখন ১৮ শতাব্দীতে তড়িৎ গবেষণার পথিকৃত জর্জ রাইখম্যানের ম্বৃত্যু ঘটে বজ্র গোলকের দ্বারা।
সম্ভবতঃ সবচাইতে উল্লেখযোগ্য বজ্র গোলক অবলোকনের ঘটনাটি ঘটে উনিশ শতাব্দীতে যখন রাশান জার দ্বিতীয় আলক্সান্দারের নাতি অল্পবয়সী জার নিকোলাস চার্চ সার্ভিস চলাকালীন একটি প্রজ্জ্বলিত গোলক দেখেন। জারের মত হাই প্রোফাইল মানুষের দেখার ঘটনাও আসলেই সেটি বজ্র গোলক ছিল কিনা সেই সন্দেহ থেকে মুক্ত করতে পারেনি। মানুষের ধারণা ছিল এগুলো অতিপ্রাকৃত ঘটনা। এই সন্দেহ দূর হতে শুরু হয় যখন ১৯৬৩ সালে একদল বিজ্ঞানী নিউ ইয়র্ক থেকে প্লেনে করে ওয়াশিংটন ডিসিতে যাচ্ছিল। তারা বিমানের আইল ধরে একটি উজ্জ্বল গোলককে শূণ্যে ভাসতে ভাসতে বিমানের পিছন দিকে অদৃশ্য হয়ে যেতে দেখেন। এই দৃশ্যের কারণ খুঁজতে যেয়েই শুরু হয় গবেষণা।
সাধারনতঃ বজ্রপাত চলকালীন বিদ্যুতচমকের পরপরই আভির্ভাব হয় এই উজ্জ্বল বজ্র গোলকের। এই ভাসমান অগ্নিগোলক একটি ১০০ ওয়াট বাল্বের সমান ঔজ্জ্বল্যতা থাকে এবং এরা সাদা, হলুদ, কমলা, লাল, এমনকি নীল রঙেরও হয়ে থাকে। আর আকারে একটি ছোট গলফ বল থেকে শুরু করে বিচ বলের (ফুটবলের চেয়ে একটু বড়) সমান হতে পারে।
এই গোলক থেকে আঁকশির মত চিকন বর্ধিত অংশ বের হয় যা গোলকটিকে ঝাকুনি দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে থাকে ফলে মনে হয় এটি বুঝি কোন এক ক্রীড়নকের হাতের ইশারায় এগুচ্ছে। এরা খুবই ধীরে এবং গন্তব্যহীনের মত চলতে থাকে এবং সাধারনত এদের পিছনে ধোঁয়ার কুন্ডলী দেখা যায় এবং খুবই অল্প সময়ের জন্য, মাত্র ২০-৩০ সেকেন্ড সময়কাল ধরে অস্তিত্বশীল থাকার পর বিলীন হয়ে যায়। বজ্র গোলকের দেখা পাওয়ার ঘটনাও এত স্বল্প যে বিজ্ঞানীরা প্রকৃতিতে এ নিয়ে গবেষনার সুযোগ খুব একটা পান না। এর একটি মাত্র নির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই তবে বেশ কয়েকটি গ্রহনযোগ্য তত্ত্ব আছে।
সবচাইতে জনপ্রিয় এবং স্বীকৃত তত্ত্বটি দিয়েছেন নিজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের ক্যান্টারব্যুরি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন এ্যাব্রাহামসন। তাঁর মতে সিলিকন কনিকা পুড়ে বায়ুতে যে রাসায়নিক বিক্রিয়া সৃষ্টি করে তার ফলেই এই বজ্র গোলকের সৃষ্টি হয়। যখন বজ্রপাত ভূমিতে আঘাত করে তখন মাটিতে থাকা প্রাকৃতিক সিলিকন কণা অক্সিজেন এবং কার্বনের সাথে মিশে বিশুদ্ধ সিলিকন বাস্পের সৃষ্টি হয়। এই বাষ্প ঠান্ডা হলে সিলিকন কণারা ঘন মিহি ধূলায় পরিনত হয়। এই মিহি ধূলায় যে কনাগুলি থাকে তারা বজ্রপাতে সৃষ্ট বৈদ্যুতিক চার্জের কারণে পরস্পেরের প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং একে অন্যের সাথে বন্ধন সৃষ্টি করে গোলাকৃতি ধারন করে। গোলকের উজ্জ্বলতা এবং উত্তাপ আসে বায়ুতে অক্সিজেনের সাথে সিলিকনের পুনঃসংযুক্তির কারনে সৃষ্ট রাসায়নিক শক্তি থেকে। আর যখন সিলিকন কণারা পুড়ে নিঃশেষ হয়ে যায় তখন গোলকটিও আকাশে মিলিয়ে যায়। এই তত্ত্ব অনুসারে সিলিকন ছাড়াও এ্যালুমিনিয়াম এবং লৌহের মত ধাব পদার্থও একি রকম বজ্র গোলক সৃষ্টি করতে সক্ষম এবং বজ্রপাত ছাড়াও যে কোন ধরণের বায়ুমন্ডলীয় শক্তি নিঃসরণ দ্বারা ব্যাখ্যা করা সম্ভব। ব্যাখ্যা করা সম্ভব বৈদ্যুতিক খুঁটি কিংবা বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ, এমনকি ভূতাত্ত্বিক ফল্টের আশাপাশে কেন বজ্র গোলকের দেখা পাওয়া যায়।
ব্রাজিলের পার্নামবুকো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক এন্টোনিও পাভাও এবং গার্সোঁ পাইভা এই সিলিকন তত্ব নিয়ে কাজ করেছেন এবং দাবী করেছেন গবেষণাগারে তাঁরা এটি প্রমান করতে সমর্থ হয়েছেন। ইজরায়েলের তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলাই জারবি এবং ভ্লাদিমির দিখতিয়ারও “মাইক্রোউয়েভ ড্রিল মেশিন” নামক যন্ত্রের সাহায্যে সফলতার সাথে বজ্রগোলক তৈরী করতে সক্ষম হয়েছেন। তবে এই বজ্রগোলক এত স্বল্প সময়ের জন্যে থাকে যে দেয়াল ভদ করে যাওয়ার ব্যাপারটাকে এখনও প্রমানের আওতায় আনা যায়নি। বজ্র গোলকের বৈশিষ্ট্য থেকে বুঝতে অসুবিধা হয়না প্রাচীন জনপদ গুলিতে উদ্ভূত কিছু কিছু জ্বিন কিংবা ভূতের গল্পের পেছনের আসল রহস্য আসলে কি হতে পারে।
বিচিত্র এক জিনিস জানলাম। এই গোলকের খবরই তো আগে জানতাম না।
বেশ কিছুদিন আগে শামসুদ্দিন নাওয়াব এর লেখা “বারমুডা ত্রায়াঙ্গাল” নামের সেবা প্রকাশনী থেকে বের হওয়া একটি বইয়ে এই অগ্নি গোলকের কথা পড়েছিলাম। আমেরিকা আবিষ্কারের সময় ক্রিস্টোফার কলাম্বাস নাকি এই অগ্নি গোলক দেখেছিলেন মাঝ সমুদ্রে। 😛
আমি ওই ৩০ বা ১৫০ জনের একজন নই; আমি কখনো এই অগ্নি গোলক দেখিনি বলে মন খারাপ হচ্ছে 🙁
এখন থেকে চোখ খোলা রেখে বজ্রপাতের সময় মাঠে মাঠে ঘুরবো ভাবতেসি :lotpot:
লেখা টা ভাল্লাগসে (Y)
এখানে সবাই মূল আলোচনার বাহিরে গিয়ে খিস্তি খেউড়ে ব্যাস্ত!!! কার্যকর একটি বিজ্ঞানভিত্তিক আলোচনা হলে ভালো হত।
যাইহোক, এটা আমারাও একবার দেখার সৌভাগ্য হয়েছে – জগতের আরও অনেক বিষয়ের মত এটারও আসলে এখনো কার্যকরী বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেওয়া যায়নি।
যারা আগ্রহী তারা এখানে টোকা মারতে পারেন তাছাড়া যারা একটু বিস্তারিত জানতে চান তাদের জন্য মার্ক স্টেনহফ এর বল লাইটনিং বইটিও ভালো রেফারেন্স।
@ইমরান খান,
এইখানে কেউ খিস্তিখেউড় করেনি।আপনি কি দুধের শিশু যে, কোনদিন খিস্তিখেউড় শোনেননি বা কাকে বলে জানেন না? সেক্ষেত্রে এখানে একটা ঢুঁ মারেন।
বিজ্ঞান ভোগ করি এবং উপভোগ করি, কিন্তু বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব বুঝি না। তবে লেখাটি পড়ে প্রবীর ঘোষের অলৌকিক নয় লৌকিক এর কাহিনী মনে পড়ে গেল। আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়া একজন শিশু উজ্জ্বল গোলকটা নিজের চোখে দেখা সত্ত্বেও একবারের জন্যেও মনে হয়নি যে এটা জ্বীন-ভূত হতে পারে তা লেখকের মানসিক শক্তিরই পরিচায়ক।
আপনার এ’লেখাটি পড়ে আমার প্রথমেই নকুড়বাবু, এবং তারপর lenticular cloud-এর কথা মনে পড়ল। দুর্দান্ত লেখা।
আদিল মাহমুদ ভাই,
:hahahee: আপনি আইজ আমারে মাইরাই ফালাইবেন দেখি হাসাইতে হাসাইতে। নাহ আপনার আগে পিছে আমি আর নাই, হাসতে হাসতে কাশি হইতেসে 🙁 ! হাসির ইমো আর বেশি দিলাম না, কারন এইটা দিতে গিয়াও হাসি আসতেছে ।
আপনার নিজের সর্প জীবনের ছবিটা ওইখানে দেখা গেল না, কোন ছবিই দেখতে পাই নাই। ওইটা পারলে মুক্ত মনায় আপলোড করে আরো হাসি এবং কাশির ব্যবস্থা করেন। :rotfl: কাল দেখব যদি এইখানে আপলোড করেন!!
আমি এইবার ঘুমাইতে যাই, রাত ১টা পার হয়ে গেছে! শুভ রাত্রি!
@অর্ফিউস,
আপনারা কবিরা গুণাহ করতাসেন। হুরপরী কীস্সু পাইবেন না। আপ্নেগো দেলে কি শঙ্কা নাই? এই সব আল্তু ফাল্তু বাদ্দা আল্লা আল্লা করেন। সাকা কা কা করতাসে ; দুয়া করেন মিঞারা; এই সব আল্তু ফাল্তু বাদ্দা আল্লা আল্লা করেন।
@কাজী রহমান,
হুদাই শরম দিতেসেন, আল্লাহ আল্লাহই তো করতেসি কয়েকদিন ধইরা। উপরে দেখেন চায়ের দাওয়াত পাইসি, তার পর থেকেই আল্লাহ আল্লাহ করতেসি আর দোয়া ইউনুস পড়তেসি। কাম কিচ্ছু হইতেসে না। 😀
আল্লাহ মুখ তুলে তাকাইতেসেই না, ব্যাটা ইবলিশই পিছে লাইগা থাকে, কি করুম কন :lotpot: !! অবশ্য এইটাও তো আসলে আল্লাহর হুকুমেই হয়, কাজেই আমার আমার কি দুষ কন, দুষ বা গুনাহ হইলে আল্লাহর হওয়ায়ই কি উচিত নয়? :-s আমি কি কইসিলাম যে আবার পিছে ইবলিশ লাগায়ে রাখ? 😉
আমিও প্রতিদিনই অলৌকিক নিশানা/নকশা দেখে থাকি যার কোন বৈজ্ঞানিক কারন কেউ দিতে পারছে না।
প্রতিদিন প্রাতঃকর্ম সারার পর পানিতে অনেক অলৌকিক চিহ্ন, জটিল জ্যামিতিক নকশা দেখতে পাই যা কোন ফিজিক্যাল সায়েন্স ব্যাখ্যা করতে পারে না। এর কি কোন ব্যাখ্যা ঘোড়াস ভাই দিতে পারেন? আমি জানি পারবেন না।
@আদিল মাহমুদ, আপনি প্রাতঃকর্মে অত্যধিক নাইট্রাস অক্সাইড (লাফিং গ্যাস) নির্গমন করেন বলে মনে হচ্ছে। প্রাথমিক অবস্থায় বিভিন্ন চিহ্ন দেখে যে বিনোদিত হন সেটা নাইট্রাস অক্সাইডের স্বল্প পরিমানের কারনে। সময় বাড়তে থাকার সাথে নাইট্রাস গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে গেলে তখন হ্যালুসিনেশন শুরু হয়ে যায়। ব্যাখ্যা পছন্দ হইছে?
@ঘোড়াস,
আপনি যে আসলে বিজ্ঞানের কিছুই জানেন না আরেকবার প্রমান করলেন। সালফার ডাই অক্সাইড কিংবা মিথেন হলে না হয় বোঝা যেত।
আপনার আসল চেহারা তো একজন ওপরে পরিষ্কার করে দিয়েছেন। ধর্মের বিরুদ্ধে না পেরে যে এবার আবোল তাবোল বকা শুরু করছেন তা পরিষ্কার।
@আদিল ভাই,
আদিল ভাই, আপনার আসল চেহারাও মনে হয় সদালাপী ভাইজনারা টের পেয়ে গেছে 😛
আকাশ মালিকের কথামত সদালাপে ঢুঁ মারছি আজকাল মাঝে মাঝে।
পুরানো লেখাগুলিতে দেখছি আকাশ মালিক, আল্লাহ চাইনা, অভিজিৎ দা সহ আরো অনেককে ধুয়ে ছেড়েছে জনৈক এস.এম .রায়হান।
আকাশ মালিকের ক্ষেত্রে বিশেষ কিছুই সার্চ করা লাগে না। খালি “আকাশ মালিক সদালাপ” এইটুকু লিখে গুগল করলেই নানা রসে ভরা কাহিনী কাহিনী পাওয়া যায়।
আপনার বেলায় সেটা হয়নি। আপনার বেলা সার্চ করতে গিয়ে লিখতে হয়েছে , “আদিল মাহমুদের পরিচয় সদালাপ।” এইবার দেখা গেছে খেল।
এই লেখাটা দেখেন তো। বিশেষ করে আহমেদ শরীফ নামে একজনের এই মন্তব্যটা
আদিল মাহমুদ খুবই ঠান্ডা মাথার কৌশলি একজন মানুষ। তার সরীসৃপসুলভ ধৈর্য আর সুচতুর কৌশলের কাছে অনেক কুখ্যাত ইসলামবিদ্বেষীকে নেহায়েৎ শিশু মনে হবে। যে কোন পরিস্থিতিতে মাথা বরফের মত ঠান্ডা রেখে একটুও উত্তেজিত না হয়ে হালকা ভঙ্গিতে কিভাবে নিজের মিশন নিয়ে পরিকল্পনামত পায়ে পায়ে এগিয়ে যেতে হয় _ সেটার এক অননুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপনের নজিরবিহীন ইতিহাস সৃষ্টির কৃতিত্ব তাকে দিতেই হয়। ইসলামবিদ্বেষ অতি সন্তপর্ণে দক্ষ সার্জনের মত অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ব্যাথাহীনভাবে শিরায় শিরায় ঢুকিয়ে দেয়ার দীর্ঘমেয়াদি কাজটা ওনার মত উচ্চস্তরের ধৈর্য সহনশীলতা নিয়ে এত নিখুঁত নৈপুণ্যের সাথে অন্য কাউকে করতে দেখা যায় না।
নিছক হালকা হাসির ভঙ্গিতে অন্যান্য্ সব ইস্যুতে ব্লগীয় অন্যান্য সমাজের সাথে রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে গিয়ে, সবাইকে গুণমুগ্ধ, প্রাণের ভক্ত বানিয়ে সবার নয়নমণি হয়ে _ এক সময় সবাইকে মাথা মুড়িয়ে ঘোল ঢেলে গাধায় চড়িয়ে নিজে যা ভাবেন তাই ভাবতে রীতিমত বাধ্য করতে পারার ঈর্ষণীয় ক্ষমতার অধিকারী এই প্রবাদপুরুষকে শ্রদ্ধা না জানিয়ে উপায় কি!
দেখসেন এই ব্যাটা আবার আপনাকে পরম শ্রদ্ধাও করে :rotfl: একটু নমুনাটা দেখে আসবেন সময় করে 😀
@অর্ফিউস, তাড়াতাড়ি দেইখেন আদিল ভাই, না হলে যদি ব্যাটারা মন্তব্যটা মুছে দেয় তাহলে দেখতে পাবেন না। অবশ্য এই আশংকা থেকেই আমি পুরা মন্তব্যই লিঙ্কে দিয়ে দিলাম।
@অর্ফিউস,
আরে না, ওনারা ধার্মিক মানুষ, ওনাদের সততার প্রসংশা করতেই হয়, কমেন্ট মুছবেন না। আমার সম্পর্কে এহেন সার্টিফিকেট না পেলেই বিস্ময়ের কারন হত। আমি আপত্তির কিছু দেখি না, শুধু সরীসৃপ প্রানী আমার একেবারেই পছন্দ না। দুই জনের সার্টিফিকেট অনুযায়ী তো মনে হচ্ছে আমার কাছে আমার ‘গুরু’ অভিজিত/বাতাস মালিক এনারাও ফেল। গুরু মারা বিদ্যা একেই বলে। আরেক জনের কাছে মনে হচ্ছে আমি ততটা ভয়াবহ ইসলাম বিদ্বেষী নই, মিডিওকার ইসলাম বিদ্বেষী।
ওনারা কোন আদালত খুলে আমার বিচারে বসলে মনে হয় হাং জুরি সিচুয়েশন হত।
ওনারা আছেন বলেই ব্লগ জগত এই বৈচিত্রময়।
@আদিল মাহমুদ,
আমারও পছন্দ না আদিল ভাই। বিশেষ করে সাপ কে। সাপ দেখলেই কেমন জানি লাগে!!
অভিদাকে ধর্ম বিষয়ক ক্যাচালে খুব একটা দেখেছি বলে মনে পড়ে না। তবে আকাশ মালিক ভাইজানের থেকেও মনে হয় তারা আপনাকে গুরুত্ব দিচ্ছে বেশি ( যদিও আগের কিছু লেখায় আকাশ মালিকের গুষ্টি উদ্ধার করে ছেড়েছে! ), কারন আপনি হলেন সুচতুর ঠাণ্ডা মাথার মানুষ, মানে ভেড়ার ছদ্মবেশে নেকড়ে,কাজেই আপনি তো সবাইকে ওভারটেক করবেন এইটাই স্বাভাবিক 😀 । এই গাধাগুলা যে কখন কার প্রতি টার্গেট করে আল্লাহ মালুম।
ঠিক কইসেন। ইচ্ছে ছিল একটা কমেন্ট করে আসি ওখানে অতিথি হিসাবে , কিন্তু করি নাই। এই সব বাটপারদের সাথে কথা বলা আর না বলা সমান।
@আদিল মাহমুদ,
দেইখেন এতে আপনার গুরুরা ( সদালাপের দৃষ্টিতে) আবার যেন আপনার বৃদ্ধাঙ্গুলি দাবী করে না বসেন গুরু দক্ষিণা হিসাবে, যেমনটা দ্রোণ দাবী করেছিল একলব্যের কাছে। তাহলে কিন্তু ধনুক চালাতে পারবেন না, শেষকালে পদাতিক হয়ে বামহাতে তলোয়ার চালাতে হতে পারে, খিকজ 😛
@অর্ফিউস,
এমনিতেই ব্যাপক ডরে আছি। দুই তরফের হামলা শুরু হইলে কই যাই।
আমার গুরু মগাচিত সাহেবকে বহুদিন দেখি না। কে জানে হয়ত দেখা যাবে আপনেই সে, মাল্টি নিকে কোন বিশেষ জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে ভং ধরছেন।
@আদিল ভাই,
শুকুর আলহামদুলিল্লাহ :)) ! আমি আর অভিদা এক হইতে পারলে তো ভালই হইত, কিন্তু সেইটা আর হল কই আমি তো শুধুই উনার বিজ্ঞান লেখার ভক্ত । খুবই আজব ব্যপার এরা আবার কারো কারো মাল্টিনিকও বের করে ফেলেছে!!
এখন না আবার বলে বসে আমি আর আপনি, অভিদা, আকাশ মালিক অথবা কাজী রহমান ( কাজী রহমান কে তো বিতর্কে প্রায় দেখিনা বললেই চলে, কিন্তু তিনিও সদালাপি বন্ধুদের হাত থেকে রেহাই পান নাই!!) একই ব্যক্তি :-s ।
আপনিই অর্ফিউস, নাম বদলায়ে ভং ধরছেন!! ইক! এই কথা যদি কেউ কয় তাইলে আমি কেডা? আসমান থন উইড়া আইলাম নাকি?
@অর্ফিউস,
আমার ধারনা আপনি আসলে একটি দুষ্ট প্রকৃতির জ্বীন। বেল বটম প্যান্ট পরে হাঁটেন উলটা পা ঢাকা দিতে।
@আদিল মাহমুদ, :hahahee: :hahahee: :hahahee: আর আপনি কি আদিল ভাই? আপনি তো তাহলে জিনের ওঝা! দেখেন ওই পোষ্টে এক মন্তব্যে শাহবাজ নজরুল নামের এক সদালাপী দোস্ত আপনারে সাপের ওঝা কইসে।
তুমি সর্প হইয়া দংশন করো ওঝা হইয়া ঝাড়ো …
@অর্ফিউস,
:hahahee: :hahahee: :hahahee:
খুবই অপমানিত বোধ করলাম। ওনারা তো দেখি আমারে সাপ বানায়ই ছাড়বে। সত্যজিত রায়ের খগম গল্প পড়ছেন না?
সাপের ভাষা সাপের শিষ……ফিস ফিস ফিস
বালকিষনের বিষম বিষ……ফিস ফিস ফিস
জ্বীন সাহেব, হাইসেন না আবার। এমন কিন্তু হইতেই পারে। এক ঈমান্দার ভাই একবার আমার ব্লগে ভিডিও প্রমান সহ পোষ্ট দিছিলেন, সুদখোর মেয়েটি সাপ হয়ে গেল। এই অধমও সেই মূল্যবান আলোচনায় অংশ নিছিল। এই পোষ্ট না পড়লে জীবনের ১৫ আনা উদ্দেশ্যই মিছে মনে হতে পারে।
@আদিল মাহমুদ, তবে যাই বলেন ভাই, সদালাপের এই জিনিস আজকে আমাকে ব্যাপক বিনোদন দিয়েছে। মেলাদিন এতো হাসিনি 😉
@আদিল ভাই , আদিল ভাই ওইখানে উত্তর দেয়া যাচ্ছে না তাই এখানেই দিলাম
এখুনি দেখছি । জীবনের ১৫ আনা উদ্দ্যশ্য মিছা হয়ে যাক এইটা আমার কাম্য না 🙂
@অর্ফিউস,
আমাকে মাফ করেছে তারা অনেক দিন যাবত কিন্তু এই মানুষটাকে আর ছাড়ছেনা। এটা দেখুন-
একটা ভিডিও দিছে সেটাও দেখবেন।
@আকাশ মালিক,
ওরে খাইছে এইটা তো দেখি নাই 😀 ।
আহ হা রে। কি আর বলব।
@আদিল মাহমুদ, আমিও এইমাত্র দেখলাম। আদিল ভাই, আপনের জন্যে মায়াই হইতেসে। মনে হয় জীনের আসর ( সদালাপী জ্বিনের) হইসে আপ্নের উপর। ভাল করে মউলভি ডাকিয়ে তাবিজ কবচ নেন, আর দোয়া কালামের ব্যবস্থা করে। মিলাদ দিতে ভুলবেন না। জীন বড় খারাপ জিনিস। আকাশ মালিকের দেয়া ভিডিও লিঙ্ক থেকে মেলা কিছু জানসি তো, তাই কইলাম।
@আকাশ মালিক,
বাইচা গেছেন তাইলে? 🙂 শেষকালে,বলি হইল বেচারা আদিল ভাইজান।
যাইহোক দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ছেন তো? না পরলে পইড়া নেন। আল্লাহপাক নাশুকুর বান্দাদের পছন্দ করেন না (H)
দেখব, কিন্তু এখন না পরে দেখি। আপনার জ্বিন বিষয়ক ১০ মিনিটের কেচ্ছা প্লে করতেই আমার মোট আধা ঘন্টার বেশি লেগে গেছে। 🙁
আসলে কিছু লিখতে না পেড়ে (ধর্মের বিরুদ্ধে) শেষ পর্যন্ত এই একটা টপিক যে খুঁজে পেয়েছেন , তাতে আপনাকে সাদর অভিগন্ধন।
এই ধরনের পোস্ট ভবিষ্যতে আশা করি বা না করি তাতে কিছু আসে যায় না
@সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত, …… ইগ্নোরড ……
@সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত,
এইখানে ধর্মের বিরুদ্ধে কে কি লিখল রে ভাই? এমন কিছুই তো পাইলাম না। দড়িতে আপনি কি সাপ দেখতেসেন না মিয়া ভাই?
আপাতদৃষ্টি তে “ব্যাখ্যাতিত” কিছু দেখে যদি একবাক্যে স্বীকার করে নিই যে জীনের কেরামতি দেখেছি, তখন সবাই কেমন যেন খুশি হয়ে যায়!! যতই বলতে যাই যে না, এর পেছনে অন্য কোন কারণ আছে, ততই তারা জবরদস্তি করে আমাকেই বোঝানোর চেষ্টা করে যে, না, অলৌকিক কিছুই দেখেছি, যদিও তারা জানেইনা যে আসলেই কি দেখেছিলাম…!!!
মুরুব্বিদের “দোয়ায়” ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার “জিন-পরি” দেখে ফেলেছি তাহলে :/
@দেয়াশিনী, আপনার মুরুব্বীরা দোয়ার ব্যাপারে বেশ দিল খোলা মনে হচ্ছে!!! 😀
এরকম একটা বল লাইটনিং এর কথা প্রফেসর শঙ্কুর গল্পে আছে… টিনটিন এও আছে
@অশ্লেষা মঘা, প্রফেসর শঙ্কু আর টিনটিন কি ব্যাখ্যা দিয়েছিল?
আমি জীন দেখার জন্যে কতো রাত যে কাকরাইল মসজিদে কাটিয়েছি! কপাল খারাপ, জীন দেখিনি ঘুমোতেও পারিনি!
@কেশব অধিকারী, কাকরাইল মসজিদে জ্বিন আছে নাকি? আগে জানলে আমিও ট্রাই দিতাম। (H)
হোরাসঃ
ধন্যবাদ লেখার জন্যে। বছর কয়েক আগে, National Geographic চ্যানেলে একটি documentary দেখেছিলাম (earth investigated: Lightning Strike) এতে, এই অগ্নি গোলোকটির সম্পর্কে কিছু বাখ্যা দেয়া আছে। ভিডিও টি এখানে আছে http://www.youtube.com/watch?v=oLYhRsOg5VE
অনেক উপরে গোলকের সৃষ্টির ব্যাপারে এখনও বোধ হয় খুব ভালো ব্যখ্যা পাওয়া যায় নি।
@সাজ্জাদ, লিঙ্কের জন্য ধন্যবাদ। সম্য করে দেখে নেব।
@ হোরাস,
আমার কপালটাই খারাপ। জীবনে একটাও জীন দেখতে পেলাম না। ছোট কালে নানীর কাছে শুয়ে শুয়ে জীনদের নানা কীর্তি কাহিনী শুনতাম।ভয়ে সিটিয়ে যেতাম। নানী তখন আয়াতুল কুরসি শিখিয়ে দিলেন। এইটা পড়ে ঘুমালে নাকি বদ জীন কাছে আসে না। এই আয়াতুল কুরসি যে কতবার পড়েছি তার হিসাব নেই।
আগে ভাবতাম সব চোখের ভুল। এখন আপনার লেখাটা পড়ে একটা ভাল ব্যাখ্যা পেলাম।
তাহলে কি এই বজ্র গোলকের জন্যেই মানুষ আয়াতুল কুরসি পড়ে? ভালই তো :-s ।
যাক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটার জন্য!শুভেচ্ছা নেবেন। আপনার কিছু চমৎকার লেখা পড়েছি আমি। আরো লিখবেন এই প্রত্যাশা রইল।
@অর্ফিউস,
মানে বলতে চেয়েছি যে বড় হবার পরে ভাবতাম যে জীন ভুত মানুষ যে দেখে এইগুলা শুধুই চোখের ভুল।
@অর্ফিউস, শুধু যে বজ্র গোল্কের জন্যে আয়াতুল কুরসী পড়ে তা না। জলাভূমি এলাকায় অত্যধিক ফসফরাস গ্যাস থাকলেও নাকি অনেক ধরনের জ্বিন-ভূত দেখা যায়। এরকম আরও অনেক কারন নিশ্চয়ই আছে যে কারনে অনেকেই আয়াতুল কুরসী পড়ে। 🙂
@হোরাস,
সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ :)) ভাবছি যে এইবার জীন ( যেহেতু ভুতের কথা কোরানে নাই তাই ভুত নাই, অতএব উল্লেখ করলাম না 😉 ) দেখার জন্য এইরকম এলাকার সন্ধান করতে হবে গ্রামের বাড়ি গেলে। তবে আয়াতুল কুরসি ভাল করে মনে নাই। জীন দেখে কি করব বুঝতে পারছি না।
মনে হয় এটা আবার শিখতে হবে :-s
@অর্ফিউস, আররে জীনেরা ঠিকই আছে, কিন্তু মুক্তমনাদের সামনে আস্তে ভয় পায়।
কেননা আপনাদের চোখে ধরা পড়লে ও যে আছে ত ও নিজেই বিশ্বাস করতে পারবে না।
@সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত,
কোরান তো আর মিথ্যে হতে পারেনা, জীনেরা না থাকলে সুরা জীন, সুরা নাস আসলো কোত্থেকে? বিজলী যে আল্লাহর শয়তান মারার অস্ত্র এটা কে না জানে? জীবন্ত জীন দেখিয়ে দিলেও এরা বিশ্বাস করেনা। আফসুস, এই অবিশ্বাসীদের জন্যে রয়েছে ইহকালে-পরকালে মর্মন্তুদ শাস্তি। আর আল্লাহ নিশ্চয়ই শাস্তি দানে অত্যন্ত কঠোর। [img]http://i1088.photobucket.com/albums/i332/malik1956/jin_zps0a5c7553.jpg[/img]
১) বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত জীনের অস্থিত্ব-
আরো দেখুন-
২) পানি থেকে প্রাণ, স্রষ্টার দান – এ বিষয়ে বিজ্ঞান ও আল-কোরআন
@আকাশ মালিক, খাইসে, এক্কেবারে জ্বিনের ছবিও দিয়া দিলেন??? নিজে দেখসেন নাকি? আমার তো কেন জানি মনে হয় এইটা নেট ঘেটে পাওয়া শয়তানের ছবি যার মাথায় ছাগলের মত শিং আছে। 😀
আচ্ছা বলতে পারেন, ছাগল তো নেহায়েত নিরীহ প্রানী। তো খ্রিষ্টানরা একে শয়তানের প্রতীক কেন বলছে??? এর থেকে বাইসনের ছবি থাকলেই ভাল হত :-s
@অর্ফিউস,
জীন আর শয়তান কোরানে আছে সুতরাং বিশ্বাস করতেই হবে যদি ইমান বাঁচাতে চান, যা সর্বদাই আমি বিশ্বস্ততার সাথে করি। জীন শয়তানে বিশ্বাস নাই, আপনি মুসলমান থেকে খারিজ, জাহান্নামী। ছবি দেখে বিশ্বাস হয়না ভিডিও দেখুন-
httpv://www.youtube.com/watch?v=ZiLsXtZBknk
@আকাশ মালিক,
নাহ আর যাই হোক জাহান্নামে যাওয়ার ইচ্ছা নাই, দোজখে খুব গরম, আমার আবার গরম সহ্য হয় না! ভাবতেসি পাক্কা ইমানদার হয়ে যাব আবার ইনশাল্লাহ। এতে জান্নাতের পাশাপাশি ৭২ হুর 😀
আচ্ছা ঠান্ডা দোজখ নাকি একটা আছে? নাম কি এইটার জানেন? বেহেশতে যাওয়া নাকি খুব কঠিন কাজ, সেক্ষেত্রে না হয় নামাজ রোজা শুরু করে আল্লাহর কাছে ঠান্ডা দোজখ চেয়ে নেব :-s
ভিডিও দেখতেসি দারান। বাংলাদেশে নেটের অবস্থা জানা থাকলে বুঝতেই পারছেন যে সময় লাগবে প্লে হতে 😉
@আকাশ মালিক, দেখলাম ভিডিওটা। ২য় বারে ভাল করে বুঝেছি, প্রথমবার আটকে যাচ্ছিল।
এই ব্যাটা অবশ্যই হরর মুভি দ্বারা খুবই অনুপ্রাণিত। এক্সরসিস্ট সিনেমার একটা কাট সিন দেখেই বুঝেছি। তা এতই যখন পারে, তবে নাসারাদের কাহিনী টানা কেন, নিজেরাই সুন্নতি তরিকায় প্রমান করলেই পারতো।
তবে সবচেয়ে মজা পাইসি আমি প্রথমটুকু দেখে। জ্বিন না নাকি প্রযুক্তিতেও দারুন উন্নত ছিল। পরের জন্মে জ্বিন হয়ে জন্মাবার আশা রাখি 😕 দোয়া রাইখেন :))
@আকাশ মালিক ভাই, বিঙ্গান এতদিন পরে প্রমান করল জ্বীনের অস্থিত্ব ! আর আমাদের কোরানে ১৪০০ সাল আগের থেকেই জ্বীনের কথা লেখা আছে। এবার বুঝতে পারছেন বিঙ্গানের সব আবিষ্কারের কথা কোরানেই আছে !!!
এতএব কোরান বিঙ্গানময় !!! 😕 :rotfl: :rotfl:
@সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত,
সুবহানাল্লাহ তাইলে ভাইজান এখন থেকে আর আয়াতুল কুরসি না। জ্বিন সামনে আসলে আয়াতুল কুরসী না পড়ে কতিপয় বিখ্যাত মুক্ত মনা লেখক যেমন, আদিল মাহমুদ, ফরিদ আহমদ,অভিজিৎ রায় ,আকাশ মালিক এদের নাম জপ করবেন। লেজ তুলে জ্বিন পালাবে। সমস্যা কি? তাৎক্ষনিক জ্বিন তাড়াবার ভাল বুদ্ধি তাই না? :-p
কি সর্বনাশ! আপনি নিজে নাই এই কথা কেউ যদি বিশ্বাস না করে তবে কি আপনি নিজেই বিশ্বাস করবেন না যে আপনি নাই??? তাইলে জ্বিন থাকলে জ্বিন কেন নিজের অস্তিত্ব অস্বীকার করবে??? তারমানে জ্বিন যে আসলেই নাই সেটাই কিন্তু আপনি প্রমান দিয়ে দিলেন। :))
অন্যরকম মজাদার বিষয়ে লিখেছেন। অনেকদিন পর লেখা, কিন্তু পুষিয়ে দিয়েছেন। ধন্যবাদ।
বজ্র গোলক একটি বা অনেকগুলি কাছের আকাশে দেখে ওগুলোকে UFO মনে হতে পারে না? UFO দেখার পপুলারিটিতে এই বজ্র গোলকের বা Ball lightning ভুমিকা কেমন মনে হয় আপনার?
@কাজী রহমান, আপনার কথা ভুল হবার কোন কারন নেই। আমাদের দেশের লোক জন দেখে জ্বিন-ভূত আর পশ্চিমারা দেখে UFO. একটা জিনিষ নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন … সব UFOর বর্ণনাই কিন্তু গোলাকার চাকতির মত, হঠাৎ করে আকশে উদয় হয় এবং কয়েক সেকেন্ড পরেই হঠাৎ করেই হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। যেন স্টার ট্রেকের ‘ওয়ার্প’ স্পিডের মত।
আমি নিশ্চিত বহু UFO দর্শনের পেছনেই বজে গোলকের বিশাল অবদান আছে।
@হোরাস,
সিগার বা চুরুটের মত আকারেও অবশ্য দেখা গেছে বেশ কিছু।
ET নিয়ে লিখুন না। বেশ মজা হবে কিন্তু।
চরম লেখা। অনেক সমস্যার সমাধান পাইলাম … (Y)
(অনেক মানুষকেই বলতে শুনি ভূত বিশ্বাস করি না কিন্তু জ্বীন বিশ্বাস করি।কারন জ্বীনের কথা কোরানে আছে তাই জ্বীন সত্য। :-Y )
@তারিক, আপনার কাজে এসেছে জেনে খুশী হলাম। 🙂
@তারিক,
ভাইজান, মাথা ঠুকেন না। মাথা ফেটে যেতে পারে। আমাদের সমাজের চরম বাস্তবতা হল এইটা। মুসলিম দের সাথে তর্ক করতে যান, সেখানে আপনাকে অলিখিত একটা শর্ত মানতেই হবে আর সেটা হল, সব কিছু নিয়েই তর্ক করা চলবে , কিন্তু কোরানকে উর্ধে রেখে, মানে তালগাছ টা আমার
আমার এক ভাবীর সাথে ( কাজিনের বউ ) আমি সোজা সাপ্টা কোরানের উত্তরাধিকার আইনের বিষয়ে চ্যালেঞ্জ করেছিলাম। মানে ২ জায়গায় যে অংকের ভুল আছে সেই নিয়ে। ভাবী আমার খুবই ইমানদার মহিলা, ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন ফজর সহ, যদিও অন্য ধর্মের মানুষের ব্যাপারে যথেষ্ট উদার। কাজেই সেই ভরসায় আলোচনা শুরু করেছিলাম ।অনেক দিন আগের কথা এটা।
ভাবী প্রথমে কিছু কঠিন (!) যুক্তি দেবার চেষ্টা করলেন, কুলাতে না পেরে, আমাকে প্রথমে অনেক নসিহত করলেন কিন্তু আমি যখন বেঁকেই থাকলাম, তখন তিনি কিঞ্চিত গোস্যা হলেন আর বললেন যে, ভাই ভাল করে কোরান পড়ে বুঝ। না হলে তোমার পরকাল অন্ধকার। তুমি দেখছি দিন দিন ধর্ম নিয়ে বেপরোয়া আচরন করছ। মানো বা না মানো আল্লাহর কালাম অভ্রান্ত, এটা নিয়ে মস্করা করে আর পাপ কামিও না।
পাশের ঘর থেকে ভাই,ভাবীকে উদ্দ্যেশ্য করে বলল যে ওই গাধাটার ( আমি) সাথে ধর্ম কথা বাদ দাওতো, ওর তো সব গেছেই, এখন ওকে বুঝাতে গিয়ে তোমারও পরকালের নষ্ট হবে।
ভাইয়ের কথায় হয়ত কিঞ্চিৎ প্রশ্রয় ছিল আমার প্রতি, তবে সেও মনে করে যে আমার ভুত ভবিষ্যৎ সব অন্ধকার, কারন আমি কোরান নিয়ে প্রশ্ন করি, আর নামাজ রোজার ধারে কাছে যাই না, সেটা আর উল্লেখ করার দরকার মনে করেনি সে!!
অতি প্রিয় ভাই আর ভাবির কাছে থেকে এমন নেতিবাচক উত্তরের পর থেকে আমি মোটামুটি কান ধরে তৌবা করেছি আর যাই হোক, আমি কোনদিন কোন মুসলিমদের সাথে সরাসরি ( নেট জগত ছাড়া) তর্কে নামব না। কারন এতে কোন লাভ নেই, খালি খালি সময় নষ্ট!!
@অর্ফিউস,
ভাই আমিও এই ধরনের কথা শুনতে শুনতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। আমার বড়বোন আগে আমাকে বুঝানোর চেষ্টা করত এখন উনিও বুঝে ফেলেছে আমাকে দিয়ে ৰ্ধমৰ্কম অসম্ভব, বরং আমাকে বুঝাতে আসলে উনারই ৰ্ধমের ভিত নড়ে যেতে পারে ।
সহমত। এই বিষয়গুলোতে বাহিরের মানুষ দূরে থাক, ঘরের মানুষদের সাথেও সামনা-সামনি কথা বলা দুঃসাহসীক কাজ !! :-O :-O
@অর্ফিউস, ছিঃ ছিঃ । কি যে বলেন। এই আপনাদের মত মানুষগুলার জন্যই তো হাতের কাছে কাওরে পাইনা । নেট জগতে লিমিটলেস বিটলামি করে , আর চায়ের দাওয়াত দিলে গর্তে গিয়ে লুকায় ।
@সউর কলঙ্কে পর্যবসিত,
ভাইরে কি করুম কন। জীবনের মায়া যে বড়ই বেশি। গর্তে না লুকিয়ে উপায় কি? নাস্তিক রা তো পরকালে বিশ্বাস রাখে না। আমি তো নিজে নাস্তিক না, আবার আস্তিক বা ধার্মিকও না। পরকাল থাকলেও থাকতে পারে। সেটা থাকলে নির্ধাত দোজখে যাব। তাই দুনিয়াতেই শান্তি খুঁজি। এখন আপনেরা যদি সেইটাও না খুজতে দেন তাইলে কিন্তু বিপদ। চায়ের দাওয়াত ভাল জিনিস। আমি চা খুব বেশি খাই ( পান করি না; বাঙ্গালী আবার সব কিছুই খায়, ভাত পানি, চা, সিগারেট, পান , জর্দা সবই খাদ্য, মানে খায় আর কি, চিবায়ে খায় বা গিলে খায় , বা চাইটা খায়), কিন্তু চায়ের সাথে যদি “টা” এর হুমকি যোগ হয়, তাইলে সেই চায়ের দাওয়াত নেই কেমতে কন? 😉
@সউর কলঙ্কে পর্যবসিত,
তা বস হাতের কাছে পাইলে কি পিডানি দিতেন? ভয় করতেসে এখনই। দোয়া ইউনুস পড়তেছি।
@অর্ফিউস,
ভাই, সদালাপের সবগুলি মোল্লাই কিন্তু জ্বীন , তেঁনারা মানুষ না। বেশি বেশি আয়াতুল কুরসি পড়েন !!! 😛
@তারিক, ভাইজান, আয়াতুল কুরসি ভুলে গেছি প্রায়। সাথে আরবি পড়াও।না ভুলার তো কারন নাই, ছোট বেলায় মক্তবে হুজুরের বেতের বাড়ি খেয়ে শেখা জিনিস কিনা!!
তবে আবার বাংলায় আয়াতুল কুরসি মুখস্ত করব ইনশাল্লাহ, এইটা ছাড়া বাঁচা সম্ভব না, আর দোয়া ইউনুস তো পড়তেসি চায়ের দাওয়াতের পর থেকে, এইটার বিকল্পও নাই, মাছের পেট থেকে ইউনুস নবী ছাড়া, পাইসিলেন, সেখানে চায়ের দাওয়াত দানকারী ভাইজান মনে হয় না ওই মাছের থেকে বেশি ভয়ংকর তবু সাবধানের মার নাই :lotpot: 😛
@অর্ফিউস,
আপনার কোন একটা ব্লগ (এখন আর মনে করতে পারছি না) পড়ে আমার ধারণা ছিলো আপনি হিন্দু পরিবারে জন্মেছেন! আমার ধারণা দেখি ভুল ছিলো।
@কৃষ, আপনি মনে হয় ভুল করছেন। আমি কোন ব্লগ লিখিনি, শুধুমাত্র মুক্তমনাতে একটা মাত্র লেখা ছাড়া, আর দুর্ভাগ্য যে লেখাটা আমার নিজেরই তেমন ভাল লাগেনি, তাড়াহুড়া করে, আবেগ নিয়ে লেখা। মাঝে মাঝে ভাবি নিজের কোন বড় কমেন্ট লেখা আকারে দিয়ে দেব, কিন্তু পোষ্ট আকারে ভাল করে সাজাতে পারি না, বা ভয় করে যে কি ছাইপাশ লিখে ফেলব :))
আচ্ছা সচলায়তনে সম্ভবত অরফিয়াস নামে এক ব্লগার আছেন, আপনি কি তার সাথেই আমাকে এক করে ফেলেছেন?
এমনটা হতে পারে, আমি নিজেও মুক্ত মনাতে আমার এই নিক টা নেবার আগে জানতাম না যে সচলায়তনেও একটু বানান পরিবর্তন করে একই নামের এক ব্লগার আছেন যার নিক অরফিয়াস।
যখন জানলাম তখন আর “অর্ফিউস” নিকটা চেঞ্জ করিনি, কারন এতে মাল্টি নিক হয়ে যাবে আর যেটা মনে হয় না মুক্ত মনাতে ভালভাবে নেয়া হবে 🙂 ধন্যবাদ আপনাকে।
@অর্ফিউস,
ইয়েপ! ‘ভুল বাবু পোড়াদাহ’ হয়ে গেছে। তবে আমার দোষ সামান্যই :))
অরফিয়াসের একটা ব্লগে দেখেছিলাম উনি যখন ভারতে শিক্ষার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন তখন ওনার বন্ধুরা বলেছিলো, ‘ভালোই তো, নিজের দেশে যাচ্ছিস।’ একই ধরণের পরিস্থিতিতে ছোটবেলা থেকে কয়েকবার পড়ার কারনে ওনার ওই ব্লগের কথা মনে ছিলো। তাই যখন কাছাকাছি নিকের আপনাকে দেখলাম ছোটবেলায় নানীর কাছে আয়াতুল কুরসী শিখতে, তখন একটু অবাক হয়েছিলাম।
আর এতো ভাবনা চিন্তা করার কি আছে? পোস্টিয়ে ফেলেন, আমরা আমরাই তো :))
@কৃষ, ধন্যবাদ 🙂 ! দেখি পরে না হয় পোস্টাইতে চেষ্টা করে দেখব! ভাল থাকবেন।
আমি নিজে অন্তত ৪/৫ বার ব্যাপারটি অবলোকন করেছি 🙂
গ্রামে রাতে বাইরে দাঁড়িয়ে তারা পর্যবেক্ষণ করতাম ঘন্টার পর ঘন্টা। তারাখসা ঘটনাটির ব্যাখা ভালমত জানা থাকলেও ওটা নিয়ে ভাল সমস্যায় ছিলাম।
এবং এটি একটি ধাঁধাঁ হয়ে মাথায় গেঁথে ছিল। কাউকে জিজ্ঞেস করব সে উপায়ও ছিল না কারণ এর তো নামটাই জানিনা! একদম টুপিখোলা ধন্যবাদ ।
@সৈকত চৌধুরী, খাইছে আমারে, এতবার নিজের চোখে দেখেও সিল গালা এক্টুও নরম হয় নাই। আপনার টুপি খোলা ধন্যবাদ সাদরে গৃহীত হইল। 🙂
ইউটিউবের ভিডিও এমবেড করতে পারলাম না কোন ভাবেই। 🙁
@হোরাস,
বিজ্ঞানীরা বজ্র গোলক দেয়াল ভেদ করে যাওয়ার রহস্য খুঁজে পান না, আহ কি দুঃখের কথা! আফসুস তারা আসল কিতাব খুলে দেখলোনা ১৫ শো বছর আগেই সেখানে এ বিষয়ে যে ইঙ্গিত দেয়া আছে।
আমারও ছোটবেলা থেকেই জ্বীন-পরী, যাদু-টোনা, ভুত-প্রেতে ইমান ছিলনা। বড় হয়ে নিজেই ভুত হয়ে গিয়েছিলাম। যাক, লেখালেখিতে এতো লম্বা হলিডে তো এলাও করা যায়না। অজুহাতবিহীন নিয়মিত হওয়া চাই। ইস্তেখারা করে জানতে পারলাম, লেখাটা প্রকাশ করতে গিয়ে তাড়াহুড়ো করেছেন, প্রিভিউ দেখার সময় পান নাই।
ইউ টিউব এম্বেইড করবেন কী ভাবে? এক ঠেলায় সকল ব্লগ সুজা হয়ে গেছেন। শরিয়ার আইন, মদিনার সনদ এখন ব্লগেও মানে। তবে মন্তব্যে না করতে পারলেও লেখায় তো পারা যায়। লগইন করে সম্পাদনায় গিয়ে আরেকবার টেরাই মারেন। আমি তো দেখলাম, বিসমিল্লাহ বলে আমার কমপিউটার থেকে সরাসরি ইউ টিউব লিংক কপি পেষ্ট করলেই হয়। নুহ আলাইসাল্লামের আমলের কমপিউটার আর সার্ভার দিয়ে তা হবেনা।
বড় মোল্লা তাদের ব্লগে দিছিলো নেক কামাইবার জন্যে, যা আমি আগে দেখি নাই। জিনিসটা দেখে তাকে মনে মনে ধন্যবাদ দিয়েছি আর তার জন্যে দোয়া করেছি, এখানে দেখুন-
@আকাশ মালিক, না আবার ট্রাই করলাম হল না। সাধারণত ক্রোম ব্যবহার করি … তাই আবার IE দিয়ে ট্রাই করলাম তাও হল না। 🙁
@হোরাস,
তাইলে আর সন্দেহ কী? জ্বীন-ভুত নিশ্চয়ই আছে। :-[ :-[ IE দিয়ে যে হবেনা তা বোধ হয় নিশ্চিত। আপনার কথায় আবার আমি নিজের একটি লেখায় ইউটিউব থেকে নুতন একটি ছবি দিয়ে ট্রাই করলাম, দেখলাম ঠিক আছে তো। IE দিয়ে আমার এখানেও হয়না তাই এখন গুগল ক্রোম ব্যবহার করি। আজকাল কিন্তু আপলোড-ডাউনলোড এর জামানা নাই। কিসের জামানা নাই? আরে বলেন না ভাই। আমার কথা বুঝে আসেনা নি? সরাসরি ইউটিউব লিংকটা কপি-পেষ্ট করে লেখার যথাস্থানে ছেড়ে দিবেন। লিঙ্ক এর মাঝে কাদের মোল্লার v সাইন-টাইন দেয়ার দরকার নাই। সোজা ওয়ার্ড কপি-পেষ্ট এর মত। আরেকবার ট্রাই করেন ইনশাল্লাহ কাজ হবে।
@হোরাস,
কোন একটা বিচিত্র কারণে ইউটিউব এমবেড কাজ করছেনা, ব্লগার প্রতিফলনও এই সমস্যার কথা জানিয়েছেন। আমি খুজে বের করার চেষ্টা করছি কারণটা, তবে আজকাল প্রচন্ড ব্যস্ততায় তেমন সময় দিতে পারিনা এসবের পিছে, এটাও কবে ফিক্স করতে পারবো বলতে পারছিনা। আপনার সমস্যার জন্য সত্যিই দু:খিত।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
বুঝলাম না। তাহলে কি লকেশনের সমস্যা? এই লেখাটা দেখুন, এইমাত্র হোরাসের সেই ইউটিউব ছবিটা যোগ করলাম, পরে ডিলিট করে দিবো –
@আকাশ মালিক,
ধন্যবাদ আপনাকে। সমস্যাটা আরো বেশি বিচিত্র আকার ধারণ করলো এখন, টেস্ট করে দেখলাম কিছু কিছু ভিডিও ক্ষেত্রে এমবেড কাজ করছে। কিছু কিছুর ক্ষেত্রে করছেনা। যেমন হোরাসের ২য় ভিডিওটাই এমবেড করাতে পারলামনা। আপনি আপনার লেখায় করাতে পারলে জানাবেন। লিংকটা সার্ভারে পাঠানোর সময় এনকোডেড অবস্থায় পাঠায়, সে জায়গায় সম্ভবত কিছু গোলমাল হচ্ছে, দেখি কি করা যায়।
প্রথম ভিডিওটা লেখায় এমবেড করে দিলাম।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
ঐ ভিডিওটার এম্বেডিং অপশন ইউ টিউবের পক্ষ থেকে নিষ্ক্রিয় করা আছে আপলোডকারীর অনুরোধে। নিচে দেখুন :
@সংশপ্তক,
[img]http://postimg.org/image/8m3lnnexj/[/img]
@রামগড়ুড়ের ছানা,
সংশপ্তক ঠিকই বলেছেন, দ্বিতীয় ভিডিও এম্বেড হবেনা, কারণ এম্বেডিং অপশন ইউ টিউবের পক্ষ থেকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। এখানে অবশ্য কারো কিছু করার নেই।
@আকাশ মালিক,
ওহহ আমি এটা খেয়ালই করিনি, নিজেকে মনে হচ্ছে সেই লোকটার মতো যে পিসি অন না হওয়ায় সব হার্ডওয়্যার পরীক্ষা করে খেয়াল করে প্লাগ লাগানো হয়নি!
@রামগড়ুড়ের ছানা, অনেক ধন্যবাদ। সম্পাদনায় গিয়ে দেখি কিভাবে করলেন? আর আপনি যদি কোন ট্রিক করে থাকেন তাহলে জানালে বাধিত হব। (F)
@হোরাস,
কোনো ট্রিক না, নতুন লাইনে জাস্ট সরাসরি লিংকটা বসায় দেন, কোন html ট্যাগ ছাড়াই।
http://www.youtube.com/watch?v=U9SrGOma5YE
[[এডিট: কমেন্টে বসালে দেখি কাজ করছেনা এখন, পোস্টে কাজ করছে! অভিজিৎদা সম্ভবত বাংলাদেশে ইউটিউব ব্যান হওয়ার পর সেটিং চেঞ্জ করেছিলো, উনার সাথে কথা বলে দেখছি]]
@রামগড়ুড়ের ছানা,
হ্যা এইমাত্র একটা জবাব দিয়েছি, দেখো।
@হোরাস,
আসলে দোষটা আমারই। বাংলাদেশ থেকে ইউটিউব বন্ধ করে দেয়ার পর ইউটিউবের এম্বেডেড অপশনটা আমিই অফ রেখেছিলাম।এখন আবার চালু করে দিলাম।
ইউটিউবের লিঙ্কে http এর পর একটা v অক্ষর যোগ করুন। এম্বেডেড হয়ে যাবে। যেমন এটা –
http v://www.youtube.com/watch?v=4XRzD-2iuGU
(পি আর ভি এর মাঝখানে স্পেসটা থাকবে না, তাইলেই নীচের মত এম্বেডেড আকারে পাবেন -)
httpv://www.youtube.com/watch?v=4XRzD-2iuGU
@অভিজিৎ, ব্যাপারটা ক্লিয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।