বাহে, অ্যালাও কি টের পান নাই
তোমার দেওয়া সুদের ট্যাকায়
নোবেল পায়, মেডেল পায় !
তোমরা যখন সোউগ হারেয়া কাঁন্দেন
তখন গলাত মেডেল নিয়া হাসে মহাজনেরঘর।
বাহে তোমরা কি টের পান –
তোমাক সোউগ দিবে কয়া
ভোট নিয়া যায় ধনীর ব্যাটারা ।
বাহে তোমরা কি টের পান
তোমার ভোটে ট্যাকার পাহাড় গড়ায়
ওমরা !
বাহে, অ্যালাও কি হুঁশ হয় নাই
মঙ্গা আইলে তোমার ঘরোত আসি
দুয়্যার খটখটায় –
বাহে ট্যাকা ন্যাও, লোন ন্যাও।
গরম ভাতের নেশায়
সুদে বান্ধা পড়েন তোমরা ।
এদোন করি কি বাচা যায় বাহে-
কামের খোঁজত্ গেরাম ছাড়েন
ভাসি যায় বউ ছাওয়া ।
প্যাটোত ক্ষিদায় আগুন জ্বলে তোমার
এতি খোঁজে মহাজন
বাহে, তোমরা কি টের পান ?
(কবিতাটি রংপুরের ভাষায় লেখা )
#বাহে-বাবা হে, রংপুরের জনপ্রিয় সম্বোধন।
অ্যালাও মানে এখনো।
ওমরা-ওরা
খটখটায়া- কড়ায় শব্দ করা।
প্যাটোত- পেটে।
@ আদিল মাহমুদ,
একটা নতুন মামু পাইছিরে এ এ এ এ এ এ এ এ….. 😀
যাই হোক,আমি বোধহয় খুশিতে টপিকের বাইরে চলে যাচ্ছি বারবার।
@তানভী,
আপনাকে উতসাহ দেবার কুফল আগেই আচ করা উচিত ছিল।
তবে এসব মামুর কোন বয়সের ভেদাভেদ নেই, তাই আমিও আপনার মতই উল্লসিত। কি বলেন মামু?
@আদিল মাহমুদ,
মাইরালাইলো রে এ এ এ এ এ এ!!!!! :reallypissed:
যাউক অসুবিধা নাই!! :rotfl:
পানিতে ভেসে থাকার চেষ্টা না করলে আপনি ডুবে যাবেন। সাম্য কখনই আসবেনা কিন্তু সাম্যের জন্য চেষ্টা না করলে পেলকী রায়ে ভরে যাবে আমাদের চারপাশ। কচুড়িপানায় একদিন ভরে যাবে জেনে যদি আমারা পুকুর সাফ করা বন্ধ করে দেই তবে একদিন পুরো পুকুরটাই ব্যাবহারের আনুপযোগী হয়ে যাবে। ধনীর গোলা চুইয়ে দরিদ্র একদিন ভেসে যাবে, এটা আমাদের আজকের সভ্যতার সবচেয়ে বেলাজ বচন। পরবর্তি প্রজন্মের কাছে আমদের মূল্যবোধের সবচেয়ে হাস্যকর উদাহরন হয়ে থাকবে হয়তো এটাই।
ছবিটা না দিলেই ভালো হত।কষ্টটা খুব বেশি বেড়ে গেল।খেতে গেলেই এখন নিজেকে অপরাধী মনে হবে। আমি অত তত্ব বুঝি না।তবে এখন এটাই সত্য যে,দারিদ্র্য পৃথিবীতে চিরকালই থাকবে।কৃষিভিত্তিক সমাজে উর্বর জমির অধিকারীরা স্বভা্মতই বেশি সম্পত্তির অধিকারী হয়ে পড়ে এবং তারপর থেকেই নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে বৈষম্যের ধারা বয়ে চলে।মানুষের ইতিহাসে সব সময়ই কাড়াকাড়ি ছিল,প্রথমে মাংস নিয়ে,তারপর জমি নিয়ে তারপর অন্যান্য সম্পদ নিয়ে।কাজেই সাম্য আসলে কখনোই ছিল না।এখন কথা হচ্ছে,সাম্যবাদ যে মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি-বিরুদ্ধ তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।কিন্তু ধনতন্ত্রের মধ্য দিয়ে দারিদ্র্যবিমোচন খুব সীমিত স্কেলে সম্ভব।সবচেয়ে বড় কথা সুবিধাভোগীরা কখনোই এদের দিকে মুখ তুলে চাইবে না।তাহলে কিভাবে এই নির্মম মঙ্গা থেকে পার পাওয়া সম্ভব।পৃথিবীতে তাই এরা চিরকালই থাকবে আর অনাহারে ঝরে পড়বে শুধু ‘জন্ম-পাপ’ এর দায়ে!
তানভী’র মতো আমিও না জানলে ভাবতাম এটা বোধহয় সোমালিয়ার ছবি – অথচ এটা কিনা বাংলাদেশের নোবেল পাওয়া মাইক্রোক্রেডিট মডেলের একটা ‘জীবন্ত’ উদাহরণ!
যাক তাও ভাল এখানে স্নিগ্ধার দেখা পাওয়া গেল শেষ পর্যন্ত। আমাদের সাইটে তো স্নিগ্ধা একেবারেই ‘অমাবষ্যার চাঁদ’। লগইন ইনফরমেশন মডারেটরের পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছে কিন্তু। এখন নিয়মিত লেখা পেলে খুশি হই…
পরিম্লের কবিতাটা নিয়ে আর কি বলব। রেনেঁসার সময় ব্রুনোর মত দার্শনিককে পুড়িয়ে মারা যেমন রেঁনেসার প্রতিটি অর্জনকে ক্রমাগত ব্যংগ করে, ঠিক তেমনি পেলকী রায়ের এই ছবিগুলো আমাদের ব্যংগ করে, শুধু ইউনুসের নোবেল অর্জনকে নয়, সেই সাথে আমাদের একবিংশ শতকের সভ্যতার সমস্ত অর্জনকে।
মুই এলায় কি খায়া বাছেম! পরিমল নিশ্চয় বুঝবেন কি বলতে চেয়েছি…
@স্নিগ্ধা,
আপু, আমার মনে হয় এভাবে চলতে থাকলে,মাইক্রো ক্রেডিট ভবিষ্যতে মাইক্রো মানুষের জন্ম দেবে!!
আমাদের কৌতুকের বাঘ যেমন না খেয়ে শুকিয়ে বিড়াল হয়ে যায়,তেমনি বাস্তবে মাইক্রো ক্রেডিটের ঠেলায় আমাদের দরিদ্রগোষ্ঠি উলটা বিবর্তিত হয়ে শুকায়ে বানর হয়ে হয়ে যাবে!!
{আমি মানুষকে নিয়ে কৌতুক করা মোটেও পছন্দ করি না, কিন্তু ঐ পেলকী রায় যে আমার দিকে তাকায়ে নির্মম কৌতুক করছে তার কি হবে?}
গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকান্ড নিজের চোখে না দেখলে আমিও হয়তো গ্রামীণ ব্যাঙ্ক ভালো না খারাপ এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করতাম। সৌভাগ্য না দুর্ভাগ্য জানিনা, তবে আমি ওদেরকে খুব কাছের থেকে দেখেছি এই উত্তরবঙ্গেই, বেশ কিছুটা সময় ধরেই, চোখের সামনে দেখেছি সুদের টাকা দিতে না পারায় শেষ সম্বল ছাগল বা গরুটাকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে যেতে। ধন্যবাদ পরিমলকে কবিতাটার জন্য। ছবিটা দেখতে খুব কষ্ট হচ্ছে, তাই কয়েকবার বন্ধ করে দিয়েও আবার খুললাম আপনাকে উত্তরটা দেওয়ার জন্য। ছবি যতই বন্ধ করে দেই না কেন, বাস্তবতা তো আর থেমে থাকবে না… আর এই অমানবিক জীবনটাই ( এটাকে জীবন বলা যায় কিনা সেটা নিয়েও সন্দেহ জাগে মাঝে মাঝে) তো বাস্তব হয়ে গেছে কোটি কোটি মানুষের জন্য এই পৃথিবীতে!
কবিতার সারংশ যাদের উদ্দেশ্যে লেখা হইছে তারা বুঝবে
না।
এই কবিতাই ইউনুসকে অপমান করা হয়েছে। তাতে আমার আপত্তি নেই-সে স্বাধীনতা সবার আছে। কিন্ত আমি নিজের বক্তব্য হিসাবে বলতে চাই দারিদ্রের প্রতি আবেগ কাজে লাগিয়েই ইসলাম এবং কমিনিউজমের মতন দৈত্য তৈরী হয়েছে। অথচ ইসলামিক ( যদি তেল না থাকে০ আর কমিনিউস্টদেশ গুলিই সব থেকে গরীব দেশ। তাই কার্ল পপারের ভাষায় বলি-স্বর্গের স্বপ্ন দেখানো লোকেরা আসলেই নরকের বেসাতি করে। ইতিহাস এরই প্রমান দিচ্ছে সর্বত্র। তাই দারিদ্র জাপান বা আমেরিকাতে অনেক কম। বেশী কিউবা আর উত্তর কোরিয়াতেই।
বস্তুবাদি বৃদ্ধির যাবতীয় সমাজতান্ত্রিক পরীক্ষা ব্যার্থ হয়েছে। এই অবস্থায় ডঃ ইউনুস খুবই ভালো পথ দেখিয়েছিলেন। অন্যরা যে যাই ভাবুক, আমি তাকে জীবিতকালের
শ্রেষ্ঠ বাঙালী বলেই মনে করি।
কেন উনি সুদখোর না-সেই ব্যাপারে আমি আগে লিখেছি-প্লিজ পড়ে নিন।
১। লেখা১
২|লেখা২
@বিপ্লব পাল,
আপনার লেখাগুলি পড়লাম। বেশ রসরোমাঞ্চিত ভাষায় লিখেছেন, পড়তে বেশ লাগে। তবে নিন্দুক অধ্যাপকদের নাম সরাসরি লিখলেই পারতেন, ওরা তো গোপনে সমালোচনা করেনি।
“এই মণিহার আমার নাহি সাজে” কি রবীন্দ্রনাথ আসলেই তার নোবেল জয়ের প্রেক্ষাপটে লিখেছিলেন, নাকি ওটা আপনার নিজের উপমা?
সুদ বিষয়ে সমালোচনাকারীদের বক্তব্য হল তার ব্যাংকের সুদের হার নাকি অনেক অনেক বেশী। আর বন্যা যেমন বলল, সুদের টাকা প্রদানে ব্যার্থ হলে তারা শাইলকের মতই গরীব মানুষের ঘরের চাল হালের বলদ নিয়ে যায়। অত্যন্ত অমানবিক তাতে সন্দেহ নেই।
যদিও এর সাথে নোবেল প্রাইজ প্রাপ্তি ধরে কেন টান দিতে হবে সেটাই আমি বুঝি না। আমি নিজে আজ খালেদা জিয়া নোবেল প্রাইজ পেলেও তাকে সাধুবাদ জানাবো, উনি যত কুকুর্মই করেন না কেন। নোবেল প্রাইজ তো আসলে শুধু একজন ব্যক্তি পায় না, পায় পুরো দেশ।
আমি আমেরিকার যে ইউনিভার্সিটিতে পড়েছি সেখানাকার সিএসই ডিপার্টমেন্টে বিল গেটস এর একজন সহপাঠী আছেন অধ্যাপক। উনিও সুযোগ পেলেই ছাত্র জীবনে বিল কত অঘা ছিল এ গল্প শুরু করেন। ঈর্ষা বোধে আমরা অনেক এগিয়ে থাকলেও একদম ইউনিক না।
মুক্তমনায় এ পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকিং নিয়ে কোন লেখা দেখলাম না। আপনারা কিছু জানেন কানি আসলেই এটা কি? ইসলামী ব্যাংক তো দাবী করে এটা ফলো করে তারা অভাবানীয় সাফল্য পাচ্ছে। সত্যই যদি তা হয় তাহলে অনুসরন করতে বাধা কোথায়?
@বিপ্লব পাল,
ডঃ ইউনুসের ওপর লেখা দুটির জন্য ধন্যবাদ !
আসলে আমরা এখন বিদেশে ডঃ ইউনুসের দেশের লোক
হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে পারি।
বাংলাদেশের বামপন্থীদের চিন্তাধারায় বিশশের আধুনিক মত ও পথের
কোন ছাপ নেই।বাংলাদেশের আরথসামাজিক উন্নয়নের কারযকরী
কোন পথ জানা আছে বলে মনে হয়না তাদের কথা ও কাজে।
@লাইজু নাহার,
ঠুন্কো পরিচয় দিয়ে কি লাভ বলুন ?? ইউনুস হলো অর্থনীতির লোক,অর্থনীতিতে পুরস্কার না পেয়ে পেলেন শান্তি-পুরস্কার,হা হা হা , বুঝতেই পারছেন কেমন ঠেলা।জলপাই সরকারের আমলে এই লোকের কান্ড কীর্তন কি এত সহজে ভূলে যাবার কথা।কেন বা তখনই নোবেল প্রাইজ এর ইতিহাসে এ রকম নতুন ঘটনা ঘটল ??আরেক জলপাই এরশাদকে হাতে নিয়ে এই ইউনুস আজ এত সম্পদের পাহাড় গড়েছে।এটা কে না জানে ? এখন শুনি ওনি নাকি বি,এন,পির কি জানি হতে যাচ্ছেন। আসলে আমেরিকা গত ৬০ বছর পৃথিবীতে যা চেয়েছে বা চায় তা-ই হয়েছে বা হয়।আমাদের দেশে তাদেরই মনোনিত লোকজন যদি না বসাতে পারে তাহলে কেমনে কি হয় ।আমেরিকা কষ্মিন কালেও চায় নি বাংলাদেশ স্বাধীন হউক,যার উসুল ১৬ আনায় পূর্ণ করেছে ১৯৭৫ সালে।সে-ই থেকে চাওয়া বাংলাদেশ যেন পাকিস্তানের তাবেদার রাষ্ট্রএর তল্পি বাহকে পরিনত হয়।সেটা পূর্ণ করতে গিয়ে গত ৩৮ বছর তাদের মদদে জিয়া,এরশাদ,জলপাই সরকার বানানো, এটা হলো বাহিরের রং কিন্তু আসল এবং মূল খেলাটি ছিল জামাতে ইসলামী কে পূর্ণ প্রতিষ্ঠিত করা।তাই হয়েছে।এবার এটার বিষ বাষ্প আগামী ১০০ বছর চলতে থাকবে।এতে তাদের কি,মরবে তো বাংগালী।কে হিন্দু,কে মুসলমান,কে বাংগালী আর কে বাংলাদেশী এই নিয়ে জনম জনম বাংগালিদের মধ্যে মারামারি লাগানোই ছিল তাদের প্রধান কাজ।আর এত সব কিছুর আর একটি মেইন টার্গেট হলো ভবিষ্যত এর চায়না কে বাগানো,,,,,,চায়না কে বাগে আনতে হলে যে আমাদের সমুদ্র বন্দর তাদের একান্ত-ই চাই,চাই চাই।
অনেক কথা বলে ফেললাম।
ধন্য বাদ।
@বিপ্লব পাল,
ইউনুসের গ্রামীণ ব্যাংক নতুন নিয়ম করেছে, তাদের সদস্যরা যদি লোন না নেয় তাহলে তাদের সদস্যপদ বাতিল হবে। আপনার লোনের প্রয়োজন না থাকলেও।
এছাড়া লোন দেয়ার সময় লোনের জন্য একটা বীমার টাকা কাটা হয়। লোন শোধ করার পরও এই টাকা পরিশোধ করা হয় না। পরিশোধকারিদের বলা হয় যেদিন সদস্যপদ থেকে রিজাইন করবেন বা স্বেচ্ছায় বাদ যাবেন সেদিন ওই বীমার টাকা পরিশোধ করা হবে।
একজন সদস্য যতবার লোন নেবেন ততবারই তাকে এই বীমার টাকা দিতে হবে তাদের লোনের টাকার পরিমানের অনুপাতে নির্দিষ্ট শতাংশে। এভাবে তারা লাখ লাখ
দরিদ্র জনগোষ্ঠী বা তাদের সদস্যদের হাজার কোটি আটকে রেখেছে।
কোনো কারনে লোনের বিপরীতে সাপ্তাহিক কিস্তি ব্যর্থ হলে তাদের একটা অলিখিত অপারেশন আছে যার নাম নাইট ফিল্ড। এই নাইট ফিল্ডে গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মীরা একাধিক মটর সাইকেল যোগে ওই কিস্তি খেলাপকারীর বাড়িতে গভীর রাতে রেইড করে।
এরপর বাধ্য কার টাকা দিতে
বাংলাদেশের মানুষ মনে করে ( দু একজন পেইড অর্থনীতিবিদ বাদে ) ইউনুস নোবেল পেয়েছেন গ্রামীন ফোনের শেয়্রার হোল্ডা হবার কারনে। নরওয়ে সরকারের প্রতিষ্ঠান নরটেল এই নোবেল পাওয়ায় লবিস্ট হিসেবে কাজ করে।
একারনে ইউনুস ও গ্রামীণ ব্যাংকে যৌথ ভাবে ওই নোবেল পুরস্কার দেয়া হয় বলে মনে করেন অধিকাংশ মানুষ।
নোবেল প্রাপ্তি দেশের মুখ উজ্জল করে ঠিকই। কিন্তু সে পুরস্কারে পিছনে যদি লুকিয়ে থাকে দুর্বৃত্বের ইতিহাস তাহলে তা কোনো ভাবেই মেনে নিতে কি পারা য়ায় ?
ক্ষুদ্র ঋন বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠির জন্য এখন গলার ফাঁস হয়ে দাড়িয়েছে। যদি কেউ গ্রামীণ ব্যাংকের কাছ থেকে লোন নেয় তাহলে কয়েক সপ্তাহ যাওয়া পর যখন আর ঠিক মতো কিস্তি শোধ করতে পারে না তখনই তাদের দারস্থ হতে হয় আরেক ক্ষুদ্র ঋণদানকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে। এভাবে তারা, গ্রামীণ ব্যাংক, আশা, ব্রাক, প্রশিকা, টিএমএমএস সহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের লোনের ফাঁদে বাধা পড়ে।
এক পর্যায়ে ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ হয় এই লোনের টাকা পরিশোধ করতে যেয়ে।
সামরিক বাহিনীর একটা যুদ্ধ কৌশলের ফাঁদ আছে যার নাম`বুবি ট্র্যাপ’। এই বুবি ট্র্যাপের মতো ট্র্যাপে পড়ে যায় এইসব সহজ-সরল মানুষ, সহজ পাওয়া ঋণের হাত ছানিতে…
অক্টোপাসের মতো এই সৃঙখল কি কেউ ভাঙ্গতে পারবে ? পারবে না।
গ্রামীণ ব্যাংক এখন সরকারের উপর চাপ সৃষ্ঠি করছে গ্রামীণ ব্যাংক আইন বা অধ্যাদেশ পাশ করাতে। এই আইনটা করতে পারলে তারা ঋণগ্রহীতাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে, মালামাল ক্রোক করতে পারবে- পুলিশ পাবে গ্রেফতার করার অধিকার।
@পরিমল মজুমদার,
ইউনুসের গ্রামীণ ব্যাংক নতুন নিয়ম করেছে, তাদের সদস্যরা যদি লোন না নেয় তাহলে তাদের সদস্যপদ বাতিল হবে। আপনার লোনের প্রয়োজন না থাকলেও।
>>
লোন না নিলে মেম্বার থাকার দরকারই বা কেন?
এছাড়া লোন দেয়ার সময় লোনের জন্য একটা বীমার টাকা কাটা হয়। লোন শোধ করার পরও এই টাকা পরিশোধ করা হয় না। পরিশোধকারিদের বলা হয় যেদিন সদস্যপদ থেকে রিজাইন করবেন বা স্বেচ্ছায় বাদ যাবেন সেদিন ওই বীমার টাকা পরিশোধ করা হবে।
>>
লোনের ওপর বীমা আমেরিকাতেও কাটে, না কাটলে
বাঙ্ক লাঠে উঠতে পারে
একজন সদস্য যতবার লোন নেবেন ততবারই তাকে এই বীমার টাকা দিতে হবে তাদের লোনের টাকার পরিমানের অনুপাতে নির্দিষ্ট শতাংশে। এভাবে তারা লাখ লাখ
দরিদ্র জনগোষ্ঠী বা তাদের সদস্যদের হাজার কোটি আটকে রেখেছে।
>> ব্যাঙ্কে টাকা রাখায় মানে টাকা আটকে রাখা?
কোনো কারনে লোনের বিপরীতে সাপ্তাহিক কিস্তি ব্যর্থ হলে তাদের একটা অলিখিত অপারেশন আছে যার নাম নাইট ফিল্ড। এই নাইট ফিল্ডে গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মীরা একাধিক মটর সাইকেল যোগে ওই কিস্তি খেলাপকারীর বাড়িতে গভীর রাতে রেইড করে।
এরপর বাধ্য কার টাকা দিতে
>>
যেকোন দেশেই চালু আছে। এটা ঊঠে গেলে বাংকিং ও তুলে দিতে হয়।
বাংলাদেশের মানুষ মনে করে ( দু একজন পেইড অর্থনীতিবিদ বাদে ) ইউনুস নোবেল পেয়েছেন গ্রামীন ফোনের শেয়্রার হোল্ডা হবার কারনে। নরওয়ে সরকারের প্রতিষ্ঠান নরটেল এই নোবেল পাওয়ায় লবিস্ট হিসেবে কাজ করে।
>>>
হতে পারে। তাতে ইউনুস খাটো হন না। উনার চিন্তা ছোট হয় না।
নোবেল প্রাপ্তি দেশের মুখ উজ্জল করে ঠিকই। কিন্তু সে পুরস্কারে পিছনে যদি লুকিয়ে থাকে দুর্বৃত্বের ইতিহাস তাহলে তা কোনো ভাবেই মেনে নিতে কি পারা য়ায় ?
>>
সব নোবেলের পেছনেই লবি কাজ করে।
ক্ষুদ্র ঋন বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠির জন্য এখন গলার ফাঁস হয়ে দাড়িয়েছে। যদি কেউ গ্রামীণ ব্যাংকের কাছ থেকে লোন নেয় তাহলে কয়েক সপ্তাহ যাওয়া পর যখন আর ঠিক মতো কিস্তি শোধ করতে পারে না তখনই তাদের দারস্থ হতে হয় আরেক ক্ষুদ্র ঋণদানকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে। এভাবে তারা, গ্রামীণ ব্যাংক, আশা, ব্রাক, প্রশিকা, টিএমএমএস সহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের লোনের ফাঁদে বাধা পড়ে।
>>
সরকার কি করছে?
এক পর্যায়ে ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ হয় এই লোনের টাকা পরিশোধ করতে যেয়ে।
সামরিক বাহিনীর একটা যুদ্ধ কৌশলের ফাঁদ আছে যার নাম`বুবি ট্র্যাপ’। এই বুবি ট্র্যাপের মতো ট্র্যাপে পড়ে যায় এইসব সহজ-সরল মানুষ, সহজ পাওয়া ঋণের হাত ছানিতে…
অক্টোপাসের মতো এই সৃঙখল কি কেউ ভাঙ্গতে পারবে ? পারবে না।
>>
ধনতন্ত্রটাই সেই যুক্তিতে বুবি ট্রাপ। কিন্ত এর থেকে ভালোই বা কি আছে? সেটা কি তোমাদের জানা আছে?
গ্রামীণ ব্যাংক এখন সরকারের উপর চাপ সৃষ্ঠি করছে গ্রামীণ ব্যাংক আইন বা অধ্যাদেশ পাশ করাতে। এই আইনটা করতে পারলে তারা ঋণগ্রহীতাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে, মালামাল ক্রোক করতে পারবে- পুলিশ পাবে গ্রেফতার করার অধিকার।
>>
সব গণতন্ত্রেই ব্যাবসায়ী গোষ্টি লবি করে, ইউনুস করলে, তা দোষের কেন?
@বিপ্লব পাল,
লোন না নিলে মেম্বার থাকার দরকারই বা কেন?
১। তাহলে সাপ্তাহিক সঞ্চয় নেয়া হয় কেনো ? শুধু লোন পরিশোধের জন্য কিস্তি নেয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে তারা দুটোই নিচ্ছে।
২। যখন প্রথম সদস্য করা হয় তখন কিন্তু শুধু লোন নেয়ার জন্য সদস্য করা হচ্ছে একথা বলা হয় না।
৩। আর বাকি সব প্রশ্নের জবাব আপনার উত্তরেই আছে।
তারপরও বলি, অন্য কেউ খারাপ করলে আমার খারাপে দোষ হয় না- এটা মেনে নেয়া যায় না। এটা একটা সার্বজনীন দৃষ্টিভঙ্গি। যার সঙ্গে আমি কোনোদিনই একমত না।
ভালো থাকুন।
@বিপ্লব পাল,
তাকে তাই শ্রেষ্ঠ ব্যবসায়ী রূপে নোবেল দেয়া যেত।শান্তি!!!!
মাদার তেরেসার আত্না শান্তি পাক!!!
হ্যা এইটুক বলতে পারি যে,তার নোবেল পাওয়াতে বিশ্ব এখন আমাদের দেশ কে ভারতের পাশের দেশ হিসেবে না জেনে, ইউনুসের দেশ রূপে চেনে,তাই ধন্যবাদ অবশ্যই তার প্রাপ্য।
আরো একটা দিক আছে এটার।তিনি নোবেল না পেলে কিন্তু এত কিছু আমরা জানতে ও পারতাম না।
পরিমল কি ভীষন,গভীর,দুঃখময়,ক্ষুধাময় ও কংকালসার জীবনের ছবি দিয়ে সব বাংগালী বিশেষ করে যারা গনতন্ত,সমাজতন্ত ও ধর্মের নামে রাজনীতি করে তাদের মুখে থুথু ও চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে দেখ তোদের মানবতা ও সভ্যতা এবং বিবেক কোথায় ভূলন্টিত হয়ে আছে ????????????????? কোটি কোটি জয়নব ও হাজিরনরা বজ্রের বেগে তোদের দিকে ধেয়ে আসছে,তাদের শ্রম ও রক্ত চোঁষে নিয়ে তোদের বানানো পাহাড় সমান অট্টলিকা একদিন তছনছ করে দিয়ে বংগবোসাগরে মিশিয়ে দিবে,সাধু সাবধান !!!!!!!!!!!
পরিমল কে এমন একটি চিত্র সহ লেখা উপহার দেবার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ দিয়ে খাটো করতে চাই না।ভালো থাকুন।
পরিমল দা,
অসাধারন একটি কবিতা লিখেছেন । যদিও ভাষা অনেক কঠিন । তারপর অর্থ মুটামুটি বুঝতে পেরেছি । আপনাকে ধন্যবাদ ।
কবিতাটি অত্যন্ত হ্রদয়গ্রাহী, সাথে ছবিটা যে কাউকে কিছুক্ষনের জন্য হলেও তার জীবনের লক্ষ্য ও আদর্শ নিয়ে ভাবাবে।
তবে এর সাথে নোবেল প্রাইজ মানে ডঃ ইউনুস সাহেবকে কটাক্ষ করা মনে হয় ঠিক হয়নি। পরিমল যদি তা না করে থাকেন তবে আগ্রীম ক্ষমাপ্রার্থী।
সে হিসেবে আমরা সমাজের সবাই এই চিত্রের জন্য দায়ী, দায় এড়াতে পারব কে? ঢাকা শহরে আজকাল দেখেছি কলেজের ছেলেময়ে এমন কিছু ধনী পরিবারেরও না, ১৫০ টাকা দামের বার্গার খাচ্ছে। কাল একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারের সাইট দেখলাম, উনি ৫০ হাজার টাকা চার্জ নেন পার বিয়ে। তার ক্লায়েন্টের মাশাল্লাহ কোন অভাব নেই। কার কথা ফেলে কাকে বলব? দায় শুধু নোবেল বিজয়ীর হবে?
সুদ তিনি একা না, অনেকেই খায়। গরীবের রক্ত চুষে দেশে হাহার হাজার কোটিপতি হয়েছে। নোবেল প্রাইজ আর কেউই আনতে পারে না। এইটুকূ সম্মান দেশের জন্য বয়ে আনায় সমস্যা কোথায়?
@আদিল মাহমুদ, কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে বলাটাই তো স্বাভাবিক। সে নোবেল পেয়ে তো আর পাপের প্রাশ্চিত্ত করে ফেলেনি। আর ঠিকই তো- নোবেল পুরষ্কার তো সুদের টাকাতেই দেওয়া হয় এটা সুদের ব্যবসার প্রতি প্রতিকী একটা সমর্থনে পরিনত হয়েছে, বাস্তবতাকে তো আর উপেক্ষা করা যায় না। আমি ইউনুসকে কোন ভাল ব্যক্তিত্ব মনে করি না। সে এক ছদ্মবেশী সাম্রাজ্যবাদী। কোদাল কে কোদাল বলাই কি সমিচীন নয়?
@মুহাইমীন,
আমি উনি সুদ খান সে বিষয়ে দ্বি-মত করিনি। আমার লেখা আরেকবার পড়ে দেখেন।
সে অর্থে তাকে একা ধরে টানা হ্যাচড়া কেন?
নাকি তার নোবেল প্রাইজ পাওয়াটাই কাল হয়ে দাড়িয়েছে? সেটা না পেলে মনে হয় বেচারার এত গালাগাল শুনতে হত না।
নোবেল পুরষ্কার দেওয়া ফলে যে সুদ ব্যাবসাকে সমর্থন জানানো তা আমার জানা ছিল না।
আমি সরল অর্থে বুঝি উনি আমাদের দেশের হাজার নেগেটিভ দিকের মধ্যে বহিঃবিশ্বে একটা বিরল সম্মান বয়ে এনেছেন। এটা তো সত্য।
ব্যাংকার ইউনুসকে যত খুশী গালাগাল দেন আমার আপত্তি নেই। তবে নোবেল জয়ী ইউনুসকে দিলে মনে হয় সেটা দেশের স্বার্থে ভাল দেখায় না।
@আদিল মাহমুদ,
আপ্নি বোধ হয় ডঃ ইউনুসের নোবেল জয়ের পেছনের কাহিনী জানেন না :laugh: :laugh: :laugh: :silly:
নিচে পরিমল মজুমদারের লেখাটা পড়তে পারেন। বাস্তব্বাদী হউন; সব কিছু কে কাছ থেকে দেখুন।
ধন্যবাদ। :musicnote:
@মুহাইমীন,
দূঃখিত, ইউনুসের নোবেল বিজয়ে পরিমলের তত্ত্ব বাজারে ছড়িয়ে থাকা অনেক গুজবের একটি ছাড়া বেশি কিছু মনে হল না। ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাস করতে গেলে জগতে সব কিছু নিয়েই তর্ক করা যায়।
আপনি, পরিমল, মামুন বা যে কেউ আরেকটু যুক্তিগ্রাহ্য কিছু হাজির করুন। আপনারা যে বলছেন সেগুলি স্রেফ ধারনা। তার পালটা জবাব বিপ্লবের মতই অনেকে দিতে পারবে।
আপনাদের মতে কি তিনি নোবেল না পেলেই ভাল হত?
বা এখন আমাদের সেই নোবেল প্রাইজ আস্তাকুড়ে ফেলে আসা উচিত?
তার গ্রামীন ব্যাংক কত বড় সুদখোর অমানবিক তাতে আমি কখোনই দ্বি-মত করব না। তাবে উলটো দিকে গ্রামীন ব্যাংকের কোন সুফল কেউ পায়নি সেটাও কি বলা যায়? আমি অর্থনীতির কিছুই বুঝি না, কিন্তু যা শুনি তাতে মনে হয় এর অপকারিতা থেকে উপকারিতাই বেশী। যদিও এর সাথে নোবেল প্রাইজের কোন সম্পর্ক নেই।
আমার মতে ইউনুসকে ধরতে পারেন, তবে তার আগে আশে পাশের লোকদের ধরেন। নিজেকে দিয়েও শুরু করতে পারেন যদি বিবেকবান হন (অন্তত আমি মনে করি আমারও দায়া আছে)। যারা ২০০ টাকার ফাষ্ট ফুড খেতে পারে তারা এসব কংকালসার লোকের কথা ভাবে? যারা বিয়ে ঈদের বাজার করতে ব্যাংকক সিঙ্গাপুর যান তাদের কোন দায় নেই? শুধু ইউনুসকেই চোখে পড়ে? কদিন পরে কোরবানী উতসব নামে চলবে কার গরু কত দামী, চিড়িয়াখানার হরিন বা রাজস্থানের উট জবাই দিয়ে বড়াই করা এসব কিছু বাদ দিয়ে দায় শুধু ইউনুসের?
@আদিল মাহমুদ,
দূঃখিত, ইউনুসের নোবেল বিজয়ে পরিমলের তত্ত্ব বাজারে ছড়িয়ে থাকা অনেক গুজবের একটি ছাড়া বেশি কিছু মনে হল না। ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাস করতে গেলে জগতে সব কিছু নিয়েই তর্ক করা যায়।
১। এটা আমার তত্ত্ব আপনাকে কে বললো ?
২। আপনি কি জেনে বলছেন নাকি না জেনে এঁড়ে তর্ক করছেন!
৩। এটা গুজব আপনাকে কে বললো ?
৪। আমি বিপ্লব পালের জবাবে যা বলেছি তার অকাট্য প্রমাণ আমার কাছে আছে।
৫। এটা গুজব বা আমার কথা সত্যি নয় তা প্রমান করতে পারলে আমি সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে বিদায় নেবো, আর কোনোদিন এই ব্লগে লিখবো না।
ফুয়াদদের এসব কংকালসার মানুষদের চোখে পড়ে না। ঢাকার রাস্তা-ঘাটে যে সব নর-নারী অনাহারে, কাপড় হারা জীবন-যাপন করে তাদের চোখ তখন শুধু তাদের রাব্বুল আলামীনের দিকে চেয়ে থাকে।
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
ভাই সবকিছুতে ফুয়াদ ভাইকে অপমান করা কি উচিত? সেও তো মানুষ- আপনার মতই। তার কোন ভুল ধরা পড়লে সংশোধন করে দিন কথায় কথায় তাকে আঘাত করাটা বোধ হয় মনুষ্যত্বের পরিচয় হবে না। মানুষকে কষ্ট দেওয়াটা বোধ হয় সবচে’ বড় পাপ- তা সে যে মানুষই হোক না কেন। ধন্যবাদ।
@মুহাইমীন,
আপনি তো দেখছি এখনো পাপ-পূন্যের হিসাব-নিকাশ নিয়ে সব কিছু বিচার করেন যা সকল ধর্মের মর্মবানী।পরিমলের লেখা ও ছবি দেখার পরেও মনুষ্যত্বের বানী আপনার লেখা থেকে ঝরে পড়ে।কি চ ম্ৎকার।
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
ভাই হতাশ হইতে হইতে এত চরম পর্যায়ে পৌছে গেছি যে ভেতরে কাঁদতে কাঁদতে পাথর হয়ে গেছি। এখন আর কান্না আসে না। তাই দেয়ালে পিঠ ঠেকা অবস্থায় নতুন করে শুরুর একটা পায়তারা করতেছি। “আমি বাকরুদ্ধ” “কিছুই বলার নেই” এরকম বলার চেয়ে আমি মানুষকে আশার বাণী শুনিয়ে চাঙ্গা করতে পছন্দ করি এবং এটাকে পবিত্র দায়িত্ব মনে করি। আমি ভন্ড এটা আমি স্বীকার করি- কিন্তু আমিতো মানুষ তাই ভন্ডামী স্বভাবটা বাদ দেবার চেষ্টা করতেছি মাত্র। ধন্যবাদ।
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
নিজেকে আয়নার সামনে ধরে এই প্রশ্ন নিজেকেই করেন , উত্তর বুঝতে পারবেন ।
ইচ্ছে করলে আমার এই লেখটি পড়তে পারেন http://www.somewhereinblog.net/blog/Fuad1dinohin/29038965
লেখাটির বিষয় বস্তু আপনার প্রশ্নের সাথে পুরা-পুরি মিল না , অমিল ও না । ধন্যবাদ ।
হ্যা, শুধু বাংলাদেশের নয়, সমগ্র পৃথিবীর নিপিড়ীত মানুষের চিত্র এটা, হ্যা সত্যই জীবনকে নতুন করে দেখার সময় হয়েছে, সময় হয়েছে শুধু কথার ফল্গুধারা না ছুটিয়ে বাস্তব জগতে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করার। পৃথিবীটা সত্যই বড় নিষ্ঠুর এখানে খালি কথার ফল্গুধারা ছুটানো আসলে নিষ্ফল। প্রয়োজন অন্যায়ের প্রত্যক্ষ প্রতিবাদ করা ।
আসুন একাজে সবাই সকল বিভেদ ভুলে গিয়ে একাট্ট হই। আসুন আমরা সমস্ত সুদের কারবারের বিরুদ্ধে জিহাদ(সংগ্রাম) করি,সুদের যে কোনো সংযোগ থেকে আমরা বিচ্ছিন্ন হই- তা আমাদের যত কষ্টই হোক না কেন। ধন্যবাদ।
@মুহাইমীন,
আসুন একাজে সবাই সকল বিভেদ ভুলে গিয়ে একাট্ট হই। :reallypissed:
কোন ভুলে,কার ভুলে, কাদের সাথে নিয়ে একজোট হয়ে লড়াইয়ে নামতে চান ??
এ লড়াইয়ের নাম কি,এর নেতা কারা ,কার নের্তৃতে্ব এ লড়াই হবে জানালে খুশী হবো ?
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
একাট্ট হওয়ার অর্থ আমরা সবাই যার যার অবস্থান থেকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াই। আমি তথাকথিত কোন লড়াই এর ডাক দিচ্ছি না। আমরা যেখানে জীবনে যে পরিস্থিতিতে অন্যায়ের সম্মুখিন হব সেখানেই আমরা যেন ভেজা বেড়াল হয়ে প্রতিপক্ষকে ভয় করে বসে না থাকি, যুগ যুগ ধরে এই ভয়ের কারণেই অন্যায় বেড়ে চলেছে।
আর প্রকৃত নেতৃত্ব যথাসময়েই উদীত হবে; আমি নিজেও জানি না কে এই নেতা। আমার কথার ভুল বুঝলে তা সংশোধণ করাই আমার দায়িত্ব। এখানে ছদ্মবেশ ধরে বসে থাকার কোন অবকাশ নেই। সব কিছু নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখাটা বোধ হয় উচিত না। আমার মনে হয় আপনি জিহাদ শব্দটা শুনেই চেতেছেন- জহদ্ শব্দের অর্থ প্রকৃষ্ট রূপে কল্যাণের জন্য সংগ্রাম করা। আমি তথাকথিত মোল্লা দের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কথা বলি নাই। ধন্যবাদ।
@মুহাইমীন,
আমি তথাকথিত কোন লড়াই এর ডাক দিচ্ছি না। আমরা যেখানে জীবনে যে পরিস্থিতিতে অন্যায়ের সম্মুখিন হব সেখানেই আমরা যেন ভেজা বেড়াল হয়ে প্রতিপক্ষকে ভয় করে বসে না থাকি :pissedoff:
আপনি কোনো লড়াইয়ের ডাক দিচ্ছেন না কিন্তু জিহাদ বা সংগ্রাম এর ডাক দিচ্ছেন , কাদের নিয়ে এ ডাক ?? মানুষের সহজাত প্রবৃtti-ই হলো যার যার অবস্হান এ থেকে ন্যায় er জন্য লড়াই করে ।আর বাংলাদেশের মানুষ যুগ যুগ ধরে এতো লড়াই সংগ্রাম করে শেষমেশ শালার এমন একটি স্বাধীনতা এনে দিল তারপরেও পরিমলের দেওয়া এমন ছবি আজো আমরা দেখতে পাই ।জয়নব,হারিজনরা সহ কোটি কোটি মানুষের মুক্তি ও জীবনের জন্য বাধা কারা বলে মনে করেন ??
ধন্যবাদ।
@মুহাইমীন,
উপোস মারতে চান? তারপর বলবেন- তুমি মারো তুমি বাঁচাও তুমি খাওয়াইলে আমি খাই। পাঁচটা সন্তান নিয়ে বাবার সংসারে এক সময় দুবেলার ভাত জুটতনা। এই সুদের সাহায্যে আমি আজ একজন বিজনিসম্যান। সুদের বিজনিস, সুদের ঘর, সুদের গাড়ি এবং দেশেও সুদের টাকায় ছনের বেড়ার ঘর থেকে অট্টালিকা যা কিছুদিন আগেও ছিল আমার বাবার সপ্নাতীত।
একটা কাজ করুন দাদা, দেরী করে লাভ নেই, আসুন অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা আজই জিহাদে নেমে যাই। মুক্তুমনার সকল সদস্যগন মিলে একটা পিটিশন সাইন্ড করে দিই বাংলাদেশ সরকারের কাছে।
অন্যায় নাম্বার ওয়ান- এই মাসেই ক’দিন পরে মহোৎসবে লক্ষ লক্ষ গরু ছাগল ভেড়া বকরী হাঁস মুরগী হত্যা করা হবে। এ হত্যা মারাত্বক অন্যায়, গুরুতর অপরাধ। এ অন্যায় বন্ধ করা হউক এবং কোরবানীর সকল টাকা মংগা কবলিত এলাকায় বিতরণ করা হউক।
অন্যায় নাম্বার টু- গত রমজানে ইংল্যান্ড ও ইউরোপ থেকে মিথ্যা লাভের আশ্বাস দিয়ে অন্যায় ভাবে মসজিদ মাদ্রাসার নামে কোটিকোটি পাউন্ড-ডলার বাংলাদেশে পাচার করা হয়েছে। সব টাকা সংগ্রহ করে মংগা একাউন্টে জমা দেয়া হউক।
অন্যায় নাম্বার থ্রী- বাংলাদেশ সৃষ্টির সংগ্রামে কোন মাদ্রাসার ছাত্র-উস্তাদ সহযোগিতা তো দূরের কথা তারা সকলেই বিরোধিতা করেছে। মাদ্রাসা শিক্ষা আমাদেরকে কোনদিন একজন ডঃ ইউনুস, হুমায়ুন আযাদ, আহমদ শরীফ, শামসুর রহমান, আবুল বরকত, সালাম, রফিক, জব্বার উপহার দিতে পারেনি, দিয়েছে সিদ্দিকুর রহমান, মুফতি হান্নান, শেখ আব্দুর রহমান এর মতো জঘন্য ঘাতক খুনী। এ অন্যায় আর চলতে দেয়া যায়না। অনতিবিলম্বে মাদ্রাসা শিক্ষা বন্ধ করা হউক।
অন্যায়ের বিরোদ্ধে জেহাদের ডাক দিয়েছেন, এগিয়ে যান আমরা সাথে আছি।
আকাশ-
ইংল্যান্ড
@আকাশ মালিক,
আমি পিটিশনে সাইন করতে রাজি আছি।
@আকাশ মালিক,
পিটিশনে সই করতে মোটা দাগে রাজী, ইউথ ইমিডিয়েট একশন অন কোরবানী নামক বর্বর রিচূয়াল।
দূখজনকভাবে এই সুন্দর কবিতার আলোচনা মনে হয় ইউনিস বা সুদ খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতায় ঠেকবে, আমি নিজেও মনে হয় বেশ কিছুটা দায়ী এজন্য।
পরিমলের কাছে অগ্রীম ক্ষমাপ্রার্থী।
@আকাশ মালিক,
খুব সুন্দর করে আমার মনের কথা বলেছেন।
ধন্যবাদ।
আর ভাই বিড়ালের গলায় ঘন্টা পরাবে কে? না বলে কারো জন্য অপেক্ষা না করে সবাই আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে ঝাপিয়ে পড়ি।
@আকাশ মালিক,
আপনার সব সত্য কথার সাথে একমত পোষন করছি!
সহযোগিতার দরকার হলে করব অবশ্যই!
@আকাশ মালিক,
আমিও পিটিশনে সাইন করব।
@আকাশ মালিক,
এখানে আরেকটি অন্যায় যোগ করেন , অন্যায় নাম্বার ০ , মানুষ প্রতিদিন বহু ব্যক্টেরিয়া আর অনুজীব খুন করে , বাংলাদেশের এক জন মানুষ প্রতিদিন যদি ১০০০০০০০ প্রান হত্যা করে, তাহলে বাংলাদেশে কমপক্ষে ১৬০০০০০০০০*১০০০০০০০=১৬০০০০০০০০০০০০০০০০ প্রান হত্যা করা হয় প্রতিদিনে । অতএব, এ মহা অপরাদ চলতে দিতে দেওয়া যায় না । এ হত্যা চরম অন্যায় , মহা অপরাদ । অনতিবিলম্বে বন্ধ করা হউক ।
@ফুয়াদ,
মানূষ মানুষকেও হত্যা করে, তাই না? প্রতিদিন পৃথিবীতে কত মানুষ খুন হচ্ছে তার হিসেব এ মুহুর্তে জানি না, কিন্তু মনে হয় অনেক হবে। তাই বলে কি কোন ধর্মীয় রিচূয়াল পালন করার নামে আমরা মানুষ হত্যাকে জায়েয করে দেব? বলব যে কত মানুষই তো মরে, আরো নাহয় কিছু মরল, তবুও তো কয়েক হাজার বছর আগের কোন নবীর প্রতি তো শ্রদ্ধা দেখিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়া যাবে। আরো পজ়িটিভ দিক, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ কমানোর কি নিদারুন উপায় হতে পারে, তাই না?
প্রকৃতিতে ফুড সাইকেল আছে। এই সাইকেলের বাইরে জীব জগত চলতে পারে না। তাই প্রান হরন ভালই চলছে ও চলবে, এটা প্রকৃতিরই নিয়ম। মানূষ যেহেতু এই চেইনের উপরে তাই তারা হত্যাও করছে প্রচুর। তবে অপ্রোয়যনীয় হত্যাকে কি এই ছূতায় হালাল করে দেওয়া যাবে? কোরবানী কি কোন ন্যাচারাল ফেনোমেনন যা নাহলে জগত চলছিল না বা চলছে না? কোন অবলা প্রানীর জীবন নিয়ে কিভাবে ফূর্তি করা যায়? হিন্দুদের পশুবলি নরবলিই বা আর খারাপ বলি কিভাবে?
ত্যাগের শিক্ষা পাওয়া যায়। বাজার থেকে গাটের পয়সা দিয়ে গরু ছাগল কিনে পরদিন হাস্যমুখে তাকে জবাই দিয়ে কোন ত্যাগের শিক্ষা পাই? আপনার কি একবারও মনে হয় না যে সেই টাকাটা দিয়ে একটা ফান্ড বানিয়ে গরীব দূঃখী অনেক মানুষের দূঃখ দূর্দশা হয়ত চিরতরে দূর করা যায়? গরীব মানুষদের একবেলা মাংস খাওয়ানো কোন উপকার নয়, আসল উপকার তাদের স্বনির্ভর করা।
@আদিল মাহমুদ,
একজন মানুষের যে অধিকার , আপনার ও সেই অধিকার আছে , তাই আপনি পারেন না রিচুয়ালির নামে কাউকে হত্যা করতে । নাহ , আপনি কোন প্রানীকেও হত্যা করতে পারেন না, অযথা কারনে । কিন্তু কারন থাকলে পারেন । কিছু মানুষ যদি ভাল কিছু খায় একটি দিন , তাতে কষ্ট লাগার কি আছে । কয় দিন আগেও মানুষ কোরবানী ঈদের দিকে চেয়ে থাকত, কয়েক দিন ভাল খাবারের জন্য । এখন ও বহু সংখ্যক মানুষ চেয়ে থাকে । জন্মিলে মরিতে হবে , প্রানী হন আর মানুষ হন, যাই বলুন । একজন বাঁচার জন্য, আরেক জনের উপর নির্ভর করতেই হবে । পানির এক কোটি কেচকি মাছ যখন আপনি আনন্দ করে খান তখন পানির উপরের কিছু প্রানী যদি খাওয়া হয় , তাহলে সমস্যা থাকার কথা নয় ।
কোরবানীর আরো কিছু রহস্য আছে , আপনি পড়াশুনা করেন তাহলে জানতে পারবেন । আমি ঐ দিকে জাইতেছি না । তবে অনেক-ফিকাহ বিদের মতে কোরবানী সুন্নত , ওয়াজীব নয় । তবে হানেফি মহজাব অনুষারে ওয়াজীব । আল কোরান-হাদীস অনুষারে আমরা যে আইন যেভাবে পাই , সেই আইন সেভাবেই বলতে হয় , এখানে আমাদের কিছু করার নাই , সমগ্র মুস্লিম বিশ্বের ও কিছু করার নাই ।
Islam at the Crossroads মুহাম্মদ আসাদের এই বইটি পড়তে পারেন । ভাল লাগবে আশা করি । ফি-আম্নিল্লাহ ।
@ফুয়াদ,
কেউ কোন যুক্তি দিলে তা পালটা যুক্তি দিয়ে খন্ডন করতে হয়। শুধু রেফারেন্স দিয়ে পড়ে দেখেন বলে দিলে তেমন কিছু বোঝা যায় না। ওই বইটা দেখলাম বিশাল, আমার মত সময় নেই। কোরবানী সম্পর্কিত পার্ট আপনি ওখান থেকে ব্যাখ্যা করে লিখতে পারেন, তবে এই পোষ্টে না হয়ে নিজে একটি পুর্নাংগ লেখা লিখলে ভাল হয়। এখানে অধিকাংশ সদস্যই কোরাবানীর বিরোধী, নিঃসন্দেহে কোরবানী সমর্থন করে আপনার লেখায় ভাল আলোচনা আশা করা যাযে। আপনি যুক্তি দিয়ে লিখলে মানুষ বুঝবে না কেন? আপনি তো অন্য ব্লগে মনে হয় ভালই লেখেন, এখানে কেন লিখেন না বুঝি না।
তবে আপনি আমার মূল অভিযোগ মেনে নিয়েছেন।
“একজন মানুষের যে অধিকার , আপনার ও সেই অধিকার আছে , তাই আপনি পারেন না রিচুয়ালির নামে কাউকে হত্যা করতে ”
এখন যদি প্রমান করতে পারেন কোরবানী নেহায়েত কোন রিচূয়াল না, এতে মানব জাতির অসীম কল্যান নিহীত আছে তাহলেই হল।
আমি আগেই বলেছি যে এক বেলা মাংস খাইয়ে গরীবের কোন বড় উপকার হয় না। তার চেয়ে তাকে স্বনির্ভর করাটা অনেক বেশী উপকারী। আপনি সেদিকে তাকিয়েও দেখলেন না। গরীব মাংস খেলে তাতে কষ্ট লাগার কি আছে এই দর্শনেই আবদ্ধ থাকলেন।
হাদীসের শিক্ষাই নেন না? সেই মহানবীর সম্বল তাহার কম্বল খানির শিক্ষা নেওয়া যায় না? মহানবী সেই দরিদ্র ব্যক্তিকে কোন ভিক্ষা দেননি, তার জীবিকার ব্যাবস্থা করে দিয়েছিলেন।
কোরবানীর অমানবিকতার দিক বাদ দিলেও, যে অর্থ পশু কিনতে আর অন্য খরচে ব্যায় হয় তা দিয়ে বহু গরীব লোকের কর্মসংস্থান করা যায় এটা বুঝতে কোন বড় অর্থনীতিবিদ হতে হয়?
@ফুয়াদ,
“একটি স্বপ্নের উপর ভিত্তি করিয়া প্রতি বৎসর লক্ষ লক্ষ পশুর জীবন নষ্ট হইতেছে। উপন্যাসকে ইতিহাস বলিয়া গ্রহণ করিলে যেরূপ ভুল করা হয়, স্বপ্নের রূপককে বাস্তব বলিয়া গ্রহণ করিলে সেইরূপ ভুল হইতে পারে না কি? কোরবানি প্রথায় পশুর কোনো সম্মতি থাকে কি? একাধিক লোকে যখন একটি পশুকে চাপিয়া ধরিয়া জবেহ করেন, তখন সে দৃশ্যটি বীভৎস বা জঘন্য নয় কি? মনে করা যাক, মানুষের চেয়ে বেশি শক্তিশালী এক অসুর জাতি পৃথিবীতে আবির্ভূত হইয়া, তাহারা পুণ্যার্থে মহেশ্বর নামক এক দেবতার নামে জোরপূর্বক মানুষ বলি দিতে আরম্ভ করিল। তখন অসুরের খাঁড়ার (ছুরির) নীচে থাকিয়া মানুষ কি কামনা করিবে? ‘মহেশ্বরবাদ ধ্বংস হউক, অসুর জাতি ধ্বংস হউক, অন্ধ বিশ্বাস দূর হউক’ ―ইহাই বলিবে না কি? কোরবানিতে পশুর হয় ‘আত্মত্যাগ’ এবং কোরবানিদাতার হয় ‘সামান্য স্বার্থত্যাগ”। দাতা যে মূল্যে পশু খরিদ করেন, তাহাও সম্পূর্ণ ত্যাগ নহে। কেননা মাংসাকারে তাহার অধিকাংশই গৃহে প্রত্যাবর্তন করে, সামান্যই হয় দান।… বলির পশুর আত্মোৎসর্গ না মাংসোৎর্গ? মাংস তো আহার করি এবং আত্মা তো ঐশ্বরিক দান। উৎসর্গ করা হইল কি?” – আরজ আলী মাতুব্বর।
আম বলি, কোরবানি প্রথা ধনীর জন্যে বিলাসিতা আর গরীবের জন্যে অভিশাপ। গরীবের জীবন নিয়ে, অন্নহীনের কপাল নিয়ে এ এক ঘৃণ্য তামাশা। ডাল পাক করার মসলা যার ঘরে নেই তার ঘরে মাংস? কবিতাটিতে একটি ছিবি দেখেছেন। তার কাছে কোরবানির মাংস নিয়ে যাওয়া বেয়াদবী ধৃষ্টতা।
@আকাশ মালিক,
চাচা আসলে আমি এ ব্যপারে কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারি না।কারন কোরবানী করাটা আমাদের কাছে অমানবিক,কিন্ত আমরা তো মাংস খাওয়া ছেড়ে দিতে পারছি না।
ব্যপারটা আমার কাছে কেমন যেন হাস্যকর লাগে।
অনেক বৌদ্ধদের কথা শুনেছি যারা জীব হত্যা করা মহাপাপ তাই গরু ছাগল মারে না,কিন্তু বাজার থেকে কিনে এনে খায়।
তাহলে ব্যপার টা কি সেইম হয়ে গেল না? আমি খাব, সেটার জন্য তো কাউকে না কাউকে জীব হত্যা করতেই হবে, তাইনা?
@তানভী,
আপনি তো দেখি গণহারে চাচা মামা ডেকে যাচ্ছেন, কোনদিন না কার ঝাড়ি খান। চাচা ডাকলে অনেকে বুইড়া বলা হচ্ছে ভেবে বসে খেপে উঠেন।
তবে কোরবানী বিষয়ে আপনি খুব বেসিক একটা ভুল করছেন যেটা কোরবানী সমর্থকরা প্রথমেই দেন। আমার ভাবনাগুলি বলি।
প্রথমতঃ কোরবানীর মূল উদ্দেশ্য মাংসের উদ্দেশ্যে না। অর্থাত ক্ষীদে বা পুষ্টি মেটাবার জন্য যে পারপাসে পশু হত্যা করা হয় তার সাথে কোরবানীর মিল নেই। মাংস খাওয়া হল বাই প্রডাক্ট। গরীব দূখী মাংস খাওয়াও মূখ্য উদ্দেশ্য না।
কোরবানী ছাড়াই আপনি সারা বছর দিব্বি মাংস খেতে পারেন।। গরীব লোকদের একবেলা খাইয়ে এমন কিছু মহত্ব দেখানো হয় না।
দ্বিতীয়তঃ কোরবানীর হল আমাদের একটা আনন্দ উতসব। অবলা পশুকে মাটিতে ফেলে চেপে ধরে হাসি মুখে জবাই করে রক্তপাত ঘটানো হচ্ছে। কারো প্রান নেবার মধ্যে, তাও আবার এরকম বিভতস কায়দায় ফুর্তি করার কিছু আছে? আপনার বিবেক কি বলে?
সভ্যজগতে প্রানী হত্যা অনেক কারনেই ঘটানো হয়, তাই বলে এভাবে প্রকাশ্যে জবাই করে ফুর্তি করতে হবে?
আমাদের আশে পাশে প্রতিদিনই মানুষ মরে, রাজনৈতিক সহিংসতায় ও আআমদের দেশে অনেক লোকে অতীতে মরেছে। তাই বলে এ যুক্তিতে কি বলা যাবে যে ধর্মীয় মৌলবাদীরা মানুষ মেরে ফেললে তাতে চিন্তিত হওয়ার কিছু নাই? মানুষ ত এমনিই অনেক মরে।
বটম লাইন হল, এ অকারন হত্যাকান্ড অনায়াসে এড়ানো যায়, তাতে ভাল ছাড়া খারাপ নেই। এই পুরো ব্যাপারটাই প্রয়োযনাতিরিক্ত হত্যাকান্ড।
@ আদিল মাহমুদ,
আসলে এমনিতেই আমি ছোট,তার উপর যেখানে যাকে পাই সবাইকেই কিছুনা কিছু বলে সম্বোধন করি,তাই অভ্যাস হয়ে গেছে।সম্বোধন না করলে কেমন যেন অস্বস্তি লাগে!! 😀
আর আপনি আমার ভূলটা একদম ঠিক জায়গায় ধরে দিয়েছেন। এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ। :rose:
এবার আপনি বলেন আপনাকে আমি কি বলে ডাকবো??!! 😀 :rotfl:
@তানভী,
যা ইচ্ছে, তবে চাচা শুনলে মানে একটু…
আদিল চাচা শোনার মানসিক আঘাত মনে হয় না এখনো সইতে পারব, যদিও নিজে আসলেই কারো চাচা।
মামু বললে কোন অসুবিধে নেই, আমরা বন্ধু বান্ধবদেরও ফাইজলামি করে বা খোচাতে মামা/মামু বলি, আবার অবশ্য ক্যাফে ক্যান্টিনের বেয়ারাদেরও বলি। তবে তাতে আপত্তি নেই।
I am sorry to see this picture.
অসাধারন!
আর কিছু বলার নাই।
:rose: :heart:
@তানভী,
ধন্যবাদ আপনাকে।
@পরিমল মজুমদার,
আপনাকে কি বলে সম্বোধন করলে ঠিক হবে তা ঠিক বুঝে উঠতে পারছিনা।
ছবিটা কি বাংলাদেশের? প্রথমবারে ছবিটা লোড হয়নি বলে তা নিয়ে মন্তব্য করতে পারিনি।
সত্যিই যদি ছবিটা বাংলাদেশের হয় তাহলে বেঁচে থাকার অর্থ আমাকে নতুন করে শিখতে হবে।
ঈশ্বরের আশরাফুল মখলুকাতের এই দশা দেখেই আমি ধর্মের প্রতি বিতশ্রদ্ধ হয়ে নাস্তিক হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু ওগুলো ছিল সোমালিয়ার মানুষদের চিত্র,
আমাদের দেশেও যে এত করুন অবস্থা!(আমি করুন চিন্তা করেছিলাম,কিন্তু এত করুন তা আমার চিন্তার বাইরে ছিল)
ছবিটা ঠিক কোন জেলার তা কি জানতে পারি?
আমি এমনিতেই একটু বিষাদী ধরনের ছেলে,এই ছবি দেখে আমার নতুন করে বেঁচে থাকার প্রতি শ্রদ্ধা উঠে গেল।
@তানভী,
ছবিটি নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার পূর্ব কাঁঠালী গ্রামের পেলকী রায়ের। একটি সন্তান জন্ম নেয়ার পর তার স্বামী যতীন্দ্র রায় তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। তখন থেকে উপবাস ছিলো তার নিত্য সঙ্গী।
এ অবস্থায় অনাহারে অর্ধাহারে থেকে থেকে সে যখন অসুস্থ্য হয়ে পড়ে তখন হাসপাতালে ভর্তি হয়। তখনই তোলা হয় এই ছবি।