কোরানের ‘মিরাকল উনিশ’-এর উনিশ-বিশ!
সৈকত চৌধুরী এবং অনন্ত বিজয় দাশ
‘মিরাকল’ (miracle) বা অলৌকিকতা সম্পর্কে আমাদের দেশের প্রত্যেকেই কম-বেশি অবগত আছেন। মিরাকল বলতে তারা বুঝে থাকেন ধর্মের সাথে সম্পর্কিত বিষয়কে, যেমন স্রষ্টার অস্তিত্ব, স্রষ্টার কুদরতি শক্তি, স্রষ্টার যা ইচ্ছে তাই করার ক্ষমতা, স্বর্গ-নরকের ধারণা, আত্মার ধারণা, মৃত্যুর পরের পারলৌকিক জীবন, পুরুষ্কার অথবা শাস্তির ব্যবস্থা ইত্যাদি। ধর্মের বাইরে খুব সামান্য পরিসরে আরও কিছু মিরাকল প্রচলিত আছে, যেমন ভিনগ্রহের প্রাণী, ইউএফও, টেলিপ্যাথি, রেইকি, অতিন্দ্রীয় দৃষ্টি ইত্যাদি। তবে এ ধরনের মিরাকল পশ্চিমা বিশ্বে যে মাত্রায় প্রচলিত আছে আমাদের দেশে এখনো সেই রেশ পৌঁছায়নি। এর কারণ হতে পারে পশ্চিমা দেশগুলোর মতো আমাদের এখানে প্রযুক্তির বিকাশ ঘটেনি। ভিনগ্রহের প্রাণী বা ইউএফও সম্পর্কে তথ্য প্রচারের সাথে জ্যোতির্বিজ্ঞান ও উন্নত প্রযুক্তির সম্পর্ক আছে।
প্রতিটি ধর্মই মিরাকলে ভর্তি। কোনো ধর্মই তাদের নিজেদের লৌকিক দাবি করে না। আজকের এই প্রবন্ধের বিষয়বস্তু মুসমানদের বহুল প্রচারিত একটি মিরাকলের ওপর আলোকপাত করা। কিন্তু আলোচনাটিকে সহজবোধ্য ও ব্যাখ্যাসদৃশ করার জন্য আমরা কোরান এবং ইসলাম ধর্মের বাইরের আরো কিছু বিষয়কে ছুঁয়ে যাব…
তিন
এর পরে পড়ুন এখানে : পিডিএফ ফরম্যাটে লিংক এক, লিংক দুই, লিংক তিন অথবা ইউনিকোডে
(
সঠিক। বোখারী অনুসারে শুধু আরবী স্থানীয় ১০টি স্থানীয় ভাষায় কোরানের উচ্চারন চালু ছিল। একে “কেরাআত” বলে। মদিনা ইউনিভার্সিটির একটি বিশেষ এই কেরাআত গুলী শিক্ষা দেওয়া হয়। আমাদের কাছে আছে শুধু কোরেশী ভাষাটার কোরান।
এই বিভিন্ন স্থানীয় কোরানের উচ্চারণে একই শব্দের spelling এ অক্ষরের সংখ্যায় বিরাট তারতম্য ও আছে।
তাহলে এই ধরনের কারামতি দেখানোর ভিত্তিটা কোন্ স্থানীয় ভাষার কোরানের উপর বর্তাবে? কেহ পারলে একটু ব্যাখ্যা করুনতো?
খুব ভাল প্রবন্ধ। ধন্যবাদ লেখককে পরিশ্রম করে লেখার জন্য।
অভ্রতে লেখা না বলে পড়া গেল না। HTML ভার্সন কি দেয়া যায়??
প্রিয় লেখক
শুভেচ্ছা, আপনার লেখাটি পড়ে সমৃদ্ধ হতে চাই।দয়া করে ইমেলে পঠালে কৃতজ্ঞ থাকব। সম্পূর্ণ পড়তে পারছি না। ধন্যবাদ।
চমত্কার লিখেছেন সৈকত এবং অনন্ত ভাই… , অসংখ্য ধন্যবাদ…..হাসতে হাসতে পেতে খিল….সত্যি অনেক মজা পেলাম. বিশেষত Rashad এর কাহিনী পড়ে…..এবং মন্তব্যগুলো ও হয়েছে এক্কেরে দারুন !!!
‘মিরাকল ১৯’ এর ভ্রান্ত দাবিকে নিয়ে তুলকালাম কান্ড। এখানে দেখেন-
কুরআনের অবিশ্বাস্য গানিতিক বিস্ময় । নোটটি পড়ার পর আপনার মাথা আল্লাহ সুবহানওয়াতায়ালার প্রতি শ্রদ্ধায় নত হয়ে আসবে ।
এ পর্যন্ত ১৩৮৪ টি like ও ৭১৭ টি share.
খুবই দুঃখজনক।
Prothomei Khoma Cheye Nicchi Englishe Cmmnt Korar Jonno.
Ami Onek Din Thekei Mukto-Mona Blog Pori, Majhe Majhe Cmmnt O Kori, Bt Ekhon Mbl Theke Porchi Bole Eng Use Krte Hocche.
Lekhata Ami Porte Parini Bt Cmmnt Pore Etoi Moja Paisi J Vashar Upor Dokhol Daritto Kom Thakay Ta Vashay Prokash Korte Parchina.
Mr. Shoikot & Skshamsher (na ki jeno) Er Commentwar Dekhe Besh Pulok Onuvob Korlam.
R 19 Niye Cmmnt A Kora Rongoroshta Ami Mone Kori Jar Ondhobisshash Theke Beriye Ashche Taderke Onek Shahos Jugabe.
Tnx Soikot Da,
Avijit Da’r Cmmnt Ta Khub Joralo Chilo, Besh Valo Legeche.
🙂
খুব সুন্দর আলোচনা। মুক্ত মনায় আমার প্রথম কমেন্ট, যদিও লেখা পড়ি অনেক দিন থেকেই। কুসংস্কারের বিরুদ্ধে আপনাদের অভিযান সাহসিক। আশা করছি শিগগিরই আপনাদের সাথে যোগ দিতে পারব।
দেখেন ঈমান কাকে বলে!
আমার নামে আছে ১২টা অক্ষর (Shravan Akash) + আল্লার নামে আছে ৫টা (Allah) = ১৭
এবার ১৭-এর সাথে আমি আর আল্লাহ, এই ২ টা বিশেষ্য যোগ করলে হয় ১৯ (এক্কেরে মিরাকল)!
@শ্রাবণ আকাশ,
এদিক ওদিক থেকে সবাই মিরাকেল খুঁজে বের করছে। দেখেন তো নিচের ছবি থেকে মিরাক্কেল বের করতে পারেন কিনা!
[img]http://farm6.static.flickr.com/5096/5478097160_294f65821d_m.jpg[/img]
@মাহফুজ, এতদিন শুনে এসেছি- কোরবানির পশুর চামড়ায় মিরাকল। আর এখন তো দেখি একেবারে জীবন্ত মিরাকল! তবে পিছে না হয়ে সামনে হলে মিরাকলটা আরো জীবন্ত হতে পারত।
আহ্ মিরাকলের মাজেজাই আলাদা!
ওহ গড! এসব কি হচ্ছে?
আমার প্রোগ্রামিং এর মধ্যেও কি মিরাক্কেল ঢুকে পড়লো নাকি?
The webpage at http://127.0.0.1/chat/chat.php?room_id=0 might be temporarily down or it may have moved permanently to a new web address
চ্যাট এর একটা সাইট ডেভলপ করছি, এখন ক্রোম দেখি ১৯ শব্দের ওয়ার্নিং দিচ্ছে, :-O গুনে দেখুন! পুরো এড্রেসটাকে এক শব্দ বলেই ধরছি।
১২.০৭ বাজছে এখন, দাড়ান মিরাক্কেল বানায়। ১২ আর ৭ যোগ করুনতো! :guru:
ইউটিউব থেকে ভিডিও সংযোগের জন্য ভিডিওর URL কপি করুন এবং লিঙ্কটি পোস্ট করার সময় http:// র বদলে httpv:// লিখুন
লাইনটার শব্দগুলো গুনতে গিয়ে আবারো টাসকি খাইলাম! :-O :-O
আমি আস্তিক! আমি আস্তিক! আমি আস্তিক! :lotpot:
ব্যাটারা অনেক টাসকি খাওয়াইসে, ইসসস একবার এভাবে ভাবিনি কেন? On spot এ টাসকি খাইয়েদিতাম বুজরুক গুলোকে :lotpot:
@টেকি সওদাগর,
একটুর জন্য মিরাকল মিস করে ফেললেন। ৩ মিনিট অতিক্রান্ত হয়ে গেছে মানে আপনার মন্তব্যের সময় ১২:১০
যাই হোক, আপনার নিরাশ করার কিছু নাই। ঈমান থাকলে সবখানেই ১৯ মিরাকল পাওয়া সম্ভব (চুভানাল্যা) ।
একটা সরল মিরাকল আপনারে দেই –
মন্তব্যের তারিখ ও সময়কাল- ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১১ at ১২:১০ পূর্বাহ্ণ আর আপনার মন্তব্য নম্বর হল ১৭ (মন্তব্যের উপরে ডানে দেখুন)
সবগুলো ডিজিট যোগ করি, ২+৪+২+০+১+১+১+২+১+০+১+৭= ২২(মনে রাইখেন ২২ পাইছি)
সংখ্যাগুলো যোগ করি, ২৪+২০১১+১২+১০+১৭= ২০৭৪ আর ২০৭৪ থেকে আগের ২২ বাদ দিলে পাই ,
২০৭৪ – ২২= ২০৫২ , এখন দেখেন মিরাকল, ২০৫২÷ ১৯= ১০৮
২০৫২ সংখ্যাটি ১৯ দ্বারা নিঃশেষে বিভাজ্য! একদম তরতাজা মিরাকল!!
বেশ কয়েক বছর আগে ‘মাসিক মদীনা’ নামক একটি ইসলামী ম্যাগাজিনে ‘১৯ এর মিরাকল’ বিষয়ে একটি বিস্তৃত লেখা পড়েছিলাম। সেখনে দাবি করা হয়েছিলো যে “এরকম একটি ঘটনা কাকতালীয়ভাবে ঘটার সম্ভাবনা এতই কম যে তা প্রায় কল্পনা করাও দুঃসাধ্য! সুতরাং এটা নিশ্চয় মানবরচিত হতে পারেনা।” তখন আমি বেশ ‘ঈমানদার’ ছিলাম এবং এরকম একটি লেখা পড়ার পর আমার ‘ঈমান’ আরো বেড়ে গিয়েছিলো বৈকি! কিন্তু পরবর্তিতে বিভিন্ন বিজ্ঞানের বইপুস্তক পড়ে এবং বিজ্ঞানের সাথে কোরানের ব্যপক বৈসাদৃশ্য লক্ষ্য করে সঘোষিত ‘মহাবিজ্ঞানময়’ কোরানের বিজ্ঞানময়তা নিয়ে আমার সন্দেহ বেঁধে যায়, কিন্তু ‘মিরাকল ১৯’ বিষয়টা আমাকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিলো। আমি কিছুতেই ‘দুইয়ে দুইয়ে চার’ মেলাতে পারছিলাম না। অবশেষে সৈকত চৌধুরী এবং অনন্ত বিজয় দাশের লেখা ‘কোরানের মিরাকল ১৯ -এর উনিশ-বিশ!’ পড়ে আমার মনে আর কোনো সন্দেহ থাকেনা যে ‘মিরাকল ১৯’ এর পুরো বিষয়টা একটা জোচ্চুরি ছাড়া আর কিছুই না!! এরকম একটা গবেষণা মূলক লেখার মাধম্যে আমাদের সন্দেহ দূর করে দেওয়ার জন্য এবং ধর্মব্যবসায়ীদের একটি অন্যতম প্রধান অস্ত্র গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য লেখকদ্বয়কে অনেক ধন্যবাদ।
@ফাহাদ জ্যাকসন,
অনেক ধন্যবাদ ফাহাদ। আমি নিজেই ছোটবেলায় এই ১৯ মিরাকল নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েছিলাম।
যখনই কারো সাথে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কথা বলতাম তখন দেখতাম ঘুরে ফিরে এই ১৯ মিরাকল উপস্থিত। তাই এর একটা বিহিত করার ইচ্ছা ছিল অনেক দিন আগ থেকেই। আশার কথা, এটা লেখার পর অন্তত ব্লগ গুলোতে এ নিয়ে প্রচারণাটা বন্ধ হয়েছে।
মুক্ত-মনায় নিয়মিত আলোচনায় অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ।
@অনন্ত ও সৈকত ভাই,
যুক্তি পত্রিকায় এই লেখাটি পড়েছিলাম। সংখ্যা নিয়ে এমন মজার খেলা ভালোই লাগে। অলৌকিকভাবে আপনাদের দুজনার লেখক আইডি ৩৫ এবং ৫৩। সুতরাং মাজেজা টাজেজা বলে কিছু একটা আছে বিশ্বাস করুন। আখেরাতে কাম দিব। অনন্ত-এর ঠিক অপজিট সংখ্যা সৈকত-এর। ব্যাপারটা বড়ই ভাবনার। বিশ্বাসী ও জ্ঞানীদের জন্য রয়েছে নিদশর্রন।
@মাহফুজ,
সৈকত http://blog.mukto-mona.com/?author=53
অনন্ত http://blog.mukto-mona.com/?author=35
ওহ, এর মাজেজা এখনো ধরতে পারেন নাই? দেখেন-
৩৫ ও ৫৩ পাশাপাশি লেখলে দাঁড়ায় ৩৫৫৩
এবার দুই পাশের দুটি ৩ গুণ করলে দাঁড়ায় ৩ × ৩=৯
মাঝখানের দুটি ৫ যোগ করলে দাঁড়ায় ৫ + ৫ = ১০
এখন ১০ + ৯ = ১৯
আবার মাঝখানের দুটি ৫ গুণ করলে দাঁড়ায় ৫ × ৫ = ২৫
আর দুই পাশের দুটি ৩ যোগ করলে দাঁড়ায় ৩ + ৩ = ৬
এবার ২৫ – ৬ = ১৯
আরো দেখেন-
৩৫ × ৫৩ = ১৮৫৫
এবার ১৮৫৫ এর সবগুলো ডিজিট যোগ করি ১ + ৮+ ৫+ ৫ = ১৯
আরো মাজেজা দেখুন,
৩৫ + ৫৩ = ৮৮, ৮ × ৮ = ৬৪
৫৩ + ৩৫ = ৮৮, ৮ × ৮ = ৬৪
এবার ৮৮ + ৮৮ + ৬৪ + ৬৪ = ৩০৪
এবার ৩০৪ ÷ ১৯ = ১৬ অর্থাৎ উহা ১৯ দিয়ে নিঃশেষে বিভাজ্য।
( আবার এই ৩০৪ কে ১৯ দিয়ে ভাগ করলে যে ১৬ পাওয়া যায় উহা ৮৮ এর দুই ডিজিটের যোগফল ৮+৮ =১৬ আবার এই ১৬ দিয়ে ৬৪ নিঃশেষে বিভাজ্য, ৬৪ ÷ ১৬ = ৪, আবার ৪+ ৪ =৮ আর দুটি ৮ মিলেই তো ৮৮ । মানে মারাত্মক মাজেজা)
নিশ্চয়ই বিশ্বাসী ও জ্ঞানীদের জন্য রয়েছে নিদর্শন!!
এবার ক্লিয়ার??
@সৈকত চৌধুরী,
হুম, এখন ফ্রেস কিম্বা মাম পানির মত ক্লিয়ার। নিশ্চয়ই এতে কোনই সন্দেহ নাই। মারাত্মক মাজেজা সবার উপর নাজিল হয় না। আপনি বড়ই ভাগ্যবান।
@মাহফুজ,
দাঁড়ান, আপনার উপর নাজিল করাচ্ছি 🙂
আপনি http://blog.mukto-mona.com/?author=159
আপনি তো দেখছি মিরাকলের মধ্যে এক্কেরে নিমজ্জিত!!
আপনার লেখক আইডি 159 এর দুই পাশের দুটি ডিজিট নিলেই তো ১৯!!!
আবার ১৫৯ থেকে বামের এক বাদ দিয়ে পাই ৫৯, এবার ৫ আর ৯ গুণ করলে ৪৫, এখন ৪+৫= ৯, এখন এই ৯ এর আগে ঐ বাদ রাখা ১ কে নিয়ে আসলে ১৯!!
আর সবচেয়ে বড় মিরাকল হল, আপনার ১৫৯ আমার ৫৩ আর অনন্ত দার ৩৫, এই তিনিটি যোগ করলে দাঁড়ায় ১৫৯+৫৩+৩৫= ২৪৭, আর ২৪৭ কিন্তু ১৯ দিয়ে নিঃশেষে বিভাজ্য (২৪৭÷ ১৯ = ১৩)!!!!!
[মিরাকল কাউরে ছাড়ে না রে ভাই]
আপনার ১৫ নম্বর মন্তব্য করার সময় হচ্ছে- ডিসেম্বর 29, 2010 at 3:20 অপরাহ্ণ
সব গুলো ডিজিট যোগ করেন ২+৯+২+০+১+০+৩+২+০ = ১৯ !!
উপরের যে জবাব দিয়েছেন ওটার সময়ের মধ্যকার মিরাকল একটু ডানদিকে চলে গেছে মানে ডিসেম্বর 29th, 2010 at 7:54 অপরাহ্ণ এখান থেকে ডিসেম্বর 29th বাদ দিয়ে সবগুলো ডিজিট যোগ করেন তো দেখি
২+০+১+০+৭+৫+৪= ১৯!!!!
দেখছেন, ঈমান থাকলে সবারই ভাগ্যবান হওয়ার চান্স আছে। সুতরাং নিরাশ হবেন না। 🙂
@সৈকত চৌধুরী,
তাই তো দেখছি। কয়েকদিন আগে এক খ্রীস্টান প্রচারক এসে বলল- কোরানের ১৯ নং সুরার ১৯ নং আয়াত দেখুন, দেখবেন সেখানে আল্লাহর পবিত্র পুত্র ঈসার বিষয়ে উল্লেখ আছে।
@সৈকত চৌধুরী,
আপনেরা পারেনও! 🙂
@সৈকত চৌধুরী,
আলহামদুলিল্লাহ।
এবার সব কিলিয়ার!
:laugh: অবশেষে তাহলে আপনি খুজে পেলেন আয়াতটির ঠিক কোথায় এই পাঁচটি বিষয় আছে। Thank GOD.
আপনি আবারও ভূল করছেন। আমি সাকির কৃত আয়াতের অনুবাদের উল্লেখ করেছি মাত্র, কোন ব্যাখ্যার কথা আমি বলি নি।
আপনি আবারও ব্যাখ্যাতেই বেশী জোর দিলেন অথচ এই অতি সাধারণ বাক্যটির “We asigned THEIR NUMBER…….” OR ‘We have not made THEIR NUMBER…..” (74:31) অর্থ আপনি বুঝতে পারছেন না বা বুঝতে চাইছেন না। The verse in concerned clearly says us that
“..it is THEIR NUMBER that will do all the things mentioned, not by the Angel”।
আপনি আমাকে concerned আয়াতটির শানে নূযুল দেখতে পরামর্শ দিচ্ছেন। প্রয়োজন নেই।
74:31 আয়াতে যে পাঁচটি বিষয়ের কথা বলা আছে তা করবে “NUMBER of the angels” not the Angels. কাজেই শানে নূযুলের গল্প এখানে সঠিক নয়।
আপনাকেই তো প্রশ্ন করব কেননা আপনিই মতামত দিয়েছেন এই বলে যে
“অর্থাৎ ‘উনিশ’ সংখ্যাটা যে ফেরেশতাদের সংখ্যা মাত্র তাতে কোনো সন্দেহ নাই।”
Salam
@sksamsherali,
আপনার সমস্যাটা অবশেষে বুঝতে পেরেছি বলে মনে হচ্ছে। আপনি প্রথম মন্তব্যে যে অনুবাদ ব্যবহার করেছেন তা রাশেদ খলিফার করা অনুবাদ। রাশেদ খলিফার সাইটে পেলাম। এখন বলেন আপনি এ অনুবাদকে সবার আগে কি কারণে গ্রহণ করলেন? যিনি নিজে কোরানে ১৯ সংখ্যার অলৌকিকতা রয়েছে বলে দাবি করে নিজের ইচ্ছেমত কোরানকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করেছেন তার অনুবাদ কতটা গ্রহণ যোগ্য সেটা বোঝার জন্য খুব একটা ঘিলুর প্রয়োজন নেই। আর আপনি যদি উনার অনুবাদ এখানে দিয়েছেন তো লিংক বা উনার নামটা এখানে দিলে সহজেই বুঝা যেত অথচ আপনি তা করেন নি।
তারপর যেটা করলেন- সাকিরের অনুবাদটা নিয়ে আসলেন। সাকিরের অনুবাদটা দেখি- (৭৪:৩১)
SHAKIR: And We have not made the wardens of the fire others than angels, and We have not made their number but as a trial for those who disbelieve, …………
বোল্ড করা অংশ দেখেন।
এখন ইংরেজী অনুবাদ বাদ দেন। সোজা আরবিতে চলে যাই।(৭৪:৩১) আরবি বাক্যটা লক্ষ্য করি-
وَمَا جَعَلْنَا أَصْحَابَ النَّارِ إِلَّا مَلَائِكَةً
ওয়ামা জাআ’লনা আসহাবান্নারি ইল্লা মালা-ইকাহ…
জাআ’লনা মানে “আমরা করলাম বা বানালাম”, আসহাব মানে সাথী, সাহাবি বা বন্ধু(এখানে প্রহরী বা কর্মচারী অর্থে ব্যবহৃত হবে), ইল্লা মানে কেবলমাত্র আর মালাইকাহ মানে ফেরেশতা। সোজা অর্থ এই দাঁড়ায়- আর আমি দোজখের কর্মচারী কেবল ফেরেশতাদিগকেই নিযুক্ত করিয়াছি।
আরো বেশ কিছু অনুবাদ দেখেন এই লিংকে গিয়ে।
আমি আশা করব এই আয়াতে যে মালা-ইকাহ বা ফেরেশতার কথা বলা হয়েছে তা আপনার দৃষ্টি এড়িয়ে যাবে না।
@সৈকত চৌধুরী,
আপনি আমার একটি ছোট্ট প্রশ্নের উত্তর না দিতে পেরে এদিক ওদিক গিয়ে পুরো ব্যাপারটিকে তালগোল পাকিয়ে দেবার চেষ্টা করছেন।
আপনি আমাকে প্রশ্ন করছেন যে আমি R.K.’র অনুবাদকে সবার আগে কি কারণে গ্রহণ করলাম? উত্তরে বলি ‘ওনার English অনুবাদ বুঝা খুব সহজ অন্যান্যদের তুলনায়। আপনিই বলুন R.K.’র অনুবাদ 74:30-31 আয়াতের যে অর্ন্তনিহত অর্থ এবং Shakir-এর অনুবাদ 74:30-31 আয়াতের যে অর্ন্তনিহত অর্থ এই দুটোর মধ্যে কি কোন পার্থ্ক্য পেয়েছেন আপনি? তাহলে কেন অপ্রাসঙ্গিক কথা বার্তা বলছেন? আপনি দেখছি কিছু অবুঝ দাড়িওয়ালা মোল্লাদের মতো কথা বার্তা বলছেন। আপনিই বলুন না কি ভাবে ১৯ সংখ্যাটি 74:31 আয়াতে যে পাঁচটি বিষয়ের কথা বলা আছে তা সম্পন্ন করবে? 😉
আমার মন্তব্যে আমি কি কোন জায়গায় এই বলে দাবি করেছি যে দোজখের কর্মচারীরা কেবলমাত্র ফেরেশতারাই হবে না, আরও অনেকে যেমন X,Y,Z অথবা সৈকত চৌধুরীর মতো লোকজনও থাকবেন? :laugh: এই জন্যই আমি বলেছি যে আমার একটি ছোট্ট প্রশ্নের উত্তর না দিতে পেরে এদিক ওদিক গিয়ে পুরো ব্যাপারটিকে তালগোল পাকিয়ে দেবার চেষ্টা করছেন। প্রশ্নটি আবারও করছি, দয়া করে আমার প্রশ্নের উত্তর দিন। “কি ভাবে ১৯ সংখ্যাটি 74:31 আয়াতে যে পাঁচটি বিষয়ের কথা বলা আছে তা সম্পন্ন করবে?” উত্তর দিতে যদি না পারেন দেবেন না। কিন্তু দয়া করে এদিক ওদিক যাবেন না, এটা আমার অনুরোধ।
@sksamsherali,
রাশেদ খলিফার অনুবাদ আপনার জন্য সহজ আর এজন্যই আপনি তার অনুবাদ নিয়েছেন আর কারো অনুবাদ নেন নি– আমিও বেশ বুঝলাম । আর এতগুলো বাংলা অনুবাদও আপনার জন্য সহজ মনে হল না।
রাশেদ খলিফা আর সাকিরের অনুবাদের মধ্যে পার্থক্য কি আছে তা নিয়ে ত্যানা প্যাচানোর কোনো ইচ্ছে আমার নেই। কারো ইচ্ছে হলেই এই লিংক আর এই লিংকে গিয়ে বিভিন্ন অনুবাদকের অনুবাদ ও এর মধ্যকার পার্থক্য কি তা নিরুপণ করতে পারে।
এবার আসি আপনার প্রশ্নে। আপনার প্রশ্নটি হল, ” কিভাবে ১৯ সংখ্যাটি 74:31 আয়াতে যে পাঁচটি বিষয়ের কথা বলা আছে তা সম্পন্ন করবে?”
১৯ সংখ্যাটি কিভাবে এই পাঁচটি বিষয় সম্পন্ন করবে তা বুঝতে হলে আমরা আয়াতটির দিকে লক্ষ্য করি। আগে আমাদের বুঝতে হবে এই ঊনিশ কিসের সংখ্যা – এটা কি শুধু একটি সংখ্যা নাকি কোনো কিছুর সংখ্যা? এই আয়াতটি পাঠে, উহার শানে নযুল অনুসারে, ২৭ নম্বর আয়াত থেকে তা পাঠ করে আসলে এবং বিভিন্ন তাফসিরকারকের ব্যাখ্যায় ইহাই প্রতীয়মান হয় যে তা শুধু দোজখে নিযুক্ত ১৯ জন ফেরেশতার সংখ্যা এবং দোজখে ১৯ জন ফেরেশতা নিযুক্ত করার মাধ্যমেই আপনার ঐ ৫ টি কার্য সম্পাদিত হবে এবং কিভাবে সম্পাদিত হবে তা মূল লেখায় বলা হয়েছে। যেমন কাফেরদের বিভ্রান্ত করা– ফেরেশতার সংখ্যা এত কম শুনে তারা বিভ্রান্ত হবে, মুমিনদের ঈমান আরো বৃদ্ধি করা – এত কম শুনলেও তারা তা বিশ্বাস করতে দ্বিধা করবে না ইত্যাদি। বলা বাহুল্য, রাশেদ খলিফা তার ১৯ সংখ্যার মিরাকল রচনার জন্য আয়াতটির অন্য ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তার মতে এই আয়াতে বলা ১৯ দ্বারা কোরানের মিরাকলের কথা বলা হয়েছে অথচ এখানে মিরাকলের কথা কিছুই বলা হয় নি।
আমি যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করেছি আপনাকে বুঝানোর যদিও এটা আমার দায়িত্ব না । এখন আপনি যদি না বুঝেন তবে অন্য কারো কাছ থেকে বুঝে নেন আর বুঝে থাকলে কি বুঝলেন তা এখানে একটু বলেন।
@সৈকত চৌধুরী,
উদ্ধিতি – আর এতগুলো বাংলা অনুবাদও আপনার জন্য সহজ মনে হল না।
উত্তর – সেটা প্রশ্ন নয়। আমি কেন ওনার অনুবাদকে সবার আগে গ্রহণ করলাম, সেটাই ছিল আপনার প্রশ্ন এবং তার উত্তর দিয়িছি মাত্র? দয়া করে আপনার করা প্রশ্নটা একবার দেখুন আর এখানে কোন বাংলা অনুবাদের কথা বলাও হচ্ছে না।
উদ্ধিতি – রাশেদ খলিফা আর সাকিরের অনুবাদের মধ্যে পার্থক্য কি আছে তা নিয়ে ত্যানা প্যাচানোর কোনো ইচ্ছে আমার নেই।
উত্তর – ত্যানা প্যাচানোর অবকাশ থাকলে কি আর করতেন না? :-* ত্যানা প্যাচানোর করার কারুর কোন অবকাশ এখানে নেই। The discussion part of the verse 74:31 clearly says us that “..IT is THEIR NUMBER that will do all the things mentioned, not by THEMl”। আপনি উপরোক্ত আয়াতের আলোচিত অংশের যে কোন অনুবাদ দেখুন। পার্থ্ক্য থাকলে তবেই বলবেন। 😉
উদ্ধিতি – যেমন কাফেরদের বিভ্রান্ত করা- ফেরেশতার সংখ্যা এত কম শুনে তারা বিভ্রান্ত হবে, মুমিনদের ঈমান আরো বৃদ্ধি করা – এত কম শুনলেও তারা তা বিশ্বাস করতে দ্বিধা করবে না ইত্যাদি।
উত্তর – আচ্ছা। :clap2: তাহলে বলুন কি ভাবে খ্রীষ্টান এবং জীউশ ব্যক্তিগণ দোজখে শুধুমাত্র ১৯ জন ফেরেশতা নিযুক্ত আছে এই কথা শুনেই Convince হয়ে যাবে বা তাদের মন থেকে সমস্তরকম সন্ধেহ দুরীভূত হয়ে যাবে?
একটি অতি সাধারণ বাক্যের “We asigned THEIR NUMBER…….” OR ‘We have not made THEIR NUMBER…..” (74:31)অর্থ আপনি বুঝতে পারছেন না এর থেকে দুভার্গ্য কি আর হতে পারে? আমি আগেও বলেছি এবং এখনও বলছি যে All the 5 functions will be done by ‘THEIR NUMBER”, which is 19 and not by the ANGELS”
“ We assigned THEIR NUMBER to do ….”
“..IT is THEIR NUMBER that will do all the things mentioned, not by THEMl”
Salam
@sksamsherali,
ভাই, এতো কথার তো দরকার নাই। রাশাদ খলিফা কিভাবে কোরান টেম্পারিং করে ‘১৯’ তত্ত্ব তৈরি করেছিলেন, সেটা তো এখন সবাই জানে। এক কাজ করুন। রাশাদ খলিফার কোরান থেকে আল তওবা পড়ুন। রাশাদ খলিফার কোরানের অনুবাদে (সাবমিশন ডট অরগ সাইটে রাশাদের যে অনুবাদ রাখা আছে তা দেখুন) দেখবেন, উনি ১৯ তত্ত্বকে সার্থকতা দিতে গিয়ে ৯:১২৮ এবং ৯:১২৯ – এই আয়াতগুলো গায়েব করে দিয়েছেন। খালিফার কোরানে ওই দুটো আয়াত নেই। এবার ইন্টারনেটের যে কোন ইসলামিক সাইট থেকে কোরানের অন্য অনুবাদগুলোতে (যেমন, এটি) চোখ বুলিয়ে নিন। আপনি রাশাদ খলিফার কোরান টেম্পারিং এর জলজ্যান্ত উদাহরণ হাতে নাতে পেয়ে যাবেন। আবার কোন কোন সুরাতে খালিফা নিজের নাম পর্যন্ত বসিয়ে দিয়েছেন অনুবাদে (যেমন, ৮১:২২)। এগুলো রাশাদ খলিফার কোরান টেম্পারিং এর ছোট্ট কিছু উদাহরণ। রাশাদ খলিফা তো নিজেকে আল্লাহর রসুল হিসেবেও ঘোষণা দিয়েছিলেন (তার মতে কোরাণের ৩৬:৩ এ নাকি সেটা আল্লাহ বলে দিয়েছেন) । আপনার এগুলোতে অবাক লাগে না, অবাক লাগে এই ভুজুং-ভাজুংগুলো কেউ ধরিয়ে দিলে।
যা হোক, অনন্ত আর সৈকত কোরাণের ১৯ তত্ত্বের বুজরুকির আগা গোড়া মেথোডিকাল রিবিউটাল দিয়েছে। পুরোটুকু পড়লেই বুঝতে পারবেন। অবশ্য বুঝতে চাইবেন কিনা সেটা হচ্ছে প্রশ্ন।
@অভিজিৎ,
দাদা আমাকে উপদেশ দেওয়ার আগে আপনি ভালো করে মুক্ত মনে পড়ুন আর বুঝুন। মুখে শুধু নিজেদেরকে মুক্তমনা বল্লেই হবে না। যথোপযুক্ত পরিচয়ও দিতে হবে। 😉 আপনার বন্ধু সৈকত চৌধুরী তো একটি অতি সাধারণ বাক্যের অর্থ বুঝতে পারলেন না, দেখুন আপনি চেষ্টা করে বোঝেন কি না। মনে হয় বুঝবেন না। যারা কোরানের একটি আয়াতের একটি অতি সাধারণ বাক্যের অর্থ বুঝতে পারছেন না তারা আবার কোরাণের ১৯ তত্তকে বুজরুকি বলে আখ্যা দিচ্ছে। :lotpot:
@sksamsherali,
মনে হয়না আমার প্রশ্নের উত্তরে আপানার আর কিছু বলার আছে। আমি আপনাকে তো দৃষ্টান্ত দিয়ে দেখালামই ১৯ তত্ত্বকে সার্থকতা দিতে গিয়ে ৯:১২৮ এবং ৯:১২৯ – এই আয়াতগুলো খলিফা গায়েব করে দিয়েছেন, ৮১:২২ তে নিজের নাম পর্যন্ত বসিয়ে দিয়েছেন। এ ভাবে কোরান ম্যানিপুলেশন করে ‘১৯’ তত্ত্বকে অলৌকিক বানিয়েছেন তিনি – আর এই অভিযোগের উত্তরে “আপনি ভালো করে মুক্ত মনে পড়ুন আর বুঝুন” জাতীয় উপদেশ আর :lotpot: -এ ধরনের স্মাইলিতে গুঁতা দেয়া ছাড়া আর কিছু করলেন না। হাসতে থাকুন যত ইচ্ছে আপন মনে। আপনিও হাসুন, আমাদেরও হাসান। হাসি স্বাস্থ্যের জন্য ভালই।
@sksamsherali, :laugh:
বাদ দেন ভাই এইগুলার কথা। সব গুলার দিলে তালা মারা আছে। আমরা যতই বুঝাই না কেন এগুলি কিছুতেই বুঝবে না।
আরে পাগল, অলৌকিক তত্ত্ব বোঝার জন্য এত গনিত কষাকষি, আয়াত কাটা ছেঁড়া এসব ঝামেলায় যাবার কি দরকার? খলিফা সাহেবে আবিষ্কার করেছেন, মেনে নিলেই তো হয়। ধর্ম হল বিশ্বাসের ব্যাপার, এইভাবেই না বিশ্বাস টিকে থাকে। এত কুটিল কাটাছেড়ায় গেলে আর বিশ্বাস থাকবে নাকি!
এই সোজা কথাটাই আমি এদের এতদিনে বোঝাতে পারি না।
@sksamsherali,
এই আয়াতটির এত্গুলো ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ দেয়ার পরও যদি না বুঝেন তবে কি করব?
কি ভাবে উনিশজন ফেরেশতা উপরিউক্ত কাজগুলি করবে তা বিশদভাবে জেনে নেন তাদের কাছ থেকে যারা এইসব কথা বিশ্বাস করে ও প্রচার করে। ধন্যবাদ।
@সৈকত চৌধুরী,
আপনি নিজে না বুঝে অন্যের দেওয়া ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের উপর বড্ড বেশি নিভর্র করে ফেলেছেন বলেই যত ঝামেলা। আলোচিত আয়াত কি বলছে তা মনোযোগ দিয়ে পড়ুন, অন্যের দেওয়া ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের উপর না নিভর্র করে।
The complete verse says :
we assigned their number (19) to do the following:
(1) to disturb the disbelievers, (2) to convince the Christians and Jews (that this is a divine scripture), (3) to strengthen the faith of the faithful, (4) to remove all traces of doubt from the hearts of Christians, Jews, as well as the believers, and (5) to expose those who harbor doubt in their hearts, and the disbelievers; they will say, “What did GOD mean by this allegory?”
it is clear that all the 5 functions will be the done by “their number” 19 and not by the angels.
“We assigned their number to do ……”
..it is their number that will do all the things mentioned
salaam
@sksamsherali,
এই পাঁচটি বিষয় কোথায় পেয়েছেন? আয়াতটির ঠিক কোথায় এই পাঁচটি বিষয় আছে?
এখন সমস্যার বিষয় হল- আমরা যদি আমাদের নিজের ব্যাখ্যা দিতে চাই তবে অনেকেই গ্রহণ করতে চাইবেন না। তাই মুসলমানরা যাদের অনুবাদ ও ব্যাখ্যাকে নির্ভুল বলে গ্রহণ করেন তাদের ব্যাখ্যাই দিলাম। আর তাদের ব্যাখ্যার সাথে আমাদের দ্বিমতও নেই। কোথাও আপনার দ্বিমত হলে নির্দিষ্ট করে বলুন। কোত্থেকে পাঁচটি আজগুবী কি এনে ঢেলে দিয়ে ব্যাখ্যা চাইলেন- এর তো কোনো মানে হয় না।
সম্পূর্ণটা একটু সময় নিয়ে যদি পড়তেন।
@সৈকত চৌধুরী,
আপনি এই প্রসঙ্গে মূলত যে দুটি আয়তের ব্যাখ্যা, নানা মূনির কাছ থেকে সংগ্রহ করে, আপনার প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন সেই দুটির একটিতেই উপরিউক্ত পাঁচটি বিষয়ের কথা বলা আছে। কাজেই আপনি যদি ভালো করে কোরানের উক্ত আয়াতটি বুঝে পড়তেন ……
SHAKIR’s translation:
74:30 – Over it are nineteen.
74:31 – And We have not made the wardens of the fire others than angels, and We have not made their number but as (1) a trial for those who disbelieve, (2) that those who have been given the book may be certain (3) and those who believe may increase in faith, (4) and those who have been given the book and the believers may not doubt, (5)and that those in whose hearts is a disease and the unbelievers may say: What does Allah mean by this parable? Thus does Allah make err whom He pleases, and He guides whom He pleases, and none knows the hosts of your Lord but He Himself; and this is naught but a reminder to the mortals.
@sksamsherali,
ও আচ্ছা, আমি ৩০ নং আয়াতের দিকে মনোনিবেশ করেছিলাম।
সাকিরের অনুবাদ তো আমরা মূল লেখায় দিয়েছি। আপনি নিজে ও তো এর সাথে দ্বিমত প্রকাশ করেন নি। তাহলে “নানা মুনি” কথাটার দ্বারা তাদের প্রতি আপনার অবজ্ঞা প্রকাশের কারণটা কি? আর আপনার যদি অন্য কোনো ব্যাখ্যা থাকে তবে তো বলবেন।
বিভিন্ন ব্যাখ্যা থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে এই এই ঊনিশ জনকে দোজখের কাজের জন্যই বরাদ্ধ রাখা হয়েছে। এখন এই ঊনিশ জনকে দিয়ে আরো কিছু কাজ যেমন কাফেরদের বিভ্রান্ত করা(সংখ্যা এত কম শুনে বিভ্রান্ত হবে), মুমিনদের ঈমান আরো বৃদ্ধি করা ইত্যাদি। কিন্তু মূল কাজ তো তাদের দোজখেই। আর আয়াতটির শানে নূযুলটা একটু দেখেন।
আচ্ছা যা বুঝলাম, আপনার মূল প্রশ্ন হল – কি ভাবে উনিশজন ফেরেশতা উপরিউক্ত কাজগুলি করবে? (আপনার প্রথম মন্তব্য অনুসরণ করে)
এখন ঊনিশ জন ফেরেশতা কিভাবে এই কাজগুলো করবে তা তো আপনার আল্লাকে অথবা যারা তা আল্লার বাণী বলে প্রচার করেন তাদেরকেই জিজ্ঞেস করবেন, আমাদের কে কেন?
জটিল লিখেছেন…দাদা।
ধন্যবাদ সৈকত ভাই আপনার জবাব এর জন্য। সমস্যাটা হচ্ছে ধর্মীয় ব্যপারটা স্পর্শকাতর, অধিকাংশ মানুষ যতই যুক্তি দেই, অনেকটা ‘বিচার মানি, শালিশ মানি, তালগাছটা আমার’ জাতীয় অবস্থা। আমার মনে আছে আরজ আলী মাতুব্বরের বই পড়ে আমার জনৈক উচ্চশিক্ষিত আলট্রা-মডার্ন বন্ধুও পাগলের প্রলাপ মন্তব্য করেছিল।
থাক সেসব কথা। আমরা সবাই আমাদের মস্তিষ্কের যথোপযুক্ত ব্যবহার করতে শিখি, এই কামনাই রইল।
আপনাকে আবারও ধন্যবাদ সৈকত ভাই এরকম বিষয়ধর্মী একটা ব্লগ আমাদের উপহার দেবার জন্য।
সৈকত ভাই
এমন একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন, যেটা অনেকদিন যাবৎ খুঁজছি। আমার চারপাশে সব অন্ধ বিশ্বাসীরা ভরা, আমার প্রায়ই তর্ক হয় তাদের সাথে। আর মিরাকেল ১৯ নিয়ে একটু চিন্তিত ছিলাম, শুধু গাবেষনার সুযোগ পাইনি বলে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমাকে একটু এগিয়ে নেয়ার জন্যে। আমি জানি ঐসব মহাগ্রন্থের বাকি ভোজ-বাজী ও ঠিকই উদ্ধার হবে। সৃষ্টিকর্তা কেউ থাকলে এত মহাগ্রন্থ নাযিল কারে ছল-ছাতুরির আশ্রয় নিত না।
সুরা মুদ্দাচ্ছিরে এই আয়াতটিতে “আর আমি দোজখের কর্মচারী কেবল ফেরেশ্তাদিগকেই নিযুক্ত করিয়াছি। আর আমি তাহাদের সংখ্যা এইরূপে রাখিয়াছি যাহা কাফেরদের বিভ্রান্তির উপকরণ হয়, (আর এই জন্য) যেন বিশ্বাস করে―কিতাবীগণ এবং ঈমানদারদের ঈমাণ আরও বৃদ্ধি পায়। (৩১)।” এখানে এই ‘বিভ্রান্তিটা’ কী কারনে উল্লেখ করা হয়েছে একটু ব্যাখা করবেন? আমি এ ব্যাপরটা একটু পরিষ্কার হওয়া দরকার। বাকী কোন কিছুতে সাহায্য চাইলে যথাসম্ভব করবেন আশা রাখি।
ধন্যবাদান্তে
শ্রাবন মনজুর
@শ্রাবন মনজুর,
খুশি হলাম। রাশেদ খলিফা সারাটা জীবন ব্যয় করে ফেলেছে এই অপকর্মে। অথচ দেখ কত ভিত্তিহীন বিষয়টা। আমি ছোটবেলায় মনে করতাম হয়ত কিছু কাকতালীয় সত্যতা আছে তার দাবীতে, কিন্তু যখন এটা নিয়ে কিছু দিন পড়াশোনা করলাম তখন দেখলাম – এমনকি কোনো কাকতালীয় মিল বা সত্যতাও নেই তার দাবীতে। একদম ভিত্তিহীন এরকম একটা বিষয়কে কিভাবে এতটা প্রতিষ্টিত করল রাশেদ খলিফা তা এক বিস্ময়ের ব্যাপার; ধর্মবাদীরা এখন পড়েছে মারাত্মক সমস্যায় তাদের ঈমান বজায় রাখতে তাই যেখানে যে খড়কুটো-আবর্জনা পাচ্ছে তাতেই জড়িয়ে ধরছে- হয়ত এটাই এর মূল কারণ।
এটা নিয়ে এত আগ থেকে প্রচারণা চলা সত্ত্বেও বাংলা বা অন্য কোনো ভাষায় বিস্তৃত পরিসরে কোনো জবাব দেয়া হয়েছে বলে চোখে পড়ে নি, তাই নিজেরাই বাধ্য হয়ে একেবারে………………। বেশি লম্বা হওয়ায় বিরক্ত লাগতে পারে তাই একটু সময় নিয়ে পড়তে হবে। মজার বিষয় এই যে, এটা লেখার পর মাথা ধরিয়ে দেয়া এই হাস্যকর ভিত্তিহীন দাবীটি কিন্তু অল্প দিনেই বাজার হারিয়ে ফেলেছে 🙂 ।
@শ্রাবন মনজুর,
এটা বুঝতে হলে আপনাকে এর শানে নজুল জানতে হবে। এটা মূল লেখায় দেয়া আছে। দোজখে ১৯ জন ফেরেশতা আছে বলে কোরানের আয়াত এসেছে বলে যখন ঘোষণা করলেন মুহাম্মদ তখন সবাই হাসাহাসি শুরু করল যে মাত্র ১৯ জন ফেরেশতা দিয়ে কিভাবে দোজখে এত লোককে শাস্তি দেয়া হবে। তখন এর প্রতি উত্তরে মুহাম্মদ আয়াত নাজিল করালেন যে এই সংখ্যা কাফেরদের এভাবে বিভ্রান্ত করার জন্যই স্থির করা হয়েছে। আর অন্ধ বিশ্বাসীরা যা শুনে তাতেই বিশ্বাস করে মানে তাদের ঈমানের বৃদ্ধি ঘটে।
কী মজা তাই না? কাফেরদের বিভ্রান্ত করার ব্যবস্থা আল্যাই করছেন 🙂 আবার তিনিই নাকি তাদেরকেও সৃষ্টি করেছেন।
আচ্ছা, শ্রাবন, এখান থেকে “যে সত্য বলা হয় নি” বইটি পড়ে দেখতে পার। অন্য বই গুলোও দেখতে পার। আর কোনো সমস্যা হলে বলবা, কেমন?
আমি এতদিন অনেক খুজেছি এমনই এক article। অনেকেই আমকে এই মিরাকেলের গল্প Proudly শুনায়। At-least I have some knowledge through this article to shut their mouth. thank you author!!!
@arnovi,
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমরাও একরকম বাধ্য হয়েই এটি লেখেছি। আশার কথা, এটি লেখার পর লক্ষ্য করছি বাংলা ব্লগগুলো সহ বিভিন্ন জায়গায় ১৯ এর মিরাকল নিয়ে আর আগের মত তেমন একটা বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে না।
খুব সুন্দর ।
যারা পিডিএফ ফাইলটি খুলতে পারছেন না, তাদের জন্য লেখাটি ইউনিকোডে রাখা হয়েছে এখানে –
কোরানের ‘মিরাকল ১৯’-এর উনিশ-বিশ! : সৈকত চৌধুরী এবং অনন্ত বিজয় দাশ
ধন্যবাদ।
একমত @ Atiqur Rahman
Whatever, when you write article please do it in Unicode or at least check out if the file is opened successfully in foxit reader. Adobe is a mess!
প্রবন্ধটিকে মুক্তমনা ইবুক – ‘বিজ্ঞান ও ধর্ম – সংঘাত নাকি সমন্বয়?’ এর সপ্তম অধ্যায়ে অন্তর্ভুক্ত করা হলো।
আদিল ভাই,
লেখাটা কেমন লাগল? মতামত জানাবেন। সঙেগ কোনো প্রশ্ন থাকলে পাঠাবেন?
ইতি
অনন্ত ও সৈকত
@অনন্ত বিজয় দাশ,
অনেক ধণ্যবাদ কথা রাখার জন্য। ভেবেছিলাম ভুলেই গেছেন এটার কথা, কয়েক মাস আগে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে এ লেখা আসছে। তারপর বহুদিন আপনি লাপাত্তা।
লেখাটা ধীরে ধীরে পড়ব বলে প্রিন্ট করে নিয়েছি। এখন পর্যন্ত আধাআধি গেছি, অত্যন্ত চমতকার লাগছে। মুল বিষয়ে বলা যায় মোটে প্রবেশ করছি। পুরোটা শেষ করার পর আবার জানাবো।
আবীর যথেষ্ট ভাল আরেকটা লেখা ছোট কলেবরে লিখেছিল, ওটা ছোট হওয়ায় বেশ কিছু জিনিস বিস্তারিত ব্যাখ্যা মনে হয় সম্ভব হয়নি, আপনাদেরটা পড়ে আরো পরিষ্কার হচ্ছে।
আমি পেরেছি কোন সমস্যা ছাড়াই, প্রিন্ট করেও ফেলেছি।
তিন চারবার চেষ্টা করলাম। ফাইল ওপেন হচ্ছে না। বলছে ড্যামেজ আছে।
@রায়হান আবীর,
আপনি এডোবীর ওয়েব সাইট থেকে এডোবী রিডারের সর্বশেষ ভার্শনটি দয়া করে ডাউন লোড করে নিন। নীচের লিঙ্ক থেকে এডোবী রীডার ডাউনলোড করা যাবে।
http://get.adobe.com/reader/
এটি ডাউনলোড করে নিলে লেখাটি পড়তে অসুবিধা হবার কথা নয়। তারপরেও পুরো লেখাটি ইউনিকোডে কনভার্টের চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রবন্ধটির দীর্ঘায়তনের জন্য পিডিএফ-ই সুবাধাজনক উপায় হবার কথা।
@মুক্তমনা এডমিন,
আমি পিডিএফ এর জন্য foxit reader ব্যবহার করি। এটা পড়তে এডোব লাগবে বুঝি নাই। ইন্সটল করছি।