চন্দ্রনাথ বসু একজন ভাবুক জ্ঞানবান পণ্ডিত মানুষ। তাঁর ‘শকুন্তলা’ সমালোচনায় রবীন্দ্রনাথ ‘আশ্চর্য প্রতিভার পরিচয়’ পেয়েছিলেন। এই পণ্ডিত চন্দ্রনাথ বসু ‘হিন্দুপত্নী’ এবং ‘হিন্দুবিবাহের বয়স ও উদ্দেশ্য’ নামে দু’টি আলোচিত প্রবন্ধ লেখেন। উক্ত প্রবন্ধে হিন্দুবিবাহের ‘আধ্যাত্মিকতা’, ‘হিন্দুদম্পতির একীকরণতা’ এবং ‘বাল্যবিবাহ’ সম্বন্ধে তিনি প্রথা শাস্ত্র ও ধর্মমতের সঙ্গে একমত হয়েও নিজের মত বিস্তৃতভাব লেখেন। তখন কয়েকটি ‘কাগজেও অবিশ্রান্ত প্রতিধ্বনিত’ হতে থাকে শ্রী চন্দ্রনাথ বসুর মত। ‘খ্যাতনামা গুণী ও গুণজ্ঞ লেখক শ্রীযুক্ত’ অক্ষয়কুমার সরকারও উক্ত প্রবন্ধদ্বয়ের কিছু কিছু বিষয় নিয়ে চন্দ্রনাথ বাবুর প্রশংসা ও কিছু সমালোচনা করে প্রবন্ধ লেখেন। মানুষের শরীর, মন ও সমাজের মঙ্গল সম্পর্কিত প্রায় সব বিষয়েই অত্যন্ত সংবেদনশীল রবীন্দ্রনাথ যেমন বরাবর নিজের মত পরিষ্কার করে প্রকাশ করেন, এ-ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটল না। সময়টা বাংলা ১২৯৪ সন, সায়ান্স অ্যাসোসিয়েশন হলে রবীন্দ্রনাথ উক্ত প্রবন্ধ দু’টি অবলম্বন করে হিন্দুবিবাহ, বাল্যবিবাহ সম্পর্কে সুদীর্ঘ প্রবন্ধ পাঠ করেন।… (এর পর পড়ুন এখানে )
রবীন্দ্রনাথের বিবাহ-ভাবনা ও তিন কন্যা সম্প্রদান
By সাদ কামালী|2009-08-18T10:15:03+06:00আগস্ট 18, 2009|Categories: সাহিত্য আলোচনা|Tags: তিন কন্যা সম্প্রদান, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, রবীন্দ্রনাথের বিবাহ-ভাবনা|5 Comments
About the Author: সাদ কামালী
সাদ কামালী, সাহিত্যিক। রবীন্দ্র গবেষক।
আমি কিছুদিন আগে এই সাইট টি দেখলাম । ভারতে এর কদর হবেই । বন্ধুদের জানিয়ে দেব ।
মুক্তমনায় পাঠকদের ডেমোগ্রাফিক শিফট লক্ষ্য করছি। ৩-৪ বছর আগে এসব প্রবন্ধের ওপর বিতর্কের ঝড় বয়ে যেত। আজকাল কোরান বা ধর্ম নিয়ে কিছু না লিখলে-কেও পড়ে না। ভারী জ্বালা ত!! ধর্মের সাথে যুদ্ধ করতে গিয়ে এটাই বোধ হয় সব থেকে বেশী কোল্যাটেলার ড্যামেজ়- পৃথিবীর সেরা সৃষ্টিগুলির চর্চা শিকেই উঠেছে।
@Biplab Pal,
হা হা, মুক্তমনার মজাটাই তো ওইখানে। ধর্ম বিষয়ক বিরল সব তথ্য পাওয়া যায়, বিচিত্র সব আলোচনা পাওয়া যায় যা হয়ত সামনাসামনি বেশীরভাগ মানুষেই করতে সাহস করবে না। এখানে মনের হরষে তা করা যায়।
তবে এই লেখাটা বেশ ইন্টারেষ্টিং মনে হয়েছে আগেই, টাইম পাচ্ছি না পড়ার। পরে জানাবো। আপাতত মনে হচ্ছে ব্যক্তি রবীন্দ্রনাথের সীমাবদ্ধতা এখানে এসেছে আপনি যেমন বললেন।
তবে এটা নুতন কিছু না। রবীন্দ্রনাথ তো বহু আগের কথা, এই যুগেও আরো মারাত্মক সব নজির আছে। তসলিমা নাসরীনের কোন এক লেখায় একবার পড়েছিলাম যে আমাদের এপার বাংলার জনপ্রিয় কথা শিল্পী অত্যন্ত আধুনিক মানসিকতার হুমায়ুন আহমেদ সাহেব ৩ কন্যার পর পুত্র সন্তান প্রাপ্তির আশায় আজমির শরীফে গিয়ে মানত করে এসেছিলেন।
@Biplab Pal,
একদম ঠিক কথা। আমি যতই চাই অন্য অনেক বৈচিত্রময় কিছু ব্লগে নিয়ে আসতে, সবাই ধর্ম কেন্দ্রিক পোস্ট আসলেই হামলে হামলে পড়ে। অন্যগুলোতে মন্তব্য পর্যন্ত করে না। ভারি মুশকিলের ব্যাপার। আমি মাঝখানে মানব বিবর্তনের জৈববিজ্ঞানীয় ভাবনা লিখে একটু নারীবাদী আর সমাজবিজ্ঞানীদের টোকা দিতে চাইলাম – কেউ টু শব্দটি করলো না।
আসলেই – ধর্মের সাথে যুদ্ধ করতে গিয়ে বেশী কোল্যাটেলার ড্যামেজ় ওটাই – পৃথিবীর সেরা সৃষ্টিগুলির চর্চা শিকোয় তুলতে হয় 🙂
প্রবন্ধটি খুব ভাল লাগল। তিন বছর আগে সাদ কামালীর সাথে রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য নিয়ে কিছু বিতর্ক হয়েছিল। কিন্ত এই প্রবন্ধটি তার ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে যেখানে তিনি ছিলেম একজন চরম রক্ষনশীল হিন্দু। এই বিষয়টি নিয়ে আমার কোন সংশয় নেই। এমন কি লেখক যেটি লেখেনি-বিয়ের রাতে কবির তৃতীয় জামাতা নগেন্দ্রনাথ বিবাহে বসতে অস্বীকার করে-কারন রবীন্দ্রনাথ কোন যৌতুক তাকে তখনও দেন নি!!!! শেষমেষ নোবেল প্রাপ্ত বাঙ্গালী পিতা রবীন্দ্রনাথকেও এই বেয়াদবী আবদার মেনে, জামাতাকে আমেরিকাতে শিক্ষার জন্যে পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিতে হয়। তবে বিয়ে হয়! বাকী সিদ্ধান্ত পাঠকের।