১
অস্তিত্বের রহস্য
আমাদের প্রত্যেকের অস্তিত্বই খুবই কম সময়ের জন্য। আর এই ক্ষণিকের অস্তিত্বে এই মহাবিশ্বের খুব কম অংশই আমাদের পক্ষে দেখা সম্ভব। কিন্তু মানুষ খুবই কৌতুহলী প্রজাতি। সে জানতে চায়, উত্তর খোঁজে। এই কোমল-কঠোর পৃথিবীর বুকে জন্ম গ্রহন করে উপরের সুবিশাল মহাকাশ আর নক্ষত্রপুঞ্জ দেখে যুগে যুগে আমাদের মত মানুষ হাজারো প্রশ্ন করে গেছে: এই যে মহাবিশ্বে আমরা আছি, একে বোঝার উপায় কী? এই মহাবিশ্বের আচরণ কেমন? বাস্তবতার প্রকৃতিই বা কেমন? সবকিছু কোথা থেকে এলো? মহাবিশ্বের সৃষ্টিতে কি কোনো সৃষ্টিকর্তার প্রয়োজন আছে? আমাদের বেশির ভাগই এসব প্রশ্ন নিয়ে সারাক্ষণ মাথা ঘামায় না, কিন্তু প্রায় প্রত্যেকেই কখনো না কখনো এসব প্রশ্ন নিয়ে চিন্তা করে।
সাধারণত এ প্রশ্নগুলো ছিলো দর্শনে এখতিয়ারে, কিন্তু দর্শনের মৃত্যু ঘটেছে। দর্শন ব্যর্থ হয়েছে জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিশেষ করে পদার্থবিজ্ঞানের আধুনিক সব উন্নয়নের সাথে তাল রাখতে । এখন বিজ্ঞানীরাই সত্যের সন্ধানে আমাদের একমাত্র আলোকবর্তিকা। এই বইয়ের উদ্দেশ্য হচ্ছে সাম্প্রতিকতম আবিষ্কার এবং তাত্ত্বিক অগ্রগতির আলোকে এসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া। এসব বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি আমাদের মহাবিশ্বের এবং তাতে আমাদের অবস্থানের এক নতুন চিত্র আঁকতে সক্ষম হয়েছে যেটা গতানুগতিক চিত্র থেকে অনেকটাই আলাদা, এমনকি দুয়েক দশক আগের চিত্র থেকেও অনেক খানিই ভিন্ন। অবশ্য, এই নতুন ধারণার খসড়ার ইতিহাস প্রায় এক শতাব্দী পুরানো।
মহাবিশ্ব সম্পর্কে গতানুগতিক ধারণা অনুযায়ী যে কোনো বস্তু সুনির্ধারিত পথে পরিভ্রমন করে এবং তার একটা সুনির্দিষ্ট অতীত থাকে। নির্দিষ্ট সময়ে আমরা তার অবস্থান পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে নির্ধারণ করতে পারি। যদিও দৈনন্দিন অনেক কাজেই এই ধারণা দারুণ কার্যকর, কিন্তু ১৯২০ র দিকে দেখা যায় এই ‘ক্লাসিক্যাল’ ধারণা দিয়ে ভৌত জগতের পারমাণবিক ও অতিপারমাণবিক স্তরে যেসব আপাত উদ্ভট ঘটনাসমূহ ঘটে সেসবের কোনো ব্যাখ্যা মেলে না। তাই এর বদলে তখন একটা ভিন্ন তাত্ত্বিক কাঠামোর আশ্রয় নিতে হয় যার নাম কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যা। এসব অতিপারমানবিক ঘটনার বর্ণনায় কোয়ান্টাম মেকানিক্সের অনুমানগুলো খুবই নির্ভুল এবং এদেরকে যখন বৃহত্তর বস্তুসমূহের উপর প্রয়োগ করা হয় তখন ক্লাসিকাল তত্ত্বের অনুমানসমূহের সাথে মিলে যায়। কিন্তু কোয়ান্টাম এবং ক্লাসিকাল পদার্থবিদ্যা ভৌত বাস্তবতার সম্পূর্ণ ভিন্ন দুটি ধারণার উপর অবস্থিত।
কোয়ান্টাম তত্ত্বকে বিভিন্ন ভাবেই বর্ণনা করা সম্ভব, তবে সবচেয়ে সহজাত(ইনটুইটিভ) বর্ণনাটা দিয়েছেন রিচার্ড (ডিক) ফাইনম্যান, ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অফ টেকনলজির একজন বর্ণিল চরিত্রের অধিকারী বিজ্ঞানী, যিনি কখনো কখনো কাছেরই একটা স্ট্রিপ বারে বঙ্গো ড্রাম বাজাতেন। ফাইনম্যানের মতে, একটা সিস্টেম শুধু মাত্র একটাই ঘটনাপ্রবাহ নয় বরং সম্ভাব্য সকল ঘটনাপ্রবাহের সমষ্টি। আমাদের উত্তর খোঁজার পথে আমরা ফাইনম্যানের এই পদ্ধতিকে বিশদে ব্যাখ্যা করব এবং এটা প্রয়োগ করে দেখবো যে মহাবিশ্বের কোনো একক ঘটনাপ্রবাহ (ইতিহাস) নেই, এমনকি এর কোনো স্বাধীন অস্তিত্বই নেই। অনেক পদার্থবিজ্ঞানীর কাছেও এটা বৈপ্লবিক কোনো ধারণা মনে হতে পারে। আধুনিক বিজ্ঞানের অন্য অনেক ধারণার মত এটাও আমাদের সাধারণজ্ঞানের সাথে মেলে না। কিন্তু সাধারণজ্ঞান তো তৈরি হয় দৈনন্দিন অভিজ্ঞতার আলোকে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে দেখা পারমানবিক জগৎ বা আদি মহাবিশ্বের চিত্রের উপর ভিত্তি করে নয়।
আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের উদভবের আগে সাধারণত ভাবা হত বিশ্বের সকল জ্ঞানই সরাসরি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে লাভ করা সম্ভব অর্থাৎ কোনো একটা বস্তুকে আমাদের ইন্দ্রিয়সমূহের মাধ্যমে আমরা যেভাবে অনুভব করি বস্তুগুলি তেমনই। কিন্তু আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের চমকপ্রদ সাফল্য- যেটা আমাদের দৈনন্দিন অভিজ্ঞতা নয়, বরং ফাইনম্যানের ধারণার মত ধারণার উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত- থেকে দেখা যায় যে বাস্তবতা তেমন নয়। তাই বাস্তবতার প্রচলিত সরল চিত্র আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের সাথে সুসঙ্গত নয়। এ ধরণের বিভ্রান্তি মোকাবেলা করতে আমরা যে কৌশলের আশ্রয় নিই তাকে বলে রূপায়ননির্ভর বাস্তবতা। এই কৌশলটার পিছনে মূল ধারণা হচ্ছে আমাদের মস্তিষ্ক ইন্দ্রিয়সমূহ থেকে পাওয়া প্রেসনার সাপেক্ষে বাস্তব জগতের একটি কাল্পনিক রূপ বা কাঠামো তৈরি করে। যখন এমন একটা কাঠামো বিভিন্ন ঘটনাকে সফল ভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে তখন আমরা এই কাঠামোকে এবং এই কাঠামোর সকল গাঠনিক ও ধারণাগত উপাদানকে বাস্তবতার বৈশিষ্ট বা পরম সত্য হিসাবে গ্রহন করি। কিন্তু এই একই ভৌত ঘটনাকে হয়তো অন্য কোনো ভাবেও কাঠামোবদ্ধ করা যায়, যেখানে ভিন্নতর মৌলিক উপাদান এবং ধারণাসমষ্টি ব্যবহৃত হবে। এমন দুইটি ভিন্ন কাঠামো যখন কোনো ভৌত ঘটনাকে নিখুত ভাবে অনুমান করতে পারে তখন আর এদের একটিকে অপরটিচ চেয়ে বেশি বা কম বাস্তব হিসাবে চিহ্নিত করা যায় না; বরং তখন আমরা নিজের সুবিধামত যেকোনো একটি কাঠামোকে ব্যবহার করার স্বাধীনতা পেয়ে যাই।
বিজ্ঞানের ইতিহাসে আমরা একের পর এক উন্নততর তত্ত্ব এবং ধারণা-কাঠামো আবিষ্কার হতে দেখেছি, সেই প্লেটো থেকে শুরু করে নিউটন হয়ে আধুনিক কোয়ান্টাম তত্ত্ব। এই প্রশ্ন খুবই স্বাভাবিক যে, এই ধারা কি চলতেই থাকবে নাকি একটি পরম তত্ত্বে গিয়ে থামবে, যে পরম তত্ত্বের সাহায্যে মহাবিশ্বের সকল বল, সকল পর্যবেক্ষণকে ব্যাখ্যা করা সম্ভব হবে? নাকি আমরা একের পর এক উন্নততর তত্ত্ব আবিষ্কার করে যেতেই থাকবো, অর্থাৎ এমন কোনো পরম তত্ত্বই আবিষ্কার করা সম্ভব হবে না যেটার আর উন্নয়ন সম্ভব নয়? এই প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট উত্তর আমাদের হাতে এখনো নে।ই কিন্তু আমাদের হাতে এমন একটি তত্ত্ব আছে যেটি নিজেকে সকল কিছুর পরম তত্ত্ব হিসাবে দাবী করতে পারে; যার নাম এম-তত্ত্ব। এম-তত্ত্বই এখনো পর্যন্ত একমাত্র ধারণা-কাঠামো যার সেই সকল বৈশিষ্টই আছে একটি পরম তত্ত্বের যে বৈশিষ্টগুলো থাকার কথা। আমাদের পরবর্তি আলোচনার অনেক অংশই পরিচালিত হবে এই তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে।
এম-তত্ত্বকে ঠিক একক কোনো তত্ত্ব বলা যায় না। এটা অনেকটা এক গুচ্ছ তত্ত্বের একটা সমষ্টি যার প্রতিটি সদস্য তত্ত্ব ভৌত ঘটনা সমুহের কোনো নির্দিষ্ট অংশকে বর্ণনা করে। যেন একটা মানচিত্রের মত। এটা সবার জানা যে কোনো একক মানচিত্রে পুরো পৃথিবীর ভূ-তল কে দেখানো সম্ভব নয়। সমতল মানচিত্র তৈরিতে যে মারক্যাটর অভিক্ষেপ ব্যবহার করা হয়, তাতে যতই উত্তর আর দক্ষিণ মেরুর দিকে যাওয়া হয় ততই ক্ষেত্রফলগুলো বিবর্ধিত করে আঁকা হতে থাকে। আর এ ধরণের মানচিত্রে কোনো ভাবেই উত্তর আর দক্ষিন মেরুবিন্দু দেখানো সম্ভব নয়। তাই পুরো পৃথিবীর একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিকৃতি তৈরি করতে হলে আমাদেরকে কোনো একক মানচিত্রের বদলে একগুচ্ছ ভিন্ন ভিন্ন মানচিত্র ব্যবহার করতে হবে, যেখানে একেকটি মানচিত্র পৃথিবীর একেকটি অংশকে নির্ভুল ভাবে প্রকাশ করে। এবং মানচিত্রগুলোর কিছু অংশ একে-অপরের উপর আপতিত হলে এই আপতিত অংশও ঐ এলাকার ভূচিত্রকে নির্ভুল ভাবে বর্ণনা করবে। এম-তত্ত্ব অনেকটা এমন। এম-তত্ত্বের তত্ত্বগুচ্ছের বিভিন্ন সদস্য তত্ত্ব দেখতে অনেকসময় একে অপর থেকে ভিন্ন হলেও তাদেরকে আসলে একটি অন্তর্নিহিত একক তত্ত্বের বিভিন্ন অংশ হিসাবে দেখা যায়। এরা হচ্ছে মূল তত্ত্বের বিভিন্ন রূপ যার একেকটা একেক সীমায় প্রযোজ্য, উদাহরন স্বরূপ- যখন কিছু চলকের মান, যেমন শক্তির পরিমান, খুবই কম তার জন্য আছ একটি তত্ত্ব। এ যেন সেই মারকেটর প্রজেকশন থেকে পাওয়া পৃথিবীর মানচিত্রের বিভিন্ন অংশ, যে অংশে একাধিক মানচিত্র একে অপরের উপর আপতিত হবে সে অংশেও এই তত্ত্বসমূহের অনুমান পরস্পরের সাথে সুসংহত। আর পুরো ভূত্বকের যেমন কোনো ভালো সমতল প্রতিলিপি বা মানচিত্র নেই তেমনি তেমন কোনো একক তত্ত্ব নেই, যেটা একাই সকল অবস্থায় সব ধরণের পর্যবেক্ষণকে ব্যাখ্যা করতে পারে।
(missing image)
এম- তত্ত্ব কীভাবে সৃষ্টিবিষয়ক প্রশ্নসমূহের উত্তর দিতে পারে সেটা আমরা বর্ণনা করব। এই তত্ত্ব মতে আমাদের মহাবিশ্বই একমাত্র মহাবিশ্ব নয়। বরং, এম-তত্ত্ব বলছে একদম শূন্য থেকে বহু সংখ্যক মহাবিশ্বের সূচনা হয়েছে। তাদের সৃষ্টিতে কোনো অতিপ্রাকৃত শক্তি বা ঈশ্বরের অংশগ্রহন প্রয়োজন নেই। বরং ভৌত সূত্রসমূহ থেকেই এই বহুসংখ্যক মহাবিশ্বের উদভব হয়। এদের উদভব বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতেই। প্রতিটি মহাবিশ্বের ঘটনা প্রবাহেরই বহুসংখ্যক ইতিহাস আছে এবং পরবর্তি কোনো নির্দিষ্ট সময়ে,(যেমন বর্তমান সময়টা হচ্ছে সৃষ্টির সূচনা থেকে শুরু করে অনেক পরের একটা সময়) এরা সম্ভাব্য অনেক অবস্থাতেই থাকতে পারে। এসব অবস্থার বেশিরভাগই আমরা যে মহাবিশ্বকে পর্যবেক্ষণ করি তার থেকে সম্পুর্ণ আলাদা এবং কোনো ধরনের ‘জীবন’-এর জন্য একদমই প্রতিকুল। এদের মধ্যে খুব কম সংখ্যকেই আমাদের মত প্রাণীর অস্তিত্ব থাকা সম্ভব। তাই আমাদের অস্তিত্বই সম্ভাব্য আর সব মহাবিশ্ব থেকে শুধুমাত্র যেগুলোতে আমাদের অস্তিত্ব সম্ভব সেগুলোকেই নির্দিষ্ট করে দেয়। যদিও মহাজাগতিক স্কেলে আমরা অতিব ক্ষুদ্র এবং গুরুত্বহীন কিছু, তারপরও এই যে নির্দিষ্ট করে দেওয়ার ঘটনা, এটাই আমাদেরকে বসিয়ে দিয়েছে অনেকটা সৃষ্টির কর্তার আসনে।
মহাবিশ্ব সম্পর্কে গভীরতম উপলব্ধি লাভের জন্য তাই আমাদেরকে শুধু সবকিছু ‘কীভাবে’ ঘটে জানলেই হবেনা, জানতে হবে ‘কেন’।
কেন কোনো কিছু না থাকার বদলে কিছু আছে?
কেন আমাদের অস্তিত্ব আছে?
কেন ভৌত সূত্র সমূহের ঠিক এই সেটটাই আমরা দেখছি, অন্যরকম নয় কেন?
এটাই জীবন, মহাবিশ্ব এবং সবকিছুর পরমতম প্রশ্ন। এই বইয়ে আমরা এই প্রশ্নেরই উত্তর দিতে চেষ্টা করব। ‘হিচহাইকারস গাইড টু গ্যালাক্সি’র মত আমাদের উত্তর শুধু “৪২” হবে না।
‘দ্য গ্রান্ড ডিজাইন’ < আগের পর্ব। পর্ব ১। পর্ব ২>
[স্টিফেন হকিং এবং লিওনার্ড ম্লদিনাও-এর লেখা এই বইটি কিনতে পারবেন এখান থেকে আর ফ্রী পেতে যোগাযোগ করুন]
আপনার আপত্তি না থাকলে আমি একটা অংশ শাশ্বতিকীর অনুবাদ-প্রবন্ধ সংখ্যায় ছাপতে চাই। সে ক্ষেত্রে প্রথম অংশটা আমার পছন্দ।। আপনার মোবাইল নং পেলে কথা বলতাম। অথবা ই-মে্লে যোগাযোগ করা যেতে পারে। উত্তরের অপেক্ষাই রইলাম।
অনেক সুন্দর হয়েছে অনুবাদ। পড়ার সময় মনে হচ্ছিল আমি স্টিফেন হকিংসেরই বইটা পড়ছি।
আর “মুক্তমনা”কে যতই দেখছি ততই অবাক হচ্ছি। এই ব্লগের সব সদস্যই মনে হয় জন্মগতভাবে লিখতে শিখেছে। অসাধারণ।
পড়তে এবং বুঝতে কোন সমস্যা হচ্ছে না।
আমি একটি কমেন্টে অভিজিৎদা কে অনুবাদ করতে বলেছিলাম।
আমি ৫ম পর্ব থেকে পড়তে শুরু করেছি।
পর্নাঙ্গ অনুবাদ হওয়ার পর বই আকারে বের করতে কি কোন সমস্যা আছে?
অপেক্ষায় থাকলাম হাতে একটু শক্তকপিও আসবে।
তানভীর ভাই,
মূল বইটার ফ্রি ডাউনলোড লিঙ্কটা একটু কষ্ট করে আমার মেইলে পাঠিয়ে দিলে খুব উপকার হয়। মূল বইটা পড়ার ইচ্ছা ছিলো 🙂
[email protected]
অনুবাদের জন্য ধন্যবাদ………
@শিরোনামহীন,
আপনাকেও ধন্যবাদ।
এক রকম অসাধারণ সব লেখার জন্যই মুক্তমনাকে ভাল না বেসে পারা যায় না।
স্যালুট।
@আলিম আল রাজি,
পড়েছেন জেনে ভালো লাগছে। অসাধারণ লেখার কৃতিত্ব হকিং এবং তার সহলেখকের। 🙂
অনবদ্য অনুবাদ, স্পর্শ! ঝরঝরে, ফুরফুরে, কি-একটা লবণের বিজ্ঞাপনের মতো যেন!
পুরোটা চাই অতি অবশ্যই। এদিকে ডকিন্সের বইটার অনুবাদ হচ্ছিল, কোথায় যে গেল।
@ব্লাডি সিভিলিয়ান,
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। অনুবাদের কোনো অংশ নিয়ে কোনো মন্তব্য থাকলে অবশ্যই জানাবেন 🙂
মূল বইটা পড়া শুরু করেছি। ভালোই হলো, কোথাও খটকা লাগলে আপনার অনুবাদের সাথে মিলিয়ে নেয়া যাবে। অনুবাদ খুব ভালো হয়েছে। :yes:
ধন্যবাদ। :rose2:
@হোরাস,
যাক আমার জন্য ভালো হলো। অনুবাদের কোনো অংশের খটকালাগলে মূল বই দেখে সংশোধন করে দিতে পারবেন। 🙂
তানভির ভাই, did u avoid the issue of ‘philosophy’ intentionally? আমি একটু “ভালোচনার” আশায় ইস্যুটা raise করেছিলাম। This is not like I’m a strong believer… but… ছোট্টবেলার ‘প্রার্থনা’ কবিতাটা কেমন জানি মাথায় ঢোকে গেছে! Hawkins সাহেবের লেখা পড়ার পর একটু কেমন জানি লাগে…
অনুমতি ছাড়াই Audio Book Download করে শুনছি। শোনার পর না বল্লেই না… আপনার অনুবাদ অসাধারণ… A real good job Bro. Carry on.
Rgds.
@Iqbal Siddiquee,এরকম অদ্ভূত ভাষায় না লিখে বাংলায় কমেন্ট করলে ভালো হত না?
@রামগড়ুড়ের ছানা, ভাই আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ আমার মন্তব্য পড়ে বিরক্ত হওয়ার জন্যে। আমি এই ব্লগের সবার মন্তব্যই অতিশয় মনসংযোগ করে পড়ছি। অনেকদিন হয় একদমই বাংলা লেখা হয়না, তাই একটু অদ্ভূত শোনাচ্ছে। এর পরের লেখায় উন্নতি প্রতিয়মান হবে বলে ঐকান্তিক ইচ্ছা ব্যাক্ত করলাম।
@Iqbal Siddiquee,
দুঃখিত ভাই, আমি আসলে সর্বশেষ যখন লগইন করেছি তখনও মনেহয় আপনার মন্তব্যটা মডারেশন পার হয়ে প্রকাশিত হয়নি। তাই নিচে রায়হান আবীরের মন্তব্যে প্রতিমন্তব্য করলেও উপরের দিকে আপনার মন্তব্যটায় প্রতিমন্তব্য করার সুযোগ হয়নি। দাঁড়ান এখন করি। 🙂
@ভবঘুরে, চলার শক্তি দেয়নি বলেই উনি আরো ভালোভাবে বুঝে গেছেন, সর্বশক্তিমানের সাধ্য নেই তাকে চলার শক্তি দেয়ার। তাকে সাহায্য করলে বিজ্ঞানই করবে, ঈশ্বরের যপযন্ত্র নয়।
আমরা একটু অন্যভাবে দেখি, হকিং নাস্তিকতার প্রচার করেন নি। বরঙ প্লেটোর ভাববাদ যে ঈশ্বরকে মানুষের মস্তিষ্কে প্রবেশের অধিকার দিয়েছিল, হকিং এর বিজ্ঞানে সেই ঈশ্বরের অসহায় বৌদ্ধিক মৃত্যু হল। হকিং এর ঈশ্বরকে সিংহাসন চ্যুত করার দরকার নেই, বিজ্ঞান এমন কিছু সামনে এনে দিচ্ছে, যাতে বুদ্ধিবাদীদের কাছে ঈশ্বর হয়ে যাচ্ছে বাহুল্য।
@নীল রোদ্দুর,
কিন্তু আমরা তো দেখি যারা শারীরিক প্রতিবন্ধী তারা আল্লাহ আল্লাহ করেই দিন কাটায়। যাহোক, হকিং তার ব্যতিক্রম মনে হচ্ছে। কিন্তু আমার একটা গুরুতর প্রশ্ন ছিল-(অন্যের কাছে গুরুত্বহীন মনে হতেও পারে )। তা হলো- ধরা যাক কোন এক শূন্য বিন্দু কোয়ান্টাম ফ্লাক্সুয়েশনের কারনে অতিস্ফীতির মাধ্যমে আজকের মহাবিশ্বের পত্তন ঘটিয়েছে। তাহলে মহাবিশ্বে এখন তো শূন্য বিন্দুর অভাব নাই। সেখানে কেন একই ঘটনা ঘটে নতুন নতুন মহাবিশ্বের সৃষ্টি হচ্ছে না ? আর মহাবিশ্ব আয়তনে যদি সসীম হয়, তাহলে মহাবিশ্বের বাইরে যে স্থান আছে তাকে কি বলব ? মহাবিশ্ব প্রসরমান , তার মানে মহাবিশ্বের বাইরে অসীম পরিমান স্থান বিদ্যমান, তা না হলে তো মহাবিশ্ব প্রসরমান হতে পারত না । নাকি আইনস্টাইনের স্থান-কালের ফর্মূলা অনুযায়ী বলব- যেখানে সময় নেই সেখানে স্থানও নেই, বা বিপরীত টাও সত্য। তাত্ত্বিক পদার্থ বিদ্যা আসলেই বড় জটিল বিষয়। চিন্তা করতে গেলেই মাথাটা গরম হয়ে যায়। আজ থেকে বিশ বছর আগে তাত্ত্বিক পদার্থ বিদ্যার তেমন কিছু না জেনেই শুধুমাত্র বিগ ব্যাং তত্ত্ব নিজে নিজে ব্যখ্যা করতে গিয়ে কল্পনা করেছিলাম যে শূন্য বিন্দু বিস্ফোরনের মাধ্যমে যদি মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েই থাকে তাহলে একই ভাবে অসীম সংখ্যক মহাবিশ্ব সৃষ্টি হওয়া সম্ভব। আর প্রতিটি মহাবিশ্ব যেহেতু নিজস্ব স্থান কাল দ্বারা সীমাবদ্ধ, তাই আমাদেরটি ছাড়া অন্য কোন মহাবিশ্ব আমাদের পর্যবেক্ষনের মধ্যে পড়বে না। পরে দেখি এ তত্ত্ব পদার্থ বিজ্ঞানীরা বলতে শুরু করেছে। সেই থেকে আমি মহাবিশ্ব বিদ্যা নিয়ে গবেষণা বন্দ করে দিয়েছি। :laugh:
@ভবঘুরে,
যদ্দুর জানি, মহাবিশ্ব “প্রসারমান” নয়। মহাবিশ্বের অভ্যন্তরীন সম্পর্কগুলো পরিবর্তিত হচ্ছে, একেই আমরা প্রসারমানতা হিসেবে পর্যবেক্ষণ করি।
@রৌরব,
এইটা আপনি কি বললেন। এডউইন হাবল এটা আবিস্কার করেই না মহাবিশ্ব সৃষ্টির জন্য বিগ ব্যাং তত্ত্ব আবিস্কারের সূচনা করল।
@ভবঘুরে,
বুঝাতে পারব কি না কে জানে কম কথায়! মানে ধরেন একটা বল যদি পাম্প দিই, তাহলে বলটার বাইরে দাঁড়িয়ে আমরা দেখতে পাব বলটি প্রসারিত হচ্ছে, বা তার বাইরের জায়গার অংশবিশেষ দখল করে ফেলছে।
মহাবিশ্ব ওই অর্থে প্রসারমান নয়, ওর বাইরে কোন জায়গা নেই। কিন্তু মহাবিশ্বের ভেতরে “দূরত্ব”-এর ধারণা প্রতি মুহূর্তে পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র অনুযায়ী পরিবর্তিত হচ্ছে, এবং সেই অর্থে প্রসারিত হচ্ছে।
বলটাকে যদি ধরি, তাহলে জিনিসটা অনেকটা এরকম যে বলটা বাইরে থেকে দেখলে বড় হচ্ছে না, কিন্তু বলের ভেতরে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে সময় বেশি লাগছে, কাজেই বলের ভিতরে বইসা আপনার মনে হবে বল প্রসারিত হচ্ছে।
@রৌরব,
ব্যাপারটা তো এভাবে ভাবিনি। মহাবিশ্ব মহাবিশ্বই। এটা যতটুকু ততটুকুই। আভ্যন্তরীন বস্তু সমূহ, তারকাপুঞ্জ, গ্যালাক্সী এরা ক্রমাগত দূরে সরে যাচ্ছে। কিন্তু থাকছে তো সেই একটা মহাবিশ্বেই।
এই যে ক্রমাগত দূরে ছুটে চলছে এগুলো কি আবার কাউকে কেন্দ্র করে ঘুরছে? এই নেস্টিং প্রসেসের কোন শেষ আছে কি?
@ভবঘুরে, মহাবিশ্বের বাইরে মনে হয় কোন স্থান নেই। এটাকেই বলা হচ্ছে No-boundary Condition. বইটা পড়ে আমার সেরকমই মনে হয়েছে। খুবই জটিল বিষয়।
@Atiqur Rahman Sumon,
তাহলে মহাবিশ্ব সৃষ্টির আগেও তো কোন স্থান ছিল না। তাহলে কোন বিন্দুর বিস্ফোরনে মহাবিশ্বের সৃষ্টি হলো ? কারন যে কোন বিন্দুর অবস্থানের জন্য তো একটা স্থান লাগবে।
@ভবঘুরে,
ভালো প্রশ্ন করেছেন । মহাবিশ্বের সীমানা কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত – এর উত্তর সম্ভবত কেউ জানে না। এ প্রসঙ্গে আমেরিকার নাসা (NASA) যারা কি না এসব জিনিষ নিয়ে প্রচুর গবেষণা করে থাকেন , তারা বলছেন যে, “But no one knows if the whole universe is infinitely large – large beyond limit”।
আচ্ছা , হকিং এর এটা কি আস্তিকতা নাকি নাস্তিকতা প্রচার করছে? যতদুর জানি নাস্তিকতা। লোকটা সত্যিই আশ্চর্য প্রকৃতির। নিজের এত শারিরীক অক্ষমতার পরে যেখানে তার আল্লাহ আল্লাহ করে সময় কাটানোর কথা উনি আছেন নাস্তিকতার প্রচার নিয়ে। সত্যিই আজব! অবিশ্বাস্য! আমার মনে হয় এখন আস্তিকরা জোর গলায় বলবে- এজন্যেই তো আল্লাহ ওনার চলার শক্তি দেন নি। :laugh:
মুগ্ধ হওয়ার মত অনুবাদ কর্ম। :rose: এক টানে পড়ে গেলাম। হ্যা, সামনের বইমেলায়ই যদি এ বইটি কিনতে পারি তবে নিজেকে ধন্য মনে করব।
@সৈকত চৌধুরী,
যাক অনুবাদ ভালো লেগেছে জেনে শান্তি 🙂
দারুন। সময়াভাবে মন্তব্য দীর্ঘায়িত করলাম না। 🙂
@বর্ষা,
ঠিকাছে 🙂
দুপুর দুপুর মুক্তমনায় ঢুকে তো তাজ্জব! এই কাহিনি শুরু করছেন জানতাম না তো!
আমি অডিও বুক শুনতেছিলাম, শেষ হয়নাই অবশ্য!
আপনার অনুবাদ ভালো হবে তা তো জানা কথাই। অবশ্যই শেষ করে ফেলবেন, একটা কাজ খুজছিলেন না, এইটাই হোক সেই কাজ!
বইয়ের শুরুতেই এই অংশটা মন ফুরফুরা করে দিসিলো!
@রায়হান আবীর,
মিয়া, নিজে তো ইঞ্জিনিয়ার!
তওবা আসতাগফিরুল্লাহ! আমার কথা কইছি নাকি! যদিও এখন আমার মন্তব্য পড়ে টোনটা সেইরকমই লাগতেছে 🙁
ঈশ!! দেরি হয়ে গেল পোস্টে ঢুকতে। ‘দ্য গ্রান্ড ডিজাইন’ বইটির ডাউনলোড লিঙ্ক পাঠালে খুব খুশি হব। আগাম ধন্যবাদ।
[email protected]
@ফারুক,
ধর্মকারীতে ঢুকে কয়েক পেইজ ঘাটালে পেয়ে যাবেন।
দর্শন আমার কাছে সবসময়ই একেকটা Hypothesis… সুতরাং এর মৃত্যুসংবাদ আমাকে ভীষনভাবে হতচকিত করেছে… লেখকের নিকট আকুল আহবান… pls এই বিষয়ে সামান্য আলোকপাত করুন।
ধন্যবাদ
@Iqbal Siddiquee,
ঠিক কি বিষয়ে জানতে চাচ্ছেন সেটা বললে আলোচনা করতে রাজী আছি। আলোচনার আগে জানতে আগ্রহী দর্শনের হাইপোথিসিস বলতে ঠিক কি বুঝাতে চাচ্ছেন।
আমি সহজ ভাবে যেটা বুঝি সেটা বললে যদি আপনার সুবিধে হয় বলছি।
এখন বিজ্ঞানবিরোধী কিংবা বিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিক কোন দর্শন সম্ভব নয়। তাই দর্শনের আলাদা কোন অস্তিত্ব আর থাকছে না। দর্শনের প্রশ্নগুলো এখন বিজ্ঞানের জ্ঞানে দেওয়া সম্ভব। যে কারণেই এখন আমার দেখি যে ডেনেটের মত দার্শনিকেরা একই সাথে বিবর্তনের মত বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করে, আবার হকিং, ডকিন্স, আইন্সটাইনর মত বিজ্ঞানীরা বিজ্ঞান ছাড়াও দর্শনের মূল প্রশ্নগুলো, যেমনঃ নৈতিকতা, মূল্যবোধ, আত্মা, জীবন-মৃত্যু, পরকাল, এসবের জবাব দেয়। এ কারণেই শুধু দর্শন বিভাগের আর প্রয়োজন নেই। বিজ্ঞানই সকল জবাব দিতে সক্ষম।
@Iqbal Siddiquee,
ইয়ে কাহিনিটা হলো আমিতো লেখক না। মামুলী অনুবাদক মাত্র। লেখকের কাছে করা আকুল আবেদনের জবাব কেমনে দেই :-s
তবে আমার মনে হয় দর্শন চর্চার যে সনাতন পদ্ধতি সেটা ঠিক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি নয়। এ কারণেই বৈজ্ঞানিক অনেক সত্যকে ধারণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে প্রচলিত দর্শন। এমন কিছু থেকেই লেখক এই মন্তব্য করেছেন। আপনি আরো সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন করলে আমি নিশ্চিত মুক্তমনার অন্য অনেক পাঠকই আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে এগিয়ে আসবেন। 🙂
@Iqbal Siddiquee,
আগে এ নিয়ে কিছুটা আলোচনা করা হয়েছিলো, দেখতে পারেন এখানে (আমার করা 4 নং কমেন্টটি)। অপার্থিবের এই কমেন্টটিও সাথে দেখুন।
খুব ভাল একটা কাজ হচ্ছে। লেখকের জন্নে শুভ কামনা রইল।
@Iqbal Siddiquee,
ধন্যবাদ আপনাকে। পরের পর্বেও আপনাকে পাঠক হিসাবে পাওয়ার আশা রইলো 🙂
লেখককে অনুরোধ করা হচ্ছে বইয়ের ফ্রী-ডাউনলডের লিঙ্কটি মূল লেখা থেকে সরিয়ে ফেলতে। মন্তব্য থেকেও অবৈধ কিছু লিঙ্ক উঠিয়ে নেয়া হল।
@মুক্তমনা এডমিন,
লিঙ্কটি সরিয়ে নেওয়া হল।
@তানভীরুল ইসলাম,
ভাগ্যিস আগেভাগে ডাউনলোড করছিলাম। 😉
অভিজিৎদার পোস্টে বইটার কথা শুনে রীতিমতো মুখিয়ে ছিলাম বইটা পড়ার জন্য।পরে অনেক গুগলিং করেও ডাউনলোডের কোন লিংক খুজে পাইনি।তানভীরুল, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বইটার অনুবাদ শুরু করার জন্য। একটু চোখ বুলিয়ে গেছি। পরে ভালমতো পড়ে আবার মন্তব্য করব।
@রনবীর সরকার,
মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম। বইটার ডাউনলোড লিঙ্ক এই লেখার শেষে এবং সাইফুল ইসলামের মন্তব্যে আছে। আমার অনুবাদের অপেক্ষা না করে মূল বইটাই পড়ে ফেলুন। তারপর সময় থাকলে এই অনুবাদটায় চোখ বুলিয়ে দেখতে পারেন। কোনো পরামর্শ থাকলে অবশ্যই জানাবেন। 🙂
এহ! আমার খুব ইচ্ছা ছিলো বইটা অনুবাদ করার। কিন্তু তানভীরুল কাজটা হাতে নেয়ায় বোঝা অনেক কমে গেল। এটা অবশ্যই একটা বিরাট কাজ হচ্ছে। তাড়াতাড়ি গুছিয়ে আনলে আগামী বইমেলাতে হয়ত আমরা বইয়ের দেখা পেতে পারি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ তানভীরুল।
@অভিজিৎ,
আপনি করতে যাচ্ছিলেন! হায় হায়, কেন যে বোঝা কাঁধে নিলাম! :-s
পরিভাষা এবং রিভিউইং এর ব্যাপারে সাহায্য প্রতাশী। 🙂
পড়তে ভাল লাগল!
@লাইজু নাহার,
ধন্যবাদ। 🙂
সবাই এমন জোড়ায় জোড়ায় কমেন্ট করতেসে কেন?? আমিও না পড়েই বিশাল ধন্যবাদ দিলাম,পড়ে আবার কমেন্ট করব 😀 ।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
মন্তব্য সম্পাদনার সুযোগ না দিলে এরকম জোড়ায় জোড়ায় কমেন্ট আসবেই 😀 । মন্তব্য সম্পাদনার ব্যাবস্থা কি করা সম্ভব? অনেক সময় মন্তব্য করার পর মনে হয়, দু’একটি কথা বাকী রয়ে গেল, অথবা একটু বেশি হয়ে গেল 😛 ।
@রামগড়ুড়ের ছানা, এইযে দিলাম জোড় ভেঙ্গে! রামগড়ুড়ের ছানা আর রৌরব তো জোড়ই বাধেনি, অবশ্য দুইটা মিলে একটা জোড় হয় বটে।
অনুবাদক লাপাত্তা! অনুবাদককে কিছু অনুরোধ ছিল। বইটার জটিল ব্যাপারগুলো যেখানে আসবে, সেইখানে একটু বুঝিয়ে সুঝিয়ে দিলে ভালো হয়। যেমন নির্দিষ্ট করে দেয়ার ব্যাপারটা আমি বুঝিনি। বুঝিয়ে দেয়ার দ্বায়িত্বটা অনুবাদের অতিরিক্ত হলেও, এইবার শিক্ষকের দ্বায়িত্ব নেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। 🙂
@নীল রোদ্দুর,
অনুবাদক ঘুমাচ্ছিলো। আর এম-তত্ত্ব নিয়ে বিশদ আলোচনা করার সামর্থ্য এখনো তার হয়ে ওঠেনি। তবে অনুবাদ করতে যতটুকু বোঝার প্রয়োজন হয়েছে ততটুকু আলোচনা করা যেতে পারে। 🙂
আরেকটা ব্যাপার বলতে ভুলে গেছি, কপি রাইটের জন্য মডারেটর আবার কি বলাবলি শুরু করে কে জানে????
লেখক সাবধান। 😀
@সাইফুল ইসলাম,
হায়রে কপি রাইট। সাধেই কি আর আমি স্টলম্যানের শিষ্য।
বানিজ্যিক ভাবে অনুবাদ ছাপানোর আগে লেখক-প্রকাশকদের লিখিত অনুমতি নেওয়া হয়। আর এটাতো জাস্ট এমনি অনুবাদ। বন্ধু-বান্ধব আর আগ্রহীদের পড়ার জন্য বিক্রির জন্য না।
@তানভীরুল ইসলাম,
আসেন কোলাকুলি করি :-* 😛
@রৌরব,
চরম বলেছেন। স্টলম্যান অসাধারণ একটা মানুষ।
ওরে এরা তো দেহা যায় আমার সাইটা সম্পর্কে জানেই না রে, চাঞ্ছে জানিয়া দিয়া লই 😀 😀
বইটি ফ্রী ডাউনলোদের জন্য অতি অবশ্যই এখানে [লিঙ্ক সরিয়ে ফেলা হল] যান।
আর মজা কইরা ডাউনলোডান।
@সাইফুল ইসলাম,
আপনার সাইটটা দেখলাম। সুন্দর :rose:
ওহ বলতে ভুলে গেছি। পরবর্তী পর্ব থেকে একটু বাড়িয়ে প্রকাশ করলে হয় না ? এত অল্প পড়ে ঠিক মজা পাওয়া গেল না পুরো। আরও দুই এক পৃষ্ঠা বাড়ালে মন্দ হতো না। আপনার অনুবাদ সাবলীল ছিল, সুখপাঠ্য। বিজ্ঞানের জটিল ব্যপারগুলো ভালভাবে ফুটে উঠেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
@ভবঘুরে,
দোষ আমার না হকিং সাহেবের। প্লান ছিলো প্রথম চ্যাপ্টার বিশ তিরিশ যত পৃষ্ঠারই হোক না কেন এক বৈঠকে অনুবাদ করে ফেলব। একটু পরে দেখি শেষ। এর পরে নিজেই কয়েকবার মিলিয়ে দেখেছি মাঝে কোনো অংশ বাদ গেল কিনা। :-s
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 🙂
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ যে বইটির অনুবাদ প্রকাশ করছেন। বইটি পড়ার জন্য রীতিমতো মুখিয়ে ছিলাম। খেয়াল করলাম বইটির মধ্যে অনেক কথাই হকিং তার এ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইমেই বলেছেন। তবে মনে হয় পরবর্তী পর্ব থেকে নতুন কথা জানতে পারব। আপনার দেখানো পথে ফ্রি বই ডাউনলোড করার চেষ্টা করলাম কিন্তু পারলাম না। একটু পরিস্কার করে বলবেন কি কিভাবে ডাউনলোড করা যেতে পারে ?
@ভবঘুরে,
ঐ লিঙ্ক ধরে সেই পেজে যান। পেজের নিচে ডান দিকে ‘স্লোয়ার ডাউনলোড’ নামক একটি সবুজ বোতাম আছে। সেটা চাপুন। ব্যাস হয়ে গেল 🙂
দারুন!
সমস্যা হল, অনেক কিছুই নতুন পাবো, ভালভাবে বুঝতে পারবো না সবটা, জানার এই ঘাটতিটা ভাবাচ্ছে। আসলে খারাপ লাগছে, কম জানি দেখে। ফাইনম্যানের লেকচার শেষ করতে অনেক দিন সময় লাগবে। 🙁
বইটা তো পড়িনি, অধ্যায় এক কি এখানেই শেষ?
@নীল রোদ্দুর,
হ্যা অধ্যায় এক এখানেই শেষ।
অসাধারণ, দুর্দান্ত অনুবাদ! চালিয়ে যান।
এটা অবশ্য বুঝলাম না। আধুনিক তত্বগুলির ফল পর্যবেক্ষণ করা যায় নিশ্চয়ই। পার্থক্যটা কি?
@রৌরব,
বিশ্বের সকল জ্ঞানই সরাসরি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে লাভ করা সম্ভব অর্থাৎ কোনো একটা বস্তুকে আমাদের ইন্দ্রিয় সমূহের মাধ্যমে আমরা যেভাবে অনুভব করি বস্তুগুলি তেমনই। কিন্তু আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের চমকপ্রদ সাফল্য- … থেকে দেখা যায় যে বাস্তবতা তেমন নয়। তাই বাস্তবতার প্রচলিত সরল চিত্র আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের সাথে সুসঙ্গত নয়।
রৌরব, এইটাই হকিং এর বইটার সেন্ট্রাল টপিক। পুরাটা না পড়লে বুঝবেন না। হকিং এর মতে আলাদা ভাবে বাস্তবতা কি, সেটা বলার কোন অর্থ হয় না। আমরা যেটা বলতে পারি সেটা হল মডেল সেন্ট্রিক বাস্তবতা (Model dependent realism)। ধরুণ, আপনার বাড়ীর কাঁচের জারে একটি গোল্ডফিশ আছে। গোল্ডফিশ জারের পানির মধ্যে আজীবন থেকে তার চোখ দিয়ে পৃথিবীর বা চারপাশের যে বাস্তবতা দেখছে, আপনার বাস্তবতা তার থেকে অনেকটাই আলাদা। কিন্তু আপনি কি হলফ করে বলতে পারবেন যে আপনার বাস্তবতাই ‘প্রকৃত বাস্তবতা’? আমরাও যে গ্লাসের জারে রাখা গোল্ডফিশের মতো করেই একেটি গোল্ডফিশ নই, সে সম্বন্ধে কি আমরা নিশ্চিত? চিন্তা করে দেখুন – আসলে আমরা কিন্তু শেষপর্যন্ত বাস্তবতা অনুধাবন করি আমাদের মস্তিস্ক কোষের সাহায্যে। আর মানব মস্তিস্ক তৈরি হয়েছে দীর্ঘদিনের বিবর্তনীয় পথে। মস্তিস্ককে যদি বিবর্তনীয় পথে সৃষ্ট একটি তথ্য-প্রসেসিং যন্ত্র হয়ে থাকে, স্বাভাবিক নিয়মেই সেই যন্ত্রের কিছু ত্রুটি থাকবে (যেরকম ত্রুটি অন্য সব মেকানিকাল ডিভাইসেরই আছে)। কাজেই প্রকৃত বাস্তবতার সন্ধান আমরা হয়তো কখনোই পাব না। আসলে প্রকৃত বাস্তবতাটা কী – সেটা বলারই কোন অর্থ হয় না। যেটা আমরা বলতে পারি – Model dependent realism। আর মজার ব্যাপার হচ্ছে – এম থিওরী যদি সত্য হয়ে থাকে, তবে বাস্তবতা আসলে একটি নয়, অনেকগুলো – এবং পরিস্থিতি নির্ভর হতে পারে। আমি হকিং থেকেই উল্লেখ করি –
Whenever we develop a model of the world and find it to be successful, we tend to attribute to the model the quality of reality or absolute truth. But M-theory, like the goldfish example, shows that the same physical situation can be modeled in different ways, each employing different fundamental elements and concepts. It might be that to describe the universe we have to employ different theories in different situations. Each theory may have its own version of reality, but according to model-dependent realism, that diversity is acceptable, and none of the versions can be said to be more real than any other. It is not the physicist’s traditional expectation for a theory of nature, nor does it correspond to our everyday idea of reality. But it might be the way of the universe.
ঠিকমতো বুঝাতে পারলাম কিনা জানিনা। বইটা পড়তে পারেন, অথবা এবারের সায়েন্টিফিক আমেরিকানে হকিং আর ম্লোডিনোর রিয়ালিটির চ্যাপ্টারটার উপর একটা আর্টিকেল আছে। ওটাও পড়তে পারেন। ব্যাপক কৌতুহলের বিষয়!
@অভিজিৎ,
হে হে, আমি নিজে আগাগোড়াই abosolute truth এর ধারণাকে হাস্যকার বলে মনে করে এসেছি বলেই বোধহয় হকিং এর ওই অংশটা banal বলে মনে হয়েছে, নতুনত্ব খুঁজে পাইনি।
দুটি ব্যাপার আছে এখানে। একটি হল যেটি নিয়ে আমার প্রশ্ন ছিল, অর্থাৎ যাকে হকিং model dependent realism বলছেন সেটি, দ্বিতীয়টি বহু-বিশ্ব। এদুটো ব্যাপার ভিন্ন, এবং আমার মন্তব্য আপাতত প্রথমটি নিয়ে। পর্যবেক্ষণ সত্যের arbiter, কাজেই একাধিক বৈজ্ঞানিক তত্ব যদি পর্যবেক্ষণকে ব্যাখ্যা করে সেক্ষেত্রে তাদের মধ্য বাছাই করবার কোন নিশ্ছিদ্র উপায় নেই — বিজ্ঞানীরা ওকামের ক্ষুর, গাণিতিক সুসংহতি এসব ব্যবহার করেন বাছাই করার জন্য, কিন্তু ওগুলি সৌন্দর্য-তাত্বিক ও অভিজ্ঞতা প্রসূত heuristic, প্রমাণ নয়। এসবই পুরনো ব্যাপার। কাজেই বিশ্ব “আসলে” কি, এই প্রশ্ন আমাদের আওতা বহির্ভূত, হকিং-এর এই পর্যবেক্ষণ সত্যি হতে পারে, কিন্তু নতুন কিংবা বিশেষ ভাবে আধুনিক বিজ্ঞানের অবদান বলে মানতে পারছি না।
বহু-বিশ্ব, এম থিওরি এসব ব্যাপারে এখনই মন্তব্য করব না। দেখি হকিং কি বলেন।
@রৌরব,
আপনারে ভালা পাইলাম। আপনি পর্যবেক্ষণবাদী। খালি সত্য জিনিসটার মধ্যে একটু গোল আছে। হকিং হয়ত ঐটা নিয়াই নাড়াচাড়া করেছেন। বিপ্লব ভাইয়ের মত, ৩২ টা ভিন্ন সত্যের ধারণা থাকা সম্ভব। বিপ্লব ভাইয়ের মন্তব্যেও তাই লাইক। তবে ওনার সব কথা ক্লিয়ার না।
আর তানভীরকে স্যালুট।
বাস্তবতা নিয়ে হকিংয়ের ধারণাগুলা জানা দরকার।
এসব ব্যাপারে আমার নিজের কিছু কঠোর ধারণা আছে।
১) জ্ঞান = অনাগত পর্যবেক্ষণের পূর্বাভাস দেবার ক্ষমতা
২) পর্যবেক্ষণ-অসংশ্লিষ্ট যুক্তি জ্ঞান তৈরী করে না, বা এক কথায় অর্থহীন
৩) বিজ্ঞান হলো জ্ঞান আহরণের প্রণালীবদ্ধ উপায়। জ্ঞানের সংজ্ঞার জন্য ১ দ্রষ্টব্য।
৪) বাস্তবতার অনন্য সংজ্ঞায়ন অসম্ভব। বাস্তবতার সন্ধান বা স্বরূপ বের করা অসম্ভব। পর্যবেক্ষণ দিয়েও না।
৫) বিজ্ঞানের সংজ্ঞা থেকে এটা স্পষ্ট যে বিজ্ঞানের কাজ বাস্তবতার সন্ধান নয়।
তো গোলটা আমার ওখানেই বাধে, যখন আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানীরা বাস্তবতার স্বরূপ দেবার চেষ্টা করেন। কোয়ান্টাম তত্ত্ব বলেন আর যাই বলেন, এদের সবার মূল পরিচয় তো এটাই যে এরা একটা লেভেলের পর্যবেক্ষণের পূর্বাভাস দেবার ক্ষমতার অধিকারী। এটাই তো একমাত্র পরিচয়। এই রোলটাকে ডাউন-প্লে করা হয় কেন বুঝি না। এসব তত্ত্ব নিয়ে যারা কথা বলে, তাদের কথা শুনে মনে হয় কোয়ান্টাম তত্ত্ব বুঝি বাস্তবতাকে আরেকটু বুঝতে সাহায্য করলো। এই আধুনিক তত্ত্ব নিয়ে বিহ্বলতার কারণ কি? এগুলো পর্যবেক্ষণ করতে পারে, এগুলো কাজের। ব্যস শেষ। বাড়তি কথাগুলোর তো কোনো ভ্যালিডিটি নেই, বলে লাভ কি?
বহুবিশ্ব তত্ত্ব, স্ট্রিং-তত্ত্ব, এগুলোর পর্যবেক্ষণও কই? পর্যবেক্ষণ-সাধ্য হবার আগে এগুলো নিয়ে এত বিহ্বলতা, আহা উহু কি কারণে?
এই হলো আমার চিন্তার নকশা। আশা করতেছি হকিংয়ের সাথে এ নিয়ে দ্বিমত হবে না। দেখা যাক কদ্দূর কি?
আর আমি মন্তব্য করলে আমার নামের উপর আমার অ্যাকাউন্টের লিঙ্ক আসে না কেন মডারেটর?
@ধ্রুব,
একমত আপনার সব কথায়ই।
:yes:
আপনার নিচের প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, লেখক পেইজের লিংক আপনার প্রোফাইলে ওয়েব পেইজ হিসেবে save করতে হবে। স্বাধীন কয়েকদিন আগে ব্যাপারটা বলছিলেন, তাঁর কাছ থেকে জেনেছি।
@রৌরব,
ধন্যবাদ!
@অভিজিৎ,
এখানে বাস্তবতা শব্দটার ব্যাবহার ভুল। বাস্তবতার দার্শনিক অর্থই হল পর্যবেক্ষন নিরেপেক্ষ অস্তিত্ব। আমাদের সেন্সের সাহায্যে যে বাস্তবতাকে অনুধাবন করি, সেটাকে বলে “ফেনোমেনোলজিক্যাল রিয়ালিটি”। পদার্থ বিজ্ঞানের বাস্তবতার সাথে দার্শনিক বাস্তবতা শব্দটা গোলালে মুশকিল আছে।
আর বাস্তবতা আমাদের মনের পর্যবেক্ষন সাপেক্ষ এটার সাথেও পদার্থবিজ্ঞানের বাস্তবতার কোন সম্পর্ক নেই যদিও অনেকেই এই নিয়ে অনেক উলটো পালটা লিখে গেছে।
কোয়ান্টামে মেকানিক্সে পর্যবেক্ষন সাপেক্ষ বাস্তবতার অর্থ এটাই পর্যবেক্ষক ( ব্যাবহৃত যন্ত্র) ছারা সিস্টেমের পৃথক কোন পপার্টি নেই।
গনিতিক বাস্তবতা আবার পদার্থবিজ্ঞানের বাস্তবতা থেকে পৃথক।
১+১=২ এর অস্তিত্ব মহাবিশ্বের অস্তিত্ব নিরেপেক্ষ-এবং মানব নিরেপেক্ষও। সৃষ্টির আগেও গনিতিক সমীকরন গুলির অস্তিত্ব ছিল পরেও থাকবে। কিন্ত কোয়ান্টাম রিয়ালিটিতে একটি ইলেকট্রনের কোন বাস্তব অস্তিত্ব নেই সেটাকে মাপার আগে পর্যন্ত।
বাস্তবতা দর্শনের সব থেকে বড় শব্দ-আমি নিজে ৩২ রকমের বাস্তবতার সন্ধান পেয়েছি। এর মধ্যে তিনটে নিয়ে লিখলাম ( ফেনোমেনোলজিক্যাল [আভিজিত যেটা নিয়ে লিখল], কোয়ান্টাম এবং গণিতিক)। আরো অনেক আছে। পরে একদিন।
@বিপ্লব পাল,
গোলাইনি। স্টিফেন হকিং রিয়ালিটি নিয়ে আলোচনায় তার বইয়ে যে কথাগুলো বলেছেন সেটাই তুলে দিলাম –
For example, the human brain processes crude data from the optic nerve, combining input from both eyes, enhancing the resolution and filling in gaps such as the one in the retina’s blind spot. Moreover, it creates the impression of three-dimensional space from the retina’s two-dimensional data. When you see a chair, you have merely used the light scattered by the chair to build a mental image or model of the chair. The brain is so good at model-building that if people are fitted with glasses that turn the images in their eyes upside down, their brains change the model so that they again see things the right way up—hopefully before they try to sit down….
…
According to those doctrines, the world we know is constructed by the human mind employing sensory data as its raw material and is shaped by the interpretive structure of our brains. This viewpoint may be hard to accept, but it is not difficult to understand. There is no way to remove the observer—us—from our perception of the world.
মূলতঃ স্টিফেন হকিং কি বলতে চেয়েছেন সেটাই ব্যাখ্যা করলাম, আমার কথা নয়।
@অভিজিৎ,
স্টিফেন হকিন্স বাস্তবতা শব্দ টা কোথায় ব্যাবহার করেছেন? ওটা ত তোমার এডিশন। হকিন্সের যেটা লিখেছেন, সেটাকে ফেনোমেনোলজিক্যাল বাস্তবতা বলে-কোয়ান্টাম বাস্তবতা সম্পূর্ন অন্য জিনিস।
@বিপ্লব পাল,
পুরো চ্যাপ্টারেই। বইয়ের ৩ নং চ্যাপ্টারটা পুরোটাই আসলে রিয়ালিটি নিয়ে। শিরোনাম – What is reality? সেখানেই তিনি এই উদাহরণগুলো দিয়েছেন। পড়ে দেখতে পারো।
@রৌরব,
মনে হয় আধুনিক তত্ত্বে পর্যবেক্ষকের ‘অ্যাকটিভ’ অবস্থার কথা বলা হচ্ছে। যেখানে শুধু মাত্র ‘পর্যবেক্ষণ করার মাধ্যমেই আমরা কোনো একটা সিস্টেমের অংশ হয়ে যাই।
আর ঐ যে, আমরা যা ‘পর্যবেক্ষণ করি না তা নেই’ এই ধরণের বাস্তবতার কথা ইংগিত করা হচ্ছে এখানে। অনেকটা এখানে রবীন্দ্রনাথ যে ধরণের কথা বলছেন সে ধরণের আরকি।
আর অবশ্যই ‘ফল পর্যবেক্ষণ’ করা যাবে। নইলে আর বিজ্ঞান হয় নাকি!
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। 🙂
@তানভীরুল ইসলাম,
হ্যাঁ, ওটা একটা বেশ একটা নতুন ব্যাপার, যদিও একেবারেই নতুন তা নয়। হকিং-এর ওই অনুচ্ছেদটি পড়ে মনে হয় নি উনি ওই ব্যাপারে কথা বলছিলেন, তবে হয়ত তাই। যাহোক, লেখাটি যেহেতু ক্রমশ প্রকাশ্য, কাজেই অপেক্ষায় থাকছি, আস্তে আস্তে বোঝা যাবে নিশ্চয়ই। চলুক।
পড়লাম, এক কথায় ঝরঝরে অনুবাদ। অন্য ভাবে বললে এর চেয়ে ভাল হওয়া অসম্ভব। একটি পরামর্শ, ব্রাকেটে ইংরেজী শব্দটি সরাসরি ইংরেজীতে দেওয়াটি আমার মতে প্রথম পছন্দ হবে, ইংরেজীর বাংলা ফোনেটিক দেওয়ার চেয়ে। তাহলে ইংরেজী শব্দটি ধরে কেউ সার্চ দিতে পারবে। আর পদার্থবিদ্যার কোন টার্ম আসলে, বা বিদ্ঘুটে কোন শব্দ আসলে সেগুলোর ইংরেজীটাও ব্র্যাকেটে দিয়ে দিলে সাধারণ পাঠকের সুবিধে হবে। ধরে নিই যে সাধারণ পাঠক সকল টার্ম এর ইংরেজী স্পেলিং সবাই জানে না।
অনুবাদ চমৎকার হয়েছে।
@স্বাধীন,
পরিভাষা নিয়ে একটু মুশকিলেই পড়েছি। অনেকগুলোতো যেটা আমার জানার সীমায় বেস্ট সেটা দিয়ে বসে আছি। কেউ ভালো কোনো পরিভাষা প্রস্তাব করলে ভালো হয়।
ব্রাকেটে ইংরেজীহরফেই দেব ভেবেছিলাম। পরে দেখলাম বাংলার মধ্যে হঠাৎ করে ইংরেজী বর্ণ চোখে লাগছে। model এর বাংলা করেছি ‘কাঠামো’। এরকম আরো কিছু কিছু আছে। ভালো শব্দ জানা থাকলে জানাবেন দয়াকরে।
পড়ার এবং মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। 🙂
আমিও পড়ার আগেই ধন্যবাদ দিতে চলে আসলাম। বইটি শেষ করেছি মাত্র। অনেক অনেক ধন্যবাদ লেখককে বইটির অনুবাদ কাজ শুরু করে দেওয়ার জন্য। আসলেই এই বইটার অনুবাদ ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। অনুবাদ পড়ে জানাবো যদি কিছু বলার থাকে।
অভিনন্দন! এমন একটা অনুবাদ শুরু করার জন্য। এবং এতো জলদি!
না পড়ে আগেই কমেন্ট করে ফেললাম খুশির ঠেলায়। 😀
@নীল রোদ্দুর,
ধন্যবাদ। 🙂