দ্য গ্রান্ড ডিজাইন (স্টিফেন হকিং, লিওনার্ড ম্লোডিনো); অনুবাদ – তানভীরুল ইসলাম

গ্রন্থনামা-২০১৩

৪ঠা ফেব্রুয়ারি 'ইউডক্সাসের গোলক ও অন্যান্য প্রসঙ্গ' বইখানা এই বছর সবচেয়ে স্মুথলি বের হলো। টুটুল ভাই অনেক দিন ধরেই তাগাদা দিয়েছিলেন, আমিও পাণ্ডুলিপি গুছিয়ে ওঁর হাতে ধরিয়ে দিলুম। তবে বইটির নামকরণ নিয়ে বেশ হ্যাপা পোহাতে হলো, সুসাহিত্যিক আহমেদ মোস্তফা কামাল ভাই অন্যরকম নাম চাইছিলেন, কিন্তু জ্যোতির্বিদ দীপেন দা'র দাবীর মুখে আমাকে পিছু হটতে হলো। এখনো [...]

‘দ্য গ্রান্ড ডিজাইন’ – স্টিফেন হকিং [অধ্যায় ৮] (অনুবাদ) (সমাপ্ত)

৮ সেই মহান নকশা এই বইয়ে আমরা বলেছি কীভাবে নভোমন্ডলের বস্তুসমূহ, যেমন- চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, তারাদের, ছন্দবদ্ধ গতি থেকে বোঝা যায় এগুলো সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে পরিচালিত হচ্ছে, কোনো দেব-দেবী বা অসুরের খেয়াল খুশি মত নয়। এ ধরণের কিছু নিয়মের যে অস্তিত্ব আছে সেটা শুরুতে সামনে আসে জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার মাধ্যমে (আসলে জ্যোতিসশাস্ত্র, কারণ সে যুগে এ [...]

‘দ্য গ্রান্ড ডিজাইন’ – স্টিফেন হকিং [অধ্যায় ৭] (অনুবাদ)

(missing image) ৭ দৃশ্যত অলৌকিক চৈনিক উপকথায় আছে, হিসা সম্রাটদের রাজত্বকালে (খ্রিষ্টপূর্ব আনুমানিক ২২০৫ -১৭৮২) একদিন আমাদের এই মহাজাগতিক পরিবেশ ওলট পালট হয়ে গেলো। হঠাৎ করেই আকাশে দেখা যেতে লাগলো দশটা সূর্য। তাদের তাপে মানুষের দুর্ভোগের সীমা নেই। এসব দেখে সম্রাট এক বিখ্যাত তীরন্দাজকে বললেন সে যেন অতিরিক্ত সূর্যগুলোকে তীর মেরে ধ্বংস করে ফেলে। বিনিময়ে [...]

‘দ্য গ্রান্ড ডিজাইন’ – স্টিফেন হকিং [অধ্যায় ৬] (অনুবাদ)

(image missing) ৬ আমাদের এই মহাবিশ্ব নির্বাচন মধ্য আফ্রিকার বোসোঙ্গো জাতির লোকদের মতে, একদম আদিতে ছিলো শুধুই অন্ধকার, পানি এবং মহান ঈশ্বর বুমবা। একদিন বুমবা প্রচণ্ড পেটের ব্যাথা সইতে না পেরে বমি করে দিলেন, সৃষ্টি হলো সূর্যের। এরপর সূর্যের তাপে আস্তে আস্তে পানি শুকাতে লাগলো, দেখা গেলো ভূমি। কিন্তু বুমবার পেটব্যাথা তখনো সারেনি। তিনি আবারো [...]

‘দ্য গ্রান্ড ডিজাইন’ – স্টিফেন হকিং [অধ্যায় ৫] (অনুবাদ)

৫ সবকিছুর তত্ত্ব মহাবিশ্বের সবচেয়ে দুর্বোধ্য ব্যাপার হচ্ছে, এটাকে বোঝা সম্ভব। - আলবার্ট আইনস্টাইন মহাবিশ্বকে বোঝা যায় কারণ এটা বৈজ্ঞানিক নিয়মে চালিত হয়; অর্থাৎ এর আচরণের গাণিতিক রূপায়ণ সম্ভব। কিন্তু সেই রূপায়ণ বা নিয়মাবলি কী? সর্বপ্রথম যে বলকে গাণিতিক ভাবে বর্ণনা করা সম্ভব হয়েছিলো সেটা হল মহাকর্ষ। ১৬৮৭ সালে নিউটন যে মহাকর্ষের সূত্র প্রকাশ করেন [...]

‘দ্য গ্রান্ড ডিজাইন’ – স্টিফেন হকিং [অধ্যায় ৪] (অনুবাদ)

৪ বিকল্প ইতিহাস ১৯৯৯ সালে অস্ট্রিয়ার একদল পদার্থবিজ্ঞানী ফুটবল আকৃতির কিছু অণুকে দেয়ালের দিকে ছুঁড়ে একটি পরীক্ষা করেন। ষাটটি কার্বন পরমাণু দিয়ে তৈরি এই অণুগুলোকে প্রায়ই বাকিবল নামে ডাকা হয়, কারণ স্থপতি বাকমিন্সটার ফুলার এই আকৃতির ভবন নির্মাণ করতেন। ধারণা করা হয় ফুলারের ভূ-আকৃতির গম্বুজগুলোই পৃথিবীর বুকে ফুটবল আকৃতির বৃহত্তম বস্তু। আর বাকিবলরা হচ্ছে ক্ষুদ্রতম। [...]

‘দ্য গ্রান্ড ডিজাইন’ – স্টিফেন হকিং [অধ্যায় ৩] (অনুবাদ)

ক’বছর আগে ইটালির মনজা নগরীর নগর পরিষদ গোলাকার পাত্রে গোল্ডফিশ রাখা নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো। এই সিদ্ধান্তের সমর্থকদের একটা যুক্তি ছিলো, এধরনের বক্রতলওয়ালা পাত্রে গোল্ডফিশ রাখাটা নিষ্ঠুরতা, কারণ এতে গোল্ডফিশটা বাইরে তাকিয়ে বাস্তবতার একটা বিকৃতরূপ দেখে। কিন্তু আমরা নিজেরাই বাস্তবতার যে চিত্র দেখি সেটাই বা কতটা সত্য? কিভাবে জানবো যে সেটাও বিকৃত নয়? এমন কি হতে পারে না, যে আমরাও একটা বৃহৎ গোল্ডফিশের পাত্রে আছি এবং আমাদের দৃষ্টিও একটা বিশালাকার লেন্সের কারণে বিকৃত হচ্ছে? গোল্ডফিশটির বাস্তবতার চিত্রটা হয়তো আমাদের থেকে আলাদা, কিন্তু আমরা কি নিশ্চিত হতে পারি যে সেটা আমাদের চাইতে কম বাস্তব? [...]

‘দ্য গ্রান্ড ডিজাইন’ – স্টিফেন হকিং [অধ্যায় ২] (অনুবাদ)

২ বিধিসূত্র Skoll the wolf who shall scare the Moon Till he flies to the Wood-of-Woe: Hati the wolf, Hridvitnir’s kin, Who shall pursue the sun. -“GRIMNISMAL,” The Elder Edda ভাইকিং পুরাণে আছে, স্কল এবং হাটি সূর্য এবং চন্দ্রকে তাড়া করে বেড়ায়। এরা যখন কোনো একটাকে ধরে ফেলে তখনই সূর্য বা চন্দ্রগ্রহণ হয়। আর তখন [...]

‘দ্য গ্রান্ড ডিজাইন’ – স্টিফেন হকিং [অধ্যায় ১] (অনুবাদ)

১ অস্তিত্বের রহস্য আমাদের প্রত্যেকের অস্তিত্বই খুবই কম সময়ের জন্য। আর এই ক্ষণিকের অস্তিত্বে এই মহাবিশ্বের খুব কম অংশই আমাদের পক্ষে দেখা সম্ভব। কিন্তু মানুষ খুবই কৌতুহলী প্রজাতি। সে জানতে চায়, উত্তর খোঁজে। এই কোমল-কঠোর পৃথিবীর বুকে জন্ম গ্রহন করে উপরের সুবিশাল মহাকাশ আর নক্ষত্রপুঞ্জ দেখে যুগে যুগে আমাদের মত মানুষ হাজারো প্রশ্ন করে গেছে: [...]

Go to Top