লিখেছেন: নার্গিস রশীদ
নতুন প্রজন্মের মেয়েরা অনেক এগিয়েছে। বিয়েটা তাদের কাছে এখন আর মুখ্য নয়। তাদের চিন্তা চেতনা, মনোভাবে এখন এসেছে আমূল পরিবর্তন। তাঁরা লেখাপড়া করে চাকরী করছে, ব্যবসা বাণিজ্য করছে, আয় করছে। জীবনটাকে বদলে নিয়েছে। তারা পৃথিবীময় ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা অনেকটাই শিখেছে উন্নত দেশগুলোর নারীদের দেখে, যেখানে নারী একটু একটু করে নিজেদের অধিকার আদায় করে নিয়েছে। বুঝতে শিখেছে যে শিক্ষার অভাবে, আয়ের পথ না জানার কারণে নারী হয়ে পড়ে দুর্বল, নৈতিক শক্তি তার কমে যায়, তারা দুর্বল হয়ে পড়ে মানসিক ভাবে ।আজকের প্রজন্মের মেয়েরা নবম শ্রেণীতে পড়তে পড়তে বিয়ের কথা চিন্তাও করতে পারবেনা কারন তারা এখন জানে যে এ’টা বাল্য বিবাহ । তাঁরা প্রতিবাদ করে। তাঁদের মা খালাদের সেই বয়সে স্কুল ফাইনাল না দিয়েই বিয়ে দিয়ে দেওয়া হত। তার পরপরই তাঁদের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়া, একের পর এক চার পাঁচ দশটা সন্তানের জন্ম দেওয়া, স্বাস্থ্য হারিয়ে আজীবনের রুগী হয়ে পড়া, সেইসব হারাবার আর অসহায়ত্বের ব্যাথার সত্যি গল্প আজকের প্রজন্মের অনেক মেয়েই জেনেছে এখন। এই সবের খারাপ দিক বুঝে গেছে অনেকটাই। উন্নত বিশ্বেও এক সময় নারীকে ভাবা হত সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র হিসেবেই। কোন মূল্য দেয়া হত না তাঁকে। তাদের হাতেও টাকা পয়সাও থাকত না তেমন। তবে প্রচুর সংগ্রাম করেই তারা তাদের অধিকার আদায় করেছে, আজ তাঁরা তাদের সম্মান সুরক্ষিত করেছে। আমাদের নতুন প্রজন্মের মেয়েরা কম যাবে কেন?
সন্তান লালন পালনের দায়িত্ব পালন করাটা একটা সার্বক্ষণিক বিশাল কাজ। একটা মেয়ে যদি সারাদিন ঘরের অন্যসব কাজ করে চলে তবে তার সময় কোথায় সন্তান লালনের? পুরুষরা কোন বাধা নিষেধ ছাড়াই তাদের পেশাগত কাজকর্ম করে যেতে পারে স্বাধীন ভাবে অন্য দিকে মেয়েদের জন্য অপেক্ষা করে সমাজের নানাবিধ বাধা। খন্ডকালীন শিশু লালন কেন্দ্র ভাড়ায় পাওয়া যায় বটে কিন্তু তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। সংসারের আয়ের সবটাই প্রায় চলে যায় ওতে। দক্ষিণ এশীয় উপমহাদেশের বেশির ভাগ মেয়েদের ক্ষেত্রে এটা যেন একটা রেওয়াজ হয়ে গেছে যে মেয়েরা শ্বশুর বাড়ী যাবে, ঘরের সব দায়িত্ব নিবে; কিন্তু ক্ষমতা থাকবে না কোন কিছুতে। অন্যায় এই ভাবনাটা স্বাভাবিক একটা ব্যপারে পরিণত হয়েছে যা থেকে বের হওয়া খুবই কঠিন।
ঘরের ভেতরে পারিবারিক নির্যাতন শুধু শারীরিকই নয়, অসম্মান অপমান করে মানসিক ভাবে নির্যাতন করে, অযথা পুরুষতান্ত্রিক অহঙ্কার দেখিয়ে নানা অনুশাসন ইত্যাদি ইত্যাদি করে অনেক ভাবেই করা হয় নারী নির্যাতন। বিয়ের সময়ে মেয়েপক্ষ থেকে বরপক্ষকে যৌতুক দেওয়া না দেওয়া নিয়ে অত্যাচার এ’সব তো আছেই।একটি মেয়ের বিয়ে যেন তাঁর পরিবারের নিজেদের টাকা পয়সা, সম্মান সম্পদ সবকিছু বরপক্ষকে উৎসর্গ করে আপন কন্যাকেই তাদের কাছে বিক্রি করে দেওয়া।
উন্নত দেশগুলোর সমাজব্যবস্থায়ও মেয়েদের যন্ত্রনা খুব একটা কম নয়। পশ্চিমা উন্নত দেশগুলোতে স্বামী স্ত্রী দুই জন মিলে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খোলে সাধারণতঃ, দুই জন মিলেই সংসার চালায়, ঘরবাড়ীও কেনে দু’জন মিলেই। তবে সন্তানাদি হলে তাকে লালন পালন করতে যেয়ে সাধারণতঃ মায়ের যায় রোজগার বন্ধ হয়ে, গণ্ডগোল আরম্ভ হয় তখন । আমাদের উপমহাদেশের যারা বিদেশে আছে তাদের ব্যাপার অনেকটা এই রকম যে, স্ত্রীর আয় স্বামীরই আয়, স্ত্রীর সমস্ত আয় স্বামীকে দিয়ে দিতে হবে। তাঁকে বাচ্চা পালতে হবে, প্রতিদিন টাটকা রাঁধতে হবে, সকালে হাতে করা ফ্রেশ রুটি বানাতে হবে নাস্তার জন্য। ঘরের কাজে স্বামী হাত দিবে না । উপরন্ত যৌতুকও দিতে হবে । দেশ থেকে নারী, আমরা যারা প্রথবারের মত বিদেশে থাকতে এসেছি তাদের বেশিরভাগই হয়ত এসব মুখ বুজে সহ্য করেছে, কিন্তু নতুন প্রজন্মের মেয়েরা অথবা বিদেশে জন্ম নেওয়া আমাদের সন্তানরা তাদের মা’র সাথে হওয়া অন্যায়গুলো সহ্য করবে না। গণ্ডগোলও তখন অবধারিত।
আমাদের উপমহাদেশে, চীন, সাউথ এশিয়া আফ্রিকা এই সব এলাকার সামাজিক নিয়ম হল বাবা মা বুড়ো হলে তাদের ছেলের দায়িত্ব বুড়ো বাবা মা’কে দেখাশোনার। উন্নত পশ্চিমা দেশগুলোতে সেটা কিন্তু ঘটে না সাধারণত। পশ্চিমা উন্নত দেশগুলোতে যারা আয় রোজকার করে, চাকরি করে, তারা বেতন নেবার সময় বিভিন্ন খাতে ট্যাক্স ছেড়ে দিয়ে তারপর বেতন নেয়। এই খাতগুলোর মধ্যে একটা হল সামাজিক নিরাপত্তা বা সামাজিক কল্যাণকল্প। বুড়ো বয়সে বা অবসরের পর খরচ করবার জন্য একটু একটু করে করা সঞ্চয় এখানেই জমা পড়ে। যারা অবসর জীবনে আরো ভালো থাকতে চায় তারা আলাদা করে অবসর তহবিলে আরো একটু একটু করে টাকা জমায়, উদ্বৃত্ব টাকা থাকলে ইন্সুরেন্স বা বীমা কেনে অবসর জীবনের জন্য। বুড়ো-বুড়ি বয়সে নিজের জন্য খরচ করবার টাকা কম বেশি কিছুটা জমা থাকায় আর চিকিৎসা, কম খরচে খাবার, বাসস্থানের মত সরকারি আরো কিছু সুযোগ সুবিধা থাকায় বুড়ো-বুড়িদের তাদের সন্তানদের উপর নির্ভর করতে হয় না। এখানকার সমাজও এমন ব্যবস্থা অনুসরণ করে আর তেমন আচরণও আশা করে। আমাদের জন্মভূমিতে এই রকম ব্যবস্থা থাকলে ছেলের দয়া দাক্ষিণ্য দরকার হত না। আমাদের দেশে যদি সবার জন্য এমন সামাজিক বাবস্থা থাকত তা’হলে কারো উপরেই নির্ভর করতে হত না। ছেলে সন্তানের জন্ম না হওয়া পর্যন্ত একজন নারীকে বার বার সন্তান প্রসবের মত বিপজ্জনক কষ্টকর কাজটাও করতে হত না। এখন তো চীন জাপান পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতেও নানান ধরণের সামাজিক নিরাপত্তা বা সামাজিক কল্যাণকল্প হয়েছে, তারাও চাচ্ছে সুন্দর ছোট সংসার।
আমাদের দেশে বিয়ে মানেই মেয়েটির জীবন নিয়ে অনিশ্চয়তা। দেশে একটা মেয়েকে শারীরিক আর মানসিক ভাবে বড় হওয়ার আগেই বিয়ের মত এতো বড় একটা ব্যপারে ঠেলে দেয়া। বর মানুষ’টা যদি মন্দ হয় তখন মেয়েটার জীবন হয়ে যায় দু:সহ। স্বামী হয় আগুনে পুড়িয়ে মারবে , গলা টিপে মারবে, এসিড দিয়ে ঝলসে দেবে, কুপিয়ে মারবে আর না হয় ফাঁসিতে লটকে দিবে, নয়তো এসব থেকে বাঁচতে অপমানে লজ্জায় মেয়েটিই হয়ত আত্মহত্যা করবে। মেয়েদের শৈশব, কৈশোর লেখাপড়া আনন্দ সবটাই কেড়ে নেওয়া হয় তার কাছ থেকে, নিজের পায়ে দাঁড়াতে দেওয়া হয়না তাঁকে, পর করে দেওয়া হয় মা বাবাকে, এই-ই তো আমাদের সমাজ। এটাই গড়পড়তা একটি সাধারণ মেয়ের জীবন সেখানে। বিপদে সে কোথাও যেতে পারে না, সমাজ তাকে গ্রহণ করে না, সব দোষ সেই নারীর ঘাড়ে এসে পড়ে। আমাদের জন্মভূমিতে মেয়ে হয়ে জন্মানো আজও এক আজন্ম পাপ।
আমাদের দেশে অনেকেই মনে করে পশ্চিমা দেশের মেয়েরা সংসারী নয়। সামান্য কারণে ঘটে বিবাহ বিচ্ছেদ। সত্যি নয় সেটা। সংসার কেউ সহজে ভেঙে দিতে চায় না। পেশী শক্তিতে অনেক পুরুষই সব দেশে একই রকম। আগে এখানকার মেয়েরাও আমাদের দেশের নারীদের মতোই অসহায় ছিল। ধীরে ধীরে তাঁরা শক্তি অর্জন করেছে। তাই পুরুষরা তাদের স্বভাবজাত কারণে বাড়াবাড়ি করলে মেয়েরাও ছেড়ে কথা বলে না। ঘটে বিবাহ বিচ্ছেদ। তবে মেয়েরা যে এদিক সেদিক কিছু কান্ড ঘটায় না সেটাও সত্যি নয়। এখানে সাধারণত সবাই সমান অধিকারের চর্চা করে।
বিলাত, ইউরোপ আমেরিকায় বা উন্নত দেশে এসে বসবাস করতে হলে, মূলধারার পেশায় চাকরি পেতে হলে বা সমাজের সত্যিকারের কার্যকর কেউ হতে হলে জানতে সে দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি। জানতে হবে সেখানকার রাজনৈতিক কাঠামো ও বুঝতে হবে রাষ্ট্র ব্যবস্থা। নানান জাতের মানুষ, তাঁদের ধর্ম বর্ণ সহনশীলতা সহমর্মিতা ভাল করে বুঝতে হবে। ভাষা যথাসম্ভব জানতে হবে। অন্যকে ছোট করলে চলবে না । দূর বিদেশে আমাদের বংশোদ্ভূত নতুন প্রজন্ম একবিংশ শতাব্দীর আধুনিক ধারনা নিয়ে বড় হচ্ছে, বসবাস করছে, তাদেরকে বাংলার বা বাংলাদেশের গোঁড়া ধ্যানধারণা নিয়ে সেই চোখে দেখলে হবে না। তাদের চিন্তা চেতনা মনন সবকিছুই অন্য রকম, শুধু দেশি কথা দিয়ে ধর্মের হেদায়েত দিলে সেটা হাস্যকর ও অকার্যকর হবে। জোর খাটালে তাঁরা দেশি প্রায় সবকিছু থেকেই দূরে সরে পড়বে। গোঁড়া অভিভাবক যারা দেশ থেকে এক ধরণের পূর্ব ধারণা বা ভাবনা নিয়ে উন্নত পশ্চিমা দেশগুলোতে আসেন তারা তাদের সেই ভাবনা দিয়ে ছেলেমেয়ে চালাতে চাইলে বিপদ হবে। মেয়েরা তাদের অধিকার জানে। শেখে তারা। স্কুল থেকেই শেখানো হয় ছেলে মেয়ের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। সমান অধিকার, সমান সুযোগ ইত্যাদি শিখতে শিখতে বড় হয় ওরা। ছেলে মেয়েরা মা বাবার অন্যায় জোর খাটানো বা যুক্তিহীন কথা মেনে নিবে না, পুলিশ ডাকতে পারে তারা, আর আইন তাঁদের দেবে আশ্রয়।
বাংলাদেশের সামাজিক নিয়ম নীতি হল মেয়ের ঘরের সন্তানরা মেয়েটির বা নানা’র বংশের নয় অথচ ছেলের ঘরে জন্মানো সন্তানরা ছেলেটির বা দাদা’র বংশের হয়। এক অদ্ভুত নিয়ম। বাবার সম্পতিতে মেয়ের অংশ ছেলের অংশের অর্ধেক বা আরো কম, অথচ সন্তানরা মা বাবা’র আধাধধি ডিএনএ নিয়ে জন্মায়। তবু নারীদের সাথে করা হয় এসব অন্যায়। সম্পত্তি ভাগের এই ব্যবস্থাও একটা মেয়েকে অসম্মানের সাথে নিচু করে দেয়। এটা কোন ধরনের বিচার? এ রীতিমতো অবিচার । সামাজিক অন্যায়গুলো মেয়েদেরকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করেই চলে।
উন্নত পৃথিবী সমাজ আরও বদলে গেছে, অবিরাম উন্নতি করছে, তাঁদেরও মানসিকতায় এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। আমাদের দেশের সমাজকে, মানুষকে, নারীকেও বদলাতে হবে। মানসিকতা পরিবর্তন করতেই হবে। মানুষ এখন ভাল করেই ভাবতে শিখেছে।
উন্নত দেশগুলোতে আছে স্বামী-স্ত্রীর আধাআধি অংশীদারিত্ব আর ভারতীয় উপমহাদেশে আছে যৌতুক সমস্যা জর্জরিত সংসার।বিদেশে, এখানে সংসার অনেকটা যেন এক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। বিয়েটা সেই প্রতিষ্ঠানের চুক্তিনামা। এই সব দেশগুলোতে বিয়ে নামের চুক্তি ব্যবস্থায় যে সংসার, সেইটা থেকে মেয়েরা এখন দূরে থাকতে চাইছে। স্বাধীন থাকতে চাইছে নারী, কারণ এখানে একজন নারী পুরুষদের তুলনায় কোন অংশেই কম নয়। বিয়ে অনেকটাই যেন অপ্রয়োজনীয়। এইটা একবিংশ শতাব্দী । নারী এখন অগ্রসর, তাঁরা পুরোনো ধারণা থেকে বেরিয়ে এসেছে। উন্নত দেশগুলোতে নারী তাঁদের অধিকার সম্মন্ধে এখন অনেকটাই সচেতন। এই দেশগুলো নারীবান্ধব, নারী রক্ষায় এখানে আইন আছে, আইনের প্রয়োগ আছে। মেয়েরা বহুলাংশে শিক্ষিত, প্রচুর আয় করতে পারে, আত্মসম্মানে উজ্জীবিত তাঁরা এবং পরমুখাপেক্ষী নয়।
“জাগো নারী বহ্নি শিখা” হুসনুন নাহার নার্গিসের লেখা বই টি প্রকাশ হতে যাচ্ছে ২০২৪ এর বই মেলায়
লেখাটা খুব তথ্যপূর্ণ লাগল। তবে তিনটি কথা না বলেও পারছি না।
১) রাস্ট্রব্যাবস্থা জিনিষ টাই পুরুষ তান্ত্রিক, যেমন প্রচলিত ধর্ম পুরুষ তান্ত্রিক। ধর্মের বিরুদ্ধে যেমন যেতে হবে তেমন ই রাস্ট্র ব্যাবস্থার কুৎসিত দিক ভেঙ্গে বেরোতে হবে নতুন প্রজন্মের উত্তর আধুনিকাদের ই।
২) সমাজের রক্ষণশীলতার দালাল মেয়ে এবং মহিলাঃ– এরা আগেই নতুন প্রজন্মের মেয়েদের সবটাই শেষ করে দেয়। বিয়ে বিয়ে করে মাথা খায় এবং মানসিক চাপ দিয়ে কেরিয়ার নষ্ট করে দেয় উত্তর আধুনিকা কন্যাদের , এদের কেও উচিত শিক্ষা দেওয়া দরকার , এবং ওই সব মহিলার বিরুদ্ধেও সচেতন করা দরকার।
৩) অনেক শিক্ষিতা হলেও বিয়ের পরে একটি মেয়ের সব শেষ হতে থাকে শ্বশুর বাড়ি এসে। যেমন সে তার ইচ্ছামত স্টাডি কেরিয়ার আর তেমন এগোতে পারে না। ওয়েস্টার্ন আউটফিট এ অভ্যস্তা হলেও তাকে সে সব ছেড়ে বারো হাত কাপড়ে থাকতে হয় (নিজের স্বাচ্ছন্দ্য ত্যাগ করা)।
আমি ভারতীয় , বাংলাদেশী নই , কিন্তু দুই দেশের ই সমস্যা এক। আমি মনে করি লিঙ্গ সাম্যের চেস্টা সচেতন মহিলা পুরুষ নির্বিশেষেই করা উচিত।
ইন্দ্রানিল গানগুলিকে বলছি , আপনি সঠিক কথাটিই বলেছেন । যুগ যুগ ধরে এই উপমহাদেশের মেয়ে গুলো কে ধর্ম , সমাজ আর পরিবারের নিয়ম নীতির মাধ্যমে নিপীড়নের মধ্যে ফেলা হয় । আগে ছিল সতী দাহ প্রথা, তারপরে প্রচলিত প্রথা যেমন “স্বামী দেবতা” তার সেবা মেয়েদের করতেই হবে সতীর মত । এই গুলোকে ধর্ম পালন মনে করে। দাসী বান্দি হোল মেয়েদের জীবন । নিজেদের বাক্তিত্ত বা চিন্তাধারা গোড়ে উঠার আগেই অনেক মেয়ে কে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয় মাবাবার দ্বারা । তারা মনে করে বাবামার কথা তো শুনতেই হবে।
এই দিক দিয়ে উন্নত দেশ অনেক এগিয়েছে । “Force marriage” against law, single থাকা বা দরকার মত বিবাহ বিচ্ছেদ এখন স্বাভাবিক । কে কি করলো সমাজ তাতে মাথা গলায় না । Adult হোয়ে গেলে সিধান্ত তারাই গ্রহণ করবে । এবং তাদের সিধান্ত কে সন্মান দেয়া নিয়ম । সমাজ পরিবর্তন করা এখন সময়ের দাবী ।
নারী সমকামিতা নিয়ে কিছু লিখুন (নিবন্ধ লিখুন) নার্গিস আপু
দুঃখিত নামের বানান টা ঠিক হয় নি । সঠিক বানান ” ইন্দ্রনীল গাঙ্গুলি “
তারপরও ইন্দ্রনীল গাঙ্গুলী বানানটি ভুল করে বসলেন।
আপনার মন্তব্যগুলোতে প্রচুর বানান ভুল দেখা যাচ্ছে, অনেক শব্দ অকারণে ভেঙে বসিয়েছেন আবার অনেক শব্দ জুড়ে দিয়েছেন। এগুলো নিয়ে যত্নবান হবার পরামর্শ দেওয়া গেল। আশা করছি সতর্ক হবেন।
প্রজ্ঞেসিভ মানুষরা আপনার উপদেশের থোড়ায় কেয়ার করে ।
সমাজবিদ্যা, রাজনীতি ও জীববিজ্ঞান-কে থোড়াই কেয়ার করা এখনকার প্রগ্রেসিভদের বৈশিষ্ট্য। ভাল থাকবেন।
মাহিন মাহমুদ, আপনি রাগ না করে একটি নিবন্ধ লিখে ফেলুননা; বড়ো নিবন্ধ যে লিখতে হবে তা নয়; আমি আপনার নারী এবং সমাজ সম্পর্কে মতামত জানতে আগ্রহী; এই ব্লগেই লিখুন, লিখার নিয়ম জানার জন্য ইমেইল করুন এই ব্লগের সম্পাদককে (লেখা পাঠানোর নিয়ম পড়ে দেখুন, ইমেইল ঠিকানা সহ লিখার নিয়ম বলা আছে)
মাহিন মাহমুদ, আপনি যা কিছু বলতে চান নিবন্ধ লিখার মাধ্যমে বলবেন দয়া করে। ওখানে মানুষ মন্তব্য করবে, আমিও করতে পারি; আপনি লিখুন লিখুন।
আমি বলার কে ? যেটা হচ্ছে তা তাদের সিধধান্তে ই হচ্ছে । আর তা হচ্ছে ছেলে মেয়ে উভয়ের মধধে । ছেলেও বিয়ে করতে চায় না মেয়ে রাও চায় না । আমি বা আপনি বললে তা তারা শুনবে না ।
সমাজ তার নিজের গতিতেই চলে । সমাজের নিজস্ব কোন ছকে বাধা নিয়ম নায় ।
ছেলে মেয়ে কেউ বিয়ে করতে না চাইলে যেই সোশ্যাল ভ্যাকুয়াম সৃষ্টি হবে তা অশিক্ষিত এবং সোশ্যালি রিগ্রেসিভ লোকজন ঠিকই পূরণ করবে। প্রগ্রেসসিভ মানুষদের অতি-আত্মকেন্দ্রিক হওয়া একেবারেই উচিত না।
মাহিন মাহমুদ, আপনি ঠিক বলেছেন, তবে বিনীত অনুরোধ করছি আপনাকে আপনি যা বলতে চান তা এই ব্লগেই নিবন্ধ লিখার মাধ্যমেই বলুন।
ঠিক আছে
সমাজের গতি মানুষের হাতেই, সমাজের কোন বায়বীয় গতি নেই যে হঠাৎ করেই পরিবর্তন হয়ে যাবে নিজে নিজে। বাইজেন্তাইন সম্রাট কন্সতান্তাইন একাই ইউরোপের ইতিহাস বদলে দিয়েছেন খ্রিস্ট ধর্মকে রাজনিতিকরণ করে। আরবরা উত্তর আফ্রিকা ও পারস্য, মিশর দখল করে আরব সাম্রাজ্যবাদ কায়েম করেছিল নিজেরাই একটি ধর্ম বিশ্বাসের উপর নিজেদের রাজনীতির ভিত্তি মজবুত করে। সমাজ মানুষের হাতেই, আমরাই একে গড়ি নিজে নিজে এটা পরিবর্তন হয়না।
@মাহিন, মনে হয় আপনার এ বিষয়ে অনেক কিছু লেখার আছে। নারীবাদ ভুল পথে চলে গেছে যে কারনে এখন অনেকেই নারীবাদ দেখলে ভ্রূ কুঁচকায়। লিখুন, শুভেচ্ছা রইল।
এ নিয়ে আস্ত একটা বই লেখা যায়, তবে সময়ের অভাবে এখন লিখতে পারছিনা। ভবিষ্যতে অবশ্যই কোন প্রবন্ধে আমার নিরপেক্ষ মতামত প্রকাশ করব।
আমরা বই পড়তে চাইনা; আপনি যা বলতে চান তা জানতে চাই মাহিন মাহমুদ; জানতে চাই নারীদের ব্যাপারে আপনার মতামত-অভিমত; সমাজের রীতির ব্যাপারে আপনার নীতি; আপনি এখানে এই ব্লগেই লেখে ফেলুন একটি নিবন্ধ।
“নারীরা চাকুরী করবে এবং মাতৃত্ব কেও সন্মান করবে ” মাহিন মাহমুদের কোথার উত্তরে বলছি । মাতৃত্ব কে সন্মান দিতে ,মায়ের দায়িত্বকে সন্মান দিতে ছেলেরাকেই শিখতে হবে আর তা শেখাতে হবে বাড়ী থেকেই । বাবার মাধ্যমে । বাবা কি ভাবে মার সাথে ব্যাবহার করছে তা দেখে ছেলেরা তা শিখে সেটায় প্রয়োগ করবে তার ভবিষ্যৎ জীবনে ।
প্লেনে উঠার আগে যদি যাত্রী যানতে পারে প্লেন টার ৫০% চান্স আছে ক্রাশ হওয়ার ,তা হোলে কোন যাত্রী সেই প্লেন টা তে উঠতে চাবে না ঠিক তেমন বিয়ের পর তা ভেঙ্গে জাওয়ার চান্স যদি থাকে ৫০% তা হোলে কোন সাহসে মেয়েরা বিয়ে করবে?
তা ছাড়া অনেক পলিসি নতুন করে প্রয়োগ করতে হবে মেয়েরাকে protection দেয়ার জন্য আমাদের মতো developing দেশ গুলোতে ।
“Ruth Bader Ginsberg” এর মতো অনেক মেয়ে জেগে উঠুক আমাদের দেশে যে কিনা রন্ধে রন্ধে থাকা নারী জাতীর মধ্যে থাকা অবিচার আর অসমতার বিরুধধে লোড়ে গেছেন ।
আপনার যুক্তিটা একটু অদ্ভুত, এমন কোন ঘটনা দেখেছেন যেখানে প্লেন ক্র্যাশের ৫০% সম্ভাবনা থাকার পরও যাত্রীকে উঠতে বলা হয়েছে? পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ঘটনা আমি শুনিনি।
আপনার উদাহরণ যদি সত্য মানি, তাহলেও বলতে হয়, মানুষ বেঁচে আছে, আমাদের সবার মৃত্যুর সম্ভাবনা ১০০%। একদিন না একদিন সবাইকে মরতে হবে, তাই বলে কি বেঁচে থাকা, জীবনকে উপভোগ করা বন্ধ করে দিয়ে আমরা সারাক্ষণ মৃত্যু নিয়ে ভীত থাকি? নিশ্চয়ই না। আমরা সবাই প্রকৃতির নিয়মে টিকে থাকতে চাই অন্য সব প্রাণীর মত।
অবশ্য আমার মনে হয় মাতৃত্ব একটা সামাজিক চাহিদা, মানুষ চায় তাঁর স্বজাতির বৃদ্ধি হোক। এটা ব্যক্তিগত চাহিদার চাইতে বেশি সামাজিক চাহিদা। মানব জাতি বিলুপ্ত হলেই বা পৃথিবীর কি যায় আসে!
প্রজননের জন্য বিয়ে নিষ্প্রয়োজন তবে বাংলাদেশে এখনও সেই মুক্ত সমাজ এখনও প্রতিষ্ঠা হয়নি যে বিয়ের বাইরে সন্তান জন্ম দিবে। বাংলাদেশে বিয়ে করা হয় দুইটি কারণে; ১) বংশবৃদ্ধি, ২) সামাজিক ঐক্য সুদৃঢ় করা। বিয়ের বাইরে যৌন জীবন ও সন্তান ধারণ করলে যে লিগাল সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে সেই সংক্রান্ত কোন আইন যেমন ভরন-পোষণ এর আইন যেটা আমেরিকায় ও ইউরোপে আছে সেটা আমাদের বাংলাদেশে আমার জানামতে নেই। তাই বিয়ে করে এদেশের মানুষ।
আপনার মন্তব্যটি নেতিবাচক, আগেই কেন ধরে নিচ্ছেন বিয়ে ভেঙে যাবে?
মাতৃত্ব নারীপুরুষ উভয়ের জন্য সমান দায়িত্ব বয়ে আনবে সবাইকে সমান যত্ন নেয়া জরুরি। কিন্তু আপনার প্রবন্ধের ত্রুটি হচ্ছে আপনি নারী-পুরুষের সম্পর্ককে বাতিল করে দিচ্ছেন। মাথা ব্যথা হলে মাথা কেটে ফেলার মত সমাধান দিচ্ছেন। আমি এটারই সমালোচনা করেছি।
মাহিন মাহমুদ আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি; আপনি যা যা বলেছেন বা বুঝাতে চেয়েছেন তা যদি এই ব্লগেই নিবন্ধ আকারে লিখেন তাহলে ভালো হয়; আর অনুগ্রহ করে হুমায়ুন আজাদের সব কবিতার বই এবং উপন্যাস পড়ে দেখবেন; তিনি ঋণাত্মকতাবাদী মানুষ ছিলেননা; ওনার উপন্যাস বা কবিতাগুলো আমাদের সমাজেরই অসুস্থতারই প্রতিফলন।
আর বাচ্চাজন্মদান বাংলাদেশে প্রগতিশীল মানুষ যদি কমিয়ে দেয় তাহলে কট্টর মুসলিমরা লাভবান হবে? কট্টর মুসলিমদের পরবর্তী প্রজন্ম উদারপন্থীও তো হতে পারে আর একটি মুসলিম সমাজের কথাই বলি যেমনঃ অটোম্যান এম্পায়ার বা উসমানীয় সাম্রাজ্য (এখন যেটা তুরস্ক বা তুর্কি) – এরা তো অনেক জ্ঞান- বিজ্ঞানের চর্চা করতো, এদের তো ১৮৫৮ সালে সমকামিতা বৈধ করে দেওয়া হয়। আমাদের সমাজে বখাটেদের মাদক সেবন, তরুণীধর্ষণ – এগুলোর জন্য দায়ী অশিক্ষা আর পুরুষতন্ত্রবাদই দায়ী যেখানে আমরা নারীরা ‘সত্যিকারের মানুষ’ বলে গণ্য নই। আমি উপরেও আপনার কথার নিচে মন্তব্য করেছি।
আমি অবশ্যই একটি নিবন্ধ লিখব, সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার ব্যস্ততার কারণে সময় পাচ্ছিনা। এখন যে মন্তব্য করলাম তা পরীক্ষার পড়া থেকে ফাঁকি দিয়ে লেখা।
আমার বিষয় মূল বিষয় আপনি ধরতে পারেননি। আমার বিষয় হুমায়ুন আজাদ নয়, আমার বিষয় হচ্ছে নারীবাদ কেন মানবাধিকারের আন্দোলন না হয়ে নারীবাদী আন্দোলন হয়ে রইল এখনও। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ না থাকলে নারীবাদের উদ্ভব হত না, পুরুষের নিপীড়ন- অত্যাচার থেকে বাঁচতেই নারীবাদী আন্দোলন-এর সূত্রপাত। এটা অনেকটা আরবে ধনী সম্প্রদায়ের অর্থনীতিক শোষণ থেকে গরীব-কে রক্ষার জন্য যেভাবে ইসলামের উৎপত্তি হয়েছিল, ঠিক সেরকম। পরবর্তীতে আমরা দেখতে পেলাম ইসলাম নিজেই শোষক হোয়ে উঠল এবং নারীর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর একটি ধর্মে পরিণত হল। নারীবাদীরা আন্দোলন ঠিক সেই ফর্মেই যাচ্ছে। এটা এখন ইউরোপের একটি অস্তিত্ব সঙ্কটের মূল কারণে পরিণত হচ্ছে। পুরুষ-এর প্রতি ঘৃণা ছড়ান এখন ইউরোপ এর নারীবাদেড় মূল উদ্দেশ্য। এতে করে দক্ষিণপন্থী রাজনীতিবিদরা নারীবাদের বিরুদ্ধে জোড়ালো যুক্তি দাঁড় করাতে পাড়ছে। উদাহরণস্বরূপ হাংগেরিতে ও পোল্যান্ডে পুরুষতান্ত্রিক রাজনীতিবিদরা এখন ক্ষমতায় বসতে পাড়ছে। পোল্যান্ডে গর্ভপাত বিরোধী আইন তার সবচাইতে স্পষ্ট প্রমাণ।
ধন্যবাদ মাহিন মাহমুদ; আপনি নিবন্ধ লিখুন, আপনার জন্য শুভ কামনা দিচ্ছি, ভালো করে আপনি পড়াশোনা করবেন; আমা আশা করি আপনি ভালো একজন প্রগতিশীল উদারমনা প্রেমিকা পাবেন; আর আপনি হুমায়ুন আজাদের ‘একটি খুনের স্বপ্ন’ উপন্যাসটা পড়ে দেখবেন দয়া করে। আবারো ধন্যবাদ।
কট্টর মুসলিমদের পরবর্তী প্রজন্ম কবে মানুষ হবে? ১০০ বছর পর? আর বর্তমান প্রজন্ম যে ভুক্তভোগী হচ্ছি, সেটার কি হবে? জেনে রাখা ভাল যে, মানব ইতিহাস-এ যারা প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে পেরেছে তারাই এখনও টিকে আছে, যারা দুর্বল আর অনেক বেশি উদার তাঁরা বিলুপ্ত হয়ে গেছে। চৈনিক সভ্যতা, পারস্য সভ্যতা এদের reproductive fitness বা প্রজনন সক্ষমতা অনেক বেশি ছিল। চীনারা মনে করত বংশধর রেখে না যাওয়া দুর্ভাগ্যজনক, তাই চীনের জনসংখ্যা এত বেশি। মায়ান সভ্যতা, ফিনিশিয় সভ্যতা এরা টিকে থাকতে পারেনি এবং খেয়াল করবেন এই সভ্যতার আদর্শ কোন জাতি-ই কিন্তু অনুসরণ করে না। এই জন্যই প্রগতিশীলরা যে antinatalist বা বংশবৃদ্ধির প্রতি বিরূপ মনোভাব পোষণ করেন, তা সত্যিই আশঙ্কাজনক। অধিক জনসংখ্যার আমিও বিরোধী, তবে জন্মহার কমানো বিষয়টা অনেকটাই আপেক্ষিক। যেমন চীনের ওয়ান চাইল্ড পলিসি জনসংখ্যা কমাতে বেশ সাহায্য করেছে, কিন্তু এখন চীন দেখছে ছেলের চেয়ে মেয়েদের সংখ্যা গেছে কমে। তাই আবার দুই সন্তান নীতি করল। চীনের বুদ্ধিমত্তা সত্যিই প্রশংসনীয় । তাঁরা অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়। কিন্তু নারীবাদীরা যেসব সমাধান দেয় তা অনেকটাই বাস্তবতা বর্জিত। নারীদের সমস্যাগুলো একদম সঠিক, কিন্তু তাদের সমাধানগুলো যেমন, সন্তান লালন- পালন কে ক্যারিয়ারের জন্য বাধা মনে করা, অবিবাহিত থাকাকে গর্বের বিষয় মনে করা এগুলো নারীবাদীদের প্রতি একধরনের বিরুপ মনভাব সমাজে সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশে এখনও প্রকটভাবে এই সমস্যাগুলো দেখা দেয়নি, আমার বিশ্লেষণ মুলত ইউরোপ ও আমেরিকা কেন্দ্রিক।
অনেক নারীবাদী নারী বাংলাদেশে আছে যারা বাচ্চা জন্ম দিতে চায় আবার চাকরিও করতে চায়; আপনার বিশ্ববিদ্যালয়/মহাবিদ্যালয়তেই এই ধরণের মানুষ খুঁজে পেতে পারেন। চীনের কথা বলেছেন, সেজন্য ধন্যবাদ, চীনকে আমিও পছন্দ করি; মায়ান সভ্যতা বিলুপ্ত হয়ে গেছে, তবে ইংরেজ সভ্যতা, জার্মান বা ফরাসি সভ্যতা বা ইহুদী সভ্যতা বিলুপ্ত হবেনা বলেই মনে করি কারণ এরা anti-natalism অত গোঁড়াভাবেও গ্রহণ করেনি।
মানুষ ভালোভাবে বেঁচে থাকবার জন্য কোন না কোন জীবিকা বেছে নেয়। অর্থাৎ বেঁচে থাকবার জন্য অর্থ উপার্জন করে, অর্থ উপার্জন করার জন্য বেঁচে থাকে না। ওদিকে
কিছু নারী পুরুষ তাদের কর্মক্ষেত্রে জীবনের স্বার্থকতা খোঁজ করে। অর্থাৎ তারা কর্মক্ষেত্রেই বেঁচে থাকার অর্থ খোঁজে। বেশিরভাগ নারী শুধু মাত্র অর্থ উপার্জন করতে যায়। সেটা তাদের স্বাধীনতা। তবে অনেক সিনেমা ও সাহিত্যে মাতৃত্বকে রীতিমতো ব্যাঙ্গ করা হয়। সেটার পিছনে কর্পোরেটদের ভোগবাদী সংস্কৃতি প্রসারের উদ্দেশ্যে আছে বলে মনে হয়।
ইউরোপে শরনার্থী ঢল নিয়ে সেই দেশগুলোতে যখন বিতর্ক চলছে তখন একটি কমেন্ট পড়েছিলাম।
“First you said not to marry, then you said not have baby, now you are importing high yielding womb from outside”.
মাতৃত্বের কষ্ট পুরুষকে নিতে হয় না। এটা প্রকৃতির পুরুষের প্রতি পক্ষপাতীত্ব বলে অভিযোগ করা যেতে পারে। কিন্তু এটা উল্টো করেও দেখতে পারা যায় যে সন্তান সৃষ্টির ‘ অনির্বচনীয়’ আনন্দ শুধু মাত্র নারীকে দিয়ে প্রকৃতি নারীর প্রতি পক্ষপাতীত্ব করেছে।
আপনার কথার সাথে আমি পুরোপুরি একমত, এটাই আমার মনের কথা। নারী অর্থ উপার্জন করবে, সেই সাথে মাতৃত্ব-কেও সমান সম্মান দিবে, এটাই আমার অভিমত। নয়তো মানব সমাজ-ই তো টিকবে না। আমেরিকাতে কোন নারী মাতৃত্বকালীন ছুটি পেতে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়, সামাজিকভাবে মাতৃত্ব-কে এখন বেশ অবজ্ঞার চোখে দেখছে তরুণ প্রজন্ম। শিক্ষিত নারী যদি সন্তান না নেন, তাহলে তৃতীয় বিশ্বের মানুষ দিয়েই দেশের অর্থনীতি-কে সামাল দিতে হবে যাদের সামাজিক ও পারিবারিক সংস্কৃতি নারী স্বাধীনতা বিরোধী।
বাংলাদেশের সমাজ থেকে পুরুষতান্ত্রিকতাবাদ মোছা অনেক জরুরী; সব মেয়ে আজকাল লেখাপড়া আসলেই কি সত্যিকার অর্থে শিখছে? দেশে ‘নারীসুরক্ষা আইন’ আছে তবে তারপরেও নারীরা কি পুরোপুরি নিরাপদ? আর বাংলাদেশের পুরুষরা এখনো নারীদের সঙ্গ পাওয়ার জন্য এক ধরণের ‘পাগল’ থাকে, পুরুষরা কর্মজীবী নারীদেরকে অবচেতনভাবে ঋণাত্মক দৃষ্টিতে দেখে; নারীদের বাইরে যাওয়া বা স্বামী ছাড়া অন্য পুরুষের সঙ্গে আলাপ করা বাংলাদেশের সমাজে এখনো ভালো করে আসেনি; সমাজে নারীবিদ্বেষ আছে যার কারণে পুরুষদের প্রতিও নারীদের একটি বিদ্বেষ (পুরুষবিদ্বেষ) আমাদের সমাজে দেখা যায়। প্রেম করে বিয়ে আমাদের সমাজে এখনো চলে কিন্তু এর মধ্যেও কিন্তু পুরুষতান্ত্রিকতাবাদ এবং রক্ষণশীলতা দেখা যায়।
আপনার কথার সাথে আমি একমত নই। সমাজের প্রগতিশীল মানুষরা যদি সন্তান লালন- পালন কে ঝামেলা বলে মনে করেন, তবে যে শূন্যতার সৃষ্টি হবে সেটা পূরণ করবে ইসলামী মৌলবাদীরা কারণ তাদের কাছে সন্তান জন্মদান প্রগতিশীলতার বিরুদ্ধে করা এক ধরনের জিহাদ। আপনি ব্যাক্তি স্বার্থ-কেই বড় করে দেখছেন। একজন সুসন্তান যদি গড়ে তোলা যায় তবে তাঁরা হবে রাষ্ট্রের সম্পদ। আর নয়তো দেখবেন একসময় প্রগতিশীল মুক্তমনের মানুষেরা সন্তান লালন পালনকে অবজ্ঞার চোখে দেখার কারণে ধর্মীয় মৌলবাদীরা বিভিন্ন উন্নত দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যাবে। যেমন- ব্রিটেন, ফ্রান্স প্রভৃতি দেশে আজ মৌলবাদীদের উৎপাত বেড়ে গেছে। মৌলবাদীদের প্রজনন হার বেশি, এবং এটাই তাদের মূল হাতিয়ার। ইউরোপ আমেরিকাতে স্থানীয় জনগণের জন্মহার যেভাবে কমছে তাতে করে আজ থেকে ১০০-২০০ বছর পর দেখা যাবে সেখানে ইসলামী মৌলবাদীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে শরিয়া আইন কায়েম করবে এবং পৃথিবী জুড়ে তাণ্ডব চালাবে।
আপনি শুধুই নারীদের পক্ষেই বলে গেলেন। সন্তান লালন-পালন কিভাবে করা হবে সেই সম্বন্ধেও কিছু বলুন। সিমন দ্য বোভয়ার, কেইট মিলেট, হুমায়ুন আজাদ সব লেখকের নারীবাদী রচনাই বেশ পক্ষপাতিত্বমূলক। আপনার রচনাতেও আপনি নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আলোচনা করেননি। আপনি লক্ষ্য করবেন সব নারীবাদী লেখক সন্তান লালন-পালনকে খুবই অপমানজনক বলে মনে করে। হুমায়ুন আজাদ তো তার ‘নারী’ বইতে বলেছেন, “গর্ভবতী নারী দেখতে পশুর মত”। সন্তান-রাই আগামীর ভবিষ্যৎ, তাই নারীরা বিয়ে না করেও কিভাবে সন্তান লালন-পালন করবেন সেই সম্পর্কেও একটু আলকপাত করুন।
নারীরা নারীদের গর্ভেই জন্ম নেয়, তাই আজকের নারী যদি মাতৃত্ব কে ঘৃণা করে তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য খুবই বিপদজনক হবে। আপনাকে যদি কোন নারী জন্ম না দিত, তাহলে এই পৃথিবীর আলো আপনি দেখতে পারতেন না আর এই লেখা লিখতে পারতেন না। তাই মাতৃত্বকে বজায় রেখেও নারী কিভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবে সেই ব্যাপারেও কিছু লিখুন।
হুমায়ুন আজাদ ভুল বলেননি, তিনি বাংলাদেশের সমাজে একজন বড়ো মাপের লেখক ছিলেন, তার মতো লেখক বাংলাদেশে বিরল যে বাংলাদেশের সমাজের শেকড়ের গভীরে ঢুকতে পারে; আর সব নারীবাদী সন্তান-লালনকে অবজ্ঞা করে এটা সঠিক ধারণা না। ব্রিটেনের সমাজ শিক্ষিত বলেই তাদের দেশে জন্মহার কমেছে; আর ব্রিটেনে বসবাসকারী মুসলিমরা জনসংখ্যা বাড়াচ্ছে শিক্ষার অভাবে কিন্তু একসময় তারাও ‘শিক্ষিত’ হয়ে উঠবে। বাংলাদেশের সমাজে গোপনে গোপনে মাদক সেবন চলে, নারীদের প্রতি পুরুষদের যৌন-উন্মাদনা চলে – এগুলো থাকতোনা যদি বাংলাদেশের সমাজটা সত্যিকারের শিক্ষিত হতো; বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীরা ‘নারীদের সত্যিকারের অধিকার’, ‘সমকামীদের অধিকার’, ‘মানুষের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা’ এগুলো নিয়ে মোটেও চিন্তা করেনা, করলেও তারা ঋণাত্মকভাবে করে, হুমায়ুন আজাদ এগুলো নিয়ে ভালো মতোই চিন্তা করতে পারতেন কিন্তু মারও খেলেন অশিক্ষিতদের হাতেই।
১) হুমায়ুন আজাদের সমালোচনা করছি মানে এই নয় যে তাঁর সব লেখা বাতিল করে দিচ্ছি। হুমায়ুন আজাদ আমার প্রিয় লেখক তবে তাঁর বইয়ের সব বাক্যকে বাইবেলীয় শ্লোক মনে করার কোন কারণ নেই। আপনি বলেছেন যে, হুমায়ুন আজাদ ভুল বলেননি, আপনিও কি গর্ভবতী নারীকে পশুর মত মনে করেন?
২) শিক্ষিত বলেই জন্মহার হার কমে, কথাটা পুরোপুরি সঠিক নয়। উন্নত দেশে চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির কারণে শিশু মৃত্যুর হার কম, তাই ২-৩ টি সন্তান জন্ম দিলেই বাবা-মা নিশ্চিন্ত হন, যেই অবস্থা বিংশ শতাব্দীর আগে ছিল না। বাংলাদেশে জন্মহার কমছে শিশু মৃত্যুর হার কমছে তাই, তাই বলে কি এই দেশের মানুষ শিক্ষিত হচ্ছে?
৩) নারীবাদী আন্দোলন পুরুষতান্ত্রিক আন্দোলনের antithesis (বিরোধী), এটা কোন সমন্বয় পছন্দ করেনা। বেগম রোকেয়া-কে আমি একজন আদর্শ বলে মনে করি এই ক্ষেত্রে। তিনি পুরুষের সাথে কাঁধে কাধ মিলিয়ে কাজ করতে চেয়েছেন , পুরুষের উপর লৈঙ্গিক ক্ষমতার চর্চা করতে চাননি। ইউরোপে এখন তাই চলছে নিচের কয়েকটি লিঙ্কের নিউজ দেখুন।
https://www.euronews.com/2013/03/08/has-swedish-feminism-gone-too-far
https://www.globalcitizen.org/en/content/half-of-young-men-oppose-feminism-uk/
৪) নারীবাদ তাঁর পথ থেকে সরে এসেছে। নারীরা যদি এই মানসিকতা বজায় রাখে যে, ” আমি উপার্জন করি তাই আমার কোন পুরুষের প্রয়োজন নেই, কোন সন্তানের প্রয়োজন নেই” তাহলে সেই সমাজ বিলুপ্ত হতে বেশি সময় লাগবে না। চোখের সামনেই জাপানের উদাহরণ দেখতে পারবেন। জাপানে জন্মহার ১.৪২ যেখানে জনসংখ্যার বৃদ্ধির স্থিতিশীল অবস্থা বজার রাখতে ২.১ জন্মহার প্রয়োজন। এই জন্মাহার বাড়াতে না পারলে ১৫০-২০০ বছর পর জাপানি জাতি বলে পৃথিবীতে কোন জাতির মানুষ থাকবে না।। ইয়ুরোপের সব দেশেই জন্মহার ২.০ এর নিচে। এজন্যই তাঁরা মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার গণ্ডমূর্খ অভিবাসী-দের অবাধে ঢুকতে দিচ্ছে নিজেদের দেশের অর্থনীতি বাঁচাতে। কিন্তু এটা কোন স্থায়ী সমাধান নয়। আপনি প্রগতিশীল দেশকে যদি প্রতিক্রিয়াশীল মানুষ দিয়ে পূর্ণ করেন তবে ঐ দেশের আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়বে, মধ্যযুগীয় পরিবেশ তৈরির ভিত্তি স্থাপন হবে।
৫) উন্নত দেশের নারীরা চাকরি করছে, হাতে অর্থ সঞ্চয় করছে, কিন্তু সন্তান ধারণ করছে না, কারণ এতে তাঁর কোন ব্যক্তিগত লাভ নেই। এই মানসিকতা তৈরি হয়েছে মুলত ঠিকমত বিবর্তন ও মানব সমাজের ইতিহাস সম্বন্ধে কোন জ্ঞান না থাকার কারণে। বিবর্তন প্রক্রিয়ায় যেই প্রজাতি সবচেয়ে বেশি প্রজননে সক্ষম, সেই প্রজাতি এখন পর্যন্ত টিকে আছে। আদিম মানুষ সন্তান জন্মদান করত নিজের বংশ ও প্রজাতিকে টিকিয়ে রাখার কারণে, কোন ব্যক্তিগত স্বার্থে নয়। আমাদের সমাজে দরিদ্র পরিবারে বেশি সন্তান জন্ম দেয়া হয় যাতে বেশি উপার্জন করতে পারে, কিন্তু আদিম কালে এই মনোভাব ছিল না কারণ তখনও কৃষিভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা সৃষ্টি হয়নি। সন্তান জন্ম দেয়া শুধু মাত্র প্রজাতির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য, নিজের বংশানুকে সন্তানের মাধ্যমে টিকিয়ে রাখার জন্য। এই সাধারন জ্ঞান নারীবাদী দের নেই এইজন্যি তাঁরা মাতৃত্ব-কে পুরুষতান্ত্রিক নিপীড়ন ও নারীর জন্য হুমকি স্বরূপ মনে করে।
আপনি দেয়া এই ৫টি পয়েন্ট এর উত্তর আশা করি আপনার কাছে আছে। উত্তরের অপেক্ষায় থাকব।
আপনার কথাগুলো ঠিক আছে; ধন্যবাদ কথাগুলো বলার জন্য। তবে হুমায়ুন আজাদকে আমি মূলত সাহিত্যিক হিসেবে মূল্যায়ন করি, নারীবাদী লেখক হিসেবে নয়; আর ওনার (হুমায়ুন আজাদ) ‘নারী’ বইটা পশ্চিমি নারীবাদীদের লেখনী থেকে নেওয়া; হুমায়ুন আজাদ তার ‘নারী’ বইয়ের ‘পুরুষতন্ত্র ও রোকেয়ার নারীবাদ’ অধ্যায়ে রোকেয়া সম্পর্কে যা যা বলেছেন তা ভালো করে পড়ে দেখবেন আর হুমায়ুন আজাদের উপন্যাস ‘ছাপ্পান্নো হাজার বর্গমাইল’ এবং ‘একটি খুনের স্বপ্ন’ কিন্তু অনেক শিক্ষণীয় কিন্তু অনেকেই হুমায়ুন আজাদের সাহিত্যের মূল্য বোঝেনা। আমি ‘গর্ভবতী নারীদের পশুর মত দেখায়’ এই বক্তব্য পুরোপুরি সমর্থন করিনা তবে হুমায়ুন আজাদ তার ‘নারী’ বইয়ের শেষের কোনো একটি অধ্যায়ে কথাটি কেন বলেছেন তা জানার জন্য আপনার পুনরায় বইটি পড়া উচিৎ আর বেগম রোকেয়া পুরুষবিদ্বেষী ছিলেন কিনা এটাও হুমায়ুন আজাদের ‘নারী’ বইয়ের ‘পুরুষতন্ত্র ও রোকেয়ার নারীবাদ’ অধ্যায়ে পাবেন। আমি বাচ্চাজন্মদানকে ঘৃণা বা নিরুৎসাহিত করিনা তবে আমাদের বাংলাদেশে জনসংখ্যা অনেক বেশি, এ দেশের মানুষ-সংখ্যা কমানোর জন্য জন্মহার কমানো জরুরি বলেই আমি মনে করি।
আমি আমার মন্তব্যে মুক্তমনার কোণ নীতিমালা ভঙ্গ করিনি, তারপরও কমেন্ট এর উত্তর দিতে না পেরে জেভাবে কমেন্ট মুছে দেয়া হল, তা সত্যিই হাস্যকর! মুক্তমনায় এইধরনের অভিজ্ঞতা আমি আশা করিনি। কমেন্ট মডারেশন এর বদলে কমেন্ট সেন্সরশিপ। পারলে যুক্তি দিয়ে আমাকে ভুল প্রমাণ করুন। এভাবে কমেন্ট ডিলিট করা আমাদের মত নতুন লেখকদের জন্য বেশ হতাশাজনক এবং আমাদের নিরুৎসাহিত করে। কোথাও ভুল বলে থাকলে ভুলটা ধরিয়ে দিন, নয়তো বুঝতে পারছিনা কোথায় ভুল মন্তব্য করলাম।
ইতিমধ্যে প্রকাশিত আপনার কোন মন্তব্য মুছে গেছে বা মুছে দেওয়া হয়েছে এমন কিছু দেখতে পেলাম না। কিছু মন্তব্য কিছুক্ষনের জন্য অপেক্ষমান থাকতে পারে, সেটি অস্বাভাবিক কিছু নয়। আপনার অভিযোগটির ভিত্তি খুঁজে পাওয়া গেল না।
আমি অত্যন্ত দুঃখিত। আমি ব্লগে এর আগে লিখিনি কখনও, শুধু ব্লগের পাঠক ছিলাম। তাই মন্তব্য যে অপেক্ষমাণ থাকে সেয়াতা বুঝতে পারিনি। আমার অভিযোগ প্রত্যাহার করলাম।
আমি কোন মন্তব্য এডিট করব কিভাবে? আমি এডিট করতে পারছিনা যে কারণে কিছু বানান ভুল সংশোধন করা যাচ্ছে না।
কোন অসুবিধে নেই। মন্তব্যে বানান ঠিক করতে অনুরোধ পাঠাতে পারেন, ঠিক করে দেওয়া যাবে। আপাতত নিজ মন্তব্য এডিট করবার সুযোগ শুধুমাত্র পূর্ন লেখকদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। অতিথি লেখক বা আলোচনায় অংশগ্রহণকারীদের লেখা বা মন্তব্য অপেক্ষমান থাকে। পূর্ন লেখকদের ক্ষেত্রে এই ঝামেলা নেই।