বর্তমানে বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতার চাদর পরে রাজনীতি করলেও বাস্তবতা হল ৭৫ পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুর কবর থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম নিয়ে একটি প্রতিক্রিয়াশীল আওয়ামী লীগের-ই জন্ম হয়েছে। বিএনপি আওয়ামী বিরোধীতা ও ভারত বিরোধীতা দেখিয়ে রাজনীতি করে আসছে। ফলে বিএনপির মূলত কোন আদর্শ নেই। সেনা নিবাসের মদের টেবিল থেকে গড়ে উঠা একটি দল হল বিএনপি। বিএনপির আমলে পূর্ণিমাদের উপর যে নির্যাতন হয়েছে সেই তথ্য আমরা অনেকে জানলেও আওয়ামী লীগের আমলে যে নীরব কখনো প্রকাশ্যে পূর্ণিমা ও সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন হয় তা আমাদের বুদ্ধিজীবীরা বলতে চান না বা এই বিষয়ে কখা বলতে আগ্রহী হয় না। এছাড়া বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় পদে বসার লোভে সংখ্যালঘু পরিবার থেকে উঠে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু করে অনেকেই ইনিয়ে বিনিয়ে বলে থাকেন-আমরা ভাল আছি! সত্যতা এড়িয়ে গেলেও ঘটনা থেমে থাকে না। শক্রর সম্পত্তি আইন নামক কাল আইন, রাজনৈতিক নেতাদের কর্তৃক সম্পত্তির লোভে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের কারণে প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে নীরবে রাতের আঁধারে চলে যাচ্ছে হাজারো মানুষ। আসুন দেখে নি, রাজনৈতিক দলগুলো কর্তৃক সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি দখলের প্রতিবেদন।
বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ আসে ৯০-এর পর বাবড়ি মসজিদের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। সেই সময় পুলিশী পাহাড়ায় সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন চলেছিল। স্বাধীনতার পর সেই সময়টাতেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যালঘু ভারতে পাড়ি জমায়।
যাই হোক বাবরি মসজিদের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে কী হয়েছিল তা আলাদা একটা পোস্টে উল্লেখ করব। চলেন চলে যাই ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসের রিপোর্টে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে (২০০৯-বর্তমান) বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের রিপোর্ট সবার সামনে প্রকাশ করা উচিত। শত চেষ্টা করে বর্তমান বছরের দুই মাসের রিপোর্ট সংগ্রহ করতে পারি। যা সবার সামনে প্রকাশ করার তাগিদ বোধ করছি।
ঘটনা ১
২২ ডিসেম্বর -২০১৪। নান্দাইল, ময়মনসিংহে গ্রাম ছাড়ার নির্দেশ
উপজেলার সিংপাড়া গ্রামের রবীন্দ্র সিংয়ের কলেজ পড়–য়া ছেলে একই গ্রামের মুসলিম স্কুল ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গেলে এ নিয়ে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে সালিশ বসে। গত ২২ ডিসেম্বর এক সালিশীতে হিন্দু পরিবারটিকে গ্রাম ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন গ্রাম্য মাতবররা। অভিযুক্ত চঞ্চল সিং এলাকা ছাড়া কিন্তু মেয়েটি তার বাবা-মায়ের কাছে আছে। আহতের সংখ্যা ২।
-দৈনিক সমকাল, ১ জানুয়ারি, ১৫
ঘটনা ২
দৈনিক সমকাল,১ জানুয়ারি,২০১৫
২৩ ডিসেম্বর-১৪।কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট হিন্দু রিক্সাচালককে গ্রেফতার ১
উপজেলার শ্রীখাতা গ্রামের রিক্সাচালক নারায়ণচন্দ্র রায়কে ২৩ ডিসেম্বর দুপুরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ২৪ ডিসেম্বর তার হাতে ২ কেজি গাঁজা দিয়ে তাকে মাদকদ্রব্য মামলায় আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। তাঁর পরিবার-পরিজন এখন অভুক্ত থাকছে। এলাকাবাসী এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছে।
-দৈনিক সংবাদ-১ জানুয়ারি, ২০১৫
ঘটনা ৩
৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪ চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম বসতঘর ভাংচুর, লুটপাট
পাঠানদন্ডী এলাকায়গত বুধবার রাত ১০টায় ১০/১৫ জন বখাটেরা অমূল্য দাসের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে মাতলামি করছিলো। এতে বাধা দেয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে অমূল্য দাসের বসত ঘর ভাংচুর করেও বিষ্ণু মন্দিরের আসবাব তছনছ করে। আহতের সংখ্যা ৭
-দৈনিক ইত্তেফাক, ২ জানুয়ারি, ২০১৫
ঘটনা ৪
৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪ কালিয়কৈর, গাজীপুর মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর
উপজেলার সোনাতলা এলাকায় বুধবার গভীর রাতে কালীমন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
-দৈনিক সংবাদ, ৩ জানুয়ারি, ২০১৫
ঘটনা ৫
২ জানুয়ারি,২০১৫। স্থান- কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ, মন্দিরে বোমা বিস্ফোরণ
পূর্বপাড়া সার্বজনীন কালীমন্দিরে গত শুক্রবার রাতে পূজাচলাকালীন সময়ে বিকট শব্দে বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। মানুষ চারদিকে ছোটাছুটি করতে থাকে। পন্ড হয়ে যায় পূজার্চনা। গ্রামের লোকজন খবর পেয়ে আসতে তাকে। তারা বোমা বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মন্দিরের পাশে দাড়িয়ে থাকা ৩ যুবককে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করে। আহত হয় ৩ জন।
-আমাদের সময়, ৪ জানুয়ারি, ২০১৫
ঘটনা ৬
৪ জানুয়ারি -২০১৫, কলমাকান্দা, নেত্রকোনা, মন্দিরে আগুন, প্রতিমা ভাঙচুর
উপজেলার নাউরীপাড়া গ্রামে গত বৃহস্পতিবার রাতে দুর্বৃত্তরা নারায়ন চন্দ্র বিশ্বাসের বাড়ির কালি মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর ও নৃপেন্দ্র মৈত্রের বাড়িতে লক্ষী-নারায়ন মন্দিরে াগ্নি সংযোগ করে পালিয়ে যায়।
দৈনিক সংবাদ-১১ জানুয়ারি, ২০১৫
ঘটনা ৭
১০ জানুয়ারি,২০১৫ চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজের হিন্দু শিক্ষিকা খুন
চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজের শিক্ষিকা অঞ্জলী রানী দেবী নগরীর পাঁচলাইশের বাসা থেকে কলেজে যওয়ার পথে চকবাজার রেতপট্টি লেনের কাছে কতয়েকজন দুর্বত্ত তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে আহত করে বলে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। গুরুতর অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তিনি মারা যান। নিহতের স্বামী ডা. রাজেন্দ্র চৌধুরী জানান, এলাকায় তাদের সঙ্গে কারো বিরোধ ছিলো না। অনুসন্ধানে যানা যায় কলেজে হিজাবের জের ধরে খুন হোন অঞ্জলী দেবী।
-আমাদের সময়/ভোরের কাগজ/জনকণ্ঠ-১১ জানুয়ারি, ২০১৫
ঘটনা ৮
১০ জানুয়ারি, ২০১৫ উখিয়া, কক্সবাজারে ৫২ পরিবারকে উচ্ছেদ
নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে সংখ্যালঘু বড়–য়াদের অর্ধশতাধিক পরিবারের নারী, পুরুষ শিশুসহ আড়াই শতাধিক লোক সর্বস্ব হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছেন।পতিত জমি থেকে তাদের উচ্ছেদ করা হয়। উপায় না দেখে তারা দেশত্যাগের চেষ্টা করছে।গত রোববার সকালে দলবদ্ধভাবে তারা মায়ানমার যাওয়ার পথে বেতবুনিয়াতে বিজিবি তদাদের আটকে রাখে। সেখানে তারা অনশন করছে তাদের বসতভিটা ফিরে পেতে।
-দৈনিক সমকাল/জনকণ্ঠ, ১২ জানুয়ারি, ২০১৫
ঘটনা ৯
১০ জানুয়ারি, ২০১৫ নেত্রকোনায় দুটি মন্দিরে চুরি
জেলা শহরের জয়নগর কালীবাড়ীতে লোকনাথ আশ্রমে দুটি মন্দিরে শনিবার রাতে দুঃসাহসিক চুরি সংঘটিত হয়েছে। চোরের দল মন্দিরের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দান বাসের টাকা ও পুজার সামগ্রী নিয়ে যায়।
-দৈনিক সমকাল, ১২ জানুয়ারি, ২০১৫
ঘটনা ১০
৬ জানুয়ারি, ২০১৫ ভুঞাপুর, টাঙ্গাইল হিন্দু পল্লিতে আগুন
গত মঙ্গলবার আনুমানিক রাত ৮টায় পদন শীলের বাড়ির খড়ের গাদায় দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী শীল বাড়ির লোকজনের চিৎকার শুনে ছুটে আসে ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
-দৈনিক সংবাদ, ১৩ জানুয়ারি, ২০১৫
ঘটনা ১১
১০ জানুয়ারি, ১৫ পাংশা, রাজবাড়ী-আদিবাসী মা ও মেয়ে ধর্ষণের শিকার
উপজেলার সরিষা ইউনিয়নে আদিবাসী এক বিধবা নারী ও তার মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এঘটনায় সাফি শেখকে প্রধান করে ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা তুলে নিতে আদিবাসী পরিবারটিকে হুমকি দেয়া হচ্ছে।
-দৈনিক প্রথম আলো, ১৩ জানুয়ারি, ২০১৫
ঘটনা ১২
১৩ জানুয়ারি, ১৫ ফরিদপুর ৮০টি প্রতিমা ভাংচুর
পালপাড়ার সুকুমার চন্দ্র পাল ও প্রদীপ চন্দ্র পাল আগামী ২৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় সরস্বতী পূজা উপলক্ষে বহুদিন বসে প্রতিমা তৈরী করেছিলো। সোমবার গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা ৭০টি প্রতিমা ভেঙে তাদের পথে বসিয়েছে।
-দৈনিক সংবাদ, আমাদের সময়, ১৪ জানুয়ারি, ২০১৫
ঘটনা ১৩
১৫ জানুয়ারি, ১৫ কাউখালী, রাঙামাটি আদিবাসী শিশু ধর্ষণ
উপজেলার কাশখালীতেগত বুধবার ২য় শ্রেণীতে পড়–য়া এক আদিবাসী শিশু বাড়ির পাশের দোকান থেকে জিনিসপত্র কিনে বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযেগে পুলিশ আয়ুব আলী নামে একজনকে আটক করেছে। শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। -দৈনিক সমকাল, ১৬ জানুয়ারি, ২০১৫
ঘটনা ১৪
১৫ জানুয়ারি, ১৫ বুড়িচং, কুমিল্লা ১৫ কোটি টাকার সম্পত্তি দখল
রামপাল গ্রামের নেপা চন্দ্র দেবনাথসহ তাদের পরিবারের একাধিক সদস্যের নামে বিভিন্ন দাগে ৫ একর সম্পত্তি জবর দখল করে নিয়েছে এলাকার প্রভাবশালী হাবিবুর রহমান, আবুল কালামও হারুনর রশীদ। এ ব্যাপারে, বিক্ষোভ, সমাবেশ, মানব বন্ধন, সংবাদ সম্মেলন করেও কোনো ফল হচ্ছে না।
-দৈনিক জনকণ্ঠ, ১৬ জানুয়ারি, ২০১৫
ঘটনা ১৫
১৫ জানুয়ারি, ১৫ কেশবপুর, যশোর এক পরিবারকে উচ্ছেদ
উপজেলার গুদামের কাছে স্বাধীনতার আগে থেকে ২৫/৩০ টি মন্ডল পরিবার বাস করে আসছে। এলাকার প্রভাবশালীদের অতাচারে বর্তমানে ৬/৭ ঘর টিকে আছে। এর মধ্যে খোকন মন্ডলের জমির উপর দৃষ্টি পড়েছে সবরোন্নেছা বেগম ১৫/২০ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী এনে গত বৃহস্পতিবার বসত বাড়ি রান্নাঘর ভাংচুর করে দখল করে নেয় ওই বাড়ি। খোলা আকাশের নীচে খোকন মন্ডল। এখন সে যাবে কোথায়?
-দৈনিক সংবাদ, ১৭ জানুয়ারি, ২০১৫
ঘটনা ১৬
১৮ জানুয়ারি, ১৫ পিরোজপুর, বাড়ি ভেঙ্গে রাস্তা
সূর্য ওঠার আগেই শহরের ঝাটকাঠী এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অতুল চন্দ্র মজুমদারের ঘর ভেঙে রাস্তা বানিয়েছে চিহ্নিত সন্ত্রাসী খোকন ও তাঁর ২৫/৩০ জনের বাহিনী। সন্ত্রাসীরা তাঁর ঘরের কাঠ দিয়ে খালের ওপর একটি ব্রিজও নির্মাণ করে চলে যায়।
-দৈনিক জনকণ্ঠ, ১৯ জানুয়ারি, ২০১৫
ঘটনা ১৭
১৮ জানুয়ারি, ১৫ দুমকি, পটুয়াখালী হিন্দু পরিবারকে উচ্ছেদ
স্থানীয় প্রভাবশালী ছত্তার হাওলাদার গোপন কবলা দলিল বলে মিন্টু বিশ্বাসের শেষ আশ্রয়স্থলটুকুও আত্মস্বাৎ করেছে। মিন্টু বিকশ্বাসকে বিদেশে পাঠানোর নামে ৩ বছরের চুক্তি করলেও মিন্টুকে বিদেশে না পাঠিয়ে চুক্তিপত্রের বলে জবর দখল করেছে সব সম্পত্তি। এখন চলাফেরার রাস্তটিও বন্ধ করে দিয়েছে।
-দৈনিক জনকণ্ঠ, ১৯ জানুয়ারি, ২০১৫
ঘটনা ১৮
১৯ জানুয়ারি, ১৫ শার্শা, যশোর ৩১ পরিবার দেশ ছাড়া
বাহাদুরপুর ইউনিয়ন আওয়মীলীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের নির্যাতনের ভাষা নেই। সম্প্রতি তার অত্যারে পালিয়ে দেশতাগ করেছে ৩১ পরিবার ৫০ পরিবার দেশ ত্যাগের পথে।
-দৈনিক সংবাদ/আমাদের সময়, ২০ জানুয়ারি, ২০১৫
ঘটনা ১৯
১৮ জানুয়ারি, ১৫ পিরোজপুর গোবিন্দ মন্দিরের বিগ্রহ চুরি
রায়েরকাঠি জমিদার বাড়িতে ইসকন পরিচালিত রাধা-গোবিন্দ মন্দিরের তালা ভেঙ্গে পিতলের তৈরী মূল্যবান রাধাগোবিন্দের ৩টি মূর্তিসহ পূজার জিনিসপত্র সব নিয়ে গেছে চোরেরা। এ ব্যাপারে একটি জিডি দায়ের করা হয়েছে।
-দৈনিক সংবাদ, ২১ জানুয়ারি, ২০১৫
ঘটনা ২০
২১ জানুয়ারি, ১৫ গফরগাঁও, ময়মনসিংহ হিন্দু বাড়িতে আগুন বেলাব গ্রামে বুধবার ভোরে শ্রীকান্ত চন্দ্র দাস (৮০) নামে এক সংখ্যালঘুর বাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পরে এলাকাবাসী এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
-দৈনিক জনকণ্ঠ, ২২ জানুয়ারি, ২০১৫
ঘটনা ২১
২৫ জানুয়ারি, ১৫ মানিকগঞ্জ পন্ড হলো সরস্বতী পূজার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রধান শিক্ষকের মোবাইল নম্বর না পেয়ে এক শিক্ষককে পেটালো ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হক রুবেল। এঘটনার সঙ্গে সঙ্গে পন্ড হয়ে যায় সরস্বতী পুজার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আহত শিক্ষককে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।
-দৈনিক সমকাল/সংবাদ/ইনকিলাব, ২৬ জানুয়ারি, ২০১৫
ঘটনা ২২
২৫ জানুয়ারি, ১৫ পটিয়া, চট্টগ্রাম হিন্দু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা পূর্ব শত্রুতার জের হিসাবে সদরের বৈলতলী রোডের অনুকুল স্টোরে সকাল সাড়ে ৮ টায় শফিকুর রহমান নামে এক ব্যক্তি হামলা চালায়। ওসময় হামলাকারী পেট্রোল দিয়ে অফিস জ্বালিয়ে দেয়ারও হুমকি দেয়।
-দৈনিক জনকণ্ঠ, ২৬ জানুয়ারি, ২০১৫
ঘটনা ২৩
২৫ জানুয়ারি, ১৫ মিরসরাই, চট্টগ্রাম বাড়িতে অগ্নিসংযোগ
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের সংখ্যালঘু পরিবার প্রধান ধ্রুব বণিক জানায় দুর্বৃত্তরা তার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে ৩০ লাখ টাকার ক্ষতিগ্রস্ত করে।
-দৈনিক ইত্তেফাক, ২৭ জানুয়ারি, ২০১৫
ঘটনা ২৪
২৬ জানুয়ারি, ১৫ মাদারীপুর, সরস্বতী মন্দির, প্রতিমা ভাংচুর
সদরের উত্তর বীরাঙ্গনেরাতে সরস্বতী মন্দিরের অস্থায়ী স্থাপনা ও প্রতিমা ভেঙ্গে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।
-দৈনিক জনকণ্ঠ, ২৭ জানুয়ারি, ২০১৫
ঘটনা ২৫
২৬ জানুয়ারি, ১৫ মিরসরাই, চট্টগ্রাম জেলে সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুর
মিরসরাইয়ের জেলে সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাঙচুর এবং ১৫ নারী-পুরুষ আহত হয়। মাদক সেবনের বাধা দিলে স্থানীয় দুর্বৃত্তরা এ হামলা চালায়।
-ভোরের কাগজ, ২৯, জানুয়ারি, ২০১৫
ঘটনা ২৬
২৯, জানুয়ারি, ১৫ খাগড়াছড়ি আদিবাসী নারী ধর্ষণ
খাগড়াছড়ির পানখাইয়া পাড়ায় পাহাড়ী এক নারীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে হিল উইমেন্স ফেডারেশন, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম খাগড়াছড়ি জেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে।
-৩১, জানুয়ারি, ২০১৫
ঘটনা ২৭
২৯, জানুয়ারি, ১৫ নাজিরপুর উপজেলা, পিরোজপুর মন্দিরে আগুন
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার কুমারখালী গ্রামে চিন্ময় মজুমদারের বাড়িতে ৫০/৬০জনের একদল দুর্বৃত্ত গোয়ালঘর বসত বাড়িতে লুটপাট এবং দুটি মন্দির পুড়িয়ে দিয়েছে।
-সংবাদ ৩১ জানুয়ারি, ২০১৫
ফেব্রুয়ারি ২০১৫ মাসে ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর সংগঠিত মানবাধিকার লংঘনের ঘটনার প্রতিবেদন
ঘটনা ১
৩১ জানুয়ারি, ২০১৫
হাটহাজারী, চট্টগ্রাম হিন্দুদের জায়গা দখলের হুমকি
উপজেলার ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাধন চন্দ্র নাথের সম্পত্তি দখলের জন্য এলাকার প্রভাবশালী মহিউদ্দিন, মো. জসীম ও ইফনুস মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি, অমানবিক নির্যাতন ও বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে ঐ সংখ্যালঘু পরিবারটিকে যাতে তারা বাড়ি ছেড়ে চলে যায়।
-দৈনিক সংবাদ/জনকণ্ঠ, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫
ঘটনা ২
ঘটনা সংগঠনের তারিখ অজ্ঞাত
সদরপুর, ফরিদপুর দখল ও চুরিতে আক্রান্ত বাইশরশি হিন্দু জমিদার বাড়ি
৩০ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বাইশরশি জমিদার বাড়ি। এসব জমি এখন ভূমি দস্যুদের দখলে। বাড়ির জানালা দরজাও চুরি হয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। প্রতœতত্ত্ব অধিদফতর বাড়িটি অধিগ্রহণ করলে এ নিদর্শনটি লোপাট হতো না।
-দৈনিক ইত্তেফাক, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫
ঘটনা ৩
৬ ফেব্রুয়ারি,২০ ১৫
মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর মন্দির ও বিদ্যালয়ে আগুন
গত শুক্রবার ভোর রাতে নাপিতখালিতে একটি মন্দিরে আগুন দিয়ে র্দুবৃত্তরা পালিয়ে যায়। একই দিনে কাউখালীতে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
-দৈনিক কালের কণ্ঠ/পিরোজপুর কণ্ঠ/ভোরের কাগজ, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫
ঘটনা ৪
২১ জানুয়ারি , ২০১৫
মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর হিন্দু সম্পত্তি দখল
আন্ধার মানিকের বাসিন্দা বিজয় কৃষ্ণ বড়াল জমির মামলায় হাজতে থাকার সুযোগ নিয়ে সন্ধ্যায় সন্ত্রাসী মজিবর রহমান তার বাহিনী নিয়ে বিজয় বড়ালের জায়গা দখল করে এবং ওই পরিবারের যারা বাধা দিতে এসেছিলো তাদের হত্যার হুমকি দেয়।
-দৈনিক পিরোজপুর কণ্ঠ/ পিরোজপুরের কথা, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫
ঘটনা ৫
৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫
গাইবান্ধা মন্দির ভাংচুর ও বসতবাড়িতে হামলা
সদর উপজেলার আনালেরতাড়ি গ্রামে শনিবার সকালে বিধবা সাবিত্রী রানীর নবনির্মিত বসতবাড়ি ও মন্দির ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী আবদুর রশীদ ও তার বাহিনী। সন্ত্রাসী রশিদ ও তার স্ত্রী বহুদিন ধরে তার কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলো। তা না দেয়ায় এ নারকীয়তা।
-দৈনিক জনকণ্ঠ, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫
ঘটনা ৬
ঘটনার তারিখ অজ্ঞাত
মিরপুর, কুষ্টিয়া জমি বেদখল
-অগ্নিযুগের বীর ক্ষুদিরামের মামা রায় সাহেব পূর্নচন্দ্রের বাড়ি ছিলো আমলাপাড়ার অঞ্জনগাছীতে। সেখানে তাঁর ৯ বিঘা জায়গার উপরে বাড়ি ছিলো। ইতিমধ্যে তা প্রভাবশালীরা দখল করে নিয়েছে।
-দৈনিক ইত্তেফাক, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫
ঘটনা ৭
৬ ফেব্রুয়ারি,২০১৫
কাউখালী, পিরোজপুর বসতবাড়ি দখলের চেষ্টা
-কাউখালীতে শ্রীগুরু সংঘের নাম ব্যবহার করে এলাকার চিহ্নিতভুমি দস্যুরা বিশ্বজিৎ বিশ্বাসের জমি দখলের চেষ্টা করে যাচ্ছে। তার উপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে জায়গার দখল ছেড়ে দেয়ার জন্য।
-দৈনিক সমকাল/পিরোজপুর কণ্ঠ, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫
ঘটনা ৮
১২ জানুয়ারি, ১৫
নাজিরপুর, পিরোজপুর বাগন বাড়ি দখল ১ নাজিরপুর বিএনপির তিন নেতা কালাম সর্দার, হাসকিনও নজরুল তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীসহ শ্যামল বৈরাগী ও বিধান বৈরাগীর বাগানবাড়ি দখল করে নিয়েছে। স›ত্রাসীরা তাদের ২লাখ টাকার গাছ কেটে নিয়ে গেছে।
-দৈনিক আলোকিত বংলাদেশ, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫
ঘটনা ৯
৮ ফেব্রুয়ারি, ১৫
পার্বতীপুর, দিনাজপুর আদিবাসী তরুণী ধর্ষণ ১ দিনাজপুরের পার্বতীপুরে আদিবাসী সাওঁতাল তরুণীকে অপহরণ করে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে দুই বখাটে যুবক।
-দৈনিক সমকাল, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
ঘটনা ১০
১০ ফেব্রুয়ারি, ১৫
মুন্সীগঞ্জ সংখ্যালঘু পরিবারকে হুমকি দিয়ে উড়ো চিঠি
-‘বসতভিটে ছেড়ে যাবি, নয়তো তোর পরিবারকে পেট্রোল বোমা মেরে উড়িয়ে দেবো।’ এমন হুমকি দিয়ে শহরের পূর্ব দেওভোগ এলাকার সজল গোস্বামী বরাবরে বেনামে চিঠি দেয়া হয়েছে।
-দৈনিক সমকাল, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫
ঘটনা ১১
ঘটনা ঘটার তারিখ ১০-১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ পর্যন্ত
গ্রাম-কানকুনিপাড়া, ইউনিয়ন-বড়বাইশদিয়া, উপজেলা-রাঙ্গাবালী, পটুয়াখালী ২৮টি হিন্দু পরিবার অবরুদ্ধ, লুটপাট ধর্ষণ এবং শ্লীলতাহানি
দাসের কান্দার ২৮টি হিন্দু পরিবারকে গত ৫ দিন ধরে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তাদের বাড়িতে লুটপাট, ধর্ষণ এবং দৈহিক নির্যাতন চালিয়েছে বিএনপির ৩ নেতা রুহুল আমিন সিকদার, লিন সিকদার বাবু গাজী ও তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী। হিন্দুদের তাড়িয়ে তাদের জায়গা দখল করার জন্য এ ধরনের নির্যাতন চালানো হচ্ছে। আহত ১০ জন।
-দৈনিক জনকণ্ঠ/সংবাদ, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫
ঘটনা ১২
ঘটনা ঘটার তারিখ অজ্ঞাত
বেনাপোল, যশোর, শ্মশানের জমি দখল
নাভারন দেউলি এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ৩ শ’ বছরের পুরানো মহাশ্মশানের জমি দখল করেছে নুর ইসলাম নামে স্থানীয় এক প্রভাবশালী।
-দৈনিক ইত্তেফাক, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫
ঘটনা ১৩
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫
রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ৫ মূর্তি ভাংচুর
-গত শুক্রবার নগরপাড়া পুজা মন্ডপে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে ৫টি মূর্তি ভাংচুর করে ।
-দৈনিক ইত্তেফাক/ আমাদের সময়, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫
ঘটনা ১৪
ঘটনা ঘটার তারিখ অজ্ঞাত
গোপালগঞ্জ হিন্দু পরিবার নিরাপত্তাহীনতায়
মন্ডলদের পুকুর থেকে জোর করে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে জামাত নেতা আবুল কালাম তার বংশীয় লোকজন নিয়ে মন্ডলবাড়িতে হামলা চালায় ও বেধড়ক মারপিট করে। এখনও নিরাপত্তহীনতায় ভুগছে পরিবারটি। আহত ৫।
-দৈনিক জনকণ্ঠ, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫
ঘটনা ১৫
২০ ফেব্রুয়ারি. ১৫
পাকুন্দিয়া, কিশোরগঞ্জ ৩ হিন্দুকে কুপিয়ে জখম
জমি বিরোধের জের হিসেবে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে নিশ্চিন্তপুর গ্রামের স্বপন সরকার, বিপ্লব ও মিলন রানী কে কুপিয়ে জখম করেএকই গ্রামের আলফাজ শরীফ ও তাদের লোকজন। আহত ৩।
-দৈনিক সংবাদ, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫
ঘটনা ১৬
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫
শেরপুর, বগুড়া মন্দিরে আগুন
গত সোমবার চন্ডিজান রাধাগোবিন্দ মন্দিরে রাত ১২টার দিকে দুর্বৃত্তরা খড় ও কাপড়ে কেরোসিন ঢেলে মন্দিরে আগুন দিয়ে পালানোর সময়ে দুই শিবির কর্মী ফরহাদ(১৯) ও তোহা (২২) কে জনগণ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
-দৈনিক সংবাদ, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫
ঘটনা ১৭
২৪ ফেব্রুয়ারি, ১৫
যশোর ১১৬ হিন্দু পরিবার জিম্মি
চুড়ামন কাঠি ইউপি সদস্য ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা ও তার বাহিনীর অত্যাচার, নিপীড়ন এবং চাঁদাবাজির কাছে জিম্মি জীবন যাপন করছে ১১৬টি হিন্দু পরিবার। তারা যাকে খুশী তাকে ধরে আটকে রেখে নির্যাতন চালায়, ঘেরের মাছ লুটে নেয়, চাঁদাবাজি করে এভাবে জিম্মি হয়ে আছে ৪০০জন মানুষ।
-দৈনিক সংবাদ/আজকের দর্পন, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫
এছাড়াও প্রসঙ্গিক লেখাগুলো নিচে দেওয়া হল।
ফিরে দেখা- বাংলাদেশ (২০০১-২০০৬)- সংখ্যালঘু ও ভিন্নমতালম্বী নির্যাতন
ফিরে দেখা ২০০১ সাল এবং যুদ্ধাপরাধী প্রেমিক বিএনপি
[যিনি এই তথ্যগুলো সংগ্রহ করতে সহায়তা করেছেন তার প্রতি রইল কৃতজ্ঞতা।]
হিন্দুদের উপর নির্যাতন নতুন কিছু নয়। ভারতবর্ষে মুসলমান রাজত্ব আরম্ভ হওয়ার পর থেকে মুসলমান শাস্কদের সরাসরি বা প্রচ্ছন্ন মদতে নানহ ভাবে হিন্দুদের উপর নির্যাতন ও নিঃপীড়ন করা আরম্ভ হয় এবং সেই ট্রেডিশান সমান ভাবে চলে আসছে। প্রথম অবস্থায় মুসলমান শাসকদের লক্ষ্য ছিল ভারতে মুসলমান সংখ্যা বাড়ানো এবং স্বাধীনতার আগে ও পরে তা জাতিদাঙ্গায় ও লুঠতরাজে প্রয্যবসিত হয়। স্বাধীনতার পর তদানীন্তন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্থানে সরকারী প্রচ্ছন্ন মদতে হিন্দুদের উপর যে অত্যাচার ও ডাঙ্গা করা হয় তাতে হাজার হাজার হিন্দুর মৃত্যু হয়, তাদের স্রী, কন্যাদের হারাতে হয়, ঘরবাড়ী, অর্থ সম্পদ সব ফেলে নিঃস্ব ভাবে বাঁচার তাগিদে ভারতে আশ্রয় নেয়। বাংলাদেশ হওয়ার পর ভাবা হয়েছিল যে, সেই অন্ধকার যুগের বোধ হয় অবসান হয়েছে, কিন্তু তা ভুল প্রমানিত হল। নানহ অজুহাতে হিন্দুদের উপর সেই নির্যাতন স্মানে চলেছে এবং এই সময় আগের তুলনায় বেশী পরিমাণে হচ্ছে, যার জন্য হিন্দুরা দলে দলে ভারতে আশ্রয় নিতে থাকে। হিন্দুদের যদি কেউ সমর্থন করতেও চায়, সংখ্যা গুরুদের চাপে তাও করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতা আছে কি? সরকার সব কিছু দেখে ও জেনে, না বুঝার ভান করে। বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীরাও বেশী সাড়া করেনা। সেখানে হিন্দুরা অসহায়। অথচ ভারতে মুসলমানদের উপর কোন কিছু হলে সরকার কঠোর হাতে দমন করে ও বুদ্ধিজীবীরা প্রতিবাদ করতে আরম্ভ করে। ভারত একটি ধর্ম নিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক দেশ। সেইজন্য ভারতের মুসলমানরা নিরাপদে বাস করতে পারে। অনেকে বলেন ভারতে মুসলমানরা লড়াই করে টিকে আছে। তা ভুলাংশে ভুল ধারনা। ভারত সরকার ও হিন্দু বুদ্ধিজীবীরা তাদের মূল অস্র। বর্তমানে বাংলাদেশে যে সকল বুদ্ধিজীবী হিন্দুদের পাশে দাঁড়াতে চেষ্ঠা করে, মৌলবাদীরা তাদের উপর বিভিন্ন ভাবে প্রভাব বিস্তার করে তাদের ঠেকিয়ে রাখে। সর্ব ক্ষেত্রে যদি সরকার সচেষ্ঠ থাকে, তবে এই সমস্ত অপকাজগুলি স্নজ্ঞঠিত হয়না বাঃ হতে পারেনা। বাংলাদেশ সরকারের সেই সবিচ্ছা নেই। তারা মুসলমান রাজত্বের মতই রাজধর্ম পালন করে। একটা সামান্য কথা বলতে চাই যে, যে স্ব হিন্দুরা নিঃশহায় হয়ে একদিন ভারতে পা রেখে ছিল, আজ তাদের ই উত্তর পুরুষ্রা ধর্ম নিরপেক্ষতার মধ্যদিয়ে মুসলমানদের জন্য লড়াই করে।
” ভারতের মুসলমানরা লড়াই করে টিকে আছে ” এই প্রসঙ্গে উপরের কথাটা বলা
এই লড়াই কিন্তু সম্ভব হত না যদি রাষ্ট্র তাদের পাশে না থাকত।
আমার পরিচিত একজনের ছেলের বিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের এক কন্যার সাথে। সেই কন্যা বাংলাদেশের সরকারী বিদ্যালয়ের চাকরি ছেড়ে দিয়ে কলকাতায় বিয়ে করে গৃহবধু হয়েছে। তার কাছ থেকে আরো জানতে পারলাম ওখানকার হিন্দু ঘরের মেয়েদের কাছে ভারতে বিয়ে হওয়া বিশেষ ভাগ্যের ব্যাপার। কারণ তাদের অবিভাবকরা মনে করে তাদের পরবর্তী প্রজন্ম বাংলাদেশে আরো কোনদিন সুরক্ষিত থাকবে না।
মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।
@ সুব্রত, আমাদের কি করার আছে ?
@অনিকিন
রাষ্ট্র যে এসব ঘটনা অস্বীকার করছে তা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরুন। রাষ্ট্রের উপর চাপ প্রয়োগ করুন। সমস্যা হল বিভিন্ন মানুষ ব্যক্তিগত ফায়দা হাসিলের জন্য পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দেয়- আমরা ভাল আছি!
যদি দেশের মধ্যে থেকে রাষ্ট্রের উপর চাপ সৃষ্টি করেন তাহলে রাষ্ট্রও আপনার উপর সন্ত্রাস নামিয়ে আনবে | হয়ত মৌলবাদীদের চাপাতির ঘা নাহলে ৫৭ ধারায় গ্রেফতার অথবা দুটি হতে পারে |
আমার পরামর্শ : দেশের বাইরে থেকে রাষ্ট্রকে চাপ দিন |
ব্লগ অনেকে পড়তে পারে না,
প্লিজ ফেইসবুকে তুলে ধরুন,
অনেকে জানতে পারবে
বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ ও সংখ্যালঘু তত্ত্ব ২
ক্ষমতার বিন্যাসের সঙ্গে সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি দখলের সম্পর্ক রয়েছে। ১৯৪৭-এর পর থেকে ধরলে মুসলিম লীগ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি—এই তিনটি দল পর্যায়ক্রমে ক্ষমতায় থেকেছে। সংখ্যালঘু আক্রমনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনৈতিক পরিচয় এক এবং অভিন্ন। আওয়ামী লীগের চিন্তা, কোনটি তাদের জন্য লাভজনক, সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি দখল করা, নাকি রাজনৈতিক অবস্থান, ঐতিহাসিক দায় থেকে নিজেদের রক্ষা রক্ষা করা। বিশেষ করে সম্পত্তি দখল শুরু হয় ক্ষমতা লাভের পর। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ক্ষেত্রে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, স্থানীয় সম্পর্কের সংঘাত ও নির্বাচনী রাজনীতি ব্যপকভাবে কাজ করে এবং দায়ীরা যে দলেরই হোক, কেউ তাদের শাস্তি দিতে চায় না। এখন পর্যন্ত কোনো সংখ্যালঘু নির্যাতনের কোন বিচার হয়নি। বরং হয়রানির শিকার হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীরা। ২০০১-এর পর যত আক্রমন হয়েছে সবগুলোতে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করা হয়েছে। এইসব ঘটনার কোন বিচার হতে কেউ শুনেনি। এর জন্য বিচার বিভাগ দায়ী। বিচার বিভাগ যতদিন স্বাধীন হবে না ততদিন এই অপরাধ বাড়তে থাকবে।
উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িক হিংসার সূত্রপাতের মুহূর্ত হিসেবে দেশভাগকে অনেকে দায়ী করেন। কিন্তু বর্তমান সাম্প্রদায়িকতার ধরনটা এখনো বদলায়নি। দেশভাগের অনেক আগে থেকে এখানে সাম্প্রদায়িকতা যে ছিল, তার বহু প্রমাণ ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে রয়েছে। চর্যাপদে দেখা যায় বৌদ্ধদের ব্যাপারে হিন্দুদের ঘৃণা। এ দেশে বৌদ্ধধর্ম প্রচারের সময় ব্রাহ্মণেরা কুকুর লেলিয়ে দিয়ে তাদের তাড়িয়ে দেওয়ার অনেক ঘটনা আছে। এরপর এই অঞ্চলে মুসলমান শাসকদের আমলে ধর্মান্তরকরণের ইতিহাস সব সময় শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে, তা তো নয়। অনেকে বলে, এখানে তরবারির জোরে ধর্মান্তর হয়েছে। এ কথা পুরোপুরি যেমন ঠিক না, তেমনি একদম ভুলও নয়।
দেখা যাচ্ছে, উপকূলীয় ও সীমান্তবর্তী গ্রামে যেখানে হিন্দুদের বসতি বেশি এবং সেখানেই সাম্প্রদায়িক হামলাগুলো বেশি হচ্ছে। অন্যদিকে ভারতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাগুলোর উৎপত্তি বেশির ভাগই শহরে। দুই দেশের সাম্প্রদায়িকতার গড়নে পার্থক্য ভিন্ন।
১৯৪৭-এর দেশভাগের দিকে তাকালে দেখা যায়, বাংলাদেশ থেকে হিন্দুরা গিয়ে ভারতের সীমান্ত এলাকায় বসতি গড়েছে। আর ভারত থেকে আসা অবস্থাপন্ন মুসলমানেরা ঢাকাসহ বড় শহরে বসতি গেড়েছে। ভারতের উচ্ছেদ হওয়া মুসলমানেরা শ্রমিক হিসেবে শহরাঞ্চলে জড়ো হয়েছে। এখানে পার্থক্য হচ্ছে, শহরাঞ্চলে বসবাস এবং শ্রমিক হওয়ার কারণে ভারতীয় মুসলমানেরা সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং লড়াই করতে পারছে। বাংলাদেশের হিন্দুদের ক্ষেত্রে তেমনটা আমরা দেখা যায় না।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের চোখ দিয়ে দেখলে কে তাদের শত্রু, কে মিত্র? তারা দেখে কে আমার জন্য কম ক্ষতিকারক। সেই হিসাব থেকেই তারা কোনো একটি রাজনৈতিক দল বা শক্তির প্রতি সমর্থন জানায়। কেননা, সব রাজনৈতিক দলই তাদের কমবেশি ক্ষতি করেছে।
সহিংসতার বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের একটি যৌথ শক্তিতে পরিণত হতে হবে। সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, হিন্দুরা নিজেরা যদি সংগঠিত হয়, তাহলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। অথচ তারা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে পড়লে, সহিংসতার শিকার হলে ভারতে চলে যায়। কিন্তু ভারতের মুসলমানেরা তো সহিংসতার কবলে পড়লে পাকিস্তানে চলে যায় না। তারা লড়াই করে টিকে থাকে। এভাবে অনেক ক্ষেত্রে সফলও হয়েছে তারা। নীরব থেকে আরও বিপন্ন হলে তারা কী করবে, সেটা বিবেচনার বিষয় হয়। সহিংসতা এলাকার হিন্দুরা না হয় বড় ধরনের প্রতিবাদী কর্মসূচি নিতে পারেনি। কিন্তু ঢাকা শহরের দেড় কোটি অধিবাসীর মধ্যে যদি কমপক্ষে ১০ লাখও হিন্দু ধর্মাবলম্বী থাকে, তাদের মধ্যে দুই লাখ মানুষও যদি সারা দেশের সাম্প্রদায়িক হামলা-নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামত, তাহলে পুরো ঘটনাই অন্য রকম হয়ে যেত।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ রয়েছে, সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী মঞ্চ রয়েছে। তারা তো দীর্ঘদিন ধরে সাম্প্রদায়িক নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। তাদের আন্দোলন অনেক দুর্বল। অনেকাংশে তারা রাজনৈতিক লেজুরবৃত্তির পরিচয় দেন। তাদের মধ্যে আছে অনেক বিভাজন। এটা করা উচিত না। সম্মিলিতভাবে জোরালো প্রতিবাদ হলে হামলাকারী পক্ষ বা রাষ্ট্র সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে রাজনীতি করার বিষয়টিকে অন্যভাবে ভাবত। সমাজ বিজ্ঞানী মোহাম্মদ রাফির মতে, অবশ্যই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। তাদের পক্ষে যারা আসবে, তাদের সঙ্গে নিতে হবে। কিন্তু তারা নিজেদের যাতে ওই আন্দোলনে প্রাধান্যে থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে। সব মুসলমান তো খারাপ নয়। সংখ্যালঘুরা যদি নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে মাঠে নামে, তাহলে তাদের পক্ষে অনেক মুসলমানকেও পাওয়া যাবে। তাই এই আন্দোলনে সবার আসার সুযোগও রাখতে হবে, একে নিছক সম্প্রদায়নির্ভর জোট করে রাখলে চলবে না।
সংখ্যালঘু আক্রমন বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা খুব প্রয়োজন। মানুষকে মানবতা বোধ শিখাতে হবে, তাদের মাঝে জাগ্রত করতে হবে। এই ক্ষেত্রে মসজিদ এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে নিয়মিত আলোচনা করতে হবে। সরকারকে ভুমিকা রাখতে হবে বেশী। মিডিয়াতে এই শব্দ ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। তাদের মাথায় এই শব্দ ঢুকিয়ে দেয়া মানে তাদের করুনা করা। তারা করুনা চাই না। তারা এদেশে তাদের অধিকার নিয়ে বসবাস করতে চায়। দেশের প্রত্যেক নাগরিকের মত তারা ভোট দেয়। তারা সুবিচার পাও্য়ার অধিকার রাখে। তাদের নিয়ে রাজনীতি করা বন্ধ করতে হবে। সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক শক্তিগুলো যদি সক্রিয় থাকতে হবে, তাহলে এ ধরনের দুঃখজনক ঘটনা এড়ানো যাবে। তাই সংখ্যা লঘু শব্দ টি চিরতরে মুছে ফেলতে হবে। আমরা সবাই বাঙ্গালী। বাঙ্গালী জাতীয়তা বোধ নিয়ে এইদেশের জন্ম। যারা এই জাতীয়তা বোধ ভুলে গিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য সংখ্যা লঘু শব্দটি ব্যবহার করেন, তারা সংবিধান লঙ্ঘন করেন। বাঙ্গালী জাতীর দেশে সংখ্যালঘু সংখ্যাগুরু বলতে কিছু নেই।
@ সৈয়দ জাহেদ হোসেন
আপনার সাথে আমিও একমত। বাঙ্গালী জাতীর দেশে সংখ্যালঘু সংখ্যাগুরু বলতে কিছু নেই।… আপনার মূল্যবান কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।
বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ ও সংখ্যালঘু তত্ত্ব ১
বর্তমান বাংলাদেশে সংখ্যালঘু শব্দটি সরব, জোরালো এবং সুবিধাবাদী মিডিয়া ও রাজনৈতিক নেতাদের নিকট খুব প্রিয়। বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ। এই দেশে মুসলিমদের পাশাপাশি হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানদের বসবাস। কিন্তু সংখ্যালঘু শব্দটি উচ্চারন হয় বিশেষ করে হিন্দু সমাজের বেলায়। হিন্দু সমাজের উপর চলমান আক্রমণকে কেউ সহিংসতা, কেউ বলছেন সাম্প্রদায়িকতা, কেউ বলছেন রাজনৈতিক সহিংসতা। সবসময় যে কোন নির্বাচনের আগে ও পরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলাগুলো চালানো হয়, তাই একে রাজনৈতিক সহিংসতা বলা যায়। তবে এর মধ্যে ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক সহ অনেক বিষয় আছে।
একেক সময় একেকটি বিষয় নিয়ে হিন্দুদের উপর আক্রমন হয়। তবে সাম্প্রতিক সহিংসতার ক্ষেত্রে নির্বাচন কেন্দ্রিক রাজনৈতিক বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। এদেশে হিন্দুরা না থাকলে কিছু কিছু মানুষ বেশ লাভবান হয়। তাছাড়া নির্বাচনে হিন্দুরা যে সমস্যার মুখোমুখি হয়, তা সবাই জানে। সাধারণত তারা আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়। আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে তারা বি এন পি জামাতের আক্রমনের শিকার হয়, আবার আওয়ামী লীগকে ভোট না দিলে আওয়ামী লীগের আক্রমনের শিকার হয়। গত নির্বাচনের পরের ঘটনাগুলো তাই প্রমান করে। সুবিধাবাদীরা চায় হিন্দুরা এ দেশ থেকে চলে যাক। ২০০১ সালে দেখা গেছে যারা তাদের পক্ষশক্তি,তা তারা ভালোভাবে দেখাতে চায়। এই লোক দেখানো কাজটি করতে গিয়ে দুই পক্ষের রাজনৈতিক লড়াইয়ের শিকার হন হিন্দু সমাজ।
অপ্রধান ধর্ম ও জাতিগোষ্ঠীর ওপর সাম্প্রদায়িক আচরণ ও চাপ সারা বছরই থাকে। নির্বাচনের সময় তা তীব্র হয়ে ওঠে। স্বাধীনতার পর থেকেই আজ পর্যন্ত যেকোনো রাজনৈতিক চাপের বিরুদ্ধে সব সময় আরেকটি রাজনৈতিক শক্তি সক্রিয় থাকে। যেমন,যারা হিন্দুদের ওপর হামলা করতে চায়, তারা সক্রিয় হওয়ার পর অপর পক্ষ তো মাঠে থাকে। তারা তা প্রতিরোধ করে থাকে। নির্বাচনের সময় এই পাল্টা সক্রিয়তা কমে গিয়ে শূন্যতা তৈরি হয়।
বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে আওয়ামীলীগ হিন্দুদের কে ভালো করে বুঝিয়ে দেয় তাদের কাছে সংখ্যালঘুদের জানমালের কোন নিরপত্তা নেই। এইক্ষেত্রে আওয়ামীলীগ সবসময় মাঠে সক্রিয় থাকে। বর্তমানে সংখ্যালঘুদের পক্ষের শক্তি বলে দাবিদার আওয়ামী সরকার ক্ষমতায়। তারপরও তাদের নিরপত্তা নেই। ২০০১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত সকল সাম্প্রদায়িক তাণ্ডবে দেখা গেছে, পুলিশের তরফে কোনো প্রতিরোধ হয়নি। যদি হতো, তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সহিংসতাকারীদের সংঘর্ষ হতো। অভয়নগরের সাংসদ, পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। তার পরও তাঁরা সহিংসতা বন্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারেননি।
যাঁরা প্রশাসনিক দায়িত্বে আছেন, তাঁরা নিয়ম ও নির্দেশে পরিচালিত হন। সংখ্যা লঘুদের উপর আক্রমনের বিভিন্ন কারনের মধ্যে সম্পত্তি দখল অন্যতম। হিন্দুদের সম্পত্তি দখলে প্রায় সর্বদলীয় ঐক্য দেখা যায়। বিভিন্ন সমাজ বিজ্ঞানীদের গভেশনায় দেখা গেছে যাঁরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বেশি থাকেন, হিন্দুদের সম্পত্তি দখলের হিস্যাও তাঁদের বেশি।
আমরাও সংখ্যালঘু। আমাদেরকে কুপিয়ে মারা হচ্ছে সরকারের প্রচ্ছন্ন সমর্থনে। স্বঘোষিত ধর্ম নিরপেক্ষ সরকার হত্যাকারীদের খুশি করতে, হত্যাতে উৎসাহ যোগাতে ব্লাসফেমি আইন পাস করেছে।