লেখকঃ রেহান কৌশিক
ওড়ে জহ্লাদের ছুরি
হন্যে হয়ে খোঁজ করে বাঁশির শরীর —
নিশ্চিত মৃত্যুকে চায়, চায় রক্ত সুর ও মাটির!
হত্যাবোধ যুক্তিহীন খুব
অন্ধকার বুকে নিয়ে ছুটে চলে প্রতিদিন, হত্যা করে প্রকৃত ধর্মকে
ঢেলে দেয় গাঢ়-বিষ মতের বিরুদ্ধ সব চোখে!
দ্যাখো ওই বাঁশিদেহ কী রকম কেঁপে কেঁপে ওঠে
ধুলোয় গড়িয়ে যাচ্ছে শেষ শ্বাস তার
ফোঁটায় ফোঁটায় নামা রক্তে দ্যাখো, কী রকম জাগে অন্ধকার!
অন্ধকার বাড়িঘর। অন্ধকার রৌদ্রমেঘ। অন্ধকার সুদূর বাতাস…
আশ্চর্য হত্যার ত্রাস দিকে দিকে ওড়ে
নিজেদের মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে হেঁটে যান
লালন, জীবনানন্দ দাশ!
এ মাটি কাদের দেশ? এই পথে কাদের দখল?
কপোতাক্ষ ভাগীরথী ধানসিড়ি আর মেঘনায়
লালবর্ণ জল!
মৃত্যু মিছিলে একে একে যুক্ত হচ্ছে নতুনদের নাম। স্বর্গ লোভে ওরা মত্যের কথা ভুলে গেছে।ওরা সর্বত্র বিরাজমান।
ধন্যবাদ, কাজী রহমান, সন্তু মুখোপাধ্যায়।
আমরা চাই মানুষ হোক মানুষের। মানবিক হোক মুখ। যুক্তিনির্ভর হোক আমাদের দিনযাপন। একা নয়, সবাই এগিয়ে এলেই অন্ধকার কে অতিক্রম করে পৃথিবীর বুকে জেগে উঠবে স্বপ্নের ভোর।
ধন্যবাদ, মুক্ত বিবেক।
মৌ লোভী যত মৌলবী
আর মোল্লারা কন হাত নেড়ে
দেব দেবী নাম মুখে আনে সবে-
দাও পাঁজিটার জাত মেরে।
-কাজী নজরুল
ওরা সর্বত্র সামিল, ওরা মৃত্যু উপত্যকার নাগরিক!
ওরা ভারতবর্ষে, ওরা বাংলাদেশে,
ওরা পাকিস্থানে, ওরা আফগানিস্থানে
ওরা আফ্রিকায়, সোমালিয়ায়, কিউবায়
যেখানে বন্দুকের গুলিতে চাপা পড়ে যায়
দুর্বলের আর্তনাদ, খিদের হাহাকার, আর
নির্লজ্জতার শীৎকার!
…….যতদিন রাজনৈতিক সুবিধাবাদীরা ধর্মকে ক্ষমতার হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করবে ততদিন এ মৃত্যু উপত্যকা থেকে মুক্তি নেই।
ধন্যবাদ, আপনাকে রিমি।
এভাবেই সকলের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর জাগ্রত হোক।
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
.
নেই নাগরিকের, এমনকি বাঙালিরও নেই আর,
দেশ হয়ে গেছে ধর্মান্ধ জানোয়ার আর হায়েনার।
.
মুক্তমনায় স্বাগতম।
অনেক ধন্যবাদ।
এই মৃত্যু উপত্যকা, এই রক্তসাগর শুধু ইসলামিস্ট হায়েনাদের অভয়ারণ্য।