রোগা পটকা মুস্তাফিজকে কনুই মারার অপরাধে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক এমএস ধোনির ম্যাচ ফির পচাত্তর ভাগ অংশ জরিমানা করা হয়েছে। সেই সাথে ধোনির যাত্রাপথের সামনে এসে কনুই এর গুঁতো খাবার অপরাধে বাংলাদেশের সদ্য অভিষিক্ত পেসার মুস্তাফিজেরও ম্যাচ ফির পঞ্চাশ শতাংশ কেটে নিয়েছে আইসিসি।
আইসিসির এই বিচার দেখে গ্রাম্য সালিশের কথা মনে হলো আমার। গ্রামে মাতব্বরের ছেলে কাজের মেয়েকে ধর্ষণ করে হাতে নাতে ধরা পড়ে গেলে, তার বিচার না করে উপায় থাকে না। নইলে জনরোষের কবলে পড়তে হতে পারে। এই আশংকায় বিচার হয় বটে, তবে যতো দূর সম্ভব কম শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা করা হয় তাকে। শুধু যে কম শাস্তি দেওয়া হয় তা নয়, বরং তারপর তার অপরাধকে লঘু করার জন্য কাজের মেয়ের অপরাধেরও খতিয়ান নেওয়া হয়। মাতব্বরের ছেলে ঘরে একা আছে জেনেও সে কেনো ওই ঘর ঝাড়ু দিতে গেল? নিশ্চয় মনে তার নষ্টামি ছিলো ভরা। এই অপরাধে তাকেও শাস্তি দেওয়া হোক। চুল কেটে, গালে মুখে চুনকালি মেখে, পিঠে দুই ঘা লাগিয়ে দিয়ে ভাগিয়ে দেওয়া হোক এই নষ্টা মেয়েকে গ্রাম থেকে।
বাচ্চা একটা ছেলে সবে মাত্র তার প্রথম ম্যাচে নেমেছে। তাও যেই সেই ম্যাচ নয়। দুই দুইবারে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি ভারতের বিপক্ষে। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অন্যায়ভাবে বাংলাদেশকে হারানোর কারণে এটি পরিণত হয়েছিলো এক হাই ভোল্টেজ ম্যাচে। এখানে তার মতো নবীন খেলোয়াড়ের এরকম উত্তেজনার ম্যাচে ভুলচুক করাটাই স্বাভাবিক। সেটাই করেছে সে। ভুলক্রমে ব্যাটসম্যানের লাইনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ভুল মুস্তাফিজ যে ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম করেছে, তা নয়। অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ও খেলার উত্তেজনায় এমন ভুল অতীতে বহুবার করেছে। কিন্তু, বহু খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ক্যাপ্টেন কুল যে কাজটি করেছেন, সেটি রীতিমতো গর্হিত একটা কাজ। তিনি খুব সযত্নে কাছে এসে অত্যন্ত সচেতনভাবে মুস্তাফিজকে কনুই দিয়ে গুঁতিয়ে আহত করে মাঠছাড়া করেছেন। অনিচ্ছাকৃত ধাক্কায় মুস্তাফিজ মাঠে পড়ে গেলেও কোনো আপত্তি ছিলো না। কিন্ত, সেরকম কিছু এখানে ঘটে নি। মারটা ছিলো ইচ্ছাকৃত এবং পরিকল্পিত। খেলায় না পারার হতাশা থেকে উদ্ভূত গভীর রাগ, হিংসা এবং দ্বেষের ফসল এটি। তা না হলে মুস্তাফিজ যখন তাঁর পেশীবহুল পেটানো শরীরের মার খেয়ে ব্যথায় কাতরাচ্ছে, উদ্বিগ্ন ধোনির স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হতো ছুটে গিয়ে তাকে সান্ত্বনা দেওয়া, স্যরি বলা। ধোনি এর কোনোটাই করেন নি, বরং মুস্তাফিজের বিরুদ্ধে নালিশ করাতেই ব্যস্ত ছিলেন তখন তিনি। ভদ্রলোকের খেলা বলে পরিচিত ক্রিকেট যে আর ভদ্রলোকের খেলা নেই, এটা থেকেই তা বোঝা যায়।
মাঠের দুই আম্পায়ার এবং ম্যাচ রেফারি পুরো ঘটনার জন্য দায়ি করেছিলেন ধোনিকে। ক্রিকিনফোর রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, শুরুতে শুধুমাত্র ধোনিকেই শাস্তি দিয়েছিলেন ম্যাচ রেফারি এন্ডি পাইক্রফট। তখনই ভারত তাদের শক্তি দেখানোর ইচ্ছার কথা জানিয়ে দেয়। আইসিসিতে ভারত মোড়লিপনা করছে অনেক বছর ধরেই। তাদের ঘাটানোর সাহস কারোরই নেই। ফলে, ভারসাম্য বজায় রাখতে মার খাওয়া মুস্তাফিজকেও ধরে এনে শাস্তি দিয়ে ধোনির বর্বর আচরণকে হালকা করে দেওয়া হয়েছে।
ভারত- বাংলাদেশের প্রথম খেলার পর থেকে ক্রিকইনফো এবং ডন পত্রিকার কমেন্ট সেকশন ফলো করছি। বেশিরভাগ ভারতীয় দেখলাম এই ঘটনায় ধোনির কোনো দোষ দেখতে পাচ্ছে না, তাদের কাছে সব দোষ মুস্তাফিজের। সেই পথ আগলেছে ধোনির। তার যাতে আঘাত না লাগে সেই জন্য ধোনি তাকে মোলায়েম করে, আদরের ছোঁয়া দিয়ে সরিয়ে দিয়েছে। মানুষ কতোখানি অন্ধ হতে পারে, সেটা এদের আচরণ দেখলে বোঝা যায়। আগে আমার ধারণা ছিলো যে, শুধুমাত্র পাকিস্তানি সমর্থকইরাই অন্ধ হয়। এবার টের পেলাম এ বিষয়ে ভারতীয়রাও কম যায় না। এই অন্ধত্ব থেকে তাঁদের উচ্চশিক্ষিত ধারাভাষ্যকারী কিংবা সেলিব্রিটি প্রাক্তন খেলোয়াড়রাও মুক্ত নয়। ধোনি যা করেছে, সেটি হচ্ছে শারীরিক আক্রমণ। মুস্তাফিজ যতো বড়ো অপরাধই করুক না কেনো, ধোনির কোনো অধিকার নেই মাঠে তাকে শারীরিকভাবে আক্রমণ করার। এটি যে কোনো পরিস্থিতিতেই মারাত্মক অপরাধ বলে গণ্য। তিনি মাঠেই মুস্তাফিজের বিরুদ্ধে আম্পায়ারদের কাছে নালিশ করতে পারতেন, মাশরাফিকে ডেকে বিষয়টা জানাতে পারতেন, মুস্তাফিজকে ডেকে বুঝিয়ে দিতে পারতেন, কিংবা ম্যাচ শেষে অফিসিয়ালি নালিশ জানাতে পারতেন ম্যাচ রেফারির কাছে। কিন্তু, সেগুলো কিছু না করেই অত্যন্ত দৃষ্টিকটুভাবে বাচ্চা ছেলেটাকে আঘাত করেছেন তিনি। সেই আঘাত পেয়ে প্রায় এক ঘণ্টা মাঠের বাইরে শুশ্রুষা নিতে হয়েছে মুস্তাফিজকে।
পুরোনো একটা প্রবাদ আছে যে, তোমার খুব রাগ হলে বৃদ্ধ একজন লোককে লাথি মারতে পারো। কারণ, তুমি জানো সে কী। কিন্তু, একজন বাচ্চাকে কখনো ভুলক্রমেও মেরো না, কারণ তুমি জানো না সে একদিন কী হবে। মুস্তাফিজের ওই রোগা পটকা শরীরে কী অমিত শক্তি, কী অসীম সম্ভাবনা, আর কী বিপুল পরিমাণ তেজ লুকিয়ে আছে, সেটা ধারণাই করতে পারেন নি ধোনি। বারো ওভার পরে মাঠে ফিরে এসে মুস্তাফিজ তার উপরে করা অন্যায়ের প্রতিশোধ নিয়েছে বিপুল বিক্রমে। না, শারীরিকভাবে আক্রমণ করে নয়, কিংবা গালিগালাজ করেও নয়। বোলিংটাকে ধারালো ছুরি বানিয়ে বিশ্বের সেরা ব্যাটিং লাইন আপকে কুচি কুচি করে কেটেছে সে। আনন্দবাজার পত্রিকা লিখেছে, “যে মুস্তাফিজকে ধোনি ধাক্কা দিয়ে মাঠের বাইরে যেতে বাধ্য করেছিলো, সেই মুস্তাফিজই ফিরে এসে ভারতকে ধাক্কা দিয়ে ম্যাচ থেকে বের করে দিয়েছে।”
আমাদের ছোট ভেবে দিনের পর দিন যারা অন্যায় করে যাচ্ছে, অবহেলা আর অপমান করে যাচ্ছে, তার সব মনে রাখছি আমরা। চিরদিন ছোট থাকবো না আমরা। একদিন না একদিন বড়ো হবোই। সেইদিন কড়ায় গণ্ডায় সব কিছুর হিসাব বুঝিয়ে দেবো আমরা। সেই বোঝাতে গিয়ে খেলায় জেতার জন্য তিন আম্পায়ারকে বশ করবো না আমরা, আইসিসিকে পকেটে পুরবো না, মাঠে পেশী ফুলিয়ে গুঁতোগুঁতি করবো না। তার বদলে যা করবো তা হচ্ছে সতেরো বছরের তেজী কিশোর তামিম ইকবালকে ছেড়ে দেবো। মুনাফ প্যাটেলের বুলিং এর বিরুদ্ধে যে আগুন চোখ নিয়ে ফিরে তাকাবে, তারপর ফার্স্ট বোলিং এর বিরুদ্ধে ড্যান্সিং ডাউন দ্যা উইকেট করে মাঝ পিচে এসে বলকে পিটিয়ে গ্যালারিতে পাঠিয়ে দেবে। সবুজ চোখের কমান্ডো সাব্বিরকে ছেড়ে দেবো। কব্জির মোচড়ে বলকে অনায়াসে মাঠের বাইরে ফেলে দেবে সে। অমিত সাহসের নাসিরকে ছেড়ে দেবো, বোলার বল করার আগেই স্টান্স বদলে ফেলবে যে নিমেষেই। ছেড়ে দেবো সৌম্যকান্তি সৌম্যকে। বাউন্সারের বিরুদ্ধে ব্যাট উঁচু করে যে দাঁড়িয়ে থাকবে অবিচল। যে মুহুর্তে বল মাথায় আঘাত আনবে বলে মনে হবে, ঠিক তখনি সোনালি সৌন্দর্য নিয়ে ব্যাটের আলতো ছোঁয়ায় বলকে পাঠিয়ে দেবে দড়ির ওপাশে। ছেড়ে দেবো রোগা পাতলা মুস্তাফিজকে, যার সুইং সাপের মতো ছোবল দেবে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের ব্যাটের কানায়। ছেড়ে দেবো হারকিউলিসের মতো শক্তিমান এবং হিরণ্ময় সৌন্দর্যের তাসকিনকে। যে প্রতিটা বিজয়ের পরে আকাশে উড়ে চেস্ট বাম্প করবে মাশরাফির সাথে। তার সাথে সাথে আকাশে উড়বে ষোল কোটি বাঙালিও।
বড়ো হবার শুরুটা সবে শুরু হয়েছে মাত্র। সামনে পড়ে আছে অনাগত সম্ভাবনার দিন, উজ্জ্বল সূর্যের সোনালি রোদের সময়। সব বর্বরের মাথাই একদিন ঘুরিয়ে দেবো আমরা।
এই দিন দিন নয়, আরো দিন আছে।
পড়ে অরেক ভালো লাগল।
খেলার মাঠে জয়-পরাজয় থাকবেই।পরাজিত দলের যেমন বিজয়ীর বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা প্রকাশ করতে নেই তেমনি বিজয়ীরও জয়োল্লাসের বশবর্তী হয়ে পরাজিতের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগ বা ঔদ্ধত্য প্রকাশ করা অনুচিত।তাই ধোনির ব্যবহারের সাথে সাথে সুধীর গৌতমের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাও নিন্দার যোগ্য।
দৃশ্য একপাকিস্তানের একজন সমর্থক আছেন যিনি পাকিস্তান যেখানেই যান সেখানেই হাজির হন, ভদ্রলোকের নাম আমি জানি না, মুরুব্বি মানুষ, দাড়ি-টুপি আর পায়জামা-পাঞ্জাবী পরে পাকিস্তানের পতাকা দোলায় গ্যালারিতে। বাংলাদেশেরদর্শকের কাছে তিনি খুবই জনপ্রিয়। ঢাকায় যতবার এসেছেন, পোলাপান খুব আমোদ করেছে উনার সঙ্গে। একবার গ্যালারিতে উনার ইমামতিতে নামাজও পড়েছে দর্শকরা। বাংলাদেশী মুসলমানরাখুবই স্পোটিং আবেগ সম্পন্ন জাতি! — Susupto Pathokদৃশ্য দুইবাংলাদেশেও এসেছিলেন টিম ইন্ডিয়ার এই সমর্থক। সেই সুধীর গৌতমের ওপর হামলার খবর পাওয়া গেল। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে ভারতের হারের পর এবার চূড়ান্ত অপমানিত হতে হল ভারতীয় সমর্থককেও। সুধীর গৌতম নামে ওই সমর্থক ভারতীয় দলের সঙ্গে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়ান। গতকাল রবিবার (২১ জুন) ভারত-বাংলাদেশ দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচের পর বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি সমর্থক সুধীরের উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। পুলিশের তত্পরতায় প্রাণে বাঁচেন ভারতীয় এ সমর্থক। এরপর ফেরার জন্য সুধীর সিনজি অটোতে উঠলে, সেই অটো লক্ষ্য করেও ইট-পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি কোনওদিন হতে হয়নি বলে জানিয়েছেন সুধীর।দৃশ্য তিন১৯৭১ এ আমরা ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলাম, সেই যুদ্ধে অর্থ, নৈতিক আর মানবিক সাহায্য করেছিল পাকিস্তান। ১ কোটি বাঙালি কে ৯ মাস খাইয়েছিল পাকিস্তান, সারা বিশ্বের কুটনৈতিক সমর্থন এনে দিয়েছিল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রান দিয়েছিল ৪০০০ ভারতীয় থুক্কু পাকিস্তানি সেনা।মন্তব্যঃ জাতি হিসাবে আমরা অকৃতজ্ঞ, নতুন কিছু না।
আপনার বক্তব্যের সারসংক্ষেপটা কী? একাত্তরের যুদ্ধে ভারত সাহায্য করেছে বলে, এখন ধোনির অধিকার জন্মে গেছে মুস্তাফিজকে মারার? সেটার প্রতিবাদ করাটা অকৃতজ্ঞতা?
kalyan chakravorty,
নিজেদের নিয়ে এতোটা হীনমন্যতায় ভুগবেন না। সুধীরের উপর যা হয়েছে তা অবশ্যই নিন্দনীয় তবে আপাতত যা বোঝা যাচ্ছে তাতে বিষয়টি সাধারণ ধাক্কাধাক্কির পর্যায়েই সীমাবদ্ধ ছিল। নীচের সাক্ষাৎকারটি দেখলেই বোঝা যাবে যে সুধীর পুলিশের সহায়তায় প্রাণ বাঁচিয়েছেন এই দাবী ঘটনার অতিরঞ্জন। আর অল্পকিছু উগ্র সমর্থকের আচরণের দায়ভার গোটা জাতির উপর চাপিয়ে দেয়া অন্যায়। আপনি বাংলাদেশী, নিশ্চই দেখেছেন পত্র-পত্রিকা/ সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে লেখালেখি হয়েছে, প্রায় সবাই এই ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন নিন্দা জানিয়েছেন।
https://www.youtube.com/watch?v=mUKXjq3FH8A
সুধীর গৌতম যাতে নির্বিঘ্নে তাঁর দলকে সমর্থন দিয়ে যেতে পারেন এজন্য তাঁকে পুলিশী নিরাপত্তাও দেয়া হয়েছে। আশাকরি এরপর বিষয়টি মিটে যাবে।
https://www.youtube.com/watch?v=_OsvZhwtirI
ধোনি আর কোহেলিরা তো বাংলাদেশে খেলতে আসতেই চায়নি অবহেলায়। বিশ্রাম চেয়েছিল। ভাগ্যিস এসেছে। না, এলে তো তাদের অহংকার চূর্ণ করার সুযোগ পেতাম না। আর একটা অজুহাত দাঁড় করাতো। যাহোক, বাংলা ওয়াশের অপেক্ষায় আছি।
যখন একের পর এক নিদারুন দূর্ভাগ্যজনক নৃশংস ঘটনা ঘটে যায় তখন দেশ ও দেশের মানুষের সমালোচনায় আমরা কেউ পিছুপা হই না। দেশ হয়ে যায় ছাগলের চারণভুমি। কিন্তু ক্রিকেট খেলার সময় সেই দেশ ই হয়ে যায় আমার সোনার বাংলা। কি অদ্ভূত বৈপরীত্য! আর বাংলাদেশ যদি ক্রিকেট খেলায় কোনোদিন বড় শক্তি হয়(যা হউয়া সুনিশ্চিত কারণ উপমহাদেশ ছাড়া কোথাও এর জনপ্রিয়তা নেই) তাহলে এর সমর্থক বা খেলোয়াড় দের কাছ থেকে উন্নত আচরণ আশা করা বৃথা। তারা কেউ আকাশ থেকে পরেনি। এ অঞ্চলের মানুষ যেরকম আচরণ করে তারাও সেরকম ই করবে।
ছাগল থাকলে ছাগলের চারণভূমি হবে, সোনার মানুষ থাকলে সোনার বাংলা হবে, এতে সমস্যা কোথায়? নাকি বাংলাদেশকে ছাগলের চারণভুমি বললেই বেশি খুশি লাগে, সোনার বাংলা শুনলে অস্বস্তি লাগে?
কবে বাংলাদেশ বড়ো টীম হবে আর সাকিব প্রতিপক্ষের বাচ্চা খেলোয়াড়কে কনুই মারবে, সেটিকে আগেই ভেবে ধোনির অপরাধকে এড়িয়ে যাওয়াটা কি ঠিক? যখন সাকিব বা মুশফিক এমন করবে, তখন না হয় সেটার সমালোচনা করা যাবে। বর্তমানের অপরাধটারই না হয় নিন্দা করি আগে।
Comment…ধন্যবাদ, অনেক ভালো লিখেছেনঃ
ক্রিকেট নিয়ে উন্মাদনা একটা বিচ্ছিরি জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে| ভারতের ক্রিকেট বোর্ড সর্বত্র মাতব্বরি করে বেড়ায়| সংখ্যার বিচারে আর বিজ্ঞাপনের পয়সা দিয়ে মাথা তো কবেই কিনে নিয়েছে| বাংলাদেশ কোন ছাড়, তারা দেশের আইন আদালত-ই মানে না| সব ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া থাকে| মওয়াকা-মওয়াকা নামের একটা সাধারণ বিজ্ঞাপন নিয়ে বিশ্বকাপের সময় যা হলো দুই দেশের সাধরণ সমর্থকদের মধ্যে তা কহতব্য নয়| সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে খেউর আর ঢক্কানিনাদ| একটা খেলা জুড়ে এই পাগলামো আর কাদা ছোড়াছুড়ির অর্থ কোনদিন বুঝবনা| বিশ্রী ব্যাপার হলো যে বাংলাদেশকে নিয়ে সাধারণ ভারতবাসীর তাচ্ছিল্য আর ভারতের প্রতি সাধারণ বাংলাদেশী সমর্থকদের বিদ্বেষের পারদ হুহু করে বাড়ছে|এইটা কখনই কাম্য নয়| ফলস্বরূপ বেচারা সুধীর গৌতম ঢাকাতে মার খেল| পাকিস্তানেও যা হয়নি তা আজ বাংলাদেশে হলো| সামান্য ক্রিকেট নিয়ে এই যুদ্ধংদেহী মনোভাব দুই দেশের ক্লীবতাকেই প্রকট করে|
http://www.anandabazar.com/khela/an-act-of-shame-bangladesh-supporters-attack-indian-fan-sudhir-gautam-in-dhaka-1.164013
ক্রিকেটে বেশ শক্তিশালি অবস্থান তৈরি করার পথে আছি আমরা।ভবিষ্যতে হয়ত কোন অপেক্ষাকৃত নবীন,দূর্বল দলের সাথে আমাদেরকেও খেলতে হবে।কামনা করি যেন পাকিস্তান বা ভারতীয় দলের মত ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরন আমাদের প্লেয়ারদের থেকে না হয় কখনো।ক্রিকেট আমাদের কাছে যেন ভদ্রলোকের খেলা হিসেবেই থাকে।
গ্রাম্য সালিশের রাজনীতি কেমন হতে পারে তার একটা নমুনা রাখা আছে আনন্দবাজারের এই রিপোর্টে।
http://www.anandabazar.com/khela/dhoni-mustafizur-both-fined-fifty-percent-of-match-fee-after-brawl-1.162976
বাংলাদেশের ক্রিকেট দলকে নিয়ে বহুদিন ধরেই পাকিস্তান/ভারত দলের খেলোয়াড়, সমর্থক আর কর্তাব্যক্তিদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য সয়েছি, অক্ষমের ক্ষোভ মনের ভেতরে রেখে নীরবে জ্বলেছি দিনের পর দিন। পাকিস্তান আর ভারতের বিরুদ্ধে টানা সিরিজ জয়ের পর মনে হচ্ছে আজ এতোদিনে্র জমে থাকা সব অপমানের জবাব দেয়া হয়েছে। সাকিব, তামিম, মুশফিক, মুস্তাফিজ, সৌম্য, নাসির, সাব্বির, তাসকিন আর মাশরাফির মতো অনেক তরুণ প্রতিভা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এই দেশে; কেবল খেলা নয়, শিক্ষা, গবেষণা, শিল্প, বাণিজ্য সবকিছুতেই। একদিন এই প্রতিভাবান, সাহসী, দেশপ্রেমিক প্রজন্মের হাতে যাবে দেশ পরিচালনার ভার, বদলে যাবে দেশ তার গর্বের ক্রিকেট দলটির মতই। এই দিন দিন নয়, আরো দিন আছে।
আজকেও ধোনি তাদের পরাজয়ের পিছনে বহু কিছু বললো, কিন্তু সামান্যতম সৌজন্যতা দেখিয়েও বাংলাদেশ দলের নূন্যতম প্রশংসা করলো না। ভাবখানা এমন, তারা হারছে তাদের কারণে, এতে বাংলাদেশ দলের কোনো কৃতিত্ব নেই।
ফরিদ ভাই, আপনার এই লেখাটা অনেক সরল। পড়তে একটুও কস্ট হয়নি।
চানাচুর স্টাইলে ফেসবুকের জন্য লেখা। সে জন্যে এমন সরল ভাষা এটার। আর্টিকেল বানানোর পরিকল্পনা শুরুতে ছিলো না। পরে কী মনে করে গায়ে গতরে একটু বাড়িয়ে বাংলা নিউজে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম।
Comment… সব বর্বরের মাথাই একদিন ঘুরিয়ে দেবো আমরা।
বস হইছে কথাটা ..
সৌরভ গাঙ্গুলি, তোমার মত চোখ থাকিতে অন্ধ ভারতে আর কয়জন আছে জানিনা।
https://www.youtube.com/watch?v=3hELkDwUFMo