নির্যাতিত মানুষের আলাদা কোন ধর্ম থাকে না। তাই ৭১-এ আমাদের মধ্যে কোন ভেদাভেদ ছিল না। তখন আমাদের একটাই পরিচয় ছিল; আমরা নির্যাতিত! চুকনগরের গণহত্যা সম্পর্কে আমরা হয়তো অনেকেই জানি। চুকনগরের বধ্যভূমি নিশ্চুপ সাক্ষী হয়ে আজো দাঁড়িয়ে আছে। চুকনগরে গণহত্যা নিয়ে অনলাইনে অনেক লেখা আছে তবে আমি লিখতে চাচ্ছি চুকনগরের এরশাদ আলী মোড়লকে নিয়ে। Salil Tripathi’এর লেখা The Colonel who would not Repent: The Bangladesh war and its unquiet legacy বইয়ের ‘The Night the killings began’ অধ্যায়ে লিখছেন চুকনগরের এরশাদ আলী’র ঘটনা। যিনি চুকনগর গণহত্যা নিজের চোখে দেখেন এবং পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছেন।

খুলনার উত্তরে ডুমুরিয়ার ছোট্ট শহর চুকনগর। ইন্ডিয়ার সীমান্তের কাছে হওয়ায় চুকনগর খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান। এছাড়াও এই শহরটি বিভিন্ন জেলায় যাওয়ার জন্য Transit পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এই চুকনগরে অনেক রাজাকার গোয়েন্দাগিরি করতো এবং চুকনগরে বাদামতলার মতন ঘটনা সৃষ্টির চেষ্টা করছিল। এখানে বলে রাখা দরকার ১৯ মে তে মুসলিমলীগ বাদামতলা নামক স্থানে একশ’র উপর মানুষকে হত্যা করে। নিহতদের মধ্যে মাত্র ২৩ জনের পরিচয় জানা সম্ভব কারণ অন্যরা ছিল ভিন্ন গ্রাম থেকে আসা মানুষ।

যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর পাকিস্তানি বাহিনীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে খুলনাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের একটি জনগোষ্ঠী জীবন বাঁচানোর তাগিদে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে যাবার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়। মে মাসের মাঝামাঝি সময় বৃহত্তর খুলনার বাগেরহাট, রামপাল, মোড়েলগঞ্জ, কচুয়া, শরণখোলা, মংলা, দাকোপ, বটিয়াঘাটা, চালনা, ফরিদপুর, বরিশালসহ বিভিন্ন অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ ভারতে যাবার উদ্দেশে রওনা দেয়। ভারতে যাবার জন্যে তারা ট্রানজিট হিসেবে বেছে নেন খুলনা জেলার ডুমুরিয়ার চুকনগর শহরটিকে। মোট কতজন চুকনগরে সমবেত হয়েছিল তা জানা যায়নি তবে অনেকেই বলেন লক্ষ মানুষ ভারত যাবার উদ্দেশ্যে ঐদিন চুকনগরে জড়ো হয়। সারা রাত নির্ঘুম রাত কাটে শরণার্থী হতে যাওয়া এসব মানুষের। সকালে বিশ্রাম সেরে ভাত রান্না শুরু করেন তারা। কেউ চিড়ে-মুড়ি ও অন্যান্য শুকনো খাবার দিয়ে শরীরে চলার শক্তি সঞ্চার করে নিচ্ছিলেন। কেউ বা নিজের কাছে থাকা জিনিসপত্র বিক্রি করে ভারত যাবার অর্থ সংগ্রহ করছিল।

বেলা দশটার দিকে দুই ট্রাক সৈন্য চুকনগরে এসে হাজির হয়। এরশাদ আলী মোড়লের বয়স তখন ২৩ বছর। সে তার পিতা ও ভাইদের সাথে পাট খেতে কাজ করছিলেন। প্রথমে সে মেঘের গর্জনের মতন ট্রাকের শব্দ পায় কিন্তু পরক্ষণে শব্দের মাত্রা বাড়তে থাকে। যে মাঠে মানুষের সমাগম ছিল একটি ট্রাক সেই মাঠে এসে হাজির হয়। আরেকটি ট্রাক এরশাদ আলীদের দিকে আসল। এরশাদের ৬৫ বয়সী বৃদ্ধ পিতা তাদের ঘরে যেতে বলল যা মাঠ থেকে একশ মিটার দূরে অবস্থিত। এরশাদ থাকতে চেয়েছিল কিন্তু সে তার পিতার কথামতো বাড়ি ফিরে যায়। এরশাদ জানালার একটা ছোট্ট ছিদ্র দিয়ে যখন পাকিস্তানীদের কী করছে দেখার চেষ্টা করছিল। তার পিতা সৈন্যদের চলে যেতে বলছিলেন। এরশাদ আলীর পিতা চিকন মোড়ল চিকন মোড়ল হাতের কাঁচি নিয়ে সেনাদের দিকে তেড়ে যান। কিছুক্ষণ পরই বন্দুকের আওয়াজ শুনতে পায় এরশাদ আলী। গুলি শুরু হওয়া মাত্র এরশাদ একটি কাছের তলায় গিয়ে আশ্রয় নেন। পরবর্তীতে সে ফিরে গিয়ে দেখে তার মা বিলোপ করছে কারণ তার পিতা ইতোমধ্যে মারা গেছেন। এদিকে খোলা মাঠে কোন উস্কানি বা সতর্কতা ছাড়া পাকিস্তানী সেনাদের গুলিতে হাজার হাজার মানুষ খুন হয়। দুপুর ৩টা-৪টা পর্যন্ত তারা নির্বিচারে মানুষ হত্যা করতে থাকে। হত্যাযজ্ঞ থেকে বাঁচার আশায় অনেকে নদীতে লাফিয়ে পড়েন। তাদের অনেকেই ডুবে মারা যান। লাশের গন্ধে ভারি হয়ে যায় চুকনগর ও এর আশপাশের বাতাস। মাঠে, ক্ষেতে, খালে-বিলে পড়ে থাকে লাশ আর লাশ।

এরশাদ আলী টাউনে গিয়ে দেখে বেশির ভাগ বাড়ি খালি পড়ে আছে। অনেকেই ভারতের উদ্দেশ্যে চলে গেছে। তখন সে একটা মেয়েকে দেখতে পেল যার বয়স ১১ বছর। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মেয়েটি মাটিতে পড়েছিল। মেয়েটি পানি পানি বলে পানি চাচ্ছিল। এরশাদ দৌড়ে গিয়ে একটি ঘর থেকে পানি নিয়ে আসল। দুঃখের বিষয় পানি খাওয়ার পরপরই এরশাদের হাতের উপর মেয়েটি মারা যায়। একই সময় এরশাদ আরেকটি মেয়েকে দেখে। শিশুটি তার মায়ের বুকের সাথে লেপটে ছিল। শিশুটির বয়স ছিল ছয় মাস। শিশুটির মা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে ছিল। কপালে সিঁদুর দেখে এরশাদ আলী বুঝতে পারল শিশুটি এক হিন্দু মায়ের সন্তান। পাকিস্তানিরা যখন তার মাকে গুলি করছিল তখন শিশুটির মা শিশুটিকে বুকের দুখ খাওয়াচ্ছিলেন।

এরশাদ আলী শিশুটিকে কাছে টেনে নেয়। কিন্তু এরশাদ আলী বুঝতে পারছিল না সে কী করবে। কারণ শিশুটি ছিল জীবিত কিন্তু শিশুটির পুরো শরীরে তার মায়ের রক্ত লেগে আছে। হে আল্লাহ আমি এখন কী করব; বলে এরশাদ নিজেই বকে যাচ্ছে। এরশাদ আলী নিজেকে লুকিয়ে শিশুটিকে নিয়ে মার্কেটের দিকে যায়। যেখানেই যাচ্ছে দেখা যাচ্ছে দেখছে অসংখ্য মৃত দেহ পড়ে আছে। যেখানে তার পরিচিত অসংখ্য হিন্দু বন্ধু ও পরিচিত মানুষগুলো শুয়ে আছে। হিন্দুরা প্রধান টার্গেট হলেও পাকিস্তানীরা ঐ দিন অসংখ্য মুসলিমকেও হত্যা করেছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরপরই হিন্দু ও আওয়ামী লীগদের পাকিস্তানীরা প্রধান শক্র হিসেবে বিবেচনা করে। এছাড়া যারাই পাকিস্তানের বিপক্ষে ছিল তাদেরকে সাচ্চা মুসলিম না ভেবে কাফের হিসেবে চিহ্নিত করতো। চুকনগরের শুধু মন্দিরে নয় মসজিদে নামাজ পড়া অবস্থায় মানুষদেরও রেহাই দেয়নি এই পাকিস্তানি সেনারা। এরশাদ আলী কোন রকম ময়দান পার হয়ে মন্দার দাশের বাড়িতে হাজির হয়। এই হিন্দু বাড়িটি সে চিনত। সে মন্দার দাশকে নিজের পিতার ঘটনা বলে এবং এই মেয়েটিকে সে কীভাবে পায় তাও বর্ণনা করে। মন্দার দাশকে এটাও বলে যে আমি মেয়েটির মাকে চিনি না তবে এতোটুকু বুঝেছি মেয়েটি মা হিন্দু ছিল। মন্দার দাশের কাছে শিশুটিকে রাখার প্রস্তাব করে। এরশাদ আলী মন্দার দাশকে এটাও বলে আশ্বস্ত করেন যে; তাঁর মৃত পিতাকে দাফন করে এসে আগামী কাল আবার শিশুটিকে সে নিয়ে যাবে। মন্দার দাশ শিশুটিকে আশ্রয় দেয় এবং এরশাদ আলী একটা সাদা কাপড় সংগ্রহ করে মৃত পিতাকে দাফন করতে বাড়ি ফিরে যায়। পরের দিন কথা মতন শিশুটিকে নেওয়ার জন্য এরশাদ আলী মন্দার দাশের বাড়িতে হাজির হয়। কিন্তু মন্দার দাশের স্ত্রী এরশাদ আলীকে বলে যে, তারা শিশুটিকে রাখতে চাচ্ছে। তাদের বিশ বছরের সংসার জীবনে কোন সন্তান নেই। তারা মেয়েটিকে নিজের সন্তানের মতন পালন করবে। এই যুদ্ধের সময় এটা তারা ঈশ্বর থেকে উপকার হিসেবে দেখছে। শিশুটি নতুন করে পিতা মাতা পাচ্ছে দেখে এরশাদ আলী আর অমত করলেন না। এরশাদ আলী বলছে; আমি জানতাম মেয়েটি হিন্দু তাই একটি হিন্দু পরিবারের কাছেই আমি নিয়ে গিয়েছিলাম। মেয়েটি দেখতে তার মায়ের মতন সুন্দর ছিল তাই তার নাম রাখা হল সুন্দরী।

নারকীয় এই হত্যাকাণ্ডের লাশ ফেলেছিলেন চারজন। তাঁরা হলেন কাওসার আলী, দলিল উদ্দীন, আনসার সরদার ও ইনছান সরদার। কাওসার আলী জানান, এলাকার ওহাব মোল্লার নির্দেশে সেদিন তাঁরা লাশগুলো ভদ্রা নদীতে নিয়ে ফেলেছিলেন। কাওসার আলীর ভাষায়_’সারা দিন ধইরে লাশ টেনেও শেষ করতি পারি নি। রক্তে গাঙ্গের পানি একেবারে রাঙ্গা টুকটুকে হয়ে গিলো।’ লাশের সংখ্যা ১০-১২ হাজারের কম হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের একজন ৪২ শ পর্যন্ত লাশ গুনেছিল, আর গুনতে পারেনি। তাই ঠিক করে বলা যায় না কতজন মানুষ ঐ দিন পাকিস্তানীদের হাতে নিহত হয়েছিল। তবে প্রত্যক্ষদর্শী ও যারা দাফন করেছিল তাদের বর্ণনা অনুযায়ী ঐ দিন চুকনগরে আট থেকে দশ হাজার মানুষকে খুন করে পাকিস্তান সৈন্যরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে পাকিস্তানীরা গুলি করার পর সৈন্যরা মৃতদের কাছে থাকা মূল্যবান জিনিস সংগ্রহের ব্যস্ত ছিল।

বর্তমান বাংলাদেশে ধর্মীয় সন্ত্রাসের কারণে সংখ্যালঘু মানুষদের বসবাস করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন ধর্মীয় জুজু তুলে ভিন্ন ধর্মালম্বীদের জমি-জমা দখল করা হচ্ছে। ভিন্ন ধর্মের মানুষের বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে হামলা এখন নিত্য দিনের ঘটনা। এছাড়া সমগ্র বাংলাদেশ একটি অশুভ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এমন অশুভ সময়ে হাজারো এরশাদ আলীকে আমরা প্রত্যাশা করি। শ্রদ্ধা এমন বীর মানুষের প্রতি।

সহায়ক- মুক্তিযুদ্ধে নৃশংসতা গণহত্যা সংঘটিত হয় খুলনার চুকনগরে-দৈনিক কালের কণ্ঠ রিপোর্ট

এই লেখার প্রেক্ষিতে রিপন মজুমদার গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য উপস্থাপন করেছেন। ফলে গণহত্যার চিত্র আরও স্পষ্ট হয়ে উঠে। গণহত্যা নিয়ে তথ্যটি নিম্মে উল্লেখ করা হল।

মালতিয়া গ্রামের সীমানা থেকেই গাড়ির গতি মন্থর হয়ে যায়। রাস্তায় এত মৃতদেহ, ওগুলো না সরালে গাড়ি নিয়ে এগুনোই যাচ্ছে না। পাকিস্তানী সৈন্যরা কয়েকজন লোক ডেকে আনে এবং অস্ত্রের মুখে তাদের বাধ্য করে ওখান থেকে চৌরাস্তা ও চৌরাস্তা থেকে ডুমুরিয়ার দিকে কিছুদূর পর্যন্ত রাস্তার উপরের লাশগুলো টেনে একপাশে সরিয়ে ফেলতে- যেন জিপ নিয়ে পাকিস্তানিরা ঐ পর্যন্ত যেতে পারে।

…. গাড়ি আস্তে চলতে চলতে চৌরাস্তায় এসে থামে। কেশবপুর হয়ে যশোরের রাস্তায় এত লাশ যে, ওগুলো সরিয়ে যেতে অনেক সময় লাগবে। ডুমুরিয়া-খুলনা কাঁচা রাস্তার অবস্থাও একই। কিছু লাশ টেনে সরিয়ে জিপ ডুমুরিয়ার পথে ধীরে ধীরে এগুতে থাকে কয়েক মিনিট। তারপর থেমে যায়। আবার ফিরে এসে চৌরাস্তায় থামে। ওদিকেও লাশের স্তূপ। যাওয়া যাবে না।

…………….. খেয়া পারাপারের জন্য কোন লোক নেই।………ভদ্রার বুকে ডুবে আছে অনেক নৌকা, বহু মৃতদেহ। ভদ্রার তীরে পড়ে আছে অসংখ্য মৃতদেহ।

ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার ছুটছে চৌরাস্তার দিকে। পাকি ক্যাপ্টেন এসেছে জিপ নিয়ে, সাথে কয়েকজন। হুকুম দিয়েছে, ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার ও অন্যান্য স্থানীয় নেতারা যেন অবিলম্বে তার সাথে দেখা করে।

রুমাল নাকে চেপে জিপে বসে আছে ক্যাপ্টেন। কড়া হুকুম, আজ সন্ধ্যার মধ্যে সব লাশ নদীতে ফেলতে হবে। সবাই একে অন্যের দিকে চেয়ে থাকে। কিন্তু ক্যাপ্টেনকে কিছু বলার সাহস পায় না কেউ…..

‘ স্যার, এই অল্পসময়ে এত লাশ নদীতে ফেলা সম্ভব নয়।’

‘কিঁউ?’- বিশ্রীভাবে চিৎকার করে উঠে পাকি ক্যাপ্টেন।কতজন লোক পাওয়া যাবে, ক্যাপ্টেন জানতে চায়।

‘পুরো এলাকা খুঁজে একশ’জন।’

‘একশ’ লোকই যথেষ্ট। কাজ শুরু কর।’
‘চার পাঁচদিন লাগবে স্যার।’ দুইজনের এক একটা দল দিনে বড়জোর ৮ ঘণ্টা কাজ করতে পারবে। ঘণ্টায় গড়ে ৬টা লাশ সরাতে পারে। ৮ ঘণ্টায় ৪৮ বা ৫০। খুব চেষ্টা করলে না হয় ৬০। এর বেশি কোনমতেই সম্ভব না।

‘ক্যায়া বক বক করতা হ্যয়’- ক্যাপ্টেন রেগে ওঠে।
‘লাশগুলো টেনে নদী পর্যন্ত নিয়ে যেতে সময় লাগবে। ২ জনের একটা দল বয়স্কদের ১টার বেশি লাশ নিতে পারবে না, ছোট ছেলে মেয়ে না হয় ৪/৫টা নিতে পারবে। নদীর লাশগুলো না হয় বাঁশ দিয়ে ঠেলে ঠেলে ভাটার টানে ছেড়ে দিলে সমুদ্রে চলে যাবে। কিন্তু ডাঙার লাশ সরাতে খাটুনি অনেক….

‘তব তো কাল তক হো না চাহিয়ে?
‘ না, সাহেব, লাশ অনেক। ‘কিতনা?’
মালতিয়া গ্রামের আশপাশ, রাস্তাঘাট, চুকনগর বাজার, পাতাখোলার মাঠ, বিল- এখানেই প্রায় ১০/১২ হাজার। নদীতে ৩/৪ হাজার।

গাড়িতে ক্যাপ্টেনের সঙ্গে আসা দোভাষী বিষয়টা বুঝিয়ে বললে ক্যাপ্টেন বিশ্বাস করতে চায় না। জিপের সিটের উপর দাঁড়িয়ে ক্যাপ্টেন দেখতে থাকে চারপাশ- আসলে লাশের সংখ্যা কত? কিছুক্ষণ দেখার পর ক্যাপ্টেন শান্ত-কণ্ঠে বলে, সে সোমবার বিকেলে অথবা মঙ্গলবার সকালে আসবে—

সূত্র: ‘মুক্তির সোপানতলে’, শুধু চুকনগর গণহত্যার উপর জনাব রফিকুল ইসলাম, বীরউত্তম- এর লিখিত ৩০০ পৃষ্ঠার বই।