যারা আমরা বাইবেল এবং খৃস্টধর্ম নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি এবং বিভিন্ন চার্চে বিতর্ক করি তাদের কাছে ক্রাইস্টবিডি নামটি নতুন নয়। বর্তমান তরুন খৃস্টান প্রজন্মের কাছে ক্রাইস্টবিডি যীশুর সৈনিকদের অগ্রদূত হিসেবে সুপরিচিত। অখৃস্টান এবং অল্প বিশ্বাসী খৃস্টান মানুষের প্রশ্নের উত্তর দিতে এবং বিশ্বাস বৃদ্ধি করতে তারা এগিয়ে এসেছে যা আসলেই প্রশংসার দাবী রাখে। আজকাল যে কোন খৃস্টান ছেলে মেয়ের সাথে বাইবেলের বিষয়ে কথা বলার সময়ে তাদের কাছে প্রশ্নের উত্তর না থাকলে তারা ক্রাইস্ট বিডির সাজেশন দিচ্ছেন। মেরুদণ্ড ভেঙ্গে যাওয়া খৃস্টান বিশ্বাসীদের কাছে ক্রাইস্ট বিডি আজ এক আশীর্বাদ।
খুব আশা নিয়ে ক্রাইস্টবিডি ডট org সাইট টি পরিদর্শন করলাম কিন্তু বরাবরের মতনই হতাশ হলাম।
সেই পুরনো মদ জাস্ট নতুন বোতলে।
যীশু ঈশ্বরের পুত্র কিনা বা বাইবেল ঈশ্বরের বাক্য কিনা বা শুধু খৃস্ট বিশ্বাস সম্পর্কীয় বিষয়ে উত্তর দিলে সেটা নিয়ে আমার বা আমাদের কারো তেমন কিছুই বলার ছিল না; কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি নতুন খৃস্টান প্রজন্মের কাছে বিজ্ঞান নিয়ে মিথ্যাচার এবং ভুল শিক্ষা দিয়ে তাদের ভুল পথে চালনা করছে। খৃস্টান যুব সমাজে এরা যীশুর বানী প্রচার করছে সেটা একটা ভালো কথা; কিন্তু বিজ্ঞানের নামে তারা যা শেখাচ্ছেন এবং প্রচার করছেন সেটা কোন ভাবেই সমর্থন দেয়া যায়না।
তাদের কিছু মিথ্যাচারের নমুনা নিচে তুলে ধরছিঃ
প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা সবুজ চৌধুরীর একটি পোস্ট দিয়ে শুরু করি।
তিনি লিখেছেনঃ
অনেকেই প্রশ্ন করেন বাইবেলে কোথায় বলা আছে যে পৃথিবীর বয়স ৬,০০০ বছর? এই প্রশ্নের উত্তর বাইবেলের কয়েকটি পদের উল্লেখের মাধ্যমে দেয়া সম্ভব।
আদিপুস্তকের বংশতালিকাঃপ্রথম বিষয় হচ্ছে আদিপুস্তক ৫ অধ্যায় এবং আদিপুস্তক ১১ অধ্যায়ের বংশতালিকা। এই বংশতালিকার ধরন আনুযায়ী এই তালিকায় কোনো ফাঁক নেই। আদিপুস্তক ১২:৪ পদ আমাদের সাহায্য করে এই সময় বের করতে যখন অব্রাহাম হারাণকে ছেড়ে চলে আসেন। এই সময়টা ছিল অবশ্যই সৃষ্টির ২০৮৩তম বছর।
আদিপুস্তক ১২:১০ পদের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি অব্রাহামের উত্তরসূরিরা মিসরে ছিল ৪৩০ বছর। ১ম রাজাবলী ৬:১ পদের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি শলোমন রাজা মন্দির নির্মাণ করেন ইস্রায়েল জাতি মিসর দেশ থেকে বের হয়ে আসার ৪৭৯ বছর পর। দেশ ভাগ হয়ে যায় শলোমন রাজা মারা যাবার ৩৭ বছর পর। এই সময়ের ৩৯০ বছর পর যিরূশালেম ধ্বংস হয়ে যায়(যিহিষ্কেল ৪:৪-৬পদ)। এই সংখ্যাগুলো যোগ করলে আমরা পেয়ে যাব যিরূশালেমের ধ্বংসের সময়। এবং এই সময়টি হচ্ছে অবশ্যই ৩৪১৯। এই সময়কে বাইবেলে আরেকটি সাল হিসাবে বলা হয় আর তা হচ্ছে ৫৮৪বিসি। এখন ৩৪১৯ ও ৫৮৪ যোগ করা হলে আমরা পৃথিবীর বয়স পাব ৪০০৩। এরপর যীশুর জন্মের পর প্রায় ২০০০ বছর পার হয়ে গেছে। অতএব, আমরা এখন ৪০০৩ ও ২০০০ বছর যোগ করলে পাব ৬০০৩ বছর। পৃথিবীর বয়স প্রায় ৬০০০ বছর এই সত্যটি শুধুমাত্র তাদের জন্য প্রযোজ্য যারা বাইবেলের পক্ষে অবস্থান করেন।
কত দৃঢ়টার সাথে তিনি দাবী করছেন পৃথিবীর বয়স মাত্র ৬০০০ বছর!!!
কিভাবে তিনি এই হিসাব পেলেন??? জাস্ট বাইবেলে বিশ্বাস করে। এর আগেও কিছু জানার দরকার নেই পিছেও কিছু জানার দরকার নেই। তাই তিনি তার লেখার শেষে সুন্দর ভাবে উল্লেখ করেছেন “পৃথিবীর বয়স প্রায় ৬০০০ বছর এই সত্যটি শুধুমাত্র তাদের জন্য প্রযোজ্য যারা বাইবেলের পক্ষে অবস্থান করেন। প্রিয় সবুজ চৌধুরী; আপনার বলায় একটু ভুল হয়েছে। আপনার বলা উচিৎ ছিল “পৃথিবীর বয়স প্রায় ৬০০০ বছর এই মিথ্যাটি শুধুমাত্র তাদের জন্য প্রযোজ্য যারা বাইবেলের পক্ষে অবস্থান করেন বিজ্ঞানের সত্যকে অস্বীকার করে”।
পৃথিবীর বয়স প্রায় ৫০০ কোটি বছর!!! না তারা আপনার মতন বাইবেলের পাতা থেকে বয়স গুনে সেটা বের করেন নি; বিষয়টি এত সহজ নয়।
আবদুল গাফফার রনি কেমন করে গোনা হলো পৃথিবীর বয়স শিরোনামে অসাধারণ একটি লেখা লিখেছিলেন জিরো টু ইনফিনিটি ম্যাগাজিনে।
তিনি লিখেছিলানঃ
সভ্যতার ঊষালগ্ন থেকেই আমাদের আবাসভূমি মানুষের মনে জন্ম দিয়ে আসছে বিচিত্রসব প্রশ্নের। তেমনি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো-‘পৃথিবীর বয়স কত?’
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিজ্ঞানী বিভিন্নভাবে এই প্রশ্নের সমাধান দিয়েছেন। কারো মতে, পৃথিবী আদি ও অনন্ত, এর কোনো সৃষ্টি বা ধ্বংস নেই। কিন্তু বিরোধীরা বলেছেন অন্য কথা। তাঁদের মতে, পৃথিবী একটা নির্দিষ্ট সময়ে সৃষ্টি হয়েছে এবং এক সময় তা ধ্বংসও হয়ে যাবে। আধুনিক বিজ্ঞান পৃথিবীর অসীমতত্ত্বকে ভুল প্রমাণিত করেছেন। শুধু তাই নয়, আধুনিক বিজ্ঞান পৃথিবীর মোটামুটি নির্ভুল একটা বয়স নির্ণয় করতেও সক্ষম হয়েছে। তা হলো ৫০০ কোটি বছর। পৃথিবীর সময় নির্ণয়ের মতো একটা অকল্পনীয় কাজকে বাস্তবায়ন করতে মূল ভূমিকা পালন করেছে ইউরেনিয়াম। মানে ইউরেনিয়ামের তেজস্ক্রিয় ধর্ম ব্যবহার করা হয় এই পরীক্ষায়।
কেবলমাত্র পৃথিবীর বয়স নয়, লক্ষ লক্ষ বছরের পুরোনো কাঠ, হাজার হাজার বছর আগে মৃত প্রাণীর কঙ্কাল, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ইত্যাদির বয়স নির্ণয়ের ক্ষেত্রেও মৌলের তেজস্ক্রিয় ধর্ম ব্যবহৃত হয়। তাই বয়স নির্ণয় প্রক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনার পূর্বে মৌলের তেজস্ক্রিয় ধর্ম তেজস্ক্রিয়তা সম্পর্কে খানিকটা ধারাণা রাখা দরকার।তেজস্ক্রিয়তা
এমন একটা সময় ছিল যখন বিজ্ঞানীরা মনে করতেন, পরমাণুই একটি মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম ও অবিভাজ্য কণা, সুতরাং এক ধরনের মৌলিক পদার্থকে অন্য কোনো মৌলিক পদার্থে রূপান্তর করা সম্ভব নয়।
১৮৯৭ সালে স্যার জে জে থমসন ইলেকট্রন আবিষ্কার করলেন। তখন বিজ্ঞানীরা আগের ধারণা থেকে সরে আসতে হলো। পরবর্তীকালে আরও দুটি সূক্ষ্ম কণিকা প্রোটন ও নিউট্রন আবিষ্কৃত হয়। প্রত্যেক মৌলের প্রত্যেক পরমাণুই মূলত এই তিনটি সুক্ষ্ম কণিকা (ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন) দিয়ে গঠিত। এ সমন্বয় অনেকটা আমাদের সৌরজগতের মতো। সৌরজগতে সূর্যকে কেন্দ্র করে যেন গ্রহগুলো নিজ নিজ কক্ষপথে ঘুরছে, তেমনি পরমাণুতে ইলেকট্রনগুলো একটি নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে নিজ নিজ কক্ষপথে সর্বদা ঘুরছে। প্রোটন ও নিউট্রনের সমন্বয়ে পরমাণুর নিউক্লিয়াস গঠিত হয়। কোন মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসের ভেতরের প্রোটন ও নিউট্রনের মিলিত সংখ্যাকে ওই মৌলের ভরসংখ্যা বলে।
এক একটি নির্দিষ্ট মৌলের জন্য ভরসংখ্যা নির্দিষ্ট থাকে। অধিকাংশ মৌলের ক্ষেত্রেই পরমাণুর ভর সংখ্যা স্থিতিশীল। কিন্তু কিছু মৌল আছে, যাদের ভর সংখ্যা পরিবর্তনীয়। নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ার সাহায্যে প্রথমে এসব মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসে ভাঙন সৃষ্টি করা হয। অতঃপর ভরসংখ্যা পরিবর্তন করে (নিউক্লিয়াসের প্রোটন অথবা নিউট্রন সংখ্যা হ্রাস বা বৃদ্ধি করে) এক ধরনের মৌলকে সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী অন্য কোনো মৌলে পরিণত করা সম্ভব। আবার এমন কিছু অস্থিতিশীল মৌল আছে, যাদেরকে অন্য মৌলে পরিণত করতে নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ার প্রয়োজন হয় না। এসব মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসকে এক ধরনের রশ্মি (আলফা বা বিটা বা গামা রশ্মি) বিকিরণ করে ক্ষয়প্রাপ্ত হয। ফলে সংশ্লিষ্ট পরমাণুর ভরসংখ্যা পরিবর্তিত হয়ে অন্য মৌলের পরমাণুতে পরিণত হয়। মৌলের এই রশ্মি বিকিরণ ধর্মকে তেজস্ক্রিয়তা বলে। বিকিরিত রশ্মিকে তেজস্ক্রিয় রশ্মি এবং বিকিরক মৌলকে তেজস্ক্রিয় মৌল বা তেজস্ক্রিয় পদার্থ বলে। তেজস্ক্রিয় মৌলের রশ্মি বিকিরণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বতঃস্ফূর্ত এবং এর উপর বহিঃশক্তির কোনো প্রভাব নেই। একটি অস্থিতিশীল মৌল তেজস্ক্রিয় রশ্মি বিকিরণ করে সম্পূর্ণরূপে রূপান্তরিত হয়ে ভিন্নধর্মী একটি স্থিতিশীল মৌলে পরিণত হওয়ার আগ পর্যন্ত তার তেজস্ক্রিয়তা অব্যহত থাকে। একটি নির্দিষ্ট সময় পর একটি তেজস্ক্রিয় মৌল রশ্মি বিকিরণ করে আদি ওজনের অর্ধেকে পরিণত হয় এবং বাকি অর্ধেক অন্য মৌলে পরিণত হয়। ঐ নির্দিষ্ট সময়কে ঐ মৌলের অর্ধায়ু বলে।
যেমন–থোরিয়ামের (একটি তেজস্ক্রিয় মৌল) অর্ধায়ু ২৪ দিন। অর্থাৎ ২৪ দিনে একখণ্ড থোরিয়াম ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে মূল ওজনের অর্ধেকে পরিণত হয়। আরো ২৪ দিন পর অর্থাৎ মোট ৪৮ দিন পর প্রাথমিক ওজনের এক-চতুর্থাংশ, ৭২ দিন পর এক-অষ্টমাংশ এবং ৯৬ দিন পর এক ষোঢ়শাংশ থোরিয়াম অবশিষ্ট থাকবে এবং বাকি অংশ অন্য মৌলে রূপান্তরিত হবে। অর্থাৎ ১০০ গ্রামের একটি থোরিয়ামখণ্ড নিয়ে পরীক্ষা করলে দেখা যাবে, ২৪ দিন পর খণ্ডটিতে ৫০ গ্রাম, ৪৮ দিন পর ২৫ গ্রাম, ৭২ দিন পর ১২.৫ গ্রাম এবং ৯৬ দিনে ৬২.৫ গ্রাম থোরিয়াম অবশিষ্ট থাকবে। সুতরাং আমরা বলতে পারি ওজনের সাথে তেজস্ক্রিয় ক্ষয়ের (রশ্মি বিকিরণের) কোনও সম্পর্ক নেই। তাই একই তেজস্ক্রিয় মৌলের বিভিন্ন খণ্ডের অর্ধায়ুও এক হবে। আবার বিভিন্ন মৌলের রশ্মি বিকিরণের হার বিভিন্ন। তাই দুটি ভিন্ন প্রকার মৌলের অর্ধায়ু কখনো এক হবে না। আবার একটি মৌলের সবগুলো পরমাণুর নিউক্লিয়াস একই সাথে রশ্মি বিকিরণ শুরু করে না। এ প্রক্রিয়া সংগঠিত হয় ধাপে ধাপে। যদি তা না হত, তাহলে একই সাথে একটি মৌলের সবটুকু অংশ অন্য মৌলে পরিণত হতো। সেক্ষেত্রে অর্ধায়ু অস্তিত্বহীন (বাস্তবে যা অসম্ভব) হয়ে পড়ত।ইউরেনিয়ামের সাহায্যে পৃথিবীর বয়স নির্ণয়
ইউরেনিয়ামের পারমাণবিক গঠন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়–এটা একটা তেজস্ক্রিয় পদার্থ। এর পরমাণুর ভেতরে থাকা নিউক্লিয়াসগুলো ক্রমাগত রশ্মি বিকিরণ করে সীসাতে রূপান্তরিত হয়। সীসা হলো অতেজস্ক্রিয় স্থিতিশীল মৌলিক পদার্থ। প্রতি সেকেন্ডে রশ্মি বিকিরণের হার ব্যবহার করে একটা গাণিতিক সমীকরণের সাহায্যে ইউরেনিয়ামের অর্ধায়ু নির্ণয় করা হয়। সকল তেজস্ক্রিয় মৌলের অর্ধায়ু এ প্রক্রিয়ায় নির্ণয় করা হয়।
পরীক্ষা করে দেখা গেছে ইউরেনিয়ামের অর্ধায়ু ৪৫০ কোটি বছর। অর্থাৎ এক খণ্ড ইউরেনিয়ামের প্রাথমিক পর্যায়ে যে পরিমাণ ইউরেনিয়াম পরমাণু থাকে ৪৫০ কোটি বছর পর ঐ খণ্ডতে তার অর্ধেক পরিমাণ ইউরেনিয়াম পরমাণু অবশিষ্ট থাকবে এবং বাকি অর্ধেক পরমাণুর নিউক্লিয়াস ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে সীসা’র পরমাণুতে রূপান্তরিত হবে।
ধারণা করা হয় মহাবিস্ফোরণ দ্বারা সৌরজগত সৃষ্টির সময় এর সকল গ্রহ নক্ষত্রের সাথে আমাদের পৃথিবী জন্ম লাভ করে। প্রথমে এটা ছিল একটা জলন্ত অগ্নিগোলক। কালের বিবর্তনে তাপ বিকিরণ করতে করতে এক সময় এটা কঠিন রূপ লাভ করে। বর্তমান পৃথিবীতে সবচেয়ে পুরোনো যেসব কঠিন শীলা খণ্ডগুলো পাওয়া গেছে, ধারণা করা হয় তা পৃথিবী সৃষ্টির শুরুর দিকের শিলাখণ্ড। সুতরাং এ সব শীলাখণ্ডগুলোর বয়স পৃথিবীর বয়সের কাছাকাছি বলে ধারণা করা হয়। সুতরাং শীলাখণ্ডগুলোর বয়স নির্ণয় করতে পারার অর্থই হলো পৃথিবীর বয়স নির্ণয় করা।
ইউরেনিয়ামযুক্ত কতগুলো প্রাচীন শীলাখণ্ড নিয়ে পরীক্ষা করলে দেখা যাবে, এগুলোতে যে পরিমাণ ইউরেনিয়াম পরমাণু আছে ঠিক সেই পরিমাণ সীসার পরমাণুরও রয়েছে। যেহেতু ইউরেনিয়াম ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে অনবরত সীসায় পরিণত হয়। সুতরাং আমরা বলতে পারি শীলাখণ্ডগুলো সৃষ্টির সময় তাতে শুধুমাত্র ইউরেনিয়াম পরমাণু ছিল, কোনো সীসার পরমাণু ছিল না। সময়ের হাত ধরে তেজস্ক্রিয় রশ্মি বিকিরণ করতে করতে ইউরেনিয়াম পরমাণুগুলোর অর্ধেক সীসায় পরিণত হয়েছে। অর্থাৎ শীলাখণ্ডগুলোতে বিদ্যমান ইউরেনিয়াম বর্তমানে তার অর্ধায়ুতে অবস্থান করছে। যেহেতু ইউরেনিয়ামের অর্ধায়ু ৪৫০ কোটি বছর। সুতরাং শীলাখণ্ডগুলোর বয়সও ৪৫০ কোটি বছর। আবার শীলাখণ্ডগুলোর বয়স পৃথিবীর বয়সের কাছাকাছি ধরলে পৃথিবীর বয়স ৪৫০ কোটি বছরের কিছু বেশি বলে ধরে নেয়া হয়। সেটা কেউ বলেছেন ৫০০ কোটি বছর কারো মতে ৬০০ কোটি। যেটাই হোক, তা ৪৫০ কোটির চেয়ে খুব বেশি ব্যবধানের তো নয়।তেজস্ক্রিয় কার্বনের সাহায্যে বহু পুরানো বস্তুর বয়স নির্ণয়
ইউরেনিয়ামের সাহায্যে নির্ণীত পৃথিবীর বয়সটা পুরোপুরি নির্ভুল না হলেও তেজস্ক্রিয় কার্বণ পদ্ধতিতে যেসব বস্তুর বয়স নির্ণয় করা হয় তা সম্পূর্ণরূপে ভুলত্রুটির উর্ধ্বে। যেমন, বহু বছরের পুরোনো কাঠ, কয়লা, বিভিন্ন প্রাণীর কঙ্কাল, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন প্রভৃতি।
উদ্ভিদ, প্রাণীসহ সমস্ত জীবকুলের দৈহিক গঠনের অন্যতম প্রধান উপাদান কার্বন। কার্বন প্রধানত দুই প্রকার। একটা স্থিতিশীল অতেজস্ক্রিয় কার্বন। অন্যটা অস্থিতিশীল তেজস্ক্রিয় কার্বন। তেজস্ক্রিয় কার্বন ক্রমাগত রশ্মি বিকিরণ করে ক্ষয়প্রাপ্ত হয। স্থিতিশীল অতেজস্ক্রিয় কার্বণ প্রকৃতিতে মুক্ত অবস্থায় বা যৌগিক পদার্থের উপাদান হিসাবে পাওয়া যায়। আর তেজস্ক্রিয় কার্বন নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ার সাহায্যে সৃষ্টি হয়।
স্থিতিশীল কার্বন-ডাই-অক্সাইড, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, হাইড্রোজেন প্রভৃতি গ্যাসসমূহ বায়ুমণ্ডেলর প্রধান উপাদান। মহাকাশের বিভিন্ন্ গ্রহ, নক্ষত্র, মহাজাগতিক থেকে আসা এক ধরনের তেজস্ক্রিয় রশ্মি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আমাদের বায়মন্ডলে। এইসব রশ্মিকে মহাজাগতিক রশ্মি বলে। মহাজাগতিক রশ্মিতে যেসব নিউট্রন থাকে সেগুলো বায়ুমণ্ডলের নাইট্রোজেন পরমাণুর নিউক্লিয়াসগুলোকে আঘাত করে। ফলে নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া সংঘটিত হয়। নাইট্রোজেন নিউক্লিয়াসে ভাঙ্গনের ধরে। ফলে সম্পূর্ণ নতুন ভরসংখ্যার দুটি ভিন্ন পরমাণুর নিউক্লিয়াস সৃষ্টি হয়।
নবগঠিত দুটি পরমাণুর একটা হলো হাইড্রোজেন। অন্যটা তেজস্ক্রিয় কার্বন। উৎপন্ন হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই তেজস্ক্রিয় কার্বন পরমাণুগুলো বায়ুমণ্ডলের অক্সিজেন পরমাণুর সাথে যুক্ত হয়ে তেজস্ক্রিয় কার্বন-ডাই-অক্সাইড গঠন করে। সবুজ উদ্ভিদ খাদ্য তৈরির উদ্দেশ্যে বায়ুমণ্ডল হতে কার্বন-ডাই-অক্সাইড (স্থিতিশীল ও তেজস্ক্রিয় উভয় প্রকার) শোষণ করে। শোষণ করা এসব কার্বন-ডাই-অক্সাইড অণু উদ্ভিদের দেহাভ্যান্তরে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে কাবর্ন (তেজস্ক্রিয় ও অতেজস্ক্রিয়) ও অক্সিজেন পরমাণুতে বিভক্ত হয়ে যায়। পরবর্তীতে অক্সিজেন পরমাণুগেুলো উদ্ভিদের দেহ থেকে বেরিয়ে আসে। কিন্তু তেজস্ক্রিয় ও অতেজস্ক্রিয় উভয় প্রকার কার্বন পরমাণু দেহাভ্যান্তরে থেকে যায়। যেহেতু পশুপাখি ও মানুষ খাদ্য হিসাবে উদ্ভিদ, ফলমূল ও শস্যদানা গ্রহণ করে, ফলে উদ্ভিদের দেহে জমে থাকা কার্বণ (তেজস্ক্রিয় ও অতেজস্ক্রিয়) পশুপাশি ও মানুষের শরীরে চলে যায়। আবার মাংশাসী প্রাণী খাদ্য হিসাবে বিভিন্ন প্রাণীকে ভক্ষণ করে, সুতরাং এসব প্রাণীর মাধ্যমে মাংশাসী প্রাণীর শরীরেও কার্বন পৌঁছে যায়। জীবন্ত উদ্ভিদ ও প্রাণীদের দেহে কার্বনের এই সরবরাহ এমনভাবে ঘটে, মৃত্যুর সময় প্রতিটি জীবদেহে তেজস্ক্রিয় ও অতেজস্ক্রিয় কার্বনের অনুপাত সর্বদা সমান (১:১) থাকে। মৃত্যুর সময়ে তেজস্ক্রিয় কার্বনের পরমাগুলো তেজস্ক্রিয় রশ্মি বিকিরণ করে ধীরে ধীরে ক্ষয়প্রাপ্ত হতে থাকে। কিন্তু অতেজস্ক্রিয় কার্বন পরমাণুগুলো নিউক্লিয়াস স্থিতিশীল। তাই মৃতদেহে যুগ যুগ ধরে অতেজস্ক্রিয় কার্বনের প্রতিটি পরমাণু অক্ষুণ্ন থাকে।
গবেষণায় প্রমাণিত ও তেজস্ক্রিয় কার্বনের অর্ধায়ু ৫৭৬০ বছর। অর্থাৎ ৫৭৬০ বছর পর কোনো মৃতদেহ মিশে থাকা তেজস্ক্রিয় কার্বন পরমাণুর সংখ্যা কমে অর্ধেক চলে আসে। মানে অর্ধেক অবশিষ্ট থাকে আরকি।
যেহেতু জীবের মৃত্যুর সময় উভয় কার্বনের অনুপাত সমান (১:১) থাকে, সুতরাং অর্ধায়ুকাল পরে মৃতদেহটিতে তেজস্ক্রিয় ও অতেজস্ক্রিয় কার্বনের অনুপাত হবে ১২ : ১। অনুরূপভাবে মৃতদেহটিতে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ অর্ধায়ুকাল পরে তেজস্ক্রিয় ও অতেজস্ক্রিয় কার্বনের অনুপাত হবে ১৪ : ১, ১৮ : ১ ও ১১৬ : ১।ধরা যাক, একটি ফসিলে ৫০০টি তেজস্ক্রিয় ও ১০০০টি অতেজস্ক্রিয় কার্বন পরমাণু রয়েছে। তাহলে ফসিলটিতে তেজস্ক্রিয় ও অতেজস্ক্রিয় কার্বনের অনুপাত ১২ : ১। সুতরাং ফসিলটি অর্ধায়ুতে অবস্থান করছে। সুতরাং এর বর্তমান বয়স ৫৭৬০ বছর। ফসিলটিতে যখন তেজস্ক্রিয় ও অতেজস্ক্রিয় কার্বনের অনুপাত ১৪ : ১, ১৫ : ১, ১৮ : ১, ১১০ : ১ ইত্যাদি হবে তখন ফসিলটির বয়স হবে যথাক্রমে ১১৫২০ বছর, ১৩৩৭৭ বছর, ১৭২৮০ বছর, ১৯১৩৮ বছর ইত্যাদি। এভাবে তেজস্ক্রিয় ও অতেজস্ক্রিয় কার্বনের অনুপাত নির্ণয় করে কার্বনের অর্ধায়ু দ্বারা একটি গাণিতিক সমীকরণের সাহায্যে যেকোনো পুরোনো বস্তুর বয়স নির্ণয় করা যায়।
আপনারা কোন প্রমান ছাড়াই বাংলার যুব সমাজের কাছে প্রচার করছেন পৃথিবীর বয়স ৬০০০ বছর!!! বিজ্ঞান যদি এভাবে বাইবেলের পাতা গুনে আবিষ্কার করা যেত তবে তো ভালোই হতো।
দশ হাজার বছরের আরও বেশী আগেও – চীন, অস্ট্রলিয়া, আফ্রিকা, ভারত, দক্ষিন আমেরিকা, পর্তুগাল, স্পেন, ফ্রান্সে মানুষ বসবাস করত তার প্রমান রয়েছে।
ফ্রান্সের গুহায় আবিস্কৃত “বাইসন” এর পাইন্টিং এর কথা আমরা জানি যা প্রায় ৩২০০০ বছর আগের মানুষের আঁকা।
বর্তমান প্রজন্মের মানুষের (Homo sapiens sapiens) দেড় লক্ষ থেকে দুই লক্ষ বছরের পুরনো ফসিল ইন্দোনেশিয়া, আফ্রিকা ও চীনে আবিস্কৃত হয়েছে।
তবে আধুনিক মানুষের উৎপত্তি বেশিদিনের না; তবে বাইবেলের সংখ্যা থেকে তা ধের বেশী। হোমো স্যাপিয়েন্সদের উদ্ভব হয়েছিল দেড় লাখ বছর আগে; এবং তারা আফ্রিকা ছেড়েছিলো ৫০-৭০ হাজার বছর আগে।
কিন্তু আপনারা আরেকটা ভুল চাল চেলে ফেলেছেন যখন বাইবেলকে ডাইনোসর দিয়ে সাজাতে গিয়েছেন।
তাদের আরেক সৈনিক সিদ্ধার্থ সরকার বাইবেলে ডাইনোসর খুজে বের করলেন। তিনি লিখেছেনঃ
ডায়নোসর সম্পর্কে বাইবেল কি বলে?
বাইবেলে ডায়নোসরের কথা উল্লেখ করার ব্যপারে খ্রীষ্টিয়ান সমাজে অনেক আগে থেকেই একটা বিতর্ক চলে আসছে। যারা বিশ্বাস করে যে পৃথিবী কোটি কোটি বছর আগে সৃষ্টি হয়েছে, তারা বিশ্বাস করে না যে বাইবেলে ডায়নোসরের কথা লেখা আছে। কারণ তাদের মতে ডায়নোসর মানুষ সৃষ্টির অনেক আগেই পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। তাই বাইবেল রচয়িতারা কখনই জীবিত ডায়নোসর দেখতে পায়নি।
যারা বিশ্বাস করে যে পৃথিবীর বয়স কোটি কোটি বছর নয়, তারা এও বিশ্বাস করে যে বাইবেলে ডায়নোসরের কথা উল্লেখ আছে। যদিও সরাসরি “ডায়নোসর” শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি। সেখানে হিব্রু শব্দ “তানিয়েন” বলা হয়েছে যার কয়েক রকম অনুবাদ রয়েছে। ইংরেজী বাইবেলে কখনও লেখা হয়েছে সমুদ্রের দৈত্য আবার কখনও বলা হয়েছে স্বর্প। কোথাও আবার বলা হয়েছে ড্রাগন। বিবরণ দেখে বোঝা যায় এটি একটি অত্যন্ত বড় সাইজের কোন সরিসৃপ। পুরাতন নিয়মে প্রায় ত্রিশবারের মত এর উল্লেখ আছে, কখনও স্থলে আবার কখনও জলে।
বাইবেলে এই দৈত্যাকার সরিসৃপের বিবরণ ছাড়াও কয়েকটি প্রাণীর কথা উল্লেখ আছে যা অনেকেই ডায়নোসর বলেই মনে করে। বহেমোৎকে সৃষ্টির সবচাইতে শক্তিশালী প্রাণীর বলা হয়েছে, যার লেজ এরস গাছের মত (ইয়োব ৪০:১৫)। অনেকে এই বহেমোৎকে হাতি বা জলহস্তি বলে দাবি করে। আবার অনেকে বলে এদের লেজ তো অনেক ছোট তাই এরস গাছের সাথে তুলনা করা যায় না। কিন্তু ডায়নোসরের কয়েকটি প্রজাতি আছে যেমনঃ ব্র্যাকিউসরাস এবং ডিপ্লোডকাস, এদের লেজ বিশালাকার যা সহজেই এরস গাছের সাথে তুলনা করাটা স্বাভাবিক।
৬ হাজারের পুরনো পৃথিবীতে ডাইনোসর!!! ডাইনোসর কত বছর আগে বিলুপ্ত হয়েছে সে সম্পর্কে আপনার কোন ধারনা আছে???
সিদ্ধার্থ সরকার তার গ্যাপ থিউরি কি? শিরোনামের আরেকটি লেখাতে নিল্লজ্জের মতন বলেছেনঃ
বাইবেল সম্পূর্ণ সত্য, আক্ষরিক, নিখুঁত এবং নির্ভরযোগ্য (গীত ১৯:৭-৯)। বিজ্ঞান কখনও বাইবেলকে ভুল প্রমাণ করতে পারেনি। বিজ্ঞানের কিছু প্রমাণবিহীন থিওরিকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বাইবেলের অর্থ পরিবর্তন করাটা যুক্তিপূর্ণ নয়।
বাইবেলকে ভুল প্রমান করতে বিজ্ঞানের প্রয়েজন নেই; বাইবেলকে ভুল প্রমান করতে বাইবেল নিজেই যথেষ্ট।
আমাদের প্রশ্ন হল “বিজ্ঞানের নামে এসব মিথ্যাচার আর কতদিন???
বাইবেলের জগাখিচুরিতে বিজ্ঞান খোঁজা এখানেই শেষ নয়। সবুজ চৌধুরী তার বাইবেলে বিজ্ঞানভিত্তিক সত্য প্রবন্ধে বাইবেলে বেশ কিছু বিজ্ঞান খুঁজে পেয়াছেন। তিনি লিখেছেনঃ
বিজ্ঞান সবসময় প্রমাণে বিশ্বাস করে। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এই মহাবিশ্বের সব বিস্ময়কর সত্যকে আমাদের সামনে তুলে ধরে। কিন্তু বাইবেল এমন এক বিস্ময়কর বই, যেখানে এই ধরনের অনেক সত্যই বৈজ্ঞানিকদের গবেষণার অনেক আগে থেকেই লিপিবদ্ধ আছে। আসুন এই ধরনের কিছু সত্য সম্পর্কে জানি:
১। পৃথিবী মহাকাশে শূন্যে ভাসে (ইয়োব ২৬:৭), শুধুমাত্র মাধ্যাকর্ষণ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। যেখানে অন্যরা বলে পৃথিবী একটি বিশাল হাতি বা কচ্ছপের পিঠে বসানো আছে। একমাত্র বাইবেলের লেখাই এখন বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত সত্য “শূন্যের মধ্যে পৃথিবীকে ঝুলিয়ে রেখেছেন”।
২। সমস্ত সৃষ্টিই এমন কণিকা দ্বারা গঠিত যা চোখে দেখা যায় না (ইব্রীয় ১১:৩)। ১৯ শতকের পর বিজ্ঞান আবিষ্কার করে যে, চোখে দেখা সব জিনিষই এমন ছোট কণিকা দ্বারা গঠিত, যা চোখে দেখা যায় না।
৩। বাইবেলে জলযানের জন্য একটি নিখুঁত আকৃতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে (আদি ৬:১৫)। বর্তমান সময়ের জাহাজ নির্মাতারা খুব ভালো করেই জানেন যে, প্রস্থের ছয়গুণ দৈর্ঘ্যই জাহাজের জন্য একটি আদর্শ মাপ। ঈশ্বর নোহকে প্রায় ৪,৫০০ বছর আগে এই মাপেই জাহাজ তৈরি করতে বলেছিলেন।
৪। রোগ-ব্যাধি হলে জামা কাপড় ধোয়া ও স্নানের জন্য স্রোতের পানি ব্যবহার করতে হবে (লেবীয় ১৫:১৩)। শত বছর ধরে মানুষ নির্দিষ্ট স্থানে দাড়িয়ে থাকা পানি ব্যবহার করেই অভ্যস্ত। কিন্তু বিজ্ঞান এখন আবিষ্কার করেছে যে, স্রোতের পানি তুলনামূলক পরিষ্কার এবং রোগীদের স্নান ও কাপড় ধোয়ার জন্য পরিষ্কার পানি ব্যবহার করা উচিৎ, যাতে রোগ জীবাণু ধুয়ে যায়।
বাইবেলে বিজ্ঞানের নমুনা দেখে আসলেই হাসি পাচ্ছে। বিবর্তনবাদ নিয়ে করা তাদের কিছু মিথ্যাচার পাবেন এখানে।
সাইট টির এই পাতায় সুন্দর একটি কথা দেখতে পেলাম।
লেখা আছেঃ
“তোমাদের আশা-ভরসা সম্বন্ধে যদি কেউ প্রশ্ন করে তবে তাকে উত্তর দেবার জন্য সব সময় প্রস্তুত থেকো, কিন্তু এই উত্তর নম্রতা ও ভক্তির সংগে দিয়ো। ১ পিতর ৩:১৫”।
খৃস্ট ধর্ম প্রশ্ন করার স্বাধীনতার দিক থেকে অন্য আর যে কোন ধর্ম থেকে উদার; কিন্তু তাই বলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে বিজ্ঞানের নামে মিথ্যাচারের দোষ আপনারা অস্বীকার করবেন কিভাবে???
আপনারা সবার প্রশ্নের উত্তর দেয়ার ভার নিজেদের উপরে নিয়েছেন সেটা খুবই ভালো কথা; কিন্তু তাই বলে ভুল এবং মিথ্যাকে সত্য বলে চালানোর শিক্ষা আপনারা পেলেন কোন বাইবেলে ???
বাইবেলের মিথ্যাচার নিয়ে লেখার অভাব নেই; ভবিষ্যতে আরও লেখা হবে।
কিন্তু তাদের মিথ্যাচার হয়তো কখনোই বন্ধ হবে না।
প্রিয় ক্রাইস্ট বিডির সদস্যরা; আপনারা মিথ্যাচার করুন যীশুর ঈশ্বরত্ব নিয়ে বা তার বিনা পিতায় জন্মানো নিয়ে; মিথ্যাচার করুন যীশুর পুনুরুত্থান নিয়ে কিংবা অনন্ত জীবন আর ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে। সেটা একান্তই আপনাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা।
কিন্তু বিজ্ঞান নিয়ে মিথ্যাচার এবং অপপ্রচার বন্ধ করুন।
নতুন প্রজন্মের কাছে বিজ্ঞানের সঠিক বার্তা প্রচার করুন।
পৃথিবী ঘোরে সূর্য নয় সত্যটি যেমন চার্চ স্বীকার করে বাইবেলের ভুলকে স্বীকার করে নিয়েছে সেভাবে সকল সত্যকে স্বীকার করে নিন।
আপনাদের মিথ্যাচারের মুখোশ উন্মোচন এবং প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর মুক্তমনা ব্লগে এবং এখানে একটু খুজলেই পাবেন।
তাই বাইবেলে দেয়া আকৃতি অনুসারে নোহের জাহাজে কি করে এতগুলো প্রাণী প্রবেশ করল? কিংবা বাইবেল কি এই শিক্ষা দেয় যে পৃথিবী সমতল বা চেপটা? কিংবা জ্যোতিবিজ্ঞান, অভিশাপ না আর্শিবাদ?লেখাগুলোর মতন ভুং ভাং দিয়ে কোমলমতি শিশু কিশোরদের সঠিক সত্য এবং সঠিক বিজ্ঞান জানার রাস্তায় কাঁটা হবেন না।
যখন তারা সত্য জানতে এবং বুঝতে পারবে তখন তাদের তিরস্কারের বোঝা আপনারা বহন করার ক্ষমতা হারাবেন।
তাই; সাধু সাবধান!!!
### এদের যুক্তি খণ্ডন এই পোস্টের মূল বিষয় নয়; বরং তাদের মিথ্যাচারের নমুনা তুলে ধরাই এই পোস্টের লক্ষ। তাই এই লেখায় আমি তাদের ভুল ধড়িয়ে দেয়ার প্রয়াস করিনি। পাঠকেরা চাইলে কমেন্টে ক্রাইস্টবিডির মিথ্যাচারের উত্তর দিতে পারেন। আমি আপনাদের উত্তর যথাস্থানে পৌঁছে দেয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করবো।
নিলয় আপনি কি ভাবছেন আপনাকে কেউ সৃষ্টি করে নি? আপনি নিজেই নিজেকে সৃষ্টি করেছেন?
নিলয় ভাই , নিজ ধর্ম নিয়ে কনফিউজড – আসলেই হবার কথা – কারণ দেখলাম – উইকিতে –
:lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot:
@এফ জেড করিম, বিশ্বের এই অপরিকল্পিত জনসংখ্যার জন্য কারা দায়ী বুইঝা নেন। এইরাম অপরিকল্পিত ভাবে ৩-৪ টা বিয়া কইরা ডজন ডজন বাচ্চা ফুটানোর মধ্যে কোন কৃতিত্ব আছে কি ???
উন্নত বিশ্ব বলতে আমরা যাদের কথা বলি সেই দেশ গুলোর দিকে তাকান। এরা বিয়ে করতেই অনিহা প্রকাশ করে আর তো বাচ্চা ফুটানো দূরে থাক; এতে তাদের কোয়ালিটি কিন্তু কমে যাচ্ছে না। এই যে এত এত আবাদি করলেন তাতে লাভ কি হল ??? দুনিয়ার যত উন্নয়ন সব তো ইহুদী-নাস্তিক-নাসারাদের হাতেই হচ্ছে। বাচ্চা ফুটাইয়া দুনিয়া ভরা ছাড়া আর কোন ভালো কাজ টা তারা করেছে শুনি ??? উন্নত বিশ্বের উন্নত মানুষেরা কোয়ালিটিতে বিশ্বাসী। ১০০০০ বেহেস্তি হাজী অপেক্ষা কাফের দেশের ১ জন নরকের কীট যে অনেক বেশী উন্নত সেটা নিশ্চয়ই অস্বীকার করবেন না। আপনার জন্য একটা হিন্দি সিনেমা সাজেস্ট করলাম; সিনেমাটির নাম “বোল”। বাচ্চা ফুটানি থিউরি আর ইসলামের দমন নিপীড়ন নিয়ে এটা একটা অসাধারণ সিনেমা। আশা করি মুভিটি দেখলে আপনার মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ে দম্ভের মুখে চুন কালি পড়বে।
এখন আসি দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাওয়া ধর্ম প্রসঙ্গে। আবাদিতে মুসলিমরা এগিয়ে সেটা নিঃসন্দেহ। কনভার্ট প্রসঙ্গে আসি।
আমার বেস্ট ফ্রেন্ড দের মধ্যে ২০-৩০ জন গোঁড়া নাস্তিক। কিন্তু তাদের ভোটার আইডি কার্ডে কিংবা স্কুল সার্টিফিকেটে কিংবা পাসপোর্টে ধর্মের ঘরে কি লেখা ???
অন্তত নাস্তিক তো লেখা নেই তাইনা ??? কাগজে কলমে সব জায়গায় আমি একজন খ্রিস্টান; তাই বলে কি আমি খ্রিস্টান হয়ে গেলাম ???
মসজিদে যখন জুম্মা পড়তে জান তখন আপনার আশেপাশে অন্তত ৫০ পারসেন্ট মানুষ নাস্তিক না হলেও সংশয়বাদী তো বটেই। মনে মনে আপ্নিও প্রায় প্রায় সংশয় বাদি হয়ে জান; এটাও এক প্রকারের নাস্তিকতা। লাই ডিটেক্টরে যদি ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাসের মাত্রা সংখ্যায় প্রকাস করা যেত তবে আপনার জাকির নায়েক থেকে শুরু করে আপনার নবী কারই সংখ্যা ৫০% এর বেশী উঠত না।
জন্ম সুত্রে পাওয়া ধর্ম ইচ্ছা মতন বদল করার রাস্তা খুলে দিন; ধর্মের ঘরের পাশাপাশি “ওই টুট ছেঁড়ার টাইম নাই” ঘরও রাখুন। এবার আপনার সন্তান কেও জিজ্ঞেস করুণ তার ধর্ম কি; আশা করি সেও ওই শেষের ঘরেই টিক দেবে।
দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাওয়া ধর্ম ইসলাম (জন্ম সুত্রে) সেটা মেনে নিলাম।
কিন্তু কনভার্ট সুত্রে দ্রুততম গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে ধর্মহীনতা; এটা পানির মতই পরিস্কার।
আমি যে এত পপুলার হয়ে গেছি, তা দেখে খুব ভাল লাগছে।
শুনেছি যতক্ষন কারও কাজ নিয়ে অন্যরা সমালোচনা না করে, ততক্ষন সেই কাজ গুরুত্ব পায় না।
আজকে আমি কিছুটা হলেও বুঝতে পারলাম আমার কাজ কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং এতে লোকেরা চিন্তিত হচ্ছে।
সবাইকে ধন্যবাদ।
@সবুজ চৌধুরী, চিন্তিত হচ্ছি তাদের কথা চিন্তা করে যাদের আপনারা ভুল-ভাল শিক্ষা দিচ্ছেন; চিন্তিত হচ্ছি তাদের কথা চিন্তা করে যাদের আপনারা সত্য থেকে দূরে সরিয়ে নিচ্ছেন।
আপনাদের আহবান জানাচ্ছি একটি খোলামেলা আলোচনা সভার। এক তরফা মিথ্যাচার করে যাবেন সেটা আমরা কোনভাবেই মেনে নিতে পারিনা। হয় আমাদের বিশ্বাসী করবেন যুক্তি প্রমান দিয়ে নয়তো আপনাদের মনে অবিশ্বাসের বীজ রোপণ করে দেবো; আলোচনা সভার সেটাই হবে লক্ষ।
ঢাকা এজি চার্চে আমাকে চেনেনা এমন কেউ নেই। আমি সবচাইতে বেশী ধর্মীয় আলোচনা করেছি ঢাকা এজি চার্চের সভ্যদের সাথেই; আর আমি নিজেও একটা সময় পর্যন্ত সেই চার্চের সদস্য ছিলাম ।
সব আলোচনা শেষে কি হয় জানেন ??? তারা মেনে নেয় যে তাদের বিশ্বাস ভুল; বাইবেল ভুল; যীশু ভুল। কিন্তু বিশ্বাস তো বিশ্বাস ই। এটা সত্যের ধার ধারে না।
বিশ্বাস ভালো জিনিস যতক্ষন সেটা কারো ক্ষতি না করে। কিন্তু বিশ্বাসের নামে মিথ্যাচার???
এর চাইতে জঘন্য আর কিছু আছে কি ???
মানব জীবনে ধর্মের কোন প্রয়োজনীয়তা নেই; বরং এর খারাপ দিক গোনার অযোগ্য।
সত্যকে সত্য বলে প্রচার করুণ আর মিত্থাকে মিথ্যা বলে।
যদি তেমনটা আপনারা করতেন তবে আমাদের সাপোর্ট এবং সহযোগিতা অবশ্যই পেতেন।
কিন্তু আপনাদের রাস্তা মিথ্যার; তাই আপনাদের সাথে আমরা নেই।
@এম এস নিলয়,
নাস্তিকতা একটি ভ্রান্ত চিন্তাভাবনা যা সুস্থ জ্ঞান ও স্বভাব গ্রহণ করতে পারেনা। ইহা বিজ্ঞানের সাথে এর সম্পর্ক বৈপরিত্বের। এজন্যই অনেক বিজ্ঞানীগণ এটার প্রতিবাদ করেছেন। এমনিভাবে ইহা যুক্তি তর্কেরও বিপরীত। কেননা ইহার মূল ভিত্তিই হলো জীবনের কোন যুক্তি নেই, এ সুন্দর পৃথিবী এমনিতেই সৃষ্টি হয়েছে, জীবনের কোন স্বভাবজাত ধারা নেই। সুস্থ স্বভাব সকল মানুষকে, এমনকি নাস্তিকতার দাবীদারকেও ধর্মের দিকে আহবান করে।
দয়া করে পড়ুন এবং আরও শিখুন জানুন, তারপর উঁচু গলায় কথা বলা সাঝে ……… কই থেকে লেদানর মত করে একটা উক্তি দিয়া বসেন জাহা শুনিয়া আমার………(কয়লাম নাহ লজ্জা পাবেন :lotpot: ) , চিন্তা কইরেন নাহ নিচে যাদের বলা কথা গুলি লিখলাম তারা আপনার চেয়ে অনেক কম জানে, :hahahee:
আইনস্টাইন
পদার্থ বিজ্ঞানী
বিজ্ঞান ও ধর্ম
“আমি মনে করি না যে, বিজ্ঞান অবশ্যই স্বভাবগতভাবে ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক হবে। বাস্তবে আমি এ দুয়ের মাঝে শক্ত মিল দিখতে পাই। এজন্য আমি বলব, ধর্ম ছাড়া বিজ্ঞান হল পঙ্গু আর বিজ্ঞান ছাড়া ধর্ম হল অন্ধ। উভয়টাই গুরুত্বপূর্ণ, হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করে। আমার মনে হয় বিজ্ঞান ও ধর্মের আলোয় যে আলোকিত নয় সে মৃতপ্রায়।”
ডেল কার্নেগী
মার্কিন লেখক
ধার্মিক ও রোগী
আমি খুব স্মরণ করি সে সব দিনগুলো যখন মানুষ শুধু বিজ্ঞান ও ধর্মের বিরোধ নিয়েই আলোচনা করত। কিন্তু এখন সে তর্ক চিরতরে শেষ হয়ে গেছে। কারণ, সর্বাধুনিক মনো বিজ্ঞান ধর্মের মৌলিক নিয়ম নীতি প্রচার করে, কিন্তু কেন?! কারণ, মানসিক ডাক্তারগন মনে করেন যে, মজবুত ঈমান, ধর্মাচার, ও প্রার্থনা উদ্বেগ, ভয় ও স্নায়ুতন্ত্রের উত্তেজনা দমন করার জন্য, এবং আমরা যে সব রোগে ভুগছি এর অর্ধেক নিরাময় করার জন্য যথেষ্ট। তাই ডঃ এ এ ব্রেল বলেছেন, সত্যিকার দ্বীনদার ব্যক্তি কখনো মানসিক রোগে ভোগে না।
ডেল কার্নেগী
মার্কিন লেখক
গভীর হোন
দার্শনিক ফ্রান্সিস বেকন যথার্থই বলেছেন, “ অল্প দর্শনই মানুষকে নাস্তিকতার দিকে নিয়ে যায়। পক্ষান্তরে দর্শনে গভীরতা ধর্মের পথে তাকে ফিরিয়ে আনে।
ডঃ ডগলাস
রেজিনার মেয়র
স্পষ্ট সত্য
আমার ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জনের গবেষণা ছিল, শিক্ষা ও জাতী গঠন বিষয়ে। আমি আবিস্কার করেছিলাম যে, ইসলামের মূল রুকন গুলো সামাজিক আর্থিক ও আধ্যাত্মিক ভাবে জাতীর পুনর্গঠনের জন্য একটি বড় ও মূল্যবান ভিত্তি ও রূপরেখা তুলে ধরে।
উইলিয়াম জেমস
মার্কিন মনোবিজ্ঞানী
নিজেই নিজের চিকিতসা করুন
মানসিক দুশ্চিন্তার সবচেয়ে বড় চিকিৎসা হল, আল্লাহর উপর ঈমান।
ডেল কার্নেগী
মার্কিন লেখক
ধার্মিকতা রোগের জন্য প্রতিকার
মানসিক ডাক্তাররা মনে করেন যে, মজবুত বিশ্বাস, ধর্মাচার, উদ্বেগ ও স্নায়ুতন্ত্রের উত্তেজনা দমন করার জন্য এবং এসব রোগ নিরাময় করার জন্য যথেষ্ট।
আলী ইযযাত বিগোভিচ
সাবেক বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি
দুয়ের মধ্যে অনেক বড় পার্থক্য
“বস্তুবাদ সবসময় জন্তু ও মানুষের যৌথ দিক গুলোকেই সমর্থন করে, পক্ষান্তরে ধর্ম জোর দেয় এ দুয়ের মাঝে পার্থক্য নির্ণয়ক বিষয়গুলোর উপর। “
হেনরি ফোর্ড
আমেরিকান ফোর্ড কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা
উপদেশ দাতা ডাক্তারগন
“মানসিক ডাক্তাররা নতুন ধরনের উপদেশদাতা। তারা পরকালে জাহান্নামের শাস্তির আশংকায় আমাদেরকে ধর্মাচারের প্রতি উৎসাহিত করেন না। তারা ধর্মের প্রতি উৎসাহিত করেন এই জীবনে প্রদত্ত নরকের আশংকায়। তা হল জঠরাঘাত, স্নায়ুবৈকল্য এবং পাগলামির নরক।”
আর্নল্ড টয়নবি
ব্রিটিশ ঐতিহাসিক
ধর্মই জীবন
“ধর্ম হল মানব স্বভাবের আবশ্যক ঝোক। এটুকু বলাই যথেষ্ট যে, মানুষের ধর্মশূন্যতা তাকে ধাবিত করে এক আত্মিক হতাশার দিকে। যা তাকে এমন জায়গায় ধর্মীয় সান্তনা খুঁজতে বাধ্য করে যেখানে সান্তনার কিছুই নেই। “
রেনেডোলো
নোবেল পুরস্কার বিজয়ী লেখক
দুশ্চিন্তার যুগ
“আমরা উদ্বেগের যুগে বাস করি। নিঃসন্দেহে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ও প্রযুক্তি মানুষের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করেছে কিন্তু তার সুখ ও শান্তি বৃদ্ধি করেনি। বিপরীতে বৃদ্ধি করেছে মানুষের উদ্বেগ, হতাশা এবং অনেক মানসিক রোগ যা এই জীবনের সুন্দর গুলোকে লীন করে দিয়েছে।”
নিউটন
ইংরেজ দার্শনিক
নাস্তিকতা এক রকম বেকুবি।
“নাস্তিকতা এক রকম বেকুবি। কারণ, সৌরমণ্ডলের দিকে তাকালে দেখতে পাই, পৃথিবী সূর্য থেকে সঠিক দূরত্বে অবস্থিত। এতে পৃথিবী সঠিক পরিমাণে আলো ও তাপ গ্রহণ করতে পারে। এটা অবশ্যই আকস্মিকভাবে ঘটেনি।”
প্লেটো
গ্রীক দার্শনিক
সৌন্দর্য এবং শৃঙ্খলা
“নিশ্চয় বিশ্বজগত সৌন্দর্য এবং শৃঙ্খলার এক মহা নিদর্শন। তা কাকতালীয় হেতু চক্রের ফল হতে পারেনা। বরং তা কোন জ্ঞানী স্বত্বার সৃষ্টি যিনি কল্যাণ কামনা করেছেন এবং স্বীয় ইচ্ছায় ও প্রজ্ঞায় সব কিছু সুবিন্যস্ত করেছেন।”
ডিকার্ট
ফরাসি দার্শনিক
সব কিছুর স্রষ্টা
«আমি বিদ্যমান, তাহলে কে আমাকে সৃষ্টি করেছেন? আমিতো আমাকে সৃষ্টি করিনি। তাহলে অবশ্যই আমার এক জন সৃষ্টি কর্তা আছেন। আর এ সৃষ্টি কর্তার অস্তিত্ব অবশ্যই স্বগত হতে হবে, তিনি কোন অস্তিত্ব দানকারী বা অস্তিত্ব রক্ষাকারীর প্রতি মুহতাজ হবেন না। অবশ্যই তিনি সৌন্দর্যের সব গুনে গুণান্বিত হবেন। আর সে সৃষ্টি কর্তাই হলেন, আল্লাহ সব কিছুর সৃষ্টি কর্তা।»
প্রিন্স চার্লস
ব্রিটেনের যুবরাজ
ইসলাম ও পরিবেশ
“কোরআনে মানুষ ও প্রকৃতির মাঝে কোন বিভাজন নেই। ইসলামী বিশ্ব মানবজাতির জন্য প্রজ্ঞা ও জ্ঞানের অপরিসীম ভান্ডার সঞ্চয় করে রেখেছে”।
লর্ড কেলভেইন
স্কটল্যান্ডীয় পদার্থবিজ্ঞানী
আল্লাহ সত্য
“তুমি যদি গভীর ভাবে ভাব তাহলে বিজ্ঞান তোমাকে বাধ্য করবে আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস করতে।
যে ব্যক্তি আল্লাহর পরিচিতি পেলনা, তার উপর ঈমান আনলনা, সে সব শক্তি হারিয়ে ফেলে, আরাম, আত্মবিশ্বাস ও সুখ-শান্তি সব কিছুই হারিয়ে ফেলে। তখন সে উদ্বেগ ও দুঃখের ভিতর ঘুরতে থাকে। আত্মিক কোন স্থিরতা বা অভ্যন্তরীণ কোন শান্তি থাকেনা। তার সব লক্ষ্য উদ্দেশ্য হয়ে যায় ভোগ বিলাস, ক্ষুধা নিরারণ ও সম্পদ অর্জন। সে তার অস্তিত্বের উদ্দেশ্য জানেনা, জানেনা তার জীবনের লক্ষ্য, বরং দিশেহারা জীবন যাপন করে, যৌনলালসা পূরণের মাধ্যমে শান্তি তালাশ করে। এমনকি তারা জন্তু জানোয়ারের মতই আচরণ করে বরং তাদের চেয়েও অধম জীবন যাপন করে। যেমনটি আপনার ভিতর পাওয়া গেল 😀 😀 😀
আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ আপনি কি মনে করেন যে, তাদের অধিকাংশ শোনে অথবা বোঝে ? তারা তো চতুস্পদ জন্তুর মত; বরং আরও পথভ্রান্ত। (ফুরকানঃ ৪৪)
@এম এস নিলয়,
আপনি বলেছেন –
মানব জীবনে আছে – নিলয় সাহেবের জীবনে নাও থাকতে পারে।
http://en.wikipedia.org/wiki/Growth_of_religion – উইকি স্বীকার করে নিতে বাধ্য হয়েছে – যে ইসলামই সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাওয়া ধর্ম।
কনভার্টিং এর ভিত্তিতেও – ইসলামই সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাওয়া ধর্ম।
উইকিতে লিখা রয়েছে –
১৯৯০ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত , বার্ষিক ২.২% হারে বেড়েছে মুসলিম।হিসেবে দেখা যাচ্ছে – ২০৩০ সালের মধ্যে পৃথিবীর ২৬.৪% মানুষই মুসলিম হয়ে যাবে ( প্রায় ৮ বিলিয়নে)।
এটি খ্রিস্টান ধর্মের ৬১০ বছর পরে জন্ম নিয়েও ( এটি ইসলামিক মতে ঠিক নয় , আচ্ছা অমুসলিমদের মতেই ধরলাম ) – ১০০ বছরেই খ্রিস্টান ধর্মকে ওভারটেক করতে চলেছে।
গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের ২০০৩ এর ১৪২ পৃষ্ঠায় উল্লেখিত –
“Although the religion began in Arabia, by 2002 80% of all believers in Islam lived outside the Arab world. In the period 1990–2000, approximately 12.5 million more people converted to Islam than to Christianity”
Guinness World Records 2003. Guinness World Records. 2003. p. 142.
যার অর্থ – “যদিও ধর্মটি আরব দেশে জন্ম নিলেও , ২০০২ সালে এর ৮০% বিশ্বাসীই আরব বিশ্বের বাইরে বাস করে।১৯৯০ সাল থেকে ২০০০ সালের মধ্যে ,যে পরিমাণ মানুষ খ্রিস্ট ধর্মে কনভার্ট হয়েছে , তার চেয়ে প্রায় ১২.৫ মিলিওন বেশী মানুষ ইসলামে কনভার্ট করেছে”
এই কথাটি তাই – উইকিতে সদর্পে বিচরণ করছে –
Islam is the world’s fastest-growing religion by number of conversions each year !
World Religion Database এর মতে ইসলামের বৃদ্ধির রেট সবচেয়ে বেশী – ১.৯৭% থেকে ১.৮৬%।যেটা পৃথিবীর সব ধর্মের চেয়ে বেশী।
ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়ন ডেটাবেজের মতে – ১৯১০ সালে মুসলিম ছিল ২২ কোটি , সেটা ২০১০ সালে এসে দাঁড়িয়েছে – ১৫৫ কোটিতে। এই হচ্ছে বাস্তবতা , শত অপপ্রচার কিছুই দমাতে পারেনি মুসলিমদের।
@এফ জেড করিম, ইসলাম হল একটা ইদুর মাড়ার ফাদের মতন; এতে ঢোকা যায় নিজের ইচ্ছায় বা জন্ম সুত্রে নিজের অনিচ্ছায়। কিন্তু চাইলেই বের হওয়া যায় না। ইসলাম ধর্ম ত্যাগ বা প্রকাশ্যে নাস্তিক হলে কোন বাধা নিষেধ বা মুরতাদ হিসেবে খুন বা সাজা পাওয়ার বয় থাকবে না এমন করে দিন ইদুর মাড়ার কলটির দরজা; যেখানে ঢোকা এবং বের হওয়ার স্বাধীনতা থাকবে তখন দেখবেন ধ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম কোনটি।
আপনার জন্য কমেন্ট লিখতে লিখতেই এক ফ্রেন্ড ফেসবুকে একটা লিঙ্ক দিলো; একদম ঠিক সময়ে 🙂
খবরটি পড়ে আসুন এখান থেকে।
ইসলাম থেকে বের হওয়ার রাস্তা বন্ধ রেখে এত হাউকাউ করলে হবে ???
@এফ জেড করিম,
জ্বী ভাইয়া ঠিক বলেছেন|
পশ্চিমে যত ধর্ষনকারী, শিশুকামী, বহুগামী, ধর্ষকামী, মর্ষকামী(নারী), স্ত্রী নির্যাতনকারী ও ডাকাত আছে; এদের বেশিরভাগের মধ্যেই এক “অজানা” কারনে ইসলাম ধর্মে কনভার্ট করার প্রবনতা লক্ষ্য করা যায় !!!!
সেই অজানা কারনটা কি ? ইসলাম ধর্মে কি সেই মানুষগুলোর ওইসকল কর্মকান্ডকে সমর্থন করে ?
———————————-
http://www.frontpagemag.com/2012/dgreenfield/british-rapists-and-pedophiles-converting-to-islam-in-prison/
http://www.dailyrecord.co.uk/news/scottish-news/paedophile-changes-name-and-converts-to-islam-973397
http://www.dailymail.co.uk/news/article-2048261/Christian-girl-12-kidnapped-raped-beaten-converted-Islam.html
@এম এস নিলয়, আপনি বললেন বিশ্বাসীরা মেনে নেয় যে তাদের বিশ্বাস ভুল। এই বিশ্বাসীদের নামগুলো বলবেন প্লিজ?
@সবুজ চৌধুরী, পোপ দ্বিতীয় জন পল তাদের একজন। ১৯৯২ সালের ৩১ অক্টোবর ভ্যাটিকান সিটির পোপ দ্বিতীয় জন পল আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেন যে, গ্যালিলিওকে ধর্মদ্রোহের অভিযোগে শাস্তি দেওয়াটা তাদের জন্য চরম ভুল ছিল, তিনি এ ঘটনার জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা ও তার ওপর থেকে ধর্মদ্রোহিতার অভিযোগ প্রত্যাহার করেন।
তিনি স্বীকার করে নেন যে বাইবেলের “সূর্য ঘোরে এবং পৃথিবী স্থির” কথাগুলো ভুল।
গ্যালিলিও হত্যার ঠিক চারশ’ বছর পরে গত ১৪ এপ্রিল, ২০১১ বৃহষ্পতিবার ভ্যাটিকান থেকে এই মহান জ্যোতির্বিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। গ্যালিলিও যে জায়গায় তার টেলিস্কোপটি সকলের সন্মুখে এনেছিলেন ঠিক সেখানেই ভ্যাটিকান এক বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করে। গ্যালিলিও’র সম্মানে শিল্পকলা সহ জ্যোতির্বিদ্যায় ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামের প্রদর্শনী ছিল সেখানে।
চার্চ আর ইসলামিক শারিয়া এভাবেই যুগে যুগে বিজ্ঞানের আঁচল টেনে ধরেছে।
কিন্তু একদিন না একদিন তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে। যেমন কিছুদিন আগেই মানব ক্লোন বন্ধ করতে গিয়ে বাঁশ খেল চার্চ; প্রাকৃতিক নির্বাচনের পাশাপাশি স্কুলে বাইবেলের ভুং ভাং ইনটেলিজেন্ট ডিজাইন পড়ানোর আইন বাতিল হয়ে গেলো কোর্টে।
বিজ্ঞানের সামনে চার্চের অপবিজ্ঞান আর গুং ভাং বিশ্বাসের আফিম দিয়ে জনগণকে কিছুক্ষণ হয়তো বেহুঁশ করে রাখতে পারবেন; কিন্তু সত্য সত্যই থাকবে। যুগে যুগে চার্চের হাতে সত্য খুন হয়েছে বহুবার; এতে হয়তো সত্য প্রকাশে একটু বিলম্ব হয়েছিলো। কিন্তু সত্য প্রকাশ হয়েছিলই কোন না কোন দিন।
এর জন্যই মৃত্যুমুখে গ্যালিলিও বলেছিলেন; “পৃথিবী এখনো ঘুরছে”।
বাইবেল ভুয়া সেটা প্রমান করতে আমি হাজার নমুনা উপস্থাপন করতে পারি; কিন্তু বুদ্ধিমানদের জন্য ইশারাই যথেষ্ট। একটি ভুল চার্চ স্বীকার করে নিয়েছে মানে হল আরও শতটি ভুল স্বীকার করে নেবে ভবিষ্যতে। তাই বাইবেলকে নির্ভুল মনে করা বোকামি। যারা না বোঝার তারা কখনোই বুঝবে না। আর নিজের ইচ্ছা না থাকলেও বুঝেও বুঝবেন না।
@এম এস নিলয়, বাহ, আপনাকে যতটা বিখ্যাত মনে করেছি আপনি তো তার চাইতেও অনেক বেশি বিখ্যাত। আপনি মগবাজার এজি চার্চে পোপ দ্বিতীয় জন পল এর সাথে মুক্ত আলোচনা করেছেন আর তিনি নিজের ভুল সিকার করেছেন। আসলেই ব্যাপারটা ঐতিহাসিক।
আরেকটা কথা, আপনি আপনার প্রত্যেকটি মন্তব্যই বিশাল আকারের তৈরি করেন। এটা দেখে মনে পড়ল, ছোট বেলায় পরীক্ষায় কোন একটা প্রশ্ন কমন না পরলে, এলোমেলো ২-৩ পৃষ্ঠা উত্তর দিয়ে আসতাম আর নম্বরও পেতাম। আপনি কি এখনও সেই ছোটবেলার অভ্যাসটা ভুলতে পারেননি?
@সবুজ চৌধুরী, হাহাহাহাহাহাহা।
আপনি এখন যেটা করলেন ইহাকে বলে ত্যানা পেঁচানো।
যেখানে রাঘব বোয়ালদের নাম বললাম সেখানে আপনি চুনো পুঁটিদের নাম শুনতে চাচ্ছেন।
কিন্তু চুনো পুঁটিদের সাথে আমার সম্পর্ক বেশী বেশী ভালো। নাম উল্লেখ করাটা সমিচীন হবে কি ???
আর যাই করি তাদের বিশ্বাসের ব্যাবসার ক্ষতি করা কি ঠিক হবে???
দেখা হলে সাক্ষাতে বলবো। আশা করি দেখা হবে 🙂
@এম এস নিলয়, মগবাজার এজি চার্চের অন্তত ১০ জনকে আপনার নাম বললাম, একজনও চিনলো না। অথচ আপনি যেভাবে বললেন যে আপনাকে চেনেনা এমন কেউ নাই, তাতে আমি একটু অবাকই হয়েছিলাম।
আর আপনি যেসব রাঘব বোয়ালের কথা বললেন, তাদের নিয়ে আমার মাথা ব্যথা নেই। আদার ব্যবসায়ী হয়ে জাহাজের খোজ নিয়ে আমার লাভ কি? আর যাদের নাম বলতে পারবেন না, তাদের কথা এতো গর্ব করে বলারই বা দরকার কি?
মজার ব্যপার হচ্ছে, বিগ ব্যাং বা বিবর্তন বাদ দিয়ে আমার তো এখন আপনার অস্তিত্ব নিয়েই যথেষ্ট সন্দেহ হচ্ছে।
😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀
@সবুজ চৌধুরী, ১৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দে চার্লস ডারউইন এর বিখ্যাত বই ‘On the Origin of Specis’ প্রকাশের পর পরই খ্রিষ্টান সমাজে বিতর্কের ঝড় ওঠে। ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত হানার অপরাধে তিনি খ্রিষ্টত্ব হারান। ইংল্যন্ডের চার্চগুলো তৎকালীন সময়ে বিবর্তনবাদকে ঈশ্বর বিরোধী আখ্যা দিয়ে ডারউইনকে দোষী সাব্যস্ত করে। যেমনটি সপ্তদশ শতকে জ্যোতির্বিজ্ঞানী গ্যালিলিও গ্যালিলির প্রতিও করা হয়েছিল।কিন্তু প্রায় দেড়শ বছর পর জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা ও যৌক্তিক অগ্রসরমান সভ্যতার প্রেক্ষাপট বিবেচনায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০০৮ ইংল্যান্ডের অন্যতম শীর্ষ অ্যাংলিকান চার্চ ‘চার্চ অব ইংল্যান্ড’ আনুষ্ঠানিকভাবে ডারউইনের প্রতি তাদের অতীত কর্মকান্ডের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করে।
ডারউইনের জন্মের দ্বিশতবার্ষিকীতে তাঁর সঠিক মূল্যায়ণ করতে ও এ সম্পর্কে তাদের ভুল সংশোধন করতে ‘চার্চ অব ইংল্যান্ড’ তাদের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে ক্ষমাপ্রার্থনাসূচক বক্তব্য প্রকাশ করে।
চার্চের মিশন এবং গণসংযোগ বিভাগের প্রধান রেভাঃ ড. ম্যালকম ব্রাউনের উদ্ধৃতিতে প্রকাশ করা হয়:
“চার্লস ডারউইন; আপনার জন্মের ২০০ শত বছর পর চার্চ অব ইংল্যান্ড আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আপনাকে ভুল বোঝার জন্য এবং আমাদের প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে অন্যদের ভুল বোঝানোর জন্য। আশাকরি তা কিছুটা সংশোধিত হবে।
আমরা প্রাচীণ বিশ্বাসের বিশষ্ট্যগুলো চর্চা করছি যাতে আমরা তা বুঝতে পারি এবং আশা করি তা কিছু পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে। কিন্তু এই চেষ্টা এখনো সফল হয়নি এবং সমস্যা শুধু ধর্মীয় শত্রুরা নয়, তারাও যারা মিথ্যাভাবে তাদের স্বার্থের জন্য আপনাদের সমর্থন চায়। প্রতিটি ভাল ধর্মের বিজ্ঞানের সাথে মিলে গঠনমূলক কাজ করা উচিত এবং আমি এটি বলার সাহস রাখি যে প্রতিপক্ষরাও সত্য হতে পারে।
ধর্ম জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রসারে বাধা দেয় তাদের উদ্দেশ্যে আমি শুধু একটা কথাই বলতে চাই- পৃথিবী গোল নাকি চ্যাপ্টা, পৃথিবী ঘোরে নাকি সূর্য্য ঘোরে শুধু সেটা বলতে পারাই বিজ্ঞান নয়, বিজ্ঞানের অনেকগুলো অংশের মধ্যে কসমোলজি একটা অংশমাত্র। সে কালে চার্চের নির্দেশ মেনে চলতেন সম্রাটেরা, সেইসব সম্রাটেরা পৃষ্টপোষকতা করতেন অনেক বিজ্ঞানী কিংবা দার্শনিকের, কেবলমাত্র যেসব আবিস্কারের সাথে বাইবেলের কথা কন্ট্রাডিক্ট করতো সেখানেই দুয়েকটা বাধা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। ধর্মগ্রন্থ আল কোরানের শুরুই হয়েছিলো ‘ইক্বরা’ অর্থাৎ পড়ো শব্দটি দিয়ে, মুহাম্মদ সঃ বলেছেন ‘জ্ঞানার্জনের জন্যে সুদূর চীনে যাও’, ততোধিক উতসাহ দিতে বলেছেন, ‘দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত জ্ঞানার্জন করো’। নাস্তিকেরা দাবি করেন তিনি নাকি স্পেসিফিকলি বিজ্ঞান চার্চার কথা বলেন নি, আমি তাদের কাছে জানতে চাই এতো যে জ্ঞানার্জন আর পড়ার কথা বলা হয়েছে সেটা কি প্রেমের উপন্যাস পড়ার কথা বলা হয়েছে? বিজ্ঞানও এক প্রকার জ্ঞান, যে জ্ঞান ভৌত এবং জৈবিক বিষয় নিয়ে সবিশেষ চর্চা করে তা ই বিজ্ঞান। কোন ধর্মগ্রন্থেই বিজ্ঞান চর্চার বিরোধিতা করা হয়েছে বলে আমার জানা নেই।আমরা সভ্যতা বলতেই ভাবি ইউরোপ, ইউরোপের ইংলিশ নামগুলা শোনলেই ভাবি তারাই ঠিক, তাই প্রথমে ইউরোপীয়ানদের দিয়েই শুরু করছি। চৌদ্দশ থেকে আঠারোশ শতাব্দী পর্যন্ত সভ্যতার যে আলোকিতকরন (enlightment stage) এবং রেঁনেসা যুগ ছিল সেই সময়টাকেই মূলত এই আধুনিক সভ্যতার টার্ণিং পয়েন্ট ধরা হয়। সাহিত্য, সংস্কৃতি, বিজ্ঞানসহ সর্বক্ষেত্রে অভূতপূর্ব পরিবর্তন মূলত এই সময়েই সংঘটিত হয়েছিল। যদি আমি দাবি করি সেইসব যুগের প্রায় সব স্মরনীয় বরণীয় লোকেরাই আস্তিক ছিলেন তাহলে কথাটা আপনাদের কাছে কেমন লাগবে? হ্যাঁ আমি তাই দাবি করছি, এই কথাটা অনেকের কাছে ধাক্কার মতো ঠেকতে পারে, ব্যাখা করছি।এটা মোটামুটি স্বীকার্য যে তখনকার প্রায় সব বিখ্যাত লোকেরাই ছিলেন ফ্রিম্যাসনারি, ইলুমিনেটি কিংবা প্রায়োরি অফ সাইওনের সদস্য। নামগুলো আপনাদের কাছে অপরিচিত ঠেকতে পারে কিংবা যারা যারা ইদানীংকালে ‘দা ভিঞ্চি কোড’ বইয়ের লেখক ড্যান ব্রাউনের সাম্প্রতিক লেখাগুলো পড়েছেন তাদের কাছে শব্দগুলো পরিচিতও মনে হতে পারে। সেগুলো ছিল গুপ্ত সংঘটন, fraternal organization, ব্রাদারহুড, কেউ কেউ দাবি করবেন সেগুলো ‘কাল্ট’ কিংবা ‘সেক্ট’, অর্থাৎ এদের ধর্ম বলে স্বীকার করতে চাইবেন না। এটা অস্বীকার করলে সেগুলোকে ধর্ম প্রমান করে আমি আরেকটা নোট লিখতে পারবো, তাছাড়া কাল্ট কিনবা সেক্টও ধর্ম কিংবা ঈশ্বর বিশ্বাসের সাথেই সংশ্লিষ্ট। এক্ষেত্রে আমি ফ্রিম্যাসনদের ক্ষেত্রে একটা ছোট উদাহরন দিচ্ছি।ফ্রিম্যাসনদের বিশ্বাস রাখতে হতো ‘supreme being’ অর্থাৎ সর্বশক্তিমান কোন সত্ত্বায়, এই সর্বশক্তিমান সত্ত্বাটা কে সেটা ব্যাখার কোন প্রয়োজন হতো না, একজন খ্রীস্টানের কাছে সেই সর্বশক্তিমান শক্তিটা ছিল ট্রিনিটি, একজন মুসলমানের কাছে আল্লাহ, একজন হিন্দুর কাছে পারা ব্রাম্মন। বেশীরভাগ ফ্রিম্যাসনের কাছে সেই সর্বশক্তিমান সত্ত্বাটি ছিল গড কিংবা যার যার মত দার্শনিক উপায়ে ভেবে নেয়া জটিল কোন সত্ত্বা, তাদের নিজস্ব রিচুয়াল ছিল যার দ্বারা তারা তাদের সেই সর্বশক্তিমান সত্ত্বার আরাধনা করতো। সেই ফ্রিম্যাসনদের লিস্টে কে কে ছিলেন তার একটা ছোট্ট উদাহরন দেইঃ আইজ্যাক নিউটন, আইনস্টাইন, বর্তেচেল্লি, লিওনার্দো ভিঞ্চি, মার্ক টোয়েন, জর্জ ওয়াশিংটনসহ সেইসময়কার প্রায় সব বিখ্যাত ব্যাক্তিত্ব। কারো যদি লাগে ফ্রিম্যাসনদের বিশাল একটা লিস্ট দেয়া যাবে, কারো লাগলে বলবেন।ইউরোপের মোহনীয় ইংরেজী নামগুলো থেকে বের হয়ে এবার চলুন আমরা আরব বিশ্ব এবং তৎকালীন মুসলিম শাসনাধীন স্পেনের দিকে তাকাই। বাগদাদ, দামাস্কাস, কায়রো, কর্ডোভা সেই কালে সমান্তরালে বেড়ে উঠেছিলো জ্ঞান বিজ্ঞানে। আল খোয়ারিজমির কথা সবার জানা থাকার কথা যার নাম ইউরোপে ইংরেজীতে অনুবাদ করা হয়েছিল আলঘরিমাস (Alghorismus) হিসেবে যার নামের অপভ্রংশ থেকেই উৎপন্ন হয়েছিল ‘এলজেবরা’ অর্থাৎ বীজগণিত নামটি যা জটিল গানিতিক হিসাব সমাধানে এবং বিজ্ঞান চর্চার এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে আজো ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ইউক্লিডের জ্যামিতির সাথে তৎকালে একসাথে চর্চিত হতো টলেডোর আল-কিরমানির ল্যাটিনে করা ত্রিকোনমিতির অনুবাদ। জাবির ইবনে হাইয়্যান ছিলেন একজন বিখ্যাত রসায়নবিদ, কেমিস্ট্রি নামটি নাকি ‘আল কেমি’ শব্দটি থেকে এসেছে বলে অনেকে দাবি করেন, এছাড়াও রসায়নের এলকোহল, এলকালি ইত্যাদি অনেক শব্দই আরবী ভাষা থেকে এসেছে যা প্রমান করে রসায়নে মুসলিমদের অবদান। এছাড়াও বিজ্ঞানের অন্যান্য ক্ষেত্রে যেমন অপটিকস, চিকিৎসা শাস্ত্র, শল্য চিকিৎসা ইত্যাদি অনেক ক্ষেত্রেই আরবদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। আল রাজি, ইবনে সিনা ছিলেন চিকিৎসাক্ষেত্রে অগ্রগন্য, আরবী নাম বলে আমরা এদের পাত্তা দেইনা, অথচ এরা প্রত্যেকেই স্ব স্ব ক্ষেত্রে একেবারে কিংবদন্তীতুল্য।উপরোক্ত কথাগুলো থেকে কি বুঝলেন??? এই সভ্যতাকে এ পর্যন্ত টেনে নিয়ে এসেছে নাস্তিকেরা…???নাস্তিকদের একটি প্রবণতা দেখা যায় প্রায়ই – সেটি হলো ধর্মকে গালি দিতে । তারা ধর্মকে ব্যবসা বলে অখ্যায়িত করেন । আমি তাদের বলতে চাই ধর্মকে ব্যবসার জন্য ব্যবহার করেন তাদের গালি দিন, ধর্মকে দিবেন না । কারণ ধর্মকে গালি দিলে আপনি বহুসংখ্যক মানুষের বিশ্বাস কে গালি দিলেন । এবং আপনার নাস্তিকতার দর্শণ নিশ্চয় বলেবে না যে মানুষের মনকে আঘাত কর । আর যদি সেটা বলেই থাকে তবে আমি বলব আপনার নাস্তিকতা আপেক্ষা ধর্ম উত্তম । কারণ সেখানে মানুষের মূল্যবোধের একটি মূল রয়েছে এবং কোন ধর্মই সম্প্রদায়িকতার কথা বলে না , তবে মানুষ ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা করে সম্প্রদায়িকতাকে উষ্কে দেয় , :-s
@বেয়াদপ পোলা,
কোন হাদিসের কত নং আয়াতে নবীজি ইহা বলেছেন ?? :-s
দয়াকরে ঐ হাদিসটি একটু এখানে শেয়ার করুন ! 🙂
ধইন্যা পাতার শুভেচ্ছা রইলো | 😉
@বেয়াদপ পোলা,
কমেন্টের নামে এই এতবড় একখানা অশ্বডিম্ব প্রসব করে আপনি ঠিক কি বোঝাতে চাইলেন আমার স্বল্পবুদ্ধিতে তা ঠিক বোধহম্য হলো না। লেখক এখানে দেখাচ্ছেন, ধর্মের সাথে বিজ্ঞানকে মিলিয়ে এক অপবিজ্ঞানের কাচ্চিবিরিয়ানী রান্না করা হয়েছে। কোন ধর্মে বিশ্বাসী কে কি করেছেন তা নিতান্তই অপ্রাসঙ্গিক। জাবির আল হাইয়ান কুরান থেকে আলকেমী টেনে বের করেননি, তিনি কেমিস্ট্রি নিয়ে গবেষনা করেছেন। প্রায়োরি অফ সায়োনের মূলতত্ব নিউটনের উপরে গতিসূত্র নাজিল করেনি, নিউটনকে গবেষনা করে আবিষ্কার করতে হয়েছে। কম্পিউটার, স্যাটেলাইট, নাইট্রোগ্লিসারিন, নিউক্লিয়ার ফিউসন, এমনকি ছুরি, বঁটি,কিলক, পুলির মত সরল্ন্ত্রও কুরান, বাইবেল, বেদ, ত্রিপিটক থেকে লাফ দিয়ে পড়েনি। মানুষ নিজস্ব চিন্তাশক্তি কাজে লাগিয়ে উদ্ভাবন করেছে। ধর্মগ্রন্থ নিয়ে আপনারা ধর্মসভায় ধর্মীয় আলোচনা করুন বরং। বিজ্ঞানের মধ্যে অপ্রাসঙ্গিক ধর্মীয় অপবিজ্ঞান টেনে আনবেন না।
@ইমরান ওয়াহিদ, আল-কোরআনের মাত্র একটি আয়াত মহাবিজ্ঞানী মরিস বুকাইলিকে ইসলামের সত্যতা স্বীকার করে নিতে বাধ্য করে। তিনি ইসলাম কবুল করে তাঁর যুগান্তকারী গ্রন্থ ‘The Bible, The Quran and science’ রচনা করেন, যেখানে তিনি প্রমান করেন যে Ñ কোরআন শরীফের শত শত আয়াত সমূহ আধুনিক বিজ্ঞানের অনেক আবিষ্কারেরই উৎস। আপনি দয়া করে পড়ে দেখবেন।
আনলাম নাহ, তাহলে প্রমান করেন আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে কোরআন এর আয়াত পরস্পর বিপরীতমুখী, যদি ও কোরআন বিজ্ঞানের বই না, নিদর্শনের বই। 🙂 😕
@বেয়াদপ পোলা,
হাহাহা। আপনি কি এই বাক্যের ফাঁক টা ধরতে পারেননি ??? এখানে কিন্তু হওয়ার কথা ছিল “আমার সাথে সাথে বলুন”; কারন মুহাম্মদের ভাষ্য অনুযায়ী তার কাছে তো কোন লিখিত খাতা আনা হয়নি। এই বিশাল ভুলটা করলো ক্যামনে সে ???
তাওহীদ পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিত একটা খুব সুন্দর বই আছে। বইটির নাম “জাল ও জঈফ হাদিস সংকলন”। বইটি পড়লে আপনি অবাক হয়ে আবিষ্কার করবেন যে হাদিসের নামে যত ভালো ভালো জকথা বলা হয়ে থাকে তার বেশীরভাগ ই জাল বা জঈফ বা অন্য ধর্মগ্রন্থ থেকে হুবুহু (বিশেষ করে বাইবেলের হিতোপদেশ অধ্যায় থেকে)।
“জ্ঞানার্জনের জন্য সুদূর চীনে হলেও যাও”। (ইবন আদী ২/২০৭। ইবন জাওজী ও ইবন হিব্বান এটিকে জাল প্রমাণ করেছেন) বহুল ব্যবহৃত ও বহুল প্রচারিত একটি জাল হাদিস। একই ভাবে “বিদ্বানের কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়েও পবিত্র” (বাগদাদের ইতিহাস লিপিবদ্ধকালে খাতিব হাদিসটি লিপিবদ্ধ করেছেন, তবে তিনি নিজেই একে জাল বলেছেন), “আমি হলাম জ্ঞানের শহর আর আলী তার দরজা” (লিপিবদ্ধ করেছেন আল হাকিম ৩/১২৬। ইমাম বুখারী এটিকে জাল প্রমাণ করেছেন), “জ্ঞানসহ অল্প আমল জ্ঞানহীন অনেক আমল থেকে উত্তম” (দাইলামী লিপিবদ্ধ করেছেন ও ইমাম সুয়ুতী জাল প্রমাণ করেছেন) এইগুলা সবই ভুয়া। ইসলামের সাথে এর কোন সম্পর্ক নাই। জাল আর জঈফ কিছু হাদিস পড়তে পারেন এখান থেকে। পড়ুন আর পড়ে নিজেও অবাক হয়ে জান 🙂
ইসলামে জ্ঞান অর্জন মানে হল শুধুই কোরআনের জ্ঞান অর্জন; আর বিদ্যাপীঠ হল শুধুই মাদ্রাসা। সহি হাদিস থেকে সেগুলো অনেক বার প্রমান করা হয়েছে তার পরেও আপনারা হজ হাদিস নিয়া হাজির হন। আজব!!
অনেক বিজ্ঞানির নাম বললেন। ভালো কথা। তবে বলুন তো নোবেল প্রাইজের লিস্টে এত বছরে মাত্র ২ জন মুসলিম বিজ্ঞানির নাম উঠেছে তাও তারা কেউ ই একক ভাবে নোবেল পাননি। আল্লাজি সব আবিষ্কার কোরআন পড়া মুসলিমদের দিয়ে আবিষ্কার না করিয়ে ইহুদী, নাসারা নাস্তিকদের দিয়ে কেন আবিষ্কার করাচ্ছেন ??? আমরা বিজ্ঞানীরা আস্তিক নাকি নাস্তিক তা দিয়া কোন মাথা বেথা নাই। বিজ্ঞানের জন্য ধর্মের দরকার নেই। মাথা বেথা তখন যখন বিজ্ঞানকে বিকৃত করে ধর্ম গ্রন্থে ঢুকানো হয়। কারন বিজ্ঞান ছাড়া ধর্মের ভাত নেই তা সবাই বুঝে গিয়েছে। তাই এই চক্রান্ত।
আরবে গত ১৪০০ বছরে যত বই ছাপা হয়েছে ফ্রান্স তা প্রতি ৬ মাসে ছাপে। ইসলামে কবিতা লেখা নিষিদ্ধ। মুহাম্মদ বলেছিলেন “পেট ভর্তি কবিতা অপেক্ষা পেট ভর্তি পুজ উত্তম”। বিজ্ঞানের খেত্রেও একই কথা। অজানা কিছু নিয়ে প্রশ্ন করা ইসলামে নিষেধ। সব কিছু “আল্লায় চাইসে তাই করসে” বলে বিশ্বাস করতে হবে। কেন করেছে সেই প্রশ্ন করা ইসলামের নীতির বহির্ভূত। যে সব আয়াতে বিজ্ঞান আছে বলে দাবী করা হয় সেসব আয়াত নিয়ে নবী কি বলে গিয়েছেন হাদিসে সেটা জেনে নিন। তাহলেই আশা করি অনেক কিছু পরিস্কার হয়ে যাবে। মজাও পাবেন হাস্যকর কথা গুলো পড়ে 🙂 বিনোদনে সময় ভালোই কাটবে আশা করি হাদিস পড়লে 😀
মুহাম্মদের কোরআনের আগে পৃথিবীর কবন ধর্ম গ্রন্থে অন্য ধর্মকে হেও করা বা নিচু করার কোন নজির নেই। মূলত কোরআন থেকেই আজকের সবাই শিক্ষা নিয়েছে কিভাবে অন্য ধর্মকে নিয়ে কটূক্তি করতে হয়; সেটা কিন্তু সবাই মুহাম্মদের লেখা কোরআন থেকেই শিক্ষা নিয়েছে 🙂 বিশ্বাস হচ্ছে না ??? এই পোস্ট টি পড়ে আসুন; তবে নিজেই বুঝতে পারবেন ধর্ম বিদ্বেষ এবং ধর্ম অবমাননার বীজ কোথায় নিহিত।
@এম এস নিলয়, ইসলাম কখনও নাস্তিকতার উৎকর্ষে ইন্দন যোগায়নি। মুসলিম দেশগুলোতে বসবাসরত নাস্তিকরা হয়ত ইসলাম সম্বন্ধে বিলকুল অজ্ঞ। তারা যৎসামন্য ইসলাম অধ্যয়ন করে; আর যদি কখনও করে তাহলে তা ইসলামবিদ্বেষী প্রাচ্যবিদ (orientalist) খৃষ্টান পন্ডিতদের বই-পুস্তক থেকে। তারা নিজেদেরকে মুক্তমনা দাবী করে। অথচ তাদের মত গোঁড়া, সংকীর্ণমনা লোক পাওয়াই দুরূহ। বেশী কিছু বলব না।
@এম এস নিলয়,
আমি স্ক্রল করতে গিয়ে – চোখে পড়ে গেলো –
আপনি বলেছেন –
শামায়েল মোহাম্মদীয়া – পরিচ্ছেদ ৩৭ : হাদিস ২৪১
কেউ একজন আয়েশা রাঃ কে প্রশ্ন করলো – রাসুলুল্লাহ কি কখনো কবিতা আবৃত্তি করতেন ?
হ্যাঁ , তিনি করতেন।উদাহরণস্বরূপ তিনি মাঝে মাঝে আব্দুল্লাহ ইবন রাওওয়াহ এর কবিতা আবৃত্তি করতেন।
Shama’il Muhammadiyah :: Description Of The Saying Of Rasoolullah On Poetry
Book 37 : Hadith 241
Someone enquired from Aisha radiyallahu anha:
Did Rasoolullah sallallahu alaihe wasallam recite poetry? She replied, He sometimes as an example recited the poetry of Abdullah ibn Rawahah (and sometimes of other poets). He sometimes recited this couplet of Tarfah: “Sometimes that person brings news to you whom you have not compensated.”
এছাড়া আর অনেক কবিতার নিদর্শন আছে।মহানবী সাঃ এর মৃত্যুর পরেই তো – ফাতেমা রাঃ এক শোকগাথা রচনা করেছিলেন।
সহিহ বুখারী :: খন্ড ৪ :: অধ্যায় ৫৪ :: হাদিস ৪৩৪
আলী ইব্ন আবদুল্লাহ (র)……………সাঈদ ইব্ন মুসাইয়্যাব (রা) থেকে বীর্ণত, তিনি বলেন, একদা উমর (রা) মসজিদে নববীতে আগমন করেন, তখন হাসসান ইব্ন সাবিত (রা) কবিতা আবৃত্তি করছিলেন। (উমর (রা) তাঁকে বাঁধা দিলেন) তখন তিনি বললেন, এখানে আপনার চেয়ে উত্তম ব্যক্তি (রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর উপস্থিতিতেও আমি কবিতা আবৃত্তি করতাম।
সহিহ বুখারী :: খন্ড ৫ :: অধ্যায় ৫৯ :: হাদিস ৪৪৯
হাজজাজ ইব্ন মিনহাল (র) …… আদি (র) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তিনি বারা (রা)-কে বলতে শুনেছেন যে, নবী (সা) হাস্সান (রা)-কে বলেছেন, কবিতার মাধ্যমে তাদের (কাফেরদের) দোষত্রুটি বর্ণনা কর আথবা (বর্ণনাকারীর সন্দেহ) তাদের দোষত্রুটি বর্ণনা করার জবাব দাও। (তোমার সাহায্যার্থে) জিবরাঈল (আ) তোমার সাথে থাকবেন। (অন্য এক সনদে) ইব্রাহীম ইব্ন তাহ্মান (র) ……… বারা ইব্ন আযিব (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা) বনী কুরায়যার সাথে যুদ্ধ করার দিন হাসান ইবন আযিব (রা)-কে বলেছিলেন (কবিতার মাধ্যমে) মুশরিকদের দোষত্রুটি বর্ণনা কর। এ ব্যাপারে জিবরাঈল (আ) তোমার সাথে থাকবেন।
আরও আছে , লাগবে নাকি…
@এম এস নিলয়,
জ্ঞান নিয়ে অনেক বুলিই ছাড়লেন।এবার কিছু শুনুন।
প্রথম – যেটা দিয়ে শুরু করি দেখুন –
Al-Tirmidhi Hadith – 422
Narrated AbuUmamah
The Prophet (peace be upon him) said: A learned person is as much above a worshipper as I am above the least of you. He added: Allah, His angels and all those in Heavens and on Earth, even the ants in their hills and the fish in the water, call down blessings on those who instruct people in beneficial knowledge.
http://www.alim.org/library/hadith/tir/422
আশা করি –বুঝতে পেরেছেন – তবুও অনুবাদ করে দিলাম –
আল-তিরমিজী – হাদিস ৪২২
আবু উম্মাহ হতে বর্ণিত – রাসূল ( সাঃ ) বলেছেন – একজন জ্ঞানী মানুষ একজন ইবাদতকারী অপেক্ষা অনেক উপরে , যেমন আমি তোমাদের সবার উপরে।তিনি আর বলেন – আল্লাহ , তাঁর ফেরেশতা এবং সারা স্বর্গে মর্ত্যে যারা আছে , এমনকি ঢিবির পিঁপড়া থেকে শুরু করে জলের মাছ – সবাই দোয়া করে চলে – তাঁদের উপরে যারা মানুষকে প্রয়োজনীয় জ্ঞান দান করে।
(রাসূল সাঃ এর যেমন মর্যাদা ছিল সবার উপরে , তাঁর সাথে জ্ঞানীদের মর্যাদা তুলনা করা হচ্ছে – চিন্তা করুন – কতটা সম্মান ! )
১/ সহিহ বুখারী :: খন্ড ৩ :: অধ্যায় ৪৬ :: হাদিস ৭২০
ইসহাক ইবন ইবরাহীম (র.)…….. আবূ মুসা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, কারো যদি একটি বাঁদী থাকে আর সে তাকে প্রতিপালন করে, তার সাথে ভাল আচরণ করে এবং তাকে মুক্তি দিয়ে বিয়ে করে, তাহেল সে দ্বিগুন সাওয়াব লাভ করবে।
২/ কুরআনের শুরুর আয়াতই –
‘‘পাঠ করুন আপনার প্রভুর নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন” (সূরা আলাক, আয়াত-১)
এটা আপনি ভুল বুঝেছেন – এটা মুহাম্মদ সাঃ কে বলা হয়নি – এটি মানবজাতিকে বলা হয়েছে।কাড়ন , সেখানে পড়ার কিছু ছিল না।
৩/ “আর আমি ওই দৃষ্টান্তগুলো মানুষের উপদেশ গ্রহণের উদ্দেশে বর্ণনা করে থাকি। বস্তুত ওইসব দৃষ্টান্ত কেবল জ্ঞানী ব্যক্তিরাই বোঝে” (সূরা আনকাবুত, আয়াত-৪৩)
৪/ ‘‘আপনি বলুন, যারা জ্ঞানী এবং যারা জ্ঞানী নয় তারা কি সমান হতে পারে?” (সূরা যুমার, আয়াত-৯)
৫ / “তোমাদের মধ্যে যারা ঈমানদার এবং যাদের জ্ঞান দান করা হয়েছে আল্লাহ তাদের সুউচ্চ মর্যাদা দান করবেন”(সূরা মুজাদালাহ, আয়াত-১১)। – দুইটা দুই জিনিস , ঈমান হচ্ছে ইসলামী জ্ঞান এবং দ্বিতীয়টা হচ্ছে দুনিয়াবী জ্ঞান।
৬/ এর মধ্যে আছে শপথ জ্ঞানী ব্যক্তির জন্যে। (Al-Fajr: 5)
৭ / যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন, (Al-Alaq: 4)
আবারো , একই কথা – ওইখানে কলম ছিল না।এটা মানবজাতিকে যে বলা হচ্ছে – সেটা আরো অকাট্য প্রমাণ।
৮/ Al-Tirmidhi Hadith – 107
Narrated Abdullah ibn Mas’ud
Allah’s Messenger (peace be upon him) said to me: Acquire the knowledge and impart it to the people.
এখানে – আল্লাহর নবী – তিনটা স্টেপের কথা বলেছেন।একটা শুধু জ্ঞান , আরেকটি শরিয়াহর জ্ঞান আর একটা কুরআনের জ্ঞান।
http://www.alim.org/library/hadith/tir/107
৯/ Al-Tirmidhi Hadith – 148
Narrated AbuBarzah Nadlah ibn Ubayd al-Aslami
The Prophet (peace be upon him) said: A servant of Allah will remain standing on the Day of Judgment till he is questioned about his age and how he spent it; and about his knowledge and how he utilized it; about his wealth from where he acquired it and in what (activities) he spent it; and about his body as to how he used it.
http://www.alim.org/library/hadith/tir/148
ভালো থাকবেন ।
ভাল লাগল (Y) ।
ধর্ম যতক্ষণ নীতির কথা বলে, বেক্তি ও সমাজের কল্যাণের কথা বলে ততক্ষণ সেটা শোনা যায়। একমত হয়ত নাও হতে পারি কোন মতের বা পদ্ধতির সাথে, কিতু সেটাকে বিবেচনা করাই যেতে পারে। যেমন, “তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মত ভালবেসো”। এই কথাগুলো শুনতে ভাল লাগে। মানি কি না মানি, বা মানতে পারি কি না পারি এই ভাবগুলোর প্রতি একটা শ্রদ্ধা থাকে। কিন্তু ধর্ম নীতির মধ্যে ত সীমাবদ্ধ থাকে না, বিশ্বতত্ত্ব তার চাই! আসলে সৃষ্টির রহস্য আর অন্তিম পরিনিতির কথা না বললে পাবলিক খাবে না। আর এই (গুলে ভরা) বিশ্বতত্ত্বকে সত্যি প্রমাণ করার জন্য কত যে মিথ্যা বলা হচ্ছে আজকাল!
যারা ধর্মকে ডিফেন্ড করতে চান, তাদের বুঝতে হবে ধর্মকে এখন নতুন ভাবে ব্রান্ড করার সময় এসেছে। এই বিশ্বতত্ত্ব, সৃষ্টিতত্ত্ব, ও বিভিন্ন অতিভৌতিক দিকগুলকে ফ্যাক্ট বলে প্রচার করার বিফল প্রয়াস ছাড়া উচিত। বিজ্ঞানের জামানায় পার্থিব ব্যাপারে যত নাক গলাবে ধর্ম তত নাক কাটা যাবে। বরং মিথ্যার আশ্রয় না নিয়ে, ভাল নীতি গুলর প্রচার করুক, নিজের জীবনে প্রয়গ করুক। এ যুগে এতেই ধর্মের সার্থকতা। আর যত অতিভৌতিক বেপার আছে এগুল নিয়ে সুন্দর মিথালজী বানানোর চেষ্ঠা করুক, মানুষ এপ্রিশিয়েট করবে। সুপার ম্যান কমিক-বুকেও এক ধরনের দর্শন, বিশ্বতত্ত্ব, অধিবিদ্যা পাওয়া যায়। বহু বাচ্চা- বুড় বাচ্চা তার ভক্ত। প্রতেক ধর্মের হাতেই ব্লকবাসটার মেটিরিয়াল পরে আছে। দিন রাত রাগ-ঘেন্না না করে বরং আমাদের গল্প শোনাক/ দেখাক। গল্পকে গল্প বলে, সত্যি বলে না।
@অর্থ, আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত (Y)
@অর্থ,
এই লেখকেরই লেখা পাস্তাফারিয়ানিজম নিয়ে লেখাটা পড়ে দেখেন। নতুন ধর্মীয় মিথ আপনার পছন্দ হতে পারে।
@ইমরান ওয়াহিদ,
আগেই পড়েছি :)) । মহান ফ্লাইং স্প্যাগেটি মন্সটারের মত দেব আর নাই। উনি ঐপিটাইট বাড়িয়ে দেন, স্মরণ করলেই হল আর কিছুই চাই না। স্বাদু! স্বাদু!
@অর্থ, বিজ্ঞান জানে – আজকে যা বলছে – কালকে সেটা ভুল ও হতে পারে। আজকের ভুল কালকে সত্য হতে পারে।বিজ্ঞানে ধ্রুব সত্য বলে কিছুই নেই।
বিজ্ঞান যেটা প্রমান করতে পারেনি – তারা সেটাকে পুরোপুরি অস্বীকার করে. যেনবা – বিজ্ঞান যে পর্যন্ত যেতে পারেনি – সেই বিষয়গুলি এই মহাবিশ্বেই নেই।
সত্যিকারের বিজ্ঞানমনস্করা সম্ভাবনার কথাটি সবসময় মাথায় রাখবে – আর বিজ্ঞানের অন্ধভক্ত তথা অপবিজ্ঞানের ফেরিওয়ালারাই বলে বেড়াবে বিজ্ঞান এইটা বলেছে – তাই এইটাই ধ্রুব। এর বাইরে কিছুই হতে পারে না। 😕
চমৎকার (Y)
@মাহফুজ, ধন্যবাদ (C)
(Y) ব্লগটির জন্য
:-Y ধর্মে বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনার জন্য।
মত প্রকাশের স্বাধীনতার জয় হোক।
@ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা, হুম; মত প্রকাশের স্বাধীনতার জয় হোক। কিন্তু তাই বলে অপবিজ্ঞান বা বিজ্ঞানের নামে মিথ্যাচার অবশ্যই মত প্রকাশের স্বাধীনটার মধ্যে গণ্য করা যায় না। সেটা অপরাধ।
@এম এস নিলয়, বোধহয় আমি আপনাকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছি।
আমি কখনোাই অপ প্রচারের পক্ষে নই। আর আপনি যে এভাবে অপপ্রচার গুলো তুলে ধরেছেন সেটাকেই আমি মত প্রকাশের স্বাধীনতা বলেছি। দুঃখিত, আমার অপরিষ্কার মন্তব্যের জন্য। ক্ষমা করবেন।
@ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা, আচ্ছা এবার ঠিক করে বুঝতে পারলাম 🙂
ধন্যবাদ; মত প্রকাশের স্বাধীনতার জয় হোক 🙂
@এম এস নিলয়,
“মত প্রকাশের স্বাধীনতার জয় হোক। কিন্তু তাই বলে অপবিজ্ঞান বা বিজ্ঞানের নামে মিথ্যাচার অবশ্যই মত প্রকাশের স্বাধীনটার মধ্যে গণ্য করা যায় না। সেটা অপরাধ।”
আপনার এই কথাটা বুঝলামনা। মত প্রকাশের স্বাধীনতার কনসেপ্টটা কোন মতামতের সত্যতা, যৌক্তিকতা, ন্যায়ানুগতা কিংবা বিজ্ঞানসিদ্ধতার উপর নির্ভর করেনা। শুধু একটা শর্ত আছে; এমন কোন মত প্রকাশ করা যাবেনা যেটা কারো নাগরিক কিংবা মানবিক অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করে যেমন ধরুন কোন ব্যাক্তি কিংবা জনগোষ্ঠীকে খুন করার জন্য উস্কানি দিয়ে বক্তৃতা দেওয়া বা নিবন্ধ লেখার স্বাধীনতা কারো নেই কিন্তু সমালোচনা এমনকি মিথ্যা কিংবা অন্যায় সমালোচনা করারও আইনি অধিকার আছে।
তাই অপবিজ্ঞান বা বিজ্ঞানের নামে মিথ্যাচার মত প্রকাশের স্বাধীনতার মধ্যে গণ্য করা যায়। এর প্রতিকার হল যারা বিজ্ঞান জানেন তারা তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ব্যাবহার করে ঐ অপবিজ্ঞানকে খন্ডন করা, যেটা আপনি এখানে করেছেন। এই অপবিজ্ঞানকে আপনি অপরাধ বলেছেন; সেই অধিকারও আপনার আছে।
৬০০০ বছর আগে আব্রাহামিক প্রথম মানব আদম যখন ঐশ্বরীক নির্দেশে অজাচারে লিপ্ত হয়ে মানব্জাতি সৃষ্টিতে ব্যস্ত, দেখে নেয়া যাক পৃথিবীর অন্যত্র কি কি ঘটছে:
* মেসোপটেমিয়ান সভ্যতায় তখন উরুক যুগের সূচনা হয়েছে। তারা নগরভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তুলেছে
* মিশরে আম্রাশিয়ান সভ্যতার সূত্রপাত ঘটেছে। কাদা শুকিয়ে তৈরী করা ইট দিয়ে গৃহনির্মান করছে তারা। সোনার অলংকারে অবসিডিয়ান পাথর ব্যাবহার করছে সৌন্দর্য্যবৃদ্ধির জন্য।
* বলকান অঞ্চলে কৃষিভিত্তিক সভ্যতা মধ্যগগনে, তাম্রযুগের ঊষালগ্ন
* স্ক্যান্ডিনেভীয়ান ইউরোপে কৃষিযুগের সূচনালগ্ন। তবে পোড়ামাটির তৈজসপত্রের ব্যবহার তারা ভালভাবেই আয়ত্ব করেছে
* চীন তখন কৃষিযুগের চুড়ান্রে। চাকা আবিষ্কার হয়েছে। নিওলিথিক যুগ শেষ করে প্রাথমিক ধাতবযুগের দ্বারপ্রান্তে।
* পাকিস্তানের বেলুচিস্তান অঞ্চলে মেহেরগড় সভ্যতার তখন মধ্যযুগ। কাদার ইটে তৈরী সমস্ত ঘরবাড়ি। কৃষি এবং পশুপালণ তাদের মূল পেশা। পুরোদমে তাম্রযুগ চলছে। পাথরখোদাই, ধাতব কর্ম, চামড়া ট্যানিং শিল্প হিসেবে গড়ে উঠেছে
এতোরকম আর্কিওলজিকাল এভিডেন্স হাতে থাকার পরেও কি অবলীলাক্রমে মিথ্যাচার চালিয়ে যায় মোল্লাতন্ত্র আর কি নির্দ্বিধায় বিশ্বাস করে যায় মুমিনেরা। এ নিয়ে আবার তারা তর্কও করে। হা!
@ইমরান ওয়াহিদ, তথ্য গুলো দিয়ে লেখাতিকে সমৃদ্ধ করার জন্য ধন্যবাদ 🙂
ব্যাপক বিনোদিত হলাম আপনার এই অংশ টুকু পড়ে :lotpot:
ধর্ম বিজ্ঞানকে ছাড়বে না। বিজ্ঞানের যুগে তাকে প্রতি মুহূর্তে আগ বাড়িয়ে বিজ্ঞানের আবিস্কারের হয়ে কথা বলতে হচ্ছে। বিগব্যাং-কে কে আগে নিজের কিতাবে দেখাবে সেই প্রতিযোগিতা লেগে গেছে। অপেক্ষা করেন, বিবর্তনবাদকে একদিন ধর্মগ্রন্থে আবিস্কার করা হবে! লেখা খুব ভাল হয়েছে নিলয় ভাই। এভাবে খন্ডব করে অপবিজ্ঞানকে তুলে ধরতে হবে। (Y)
@সুষুপ্ত পাঠক,
“বাইবেল, কোরআন, বেদ ও বিজ্ঞান” বইয়ে কোরআন থেকে বানর থেকে মানুষ না কি জানি মানুষ থেকে বানর হওয়ার একটা সম্পর্ক বের করেছিলেন ডাঃ সি এন সি বোস 😉 ব্যাপক বিনোদন পেয়েছিলাম বইটি পড়ে 🙂 সম্ভবত “তোমরা নিকৃষ্ট বানরে রূপান্তরিত হও” টাইপের কোন এক কোরআনের আয়াত থেকে তিনি বিবর্তনের গন্ধ খুঁজে পেয়েছিলেন 🙂
বিজ্ঞানকে সত্য প্রমান করতে ধর্মের দরকার হয়না; কিন্তু ধর্মকে মিথ্যা প্রমান করতে বিজ্ঞান দরকার। কারন একমাত্র আলোই পারে অন্ধকারের বিলুপ্তি ঘটাতে 🙂
কিন্তু দেখতেই পারছেন বিজ্ঞানের আলোয় মুখ থুবড়ে পড়তে গিয়ে বিজ্ঞানের নামেই কালিমা লেপন করছে এরা।
বিশ্বাস নিয়ে গুটিবাজি করুক আস্তিকেরা তাতে কোন সমস্যা নেই আমাদের; কিন্তু বিজ্ঞানের অসম্মান আমরা সহ্য করবো ক্যানো ??? যতই গলাবাজি করুক মিথ্যা কিন্তু মিথ্যাই থাকে আর সত্য সত্যই থাকে।
মিথ্যার বিনাশ হবেই 🙂
@এম এস নিলয়, বিজ্ঞানকে কোন বিষয়ে কিছু বলতে হলে তার সর্বাগ্রে প্রয়োজন বিষয়টিরসম্ভাব্যতা, যৌক্তিকতা জানা, তারপর পরীক্ষা নীরিক্ষার মাধ্যামে যথেষ্ট প্রমাণ হাজির করে সিন্ধান্তের মাধ্যামে সে বিষয়টি বর্ণনা করা।পবিত্র কোরআন হল এই মহাবিশ্বের স্রষ্টার ভাস্য,তিনি তাঁর কথায় এই বর্ণনা করেছেন।তাঁর বর্ণনার ধারা সম্পূর্ণ তাঁর নিজস্ব।বিজ্ঞানের বর্ণনা ভিন্ন ধারার। পবিত্র কোরআনের বিজ্ঞান সম্পর্কীয় মৌলিক বিষয়গুলো ঐ ভাবেই সুনির্দিষ্ট হয়ে আছে,যাতে তার প্রকাশ ঘটতে হাজার বছর কেটে যায়; কারণ তার জন্যে প্রয়োজন মানুষের বিজ্ঞান মনস্কতা তৈরী; আর তা সম্ভব শুধুমাত্র তখনই যখন বিজ্ঞানের অর্জিত মেধা কোরআনের এই ভাস্য বুঝার পর্যায়ে উন্নীত হবে। ঘটানা চক্রে ঘটেছেও তাই। ভাল করে লক্ষ্য করলেই বুঝতে পারবেন, বৈজ্ঞানিক ধারণা সমৃদ্ধ আয়াতগুলোর প্রচলিত তরজমায় কালের পরিক্রমায় লভ্য শব্দের ব্যবহার ঘটেছে।বিজ্ঞাণের আবিস্কারের পর দেখা যাচ্ছে যে,ব্যবহৃত শব্দের মধ্যে হচ্ছে বিবর্তন।তার অর্থ এই নয় যে, বিজ্ঞানের পরিভাষার সাথে মিলিয়ে কোরআনের তরজমায় বিবর্তন আনা হচ্ছে! ভাল করে খুঁজে দেখলেই দেখা যাবে যে, বিজ্ঞানের আবিস্কৃত মর্ম কথাটাই পবিত্র কোরআনে প্রচ্ছন্ন হয়ে আছে আমাদের বুঝার ভুলে বা সঠিক শব্দ প্রয়োগের অভাবে।তাছাড়া পবিত্র কোরআনে বিজ্ঞানময় কথাগুলোর লক্ষই হল বিজ্ঞানকে সহজোগিতা করা,নিজের কৃতিত্ব জাহির করা নয়। যদি কৃতিত্ব জাহির করার লক্ষ্যে তা হত তবে তা বিজ্ঞানের আবিস্কারের সমান্তরালে চলতো। কিন্তু না! সবগুলো আয়াতই অবতীর্ণ হয়েছে বিজ্ঞানের নিতান্ত শিশুকালে, ঐতিহাসিক দিক থেকে পবিত্র কোরআন আজকের বিজ্ঞানের পথপ্রদর্শক।কোরআন দিয়ে রেখেছে ধারনা বিজ্ঞান দিয়েছে পূর্ণতা।কোরআন বিজ্ঞনের পুরক। কোনক্রমেই বিজ্ঞান তা নয়।কারণ বিজ্ঞানের কোন কথা দিয়ে কোরআনকে ব্যাখ্যা করা যায়না কিন্তু বিজ্ঞানের সকল কথাই কোরআনে নিহিত হয়ে আছে।বিজ্ঞান শিক্ষানবিশ,কোরআন শিক্ষাগুরু; কোরআন দিয়েছে তথ্য বা শেষ বর্ণনা আর বিজ্ঞান এনেছে পরিপূর্ণতা। বিজ্ঞান যেখানে হোঁচট খেয়েছে সেখানে থমকে দাড়িয়েছে, সম্ভাব্য দর্শন দিয়ে যাচাই বাছাই করে এগিয়ে নিয়ে গেছে তার তত্ত্বকে। কিন্তু কোরআন কোথাও থমকে দাঁড়ায়নি;কারণ কোরআন এসেছে সেই স্রষ্টার কাছ থেকে যিনি বিজ্ঞানের সব নিয়মকানুনকে প্রকৃতির মধ্যে সেটেদিয়েছেন।সুতরাং বিজ্ঞান ও কোরআনের স্রষ্টা একই। কোথাও কোন বিরোধ নেই, বিরোধ যে টুকু রয়েছে তা আমাদেরই সৃষ্টি। আমাদের আবেগ ও মনের দীনতা এ বিরোধের সৃষ্টি করেছে।কোরআন দিয়ে রেখেছে সুনির্দিষ্ট ধারনা; আর বিজ্ঞান ঘুর পথে সেই কথাকেই প্রমাণ করেছে। :-s
বেয়াদপ পোলা,
আপনার পবিত্র কোরআন এর উদৃতিগুলোর বিষয়ে আমার কোন দ্বিমত নেই । মুসলিম পরিবারে যার জন্ম হয়েছে সেই বিষয়গুলো জানে কারণ মুসলমান পরিবারগুলোর শিক্ষা ব্যবস্হাই এমন। মূল কথা হচ্ছে বিজ্ঞান আর ধর্ম কে কোন ভােই একই সমিকরনে মাপা যাবেনা। ধর্মের মূল ভিত্তি যেখানে আস্তা এবং বিশ্বাষ সেখানে বিজ্ঞানের মূল ভিত্তি যুক্তি । বিশ্বাষ ব্যক্তিগত আর যুক্তি সার্বজনীন তাই ধর্মের মধ্যে বিজ্ঞান খোজা অর্থহীন। ধর্মের আবির্ভাব ঘটেছিল মানবজাতির নৈতিকতা শিক্ষার প্রয়োজনে ধর্ম প্রবক্তরা সেটি সঠিক ভাবেই পালন করেছেন ।বর্তমানে মানুষের ধর্মের কোন প্রয়োজন নেই এখন মানবকুলের প্রয়োজন সৃষ্টিকে জানা এইটি বিজ্ঞানিদের কাজ তারা সঠিক ভাবেই সেটা করবেন। আপনি, আমার দ্বন্দে এ কাজ থেমে থাকবে না বরং এই দ্বন্দ একটি সুবধাভোগী সম্প্রদায়ের এজেন্ডা বাস্তয়ায়নে সাহায্য করবে মাত্র।
@সুষুপ্ত পাঠক, আজকের বিজ্ঞানের কাছে সু প্রসিদ্ধ বিগব্যঙ তত্ত্ব ও অনেকটা ফিকে হয়ে এসেছে, বিজ্ঞানের কাছে যদি নতুন কোনতত্ত্ব প্রমাণ এসে হাজির হয় তবে হয়তো বিগব্যঙ নতুন সাজে সেজে উঠবে। কিন্তু কোরআণের তথ্যে কোন রকম পরিবর্তনের সুযোগ নেই।ফলে ভাবুক সম্প্রদায়, যারা পবিত্র কোরআনের বৈজ্ঞানিক তথ্যগুলিকে বজ্ঞানের সাথে মিলিয়ে নিতে চাচ্ছেন, বিজ্ঞানের দ্বারা পবিত্র কোরআনের বাণীগুলিকে অনুমুদিত করিয়ে নিতে চাচ্ছেন,মোট কথা কোরআনের সাথে বিজ্ঞানের একটা সেতুবন্ধন রচনার প্রয়াসে সচেষ্ট তাদর জন্যে এটি বড়ই দুঃসংবাদ।তবে একটা কথা নির্দ্ধিধায় বলা যায় যে,কোরআনের সাথে বিজ্ঞানের এমন কোন দূরত্ব নেই যে সেখানে কোন সেতুবন্ধনের প্রয়োজন আছে। আমরা যদি কোন স্বার্থসিদ্ধির লক্ষ্যে সেই দূরত্ব তৈরী করি তবে সেখানেতো কোন সেতুবন্ধের প্রয়োজন নেই,প্রয়োজন হল বিরোধ নিস্পত্তি। বুঝলেন? (T)
@বেয়াদপ পোলা,
আপনার ‘স্বার্থসিদ্ধি ‘ এই বাক্যটিই ধর্ম বিষয়ক বিতর্কের মূল পয়েন্ট। স্বার্থটি কাদের সেটি দেখতে হবে ,মুল স্বার্থটি হচ্ছে তাদের যারা ধর্মের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্ম-কান্ডের মাধ্যমে সামাজিক প্রতিষ্ঠা ও আর্থিক সুবিধা পেয়ে থাকে । সামন্য পরিশ্রমে অর্থ উপার্জনের এই রম্-রমা ব্যবসাটা হাত ছাড়া হয়ে যেতে পারে। সাধারন মানুষের আতিরিক্ত বিজ্ঞান মনস্ক হয়ে পড়ার কারনে। এই ভয়টিই এক শ্রেণীর ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের মাঝে বিরাজমন বলেই তাদেরকেই দেখা যায় বিভিন্ন সময়ে বৈজ্ঞানিক ত্বত্ত গুলো কে বিভিন্ন ভাবে ধর্মগ্রন্হ গুলোর আলোকে ব্যখ্যা প্রদান করতে। কোন বিজ্ঞানি এই কাজটা করেন না। ‘বিজ্ঞান’ জ্ঞানের একটি চলমান প্রক্রিয়া তাই প্রতিমহুর্তে পরিবর্তনশীল। ধর্ম তার প্রথম এবং শেষ কথা বলে দিয়েছে। তাই এর পরিবর্তনের আর কোন সুযোগ নেই ,এইটাই স্বাভাবিক আর বিজ্ঞান প্রতিদিন নতুন কথা বলবে কারণ সে শেষ কথাটা আজও বলেনি। কোনটা কতটুকু সঠিক এই বির্তক পৃথিবতে কখনও কোন মঙ্গল বয়ে আনেনি। মানুষ যুগে যগে শান্তি আর আগ্রগতির জন্য ধর্মের আশ্রয় নিয়েছে ধর্ম উপহার দিয়েছে ক্রুশেড আর প্রশ্চাতপরতা। বিধাতা মানব কে সৃষ্টি করেছেন সব কিছু দিয়েছেন শুধু দেননি নৈতিক শিক্ষা আর প্রজ্ঞা তাই বিধাতাকে মানুষের জন্য সৃষ্টির সকল নিয়ম ভেঁঙ্গে যুগে যুগে ধর্ম প্রচারক আর ধর্মগ্রহ্ন পাঠাতে হয়। এইটি কতটুকু গ্রহন যোগ্যাতার দাবি রাখে বলে আপনি মনে করেন ।
সুন্দর একটি লেখা। তবে ভুলগুলো ধরিয়ে দিলে আমাদের বুঝতে সুবিধা হবে। এ অন্ধকার থেকে মুক্তির রাস্তাও মিলবে। ব্যক্তিগতভাবে আমার বিশ্বাস, ধর্ম ধর্মের জায়গায় থাকুক। মানুষকে ভালো কথা বললে বলুক। কিন্তু বিজ্ঞানের দুনিয়ায় তাদের ফালতু নাক গলানো কখনোই মেনে নেয়ার মতো নয়।
@দিনকানা, তারা তাদের ধর্ম নিয়ে মিথ্যাচার করুক তাতে আমাদের সমস্যা কম যতক্ষন না সেটা ক্ষতিকারক হয়। যেমন ধরুন বাইবেলের “হিতোপদেশ” নামের একটি অধ্যায় আছে যেটা আমার খুব পছন্দের। জাত, ধর্ম, আস্তিক, নাস্তিক সবার জন্য অধ্যায় টি প্রযোজ্য। যে কোন ধর্মের মানুষ অধ্যায় টি পড়তে পারে। সেটা মোটেও ক্ষতিকারক কোন অধ্যায় নয় বরং কেউ যদি সেগুলো নিজের জীবনে পালন করে তবে সে উপকৃত হবে। কিন্তু এর বাইরে যখন তারা মাছের পেটে ৩ দিন থাকা বা মৃত লাসার ৪ দিন কবরে থেকে জীবিত হওয়া বা জলের উপর দিয়ে হাঁটা টাইপের অবৈজ্ঞানিক কথা সত্য বলে প্রচার করবে তখন আমাদের অবশ্যই কিছু বলার আছে।
আবার যখন পৃথিবীর বয়স ৬ হাজার বছরের মতন অবৈজ্ঞানিক মিথ্যাচার জোর গলায় প্রচার করবে তখন অবশ্যই সেই অপবিজ্ঞানের বিরুদ্ধে আমাদের কিছু বলার আছে।
ধর্ম অবশ্যই ভালো জিনিস যতক্ষন সেটা অন্যের স্বাধীনতা বা সত্যের বিরুদ্ধে বা মানবিকতার বিরুদ্ধে অবস্থান না নেয় ততক্ষন। কোন অসত্য বা মানুষের জন্য হুমকি এমন কিছু আমরা প্রচার হতে দিতে পারিনা।
@দিনকানা, বিজ্ঞান আগে না ধর্ম আগে। আর বিজ্ঞান কি পরিপুর্ণ? বিজ্ঞানের সকল আবিস্কারই কি শেষ? বিজ্ঞানে আজ যা প্রমানিত কয়েক বছর পরই তা ভুল প্রমানিত হতে পারে।বিজ্ঞান দিয়ে ধর্ম কে বিচার করা একটা বোকামি ।বিজ্ঞান মত পালতায় কিন্তু ধর্ম মত পালতায় না। :guru: