চেনা ফুল তোমায় খুঁজে দিতে
কত বুনো ফুল হারাবে আমায়,
দুপুর মন আমার ভিজবে বলে
চেয়ে রয় আজো, দুর্বোধ্য অতৃপ্তিতে।
এই ভালো এই অধরার খেলা
বেয়ে চলা, কুলে নয় ভেড়া,
বাকি আমাতে এই ভালো লাগা,
স্বেচ্ছা বিলাসে, অস্পৃশ্য চলাচল।
মুখোমুখি হওয়া কোন ইউটোপিয়া ক্ষনে
দেখবে আমাকে তুমি অদ্ভুত চোখে,
অপ্রস্তুত হয়ে আমিও দেখবো তোমারে,
মরিচিকা ভেবে, হয়তোবা ভ্রান্তিবিলাসে।
@ কাজী রহমান , @ ফরিদ আহমেদ,আহ চমৎকার কবিতা হয়েছে (দুজনেরটাই)। খুব ভাল লাগলো কাজী ভাইয়েরটা। আর সেই সাথে ফরিদ আহমেদ ভাইয়ের কবিতার ভাষায় জবাবটাও 🙂 । মুক্ত মনাতে সত্যি দেখছি কিছু ভাল কবি আছেন। এটা খুব ভাল লক্ষন। জীবনের একঘেয়েমী কাটাতে কবিতা খুবই কাজ দেয়। অনেক শুভেচ্ছা রইল সুন্দর কবিতার জন্য। (F) সাথে গরম (C)
@দারুচিনি দ্বীপ,
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আপনার জায়গায় আমি হলে বলতাম ‘জীবনের একঘেয়েমী কাটাতে কবিতাও খুব কাজ দেয়’ :))
এই নেন দেরিতে উত্তর দেবার জরিমানা (C)
@কাজী রহমান,ধন্যবাদ , কফি খুবই প্রিয় আমার :)) । তবে একটা সমস্যাও আছে, রাতে কফি খেলে খুম আসতে চায় না! তবে সকাল বেলার কফির আমেজই আলাদা 😉
@দারুচিনি দ্বীপ,
কাজী ভাই নিঃসন্দেহে অত্যন্ত উঁচুমানের কবি। উনার কবিতার প্রশংসা করেন, কোনো আপত্তি নেই। কবিতার জন্য আমাদের কাছ থেকে প্রশংসা উনার প্রাপ্যই, বিশেষ করে প্রত্যেকটা কবিতা লেখার পরে, কোন পুরোনো প্রেমিকার স্মরণে এই কবিতা বের হয়েছে, এই অজুহাতে যখন ঘরের মধ্যে ভাবির হাতে আচ্ছামত ধোলাই খান। কিন্তু, খামোখা আমার ওই অন্ত্যমিলের লাইনগুলোকে কবিতা ভাবার কোনো প্রয়োজন নেই। কবিতা আমাকে দিয়ে হবে না, এটা জানি সেই কৈশোর থেকেই। কাজেই ওই বেলাইনে হাঁটি নি কখনো আমি।
@ফরিদ আহমেদ,
খারাও মিঞা , পায়া লই, ঠিকঠাক মত বুঝায়া দিমুনে। আইজকা থাউক :-[
@ফরিদ আহমেদ,
অবশ্যই 🙂
হাহাহা :hahahee:
ভাইরে, কাজী ভাই যদি ভাবীর ( উনার তরফের ) কাছে ধোলাই খেয়েই থাকেন, তবে আপনিও কিন্তু পিঠে বালিশ বেধেই রাখবেন, কারন আপনার খেত্রেও কিন্তু ভাবী ( মানে আপনার তরফের) ওই একই কাজ করতে পারে। আমার কথা বিশ্বাস না হলে কবি কাজী ভাই কে জিজ্ঞেস করেন 😀
এই সব ভ্রান্তিবিলাসে ভোগার বয়স বহু আগেই শেষ হয়ে গেছে আপনার দয়াল কাজী। এই বার ক্ষ্যামা দেন। ধম্মো-কম্মের দিকে আরেকটু মনোযোগ দেন। হজ-টজ করার চিন্তা-ভাবনা করেন। খাঁচায় পোষা বুলবুলির দিকে মন বসান। এতো উড়ু উড়ু, পালাই পালাই মন হলে চলবো ক্যামনে? ফুল, চোখ, পাখি, বৃষ্টি, কষ্ট, জোছনা, অধর-অধরা, সাগর, ঢেউ, বালুকাবেলা, এগুলো আমাদের মতো চ্যাংড়া পোলাপানের জিনিস। আপনার মতো বুইড়া ধাড়ি ইউটোপিয়ান ক্ষণে মুখোমুখি বসার আশা করলেই হবে নাকি?
মিষ্টি মিষ্টি শব্দ-সম্ভার দিয়ে মাধুর্যময় মালা বুনে এরশাদ দাদুর মতো তরুণীকুলের দৃষ্টি আকর্ষণ করার অপচেষ্টা খালি। (N)
@ফরিদ আহমেদ,
হা হা হা হা হা; এতক্ষনে বুঝলাম ফরিদ দাদা।
বুঝলাম তোমার বয়েস হয়েছে দা দা।
টিকাচে টিকাচে কাউকে বলব না যে তুমি আমার দাদা। বয়স কমাতে চাও, তা কমাও, আমার মত নিরীহ যুবক কবির ঘাড়ে বন্দুক রেখে কেন; দা দা ?
হ কইলেই হইলো? এইগুলা তেতুলিয়া থেকে টেকনাফ; এরশাদ থেকে ফরিদ আহমেদ (দাদা, তুমি এখনো চ্যাংড়া ধৈরা নিলাম!) তাবৎ রোমান্টিকদের জন্য; বুঝলা।
এরশাদ কাজ খারাপ করতে পারে তাই বৈল্লা কাম খারাপ করে এই আঞ্জাম দেওন যাইবো না (মাইনষে কয়)। এরশাদর কাম দেইখ্যা শিখো দাদাভাই। ছোটকালে তুমি না শিখাইসো; যার যেইটা তারে সেইটা দিতে। কি কও , দা-আ-দা ! :-[
@কাজী রহমান,
এরশাদের কাম দেখে শিখলে বাগান হবে শুষ্ক মরুভূমি, বন্ধ্যা, ফুল-ফল কিছুই ফুটবে না সেখানে।
ধরবেন কেনো? চ্যাংড়াতো আছি-ই। এই যে নেন প্রমাণ দিলাম।
পাহাড় শেষে মেঘের দেশে
একযে আছে কন্যা,
দীঘল কেশে জোনাক মেশে
ছড়ায় আলোর বন্যা।
রাঙা চরণ জুড়ায় নয়ন
আহা কীযে করি,
কমলা কোয়া ঠোঁটের ছোঁয়া
পেলেই প্রাণে মরি।
ডাগর দিঠি পাঠায় চিঠি
ধানশালিকের ডানায়,
ডালিম লালে রাঙা গালে
অধর ছোঁয়াও হানায়।
পাহাড় শেষে মেঘের দেশে
থাকে যে রাজকন্যে,
পরান পোড়ে তাহার তরে
খুঁজি হয়ে হন্যে।
একলা বসে আঁধার রসে
স্মৃতির সবিষ চুমি,
দূর আকাশে তারা ভাসে
তারও দূরে তুমি।
@ফরিদ আহমেদ,
আলোচ্য বিষয় কামানন্দ সম্ম্পর্কিত, ইহাতে কাম পরবর্তী বিষয় উহ্য রহিয়াছিল। কামে মনোযোগ নাই; হুদা বেহুদা কাজের কথা।
এইতো বাওয়া, গিলটি মিঞা লাইন এসে গ্যাচো, কামের কতা, মজার কতা; এতক্ষনে টিক টিক লাইনে এসে গ্যাচো।
এখন? এখন কি? এইটা কোন্ট পিয়া? হ্যা? ইউটোপিয়া গন্ধ নাই নাহ?
তোমার এই গীতি কবিতা/ গান যে নামেই ডাকো , অপূর্ব হয়েছে।
এই লেখাটা আলাদা করে পোস্ট দিলে বদরাগী ঝগড়াটে অথচ আসলে সুপ্পার রোমান্টিক ফরিদকে সবাই দেখতে পারতো। কমপ্লিমেন্ট না দিয়ে পারলাম না, তোমার এই চমতৎকার গীতি কবিতা/ গানখানার জন্য। কল্পনায় কে ছিল? অলিভিয়া নাকি?
@কাজী রহমান,
আমার বদরাগ বরাদ্দ শুধু বদ লোকের জন্য। অনুরাগিনীদের জন্য রয়েছে অন্তহীন অনুরাগ, আর আপনাদের মতো বদখত কামপাগল বুড়াদের জন্য বন্দোবস্ত হচ্ছে বিরাগ।
আহ, বাঁচালেন!! এক পটে আঁকা বরাননা বিবিকে পটানোর জন্য লিখেছি এটা। তিনি না পটলে যে পটলই তুলে ফেলবো আমি। 🙁
আমার সব নায়িকাই অলিভিয়াতে লীন। তন্দ্রা হারা নয়নে অলিন্দে বসে সবাইকেই অলব্ধ অলিভিয়া বলে মনে হয়। 🙂
httpv://www.youtube.com/watch?v=44Fjk-8j7gQ
@কাজী রহমান,
:lotpot: :hahahee:
একটা পাকনা প্রশ্ন জাগল মনে, রহমান ভাই, বে-আদবি হইলে মাফ করবেন।
একই সাথে কাজ-কামে সমান পারদর্শী লোক খুব বিরল নাকি এই পৃথিবীতে?
ও হ্যা, আর একটা প্রশ্ন, আপনার দুপুর মন বিকেল হবে না কি কখনো? সব পাখি তো নিড়ে ফিরে…..
@কাজি মামুন,
হা হা হা, ধরে নিচ্ছি মানুষ এই ব্যপারটার সত্যি উত্তর দেবে না, তবে ম্যাজিক মিররকে একবার জিজ্ঞাসা করে দেখতে পারেন (I)
আমার তো এখন দুপুর, ফরিদ দাদার সন্ধ্যে। আমার দরকার কি বিকেলের। এমনই তো ভালো; ভালো না? :))
এবারের কবিতাটা খুব সুন্দর হয়েছে।
@শাখা নির্ভানা,
ধন্যবাদ শাখা নির্ভানা। আনন্দে থাকুন (C)