খ্রীষ্ঠান এবং ইসলামের উত্থান-ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতির জন্মঃ
মধ্যযুগে রাজনীতির ইতিহাসে বৃহত্তম ঘটনা খ্রীষ্ঠান এবং ইসলাম ধর্মের উত্থান। এই একেশ্বরবাদি ধর্মগুলির উত্থানের আগে রাজ্য এবং সাম্রাজ্যবাদের ভিত্তি ছিল নগর সভ্যতা। কার্থিজ, এথেন্স, রোম, মেসেডেনিয়ান-এই সব সাম্রাজ্যবাদি শক্তিগুলির ভিত্তি নগর পরিচিতি। অর্থাৎ আমরা রোমান, তাই গলদের সভ্য করার জন্য চাই লাখে লাখে গল রক্ত। এতেব গলদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, ওদের রোমান বানাও-মানে সভ্য কর। যদিও নেপথ্যের খেলাটা লুঠতরাজের।
মধ্যযুগে এই আইডেন্টি পালটে গেল ধর্মে। আমরা খৃষ্ঠান, আমরা উন্নত, তাই বাকি পৃথিবীকে খ্রীষ্ঠান বানাবো । এটাই হল সাম্রাজ্যবাদের মূল মন্ত্র। যদিও আসলে পেছনে ছিল জমি এবং সম্পদ দখলের খেলা।
খ্রীষ্ঠানদের সাফল্য দেখে, এই ধর্ম ভিত্তিক সাম্রাজ্যবাদকে সর্বোচ্চ উচ্চতায় নিয়ে যায় আরবরা। নাম ইসলাম। যেখানে ধর্মটাই তৈরী হল ধর্মীয় সাম্রাজ্যবাদের প্রয়োজনে। ধর্মীয় সাম্রাজ্যবাদের এবং পরিচিতির রাজনীতি, যার ভুক্তভোগি আমরা আজো, তার মূলে গিয়ে বিশ্লেষন দরকার।
ইসলাম এবং খ্রীষ্ঠান ধর্ম দুটি দাঁড়িয়ে আছে অসংখ্য মিথ এবং প্রপাগান্ডার ওপরে। এবং এদের দুটি ভিত্তি-প্রথমটি শ্রেনী চেতনা । এরিস্ট্রক্রাসির বা ধনীদের বিরুদ্ধে গরীবদের ক্ষোভ এই দুই ধর্মের প্রধান চালিকা শক্তি। ইসলাম এবং খ্রীষ্ঠান ধর্ম মার্ক্সবাদের দুই সফল সন্তান। এই দুই ধর্মের সাফল্যের খতিয়ানে, সোভিয়েত ইউনিয়ান কার্ল মার্ক্সের জারজ সন্তান। ইসলাম এবং খ্রীষ্ঠান ধর্ম ঐতিহাসিক ভাবে গরীবদের ক্ষোভকে যেভাবে কাজে লাগিয়েছে ধর্মের মাদকে বা প্রফেটের চরিত্র তৈরী করে, সোভিয়েত ইউনিয়ান তার ধারে কাছেও যেতে পারে নি । ধর্মের প্যাকেজে এই শ্রেনী সংঘাত কিভাবে ইসলাম এবং খ্রীষ্ঠান ধর্মের বিপুল জনপ্রিয়তা তৈরী করল সেটা না বুঝলে আমরা কোন দিন বুঝতে পারব না কেন ইসলাম ভারত বাংলাদেশ, পাকিস্তান সহ পৃথিবীর সব মুসলিম দেশের রাজনীতিতে “মহান” শক্তি। বা এটাও বুঝবো না কেন ল্যাটিন আমেরিকাতে হুগো শাভেজ বা ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট রাফেল ইকুয়েডর মার্ক্সিয় সমাজতন্ত্র ছেড়ে খ্রীষ্ঠান সমাজতন্ত্রে বিশ্বাস করা শুরু করেন।
কি সেই মারাত্মক সমীকরন যার জন্য ইসলাম এবং খ্রীষ্ঠান ধর্ম সভ্যতার চাকা পেছনে ঘোরানোর সব থেকে বড় শক্তি হওয়া সত্ত্বেও, পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের রাজনীতিতে তারা নির্নায়ক শক্তি?
ইসলাম ই একমাত্র সঠিক ধর্ম বা খ্রীষ্ঠান ধর্ম একমাত্র সত্য-এটা হচ্ছে এই দুই ধর্মের প্রসারের মূল “আবেগ” ।
এটিকে বলে আবেগপ্রবণ সাম্রাজ্যবাদ। যেমন আমেরিকানরা মনে করে, স্বাধীনতার বানী ছড়াতে অন্যদেশকে পরাধীন করার দরকার আছে! কিভাবে রোমান সাম্রাজ্যবাদ প্রথমে খ্রীষ্ঠান এবং তারপর ইসলামিক সাম্রাজ্যবাদে রূপ নিল, সেই ধারাবাহিকতাটা জানা দরকার।
ধর্ম দুটি এতটাই প্রপাগান্ডার ওপর দাঁড়িয়ে যে আদৌ যেখানে জিশু বা মহম্মদের ঐতিহাসিক অস্তিত্ব কোন ঐতিহাসিকরা খুঁজে পেতে ব্যর্থ, সেখানে যিশু এবং মহম্মদ নামে দুই কাল্পনিক প্রফেটের জন্য আজো অসংখ্য যুদ্ধ হচ্ছে, এবং হাজার হাজার লোক প্রাণ দিচ্ছে।
কমিনিউজমের ব্যর্থতা এবং প্রায় একই রাজনৈতিক শক্তি কাজে লাগিয়ে ইসলাম এবং খ্রীষ্ঠান ধর্মের সাফল্য দেখে আমি নিশ্চিত- Myth is more powerful than reality in politics! রাজনীতিতে মিথের ভূমিকা সর্বাধিক। বাংলাদেশের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে আওয়ামি লিগের কৃতকর্মা মেয়ররা হেরে ভূত হেফাজত, জামাত এবং বিএন পির মিথিক্যাল “ইসলাম বিপন্ন” প্রচারের কাছে। ভারতের রাজনীতিতে “রাম” বলে এক কাল্পনিক রাজার প্রভাবে বিজেপি দুটি আসন থেকে বৃহত্তম পার্টি হিসাবে অবতীর্ন হয়। তাই এর বিশ্লেষন প্রয়োজন।
ঐতিহাসিক যিশু এবং মহম্মদের সন্ধানেঃ
খ্রীষ্ঠান এবং ইসলাম ধর্মের রাজনীতি কতটা মিথ্যেচারের ওপর দাঁড়িয়ে, সেটা বোঝার জন্য প্রথমেই যে প্রশ্নটা করা উচিত-এই যে প্রফেটরা আদৌ ছিল, তার কি ঐতিহাসিক প্রমান আমাদের কাছে আছে?
তার আগে বুঝি ঐতিহাসিক প্রমান কি? আলেক্সান্ডার বা চন্দ্রগুপ্ত ছিল তার ঐতিহাসিক প্রমান কি? এরা এসেছেন কিন্ত যিশু বা মহম্মদের কয়েকশো বছর আগে। নিশ্চিত প্রমানের জন্য ঐতিহাসিকরা এই প্রমান গুলির ওপর নির্ভর করেন
১ সমসাময়িক লেখক, ঐতিহাসিকদের বিবরন-যেমন আলেক্সাজান্ডারের সাথে ছিলেন খালিস্থানিস, টলেমি, ন্যাচারাস আরো অনেকে। আলেক্সজান্ডারের প্রতিটা যুদ্ধের বিবরন নিখুঁত ভাবে জানা যায়।
২ এডিক্ট বা যুদ্ধ বিজয়ের জন্য রাজারা পাথরের ওপর, রাজ প্রাসাদে বিজয় গাথা লিখে যেতেন। পারস্যের একামেনিড সাম্রাজ্য বা পৃথিবীর প্রথম “গ্লোবাল সম্রাট” সাইরাসের কথা এভাবেই জানা যায় উনবিংশ শতাব্দির মধ্যভাগে ইরানে বৃটিশ খনন কার্য্যের মাধ্যমে
৩ পোড়ানো ট্যাবলেট-যা রোমানদের মধ্যে জনপ্রিয় ছিল-রোমানরা সব রাজাদেশ, বা প্রশাসনিক কাজের রেকর্ড রাখত। প্রশ্ন উঠবে হজরত মহম্মদ বলে সত্যি যে একটা লোক ছিল, তার ১১ টা বৌ ছিল, সে ৮১ টা যুদ্ধের প্রতিটা তে জয় লাভ করেছিল, আরব জাতিকে একত্রিত করেছিল, বিবি আয়েশা নামে এক বাচ্চা বৌ ছিল-এর কি ঐতিহাসিক প্রমান আছে?
ঐতিহাসিক উত্তর হচ্ছে নেই। কিস্যু প্রমান নেই।
এই লিংকে তার বিস্তারিত তথ্য এবং প্রমান পাবেন-
http://en.wikipedia.org/wiki/Historicity_of_Muhammad [১]
কোন স্বীকৃত ঐতিহাসিক মানতে রাজী নন– হজরত মহম্মদ বলে কেও ছিলেন সেটা ১০০% নিশ্চিত ভাবে বলা যায় !!
ঐতিহাসিক হেরাল্ড মোজ্জাকি লিখছেন [১]
At present, the study of Muhammad, the founder of the Muslim community, is obviously caught in a dilemma. On the one hand, it is not possible to write a historical biography of the Prophet without being accused of using the sources uncritically, while on the other hand, when using the sources critically, it is simply not possible to write such a biography
অর্থাৎ ঐতিহাসিক মহম্মদকে পুঃননির্মান করা খুব কঠিন কাজ-অসম্ভব প্রায়।
ভেবে দেখুন। ইতিহাসে মহম্মদ, আলেজান্ডারের সমতুল্য ফিগার। ৬৩২ সালে মারা গেলেন। আর ৬৩২ সাল ত দূরের কথা ৮৩৪ সাল লাগল তার প্রথম জীবনী লিখতে ( ইবনে হিসান)।
যদিও তার গুরু ইস্ক হিসান মহম্মদের প্রথম জীবনী লিখেছিলেন প্রায় ৩০০০ হাদিসের ঘেঁটে [৭৬৮ খৃ] – তার আসল লেখা কারুর কাছে নেই!
যেকারনে ঐতিহাসিকরা মহম্মদের ঐতিহাসিক অস্তিত্ব বা ইবনে হাসানের মহম্মদকে স্বীকার করছেন না
(১) তখন সবে আরবিক আলফাবেট আসতে শুরু করেছে এবং আরবরা ব্যাবসার প্রয়োজনে সিরামিক লিপিতে আরবিক লিখতে জানত [https://en.wikipedia.org/wiki/Pre-Islamic_Arabia[২]।
মহম্মদের সমসাময়িক আরবিকে লেখা পত্র আবিস্কার হয়েছে। কোন কিছুতে মহম্মদের উল্লেখ নেই! এটা অসম্ভব। সম্ভবতা দুটো-হয় মহম্মদ বলে কেও ছিল না। বা থাকলেও তিনি অতটা গুরুত্বপূর্ন কেও ছিলেন না ।
( এই যুক্তির বিরুদ্ধে কিছু ভুল তথ্য প্রমান বাজারে ছাড়ে ইসলামিক ঐতিহাসিকরা-বলা হয় হজরত মহম্মদ সিরিয়া ইয়েমেন কাষ্মীরের রাজা ইত্যাদি সবার কাছে, ইসলাম গ্রহনের জন্য চিঠি পাঠিয়েছিলেন এবং সেই চিঠির নাকি একটি কপি আছে। এক্টিনেম অব মহম্মদ বলে আরেকটি এডিক্টের সন্ধান পাওয়া ্যা্তে মহম্মদ সেইন্ট ক্যাথরিন মনাস্ট্রিতে খ্রীষ্ঠানদের স্বাধীন ভাবে ধর্মাচারনের অনুমতি দেন। কিন্ত এই দুই প্রমান-ভাষা বিশ্লেষনের মাধ্যমে জানা গেছে, পরবর্তীকালে কেও লিখেছিল
http://en.wikipedia.org/wiki/Muhammad%27s_letters_to_the_Heads-of-State
http://en.wikipedia.org/wiki/Achtiname_of_Muhammad
)
এটা আরো স্পষ্ট হয় সিরিয়ান ইতিহাস থেকে। সিরিয়া সেই সময় জ্ঞান বিজ্ঞানের পীঠস্থান ছিল। সিরিয়া ইসলামের দখলে যায় ৬৪০ সালে। কিন্ত সিরিয়ার সাথে আরবের বাণিজ্য ছিল ঘনিষ্ঠ। সেখানে শুধু মাত্র ৬৩০ সালের একটি নথি পাওয়া যায় মহম্মদের সম্মন্ধে [http://en.wikipedia.org/wiki/Historicity_of_Muhammad#cite_note-Cook_73.E2.80.9374-8[৩]।
গ্রীক, বাইজেন্টাইন সব সোর্সেই মহম্মদের উল্লেখ আছে-কিন্ত সেটা ৭৫০ সালের পর থেকে। অর্থাৎ যখন মহম্মদ নামে একজন প্রফেট ইসলামিক সাম্রাজ্যে জনপ্রিয়! সমসাময়িক কিছু নেই।
এখন প্রশ্ন উঠবে সেটা কি করে সম্ভব? লোকটা মদিনাতে ছিল, মক্কার কুরেশী ট্রাইবের সাথে একের পর যুদ্ধে জিতল, কাবাতে মূর্তি ধ্বংস এগুলো ও কি তাহলে গল্প? ইতিহাস না ?
এখানেই ব্যাপারটা গোলমেলে। ইসলামের উত্থানের ইতিহাস নিয়ে দ্বিমত খুব বেশি নেই। কারন সেটা বাস্তব। আর সেই জন্য ইসলামের সিরিয়া, জেরুজালে্ম, ইয়েমেন বিজয়ের ওপর একাধিক সমসাময়িক নথি আছে। আরবিকেও আছে, অন্য ভাষাতেও আছে। কিন্ত কোনটাতেই মহম্মদ বা কোরানের উল্লেখ নেই [১]।
সমস্যা হচ্ছে ইসলামের ইতিহাসে মহম্মদের কেন্দ্রীয় ভূমিকা নিয়ে। এই সমস্যা নিয়ে সোভিয়েত ইতিহাসের মার্ক্সিস্ট স্কুলের ঐতিহাসিকরাও অনেক গবেষণা করেছেন। তাদের বক্তব্য আমার কাছে বেশি মনোজ্ঞ যেহেতু তারা ইসলামের উত্থানকে একটি আর্থ সামাজিক বিপ্লব হিসাবে দেখেছেন কল্পকাহিনীর কবর থেকে উদ্ধার করে [ http://en.wikipedia.org/wiki/Soviet_Orientalist_studies_in_Islam [৪] ]।
সোভিয়েত ঐতিহাসিকদের মধ্যে ক্লিমোভিচ, ইসলামের জন্ম নিয়ে সমস্ত প্রাচ্য বিশেষজ্ঞদের গবেষণা ঘেঁটে মহম্মদ সম্মন্ধে যে সিদ্ধান্তে এসেছিলেন, তা ঐতিহাসিকদের কাছে অনেকটা গ্রহণযোগ্য [৪] এবং আমাদের বর্তমান বিশ্লেষনে কাজে আসবে। ক্লিমোভিচের মতে মক্কা তখন সবে আরব বাণিজ্যের কেন্দ্র হতে চলেছে। ব্যাবসার কারনে তাদের সাথে ভারত, সিরিয়া, ইয়েমেন, বাইজেন্টাইন সব দেশের সাথে যোগাযোগ। সেখানকার আরবরা খ্রীষ্ঠান ধর্ম [ যা সিরিয়া, বাইজেন্টাইনে ছিল, মক্কাতেও খ্রীষ্ঠান ছিল] , গ্রীক দর্শন এবং ভারতীয় দর্শন নিয়ে বিস্তর পরিচিত ছিলেন। এইভাবে সমসাময়িক আরবে একটি প্রগতিশীল আন্দোলনের জন্ম হয়- এদের হানিফ বলত । এরা বিশুদ্ধু একেশ্বরবাদি – মধ্যবিত্ত মক্কাবাসীদের প্রগ্রতিশীল অংশ। অনেকটা যেভাবে মূর্তিপূজার বিরোধিতা করে প্রগতিশীল ব্রাহ্ম সমাজের সৃষ্টি হয়েছিল বাঙালী রেনেঁসাসের সময়। হানিফরা সেকালের মক্কার ব্রাহ্ম সমাজ। এদের অনুপ্রেরণার উৎস ছিল ইহুদি এবং খৃষ্ট ধর্ম। এই জন্য কোরানে এই দুই ধর্ম সত্য ধর্ম বলে স্বীকৃত।
মক্কার উত্থানের সাথে সাথে একটা শ্রেনীদ্বন্দ কাজ করতে থাকে। মক্কায় দুই শ্রেনীর ব্যাবসায়ী ছিল- প্রথম শ্রেনী যারা ব্যাবসায় টাকা খাটাত-মক্কার মহাজন । এরা ছোট ব্যবসায়িদের টাকা ধার দিত সিরিয়া, ইউয়েমেনে ব্যবসা করার জন্য। মধ্যবিত্ত ব্যবসায়ীরা দেখল, টাকা আসছে মক্কায়, তাদের পরিশ্রমে আসছে, কিন্ত টাকাটা যাচ্ছে মহাজন শ্রেনীর হাতে। মহাজনরা কুরেশি ট্রাইবাল লিডার। প্যাগান ধর্ম এবং মিলিশিয়া এরাই নিয়ন্ত্রন করত। সম্পূর্ন অর্থনৈতিক কারনে হানিফদের সাথে প্যাগাননেতা, যারা মহাজনও বটে তাদের ঝামেলা শুরু হয়। সম্ভবত এরা সুদের হার বাড়িয়ে যাচ্ছিলেন-এবং এই দুই শ্রেনীর মধ্যে মারামারি, গন্ডোগল বাড়ছিল। মহম্মদ ছিলেন হানিফদের নেতা। ফলে প্রাণ বাঁচাতে উনি হানিফ সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে মদিনাতে পালানেন।
লক্ষ্য করুন কোরান মহাজন এবং সুদের বিরুদ্ধে নির্মম। এর মূল কারন ইসলামের জন্মের মূলেই আছে হানিফদের এই মহাজন বিরোধি আন্দোলন ।
কিন্ত সাথে সাথে মক্কার গরীব অংশও আসতে আসতে মদিনাতে যোগ দেয় সম্পূর্ন ভাবে গণিমতের মাল বা ক্যারাভান লুট করার জন্য। লুঠ তরাজ সেকালের আরবে হারাম ছিল না- অন্য ট্রাইব থেকে লুঠ করে মালামাল, নারী ধরে আনা ছিল আরব ট্রাডিশন । মহম্মদ দেখলেন এদের নিয়ন্ত্রন করা খুব মুশকিল হবে যদি না তিনি একটি সুকঠোর সুশৃঙ্খল আধ্যাত্নিক ধর্মের মাধ্যমে এদের বাঁধতে না পারেন। এবং সেই ভাবেই আস্তে আস্তে কোরানের বিধিগুলি উনি আল ইসলামের সেনাদের জন্য তৈরী করেন। ইসলাম ধর্মের পেছনে, তার মূল উদ্দেশ্য ছিল একটি সুশৃঙ্খল আল ইসলামের সৈন্যবাহিনী।
কোরান ঘাঁটাঘাঁটি করে সোভিয়েত স্কুলের ঐতিহাসিকরা আরো সিদ্ধান্তে আসেন, এটি ছিল আরবদের ব্যবসা সুনিশ্চিত করার কনট্রাক্ট ম্যানুয়াল। কারন কোরান প্রায় দুশ বছর ধরে সংগ্রহীত হয়েছে [ http://en.wikipedia.org/wiki/Historicity_of_Muhammad#cite_note-15 [৫] এবং প্রথমের দিকের কোরানে ব্যবসা ও সমাজ সংক্রান্ত নির্দেশিকা গুলি অনেক বেশি । পরের দিকে প্রায় দুশ বছর ধরে কোরানে ধর্মীয় বিধানগুলি ঢোকে। কোরানের প্রথম দিকের সংকলনে স্যোশাল এবং বিজনেস কন্ট্রাক্টের ওপর এত বেশি দৃষ্টিপাত করা হয়েছে, সোভিয়েত ঐতিহাসিকরা নিশ্চিত, মক্কায় ব্যবসা বাণিজ্যে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে কোরানে বিজনেস কন্ট্রাক্ট এবং অর্থনীতির ওপর জোর দেওয়া হয় যেটা ধর্মগ্রন্থের জন্য অদ্ভুত। সেই জন্য তারা মনে করেন, আসলে হানিফদের তৈরী করা বিজনেস এবং স্যোশাল কন্ট্রাক্ট গুলি প্রথমে তৈরী হয় বানিজ্যিক চুক্তি হিসাবে-পরবর্তী একশো বছরে তা কোরানের সংকলনে স্থান করে নেবে।
তবে ক্লিমোভুচ ও নিশ্চিত না-শুধু একা মহম্মদ এই কাজ করেছেন, না হানিফদের নেতারা মিলে এই ধর্মের জন্ম দিয়েছে।
(২) মহম্মদের ইতিহাস বলতে সবটাই ওরাল ট্রাডিশন/ হাদিসের গল্পের মাধ্যমে এসেছে। ভাবুন একবার ২০০ বছর ধরে যে গল্পগুলো মুখে মুখে চলে আসছে, কেও লিখে যায় নি, সগুলোর মধ্যে কোন টা ঠিক বা বেঠিক জানবেন কি করে? এর জন্য হাদিস সায়েন্স আছে। সঠিক হাদিস কি জানার জন্য। কিন্ত সেটা কি সায়েন্স না ধান্দাবাজি? বিশেষত পরের খালিফারা ইসলামি সম্রাজ্যের ক্ষীর খাওয়ার জন্য মহম্মদের বায়োগ্রাফী নিজেদের মতন করে সাজাবেন না এর গ্যারান্টি কে দেবে? হাদিস থেকে কোন ঐতিহাসিক তথ্য পাওয়া সম্ভব না। দুশো বছরে দুধে কতটা জল ঢুকেছে বার করা সম্ভব না । প্রবাদ প্রতিম প্রাচ্য ঐতিহাসিক বার্নাড লুইস লিখছেন [http://en.wikipedia.org/wiki/Historicity_of_Muhammad#cite_note-FOOTNOTELewis196737-25]
“The collection and recording of Hadith did not take place until several generations after the death of the Prophet. During that period the opportunities and motives for falsification were almost unlimited.”
(৩) কোরানে মহম্মদের উল্লেখ আছে মাত্র চারবার। তাও কনটেক্সট পরিস্কার না । এখানে একটা কথা বলা দরকার। কোরানের ভাষা আদি আরবিক-যার মধ্যে হাজার হাজার সিরিয়ান, ক্যানানাইট, গ্রীক, রোমান শব্দ মিশে আছে। কোন ভাষাবিদ ছাড়া কোরানে আসল কি লেখা আছে, সেটা উদ্ধার করাই মুশকিল। সুতরাং কোরানকে ঐতিহাসিক সূত্র হিসাবে ব্যবহার করাও মুশকিল।
এমন না মহম্মদের অস্তিত্ব সমস্যা নতুন। ক্লিমোভিচ সেই ১৯৩০ সাল থেকেই এই প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্ত মুশকিল হচ্ছে ইসলামি ফ্যানাটিকদের হাতে প্রাণ হারাবার ভয়ে অনেক প্রাচ্যবিদ সেই সব গবেষনা প্রকাশ করতে পারেন নি।
মোটামুটি ভাবে ইতিহাসে যেটা উঠে আসছে -হানিফদের একটা প্রগতিশীল আন্দোলনের নেতা ছিলেন মহম্মদ। প্যাগান মহাজনদের কাছ থেকে মক্কার ব্যবসার দখল নেওয়ার জন্য আল ইসলাম সেনা বাহিনী গঠন করার দরকার হয়ে ওঠে এই একেশ্বরবাদি সম্প্রদায়ের। কারন এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি শ্রেণীটি ছিল মহাজন দ্বারা শোষিত ও অত্যাচারিত। আল ইসলাম সেনাবাহিনী তৈরী করতে গিয়ে তারা দেখলেন মক্কার সর্বহারারা তাদের সাথে মদিনাতে আসতে চাইছে। প্রগতিশীল হানিফদের ধর্মচারন মক্কার গরীবদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়। ফলে মহাজনদের সুদের শোষন থেকে বাঁচতে তারাও মদিনাতে দলে দলে ভীর করতে থাকে। কিন্ত সেনাবাহিনী বানাতে গিয়ে হানিফরা দেখল, এরা লুঠেরাগিরি করতে এসেছে। ফলে সেনাবাহিনীতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য এবং সুষ্ঠভাবে ব্যবসা করার জন্য এই গোষ্ঠী যে নীতিমালা তৈরী করে, সেটা কোরান হিসাবে পরে সংগ্রীহিত হয় [৪]।
তাহলে মহম্মদ চরিত্র? তিনি এই আল ইসলাম সেনাবাহিনীর নেতা । আরবে প্রগতিশীল আন্দোলনের ধারক। কিন্ত তার যে জীবনী আমরা জানি-যিনি গুহায় ঢুকে সাধনা করতে করতে ঐশী বানী শুনলেন এবং ইসলাম নাজিল হল-এসব আষাড়ে গল্প। এই ধর্মীয় মোরকটা তার মৃত্যুর অন্তত শখানেক বছর বাদে বাজারে ছাড়া হয়েছে। হাদিস এই সব গাঁজাখুরি গল্পের সংকলন । চরিত্রের নির্মান যদি শুধু লেনিনের মতন একটি সমাজ বিপ্লবের নেতার হত -তাহলে ইসলামের নামে যে রাজনীতি, সাম্রাজ্যবাদ, বাজার তৈরী হল-তার কোনটাই চলত না । ফলে সেই যুগের “লেনিন” মহম্মদের সাথে আরো অনেক গাঁজাখুরি ঐশ্বরিক গল্প জুরে, একটা মিথিক্যাল মহম্মদ চরিত্রর জন্ম হল সেই অষ্ঠম শতাব্দিতে-যার ধর্ম এবং ধর্মীয় সাম্রাজ্যবাদের বাজারে কাটতি ভাল। মুসলমানদের কাছে মহম্মদ শ্রেষ্ঠ পুরুষ। অসুবিধা নেই। কারন তার চরিত্রের সবটাই কাল্পনিক নির্মান। আসল ঐতিহাসিক মহম্মদ কি ছিলেন তা জানা সম্ভব না বলেই অধিকাংশ ঐতিহাসিক মনে করেন [১]।
এবার আসল প্রশ্নে আসি। কেন ইসলাম সব দেশের রাজনীতিতে এত গুরুত্বপূর্ন? সোভিয়েত স্কুলের ইসলামের ইতিহাস থেকে একটা ব্যাপার পরিস্কার ইসলামের শুরু একটা প্রগতিশীল, গরীব দরদি, মহাজন বিরোধি আন্দোলন দিয়ে। এটা মদিনা সুরাগুলি থেকে সহজেই বোঝা যায়। কিন্ত পরবর্তীকালে এই আন্দোলন হয়ে ওঠে চূড়ান্ত প্রতিক্রিয়াশীল, সাম্রাজ্যবাদি এবং আধিপত্যকামী। প্লেটোর রিপাবলিকানের ভূত ইসলামের ইতিহাসেও বিদ্যমান। ইসলাম আসলে ছিল একটি রাজনৈতিক আন্দোলন যা মহম্মদের মৃত্যুর দুশো বছর পর বিবর্তিত হতে থাকে ধর্মীয় রূপে। প্রতিটি মুসলিমদেশে দরিদ্র শ্রেনীর কাছে ইসলামের আবেদন অপ্রতিরোধ্য। তারা মনে করে ইসলামের জন্ম হয়েছে তাদের মতন দরিদ্র শ্রেনীর হেফাজত করতে-যা ঐতিহাসিক ভাবে ভুল কিছু না । মাক্সবাদের প্রয়োগে কমিনিউস্টরা ব্যর্থ- সেখানে প্রতিক্রিয়াশীল ধর্ম হওয়া সত্যও , সেই শ্রেনী দ্বন্দের সুযোগ ঐতিহাসিক ভাবে ইসলাম নিয়েছে, এবং আজো নিচ্ছে। বাংলাতে কারা ইসলাম গ্রহণ করে? সবাই অন্ত্যজ, সমাজের দরিদ্রতম অংশ। সেখানে বৌদ্ধ ধর্মর ইতিহাসে দেখা যাবে, বৌদ্ধ ধর্ম প্রথমে বণিক শ্রেনীর মধ্যে জনপ্রিয় হয়। যদিও ইসলামের নেতৃত্বে ছিল মক্কার বণিক শ্রেনী। যাইহোক দরিদ্র শ্রেনীর মধ্যে এই দুর্বার জনপ্রিয়তা যা সম্পূর্ন মিথের ওপর দাঁড়িয়ে, সেটাই ইসলামের আসল রাজনৈতিক শক্তি। যার ভিত্তি অবশ্যই শ্রেণী দ্বব্দ। শ্রেনী দ্বন্দ এবং ধর্মের মাদক-এই ডবল ডোজে রাজনীতিতে গরীব শ্রেনীর ওপর ইসলামের প্রভাব সাংঘাতিক বেশী । ইসলামে ধর্মটার ভিত্তিই হচ্ছে রাজনীতি। সুতরাং কোন ইসলামিক দেশে রাজনীতি থেকে ইসলামকে পৃথক করা সম্ভব হয় নি-হবেও না। তুরস্কে আইন করে যা হয়েছে তা স্বৈরাচারের মাধ্যমে-গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ইসলাম রাজনীতিতে ঢুকবে-এবং সেটা তুরস্কে একটা ক্রমপ্রবাহমান পদ্ধতি।
তাহলে কি ইসলামের হাত থেকে মুসলিম দেশগুলির রাজনীতির নিস্তার নেই? পরিস্কার উত্তর নিস্তার সেই দিন মিলবে যেদিন ইসলামিক দেশগুলিতে দরিদ্র দূরীকরন, জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রসার হবে। আস্তে আস্তে তারা দেখতে পাবে “ভাল মুসলমান” সেজে কিভাবে তাদের দেশের রাজনীতিবিদরা তাদের ঠকাচ্ছে। অর্থাৎ ধর্মের প্রতিক্রিয়াশীল দিকটা তারা বুঝতে সক্ষম হবে।
মুসলিমদেশের রাজনীতিবিদরা “ভাল” মুসলমান হওয়ার যাবতীয় অভিনয় রীতি রপ্ত করতে বাধ্য। উদাহরন সাদ্দাম হুসেন, গদ্দাফি, ইয়াসার আরাফাত। এরা প্রথম জীবনে বাম ঘরানার রাজনীতিতে ছিলেন। সাদ্দাম নামাজ পড়তেন না । আস্তে আস্তে জনপ্রিয়তা বাড়াতে, সাদ্দাম ইসলামিক জীবনে ঢোকেন যা টিভিতে ঘটা করে দেখানো হত । প্রতিটা মুসলিমদেশে প্রতিটা রাজনীতিবিদ/নেতারা তাদের ধর্মীয় জীবন টিভিতে দেখাতে উৎসুক -নইলে জনপ্রিয়তা হারাবেন। এটা ভারতে বা খ্রীষ্ঠানদের মধ্যেও আছে। তবে মুসলমানদেশ গুলির মতন এত দৃষ্টিকটূ ইঁদুর দৌড় অন্যত্র বিরল । গণতান্ত্রিক মুসলিম দেশগুলিতে পার্টিগুলির মধ্যে কে কত ইসলামের হেফাজত করতে পারে তাই নিয়ে মিডিয়াতে প্রতিযোগিতা। আফগানিস্তানের সবকটা রাজনৈতিক পার্টির সাথে ইসলামটা জুরে দেওয়া হয়েছে- ন্যাশানাল ইসলামিক মুভমেন্ট অব আফগানিস্তান, জামাত ই ইসলামি, হিজবে ওয়াদাত ই ইসলামি, হেজবি ইসলামি ইত্যাদি ইত্যাদি। মুসলিম দেশগুলিতে ইসলাম রক্ষকের এই অভিনয়, উন্নয়ন ভিত্তিক রাজনীতির বাধা স্বরূপ। বাংলাদেশে আওয়ামী লিগের মেয়ররা যদি দেখেন শহরগুলির উন্নয়ন করার পরেও, যারা ইসলামি হেফাজতের ভাল অভিনয় করতে পারে লোকে তাদেরই ভোট দেয়, তাহলে নেক্সট টাইম তারাও উন্নয়ন ছেরে দাড়ির দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে মসজিদ স্থাপনেই বেশি মনোযোগী হবেন। সেটাই যেহেতু ভোট টানার উপায়। এইভাবেই মুসলিম দেশগুলিতে উন্নয়নের রাজনীতি মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে না । রাজনীতিতে ইসলামের অবস্থান তাদের পা টেনে নামাচ্ছে। রাজনীতি থেকে ইসলামকে বাদ দেওয়াও অসম্ভব-কারন তাহলে ইসলাম বলে কিছুর অস্তিত্ব থাকে না [চলবে]
আগের পর্ব-১
পর্ব-২
‘মুক্তমনা’ নামটা সার্থক। লেখকদের বেশিরভাগই সমস্তরকম দায়িত্ব থেকে মুক্ত। যাকে ইচ্ছা গালাগালি দেন, রাম-মহম্মদ থেকে মার্ক্স-লেনিন, কেউ বাদ যান না। অথচ লেখকেরা নিজেরা সমাজ পরিবর্তনের কোনও রাস্তা দেখান না। অবশ্য তাঁদের কাছে সে যোগ্যতা আশা করা বৃথা। মার্ক্স, লেনিন, স্তালিন, মাও এনাদের মতন জীবন হাতে নিয়ে ধরে দীর্ঘদিন সংগঠন গড়ে তোলেন নি এঁরা কেউই। কেবল কম্পিউটারের সামনে বসে টাইপ করেন। চারবার সাইবেরিয়া থেকে পালিয়ে আসা এনাদের কাছে ‘মিথ’ বলে মনে হতে পারে। আগে এইসব লেখা পড়ে মজা লাগত, এখন বোর হয়ে গেছি। তাই এই মন্তব্য করে এই ব্লগের পাঠকের আসন থেকে বিদায় নিচ্ছি।
@নবারুণ ঘোষাল,
(1) যাদের নাম করলেন, তাদের মধ্যে একমাত্র কার্ল মার্কস ছাড়া সবাই অত্যাচারী খুনী ব্যক্তিত্ব
(২) পৃথিবী এদের আন্দোলনে বদলায় নি। রাজনীতিবিদরা পৃথিবীকে পিছিয়ে দেওয়া ছারা আর কোন কাজ করে না। পৃথিবী এগিয়েছে, গ্যালিলিও, নিউটন, এডিশন, টেসলা, স্টিভ জবদের আবিস্কারের জন্য। যার চালক মার্কেট।
আর হ্যা, অন্যদের কথা জানি না। আমার বিশ্বাস মার্কেট এবং ইনোভেশনই একমাত্র সমাজকে বদলায়। বাকী রাজনৈতিক আদর্শ পাতি ক্ষমতা দখলের ছল। ক্ষমতায় গেলে সব রাজারই পেছন ফাটা। সেই জন্যে কোন আন্দোলনের মধ্যে আমি নেই-লিখি-আর মার্কেটে কাজে লাগে এমন প্রোডাক্ট তৈরী আমার পেশা।
সুতরাং বাম বাঙালীর ভাট বেদনাবিলাসে আমার বিশ্বাস নেই।
আপনার লেখাটি পড়লাম।
ইসলাম ধর্ম একটা মিথ বা এটা মনুষ্য সৃষ্টি— তাই প্রমান করেছেন। পরবর্তী লেখায় সম্ভবত প্রমান করবেন খৃষ্টান ধর্মও মনুষ্য তৈরী।
যদি তাই হয় তাহলে আমি আপনার এই পর্বের শেষ অক্ষর পর্যন্ত পড়ব।
বৌদ্ধ ধর্ম, ইহুদী বা জুদাইজম এবং হিন্দু ধর্ম নিয়ে আপনার আলোচনা শেষে আমি আপনাকে আমার প্রশ্ন করব।
তবে একটা প্রশ্ন এখনই করছি… এটা আমি জানিনা বিধায় আপনার কাছ থেকে জানতে চাচ্ছি…সেটা হল, যারা নাস্তিক বা ধর্মে বিশ্বাস রাখেন না তারা সৃস্টির শুরুটা কি করে হল—এ বিষয়ে কি বলেন?
@গৌমূমোকৃঈ,
সৃষ্টির শুরু বিষয়টা বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত। মুক্তমনাতে এই নিয়ে বড় বিজ্ঞান আর্কাইভ আছে। বিজ্ঞানের কোনটাই শেষ কথা না। বিজ্ঞান অনেক জেনেছে সৃষ্টি নিয়ে, আরো জানবে। জানাটা পুরো বদলেও হয়ত যাবে। কিন্ত তারপরেও সৃষ্টির ব্যপারটা পুরোটাই বিজ্ঞানের বিষয়। জানতে চাইলে বা মানুষ কতটা জেনেছে, তার ওপর আর্কাইভ মুক্তমনাতেই আছেঃ
বিজ্ঞানে জানার অসম্পূর্নতা কখনোই রূপকথায় বিশ্বাসের প্রতিস্থাপক হতে পারে না।
@বিপ্লব পাল,
আপনি যে আর্কাইভের রেফারেন্স দিলেন তাতে মানুষের উৎপত্তি নিয়ে লেখা আছে যেমন বিবর্তনবাদ কিন্তু আমি সৃষ্টি বলতে শুধু মানুষের উদ্ভব নিয়ে বলিনি, আমি বলেছি সামগ্রিক ভাবে যেমন বিগব্যাং যে তৈরী হল এবং তা যে বিস্ফোরণ হল— এর পেছনে কারো হাত আছে নাকি তা এমনিতেই হয়েছে?
বিস্তারিত জানার জন্য কোনও লিঙ্ক থাকলে জানাবেন আশা করছি।
@গৌমূমোকৃঈ,
এটা অভিজিতের এই ব্লগে পাবেন।
Muhammad Sven Kalisch জার্মানির মুনস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক থিওলজি বিভাগের প্রধান। উইকিপিডিয়া থেকে দেখা যাচ্ছে, ১৫ বছর বয়সে Kalisch ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। ২০০৮ সালের দিকে এসে Kalisch যেন একটা বোমা ফাটালেন জার্মানির মুসলিম কমিউনিটিতে। তার একটা থিসিস পেপারের উপসংহারে টানলেন, “আমরা আজকের যুগে যেমনটা জানি, লৌকিক-অলৌকিক ক্ষমতার চরম অধিকারী মুহাম্মদ, খুব সম্ভবত এরকম কেউ কখনো অস্তিত্বশীল ছিলেন না। এবং এতোটা কাল পরে এসে আসল মুহাম্মদের অস্তিত্ব প্রমাণ বা অপ্রমাণ করাও সম্ভব না।” থিসিস পেপারের এই গরম খবর বাইরে চাউর হওয়া মাত্রই জার্মানি জুড়ে হইচই পড়ে যায়। বিশ্ব সংবাদমাধ্যমে খবর হয়ে উঠেন Kalisch। জার্মানির অনেকগুলো কট্টরপন্থী মুসলিম গ্রুপ তাকে “মুরতাদ” ঘোষণা করে এবং সেখানকার Muslim Coordinating Council-এর উপদেষ্টামণ্ডলীর পদ থেকে Kalisch কে বহিষ্কার করাও হয়। শেষমেশ অধ্যাপক Kalisch তার অবস্থান পরিষ্কার করার জন্য আমেরিকার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে একটা কলামও লেখেন।
শুধু অধ্যাপক Kalisch নন, গেল বছর রবার্ট স্পেন্সার তো একটা আড়াইশত পৃষ্ঠার বই-ই লিখে ফেলেছেন “Did Muhammad Exist?” নামে। আমাজন সাইটে গেলে বইটার বিভিন্ন হদিস পাওয়া যাবে।
বিপ্লপ পাল, আপনার উদ্দেশ্য নিয়ে স্্িস্ধহান। পজিটিব চি্ন্তা করতে হবে। ধর্ম, সেটা যে ধর্ম হোক, মানুষের উপকার্ করেছে, ক্ষতি করেনি। ধর্ম হীন তন্ত্র যেমন গণতন্ত্র কমিউনিজম আমাদের কি দিতে পারছে?………………………….দুর্ীতি………………
@হুতুমপেচা,
এই অসাধারন স্বতসিদ্ধর পর কিছু বলার থাকে না। শুধু এই প্রশ্ন করুন, মুসলিম দেশগুলিতে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ক্ষুধা-এসবের এত খারাপ অবস্থা কেন?
কমিনিউজম এক ধরনের ঈশ্বর বিহীন ধর্ম-ধর্মের প্রতিটা এলিমেন্ট তার মধ্যে আছে।
আর কমিনিউস্টরা এক মাত্র নাস্তিক না। ধরুন ডেনমার্ক,ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড , সুইডেন, ফ্রান্স এইসব দেশগুলিতে এখন নাস্তিকদের সংখ্যা অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের থেকে বেশী। তাদের মানব উন্নতি ইন্ডেক্স পৃথিবীতে সেরা-ইসলামিক দেশগুলির সাথে তুলনা করুন।
@বিপ্লব পাল, আপনার কাছে আমার প্রশ্ন, শুধু কী অবকাঠামোগত উন্নয়ন মানুষের সবকিছু? আমরা বিশ্বের অন্যান্য দেশের যত উন্নয়ন দেখছি তার অধিকাংশ হয়েছে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর উপর শোষণ করে ব্শ্বিায়নের নামে, পুজিবাদের নামে, গণতন্ত্রের নামে। তারা তো শুধূ সুদখোর। আপনি কি জানেন আপনার জন্মের সাথে সাথে আপনার ৮০০০ মারকিন ডলার দেনার বোঝা আরপিত হয়েছে। সারা জীবন কিছু ভোগ না করে প্রজন্মর পর প্রজন্ম এ দেনা বা সময়ন্তার তার অনেক বেশী বহন করতে হবে। এটা তো আপনাদের মত বুদ্ধী বিক্রি কারী দের চাওয়া। মানুষের তৈরী কোন নিয়ম পৃথীবিতে কোন মানুষকে অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখতে পারে না ধর্মানুভুতি ছারা, সেটা যে ধর্ম্ হোক।ধর্মের নামে যে অপসংস্কৃতি আছে সেটা নিয়ে আমাদের অন্য চিন্তা করতে হবে।
আপনার কাছে আমার চালেন্জ থাকল পৃথীবিতে এমন কোন ফিলিসফি দেখান যা ইসলাম থেকে উন্নত সমাজ ব্যবস্থার কথা বলেছে। তার পূর্বেআমাকে জানতে হবে আপনি ইসলাম এর কোন নিয়মগুলো জানেন, আর কোন নিয়ম মানবতা বিরোধী তা উল্লেখ করুন? অনুরোধ থাকল।
@হুতুমপেচা,
আর ইসলামের উন্নতি হয়েছে কোরান নামে একটা বই এর জন্য?
আরবেরা অন্য দেশ দখল করে লুঠ তরাজ করেনি? আমি পরের পর্বেই এ ব্যাপারে আসব।
আলেক্সান্ডারের সাম্রাজ্যবাদ দিয়ে যা শুরু, সেই সাম্রাজ্যবাদি ধারাবাহিকতা রেখে গেছে এই ভাবে
পারস্য–>গ্রীস–> রোম–> বাইজেন্টাইন–>ইসলাম–>মোঙ্গল–>স্পেন–> বৃটিশ–>আমেরিকা
আর সব সাম্রাজ্যবাদি শক্তি মনে করে, তারা অন্যদের সভ্য করতে নেমেছে। তারা নিজেদের সাম্রাজ্যবাদটা বাদ দিয়ে বাকি সবারটা দেখতে পায়। কারন মুসলিমদেশের ইতিহাসে আরবদের সাম্রাজ্যবাদি শক্তি হিসাবে না দেখিয়ে লুঠেরা ঘোরি বা খিলজিদের স্বাধীনতাদাত্রী হিসাবে দেখায়। বৃটিশদের ইতিহাসেও তাই-তারা ভারতকে “সভ্য” করে গেছে।
কিন্ত পাশ্চাত্য সভ্যতা সাম্রাজ্যবাদের কারনে সমৃদ্ধ না। সাম্রাজ্যবাদ ফল, কারন না।
পাশ্চাত্য সভ্যতা সমৃদ্ধ কারন তারা জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত-তারা রাজনৈতিক, সামাজিক এবং পারিবারিক কাঠামোতে ধর্মকে পেছনে বসিয়ে আরো বেশী বিজ্ঞান ভিত্তিক সমাজ এবং রাষ্ট্র গড়তে পেরেছে।
তারা উন্নত কারন তাদের উৎপাদন কাঠামো উন্নত এবং বিজ্ঞান সম্মত।
ভারতে ১৭% মুসলিম, কিন্ত ভারতে গুন্ডা, বদমাইশ থেকে চোরেদের মধ্যে ৪০% এর বেশী মুসলমান। ফ্রান্সে ১০% মুসলিম, কিন্ত অপরাধীদের মধ্যে ৫০%+ মুসলিম।
আর আমেরিকাতে নাস্তিকদের সংখ্যা ১৭% কিন্ত অপরাধিদের মোটে 0.3% নাস্তিক।
আপনি দেখান আপনার ইসলাম ফলো করে, লোকে অপরাধি হয় না। সংখ্যাতত্ত্ব বলছে পৃথিবীর প্রতিটা দেশে বিশেষত ইউরোপে মুসলিম অপরাধিদের সংখ্যা তাদের জনসংখ্যার অনুপাতের ৪-৫ গুন।
আপনার রোম্যান্টিক কাব্য কল্পনা যে আল্লার আইনে ভাল হবে-এত ধর্মোন্মাদের প্রলাপ।
আবার এটাও দেখতে পারেন দক্ষিন ভারতে বা আমেরিকাতে মুসলিম অপরাধির সংখ্যা কম। কেন? কারন তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল। সুতরাং অপরাধের সাথে জড়িতে আছে আর্থ সামাজিক অবস্থা। ধর্ম দিয়ে অপরাধ আটকানো গেলে ইউরোপের ৫০% অপরাধি মুসলিম ইমিগ্রান্টরা হত না।
সব থেকে ভাল আইন শৃঙ্ক্ষলা স্কানডেনেভিয়ান দেশগুলিতে-কেন? সেখানে নাস্তিক অনেক বেশী!! কারন এই দেশগুলিতে দারিদ্র নেই-আর্থ সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে। আর্থ সামাজিক উন্নয়ন চাই অপরাধি কমাতে। ইসলাম না। ইসলাম আর্থ সামাজিক উন্নতির অন্তরায়-তাই ইসলাম দিয়ে বর্তমান কালে চোর গুন্ডা বদমাইশ স্বৈরাচারি তৈরী হওয়া সম্ভব-কোরানে যত ই ভাল ভাল কথা লেখা থাকুক ভাববাদের পাঁকে পড়লে, অভাবের সমাজে চোর বদমাইশ তৈরী হবে। এবং পরিসংখ্যান তাই বলছে। অভাবীকে কোরান গীতা যা খুশী পড়ান না কেন, খেতে না পেলে খাওয়ার জন্য সে চুরি করবেই। এই সরল সত্যটা না বুঝলে, কোরান গীতা মাহাত্ম্যে মেতে থাকবে আপনাদের ভাববদি মন।
পৃথিবীতে ১৪০০ মিলিয়ান মুসলিমদের ১৪০০ মিলিয়ান ইসলাম।
এই ১৪০০ মিলিয়ান ইসলামের কোন ইসলাম সহি ইসলাম?
সেটা পৃথিবীতে কেও আজ পর্যন্ত বার করতে পেরেছে বলে জানা নেই। অবশ্য আপনি মঙ্গল গ্রহ থেকে জেনে আসতে পারেন এই ধরনের সহি ইসলাম বলে কিছু আছে কি না :lotpot:
ইসলাম বা কমিনিউজম বা হিন্দু ধর্ম এগুলি দিয়ে আদর্শ রাষ্ট্র বা সমাজ ব্যবস্থা তৈরী হবে এগুলি মহামূর্খ্য বা অজ্ঞানদের ধারনা। এই কারনেই এই সব রাষ্ট্রগুলিতে [ যেখানে মুসলিম হিন্দুরা সংখ্যাগুরু] দুর্নীতি এত বেশী।
এরকারন এই যে ধরুন সব ধর্মেই বলছে ”
[১] মিথ্যে কথা বলা পাপ
কিন্ত যদি এমন হয়
A. দাঙ্গার সময় অন্য ধর্মের লোকে আপনার ঘরে আশ্রয় নিল-সত্য কথা বলে আপনি তাকে দাঙ্গাবাজদের হাতে তুলে দেবেন?
B. আপনি ১০ দিন অভুক্ত-আপনার ছেলে অভুক্ত। ধরুন, কেও আপনাকে একটা কাজ দিল, যে কাউকে একটা মিথ্যে কথা বললেই আপনার এক সপ্তাহের ভাত নিশ্চত। আপনি আপনার ছেলেকে বা নিজেকে বাঁচাতে মিথ্যে কথা বলবেন না? ৯৯% এর বেশী লোক এইক্ষেত্রে মিথ্যেই বলবে।
তাহলে দাঁড়াচ্ছে এটাই- মানবিকতার ওপরে, মানুষ এর ওপরে কোন ধর্ম বা আদর্শ হয় না।
যখনই কোন ধর্ম বা আদর্শ মানুষ এবং মানবিকতার ওপরে আল্লা, ধর্মগ্রন্থ ইত্যাদিকে রাখতে গেছে সেই আদর্শের পতন অনিবার্য্য হয়েছে। ঠিক এই কারনেই কমিনিউজম উড়ে গেছে-কারন তারা আদর্শবাদকে মানুষ এবং মানবিকতার ওপরে রেখেছিল।
সামাজিক আইন গুলি উৎপাদন ব্যবস্থার ওপর পরিবর্তনশীল। সেই আইন সমাজবিজ্ঞানের গবেষনার মাধ্যমে যে ভাবে ভাল করা যেতে পারে, আল্লার আইনের নাম করে, মধ্যযুগের আরবীয় খেজুরে আইন আনলে, তা ইসলামিক বর্বর বনাম সভ্য সমাজের গৃহযুদ্ধে পরিণত হবে। এই গৃহযুদ্ধের ছায়া গোটা পৃথিবী জুরে চলছে। বাংলাদেশে আপনারা সেই গৃহযুদ্ধের মধ্যে বাস করছেন। এটা বুঝুন আগে।
@বিপ্লব পাল,
– চরম সত্য কথা।
– এ ভয়াবহ বিপদের আশংকা আমার মনে হয় না লোকে সেভাবে বুঝতে পারছে বলে। এই বিপদে শুধু বাংলাদেশই নেই, আমরা এখন যে সব দেশে বসবাস করি সেসব দেশেও সামনের ৫০/১০০ বছরে একই ঘটনাই ঘটার সমূহ সম্ভাবনা আছে। ক্ল্যাশ অফ সিভিলাইজেশন এক সময় মিথ মনে করতাম, এখন আর করি না।
@বিপ্লব পাল, আপনাকে কি ইসলাম বিদ্বেষী আখ্যা দেয়া যায়? কেন এখনো আপনাকে ইসলাম বিদ্বেষী আখ্যা দেয়া হচ্ছে না তার জন্য কারণ দর্শানো হলো! :-Y
@বিপ্লব পাল, আপনাদের সমস্যা হল ইসলাম আপনারা বোঝেন না, জানেন না নতুবা আপনারা বুজতে চেষ্টা করেন না অথবা বুঝেও না বুঝার ভান করেন অথবা ইসলাম এর নামে যে অপসংস্ক্রিতি আছে তাকেই ইসলাম বুঝেন অথবা আপনারা ইসলামকে ভয় পান। মহান আল্লাহ আপনাদের সঠিক শিক্ষা ও জ্ঞান দিন।
@হুতুমপেচা,
আমি যা লিখেছি, তার জন্য ইসলাম বোঝার কোন দরকার নেই। যার মাথায় সাধারন বুদ্ধি আছে সেও বুঝবে ইসলাম সহ সব ধর্মের অসারতা রাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে। যার কমন সেন্স নেই সে সারাজীবন ইসলাম ঘেঁটেও এই সরল সত্যটা বুঝবে না।
আর আপনার সহি ইসলামটা আছে কোথায়? মঙ্গল গ্রহে?
@হুতুমপেচা,
আপনি আগে দেখান উন্নত সমাজ ব্যবস্থার ইসলামী ফিলসফি, তারপর পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ফিলসফির সাথে তুলনা করা যাবে।
ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা দেখতে চান? মুতা বিবাহ (Temporary Marriage) ইসলামে জায়েজ। বিশিষ্ট সাহাবীদের শত শত হাদিস ও শ্রেষ্ট তাফসিরকারকদের তাফসির দ্বারা প্রমাণীত যে এটা ইসলামী ফিলসফি তথা নবি মুহাম্মদের শেখানো পথ। নিচের সিরিজটি দেখুন।
বেশ্যাবৃত্তির অপর নাম মুতা বিবাহ-১
মুতা বিবাহ-২
মুতা বিবাহ-৩
মুতা বিবাহ-৪
@হুতুমপেচা,
এই যে মত প্রকাশের স্বাধীনতা। কোন ধর্মবাদী রাষ্ট্র বা কমিউনিষ্ট রাষ্ট্র এই স্বাধীনতাটুকু দিতে পারে না। গণতন্ত্র পারে। এখন পর্যন্ত তাই গণতন্ত্রই সেরা। যতদিন পর্যন্ত গণতন্ত্রের চেয়ে সেরা কিছু আমরা পাচ্ছি না ততদিন পর্যন্ত গণতন্ত্রই ভরসা।
@সুষুপ্ত পাঠক,
(Y) অসাধারণ জবাব হয়েছে শুধু আমি ধর্ম নিরপেক্ষ শব্দটাই বেশি পছন্দ করতাম।
@দারুচিনি দ্বীপ,
মানে হুতুম পেঁচা ধর্মহীন তন্ত্র বলেছেন তাই সেটাকে আমি ধর্ম নিরপেক্ষ বলতে পছন্দ করতাম এটা মিন করেছি।
@দারুচিনি দ্বীপ, মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে উন্নত বিশ্বে যে অপসংস্ক্রতি চালু হয়েছে যেমন-
” topless movement, homosexuality, transcend sexuality, pornography, broken family, no identification of the child as a result DNA test etc. ”
সেগুলো নিয়ে আনতে চান এবং আদিম যুগে ফিরে যেতে চান। তাতে আমার অসুবিধা নাই।
@হুতুমপেচা,
কোন মহিলা যদি টপলেস থাকতে চান, তাহলে (১) আপনার কি ক্ষতি? (২) সমাজের কি ক্ষতি?
যদি আপনি আপনার যৌনতা সংবরন করতে না পারেন একটি টপলেস মেয়েকে দেখে সেটা আপনার দোষ। সেটিত মেয়েটির দোষ না। নিজেকে নিয়ন্ত্রন না করার অক্ষমতা মেয়েটির ঊপর চাপাচ্ছেন কেন?
আর লিব্যারাল দেশগুলি যেখানে টপলেস, নুডিজম, হোমোসেক্সুয়ালিটি চালু আছে-যেমন ফিনল্যান্ড, সুইডেন, নরওয়ে ইত্যাদি দেশগুলিতে- তাদের কি ক্ষতি হয়েছে? ওই সব দেশগুলিতে যেটুকু অপরাধ হচ্ছে তার ৮০% এনেছে মুসলিমরা। মুসলিম অভিবাসনের আগে ওই দেশগুলিতে মেয়েরা রাত ২-৪টে পর্যন্ত নির্ভয়ে ঘুরত শহরে। আপনাদের ঢাকা শহরে কোন মেয়ে একা একা বোরখা পরে গভীর রাতে ঘুরতে পারবে? মুসলিম অভিবাসনের ফলে এইসব দেশগুলিতে লিব্যারাল কালচারের দফারফা হয়ে গেছে। যার জন্য এখন হল্যান্ডে যারা অভিবাসন পেতে চায়, তাদের নুডিস্টদের লাইফস্টাইলের ভিডিও দেখে বোঝানো হচ্ছে, লিব্যারাল কালচারের মানে কি।
আর বাপের পরিচয় থাকার ব্যাপারটা আর দুদিন বাদে এমনিতেই ফালতু হবে। ভ্রুনের ডি এন এ টেস্ট করে তারপর জেনেটিক্যালি পারফেক্ট সন্তান দেওয়ার ব্যাপারে এখানে এখন ব্যাপক গবেষনা চলছে। ওই ভাবে যৌন সঙ্গম করে বাচ্চা করার ব্যাপারটা আনুমানিক ২০৭০ সালের মধ্যে আর থাকবে না- ২০৩০ সালের মধ্যে ট্রেন্ডটা শুরু হবে।
কোন মহিলার ডি এন এ থেকে বোঝা যাবে কোন পুরুষের ডি এন এর সাথে ফার্টিলাইজেশন ভাল হবে যাতে শক্তিশালী বুদ্ধিমান নীরোগ সন্তানের জন্ম হয়। মহিলাটির ডিম্বানুর সাথে আরো কয়েকটি শুক্রানুর কম্নিনেশন করে দেখা হবে, কি করে নীরোগ সন্তানের জন্ম দেওয়া সম্ভব। এইভাবে সুপার বেবি তৈরী হবে, যাদের জেনেটিক ডিফেক্ট থাকবে না বা কম থাকবে।
সুতরাং আপনার বক্তব্য আপনার অজ্ঞতার ফল। আপনার ওই শরিয়া সমাজ একটি অমানবিক বর্বর মধ্যযুগীয় আরবের সমাজ-যে কাল্পনিক ঐতিহাসিক সমাজের জায়গা ২১ বিংশ শতাব্দিতে মুসলিমরা আনলে, তাদের দেশগুলি পিছিয়ে পড়া দাশ বা শ্রমিক সমাজে পরিণত হবে যার কাজ হবে উন্নত দেশগুলিতে শ্রমিক বা বডি সাপ্লাই করা। সেটাও হয়ত উন্নত রোবট আসার পর দরকার হবে না। সুতরাং গৃহযুদ্ধে দেশগুলি উচ্ছন্নে যাবে। প্রবাসি বাংলাদেশীরা যদি বাংলাদেশে টাকা পাঠানো বন্ধ করে, তাহলেই দেশটি বন্ধ হবার যোগার।
ওই মধ্যযুগীয় ধর্মীয় রূপকথার কোন স্থান নেই আধুনিক সমাজে।
@বিপ্লব পাল, আপনারা আরো অনেক পড়াশুনা করুন। কারণ আপনারা জ্ঞানের মধ্যম পরযায়ে আছেন । সত্য অবশ্য্ই আপনাদের কাছে ধরা দিবে।
John Keats
পৃথিবীর যত ফিলসফার আছে তারা শূধূ সমস্যার কথা বলেছেন। তারা কোন সমাধানের পথ বাতলা্তে পারেনি।কিন্ত ইসলাম্ই একমাত্র ধর্ম——যা জাগতিক ও পরলৈাকিক উভই জগতের সমাধান দিয়েছে।আর আপনাদের কাছে অনুরোধ ইসলাম ধর্ম ভালভাবে নিজে পরাশুনা না করি, কোরান হাদিস না পরে আপনারা অন্যের কোন বিশ্লেষণ নিয়ে মাতামাতি করবেন না। আপনারা নিজে ইসলামের প্রত্যেকটা বিষয় পড়ে তারপর লেখেন।
মানুষের জ্ঞানের সীমা রয়েছে। যেমন আপনি যখন মায়ের পেটে ছিলেন তখন আপনি কখনও ভাবতেই পারেন নাই পৃথিবী নামক এমন সুন্দর জায়গা রয়েছে। তেমনই পৃথিবীর পরেও তার চেয়েও বেশী আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।
আপনাদের সমস্যা হল আপনি চোখে যা দেখেন তাই নিয়ে চিন্তা করা চেষ্টা করেন। বস্তু গত চিন্তা আপনাদের অন্ধ করে দিয়েছে। আপনাদের অন্ধত্ব আল্লাহ দুর করুন।
ইসলামের প্রত্যেকটা উতসব নিজের সম্পদ বিলেয়ে দেয়ার জন্য গরীবের মাঝে। বিলেয়ে দেয়ার মাঝেই মুসলিমদের আনন্দ। আর আপনাদের আনন্দ নিজে কতুটুকু পাইলেন। আপনাদের চাওয়া “Survival for the fittest” তত্তের মত নিজে নিজের কতুটুকু আখের গোজার করতে পারেন। আর সেই বস্তুগত চাহিদা মেটাতে তৈরী হয়েছে ……
Democracy, Capitalism, Neo Imperialism, Islamophobia, Nudism, Topless Movement, Pornography, Beastality etc….etc..
আমার মনে হয় আপনার পুরুষত্ত সম্ভবত লোপ পেয়েছে। তা না হলে এরকম কথা বলতে পারেন না। ছেলে মেয়েদের মধ্যে আকরষন থাকবে এটাই স্বাভাবিক।আর সেটাকে আপনি অস্বীকার করেন।যেটা না থাকলে আপনি পৃথিবীতেই আসতেন না। সেজন্য আপনার লজ্জা হওয়া উচিত।
আকরষণ করার জন্য যা যা রূপ চরচা, ভুগোল ড্রেস(তিন ভাগ খোলা এক ভাগ ঢাকা) পরা সহ কসমেটিকস পরা দরকার, Topless হওয়া…………কার জন্য …………আকরষনের জন্য।আর আপনি আকিরষত হবেন না ত্রটা কোন কথা হল।আপনার বোন, মা ধর্ষণ হলে আপনি কি মেনে নিবেন? আপনার ডেমেক্রিসির কোন আইন আপনাকে আটকাতে পারে।
ধর্ষণ হলে তারপর বিচার করে কি লাভ। আর আপনাদের যে বিচার ব্যবস্থা তা তো কবরে যাওয়ার পর বিচার শেষ হবে। আর টাকা, মামা, খালু থাকলে তো কথা্ই নাই।
তবে আপনাদের কাছে অনুরোধ প্রত্যেকটা বিষয় গভীরভাবে ভাবুন। প্রাকৃতিক নিয়মের বাহিরে যাওয়া চেষ্টা করবেন না। প্রাক্রতিক নিয়মই আল্লাহর আইন এবং আর যেগুলো আল্লাহ আদেশ দিয়েছেন।
@হুতুমপেচা,
যেসব দেশে মেয়েরা টপলেস থাকে, সেখানে ধর্ষন বেশী হয় এই তথ্য কোথায় পেলেন?
বরং যেখানে মেয়েরা বোরখা পড়ে থাকে, সেখানে মেয়েরা ছোটবেলা থেকে কাকা, মামা, খুড়তুতো দাদা সবার হাতে যৌন নীগৃহিত হয়। আপনাদের মুসলিম দেশে বা ভারতে ৫০%এর বেশী মেয়েরা পরিবারের নিকট আত্মীয়র হাতে কোন না কোন ভাবে যৌন নিগ্রহের স্বীকার হয়েছে।
হল্যান্ডে বা স্কান্ডেনেভিয়াতে মেয়েরা টপলেস থাকার জন্য যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছে এমন ঘটনা জানা নেই। বা নুড বিচে যেখানে মেয়েরা কিছু না পরে ঘুরে বেড়ায় সেখানেও মেয়েরা ধর্ষিত হয়েছে-এমন উদাহরন নেই। বরং যেসব দেশ লিব্যারাল না, সেসব দেশেই ধর্ষনের সংখ্যা বেশী।
যে দর্শন দাবী করে তাতে সব কিছুর সমাধান আছে, তা সব থেকে বেশী জালি হতে বাধ্য। আপনার এই দাবীটা হিন্দু, খ্রীশটান সবাই করে। কিন্ত আমার নিজের পড়াশোনা বলছে, এরম দাবী যারা করে তাদের মতন মহামূর্খ্য এবং অশিক্ষিত বিরল।
@বিপ্লব পাল,
এ জন্যেই আপনাকে আমার আলাদা ভাবে ভাল লাগে। আল্লায় দিছে আপনাকে ধর্য্যশক্তি। হুতুমপেচার সাথে এত ঠান্ডা মাথায় কথা বলেন কী ভাবে?
ভাবছি আপনার এই লেখাটা প্রুফ রিডিংয়ের জন্যে সদালাপে পাঠাবো, না আল্লামা শাফির কাছে।
তবে কি এর সাথে সাথে মা-বাবা, শিশু-সন্তানের মধ্যকার ভালবাসাও উঠে যাবে না? সন্তান তৈরী কি বানিজ্যিক রুপ নিবে?
@আকাশ মালিক,
তা কেন হবে? বাড়ির কুকুর বেড়াল ও ত আস্তে আস্তে আমাদের সন্তান সম হয়ে ওঠে। স্নেহটা স্তন্যপায়ীদের ধর্ম। শুধু সন্তান যাতে নীরোগ সুস্থ সবল বুদ্ধিমান হয়, সেটাই দেখা হবে। আবেগের বশবর্তী হয়ে দুর্বল সন্তানের জন্ম দিয়ে লাভ আছে? অথচ যা দিনকাল আসছে, তাতে সঙ্গমের মাধ্যমের সন্তান করলে, তার দুর্বল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী ( ডিজাইন্ড বেবীদের তুলনায়)।
@হুতুমপেচা,
“আমার মনে হয় আপনার পুরুষত্ত সম্ভবত লোপ পেয়েছে। তা না হলে এরকম কথা বলতে পারেন না। ছেলে মেয়েদের মধ্যে আকরষন থাকবে এটাই স্বাভাবিক।আর সেটাকে আপনি অস্বীকার করেন।”
বোঝায় যাচ্ছে একজন পুরুষত্ব ওয়ালা সাচ্চা ইমানদার মুসলমানের বক্তব্য।তো জনাব হুতুমপেঁচা,একজন ইমানদার মুসলমান হয়ে এত ন্যুড,টপলেস ম্যুভমেন্টের খবর রাখেন! নাকি তলে তলে..!টপলেস ম্যুভমেন্ট যে পুরুষ জাতির জন্য কত বড় ক্ষতিকর,সে বিষয়ে আমাদেরকে একটা হাতে কলমে শিক্ষা দিতে পারেন।তাহলে আমরা বুঝতে পারব টপলেস ম্যুভমেন্ট দেখে কিভাবে একটা পুরুষত্ব ওয়ালা ইমানদার,দক্ষ ধর্ষকে পরিণত হয়।আমরা আরও বুঝতে পারব টপলেস ম্যুভমেন্ট দেখে হুতুমপেঁচা দের এত জ্বলন কিসের, টপলেস ম্যুভমেন্ট কিভাবে হুতুমপেঁচা দের কুঁড়ে কুঁড়ে খায়।
।”আর আপনাদের কাছে অনুরোধ ইসলাম ধর্ম ভালভাবে নিজে পরাশুনা না করি, কোরান হাদিস না পরে আপনারা অন্যের কোন বিশ্লেষণ নিয়ে মাতামাতি করবেন না।”
আপনার কাছে অনুরোধ টপলেস ম্যুভমেন্ট,ধর্ষণ ইত্যাদি নিয়ে যেথেষ্ট পড়াশুনা না করে.শুধুশুধু মাতামাতি করবেন না।
“প্রাকৃতিক নিয়মের বাহিরে যাওয়া চেষ্টা করবেননা। প্রাক্রতিক নিয়মই আল্লাহর আইন।”
যা কিছুই প্রাকৃতিক তার সবকিছুই কিন্তু সভ্য না।
@বিপ্লব পাল,
সবচাইতে সেরা মন্তব্য! ট্রেন্ডটা যত তাড়াতাড়ি আরম্ভ হবে ততই মঙ্গল।
@ব্রাইট স্মাইল্,
লাভ নেই। ইসলামে, ধর্মে বিশ্বাসীদের খুপড়িতে অত জায়গা নেই।
@হুতুমপেচা, শোনেন ভাই, আমি নিজে মুসলিম। কিন্তু আমাদের সমস্যা কি জানেন?আমরা বিরুদ্ধ মত সহ্য করতে পারি না।আচ্ছা কেউ ন্যাংটো হয়ে হাটলে আপনার সমস্যা কোথায়? আপনাকে তো আর কেউ ন্যাংটো হয়ে হাটতে বাধ্য করছে না তাই না?আপনি নিজে ভাল থাকলেই সব ভাল। আচ্ছা এই যে আমাদের দেশে মেয়েরা রেপড হচ্ছে, আপনি কি সে জন্যে মেয়েদেরকেই দায়ী করেন? আপনার উত্তর পেলে তবেই আপনার সাথে আমার আরো কিছু কথা আছে।
@দারুচিনি দ্বীপ,
”নিজে ভাল থাকলে সব ভাল” ……..একথাটা খুবই বাজে । কারন একথাটা আমাজানে এখনও যে আদিম জনগোষ্ঠী আছে তারাও বিশ্বাস করে না। নিজে ভাল থাকাটা ডেমোক্রেসি, পুজিবাদী, নিও সাম্রাজ্যবাদী দের মূল মন্ত্র। সমষ্টিগত, সমাজগত ভাল থাকাটা্ই হল উন্নত সমাজের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। আর ইসলামী আধুনিক যুগের সমষ্টিগত ভাল থাকার একমাত্র মন্ত্র।
বাকিটা আগের বিপ্লবের প্রতিউত্তরটায়।
@হুতুমপেচা, @হুতুমপেচা,
কেন?ব্যখ্যা করুন।
তবে আপনি আমার মুল প্রশ্নের উত্তর দেন নি, আমি আবার করছি প্রশ্নটা।
আমাদের দেশে মেয়েরা রেপড হচ্ছে, আপনি কি সে জন্যে মেয়েদেরকেই দায়ী করেন?
বিপ্লব বাবু কে আপনি নিচের কথাটা বলেছেন।
এবার আমি আপনাকে প্রশ্ন করতে চাই যে পুরুষত্ত বলতে আপনি কি বুঝেন?সেটাই আমার জানা দরকার।সল্প বসনা মেয়ে দেখলে নোংরা কামনায় শুধুই ছটফট করা,বাকি সেই কামনা মিটাতে মেয়েটির উপর ঝাপিয়ে পড়ে তাকে হিংস্র পশুর মত ছিঁড়ে খাওয়া?
প্রথমটা হলে আপনি মানসিক ভারসাম্যহীন, আর ২য়টা হলে আপনি মানুষই নন, কাজেই,পুরুষত্ত ব্যাপারটি আপনার জন্য প্রযোজ্য নয়, কারন ওটি একটি মানবিক গুন, পাশবিক আচরন পুরুষত্ত হতে পারে না ।
@দারুচিনি দ্বীপ, আমারত মনে হয় আপনি বংশগত, জন্মগত মুসলিম।জ্ঞানে, জানায় মুসলিম না। মুসলিম হতে হলে ইসলামের নিয়মকানুন গুলো ভাল করে নিজে পরতে হবে, জানতে হবে বুঝতে হবে। তারপর অন্য তন্ত্র এর সাথে তুলনা করতে হবে। মুসলমানের ঘরে জন্মালেই মুসলমান হওয়া যায় না।
বাকিটা আগের বিপ্লবের প্রতিউত্তরটায়।
@হুতুমপেচা,
আমি কেমন মুসলিম অথবা আদৌ মুসলিম কিনা, সেটা বিচার করার আপনি কে? আপনাকে এই অধিকার কে দিল? আপনি কি ইসলামের অথোরিটি?
জানেন কি যে ইসলামের নিয়ম অনুসারে একজন জন্ম সুত্রে মুসলিম কে মুসলিম হিসাবে কেউ অস্বীকার করতে পারবে না, যতক্ষন না প্রমান হচ্ছে?
খোদ আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইকেও নবী পর্যন্ত মুনাফিক ঘোষণা করেন নাই ওহুদ যুদ্ধে তার বেঈমানির আগ পর্যন্ত?
@হুতুমপেচা,
নিজেকে বিরক্তিকর কিছু প্রমাণ না করে আপনার এ সমস্ত বক্তব্য ফেসবুকে গিয়ে দেন।
@পেনসিল, বলতে দিন উনাকে।সবারই মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকা উচিত।এটাই মুক্ত মনের পরিচয়।তবু যদি উনার হুঁশ হয় এবং বুঝেন যে বদ্ধ মনা দের চেয়ে মুক্ত মনারাই শ্রেয়তর সেক্ষেত্রে তিনিও একদিন মুক্ত মনের মানুষে পরিনত হতে পারেন।
যারা ঐতিহাসিক মহম্মদ সমস্যা নিয়ে আরো জানতে চানঃ
১।
ঐতিহাসিক মহম্মদকে সব থেকে বেশী ভয় পায় সৌদি-পাছে আসল মহম্মদ বেড়িয়ে গেলে ধর্ম ব্যবসা লাটে ওঠে-তাই সৌদি আরবে আর্কিওলজিক্যাল খোঁড়াখুরি বন্ধ!
http://frontpagemag.com/2012/fjordman/unmasking-muhammads-dubious-existence/
২|http://themuslimissue.wordpress.com/2012/08/21/islam-no-historical-mention-of-a-prophet-called-muhammad-up-to-732-a-d-was-he-a-caliph/
মোহাম্মদের পর চার খলিফার শাসনামলের সময় ইসলামী সাম্রাজ্য বর্তমান পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ থেকে ইউরোপের স্পেন পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। এর ঐতিহাসিক প্রমান আছে। চার খলিফা মক্কা থেকেই তাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন, এরও ঐতিহাসিক প্রমান আছে। সুতরাং স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসে তার আগে মক্কায় ইসলামী রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তির একটি কেন্দ্রবিন্দু সৃষ্টির প্রক্রিয়া চলেছে। সামন্তবাদী সমাজে একটি সামরিক-রাজনৈতিক শক্তির সৃষ্টির প্রক্রিয়ায় একক নেতৃত্ব থাকাটাই স্বাভাবিক, সুতরাং নিঃসন্দেহে সেটা মোহাম্মদ।
চার খলিফার সময়ে যখন সাম্রাজ্য বিস্তারিত হতে থাকে তখন সাম্রাজ্য পরিচালনার জন্য একটি লিখিত নির্দেশমালার প্রয়োজন দেখা দিলে মোহাম্মদ প্রাপ্ত বক্তব্য ও নির্দেশনা পুস্তক আকারে সঙ্কলিত হয়। মোহাম্মদ প্রদত্ত বক্তব্যসমুহের মধ্যে প্রয়োজনীয় অংশসমুহ সঙ্কলিত করে কুরায়েশ আরবী ভাষায় চারটি পুস্তক প্রস্তুত করার হয় এবং মোহাম্মদের সাথীদের কর্তৃক সংরক্ষিত অন্যান্য বক্তব্য ও নির্দেশাবলী খলিফা ওসমানের নির্দেশে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এই চারটি পুস্তক যেটি কোরান নামে পরিচিত, সেটি চারটি মূল মূল শহরে পাঠানো হয় যার থেকে দুটি এখনো আছে। কিন্তু, চার খলিফার পর ইসলাম নেতৃত্বের সঙ্গটে পরে এবং মোহাম্মদের মৃত্যুর প্রায় ২২৫ বছর পর আব্বাসীদ খলীফারা ইসলামী আইন প্রয়নের সময় যখন কোরান’কে অপর্যাপ্ত সুত্র বলে মনে করেন তখন সুন্নাহ্ বা হাদিস সংকলনের কাজে হাত দেন। ইসলামী আইনের দুই প্রধান ভিত্তি হিসাবে কোরান ও সুন্নাহ্ ইসলামী সমাজে গৃহীত হয়।
রাজনৈতিক ক্ষমতা অর্জনেরজন্য মীথ তৈরি করার প্রক্রিয়া আগেও ছিল, এখনো আছে। এই মিথের ভ্রান্তি থেকে মুক্ত সমাজ তৈরি করার সংগ্রাম ও চালু আছে। ইসলামী সমাজে রেনেসাঁসের চেষ্টা মধ্যযূগেই নেয়া হয়েছিল কিন্তু কিন্তু সেই প্রচেষ্টা কঠোর দমনে পড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। উপনিবেশ আমলে ইউরোপীয় গনতান্ত্রিক আদর্শের সাথে একাত্ম হয়ে আধুনিক সমাজ গড়ে তোলার চেষ্টা মুসলিম সমাজে অব্যহত রয়েছে। যে কোন পশ্চাদপদ সমাজে ধর্ম, মীথ ও কুসংস্কার খুবই কার্যকরী থাকে এবং ভোটের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। উন্নত গনতন্ত্রেও রাজনীতিতে ধর্মের প্রভাব রয়েছে। মুক্তচিন্তার আন্দোলনের প্রসারের সাথে ধর্মের মীথের পশ্চাদাপসরণ ঘটবে এবং বিবর্তনের নিয়মে সেটাই ঘটার বাস্তব ও বৈজ্ঞানিক কারন বিদ্যমান।
@আবু এম ইউসুফ,
আমার লেখা এবং সূত্রর সাথে আপনার এই বক্তব্যের বিরোধ নেই।
কিন্য সেই আরব নেতা মহম্মদ কি করেছেন-তার সম্মন্ধে যে এত কাহিণি চালু আছে-খাদিজার সাথে বিবাহ, ১১ বিবি, আয়েশার সাথে বিবাহ, গুহায় গিয়ে সাধনা করা ইত্যাদি ইত্যাদি যা হাদিস বা ওরাল ট্রাডিশন থেকে এসেছে-সেগুলোর কোনটাই নির্ভরযোগ্য না। সেটাই ঐতিহাসিকরা বলছেন।
@বিপ্লব পাল,
“কিন্য সেই আরব নেতা মহম্মদ কি করেছেন-তার সম্মন্ধে যে এত কাহিণি চালু আছে-খাদিজার সাথে বিবাহ, ১১ বিবি, আয়েশার সাথে বিবাহ, গুহায় গিয়ে সাধনা করা ইত্যাদি ইত্যাদি যা হাদিস বা ওরাল ট্রাডিশন থেকে এসেছে-সেগুলোর কোনটাই নির্ভরযোগ্য না। সেটাই ঐতিহাসিকরা বলছেন।”
এই বাক্যে ব্যবহৃত ‘কোনটাই নির্ভরযোগ্য না’, এই কথার সাথে আমি একমত নই। আমি মনে করি, কোন কোন তথ্যের নির্ভরযোগ্য প্রমান আছে। কিন্তু, সুন্নাহ্ অথবা হাদিস অর্থাৎ ট্রাডিশন অব মোহাম্মদ বলতে যে সঙ্কলন সমুহ রয়েছে তার অধিকাংশ সম্পর্কে শতকরা ১০০ ভাগ নির্ভরযোগ্য প্রমান নেই এবং এইসকল হাদিস নিয়ে মুসলিম সমাজেই মতভেদ রয়েছে। এই সকল মতভেদের কারনে বিশ্ব মুসলিম সমাজে কোন একক গ্রহনযোগ্য শরিয়া বা আইন বা জীবনপদ্ধতি কখনই গড়ে ওঠে নাই।
“রাজনীতি থেকে ইসলামকে বাদ দেওয়াও অসম্ভব-কারন তাহলে ইসলাম বলে কিছুর অস্তিত্ব থাকে না”,
আপনার এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে একমত হয়ে বলতে চাই যে, ইসলাম অনান্য ধর্ম থেকে ভিন্ন। কেননা ইসলামের জন্ম ও প্রসারের সাথে রাজনৈতিক ও সামরিক সক্ষমতা, লড়াই ও দ্বন্দ্ব জড়িত। খ্রীষ্টান ধর্মকে রাজনীতিকরন করেছিল রোমান রাজারা। কিন্তু, ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক মোহাম্মদ নিজেই ছিলেন, ইহজাগতিক শাসনের নেতৃত্বদানকারী প্রধান নির্বাহী, সৃষ্টিকর্তার নামে আইন প্রণয়নকারী, প্রধান বিচারক ও সামরিক বাহিনীর সর্বোচ্চ অধিনায়ক, অর্থাৎ একক রাষ্ট্রনায়ক। সুতরাং, আল্লাহ ও রসুলকে ১০০% মানলে রাষ্ট্রকে পৃথক করা যায় না। এটা মুসলিম সমাজে ইহজাগতিক রাষ্ট্রকে ধর্ম থেকে বিযুক্ত করার পথে বড় একটি বাধা। তাই, যে কোন সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম রাষ্ট্রে গনতন্ত্র বনাম ইসলাম’এর মাঝে দ্বন্দ্বটি অন্যান্য রাষ্ট্র থেকে জটিলতর।
@আবু এম ইউসুফ,
দেখুন মনে করার ওপর ত ইতিহাস তৈরী হয় না। প্রমান চাই। আমি ত মশাই এই ব্যাপারে প্রমান খুঁজে বেড়াচ্ছি। সৌদি আরব ভয়ে খনন কার্য্য করতে দেয় না।
আপনি যদি নির্ভরযোগ্য প্রমানগুলি পেশ করেন খুব ভাল হয়। আমি কোথাও দেখছি না। কোন ঐতিহাসিক ও দেখছেন না।
প্রথমটা এটা দিয়ে শুরু করুন, খাদিজা বলে কোন বিধবা ব্যবসায়ি মহম্মদের প্রথম বিবি। এর কি নির্ভরযোগ্য ঐতিহাসিক প্রমান আপনি পেয়েছেন?
@বিপ্লব পাল, আমি দাবী করলাম কোথায় যে, মোহাম্মদের প্রথম স্ত্রী বিধবা খদিজা ছিলেন। আমি যেটা বলেছি, সুন্নাহ বা হাদিসে অন্তর্ভুক্ত কোন কোন তথ্য আছে যার নির্ভরযোগ্য ঐতিহাসিক প্রমান পাওয়া যায়। প্রত্নতত্ব, ইতিহাস প্রমানের একমাত্র উপায় নয়। সুতরাং ওই একটি উপায়ের উপর সমস্ত জোর দেয়াটা যুক্তিযুক্ত নয়।
@আবু এম ইউসুফ,
এমন একটা তথ্যের উদাহরণ দিলে ভাল হয়। এবং সেই তথ্যের ঐতিহাসিকতাটা আপনি লিখলে ভাল হয়। আমি পড়াশোনা করে যা দেখলাম, সুন্নাহ বা হাদিসে অন্তর্ভুক্ত এমন কোন তথ্য নেই যার নির্ভরযোগ্য ঐতিহাসিক প্রমান পাওয়া যায়।
সুতরাং আপনি একটি এমন তথ্য অন্তত দিন সেই তথ্যের ঐতিহাসিকতা উল্লেখ করে।
@বিপ্লব পাল, এই বক্তব্য আপনার নিজস্ব গবেষণালব্ধ কি না ? সোভিয়েত অথবা পশ্চিমা ওরিয়েন্টেলিস্টদের লিখিত ইতিহাস পড়ে সেটাকেই সত্য বলে বিশ্বাস করার কোন যুক্তি নেই। সেটাও অনেকটা বিশ্বাসের বিপরীত বিশ্বাসেরই জন্ম দেয়। যেটা একজন র্যাশনিলিস্টের দৃষ্টিভঙ্গী হতে পারে না। মোহাম্মদের সময়কাল থেকেই মোহাম্মদের অনুসারী ইতিহাসবিদেরা ইতিহাস লেখেছে। সোউদী আরবে প্রত্নতাত্বিক গবেষণার সুযোগ না থাকতে পারে কিন্তু অন্যান্য মুসলিম দেশে আছে। ইতিহাসতত্ব দিয়ে যীশু অথবা মোহাম্মদের অস্তিত্ব প্রমান করার সুযোগ আছে কি না এটা ভেবে দেখার বিষয়। কেননা, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাস লেখার চর্চা দশম খ্রীষ্টাব্দের পূর্বে ছিল না। কোরান বলে যে সঙ্কলন গ্রন্থ তাশখেন্তে আছে সেটার কার্বন ডেটিং করে দেখা যেতে পারে সেটা খলিফা ওসমানের সময়কাল নির্দেশ করে কি না ? তেমনি, হোবায়েদার সন্ধির পর মোহাম্মদ কতিপয় প্রতিবেশী দেশের রাজাদের কাছে যে পত্র বা বার্তা পাঠান যে বার্তাগুলোর মধ্যে অন্ততঃপক্ষে দুটির অস্তিত্ব রয়েছে, সেগুলোও পরীক্ষা নিরীক্ষা করা যেতে পারে।
যাহোক, যীশু অথবা মোহাম্মদ’এর ব্যক্তিগত অস্তিত্ব নিয়ে গবেষণা সম্পর্কে আমার দৃষ্টিভঙ্গী পরিস্কার করতে চাই, যেটা নীচের লিঙ্কে দেয়া নিবন্ধের সাথে সহমত।
http://www.centerforinquiry.net/blogs/entry/what_does_it_mean_to_say_muhammad_existed/
@আবু এম ইউসুফ,
তাহলে আপনার বক্তব্য অনুযায়ী যেসব পাশ্চাত্য প্রাচ্যবিদ মহম্মদ এবং ইসলামের ওপর গবেষনা করেছে, তারা কেও ই যুক্তিবাদি না! তাদের গবেষনা যুক্তি এবং প্রমান নির্ভর না? :-s তাহলে ত মিটেই গেল। পৃথিবীর সেরা প্রাচ্যবিদদের গবেষনা যদি যুক্তিনির্ভর না হয়, তাহলে যুক্তি নির্ভর হচ্ছে হাদিস বর্নিত মহম্মদ?
এটা ভুল তথ্য। গ্রীকরা প্রথম ইতিহাস চর্চার শুরু করে। তাদের ইতিহাস চর্চার ধারা আলেজান্ডারের সাথে সাথে পারস্য এবং ভারতে ছড়িয়ে পরে। রোমে খুব ভাল রেকর্ড রাখা হত। আরব যখন রোমান শাসনে ছিল, সেই সময় আরবের ইতিহাসের ওপর খুব ভাল নথি পাওয়া যায়। আরবের লাগোয়া সিরিয়াতেও ইতিহাসের চর্চা হত। সিরিয়াতে মহম্মদের ওপর সমসাময়িক মাত্র একটা নথি থাকা আশ্চর্যজনক।
এগুলো পরীক্ষা করেনি কেও বল। কার্বন ডেটিং দরকার হয় না -ভাশা থেকেই বোঝা যায়। এবং তার থেকে এই পত্রের অথেন্টিসিটি প্রমানিত হয় নি।
গোয়েবেলীয় তত্ত্ব অনুযায়ী একটা মিথ্যেকে যদি বিশাল বড় করে বলা হয়, তা অধিকাংশরা কাছে সত্য বলে প্রমানিত হয়। ইসলাম কোনদিন পরাজিত হয় নি সেভাবে। ইংরেজদের হাতে পরাজিত হওয়ার পর, ইংরেজরা কিন্ত মুসলিম দেশগুলিতে ধর্ম বিশ্বাসে আঘাত করে নি/
ইসলাম সব সময় ছিল বিজয়ীদের ধর্ম-ফলে এত গোয়েবেলিয় মিথ্যে এখানে ঢুকেছে শাসক শ্রেনীর সাথে এবং এখনো ঢুকেছে, মহম্মদ বলে কে ছিল, কি ছিল, সেই প্রশ্নের কোন ঐতিহাসিক উত্তর পাওয়া সম্ভব না।
আপনি শুধু মহম্মদের প্রথম বিবাহের ঐতিহাসিক সত্যতা বার করার চেষ্টা করুন-দেখুন খাদিজা বলে কারুর অস্তিত্ব ছিল কি না-দেখবেন, মহম্মদ বলে কারুর ঐতিহাসিক অস্তিত্ব পাওয়া এত কঠিন, তার বিবাহ অনেক দূর।
@বিপ্লব পাল,
আমার পূর্বেকার বক্তব্যঃ
“মোহাম্মদের পর চার খলিফার শাসনামলের সময় ইসলামী সাম্রাজ্য বর্তমান পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ থেকে ইউরোপের স্পেন পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। এর ঐতিহাসিক প্রমান আছে। চার খলিফা মক্কা থেকেই তাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন, এরও ঐতিহাসিক প্রমান আছে। সুতরাং স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসে তার আগে মক্কায় ইসলামী রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তির একটি কেন্দ্রবিন্দু সৃষ্টির প্রক্রিয়া চলেছে। সামন্তবাদী সমাজে একটি সামরিক-রাজনৈতিক শক্তির সৃষ্টির প্রক্রিয়ায় একক নেতৃত্ব থাকাটাই স্বাভাবিক, সুতরাং নিঃসন্দেহে সেটা মোহাম্মদ।”
এর উত্তরে বিপ্লব পালের বক্তব্য, ” আমার লেখা এবং সূত্রর সাথে আপনার এই বক্তব্যের বিরোধ নেই।”
এর পরে খোলাখুলি বলি, মোহাম্মদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা অথবা গবেষণায় আমার কোন উৎসাহ নেই। এই বিষয়ে সকল পক্ষের ভাষ্যই প্রশ্নবিদ্ধ ও প্রমানসাপেক্ষ। তাত্বিক ভাবে বলা যেতে পারে যে সেখানে মীথ তৈরির যেমন অসৎপ্রচেষ্টা আছে, তেমনি মীথকে ভাঙ্গারও সেরকম সৎ ও অসৎপ্রচেষ্টা উভয়ই আছে। আমি সৎ প্রচেষ্টাসমুহকে স্বাগত জানাই এবং অসৎ প্রচেষ্টাগুলোকে চিহ্নিত করতে চাই।
যেমন আমার পূর্বেকার বক্তব্য,” ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক মোহাম্মদ নিজেই ছিলেন, ইহজাগতিক শাসনের নেতৃত্বদানকারী প্রধান নির্বাহী, সৃষ্টিকর্তার নামে আইন প্রণয়নকারী, প্রধান বিচারক ও সামরিক বাহিনীর সর্বোচ্চ অধিনায়ক, অর্থাৎ একক রাষ্ট্রনায়ক।” যেটার উপর আপনি কোন মন্তব্য না করাতে আমি ধরে নিয়েছি যে, এই বক্তব্যের সাথে আপনি একমত।
ইতিহাসের কাছে এই বক্তব্যের এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলীর যৌক্তিকতা এবং বর্তমানের প্রেক্ষাপটে এর অচলতা প্রমানের গুরুত্ব অনেক বেশী যতনা মোহাম্মদ কয়টা বিয়ে করেছিলেন, তাদের বয়স কত ছিল ইত্যাদী প্রমাণসাপেক্ষ বিষয়। কেননা বর্তমান বিশ্ব রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক ইসলামকে পরাজিত করার মধ্য দিয়েই মুসলিম সমজে গনতন্ত্রিক চর্চা ভিত্তি লাভ করতে পারে এবং মোহাম্মদের মীথের কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে মুক্ত আলোচনা ও গবেষণার পথ উন্মোচিত হতে পারে।
@আবু এম ইউসুফ,
আমার প্রবন্ধটি পরিস্কার
(১) ঐতিহাসিক মহম্মদ বলে যদি কেও থেকে থাকে, তিনি সপ্তম শতাব্দির আরবের একজন আর্থ রাজনৈতিক আন্দোলনের নেতা।
কিন্ত আর এই এগারো বিবি আর বাচ্চার গল্প, ঐশী ইসস্পিরেশন, ইত্যাদি যেসব আধ্যাত্মিক মোরক তার চরিত্রে আরোপিত, সেগুলো মিথ। কারন সত্যিকারের মহম্মদ কি ছিল, তা জানতে গেলে আরবে খনন কার্য দরকার এবং সৌদি সরকার তা করতে দেয় না।
(২) রাজনীতি থেকে ইসলামকে আলাদা করা যায় না-কেন যায় না-সেটা লিখেছি। কারন ইসলামের মূল আকর ই হচ্ছে রাজনৈতিক আন্দোলন। শুরুতে ইসলাম কোন ধর্মীয় আন্দোলন ছিল না। সেই মোরকটা একটা রাজনৈতিক আন্দোলনের ওপর চাপানো হয়েছে ২০০ বছর বাদে।
রাজনীতি থেকে ইসলামকে কি করে বাদ দেবেন? তাহলে ত গাছের শিকড় কাটতে হয়?
এগুলি আপনাদের মতম মুসলিম বুদ্ধিজীবিদের রোম্যান্টিক চিন্তা-যা খুব অগভীর। বরং জামাতের আমিররা ইসলাম নিয়ে যা বলে, সেটাই সঠিক ইসলাম। আপনাকে বিরোধিতা করতে গেলে, জামাতের সহি ইসলামের বিরুদ্ধে আপনাদের নকল রাজনীতি বিবর্জিত ইসলাম নিয়ে করতে হবে। সেটা কি ধরনের ক্যাট মিউজ গেম? একদিন না একদিন আপনাদের নকল ইসলাম ত ধরা পড়বেই 🙁
@বিপ্লব পাল, আপনি আমার বক্তব্যের ভুল ব্যখ্যা দিয়েছেন এবং আমার চিন্তাধারার উপর নিজের ভ্রান্ত পূর্ব ধারনা নিয়েই বিতর্ক করছেন। ধর্মের ব্যখ্যা বা অপব্যখ্যা কোনটা নিয়েই আমার মাথা ঘামানোর কোন ইচ্ছা নাই। আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাই, আপনি ব্যক্তিগতভাবে আক্রমন করে কথা বলেছেন… আপনি বলেছেন
“এগুলি আপনাদের মতম মুসলিম বুদ্ধিজীবিদের রোম্যান্টিক চিন্তা-যা খুব অগভীর। বরং জামাতের আমিররা ইসলাম নিয়ে যা বলে, সেটাই সঠিক ইসলাম। আপনাকে বিরোধিতা করতে গেলে, জামাতের সহি ইসলামের বিরুদ্ধে আপনাদের নকল রাজনীতি বিবর্জিত ইসলাম নিয়ে করতে হবে। সেটা কি ধরনের ক্যাট মিউজ গেম? একদিন না একদিন আপনাদের নকল ইসলাম ত ধরা পড়বেই।”
প্রথম থেকেই যে প্রশ্নটা নিয়ে আমি বিতর্ক করেছি সেটা বিশ্বব্যপী চলমান বিতর্কের একটি অংশ। যীশু ও মোহাম্মদের কোন ব্যক্তিগত অস্তিত্ব ছিল কি না? সেখানে যীশু সম্পর্কে কোন বক্তব্য আমি দেই নি অথচ আপনি জানেন কোরানে যীশুর অস্তিত্বকে স্বীকার করা হয়েছে। মোহাম্মদ সম্পর্কে আমি অস্তিত্বের পক্ষে যুক্তিতে বলেছি,
” মোহাম্মদের পর চার খলিফার শাসনামলের সময় ইসলামী সাম্রাজ্য বর্তমান পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ থেকে ইউরোপের স্পেন পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। এর ঐতিহাসিক প্রমান আছে। চার খলিফা মক্কা থেকেই তাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন, এরও ঐতিহাসিক প্রমান আছে। সুতরাং স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসে তার আগে মক্কায় ইসলামী রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তির একটি কেন্দ্রবিন্দু সৃষ্টির প্রক্রিয়া চলেছে। সামন্তবাদী সমাজে একটি সামরিক-রাজনৈতিক শক্তির সৃষ্টির প্রক্রিয়ায় একক নেতৃত্ব থাকাটাই স্বাভাবিক, সুতরাং নিঃসন্দেহে সেটা মোহাম্মদ।” (যার সাথে আপনি একমত হয়েছেন)
দ্বিতীয়তঃ আমি বলেছি, ” “রাজনীতি থেকে ইসলামকে বাদ দেওয়াও অসম্ভব-কারন তাহলে ইসলাম বলে কিছুর অস্তিত্ব থাকে না”, আপনার এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে একমত হয়ে বলতে চাই যে, ইসলাম অনান্য ধর্ম থেকে ভিন্ন। কেননা ইসলামের জন্ম ও প্রসারের সাথে রাজনৈতিক ও সামরিক সক্ষমতা, লড়াই ও দ্বন্দ্ব জড়িত। খ্রীষ্টান ধর্মকে রাজনীতিকরন করেছিল রোমান রাজারা। কিন্তু, ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক মোহাম্মদ নিজেই ছিলেন, ইহজাগতিক শাসনের নেতৃত্বদানকারী প্রধান নির্বাহী, সৃষ্টিকর্তার নামে আইন প্রণয়নকারী, প্রধান বিচারক ও সামরিক বাহিনীর সর্বোচ্চ অধিনায়ক, অর্থাৎ একক রাষ্ট্রনায়ক। সুতরাং, আল্লাহ ও রসুলকে ১০০% মানলে রাষ্ট্রকে পৃথক করা যায় না। এটা মুসলিম সমাজে ইহজাগতিক রাষ্ট্রকে ধর্ম থেকে বিযুক্ত করার পথে বড় একটি বাধা। তাই, যে কোন সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম রাষ্ট্রে গনতন্ত্র বনাম ইসলাম’এর মাঝে দ্বন্দ্বটি অন্যান্য রাষ্ট্র থেকে জটিলতর।”
তৃতীয়তঃ আমি বলেছি-
” যাহোক, যীশু অথবা মোহাম্মদ’এর ব্যক্তিগত অস্তিত্ব নিয়ে গবেষণা সম্পর্কে আমার দৃষ্টিভঙ্গী পরিস্কার করতে চাই, যেটা নীচের লিঙ্কে দেয়া নিবন্ধের সাথে সহমত।
http://www.centerforinquiry.net/blogs/entry/what_does_it_mean_to_say_muhammad_existed/”
এরপর আপনি নিজেই ভেবে দেখুন, আপনি আমার সম্পর্কে যে ব্যক্তিগতঃ মূল্যায়ন করেছেন সেটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত? আমি আপনাকে প্রশ্ন করেছি, আপনি যেগুলো বলছেন সেগুলো আপনার নিজস্ব গবেষণালব্ধ কি না ? আপনি আমার সেই প্রশ্নের কোন উত্তর দেন নাই। দয়া করে জানাবেন, আপনি ইতিহাসবিদ কি না এবং একাডেমিক মহলে ইতিহাসের উপর আপনার কয়টি গবেষণা প্রবন্ধ পাবলিশ হয়েছে?
[১] “সোভিয়েত স্কুলের ঐতিহাসিকরা” – আপনার পুরো লেখাটায় শুধু সোভিয়েত ঐতিহাসিকদের টেনে এনেছেন। সোভিয়েত ঐতিহাসিকদের বিবেচনা নিয়ে আর কোনো বিষয়ে আপনি কি কোনো উপসংহারে পৌছেছেন?
[২] “(৩) কোরানে মহম্মদের উল্লেখ আছে মাত্র চারবার। তাও কনটেক্সট পরিস্কার না । এখানে একটা কথা বলা দরকার। কোরানের ভাষা আদি আরবিক-যার মধ্যে হাজার হাজার সিরিয়ান, ক্যানানাইট, গ্রীক, রোমান শব্দ মিশে আছে। কোন ভাষাবিদ ছাড়া কোরানে আসল কি লেখা আছে, সেটা উদ্ধার করাই মুশকিল। সুতরাং কোরানকে ঐতিহাসিক সূত্র হিসাবে ব্যবহার করাও মুশকিল।” – আপনি এখানে যা বলেছেন এটা কি আপনার নিজের যুক্তি নাকি সোভিয়েত ঐতিহাসিকদের বুলি? আপনি কি এখানে যা বলেছেন তা সত্যি বলে মনে করেন? “কোন ভাষাবিদ ছাড়া কোরানে আসল কি লেখা আছে, সেটা উদ্ধার করাই মুশকিল। সুতরাং কোরানকে ঐতিহাসিক সূত্র হিসাবে ব্যবহার করাও মুশকিল।” – এটা কোনো লজিকাল কথা নয় – আপনার কথামতেই ভাষাবিদরা বলতে পারবেন কোরানে কি লেখা আছে – তাহলে তো বলা যায় কোরানকে ঐতিহাসিক সূত্র হিসাবে ব্যবহার করা যায় যদি ভাষাবিদরা বলে দেন ওখানে কি লেখা আছে। সবার তো আদি ভাষা পড়ে গবেষনা করতে হবে না। কোরানে কি লেখা আছে তা নিয়ে যে অসংখ্য লেখা ও গবেষনা হয়েছে, সেটাকে কি আপনি পর্যাপ্ত মনে করছেন না? কোরানের প্রায় ৯৯%-১০০% শব্দ ও ‘লিটারাল’ অর্থ যে কোনো আরবী ভাষি এখনো পড়ে বুঝতে পারে সেটা কি আপনি জানেন? এটা কোনো ‘ডেড’ ভাষা নয় – “আদি আরবিক” – সেটা আপনি ঠিক বলেছেন। “হাজার হাজার সিরিয়ান, ক্যানানাইট, গ্রীক, রোমান শব্দ মিশে আছে।” এখানে আপনি একটু অতিকথন করেছেন বলে মনে হচ্ছে। – ‘অনেক/কিছু মিশে আছে বলা যায়’। কিন্তু সেই ভাষাগুলোতো ভাষাবিদদের অজানা নয়। এখানের পুরো কথাগুলো সোভিয়েত ঐতিহাসিকদের মুখ থেকে নিয়ে আপনি এখানে লিখেছেন বলে মনে হয়। আমি এই ঐতিহাসিকদের মোটেই নির্ভরযোগ্য মনে করছি না – প্রপাগান্ডিষ্ট মনে করছি।
[৩] “ক্লিমোভিচ সেই ১৯৩০ সাল থেকেই এই প্রশ্ন তুলেছেন।” – কমুনিজমের প্রতিষ্ঠার পরে যখন এভাবে মনে করা হয়েছে, যখন তারা এ রকম ভাবে ইতিহাসকে পূনর্বিবেচনা ও প্রচার করার প্রয়োজন বোধ করতেই পারে যেখানে ধর্ম বা ধর্ম প্রচারকদের বাতিল করার চেষ্টা আছে। আপনি কমুনিজমের প্রতিষ্ঠার আগের কোনো সোভিয়েত ঐতিহাসিকদের রেফারেন্স দিন প্লিজ। ‘ধর্ম বা ধর্ম প্রচারকদের বাতিল করার চেষ্টা আছে’ – এটা মুক্তমনা মনষ্কতার জন্য নয় বরং কমুনিজমের খাতিরেই করা বলে আমার মনে হচ্ছে।
[৪] আরবে ঐ সময় ওরাল ট্রেডিশনেই সব কিছু হত। যেখান থেকে কোরান মুখস্ত করে মনে রাখার ব্যাপারটা এসেছে। ঐ সময়ের অনেক কিছুকেই অলিখিত মনে করে বাতিল করা যায় কি? আর কোরানে যদি মুহম্মদের উল্লেখ থাকে ও বিভিন্ন কন্টেক্সট থেকে যে ঐতিহাসিক বিবরন ও ঘটনা পাওয়া যায়, মুহম্মদের অস্তিত্ত্বের প্রমান হিশেবে সেটা আপনি পুরো এড়িয়ে গেছেন বলে মনে হয়।
[৫] “এটি ছিল আরবদের ব্যবসা সুনিশ্চিত করার কনট্রাক্ট ম্যানুয়াল।” ও এ ধরনের আরো অনেক আলোচনা আপনি করেছেন। সোভিয়েত স্কুলের ঐতিহাসিকরা নতুন কমুনিজমের চেতনা নিয়ে সেভাবে ইসলামকে রি-ইন্টারপ্রেট করতে চেয়েছেন ও একটি থিওরী দিয়েছেন, যার বেসিসে আপনি মুহম্মদের ঐতিহাসিকতা নিয়ে এটি লিখেছেন। আপনার পুরো লেখাটা নিয়ে অনেক বড় করে লেখা যায়। কিন্তু শুধু এটুকুই বলব – আপনার সায়েন্স নিয়ে লেখা ভাল লাগে। কিন্তু এ লেখাটায় মনে হয়েছে আপনি এক ধরনের সোভিয়েত কনস্পিরেসি থিওরী দিয়ে বেশ প্রভাবিত হয়েছেন। এ ধরনের অল্টারনেট থিওরী সব সময়ই থাকে।
[৬] আপনি বাংলাদেশ নিয়ে যা কিছু লিখেন তার একটা বেশ বড় অংশ পড়ে মনে হয় আপনি বইয়ের বা খবরের মধ্যের বাংলাদেশকেই বেশী জানেন। আপনার সায়েন্স নিয়ে লেখা আমার খুব ভাল লাগে। অন্য কিছু লেখায় আমি কোনো অথরিটি পাই না, বরং মাঝে মাঝে পড়ে খটকা ও ‘লজিকালি ডেফিসিয়েন্ট’ লাগে।
[৭] মুহম্মদের ও আলীর বংশধরদের নিয়ে কোনো ডি এন এ গবেষনা কি কখনো হয়েছে যেমনটা হয়েছে চেংগিস খানের বংশধরদের নিয়ে?
[৮] ১৯৩০-এর আগের ঐতিহাসিকরা কেন মুহম্মদের অস্তিত্ত্ব বাতিল করে কোনো কিছু লিখেন নি? যেখানে অধিকাংশ ইউরোপিয়ান ঐতিহাসিকরা তার নেগেটিভ দিকগুলোকেই বেশি আলোকপাত করেছেন তাকে mahound নাম দিয়ে, সেখানে তাকে ঐতিহাসিকভাবে একদম বাতিল করে দেননি কেন?
[৯] এখানে ধর্মের অসারতা নিয়ে আলোচনা হয়, যেটা পড়ে অনেক কিছু জানতে পারি। তবে আজকের মত এ রকম অল্টারনেট থিওরী নিয়ে দুর্বল লেখা আমি এ ব্লগে আর পড়েছি বলে মনে করতে পারছি না – যার পুরোটাই ‘কিছু সোভিয়েত স্কুলের ঐতিহাসিক’ বলেছেন বলে চালিয়ে দিয়েছেন। রাজনীতির অভিনয় নিয়ে আপনি যা লিখেছেন সেটা আমি মানি ও গুরুত্ত্বপূর্ণ মনে করি, তবে ঐতিহাসিক কোনো চরিত্র যেটা খুব বেশী দূরের নয় তাকে আপনি যেভাবে বাতিল করে দিতে চাচ্ছেন অন্যের (কমুনিজমের পরের রি-ইন্টারপ্রেটেশন) বিবেচনা ধার করে, সেটা যুক্তিতে খুবই দুর্বল।
[১০] অনেক কিছুই লেখা যায়। আজ এ পর্যন্তই থাক।
@সোহেল,
আপনি আমার লেখাটাও পুরো পড়েনি, রেফারেন্স ত নয় নি।
ফলে আপনার ভুল ধারনা হয়েছে শুধু রাশিয়ান ঐতিহাসিকরা মহম্মদের অস্তিত্ব নিয়ে সন্দিহান।
ঐতিহাসিক মহম্মদ নিয়ে সন্দিহান পৃথিবীর প্রতিটা বিখ্যাত প্রাচ্যবিদ যারা আরবের ইতিহাস নিয়ে কাজ করেছে। সেটা এই লিংকে আছেঃ
http://en.wikipedia.org/wiki/Historicity_of_Muhammad
আপনি বরং একজন বিখ্যাত প্রাচ্যবিদের নাম বলুন যিনি মহম্মদের “ঐতিহাসিক” অস্তিত্ব স্বীকার করেছেন। কেও করেন নি। সবাই মহম্মদ নামে একজন আরব নেতা ছিল এটা মেনেছেন-কিন্ত ইবনে হাসানের যে মহম্মদ চলে আসছে, সেটাকে কেও ঐতিহাসিক বলতে নারাজ।
কোরান আরবিক জানলেই বোঝা না-পড়া যায়। ভাষাবিদরা পর্যন্ত এর অর্থ উদ্ধারে হিমসিম খান।
F.E. Peters states, “Few have failed to be convinced that what is in our copy of the Quran is, in fact, what Muhammad taught, and is expressed in his own words… To sum this up: the Quran is convincingly the words of Muhammad, perhaps even dictated by him after their recitation”.[7] Peters argues that “The search for variants in the partial versions extant before the Caliph Uthman’s alleged recension in the 640s (what can be called the ‘sources’ behind our text) has not yielded any differences of great significance.” .[7]
Patricia Crone and Michael Cook challenge the traditional account of how the Qur’an was compiled writing that “there is no hard evidence for the existence of the Koran in any form before the last decade of the seventh century.” They also question the accuracy of some the Qur’an’s historical accounts.[14] It is generally acknowledged that the work of Crone and Cook was a fresh approach in its reconstruction of early Islamic history, but their alternative account of early Islam has been almost universally rejected.[15] Van Ess has dismissed it stating that “a refutation is perhaps unnecessary since the authors make no effort to prove it in detail…Where they are only giving a new interpretation of well-known facts, this is not decisive. But where the accepted facts are consciously put upside down, their approach is disastrous.”[16] R. B. Serjeant states: “Hagarism [the thesis of Crone and Cook]…is not only bitterly anti-Islamic in tone, but anti-Arabian. Its superficial fancies are so ridiculous that at first one wonders if it is just a ‘leg pull’, pure ’spoof’.”[17]
Gerd R. Puin’s initial study of ancient Qur’an manuscripts found in Yemen led him to conclude that the Qur’an is a “cocktail of texts”, some of which may have been existent a hundred years before Muhammad. He later stated that “these Yemeni Qur’anic fragments do not differ from those found in museums and libraries elsewhere, with the exception of details that do not touch the Qur’an itself, but are rather differences in the way words are spelled.” Puin has stated that he believes the Qur’an was an evolving text rather than simply the Word of God as revealed in its entirety to the Prophet Muhammad in the seventh century A.D[14][18][19] Karl-Heinz Ohlig comes to the conclusion that the person of Muhammed was not central to early Islam at all, and that at this very early stage Islam was in fact an Arabic Christian sect (likely Ebionite, Arian and/or Nestorian, based on the recorded Ebionite faith of Khadija, Muhammad’s first wife, and the Arianism and/or Nestorianism of her cousin,[dubious – discuss] the monk Bahira, recorded by John of Damascus in the early 8th century) which had objections to the concept of the trinity, and that the later hadith and biographies are in large part legends, instrumental in severing Islam from its Christian roots and building a full-blown new religion.[20][page needed] John Wansbrough believes that the Qu’ran is a redaction in part of other sacred scriptures, in particular the Judaeo-Christian scriptures.[21][22] Prof. Herbert Berg writes that “Despite John Wansbrough’s very cautious and careful inclusion of qualifications such as “conjectural,” and “tentative and emphatically provisional”, his work is condemned by some. Some of negative reaction is undoubtedly due to its radicalness…Wansbrough’s work has been embraced wholeheartedly by few and has been employed in a piecemeal fashion by many. Many praise his insights and methods, if not all of his conclusions.”[23]
There is considerable academic debate over the real chronology of the chapters of the Qur’an.[24] Carole Hillenbrand holds that there are several remaining tasks for the Orientalist Qur’anic scholars: Few Qur’anic scholars have worked on the epigraphy of the Dome of the Rock in Jerusalem whose foundation inscription dates to 72/692 and the antique Qur’an recently discovered in the Yemen, the Sana’a manuscripts. The Carbon-14 tests applied to this Qur’an date it’s parchment to 645-690 AD with 95 percent accuracy. Their real age may be a good deal younger, since C-14 estimates the year of the death of an organism, and the process from that to the final writing on the parchment involves an unknown amount of time, and parchments were also re-used often.[24] Paleography has dated the San’a manuscripts to 690-750 AD.
এই ইতিহাস থেকে কি বেড়োচ্ছে? কোরান থেকে মহম্মদের জীবনী বার করতে গেলে, তা সত্য না হওয়ার সম্ভাবনা বেশী?
সোভিয়েত কনস্পিরেসি থিওরি? কেনরে বাবা???
সোভিয়েত ঐতিহাসিকরা মার্কসিস্ট দৃষ্টীতে ইসলামের ইতিহাস খুঁজেছেন-যা ইসলামের রাজনীতি বুঝতে খুব ই গুরুত্বপূর্ন।
আপনাকে একটা সহজ কাজ দিচ্ছি।
একজন “বিখ্যাত” প্রাচ্যবিদ [ঐতিহাসিক] এর নাম বলুন, যিনি পেশাদার ঐতিহাসিক, যনি ইবনে হাসানের মহম্মদ চরিত্র যা আজ সবাই মহম্মদ বলে জানে, তাকে মেনে নিয়েছে?
বিপ্লব, লেখাটির জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি নিজে ধর্মের প্রতি বিরাগ হওয়ার পরে বড়ো ধর্মগুলির ইতিহাসিকতা (Historicity) নিয়ে তেমন জানতে আগ্রহ বোধ করি নি বরং ধর্মের নৃতাত্বিক বিশ্লেষনেই বেশী আগ্রহী ছিলাম।
আমার মোহাম্মদের Historicity নিয়ে তেমন পড়া নেই, সময় পেলে অবশ্যই জানতে বসবো। তবে যেমন বলেছ, অর্থনৈতিক আর সামাজিক সংষ্কারের মেসেজই যে ইসলামকে প্রথম দিকে এতো জনপ্রিয় করেছে এশিয়া আর আফ্রিকার লোকজনের কাছে, এতে দ্বিধা করার অবকাশ কম। পরবর্তী হাদিসগুলো থেকে আমরা যেরকম মোহাম্মদ ও ইসলামকে পাই, নিষ্ঠুর, সাম্রাজ্যবাদী, সহস্র আচার-অনাচারের নিস্পেষনে বাধা একটি Theocracy, এরকম একটা তন্ত্র সেইসময়ে মানুষের কাছে এতো দ্রুত জনপ্রিয় হবার সম্ভাবনা একদম কম।
@সফিক,
এই সাধারন সত্য বুঝতে অধিকাংশ মুসলিমদের কেন অসুবিধা হয় কে জানে? এর জন্যে কি খুব বেশী বুদ্ধি লাগে? না ধর্ম মুসলিমদের বুদ্ধিহীন বডি বানিয়ে দিয়েছে?
আপনার বিশ্লেষণের সাথে একমত বা দ্বিমত থাকলেও আপনার বিশ্লেষণের স্টাইল টা আমি সব সময়ই পছন্দ করি। আপনার লেখা কাউকে খুশি বা কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্য নিয়ে নয়, আপনি মুক্তমনে যা ভাবেন ও বিশ্বাস করেন তাই লিখেন। তবে এভাবে লেখার কারণে যে সমস্যাটা হবে তা হল আপনি আস্তিক বা নাস্তিক কারো কাছেই গ্রহণীয় হবেন না। সবার ই প্রতিপক্ষ হিসাবে বিবেচিত হবেন ও বন্ধু কমে যাবে। তাতে কি আসে যায়, মুক্তমনার কাছে নিশ্চয়ই এসব তেমন কিছু নয়। আপনার এই সিরিজ লেখাটা আমি মনোযোগ দিয়ে পরছি, সবকিছু যে বুঝতে পারছি তা নয়।
আমি যেহেতু আস্তিক তাই আস্তিকতার বিশ্বাস থেকেই একটা বিষয় জানতে চাই,
১)কোরান তো মোহাম্মদ এর মাধ্যমে এসেছে, এবং এই কোরান তো হাদিসের মত হটাত করে ও প্রয়োজন অনুসারে ইসলাম ধর্মে প্রবেশ করেনি।তাহলে কি এই কোরআনের প্রেক্ষিতে বলা যায় না যে মোহাম্মদ নামে আসলেই কেউ ছিলেন।
২)মোহাম্মদ এর সময় কালীন আরব সাহিত্য কোন পর্যায়ে ছিল? যদি ৬০০ থেকে ৭০০ সালে আরব সাহিত্য এর কি পরিমাণ লেখা পাওয়া যায় (কোরান বাদে)।
@আম্মানসূরা,
জনপ্রিয়তা লেখকের জন্য নেমে যাওয়ার সিঁড়ি। ইসলামিস্ট বা এন্টি ইসলামিস্ট স্টান্স নিয়ে লিখলে, সত্যটা প্রকাশ পাবে কি ভাবে?
এর উত্তর লেখাতেই দিয়েছি কেন কোরান থেকে মহম্মদের অস্তিত্ব প্রমানিত না।
উত্তর হচ্ছে ৬০০-৭০০ আরব সাহিত্যের বিকশিতের যুগ। উমাইদদের কবিতা ত খুব বিখ্যাত।
৪০০ শতাব্দি থেকেই প্রচুর আরবিক কবিতার সন্ধান পাওয়া যায়, যা মূলত আরবিকে লেখা, কিন্ত স্ক্রিপটা সিরিয়ান। বা অনেক ক্ষেত্রে ওরাল ট্রাডিশন ও চলেছে। এখানে খুব ভাল আলোচনা আছে।
http://encyclopedia2.thefreedictionary.com/Arabic+literature
@বিপ্লব পাল,
“ভারত বাংলাদেশের শিক্ষিত লোক মানে শিক্ষিত তোতা।”
–কথাটা ভাল লাগল ।
@বিপ্লব পাল
শুধু শুধু আমাদের মাথার বারোটা বাজিয়ে দিলেন। এখন এই নিয়ে ঘুম হচ্ছে না। এতদিন তাহলে কাকে নিয়ে কথা বলতাম? সব যুক্তি আবার দেখতে হচ্ছে। সব ইতিহাস আবার ঘাটতে হচ্ছে। ছায়ার সাথে কি যুদ্ধ করলাম এতদিন??? নাহ, আপনি মশাই, আবার আমাদের স্কুলে পাঠিয়ে দিলেন।
একটা অনুরোধ রইল, আপনার কাছে এবং আকাশ মালিকের কাছেও যাতে মুহাম্মদকে নিয়ে আপনারা আরেকবার লেখেন। এখনকার লেখা একটি বিশেষ দিকে থেকে বিশ্লেষণ। তখন যেন শুধু এ নিয়েই হয়।
ধন্যবাদ দেব কিনা বুঝতে পারছি না। তবে মাথায় পোকা ঢুকিয়ে দেয়ার কৃতিত্ব আপনাকে না দিয়ে পারছি না। (Y)
@প্রতিম লালা,
স্পাইডারম্যান ভাল না খারাপ লোক ছিল, সেটা নিয়ে দিস্তার পর দিস্তা খরচ করার আগে আপনাদের অবশ্যই দেখা উচিত ছিল, যে স্পাইডারম্যানকে নিয়ে মারামারি-তার সৃষ্টিকর্তা কে!
যে মহম্মদকে নিয়ে বিতর্ক হয়-তা সম্পূর্ন অবৈজ্ঞানিক কারন সেই মহম্মদের অস্তিত্ব না থাকার সম্ভাবনা ১০০%।
যে ঐতিহাসিক মহম্মদ ছিল, সে ইসলামিক মিথের মাটিতে অনেক দিন আগেই শুয়ে গেছে-তার কংকাল পাওয়াও এখন অসম্ভব।
তবে কিছু করার নেই। কৃষ্ণ রাম চরিত্র নিয়ে ভারতেও বিতর্ক হয়, মিথিক্যাল মহম্মদ নিয়ে বিতর্ক থামবে না।
@প্রতিম লালা,
নারে ভাই, আমি আর তাতে নাই। ঐ নামটা শুনলেই এখন ভয় হয়। কাল্পনিক চরিত্র, ভুতের ছায়া, :-[ ওয়াও!
@আকাশ মালিক,
লিখতে থাকেন। সব ধরনের লেখার দরকার আছে বলেই আমাদের মনে হয়।তবে ব্যক্তিগত বিদ্বেষ বা জাতি বিদ্বেষ যেন মাত্রা ছাড়িয়ে না যায়, সেই অনুরোধ জানিয়ে আপনাকে আবার ধর্ম সম্পর্কে লেখার অনুরোধ জানাচ্ছি।( আপনার প্রোফাইলের কিছু ইসলাম বিষয়ক লেখা দেখলাম যা বহু পুরনো)
@দারুচিনি দ্বীপ,
মুক্তমনার পাঠকদের জন্যে এটা একটা অসুবিধাই রয়ে গেছে, যা আমার কাছেও বিরক্তিকর লাগে। প্রোফাইলে ক্লিক করলে ব্লগ হওয়ার আগের পুরনো লেখা চলে আসে। এখানে আছে ব্লগ হওয়ার পরের সবগুলো আপডেইটেড লেখা। আশা করি পড়বেন অন্যকেও পড়তে দিবেন।
@আকাশ মালিক, ধন্যবাদ,হ্যা অবশ্যই পড়ব ধীরেধীরে।আপনিও আরো লেখা লিখুন এই জাতীয় এই প্রত্যাশা রইল।ভাল থাকবেন।
একজন নাস্তিক হওয়া সত্ত্বেও লেখাটা পড়ে বিশেষ অস্বস্তিতে ভুগছি।
@আহনাফ ইনকিয়াদ অর্ক,
আমি কিন্তু আস্তিক হয়েও অস্বস্তিতে ভুগছিনা। আপনি নাস্তিক হয়ে কেন ভুগছেন জানতে পারি কি? জানতে চাইবার কারনটা নির্ভেজাল কৌতূহল ।
আপনার লেখা ভাল লেগেছে। বিশেষ করে সোভিয়েট ঐতিহাসিকদের ব্যাখ্যাগুলো।
এই ব্যাখ্যাটিকে সরল বলে মনে হয়।যেমন, বাংলাদেশে জ্ঞান-বিজ্ঞানে ‘শিক্ষিত’দের মধ্যেই গোঁড়ামি বেশী। এই ‘শিক্ষিত’দের বড় অংশ জামাত,হেফাজতের (বিএনপির আড়ালে) ভাবধারায় বিশ্বাসী। আর কৃষক,শ্রমিক ও সাধারণের মাঝেই বরং গোঁড়ামি কম। এরাই কিন্তু তথাকথিত ‘অশিক্ষিত’ ও দরিদ্র। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পিছনে এই ‘অশিক্ষিত’দের অবদানই বেশী, আর ‘শিক্ষিত’দের বড় অংশ ‘উচু খানদান’এর লোকজন, যারা স্বাধীনতার বিরোধী ছিল এবং এদের এখনও খুঁজে পাওয়া দুস্কর নয়। তাই অন্তত বাংলাদেশে এই ‘শিক্ষিত’ ও ‘অশিক্ষিত’এর রসায়নটা একটা পাজল মনে হয়।আপনার ব্যাখ্যা তাই মেনে নিতে হলে বলতে হবে, শিক্ষায় মনে হয় বিরাট গলদ রয়ে গেছে।
মজার ব্যাপার হল, এই ‘অশিক্ষিত’দের বড় অংশ আওয়ামী লীগের সমর্থক। আরও মজার ব্যাপার হল, আওয়ামী লীগই শিক্ষাকে বেশী গুরুত্ব দেয় বলে দেখা যায়। একে কীভাবে ব্যাখ্যা করবো/করবেন?
@তেপান্তর,
ভারত এবং বাংলাদেশে শিক্ষিত কোথায়? শিক্ষিতর প্রথম ধর্ম ই হল সে স্টাটস ক্যু-যা চলে আসছে, তাকে চ্যালেঞ্জ করতে সক্ষম হবে!
কোন শিক্ষা সেই গ্রহণ করতে পারে, যে ঐশিক্ষাকে চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা রাখে!!
ভারত বা বাংলাদেশে সেই ডাক্তার, সেই ইঞ্জিনিয়ার, সেই বিজ্ঞানী, সেই সাহিত্যিক, সেই ঐতিহাসিক কোথায়, যারা সেই চ্যালেঞ্জ করতে পারেন, চেঞ্জ করতে পারেন? হাতে গুনতে পারবে তাদের। ভারত বাংলাদেশের শিক্ষিত লোক মানে শিক্ষিত তোতা।
ইন্টারনেটের দিনে মুকস্থ বিদ্যার আর কোন দাম থাকবে না। একটা ক্লিক করলেই সব জানতে পাচ্ছেন। ফলে স্বাধীন চিন্তার লোকেরা একমাত্র উন্নতি করতে পারবে, কারন পেশার ধরন গুলি বদলে যাবে। কে কাজে স্বাধীন চিন্তা লাগে না, তা কম্পুটার করবে।
সুতরাং তোতা কাহিনীর ইতিহাস শেষ হতে চললো-নতুন দিনের শিক্ষিতরা ধর্মকে ঠিক ই আস্তাকুঁড়ে পাঠাবে।
@বিপ্লব পাল,
আহা আহা কি লিখলেন, কি লিখলেন, আমার ভাবনাকে কাগজ কলমে হাজির করলেন। সোনা দিয়ে বাঁধিয়ে রাখতে হবে। কিন্তু জামাত সঙ্গী মমতাকে লাথি মারতেই হবে।
বিপ্লব পালঃ
খুব ভালো লেখার জন্যে ধন্যবাদ। আপনার একটি বিষয়ে কিছুটা দ্বিমত পোষণ করছি,
বাংলাদেশে আওয়ামীলীগ, বি এন পি এবং জামাতের কিছু অতি ভক্ত ( বা অন্ধ ভক্ত) রয়েছে । আওয়ামীলীগের প্রার্থী মসজিদে যাওয়া আসা বারিয়ে দিয়েও বি এন পি+ জামাতের একটি ভোটও টেনে নিতে পারবে কিনা সন্দেহ আছে। কিছু সংখ্যক দোদুল্যমান ভোটার দের দ্বারা মুলত জয় পরাজয় নির্ধারিত হয়েছে। আওয়ামীলীগের নানা অপকর্ম এবং দুঃশাসনের জন্যে তারা ভোটের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছে।
@সাজ্জাদ,
রাজনীতিতে অনেক অনেক শক্তি কাজ করে-আওয়ামি লীগ মুনাফিকদের দল, এই প্রচার ও অনেক ফাক্টরের একটা মাত্র।
সহমত।
(Y) (Y) (Y)
১০০% সঠিক ।
সহমত।
অসাধারন বিশ্লেষন বিপ্লব ভাই। (Y)
আগামী পৰ্বের অপেক্ষায় আছি …
বাবার জন্ম আগে না সন্তানের?
ইসলামবিদ্বষীদের তালিকায় আপনার নামটা আছে কি না এক্ষুণি খুঁজে দেখতে হবে।
@আকাশ মালিক,
মার্কসবাদ পৃথিবীর সমস্ত ইতিহাসের ওপর একটা এনালাইটিক্যাল ন্যারেটিভ। তাই ইতিহাসের সব ঘটনাকে মার্কসবাদের আলোকে দেখা যায়-আবার ইচ্ছা করলে নাও দেখতে পারেন।
আমার কথাটা লেখা একটা পোয়েটিক এলিগারি হিসাবে।
আমি ইসলামের ইতিহাস নিয়ে আপনার মতন এত জ্ঞানী না। আপনি যদি এই পোস্টে আপনার মতামত জানান, আমি এই ব্যাপারে নিজের ক্ষুদ্র জ্ঞানকে আরো সমৃদ্ধ করতে সক্ষম হব।
আমি ইসলামকে ইতিহাসের একটা অবিচ্ছেদ্য ধারা হিসাবে দেখছি। আমার কাছে মহম্মদ প্লেটোর রিপাবলিকের সেই ক্লসিক্যাল চরিত্র যিনি ধণীদের বিরুদ্ধে গরীবদের জন্য তলোয়ার ধরে, সম্রাট হওয়ার পর প্রতিক্রিয়াশীল সমাজের সৃষ্টী করলেন।
আমাকে কেন বিদ্বেশী আখ্যা দেওয়া হবে? আমি ত লিখলাম, ইসলাম ছিল হানিফদের প্রগতিশীল আন্দোলন। আমি ত প্রশংসাই করছি। যুক্তিবাদি এবং বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানে আমি ত ইসলামের গাঁজাখুরি গল্পগুলিকে ইতিহাস হিসাবে চালাতে পারি না। বরং আমি সত্যকারের মহম্মদকে আবিস্কার করার চেষ্টা করছি যিনি আরবের একটি প্রগতিশীল রাজনৈতিক আন্দোলনের নেতা। এতে ত আমি প্রশংসা করছি-বিদ্বেশ মোটেও নেই।
কাল্পনিক চরিত্রের প্রতি ভালোবাসা বা ঘৃণা দুটোই অর্থহীন। বরং যে ঐতিহাসিক মহম্মদকে আমি দেখতে পাচ্ছি যিনি মক্কাকে একটি উন্নত শাসনের মধ্যে নিয়ে আসলেন, তার প্রশংসাই প্রাপ্য। কেও ভুল করে আমাকে বিদ্বেশী আখ্যা দিলে কি করব?
I am highly positive about Muhammad as a politician and leader-but my Muhammad is historical Muhammad not the one Muslim follows from their religious teaching.
@বিপ্লব পাল, আমার মনে যাপন জিনসটা মানুষের মননে গভীর প্রভাব ফ্যালে। যাপন মানে যে পরিবেশে থেকে আমরা চিন্তা করতে শিখি।চায়ের দোকানের ভিতরে বসে একসাথে ৯টি ভিন্ন ভিন্ন মসজিদ থেকে আযানের শব্দ পাই,আর একই সঙ্গে টিভিতে চলতে থাকে ‘ফেবিকল সি’।এ কারণেই হয়ত আমরা যারা সাধরণ,তাদের পক্ষে নির্মোহ নাস্তিক কিংবা অনুরক্ত ধার্মিক কোনটাই হয়ে ওঠা সম্ভব হয় না।মনের একটা খচখচনি চলতেই থাকে।আমরা ভাবি যদি ইসলামকে ছুঁড়ে ফেলতেই হয় তবে,স্বর্ণকুমারী নামক কোন পবিত্র নদীতে ফেবল,রাস্তার পাশের নোংরা ড়্রেনে কেন ফেলব! ক্ষণে ক্ষণে আমরা যে আঘাত বা অন্য কিছু পাই তাও হয়ত এই কারণে।
মুহাম্মদ সা তো ছিলেন একজন গরীব ঘরের এতিম সন্তান। এটা তো ইতিহাসেই আছে। কাজেই সাম্রাজবাদের প্রয়োজনে ইসলাম তৈরি হল কিভাবে এইটা আমার বোধগম্য হল না।
এই মুহাম্মদ সা কে নিয়ে এই ব্লগের কিছু লেখা দেখলাম।কিছু গঠনমুলক সমালোচনা আর অনেক গুলো বিদ্বেষে ভরা।
কিন্তু আপনি একেবারে জলজ্যান্ত মানুষটাকেই উড়িয়ে দিলেন?
উইকি সোর্স খুব নির্ভরযোগ্য হয় না কোনদিনই।কুমারী জন্ম নিয়ে সন্দেহ থাকাই বিজ্ঞান সমত কিন্তু মুহাম্মদ তো আম্র কুমারী মাতার গর্ভজাত কেউ নন!
আপনার মৃত্যুর ১০০ বছর পর যদি কেউ বলে যে বিপ্লব পাল নামের কেউ ছিল তার প্রমান নেই, তার মানে কি এই যে আপনি নেই? আমি কি বাতাসের লেখা পড়ছি?
@দারুচিনি দ্বীপ,
এটা পরের অধ্যায়ে আসবে যখন আমি খৃষ্ঠান ধর্মের বিশ্লেষনটা শেষ করব। ওটা না করলে, কেও সূত্রটা বুঝবে না।
উইকি সোর্সে অজস্র রেফারেন্স আছে সেগুলো পড়ুন। উইকি কতটা নির্ভরশীল সেই নিয়ে গবেষনা হয়েছে এবং দেখা যাচ্ছে উইকি সোর্স এনক্লোসাইপিডিয়া ব্রিটানিকার মতন সমান নির্ভর যোগ্যঃ
“Several studies have been done to assess the reliability of Wikipedia. A notable early study in the journal Nature said that in 2005, Wikipedia scientific articles came close to the level of accuracy in Encyclopædia Britannica and had a similar rate of “serious errors”.[2] The study by Nature was disputed by Encyclopædia Britannica,[3] and later Nature replied to this refutation with both a formal response and a point-by-point rebuttal of Britannica’s main objections.[4] Between 2008 and 2012, articles in medical and scientific fields such as pathology,[5] toxicology,[6] oncology,[7] pharmaceuticals,[8] and psychiatry[9] comparing Wikipedia to professional and peer-reviewed sources found that Wikipedia’s depth and coverage were of a high standard. Concerns regarding readability were raised in a study published by the American Society of Clinical Oncology[10] and a study published in Psychological Medicine (2012).[9]”
http://en.wikipedia.org/wiki/Reliability_of_Wikipedia
প্রশ্নটাত অবশ্যই তোলা উচিত এবং তারপর দেখা উচিত আমার লেখা, আমার ভয়েস, আমার ভিডিও কি কি পাওয়া যাচ্ছে। তার থেকে সিদ্ধান্তে আসা উচিত। এখানে মহম্মদের আদেশনামা বা তার ওপর লেখা কোন নথিই নেই সমসাময়িক। একটি মাত্র নথি আছে সমসাময়িক ৬৩০ সালে সিরিয়ানে যেখানে তাকে আরবদের নেতা এবং তার ধর্ম আব্রাহামিক বলে উল্লেখ আছে। আর কিছু ঐতিহাসিক প্রমান নেই।
@বিপ্লব পাল,
ও আচ্ছা। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দেখি আপনার বিশ্লেষণ কি হয় 😕 ।
কিন্তু ওই সময়ে তো ভয়েস রেকর্ডার, অথবা ভিডিও ক্যামেরা কিছুই ছিল না, আর স্মুহাম্মদ সা নিরক্ষর ছিলেন, কাজেই তাঁর হাতের লেখাও থাকা সম্ভব না, তাহলে কি হবে?নিরক্ষর ছিলেন এটা তো আর অপরাধ হতে পারে না।অভাবের জন্য লেখা পড়া শিখতে পারেন নাই তিনি! যদি তর্কের খাতিরে ধরে নেই যে উনি ছিলেন না, (কিন্তু আমরা যেটা জানি সেটা হল তিনি ছিলেন), কাজেই কিভাবে আপনি তাঁর অস্তিত্ব প্রমাণ করবেন যদি তিনি আসলেই থাকেন?
আর থাকলেই কি স্রেফ নিরক্ষর হবার অপরাধে অথবা ভিডিও ক্যামেরা এবং ভয়েস রেকর্ডারের অভাবে তিনি নাই হয়ে যেতে পারেন???
@দারুচিনি দ্বীপ,
আপনিকি লেখাটা পড়েছেন? আমার ধারনা ধর্ম হারনোর ভয়ে পড়েন নি। বা পড়লেও বোঝেন নি। এই প্রশ্নের উত্তর খুব ডিটেলসে দেওয়া আছে প্রবন্ধে । আপনি আগে পড়ে নিন। তারপর উত্তর পাবেন।
@বিপ্লব পাল,
পরেছি আমি লেখাটা।পুরোটা যে বুঝিনি সেটা কিন্তু আগেই স্বীকার করেছি তাই না?
ধর্ম হারানোর ভয় আমি করি না, কারন খুব বেশি ধার্মিক না হলেও, আমার ধর্ম বিশ্বাসে আঘাত প্রায় লাগেনা বললেই চলে, কারন ওটা বেশ শক্ত।
যাদেরটা দুর্বল, তাদেরই আঘাত বেশি লাগে বলে আমার ধারনা।
যাক আপনার পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। তখন আশা রাখি আরো কিছু জানতে পারব, আর কিছু সমীকরন মিলে যাবে।ধন্যবাদ। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন। 🙂
@দারুচিনি দ্বীপ,
বাপরে এমন যুগপুরুষ যার ধর্ম বিশ্বাসে আঘাত করা যায় না আবার সে বেশী ধার্মিক না-না ভাই আমার জীবদ্দশায় দেখি নি :-X
@বিপ্লব পাল,
আমি মহাপুরুষ না।তবে আমি চেষ্টা করি সহনশীল থাকার জন্য। সমালোচনা সহ্য করার ক্ষমতা আমার যদি থাকে এতে আপনার রাগের কারন কি সেটাই তো বুঝলাম না। 😀
@দারুচিনি দ্বীপ,
ভিডিও রেকর্ডার ইত্যাদি থাকলে মোহাম্মদকে আল্লহ কোরানের বাণী ডিস্কে করে পাঠাতো , তাতে জান্নাতের ভিডিও রেকর্ড করা থাকতো
@আমূল,
আরে আল্লা পাঠিয়েছিলেন ত-ওসামাকে উনি সানিলিওনের ভিডিও পাঠিয়েছিলেন। :rotfl:
@দারুচিনি দ্বীপ,
না পারেন না। তবে ভিডিও ক্যামেরা এবং ভয়েস রেকর্ডার থাকলে নিশ্চিত আমরা দেখতাম, তিনি একজন চেঙ্গিস খান আর তেঁতুল শাফি ছাড়া আর কেউ নন।
@আকাশ মালিক,
হতে পারেন।যেহেতু বিশেষ কোন প্রমান নেই নবীজির সম্পর্কে, সুতরাং এ নিয়ে এত সোজাসাপ্টা মন্তব্য করা হয়ত সহজ না।আপনি নিজেই খুজে দেখুন না, মুহাম্মদ সা এর দয়ার অনেক নজীর আছে।
হ্যাঁ তাঁর মদীনা জীবন বেশ জটিল।ওখানে উনার একের পর এক বিবাহ,এবং ক্রতিদাসী রাখা এইগুলা আমার কাছে যথেষ্ট ডিসটার্বিং মনে হয়, বিশেষ করে পালক পুত্র জায়েদের স্ত্রী কে বিয়ে করা।
এই যুগে এইটা কেউ করলে তাকে সমাজে একঘরে করে রাখা হত। যাহোক এইসব আমি স্বীকার করছি।অবশ্য আয়েশাকে বিয়ে নিয়ে আমি মোটেও বিরক্ত নই, কারন ওই যুগে হয়ত এটা স্বাভাবিক ছিল।যিশুর মা মেরীও শিশু অবস্থায় বিয়ে করেছিলেন।
যাক আপনি তো আমাকে মুরতাদ বানিয়ে ছাড়বেন দেখছি:-p ।শুনেন আমি কোরান হাদিসে কিছু অসঙ্গতি দেখেছি, আর সুরা তাওবা নিয়ে বেশ চিন্তিত। তবে বাইবেলেও এর থেকে জঘন্য আদেশ দেয়া আছে।
তাই আমার মনে হয়েছে যে যুগোপযোগী করে এখন আমাদের ধর্মীয় বিধান সাজানোর সময় এসেছে।
আমার এই কথায় আমার স্বজাতি মুসলিমদের অন্তত ৭৫% লোক হয়ত আমাকে মুরতাদ বলবে( দেশে যে হারে মুরতাদ,( রহঃ) আর শহীদ বাড়ছে এটা বেশ ভীতিকর)।কিন্তু তাতেও কিছু যায় আসেনা। খ্রিষ্টানরা যদি তাদের ধর্মকে অনেকটাই সহজ করে নেয়, তবে আমাদের নিতে বাধা কি, যেখানে আমরা প্রায় সব মুসলিমরা মোটেও ইসলামী বিধিনিষেধ মেনে চলি না। চলা সম্ভবও না এ যুগে।মেনে চলতে হলে তো আলী আর ফাতিমার বিয়ের সুত্র ধরে, আমাদেরও মা বোন দেরও তো বাবার চাচাত ভাই তথা চাচার সাথে বিয়ে জায়েজ, মানেই পর্দা ফরজ। কিন্তু এভাবে কি জীবনে চলা যায়? কেন এবং কি পরিপ্রক্ষিতে নবী এইসব আইন করেছিলেন আমার মাথায় আসে না।
তবে তাঁকে চেঙ্ঘিস খানের সাথে তুলনা করা ঠিক হল না আপনার, কারন মুহাম্মদের মদীনা জীবনের নিষ্ঠুরতার জন্য দায়ী আসলে মক্কা জীবনের করুন ট্র্যাজেডি। কিন্তু চেঙ্ঘিস খান তো একেবারে হিটলার টাইপের কসাই।
@দারুচিনি দ্বীপ,
একটা টাইম মেশিনের দরকার। বনি কোরাইজার সাথে কী ব্যবহার মুহাম্মদ করেছিলেন ভিডিওতে দেখলে ভাল হতো। আমরা তুলনা করে দেখতে পারতাম চেঙ্গীস খান, না মুহাম্মদ, না হিটলার বেশী নিষ্ঠুর ছিলেন।
আয়েশাকে দেখতে পাবোনা তবে নবির অন্য দুজন প্রেমিকা, (স্যরি প্রেমিকা নয়) সেক্স টয়কে এখানে দেখা যাবে। প্রথমজন ম্যারিয়া অপরজন সাফিয়া।
[img]http://i1088.photobucket.com/albums/i332/malik1956/imagesCAARKNRU.jpg[/img]
[img]http://i1088.photobucket.com/albums/i332/malik1956/tumblr_ll6ysknbkx1qjc9fqo1_1280.jpg[/img]
@আকাশ মালিক,
এত উত্তেজনার কি দরকার আকাশের মালিক? কেউ প্রমান চাক কি না চাক আপনাকে কি কিছু প্রমাণ করতেই হবে? এত শক্তিশালী কলম এসবেই ধ্বংস হয়ে যাবে।
@বিপ্লব পাল, এমন গাঁজাখুরি লেখা পড়ে খুব হাসি পেলো।
আপনাকে ধন্যবাদ এমন বিনদন মূলক হাস্যরসে ভরা লেখা উপহার দেওয়ার জন্য।
তবে বুঝলাম না, মানুষ মিথ্যা বলে অন্নকে বিশ্বাস করানোর জন্য, কিন্তু আপনি দেখছি নিজেই নিজেকে বিশ্বাস করানোতে ব্যস্ত 😀
মহানবী যদি কল্পিত হয়ে থাকেন তাইলে এত বছরেও তা প্রমান হল না কেন ভাই?
নাকি বলবেন এত বছর সবাই অপেক্ষা করছিলেন কখন বিপ্লব ভাইয়া আসবেন এবং এই বিষয়টা জগতবাসীদের কাছে পরিষ্কার করে যাবেন ?? :p
আপনাকে আর কি বলবো… আপনি তো বিদ্বান
মানুষ… বেশি কিছু বললে হয়তো আমার কাছেই প্রমান চেয়ে বসবেন আমি মানুষ নাকি আপনার কল্পনা থেকে বেড়িয়ে আসা এক ভিনগ্রহবাসী 😀
ভাই মহানবীর অস্তিত্ব নিয়ে সন্দেহই যখন করলেন তবে উনার অস্তিত্তের সাথে সম্পর্কিত যা কিছু আছে তার সবই কি কল্পনা?এখন হয়তো বলবেন মক্কা মদিনা বলতেও কিছু নাই অইগুলা মানব সম্প্রদায়ের ভ্রান্ত কল্পনা বৈকি আর কিছু না।আর আরবের সব মিথ্যাবাদী এবং বাণিজ্যের জন্য অভিনয় করছে?? 😀
আচ্ছা এগুলাও বাদ দিন উনি যদি কল্পিতই হতেন তবে এতগুলা দেশে ইসলাম ছড়িয়ে পড়ল কিন্তু আরেকটা কল্পিত মুহাম্মাদ আসলো না কেন?
আরে ভাই মানুষ তো নামের জন্যই অনেক কাজ করে… যেমন আপনি ধর্ম নিরপেক্ষ হিসেবে নাম কামানোর জন্যই এগুলা লিখলেন ঠিক সেইভাবে তো আরও কয়েক লাখ মুহাম্মাদ হাজির হওয়ার কথা ছিল যে “আমি ই সেই লোক যে এটা শুরু করেছি”? কিন্তু তা তো হল না?
ভাই বেশি কিছু বলবনা… লেখতে চাইলে এমন কিছু লেখুন যা সত্তিকার অর্থেই মানব কল্যাণে লাগে…সত্য অনুধাবন করতে মানব বিবেকই যথেষ্ট।।
ছোট্ট ১ টা লিংক দিলাম ওদের মিথ্যাবাদী,অশিক্ষিত বা গাঁজাখোর প্রমাণ করতে থাকুন… ভালো থাকবেন :)[img]http://ahmadiyyatuvalu.files.wordpress.com/2012/10/the-holy-prophet-muhammad_mahatma-gandi1.jpg[/img]
@রনি,
ভারতের রামের জন্মভূমি অযোধ্যা আছে, রামের মন্দির ও আছে। কৃষ্ণের শহর দ্বারকার ও সন্ধান পাওয়া গেছে। তার মানে কি রাম বা কৃষ্ণ বলে কেও ছিল? কোন ঐতিহাসিক প্রমান আছে?
কিচ্ছু নে। মহম্মদের কেসটাও তাই।
আর মহত্মাগান্ধীর কথা বলছেন। লোকটা রামেও বিশ্বাস রাখত। তার মানে কি রাম বলে কেও ছিল?
মহম্মদ বলে কেও ছিল কি না, সেটা আমি মহম্মদের ওপর যেসব প্রখ্যাত ঐতিহাসিকরা কাজ করেছে তাদের কাছ থেকে জানব। তাদের কাজের সিনোপসিস এখানে আছে-কেও নিশ্চিত ভাবে বলতে পারছে না ঐতিহাসিক মহম্মদ বলে কেও ছিল। আমি নিজের বক্তব্য ত কিছু বলি নি-প্রখ্যাত ঐতিহাসিকদের বক্তব্য তুলে দিয়েছি।
http://en.wikipedia.org/wiki/Historicity_of_Muhammad
যেসব ঐতিহাসিকরা মহম্মদের অস্তিত্ব নিয়ে [ মানে যেভাবে তাকে লোকে জানে] সন্দেহ করেছেন, তাদের লিস্টঃ
Harald Motzki
Michael Cook
F.E. Peters
Patricia Crone
এরা সবাই পৃথিবী বিখ্যাত ঐতিহাসিক এবং সারা জীবন ধরে ঐতিহাসিক মহম্মদ নিয়ে কাজ করছেন। এদের ছেরে মহত্মা গান্ধীর কথায় কেন বিশ্বাস করব? মহত্মা গান্ধী কি ঐতিহাসিক ছিলেন?
@বিপ্লব পাল, না ভাই গান্ধী ঐতিহাসিক হইতে যাবে কেন ও তো ১ টা ফকির ব্যাটা তাইনা? 😀
আমার দেওয়া লিঙ্কের লোকগুলাও আস্ত বলদ…আপনার বলা নামগুলা ছাড়া দুনিয়াতে আর কোন শিক্ষিত বুদ্ধিমান লোক কখনো ছিল না… এবং আপনি ওদের যোগ্য উত্তরসূরি…
তা ভাই আমার কথা তো মানলেন না… এতসব প্রমাণ আপনার কাছে পুরোপুরি কাল্পনিক…
তাহলে উনি ছিলনা মেনে নিলাম কিন্তু আপনাকে প্রমাণ করতে হবে ব্যাপারটা…
আমরা তো বলছি উনি ছিলেন আপনি প্রমাণ চাইছেন… আপনি মানছেননা…তাহলে প্রমাণ করুন উনি ছিলেন না…আমরা মেনে নিব…
পৃথিবীতে এমন অনেক কিছু আছে যা আপনি আমি এখনো দেখিনি…অনেক দেশ অনেক শহর অনেক কিছুই… কিন্তু তাই বলে ঐসব কিছু কাল্পনিক বলে ঘোষণা করাটা নিতান্তই হাস্যকর…
@রনি,
আমি এর উত্তর আগেই দিয়েছি। ভারতে কৃষ্ণ, মহম্মদ এবং যীশুর জন্মদিন পালন হয়। সবাই পালন করে। সবাই তার জন্মদিন মানে, তাই তার অস্তিত্বছিল, এধরনের আলোচনা সময় নষ্ট। বাই দি ওয়ে, স্পাইডারম্যানএর জন্মদিন পালন করে থাকে কিছু কিছু শিশু।
ধর্মভীরুদের মাথার বুদ্ধি এই ধরনের বালকদের থেকে বেশীদূর এগোয়নি বলেই আমি মনে করি। ।
আপাতত যীশু, কৃষ্ণ বা মহম্মদের ঐতিহাসিক অস্তিত্বছিল বলে তাদের ভক্তরা মনে করলেও আমি নানান নথি ঘেঁটে এটাই ভবিষয়তবানী করে যাচ্ছি আগামীদিনের ধর্মমুক্ত পৃথিবীতে কৃষ্ণের স্টাটাস হবে স্পাইডার ম্যানের সাথে-যে সম্পূর্ন কাল্পনিক কমিক চরিত্র। আর মহম্মদের স্থান হবে শার্লক হোমসের সাথে। যে মিঃ হোমসের মতন দক্ষ গোয়েন্দা একজন হয়ত লন্ডনে ছিল-কিন্ত বাকিটা চরিত্রটা উপন্যাসের গল্প। মহম্মদ নামে আরবের একজন দক্ষ নেতা অবশ্যই ছিলেন-কিন্ত তিনি কি করে গেছেন, তা ঠিক ঠাক জানার কোন উপায় নেই। তার চরিত্রটা ইবনে হাসান রচিত উপন্যাসিক চরিত্র। ঠিক যেভাবে আর্থার কোনান ডয়েল, শার্লক হোমস চরিত্র সৃষ্টি করেছেন স্যার যোসেফ বেল নামে এক সুদক্ষ গোয়েন্দার কর্মক্ষমতায় অনুপ্রাণিত হয়ে, ঠিক সেই ভাবে আরবের একজন সুদক্ষ রাজনৈতিক এবং আধ্যাত্মিক নেতা ইবনে হাসানের মহম্মদ চরিত্র হয়ে উঠেছেন তার রচিত উপন্যাসে।