তবে কি ফিরে আসছে সেই ভয়াবহ দিনগুলো?
আকাশ মালিক
Power tends to corrupt, and absolute power corrupts absolutely. Great men are almost always bad men.” (Sir John Dalberg-Acton) (10 January 1834 – 19 June 1902)
যখন কোন দল, প্রতিষ্ঠান, সরকার বা ব্যক্তি নিরংকুশ ক্ষমতার অধিকারী হয়, তখন তার ক্ষমতা অপব্যবহারের ও দুর্নীতিগ্রস্ত হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এই প্রবণতাকে পরমবাদ বা কর্তৃত্ববাদ বলা হয়। পৃথিবীর ইতিহাসে নিরংকুশ ক্ষমতার অধিকারীর এই কর্তৃত্ব প্রবণতার প্রমাণ প্রচুর রয়েছে। একজন একনিষ্ঠ সমাজ সংস্কারক, দেশপ্রেমিক, সৎ চরিত্রবান ব্যক্তিও পরবর্তিতে আদর্শচ্যুত হয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত ও ক্ষমতা অপব্যবহারের কারণে সমাজে ঘৃণিত নিন্দিত হতে পারেন। অনেক সময় এর চরম মাশুল দিতে হয় নিজের জীবন দিয়ে। আমাদের চোখের সামনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ। দলটি তার দেশপ্রেম, আদর্শ, একনিষ্ঠতা, ত্যাগ-বিসর্জন দিয়ে বিপুল জনপ্রীয়তা অর্জন ও নিরংকুশ ক্ষমতার অধিকার পায়, আবার এর অপব্যবহার করে জনপ্রীয়তার তলানিতে নেমে আসে। বাহাত্তর পূর্ববর্তি ব্যক্তি শেখ মুজিবের রাজনৈ্তিক জীবন, উদারতা, ত্যাগ, দেশপ্রেম বিবেচনায় রেখে, আমি বিশ্বাস করিনা তিনি অন্তরে মানসে, মনে প্রাণে একজন স্বৈরশাসক বা একনায়ক ছিলেন বা হতে চেয়েছিলেন। এ আমার নিতান্তই ব্যক্তিগত বিশ্বাস। কিন্তু বাহাত্তর পরবর্তি রাষ্ট্রনায়ক শেখ মুজিবকে তার নিরংকুশ ক্ষমতা ভুল পদক্ষেপ নিতে প্রেরণা যুগিয়েছিল আর তা তাকে জনমনে একজন কর্তৃত্ববাদী বা একনায়ক রূপে তুলে ধরেছিল। আমরা পেছনের ইতিহাসে যাবোনা, বর্তমান রাজনৈ্তিক হালচাল আর বিগত বছরগুলোর চাওয়া পাওয়ার হিসেব নিকেশ নিয়ে আজকের এই আলোচনা।
চার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অকল্পনীয় পরাজয়ের পর হতাশাগ্রস্থ আওয়ামী লীগ কোনভাবেই এই পরাজয়ের হিসেব মিলাতে পারছেনা। নিরংকুশ ক্ষমতা মানুষকে খুব সহজেই অল্প সময়ে দাম্ভিক আত্মম্ভরী করে তুলে। আওয়ামী লীগের আজকের সুচণীয় অবস্থার জন্যে তাদের নেতাদের দম্ভ-অহমিকা বহুলাংশে দায়ী। ক্ষমতার দম্ভে অন্ধ নেতারা ধরেই নিয়েছিলেন যে এই ক্ষমতা চিরস্থায়ী। আজ তাদের আকাশচুম্বী অহমিকার পাহাড় ভেঙ্গে চুর্ণবিচুর্ণ হয়ে গেছে। তাদের দম্ভ তাদেরকে এতই অন্ধ করে দিয়েছিল যে, তারা বিগত দিনগুলোতে জামাত, বি এন পির সীমাহীন প্রোপাগান্ডা, মিথ্যাচারের জবাব দেয়ার কোন প্রয়োজনই বোধ করেন নি। সাধারণ মানুষের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ঘুঁৎঘাত করেছেন উম্মাদ ঘাড় ত্যাড়া ষাঁড়ের মত। দলের আদর্শ ও গঠনতন্ত্রের অঙ্গীকার জলাঞ্জলি দিয়ে ধর্মকে সংসদে টেনে এনে চরম ভন্ডামীর পরিচয় দিয়েছেন। জনপ্রীয়তা হারানোর আরো একটি কারণ হলো তাদের অতিকথন, অসঙ্গতিপূর্ণ লাগামহীন কথাবার্তা। আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটা ভুল কথা, প্রত্যেকটা ভুল পদক্ষেপের কথা মানুষের মনে থাকে। তা প্রচার হয় দ্রুত, এর সমালোচনা হয় প্রচুর। পক্ষান্তরে জামাত, বি এন পির ভুল, অশোভন কথা, এমন কি শহিদ মিনার ভাঙ্গা, পতাকা পুড়ানো, শত শত কোরানে আগুন দেয়া মানুষ বেশীদিন মনে রাখেনা। কারণ মানুষ মনে করে জামাত ও বি এন পি এই দল দুটোর কাছ থেকে এমনটি অপ্রত্যাশিত তেমন কিছু নয়। আওয়ামী লীগ কোরানের একটি পাতা ছিড়লে তেঁতুল শাফিরা রাজধানী কাঁৎ করে ফেলতো। এখানেই আওয়ামী লীগের সাথে অন্য দল দুটোর পার্থক্য। এ পার্থক্য জন্মগত। আওয়ামী লীগের জন্মের সাথে এ দেশের মাটি ও মানুষের নাড়ির সম্পর্ক। বলা হয়, জামাত, বি এন পি হারলে একটি দল হারে আর আওয়ামী লীগ হারলে একটি দেশ হারে। কথাটা আসলেই সত্য। তাই তাকে শুধরানোর জন্যেই তার সমালোচনার প্রয়োজন।
মনে পড়ে বিগত বছরগুলোতে আওয়ামী নেতাদের কিছু অতিকথন আর ভন্ডামীর কথা-
‘সীমান্ত নিয়ে আমরা তেমন চিন্তিত নই’ । (আশরাফুল)
জনগন ভাবতেই পারে, কেন আপনারা চিন্তিত হবেন না? আমরা জনগন তো সীমান্ত নিয়ে ভীষন চিন্তিত। অথচ জোট সরকার আমলে সীমান্তের অবস্থা এর চেয়ে আরো বেশী অশান্ত ছিল। তুলনামূলকভাবে তাদের আমলে অনেক বেশী মানুষ মারা গিয়েছিল। কিন্তু আশরাফুলের এই দায়ীত্বহীন কথা পূর্বেকার সরকারের ব্যর্থতা দূর্বলতা চাপা দিয়ে নিজের দলের ব্যর্থতাই শুধু প্রকাশ করে দিল।
‘হেফাজতিরা লেজ গুটিয়ে ঢাকা থেকে পালিয়েছে’।
হেফাজত লেজ গুটিয়ে পালালো, না সকল সিটি নির্বাচনে আপনাদের লেজ কেটে দিল? কী দরকার ছিল এমন কথা বলার? অথচ এই হেফাজতিদেরকে আদরে সোহাগে আপনারাই বড় করেছেন, হেলিকপ্টার শাফিকে মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান বানিয়ে সন্মান দিয়েছেন। অবশ্য এর পেছনের কারণটা মহৎ ছিল। ২০১০ সালে শিক্ষানীতি প্রণয়নের বিরোধীতার লক্ষ্যে গঠিত হেফাজত সরকারের নিয়ন্ত্রাধীন থাকতে চায়নি। তাকে শিক্ষানীতির আওতাধীন রাখার উদ্দেশ্যে একটি কমিটি গঠন করেছিলেন। তারপর সেই কমিটির আর কোন খোঁজ খবর নেই। এই সুযোগে জামাত তার বিষ ইনজেক্ট করেছে হেফাজতের মাথায়। হেফাজতের নিরীহ অবোধ রাজনীতি অসচেতন অল্প বয়সী কিশোর ছাত্রদেরকে সামনে রেখে জামাত শিবির রাজধানী তছনছ করে দিল। সরকার অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কৌশলে লক্ষ লক্ষ হেফাজতের মানুষগুলোকে বাঁচিয়ে নিয়ে ঢাকা শহরকে ধ্বংস থেকে রক্ষা করলো। এই অসাধারণ কাজটির জন্যে সরকার যখন প্রশংসিত হওয়ার কথা, সেখানে এই ভুল মন্তব্যটির কারণে দূর্নাম কুড়িয়ে নিল। হেফাজতের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, গরিবের দোকান-পাট ধ্বংস, হাজার হাজার বৃক্ষনিধন, সর্বোপরি কোরান পুড়ানোর জন্যে যেখানে সাধারণ মানুষের ঘৃণা ধিক্ষার পাওয়ার কথা, সেখানে আশরাফুলের এই ভুল দম্ভ দেখানোর কারণে মানুষ হেফাজতের প্রতি সহানুভুতিশীল হয়ে উঠলো। অত্যাচার না করেও অত্যচারী হলেন কারণ এ ভাষা অত্যাচারী শাসকের ভাষা।
‘মরিচের গুঁড়োয় কারো মৃত্যু আর কচুগাছে ফাঁসি দিয়ে মৃত্যু সমার্থক’।
শুনা গেল, এমপিওভুক্তির আন্দোলনে একজন শিক্ষক পিপার স্প্রে’ আঘাতে মারা গেছেন। শিক্ষক তো মানুষই, নাকি? সরকার কেন বলে-‘গুঁড়ো মরিচের স্প্রে কী করে হত্যা করবে একজন মানুষকে’? কী করে হত্যা করে তা নিজের চোখে স্প্রে মেরে পরীক্ষা করে দেখতেই পারেন। ঘটনা সত্য হউক কিংবা মিথ্যা হউক, মখা আলমগীর কেন বললেন “যখন নৈরাজ্য বন্ধ করার জন্য নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করে তখন তারা ফুলের মালা নিয়ে যাবে না’? পুলিশের হাতে ফুলের মালা থাকেনা তা তো একটা পাগলও বুঝে। জনগনকে পাগল মনে করেছেন? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে সারা দুনিয়াকে কী দম্ভ প্রদর্শন? জনতার ক্ষমতাকে তুচ্ছজ্ঞান করলে এর পরিণাম হয় ভয়াবহ।
‘বিশ্বজিত হত্যাকারীরা ছাত্র লীগের সদস্য নয়’।
এ কথা বলার মা’নেটা কী? ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাইনা?
‘বিরোধী দলকে প্রতিহত করতে ছাত্র লীগকে মাঠে থাকতে হবে’।
তো এখন খুনের দায়ভার নেবেন না কেন? শিবিরের পদাঙ্ক ছাত্র লীগ অনুসরণ করবে কেন?
‘চার হাজার কোটি টাকা বড় কোন টাকা না, হলমার্ককে আরও লোন দিতে হবে’।
নিরংকুশ ক্ষমতার কয় ছিলিম গাজা সেবন করলে একজন মানুষ এমন কথা বলতে পারেন?
‘বেডরুম পাহারা দেয়া আমাদের কাজ নয়’।
তো কার কাজ? ভোটাররা তো মনে করে তাদের একটা কুত্তার ঘর পাহারা দেয়া, একটা বিড়ালের নিরাপত্তা দেয়াও সরকারের কাজ।
‘প্রয়োজনে শারিয়ার আইনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবো। দেশ চলবে মদীনার সনদ অনুযায়ী। আওয়ামী লীগের আমলেই মসজিদ মাদ্রাসার উন্নয়ন হয়েছে জোট সরকারের আমলের চেয়ে অনেক বেশী। ইসলামের সেবা ও উন্নতির জন্যে কেউ কাজ করে থাকলে আওয়ামী লীগই করেছে। আর নামাজ রোজার দিক থেকেও যদি দেখেন, আওয়ামী লীগের লোকজনই বেশী নামাজ রোজা পালন করে। সংসদের মসজিদে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন, বি এন পির কয়জন যায় আর আওয়ামীলীগের কয়জন যায়’।
ল্যাও ঠ্যালা। বাচাইছে আল্লায়, আওয়ামী মহিলাদের নামাজ রোজা, পর্দা-পুশিদা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বয়ান ফরমান নি। মদীনার সনদ আরবীতে পড়েছিলেন না বাংলায়? আমাদের সংবিধান যুদ্ধাপরাধীর বিচার আর দেশ চালনার যোগ্য নয়? বাবু নগরী সমাবেশ করে মানুষকে জানিয়ে দিয়েছেন, শারিয়া আইন আর মদীনার সনদ অনুযায়ী দেশ চালালে প্রথমেই সুরঞ্জিত বাবুর হাত দুটো কেটে ফেলতে হবে। ‘সনদ’ বেশী কে বুঝে, পাবলিক তা ভাল করেই জানে। তাই আপনার কথা ভন্ডামী হিসেবে মানুষ গন্য করে। আপনি যখন নিজেকে তাহাজ্জুদ নামাজী হিসেবে মানুষের কাছে পরিচয় দেন, মানুষ তখন ভাবে ‘ডাল মে কুচ কালা হ্যায়’। কারণ এটা বিজ্ঞাপন দিয়ে পাবলিককে জানানোর কথা নয়। আপনি যখন নামাজে, খালেদা তখন বিউটি পার্লোরে। তারপরও খালেদা ধার্মিক আর আপনি ইসলাম বিদ্বেষী। কারণ খালেদা বেগম নামাজের সময় বিউটি পার্লোরে থাকবেন এটা প্রত্যাশিত কিন্তু ধর্ম নিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী আওয়ামী লীগ নেতা তার দলের ধর্মচর্চা নিয়ে সংসদে সেমিনারে রাস্তায় বয়ান দিবেন তা অপ্রত্যাশিত। সংসদে একটি নির্দিষ্ট ধর্মের বিজ্ঞাপন টাঙ্গানো আওয়ামী লীগের সাজেনা। মানুষ জানে, আওয়ামী লীগ তার দলের নাম থেকে ধর্মের নাম কেটে ফেলেও সারা দেশের মানুষের মন জয় করতে পেরেছিল অনেক পূর্বেই।
গোলাম আজমের রায়ে খুশী বা সন্তুষ্টি ব্যক্ত করার কী প্রয়োজন পড়লো? ট্রাইবুনালের আইনানুযায়ী এই অপরাধের আসামীর দন্ড দানে বয়স বিবেচনায় আসতে পারেনা, তা কি সরকারের আইন বিশেষজ্ঞরা জানেন না? একজন প্রশ্ন রেখেছে, বঙ্গবন্ধুর খুনীদের শাস্তির ব্যাপারে যদি বয়স বিবেচনায় নিয়ে কারো শাস্তি মৃত্যুদন্ড দেয়া না হতো তখন কি আপনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করতেন? দেশী-বিদেশী সীমাহীন চাপ-চক্রান্ত, ষঢ়যন্ত্র, হুমকি ধমকি সাহসের সাথে মোকাবিলা করে, চার বছরের কষ্টের সকল অর্জন হুট করে একটা হেয়ালী মন্তব্য করে কলঙ্কিত করে দিলেন। এ দিকে আবুল বিদায় নিলো মায়ের উপর সতীন তুলে। তাকে ‘দেশপ্রেমিক’ বলার দরকারটা কী?
‘পবিত্র কোরান শরিফে আগুন দিয়ে তারা কী ইসলাম রক্ষা করতে চান? পুরো ঢাকা শহরকে লন্ডভন্ড করে দেয়া হলো, নির্বিচারে গাছ কেটে ফেলা হল। প্রতিটি গাছের পাতা ‘আল্লাহ আল্লাহ’ জিকির করে। কিন্তু হেফাজতরা গাছ কেটে সেই জিকির বন্ধ করে দিল। ইতিমধ্যে গাছ থেকে নতুন করে পাতা গজাচ্ছে। আল্লাহ আমাদের আবার নতুন করে বাঁচার তাগিদ দিয়েছেন। এই গাছের পাতা হেফাজতদের জানান দিচ্ছে তোমরা অন্যায় করেছ। জুলুম করেছ। তোমরা আমাদের ধ্বংস করেছিলে আল্লাহ আমাদের ধ্বংস করেন নি। ৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের সময় রংপুরে শুধু পেটের দায়ে বহু সংখ্যক মহিলা যখন এফিডেবিট করে দেহ ব্যবসা শুরু করলেন, তখন আল্লামা শাফি কোথায় ছিলেন? জিয়া যখন প্রিন্সেস লাকী, জরিনাকে নাচালেন, মদ জুয়ার লাইসেন্স দিলেন, তখন শাফি কেন নিশ্চুপ ছিলেন’? – মতিয়া চৌধুরী।
সংসদকে ইসলামী জলসা বানানোর অধিকার আপনাদেরকে কে দিয়েছে? গাছের পাতার ‘আল্লাহ আল্লাহ জিকির’ আল্লামা শাফি, বাবু নগরীরা শুনলোনা, শুনলেন মতিয়া চৌধুরী। অগ্নিদগ্ধ কোরান দেখে দেশের কোটি কোটি মাদ্রাসার ছাত্র-ওস্তাদ, আলেম-ওলামা শেখ-মাশায়েখ কারো কান্না আসেনা, অশ্রুবারি ঝরে মতিয়ার চোখ থেকে। হেফাজত ভুল করলে জুলুম করলে তা রোধ করার, তাদেরকে জানানোর দায়ীত্ব আপনাদের, সবুজ গাছের পাতার নয়। এই ভান্ডামী ধরার জন্যে অক্ষর জ্ঞান লাগেনা। একটি এলাকার নারীদের বেশ্যা আখ্যা দিয়ে আরেকদল নারীর বৃত্তি-পেশাকে যে অপমান করে চলেছেন, ধর্ম ও ক্ষমতার আফিমাসক্ত মাতাল মতিয়া তা বুঝতেই পারেন নি।
‘নবীজী বলেছেন, তোমরা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করোনা। অথচ আল্লামা শাফি কোরানের অপব্যাখ্যা দিচ্ছেন। এটা ষঢ়যন্ত্র, এ সময়ে নীরব থাকা যায়না’। ( বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী)
তো কী করবেন? ডাক দেন জেহাদের। আল্লামা তেঁতুল শাফিদের সাথে হয়ে যাক আল্লামা আওয়ামী নেতাদের মোবাহিলা পল্টন ময়দানে।
এরপর এডভোকেট তারানা হালিম, ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পি, দিপু মণি, অপু উকিল, মতিয়া চৌধুরী, শেখ হাসিনা, তানিয়া আমীরের ‘ইসলামের প্রথম মুসলিম নারী ও প্রথম শহিদ নারী’ শিরোনামের একই ওয়াজের ভাঙ্গা সিডি বাজতে শুনেছি অনেকবার। এ সব ফাইজলামী ভন্ডামী তাদের অধঃপতনের বড় একটা কারণ।
ওয়াশিংটন টাইমসে বাংলাদেশবিরোধী নিবন্ধ লেখার কারণে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার প্রতি তারই সাবেক উপদেষ্টা ও ‘আমার দেশ’ পত্ররিকা ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মহমুদুর রহমান তীব্র বিষোদগার করেছিলেন। খালেদা জিয়ার লেখায় স্বাধীনতা যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নিয়ে তথ্য বিকৃতি, দেশের বিরুদ্ধে বিদেশীদের হস্তক্ষেপ চাওয়া নিয়ে মাহমুদুর রহমান খালেদা জিয়ার তীব্র সমালোচনা করে বলেছিলেন,
‘বিএনপি নেত্রীর আর জনগণের প্রতি আস্থা নেই। এ লেখার মাধ্যমে তিনি পলিটিক্যালি ডেড হয়ে গেছেন। বিএনপির এখন গলায় দড়ি দেয়ার সময় হয়ে গেছে’। শুভ্র নামে এক সাংবাদিকের সঙ্গে টেলিফোনালাপে মাহমুদুর রহমান বলেন ‘ম্যাডাম একটি চিঠি লিখেছেন। কোথাকার কোন ওয়াশিংটন টাইমসে, ওয়াশিংটন পোস্ট না কিন্তু, যেখানে ম্যাডামের একটা চিঠি ছাপা হইছে। সে (খালেদা জিয়া) চিঠিতে মিনতি করেছেন বাংলাদেশে হস্তক্ষেপের জন্য। ইংল্যান্ডের কাছেও কাকুতি মিনতি করেছেন। আজকে সম্ভবত আওয়ামী লীগ সংবাদ সম্মেলন করবে। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ তো আজ ম্যাডাম ও বিএনপিকে শোওয়াইয়া ফেলবে। আওয়ামী লীগ তো কমই করতাছে। আজ যদি শেখ হাসিনা এভাবে নিবন্ধ লিখত তাহলে আমার পত্রিকায় সাত কলামের হেডলাইন করতাম।’ ম্যাডামের ইংরেজী লেখার দক্ষতার বিষয়ে ওই সাংবাদিকের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে মাহমুদুর রহমান আরো বলেন, ‘যদি আমাদের বলত, আমি ইংরেজীতে অত ভাল না, বাংলা লিখতে পারি। তার পরেও যতটুকু ইংরেজী জানি ওর থেকে ভালো লিখতে পারতাম।‘ম্যাডাম তার ফার্স্ট ত্রি লাইনেই পলিটিক্যালি ডেড হয়ে গেছেন। শি ইজ ডেড। তিনি তো পলিটিক্যালি ডেড হয়ে গেছেন। এখন মনে হয় তাঁর আশেপাশে র’য়ের এজেন্টরাই এটা করেছে। প্রথমে তাঁকে ইন্ডিয়াতে নিয়েছে। সেখানে নিয়ে তাঁকে চুপ করে দিয়েছে। বাকিটা এখন করল। আমি তো এখন খালেদা জিয়ার নিউজই করি না। বরং আওয়ামী লীগ এ বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করলে ছাপিয়ে দেব। আওয়ামী লীগ তো তাকে শোওয়াইয়া ফেলবে।’
আওয়ামী লীগ কি খালেদাকে শোয়াইতে পারলো? পারে নাই। শোয়াইবার প্রয়োজনই বোধ করে নাই। দম্ভ, অহমিকা। তারা মনে করেন আমরা তো ক্ষমতায় থাকছিই।
এবার হিসেবের ওপর পৃষ্ঠা দেখা যাক।
১) প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয় বেড়ে ৫ বছরে দ্বিগুণ হয়েছে। আর অর্থনীতির এ দুই সূচকের ওপর ভর করে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বেড়েছে আড়াই গুণ অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই তিন সূচকই দেশের অর্থনীতির ভিত মজবুত রেখেছে। গত পাঁচ বছরে গড়ে ৬ শতাংশের উপরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনেও রেমিটেন্স, রপ্তানি আয় ও রিজার্ভ বিশেষ অবদান রেখেছে। (বিডি নিউজ ডট কম)
২) এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) মনে করছে, চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৩ শতাংশ হতে পারে যা বিদায়ী বছরে ছিল ৬ শতাংশ। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও শক্ত অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও সরকারের নেওয়া নানা প্রণোদনাগুচ্ছের কারণে বাংলাদেশ স্থিতিশীল এই প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে বলে এডিবি মনে করছে। (প্রথম আলো)
৩ ) আইএমএফ প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসের দিক দিয়ে বিশ্বের ১৫০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৫তম।” পূর্বাভাস অনুযায়ী এবার ভারত ৬ শতাংশ, পাকিস্তান ৩ দশমিক ৩ শতাংশ, শ্রীলংকা ৬ দশমিক ৭ শতাংশ, নেপাল ৩ দশমিক ৬ শতাংশ, মালয়েশিয়া ৪ দশমিক ৭ শতাংশ, ভিয়েতনাম ৫ দশমিক ৯ শতাংশ, ও চীন ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে। এর আগে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ৬ শতাংশ এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ৬ দশমিক ১ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয় বাংলাদেশের জন্য। (বাংলা নিউজ ২৪)
৪ ) মহাজোট সরকারের চার বছরের বড় সাফল্য হলো জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনে ধারাবাহিতা। সরকার বাজেট ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শেষ অর্থবছরেও ছয় শতাংশের ওপর জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনে সমর্থ হয়েছে। সেই সঙ্গে এই চার বছরে দেশের মানুষের আয় দুই শ’ ডলারেরও বেশি বাড়াতে সমর্থ হয়েছে। (জনকণ্ঠ)
৫) মাথাপিছু আয় ১৯৭৩ সালে ৯০ মার্কিন ডলার থেকে ২০১১তে ৭৪৮ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। মাথাপিছু ক্রয়ক্ষমতা দিয়ে দেখলে দেখা যায়, ১৯৮০ এবং ২০১০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের মাথাপিছু ক্রয়ক্ষমতা দ্বিগুণ হয়েছে, যা ৬৭৭ থেকে ১ হাজার ৪৮৮ ডলার হয়েছে। মধ্যম আয়ের দেশেও ওই সময়ে মাথাপিছু ক্রয়ক্ষমতা দ্বিগুণ হয়েছে। (সমকাল)
৭) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১০ সালের খানা জরিপ অনুযায়ী, দারিদ্র্য হার কমে ৩১ দশমিক ৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। দারিদ্র্য হার কমার গতি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দ্রুততর হয়েছে। যেমন ১৯৯১-৯২ এবং ২০০৫ সালে দারিদ্র্য হার কমেছে বছরে গড়ে ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ হারে; ২০০৫ এবং ২০১০-এর সময়কালে কমেছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ হারে। আর ১৯৯১-৯২ এবং ২০১০ এই পুরো সময়কালে দারিদ্র্য কমার হার ছিল গড়ে বছরে ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। চীন ও ভারতের পরে বাংলাদেশই দারিদ্র্য দূরীকরণে এতখানি অর্জন করতে পেরেছে। (সমকাল)
৮ ) বিশ্বব্যাংক মনে করে, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের পক্ষে মধ্য আয়ের দেশে উত্তরণ সম্ভব। লন্ডনের দৈনিক পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ান অর্থনীতিবিদ ও গবেষকদের মতামত নিয়ে লিখেছে, বাংলাদেশ ২০৫০ সালে পশ্চিমা বিশ্বকে ছাড়িয়ে যাবে। (প্রথম আলো)
৯) অর্থবছরে (২০১২-১৩) রফতানি আয়ের আগের অর্থবছরের (২০১১-১২) তুলনায় এ আয় ১১ দশমিক ১৮ শতাংশ বেশি। (সমকাল)
১০) ৪০ বছর আগে দেশে ১ কোটি টন খাদ্যশস্য উৎপাদন হতো। বর্তমানে দেশে খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টন। চার দশকে খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে প্রায় সাড়ে তিন গুণ। কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের জিডিপিতে এ খাতের অবদান ২০ শতাংশ। ৪০ বছরে মাথাপিছু আয় বেড়েছে নয় গুণেরও বেশি। এ সময় জিএনআই ৯০ ডলার থেকে ৮১৮ ডলারে উন্নীত হয়েছে। ক্রয় মক্ষমতার ভিত্তিতে জিএনআই ১ হাজার ৭০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। রেমিটেন্স আয়ের দিক দিয়ে বিশ্বের ষষ্ঠ স্থান বাংলাদেশ। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১১ বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। (জনকণ্ঠ)
(কৃতজ্ঞতা-প্রীতম, আমার ব্লগ)
রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা গ্রেফতার হয়েছে। সরকার দলীয় হওয়া সত্বেও সরকার তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করেছে। অথচ ২০০৫ সালে এমভি কোকো নামে লঞ্চ ডুবে যাওয়ায় অনেক লোকের সলিল সমাধি হয়েছিল। কিন্তু কোকোকে গ্রেফতার কি করা হয়েছিল? বিশ্বজিতের হত্যাকারীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ছাত্রলীগের নাম আর পদবী নিয়েও তাদের শেষ রক্ষা হয় নি। সরকার তাদের আইনের হাতে সোপর্দ করেছে। লিমনের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো সরকার তুলে নিয়েছে। সাংবাদিক পেটানোর মামলায় আওয়ামী সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি কারাগারে। তবে এ সমস্ত উচিৎ কাজগুলো সময় মত করা হলোনা কেন? আওয়ামী লীগ শাসনামলে যুবলীগ ছাত্রলীগের চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী, হল দখলদারী, মারাত্বক আকার ধারণ করে তা অস্বীকার করার উপায় নেই। দূর্বল যুক্তি দেয়া হয়, কলেজ ইউনিভার্সিটি সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিবিরের সীমাহীন দৌ্রাত্ব্য, ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি প্রতিহত করতে ছাত্রলীগের প্রয়োজন। আমি সেটা মনে করিনা। জামাত, বি এন পি’র ক্যাডারের প্রয়োজন আছে আওয়ামী লীগের থাকতে পারেনা। সশস্ত্র বিপ্লব, সহিংস আন্দোলন নয়, অহিংস গনতান্ত্রীক আন্দোলনের মাধ্যমে স্বাধিকার কী ভাবে আদায় করে নেয়া যায় অতীতে আওয়ামী লীগ এর প্রমাণ দেখিয়েছে। আজ সেই আওয়ামী লীগ তার মূল আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছে, তাই তার ক্যাডারের প্রয়োজন পড়ে। ছাত্রলীগ যুবলীগের সকল অপকর্মের দায়ভার অবশ্যই আওয়ামী লীগের। শিবিরকে দমন করা সরকারের দায়ীত্ব ছাত্রলীগের নয়। এ ব্যাপারে সাংসদ মন্ত্রীদের প্রশ্ন করেছি অনেকবার, সদুত্তর পাই নি বরং বলেছেন ওরাও তো তেমন করে। আর আমি বারবার বলি, তুমি অধম বলে আমি উত্তম হবোনা কেন?
জামাত, বি এন পি’র বেঁচে থাকা সহিংসতা, মিথ্যাচার, প্রোপাগান্ডা, খুন, সন্ত্রাসের উপর নির্ভরশীল। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্যে বিরোদ্ধমতের রাজনৈতিক দলের নেতাদের, মুক্তিযোদ্ধাদের খুন করা মেজর জিয়ার প্রয়োজন ছিল শেখ মুজিবের নয়। এ পর্যায়ে এসে জামাত, তাদের সহযোগী সংগঠন ও সন্ত্রাসী শিবিরের আমলনামাখানা সংক্ষেপে পড়া যাক।
১৯৮১ সাল থেকে এ পর্যন্ত শিবিরের হাতে চট্টগ্রাম, ঢাকা, রাজশাহী, সিলেট বিশ্ববিদ্যালয়ে কতজন ছাত্রলীগ কর্মী খুন হয়েছে তার পূর্ণ হিসেব হয়তো আর পাওয়া যাবেনা।
১৯ ৮১- শিবির ক্যাডাররা চট্টগ্রাম সিটি কলেজের নির্বাচিত এজিএস ছাত্রলীগ নেতা তবারক হুসেনকে কলেজ ক্যাম্পাসেই কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছিল। কিরিচের এলোপাতাড়ি কোপে মুমূর্ষ তবারক যখন পানি পানি করে কাতরাচ্ছিল তখন এক শিবির কর্মী তার মুখে পেশাব করেছিল। সেই থেকে এমন কোন বৎসর নেই যে শিবিরের পান্ডারা কলেজ ইউনিভার্সিটিতে ছাত্র শিক্ষক খুন করেনি।
১৯৮২- চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ৩ বাস বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে এসে শিবির ক্যাডাররা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্রদের উপর হামলা চালায়। এই সহিংস ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
১৯৮৪- চট্টগ্রাম কলেজের সোহরাওয়ার্দী হলের ১৫ নম্বর কক্ষে শিবিরেরকর্মীরা ছাত্র ইউনিয়ন নেতা ও মেধাবী ছাত্র শাহাদাত হোসেনকে জবাই করে হত্যা করে।
১৯৮৬- শিবির ডান হাতের কবজি কেটে নেয় জাতীয় ছাত্র সমাজের নেতা আবদুল হামিদের। পরবর্তীতে ঐ কর্তিত হাত বর্ষার ফলায় গেঁথে তারা উল্লাস প্রকাশ করে।
১৯৮৮- চাঁপাইনবাবগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জাসদ নেতা জালালকে তার নিজ বাড়ীর সামনে কুপিয়ে হত্যা করে শিবির ক্যাডাররা।
১৯৮৮- সিলেটে শিবির ক্যাডাররা মুনীর, জুয়েল ও তপনকে বর্বরভাবে হত্যা করে।
১৯৮৮- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মোঃ ইউনুসের বাসভবনে ছাত্র শিবির বোমা হামলা করে। এতে অধ্যাপক ইউনুস বেঁচে গেলেও তার বাড়ীর কর্মচারী আহত হয়।
১৯৮৯- নজরুল ইসলাম মিলনায়তনের সামনে সন্ধ্যায় জাসদ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর শিবিরের বোমা হামলায় বাবু, রফিক সহ ১০ জন আহত হয়।
১৯৯০- ছাত্রমৈত্রীর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ সভাপতি ফারুকুজ্জামানকে শিবিরের ক্যাডাররা জবেহ করে হত্যা করে।
১৯৯২- শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনে হরতাল কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে জাসদের মিছিল চলাকালে শিবিরের সশস্ত্র হামলায় সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে জাসদ নেতা মুকিম মারাত্মক আহত হন এবং ২৪ জুন তিনি মারা যান।
১৯৯৩- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালালে ছাত্রদল ও সাবেক ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ মিলে গঠিত সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের ওপর শিবিরের হামলায় ছাত্রদল নেতা বিশ্বজিৎ, সাধারণ ছাত্র নতুন এবং ছাত্র ইউনিয়নের তপন সহ ৫ জন ছাত্র নিহত হয়।
১৯৯৪- পরীক্ষা দিতে আসার পথে তৃতীয় বিজ্ঞান ভবনের সামনের রাস্তায় ছাত্রমৈত্রী নেতা প্রদুৎ রুদ্র চৈতীর হাতের কব্জি কেটে নেয় শিবির কমীরা।
১৯৯৫- জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতা-কমীদের ওপর সশস্ত্র শিবির কমীরা হামলা করে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছাত্রনেতা ফরহাদের হাতের কব্জি কেটে নেয়। এ হামলায় প্রায় ২৫ জন ছাত্রদল নেতা-কমীর হাত পায়ের রগ কেটে নেয় শিবির ক্যাডাররা।
১৯৯৬- জাসাস রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ আমানকে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করে এবং ছাত্রদল নেতা ডুপ্লের হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়। এদের বাঁচাতে এসে দুইজন সহপাঠি ছাত্রী এবং একজন শিক্ষকও আহত হয়।
১৯৯৭- চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট দখল করার জন্য শিবির ক্যাডাররা ছাত্র সংসদের ভিপি মোহাম্মদ জমির ও কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফরিদউদ্দিন আহমদকে গুলি করার পর পায়ের রগ কেটে হত্যা করে।
১৯৯৮- শিক্ষক সমিতির মিটিং থেকে ফেরার পথে রাবি শহীদ মিনারের সামনে অধ্যাপক মোঃ ইউনুসের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায় ছাত্র শিবির। ছাত্র-কর্মচারীদের প্রতিরোধে অধ্যাপক ইউনুস প্রাণে বেঁচে গেলেও মারাত্মক আহত হন তিনি।
১৯৯৯- রাবিতে অবস্থিত ৭১ এর গণকবরে স্মৃতিসৌধ নির্মানের জন্য স্থাপিত ভিত্তি প্রস্তর রাতের আঁধারে ছাত্র শিবির ভাঙ্গতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মচারী বাধা দেন। ফলে শিবির ক্যাডাররা তাকে কুপিয়ে আহত করে এবং ভিত্তিপ্রস্তর ভেঙ্গে ফেলে।
২০০০- চট্টগ্রামের বদ্দরহাটে শিবির ক্যাডাররা মাইক্রোবাসের মধ্যে থাকা ৮ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে প্রকাশ্য দিবালোকে ব্রাশফায়ার করে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
২০০১- রাবি ছাত্রী হলে বহিরাগত অনুপ্রবেশকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত ছাত্রী বিক্ষোভে সশস্ত্র ছাত্র শিবির কমীরা কমাণ্ডো হামলা চালায় এবং ছাত্রীদেরকে লাঞ্ছিত ও রক্তাক্ত করে।
২০০২- রাবি সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নেতা সুশান্ত সিনহাকে প্রকাশ্য দিবালোকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দেয় শিবির কর্মীরা।
২০০২- হাওয়া ভবনের খুনীরা খুন করে প্রকৌশলী শফিক উল মাওলা টিপুকে।
২০০৪- অধ্যাপক মোঃ ইউনুসকে ফজরের নামাজ পড়তে যাবার সময় কুপিয়ে হত্যা করা হয়। যদিও এই হত্যা মামলায় জেএমবির দুইজন সদস্যকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। তারপরও এলাকাবাসী অনেকেরই মতামত হচ্ছে ছাত্র শিবিরের ক্যাডাররাই তাকে হত্যা করেছে। উল্লেখ্য, ১৯৮৮ ও ১৯৯৮ সালে দুই দফায় ছাত্র শিবির তাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল।
২০০৪ সালের ২০ মে, জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ জেএমবির সশস্ত্র জঙ্গীরা নওগাঁ জেলার রানীনগর উপজেলার সিম্বা গ্রামের ইদ্রিস আলী ওরফে খেজুর আলী ও আব্দুল কাইয়ুম বাদশাকে নৃশংস ভাবে হত্যা করে। খুনীরা হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, বাদশার মরদেহ উল্টো করে গাছে ঝুলিয়ে রাখে আর খেজুর আলীকে টুকরো টুকরো করে রানীনগরের ভেটি জেএমবির ক্যাম্পে মাটিতে পুতে রাখে।
২০০৪- বরিশালের বাবুগঞ্জের আগরপুর ইউনিয়নের ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি শামীম আহমেদকে শিবির ক্যাডাররা হত্যা করে।
২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারী একুশে বই মেলা থেকে ঘরে ফেরার পথে ডঃ হুমায়ুন আযাদের উপর বর্বরোচিত হামলা চালায় জোট সরকারের পোষা জামাতুল মুজাহিদীন ও হরকাতুল জিহাদ নামের ইসলামী জঙ্গীরা। চাপাতি’র আঘাতে রক্তাক্ত হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক! দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে’র একজন শিক্ষকের উপর এমন আক্রমন জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জা’র।
২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সারা দেশে সন্ত্রাসী গ্রেনেড-বোমা হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে সুপরিকল্পিত ও ঘৃন্য গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বীভৎসময় মৃত্যুপুরীতে পরিনত করেছিল। এই পৈশাচিক হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভী রহমান সহ চব্বিশ জন। আর আহত হয়েছিলেন প্রায় ৪০০ নেতা কর্মী।
২০০৫- সন্ধ্যায় জুবেরী ভবনের সামনে রাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি এস এম চন্দনের ওপর হামলা চালিয়ে তার রগ কেটে নেয়ার চেষ্টা চালায় শিবির ক্যাডাররা।
২০০৫ সালের ১৭ আগষ্ট সারা দেশের ৬৩ জেলার ৫শ স্থানে প্রায় একই সময়ে বোমা হামলা চালায় জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ বা জেএমবি। এই হামলায় মারা যান ২ জন, আহত হয় প্রায় শতাধিক। দেশ বিদেশে আলোচিত এই বোমা হামলার পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন স্থানে জেএমবির আত্মঘাতি বোমা হামলায় বিচারক আইনজীবি পুলিশসহ নিহত হন ৩৩ জন।
২০০৬- বিশ্ববিদ্যালয়ের জামাতপন্থী শিক্ষক মহিউদ্দিন এবং রাবি ছাত্র শিবির সভাপতি মাহবুব আলম সালেহীন সহ আরো দুইজন শিবির ক্যাডার মিলে একযোগে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে রাবির ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আবু তাহেরকে হত্যা করে।
২০০৬- রাবিতে অনুষ্ঠিত সেকুলারিজম ও শিক্ষা শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য দেয়ার অপরাধে অধ্যাপক হাসান আজিজুল হককে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে শিবির। প্রকাশ্য সমাবেশে তারা অধ্যাপক হাসান আজিজুল হকের গলা কেটে বঙ্গোপসাগরে ভাসিয়ে দেয়ার ঘোষণা দেয়।
২০১০-রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেনকে হত্যা করে ম্যানহোলের মধ্যে ফেলে রাখে শিবিরের ক্যাডাররা।
ফেব্রুয়ারি ২০১৩, ইসলামী ছাত্রশিবিরের খুনীরা গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
এ সবই আজ ইতিহাস কিন্তু বিশ্বজিৎ হত্যা মানুষের চোখে চোখে। এর কারণ আওয়ামী লীগের প্রচারণার অভাব। এটাও আওয়ামী লীগের ইমেজ সংকটের একটি কারণ। সে নিজের সফলতা যেমন ভালভাবে প্রচার করতে পারেনা তেমনি অন্য দলের ব্যর্থতাও জনসমক্ষে তুলে ধরতে জানেনা। জামাত বি এন পি’র মিথ্যা ও প্রোপাগান্ডার দুষ্ট রাজনীতির খেলায় আওয়ামী লীগ এক অসম খেলোয়াড়। সুচতুর মাহমুদুর রহমান, তার আমার দেশ পত্রিকা ও বাঁশের কেল্লা ব্লগের নোংরা অপপ্রচারের বিপরীতে আওয়ামী লীগের কোন প্রচারসেল নেই, কোন কার্যকরী প্রতিরোধ নেই। তাদের প্রচার সেল বলতে আসলেই বোধ হয় কিছু নেই। ধর্মের নামে সারা দেশ জুড়ে যখন অধর্ম চলছে আওয়ামী লীগ তখন নিজের মুসলমানিত্ব প্রমাণে ব্যস্ত। রোম যখন পুড়ে নিরো তখন বাঁশি বাজায়। প্রচারণার অভাবেই আওয়ামী লীগের সাফল্যগুলো মানুষের নজর এড়িয়ে যায়, এবং বিরোধী শিবিরের ব্যাপক প্রচারণার ফলে আওয়ামী লীগের ইমেজ নষ্ট হয়। যে দেশের শতশত মানুষকে রাত প্রভাতে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলে ‘আকাশের চাঁদে সাঈদীকে দেখা গেছে’ বিশ্বাস করানো যায়, সেই সকল মানুষকে অবহেলা করে, তাদের থেকে দূরে থেকে, জনবিচ্ছিন্ন হয়ে নির্বাচনে জয়ী হওয়া সম্ভব নয়। প্রতিনিয়ত নিজ দলের কঠোর সমালোচনা করা দেখে আমার সহকর্মী বন্ধুরা মাঝেমাঝে আমাকে প্রশ্ন করেন, তাহলে আমি কেন আওয়ামীলীগ সমর্থন করি। আমি বলি বঙ্গবন্ধুর প্রতিষ্ঠিত, স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী, ধর্মনিরপেক্ষবাদী আর অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগ সমর্থন করি। বাংলাদেশে এর বিকল্প বৃহৎ কোন দল এখন পর্যন্ত গড়ে ওঠেনি তাই আওয়ামী লীগকে ঘিরে এখনও সপ্ন দেখি।
এই বিপর্যয়, এই দূরবস্থা থেকে উত্তরণে আওয়ামী লীগকে কী করতে হবে ? কাঙ্গালের কথা হয়তো কেউ কানে তুলবেনা, তবে কথাগুলো বাসী হলে ফলতেও পারে। উত্তরণের চাবি কাঠিটা আছে শেখ হাসিনার হাতে-
– নিরংকুশ ক্ষমতার দম্ভ, অহংকার ত্যাগ করে জনগনের কাছে পৌছুতে হবে।
– অসম্পূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন না হওয়ার যৌক্তিক ব্যাখ্যা দিতে হবে।
– বিরোধী দলের সকল অপপ্রচার, মিথ্যাচার, প্রোপাগান্ডার জবাব সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে।
– নিজেকে ধার্মিক পরিচয় দেয়ার কালচার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
– ডঃ ইউনুস উপাখ্যান নির্বাচনী প্রচারণায় দূর রাখতে হবে।
– গ্যাস-বিদ্যুত উৎপাদনের অগ্রগতি বিগত সরকারের সাথে তুলনামূলক ব্যবধান জনসমক্ষে তুলে ধরতে হবে।
– চার পাশে ঘিরে থাকা চাটুকারদের ঝেটিয়ে বিদায় করতে হবে।
– অযথা অকারণে বঙ্গবন্ধুর গুনগান করা, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কপচানো বন্ধ করতে হবে।
আওয়ামী লীগ ছাড়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এই দেশে আর কেউ করবেনা বা করতে পারবেনা, তা আওয়ামী লীগের জনমশত্রুরাও স্বীকার করবে। আওয়ামী লীগ নেই মা’নেই তো হাওয়া ভবন, ছেড়া গেঞ্জি ভাঙ্গা সুটকেসের ঔরসে যুবরাজ। তারেক, ফালু, মামুন, সাকার ইতরামী। হিংস্র লাল চক্ষুর বাংলা ভাই, মুফতি হান্নান, শায়েখ আব্দুর রহমান। জে এম বি, হরকাতুল জিহাদ, ১৭ আগষ্ট, ২১ আগষ্ট, বাবর, মুজাহিদ, জজ মিয়া নাটক, মাজারে, আদালতে, সিনেমা হলে বোমা। চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরে অনেকেই আগামী সাধারণ নির্বাচনে সিট গণনা করে বলে দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের অবস্থান। কেউ বলছেন ত্রিশ আর কেউ বলছেন তিন। কেউ কেউ আরেকটু আগ বাড়িয়ে এমনও মন্তব্য করছেন যে, গোপালগঞ্জের সিটটাও এবার গেল। অনেকেই দাবী করছেন, তারা আওয়ামী লীগের বিদায় ঘণ্টাধ্বনি স্পষ্টই শুনতে পাচ্ছেন। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, অমুসলিম অবাঙ্গালী সম্প্রদায়, পাহাড়ের আদিবাসিদের মানসপটে জোটসরকারের শাসনামলের নৃশংস বিভৎস চিত্রগুলো আবার ভেসে ওঠতে শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালে যুদ্ধাপরাধীদের বিরোদ্ধে সাক্ষী দাতাগণ তাদের প্রাণের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবিত হচ্ছেন। আজ যারা মানবতা বিরোধী জঘন্য অপরাধের জন্যে দন্ডিত হচ্ছেন, শাস্তি পাচ্ছেন, কাল তারা হয়তো সেই বিচারক, সেই যুদ্ধাপরাধী বিচারের দাবী উত্তোলনকারীদেকেই ফাঁসি কাষ্ঠে ঝুলিয়ে দিবে। তাই আজ সঙ্গত কারণেই শঙ্কিত হই, তবে কি ফিরে আসছে সেই ভয়াবহ দিনগুলো?
আকাশ মালিক
ইংল্যান্ড, জুলাই ২০১৩।
আকাশ মালিক, এইবার মনে হয় দিনগুলো আরো ভয়াবহ ভাবে ফিরে আসবে।বি এন পি জামাতের সাথে যদি হেফাজত যোগ হয় তবে, “আমরা হচ্ছি তালেবান, বাংলা হবে আফগান” এই স্লোগানটি বাস্তবে রুপ নিতে আপনি নিজের জীবদ্দশাতেই দেখে যাবেন।
আর আপনাদের পরের প্রজন্ম হিসাবে আমরা সেই শরিয়ার সুফল(!?) ভোগ করব।
@অর্ফিউস,
আসুক, দেশের ৯০% মানুষ মুসলমান নাকি কোরানকে তাদের সংবিধান, পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা হিসেবে মানে। তো তাই হউক। আওয়ামী লীগের যারা ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করেন না, যারা বিশ্বাস করেন জামাত ছাড়া অন্য কোন ইসলামী দল বা অন্য কোন আলেম ওলামা মাদ্রাসার ছাত্ররা মুক্তিযুদ্ধের বিরোদ্ধে অস্ত্র ধারণ করে নাই, তাদের উচিৎ বাংলাদেশে ইসলামী হুকুমত কায়েক করার জন্যে হেফাজতে যোগদান করা। যুদ্ধাপরাধী শুধুই কি জামাত? মসজিদে (ইংল্যান্ডে) জুনায়েদ হাবিবি শাপলা চত্বরে গণহত্যার বয়ান দিল, আওয়ামী লীগাররা তার হাতে তুলে দেয় হাজার হাজার পাউন্ড লিল্লাহ। আমি বহুবার আমার অনেক লেখায় দেখিয়েছি বর্তমান আওয়ামী লীগ আর অন্যান্য ইসলামী সাম্প্রদায়ীক দলগুলোর মধ্যে পার্থক্য খুবই কম। সাতক্ষীরা আগুনে পোড়াতে, রামু ধ্বংসে আওয়ামী লীগের মানুষ ছিলনা? খোঁজ নিয়ে দেখুন নতুন নতুন মসজিদ মাদ্রাসা তৈ্রীতে কোন্ দলের মানুষের অবদান বেশী। মোল্লারা এই দেশকে আফগান বানাতে চায় “আমরা হচ্ছি তালেবান, বাংলা হবে আফগান” এই স্লোগান দিয়ে ভায়োলেন্সের মাধ্যমে, আর আওয়ামী লীগ একই কাজ করছে নীরবে নিশ্চুপে ভায়োলেন্স ছাড়া। রাজনৈতিক ইসলাম যে দেশের রাজনীতিবিদদের মাথায় ঢুকেছে সে দেশের চুড়ান্ত ধ্বংস ছাড়া গতি নাই।
@আকাশ মালিক,
সেটা ঠিক!
দেখেন আমার জানামতে প্রকাশ্য শত্রুর চেয়ে নাকি গোপন শত্রু ভয়ানক বেশি।তবে কি ধরে নেব যে আওয়ামী লীগ গোপন শত্রু?তাহলে তো ভাবনার বিষয়! :-s
রাজনৈতিক ইসলাম অবশ্যই খুব বাজে জিনিস কিন্তু সব দল যদি এর সমর্থন করতে থাকে তাহলে কি সত্যি শেষ নাকি?কিছু আশার বানী শুনান নারে ভাই, ভয় দেখানর পরিবর্তে।
বাংলাদেশে এখনো অনেক মানুষ আছে যারা রাজনৈতিক ইসলামের নিষ্পেষণ কে ভয় পায় আর বেশিরভাগ মডারেট রা ধর্মের ত্রুটি গুলো বুঝতে না পেরে তালগোল পাকিয়ে ফেলে।মগজ ধোলাই হলে যা হয় আর কি!
কিন্তু এই মডারেটরাই একদিন বেশি ভুগবে।এরাই আজ না বুঝে হেফাজত কে সমর্থন দিচ্ছে। পরে এরাই হেফাজতীদের কোপানলে পড়বে, কারন এরা না পারবে রাজনৈতিক ইসলামকে আঁকড়ে ধরে ধর্মটির মান্ধাতা আমলের রীতিনীতি মেনে চলতে, না পারবে ধর্ম সংস্কারের পক্ষে কথা বলতে, দোযখের ভয়ে!বেশ ভাল যন্ত্রনা হল দেখছি। শাহবাগ কে নিয়ে যা স্বপ্ন দেখলাম এখন দেখি পরিবর্তিত আওয়ামী রুপে এক দুঃস্বপ্নে পরিনত হয়েছে!! (H)
@অর্ফিউস,
খুব দুঃখে অভিমানে কথাগুলো বলেছি ভাই। আমি ওদের ভেতরে বাস করি তো, দেখেছি এরা কেমন। সবাই না তবে অনেকেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ধর্মনিরপেক্ষতা বুঝেও না মানেও না। আওয়ামী লীগ সদস্য যখন বলে- ‘একজন মুসলমান হিসেবে বাংলাদেশে আল্লাহর আইন কায়েম হউক আমিও চাই, চাইনা বললে আমার ঈমান থাকবেনা’। তখন বুঝাই যায় এদের রাজনীতির ঠিকানা। আওয়ামী লীগ যদি আমাদের সংবিধানকে কোরান হাদিস দিয়ে ব্যাখ্যা করে তাহলে এ দুঃখ কার কাছে বলি? তেঁতুল শাফির একটা ভিডিও প্রকাশ হওয়ায় কত লক্ষ লক্ষ শাফিভক্তরা তাকে মুখ ভরে গালি দিচ্ছে, তাকে আর বিশ্বাস করেনা, তা আওয়ামী লীগ না জানলেও আমরা জানি। কই গেল তার আল্লাহ বিশ্বাস, ঈমান আক্কিদা? বেইমানটা অস্বীকার করলো ঐ ওয়াজ সে করে নাই। তার ভক্তরা তড়িঘড়ি করে ইউ টুব থেকে ওয়াজ সরিয়ে ফেললো। এতটুকু সৎ সাহস নাই তার, যে কথা বলেছে তা স্বীকার করার। আওয়ামী লীগ কী করেছে তার ব্যাপারে, যার কথায় যার নির্দেশে রাজধানী তছনছ হলো?
এবার যদি জামাত বি এন পি ক্ষমতায় আসে তাহলে আল্লাহ না করুক, শেখ পরিবারের জন্যে আরেকটা ১৫ ও ২১ আগষ্ট আর আওয়ামী লীগের জন্যে আরেকটা কারবালা অপেক্ষা করছে। হেফাজতের বিড়ালরা হবে বাঘ আর ছাত্রলীগ যুবলীগের কুত্তারা হবে শেয়াল। একই কথা বারবার বলছি আবারও বলছি, মানুষ ধর্ম ছাড়া বাঁচে ভাত ছাড়া বাঁচেনা। মানুষ আওয়ামী লীগের কাছে ভাত আর জানের নিরাপত্তার গ্যারান্টি চায়, ধর্ম নয় এই কথাটা উপরে বসা, মগজ পচা কিছু ভোদাই বুঝেই না। এখন একমাত্র ভরসা জয়। তবে তিনিও যদি ইসলামকে রাজনীতিতে টানাটানি করেন, কিংবা মগজ পচারা তাকে যদি প্রভাবিত করে তাহলে পরাজয় নিশ্চিত। নিচের লেখাটি পড়ুন।
শোক বার্তা নেবেন কিনা সিদ্ধান্ত নিন
@আকাশ মালিক,
বলেন কি। সেদিক দিয়ে আমি ভাগ্যবান যে এখন কোন আওয়ামী সমর্থকদের কাছথেকে এমন কিছু শুনি নাই, যদিও এদের মসজিদে যাবার হারটা অনেক বেড়ে গেছে;সম্ভবত নিজেদের সাচ্চা মুমিন প্রমানের দায়ে নাকি কিসের জন্য এরাই ভাল জানে।
সবচেয়ে দুঃখ লেগেছে শেখ হাসিনার বক্তব্য টা। দরকার হলে উনি নাকি শরিয়া আইনে বিচার করবেন।এই মহিলা কি আসলেই মাথা মোটা নাকি মাথা মোটার ভং ধরেন জানি না। জাক শরিয়া আইনে তিনি যদি কারো বিচার করেন তবে তো নিজের বিচার আগে করা দরকার, যেহেতু ইসলামে নারী নেতৃত্ব হারাম।
আসলে বাংলাদেশের মানুষ ধন্ধে আছে। এদের শ্যাম রাখি না কুল রাখি অবস্থা।দাড়িওয়ালা লোক দেখলেই পাগল হয়ে যায়।আর যদি সেই দাঁড়িওয়ালা কোন ইসলামের ওয়াজ সজুরু করে তবে তো কথাই নেই, একেবারে পারলে পায়ে চুম্মা দিয়ে আসে।
কিন্তু পরে এইসব তেঁতুল তত্ব শোনার পরে কেন গালি দেয় জানেন?কারন তখন এদের মধ্যে মাতা পিতার স্বত্বাতা জেগে উঠে।বাংলাদেশীরা যতই ধর্ম নিয়ে চিল্লাফাল্লা করুক না কেন ধর্মের নাকে নিজের মেয়ে কে অপ্রেশনটা এখনো মানতে পারে না, মানতে আরো মেলা সময় লাগবে।
তেঁতুল তত্ব মানতে গেলে তো ধার্মিকদের মেয়ে সন্তানদের লেখাপড়া নষ্ট হয়ে যায় ফলশ্রুতিতে তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। কাজেই জনগণ যাওতই ধর্ম জরে আক্রান্ত থাকে, খেপে যাবেই।
এই বেঈমানরা দক্ষ নাবিক। এরা বাতাসের গতি বুঝে জাহাজ চালাতে আপনার আমার চেয়ে অনেক পারঙ্গম। কাজেই
এটাই স্বাভাবিক নয়কি যে ওয়াজ শরিয়ে ফেলা হবে, যেন বাংলার মানুষ সব ভুলে যায়? বুঝেন না কেন যে এ দেশের মানুষ কোনকিছু বেশিদিন মনে রাখে না।কাজেই শাফি হুজুর তার হারানো সম্মান ফিরে পেতেই এই প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে।
দেখবেন কিছুদিন পর তারাই তেঁতুল তত্ব কে অস্বীকার করবে আজ যারা এইটার জন্যে শাফি কে গালি দিচ্ছে;যেমনটা মুক্তি যুদ্ধে রাজাকার দের কর্মকান্ড কে আজকাল অনেকেই তেমন মারাত্বক কিছু ছিল না বলেই আখ্যায়িত করার চেষ্টা করে।
এই দিন আসার পর দেখবেন, আবার শাফি হুজুর তার হারানো মর্যাদা ফিরে পেয়ে ফর্মে আসেন এবং একদিন ক্ষমতায়ও চলে আসতে পারেন। তখন শুরু হবে আসল তালেবান শাসন।
এই ব্যাটা কি আসলেই সৎ মানুষ যে তার সৎ সাহস থাকবে?আপনি এই হারামজাদার কাছ থেকে সৎ সাহস আশা করেন কিভাবে সেইটাই আমি বুঝি না।
সাঈদির ফাঁসীর রায়ের পরে জামাত কি করেছিল সারাদেশে মনে নেই?তান্ডবের নারকীয়তার পাশা পাশি,জাতীয় পতাকাকে পায়ে পেষা মনে আছেতো? তখন লীগ করেছিল কি?কাজেই শাফির ব্যাপারে কিছু করবে না এটাই কি স্বাভাবিক নয়?
আওয়ামী লীগ মেলাদিন ধরেই ধর্মের গাধার উপর সওয়ার হয়ে আছে যার ফর শুভ হতে পারে না। কোনদিন।
ধর্ম নিরপেক্ষ নীতি আঁকড়ে ধরে রাখার সৎ সাহসটা ধরে রাখতে পারলেই ভাল হত। এমনিতেই ক্ষমতার পালাবদল এই দেশে রীতি হয়ে গেছে।কাজেই আওয়ামী লীগের এই দুই নৌকায় পা দেয়াটা আমার ভাল ঠেকছে না। মনে হয় হিতে বিপরীত হবে।দেখেন আগামীতে পর পর ২বার বি এন পি ক্ষমতায় যদি এসে যায়, তবে সেটা লীগের এই কাঁচা কাজের জন্যেই আসবে।না হলে একবারই আসত।
আমার তো মনে হয় না এখন এরা আর এমন কাঁচা কাজ করবে যেমনটা আওয়ামী লীগ করছে দুই নৌকাতে পা রেখে। কারন এইরকম কাঁচা কাজ করলে পরের বার জনতা আবার লীগ কে ভোট দেবে। কাজেই যদি এইসব কাজ না করে প্রথা ভাঙ্গা যায়, তথা পর পর ২বার ক্ষমতায় আসা যায় এই সুযোগ বি এন পি জামাত হাত ছাড়া করবে বলে আপনার মনে হয়?
@অর্ফিউস,
এখানে মাঝে মাঝে ঢুঁ মারবেন। দেখবেন হাটুতে বুদ্ধিওয়ালা মানুষ কারে কয়?
আল্লায় না করুক, তবে আমি মনে করি এরা সুযোগ পেলে হাসিনাকে এক মুহুর্তও বাঁচতে দিবেনা। আগে চেষ্টা করেছিল ইসলামী গুণ্ডা ভাড়া করে এখন তারা প্রকাশ্যে নিজেরাই করবে। তারা বিশ্বাস করে হাসিনা শেষ মা’নে আওয়ামী লীগ শেষ। জয় তো মাঠে নামার আগেই একটা ওয়ার্নিং পেয়ে গেছেন।
মাঝে মাঝে আমি নিজেও হতাশাব্যঞ্জক অনেক কথা বলেছি। ইদানিং টক-শোতে কিছু নাট্য জগতের মানুষ, সাহিত্য সংস্কৃতকর্মী, সমাজকর্মী, নারীসংগঠন কর্মীদের বক্তব্য-আলোচনা থেকে বিশ্বাস জন্মেছে যে এখনও দেশটি পুরোপুরি নষ্টের হাতে চলে যায় নি। এখনও আমার দেশে যথেষ্ট ভাল মানুষ আছেন। তাই আজও মনে করি আওয়ামী লীগ যদি সঠিক মানুষদের নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে, যদি সাধারণ মানুষকে তাদের বোধগম্য ভাষায় প্রকৃত সত্যটা জানাতে পারে, এখনও সময় আছে ঘুরে দাঁড়াবার।
@আকাশ মালিক, সদালাপের লিঙ্ক দিলেন? আচ্ছা মাঝে মাঝে ঢুঁ মেরে না হয় দেখেই আসব।
ভয়টা আমার এখানেই। যদি এদেরকে দমন পীড়ন করা হয় তবে? অমে আছে ২০০১ সালের হিন্দু নির্যাতনের কথা? আর সেই প্রামান্য চিত্র ধারন করার জন্য শাহরিয়ার কবির কে কিভাবে রিমান্ডে নিয়ে অত্যাচার করা?
তবু যদি এই সুশীল সমাজ কিছু করতে পারে, তবে সেটা ভাল কথা।
জিয়া। একজন খুনি বিশ্বাসঘাতক,স্বাধীনতাবিরোধীদের দোসর। একজন রাষ্ট্রনায়ক হিসেবেও অতি জঘণ্য(শেখ মুজিবের চেয়েও খারাপ)। একজন জ্ঞানহীন অধম আমি, বিনয়ের সঙ্গে জানতে চাই- তাহলে, জিয়ার জনপ্রিয় হবার কোন যোগ্যতা কি থাকে নাকি বিএনপিরই ভোট পাওয়ার কি কোন কারণ থাকে? কিন্তু, তারপরও জিয়া তুমুল জনপ্রিয় হয়, আর বিএনপিও বিপুল ভোট পায়। কেন এবং কেন?
লেখা পড়ে অনেক তথ্য জানলাম। ভাবতে ভালোই লাগছে যে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। (F) ধন্যবাদ।
তাই তো মনে হয়……
লুটপাট, দূর্নীতি, অরাজকতা এসবে কোন দল এগিয়ে কোন দল পিছিয়ে তা রীতিমত তর্কের বিষয়। আমাদের দেশে বিস্ময়ের সাথে দেখেছি সাফল্যের লিষ্টিও আবার সব দলই দাবী করতে পারে। দুই দলেরই বুদ্ধিজীবিরা কি কি তালিকা পরিসংখ্যান হাজির করতে পারেন।
তবে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির লোকজনে সেই একই ভুল যুগে যুগে করে আসছেন। এখনো মনে হয় না তারা ভুল বুঝতে পেরেছেন বলে। তারা সকলে মনেপ্রানে বিশ্বাস করতে পছন্দ করেন যে দেশের ৯০% লোকে যুদ্ধপরাধীদের বিচার কবে হচ্ছে, কারা করছে এই হিসেব করে গত ৪০বছর দিন কাটাচ্ছে…..বলাই বাহুল্য যে দেশের এক বড় সংখ্যক লোকের কাছে যুদ্ধপরাধীদের বিচার, জামাত শিবির ঠেকাও এমন কোন প্রায়োরিটির বিষয় নয়। এর সাথে রাজাকারির ব্যাপার নেই। আমি মনে করি যে লীগ সরকার গত ক’মাসে শাগবাগ/হেফাজত ইস্যুতে কিছু বড় ধরনের রাজনৈতিক ভুল করলেও জামাত নিষিদ্ধ না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে এক’টি বড় ধরনের বিপর্যয় থেকে রেহাই পেয়েছে। সেটা হত নিঃসন্দেহে কফিনের শেষ পেরেক।
গত জোট স’র’কারের নানান কীর্তিকলাপ দেখিয়ে তেম’ন লাভ হ’বে না। মানুষের ম’নে ব’র্ত’মান’ই বড় ক’রে কাজ ক’রে। কোকোর টাকা বিদেশ থেকে উদ্ধারের চেয়ে লোকের ম’নে শেয়ার বাজারের কেলেং’কারী, ডেষ্টিনি, প’দ্মা সেতু এ জাতীয় হাজারো ইস্যুই বড় হয়ে আসবে।
অনেকে বিএনপি জামাত ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসলে যুদ্ধ’প’রাধীদের বিজয় হবে ভাবছেন কেন কে জানে। এমন বিজয় তো নুত’ন কিছু নয়, অতীতেও হয়েছে। সো, টেক ইট ইজি।
@আদিল মাহমুদ,
গোল্ডফিস জাতি এভাবেই চিন্তা করবে …
@আদিল মাহমুদ,
সেকি আদিল সাহেব, আপনার মত প্রাজ্ঞ মানুষ এই কথা বলছেন?জামাতকে নিষিদ্ধ করলে কি ভাল হত না, যেখানে জামাতের ভুমিকা ছিল ৭১ সালে নাৎসি দলের মত?আর জামাতের সমর্থকও তো খুব বেশি না, সম্ভবত ৫% এরও কম হবে! সেখানে জামাত কে নিষিদ্ধ করলে কি সমস্যা ছিল আমি বুঝলাম না।আসলে আপনার কিছু মন্তব্য সত্যি বুঝতে আমার সমস্যা হয়;যদিও রাজনৈতিক ব্যাপার স্যাপারের খুব গভীরে আমি চিন্তা ভাবনা করি নাই,বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনীতির নামে যে নোংরামি চলছে সেই জন্য!
তবে জামাতকে নিষিদ্ধ করলে আমার এবং আমার মত আরো কিছু মানুষের ভোট টা লীগ পেত আবার। আচ্ছা আমার মত সমর্থক( উদারপন্থী মুসলিম যারা মনে প্রানে চায় যে জামাত নিষিদ্ধ হোক!) কি ৫% এর চেয়ে বেশি হবে না বাংলাদেশে?
@দারুচিনি দ্বীপ,
আমি প্রাজ্ঞঃ কি অজ্ঞ তা জানি না। তবে নিজে যা বিশ্বাস করি বা করতে চাই সেটাই প্রমানের জন্য কেবল লাইক মাইন্ডেড গ্রুপে আবদ্ধ থেকে অবাস্তব জগতে বিচরন করি না। আমার কথা না বোঝার সম্ভাব্য কারন হতে পারে দুটি; এক – কথা খুব জটিল করে বলি, দুই- এত সরল সত্য বলি যা আপত চোখে খুবই বিভ্রান্তিকর মনে হয়। আমার নিজের ধারনা সম্ভাবনা দুই হয়ত কারন।
জামাতের ভোট ৫/৬%, তাই তাদের আর কোন সমর্থক বা সিম্প্যাথাইজার নেই এ ধরনের ধারনা অত্যন্ত অবাস্তব এবং ভ্রান্ত। শাহবাগ আন্দোলনের পরবর্তি নানান ঘটনার পরেও যদি লোকের এখনো এমন ধারনা থেকে থাকে তাহলে খুবই মুশকিল। যদিও প্রথম কথা হল যে ১৭ কোটি জনতার দেশে ৫% ভোটও সংখ্যার হিসেবে তুচ্ছ করার মত নয়। তারপরের কথা হল জামাতের ভোট ৫% মানে যারা ধরে নেন যে বাকি ৯৫% মনেপ্রানে জামাত বিরোধী তাহলে বলব যে তাদের বাংলাদেশের রাজনীতি, সাধারন মানুষের মনোজগত এসব কিছু সম্পর্কেই ন্যূনতম বাস্তব ধারনা নেই। দূঃখজনক হলেও সত্য যে দেশে যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বলে পরিচিত, যারা যুদ্ধপরাধী বিচার নিয়ে সোচ্চার তাদের অধিকাংশের মধ্যেই এ সমস্যা প্রবল মাত্রায় আছে। এ কারনেই ওনাদের বারে বারে অফ গার্ড অবস্থায় পড়তে হয়, হেফাজতি ঝড়কে মনে হয় আকস্মিক কোন আঘাত।
বিএনপির যে একটা বড় ভোট ব্যাংক আছে সেটা তো জানেন? মোটা দাগে এই ভোট ব্যাংক আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংকের চেয়ে তেমন কম নয়। এই ভোট ব্যাংক জামাত সম্পর্কে কি ভাবে তা কি বাস্তবতার চোখে চিন্তা করেছেন কখনো? আমার মনে হয় চিন্তা করলে আর জামাতের ৫% ভোট তাই তারা চুনোপুটি এই আত্মপ্রসাদে হয়ত ভুগতেন না। অনেকে দাবী করতেই পারেন যে বিএনপি আওয়ামী লীগ ঠেকাতেই জামাতের সাথে জোট বাঁধে। বিএনপি জামাতের মৌতাতে শুধুই এন্টি-আওয়ামী লীগ ভোট ব্যাংকের হিসেব নয়, আদর্শিক ব্যাপারও আছে। সে কারনেই যতই নিশ্চিত ক্ষমতার মূলো সামনে থাকুক আওয়ামী লীগ-জামাত কোনদিন সম্ভব নয়। ভোটের বাজারে বিএনপি-জামাত জোট যত না শক্তিশালী আওয়ামী-জামাত জোট অবশ্যই তার চাইতে অনেক বেশী শক্তিশালী হতে পারে। আওয়ামী জামাত জোট কোনদিন হবে না তার কারণ আদর্শিক; আওয়ামী সমর্থকরা এমন জোট করে ক্ষমতায় যাবার চাইতে জোট না করে ক্ষমতার বাইরে থাকা অনেক শ্রেয় মনে করবে।
আপনার আশেপাশের বিএনপি সমর্থক কতজন মানুষ পাবেন যারা যুদ্ধপরাধী দলের সাথে জোট করাতে, যুদ্ধপরাধীদের বিচার বিরোধীতা করাতে বিএনপির নিন্দা জানায়? তেমন পাবার কথা নয়। যুদ্ধরাধীদের সাথে জোট করায়, বিচারের বিরোধীতা করায় বিএনপির কয়জনের কথা শুনেছেন যারা দলত্যাগ করার ঘোষনা দিয়েছেন? বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবিদের কয়জনকে দেখেছেন জামাতের সাথে মহবত করায় বিএনপির সমালোচনা করেছেন? খোঁজ নিয়ে দেখেন নিন্দাবাদ তো দূরের কথা; তারা উলটা এমন অসাধারন জোট গঠনকে সাধুবাদ জানায়। এর বিপরীতে আওয়ামী লীগ গত কেয়ার টেকার আমলে মৌলবাদী এক পাতি গোষ্ঠীর সাথে নির্বাচনী জোট বাধার চেষ্টা করেছিল। তাতে সাধারন সমর্থক থেকে শুরু করে দলীয় পোষা বুদ্ধিজীবি বলে যাদের অভিহিত করা হয় তারাও হা হা করে তেড়ে উঠেছিলেন, ফলশ্রুতিতে সে জোট টেকেনি।
আশা করি এটা বুঝতে পেরেছেন বিএনপি বা ডানপন্থী ধারার সমর্থকদের বলতে গেলে গোটা অংশই জামাতে ভোট দিক কি না দিক প্রবল ভাবে জামাতের প্রতি সহানুভূতিশীল। এদের সংখ্যা মোটেও হেলাফেলা করার মত নয়। এরা সকলে যুদ্ধপরাধীদের সমর্থক এটাও ঠিক নয়। নীতিগতভাবে এরাও যুদ্ধপরাধী বিরোধী, কিন্তু যুদ্ধপরাধের প্রভাব এদের কাছে খুব প্রবল নয়। জিজ্ঞাসা করা হলে এরা যুক্তি হিশেবে বর্তমান জামাতেরঅধিকাংশ নেতা কর্মীই যুদ্ধপরাধের সাথে যুক্ত ছিল না এমনকি জন্মও হয়নি এ জাতীয় কারণ বলবে।
এই জামাত সমর্থনের কারন কি সেটা আর নাই বা বললাম। আজকাল আবার নুতন এক বুদ্ধিজীবি মহলের আবির্ভাব হয়েছে যারা বাংলাস্থান জিন্দাবাদ জয়বাংলা মূর্দাবাদ গোছের স্যাটায়ার পোষ্ট দিয়ে চরম হতাশা গালিগালাজও করেন, ২০ বছরের ছেলে গালে পাকিস্তানের পতাকা এঁকে হাজির হয়ে পাকিস্তানীদের ভাই ডাকলে বাপ দাদা চৌদ্দ গুষ্ঠি তুলে গালাগাল করে দেশপ্রেম বাংগালী জাতীয়তাবাদের পরকাষ্ঠা দেখান; কিন্তু এসবের পেছনের মূল অনুপ্রেরনা আলোচনায় আনলে প্রবল গোস্ম্যা করেন। কারন তাদের মতে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ এ সকল কিছুর পেছনে দায়ী। এই মতবাদের সাথে একমত না হতে পারলে ধর্মবিদ্বেষী রেসিষ্ট এসব তকমা যোগ করে নিজেকে মহা উদার প্রমান করার এক নব্য সুশীলিয় সংস্কৃতির জন্ম হয়েছে।
কারণ যাইই থাক, বাস্তবতা মাঠ পর্যায়ে যা বললাম অনেকটাই তাই। অবশ্য ভ্রান্ত ধারনার জন্য জামাত সিম্প্যাথাইজারদের কৃতিত্বও কম নয়। এরা বেশীরভাগ সময়েই মুক্তিযুদ্ধ পক্ক শক্তির সাথেই অবস্থান করেন, মুখে মুখে জামাতের বিরোধীতাও করেন। অন্যদিকে একই সাথে জামাতি ধরনের লোকদের বড় আলেম হিশেবে বিরাট সম্মানও করেন, ধর্মনিরপেক্ষ ধারার লোকজনের সাহচার্য অপেক্ষা জামাতি লোকজনের সংসর্গ এরা অনেক বেশী পছন্দ করেন। বাস্তব জগতে তো বটেই, ব্লগ জগতেই এমন উদাহরন প্রচুর আছে। এরাই যুদ্ধপরাধীদের বিচার সমর্থন করে, তবে এতে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক সুবিধে পাবে তাই সমর্থন করতে পারে না, যদিও হেফাজতের আন্দোলনে বিএনপির সুবিধের কথা শুনলে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে। এরা নাস্তিক মুরতাদ ধর্মনিরপেক্ষ ধারার লোকেরা মুক্তিযুদ্ধের ইজারা নিয়েছে বলে চিরকাল কান্নাকাটি করে, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কোন লেখালেখির মধ্যে কোনদিন যায় না। জাফর ইকবাল, মুনতাসীর মামুনদের নাস্তিক মুরতাদ গালাগালি করা হলেও এরা টু শব্দ করে না। মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক এই দলের কাছেই শাগবাগ আন্দোলন প্রথম থেকেই রাম বামদের নাটক ছিল। হেফাজতের নাস্তিক ঠ্যাংগাও আন্দোলন এ দলের জন্য এক বড় আশীর্বাদ হিশেবে দেখে দিয়েছে। কারণ সরাসরি জামাত শিবিরের সমর্থন করা নিতান্ত দৃষ্টিকটূ দেখায়। একই বৃহত্তর আন্দোলনের সাথী জামাত শিবিরকে ধর্মনিরপেক্ষ ধারা হটাতে তো অবশ্যই দরকার, হেফাজতের নাস্তিক ঠেকাও আন্দোলন তাই এনে দিয়েছে দারুন এক সুযোগ। এটা মনে রাখা দরকার যে এরা সকলে যুদ্ধপরাধী সিম্প্যাথাইজার না হলেও তাদের ভাষায় যে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ফাদর্শ কায়েম করার চাইতে আরো বৃহত্তর যে আদর্শ কায়েমের লড়াইতে তারা লিপ্ত সে লড়াইতে জামাতও তাদের সহযোদ্ধা। কাজেই স্বাভাবিকভাবেই তারা জামাতের প্রতি এক পর্যায়ে সহানুভূতিশীল হবেই।
এক বড় সংখ্যাক জনতা যা চায় না তা বলপূর্বক চাপানোর ফল তেমন শুভ হতে পারে না। বাস্তব মেনে নেওয়াই ভাল। আর আওয়ামী লীগ জামাত নিষিদ্ধ হলে তাদের ভোট কোনদিন পাবে না। জামাত সমর্থক মরে গেলেও আওয়ামী লীগে ভোট দেবে না। যারা আওয়ামী লীগের ভোটার তারা এমনিতেই আওয়ামী লীগেই ভোট দেবে। জামাত নিষিদ্ধ করছে না বলে কান্নাকাটি করলেও তারা বিএনপি জামাত জোটে ভোট তো দেবেই না এমনকি গোস্ম্যা করে বাড়িতেও বসে থাকবে না।
ধন্যবাদ আপনাকে।
@আদিল মাহমুদ,
এদেরকে চিনি।এরা বাংলাস্থানের সমালোচনা করে আবার পাকিস্তানকে বা পাকিস্তান আমলকে চরম অসাম্প্রদায়িক বলতেও কুন্ঠিত হন না। তাহলে কতিথ বাংলাস্থানের ভয়ে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বলে পোষ্ট শুরু করে শেষ করেন বাংলাস্থান বলে- কিসের ডর দেখান পাবলিককে? শুধু অথনৈতিক বৈষম্যই যদি পাকিস্তান ভাঙ্গার কারণ হয় তাহলে আর যাই হোক বাংলাস্থান বলে যে সুরটা তোলা হয় তার সঙ্গে যায় না। জামাত সমর্থনের কারণ কি সেটা আমিও আর বলবো না আপনার মত। এই যে আজকে ২১টা মুসলিম দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও মার্কিন দুতাবাস বন্ধ রাখা হলো হামলার ভয়ে- এর মধ্যে আরো যা যা কারণই থাক না কেন, আমাকে খেয়াল রাখতে হবে, কিছুতে যেন ধর্মবিদ্বষী রেসিষ্ট তকমা লেগে না যায়!
আপনার কথায় এত বেশি যৌক্তিক হয় যে বলার বা দ্বিমতের কিছু থাকে না। আপনার স্মরণ আছে কিনা জানি না, আপনার একটা লেখায় আমি বলেছিলাম, এর থেকে পরিত্রানের পথ কি? পথ বাতলে কিছু একটা লিখবো বলেও বলেছিলাম। বলা বাহুল্য সেটা হয়নি। কারণ উত্তরণের পথ আমি খুঁজে পাইনি। এই পথ খুঁজে না পাওয়ার জন্য জামাতী হেফাজতীর চাইতে এই এদের, যাদের কথা আপনি বললেন তারাই সবচেয়ে ভয়ংকর। তাই আপাতত হতাশ হওয়ার কারণ আছে অনেক কিছুই। কেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এই দেশের অর্ধেক মানুষ চায় না, কিসের দূর্বলতায় সেটা বললে ফের সেই তকমায় পড়ে যেতে পারি।… তাই আপাতত…চুপ থাকতেই চাই।
@সুষুপ্ত পাঠক, চুপ করে থেকে কোন লাভ হবে না,আপনারে বিদ্বেষী ট্যাগ দেবোই।আমি সুবিধা মত ইসলামের চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করব,কিন্তু আপনি বললেই……
@পেনসিল, মন্দ বলেননি। আসলে শেষ পর্যন্ত চুপ থাকতেও পারি না। এই স্বভাব দোষেই তো লিখি। নইলে কি দরকার এইসবের মধ্যে নিজেকে জড়ানো।কিন্তু ছাড়তে পারি না যে…।
@আদিল মাহমুদ, ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার বিশ্লেষণের জন্য।
হ্যাঁ আপনি ঠিকই বলেছেন, আমি শুধু মাত্র কিছু হিন্দু বি এন পির সমর্থক( আসলে কর্মী) ছাড়া কাউকেই জামাতের বিরোধিতা করতে দেখি নি। শুধু তাই না, এদের মধ্যে একটা বড় অংশ মনে করে থাকে যে ৭১ সালে মুক্তি যুদ্ধে জামাতের ভুমিকার স্বপক্ষে কথা বলে থাকে পরোক্ষ ভাবে বা প্রত্যক্ষ ভাবে। তারচেয়েও বিরক্তিকর ব্যাপার হল যে, ৩০ লাখ শহীদ কে তারা অস্বীকার করে ৩ লাখ;এমনকি কেউ কেউ ৩০ হাজারও বানিয়ে ফেলেছে।এটা সত্যি খুব দুঃখের ব্যাপার।
আমার একজন আত্মীয় আছেন যিনি মুক্তি যোদ্ধা ছিলেন( সেই সময় ভাসানির সমর্থক)।তিনি বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের খেলা হলে পাকিস্তানের সমর্থন করেন।সত্যি একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকারই থাকে,কিন্তু একজন মুক্তি যোদ্ধা চিরকাল মুক্তি যোদ্ধা নাও থাকতে পারে।
বর্তমানে ফরহাদ মঝহার কেই দেখেন না কী কোড়ে বেড়াচ্ছেন তিনি।
আর সাধারন ভাবে এই দেশের যারা পাকিস্তানের সমর্থক ( ক্রিকেটে) তারা বলে থাকেন যে মুসলিম হয়ে আরেক মুসলিম দেশ কে সমর্থন করা নাকি তাঁদের নৈতিক কর্তব্য।
৭১ সালে যারা শহিদ হয়েছিলেন,তাদের মধ্যে কয়জন হিন্দু আর কয়জন মুসলিম তা জানি না, কিন্তু ৭১ সালে পাকি দের ভুমিকার কথা তুললে বলে যে, রাজনীতি আর খেলা এক না
অথচ ধর্মকে যে তারা খেলার সাথে জড়িয়ে ফেলছে, এই হিসাব তারা করে না।
আর যদি বলা হয় যে ৭১ সালে মুসলিম দেশ পাকিস্তান আমাদের দেশের কতই না মুসলিম কে হত্যা করেছে সেখানে উত্তর আসে ওই ৩ লাখ, এমনকি ৩০ হাজার, আর বলা হয় যে ভাইয়েরা ভুল করেছিল। হায় সেলুকাস, কি বিচিত্র এই দেশ!…..
@আদিল মাহমুদ,
অত্যন্ত বাস্তবসম্মত কথা। অথচ এই বুদ্ধিজীবীরাই আওয়ামীলীগ ৯৬ এ জামাতের সাথে জোটবদ্ধ আন্দোলনের জন্য আওয়ামীলীগকে সমালোচনায় বিদ্ধ করে। হিপোক্রেসি আর কাকে বলে। ২য়ত,যে দেশে অধিকাংশ মানুষ সাম্প্রদায়িক চিন্তাভাবনার অধিকারী সে দেশে একা আওয়ামীলীগ কিভাবে অসাম্প্রদায়িকতা চর্চা করবে সেটাও ভেবে দেখবার বিষয়।এদেশের অধিকাংশ মানুষ যেমন উগ্র ধার্মিক নয় তেমনি মোটা দাগে অসাম্প্রদায়িকও না। প্রকাশ্যে না হলেও অবচেতনায় বা সুপ্তাবস্থায় অধিকাংশের মধ্যেই সাম্প্রদায়িকতা বিরাজ করে। ইতিহাসের নানা ঘটনাপ্রবাহে এটা প্রমাণিত হয়েছে।এমতাবস্থায় জামায়াতকে লিলিপুট ভাবার কোন সুযোগ নাই। অন্তত জামাতকে ঘৃণা করে বলে বিএনপিকে সমালোচনা করবে এমন বিএনপির সমর্থকের সংখ্যা অত্যন্ত কম।প্রায় শূণ্য।
@আমি কোন অভ্যাগত নই,
প্রায় শূণ্য না, সৰ্ম্পূন শূন্য ।
@আমি কোন অভ্যাগত নই,
হ্যা, অনেকেই আওয়ামী লীগের ধার্মিক ভড়ং ধরার কড়া সমালোচনা করেন। বাস্তব বলে যে এ ছাড়া আওয়ামী লীগের আর উপায়ও নেই। ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির কথা এখন মুখের বার করতেও লীগের নেতা নেত্রীদের ভয় করে। আওয়ামী লীগের সমস্যা উভয়মূখী, ধর্মনিরপেক্ষ ভূমিকা নিলে নাস্তিক মুরতাদ মালাউনদের দল বলে গাল খায় আবার ধর্মের ভং ধরলে লোকে বলে ভন্ডামি করছে, এমনকি মোল্লারাও হাঁসে।
জামাত বিরোধীতা সমর্থন প্রসংগে লোকে তত্ত্বীয়ভাবে একটি বড় ভুল করে সেটি হচ্ছে তারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ লোক মানেই মনেপ্রানে জামাত বিরোধী হবে ধরে নেয়। এটা খুব বড় ভুল ধারনা। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে প্রো-মুক্তিযুদ্ধ পক্ষের লোক বলতে আমরা যাদের বুঝি তাদের অনেকেই এখন জামাতের প্রতি সহানুভূতিশীল। খোদ মুক্তিযোদ্ধারাও কিছু আছেন এই দলে। বর্তমানে শোনা যাচ্ছে জামাত নিষিদ্ধ হলে নাকি ব্যাক আপ হিশেবে জেনারেল ইব্রাহিম সাহেবের দলের ব্যানারে নির্বাচন করবে, এই ভদ্রলোকও পদকপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, নয়া দিগন্তের নিয়মিত কলাম লেখক, ইসলাম বিষয়ক গুরুত্বপূর্ন লেখালেখি করেন। এই জাতীয় উদাহরন নিজের আশেপাশে সারা জীবন এত দেখেছি যে জামাত নিষিদ্ধকরন বিষয়ক নানান উত্তপ্ত আলোচনা শুনলে মাঝে মাঝে হাঁসিই পায়।
@আদিল মাহমুদ,
সহমত। (Y)
এই ধরনের গনতান্ত্রিক-জামাতপ্র্রেমী মানুষের সংখ্যা অনেক।
@আদিল মাহমুদ, এটাই সমস্যা আদিল ভাই যে দেশের অর্ধেকের কাছাকাছি লোক যুদ্ধাপরাধীদের প্রতি প্রেমজ্বরে কম্পমান সে দেশে এদের বিচার হলেই কি আর না হলেই কি?সবচেয়ে মজা লাগছে বড় হুজুরের সাজা দেখে।
১৮০ বছর কি কোন মানুষ বেঁচেছিল?বাইবেল আর কোরানেই তো পল্প পড়তাম আগে যে নুহর পর থেকে নাকি কেউ ঐশ্বরিক আয়ু পায়নি( ৯০০ বছর, ৮৫০ বছর এইসব) , আয়ু ছিল আব্রাহামের ১২০ বছর।
সত্যি বর্তমানে ১০০ বসন্ত কতজন লোক পার করছে বলতে পারেন?সেদিক দিয়ে বড় হুজুর ( গোলাম আজম) ভাগ্যবান যে হাজতে বসে জান্নাতী খাবার খাচ্ছেন।
আমাকে ওর অর্ধেক মানের খাবারের নিশ্চয়তা দেয়া হলে ( অবশ্যই বিনা পরিশ্রমে), আমি সারাজীবন স্বেচ্ছায় কারাগারে থাকতাম।
কিন্তু কপাল এমনই মন্দ যে রাজাকার হিসাবে জন্মাতে পারলাম না।
@দারুচিনি দ্বীপ,
একবার হারিয়ে আবার সুযোগ পেয়েও আওয়ামী লীগ যে ভুল করলো তারই প্রায়শ্চিত্ত করছি এখন আমরা। জামাতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার জন্যে ইসলামী দল, বামপন্থী দল, সাংস্কৃতিক দলকে রাজপথে মিছিল হরতাল ডাকতে হয়। আরো দুর্ভাগ্য হলো নতুন কিছু অতিমানবতাবাদী, জ্ঞানী, সুশীলের আবির্ভাব হয়েছে তারা এখানে সব সময়ই মানবতা আর গণতন্ত্র বিপন্ন হতে দেখেন। এটা তারা করেন শুধুমাত্র আওয়ামী বিদ্বেষ আর নিজের বিদ্যা প্রদর্শনের লক্ষ্যে। জামাত-হেফাজত যে চোখের সামনে মধ্যযুগীয় বর্বরতা দেখালো, জাতীয় সম্পদ ধ্বংস করলো, গরীবকে ফকির বানিয়ে রাস্তায় বসালো, সেই তথাকথিত সুশীলদের কয়জনের কাছ থেকে কয়টা প্রতিক্রীয়া কাগজে বা ব্লগে পড়েছেন? অবশ্য ইদানিং বদরুদ্দীন ওমরের কিছু লেখা আমার কাছে বেশ ভালই লাগছে। এ রকম একটি লেখা থেকে কিছু অংশ নিচে দেখুন-
জামাত ও ইসলামী দলগুলোর সাম্প্রদায়ীক আচরণ, মনোভাব নিয়ে তার আরো বেশ কিছু লেখা পড়েছি। এটাই তো কাম্য ছিল সুশীল বুদ্ধিজীবীদের কাছ থেকে। জামাত তার কার্যকলাপ দ্বারাই প্রমাণ করেছে তারা কোন রাজনৈতিক দল নয় বরং একটি সন্ত্রাসী দল। জামাত শিবিরের অব্যাহত নৃশংস অত্যাচার, ধর্মবিরোধী আচরণ, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দেখে ২০০৯ সালে কয়েকটি ইসলামী দল যেমন- তরিকত ফেডারেশন, জাকের পার্টি, সম্মিলিত ইসলামী জোট, জামাতের নির্বাচন সংক্রান্ত নিবন্ধন বাতিল করার জন্যে হাইকোর্টে আবেদন জানায়। তিন বছর পর সন্ত্রাসী দল জামাতের নিবন্ধন আদালত অবৈধ ঘোষণা করলো। দলটি দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই নিষিদ্ধ হয়েছিল। একাত্তরে তারা যে স্বদেশ বিরোধী, মানবতাবিরোধী জঘণ্য কাজে লিপ্ত হয়েছিল তাতে যে কোন সভ্য দেশই তাদেরকে নিষিদ্ধ না করে পারেনা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ৬৮ বছর পরেও ইউরোপে নাৎসী দলকে নিষিদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তারা তো গনতন্ত্র বিপন্ন বলে চিল্লায় না।
এখন আর জামাতকে নিষিদ্ধ করে অন্তত আওয়ামী লীগের কোন লাভ হবে বলে আমি মনে করিনা। তবে আইন তো তার নিয়মেই চলবে। দেশ ও জাতির কতটুকু লাভ হয়েছে তা এখন দেখার বিষয়। বি এন পি তো তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে- তারা জামাতের পাশে ছিল থাকবে। মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও সাধারণ মানুষের একটা সন্তুষ্টি তো অবশ্যই আছেই যে, যুদ্ধাপরাধীরা মানুষের ভোট চাইতে মানুষের দুয়ারে আর যেতে পারবেনা।
সফিক সাহেব, আওয়ামী লীগের লোকজন যদি শুধু প্রোপাগান্ডায় বিএনপি’কে দশ বছর সবক দিতে পারে তবে এতে আপনার গায়ে লাগছে কেন?এটা তো পাঁড় বি এন পির সমর্থকদের গায়ে লাগা উচিত।আপনি তো নিরপেক্ষ মানুষ তাই না? কিন্তু আপনার মন্তব্যের ভাষা কিন্তু আপনার নিরপেক্ষতাকে শুধু প্রশ্নবিদ্ধই করছে না, বরং খুবই স্বাভাবিক ভাবেই কিন্তু বেশিরভাগ লোক আপনাকে বি এন পির রেজিস্টার্ড সমর্থক বলেই ভেবে বসবে।
কাজেই একটু শব্দ চয়নে আরেকটি সাবধানতার পরিচয় দিলেই বোধ হয় ভাল হত!
@দারুচিনি দ্বীপ,ভাই আমি নিরপেক্ষ নই। এই ধরনের ফালতু ভাং চোং আমি ধরি না। কবে কোথায় কিভাবে আপনার এই ধারনা হলো এটা বুঝলাম না। এই সময়ে আমি একান্তভাবে চাই একটি তত্বাবধায়ক অধীন নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং সেই নির্বাচনে আমি যদি ভোট দিতে পারি তবে সেটা বিএনপি কেই দেবো।
আমার নিরপেক্ষতা নিয়ে যদি এর পরও আপনার কোনো দ্বিধা থাকে তবে এটাও জানিয়ে রাখছি যে আমি শেখ মুজিবুর রহমানের চাইতে জিয়াউর রহমানকে অনেক শ্রেষ্ঠতর দেশপ্রশাসক হিসেবে গন্য করি।
তবে আমাকে দল-অন্ধ ধরে নেবার আগে শুধু এতটুকু জানানোর প্রয়োজন বোধ করছি যে ১৯৯৬ এবং ২০০৮ এই দুই সময়েই আমি ক্ষমতার পালা বদল হয়ে আওয়ামী লীগ আসুক এটাই চেয়েছিলাম। বিএনপি’কে আমি জীবনে একবারই ভোট দিয়েছি সেটা ২০০১ এ।
@সফিক,
ধন্যবাদ, আপনার অবস্থান পরিষ্কার করার জন্য।এখন থেকে আপনাকে দলীয় সমর্থক ধরে নিয়েই কথাবার্তা চালাব।:-)
খুব ভাল কথা, কিন্তু তার মানে এই না যে আপনি মুজিবের মধ্যে সমস্ত বদগুণ ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাবেন না।
মুজিবের চেয়ে জিয়া কেন শ্রেষ্ঠতর দেশ প্রশাসক, এইটা জানতে পারি কি?জানলে অধমের কিছুটা বোধোদয় হয়তোবা হতে পারে। দয়া করে উত্তর টা দেবেন ( ব্যখ্যা পুর্বক;কারন বি এন পি সমর্থকের কাছ থেকে আমি কিছু ভাল ব্যখ্যা আশা করব আমার ধারণা অন্যেরাও তাই করবে) এড়িয়ে যাবেন না।
ধন্যবাদ। ২০০১ এ যারা বি এন পি কে ভোট দিয়েছিল তারা প্রকৃত পক্ষে রাজাকারদের ক্ষমতায় বসিয়ে এই মরন বাড় বেড়ে উঠতে সাহায্য করেছিল।
বাপের জন্মে রমজান মাসে হরতাল দেখি নাই এইবার মরন বাড় বেড়ে উঠা জামাতী কুত্তা গুলো সেটাও দেখিয়ে দিয়েছে।একদিন না লাগাতার কয়েকদিন।
@দারুচিনি দ্বীপ,
নাহ, এ ভাবে তর্ক চলবেনা। সফিক সাহেবের সাথে তর্ক করতে হলে, আপনাকে নিদেনপক্ষে মওদুদ আহমদের লেখা ডেমোক্রেসি অ্যান্ড দ্য চ্যালেঞ্জ অব ডেভেলপমেন্ট (Democracy and the Challenge of Development) বইটি হাতের কাছে রাখতে হবে। আর থাকতে হবে বঙ্গবন্ধুর সময়ের সদ্য স্বাধীন যুদ্ধ-বিদ্ধস্ত বাংলাদেশের ভেঙ্গে পড়া প্রশাসন আর অর্থনৈতিক অবস্থার সঠিক চিত্র। তখন বুঝা যাবে জিয়াউর রহমান খাল কেটে কুমীর এনেছিলেন, না রাজনীতি ডিফিকাল্ট করেছিলেন।
@দারুচিনি দ্বীপ, সামনের দিনগুলোতে মুজিব, আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এসব নিয়ে লেখার পরিকল্পনা আছে।
২০০১ এর নির্বাচনে রাজাকার জোট (বিএনপি-জামাত) ৪৬% ভোট পেয়েছিলো, আওয়ামী লীগ পেয়েছিলো ৪০%, দেশের অর্ধেক লোককে যদি আপনি রাজাকার সহযোগী মনে করেন তবে সেটার আপনার সীমাবদ্ধতা। আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় পুনরায় না দেখতে চাইলে কিভাবে ভোট দিয়ে সেটা সম্ভব একটু জানাবেন কি?
এই ব্লগে মোহাম্মদকে নিয়ে যুক্তিহীন অশ্লীলতা ছাড়া কোনকিছুই সেন্সর করা হয় নি সুতরাং মুজিব কে ব্লাসফেমী আইনের রক্ষাকবচে ঢেকে রাখতে পারবেন এটা আশা করা বোধহয় উচিৎ নয়। আপনি মুক্তমনায় নতুন বলে মনে হয়। আপনার মুজিবানূভুতি বেশী সেন্সিটিভ হলে রাজনৈতিক লেখা না পড়াই মনে হয় ভালো হবে।
২০০৯ এর ১৫ই সেপ্টেম্বরে তেল, গ্যাস রক্ষা কমিটি হরতাল দিয়েছিলো। http://www.thefinancialexpress-bd.com/2009/09/15/79082.html
২০০৯ এর রমজান ক্যালেন্ডার দেখে নিয়েন।
@সফিক,
লিখে ফেলেন, আলোচনা জমে উঠবে।
থাকতেই পারে আমার সীমাবদ্ধতা, এটা সব মানুষেরই থাকে।আপনারও আছে। যেমন বাংলাদেশের স্থপতি শেখ সাহেবের সাথে আপনি সেনানিবাসে বসে বিদ্রোহ কারী একজন লোককে মুজিবের চেয়ে অনেক ভাল প্রশাসক বানিয়েছেন।
আমি বরং জিয়ার চেয়ে এরশাদকেই ভাল বলব। সরকারী কর্ম চারী দের জন্য উৎসব ভাতা,ভূমিহীন দের জন্য গুচ্ছগ্রাম, তারপর ছাত্র রাজনীতির বিরুদ্ধে নেয়া তাঁর পদক্ষেপ গুলো কতই না ভাল ছিল।
ছাত্র রাজনীতির ফলাফল তো আজ দেখতেই পাচ্ছেন, বুয়েটের মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই জিনিস থেকে রেহাই পাচ্ছে নএর ফলাফল কি শুভ হতে পারে ভবিষ্যতে?
আজ এরশাদ স্বৈরাচার নামে আখ্যায়িত, কিন্তু জিয়াও তো একই ভাবে ক্ষমতায় এসেছিলেন বন্দুকের নল দ্বারা।তারপর তার প্রহসনের হ্যাঁ/না ভোট!এগুলি কোনটি এরশাদ সাহেবের কর্মকান্ড থেকে ভাল, দেখানতো একটা।
আজ এরশাদের জনসমর্থন নেই তাই সম্ভবত বেচারা স্বৈরাচার, জনসমর্থন থাকলে তিনি জিয়ার চেয়ে কম জনপ্রিয় হতেন বলে মনে হয় না।
আপনার মনে আছে যে ৯১ এ ক্ষমতায় এসে বেগম জিয়া এক ঈদ বোনাস বন্ধ করে দিতে চেয়েছিলেন?
আরে না, এতে আমার লাভ কি?
জি।
হ্যাঁ কিছুটা সেন্সিটিভ বটে আমার মুজিবানুভুতি, তবে আপনার জিয়ানুভুতি এবং বি এন পি অনুভুতির কাছে সেটা একেবারেই তুচ্ছ। 🙂 ।
@দারুচিনি দ্বীপ, যেভাবে লড়েছেন দেখে ভাল লাগলো।
@সুষুপ্ত পাঠক, ধন্যবাদ, আসলে সফিক সাহেব খুবই শার্প লোক;ঝুনা নারিকেল বলতে পারেন, আর আমি একেবারেই নতুন, অনেকটা কচিডাবের মত( শাফি হুজুরের মত উপমা দিলাম আর কি 😀 )মনে হয় না একা উনার কাছে টিকতে পারব।আপনারাও যদি উনার সাথে একটু আলোচনা করেন এই বিষয়ে তবে সেটা আমার থেকেও অনেক ভাল ফলদায়ক হবে বলেই আমার বিশ্বাস। 🙂
ভাল থাকবেন।
@দারুচিনি দ্বীপ,
আমি সফিক কে বুনো ওল বলতেই বেশি পছন্দ করব।চিন্তা করবেন না, এখানে কিছু বাঘা তেঁতুল আছে।
@দারুচিনি দ্বীপ, যে মানুষ একটা প্রিডিফাইন্ড বদ্ধমূল ভুল ধারণা থেকে কুতর্ক করে তার সাথে কথা বলে সময় নষ্ট করার কোন কারণ দেখি না। Never argue with a stupid,because he will drag u down to his level and defeat u with his experience!!!
যে মানুষ বঙ্গবন্ধুর সমালোচনা করতে গিয়ে আবেগের আতিশায্যে জিয়াকে শ্রেষ্ঠতর শাসক বলে তার ইতিহাসজ্ঞানকে আমি করুণা করি। ঐভাবে লজিক দেখালে গোলাম আজম ভাষা সৈনিক,হিটলার ইতিহাসের নায়ক।
@আমি কোন অভ্যাগত নই,
আচ্ছা উনি তো জিয়াকে শ্রেষ্ঠতর শাসক হিসেবে প্রমাণও দিতে পারেন। রাগ-গোসা করার কী দরকার? আমরা বরং তা দেখার জন্যেই অপেক্ষা করি। তবে সফিক সাহেবকেও অনুরোধ করবো, শেখ মুজিবকে আপনি তুলোধুনো করে ছাড়েন কোন অসুবিধে নেই। শেখ মুজিব মানুষ ছিলেন, সমালোচনার উর্ধের কোন নবি না। প্লিজ মুহাম্মদকে এই তর্কে নিয়ে আসবেন না। শুধু শুধু জল ঘোলা করার কোন মা’নে হয়না। আপনি শ্রেষ্ঠতর শাসক জিয়ার শাসনামলের বর্ণনা আমাদেরকে শোনান আমরা শুনি।
@সফিক ভাই,
এবং জীবনে দ্বিতীয়বারের মত ধানের শীষে ভোট দিতে যাচ্ছেন ২০১৪ তে……… আমাদের এই ক্ষুদ্র ভবিষ্যতবাণীটুকু মিছে হলে, ভয়ানক কস্ট পাব কিন্তু সফিক ভাই! আর সেই কস্টটুকু আপনি মোদের দেবেন না বলেই বিশ্বাস, সফিক ভাই! 🙂
@সফিক,
মাশাল্লাহ। এক্কেবারে মেড ইন হাওয়া ভবন( নাকি বগুড়া অথবা ফেনী?)
@সফিক,
অবশেষে স্বীকার করলেন? ধন্যবাদ এ জন্যে।
তাই নাকি? এইটাই যে আরেক ভং! আপনাকে তো আর কম ভং ধরতে দেখিনি মাস চারেক আগেও।
আমেরিকায় কবে গেছেন?ভোট কি তারপরেও আর দিতে পেরেছিলেন?
কিছু মনে করবেন না একটা প্রশ্ন করি, আপনি কি কোন ব্যাঙ্কে বা মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানীতে উচ্চ পদে কাজ করেন? প্রশ্নটা এইজন্যে করলাম কারন আপনার কথা বার্তা কর্পোরেট লুটেরাদের মত মনে হয়।
কিন্তু এই কথা নিরপেক্ষ সুশীল ব্লগার এবং টকশোর বুদ্ধিজীবীদের স্বীকার করতে বড্ড অনীহা।
এইটা ফ্যাক্ট। অস্বীকার করার কোন উপায় নেই।
আসলে একটা কথা ভুলে গেলে চলবে না,নিজামী-মুজাহিদদের কিন্তু এদেশের জনগণই নির্বাচিত করে সংসদে পাঠিয়েছে। কাজেই ‘জনগণ কখনও ভুল করে না’-এই তত্ত্ব যারা দেয় তারা সস্তা জনপ্রিয়তা খুঁজতে চায়। এদেশের জনগণ অতীতে অনেক ভুল করেছে।হেফাজত ইস্যুতে তাদের insensibility দেখিয়ে দিয়েছে অতীতের ভুল থেকে তারা শিক্ষা নেয় নি।এদেশের মানুষের কাছে সৎ নাস্তিক অপেক্ষা আস্তিক ধর্ষক অনেক গ্রহণযোগ্য। আজমতের মত একজন ক্লিন(এটা ফ্যাক্ট,আপনি আওয়ামীলীগের হাজার দোষ ত্রুটির কথা বলতে পারেন,কিন্তু আজমত-মান্নান পারস্পরিক তুলনায় আজমত শিক্ষা-দিক্ষা-ইমেজ-সুনীতি-আচার ব্যবহার-জনসম্পৃক্ততা সব দিক থেকে অনেক এগিয়ে) ক্যান্ডিডেটকে বাদ দিয়ে হজের টাকা চুরি করা মান্নানকে ভোট দিয়েছে গাজীপুরবাসী। এটা প্রমাণ করে মানুষের মেমরি গোল্ডফিশের চেয়েও দুর্বল। এরকম একটা ধর্মগাধা গোল্ডফিশ মেমরির জাতির সামনে নিশ্চিতভাবেই আরও ভয়াবহ দিন অপেক্ষা করছে।
লেখা ভাল লেগেছে। ফ্যাক্ট বেইজড মেদহীন লেখা।তবে খন্ডে খন্ডে লিখলে ভাল হত।বেশ বড় মনে হল।ধন্যবাদ।
@আমি কোন অভ্যাগত নই,
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে। আপনার চিন্তা, মত, ধারণার সাথে বেশীরভাগ মানুষই একমত হবেন। অনেকের কাছ থেকে এমনটাই শুনে আসছি। এই কথাগুলোর জবাব দিতে গেলে অনেক কথা লিখতে হয়। রাষ্ট্রকে আমরা যদি একটি পরিবার অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিংবা একটি বিজনিস হিসেবে ধরি তাহলে রাষ্ট্রের শাসক হবেন অভিভাবক অথবা শিক্ষক কিংবা ম্যানেজার। একটি পরিবারের, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের, বা বিজনিসের ব্যর্থতা সফলতা, সুনাম- দূর্নামের সকল কৃতিত্ব দায়ভার যথাক্রমে অভিভাবকের, শিক্ষকের, ম্যানেজারের। আমি কোন সময়েই সন্তানের, ছাত্রের বা কাষ্টমারের দোষ দেইনা। সন্তানকে, ছাত্রকে, কাষ্টমারকে দোষ দেয়া ব্যর্থ অভিভাবক মাতা-পিতা, শিক্ষক-গভর্ণিং বডি, ম্যানেজার-মালিকের পরিচয়। আমার এই ধারণার সাথে বেশীরভাগ ব্যর্থ মাতা পিতা, শিক্ষক, বিজনিস ম্যানেজার একমত হন নি। নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে, হয় নিজের কপাল না হয় সন্তান, ছাত্র, কাষ্টমারকে দোষ দিয়েছেন।
মুজাহিদ নিজামি আমার সাধারন নাগরিককে যখন ইনফ্লুয়েন্স করে বিভিন্ন লোভ লালসা দেখায়, সরকার তখন কী করে বা আমরা তখন কী করি। বলা হয় বুদ্ধিজীবীরা দেশের মগজ, তারা এসব দেখে শুনে কী করেন? সাধারণ জনতা তো অসচেতন, অশিক্ষিত, বুদ্ধিহীন। জনগনকে ধর্মব্যবসায়ীরা যখন ধর্মের আফিম খাওয়ায়, আধুনিক শিক্ষা জ্ঞান বিজ্ঞান থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করে সরকার ও বুদ্ধীজীবীরা এর বিপরীতে বা তা প্রতিরোধ করতে কী করেন? নতুন নতুন ভাইরাস আবিষ্কার হচ্ছে প্রতিনিয়ত আপনার কমপিউটার হ্যাক করার জন্যে। আপনার এনটি ভাইরাস সফটওয়ার আপডেইট না করে বসে থাকলে চলবে? সত্যি কথা বললে ধর্মের ভাইরাস ঢুকেছে আওয়ামী লীগের মগজেও সে নিজেই এখন আক্রান্ত। জামাত বি এন পি, যে মিথ্যাচার প্রোপাগান্ডা করে হেফাজতিদের প্রতি সাধারণ মানুষের সহানুভুতি অর্জন করলো, সেই প্রোপাগান্ডা মিথ্যাচার ছড়ালো কী করে, এর বিপরীতে কার্যকর প্রতিরোধ কী ছিল? আপাতত এই টুকুই থাক।
একটা কথা বলি, কসম আল্লাহর তেতুল শাঁফি তার বউকে গার্মেন্টসে চাকরীতে দিত যদি আমরা তার ঘরে ভাত ডাল তুলে না দিতাম। মানুষের দেহের দুই হাড়বিহীন অঙ্গ জিহবা এবং শিশ্নের স্বার্থের কাছে আল্লাহ বিশ্বাস কিছুই না। সমকামিদের সমর্থনের কারণে শুনলাম মোল্লারা নাকি দিপু মনি আর ইউনুসের কঠোর শাস্তি দাবী করছে? দুনিয়া থেকে নারী উঠিয়ে দিন, মা প্রকৃতির কসম জগতের সকল পুরুষ সমকামি হয়ে যাবে।
@আকাশ মালিক,
এই বাস্তব সত্য কথাটা কয়জন admit করবে? বরং এই কথা বলার জন্য আপনাকে নাস্তিক মুরতাদ ঘোষণা করা হবে। যে আস্তিক ব্যক্তি সকাল বিকাল পর্ন দেখে সেও আপনার এই কথা প্রকাশ্যে বিরোধিতা করবে।
@আমি কোন অভ্যাগত নই,
ততজন admit করবে যতজন জানতে পেরেছে শাফিকে ঘরে বসায়ে ভাত খাওয়ালে নিজের ও দেশের কোন মঙ্গল নাই। এটা সাধারণ মানুষকে জানানোর, বিশ্বাস করানোর দায়ীত্ব আপনার আমার শিক্ষিত সমাজের, বুদ্ধিজীবীদের ও রাষ্ট্রের। কী ভাবে? সুশিক্ষা তথা বিজ্ঞান ও দর্শনের মাধ্যমে। কওমী মাদ্রাসা আর আলীয়া মাদ্রাসার শিক্ষা পদ্ধতিতে পার্থক্য আছে। এই পার্থক্য তাদের জীবিকা-পেশার দিকে তাকালেই বুঝা যায়। খেলাফত আর জামাতের অর্থনৈতিক সামাজিক অবস্থানটা লক্ষ্য করুন। একদল পরজীবী পরাশ্রয়ী আরেক দল স্বাবলম্বী সনির্ভর। শিক্ষা হলো অর্থনীতির চাকা, সমাজ সেই গাড়ির প্যাসেঞ্জার। অর্থনীতির চাকা যে দিকে ঘুরবে সমাজ সেই দিকে যেতে বাধ্য, এর ব্যতিক্রম অসম্ভব।
লিল্লা বন্ধ করে দিন। তারপর আমেরিকার ফ্রি ভিসা দিয়ে দেখেন, মাদ্রাসা খালি হইতে সময় লাগবেনা, শাফিও আম্ব্যাসির সামনে টিকেটের জন্যে লাইনে দাঁড়াবে।
@আকাশ মালিক,
তারপর আমেরিকা যেয়ে সেখানকার ননীছানা হজম করে শরিয়াহ ভিত্তিক আমেরিকা গড়ার জন্য চিল্লাফাল্লা করবে।
এদের থামানোর সবচেয়ে ভাল উপায় হল, ভাত বন্ধ করে দেয়া।পেটে ভাত না থাকলে তেঁতুল তত্বের পরিবর্তে পেট তত্বেই বিশ্বাস করবে এরা।
@আমি কোন অভ্যাগত নই,
আরেকজন আওয়ামী উলামায়ে চুতিয়ার চুতিয়ামীটা দেখুন।
এদের মাথা তাদের দুই হাটুর নিচে ঢুকায়ে তালেবানী তরিকায় পাছায় দোররা মারা দরকার।
@আকাশ মালিক,
না বোধ হয়। সেক্স ডল আছে না? এইগুলাকে আরো উন্নত করে শরিয়তী তরিকায় ব্যবহার করা হবে।যোনী তে ইমানদন্ড ঘষে যে মজা, রেক্টামে মনে হয় না সেটা পাওয়া যাবে।
ওরাল সেক্স হলে আলাদা কথা ।
তবে আমি হলে সেক্স ডল নিতাম।পুরুষে পুরুষে সঙ্গম আমার কেমন জানি লাগে( যারা করছে করুক আমার সমস্যা নেই জাস্ট নিজের কথা বললাম),কাজেই মাস্টারবেশন বা ডলটাই আমার জন্যে উপযুক্ত বটে।
দুটি পর্বকে একত্রিত করে একটি লেখা প্রথম পৃষ্ঠা থেকে সরিয়ে দিতে গিয়ে প্রথম লেখাটিতে করা কিছু পাঠকের মন্তব্যও মুছে গেছে। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্যে আমি দুঃখিত।
@আকাশ মালিক, সব মন্তব্যই মুছে গেছে রে ভাই।
@দারুচিনি দ্বীপ,
ট্রাসে রেখেছিলাম, সব গুলো কপি করে নিচে দিলাম। দেখি ঠিক করা যায় কিনা।
সফিক
জুলাই ২৮, ২০১৩ সময়: ৯:১৩ অপরাহ্ণ লিঙ্ক
আওয়ামী লীগের লোকজন আরকিছু না পারুক প্রোপাগান্ডায় বিএনপি’কে দশ বছর সবক দিতে পারে। মুখের কথায় জিডিপি বাড়াতে এদের জুড়ি নেই।
http://bdnews24.com/economy/2013/06/13/wb-forecasts-gdp-at-5.8-pc
WB forecasts GDP at 5.8 pc
Chief Economic Correspondent, bdnews24.com
Published:2013-06-13 04:53:31.0 BdST Updated:2013-06-13 05:50:56.0 BdST
The government might be expecting a 6.3 percent GDP growth this fiscal during its last year of its tenure, but the World Bank is not so optimistic. It says Bangladesh’s annual GDP growth this fiscal will not exceed 5.8 percent. In its Global Economic Prospects (GEP) report released Thursday, the Washinton-based global lender said Bangladesh’s annual GDP growth will not cross the 5.8 percent — a projection it made for the 2012-13 fiscal as well.
[[মন্তব্যটির জবাব দিন]]
2
সফিক
জুলাই ২৮, ২০১৩ সময়: ৯:১৯ অপরাহ্ণ লিঙ্ক
বাংলাদেশের অর্থনীতি চলছে নিজের গতিতে আর একের পর এক সরকার এসে উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিচ্ছে। এই জোয়ারের মধ্য থেকে কোন সরকারকে কোন সরকার থেকে আলাদা করা যায়?
1006285_10201691561750202_1292961743_n.jpg
[[মন্তব্যটির জবাব দিন]]
3
সফিক
জুলাই ২৮, ২০১৩ সময়: ৯:৩৫ অপরাহ্ণ লিঙ্ক
বাংলাদেশে এক্সপোর্ট বৃদ্ধি গত বিএনপি’র আমলেও সমান তালে হয়েছে। ২০০১ সালের ৬ বিলিয়ন ডলারের এক্সপোর্ট, ২০০৭ এ দাড়িয়েছে ১৪ বিলিয়নে।
রেমিট্যান্স বৃদ্ধির হার গত বিএনপি সময়েও ছিলো আরো বেশী,
bangladesh-workers-remittances-receipts-bop-us-dollar-wb-data.png?s=%2fbangladesh%2fworkers-remittances-receipts-bop-us-dollar-wb-data.html
[[মন্তব্যটির জবাব দিন]]
4
সফিক
জুলাই ২৮, ২০১৩ সময়: ১০:১১ অপরাহ্ণ লিঙ্ক
আহ, কি ভয়াবহই ছিলো ‘৯১-’৯৬ আর ০২-০৬, উন্নতির ৯৬-০১ আর ০৯-১৩ এর তুলনায়!
1004068_600998189931157_679257557_n.jpg
[[মন্তব্যটির জবাব দিন]]
দারুচিনি দ্বীপ এর জবাব:
জুলাই ২৮, ২০১৩ at ১১:১৬ অপরাহ্ণ
@সফিক,
আহ, কি ভয়াবহই ছিলো ‘৯১-’৯৬ আর ০২-০৬, উন্নতির ৯৬-০১ আর ০৯-১৩ এর তুলনায়!
সফিক সাহেব, আপনি কি দেশের বাইরে থাকেন?সত্যি কিন্তু ৯১-৯৬ এর চেয়ে ৯৬ এর পরবর্তী সময়ে চাল সহ অন্য সব জিনিসের দাম অনেক কম ছিল।০২ থেকে ০৬ এ আবার সেগুলো আকাশ চুম্বি হয়ে যায় আর ফখরুদ্দীনের সময় তা মোটামুটি আম জনতার নাগালের বাইরে চলে যায়।
তবে এইবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ৯৬ এর মত কোন প্রকার সাফল্য দেখাতে পারেনি এটা আমি স্বীকার করছি। আর মৌলবাদ লালনের ক্ষেত্রে এবং সাম্প্রদায়িকতার ক্ষেত্রে গতবার বি এন পি জামাত যে খেল দেখিয়েছিল, আওয়ামী লীগ যেন সেটাকেই ছাড়িয়ে যাবার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। রামুর ঘটনায় ছাত্র লীগের কর্মীর নেতৃত্ব দান থেকে, সাতক্ষীরায় সংখ্যালঘু নির্যাতনে সরকারের রহস্যময় নিরবতা এইগুলাই তার প্রমান। সবই আসলে ভোটের রাজনীতি।
আর এইবার হাসিনার শরিয়া আইনে বিচারের হুমকি সত্যি ভয় পাইয়ে দেবার মত।
হরর সিনেমাতে পিশাচ যদি মানুষের মাংস খায় তবে সেটা দেখে তেমনটা প্রতিক্রিয়া হয় না আমার কারন পিশাচ মানুষ খাবে এটাই স্বাভাবিক, গা গুলিয়ে আসে তখনই যখন কোন নর মাংস ভোজীর ছবি দেখি; যেখানে মানুষ আরেকজন মানুষকে মেরে তার হাত পা চিবাচ্ছে!
কাজেই বর্তমান আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতার ছদ্মবেশে যেভাবে সাম্প্রদায়িকতা আর মৌলবাদকে লালন করেছে, তা দেখে অনেকটা ওই মানুষের নরমাংস ভোজনের মত অনুভুতি হয় আমার।
তাই বলে ৯১ থেকে ৯৬ সালের দ্রব্য মুল্য যে কম ছিল সেটা অস্বীকার করার কি দরকার?আর এবার কিন্তু বিদ্যুৎ পরিস্থিতিও অনেক ভাল। আমি মফঃস্বলে থাকি। বি এন পির আমলে ২৪ ঘন্টায় প্রত্যেকদিন কমপক্ষে ১২ ঘন্টা করে লোডশেডিং খেয়েছি।
আপনি হয়ত দেশের বাইরে থেকে বুঝবেন না যে, এই বাংলাদেশে বর্তমানে বিদ্যুৎ আসলে পানির মতই; জীবনের অপর নাম।
[[মন্তব্যটির জবাব দিন]]
দারুচিনি দ্বীপ এর জবাব:
জুলাই ২৮, ২০১৩ at ১১:৩২ অপরাহ্ণ
@দারুচিনি দ্বীপ, আরেকটা কথা সফিক, ওইসব অর্থনইতিক উন্নয়নের গ্রাফ দেখে কোন লাভ নেই আমার বা আমার মত ছাপোষা মধ্যবিত্তের জন্য। বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে সঙ্গতি রেখে, কম খরচে যে সরকার ( সে যেই হোক না কেন) আমাকে চাল,ডাল তেল….. কিনার সুযোগ করে দেবে সেটাই আমার জন্য উন্ননের সুচক, আর সেটাই আমার জন্য উন্নত অর্থনীতি।ধন্যবাদ।
[[মন্তব্যটির জবাব দিন]]
সফিক এর জবাব:
জুলাই ২৯, ২০১৩ at ১২:০২ পূর্বাহ্ণ
@দারুচিনি দ্বীপ,
এটা হলো বাংলাদেশে কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স এর ইনফ্লেশনের গত বিশ বছরের চিত্র। এই চিত্র থেকে ভয়াবহ সময় আর শান্তির সময়গুলো আলাদা করুন তো।
bangladesh-inflation-cpi.png?s=bangladeshir&d1=19940101&d2=20131231
[[মন্তব্যটির জবাব দিন]]
5
সফিক
জুলাই ২৮, ২০১৩ সময়: ১০:২৯ অপরাহ্ণ লিঙ্ক
যতদিন আকাশ মালিকের মতো সমর্থক আওয়ামী লীগে দলভারী করে থাকবে ততদিন আওয়ামী বিরোধীদের কোন দু:শ্চিন্তা নেই। অটোমেটিক্যালী আওয়ামী লীগ বার বার নিজেই নিজের পায়ে গুলি করবে। এরা কখনোই নিজেদের অন্ধ সমর্থনের দোষ দেখে না। সব দোষ এর নাইলে ওর।
৫ ই মে রাতের আধারে মিডিয়া ব্ল্যাক আউটে গুলী করে হেফাজতদের ঢাকা থেকে বের করে দয়ার পরে এরা নগ্ন উল্লাসে ফেটে পড়েছিলো। হেফাজতের মতো পোকামাকড় রাজনীতি থেকে দূর হয়েছে আর বিএনপি তাদের উপরে নির্ভর করে ডুবে গেছে এটা তারা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলো। তারা সামান্যতম ভেবে দেখে নি যে রাতের অন্ধকারে গুলী করে তাড়ানোর প্রতিক্রিয়া সারা দেশে কি হতে পারে। আজকে এরা দোষ বের করেছে যে আশরাফুলের একটি উক্তিতেই না কি মানুষ ক্ষেপেছে। মানুষ গুলীতে ক্ষেপে না, উক্তিতে ক্ষেপে।
এই আকাশ মালিকের মতো সমর্থকেরা এই বছর টিতে একের পর এক ভুল প্রেডিকশন করেছে। একের পর এক ঘটনায় নিজেদের অজ্ঞতা ও আবেগসর্বস্বতা সবার সামনে তুলে ধরেছে, তবু দিনশেষে দোষ হলো বাকী সবার। নিজের একটা ভুল, একটা বিভ্রান্তি স্বীকার করার সাহস নেই। এদের মতো সমর্থক থাকার কারনেই আওয়ামী প্রতিপক্ষের আর কিছুই করার দরকার পরে না।
[[মন্তব্যটির জবাব দিন]]
দারুচিনি দ্বীপ এর জবাব:
জুলাই ২৮, ২০১৩ at ১১:৩৮ অপরাহ্ণ
@সফিক,
৫ ই মে রাতের আধারে মিডিয়া ব্ল্যাক আউটে গুলী করে হেফাজতদের ঢাকা থেকে বের করে দয়ার পরে এরা নগ্ন উল্লাসে ফেটে পড়েছিলো।
গুলি করে কয়হাজার লোক মেরেছে বলে আপনি জানেন? ২৫০০ নিশ্চয়? এইসব কি বিশ্বাস করেন আপনি? তবে আপনিও কি সেই দলের লোক? নাহ আপনার পোষ্টগুলো পড়ে কিন্তু আপনাকে অনেক উচুমানের চিন্তাশীল লোক বলেই মনে হয়;যদিও কেউ ভুল ত্রুটির উর্ধে না।
তবে কি শুধুই বিদ্বেষের খাতিরেই বিদ্বেষ করা অথবা তর্কের খাতিরে তর্ক?
এইসব কিন্তু আমার কাছে পাতানো খেলা বলে মনে হয়, গোলাম আজমের বিচারের মত।
[[মন্তব্যটির জবাব দিন]]
সফিক এর জবাব:
জুলাই ২৯, ২০১৩ at ১২:১৩ পূর্বাহ্ণ
@দারুচিনি দ্বীপ,আমার ধারনামতে ২০-৩০ জনের মতো মারা গিয়েছিলো সেই রাতে। আমার কথার উপরে নিজের ধারনা চাপিয়ে দেবেন না। আমি বলেছি যে ঐভাবে রাতের আধারে মিডিয়া ব্ল্যাক আউটের মধ্যে গুলি করে তাড়িয়ে দেয়াটাই আওয়ামী সরকারের কাল হয়েছে। প্রতিপক্ষ প্রোপাগান্ডার সুযোগ পেয়েছে। কেবল আওয়ামী লোকেরাই প্রোপাগান্ডা চলাবে আর অন্যের মুখে আংগুল দিয়ে থাকবে এটা কিভাবে আশা করেন?
আপনি যেমন গ্রাফ-ট্রাফ বোঝেন না, ছাপোষা মানুষ বাজারে গিয়ে দেশের অবস্থা বোঝেন, দেশের কোটি কোটি সাধারন লোক কিন্তু আপনার মতোই বাজারে গিয়েই দেশের অবস্থা বোঝে। তারাই এই বছরের নির্বাচনগুলিতে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে যুথবদ্ধ হয়ে। আপনার ভোটটা খুব চিন্তাভাবনা প্রসূত আর আপনার প্রতিপক্ষের পাওয়া ভোটগুলো সব মগজ ধোলাই হওয়া লোকজনের, এই চিন্তা নিশ্চই করেন না?
[[মন্তব্যটির জবাব দিন]]
দারুচিনি দ্বীপ এর জবাব:
জুলাই ২৯, ২০১৩ at ১২:৩২ পূর্বাহ্ণ
@সফিক,
কেবল আওয়ামী লোকেরাই প্রোপাগান্ডা চলাবে আর অন্যের মুখে আংগুল দিয়ে থাকবে এটা কিভাবে আশা করেন?
আরে ভাই রাগেন কেন? রাগারাগি করলে কি আলোচনা ভাল হয় নাকি? একজন রাজাকার সারাজীবন রাজাকার থাকলেই যে একজন আওয়ামী লীগ সমর্থক সারাজীবন লীগ কেই সমর্থন করবে তার কি মানে আছে নাকি?
তারাই এই বছরের নির্বাচনগুলিতে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে যুথবদ্ধ হয়ে।
সেতো বটেই,এটা যেহেতু আমাদের বাংলাদেশের কালচার হয়ে গেছে তাই কি আর করা। না করেই বা উপায় কি?একটি দল দুবার ক্ষমতায় আসলে যে দেশের একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম হয়ে যাবে, যেই ক্ষমতায় দুবার থাকুক, প্রতিপক্ষকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে না? সেটা আর দশটা ছাপোষা মানুষের মত আমিও ভাল করেই বুঝি।
আপনার ভোটটা খুব চিন্তাভাবনা প্রসূত আর আপনার প্রতিপক্ষের পাওয়া ভোটগুলো সব মগজ ধোলাই হওয়া লোকজনের, এই চিন্তা নিশ্চই করেন না?
আরে না সেই চিন্তা কিভাবে করব? আমি আসলে তেমন কোন চিন্তাই করি না।তবে গতবার আওয়ামী লীগ কে ভোট দিয়েছি।এবার কাউকেই দেব না। আর দিয়েই লাভ কি? যেই লাউ সেই কদু তাই না? জামাত তো আর বিদায় হচ্ছে না।
সেক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জামাত কেই ভোট দেয়াও যাতে পারে( কি বলেন আপনি?);অন্তত ৩য় একটি দল তো ক্ষমতায় আসুক।:-s দুই দলের মিথ্যাচার দেখতে দেখতে আমি ক্লান্ত।
@আকাশ মালিক,আপনি আগের পোস্টে যেয়ে সম্পাদনা বোতামে টিপে তারপরে আপনার নতুন সংযোজন গুলি যোগ করলেই সব কিছু ঠিক থাকতো। আপনি আগের পোস্টে যেয়ে তার পরে নতুন ম্যাটেরিয়াল যোগ করুন। একটি পোস্টে সম্পাদনা অংশে যেয়ে নিজের ইচ্ছেমতো যোগ বিয়োগ করা যায় পোস্টের অংশে। নতুন পোস্ট করে সেই পোস্টে আগের ম্যাটেরিয়াল কপি পেস্ট করে আনবেন না। এটা অতি সাধারন একটা ব্যাপার, এতো দিন পোস্ট করেও এই জিনিষটি আয়ত্ব করতে পারেন নি?
@সফিক,
তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের সুরে মেধা প্রজ্ঞার কথা শুনিয়ে নন্দলালকে লজ্জা দিচ্ছেন?
একই সুরে কথাটা বিভিন্ন জায়গায় বারবার বলেছেন। ব্যক্তি আক্রমন ছাড়া দেখি মন্তব্য করতেই পারেন না। আমি তো দেখি দুশ্চিন্তায় আওয়ামী বিরোধীরা আহার-নিদ্রা ত্যাগ করে জামাত-হেফাজতের পিছু দৌড়াচ্ছেন আর মিথ্যাচার প্রোপাগান্ডা ছড়াতেই দিবানিশী ব্যস্ত থাকেন।
@আকাশ মালিক, আপনাকে পথ বলে দেবার পরও মুছে ফেলা মন্তব্যগুলো কেনো আনলেন না জানাবেন কি?
@সফিক,
আপনি বোধ হয় ধরেই নিয়েছেন যে এখানে কোন ষঢ়যন্ত্র আছে। এখন আমি আপনাকে যতভাবেই কারণ দর্শাইনা কেন আপনি আর মানবেন না। সকল মানুষকে আপনার মত অসাধারণ জ্ঞান-বুদ্ধির ভাবলে তো হবেনা। সম্পূর্ণ মন্তব্যগুলোর হুবহু কপি পেয়ে গেছেন। আমি বলেছি অনিচ্ছাকৃত ভুল, ক্ষমাও চাইলাম, ঠিক করার চেষ্টা করবো বললাম, তারপরেও জানতে চাইছেন মুছে ফেলা মন্তব্যগুলো কেনো আনলেন না। মুছে তো ফেলা হয়নি। আমি এখন বুঝেছি আপনি মনে করছেন আপনার দেয়া কোন তথ্য লুকাবার চেষ্টা করছি। আপনার মন্তব্য লিংক সহ তো আছেই। কেউ চাইলে কপি পেষ্ট করে সুত্র বের করে নিতে পারবে। আর সব চেয়ে বড় কথা হলো আপনার মন্তব্যগুলো তো হুবহু আছেই শুধু লিংকগুলো জুড়ে দিলেই ছবিগুলো এসে যায়। আমি ভাবলাম এখন আর বদলা বদলির দরকার নাই যেহেতু দুই জায়গায়ই মন্তব্য পড়ে গেছে একটা সরালে অন্যটার হারিয়ে যাবে।
আপনার বিভিন্ন মন্তব্য পড়ে আমি বুঝতে পেরেছি আপনি একজন চরম আওয়ামী-মুজিব বিদ্বেষী মানুষ, এবং ভয়ানক ভাবে দাম্ভিক। বিরোদ্ধ মতের মানুষকে তুচ্ছ জ্ঞান করা আপনার স্বভাব। আপনি যদি মনে করেন এই ফোরামে ব্লাইন্ডলি মুজিব বিদ্বেষ আর আওয়ামী লীগের প্রতি ঘৃণা ছড়ানোর একটা অনুকুল পরিবেশ পেয়ে গেছেন, সেটা বোধ হয় ঠিক হবেনা। তথ্য-সুত্র তুলে ধরে গঠনমূলক আলোচনা সমালোচনা করুন। কোন লেখায় ব্যক্তি আক্রমনাত্বক, ক্যাচাল সৃষ্টির উদ্দেশ্যে করা মন্তব্য দেখলে অন্যরা আলোচনায় যোগদান করতে নিরুৎসাহিত হয়। এটা একটি ব্লগের জন্যে শুভ নয়।
@আকাশ মালিক,
অনেকটা এরকম কথাই আমি আমার সর্বশেষ লেখার একটি মন্তব্যের জবাবে বলেছিলাম।কিন্তু গুড়েবালি 🙁
@আকাশ মালিক,
একটু নাক গলাব কিছু মনে করবেন না( যেহেতু এটা আপনার আর সফিকের মধ্যকার বাদানুবাদ তাই আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি)।
মানুষকে তুচ্ছ জ্ঞান করাটা আসলেই কোন উন্নত মানসিকতার পরিচয় বহন করে না।এটা সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
এখানে সফিক সাহেব দাবী করেন যে তাঁর ধর্মে অ্যালার্জি আছে তারপরেও ইসলাম ধর্মকে একতরফা ভাবে যারা হেয় করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। এটা খুবই ভাল জিনিস সন্দেহ নেই।তবু যদি তিনি মানুষ কে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করাতা অব্যাহত রাখেন সেক্ষেত্রে আমার মত মুসলিমের সব ধরনের সমর্থন তিনি হারাবেন( আমি বলছিনা যে আমার কোন প্রকার সমর্থন তাঁর দরকার আছে),সেই সাধে তাঁর প্রতি সম্ভ্রম বোধ। কারন মানুষকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করাটা মোটেও ভাল কাজ নয়।
সত্যি এটা খুবউ দুঃখজনক যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের প্রতি নুন্যতম সৌজন্য তিনি দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছেন। এটা সত্যিই খুবই পরিতাপের বিষয়।
সমালোচনার সুযোগ মানে এই না যে এই দেশের স্থপতির প্রতি কেউ এমন নেতিবাচক মন মানসিকতা পোষণ করবেন এবং সুযোগে এক হাত দেখে ছাড়বেন।
আমার মনে হয় যে মুক্ত মনার আরো কিছু বেশি সেন্সর করা উচিত। কোন ধর্মীয় নেতার বিরুদ্ধে বিদ্বেষ পোষণ করলে যদি সেন্সর করা যায় তবে বাংলাদেশের স্থপতি শেখ সাহেবও কিছুটা বিশেষ ছাড় পেতেই পারেন।এটা আমার ব্যক্তি গত অভিমত মাত্র।
@সফিক,
দিগন্ত টেলিভিশন কেই তো এই রাতে নিষিদ্ধ করা হয় নাকি?ঠিক মনে নেই। এই দিগন্তই বলেছেল যে ৭ জন মারা গেছিল আর আপনি কিনা ২০-৩০ বানিয়ে দিলেন?
সেখানে “দারুচিনি দ্বীপ” সন্দেহ করতেই পারে যে আপনি ৩/৪ হাজার মানুষ মারার তত্বের দলের লোক :-)। মুক্ত মনাতে যারা নতুন আসেন তাদের পক্ষে আপনাকে চেনা খুবই মুশকিল।তবে পরে ধীরে ধীরে আপনার মুখোশ উন্মোচিত হয়ে যায় :-)। প্রথমবার এসে আমিও আপনাকে নিয়ে ধন্দে ছিলাম এখন আমি সেই স্টেজ পার করেছি।