পটভূমি:
অভিযোগ করা হয়, কক্সবাজারের রামু উপজেলার বৌদ্ধ পাড়ার উত্তম বড়ুয়া নামের এক যুবক তার ফেইসবুক একাউন্ট থেকে কুরআন শরীফের অবমাননা করে একটি ছবিটি পোস্ট করে।
প্রতিক্রিয়া:
এই অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার (২৯/০৭/২০১২) রাত দশটায় রামুতে জামাত-শিবিরের একটি মিছিল বের হয়। মিছিল করে শহর প্রদক্ষিণ শেষে এরা উত্তম বড়ুয়ার বিচার দাবী করে।
কিছুক্ষণ পর রাত সাড়ে এগারোটার দিকে আরেকটি দল মিছিল নিয়ে বের হয়ে রামুর বৌদ্ধ পাড়ার দিকে এগোয়। বিশেষানুভূতিতে আঘাতপ্রাপ্ত এই ধর্মান্ধ বড়াহরা রামুর ওই বৌদ্ধ পাড়ার প্রায় পনেরোটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এই কাঠমোল্লা ধর্মান্ধ মুসলমানরা এরপর এগিয়ে তিনটি বৌদ্ধ মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দেয়। সাথে চলে মন্দির লুটপাট।
এরপর, বিশেষ জোশে জোশান্বিত এই ধর্মান্ধ মুসলমানের দল আশেপাশের আরো কয়েকটি বৌদ্ধ গ্রামে হামলা চালায়, আগুন দেয় আরো কয়েকটি মন্দিরে।
প্রকৃত ঘটনা
ফেসবুকের একটি গ্রুপ ইনসাল্ট আল্লাহ-এ কুরআন শরীফের অবমাননা করে একটি ছবিটি পোস্ট করা হয় এবং তাতে উত্তম বড়ুয়াকে ট্যাগ করা হয়। আর এর প্রেক্ষিতে বিশেষানুভূতিতে আঘাতপ্রাপ্ত কাঠমোল্লারা চালায় বৌদ্ধদের উপর এই তান্ডব। সাথে ইন্ধন হিসেবে যোগ হয় সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা ইস্যু।
রামু সীমা বিহারের বৌদ্ধ মূর্তি
প্রশাসনের ভূমিকা:
রাত এগারোটা থেকে ভোররাত চারটা পর্যন্ত চলে জামাত-শিবির ও কাঠমোল্লা ধর্মান্ধ মুসলমানদের এই তান্ডবলীলা। এই পাঁচ ঘন্টা পুলিশ-বিজিবি-স্থানীয় প্রশাসন এই বড়াহদের নাকি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি? সেলুকাস!
বৌদ্ধ মন্দিরের ভাঙা মূর্তি
বর্তমান অবস্থা:
সর্বমোট পনেরোটি মন্দির পুড়িয়ে দেয়া হয়। এরমাঝে আছে তিনশ বছরের পুরনো রামু সীমা বিহার। এছাড়া, ধ্বংস করা হয়েছে প্রায় পঞ্চাশটির বেশি বৌদ্ধ বসতি, দোকান-পাট। এখন রামুতে ১৪৪ ধারা জারি আছে রবিবার সকাল হতে।
আজ রবিবার দুপুর বারোটার দিকে চট্টগ্রামের পটিয়ার লাখেরা অভয় বৌদ্ধবিহারের মূল মন্দিরসহ পাঁচটি শাখামন্দির ভাঙচুর করেছে ধর্মান্ধ মুসলমানদের একটি দল। পরে একটি হিন্দুমন্দিরও ভাঙচুর করা হয়। এরপর এই উন্মাদের দল আশেপাশের বৌদ্ধ-হিন্দু বসতিতে আক্রমন করে। পরে, এরা কোলাগাঁও বৌদ্ধবিহারে ও নবারণ সংঘ দুর্গাবাড়ী হিন্দুমন্দির ভাঙচুর করে।
সাতকানিয়া থানার সংখ্যালঘু ডেমসা গ্রামে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করেছে। এছাড়া পটিয়ার পাচুরিয়াতেও হিন্দু-বৌদ্ধদের হামলার চেষ্টা করা হয়। বোয়ালখালির শাকপুরার সংখ্যালঘুদের হামলার বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেছে ধর্মান্ধ মুসলমানরা।
:line:
বাংলাদেশে আইন আছে, আদালত আছে। নিজের মতামত প্রকাশ করার জন্য উন্মুক্ত মঞ্চ আছে, ফেসবুক, ব্লগ আছে। কেউ যদি কারও কথায়/কাজে আহত বোধ করে, কারও বিশ্বাস যদি কারও কথায়/কাজে আঘাত প্রাপ্ত হয়, সেটার বিচার চাইবার জন্য আদালত আছে। এই সব আঘাতের জবাব দেয়ার জন্য পত্রিকা, ব্লগে, উন্মুক্ত আলোচনার মঞ্চ আছে। কিন্তু আমাদের সমাজের এই সব ধমার্ন্ধ, কাঠমোল্লা, জামাত-শিবির, কওমী মাদ্রাসার অপদার্থ অমানুষ বড়াহ নন্দনগুলো এইসব মানবিক পথগুলো না ধরে সব সময় সহিংসতার রাস্তায় চলে। হত্যা করে নিরীহ মানুষ, ধ্বংস করে উপাসানালয়, অন্য ধর্মাম্বলীদের বসতি-ব্যবসায়।
এই মৌলবাদীগুলো কিছুদিন আগে ‘ইনোসেন্স অব মুসলিম’-এর জন্য ইউটিউব বন্ধ করার আন্দোলন করল। অন্যের উপর রাগ করে নিজের গালে জুতা মারার মত করে আমাদের মহামান্য সরকারও এতে সাঁয় দিল।
এই ঘটনার রেশ যেতে না যেতে সামান্য একটা ফেসবুকীয় ছবির জন্য ধ্বংস করা হলো বৌদ্ধদের মন্দির-মূর্তি, বসতি। মানবিক বা, যৌক্তিক পন্থায় কোন কিছুর বিরোধিতা করা যায়, সভ্য উপায়ে বিচার চাওয়া যায়, এই বিষয়টিই মাথায় থাকে না এসব কুকুরছানাদের।
সরকারও এদের লাই দিয়ে যাচ্ছে। টানা পাঁচ ঘন্টা প্রশাসনের নাকের উপর বসে এরা বৌদ্ধদের নিপীড়ণ করল, অথচ, প্রশাসন ব্যবস্থা নিল ভোররাতে। এসব নিমমোল্লা অমানুষদের সব সরকারই লাই দিয়েছে। এতে করে যে দেশের সর্বনাশ করা হচ্ছে তা বুঝেও নিজের লাভের জন্য চুপ করে থাকে গোদীলোভী সরকার ও দলগুলো।
এর আগে চট্টগ্রামের ফতেয়াবাদ, হাটাজারীতে হিন্দু মন্দির-বসতিতে আক্রমন করেছিল নোংরা ধর্মান্ধ কীটগুলো। তারও কয়েকমাস আগে চট্টগ্রামের ব্রিকফিল্ড রোডে খ্রীস্টানদের উপর হামলা করে এই নরপশুগুলো। এভাবে, বৌদ্ধ, হিন্দু, খ্রীস্টান, মুক্তমনাসহ সব মানবতাবাদী ও বিরোধীদের দমন করতে থাকবে এইসব ধর্মান্ধ, কাঠমোল্লা, জামাত-শিবির, কওমী মাদ্রাসার প্রোডাক্ট ছাগুগুলো। একদিন হয়ত দেখা যাবে, ওই কীটগুলো ছাড়া আর কেউই অবশিষ্ট নেই।
ভয় হচ্ছে…………অজানা ভবিষ্যতের ভয়ে কেঁপে উঠছি বারবার। বাংলাদেশ কি তবে বাংলাস্তান হতে চলল?
তথ্য ও ছবি সহায়িকা:
:lotpot: সবুজ পাহাড়ের রাজা আপনার রাজ্য অনেক দূর। আমি এখানে একটু প্লাস করতে চাই-
১) কক্সবাজার এর রামুতে যে সহিংসতা হল তার নেপথ্য কাহিনী এখন ত্রি-মাত্রার রাজনীতির মেনিফেস্তও ।
২) খতনা দেওয়া দেশী সংবিধান এর ধারা এখানে বাঈজী-বালার মত দুলুনি দেয়।
৩) আপনি জানেন, মাদ্রাসা-মন্দির এর তালিম/পড়া অনুবাদ বিহীন ব্যবস্থা।
এখন বলতে চাই——-
কক্সবাজার এর নানা জায়গায় R.S.O. (Rohingya Solidarity Organization) এর মদদে যে সকল কাজ হয়ে থাকে তা বলতে গেলে অনেকটা প্রকাশে কিন্ত অনুবাদ বিহীন ব্যবস্থার তালিম/পড়ার সুবাদে অকাল সন্তান এর মত সবই খু-উ-ব সিক্রেট।
আর জাতীয় সম্পদ কত নস্ট হয়েছে? সেই হিসাবের নিকুচি করি!!!!!!!!!!
কারণ আমি শহীদি কাফেলা!!!!!!!!
সংযুক্ত:
রামুর ঘটনায় আল-জাজিরার প্রতিবেদন…[লিংক]
@বিপ্লব রহমান,
(Y)
আপডেট:
International protest against communal attack on indigenous Jumma peoples in Rangamati by Bengali settlers in presence of security forces
chtnewsupdate.blogspot.com/2012/10/international-protest-against-communal.htm
@বিপ্লব রহমান,
ভাই, আপনার সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে একটু কথা ছিল।
ফেসবুকে বা, মেইলে আমাকে অ্যাড করে নিলে ভাল হত।
ফেসবুক লিংক: [img]http://i.imgur.com/WPQtk.png[/img]
@সবুজ পাহাড়ের রাজা,
ভ্রাতা, মুক্তমনার ই-বার্তা চেক করুন। আপনাকে লিখেছি। (Y)
@বিপ্লব রহমান,
ধন্যবাদ।
আমিও জবাব দিয়েছি। 🙂
বাংলাদেশের অবস্থা পাকিস্তান-আফগানিস্তানের মতো হতে মনে হয় দেরী নাই,ধর্মান্ধতা আর অসহনশীলতা ভয়াবহ আকারে বাড়ছে।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
এই বিষয়টিই নিয়ে ভয়ে আছি ভাই।
তারপরও আমি আশাবাদী। আমরা সবাই যদি এসবের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াই, তাহলে এই অনাকাঙ্খিত ভবিষ্যত দেখতে হবে না।
ধর্মান্ধতা নিপাত যাক।
বাংলাস্তান হতে চলল না, হয়ে গেছে অলরেডি … 🙁
@অভিজিৎ,
বাংলাস্তান হয়ে গেছে, তা বলতে চাচ্ছি না।
এদেশে এখনো সবাই তো পশু হয়ে যায়নি।
আমি আশাবাদী।
বাংলাস্তানের দ্বারপ্রান্ত হতে আমরা ফিরে আসবই।
বাংলাদেশ “বাংলাস্তান” হতে আর বাকি আছে কি?
@তামান্না ঝুমু,
এভাবে চলতে থাকলে, তা আর খুব বেশিদিন দূরে নেই।
যেদিন ধর্মান্ধরা ধর্মের ব্যানারে রাষ্ট্র পরিচালনার মূল আসনে বসবে, সেদিন ধর্মান্ধদের বাংলাস্তানের মিশন পূর্ণ হবে।
সেদিন যাতে দেখতে না হয়, তার জন্য প্রাণপণে লড়ে যাব।
@ ভালো লাগল, রাজনীতি যাকে খায় , তার সব খায়
@সোহেল আব্ধুল্লাহ,
ধর্মান্ধতা নিপাত যাক।
ভাই এরা হচ্ছে ধর্মান্ধ আর দিন কানা। কারণ তারা দিনের বেলা ভাংচুর করতে যায় না, যায় রাতের বেলা। এ থেকেই বুজা যায়, তারা যে বড় রকমের আকাম করবে, তা ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। যদি কোন বৌদ্ধ এই রকম কাজ করেই থাকে, তাহলে শাস্তি ঐ ব্যাক্তি নিজে পাবে। কিন্তু এত গুলা লোক কেন শাস্তি পাবে? মুখে যত জোরে বলে, ইসলাম শান্তির ধর্ম। তত জোরে অশান্তির সৃষ্টি করে।
মসজিদ ভাঙে ধার্মিকেরা, মন্দিরও ভাঙে ধার্মিকেরা, তারপরও তারা দাবি করে তারা ধার্মিক, আর যারা ভাঙাভাঙিতে নেই তারা অধার্মিক বা নাস্তিক।– হুমায়ন আজাদ।
আপনার লেখা টা পড়ে ভাল লাগল। সবসময় লেখা চালিয়ে যাবেন।
আপনার জন্য রইল শুভ কামনা।
ধন্যবাদ।
@জম,
@জম,
আমজনতাকে বিচার/শাস্তি দেয়ার অধিকার কে দিল?
কারো অনুভূতিতে আঘাত লাগলে, তার বিচার চাইবার জন্য আইন আছে, আদালত আছে। জবাব দেয়ার জন্য ফেসবুক, ব্লগ, পত্রিকা, উন্মুক্ত গণমাধ্যম আছে।
প্রবচন গুচ্ছে হুমায়ুন আজাদ বলেছিলেন,
‘মসজিদ ভাঙলে আল্লাহর কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায় আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি। কিন্তু ওরা তাকে চালায় ধর্মের নামে।’
বাংলাদেশ হারামী লীগ করছেটা কি এখন? এরা নাকি ধর্ম নিরপেক্ষ? তবে এরা ক্ষমতায় থাকতে এইসব ঘটে কিভাবে? এ দেখি ধর্ম নিরপেক্ষতা নিয়েও ব্যবসা শুরু হয়েছে। সত্যি ভাই বাংলাদেশ আজ বাংলাস্তানই হয়ে গেছে।
ধন্যবাদ অসাধারণ লেখাটির জন্য।
@অচেনা,
দেশের সর্বনাশ করা হচ্ছে তা বুঝেও নিজেদের লাভের জন্য চুপ করে থাকে গোদীলোভী সরকার।
সরকার ভুলে যাচ্ছে-
শ্রদ্ধেয় হুমায়ুন আজাদ, আহমেদ শরীফ এর মতো মানুষের অনেক বেশী প্রয়োজন দেশটাকে বাসযোগ্য অবস্থায় রাখার জন্য। অথচ তাদের মতো মানসিকতা সম্পন্ন মানুষের বৃদ্ধি না হয়ে, ইমানদন্ডধারী লোকের সংখ্যা অত্যন্ত বেশী বৃদ্ধি পাচ্ছে।
”প্রিয়তম দেশ, তোমার শরীর থেকে বেরোচ্ছে পূঁজ, পচা লাশের দূর্গন্ধ। আমিতো তোমাকে ভালোবাসতে চাই, কিন্তু তুমিই আমাকে বিষাক্ত দূর্গন্ধ দিয়ে দূরে ঠেলে দিচ্ছো।”
@ভক্ত,
ভাল মানুষগুলো দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। আর, তাদের জায়গা করে নিচ্ছে নষ্টরা।
সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মান্ধতা নিপাত যাক।
.
.
[img]http://i.imgur.com/E5UEd.png[/img][img]http://i.imgur.com/WPQtk.png[/img][img]http://i.imgur.com/fyyY4.png[/img]
ইউটিউব বন্ধ করা , দিনাজপুরে ও রামু তে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা , সংবিধানে বিসমিল্লাহ রেখে দেওয়া ইত্যাদি দ্বারা প্রমানিত হয় যে আওয়ামীলীগ একটি অসাম্প্রদায়িকতার ছদ্মবেশে কট্টর সাম্প্রদায়িক দল। ঠিক যেমনটি জামাতে ইসলামী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের ছদ্মবেশে ইসলামী জঙ্গিবাদি দল। আমাদের সময় এসেছে এই সমস্ত দুর্বৃত্ত রাজনৈতিক দল সমুহকে প্রত্যাখ্যান করার।
@মাসুদ রানা,
এইসব স্বার্থান্বেষী দল ও সরকারগুলোকে প্রত্যাখান না করলে আমাদের দেশের উন্নতি সম্ভব নয়।
সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার-নিপীড়ণ বন্ধ হোক।
@সবুজ পাহাড়ের রাজা, আমরা দাত থাকতে দাতের মর্যাদা বুঝি না. ঠিক তেমনি ফকরুদ্দীন ও মইনউদ্দীনরা থাকতে আমরা তাদের মর্যদা বুঝি নাই. :-Y
@HuminityLover,
এইডা কি কইলেন ভাইডি?
ফকু-মইন গংরাও তো একই জাহাজের মাল্লা।
বিদেশে থাকলে দেশের খবর বেশী নেয়া হয় ।তাই রোজ ২বার করে দেশের খবর নেই,কিন্তু ইদানিং একটি খবরেই সব কিছু আটকে গেছে তা হল নবীর উপর অপমানজনক সেই ছবি ।আমাদের দেশের মুসলিমদের বুঝতে হবে এতে পারতপক্কেও আমাদের দেশের কুনো অমুসলিম জড়িত নয় ।আর পাহারি জনপথের এই সরল সিদা মানুষগুলি প্রশ্নই উটেনা ।মুসলমান ভাইদের আকুল আবেদন দয়া করে উত্তেজিত হয়ে কারো জান মাল নষ্ট করবেননা ।ফেইছ বুকে যে কেও যে কাউকে ট্যাগ করতে পারে তারমানে এই নয় সেই এই ছবির জন্য দায়ী ।এবং অমুসলিম ভাইদেরও অনুরুধ জানাচ্ছি,অহেতুক স্পর্শকাতর বিষয় ট্যাগ/শেয়ার করে নিরাপরাধ মানুষদের ক্ষতি করবেননা ।আপনার চিন্তা বা মত প্রকাশের আর অনেক উপায় আছে ।সবার কাছে সবার ধর্ম বড় তাই অন্য ধর্মকে যদি ছোট ,মিথ্যা সাব্যস্ত করতে হয় তবে যুক্তি-প্রমান ধারা করুন ।ধর্মের কারনে লঙ্কায় যে অগ্নি ধরিল তাহা কবে যাইয়া যে শীতল হইবে আমার জানা নাই ।
@নিগ্রো,
সংখ্যালঘুদের উপর অশ্লীল এই অত্যাচার বন্ধ হোক।
ধন্যবাদ এই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুটি নিয়ে লিখবার জন্য। কী আর বলব, দেশের কথা ভাবলেই এখন হুমায়ূন আজাদের কবিতাটির কথা মনে পড়ে –
যখন আমরা বসি মুখোমুখি, আমাদের দশটি আঙুল হৃৎপিন্ডের মতো কাঁপতে থাকে
দশটি আঙুলে, আমাদের ঠোঁটের গোলাপ ভিজে ওঠে আরক্ত শিশিরে,
যখন আমরা আশ্চর্য আঙুলে জ্বলি, যখন আমরাই পরষ্পরের স্বাধীন স্বদেশ,
তখন ভুলেও কখনো আমাকে তুমি বাঙলাদেশের কথা জিজ্ঞেস করো না;
আমি তা মূহূর্তেও সহ্য করতে পারি না, -তার অনেক কারণ রয়েছে।
তোমাকে মিনতি করি কখনো আমাকে তুমি বাঙলাদেশের কথা তুলে কষ্ট দিয়ো না।
জানতে চেয়ো না তুমি নষ্টভ্রষ্ট ছাপ্পান্নো হাজার বর্গমাইলের কথা, তার রাজনীতি,
অর্থনীতি, ধর্ম, পাপ, মিথ্যাচার, পালে পালে মনুষ্যমন্ডলি, জীবনযাপন, হত্যা, ধর্ষণ,
মধ্যযুগের দিকে অন্ধের মতোন যাত্রা সম্পর্কে প্রশ্ন ক’রে আমাকে পীড়ন কোরো না;
আমি তা মুহূর্তেও সহ্য করতে পারি না, – তার অনেক কারণ রয়েছে ।…
@অভিজিৎ,
তোমাকে মিনতি করি কখনো আমাকে তুমি বাঙলাদেশের কথা তুলে কষ্ট দিয়ো না।
জানতে চেয়ো না তুমি নষ্ট ভ্রষ্ট ছাপ্পান্ন হাজার বর্গ
মাইলের কথা: তার রাজনীতি
অর্থনীতি, ধর্ম, পাপ, মিথ্যাচার, পালে পালে মনুষ্যম-লী
জীবনযাপন, হত্যা, ধর্ষণ
মধ্যযুগের দিকে অন্ধের মতোন যাত্রা সম্পর্কে প্রশ্ন
করে আমাকে পীড়ন কোরো না
তার ধানক্ষেত এখনো সবুজ, নারীরা এখনো রমনীয়, গাভীরা এখনো দুগ্ধবতী,
কিন্তু প্রিয়তমা, বাঙলাদেশের কথা তুমি কখনো আমার কাছে জানতে চেয়ো না;
আমি তা মুহূর্তেও সহ্য করতে পারি না, তার অনেক কারণ রয়েছে।
পোস্ট আপডেট:
উখিয়াতেও বৌদ্ধদের উপর হামলা করল ধর্মান্ধ কাঠমোল্লা মুসলমানরা।
লিংক: http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?id=206466&cid=2
টেকনাফেও দাঙা হচ্ছে।
লিংক: http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?id=206496&cid=2
পোস্ট আপডেট:
বৌদ্ধপল্লিতে হামলা, বৃদ্ধার মৃত্যু
লিংক: http://prothom-alo.com/detail/date/2012-10-01/news/294138
পোস্ট আপডেট:
বুচি শর্মা জীবিত আছেন।
লিংক: http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-10-01/news/294232
আরো অনেকদিন বেঁচে থাকুন।
বর্বরতার যেন কোন সীমা পরিসীমা নেই… কী এক দেশ আমাদের। সারা পৃথিবী জুড়ে এক নীচু মানের হাস্যকর মুভি ট্রেইলার (একে ক্যম্নে যে মুভি বলে তাও আমার জানা নেই) নিয়ে মুসলিম দেশগুলো যা করলো তা দেখে দুঃখ হয়েছিল, করুনা হয়েছিল। কিন্তু যখন দেখলাম আমাদের দেশের মুসলমান ব্রাদারহুডও সেই কাফেলায় যোগ দিয়ে অন্য ধর্মাবলম্বীদের ঘর বাড়ি উপাসানালয় জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে তখন যেন লজ্জায় ঘৃণায় মাথা নীচু হয়ে আসলো। এতদিন ভাবতাম সভ্যতা ধীরে হলেও সামনের দিকেই এগোয়, এখন মাঝে মাঝে মনে হয় ধারণাটা হয়তো ভুলই ছিল!!!!
@বন্যা আহমেদ, আপনি হয়ত জানেন নাযে ধর্মান্ধ মৌলবাদী ও কট্টর ধার্মিক ছাড়াও আমাদের দেশের যারা নামমাত্র মুসলিম। অর্থাৎ ধর্মকর্ম মোটেও পালন করেনা, কিছু ইভ টিজার, বখাটে যুব সম্প্রদায় সকলে এই কাফেলায় যোগ দিয়েছে। কি আশ্চর্য !!!
@মাসুদ রানা,
এইসবই তো আজকাল ধার্মিক গোষ্ঠী। রগরগে কবিতা লিখে বাহবা নিবে আর ভ্যালেন্টাইন ডে কে কাফেরী দিন বলে ঘোষণা করবে।
@বন্যা আহমেদ,
আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি। মনুষ্যত্বের দৌঁড়ে আমরা হেরে যাচ্ছি।
সবদিকে চলছে জ্বালাও পোড়াও।
এরপর কে নিপীড়িত হবে?
@সবুজ পাহাড়ের রাজা,
মানবতা যেখানে নিপীড়িত, লাঞ্ছিত, অতঃপর নিহত- সেখানে এরপর আর কারো সিরিয়ালে আসার প্রতীক্ষার কিছু নাই। ভয় পাওয়ার সময় আমরা মনে হয় পিছনে ফেলে রেখে এসেছি, দেশ অলরেডী বাংলাস্তান হয়ে গেছে । আমাদের সমাজ আর রাষ্ট্র ব্যবস্থার রন্ধ্রে রন্ধ্রে বাসা বেঁধেছে নীতিহীন নৈতিকতা আর ধর্মান্ধতার ক্যন্সার, মৃত্যুই এখানে আজ বেঁচে যাওয়ার একমাত্র উপায়।
মরে যাওয়ার আগে লড়ে যাচ্ছেন এজন্য আপনাদেরকে এবং মুক্তমনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
@Arsalan,
তবু যতক্ষন এদেহে আছে প্রাণ, ততক্ষণ সরাবো পৃথিবীর জঞ্জাল।
সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মান্ধতা নিপাত যাক।
[img]http://i.imgur.com/E5UEd.png[/img][img]http://i.imgur.com/WPQtk.png[/img][img]http://i.imgur.com/fyyY4.png[/img]
@সবুজ পাহাড়ের রাজা,
আমি আর আপনি। তৈরী হন।সত্যি বলছি দেখবেন বেশিদিন নাই আর।
@অচেনা,
এভাবে চলতে থাকলে সেদিন আর বেশি দেরী নাই।
তবে, শেষ হয়ে যাবার আগে ধর্মান্ধ-সাম্প্রদায়িকতার আগে লড়ে যাবো।
@বন্যা আহমেদ,
রাসেলের একটা কথা আমার খুব মনে ধরেছিলো ছোটবেলাই। সে বলেছিলো, সব মানুষের ভিতরেই ধ্বংসের একটা দিক রয়েছে, যা তাঁর ভিতরেও রয়েছে। সে মনে করেছে শুধু শিক্ষা এই ধ্বংসের দিকটা দূর করতে পারেনা। তাই সে নিজে প্রায়ই ২৫ মাইল করে দিনে হেঁটে নিজেকে ক্লান্ত করে রাখতো, যাতে তাঁর ভিতরের ধ্বংসের দিকটা খুব সবল না হয়ে ওঠে।
ধন্যবাদ।
আদিবাসীদের, স্বাধীনতার আর নিজেদের একটি দেশের জন্য ডাক দেবার সময় এসেছে।
@আদনান আদনান,
এভাবে চলতে থাকলে ওরা যে এমনটি চাইবে, সেটা তো স্বাভাবিক।
এখনো সময় আছে, সরকারের উচিত এসব ধর্মান্ধ কালপ্রিটগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া।