রাঙামাটি সহিংসতার জের মিটতে না মিটতেই কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধ ধর্মালম্বী অধ্যুষিত অঞ্চলে মৌলবাদী সন্ত্রাসীরা তাণ্ডবলীলা চালিয়ে ধ্বংস করেছে অন্তত সাতটি বৌদ্ধ মন্দির, প্রায় ৩০টি বাড়ি ও দোকানে। হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে আরো শতাধিক বাড়ি ও দোকান-পাটে। হিংসার অনলে পুড়ে ছাই হয়েছে অহিংস বাণীর প্রচারক সাধু গৌতম বুদ্ধের বিহার। ভীত, সন্ত্রস্ত এখন রাখাইন জনপদ।
ফেইসবুকে কোরআন অবমাননার অভিযোগে কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধবসতিতে হামলা চালিয়ে রাতভর তাণ্ডব চালিয়েছে র্ধর্মীয় উগ্রপন্থীরা।
শনিবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত চলা এই হামলায় রামু উপজেলার ৭টি বৌদ্ধ মন্দির, প্রায় ৩০টি বাড়ি ও দোকান পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে আরো শতাধিক বাড়ি ও দোকানে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জসীম উদ্দিন জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রোববার সকাল থেকে রামুতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ, বিজিবি, র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর ও শিল্পী মন্ত্রী দীলিপ বড়–য়া রোববার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসছেন বলে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে কোরআন শরিফ অবমাননা করে ছবি সংযুক্ত করার অভিযোগ এনে একটি ইসলামী দলের কয়েকজন নেতার নেতৃত্বে একটি মিছিল বের করা হয় শনিবার রাত ১০টার দিকে।
মিছিল শেষে সমাবেশে বক্তারা দাবি করেন, রামু উপজেলার বৌদ্ধ পাড়ার উত্তম বড়ুয়া নামের এক যুবকের ফেইসবুক একাউন্টে কোরআন অবমাননাকর ছবিটি পোস্ট করা হয়েছে। ওই যুবককে আটকেরও দাবি জানান বক্তারা।
সমাবেশ শেষে কিছুক্ষণ পর আবারো একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি রাত সাড়ে ১১টার দিকে রামুর বড়ুয়া পাড়ায় পৌঁছানোর পর কয়েকজন যুবক স্থানীয় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কয়েকটি বাড়িতে আগুন দেয়।
এরপর ওই এলাকার অন্তত ১৫টি বাড়ি, তিনটি বৌদ্ধ মন্দিরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ভাঙচুর হয় শতাধিক বাড়ি।
ঘটনাস্থল থেকে রাত দেড়টার দিকে কক্সবাজারের রাখাইন এক তরুণ বন্ধু টেলিফোনে এই লেখককে বলেন, দাদা, পুরো বৌদ্ধ পাড়া এখন আগুনে জ্বলছে। হামলার খবর পেয়ে আমরা কয়েক বন্ধু মোটরসাইকেলে ঘটনাস্থলে এসেছি। চারিদিকে শুধু আগুন, ধোঁয়া আর চিৎকার। …এই মাত্র চোখের সামনে রামু বৌদ্ধ মন্দিরে আগুন দেওয়া হলো।…
জবাবে রাখাইন বন্ধুটিকে সাবধানে ঘটনা পর্যবেক্ষণ করা ছাড়া আর তেমন কিছুই বলা যায়নি। পরে এই বন্ধুটিই আগুন নিভে আসলে ধ্বংসযজ্ঞের কিছু ছবি ইমেইল করেন। মনে পড়ে যায়, এ বছর জানুয়ারিতেই টেকনাফের প্রায় ২০০ বছরের প্রাচীন হ্নীলা বৌদ্ধবিহার (সেনপ্রু ক্যাং) দখলের বিষয়ে সংবাদপত্রে একটি সরেজমিন অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করা হয়েছিলো। সে সময়ও রাখাইন বন্ধুরা তথ্যদিয়ে যথেষ্ট সহায়তা করেছিলেন। …
[দ্র. টেকনাফের প্রাচীন বৌদ্ধবিহার নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে]
সকাল হতে না হতেই টিভি, অনলাইন, ফেবু ছেয়ে যায় রামু’র সংবাদে। রাখাইন বন্ধুরা ইমেইল করে পাঠান ঘটনাস্থলের কিছু তাজা ছবি। একটি ছবিতে দেখা যায়, পাথুরে ধ্যানী বুদ্ধ সৌম্য চেহারায় অবিচল। তাকে ঘিরে রেখেছিলো যে, টিনের মন্দির, সেটি অবশ্য আগুনে পুড়ে ছাই। এখনো পোড়া খুঁটি, দুমরে যাওয়া টিনের বান্ডিল থেকে ধোঁয়া উঠছে। …
খবরে প্রকাশ রামুর ঘটনার সূত্র ধরেই হামলা হয়, চট্টগ্রামের পটিয়াতেও। সে বিষয়ে খবরে বলা হয়:
রামুর পর এবার পটিয়ায় হিন্দু ও বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা চালিয়েছে ধর্মীয় উগ্রপন্থীরা।
পটিয়া থানার ওসি আমিনুর রশিদ জানান, রোববার বেলা ১২ টা থেকে দেড়টার মধ্যে এই হামলায় দুটি হিন্দু মন্দির ও দুটি বৌদ্ধ মন্দির ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, বেলা ১২টার দিকে কয়েকশ লোক মিছিল করে লাখাড়া অভয় বৌদ্ধ বিহারে হামলা চালায় এবং আগুন দেয়।
এরপর কোলাগাঁও রতœাঙ্কুর বৌদ্ধ বিহার, কোলাগাঁও নবারুণ সংঘ দুর্গা মন্দির ও জেলে পাড়া মাতৃ মন্দিরেও হামলা হয়।
অভয় বৌদ্ধ বিহারের প্রাচীন বুদ্ধ মূর্তি ভাংচুর এবং নবারুণ সংঘ দুর্গা মন্দিরে দুর্গা প্রতিমাতেও আগুন দেয় হামলাকারীরা।
ওসি বলেন, “মহানবী হযরত মুহাম্মদকে (স.) অবমাননার অজুহাতে উগ্রপন্থীরা এ হামলা চালিয়েছে।
ঘটনাস্থলে পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
টেকনাফ থেকে রাখাইন বন্ধুরা টেলিফোনে জানান, সেখানের রাখাইনপল্লী এলাকাতেও রবিবার রাতে হামলা চালানো হয়। বৌদ্ধ মন্দিরগুলোই সন্ত্রাসী হামলার প্রধান শিকার। …সবশেষ খবরে সাম্প্রদায়ীক সন্ত্রাসের রাজনৈতিক যোগসূত্রটি স্পষ্ট ধরা পড়ে। এতে বলা হয়:
কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধ বসতিতে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসে একটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের ইন্ধন এবং রোহিঙ্গাদের অংশগ্রহণ ছিল বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
তারা বলছেন, পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে মিয়ানমারের সাম্প্রতিক জাতিগত সংঘর্ষের ঘটনায় রোহিঙ্গাদের ক্ষোভকে কাজে লগিয়েছে একটি মহল। যারা হামলা চালিয়েছে, তাদের কণ্ঠে শোনা গেছে ‘নারায়ে তকবির’ শ্লোগান।
দৃশ্যত:ই রাঙামাটির সঙ্গে রামু’র সহিংসতার প্রেক্ষাপট ও ধরণ ভিন্ন। আবার দর্শনগত দিক তলিয়ে দেখলে এর মূল ইন্ধনদাতা রাজনৈতিক শক্তি/আস্কারাটি রসুনের গোঁড়ায় অভিন্ন। মোটাদাগে, পাহাড় ও সমতলে ভাষাগত/ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর প্রশাসনিক আস্কারায় সেনা-সেটেলার-মোল্লারা এ ধরণের সহিংস আক্রমণের সাহস পাচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে, ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতির বিচার নেই, ভোটের মোকাম ঝলমলে রাখতেই একে জিইয়ে রাখা হয়েছে, বিএনপি/আওয়ামী লীগ/জামাত যুথবন্দী এ প্রশ্নে [“লা ইলাহা ইল্লা, নৌকার মালিক তুই আল্লাহ”]। এই আগ্রাসী জাতীয়তবাদা/মৌলবাদ আস্কারার ভিঁতটি অনেক গভীরে।
১৯৭২ এ সংবিধান রচনার কালে ঐতিহাসিক মুজিবীয় [“তোরা সব বাঙালি হইয়া যা”] উক্তিটি স্মরণ করা যাক। এটি উগ্র জাতীয়তাবাদী দর্শনকে ধারণ করে, যার শেকড় ফ্যাসিবাদ তথা মৌলবাদে গাঁথা [মুক্তি যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে মুজিবের দুঃশাসন এবং পরবর্তী শাসকগোষ্ঠিগুলো এখনো এই দর্শনটিকেই ধারণ করে]। এর নীট ফলাফলে পাহাড় ও সমতলে ভাষাগত/ধর্মীয় সংখ্যালঘু অধ্যুষিত অঞ্চলে গত চার দশক ধরে রক্ত ঝরছেই, আগুন জ্বলছেই।…
মুজিবীয় উক্তিটি একই সঙ্গে অস্বীকার করে ১৯৭১ এর অসাম্প্রদায়ীক- বৈষম্যহীন দেশগড়ার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা; যে চেতনায় ভাষাগত/ধর্মীয় সংখ্যালঘু – সংখ্যাগুরু, আদিবাসী ও বাঙালি স্বাধীকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম, বাংলা নামক ভূখন্ডের সবচেয়ে গৌরব গাঁথা মুক্তিযুদ্ধটিকেই। একারণে সে সময়ই কিংবদন্তী পাহাড়ি নেতা এমএ নলারমা বাংলাদেশের খসড়া সংবিধান রচনার কালে সেখান থেকে আদিবাসী/উপজাতিদের বাদ দিয়ে শুধু “বাঙালি” জাতীয়তাবাদী ঝান্ডা ওড়ানোর প্রতিবাদ করেন। [গেরিলা নেতা এমএন লারমা লেখা থেকে কিছু প্রাসঙ্গিক অংশ তুলে দিলে বিষয়টি বরং আরো খানিকটা পরিস্কার হয়:
বাংলাদেশে ১৯৭২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবের কাছে ‘পাহাড়ে আঞ্চলিক স্বায়ত্ত্বশাসনের’ চার দফা দাবি তুলে ধরেন। সে সময় শেখ মুজিব ঘৃণাভরে এই দাবি উপেক্ষা করেন। একই বছর ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশের সংবিধানে পার্বত্য চট্টগ্রামের ভাষাগত সংখ্যালঘু পাহাড়িদের ‘বাঙালি’ বাঙালি হিসেবে আখ্যায়িত করার প্রতিবাদে তিনি গণপরিষদ অধিবেশন বর্জন করেন। এ সময় এমএন লারমা তার ভাষণে বলেছিলেন:
বাংলাদেশের কোটি কোটি জনগণের সঙ্গে আমরা জড়িত। সবদিক দিয়েই আমরা একসঙ্গে বাস করছি। কিন্তু আমি একজন চাকমা। আমার বাপ, দাদা, চৌদ্দ পুরুষ, কেউ বলেন নাই, আমি বাঙালি!…
বাংলাদেশ নামক বাংলা ভাষাভাষীর রাষ্ট্রর জন্মলগ্নেই এমএন লারমা বুঝেছিলেন, আঞ্চলিক স্বায়ত্বশাসন ছাড়া ভাষাগত সংখ্যালঘু পাহাড়ি আদিবাসীর মুক্তি নেই। তাই তিনি সেই ’৭৩ সালেই স্বতন্ত্র সাংসদ ও জনসংহতি সমিতির আহ্বায়ক হিসেবে সংসদ অধিবেশনে তুলে ধরেছিলেন পাঁচ দফা দাবি নামা। এগুলো হচ্ছে:… ক. আমরা গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা সমেত পৃথক অঞ্চল হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামকে পেতে চাই। খ. আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের অধিকার থাকবে, এ রকম শাসন ব্যবস্থার প্রবর্তন চাই। গ. আমাদের জাতীয় অস্তিত্ব সংরক্ষিত হবে, এমন শাসন ব্যবস্থা আমরা পেতে চাই। ঘ. আমাদের জমি স্বত্ব জুম চাষের জমি ও কর্ষণ যোগ্য সমতল জমির স্বত্ব সংরক্ষিত হয়, এমন শাস ব্যবস্থা আমরা পেতে চাই। ঙ. বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চল হতে এসে পার্বত্য চট্টগ্রামে এসে যেনো কেহ বসতি স্থাপন করতে না পারে, তজ্জন্য শাসনতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থার প্রবর্তন চাই।…
এ সব দাবিনামার স্বপক্ষে এমএন লারমা সংসদের তার ভাষণে বলেছিলেন:
…আমাদের দাবি ন্যায় সঙ্গত দাবি। বছরকে বছরকে ধরে ইহা একটি অবহেলিত শাসিত অঞ্চল ছিলো। এখন আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ পার্বত্য চট্টগ্রামকে পৃথক শাসিত অঞ্চল, অর্থাৎ আঞ্চলিক স্বায়ত্ব শাসিত অঞ্চলে বাস্তবে পেতে চাই।…
কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী, এমএন লারমার দাবি সে সময় চরম অবজ্ঞা করে শেখ মুজিব সরকার।
আগেই যেমন বলা হয়েছে, মুজিবীয় [“তোরা সব বাঙালি হইয়া যা”] উক্তিটি উগ্র জাতীয়তাবাদী দর্শনটিকে ধারণ করে, যার শেকড় ফ্যাসিবাদ তথা মৌলবাদে গাঁথা [মুক্তি যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে মুজিবের দুঃশাসন এবং পরবর্তী শাসকগোষ্ঠিগুলো এখনো এই দর্শনটিকেই ধারণ করে]।
এরই জের ধরে অতি অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধটিকে বাঙালি-আদিবাসীর যৌথ মুক্তি সংগ্রামকে অস্বীকার এবং ১৯৭২ এর সংবিধানে আদিবাসী/উপজাতিকে উপেক্ষা করে; পরবর্তী সবগুলো সরকার এরই যোগসূত্রে পাহাড়ে সেনা-সেটেলার সমাবেশ ঘটায়, শান্তিবাহিনী-সেনা বাহিনী দুই দশকের বেশী সময় ধরে রক্তক্ষয়ী বন্দুক যুদ্ধ অব্যহত রাখে, পাহাড়ে অসংখ্য গণহত্যা, গণধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াও-লুন্ঠন সংগঠিত হয়, প্রায় ৬০ হাজার পাহাড়ি শরণার্থী হিসেবে ত্রিপুরায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হয় [দ্র. কল্পনা চাকমা : পাপ মোচনের দায় ], শান্তিচুক্তির মৌলিক শর্তসমূহ [যেমন, ভূমি সমস্যার সমাধান] বাস্তবায়িত না হওয়ায় চুক্তির পরে পার্বত্য সমস্যা আরো জটিল থেকে জটিলতর হতে থাকে, পাহাড়ি-বাঙালি অবিশ্বাসজনিত সংঘাত চলতে থাকে [প্রধানত ভূমিকে কেন্দ্র করেই, দ্র. পাহাড়ে কেন এত সহিংসতা? ]। …
অন্যদিকে, জমিজমা-ব্যবসা-বাণিজ্য হারিয়ে এক সময়ের সমৃদ্ধশালী রাখাইনরা হতে থাকেন দেশান্তরী। [দ্র. রাখাইনরা কেন দেশ ছেড়ে যান? ] উত্তর বঙ্গে সাঁওতাল আদিবাসী পল্লীর মানুষজন দখলদারদের থাবায় নিঃস্ব থেকে নিঃস্বতর হন। শুধু দিনাজপুরেই প্রায় পাঁচ লাখ আদিবাসী সাঁওতাল বহু বছর ধরে এমনিভাবে জমিজমা হারিয়ে নিঃস্ব হতে বসেছে। সবখানেই যেন চলছে আদিবাসীদের জমি কেড়ে নেওয়ার মহোৎসব! এমনকি জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে গত কয়েক বছরে সেখানে খুন, গণধর্ষণ ও সাঁওতাল নারীকে বিবস্ত্র করার একাধিক ঘটনাও ঘটেছে। আদিবাসী নেতারা এসব ঘটনার প্রতিকার দাবি করে বিভিন্ন সময় সভা-সমাবেশ, মানববন্ধন, ঘেরাও কর্মসূচিও পালন করেছেন। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাননি। কেউ এসে দাঁড়ায়নি অসহায় মানুষগুলোর পক্ষে। [দ্র. দখলদারদের থাবায় আদিবাসীদের জমি ] অন্যদিকে, শ্রীমঙ্গলের খাসিয়া পাহাড়ে বন উজাড় করে চলে আদিবাসী উচ্ছেদ প্রক্রিয়া। …
বটম লাইনে: আদিবাসী-বাঙালি বিষয়ক সাম্প্রতিক সাংবিধানিক বিতর্কে শাসকগোষ্ঠির কাছে আপাত আদিবাসী সংগঠনগুলোর হার হওয়ায় এবং “এ দেশে কোনো আদিবাসী নেই, বাঙালিরাই আদিবাসী, উপজাতি/ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠির মানুষেরা বহিরাগত” — হীরকরাণী ও ফুপুমনির এমন বেসামাল সরকারি কথাবার্তায়/প্রসাশানিক আস্কারায় বাঙালিদের বিপক্ষ শক্তি হিসেবে আদিবাসীদের দাঁড় করানো হয়েছে। এ কারণে এখন আদিবাসীদের কাছে যে সামান্য সম্পদ, যেমন জমি, জলা, বন বা পাহাড় আছে, সেটুকুও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে এবং আরো হবে।…
সংযুক্ত:
রামুর ঘটনায় আল-জাজিরার প্রতিবেদন…[লিংক]
অন্যদিকে, জমিজমা-ব্যবসা-বাণিজ্য হারিয়ে এক সময়ের সমৃদ্ধশালী রাখাইনরা হতে থাকেন দেশান্তরী। উত্তর বঙ্গে সাঁওতাল আদিবাসী পল্লীর মানুষজন দখলদারদের থাবায় নিঃস্ব থেকে নিঃস্বতর হন। শুধু দিনাজপুরেই প্রায় পাঁচ লাখ আদিবাসী সাঁওতাল বহু বছর ধরে এমনিভাবে জমিজমা হারিয়ে নিঃস্ব হতে বসেছে। সবখানেই যেন চলছে আদিবাসীদের জমি কেড়ে নেওয়ার মহোৎসব! এমনকি জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে গত কয়েক বছরে সেখানে খুন, গণধর্ষণ ও সাঁওতাল নারীকে বিবস্ত্র করার একাধিক ঘটনাও ঘটেছে। আদিবাসী নেতারা এসব ঘটনার প্রতিকার দাবি করে বিভিন্ন সময় সভা-সমাবেশ, মানববন্ধন, ঘেরাও কর্মসূচিও পালন করেছেন। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাননি। কেউ এসে দাঁড়ায়নি অসহায় মানুষগুলোর পক্ষে। অন্যদিকে, শ্রীমঙ্গলের খাসিয়া পাহাড়ে বন উজাড় করে চলে আদিবাসী উচ্ছেদ প্রক্রিয়া। …
@বিদ্রোহী কৃষক, (Y)
আরাকান… !!!
@বোরহান,
শুধু তাই? বলুন আফগানিস্তানের আদলে আরাকানিস্তান!!
[লিংক]
সংখ্যালঘুদের ভোট সাধারণত আওয়ালীগে যায় বলে এক সময় আওয়ামীলীগ হয়তো তাদের কিছুটা সুদৃষ্টিতে দেখত, কিন্তু তাদের সংখ্যা এখন লঘু হতে হতে অণু-পরমাণুতে পরিণত হয়েছে, তাই আওয়ামী লীগেরও তাদের খুব একটা প্রয়োজন নাই। তাই শেখ হাসিনার এ সরকারের আমলে তাদের নিয়ে ( পাহাড়িদের) যা উল্টা-পাল্টা বলেছে, তার আগের সরকারের সময় এ রকম শুনিনি। আর তারা যেহেতু আদিবাসীদের নিয়ে উল্টা-পাল্টা বলা শুরুই করেছে, পরবর্তিতে যে তারা এ থেকে পিছপা হবেনা, তা নিশ্চিত করেই বলা যায়। শান্তিচুক্তি করে নোবেল পাওয়ার আশাবাদী শেখ হাসিনা যে মনে প্রাণেও পাহাড়ে শান্তি চায় না, তা প্রমাণ হয়ে গেল।
তাছাড়া সংখ্যালঘুদের উপর এসব আক্রমণে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি কমলেও ভোটের সংখ্যা আওয়ামীলীগের আরও বাড়বে। ধর্মীয় ভাইরাসের মহামারিতে আক্রান্ত বাঙ্গালীরা আওয়ামীলীগকে ধর্মীয় দলই হিসেবেই এখন বিবেচনা করে।
বাংলাদেশে এখন একটা প্রবণতা দেখতে পাচ্ছি, তাহলো কোন রাজনৈতিক দলই মোল্লাদের ক্ষেপাতে চায়না। মাসের পর মাস বেতন না পাওয়া শিক্ষকদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে তাদের পিটিয়ে তক্তা বানাতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের দালাল ভিসিদের বিরুদ্ধে সাধারণ ছাত্ররা মিছিল করলে তাদের ঠেঙ্গানোতে, এমনকি গ্রামীণ ব্যাংকের মতো লাখ লাখ গ্রাহককে ক্ষেপাতে সরকারের কোন ব্যাপারই মনে করেনা। কিন্ত্ত কয়েকটি পাতি মোল্লার দাবিকেও সরকার যথেষ্টই গুরুত্ব দেয় অথবা সরকারের অন্তরের কথাটিই হয়তো পাতি মোল্লারা বলে (যেমন- ইন্টারনেটের উপর সরকারি খড়গ)।
মোল্লারা এখন অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী। কাঠ-মোল্লারা বা আমিনির মতো লোক যদি এখন এককভাবেও সরকারে থাকত, তবু সংখ্যালঘুদের পেঠাতে এতটা সাহস পেত কিনা সন্দেহ। মুক্তি যুদ্ধের সময় বাঙ্গালীরা অন্তত সান্ত্বনা পেত এই ভেবে যে আজ হোক-কাল হোক একদিন বাংলাদেশ স্বাধীন হবে, কিন্তু অসহায় সংখ্যালঘুরা নিশ্চিহ্ন হওয়ার আগ পর্যন্ত স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকবে-এমন স্বপ্ন কি আসলে দেখতে পারে!
বিপ্লব রহমানকে ধন্যবাদ সংখ্যালঘুদের পাশে দাড়ানোর জন্য।
@হেলাল,
– আসলেই তাই, আমারো মনে হয় দলের নীতিমালা ধীরে ধীরে অলিখিত ভাবে হলেও এদিকেই যাচ্ছে। ওলামা লীগ মুক্তমনা, আমার ব্লগ, সামুর ব্যান হওয়া দাবী করেছে। সেক্যুলার প্রধানমন্ত্রী হাসিনা কিভাবে অন্যদের ইসলাম ধর্মে আকৃষ্ট করা যায় সে নিয়ে প্রচেষ্টার আহবান জানিয়েছেন। এসব হামলাবাজি হতে পারে সে প্রচেষ্টার এক ধাপ। মধ্যপ্রাচ্যের কড়া ইসলাম শাসিত (তাদের দাবীমত) দেশগুলিতে সংখ্যালঘু মোটামুটি শূন্যের কোঠায়। মিশর, পাকিস্তানে যে ভাবে নিপীড়ন চলে সরকারী মদতে তাতে ইনশাল্লাহ নিশ্চিহ্ন হতে খুব বেশীদিন লাগবে না, এসব দেশেও শতভাগ মুসলমানই পাওয়া যাবে, হাসিনা আপা খুশীও হবেন নিশ্চয়ই। আমাদের দেশও এর বাইরে নয়, সংখ্যালঘু ডেমোগ্রাফি এমনই বলে। এমন মাত্রার হামলাবাজি হবে পত্রিকায় আসবে, কিছুদিন সাড়া জাগাবে, একদল চেঁচিয়ে যাবে ইসলামের সাথে এসবের কোন সম্পর্ক নেই…আমরা হামলার কড়া বিচার দাবী করি…নিত্যকার ধর্মীয় পরিচয়ের কারনে নাকাল হবার কোন কাহিনী পত্রিকার পাতাতেও পৌছাবে না।
এ ঘটনা ঘটার পর কেন যেন মনে হয়েছিল উত্তপ্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতিক্রিয়ায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূর্ন কিছু, বহিরাগতদের আমদানী করে মহল বিশেষ ঘটনা ঘটিয়েছে। পরে ভিক্টিমদের কিছু বক্তব্য শুনে মনে হয়েছে যে ঘটনা উদ্দেশ্যপূর্ন বা প্ল্যান্ড হলেও বিচ্ছিন্ন বা ব্যাতিক্রম কিছু নয়, শুধু বহিরাগতই নয়, হামলাকারি দলে এলাকাবাসিও ছিল এমন অভিযোগ ভিক্টিমরা দিয়েছে।
ধর্মের বিষ বাষ্প অবচেতন মনেও অবস্থান করলে দরকার হয় সামান্য স্ফুলিংগের, সেটা সঠিক সময় সরবরাহ করতে পারলেই হল।
@আদিল মাহমুদ,
খুবই মূল্যবান কথা। বিশেষ করে শেষ বাক্যটি:
এই স্ফুলিঙ্গসমূহ, তথা তালেবানী আদর্শের অবাধ চাষ বহু বছর ধরে দেশের অসংখ্য মাদ্রাসা চলছে। সঙ্গে যোগ হয়েছে নানা ধান্দাবাজীর রাজনীতি। তাই মৌলবাদী আগ্রাসনের কবল থেকে বোধহয় খুব শিগগিরই মুক্তি নেই। বিপত্তিটি এখানেই। 🙁
@বিপ্লব রহমান,
মাদ্রাসার আর কি দোষ দেব? ধর্মশিক্ষার নামে সাম্প্রদায়িকতার উন্মুক্ত শিক্ষা তো এখন সরকারই শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমে সিলেবাস আকারে পড়াছে, তাও আবার বাধ্যতামূলক ভাবে। আমার শেষ লেখাটায় দেখেন।
লোকের অবচেতন মনেও যদি থাকে বিধর্মীরা আমাদের জন্মগত শত্রু তবে তারা বিধর্মীদের ওপর হামলায় অংশ না নিলেও তাতে নৈতিক সমর্থন দেবে, সেটাই স্বাভাবিক। যদিও ভদ্রতার খাতিরে ওপরে ওপরে কিছু সহানুভূতি হয়ত দেখাবে।
@আদিল মাহমুদ,
সময় করে অবশ্যই আপনার লেখা পড়বো। আমি বরাবরই আপনার একনিষ্ঠ পাঠক। (Y)
@হেলাল,
এ ক ম ত। এদের যোগসূত্রটি আসলে একই, চেতনাগতভাবে উগ্র জাতীয়তাবাদ/মৌলবাদে খুব বেশী তফাৎ নেই। আর এদের মুখোশ ক্রমেই প্রকট আকারে প্রকাশ্য হচ্ছে। (Y)
পুনশ্চ: নীচের ছবিটিতে পুরো বিষয়টি একদম পরিস্কার। স্থানীয় সূত্রে ছবিটি পাওয়া, ফেবু’র কয়েকটি গ্রুপেও ছবিটি শেয়ার করা হয়েছে।
[img]https://fbcdn-sphotos-b-a.akamaihd.net/hphotos-ak-snc7/308075_488425471181549_1029244980_n.jpg[/img]
@বিপ্লব রহমান,
আমি অনেক আগেই এক লেখায় বলেছিলাম, বাংলাদেশে শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠিত হবে আওয়ামী লীগের হাত ধরে। আওয়ামী লীগ কেন এমন সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েও সংবিধানে বিসমিল্লাহ আর রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রাখলো, এই প্রশ্ন করায় সুশীল শিক্ষিত বন্ধুরা যুক্তি দিয়েছিলেন- সরকারকে পাবলিকের সেন্টিমেন্ট বুঝে চলতে হয়। দেশের সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষ সংবিধানে বিসমিল্লাহ আর রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম মেনে নিয়েছে, এর উলটো কোন পদক্ষেপ নিলে শান্তির চেয়ে অশান্তি বাড়বে। স্কুল, কলেজ, ইউনিভারসিটি পড়ুয়া ইঞ্জিনিয়ার ডাক্তার ছাত্র শিক্ষকেরা, ডান-বাম কম্যুনিষ্টরা সবাই ইসলামের পাহারাদার। রাষ্ট্রের ভিতরেও এরা ঢুকায়ে দিয়েছে ইসলামানুভুতি, মুহাউম্মাদুনুভুতি। মুহাম্মদ তার কোরান তার হাদিসের সমালোচনা করলে এদের গায়ে আগুন লাগে। আমরা সন্ত্রাসের উৎস, মানুষ খুনের দলিল চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলে এরা আমাদেরই উপর ক্ষেপে উঠে, আমাদের হাতের কলম কেড়ে নিতে উদ্দ্যত হন।
এই যে প্রথম মিছিল আওয়ামী সমর্থকরা বের করলো এদের ইসলামানুভুতি নাই, পুলিশ এদের কেন ঠেকাবে, পুলিশের মুহাম্মাদুভুতি নাই? কিছু মিথ্যাবাদী ভন্ড প্রতারক যে বিচারের দাবী তুলছে তাদের ইসলামানুভুতি নাই? আছে, সন্ত্রাসের দলিল বগলে রেখে এরা লোক দেখানো শান্তির মিছিল দেয়- ইসলামে সন্ত্রাস নেই, মুসলমানের কোন দোষ নাই, এ সবই ইসলামকে হেয় করার করার জন্যে অমুসলিমদের ষঢ়যন্ত্র। মুহাম্মদ, কোরান-হাদিস, মুসলমান সব সময়ই ধোয়া তুলসী পাতা। ভন্ডামীর আরেকটি নমুনা এখানে দেখুন। রিচার্ড ডকিনসকে দিপু মণি ইসলাম শিখাচ্ছেন- ইসলামে নারীর মুল্যায়ন দেখায়ে বলছেন, ইসলামের প্রথম মুসলমান নারী, ইসলামের প্রথম শহিদ নারী। বাহ, দিপু মণি আপনি কেন মুসলমান হলেন না?
httpv://www.youtube.com/watch?v=jlMQp6_fd7Q
@আকাশ মালিক,
চমৎকার পর্যবেক্ষণ। যোগসূত্রের শেকড়টি আসলে একই। (Y)
@হেলাল,
অবশ্যই। আগেই যেমন বলা হয়েছে, সবই ভোটবাজীর খেলা; ক্ষমতায় যাওয়ার বা টিকে থাকার খেলা। ভোটের মোকাম ঝলমলে রাখতেই প্রশাসিনক আস্কারায় চলছে পাহাড় ও সমতলে ভাষাগত/ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর সেনা-সেটেলার-মোল্লাদের সহিংস আক্রমণ। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে, ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতির বিচার নেই, বিএনপি/আওয়ামী লীগ/জামাত যুথবন্দী এ প্রশ্নে [“লা ইলাহা ইল্লা, নৌকার মালিক তুই আল্লাহ”]।
এই আগ্রাসী উগ্র জাতীয়তবাদ/মৌলবাদ আস্কারার ভিঁতটি অনেক গভীরে। এই দর্শন বলেই সবক’টি বড় রাজনৈতিক দল [এবং তাদের গঠিত সরকারসমূহ] ভাষাগত/ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের পীড়ন করে, কখনো “বৈষম্যহীন” বা “অসাম্প্রদায়িক” গণতান্ত্রিক ভাবমূর্তি [“ভাবমূর্তি” কথাটি এদের খুবই প্রিয়] ঠিক রাখতে তারা আবার নির্যাতীতর মাথায় হাত্ও বুলায়; বৌদ্ধ পুরোহিতদের চিবর দান করে বা মন্দিরে ছদকা দেয় বা দূগোৎসবে হাস্যোজ্জ্বল ছবি দেয় টিভিতে-খবরের কাগজে বা “এ সরকারের সময়েই শান্তিচুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়ন হবে [ইনশাল্লাহ]” জাতীয় বোলচাল দিতে থাকে অহরাত্র ।… (Y)
আপডেট:
International protest against communal attack on indigenous Jumma peoples in Rangamati by Bengali settlers in presence of security forces
chtnewsupdate.blogspot.com/2012/10/international-protest-against-communal.htm
আসলে অনেকেই মনের কথাগুলো বলে দিয়েছেন, তাই আর চর্বিত চর্বন না করাই ভালো। (*) শুধু লোপামুদ্রা মিত্র-র খুব প্রিয় একটি গানের কথাগুলো এখানে পোস্টের সাথে সংহতি জানিয়ে জুড়ে দিয়ে গেলাম-
বি:দ্র: …….. মজার বিষয় হলো, এই গানটি প্রচুর উগ্র জাত্যাভিমানী বাঙালিই শুনতে খুব পছন্দ করেন, অথচ গানটার মর্মার্থ তারা বোঝেন কিনা, সেটা যথেষ্ট সন্দেহের বিষয় :-Y
@নিঃসঙ্গ বায়স,
… (Y)
বাংলাদেশ স্বাধীনের ৪০ বছরে ও শান্তি পূর্ণ আলোচনা মাধ্যমে আদিবাসী সমস্যার সমাধান হয়নি আর হবেও না । কারণ “বাংলাদেশ” রাষ্ট্র নিজেই উগ্র জাতীয়তাবাদের ধারক । স্বাধিকার, বা স্বায়ত্ত্বশাসনের অধিকার অর্জনের জন্য সশস্ত্র সংগ্রাম এর কোন বিকল্প নাই । সশস্ত্র সংগ্রাম যখন তীব্র হয়ে ওঠে তখন সরকার এই চুক্তি, সেই চুক্তির মাধ্যমে মুল আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে চালিত করে , কলা দেখিয়ে শিশুকে ঘুম পড়িয়ে রাখার মত । পাহাড়িদের সাথে শান্তি চুক্তি অনেকটা সে রকমের ।শান্তি চুক্তি যে পাহাড়িদের কে কিছুই দিবেনা পাহাড়ি নেতারাও সে সত্য অনুধাবনে ব্যর্থ হয় । সশস্ত্র সংগ্রামই রাষ্ট্র কে বাধ্য করবে পাহাড়িদের অধিকার পিরিয়ে দিতে ।
আশা রাখি এক দিন পাহাড়িরা তাদের অধিকার পিরে পাবে ।
”সেনা আগ্রাসন নিপাতযাক, পাহাড়িরা মুক্তি পাক ”
বিপ্লব রহমান কে অনেক ধন্যবাদ সমকালীন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লেখার জন্য । (Y)
@ওমর ফারুক,
আপনার মানবিক আবেদনকে শ্রদ্ধা জানিয়েই বলছি, আপনি যে সশস্ত্র সংগ্রামের কথা বলছেন, তা-ও পাহাড়ে আড়াই দশক চলেছে, আনুমানিক ২৫ হাজার পাহাড়ি-বাঙালিকে এ জন্য জীবন দিতে হয়েছে। তাই সশস্ত্র সংগ্রাম মানেই স্বাধিকার/স্বায়ত্ত্বশাসন/অধিকার — এই সরলীকরণ আদৌ বাস্তবসম্মত কি না, তা ভেবে দেখার অবকাশ আছে। শান্তিচুক্তিটিই তো বাস্তবায়িত হলো না, তাহলে বোঝা যাবে কি করে যে এতে কিছু পাওয়া যাবে কি না? 😕
@বিপ্লব রহমান,
ধন্যবাদ আপনার বিশ্লেষণের জন্য, ৬ এর দশকে কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে হাজার হাজার পাহাড়িরা ক্ষতিগ্রস্ত হয় । তৎকালীন পাকিস্তান সরকার ক্ষতি পুরনের প্রতিশ্রুতি দিয়েও বাংলাদেশ স্বাধীনের পূর্ব পর্যন্ত তা পুরন করেনি । বাংলাদেশ স্বাধীনের পরে ঘটনা, দাবী দাওয়া- সশস্ত্র সংগ্রাম- ও শান্তিচুক্তি এগুলোর কোনটাই পাহাড়িদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি, তাহলে আর কি কোন বিকল্প পথ আছে ? পাহাড়িদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পার।এ নিয়ে আপনি যদি একটু আলোকপাত করেন। আর আমার সৃতি যদি ভুল না করে, শান্তিচুক্তির পরে তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকার পাহাড় থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে টালবাহানা শুরু করলে, সুন্তু লারমা হুমকির সুরে বলে ছিলেন, “সরকার এ রকম ব্যবহার করলে আমাদেরকে আগের অবস্থানে ফিরে যেতে হবে” অর্থাৎ শান্তি পূর্ণ ভাবে না হলে অস্র হাতে নিতে হবে। আমার রাজনৈতিক ও ভাষাগত জ্ঞানের সল্পতা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা রাখছি।
নিপীড়িত মানুষের পক্ষে আপনার কলম আরও ধারালো হোক।
ভাল থাকুন
@ওমর ফারুক,
পাহাড়িদের সংগ্রামের বিকল্প পথ আছে কী না. মনে হয় সেটি উপযাজক হয়ে আমাদের কারোই চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়; বন্দুক যুদ্ধ তো নয়ই। সংগ্রামের রণনীতি ও রণকৌশল এর নিয়ন্ত্রকদেরই নির্ধারণ করতে দেওয়া উচিত– এটিই সঠিক হবে। সময়ই বলে দেবে, পাহাড় ও সমতলে সংগ্রামের ধরণটি কি হবে।
আগ্রহের জন্য আবারো সাধুবাদ। (Y)
@বিপ্লব রহমান,
সময়ের হাতে ছেড়ে দিলে পাহাড়িরা হয়ত একদিন নিৎচিহ্ন যাবে । অধ্যাপক আহসাব উদ্দিন আহমদের কোন এ্ক লেখায় পড়ে ছিলাম। “সবুরে মেওয়া ফলে বটে, অতি সবুরে মেওয়া পচেও”
ভাল থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
@ওমর ফারুক,
সময়ের হাতে ছেড়ে দিলে পাহাড়িরা হয়ত একদিন নিৎচিহ্ন হয়ে যাবে ।
@ওমর ফারুক,
বিতর্কের আর খুব অবকাশ নেই। বিচ্ছিন্নভাবে একটি বাক্যকে উদ্ধৃত করলে ওই কথাটি পুরো ভাব প্রকাশ করছে না। বিনীত অনুরোধ, পুরো বক্তব্যটি আরেকবার পড়ে অনুধাবন করার:
(Y)
শিক্ষিত সুশীল ভদ্র লোকেরা মনে করেন তাদের, দুধ-কলা দিয়ে পোষা সর্প তাদের গায়ে কোনদিন ছোবল মারবেনা। তবে নিঃসন্দেহে তারাও একদিন দেখবেন, সব কিছু চলে গেছে নষ্টের হাতে।
“First they came for the socialists and I didn’t speak out—because I wasn’t a socialist. Then they came for the trade unionists, and I didn’t speak out—because I wasn’t a trade unionist. Then they came for the Jews, and I didn’t speak out—because I was not a Jew. Then they came for me—and there was no one left to speak for me.”
— Pastor Martin Niemöller, 1945
[img]http://i1088.photobucket.com/albums/i332/malik1956/2012-10-02_1349108314.jpg[/img]
@আকাশ মালিক,
এই ছবিটি ভারতের উত্তর প্রদেশের কি?
@সবুজ পাহাড়ের রাজা,
ইত্তেফাক থেকে নেয়া।
@আকাশ মালিক,
ছবিটি ভারতের উত্তর প্রদেশের বলে ফেবু অনেকে জানাচ্ছেন। কি আশ্চর্য, ধর্মীয় উন্মাদনা উস্কে দিতে [এবং বাংলাদেশ যে এরই মধ্যে একটি তালেবানী রাষ্ট্র হয়ে গেছে, তা প্রমানে] ফেবুতে অনেকেই দেখি এই ছবি নাম-নিশানা ছাড়াই হুট-হাট করে পোস্ট করছেন। আমরা ফেবু গ্রুপ [পাহাড়ের রূদ্ধকণ্ঠ CHT Voice] থেকে এরকম বেশ কয়েকটি ছবি মুছে দিতে বাধ্য হয়েছি।
🙁
অনেক ধন্যবাদ, বিপ্লব তথ্যসমৃদ্ধ এই প্রতিবেদনের জন্য। চূড়ান্ত বিচারে এই অনাচারের দায়-দায়িত্ব সরকারের ওপরেই বর্তায়। তবে যে সরকার সংখ্যাগুরুর ধর্মকে রাষ্ট্রধর্ম হিসবে বজায় রাখে (সংখ্যালঘুর ধর্মানুভূতিতে আঘাত দিয়ে) , সংবিধান শুরু করে একটা বিজাতীয় বিদেশী ভাষার বাক্য দিয়ে (সংখ্যালঘুর ধর্মানুভূতিতে আঘাত দিয়ে), ইউটিউব বন্ধ করে দেয় সংখ্যাগুরু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগার অজুহাত দেখিয়ে, তাদের কাছ থেকে আদিবাসীরা, চাকমারা, রাখাইনরা, হিন্দুরা, বৌদ্ধরা পাবে নিরাপত্তা, আমি বিশ্বাস করি না।
@ইরতিশাদ, (Y)
দেলোয়ার হোসেন সাইদী প্রকাশ্য জনসভায় অন্য ধর্মের নামে বিভিন্ন কটূক্তি করে তখন সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে না আর ফেসবুকের (সেখানে তার কোন দোষ ছিল না,অন্য একজন তাকে tag করেছিল) একটা ছবির কারনে মুমিন মুসলিম ভাইদের অনুভূতিতে খুবই আঘাত লাগে।
@অনিমেষ,
খবর্দার কইলাম; খবর্দার! ইহুদি-নাসারা-কাফিরদের নিয়া কুনু কথা নাই; ওদের সঙ্গে আপোষ নাই। এ বিষয়ে যা কওনের প্রিয় ব্লগার ডাক্তার আইজুদ্দিনই কইয়া দিসে। পার্লে এই লাইনে আপ্নেও লেখেন। এখনো সুময় আছে, দ্বিনের পথে আসেন ভাইজান, দ্বিনের পথে আসেন; রাইতের পথে আর কতো? খিকজ!
ইহুদি নাসারা কে না বলি- একটি আইজুদ্দনীয় বাল ছাল
:lotpot:
@বিপ্লব রহমান, হ ভাই দ্বীনের পথে যাওন লাগব।তাতেই লাভ বেশি যা ইচ্ছা লুট করতে পারব সাথে গনিমতের মাল তো আছেই।এরকম সুযোগ বোকারা ছাড়া আর কেউ কি মিস করে।যামু আমি এবার জিহাদে যামু।:D
@অনিমেষ,
জোরসে বলো: না-রা-য়ে তাকবির/ আল্লাহু আ-ক-ব-র! :))
ট্যাগ+আতঙ্ক = ট্যাগাতঙ্ক। ফেসবুক ব্যবহার করি, তাই ট্যাগাতঙ্কে আছি। ফেসবুকে অন্যকেউ ছবি আপলোড করে আমাকে ট্যাগ করলেই তা আমার প্রোফাইলে দেখাবে। এখন ইমানদন্ডধারীগন যদি ফেক আইডি ব্যবহার করে আপত্তিজনক ছবি আমাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ট্যাগ করে এবং রামু, পটিয়ার মতো ঘটনা ঘটায় তাহলে প্রতিরোধ করার সময়টুকুওতো পাবোনা।
দেশে মৌলবাদী ধারনার অবলম্বনকারীদের সংখ্যা যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে ভবিষ্যত নিয়ে খুবই চিন্তায় পড়ে গেলাম।
সংখ্যালঘু নির্যাতনের অজুহাত তৈরীর জন্য ফেসবুককে একটি টুলস হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও বিভিন্ন রকম টুলস ব্যবহার করা হতে পারে।
মা এখন সংখ্যালঘুদের জন্য বড় বেশী সৎমা/বিমাতা হয়ে গেছে।
@ভক্ত,
চমৎকার বলেছেন আমিওতো একই আতঙ্কে ভুগছি। মোউল্বাদী গাধার বাচ্চাগুলোর টেকনিকাল বুদ্ধি অতি নিম্নমানের তাই আমাদের থাকতে হয় টাগাতঙ্গে!!! :-Y ।সত্যি কথা এটাই আমি কিংবা আপনি যারাই বাংলাদেশের ভূখন্ডে বাস করছি তারা কেউই নিরাপদ নই অইসব মোউল্বাদীদের কাছ থেকে।যারা বিদেশে থাকে তারাও দেশকে অনেক ভালোবাসে তাই তারা চিন্তিত আর আমরা চিন্তিত তবে সাথে আতঙ্কিতও :-[ । ভালো থাকবেন
@ছন্নছাড়া,
(F)
@ছন্নছাড়া,
ছিক! আলেম-ওলামা-মাশায়েকদের নিয়ে এমন কথা বলতে নেই। আল্লাহ পাক নারাজ হন। বলুন: আস্তগফিরুল্লাহ! 😛
@ভক্ত,
ট্যাগাতঙ্ক? মাথাটা কেটে ফেলুন না; মানে ফেবু ডিএক্টিভ করুণ! 😉
অসংগঠিত জনগণের উপর, সংগঠিত শক্তি-সংস্থা-সংগঠনগুলোর সৃষ্ট ত্রাসের মুখে, রাষ্ট্র কেন লজ্জাবতী গাছ হয়ে যায়; আবার হাজার কোটি টাকা যারা মেরে দেয়, তাদের বেলায় চোখে ছানি পড়া ভাব, পাঁচ-দশ টাকার চোর চেচ্ছরদের বেলায় চোখে দূরবীক্ষণ যন্ত্র, সতর্ক উপস্থিতি, এবং কঠোর শাস্তি দানের মধ্য দিয়ে সমাজে বিরল এক দৃষ্টান্ত স্থাপন, এবং বিপুল পরিমানে শান্তি উৎপাদন (উৎ-পাদ-অন = উর্ধ্বমুখি পা, কলিম খান)করে তবেই সুখ নিদ্রায় গমন – একটুখানি ভাবতে হবে। বিপ্লব রহমান আমাদের শিশু রাষ্ট্রের বাবা ঠিক কী রকম আচরণ করতেন, তার কিছুটা বয়ান দিয়েছেন, তা থেকেও কিছুটা অনুমান করা যায় রাষ্ট্রের ভবিষৎ। সে ভবিষৎ আমরা দেখলাম ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশন’ নির্মাণ, ভুট্টোকে দেশে এনে হইচই, ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রে নেতা হিসাবে ওআইসি সম্মেলনে যোগদান, রাষ্ট্রের ভবিষৎ কোন দিকে যাবে, বুঝতে তো কষ্ট হ’বার কথা নয়।
আর, তারো পরে কালো চশমা পড়ে স্বাধীনতা ঘোষক (?) এবং কামরুল হাসানের অংকিত বিশ্ব-বেহায়ার কাজ-কর্ম দেখলে খুব কি একটা অবাক হ’তে হয়?
উগ্র-ধর্মীয় রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ কিছুটা প্রতিরোধ করেছিল। এমনকি পত্রিকায় এমন সংবাদও এসেছে, গ্রামের মানুষ মসজিদ ঘেরাও করে জিহাদীদের পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। আর জিহাদিরা কিছুদিন পর জামিনে ছাড়া পেয়ে গ্রামের মানুষকে নির্মমভাবে অত্যাচার করেছে। বাংলা ভাইয়ের ভয়াবহ অত্যাচার মাইকে ভেসে বেড়াচ্ছে, আর নিজামী বলছে মিডিয়ার সৃষ্ট, তাই শুনে রাষ্ট্র চুপ।
ঐ সময়ের পত্র-পত্রিকা ঘাটলে অনেককিছুর খোঁজ পাওয়া যাবে। খুব অল্প কথায় বলতে গিয়ে কিছুটা ভ্রান্তি থেকে যেতে পারে, সেজন্য আগেবাগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
আমরা শান্তিপূর্ণ সমাজের স্বপ্ন দেখতে তখনই সক্ষম হবো, যখন সবকিছু নিয়েই নির্মোহভাবে প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারবো। আপাততঃ তাই সমাধানের চেয়ে, সমস্যার শেকড় নিয়ে অনুসন্ধান চলুক।
@স্বপন মাঝি,
(Y)
@স্বপন মাঝি,
‘ইসলামিক ফাউন্ডেশন’ নির্মাণ, ভুট্টোকে দেশে এনে হইচই, ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রে নেতা হিসাবে ওআইসি সম্মেলনে যোগদান দেশের মঙ্গল না নিজের ব্যক্তি স্বার্থে করেছিলেন, তা নিয়ে প্রচুর তর্ক হয়েছে। বিনা তর্কেই মেনে নিলাম, যত দোষ নন্দঘোষ শেখ মুজিব ছিলেন। কিন্তু জন-বাচ্চা সহ তার নিজের জীবন দিয়েও সেই অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত হয়নি, বরং তার খুনের ৩৮ বছর পরেও আজকের ঘটনার জন্যে তাকে দায়ী করাটা মেনে নিতে কষ্ট হয়। এর মানেটা দাঁড়ালো ভবিষ্যতে যতদিন যখন যেখানে বাংলাদেশের মুসলমানরা অমুসলিমদের, বাঙ্গালিরা অবাঙ্গালিদের উপর নির্যাতন করবে, তার দায়ভার মৃত শেখ মুজিবের উপর বর্তাবে। কিন্তু তাতে অমুসলিম আর অবাঙ্গালিদের কী লাভটা হলো বা হবে বুঝতে পারি নাই।
এগুলো ঘটান যতভার পরি, ততবার ভাবি, পাহাড়িদের সায়ত্ত্বশাসনের দাবী, স্বাধীকারের দাবী সমর্থন করে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’র তকমা গলায় পড়তে কেন আমি সবসময়ই রাজি। এই লেখায় আমি লিখেছিলাম –
পাহাড়ি, আদিবাসী, কিংবা বৌদ্ধভিক্ষুদের উপর অত্যাচার করে দেশপ্রেমিক সাজা আমার দ্বারা আর হবে না।
Patriotism is the last refuge of a scoundrel. – Samuel Johnson
@অভিজিৎ,
কিন্তু সমতলের সংখ্যালঘুদের কি হবে? দেশের হিন্দুরাও তো অত্যাচারের শিকার, তাদের কি হবে; উত্তরবঙ্গের সাঁওতাল, পলিদের কি হবে? আহম্মদীয়ারা কি করবে? আমি নাস্তিক; আমি দেশে গেলে মুক্তভাবে আমার অবিশ্বাসের কথা বলতে পারি না। আমিও কি বাংলাদেশে একটুকরো স্বাধীন জায়গা পাবো যেখানে আমি কথা বললে কেউ আমার রগ কাটার জন্য ছুটে আসবে না?
@মনজুর মুরশেদ,
ঠিক। সমতলের ভাষাগত/ধর্মীয় সংখ্যা লঘুরাও ব্যপক নির্যাতীত; নির্যাতনের ধরণটি ভিন্ন হলেও রাজনৈতিক দর্শনজনিত যোগসূত্র একই [চলতি পোস্টে যেমন বলা হয়েছে]। সঙ্গে থাকার জন্য আবারো ধন্যবাদ। (Y)
@অভি দা,
আপনার এই মন্তব্যের পর আর কিছুই বলার নেই। (Y)
একটি সামান্য ঘটনাকে ঘিরে দেশের দেড়েল-টুপিয়ালদের একি অনাচার! নিরীহ লোকদের উপর কাপুরুষের মত হামলা করে কি লাভ হল? এতে ‘শান্তির ধর্ম’ ইসলামের মান কিছু বাড়ল? মাননীয় স্বরাস্ট্রমন্ত্রীকেও সাধুবাদ, রাজনৈতিক বিরুদ্ধপক্ষকে মন্তব্যবাণে ঘায়েল করার এই সোনালী সুযোগ নিতে তিনি একটুও দেরী করেন নি। কেবল অসহায় লোকগুলোর মালামাল আর উপাসনার জায়গা বাঁচাতে তাঁর বাহিনী যদি একই রকম ততপরতা দেখাতো!!
@মনজুর মুরশেদ,
একদম ঠিক বলেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথনটি যদিও অনেকটাই সত্য বলে স্থানীয় সূত্র জানাচ্ছে, তবে এতে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার খায়েশ তো থাকেই। …আর দেখুন বিরোধী দলই বা একই কথামালার রাজনীতি থেকে বাদ যাবে কেন? 😕
এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে দেশের কি হবে, তা ভেবে শিউরে উঠছি।
@সবুজ পাহাড়ের রাজা,
সত্যিই খুব উদ্বেগের বিষয়। সঙ্গে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ। (Y)
ইসলামকে অবমাননা করে মুভি বানানো হলে সারা বিশ্ব্জুড়ে মিটিং মিছিল, ভাংচুর, খুন করা হলো। হরতাল হল আমাদের এখানেও। যে মুভিটি বানিয়েছিল তার এখন ফাসির দাবি করছি আমরা। আজ হিন্দু ও বৌদ্ধ মন্দিরে আগুন জ্বালানো হয়েছে। ছবিটি বানিয়েছিল একজন আর এটা করেছে কয়েকশ মানুষ মিলে । এখন পৃথিবীর তাবত হিন্দু ও বৌদ্ধদের কি করা উচিত?? মসুলমানদের দেখানো পথে হাঁটলে পৃথিবী জুড়ে কি অবস্থার সৃষ্টি হবে তা ভেবেই অস্থির হচ্ছি।
@মোজাফফর হোসেন,
(Y)
আদিবাসীদের প্রয়োজন স্বাধীনতার, আর নিজেদের একটি দেশ। আমি আশা করছি যে তাদের প্রতিবাদ ও সংগ্রাম খুব শিঘ্রই আরো দ্রুত ও আরো জোরালো হবে। বাঙালিরা তাদের শান্তি দেবেনা। তাদের শান্তি, স্বাধীনতা, আর ভবিষ্যত তাদেরকেই খুঁজে পেতে ও গড়তে হবে। আমি প্রথম থেকেই এ-কথাটা বলে আসছি।
আসুন আমরা সবাই ভাই-ভাই! এ ধরণের দুনিয়া কোনোদিন ছিলোনা, আর থাকবেওনা। এখানে নির্যাতন থেকে মুক্তির পথ দেশভাগ করা। শুনতে খারাপ শোনাবে, কিন্তু অন্য পথ নেই। আমি দেখতে পাচ্ছি খুব শিঘ্রই বাঙলাদেশ ৫৬ থেকে ৪৪/৪৫ হাজার বর্গমাইল হতে চলেছে, আর তা হওয়াই উচিৎ।
@আদনান আদনান,
ভাই গভীর কিছু বলেছেন ড্রইং রুমে বসে। মানে আরো কচু কাটা হোক তারা। তারা স্বাধীনিতা আন্দোলনে নামলে তো সুবিধায় হয় আগ্রাসী বাংলাদেশীদের। তাহলে পাহাড়িদের নির্মুল করার একটা জায়েজিত কারণ পাওয়া যাবে। টিভিতে পাহাড়ী ‘বিচ্ছিন্ননতাবাদী/দুষ্কৃতকারীদের” সেনা পুলিশেরা নিশ্চিহ্ণ করে দিয়েছে খবর শুনে তৃপ্তির হাসি হাসবেন।
তাহলে কি করে ভাবলেন যে বাঙালিরা তাদের স্বাদীনতা দিয়ে শান্তিতে থকতে দিবে।? শেষমেষ যা হবে সেটা হলে আয়তন ৫৪ হাজারই থাকবে শুধু জনসংখ্যা কমবে, রক্তপাত মাধ্যমে আর দেশত্যাগের মাধ্যমে। সেটাই বাঙ্গালীদের (বিবেকবান ছাড়া) পছন্দসই সমাধান হবে।
@কালযাত্রী,
আমরা যাদেরকে আদিবাসী বলে জানি, তাদেরকে বেঁচে থাকতে হবে। এটাই হলো প্রথম ও শেষ কথা। বাঙলাদেশের শুরুর থেকে আজ পর্যন্ত তো অনেকদিন হয়ে গেলো! সেই ছোটবেলার থেকেই শুনে আসছি তাদের মৃত্যুর খবর। আমার সবসময়ই মনে হয়েছে তাদের একটা নিজস্ব দেশ ছাড়া তাদের পক্ষে মানুষের মতো বেঁচে থাকা সম্ভব হবেনা। কেউ কি আর তৃতীয়, চতুর্থ, বা পঞ্চম শ্রেনীর মানুষ হয়ে বেঁচে থাকতে চায়রে ভাই! বাঙলাদেশের সাথে থাকতে হলে তাদের তৃতীয়, চতুর্থ, বা পঞ্চম স্থানই নির্ধারিত থাকবে। আর তাই তাদের নিজস্ব একটা দেশের আজ বড়ই প্রয়োজন।
ধন্যবাদ।
@আদনান আদনান,
“কলাজয়ী”র সঙ্গে অনেকটাই একমত। বাংলাদেশের আদিবাসীরা পাহাড় ও সমতলে সারাদেশেই বিচ্ছিন্নভূমিতে বাস করেন। বাস্তবতাও তাদের স্বাধীন রাষ্ট্রের পক্ষে নয়; এমনটি পার্বত্য চট্টগ্রাম। এ কারণেই সাবেক গেরিলাগ্রুপ শান্তিবাহিনী স্বাংবিধানিক স্বীকৃতিসহ পার্বত্য চট্টগ্রামকে প্রাদেশিক মর্যাদা প্রদানসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ে দুদশকের বেশী সময় ধরে সশস্ত্র সংগ্রাম করলেও কখনোই স্বাধীনতার কথা বলেনি। পরে বাস্তবতা মেনেই ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর শান্তিবাহিনীর রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতি সংবিধানের আওতায় সীমিত আকারে স্বায়ত্বশাসন, তথা আঞ্চলিক পরিষদ+জেলা পরিষদ-এর বিশেষ স্থানীয় ব্যবস্থায় পার্বত্য শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। শান্তিচুক্তিটির মৌলিক শর্তসমূহ বাস্তবায়িত না হওয়ায় পাহাড়ে সংকট আরো বেড়েছে; সেটি অবশ্য ভিন্ন প্রসঙ্গ।
@আদনান আদনান,
বড়ই ভুল করেছে তারা আপনার কথা আগে না শুনে। তো গোলা-বারুদ অস্ত্র-সস্ত্র মজুত আছে কেমন? বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বোধ হয় স্বাধীন দেশের এক ইঞ্চি জায়গাও কাউকে দখল করতে দেবেনা।
বুঝা গেল আপনি শুধু একজন বিশ্বমানের সাহিত্যিকই নন, একজন রাজনীতিবিদও।
@আকাশ মালিক,
কস্কী মমিন? :))
@আকাশ মালিক,
এক খান জব্বর মূল্যায়ন :lotpot:
@আদনান আদনান,
ভাল কিছু ভাবতে পারেন না?আদিবাসীদের উপর কিভাবে নির্যাতন বন্ধ করা যায় সেটা ভাবুন।বাংলাদেশের ৫৬০০০ বর্গ মাইল কে ভাগ করার চিন্তা করছেন কেন?
@আদনান আদনান, ৭১ এর মুক্তি যুদ্ধের সময় সিলেট যদিও বাংলার মানচিত্রে আসে কিন্তু সিলেটের নিজস্ব কিছু ভূখণ্ড ভারতে চলে যায় ।ওগুলো থাকলে হয়ত বাংলাদেশ ৫৬ হাজার না হয়ে ৭০ হাজার বর্গমাইল হত ।ভারত আমাদের সাহায্য করেছে তবে বিনা স্বার্থে নয় । আমরা যদি দেশকে ভালবাসি তবে এক হাত জায়গাও ছাড়তে পারিনা ।দেশকে, দেশের মানচিত্রকে যদি ভালবাসি তবে এর ভিতর যত প্রানি/উদ্ভিদ/বস্তু/সম্পদ আছে তার যতাযত রক্ষা এবং পরিচর্যা করতে হবে ।আদিবাসীরা আমাদের সংস্কৃতি ও অর্থনীতির সাথে অতপ্রতভাবে জড়িত ।আমার মনে হয় আদিবাসীরাও আমাদের হতে আলাদা হতে চাইবেনা ।স্বায়ত্ত শাসনের জন্য যদি কখনো আন্দোলন হয় তবে বুঝতেই হবে এর পিছনে কোন তৃতীয় শক্তির হাত আছে ।এর প্রমান আগেও পেয়েছি ।তাই সরকারের উচিৎ পাহাড়ি ও সীমান্ত এলাকায় সব ধরনের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করাসহ প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থা জোরদার করা ।পাহাড়ি- বাঙালী বলে কথা নেই আমরা সবাই বাংলাদেশী ।এ বিষয়ে আরো আলোচনার প্রয়োজন কে জানে আমাদের মাঝেই হয়ত বসে আছেন কোন মহামানব যার হাত ধরে রচিত হবে সত্যিকারের শান্তির ইতিহাস ।