‘ভাই আমি আপনে সবাই একদিন মইরা যামু। ধরেন ঈশ্বর থাকা – না থাকার সম্ভাবনা ফিফটি ফিফিটি। ঈশ্বর যদি না থাকে তাইলে আস্তিক নাস্তিক কারোরই কোন সমস্যা নাই। হগগলেই তো মাটির তলায়। কিন্তু ঈশ্বর যদি থাকে আমরা যামু বেহেস্তে আর আপনেরা খাইবেন হের কোপানি। তাই আস্তিক হওয়াটাই নিরাপদ না?’
অবিশ্বাসী হওয়ার জ্বালা অনেক। এইগুলা হাব্জাব প্রশ্ন অহরহ শুনতে হয়। মঞ্চায় প্রশ্নগুলান ফ্রেমে বান্ধায় রাখি। আমার মনে হয় এমন কোন নাস্তিক ভাই এই ধরাধামে পয়দা হয় নাই যিনি জীবনের কখনো না কখনো এই প্রশ্নের বিশাল ধাক্কা হজম করেন নাই। একটা সময় আমি এগুলো হেসে উড়িয়ে দিতাম। ভাবতাব – এই হাবিজাবি কথায় এতো গুরুত্ব দেওয়ার কী আছে! এইটা তো ঈশ্বরের অস্তিত্বের কোন প্রমাণ না, খালি বাচ্চা-কাচ্চা গো ভুতের ভয়ের মত ভয় দেখানির লাহান । পরে দেখি আমার বহু ধার্মিক বন্ধুরাই ঈশ্বরের অস্তিত্বের পেছনে সত্য সত্যই এটাকে একটা বিরাট দাবী বলে মনে করেন। যে কোন আড্ডায় গেলেই প্যালের ঘড়ি, হয়েলের বোয়িং, কিংবা হাল আমলের হুমায়ুনের নাইকন ক্যামেরা সহ হরেক রকমের ত্যানা প্যাচ্যানির মাঝামাঝি সময়ই ত্যানায় গিটঠুর আকারে নাস্তিকদের বিরুদ্ধে মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে হাজির হয়ে যায় তাদের এই ‘নিরাপদ বাজির’ যুক্তি – ‘ভাই আমি মরলে তো সমস্যা নাই, আপনে নাস্তিক হইয়া মরলে তো খবর আছে! দোজখে পুড়বেন। পি-মারা খাইবেন। হ্যানো ত্যানো’। এই যেমন সেদিন দেখলাম, মুক্তমনার নাস্তিকের ধর্মকথার এই পোস্টে এসে মন্তব্য করতে গিয়ে ফরহাদ নামের এক ভদ্রলোক মন্তব্য করেছেন –
… শেষ বিচারের দিন আমাদেরকে নিজেদের কাজের হিসাব দিতে হবে যার ভিত্তিতে আল্লাহপাক আমাদের হয় শাস্তি দিবেন না হয় পুরস্কার দিবেন। …যদি আমরা সঠিক হই তবে আমরা অনন্ত জীবনের পুরস্কার পাব, আর যদি কিছু না পাই তবেও কোন ক্ষতি নেই। কিন্তু আপনারা যে ভাবে চিন্তা করছেন তা যদি সত্যি না হয় ( মানে আল্লাহ যদি সত্যি সত্যি একজন থাকেন এবং আপনাদের বিচার করেন) তখন আপনারা খুব বিপদে পরবেন। চিন্তা করে দেখেন তো…………
এই যুক্তিটা আসলে পুরানো। বলা হয় ফরাসী দার্শনিক কাম গণিতবিদ ব্লেইজ প্যাস্কেল (১৬২৩ – ১৬৬২) নাকি এই যুক্তিটা একসময় দিয়েছিলেন, তাই একে বলে প্যাস্কেলের ওয়েজার বা প্যাস্কেলের বাজি। বলা হয়, যে সমস্ত অবিশ্বাসীরা ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রথাগত ‘যুক্তি’গুলোতে সন্তুষ্ট নন, তাদের জন্য সম্ভাবনার গণিত ব্যবহার করে যুক্তিমালা সাজিয়েছিলেন ঈশ্বর-বিশ্বাসী প্যাস্কেল। ভেবেছিলেন এটা হবে নাস্তিকদের কফিনে শেষ পেরেক। প্যাস্কালের ভাষাতেই –
“If you believe in God and turn out to be incorrect, you have lost nothing — but if you don’t believe in God and turn out to be incorrect, you will go to hell. Therefore it is foolish to be an atheist.”
নাস্তিকেরা যে কত বড় গাধা সেটা আবার নানা ধরণের ছক টক কেটে দ্বিমাত্রিক ম্যাট্রিক্স বানিয়ে একেবারে গাণিতিক ভাবে ‘প্রমাণ’ করে দেন প্যাস্কেল।
কিন্তু তার গণিতের শুভঙ্করের ফাঁকি তিনি ধরতে না পারলেও অন্যরা ঠিকই ধরে ফেলেছিল। আসলে তার সম্ভাবনার সূত্রে ফাঁক ফোকর এতই বেশি যে একে গণিত না বলে গোঁজামিল বলাই ভাল। যে ব্যক্তিকে ‘ফাদার অব মডার্ন প্রোবাবিলিটি’ বলে উপাধি দেয়া হয়েছে তার মাথা থেকে এমন দুর্বল গনিতে খোঁজা যুক্তি বেরিয়ে এসেছিল, যে ভাবতেই এখন অবাক লাগে।
চলুন দেখা যাক এই প্যাস্কালীয় (মামদো)বাজির দুর্বলতাগুলো কী কী …
কোন্ ধর্ম সত্য ধর্ম? আর সত্যিকার ঈশ্বরটাই বা কোন্টা?
প্রথম সমস্যাটা হৈল – ক্যামনে বুঝুম কোন্ ধর্মটা সঠিক, আর সত্যিকার ঈশ্বরই বা কোন্টা? প্যাস্কাল সাহেব ছিলেন রোমান ক্যাথলিক। তার কাছে ক্যাথলিক ধর্মের ঈশ্বরই ছিলেন সত্যিকার ঈশ্বর। কিন্তু মজার ব্যাপার হইতাছে তার ক্যাথলিক ধর্মের ঈশ্বরকে সত্য প্রমাণের জন্য কষ্ট টষ্ট করে যে যুক্তিমালা সাজাইছিলেন, তা দেদারসে এখন ব্যবহার করেন প্রটেস্টাণ্ট, ইস্লামিস্ট, বুদ্ধিস্ট, হিন্দু, জৈন – হগগলতেই, তারা সবাই নিজ নিজ ধর্মের ঈশ্বরকে সত্যিকারের ঈশ্বর মনে করেন। প্যাস্কালীয় যুক্তিতে ‘ঈশ্বর কোপাইবো’ – এই হুমকি থাকলেও হুমকিতে বলা নাই, কোন ধর্ম অনুসরণ করলে কোপানি থিকা আলটিমেটলি বাঁচন যাইব। এটাকে ইংরেজীতে কয় ‘avoiding the wrong hell dilemma’ । হ্যাঁ, আপনে সঠিক ধর্ম অনুসরণ করলে স্বর্গে যাইবেন, আর দোজখের হাত থেকে বাঁচবেন; মাগার আপনে যদি ভুল ধর্মের অনুসারী হইয়া মইরা যান, কোন উপায় নাই – দোজখে/নরকে যাইবেন, আর পি-মারা খাইবেন।
এখন কথা হইল, সব ধর্মবিশ্বাসীরাই হুক্কা-হুয়া রব তুইলা ধরে নেন, তার নিজের ধর্মটাই সঠিক। তাদের কখনোই মনে হইব না যে মিথ্যা একটা ধর্ম পালন করে মারা যাইতাছেন আর মরার পর কোপানি খাওয়ার ক্ষেত্র প্রস্তুত করছেন। এইটাই হৈল ডিলেমা। আপনি এই ডিলেমা ত্যানা-প্যাচানি ধার্মিকবাবারে ধরায় দিলে একটুক্ষণের জন্য হয়ত থমকাইবেন, কিন্তু আবার সম্বিত ফিরা পাইয়া বুঝায় দিব – আরে ‘আমার ধর্মই যে সঠিক হে তো দ্যাকলেই বুঝা যায়’।
আমার মনে আছে – একবার এক খ্রিষ্টান পাদ্রী কি কারণে জানি বাসায় আসছিল। আইসাই যীশু যীশু কইরা মুখে ফ্যানা তুইলা ফালাইলো, আমগো দেশের তবলীগ পার্টির মতন অনেকটা। যখন শুনলো আমি নাস্তিক ওমনি যীশুর মহিমা কীর্তনের পর প্যাস্কালের (কু)যুক্তি হাজির হয়া গেল … “ঈশ্বর যদি সত্যি সত্যি একজন থাকেন এবং … তখন আপনারা … দোজখে …”। আমি বললাম কিন্তু সত্যিকারের ঈশ্বর যে যীশুই হবেন এটা স্বতঃসিদ্ধ ভাবে মেনে নেয়া কেন রে বাপ, মা-কালী বা গণেশ বাবা হৈলে তখন কি করবেন, এত যীশু যীশু করার পরেও তো সেই নরকের আগুনে পুড়বেন অ্যালায়। পাদ্রী সাব একটু থমকাইলেন, তারপরেই একগাল হাইসা বললেন – ‘আহ! আরে গণেশ টনেশ আবার ঈশ্বর হৈতে পারে নাকি, যীশুই আসল ঈশ্বর’। পেট মোটা হাতীর শুরওয়ালা মোটা মাথা গণেশ আসল ঈশ্বর হইবারই পারে না, তারচেয়ে আমগো ভার্জিন বার্থ হুইপ্টেল গিরগিটি মার্কা যীশুই প্রকৃত ঈশ্বর। আমীন। চুম্মা আমীন!
এখন পাদ্রী সাবরে ক্যামনে বুঝাই – এই পৃথিবীতে হাজারটা ধর্ম হাজারটা বিশ্বাস পাঙ্খা মেইল্যা উইড়া বেড়াইতাছে। সবাই যে যার মত নিজেদের ‘সহি ধর্ম’ বইলা জিকির পাড়তেসে আর নিজের ঈশ্বরকে আসল ঈশ্বর বইলা দাবী করতেসে – ‘মাই গডস ডিক ইজ বিগার দ্যান ইয়োরস’। বহু ধর্ম আবার একটা আরেকটার লগে দায়ে-কুমড়ায় সম্পর্ক, এক ধর্মের বিশ্বাসের সাথে আরেক ধর্মবিশ্বাসের আকাশ পাতাল তফাত। রাহুল সাংকৃত্যায়নের উদ্ধৃতি দিয়েই বলি-
‘এমনিতে তো ধর্মগুলির পরস্পরের মধ্যে মতভেদ রহিয়াছে। একটি যদি পূবদিকে মুখ করিয়া পূজা করিবার বিধান দেয় তো অপরটি পশ্চিম দিকে। একটি যদি মাথার চুল বড় রাখিতে বলে, অপরটি বলে দাঁড়িকে বড় করিতে। একটি যদি গোঁফ কাটিতে নির্দেশ দেয় তো অপরটি বলে গোঁফ রাখিতে। একটি যদি জবাই করিয়া পশু হত্যা করিতে বলে তো অপরটি বলে এক কোপে কাটিয়া ফেলিতে। এক যদি জামার গলা দক্ষিণদিকে রাখে তো অপরটি বামদিকে। একটি এঁটোর বিচার করে না, অপরটির একটি জাতির মধ্যেও অনেক ভাগ। একটি একমাত্র খোদাতালা ছাড়া পৃথিবীতে দ্বিতীয় কাহারো নাম নিতে রাজি নয়, অপরটিতে দেবতাদের সীমা নাই। একটি গাভীর জীবন রক্ষা করিতে গিয়া নিজের প্রাণ উৎসর্গ করিতে বলে তো অপরটি গো-কোরবানিকে পুন্যকার্য বলিয়া মনে করে।‘
পাদ্রী সাবেরে কইলাম, আপনেরা যেমন যীশুরে গড মনে করেন, মুসলিমরা তা মনে করে না। তাগো চোখে ঈশা নবী গড না, মানুষ। আপনেরা যে সূর্যমুখী ফুলের পাপড়ির লাহান রং বেরঙের হোলি ট্রিনিটির ঝাঁপি খুইলা বইছেন – কী সব – গড দ্য ফাদার, জিসাস দ্য সন, আর হোলি স্পিরিট – এই থ্রিসাম গড –এই ধুন ফুন হেরা বিশ্বাস যায় না। এখন ইসলাম ধর্ম যদি সত্যি হয়,আর হলি ট্রিনিটি যদি বালু-সালু হয়, তাইলে তো আপনের খবরাছে। কোরানে (সূরা সূরা আল ইমরান) আল্লাহ স্পষ্টই বলছে –
‘যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিনকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতিগ্রস্ত।‘ (৩: ৮৫)
কাজেই বোঝা যাইতেসে যে, খ্রিষ্টান বাবা, হিন্দু বাবা, সাই বাবা, মঙ্গা বাবা – সব গুষ্টি শুদ্ধা দোজখের আগুনে বেগুন-পোড়া হবে – নাস্তিক হওয়ার জন্য না, বরং না জাইনা ভুল একটা ধর্ম পালন কইরা যাবার জন্য। চিন্তা কইরা দেখেন – আইজ যে পোলাডার সুদূর উত্তর মেরুর কাছাকাছি Inuit Religion মানে এস্কিমো পরিবারে জন্ম হৈছে, হেই ব্যাটা ক্যামনে জানব আর বুঝব তার শত সহস্র মাইল দূরে আরব মরুর বুকে চোদ্দশ বছর আগে জন্ম নেওয়া এক বেদুইনের প্রচারিত ধর্মটার ঈশ্বরই আসল ঈশ্বর? ব্যাটায় না জাইনাই, না বুইঝাই মরার পরে বেগুন পোড়া হৈয়া যাইবো, পরম করুণাময়ের করুণ কারসাজিতে। সবাই তো আর ক্যানাডার এস্কিমোল্লা হওনের তৌফিক অর্জন করতারে না। মুসলিম ভাইয়েরা আবার দাঁত ক্যালায় হাইসেন না। খ্রিষ্ট ধর্মের ঈশ্বর – হলি ট্রিনিটির থ্রিসাম গড – মুসলমানদের আল্লাহ থেকে অনেক আলাদা। কাজেই যদি মরার পর গিয়া দেখা যায় সেই খ্রিষ্টান থ্রিসাম ঈশ্বরই প্রকৃত ঈশ্বর – তখন মুসলিমগো কম্ম সাবাড়। বাইবেলে আছে –
John 12:47-48 And if any man hear my words, and believe not, I judge him not: for I came not to judge the world, but to save the world. He that rejecteth me, and receiveth not my words, hath one that judgeth him: the word that I have spoken, the same shall judge him in the last day.
মানে খ্রিষ্টান ধর্মের দেওয়া ফর্মের ঈশ্বররে আপনে না মানলে আপনে যতই ধর্ম মানে-ওয়ালা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া কামেল আদমি হন না কেন, আগুনে পুড়বেন কনফার্ম – তাগো গড সত্য হৈলে। কিন্তু কার বাপের সাধ্য মুসলমানগো মাথায় হেই লজিক ঢুকায়। তাগো কাছে আল্লাহই প্রকৃত গড। কোরানে কইছে না! আমগো ফরিদ ভাই একবার কার কমেন্টে জানি দিছিলো মোক্ষম ইসলামী লজিক –
আচ্ছা, কোরান যে খাঁটি তা কিভাবে জানি আমরা?
সোজা। কারণ মহান আল্লাহ তালা বলেছেন যে।আল্লাহ বাবাজী যে মিথ্যে বলছেন না বুঝবো কি করে?
খুব সহজেই। হযরত মোহাম্মদ (সঃ) বলেছেন যে।মোহাম্মদ ব্যাটাই যে সত্যি বলছে তারই বা নিশ্চয়তা কি?
কেন? কোরান সাক্ষী দিয়েছে না।বাহ! কোরানই যে সত্যি কথা বলছে সেটাই বা কে বললো?
কেন? জান না বুঝি? আল্লাহইতো বলেছেন যে কোরান সত্যি।এতো ত্যানা প্যাঁচাও ক্যান শুনি?
এখন ইহুদী, খ্রিষ্টান আর মুসলমান গো আব্রাহামিক ধর্ম একেশ্বরবাদ শিক্ষা দেয়। একখান ঈশ্বরই আসমানে আছেন, তিনিই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সবকিছু তৈরি করছেন ছয় দিন ধইরা। আবার অন্য দিকে হিন্দুরা লক্ষ কোটি দেব দেবীতে বিশ্বাস যায়। মুসলমানেরা মূর্তি পূজারে শিরক সমতুল্য অপরাধ মনে করে। আর অন্যদিকে হিন্দুরা বুকে পেটে গলায় ঘণ্টা বাইন্ধা মূর্তির সামনে জপ করতে বইসা যায়। মুসলমানেরা গরু খাইয়া সাফা কইরা ফালায় তো হিন্দুরা হেইডারে মা ডাইকা কূল পায় না। অন্য ধর্মের আচার ব্যবহার তুক তাক আর মন্ত্র টন্ত্রে এত ধরনের পরষ্পরবিরোধিতা থাকলে কি হইব বিধর্মীদের ক্ষেত্রে হেইডা সব ধর্মের মত একই রকমের খচ্চর। কইছে –
স্বধর্মে নিধনং শ্রেয়ঃ পরধর্মো ভয়াবহঃ
মানে সোজা কথা হইল হিন্দু ধর্মে থাইকা জুতা খাওনও ভালা, অন্য ধর্মের দিকে যাওনের চেয়ে। অন্য ধর্মে গেলে বাঁচলে জুতা খাইবা, মরলে বেগুন পোড়া হইবা। অনেকটা মরলে শহীদ, বাঁচলে গাজির উল্টাডা।
তাই হেচকিহয়রানোমোল্লারা যদি মইরা গিয়া দ্যাখেন আখেরাতের ময়দানে কোন সফেদ দাঁড়ি সমেত আল্লাহপাক বইসা নাই – বরং পীনোন্নত কালা পাহাড় মা-কালী খড়গ উচায়া খাড়ায় রইছে আর মোল্লা দেখলেই দেদারসে কোপাইতাছে – তখন আঙ্কেল-প্যাস্কেল কিংবা হুজুরেআলমপনা-মুহম্মদ কারো নাম লইয়াই বাঁচবার পারবেন না, কয়া দিলাম।
আইচ্ছা ফাইজলামি না হয় বাদ দেই। গাণিতিক ভাবেই না হয় দেখি। ‘‘ভাই আমি আপনে সবাই একদিন মইরা যামু। ধরেন ঈশ্বর থাকা, না -থাকার সম্ভাবনা ফিফটি ফিফটি …’ এই সমস্যার একটা সুন্দর উত্তর অপার্থিব অনেক আগে একটা ফোরামে দিছিলেন ইংরেজিতে । বাংলা করলে দাঁড়াইবো এইরকমের –
‘এই মৃত্যুর পর ঈশ্বর থাকা না থাকা -ফিফটি-ফিফটি (এটা স্রেফ সম্ভাবনা, কোন ‘ফ্যাক্ট’ নয়) ব্যাপারটা আসলে কি মিন করে? প্রথমতঃ একজন বিশ্বাসীর কাছে এই সম্ভাবনাটাই শতকরা ১০০ ভাগ নিশ্চয়তা নিয়ে হাজির হয়। আর একজন অবিশ্বাসীর কাছে তা শতকরা ০ ভাগ। অজ্ঞেয়বাদী কিংবা হাল্কা ধরণের বিশ্বাসীদের ক্ষেত্রে এই সম্ভাবনা ০ থেকে ১০০এর মধ্যে যে কোন জায়গায় থাকতে পারে। এখন এই শতকরা হিসেব যাই হোক না কেন, এটা নির্দেশ করে একজন বিশ্বাসীর মনোজগতে তার (ঈশ্বরে)বিশ্বাসের স্তরকে, কোন ভাবেই মৃত্যুর পর প্রকৃত ঈশ্বর থাকা বা না থাকার কোন সত্যিকার প্রোবাবিলিটি নয়। কারণ, এই সম্ভাবনার হিসেব এসেছে বিশ্বাসীদের মানসপটে থাকা বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে যেটা বস্তুনিষ্ঠ-ভাবে গণনা করাই সম্ভব নয়, প্রমাণ তো পরের কথা। কাজেই এই ‘ফিফটি-ফিফটি’ এনে ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণ বড় সড় হেত্বাভাস দোষে দুষ্ট, কারণ, মানসজগতে বিশ্বাসের স্তরের উপর ভিত্তি করে কোন কিছু অস্তিত্ব প্রমাণের যুক্তি নির্মিত হওয়া উচিৎ নয়, সেটা বরং হওয়া উচিৎ বৈজ্ঞানিক কিংবা বস্তুনিষ্ঠ প্রমাণ সাপেক্ষে।
এখানে ধরেই নেয়া হচ্ছে ফিফটি-ফিফটি চান্স-এর যুক্তি (যেটা আসলে কুযুক্তি উপরেই দেখান হয়েছে) উপস্থাপন করলেই বিশ্বাসের উপকারিতা বুঝা যাবে আর অবিশ্বাসের বিপদের আলামত পাওয়া যাবে। সেই কত শতক আগে প্যাস্কালের এই বাজিকে খণ্ডন করে দেয়া হয়েছে, অথচ সেটা এই শতাব্দীতেও বিশ্বাসীদের হৃদয়ে সেটা দোলা দিয়ে চলেছে অবলীলায়। প্যাস্কালের বাজির আরেকটা বড় ত্রুটি হল – যদি ধরেও নেয়া হয় মৃত্যুর পরে পরকাল বলে কিছু একটা আছে, তারপরেও প্রমাণিত হয় না যে একটা নির্দিষ্ট ধর্মই (religion-X) প্রকৃত ধর্ম। যেহেতু ঐ ধর্মের বাইরেও আরো ধর্ম (religion-Y, Z etc..) আছে আর সেগুলো ও তাদের মত করে পরকালকে নির্দেশ করে, কাজেই যে কোন একটা ধর্মকে সত্য মনে করে সার্বজনীন ভীতি তৈরি করা আর এর প্রেক্ষিতে মনের মাধুরী মিশিয়ে যুক্তি সাজানো আসলে প্রতারণার নামান্তর।‘
কিন্তু মুশকিল হৈল কোন বিশ্বাসীরেই এই লজিকের দুর্বলতা বোঝানো যাইবো না। তারা প্যাস্কালের মতোই ধইরা নেন তাদের ধর্মের ঈশ্বরই প্রকৃত ঈশ্বর; আর সব ঝুটা হ্যাঁয়। ইংরেজিতে এই ধরনের হেত্বাভাসকে বলে ‘fallacy of false dilemma/false dichotomy/bifurcation’ অন্য সব অপশনকে বাতিলের খাতায় পাঠায়া নিজেরটারে উপ্রে তুইলা ধরা। বাংলা ব্লগে এই প্রজাতির একটা মজার নাম আছে – আল্লামা তালগাছবাদী!
এই (চাপা)বাজির ক্রাইটেরিয়াই বা কী?
বাজি ধরবার চান ভালা কথা। কিন্তু ক্রাইটেরিয়া ছাড়া বাজি ধরার তো কোন মানে নাই। আস্তিকতা একটা ব্যাপক আর বিস্তৃত বিষয়। একটা হিন্দুরেও আমরা আস্তিক কই, একটা মুসলিমরেও কই আস্তিক। এখন হিন্দুর আস্তিকতা আর মুসলমানের আস্তিকতা তো এক না। অথচ প্যাস্কালের বাজিতে হিন্দু-মুসলমান-ক্যাথলিক সবডিরেই এক কইরা দেখানো হইসে আর ধইরা নেয়া হইসে নাস্তিক হইলেই পাঙ্গা মারা। এক আস্তিকের লগে আরেক আস্তিকের বিশ্বাসের বিরোধগুলা চামে চিকোনে চাইপা যাওন হইসে। এইটা কোন বাজির ক্রাইটেরিয়া হৈল নাকি?
আরো গুরুতর সমস্যা হইল, নাস্তিক হৈলেই পাঙ্গা-মারা খাইব, এই বিশ্বাসেরই বা হেতু কি? আমি একবার ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিছিলাম –
ভেবে দেখলাম, আমাদের মহান ঈশ্বর হচ্ছেন নাস্তিকূলশিরোমনি, মানে সবচেয়ে বড় নাস্তিক (উনি বিশ্বাস করেন না যে কোন সৃষ্টিকর্তা তারে বানাইছে), তাই তার দর্শন হওয়া উচিৎ অবিশ্বাসের দর্শন!
যে সৃষ্টিকর্তা নিজেই নাস্তিক, তিনি নাস্তিকগো পাঙ্গা মারবেন, আর আস্তিক-মোল্লাগো মাথায় কইরা রাখবেন, এইডা কেউ বুঝায় দিলেই হইব নাকি। 🙂
আর তাছাড়া যে ব্যাটারে ঘটা কইরা ‘ঈশ্বর’ উপাধি দেওন হইসে, তার ঘটে তো এক্টু বুদ্ধিশুদ্ধিও আমরা আশা করি, নাকি! যে মোল্লারা নির্বিবাদে আর আন্ধা বিশ্বাসে জিহাদ, জাতিভেদ, শরিয়া, ক্রুসেড সব কিছু বিশ্বাস করছে, নারী গো শস্যক্ষেত্র বানায় রাখসে, নাইন ইলেভেন ঘটাইছে, গুজরাতে দাঙ্গা লাগাইছে, পয়লা বৈশাখে রমনা বটমূলে গিয়া বোমা মারছে, চার্চে বইসা শিশুকামিতা করছে, গাছের মগডালে বইসা ননী চুরি আর কৃষ্ণলীলা করছে, ফুসলাইয়া পালক পুত্রের বউরে বিয়া করছে, বিধর্মী গো মুরতাদ আখ্যা দিছে, চোখ বন্ধ কইরা হুমায়ুন আজাদরে কোপাইছে, পৃথিবীডারে আবর্জনার গোডাউন বানায় রাখসে – মহান ঈশ্বর পঙ্গপালের লাহান হেদের গণহারে বেহেস্তে পাঠাইবো, আর যারা যুক্তি বুদ্ধি দিয়া চিন্তা কইরা এই অমানবিকতা আর নাফরমানির বিরোধিতা করছে, তারা নাকি যাইবো দোজখে। এইটা তো প্রকৃত ঈশ্বর করবার পারেন না। হয়তো, ক্যাডা জানে – তার কাছে যুক্তিবাদীরাই সবচেয়ে আপন, কারণ তারা পৃথিবীতে যুক্তি বুদ্ধি দিয়া চিন্তা করছে, গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসায় দিয়া ভেড়ার পালের মতোন চিন্তা করে নাই। তাগোই তো ঈশ্বরের পরীক্ষায় ফুলমার্ক পাইয়া পাশ করনের কথা। সেই জন্যই সংশয়বাদী রিচার্ড ক্যারিয়ার ২০০২ সালে একটা প্রবন্ধ লিখছিলেন, শিরোনাম ‘ প্যাস্কালের ওয়েজারের সমাপ্তি – কেবল অবিশ্বাসীরাই স্বর্গে যাবেন’ । সেই প্রবন্ধ থিকা কিছু অংশ বয়ান করি –
“Therefore only intellectually committed but critical nontheists (nonbelievers) are genuinely good and will go to heaven. Therefore, if a god exists, his silence and allowance of evil are explained and justified by his plan to discover the only sorts of people who deserve to populate heaven: sincere nontheists. And this makes perfect sense of many mysteries, thus explaining what theists struggle to explain themselves.”
একই কথা কইছেন ম্যাসিমো পাগ্লিউসি তার “Pascal’s Wager: Is It Safer To Believe In God Even If There Is No Proof That One Exists? প্রবন্ধে। এই প্রবন্ধ থিকা কিছু লাইন –
“Many Agnostics, for example, have evaluated all the “proofs” for God’s existence, and all of the “proofs” of God’s non-existence. They conclude that neither belief can be substantiated. They feel that they cannot rationally believe in the existence or non-existence of God; they must remain Agnostic. Under these conditions, a person can only believe in God if they violate their honesty. And God might punish a lack of honestly more severely than not being able to believe in God.
It can also be argued that if people believe something on insufficient evidence, that the result is the promoting of credulity — something that harms society. Again, that could be a sin that God is particularly concerned about punishing.”
সারমর্ম হইল – ঈশ্বরের লিচ্চয় মাথা খারাপ না যে কুন হালায় বিনা প্রমাণে বলদের লাহান মাথা ঠুইকা ঠুইকা যাবতীয় হুর পরী কুসংস্কার অপসংস্কারে বিশ্বাস করছে বইলাই হেরে চুম্মা দিয়া বেহেস্তে পাঠায় দিবো, আর নাস্তিক যুক্তিবাদী গো কোপাইব। বরং অবিশ্বাসীরা হেই কাজটাই ভালমত করছে যা ঈশ্বরের পছন্দ – মানবিকতা, যুক্তিবাদ আর মুক্তবুদ্ধির চর্চা। একজন সত্যিকার ন্যায়বিচারক কোন সত্য-সন্ধানীকে শাস্তি দিতে পারে না।কাজেই, আল্লায় দিলে, অবিশ্বাসী নাস্তিকেরাই পরীক্ষায় পাশ কইরা বেহেস্তে যাইবো, চিন্তা কইরেন না। বলেন আমীন!
ঈশ্বরের পরীক্ষাটা আসলে কিয়ের পরীক্ষা?
ঈশ্বরের পরীক্ষার কথা যখন আসলোই একটা মজার ব্যাপার মনে হইল। আরজ আলী মাতুব্বর তার সত্যের সন্ধান গ্রন্থে লিখছিলেন –
বলা হয় যে, আল্লাহর অনিচ্ছায় কোন ঘটনা ঘটে না। এমনকি গাছের পাতাটিও নড়ে না। বিশেষত তাঁর অনিচ্ছায় যদি কোন ঘটনা ঘটতে পারে তাহা হইলে তাঁহার ‘সর্বশক্তিমান’ নামের সার্থকতা কোথায়? আর যদি আল্লাহর ইচ্ছায়ই সকল ঘটনা ঘটে তবে জীবের দোষ বা পাপ কি?
এখন কেউ কইতে পারে ঈশ্বরের অনিচ্ছায় যদি কোন ঘটনা না ঘটে, তাইলে পুরা বাজিই একটা তামাসা হইয়া যায়। ঈশ্বর যেহেতু সর্বজ্ঞ, তিনি নিশ্চয় জানেন ক্যাডা আস্তিক হৈব আর ক্যাডায় নাস্তিক। যে ব্যাটা নাস্তিক হৈতাছে, সেই ব্যাডা আসলে কিন্তুক কোন না কোনভাবে ঈশ্বরের ইচ্ছা আর উদ্দেশ্যই পূরণ করতাছে। কারো বাপের সাধ্য আছে নাকি ঈশ্বরের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যাওনের? নাই। ঈশ্বরের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে গেলে তো তার সর্বশক্তিমান খেতাবটাই প্রশ্নবিদ্ধ হৈয়া যায়। তাই ঈশ্বর চান যে নাস্তিকেরা নাস্তিক থাকুক। এই দিক দিয়া চিন্তা করলে প্যাস্কেলের বাজি ফাজি সবকিছুই কিন্তু ভোজবাজি হইয়া মিলায় যাইতে দেরী লাগে না।
আসলেই কি (অন্ধ)বিশ্বাসে কিছুই হারানোর নাই?
এখন কথা হইতাছে যদি কোন ঈশ্বর খালি অন্ধবিশ্বাসী হওনের কারণে কুনো মোল্লারে বেহেস্তে পাঠায়, আর অবিশ্বাসীরে কঠিন শাস্তি দেয়, সেই ঈশ্বর তো আসলে স্তাবকতাপ্রিয় ঈশ্বর। ইনি চাটুকারিতা পছন্দ করেন। এখন একটা লোক ক্যামন আছিল, কি করল, মানুষের জন্য কি কি ভালা কাজ কর্ছে, হেইগুলান না বিবেচনা কইরা খালি ব্যাটায় সাড়া জীবন ধইরা চাটুকারিতা কর্ছে নাকি আর মহারাজার কাছে ঈমানদন্ড খাড়া কইরা ঈমান আনছে নাকি –এইডাই যদি হয় একমাত্র ক্রাইটেরিয়া – তাইলে কোন সুস্থবুদ্ধির লোক হেই ব্যাডারে পুছব না। অন্ততঃ আমি নাই এইডাতে, কইয়া দিবার পারি।
ক্যানো এইডাতে আমি নাই? কারণ প্যাস্কাল সাব আর তার অনুসারীরা এই টাইপের রেসিস্ট ঈশ্বরে বিশ্বাস করলে পরকালে ‘কিছুই হারানোর নাই’ বইলা জিগির তুললেও আমার তো মনে হয় আমি মানুষ হিসেবে চিন্তা করার ক্ষমতাটাই হারায় ফেলতাছি। চাটুকারিতার কাছে নির্লজ্জ আত্মসমর্পণ কইরা আমার সততা হারাইতাছি, আমার সাহস হারাইতাছি, নিষ্ঠা হারাইতাছি, হারাইতাছি আমার সুস্থ বিচার বোধ। তারপরেও কইবেন আমার কিছুই হারানোর নাই? দার্শনিক জর্জ স্মিথ তার Atheism: The Case Against God, বইয়ে সেজন্যই বলেছেন –
‘আমরা কী হারাবো? আমরা হারাবো বৌদ্ধিক সততা, আত্মসম্মানবোধ, হারাবো একটা চৌকস জীবন-দর্শন। সংক্ষেপে, জীবনকে সুন্দরভাবে সাজাতে যা যা লাগে, সবই হারিয়ে ফেলব আমরা। না, প্যাস্কালের ওয়েজার কোন ‘নিরাপদ বাজি’ নয়, বরং এটি অভীষ্ট জীবন আর সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের বিনিময়ে কেনা ছলনা’।
জীবন তো ভাই একটাই। সততা, আত্মসম্মানবোধ, সুস্থ বিচার বুদ্ধি হারায়া লাভটা কী? তাই আসেন – প্যাস্কালের মামদো বাজিরে কইষা লাথি!
বোনাস – পাঠকদের জন্য প্যাস্কালের বাজি নিয়া একখান ভিডিও –
httpv://www.youtube.com/watch?v=v9WRG4e6m2s
:line:
দর্শন শাস্ত্রের প্রান্তিক টুকিটাকি বিষয়গুলো নিয়ে প্রাসঙ্গিক কিছু পোস্ট
:rose:
:clap :clap :clap
এস্কিমোল্লা :hahahee: :hahahee:
দারুণ লেখা। আপনি যদি অনুমতি করেন তবে ফেসবুকে শেয়ার দিই? 😛
@কৌস্তুভ,
তোমার এই মন্তব্য আগে দেখি নাই। এখন দেখলাম।
লেখা শেয়ার করতে (তাও আবার আমার লেখা) আবার অনুমতি লাগে নি? :))
ফেবুতে দেখলাম তুমি কার কার বাড়ি গিয়া মৌজ কইরা বেড়াইতেস…
আমি সোজা কথার মানুষ তাই একটা কথাই বলব। সেটি হল বন্দুক, ছুরি চাকু দেখিয়ে টাকা ছিনতাই করা, আর দোযখের ভয় দেখিয়ে বিশ্বাস আদায় করা, দু’টোই ছিনতাইয়ের অন্তর্ভূক্ত। আল্লাহ যদি চাইত তবে তো আমাদের ও ফেরেশতাদের মত বানাতে পারত যারা কোন পাপ করে না। কেন তাহলে তেমন বানালো না?????
একটা অন্য প্রশ্ন করি ।
ঈশ্বর যদি সত্যিই ন্যায়বিচারক হন তাহলে তার কাছে কোন ব্যক্তি শ্রেষ্ঠ হবে ? যে পরকালে কিছু পাওয়ার লোভে ভালো কাজ করল সে না যে কোন কিছু পাওয়ার আশা না করে বিবেক এর তাড়নায় নিস্বার্থভাবে ভালো কাজ করল সে ?
@মুসাফির,
জনাব মুসাফির সাহেব,
অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ পশ্ন করে ফেলেছেন ভাই। আমার বিশ্বাষ মানুষের জন্য কল্যান কর কাজ করে যাওয়া উচিৎ তার পরিবর্তে পরকালে কিছু পাওয়ার আশা ব্যতিরেকেই।
আর যদি পরকালে কিছু (বেহেশত)পাওয়ার আসায় করতে হয় তাহলে মানুষের মঙ্গল জনক কিছুই করার দরকার হয়না বরং তার বিপরীতে আল্লাহরই সৃষ্ট নিরপরাধ বিরোধী মতালম্বীর লোকজন দের হত্যা করা বা এ উপলক্ষে নিজেই নিহত হইলেই বেহেশত পাওয়ার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত পন্থা বলে অনেকের কাছে বিবেচিত। আর এইটাই নাকি কোন কোন ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ।
ধন্যবাদ
আপনি লিখেছেন,” বলা হয় যে, আল্লাহর অনিচ্ছায় কোন ঘটনা ঘটে না। এমনকি গাছের পাতাটিও নড়ে না। বিশেষত তাঁর অনিচ্ছায় যদি কোন ঘটনা ঘটতে পারে তাহা হইলে তাঁহার ‘সর্বশক্তিমান’ নামের সার্থকতা কোথায়? আর যদি আল্লাহর ইচ্ছায়ই সকল ঘটনা ঘটে তবে জীবের দোষ বা পাপ কি? ”
অতীব যৌক্তিক…
বারট্রান্ড রাসেল কে একবার এক লোক জিজ্ঞেস করলেন, ” আপনি তো নাস্তিক , মৃত্যুর পর যদি দেখেন যে বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডের সবকিছু ঈশ্বর এর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে এবং তার উপর অবিশ্বাস এর কারন জানতে চায় ? ”
রাসেল, ” প্রভু উপযুক্ত প্রমাণের অভাব, প্রভু…”(not enough evidence)
the usual suspects এর একটা ডায়ালগ ছিল, ” the greatest trick devil ever pulled convincing the world that he never exists ”
& the greatest trick prophet ever pulled convincing the world that god exists….
@ইলুমিনেটি,
এটা আসলে আরজ আলী মাতুব্বরের সত্যের সন্ধান বই থেকে নেওয়া। আমি লিখলেও এর প্রকৃত স্বত্বাধিকারী আমি নই। 🙂
চমৎকার। ভবিষ্যতে মুক্তমনায় আপনার নিয়মিত অংশগ্রহণ আশা করছি।
@অভিজিৎ, প্রায় একইরকম একটি বিষয়ে নিল ডি গ্রাসা টাইসনের একটি সুন্দর কথা আছে- httpv://www.youtube.com/watch?v=afGkv0IT4dU
@আঃ হাকিম চালাকদার
বাংলাদেশেও দিন দিন আলিশান মসজিদের সংখ্যা বেড়েই চলছে। ধর্মানুরাগীরা মসজিদের উন্নয়নের জন্য যত আর্থিক সহযোগিতা করছে তেমনটা কিন্ত্ত দারিদ্র্য উন্নয়নের জন্য করছে না।এক্ষেত্রে যদি তাঁদের ধর্মনাভূতি ঘুরিয়ে দারিদ্র্য উন্নয়নমূখী করা যেত তাহলে দেশের অনেকটা উপকার হত।এখন আবার যোগ হচ্ছে, বাড়ি বাড়ি থেকে প্রতিমাসে
৫০/১০০/২০০টাকা করে সবাইকে দিতে হচ্ছে, সেখান থেকেও বেশ বড় একটা অর্থ তাঁরা সংগ্রহ করছে।
@আহমেদ সায়েম,
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
@আহমেদ সায়েম,
মসজিদে টাকা না দিয়ে যাবে কোথায়? এটা যে “ছদকায়ে জারিয়া” অর্থাত এখানে একবার দান
করতে পারলেই কেয়ামত পর্যন্ত তার খাতায় পূন্য জমা হতেই থাকবে। অর্থাত পূন্যের কাজ না করেও অসীম পূন্যের অধিকারী হয়ে নিশ্চিত ভাবে বেহশত চলে যাওয়া।
টাকা না দিয়ে কারো উপায় আছে?
ধন্যবাদ
নাস্তিকরা তো কোরআনের অনেক ভুল ধরার চেষ্টা করে।কিন্তু কোরআনের মতো একটা সূরা তৈরি করে ভুল প্রমাণ করার চেষ্টা করে না কেন?
সনেট কবিতা অনেক বড় বড় কবিরাও লেখতে পারে না।কারণ সনেট কবিতায় ২টা গাণিতিক শর্ত মানতে হয়।আর যদি একটা কবিতায় ২৯ টা মতো গাণিতিক শর্ত দেওয়া হয় তাহলে কেমন হয়?
শত শত বছর ধরে হাজার হাজার কবি,বিজ্ঞানী,গণিতবিদ, দার্শনিক, প্রকৌশলী,পন্ডিত,ভাষাবিজ্ঞানী, ডাক্তার,কোরআন বিশেষজ্ঞ ,অমুসলিম,নাস্তিকরা চেষ্টা করতাছে কোরআনের মতো একটা ৪ লাইনের সূরা রচনা করতে।কিন্তু তারা তো হাজার হাজার পৃষ্টার বই বানাতে পারে কিন্তু ৪ লাইনের সূরা কেন তৈরি করতে পারে না?
তাই নাস্তিকদের বলবো আগে একটা সনেট কবিতা লেখে সফল হলে সূরা লেখার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ অভিজিৎ , আগে কোখন এভাবে ভাবিনি ।
একটা দরগা শরীফে যখন লুট করার জন্য নগদ এবং ট্যক্স ফ্রি ২ কোটি টাকা পাওয়া যায় , তখন অন্তত এটা বোধগোম্য যে , ধার্মিক হওয়ার অনেক বানিজ্যিক সুবিধা আছে। নাস্তিকেরাই আসলে বোকা !
@সংশপ্তক,
ধর্ম জগতে আবার টাকার অভাব হতে যাবে কেন? যেখানে শুধু বেহেশতের এক এক খানা ঘর বিক্রী করাতেই হাজার হাজার ডলার আসে। সেখানে আবার টাকার অভাব থাকতে পারে নাকি?
নিউ ইয়র্কে অন্ততঃ ১০০ মসজিদ। এগুলী অল্প কয়েক বছরেই হয়েছে। এরা প্রথমে কোন রকমে একটু খানি ঘর ভাড়া করে আরম্ভ করা থেকে শুরু করে তারপরে অল্পদিনের মধ্যে ৪ তলা বিল্ডিংএ পরিণত হচ্ছে। পাকিস্তানী, ভারতীয়.এরাবিয়ান, আফ্রিকান মুসলিমেরা মসজিদের নাম শুনলেই বেহেশতে একখানা ঘর পাওয়ার আশায় হাতের মুঠা ভরে ডলার দান করে।
যেখানে বেহেশতে এক খানা ঘর পাওয়ার আশা, সেখানে আবার টাকার অভাব হয় নাকি?
ধন্যবাদ
‘আমার ধর্মই যে সঠিক হে তো দ্যাকলেই বুঝা যায়’ এই কথা শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হয়ে গেল। বিশ্বাসীদের প্রধান target হল পরকালে ১টা নিরাপদ প্লট বরাদ্ধ করা। এর জন্য যত ভন্ডামো করতে হয় তারা করে। মনে প্রশ্ন আসা মাত্রই এরা ctrl + alt + del চাপে। পাছে সন্দেহ পোষনের দায়ে বেহেস্তি প্লট খানা হারায়!! প্যাস্কেল সাহেবের কুযুক্তিই এদের যপ। ধর্ম বা ইশ্বর ভক্তিও এদের মূল মন্ত্র না। এদের মূল মন্ত্র হল ‘Being in the safe side’.
লেখা পরে অনেক ভাল লাগল :))
@রাগাদ,
আমারো আপনার মন্তব্য পড়ে খুব ভাল লাগল। মুক্তমনায় নিয়মিত আসবেন আশা করছি।
@অভিজিৎ, আবশ্যই 🙂
দাদা আপ্নেরে :guli: :guli: :guli: :guli: আপ্নে আমার ফেসবুক বন্ধুত্বের অনুরোধে সাড়া দেন না। 🙁
তাছাড়া অন্য কোন সমস্যা নাই আপ্নে আমার অন্যতম প্রিয় লেখক। আপনার অনেক লেখা আমি পরছি। সহজ ভাষায় জটিল জিনিস বুঝায় বলেন দেইখা আপনার লেখা খুব ভালো লাগে।
আর আই লেখাটার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এখন থেকে এই যুক্তির উত্তর দিতে আর সময় নষ্ট করতে হবে না। আপনার লেখার লিঙ্কটা ধরায় দিলেই চলবে। :rotfl:
@সাফিন আহমেদ অনিক,
অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভাই, আমার কাছে ছাগল পাগল বহু লোকের কাছ থেকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আসে – ফাত্তাহ, ফারাবী ছাগু গ্রুপ থেকেও আসে। এখন সবাইকে সব সময় এক্সেপ্ট করতে পারি না। জানি না আপনি কি নামে আমাকে রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছেন, তবে রিকোয়েস্টের সাথে সাথে যদি আমাকে আপনার পরিচয় দিয়ে একটা ম্যাসেজ পাঠিয়ে দেন, তাহলে উপকার হয়।
আবারো ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনার আগ্রহের জন্য।
আমার মনে হয়, যখনই আপনি নিজেকে “নাস্তিক” বলিয়া ঘোষনা দিলেন, তখন আপনি যাই বলেন যত সঠিক যুক্তি দিয়েই বলুননা কেন ধার্মিক দের একটি মাত্রই উত্তর থাকবে যে “যে নাস্তিক সে তো এ কথা বলবেই, এটাই তো স্বাভাবিক।এতে আর অবাক হওয়ার কী আছে? ওরা যা বলে তা বলে যাক। কিন্তু আমরা তো একটা সামাজিক প্রানী।আমাদের তো একটা সমাজ আছে। আমাদেরকে একটা সমাজের মধ্যে বসবাস করতে হয়। সমাজের একটা নিয়ম কানুন আছে,তা মেনে চলতে হয়। এমনকি জন্ম থেকে আরম্ভ করে বিবাহ শাদী ও মৃত্যু হওয়া পর্যন্ত এই নিয়মের অধিনে থাকতে হয়। আর সেই সমাজে ধর্মের প্রভাব প্রচন্ড। আমাদের পরিবার,বন্ধুবান্ধব,আত্মীয় স্বজন সবই এই প্রচন্ড ধর্ম-প্রাবল্য সমাজে বসবাস রত।
কাজেই রাতারাতি একটা “নাস্তিকে’ রুপান্তরিত এই সমাজ হইতে বাহির হয়ে আসতে পারিনা”
কাজেই সমাজ বদ্ধ জীবন যাপনের প্রভাব ও গুরুত্বের দিকটা বিবেচনায় রেখে নিজেকে সমাজ হতে দুরে না এনে বরং যে কোন পন্থা অবল্বন করেই হোক সমাজের মধ্যে অবস্থান করে সমাজকে শুদ্ধ করার চেষ্টা চালানো বোধ হয় আরো বেশী প্রয়োজন।
“নাস্তিক” ‘আস্তিক’ ধার্মিক’ যার যার শুধু মনের মধ্যেই থাকুক, অন্যথায় কোনদিন ও সমাজকে শোধরানো যাবেনা।
আমি যদি এখন বলি ধর্ম সব মানুষের তৈরী, একারনে এটা আমি বিশ্বাষ না করে আমি একজন নাস্তিক হয়ে গেলাম।
এতে সমাজের কোনই উপকার হলনা। সমাজের কিছু উপকার করতে হলে সমাজের সংগে মিলে মিশে থেকে করতে হবে।
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার, ভাই, সমাজ শব্দ টা আপনি জেনারালাইজ করে ফেলেছেন। এই দুনিয়ায় সমাজবদ্ধ মানুষ মাত্রেই কোনো না কোনো ধর্মাবলম্বী তা কিন্তু নয়। আমি চীন দেশে থাকি। এখানে নাস্তিক হওয়াটাই স্বাভাবিক, ধর্মাচরন করাটা নিয়মের ব্যতিক্রম। প্রথম প্রথম আমিও খুব অবাক হয়েছিলাম 🙂
@তপোজ্যোতি সরকার,
খুবই একমত। নাস্তিকেরা সমাজের বাইরের কেউ নন। তারাও ব্যক্তি জীবনে স্নেহময় পিতা, অফিসে দায়িত্ববান কর্মী কিংবা একজন সমাজ সচেতন মানুষ। আসলে আমাদের মত দেশে ধর্মের বিরোধিতা করলেই মনে করে সমাজের বাইরে চলে গেলাম। চীন দেশে না গেলেও আমারো আপনার মতো চীনা বহু ছাত্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার সুযোগ হয়েছিল আমার পিএইচডির সময়। তাদের সবার কাছেই নাস্তিকতা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল, ধর্ম পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে তারা বলিষ্ঠ কন্ঠে বলত ফ্রিথিঙ্কার। কই তাতে তো কারো মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়েনি, সমাজের বাইরে চলে যাবার মত ব্যাপারও আসে নি।
আর তাছাড়া সমাজের সব রীতি নীতির প্রতি গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দিলে এগুনো সম্ভব নাও হতে পারে। সমাজের পশ্চাৎপদ কিছু রীতি কোন কোন সময় ভাঙতেই হবে। এতে যদি সমাজের বাইরে যেতে হয় তাও সই। সবাই সমাজের রীতি মেনে চললে তো আমরা কখনোই পেতামনা রিচার্ড ডকিন্স, ক্রিস্টফার হিচেন্স, আহমদ শরীফ, আরজ আলী মাতুব্বর কিংবা হুমায়ুন আজাদদের। তাই না?
যদি ঈশ্বর থেকেও থাকে, তাহলেও আস্তিক হওয়াটা লস-লস গেম।
কোরান সহ সব পৃথিবীর সব ধর্মগ্রন্থ একটা ব্যাপারে একমত-সেটা হচ্ছে সৎ কাজ এবং সৎ লোকই আল্লার প্রিয়। মূলত সৎ পথে থাকতেই আল্লার স্বরণ নেওয়ার কথা বার বার আসে।
সুতরাং আস্তিক নাস্তিক যেই হোক না কেন, কর্মের ভিত্তিতেই ফলে প্রদানের কথা সর্বত্র লেখা 🙁
আর নাস্তিক হয়েই সৎ থাকার সুবিধা বেশী-কারন এক্ষেত্রে নাস্তিকরা সৎ হতে বাধ্য হয় “বাস্তবতা” মেনে-যে সমাজে গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে, এটা ছারা উপায় নেই।
আর ঈশ্বর যদি না থাকে, তাহলেও আস্তিকদের বিরাট লস। শুধু এই জন্যেই যে ঈশ্বরে বিশ্বাস করে অধিকাংশ লোক, নিজেদের ভবিষয়ত নষ্ট করে। একজন নাস্তিক বাঁচার জন্যে যুক্তি খাটাবে-যেটা সব সময় কাজের। বাঁচার জন্যে যে ঈশ্বরের স্বরণাপন্ন হবে, যুক্তি বাদ দিয়ে, তার জীবনে কিছু হবে না।
আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে একটা গল্প বলি। আমাদের পাড়ায় মহান্তি বলে এক ধণী পরিবার থাকত। ছোট বেলায় দেখেছি, তাদের ২৭ টা বাস লরী ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর সাথে ওঠা বসা ছিল। লোকটা প্রতিটা হিন্দু অনুষ্ঠানে পাড়া শুদ্ধ লোক খাওয়াত-এক তান্ত্রিক বাবা তার সব উন্নতি করেছে, এই ভাবে বিশ্বাস করত।
ব্যবসাতে সব দিন সমান যায় না। তার ব্যাবসাও পড়তির দিকে যেতে লাগল। আর লোকটা পাগলের মতন, সেই তান্ত্রিককে দিয়ে পূজো করাতে লাগল। আমাদের বাড়ির পেছনেই সেই কালী পূজো হত। একটা সময় গেল, মাসে একবার করে কালীপূজা। যত ব্যবসা খারাপ হচ্ছে লোকটা তত পূজা দিচ্ছে। আজ সন্ধ্যা কালী ত কাল বর্ষা কালী। এত কালী হিন্দু ধর্মে আছে জানতাম না ( সময় পেলে এটা নিয়ে একটা গল্প বা উপন্যাস লেখার ইচ্ছা আছে)। আস্তে আস্তে একদশকের মধ্যে, তার সব লরী বাস নিলাম হয়ে যায়। লোকটি ভিক্ষুকে পরিণত হয়। একসময় যে ছিল শহর সব থেকে ধণী লোক, ঈশ্বরে বিশ্বাস, তাকে একদম পথে বসিয়ে দেয়। শেষে ৭০ বছর বয়সে লোকটা অন্যের ব্যবসায় খাতা দেখাশোনার কাজ করতে করতে চূড়ান্ত দারিদ্রের মধ্যে মারা যায় 😕
@বিপ্লব পাল,
মহান্তির কথা শুনে খারাপই লাগলো। ধর্ম এবং ধর্মগ্রন্থকে আক্ষরিক অর্থে ব্যবহার করে পস্তানোর ঘটনা এতো বেশি, যে আমার ভাবতেই অবাক লাগে যে এগুলো তারা করে কীভাবে। মহান্তির ঘটনা তো তবু মানা যায় – আমি যেখানে বড় হয়েছি সেটা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। পরহেজগার এক অধ্যাপকের ছেলের কি সব হরমোনাল ডিস-ব্যালেন্স হয়েছিল বয়োসন্ধিকালীন সময়। উনি সেটাকে ‘জ্বিনের আসর’ ধরে নিয়ে কোন পীরের কাছে ‘চিকিৎসা’য় নিয়ে গেলেন। কাজের কাজ যা হোল, কিছুদিন পরে ছেলেটা মারা গেল। উনি কিন্তু অশিক্ষিত ব্যবসায়ী ছিলেন না, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন।
এই কিছুদিন আগেও একটা ঘটনা পড়েছিলাম – ১১ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে, কারণ তার অভিভাবকেরা ডায়াবেটিসের জন্য ডাক্তারের কাছে না গিয়ে প্রার্থনার শরণাপন্ন হয়েছিলেন। কারণ তারা মনে করেছিলেন – বাইবেলের আয়াতেই আছে – প্রার্থনায় রোগ ভাল হয়, তাই ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার দরকার নেই। বাইবেল তো আর মিথ্যে হতে পারে না! মানুষের ধর্মান্ধতা যে কোথায় নিয়ে যেতে পারে, তার বাস্তব উদাহরণ এগুলো।
অভিজিৎদা,
আপনার লেখার প্রতি আমার মুগ্ধতার বড় কারণ হচ্ছে, আপনার ভাষা, যা যুক্তির শানে মোহনীয় হয়ে উঠে! কিন্তু সেই ভাষা এই লেখাতে নেই! কেন নেই, জানি না! হয়ত আপনি ব্লগীয় ভাষার প্রতি জোর দিয়েছেন! কিন্তু ব্লগীয় ভাষার সাধারণ ধরন হল বিদ্রূপাত্মক বা রসাত্মক, তা অনেক সময় ধারালো যুক্তির মেজাজকে ক্ষুণ্ণ করতে পারে, যেমন করেছে (আমার মতে) নীচের বাক্যগুলোতে:
তবে আপনার এই লেখাটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হল, আপনি যুক্তির পথে হেঁটেছেন, যখন অনেকেই কুৎসা রচনার পথে হাটে! কোন ধর্মবেত্তা কত দুশ্চরিত্র, তা দিয়ে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দ্বন্দ্ব মেটানো যায় না, শুধু নতুন ক্ষোভের জন্ম দিতে পারে তা!
খুব ভাল যুক্তি, অভিজিৎদা! আমার অনেক পরিচিতজনকেই বলতে শুনি, হিন্দুরা পুতুল পূজা করে! পুতুলের কি প্রাণ আছে? কিন্তু তারা এই কথা কি কখনো ভেবে দেখেছেন, তারাও মাটি পুজো করেন, মানে মাটির উপর মাথা রেখে প্রার্থনা করেন হর হামেশাই!
এর একটা উততর আছে, অভিজিৎদা! ঐ ব্যাটারে একটা ব্রেইন দেয়া হইছে না! সে দুনিয়ার অন্য প্রান্তের খোঁজ রাখবে না? যদি না রাখে, তাইলে সে কি করে দায় এড়াবে?
তাদের কাছে ‘সততা’র সংজ্ঞা ভিন্নতর! বস্তুত, স্বয়ং ঈশ্বরের কথা বিনা বাক্যে মেনে নেয়াই সবচেয়ে বড় সততা, অথবা ঈশ্বরে অপূর্ণাঙ্গ বিশ্বাসই চারিত্রিক গুণাবলী প্রকাশের সব দরজা বন্ধ করে দেয়, সততার পথ সিল-গালা করে দেয়! নইলে একথা কেমন করে বলে যে, একটা শিশুও যদি অ-খ্রিস্টান হয়ে (অথবা বাইবেলিয় ধর্মে বিশ্বাস না করে) মারা যায়, তাহলেও তার নিয়তি আজীবন নরকবাস!
এইখানেও তাদের যুক্তি আছে! আপনি এত কষ্ট করে একটা রোবট বানালেন, আর তার কাছ থেকে কিছু রেস্পেক্ট আশা করবেন না? আর তাছাড়া, চাটুকারিতা তো পার্থিব বিষয়, মানুষ সমমানের অন্য মানুষকে কেন চাটুকারিতা করবে? কিন্তু মানুষ তার ঈশ্বরের চাটুকার হতে পারে যেহেতু ঈশ্বর সমমানের নয়, বরং অনেক উঁচুতে তার অবস্থান!
লেখাটার সেরা লাইন! সেরা যুক্তি!
@কাজি মামুন,
আসলে যে সময় লেখাটা দিয়েছিলাম তখন নানা ধরণের ক্যাচাল চলছিল। আমি ভাবছিলাম একটা হাল্কা ধরনের লেখা দেই বরং । আসলে শুদ্ধ-ভাষায় তো অনেক লিখলাম। একটা এক্সপেরিমেন্ট করার শখ হল। অনেকের ভাল লাগলেও দেখলাম আপনার তেমন ভাল লাগেনি। আসলে মানুষের পছন্দ অপছন্দের বিষয়গুলো খুব সাবজেক্টিভ। এখানে সঠিক কিংবা ভুল কিছু নেই। সে জন্যই একই রীতিতে লেখা সাহিত্য একজনের খুব ভাল লাগে অন্যের হয়তো তেমন টানে না। আমারও বহু ক্ষেত্রেই এটা ঘটে।
অনেক ধন্যবাদ। আপনি কুৎসা না পেলেও বেয়াদপ পোলার মত কেউ কেউ প্যাস্কেলের মধ্যেও ‘ইসলাম বিদ্বেষ’ খুঁজে পেয়েছেন। আমার আর কী করার আছে? বলাই বাহুল্য সবাইকে সন্তুষ্ট করে কিন্তু আমার পক্ষে চলা সম্ভব নয়।
শুধু তাই নয়। যারা ‘পুতুল পূজা’ নিয়ে কটাক্ষ করেন, খুব খেয়াল করে দেখবেন যে তাদের ধর্মেও প্রতীক পূজার বহু নিদর্শন রয়ে গেছে। কোরানে আল্লাহ সূর্য, চন্দ্র, গোধূলি নক্ষত্র, ডুমুর, জলপাই, সিনাই পর্বত, দ্রুতগামী ঘোড়া, নিরাপদ নগরী প্রভৃতির নামে শপথ করেছেন ( উদাহরণ – ১১৩ : ১, ৮৪ : ১৬-১৯, ৯৫:৩, ৭৭: ১ ইত্যাদি…)। এগুলো প্যাগান হেরিটেজ ছাড়া কিছু নয়। মূর্তি পূজাকে তারা হেয় করেন কিন্তু কাবা শরীফে একটা সামান্য পাথরের চারিদিকে ঘুরে হজ্জ্ব করে সোয়াব কামানো থেকে শুরু করে অদৃশ্য শয়তানকে ঢিল ছোঁড়া সহ সবই করেন কিন্তু। এমনকি আল্লাহ নামটির মধ্যেও প্যাগান প্রভাব আছে, ইতিহাস ঘাঁটলেই পাবেন। কিন্তু এগুলো তাদের বোঝাবে কে? আমার উদ্দেশ্য অবশ্য হিন্দু ধর্মের পুতুল পূজাকে ডিফেন্ড করা নয়, বরং পরিস্কার করেই বলা যে ত্রুটিগুলো হিন্দু ধর্মে আছে কমবেশি সব ধর্মেই আছে। এখন – মুরগির বিষ্ঠায় দুর্গন্ধ বেশি নাকি ছাগলের বিষ্ঠায় – এ নিয়ে আসলে আলোচনার কোন মানে নেই। বিষ্ঠা বিষ্ঠাই।
আপনার অন্য প্রসঙ্গ গুলো নিয়ে উপরেই বিভিন্ন জনের সাথে আলোচনা করেছি, তাই আর পুনরুক্তি করলাম না।
ধন্যবাদ সঙ্গে থাকার জন্য।
“মি: বিন” এর সুন্দর একটা ভিডিও আছে:
httpv://www.youtube.com/watch?v=CyaQyuLmUiI
http://www.youtube.com/watch?v=CyaQyuLmUiI
অভিজিত দা,
বরাবরের মতই! (Y) (F)
@গোলাপ,
ভিডিওটা মজার। মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ।
আমার জানা মতে হযরত আলি এক নাস্তিককে বলেছিল,“ ঈশ্বর যদি না থাকে তাইলে আমান কোন সমস্যা নাই। কিন্তু ঈশ্বর যদি থাকে তাহলে আপনার কি অবস্থা হবে ভেবে দেখুন?”
আমার মতে হযরত আলি এটি একটি কৌশলী ডিপ্লোমেটিক উক্তি দিয়েছিল বা বলা যায় অনেক গাল গপ্পো না বুঝিয়ে একটি মক্ষোম দাবার চাল দিয়েছিল। এর পরে সেই নাস্তিক সহ সকল নাস্তিকের দুটোই দাঢিত্ব হয়ঃ
১) ঈশ্বর কে নিশ্চিত ভাবে ১০০% অনিশ্চিত প্রমান করা। অথবা
২) ঈশ্বর কে ১% হলেও মেনে নেওয়া ।
প্রিয়ো অভিজিৎ, ১ নংএর প্রচেষ্টার অনেক শক্তিশালী যুক্তি থাকলেও আপনার লেখা অনুযায়ী আপনার পক্ষে প্রধান যুক্তি ( শঙ্কা ) হিসেবে আপনি বলেছেন, পৃথিবীতে বিভিন্ন পরস্পর বিরোধী ধর্মর অস্তিতের কারন, অর্থাৎ – যদি এ ধর্ম সত্য না হয়ে অপর টা সত্য হয় তখন !!! এবং ঈশ্বেরের উৎস কি? অর্থাৎ ঈশ্বর তো নিজেই তার ঈশ্বর কে বিশ্বাস করে না। এ সব ব্যপার। আপনার যুক্তি বুদ্ধি ( analytical ability ) কোম হলেও রোস বোধ ভাল।
আমার দৃষ্টিতে আপনার এ বিষয়ে একদম ০ পয়েন্ট থেকে (ইশ্বরের বিপক্ষেও না পক্ষেও না) একটি মুক্ত চিন্তার এবং মুক্ত যুক্তির জারনি করা উচিৎ,একং নিম্ন লিখিত চেইন প্রশ্নের উত্তর খোজার চেষ্টা করা উচিৎঃ
১) আপনার যুক্তি মতে পৃথিবীর সবচেয়ে কোম অযৌক্তিক ধর্ম কোনটি? কোন ধর্ম একটু হলেও বিজ্ঞানমুখি?
২) ঈশ্বর না থাকার পিছনে সবচেয়ে শক্তিশালী যুক্তি কিকি? তা কি বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত না দর্শন? ৩) আস্তিক দের যেমন বিভিন্ন দল আছে, নাস্তিকরাও কিকি বিভিন্ন দলে বিভক্ত নয়? থাকলে কিকি?
৪) জীবনের প্রথম অস্তিত্বের (যাই হোক) কারন কি?
৫) আপনার জীবনের লক্ষ্য কি?
৬) আধ্যাতিকতা, অলৌকিকতা কি?
৭) পৃথিবী ১০০% নাস্তিক হলে কি লাভ হবে? কেন?
৮) আপনি কে? (সক্রেটিস)
———————————— আমার মনে হয় আপনার কাজ করা শুরু হয়েছে……………….. তা না হলে…….
“নিশ্চিতই যারা কাফের হয়েছে তাদেরকে আপনি ভয় প্রদর্শন করুন আর নাই করুন তাতে কিছুই আসে যায় না, তারা ঈমান আনবে না।”—সূরা আল বাক্বারাহ, আয়াত ৬
@নিখর তাবিক,
ভাই আপনাদের তুলনা নাই, চোখের নিমেষে সবকিছুরই ইসলামী-করণ কইরা ফ্যালেন। এজ ইফ আপনের এই “কৌশলী ডিপ্লোমেটিক” উক্তি আপনের এই হজরত আলির আগে কেউ করে নাই! এই উক্তি আর যুক্তি ইসলাম নামের ধর্মটা পৃথিবীতে আসার বহু আগে থেকেই দেয়া হয়েছে, বহু আগে তা খণ্ডনও করে হয়ে গেছে। তবে, এই উক্তি আলি করলেও যা, প্যাস্কেল করলেও তা। যাহা লাউ তাহা কদুই।
ভাইজান, এখানে লিখতে আসনের আগে দর্শন নিয়া একটু পড়াশোনা করেন। নেতিবাচক অস্তিত্বের প্রস্তাবনা যে গ্রহণযোগ্য নয় -সেইটা দর্শনের প্রথম দিককার মামলা। যে কেউ আপনার যুক্তি অনুযায়ী বলতে পারে, রামগরুড়ের ছানা, ট্যাঁস গরু, রাক্ষস খোক্কস, মামদো ভুত, মা কালী, থর, কিংবা ফ্লাইং স্পেগেটি মন্সটার ১০০% অনিশ্চিত প্রমাণ করা যায়নি। তো আপনি কি তখন বলেন –
রামগরুড়ের ছানায় (কিংবা হাম্পটি ডাম্পটিতে) অবিশ্বাসীদের দুইটা দায়িত্ব –
১) রামগরুড়ের ছানা কিংবা হাম্পটি ডাম্পটিকে কে নিশ্চিত ভাবে ১০০% অনিশ্চিত প্রমাণ করা। অথবা
২) রামগরুড়ের ছানা কিংবা হাম্পটি ডাম্পটিকে কে ১% হলেও মেনে নেওয়া ।
কোন কিছু প্রমাণ করার দায়িত্ব দাবীদারের, অন্যদের নয়। আপনি ঈশ্বর, রামগড়ু, কিংবা ফ্লাইং স্পেগেটি মন্সটার যেটার অস্তিত্বেই হোক – বিশ্বাসী হিসেবে দাবী করলে হলে আপনেরেই সেই জিনিসটা প্রমাণের দায়িত্ব নিতে হবে । আপনি উদোর পিন্ডি বুধোর ঘারে চাপিয়ে দিয়ে বলতে পারেন না যে, ‘অমুকটার যে অস্তিত্ব নেই, তা কেউ প্রমাণ করতে পারেনি’ কিংবা ‘নিশ্চিত ভাবে ১০০% অনিশ্চিত প্রমাণ করা যায়নি’। লজিকের ভাষায় একে বলে ‘বার্ডেন অব প্রুফ’।
আমার না হয় তাও “রোস বোধ” জাতীয় কিছু একটা ভাল, কিন্তু আপনার বানানের যে অবস্থা তাতে আমার লেখার মর্ম উদ্ধার করাই কঠিন হয়ে পড়ছে। আমি কথ্য ভাষায় প্রবন্ধ লিখেও বানানে আপনার লেখার ধারের কাছে পৌঁছাতে পারলাম না।
আর আপনে যে বিশাল সব “চিন্তাজাগানিয়া প্রশ্নগুলা” আপনের থলি থেকে বের করেছেন, সেগুলোর উত্তর পদার্থবিজ্ঞান আর জীববিজ্ঞানের সাম্প্রতিক গবেষণা আর বইপত্র নাড়াচাড়া করলেই পেয়ে যাবেন। আমাদের সাইটেও বহু আলোচনা হয়েছে এগুলো নিয়ে। আপনার যা করতে হবে সেগুলো খুঁজে দেখা।
“তাতে কিছুই আসে যায় না, তারা ঈমান আনবে না” -তাই যদি সত্য হয়ে থাকে তাইলে আপনার মত জিহাদী সৈনিকের ঈমান দণ্ড সোজা করে এখানে এসে আমাকে হেদায়েত করার মিশন নিয়ে নামার কোন কারণ তো দেখি না। আফটার অল বুইঝাই তো গ্যাছেন – ” তারা ঈমান আনবে না”! হেঃ হেঃ! বাড়ি গিয়ে গুড় দিয়ে মুড়ি খান বরং!
@অভিজিৎ, আসলে হবে যত ই যুক্তি দেখাই না কেন বিশ্বাসিরা ধর্ম ছাড়বেনা, …আর দাদা অসাধারন লেখেছেন…
@নিখর তাবিক,
ইশ্বর থাকলে অামি খুব-ই খুশি হতাম! অামি তার কাছে পুনর্জন্মের আব্দার করতাম, একটা ভালো বউ এর অাব্দার করতাম, কিন্ত হায় এসব কিছুই হবার নয়,অামি বেশিদিন ধৈর্য রাখতে পারছিনা, অামি ইশ্বরে বিশ্বাস রাখতে পারছিনা।
@অভিষেক ভাই, আমার ২য় মন্তব্যটি ছাপানো হয়নি ? দুঃখ পেলাম ?…….
তবে ভাই আপনাকে বলছি, আপনি ধ্যান করুন, আপনাকে আবিষ্কার করুন, ইশ্বর কে না খুজে পেলেও সমস্যা নেই….আমাদের চারপাশের বেশির ভাগ —- আস্তিক এবং নাস্তিক এর মাঝে সমস্যা আছে, দু-পক্ষই গোড়া।কে কেন কোন লক্ষ্যে কোন পক্ষে্… তা খুব কমই অবগত।
মূল শিক্ষা যা পাওয়া গেল তাহল এই যে আমি সব ধর্মেই বিশ্বাসী এই দাবী করে যাওয়া (বলা ভাল ভান করা) সবচেয়ে নিরাপদ।
@আদিল মাহমুদ,
সেইটা তো আপনের পক্ষে আর সম্ভব না। আপনে না ধমাধম ধর্মের নবী হইছেন?
নাকি ধমাধম ধর্ম রামকৃষ্ণের মতো ‘যত মত তত পথ’ এর দীক্ষা বুকে ধারণ করে? 🙂
@অভিজিৎ,
ধর্ম সম্পর্কে আপনাদের অবজ্ঞা, অজ্ঞানতা আর যাবে না।
ধমাধম ধর্মের মূল দর্শনই তো আপনে আলোচনা করে ফেলছেন।
ধমাধম ধর্ম সবচেয়ে ব্যালেন্সিভ ধর্ম, এইখানেই এই মহত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব। যেমন আমরা সব ধর্মকে সম্মান করি, তবে একই সাথে অন্য সকল ধর্ম বাতিল ঘোষনা করি।
@আদিল মাহমুদ,
🙂
একজন আস্তিক তার বিশ্বাস থেকে কেন সরে আসবে? যদি নাস্তিকতা তাকে ধর্মাচরণ এর থেকে ভাল কিছু দেয় তবেই তো। চলুন দেখি ধর্ম আমাকে কি দেবে আর তার বদলে নাস্তিকতা কি দিতে পারবে বা এর বিরুদ্ধে নাস্তিকদের কি বলার আছে। এখানে ধর্ম বলতে আমি কেবল ইসলাম কেই বোঝাবো যেহেতু আমি মুসলিম। আমি নিশ্চিত অন্যান্য ধর্মের ও দেয়ার মত অনেক কিছু আছে।
ইসলাম বলে তোমরা নিয়মিত জামাতে নামাজ পর, তোমাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্তের বন্ধন দৃঢ় হবে। নাস্তিকতা কি বলে, বা এর বিরুদ্ধে নাস্তিকদের কি বলার আছে?
ইসলাম বলে তোমাদের চারপাশে চল্লিশ ঘর তোমাদের প্রতিবেশি। তাদের সুখ দুখের খোঁজ রাখ, বিপদে সাহায্য কর। নাস্তিকতা কি বলে, বা এর বিরুদ্ধে নাস্তিকদের কি বলার আছে?
ইসলাম বলে তোমরা জাকাত দাও, অনেক গরিবের অভাব লাঘব হবে। নাস্তিকতা কি বলে, বা এর বিরুদ্ধে নাস্তিকদের কি বলার আছে?
ইসলাম বলে তোমরা শ্রমিকের গায়ের ঘাম শুকানর আগেই তার পারিশ্রমিক দাও, এটা তার হক। নাস্তিকতা কি বলে, বা এর বিরুদ্ধে নাস্তিকদের কি বলার আছে?
ইসলাম বলে সকলের প্রতি ভাল ব্যবহার কর, এতিমের প্রতি জুলুম করনা, দুর্বলের প্রতি সদয় আচরণ কর, মানুষ তোমার ক্ষতি করলেও তাকে ক্ষমা করে দাও। নাস্তিকতা কি বলে, বা এর বিরুদ্ধে নাস্তিকদের কি বলার আছে?
ইসলাম বলে অপচয় করনা, কারন তাতে আরেকজন তার প্রাপ্য থেকে কম পাবে। নাস্তিকতা কি বলে, বা এর বিরুদ্ধে নাস্তিকদের কি বলার আছে?
ইসলাম বলে সৎ উপার্জন কর, নাস্তিকতা কি বলে, বা এর বিরুদ্ধে নাস্তিকদের কি বলার আছে?
ইসলাম বলে অতিরিক্ত বিলাসী জীবন যাপন করনা। নাস্তিকতা কি বলে, বা এর বিরুদ্ধে নাস্তিকদের কি বলার আছে?
এরকম অনেক কিছুই ইসলামে বলা আছে যা মেনে চললে আমাদের জীবনে পরিপূর্ণ শান্তি আসবে। একজন ইসলাম ধর্মবিদ্বেষী যা কখনই পাবে না।
তাহলে মানুষ নাস্তিক কেন হয়? সেটা তার ইচ্ছা, আমার কিছু বলার নাই। কিন্তু যাদের আমি এখানে ইসলামের নামে কুৎসা রটনা করতে দেখি তারা কেন করে? কেউ না চাইলে সে ধর্ম পালন করবে না, চাইলে অপরকেও জানাবে সে কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করে না। কিন্তু অশ্লীল ভাষায় কেন? এত উৎসাহের পিছনে কারন কি?
শুধু বিখ্যাত হওয়ার কৌশল মাত্র? ইসলামের পিছনে লাগা? মসজিদ ভাংগে ধার্মিকেরা, মন্দির ভাংগে ধার্মিকেরা আর যারা এই ভাঙ্গাভাঙ্গি উসকে দেয় তারাই হচ্ছে নাস্তিক । :-Y
@বেয়াদপ পোলা,
হ ঠিক কইছেন। লিখলাম প্যাস্কেল লইয়া, তাও ‘ইসলামের পিছনে লাগা’ খুঁইজ্জ্যা পাইছেন। বেয়াদপ পোলার নরম দিলে দিলে মহা চোট লাগছে হেইডা বুঝতাছি। মসজিদ মন্দির ভাঙাভাঙি কতটা নাস্তিকেরা উস্কাইতে পারছে তা জানিনা, তয় আপনের দিল যে ভাইঙ্গা চৌচির হইয়া গেছে তা বুঝতে পারতাছি। সরি। ভেরি সরি।
@অভিজিৎ, বুঝলেন না দাদা,জগতের সব কিছুই যে ইসলামের ঘরে প্রসব করছে।
@অভিজিৎ,
দাদা, বেয়াদপ পোলা এই লেখাটি কিছুদিন আগেও পড়েছি।।মনে হই উচিত জবাব মিলে নাই আবার আপনার লেখাই এসে হাজির।।
যাহোক আপনার লেখা বলতে গেলে অসাধারন।।
@উথেন জুম্ম,
হ আগে বুঝি নাই – এখন দেখি একই মন্তব্য কুমীরের বাচ্চার মত বিশ জায়গায় দিয়া বেড়াইতেছে। ভাবছে যত বেশি একই গার্বেজ প্রসব করবেন উনি, তত বেশি সফল!
@বেয়াদপ পোলা,
সবই ঠিক অাছে,
ভ্রাতৃত্তের বন্ধন দৃঢ় করব বিনা নামাজে
চারপাশে চল্লিশ ঘর আমার প্রতিবেশি
গরিবের অভাব লাঘব করব
শ্রমিকের গায়ের ঘাম শুকানর আগেই তার পারিশ্রমিক দেব
সকলের প্রতি ভাল ব্যবহার করব
সৎ উপার্জন করব
অতিরিক্ত বিলাসী জীবন যাপন করবনা
কিন্ত ইসলাম, কোরাণ, অাল্লাহ বা নবীর কোন প্রয়োজন নাই!
নাস্তিকতা মানে নীতিহীনতা নয়।
@বেয়াদপ পোলা,
“ইসলাম বলে তোমরা নিয়মিত জামাতে নামাজ পর, তোমাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্তের বন্ধন দৃঢ় হবে। নাস্তিকতা কি বলে, বা এর বিরুদ্ধে নাস্তিকদের কি বলার আছে?”
অন্য ধর্মের অনুসারীকে এরা সব সময়ে শত্রু ভাবে। ভ্রাতৃত্তের বন্ধন দৃঢ় করতে বিনা নামাজেই সম্বব।
“ইসলাম বলে তোমাদের চারপাশে চল্লিশ ঘর তোমাদের প্রতিবেশি। তাদের সুখ দুখের খোঁজ রাখ, বিপদে সাহায্য কর। নাস্তিকতা কি বলে, বা এর বিরুদ্ধে নাস্তিকদের কি বলার আছে?”
চল্লিশ ঘর কেন? সারা দেশের মানুষের খোঁজ খাবর রাখা, বিপদে সাহায্য করার জন্য ধর্ম বা ইসলামের প্রয়োজন নাই।
“ইসলাম বলে তোমরা শ্রমিকের গায়ের ঘাম শুকানর আগেই তার পারিশ্রমিক দাও, এটা তার হক। ”
ওনার দেয়া ভাল কাজের তালিকার কোনটা করার জন্য আস্তিক বা ধার্মিক হওয়ার প্রয়োজন নাই। নাস্তিক মানে কি নীতি হীনতা? তা নয়। নাস্তিক দের নৈতিকতা আস্তিক চাইতে দৃঢ়। নাস্তিকরা যা করে বিবেক বুদ্ধি খাটিয়ে করে। অন্য কোন কিছুর লোভে অন্ধ ভাবে করেনা।
অভিজিৎ দোজখে যাইতে পারে, আমি কিন্তু যামু না। আল্লাহর কাসে বন্দেগি করার ব্যাপারটা আউটসোর্স করসি বহুত আগেই। আমি নাস্তিক শোনার পর থেকেই আমার অফিসের অত্যন্ত মুমীন এক ক্যাথলিক( আমার বেশ ক্লোজ বন্ধু সে) কাতর হয়ে আমার জন্য নিয়মিতভাবে চার্চে গিয়া দোয়া করে। আমারে মাঝে মাঝেই নিশ্চিত করে যে আমার চিন্তার কুনুই কারণ নাই, তার দোয়ার ফজিলতে আমার এ-জীবন আর সে-জীবনের কোথাও কুনু সমেস্যা হবে না। আমার মা-নানীর আল্লাহ আর হের বাপদাদার গড এখন মারামারি কইরা বুইঝা নিক আমি কুন স্বর্গে যামু।
(রায়হান, তুমি যাই বল নাই বল, আমি কিন্তু জাহান্নামে যামু না…)
@বন্যা আহমেদ,
ঠিকাছে। আপনি জান্নাতে যাইবেন আর জাকির নায়েকের কনসার্ট শুনবেন ২৪ ঘন্টা :))
@বন্যা আহমেদ,
এইডা জানি কি বস্তু? :))
@অভিজিৎ দা,
ফ্যাক কইরা হাইসা দিলাম। বন্যাপা কি গানটা শুনছে? 😀
@রায়হান আবীর, একটার চাইতে আরেকটা আরো বড় মুসলমান! ‘মোমিন’, মুমিন, মানে কী দাদা?
@বন্যা আহমেদ,
বলেন দেখি মানেটা কি?
[soundcloud url=”http://api.soundcloud.com/tracks/28017670″ iframe=”true” /]
লিংক আসেনাই ঠিকমতো
http://soundcloud.com/royesoye/track-9
http://soundcloud.com/royesoye/track-8
@রায়হান আবীর, ধর আমি বললাম বুঝি নাই, তাইলে ক্যাম্নে বুঝাইবা? 🙂
বুইঝা গ্লাম যে আপনি ভালোমতৈ বুঝছেন 😀 😀
@বন্যা আহমেদ, আমার মাকে বলেছি আমাদের এক আপুর মানে আপনার জন্য প্রার্থনা করতে. মারামারি যখন বাধবেই তখন ঈশ্বরকে কেন বাদ দিব. উনার বুঝি এসব করতে ইচ্ছে হয় না?????? :))
@বন্যা আহমেদ,
ইস! কইলেই হল। অভিজিত নামের একজন কাফের, মুশরিকের সঙ্গে আছেন আর জাহান্নামে যাইতে চান না- স্বর্গ না কি যেন এটা কি ছেলের হাতের মোয়া পাইছেন :))
পি-মারা, মানে কি দাদা?
@তামান্না ঝুমু,
এটার উত্তর কি না জানলেই নয়? অভিজিৎ সভ্য ভাষায় লিখেছেন তাই এটা, আর যদি ‘জনৈক বাঙ্গালের’ ভাষায় হত বুঝতেই পারছেন আমাদের মন্তব্য করার আগেই ভাগতে হত গন্ধে।
@তামান্না ঝুমু,
হাঃ হাঃ – ওটা বাজে ছেলেপিলেদের মধ্যে প্রচলিত একটা স্ল্যাং ঝুমু।
তবে আমরা তো বাজে ছিলে পিলে নই, ওটা (ফরিদ ভাইয়ের মতে) পেরেক মারা। কুমিল্লার ওদিকে গেলে শুনবেন, পিছামারা। পিছা মানে ঝাড়ু। তাই ঝাড়ুমারা হিসেবেও ওটাকে নিতে পারেন।
তবে ঢাকার ওদিকে বাজে ছেলেপিলেদের আড্ডায় অধিকাংশ লোকজন উপরে mkfaruk এর মতই ভাববেন। আফটার অল ডার্টি মাইন্ড কিনা। 🙂
আমার দিল কিন্তুক খুব পরিস্কার। :))
@অভিজিৎ,
হা হা হা… ভীষণ মজা পেলাম। সত্যি বলতে কি উত্তরটা চু-…. মু-.তে.. একাকারের মত অর্থাৎ চমৎকার হয়েছে।
এটা বললাম একারণে আমার থিমটা অন্য অনেকের থেকে ভিন্ন। আমার বাবা বলতেন সত্যকে বুঝতে হলে আগে মিথ্যাকে জানতে হবে, ভালকে বুঝতে হলে, খারাপটা আগে জানতে হবে। এ কারণেই আমি সবকিছুর আগে প্রথমে ঐ বিষয়গুলিরই পাঠ নিয়েছি। হা হা হা…
@mkfaruk,
“সত্যকে বুঝতে হলে আগে মিথ্যাকে জানতে হবে”
দারুন বলেছেনতো, আসলে কি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এখন তুকতাক পড়ানো উচিৎ, কেননা মিথ্যাটা না জানলে কিকরে তারা অ্যাটমিক মডেল, সেল সিগ্নালিং এসব সত্যি বুঝবে? :guli:
@অভিজিৎ,
উল্লেখবিহীন উদ্ভট কথাবার্তা। 🙂 আরেকটু আগাইলেই হামলা এবং মামলা দুইটারই মোকাবেলা করতে হইতো তোমার। 😉
@ফরিদ আহমেদ,
মামলায় জিতবার পারতেন না। আমি আল্লামা হয়রানোমোল্লার মত স্ক্রিন শট রাইখা দিছি। তার উপর আবার শরিয়া আইন মোতাবেক এক পুরুষ আর দুই নারীর সাক্ষীও হাজির করন যাইবো। 🙂
একটা ক্লাসিক হোমার সিম্পসন কোটেশন, রোববার চার্চে কেনো যায় না স্ত্রী মার্জের ঠেলাঠেলিতে হোমারের যুক্তি,
” Suppose we’ve chosen the wrong god. Every time we go to church we’re just making him madder and madder.”
“Homer the Heretic”, Season 4, Episode 3.
@সফিক,
ক্লাসিক! (Y)
(Y)
আস্তিকদের খুবই কমন একটা কুযুক্তি এটি। অনেক গুছিয়ে লিখেছেন অভিজিৎদা। বেশ মজার সুপাঠ্য।
@নাজমূল,
ধন্যবাদ।
আস্তিক-নাস্তিকদের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার না করে ঐসব তথাকথিত আস্তিক বা নাস্তিক যারা ঈশ্বরকে নিয়ে ধর্মকে নিয়ে রাজনীতি করে,নিজের বিশ্বাসকে অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে তাদের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করুন । আসলে যার যার বিশ্বাস তার তার,আমি বুঝে-শুনে আস্তিক/নাস্তিক যা-ই হইনা কেন সেটা আমার বিশ্বাস । আসলে মানবতাটাই বড়,যার মধ্যে এই জিনিসটা নেই তার দ্বারাই সম্ভব মানুষের বিশ্বাস নিয়ে টানা-হেঁচড়া করা….তবে ইদানীং যা দেখা যায় আর কি….তথাকথিত আস্তিকদের টার্গেট নাস্তিকগুলোকে ধরে বেঁধে যেভাবেই হোক কোন একজন ঈশ্বরের আওতায় আনতে হবে আর নাস্তিকরা-ও কম যায়না…..তারা-ও কোমর বেঁধেই নামে ঈশ্বরের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করার জন্য । এটাও আমার কাছে ঐ ধর্মে ধর্মে রেষারেষির চেয়ে কম জঘণ্য মনে হয়না ।
(Y) (Y) (Y)
অসাধারন লেখা।
মুসলিমদের মাঝে এই যুক্তিটা প্রচলিত আছে হয্রত উমরের বয়ান হিসেবে। সে নাকি কাকে এই যুক্তি দিয়ে ইসলামের পথে আনছিল।
একটা ইন্টারেস্টিং জিনিস হইল, কুযুক্তিগুলো যুগে যুগে একই থেকে গেছে(প্রথম কারন, স্বাধীন ইচ্ছা ইত্যাদি)। হয়ত তাদের ফর্ম পাল্টেছে। কিন্তু সব মিলিয়ে একই জিনিস। যে লাউ সেই কদু। কিন্তু বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ, দর্শনে যুগে যুগে পরিবর্তন এসেছে। এটাই প্রমান করে “ধর্মবাদীদের” আসলে নতুন কিছু বলার নাই। তাদের বলার জিনিস ২০০০/৩০০০ বছর আগেই শেষ।
(Y)
বরাবরের মতো অভি’দা (Y) …
তবে কিনা … লেখাটা শুদ্ধ বাংলায় হলে বোধয় আরও বেশি ভালো হতো। কত্থ ভাষায় লেখার কারনে একটু হাল্কা হাল্কা মনে হচ্ছে বোধয় ।
ভাল্লাগছে… :guru:
অভিদা,
এই ক্ষেত্রে শিবের ধারে কাছে কেউ যাইতে পারব না আর কেউ মনে হয় ভুলেও হেরে চ্যালেঞ্জ করব না। :)) :))
@সাইফুল ইসলাম,
আপনার জানা কম বিধায় আপনি এমন বলছেন। শিবের ডিক অবশ্য্ই চ্যালেঞ্জের মুখে। আর এসব চ্যালেঞ্জের উত্তর মুসলিমরা অনেক আগেই দিয়ে রেখেছে। যারা বুখারীর এই হাদিসে বিশ্বাস করে তাদের কাছে শিবের পাত্তা নেই।
Sahih Bukhari Vol. 4, book 55, #543, narrated Abu Hurayrah, “The prophet, peace be upon him, said, ‘Allah created Adam, made him 60 cubits in height..'”
সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে ৬০ ফুট আদমের ডিক শীবের পুরো বডির চেয়ে বড় হবে।
@mkfaruk, ৬০ কিউবিটস মানে ৯০ ফুট, ৬০ ফুট না। তার মানে হল, আপনি নিজেও জানেন না যে আপনি যা জানেন সেটা আসলে ভুল জানেন। এখন মূল কথায় আসা যাক। মুহাম্মাদ চাপা মারছে। অবশ্য তার পক্ষে জানা সম্ভব ছিলো না যে মানুষের পক্ষে ৬০ কিংবা ৯০ ফুট হওয়া সম্ভব না।
৯০ ফুট আদম কিম্বা ৬০ ফুট কিংকং সম্ভব নয়; কেন?
@হোরাস,
এখানে আমার জানার বিষয়ে আসলে বলিনি। যাহোক আমি যা জানি তা হল-
1 cubit = 45.72 centimeters
An ancient measure of length, approximately equal to the length of a forearm. It was typically about 18 inches or 44 cm, though there was a long cubit of about 21 inches or 52 cm.
Now,
If we use 18″ X 60 = 1080 inches divided by 12 = 90 Feet
If we use 21″ X 60 = 1260 inches divided by 12 = 105 Feet
So, if we understood correctly, the height of Adam, peace be upon him, is between 90 and 105 feet.
@mkfaruk,
আর এ বিষয়ে আমি তর্কে যাব না, কারণ তাতে কেউ কেউ ২০/২৫ ফুট কঙ্কালের ছবি এনে হাজির করবেন, কেন আমার কাছেই তো আছে। যাহোক, যার যেমন জ্ঞান তার তেমনই বিশ্বাস। আর তা অনেক ক্ষেত্রেই যুক্তি মানে না। সুতরাং খুব বেশী পড়াশোনা বা যুক্তিবাদী না হলে তাকে তো আমি বিশ্বাস করাতে পারব না। আপনার কি মনে হয়।
@mkfaruk,
ছবুগুলা নিয়ে আসুন, অসুবিধা নাই। ইন্টারনেটে প্রচলিত ঐ ছবিগুলা যে ভূয়া তা বহুবার প্রমাণ করা হয়েছে। আপনার জন্যে না হয় আরেকবার করব। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আপনি না দেয়া পর্যন্ত তো আর সেটা করা যাচ্ছে না।
@হোরাস,
আরে আপনি তো আমার ফানি উত্তরগুলোকেও সত্যি বলে ভাবছেন। আমি পুরাপুরি নিশ্চিত হলে তো ছবি দিয়েই দিতাম। ফানি বিষয়ের সবকিছুই ফানি, এটা কি ভেঙ্গে বলার ছিল!!
যদিও আপনার ব্যাপারটা জানিনে কিন্তু আমার সায়েন্স এবং টেকনোলজীর উপর পড়াশুনো। নিশ্চয়ই আর কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না।
আরে কই জানি পড়ছিলাম শিবের আকাশ পাতা ফুটা কইরা ওঠা লিঙ্গের গুনকীর্তন করতেছে।
হিন্দুরা যাই করুক, আদম টাদম না, আমি গর্বিত এরশাদ কাকুরে লইয়া। বাঙালির গর্বের ঝান্ডা একমাত্র ঐ উড়াইতে পারছে।
@সাইফুল ইসলামঃ :lotpot: জাঝা, লাইকাইলাম, এরশাদ দেশি মাল, বেশি মজা। 😛 :lotpot:
@mkfaruk,
আপনার এসব চ্যালেঞ্জের উত্তর দেখে বেশ মজা পেলাম। মনে হচ্ছে মুক্তমনায় এত ভারী ভারী লেখার মাঝে আপনার মন্তব্যগুলো না থাকলে, মুক্তমনা ব্লগ পড়ার মজাই নষ্ট হয়ে যায়। আপনি কিন্তু প্লীজ নিয়মিত এভাবে চ্যালেঞ্জগুলোর উত্তর দিয়ে যাবেন, সেই অনুরোধ রইল।
@এমরান এইচ,
এখন পর্যন্ত মুক্তমনাতে আমার জানার বাইরে এমন কোন তথ্যের (সাহিত্য, ধর্ম, দর্শণ, প্রাচীন ইতিহাস) দেখা পাইনি। এ কারণে আপনার সাথে আমি একমত নই। যাহোক, আগামীতে হয়ত: কারো কারো কাছ থেকে পাব আশা রাখি। তবে জানা তথ্য হলেও অনেক আর্টিকেলই আমি পড়ি এটা শুধু উপস্থাপনার রীতির জন্যে। মুক্তমনাতে অনেকের উপস্থাপনা অসম্ভব ভালো। এটা আমাকে আকৃষ্ট করে। তছাড়া আরও একটা কারণে আমি ব্লগে আসি সেটা হল অবসর সময়ের বিনোদনের জন্যে, আর তাই প্রথমেই খুঁজি রম্যরচনা।
আপনার মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
@mkfaruk,
:clap :clap :clap আপনি অতি সত্বর আদমের ডিক নিয়ে একটা পোষ্ট প্রসব করুন।
@আকাশ মালিক,
এ বিষয়ে আমি বলতে পারি, আমার যা বোধ, বুদ্ধি বা জ্ঞান তা আর্টিকেল লেখার জন্যে যথেষ্ট নয়। আমি যেটুকু বুঝি তাতে সেই আর্টিকেল লিখতে পারে, যে পক্ষে বা বিপক্ষে -যে কোন দিকেই তুখোড় বাগ্মীতা নিয়ে পাঠককে নাস্তানাবুদ করতে পারে। আর এর অভাবের কারণেই মুক্তমনার অধিকাংশ লেখকদের একপেষে উপস্থাপনা বা উপস্থাপনার মনোবৃত্তি। আপনি সব মন্তব্যের দিকে একটু মনোযোগ দিলেই এটা পরিস্কার হবে।
যাহোক আসল কথায় আসি। ফানি প্রশ্নের ফানি উত্তর দিয়েছি মাত্র। অবশ্য এভাবে বলাও ঠিক হবে না, একটু ইঙ্গিতও আছে এটাতে। আর তা হল -যারা সকল হাদিসকে পুরোপুরি সত্য ধরে নিয়ে আর্টিকেলের পর আর্টিকেল অর্থাৎ ধারাবাহিক লিখে চলেছেন এটা তাদের উদ্দেশ্যে । তারা এ সম্পর্কেও আর্টিকেল লিখে ফেলতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস সুদৃঢ়।
আপনার উত্তরের জন্যে ধন্যবাদ।
@mkfaruk,
রণক্ষেত্র থেকে পালিয়ে দুর্গে ফিরে এসে কি বড় বড় বীরত্ব ফলানো খুব ভাল কাজ? সেই আর্টিকেল গুলোতে গিয়ে এই জাতীয় মন্তব্য করাই কি ভাল ছিল না?
আপনার আর্টিকেলটি পড়লাম। আর একথা সত্যি যে আপনার লেখার স্টাইল, উপস্থাপনা চমৎকার। আমি গুছিয়ে লিখতে পারিনা বিধায় আমার লেখার প্রতি আগ্রহ কম। আমি মূলত: পছন্দ করি পড়তে। যাহোক, আমি আপনার এ লেখার অনেক তথ্যের সাথে দ্বিমত পোষণ করছি, যেমন-আপনি প্যাস্কেলের ওয়েজার এর যে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন এ বিষয়টি প্যাস্কেলের ২০০০ বৎসর আগে প্লেটো তার দি রিপাবলিক বইতেও উল্লেখ করেছেন একটু ঘুরিয়ে যেমন–
অধার্মিক (নাস্তিক) যখন মৃত্যুর নিকটবর্তী হয় তখন তার মনে এতদিন পর্যন্ত যে চিন্তা, ভাবনা ও ভীতির উদয় হয়নি, সেগুলোরই উদ্ভব ঘটতে থাকে। পরলোকে যাত্রা যখন তার আসন্ন হয়ে উঠেছে তখন তার কৃতকর্মের ফলস্বরূপ যে শাস্তি তাকে সেই পরলোকে পেতে হবে তার কথা আতঙ্কজনকভাবে তার মনে উদয় হতে থাকে। মর্তলোকের কার্যাবলীর জন্যে পরলোকে দন্ড কিম্বা পুরস্কার লাভের কাহিনী সে পূর্বেও শুনেছে। কিন্তু পূর্বে যে কাহিনী ছিল তার নিকট পরিহাসের বস্তু, আজ তাই হয়ে উঠেছে তার কাছে আতঙ্কের বিষয়। আজ সে ভাবছে, এতকাল যাকে হেসে উড়িয়ে দিয়েছে, সে কাহিনী শেষ পর্যন্ত সত্যও হতে পারে। পরলোকের সান্নিধ্য অথবা বয়সের আধিক্য- যে কারণেই হোক না কেন আজ যেন পরলোক সম্পর্কে তার দৃষ্টিটি বেশ পরিস্কার হয়ে এসেছে; উদ্বেগ এবং আতঙ্কে তাই সে অস্থির হয়ে উঠেছে। আজ সে ভাবতে শুরু করেছে, মর্তলোকের জীবনে কার প্রতি কোন অন্যায় সে করেছে। এই হিসাব নিকাশে যখন সে দেখতে পায় যে, অন্যায়ের অংশ তার মোটেই কম নয়, তখন শিশুর মতই নিদ্রার মধ্যে দুঃসপ্নে সে আঁৎকে উঠে; মন তার নানা দুশ্চিন্তায় ভারাক্রান্ত হয়ে উঠে। কিন্তু ধার্মিকের (আস্তিক) সুন্দর আশাই তার পরলোকের পথে প্রিয় সঙ্গী হিসেবে তাকে অভয় দিতে থাকে। এই কথাগুলো সংক্ষেপে পিন্ডর বলেছেন এভাবে-
‘যে ধর্মের পথে রয়েছে এবং পবিত্র জীবন-যাপন করেছে আশা তার আত্মার সঙ্গী; তার বার্ধক্যে আর পরলোকের পথে আশা তাকে ভরসা যোগায়; কারণ, দুশ্চিন্তায় অস্থির আত্মাকে শান্ত করার ক্ষমতা একমাত্র আশারই আছে।’
অন্যদিকে প্লেটো বিধাতার স্বরূপও প্রমান করেছেন। এটা বলছি একারণে বিধাতার স্বরূপ বুঝতে না পারলে আস্তিক বা নাস্তিকের সংজ্ঞা বোঝা যাবে না। তাহলে আমরা প্রথমে বিধাতার স্বরূপটা দেখি-
বিধাতার স্বরূপ সম্পর্কে প্রথমত: বলা যায়, তাঁর রূপ হচ্ছে উত্তম। আমরা একথা নিশ্চয় স্বীকার করব যা উত্তম তা কখনও ক্ষতিকর বলে পরিচিত হতে পারে না। আবার যা ক্ষতিকর নয় তা কোন ক্ষতির কারণও নয়। সুতরাং বিধাতা উত্তম বলে, তিনি কোন ক্ষতির কারণ হতে পারেন না, তিনি কোন অন্যায়ও সাধন করতে পারেন না। আর যিনি অন্যায় সাধন করতে পারেন না, তিনি কোন অন্যায়ের কারণও হতে পারেন না। সুতরাং বলা যায় বিধাতা উত্তম, মঙ্গলকর। আর এজন্যে তাঁকে মঙ্গলের কারণ বলে আখ্যায়িত করা যায়।
সুতরাং বিধাতা সবকিছুরই মূলে বা সবকিছুরই কারণ বলে যে কথা প্রচলিত, তা যথার্থ নয়। কারণ, বিধাতা যদি উত্তম হন, তাহলে তিনি সবকিছুর কারণ স্বরূপ হতে পারেন না। কেননা উত্তম কেবল উত্তমেরই কারণ। সুতরাং বিধাতা কেবল মনুষ্য জীবনের কোন কোন বিষয়েরই মাত্র কারণ স্বরূপ।
মানুষের জীবনে অন্যায়ের পরিমাণ অধিক; ন্যায়ের পরিমাণ কম। বিধাতা মনুষ্য জীবনের ন্যায়ের কারণ; অন্যায়ের নয়। সুতরাং কেউ যদি ইলিয়াডে হোমার যেমন বর্ণনা করেছেন, তেমনি করে বলে-
‘খোদার কাছে রক্ষিত আছে দু‘টি ভান্ডঃ
একটি ন্যায়ের অপরটি অন্যায়ের।
আর সেই ভান্ড থেকে ন্যায় ও অন্যায়ের মিশ্রণ ঘটিয়ে
যার ভাগ্য তৈরী করেছেন তিনি,
তার জীবনে খেলা চলে দু:সময় আর সুসময়ের।
কিন্তু যার ভাগ্য তৈরী হয়েছে কেবলমাত্র অন্যায়ের আরক দিয়ে
সুন্দর পৃথিবীর বুকে বুভুক্ষার তাড়নে সে তাড়িত হয় নিশিদিন
কারণ খোদা হচ্ছেন ন্যায় এবং অন্যায়ের বিধাতা।’
-তা হবে সর্বৈব মিথ্যা।
যা যথার্থ এবং ন্যায় বিধাতা কেবল তারই কারণ হিসেবে কাজ করেন। এতে যদি দুর্ভোগ কারও ভাগ্যে নিপতিত হয়, তবে বুঝতে হবে তা ন্যায্য বলেই নিপতিত হয়েছে। কিন্তু কেউ এ কথা বলতে পারে না যে, দুর্ভাগ্যের কারণ হচ্ছেন বিধাতা। সে কেবল বলতে পারে, দুরাচারের দুর্ভোগ আসে, কারণ এ তার প্রাপ্য। আর বিধাতা সেই দুর্ভোগ তার মঙ্গলের জন্যেই দিয়েছেন। কিন্তু একদিকে বিধাতা উত্তম, অপরদিকে তিনি অন্যায়ের কারণ- এ কথা বোধ সম্পন্ন কেউ বলতে পারে না।
দ্বিতীয়ত: বিধাতা জাদুকরের ন্যায় বিভিন্ন রূপের দ্বারা আমাদের বিভ্রান্ত করতে পারেন না। কারণ, বিধাতার রূপ এক এবং অপরিবর্তনীয়ভাবে তিনি আপন রূপে প্রতিষ্ঠিত।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করা যাক। প্রথমে আমরা পরিবর্তনের কথা ধরি। কোন কিছুতে যখন কোন পরিবর্তন সংঘটিত হয় তখন সে পরিবর্তনের কারণ হয় সেই বস্তু নিজে নয়ত: অপর কোন শক্তি। আর বস্তুর ব্যাপারে যে বস্তু যত উত্তম সে তত অপরিবর্তনীয়। দৃষ্টান্ত স্বরূপ, যে ব্যক্তি যত সুস্থ্য এবং শক্তিশালী সে মদ্য কিম্বা মাংস আহারে ততকম অসুস্থ্য হয়। এমন কি যে উদ্ভিদ যত সতেজ- বায়ূর আঘাত, সূর্যের তাপ বা অপর কোন কারণে তার ক্ষতিও তত কম। সুতরাং যে সবচেয়ে সাহসী এবং সবচেয়ে জ্ঞানী বাইরের কোন প্রভাবে সে বিভ্রান্ত বা পথভ্রষ্ট হবে খুবই সামান্য। কেবল মানুষের ক্ষেত্রে নয়, তৈজসপত্র, গৃহ বা বস্ত্রাদি অর্থাৎ যে কোন সুমিশ্রিত বস্তুর ক্ষেত্রেই একথা সত্য। এ সমস্ত বস্তু যখন সুগঠিত হয় তখন সময় কিম্বা অবস্থান্তরের আঘাতে তাদের পরিবর্তনও খুব সামান্য ঘটে।
সুতরাং যা কিছু উত্তম তা মানুষের শিল্পকর্ম কিম্বা প্রকৃতির সৃষ্টিকর্ম যাই হোক না কেন, বাইরের আঘাতে তার পরিবর্তন খুব সামান্যই সংঘটিত হয়। কিন্তু বিধাতা বা বিধাতার সৃষ্টি সম্পর্কে আমরা কি বলব? বিধাতা নিজে এবং তাঁর সৃষ্টি অবশ্যই সর্বপ্রকার সুসম্পূর্ণ। সুতরাং বাইরের অভিঘাত তাকে বিভিন্ন রূপ গ্রহণে নিশ্চয়ই বাধ্য করতে পারে না। তিনি যদি আদৌ পরিবর্তিত হন তাহলে সে পরিবর্তন সুস্পষ্টত: নিজে থেকেই সাধিত হবেন। আর সেক্ষেত্রে নিজের পরিবর্তন তিনি কি অধিকতর উত্তমের উদ্দেশ্যে সাধন করবেন, না অধিকতর নিকৃষ্টের জন্যে তিনি নিজেকে পরিবর্তন করবেন?
বিধাতা যদি আদৌ পরিবর্তিত হন তাহলে তাকে নিকৃষ্টতর হতে হবে। কারণ, ধর্ম বা কান্তি কোন ক্ষেত্রেই বিধাতা অসম্পূর্ণ ছিলেন এমন কথা আমরা ভাবতে পারিনে। অন্যদিকে বিধাতাই হোন আর মানুষই হোক কেউ নিজেকে নিকৃষ্টতর করে পরিবর্তিত করতে চাইবে না। সুতরাং বলা যায় বিধাতা আদৌ নিজের কোন পরিবর্তন কামনা করতে পারেন না। কারণ, তিনি হচ্ছেন সর্বোত্তম এবং মনোহরতম। তাই তিনি তাঁর নিজের রূপে নিত্যকালের জন্যেই থাকবেন অপরিবর্তিত। সুতরাং কেউ যদি বলেঃ
খোদা বৈদেশিকের বস্ত্র ধারণ করে
বিচিত্ররূপে আমাদের মধ্যে বিচরণ করেন।
তা আমরা বিশ্বাস করতে পারি না। কিন্তু কেউ যদি বলে খোদা অপরিবর্তনীয় হলেও যাদুমন্ত্রাদির সাহায্যে তিনি আমাদের সামনে বিভিন্ন রূপের বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে হয়ত: উপস্থিত হতে পারেন। কিন্তু বিধাতা কথায় কিম্বা কর্মে নিজেকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করবেন বা নিজের মিথ্যা প্রতিভাস তৈরী করবেন, এমন কথা আমরা ভাবতে পারি না। আর কেউই তার যথার্থ প্রকৃতিতে মিথ্যা প্রতিপন্ন হতে চায় না। যাকে সে নিজের সর্বোত্তম বা যথার্থতম প্রকৃতি বলে বিবেচনা করে সে প্রকৃত মিথ্যার করায়ত্ব হোক, এমন ইচ্ছা কারও পক্ষেই স্বাভাবিক নয়। অর্থাৎ আমরা বলতে চাচ্ছি মানুষ নিজের আত্মার সত্ত্বায়- অর্থাৎ তার চরিত্রের সর্বোত্তম ক্ষেত্রে প্রতারণা বা মিথ্যাকে প্রশ্রয় দিতে পারে না। এমন প্রবণতা মানুষের কাছে অবশ্যই ঘৃণ্য।
প্রতারিতের আত্মার এই অজ্ঞানতাকেই আমরা সত্য-মিথ্যা বা যথার্থ মিথ্যা বলে আখ্যায়িত করতে চেয়েছি। কারণ শব্দের মিথ্যা তো আত্মার জন্যে কেবল মিথ্যার আভাস মাত্র, বলা যায় মিথ্যার আঁচ। এ মিথ্যা অবিমিশ্র মিথ্যা নয়। আর এমন অবিমিশ্র মিথ্যা কেবল খোদার কাছেই ঘৃণ্য নয়, মানুষও একে ঘৃণা করে।
কিন্তু শব্দগত মিথ্যা সবসময় ঘৃণ্য নাও হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে শব্দগত মিথ্যার ব্যাবহারগত সুবিধার দিক আছে। শত্রুর সঙ্গে আচরণ, এর একটি দৃষ্টান্ত হতে পারে। অথবা ধরি আমাদের কোন সুহৃদ উন্মাদনা বা বিভ্রান্তির মুহুর্তে কোন ক্ষতিকর কার্য্য সম্পাদন করতে যাচ্ছে। তেমন অবস্থায় আমাদের পক্ষে মিথ্যার আশ্রয় গ্রহণ তার জন্যে নিরাময় বা প্রতিরোধের মাধ্যম হিসেবে কাজ করতে পারে। পুরানের ক্ষেত্রেও এমনটি ঘটে। পুরানের প্রকৃত কথা আমরা জানিনে। তাই পুরাণ সম্পর্কে আমাদের মিথ্যাকে আমরা সত্যের আকার প্রদান করি। আর সেই সত্যের আকার দিয়ে আমরা নিজেদের উদ্দেশ্য সাধন করি। কিন্তু মিথ্যা ব্যবহারের এ সমস্ত কারণের কোনটিকেই আমরা বিধাতার উপর প্রয়োগ করতে পারিনে। কেননা বিধাতা তো পুরাণের বিষয়ে অজ্ঞ নয় যে পুরাণের কারণে তিনি মিথ্যার আশ্রয় নেবেন। আবার বিধাতা কোন শত্রুর ভয়ে বা জ্ঞানহীন কোন বন্ধুর কারণে মিথ্যার আশ্রয় নেবেন তাও আমরা ভাবতে পারিনে। অর্থাৎ আমরা এমন কোন কারণ বা উদ্দেশ্যের কথা চিন্তা করতে পারিনে যে জন্যে বিধাতা মিথ্যার আশ্রয় গ্রহণ করতে পারেন। সুতরাং বিধাতা মিথ্যার আশ্রয় নিতে একেবারেই অক্ষম।
সুতরাং আমরা বলতে পারি, বিধাতা কথায় এবং কর্মে সরল এবং সত্য; তার কোন পরিবর্তন নেই। শব্দে বা সংকেতে তিনি কাউকে প্রতারণা করতে পারেন না।
এ দিয়ে আমি বলতে চাইলাম যারা যারা ধর্মপালনকারী কিন্তু বিধাতায় বিশ্বাসী নয় তারা আস্তিক নয়, আবার যারা বহুঈশ্বরবাদী তারাও আস্তিক নয়-কারণ উপরে প্রমান করা হয়েছে যে, বিধাতার কোন পরিবর্তন নেই, দেবতার রূপে বা মানুষের রূপ ধরে তিনি মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারেন না।
আবার কেউ যদি ঈশ্বরকে স্বচক্ষে দেখে, তার স্বরূপ সম্পর্কে সম্যক অবহিত থাকে তবে কি সে আস্তিক? ইহুদি, খৃষ্টান ও মুসলিমরা তো আদম হাওয়া ও ইবলিসের কাহিনীতে বিশ্বাসী। এখানে এই শয়তান বা ইবলিস কি আস্তিক? সে তো খোদাকে স্বচক্ষে দেখেছে এবং তার স্বরূপও সম্যক অবহিত।
সুতরাং যেভাবে আপনি আস্তিক ও নাস্তিকের ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেছেন সেখানে কিছুটা বিভ্রান্তি আছে, তেমনি বিভ্রান্তি আছে স্বর্গ বা নরকে গমনকারীদের ব্যাপারে, আর তা তত্ত্ব ও তথ্যের ঘাটতির কারণে। এটা আমার অভিমত।
বিদ্র: প্লেটোর তথ্য কিছুটা আমার প্রয়োজন মত পরিবর্তন করে নিয়েছি।
@mkfaruk,
আপনার দীর্ঘ মন্তব্য পড়লাম। কৌতূহলী হয়ে সার্চ দিয়ে দেখলাম আপনার পুরো মন্তব্যই আপনার নিজের ব্লগ-পোস্ট থেকে কপি-পেস্ট করে তুলে দিয়েছেন। তাতে অবশ্য কোন সমস্যা নেই, যতক্ষণ পর্যন্ত নিজের লেখাই আপনি কপি করেন। কপি করুন আর যাই করুন, লিখলেও দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ পাওনা আছে আপনার। ধন্যবাদ জানবেন। তবে প্রাসঙ্গিকতা বজায় রেখে মন্তব্য করলে উপকৃত হই।
যা হোক, আপনি যেমন বলেছেন, “আমি আপনার এ লেখার অনেক তথ্যের সাথে দ্বিমত পোষণ করছি,”, আমাকেও একই কথা বলতে হচ্ছে, আপনার দীর্ঘ মন্তব্যের প্রায় অধিকাংশ বক্তব্যের সাথেই আমি একমত নই। এই যে আপনি বলেছেন –
এটা একটা ভুল কথা। প্লেটো বিধাতার স্বরূপ কিংবা কোন কিছুই ‘প্রমাণ’ করেননি, বা করতে পারেননি। যেটা করেছিলেন সেটা হল বিধাতা সম্বন্ধে তার নিজের অভিমত তুলে ধরা। প্লেটোর অভিমত কোন বৈজ্ঞানিক ‘প্রমাণ’ নয়। বিধাতা যদি একটা প্রমাণিত বিষয়ই হতো, তাহলে আধুনিক বিশ্বের অধিকাংশ খ্যাতিমান বিজ্ঞানীই ঈশ্বরে অবিশ্বাস করতেন না (লিঙ্ক এখানে)। কাজেই প্লেটোর অভিমত শেষ বিচারে স্রেফ একটা অভিমতই, এর বেশি কিছু নয়। ওটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হলে সব বিজ্ঞানীই তা মেনে নিতেন, আর ঈশ্বর ব্যাপারটা পদার্থবিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তকে ঢুকে যেত। তা হয়নি, বরং উল্টোটাই দেখতে পাচ্ছি। ঈশ্বরের অনুকল্প ছাড়াই মহাবিশ্বের উদ্ভব এবং অস্তিত্বের ব্যাখ্যা দিতে পারছে বিজ্ঞান।
প্লেটো কোন কিছু বলেছেন মানেই সেটা ধ্রুবসত্য নয়, বস্তুত: নাস্তিকদের মৃত্যু-চিন্তা নিয়ে যে কথাগুলো বলেছেন তা সার্বজনীন কিছু নয়, এনেকডটাল। যেমন তিনি বলেছেন –
আপনি এ থেকে উপসংহারে পৌঁছেছেন (আপনার ব্লগে লিখেছেন) –
আপনার উপসংহার প্রচণ্ড-ভাবেই ভুল। এ পৃথিবীতে বহু নাস্তিকের উদাহরণই দেয়া যায় যারা মৃত্যুর আগে মৃত্যুভয়ে ভীত হননি, আপনার কথা মত ‘দু:চিন্তায় অস্থিরও থাকেনি’ কিংবা ‘নানা দু:স্বপ্নে তার নিদ্রা টুটে’নি’। বরং মৃত্যুকে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবেই নিয়েছেন। প্রয়াত ক্রিস্টফার হিচেন্স এর কথা বলতে পারি – যিনি ক্যান্সার আক্রান্ত হবার কথা শুনেও শোনার পরেও ঈশ্বরের দ্বারস্থ হননি। তিনি ‘আফসোসে বৃদ্ধা আঙ্গুল চুষতে হবে’ ভেবে স্বর্গ-নরকের কুসংস্কারের পদতলে নিজেকে বিসর্জন না দেয়ার চেয়ে মানবিক মৃত্যুই বেছে নিয়েছেন। তিনি সেটা যে নিজের ইচ্ছাতেই করতে চান, তা লিখে গিয়েছিলেন শেষ দিককার একটি প্রবন্ধে — Unanswerable Prayers -এ। প্রবন্ধটি পড়ে দেখতে অনুরোধ করছি। বাংলাদেশেও আহমদ শরীফের মত ঋজু চিত্তের নাস্তিকের উদাহরণ দেয়া যাবে, যিনি মারা যাবার সময় তার জানাজা না করার কিংবা ধর্মীয় রিচুয়াল না করে তার দেহকে মেডিকেলে দান করে দিয়ে গেছেন, যাতে তার এনাটমি বিশ্লেষণ করে ছাত্ররা কিছু শিখতে পারে, সেই মনকির নকির আর পরকালের হাবি জাবি গালগপ্পে বিভোর কিংবা দুঃশ্চিন্তাগ্রস্থ থাকেন নি। আপনি এথিস্ট ইন ফক্সহোল মনুমেন্টের কথা শুনেছেন? – এটা হচ্ছে সেই মুক্তমনা মানুষদের স্মরণ করে নির্মিত যারা মৃত্যুমুখে দাঁড়িয়েও কখনো ঈশ্বরকে স্মরণ করেননি, দ্বারস্থ হননি কোন অলীক কুসংস্কারের কাছে। এমনকি মিলিটারিতেও এ ধরণের উদাহরণ আছে বহু (দেখুন এখানে) এই উদাহরণগুলোই তো আপনার খোঁড়া যুক্তিকে নস্যাৎ করার জন্য যথেষ্ট।
বিধাতার রূপ হচ্ছে উত্তম – এটা আপনি কী করে জানলেন? বিধাতা তো আর আপনাকে কিংবা প্লেটোকে সামনে হাজির হয়ে বলে যাননি। তাঁর রূপ হচ্ছে উত্তম- এটা হচ্ছে বিধাতা সম্পর্কে আপনার অভিমত। এই অভিমত আপনাদের একান্ত ব্যক্তিগত অভিমত হলে আমার আপত্তির কিছু ছিলো না, কিন্তু পরের বাক্যেই ‘তিনি কোন অন্যায়ও সাধন করতে পারেন না’ বলে যেভাবে উপসংহারের পেছনে আপনাকে দৌড়াতে হয়েছে তাতে করে আপনার ‘উত্তম’ অভিমতের প্রয়োজনীয়তা খুব ভালভাবেই বুঝতে পারলাম। আপনি এ অভিমত দিচ্ছেন – কারণ যাতে যে কোন অন্যায় অবিচারের পেছনে কারণ থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া যায়। জগতের ভাল ভাল কাজের পেছনে ঈশ্বরকে হাজির করা যাবে, কিন্তু বন্যা, মহামারী, ভূমিকম্প ইত্যাদি প্রাণহানির ঘটনাগুলির জন্য তাকে দায়ী করা চলবে না। বাহ, কি কৌশলী যুক্তি। প্লেগ, মহামারী, খরা, বন্যা, সুনামির মত প্রাকৃতিক দুর্যোগে লক্ষ কোটি নিরপরাধ নর-নারী এবং শিশুর মৃত্যুর ব্যাপারে মানুষকে কোনভাবেই দায়ী করা চলে না। এ সমস্ত অরাজগতার অস্তিত্ব প্রমাণ করে যে ঈশ্বর একটি অপকারী সত্ত্বা। কারণ ‘সর্বজ্ঞ’ ঈশ্বর আগে থেকেই জানতেন যে, সুনামির ঢেঊ আছড়ে পরে তার নিজের সন্তানদের হত্যা করবে, তাদের স্বজন হারা করবে, গৃহচ্যুত করবে, ভাসিয়ে নিয়ে যাবে, ঘর বাড়ি ধ্বংস করে এক অশুভ তাণ্ডব সৃষ্টি করবে। অথচ আগে থেকে জানা থাকা সত্ত্বেও সেসব প্রতিরোধে কোন ব্যবস্থাই তিনি নিতে পারেন নি। এ থেকে প্রমাণিত হয় ঈশ্বর এক অক্ষম, নপুংসক সত্ত্বা বই কিছু নয়। আপনার প্লেটোর অভিমত যাই হোক না কেন, ‘The Oxford Companion to Philosophy’ স্বীকার করেছে যে, সনাতন আস্তিকতার বিরুদ্ধে আর্গুমেন্ট অব এভিল বা ‘মন্দের যুক্তি’ সবচেয়ে শক্তিশালী মরণাস্ত্র, যা কেউই এখন পর্যন্ত ঠিকমত খণ্ডন করতে পারেনি। আপনিও পারলেন বলে মনে হল না।
আপনার মন্তব্যের বহু অংশেই ভুলের ছড়াছড়ি, যেমন –
এটা চিকিৎসাবিজ্ঞানের আধুনিক জ্ঞান অনুযায়ী ভ্রান্ত। মাংস আহারে অসুস্থ হবারই প্রশ্ন আসে না, তত কম আর তত বেশির প্রয়োগই এখানে ভুল। এমনকি পরিমিত মদ্যপানও শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। ‘মদ্য কিম্বা মাংস আহারে ততকম অসুস্থ হয়’ –এটা যদি প্লেটোর উক্তি হয়ে তাহকে তবে তা প্রাচীনকালের জ্ঞান থেকে লেখা বলে পরিত্যাগ করে সামনে এগিয়ে যাওয়াই মনে হয় সমীচীন হবে।
আপনার অন্যান্য অংশগুলো লেখার প্রেক্ষিতে এতোই অপ্রাসঙ্গিক এবং বিভ্রান্তিকর যে লাইন বাই লাইন উত্তর দিলে মহাভারত হয়ে যাবে। মূল অংশগুলোর ভ্রান্তি উল্লেখ করেই ক্ষান্ত দিলাম আপাততঃ। আমার লেখার সাথেও বেশিরভাগ অংশের কোন সংগতি পেলাম না।
তবে আলোচনার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
@অভিজিৎ,
আমি আমার মন্তব্যে যে বিষয়টি আপনার দৃষ্টিগোচরে আনতে চেয়েছি তা হল, ঈশ্বর, আস্তিক ও নাস্তিক শব্দত্রয়ের ব্যাখ্যা যা আপনি এড়িয়ে গিয়েছেন। কিন্তু যাদের এই শব্দত্রয় সম্পর্কে সম্যক ধারণা নেই তাদের কাছে আপনার আর্টিকেলটির গুরুত্ব আছে, কিন্তু যাদের ঐ বিষয়ে ধারণা আছে, তাদের কাছে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ অসার।আর এটাই প্রমাণ করার জন্যে আমি ঈশ্বর সম্পর্কে ধারণা দিতে চেষ্টা করেছি প্লেটো থেকে। এটা ঠিক যে প্লেটো ঈশ্বররের অস্তি্ত্বের কোন প্রমান দেননি, তিনি কেবল ঈশ্বরের স্বরূপ সম্পর্কে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। তিনি যুক্তি দিয়ে দেখিয়েছেন যে, ঈশ্বর বলে যদি কেউ থাকে তবে তার স্বরূপ হবে এমন-
বিধাতা কথায় এবং কর্মে সরল এবং সত্য; তার কোন পরিবর্তন নেই। শব্দে বা সংকেতে তিনি কাউকে প্রতারণা করতে পারেন না। অর্থাৎ দেবতার রূপে বা মানুষের রূপ ধরে তিনি মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারেন না।
প্লেটোর এই সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত কেউ যুক্তি দিয়ে খন্ডন করতে পারেনি। সুতরাং আমরা প্লেটোর সিদ্ধান্তের সাথে একমত হলে- বুদ্ধধর্মপালনকারীদের আস্তিকতা বাতিল হয়ে যায় কারণ তারা ঈশ্বরে নয়। তেমনি বাতিল হয়ে যায় হিন্দুধর্ম এবং খৃষ্টধর্ম কেননা- ঈশ্বর দেবতার রূপে বা মানুষের রূপ ধরে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারেন না।
এই সিদ্ধান্তে আমরা এলে আপনার আর্টিকেলে থাকেটা কি? সুতরাং অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে আলোকপাত করেছি এটা কি সত্যি?
আপনার মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
@mkfaruk,
প্লেটোর বক্তব্য কোন ‘বৈজ্ঞানিক প্রমাণ’ না যে খণ্ডন করার প্রশ্ন আসবে। তার ঈশ্বর সম্বন্ধে যে অভিমত আছে, সেটার বিপরীর যুক্তি উপরেই দেখানো হয়েছে। তার ‘মৃত্যুর সময় আস্তিক নিশ্চিন্ত থাকে। আর নাস্তিকেরা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ থাকে সব হাবিজাবি বক্তব্যের বিপরীতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ উদাহরন উপস্থাপন করেই বাতিল করা হয়েছে। এর পরেও তা নিয়ে কেউ পড়ে থাকলে আমার কিছু করণীয় নেই, সরি!
@mkfaruk,
“আমি আমার মন্তব্যে যে বিষয়টি আপনার দৃষ্টিগোচরে আনতে চেয়েছি তা হল, ঈশ্বর, আস্তিক ও নাস্তিক শব্দত্রয়ের ব্যাখ্যা”
কি ব্যাখ্যা দিলেন আপনি আস্তিক আর নাস্তিকের?? সংজ্ঞা দিনতো আস্তিক আর নাস্তিকের, দেখি সেটা আদৌ জানেন কিনা!
“সুতরাং বলা যায় বিধাতা উত্তম, মঙ্গলকর। আর এজন্যে তাঁকে মঙ্গলের কারণ বলে আখ্যায়িত করা যায়।……বিধাতা মনুষ্য জীবনের ন্যায়ের কারণ; অন্যায়ের নয়।……তেমনি করে বলে-……তা হবে সর্বৈব মিথ্যা।”
বাহ দারুন যুক্তি তো, তবে মন্দগুলোর উৎস কি? (বর্তমান বিশ্বে নিঃসন্দেহে মন্দগুলোর সবচেয়ে বড় উৎস ধর্ম, বিষেষত একেশ্বরবাদী ধর্মগুলি।)
এ ইশ্বর তো আর তাহলে মহাবিশ্বের স্রষ্টা নন কেবল জমিদারের ব্যাটা প্লেটোর idea of Good এর স্রষ্টা(মানে প্লেটো নিজেই!), আর কিচ্ছু না।
“দুরাচারের দুর্ভোগ আসে, কারণ এ তার প্রাপ্য। আর বিধাতা সেই দুর্ভোগ তার মঙ্গলের জন্যেই দিয়েছেন।” WOW! What a যুক্তি মাইরি, পৃথিবীর সব আন্দোলন থামাতে তো আপনাকেই দরকার। কেননা গারমেন্ট শ্রমিকদের পুষ্টির এ দুর্দশা তো তাদের ভালোর জন্যই, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ থাকছেনা বলে সবাই কি দুর্ভোগে আছে, কিন্তু তা তো আমাদের ভালোর জন্যেই। পদ্মা ঘাটে কি ভীষণ জ্যাম পড়ে, সরকারের দোষে শিঘ্রি ব্রিজ পাচ্ছিনা আমরা, কুচ পরওয়া নেহি পদ্মা ঘাটে গরমে সিদ্ধ হওয়া তো আমাদের ভালোর জন্যই। কেন যে ‘৭১ এ আমরা এটা বুঝলাম না!
:guli: :-[ :spammer:
@অভিজিৎ,
এক কথায় দারুণ হয়েছে আপনার লেখাটা… উইকেন্ড বলে কথা… লন একখান বীয়ার… (B) । চাঁটগায়্যা ভাষায় হইলে আরু মজা পাইতাম…… 🙂 ।
অফটপিকঃ ভবঘুরের একটা পোস্টে এই ফারুক সাহেব আমার মন্তব্যের প্রতিউত্তরে একই কথা বলেছেন যে, প্লেটো জ্ঞ্যানী ব্যক্তি এবং ভাবটা এমন যে, সে যা বলে সব কিছুই ধ্রুব এবং কেউ এর কোন বিরুদ্ধাচরন করতে পারবেনা। আজব এদের যুক্তি। তার উপর নিজেকে বলে বিজ্ঞানের ছাত্র!!! উনার মন্তব্যের প্রতিউত্তর দেওয়ার কোন ইচ্ছে ও হয় না।
@সুকান্ত,
ধন্যবাদ। উইকেন্ডে বাসায় ছিলাম না। আগে বিয়ারটা পেলে ভাল হইত। কাইল আবার অফিস আছে। আজ না খাওয়াই মনে হয় ভাল হবে। 🙂
@mkfaruk,
কি ভাবে বলা যায়? মানে এই parameter ফিক্স হলো কি ভাবে?আপনার কথাটা কি রকম দাড়ালো জানেন? ধরুন আমি বললাম- বুধবার সম্পর্কে প্রথমত: বলা যায় বুধবারের রং হলো সবুজ, গন্ধ হলো রসুনের মত এবং বর্গফল ২৬! এই বাক্যের যা মানে দাড়াবে, আপনার এই কথার-ও তাই মানে।
একদমই নয়। পাঠার মাংস, মিষ্ঠি দই, স্কচ উইস্কি, হাভানা সিগার- সবই অতি উত্তম বস্তু।
কিন্তু নিয়মিত সেবনে বেশ ক্ষতিকারক।
@অনামী,
আসলে সমস্যা হচ্ছে এই যে, আমরা অনেকে অনেক বিষয় সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখিনা। ফলে আমাদের বুঝতে অসুবিধা হয়। এটা দর্শণের বিষয়-কোন কিছু সম্পর্কে সিদ্ধান্তে উপনীত হতে গেলে যে কোন একটি প্যারামিটারকে ধরে নিয়ে যুক্তির নিরীক্ষে এগিয়ে যাওয়া হয়।
আর আমার উপস্থাপনায় কোন ত্রুটি নেই, কেননা ঐ ভাবে উপস্থাপনার দ্বারা প্লেটো বিধাতার স্বরূপ সম্পর্কে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন, অন্যদিকে তার এই যুক্তি উপস্থাপনার বিপরীতে কেউ এখন পর্যন্ত যুক্তি উপস্থাপন করতে পারেনি।
আপনার মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
@mkfaruk,
ওহ, তাই নাকি! তা আপনিও তো বুধবার সম্পর্কে অনামীর অভিমত – ” বুধবারের রং হলো সবুজ, গন্ধ হলো রসুনের মত এবং বর্গফল ২৬” – এটা খণ্ডন করতে পারেননি। তাতে কি এটা প্রমাণিত?
@অভিজিৎ,
এই বাক্য খন্ডন করতে পারিনি তা নয়, ইচ্ছে করেই এর উত্তর দেইনি। কারণ আমার মনে হযেছে লজিক সম্পর্কে ওনার ভাল ধারনা নেই। ধারণা থাকলে উনি ভালকরেই বুঝতে পারতেন আমি আমার যুক্তির ক্ষেত্রে আরোহ না অবরোহ পদ্ধতি ব্যবহার করেছি। তাছাড়া উনি এটাও জানেন না যে, যুক্তির বৈধতা নির্ভর করে যুক্তিতে ব্যবহৃত যুক্তিবাক্যের সত্যতার উপর।
আর যেহেতু ওনার বাক্যদ্বয় সম্পূর্ণ একটা ফালতু সেকারণেই উত্তর দেয়া প্রয়োজন বোধ করিনি। অন্য কিছু নয়।
@mkfaruk,
এইতো লাইনে এসেছেন। বুধবারের গন্ধ বর্ণ ইত্যাদি সম্বন্ধে যে জিনিসটা প্রযোজ্য, সেটা একইভাবে প্রযোজ্য ঈশ্বরের সংজ্ঞায়নেও। তার বিভিন্ন বৈশিষ্ট [‘পরম দয়াময়’ (all-loving) এবং সর্ব শক্তিমান (all-powerful or omnipotent), নিখুঁত (perfect), সর্বজ্ঞ (omniscient) ইত্যাদি… ] যে আসলে নানা ধরণের পরষ্পরবিরোধিতায় আচ্ছন্ন সেটা বহু যুক্তি জানা দার্শনিকই বহুভাবে প্রমাণ করেছেন… আবার বইলেন না যে, সে ঐ সব বিখ্যাত দার্শনিকেরাও যুক্তির আরোহ -অবরোহ পদ্ধতিগুলো বোঝেন না! যেমন আপনি Michael Martin Michael Martin and Ricki Monnier এর লেখা The Impossibility of God বইটা পড়ে দেখতে পারেন। নেটেও অনেক আলোচনা আছে, দেখতে পারেন : এখানে Theodore M. Drange এর লেখা Incompatible-Properties Arguments: A Survey তেও অনেক আলোচনা পাবেন পরষ্পরবিরোধিতাগুলো নিয়ে। মুশকিল হচ্ছে বুধবার সম্বন্ধে আপনি যে লজিক্যাল সমস্যাগুলো বুঝতে পারছেন, ঈশ্বর সম্বন্ধে হয়ে উঠেছেন ততটাই গোঁড়া। ঈশ্বর সম্বন্ধে আপনার অভিমতটাকেই ভাবছেন ঈশ্বরের স্বরূপের ‘প্রমাণ’।
যাইহোক, এ নিয়ে অনেক আলোচনা হয়ে গিয়েছে। আপনি আপনার কথা বলেছেন, আমরা আমাদের। কে ভুল কে শুদ্ধ আর কার লজিক সম্পর্কে কার ভাল ধারনা আছে কিংবা নেই সেটা আপনি না বলে বরং পাঠকদের হাতেই ছেড়ে দেন।
@অভিজিৎ, (Y)
আপনার এই লেখাটির জন্য হাততালি। আমি কোন ঈশ্বরে বিশ্বাস করিনা কিন্তু বিজ্ঞানে আস্থা রাখি, যুক্তিকে গ্রহন করতে পারি। মুক্তমনার সাথে পরিচয়ের আগে নিজেকে অনেক একা একা লাগত, কারো সাথে শেয়ার করতামনা ধর্ম বিষয়ক আমার বক্তব্য, প্রশ্নগুলো। গত বছরের আগস্ট থেকে সেই যেদিন থেকে মুক্তমনায় পড়া শুরু করেছি সেদিন থেকেই আমি আমার মনের ভেতর অনেক শক্তি পাই। আমার ভাবনার কিছু দোসর আছে পৃথিবীতে, বাংলাদেশে। আরো লিখুন এই নিয়ে।
অন্য প্রসংগঃ নাম সামান্য পরিবর্তন করেছি। বিলম্ব করে মুক্তমনায় এসেছি তো তাই বিলম্বিত স্নিগ্ধা।
@বিলম্বিতা (স্নিগ্ধা),
আপনাকে স্বাগতম বিলম্বিত স্নিগ্ধা। আর লেখাটার জন্য হাততালি পেয়ে উৎসাহিত হলাম। 🙂
@বিলম্বিতা (স্নিগ্ধা), আমার ও মুক্তমনার সাথে পরিচয়ের আগে নিজেকে অনেক একা একা লাগত. আমার কাছের এক বন্ধু একদিন আমাকে বলল মুক্তমনায় গিয়ে ঢু মেরে আয় ভাল লাগবে. সেই ভাললাগা এখন আসক্তিতে পরিনত হয়েছে। মুক্তমনায় আসার পর এমন মনে হয় যেন প্রতিনিয়ত আমার মনের কথাগুলো কেউ বলে চলেছে, আমার মনের প্রশ্নগুলোর জবাব কেউ দিয়ে যাচ্ছে.
@HuminityLover, (Y)
@ অভিজিৎদা,
তরল পদার্থের ঠেলাঠেলি নিয়া যে প্যাসকেলের সূত্র আছে, এই লেখার বেক্কেল প্যাসকেল কি সেই প্যাসকেল?
এই লেখাটা বিপদে পড়লে কাজে লাগব। অনেক ক্ষেত্রে কথার চেয়ে লিংক বেশী কাজে দেয়।
কিছু মনে না করলে একখান বেফাঁস কথা কয়। মুক্তমনায় আপনার লেখা এসেছে দেখলেই মনে হয় তথ্যে ভরপুর বিজ্ঞানের কোন লেখা পাব। এ রকম হালকা লেখা দেখে মনটা ভারি হয়ে গেল।
@হেলাল,
হ, সেই যে ছোটবেলায় তরল পদার্থ মাথায় যে প্যাস্কেলীয় চাপ সৃষ্টি করছিলো, সেইটা থিকা অহন্তরি মুক্তি মেলে নাই।
🙂
আমারো চোখ মুখ সব ভারি হইয়া কান্না আসতেছে। ;-(
অভি দা,
এটা কি গীতার কথা?গীতাতে এমন একটা কথা পরেছিলাম অনেকদিন আগে, মনে করতে পারছিনা সঠিক। আর এর ব্যাখায় কোথায় যেন পড়েছিলাম যে এই ধর্ম নাকি হিন্দুদের ৪ বর্নের ধর্ম যেমন ব্রাহ্মন, ক্ষত্রিয় বৈশ্য, আর শুদ্র এই ৪ বর্নের ধর্ম। মানে যাকে ভগবান নাকি যেভাবে তৈরী করে যে কাজে নিয়োগ করেছেন তার সেই কাজ করাই উচিত।
তবে ব্যাখাটা যে আধুনিক যুগের তাতে কোন সন্দেহ নেই। তা দাদা সত্যই কি পরধর্ম বলতে এই বর্নগুলোর কথা নাকি হিন্দু ছাড়া অন্য ধর্মের কথা বলা হয়েছে?
@অচেনা,
হ্যাঁ গীতারই –
শ্রেয়ান্স্বধর্মো বিগুণঃ পরধর্মাত্স্বনুষ্ঠিতাত |
স্বধর্মে নিধনং শ্রেয়ঃ পরধর্মো ভয়াবহঃ || শ্রীভগবানুবাচ | 35 ||
এটার উৎস মনুসংহিতা। মনুসংহিতা থেকে আমরা পাই- মানুষের সমৃদ্ধি কামনায় পরমেশ্বর নিজের মুখ থেকে ব্রাহ্মণ, বাহু থকে ক্ষত্রিয়, উরু থেকে বৈশ্য, আর পা থেকে শূদ্র সৃষ্টি করেছিলেন (১:৩১)। মনু বলেছেন- দাসত্বের কাজ নির্বাহ করার জন্যই বিধাতা শূদ্রদের সৃষ্টি করেছিলেন (৮:৪১৩)। বেদেও সম্ভবত: এর স্বপক্ষে কিছু শ্লোক আছে।
আমার জানা মতে এটা পরধর্মই। লক্ষ্য করুন এখানে পরবর্ণ বলা হয়নি। তবে এর হয়ত নানা ব্যাখ্যা প্রতিব্যাখ্যা আছে, কে জানে!
কাজেই বোঝা যাইতেসে যে, খ্রিষ্টান বাবা, হিন্দু বাবা, সাই বাবা, মঙ্গা বাবা সব গুষ্টি শুদ্ধা দোজখের আগুনে বেগুন-পোড়া হবে – নাস্তিক হওয়ার জন্য না, বরং না জাইনা ভুল একটা ধর্ম পালন কইরা যাবার জন্য। চিন্তা কইরা দেখেন – আইজ যে পোলাডার সুদূর উত্তর মেরুর কাছাকাছি Inuit Religion মানে এস্কিমো পরিবারে জন্ম হৈছে, হেই ব্যাটা ক্যামনে জানব আর বুঝব তার শত সহস্র মাইল দূরে আরব মরুর বুকে চোদ্দশ বছর আগে জন্ম নেওয়া এক বেদুইনের প্রচারিত ধর্মটার ঈশ্বরই আসল ঈশ্বর? ব্যাটায় না জাইনাই, না বুইঝাই মরার পরে বেগুন পোড়া হৈয়া যাইবো, পরম করুণাময়ের করুণ কারসাজিতে।
জবাব নাই….. (Y)
বলা হয় যে, আল্লাহর অনিচ্ছায় কোন ঘটনা ঘটে না। এমনকি গাছের পাতাটিও নড়ে না। বিশেষত তাঁর অনিচ্ছায় যদি কোন ঘটনা ঘটতে পারে তাহা হইলে তাঁহার ‘সর্বশক্তিমান’ নামের সার্থকতা কোথায়? আর যদি আল্লাহর ইচ্ছায়ই সকল ঘটনা ঘটে তবে জীবের দোষ বা পাপ কি?
এই যুক্তিটাই আমার জীবনের সুরত পাল্টাইয়া দিছে…… এই প্রশ্নটির জবাব কারও কাছে পাই নাই.
অভিজিত দা আপনার লেখাগুলো বরাবরই অসাধারন.
:guru: :guru:
@HuminityLover,
ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার মন্তব্যও খুব ভাল লাগলো।
@অভিজিৎ,
দাদা মুক্তমনার আলোকে নিজেকে আলোকিত করে বাচ্চার স্কুলের অভিভাবকদের মাঝে জ্ঞান দান করতে গিয়েছিলাম। অল্পের জন্য হাটুরে কিলের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি। তর্ক টা শুরু হয়েছিল কেন আমার ছেলেদের এখনও মুসলমানি করান হয়নি আর শেষ হয়েছিল কেন রাসুল বেহেস্ত থেকে কোন ফল/হুর/সুরা/গেলম্যান আনেন নি। মাফ চাই দাদা। নাস্তিক আস্তিকের মধ্যে আর আমি নাই। নাস্তিক আর আস্তিকের মাঝে হিজড়া টাইপের কিছু থাকলে জানাবেন। ধন্যবাদ
আপনার লেখাটার মাঝ পথে আছি অভি দা। সুন্দর লাগছে খুব।
ফরিদ ভাইয়ের এই কমেন্ট গুলো কোন লেখাতে আছে মনে করতে পারলে জানিয়ে বাধিত করবেন।
দারুন লেগেছে উনার দেয়া এই খোঁচাগুলো।আমি লেখাটা পরতে চাই। 🙂
@অচেনা,
আমার ধারণা ফরিদ ভাই তার কোন লেখায় নয়, কোন একটা মন্তব্যে বলেছিলেন। আমার এখন মনে নাই, তখন সেভ কইরা রাখছিলাম। এখন দেখি ঐটা কাজে লেগে গেছে!
দেখি খুঁজে পেলে জানাবো। ফরিদ ভাইয়ের নিশ্চয় মনে আছে। তিনি লিঙ্ক দিলেই ভাল হবে।
@অভিজিৎ দা,
ধন্যবাদ দাদা।
ফরিদ ভাইয়া আপনার মনে থাকলে লিঙ্কটা দিবেন প্লিজ। অপেক্ষায় থাকলাম। 🙂
@অচেনা,
এখানে দেখেন।
@সাইফুল ইসলাম, @সবুজ বড়ুয়া , ধন্যবাদ ভাই আপনাদের। 🙂
@অচেনা,
আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ। সময়মত আসতে পারিনি বলে দুঃখিত।
একে বলে চক্রাকার বা বৃত্তাকার যুক্তি। আল্লাহকে দিয়ে কোরানকে সত্যি প্রমাণ করা হয়, কোরান দিয়ে মুহাম্মদ্দকে আর মুহাম্মদ দিয়ে আল্লাহকে। এই হচ্ছে এই যুক্তির সারবত্তা। কোরান যে আল্লাহর কিতাব, কোথায় লেখা আছে জানেন? কোরানেই। এর থেকে অকাট্য প্রমাণ কি আর আছে? নেই। :))
সাদা চোখের লেখা জয়নাল ব্যাপারীর পাছায় চুম্মা দাও লেখাটা পড়েছেন কি না জানি না? পড়ে দেখতে পারেন। সেই সাথে এই ভিডিওটা।
httpv://www.youtube.com/watch?v=fDp7pkEcJVQ
@ সবুজ বড়ুয়া এবং সাইফুল,
অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যটা খুঁজে এনে লিংক দেবার জন্য। খুব একটা সহজ কাজ এটা নয়। (F)
@ফরিদ আহমেদ, না ঠিক আছে ভাইয়া, আর আপনাকেও ধন্যবাদ 🙂 লেখাটা অবশ্যই পড়ব তবে ভিডিও দেখতে পারব কিনা জানি না। আমার নেট ভীষণ স্লো 🙁
এটাই চুম্বক অংশ :hahahee:
হাহাহা এই মন্তব্য-থ্রেডটা চমৎকার!
@অচেনা, সম্ভবতঃ এখানে এই লিংকটিই।
@সবুজ বড়ুয়া, ধন্যবাদ ভাই। 🙂