লিখেছেনঃ নাস্তিক দীপ
২০০৬ সালের ঘটনা। তারও আগের থেকে খুব সম্ভব ২০০১ সাল থেকে আমি কোন প্রাণী হত্যাই করিনা।এদিকে বৌদ্ধ ধর্মেও প্রাণী হত্যা নিষিদ্ধ।বাবাকে বললাম আমি বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করতে চাই।বাবা বললেন,বেশ ভাল কথা। আমি,বাবা আর মা আমরা তিনজনে বাসাবো বৌদ্ধ মন্দিরে গেলাম।ঐদিন ছিল বুদ্ধ পূর্ণিমা।সবাই অনেক ব্যাস্ত। ভান্তেরা(বুদ্ধ পুরোহিত) আরও ব্যাস্ত। বাবা একজন ভান্তের সাথে কথা বলতে চাইলেন। ভান্তে প্রথমে কথা বলতেই চাইলেননা।অনেক কাজ তাঁর।তারপর বাবা নিজে থেকেই বললেন,‘ভান্তে আমার ছেলে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করতে চায়’।
ভান্তে চলে যাচ্ছিলেন। কিন্তু বাবার কথা শুনে সাথে সাথে ফিরে আসলেন।
‘কি বললেন আপনি?’ভ্রু কুঁচকে বললেন ভান্তে।
‘আমার ছেলে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করতে চায়।সে কোন প্রাণী হত্যাই করেনা অনেক ছোট থেকেই।’
‘বেশ ভাল কথাতো।তা কোন ধর্মের মানুষ আপনারা?ও কি আজকেই ধর্মান্তরিত হবে?’ভান্তে জানতে চাইলেন।
‘ভান্তে,আমার একমাত্র ছেলে।ওর বৌদ্ধ ধর্ম ভাল লাগে।বৌদ্ধ ধর্মে দিক্ষিত হতে চায়।খুব ভাল কথা।আমি ধর্ম সম্পর্কে এতো কিছু জানিনা।কিন্তু আমিতো আমার ছেলেকে এভাবে ধর্মান্তরিত হতে দেখতেও চাইনা মশাই।
আমার কিছু প্রশ্ন আছে।এগুলোর উত্তর জানতে চাই।আপনি উত্তর দেন।এরপর বাকিটা ওর ইচ্ছা।ওর আপনার উত্তর পছন্দ হলে ধর্মান্তরিত হবে।আর অপছন্দ হলেও ওর ইচ্ছা হলে ও ধর্মান্তরিত হবে।ও যা ভাল মনে করে।’
এতক্ষণে আরও কয়েকজন ভান্তে আর বেশ কিছু মানুষ জড় হয়েছে আমাদের চারপাশে।খবর পেয়ে আরও কয়েকজন ভান্তে আমাদের ঘিরে ধরলেন।সবাই জানতে চায় কি প্রশ্ন এই ভদ্রলোকের!
‘তা কি প্রশ্ন আপনার? করে ফেলুন।’ বয়স্ক একজন ভান্তে জানতে চাইলেন।
‘আমার দুটি প্রশ্ন।প্রথম প্রশ্নটি হচ্ছে আমরা জানি প্রাণী হত্যাতো বৌদ্ধ ধর্মে নিষিদ্ধ। এখন মনে করুন আপনি এমন একটা জায়গায় এসেছেন যেখানে অনেক মশা।মশা আপনাকে কামড়াচ্ছে।কি করবেন আপনি?’জানতে চাইলেন বাবা।
‘কি করব মানে?সরিয়ে দেবো মশা।আর কি করব?আপনি কি আমাকে মশা মারতে বলছেন নাকি?একটা অবুঝ প্রাণী আপনাকে কামড়াচ্ছে আর এর জন্য আপনি কি তার জীবন নিয়ে নেবেন?আজব প্রশ্ন।’রেগে গেলেন ভান্তে।
‘ভাই আমিতো আগেই বলেছি যে ওখানে অনেক মশা। আপনি কয়টাকে সরাবেন!ডেঙ্গু,ম্যালেরিয়া,এনসেফেলাইটিস ইত্যাদি অনেক রোগ আছে মশার কারনে হয়।কয়েকমাস আগেই আমার এই প্রাণী হত্যা না করা ছেলেরই ডেঙ্গু হয়ে গেল।তাই এতো মশা আপনি সরাতে পারবেননা।আমার জানা মতে এমন কোন মন্ত্র-তন্ত্রও নেই যা দিয়ে মশা সরানো যায়।’
‘আরে মশাই এতো মশা যেখানে সেখানে যাবেন কেন আপনি?’ আরেকজন ভান্তে বললেন।সবাই যথেষ্ট রেগে যাচ্ছেন!উপস্থিত ভান্তেরা তাঁকে সমর্থন জানালেন। সত্যিই তো যেখানে এতো মশা সেখানে কেন যাবেন আপনি?
‘আপনারা শুধু শুধুই রেগে যাচ্ছেন। মানুষ তো আর সাধ করে মশার কামড় খেতে যায়না। কিন্তু আপনাকে কোন দরকারি কাজেই হয়তো যেতে হতে পারে এমন জায়গায় যেখানে গেলে আপনার মশার কামড় না খেয়ে উপায় নেই। জেলখানার কথাই ধরেন। কয়েদীদের খাবারের থেকে মশার কামড়ই বেশী খেতে হয়।’
বাবার প্রশ্ন শুনে যথেষ্টই মজা পাচ্ছিলাম। এতো এতো মানুষ এখানে একজনও বাবার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছেনা!ভান্তেরাও চুপ করে আছেন। উপস্থিত দুই একজনের কথা কানে আসছে।ফিস ফিস করে কে জানি বলল,ভাল প্রশ্ন! সত্যিই তো এমন হলে কি করা উচিত?
‘এছাড়াও ধরেন আপনি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন পথে একটা বিষাক্ত খ্যাপাটে সাপ তারা করল আপনাকে। আপনার পিছু ছাড়ছেইনা…’
‘আরে দাদা যে রাস্তায় সাপ থাকে সে রাস্তা দিয়ে আপনি যাবেন কেন?’ বাবাকে থামিয়ে দিলেন আরেকজন ভান্তে।
‘ভাই,কেউ তো আর ইচ্ছা করে সাপের খপ্পরে পড়তে যায়না। কিন্তু তারপরেও অনেক সময় সাপের দেখা আমাদের পেতে হতেই পারে। সাপের কথা বাদই দিলাম। কিন্তু সুন্দরবনে অনেক জেলে,মৌয়াল বা অন্যান্য মানুষেরা পেটের দায়ে সুন্দরবনে যায় আর পরবর্তীতে বাঘ-কুমিরের পেটে যায়। এরা কেউ কিন্তু সাধ করে বাঘ কুমিরের পেটে যায়না দাদা।’
‘দুই নম্বর প্রশ্নটা করে ফেলুন।’মধ্যবয়স্ক একজন ভান্তে বললেন।
উপস্থিত সব ভান্তের মুখই এতক্ষনে কাল হয়ে গেছে।তাও জানতে চায় দুই নম্বর প্রশ্নটা কি।
‘আমার জানা মতে বৌদ্ধরা সব মাংসই খায়।হিন্দু-মুসলিমদের বিধি নিশেধ নেই আপনাদের। এখন ধরুন এমন একটি বৌদ্ধ এলাকা রয়েছে যেখানে ১০০ জন মানুষের মধ্যে ৯৯ জন মানুষই বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী।কিন্তু বাকি যে ১ জন মানুষ আছেন,তিনি একজন হিন্দু/মুসলিম।ওই ব্যাক্তি একজন পেশাদার কসাই।মাংস বিক্রি করে তার পেট চালাতে হয়। যেহেতু বৌদ্ধরা সব প্রানির মাংসই খায় কিন্তু নিজেরা হত্যা করেনা তাই ঐ লোকের মাংসের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে।এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে ঐ এলাকায় জীব হত্যার পাপের দায়ভারের অধিকারী কি ঐ এলাকার বৌদ্ধরা হবেনা? তারা যদি মাংস না খেত তাহলে তো এই জীব গুলোকে অকালে মরতে হতোনা। সব পাপের দায় কি ঐ গরীব কসাইয়ের নিতে হবে?এলাকার বৌদ্ধদের কোন পাপ হবেনা?’বাবা প্রশ্ন শেষ করলেন।
আমি ভান্তেদের দিকে তাকাচ্ছি কে উত্তর দেবেন বুঝতে পারছিনা।
বেশ কিছুক্ষন চুপ থাকলেন ভান্তেরা।অবশেষে বয়স্ক ভান্তে বললেন,‘আপনার প্রশ্ন গুলো যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত। কিন্তু আমরা আসলে জানিনা। কিন্তু এর সমাধান আছে। আজকে তো সময় দিতে পারবোনা আপনাদের। আপনারা একদিন সময় করে আসেন। আমরা আলোচনায় বসি। আলোচনায় বসে এর উত্তর দেওয়া সম্ভব।’
উপস্থিত ভান্তেরাও সম্মতি জানালেন মাথা নেড়ে।
বাবা বললেন,আচ্ছা আবার একদিন সময় করে আসবো আমরা।
ভান্তেরা যে যার কাজে চলে গেলেন।আমরাও তখন মুল মন্দির থেকে সরে এসেছি। বাবা ফিসফিস করে আমার কাছে জানতে চাইলেন,‘বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করবেনা?’
‘বাসায় চল। আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেবো আমরা!’ বললাম আমি।
মাংস খাওয়া কি সহিংসতা এবং মাংস খেলে কি কোন ক্ষতি আছে এবং এ বিষয়ে তথাগত বুদ্ধ কি বলেছেন? 😊
——-Study Buddhisim ✍️
কৃষির ইতিহাস 10 হাজার বছরের এবং মানুষের মোট ইতিহাস 5 লক্ষ বছরের, এমতাবস্থায় নিরামিষাশীদের জন্য আমিষ খাবারকে ভুল বলা এবং এর ভিত্তিতে কাউকে হিংস্র শ্রেণীতে রাখা ঠিক নয়। খাদ্য. খাদ্য ঐতিহ্য ধর্ম বা মূল্যবোধের সাথে সম্পর্কিত নয়।
যে পরিবেশে বসবাস করে তার খাওয়া-দাওয়ার ধরনও সে অনুযায়ী এবং তার মূল্যবোধও একই রকম। নিরামিষভোজী ও আমিষভোজীদের নিয়ে যারা এত হট্টগোল করেন, তারা না মূল্যবোধ বোঝেন, না ধর্মের কোনো উপলব্ধি রাখেন এবং তারা বিজ্ঞানের জ্ঞান থেকে দূরে থাকেন।
5 লক্ষ বছর আগে যখন মানুষের উদ্ভব হয়েছিল, তখন তারা শুধুমাত্র আমিষ জাতীয় খাবার গ্রহণ করত কারণ কৃষি সম্পর্কে কারও জ্ঞান ছিল না। যাঁরা বলেন যে তিনি প্রথম থেকেই নিরামিষাশী, তাঁদের কৃষির ইতিহাস পড়তে হবে। আপনি মাত্র 5 হাজার বছর ধরে নিরামিষাশী ছিলেন, সেটা নিয়েও আপনি গর্বিত। এখন নিরামিষভোজী হয়ে আপনি হয়ত ঘুমানোর আগে রাত জাগিয়ে হাজার হাজার মশা মারতে পারেন, উৎসবে পোকামাকড় পরিষ্কার করে মেরে ফেলতে পারেন, তেলাপোকা, উইপোকা, পিঁপড়া, টিকটিকি মারতে পারেন, কিন্তু আপনি অহিংস এবং মাংস ভক্ষণকারী আপনার চোখে হিংস্র। ..?
আপনি পোকামাকড়, টিকটিকি, পিঁপড়া হারিয়েছেন,
তেলাপোকা, মশা, জুভ বেডবগ, পুঁচকে ইত্যাদি মেরে খায় না, তাই আপনি নিরামিষভোজী এবং অহিংস…।
গাছ এবং গাছপালা চিৎকার করে না, তারা শব্দ করে না, তাই আপনি এটিকে জীব বলবেন না, যদিও বিজ্ঞানীরা গাছ এবং উদ্ভিদকে জীব হিসাবে বিবেচনা করেছেন। গাছ কাটা সহিংসতা নয় কেন?
আমরা প্রথমে আমাদের প্রয়োজন এবং সুবিধা অনুসারে যে কোনও খাবার বেছে নিই এবং পরে তার উপর একটি লেবেল লাগাই। এই লেবেলিং করা হয় যাতে খাবার সম্পর্কিত কিছু নিয়ম চলতে থাকে। খাওয়া আপনার শরীরের পুষ্টির সাথে সম্পর্কিত এবং ধর্ম বা মূল্যবোধের সাথে নয়।
আপনি যদি কোনও দ্বীপে আটকে যান এবং সেখানে কোনও নিরামিষ খাবার পাওয়া যায় না, তবে আপনি আমিষ খাবার এড়াবেন না কারণ যখন বেঁচে থাকার কথা আসে, তখন আমিষ খাবারেও কোনও আপত্তি নেই।
কেউ কেউ যুক্তি দেন যে, কোনো কোনো ধর্ম বলে মাংস না খেলে মাংস খাওয়া উচিত নয়, এখন ধর্মকে সমস্যায় দেখা উচিত যে জীবন নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে।
আপনি জেনে অবাক হবেন না যে হিন্দু ধর্মে বলিদানের প্রথা ছিল, যার বিরোধিতা করে তথাগত বুদ্ধ যজ্ঞে আত্মা হত্যার বিরোধিতা করেছিলেন। বুদ্ধ কখনও কাউকে মাংস খেতে নিষেধ করেননি। বুদ্ধ অহিংসা এবং জীব হত্যার বিরোধিতা করেছিলেন কারণ সেই সময় ব্রাহ্মণ্য ধর্মে নিত্য বলিদান ছিল বাধ্যতামূলক। এই ক্রিয়াকে বলা হত ‘নিত্য’ বা ‘নৈমিটিক’। বুদ্ধ যজ্ঞমূলক কর্মের উপর ভিত্তি করে ধর্মকে গ্রহণযোগ্য মনে করেননি।
তিনজন ব্রাহ্মণ তথাগত বুদ্ধের সাথে যজ্ঞের প্রথা নিয়ে তর্ক করেন, যাদের নাম কুটদন্ত, উজ্যা এবং উদয়। কুটদন্ত বুদ্ধকে ‘বালি কর্ম’ সম্পর্কে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি কী জানতে চাইলে বুদ্ধ তাঁকে ‘মহাবিজেতা’ রাজার গল্প শোনান, এরপর কুটদন্ত সিদ্ধান্ত নেন যে এখন থেকে যজ্ঞে ষাঁড়, ছাগল, মুরগি, মুরগি, সুভারো থাকবে না। গরু এবং ভেড়া হত্যা হবে না এবং তারপর থেকে হিন্দু ধর্মের যজ্ঞে পশু বলি দেওয়া হয় না, তবে প্রতীকীভাবে, পশু বলির প্রতীক হিসাবে ধর্মান্ধ হিন্দুরা অবশ্যই নারকেল ভেঙে দেয়।
এমনই একটি আলোচনা ‘আমগঙ্গা’ নামক এক ব্রাহ্মণ বুদ্ধের কাছে করেছিলেন এবং বুদ্ধকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে “আপনি অন্যের দেওয়া সুস্বাদু, বিশুদ্ধ এবং ভাল খাবার গ্রহণ করেন এবং ভাল রান্না করেন, আপনার কাছে পাখির মাংস দিয়ে রান্না করা সূক্ষ্ম ভাত আছে।” আমি যদি খাই এবং বলি। আমি হিংসার পাপ অনুভব করি না, তারপর ব্যাখ্যা করুন এটি কী মন্দ বা অহিংসা, তখন তথাগত বুদ্ধ উত্তর দিয়েছিলেন যে “জীব হিংসা করে, প্রহার করে, কামড়ায়, বাঁধে, চুরি করে, মিথ্যা, প্রতারণা করে, প্রতারণা করে, অকেজো।” জ্ঞান এবং ব্যভিচার হিংসা, মাংস ভক্ষণ নয়। ইন্দ্রিয়ের প্রতি উদাসীনতা, ভাল জিনিসের প্রতি লোভ, অপবিত্র কাজে লিপ্ত হওয়া, কুটিলতা, ক্রোধ, অহংকার, কুসংস্কার, শত্রুতা, ছলনা, হিংসা, অহংকার, অতিরিক্ত অহংকার, অমিল হল মন্দ বা হিংসা। যারা বদমেজাজি, ঋণ শোধ করে না, অন্যের মিথ্যা নিন্দা করে, যারা সর্বদা বিদ্বেষ বা লোভের বশবর্তী হয়ে জীবকে আক্রমণ করে, তা হিংসা এবং মাংস না খাওয়া হিংসা বা অন্যায়।
অহিংসা বা অ-হত্যা বুদ্ধের শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, তবে এটি সহানুভূতি এবং বন্ধুত্বের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত, ধর্ম বা মূল্যবোধের সাথে নয়। তথাগত বুদ্ধের অহিংসার মতবাদ অত্যন্ত বিশদ, যা বুঝতে সঠিক তথ্য থাকা প্রয়োজন।
বুদ্ধ কখনই মাংস খাওয়াকে অশুভ মনে করেননি, কিন্তু যারা বুদ্ধের অহিংসার নীতি জানার চেষ্টা করেননি, তাই তারা হিংসার প্রতিশব্দ হিসাবে মাংস খান। বুদ্ধের অহিংসার মতবাদে মানুষের মধ্যে অনেক বিভ্রান্তি রয়েছে, কিন্তু বুদ্ধের জীবন থেকে উপরোক্ত ঘটনাগুলি থেকে বোঝা যায় যে বুদ্ধ মাংস খাওয়ার কোনো ক্ষতি মনে করেননি। সম্রাট অশোক তার শিলালিপিতে শুধুমাত্র কয়েকটি জীব হত্যা নিষিদ্ধ করেছিলেন এবং মাংস খাওয়ার উপর কোন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেননি।
বুদ্ধ যুদ্ধে প্রতিরক্ষার জন্য সহিংসতাকে সমর্থন করেন, যা ভারতের পররাষ্ট্র নীতিও গ্রহণ করে। শ্রীলঙ্কার বৌদ্ধ ভিক্ষুরা নিজেরাই আত্মরক্ষায় আক্রমণকারীদের সাথে যুদ্ধ করেছে এবং সমস্ত বৌদ্ধ দেশে মার্শাল আর্ট, কুনফু আর্টের মতো মার্শাল আর্ট প্রচলিত আছে।
বার্মার বিখু জনগণ হানাদারদের সাথে যুদ্ধ করে না বা যুদ্ধ করতে বলে না। বার্মিজ ভিক্ষুরা ডিম খায় কিন্তু মাছ নয়। জার্মানিতে, ‘জার্মান বৌদ্ধ কমিটি’ অহিংসা সম্পর্কিত প্রথম উপদেশ ব্যতীত অন্য সমস্ত অনুশাসন মেনে চলতে সম্মত হয়েছে। বর্তমানে অহিংসার ক্ষেত্রে এটাই বাস্তবিক অবস্থান।
সত্য হলো তথাগত বুদ্ধ অহিংসার কোনো সংজ্ঞা দেননি, কোনো স্পষ্ট আলোচনাও করেননি, এর প্রমাণ আছে, কিছু প্রমাণ আছে, যেমন কেউ ভিক্ষুর পাত্রে মাংস রাখলে, ভিক্ষুর মাংস খেতে আপত্তি নেই।
তথাগত বুদ্ধ ‘দেবদত্ত’-এর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন যিনি ভিক্ষুরা ভিক্ষায় দেওয়া মাংস ভক্ষণ না করতে চেয়েছিলেন।
যারা ‘অহিংসা পরমো ধর্ম’ নীতির উল্লেখ করেন তারা জানেন না যে এটি একটি জৈন মতবাদ এবং বৌদ্ধ নীতি নয়।
সবচেয়ে বড় প্রমাণ হল বুদ্ধ নিজেই বলেছেন যে “সবার সাথে বন্ধুত্ব কর, যাতে আপনি কোন জীবকে হত্যা করতে চান না, এটি বলার অর্থ কেবল এই ছিল যে বুদ্ধ একটি জীবকে হত্যা করার ইচ্ছায় ছিলেন এবং একটি জীব হত্যার প্রয়োজন।” পার্থক্য করতে চেয়েছিলেন.
বুদ্ধ চেয়েছিলেন যে তিনি ইচ্ছার প্রয়োজনে সহিংসতা করেন কিনা তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ব্যক্তির উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত। যেখানে ‘হত্যা করার ইচ্ছা’ ছাড়া কিছুই নেই, সেখানে সহিংসতা নিষিদ্ধ।
বুদ্ধ বলেছেন যে এই বিষয়ে একজনের তার প্রজ্ঞা ব্যবহার করা উচিত। ব্রাহ্মণ্য ধর্মে ‘জীব হিংসা করতে ইচ্ছুক’
এখানে তথাগত বুদ্ধের মতবাদ তাঁর মধ্যপথের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। বুদ্ধ অহিংসাকে একটি নিয়ম করেননি, তিনি এটিকে একটি নীতি বা জীবন পদ্ধতি হিসাবে বিবেচনা করেছিলেন।
বুদ্ধ জানতেন যে অহিংসাকে নিয়ম করা হলে পৃথিবীর অনেক দেশে খাদ্য সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং ধম্মের প্রসার ঘটতে পারে না এবং তখন নিয়ম আপনাকে মুক্ত করে না কারণ নিয়মের মধ্যে বাধ্যতা রয়েছে।
বুদ্ধ যে পাঁচটি শীল নীতি দিয়েছেন তাতে কোন জবরদস্তি নেই, তবে এটি ব্যক্তির প্রজ্ঞার উপর নির্ভর করে, তিনি প্রয়োজনের জন্য হিংসা করেন যে তিনি তার ইচ্ছা পূরণের জন্য তা করেন।
তথাগত বুদ্ধ প্রদত্ত ‘মধ্যম পথ’কে এর মতো সর্বোত্তম পথ বলা হয় না, যেখানে একজন ব্যক্তির তার মন ব্যবহারের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে।
আজ বুদ্ধের অহিংসার নীতি সমগ্র বিশ্ব গ্রহণ করেছে কারণ এতে নৈতিকতা ও সহানুভূতি জবরদস্তি থেকে নয় বরং ব্যক্তির স্বাধীনতা ও প্রজ্ঞা থেকে উদ্ভূত হয়।
বুদ্ধের অহিংসার নীতি শুধুমাত্র বুদ্ধের দৃষ্টিকোণ থেকে বুঝতে হবে এবং অহিংসাকে মাংস খাওয়ার সাথে তুলনা করে নয় কারণ বুদ্ধ বলেননি যে মাংস খাওয়া হিংসা বা খারাপ।
এই জিনিসটা হজম করা একটু কঠিন, কিন্তু এটা সত্য, তাই বুদ্ধের নাম নিয়ে একজন বৃদ্ধকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর আগে বুদ্ধকে পড়তে হবে এবং বুঝতে হবে। বিক্কুও, উপাসক এবং সাধারণ মানুষের জন্য বৌদ্ধধর্মে অনেক কিছু রয়েছে, এখন এটি নির্ভর করে বৌদ্ধ ধর্ম পালনকারী ব্যক্তির জ্ঞানের উপর, তিনি এই নীতিগুলি কতটা পালন করেন। বুদ্ধ ব্যক্তিকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেন এবং এই স্বাধীনতা বুদ্ধকে সবচেয়ে বেশি আলাদা করে।
আম্বেদকর জিও আমিষ খাবার খেতেন, কিন্তু তারপরও তিনি পচা মাংস খেতে নিষেধ করেছিলেন এবং পরিষ্কার, স্বাস্থ্যকর মাংস না খেতেন। শেষ সময়ে তিনি বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন এবং বুদ্ধ ও তাঁর ধম্ম গ্রন্থ রচনা করেন। আম্বেদকর ভারতে বৌদ্ধ ধর্মকে পুনরুজ্জীবিত করেছিলেন এবং 22টি ব্রত দিয়েছিলেন কিন্তু কোথাও মাংস খেতে নিষেধ করেননি।
সঠিক এবং ভুল নির্ণয় শুধুমাত্র পরিস্থিতি এবং প্রয়োজন অনুসারে করা উচিত, এত স্বাধীনতা, আমাদের দেশের সংবিধানও দেয়, তাই পরিবেশ রক্ষার জন্য অনেক পরিবেশগত নিয়ম-কানুন রয়েছে।
যতক্ষণ না সংবিধানে আমিষ-খাদ্যকে বেআইনি মনে করা হয় না, তা হলে ভারত থেকে পশুপালনের নামও থাকত না, ভারতে মাংসের ব্যবসাও হতো না। মানুষের অহিংসার সংজ্ঞায় পশুপালন, পাখি পালন সবই বেআইনি হয়ে যায়। সমস্ত জাতীয় উদ্যান, অভয়ারণ্য, প্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র ইত্যাদি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য তৈরি করা হয়েছে এবং যখন কিছু প্রাণীর মাংস নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, তখন এর পেছনের কারণ ছিল সেই প্রাণীর সংখ্যা হ্রাস এবং কোথায় ক্ষতি হচ্ছে। পরিবেশ, খাদ্য বিধি আপনা আপনি পরিবর্তিত হবে।আর খাদ্য বিধি পরিবর্তনের ফলে ধর্মীয় মূল্যবোধও পরিবর্তিত হয়, তাই এখানে কোন কিছুই চিরস্থায়ী নয়, এটি কেবল ভারসাম্যের ব্যাপার যা মধ্যম পথ দিয়ে বোঝা যায়।
দ্রষ্টব্য- উপরোক্ত পোস্টে অহিংসা সংক্রান্ত তথ্য বা তথ্য নেওয়া হয়েছে বাবাসাহেব ডক্টর ভীমরাও আম্বেদকরের লেখা ‘বুদ্ধ ও তাঁর ধম্ম’ বই থেকে।
প্রানী হত্য শুধু ধর্মের ওপর ভিত্তি করে বলেছেন।
অন্যন্য ধর্মে আছে যেমন হিন্দুদের এক কুপে ছাগল জবাই, মুসলিমদের কোরবান, পাতিয়া
শুধু বৌদ্ধ ধর্মে প্রানী হত্য মহাপাপ সেইটা ধর্মের উপর জুর দিয়ে নয়। অন্যন্য ধর্ম তো বলে তাদের শাস্ত্র প্রানী হত্য করতে শুধু বৌদ্ধ ধর্মে শাস্ত্রের উপর ভিত্তি করে বা ধর্মের উপর জুর দিয়ে কোনো পশু বলি নেই।
বুদ্ধ শুধু ধর্মের উপর ভিত্তি করে প্রানীহত্যকে নৈতিকতা মনে করেন নি।
এইটা বুঝতে মহাজ্ঞানী হতে হয় না সাধারণ জ্ঞান দিয়ে বুঝা সম্ভব। 😃😃
আপনি বৌদ্ধ ধর্মের আর কী ভুল ধরবেন বলুন
মনে করেন আপনি বৌদ্ধধর্ম অনুসারীনা অথবা আপনাকে মশা মারার অনুমতি দেওয়া হলো। তখন আপনি কি করতেন? মশা মেরে তারপর দরকারি কাজটি সারতেন? এতো এতো মশার মধ্যে কয়টাকে মারতেন?
এখানে নাস্তিক দীপের লেখাটি শুধু মাত্র তার ব্যক্তিগত মতামত কারণ “বৌদ্ধ ভিক্ষু”রা এই প্রশ্নের বিষয়ে একে বারে জ্ঞান রাখেন না তা বললে ভুল হবে এবং তিনি ভুল তথ্য উপস্থাপন করেছেন বলে আমি মনে করি। ভিক্ষু হতে হলে কত বছর বয়স বা ধর্মীয় বিষয়ে কি পরিমান জ্ঞান থাকা উচিত সেটা নূন্যতম হলেও জানা আছে। আর তিনি বোঝাতে চেয়েছেন মনে হয় অন্য ধর্মের মত বৌদ্ধ ধর্মে গোজামিল আছে। আজ প্রাণী হত্যা কে বেধর্মীরা অপরাধ হিসেবে না নিয়ে ধর্মের বলে উল্লেখ করেন এবং হত্যা করতে উৎসাহিত করেন ছোট কাল থেকে। তাই নাস্তিক দীপ ভাই, নাস্তিক হতে পারেন সেটা আপনার অধিকার আছে, তবে ভুল বাল তথ্য না দিয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে প্রমাণ করুন ত্রিপিটকে গোজামিল রয়েছে।
নাস্তিক দ্বীপের উদ্দেশ্য একটাই কথা বলব অল্প বিদ্যা ভয়ংকর । আপনি বৌদ্ধ ধর্ম সম্পর্কে অল্প জেনে মনে করছেন যে অনেক কিছু জেনে গেছেন । আসলে আপনি বিশাল জ্ঞান সমুদ্রের সৈকতের বালুগুলি দেখেছেন মাত্র । সমুদ্রে নামা বহু দূর আপনি ওই বালু চরেও নামতে পাড়েন নি . আর অই ভান্তেদের জ্ঞানের স্বল্পতা দেখে আমি অবাক হচ্ছি । আপনার বাবার প্রশ্নের উত্তর সাধারন বৌদ্ধ ধর্মানুসারীরাই দিতে সক্ষম , তারা কেন পারেনি । তবে হয় আপনি মিথ্যা গল্প ফেদেছেন , আর নয়তো তারা সোজা বাংলায় ধর্ম ব্যাবসায়ী । অই ভান্তেরাও না জেনে শুধু ধর্মীয় লেবাস গায়ে দিয়ে খেয়ে পরে বেচে আছে আর কি ।
আপনি যদি সত্যি ধার্মিক থাকেন তাহলে মশা গুষ্টিসহ কামড় দিলেও আপনি নিশ্চুপ হয়ে থাকবেন।আর কসাইয়ের কথা আসি। কসাই কিন্তু মাংস বিক্রি করে পেত চালায়, সেদিক থেকে চিন্তা করলে কসাই যদি পেত চালানোর জন্য মাংস বিক্রি না করত তাহলে বৌদ্ধরা মাংস খেতনা।
আমার জানা মতে বুদ্ধ একজন নাস্তিক ছিলেন এবং তিনি কখনও তার মতবাদ কে কারো উপর জোর করে চাপিয়ে দেননি। তিনি পরিবর্তন শীলতায় বিশ্বাসী ছিলেন। কিন্তু সব থেকে বড় কথা উনি নিজেই বলেছেন যে তার মতবাদ ও অভ্রান্ত নয়।আইনস্টাইন এর মত একজন ব্যক্তিত্ব ও কিন্তু বুদ্ধের মতবাদকে যথেষ্ট সমীহ করতেন। দেখুন আইনস্টাইন বুদ্ধ ধর্ম সম্পর্কে কি বলেছেন
সুন্দর লেখা তবে একটা মন্তব্য না করে থাকতে পারছি না | আমিও বৌদ্ধদের মত (মুসল্লিদের মতে মরা খাওয়া ) প্রানিহত্যায় বিশ্বাস করি না | আপনার বাবার প্রশ্নগুলির উত্তর দেবার চেষ্টা করছি :
১] মশা কামড়ালে মশা কি মারবেন না ? তাহলে তো ম্যালেরিয়া হবে | আর আপনাকে এমন জায়গায় যেতে হয়েছে যেখানে মশা আছে আর আপনার দরকারও আছে | ভালো কথা | অধমের উত্তর হলো ফুলহাতা জামা আর ফুলপ্যান্ট পরে যাবেন | আমি এইভাবে বহুবার মশার কামর থেকে বেঁচেছি | মশাও মারতে হয় নি | আর হাত পা একটু নাড়ালেই মশারা পালায় | চিন্তার কারণ নেই | জেলখানায় মশা আছে তো আমাদেরই ব্যবস্থার দোষে | আমরা মশা তারাই না | তাই আছে |
২] খ্যাপাটে সাপ তাড়া করলে কি করবেন ? প্রথমত সাপকে উত্যক্ত না করলে সাপ কাউকে তাড়া করে না | গ্রামে মানুষ সাপের কামড়ে মারা যায় কারণ তারা সাপকে আগে উত্যক্ত করে | গ্রামের মানুষের স্বভাবই হলো উত্যক্ত করা | সেই কারণে সাপে তাদেরকে কামড়ায় | আপনি উত্যক্ত করবেন না | সপেও কামড়াবে না |
৩] সুন্দরবনে মানুষ বাঘের পেটে যায় | কেন জানেন ? তারা বাঘের সাথে লড়াই করতে যায় তাই | চিড়িয়াখানায় মানুষ বাঘের পেটে যায় | কারণ ওই একই | বাঘকে বিরক্ত করা | কোনো প্রানীকে উত্যক্ত করবেন না | কেউ আপনাকেও আঘাত করবে না |
অবশ্যই ওই বৌদ্ধগুলোই পাপের ভাগিদার হবে | ওদেরই জন্য কসাই প্রানিহত্যা করে | বৌদ্ধদের এই মাংস খাবার রীতিটা একধরনের স্ববিরোধ | আমি প্রাণী হত্যা করব না অথচ প্রাণীর মাংশ খাব এটা হলো ভন্ডামি | এটা হলো পরোক্ষভাবে প্রানিহত্যা | বুদ্ধ কখনই এটাকে সমর্থন করেননি | উনি যা বলেছেন তা হলো প্রাণী হত্যা করবে না | তার মানে হলো প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কোনভাবেই হত্যা করবে না | বৌদ্ধরা নিজেরাই লোভ সংবরণ না করতে পেরে এই মাংস খাবার বিধান চালু করেছে | এটা হলো সুপারি কিলারকে দিয়ে খুন করিয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করা |
আমি এর ভীষণ বিরোধ করি |
তবে এই প্রশ্নটা বৌদ্ধদের স্ববিরোধ কে উন্মোচন করেছে |
ধন্যবাদ @যুক্তিবাদী, আপনি একেবারে যথোচিত উত্তর দিয়েছেন, ভগবান বুদ্ধ পরিষ্কার বলেছেন, কেউ যদি নিজের জন্য কৃত বা হত্যাকৃত মাংস ভক্ষণ করে, তবে সে হত্যার সমান ভাগীদার হবে
বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারে মাংস খাওয়া পাপ হবে। কারণ যে স্থানে মাংস বিক্রয় করা হয় সেখান থেকে মাংস কিনে খেলেও আপনার পাপ হবে।কেননা আপনি জানেন যে ওখানে প্রাণি হত্যা করে বিক্রয় করা হয়। তবে আপনার পাপের ভাগীদার কম হবেন। কারণ প্রাণি হত্যার বেশি পাপ হয় কোনো প্রাণিকে হত্যা করার আক্রোশ বা আসত্তি জন্মালে।
আমার মনেও এই ধরনের ঘটনা নিয়ে অনেক অনেক প্রশ্ন ছিল, যার যথাযথ ভাবে উত্তর কখনও পাইনি।আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।উক্ত ব্যক্তির মন্তব্য এর সঠিক ভাবে জবাব দেওয়ার জন্য।
নমস্কার।
কিন্তু গৌতম বুদ্ধের আত্মজীবনী পড়লে জানতে পারবেন যে, শেষ বয়সে তিনি নিজেই শুকর মর্দভ খেয়েছিলেন(মর্দভ অর্থাৎ মাংস)।
তবে তিনি নিজেও তো পরোক্ষ ভাবে ঐ শুকরকে হত্যা করেছিলেন।
আপনি বলছেন ফুলহাতা জামা তাইতো। কিন্তু যারা গরিব পতিত ভিক্ষুক তারা ফুল হাতা জামা কোথায় পাবে? আর দুই নম্বর কখনও কখনও সাপও মানুষের বাসস্থানে ঢুকে পড়ে। স্থান কাল পাত্র ভেদে মানুষ এই পরিস্থিতির খপ্পরে পরে যায়। ইসলাম, বৌদ্ধ, হিন্দু সব এক ভাঁওতা ধর্ম।
মশাই, লিখে দিলেন তো বটে ফুল হাতা শার্ট পরতে হবে। তো প্রশ্ন হলো সরকারের মশক নিধন কার্যক্রম বন্ধ করা কি সমর্থন করেন?
কোন প্রাণি নিজ থেকে আক্রমণ করে না-আপনার এমন দাবি চরম বিভ্রান্তিকর। চন্দ্রবোড়া (Russell’s Viper) সাপ বিনা উস্কানিতে দংশন করে।
পাগলা কুকুর বা পাগলা হাতির আকস্মিক তাণ্ডবে ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে আপনি অবগত নন বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। বিষয়গুলো ভেবে দেখবেন।
মন্তব্য…গৌতম বুদ্ধ শেষ কথা কি বলে ছিল? ভাইয়ারা,সঠিক জানা থাকলে বলবেন,নইলে নয়
নাস্তিক দীপঃবদ্ধ ঈশ্বর সম্পকে নিরব তাকার কারণ আছে, জিনি ঈশ্বর সম্পকে জানতে ছেয়েছিলেন তিনিতো আপনি আমার মতো সাধারণ জন ছিলেন ওনাকে ঈশ্বর সম্পকে বল্লেও ওনি বুদ্ধের কথা বিশাস করতেন না। তাই বুদ্ধ আগে নিজেকে চিনার কথা বলেছেন,তখন বুদ্ধ লোকটিকে জিজ্ঞাসা করল আছ্ছা বলুনতো একটা বড় বট বৃক্ষের মূল শিখর কোথায় গিয়ে শেষ হয়েছে.লোকটি উত্তর দিতে পারেনি’ তখন বুদ্ধ ওনাকে বল্লেন ঈশ্বর সম্পকে জানতে হলে আগে নিজেকে জান।আর এর ছেয়ে বেশি জানতে ছাইলে রাজা মিলিন্দও ভান্তে নাগসেনের প্রশ্ন উত্তর নামে একটা বই আছে ওটা পড়বেন। সকল প্রাণি সুকি হউক।
হুম বুঝলাম না এত ধর্ম থাকতে আপনার বুদ্ধ ধর্মের প্রতি আগ্রহ জাগার কোন বিশেষ কারণ?
@tanvir hossain, বৌদ্ধ ধর্মের প্রাণী হত্যা না করার ব্যাপারটা আমার ভাল লাগতো।এই কারনে…
আমি কিছুদিন আগে দালাই লামার একটা বই পড়েছি এবং কিছু আধ্যাত্মিক শিক্ষার বইও পড়লাম। সেই থেকে কিছু জ্ঞান জাহির করি। প্রথম কথা হলো, বুদ্ধের শিক্ষা অন্যসব আধ্যাত্মিক শিক্ষার মতই নির্বাণ প্রাপ্তি বা মুক্তির পথ। আমি যতটুকু বুঝেছি তাতে এই পথে কোন কিছুর সাথেই নিজের সত্ত্বাকে মিলিয়ে ফেললে হবে না। আমি বৌদ্ধ বা বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারি, এই কথা প্রচার করা বা এর সাথে একাত্ত্ব হওয়াও তাই বিপদজনক! আর বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহন করতে যাওয়া তো আরও বিপদ। যেটা করার কথা বলা হয়েছে সেটা হচ্ছে সাধু সঙ্গ করা। মুক্তমনাতেও এই কাজ করা হচ্ছে।
প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম মানেই ঘাপলা। দালাইলামা তো দেখলাম তার বইয়ে ধর্মান্তরিত করার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এতে অন্য ধর্মের লোকেও যখন ধর্মান্তরিত করে তখন একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়, এই কারনে। আর উনি বৌদ্ধধর্মে নারীদের অবস্থানকে পুর্নমূল্যায়েনর জন্য কাজ করছেন।
ধর্মকে ধর্ম হিসেবে না দেখে দর্শন হিসেবে দেখলে মনে হয় বেশি উপকার পাওয়া যায়। জীবহত্যা বৌদ্ধ ধর্মানুসারে এবং কিছু কিছু ভারতীয় দর্শনের “কার্মা” তত্ত্ব অনুসারেও মহাপাপ। এর কারন তাদের বিশ্বাস হত্যা করলে (সেটা যেই ধর্মের মানুষই করুক) পুনরায় জন্ম নিতে হয় এবং হত্যার বিপরীত পতিক্রিয়াতে খুন হতে হয়। এই পুর্নজন্মের প্রক্রিয়াই হচ্ছে মানুষের বা প্রাণিদের জন্য দুঃখ কষ্টের মূল কারন।
জনাব আতিকুর রহমান সুমন আপনার লেখা পড়ে খুব ভালো লাগলো…ধন্যবাদ আপনার এমন লেখার জন্য…
ভালো বলেছেন।
দালাই লামার বইটা কিভাবে পেতে পারি..?
রণবীর সরকার লিখেছেন:
এখানে ‘মনে হয়’ মানে কী? পুকুর যে নেই সেটা তো আপনার সাবজেক্টিভ ধারণা, অনুমান। অনুমান বিজ্ঞান নয়, মুক্তমনও নয়। সাবজেক্টিভ ধারণা অনুসন্ধানের মাধ্যমে সিদ্ধান্তে আসার পক্ষপাতী নয়। সে কল্পনাশ্রয়ী।
ডেথনাইট লিখেছেন:
আমার তথ্য মনগড়া ছিল না। তবে এখন সূত্রটা দিতে পারছি না। কারণ বহু বইয়ের ভিড়ে কোন বইয়ে পড়েছি তা এখন মনে করতে পারছি না। বুদ্ধের দর্শন ভুল বলেননি এই স্বীকারোক্তির জন্য ধন্যবাদ। বুদ্ধ তার আগেকার ও তার সময়কার সমস্ত প্রমাণসিদ্ধ সত্য ও তত্ত্বগুলো আত্মস্থ করেই তো তার নতুন তত্ত্ব উদ্ভাবন করবেন এতো অত্যন্ত স্বাভাবিক।
পুরুষ মাত্রেই ধৈর্য্যের পরাকাষ্ঠা এ কথা কে বলেছে? ওই ছাত্রছাত্রীদের দলে তো কেবল একজন মেয়ে ছিল না। আরো ছিল। আর এখানে বিষয়টা হচ্ছে ধর্ম নিয়ে আলোচনায় ছাত্রটির মজা লাগছিল, কিন্তু তার বান্ধবীটির তা ভালো লাগছিল না। সে জন্য সে অধৈর্য্য হয়ে উঠেছিল। সুতরাং যার যেটা ভালো লাগে না, তাকে সেটা করতে দিলে তো গণ্ডগোল লেগে যায়। বুদ্ধও এজন্য তার স্ত্রী পুত্রকে সঙ্গে নেননি। ওই যুবকটিও তার বান্ধবীকে সঙ্গে না নিলে আরো অনেকক্ষণ ধরে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করতে পারতেন। আর বান্ধবীকে সঙ্গে না নিলে তিনি নারী বিরোধী হতেন না।
ঘটনাক্রমে অধৈর্য্য যে দেখিয়েছে সে নারী। যদি বিপরীতটা হতো, অর্থাৎ মেয়েটা বনভান্তের সাথে ধর্ম আলোচনায় মজা পাচ্ছে, কিন্তু ছেলেটা বিরক্ত হচ্ছে। তখনও কী একই যুক্তি প্রযোজ্য হতো না?
প্রমাণ করতে পারলে তো আপনি নিজেই একজন বুদ্ধ হতেন। অবশ্য হতে পারলে আমাদের সবার মঙ্গলই হতো। তাই কামনা কমি সেটা আপনি হোন। আমি নিজেও বুদ্ধের সব তত্ত্ব বুঝেছি সেটা দাবী করার সাহস আমার বিন্দুমাত্র নেই। …. আর অন্ধ বিশ্বাস নয়, বলতে পারেন বুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধা। যেভাবে আরো অনেকের প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে।
যেহেতু আপনি এই টপিকে আর মন্তব্য করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন, তাই আপনার কাছ থেকে আমার মন্তব্যের প্রতি-মন্তব্য দাবী করছি না। কেবলমাত্র রেকর্ডের জন্য এই মন্তব্য করলাম, কারণ তা না হলে যারা পরে এই থ্রেডটা পড়বেন তখন তারা আমাকে ভুল বুঝতে পারেন।
এই টপিকে আর কমেন্ট করব না তাই দয়া করে কেউ আমার করা কমেন্টের প্রতিউত্তর না পেলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।আমি বার বার যে কথাটা বলতে চেয়েছি তা হল কোন ধর্ম বা ধর্মগুরুকে আরোপ করার কোন উদ্দেশ্য আমার ছিল না।কিন্তু ঘটনাক্রমে তাই হয়েছে।আমি সব সময়ই ধর্মকে নৃতত্ত্বের দৃষ্টিতে দেখতে চাই।এটা সভ্যতার অন্যতম বাহন।সভ্যতার অন্য দুটি উপাদান রাজনীতি আর সংস্কৃতির সাথে ধর্মের মধ্যকার সূত্র খুজতে গিয়ে এই ব্লগের দেখা পেয়েছিলাম।কিন্তু এখানে ধর্ম সহ অন্যান্য বিষয়কে অাক্রমন করলেও তার বিপরীতে ধর্মহীনতা কিভাবে ওগুলার সমান্তরাল হবে তার দেখা পেলাম না।ধর্মহীন বিশ্ব মানেই সংস্কৃতিহীনতা আর রাজনৈতিক শুন্যতা বলেই আমার মনে মহয়।তাই ধর্ম হয়তো চিরকাল থাকবেই তার ব্যাখ্যা বদলে যাবে।সবাই ভালো থাকুন।
@ডেথনাইট, আমি একটা জিনিস বুঝতেছি না, ধর্মের পক্ষে কথা বললে আমরা হয়ে যাই “মৌলবাদী”, আর ধর্মের বিপক্ষে কথা বললে হয়ে যাই “বেইমান/বে-ঈমান”। কোন্ দিকে যাই? বলতে পারেন! তাহলে সত্য-ই বা কাকে বলি, আর ‘নিরপেক্ষতা’ও বা কাকে? 😕
@ডেথনাইট,
এইখানে ধর্ম বলতে আপনি কি বুঝাচ্ছেন?
যে প্রসঙ্গটা এখানে একাধিকবার এসেছে সেটা হলো কেন বুদ্ধ নারীদের প্রতি Negative Comment করেছেন (মূল সমালোচনা এই প্রসঙ্গে হতে পারত কিন্তু তা না হয়ে প্রাণীহত্যার মত common sense related বিষয়ে হয়েছে।) বৌদ্ধ ধর্ম দুই ধরনের Rules and Regulation রয়েছে। একটা হচ্ছে আমজনতার অর্থাৎ Laymen and Women -র জন্য অন্যটি বৌদ্ধ ভিক্ষুদের জন্য। সাধারন জীবনযাপনকারীদের নারী বৌদ্ধদের জন্য বৌদ্ধ কোন misogynistic নিয়ম কিংবা opinion দেননি। সংসারত্যাগী বৌদ্ধ monk রা spirituality খোজার জন্য আলাদা জীবনযাপন করেন। তাদের প্রধান উদ্দেশ্য নিরভান লাভ করা। আর তা করার জন্য ধ্যান এবং celibacy পালন করা বাধ্যতামুলক। Spirituality কি এরকম কঠিন নিয়মের মধ্যে পালন করা উচিত না সবই ভন্ডামি সেটা বুঝতে হলে আমাদের আগে সেই stage পার করা দরকার। এর মাধ্যমে যদি আমরা দেখি যে বুদ্ধের সব কথাই মিথ্যা ঠিক তখনই দাবি করা যায় সব মিথ্যা তার আগে নয় । যাই হোক কথা হচ্ছে Celibacy পালনের অন্যতম শর্ত নারীসঙ্গ থেকে দূরে থাকা। শুধু Buddhism নয় ভারতীয় সকল যোগ দর্শনের এটাই প্রধান শর্ত। sex এর Desire অতি তীব্র desire. এবং নারী সঙ্ঘে থাকলে সেই desire আসা অতি স্বাভাবিক। আমার কথা হয়তো খুবই নারীবিদ্ধেশী মনে হবে কিন্তু মনে রাখা উচিত যে ভিক্ষুরা তাদের monastic জীবন বেছে নিয়েছেন সব ধরনের desire ঝেড়ে ফেলে দিয়ে যা নির্বাণের পথে প্রতিবন্ধকতা হিসাবে কাজ করে।
আমি আপনার সঙ্গে সহমত।
ধন্যবাদ আপনাকে যথাযথ ভাবে উত্তর দেওয়ার জন্য।
একবার ঢাকা কি চট্টগ্রাম থেকে কিছু ছাত্রছাত্রী রাঙামাটির রাজ বনবিহারে গিয়েছিলেন। তারা শ্রদ্ধেয় বনভান্তের সাথে দেখা করেন ও ধর্ম নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় তাদের একজন বনভান্তেকে প্রশ্ন করেন সিদ্ধার্থ গৌতম কেন তার স্ত্রী গোপা দেবী ও পুত্র রাহুলকে ছেড়ে একা বনে ধ্যান করতে গেলেন, রামের মতো সঙ্গে নিয়ে গেলেন না কেন? এ সময় প্রশ্নকারী যুবকটির বান্ধবীটি তার পাশে ছিলেন এবং চলে যাওয়ার জন্য তাকে বার বার বিরক্ত করছিলেন। বনভান্তে ওই মেয়েটির অধৈর্য্য ও অসষ্ণিুতাকে দেখিয়ে দিয়ে বললেন ‘এ জন্য বুদ্ধ তার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে যাননি।’ তিনি আরো বললেন, রাম গিয়েছেন বনবাস খাটতে, আর বুদ্ধ গিয়েছেন ধ্যান সাধনা করতে। (এটা খুব সম্ভব বনভান্তের দেশনা বইয়ে পড়েছি। যা মনে আছে তাই লিখেছি, হুবহু হবে না। এ জন্য দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী)।
আপনি কোনদিন সঠিক কারণ খুঁজে পাবেন না। কারণ Prejudiced view নিয়ে দেখলে সবকিছু বাঁকা, ট্যারা দেখা যায়। আপনার অসুখটা হলো ঠিক এখানে। আর এই অসুখের চিকিৎসা কেবল আপনিই করতে পারেন।
@মুক্তি চাকমা,
এখানে কোন ভিউ থেকে কথাটা বললেন।এর মানে কি পুরুষমাত্রই ধৈর্য্যের পরাকাষ্ঠা। 😀 সেই বুদ্ধর নারীবিরোধিতার প্রমান দিলেন। :hahahee: :lotpot:
আমি কোন ভিউ থেকেই বলছি তা বঝুলে উপরোক্ত হাস্যকর জবাব দিতেন না।বুদ্ধর প্রতি অভিযোগ করেছি এর মানে এই নয় তা প্রমান করে ফেলেছি।আপনার কাছে জবাব থাকলে দিবেন নইলে নয় তাই বলে অভিযোগ তুললেই তা প্রেজুডিসড ভিউ এধরনের কথা আদতে অন্ধবিশ্বাসের নামান্তর।
@ডেথনাইট,
আগে আপনার দেয়া রেফারেন্স http://www.comparativereligion.com/Buddhism.html। লেখক/লেখিকা বুদ্ধিজমের সম্ভাব্য দুর্বলতা সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। তিনি বুদ্ধের তত্ত্বগুলো ভুল এ কথা বলেননি। দ্বিতীয়ত, তিনি বুদ্ধ প্রদর্শিত পথে স্বয়ং যাননি। ধরা যাক, এক ব্যক্তি একটি সুউচ্চ পাহাড়ে উঠে দেখলেন সেখানে একটি সুন্দর পুকুর আছে। চারদিকের পরিবেশও অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর। ওই ব্যক্তি পাহাড় থেকে লোকালয়ে নেমে এসে লোকজনকে এ কথা বললেন। তিনি কোন পথে কিভাবে গেলে ওই পুকুরটির সন্ধান পাওয়া যাবে তাও বাতলে দিলেন। তার কথা অনেকে বিশ্বাস করলো, অনেকে করলো না। কিন্তু দু’একজন বাদে তারা কেউ পাহাড়ে উঠে পুকুরটি দেখার সাহস করলো না। এখন পুকুরের কথা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লো এবং দূরদূরন্ত থেকে অনেকে ওই পাহাড়ে উঠতে আগ্রহী হলো। তারা কিভাবে যেতে হবে তা জানতে চাইলো। ওই লোকালয়ের লোকজনের মধ্যে যারা পুকুর থাকার কথা বিশ্বাস করেছিল তারা বললো: ‘যে লোকটি পুকুরটা আবিস্কার করেছে সে বলেছে এই পথে এভাবে যেতে হবে’। আর যারা বিশ্বাস করেনি তারা পথটার ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করলো, পুকুরের অস্তিত্বের ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করলো।
উপরের লেখক/লেখিকাও নিজে পুকুরটি দেখতে যাননি। মূলতঃ নির্বাণসহ বুদ্ধের তত্ত্বগুলোর ব্যাখ্যা এভাবেই হয়ে আসছে। যারা পাহাড়ে উঠে নিজ চোখে পুকুরটা দেখে এসেছেন এমন ব্যক্তি অত্যন্ত বিরল। পার্বত্য চট্টগ্রামে এমন একজন আছেন বলেই মনে হয়।
বি: দ্র: পাহাড়ের চূড়ায় পুকুর থাকা অস্বাভাবিক নয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবানে বগালেক ও খাগড়াছড়ির নুনছড়িতে এ রকম পুকুর আছে।
বাহ! চমৎকার!! সকল লেখকের লেখাই ‘ইতিহাস-আশ্রয়ী’, কেবল আপনার ও আপনার পছন্দের দু’একজন লেখক বাদে। কেবল আপনারা দু’একজনই ফ্যাক্ট বা ইতিহাস লেখেন! আর আমরা ফিকশনের খাদক, ইতিহাস চিনি না!
ইউরোপীয়ানরা প্রথম প্রথম বুদ্ধকে রাম রাবণের মতো কাল্পনিক একটি চরিত্র বলে মনে করেছিলো। কিন্তু যখন গবেষণার পর চৈত্য খুঁড়ে বুদ্ধের হাড়গোড় আবিস্কার করলো একমাত্র তখনই তারা বিশ্বাস করতে বাধ্য হলো যে, গৌতম বুদ্ধ আসলেই আমাদের মতো একজন রক্ত মাংসের মানুষ ছিলেন। সুতরাং আপনার গাঁজাখোরি গল্পের খাদক পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। আপনার কথিত গৌতম গোত্রের যিনিই ‘বুদ্ধ’ বা ‘সদ্ধার্থ’ হোন তাতে বুদ্ধ ধর্মের সত্য-মিথ্যা কিছুই প্রমাণিত হয় না।
@মুক্তি চাকমা,
আমার যদি মনে হয় যে লোকটি যেই পুকুরের কথা বলছে তা আদতে নেই তবে আমি কেন যেই পুকুর বাস্তবে নেই তার জন্য এত কষ্ট করব?
@রনবীর সরকার, আপনার অপ্রাসঙ্গিক আলাপ বন্ধের দাবী জানাচ্ছি। অকাজের আলাপ করার কোনো যুক্তি যুক্ত কারণ দেখছি না। প্রশ্নের যুক্তি নির্ভর কোনো কারণ দেখছি না। তর্কের খাতিরে তর্ক করে নিজেকে অন্যের কাছে হাল্কা করবেন না। আশা করব, আমার পরামর্শ আপনি আমলে নিবেন। ধন্যবাদ @মুক্তি চাকমা, আমার মনে হয় এই সাব্জেক্টে এখানে থামা উচিত। আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
মিঃ রনবীর কিভাবে জানলেন পুকুরটি আদতে নেই?আপনি দেখতে গিয়েছেন?????আপনি কি জাদু পারেন?মন্ত্রবলে দেখলেন?যে ঐখানে না গিয়েও জানলেন পুকুরটি নেই।হাহা চমৎকার প্রশ্ন।
যারা নতুন পাঠক, বিশেষ করে বৌদ্ধ যারা , তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, এরকম লেখা দেখে ক্ষেপে যাবার কোনো দরকার নেই । গৌতম বুদ্ধ হলে এগুলোকে গণায় ধরতেন না, তার প্রচারিত মতবাদ এসবের অনেক উর্ধ্বে। লেখক ২০১২ সালে যা লিখেছেন, ২০২০ সালে কিংবা তারও পরে তার ধারণায় পরিবর্তন আসতে পারে, মতামত হালনাগাদ হতে পারে। আর না এলেও মাথা ব্যাথা করার দরকার নেই। উনার সৃজনশীলতার বিকাশ হবে, যেহেতু লিখতে হলেও পারছেন।
আমার মতামত হল,
এই লেখাটাকে হাসির খোরাক মনে করে নিরপেক্ষ গবেষণায় মন দেয়া উচিত।
যারা মাত্র গবেষণা শুরু করলেন তারা প্রাণিহত্যার প্রয়োজনীতা/ অপ্রয়োজনীতা, যৌক্তিকতা/অযৌক্তিকতা নিয়ে গবেষণা করতে পারেন, যত বুঝবেন, ততই ভালো। চর্চা চালিয়ে যান।
যারা গবেষণা কাজে অভিজ্ঞ, তারা এসব বিষয়ে মনোযোগ না দেয়াই স্বাভাবিক, আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পড়ে আছে
@মুক্তি চাকমা,
এখানে উত্তর দিতে চাইছিলাম না কিন্তু আপনার একগুয়েমি উত্তরে জবাব না দিয়ে পারলাম না।
এ বিষয়ে সূত্র দিন।আর আমি আমার কোন কমেন্টেই কোন তথ্যকেই প্রামান্য দাবী করিনি।তাই আমার বা কিছু লেখকের লেখাই ফ্যাক্ট এ ধরণের কথার কোন মূল্য নেই।আর বুদ্ধর দর্শন ভুল এ কথাতো বলি নি উনি পূর্বের কিছু দর্শন নতুন মোড়কে উপস্থাপন করেছেন তাই বলেছি।উনার তত্ত্বের সম্ভাব্য দূর্বলতাগুলি কি এড়িয়ে যাবার মত।কেউ আবার পাহাড়ে উঠে মজে যাওয়া পুকুর দেখেছেন যেমন নাগার্জুন।উনার প্রতি কিছু অভিযোগ উথ্থাপিত হয়েছে তার যৌক্তিক জবাবের বদলে যদি একঘেয়ে প্রেজুডিসস ভিউর অপবাদ শুনি তখন মন্তন্য নিস্প্রয়োজন।
যথার্থ প্রশ্ন।
এজন্যই সনাতন ধর্মে ঋষিরা বলেছেন, শুধু অকারণে হত্যা না করতে। যেকোনো বিষধর সাপ যে ক্ষতি করতে পারে, যে আপনার অধিকার কেড়ে নিতে চায়, আপনার গৃহের নারীদের ধর্ষনের ইচ্ছা রাখে, এবং হিংস্র ব্যাক্তি যারা মানবস সভ্যতার জন্য বিপদ,, তাদের হত্যার আদেশ আছে সনাতন ধর্মে।
এমনকি প্রাণীদের খাওয়ার অধিকার আছে তবে নিজেদের স্বাধ পুরণের জন্য নয়, শুধুমাত্র শরীরের জন্য যেটুকু খাওয়া দরকার সেটুকুই খেতে বলা আছে সনাতন ধর্মে।
আর অন্যন্যদের মতো মুসলিম/খ্রীস্টান হতে বলেনি বেদ শাস্ত্রে, এখানে বলেছে, মানুষ হও।।
এটাই সত্য।
একজন বৌদ্ধ নাস্তিক এবং মুক্তমনায় নাস্তিকের মধ্যে পার্থক্যটা কি?
@পাহাড়ি,
মুক্তমনায় নাস্তিক
সমালোচনা করতে হয়, তাই চলুন সমালোচনা করি। এনারা রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে দুনিয়ার এমন কেউ নেই যার সমালোচনা করেননি। এনাদের ছিদ্রান্বেষী দৃষ্টিতে সবাই imperfect.
তবে কথা হচ্ছে যদি সবাই imperfect হয় তবে উনাদের উচিত perfection এর একটা Standard তৈরি করা। তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে, before you start pointing fingers make sure your hands are clean.
@বিশ্বজিত দে, বাহ! ভালো বলেছেন তো! আমি এতদিন কোথায় ছিলাম? এই জ্ঞানদীপ্ত আলোচনা থেকে বঞ্চিত।
@সবুজ বডুয়া, 🙂
@সবুজ বডুয়া,
আচ্ছা এই “বড়ুয়া” র ঘটনা টা কি ভাই?। সব বুদ্ধ বা বৌদ্ধ নামের শেষে বড়ুয়া লেখে কেন?। এইটার শানে নজুল্টা যদি একটু দয়া কইরা কইতেন বাধিত হইতাম।
@সপ্তক, পড়ে নিবেন দয়া করেন। সুন্দর প্রশ্নের ও জানার ইচ্ছার জন্য ধন্যবাদ। (Y)
@সবুজ বডুয়া,
পড়ব। তবে পরে, ইংরেজি লিঙ্ক ত মাথায় চাপ পরে ভাই। বাংলা যদি করে দেন এখনি পড়ব।
ধন্যবাদ
বৌদ্ধধর্ম মানুষের সব মাংস খাই কোথায় দেখেছেন..?? কিছু মানুষের নিজেদের মত সব মাংস এটা হিন্দু হক ইসলাম হক বৌদ্ধ হক সব ধরনে মাংস খাই এমন কিছু আছে.. মশা মানুষের তৈরি করে বলে মানুষকে কামড় দেয়. অপরিষ্কার জয়াগায় মশা আছে এমন জয়াগায় আপনার বাবা কার সাথে কোন মেয়ে লাইন করতে গিয়ে ছিলো কি জন্য সেখানে কি জন্য মশা আছে এমন জয়াগায় যেতে হব ..??? সাপ তার নিজে জয়াগায় না থাকে অযথা কামড় দিতে কেন আসবে..???
তুমি যদি আমাকে কিছু না করো তাহলে আমি তোমাকে কিছু করবো কেনো.. তেমনই সাপকে কিছু না করলে সাপ কেনে মারবে
@বিশ্বজিত দে,
আপনি perfect একটা ব্লগ চালু করেন ‘আমি পারফেক্ট ‘ নামে । :hahahee:
@বিশ্বজিত দে,
কেন রবীন্দ্রনাথের সমালোচনা করা যাবে না কেন শুনি?
হ্যাঁ আসলেই তাই, দুনিয়াতে পারফেক্ট বলে কিছুই নেই।
কাজেই আপনার নিচের দাবী মানা সম্ভব না।
ভালোমন্দ মিলায়ে সকলি যে আমারে দেখিবারে পায় অসীম ক্ষমায় তারি তরে আপনারে দিতে চাই বলি। খুব ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে।
@পাহাড়ি,
স্রস্টা ছাড়া আর কেউ শত ভাগ নাস্তিক আছে বলে আমার জানা নেই!
অনেকদিন পর মন্তব্য করতে । উপরে অনেক জ্ঞানগর্ভ আলোচনা হয়েছে । সবাই নিজস্ব যুক্তিকে তুলে ধরতে চেয়েছেন, খুব ভালো নিঃসন্দেহে । বুদ্ধ তাই বলেছিলেন, “জগতে কেউ সমালোচনার উর্ধ্ব নন, কথা বেশি বলা লোককে যেমন সমালোচনা করা হয় তেমন কথা কম বলা লোককেও”। তার মানে দাঁড়ায় ব্যক্তি সমালোচনার অধীন । বুদ্ধ সব শিক্ষাই দিয়েছিলেন কনটেক্স নির্ভর হয়ে । প্রতিটি সূত্র [বাণীর] পিছনে একটা ঘটনা ছিল, তাৎপর্য ছিল, পটভুমি ছিল । বুদ্ধ ‘অনাত্মার’ কথা বললে ও অনেকসময় বলেছেন “আত্মা’ আছে । কিন্তু বুঝতে হবে কোন মুহূর্তে বুদ্ধ ‘আত্মা’ আছে বলেছিলেন ? যে ব্যক্তি ‘আত্মা’ ‘আনাত্মা’ কোনকিছু বুঝে না বুদ্ধ সেরকম এক ব্যক্তিকে প্রথমে ‘আত্মা’ নিয়ে বুঝাতেন । যখন দেখেন ব্যক্তিটি আত্মা কি বুঝতে পারছে, তখনিই আবার অনাত্মার কথা বলতেন । বুদ্ধ সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা কখনো তাচ্ছিল্য করেন নি । তাই বলেছিলেন, “কালেনা ধম্ম সবনং” [ যুগের সাথে ধম্ম শ্রবণ করতে হবে] ।
এটাই বাস্তব, বৌদ্ধ/অবৌদ্ধ বলে কথা না, বুদ্ধের শিক্ষাকে বিভিন্ন উদ্দেশ্য যতই আঘাত করার চেষ্টা করা হবে, ততই বৌদ্ধরা রাজনৈতিকভাবে কোনঠাসা হয়ে পড়বে [যদি দেশটি বৌদ্ধপ্রধান দেশ না হয়ে থাকে তাহলে কথাই নেই] । কারণ, অন্যসব ধর্মের সাথে রাজনৈতিক সম্পৃক্তা ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকলে ও বৌদ্ধধর্মে এর সম্পৃক্ততা নেই । শ্রীলংকায় ভিক্ষুদের এক রাজনৈতিক সংগঠন, জন্ম লাভ করে ২০০২-০৩ সালের দিকে । এরপর বৌদ্ধরা এসব ভিক্ষুদের সামাজিকভাবে বর্জন করতে থাকলে সেই ভিক্ষুদের রাজনৈতিক দল এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে ।
লেখকের উদ্দেশ্য বা কি ছিল গভীরভাবে চিন্তনীয় । লেখক ৩৪ নম্বর মন্তব্য কি বলতে চেয়েছিলেন লক্ষ্যনীয় একটা বিষয়ে আমি এখন মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছি যে এখানকার বৌদ্ধরা আসলে এন্টি হিন্দু-মুসলিম-খ্রিষ্টান।অন্য ধর্মগুলো নিয়ে যখন মুক্তমনায় লেখা প্রকাশিত হয় তখন তারা মজা পায় কিন্তু বৌদ্ধ ধর্ম নিয়ে কোন যৌক্তিক লেখা পড়লে তাদের মাথায় আগুন ওঠে!অন্য সময় তারা নাস্তিকের মত আচরন করে কিন্তু বৌদ্ধ ধর্ম নিয়ে লেখা পড়ার সময় তারা বুদ্ধিস্ট হয়ে যায়!শুরু করে দেয় ব্যক্তি আক্রমণ!অন্ধ ধার্মিকদের(তথাকথিত!!) মত যাদের আমরা ছাগু বলি । আশাকরি সকলেই গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিবেন ।
বৌদ্ধদের যুদ্ধাংদেহি যে মনোভাবের প্রশ্ন তোলা হয়েছে তাও কতটা সঠিক ভাবনার বিষয় । মানুষের মজ্জাজাত বৈশিষ্ট্য বেশি লোভ করা, আর আঘাতপ্রাপ্ত হলে তো আর কথাই নেই । বুদ্ধ যুদ্ধকে প্রশ্রয় দিয়েছেন এমন উপদেশ/বাণী কোথাও কি আছে ?
এনিওয়ে, আমি বৌদ্ধ ধর্মকে সর্বসেরা/সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠিত করতে নয় বরং লেখকের মতাদর্শের প্রশ্নে ।
আমি;
— ঈশ্বরকে বিশ্বাস করি না
— কাউকে পূঁজা করলে যে আশির্বাদ/ভালো ফল পাওয়া যাবে তাও বিশ্বাস করি না
— প্রাণীহত্যা বিষয়ক প্রশ্নগুলো শুধু বুদ্ধ বলেছেন বলে নয় যা কমনসেন্স অফ হিউমিনিটির ব্যাপার
— কর্মফলের বিশ্বাসী [মানে বর্তমান কার্যকলাপের উপর আমার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে]
এখন আমাকে যদি একজন বৌদ্ধ বলেন, তাহলেই আমি বৌদ্ধ ।
@জয়,
আসলে কি জানেন? বুদ্ধ যে নির্বাণ লাভের কথা বলেছেন ওটাই একটা প্রতারনা। নির্বাণ আবার কি? মুক্তিলাভ?, ঈশ্বরের সাথে মিলে যাওয়া?, নিজে ঈশ্বর হয়ে যাওয়া?… অথবা সকল প্রকার দুঃখ কস্ট থেকে মুক্তি ?। এসবই ভুয়া কথা। পৃথিবীর কষ্টের সাথে যুদ্ধ করাই মানুষের কর্ম। কষ্ট থেকে পলায়ন নয়। প্রতিদিনের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে কষ্টকে জয় করার চেষ্টাই মানুষের ধর্ম । বনে গিয়ে নির্বাণ লাভের নামে ধান্দা বাজি নয় অথবা বাস্তবতা থেকে পলায়ন নয়।
@সপ্তক,
অল্প বিদ্যায় মুক্তমনা। বুদ্ধ কোন যায়গায় বলেছেন কস্ট থেকে পালানোর কথা?? তিনি কিভাবে কষ্টকে অতিক্রম করা যায় সেই পথের সন্ধান দিয়েছেন। বলেছেন desire কে নিয়ন্ত্রনে রাখতে। রাস্তার পাঁড় মাতাল কে দেখলে বোঝা যায় কেন Desire control এ রাখা উচিত।
😀 😀
আপনার জ্ঞান দেখিয়া মুগ্ধ হইলাম। যে ধর্মে বলা হয়েছে Self নাই সেখানে নির্বাণ বলতে আপনি বোঝেন ঈশ্বরের সাথে মিলে যাওয়া!!!!!!!
হিন্দু উপনিষদের Monism ==/== Selfless Buddhism
এইপর্যন্ত যা দেখলাম তার সারমর্ম হল “”যেহেতু আমরা নিজেদেরকে মুক্তমনা দাবি করি সেহুতু আমাদের সব ধর্মের সমালোচনা না করলে ষোলকলা পূর্ণ হয় না, আর বুদ্ধ ধর্মটা যখন বাকি আছে তখন এটাকে অন্যান্য রক্তক্ষয়ী ধর্মগুলোর সাথে Equate করে কিছু Cheap Stunt দেই “”
@বিশ্বজিত দে,
অনেকগুলোর সত্যের মধ্যে আরো একটি অন্তর্নিহিত সত্য কথা প্রকাশ করবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সহমত। (Y) (F)
@সবুজ বডুয়া,
ধন্যবাদ।
@বিশ্বজিত দে,
আপনি কি বলতে চাচ্ছেন Monism আর selfless Buddhism একই জিনিস?
@রনবীর সরকার,
না, Monoism আর Buddhism এক নয়। মুক্তিলাভ, ঈশ্বরের সাথে মিলে যাওয়া, নিজে ঈশ্বর হয়ে যাওয়া এসব concept একমাত্র Self থাকলে সম্ভব (উপনিষদ অনুসারে)।
@বিশ্বজিত দে,
বুদ্ধ যে নির্বাণ লাভের আশায় প্রথম দফায় না খেয়ে মরতে বসেছিলেন তা জানেন না?। কষ্ট থেকে পালানর কথা বলেন নাই কস্টকে অতিক্রম করতে বলেছেন, তাই?। এজন্য বেটা বুদ্ধ ঘরে জোয়ান বউ রেখে বনবাসে গেছিলেন?। বউ এর সাথে ঘুমানও তাইলে কষ্ট? । রাস্তার ধারে পাঁড় মাতাল কে বুদ্ধ নিয়ন্ত্রণ করছিলেন নাকি?, নিয়ন্ত্রনের কথা বলেন , নিজেকে নিয়ন্ত্রন করেন্,যে বউ এর সাথে ঘুমাতে চায় তাঁর পিছনে লাগেন কেন?। বিশ্বের সব সভ্য দেশেই মাতাল হওয়া ঘৃণার চোখে দেখা হয়, মদ খাওয়া নয়। Desire controll এর জন্য বনে গিয়া মাতাল হইতে হয় না। অল্প বিদ্যা তাই না?, অল্পবিদ্যার মানুসদের লগে কথা কইতে আসেন মুক্তমনায় মিয়া লজ্জা করে না?। ফাইজলামি করার ইচ্ছা থাকলে অন্য ব্লগে যান। (I)
@সপ্তক,
বিষয়টা কি কন্ট্রাডিক্টরি হল না?
মদ খাব কিন্তু মাতাল হব না। তাইলে মদ খেয়ে লাভ কি হল? এটাতো এমন স্বাদের কিছু নয় আর এমন কিছু পুষ্টিকর তরলও নয়। স্রেফ মাতাল হবার জন্যই কি মদ খাওয়া হয় না?
@রনবীর সরকার,
না ভাই মাতাল হবার জন্য মানুষ মদ খায় না। মাতাল না হয়েও মদের আবেশ নেয়া যায়। এর জন্য আপনাকে একটু কষ্ট করে এক পেগ খেতে হবে। আর বেশী জানবার জন্য কিছুদিন আগে মদের ওপর গবেসনামুল্কক একটি পোস্ট ছিল দেখে নিতে পারেন। পরিমিত মদ সাস্থের জন্য ভাল , ওষুধেও পরিমিত এলকোহল থাকে।
@সপ্তক,
আসলে ভাই এটা ব্যক্তিনির্ভর। আমি অনেককে দেখেছি অনেক মদ খেয়েও অনেকে মাতাল হয় না। আবার সামান্য একটু মদও অনেকের উপর প্রভাব ফেলে। আর যখন লোকে মদ খায় তখন মদের আবেশ নেবার জন্য কেউ এক পেগ খায় না।
@রনবীর সরকার,
মদ খাওয়ার বহু কারণ আছে, তার স্বাদ সহ। এমনকি ‘মাতাল‘ হওয়ার প্রকারভেদ ও অনুভূতি এত বিভিন্ন রকমের যে সবগুলিকে এক কাতারে ফেলা চলে না।
@বিশ্বজিত দে,
কিন্তু তিনি নিজে পালিয়েছেন।সংসার ছেড়ে পালিয়েছিলেন।আচ্ছা উনার বউ বাচ্চা যদি রাজপরিবারের না হত তবে তারা যে না খেয়ে মরত এই কথা উনার মাথায় ছিল না?এটা তো চূড়ান্ত স্বার্থপরতা। যে মানুষ নিজে নিজে কষ্ট জয় করার নামে বউ বাচ্চার ভরনপোষণের দায়ভার ফেলে গিয়ে বাড়ী ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারে আমার তো মনে হয় তার কথায় কান দেয়া তো দুরের কথা তাকে জুতাপেটা করা দরকার।
ঠিক বিয়ে করে ২দিন ফুর্তি করে তারপর চলে যাও জঙ্গলে,সেখানে গিয়ে কষ্টও অতিক্রম কর। আর এদিকে যার সাথে ফুর্তি করে গেলে তার পেটে যে তোমার বাচ্চা আসল সে খেলো নাকি না খেয়ে মরলো কিছুই যায় আসেনা। এসব দুনিয়াদারীর চিন্তা তাই না?কাজেই এতে আর যাই হোক নিজের তো আখেরাত নষ্ট করা চলে না।
কাজেই পুরুষাঙ্গ খাড়া হলে চেয়ে কষ্ট অতিক্রম করার পথটি হল যোনীপথ, আর পুরুষাঙ্গ নেমে গেলেই তখন লাথি মেরে সরিয়ে দেয়াটাই হল পরবর্তী পথ( কষ্ট মুক্তির)।
সত্যি বৌদ্ধ ধর্ম কে অন্য ধর্মের থেকে বেশি পছন্দ করতাম অজ্ঞতা বশত।কিন্তু এই লেখাটাকে ঘিরে জমে ওঠা বিতর্ক চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো যে সবাই আসলে লেজ কাটা শেয়াল।
ঠিক বলেছেন।অল্প বিদ্যাটা আসলেই ভয়ংকর কারন আপনাদের মত বেশি বিদ্বানদের লুঙ্গি আর ধুতি খোলার কাজটা এই সব অল্প বিদ্যাধারী মুক্ত মনারাই করে থাকে।
@সপ্তক,
আপনার মতামত এবং প্রশ্নের প্রতি পূর্ণশ্রদ্ধা রেখে সকালে বিরাট এক মন্তব্য লিখেছিলাম, দূর্ভাগ্যবঃশত যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে নাকি সিস্টেম ভুলের কারণে মুছে গিয়েছিল জানি না । মুছে গেছে দেখে কষ্ট পেয়েছি; তাই তৎক্ষণের বুদ্ধের ‘নিবার্ণ’ ও অনুভব করেছি 😀 । তারপর ও আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে আমার আন্তরিকতার কমতি নেই । তবে সমালোচনার সময় খেয়াল রাখা প্রয়োজন আমরা কনটেক্স নির্ভর হয়ে যুক্তি খন্ডন করছি কিনা ? আপনার মন্তব্য পড়তে গিয়ে বুঝলাম আপনি ও কর্মের বিশ্বাসী একজন; মানে বৌদ্ধ :-s ? কেননা বুদ্ধের সময়ে ৬ জন বিশিষ্ট শিক্ষক ছিলেন যাদের অনেকেই কর্মের ভালো/মন্দের ধারণা/বিশ্বাস রাখতেন না, বুদ্ধ তাদেরকে নাস্তিক বলেছেন । নাস্তিকতা অর্থে বর্তমানে যদি ঈশ্বরবিশ্বাস নির্ভর যুক্তি হয়, সেপ্রেক্ষিতে বুদ্ধ ও নাস্তিক ? কিন্তু বুদ্ধের মধ্যেপন্থা কতটা নাস্তিকতা এবং আস্তিকতা নির্ভর জানার জন্য নিচে বুদ্ধের সমসাময়িক ৬ জন শিক্ষকের নাম এবং আদর্শ তুলে ধরলাম । ৬ জনের মধ্যে আপনি কার আদর্শকে বেশি যৌক্তিক মনে করেন বললেন আমি আপনার সাথে আলোচনা করতে পারি ।
PuraNakassapa
The main concept of his philosophy is the non-efficacy (åkiriyavAda) of action. He rejects the judgment of human actions in terms of good and bad. According to him there are no different actions called good and bad actions, they are only mere actions. They don’t produce relevant results as good and bad, therefore refraining from some action or performing some action as recommended by religions does not serve any special purpose. Human beings are free and autonomous to act at their will; limitations for encouragement of any particular form of actions have not any special use.
Makkhaligosala
The main theory of this teacher was determinism. Determinism means the theory that hold the idea that everything in the universe including everything related to human life is pre-determined, previously decided or already planned. Therefore, whatever newly thought planned or arranged actions do not bear valid results. Because of these concepts on human capacity his teaching is also a form of non-efficacy of action. His theory is also called the theory of causelessness (ahetukavAda), the theory of natural purity (saMsArasuddhivAda).
Ajitakesakambala
This teacher presented a fanatic form of materialism similar to CArvaka philosophy. Buddhism recognizes him as a materialist (BhautikavAdi), nihilist (ücchedavAdi) and an exponent of non-efficacy of kamma (åkiriyavAdi).
Ajitakesakambala held ten wrong views regarding the life being.
1. ñatthi (mahArAja) dinnaM – There is no meaning of charity
2. ñatthi yiTThaM – There is no meaning of sacrifice
3. ñatthi hutaM – There is no meaning of fire sacrifice
4. ñatthi sukaTa dukkatAnaM kammAnaM phalaM vipAko – There is no result of good and bad deeds
5. ñatthi ayaM loko – There is no this world
6. ñatthi paro loko – There is no the other world
7. ñatthi mAtA – There is no mother
8. ñatthi pitA – There is no father
9. ñatthi opapAtikA sattA – There are no spontaneous beings
10. ñatthi loke samanabrAhmaNa sammaggatA, sammA paTipannA, ye imaJca lokaM paraJca lokaM sayaM abhiJJA sacchikatvA pavedenti – There are no in the world a recluse or a Brahmin who is well born, practiced well and who properly says having realized this world and the other worlds by himself.
Pakudhakaccayana
This thinker too is a materialist, nihilist and an exponent of non-efficacy of kamma. He is also called ßattakAyavAdi (the theorist of seven elements). He preached that beings are made of seven elements. The seven elements are:
1. PaThavi – solidity
2. Āpo – liquidity
3. Tejo – temperature
4. VAyo – motion
5. ßukha – happiness
6. ∂ukkha – suffering
7. JIva – life principle
According to him, all these are seen in different forms of material phenomena. They are all powerful causes of reality.
According to him, the everlasting and unchanging characteristics of seven great elements have been explained by him with the following terminology. The seven elements are not created (akaTA), not caused to create (akaTavidhA), not heavenly created (animmitA), not created otherwise (animmitA, barren (vaJjhA), stubborn (kūtaTThA) and solid (esikaTThAyiTThitA). Then he explains the interrelationship among seven elements. They don’t move (na iJjanti), they don’t evolve (na vipariNAmenti), they don’t disturb each other (na aJJamaJJaM vyAbAdhenti) and they are not suitable for the happiness or the suffering of each other (nAlaM aJJamaJJassa sukhAya dukkhAya vA sukhadukkhAya vA). The characteristic as given by him show that the seven elements are independently existing group of reality.
Sañjayabellattiputta
This teacher is known as agnostic (ajJevAdI) and skeptic (saMsayavAdI) for he declares that the reality cannot be expressed definitely. In Pāli sources, he is called åmaravikkhepavAdI (eel-wriggler) for he does not answer any philosophical questions directly. Whenever a philosophical question is put to him, he says the truth cannot be expressed clearly and therefore no answer could be given.
The BrAhmajalasutta of DN enumerates four kinds of åmaravikkhepavAdIns.
1. µusAvAdabhayA musAvAda parijegucchA – This category includes those teachers who do not give answers clearly for they are fear of falsehood and because that they reject falsehood. They consider that if somebody says something without knowing it properly that is not a thing to be done. If somebody desires or becomes indulging in such a view that can cause serious harm to him who indulge in. Therefore, they don’t give any clear conclusion to metaphysical propositions.
2. UpAdAnabhayA upAdAna parijegucchA – Those who belong to this category do not give any conclusions and hence they reject to express the truth for they are fearing and grasping to views. They fear and reject giving any conclusions to others of their philosophical views.
3. ånuyogabhayA anuyoga parijegucchA – The skeptics in this group do not answer properly the philosophical propositions for they are afraid of questioning by others that they think the more answer they give the more they question. They have the fear that if they express a view other might question about it seriously and therefore they do not want to say more whoever discussed about deep points of existence.
4. µandA momUhattA – Those thinkers in this group don’t answer the philosophical propositions for they are ignorant and do not know the matter what he was asked.
Out of these four groups above three do so because of some good reasons. They don’t want to disturb others by telling them things, which they don’t know clearly. On the other hand, some of them consider about ethics like saying that they don’t talk because they fear or reject falsehood.
In this method of responding, there is a method of ways of rejecting a view (paJca nisedhana). When a certain proposition is questioned the skeptics will reject it in the following five ways. ßaJjayabelattiputta too followed these methods.
1. Evan’ti’pi me no – I have no idea that this is like this.
2. †athA’pi me no – I have no idea that this is like that.
3. åJJathA’ti’pi me no – I have no idea that this is otherwise.
4. No’ti’pi me no – I don’t say it is not.
5. No no’ti’pi me no – I don’t say that it is not, not so.
Nighantanathaputta
This teacher is the founder of Jainism; he is also called by other two names JainamahāvIra and VardhamānamahāvIra. Before his enlightenment named he practiced austerities for twelve years from his attainment to perfect-ness (kevalatva) he preached the doctrine for forty-two years. The austerity of self-mortification is recommended as its practice like in Buddhism the middle path is. Among the Indian contemporary religions of the Buddha, Jainism was the major religion to recommend self-mortification as the path of purity; he also preached the theory of extreme non-violence (paramAvihiMsavAda). According to him everything on earth has life, earth, water, wind, mountains all these things are full of lives so he instructed his followers not to harm any of these things for their lives could be disturbed, he recommended to strain water before drinking, close the mouth with hand when speaking, wipe the road before walking to avoid killing any living thing.
1. Parama avihiMsavAda – The theory of extreme non-violence
2. KammavAda – The theory of efficacy of action including PubbekatahetuvAda (the theory that say everything depends on past deeds)
3. ßyAdvAda – The Jainist theory of logic
4. ĀtmavAda – The theory of soul
5. ßattAvAda – The theory of reality
@জয়,
“৬ জনের মধ্যে আপনি কার আদর্শকে বেশি যৌক্তিক মনে করেন বললেন আমি আপনার সাথে আলোচনা করতে পারি ।’
প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, আমি এক যুগের মত ইংরেজি ভাসাভাসি দেশে বাস করলেও মুক্তমনায় ক্লিক করি বাংলায় পড়ার জন্য। অনেক কষ্টে বাংলা টাইপ শিখেছি। এখানে রাস্তার মোড়ে মোড়ে লাইব্রেরী, ইয়ে মানে ইংরেজিতে পড়তে গেলে আমার মাথায় একটু চাপ বেশী পড়ে। দয়া করে আপনার কাট আন্ড পেস্ট করা বর্ণনার বাংলা অনুবাদ করে দিলে আমি পড়ব এবং তখন না হয় তর্কে লিপ্ত হব ভাইয়া। ধন্যবাদ ।
পুনশ্চঃ আমার প্রথম কমেন্ট ছিল মুক্তমনায় ইংরেজিতে। ছাপায় নাই। মুক্তমনাকে ধন্যবাদ সেজন্য, আমি বাংলা টাইপ শিখছি। :rotfl:
দুঃখিত সপ্তক বাবু আপনি বুদ্ধকে প্রতারক বলে তিরস্কার করাতা বোধয় উচিৎ হয়নি।আমার কথা বিরোধ হিসেবে নিবেন না আশা করি…..আপনি এসব কথা কিভাবে বললেন এটাই আমার প্রশ্ন।কোনো কিছু প্রেক্টিকেলি না জেনে।বুদ্ধ বলেছেন এসো, দেখ, ভাল লাগলে গ্রহণ কর আর না লাগলে কর না।আপনি তো বুদ্ধের ইতিহাস পরেছেন মাত্র তা নিয়ে কত কথা।চর্চা করে দেখুন আরো খারাপ মন্তব্য মন থেকে বেরিয়ে আসবে।কেননা বোদ্ধ ধর্ম জ্ঞানীর ধর্ম।বুঝতে হয় এবং চর্চা করতে হয়।এগুলো ছাড়া যদি বইয়ে পড়ে পড়ে দেখেন তাহলে বুদ্ধকে আপনার লাতি মারতে ইচ্ছা করবে।কেননা আপনি যে মাছ,মাংস নিয়ে নিত্যদিন আহার না করলেই পেতে ভাত যায় না সেই মাছ বা মাংসা তথা সকল প্রানীকে মারা বা খাওয়া নিষেদ করেছেন বুদ্ধ।কেন নিষেধ করেছেন চর্চা করে দেখুন এই ধর্ম। তা না হলে বুঝতে পারবেন না।পাচটি নীতির মধ্যে এটি চর্চা করে দেখুন।আপনার কেমন পরিবর্তন আসে।আপাতত নির্বানের কথা বাদ দিন।নির্বাণ বুঝতে হলে নাকি ধ্যান সাধনা করতে হয় আর ২২৭ টি নীতি পালন করতে হয়।তাহলে আপনি আগে একটি নীতি পালন করে দেখুন প্রানী হত্যা না করা।দেখুন কি পরিবর্তন আসে আপনার দেহে আর মনে।এখন ২২৭ আর নির্বানের কথা দূরে রাখুন।আগে এতে সফল হয়ে দেখুন।পারেন কিনা।ধন্যবাদ
বিবিসি ভন্ড নাকি এই পোলাটা ভন্ড :lotpot: :lotpot:
httpv://paldendorje.com/en/index.php
@ডেথনাইট, আপনি আজগুবি তথ্য কোথায় পান? সম্রাট অশোক মহাযান প্রবর্তন করেছিলেন এই প্রথম জানলাম। এর আগে দৈববাণীর গল্প শুনিয়েছেন। সত্যি কথা হলো, Prejudiced view নিয়ে বুদ্ধ ধর্মের আলোচনা করলে কারও লাভ হবে না। মুক্তমন নিয়ে আলোচনা করুন। বুদ্ধের তত্ত্বগুলোর সমালোচনা করুন, ভুল থাকলে ধরিয়ে দিন। এতে বেঁচে থাকলে স্বয়ং বুদ্ধই খুশী হতেন, কারণ তিনি তার ধর্মকে যুক্তি ও অভিজ্ঞতা দিয়ে পরখ করতে বলেছিলেন। আর যদি পারেন বুদ্ধ ধর্মের সার কথা চারি আর্য সত্য ও আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গকে ভুল প্রমাণিত করুন। অবিদ্যা ও তৃষ্ণাই দুঃখের কারণ এই তত্ত্বকে ভুল প্রমাণ করুন। প্রতীত্যসমুদপাদ নীতিকে ভুল প্রমাণিত করুন। তারপর দুঃখ মুক্তির নতুন পথ দেখান। তাহলে আমরা সবাই উপকৃত হই। কারণ সবাই দুঃখ থেকে মুক্তি চায়। সবাই সুখ পেতে চায়।
সেরা মিষ্টির কথাটা বেশ কয়েকবার বললেন। সবাই যদি দাবী করে তার মিষ্টি সেরা মিষ্টি, তাহলে আপনার কাজ কী হওয়া উচিত? আপনার কি উচিত নয় পরখ করে, খেয়ে দেখে সব মিষ্টির মধ্য থেকে সবচেয়ে ভালোটি বেছে নেয়া? (অবশ্য যদি মিষ্টি কেনা আপনার উদ্দেশ্য হয়ে থাকে। তবে বুদ্ধ-মিষ্টি এত সস্তা না, যথেষ্ট শ্রদ্ধা-সম্পদ [অন্ধ-ভক্তি নয়] যুক্তি-সম্পদ ও অভিজ্ঞতা-সম্পদ দিয়ে এই মিষ্টি পেতে হয়। অন্ধ বিশ্বাস দিয়েও এটা পাওয়া যায় না। কারণ অন্ধ বিশ্বাস বুদ্ধ ধর্মে অচল মুদ্রা।)। আর যদি কারো মিষ্টি সেরা না হয়, তাহলে আপনি নিজে সেরা মিষ্টিটা সৃষ্টি করেন না কেন? যে সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করে ও যে বিশ্বাস করে না, তাদের জীবন দর্শন কি এক? তাদের জীবন দর্শন কি দুই মেরুর নয়? তাই কে কি দর্শন বিশ্বাস করে সেই দিক থেকে বিচার করলে যেমন সব মানুষ এক বললে যে সরলীকরণ হয়, সব ধর্ম এক বললেও সেই সরলীকরণ হয়।
@মুক্তি চাকমা,
নাগার্জুনের “মাধ্যমিক কারিক” পড়ুন সেখানে বুদ্ধর তত্ত্বের সুন্দর ব্যাখ্যা আছে তার ভুল সহ।
ঠিক বলেছেন “মহাযান” বুদ্ধও নয় কিংবা অশোকও নয় আমিই আবিস্কার করেছি কি বলেন। 😛
@ডেথনাইট, লেখাটা মডুরা ঠিক করবেন আশা করি।
@ডেথনাইট, ভাই নাগার্জুনের মাধ্যমিক কারিক নয়, শূন্যতা পড়ুন ভাই । আর মাধ্যমিক কারিক বলতে আলতোভাবে পড়লে তো বুঝতে পারবেন না ভাই । আমি নিজেই অবাক এখন আপনি ভুল তথ্য দিয়ে কিভাবে যুক্তিখন্ডন করছেন ? আপনার চেলেন্সের অপেক্ষায় রইলাম ।
@অমিত হিল,
এখানে চ্যালেন্জের কিছু নেই।
Rebirth without a self
One of the key elements in Buddhism is the denial of a self (atman). The illusion of an existing self is generated by a mere heap of five aggregates (skandha), which suffer from constant becoming and have a functional cause-effect relationship. Human existence is characterized by impermanence (anitya), a constant process of transformation devoid of any abiding principle. But if there is no self, what reincarnates from one existence to another? Buddha stated that only karma passes from one life to the next, determining a new configuration of the five aggregates in a new existence. Therefore samsara works without the need of a self, relying only on a causal chain of determination.
However, such a view of rebirth raises potential problems. Some passages in Buddhist scriptures seem to indicate the continuity of personal existence, or at least of an impersonal self, in the rebirth process. For instance it is stated that the dead will be judged by Yama, the god of death, and afterwards sent into hell and tormented for their sins (Khuddaka-nikaya 10,1,59). There are also many verses in the Dhammapada that suggest personal post-mortem existence:
Some people are born again; evil-doers go to hell; righteous people go to heaven; those who are free from all worldly desires attain Nirvana (Dhammapada 9,126; see also 10,140; 22,306-311).
On the other hand, if there is no self, on what basis could the Buddha have said, “This is my last birth, I will have no further existence” (Majjhima-nikaya 3)? Whose last birth is it, if there is no self to be reborn? There are also the texts in Khuddaka-nikaya 10 and the Jataka tales, referring to the previous lives of Buddha and his friends, in which each one’s identity is always known. Also, the very existence of the supernatural power of recollecting past lives attained in concentration (Digha Nikaya 12) suggests that a certain core of personal identity must exist and be reincarnated from one life to the next. The text in the Digha Nikaya says:
He recollects his manifold past lives, i.e., one birth, two births, three births, four, five, ten, twenty, thirty, forty, fifty, one hundred, one thousand, one hundred thousand, many aeons of cosmic contraction, many aeons of cosmic expansion, many aeons of cosmic contraction and expansion, [recollecting], ‘There I had such a name, belonged to such a clan, had such an appearance. Such was my food, such my experience of pleasure & pain, such the end of my life. Passing away from that state, I re-arose there. There too I had such a name, belonged to such a clan, had such an appearance. Such was my food, such my experience of pleasure & pain, such the end of my life. Passing away from that state, I re-arose here.’ Thus he recollects his manifold past lives in their modes and details.
The liberation of no self
The Buddhist term for liberation (nirvana) derives from the verbal root va (lit. “to blow”) and the negation nir; hence the best picture to illustrate it is the blowing out of a candle. Once someone attains nirvana, the five aggregates are scattered forever at death without entering a new combination. This corresponds to a total extinction of any ontological element that could define human existence. The scriptures state:
When a man is free from all sense pleasures and depends on nothingness he is free in the supreme freedom from perception. He will stay there and not return again. It is like a flame struck by a sudden gust of wind. In a flash it has gone out and nothing more can be known about it. It is the same with a wise man freed from mental existence: in a flash he has gone out and nothing more can be known about him. When a person has gone out, then there is nothing by which you can measure him. That by which he can be talked about is no longer there for him; you cannot say that he does not exist. When all ways of being, all phenomena are removed, then all ways of description have also been removed (Sutta Nipata 1072-76).
Therefore, nirvana is not just the cessation of hatred, birth, old age, death, sorrow, lamentation, misery, grief, despair, etc. It is not just the cooling off and extinguishing of these things, and as
@ডেথনাইট, Therefore, nirvana is not just the cessation of hatred, birth, old age, death, sorrow, lamentation, misery, grief, despair, etc. It is not just the cooling off and extinguishing of these things, and as a result, the ultimate peace one experiences when all conflicts are gone, but rather the extinction of any element that could define human existence. Unfortunately, nirvana also implies the extinction of the agent who experiences “hatred, birth, old age, death, sorrow, lamentation, misery, grief, despair, etc.”
From a Buddhist point of view, this perspective isn’t horrifying at all, because it represents the cessation of an illusion. When human existence is blown out, nothing real disappears because life itself is an illusion. Nirvana is neither a re-absorption into an eternal Ultimate Reality, nor the annihilation of a self, because there is no self to annihilate. It is rather an annihilation of the illusion of an existing self. Nirvana is a state of supreme bliss and freedom without any subject left to experience it.
The boddhisattvas and grace
Instead of seeking nirvana just for oneself and becoming an arhat, as Theravada Buddhism demands, the disciple of Mahayana Buddhism aims to become a bodhisattva, a being that postpones his or her own entrance into parinirvana (final extinction) in order to help other humans also attain it. However, we meet here a contradiction between one’s karma and the grace that can be provided by a bodhisattva. For instance, according to the Tibetan Book of the Dead, although the bodhisattvas offer their help after death in order that one may attain a better new birth or even final liberation, it is said that the deceased is unable to accept it because of the projection of his or her bad karma and the attraction of “samsaric impurities,” which make him or her fall deeper and deeper into the intermediary state (bardo). For this reason it is wrong to think that the bodhisattvas save the dead through their grace, as only the merits one has accumulated during lifetime make him or her able to accept the “rays of grace.” Therefore, it is either karma that rules one’s existence and journey toward liberation, or the grace of the bodhisattvas. The two elements are hard to reconcile.
@ডেথনাইট,
আপনাকে আমি চ্যালেঞ্জ করেছি কারণ আপনি মূলসোর্স না দিয়ে কোথায় কে কি লিখেছে তা নিয়ে যুক্তি দিচ্ছিলেন । তাছাড়া আপনার মহাযান এবং থেরবাদী উত্তানের যে সময়টাকে ভুলভাবে উদ্ধৃতি দিয়েছিলেন । এসবই কারণে । নিচে নাগার্জুনের মাধ্যমিক কারিক পড়েন এবং পারলে বুঝিয়ে দেন এত জটিল দর্শনকে আপনি এত সহজভাবে বুঝলেন কিভাবে ?
NAGARJUNA
(2nd Century AD)
THE FUNDAMENTALS OF THE MIDDLE WAY
(Mulamadhyamaka-Karika)1
Chapter 1: Causality
1. Nothing whatever arises. Not from itself, not from another, not from both itself and another, and not without a cause.
2. There are just four conditions of the existence of anything: efficient cause, supporting condition, precipitating condition, and dominant condition. There is no fifth condition.
3. Among the four conditions of the existence of a thing, there is found no substantial essence [svabhava = self-nature] of the thing. If things have no substantial essences, then there can be no real relations between different things.
4. There are no causes with conditions; there are no causes without conditions. There are no conditions without causes; there are no conditions with causes.
5. Things arise from conditions, but if there is no arising, aren’t conditions not conditions?
6. There are no conditions of existing things, nor are there conditions of that which does not exist. How can the non-existent have a condition? If something exists, does it need a condition?
7. If there are no existents, nor non-existents, nor existent non-existents, how can there be any causes? If there were a cause, what would it cause?
8. If there are events (for example, mental states) without supporting conditions, why should we speak of supporting conditions at all?
9. If things do not begin to exist, then they cannot cease to exist. If things do not begin to exist, how can they have precipitating conditions? If something has ceased to exist, how can it be a condition or cause of anything else?
10. If things have no substantial essences, then they have no real existence; and, in that case, the statement, “This is the cause or condition of that,” is meaningless.
11. An effect cannot be found in a single cause or condition, nor can an effect be found in all causes and conditions together. How can something not found in causes and conditions arise from them?
12. If an effect arises from causes or conditions in which it does not pre-exist, then couldn’t it arise from no causes or conditions at all?
13. If an effect is created by its conditions, but the conditions are not self-created, how could the effect ever come to be?
14. Therefore, effects cannot arise from causes or conditions, nor can they arise from non-causes or non-conditions. If there are no effects whatsoever, how can there be any causes or conditions (or, for that matter, any non-causes or non-conditions)?
Chapter 18: Self and Reality
1. If the self were the empirical personality [ego], then it would arise and dissolve. If it were different from the empirical personality, then it would neither arise nor dissolve.
2. No self: no properties of self. No self: no “I” or “mine.”
3. No “I” or “mine,” no separate existence. No “I” or “mine,” no belief in essential differences.
4. No “I” or “mine,” neither internally nor externally — clinging ceases. No clinging, no rebirth.
5. When clinging and misery cease, there is Nirvana. Clinging and misery arise from false consciousness, from delusion. Delusion ceases when emptiness (shunyata) is realized.
6. Some teach self (atman). Some teach no-self (anatman). The buddhas teach neither self nor no-self.
7. What language describes is non-existent. What thought describes is non-existent. Things neither arise nor dissolve, just as in Nirvana.
8. The world is real. The world is not real. The world is both real and not real. The world is neither real nor not real. None of these is true, according to the teaching of the Buddha.
9. Not dependent. Quiescent. Not a product of false consciousness. Not a mental construct at all. Without distinctions. No purpose. This is the nature of ultimate reality.
10. Something whose arising depends on another is neither identical to nor different from the other. Therefore, it is neither non-existent nor eternal . . . .
Chapter 25: Nirvana
1. If all is empty [of essence], then there is no [real] arising and no [real] dissolving. Through what dissolving can Nirvana arise?
2. If all is non-empty [of essence], then there is no [real] arising and no [real] dissolving. Through what dissolving can Nirvana arise?
3. Not abandoned. Not attained. Not annihilated. Not permanent. Not arisen. Not dissolved. This is Nirvana.
4. If Nirvana were [phenomenally] existent, it would then be subject to aging and death. Whatever is [phenomenally] existent ages and dies.
5. If Nirvana were [phenomenally] existent, it would be compounded. Whatever is [phenomenally] existent is compounded.
6. If Nirvana were [phenomenally] existent, it would be dependent. Whatever is [phenomenally] existent is dependent.
7. If Nirvana is not [phenomenally] existent, does that mean that it is a non-being? If Nirvana is not
[phenomenally]existent, it is not necessarily a non-being.
8. If Nirvana were a non-being, how could it be non-dependent? Whatever is non-dependent is not a non-being.
9. That which comes and goes is dependent and changing. But Nirvana is not dependent and changing.
10. The Buddha has negated both becoming and dissolving. Therefore, it seems that Nirvana is neither [phenomenally] existent nor a non-being.
11. If Nirvana were both a [phenomenal] existent and a non-being, liberation would both happen and not happen. But that is impossible [because it is contradictory].
12. If Nirvana were both a [phenomenal] existent and a non-being, Nirvana would not be non-dependent since both existing phenomena and non-beings are dependent [on whatever causes them].
13. How could Nirvana be both a [phenomenal] existent and a non-being? Nirvana is uncaused. Both existing phenomena and non-beings are caused.
14. How could Nirvana be both a [phenomenal] existent and a non-being? These two cannot occupy the same location. They are like light and darkness.
15. Nirvana is neither a [phenomenal] existent nor a non-being. If only we could understand this!
16. If Nirvana is neither a [phenomenal] existent nor a non-being, who is in a position to say so?
17. Having entered Nirvana, the Buddha does not exist, nor does he not-exist, nor does he both exist and non-exist, nor does he neither exist nor not-exist.
18. During his lifetime, the Buddha did not exist, nor did he not-exist, nor did he both exist and not-exist, nor did he neither exist not not-exist.
19. There is no difference at all between Samsara and Nirvana! There is no difference at all between Nirvana and Samsara! [They are both empty (shunya) of essence.]
20. The limits of Nirvana are the same as the limits of Samsara. There is not the slightest shade of difference between the two. [They are both limited by their emptiness (shunyata) of essence.]
21. Speculating about what lies beyond Nirvana is pointless . . . .
মূলামাধ্যমিকা কারিকা পড়তে চাইলে. . . .
@অমিত হিল, দেখুন আমি কোথাওই নাগার্জুনের কোন লেখা দেই নাই তাই মূলসোর্স বা অন্য সোর্সের কথা আসবে কেন।আমি বুদ্ধর দর্শনের সম্ভাব্য দূর্বলতার একটা লিংক দিয়েছি কিন্তু তা নাগার্জুনের নয়।ধন্যবাদ লিংক দেয়ার জন্য।আমি নাগার্জুনের দর্শন বুঝে ফেলেছি এমন দাবীতো করি নি।তবে উনি বুদ্ধর নির্বানের নতুন ব্যাখ্যা দিয়েছেন যাতে সংসার আর নির্বানের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।মোদ্দা কথা উনি বলেছেন এই বিশ্বের জীবন ও নির্বান একই এবং তাদের মধ্যে কোন ভেদ নাই।
@মুক্তি চাকমা,
http://www.comparativereligion.com/Buddhism.html
@মুক্তি চাকমা,
রাহুল সাংকৃত্যায়ন কিংবা অন্য লেখকের সব লেখাই ইতিহাস আশ্রয়ী – কিন্তু ইতিহাস নয়। এখানে ‘ফ্যাক্ট’ লিখতে নিয়ে ‘ফিকশন’কে রেফারেন্স হিসেবে ধরতে হচ্ছে।গৌতম, বুদ্ধ, সিদ্ধার্থ, শাক্যসিংহ, তথাগত, মৈত্রেয় – প্রত্যেকটিই উপাধী/বিশেষণ/জনপ্রিয় নাম। শুদ্ধোধন-মায়াদেবী’র পুত্রের নাম সম্ভবত এখনো অজ্ঞাত।ইতিহাস ও পুরাণ এক করে দেখলে কিছু অসুবিধা হতে পারে।
শুরুতেই যেটা জানা দরকার সেটা হল গৌতম উত্তর ভারতের ক্ষত্রিয় সম্প্রদায়ের একটি গোত্রের নাম, যারা শাক্য জনপদে বাস করত। ‘বুদ্ধ’ বা ‘সিদ্ধার্থ’ একটি মানসিক অবস্থার নাম। এই হিসেবে শাক্য জনপদের গৌতম গোত্রের অনেকেই ‘বুদ্ধ’ বা ‘সিদ্ধার্থ’ হতে পারে।
বৌদ্ধপুরাণ যে একজন মহামতিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়, সেই ব্যক্তিটির কোন প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ নিদর্শন এখনো কোথাও পাওয়া যায়নি। এমনকি কপিলাবস্তু, লুম্বিনী ইত্যাদি জনপদ ঠিক কোথায় অবস্থিত, সেটাও বিতর্কিত।
দিনের শেষে বৌদ্ধধর্ম একটি ধর্ম। ধর্মের নিয়ম মেনে এর কেন্দ্রীয় চরিত্র বুদ্ধের বসবাস পুরাণে এবং সে বাস্তবতার ধার ধারেনা। গৌতম বৌদ্ধকে তাই ইতিহাসে খোঁজাখুজিতে কোন বাধা নেই, কিন্ত আমাদের হতাশ করে তিনি ইতিহাস থেকে আপাতত ফেরারী। 😉
:lotpot: :hahahee:
@মুক্তি চাকমা,
বাহ! ভালো বলেছেন তো! উপমাটা আমার মনে ধরেছে। (Y) (F)
@মুক্তি চাকমা,
দেখুন এই প্রশ্নের উত্তর খুজতেই মুক্তমনায় এসেছি।অন্যান্য ধর্মমতেও মোক্ষ বলতে দু:খের অবসান বুঝানো হয়েছে।বুদ্ধর দর্শনও তাই বলছে কিন্তু তাই বলে স্ত্রী পরিবারকে উনি কেন পরিত্যাগ করলেন তার সঠিক কারণটা কোথাও পাইনি বা নারী বিরোধিতার প্রসঙ্গগুলা অমূলক নয়।
কোন ধর্ম বা ধর্মগুরুকে আরোপ করা আমার কাজ নয়।বরাবরই ধর্মকে নৃতত্ত্বের দৃষ্টিতেই দেখতে ভালোবাসি।আমি ধর্ম,রাজনীতি ও সংস্কৃতির পারস্পরিক সম্পর্ককে বুঝতে চাই তাই ধর্মহীন বিশ্বের অলীক স্বপ্নে বিভোর নই।ধর্ম চিরকাল থাকবে এর ব্যাখ্যা বদলাবে এটাকে সরল সত্য বলেই মনে হয়।অন্যদিকে নাস্তিক্যবাদও যে ধোযা তুলসীপাতা নয় তাও স্ট্যালিন বা মাওএর কাজে টের পেয়েছি যদিও নাস্তিকতা তাদের কাজে কতটা প্রভাব বিস্তার করেছে তার প্রমান পাই নি।ধর্মের ও রাজনীতির বিপরীতে নাস্তিক্যবাদ ও বিবেকবোধ কতটা নীতিনৈতিকতার ঝান্ডা সমুন্নত রাখবে সেটাও প্রশ্নাতীত নয়।আমি একাডেমিক স্কলার নই একই সাথে নৃতত্ত্ব আমার আগ্রহের বিষয় কিন্তু পড়ার নয় তাই এ বিষয়ে গুছিয়ে লিখতে না পারার জন্য দু:খিত।
প্রাণী হিসেবে কী খাবো না খাবো তা নিজের রুচির ব্যাপার। মানুষ হিসেবে অবশ্য খানিকটা আবেগ অনুভূতির ব্যাপার থাকে, যদিও তা মানুষ ভেদে বিভিন্ন। মানুষের অন্ন কেড়ে নেবার ধর্মের এই নিষ্ঠুর অপপ্রয়াশ মেনে নেয়ার কোন অর্থ হয় না।
যদিও বোদ্ধ মতাদর্শ আমার বেশ ভাল লাগে। সকল ধর্মেই অবশ্য অনেক ভাল দিক আছে। তথাপি, কোন ধর্মই জুইতের নাহ! (U)
@অরণ্য,
আমি সাবজেক্টিভভাবেই এই যুক্তির দুর্বলতাটুকু একটু দেখিয়ে দিতে চাই। দয়া করে কিছু মনে করবেন না। আফ্রিকার কিছু জংলী এখনও মানুষের মাংস খায়।
ড্রেঞ্জেল ভারগাস নামের ভেনেজুয়েলার একজন ব্যাক্তি ২ বছরে কমপক্ষে ১০ জন ব্যাক্তিকে খুন করে খেয়ে ফেলেন যাকে ১৯৯৯ সালে আটক করা হয়। জেফরি ডাহমার নামের আমেরিকান একজন ব্যাক্তির বাসায় মানুষের হাড় ও মাংস পাওয়া যায়। তাকে গ্রেফতার করা হয় ১৯৯১ সালে। ২০০১ সালের মার্চে জার্মানিতে আরমিন মাইভাস ইন্টারনেটে একটি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ১৮ থেকে ৩০ বছরের সুঠামদেহী জবাইযোগ্য ও আহার হতে চাওয়া মানুষের সন্ধান চাইছিলেন। বার্ন্ড জুর্গেন ব্রান্ডিস নামের একজন এতে সাড়া দেন ও খুন হয়ে যান। পরে আরমিন মাইভাসকে আটক করা হয়। রামেস্টেইন ব্যান্ডের মেইন টেইল ও ব্ল্যাড বাথ ব্যান্ডের ইটেন গান এই ঘটনার ওপর ভিত্তি করে রচিত। পিটার ব্রায়ান নামের একজন ব্রিটিশকে ইস্ট লন্ডনে ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে গ্রেফতার করা হয় যিনি তার বন্ধুকে খুন করেন ও খেয়ে ফেলেন।
এখন যদি প্রাণী হিসেবে কি খাবো না খাবো সেটা নিজের রুচির ব্যাপার হয় তবে উপরোক্ত ঘটনাগুলো কি বৈধ হয়ে যাচ্ছে না?
@রনবীর সরকার,
আমার নিরীহ মন্তব্যটির কোন উত্তর আশা করি নাই। যাহক, আমার যুক্তি(আসলে সাদামাটা মন্তব্য) সরল হলেও দুর্বল নয়! আপনি দু-একটা বিকৃত রুচির উদাহরণ দিয়েছেন। ভাল লাগলো 🙂 । কিন্তু অবুঝের মত যে প্রশ্নটি করলেন তা নিতান্তই অপ্রাসঙ্গিক।
না। বৈধ হয়ে যাচ্ছে না। আপনার নিশ্চই জানা আছে, One swallow doesn’t make a summer. তবে অধিকাংশ মানুষই যদি মানুষের মাংস খাওয়া শুরু করে তবে বৈধ হয়েও যেতে পারে। অনেক প্রাণী আছে যারা স্বজাতির মাংস খায়। তাদের সমাজে নিশ্চই তা বৈধ হওয়াটা অস্বাভাবিক না।
তাছাড়া “বৈধ” শব্দটারই বা বৈধতা কিসে?
যদি বলি…
…সকল কাক হয় কালো
সকল কাক হয় পাখি
সুতরাং সকল পাখি হয় কালো…
আপনি মেনে নেবেন?
@অরণ্য,
মন্তব্য করার জন্য আমি সত্যিই দুঃখিত। কিন্তু আসলে সত্যি কথা বলতে কি এই ব্যাপারগুলো নিয়ে আমি অনেকদিন থেকেই চিন্তা করে আসছি। তাই এই বেফাস মন্তব্যটা করে ফেললাম। আবারও দুঃখিত। যাহোক আমি কিন্তু ব্যাপারটা নিয়ে কোন লক্ষ্যে পৌছাতে চাচ্ছি না। আমার মন্তব্যগুলো পুরোটাই সাবজেক্টিভ , অবজেক্টিভ নয়।
এক হিসেবে তাদের রুচি বিকৃত নয়। কারন বিবর্তনের প্রথম শুরু স্বজাতি ভক্ষনের মধ্য দিয়েই শুরু হয়েছে। 🙂
আর কঙ্গোতে এখনো কিছু সম্প্রদায়ের রীতিই আছে স্বজাতি ভক্ষন।
অধিকাংশ মানুষ যেটা করবে সেটা বৈধ হলে কিন্তু দাসপ্রথাও বৈধ হবার কথা ছিল। কিন্তু কিছু সচেতন মানুষের উদ্যোগে এখন আর পৃথিবীতে দাস প্রথা নেই। (পুরোপুরি উবে গেছে তা বলব না , এইতো কিছুদিন আগে পড়লাম যে এখনো পশ্চিম আফ্রিকাতে শিশুদের দাসের মতো খাটিয়ে কোকো চাষ করানো হয়)।
আর আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই ধর্মীয় কুসংস্কারে নিমজ্জিত। তাই অধিকাংশ মানুষের ট্রেন্ডই সঠিক হলে ওই ধর্মীয় কুসংস্কারে নিমজ্জিত থাকাটাই সঠিক হিসেবে পরিগনিত হচ্ছে।
একসময় পৃথিবীতে ধর্মীয় কুসংস্কারাচ্ছন্ন লোকদেরই জয়-জয়াকার ছিল। মুক্তমনাদের সংখ্যা অনেক কম ছিল। কিন্তু সেই কতিপয় মুক্তমনাই তৎকালীন কুসংস্কারকে যুক্তির আলো দ্বারা দূর করতে সচেষ্ট হয়েছিলেন।
এই সাথে আমার মন্তব্যের সম্পর্কটা কিন্তু ভাই বুঝলাম না। 🙁
@রনবীর সরকার,
দুঃখিত হবার মত কিছু করেন নাই। আমি তো বরং বলব, … যদি পেতে চান সঠিক গন্তব্য… যত পারেন করেন মন্তব্য! 😛
তাইলে ক্যামনে হয়? ছোট বেলায় পড়েছিলাম, উদ্দেশ্য বিহীন ঘোরাফেরা কিশোর অপরাধ। তেমনি বলতে হয়, লক্ষ্যহীন যুক্তি অর্থহীন অপরাধ!
আমার কাছে তো পুরাই অবজেক্টিভ মনে হচ্ছে আপনার যুক্তি। :-X
আমি কিন্তু বলিনি যে অধিকাংশ মানুষ যেটা করবে সেটা বৈধ। তবে হয়ে জাওয়াটা অস্বাভাবিক হবে না।
আর আমি তো রুচির কথা বলেছি। আপনি চাইলে ঘাস পাতা খেতে পারেন, মাছ পশু পাখিও খেতে পারেন। আপনি যে মানুষ খেতে চাইবেন তা বুঝি নাই 🙁
আসলে এখনও আছে। ধর্মীও সংস্কার নিজেই একটা কুসংস্কার।
@অরণ্য,
(Y)
আমি এখানে যুক্তির পথ ধরে আগানোর কথা বলেছি। প্রথমেই লক্ষ্য স্থির করে উল্টাপাল্টা যুক্তি দিয়ে সেই লক্ষ্যের সত্যতা যাচাই করে নেয়া আমার কাছে একধরনের ভন্ডামী বলে মনে হয়।
কেন অবজেক্টিভ মনে হচ্ছে সেটা কি একটু বলবেন?
কথাটা একইরকম শুনালো না?
ভাই কিছু মনে করবেন না। মুক্তমনায় কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করেছি অনেকেই যুক্তি দিতে দিতে যখন একসময় হাপিয়ে উঠেন তখন হঠাৎ করে এমন সব কথা বলে ফেলেন যার বিপরীতে সত্যি কোন কথা বলাটাই বিরক্তিকর লাগে। আপনার “আপনি যে মানুষ খেতে চাইবেন তা বুঝি নাই” এই কথাটা সেরকম ধাচের।
আমরা যেমন আদিম মানুষখেকোদের রুচিকে বিকৃত বলছি, তেমনি হয়ত অনেকেই আমাদের অনেক খাদ্যরুচিকেই বিকৃত বলতে পারে।
এটা অবশ্য ঠিক কথা বলেছেন।
যাহোক ভাল থাকবেন।
@রনবীর সরকার,
ভাল বলেছেন। তবে কথার সাথে কাজের মিল থাকলে আরো ভাল লাগতো। রুচি বা প্রয়োজনের কথা না ভেবে বৌদ্ধ, সনাতন বা ইসলাম অনুমোদিত খাবার খাওয়ার যুক্তিটা কোথায়?? কষ্ট করে যদি বুঝিয়ে বলতেন 🙂
একই রকম শুনালেও এক কিন্তু নয়। বৈধ খাবার বলতেই বা আপনি কি বুঝাতে চান? মানুষ হিসেবে মানুষের মাংস খাওয়া কতটা যুক্তি সঙ্গত? যার যা খাবার সে তাই খাবে। তাছাড়া কোনটা বৈধ আর কোনটা বৈধ নয় এনিয়ে বিস্তর আলোচনা চলতেপারে।
আপনার বিরক্তির কারন হওয়াতে আমি লজ্জিত। তবে সত্য যদি কিছু জানা থাকে তো বলে ফেলুন।
হাঁপিয়ে যাওয়ার মত দীর্ঘ কিছু এখনো হয়েছে কি? মানুষ খাওয়াটা কিন্তু শুধু রুচির ব্যাপার নয়।
খুবই স্বাভাবিক। মুসলমানের কাছে শুকুর খাওয়া বা সনাতন পন্থীদের কাছে গরু খাওয়া বিকৃত তো বটেই অনেক মুক্তমনাদের কাছেও সাপ, কীড়ে, বাঘ, পোকা খাওয়াটাও বিকৃত লাগে। ভাল রুচি বা বিকৃত রুচি বলেও হয়ত কিছু নেই।
এখন তো মানুষের মল থেকেও তৈরি হচ্ছে নিরাপদ মাংস। খাবেন নাকি? 😛
আফ্রিকার কিছু জংলীরা মানুষের মাংস খায়। এটা কি ভালো না খারাপ? যদি খারাপ হয় তবে কেন? আপনি নিজেকে সভ্য বলে দাবি করেন তাই? আপনার ২১ শতকিয় Morality সবার চেয়ে উন্নত সেজন্য? যেসব জংলীরা মানুষখেকো তাদের কাছে নরমাংস খাওয়া Immoral নয়। তারা আপনার অতি উন্নত সভ্যতার morality মেনে না চললে তাদের কোন কিছু যায় আসে না। Morality জিনিসটা subjective. এক যুগে দাসপ্রথা ছিল সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য। বর্তমানে এটা অপরাধ। বুদ্ধ ইসলাম বা অন্যান্য Abrahamic Cult গুলোর মত objective morality কারো উপর চাপিয়ে দেননি। তিনি চেস্টা করেছেন কোন প্রাণীর কোন ক্ষতি না করতে, সকল প্রাণীর প্রতি সহমর্মিতা দেখাতে। এই উদ্দেশে যতটুকু সহমর্মিতা দেখানো যায় ততটুকুই বুদ্ধ দেখাতে বলেছেন।
মুক্তমনা tag লাগিয়েছেন ভালো কথা তবে খেয়াল রাখবেন মাথার ভেতর থেকে যেন মনের সাথে মগজখানাও যাতে মুক্ত না হয়ে যায়।
@বিশ্বজিত দে, (Y)
@ডেথনাইট লিখেছেন:
দুঃখিত, আপনার উপরোক্ত তথ্য ভুল। মহাযানেও সন্ন্যাসী আছেন। আর নির্বাণ কেবল ভিক্ষু বা সন্ন্যাসীদের জন্য নয়, চেষ্টা করলে সাধারণ গৃহী ও নারীরাও পেয়ে থাকেন। তবে তাদের জন্য ঢের বেশী কঠিন। বুদ্ধের সময়কালে অনেক নারী নির্বান লাভ করেছেন বলে জানা যায়। থেরী গাথা পড়ুন। থেরী গাথা হলো এ সব ভিক্ষুনীদের বয়ান।
বুদ্ধের সময়ে নারীরা অবহেলিত ছিলেন কিনা সেটা গবেষণার বিষয়। বুদ্ধের ধর্ম ও অনুশাসনকে তার সময়ের সমাজ প্রেতি থেকে বিচার করা যায় না। যদি তখনকার সমাজে নারীরা অবহেলিত হয়ে থাকে, তার জন্য সমাজই দায়ী। অপরদিকে, যদি তারা ভিুনীসংঘে অবহেলিত হয়ে থাকেন, তাহলে তার জন্য বুদ্ধকে কিছু মাত্রায় দায়ী করা চলে। কারণ বুদ্ধ সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন না। জাতকে দেখা যায়, সাধারণ জনগণের সমালোচনার মুখে স্বয়ং বুদ্ধকেও এমন দু’একটি ছোটখাট লোকাচার মানতে হয়েছে যা আসলে কুসংস্কার ছাড়া কিছুই নয়।
ঈশান চন্দ্র ঘোষ তার অনূদিত জাতকের দ্বিতীয় খন্ডে লিখেছেন, ‘রমণীরা অরণীয়া, সাধারণভোগ্যা, অকৃতজ্ঞা, মোক্ষলাভের অন্তরায়স্বরূপা, পুনঃ পুনঃ এইরূপ কটূক্তির প্রয়োগ দেখিয়া আপাততঃ মনে হয়, বুদ্ধদেব ও তাঁহার শিষ্যগণ স্ত্রীজাতির প্রতি অতি অবিচার করিয়াছিলেন। কিন্তু যখন দেখা যায়, ইঁহারাই মুক্তকণ্ঠে যশোধরা, মোক্ষ, উৎপলবর্ণা, বিশাখা প্রভৃতি রমণী-রত্নের গুণকীর্তন করিয়া গিয়াছেন, এবং অনুতপ্তা আম্রপালী প্রভৃতি গণিকাকেও অর্হত্ত্ব প্রদান করিয়াছেন, তখন মনে হয় ইঁহারা স্ত্রীজাতির অনাদর করিতেন না। হিন্দু, বৌদ্ধ প্রভৃতি অনেক সম্প্রদায়ের সাধকেই কামিনী ও কাঞ্চনকে বিষবৎ পরিত্যাজ্য বলেন। যে হিন্দুর মনুসংহিতায় (৩য় অধ্যায়, ৫৫-৬২) রমণীগণ দেবতার ন্যায় পূজনীয় বলিয়া বর্ণিত হইয়াছেন, সেই হিন্দুরই মহাভারতের অনুশাসন পর্ব্বে (কালীপ্রসন্ন সিংহ, ৩৮শ ও ৩৯শ অধ্যায়) ভগবান্ ব্যাসদেব ভীষ্মের মুখে নারীজাতির অশেষ দোষ কীর্ত্তন করাইয়াছেন। নারীচরিত্রের অপকর্ষ-সম্বন্ধে এই দুই অধ্যায়ের কোন কোন শ্লোকে এবং জাতকের কোন কোন গাথায় প্রায় অক্ষরে অক্ষরে মিল দেখা যায়। ফলতঃ নারীর নিন্দাবাদ ভিক্ষু ও সন্ন্যাসীদিগের উপকারার্থ, গৃহীদিগের বিরাগোৎপাদনের জন্য নহে, ইহা মনে করিলেই আর কোন বিরোধভাব থাকে না।’
যাই হোক, আপনি বুদ্ধকে তার দুঃখ মুক্তির তত্ত্বের আবিস্কারের মৌলিকত্ব দিতে না চান না দেন। এ েেত্র আপনার কৃপণতায় এমন বড় কোন ক্ষতি দেখি না। তবে ভুল তথ্য পরিবেশন ঠিক নয়।
@অলোক বলেছেন,
আপনার এই কথার মধ্যে অসঙ্গতি আছে। আপনি একদিকে Craving অর্থাৎ তৃষ্ণাকে দুঃখের কারণ হিসেবে মানছেন, অন্যদিকে দুঃখমুক্তির জন্য ‘বিজ্ঞানের আবিস্কারের’ আশায় বসে আছেন। আপনার কি মনে হয় বিজ্ঞানীরা এমন একটি বটিকা আবিস্কার করতে সক্ষম হবে যা খেলে সঙ্গে সঙ্গে ওই Craving নির্মূল হবে? আমার প্রশ্ন এ কারণে যে, Craving তো সম্পূর্ণ মনের ব্যাপার। অন্যদিকে বিজ্ঞানের আবিস্কার তো এই Craving-কেই কেবল বাড়িয়ে দিয়ে চলেছে। বুদ্ধ বলেছেন তৃষ্ণার সমান নদী নাই (ধম্মপদ)। একটি তৃষ্ণা মেটালেই হাজারো তৃষ্ণা জন্ম নেয়। বড়ই মুস্কিল!
@মুক্তি চাকমা, পারলে সাংখ্যদর্শন পড়ুন আর ভাগবত ধর্মও পড়ুন তাহলেই দু:খবাদিতার মৌলিকত্ব কার জেনে যাবেন।আর মহাযান বুদ্ধর প্রবর্তিত নয় তা অশোকের।আর থেরবাদীরা বুদ্ধুর মৃত্যুর ১০০ বছর পরের তাই তারা কি করে বুদ্ধের সময়কার হল।বিশ্বাসের জবানবন্দী দেখছি সবই এক। হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানে কোনো তফাৎ নেই। সব ময়রারই দাবী, তার মিষ্টি সেরা মিষ্টি। :))
@ডেথনাইট,
কি কন ভাই ? আপনার অনেক তথ্য ভুল ভাই ।
এইটা ও ভুল ভাই ।
এখন সত্য তুলে ধরলে হতে হবে ধার্মিক । তবে আপনি চাইলে আপনার অনেক তথ্য ভুল প্রমাণ করতে পারি । ভালো থাকেন ।
@অমিত হিল,আমিতো কোথাও দাবী করি নি যে আমার দেয়া তথ্যগুলা প্রামান্য।আপনি সঠিক জানলে ঠিক তথ্য দিন এতে সমস্যা কোথায়। বুদ্ধের মৃত্যুর প্রায় একশ বছর পরে কালাশোকের রাজত্বকালে বৈশালীতে সঙ্গীিতর দ্বিতীয় অধিবেশন হয়েছিল।এই অধিবেশনে পূর্বান্চলীয় ও পশ্চিমানন্চলীয় এই দুই সন্ন্যাসী গোষ্ঠীর মধ্যে মতভেদ তীব্র আকার ধারণ করেছিল।বিহার জীবনের দশটি বিধানকে কেন্দ্র করে এই মতভেদের সৃষ্টি হয়েছিল।এই পূর্বান্চলীয়গন “মহাসঙ্ঘিক ” আর পশ্চিমান্চলীয়গন “থেরবাদী” হিসাবে পরিচিত হন।কাশ্মীরে কনিষ্কের আমলে সঙ্গীতির চতুর্থ অধিবেশনে “মহ্যান” বৌদ্ধ ধর্ম স্বীকৃতি পায়।কেন মহাযানকে অশোকের বলছি তার কারণ বৌদ্ধ ধর্ম হিসাবে এই মত প্রতিষ্ঠিত হবার সম্পূর্ণ পৃষ্ঠপোষকতা ছিল অশোকের।
@ডেথনাইট, বৌদ্ধদর্শন নিয়ে আমার এই অসম্পূর্ণ কাজটি দেখতে পারেন। হাইপারলিংক করা আছে। বৌদ্ধদর্শনের কাঠামোটা দাঁড় করানো হয়ে কেবল। আসল কাজ এখনো বাকি। ধীরে ধীরে এগুচ্ছি।
@রণদীপম বসু,
দাদা, সত্যিই আপনার বৌদ্ধদর্শন নিয়ে লেখাটি শেষ না করে পারলাম। এতো দিন পর একটা ধারাবাহিকতা লেখা পড়লাম। তাই আপনাকে স্যালুট এবং (F) (F) । অর্ধেকটা কখন পড়তে পারবো শীঘ্রই জানাবেন।
@রণদীপম বসু, পড়লাম অনেক গুছিয়ে লিখেছেন।আপনার মত এই গুনটা থাকলে “বৌদ্ধ ধর্মের ইতিহাস বলতে্যে কেবল একটি মাত্র সঙ্ঘের ইতিহাস না বুঝিয়ে ভারতের বিভিন্ন স্থানের ইতিহাস বুঝায়” এই কথাটা এক কমেন্টেই বুঝাতাম।এত গাদা গাদা কমেন্ট করতে হত না।
@রণদীপম বসু, দাদা, আপনার বৌদ্ধদর্শন লেখাটা দারুণ হয়েছে। চালিয়ে যান। শেষ করুন। এনেক গুলো তথ্য একসাথে এই প্রথম পেলাম। শুভেচ্ছা। (F) (F) (F) (F) (Y) :clap
আখিরাতে এসে একটা কথাই কেবল মনে ধরেছে, সেটা হল “Doubt everything and find your own light.- Gautom Buddha” এইটা যদি বুদ্ধ বলে থাকেন তবে আমি তাকে গুরু মানি। “Worlds Wealths of Meanings Lost into the Dance of Atoms” এটা মনে হয় বুদ্ধ গৌতম বলেননি,যিনি বলেছেন হাঁচা কথা বলেছেন,অামাদের এই গর্বের সভ্যতা যেকোন মুহুর্তে একটা উল্কার অাঘাতে বিলীন হয়ে যেতে পারে! আমি ওনলি “বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি” নট ধর্মং, বাট ফর এনজয়ইং লাইফ সামটাইম সঙ্ঘং শরণং গচ্ছামি (অাই মিন পাঁচজনে মিলে মোচ্ছব)। অারেক কথা হয়ত বুদ্ধ গৌতম বলেছিলেন, সেটা হল “Pleasure end in Pain,Love in Loss, Life in Hateful Death” কথাটা এক্কেবারে হাঁচা কথা, এইটা মনে রেখেই অামি জীবনপাত করি! অবশ্যই প্রেম ও করি,অার করবই না বা কেন? জীবন তো একটাই। অনেকের বুদ্ধ গৌতমের স্ত্রী, পুত্র ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া পছন্দ হয়নি! অারে বাবা তখন বিবাহবিচ্ছেদ অাইন ছিল না তাই তাকে পালিয়ে যেতে হয়েছিল! একটা স্বাধীন মানুষের ভালো না লাগলে পুত্রের কোন একটা ব্যবস্থা করে(যতই হোক নিজের অর্ধ জিনগুচ্ছের বাহক বলে কথা) স্ত্রীকে ছেড়ে যাওরার অধিকার অবশ্যই অাছে। সেটা বিশ্বের বহুল প্রচারিত একটা ধর্মে ইশ্বর স্বীকৃত অাইন! অামার জীবনে সাধ মিটে গেলে অামি অবশ্যই পালিয়ে যাব(এখানে কোন মেয়ে নেইতো, শুনে ফেললে অাবার অামার বিয়ে মুশকিল)। অাপনারা জানেন কুকুর, বিড়াল, শিম্পাঞ্জী, বানরের মত অামরাও একটা প্রানি মাত্র, তবে দুর্বুদ্ধিতে অামরা সবার ওপরে। মানবিক হিংসা মুক্ত পৃথিবী সোনার পাথর বাটির মতই অাকাশকুসুম কল্পনা মাত্র! কারণ হিংসা মানুষের মজ্জাগত বৈশিষ্ট্য, কোন বুদ্ধ বা বুদ্ধুই এদেরকে হিংসামুক্ত করতে পারবেনা! অারে বাবা যে মহামানব বলবে জীব হত্যা পাপ, তার ধর্মের খদ্দের, গুটিকয় ভীতু, কাপুরুষ,লোকেরা ছাড়া হবেনা। যে মহামানব বলবে তোমরা মাংস খাবেনা, তার ধর্মের অনুগামী প্যানক্রিয়াসে ক্যান্সার অাক্রান্ত, বা ডায়াবেটিস অাক্রান্ত লোকেরাই হবে,নাকি? অাবার বুদ্ধ গৌতম যদি বা বলেছেন “Craving is the Cause of Suffering” তবে এইটাও একটা হাঁচা কথা, তবে বুদ্ধ গৌতমের পথে এই জ্বলন্ত সমস্যার সমাধান কখনই হবে না, সে অাপনি যতই হাজার বছর না খেয়ে বটবৃক্ষের তলায় বসে থাকুন না কেন! অসুখ বিসুখ বা জরাজনিত Suffering সমস্যার সমাধান কেবলমাত্র মানুষ নিজেই বিজ্ঞানের সাহায্যে কোন ভবিষ্যতে হয়ত করতে পারবে!
@অলোক,
হ্যা। বিবর্তনের কারনে হিংসা অবশ্যই আমাদের মজ্জাগত বৈশিষ্ট্য। কিন্তু তবুও আমরা এখন আর আগের মতো হিংসা করিনা। আমরা আর আদিম মানুষদের মতো নরবলি দিয়ে আদিম উল্লাসে মেতে উঠি না। আমরা আদিম মানবদের মতো দুর্দশাপীড়িত মানুষদের কোন কাজে লাগবে না বলে ফেলে দেই না। বরং সবাই মিলে আরেকজনকে বাচাবার চেষ্টা করি। অস্বীকার করছি না এর মধ্যেও আদিম প্রবৃত্তি অনেকেরই প্রবল কিন্তু সমষ্টিগতভাবে আমি তো দেখি আমাদের ট্রেন্ড অহিংসার দিকেই।
তাহলে ইচ্ছামতো কেউ হত্যাযজ্ঞ শুরু করলেই সে সাহসী হয়ে গেল? অদ্ভূত কথা।
প্রচন্ড হাসি পাচ্ছে ভাই। :lotpot: :lotpot:
@রনবীর সরকার,
এইটা একটা কথা অবশ্য দারুন বলেছেন।
১০০% সহমত। (Y) (Y)
@মুক্তি চাকমা,
উপরে সাংখ্যদর্শন থেকে ভাগবত ধর্ম বা জৈন বা চার্বাক দর্শনের কথা বলেছি।বুদ্ধ দর্শনের মূল ভিত্তিই এগুলা।তাই বুদ্ধ যে নয়া কিছু বলেন নি তা বুঝতে পন্ডিত হতে হবে কেন?বুদ্ধর দু:খ ও এর অন্তের কথা কপিলই বলেছেন অহিংসার কথা ভাগবত ও জৈনধর্ম থেকে এসেছে।উনি জাতপাতের বাইরে কিন্তু হীনযান কেবল সন্ন্যাসীদের জন্য আবার নারীরা অবহেলিত,নির্বান কেবল সন্ন্যাসীরা পাবে এবং অবধারিতভাবেই পুরুষরাই।আর দৈববানী প্রসঙ্গে
এটা উইকিতেই লিখা ওখানে এর স্বপক্ষে রেফারেন্সও আছে।
@মুক্তি চাকমা,
এটা রণবীর সরকারের কমেন্ট উনিও কিছু বইয়ে পেয়েছেন শুধু আপনিই পান না।এছাড়াও অশ্বঘোষের “বুদ্ধচরিত” বা অবদানশতক বা দিব্যবদান পড়ুন।এগুলা নিজেই সংগ্রহ করুন।করো মুখে তুলে খাইয়ে দিতে নেই। আর নাগার্জুনের বইও পড়েন।ভালো থাকুন।
@ডেথনাইট,
বুদ্ধের দর্শন পুরোনো জিনিসকে নতুন মোড়কে উপস্থাপন এই ব্যাপারে আমি আপনার সাথে একমত। তবে সাংখ্যদর্শনের সাথে বুদ্ধের দর্শনের একটা বেসিক পার্থক্য আছে। সাংখ্যের পুরুষ বুদ্ধদর্শনে একেবারেই অনুপস্থিত। এমনকি বুদ্ধদর্শনের জন্মান্তরবাদে কোন নির্দীষ্ট সত্তার পুনঃ পুনঃ জন্ম হয় না। শুধুমাত্র সংস্কারগুলোর পুনরায় অভিব্যক্তিই (এবং সেটা কোন আশ্রয়ের ভিত্তিতে নয়) পুনর্জন্মের কারন বলে বুদ্ধ অভিহিত করেছেন।
@রনবীর সরকার,
আমার ধারণা ছিল আস্তিক দর্শনে পরিগণিত হবার জন্য পুরুষের ব্যাপারটা সাংখ্য পরে ঢুকিয়েছে। ভুল হতে পারে অবশ্য।
বৌদ্ধ ধর্মের ইউনিকত্ব তার বিশেষ সিনথেসিস-এ — অর্থাৎ ভারতীয় উচ্চাঙ্গের দর্শনের সাথে একটা সামাজিক আন্দোলনের সমন্বয়।
@রৌরব, আদতে সাংখ্যদর্শন প্যানথেইজম হয়তো ভাবছেন এটা আবার কোন নতুন ধর্ম নিয়ে হাজির করলো?না, এটা কোন ধর্ম নয়, প্যানথিইজমকে রেগুলার ধর্মের কাতারে ফেলা যাবেনা। আর নতুন তো বলাই যাবেনা, কারণ… দুনিয়ার সব ধর্মেই প্যানথিইজম আছে!
ইসলামের সুফী মতবাদই প্যানথিইজম, হিন্দু ধর্মের অদ্বৈত্ববাদও প্যানথিইজম, ইহুদীদের কাব্বালা কিংবা হ্যাসিডিক মতবাদ, খ্রিস্টানদের গ্নস্টিক বাইবেল – সবই প্যানথিইজম। এছাড়াও বৌদ্ধ ধর্ম, তাও-ইজম এবং অন্যান্য ধর্মেও এর প্রভাব রয়েছে। এ সবই ক্লাসিকাল প্যানথিইজম-এর মধ্যে পড়ে।
@ডেথনাইট,
হ্যাঁ, ডকিন্স সর্বেশ্বরবাদকে sexed up atheism বলেছেন।
নিশ্চয়ই, কিন্তু আমার পয়েন্ট ছিল ’আস্তিক দর্শন’ হিসেবে স্বীকৃতি লাভের জন্য সাংখ্য বৈদিক টার্ম গ্রহণ করেছে কিনা (পুরুষ ইত্যাদি)। এরকম শুনেছিলাম।
@রৌরব,
আমার মনে হয় না। কারন সাংখ্যদর্শনে ঈশ্বরের অবস্থান একেবারেই গৌন কিন্তু পুরো বই জুড়েই পুরুষের কথা অনেক আছে। যদি পুরুষের ব্যাপারটা পরে সংযোজন করা হত, তবে পুরুষ নিয়ে এত সূত্র থাকত না। তবে এই দর্শনে ঈশ্বর নিয়ে কিছু সূত্র থাকলেও সাংখ্যদর্শনে ঈশ্বরের ভিতটা আমার নড়বড়ে মনে হয়েছে। এমন হতে পারে যে আস্তিক দর্শনে পরিগণিত হবার জন্য ঈশ্বরভিত্তিক কিছু সূত্র পরে সংযোজন হতে পারে। আমার কাছে সাংখ্যদর্শনের বাংলাভার্সনের pdf আছে(যদিও এতে সূত্রগুলো নেই শুধমাত্র অনুবাদ আছে)।
আপনি চাইলে দিতে পারি।
@রনবীর সরকার,
Rebirth without a self
One of the key elements in Buddhism is the denial of a self (atman). The illusion of an existing self is generated by a mere heap of five aggregates (skandha), which suffer from constant becoming and have a functional cause-effect relationship. Human existence is characterized by impermanence (anitya), a constant process of transformation devoid of any abiding principle. But if there is no self, what reincarnates from one existence to another? Buddha stated that only karma passes from one life to the next, determining a new configuration of the five aggregates in a new existence. Therefore samsara works without the need of a self, relying only on a causal chain of determination.
However, such a view of rebirth raises potential problems. Some passages in Buddhist scriptures seem to indicate the continuity of personal existence, or at least of an impersonal self, in the rebirth process. For instance it is stated that the dead will be judged by Yama, the god of death, and afterwards sent into hell and tormented for their sins (Khuddaka-nikaya 10,1,59). There are also many verses in the Dhammapada that suggest personal post-mortem existence:
Some people are born again; evil-doers go to hell; righteous people go to heaven; those who are free from all worldly desires attain Nirvana (Dhammapada 9,126; see also 10,140; 22,306-311).
On the other hand, if there is no self, on what basis could the Buddha have said, “This is my last birth, I will have no further existence” (Majjhima-nikaya 3)? Whose last birth is it, if there is no self to be reborn? There are also the texts in Khuddaka-nikaya 10 and the Jataka tales, referring to the previous lives of Buddha and his friends, in which each one’s identity is always known. Also, the very existence of the supernatural power of recollecting past lives attained in concentration (Digha Nikaya 12) suggests that a certain core of personal identity must exist and be reincarnated from one life to the next. The text in the Digha Nikaya says:
He recollects his manifold past lives, i.e., one birth, two births, three births, four, five, ten, twenty, thirty, forty, fifty, one hundred, one thousand, one hundred thousand, many aeons of cosmic contraction, many aeons of cosmic expansion, many aeons of cosmic contraction and expansion, [recollecting], ‘There I had such a name, belonged to such a clan, had such an appearance. Such was my food, such my experience of pleasure & pain, such the end of my life. Passing away from that state, I re-arose there. There too I had such a name, belonged to such a clan, had such an appearance. Such was my food, such my experience of pleasure & pain, such the end of my life. Passing away from that state, I re-arose here.’ Thus he recollects his manifold past lives in their modes and details.
বৌদ্ধ দর্শনে নাগার্জুন “শূন্যতা” ও “তথতা” মতবাদের ব্যাখাতা হিসাবে পরিচিত।সময় পেলে তার লেখাও তুলে দিব।
@ডেথনাইট,
ধন্যবাদ ভাই। চমৎকার কিছু লেখা তুলে দেবার জন্য।
রাহুল সাংকৃত্যায়ন পালি ও সংস্কৃত ভাষায় পণ্ডিত ছিলেন। তিনি বুদ্ধ ধর্ম সম্পর্কে অনেক লেখালেখি করেছেন যার বেশ কিছু বাংলায় অনূদিত হয়েছে। তার লেখায়ও কোথাও বুদ্ধের দিব্যবানী শোনার ঘটনার উল্লেখ পাইনি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গৌতম বুদ্ধকে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ট মহামানব হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনিও বলেননি যে বুদ্ধ দৈববানী শুনেছেন।
যার বুদ্ধ ধর্ম সম্পর্কে ন্যুনতম ধারণা আছে তিনি জানেন যে বুদ্ধ কঠোর তপস্যা করে বোধি বা জ্ঞান লাভ করেছেন, দৈববানী নয়। এটা কি জ্ঞান তা অডঙ এখানে উল্লেখ করেছেন। নতুন করে ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই।
রনবীর সরকার প্রশ্ন করেছেন, “আপনাকে একটা প্রশ্ন করি। ধরুন একজন ডাকাত ডাকাতী করা ধন-সম্পদ বিক্রি করা শুরু করল। তবে কি আপনি ওই ডাকাতের থেকে জিনিসপত্র কিনবেন?”
তার আগে আপনি বলুন ডাকাত আর মাংস বিক্রেতা কি এক ক্যাটাগরির লোক? ডাকাতের মাল আর মাংস বিক্রেতার মাল (মাংস) কি এক জিনিস?
ডেথনাইট বলেছেন: “বুদ্ধ দৈববানী শুনছেনে তা আমার আবিষ্কার হবে কনে উইকি থেকে সংস্কৃত,প্রাকৃত বা পালি যেকোন বৌদ্ধ সাহিত্যেই তার প্রমান খুজে পাবনে হা হা।”
আপনি কি সংস্কৃত, পালি ও প্রাকৃত ভাষায় বৌদ্ধ সাহিত্য পড়ে এ কথা বলছেন? (আপনার কথা শুনে তো মনে হচ্ছে আপনি সংস্কৃত, পালি ও প্রাকৃত ভাষায় একজন বিজ্ঞ পণ্ডিত) আমি বাংলা ও ইংরেজী ভাষায় বৌদ্ধ সাহিত্য সম্পর্কে যতটুকু পড়েছি তাতে কোথাও পাইনি যে বুদ্ধ দৈববানী শুনেছেন। আপনি এই দুই ভাষায় এ সম্পর্কে অথেনটিক রেফারেন্স দিতে পারলে খুশী হবো। অন্য ভাষায় লিখিত কোন বইয়েরও রেফারেন্স দিতে পারেন তবে সেক্ষেত্রে বাংলা বা ইংরেজীতে অনুবাদ করে দেবেন দয়া করে। আর যদি অথেনটিক রেফারেন্স দিতে ব্যর্থ হন তাহলে ধরে নেবো যে আপনার দাবি মনগড়া।
@মুক্তি চাকমা,
খুব একটা পার্থক্য আছে বলেতো মনে হচ্ছে না। 🙂
ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে লুন্ঠন করে সর্বস্ব কেড়ে নেয়। আর মাংসবিক্রেতা তো প্রাণীর প্রাণটাই লুন্ঠন করে নেয়।
এখন আমার প্রশ্নের উত্তর দিন।
@রনবীর সরকার প্রশ্ন করেছেন, “আপনাকে একটা প্রশ্ন করি। ধরুন একজন ডাকাত ডাকাতী করা ধন-সম্পদ বিক্রি করা শুরু করল। তবে কি আপনি ওই ডাকাতের থেকে জিনিসপত্র কিনবেন?”
তার আগে আপনি বলুন ডাকাত আর মাংস বিক্রেতা কি এক ক্যাটাগরির লোক? ডাকাতের মাল আর মাংস বিক্রেতার মাল (মাংস) কি এক জিনিস?
@ডেথনাইট বলেছেন: “বুদ্ধ দবৈবানী শুনছেনে তা আমার আবস্কিার হবে কনে উইকি থেকে সংস্কৃত,প্রাকৃত বা পালি যেকোন বৌদ্ধ সাহিত্যেই তার প্রমান খুজে পাবনে হা হা।”
আপনি কি সংস্কৃত, পালি ও প্রাকৃত ভাষায় বৌদ্ধ সাহিত্য পড়ে এ কথা বলছেন? (আপনার কথা শুনে তো মনে হচ্ছে আপনি সংস্কৃত, পালি ও প্রাকৃত ভাষায় একজন বিজ্ঞ পণ্ডিত) আমি বাংলা ও ইংরেজী ভাষায় বৌদ্ধ সাহিত্য সম্পর্কে যতটুকু পড়েছি তাতে কোথাও পাইনি যে বুদ্ধ দৈববানী শুনেছেন। আপনি এই দুই ভাষায় এ সম্পর্কে অথেনটিক রেফারেন্স দিতে পারলে খুশী হবো। অন্য ভাষায় লিখিত কোন বইয়েরও রেফারেন্স দিতে পারেন তবে সেক্ষেত্রে বাংলা বা ইংরেজীতে অনুবাদ করে দেবেন দয়া করে। আর যদি অথেনটিক রেফারেন্স দিতে ব্যর্থ হন তাহলে ধরে নেবো যে আপনার দাবি মনগড়া।
@মুক্তি চাকমা,
ডাকাত যদি ডাকাতির সময় হত্যা না করে তবে তো ডাকাতদের মাংস বিক্রেতাদের থেকে ভাল লোক হবারই কথা, কারণ মাংস বিক্রেতারা তো করছে হত্যার মত মহাপাপ।আপনার কি মনে হয় হত্যা নাকি লুণ্ঠন কোনটির সাজা বেশি হওয়া উচিত?
@রাসেল.এস.৪২০, তা বীর্যমনা ভাই কেন দেশে নাই।
http://en.wikipedia.org/wiki/Human_Development_Index
খুবতো প্রাযুক্তিক উন্নয়ন আর জিডিপি সমৃদ্ধ দেশের বয়ান দিলেন এগুলা অর্জনে ধর্মের ভূমিকা কি ছিল তা বলেলেন না কেন?
@সপ্তক লিখেছেন:
আপনার যুক্তি দেখে হাস্য না করিয়া পারিলাম না। এবার থেকে দুনিয়ার তাবৎ ক্রেতাদেরকে মাস্টারমাইন্ড বলতে হবে। আর একটা কথা, মাংস ক্রয় করে যদি পশুবধের মাস্টারমাইন্ড হয় এবং তার পাপের শাস্তি প্রাপ্য হয়, তাহলে আপনার একই যুক্তিকে মাংস বিক্রেতার লাভের অংশও বৌদ্ধ ক্রেতাদের প্রাপ্য। শুধু তাই নয়, যেহেতু মাস্টারমাইন্ডের শাস্তি বেশী, অতএব পাপ ও লাভ উভয়ের সিংহভাগই বৌদ্ধদের প্রাপ্য হবে। কিন্তু কষ্মিনকালেও কেউ কি শুনেছে ক্রেতারা বিক্রেতার লাভের অংশের ভাগ পায়? রৌরবও একই যুক্তি তুলেছেন, কিন্তু নিজের যুক্তিতে নিজেই কুপোকাত হয়েছেন। ব্যালেন্স হারিয়ে এখন অনেক কিছু বলছেন, কিন্তু লাভের ব্যাপারে টু শব্দটি করতে পারছেন না।
দৈববাণী শোনার কথা আপনার আবিস্কার। তিনি প্রথমে আলার কালাম নামক ও পরে সঞ্জয় (যতদূর মনে পড়ে) নামক এক জৈন সাধকের অধীনে ছয় বছর ধ্যান সাধনা করেছিলেন। তাদের দু’জনের কাছে শিক্ষার পর তিনি নিজে ধ্যান করেছিলেন। বুদ্ধের উচ্চারিত বাণী কোন দৈববাণী নয় এবং তিনি এটা কোন কালে দাবি করেননা। তিনি যা বলেছেন বা শিা দিয়েছেন তা তিনি জীবনের লব্ধ অভিজ্ঞতা থেকে বলেছেন ও শিক্ষ দিয়েছেন।
বুদ্ধ কিসে ব্যতিক্রম এই থ্রেডটা পড়লেই বুঝতে পারবেন। তারপরও যদি সীতা কার বাপ বলেন আমাদের কী করার আছে?
@ডেথনাইট লিখেছেন:
কথিত আছে এক সময় বুদ্ধ একটি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। তাকে ইতিপূর্বে প্রশ্ন করা হয়েছিল তিনি সর্বজ্ঞ কিনা। হেঁটে যাওয়ার সময় তিনি একটি গাছ থেকে কিছু পাতা ছিঁড়ে হাতে নিলেন। তারপর তার শিষ্যদের বললেন আমার হাতে যে গাছের পাতাগুলো রয়েছে সেগুলো বেশী, নাকি গাছে যে পাতাগুলো রয়েছে সেগুলো বেশী? তার শিষ্যরা বললেন গাছের পাতাগুলো বেশী। বুদ্ধ বললেন তদ্রুপ আমিও যা জানি তার চাইতে যা জানি না তার পরিমাণ বেশী।
যাই হোক, বুদ্ধের প্রতি তার শিষ্যদের প্রবল ভক্তি তার সম্পর্কে অতিরঞ্জনের জন্য দায়ি তাতে কোন সন্দেহ নেই। প্রত্যেক মহাপুরুষের বেলায় কমবেশী এটা হয়ে থাকে।
এখন সকল রোগের বিধানের ব্যাপারে — অন্যরা মারামারি, হানাহানি, যুদ্ধ করবে, তার জন্য বুদ্ধ ও তার ধর্মকে দোষ দিয়ে লাভ কি? ডাক্তারের কাছে সব রোগের ওষধ আছে, কিন্তু আপনি রোগী যদি সেগুলো সেবন না করেন, তখন ডাক্তারের কি করার আছে?
@মুক্তি চাকমা,
আপনাকে একটা প্রশ্ন করি। ধরুন একজন ডাকাত ডাকাতী করা ধন-সম্পদ বিক্রি করা শুরু করল। তবে কি আপনি ওই ডাকাতের থেকে জিনিসপত্র কিনবেন?
@মুক্তি চাকমা,
বুদ্ধ দৈববানী শুনেছেন তা আমার আবিস্কার হবে কেন উইকি থেকে সংস্কৃত,প্রাকৃত বা পালি যেকোন বৌদ্ধ সাহিত্যেই তার প্রমান খুজে পাবেন হা হা।আর সীতা কার বাপ তা জানার জন্যই অন্য ধর্ম নিয়েও পড়ুন তাহলেই জানবেন বুদ্ধ কিভাবে প্রাচীন সূর্যবাদ থেকে ভাগবত ধর্ম এমনকি জন্মান্তরবাদকেও নতুন মোড়কে পরিবেশন করেছেন।
কথিত আছে এক সময় বুদ্ধ একটি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। তাকে ইতিপূর্বে প্রশ্ন করা হয়েছিল তিনি সর্বজ্ঞ কিনা। হেঁটে যাওয়ার সময় তিনি একটি গাছ থেকে কিছু পাতা ছিঁড়ে হাতে নিলেন। তারপর তার শিষ্যদের বললেন আমার হাতে যে গাছের পাতাগুলো রয়েছে সেগুলো বেশী, নাকি গাছে যে পাতাগুলো রয়েছে সেগুলো বেশী? তার শিষ্যরা বললেন গাছের পাতাগুলো বেশী। বুদ্ধ বললেন তদ্রুপ আমিও যা জানি তার চাইতে যা জানি না তার পরিমাণ বেশী।
বুদ্ধের প্রতি তার শিষ্যদের প্রবল ভক্তি তার সম্পর্কে অতিরঞ্জনের জন্য দায়ি তাতে কোন সন্দেহ নেই।তা উপরের গল্পটাও কি অতিরঞ্জন নাকি বুঝে দেখুন হা হা।
যিনি ডাক্তার হিসাবে ছাগ শিশুর জীবন বাচান তিনিই কি করে মরার পূর্বে শুকরের মাংস চিবান সেলুকাস।
আপনিও সমালোচনার প্রমান পেলেই তা অতিরঞ্জন বলছেন অথচ বুদ্ধকে ভালো বানানোর জন্য যে গল্প বা বানী এনে হাজির করেন তা অতিরঞ্জন কিনা ভেবে দেখেন না :-O
@ডেথনাইট,
আহা বুদ্ধতো এখানে বলেছে তিনি সর্বজ্ঞ নন।তার ভক্তরা যদি চাইত বুদ্ধকে বড় করে তোলে ধরতে তাহলে এ ঘটনাতো চেপে যাবার কথা কারন এ ঘটনাতো প্রমাণ করে যে বুদ্ধ দাবী করেছেন যে তার জ্ঞান সীমিত। প্রাচীনকালে কিন্তু বেশিরভাগ ধর্মগুরুই নিজেকে সর্বজ্ঞ বলে প্রচার করত।
তিনি শূকরের মাংস কোন পরিস্থিতিতে চিবিয়েছিলেন সেটা একটু দেখবেন না? তিনি কিন্তু আমাদের মতো রসনাতৃপ্তির জন্য শূকরের মাংস চিবাননি। তিনি এক নিষাদের গৃহে গিয়েছিলেন এবং নিষাদ তাকে শূকরের মাংস দিয়েছিলেন, এখন তিনি যদি সেই মাংস না খেতেন তা হলে সেই নিষাদ অনেক মনোকষ্ট পেতেন। আর এটাই বুদ্ধের শূকরের মাংস খাবার কারন। আর স্বাভাবিকভাবেই যিনি ভেজিটেরিয়ানিজমে অভ্যস্ত ছিলেন তার দেহ ওই শূকরের মাংস সহ্য করতে পারে নাই। আর এটাই বুদ্ধের মৃত্যুর কারন।
@রনবীর সরকার, ভাই বাংলায় “বিনয়ের অবতার” বলে একটা কথা আছে বুদ্ধুর গল্পটাও তাই।আর এখানে কু (!)যুক্তি দিয়ে সময় নস্ট করতে চাইছি।কেননা অডঙ্গের বলা শিষ্য চুন্ডু আপনার বলা ভার্সনে এসে নিষাদ হয়ে গেল যে কিনা উনার ভাষার নাপিত বা কামার।আরো কত রঙ্গই না দেখব।বিশ্বাসের জবানবন্দী দেখছি সবই এক। হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানে কোনো তফাৎ নেই। সব ময়রারই দাবী, তার মিষ্টি সেরা মিষ্টি। :))
@ডেথনাইট,
ওই শিষ্য চুন্ডু নাপিত, কামার না নিষাদ ছিলেন সেটা তো মূল আলোচনার বিষয় নয় রে ভাই। আমার জানামতে ওই শিষ্য চন্ডাল বা নিষাদ ছিল। হয়ত আমি যেই বই থেকে এটা পড়েছি সেই বইয়ের লেখকেরই ভুল ছিল। সেই বিষয়ে আমি আলোচনাতে যেতে চাচ্ছি না কারন এত আগের ঘটনায় কিছুটা তথ্যবিকৃতি স্বাভাবিক। কিন্তু মূল ঘটনাগুলোতো সব ক্ষেত্রে একই।
প্রথমে বলে রাখছি আমি কিন্তু বৌদ্ধ নই। বুদ্ধ সেরা সেটাও বলছি না। বৌদ্ধধর্ম এখন একটা জগাখিচুড়ী ধর্ম ছাড়া আর কিছুই নয়। এটার অনেক সমালোচনাই সম্ভব।
আমার আপত্তি হচ্ছে এখানে বুদ্ধের এমন কিছু দিকের সমালোচনা করা হচ্ছে যেটা আসলে অনেকটা সমালোচনা করতে হবে, অতএব চল সমালোচনা শুরু করে দেই ,এরকম টাইপের সমালোচনা। এর মধ্যে যুক্তির অংশটা খুবই দুর্বল।
@রনবীর সরকার,
এটা অবশ্যই আলোচনার বিষয় কেননা আমিও জানতাম ঐ শিষ্য নিষাদ আর তাই “সম্যক আজীব” কিভাবে রক্ষা হল তাই জানতে চেয়েছিলাম।কিন্তু অডঙ ভাই ওটা এড়াতে নতুন গল্প নিয়ে এলেন।বুদ্ধ ঐ শিষ্যর মন রক্ষার্থে যে নিজের দর্শনের স্ববিরোধী কাজ করেছেন তাকি বুঝা যাচ্ছে না।
অর্থাৎ উনি রাজার ছেলে না হলে তার কাজটা অন্যায় হত তাইতো।আর দূর্বল যুক্তির কথা বলছেন।রাহুল সাংকৃত্যায়ন কিংবা অন্য লেখকের সব লেখাই ইতিহাস আশ্রয়ী – কিন্তু ইতিহাস নয়। এখানে ‘ফ্যাক্ট’ লিখতে নিয়ে ‘ফিকশন’কে রেফারেন্স হিসেবে ধরতে হচ্ছে।গৌতম, বুদ্ধ, সিদ্ধার্থ, শাক্যসিংহ, তথাগত, মৈত্রেয় – প্রত্যেকটিই উপাধী/বিশেষণ/জনপ্রিয় নাম। শুদ্ধোধন-মায়াদেবী’র পুত্রের নাম সম্ভবত এখনো অজ্ঞাত।ইতিহাস ও পুরাণ এক করে দেখলে কিছু অসুবিধা হতে পারে।
শুরুতেই যেটা জানা দরকার সেটা হল গৌতম উত্তর ভারতের ক্ষত্রিয় সম্প্রদায়ের একটি গোত্রের নাম, যারা শাক্য জনপদে বাস করত। ‘বুদ্ধ’ বা ‘সিদ্ধার্থ’ একটি মানসিক অবস্থার নাম। এই হিসেবে শাক্য জনপদের গৌতম গোত্রের অনেকেই ‘বুদ্ধ’ বা ‘সিদ্ধার্থ’ হতে পারে।
বৌদ্ধপুরাণ যে একজন মহামতিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়, সেই ব্যক্তিটির কোন প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ নিদর্শন এখনো কোথাও পাওয়া যায়নি। এমনকি কপিলাবস্তু, লুম্বিনী ইত্যাদি জনপদ ঠিক কোথায় অবস্থিত, সেটাও বিতর্কিত।
দিনের শেষে বৌদ্ধধর্ম একটি ধর্ম। ধর্মের নিয়ম মেনে এর কেন্দ্রীয় চরিত্র বুদ্ধের বসবাস পুরাণে এবং সে বাস্তবতার ধার ধারেনা। গৌতম বৌদ্ধকে তাই ইতিহাসে খোঁজাখুজিতে কোন বাধা নেই, কিন্ত আমাদের হতাশ করে তিনি ইতিহাস থেকে আপাতত ফেরারী।তাই ইসলামের মত ১৪০০ সালের ধর্মকে ব্যবচ্ছেদ করা বুদ্ধ ও তার দর্শনের চেয়ে সহজ।আপনার মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ।
@ডেথনাইট,
আপনার সন্দেহবাদ খুব মেথডিকাল না। একবার দেখছি বুদ্ধের দৈববাণীর ব্যাপারে বৌদ্ধধর্মগ্রন্থের প্রতি আপনার অগাধ আস্থা, আবার বুদ্ধের সর্বঞ্জতার ব্যাপারে ততটা নয়।
@রৌরব, কি করব বলুন,রাহুল সাংকৃত্যায়ন কিংবা অন্য লেখকের সব লেখাই ইতিহাস আশ্রয়ী – কিন্তু ইতিহাস নয়। এখানে ‘ফ্যাক্ট’ লিখতে নিয়ে ‘ফিকশন’কে রেফারেন্স হিসেবে ধরতে হচ্ছে।গৌতম, বুদ্ধ, সিদ্ধার্থ, শাক্যসিংহ, তথাগত, মৈত্রেয় – প্রত্যেকটিই উপাধী/বিশেষণ/জনপ্রিয় নাম। শুদ্ধোধন-মায়াদেবী’র পুত্রের নাম সম্ভবত এখনো অজ্ঞাত।ইতিহাস ও পুরাণ এক করে দেখলে কিছু অসুবিধা হতে পারে।
শুরুতেই যেটা জানা দরকার সেটা হল গৌতম উত্তর ভারতের ক্ষত্রিয় সম্প্রদায়ের একটি গোত্রের নাম, যারা শাক্য জনপদে বাস করত। ‘বুদ্ধ’ বা ‘সিদ্ধার্থ’ একটি মানসিক অবস্থার নাম। এই হিসেবে শাক্য জনপদের গৌতম গোত্রের অনেকেই ‘বুদ্ধ’ বা ‘সিদ্ধার্থ’ হতে পারে।
বৌদ্ধপুরাণ যে একজন মহামতিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়, সেই ব্যক্তিটির কোন প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ নিদর্শন এখনো কোথাও পাওয়া যায়নি। এমনকি কপিলাবস্তু, লুম্বিনী ইত্যাদি জনপদ ঠিক কোথায় অবস্থিত, সেটাও বিতর্কিত।
দিনের শেষে বৌদ্ধধর্ম একটি ধর্ম। ধর্মের নিয়ম মেনে এর কেন্দ্রীয় চরিত্র বুদ্ধের বসবাস পুরাণে এবং সে বাস্তবতার ধার ধারেনা। গৌতম বৌদ্ধকে তাই ইতিহাসে খোঁজাখুজিতে কোন বাধা নেই, কিন্ত আমাদের হতাশ করে তিনি ইতিহাস থেকে আপাতত ফেরারী।তাই ইসলামের মত ১৪০০ সালের ধর্মকে ব্যবচ্ছেদ করা বুদ্ধ ও তার দর্শনের চেয়ে সহজ।আপনার মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ।
@ডেথনাইট,
একই মাপকাঠি ব্যবহার করলেই হল।
বুদ্ধ যদি নারীদের সংঘে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে গিয়ে থাকেন, তাহলে ’আমি সর্বজ্ঞ নই’ এটাও বলে গেছেন। প্রথমটা প্রামাণ্য, কিন্তু দ্বিতীয়টা ভীষণ insincere, এধরণের তর্ক নিতান্তই নন-রিগোরাস।
@রৌরব, আমিতো কোনটাই প্রামান্য দাবী করি নি।উপরে আমি অডঙ ভাইকে প্রশ্ন করেছিলাম সঠিকটা জানার জন্যই।পরে অভিজিৎদা অনেকগুলা লিংক দিয়েছেন।কোন ধর্ম বা ধর্মগুরুকে আরোপ করা আমার কাজ নয়।বরাবরই ধর্মকে নৃতত্ত্বের দৃষ্টিতেই দেখতে ভালোবাসি।বুদ্ধ ও তার দর্শন তথা ধর্ম নিয়ে ইতিহাস এত কম যে তা থেকে ফ্যাক্ট পাওয়া মুশকিল।আমার তর্ককে নন রিগোরাস মনে হলে এই ব্লগের অন্য ধর্ম নিয়ে তর্কগুলাও নন রিগোরাস।যারা ধর্ম,রাজনীতি ও সংস্কৃতির পারস্পরিক সম্পর্ককে না বুঝে ধর্মহীন বিশ্বের অলীক স্বপ্নে বিভোর তাদের কথা শুনলেই হাসি পায়।ধর্ম চিরকাল থাকবে এর ব্যাখ্যা বদলাবে এই সরল সত্যটা আপনারা বুঝবেন না বলেই মনে হয়।আমি একাডেমিক স্কলার নই একই সাথে নৃতত্ত্ব আমার আগ্রহের বিষয় কিন্তু পড়ার নয় তাই এ বিষয়ে গুছিয়ে লিখতে না পারার জন্য দু:খিত।
@ডেথনাইট, মনে রাখবেন, ইন্টারনেটে প্রাপ্ত তথ্যের ৮০%-ই জাংক, ফেইক বা এমনকি ডাহা মিথ্যা। কোনো পিকিউলিয়ার তথ্য পেলে আগে যাচাই করে দেখুন। If it’s too good to be true, it probably is.ধর্মের ইতিহাসও অনেকটাই তাই তর্ককে রিগোরাস করার কথা বলাই বাহুল্য
@ডেথনাইট,
এই সম্পর্ক আমিও জানিনা, আপনিও না। অত না হাসাটাই উচিত হবে। মানুষের কাজকর্মের কোন বিজ্ঞান এখনও বেরোয়নি।
@মুক্তি চাকমা, অনেক আগের লেখা তবু অনেকগুলো মন্তব্য করে ফেললাম কারন বিতর্কটা দারুন উপভোগ করছি।
একটু মনে হয় ভুল করলেন।দুনিয়াতে পশুহত্যা মহাপাপ এইটা বিশ্বাস করে কেউ পশুর মাংস কিনে খায় না।এই কাজটা একমাত্র আপনারাই করেন বলেই মনে হচ্ছে।
কাজেই মাস্টারমাইন্ড আপনারাই, অন্য ক্রেতারা নয়।
যে মানুষ বাইচা নাই তারে লইয়া এত প্যাঁচাল কিলা!!!হের কথা মাইনলে মাইনবেন, নইলে নাই…।
হে তার বউের সাথে…… মুখে খারাপ কথা আসে, অরে বলি তোমরা কি ধোয়া তুলসি পাতা!!! মাইয়া গো দিকে … থাক্ অহন কমু না। আগে আসল কথা সাইরা লই।
এতো আজাইরা প্যাঁচাল না পাইরা আপন্যেরা যারা দুই-চাইরডা বই, প্রবন্ধ লেইখ্যা নিজেরে খুব পন্ডিত বইলা মনে ভাইবতাছেন, হেগো রে কইইয়ের — “এমন একডা ধর্ম / দার্শনিক তত্ত্ব বানাইয়া ফ্যালান দেখাই দেন, যেইডা হইবো গো মোগো মানে মানবজাতিগো কাছে ১০০ভাগ গ্রহণশীল, সৃজনশীল, সত্য-বস্তুনিষ্ঠ মানে কারো দার্শনিক তত্ত্ব নকল না কইরা, যাতে কোন মাইনসে কোনো রকমের প্রশ্ন কইতে না পারে নিজেরাই প্রথম কোনো ধর্ম তত্ত্ব বানাইয়া দেখান। হগলের কাছে গ্রহণযোগ্য হইতে হইব কলাম কিন্তু।” না পারেন তয় অন্যেরে সম্মান দিতএন শিখন মিয়া। অন্যের বদনাম করা, প্রশ্ন করা অনেক সহজ, আমি চ্যালেঞ্জ দিতাছি আপ্ন্যাগো সৃষ্ট হেই তত্ত [যদি পারেন, জানি জীবনেও পাইবেন না…] থাইক্যা আমি ২০টা প্রশ্ন করুম আপনেরে থাইক্যা জবাব দিবার পাইবেন না।
দেখি আপ্নাগো হেডাম কতটুকুন। আপ্নাগো ইসলাম-হিন্দু-খৃষ্টান-বুদ্ধু কুনু ধরম পছন্দ কইরের না, তয় ঠিক কথা আপন্যাগো হেডাম নাই জ্যা মুই লয় আগে থেকইন জানিতাম, যদি থাক্তইন তয় বিদেশে লুকিয়া থাকতোন নই । ভাবিছিলাম মুক্তমনা মুক্ত মনের সুন্দর মানুষরাই থাকিবো। কিন্তু অহন দেইতাছি। ছিঃ ছিঃ। মুখে দিয়া খারাপ কথা আনিলাম না, আমি তয় আপ্নেগে মতন না!
অন্যেরে যুদ্ধবাজ, প্রতারক, ভন্ড, ঠক, বহুগামী কুয়ার আগেন নিজের মুখখান আয়নাত একডু ভালো কইরা তাকাইয়া দেইখ্যেন, আপ্নেরা যদি ভালো হইয়া থাকেন আমার দেয়া চ্যালেঞ্জ ছুইরা দিলাম, গহন করেন। আমি কিন্তু আগেত্থন কইয়া দিলাম মুইর কোনো হেডাম নাইক্যা হের লাইগা ধর্ম বা তত্ত্ব সৃষ্টির ধারে কাছে নাইক্যা, তয় আপ্ন্যাগো হেডাম থাইলে সৃষ্টি কইরা দেখান।
আর “পাহাড়ি”/ “হযবরল”– আপনাকে বলছি, আমি থাকলে চ্যালেঞ্জটা সানন্দে গ্রহণ করিতাম, তার প্রথম কারণ হইতাছে কুমির ভাইয়ারা ডাঙ্গায় দুর্বল, ডাঙ্গায় তাহারা শিকার ধরে কম আর মানুষ দেখিলে জলে নামিয়া পড়ে। আর ভয় পাবার কোন কারণ নাই, তবে দুঃখ হবে যখন আপনে কৃতকার্য হইলেও তাহারা মানিয়া লইবেক না। বরং সেটা নিয়ে কুৎসা রটাবেন। ছোট হৃদয় তো তাই… ! তাহারা প্রশংসা করিতেই জানে না।
—- আজাইরা! চ্যলাঞ্জ দেয় কারে আর কয় কারে!!! তয় ভাই আমার মনে অয় আপনের মাথা সিট আছে। একটা/একাধিক কুমিররে জেলের মধ্যে বছরের পর বছর বন্দী কইরা রাখবেন আর কইবেন বন্ধুত্ব কইরা আইস্তে!!! চ্যালাঞ্জ মানে বুঝেন! চ্যালাঞ্জ হইতাছে অন্যে যা পারবে না পরে আপনেরে তা কইরা দেখাইতে হইবো। সেই হিসাবে যদি হযবরল না পারে তয় কিন্তু আপনেরে কইরা দেখাই তে হইবো বন্ধুত্ব কুমিরের সাথে। কি রাজী!!!
ঘু ঘু দেখেছ ফাঁদ দেখনি। এই বার বুঝিবেন কত ধানে কত চাল।
তবে কুনু সমস্যা নাই, আপনেরা মুক্তমনা নাম-ধারীরা বেশিরভাগই তো মুক্ত নামে আই মিন ছদ্দনাম ধইরা আছেন। কথার বরখেলাপ আপ লোগোসে কই সিখে।
মুক্তমনা মোডারেটর মনে লয় মোর এই চ্যালঞ্জডা প্রকাশ কইবেন না। তয় হগল মুক্ত-মনারা ভীতু, কাপুরুষ, বীর্জহীন, বিদেশে আমেরিকা, কানাডা, যুক্তরাজ্য থাকেন। দেশে আইসা প্রকাশ্যে কইতে ডরান ক্যান! আজাদের মতন, তসলিমার দশা হইব এই ডরে!!! আপ্নাগো নাম ডরামনা, ভীতুমন, কাপুরুষ মনা হওয়া উচিত আছিল। খামা খা আজাইরা ওয়েব সাইট দিয়া খুইল্যা রাইখছেন। একডারও পুরুষাঙ্গ আছে বইল্যা মনে লয় ন।
কয়ডা প্রশ্ন কইতাছি, পৃথিবী সৃষ্টি হওয়ার আগে বিগব্যাঙ্গের আগে মাটি উপাদান কোথাথেকে আস্ছে/সৃষ্টি হয়েছে বলেন তো দেখি? মানুষ (নর-নারী) কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে? নর এসেছে পৃথিবীতে আগে নাকি নারী??? কোন প্রাণীর উদ্ভব প্রথমে হয়েছে??? জানি আপনেরা পাইরবেক্ত নাই। আপনেরা কচু পড়েন।
মায়ানমার, চীন, জাপানের বদনাম কইতে পারেন, সত্য কথা কইতে ডরান কেন? তাদের আবিষ্কারের কথা কইতে ডরান কেন! এখনো জাপান সহ বিশ্বের ২য় ও ৩য় স্থান দখল করিয়া আছে। আর আপনাদের হিন্দু রাষ্ট্র আছে ভারত নবমে, আর আপ নাগো মুসলমান রাষ্ট্র আছে সৌদি আরব ২৩তম। জাপান যে বাংলাদেশেরে অনুদান দিতাছে হেই কথা কন না কিলা! এই তো সেই দিনও জাপানের একটি বিশেষ দল এসে সৌরশক্তি শিখিয়ে দিয়ে গেলো বাংলাদেশে প্রথম আলোর খবর।
সত্য বলতে শিখেন। মর্দ হন মর্দ। কাপুরুষ নয়।
রাসেল, ক্যালিফোর্নিয়া।
@রাসেল.এস.৪২০,
ভাইরে 100% খাঁটি কথা কইসেন (Y) (Y)
@রাসেল.এস.৪২০,
জি, এটা বিশাল ভয়ের ব্যাপার। এতটুকু বোঝার বুদ্ধি একটা শিশুরো আছে।
@রাসেল.এস.৪২০,
ঠিক আছে ভাই আপনি অনেক সাহসী। দয়া করে বলবেন কি এই সাহস নিয়ে ১০ টা কুমিরে পূর্ণ একটা জলাশয়ে ঝাপ দেয়া বুদ্ধিমানের না বোকার কাজ?
@রনবীর সরকার, আপনে বোকার মতন প্রশ্ন ও চ্যালঞ্জ দিবেন আর আমরা কৈলেই দোষ। কৃষ্ণ কইল্যে লীলা খেলা আর মোরা কইল্যেই সব দোষ!!! জত দোষ নন্দঘোষ! ক্যন, বোকারাই সাহসী, জানেন না!!! আর চ্যলেঞ্জ গহণ করান আগার বোকামি হইয়া থাকে তাইলে কন সাহস কিইয়েরে কইবেন!!! …তয় জানের মায়া নিয়া চ্যালেঞ্জ লাইগ্লে বোকামি—ওরফে বোকা হয়, তয় আপ্ন্যাগো জানের মায়ার লাইগ্যা দেশের বাইরে যারা পালাইয়া আছেন মৌলবাদী রুপী কুমিরের হাত থাইক্যা বাচনের লাইগ্যা হেরা বুঝি বোকার হর্দ না!!:-D :lotpot: তারা কোনো কিছু ভাইবাই কাজ কইরা ফালান, বেশির ভাগই বোকারাই সফল। রিসার্চ কইরা দেখেন, সার্চ কইরা দেইখেন, পাইবেন। আপনাদের রেফারেন্স আমিও দিতে পারুম, রেফারেন্স ছোড়াছোড়িতে বিশ্বাস নাইক্যা হের লাইগ্যা দিমু না। আর আপনাগোর মতো সাহসীরা হারা জীবনে নতুন কিছু সৃষ্টি কইরবেক্ত পারে নাইক্যা। মুক্ত মনে হাছা কথা কইল্তে না পাইরলে পোষ্ট কইরা লাভডা কি, হুনি? রেফারী যদি আগেরত্থুনি নির্ধারণ কইরে রাখইন বিজয়ী, তাইলে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা ০% হইব।
@রণবীর সরকার, আপনের কথা অনুসারে প্রতিদিন সুন্দরবনে ১টা/২টা মানুষের লাশ পইরা থাকা উচিত, পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রতিদিন এরকম হরহামেশাই লাশের খবর দেখা যাওয়ার কথা,বিশের জনসংখ্যাও কইমইয়া যাওনের কথা আছইন। কৈ তেমন তো হয় না!!! বড়ং দিনে দিনে বাইড়তাছে। :lotpot:
মোরে কথা কইবার স্বাধীনতা দিতে হইব। আপ্ন্যাগো এডমিনরে কন পক্ষপাথদুষ্ট না হইয়া নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন কইরতে, মোর আইগ্যের দেয়ান পোষ্টগুলান ছাপাইতে কন। নইলে এইরকম আজাইল্যা প্যাঁচাল পাড়নের কোনো শখ মোর নাইক্যা। বিদায়। 🙂
রাসেল, ক্যালিফোর্নিয়া।
@রাসেল.এস.৪২০,
আপনার সুতাখোলা পোস্টের জবাব দেয়ার কোন ইচ্ছা নেই, কিন্তু wit যেহেতু যেকোন রূপেই প্রশংসনীয়
😀 (Y)
@ মুক্তি চাকমা
উপরে কমেন্টগুলাতে অনেক উদাহরন দেয়া হয়েছে ওষুধ গেলা রোগীদের কার্যকলাপ নিয়ে।আর স্বয়ং বুদ্ধর শান্তিদায়ক মহানির্বান দেখে আর শখ নাই।উনি নিজেই দিব্যজ্ঞানী বা সর্বজ্ঞ ছিলেন তাই সকল রোগের নিদান তার কাছে পওয়া যাবে না কেন।কস্ট করে অন্য ধর্ম নিয়েও পড়ুন “দু:খান্তের” কথা শিব-ভাগবত বা পাশুপত ধর্মেও আছে।
@ রণবীর সরকার
বুদ্ধ সহ সকল ধর্মগুরুই ভন্ড।সকল ধর্মগুরুই জন্মেরপর মহামানব হবেন এই ভবিষ্যৎবানী দেয়া হয় বুদ্ধ এর ব্যতিক্রম নন।তিনিও দিব্যজ্ঞানী হওয়ার সময় দৈববানী শুনেছেন সেলুকাস।অন্যান্য ধর্মগুরুর ন্যায় উনিও মুখে মুখে বানী প্রচার করতেন এবং শ্রুতধর শিষ্যরা তা পরে লিপিবদ্ধ করেছেন।উনি আলোকরুপে জ্ঞান পেয়েছেন অন্যরা দেখেছেন ঈশ্বরকে ! আর সকল ধর্মগুরুর ন্যায় উনার পরি/মহানির্বানও বিপুল শান্তিদায়ক ছিল বলাই বাহুল্য। 😀
বুদ্ধ কিসে ব্যতিক্রম একটু বুঝানতো।কস্ট করে নাগার্জুনের “মাধ্যমিক কারিক” পড়ুন তাহলেই বুদ্ধকে নিয়ে মোহ কেটে যাবে।
@ডেথনাইট,
দেখুন এক কাতারে সকলকে ফেলা বোধহয় ঠিক হচ্ছে না। একজন মানুষ যখন নিজের স্বার্থের জন্য এমনকিছু করেন যেটা তিনি জানেন যে করাটা ভুল হচ্ছে তবেই তাকে ভন্ড বলা যায়।
এখন প্রশ্ন হল বুদ্ধ যা করেছেন তাতো মানুষের দুঃখ দূর করার জন্যই করেছিলেন। আমি কিন্তু সেই তর্কে যাচ্ছিনা যে দূর করতে পেরেছিলেন কিনা। তবে তার উদ্দেশ্য কিন্তু দুঃখ দূর করাই ছিল এমনকি তিনি প্রাণীদের দুঃখেও কাতর ছিলেন একটা ছাগশিশুর বিনিময়ে নিজের প্রাণ দিতে চেয়েছিলেন।
এই ভবিষ্যৎবাণীর ব্যপারটা ভারতে একজন গণিতবিদের ক্ষেত্রও দেয়া হয়েছিল। তিনি হচ্ছেন শ্রীনিবাস রামানুজন যদিও জন্মের পরে।
যাহোক জন্মের পর মহামানব হবেন এই ভবিষ্যৎবাণী দেয়া যদি বুদ্ধের অপরাধ হয় তাহলে আর কি বলব?
হ্যা কিছু কিছু গ্রন্থে তার এই দৈববাণী শুনার কথা রয়েছে। কিন্তু বুদ্ধের জীবনীর অনেক ঘটনাই প্রমান করে
যে বুদ্ধ অলৌকিকতাকে বিশ্বাস করতেন না। সুতরাং এই ব্যপারটাতো আমার মনে হয় পরবর্তীতে তার অনুসারীদের অতিরঞ্জন।
আলোকরূপে জ্ঞান পেয়েছেন মানে? এই কথা শুনে খোদ বুদ্ধও তো অবাক হতেন বলে মনে হচ্ছে। জ্ঞানকে আলো বলা হয় এটা ঠিক আছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আলোক রূপে জ্ঞান।
নাগার্জুনের ‘মাধ্যমিক কারিক’ আমার কাছে নেই সুতরাং এখন পড়তে পারছি না। 🙁
যাহোক আপনি যদি ওই বইয়ের কিছু টপিক নিয়ে আলোচনা করতেন তবে উপকৃত হতাম।
@রনবীর সরকার, মহান বুদ্ধই যখন একই সাথে ছাগ শিশুর প্রান বাচান আবার মরার পূর্বে শুকরের মাংস চিবান সেলুকাস।সেখানে আমরাতো নাদান মাত্র। 😀 দয়া করে অন্য ধর্ম নিয়েও পড়ুন তাহলেই জানবেন বুদ্ধ কিভাবে প্রাচীন সূর্যবাদ থেকে ভাগবত ধর্ম এমনকি জন্মান্তরবাদকেও নতুন মোড়কে পরিবেশন করেছেন।অহিংসা থেকে বস্তুবাদী দর্শন কিংবা নিরীশ্বরবাদও মেরেছেন কপিলের সাংখ্যদর্শন বা চার্বাক থেকে।উনাকে ভালো বললে জগতে আর কালো কে?http://www.comparativereligion.com/Buddhism.html
উপরে জানতে চেয়েছিলেন হাসি আসে কেন আপনিও সমালোচনার প্রমান পেলেই তা অতিরঞ্জন বলছেন অথচ বুদ্ধকে ভালো বানানোর জন্য যে গল্প বা বানী এনে হাজির করেন তা অতিরঞ্জন কিনা ভেবে দেখেন না।আপনি বা আরো অনেকের বুদ্ধর প্রতি অনুরাগকে ভন্ডামী মনে হয় তার কারণটা ফরিদ ভাইয়ের ভাষায়ই বলি
@ডেথনাইট,
ভাগবত ধর্ম জিনিসটা কি?
@রৌরব, এটা বৈষ্ঞব ধর্মের আদি রুপ।
@ডেথনাইট,
আরেকটু বলুন, নইলে বুঝতে পারছি না। কখন এটার ঐতিহাসিক উৎপত্তি? বুদ্ধের কতদিন আগে? এর কি কি ফিচার বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেছে ও তা কিভাবে জানা গেল।
@রৌরব, আপনি বই খুজে নিন কেননা গ্রহনযোগ্য লেখকের নাম আমার কাছে নেই।
@ডেথনাইট,
কপিল কি কোন ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব? বুদ্ধের কতদিন আগে তার জন্ম?
@রৌরব, কপিল “সাংখ্যদর্শন” এর রচয়িতা।তার জন্ম ধরা হয়েছে খ্রীস্টপূর্ব ৭ শতক।বুদ্ধ যখন বাড়ী ছেড়ে বেড়িয়ে আসেন তখন যে দুজন প্রথমে তাকে শিক্ষা দেন ও পরবর্তীতে যে পাচজন সাধুর সাথে তার দেখা হয়েছিল তারা সাংখ্যদর্শন ও যোগ দর্শন এবং জৈন ধর্মধারী ছিল।
@ডেথনাইট, @রৌরব আপনি সুনীল চট্টোপাধ্যায়ের “প্রাচীন ভারতের ইতিহাস” পড়ে দেখতে পারেন।
@ডেথনাইট,
কপিলের ঐতিহাসিকতার কোন প্রমাণ আছে বলে কখনো শুনিনি (সুনীল গ্রহণযোগ্য নয়)। সাংখ্য দর্শনের ব্যাপারটা ভিন্ন।
@রৌরব, দেখুন বুদ্ধেরও ঐতিহাসিক প্রমান নেই।অশোকের বৌদ্ধ ধর্মের প্রমান আছে।যেহেতু আপনার কাছে গ্রহনযোগ্য কোন লেখকের নাম আমার কাছে নেই তাই এই আলোচনা না বাড়ানোই শ্রেয়।মনে রাখবেন, ইন্টারনেটে প্রাপ্ত তথ্যের ৮০%-ই জাংক, ফেইক বা এমনকি ডাহা মিথ্যা। কোনো পিকিউলিয়ার তথ্য পেলে আগে যাচাই করে দেখুন। If it’s too good to be true, it probably is.ধর্মের ইতিহাসও অনেকটাই তাই তর্ককে রিগোরাস করার কথা বলাই বাহুল্য
@ডেথনাইট,
নিশ্চয়ই। এসব বস্তা-পচা পুরনো জিনিসের ক্ষেত্রে সবকিছুর ঐতিহাসিকতাই সন্দেহের বিষয়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে কোয়ান্টিটেটিভ পার্থক্য নেই। যীশুর ঐতিহাসিকতা নিয়ে ঘোর সন্দেহ আছে, কিন্তু মোসেস নিতান্তই আষাড়ে। গিলগামেশ অত্যন্ত প্রবলেমেটিক, কিন্তু হামুরাবি ততটা নয়। কপিল যে অর্থে অনৈতিহাসিক, বুদ্ধ তার তুলনায় বেশি ঐতিহাসিক।
দ্বিতীয়ত, আপনিই তো ঐতিহাসিক দাবি করছেন যে বৌদ্ধ ধর্ম কপিলের সাংখ্যের কাছে ঋণী। এটা তো বৌদ্ধ ধর্মের ব্যাপারে কোন ধর্মীয় দাবি নয়, এটা একটা ঐতিহাসিক দাবি।
@রৌরব, আমার দাবীটা ঐতিহাসিক হলেও অমূলক নয়
It is claimed that the Siddartha Gautama’s way of life and doctrine were substantially different from the Hindu (Vedic and Brahmanic) believing people in India.
Yet he embraced the Hindu beliefs of Karma and rebirth explaining it as a natural law of cause and effect. Hence Buddhism is often considered as an off-shoot of Hinduism because it shares with Hinduism its core beliefs of Karma and reincarnation. It also shares many common terms, some of which are: Dharma, Samsara, Mantra, Samadhi and Aum.
What distinguishes it from Hinduism is that it does not invoke the existence of gods.
There is no single, comprehensive philosophical doctrine shared by all Hindus that distinguishes their view from contrary philosophical views associated with other Indian religious movements such as Buddhism or Jainism on issues of epistemology, metaphysics, logic, ethics or cosmology.
Sāṅkhya (often spelled Sāṁkhya) is a strong Indian example of metaphysical dualism, but unlike many Western counterparts it is atheistic.
The first premise of Sāṅkhya is the universal fact of suffering. There are many practical ways to ward off the darker side of life: such as self-defense, pleasures, medicine, and meditation. But, according to Sāṅkhya, all of them are of limited efficacy and at best can offer only temporary relief. The refuge offered by traditional Vedic religion is similarly unsatisfactory—it does not lead to complete purification (mainly because it involves bloody animal sacrifices), and the rewards it promises are all temporary: even after a happy and prolonged stay in heaven one will be reborn on Earth for more suffering.Therefore the solution offered by Sāṅkhya is arguably superior: it analyzes the fundamental metaphysical structure of the world and the human condition, and finds the ultimate source of suffering, thereby making it possible to fight it effectively. Cutting the root of rebirth is the only way to final emancipation from suffering, according to Sāṅkhya.
According to Sāṅkhya, causality is the external, objective counterpart of the intellectual process of inference. As Sāṅkhya understands itself as the school of thought that understands reality through inference, causality plays a central role in the Sāṅkhya philosophy. According to Sāṅkhya, the world as we see it is the effect of its fundamental causes, which are only known through their effects and in conjunction with a proper understanding of causation.
@ডেথনাইট, http://www.iep.utm.edu/sankhya/
এখানে শুধু “বুদ্ধরা পশুবধের মাস্টারমাইন্ড। ” পড়িতে হইবে। মুদ্রন বিভ্রাট এর জন্য দুখিত।
” ধর্মের সমালচনা কর, ধার্মিকের নয় ”
ধন্যবাদান্তে
সপ্তক
@রৌরব লিখেছেন:
আপনি তো দেখছি জোর করে কুদ্দুস কসাইয়ের কৃত পাপের ভাগ বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর ঘাড়েও চাপাতে চাইছেন। কিন্তু তার মাংস ব্যবসা থেকে লাভের টাকা তো তাদের দিতে চাইছেন না! লাভ ও পাপ উভয়ই তো অখণ্ডভাবে তার ব্যবসা থেকে অর্জিত হচ্ছে। পাপের ভাগ পেলে লাভের ভাগও পাওয়ার হক তাদের নিশ্চয় আছে!! অথচ আপনি লাভের টাকাগুলো সব কুদ্দুসকে দিয়ে দেবেন, আর পাপের ভাগ সবাইকে ভাগ করে দেবেন এটা কেমন কথা? আপনি নিজের বিবেককে প্রশ্ন করে দেখুন তো আপনি সত্যিই এ ক্ষেত্রে ন্যায় বিচার করছেন কিনা।
@ডেথনাইট,
বুদ্ধ কি কখনো বলেছেন তার ধর্ম যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য? তিনি দুঃখের কারণ তৃঞ্চা ও অবিদ্যা থেকে মুক্তি লাভের উপায় বলেছেন। যুদ্ধের কারণ ও তার থেকে পরিত্রাণের পথ সম্পূর্ণ ভিন্ন। সেটার জন্য ভিন্ন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। আপনি যদি উদরাময়ের চিকিৎসার জন্য ম্যালেরিয়ার ওষধ খান, তাহলে তো রোগ সারবে না। তখন ডাক্তারকে দোষ দিয়ে লাভ কি?
বুদ্ধ জানতেন তিনি যে সমাজে বাস করেন সেখানে রাজা রাজার মধ্যে যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী। তাই তিনি তার শিষ্যগণকে বৈরীগণের মধ্যে অবৈরী থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে তিনি তার জীবদ্দশায় রোহিণী নদীর পানিকে কেন্দ্র করে দুই রাজার মধ্যে যুদ্ধ বাধার উপক্রম হলে তা রোধ করেছিলেন। তার প্রচেষ্টায় তিন বার এই যুদ্ধ রোধ হয়েছিল। চতর্থবার রাজারা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিলে বুদ্ধ আর তা বন্ধের চেষ্টা করেননি।
বুদ্ধের সমালোচনা করার আগে তার ধর্মকে আগে কেবল ভালো করে জানা নয় পালন করাও উচিত। একটা উদাহরণ দিই। ধরুন আপনি রোগের চিকিৎসার জন্য এক ডাক্তারের কাছে গেলেন। ডাক্তার আপনাকে পরীক্ষা করে কিছু ওষধ দিলেন এবং কিভাবে তা সেবন করতে হবে ও কি কি নিয়ম বা বিধি নিষেধ পালন করতে হবে তাও বলে দিলেন। এখন আপনি ওষধ খাওয়ার পর যদি সুস্থ না হন কেবল তখনই উক্ত ডাক্তারের ওষধ ও চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে সমালোচনা করতে পারেন। তার আগে নয়। ঠিক তদ্রুপ, বুদ্ধ দুঃখ মুক্তির জন্য যে ওষধ প্রেসক্রাইপ করেছেন সেটা সেবন (পালন) না করে তার সমালোচনা করা কতটুকু যুক্তিযুক্ত? আপনারা যদি বলতেন আমি বুদ্ধের নিয়ম নীতি মেনে চলেছি, আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ (পথ) ধরে হেঁটেছি, কিন্তু কই নির্বাণ তো সাত হলো না, দুঃখ থেকে মুক্তি তো হলো না, তখন হয়তো বুঝতাম আপনাদের সমালোচনা যৌক্তিক। কিন্তু আপনারা তা না করে, ডাক্তারের দেয়া ওষধ না খেয়েই ও তার বেঁধে দেয়া নিয়ম নীতি না মেনেই সমালোচনা করে বলছেন ডাক্তারের দেয়া ওষধের রং সাদা কেন? ওষধের বড়িগুলো গোল কেন, নামটা অমুক কেন, চ্যাপটা কেন? এটা ওটা খাওয়া নিষেধ কেন ইত্যাদি।
@মুক্তি চাকমা,
একটা ব্যপার পরিস্কার না , অন্যকেউ পশুবধ করলে আমি যদি সেই পশুর মাংশ খাই তাহলে আমার পাপ হবে না, যে বধ করেছে তার পাপ হবে । এটিই কি মূল কথা নাকি?। এতে ত বধ কে উৎসাহই দেয়া হোল । যদি বারধ্যক্য জনিত কারনে কোণ পশুর মৃত্যু হয় তাহলে যদি খাওয়া যেত তাও না হয় মানতাম , ঠিকই আছে,। দশজন বুদ্ধ যদি কসাইয়ের কাছ থেকে মাংশ কেনে তাহলে ত এখানে বুদ্ধরা পশুরা পশুবধের মাস্টারমাইন্ড। কারন যারা মাংশ কিনবে কসাই ত তাদের জন্যি পশুবধ করে । আর মাস্টারমাইন্ড এর শাস্তি ত খুনীর চেয়ে কম হয় না। বুদ্ধ ধর্ম আসলে কোণ ধর্ম না একটি পুরনাংগ জীবন ব্যবস্থা , একথাও প্রচার করা হয়, কিন্তু এখানে ত মনে হচ্ছে এটা ধর্মই। সব ধাণধার ই কিছু উদ্দেশ্য থাকে। অনেক মানুষ আছে যারা অর্থনৈতিক ভাবে সৎ কিন্তু চারিত্রিক ভাবে অসৎ। আবার অনেকে উল্টাটা । আসল ধান্দা ত বিখ্যাত হওয়া, যেমন মাদার তেরেসা, বিবেকানন্দ,এবং বুদ্ধ।
******** সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ ***********
সকল ধর্মই অধর্মের মূল
@মুক্তি চাকমা,
আপনার যুক্তির মাধুরী আমাকে ক্রমশ মুগ্ধ করছে। আমার কথা ছিল, চুরির সাথে যে analogy দিয়েছেন সেটা ভুল, কারণ কসাই-এর কার্যক্রম public। প্রথমে সেটা সামলিয়ে নিন।
আপনার লেখা পড়ে আমার ইচ্ছা জেগেছে একটা ডাকাতির কম্পানী খাড়া করবার। ডাকাতি করব, তারপর এসব মাল বিক্রি করব, এটা ডাকাতির পণ্য স্পষ্টভাবে সেই ঘোষনা দিয়ে। আশা করছি আপনাকে ক্লায়েন্ট হিসেবে পাব। চিন্তা করবেন না, আপনাকে মাল বেচা টাকা দিয়ে কেনা কুড়াল দিয়ে সালেহার মাথা ফাটিয়ে তার গয়নাগুলি হাতানোর সময় আপনার কথা মনে মনে ভাববনা।
একটা বিষয়ে আমি এখন মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছি যে এখানকার বৌদ্ধরা আসলে এন্টি হিন্দু-মুসলিম-খ্রিষ্টান।অন্য ধর্মগুলো নিয়ে যখন মুক্তমনায় লেখা প্রকাশিত হয় তখন তারা মজা পায় কিন্তু বৌদ্ধ ধর্ম নিয়ে কোন যৌক্তিক লেখা পড়লে তাদের মাথায় আগুন ওঠে!অন্য সময় তারা নাস্তিকের মত আচরন করে কিন্তু বৌদ্ধ ধর্ম নিয়ে লেখা পড়ার সময় তারা বুদ্ধিস্ট হয়ে যায়!শুরু করে দেয় ব্যক্তি আক্রমণ!অন্ধ ধার্মিকদের(তথাকথিত!!) মত যাদের আমরা ছাগু বলি :-s
@নাস্তিক দীপ,
আপনার কথাগুলো আসলেই 😀 😀 😀 মতো। এখানেতো আপনার কথাগুলো যুক্তি খন্ডিত করা হয়েছিল। আর কিভাবে আপনি বলতে পারলেন মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছি যে এখানকার বৌদ্ধরা আসলে এন্টি হিন্দু-মুসলিম-খ্রিষ্টান?
অন্য ধর্মগুলো নিয়ে যখন মুক্তমনায় লেখা প্রকাশিত হয় তখন কি বৌদ্ধরা হাত তালি দিয়ে বেড়াই নাকি মন্তব্য করে বেড়াই?
@পাহাড়ি,
কোথায় খণ্ডিত করা হল?আপনারা ভুল ভাল মনের মাধুরী মিশায় অয়াজ ছাড়ছেন আর সবাই যেভাবে মজা নিচ্ছে। :lotpot:
জী জনাব,আপনারা তাই করেন।আপনাকে না আমি চালেঞ্জ দিয়েছিলাম?চিড়িয়াখানায় কুমীরের সাথে থাকতে হবে?খুব তো সাপ পকেটে নিয়ে ঘুরতে পারেন দাদা।মৈত্রী দেখাইতে পারেন।একটু কুমীরের সাথে দেখাবেন প্লিজ?
খুব উপভোগ করলাম। এমন ধারালো কথা বলা আপনার বাবাকে সেলাম।
@কৌস্তুভ, ধন্যবাদ আপনাকে
এইখানে কি ধর্ম লইয়া কলহ চলিতেছে? :-[ ,ভাইসব আপনাদের কি আর কোণ কর্ম নাই ?। ধর্মের পিছনে নিরন্তর লাগিয়া থাকেন কেন?। বুদ্ধ ত নির্বাণ লাভের আশায় প্রথম দফায় না খাইয়া মরিতে বসিয়াছিলেন। ঘড়ে যুবতী ভার্যা ও সন্তান রাখিয়া বনে গিয়া গাছের নীচে বসিয়া ধ্যান করিতেন। সব ধর্ম প্রচারকই ধ্যান কোরিয়া সিদ্ধি লাভ করিয়াছিলেন, ইহা আর নতুন কি?। কেহ পাহাড়ের গুহায় কেহ গাছের নীচে। নিন্দুকেরা কহে বুদ্ধের লিবিডো সমস্যা সমস্যা দেখা দেয়ায় তিনি নারী সঅঙ্গ ত্যাগ করেন , নারীসংগ ই যদি ত্যাগ করিতে হইবে তাহা হইলে আর সিং হাসনে বসিয়া আর কি হইবে?। লেজ যখন কাটা গিয়াছেই তখন অন্যের লেজ কাটাতে লিপ্ত হন বুদ্ধ। তবে বর্তমান বিশ্বে জন্মাইলে ভায়াগ্রা র দউলতে বুদ্ধা সিং হাসনের লোভ ত্যাগ না কোরিয়া এরশাদের মতই বীরদরপে একাধিক ভার্যা লইয়া সুখে শান্তিতে জীবন কাতাইতেন
পুনশ্চঃ ভুটানের রাজা জিগ্মে সিগ্মে ইয়াঞ্চুক একসাথে তিন সহোদরাকে বিবাহ করিয়াছিলেন। ইয়াঞ্চুক ত বৌদ্ধ বলিয়াই জানিতাম।
@সপ্তক,
তথ্যের জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু একজন বিচ্ছিন্ন নারী লোভীর উদাহরন দিয়ে নিশ্চয় বৌদ্ধদের যাচাই করবেন না!! :-s
বিতর্কগুলো ভালোই উপভোগ করলাম। মনে রাখতে হবে প্রচলিত আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে কোন ধর্মই রচিত পারে না। কারণ একে সাধারণ জন সাধারণ সাদরে গ্রহণ করবে না। ধর্মগুরুরা যা করেছেন তা হল যুগের প্রয়োজনে সংষ্কার অর্থাৎ ব্যাপক বা স্বল্প আকারে যোগ বিয়োগ। যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের স্বভাব, আচার-আচরণ, চিন্তা চেতনায়, নিত্য নৈমিত্তিক বিষয় আ্সয়ে পরিবর্তন আসতে বাধ্য। তাই কোন বাণী, কোন দর্শন, কোন আইন কানুন, কোন বিশ্বাস সেই প্রচলিত সময় বা কিছু কালের জন্য উপযুক্ত বটে কিন্তু অনাগত দীর্ঘকালের কাছে তা কেবল ইতিহাসের অংশ।
@রাজেশ তালুকদার,
বর্তমান নিয়া কিছু বয়ান দ্যান পিল্-লিজ
লেখা এবং মন্তব্যগুলো পড়তে খুব ভাল লাগছে। আসলে বুদ্ধের কিছু বাণী আমার খুবই ভাল লাগে আর বুদ্ধ একটা ছাগশিশুর জন্য নিজের প্রাণ বিসর্জন দিতে চেয়েছিলেন এটা যদি সত্য হয় তাহলে তিনি সত্যিই আমাদের শ্রদ্ধার দাবী রাখেন।
তবে বুদ্ধের দর্শনের মধ্যে অনেক কিছুই আছে যেগুলো স্রেফ মিথ্যা। বুদ্ধের দর্শনে তৎকালীন বৈদিক ধর্মের যে কিছুটা প্রভাব ছিলো(যদিও বুদ্ধ বেদকে অস্বীকার করেছিলেন) তা বলাই বাহুল্য। আর পরবর্তীতে বৌদ্ধধর্মের মধ্যে তন্ত্র ঢুকে এর আরও সর্বনাশ করে দিয়েছে। এখন প্রশ্ন হল এর জন্য বুদ্ধকে দোষ দেয়া যায় কিনা?
“আত্মদীপো ভব
আত্মশরণো ভব
অনন্যশরণো ভব” —- গৌতম বুদ্ধ
(নিজের বিবেকের নির্দেশে, আত্মদীপের আলোয় পথ খুঁজে নিও। পরের কথায় কান দিও না। তুমিই তোমার গুরু, তুমিই তোমার পথপ্রদর্শক ! )
Doubt everything and find your own light.
– Gautom buddha
@রনবীর সরকার,
কিছু মনে করবেন না সবধর্মগুরুই মুখে মুখে বানী দিয়েছেন তাই লিখিত বানী আদৌ তাদের কিনা এটাও যাচাইয়ের বিষয়।বৌদ্ধধর্ম বেশ পুরানো তাই তার পালি বা সংস্কৃত যে বানী তার বলে চালিয়ে দেয়ার চেস্টা করে তাকে ভালো প্রমানের চেষ্টা করেন এগুলা দেখলে হাসি আটকে রাখা মুশকিল। ভাষার টাইমলাইন আছে তাই ইদানীং কিছু ইসলামী পন্ডিতও কুরআনের নতুন তাফসীর এনে প্রমান করছেন তা মিসইন্টারপ্রিটেশন।ধ্ম্মপাদেই দেবতা যম বা নরক কিংবা বুদ্ধই ৩১ লোকভূমির বা পুন:জন্মের কথা বলেছেন অন্যদিকে তিনি পরকাল বা জন্মান্তরবাদের কথা বলেন নি এমন দাবীও আছে।তাই আনন্দর মত কিছু মানুষের লেখা বানী দিয়ে তাকে ভালো প্রমান করাটাই হাস্যকর।উনি জ্ঞানকে আলো বলছেন যা প্রাচীন সূর্যবাদের ছায়া।পরবর্তী সময়ে উনার প্রতীকরূপে তাই সূর্যমন্ডল গৃহিত হয়েছে।এমনকি বুদ্ধত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তির মাথার পিছনেও আলোক গোলক যা প্রকারন্তরে সূর্যমন্ডল বোঝায়।
@ডেথনাইট,
মনে করার কিছু নাই ভাই। মুক্তমনাতে এসেছি মুক্তমনে আলোচনা করার জন্যই। আর আমি বৌদ্ধ নই। সুতরাং বৌদ্ধধর্মাবলী বলে বুদ্ধকে ডিফেন্ড করছি এরকম ভাবার কোন কারন নাই। আমি সমালোচনার জন্য সমালোচনা করার পক্ষপাতী নই। যার যেই অংশটুকু সমালোচনার যোগ্য সেটাই সমালোচনা করা উচিত। আর আমার জন্ম হিন্দু পরিবারে। সুতরাং বৌদ্ধ হয়ে বুদ্ধকে ডিফেন্ড করছি এইরূপ ভাবার কোন কারন নাই।
সবধর্মগুরু কিন্তু মুখে মুখে বাণী দেন নাই। 🙂 ।
উদাহরনস্বরূপ শঙ্করাচার্য অদ্বৈতবাদের প্রচারের জন্য ব্রহ্মসূত্রে ভাষ্য লিখেছিলেন। তবে বুদ্ধের বাণী অবশ্য পরেই সংকলন করা হয়েছে। ত্রিপিটক বুদ্ধের প্রয়ানের মাত্র তিন মাস পর থেকে লেখা শুরু হয়, যদিও পরবর্তীতে তিনশ বছর ধরে এর পরিবর্ধন এবং পরিমার্জন হয়। এটা স্বাভাবিক যে ত্রিপিটকে অবশ্যই বুদ্ধের বাক্যের বিকৃতি ঘটবে(যদিও দাবী করা হয় যে তিন শ্রেণীর শ্রুতিধররা তিনটি পিটক রচনা করেন ), এমনকি অনেক বাক্য হয়ত বুদ্ধের নয়। আর স্বাভাবিকভাবেই এই তিনশ বছরে হিন্দুধর্মের অনেক বিষয় বুদ্ধ ধর্মে ঢুকে যাবে। এর প্রমাণ পাওয়া যায় জাতকের গল্পগুলোতে সেখানে অনেক গল্পই হিন্দুদের পৌরানিক গল্পের মতো এবং কিছু গল্পে স্বর্গের রাজা ইন্দ্রের কথাও এসে গেছে।
দেখুন বৌদ্ধধর্ম বেশ পুরানো তাই ওই পালি ভাষায় লিখিত বাণীগুলো ছাড়া বুদ্ধকে জানার অন্যকোন উপায় আছে বলে আমার জানা নেই। আর এতে হাসার কি হল তা সত্যি বোধগম্য হল না।
বুদ্ধের পুনর্জন্মবাদ হিন্দুদের পুনর্জন্মবাদের থেকে কিছুটা ভিন্ন। বুদ্ধ হিন্দু পুনর্জন্মবাদকে পুরোপুরি বাদ না দিয়ে নতুন মোড়কে প্রচার করেছিলেন। হিন্দু পুনর্জন্মবাদ যেখানে আত্মার পুনর্জন্মের কথা বলে। বুদ্ধ সেখানে আত্মাকে বাদ দিয়ে সংস্কারগুলোর পুনরায় অভিব্যক্তিকেই পুনর্জন্ম বলে চালিয়েছিলেন।
আহা। ভাল মানুষকে ভাল না বলার কি আছে?
বুদ্ধের বিরুদ্ধে যে দুইটা অভিযোগ মন্তব্যগুলোতে দেখলাম সেগুলো নিয়ে কিছু বলি।
প্রথম অভিযোগ বুদ্ধ সংঘে নারী প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। এক্ষেত্রে বুদ্ধের আশংকা ছিল যে সংঘে নারী প্রবেশ হলে সংঘের আয়ুষ্কাল কমে যাবে। এটা যে ঘটেছে তা বলাই বাহুল্য। পরবর্তীতে বুদ্ধ সংঘগুলো নেড়া-নেড়ীর আস্তানায় পরিনত হয়েছিল। বুদ্ধের আশংকা একেবারে মিথ্যা হয়ে যায় নি।
আর একটা অভিযোগ হচ্ছে বুদ্ধ কেন তার স্ত্রী ও পুত্রকে ছেড়ে বের হয়েছিল। প্রথমত তার স্ত্রী ও পুত্রকে ত্যাগ করার পর স্ত্রী ও পুত্রকে যে না খেয়ে মরতে হয়েছিল তেমনটিতো নয়। দ্বিতীয়ত বুদ্ধ সকলের দুঃখ দূর করার উদ্দেশ্যেই ঘর ছেড়ে বের হয়েছিলেন এবং সেইসময় তার অন্য কোন উদ্দেশ্য ছিল বলেতো মনে হয়না। অবশ্য আসলেই দুঃখ দূর করতে পেরেছিলেন কিনা সেটা পরের আলোচ্য বিষয়।
জ্ঞানকে আলো বলা প্রাচীন সূর্যবাদের ছায়া এটা অস্বীকার করছি না। তবে আমরা কিন্তু এখনো বলি ‘শিক্ষার আলোয় আলোকিত হোক সমগ্র জাতি’।
সুতরাং বুদ্ধ জ্ঞানকে আলো বলছেন কিংবা বুদ্ধত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তির মাথার পিছনেও আলোক গোলক, ইহাতে খুব বেশি দোষের কিছু দেখছি না।
যাহোক আরও কিছু লেখার ইচ্ছা ছিল কিন্তু টাইম নাই বলে লেখতে পারলাম না। ভাল থাকবেন। পরে কথা হবে।
@রনবীর সরকার,
তাহলে পুরুষদের নিষিদ্ধ করলেই পারতেন। পুরুষরা অপরিহার্য, নারীরা নয়?
@রৌরব,
বাহ্, বেশ ভালো জবাবতো! :guru:
@রৌরব,
বুদ্ধ নিজেই পুরুষ ছিলেন উপরন্তু ভালো মানুষও বটে।উনি কি করে নিজের স্বজাতিকে নিষিদ্ধ করবেন বলুনতো। 😀
@রৌরব,
দারুন যুক্তি। (Y) (Y)
কিন্তু তাহলেতো পরে আবার বলবেন পুরুষদের কেন নিষিদ্ধ করা হল?
@রনবীর সরকার, তাতো করবই কেননা মহান বুদ্ধই যখন একই সাথে ছাগ শিশুর প্রান বাচান আবার মরার পূর্বে শুকরের মাংস চিবান সেলুকাস।সেখানে আমরাতো নাদান মাত্র। 😀
@ডেথনাইট,
চালিয়ে যান ভাই আপনার যুক্তিগুলো খুব ভালো লাগে (Y) (Y)
@পাহাড়ি,
জী ভাই আপনার যুক্তিগুলাও ব্যাপক বিনুদুন দেয়।যেমন অজগর বিষয়ক কথাবার্তা আরে বাবা পেটভরা থাকলে অজগর কেন অ্যানাকোন্ডারেও ভয় পাওয়ার কিছু নাই এটা বাচ্চা পুলাপানও জানে।আর বাঘ-কুমীরের সাথে টেলিপ্যাথি 😀 ভাই সাপের সেক্স বহুৎ দেখেছি।এসবের সাথে মৈত্রী ধারণার সম্পর্ক আসলেই ব্যাপক বিনুদুন দেয়। :guru:
@ডেথনাইট,
কন কি ভাই :lotpot: :lotpot:
বুদ্ধ ধর্ম মতে প্রাণী হত্যা ও মুক্তি প্রসঙ্গ
এমন একটা কঠিন পরিস্থিতিতে যেমন জেলখানায় ভয়ানক মশার জ্বালায় বুদ্ধ ধর্ম মতে কী করতে হবে সে ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়েছে। বুদ্ধ ধর্মের একটাই পরামর্শ: কোন অবস্থাতেই প্রাণী হত্যা করা যাবে না। তবে বুদ্ধ ধর্ম মতে, গুণহীন পশুপক্ষী হত্যায় অল্প পাপ, মহাশরীর হত্যায় মহাপাপ। এখানে মহাশরীর বলতে মহাজীব অর্থাৎ যার ইন্দ্রিয়সমূহ সবচেয়ে বিকশিত তাই বোঝাবে। সেজন্য একজন মানুষ হত্যা করলে যে পাপ হবে, একটা মাছি মারলে সে পাপ হবে না। মানুষ হত্যায় জেল এমনকি মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে, কিন্তু মাছি হত্যায় তা হবে না। মানুষের মধ্যেও গুণের কম-বেশী তারতম্য অনুসারে পাপের তারতম্য হয়। অর্থাৎ কম গুণের অধিকারী কাউকে খুন করলে যে পাপ হবে, একজন অর্হৎ ভিক্ষুকে হত্যা করলে তার চাইতে বেশী পাপ হবে। হত্যা বলতে কী বোঝায় সে ব্যাপারে “পাহাড়ি” আলোকপাত করেছেন। তাই সে সম্পর্কে আর আলোচনায় যাচ্ছি না।
জেলে মশার উৎপতের মধ্যে মশা না মেরে থাকা সম্ভব কীনা সেটা ব্যক্তি বিশেষের ওপর নির্ভর করবে। তবে বাংলাদেশের মতো জেলখানায় বুদ্ধের পঞ্চশীলের একটি শীল (নীতি) পানাতিপাত বা প্রাণী হত্যা থেকে বিরত থাকার নীতি পালন করা কঠিনই হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। সে জন্য প্রথমেই যা করা দরকার তা হলো যাতে জেলে যেতে না হয় সেভাবে জীবন ধারণ করা। যদি কেউ প্রথম থেকেই পঞ্চশীল পালন করে অর্থাৎ প্রাণী হত্যা না করে, পরদ্রব্য হরণ না করে, মিথ্যা-পিষুন-পরুষ বাক্য না বলে, মদ জুয়াসহ নেশাদ্রব্য সেবন না করে এবং ব্যাভিচার না করে, তাহলে তার জেলে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তারপরও বাংলাদেশের মতো দেশে যেখানে ন্যায়ের শাসন, আইনের শাসন নেই, সেখানে নিরীহ ব্যক্তিকেও বিনা কারণে জেলে পতিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং সে রকম ঘটনা পত্রিকায় মাঝে মধ্যে দেখা যায়। আমি জেলে ছিলেন এমন লোকের সাথে কথা বলেছি। তারা বলেছেন বাংলাদেশের জেলে সাংঘাতিক মশা। মশার ওষধও স্প্রে করতে দেয়া হয় না। মশার কয়েলও না। তবে মাঝে মধ্যে ধোঁয়া দেয়া হয়। তাতে মশাদের কিছুই হয় না। হাত দিয়ে মারা না মারাও একই কথা। কারণ এতগুলো মশা আপনি হাত দিয়ে মেরে শেষ করতে পারবেন না। শীতকালে তেমন সমস্যা হয় না, কারণ কম্বল দিয়ে সারা শরীর ঢেকে রাখলে মশার কামড় থেকে রা পাওয়া যায়। কিন্তু গরম কালে তা সম্ভব হয় না। তবে জেলে এখন ফ্যান আছে বলে কিছু সুবিধা হয়েছে।
বাংলাদেশ যদি বুদ্ধের নীতি অনুসারে চলতো, তাহলে সরকার এমন ব্যবস্থা করতো যাতে জনসাধারণের ধর্ম পালনে সুবিধা হয়। এজন্য বুদ্ধ বলেছেন প্রতিরূপ দেশে অর্থাৎ যে দেশে ধর্মচর্চার ক্ষেত্রে সুবিধা রয়েছে সে দেশে বাস করা মঙ্গলজনক। মশা যাতে মারতে না হয় তার জন্য আগে থেকে ব্যবস্থা করতে হবে। ডোবা নালা, খাল বিল তথা আশেপাশের পরিবেশ সবসময় পরিস্কার রাখলে মশা প্রচুর পরিমাণে কমে যাবে, তখন আপনাকে মশা মারতে হবে না। আপনি হয়তো বলবেন এভাবে পরিস্কার করা মানেই তো মশাদের মেরে ফেলা। বিষয়টা এভাবে না দেখে অন্যভাবেও দেখা যায়। মশা না মেরেও আপনি পরিস্কার করতে পারেন। আর যদি পরিস্কার করার সময় মারাই যায়, তাতে আপনার বুদ্ধ ধর্ম লঙ্ঘন হবে না। কারণ আপনার উদ্দেশ্য এখানে মশা নিধন নয়, অপরিস্কার স্থান পরিস্কার করা। আপনি নিজের পরিবেশ অপরিস্কার রাখবেন, তারপর মশাদের দোষ দেবেন তা তো হয় না। আপনি যদি ভবিষ্যতে আর্থিক বিপদে পড়তে না চান, তাহলে আপনাকে আগেভাগে প্রস্তুতি নিতে হবে, অর্থ সম্পদ উপার্জন ও জমা করতে হবে। ঠিক তেমনি আপনি যদি চান প্রাণী হত্যা করতে হয় এমন পরিস্থিতিতে না পড়েন, তাহলে তার জন্য আপনাকে আগেভাগে প্রস্তুতি নিতে হবে। এই প্রস্তুতি হলো একদিকে পঞ্চশীল পালন, আর অন্যদিকে আপনার চারপাশের পরিবেশ ঠিক রাখা। অর্থাৎ প্রতিরূপ দেশ বানাতে হবে। তাহলেই কেবল সকল অবস্থাতেই আপনার পে বুদ্ধ ধর্ম পালন করা সহজ হবে।
সাপ, কুমির প্রসঙ্গ। আমার জানা মতে বুদ্ধ সাপসহ ভয়ংকর প্রাণীদের এড়িয়ে যেতে পরামর্শ দিয়েছেন। আপনি দেখছেন একটা রাস্তায় সাপ আছে, আপনি যদি তারপরও অসতর্কভাবে সেদিকে যান, সাপটার বিরক্তি বা ভয়ের উৎপাদন করেন এবং এ কারণে কামড় খান, তার জন্য তো আপনি সাপকে কিংবা বুদ্ধ ধর্মকে দোষ দিতে পারবেন না। অন্যান্য প্রাণীর বেলায়ও একই কথা প্রযোজ্য। এখন ধরা যাক, সাপ আপনাকে কাটলো, বা কুমির কাউকে খেলো বা কামড়ালো। এর পাল্টা হিসেবে সাপ ও কুমিরকে মেরে ফেললেই কি সমাধান হচ্ছে? সুন্দরবনে যারা থাকে, তাদেরকে বাঘের ভয়ে থাকতে হয়। বাঘসহ অন্য প্রাণীরা মানুষ মারে, কিন্তু পাল্টা হিসেবে তাদের মেরে ফেললে কি সমস্যার সমাধান হবে? সাপ, বাঘ, সিংহ, কুমীর মানুষ মারে বলে কি সুন্দরবন মানুষের বাসযোগ্যের জন্য নিরাপদ করতে এই সব প্রাণীর অস্তিত্ব বিলুপ্ত করে দিতে হবে? বরং আমরা যদি এসব হিংস্র প্রাণীদের প্রতি মৈত্রীভাব পোষণ করি, তাদের উৎপাত না করি, তাদের বসবাসের জায়গাগুলো দখল না করি, অনিরাপদ না করি, তাহলে তাদের আক্রমণ থেকে আমরা বহুলাংশে রা পাবো। আপনি হয়তো জানেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে এখন প্রায় প্রতিদিন হাতির আক্রমণে লোকজনের মৃত্যু ও সম্পদের য়তির খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে। এটা কেন হচ্ছে? কেন হাতি ইদানিং হিংস্র হয়ে মানুষের ওপর আক্রমণ করছে? আগে তো এ রকম শোনা যায়নি। কারণ হলো আমরা বন উজার করে ফেলছি, আমরা তাদের বিচরণের ক্ষেত্রে প্রতিদিন সংকুচিত করে দিচ্ছি, এতে তাদের খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। তাই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মানুষের ওপর চড়াও হচ্ছে। আমরা যদি তাদের জীবন ধারণের ব্যাপারেও চিন্তা করতাম ও সেই মতো ব্যবস্থা নিতাম অর্থাৎ তাদের সাথে মৈত্রীময় আচরণ করতাম তাহলে তারা এমন মারমুখী আচরণ করতো না। এজন্য আজ পৃথিবীর দেশে দেশে এবং বিশেষত উন্নত দেশে প্রাণী রক্ষার আন্দোলন জোরদার হচ্ছে।
আমি রাজ বন বিহারের এক ভিক্ষুকে প্রশ্ন করেছি, শ্রদ্ধেয় বনভান্তে পার্বত্য চট্টগ্রামের গভীর জঙ্গলে দশ বার বছর ধরে একাকী কঠোর সাধনা করেছেন, তখন তিনি মশার উৎপাত কিভাবে সহ্য করেছেন? তিনি বলেছেন, বনভান্তে তাদেরকে কথা প্রসঙ্গে বলেছিলেন যে সাধনা করার সময় মশাগুলো তার কাছাকাছি আসতো তবে শরীরে পড়তো না। কামড়াতো না। আর রাতে তিনি কোথাও গেলে একটা আলো সব সময় তাকে পথ দেখাতো। বনভান্তে বলেছেন জঙ্গলে ধ্যান করার সময় তার সামনেই বাঘ শিকার করেছে কিন্তু তাঁকে কিছুই করেনি। সাপ তাঁর পাশ দিয়ে গেছে কিন্তু তাকে কামড়ায়নি। বনভান্তের এ কথাগুলো আপনাদের অনেকের কাছে রূপকথার মতো শোনাতে পারে। কিন্তু যে ব্যক্তি যা অর্জন করেনি, তা তার কাছে বিশ্বাস করা কঠিন হতে পারে। তবে এটা ঠিক সর্বপ্রাণীর প্রতি মৈত্রীভাব ধারণ করার জন্য মনে যে কী পরিমাণ তেজ থাকতে হয় সে তো যারা এই ভাব ধারণ করেন না তারা কখনোই বুঝতে পারবেন না। মৈত্রীভাব থাকলে অন্য প্রাণীরাও যে আপনার প্রতি মৈত্রী দেখাতে পারে এটা তো প্রমাণিত সত্য। সকল প্রাণী তার ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে বোঝে কে তার প্রতি হুমকীমূলক, আক্রমণাত্মক। এজন্য আমরা ছোটকালে শুনেছি রিজার্ভ ফরেস্টে অর্থাৎ গভীর বনে প্রবেশের সময় ও থাকার সময় কিছু নিয়ম কানুন পালন করতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে এমন আচরণ না করা যাতে বনের দেবতা রুষ্ট না হয়। থাইল্যান্ডের এক বৌদ্ধ ভিু বলেছেন (নামটা মনে নেই) পৃথিবীটা হলো আয়নার মতো। আপনি যেমন আচরণ করবেন, দুনিয়াটাও আপনার মতোই আচরণ করবে। আপনি যদি ভেংচি কাটেন, আয়নায় আপনার প্রতিচ্ছবিটাও ভেংচি কাটবে। সে রূপ আপনি যদি কাউকে কটূ কথা বলেন, প্রতিফল হিসেবে আপনাকেও কটূ কথা শুনতে হবে।
ক্রিমির বিষয়ে বলা যায় পাহাড়ি উত্তরটা দিয়েছেন। পেটে ক্রিমি হলে আপনি অসুস্থ হন। আপনি ওষধ খান অসুখ সারানোর জন্য। ক্রিমি মারার জন্য নয়, যদিও ওষধ প্রয়োগে ক্রিমি মারা যাচ্ছে। এখানে ওষধ খাওয়া হচ্ছে দেহ রার জন্য। তাছাড়া বুদ্ধ ধর্ম মতে প্রাণী আর জীবানুর মধ্যে পার্থক্য আছে। বুদ্ধ প্রাণী হত্যা না করতে উপদেশ দিয়েছেন।
বুদ্ধ কেন প্রাণী হত্যা না করতে বলেছেন সে ব্যাপারে আমি যথেষ্ট চিন্তা করেছি। আমার আন্ডারস্ট্যান্ডিং হলো এই – অন্যান্য প্রাণীর মতো আমরা মানুষরাও প্রাণী বা জীব। এখন মানুষ মারলে (খুন) যদি প্রত্যেক ধর্মে পাপ হয়, তাহলে মানুষ ভিন্ন অন্য জীব বা প্রাণীদের মেরে ফেললে কেন পাপ হবে না? অন্য প্রাণীরা কি দোষ করলো? তারা মানুষ হয়ে জন্ম না নিয়ে নীচ জাতির প্রাণী হয়ে জন্ম নিয়েছে বলেই কী তাদের অপরাধ? এজন্যই কি তারা হত্যা-যোগ্য? মানুষ অপো তারা দুর্বল বলেই কি তাদরেকে আমরা ইচ্ছামত মেরে ফেলতে পারি? এই পৃথিবীটা তো কেবল মানুষ নামের প্রাণীর জন্য নয়, এই পৃথিবীটা সব প্রাণীর জন্য। দ্বিতীয়ত, প্রত্যেক প্রাণী মৃত্যুকে ভয় পায়। আপনি যেমন মৃত্যুকে ভয় পান অন্য প্রাণীগুলোও মৃত্যুকে ভয় পায়। সুতরাং আপনার নিজের কথা ভেবে অন্য প্রাণীকেও আপনি মারতে পারেন না। তৃতীয়ত, আমরা প্রাণ সৃষ্টি করতে পারি না। যা আমরা সৃষ্টি করতে পারি না, তা ধ্বংস করার অধিকারও আমাদের নেই। চতুর্থত, মনে করা যাক পৃথিবীতে এমন একটি প্রাণীর আবির্ভাব হয়েছে বা অন্য কোন গ্রহ থেকে এমন এক প্রাণী পৃথিবীতে হানা দিয়েছে যে মানুষের চাইতেও বেশী শক্তিশালী ও বুদ্ধিমান এবং যার খাদ্য হলো শুধু মানুষের মাংস। এখন যদি বাঘ সিংহরা যেভাবে ধরে ধরে হরিণ খায় ঠিক সেভাবে এই প্রজাতির প্রাণীরা ধরে ধরে মানুষ খেতে শুরু করে এবং প্রধানত আগে প্রাণীহত্যাকারী মানুষদের ধরে ধরে খায়, তখন মানুষ নামক প্রাণীটির কেমন লাগবে?
নাস্তিক দীপ প্রশ্ন করেছেন:
বুদ্ধ ধর্ম মতে, আপনাকে খাওয়ানোর জন্য যদি কেউ প্রাণ বধ করে এবং আপনি যদি সেই বধের ঘটনা দেখেন, বা শোনেন বা সন্দেহ করার ভিত্তি করতে পারেন যে ওই প্রাণীটি বধ করা হয়েছে আপনার জন্য, তাহলে ওই প্রাণীর মাংস খেলে আপনি নিঃসন্দেহে পাপের ভাগীদার হবেন। তবে ওই প্রাণীটির বধ সম্পর্কে আপনার “দৃষ্ট, শ্রুত ও অনুমিত” বিষয়টি পরিশুদ্ধ থাকলে অর্থাৎ বধ করা হয়েছে সেটা না দেখলে, না শুনলে বা সন্দেহ করতে না পারলে পাপের ভাগীদার হতে হবে না।
এখন, উক্ত কসাই একজন পেশাদার ব্যবসায়ী। মাংস ব্যবসা তার পেশা। তিনি কোন বিশেষ ব্যক্তির জন্য প্রাণী বধ করে মাংস বিক্রি করেন না। অপরদিকে, ক্রেতারাও (এ ক্ষেত্রে ৯৯ জন বৌদ্ধ) তাকে প্রাণী বধ করে মাংস বিক্রি করতে বলেনি। তাই এক্ষেত্রে ক্রেতাদের পাপের ভাগীদার হওয়ার প্রশ্নই আসে না। পাপের ভাগীদার করানোর কোন যুক্তিও নেই।
এখানে একটা উদাহরণ দিই। ধরুন, এক ব্যক্তি তার স্ত্রী পুত্র কন্যাদের ভরণ পোষণের জন্য চুরি করে। কিন্তু এ চুরির বিষয়টি সে ছাড়া তার পরিবারের বাকি সদস্যরা কেউ জানে না। একদিন ওই চোর চুরি করার সময় ধরা পড়লো। এখন যদি ওই চোর বলে যে আমি যেহেতু চুরি করে আমার স্ত্রী ও সন্তানদের লালন পালন করেছি, সুতরাং তারাও আমার অপরাধের ভাগীদার হবে। এতে আপনি কী বলবেন? আপনি কি চোরের সাথে তার স্ত্রী সন্তানদেরও শাস্তি দেবেন? কিন্তু তারা তো কায়িক ও বাচনিকভাবে তাকে চোর্যবৃত্তিতে সাহায্য করেনি। এমনকি তারা চুরির বিষয়েও জানতো না।
নাস্তিক দীপের লেখাটা বানানো মনে হয়েছে। সত্যিকার কোন বৌদ্ধ ভিক্ষু প্রশ্ন শুনে রাগ করতে পারেন না। বুদ্ধ বলেছেন কাষায় বস্ত্র (গেরুয়া) পরিধান করলেই ভিক্ষু হয় না। এক জন বৌদ্ধ ভিক্ষু গেরুয়া কাপড় পরিধান করলেই বা কয়েকটা বুদ্ধ সুত্র আবৃত্তি করতে পারলেই বুদ্ধ ধর্ম আয়ত্ত করতে পেরেছে এটা মনে করার কোন কারণ নেই। কাজেই কোন এক বৌদ্ধ ভিক্ষু দু’একটা প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছেন না বলেই বুদ্ধ ধর্ম অসত্য হয়ে যায় না। আর এটাও ঠিক গেরুয়া কাপড় বা রং বস্ত্র পরিধান করা মাত্রই যে কোন ব্যক্তি রাগ, দ্বেষ, মোহ পরিহার করেছে তা আশা করা যায় না। তাই কোন কোন ভিক্ষুর রাগ থাকা অস্বাভাবিক নয়। তিনি একটা গন্তব্যে যাওয়ার জন্য রাস্তায় হাঁটছেন, কিন্তু এখনো গন্তব্যে পৌঁছেননি। তিনি রাগ, দ্বেষ, মোহকে জয় করার লক্ষে সাধনা করছেন, কিন্তু এখনো সিদ্ধি লাভ করেননি। এই সিদ্ধি লাভ করাটা অর্থাৎ লক্ষে পৌঁছানোর বিষয়টা বহু দিনের বহু বছরের চর্চার বিষয়।
বুদ্ধ তার ধর্মকে যুক্তি ও অভিজ্ঞতার দ্বারা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সত্য মনে হলে গ্রহণ করার কথা বলেছেন। তিনি জোর করে কারোর ওপর তার ধর্ম চাপিয়ে দেননি। তিনি বলেননি হয় আমার ধর্ম গ্রহণ করো, না হয় আমার সাথে যুদ্ধ করো। সুতরাং আমি বলবো আবেগ দ্বারা চালিত হয়ে বুদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করলে কোন মঙ্গল হবে না।
বুদ্ধ ধর্মের মূল উদ্দেশ্য হলো নির্বাণ বা দুঃখ থেকে মুক্তি। আপনি যে দেশে থাকুন, যে জাতির লোক হোন, যে শ্রেণীর (শ্রমিক, কৃষক, পুঁজিপতি, কলকারখানার মালিক) মানুষ হন, নারী-পুরুষ যেই হোন, নাস্তিক বা আস্তিক জাতীয়তাবাদী বা আন্তর্জাতিকতাবাদী পুঁজিবাদী বা কমিউনিস্ট যে মতেরই হোন, হিন্দু-বৌদ্ধ-জৈন-খৃষ্টান-মুসলিম যে ধর্মের অনুসারী হোন এবং যে সমাজেই বাস করুন (দাস সমাজ, সামন্ত সমাজ, পুঁজিবাদী সমাজ, সমাজতান্ত্রিক সমাজ, সাম্যবাদী সমাজ), আপনি মৌলিক কিছু দুঃখের অধীন থাকবেন। সে দুঃখগুলো হলো জরা দুঃখ, ব্যধি দুঃখ, মৃত্যু দুঃখ, অপ্রিয় সংযোগ দুঃখ (অর্থাৎ যাকে আপনার ভালো লাগে না তার সাথে থাকা বা বাস করা), প্রিয় বিয়োগ দুঃখ (মা, বাবা, ভাইবোন, আত্মীয় স্বজন বন্ধুর মৃত্যু) ইত্যাদি। এই দুঃখগুলো সার্বজনীন ও সর্বকালিক — সব ধরনের সমাজ ও সব দেশে থাকবে। এমনকি কমিউনিজম কিংবা শরীয়তী শাসন কায়েম হওয়ার পরও থাকবে। বুদ্ধ এইসব দুঃখ থেকে মুক্তির পথই দেখিয়েছেন। সেই পথটা কি তা সংক্ষেপে “পাহাড়ি” বলেছেন। আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে অনেক মহামানব জন্ম গ্রহণ করেছেন। তাদের কেউ স্বর্গ লাভের, কেউ মো লাভের কথা বলেছেন। আবার কোন কোন মহামানব রাজনৈতিক পরাধীনতা ও শ্রেণী শোষণ থেকে মানুষকে মুক্তির পথ দেখিয়েছেন। কিন্তু আমার জানা মতে পৃথিবীতে একমাত্র গৌতম বুদ্ধ ছাড়া আর অন্য কোন মহামানব এইসব দুঃখ থেকে মুক্তির পথ দেখাননি। রাজনৈতিক পরাধীনতা ও শ্রেণী শোষণ থেকে মুক্তির পরও মানুষের উপরোক্ত মৌলিক দুঃখগুলো থাকে। একমাত্র মহামতি গৌতম বুদ্ধই সর্বদুঃখ থেকে মুক্তির উপায় দেখিয়েছেন। তার ধর্ম হলো যুক্তির উপর প্রতিষ্ঠিত ও অভিজ্ঞতা দ্বারা পরীতি। তাই বুদ্ধ ধর্ম হলো দুঃখমুক্তির বিজ্ঞান।
@মুক্তি চাকমা,
বিশ্বাসের জবানবন্দী দেখছি সবই এক। হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানে কোনো তফাৎ নেই। সব ময়রারই দাবী, তার মিষ্টি সেরা মিষ্টি। :))
@মুক্তি চাকমা,
এটা কি কোন যুক্তি হল? কসাই যে কসাই, সেটা কি বৌদ্ধ জনগোষ্ঠী জানেনা? ‘কুদ্দুস কসাইখানা‘ যে বড় করে সাইনবোর্ড দেয়া আছে সেটা কি তারা দেখতে পাচ্ছে না?
নিয়ম যদি সত্যিই এমন হয় যে নির্দিষ্টভাবে আপনার কথা না ভেবে প্রাণী হত্যা না করলে আপনার পাপ হবেনা, তাহলে এই টেকনিকালিতে বৌদ্ধরা বেঁচে যাচ্ছে তা ঠিকই। কিন্তু সেক্ষেত্রে নিয়মটাকে শিশুসুলভ এবং নৈতিকভাবে হাস্যকর বলা ছাড়া গতি থাকেনা।
@রৌরব,
আপনি তো দেখছি জোর করে কুদ্দুস কসাইয়ের কৃত পাপের ভাগ বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর ঘাড়েও চাপাতে চাইছেন। কিন্তু তার মাংস ব্যবসা থেকে লাভের টাকা তো তাদের দিতে চাইছেন না! লাভ ও পাপ উভয়ই তো অখণ্ডভাবে তার ব্যবসা থেকে অর্জিত হচ্ছে। পাপের ভাগ পেলে লাভের ভাগও পাওয়ার হক তাদের নিশ্চয় আছে!! অথচ আপনি লাভের টাকাগুলো সব কুদ্দুসকে দিয়ে দেবেন, আর পাপের ভাগ সবাইকে ভাগ করে দেবেন এটা কেমন কথা? আপনি নিজের বিবেককে প্রশ্ন করে দেখুন তো আপনি সত্যিই এ ক্ষেত্রে ন্যায় বিচার করছেন কিনা।
@মুক্তি চাকমা,
লাভের ভাগ না পেলেন, তাদের পাপ করা মাংস কিন্তু ঠিকই উদরস্থ করলেন।এটাই বা কম লাভ কিসের। :-Y
@মুক্তি চাকমা,
পঞ্চশীল আর ষষ্টশীল যাই বলুন যারা এসব করে তাদের কোন শীল দিয়েই ঠেকানো যাবেনা। আসলে এসব ঠেকাতে লাগবে উপযুক্ত আইন, বিচার, আর শাস্তি। মনে রাখবেন চোরা না শুনে ধর্মের কাহিনী। 🙁
@মুক্তি চাকমা,
খাইসে, এই খানে দেহি বিরাট ওয়াজ মহফিল চলতাসে।
মুক্তমনাদের বদান্যতায় চান্সটা ভালই নিলেন দেখি।
@মুক্তি চাকমা,
ধন্যবাদ দিদি আপনার সুন্দর রচনার জন্য।
@ সবাইকে,
আমি যা বুঝি, ‘বুদ্ধ’ এবং ‘বৌদ্ধের’ মাঝে বিস্তর তফাৎ আসে । যেমন এক বিজ্ঞানী এবং এক বিজ্ঞান পাঠকের মধ্যে পার্থক্য বিদ্যমান, উদাহরণটা এতো গভীর না হলে অনুরুপ পর্যায়ে যায় । প্রথা-রীতি-নীতি-আইন মানুষের সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী বদলাতে বাধ্য । মিয়ানমারে প্রবলভাবে ভিক্ষুরা ভিক্ষুনী সংঘকে নেতিবাচক বলে মনে করে থাকেন । সেক্ষেত্রে মিয়ানমারের অভারঅল সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি ও অনেকটা দ্বায়ী । স্বপ্নউন্নত গরীব মিয়ানমারে জনসাধারণ নিরীহভাবে সেনাশাসনের পদতলে পৃষ্ঠ, সেখানে প্রতিবাদের দূরদর্শিতা অত্যন্ত দূর্বল । আর থাইল্যান্ডেও অনেক ভিক্ষু এবং সাধারণ বৌদ্ধ ধর্মালম্বী ভিক্ষুনী সংঘের বিরুদ্ধে হলেও সেখানে অলরেডি ভিক্ষুনীদের অবস্থান গড়তে শুরু করেছে বেশ বছর দশেক আগে, ধম্মনন্দ ভিক্ষুনী নামে এক শিক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ভিক্ষুনী সংঘে দীক্ষা নিয়ে সাক্যদিতা ফাউন্ডেশনের নেতৃত্বের পাশাপাশি ভিক্ষু এবং ভিক্ষুনীর শৃংখলার যে তারতম্য এবং ভেদাভেদ তা নিয়ে ও বুদ্ধের সুপারিশের কথা তুলে ধরে জনমানুষকে সচেতন করছেন । আর অন্যদিকে তাইওয়ান, চীন, ভিয়েতনাম, মালয়শিয়া, কোরিয়া এবং অন্যান্য দেশে যেখানে জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের পাশাপাশি মানসিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলিয়েছে সেখানে লক্ষ্যনীয়ভাবে ভিক্ষুদের সংখ্যা হ্রাস পেতে থাকলে ভিক্ষুনীরা হয়ে উঠেন সংখ্যাগুরু । ভারতের ইতিহাস পড়লে আমরা বুঝতে পারি, বুদ্ধ এবং মহাবীরের সমসাময়িককালে ভঙ্গুরময় সামাজিক অবস্থার কথা । আর ভিক্ষু এবং ভিক্ষুনীদের যে প্রথা-নীতি দেয়া হয়েছে তার প্রতিটি নীতির পিছনে তাৎপর্য ছিল বলে লেখা আছে । বিভিন্ন সময়ে ভিক্ষু-ভিক্ষুনীরা যখন অসামাজিক কার্যকলাপে (সে সময়কারের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী) লিপ্ত হতে থাকেন ‘বুদ্ধ’ বাধ্য হয়ে নতুন নতুন রীতি-নীতি সংযোজন করতে বাধ্য হন । তাই ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে ‘বুদ্ধের’ পরিনির্বাণের আগে তাঁর শিষ্য আনন্দকে সংঘ চাইলে সেসব ছোটছোট নিয়ম-রীতিগুলো বদলাতে পারবেন বলে সুপারিশ করে যান । ‘সংঘ’ বলতে যেহেতু কমিউনিটিকে বুঝানো হয়, তার মানে দাঁড়ায় সংক্যাধিক্য আগ্রহের ভিত্তিতে সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা অনুযায়ী সেসব নীতিসমূহের ব্যবহার শিথিল করা যাবে । আসলে জেন্ডার ডিস্ক্রিমিনেশনের জন্য বুদ্ধকে কতটা দ্বায়ী করা যাবে, যদি না আমরা তখনকার সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির কথা বিবেচনা না করি । বুদ্ধের মতে “জন্মসূত্রে কেউ বৌদ্ধ, ব্রাক্ষণ, শুদ্র হন না বরং কাজের মাধ্যমে সে বৌদ্ধ, ব্রাক্ষণ, শুদ্র হন” । তাই কার কোথায় জন্ম হয়েছে বড় কথা নয় -বরং আমরা কি করছি সেটাই প্রধান । আজকাল অনেকে অন্ধভাবে ধর্মের নামে ‘বুদ্ধ’কে যেমন ভগবান বলে দাবী করেন, পূঁজেন অনুরুপভাবে বিভিন্নরকম যাগ-যজ্ঞতে ব্যস্ত । এসব গড়ে তোলা ব্রাক্ষণদের ধার্মিক রীতিনীতির বিরুদ্ধে একসময়কার স্বয়ং ‘বুদ্ধ’ নিজেই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আর বতর্মানে তাঁর অনুসারী সেসব অন্ধবিশ্বাসে আকড়িয়ে যাচ্ছেন ? বুদ্ধ’ এসময়কার একজন হলে নিশ্চয় বতর্মানের সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির কথা বিবেচনা করে শিক্ষা দিতেন । আর ‘বুদ্ধ’ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে একই তত্ত্বকে (সত্যকে) উপাস্থাপন করে ব্যাখ্যা করেছিলেন । তার কারণ ছিল মানুষের বুঝার ক্ষমতা এবং বেকগ্রাইন্ড অনুযায়ী । আলোচনা অনেক ভালো হয়েছে ।
লেখাটি পড়ে মজা লাগলো, তবে লেখাই আপনার উদাসীপনা বা বিশ্বাস কোনটা বুঝতে পারলাম না।
অডঙ চাকমা, প্রশ্ন করেছিলেনঃ ১) বৌদ্ধ ধর্মে ধর্
সিদ্ধান্তমূলক ঠাট্টা! মুক্তমনা, বোদ্ধা বিপ্লব পালের উচ্চ মার্গের কৌতুক দেখে তো এক্কেবারে ভড়কে গেলাম।
ত্রিপিটকে যা লেখা আছে, তা দিয়ে বৌদ্ধ ধর্ম বিচার করলে, তা আরো একটি ধর্ম।
আমি দুদিন আগে ধর্মপাদ এবং তার বিশ্লেষনগুলি পড়ছিলাম। এগুলি পড়ে যা মনে হল বৌদ্ধ ধর্মে অন্য ধর্মের সকল বৈশিষ্টই বর্তমান। যেমন ধর্মপাদে বুদ্ধের শিক্ষার ওপর সব ঘটনাগুলির সারমর্ম হল যারা বুদ্ধে শিক্ষা, নির্বানের শিক্ষা নিয়েছে, তারা আধ্যাত্মিক পথে এগিয়েছে, বাকীরা পারে নি। কারন শিক্ষার প্রতি তাদের নিষ্ঠা নেই। সেই ইসলামের “ইমান” জাগ্রত কর টাইপের ব্যাপার।
এই ভাবে দেখলে বৌদ্ধ ধর্ম এবসার্ডিটিতে ভর্তি-স্ববিরোধ প্রচুর আসবে। এই নিয়ে ৫ বছর আগে একটা ব্লগ ছেড়ে ছিলাম-বর্তমান লেখক একই বক্তব্য সুন্দর গল্পের মাধ্যমে লিখেছেন।
http://biplabspiritualism.blogspot.com/2007/09/absurdity-of-buddhist-philosophy.html
কিন্ত বৌদ্ধ ধর্ম এখানেই শুরুও না, শেষ না।
আমি আমেরিকাতে বুদ্ধিস্ট স্টাডিস এর এক অধ্যাপকের কাছে বৌদ্ধ ধর্ম নিয়ে কিছু শিক্ষা পেয়েছিলাম। যাতে মূল বক্তব্য হল- বুদ্ধ এর আসল অর্থ শিক্ষক, সঙ্ঘ হচ্ছে এসোশিয়েশন আর ধর্ম হচ্ছে শিক্ষা। শিক্ষক, শিক্ষা এবং সঙ্ঘ এর মডেলেই একজন মানুষ তার বৌদ্ধিক উন্নতি করতে পারে। মুক্তমনাও সেই বৃহত্তর অর্থে বৌদ্ধ সংগঠন-কারন এখানেও সেই শিক্ষক, শিক্ষা এবং সঙ্ঘের মডেল চলছে। এটা বৌদ্ধ ধর্মের আন্তজালিক মডেল আর কি :-s
@বিপ্লব পাল,
নিজের বৌদ্ধিক পরিচয় পেয়ে অতীবও আনন্দিত হলাম। নাস্তিক শব্দটার মধ্যে কেমন যেনো একটা extreme negativism আছে। 🙂 এবার নিশ্চিন্তে সুর করে গাইতে পারি।
বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি
ধম্মং শরণং গচ্ছামি
সঙ্ঘং শরণং গচ্ছামি
@ফরিদ আহমেদ,
কিছু কিছু বৌদ্ধ পন্ডিতের মতে- এই শিক্ষক, শিক্ষা এবং সংঘের মডেলটাই আসল বৌদ্ধ ধর্ম :guru: সুতরাং নিশ্চিত ভাবে সকল মুক্তমনাই বৌদ্ধ 😛
@বিপ্লব পাল,
এটা কি আপনারও ব্যক্তিগত উপলব্ধি নাকি পরের মুখে ঝাল খা্চ্ছেন।যাই হোক কোন বৃক্ষতলে না গিয়েও বুদ্ধত্ব অর্জন করে পরম নির্বান পথের যাত্রী হতে পেরে সুখী অনুভব করছি। :rotfl:
@ডেথনাইট,
যেমন খাবারের গন্ধেই আসল ভোজন, এই সঙ্ঘভিত্তিক জ্ঞান লাভেই আসল বোধিলাভ :-X
মুক্তমনা একটা সঙ্ঘত বটেই। আর শিক্ষার আজকাল ব্লগেই হচ্ছে। ব্লগাররা হচ্ছে শিক্ষক। তারা তাদের উপলদ্ধির কথা লিখেছে-ঠিক যেমন বুদ্ধ তার উপলদ্ধিকেই শিক্ষা হিসাবে দিয়ে গেছেন।
তাহলে ত এটাই আসল বৌদ্ধ ধর্ম হচ্ছে তাই না?
আমাদের সেই বৌদ্ধ গুরুর কাছে, এক সন্তান হারা মা এল। ভদ্রমহিলার একটাই ছেলে ছিল। ২৭ বছর বয়স। তার মৃত্যুতে সেই মহিলা দিশেহারা। মহিলা গুরুর কাছে জানতে চাইলেন-আমি কি করব? এত বেদনা দুঃখ সহ্য হয় না।
আমাদের সেই গুরু বললেন- আপনি সেই বেদনাকে আরো গভীরে গিয়ে অনুভব করুন-মনে যখন বেদনা জাগে-আমরা তার থেকে পালাতে চাই। সেটা না করে, আরো বেশী করে, বেদনাটাকে উপলদ্ধি করুন -আবিস্কার করুন কোথা থেকে উঠে আসে সেই বেদনা। :-s
@বিপ্লব পাল,
শাফায়েতের কাজ একটু বাড়লো। মুক্তমনার ব্যানারটায় একটু ভুল আছে। শুধু মুক্তমনার পরিবর্তে ওখানে এখন লিখতে হবে মুক্তমনা বৌদ্ধিক সঙ্ঘ।
নিজেকেও এখন বেশ এরকম জ্ঞান ছড়ানো একজন দালাই লামা, দালাই লামা বলে মনে হচ্ছে। 🙂
@ফরিদ আহমেদ,
পুরো দালাই লামা অনুভুতি আনতে হলে বেশ কিছু জিনিষ শপিং লিস্টে ( যদি এখনও না থেকে থাকে) রাখতে পারেন যার মধ্যে রয়েছে হাতে রোলেক্স (Rolex) ঘড়ি এবং পায়ে গুচ্চি (Gucci) পাদুকা।
@বিপ্লব পাল,
আপনি যা বলছেন এটি অশোকের মহাযান ধর্ম উনি তৎকালীন ধর্মসমূহকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করেছিলেন।যার মধ্যে বৌদ্ধধর্ম তখন নির্দিষ্ট রুপে সঙ্ঘরুপে স্বীকৃত হয়েছিল।তাই এখানে শিক্ষক বুদ্ধ নন মহান অশোক।বিহার মহাযান বৌদ্ধধর্মেরই ফলাফল।
বুদ্ধর হীনযান ছিল শুধুমাত্র সন্নাসীদের জন্যই।বিহারজীবনের বিধানবলী নিয়েই বিরোধের সূচনা হয়ে ১৮টি সম্প্রদায় এসেছে।বুদ্ধর শিক্ষা তার সাথেই কালের গর্ভে চলে গেছে।আনন্দ ও আরো কিছু বৌদ্ধ পন্ডিত কিংবা অশোকের শিক্ষাই বৌদ্ধধর্ম।আর বুদ্ধ ঈশ্বরের কথা বলেন নি কারণ উনি নিজেই দিব্যজ্ঞানী বা সর্বজ্ঞ তথা উনি নিজের মধ্যেই ঈশ্বরকে জন্ম দিয়েছেন।বৌদ্ধ দার্শনিক নাগার্জুনের “মাধ্যমিক কারিক” পড়লেই বৌদ্ধধর্মের অসাড়তা টের পাওয়া যায়।
এই ধারণাটাও মহাযানী।
আমি বুঝতে পারছি না ধর্ম নিয়ে এত বাড়া-বাড়ি করার কি আছে। আপনারা যে যার ধর্ম নিয়ে সন্তুষ্ট থাকুন। ধর্ম নিয়ে বিতর্কে জরানোর তো কোনো কারন দেখছি না। এ ধরনের বিষয় নিয়ে বির্তকে না জরানোর জন্য অনুরোধ করলাম ।
@আলো,
সকল ধর্ম কালের সাথে নিপাত যাক। যেই যুগে ধর্মের কারনে মানুষ মারা যায় সেই যুগে যে যার ধর্ম নিয়ে সন্তুষ্টু থাকুক কথাটা খুব বেমানান শোনায়!
@নির্মিতব্য, ধর্মের কারনে মানুষ মারা যায়, এই কথা যিনি বলেন আমি মনে করি তিনি সম্পূর্ণ অজ্ঞানী। বর্তমানে মানুষ মারা যাচ্ছে হিংসা আর লোভের কারনে। আপনি একটু গভীর ভাবে চিন্তা করলেই ব্যপারটা বুঝতে পারবেন। ধর্মের কারনে মানুষ মারা যাচ্ছে এই রকম কথা সম্পূর্ণ অযোক্তিক।
@আলো,
হিংসা এবং লোভ অবশ্যই, কিন্তু আপনি যখন এক জাতির সাথে আরেক জাতির, এক অঞ্চলের সাথে আরেক অঞ্চলের রক্তাক্ত ইতিহাস দেখতে যান তখন এদের বিভাজন করে ধর্ম, এদের মধ্যে হিংসা উৎসাহিত করে ধর্ম। কোন ধর্ম মানুষকে, নারীকে তার সম্মান দেয় না, শান্তির ধর্ম হিসেবে দাবী করে কিন্তু শান্তি ছড়ায় না। এর যারা মনে করে ধর্মকে ধর্মের মত থাকতে দেওয়া উচিৎ, তারা নিজের ধর্ম সম্পর্কেই অজ্ঞ। অন্যকে অজ্ঞ বলার আগে নিজের ধর্মের খারাপ দিক গুলো দেখুন। মানুষ রচিত কিছু বইয়ের দোহাই দিয়ে ধর্ম নিয়ে তর্ক করা উচিৎ না এটা বলার কি আছে। ধর্ম খুবই বিতর্কিত একটি বিষয়। এত দিনে মানুষের কাছে যথেষ্ট পরিমানে বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রমানাদি এসেছে সকল ধর্মকে ভুল প্রমানিত করার। এটাই বরং ঠিক সময় ধর্মের খোলস উন্মোচনের।
দয়া করে এরকম কথা বলবেন না। যেন আমার কথাটা আছে, কিন্তু আরেকটু চিন্তা করলে বা ধর্মীয় বই আরেকবার পড়লে আমার বন্ধ মনের দুয়ার খুলে যাবে। আপনি কিছু বলতে চাইলে উদাহরন দিতে পারেন। তথ্য দিতে পারেন।
@নির্মিতব্য, ব্যপারটা আমি আসলে বুঝতে পারলাম না,র্ধম কিভাবে মানুষকে হিংসাপরিয়ন হতে উদ্ভুদ্ধ করে। আমার জানা মতে কোন র্ধমেই এই রকম লেখা নেই যে অন্য র্ধমাবলম্বীদের হিংসা কর।বৌদ্ধ ধর্মে একটি উক্তি আছে “অহিংসাই পরম ধর্ম”।
আপনি যদি সকল ধর্মের ধর্মীয় বইগুলো পড়েন তাহলে আপনার মনের দুয়ার পুরোটা না হোক আংশিক হলেও খুলবে। বিশেষ করে বুদ্ধের পূর্বজন্মের কাহিনীর একটি বই আছে যেখানে বুদ্ধ তার কুশল র্কমের দ্বারা কিভাবে পূণ্য অর্জন করেছিলেন তা লেখা আছে।
এই কাহিনীগুলো বুদ্ধ তার শিষ্যদেরকে বলতেন যাতে তারা সেই কাহিনী থেকে শিক্ষা লাভ করতে পারেন।
আমি বলছিনা আপনি কাহিনীগুলো বিশ্বাস করুন। তবে আমার মনে হয় কাহিনীগুলো পড়লে আপনার বন্ধ মনের দুয়ার খুলতে সাহায্য করবে।
উপরোক্ত তথ্য উপাত্তগুলো দেখলে আসলেই অবাক হওয়ার মতো। আসলেই আমাদের মতোই মনুষ্য জাতিতে আর কতো দার্শনিক আসবে কিংবা যাবে জানি না? তবে সবাই যার যার মতামতের উপর দন্ধায়মান এবং সবাই ভিন্ন চরিত্রে অধিকারী হয়ে বেঁচে থাকতে চাই। একজনের দাবি আমার দর্শন সঠিক আরেকজন বলবে বেঠিক, অন্যজন বলবে আমি কোনোটাই নই, আরেকজন হইতোবা বলবে ধার্মিক কিংবা নাস্তিক। প্রকৃতপক্ষে আমরা সবাই হিরো এবং ভালোকে ভাল এবং খারাপকে খারাপ বলার অধিকারী। আমরা এই সীমাবদ্ধ জ্ঞান নিয়ে একজন আরেকজনের কাছ থেকে ধার নিয়ে জ্ঞানচর্চা করে কতকিছুই বই পুস্তক রচনা করি এবং শেষে একটা রেফারেন্স দিয়ে দিই। কিন্তু এই রেফারেন্সগুলো পড়তে গেলে একজন আরেকজনের বিপরীতমূখী। কোনতা সঠিক, বেঠিক কিছুই বলা যায় না। Betrand Russell সব ধর্ম নিয়ে জ্ঞান চর্চা করতে গিয়ে একসময় বললেন ”
একসময় বিজ্ঞানের আইনষ্টাইন বাবাজিও বলতে লাগলেন
এখন কোনটা সত্য মিথ্যা কিছুই বলা যায় না। আপাতদৃষ্টিতে বৌদ্ধ বাবাজিদের ধর্মটা জন্মান্তরবাদের উপর দন্ধায়মান। আমার মোটেই বিশ্বাষ হই না কিন্তু যখন …
পড়ে দেখলাম সত্য কিংবা মিথ্যা কিছুই বলতে পারলাম না। তাই ভাবি পৃথিবীতে মনিষী,দার্শনিক অভাব হই না ঠিক তেমনি যুক্তিবাদী,অযৌক্তিবাদীদের অভাব হই না। তাই যুক্তি,অযৌক্তি মাঝে মাঝে :-s :-s :-s ।
@শূন্য, http://www.comparativereligion.com/reincarnation1.html
বিশ্বাসীরা বিজ্ঞানকে অবমাননা এবং হেনস্থা করে ধর্মের বিশ্বাসগুলোকে সর্বস্থানে তুলে রাখতে যে আজবধরনের যুক্তি দাঁড় করান ঠিক তেমনি নাস্তিক এবং অনেক মুক্তমনা বুদ্ধ আবিষ্কৃত ধর্মকে প্রশ্নের উপর রাখতে গিয়ে বিশ্বাসীদের মতো যুক্তিতে আড় করতে বাধ্য হন । মানে, ঠিক যেমনটা দাঁড়ায় একজন স্টিফেন হকিংসের পক্ষ নিয়ে যুক্তি দাঁড় করালো অন্য একজন বিজ্ঞানমনষ্ক মুক্তমনা বলে উঠলো আপনার জন্য আজ থেকে স্টিফেন হকিংস যা তত্ত্ব দিয়েছে একটা ও আর মানব না, কেমন ? আর তত্ত্বের ভিতর না ঢুকে বাইরের ঝাঁক ঝমক সব মানুষ সৃষ্ট কাহিনীতে জড়িয়ে থাকলে অনেকেই সুযোগ পেয়ে বিশ্বাসীদের কাতারে যে ফেলবে না তা মনে রাখলে চলবে । জাতকগুলো নিয়ে যেসব সমালোচনা, তারা বৌদ্ধরা ত দাবী করেন না সেগুলো বুদ্ধ নিসৃত আসল বাণী । আমি ও একজন মুক্তমনা হয়ে মুক্তমনাদের মনের কথাগুলো জানতে পেরে নিজেই আঘাতপ্রাপ্ত । প্রশ্ন করেন না কেন, নিবার্ণ মানে কি ? জগতে এতো সত্য থাকতে শুধু ‘দূঃখ’ কেন ? পূর্বজন্ম’ বলতে কি বুঝানো হয়েছে ? অথবা ‘পত্যুত্যসমুদ্পাত’ কি ? ‘অনিত্য, দূঃখ এবং অনাত্ম’ কেন ? এইগুলোই বুদ্ধ তত্ত্ব তথা সত্য হিসেবে প্রচার করেছিলেন । জাতকে ঢুকলে কি তত্ত্বগুলোর উপর আঘাত পড়বে । আমি আজব বনে যাচ্ছি ।
@সাম্য,
সেটা হতেই পারে। তবে বৌদ্ধরাই বলে বেড়ায় যে, তিনি এর আগেও বহু বার মানুষ অথবা জীবজন্তুর রূপে পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছেন, এবং প্রত্যেকবারই পরম জ্ঞান অর্থাৎ বোধি লাভ করে বোধিসত্ত্ব হয়েছেন। সেই অতীত বুদ্ধ’দের জীবনের থেকে নেওয়া শিক্ষামূলক কাহিনী-সংগ্রহ, যেগুলো জাতিস্মর বলে গৌতম বুদ্ধ এই জীবনে শিষ্যদের শুনিয়েছেন, তার সংকলন হল জাতক। এগুলো যার নিঃসৃত বাণীই হোক, সেগুলো ‘earliest Buddhist literature’ সেটা বহু গবেষকই অভিমত দিয়েছেন (Warder, A.K. Indian Buddhism. 2000. pp. 286-287)। এখন কথা হচ্ছে,
* তাদের প্রাথমিক সাহিত্য কীর্তিতে এত নারী বিদ্বেষী শ্লোকের সমাবেশ কেন, যেখানে বৌদ্ধরা নারী পুরুষে সমতা দাবী করে!
* বৌদ্ধ নিজেই তার সংঘে কোন বৌদ্ধ ভিক্ষু নিতে চাননি। তার সৎ মা পজাপতি যখন সংঘে যোগ দিতে চেয়েছেন তখন তিনি তাকে নিতে অস্বীকার করেছেন।
* পরে আনন্দ (বুদ্ধের কাজিন) বুদ্ধের সাথে তর্ক করার পরে বুদ্ধ যখন ভিক্ষুদের নিয়েছেন, কিন্তু কেন তিনি ভবিষ্যদ্বানী করলেন যে নারীদের সংঘে নেওয়ায় বৌদ্ধ রাজত্ব-এর আয়ুস্কাল অর্ধেকে নেমে আসবে? এটা কি নারী পুরুষে সমতা প্রকাশ করে?
* ভিক্ষুনীদের প্রতি নির্দেশাবলি গুলোও কি সাম্যবাদের উপর প্রতিষ্ঠিত? নিয়ম গুলো দেখুন –
•A Bhikkuni (nun) even if she was in the Order for 100 years must respect a Bhikkhu (monk) even of a day’s standing.
•A Bhikkuni must reside within 6 hours of traveling distance from the monastery where Bhikkhus reside for advice.
•On Observance days a Bhikkhuni should consult the Bhikkhus.
•A Bhikkhuni must spend rainy season retreats under the orders of both Bhikhus and Bhikkhunis.
•A Bhikkhuni must live her life by both the orders.
•A Bhikkhuni must on two years obtain the higher ordination (Upasampatha) by both Orders.
•A Bhikkhuni cannot scold a Bhikkhu.
•A Bhikkhuni cannot advise a Bhikkhu.
বুদ্ধধর্ম যে নারী-পুরুষ সমতার ভিত্তিতে রচিত হয়নি, তার প্রমাণ অনেকই আছে। এই গবেষনাপত্রগুলো দেখা যেতে পারে-
Keyes, Charles F. “Mother or Mistress but Never a Monk: Buddhist Notions of Female Gender in Rural Thailand”, American Ethnologist, Vol. 11, No. 2 (May, 1984), pp. 223-241.
Gutschow, Kim (2004). Being a Buddhist nun: the struggle for enlightenment in the Himalayas. Harvard University Press. p. 207,225,240.
Lucinda Joy Peach (2001), “Buddhism and Human Rights in the Thai Sex Trade”, in Religious Fundamentalisms and the Human Rights of Women, Courtney W. Howland (Ed)., Palgrave Macmillan, p. 219.
Janell Mills (2000), “Militarisim, civil war and women’s status: a Burma case study”, in Women in Asia: tradition, modernity, and globalisation, Louise P. Edwards (Ed.), University of Michigan Press, p. 269.
Campbell, June (2002). Traveller in Space: Gender, Identity and Tibetan Buddhism. Continuum International Publishing Group. ISBN 0826457193.
আর অন্য সমালোচনায় না হয় নাই গেলেম। বুদ্ধের অনুসারীরাও সাড়া পৃথিবীতে কম ভায়োলেন্স করেনি। বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের হিংস্রতা আমরা দেখেছি। শ্রীলঙ্কায় বুদ্ধের অনুসারী তামিলদের লড়াইও মোটেই শান্তিপূর্ণ ছিল না। রাজিব গান্ধিকে উড়ায় দিতে ইস্লামিস্টদের মতোই আত্মঘাতি বোমা হামলার টেকনিক তারাও ব্যবহার করেছিলো। কম্বোডিয়া, তিব্বত, চীন, বার্মায় সহিংসতার লড়াই হয়েছে, আজো অনেক বুদ্ধিস্ট স্টেট যুদ্ধাংদেহী মনোভাবে উন্মাতাল। থাইল্যাণ্ডের বুদ্ধরা নারীদের সেক্স ট্রেডিং থেকে সবই করে। অবশ্য আপনি ইসলামিস্টদের সুরেই বলতে পারেন, ‘বুদ্ধের শিক্ষা থেকে তার উম্মতেরা শিক্ষা নেয়নি’। কিন্তু যে যুক্তিই দেয়া হোক নয়া কেন, ‘বৃক্ষ তোমার নাম কি – ফলে পরিচয়’ আপ্তবাক্যের কথা কিন্তু পাঠকেরা বিস্মৃত হবে না।
হুমম। মাঝে মধ্যে অবশ্য আঘাত লাগলে খারাপ না। নির্বান প্রাপ্তিতে সুবিধা হতে পারে কিন্তু! 🙂
@অভিজিৎ,
•A Bhikkuni (nun) even if she was in the Order for 100 years must respect a Bhikkhu (monk) even of a day’s standing.
•A Bhikkuni must reside within 6 hours of traveling distance from the monastery where Bhikkhus reside for advice.
•On Observance days a Bhikkhuni should consult the Bhikkhus.
•A Bhikkhuni must spend rainy season retreats under the orders of both Bhikhus and Bhikkhunis.
•A Bhikkhuni must live her life by both the orders.
•A Bhikkhuni must on two years obtain the higher ordination (Upasampatha) by both Orders.
•A Bhikkhuni cannot scold a Bhikkhu.
•A Bhikkhuni cannot advise a Bhikkhu.
দিছেন দাদা একেবারে হাটে হাড়ি ভেঙ্গে। আচ্ছা হিন্দু ও ইসলামিষ্টদের মতো বুদ্ধুরাও যদি বলে এ সব মিস ট্রান্সলেশন, মিস ইন্টারপিটেশন? আপনি নীচে যে গবেষণাপত্রসমুহের তালিকা দিয়েছেন, এর কোনোটার বাংলা নাই? সোজা বাংলায় লেখা জাতক, ত্রিপিটক এ সবের কিছু ঠিকানা দেন প্লিজ, এবার কোরান ছেড়ে ওদিকে মনোযোগ দিব। বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়, অবিশ্বাস্য লাগে যে বুদ্ধ বলেছেন-
A Bhikkhuni cannot advise a Bhikkhu
A Bhikkuni must reside within 6 hours of traveling distance from the monastery where Bhikkhus reside for advice.
আস্ত একটা ইডিয়ট। হুদাই শুধু হাদিসকে দোষ দিছি এতোদিন। যে’ই মনু সে’ই মুহাম্মদ, সে’ই বুদ্ধ। সব শিয়ালের এক রা——–
@অভিজিৎ, দিলেন তো একদম হাটে ভেঙে। :-Y
@অভিজিৎ,
তামিলরা সম্ভবত হিন্দু ধর্মানুসারী। যদ্দুর শুনেছি তারা ভারতের মাদ্রাজ বা চেন্নাই থেকে দিয়ে ওখানে বসতি গেড়েছিল। শোনা কথা নিশ্চিত নই।
@রাজেশ তালুকদার,
তামিলরা হিন্দুই। সিংহলীরা বৌদ্ধ; তবে যুদ্ধ শেষে সিংহলী সেনারা যেভাবে গুলি করে পরাজিত তামিলদের মেরেছে তাতে পরিষ্কার হিংসায় কেউ কারও চেয়ে কম নয়।
অভিজিৎদা, এখানে আমার ‘জাতক ও কামিনী’ লেখাটার লিঙ্কটা গুঁজে দিতে পারতে তো।
mukto-mona.com/bangla_blog/?p=17514
@সাম্য,
ভাই কতগুলা টার্ম আউড়ে গেলেই বা তার ব্যাখ্যা এগুলাও প্রশ্নবিদ্ধ প্রদান করলেই বুদ্ধর দর্শন বা ধর্ম সত্য হয়ে যায় না।উপরের সবগুলা কমেন্ট পড়ুন তাহলেই আর স্টেরিওটাইপ কথা বলবেন না।
:-Y
.
@ডেথনাইট, সেমসাইড হয়ে গেল মনে হচ্ছে 😕
বৌদ্ধরা মাংস খায় কেন?
– March 24, 2018June 23, 2019 – Ven. Gansanta Bhikkhu
আমি ব্যাপারটা থেরবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করব। বৌদ্ধধর্মে প্রাণিহত্যা একদম নিষিদ্ধ। তাই এই লজিক অনুসারে বৌদ্ধধর্মে মাংস খাওয়াও নিষেধ বলে মনে করাটাই যৌক্তিক। অতএব বৌদ্ধদের মোটেও মাংস খাওয়া উচিত নয়, তাই না? আসলে ব্যাপারটা এত সোজা নয়। কারণ বৌদ্ধধর্ম এই সহজ সরল যুক্তি মেনে চলে না। বৌদ্ধধর্ম কর্মনিয়মের উপর প্রতিষ্ঠিত, আর এই কর্মনিয়ম এতই সুক্ষ্মভাবে কাজ করে যে তা সাধারণ যুক্তিতে বোধগম্য নয়, অনেকটা কোয়ান্টাম মেকানিক্সের মতো।
কোয়ান্টাম মেকানিক্সের ব্যাপারে একটু বলি। আপনারা হয়তো জানেন, যেকোনো পদার্থ হচ্ছে অণু পরমাণুর সমষ্টি মাত্র। এই অণুপরমাণুকে ভাঙলে পাওয়া যায় বিভিন্ন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পারমাণবিক কণা। পদার্থের মধ্যেকার এই পারমাণবিক কণাগুলোর স্বভাব চরিত্রকে ব্যাখ্যা করে কোয়ান্টাম মেকানিক্স। কিন্তু প্রচলিত সাধারণ যুক্তিগুলো এই কোয়ান্টাম মেকানিক্সে খাটে না। এটি তার নিজস্ব নিয়মে চলে। উদাহরণস্বরূপ, কোয়ান্টাম মেকানিক্স বলে যে, একটি পারমাণবিক কণা একই সময়ে দুটো জায়গায় থাকতে পারে, যা সাধারণ যুক্তিতে অসম্ভব বলে মনে হয়। আপনি কি মনে করেন, আপনি একই সময়ে দুই জায়গায় অবস্থান করেন?
এছাড়াও কোয়ান্টাম মেকানিক্স বলে যে, একজোড়া কণা পরস্পর এক দুর্বোধ্য সম্পর্কে জড়িয়ে থাকে। যদি আপনি একটা কণার বৈশিষ্ট্যকে পাল্টে দেন, তার মানে হচ্ছে আপনি একই সাথে অন্য কণাটির বৈশিষ্ট্যকেও পাল্টে দিচ্ছেন, যদিও তারা হয়তো পরস্পর থেকে হাজার হাজার আলোকবর্ষ দূরে অবস্থান করছে। এমন বিশাল দূরত্বে অবস্থান করলেও কণাগুলো কিন্তু মুহুর্তেই পরস্পরের অবস্থা সম্পর্কে জেনে যায়, যদিও অাপাতদৃষ্টিতে তাদের মধ্যে কোনো সংযোগ দেখা যায় না। কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেন নি বলে আইনস্টাইন এটাকে বলতেন, “ভৌতিক” বিষয়। যদিও এটা ভৌতিক মনে হয়, এবং যদিও আমরা এটাকে এখনো বুঝে উঠতে পারি নি, তবুও পরীক্ষাগারে এটি প্রমাণিত হয়েছে এবং এর উপর ভিত্তি করে কোয়ান্টাম কম্পিউটার বানানো হচ্ছে। অর্থাৎ পারমাণবিক কণাদের জগতে আমাদের সাধারণ যুক্তি অচল।
তেমনিভাবে, যদি আপনি কর্ম ও কর্মফল কীভাবে কাজ করে সেসম্পর্কে বুদ্ধ কীভাবে ব্যাখ্যা করে গেছেন তা না জানেন, তাহলে আপনি কখনোই বৌদ্ধদের মাংস খাওয়ার বিষয়টা বুঝে উঠতে পারবেন না।
কেন বুঝতে পারবেন না একটু ব্যাখ্যা করি তাহলে। আমার মনে হয় আপনারা জানেন যে, বুদ্ধ গৃহী লোকজনকে মাংস খেতে মোটেও নিষেধ করেন নি। আর আপনারা মনে হয় এটাও জানেন যে, বুদ্ধ ভিক্ষুদেরকে কিছু কিছু প্রাণির মাংস খেতে নিষেধ করেছেন মাত্র। সেগুলো হচ্ছে- কুকুরের মাংস, সাপের মাংস, বাঘের মাংস, সিংহের মাংস, হাতির মাংস, মানুষের মাংস, ঘোড়ার মাংস, চিতাবাঘের মাংস, ভালুকের মাংস এবং হায়েনা বা গোবাঘের মাংস।(বেশিরভাগ দায়ক এমনিতেই ভিক্ষুদেরকে এসব মাংসের তরকারি দান করে না)। এছাড়াও দেবদত্ত বুদ্ধকে একটা নিয়ম বেঁধে দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছিল যেন ভিক্ষুদের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করা হয় এবং ভিক্ষুরা যেন সারাজীবন কঠোরভাবে নিরামিষভোজী হয়। কিন্তু বুদ্ধ তা অনুমোদন করেন নি।
বুদ্ধের এসব কর্মকাণ্ড অদ্ভূত লাগে না আপনাদের কাছে? প্রাণিহত্যা নিষিদ্ধ, তাহলে ভিক্ষুরা মাংস খায় কীভাবে? অহিংসার নীতি তো সর্বপ্রথম ভিক্ষুদেরই মেনে চলা উচিত, নয় কি? কেননা, তারা যদি মাংস খায়, তাহলে সেটার জন্য প্রাণিহত্যা তো অবশ্যই করা হবে। এ তো সহজ হিসাব। ক্লাসে সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া ছাত্রটিরও এই হিসেব মেলাতে বেগ পেতে হয় না। আর নিরামিষ ভোজনের পক্ষাবলম্বীরা এই যুক্তির সপক্ষে সায় দিতে কত উৎসাহী! কিন্তু বুদ্ধ ছিলেন তার সিদ্ধান্তে অবিচল। কারণ তিনি কর্মনিয়মকে সাধারণ জনতার তুলনায় খুব ভালো করেই জানতেন। এমনকি তিনি এই কর্মনিয়মকে আপনার এবং আমার থেকেও ভালো করে জানতেন। (যদিও আমার মনে হয় কেউ কেউ এতে আপত্তি জানাবে এবং বলবে যে তারা বুদ্ধের থেকেও ভালো যুক্তি দিতে পারে !)
বিষয়টা ব্যাখ্যা করা যাক। বুদ্ধের মতে, চেতনা হচ্ছে কর্ম। চেতনা না থাকলে কর্ম হয় না। যদি কেউ কোনো মশাকে অনিচ্ছাকৃতভাবে মেরে ফেলে, উদাহরণস্বরূপ সে হয়তো সেটাকে তাড়াতে চাচ্ছিল, কিন্তু ঘটনাক্রমে মশাটি মারা গেল, তখন হয়তো সে নিজেকে দোষী বলে ভাবতে পারে। সে মনে করতে পারে, “হায়রে, আমি একটা মশাকে মেরে ফেললাম!” কিন্তু আমি তাকে দোষ দিই না। আমি বুদ্ধের শিক্ষা থেকে ভালোই জানি যে সে কোনো প্রাণিহত্যা করে নি। তার উদ্দেশ্য ছিল মশাটাকে তাড়ানো। অঘটন তো ঘটেই। সেটা নিয়ে হাহুতাশ করা অর্থহীন। এমনকি যখন এক ভিক্ষু একটা চেয়ারে বসতে গিয়ে ঘটনাক্রমে চেয়ারে থাকা বাচ্চাটাকে মেরে ফেলেছিল, বুদ্ধ কিন্তু সেই ভিক্ষুটাকে দোষী সাব্যস্ত করেন নি। কারণ সেখানে ভিক্ষুটির কোনো হত্যার ইচ্ছা ছিল না।
অন্যদিকে যদি কেউ আপনার মাথায় একটা পিস্তল তাক করে বলে, “হয় মশাটাকে মারো, নয়তো মর”, তখন আপনি কী করবেন? আপনি হয়তো মনে করতে পারেন, এখানে তো আর স্বেচ্ছায় মশাকে মারছি না, নিজে বাঁচার জন্য বাধ্য হয়ে মারতে হচ্ছে। এই ভেবে আপনি যদি সত্যিই মশাটাকে মারেন তাহলেও সেটা কিন্তু ঐ ইচ্ছাকৃত হত্যার মধ্যেই পড়বে। কেন? কারণ এক্ষেত্রে আপনি প্রাণিহত্যার সবগুলো অঙ্গ পূরণ করেছেন। ১. আপনি জানেন যে এটি একটি মশা (একটি সত্ত্ব)। ২. আপনি সেটাকে হত্যা করতে চাইলেন (সেই সত্ত্বকে মারার জন্য আপনার ইচ্ছা এবং প্রচেষ্টা রয়েছে)। ৩. আপনার হত্যা প্রচেষ্টা সফল হলো, মশাটা মারা গেল (একটা অকুশল কর্ম এইমাত্র করে ফেললেন আপনি)। আপনি যদি নিজে না মেরে অন্যকে দিয়ে হত্যা করান, সেই একই ইচ্ছাকৃত হত্যা হয়।
সোজা কথায়, বৌদ্ধ দৃষ্টিকোণ থেকে নিম্নোক্ত ঘটনাগুলো ইচ্ছাকৃত হত্যার পর্যায়ে পড়ে না, তাই সেগুলোর ব্যাপারে নিরামিষ সমর্থকরা যাই বলুক না কেন আপনার তাতে কান দেয়ার কোনো কারণ নেই (আমরা নিরামিষ সমর্থকদের নিয়মে চলব কেন? আমরা চলব বুদ্ধের নিয়মে।)
১. যদি আপনি বাজারে গিয়ে মাংস কিনে আনেন, রান্না করে খান, তাতে আপনার কোনো প্রাণিহত্যা হয় না।
২. যদি আপনি রেস্টুরেন্টে গিয়ে মেনু দেখে কোনো খাবারের অর্ডার দেন, এবং খান, তাতে আপনার কোনো প্রাণিহত্যা হয় না।
কিন্তু প্রাণিহত্যা কখন হয়? নিম্নোক্ত ঘটনাগুলো খেয়াল করুন:
১. যখন আপনি কোনো হত্যার ঘটনা দেখেন অথবা শোনেন অথবা পড়েন, সেটা যদি ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলেও হয়, আর আপনি যদি তা উপভোগ করেন, প্রশংসা করেন, অথবা সোৎসাহে বলে ওঠেন, “এই শালাকে ধরে মেরে ফেল”, তাহলে আপনি সেই হত্যায় অংশ নিচ্ছেন, আপনার সেব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত।
২. যদি আপনি বাজারে গিয়ে কোনো জ্যান্ত মাছ বা মুরগিকে পছন্দ করেন, আর বিক্রেতা তখন সেটাকে ধরে আপনার জন্য জবাই করে দেয়, আপনি সেটা বাসায় এনে রান্না করে খান, সেটা বৌদ্ধ হিসেবে বড়ই লজ্জার!
৩. “হিচহাইকার’স গাইড টু দ্য গ্যালাক্সি” নামের বইয়ে আছে, আমাদের পরিচিত সূর্য ও অন্যান্য গ্রহনক্ষত্র থেকে বহু বহু দূরে এই মহাবিশ্বের প্রান্তে নাকি একটা অদ্ভূত রেস্টুরেন্ট আছে। সেখানে গেলে একটা গরু এসে আপনাকে বলবে তার কোন মাংসটা আপনার পছন্দ, রানের মাংস, নাকি বুকের মাংস, নাকি পিঠের মাংস। আপনি একটা পছন্দ করলে গরুটা রান্নাঘরে গিয়ে বাবুর্চিকে বলবে অমুক কাস্টমার আমার গায়ের অমুক মাংসটা পছন্দ করেছে। বাবুর্চি তখন গরুটাকে জবাই করে আপনার পছন্দের টাটকা মাংস রান্না করে অল্পক্ষণের মধ্যেই টেবিলে এনে দেবে। আপনি তখন সেটা আয়েশ করে খেলেন। আমি ভেবে দেখেছি, বৌদ্ধ হিসেবে সেটা হবে আপনার জন্য চরম লজ্জাজনক!
এতকিছু বলার পরেও যদি বৌদ্ধদের মাংস খাওয়ার ব্যাপারটা আপনার কাছে পরিষ্কার না হয়, তাহলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী!
লেখকের লেখাটা পড়লাম। ধন্যবাদ লেখার জন্যে। তবে ধর্মের বিশ্বাসে আমি বৌদ্ধ। বৌদ্ধ হিসেবে কিছু মন্তব্য না লিখে পারলাম না।
আপনার লেখার প্রেক্ষিতে আমার আমার প্রথম ও মূল মন্তব্য হলো, বৌদ্ধ হওয়ার অর্থ না বুঝে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করতে গেছেন। ফলে আপনার যা হবার তাই হয়েছে।
নিচে আমার কিছু মন্তব্য ও প্রশ্ন।
১) বৌদ্ধ ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার অর্থ কী? কেবল কী না খেলে, মশা, ব্যাঙ, সাপ, গরু, মহিষ না মারলে বা জবাই করলে কিংবা প্রাণী হত্যা না করলেই কী বৌদ্ধ হওয়া যায়? (জানিনা বাস্তব সত্য ঘটনা কী না, নাকি গুল মারছেন) আপনার বাবা আপনাকে ঐভাবে বৌদ্ধ ধর্মে ধর্মান্তরিত করতে নিয়ে গিয়েছিলেন কী না জানি না। বৌদ্ধ ধর্মের কোন জিনিসটা ভালোবেসে বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষা নিতে চেয়েছিলেন? কেবল প্রাণী হত্যা না করার কারণে যদি বৌদ্ধ হতে চান, তাহলে সেটা হলো আপনার বৌদ্ধ ধর্ম সম্পর্কে অন্ধ ধারনা। অন্ধ ধারনা নিয়ে বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করার কোন কারণ দেখি না।
২) আপনি নাবালক নাকি সাবালক? আপনি যদি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকেন, এবং যুক্তি-বুদ্ধিসম্পন্ন ও মুক্তমনা মানুষ হয়ে থাকেন, তাহলে আপনাকে কেন বাবাকে নিয়ে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করতে যেতে হবে? দেশের সংবিধান তো বলে দিয়েছে, যে কারোর যে কোন ধর্ম গ্রহণ করা বা পালন করার স্বাধীনতা রয়েছে। আপনার ধর্ম পালনের স্বাধীনতা কেন বাবার ইচ্ছার অধীন হবে? মুক্তমনায় এটা আপনার ভন্ডামি নয় কী?
৩) আপনার জন্যে বলছি, মাংস খাওয়া না খাওয়া, মশা, ব্যাঙ, সাপ, গরু, মহিষ মারা বা জবাই করা বা প্রাণী হত্যা করা না করা বৌদ্ধধর্মের মূল উপজীব্য বিষয় নয়। কাজেই আপনি যদি এসব বিষয় আলোচনায় নিয়ে বৌদ্ধ ধর্ম বিশ্লেষণ করেন, তাহলে বৌদ্ধ ধর্ম সম্পর্কে আপনার আলোচনা হবে গোপাল ভাঁড়ের গাছের উপর পাত্র চড়িয়ে নীচে একটু আগুন জ্বালিয়ে রান্না করার মত হবে। এতে কখনো ভাত রান্না হবে না।
৪) বৌদ্ধ ধর্মের মূল বক্তব্য বা মূল শিক্ষা কী? আপনার জন্যে বলছি, বৌদ্ধ ধর্মের মূল বক্তব্য বা শিক্ষা হলো চতুরার্য সত্য (Four Noble Truth) এবং আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ (Eight Noble Paths) । চতুরার্য সত্য ও আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ সম্পর্কে আপনার ধারনা কতটুকু জানি না। আপনি যদি এই চতুরার্য সত্য ও আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ পাশ কাটিয়ে অন্য খন্ডিত বিষয় আলোচনায় এনে বৌদ্ধ ধর্মকে বিচার করেন সেটা হবে খন্ডিত কিংবা বিকৃত। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পন্ডিত বিভিন্নভাবে চতুরার্য সত্য ও আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গের ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন, গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। কাজেই বৌদ্ধধর্ম বুঝতে হলে আগে চতুরার্য সত্য ও আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ আলোচনায় নিতে হবে। সেকারণে, আশা করবো, মশা মারা, সাপ মারা, মাংসা খাওয়া না খাওয়া ইত্যাদি প্রশ্ন জানার আগে চতুরার্য সত্য ও আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ সম্পর্কে আলোচনা করবেন এবং প্রশ্ন করবেন।
৫) এরপরও অনেকে হয়তো প্রশ্ন করবেন, তাহলে বৌদ্ধদের প্রাণী হত্যা কিংবা মাংস খাওয়া না খাওয়ার (জনৈক বন্ধু তো বলেছেন “মরা খাওয়া”) ব্যাপারগুলো কী?
উপরে বলেছি, বৌদ্ধ ধর্মের মূল শিক্ষা হলো চতুরার্য সত্য ও আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ (এখানে আমার বিস্তারিত ব্যাখার সময় নেই)। এগুলোর মধ্যে কিছু লৌকিক (mundane) ও লোকত্তর (supramundane ) দিক আছে। বুদ্ধ তার সময়ে সমাজের লোকজনকে ধর্মীয় শিক্ষা দিতে তথা নীতি-নৈতিকতার শিক্ষা দিতে কিছু লৌকিক আচার বা আচরণবিধি দিয়েছিলেন। পঞ্চশীল হলো এমনি একটি আচরণবিধি। বৌদ্ধভিক্ষু ও শ্রামণ বাদে যারা সমাজে বসবাস করে অর্থাৎ সাংসার পালনকারী গৃহীদের (lay persons) জন্যে তিনি পাঁচটি নীতি (যা পঞ্চশীল নামে পরিচিত) দিয়েছিলেন। এগুলোর (পালি ভাষা হতে) আক্ষরিক অনুবাদ হলো,
১) প্রাণী হত্যা থেকে বিরত থাকবো সেই শিক্ষা গ্রহণ করছি;
২) অদত্ত বস্তু (চুরি করা) গ্রহণ হতে বিরত থাকবো সেই শিক্ষা গ্রহণ করছি;
৩) মিথ্যা বলা থেকে বিরত থাকবো সেই শিক্ষা গ্রহণ করছি;
৪) ব্যভিচার হতে বিরত থাকবো সেই শিক্ষা গ্রহণ করছি;
৫) সুরাপানে প্রমত্ত হওয়া থেকে বিরত থাকবো সেই শিক্ষা গ্রহণ করছি।
বুদ্ধ কেন এই পঞ্চশীল পালনের শিক্ষা দিয়েছিলেন, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছিলেন। বুদ্ধ তার সময়ের সমাজের উপযোগিতা অনুসারে এই পঞ্চশীল নীতি দিয়েছিলেন। এই পঞ্চশীল নীতিগুলো নিয়ে সংকীর্ণ অর্থে (narrow sense) যেমন ব্যাখ্যা হতে পারে, তেমনি বৃহত (broader/inner sense) অর্থেও ব্যাখ্যা হতে পারে। তাই এখন “প্রাণী” বলতে কাকে কাকে বুঝাবেন? এর মধ্যে মশামাছি, গরুছাগল, মানুষ ইত্যাদি আনবেন নাকি ইতর বিশেষ করবেন? এখানে পঞ্চশীল হলো বৌদ্ধ সমাজের জন্যে লোকাচার বা আচরণবিধি। এগুলিকে বুদ্ধের মূল শিক্ষা চতুরার্য সত্য ও আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ অনুসরনের জন্যে সহায়ক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এখন আপনিই মূল্যায়ন করেন “প্রাণী হত্যা থেকে বিরত থাকবো সেই শিক্ষা গ্রহণ করছি” – এই কথাটি কী বুঝাচ্ছে; মশামাছি, সাপ ব্যাঙ মারতে নিষেধ করেছে নাকি মাংস না খেতে নিষেধ করেছে?
পরিশেষে আরও একটা কথা, বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার জন্যে মন্দিরে গিয়ে আচার অনুষ্ঠান করতে হবে এমন কোন কথা নেই। মন্দিরে না গিয়েও, ধর্মে বৌদ্ধ না হয়েও বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী হতে পারেন। বৌদ্ধরা মনে মনে যা উচ্চারণ করেন, তা হলো
“বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি,
ধম্মং শরণং গচ্ছামি,
সংঘং শরণং গচ্ছামি”
(অনুবাদ: বুদ্ধের শরণ বা আশ্রয় গ্রহণ করছি, ধর্মের আশ্রয় গ্রহণ করছি, সংঘের আশ্রয় গ্রহণ করছি)।
বুদ্ধ অর্থ “জ্ঞান”, ধর্ম অর্থ “নীতি” এবং সংঘ অর্থ “একতা”। প্রতিদিন যদি আপনি জ্ঞান, নীতি ও একতার চর্চা গ্রহণ করতে পারেন, তাহলে আপনি বৌদ্ধ। বৌদ্ধ মন্দিরে গিয়ে কোন বৌদ্ধ ভিক্ষুর সামনে ধর্মান্তরিত হতে এমন কোন কথা নেই। বরং তা করতে যাওয়াটা হলো অসুস্থ বা অজ্ঞান মনের প্রশান্তি খোঁজা, নতুবা লোকদেখানো কিছু ব্যাপার ছাড়া আর কিছুই নয়।
@অডঙ চাকমা, ১.বৌদ্ধ ধর্মে ধর্মান্তরিত হবার অর্থ বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহন করা এবং একজন বৌদ্ধের ধর্ম পালনে যা যা করা উচিত তাই করা।পুরোপুরি না করলেও অবশ্য চলে।কারন দুনিয়ার একটা হিন্দু,মুসলিম,খ্রিস্টান,বৌদ্ধ এদের কেউই ১০০% নিজ ধর্ম পালন করেনা।নামে মাত্র করে।আর প্রধান প্রধান ধর্মোৎসবের সময় তাদের ধর্ম উপচায় উপচায় পরে।
বৌদ্ধরা প্রানি হত্যা করেনা তাদের ধর্মের এই জিনিসটা আমার ভাল লাগত।কারন আমি মনে করতাম প্রানি হত্যা যারা করেনা তাদের মধ্যে হিংসা তুলনামুলকভাবে কম,তারা কোমল হৃদয়ের মানুষ হয়।
আপনি কারন দেখেন বা না দেখেন তাতে আমার কিছুই যায় আসেনা।
২.আমি তখন নাবালক ছিলাম এখন সাবালক।আপনি না পড়েই আজাইরা লাফাচ্ছেন।আমার ধর্মান্তরিত হবার বিষয়টা যদি আমার বাবার ইচ্ছা অনুযায়ী হত তাহলে আমার বাবা আমাকে বৌদ্ধ মন্দিরে নিয়ে যেতেননা।
৩.গোপাল ভাঁড়ের থেকে বৌদ্ধদের ভাঁড়ামি আমি বেশি মনে করি।ধর্মের মধ্যে যদি আমি স্ববিরোধী আচরণ দেখি সেই ধর্মকে আমি লাথি মারবো।আর আপনাদের ধর্ম অনেক কিছুই আমার কাছে গোপাল ভাঁড়ের ভাত রান্না করার মতই লাগে।
৪.আপনি কি আশা করেন না করেন তা আপনার নিজের ব্যাপার।আপনার আশা পুরন করতে আমাকে অন্য প্রশ্ন করতে হবে এমন ভাবার কোন কারন দেখিনা।কোন ধর্মের কোন কিছু নিয়ে আমার প্রশ্ন তোলার মত হলে আমি অবশ্যই তুলবো।
আর এভাবে কেন আমার উপর আপনারা ঝাপায় পড়লেন বুঝতে পারছিনা।সব ভুল আমার আর আমার বাবার।আর আপনাদের ভান্তেরা যে ধর্ম প্রচার করে বেড়ান আর সাধারন প্রশ্নের উত্তরই দিতে জানেনা তাদের নিয়েতো এখানে আপনাদের বৌদ্ধদের কোন অভিযোগ দেখিনা।
@নাস্তিক দীপ,
দুঃখিত, আপনার সাথে কোথাও ভুল বুঝাবুঝি হচ্ছে মনে হয়। আমি আপনার উপর “ঝাপায়” পড়বো কেন? আমি আমার মতামতগুলো তুলে ধরলাম মাত্র। আপনি যদি “ঝাপিয়ে” পড়া বলে মনে করেন, তাহলে আমি মন্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকবো ।
ভান্তেরা যেভাবে ধর্ম প্রচার করেন তা নিয়ে কোন অভিযোগ নেই, তা নয়। হয়তো এই মুক্তমনার মত জায়গায় সেগুলো আসে না। আর আমি দাবী করবো না সব ভান্তে ভালোভাবে এবং সঠিকভাবে বুদ্ধের শিক্ষা প্রচার করছেন। তাদের ব্যাকগ্রাউন্ডও তো দেখতে হবে। কিছু ভান্তে আছে তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতাও একেবারে কম। কাজেই তাদের কাছ থেকে দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক তাৎপর্য সম্বলিত কোন ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে বলে মনে করি না।
@নাস্তিক দীপ,
নাস্তিক দ্বীপ আপনাকে দোষ দিয়ে বা কি হবে, নাস্তিক বলে তো এই সব কিছু নাস্তিক বাদী প্রশ্ন তুলেছেন, যেহেতু আপনি একজন নাস্তিক, আপনাকে বুঝিয়ে বললে হয়ত আস্তিক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ! আর নাস্তিক দ্বীপ, আপনি ভান্তেদের ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছেন যে , ভান্তেরা যে ধর্ম প্রচার করে বেড়ান আর সাধারন প্রশ্নের উত্তরই দিতে জানেনা—- অবশ্যই যারা নতুন ভান্তে আর শ্রমণ উনাদের কাছে সেই সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেয়া কঠিন হবে সেইটা ঠিক, আর এই ও ঠিক যে, আপনার মত নাস্তিকদের বুঝানোর জন্য বয়স্ক শিক্ষিত ও বিজ্ঞ ভান্তের প্রয়োজন রয়েছে, আর আপনাদের সাধারণ প্রশ্নের উত্তর না পারার কারণে সকল ভান্তেদের দোষী করে ফেলেছেন সেইটা আপনার নাস্তিকতার একটা বড় ধরনের লক্ষণ, নাস্তিকতা দূর হয়ে আস্তিকতা চিত্ত উদয় হোক, জেগে উঠুক এই কামনা করি ……..
@অডঙ চাকমা, এত গদ্যময় বানীপারঙ্গমতা দেখানোর দরকার নাই।সোজা বাংলায় বলেন বুদ্ধু দু:খের কারণ ও তা নিরসনের উপায় খুজতে গিয়েছিলেন।তো উনি নিজেই কেন স্ত্রী পরিজনকে ছেড়ে গিয়ে অবহেলাকারী হয়ে তাদের দু:খের কারণ হলেন ও তা নিরসনে কি উপায় বের করলেন।উনার দর্শনে নারীর অবস্থান কোথায়?আর এখানে প্রানী হত্যা বা খাওয়া নিয়ে যা বলা হচ্ছে তা সম্যক আজীবের সাথে সম্পর্কযুক্ত যা বুদ্ধের মূল শিক্ষা চতুরার্য সত্য ও আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গের অন্তর্ভুক্ত তাই কোন খন্ডিত বিষয় বলে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।আপনি ত্রিরত্ন বা যে সব ব্যাখ্যা বানী দিচ্ছেন তা বুদ্ধুর মৃত্যুর পর রচিচ বা টীকাভাষ্য হিসাবে গৃহিত হয়েছে।বুদ্ধু মুখে মুখে তার বানী প্রচার করতেন তাই এই সব লিখিত ব্যাখ্যা যে তার তার কোন প্রমান নেই।ত্রিপিটক সঙ্ঘের অধিবেশনের ফলাফল।বুদ্ধুর বস্তবাদী দর্শন না অহিংসা নীতি নতুন কিছু নয় প্রাচীন আটেনবাদ প্রথম যুদ্ধবিরোধী ও শান্তিবাদী ধর্ম কিন্তু বুদ্ধুর দর্শন অহিংসাবানী কোন যুদ্ধই রোধ করতে পারে নাই যার প্রমান বুদ্ধুর বানী ব্যাখ্যায় বিভ্রান্ত অশোক ও কনিষ্কর শাসনকাল।অন্যদিকে অাটেনবাদ সরাসরি যুদ্ধরোধ করেছে তার প্রমান ইতিহাসে আছে।বুদ্ধুর বানীর বিভ্রান্তিকর ব্যাখ্যা দিলেই তার দর্শন শুদ্ধ হয়ে যায় না।বুদ্ধুতো শুকরের মাংস খেয়ে মারা গেছেন তো এখানে তার জন্য যে ভক্ত আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেছিল তার পক্ষে কিভাবে সম্যক অাজীব মানা সম্ভব ছিল ? :-s
@ডেথনাইট,
আপনি ভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে আসলেন মনে হয়। এখানে নাস্তিক দীপের আলোচনার বিষয় ছিলো বৌদ্ধ হওয়া না হওয়া নিয়ে, মশা-সাপ মারা না মারা নিয়ে, মাংস খাওয়া না খাওয়া নিয়ে। সিদ্ধার্থ গৌতমের গৃহত্যাগ, বৌদ্ধ ধর্মে নারীর অবস্থান ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়নি। বিষয়গুলো একটা একটা করে আসলে ভালো হয়। তবে আপনার বক্তব্য পাঠ করে একটু হোঁচট খেলাম। বললেন,
আপনার প্রথম বাক্যটা নিয়ে আপত্তি আছে। এ বাক্যের মাধ্যমে আপনার অসহিঞ্চু মনের চরম অস্থিরতা প্রকাশ পাচ্ছে। “গদ্যময় বাণীপারঙ্গমতা” দেখানোর জন্যে এখানে আসিনি। আর “গদ্যময় বাণীপারঙ্গমতা”র দরকার আছে কী নেই সেটা নির্ধারণের আপনি কে? আমার কথা আমাকে বলতে দিন স্বাধীনভাবে। দ্বিতীয় বাক্য নিয়ে তেমন দ্বিমত নেই। হ্যাঁ, বুদ্ধের দেশিত শিক্ষা অনুসারে ‘পৃথিবীটা দুঃখময়। জন্মই দু:খ, জরা দুঃখ, ব্যাধি দুঃখ, অপ্রিয় বস্তুর সংস্পর্শ দুঃখ, প্রিয় বস্তুর সংস্পর্শ হতে বিচ্ছিন্ন হওয়া দুঃখ, অপ্রাপ্তি দুঃখ ইত্যাদি। তাই সিদ্ধার্থ গৌতমের অনুসন্ধান বা ধ্যান-সাধনার বিষয় ছিলোঃ কেন এই দুঃখ ভোগ করি, কেন দুঃখ সৃষ্টি হয়?”
তিনি দীর্ঘ ধ্যান সাধনা করে তার লব্ধ ফলাফল তুলে ধরেছেন এবং ব্যাখ্যা করেছেন চতুরার্য সত্য ও আর্য অষ্টাঙ্গিক মাগের মাধ্যমে। তার সাধনালব্ধ ফলাফল সত্য কি মিথ্যা সেটা আপনি বা যে কেউ পরীক্ষা করতে পারেন, আলোচনা করতে পারেন। আপনি মানেন বা না মানেন এতে কোন জোরাজুরির ব্যাপার নেই। সেজন্যে বুদ্ধ তার ধর্ম সম্পর্কে আহবান জানিয়ে বলেছেন, “এসো, দেখো, যাচাই করো সত্য কি না”। বুদ্ধের দেশিত ধর্মের চতুরার্য সত্য হলোঃ
১ম আর্য সত্য হলো দুঃখ।এখন প্রশ্ন হলো, দুঃখ কী? বৌদ্ধ দর্শনের পরিভাষায় দুঃখ প্রত্যয়ের অর্থ অনেক গভীর। সহজ করে বলা হয়, বার বার জন্মই হলো দুঃখ। কারণ, জন্ম হলে জরা আছে, ব্যাধি আছে, এবং অবশেষে মৃত্যূ আছে। কেবল মানুষ নয়, যে কোন প্রাণীই এই দুঃখের অধীন। কাজেই বৌদ্ধ ধর্মে বলা হচ্ছে, বারবার জন্মগ্রহণ করাই হলো দুঃখ। কিন্তু এই দুঃখের আধার কী? উত্তর হলো, নিজের শরীর, যা বৌদ্ধ পরিভাষায় পঞ্চস্কন্দ (five aggregates of attachments) হিসেবে অভিহিত। (এখন দুঃখ বুঝতে হলে, আপনাকে পঞ্চস্কন্দ আলোচনায় যেতে হবে)
২য় আর্য সত্য হলো দুঃখের কারণ। এই দুঃখের কারণ কি? তৃঞ্চা (cravings)। তৃঞ্চাই পুনর্জন্মের হেতু বা কারণ উৎপাদন করে। তৃঞ্চা তিন ধরনেরঃ কাম তৃঞ্চা যা ইন্দ্রিয় সুখকে নির্দেশ করে, বিভব তৃঞ্চা (যার মাধ্যমে পৃথিবীর সবকিছু সুন্দর শ্বাশত মনে হয়) এবং বিভব তৃঞ্চা (view of nihilism)।
৩য় আর্য সত্য হলো দুঃখ নিরোধ । তৃঞ্চা থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত হওয়া। অর্থাৎ সম্পূর্ণভাবে তৃঞ্চা ক্ষয় করা।
৪র্থ আর্য সত্য হলো দুঃখ নিরোধের উপায়। উপায় হিসেবে বুদ্ধ আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গের (Noble Eightfold Path) কথা নির্দেশ করেছেন।
চতুরার্য সত্য নিয়ে অনেক গভীর দার্শনিক আলোচনা, ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ আছে। তবে সাধারণভাবে বললে বলতে হয়, বুদ্ধের দেশিত শিক্ষার মূল লক্ষ্য হলো দুঃখ নিরোধ করতে হলে তৃঞ্চা ক্ষয় করতে হবে, তৃঞ্চা ক্ষয় হলে পুনঃ পুনঃ জন্মরোধ হবে। পুনঃপুনঃ জন্মরোধ হলে নির্বাণ লাভ হবে। এই নির্বাণ লাভের মার্গ বা পথ হলো আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ (Noble Eightfold Path)। আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গগুলো হলো
১) সম্যক দৃষ্টি (Right Understanding)
২) সম্যক সংকল্প (Right Thoughts)
৩) সম্যক বাক্য (Right Speech)
৪) সম্যক কর্ম (Right Action)
৫) সম্যক জীবিকা (Right Livelihood)
৬) সম্যক প্রচেষ্টা (Right Efforts)
৭) সম্যক স্মৃতি (Right Mindfulness)
৮) সম্যক সমাধি (Right Concentration)
উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো নিয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া আছে বৌদ্ধ ধর্মে। আগ্রহী হলে পাঠ করতে পারেন কোথাও বই সংগ্রহ করে। অনলাইন রিসার্চ করেও অনেক উপকরণ পেতে পারেন।
এখন আসি বৌদ্ধ ধর্মে প্রাণী হত্যার নিষেধ নিয়ে। উপরের আর্য অষ্টাঙ্গিক মাগের ৫ নং পথ অনুসারে বুদ্ধ পাঁচ প্রকার জীবিকা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। যথা, অস্ত্র বাণিজ্য, মানুষ বেচাকেনা (আপনার দাসপ্রথার কথা জানা কথা), মাংস বেচা, মদ বেচা ও বিষ বেচা। এ পেশাগুলোকে নিকৃষ্ট বা ভন্ডামির পেশা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিলো সেই সময়ে।
এখানে লক্ষ্য করুণ, অস্ত্র বাণিজ্য, মাংস বেচা, বিষ বেচা এসব পেশা সরাসরি “প্রাণী হত্যার” সাথে সম্পর্কিত। সে কারণে এই আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গের “সম্যক জীবিকা” নীতিটি সাধারণ গৃহীদের জন্যে পঞ্চশীল নীতিতেও প্রতিফলিত হয়েছে। পঞ্চশীলের ১নং শিক্ষা হলো প্রাণী হত্যা হতে বিরত থাকা।
কাজেই এখানে নাস্তিক দীপ সাহেব মশা মারা, সাপ মারা বা প্রাণী হত্যার বিষয় কিংবা মাংস খাওয়া না খাওয়ার বিষয়গুলোকে ঘটনাসংযোজনহীনভাবে তুলে ধরে তার বৌদ্ধ ধর্মে হওয়ার যেভাবে সাজিয়েছেন এবং বৌদ্ধ হওয়া না হওয়ার বিষয়টা যেভাবে হালকা করে তুলে ধরেছেন সেটা ছ্যাবলামি ছাড়া কিছুই নয়।
আপনার দ্বিতীয় প্রসঙ্গ
১) আপনার বাক্যের প্রথম অংশের জবাব উপরে আছে বলে মনে করি। তারপরেও আপনার জবাব দেওয়ার আগে আপনাকে প্রশ্ন করবোঃ দুঃখ বলতে আপনি কী বুঝিয়েছেন? দুঃখের অর্থ আগে পরিস্কার করেন। কারণ, বৌদ্ধ দর্শনে আলাদা অর্থ আছে। আপনার জবাব জানার পরে আমার জবাব দেওয়ার চেষ্টা করবো।
২) বৌদ্ধ দর্শনে নারীর অবস্থান কোথায়? জেন্ডারের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বৌদ্ধধর্মকে অধ্যয়ন করার সুযোগ হয়নি। আমার জ্ঞান বেশি নেই। তবে সাধারণ জ্ঞান দিয়ে জবাবটা সাজানোর চেষ্টা করতে পারি। বৌদ্ধ ধর্মে নারী পুরুষের ভেদাভেদ নেই। নারী হোক, পুরুষ হোক সবাই দুঃখের অধীন। সবাই সমানভাবে ধর্ম চর্চা করতে পারে। ধর্মের বিধান অনুসারে নারীপুরুষ সবাই নির্বাণ লাভ করতে পারে। এখানে কোন বৈষম্য নেই।
তবে ভিক্ষু সংঘে নারীদের প্রবেশ নিয়ে বুদ্ধের কিছু reservation ছিলো। তিনি প্রথম দিকে নারীদের ভিক্ষু হওয়া অনুমোদন দিতে চাননি। কেন চাননি, সেসবের কারণ বা বিশ্লেষণ দেওয়া হয়েছিলো। পরে তিনি নারীদেরও ভিক্ষু হওয়ার অনুমোদন দিয়েছিলেন। তবে নারী ভিক্ষুদের জন্যে তিনি বিশেষ কিছু নীতিমালার বা অনুশাসনের বিধান রেখেছিলেন।
বৌদ্ধ ধর্মে নারীর অবস্থান নিয়ে আপনার কোন মন্তব্য বা পর্যবেক্ষণ থাকলে এখানে আলোচনা করতে পারেন। আপনার থেকে নতুন কিছু জানতে পারলে খুশি হবো।
আপনার আরো বেশ কিছু বিষয় আছে। যেমন বললেন
বুঝলাম না, আপনি কী বলতে চাচ্ছেন – কোন বিষয়গুলো টীকা ভাষ্য হিসেবে গৃহীত হয়েছে। “ত্রিপিটক সংঘের অধিবেশন” বলতে কী বুঝাতে চাচ্ছেন?
“ত্রিপিটক সংঘের অধিবেশন” নয়। প্রেক্ষাপট না জেনে মন্তব্য করেছেন। আপনি বোধয়, বৌদ্ধ মহাসংগীতির কথা বলতে চাচ্ছেন। মহাসংগীতি হলো বর্তমান সময়ের মহাসম্মেলন, সেমিনারের মত। বৌদ্ধ ধর্ম গ্রন্থে তিনটি মহাসম্মেলনের কথা লেখা আছে।
গৌতম বুদ্ধের পরিনির্বাণের পর (আপনার ভাষায় মৃত্যুর পর) ভিক্ষু সংঘের মধ্যে মতভেদ দেখা যায়। একদল বলতে লাগলো, গৌতম বুদ্ধ যেসব নিয়মিনীতি দিয়ে গেছেন, সেগুলো সব অনুসরণ করার দরকার নেই। বেছে বেছে কিছু পালন করলে হবে। আরো একদল বললো, “না, তা করা যাবে না। গৌতম বুদ্ধ যা যা বলেছেন সবই পালন করতে হবে। নিয়মের কোন ব্যত্যয় ঘটানো যাবে না”। ফলে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা এখন দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে যাচ্ছে (বর্তমানে হীনযান আর মহাযান নামে পরিচিত)। এই অবস্থায় করণীয় নির্ধারণের জন্যে সবচেয়ে বয়জ্যেষ্ঠ ভিক্ষুরা মহাসংগীতির বা মহাসম্মেলনের আয়োজন করেন। বুদ্ধের পরিনির্বাণের তিন মাসের মাথায় প্রথম ‘মহাসংগীতি’ অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনে বুদ্ধের অন্যতম প্রধান শিষ্য আনন্দ যিনি শ্রুতিধর (যা শুনেন সব মনে রাখতে পারেন) ছিলেন। তিনি বুদ্ধের বক্তব্যগুলোর ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে গৌতম বুদ্ধের দেশিত ধর্ম বা শিক্ষা লিপিবদ্ধ করা হয়। যা পরে ত্রিপিটক হিসেবে পরিচিত হয়।
হ্যাঁ, বুদ্ধের শিক্ষা প্রথমে লিখিত ছিলো না। এই সম্মেলনের মাধ্যমে লিপিবদ্ধ করা হয়। ত্রি মানে তিন, পিটক মানে বাক্স। তিনটি বাক্স। অন্যভাবে বললে, তিনটি খন্ড। বুদ্ধের শিক্ষাকে তিন খন্ডে ভাগ করা হয়েছে। ১ম খন্ড হলো বিনয় পিটক যেখানে বুদ্ধ শাসনের (ভিক্ষু সংঘের জন্যে) অনুশাসন বা বিধানাবলী লিপিবদ্ধ আছে। বৌদ্ধ ভিক্ষুরা কী করতে পারবেন, আর কী করতে পারবেন না, সেসব বিষয় এখানে লিপিবদ্ধ করা আছে। বলা যায়, বৌদ্ধ ভিক্ষুদের জন্যে আচরণবিধি (Code of Conduct)। ২য় খন্ড হলো সুত্তপিটক । এখানে বুদ্ধ তার জীবদ্দশায় যে বিভিন্ন জায়গায় দেশনা (বক্তৃতা) দিয়েছিলেন, বিভিন্ন জায়গায় ধর্মের ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন সেসব বিষয় এখানে তুলে ধরা হয়েছে। ৩য় খন্ড হলো অভিধম্ম পিটক , এখানে দার্শনিক বিশ্লেষণ, বিতর্কিত বিভিন্ন প্রশ্ন ও উত্তর এবং বিশ্লেষণ এখানে তুলে ধরা হয়েছে।
বুদ্ধের অহিংসাবাণী ও যুদ্ধ প্রসঙ্গে
বিভ্রান্তিমূলক কথা বলেছেন কেন? সম্রাট অশোক কেন বুদ্ধের বাণী ব্যাখ্যায় বিভ্রান্ত হতে যাবেন? ইতিহাস ভালো করে পড়েন। সম্রাট অশোক তো বৌদ্ধ ছিলেন না। মারামারি করতে করতে, ভাইসহ অগণিত লোককে মেরে ফেলে তার মধ্যে এক ধরনের অনুশোচনা বোধের জন্ম হয়। পরে বুদ্ধের শিক্ষায় অনুপ্রাণিত হয়ে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন।
বুদ্ধের অহিংসা বাণী যুদ্ধ রোধ করার জন্যে নাকি যুদ্ধ বাধানোর জন্যে সেটা এখানে বোধয় প্রাসঙ্গিক নয়। বুদ্ধের শিক্ষা হলো সব সময় যুদ্ধের বিপক্ষে। প্রাণী (মানুষসহ) হত্যার বিপক্ষে। তারপরও ইতিহাসে অনেক যুদ্ধের ইতিহাস আছে। তবে বৌদ্ধ হিসেবে বুক ফুলিয়ে বলতে পারি, সিদ্ধার্থ গৌতম ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হযরত মুহাম্মদের মত কোন যুদ্ধে নেতৃত্ব দেননি।
বুদ্ধের শুকরের মাংস খাওয়া প্রসঙ্গে
শুকরের মাংস খেয়ে বুদ্ধ মারা গেছেন বলাটাও অর্ধসত্য। তার শেষ আহারে শুকরের মাংস ছিলো। খাদ্যের বিষক্রিয়া হয়েছিলো। ঐ আহার খাওয়ার পর প্রচন্ড ব্যথা ও রক্তামাশয় হয়ে বুদ্ধের মৃত্যু হয়েছিলো। সে যা হোক, আপনার প্রশ্ন হচ্ছে তার ভক্তের পক্ষে ‘সম্যক আজীব” মানা সম্ভব ছিলো কী না।
মানে সম্যক জীবিকা তার ভক্তের পক্ষে পালন করা সম্ভব ছিলো কী না। আপনার প্রশ্নের উত্তরে বলতে চাই, বুদ্ধের ঐ ভক্তের নাম চুন্ড। পেশায় তিনি মাংস বিক্রেতা ছিলেন না। তিনি ছিলেন কামার বা নাপিত।
সে যাক হোক। আপনার প্রশ্নের সহজ উত্তরটা সিগারেটের গায়ে সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণটা যথাযথ বলে মনে হচ্ছে। “ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর”। এই বার্তাটা সবার জন্যে জানিয়ে দেওয়া আছে। এখন সিগারেট খাওয়া না খাওয়া আপনার ব্যাপার, আপনার সিদ্ধান্ত।
ঠিক তেমনিভাবে বুদ্ধের শিক্ষা হলো, পৃথিবী দুঃখময়। দুঃখমুক্তির পথ হিসেবে আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ অনুসরণ করা যায়। এই পথ অনুসরণ করলে নির্বাণ লাভ করা যায়।
এখন আপনি ভক্ত হিসেবে অনুসরণ করবেন কি করবেন না সেটা আপনার উপর। সেজন্যে বুদ্ধ বলেছেন, নিজেই নিজের মুক্তিদাতা। এখানে আল্লাহ বা সৃষ্টিকর্তার মত কোন ব্যাপার-স্যাপার নেই।
@অডঙ চাকমা,
এই কথার পর স্বভাবতই আপনার দেয়া ব্যাখ্যাগুলা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে এবং আপনি কোনযানী সেটার উপড় আপনার সাথে আলোচনা দীর্ঘায়িত করার প্রয়োজন ঠিক হবে।একই সাথে বৌদ্ধ ধর্মকে বুঝবার কোন প্রামান্য সূত্র নেই তাও প্রমানিত।
বুঝলাম না এখানে ইসলাম ও মুহাম্মদ কোথা থেকে এল বুদ্ধুর সমালোচনা মানেই অন্য ধর্মের প্রচারের ঠিকাদারী নয়।সত্যি বলতে কি বাংলায় বৌদ্ধ ধর্মের প্রাধান্য মুসলমান আক্রমনের অভূতপূর্ব সাফল্যর জন্য অনেকংশে দায়ী।বৌদ্ধধর্মের প্রভাব সমাজ সংহতি নষ্ট করেছিল।এমনকি প্রথমে পূজার উদ্দেশ্যে মূর্তি বৌদ্ধরাই বানিয়েছে।
ইতিহাস আপনি ভালো করে পড়ুন। অশোক পশুহত্যার জন্য শাস্তির ব্যাবস্থা করেছিলেন যা ছিল শুধু রাজকীয় পশুশালা থেকে চুরি করা পশু হত্যার জন্য।
আর কনিষ্কর ব্যাপারে কিছু বলুন কিংবা হর্ষের ব্যাপারেও।
এখানে না বুঝার মত কিছু বলিনি ত্রিপিটক যে সঙ্ঘের অধিবেশনের ফলাফল তাই বলেছি।।বুদ্ধ তাঁর প্রচারিত ধর্মের কোন গ্রন্থ রচনা করেন নি।বুদ্ধের মৃত্যুর প্রায় ৫০০ বছর পরে এই ত্রিপিটক লিখিত হয়, এর পূর্বে তা সঙ্ঘের দ্বারা মৌখিকভাবে উপদিষ্ট হতো। বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থের এই মূল পিটকগুলি বুদ্ধকথিত মগধের পালিভাষায় রচিত হয়। পরবর্তীতে বৌদ্ধধর্ম প্রাদেশিক হতে ক্রমশঃ সার্বভৌমিক হলে সংস্কৃতেও শাস্ত্রগ্রন্থাদি রচিত হয়।ত্রিপিটক বৌদ্ধ পালি সাহিত্য এর খুদ্দক নিকয়ের ধম্মপাদ বৌদ্ধদের নিকট হিন্দুদের গীতার মতই পবিত্র।আঠারোটি নিকায়ের পিটকও (সূত্র, বিনয়, অভিধর্ম) ছিলো, যাদের মধ্যে সূত্র ও বিনয় অনেকটা একরকম ছিলো। অভিধর্ম পিটকে শুধু মতভেদই নয়, এমনকি তাদের গ্রন্থও ছিলো ভিন্ন ভিন্ন। এই ভিন্ন ভিন্ন অভিধর্ম পিটক গ্রন্থগুলোতে একে অন্যের মতবাদকে খণ্ডন করেছেন।তাই বুদ্ধকে বিচার্যে ত্রিপিটক বা মিলিদপঞহো,নেত্তিপকরণ ও পেতোকপদেশের মত টীকাভাষ্য অপ্রাসঙ্গিক।বুদ্ধ ও বৌদ্ধদের সম্পরকে বেশীরভাগ তথ্যই বৌদ্ধসাহিত্য ছাড়া পাওয়া সম্ভব নয়।আবার প্রথমদিকের বৌদ্ধসাহিত্য তার শিক্ষামূলক শ্লোকগুলির জন্য মহাভারতের উপড় নির্ভর করেছিল।অবদানশতক ও দিব্যবদান সহ অবদান জাতীয় বৌদ্ধ সংস্কৃত সাহিত্য বুদ্ধের ব্যক্তিত্ব অংকনে প্রায়ই রাম সম্পর্কিত রামায়নের বাক্যবৈশিষ্ট্য অনুসরণ করা হয়েছে।অশ্বঘোষের বুদ্ধচরিতের উপড় রামায়নের প্রভাব অস্বীকার করা যায় না।
বুঝে দেখুন বুদ্ধ বলছেন প্রানী হত্য করা যাবে না আবার মাংস বেচা যাবে না।তো উনার খাবারের শুকরের মাংস প্রানী হত্যা ছাড়া কিভাবে সম্ভব হল।ধরেই নিচ্ছি ওখানে শুকরের মাংস বেচা হতো না।তো ওটাকে ধরে আনতে হয়েছে (প্রাণী ব্যবসা) এবং কাউকে হত্যা করে রান্না করতে হয়েছে নাকি ওটা অলৌকিকভাবে নিজে নিজে বারবিকিউ হয়ে বুদ্ধের সামনে পরিবেশিত হয়েছে নাকি উনি জীবিত প্রানী কামড়ে কামড়ে খেতেন।।বুদ্ধ প্রতক্ষ্যভাবে উনার দর্শনের স্ববিরোধী কাজ করলেন।উনি নিজেই সিগারেটের সতর্কবার্তা দিয়ে নিজেই তা খেয়ে দূর্মখতার পরিচয় দিলেন।
সমালোচনা এলেই এধরণের বানী বুদ্ধের নামে চালিয়ে দেয়া যায় কি বলেন।আর কথা না বাড়াই
@ডেথনাইট, লেখাটায় কেন জানি গোটাটাই লিংক হয়ে গেল মডুরা ঠিক করবেন আশা করি।
নিচের লিংকে অশোকের স্বরুপ পাবেন।
http://blog.mukto-mona.com/?p=21426&cpage=1
@ডেথনাইট, http://blog.mukto-mona.com/?p=21426&cpage=1
@ডেথনাইট,
আগেই বলেছি, আপনার আলোচনার প্রসঙ্গ অনেক বিক্ষিপ্ত হয়ে গেছে। একসঙ্গে আরো অনেক বিষয় নিয়ে এসে মূল প্রসঙ্গ থেকে আরো অনেক দূরে চলে গেছেন। এখানে মূল লেখক নাস্তিক দীপের মূল আলোচ্য বিষয় ছিলো ‘বৌদ্ধ হওয়া নিয়ে’। সেই সঙ্গে আনুসঙ্গিক মিথ মশা-সাপ মারা না মারা নিয়ে, মাংস খাওয়া না খাওয়া নিয়ে।
সেখান থেকে সরে গিয়ে আরো অনেক বিষয় নিয়ে আসলেন। যা নিয়ে আসলেন তা খন্ডিত বা বিকৃতভাবে। যেমন, বুদ্ধের অহিংসবাণী ও যুদ্ধ প্রসঙ্গে সম্রাট অশোকের উদাহরণ। আপনার যুক্তি ছিলো, বুদ্ধের অহিংসা বাণী যুদ্ধরোধ করতে পারেনি। আমার বক্তব্য ছিলো, সম্রাট অশোকের যুদ্ধ বাধানোর সাথে বুদ্ধের অহিংসবাণীর সরাসরি কোন সম্পর্ক নেই। বরং যুদ্ধের ধ্বংসলীলার পরে সম্রাট অশোক বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষিত হয়েছিলেন। (বৌদ্ধ হওয়ার পরে তিনি কি করেছিলেন আর কী করেননি সেটা এখানে আলোচ্য বিষয় ছিলো না)।
দেখুন, আমার বক্তব্যের মূল ফোকাস ছিলো বৌদ্ধ হওয়া না হওয়া নিয়ে। আপনারা একটা মিথের উপর ভিত্তি করে বৌদ্ধ হওয়া না হওয়াটাকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলতে চাচ্ছেন। মিথটা হলো – বৌদ্ধরা প্রাণী হত্যা করে না, মাংস খায় না। এই মিথের প্রেক্ষিতে আমার স্পষ্ট বক্তব্য ছিলো, “কেবল প্রাণী হত্যা না করার কারণে কেউ যদি বৌদ্ধ হতে চান, তাহলে সেটা হলো বৌদ্ধ ধর্ম সম্পর্কে অন্ধ ধারনা”। কারণ, বৌদ্ধ ধর্মে প্রাণী হত্যা করা না করা বৌদ্ধধর্মের মূল উপজীব্য বিষয় নয়। সিদ্ধার্থ গৌতমের ধ্যান সাধনা বা অনুসন্ধানের প্রশ্ন ছিলো, “কেন এই দুঃখ ভোগ করি, কেন দুঃখ সৃষ্টি হয়?” অন্যভাবেও বলা হয়, “কেন পুনঃ জন্ম এবং কীভাবে পুনঃজন্মরোধ করে নির্বাণ লাভ করা যায়?”
এই প্রশ্নের ভিত্তিতে তার ধম্মতত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত। এই তত্ত্বের মূল পিলার হলো চতুরার্য সত্য ও আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ। এখন নির্মোহ জ্ঞান অনুসন্ধানী ব্যক্তি হিসেবে তার তত্ত্বের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ যেই কেউ দিতে পারেন। ওই তত্ত্বে সাথে কেউ একমত পারেন, আবার কেউ নাও হতে পারেন।
ভাই, আমার স্পষ্ট বক্তব্য, প্রত্যেক ধর্মে ভন্ড আছে। ভন্ডরা নিজেদের মত করে, কখনো বা নিজেদের সমাজের সংস্কৃতির প্রথা, আচার পদ্ধতির সাথে ধর্মকে অঙ্গীভূত করে ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে থাকে। সেসব ভন্ডদের মুখোশ উন্মোচন করতে চান, খুবই সুস্বাগতম। কিন্তু ভন্ড সমালোচনা করতে গিয়ে নিজেই যেন ভন্ড না হন সেটাই কামনা করবো।
@ডেথনাইট,
আগেই বলেছি, আপনার আলোচনার প্রসঙ্গ অনেক বিক্ষিপ্ত হয়ে গেছে। একসঙ্গে আরো অনেক বিষয় নিয়ে এসে মূল প্রসঙ্গ থেকে আরো অনেক দূরে চলে গেছেন। এখানে মূল লেখক নাস্তিক দীপের মূল আলোচ্য বিষয় ছিলো ‘বৌদ্ধ হওয়া নিয়ে’। সেই সঙ্গে আনুসঙ্গিক মিথ মশা-সাপ মারা না মারা নিয়ে, মাংস খাওয়া না খাওয়া নিয়ে।
সেখান থেকে সরে গিয়ে আরো অনেক বিষয় নিয়ে আসলেন। যা নিয়ে আসলেন তা খন্ডিত বা বিকৃতভাবে। যেমন, বুদ্ধের অহিংসবাণী ও যুদ্ধ প্রসঙ্গে সম্রাট অশোকের উদাহরণ। আপনার যুক্তি ছিলো, বুদ্ধের অহিংসা বাণী যুদ্ধরোধ করতে পারেনি। আমার বক্তব্য ছিলো, সম্রাট অশোকের যুদ্ধ বাধানোর সাথে বুদ্ধের অহিংসবাণীর সরাসরি কোন সম্পর্ক নেই। বরং যুদ্ধের ধ্বংসলীলার পরে সম্রাট অশোক বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষিত হয়েছিলেন। (বৌদ্ধ হওয়ার পরে তিনি কি করেছিলেন আর কী করেননি সেটা এখানে আলোচ্য বিষয় ছিলো না)।
দেখুন, আমার বক্তব্যের মূল ফোকাস ছিলো বৌদ্ধ হওয়া না হওয়া নিয়ে। আপনারা একটা মিথের উপর ভিত্তি করে বৌদ্ধ হওয়া না হওয়াটাকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলতে চাচ্ছেন। মিথটা হলো – বৌদ্ধরা প্রাণী হত্যা করে না, মাংস খায় না। এই মিথের প্রেক্ষিতে আমার স্পষ্ট বক্তব্য ছিলো, “কেবল প্রাণী হত্যা না করার কারণে কেউ যদি বৌদ্ধ হতে চান, তাহলে সেটা হলো বৌদ্ধ ধর্ম সম্পর্কে অন্ধ ধারনা”। কারণ, বৌদ্ধ ধর্মে প্রাণী হত্যা করা না করা বৌদ্ধধর্মের মূল উপজীব্য বিষয় নয়। সিদ্ধার্থ গৌতমের ধ্যান সাধনা বা অনুসন্ধানের প্রশ্ন ছিলো, “কেন এই দুঃখ ভোগ করি, কেন দুঃখ সৃষ্টি হয়?” অন্যভাবেও বলা হয়, “কেন পুনঃ জন্ম এবং কীভাবে পুনঃজন্মরোধ করে নির্বাণ লাভ করা যায়?”
এই প্রশ্নের ভিত্তিতে তার ধম্মতত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত। এই তত্ত্বের মূল পিলার হলো চতুরার্য সত্য ও আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ। এখন নির্মোহ জ্ঞান অনুসন্ধানী ব্যক্তি হিসেবে তার তত্ত্বের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ যেই কেউ দিতে পারেন। ওই তত্ত্বে সাথে কেউ একমত পারেন, আবার কেউ নাও হতে পারেন।
ভাই, আমার স্পষ্ট বক্তব্য, প্রত্যেক ধর্মে ভন্ড আছে। ভন্ডরা নিজেদের মত করে, কখনো বা নিজেদের সমাজের সংস্কৃতির প্রথা, আচার পদ্ধতির সাথে ধর্মকে অঙ্গীভূত করে ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে থাকে। সেসব ভন্ডদের মুখোশ উন্মোচন করতে চান, খুবই সুস্বাগতম। কিন্তু ভন্ড সমালোচনা করতে গিয়ে নিজেই যেন ভন্ড না হন সেটাই কামনা করবো।
@অডঙ চাকমা,
তো ভাই প্রানী হত্যাতো মূল পিলারের বাইরে নয় এটা আবার মিথ হয় কেমন করে?যদি তাই তাই হয় তাহলে অহিংসা বানী ও জীব হত্যা মহাপাপ এত ফলাও করে বলা হয় কেন?দু:খ নিয়ে এর আগে প্রশ্ন দিয়েছিলাম তার উত্তরে আপনি দু:খের বৌদ্ধ দার্শনিক সংজ্ঞা এনে হাজির করলেন।কথা হল এই সংজ্ঞতো বুদ্ধর দিব্যজ্ঞানী হবার পরের।এর আগে উনি দু:খের কোন অর্থ বোধ করে অনুসন্ধান করতে গেলেন সেই সাধারণ অর্থেই আমার প্রশ্নের উত্তরটা দিন।এই বলা হয় বুদ্ধ জন্মান্তরবাদ ও পরকালের কথা বলেন নি তো পুন:জন্ম ও ৩১ লোকভূমির কথা আসে কেন?
হা হা তা ভাই অহিংসা বানী তবে কিসের কাজের যদি তা যুদ্ধরোধ করতে না পরে আবার বললেন
মুহাম্মদতো যুদ্ধবাদী ধর্মের প্রবর্তক তাই সে যুদ্ধ করবে সেটাই স্বাভাবিক।অন্যদিকে বুদ্ধ অহিংসা বানী দেন তিনি কেন তা করবেন হাস্যকর যুক্তি।আর খালি অশোক কেন কনিস্ক ও হর্ষের কথাওতো বলেছি সেগুলা এড়ান কেন।
এইতো ভাই লাইনে এসেছেন।বুদ্ধ সহ সকল ধর্মগুরুই ভন্ড।সকল ধর্মগুরুই জন্মেরপর মহামানব হবেন এই ভবিষ্যৎবানী দেয়া হয় বুদ্ধ এর ব্যতিক্রম নন।তিনিও দিব্যজ্ঞানী হওয়ার সময় দৈববানী শুনেছেন সেলুকাস।অন্যান্য ধর্মগুরুর ন্যায় উনিও মুখে মুখে বানী প্রচার করতেন এবং শ্রুতধর শিষ্যরা তা পরে লিপিবদ্ধ করেছেন।উনি আলোকরুপে জ্ঞান পেয়েছেন অন্যরা দেখেছেন ঈশ্বরকে ! আর সকল ধর্মগুরুর ন্যায় উনার পরি/মহানির্বানও বিপুল শান্তিদায়ক ছিল বলাই বাহুল্য। 😀
@ডেথনাইট,
আপনার সকল অনুসিদ্ধান্ত নিয়ে প্রমাণ করে ফেলেছেন বুদ্ধসহ সকল ধর্মগুরু ভন্ড। পরম সিদ্ধান্ত, সেখান থেকে আর কোন হেরফের হবে না। তাই এখানে তো আর আপনার সাথে আমার আর আলোচনার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।
আপনার সত্য নিয়ে আপনি থাকেন। ধন্যবাদ।
@অডঙ চাকমা,
বুদ্ধের দর্শনে যেহেতু সৃষ্টিকর্তার কোনো ব্যাপার স্যাপার নেই তখন খামোখা এটাকে ধর্ম বলা হয় কেনো? কেনো দর্শন বলা হয় না? সৃষ্টিকর্তার ব্যাপার স্যাপার না থাকার পরেও এই ধর্মে উপয়াসনালয় এলো কোথা থেকে? সেখানে যে প্রার্থনা করা হয় সেগুলোতেতো তন্ত্র-মন্ত্রও পড়া হয়, তাই না? এই তন্ত্রমন্ত্রগুলোই বা এলো কোথা থেকে আর কাকেই বা উদ্দেশ্য করে এই সব তন্ত্র-মন্ত্র পড়া হয়? এগুলোতে বুদ্ধের নিজের কি কোনো হাত আছে? ডক্টর বিনয়তোষ ভট্টাচার্য যেমন অভিযোগ করেছেন যে,
এ বিষয়ে আপনার মতামত পেলে খুশি হতাম।
@ফরিদ আহমেদ,
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্যে। সময়ের অভাবে বেশি বলার সময় পাচ্ছি না। তবে সাধারণভাবে আমার মতামতটা জানাই।
বৌদ্ধ ধর্ম এক অর্থে ধর্ম নয়, এটা দর্শন। এখানে অন্যান্য প্রথাগত ধর্মের মত বিশ্বাস সিস্টেম মানে গড বা সৃষ্টি কর্তার ব্যাপার বলে কোন কিছুই নেই। গড বা সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করতে হবে, বন্দনা করতে হবে, সৃষ্টিকর্তা সকল বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করবেন সে রকম কোন বিশ্বাস বৌদ্ধ ধর্মে নেই। বৌদ্ধ ধর্মের চূড়ান্ত লক্ষ্য বা ভিশন হলো নির্বাণ লাভের মধ্য দিয়ে সকল দুঃখ হতে মুক্তি লাভ করা। দুঃখের কার্যকারণ ব্যাখ্যা দেওয়া আছে এবং দুঃখ হতে মুক্তিলাভের উপায়ও ব্যাখ্যা করা আছে। অর্থাৎ যৌক্তিকভাবে Means ও end ব্যাখ্যা করা আছে। সেসব ব্যাখ্যাতে কেউ সন্তুষ্ট হতে পারেন, আবার কেউ কেউ পারবেন না। এটা প্রত্যেকের নিজস্ব বিশ্বাসের Paradigm-এর নির্ভর করে।
অন্যদিকে, বৌদ্ধ ধর্ম একটি ধর্মও বটে। কেননা, এখানেও কিছু আচার-বিধির ব্যবস্থা রয়েছে। যেমন, বৌদ্ধরা সকাল বিকাল বুদ্ধ বন্দনা করে থাকেন। বৌদ্ধরা বুদ্ধপুজাও করে থাকেন। ইসলাম ধর্মের লোকেরা বলতে পারেন, এটা সম্পূর্ণভাবে মূর্তি পূজা। কিন্তু বুদ্ধের মূর্তির সামনে পূজা নিয়ে অনেক পক্ষে-বিপক্ষে অনেক বিতর্ক আছে। একপক্ষ বলেন, বুদ্ধ তার সময়ে এরকম পূজার অনুমতি দেননি। আরো একপক্ষ যুক্তি দেন, প্রকৃত অর্থে এটা মূর্তি পূজা নয়। এটা symbolic. বুদ্ধের প্রতি অগাঢ শ্রদ্ধা পোষণের জন্যে পূজা করা। এছাড়া আরো অনেক আচার-অনুষ্ঠান আছে। অনেকে বৌদ্ধ মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা করেন, বিপদ থেকে মুক্ত হওয়ার কামনা করেন, কিন্তু এসব বিশ্বাস বৌদ্ধ ধর্মের মূল চেতনার সাথে পরিপন্থী।
মূল কথা হলো, সমাজের উপযোগিতা মেটানোর জন্যে এসব আচার-অনুষ্ঠান ও বিশ্বাসের সৃষ্টি। সেজন্যে এগুলোকে বলা হয় লৌকিক আচার। এসব লৌকিক আচার নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা সমালোচনা আছে। যারা নেতিবাচক দিক থেকে দেখেন, তাদের কাছে এগুলো হলো ভন্ডামি। আবার যারা ইতিবাচক দিক দেখেন, তাদের কাছে এগুলো প্রয়োজনীয় – সমাজের মানুষের মধ্যে ঐক্য, সৌহার্দ, সম্প্রীতি এককথায় সামাজিক পুঁজি গঠনে সহায়ক। এখন প্রশ্ন হলো, এসব লোকাচারগুলোকে কে কোন দৃষ্টিভঙ্গি দেখেন সেটার উপর নির্ভর করবে।
ডক্টর বিনয়তোষ ভট্টাচার্য অভিযোগ সম্পর্কে আমার বিস্তারিত জ্ঞান নেই। তন্ত্রমন্ত্র বৌদ্ধধর্মের মূল চেতনার সাথে খাপ খায় না। তবে ঋদ্ধিজ্ঞানের কথা আছে। বুদ্ধ নাকি এই জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন। এই জ্ঞানের বলে তিনি মানুষের মন reading করতে পারেন। তবে এটার সাথে তন্ত্রমন্ত্রের ধারনা এক নয় বলে মনে করি। আমি মনে করি, তন্ত্রমন্ত্র জিনিসটা সমাজ-সংস্কৃতির প্রেক্ষিত থেকে দেখতে হবে। এমন কিছু বৌদ্ধ ভিক্ষু আছেন, যারা তন্ত্রমন্ত্র জানেন। চিকিৎসা (বনজ) দিতে পারেন। এসব তন্ত্রমন্ত্রের সাথে ধর্মকে লাগানো হয়। যেমন, আমার দেখা কিছু বার্মিজ বৌদ্ধ ভিক্ষু আছেন, তারা এসব তন্ত্রমন্ত্র ভালো জানেন। তারা চিকিৎসা বা তাবিজ বা কোন ওষুধ (বনজ ওষুধ) দেওয়ার আগে বুদ্ধকে প্রণাম করে আসতে বলেন। বুদ্ধের কাছে প্রার্থনা করতে বলেন। এসব বিশ্বাসকে আপনি কীভাবে দেখবেন – সেটা আপনার উপর। তবে এগুলো হলো সমাজ সংস্কৃতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত বিশ্বাস বা প্রথা। এগুলো মূল ধর্মের বিষয় নয়, কিন্তু সমাজে এর উপযোগিতা রয়ে গেছে এবং চর্চা হচ্ছে। এগুলো ভালো কী মন্দ সেটা অন্য বিষয় এবং নির্দিষ্ট সমাজের প্রেক্ষিত থেকে সেগুলো বিবেচনা করতে হবে। সাধারণীকরণ করা এত সহজ নয়।
ধন্যবাদ আপনার প্রশ্নের জন্যে।
@অডঙ চাকমা,
খামোখাই এই ধর্মটাকে বৌদ্ধ ধর্ম নামে ডাকা হয়। এর যথার্থ নামকরণ করে গিয়েছিলেন সুকুমার রায়। সেটি হচ্ছে হাঁসজারু।
হাঁস ছিল, সজারু, (ব্যাকরণ মানি না),
হয়ে গেল ‘হাঁসজারু’ কেমনে তা জানি না।
বক কহে কচ্ছপে – “বাহবা কি ফুর্তি!
অতি খাসা আমাদের বকচ্ছপ মূর্তি।”……
সিংহের শিং নেই, এই তার কষ্ট –
হরিণের সাথে মিলে শিং হল পষ্ট।
@অডঙ চাকমা,
তাই কি? বৌদ্ধধর্মের অনেক কিছুই আসলে মিথ; এর প্রতি আমার মোহ কেটে গিয়েছিলো অনেক আগেই – যখন ছোটবেলায় বানী বসুর মৈত্রেয় জাতক পড়েছিলাম। এত জ্ঞানবান, এত দয়াবান, অহিংসতার প্রচারক বৌদ্ধ তার সঙ্ঘে কোন নারী ভিক্ষু রাখতে চাননি। পরে অবশ্য তিনি মত পরিবর্তন করেন, নারীরা সঙ্ঘে ঢোকার অনুমতি পায়, কিন্তু তিনি নস্ট্রাডামুসের মত ভবিষ্যদ্বানী করে গিয়েছিলেন যে, মেয়েদের সংঘে ঢোকানোর ফলে বৌদ্ধ জামানার আয়ুস্কাল নাকি অর্ধেকে নেমে আসবে।
আর জাতকগুলো বুদ্ধের বানী ধরে নিলে, বুদ্ধই কিন্তু আমাদের শুনিয়েছেন –
“পাপাচার পরায়ণ জানিবে রমণীগণ,
স্বভাব তাদের এই নাহিক সংশয়;
যখনই সুবিধা পায়, কুপথে ছুটিয়া যায়,
ধর্ম্মে মতি তাহাদের কভু নাহি হয়।”
আরো কিছু ‘মহান বানী’ জানতে চাইলে, কৌস্তভের এই লেখা থেকে কিছুটা নারী-পুরুষে সাম্যদর্শন হয়ে যাবে আশা করছি-
জাতক ও কামিনী
@অভিজিৎ,
ধন্যবাদ দাদা। আমি স্বীকার করেছি, জেন্ডার প্রেক্ষিত থেকে বৌদ্ধ ধর্মের ব্যাখ্যা দেওয়ার আমার জন্যে একটু কঠিন। সে ব্যাপারে আমার তেমন অধ্যয়ন করা হয়নি।
আপনি জাতকের কথা বলেছেন। জাতক বৌদ্ধ সাহিত্যের অংশমাত্র । সেগুলোকে বৌদ্ধ ধর্মের authentic reference হিসেবে ধরা যায় না বলে মনে করি। মানুষকে উপদেশ বা পরামর্শ দেওয়ার জন্যে এ জাতকগুলোতে অনেক উপমা ও কল্পনা মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। যারা সংকলিত করেছেন, তারা হয়তো পুরুষ ছিলেন এবং স্বাভাবিকভাবে সেখানে পুরুষ আধিপত্যবাদীর সৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়েছে।
বৌদ্ধ সংঘে নারী ভিক্ষুনীর প্রবেশ নিয়ে আগেই বলেছি। “মেয়েদের সংঘে ঢোকানোর ফলে বৌদ্ধ জামানার আয়ুস্কাল নাকি অর্ধেকে নেমে আসবে” এ কথার চেয়ে অন্যান্য বিষয় বিশেষ করে ভিক্ষু সংঘের আভ্যন্তরীন disciplinary aspects-টা বিবেচনায় নিতে হবে বলে মনে করি। ভিক্ষু সংঘের মধ্যে মর্যাদার দিক থেকে অবশ্যই পুরুষ ভিক্ষুরা নারী ভিক্ষুদের তুলনায় অধিকতর উচ্চ আসনে আসীন থাকেন, কিন্তু ধর্ম চর্চার দিক থেকে, কিংবা ধর্ম র্জনের দিক থেকে (যেমন পুরুষরা নারীদের তুলনায় অধিক সৃষ্টিশীল – এরকম বিশ্বাস) নারী পুরুষের ভেদাভেদ নেই।
@ডেথনাইট,
আটেনবাদের ব্যাপারটা একটু ভেঙে বলুন তো। এই প্রথম শুনলাম এধরণের কথা।
@রৌরব,আটেনবাদের বিষয়বস্তু বেশ দীর্ঘ তাই এখানে বা টপিক হিসাবে তা টাইপ করার ধৈর্য নাই।কস্ট করে গুগলের সহায়তা নিন।
@ডেথনাইট,
গুগল করে কিসুই পাইলাম না। উইকিপিডিয়া পড়ে আগে যা জানতাম তাই আবার জানলাম — এটা একটা মিশরীয় একেশ্বরবাদ। বরং মনে হল অন্য একেশ্বরবাদের মতই অসহিষ্ঞু। শান্তি-টান্তি কিছু পেলাম না। কোন একটা লিংক দিলে ভাল হয়।
@রৌরব,আতোয়ার রহমানের “সূর্যবাদ” পড়ুন।দেখুন আমি ধর্মকে নৃতত্ত্বের দৃষ্টিতে দেখতে চাই।আটেনবাদ একেশ্বরবাদ নয় এরকম দাবীও পাওয়া যাবে।এটা যখন জন্ম নিয়েছিল তখনকার জন্য এর যু্দ্ধবিরোধী ও শান্তিবাদী ব্যাপারটা অভিনবও ছিল।বৌদ্ধ ধর্ম থেকে প্রাচীন চীনের তাও,কনফুসিয়াস মতবাদ বা ভারতীয় জৈন ধর্মেও অহিংসা বানী আছে।এমনকি বৌদ্ধধর্মের্যে বস্তুবাদী দর্শন তা পাওয়া্যাবে ভারতীয় চার্বাক দর্শনেও।বর্তমানের আধুনিক নিহিলিসম দর্শনে আস্তিকতা ও নাস্তিকতা কিছুই নাই।এই সবগুলা ধর্ম বা মতবাদ যুগের প্রয়োজনে সৃস্টি হয়ে এখন উপযোগিতা হারিয়ে বাতিলের খাতায়্যাবে বা গেছে বা্যাচ্ছে।এই সরল সত্যটা অনেকেই উপলব্ধি করছেন না। 🙂
@ডেথনাইট,
রেফারেন্সের জন্য ধন্যবাদ। বইটা এই মুহূর্তে জোগাড় করবার উপায় নেই, কাজেই ঠিক কিভাবে
আটেনবাদ যুদ্ধ নিরসনে সহায়তা করল তা জানতে অপেক্ষাই করতে হবে। ওয়েবে বরং
পরমত-অসহিষ্ণুতার প্রমাণ পাচ্ছি।
বৌদ্ধধর্ম প্রথম (বা আদৌ) শান্তিবাদী ধর্ম কিনা সেটা নিয়ে আমার আগ্রহ ছিলনা তেমন —
আগ্রহ আটেনবাদ নিয়েই ছিল।
তারপরও…গৌতম, কনফুসিয়াস ও মহাবীর যেহেতু মোটামুটি সমকালীন, তাদের মধ্যে বয়স বিচারে
পার্থক্য করার তেমন কিছু দেখছিনা। এই লাইনে যে কথাগুলি বলেছেন, তাদের মোদ্দা কথাটা কি
এই যে, বৌদ্ধ ধর্ম ইউনিক কিছু নয়? সেটা বৌদ্ধধর্ম ভাল কিনা, সেটা থেকে ভিন্ন প্রশ্ন।
@রৌরব, আগেই বলেছি দেখুন আমি ধর্মকে নৃতত্ত্বের দৃষ্টিতে দেখতে চাই।হ্যা আমার মতে কোন ধর্মই ইউনিক একটি অপরটির রুপান্তরিত ফর্ম মাত্র।প্রত্যেক ধর্মআগুরুর মহামানব হয়ে উঠা ও দিব্যজ্ঞান বা ঐশীবানী পাওয়ার পদ্ধতিতেও ব্যপক মিল।
আর ধর্মকতটা ভালো তা যুগ যুগের ধর্মের দ্বারা প্রতারিত মানুষ দেখলেই বুঝা যায়।
@অডঙ চাকমা,
আপনার সুদীর্ঘ ওয়াজখানা শুনিয়া, বৌদ্ধ ধর্মের ওপর আমার ঈমানের আলো যে সামান্যটুকু অবশিষ্ট ছিল আজ তাহা সম্পূর্ণই নির্বাপিত হইয়া গেল। বুদ্ধের পঞ্চশীল নামের পাঁচটি নীতি, চতুরার্য সত্য এবং আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ সম্মন্ধে আগে জানিয়া, কিছু কিছু লেখায় তাহার মিথ্যা স্তুতি গাহিয়া বড় ভুল করিয়া ফেলিয়াছি।
চক্ষু বন্ধ করিয়া কোন কিছু দেখা যায়না, এই সত্যটুকু যাহারা স্বীকার করিতে পারেন না, তাহারাই তো জগতের শ্রেষ্ট ভন্ড- প্রতারক।
@আকাশ মালিক,
সংশোধন-
@আকাশ মালিক,
ধন্যবাদ নির্বাণ পথের যাত্রী হওয়ার জন্যে 😀
@অডঙ চাকমা,
মহান বুদ্ধর যদি এরুপ মহানির্বান/পরিনির্বান হয় তবে সাধরণের কিরুপ নির্বান হবে সহজেই অনুমেয়।দিব্যজ্ঞানীর কেন আরো শান্তি ও সহজ নির্বান লাভ হল না জানাবেন কি? 😀
@ডেথনাইট,
আপনার জবাব উপরে দিয়েছি। আপনার পরম সিদ্ধান্ত বুদ্ধসহ সকল ধর্মগুরু ভন্ড। কাজেই ভন্ড বুদ্ধের ভন্ড জিনিস নির্বাণ নিয়ে আপনার সাথে আলোচনার কোন মানে হয় কী! পানির গ্লাসের বিতর্কের মত। আমি অর্ধেক পূর্ণ বললে আপনি বলবেন অর্ধেক খালি। ‘পূর্ণ’-‘খালি’ সম্পূর্ণ বিপরীত। কখনো একমত হবো না। থাক, সে বিতর্ক।
ধন্যবাদ।
@অডঙ চাকমা, আপনার লজিকগুলা এত হাস্যকর কেন?গ্লাস অর্ধেক খালিই হোক কিংবা অর্ধেক ভরা মূল বিষয়তো তাই দাড়ায়্যে গ্লাস পরিপূর্ণ নয়।এখানে কোন ধর্মই পরিপূর্ণ নয় তাই শেষমেষ সব গুলাই একই রকম ভন্ডামীতে ভরপুর তাই বলা হচ্ছে।এই মহান সত্য স্বীকার করতে এত দ্বিধা কেন?
@ডেথনাইট,
আমার লজিক আপনার কাছে হাস্যকর, আপনার লজিক আমার কাছে হাস্যকর। এটার মীমাংসা কে করবে?
আপনার থিসিস হলো
বেশ তো! এই পরিপূর্ণতার প্যারামিটারগুলো কী কী? সেগুলো নির্ধারণের কে?
আপনার কাছে ব্যক্তিগত প্রশ্নঃ আপনি নিজেই কতটুকুই বা পরিপূর্ণ? আপনার পরিপূর্ণতার প্যারামিটারগুলো কী কী? আপনি নিজে যদি “পরিপূর্ণ” না হন, তাহলে আপনিও কী ভন্ড নয় কী? (দুঃখিত, ব্যক্তিগত আক্রমণ হিসেবে নেবেন না। ধর্ম বিষয়ে না হলেও আপনার ব্যক্তিগত “পরিপূর্ণতা” নিয়ে শুনতে আগ্রহী)।
@অডঙ চাকমা,
http://blog.mukto-mona.com/?p=21930
:))
@ডেথনাইট, http://www.comparativereligion.com/Buddhism.html
@অডঙ চাকমা,
উপরের লিংক দ্রস্টব্য।
http://www.ted.com/talks/lang/en/richard_dawkins_on_militant_atheism.html
@ডেথনাইট,
😀 😀 😀 সারাংশ দেখুন হয়ে গেলো আর কী!
I also don’t believe in God or creator, but I do have some inclination towards to the Buddha’s teachings of cause-effects.
বিতর্কে অংশ নেওয়ার জন্যে ধন্যবাদ।
@অডঙ চাকমা,
আপনাকেও ধন্যবাদ রিচার্ড ডকিন্সের ঐ লাইন বুদ্ধুর প্রতি উনার ব্যক্তিগত শ্রদ্ধাজ্ঞাপন তাতে বুদ্ধুর ভন্ডতার প্রমানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারল কি ?অভিজিৎদার দেয়া বুদ্ধুর নারীবিরোধী প্রমানগুলা দেখুন। :lotpot:
@ডেথনাইট,
আপনার খোঁচা উপেক্ষা করতে পারলাম না। আবারও দু’একটা কথা বলতে হচ্ছে। রিচার্ড ডকিন্স কী বলেছেন, না বলেছেন সেটা নিয়ে আমার কোন মাথাব্যথা নেই। প্রত্যেকের নিজস্ব মতামত থাকতে পারে। পরমত সহনশীলতায় বিশ্বাস করি।
অভিজিৎ দা’র দেয়া নারীবিরোধী প্রমাণগুলোর ব্যাপারে বলছি। হ্যাঁ, ঐ নীতিগুলো বৈষম্যমূলক। তবে গৌতম বুদ্ধের সময়ে সেই নিয়মগুলো গৃহীত হয়েছিলো বলে বর্তমানে সময়ে পরিবর্তন করা যাবে না তা নয়। বরং আমার প্রশ্ন হবেঃ ভিক্ষুণী সংঘের জন্যে প্রণীত ঐ নীতিগুলো বর্তমান সময়ে কীভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, সে ব্যাপারে আপনার বা কারোর কোন গবেষণা বা অভিজ্ঞতা থাকলে আলোচনায় নিয়ে আসতে পারেন।
অভিজিৎ দা ভিক্ষুনীদের জন্যে প্রযোজ্য যেসব নীতিমালা তুলে ধরেছেন সেগুলো বৌদ্ধ ধর্মের মূল অংশ নয়। সেগুলো হলো ভিক্ষু সংঘের (order of the monks) থাকতে হলে সেখানে নিয়ম-শৃংখলা বজায় রাখার জন্যে কিছু অনুশাসন বা বিধিমালা, এগুলোকে house rules হিসেবে ধরে নিতে পারেন। (কেবল ভিক্ষুনীদের জন্যে নয়, ভিক্ষুদের জন্যেও এরকম অনেক বিধান রাখা আছে)। আমার যতটুকু জানা আছে সেটা হলো, সিদ্ধার্থ গৌতমের মা মহাপ্রজাপতি গৌতমী যখন ভিক্ষুনী হতে চাইলেন, তখন বুদ্ধ অনুমোদন দেননি। পরে বুদ্ধের অন্যতম প্রধান শিষ্য আনন্দ কিছু শর্ত সাপেক্ষে নারীদের ভিক্ষু সংঘে আসার অনুমতি দেওয়ার জন্যে বুদ্ধের কাছে সুপারিশ করেন। এইগুলো ছিলো সেসব শর্ত যেগুলো অভিজিৎ দা এখানে তুলে ধরেছেন।
এখন আপনি এই নীতিগুলোকে চরম নারী বিরোধী হিসেবে যদি ব্যাখ্যা দেন, বেশ স্বাগতম। সেই সাথে অনুরোধ জানাবো, অনুসদ্ধিৎসু ব্যক্তি হিসেবে আপনি নির্মোহভাবে গবেষণা করেন ঐ নারী বিরোধী নীতি বা অনুশাসনের কারণে নারী ভিক্ষুরা কী রকম বৈষম্যের শিকার হয়েছিলেন বা এখনো হচ্ছেন। আশা করি, আপনার জন্যে এটি একটি আকর্ষণীয় গবেষণার বিষয় হতে পারে। আমি আগ্রহের সাথে পাঠ করতে প্রস্তুত আছি।
ধন্যবাদ।
@অডঙ চাকমা, আপনি চোখ থাকতেও অন্ধ গোছের বলে মনে হচ্ছে।আপনার প্রশ্নের উত্তর অভিজিৎদার কমেন্টেই আছে।ওখানে বেশ কয়েকটস গবেষণাপত্রের নাম আছে।বর্তমানে থাইল্যান্ডে সেক্স ট্রেডিং দেখেও যদি চোখ মুদে থাকেন তাহলে কথা না বাড়ানোই ভালো ।
@ডেথনাইট,
:lotpot: :lotpot: :lotpot: গবেষণাপত্রের নাম বলে আমারে গেলাইতে চাচ্ছেন কেন বুঝলাম না। ওহ আমি “অন্ধ” বলে!
থাইল্যান্ডের সেক্স ট্রেড! সেক্স দেখে কী চোখ মুদে থাকা যায়? না, না, এই যৌবনে সম্ভব নয়। সেক্স-এর দৃশ্য দেখলে তো শরীরে অনেক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া হয় রে ভাই! তাই তো কথা না বলে থাকতে পারলাম না।
😀 😀 😀 ভাইজান কিছু মনে করেন না, থাইল্যান্ডের সেক্স-এর জন্যেও গৌতম বুদ্ধকে গালি মারছেন। দুঃখিত, একটু ভালগার হয়ে যাচ্ছে (মুক্তমনা বলে বিব্রতবোধ করছি না)। আমাকে উদাহরণ দিয়েই কথাটা বলি। আমি সেক্স করলেও কী তাহলে গৌতম বুদ্ধকে গালি দেবেন? কারণ, বুদ্ধ তো বলে গেছেন “বার বার জন্মই দুঃখ”। সেক্স করলে তো সেখানে জন্মের সম্ভাবনা আছে। হায় রে! কী বলি! ভাই রে ভাই, সব কিছুর জন্যে বুদ্ধকে দোষী করছেন! তিনি তো অহিংসার কথা বলে গেছেন । আর আপনি মাংস খেলে বুদ্ধকে গালি দেন, মশা মারলে বুদ্ধকে গালি দেন, সাপ মারলে বুদ্ধকে গালি দেন, বৌদ্ধ দেশে যুদ্ধ হলে বুদ্ধকে গালি দেন, থাইল্যান্ডে সেক্স ট্রেড হলে বুদ্ধকে গালি দেন, আর বৌদ্ধ হিসেবে আমি সেক্স করলেও বুদ্ধকে গালি দেবেন। ভাই আর যাই হোক কেন, আমি সেক্স করলে বুদ্ধকে গালি দিয়েন না :lotpot: :lotpot: :lotpot:
দুঃখিত ভাই, একটু মজা করলাম মুক্তমনাতে। আমি আর কথা বাড়াবো না। চোখ থাকতে আমাকে অন্ধ বলে মনে হয়েছে আপনার। আমারও মনে হয়, আপনিও অন্ধ। আর যাই হোক, দুই অন্ধ মিলে কোন পথ খুঁজে পাওয়া যাবে না। হাঁতড়াতে হাঁতড়াতে আপনি গৌতম বুদ্ধকে গালি দিতে থাকবেন, আর আমি আপনার গালি শুনে শুনে থাকবো।
গালি শুনতে ভালো লাগে না। একটু গান নিয়ে আসেন হোক না সেটা আদিরসাত্মক, হোক না গৌতম বুদ্ধকে নিয়ে গালিগালাজ। গান গানই, সেখানে সুর আছে, ছন্দ আছে। শুনতে ভালো লাগবে।
@অডঙ চাকমা,
গবেষনাপত্র বা থাইল্যান্ডের নারীদের নিয়ে সেক্স ট্রেডিং এর কথা আপনার কাছে গেলানোর প্রচেষ্টা বা খেলো মনে হতেই পারে।গান শুনতে চাইলে নেটে ইন ফ্লেমস বা চিলড্রেন অব বডম লিখে খুজুন কে জানে চাইলে দুই একটা আদি রসাত্মক গান পেতেও পারেন।আমি অন্ধ হলেও তা নিজের বিবেকবোধের দ্বারাই হব বা হয়েছি কোন তথাকথিত ধর্মগুরুর শিখিয়ে দেয়া জ্ঞানের আলোয় নয়। 🙂
@আকাশ মালিক,
এই কথার প্রেক্ষিতে আমার জবাবটা দিতে ভুলে গিয়েছিলাম।
চক্ষু বন্ধ করিয়া কোন কিছু দেখা যায়না বটে, তবে কল্পনার চোখে কিছু দেখা যায়, কিছু সৃষ্টি করা যায়, এই সত্যটুকু যাহারা স্বীকার করেন না, তাহারাও তো সমানভাবে জগতের শ্রেষ্ঠ ভন্ড- প্রতারকদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত।
@অডঙ চাকমা,
তা চক্ষু বন্ধ করিয়া কল্পনার চোখে দেখিয়া কী সৃষ্টি করিয়া গিয়াছেন তাহা তো দেখিলাম। অভিজিৎ দা’র মন্তব্য দ্রষ্টব্য। চক্ষু বন্ধ করিয়া অবশ্য একটি কাজ ভালভাবে করা যায়, কিসিং –
[img]http://i1088.photobucket.com/albums/i332/malik1956/Farm_Kissing.jpg[/img]
@আকাশ মালিক,
মালিকভাই, আজকে একটু অবসর পেলাম বলে সময় কাটাতে পারলাম মুক্তমনার সাথে। মুক্তমনায় আপনাদের সাথে বিতর্কে অংশ গ্রহণ করতে পেরে ভালো লাগলো।
ধর্ম নিয়ে আপনাদের লেখাগুলো পড়ার চেষ্টা করি। ধর্মব্যবসায়ীদের মুখোশ উন্মোচনের জন্যে আপনাদের লেখাগুলো অনেক জোরালো। তবে আমার কাছে অনেক সময় মনে হয়েছে, ধর্ম নিয়ে আপনাদের extreme negativism আছে। সেই জায়গায়, আপনারাই সবসময় সঠিক, অন্যরা বেঠিক – এরকম মনোভঙ্গি কাজ করে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এরকম মনোভঙ্গিও এক ধরনের চরম মৌলবাদ।
আমার এই কথা শুনে আবার আমাকেও হুজুরদের তালিকায় ফেলে দিয়েন না। ধর্ম নিয়ে আমারও নিজস্ব মূল্যায়ন আছে, সেটা আপনার সাথে মিল নাও হতে পারে এবং বিপরীতক্রমেও তাই।
ধন্যবাদ।
@অডঙ চাকমা,
মুক্তমনায় শুধুমাত্র ইসলামকে ধরে চোর পিটুনি দিলে আপনি এই কথাগুলো বলতেন না। তখন সবকিছুই extreme positive বলে মনে হতো। এমনকি হয়তো আমাদের সাথে সেই পিটুনিতে অংশও নিতেন। কোনো একটা লেখায় সেরকম দেখেছিলাম বলেও মনে পড়ে। এই লেখাতেও দেখলাম মুহাম্মদকে যুদ্ধবাজ বলেছেন (এটা কী ধরনের পজিটিভিজম কে জানে)। নিজেদের লেজে পাড়া পড়লেই তখন মুক্তমনার দৃষ্টিভঙ্গিকে নেগেটিভ বলেই মনে হয়, তাই না?
ক্রিস্টোফার হিচেন্স তাঁর Good is not Great বইতে একটা চ্যাপ্টার বরাদ্দ করে রেখেছেন বৌদ্ধ ধর্মের হিপোক্রেসি নিয়ে। অহিংসার কথা মুখে বলে অথচ সহিংস আচরণ করতে কোনো দ্বিধা নেই তাদের। জাপানি বৌদ্ধরা জেন জম্বিদের দিয়ে চিনকে বধ্যভূমিতে পরিণত করেছিলো। আজকে মুসলিম সুইসাইড বম্বারদের নিয়ে কথা হয়, অথচ জাপানে এই বৌদ্ধ এবং শিন্টো ধর্মযাজকেরা সুইসাইড বম্বারদের (কামিকাজে) নিয়োগ দিতো এবং প্রশিক্ষণ দিতো।
@ফরিদ আহমেদ,
আমার বক্তব্যকে আপনি নেগেটিভাবে নিয়েছেন বলে মনে হয়। মুহাম্মদকে যুদ্ধবাজ বলিনি। যুদ্ধরোধ করা না করা প্রসঙ্গে বুদ্ধের অহিংস বানী প্রসঙ্গ এসেছিলো। সেখানে, উদাহরণ ও তুলনা হিসেবে টেনে এনেছিলাম মুহাম্মদ যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
“নিজেদের লেজে পাড়া পড়লেই তখন মুক্তমনার দৃষ্টিভঙ্গিকে নেগেটিভ বলেই মনে হয়”, না আমি তা মনে করি না। আপনি যত ইচ্ছা বৌদ্ধ ধর্মের ভন্ডামি নিয়ে লিখতে পারেন। আমার ব্যক্তিগতভাবে কোন আপত্তি নেই। বরং এতে আমি আলোকিত হবো আপনাদের মত লোকদের কাছ থেকে জ্ঞানগর্ভ বিশ্লেষণ শুনে।
Extreme negativism নিয়ে আমার মতামতটা আকাশ মালিক ভাইয়ের কাছে তুলে ধরেছি মাত্র। আমার যেটা বক্তব্য ছিলো সেটা হলো, কোন একটি নির্দিষ্ট নিয়ে যখন প্রশ্ন আসে এবং যুক্তি দিয়ে আলোচনা হয় তখন ভিন্ন বিষয় নিয়ে এসে নিজেদের মতটাই প্রধান এবং ধ্রব সত্য বলে প্রমাণিত করার চেষ্টা থাকে। মানে হলো, আমারটাই সত্য, অন্যেরটা নয় – এরকম মনোভঙ্গি। আপনি দেখুন, এ লেখার শুরুতে মূল বিষয় ছিলো “বৌদ্ধ হওয়া” নিয়ে। সেই “হওয়ার” সাথে জুড়ে দেওয়া প্রয়োজনীয় শর্ত ছিলো “মশা মারা, সাপ মারা বা প্রাণী হত্যা এবং মাংস খাওয়া না খাওয়া” । আলোচনা এসবের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। বিক্ষিপ্তভাবে অনেক বিষয় এসেছে। দেখুন, সেই প্রসঙ্গ থেকে আলোচনা কোথায় গিয়ে গড়িয়েছে। যেমন আপনিও বলছেন,
নিদ্বির্ধায় স্বীকার করছি, আপনি যে জাপানি বৌদ্ধ উদাহরণ নিয়ে আসলেন, আমার এসব ঘটনা সম্পর্কে ধারনা নেই। উদাহরণ হিসেবে নিয়ে আসছেন ভালো কথা। জাপানি বৌদ্ধদের কীর্তিকলাপ নিয়ে যদি আলোচনা থাকে তাহলে আলোচনায় এসব বিষয় একটা একটা করে নিয়ে আসেন। তখন আলোচনা করতে সুবিধা হবে, ধর্মের নামে কোথায় কী কী হচ্ছে বিষয়গুলো বুঝতে সুবিধা হবে। আর আমি দাবী করছি না, বৌদ্ধধর্মের সবকিছুই ভালো, সবকিছুই ধুয়া তুলসি পাতা।
ইসলাম ধর্ম নিয়ে জ্ঞানগর্ভ আলোচনার কোন যোগ্যতা আমার নেই। তাই ইসলাম নিয়ে আপনাদের লেখাগুলো পড়ে থাকলেও “পিটুনি”তে অংশ নিইনি, দু’একটা মন্তব্য বা প্রশ্ন ছাড়া। আজকের লেখাটা বৌদ্ধ ধর্ম নিয়ে। জন্মসূত্রে বৌদ্ধ হিসেবে এবং বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে যা জানাশোনা আছে, সেই যোগ্যতায় এখানে আলোচনায় অংশ নিয়েছিমাত্র। “নিজেদের লেজে পাড়া পড়লেই তখন মুক্তমনার দৃষ্টিভঙ্গিকে নেগেটিভ বলেই মনে হয়” – এরকম বলাটা আমার প্রতি একটু অন্যায় করা হচ্ছে বলে মনে করি। “নিজেদের লেজে পাড়া পড়লেই” – এরকম কথাবার্তা বলে অন্যের কন্ঠরোধ করতে চাইলে সেখানে কীভাবে আলোচনায় অংশ নিতে পারি? আরো অনেকে আছেন অসৌজন্যমূলক ভাষা প্রয়োগ করছেন। এরকম কথাবার্তা মুক্ত মনের পরিচায়ক হতে পারে না।
ধন্যবাদ।
@অডঙ চাকমা,
যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া আর যুদ্ধবাজের মধ্যে কী পার্থক্য আমি জানি না। আপনি বুদ্ধের সঙ্গে তুলনায় যেহেতু এনেছেন তখন ওটা অবশ্যই নেতিবাচক হিসাবে এনেছেন বুদ্ধকে ইতিবাচক প্রমাণের জন্য। মুহাম্মদকে যুদ্ধবাজ বললেও আমার কোনো কিছু যায় আসে না। আমি মুহাম্মদ ভক্ত নই। আমি এ প্রসঙ্গটা এনেছি শুধুমাত্র এটাই দেখানোর জন্য যে, ধর্ম সম্পর্কে শুধু আমরাই নেতিবাচক দৃষ্টি প্রদর্শন করি না, আপনিও সবগুলো না হলেও অন্তত একটা ধর্মের বিষয়ে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেন।
আকাশ মালিককে তুলে ধরলেও সেখানে আপনি পুরো মুক্তমনাকেই টেনে এনেছেন। বিতর্কে কখনো কেউ এই বলে নামে না যে, আমার মতটা অপ্রধান এবং ধ্রুব সত্য নয়। যে জিনিস আপনি নিজেই জানেন অপ্রধান এবং অধ্রুব, সেই বিষয়কে কেনো আপনি টেনে আনবেন বিতর্কে? এই যে আপনি বিতর্ক করছেন, সেখানেও কী আপনি মনে করছেন না যে, আপনার মতটাই প্রধান? যদি তাই না হয়, তবে অন্যের মতকে মেনে নেওয়াটাইতো যুক্তিসঙ্গত।
এতে সমস্যা কী? মুক্ত আলোচনায় কাণ্ড থেকে শাখা প্রশাখাতো গজাবেই। এতো এর আদলত নয় যে, প্রাসঙ্গিকতার বাইরে বা নির্দিষ্ট কাঠামোর বাইরে কিছু বলা যাবে না। আমার কাছে আলোচনার এই শাখা প্রশাখাগুলোকেই বরং বেশ উপভোগ্যই মনে হয়।
“
লেজে পাড়া পড়া কথাটা অসৌজন্যমূলক, একথা স্বীকার করছি আমি। এর জন্য আপনার কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করতে আমার কোনো দ্বিধা নেই। কিন্তু, আপনার কণ্ঠরোধ করতে চাইছি এই অভিযোগটা সত্যি নয়। এই আমিই মাত্র কয়েকদিন আগে আপনার সম্পর্কে একটা মন্তব্য করেছিলাম। আপনার চোখে পড়েছে কি না জানি না। তুলে দিচ্ছি এখানে সেটা।
আপনি যখন আমাদের মনোভাবকে এক ধরনের চরম মৌলবাদ বলেন, তখন সেটাও কিন্তু আমাদের কন্ঠরোধ করার প্রচেষ্টা বলে আমরাও অভিযোগ জানাতে পারি।
আপনি হয়তো নেন নি। তবে মুক্তমনার সাথে অনেকদিন জড়িত থাকার সুবাদে দেখেছি যে, অন্য ধর্মের বিশ্বাসের বীজ বুকের মধ্যে ধারণ করে অনেকেই ইসলাম পিটানোর সময় মুক্তমনা সেজে বসে। ধর্মগুলো সব পিটানোর বালুর বস্তা। এতে কিল ঘুষি মারলে আমি কোনো আপত্তি খুঁজে পাই না। কিন্তু, আপত্তিটা তখনই আলগোছে সামনে এসে দাঁড়ায় যখন দেখি কেউ একজন নিজেই অন্য বিশ্বাসের রঙিন ছাতা মাথায় দিয়ে একে ছাতাপেটা করতে আসে। বিশ্বাসী লোকের অন্য বিশ্বাসের বিরুদ্ধে কথা বলার চরম বিরোধী আমি। এই অধিকার তাদের নেই, থাকতে পারে না।
আপনারা যারা বৌদ্ধ ধর্ম সম্পরকে জান্তে চান বইটি পরুন। আশা করি বইটি আপনাদের বৌদ্ধ ধর্ম সম্পরকে কিছুতা জান্তে সাহায্য করবে।
http://www.mediafire.com/?1cmb5gp2x2v5fj1
@সোমেন, লিঙ্কটা কাজ করছে না।ইনভ্যালিড দেখাচ্ছে ডাউনলোড করতে গেলে। আবার দিতে পারেন এরকম কোন লিঙ্ক?আমি নিজে বৌদ্ধ ধর্ম সম্পর্কে জানিনা কিছুই, কিন্তু জানার আগ্রহটা অনেক বেশি আছে আমার।ধন্যবাদ।
জনাবরা যদি আমার লেখাটা বুজে থাকেন, তাহলে একটু যুক্তি খণ্ডন করুন। আমি বুজতে পারব কি বুঝেছেন। :clap
জনাব, আপনার উচ্চমার্গের দার্শনিক লেখা পড়িয়া কিছুই বুঝি নাই। তৎসত্ত্বেও প্রথমবার পঠনের পরে কিছু যুক্তি খণ্ডন করিয়াছিলাম। তাহাতে আপনি পরিষ্কার জানাইয়া দিয়াছিলেন যে, আপনার লেখা বুঝিতে পারি নাই এবং আমরা সকলেই অযৌক্তিক কথাবার্তা বলিতেছি। তৎপরে সহজ বাংলায় বুঝাইয়া দিবার জন্য অনুরোধ করিয়াছিলাম। কিন্তু দেখিতে পাইতেছি যে, আপনার সেই বিষয়ে কোনো সদিচ্ছাই নাই। ইহার পরিবর্তে জিলাপির মতো প্যাচ খাটাইতে চাহিতেছে। চর্মগোলম এখন আপনার উঠোনে, উহাতে পদাঘাত আপনাকেই করিতে হইবে। হাততালি দিয়া সেই কর্তব্যকর্ম হইতে বিচ্যুত হইলে চলিবেক নহে।
@ ফরিদ আহমেদ এর জবাব: বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি জনসংখ্যায় বেশী হলে ও আয়তনে খুবই ছোট্ট , এই ছোট্ট একটি রাষ্ট্রে বাঙালী জাতি ছাড়া ও যে ৪৫ টির বেশী জাতি সত্তা রয়েছে, উনিভার্সিটি ক্রস করার পরে ও যদি আপনাদের সামান্য তথ্য টুকু অজানা থকে যায়, তাহলে সেই বুদ্ধের মত সর্বজ্ঞ মহাপুরুষের সেই গভীর দর্শনের তত্ত্ব আপনাদের মতো মূর্খদের কিভাবে বুঝবেন ভাই !!!!
@Arjyo Mitro,
তাতো বটেই! সর্বজ্ঞা মহাপুরুষ পরমবুদ্ধুকে বুঝতে গেলে আপনাদের মত বিরাট বৌদ্ধিকজ্ঞানসম্পন্ন বাকোয়াজ বৌদ্ধ হতে হবে।
@ফরিদ আহমেদ,
হাঃ হাঃ মজার জবাব, তবে ‘চর্মগোলম’ শব্দটা বুঝলাম না, মনে হয় পদাঘাত করা যায় এমন কোন বস্তু!
এটা Sarcasm । ওটা ‘চর্মগোলক’ হবে সম্ভবত, ‘চর্মগোলম’ নয় । মানে হচ্ছে ‘ফুটবল’ (বা চামড়ার তৈরি বল)। বাক্যটির ভাবার্থ হচ্ছে ‘বল এখন আপনার পোস্টে, আপনাকেই খেলতে হবে’ … অনেকটা এই ধরনের।
দয়া করে আমার লেখাটা ভালো করে পড়ুন। তারপর আপনার প্রশ্নের উত্তর পাবেন। ধন্যবাদ।
@হিমেল,
কোন জায়গাটা বুঝে নাই এটা আরেকবার বললে ভাল হয়। আবার পড়লে লাভ হয় বইকি… কিন্তু সব সময় নয়!
আপনারা মনে হয় আমার লেখাটা বুঝেন নাই। না হলে অযৌক্তিক কিছু ব্যাখ্যা দাড় করাতেন না!!
আপনি একটু সহজ করে বুঝিয়ে লিখুন না। একজনও আপনার কথা বুঝবে না, এটা কোনো কথা হলো নাকি?
হিমেল আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আমি একজন বৌদ্ধ। সকল ধর্মকে শ্রদ্ধা করা একটি মহৎ কাজ বলে আমি মনে করি। লেখাটি পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ। আসুন একটু জানার চেষ্টা করি।
পৃথিবী সকল ধর্ম যাজকরা অনেক কিছুই জানেন না। কারণ বেশির ভাগই ধর্মের নামে অধর্মই বেশি করছে। এটার অনেক প্রমাণ বর্তমান। তার মানে এই নয় যে সবাই সবকিছু জানেন না বা সবাই অধর্ম করেন তা নয়। সব ধর্মে উল্লেখ আছে পাপ কি এবং পুণ্য কি। সবাই জানে কি করলে পাপ হয় কি করলে পুণ্য হয়। আবার এমন কিছু মানুষ আছেন যারা জেনে শুনে পাপ করেন। আবার এমন কিছু মানুষ আছেন যারা জেনে শুনে পাপ করেন না। আর আমার মতে তারা হলেন সৎ বা ধার্মিক। সকল ধর্মেই এই দুই ধরনের মানুষ বিদ্যমান। মানে পুণ্য কর্ম ও পাপ কর্ম করে দুই ধরনের লোকই সব ধর্মে বিদ্যমান।
লেখকের বাবা প্রথম প্রশ্ন করেছেন “আমরা জানি প্রাণী হত্যাতো বৌদ্ধ ধর্মে নিষিদ্ধ। এখন মনে করুন আপনি এমন একটা জায়গায় এসেছেন যেখানে অনেক মশা।মশা আপনাকে কামড়াচ্ছে।কি করবেন আপনি?”
হ্যাঁ যারা প্রকৃত বৌদ্ধ, তারা জেনে শুনে কোন ধরনের পাপ কর্ম করেন না। যেহেতু প্রাণী হত্যা আমাদের ধর্ম মতে পাপ কাজ তাই প্রকৃত বৌদ্ধরা প্রাণী হত্যা থেকে বিরত থাকেন। তারা মশা সহ যেকোনো প্রাণী শরীরে বসলে বা ক্ষতি করবে আশঙ্কা থাকলে তারিয়ে দেন বা ওই স্থান ত্যাগ করেন কিন্তু আঘাত করেন না। ব্যাপারটা বুঝা খুব কঠিন না। বৌদ্ধ পুস্তক অধ্যয়ন করলে আরও ভালভাবে জানতে পারবেন।
লেখকের বাবা দ্বিতীয় প্রশ্ন করেছেন “আমার জানা মতে বৌদ্ধরা সব মাংসই খায়।হিন্দু-মুসলিমদের বিধি নিশেধ নেই আপনাদের। এখন ধরুন এমন একটি বৌদ্ধ এলাকা রয়েছে যেখানে ১০০ জন মানুষের মধ্যে ৯৯ জন মানুষই বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী।কিন্তু বাকি যে ১ জন মানুষ আছেন,তিনি একজন হিন্দু/মুসলিম।ওই ব্যাক্তি একজন পেশাদার কসাই।মাংস বিক্রি করে তার পেট চালাতে হয়। যেহেতু বৌদ্ধরা সব প্রানির মাংসই খায় কিন্তু নিজেরা হত্যা করেনা তাই ঐ লোকের মাংসের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে।এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে ঐ এলাকায় জীব হত্যার পাপের দায়ভারের অধিকারী কি ঐ এলাকার বৌদ্ধরা হবেনা? তারা যদি মাংস না খেত তাহলে তো এই জীব গুলোকে অকালে মরতে হতোনা। সব পাপের দায় কি ঐ গরীব কসাইয়ের নিতে হবে?এলাকার বৌদ্ধদের কোন পাপ হবেনা?”
প্রকৃত বৌদ্ধরা কখনো তাদের উদ্দেশ করে কোনো প্রাণী হত্যা করলে তা গ্রহন করেন না বা নিজের আদেশে বা নিজে কোনো প্রাণী হত্যা করেন না। এখানে যারা ক্রেতা বলে উল্লেখ করেছেন তারা কিন্তু না জেনে পাপ করছেন বা জেনে পাপ করছেন। আর বৌদ্ধ গ্রাম বা পাড়া কেন্দ্রিক কোনো কসাইই মাংস ব্যাবসা করেন কোনদিন শুনিনি।
পরিশেষে একটা কথাই বলি, জগত খ্যাত গৌতম বুদ্ধ বলেছেন ক্ষান্তিবাদি হও। মানে যে যাই বলুক অযতা বাড়াবারি করো না। তাতে কথাই বাড়ে, মারামারি হয়। কোনো উপকার হয় না। ভালোর সাথে থাক, খারাপ পরিহার করো। আর প্রকৃত বৌদ্ধরা তারা সর্বদাই উপদেশ গুলো প্রতিপালন করেন।
একটু বলিঃ কেউ যদি ড.আমবেডকার,ষ্টিভ জবস,ড.রাইস ডেভিসএর মত জগত খ্যাত ব্যাক্তিরা যদি ভুল করেছেন বলেন আর আর বুদ্ধকে নাস্তিক বলেন তারা তাহলে কীরকম লোক তা বলার অবকাশ থাকেনা। আসলে আমাদের স্বভাবই এ রকম।
@হিমেল,
একজন বিশ্বাসী ব্যক্তির পক্ষে এই মহৎ কাজটা করা কীভাবে সম্ভব? যেখানে আপনি জানেন যে আপনার ধর্মটাই সত্যি ধর্ম, বাকিগুলো দাঁড়িয়ে আছে মিথ্যার উপরে, সেখানে এই শ্রদ্ধা করাটা কি এক ধরণের ভণ্ডামি নয়? নাকি মিথ্যা বিষয়কে শ্রদ্ধা করাটা মহৎ কাজের মধ্যে পড়ে?
মশা মাছি না হয় তাড়িয়ে দিলেন বুঝলাম। কিন্তু মাথায় উকুন হলে একজন প্রকৃত বৌদ্ধ কী করেন? আপনাদের এই প্রাণীর সংজ্ঞায় কি ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এগুলো পড়ে? যদি পড়ে থাকে, তবে অসুখ-বিসুখ হলে নিশ্চয় কোনো প্রকৃত বৌদ্ধ ওষুধ-টষুধ খান না। তাই না? উদ্ভিদের ক্ষেত্রেই বা আপনাদের প্রাণের ধারণাটা কী? শাক-সব্জি যে খান সেগুলোরওতো প্রাণ আছে। নাকি নেই?
@ফরিদ আহমেদ,
😀 নিজেই নিজের মাথার উকুন ধরার কি কোন উপায় আছে? একমাত্র উপায় অন্য আরেকজন যদি মাথা থেকে উকুন নিয়ে না মেরে ছেড়ে দেয় 😕
@ব্রাইট স্মাইল্,
আরে তাইতো, এই সমাধানতো মাথায় আসে নি আমার। আহা! অহিংস ধর্মের কত সুবিধা!! উকুন ধরার পরে বুড়ো আঙুলের নখের উপরে ফেলে আরেক হাতের বুড়ো আঙ্গুলের নখ দিয়ে টাশ করে পিষে ফেলার যে অপূর্ব আনন্দ, সেটা থেকে অন্য ব্যক্তি বঞ্চিত না হলেও ক্ষতি নেই। উকুনধারী প্রকৃত বৌদ্ধ ঠিকই থেকে গেলো নিষ্পাপ, নিষ্কলঙ্ক। 🙂
ভাই বুদ্ধ ধরমে চূল রাখেনা…do u know…
@ফরিদ আহমেদ,
আপনাদের নিয়ে মহা মুশকিল ত !! আরে ভাই যতটুকু সম্ভব ততটুকু পালন করবেন,জোরাজুরি ত নাই। সাপ ত আত্মরক্ষার জন্য ছোবল দেয় এবং ভয়েও ছোবল দেয়। সাপ যেন আপনার চলা ফেরার জন্য ভয় না পায় খেয়াল রাখুন এবং ঘড়ের আশে পাশে বালতিতে পর্যাপ্ত দুধ মজুদ রাখুন যেন সাপ দুগ্ধ পানে বিদেয় হয়। মারতে যাবেন কেন?… কামড় যদি দেয়ই ওঝা আছে না?। আর এতেও যদি কিছু না হয় গাট্টি বোচকা নিয়ে জঙ্গলে গিয়ে গাছের নিচে বসে ধ্যানে লেগে যান,নিরবান লাভ করলে সাপ,বাঘ সবাই কদমবুসি করবে। নির্বাণে অসুখ বিসুখ হয় না। তবে বাই চান্স হার্ট এ ব্লক ধরা পড়লে আমারে জিগাইতে আইসেন না,কারন অপারেশন করা লাগলে রক্তপাত হইতে পারে, হমিওপ্যাথিতে ব্লক গইলা নাকি প্স্রাবের সাথে বাইর হইয়া যায়। বিশ্বাস হারানো পাপ ভাই। :guru:
@সপ্তক,
বাই দা ওয়ে আপনারা যে মন্তব্য কোট করেন ওগুলা দেখি কেমন সুন্দর পেস্ট অঙ্গের মধ্যে আবদ্ধ থাকে। কেম্নে করেন এই তেলেস্মাতিটা,পারলে কেউ জনায়েন প্লিজ।
@সপ্তক,
যেই অংশটা কোট করতে চান, সেটা পেস্ট করে সিলেকট করে উদ্ধৃতি বাটনটা চাপ দেন। দেখবেন ব্লককোট কোড চলে এসেছে। ওতেই হবে।
তাও না বুঝলে এটা দেখেন।
@অভিজিৎ,
বাহ! তাই ত। ছোট খাটো বিষয়গুলোও দেখি আপনার দৃষ্টি এড়ায় না, অনেক ধন্যবাদ।
@ফরিদ আহমেদ,
বান্দরকে মাথায় তুলেন।
[img]http://i1088.photobucket.com/albums/i332/malik1956/imagesCA20X1VR.jpg[/img]
@আকাশ মালিক, ভাল বলেছেন দাদা !!(Y)
@আকাশ মালিক, :lotpot:
@ফরিদ ভাই,
অসাধারণ বলেছেন।
এই জাতীয় কিছু প্রশ্ন আমি এই মুক্ত মনাতেই নিরামিষাশী দের করে উত্তর পাই নি। আসলে আমার মনে হয় যে বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই কম বেশি হিপোক্রিসি থাকে। আর এটা একটু বেশি থাকে নিরামিষ ভোজীদের যুক্তির নামে এঁড়ে তর্কের ভিতরে।
@হিমেল,ভাই বৌদ্ধরা প্রানী হত্যা করে না আবার মাংস খায় তো কেমনে খায় জীবন্ত অবস্থায় কামড়িয়ে কামড়িয়ে খায় নাকি ?যদি তাহাই হয় তবেতো উনারা মনুষ্য নন কেননা আফ্রিকার কিছু শ্বাপদ এইভাবে মাংস খায়।বুদ্ধ কেন মানুষ না হয়ে শ্বাপদ হতে বললেন বুঝলাম না। :lotpot:
@হিমেল, আপনার মন্তব্যের উদ্ধৃত বক্তব্যটি বোধগম্য হলো না…
তাহলে আপনি কি বলতে চাচ্ছেন যে বুদ্ধ নাস্তিক ছিলেন না ? ভারতীয় দর্শনে আগ্রহের কারণেই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দর্শন বৌদ্ধদর্শন নিয়ে এই অসম্পূর্ণ কাজটুকুর লিংক এখানে আমার ব্যক্তিগত ব্লগে সংরক্ষিত পাঠকদের জন্য দেয়া হলো। যদিও বৌদ্ধ ন্যায় বা প্রমাণ শাস্ত্রের বিষয়টা এবং অন্যান্য সামাজিক বিষয়গুলোর কাজ এখনো শেষ করা হয়নি, তবু এ থেকে বৌদ্ধ দর্শনের একটা মোটামুটি রূপরেখা পাওয়া যাবে আশা করছি।
কিছু মনে কইরেন না। আমি লেখাটা গল্প হিসাবেই নিলাম।
@সাইফুল ইসলাম,
মি বুদ্ধকে খুজে নিন এইখানে……………..Good Question, Good Answer
By Venerable Shravasti Dhammika
@সাইফুল ইসলাম, আপনার ইচ্ছা।
আসল কথাটা হল স্বয়ং গৌতম বুদ্ধ ছিলেন একজন স্বঘোষিত নাস্তিক, তিনিই প্রথম ব্রাহ্মন্য ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন, স্বার্থপর হিন্দু পুরোহিতগন নিজেদের স্বার্থ বাঁচাতে তাঁকে অবতার বানিয়ে নিয়েছেন! তিনি কোন ধর্মই প্রবর্তন করে যাননি, তবে তিনি একটা দর্শন দিয়ে গেছেন মাত্র, হত্যাকে তিনি সব থেকে বেশি ঘৃণা করতেন, ছোটো খাটো প্রাণীদের হ্ত্যা না করলেও আমরা বেচে থাকতে পারব, মশাদের আমরা রাসায়নিক দিয়ে তাড়াতে পারি, আমরা মাংস না খেয়েও সুস্থ শরীর গড়ে তুলতে পারি, পৃথিবীতে কোটি কোটি মানুষ আছে যারা নিরামিষ ভোজন করে, কিন্ত আশ্চর্যের বিষয় যে মানুষেরাই সব থেকে বেশি নিজের স্বজাতি ও অন্যান্য প্রাণীদের হত্যা করে, নিশ্চিত ভাবে এর ফলে আমাদের জীবনে কোন প্রভাব পড়েনা, হয়তোবা ডাইনোসোরদের মতো আমরা এই পৃথিবী থেকে একদিন মুছে যাব! প্রাকৃতিক ক্ষয়িষ্ণুতার নিয়মে এই পৃথিবীটাও একদিন শেষ হবে, এই চরম সত্য কথাটা আব্রাহামিক ধর্মে বলা হয়না, হয়তোবা তাদের প্রবর্তকগণ এতটা চিন্তাই করতে পারতনা,সেখানে লোভ দেখানো হয় হুর,পরী ইত্যাদির, মানুষেদেরকে খুব বেশি গ্লোরিফাই করে! উপনিষদ ও বুদ্ধ প্রাকৃতিক ক্ষয়িষ্ণুতার চরম সত্যটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, তার বেশি কিছু নয়!
@অলোক, বুদ্ধ স্বঘোষিত নাস্তিক ছিলেন?একমত হতে পারলামনা।ঈশ্বরের ব্যাপারে বুদ্ধ নীরব থেকেছেন সবসময়।বুদ্ধ স্বঘোষিত নাস্তিক ছিলেন এই ব্যাপারে লেখা কোন বই বা লিঙ্ক পেলে দয়াকরে জানাবেন দাদা।email: [email protected]
@অলোক, রাসায়নিক দিয়ে মশা তাড়ালে ওরা মরবে না :lotpot: আর নিরামিষতো আসে উদ্ভিদ থেকে তো গাছেরওতো প্রান আছে। :-O বুদ্ধর ৩১ লোকভূমি বিষয়ক কাহিনী কি?বুদ্ধের দর্শনের প্রধান অংশ হচ্ছে দুঃখের কারণ ও তা নিরসনের উপায়?অথচ উনি নিজেই স্ত্রী ও পরিবার ছেড়ে চলে এসে তাদের জন্য দু:খের কারণ হয়েছেন কিন্তু উনাদের প্রতি দায়িত্ব পালন করে ঐ দু:খ নিরসন করেন নাই।কি সুন্দর স্ববিরোধিতা। 😉
@ডেথনাইট,উনি নিজেই স্ত্রী ও পরিবার ছেড়ে চলে এসে তাদের জন্য দু:খের কারণ হয়েছেন কিন্তু উনাদের প্রতি দায়িত্ব পালন করে ঐ দু:খ নিরসন করেন নাই।কি সুন্দর স্ববিরোধিতা।
হবেনা কেন? তিনি রাজন———- নো চিন্তা :rotfl:
@অলোক,
না পারবেন না। আপনি যদি নিরামিষ ভোজী হন তবু আপনাকে ফসল রক্ষার কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে।আর নিজের খেয়ে বাচার জন্য যদি পশু জবাই হয় অমানবিক, তবে নিজে খেয়ে বাঁচার জন্য আপনি ফসলের ক্ষতিকারক পোকাকে মেরে ফেলার কি অধিকার রাখেন?উত্তরটা দিবেন কি পাঁকাল মাছের মত পিছলে না যেয়ে?ওই পোকারাও গরু ছাগলের মত কষ্টও পায়, তবু তাদের হত্যা করতে আপনাদের বুক কাপে না কেন যদি প্রানী হত্যা এড়িয়ে চলার জন্য নিরামিষ খেয়ে বেঁচে থাকতে হয়?
ভালো হয়েছে বন্ধু । মুক্তমনায় স্বাগতম । তোর জন্য অনেক শুভকামনা রইলো আর আঙ্কেলের কথা নাই বা বললাম । আমার দেখা লজিকাল মানুষগুলোর একজন ।
@ব্রাত্য সাজ, বাবা আসলেই যথেষ্ট লজিকাল।কিন্তু এর থেকেও বাবা আমাকে যেভাবে সাহায্য করেন বা করেছেন এমনটা আমার আর কোথাও দেখা নেই।
তোরেও যুক্তিবাদীতে স্বাগতম জানানোর জন্য কাঁচি নিয়ে দাঁড়ায় আছি! (C)
সব ধর্মই কতগুলি পরস্পর বিরোধী দর্শনের সমষ্টি। বুদ্ধকে নিয়ে আমার সমস্যা নাই, কারণ সে পৃথিবীর আরো অনেক ধর্মগুরু থেকে যথেষ্টপরিমাণে ভাল চরিত্রের অধিকারী। সে হয়তো তার দ্বায়িত্য ত্যাগ করে রাজপ্রাসাদ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল, কিন্তু সেটা অন্তত মুহাম্মদের যৌন লিপ্সা বা ব্রাহ্মণদের জাতি বিদ্বেষের মত ভয়ানক না। আরেকটা জিনিশ হল গৌতম নিজে কখনই বলেনি সে ধর্ম প্রচারে নেমেছে, কিংবা তার মতামত কে কেউ ধর্ম হিসাবে নিক। তাই তাকে ধর্ম প্রচারক থেকে দার্শনিক বলাটাই শ্রেয়।
সমস্যা হয় যাদের ধর্মের পোষাক ছাড়া চলে না তাদের নিয়ে। তাদে হাতে পড়ে বুদ্ধের দর্শন আজকে নিয়মসর্বস্ব একটা ধর্ম।
@রাতুল র. মিনহাজ, দারুন বলেছেন।সহমত
বুদ্ধের প্রাণী হত্যা (নাস্তিক দীপ), বুদ্ধের ঘর ছাড়া (আ. অভিযাত্রী) নিয়ে এখানে বেশ কিছু যৌক্তিত প্রশ্ন তোলা হয়েছে।আপাতত এটুকু বলে নিই বুদ্ধ কিন্তু নিজেকে কখনো দেবতা, ঈশ্বরের প্রতিনিধি বা এই জাতীয় কিছু দাবী করে যান নি, তাঁর শিক্ষা বিশ্বাস করার জন্য কারো উপর জোর খাটান নি। তাঁর সোজা কথা ভালো লাগলে গ্রহণ কর, খারাপ লাগলে ত্যাগ কর। নেই স্বর্গের লোভ বা শাস্তির ভয়। নেই পাপ-পূণ্য। আছে কুশল কর্ম, অকুশল কর্ম। তাঁর মতে জগতে সব কিছু অনিত্য। এমন কি তাঁর শিক্ষাও। তিনি ভালোভাবেই অবগত ছিলেন কোন আইন সব যুগের জন্য, সব পরিবেশের জন্য প্রযোজ্য নয়। তাঁর এই শিক্ষা অভ্রান্ত এই সম্ভাবনা নিজেই নসাৎ করে বলে গেছেন ভিক্ষুরা চাইলে সংবদ্ধ ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁর শিক্ষা পরিবর্তন করতে পারবে। এই জন্য বৌদ্ধ ইতিহাসে আমরা সম্ভবত ৯টি সংঘায়ন দেখি(ঠিক মনে নেই), অনেক সমালোচনা থাকা সত্বেও বুদ্ধের এই অবাধ স্বাধীনতা ও নির্মল চরিত্রের জন্য আমি বুদ্ধকে বিশেষ শ্রদ্ধা করি।
সময় পেলে এই বিষয়গুলো নিয়ে একদিন লিখব। মনে রাখতে হবে যেকোন মানুষের ভালো-মন্দ বিচারের মাপকাঠি হল তাঁর উদ্দেশ্য।। আমাকে আরেকটি পোষ্টের রসদ জোগার করে দেয়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।
প্রোফাইলে আরেকটি প্রবন্ধের সংখ্যা যোগ হওয়ার সুযোগ হবে তাতে :))
@রাজেশ তালুকদার,বুদ্ধের লিঙ্গবৈষম্যবাদীতা নিয়েও লিখবেন আশা করি।নারীদের প্রতি অবজ্ঞামূলক মনোভাবকারী শ্রদ্ধা পাওয়ার দাবীদার হা হা 😀
@রাজেশ তালুকদার, উহু একমত হতে পারলামনা।ঈশ্বরের অস্তিত্তের ব্যাপারে বুদ্ধ নীরব থাকলেও পাপ-পুন্যের বিষয়টা ছিল।জীব হত্যা মহাপাপ বৌদ্ধদের জন্য।
@রাজেশ তালুকদার,
বুদ্ধকে নিয়ে আপনার পোষ্টের অপেক্ষায় থাকব।কারণ আপনার এসব লেখা বড্ড ভাল হয়।
@গীতা দাস,
আপনাদের উৎসাহ আমাকে লিখতে বিশেষ প্রেরণা যোগায়। মুক্তমনায় চোখ রাখুন দু’ এক দ