নবদ্বীপের পিরল্যা গ্রামের এক ব্রাহ্মণ যুবক এলো দিল্লীর বাদশাহ কর্তৃক যশোরের শাসনকর্তা হিসাবে সদ্য নিয়োগকৃত সেনাপতি খান জাহান আলীর (মৃত্যু ১৪৫৮ খ্রি.) কর্মচারী হয়ে। পূর্ব নাম জানা যায়নি। সে এক মুসলমান মেয়েকে ভালবেসে বিয়ে করে।
হিন্দুধর্ম এমনই এক গন্ডিবদ্ধ যে সেখানে অন্য ধর্মের মানুষের প্রবেশাধিকার নেই। এই ধর্ম কাউকে গ্রহণ করে না, বরং নানা ছলছুতায় নিজেদের লোককেই অন্য ধর্মের। দিকে ঠেলে দিয়ে তৃপ্তি পায়। ব্রাহ্মণ ছেলে যবনীকে বিয়ে করেছে বলে তাকে হিন্দু ধর্ম থেকে বাদ দেয়া হলো। জাতিভ্রষ্ট হওয়ার পর তার নাম হলো মামুদ তাহির। মধ্যযুগে বাঙালীদের নামের পাশে কোন পদবী যুক্ত হওয়ার রেওয়াজ না থাকায়, পিরল্যা গ্রাম থেকে এসেছে বলে যুবকটিকে আগে থেকেই “পিরল্যাই” বলে সম্বোধন করা হতো। মুসলমান হওয়ায় এই ডাকটিকে চমৎকারভাবে প্রয়োগ করা গেল, পির আলী।
একমাত্র হিন্দু ধর্ম ছাড়া অন্য ধর্মগুলো নবাগতদের সাদরে গ্রহণ করে, পারলে কিছু কিছু পুরুষ্কারেরও ব্যবস্থা করে। সেই হিসাবে মামুন তাহির ওরফে পির আলী তার প্রভুর নিকট থেকে পেলো চেঙ্গুটিয়া পরগণার উজিরগিরি। কামদেব ও জয়দেব নামের দুই ব্রাহ্মণ দেওয়ানী করতো পির আলীর অধীনে। সদা হাসি-খুশী উজিরের সঙ্গে তারা একদিন এক অপ্রত্যাশিত রসিকতা করে ফেললো।
রোজার মাস, রোজাদার পির আলী হাতে একটি গন্ধ লেবু নিয়ে সভাসদগণের সঙ্গে আলাপ করেছেন আর মাঝে-মধ্যে লেবুর গন্ধ শুকছেন। তা দেখে কামদেব বা জয়দেবের কেউ একজন বলে বসলো, ‘উজির সাহেব, আপনার আজকের রোজা তো ভঙ্গ হয়ে গেল। কারণ, আমাদের শাস্ত্র মতে, ঘ্রানেন অর্ধভোজনম্’। কথা শুনে পির আলী শুধু হাসলেন। এই হাসিতেই লুকিয়ে ছিল গভীর রহস্য তা কে জানতো?
একদিন পির আলী তাঁর দরবারে অনেক হিন্দুকে ডেকে এনে কথাবার্তার মাঝে ভৃত্যদেরকে কী যেন ইঙ্গিত করলেন। ইঙ্গিতের সঙ্গে সঙ্গে ভূত্যরা সভাকক্ষের পাশে জ্বলন্ত উনুনে গো-মাংস রান্না শুরু করে দিলো। লোকশ্রুতি আছে, এদিন একশত গো-বধ করা হয়েছিল। গো-মাংসের গন্ধে অনেক হিন্দু নাকে কাপড় দিলো, অনেকে সভা ছেড়ে পালালো। কিন্তু যেতে দেওয়া হলো না কামদেব আর জয়দেবকে। পির আলী বললেন, ‘তোমরা পালাচ্ছো কোথায়? তোমাদের শাস্ত্র মতেই তো তোমাদের অর্ধেক ভোজন হয়ে গেছে। বাকিটা আমার সঙ্গে বসে সেরে ফেলো’।
গো-মাংস ভক্ষণের অপরাধে জাত যাওয়া কামদেব ও জয়দেবের নাম হলো কামালউদ্দিন ও জামালউদ্দিন। ধর্মান্তরিত হওয়ায় তারাও পুরুস্কার পেলো জায়গীরদারী। কোন হিন্দু ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় ধর্মান্তরিত হলে তার বাকি পরিবারও রেহাই পায় না। তাদের অন্য দুই ভাই, রতিদেব ও শুকদেবের প্রতি সমাজ খরগহস্ত হলো, আত্মীয়-স্বজনরা জল অচল করলো। এবং পির আলীর কর্মের সুবাদে এদের পরিবারের নামের সঙ্গে পিরালী আপবাদ যুক্ত হলো। লোকে এদের ব্রাহ্মণ বলে না, বলে পিরালী বামুন।
নিকটজনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সন্তানহীন রতিদেব গৃহত্যাগ করে বৈরাগ্যবরণ করলো। কিন্তু শুকদেব এমনটি করতে পারলো না, কারণ, তার একটি ভগ্নি ও কন্যা তখন বিবাহযোগ্যা। পরিবারে জাতিভ্রষ্টের কলংক থাকায় কোনও ব্রাহ্মণ এদের সঙ্গে আত্মীয়তা করতে রাজী নয়। শেষে শুকদেব সমাজের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করলো শেষ অস্ত্রটি, যার চেয়ে অমোঘ অস্ত্র আর হয় না। টাকা দিয়ে কিনে ফেললো দুই ব্রাহ্মণকে। শুকদেবের ভগ্নির বিবাহ হলো ফুলে গ্রামের মঙ্গলানন্দ মুখোপধ্যায়ের সঙ্গে এবং কন্যার স্বামী হলো পিঠাভোগ গ্রামের জগন্নাথ কুশারী।
গাঙ্গুল গ্রামের ব্রাহ্মণরা যেমন গাঙ্গুলী, সেই রকম কুশ গ্রামের নিবাসীরা কুশারী। এই কুশ গ্রামটি বর্ধমান শহরের কাছে। ক্রমে এই কুশারীরা বাকুড়ার সোনামুখী, খুলনার পিঠাভোগ ও ঢাকার কয়কীর্তন গ্রামে বসতি নেয়। এই কুশারীরা অবশ্য সুদীর্ঘ বংশ গৌরব দাবি করতে পারে।
আদিশূর নামক গৌড়ের রাজা নাকি কনৌজ থেকে পাঁচজন খাটি ব্রাহ্মণ এনেছিলেন। এতে মনে হয়, গৌড়-বাংলা তখন অনার্য অধ্যুষিত এলাকা ছিল। এই পাঁচ ব্রাহ্মণ থেকেই শান্ডিল্য, ভরদ্বাজ, কাশ্যপ ও সাবর্ণ গোত্রের উদ্ভব- যা পরবর্তীকালে বহু জটিলতার সৃষ্টির কারণ হয়েছিল। যা হোক, শান্ডিল্য গোত্রের প্রথম পুরুষ ক্ষিতীশের এক পুত্রের নাম ভট্টনারায়ণ- যিনি ‘বেণীসংহার’ নাটকের রচিয়তা। ভট্টনারায়ণের বংশধররাই কুশারী। শান্ডিল্য গোত্রের জন্য এদেরকে বন্দঘটি বা বন্দ্যোপাধ্যায় বলা হলেও গ্রামীণ নিরিখে এরা কুশারীই। বংশ গৌরব থাকলেও যবন সংস্পর্শ হেতু পিঠাভোগের কুশারীরা পিরালী বামুন অপবাদ থেকে নিস্কৃত পেলো না।
কয়েক শতাব্দী পরে এই কুশারী বংশের সন্তান পঞ্চানন এবং তার খুল্লতাত শুকদেব আত্মীদের সঙ্গে বিবাদ করে বাড়ি ছেড়ে বসতি গড়লেন গোবিন্দপুরের খাড়ির পাশে, যার বর্তমান নাম আদি গঙ্গা বা টালির নালা। জেলে, মালো, কৈবর্ত অধ্যুষিত এলাকায় এসে এরা ব্রাহ্মণের মতো যথাযথ সম্মান পেলেন। গোবিন্দপুর, সুতানটি ও কোলকাতা নামে তিনটি গ্রাম জুড়ে ইংরেজরা তখন একটি নতুন শহরের পত্তন করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা ইংরেজদের সঙ্গে কথা বলার জন্য ব্রাহ্মণ দু’জনকে এগিয়ে দেয়। ব্রাহ্মণ দেবতুল্য, গ্রামের মানুষ তাদেরকে ঠাকুর বলে ডাকে, সাহেবরা ঠাকুর বলতে পারে না, তারা বলে টেগোর। কুশারী ও পিরালী পরিচয় মুশে গিয়ে পঞ্চানন ও শুকদেব কাঙ্খিত ঠাকুর হলেন। ইংরেজদের সঙ্গে ব্যবসা-দালালি করে এরা প্রচুর ধন-সম্পদেরও মালিক হলেন।
পরবর্তীকালে এই বংশের দুই ভ্রাতার নাম নীলমণি ও দর্পনারায়ণ। বড় ভাই নীলমণি ইংরেজদের চাকরি করে প্রতিনিয়ত বিপুল অর্থ পাঠান ছোটভাই দর্পনারায়ণের কাছে। এই অর্থ দ্বারা দর্পনারায়ণ সংসারে উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি করতে থাকেন। আর্থিক অবস্থা ভালো হওয়ায় তারা গোবিন্দপুরের খাড়ির কিনারা ছেড়ে মেছুবাজারের পাথুরিয়াঘাটা নামের অভিজাত পল্লীতে চলে আসেন।
নীলমণি চাকরি ছেড়ে বাড়ীতে এলে বিষয়-সম্পত্তি নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ এত চরমে ওঠে যে, একদিন বর্ষার রাতে নীলমণি তার স্ত্রী-পুত্র; কন্যার হাত ধরে এবং গৃহদেবতা ‘নারায়ণশিলা’ সঙ্গে নিয়ে গৃহত্যাগ করলেন। অবশ্য এ সময় দর্পনারায়ণ দাদার হাতে এক লক্ষ টাকা তুলে দিয়েছিলেন- যাতে পরবর্তীকালে নীলমণি ওয়ারিশ দাবি না করতে পারে।
গৃহহীন ব্রাহ্মণ নীলমণিকে আশ্রয় দিলেন কোলকাতার বিখ্যাত ধনপতি ও গঙ্গাজল ব্যবসায়ী শেঠ বৈষ্ণবচরণ, উদ্দেশ্য ব্রাহ্মণকে ভূমিদানের পূণ্যার্জন। জোড়াসাঁকো অঞ্চলে বৈঞ্চবচরণ প্রদত্ত জমিতে প্রতিষ্ঠিত হলো ঠাকুর বংশের দ্বিতীয় শাখাটি। নীলমণি ক্রমে ক্রমে আরো জমি কিনে নিজের প্রাসাদ বানালেন।
নীলমণির তিন সন্তান। জ্যৈষ্ঠের নাম রামলোচন। পিতার মৃত্যুর পর দক্ষ, সৌখিন ও বিলাসী রামলোচন কিছু কিছু জমিদারি কিনে আস্তে আস্তে কোলকাতার ধনী সমাজে নিজের ঠাই করেন নেন। তার কোনও পুত্র সন্তান ছিল না, এক কন্যা, তা-ও অকালমৃতা। পত্নী অলকাসুন্দরীর সম্মতি নিয়ে রামলোচন তার মেঝ ভাইয়ের একটি ছেলেকে দত্তক হিসাবে গ্রহণ করেন এবগ ছেলেকে নিজের আদর্শ মতো গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু পুত্রটির বয়স যখন তের বছর তাখন রামলোচন ইহধাম ত্যাগ করেন। রামলোচনের এই দত্তক পুত্রের নাম দ্বারকানাথ। পালিকা মাতা অলকাসুন্দরী ও তার বড় ভাই রাধানাথের তত্ত্বাবধানেই দ্বারকানাথ মানুষ হতে লাগলেন।
তখনো হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠত হয়নি। জোড়াসাঁকোরই ফিরিঙ্গি কমল বসুর বাড়ীতে শেনবোর্ন নামের কেজন সাহেব একটা স্কুল খুলেছেন। দ্বারকানাথ এই স্কুলেই এনফিল্ডস স্পেলিং, রিডিংবুক, তোতা কাহিনী, ইউনিভার্সাল লেটার রাইটিং, কমপ্লিট লেটার বুক এবং রয়েল ইংলিশ গ্রামার পড়তে লাগলেন। আঠারো বছর পূর্ণ হতেই তিনি স্বাবলম্বী হতে সচেষ্ট হলেন।
পালক পিতার নিকট থেকে দ্বারকানাথ জমিদারি সম্পত্তি পেলেও তার আয় খুব বেশী ছিল না। তাই তিনি ইংরেজদের অধীনে দেওয়ানীর চাকরি করেছেন, জমিদারদের মামলা মোকদ্দমায় ল এজেন্ট হয়েছেন এবং বাড়িয়েছেন নিজস্ব জমিদারীর পরিধি।
জমির মালিকানার প্রতি বাঙালীর আকর্ষণ চিরন্তন, কিন্তু দ্বারকানাথ বুঝেছিলেন, লক্ষীর আনাগোনা চলে বাণিজ্যেই। তাই তিনি ব্যাংকিং, ইন্সুরেন্স, রেশম, নীল, কয়লা ও জাহাজ ব্যবসায় নিয়োজিত হয়ে অতি অল্পদিনেই অর্থের পাহাড় গড়ে তুললেন।
অত্যাধিক বিত্তবৈভবের তাপে ধনকুবের দ্বারকানাথ ভোগসাগরে নিত্য অবগাহন শুরু করলে ভাগ্যদেবীর পিছটান দেয়া ছাড়া গত্যন্তর রইলো না। জীবনের শেষ দিকে আর্থিক কষ্টে নিপতিত না হলেও তাঁর প্রাচুর্যের জৌলুস অনেকটাই ম্লান হয়ে গিয়েছিল।
যাহোক, পুত্র দেবেন্দ্রনাথের অক্লান্ত পরিশ্রমে ভাগ্যদেবী সুপ্রসন্না হয়ে আবার ঠাকুর পরিবারের দিকে মুখ ফিরালেন। ভাগ্যদেবী এবার আর একা এলেন না, সঙ্গে করে আনলেন বিদ্যাদেবী সরস্বতীকেও। ব্যবসা-আইন-সমাজনীতি-ধর্মনীতি-রাজনীতি কী ছিল না ঠাকুর পরিবারের এক্তিয়ারে? সঙ্গত কারনেই বিংশ শতকের ঠাকুর পরিবার ভারতবর্ষের আপামর মানুষের সমীহ আদায়ে সমর্থ হয়েছিল।
শিক্ষা-সাহিত্য-শিল্প-সংস্কৃতি ও ধর্মীয় রেনেসাঁসে এই পরিবার বাঙালীদেরকে চিরঋণে আবদ্ধ করেছে। স্বভাবতই এখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা বলা হচ্ছে ।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি উপন্যাস থেকে হুবহু নকল করার অভিযোগে লেখাটিকে প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো।
@মুক্তমনা এডমিন,
এ ধরনের চুরির (বা নকলের) মতো গুরুতর অভিযোগের পরও কি মুক্তমনার লেখকের তালিকায় উনাকে দেখা যাবে? আমি বরং লেখক হিসেবে তার রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার বিষয়টি বিবেচনা করার অনুরোধ করবো।
উল্লেখ্যঃ উনার লেখা, চিন্তা ও মন্তব্যের মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে আগে (আমাদের পরিবার ও পারিবারিক নির্যাতন দ্রষ্টব্য)।
@প্রতিফলন,
একমত। আপনার ও সফির কথায় আমি উনার বিয়ে ও বউ নিয়ে এগিয়েছিলাম। উনি আমাকে উনার মোবাইল নম্বর পর্যন্ত দেননি এবং পরে মেইলে জানালেন উনার বউ উদ্ধার হয়েছে। আবার একমাস পরে জানালেন আরেক কাহিনী।
তথাকথিত মুক্ত-মনার নামে নাটক তৈরিতে উদ্যোগী।
রঞ্জন বাবু লেখা দিয়ে উধাও হলেন কোথায়? মন্তব্য কই? আচ্ছা আপনার এই লেখাটা কি ভিন্নরূপে এখানেও দিয়েছেন মন পবন নিকে?
******************সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ ******************
মুক্তমনায় কিছু লিখিয়া সূত্র উল্লেখ করিবার বিড়ম্বনার হাত হইতে রক্ষা পাইতে হইলে গল্প/কবিতা রচনায় মশগুল হউন, তবে এরশাদ চাচার মত চোথা মারার অভ্যাস থাকিলে পাঠক হইয়াই জীবন অতিবাহিত করুন,আখেরে কাজে দিবে।
ধন্যবাদান্তে
ব্লগ লিখিতে অক্ষম সমিতি 😉
@সপ্তক,
ইন্টারেষ্টিং! সমিতিটির সদস্য হইতে চাই 😉
@ব্রাইট স্মাইল্,
আমি সমিতির সদস্য,ব্লগ লিখিতে অক্ষম বিধায় কবিতা/গল্পের জগতে আপাতত বিচরন করিতেছি। 😀
@সপ্তক,
ব্লগ লিখিতে অক্ষম, কবিতা/গল্পের জগতেও বিচরন করিবার সাধ্য নাই, তাহাদের জন্য আলাদা কোন সমিতি আছে কিনা দয়া করিয়া জানাইলে বাধিত হইতাম! :-s
@ব্রাইট স্মাইল্,
সমালোচক সমিতি,যাহাতে আপনি ইতিমধ্যেই বিচরন করিতেছেন।ফাউন্ডার সভাপতি হইবার ইহাই মোক্ষম সুযোগ। 🙂
@সপ্তক,
আইডিয়াটা মন্দ নয়। আর বিশেষ করিয়া একটি মোক্ষম সু্যোগের কথা যখন জানান দিলেন (খাঁটি বাংলাদেশীতো, সভাপতি, চেয়ারম্যান ইত্যাদি পদবী শুনিলেই বিভিন্ন কারনে(?) মনটা খুশীতে নাঁচিয়া উঠে আর কি!)।
আমার ধারনা এই সমালোচক সমিতিটির একটি রুপ-রেখা প্রনয়ন পূর্বক মুক্তমনা কতৃপক্ষের কাছে পেশ করিয়া সমিতিটিকে অফিসিয়ালি পরিচিতি প্রদানের বন্দোবস্ত করিতে পারিলে ভালো হয়। নানান ধরনের সমিতির সন্ধান আপনি রাখেন বিধায় আপনি এই ব্যাপারে উপযুক্ত লোক বলিয়া আমার মনে হইতেছে। :guru:
@ব্রাইট স্মাইল্,
সরিষাতে ভূত!!! ফ্রাঙ্কলি স্পিকিং মুক্ত-মনা নিজেই একটি সমালোচক সমিতি। আর ফরিদের মতে আপনি ইহার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য,… ইয়ে মানে আপনি আবার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি না ত(মুক্তমনার)? 🙁
@সপ্তক,
এই ভাই, এই জীবনে যে কোন কিছুরই প্রতিষ্ঠাতা, সভাপতি হতে পারলনা তাকে আপনি মুক্তমনার সভাপতি বানিয়ে দিচ্ছেন? না, সমিতির গড়ার ব্যাপারে আপনার উপর আমার অনেক ভরসা ছিলো, এখন সেটাও আর রাখতে দিলেন না। 🙁
@ব্রাইট স্মাইল্,
মশকরা করেন নাকি? আপনিতো এই সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। কিন্তু, এই সমিতিতে আপনাকে আর মানাচ্ছে না। সে কারণেই এখান থেকে জোর খাটিয়ে ব্লগ সমিতিতে আনার জন্য মুক্তমনায় আমরণ অনশন ধর্মঘট এবং পকেটে সাপ রাখার অহিংস আন্দোলন শুরু করবো বলে সিরিয়াসলি ভাবছি।
@ফরিদ আহমেদ,
হাঃ হাঃ জোর খাটিয়ে আমাকে ব্লগ সমিতিতে আনা হলে ব্লগ সমিতিকে অপমান করা হবে। ব্লগ সমিতির অধঃপতন আর অবক্ষয়ের কারন জানতে পেরে সমিতিটির সদস্যগন পালাতে আরম্ভ করলে মডারেটগনের কি অবস্থা হবে একবার ভেবে দেখেছেন কি? আমরণ অনশন ধর্মঘট আর পকেটে সাপ রাখার অহিংস আন্দোলন শুরু করার আগে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করবেন আশা করছি।
ও! আর একটি কথা, আমরণ অনশন ধর্মঘট আর পকেটে সাপ রাখার আন্দোলন বোধ হয় একসাথে কাজ করেনা। কারন অনশনে মরার আগেই পকেটের সাপের কামড়ে অক্কা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশী।
@ব্রাইট স্মাইল্,
বুদ্ধের মতো বোধিবৃক্ষের নীচে বসে অনেক চিন্তা-ভাবনা করেছি। এখন হচ্ছে উর্ধ্বপতন, আপনি এলে হবে অধঃপতন। এতে কীই বা ক্ষতি? পতনতো পতনই। এর আর উর্ধ্ব কিংবা অধঃ কী? পুরোটাই নির্ভর করে আপনি কোনদিকে মাথা দিয়ে রেখেছেন তার উপরে।
আরে না। সাপের কামড়ে মরবো না। আমাদের পাহাড়ি ভাই হযবরল আছেন না। তিনিতো সাপখোপ, বাঘ, ভল্লুক, কুমির সবকিছুকেই পকেটে নিয়ে ঘুরে বেড়ান। তাঁর কাছ থেকে পঞ্চশীল,অষ্টশীল,দশশীল,মৈএী ভাবনাগুলো শিখে নেবো না।
@ফরিদ আহমেদ,
ঊর্ধের দিকে গমন হলে সেটা ঊর্ধপতন না হয়ে ঊর্ধঃউত্থান হবেনা?
@তামান্না ঝুমু,
সবসময় নয়। হুমায়ুন আজাদ বলেছিলেন, উন্নতি হচ্ছে উপরের দিকে পতন। আজকাল অনেকেরই উপরের দিকে পতন ঘটছে। জ্বলন্ত উদাহরণ হিসাবে অভিকে বিবেচনা করতে পারেন। 🙂
নবদ্বীপে পিরল্যা বা পীরল্যা নামে কোন গ্রাম এখনো আছে কি-না, জানার চেষ্টা করলে ভাল হয়। ঠাকুর পরিবারের ইতিহাস পিরল্যা পযর্ন্ত আর কোথাও দেখেছি বলে মনে পড়ছে না, তবে কুশ গ্রামের জগন্নাথ কুশারী পযর্ন্ত মনে আছে।
লেখকের সূত্রগুলো উল্লেখ করলে খুশী হব।
“একদিন বর্ষার রাতে নীলমণি তার স্ত্রী-পুত্র; কন্যার হাত ধরে এবং গৃহদেবতা ‘নারায়ণশিলা’ সঙ্গে নিয়ে গৃহত্যাগ করলেন। অবশ্য এ সময় দর্পনারায়ণ দাদার হাতে এক লক্ষ টাকা তুলে দিয়েছিলেন” -ঘটনা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না; তখনকার দিনে, রাত দুপুরে একলক্ষ টাকা (অনেক, অনেক টাকা) নিয়ে রাস্তায় বেরুনো, তা নৌকায় বা গরুর গাড়িতে – যে ভাবেই হোক না কেন, সম্ভাব্য মনে হয় না।
কোথায় যেন এই কাহিনীটা পড়েছিলাম আগেই । খুব সম্ভবত সুনীলের কোন বইয়ে, মনে করতে পারছি না । ভুলও হতে পারি । :-s
লেখাটি-র সাথে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের “সেই সময়ের” একটা গোটা অধ্যায়ের হুবহু মিল পাচ্ছি। কোনো জায়গা থেকে reference নিলে বলে দেওয়া উচিত।
@অনামী,
(Y) ।
সুনীলের ‘সেই সময়’ অনেক আগের পড়া। তাই আমার তেমন মনে নেই। তবে অভিযোগ সত্য হলে লেখককে রেফারেন্স যোগ করতে হবে, নয়তো লেখাটা সরিয়ে নেয়া হবে।
রঞ্জনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
@অভিজিৎ,
একমত এবং “সেই সময়” ২য় খন্ডটি একজন পড়তে নিয়েছে বলে এ মূহূর্তে নিশ্চিত করতে পারছি না।তবে আমিও কোথায় যেন পড়েছি। লেখাটির গদ্যের ঢংটি রঞ্জন বাবুর বলে আমার কাছে মনে হচ্ছে না।
@গীতা দাস,
২য় খণ্ডের প্রয়োজন নেই দিদি। ১ম খণ্ডের প্রথম দিকেই পাবেন এটি।
রঞ্জন বাবু কাজটা ঠিক করেন নাই।
@ফরিদ আহমেদ,
আমাদের পরিবার ও পারিবারিক নির্যাতন এর পর এমন একটা লেখা দেখেতো আমি ভীষণ অবাক! :-O
@ফরিদ আহমেদ, আমার মনে হচ্ছে না, রঞ্জন বাবুর এই আরেকজনের লেখা তুলে দেয়া নিয়ে যতই কথা বলা হোক উনি, সহসা সাড়া দেবেন। সেক্ষেত্রে এই লেখাটি নিয়ে কি কোন পদক্ষেপ নেবেন? নীড়পাতায় হোক আর যেখানেই হোন, মুক্তমনায় এটা শোভা পায় না।
ব্যক্তিগতভাবে অন্যের লেখা নিজের নামে চালিয়ে দেয়া বা চৌর্যবৃত্তির মানসিকতার বিরুদ্ধে অবস্থান জানিয়ে গেলাম। তাও আবার যেন তেন লেখা নয়, সুনীলের লেখা। অবাক হলাম!
@ফরিদ আহমেদ,
হ্যাঁ, ফরিদ, সেই সময়ের প্রথম সংস্করনের ১ম খণ্ডের ৮৮ পাতা থেকে লেখাটির শুরু।এ লেখাটি মুক্ত মনার সাথে লিংক রাখাই উচিত নয়।
রঞ্জনবাবুর বিয়ে সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে আমি এগিয়েছিলাম । পরে দেখলাম উনি নাটকীয়তা সৃষ্টি করতে ভালবাসেন।
শুরুর ইতিহাসটা মানে পীর আলীর ঐ অংশটা আমি একটু অন্যভাবে জানি… পুরো ব্যাপারটা এখন মিথ, সত্যতা যাচাইয়ের উপায় নেই!
চমৎকার! রবিঠাকুরের এবং তার ঠাকুর পরিবারের ইতিহাস বেশ কিছুদিন ধরেই আমার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। আপনার সরস বর্ণনা পুরো ব্যাপারটিকে বেশ উপাদেয় কয়রে তুলেছে।
এমন একটি লেখা হুআ এর “মধ্যাহ্ন” বইতেও পড়েছিলাম।
গন্ধ শুকেই জাত ছাড়া। ভাবলেই পেটের মধ্যে থেকে হাসি উঠে আসে।ইতিহাস জেনে চমৎকৃত হলাম।ধন্যবাদ। (F)
আপনার চমকানো লেখাটি এক ঝটকায় পড়ে ফেলব ভেবেছিলাম! কিন্তু ”কুশারী”-তে এসে যে সংসয় তৈরি হ্ল, পুরোটা পড়ার পরও তা পুরোপুরি দূর হয়নি!
শান্ডিল্য গোত্রের সাথে বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক ঠিক কোথায়? এই উপাধির জন্ম ইতিহাস কি তাহলে শান্ডিল্য গোত্রের সাথে জড়িত?
খুব আশ্চর্য লাগল ব্যাপারটা! শুধুমাত্র জগন্নাথ কুশারী নামক একজন ব্যক্তির কারণে পুরো কুশারী গোষ্ঠী পিরালী অপবাদ পেয়ে গেল? 😕
এই পঞ্চানন কি জগন্নাথ কুশারীর ব্লাড লাইনের অন্তর্গত? রবীন্দ্রনাথের ”যবন অতীত” এর সঙ্গে বিষয়টা জড়িত!
মেঝ ভাইটি কে? রবীন্দ্রনাথের আসল প্রপিতামহ যিনি, তার নাম তেমন শোনা যায় না কেন?
পরিশেষে, লেখাটিতে তথ্যসুত্র দেয়া থাকলে পাঠকদের জন্য খুব সুবিধা হত! যাই হোক, ”মামুদ তাহির, মামুন তাহির, কেজন” ইত্যাদি কিছু টাইপো থাকার পরও এটি একটি সাংঘাতিক লেখা হয়েছে! বিশেষ করে, রবীন্দ্রনাথের ”যবন অতীত” আমাদের দেশের মৌলবাদিদের নিশ্চয়ই খুব আশাহত আর ব্যথিত করবে! 🙂
@কাজি মামুন,
কোন ধরণের মৌলবাদীদের আশাহত করবে? মুসলিম মৌলবাদী, হিন্দু মৌলবাদী নাকি রবীন্দ্র মৌলবাদীদের। রবীন্দ্রনাথকে দেবতা জ্ঞান করার মত রবীন্দ্র মৌলবাদীর সংখ্যা আমাদের সমাজে নেহায়েত কম নয়। তারা কোনভাবে রবীন্দ্রনাথ দেবচ্যুত হলে বেশী আহত হন। আমার দৃষ্টিতে এখানে দেবচ্যুত হবার আশংকা বেশী নেই, তবে হিন্দুত্বচ্যুত হবার সরস উপাদান আছে, যদিও রবীন্দ্রনাথের জন্মই আদিব্রাহ্ম পরিবারে… বাংলা লাইব্রেরী থেকে উদ্ধৃতি তলে দিচ্ছি,
@নীল রোদ্দুর,
আহত হন। ব্যাস, এইটুকুই, এর বেশী কিছু নয়! ধর্মীয় মৌলবাদীরা যেভাবে অন্য বিশ্বাসের মানুষকে কীট-পতঙ্গ জ্ঞান করে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব জাহির করেন, তাদের বিশ্বাসের জায়গায় এমনকি সামান্য টোকা পড়লেও লাঠি তেড়ে আসেন, রবীন্দ্র-ভক্তরা তেমনটা করেন কি? ”রবীন্দ্র মৌলবাদী”-দের ক্ষমতা মানুষকে মুক্তির গান শোনানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ! এর বেশী ক্ষমতা সত্যি তাদের নেই! অন্যদিকে, দেখুন ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের কি বিপুল ক্ষমতা! জগত-খ্যাত টুইন টাওয়ার চোখের নিমিষেই ধসিয়ে ফেলে! সুতরাং, মৌলবাদীদের শ্রেণিকরণ করতে গেলে, তাদের মধ্যকার পার্থক্যগুলোও কিঞ্চিত বিশ্লেষিত হওয়ার দাবী রাখে বৈকি!
আর একটা কথা! দেবতা শব্দটিকে অনেকেই আধুনিকতার পরিপন্থী মনে করে উপহাস করে থাকেন! কিন্তু আমার কাছে শব্দটির ভিন্ন অর্থও রয়েছে! যেমন: আমার বাবা আমার দেবতা! আমার প্রিয় শিক্ষক আমার কাছে দেবতা তুল্য! আমার প্রিয় লেখকও তাই! তারা সবাই আমার এত প্রিয় যে, তাদের পুজো করতেও আমার আপত্তি নেই! এটা সেই পুজো, যার সাথে ইহলৌকিক-পারলৌকিক কোন প্রাপ্তিরই বিন্দুমাত্র যোগসাজশ নেই! শুধু শ্রদ্ধা-ভালবাসার বিনম্র নৈবদ্যে আলোকিত হওয়ার সাধনা চলে সেখানে!
পরিশেষে, ‘বাংলা লাইব্রেরী’ থেকে দেয়া উদ্ধৃতিটির জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ! ভাল থাকবেন!
@কাজি মামুন, সামাজিক পরিবর্তনটা খুব অস্থির প্রকৃতির। দুই দশক আগেও কিন্তু বাংলাদেশে ইসলামী মৌলবাদীরা এখনকার মত প্লাটফর্ম পেত না। ৫০ বছর আগেও কিন্তু সারা বিশ্বে ইসলামী জংগীবাদের ভাইরাস এইভাবে ছড়ায়নি। ৪০ এর দশকের আগে তথা দ্বিজাতিতত্ত্ব উদ্ভবের আগে উপমহাদেশে কিন্তু হিন্দু মুসলিম সকলেই মিলেমিশে থাকতো, কথায় কথায় রক্তবন্যা বইয়ে দিতো না। পৃথিবীতে এতোকাল যত রক্ত ঝরেছে, তা হয় ক্ষমতার জন্য, না হয় নির্যাতকের হাত থেকে নির্যাতিতের মুক্তির জন্য। আমি যেটা বলতে চাই, যেকোন মৌলবাদই পরিহারযোগ্য। বর্তমান প্রেক্ষিতে এক মৌলবাদের সাথে অন্য মৌলবাদের পার্থক্য যেভাবে করা সম্ভব, ৫০ বছর আগে ঠিক এইভাবে করা সম্ভব ছিল না, ৫০ বছর পরেও হয়ত একই ভাবে করা সম্ভব হবে।
রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে আমার দৃষ্টিভঙ্গি এরকম, “একজন মানুষের সৃষ্টি বিশাল, মহান হতে পারে, কিন্তু তাতে তিনি মানুষের পর্যায় থেকে দেবতার পর্যায়ে চলে যান না। প্রত্যেকটা মানুষ নির্মোহ দৃষ্টিতে দেখার দাবীদার। ”
আমার আপত্তি সেখানটায়, যেখানে রবীন্দ্র মৌলবাদীদের ধর্মানুভুতির মত রবীন্দ্রানুভূতিতে আঘাত লাগে। এর পর কি হয় সেই প্রসঙ্গ নিয়ে আমি কথা বলিনি।
এইবার আমার স্বীকারোক্তিটুকু দিয়ে যায়, বছর দুয়েক আগে, গান্ধীজির ব্যাপারে আমার এমন একটা অনুভূতি তৈরী হয়ে গিয়েছিল, এবং আমাকে লক্ষ্য করেই যখন গান্ধিজীর সমালোচনা করা হয়, সেদিন আমি আক্ষরিক অর্থেই আঘাত পেয়েছিলাম। আজ আমি জানি, সেটার দরকার ছিল, নাহয় নির্মোহ দৃষ্টিতে দেখার মানসিকতা অর্জন করতে আমার সময় লাগতো।
যাই হোক,
কিভাবে আশাহত আর ব্যথিত করবে আমি একটু বিশদভাবে জানতে চাই, বুঝতে পারিনি কোন কারনে তারা ব্যথিত হবেন।
@নীল রোদ্দুর,
সম্পূর্ণ একমত! তবে ধর্মীয় মৌলবাদের পাশে রবীন্দ্র মৌলবাদের আলোচনা খুব বেমানান নয়কি? এর মাধ্যমে ধর্মভিত্তিক মৌলবাদের অমিত তেজ আর শক্তিকে কিঞ্চিত অপমান করা হয় আমার মতে!
নির্মোহ শব্দটি আমার অসম্ভব প্রিয়, যদিও শব্দটির যথার্থ বাস্তব প্রয়োগ এখন পর্যন্ত চোখে পড়েনি সমাজবিজ্ঞানের আলোচনায়! প্রচলিত ভাবধারাকে চ্যালেঞ্জ করতে যেয়ে প্রায়ই শব্দটি ব্যবহার করা হয়, কিন্তু শেষে দেখতে পাওয়া যায়, চ্যালেঞ্জকারী নিজেই নতুন এক মোহের চোরাবালিতে হাবুডুবু খেতে থাকেন!
আমাদের দেশের মৌলবাদীদের একটা বড় হাতিয়ার হল রবীন্দ্রনাথ। ফরহাদ মজহাবদের মত মৌলবাদসর্পরা আমাদের শয়নে স্বপনে মনে করিয়ে দেন, একজন মুসলিম-বিদ্বেষী, একজন হিন্দু, একজন ভারতীয় এবং একজন ব্রিটিশ পদলেহন-কারি ব্যক্তি কিছুতেই আমাদের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা হতে পারেন না; এই ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে তারা বাংলাদেশে মুসলিম পুনর্জাগরনের স্বপ্ন দেখান তরুণ তুর্কিদের! তো, রবীন্দ্রনাথের ‘যবন অতীত’ তাদের এই ধারাল হাতিয়ারটিকে কিছুটা ভোঁতা করে ফেলে বৈকি! আর হাতিয়ার হারালে আদিম দ্বিপদী প্রাণীদের কিছুটা সমস্যা তো হয়ই! কারণ ঐ হাতিয়ারটুকুই তাদের সম্বল; তাদের মস্তিষ্ক এতটা উর্বর নয় যে, অন্য কোন উপায়ে তারা এই কঠিন প্রতিযোগিতার পৃথিবীতে টিকে থাকবে!
@কাজি মামুন,
রামমণি (১৭৫৯-১৮৩৩)। উনার প্রথম স্ত্রী ছিলেন দক্ষিণডিহির রমাকান্ত রায়চৌধুরীর কন্যা মেনকা। মেনকা মারা যান ১৭৯৫ সালে। এর পর রামমণি আরেকটি বিয়ে করেন। প্রথম ঘরে দুটো এবং দ্বিতীয় ঘরে একটি একটি ছেলে ছিল। দ্বারকানাথ ছিলেন তার প্রথম পক্ষের স্ত্রীর ছোট সন্তান।
@অভিজিৎ,
অনেক ধন্যবাদ, অভিজিৎ-দা!
রবীন্দ্রনাথের প্রপিতামহী তাহলে দক্ষিনডিহির কন্যা ছিলেন? এটা কি সেই জায়গা, যেখানে মৃণালিনী দেবীরও বাড়ি ছিল?
@কাজি মামুন,
হ্যা। তবে মৃণালিনী ছাড়াও ঠাকুর পরিবারে অনেকেই দক্ষিনডিহির কন্যা বিয়ে করেছিলেন। যেমন, রাধানাথ (রামমনির বড় ছেলে) বিয়ে করেছিলেন দক্ষিনডিহির কমলমনিকে। জ্যোতিরিন্দ্রনাথের স্ত্রী এবং রবিঠাকুরের ‘প্রিয় বৌঠান’ কাদম্বরী দেবীও ছেলেন দক্ষিনডিহি তথা বৌবাজার হারকাটাগলির শ্যামলাল গঙ্গোপাধ্যায়ের কন্যা।
এরকম আরো আছে। রামমনির ভাই রামলোচনও সম্ভবতঃ দক্ষিনডিহির কন্যা বিয়ে করেছিলেন (অলকা)। আরো আগে দর্পনারায়ণও দক্ষিনডিহি থেকে বদনমনিকে বিয়ে করেছিলেন, ইত্যাদি।