বুদ্ধিজীবি থিক্কা শুরু কইরা অবুদ্ধিজীবি, আবাল-আবালী, চোর বাটপার, জ্ঞ্যানপাপী মুসলমানগোর মুখে ইসলাম শান্তির ধর্ম এইরম একটা বাণী প্রায়ই হোনা যায়। হুনলে আমার অনুভুতি হয় দুইডা, এক, ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞ্যান খালেদার একাডেমিক জ্ঞ্যানের হমান, দুই, আমার যৌনকেশ পুইড়া ওডে। সৌদি আরব, যেইহানে মোহাম্মদ নামক এক মনোযৌনবিকারগ্রস্থ মাংসপিন্ডের শিশ্ন দিয়া ইসলাম নামের একটা গনোরিয়া ১৪০০ বছর আগে বাইর অইছিল, এহনও মুসলমানরা যেই গনোরিয়ায় আক্রান্ত, হেইহানে আমার দেশের আটজন অসহায় মানুষরে সৌদির জারজ জনগনের সামনে শিরোচ্ছেদ করা হইছে ইসলাম নামের গনোরিয়ার সম্মান রক্ষাপ্রকল্পে। কিচ্ছু কওয়ার নাই, কারন আমার শিশ্ন সৌদি শিশ্নরতে ছোডো। আমার দেশের পশ্চাৎদেশ গরীব, যার জন্য যে পারে হেই মাইরা যায়। বাঙলাদেশে বইয়াই উলটা অইয়া দশ মিনিট হুইয়া থাহেন, কমপক্ষে দশজন আপনার পশ্চাৎদেশের সদব্যাবহার কইরা যাইব। আর সৌদি জারজগুলার শিশ্নতো শিবের চাইয়াও বড়। সৌদি বইয়াই বাঙলাদেশের পশ্চাৎদেশ মাইরা যাইতাছে। এহেনেও কিছু কওয়ার নাই। কারন আমার পশ্চাৎদেশই এহন নাই নাই মনে অয় ইদানিং। কচু পাতার উপ্রে ইউরিনের মতন ঝরঝরে অনুভুতি লইয়া যেইসব মুসলমান রাইতে বউর লগে লদকালদকি করে, অবিবাহিতগুলা করে মোবাইলে, বিবাহিত যেই পেটমোটা গাভিগুলা চর্বিমাংসের ডিব্বা লইয়া পারসোনায় স্পা কইরাইতে যাইয়া ছিঃছিঃ ক্যামেরার লুলুদৃষ্টিতে পইড়া দেশে ঢিঢি ফালাইয়া দেয়, যারা মাতায় চান্দের লাহান গোল টুপি পইড়া চিল্লায় চিল্লাচিল্লি কইরা আইয়া নিজের মারে নামাজ পড়ে না বইলা পানিতে চুবাইয়া মাইড়া হালায়, হেই সব শান্তি প্রিয় মুসলমানগুলার কাছে আমি জিগাই, জীবনে এক অক্ষর পড়ছেন কোরান? পড়ছেন, সুরা ফাতেহা আর সুরা দুগ্ধবতী ষাড়ের আলিফ লাম মীম। বাহার করছেন! পড়ছেন, তাব্বাত ইয়াদা আবিলাহাবিউ অতাব্বা। আবারও বাহার করছেন। কিন্তু সমস্যা অইল, তাব্বাত ইয়াদার মানে আফনেরা জ্ঞ্যানীগুনিরা কেউ জানেন না।
খালি একটা জিনিস চিন্তা করেন। যেইদিন বাঙালি মানুষগুলারে মাতা কাইট্টা মাইরা ফালাইলো হের আগের দিন ইসলাম নামের গনোরিয়াডারে দুনিয়ারতে নাই কইরা দেন, এই অসভ্য, অশিক্ষিত, নারীপিপাসু শিবের চাইয়াও বড় শিশ্নের সৌদিতে তাইলে আর এমন কেশ থেকে যৌন কেশ পর্যন্ত কাইপ্পা ওঠা অমানবিক ঘটনাটা আর ঘটত না। আমি জানি ইসলাম-মূর্খ অনেক মুসলমান এহন ফাল পাইড়া উঠতাছে, কারন আমি ইসলামের বিরুদ্ধে কইছি। আবার এইডাও কইবেন কেন খালি ইসলামের বিরুদ্ধে কইলাম। প্রথম জনগনের জন্যে খালি কই, Go to your sexy Jannat and have sex with the hur and Gelman. দ্বিতীয় দলেরে কই, আফনের যদি মনে অয় ইসলাম ছাড়াও আরো কেউ ধর্মগ্রন্থের দোহাই পাইড়া এমনে মানুষ মারতাছে তাইলে হেইডিরেই উড়াইয়ে দেন। আমার কোন আপত্তি নাই। কারন আমি জানি সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।
হোনা যায় আল্লার নবীর দেশে কেউরে এমনে মাইরা ফালাইলে সংশ্লিষ্ট দেশেরে জানাইন্না অয় না। চমেৎকার। অবশ্য জানাইন্নার দরকারই বা কী? নবী যেই মাটিতে রক্তঘামবীর্যহাগু ফালাইয়া গেছে ঐহানের মানুষ যে দুনিয়ার সবারতে বেশী বুঝব এইডা আমগোর লাহান দুনিয়ার সবাই না জানলে কী অইছে, সৌদির লার্জার দ্যান শিব লিঙ্গের জারজগুলা ঠিকই বোঝে। সুতরাং আমগোর কিছু কওয়ার নাই, থাকা উচিত না। কারন তাইলে আমরা ৯ বছরের মাইয়ার লগে আকাম করইন্যা আল্লার নবী মোহাম্মদের চাইয়া বেশী বুইজ্ঝা ফালামু। দোজখে যামু। কেডা চায় দোজখে যাইতে? আমি না। সুতরাং নম নম, দুঃখিত, আলহামদুলিল্লা।
আমি জানি হেরপরেও সৌদির লগে বাঙলাদেশের গভীর(এই গভীর মানুষ অন্য গভীরও ধইরা নিতে পারে, আমার কোন আপত্তি নাই)সম্পর্কের কোন হেরফের অইব না। বাঙলাদেশের মোনাজাতমন্ত্রির(রাষ্ট্রপতি) অনুরোধরে যে সৌদির লৌহশিশ্নের অধিকারী রাজা যৌনকেশ দিয়াও পোছে নাই ঐডা আমাগোর নোবেল না পাইয়া দুঃখিত পেরধানমন্ত্রীর মাতায় ঢুকব না। যাই হউক বোঝার দরকার নাই।
আরো হোনা যায় লাশও নাকি ফেরত দেওয়া অয় না। যাই হউক, আমগোর লাশের দরকার নাই কইয়া পেরধানমন্ত্রীর প্রেস রিলিফের জন্যে অধীর অপেক্ষার আছি পুরা বাঙালি জাতি। ম্যাডাম আমগোরে ধইন্য করেন সৌদির প্রতি আপনার আনুগত্য প্রকাশ কইরা। তাকবীর!!
@সাইফুল ভাই,
চাপা একটা ব্যাথা ছিলো বুকের মধ্যে, আপনার লেখা সেই সাথে কমেন্টসগুলো পড়ে কিছুটা প্রশমিত হল। অনেক ধন্যবাদ কবিকে।
@ফারুক,
লোয়ার কোর্টের কোন মৃত্যুদণ্ডের রায় সুপ্রিম কোর্টের সকল জাজের সর্বসম্মত অনুমোদন লাগবে
এখানে জাজদের কেউ দোষারোপ করছে বলে তো মনে হয়না। সমস্যাটা তো মধ্যযুগীয় সিস্টেমের। আইনটাই যদি এমন হয় যে দুই গ্রামের বাসিন্দারা ঝগড়া লাগল আর একপক্ষের একজন মারা যাওয়ায় আরেক পক্ষের সকল লোকদের কল্লা কেটে ফেলতে হবে ( যদি আলোচিত ঘটনায় আরো কয়েকজনের লঘু দন্ড হয়েছে কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় তারা হয়তো স্পটে ছিলনা।), তাহলে আমরা জাজদেরকে দোষ দেব নাকি সিস্টেমকে দেব? তাদের কোর্ট কি আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন? পৃথিবীর কোন আন্তর্জাতিক সংস্থা কি বলেছে যে সৌদির বিচার ব্যবস্থা ফেয়ার? তাহলে আপনি কিসের ভিত্তিতে তাদের কোর্টের পক্ষে সাফাই গাইছেন? কতগুলো কাঠ মোল্লা মিলিত হয়ে মধ্যযুগের কাঠে, পাথরে খোদাই করা হাবিজাবি বালের হাদিস-কুরান পড়ে রায় দিল, আর আপনার কাছে সেই কাঠ মোল্লাদের পড়াশোনার যোগ্যতা, হাবিজাবি বালছাল হাদিস-কুরানের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা চোখে না পড়ে তারা নিরপেক্ষ কিনা, শিরশ্ছেদে সৌদির লাভ আছে কিনা এসব চোখে পড়ল? সৌদিকে সারা পৃথিবীর মানুষ জানে একটা বর্বর দেশ হিসেবে, যেখানে আইন-কানুন নিয়ন্ত্রণ করে বর্বর শেখরা, পাতি মোল্লারা। আর তাদেরকে আমরা কিছু বললেই আপনার কইল্জা ছেৎ করে উঠে কেন? নাকি আমিনির মত সৌদির পেট্রো-ডলারের স্বপ্ন দেখেন?
মুক্তমনাদের মুক্তবুদ্ধি দেখে আমি টাস্কিত। এরা যে ধর্মীয় মৌলবাদীদের মতোই ধর্ম বিরোধীতায় জড় বুদ্ধী , বদ্ধমনা তা এই পোস্ট ও পোস্টের মন্তব্যগুলোই উৎকৃষ্ট প্রমাণ। এরাও ধর্মীয় মৌলবাদীদের মতোই বক্তব্যের বিষয়ে না থেকে মন্তব্যকারীর জন্ম পরিচয় খোজে , কাউকে বাংলাদেশ হেটার বানিয়ে জাতীয়তাবাদের কার্ড ব্যাবহার করে দেশপ্রেমিক সেজে সহানুভূতি আদায় করে তর্কে জিততে চায় , যেমনটি মৌলবাদীরা ধার্মিক সেজে ধর্মীয় সহানুভূতি আদায় করে তর্কে জিততে চায়।
সৌদিতে আট বাংলাদেশির শিরোচ্ছেদ হয়েছে খুনের দায়ে। পৃথিবীর বহুদেশে খুনের শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান আছে , এক্ষেত্রে সৌদি আরব কোন ইউনিক দেশ নয়। এমন না যে সৌদি আরবই পৃথিবীতে একমাত্র দেশ যেখানে এখনো মৃত্যুদন্ড চালু রয়েছে ইসলামের কারনে। এমন না যে সৌদিআরব ও ইসলাম সমার্থক। হয়তো বা আপনাদের জানা নেই সৌদিতে যে ওয়াহাবি ভার্ষান ইসলাম চালু আছে তা খুব কম মুসলিমের কাছে স্বীকৃতি পায় , আমাদের দেশে যে সুন্নী ইসলাম চালু আছে তারাও এর বিরোধী। তাহলে কেন এই ইসলাম বিরোধীতার মাতম? সৌদি আরবের সাথে ইসলামকে মিলিয়ে এই ধরণের ঘৃণা ছড়ানোর কারণ কী? অন্য দেশের আইন তো আমরা ঠিক করে দিতে পারি না? সৌদি আরব তো আর বাংলাদেশে শরীয়া আইন প্রচলন করার জন্য চাপ দিচ্ছে না।
প্রশ্ন ওঠা উচিৎ ছিল , লোক গুলা আদৌ দোষী ছিল কি না? বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ছিল কি না? সৌদীরা ইচ্ছাকৃতভাবে লোকগুলার শিরোচ্ছেদ করেছিল কি না বা করে থাকলে তাদের মোটিভ কী? তা না মুক্তমনারা ইসলাম ব্যাশিংয়ে নেমে গেলেন। আচ্ছা নামুন , তাতে আপত্তি নেই। তো একটা যোগসুত্র তো দেখাবেন। এমন না যে এরা ইসলাম কায়েমের জন্য বা ইসলামের শ্রেষ্ঠত্য প্রমাণের জন্য এই কাজ করেছে। এমন না যে লোকগুলা মুরতাদ ছিল , নাস্তিক ছিল তাই তাদের শিরোচ্ছেদ করেছে। এমন না যে আমরা গরীব বলেই শুধু বাংলাদেশীদের শিরোচ্ছেদ করেছে , অন্য কারো করে না।
সৌদি বাদশাহ নাকি ধর্ম ব্যাবসায়ী। আমি যতদুর জানি বর্তমানের সৌদি বাদশাহ লিবারেল মাইন্ডেড। তিনি সৌদি ধর্মীয় কট্টরদের থেকে দেশকে আধুনিক করার চেষ্টায় রত। সুতরাং কোন কোন বোদ্ধার দাবী শরীয়ার মহত্ব প্রচারের জন্য সৌদী আট বাংলাদেশীকে শিরোচ্ছেদ করেছে , এটা যে সর্বৈব মিথ্যা তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
অনেকেই এ্যামনেষ্টি ইন্টারন্যাশনালের উদ্ধৃতি দিয়ে সৌদি বিচারব্যাবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেছে। হতে পারে ওদের বিচার ব্যাবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ। কিন্তু তার ফলে তো ভুক্তভোগী সৌদীরাই। কারন বছরে সৌদীতে শিরোচ্ছেদ হওয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ লোক সৌদি , বিদেশিরা নয়। আপনি যেদেশে থাকবেন সেদেশের বিচার ব্যাবস্থাকেই তো মেনে চলবেন , না কি? নাকি আমরা যেখানেই যাব , সেখানকার বিচার ব্যাবস্থা আমাদের মতোই হতে হবে এমন আব্দার করে রাজপথ গরম করব?
আবেগময় ও জ্বালাময়ী বক্তৃতাতেই হুজুগে বাঙালী অভ্যস্ত। এদের কাছে প্রমাণের দরকার হয় না। পার্সেপ্শন বা উপলব্ধির উপরে ভর করেই এরা বিচার করে , গণ পিটুনী দিয়ে মেরে ফেলে।
আমরা জানি না যে আট জন বাঙালীর শিরোচ্ছেদ হয়েছে , তারা নিশ্চিতভাবে নির্দোষ কি না? আমরা প্রশ্ন করিনা , ৮ বাঙালীকে ধরে শিরোচ্ছেদ করে সৌদীদের কি লাভ? এরা জানতে চায় না বছরে কয়জনের শিরোচ্ছেদ হয় , কতজন বিদেশী কতজন সৌদী , এদের মধ্যে কয়জন নিরপরাধ? কিন্তু ওই যে উপলব্ধি আর ম্যাঙ্গো পাবলিককে ক্ষেপিয়ে তুলতে লোকের অভাব কখনোই ছিল না। এরা ফলাফল নিয়ে চিন্তা করে না। তার দরকারই বা কী? আড়াইলাখ /২৫ লাখ কর্মক্ষম বাঙালী দেশে ফিরে এসে বেকার হলেই বা কী? পেটের জ্বালায় এরা চুরি চামারি , সন্ত্রাষী বা দলীয় ক্যাডার হলেই বা কী? ৫০০ মিলিয়ন/২ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স না আসলেই বা আর এমন কি ক্ষতি? লোককে ক্ষেপানো গেছে , কিছু লোক বাহবা দিয়েছে। আর কি চাই? দেশের ক্ষতি হয় হয় হোক , ২৫ লাখ লোকের বেকার হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয় হোক , তাতে কী? ইসলামকে তো পচানো গেছে।
অনেক বোদ্ধা আবার আমেরিকা কানাডার উদাহরন টেনে আনেন এবং বলেন এখানে তো কোন বর্বর (?) আইন নেই। মানলাম ভাল। তা এই পেটের দায়ে বর্বর দেশে যাওয়া লোকগুলোকে সেখান থেকে আমেরিকা কানাডা নিয়ে যান না। সকলের আগে আমিই আপনাদের ও সেই সাথে আমেরিকা কানাডাকে তাদের মহানুভবতার জন্য সাধুবাদ জানাব।
আমাদের দেশে এখন মাথা গরম ও আইন না মানা লোকের সংখ্যাধিক্য, বুঝদার বিরল প্রজাতি।
ছোট বেলায় একটা গল্প পড়েছিলাম , যে দেশে তেলের দাম আর ঘিয়ের দাম সমান , সে দেশে থাকতে নেই। তাহলে বিনা দোষে শূলে চড়তে হতে পারে। কিন্তু কার কথা কে শোনে। এখন আর আফসোস করেই
বা কী লাভ ? মিছিল মিটিং করেই বা কী লাভ? সময়ের কাজ সময়ে করা প্রয়োজন।
@ফারুক,
অর্থাৎ আপনি ধরেই নিলেন সৌদি আরবের প্রতিটি কাজ বাদশাহর ব্যক্তিগত ইচ্ছার ভিত্তিতে হয়– যে “ধর্মীয় কট্টরদের থেকে দেশকে আধুনিক করার চেষ্টায়” কিনা উনি “রত”, বিচার ব্যবস্থায় তাদের কোন প্রভাবই নেই! বাস্তবতা হল আট জন বাংলাদেশীর গলা কাটতে সৌদিদের বিশেষ ভাবে চিন্তাভাবনা করার প্রয়োজন হয়না, বা বাদশাহর আলাদা ভাবে এর সাথে একমত-দ্বিমত পোষণ করার প্রয়োজন হয়না।
তারা নিশ্চিতভাবে দোষী কিনা, এইডা হল প্রশ্ন। যেকোন সভ্য বিচার ব্যবস্থায় সেটাই মানদণ্ড।
আরেকটা প্রশ্ন। আপনি বার বার লিখছেন, এটা সৌদিদের আইন, আমাদের হাউ কাউ করা উচিত হচ্ছেনা। ওকে, যদি তাই হয়, তাহলে তারা নির্দোষ হইলেই বা কি? ধরেন এমনিই তারা আট জন বাঙালীর শিরোচ্ছেদ করেছে, মজা দেখার জন্য, সেটাই ধরেন সৌদি আইন। তাতেও তো আপনার সমস্যা থাকার কথা না।
আপনি আবার ধরে নিচ্ছেন, রেসিস্ট সৌদিরা বাঙালীদের গলা কাটার ব্যাপারে লাভ-অলাভের প্রশ্ন করে। তাদের বর্বর আইন অনুযায়ীই তারা কাজটা করেছে। এটা বলা যায় অবশ্য, যে সৌদি যুবরাজ বা আমেরিকানদের ক্ষেত্রে হঠাৎ সে আইনের প্রয়োগ বন্ধ হয়ে যায়।
ধ্রুপদী অথরোটেরিয়ান চিন্তা। সাইফুল ইসলাম কি “বাংলাদেশ”? বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কি করা উচিত সেটাও আলোচনার বিষয়, কিন্তু ব্লগে ব্যক্তিগত প্রতিবাদ জানানোর আগে নিজেকে “বাংলাদেশ” নামক মেশিনের একটি ঘূর্ণায়মান বল্টু ভেবে নিয়ে প্রতিবাদ করতে হবে?
আপনার আসল যুক্তিটা অবশেষে পাওয়া গেল। ঠিক আছে, যুক্তিটা অন্তত সিরিয়াস একটা যুক্তি — আমরা দরিদ্র, আমাদের এসব মেনে নিয়েই চলতে হবে। ভাল, কিন্তু আগে আইন-ফাইন নিয়ে যা বলেছেন সেটা একটা অসৎ সার্কাস হিসেবে আবার প্রমাণিত হল। ওটা সৌদিদের আইন কিনা, ওরা আসলে নির্দোষ ছিল কিনা, এসবই অবান্তর আপনার কাছে। আমাদের দারিদ্রই যদি গলা-কাটা মেনে নেয়ার যুক্তি হয়, তাহলে সম্পূর্ণ নির্দোষ আটজন বাংলাদেশীকে সৌদি আইন ভঙ্গ করে সৌদিরা সিদ্ধ করে মারলেও সেটা ফাইন। কাম অন, খুলে বলুন মনের কথাটা।
ধন্যবাদ রৌরব। (Y)
আমিও লিখব ভাবছিলাম, কিন্তু মনে হয় না ফারুক সাহেবকে আর কোন কিছু বোঝানো সম্ভব। ফারুক সাহেব দাবী করেন তিনি মন্তব্য করতে গিয়ে কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন না, ভদ্রভাবে কথা বলেন ইত্যাদি। এটা আসলে উনার ইসলাম ‘শান্তির ধর্ম’ বলার মতোই মতোই এক ধরণের মিথ। দেখুন, তিনি মন্তব্য শুরুই করেছেন এই বলে –
উনি ভেবছেন কাউকে ‘জড় বুদ্ধী’সম্পন্ন, ‘বদ্ধমনা’ এগুলো বললেই তর্কে জিতে যাওয়া যায়। উনি বুঝতে পারন না যে, এর চেয়েও ততোধিক ব্যক্তি আক্রমণ আমরা উনার উপর করতে পারি। কিন্তু সেগুলোতে না হয় না যাই এখন।
মৃত্যুদণ্ডের বিধান বহু দেশে আছে সত্য, কিন্তু সেটা দীর্ঘমেয়াদী বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়। এমন তো নয় যে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করে মুরগি জবাইয়ের মত মাঠে নিয়ে কল্লা ফেলে দেয়া হয়, আত্মপক্ষ সমর্থনের নূন্যতম সুযোগ দেয়া হয় না। আটজন মানুষকে সারিবদ্ধ করে বসিয়ে গলা ফেলে দেয়া হল, আর চারপাশের মানুষেরা তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করলো আর জয়ধ্বনি করলো -এইটা যদি ফারুক সাহেবের কাছে ‘গ্রহণযোগ্য’ পদ্ধতি হয়, আর তার নিরিখে গনতান্ত্রিক বিশ্বের মৃত্যুদণ্ডের বিধানের সমালোচনা করেন, তবে সেটা নিয়ে আসলেই বলার কিছু নেই।
আর তা ছাড়া আমি উনাকে রেফারেন্স দিয়েই সৌদি সিস্টেমের দ্বিচারিতা দেখিয়েছি। সাদা চামড়ার পশ্চিমাদের যে সৌদি আইন কেশাগ্র স্পর্শ করতে পারে না, তা ব্রিটিশ আমেরিকানদের ক্ষেত্রে দেওয়া উদাহরণগুলোই প্রমাণ। উনাকে আমি বলেছিলাম ব্রিটিশ আমেরিকানদের কল্লা ফেলার কিছু সাম্প্রতিক নমুনা জাজির করতে, উনি পারেননি। এমননি ভারতীয়ের কল্লা ফেলার যে নিউজটি তিনি দিয়েছেন সেটাও ২০০৫ সালের পুরোন। উনাকে আমি বলেছিলাম ২০১০ সালের চুক্তির পর এমনকি ভারতীয়দেরও এভাবে কল্লা ফেলা যায় না। উনাকে বলেছিলাম ২০১০ সালের পর ভারতীয়দের এভাবে কল্লা ফেলার রেফারেন্স হাজির করতে। উনি পারেননি। উনি পারেননি বলতে কেন অজস্র বেলাল্লাপনা, হারেমপোষা, গৃহপরিচিকার উপর অত্যাচার, সমকামিতা যুগল খুন এগুলো করেও কল্লা হারাননি আরবীয় শেখের দল, কিন্তু ‘উপযুক্ত’ বিচারের ক্ষেত্রটি কেবল থাকবে বাংলাদেশ সোমালিয়ার মত দেশের হতভাগ্য আর দরিদ্র শ্রমিকদের ঘারেই। আর আমার এ সব বক্তব্য খণ্ডণ না করে উনি গালিগালাজ প্রয়োগ করে উৎরে যেতে চেয়েছেন।
তো অভিযোগ করেই আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে মাঠে বসিয়ে কোরবানি করে দিলে কি ভাবে প্রমাণ করা যাবে যে ‘নিশ্চিতভাবে নির্দোষ’ কিনা? কাটা কল্লা তো আর জোরা লাগবে না। এমন তো নয় যে এই শ্রমিকেরা কোন আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ পেয়েছিল, কিংবা তাদের মতামত প্রকাশ করা সুযোগ পেয়েছিল। এমনকি যে ঘটনাটির প্রেক্ষাপটে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে, সেটাও বিতর্কিত। খোদ মিশরের পত্রিকাই লিখেছে –
…According to reports, the Egyptian man was killed during a clash between the Bangladeshi workers and a group of men who allegedly were stealing electric cable from a building complex where the Bangladeshis worked….
অর্থাৎ এখানে বাংলাদেশি শ্রমিকেরা যে জায়গাতে কাজ করতো সেখানেই বহিরাগতরা চুরির চেষ্টা করলে অরাজগতার মাঝে এই ঘটনা ঘটে। এখন সত্যই যদি শ্রমিকেরা নির্দোষ হন, তবে সেটাতো আর সেই কিসাস মানে ‘কেবলমাত্র নিহতের পরিবার এ দণ্ড ক্ষমা করতে পারে’ বলে পার পাওয়া যায় না। এটা মধ্যযুগীয় ব্যবস্থা। সেজন্যই এমেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল শুধু নয়, জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনার সহ বহু মানবাধিকার সংগঠনই হতাশা প্রকাশ করেছেন, এখনো করছেন।
দেশের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে বলার কিছু ছিলো না, যদি না সবাইকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হত। সেটা না করে সাদা চামড়ার পশ্চিমাদের বেলায় লোল ফেলা, শেখদের বেলাল্লাপনার ব্যাপারে উদাসিন থাকা, আর বাংলাদেশ সোমালিয়ার শ্রমিকদের ধরে ধরে কল্লা ফেলার মতো বৈষম্যমূলক নীতি বলবৎ থাকলে তো প্রশ্ন উঠবেই।
আর তাছাড়া সব সময় ‘একটি দেশের বিচার ব্যাবস্থা’র উপর আস্থা স্থাপন করার কথা বলে বর্বরতাকে এড়িয়ে যাওয়া কোন কাজের কথা নয়। ফারুকের কথা সত্য হলে ভারতবর্ষ থেকে সতীদাহ দূর করারও দরকার ছিলো না, বরং পশ্চিমা সহ সবার উচিৎ ছিলো সেদেশের বিচার ব্যাবস্থা, রীতি নীতি এগুলো মেন চলা, কী বলেন? দেশের বিচার ব্যবস্থা আছে সত্য, কিন্তু সেটি পৃথিবীর যুগের অগ্রগতির তুলনায় স্থবির, বর্বর এবং পশ্চাৎপদ হলে সেটা নিয়েও অবধারিতভাবেই প্রশ্ন উঠবে। সতিদাহ নিয়ে যেমন একসময় প্রশ্ন উঠেছিল সঙ্গত কারণেই, ঠিক তেমনি আজকের বিশ্বে প্রশ্ন উঠেছে ইসলামি বিশ্বে বেশরিয়তী কাজের জন্য মেয়েদের পাথর ছুঁড়ে হত্যা, চুরির জন্য হাত কেটে ফেলা কিংবা খোলামাঠে বর্বরের মতো জবাই করার নিয়মের ক্ষেত্রে। মাল্টিকালচারালিজমের ছেদো কথা আউড়ে এই অপব্যবস্থাগুলোকে বৈধতা দিতে যতই চেষ্টা করা হোক, বর্বরতা আসলে বর্বরতাই।
এর উত্তর কিন্তু রৌরবই দিয়েছে। আমার আর খুব বেশি বলার নেই। শ্রমিকরা আরবে কাজ করছে, সেজন্য সেই দেশের বর্বর আইনের সমালোচনা করা যাবে না- এই যদি হয় মহার্ঘ যুক্তি – তবে আমার কথা হল, ফারুক সাহেবের তাহলে আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদেরও সমালোচনা করার অধিকার নেই, কারণ বহু বাংলাদেশীই তো আমেরিকায় এসে খুঁটি গেড়েছে, বড় বা ছোট জায়গায় চাকরি বাকরি করছে, কেউ বা আবার নিউইয়র্কে ট্যাক্সি চালাচ্ছে, কিংবা ক্লিনারের কাজ করছে। তো সেজন্য আমেরিকার সমালোচনা যদি আমি ফারুক সাহেবকে বাদ দিতে বলি – উনি কি শুনবেন? আসলে অভিভাসীদের কথা ভাবলে আমেরিকা কানাডা ব্রিটেন কারোই সমালোচনা করার অধিকার আমাদের নেই। কেবল আরবের ক্ষেত্রেই ভিন্ন নিয়ম হবে কেন? আসলে অন্যায়কে ডিফেন্ড করার মতো ছুতা খুঁজে পেতে কারো কারো কখনোই কোন সমস্যা হয় না মনে হয়।
@অভিজিৎ,
যখন এই পোস্টেই আমার নাম ধরেই “চিন্তা করবেন না, আপনার জন্মস্থান নিয়ে কারো ধারনা ছিলনা বলে সবাই আপনাকে ভুল বুঝেছে। এখন ব্যাপারটা ক্লিয়ার। আপনার জন্ম বাঙলাদেশের জন্মের আগে হলে আপনার পিতা কোন পাকিস্তানি জেনারেল আর পরে হলে কোন আরব শেখ” এমন মন্তব্য করা হয় তখন তো আপনাদের চোখ এড়িয়ে যায়, তো এদেরকে কিভাবে মুক্তমনা বলা যায় ? পাগলকে পাগল বল্লে যদি গালি দেয়া হয় , তাহলে জড়বুদ্ধী’সম্পন্ন, ‘বদ্ধমনা’ কে
জড়বুদ্ধী’সম্পন্ন, ‘বদ্ধমনা’ বলার দায়ে আমি অবশ্যই দায়ী। তবু তো আমি কারো নামোল্লেখ করে ব্যাক্তিগত আক্রমন করিনি।
দেখুন , আমাদের দৃষ্টিভঙ্গীতে এতই পার্থক্য যে একমত হওয়া প্রায় অসম্ভব। আপনার যা বলার বলেছেন , আমার যা বলার বলেছি। এর মিমাংসা হওয়ার নয়। পাঠকদের সামনে আমরা একটা বিষয়ের ভিন্ন ভিন্ন দিক তুলে ধরেছি এটাই কি যথেষ্ঠ নয়? শুধু একটাই অনুরোধ আপনাদের সাইটটাকে ব্যাক্তি আক্রমন মুক্ত রাখতে নিরপেক্ষ হোন। আমি আপনাকে কথা দিতে পারি কখনোই আমার পক্ষ হতে ব্যাক্তি আক্রমন হবে না। মতের অমিল থাকলে ও আসুন প্রতিপক্ষের সাথে সদ্ভাব বজায় রাখি।
শেষ কিছু বলে এই পোস্ট থেকে বিদায় নেব , কারন যা বলার তা মনে হয় বলে ফেলেছি;
একটু গুগলিং করলাম সৌদি বিচার ব্যাবস্থা নিয়ে। তাতে যা দেখলাম , তাতে মনে হয় না কাউকে ইচ্ছা করলাম আর মাথা কেটে ফেল্লাম , এমনটা ঘটে থাকে। জানুয়ারি ২০১০ যে এমেন্ডমেনট হয়েছে –
According to the amendment, death sentence shall be executed only with a unanimous decision of the judges. At present, death sentence can be awarded with a decision of the majority of judges.
The amendment says that any verdict issued by a lower court awarding death sentence or severing of hands or similar punishments shall not be executed without a verdict of the Supreme Court, upholding it. অর্থাৎ লোয়ার কোর্টের কোন মৃত্যুদন্ডের রায় সুপ্রিম কোর্টের সকল জাজের সর্বসম্মত অনুমোদন লাগবে। http://gulfnews.com/news/gulf/saudi-arabia/saudi-arabia-death-sentence-law-amended-1.566667 আপনার কি মনে হয় এই আট বাঙ্গালীর রায় দেয়ার সময় , সকল জাজই রেসিস্ট ছিল?
আর একটি ভুল ধারনা দেয়া হচ্ছে , এদের আত্মপক্ষ সমর্থন করতে দেয়া হয় নি। কথাটা যে ভুল ছিল তা গতকালের সৌদীদূতের বক্তব্যে উঠে এসেছে। বিচারের সময় দোভাষী ছিল , আমাদের দূতাবাসের রিপ্রেজেন্টেটিভ ছিল। এছাড়াও গত ৪ বছর ধরে আমাদের দূতাবাস কতৃক ব্লাডমানি দিয়ে দন্ড মওকুফের চেষ্টা ও ছিল। এমন না যে রায় হলো আর মাথা কাটা গেল।
@ফারুক,
আসামী পক্ষের কোন উকিল ছিল কি? খালি দোভাষী থাকলেই কি আত্নপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হলো? জনসমক্ষে কেন মানুষ জবাই করা হয়? কেন তাদের লাশও ফেরত দেয়া হয়না? আমার ত মনে হয় লাশগুলো ওরা বিক্রি করে ফেলে। সব মৃত্যুদণ্ড প্রপ্ত আসামীদের জমিয়ে রেখে ত কোরবনী উপলক্ষেও জবাই করতে পারে!
@তামান্না ঝুমু, ভাবনায় ফেলে দিলেন আপু। সত্যি তো, মানুষকে যদি শিরচ্ছেদ করা যায়,বোমা মেরে মারা যায় তবে সোজাসুজি, আল্লাহপাকের নামে কোরবানি দেয়া যাবে না কেন!!
@ফারুক,
আপনার অকৃত্রিম সৌদি প্রেম দেখে কেউ যদি আপনাকে সৌদিজাত ভেবে থাকে তাহলেই বা দোষ হবে কেন?
ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন, এটাই বড় কথা। আপনার মত একজন সত্যানুসন্ধানী, ন্যায় প্রতিষ্ঠাকারী আল্লাহ-র হ্যাঙ্গিং জাজ এর কাছ থেকে, এটা আমরা আশা করি না।
আপনার গুগলিং এ শুধু দেখি সৌদিদের সম্পর্কে ভালো ভালো জিনিস বের হয়, আর বাংলাদেশিদের সম্পর্কে সব খারাপ। গুগল করতে হবে না, এ্যামনেস্টির এই রিপোর্টটা পড়ুন। দেখবেন যে যার খুশি তার কল্লাই কেটে নেয় তারা বিচারের নামের প্রহসন করে। ব্যতিক্রম হচ্ছে শক্তিশালী দেশসমূহ। তাদেরকে আবার সৌদি বর্বররা খুব ভয় পায়।
এ্যামনেস্টির ভাষ্য অনুযায়ী বিচারকার্য পরিচালনা করা হয় আরবিতে এবং বেশিরভাগ সময়েই অভিযুক্তের পক্ষে কোনো আইনজীবি থাকে না। এমনকি বিচারে কী হচ্ছে সেটাও অভিযুক্তকে জানানো হয় না বেশিরভাগ সময়ে।
Defendants often have no defence lawyer and are unable to follow court proceedings in Arabic. They are also rarely allowed formal representation by a lawyer, and in many cases are not informed of the progress of legal proceedings against them.
এই বিচারের বেশিরভাগেরই রায় দেওয়া হয় আসামীর স্বীকারোক্তির উপর ভিত্তি করে। এই স্বীকারোক্তিও আবার আদায় করা হয় অত্যাচার-নির্যাতনের মাধ্যমে।
সৌদি রাষ্ট্রদূত যেহেতু বলেছেন, কাজেই এটাতো সত্য হবেই। এর বিপরীত চিন্তা করে কার সাধ্য। আপনি যার দোহাই দিয়ে মেনে নিচ্ছেন যে বিচার সুষ্ঠু হয়েছে, সেই তিনি কিন্তু আরেকটা কথাও বলেছেন। বলেছেন যে, এই বিচারে তাঁদের কিছু করার ছিল না। কারণ, আল্লাহ-র আইনকে বাস্তবায়ন করছেন তাঁরা। অথচ আপনি এখানে তর্কের পর তর্ক করে গেছেন এই হত্যাকাণ্ডের সাথে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই বলে।
হাচা কথা। সৌদিপ্রীতি, ইসলামপ্রেম আর বাংলাদেশ বিদ্বেষ যা দেখানোর তা দেখিয়ে ফেলেছেন। পূন্যভূমিতে যদি কখনো যান, তার পবিত্র মাটিতে চুমু খেতে ভুলেন না যেন। আটজন খুনি বাঙালির প্রকাশ্য শিরোচ্ছেদ করে যে মহৎ কাজ সৌদি আরব করেছে, তার জন্য এটা তার প্রাপ্য।
@ফরিদ আহমেদ,নাহ , আপনি পণ করেছেন আমাকে সহজে ছাড়বেন না। কি আর করা। আপনার এই মন্তব্যের ভুলগুলো অন্তত দেখিয়ে দেই। পাশ না কাটিয়ে ও নিজের কল্পনাকে সত্য না না ভেবে আশা করি প্রমাণসহ উত্তর দিবেন-
১)আমার মন্তব্যের কোথায় বলেছি , সৌদীরা যা করেছে ঠিক করেছে বা তাদের বিচার ব্যাবস্থ্যা অতুলনীয় শ্রেষ্ঠ , কোন ভুল হয় নি? প্লিজ আমার মন্তব্যগুলো থেকে কোট করুন। আমেরিকা বা কানাডার প্রসংশা করলে কি তাদের আমেরিকাজাত বা কানাডাজাত বলা যাবে?
২) এই পোস্টে সৌদী বিচার নিয়ে আলাপ হচ্ছে , পাকিস্তান নিয়ে তো কোন কথাই হয় নি। সেখানে পাকিজাত কিভাবে আসে?
ব্যাক্তিগত আক্রমনের সংজ্ঞা নুতন করে শিখলাম। ধন্যবাদ। তবে এই সংজ্ঞা আর কাউরে বলেন না।
এমনেস্টির বক্তব্য নিয়ে কিছু বলব না , যদিও বলার আছে অনেক কিছু। আমরা এখানে আলোচনা করছি আট বাঙালীর বিচার নিয়ে। দেখতে পাচ্ছি সেখানে দোভাষী ছিল , বাংলাদেশের দূতাবাসের রিপ্রেজেন্টেটিভ ছিল এবং বাংলাদেশের হাইকোর্টে করা রীটের শুনানীতে দেখলাম বলা হয়েছে , দূতাবাস কতৃক আইনী সহায়তা ও দেয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশ সরকার বা দূতাবাস কাউকে তো দেখলাম না সৌদী দূতের বক্তব্যের প্রতিবাদ করতে। তা এরাও কী ভয় পাইছে প্রতিবাদ করতে , এটাই বলতে চান।
প্রেম প্রীতি ভালবাসা আপনার কাছে থেকে নউতন করে শিখতে হবে। তথ্য বিকৃত করে সত্য প্রকাশ করা যায় না। তর্কে জেতা বড় কিছু না। শুধু তর্কেই নয় জীবণের সর্বক্ষেত্রে সৎ হওয়ার চেষ্টা করুন। You can not fool all the people all the time.
@ফারুক,
ঠিক ধরেছেন। আসলেই পণ করেছি আপনাকে আমি ছাড়বো না। আটজন দরিদ্র বাঙালি প্রহসনের এক বিচারের মাধ্যমে মধ্যযুগীয় বর্বরতার শিকার হয়ে প্রকাশ্যস্থানে পৈশাচিক বীভৎসতায় প্রাণ হারিয়েছে। তার শোক করছি আমরা, প্রতিবাদ করছি আমরা। তার মাঝখানে এসে ইসলাম প্রেমে অন্ধ আপনি সেই হত্যাকাণ্ডকে বৈধতা দিচ্ছেন, ন্যায়পরায়নতার নামে চরম নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন করছেন। সেই সাথে বাংলাদেশিরা চোর ছ্যাচ্চড় প্রমাণ করে ছাড়ছেন, তাদের কর্মকাণ্ডে আপনার মাথা হেট হয়ে যাচ্ছে বলে প্রলাপ বকে যাচ্ছেন। এরকম একজন কট্টর বাংলাদেশ বিদ্বেষী ব্যক্তিকে সহজে ছাড় দেওয়াটা আমার কর্ম নয়।
এইতো সঠিক রাস্তায় আসছেন। সৌদিরা কোথায় তাদের বিচারে ভুল করেছে, সেটা আগে আপনার মন্তব্য থেকে কোট করে দেখান। আর আপনি যদি স্বীকার করেই থাকেন যে সৌদিরা এই বিচারে ভুল করেছে, তাহলে আপনি এই হত্যাকাণ্ডের স্বপক্ষে এতো সাফাই গাইছেন কেন? ভুল বিচারে আটজন মানুষ মারা গেলেতো তার নিন্দা করারই কথা। নাকি নিন্দাও করেছেন। শুধু আমরাই দেখি নি।
প্রশংসা করা আর প্রেমান্ধ হওয়া এক জিনিস নয়। আপনি এখানে সৌদি আরবের প্রতি আপনার অন্ধ প্রেম ভালবাসা প্রদর্শন করছেন। এরকম অন্ধ প্রেম ভালবাসা কেউ যদি আমেরিকা, কানাডার প্রতি প্রদর্শন করে তবে তাদেরকেও আমেরিকাজাত বা কানাডাজাত বলাতে আমি অন্তত কোনো আপত্তি দেখি না।
সৌদি বিচার নিয়ে আলোচনা করতে গেলে বাংলাদেশিরা জাতি হিসাবে কত বড় চোর ছ্যাচ্চড়, তারা নিজেরাই যে কত কত মানুষকে বিনা বিচারে হত্যা করে, এই আলোচনা যদি আসতে পারে, সেক্ষেত্রে পাকিস্তানের বিষয়ে আপনার আপত্তিটা ধোপে টেকে না। তাছাড়া জানেনইতো, সৌদি আর পাকি মূলত একই বৃন্তের দুটো ফুল। কান টানলে যেমন মাথা আসে, তেমনি সৌদিদের নিয়ে আলোচনা করতে গেলে পাকিরাও এসে যায়।
কেন এমনেস্টির বক্তব্য নিয়ে আলোচনা করবেন না? তারা কি আট বাঙালির বিচার বাদ দিয়ে অপ্রাসঙ্গিক কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে? আট বাঙালির বিচার নিয়ে আলোচনা করতে গেলেতো সবচেয়ে আগে এমনেস্টির রিপোর্টটাই আসার কথা। তাই নয় কি? নাকি সৌদিদের সমালোচনা করেছে বলে আপনার এই মৌনতা? তারা যদি বলতো যে বিচার সুষ্ঠু হয়েছে তাহলে নিশ্চয়ই এমনেস্টিকে নিয়ে আলোচনা করতে আপনার কোনো আপত্তি থাকতো না, তাই না?
বিচারের ঠিক কোন পর্যায়ে ছিলো আর কী মাত্রায় ছিলো সেটা আগে একটু খোঁজখবর নিয়ে জেনে নিন। আমি যদ্দুর জানি রায় বের হবার পরেই বাংলাদেশ দূতাবাস এতে জড়িত হয়েছে, বিচারকার্যের সময়ে নয়। আর বিপদাপন্ন কোনো বাংলাদেশিকে রক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলো কতখানি আন্তরিকতা নিয়ে, কতটুকু শক্তি নিয়ে এগিয়ে আসে, সে বিষয়টা বাইরে যারা আছে তারা খুব ভালো করেই জানে। এখন যে গা বাঁচানোর জন্য তাঁরা সবরকম সাহায্যে এগিয়ে এসেছিল, এইসব বানোয়াট কথা বলছে না, তারই বা প্রমাণ কী?
হ্যাঁ, ভয় পাইছে সেটাই বলতে চাই। সাইফুলের এই প্রবন্ধের মূল বক্তব্যও তাই। বাংলাদেশ সরকারের কোনো শিশ্ন নেই। থাকলে ইন্দোনেশিয়ার মত এতক্ষণে পালটা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ছিলো। মিথ্যা বলার অপরাধে কানটা ধরে ওই জোব্বাধারি সৌদি বদমায়েশটাকে গুলিস্তানের মোড়ে নিয়ে জনতার মঞ্চে বিচার করে প্রকাশ্যে শিরোচ্ছেদ করে বলা উচিত ছিলো যে, আমাদের দেশের আইনে মিথ্যা বলার এটাই শাস্তি।
আহারে, কে কাকে হেদায়েত করে।
@ফরিদ আহমেদ,
(Y)
@ফরিদ আহমেদ, ভাইয়া সুন্দর জবাব। (Y)
@ফরিদ আহমেদ,
আপনাকে আমি আগেই বলেছি , আমি বাংলাদেশ বিদ্বেষী নই। কিন্তু আপনি মানার লোক নন। তাই ঠিক করেছি আমার কিছুটা পরিচয় আপনাকে দেয়া দরকার , তাহলে হয়তো বা আপনার বা আপনার সমর্থকদের ভুল ভাঙ্গতে পারে। না ভাঙলেও ক্ষতি নেই। কারন বাংলাদেশ থেকে প্রতিদানে কিছুই চাইনা। ইচ্ছা আছে অবসর জীবণে দেশে কাটাই এবং মৃত্যু ও যেন আমার দেশেই হয়। সেকারনেই চাই , আমাদের দেশটাতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক , নিরাপদ হোক।
জীবণের বেশিরভাগ সময় বিদেশে বিভিন্ন দেশে কাটিয়েছি , এখনো মধ্যপ্রাচ্যের একটা দেশে (সৌদি আরবে নয়) কাজ করে খাই। ছেলেরা কানাডা সেটেল্ড। তারা দেশে ফিরবে না। আমার কোন মেয়ে নেই। দেশে কর্মসংস্থানের জন্য পার্টনারশিপে কিছু ইনভেস্ট করেছি। কর্মী সংখ্যা ১০০ র উপরে। লাভের টাকা বিদেশে নেই না , দেশেই জনহিতকর কাজে খরচ করি। প্র্তি বছর নিজের বেতন থেকে ১০-১২ লাখ টাকা দেশে পাঠাই যাকাত ও দান হিসাবে , আমার এলাকার গরিব মানুষের মাঝে ব্যায় করি। অনেক ফ্যামিলিকে মাসোহারা হিসাবে ও টাকা দেই। গত দুই বণ্যায় বণ্যা দূর্গত এলাকায় বন্ধুদের মাধ্যমে ১২ টা বাড়ি বানানোর টাকা দিয়েছি। কাশ্মিরে ভুমিকম্পে টাকা দিয়েছি , পাকিস্তানের বণ্যাতে ও সাহায্য করেছি , লেবাণনের যুদ্ধবিদ্ধস্ত এলাকাতেও সামর্থ মতো টাকা দিয়েছি। এর পরে ও যদি কট্টর বাংলাদেশ বিদ্বেষী বলেন , তাহলে বলার কিছু নেই।
@ফারুক,
পাকি, সৌদি আপনাকে বলেছি আমি। লাইনে আসেন, আমাকে জিজ্ঞেস করেন কেন বলেছি। শুধুশুধু অভি দা আর ফরিদ ভাইকে ঘাটানো কেন?
আপনি যেকারনে ঐ বাঙালি হতভাগা যুবকগুলোকে খুনি বলেছেন, আমিও সে কারনেই আপনাকে পাকি সৌদি বলেছি। এখন বলেন খুনি বলার কারন কী?
আপনি আপনার কারন পরিষ্কার করেন আর আমি আমারটা। মামলা ফিনিস।
@ফারুক,
ধর্মীয় মৌলবাদীরাতো ধর্মীয় সহানুভূতি আদায় করে আপনি তো তার ত্থেকেও এক কাঠি উপরে। ধর্ম দ্বারা পরিচালিত একটি পৈশাচিক হত্যাকান্ডকে সমর্থন করে যাচ্ছেন।।
আট বাংলাদেশী যে প্রকৃতপক্ষে খুন করেছে বা একটি খুন করতে আট বাংলাদেশীর প্রত্যক্ষ হাত ছিল বা ঐ মিশরীয় গার্ডকে হত্যা করারা জন্য আটজন বাংলাদেশীর প্রতিজনই যে লাইন দিয়ে হত্যার কাজ পরিচালনা করেছে এটা আপনি কি করে নিশ্চিত হলেন। আমাদের দেশে যখন যুদ্ধাপরাধিদের বিচারে বলা হয় বিচার যেন আন্তর্জাতিক মান অনুসারে হয় তখনতো কেউ এর বিরোধিতা করছেনা। কোন দেশ তার নিজস্ব প্রশ্নবিদ্ধ আইন দিয়ে কোন লোকের শাস্তির বিধান করবে, মৃত্যুদন্ড দিয়ে তাদেরকে প্রকাশ্যে শিরোচ্ছেদ করবে সেটা কোনভাবেই সভ্য সমাজ মেনে নিতে পারেনা। আর এই ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরো গুরুতর, কারন এখানে একটি ভিন্ন দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রে সেই আইন প্রয়োগ করা হয়েছে। আর সেই ভীন দেশের নাগরিক হিসাবে আমাদের মর্মব্যথা ও কস্ট সে কারনেই। এটা কোন সৌদি নাগরিকদের ক্ষেত্রে হলেও যথেষ্ট পিড়ার কারন, কিন্তু সেক্ষেত্রে আমাদের হয়ত করার বিশেষ কিছুই নেই যতক্ষন না সৌদি নাগরিক তা উপলব্দি করতে পারছে।
ওয়াহাবি বা সুন্নী যে ভার্ষানই হউকনা কেন সেটাতে কিছু যায় আসেনা, কথা হলো কোন এক ভার্ষানের ইসলামি আইন দিয়ে সৌদি আরবের রাস্ট্র পরিচালিত। সৌদির আইন যখন চুরি করার অপরাধে হাত কেটে দেয়, ব্যাভিচারের জন্য মেয়েদেরকে পাথর ছুড়ে হত্যা করে, নাগরিকদের ডিফেন্ড করার সুযোগ না দিয়ে জনসমক্ষে শিরোচ্ছেদ করে মৃত্যুদন্ড কার্য্যকর করে, সে ক্ষেত্রে সৌদির আইনের বিরোধীতা করা মানেই ইসলামি আই্নের বিরোধীতা করা যেটা ইসলাম প্রেমীরা ইসলামের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর কথা বলে বেড়াচ্ছে।
তা হলে আপনিও স্বীকার করছেন যে প্রশ্ন ওঠা উচিৎ ছিল লোক গুলা আদৌ দোষী ছিল কি না, আর সে ক্ষেত্রে আপনিও মেনে নিচ্ছেন যে ইসলামী আইন দ্বারা পরিচালিত দেশটিতে ইসলামী আইনে বিচার করে কিছু লোকের যে শিরোচ্ছেদ করা হলো সেই বিচারে প্রশ্ন তোলার অবকাশ আছে। কিন্ত এটাতো মানুষের জীবন, সেই বিচার প্রক্রিয়ায় যদি বিন্দুমাত্র ভুল থাকার সম্ভাবনা থাকে তাহলে বলা যায় কমপক্ষে একটি নিরাপরাধ লোককে প্রান দিতে হলো। আপনার কি একবারও মনে হয়না এই বিচার ব্যবস্থার প্রতি ধর্ম-মত নির্বিশেষে আপনার আমার সবারই সোচ্চার হওয়া দরকার যাতে আর কোনদিন কোন নিরপরাধ লোককে প্রান দিতে না হয়। কিন্তু তা না করে আপনারা ধর্মের মোহে পরে, ধর্মকে রক্ষা করার প্রচেষ্টায় মানবতা ও বিবেক বর্জিত কাজগুলির সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন, এটা খুবই দুখঃজনক এবং উদ্বেগের, আর আপনারাই কিন্তু ধর্ম নামক বস্তুটির বারোটা বাজিয়ে ধর্মের ক্ষতি সাধন করে চলছেন। আসলে ধুর্মের হাতে জিম্মি হয়ে আপনারা সাধারন বিচার বুদ্ধি করার মানসিকতা হারিয়ে ফেলেছেন।
@ফারুক,
উপরে রৌরবের সাথে আলোচনায় বেশ কিছু পয়েন্ট বলেছি। তারপরেও হয়তো আপনার মন গলবে না। একটা বিষয়ে আরেকটু বলি।
আপনি যেগুলো বলে সৌদিদের নিয়ম আইনকানুনকে উৎসাহভরে ডিফেন্ড করছেন, খোদ সৌদিরাই কি ব্যাপারটা মেনে চলে? আজকের সমকালে আবু সাইয়িদের প্রবন্ধটি পড়লাম –
কোনো সৌদি নাগরিক বিদেশে দণ্ডিত হলে সৌদি সরকার তাকে রক্ষার জন্য সর্বাত্মক কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে থাকে। এমনকি তাদের বিশ্বস্ত বশংবদদের বেলায়ও তাই। সাম্প্রতিককালে যেমন, অতীতেও তেমনি। ইতিহাসের পাতা খুললেই দেখা যাবে, ১৯৫৩ সালে পাকিস্তানে মুসলিম-অমুসলিম প্রশ্নে এক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় প্রায় ৫০ হাজার আহমদিয়া সম্প্রদায়ের অনুসারী নিহত হন। এ নিয়ে একটি ‘কোর্ট অব ইনকোয়ারি’ গঠিত হয়। তদন্ত সূত্রে প্রকাশিত আহমদিয়া সম্প্রদায়কে অমুসলিম ঘোষণার জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমউদ্দিনকে ২১ জানুয়ারি এক মাসের সময় দিয়ে আলটিমেটাম দেওয়া হয়; কিন্তু ২৭ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদ এই দাবি অগ্রাহ্য করলে জামায়াতে ইসলামীসহ কতিপয় ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক দল ‘ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ কর্মসূচি গ্রহণ করে এবং ব্যাপকভাবে জানমালের ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। সেনাবাহিনী তলব করা হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটি ৩ হাজার ৬০০ পৃষ্ঠার লিখিত বিবৃতি এবং ২ হাজার ৭০০ পৃষ্ঠার প্রমাণ গ্রথিত করে জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা আবুল আলা মওদুদীকে হত্যা, অগি্নসংযোগ, লুটপাট এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের মূল হোতা হিসেবে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে। নির্মম পরিহাস হলো, ওহাবি আন্দোলনের আদর্শের বিশ্বস্ত অনুসারী হিসেবে সৌদি আরবের কাছে তার অপরাধের গ্রহণযোগ্যতা নির্ণীত হয়নি। ‘শরিয়া আইন’ অনুসারে অবধারিত মৃত্যুদণ্ড প্রয়োগে সৌদি আরবের প্রবল বাধা ইতিহাসের পৃষ্ঠায় লিপিবদ্ধ আছে। সৌদি বাদশাহর অনুজ্ঞায় জামায়াতের শীর্ষ নেতা মওদুদীর দণ্ড মওকুফ করতে পাকিস্তান বাধ্য হয়। এ ঘটনা থেকে দুটি প্রতিপাদ্য বেরিয়ে আসে – এক. খোদ সোউদি আরবেরই ‘শরিয়া আইন’কে বাইপাস করা; দুই. অন্য রাষ্ট্রের আইন ও বিচারিক রায়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ। অথচ ভ্রাতৃপ্রতিম অন্য রাষ্ট্রের মানবিক অনুরোধ তাদের কাছে মূল্যহীন, যেমন প্রত্যাখ্যাত বাংলাদেশ।
কী বুঝলেন?
@ফারুক, একটা ছোটো প্রশ্ন করব আপনাকে, তা হল, আল্লাহপাকের জন্ম কি বাংলাদেশে, নাকি মুহাম্মদের হাত ধরে সউদি আরবে?তো সউদি আরবের সাথে ইসলাম কে মিশাবো নাতো কার সাথে মিশাতে বলেন?
মহিত,ফারুক,আশ্রাফুল মখলুকাত দের মত বাঙ্গালীদের জন্য একটা লেখা লিখা সাইফুলের জন্য Due হয়ে গেছে। আমি লিখতাম বানান ভুল এর দেয়াল এখনো ভাংতে পারি নাই।
### আচ্ছা লিখা বাংলায় লিখে পাঠালে দেখি মেইল খুললে লিখা উলট পালট হয়ে
যায়,লিখা পাঠাব কিভাবে?। ফরিদ আমাকে বলেছিলেন ফরিদের কাছে লিখা পাঠালে ঠিক ঠাক করে দেবেন। ফরিদ এর কাছেই বা কিভাবে পাঠাব?। মোহিত বেটা আবার শুধু বানান ভুল ধরে। আমি অভ্রই ব্যাবহার করি। কেউ কি জানাবেন যে কিভাবে বাংলা লিখা মেইল করলে তা প্রাপক সঠিক ভাবে পাবেন?। লিখা ভেঙ্গে যাবে না বা উলট পালট হবে না। অনেক সময় বানান ঠিক করার পরেও দেখি নিজে থেকেই আবার উলটা পালটা হয়ে গেছে। কারন কি?
@সপ্তক,
চৎকার লেখা সাইফুল :guli: :guli:
@স্বাধীন,
ধন্যবাদ স্বাধীন ভাই।
প্রকাশ্য শিরচ্ছেদের মত ভয়ঙ্কর ঘটনাকে যারা সাপোর্ট করে এমন সৌদি প্রেমিকদের পাছায় লাথ্থি দিয়ে সৌদি পাঠাইয়া দেয়া উচিত।
@হেলাল,
খাসা একখান কথা কইছেন। আমি চিন্তাই করতে পারিনা এরকম একটা ভয়ঙ্কর ঘটনা লোকের সমর্থন পায় কি করে! :guli: :guli: তাজ্জব হয়ে যাচ্ছি মানুষের মানসিকতা দেখে!
মোহিত বলে একজন ভদ্রলোক, অহেতুক এখানে ব্লগারদের সময় নষ্ট করছেন, যেখানে মৌলবাদি দের বিরুদ্ধে এই সময় এবং এনার্জিটা খরচ করা উচিত।
উনি পিটিশন মিটিং মিছিলের পক্ষে। ভাল কথা। এটা আশ্চর্য বিষয়, যে ঢাকাতে আমেরিকার মুন্ডপাত করে এত মিটিং মিছিল হয়, সৌদির বিরুদ্ধে কোন মিছিল, বিক্ষোভ নাই।
যুক্তির বিকল্প নেই। কিন্ত সেই যুক্তিকে লোকের কাছে পৌঁছতে লাগে আর্ট। সইফুল সেই চেষ্টা করেছে এবং সফল সেই ব্যাপারে। শিল্পর ক্ষেত্রে কুরুচি, সুরুচির প্রশ্ন অপ্রাসঙ্গিক- বক্তব্য ঠিক থাকলেই হল।
@বিপ্লব পাল, (Y)
@বিপ্লব পাল,
”মোহিত বলে একজন ভদ্রলোক, অহেতুক এখানে ব্লগারদের সময় নষ্ট করছেন, যেখানে মৌলবাদি দের বিরুদ্ধে এই সময় এবং এনার্জিটা খরচ করা উচিত।
উনি পিটিশন মিটিং মিছিলের পক্ষে। ভাল কথা। এটা আশ্চর্য বিষয়, যে ঢাকাতে আমেরিকার মুন্ডপাত করে এত মিটিং মিছিল হয়, সৌদির বিরুদ্ধে কোন মিছিল, বিক্ষোভ নাই।”
– প্রথম এবং দ্বিতীয় বাক্য পরস্পর বিরোধী হয়ে গেল তাই না ?
@বিপ্লব দা,
মোটেই আশ্চর্য না দাদা। প্রোগ্রামিং ক্লাশের টিচারকে জিজ্ঞেস করলাম এই ব্যাপারে তার মতামতের কথা জানতে। কী বলে জানেন? এমনেস্টি যে রিপোর্ট দিছে ঐটা ভুয়া কারন ঐটা নাকি আমেরিকান সংস্থা। সুতরাং আমেরিকা যা কইব ঐটাও নাকি ঐকথাই কইব। আর সৌদি নাকি সমগ্র মুসলমাদের লিডার। সুতরাং হেরা যা করব ঐটাই সঠিক। এই যদি হয় মানসিকতা তাইলে বলেন কিভাবে সৌদির এই কাজের বিরোধিতা করে?
@বিপ্লব পাল, (Y)
@বিপ্লব পাল, কারন টা দাদা আপনি জানেন। মুসলিমরা ভাই ভাই না? তাইত ভাইয়ের ভুল ভাই ক্ষমা করে দেয়।সত্যি কি সমাজে বাস করি আমরা। পৈশাচিক এক সমাজে।
@বিপ্লব পাল, সুন্দর লিখেছেন (Y)
ফেসবুকে দেখলাম একটা পেজে ছড়া লিখেছে। প্রাসঙ্গিক মনে হওয়ায় দিয়ে দিলাম।
উৎস : http://www.facebook.com/Critic4
বর্বর সৌদির শরিয়াহ এবং জামাত প্রেম বিডি নিউজ থেকে।
নবীজী (সাঃ) আয়েশা (রাঃ)কে ৯ বছর বয়সে বিয়ে করেন একটা উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে, ফুর্তি করার উদ্দেশ্যে নয়। ফুর্তি তো আপনি-আমি করি, আমাদের সাধ্য কোথায় নবীজীর(সাঃ) জীবনাচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলার। ইসলাম ধর্মের নাজুক সময়ে নবীজী (সাঃ) হযরত আবু বকরের (রঃ) সাথে তার সম্পর্ক সুদৃঢ় করার মাধ্যমে ইসলামকে শক্তিশালি করতে এই বিয়ে করেন। তাছাড়া ইসলাম ধর্মে একটা মেয়ের মাসিক শুরু হওয়ার পর থেকেই তাকে বিবাহযোগ্যা হিসেবে গণ্য করা হয়। আর আরব দেশে ৯ বছরেই একটা মেয়ে সাবালিকা হয়ে যায়। আমাদের দেশেও হয়। সাবালক-সাবালিকা হওয়ার সাথে সাথে বিয়ে দিলে ছেলে-মেয়েদের চারিত্রিক স্খলন ঘটার সুযোগ কম থাকে। অন্তত তাহলে ৯৯.৯৯ ভাগ ছেলে হস্তমৈথুনের দিকে ঝুঁকতো না। আমরা ইসলামের আইন মানিনা, ৩০ বছরের আগে পড়াশোনা শেষ করতে পারি না, চাকরি-বাকরি পাই না, তাই বিয়ে না করে হস্তমৈথুন করি (আমি কখনও করিনি, আল্লাহ্পাক আমাকে বাকী জীবনও হেফাজত করুন)। এর দায় আমাদের ইসলামের না। আপনি-আমি হয়তো সভ্যতা-আধুনিকতার লেবাস পরে মেয়েদের বিয়ের জন্য ১৮ বছরের একটা মানবসৃষ্ট আইন দাঁড় করিয়েছি, কিন্তু এতে করে আমরা যেনা, ব্যাভিচার কমাতে পারিনি। সাবালিকা হওয়ার সাথে সাথে বিয়ে হলে ব্যাপারগুলা হয়ত এ রকম হত না। যাহোক নবীজীর জীবনের প্রত্যেকটা কাজের পিছনেই কোন না কোন উদ্দেশ্য ছিল- হয় সেটা সময়ের প্রয়োজনে, নয়তো উম্মাতকে শিক্ষা এবং উদাহরণ দেয়ার উদ্দেশ্যে। আমার মনে হয় নবীজী এবং ইসলামকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করার স্পর্ধা প্রদর্শনের আগে ভাল করে ব্যাখ্যাটা জেনে নেয়া উচিত। জেনে রাখুন, ইসলাম পৃথিবীর সর্বোৎকৃষ্ট ধর্ম।
@আশরাফুল মাখলুকাত!,
একটা মেয়ের ‘মাসিক’ দিয়ে তার বোধ-বুদ্ধি-জ্ঞান-গম্যি, পছন্দ- অপছন্দ সব নির্ধারণ হয়ে যায়?
৯ বছর বয়সের একটি মেয়ের সাথে থাকার চেয়ে সারা জীবন হস্তমৈথুন করা খারাপ কেন?
@আশরাফুল মাখলুকাত!,
”তাছাড়া ইসলাম ধর্মে একটা মেয়ের মাসিক শুরু হওয়ার পর থেকেই তাকে বিবাহযোগ্যা হিসেবে গণ্য করা হয়। আর আরব দেশে ৯ বছরেই একটা মেয়ে সাবালিকা হয়ে যায়। আমাদের দেশেও হয়। সাবালক-সাবালিকা হওয়ার সাথে সাথে বিয়ে দিলে ছেলে-মেয়েদের চারিত্রিক স্খলন ঘটার সুযোগ কম থাকে। অন্তত তাহলে ৯৯.৯৯ ভাগ ছেলে হস্তমৈথুনের দিকে ঝুঁকতো না।”
– জনাব আশরাফুল মাখলুকাত। আপনি কী একটা ফেইক আইডি ? যদি তা না হয়ে থাকেন তাহলে আপনার প্রতি দুটো প্রশ্ন;
১। সাবালিকা এবং বিবাহযোগ্যা বলতে আপনি কী বোঝেন ? মানে একটা মেয়ের সাবালিকা এবং বিবাহযোগ্যা হওয়ার মনো দৈহিক বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী ?
২।আপনি কী আপনার ৯ বছরের মেয়েকে( যদি না থাকে তাহলে কল্পনা করে নিন) বিবাহ দিবেন না কী নিজে ৯ বছর বয়সের মেয়েকে বিবাহ করবেন ?
৩। চারিত্রিক স্খলন বলতে কী বোঝেন এবং হস্তমৈথুন করলে কী চারিত্র্যিক স্খলন ঘটে ?
@আশরাফুল মাখলুকাত!,
”আমরা ইসলামের আইন মানিনা, ৩০ বছরের আগে পড়াশোনা শেষ করতে পারি না, চাকরি-বাকরি পাই না, তাই বিয়ে না করে হস্তমৈথুন করি (আমি কখনও করিনি, আল্লাহ্পাক আমাকে বাকী জীবনও হেফাজত করুন)। এর দায় আমাদের ইসলামের না।”
– ৩০ বছরের আগে পড়াশোনা শেষ করতে না পারার সাথে ইসলাম মানা না মানার সাথে কী সম্পর্ক ? আর একজন অবিবাহিত যুবক যুবতীর প্রচন্ড যৌন চাপ কমানোর জন্য হস্ত মৈথুন একটি নির্দোষ পন্থা। এতে জেনা ব্যভিচার -এর দায় এড়ান যায় আবার অনাকাংখিত সন্তান জন্ম-দানের ঝুঁকিও নেই। হস্ত মৈথুনের মাধ্যমে অহোরাত্রির যৌন চাপ কমানোর উপায় ও যদি বন্ধ করে দেন তাহলে সে আর কী করবে বলুন তো ?
@আশরাফুল মাখলুকাত!,
” দুঃখ জনক যে আপনাকে নিয়ে লিখতে হলো। ইসলাম এবং মুসলিম নিয়ে কথা বলছেন ভাল।কিন্তু ২০১১ সালে দাঁড়িয়ে বাস্তবতা বর্জিত কথা বলে পানি আরো ঘোলা করলে তাতে ইসলামের এবং মুসলিমদের কোন লাভ নেই, এটা কী আপনি বুঝতে পারেন ?
@আশরাফুল মাখলুকাত!,
গোলা উত্তর দিয়েছেন ত :guru: আচ্ছা আপনার কি মনে হয়? কেন ১৮ বছর বিয়ের বয়স করা হয়েছে?? 😀
আর আরবে ৯ বছরে মেয়েদের বয়ঃ সন্ধি হয় এমন দুর্দান্ত তত্ত্ব বা তথ্যর উৎস কি? পৃথিবীর সব দেশেই এটা ১২-১৪ বছরের মধ্যে হয়। ৮-৯ বছরেও হতে পারে-তবে সেটা ব্যতিক্রম।
আর বিয়ের বয়স ১৮ বছর করা হয়েছে মেডিক্যাল সায়েন্সের কারনে। একজন মেয়ে যদি তার আগে সন্তান ধারন করে, তাহলে সেই সন্তান দুর্বল হতে পারে-মায়ের মৃত্যুও ঘটতে পারে-কারন ধরা হয় যে ঐ বয়সের আগে মা হওয়াটা সুস্বাথ্য সম্মত না।
আর হস্ত মৈথুন স্বাস্থ্যের জন্যে খারাপ কিছুই না। বরং না করাটাই অস্বাভাবিক।
পৃথিবী বিজ্ঞানের পথে আরো উন্নত জীবনের দিকে এগোচ্ছে। আর ধর্ম প্রান মুসলিমদের উত্তর দেখে পরিস্কার এরা বিজ্ঞানের শিক্ষা না নিয়ে আদিম আরবের শিম্পাঞ্জি হয়ে থাকতেই পছন্দ করে বেশী।
কালকেই একটা খবর দেখলাম। মুম্বাই সন্ত্রাসবাদের নায়ক কাসব নিজের প্রাণ ভিক্ষা করে জানিয়েছে আমার ব্রেইন ওয়াশ করা হয়েছিল। এই ধরনের ধর্মান্ধ যারা, তারা ত ইসলামের জন্যে যেকোন মুহুর্তে খুন করতে পারে। ধার্মিক এবং সন্ত্রাসবাদিদের মধ্যে পার্থক্য আগেও কম ছিল, এখনো তাই আছে।
@আশরাফুল মাখলুকাত!,
এই পোস্টে আয়েশা-মোহাম্মদের বিয়ে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে না। প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আলোচনাই কাম্য। তবুও আপনি যখন বিষয়টা তুললেন তখন কিছু কথা বলছি।
এই যুক্তি(?) বহুবার শুনেছি। হাস্যকর কথা। আবু বকর মোহাম্মদের একনিষ্ঠ অনুসারী ছিলেন। তার সব কথায় অন্ধভাবে বিশ্বাস করতেন। এমনকি মেরাজের ঘটনা শুনে যখন অনেক নব্য মুসলিম ইসলাম ত্যাগ করেছিল তখনও তিনি মোহাম্মদকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছিলেন। তার সাথে সম্পর্ক দৃঢ় করার জন্য তার ৯ বছরের মেয়েকে বিয়ে করতে হবে এমন কথা শুধু আপনাদের মত ইমানদার বান্দারাই বিশ্বাস করতে পারে। আবু বকরের মত অন্ধ ভক্তও কিন্তু মোহাম্মদের আয়েশাকে বিয়ে করার প্রস্তাবে এক কথায় রাজি হয়ে যাননি। প্রথমে মৃদু আপত্তি জানিয়েছিলেন। পরে মোহাম্মদ এক মিথ্যে স্বপ্নের কথা বলে তাকে এ বিয়েতে রাজি করান। একটা ৯ বছরের মেয়ের সাথে একটা ৫৩ বছরের বুড়োর sex করার দৃশ্য কল্পনা করুন তো। আমার তো রীতিমত অসুস্থ অনুভূতি হয়। ৯ বছর বয়সে একটা মেয়ের হেসে খেলে বেড়াবার কথা,তার বাপের বয়সী কোন লোককে বিছানায় আনন্দ দেবার কথা না।
হস্তমৈথুন করা কি খারাপ? কার কি ক্ষতি হয় এতে? হ্যাঁ, অতিরিক্ত করলে শারীরিক কিছু সমস্যা হতে পারে। এছাড়া ন্যায়-অন্যায়ের বিচারে এতে সমস্যা কোথায়? আজব মানুষ ভাই আপনারা ধার্মিকেরা। child abuse আপনাদের কাছে অন্যায় মনে হয় না অথচ হস্তমৈথুনের ব্যাপারে খড়গহস্ত হয়ে ওঠেন। ধর্ম মগজের সাথে সাথে মানুষের নৈতিকতাকেও পঙ্গু করে তোলে।
@আলোকের অভিযাত্রী,
:lotpot: 😀
@আশরাফুল মাখলুকাত!,
মোহাম্মদ প্রথম বিয়ে করেছিল ২৫ বছর বয়সে। বিয়ের আগে এত বছর কি সে হস্তমৈথুন করেছিল?
সে যাদেরকে বিয়ে করেছিল সেসব পরিবার ছাড়া আর কারো সাথে কি তার ভাল সম্পর্ক ছিলনা? সে যেসব কাজ করেছে সেসব কাজ করা সুন্নত। সে ত পড়াশোনা করেনি। তাই পড়াশোনা না করাও সুন্নত। তার উম্মতদের সে সুন্নত পালন না করে ৩০ বছর সময় নষ্ট করার কী দরকার?
@তামান্না ঝুমু,
ঠিক। আমিও কিছু যোগ করতে চাই।
* আশরাফুল মাখলুকাতের বাস ট্রাক, গাড়ি, রিক্সা, বাদ দিয়ে কেবল উটের পিঠে চড়ে ঘোরাঘুরি করা উচিৎ। যেহেতু মুহম্মদ বাস ট্রাক রিক্সায় চড়েননি, শুধু উটের পিঠেই চড়েছেন, তাই উনারও সুন্নত পালন করার জন্য সেটাই অনুসরণ করা উচিৎ।
* উনি উনার নিজের মেয়ে কিংবা বোন কিংবা আত্মীয়াকে পঞ্চাশোর্ধ এক ব্যক্তির সাথে বিয়ে দিতে পারেন তাদের বয়স ৬ বছর পেরুলেই।
* উনি নিজে পুত্রের স্ত্রীর সাথে পরকীয়া শুরু করতে পারেন সুন্নত পালন করা জন্য, মুহম্মদ যেমন করেছিলেন তার পালক পুত্র জায়েদের স্ত্রীর সাথে।
* উনি মালাউন কাফেরদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের গর্দানে আঘাত করতে পারেন, যুদ্ধবন্দি গৃহপরিচিকা দেখলেই মালে গনিমত আখ্যা দিয়ে সবাইকেই সম্ভোগ করতে পারেন ‘right-hand possession’ অনুযায়ী। সন্তান হয়ে যাবার ভয় থাকলে অবশ্য ‘আজল’ করিতে পারেন।
* উনি কাফেরদের আবিস্কৃত ইন্টারনেট ব্যবহার করে মুরতাদদের ব্লগে অনর্থক লেখালিখি আর মন্তব্য করার চেয়ে উটের পিঠে করে সূর্য যেই পঙ্কিল জলাশয়ে সত্যই অস্ত যায় তা খুঁজে বের করার জন্য এখনই রওনা দিতে পারেন।
আরো কিছু এ ধরণের সবক উনি এখানকার পাঠকদের থেকেও পেয়ে যাবেন শিগগিরই।
@অভিজিৎ,
সূর্য যেখানে গিয়ে সারারাত ক্রমাগত আল্লাহতালার সিজদায় রত থাকে; সে পঙ্কিল জলাশয়ে ডুব দিয়ে তিনি সূর্যের সাথে আল্লার এবাদতে মশগুল হতে পারেন।
ইন্টারনেট কাফেরগণ আবিষ্কার করলেও আবিষ্কারের সূত্রটি তারা ধার করেছে আল্লার কোরান থাকেই। কিন্তু অকৃতজ্ঞ মোনাফিকেরা সে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করবে কেন? নিশ্চয়ই আল্লাপাক সর্বজ্ঞ ও মহাবিজ্ঞানী।
@আশরাফুল মাখলুকাত!,
@আশরাফুল মাখলুকাত!,
“ইসলাম ধর্মের নাজুক সময়ে নবীজী (সাঃ) হযরত আবু বকরের (রঃ) সাথে তার সম্পর্ক সুদৃঢ় করার মাধ্যমে ইসলামকে শক্তিশালি করতে এই বিয়ে করেন। ”
সম্পর্ক সুদৃড় করার জন্য শুধু বিয়া আর বিয়া!!,কেন আল্লাহ ছিল না নবীর সাথে?। টাকার জন্য ১৫ বছরের খাদেজা কে বিয়া!!। বিয়া ছাড়া কিছু হয় না?। নবীজি ত যুদ্ধও করছিলেন ৭০ টার মত। তা যুদ্ধ না কইরা বিয়া কইরা যুদ্ধ গুলা এড়ানো যাইত না?
@সপ্তক,
“টাকার জন্য ১৫ বছরের খাদেজা কে বিয়া”
****৪০ বছর হবে। ২৫ বছর বয়সে নবীজি ৪০ বছরের খাদিজা কে বিবাহ করেন,সবাই জানে। তাও ঠিক করে দিলাম
@আশরাফুল মাখলুকাত!
ভালো তো। মোহম্মদ করলেই উদ্দেশ্য আর হুমায়ূন আহমেদ করলেই চরিত্র খারাপ। তার উপরে লেখক বিয়ে করেছিলেন সাবালক একজনকে। কৃষ্ণ করলে লীলা খেলা আর আমরা করলেই পাপ। হাহ ভগবান, উঠা লে মুঝে!!
টিপিক্যাল মুসলমানীয় বক্তব্য।
যদিও প্রথম ইসলাম গ্রহনকারী আবু বকর। যদিও ইসলামের জন্য সবচেয়ে বেশী ত্যাগ লোকেদের মধ্যে একজন আবুবকর। তারপরেও তার নাবালক মেয়েকে বিয়ে করে সম্পর্ক দৃঢ় করতে হয়েছিল। তাও না হয় বুঝলাম। কিন্তু ৯ বছর বয়সেই সেই সম্পর্ক আরো মজবুত করার জন্য তাকে নিয়ে বিছানায় যেতে হয়েছিল? এটা কী কারনে? জবাবটা একটু কষ্ট করে দিয়ে যেয়েন।
আপনি মেয়ে না ছেলে জানি না। আপনার নিজের মেয়েকে দেবেন ৬ বছরে বিয়ে? আপনার বোনকে দেবেন ৬ বছরে বিয়ে? (পার্ভার্ট যেন কাকে বলে??)
খাইছে চেয়েছিলাম শিশ্ন নিয়ে আর কিছু বলব না, বলিয়ে ছাড়বেন দেখছি। আমার শিশ্ন নিয়ে আমি কী করব সেটার জবাবদিহিতাও করতে হবে? হস্তমৈথুন খারাপ এই ধারনা আপনার কেন হল? উত্তরটা অবশ্য জানাই, ইসলাম বলেছে খারাপ এজন্য খারাপ।
এটা নিয়ে লেকচার দেয়া সম্ভব একটানা। সংক্ষেপে বলছি হস্তমৈথুন খারাপ তো নয়ই, এর ভালো দিকও আছে। যেমন একটা রিসার্চে দেখা গেছে, যারা নিয়মিত যেমন ধরেন পিউবার্টি লেভেল থেকে হস্তমৈথুন করে তাদের প্রোস্টেট ক্যান্সার হবার প্রবনতা যারা করে না তাদের থেকে ৩৩ভাগের মতন কম।
আর বাড়াচ্ছি না এখান থেকে দেখে নিন।
১৮ বছর বয়সের ব্যাপারটা বিপ্লব দা ভাল করে বুঝিয়ে দিয়েছেন। আমি আর নতুন কিছু বলতে চাই না।
কিন্তু ব্যাপার হল আপনি পোষ্টের বিষয়বস্তুর থেকে বেশ দূরে সরে এসে অন্য একটা প্রসংগ নিয়ে নাড়াচাড়া করছেন। ব্যাকরন স্যারের উপদেশ শুনুন কাযে লাগবেঃ
বাচ্চারা কারক বিভক্তি ভালোভাবে পড়বে। আর সমাসটাও। তবে লিঙ্গ নিয়ে বেশী নাড়াচাড়া করো না তাহলে ধাতু বের হয়ে যেতে পারে।
@সাইফুল ইসলাম,
হাল্কার মইদ্দে এউগা কতা কই,
মাসিকের বয়স শুরু হবার আগেও তো দেখি বিবাহ করা যায়, যদি না যেত তাহলে কোরানে এই আয়াত কেন?
কন, খাজুরহ্র্যামদু লিল-লাআহ
@আশরাফুল মাখলুকাত!,
ইসলাম যে একটা টোটালিটারিয়ান ব্যবস্থা, তার এর চেয়ে ভাল উদাহরণ হয় না। ৯ বছর বয়সী মেয়ের সাথে যৌনসম্পর্ক স্থাপন করাটা বৈধ কিনা, তার বিচারে আপনি টানছেন ইসলাম “সুদৃঢ়” ( 😀 ) হইল কি না হইল সেই কথা। কি বিভৎস যুক্তি।
@আশরাফুল মাখলুকাত!,
“(আমি কখনও করিনি, আল্লাহ্পাক আমাকে বাকী জীবনও হেফাজত করুন)”
কেন হস্তমইথুন করলে সমস্যা কি??
সৌদিতে আমাদের দেশি ভাইদের কার্যকলাপের কিছু নমুনা- এরা দলবদ্ধ ভাবে নিজেদের মধ্যে মারামারি করে , পানির বোতলে করে বাংলা মদ বিক্রি করে , ইন্দোনেশিয়ান মেয়েদের দিয়ে বাংলাদেশীরা দেহ ব্যবসা করে , চুরিও করে।
httpv://www.youtube.com/watch?v=JhfiQY2obzE&feature=player_embedded
httpv://www.youtube.com/watch?v=fGfBMxIERzQ&feature=related
@ফারুক,
মূল বিষয় থেকে সরে যাবার ক্ষেত্রে আপনি অতুলীয়।
জোত-জমি বিক্রি করে দেশিরা বুঝি এসব অপকর্ম করার জন্য সৌদিতে যায়? গাছের ডাল-পালা নিয়ে নাড়া করতে খুব আরাম, শেকড়টা ধরার চেষ্টা করুন। তাতে কিছুটা হলেও মানুষের গন্ধ পাওয়া যাবে।
@ফারুক,
আফসোস কী জানেন? আমাদের দেশের লোকেদের(আপনার জন্ম নিয়েই সন্দেহ তোলা যায় যদিও) মতন এমন আত্নসম্মানহীন জাতি আর নাই। নিজের দেশের আটজন লোক যেখানে অন্যায়ভাবে নিহত হল সেখানে তাদের প্রতি বিন্দুমাত্র সহানুভুতি না দেখিয়ে পাকি জারজদের মতন বাঙালিদের খারাপ দিকগুলো দেখাচ্ছেন। কিন্তু দেখাচ্ছেন না বাঙালিদের কিভাবে কুকুরের মতন ট্রিট করা হয় ওখানে। কিভাবে আপনার পিতার জন্মস্থান আরবে বাঙালিদের অমানুষিক পরিশ্রম করিয়ে মজুরী দেয়া হয় না। এসব আপনি বলবেন না কারন তাতে করে আপনার আরবি পিতাদের সত্য কথা বলা হয়ে যায়।
চিন্তা করবেন না, আপনার জন্মস্থান নিয়ে কারো ধারনা ছিলনা বলে সবাই আপনাকে ভুল বুঝেছে। এখন ব্যাপারটা ক্লিয়ার। আপনার জন্ম বাঙলাদেশের জন্মের আগে হলে আপনার পিতা কোন পাকিস্তানি জেনারেল আর পরে হলে কোন আরব শেখ। তা দাদা আগেই বলে দিতেন তাহলে আর আমাদের আপনাকে এত কথা বলা লাগত না। আমরা নিজেরাই বুঝে নিতাম কেন আপনার আরব প্রেম এত প্রখর।
@ফারুক, বাঙালীরা বাঙলা মদ বিক্রি করে, ইন্দোনেশিয়ান মেয়েদের দিয়ে দেহ ব্যাবসা করে। খুব খারাপ কথা। কিন্তু তদের কাস্টমার কারা? সেখানে তো আল্লার আইন। সে দেশ তো রীতিমত জান্নাতুল ফেরদৌস। সেখানে তারা এসবের ক্রেতা পায় কিভাবে?
@মুরশেদ,
আর কইয়েন না, অইহানে আফনে আর আমি যাই। যারা এই ব্যাবসা করে নিজেরাই নিজেগোর খদ্দের। ব্যাবসা টিকাইয়া রাখতে হইব না!!!!!!!
@ফারুক,
বাংলাদেশিরা ত খুবই খারাপ। তারা নিজের দেশে ত অপকর্ম করেই আবার পূণ্যভূমিতে গিয়েও অপকর্ম করে। ধরা পড়লে যে আল্লার মহান আইনে হাত কাটা বা জবাই করা হবে তার তোয়াক্কাই করেনা।
আপনি বাংলাদেশিদের অপকর্মের সাক্ষপ্রমাণ দিচ্ছেন, লিংক দিচ্ছেন ;পূণ্যভূমির অধিবাসীদেরও দুই একটা কুকার্যের লিংক দিচ্ছেন না কেন? তারা বিভিন্ন দেশ থেকে নিয়ে যাওয়া গৃহ পরিচারিকাদের সাথে কি করে সে সম্মন্ধে কিছু বলুন। অহ্ আমি ত ভুলেই গিয়েছিলাম, তা অবশ্য কোরানসিদ্ধ সওয়াবের কাজ। তা কোরান অনুমদিত কয়েকটি সওয়াবের কর্মেরই লিংক দিয়ে দিন না!
@ফারুক,
পঁচিশ লক্ষের মত বাংলাদেশি শুধু সৌদিতেই কাজ করে। এর মাঝে ১০% মানুষের কর্ম কাণ্ড আপত্তিজনক হতে পারে, স্থানিয় আইন এ তার বিচারও হতে পারে। কিন্তু বিচারটা ত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে হতে হবে না কি?। এই আট জনের মুণ্ডু কর্তনে , আত্মপক্ষ সমর্থন এর সুযোগ দেয়া হৈ নাই। মধ্য প্রাচ্যে বাংলাদেশিরা কাজ করছে প্রায় ৪০ বছরের মত। এতদিন সুনামের সাথে কাজ করার পর তাদের কারো কারো আচরন এমন হোল কেন?, জানার চেষ্টা করেছেন?।লাখ লাখ টাকা খরচ করে এরা ওখানে যান কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাদের বেতন ভাতা দেয়া হয় না, চুক্তি নবায়ন করা হয় না। যে অর্থ খরচ করে তারা যান তাই তুলতে পারেন না। আমরা যারা কানাডা,আমেরিকা,ইউরপে থাকি তিন বৎসর পর নাগরিকত্ত দেয়া হয়। আরব দেশে ৫০ বছর থাকার পরেও ঘাড় ধাক্কা দেয়া হয়। আরব্দের পক্ষে সাফাই গান আপনার লজ্জা করে না?। আপনার বাবা/দাদা কি এদের ঔরসে জন্মেছিল নাকি?
@ফারুক,
এরা পানির বোতলে বাংলা মদ বিক্রি করে! কী সর্বনাশ! সৌদিতে ত মদের নদী থাকার কথা সে পবিত্র নদীতে প্রবাহিত হবার কথা বেহেস্তের পবিত্র সুরা!
ইন্দোনেশিয়ার মেয়েদের সাথে ওরা দেহ ব্যবসা করে কেন? দাসী রাখার সামর্থ নেই বুঝি! তাহলে ত অন্তত কয়েকটা কাফের মেয়ে ধরে এনে গনীমতের হালাল মাল হিসেবেও ভোগ করতে পারে! পূন্যভূমিতে চুরি করে কেন ,আল্লার আইনে হাত কাটা যাবেনা! বোকা বাঙালি। তার জানেনা আল্লাপাক ন্যায় বিচারক।
আগে নিজের ঘর সামলান । অন্যের দোষ ধরার আগে , নিজেকে শুধরান।
Tuesday, 24 August 2010
Bangladesh death penalty dangerous, corrupt
BANGLADESH: Death penalty continues despite a flawed criminal justice system
FOR IMMEDIATE RELEASE
August 23, 2010
ALRC-CWS-15-02-2010
HUMAN RIGHTS COUNCIL
Fifteenth session, Agenda Item 4, General Debate
Rachel
04-17-2005, 11:08 PM
BANGLADESH:
Bangla court hands down death penalty to 22 in MP murder case
22 people were today awarded death penalty and 6 others life sentence by a special Bangladesh court for the assassination of a popular MP of the main Opposition Awami League.
Judge Shahed Nooruddin of the Speedy Trial Tribunal handed down the verdict in the Ahsanullah Master murder case in a crowded court room, court sources said, adding he acquitted 2 others implicated in the case.
Of the 28 convicts, 17 were on the run, but main accused Nurul Islam Sarker, who belonged to the youth front of the ruling Bangladesh Nationalist Party, was in the dock. He had earlier surrendered to the court.
Master, a popular Awami League MP, and a school boy were killed when about 20 gunmen sprayed bullets in nearby Tongi area in May last year.
http://www.prisontalk.com/forums/archive/index.php/t-119378.html
@ফারুক,
আপনার সমস্যাটা কী? এই সমস্ত লিংক তুলে কী প্রমাণ করতে চাইছেন? বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয় বলে সৌদি আরবের অকাম-কুকাম নিয়ে কথা বলা যাবে না? একটা অসুষ্ঠু বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে আটজন মানুষকে ভয়ংকরভাবে প্রকাশ্যে খুন করা হয়েছে। অথচ এর নিন্দা করার পরিবর্তে আপনি এর সাফাই গাইছেন। বাংলাদেশ কত খারাপ, বাংলাদেশিরা কত খারাপ সেটা প্রমাণ করার চেষ্টা করে চলেছেন। আপনিতো দেখছি ভয়ংকর রকমের একজন বাংলাদেশ হেটার। সেই সাথে মানসিকভাবেও অসুস্থ একজন মানুষ। আটজন দুর্ধর্ষ খুনিকে প্রকাশ্যে ফাঁসি দিলেও যে কোনো স্বাভাবিক মানুষেরই মন বিষন্ন থাকে। আর এই লোকগুলো আমাদের দেশের দরিদ্র মানুষ। এদের কোনো ক্রিমিন্যাল রেকর্ড নাই দেশে। কোন পরিস্থিতে তারা এতে জড়িয়েছে, তার কোনো কিছু না জেনেই, আপনি এদের প্রকাশ্য শিরোচ্ছেদের পক্ষে গলাবাজি করে যাচ্ছেন। খুবই দুঃখজনক। আপনার সাথে বিভিন্ন সময়ে তর্ক করেছি, কিন্তু সবসময়ই আপনাকে একজন ভদ্র এবং ভালো মানুষ হিসাবেই বিবেচনা করে এসেছি আমি। সেই জায়গাটাতে বিশাল একটা ধাক্কা খাচ্ছি আজকে। এতদিন আপনাকে যেরকম ভেবে এসেছিলাম তার সাথে আপনার এই বিভৎস মানসিকতা এবং বাংলাদেশি বিদ্বেষকে ঠিক মেলাতে পারছি না। ধর্ম কি মানুষকে এরকম পশু করে তোলে? জন্মস্থানের চেয়েও ভীনদেশকে আপন বলে মনে হয়? নিজের দেশের মানুষের চেয়েও অন্য দেশের মানুষের জন্য প্রাণ বেশি কাঁদে?
আপনি যেরকম লিংক তুলে দিয়েছেন, এরকম হাজারটা লিংক আমি তুলে দিতে পারবো সৌদি আরব সম্পর্কে। সেগুলো তুলে দিয়ে আপনার যুক্তির অনুসরণে হয়তো বলতেও পারবো যে, তোমাদের নিজেদের পশ্চাতদেশেই এত মল রেখে, অন্যের পশ্চাতদেশ শুকতে যাওয়ার কোনো অধিকারই নেই। আপনার এই যুক্তি মেনে তারা কি আটজন বাংলাদেশির বিচারকে বন্ধ করেছে? শাস্তি দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে? থাকে নি।
@ফরিদ আহমেদ,
আপনি ভুল করছেন। সৌদিআরবকে আমি ডিফেন্ড ও করছি না বা বাংলাদেশ হেটার ও নই। যেটা সত্য সেটাই তুলে ধরেছি। সত্য সবসময় তীতা।
সত্যবাদী মহাশয়, বাংলাদেশিদের মত এইবার সৌদিদের দুইচারটা অপকর্মের ভিডিও পোস্ট করুন। ওই যে ফিলিপিনো মেইড ধর্ষণ, উটের জকিতে নাবালক ব্যবহার ইত্যাদি ইত্যাদি। আমরা দেখি। না পারলে ধরে নেবো যে, সৌদিরা সব ফেরেস্তা আদমি। সত্যবাদী ফারুকই পারে নি কিছু বের করতে তাদের বিরুদ্ধে।
@ফরিদ আহমেদ, সৌদিরা খারাপ কি ভাল , তাতে আমার কিছু যায় আসে না। আমি সৌদিতে থাকি না বা তারা আমার জীবণে প্রত্যক্ষ কোন প্রভাব বিস্তার করে না। কিন্তু বাংলাদেশীদের ভাল মন্দের সাথে আমার জীবণ অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। নিজের দেশ নিয়ে ভাবুন। আমাকে বাংলাদেশ হেটার বলে বা সৌদি প্রেমী বলে নিজকে বড় দেশপ্রেমিক হয়তো প্রমাণ করতে পারবেন , কিন্তু তাতে দেশের সত্যিকারের কোন উপকার হবে না। আজকাল আপনার মতো দেশপ্রেমিকের অভাব দেশে নেই , বরং একটু বেশিই আছে। তাতে দেশের কি লাভ হচ্ছে , তাতো দেখতেই পাচ্ছি।
@ফারুক,
সেতো জানি। আপনি হচ্ছেন সত্যানুসন্ধানী। বাংলাদেশিরা কী কী অপকর্ম করে সবই আপনার হাতের মুঠোয়। অথচ সৌদি আরবের কথা বলাতেই বাইন মাছের মত পিছলে চলে যাচ্ছেন। এটা কী ঠিক হচ্ছে সত্যবাদী মহাশয়? সৌদিদের সম্পর্কে তিতা সত্য কথা বলতে গলায় আটকে যাচ্ছে, তাই না?
এই রকম দুর্নীতিবাজ লোকদের সঙ্গ এখনো ত্যাগ করতে পারেন নি দেখে দুঃখ পেলাম। দুর্নীতিবাজরা একজন তিতা কথা বলা সত্যবাদীর জীবনে প্র্ভাব বিস্তার করবে এতো ভাবাই যায় না। তার জীবনে প্রভাব বিস্তার করবে সে না সৌদি আরবের মত নীতিবান দেশের মানুষেরা।
এরা আছে বলেই বাংলাদেশটা এখনো বাংলাদেশ আছে। নইলে খেজুর গাছ বুনে বুনে কবে একে আপনারা বাংলাস্তান বা সৌদি বাংলা বানিয়ে ফেলতেন।
@ফরিদ আহমেদ,
বাংলাস্তান বা সৌদি বাংলা বানিয়ে ফেলেননি তাতে সন্দেহ নেই , তবে বসবাসের অযোগ্য ভাগাড় যে খুব শিঘ্রই বানিয়ে ফেলবেন তাতে কোন সন্দেহ নেই।
নেন একটা গান শুনুন- http://www.dhingana.com/play/mor-mato-ar-deshpremik/MTI4NDY0
http://www.dhingana.com/play/mor-mato-ar-deshpremik/MTI4NDY0/pop/1
music @ dhingana.com
@ফরিদ আহমেদ,
সৌদি গো কয়টা অপকর্মের লিস্ট করবেন? মেইড ধর্ষণ, উটের জকি এইগুলাতো জন্মের পর থেকেই শুইনা আস্তেসি। এই দুইটা ক্যামন লাগে দেখেন –
এরকম আরো কিছু মজার সাম্প্রতিক নিউজ আছে এখানে।
@ফরিদ আহমেদ,
আমি তক্ক করিনি। কিন্তু আপনাদের বিতর্কে ফারুককে আমিও ভেবেছিলাম একটু অন্যরকম। আজ তার লাগামছাড়া কথা-বার্তা শুনে আমিও ঠিক মেলাতে পারছি না। মনে হচ্ছে ধর্মের শেষ কথা, অন্ধত্ব। আমি ভেবে পাই না, একটা স্বর্গের লোভে, মানুষ বোধ-জ্ঞম্যি হারিয়ে এমন লাগাম ছাড়া কথা বলতে পারে?
আপনার কাছে অনুরোধ, পশুদের অসম্মান করবেন না।
@স্বপন মাঝি, পশুদের সন্মানবোধ বা ধর্মবোধ আছে বলে তো জানতাম না। নুতন জ্ঞান দানের জন্য ধন্যবাদ।
@ফারুক,
পশুদের ধর্ম আছে। তারা মুসলিম। পবিত্র কোরানেই তো আল্লাপাক বলেছেন, সমস্ত গাছপালা, পশুপাখি এমন কি জড়বস্তুও ;এমন কি প্রত্যেকের ছায়াও আল্লার এবাদত করে।
ফরিদ আহমেদ-
স্বপন মাঝি –
ফারুক –
@ফারুক –
হয়ত…হ-য়-ত… স্বপন মাঝি বোঝাতে চেয়েছেন পশুদেরও সম্মানবোধ আছে। কিন্তু কিছু কিছু ধর্মে অন্ধ “আশরাফুল মাখলুকাত” এরও তা নেই।
এখন দেখা যাচ্ছে কিছু কিছু আশরাফুল মাখলুকাতের সাধারন বাংলা ভাষা বুঝতেও সমস্যা আছে। আরবীস্থানের আরবী হলে বোধ হয় আরো সহজে বোধগম্য হত।
@ফারুক,
একবারো কেই কি বলেছে বাংলাদেশে সবকিছু সুষ্ঠু ভাবে চলছে? সবাই জানি বাংলাদেশ পরিপূর্ণভাবে corrupted, এখানে বাংলাদেশর আইন ব্যবস্থা নিয়ে তো কোন আলোচনা হচ্ছিল না! বাংলাদেশ লক্ষ কোটি মৃত্যুদন্ড দিক, সেটা ভুল। এ মুহুর্তে কথা হচ্ছে সৌদিকে নিয়ে। সৌদির ভুল নিয়ে। যা অন্যায়, তা সব সময়ই অন্যায়। সে যেই করুক। এক অন্যায়কে ঢেকে রাখতে অন্য অন্যায় কারা সামনে এনে দাঁড় করায় জানেন তো?
একবারো কি ভেবছেন ওই ৮ টি প্রানের কথা?! ক্ষনিকের জন্য? ওদের মাথার সব চুল যখন ফেলে দেয়া হ্য়, ওরা কি ভাবছিল? কাকে নিয়ে ভাবছিল? যখন জিবীত অবস্থায় শেষ গোসল দেয়া হয় ওদের কলিজা তখনই শুকিয়ে যায়নি? যখন সাদা কাফন পরিয়ে, মাথা নুইয়ে বসানো হয়, তখন ওরা কি ভাবছিল? ওই ৮ টি প্রানের মা… জন্মদাত্রী মা সেই অভাগীরা কিভাবে বেঁচে আছেন ভাবতে পারেন?
না পারেন না। আপনি ও আপনাদের দ্বারা সম্ভব নয়।
আপনি ও আপনারাই পারেন মানুষের রক্তে আল্লাহর বানী খুঁজে পেতে।
আপনারাই পারেন নিজের হাতে হুমায়ুন আজাদকে কুপিয়ে হত্যা করতে।
হুমায়ুন আজাদ তো কেউ না, আপনারাই পারেন নিজ হাতে নিজ সন্তানকে, নিজ জীবন সাথীকে, নিজ মাকে জবাই করতে, শুধুমাত্র পরকালের বেহেস্তের লোভে।
আপনাদের কাছে একজন মানুষের জীবনের হাসি, কান্না, আবেগ, সুখ দুঃখ, এসবের কোন মূল্য নেই। আপনাদের কাছে কোন মানুষের জীবনের বিন্দুমাত্র মূল্য নেই তো আবেগনুভুতি তো দুরের কথা।
ধিক আপনাদের! ধিক! অত্যন্ত লজ্জার সাথে জানাচ্ছি আমি ভয় পাই আপনার মতন মানুষদের। কারন আপনাদের আছে শুধু গায়ের জোর। আমি ভয় পাই আমার জীবনের জন্য, আমার অনাগত সন্তানের জীবনের জন্য, আমার চারপাশে হাজারো মানুষ যারা মানুষকে মানুষ বলে মনে করে তাদের কে এক উঁচু তরবারিতে কুপিয়ে মারা কোন চরম ধার্মিকের জন্য কিছুই নয়। পাঁচ ওয়াক্তের এক ওয়াক্ত নামাজ পড়ার মতন আপনাদের মতন ধার্মিকের জন্য বেহেস্তের দরজার লোভে মানব রক্ত পান করা কিছুই নয়।
মোহিতবাবু, আপনি সাহিত্য ভাষা নিয়ে ক্যাচাল শুরু কত্তে কত্তে গিয়ে কি লেজে গোবরে করে ফেললেন, বলুন তো?
অভিজিৎ তো দেখছি ঠিকি বলেছে – ল্যানজা ইজ এ টাফ থিং টু হাইড।
কোন লাভ হল এত বেঙ্গিবাজি করে? ‘মোহিত’ নামটাই বা নেওয়ার কি দরকার ছিলো? যে আক্কাস আলী ছিলেন, সেই আক্কাস নামেই না হয় লিখতেন।
@মিজান,
আরে ওনার সাহিত্য জ্ঞ্যান সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা হয়ে গেছে এখানে সবারই। যার “পোন্দানী” শব্দটা শুনলেই হরমোন চঞ্চল হয়ে ওঠে, “শিশ্ন” শুনলেই পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায়, সে যে কতটুকু সাহিত্যবাজ সেটা বুঝতে বাকি থাকে না কারোরই।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পাঠের জন্য।
@সাইফুল ইসলাম,
”যার “পোন্দানী” শব্দটা শুনলেই হরমোন চঞ্চল হয়ে ওঠে, “শিশ্ন” শুনলেই পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায়, সে যে কতটুকু সাহিত্যবাজ সেটা বুঝতে বাকি থাকে না কারোরই।”
– আপনি যে কোন দরের সাহিত্যিক তা কী আপনার এই কথার মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যায় নি ?
@মোহিত,
ভাবছিলাম আপনারে আরেকটু কড়কাইয়া দেই। পরে বুঝতে পারলাম বৃথা হইব।
কিছু দিন আগে অভিদা আর ফরিদ ভাই রবিদাদুরে নিয়া একটা লেখা দিছিল পড়ছেন? ঐহানে দেখবেন বেশ কয়েকজন রবিপুজারী লম্ফঝম্ফ কইরা মুক্তমনা গরম করছিল। লেখকদ্বয় যথেষ্ট পরিমান যুক্তি দিলেও তাদের মনপুত হয় নাই। কারন কী জানেন? কারন হইল সমালোচনা সাহিত্যের সাথে ঐসব পুজারীগুলার পরিচয়ের অভাব। এদের কাছে আলোচনা হইতে পারে দুই ধরনের। নাম্বার এক. প্রশংসা আর নাম্বার দুই. কুৎসা। এর বাইরেও যে ভালো মন্দ মিলাইয়া আলোচনা হইতে পারে নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোন থেকে ঐটা ওনারা জানত না। যার জন্য এই কয়েকদিন আগেও রবি সমালোচনার আগুনের ক্ষত নিয়া একজন এইখানে পুনরায় লেদাইতে আসছিল। যদিও প্রত্যেকের হাতের চপেটাঘাত খাইছিল, তারপরেও আসল শিক্ষা কিন্তু হয় নাই। কখনও হইবও না।
ধান বানতে শিবের গীত ক্যান গাইলাম এহন কই। আপনার সাহিত্য বলেন, সমালোচনা বলেন বা মোট কথায় পড়াশোনার পরিধিটা আমার কাছে কেন জানি ছোট মনে হইতাছে(আমার ধারনা ভুল হওয়াটা স্বাভাবিক)। কারন হইল গালাগালিরে যে নিম্নরুচির বইলা আসল বক্তব্যটারে পাশ কাটাইয়া যায়, লেখকের উদ্দেশ্য ধরতে না পাইরা, সে আর যাই হোউক পৃথিবীর মহৎ সাহিত্যের সংস্পর্শে যে আসে নাই ঐটা নিশ্চিন্তেই বলা যায়।
দেইখেন আবার মনে কইরেন না যে আমি আমার লেখারে সাহিত্য পদবাচ্য করাইতে চেষ্টা করতাছি। আমি শুধু বলতেছি যে গালাগালি করলেই ঐটা নিম্নরুচির হয় না। আমার এই ফালতু পোষ্টে যারা কমেন্ট করছে এবং আমার মূল কথার সাথে একমত ঘোষনা করছে এদের মধ্যে একাধিকজনেরই বাজারে বই আছে। কোন কোনটা বাজারে বেস্ট সেলার। তাদের কাছে মনে হয় নাই অরুচিকর। কিন্তু আপনার কাছে এইডা নিম্নরুচির মনে হইল। যাই হোউক ভালো খারাপ ফালতু লাগা সম্পূর্ণই আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আপনি আমার মূল বক্তব্যের সাথে একমত এতেই আমি মহা খুশি। ধইন্যা।
@মিজান,
:-s
@মিজান,
”কোন লাভ হল এত বেঙ্গিবাজি করে? ‘মোহিত’ নামটাই বা নেওয়ার কি দরকার ছিলো? যে আক্কাস আলী ছিলেন, সেই আক্কাস নামেই না হয় লিখতেন।”
– কেন দাদা, মোহিত কী উচ্চ স্তরের নাম ? আর আক্কাস আলী কী নিম্ন স্তরের নাম? মিজান নামটাই
বা আপনি কেন নিলেন ? বেংগিবাজি মানে কী ? মিজান নামের অর্থ কী বলেন তো ? মোহিত শব্দেরই বা কী মানে আপনার কাছে ?
হ্যাঁ, লিখাটা অশালীন ভাষায় হয়েছে। পড়তে গিয়ে রুচিতে বাধে। এখন শালীন অশালীনের সংজ্ঞায় যাওয়াটা অবান্তর। আমরা সবাই যতই এইসব আপেক্ষিক বলিনা কেন, তারপরো কিন্তু আমরা সমষ্টিগত ভাবে একটা বেসিক শালীনতা (কথায়, আচরনে) মেনে চলি।
হ্যাঁ, লিখাটার দরকারও ছিল। আমাদের অনেকের চরম সমষ্টিগত রাগের বহিঃপ্রকাশ।
হ্যাঁ, এই নির্দিষ্ট লিখায় সাইফুল ইসলাম তার নিজস্ব রাগ নিজের মতন করে প্রকাশ করেছেন।
এই লিখার দ্বারা কি উপকার হলো? এই প্রশ্ন অবান্তর। উনি যদি মারাত্মক ভদ্র ভাবেও লিখতেন, তাতে করে ৮ জন নিহত বাঙ্গালী পরিবারের কি উপকার হতো বলা মুশকিল।
যখন ধর্মকে রক্ষা করতে ধর্মের অনুসারীগন বাংলাদেশের পথে দা, তলোয়ার নিয়ে নেমে নিজ দেশেরই একজন লেখক কে কুপিয়ে হত্যা করে, যখন নিজ দেশের একজন লেখক কে দেশছাড়া করে তিনি নাস্তিক বলে, যখন সে দেশের মানুষদের “ধর্মিয়” দেশি দের পা চাটতে দেখা যায়, তখন রাগে ক্ষোভে গা পুড়ে বৈকি! সেই পোড়া গায়ে ভদ্র ভাষায় কথা বলাটা একটু কষ্টকর।
একবার দুবার তিনবার সহ্য হয়ত করা যায়, কিন্তু যুগের পর যুগ ধরে! বারবারবারবার… কিসের জন্য চুপ করে থাকব আমরা? আর কত? কিসের জন্য ভদ্র ভাষায় কথা বলব? আমাদের দেশের মন্ত্রী, ওই বর্বর দেশের মন্ত্রী যাদেরকেই পড়তে দেয়া হবে, এই ভাষায়ই ওরা পড়ুক। তোরা করতে পারবি, আমরা বলতে পারবনা?
হ্যাঁ, লিখাটা আমার রুচিতে বেঁধেছে। আমার রুচিতে বাঁধলেও এই লিখার দরকার ছিল। কারন মুক্তমনা প্ল্যাকার্ড হাতে না দাঁড়ালেও, আমি নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারি আজ হতে এক দিন পর, এক মাস পর, এক বছর পর, এক যুগ পর যারা ৮ জন বাঙ্গালীর শিরচ্ছেদের সমর্থনে কথা বলছেন তাদেরই সন্তান, তাদেরই বন্ধু, তাদেরই কাছের কেউ এখানকার তীব্র নিন্দা পড়বে, তীব্র সমালোচনা পড়বে, তারপর কয়েক মূহুর্তের জন্য হলেও ভাববে যে ইসলাম ভুল, ইসলাম ভুল বলেই শারীয়া ফারীয়া ভুল। যারা জন্ম হতে কখনোই ইসলামের বিরুদ্ধে কিছুই শোনেনি তাদের একটু হলেও টনক নড়বে। এই একটু টনক নড়া হতেই শুরু হয় আলোর দিকে এগিয়ে যাওয়া।
হ্যাঁ, এই ৮ বাঙ্গালীকে প্রথম মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়নি। আমাদের ক্ষোভের মূল কারণ, তারা নির্দোষ সেটা প্রমান করতে আমরা অপারগ, কিন্তু তারা যে দোষী ছিল সেটা প্রমান না করেই শুধুমাত্র অমানুষরাই পারে এভাবে জনসমক্ষে জানোয়ারের মতন আচরন করতে। তারা নির্দোষ অথবা দোষী সেটা প্রমান করার দায়িত্ব, সুযোগ সবটাই সৌদী কতৃপক্ষের ছিল।
তারা যদি দোষী হতেন তো আমরা শাস্তির স্বপক্ষেই বলতাম, শাস্তির প্রক্রিয়ার স্বপক্ষে নয়।
শারীয়া আইন? কুরান? কুরানে কি ক্ষমা করার কথা নেই কোথাও? আছে, তবে ধর্মকে নিজের সুবিধা অনুযায়ী ব্যাবহার করতে না পারলে ধর্ম আর মানাই বা কেন?
এ ঘটনার দুদিন শেষেও ওই দেশের কেওই কোন রকম জবাবদিহিতার প্রয়োজন মনে করছেনা। কারন?
@ছিন্ন পাতা,
আপনার দ্বিমত প্রকাশের ভঙ্গি ভাল লাগল।
@ছিন্ন পাতা,
আমার পোষ্টের কারনে মোহিত সাহেবের/সাহেবার কথায় অনেক বাঙালি পাঠিকার কন্ট্রাসেপ্টিভ ব্যবহার করতে হয়েছে, যেটা ঐ শব্দগুলো না বললে করতে হত না। টাকা বেচে যেত। 🙂
চুপ, একদম চুপ, হুর-গেলমানগুলান ছুইট্টা যাইবার পারে…
গায়ের রক্ত তো ভাই গরম হইয়া গেল আপনার লেখা পইড়া :guli: এইসব অবিচারের সাথে ধর্মের মত একটা বিষয় যুক্ত এটা ভাবতেই খারাপ লাগে। 🙁
আমার কমেনট কই গেল?
ক্রুদ্ধ ফারুক এবং মোহিত সমীপেষু,
আপনারা রাগান্নিত,ক্রুদ্ধ,ব্যথিত,শঙ্কিত এবং হতাশ। আমি যখন প্রথম বার হুমায়ুন আজাদ এর – পাক সার জমিন সাদ বাদ– বই খানি অধ্যায়ন করি নিদারুন ভাবে দুঃখিত এবং ক্রোধান্বিত হইয়াছিলাম, বাংলা ভাষার এমন একজন প্রথিতযশা পণ্ডিত কি করিয়া এমন খিস্তি খেউড় করিতে পারেন!। দ্বিতীয় বার যখন পরি তখন মনে হইয়াছে , ইহার চাইতে আর কি এমন ভাল ভাষায় ই বা মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করা যায়?। শেষ বার যখন কিছুদিন আগে আরো একবার পড়িলাম মনে হইল ইহা ত আমার ই মনের ক্ষোভের ভাষা। ভাইয়েরা যাহাকে আর্ট ফিল্ম বলা হয় লক্ষ করিবেন তাহাতে নগ্নতা বেশী প্রাধান্য পায় ।কারন কি জানেন আর্ট ফিল্ম এর পরিচালক গন সঙ্গম বুঝাইতে রেল-ইঙ্গিন এর পিস্টন এর গুতাগুতি দিয়া পার পাইতে চান না , যত বড় আর্ট ফিল্ম তত বড় রেটেদ হইয়া থাকে উহারা । আপনারা মুক্তমনার কাছে আবেদন করিতে পারেন যে, সাইফুলের লিখাটিকে , প্রাপ্ত বয়স্কদের শিরোনামে ছাপাইবার জন্য!!!। কিন্তু আপনাদের মত অপ্রাপ্ত বয়স্করা তখন আবার পড়িতে পারিবেন না !!!,উভয় সংকট।
@সপ্তক,
” আমি যখন প্রথম বার হুমায়ুন আজাদ এর – পাক সার জমিন সাদ বাদ– বই খানি অধ্যায়ন করি নিদারুন ভাবে দুঃখিত এবং ক্রোধান্বিত হইয়াছিলাম, বাংলা ভাষার এমন একজন প্রথিতযশা পণ্ডিত কি করিয়া এমন খিস্তি খেউড় করিতে পারেন!। দ্বিতীয় বার যখন পরি তখন মনে হইয়াছে , ইহার চাইতে আর কি এমন ভাল ভাষায় ই বা মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করা যায়?। শেষ বার যখন কিছুদিন আগে আরো একবার পড়িলাম মনে হইল ইহা ত আমার ই মনের ক্ষোভের ভাষা।”
– প্রথমবার আপনার ঠিকই মনে হইয়াছিল। দ্বিতীয় বারে আপনার ঠিক মনে হয় নাই। আর তৃতীয়বারে, আপনার রুচির বিকৃতি ঘটিয়াছিল। নাৎসীবাদ, ফ্যাসীবাদ বিরোধী লেখা কী কেহ লেখেন নাই, তাহারা কী অশ্রাব্য গালিগালাজ সহযোগে লিখিয়া বিখ্যাত হইয়াছিলেন ?
@মোহিত,
“প্রথমবার আপনার ঠিকই মনে হইয়াছিল। দ্বিতীয় বারে আপনার ঠিক মনে হয় নাই। আর তৃতীয়বারে, আপনার রুচির বিকৃতি ঘটিয়াছিল। নাৎসীবাদ, ফ্যাসীবাদ বিরোধী লেখা কী কেহ লেখেন নাই, তাহারা কী অশ্রাব্য গালিগালাজ সহযোগে লিখিয়া বিখ্যাত হইয়াছিলেন ?”
রুচির প্রশ্নই যখন তুলিলেন দাদা ,তখন বলিতে হয় মুণ্ডু করতনের পক্ষে সাফাই গাওয়া রুছিসম্মত!।আপ্নার ভাষায় আপনি বাঙ্গালীর মুণ্ডু কর্তনে দুঃখিত কিন্তু আমাদের ভাষা প্রয়োগ এ ব্যাথিত। রাগ প্রকাশ করিবার জন্য ভদ্র ভাষা ব্যবহার করাই উত্তম।তবে তাহারো এক্তা সিমা আছে। আপনাদের মত মানুষদের জন্য রাজাকারদের গালি দেয়া যায় না। মৌলবাদীদের গালি দেয়া যায় না। কিন্তু জানেন ত আরাফাত এর ময়দানে শয়তানের উদ্দেশ্যে জুতা/পাথর নিখেপ করিতে হয় , তাহা না হইলে হজ্জ পালন হয় না। আমার মনে হয় এখন হইতে রাগ প্রকাশ এর জন্য আপনাদের মত মানুষদের উদ্দেশে জুতা/পাথর নিক্ষেপ করিতে হইবে, মনে হয় গালির চেয়ে তাহা উত্তম হইবে।দাদা খুশী ত?
@সপ্তক,
” আপনাদের মত মানুষদের জন্য রাজাকারদের গালি দেয়া যায় না। মৌলবাদীদের গালি দেয়া যায় না। কিন্তু জানেন ত আরাফাত এর ময়দানে শয়তানের উদ্দেশ্যে জুতা/পাথর নিখেপ করিতে হয় , তাহা না হইলে হজ্জ পালন হয় না। আমার মনে হয় এখন হইতে রাগ প্রকাশ এর জন্য আপনাদের মত মানুষদের উদ্দেশে জুতা/পাথর নিক্ষেপ করিতে হইবে, মনে হয় গালির চেয়ে তাহা উত্তম হইবে।দাদা খুশী ত?”
– নন্দলাল কাম সারে গালি দিয়া।
আরাফাতের ময়দানে শয়তানের উদ্দেশ্যে জুতা/পাথর নিক্ষেপ না করিলে হজ্জ্ব হয় না কথাটি ঠিক নয়- উহা হজ্জ্বের গুরুত্বপূর্ণ অংশ নয়।আর শয়তান কী মানুষের পাত্থর খাইবার জন্য ওইখানে বসিয়া থাকে ?
দাদা, গালি দিতে যাইয়াই বানান ভুল করেন, নিজের সাথে কথা বলেন আর মিসাইল ছুঁড়িতে গেলে তো আছাড় খাইয়া নিশ্চিত হাত-পা ভাংগিবেন।
@মোহিত,
“আরাফাতের ময়দানে শয়তানের উদ্দেশ্যে জুতা/পাথর নিক্ষেপ না করিলে হজ্জ্ব হয় না কথাটি ঠিক নয়- উহা হজ্জ্বের গুরুত্বপূর্ণ অংশ নয়”
ফতোয়া বাজি শুরু করলেন দাদা?।এইবার আপনার মুণ্ডুই কর্তন করা দরকার।কি করিলে হজ্জ হয় আর কি করিলে হয় না নসিহত করার আগে আপনার পিতাদের (সৌদি বাদশা / যুবরাজ ) অনুমতি নিয়েন
@সপ্তক,
”আপনারা রাগান্নিত,ক্রুদ্ধ,ব্যথিত,শঙ্কিত এবং হতাশ।”
-রাগান্বিত এবং ক্রুদ্ধ, ঠিক।কারণ, আটজন বাংলাদেশির গর্দান নেয়া হইয়াছে। রাগান্বিত এবং ক্রুদ্ধ কী দুটি ভিন্ন অর্থবোধক শব্দ ? রাগান্বিত বানানটি ভুল লিখিয়াছেন।
শংকিত ?? -কিতার লাগি ?
হতাশ ? -সত্যি। বাংলাদেশএবং মানুষের এর অক্ষমতা দেখে ।এবং মুক্তো-মনার নন্দলালের মত কুৎসিত গালিগালাজ দিয়া কাম সারিবার করুণ এবং নীচ প্রয়াস দেখিয়া।
@মোহিত,
“শংকিত ?? -কিতার লাগি ?”
এইবার ঝেরে কেশেছেন দাদা। “কিতার লাগি?” ।।কোন ভাষা?। কোন অভিধানে আছে “কিতার?” ,এটাই অসভ্যতা, আগে সভ্য হন,তারপরে আইসেন মুক্তমনার মত জায়গায় কথা কইতে।
@সপ্তক,
”এইবার ঝেরে কেশেছেন দাদা। “কিতার লাগি?” ।।কোন ভাষা?। কোন অভিধানে আছে “কিতার?” ,এটাই অসভ্যতা, আগে সভ্য হন,তারপরে আইসেন মুক্তমনার মত জায়গায় কথা কইতে।”
– হা-হা-হা-হা-।মুরুব্বি দাদা, আপনার সাথে কথা বলে খুব মজা পাচ্ছি।” কিতার লাগি” বাংলাদেশের কোন অঞ্চলের ডায়ালেক্ট( Dialect) তা আপনি জানেন না বলছেন ? এটা সৈয়দ মুজতবা আলী, হাসন রাজা, কুদ্দুস বয়াতী,বাংলাদেশের একাধিক অর্থ- মন্ত্রীদের এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সেনাপতি বংগবীর ওসমানীর পৈত্রিক ভিটা যেখানে সেই সুনাম গঞ্জ/ সিলেট অঞ্চলের ভাষা।আর কিতা/কিতার লাগি শব্দগুলো ঋতিক ঘটক তার ছবিতে ব্যবহার করেছেন । দেখেন নি ?
আঞ্চলিক ভাষায় কথা বললে অসভ্যতা হয় এ তত্ত্ব কোথায় পেলেন ?
আইচ্ছা, কুইনচেন দেহি, ” আইসেন” কোন অঞ্চলের কথ্য ভাষার অর্ন্তগত ?
@মোহিত,
আপনি খুব স্মার্ট দাদা। “হুম্মুদির পুত” ও পুরান ঢাকায় আদর করেই ডাকা হয় দাদা,জা আখতার উজ জামান ইলিয়াস তার চিলে কোঠার সিপাই বই তে ব্যাবহার করেছেন। বানান এর কথা বলেছি , আমি নতুন টাইপ করছি বিধায় ভুল হচ্ছে।আপ্নার সাথে কথা বলে আমিও খুব মজা পাচ্ছি দাদা। মন্ত্রি মিনিস্টার (তাও আবার বাংলাদেশের) যে সব ভাষা ব্যাবহার করেন তা শালীন ভাষা। আপনার মত “মাল” (মাল শব্দটিও পুরান ঢাকায় আদর করেই ডাকা হয়) মুক্তমনায় ঢুকে কিভাবে তাই ভাবছি:lotpot:
@সপ্তক,
” ভাইয়েরা যাহাকে আর্ট ফিল্ম বলা হয় লক্ষ করিবেন তাহাতে নগ্নতা বেশী প্রাধান্য পায় ।কারন কি জানেন আর্ট ফিল্ম এর পরিচালক গন সঙ্গম বুঝাইতে রেল-ইঙ্গিন এর পিস্টন এর গুতাগুতি দিয়া পার পাইতে চান না , যত বড় আর্ট ফিল্ম তত বড় রেটেদ হইয়া থাকে উহারা ।”
-দাদা, আপনার নিকট তিন খান প্রশ্ন
১।। আর্ট ফিল্ম বলিতে কী বোঝেন ?
২।। তিন খানা আর্ট ফিল্মের নাম করিবেন কী যাহাতে গন সংগম দেখানো হইয়াছে ?
৩।। গন সংগম কী তা ? ইহা কী গণ ধর্ষণ ?
@মোহিত,
“গন সংগম কী তা ? ইহা কী গণ ধর্ষণ ?”
গন্সঙ্গম নহে দাদা। পরিচালকগন এর স্থলে গন আলাদা হইয়া গিয়াছে শুধু সঙ্গম পড়িতে হইবে, গন্সঙ্গম নহে।
আর্ট ফিল্ম এর কথাই যখন বলিলেন তখন সত্যজিৎ রায় এর ঘড়ে-বাইরের কথাই বলা যায় , এখানে সঙ্গম না থাকিলেও প্রথম সত্যজিৎ বাবু পরকিয়ার বাস্তবতা বুঝাইতে গিয়া চুম্বন দৃশ্য চিত্রিত করিয়াছেন,অশ্লীলতা তার দুর্নাম কুরাইয়াছিল। বিছানা দৃশ্য ত আর্ট ফিল্মেরও ধার ধারে না। আর সঙ্গম বলিতে তাহা পরন ফিল্ম এর মতই হইতে হইবে আপনাকে কে বলিল?।আমি যাহা বলিতে চাহিয়াছি পশ্চিমা দেশে সঙ্গম বুঝাইতে রেল-ইঞ্জিনের পিস্টনের গুতাগুতি দেখান হয় না বিশ্বাসযোগ্য করিবার জন্য অনেক ধাপ আগাইয়া যাওয়া হয়। আমাদের দেশে অবশ্য গন-ধরসন হইয়াছে ৭১ এ ,আমাদের চলচিত্রে তাহা দেখাইতে গেলে ইঞ্জিন এর পিস্টন দেখানো ছাড়া উপায় নাই,কারন দরশক আপনারা!। সাইফুল চলচিত্র বানাইলে পিস্টন দেখাইবেন না আমি শিওর। এইখানেই পার্থক্য। যাই হোক ভারতে ইন্দিরা গান্ধির সময়কালে একবার বিদেশি চলচিত্রে নগ্নতার জন্য জর প্রতিবাদ উঠিলে ইন্দিরা গান্ধী সত্যজিৎ রায়কেই সেন্সর এর দায়িত্ত দিয়াছিলেন, সত্যজিৎ ছবি না দেখিয়াই ছারপত্র দিতেন,কারন সত্যজিৎ এর ভাষায়, তাহার কাছে অশ্লিলতার সঙ্গা অসচ্ছ।
আর্ট ফিল্ম এর নাম?। দিপা মেহতার দী ফায়ার ছবিটা দেখিতে পারে,জেখানে দুই নারীর চুম্বন এর দৃশ্য রহিয়াছে,অরথাত লেসবিয়ান বুঝানো হইয়াছে। আমি হলিউড এর দিকে আর গেলাম না । কারন আপনার অকাল বীর্যপাত হইবার সমুহ সম্ভাবনা রহিয়াছে।
** কিছু বানান বিভ্রাট কে বড় করিবার চেষ্টা করেইবেন না,কারন এখানে আমি নতুন।আপ্নার মত ঝানু মালের সহিত কথা বলা একটু কষ্টকর।
@সপ্তক,
আমি মুক্ত=মনার একজন পুরনো পাঠক হলেও মন্তব্যে নুতন। বানান ভুল হয় প্রচুর, সংশোধনের আপ্রান চেস্টা করি। কিন্তু মুন্ডু কর্তনের ঘটনায় এতটাই শক্টড যে ভালমত বানানও সংশোধন করতে পারছি না,মহিত এর জবাব দিতে গিয়ে। এই লোক আবার বানান ভুল ধরেন। আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে মহিত সাব। মাইন্ড কইরেন না।
@সপ্তক,
ঋতুপর্ণ ঘোষের “অন্তরমহল” আরেকটি আর্ট ফিল্মের নাম, যোগ করার লোভ সংবরন করতে পারলাম না। ওই ফিল্মের প্রায় শুরুতেই একটি বিছানার দৃশ্য (explicitly) দেখানো হয়।
@মোহিত
বিনা কারনে নয়, দর্শকের শরীরে সুড়সুড়ি দিতে নয়, চলচ্চিত্রের কাহিনীর জন্য ওই দৃশ্য প্রয়োজনীয় ছিল বলে। আর্ট ফিল্মের অনেক সংজ্ঞার মাঝে একটি হলো এই ধরনের চলচ্চিত্র আলোকপাত করে একটি চরিত্রের চিন্তা ভাবনা, স্বপ্ন আর মানসিক গঠনের উপর। যেহেতু “social realism” প্রাথমিক পর্যায়ে পড়ে, তাই সংগম দৃশ্য খুবই স্বাভাবিক একটি ব্যাপার যা শৈল্পিক ভাবে উপস্থাপিত হয়।
****যদিও আর্ট ফিল্মের সংজ্ঞা জানতে চেয়েছেন সপ্তকের কাছে, আমি যতটুকু জানি, তার কিছুটা বললাম।****
প্রথম পাতায় স্টিকি পোস্ট হাইলাইট করার একটা সাময়িক ব্যাবস্থা করলাম,নাহলে বুঝা যাচ্ছিলোনা কোনটা ফিচার পোস্ট, মনে হচ্ছিলো যে নতুন কোনো লেখা আসেনাই, রঙ পছন্দ না হলে আমার দোষ নাই :-[ ।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
(Y)
তয় ফায়ারফক্সে রঙ দেখা যাচ্ছে না। গুগল ক্রোমেও না। খালি যেই ব্রাউসারটারে তুমি দেখতে পার না, সেই আইই-তে ফকফকা হলুদ রঙ দেখি! আগেই বলছিলাম আইই ভালু!
@রামগড়ুড়ের ছানা,
না সরি – এখন রঙ দেখতেছি ক্রোমে। বোধ হয় রিফ্রেশ করি নাই!
@অভিজিৎ,
ফায়ারফক্সে আসতেসেনা? আমিতো ফায়ারফক্সে ঝকঝকে রং দেখতেসি? আইই ইউজারদের অবশ্য চোখে নানা সমস্যা থাকে…………………..
সাইফুল ভাই, লিখছেন তো খুবি ভাল, এইজন্য বড় ধন্যবাদ আপনার পাওনা। (F) কিন্তু আজ আমি এটা নিয়ে ভাবছিলাম। আমরা যে এটা নিয়ে কথা বলছি এতে কি লাভ? আমাদের মন্ত্রিদের কাছে বা সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত মানুষের কাছে কি আর এসব পৌছাবে? আমার ভাবতে এত খারাপ লাগছিল যে আসলেই তারা কেয়ারই করেনা আমরা মরি কি বাঁচি। :-Y
@লীনা রহমান,
” আমরা যে এটা নিয়ে কথা বলছি এতে কি লাভ? আমাদের মন্ত্রিদের কাছে বা সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত মানুষের কাছে কি আর এসব পৌছাবে?”
– ঠিক ধরেছেন।
তামান্না ঝুমু,
” এ রকম কুৎসিত , জঘন্য একটি ব্যাপারে মনের ক্ষোভ প্রকাশ করতে হলে কীভাবে করতে হবে? রাবীন্দ্রিক ভাষায়! হৃদয়ের একূল ওকূল দুকূল ভেসে যায়, উথলে নয়ন বারি!”
– মনের ক্ষোভ প্রকাশ করতে হলে ব্লগে এসে অপাঠ্য নোংরা ভাষায় গালি-গালাজ করতে হবে ? আপনার বয়স কত জানি না । কিন্তু ঘরে বসে বা ব্লগে গালিগালাজ দিয়ে কবে কে কি উদ্ধার করেছে ? গালি দিয়ে কাজ সারতে চায় নন্দলালেরা। এই গালিগালাজ কী যাদের উদ্দেশ্যে করা তাদের কাছে পৌঁছবে ? সত্যিকারভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করতে চাইলে সৌদী সরকারের কাছে মুক্ত-মনার পক্ষ থেকে ( বা সাইফুল নিজেও) একটি প্রতিবাদ পত্র লিখে তা সৌদি দূতাবাসের কাছে হস্তান্তর করা যেত, নিদেন পক্ষে মৌন মিছিল করা যায় প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে। এতে করে তারা অন্ততঃ জানতে পারতো যে বাংলাদেশের কিছু মানুষ তাদের এই বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ। এ সব কিছু না করে ব্লগ লিখে নোংরা গালি গালাজ করে আত্ম-তৃপ্তি পাওয়ার চেষ্টা করা আসলে আত্ম-প্রতারণার সামিল।আর বলতে বাধ্য হচ্ছি বাংলা ভাষার শক্তি সম্পর্কে আপনার এবং অভিজিৎ রায়ের সঠিক ধারণা নেই।
@মোহিত সাহেব,
কাউকে নসিহত করতে হলে আগে নিজে সেটা করে দেখাতে হয়। আপনি নিজে ঘরে বসে থেকে ব্লগে লিখে মুক্তমনাকে বাঁশ দিয়ে আত্মতৃপ্তি নিয়ে আত্মপ্রতারণা করছেন, আর আমরা আমদের দেশের আটজন মানুষকে প্রকাশ্যে হত্যার প্রতিবাদে সৌদিদের একটু গালি দিয়ে আত্মতৃপ্তি নিতে গেলেই রাবীন্দ্রিক ভাষা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। এ কেমন আপনার সুশীল বিচার?
সাইফুল বা মুক্তমনা না হয় কিছুই করে নি, আপনি এই বাংলাদেশিদের হত্যার বিষয়ে মুক্তমনা ব্লগে বাঁশ দেওয়া ছাড়া আর কী কী করেছেন, একটু জানাবেন আমাদের। সৌদি দূতাবাসে নিশ্চয়ই প্রতিবাদপত্র দিয়েছেন আপনার ক্ষুব্ধতা জানিয়ে। আপনি যদি বাংলাদেশে থেকে থাকেন, তবে প্লাকার্ড হাতে কবে মৌন মিছিল করবেন, জানিয়েন। সাইফুলসহ মুক্তমনার সদস্য যাঁরা দেশে আছেন, তাঁরা আপনার সাথে যোগ দেবে।
@ফরিদ আহমেদ,
”কাউকে নসিহত করতে হলে আগে নিজে সেটা করে দেখাতে হয়। আপনি নিজে ঘরে বসে থেকে ব্লগে লিখে মুক্তমনাকে বাঁশ দিয়ে আত্মতৃপ্তি নিয়ে আত্মপ্রতারণা করছেন, আর আমরা আমদের দেশের আটজন মানুষকে প্রকাশ্যে হত্যার প্রতিবাদে সৌদিদের একটু গালি দিয়ে আত্মতৃপ্তি নিতে গেলেই রাবীন্দ্রিক ভাষা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। এ কেমন আপনার সুশীল বিচার?”
– মুক্ত-মনার কোন লেখার যৌক্তিক সমালোচনা করা মানে যে তাকে বাঁশ দেয়া এটা তো নতুন শুনলাম। মৃত্যু দন্ডকে উপলক্ষ্য করে ব্লগে মুসলিমদের আল্লাহ ,রাসুলকে অতি আশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে আত্ম-তৃপ্তি লাভ করছেন !!! মুক্ত-মনার স্ট্যান্ডার্ড নিম্ন-গামী হওয়ার সাথে সাথে এর সাথে সংশ্লিষ্টদের ও যে রুচির অধঃপতন হয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে।
আপনি কি যোক্তিক সমালোচনা করেছিলেন। মুক্তমনার পাঠিকারা সাইফুলের এই লেখা পড়ে কান্নাকাটি শুরু করেছে, এই ধরনের ন্যাকামো নিয়ে শুরু করেছিলেন। এখন ধীরে ধীরে আসল চেহারা বের করছেন।
আল্লাহ-রাসুলকে গালি দেওয়াটাই তাহলে আপনার না-পছন্দ ছিলো। এটা আগে বললেইতো ল্যাঠা চুকে যেতো। এতো ঘুরপথে আসেন কেন আপনি? আল্লাহ রাসুলকে গালি দেওয়াটা এই লেখায় জায়েজ। কারণ, আল্লাহ-র আইন বাস্তবায়ন করতে গিয়েই এই আটজন বাংলাদেশিকে নৃশংস মৃত্যু বরণ করতে হয়েছে। আপনি না জানলেও সৌদি রাষ্ট্রদূত সেটা জানেন। সে কারণেই তিনি বলেছেন যে, মানবা্ধিকারের চেয়ে আল্লাহ-র আইন বাস্তবায়ন করাটাই তাঁদের কাছে বেশি জরুরী।
এটাই স্বাভাবিক। মুক্তমনার সাথে সাথে আমাদের রুচির অধঃপতন হয়েছে। একই সাথে আপনারও অধঃপতন হচ্ছে। আসল রূপ বের হয়ে আসছে। শুরুর দিকের ন্যাকান্যাকা মেয়ে্লি আচরণের কারণে আমি মনে মনে আপনাকে মেয়ে বলে ধরে নিয়েছিলাম। ফলে, প্রতিক্রিয়াগুলোও নরমসরম ধরনের ছিলো। আপনার এই মুহুর্তের সবগুলো মন্তব্য পড়ে ধারণা পালটে গিয়েছে আমার। এখন জানি মহা মতলববাজ দামড়া আপনি।
@ফরিদ আহমেদ,
– আমাকে মেয়ে ভেবেছিলেন ! এজন্যেই মধু বাক্য প্রয়োগ করেছিলেন ? আর ছেলে ভাবলে কী বলতেন ? ভাই, সাহস থাকলে প্রতিবাদ পত্র লিখেন এবং দূতাবাসের সামনে অবস্থান ধর্মঘট করুন।গালাগালি করে কী লাভ ? আমি শুধু ভাবছি আপনারা এরকম গালিসর্বস্ব হয়ে গেলেন কিভাবে ? A WISE MAN SPEAKS WITH WISDOM.
যেভাবে ন্যাকান্যাকা পুতুপুতু আচরণ করছিলেন তাতে বাস্তবতা বর্জিত একজন মেয়ে ভাবাটা অস্বাভাবিক কিছু ছিলো না আমার জন্য। ফলে, কোমল ছিলো ভাষা। এখন জানি ছেলে। শুধু ছেলে নয়্, আসল উদ্দেশ্যটাও প্রকাশিত। দেখবেন ভাষাটা কেমন কঠোর হয়। অভিধান এবং ব্যাকরণের বই হাতের পাশে রেখে দিয়েন।
আবারো সেই অযাচিত কথাবার্তা। আমি কী করবো না করবো, সেটা বলে দেওয়ার আপনি কে? আমি কী আপনাকে বলছি, আপনি এই করেন সেই করেন। অন্যের ব্যক্তি স্বাধীনতার বিষয়ে একটু সচেতন হোন।
আমরা গালি দিচ্ছি না, মধুর বাক্য বলছি, সেটা আপনি বুঝছেন কী করে? অভিধান দেখে? চটির কথাতো আর বললেন না দেখি। চটি চেনেন কীভাবে?
@ফরিদ আহমেদ,
আপনার ছেলে/মেয়ে ডাইকটমিটা পুরো পছন্দ করতে পারলাম না 🙁 ।
অসুবিধা নাই। আপনার অমতকে শ্রদ্ধা জানাই। আমি নিজের অজান্তেই এই বিভাজনটা করে ফেলি। হরমোনের দোষ মনে হয়। মেয়ে হলে একটু কোমল আচরণ করে ফেলি। 🙂 তবে, অল্প বয়েসিদের ক্ষেত্রেও কিন্তু আমি কোমল, ছেলে মেয়ে কোনো বিভাজনই করি না সেখানে।
মোহিত শুরুতে আমাকে বোকা বানিয়ে ফেলেছিল। আমি ধরে নিয়েছিলাম যে, বাইরের পরিবেশের সাথে নন-এক্সপোজড কেউ। আমাদের দেশে মেয়েরাই সাধারণত এরকম হয়। ওটাই ছিলো আমার সহানুভূতির জায়গা শুরুতে।
তারপরেও যদি মনে হয় যে, আমার আচরণ সেক্সিস্ট হয়েছে, তবে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি।
@ফরিদ আহমেদ,
they say, ল্যাঞ্জা ইজ এ ভেরি টাফ থিং টু হাইড। 🙂
মোহিতলাল কথা অমৃত সমান
রুচিবান সুশীল ভনে, শুনে পূন্যবান!
লোহিত বরণ, মোহিত করণ
শেষ বিকেলে হইলো মরণ। 🙂
@ ফরিদ আহমেদ,
অভিজিৎ রায় যুক্তি এবং বিজ্ঞান ছেড়ে আজকাল ছড়াও লেখেন বুঝি ?
আবার অভিশাপ ও দেন ধর্মান্ধ আর কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষের মতো !!!
@মোহিত,
হেঃ হেঃ …অভিশাপ কই দিলাম! আপনার লুক্কায়িত ল্যাঞ্জা শেষ পর্যন্ত জনসম্মুখে বাহির হইলো, আর শরবিদ্ধ হইয়া আপনার অকাল প্রয়াণ থুড়ি অকাল বোধন ঘটিলো; কিংবা – মহাবীর ভীষ্মের মতোই আপনি শরশয্যাকে আলিঙ্গন করিলেন – তাহাই আমি শেষ বিকেলে স্মিত হাস্যে প্রত্যক্ষ করিতেছিলুম আর কি!
@ফরিদ আহমেদ,
” আল্লাহ রাসুলকে গালি দেওয়াটা এই লেখায় জায়েজ।”- আল্লাহর সাথে কী আপনাদের মোলাকাত হয়েছে ? আপনাদের গালি তিনি শুনেছেন ? আল্লাহর রাসুল কী আপনাদের গালিগালাজ শুনেছেন ? আপনারা নিজেদের বিজ্ঞান-মনস্ক , যুক্তিবাদী বলে দাবি করে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক কাজ করছেন।
এক কাজ করুন না ,গালিগালাজ করেই যদি কার্যোদ্ধার হবে বলে মনে করেন তাহলে সাইফুল ইসলামের এই গালিব্লগ আপনাদের মন্তব্যসহ ইংরেজিতে অনুবাদ করে আমেরিকা,ব্রিটেন,কানাডা এবং বাংলাদেশের সৌদি দূতাবাসের কাছে একটি করে কপি পাঠান এবং তিন বিদেশি রাষ্ট্রের বাংলাদেশী দূতদের কাছে ও একটি করে কপি এবং মুক্ত-মনার ওয়েব লিংক দিয়ে দিন।
” যুক্তি-বোধের যেখানে শেষ, গালির সেখানে শুরু”
ব্লগে জননাংগ নিয়ে এবং যৌনাত্মক গালিগালাজ করে আত্ম-তৃপ্তি পাওয়াকে কী বলে জানেন নিশ্চয়ই ? – VIRTUAL ORGASM.
হা হা হা। মোহিত সাহেব, খারাপ কথা বলায় এইবার আপনি আমাদেরকে হার মানিয়ে দিলেন। ব্যাধি সংক্রামক, সুস্বাস্থ্য নয়, এই প্রবাদবাক্য একেবারেই সঠিক। 😀
@ফরিদ আহমেদ,
” সাইফুল বা মুক্তমনা না হয় কিছুই করে নি, আপনি এই বাংলাদেশিদের হত্যার বিষয়ে মুক্তমনা ব্লগে বাঁশ দেওয়া ছাড়া আর কী কী করেছেন, একটু জানাবেন আমাদের। সৌদি দূতাবাসে নিশ্চয়ই প্রতিবাদপত্র দিয়েছেন আপনার ক্ষুব্ধতা জানিয়ে। আপনি যদি বাংলাদেশে থেকে থাকেন, তবে প্লাকার্ড হাতে কবে মৌন মিছিল করবেন, জানিয়েন। সাইফুলসহ মুক্তমনার সদস্য যাঁরা দেশে আছেন, তাঁরা আপনার সাথে যোগ দেবে।”
– আমি এ বিষয়ে ভালভাবেই লিখেছি তবে গালিগালাজ না করে। সৌদি দূতাবাসে প্রতিবাদ পত্র ও দেয়া হবে। আপনি, অভিজিৎ এবং সাইফুল শুধু ঘরে বসে ব্লগে গালিগালাজ করে আত্ম-তৃপ্তি লাভ না করে নিজেরাও তো কানাডা, আমেরিকা এবং বাংলাদেশের সৌদি দূতাবাসে প্রতিবাদ পত্র দিতে পারেন । পারেন না ? না কী সেই সাহস টুকু নেই, শুধুই বিকৃত গালিগালাজ ? আমি দেশে থাকি না , কিন্তু সাইফুল এবং অন্যান্য মুক্ত-মনা সদস্যদের কী এতোটুকু সাহস নাই ? শুধু
গালিগালাজের পোটলা ?
@মোহিত,
গালিগালাজ না করেইতো লিখবেন আপনি। বস্তিবাসীদের এই সমস্ত পঁচা কথাতো আর আপনি জানেন না।
কৃতজ্ঞতা রইলো।
আমরা কী করবো সেটা আমাদেরকেই ঠিক করতে দিন। অন্যের বিষয়ে অহেতুক মাতব্বরি কেন। সাইফুলকে হিতোপদেশ না দিলে, আপনাকে ওই কথাগুলো বলতামই না আমি।
রবীন্দ্রনাথের কথা ধার করে বলা লাগে এবার। অনেক গালি যাওগো দিয়ে কোনো গালি না দিয়ে। 🙂
@মোহিত,
“আমি এ বিষয়ে ভালভাবেই লিখেছি তবে গালিগালাজ না করে। সৌদি দূতাবাসে প্রতিবাদ পত্র ও দেয়া হবে। ”
কোথায় লিখেছেন,দুতাবাসে কি দিয়েছেন সেগুলোর লিঙ্ক দিয়েন,পারলে এখানে পেস্ট করবেন। আর এটা ভাবছেন কেন যে আমরা কেউ কিছু করছি না বা আপনি একাই বিদেশে থাকেন?। বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে অনেকবার যোগাযোগ করা হয়েছে সৌদি সরকারের কাছে ক্ষমার জন্য , প্রেসিডেন্ট ও চিঠি দিয়েছিলেন। এখন মুন্ডু কর্তনের পর আপনি সৌদি দূতাবাসে কি পত্র দিবেন?, এই বলে যে মুণ্ডু কর্তন ইসলামি মতে বিসমিল্লাহ্ বলে করা হয় নাই নাকি রুচিসম্মত হয় নাই?।আপ্নি ত আবার রুচি বাতিকগ্রস্ত।
@ফরিদ আহমেদ,
আসলে ইসলাম ধর্মের ধারক ও বাহক সৌদির এই বর্বর, জানোয়ার সুলভ, অসভ্য, পৈশাচিক ইসলাম তথা শরিয়া আইন মোতাবেক হত্যাকান্ডকে জাস্টিফাই করতে যেয়ে কেউ কেউ মাথা খারাপ হয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার প্রানান্তকর প্রচেষ্টায় মেতে এখন অপ্রাসঙ্গিকভাবে আবোল তাবোল বকে যাচ্ছে।
@ব্রাইট স্মাইল্, (Y)
@মোহিত,
প্রতিবার উত্তর দিতে নতুন কমেন্ট থ্রেড না বানায় “”[[মন্তব্যটির জবাব দিন]]”” লেখাতে ক্লিক করুন। এতে আলোচনায় সুবিধা হয় + যার মন্তব্যের উত্তর দিচ্ছেন সে মেইলে নোটিফেকশন পেয়ে যায়।
@মোহিত,
আর বলতে বাধ্য হচ্ছি বাংলা ভাষার শক্তি সম্পর্কে আপনার এবং অভিজিৎ রায়ের সঠিক ধারণা নেই।
আমাদের না হয় বাংলা ভাষার শক্তি সম্পর্কে কোন সঠিক ধারণা নেই, যতটুকু ধারণা পুরোটাই বেঠিক। আপনি ত সঠিক ধারণা সম্পন্ন মানুষ। আপনার সঠিক ধারণা দিয়ে সঠিক পদ্ধতিতে এ ব্যাপারে কিছু করে দেখান। আমরা যত বেঠিক ধারণার মানুষ আছি তারা আপনার অনুগামী হবো। আমার ধারণা নেই তা মেনে নিচ্ছি। কিন্তু অভিজিৎ ! তার লেখাগুলো কি আপনি পড়েছেন?
@তামান্না ঝুমু,
”আমাদের না হয় বাংলা ভাষার শক্তি সম্পর্কে কোন সঠিক ধারণা নেই, যতটুকু ধারণা পুরোটাই বেঠিক। আপনি ত সঠিক ধারণা সম্পন্ন মানুষ। আপনার সঠিক ধারণা দিয়ে সঠিক পদ্ধতিতে এ ব্যাপারে কিছু করে দেখান। আমরা যত বেঠিক ধারণার মানুষ আছি তারা আপনার অনুগামী হবো। আমার ধারণা নেই তা মেনে নিচ্ছি। কিন্তু অভিজিৎ ! তার লেখাগুলো কি আপনি পড়েছেন?”
– জ্বী, ম্যাডাম, আমি ইতোমধ্যেই ব্লগ লিখেছি- কোন রকমের গালিগালাজ ছাড়াই। আর সৌদি দূতাবাসেও প্রতিবাদ পাঠাচ্ছি।
” কিন্তু অভিজিৎ ! তার লেখাগুলো কি আপনি পড়েছেন?”
-হা-হা-হা-হা ।পড়েছি এবং সে জন্যেই ভেবেছি তার এতো অধঃপতন হলো কী করে এবং কেন ?
@মোহিত,
আপনি দয়া করে এক জায়গাতে মন্তব্য করুন। মানে যেভাবে আপনি ছুটে ছুটে মন্তব্য করছেন মনে হচ্ছে আপনার ব্রীড়ালুন্ঠনের জন্যে এখানে আমরা প্রতিযোগিতায় মেতেছি। ব্যাপারটা মোটেও তা নয়। আপনি স্থির হোন।
আপনার সাথে অভিদা আর ফরিদ ভাই ছাড়াও আরো কয়েকজনের কথা হয়েছে।
সুতরাং আমার নিজের আলাদা কিছু বলার নাই। শুধু একটু নির্দিষ্টভাবে জিজ্ঞাসা। আপনি কি এই আট বাঙালির মৃত্যুদন্ড সমর্থন করেন নাকি করেন না?
আপনি যদি মনে করেন আমি এখানে সাহিত্যচর্চা করতে ব্লগটা লিখেছি তাহলে আপনাকে বলব পড়াশোনা করুন তারপরে মুকমনায় আসুন। আমরা আপনার সাহিত্যিক পদচারনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। কোন সমস্যা নাই।
আর কয়েকটা কথা। আমি আমার পোষ্টে বা মন্তব্যে কোথায় “প” বর্গীয় কথা ব্যাবহার করেছি? দেখালে একটু আলো বোধ করতাম। মানে আমি যা লিখিনি তা লিখেছি বলতে চাচ্ছেন তো এজন্য আর কি।
আমি যদি আমার লেখায় “প” বর্গীয় শব্দটা দিয়ে যা বোঝায় তা ব্যাবহার করতে চাই তাহলে কি “রসের জলকেলি” ব্যাবহার করব নাকি অন্য কিছু। সঙ্গম? কিংবা “চ” বর্গীয় সেই চিরচেনা, দেহে যৌবনের ধাক্কা দেয়া শব্দটা ব্যাবহার করব? প্লিজ একটু সাজেশন দেন।
@সাইফুল ইসলাম,
”আপনি কি এই আট বাঙালির মৃত্যুদন্ড সমর্থন করেন নাকি করেন না?’
– না। কারণ, আমরা জানি না তারা সত্যি খুন করেছিল কী না এবং করলে তারা কেন এবং কোন পরিস্থিতিতে করেছিল । আর তাতো self-defense এর জন্য ও হতে পারে।
” আপনি যদি মনে করেন আমি এখানে সাহিত্যচর্চা করতে ব্লগটা লিখেছি তাহলে আপনাকে বলব পড়াশোনা করুন তারপরে মুকমনায় আসুন। আমরা আপনার সাহিত্যিক পদচারনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। কোন সমস্যা নাই।”
– সাহিত্য চর্চা করার জন্য যে লিখেন নি তাতো আর বলে দেয়ার অপেক্ষা রাখে না । যা লিখেছেন তা গুলিস্তানের মোড়ের যৌন রোগের মলম বিক্রেতাকে হার মানায়। মনে হয়েছে সে-ই উলংগ পাগলের কথা যে চৌ- রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে কুৎসিত গালিগালাজ করছে আর অন্যরা মজা পেয়ে বলছে ,”চালা রে পাগলা …।
ভাইজান দেখি ঘুরে ঘুরে শুধু গালিগালাজ শুনে বেড়ান। আর কোনো কাজ নেই নাকি আপনার? বস্তিবাসীদের ঝগড়ার শোনেন শুনেছি। এখন আবার শুনছি গুলিস্তানের মোড়ে দাঁড়িয়ে যৌনরোগের মলম বিক্রেতার ক্যানভাস শোনারও অভ্যাস আছে। বাহ বাহ বেশ। চৌরাস্তার পাগলের গালিগালাজের কথা বাদই দিলাম। ওটা না হয় চলতে পথে শুনেছেন।
@ফরিদ আহমেদ,
😀
মোহিতের মন্তব্যগুলি পড়ার শুরু থেকেই আমার স্যামুয়েল জনসনের গল্পটা মনে পড়েছিল। জনসন ইংরেজী ভাষার প্রথম আধুনিক অভিধান লেখার পর কিছু ভদ্রমহিলা এসে তাঁকে ধন্যবাদ জানান, কারণ তাঁর অভিধানের কোন অশ্লীল শব্দ নেই। জনসন জবাব দেন, “Ladies, I congratulate you on the ability to look them up.”
@মোহিত,
তাহলেতো ল্যাটা চুকেই গেল।
এই পোষ্টে অশ্লীলতা নিয়ে আমাকে কথা বলতে হবে ভাবি নাই। যাই হউক, অশ্লীলতার সংজ্ঞা কী? আপনার কাছে যদি যৌনতাসর্বস্ব শব্দগুলো অশ্লীলতা হয় তাহলে আপনার কাছে তাই অশ্লীল। আমার কাছে কিন্তু ঐ বিশেষ শব্দগুলোকে মোটেই অশ্লীল মনে হয় না। বরঞ্চ যারা বলে যে এগুলো নিম্নরুচির লোকজন যেহেতু ব্যাবহার করে সে জন্য অশ্লীল, তাদের রুচিকেই আমার কাছে অশ্লীল বলে মনে হয়। আপনাদের ঐ তথাকথিত নিম্নরুচির লোকজন প্রজননের কাজে যে পদ্ধতিটি ব্যাবহার করে তার থেকে আলাদা কোন পদ্ধতি কি বের করেছেন? তারা পয়নিষ্কাশনের কাজে যে দৈহিক প্রক্রিয়া ব্যাবহার করে আপনি কি তার থেকে আলাদা কোন উপায়ে কোষ্ঠপরিষ্কার করেন? ওরা বলে “পোন্দানী” আর আপনি কি বলেন? জানি না। একটু জানিয়ে দেবেন প্লিজ তাহলে পরেরবার বলতে পারব। মানে একই, শব্দটা আলাদা। এখন আপনার কাছে যদি লাউকে শ্লীল মনে হয় আর আমার কাছে যদি অশ্লীল মনে হয় তাহলে কী করা যাবে? আমি বলব আপনাকে “কদু” শব্দটা ব্যাবহার করতে হবে? জোড় করে? 🙁
২০১১ সালে বাস করে যদি ভীক্টোরিয়ার যুগের মানসিকতা নিয়ে থাকেন তাহলে কিভাবে হবে?
আর তাছাড়া আপনার আসল চরিত্র তো বের করেই ফেলেছে অভিদা আর ফরিদ ভাই(ইসলাম আর নবীর সমালোচনায় আপনার ব্যাপক ক্ষোভ)। যার জন্য আপনার সাথে আরো আলোচনার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলেছি।
@সাইফুল ইসলাম,
” আর কয়েকটা কথা। আমি আমার পোষ্টে বা মন্তব্যে কোথায় “প” বর্গীয় কথা ব্যাবহার করেছি? দেখালে একটু আলো বোধ করতাম। মানে আমি যা লিখিনি তা লিখেছি বলতে চাচ্ছেন তো এজন্য আর কি।
আমি যদি আমার লেখায় “প” বর্গীয় শব্দটা দিয়ে যা বোঝায় তা ব্যাবহার করতে চাই তাহলে কি “রসের জলকেলি” ব্যাবহার করব নাকি অন্য কিছু। সঙ্গম? কিংবা “চ” বর্গীয় সেই চিরচেনা, দেহে যৌবনের ধাক্কা দেয়া শব্দটা ব্যাবহার করব? প্লিজ একটু সাজেশন দেন।”
– লিখেছে তো বাঙ্গালি নামের একজন। আপনার নাম লিংক করেছেন অভিজিৎ রায়। তিনি এ কাজটি দুবার করেছেন।আর আপনারে সাজেশন দিব আমি ? এই না আমাকে পড়াশোনা করে আসতে বললেন ?
অভিজিৎ, মহিলা শব্দের পরিবর্তে কী কী শব্দ ব্যবহার পারি জানাবেন কী ?
”এগুলো বাদ দিয়ে আপনি সাইফুলের ‘পোন্দানো’ নিয়ে পড়লেন কেন কে জানে! সাইফুল সৌদীদের বর্বর প্রথা এবং অমানবিক বিচার প্রক্তিয়ার উপর একটা আঘাত করার কথা বলেছেন এই শব্দটির মাধ্যমে,-”
– এই শব্দটির ( পোন্দানো ) মাধ্যমে সাইফুল ইসলাম কীভাবে সৌদীদের বর্বর প্রথা এবং অমানবিক বিচার প্রক্রিয়ার উপর আঘাত করবেন ? এই শব্দটি বাংলা একাডেমির ‘ব্যবহারিক বাংলা অভিধান’-এ খুঁজে পেলাম না। তবে শব্দটি অশ্লীল গালি-গালাজের সময় নিম্ন রুচির মানুষদের ব্যবহার করতে শুনেছি। শব্দটির অর্থ যতদূর মনে হয় ধর্ষণ করা বা অশ্লীলভাবে যৌন সংসর্গ করা ( ভুল হলে শুধরে দেবেন আশা করি )। তো সাইফুলের এই ইচ্ছের কথা( পোন্দানোর) সৌদি রাজা, রাজ-পরিবার, উলেমা পরিষদ এবং বিচারকগণ কী ভাবে জানতে পারবেন ? তাদের কী মুক্ত-মনায় তার ব্লগ পড়ার জন্য দাওয়াত দেয়া হবে ?
@মোহিত,
মোহিত সাহেব, যে শব্দের অর্থ বাংলা একাডেমীর অভিধানেই নেই, সেই শব্দের এরকম কদর্য মানে আপনার মত একজন সুশীল ব্যক্তি আন্দাজে এভাবে বের করলেন দেখে খুবই দুঃখ পেলাম। পোন্দানো মানে মোটেও ধর্ষণ বা অশ্লীল যৌন সংসর্গ (শ্লীল যৌন সংসর্গ কোনটা মোহিত সাহেব?) নয়। এর মানে হচ্ছে গভীর আবেগে আদর সোহাগ করা। 🙂
@ফরিদ আহমেদ,
” মোহিত সাহেব, যে শব্দের অর্থ বাংলা একাডেমীর অভিধানেই নেই, সেই শব্দের এরকম কদর্য মানে আপনার মত একজন সুশীল ব্যক্তি আন্দাজে এভাবে বের করলেন দেখে খুবই দুঃখ পেলাম। পোন্দানো মানে মোটেও ধর্ষণ বা অশ্লীল যৌন সংসর্গ (শ্লীল যৌন সংসর্গ কোনটা মোহিত সাহেব?) নয়। এর মানে হচ্ছে গভীর আবেগে আদর সোহাগ করা।”
– শব্দটির অর্থ আন্দাজে বের করিনি, আমি উল্লেখ করেছি যে নিম্ন-রুচির মানুষদের আমি শব্দটি গালি-গালাজের সময় যেভাবে ( আগে পিছে আরো কথা জুড়ে) ব্যবহার করতে শুনেছি তাতে আমার ধারণা হয়েছে যে তার মানে হচ্ছে বলাৎকার বা ধর্ষণ বা অশ্লীল যৌন সংসর্গ করা।এই শব্দটির মানে গভীর আদর সোহাগ হলে সাইফুল ইসলাম সাহেব নিশ্চয়ই ব্যবহার করতেন না ।
অশ্লীল যৌন সংসর্গ বলতে বোঝাতে চেয়েছি জোর পূর্বক বা বিকৃত যৌন ক্রিয়া ইত্যাদি। আর সে বিচারে স্বামী -স্ত্রী বা প্রেমিক-প্রেমিকার পরস্পরের সম্মতির ভিত্তিতে যৌন সংসর্গকে অবশ্যই শ্লীল বলতে পারি না কী ?
এই শব্দটা শ্লীল হলে সাইফুল ব্যবহার করতো না, আর অশ্লীল বলেই সে ব্যবহার করেছে, আপনার এই পূর্ব অনুমিত ধারণাটা যে সাইফুলের অশ্লীল শব্দটার চেয়েও বেশি অশ্লীল, সেটা কী আপনি বুঝতে পেরেছেন?
@ফরিদ আহমেদ,
”এই শব্দটা শ্লীল হলে সাইফুল ব্যবহার করতো না, আর অশ্লীল বলেই সে ব্যবহার করেছে, আপনার এই পূর্ব অনুমিত ধারণাটা যে সাইফুলের অশ্লীল শব্দটার চেয়েও বেশি অশ্লীল, সেটা কী আপনি বুঝতে পেরেছেন?”
– পূর্ব অনুমিত ? সাইফুল তো অশ্লীলতার চূড়ান্ত প্রমাণ দিয়ে ছেড়েছেন এবং আপনারা তা সমর্থন করছেন।
@মোহিত,
মোহিত সাহেব, আপনি একজন পুতপবিত্র ব্যক্তি। পোন্দানো শব্দের মানে জানেন না। অথচ শুধুমাত্র সাইফুল ব্যবহার করেছে বলেই আপনি ধরে নিয়েছেন যে এটা একটা অশ্লীল শব্দ। আপনার ভাষ্য অনুযায়ীই এটা শ্লীল শব্দ হলে সাইফুল ব্যবহার করতো না। এটাকেই পূর্ব অনুমিত বলেছি আমি। এইটুকু বোঝার চেষ্টা করুণ দয়া করে।
আমি যে এই শব্দটার মানে বললাম গভীরভাবে কাউকে আদর সোহাগ করা, সেটাকে বাতিল করলেন কী দিয়ে? শব্দটাতো কোনো অভিধানেই নেই, তাই না? নাকি খুব ভালো করেই আসল মানেটা জানেন আপনি। খামোখাই ভান ভনিতা করছেন সুশীল সাজার।
@মোহিত,
কেন – নারী শব্দটি তো অভিধানে আছেই।
@অভিজিৎ,
নারী মানে হচ্ছে যা নর হতে সৃষ্ট। কিন্তু নারী কি আসলেই নর হতে সৃষ্ট?
@তামান্না ঝুমু,
হুমম এটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। কিছু কথা বলা দরকার। সংস্কৃত নৃ শব্দটি থেকে নারী শব্দটির উৎপত্তি (নৃ+ঈ= নারী)। সেজন্য নর হতে নারীর উৎপত্তি বলে ধরে নেয়া হয়। কিন্তু এর মধ্যে কিছু বিতর্ক আছে। যদি অশোক মুখোপাধ্যায়ের সমার্থক শব্দকোষ বইটি দেখেন, তবে দেখবেন, ‘নর’ শব্দটি মুলতঃ ‘মানুষ’ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। আর সংস্কৃত ‘নৃ ‘ শব্দটিও মূলতঃ পুরো মানব সমাজকেই প্রতিনিধিত্ব করে বলে, আমরা মানব নিয়ে গবেষণা করা এন্থ্রোপলোজির বাংলা করেছি -নৃবিজ্ঞান। কাজেই নৃ শব্দটি মূলতঃ মানুষ হিসেবে ধরে নিলে নারীকে আর অবমাননাকর বলে মনে হবে না, মনে হবে না নর থেকে উদ্ভুত। আর অন্যদিকে ‘মহিলা’র উৎপত্তি ‘মহল’ থেকে প্রতিশব্দ হচ্ছে ‘অন্ত:পুর নিবাসিনী’, সেজন্যই প্রগতিশীল লেখকেরা এই শব্দটিকে পারতপক্ষে ব্যবহার করেন না। নারী শব্দটি সরাসরি লিঙ্গকে প্রতিনিধিত্ব করে। সেজন্যই দেখবেন হুমায়ুন আজাদ তার বইয়ের নাম করেছেন ‘নারী’, মহিলা নয়। মুহম্মদ শামসুল হক তার বইয়ের নাম দিয়েছে ‘নারী কোষ’, মহিলা কোষ নয়। জেন্ডারসচেতন লেখকেরা ‘নারী’ শব্দটিকেই বেছে নিয়েছেন।
@অভিজিৎ,
” আর ‘মহিলা’ শব্দটিই কিরম একটা সুশীলিয় ট্যাগ – ‘যারা কেবল মহলে থাকে’, কখনো ভেবে দেখেছেন! ‘ভদ্রমহিলা’ শব্দটি আপনার পছন্দ হলেও আমার এটাকেই খুব কুরুচিপূর্ণ মনে হয়।
-মহিলা মানে ‘যারা কেবল মহলে থাকে’ এটি কোন ব্যাকরণ বইতে আছে ? ব্যবহারিক বাংলা অভিধানে মহিলা শব্দের মানে করা হয়েছে ১। সম্ভ্রান্ত নারী ২। যে কোনো নারী বা স্ত্রীলোক।আর শব্দটির ব্যকরণগত বিশ্লেষণ হচ্ছে ঃ {স.√মহ+ইর(কিরচ),ইল+আ(টাপ)}।
এখানে মহল এর সাথে সম্পর্ক কোথায় ? আপনারা কী নতুন ব্যাকরণ লিখছেন ? আর
ব্যবহারিক বাংলা অভিধানে ভদ্র শব্দের মানে হলোঃ ১ শিষ্ট;মার্জিত রুচি;সভ্য;সাধু; উচ্চ সমাজের অর্ন্তগত ২ সুন্দর; মনোহর । এখন ‘ভদ্রমহিলা’ শব্দটি আপনার কাছে কীভাবে কুরুচিপূর্ণ মনে হলো ? আপনারা কী বাংলাভাষাকে নতুন অর্থ প্রদান করতে চাচ্ছেন ?
”কেন – নারী শব্দটি তো অভিধানে আছেই।
-মানে নারীদের সম্পর্কে লিখতে যেয়ে নারী ছাড়া আর কোন শব্দ ব্যবহার করা যাবে না ? এটা তো প্রাক্তন কম্যুনিষ্টদের মতো শব্দ সেন্সর বলে মনে হচ্ছে । আর নারী শব্দটিও যে নর হতে এসেছে তা তো লীনা রহমানই উল্লেখ করেছেন।
@মোহিত,
লীনা নয়, তামান্না ঝুমু। তার উত্তর আমি যথার্থ স্থানেই দিয়েছি। আর ‘মহিলা’র উৎপত্তি ‘মহল’ থেকে যার প্রতিশব্দ হচ্ছে ‘অন্তঃপুর নিবাসিনী’, সেটা অনেক জায়গাতেই আছে, এমনকি রোকেয়ার রচনাতেও। রবীন্দ্রনাথও ‘মুসলমান মহিলা’ নিয়ে একটি প্রবন্ধে মূলতঃ অসূর্যম্পশ্যা জেনানা তথা অন্তঃপুরচারিণীর কথাই বিধৃত করেছেন। পড়ে দেখতে পারেন।
তবে মহিলা বা নারী নিয়ে নরকগুলজার করা আমার উদ্দেশ্য ছিলো না। আপনার যেটা পছন্দ সেটা লিখুন। আমার কোন আপত্তি নেই। ইচ্ছে করলে রমনী, ললনা, অঙ্গনা সবই ব্যবহার করতে পারেন, কিন্তু যে স্বাধীনতা আপনি নিজে চান, সেটা আবার সাইফুলের লেখা থেকে কেড়ে নিতে চান কেন, যখন ‘পোন্দানি’টা কেবল সৌদীদের বিচার প্রক্রিয়াকে দেয়া হয়ছিলো, আপনাকে তো নয়!
আমার আলোচনার এখানেই সমাপ্তি টানছি।
@অভিজিৎ,
”লীনা নয়, তামান্না ঝুমু। তার উত্তর আমি যথার্থ স্থানেই দিয়েছি। আর ‘মহিলা’র উৎপত্তি ‘মহল’ থেকে যার প্রতিশব্দ হচ্ছে ‘অন্তঃপুর নিবাসিনী’, সেটা অনেক জায়গাতেই আছে, এমনকি রোকেয়ার রচনাতেও। রবীন্দ্রনাথও ‘মুসলমান মহিলা’ নিয়ে একটি প্রবন্ধে মূলতঃ অসূর্যম্পশ্যা জেনানা তথা অন্তঃপুরচারিণীর কথাই বিধৃত করেছেন। পড়ে দেখতে পারেন।”
– রবীন্দ্রনাথ এবং রোকেয়া কী ব্যাকরণবিদ ছিলেন ? বাংলাদেশ এবং পশ্চিম বংগের কোন বাংলা অভিধানের রেফারেন্স তো দিতে পারলেন না ।
@মোহিত,
“পোন্দানো” মানে কি সেটা তো দেখলাম ব্যাকরণ বই ছাড়াই চমৎকার জেনে ফেলেছেন!
একটি শব্দের রাজনৈতিক প্রয়োগ কি, তা কি ব্যাকরণ বই এ পাওয়া যায়? “নেটিভ” শব্দটা যে ঔপনিবেশিকরা নিন্দার্থে ব্যবহার করত, তা কি তার ব্যকরণ-অর্থ থেকে উদ্ধার করা সম্ভব?
@অভিজিৎ,
” তবে মহিলা বা নারী নিয়ে নরকগুলজার করা আমার উদ্দেশ্য ছিলো না। আপনার যেটা পছন্দ সেটা লিখুন। আমার কোন আপত্তি নেই। ইচ্ছে করলে রমনী, ললনা, অঙ্গনা সবই ব্যবহার করতে পারেন, কিন্তু যে স্বাধীনতা আপনি নিজে চান, সেটা আবার সাইফুলের লেখা থেকে কেড়ে নিতে চান কেন, যখন ‘পোন্দানি’টা কেবল সৌদীদের বিচার প্রক্রিয়াকে দেয়া হয়ছিলো, আপনাকে তো নয়!”
– ছিঃ…………………………………………।।
@মোহিত,
ছিঃ কেন?
ছিঃ এর পরে কি????????
@মোহিত,
আপনার কি আইরনির ধারণা সম্পূর্ণ বিলোপ পেয়েছে? আপনি এখানে এসেছেন সাইফুলের শব্দ নিয়ে আপত্তি জানাতে, এখন হঠাৎ “শব্দ সেন্সর” করা নিয়ে আপত্তি জানাচ্ছেন?
@রৌরব, গালাগাল ও শব্দ বটে, তবে তা গালাগালই, আপনি কী তা বোঝেন না ?
@মোহিত,
নিশ্চয়ই গালাগাল। সাইফুল ইসলাম গালাগাল না করলেই মর্মাহত হতাম।
সেন্সরের বিরোধিতা করলে আগাগোড়া করুন, সুবিধাবাদী ভঙ্গিতে নয়। আর নইলে স্বীকার করুন যে আপনার পছন্দ-সই সেন্সরে আপনার দারুণ সম্মতি আছে।
অভিজিৎ,
”আপনার যে শব্দগুলো বা ভাষার জন্য লেখাটাকে খারাপ মনে হয়েছে, আমার অন্ততঃ সেই ভাষার জন্যই লেখাটিকে অত্যন্ত শক্তিশালী লেখা মনে হয়েছে।”-
সত্যি অবাক হচ্ছি।
” আর জরিপ চলাতে হবে কেন, আমি উপরে পাঠকদের মন্তব্য দেখেই বলছি। যেমন, রৌরব বলেছেন – “আপনার সেরা লেখার একটি”, আর “বারুদ লেখা”, “কড়া লেখা”, “আপনার লেখা পইড়া একটু মনের ঝাল মিটলো”, “এ ধরণের চড়া ভাষায় লেখা সবসময়ই মুক্তমনায় দেখতে চেয়েছি” -এগুলো মন্তব্য কিন্তু উপরে পাঠকেরাই করেছেন। আলাদাভাবে জরিপ কেন চালাতে হবে বুঝলাম না।”
– বিজ্ঞান এবং পরিসংখ্যান প্রিয় অভিজিৎ রায়ের কাছ থেকে এধরণের কথা শুনে আশ্চর্যান্বিত হচ্ছি। আপনার উপরেল্লেখিত পাঠকদের কত জন নারী/মেয়ে( এটা ঠিক আছে ?) ? তারা মুক্ত-মনা পাঠিকাদের শতকরা কত ভাগ হবেন ?
@মোহিত,
মোহিতের কাণ্ডকারখানা দেখে আমরা আরো আশ্চর্যান্বিত হচ্ছি। আপনিতো দেখছি মুক্তমনার পাঠিকাদের জন্য গলা ফাটিয়ে ফেলছেন। এদের কথা আপনি জানেন কী করে? সবার ভাবনা চিন্তা কী আপনি মন পঠন করে জেনে যান? নাকি তারা সবাই আপনাকে মেইল করেছে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে?
ও হ্যাঁ আরেকটা কথা। সাইফুলের ব্যবহৃত শব্দসমূহ যে চটিতে থাকে, এটা আপনি জানলেন কী করে? আপনার মত একজন সুশীল ব্যক্তি চুপিচুপি গুপ্তবাবুর কদর্য চটি পড়েছেন, এটা নিশ্চয়ই আমাকে বিশ্বাস করতে বলেন না। বলেন কী?
@ফরিদ আহমেদ,
:))
@ফরিদ আহমেদ,
” সাইফুলের ব্যবহৃত শব্দসমূহ যে চটিতে থাকে, এটা আপনি জানলেন কী করে? আপনার মত একজন সুশীল ব্যক্তি চুপিচুপি গুপ্তবাবুর কদর্য চটি পড়েছেন, এটা নিশ্চয়ই আমাকে বিশ্বাস করতে বলেন না। বলেন কী?”
– গুপ্তবাবু কে ফরিদ ভাই ?
পতিতালয়ে কী হয় তা জানার জন্য কী পতিতালয়ে যেতে হয় ?
”আপনিতো দেখছি মুক্তমনার পাঠিকাদের জন্য গলা ফাটিয়ে ফেলছেন। এদের কথা আপনি জানেন কী করে? সবার ভাবনা চিন্তা কী আপনি মন পঠন করে জেনে যান? নাকি তারা সবাই আপনাকে মেইল করেছে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে?”
– এ কথাগুলোর মধ্যে কতটুকু যুক্তিবোধ আছে ? আগের মুক্ত-মনা ওয়েব সাইটের মান দেখে ও এর পাঠকদের রুচির কথা মনে রেখে এবং এর বর্তমান অবস্থার সাথে তুলনা করে আমার মনে এ ধারণা জেগেছে। তার মানে কী সকলের রুচি নিম্ন গামী হয়েছে ?
এইটা একটা দুর্দান্ত প্রশ্ন হয়েছে। আপনি যে কোনো দিন নীলক্ষেতে যান নি, সেটা বোঝা গেলো। গুপ্তবাবু একজন গুপ্ত মানুষ। তিনি নীলক্ষেতে গা ঢাকা দিয়ে থাকেন। সন্ধ্যার পর ওখানে গিয়ে চুপিচুপি কাউকে জিজ্ঞেস করলে, তবেই তার দেখা মেলে।
এইবার আমিও একটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করি আপনাকে। গুপ্তবাবুকে না চিনেই চটি চেনেন কীভাবে? এ আপনার পতিতালয় নয়। চটি হাতে না এলে খুব সহজে জানার উপায় নেই চটি কী জিনিস।
এইতো এতক্ষণে যুক্তির কথায় এসেছেন। আপনার মনে ধারণা জন্মেছে যে মুক্তমনার রুচি নিম্নগামী হয়েছে। আপনার এই ধারণা আপনি নিঃসংকোচেই বলতে পারতেন। এর জন্য খামোখা মুক্তমনার পাঠিকাদের ঘাড়ে বন্দুক রাখার প্রয়োজন ছিলো না।
@ফরিদ আহমেদ,
হাহাহা জব্বর বলেছেন ফরিদ ভাই। হাসতে হাসতে আমার দম বন্ধ হবার যো। :hahahee:
@মোহিত, আসলে কার রুচি নিচে নামে নাই। কিন্তু মানুষের সহ্যের একটা সীমা আছে। আচ্ছা বলেন তো, নাস্তিক হবার কারনে যদি আমাকে আমারি কাজিন এর কাছ থেকে শুনতে হয় যে তোদের মত নাস্তিক শুওরের বাচ্চারা ধর্মের কি বুঝিস( আর অনেক কিছু লেখা যাবে না), তবে নাস্তিক রা কি নিউ টেস্টামেন্ট এর শিক্ষা নিয়ে তাকে চুমু দিবে, এটাই আপনি আশা করেন?আমার অই কাজিন একটা স্বনামধন্য ব্যাংক এ বড় পোস্টে জব করে। তাকে আপনি নিশ্চয় অসভ্য বলবেন না?তো সেইখানে আমিও সেই একি কথাই বললাম,মানে তাকে ধার্মিক শুওরের বাচ্চা বললাম( এখানে আমি কিন্তু সভ্য নই তাই না? কারন আমি যে নাস্তিক!}।যাহোক তার সাথে আমার দীর্ঘ দিন কথা বন্ধ ছিল ।সবশেষে এটাই বলব যে আমিও গালিগালাজের পক্ষপাতি না, তবু মাঝে মাঝে মানুষ অসহ্য হয়ে যায়, তখনি মুখ ফস্কে এইহুল বেরিয়ে আসে।
অভিজিৎ , ”আপনি সেই অপরাধ নিয়ে একটি কথাও বললেন না, কেবল সাইফুলের ভাষাটাই আপনার লেখার লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠলো?”-আমার মন্তব্যে আপনার কীভাবে মনে হলো যে ঘটনাটি আমার ভেতরে ক্ষোভের সঞ্চার করে নি ? আমি শুধু প্রকাশ ভংগির কথা বলেছি। চটির ভাষায় লেখা এবং কথাকে মানুষ সেভাবেই নেয়।আপনার মন্তব্য পড়ে আরো নিশ্চিত হলাম যে মুক্ত-মনা নামক বিজ্ঞান এবং যুক্তিবাদ প্রচারের ওয়েব সাইটটির সত্যি অবনমন ঘটেছে।নাহলে ,”পোন্দায়” শব্দটি( বস্তি এবং চটির ভাষা) কীভাবে বিজ্ঞান, যুক্তিবাদ এবং সুস্থ ও সুরুচির প্রচারক মুক্ত মনায় স্থান পায় ? আর সুশীল শব্দটি দেখছি ইদানীং গালিতে পরিণত হয়েছে!
সাইফুল ইসলামের লেখাটি কতটুকু কুরুচিকর হয়েছে তা জানার জন্য মুক্ত-মনার নিয়মিত পাঠিকাদের মধ্যে একটা জরীপ চালিয়ে দেখতে পারেন। প্রকাশ ভংগীর কারণে তার ক্ষোভ এবং মূল আবেদন হালকা হয়ে গেছে। আপনার কী ধারণা সরকার বা বেসরকারি কোন প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট বিষয়ের কোন গুরুত্বপূর্ণ কর্ম -কর্তা ‘শিশ্ন’ ‘পোন্দায়”চৌদি” – জাতীয় শব্দ চোখে পড়ার পর একে কোন গুরুত্ব দিবে বা পড়বে ? ভদ্রমহিলা বলাতে আপনার কাছে কুরুচিপূর্ণ মনে হলো ? শব্দটি কী বাংলা ভাষায় আমি যোগ করেছি ? তাহলে রমণী,জননী ইত্যাদি শব্দগুলো সম্পর্কে আপনার বক্তব্য কী ?
@মোহিত,
ঠিক আছে, আপনার মতামতের উপর আর বিতর্ক করছি না। আপনার যে শব্দগুলো বা ভাষার জন্য লেখাটাকে খারাপ মনে হয়েছে, আমার অন্ততঃ সেই ভাষার জন্যই লেখাটিকে অত্যন্ত শক্তিশালী লেখা মনে হয়েছে। আর জরিপ চলাতে হবে কেন, আমি উপরে পাঠকদের মন্তব্য দেখেই বলছি। যেমন, রৌরব বলেছেন – “আপনার সেরা লেখার একটি”, আর “বারুদ লেখা”, “কড়া লেখা”, “আপনার লেখা পইড়া একটু মনের ঝাল মিটলো”, “এ ধরণের চড়া ভাষায় লেখা সবসময়ই মুক্তমনায় দেখতে চেয়েছি” -এগুলো মন্তব্য কিন্তু উপরে পাঠকেরাই করেছেন। আলাদাভাবে জরিপ কেন চালাতে হবে বুঝলাম না। ইনফ্যাক্ট আপনি ছাড়া আর কেউই এটা নিয়ে কথা বলছেন না। তাই বলছি, ব্যাপারটা না হয় ব্যক্তিগত রুচির উপরেই ছেড়ে দিন।
আর আপনি রমনী (যে রমনের যোগ্য), মহিলা ( যে মহলে থাকে), অবলা, বামা, সতী, স্ত্রীলোক, ললনা, অঙ্গনা, ভামিনী … এই ‘সুশীল’ শব্দগুলোর বুৎপত্তিগত অর্থ আসলেই জানেন না? হ্যা শব্দগুলো বাংলা ভাষায় আপনি যোগ করেননি, অনাদিকাল থেকেই ছিলো – কিন্তু আধুনিক পরিবর্তিত যুগের প্রেক্ষাপটে নারীদের মানুষ হিসেবে ভাবলে সেই শব্দগুলো কি আপনি ব্যবহার করতে পারেন, যেখানে আপনি নিজেই এক লেখকের ভাষার ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলে যাচ্ছেন ? মাগি, যবন, খানকি, বেশ্যা, মালু – এই শব্দগুলোও বাংলায় আছে, ‘নিগ্রো’ শন্দটিও একসময় ইংরেজীতে ছিলো, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এই কুরুচিপূর্ণ শব্দগুলো কি আমরা দূর করতে সচেষ্ট হইনি, নিদেনপক্ষে না ব্যবহার করতে ? আমাদের ভাষায় আছে বলেই কি ব্যবহার করতে হবে – কোন চিন্তা ছারাই? আপনার বিবেচনার উপরেই ছেড়ে দিলাম। এগুলো বাদ দিয়ে আপনি সাইফুলের ‘পোন্দানো’ নিয়ে পড়লেন কেন কে জানে! সাইফুল সৌদীদের বর্বর প্রথা এবং অমানবিক বিচার প্রক্তিয়ার উপর একটা আঘাত করার কথা বলেছেন এই শব্দটির মাধ্যমে, কাউকে কোন জেন্ডারগত বা রেসিস্ট কিছু অর্থে সেটা বলেন নি, এমনকি সেটা আক্ষরিক অর্থেও প্রকাশ করেননি। আমি সেজন্যই বলছি এর চেয়ে ঢের বেশি কুৎসিৎ কথা সুশীলিয় কায়দায়ও বলা যায় – যেমন বঙ্কিমবাবু ‘যবন’দের নিয়ে তার কিছু উপন্যাসে বলেছেন। এখন কোনটা আপনার পছন্দের সেটা আবারো আপনার হাতেই ছেড়ে দিতে চাই।
@মোহিত,
এ রকম কুৎসিত , জঘন্য একটি ব্যাপারে মনের ক্ষোভ প্রকাশ করতে হলে কীভাবে করতে হবে? রাবীন্দ্রিক ভাষায়! হৃদয়ের একূল ওকূল দুকূল ভেসে যায়, উথলে নয়ন বারি!
@তামান্না ঝুমু, রবীন্দ্রনাথ ই আমাদের ন্যায় অন্যায় বোধ ভুলিয়ে দিয়েছেন। ফলশ্রুতিতে আজ মুক্তমনাদের খুনীদের নিয়ে মায়া কান্নার ঝড় উঠেছে-
“ন্যায় অন্যায় জানিনে জানিনে জানিনে ,
শুধু তোমারে (ইসলাম) জানি “
@মোহিত, আর আপনি কি খুব বেশি চটি পরেন নাকি?না হলে এত সব জানেন কি করে?
সাইফুল ইসলামের লেখাটি এবং অন্যদের মন্তব্য পড়ে এটাই মনে হলো যে মুক্ত-মনা তার আগের স্ট্যান্ডার্ড হারিয়েছে। প্রচন্ড আবেগ তাড়িত হয়ে বস্তির ভাষা এবং গালিগালাজ ব্যবহার না করে মাথাটা ঠান্ডা করে যুক্তি এবং বুদ্ধি প্রয়োগ করে কী ক্ষোভকে আরো কার্যকরভাবে প্রকাশ করা যেত না ? ভদ্রমহিলারা আজকাল আর মুক্ত-মনা পড়ে বলে মনে হচ্ছে না ।
@মোহিত,
হ্যা, সাইফুল আপনার পছন্দানুযায়ী “গালিগালাজ ব্যবহার না করে মাথাটা ঠান্ডা করে যুক্তি এবং বুদ্ধি প্রয়োগ করে” মানে আদর্শ সুশীলিয় কায়দায় লেখাটা লেখেনি বলে আপনার এত ক্ষোভ। আমার মানে হয় সুশীল ভাষার চেয়ে সৌদী বিচারের মানে অপরাধের গভীরতা এখানে অনেক বেশি। আপনি সেই অপরাধ নিয়ে একটি কথাও বললেন না, কেবল সাইফুলের ভাষাটাই আপনার লেখার লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠলো?
উমম… সেটা তাদেরই নির্ধারণ করতে দিলে কেমন হয়? এখানে তো নারীদের নিয়ে কোন কুকথাও বলা হয় নাই, অশ্লীল জোকও করা হয়নি, নারীদের গালাগালিও করা হয়নি, তাদের পাথর ছুঁড়ে তাদের হত্যার কথাও বলা হয় নাই। ‘ভদ্রমহিলারা’ কোনটা পড়বেন য়ার কোনটা পড়বেন না তা আপনি কি করে জানলেন? হয়তো ‘ভদ্রমহিলারা’ যেরকম ভাবছেন, আপনার মত সুশীল আর পুতু পুতু নাও হতে পারে! তাই না? আর ‘মহিলা’ শব্দটিই কিরম একটা সুশীলিয় ট্যাগ – ‘যারা কেবল মহলে থাকে’, কখনো ভেবে দেখেছেন! ‘ভদ্রমহিলা’ শব্দটি আপনার পছন্দ হলেও আমার এটাকেই খুব কুরুচিপূর্ণ মনে হয়। তাই কী আর করা, কিছু ব্যাপার ব্যক্তিবিশেষের পছন্দের উপরেই ছেড়ে দিতে হবে।
@মোহিত,
তোমাগো মত মানুষের ঘরের মহিলারা কিছু পড়তে পারে?। ডাণ্ডা-বেড়ী পরাইয়া রাখ না তোমরা?
@সপ্তক, (Y)
@মোহিত, তাহলে আপনি কি করতে বলেন?ভাই ভাই বিভেদ ভুলে যেতে বলেন?যেমন আজকাল অনেক বাংলাদেশি বলে থাকেন যে ৭১ এ ইন্ডিয়ান রা ভাইদের থেকে ভাইদের আলাদা করেছে?এক্ষেত্রেও কি আপনি এটাই আশা করেন?
@ ফারুক,
ধর্মের কাছে নিজের নারকেলটা (মাথাটা) টি বিক্রি করে দিয়েছেন? যে প্রক্রিয়ায় আপনার পেয়ারের চৌদিরা বিচারটি করল তা কি কোন আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখেছে? আর আসামিরা কি খুনের উদ্দেশ্য সেখানে গিয়েছিল? খুনটা কি সবাই মিলেই করেছে নাকি কোন একজন দুর্ঘটনাবশত করেছে? বাংলাদেশিদের সাথে আরো দুই জন সৌদির লোকও ছিল। এমনও তো হতে পারে সৌদির কুত্তা গুলোই বাংলাদেশিদের বাধ্য করেছে ডাকাতি করতে, এমন কি খুনটা ঐ সৌদি কুত্তারাই করেছে।
প্রকাশ্য জনগণের সামনে ( এমনকি শিশুও থাকতে পারে) শিরশ্ছেদ করা যারা দেখে এবং যারা এটাকে সমর্থন করে, তাদের ভয়ঙ্কর পাগল ছাড়া আর কোন বলা যায় না।
সৌদি সরকার, সৌদির আইন এবং তাদের সমর্থকদের কপালে মুততে পারলে শান্তি পেতাম।
@হেলাল, খুব ভাল চিন্তা করেছেন ত ভাই। এটা আমার মাথাতেই আসেনি। হা খুনটা ত কোন সউদি নাগরিক জোর করেও করাতে পারে,স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাপার থাকলে।
@ফারুক,
ভাই রাষ্ট্রিয় পর্যায়ে এই রকম জন সন্মুখে কল্লা কেটে হত্যার বিধান ইসলামি দেশে ছাড়া কোন কোন সভ্য দেশে এখনো প্রচলিত আছে কি? থাকলে জানাবেন প্লিজ।
এক সময় কিছু মানুষ এই ভয়াবহ দৃশ্য দেখে তৃপ্তি পেত, উল্লাস করত, গর্ব বোধ করত কিন্তু সেটা এখন অতীত বর্বর ইতিহাস মাত্র। মানুষ আরো সভ্য, বিবেকবান, অধিক মানবিকতা বোধ সম্পন্ন হওয়ায় রাষ্ট্রিয় পর্যায়ে জন সন্মুখে প্রকাশ্যে কান্ড আর করে না। ইউরোপের কাফেরের অনেক দেশে এই সব তো নিষিদ্ধ হয়েছে অনেক আগেই। কাফেরেরা যদি মানবিকতার এমন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপনে আবদান রাখতে পারে শান্তির দাবীদার ইসলামী দেশ গুলো করলে ক্ষতি কি?
শাস্তি দেয়ার জন্য আল্লাহ্ তো স্বয়ং নরকের আগুন জ্বালিয়ে অপেক্ষা করছেন আদম তৈরীর পর থেকেই। তাহলে আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা রেখে আর কিছুদিন অপেক্ষা করে আল্লাহর শাস্তির জন্য অনেক্ষা করা আরো উন্নত মানসিকতার পরিচয় নয় কি? যা কাফেররা করছে!
@রাজেশ তালুকদার,
“ইসলাম বিশ্বাসী” পাবলিকরা এত কিছু বুঝে না ভাই! বুঝলেতো জ্ঞানে-বিজ্ঞানে বহুআগেই তারা বিশ্ব্রের অন্যান জাতির সমতাভিত্তিক (around 1/5th on the basis of population) অবদান রাখতে পারতো। আজ ইসলাম-বিশ্বাসী (মুসলীমরা) তিনটি ব্যাপারে সর্বশ্রেষ্ঠঃ
১) আকাশ-চুম্বী গর্ব (Grandiosity) – ‘শ্রেষ্ঠ জাতি, শ্রেষ্ঠ ধর্ম, শ্রেষ্ঠ নবী ইত্যাদি ইত্যাদি”। তারা ছাড়া অন্যান্য সবাই ‘অন্ধকার জগতের বাসিন্দা (জাহেলিয়্যাত)’। প্রমান – ‘কুরান-হাদিস, এ্যচলামী ইতিহাস’।
২) শ্রেষ্ঠ ‘মতি ভ্রম-গ্রস্থ (Paranoid delusion ) – দৃঢভাবে বিশ্বাস করে তাদের সমস্ত অধঃপতন ‘ইহুদি-নাসারাদের চক্তান্ত।
৩) ‘ধর্মের নামে খুনা-খুনী” – জিহাদী জোশ, “মরলে শহীদ, বাঁচলে গাজী”
কি করবেন? ইসলামী জোশ বলে কথা!
“আল্লার নবী যেই দ্যাশে কোষ্টপরিষ্কার করছে মরুভুমিতে প্রাকৃতিক পরিবেশে হেই দ্যাশে যাইবেন না? ”
রাগ হবার পরও এই লাইন পড়ে না হেসে পারা যায় না । :lotpot: :lotpot: 😀 😀
মন চায় ‘৭১ এ ফাকিস্তানি বাপরে নিজের বউ/মেয়ে রাতের লাগি বন্দক দেয়া যে হারামি গুলা এই ঘটনার স্বপক্ষে কথা বলে, হেই গুলানরে আবার চৌদি আরবে পাঠায়া চৌদি উষ্ণ বালি মিশ্রিত খর্জুর বৃক্ষ দিয়া পোন্দানির । :-Y :-Y
এতদিন নাস্তিকদের আমার যুক্তিবোধ সম্পন্ন মানুষ মনে হইত। কিন্তু ইসলাম বিরোধিতায় এরা ও যে যুক্তি বুদ্ধিহীন অন্ধ তা এই পোস্ট ও এর পক্ষে মন্তব্যকারীদের মন্তব্য না পড়লে জানা হোত না। খুনের শাস্তি মৃত্যুদন্ড কি শরিয়া আইন ছাড়া আর কোথাও নেই? কোনটা নেশি বর্বর – তলোয়ার দিয়ে মাথা কাটা? কুড়াল বা গিলোটিন দিয়ে মাথা কাটা? ফাসীতে ঝুলানো?
একটা গল্প মনে পড়ল- সাপে কেটে এক লোক মারা গেল। সাপটি তার কপালে ছোবল দিয়েছিল। একজন সেটা দেখে বল্লো , ঈশ কি কপাল মৃতের , চোখটা একটুর জন্য বেচে গেছে।
এরা খুনীর মানবধিকার নিয়ে চিন্তিত , যে খুন হয়েছে তার নয়।
@ফারুক,
ফারুক, খুবই হতাশ হলাম আপনার মন্তব্য পড়ে। খুন যে হয়েছে তা বোঝা গেল কি করে? গরীব এ মানুষগুলোকে তো আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগই দেয়া হয়নি। আরো দেখুন – আ্যমনেস্টি ইন্টারন্যশনাল ইচ্ছাকৃত ভাবে খুনের অভিযোগ পুরোপুরি নাকচ করে দিয়েছেন । তাদের দেয়া বিবৃতি অনুসারে , বাংলাদেশী শ্রমিকদের বাসভবনে একজন বৈদ্যুতিক তার চুরি করতে আসলে শ্রমিকদের সাথে চোরের বাদানুবাদের ঘটনায় এক নিরাপত্তা প্রহরীর মৃত্যু হয়েছিল। ঘটনা যাই হোক, একজন মারা যাবার বদলা নেয়া হয়েছে ৮ জনকে হত্যা করে। আরো পাঁচজন নাকি লাইনে আছে। এই কি তবে আদর্শ বিচার?
আর যদিও বা ধরে নেই আপনার কথা ঠিক- তারপরেও সৌদি আরবের প্রিন্স যখন বিদেশে গিয়ে আকাম কুকাম করে, কই তাদের তো মাথা কাটা যায় না। কিছু দিন আগে নিউজে এসেছিল মনে আছে – পরিচারককে খুন করেছিলেন সমকামী সৌদী যুবরাজ। তার কাটা মাথাটা কোথায়? একই সাথে সমকামী হওয়া আর খুন করা – আপনার সৌদি শরিয়া আইন কি বলে এই যুগল অপরাধ সম্বন্ধে? কই যুবরাজের কোন কাটা মাথা তো দেখলাম না। কারো জিম্মায় কি আছে?
দেখলাম না কোন ব্রিটিশ আমেরিকান বা এমনকি কোন ভারতীয়ের কাটা মাথাও। মনে আছে, যখন একই ধরণের অপরাধ কোন ব্রিটিশ নাগরিক (উইলিয়াম স্যাম্পসন) করেছিল? ব্রিটিশ পাসপোর্ট দেখেই তু তু করে ব্যাটাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিলো আপনার আদর্শ বিচারক সৌদীরা। কারণ তারা জানে এটা নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বে একবার লাফালাফি শুরু হলে আর রক্ষা নাই। সেজন্য আমেরিকা ব্রিটেনের পাসপোর্টওয়ালা কার গায়ে আঁচর পর্যন্ত ফেলতে পারে না। যত লাফালাফি কেবল বাংলাদেশ সোমালিয়া ইথিওপিয়ার মত হতদরিদ্র মানুষগুলোর সাথেই। সিম্পসনও সেটা লিখেছিলেন মুক্তি পেয়েই –
Finally released in August 2003, after 964 days of solitary confinement, torture and dehumanising terror, I harbour no illusions about what saved me: my passport. …of course, Saudi’s poor migrant workers from Somalia, Bangladesh, the Philippines or Pakistan are virtually doomed if they face a capital charge (not all for lethal crimes, incidentally).
খুব আদর্শ বিচার বলে আপনার মনে হচ্ছে? বিচারের দ্বিচারিতাগুলো আপনার সত্যই চোখে পড়ছে না?
খুব বর্বর মানুষেরাই এভাবে প্রকাশ্যে রক্তের হোলিখেলা দেখে এভাবে উল্লসিত হয়, আর ততোধিক বর্বরেরা আবার তার সাফাই গায়। আর সেটা ঘটে কেবল ধর্মের কারণেই।
@অভিজিৎ, অভিজিৎ, খুবই হতাশ হলাম আপনার মন্তব্য পড়ে।আপনার যে এত অধঃপতন হয়েছে , তা বোধহয় বুঝতে পারছেন না। না জেনে কিছু বলাটা আপনার কাছ থেকে আশা করিনি।
দেখলাম না কোন ব্রিটিশ আমেরিকান বা এমনকি কোন ভারতীয়ের কাটা মাথাও।
একটু গুগলিং করলে আর নিজের অজ্ঞতাটা এভাবে জাহির করতে হোত না।
Indian beheaded in Saudi Arabia
March 06, 2005 20:13 IST
An Indian man convicted of murdering his compatriot was beheaded on Sunday in the Hafar al-Batin town in Saudi Arabia, an interior ministry statement said. …..Bajantra is the second Indian to be beheaded in Saudi Arabia. A man from Kerala was beheaded last month on charges of smuggling drugs.
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নাগরিকের মাথা কাটা গেছে । এর ভিতরে যেমন সৌদিরা আছে , তেমনি অন্যান্য দেশের নাগরিকরা। কোন জাতিগত বিদ্বেষ এখানে নেই যেমনটি আপনারা দাবী করছেন।
Amnesty international revealed that at least 1,695 executions were carried out between 1985 and May 2008, with the number of non-nationals totalling 830, compared with 809 local citizens. It was impossible to ascertain the nationality of the remaining 56.
খুব আদর্শ বিচার বলে আপনার মনে হচ্ছে? বিচারের দ্বিচারিতাগুলো আপনার সত্যই চোখে পড়ছে না?
আমি কি কোথাও দাবী করেছি আদর্শ বিচার? একে জানি কি ফ্যালাসী বলে? আপনার ভাল জানার কথা। তবে ওদের বিচার ব্যাবস্থা নিয়ে যা জানলাম , তা বাংলাদেশ তো বটেই , অনেক উন্নত দেশের থেকে ভাল।
It’s the country law, if someone kill or dealing with a drug they get beheaded. however, there must be a 13 Judge reviewing the crime before they beheaded anyone
এখন একজন আমেরিকানের মন্তব্য পড়ুন –
SeldenApril 20, 2009 19:44 EST
I lived in Saudi Arabia from 1978 through mid-1983, a period that included the attack on the grand mosque at Mecca. The participants in the attack were divided into small groups, and executed at various locations around the country. Video of beheadings followed the evening news.
Around 1981, a couple of Korean guest workers robbed and killed a gold merchant in al-Khobar. They were caught at the airport, tried, sentenced, and executed within 5 days.
During this period, a police officer who had been caught multiple times for stealing things from automobiles had his hand chopped off at the Friday mosque. Anybody in the vicinity was caught up in a dragnet to witness the behanding. The gray, severed hand was held up for all to behold.
When I returned to the USA on repatriation leave each summer, people would ask me if I wasn’t concerned about my safety living there. My answer was always, “Are you kidding? The most dangerous thing I do every year is come back to the USA.”
I don’t condone the Saudi justice system, but I have to say that (as long as you are not a person of interest) there is nothing like a well run police state for personal safety. And, I’m really not certain that it is any worse than the American justice system, which has the highest incarceration rate in the world.
“And why seest thou the mote that is in thy brother’s eye; and seest not the beam that is in thy own eye?”
http://walrusmagazine.com/articles/2009.05-field-notes-chop-chop-square/
সৌদি যূবরাজের প্রসঙ্গ এনেছেন অপ্রাসাঙ্গিকভাবে। জানেন কি বাদশাহ ফাহাদের হত্যার জন্য তারই ভ্রাতুষ্পুত্র সৌদি যূবরাজের প্রকাশ্য শিরোচ্ছেদ করা হয়েছিল।
দেখুন আমি সৌদিকে ডিফেন্ড করছি না। তবে আমি যদি পারতাম , তাহলে ৬ ছাত্রকে ডাকাত সন্দেহে পিটিয়ে মারার অপরাধে যতজন গ্রামবাসী জড়িত ছিল , সকলকেই শিরোচ্ছেদ করে মৃত্যুদন্ড দিতাম। তাহলে মনে হয় আমাদের দেশে বিচার বহির্ভূত হত্যা বন্ধ হোত। ঐ ৬ ছাত্রের মা বাপের কথা ভাবুন।
ইসলাম কে দুষছেন , কেন? কোথায় আপনাদের যুক্তিবোধ? কোরানে কি বলা আছে তরবারি দিয়ে মাথা কাটতে? এমনকি হাদীসেও (যদিও আমি হাদীস মানি না)?
@ফারুক,
কোরান অনলি সাহেব, আপনিতো কোরান মেনেই সব কাজ করেন, তাই না? তো, এই মহান কাজটা করতেন কোরানের কোন আয়াত অনুসরণ করে?
ইসলামকে দোষ না দিয়ে উপায় কী বলুন। ওই দেশটাতো আল্লাহ-র আইনই বাস্তবায়িত করছে। আপনি স্বীকার না করলেও বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত কিন্তু তাই বলেছেন।
এইবার পারলে সৌদি রাষ্ট্রদূতকে কোরান-হাদিস শেখান আপনি।
@ফরিদ আহমেদ,
আরে ভাই , কোরান আমাকে মৃত্যুদন্ড দেয়ার ক্ষমতা দেয় নি বলেই তো , এই মহান কাজটা করতে পারছি না। নইলে দেখতেন কি করি!!
সৌদি বিচার ব্যাবস্থা নিয়ে বা তার দোষ ত্রুটি নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। আমার আপত্তি নেই। আপনার কাছে যদি প্রমাণ থাকে ওই আট ব্যাক্তি নিরপরাধ ছিল , তাহলে সেই প্রমাণ পেশ করে সৌদিআরবের চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করুন , আমাকে আপনার পাশে পাবেন। তবে বিনা প্রমাণে ও জাতীয়তাবাদের কারনে সৌদিআরবকে দুষবেন , সেটা কোন যুক্তিবাদী মানুষের কাছে আশা করা যায় না।
@ফারুক,
না অপ্রাসঙ্গিকভাবে আনা হয়নি। খুব প্রসঙ্গিকভাবেই এসেছে। সৌদী বাদশাহদের হারেম পোষা থেকে শুরু করে, বেলেল্লাপনা, মদ্যপান, সমকামিতা, মাগিবাজী, গৃহপরিচিকাদের উপর নিরন্তর অত্যাচার এমন কোন অপকর্ম নেই যে তারা করে না। অথচ তাদের খুব কমই খড়গের নীচে যায়। এই তো সেদিনও এক ইন্দোনেশীয় মেইডকে শিরচ্ছেদ করা হল, তার বসকে আক্রমণের অযুহাতে –
There were similar calls to end the flow of labor late last year after a spate of reports of alleged maid abuse and even murder in Saudi Arabia. In one series of reports and photos that triggered protest rallies in the Indonesian capital, a 23-year-old maid’s employer allegedly abused her by beating her, cutting her lip with scissors and burning her back with an iron.
এর প্রেক্ষাপটে ইন্দোনেশিয়া সৌদি আরবে গৃহপরিচিকা পাঠানো পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে।
কত গৃহপরিচিকা যে অত্যাচার, আর ধর্ষনের শিকার হয়ে জীবন যাপন করে, কিন্তু সৌদি আরবে বসবাসরত পশ্চিমাদের ক্ষেত্রে সে নিয়ম অন্য –
The Westerners are not treated as crudely as they have powerful government/embassies backing them.The South Asian countries on the other hand are submissive and pliant as they can’t protest the regular abuses their citizens face as they get huge remittances from the workers.
আমি সোদি আরবে একসময় বসবাসরত কিন্তু এখন আমেরিকায় আছেন, এমন অনেকের সাথেই কথা বলে দেখেছি, সৌদিরা যে রম লালায়িত থাকেন সাদা চামড়ার পশ্চিমাদের প্রতি, ঠিক সেরকমই নিষ্ঠুর থাকে বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, সোমালিয়া প্রভৃতি দেশের ‘মিসকিন’ জনগনের প্রতি। আপনার আমেরিকান ভদ্রলোক যে ওই দেশের আইনকানুনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হবেন, তা তো বলাই বাহুল্য, উনার গায়ে তো আঁচরটাও লাগে নাই, যা লাগে বাংলাদেশী এই হতভাগ্য শ্রমিকদের ক্ষেত্রে।
যা হোক, আমি এখনো দেখলাম না কোন ব্রিটিশ বা আম্রিকানদের এভাবে লাইনে বসিয়ে কল্লা ফেলে দিতে। আপনি আমাকে ” এত অধঃপতন হয়েছে” বলে ট্যাগ করলেন, তার বদলে যদি একটা তালিকা দিতেন কতজন আমেরিকানের কল্লা ফেলা হয়েছে তবে উপকৃত হতাম। আবার বইলেন না যে আমেরিকানরা কোন অপরাধ করে না! ভারতীয়দের বি-হেডিং এর একটা খবর দিয়েছেন বটে (আমি দুঃখিত যে আমি যেভাবে লিখেছিলাম তাতে ভুল বোঝাবোঝির অবকাশ আছে), কিন্তু ভারত সরকারের হস্তক্ষেপে যে ভারতীয়দের উপরেও আগ্রাসনের প্রকোপ কমে এসেছে ইদানিং, সেটা বিপ্লবও তার লেখায় বলেছে -“সৌদিতে কোন ভারতীয় অপরাধ করলে, সৌদি আইনে তাকে বিচার করা যায় না। ভারতে পাঠাতে হয়”। আপনি যে নিউজের কাটিং দিয়েছেন সেটা ২০০৫ সালের! আমি যতদূর জানি, এখন আর ভারতীয়দের এভাবে কল্লা কাটা সম্ভব না। ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১০ সালে যে চুক্তি হয়েছে তার পর একটা দৃষ্টান্ত দেখান যে ভারতীয়দের কল্লা কাটা হয়েছে। তার মানে আল্লাহর আইনও ক্ষেত্রবিশেষে বদলে যায়! আমার অজ্ঞতা আছে বটে, কিন্তু সেটা ঢাকতে আমি শঠতার আশ্রয় নেই না। ব্রিটিশ আমেরকানদের যে সৌদিরা আলাদাভাবে ট্রিট করে তা সিম্পসনের মুক্তি সংক্রান্ত খবরটাই চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখায় না কি? ব্রিটিশ পাস্পোর্টের জোরেই তিনি বেঁচে গেছেন। বাংলাদেশী পাসপোর্ট হলে আর এমনটি হত না।
আপনি যত ইচ্ছা রবিনহুড হতে চান, আপত্তি নেই। কিন্তু আধুনিক গনতান্ত্রিক আইন কানুনের বিবর্তনের একটা ইতিহাস আছে। অপরাধের অভিযোগ আর অপরাধ তো এক নয়। অনেক সময় খুনের দায়ে অপরাধের দায়ে ফাঁসানো হয় -সেটাও তো আপনি ভাল করে জানেন। অপরাধীর অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে তো আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ করে দিতে হবে, তাই না? তা না করে নামমাত্র অভিযোগ করেই তারপর লাইনে বসিয়ে দিয়ে সবার কল্লা ফেলে দেয়াটা আসলে বর্বরতাই। ব্যাপারটা যে আইনানুগ হয়নি, তা এমনেস্টির বিবৃতেও স্পষ্ট।
আমি কেবল সৌদি বর্বরতার কথাই মন্তব্যে উল্লেখ করেছি। আপনি কোরান মানেন না হাদিস মানেন, তা এই বিতর্কের বিষয় ছিলো না।
তা আর বলতে! 🙂
@অভিজিৎ,
ফারুকের উক্তিঃ
উনি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। আপনি তার সিদ্ধান্ত পাল্টাতে পারবেন না। উনি বিশ্বাস করেন, বাঙলাদেশ থেকে নিজের জোত-জমি বিক্রি করে মানুষ খুন করার উদ্দেশ্যে ঐ খুনিরা সৌদিতে গিয়েছিল। অনেক অনেকদিন অপেক্ষা করার পর ল্যাক্সাস কেনার জন্য চুরি করতে গিয়ে খুন করার সুবর্ণ সুযোগে পেয়ে যায়।
কিন্তু আল্লার মাইর, দুনিয়ার বাইর। ধরা খাইয়া কতল।
সাইফুল ক্রোধে আক্রোশে স্বর্গীয় এই কর্ম-যজ্ঞের বিরুদ্ধে তলোয়ার নয়, কলম ধরতেই শুরু হয়ে গেল, “আক্রমন”
আর আপনি অভিজিৎ এসেছেন, এদের পক্ষে কথা বলতে? কার সাথে লড়তে এসেছেন? একটু ভেবেচিন্তে এগুবেন।
কিন্তু সাধারণ পাঠক, তারাও কি ফারুকদের মত? এখানেই হাজার হাজার অভিজিৎ। এখানে আশার আলো, এখানেই আগামী। ফারুকরা গাছের শেকড় না ছুঁয়ে কল্লা (ডাল-পালা) কেটে স্বর্গে যেতে চান, আর অভিজিৎরা স্বর্গ নয়, এই মাটিতে একটুখানি মানবতার জন্য, ডঃ আহমদ শরীফ, ডঃ হুমায়ুন আজাদ এবং তসলিমা নাসরিনের পথ ধরেছেন।
আমরা বোকা, তবে ফারুকদের মত লোকরা যতটা ভাবেন, ততটা নয়। সাধারণ বিশ্বাসীদের চেয়ে একটু আধটু বই পড়া এইসব অন্ধ বিশ্বাসীরা অনেক অনেক ভয়ংকর।
@স্বপন মাঝি,
সূর্যের চেয়ে বালি সবসময়েই বেশি গরম থাকে। ফারুক সাহেব ধরেই নিয়েছেন বাঙালি শ্রমিকেরা ছিলো খুনি, অথচ খোদ মিশরের পত্রিকাই কি লিখেছে দেখুন –
…According to reports, the Egyptian man was killed during a clash between the Bangladeshi workers and a group of men who allegedly were stealing electric cable from a building complex where the Bangladeshis worked….
ফারুক সাহেবের কাছে খুনের অভিযোগ হওয়া মানেই খুনি! আর শাস্তি কল্লা কাটা। উনি বোঝেন না যে, ব্যাপারটা যদি মিথ্যে হয়, তখন তো আর কল্লা জোড়া লাগবে না!
@অভিজিৎ,
ফারুকের উক্তি,
তার মানে ফারুক সাহেব বংলাদেশে ইসলামি আইন কায়েম করতে চান! যে আইনে মানুষকে জনসমক্ষে দোররা মারা হবে, পাথর ছুঁড়ে হত্যা করা হবে, মানুষের হাত কেটে ফেলা হবে।
আপনি সৌদি যুবরাজের প্রসঙ্গ তোলাতে উনি এত মর্মাহত কেন? সৌদি রাজকুমার মোহাম্মদের সমতুল্য নাকি উনার কছে?
@ফারুক,
আমার যা উত্তর দেবার ছিল অন্য সবাই তা দিয়ে দিয়েছেন। শুধু একটিমাত্র মন্তব্য–
এই খানে কোরান পণ্ডিতদের কিছু মন্তব্য দিলাম। আপনার কী মত জানাবেন। এই ধরণের আরও অনেক আয়াত এবং হাদিস আছে—কিন্তু এই স্থানে তা নিয়ে আলোচনা কর যাবেনা। আপনি রাজী হলে আমরা এই নিয়ে বিশদ আলোচনা করতে পারি–যা মুক্তমনায় বিশেষভাবে প্রকাশ করা যেতে পারে।
Allah and Muhammad declare war on usurers (whoever deals in usary after warning and call for repentance will be beheaded—ibn Kathir. Maududi 2/323: On the basis of the last words of the verse, Ibn ‘Abbas, Hasan al-Baari, Ibn Sirin and Rabi’ ibn Anas are of the view that anyone who takes interest within the boundaries of the Islamic State (Dar al-Islam) should be pressed to repudiate the transaction and recant and, if he persists, should be put to death. Others consider it sufficient to imprison such people and keep them in prison until they pledge to give up taking interest.)…2:279
Punishment for waging war against Allah i.e., the unbelievers who reject Islam and the apostates) and His messenger is execution (beheading) or crucifixion or cutting off of hands and feet from opposite sides or exile from the land (refers to the Jews of Medina who refused to accept Islam but remained in the business of ransoming captives for their release; this verse also includes the idolaters, in general, who refuse to accept Islam after they become aware of it—ibn Kathir.
Strike terror in the hearts of the unbelievers. (Allah will cast fear, disgrace and humiliation over those who defied his command and denied Muhammad—ibn Kathir); smite the unbelievers at their necks (i.e., behead the unbelievers—ibn Kathir) and cut off their fingers (cut off their heads, limbs, hands and feet—ibn Kathir. Terror means fear of Muhammad and his companions—ibn Abbas. 8.12
Muhammad beheaded an–Nadr after he was captured as a captive in Badr—ibn Kathir, Jalalyn. Also see 6:93, 17:88, 25:5 6).
বাঙলায় অনুবাদের সময় নাই।
@ফারুক,
কেন কেন হাদীস মানেন না কেন? আপনি কি মুমিন মুসলমান না? জলদি সূরা পড়েন;
নিসা, আয়াত ৮০ – যে লোক রসূলের হুকুম মান্য করবে সে আল্লাহরই হুকুম মান্য করল। আর যে লোক বিমুখতা অবলম্বন করল, আমি আপনাকে (হে মুহাম্মদ), তাদের জন্য রক্ষণাবেক্ষণকারী নিযুক্ত করে পাঠাইনি।
একটু খানিক মানবে কোরান; একটু খানিক নাহ্; আঅ্যাঁ তাতো হবে না…………………………………
@ফারুক,
আস্তিকদের আমার সবসময়ই যুক্তিবোধহীন মানুষ মনে হতো। ইসলাম রক্ষায় এরা যে অন্ধের মত যুক্তি বা মানবতা কোনো কিছুরই ধার ধারে না, তা আপনার এই মন্তব্য পড়ার আগে থেকেই জানি আমি। আজকে আরেকটু নিশ্চিত হলাম, এই যা।
খুনের শাস্তি হিসাবে এগুলো সবই বর্বর প্রথা। সে কারণে আমরা মৃত্যুদণ্ডের বিপক্ষে। বর্বর বলেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে মৃত্যুদণ্ড উঠে গেছে এবং যাচ্ছে। তলোয়ার দিয়ে প্রকাশ্যে মুণ্ডচ্ছেদকে অবশ্য বর্বরতা বলাটা সঠিক নয়। সেক্ষেত্রে বর্বরতাকে অপমান করা হয়। একে পৈশাচিক ইসলামিক উল্লাসই বলা যেতে পারে।
এটাই হচ্ছে সভ্য বিচার ব্যবস্থার মূলসুর। অপরাধের বিচার করা হয় এখানে, শারিয়া আইনের মত অপরাধীর প্রতি প্রতিহিংসা নেওয়া হয় না। কাউকে শাস্তি দিতে গেলে ক্ষীণতম কোনো সন্দেহ থাকলেও, সেটা অপরাধীর পক্ষেই যায়। আট বাংলাদেশির ক্ষেত্রে বিচার যে সুষ্ঠুভাবে হয় নি, সেটা এ্যামনেস্টির বক্তব্য পড়লেই বোঝা যায়।
@ফরিদ আহমেদ, তা আপনারা যখন খুনীর মানবিক অধিকার নিয়ে চিন্তিত , তখন কি উচিৎ নয় নিজের দেশ থেকে শুরু করা? মানবিক অধিকার নিয়ে বিশ্বকে সবক দেয়া আমেরিকা থেকে শুরু করা? বাংলাদেশে ও আমেরিকায় জোরদার আন্দোলন গড়ে তুলুন – এ দুদেশের জেলে যত মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী আছে , সকলকে মুক্ত করে শোধরানোর সুযোগ দেয়ার জন্য বা নিদেন পক্ষে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়ার জন্য। ব্লগে ব্লগে লিখে জোরদার আন্দোলন গড়ে তুলুন। বিচার ব্যাবস্থা তুলে দিয়ে , অপরাধীকে ধরে ধরে উপদেশ দিয়ে ছেড়ে দিন। জেল পুলিশ বিচারক পোষার খরচ থেকে দেশ বাচবে। খুব শিঘ্রই শরীয়া বিহীন ধর্মহীন চির শান্তি প্রতিষ্ঠা পাবে বলে আশা করতে পারি , কি বলেন?
তাই বুঝি? নিচের ওয়েবসাইটটি দেখুন-
Executed But Possibly Innocent
@ফারুক,
সেগুলো আমরা করি। আপনাদের মত চোখ বন্ধ করে ইসলামি লেবেনচুস চুষি না। অন্যায় হয়েছে সৌদি আরবে তাই সৌদি আরবকে নিয়ে কথা হচ্ছে। এখানে বাংলাদেশ বা আমেরিকাকে টেনে নিয়ে এসে সৌদি আরবকে বাঁচাতে চাচ্ছেন কেন? এত সৌদি প্রেম থাকলেতো মুশকিল। বাংলাদেশের বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বা মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে লেখা দিন, দেখুন আমরা সবাই-ই আপনার পক্ষ হয়ে কথা বলবো। এই সরল জিনিসটা আপনাদের গরল মননে ঢুকবে না , জানি আমি।
@ফরিদ আহমেদ,
আপনি নিশ্চিত এব্যাপারে? প্রমাণ দিন। সেই সাথে সৌদীদের ৮ বাংলাদেশীকে বিনা কারনে হত্যার মোটিফ টা কি , সেটা জানাতে ভুলবেন না। তাইলে না বুঝব – আপনি মুক্তমণা যুক্তিবাদী।
একারনেই বুঝি আজ আমাদের দেশে বিনা বিচারে মৃত্যুর সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে এবং বিদেশে ও দেশের সুনামের জ্বালায় টেকা দাঁয়।
ফারুক, আপনাদের মত ইসলামি লেবেনচুস চোষা লোকজনের সাথে বিতর্ক করাটা খুবই ক্লান্তিকর একটা বিষয়। তারপরেও কিছু করার নেই। শুরু যখন করেই ফেলেছি, শেষ করতেই হবে আমাকে।
অন্যায় যে হয়েছে সেটা এ্যামনেস্টির এই রিপোর্টেই দেখতে পাবেন। একটা হত্যাকাণ্ডের বিচার, যেখানে আটজন মানুষের প্রাণ গিয়েছে, সেখানে যে সুষ্ঠু ব্যবস্থা মেনে চলা হয় নি তা স্পষ্টভাবে বলেছে এই রিপোর্ট। বলা হয়েছে যে এদের স্বীকারোক্তির কারণেই তাদের মৃত্যদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সৌদি পুলিশ কীভাবে স্বীকারোক্তি আদায় করে, সেটা নিশ্চয়ই আপনাকে বলে দিতে হবে না। যেখানে সামান্যতম সন্দেহ থাকলেই তার বেনিফিট পায় অভিযুক্ত ব্যক্তি, সেখানে এই বেনিফিট কী বাংলাদেশি শ্রমিকদের দেওয়া হয়েছে? হয় নি।
আহারে বেচারা। বাংলাদেশি হওয়ার কী হ্যাপা। এক কাজ করতে পারেন আপনি। কষ্ট টষ্ট করে সৌদি নাগরিকত্ব নিয়ে নিতে পারেন। সেই সাথে পারলে জল্লাদের কাজটাও নিয়ে নিয়েন স্বেচ্ছাশ্রমে। দুনিয়া থেকে সব পাপ বিদায় করে দিতে পারবেন কোরানের আয়াত মেপে মেপে।
@ফারুক,
RAB এর কর্মকাণ্ড নিয়ে কি কম প্রতিবাদ হয়?। লিমন কে নিয়ে কি কম প্রচার হয়েছে?, কম প্রতিবাদ হয়েছে?। এখন ও হচ্ছে। বাংলাদেশে খুন বন্ধ না করা গেলে সউদিরটা সমর্থন করতে হবে?। এ কেমন যুক্তি আপনার?। প্রকাশ্য দিবালকে মানুষের গর্দান কর্তনের দৃশ্য প্রকাশে ইউ-টিউব ও দ্বিধান্বিত, ফরিদ এর দেয়া ইউ-টিউব এর লিঙ্কটা দেখলাম ডিলিট করেছে ইউ-টিউব, এতটাই বরবর!!।আপ্নার মত মানুষের মুখে পেচ্ছাব করতে ইচ্ছে হচ্ছে। :-X
@ফারুক,
যুক্তিহীন, অন্ধভাবে কিছু অবিশ্বাসীর দল এখানে একটি শান্তিময় ঘটনার বিরোধিতা করছে। তার মানে আপনি এই ঘটনাটি সমর্থন করছেন। যাক এত কাফেরের ভিড়ে একজন অন্তত মোমিন পাওয়া গেল। মৃত্যুদন্ড এখনো অনেক দেশেই কার্যকর আছে। তাই বলে জনসমক্ষে? তাহলে ত আল্লাপাক তার বানানো দোযখগুলোও পৃথিবীতে এনে বসিয়ে দিতে পারেন। তার আয়াতে বিশ্বাস না করার ভয়াবহ পরিনাম মানুষ নিজের চোখে দেখতো। কীভাবে চামড়া পুড়ে নতুন চামড়া লাগানো হয়, কীভাবে মানুষকে পুঁজ খাওয়ানো , কীভাবে লোহার মুগর দিয়ে পিটানো হয় সব নিজের চোখে দেখে সবাই ঈমান এনে ফেলতো। কোরানে এসবের বর্ণনা পড়ে ত মানুষ কাফের হয়ে যাচ্ছে।
@ফারুক,
আপনার যৌক্তিক(!!!!)কথার সবসময়ের ফ্যান আমি। আপনাকে দেখে আমি বিমোহিত। আপনাকে যখন প্রথম কমেন্ট করতে দেখি তখন আমি ক্লাশে। ফাঁকতালে কমেন্ট করেও ফেলেছিলাম বলা যায়, পরে আর সম্পূর্ন করতে পারি নাই। যাও হউক, আমার যা বলার অভি দা আর ফরিদ ভাই বলে দিয়েছেন দুজনেই। আমার নতুন কিছুই যোগ করার নাই। শুধু একটু স্পেসিফিক হই। মাঝে মাঝে আপনি আবার যুক্তির জলচ্ছাসে মূল কথা হারিয়ে ফেলেন।
আপনি এক জায়গায় দেখলাম ঐ আটজনকে খুনি বলেছেন, এজন্য আমি অত্যন্ত সুশীল ভাষায়(মোহিতের কথা অনুযায়ী পোন্দাপুন্দি বাদ দিয়ে) আপনার সুতি কিংবা জিন্সের প্যন্ট নাকি জোব্বা(?) খুলে পশ্চাৎদেশে হ্যামবার্গার সুপার গ্লু দিয়ে লাগিয়ে পেছনে একটা লালা ঝড়া ক্ষুধার্ত বুলডগ ছেড়ে দিতে পারতাম। দিলাম না, কারন হত্যাকান্ড দেখে অনেকের ভদ্রানুভুতি আঘাত প্রাপ্ত না হলেও “প” কিংবা “চ” বর্গীয় ক্ষোভ হতে আগত অনেক শব্দের দ্বারা তাদের সুশীলানুভুতি আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছিল এবং এসব শব্দের ব্যাবহারে তাদের যে আবার অস্ত্র নাই সেটা নাকি তাদের মনে পড়ে গিয়েছিল যার জন্য এই শব্দগুলোর প্রতি বিশেষ ক্ষোভ লক্ষ করছিলাম। যাই হোক, আমার প্রশ্ন আপনার প্রতিঃ
ঐ আটজন শ্রমিকের বিচারকার্য যে একটা ফেয়ার ট্রায়ালের আন্ডারে গিয়েছে সেই তথ্য আপনি কোথায় পেলেন? যেখানে এমনেস্টি ইন্টারন্যশনালের মত আন্তর্জাতিক সংস্থা এত এত সোর্স নিয়েও জানতে পারে নি?
@ফারুক,
শাবাশ! “তথাকথিত” মডারেট মুসলীমের জোশই যদি এমন “শান্তি-পূর্ন” হয় তবে মৌলবাদীদের সমালোচনা করা কেন? ‘এচলাম’ বড়ই শান্তির ধর্ম!!
“কোরান অনলি” ফারুক সাহেব ভুল বললেন। কোরান আপনাকে মৃত্যুদন্ড দেয়ার “পূর্ন ক্ষমতা” দিয়েছে।
দেখুনঃ
জানি আপনি হাদিস মানেন না (হাফ মুসলীম), পাঠকেদর জন্য ভার্স 2:178 এর তাফসীর বুখারী থেকেঃ
জানি আপনি রেফারেন্স নিয়ে হয়তো ‘ত্যেনা প্যাচাবেন’, পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। এ মুহুর্তে তা নিয়ে টানা-টানি করার ধর্য্য আমার নাই। বিচারের নামে প্রকাশ্য দিবালোকে উৎফুল্য জনতার সামনে জবাই কারীদের সমর্থনকারী ‘ইসলাম-বিশ্বাসী বিকৃত” মানস ছাড়া সম্ভব নয়। আপনার মন্তব্যের বিপরিতে ফরিদ ভাই,অভিজিৎদা ও অন্যান্য মন্তবকারীর মন্তব্যের সাথে সহমত।
@ফারুক, চমৎকার বলেছেন। আহা খুনের শাস্তি খুন, এইটা মানলেই কি খুন খারাবি বন্ধ হয়ে যাবে?আর যদি কন নারী ব্যভিচার করতো, ওরা নিশ্চয় পাথর মেরে হত্যা করত। তা সেক্ষেত্রে আপনি কি এক কথাই বলতেন?ইসলামে তো বিবাহিত মেয়েদের বাভিচারের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।আমার মনে হয় যে মৃত্যু দণ্ড তুলে দেয়া উচিত। হা কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম রাখা যেতে পারে,যেমন সিরিয়াল কিলার কে মৃত্যু দণ্ড দেয়াটাই ভাল,সে যদি চিকিৎসার অযোগ্য হয় আর জেল এ তাকে আটকে রাখা না যায়। তাছাড়া কাউকে মৃত্যুদণ্ড না দেয়াটাই ভাল।
সবার মন নাকি এই লেখা পড়ে একটু/অনেকটা শাণ্ত হয়েছে, আমার এটা পড়ার পর রীতিমত কা৺দতে ইচ্ছা করছে। একই সাথে কাউকে ধরে ইচ্ছামত পেটাতে ইচ্ছা করছে। আমার এই উভয়সংকট অবস্থার জন্য সাইফুল ইসলাম-কে অসংখ্য ধন্যবাদ।
@Syeem,
এহন ট্যাহা দেন। ফিরি ফিরি উভয় সঙ্কটে পড়তে দেয়নের বান্দা আমি না। মাল ছাড়েন, উভয় সঙ্কটে পড়েন। :))
এ হত্যাকান্ডকে সমর্থন করে কিছু কিছু বক্তব্য (অন্য ব্লগে) চোখে পড়ার পর, আমার মনে হয়েছিল, কেউ যদি বলে, ‘হত্যাকান্ড একটি শিল্প’, তো তার কি কোন উত্তর দে’য়া আমার পক্ষে সম্ভব? কতটুকু অন্ধকারে বাস করলে মানুষ এভাবে কথা বলতে পারে?
পাল্টা গাল কি এ প্রশ্নের মীমাংসা করবে?
লেখকের ক্ষোভ, আমাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ, আর সেই ক্ষোভ ভাষার প্রাচীর ভেঙে কখনো কখনো এতটাই নগ্ন হয়ে ওঠে যে ভদ্র রুচিতে লাগে। তা লাগুক।
তা’হলে মুক্তমনা সেইসব লড়াকু সৈনিকদের স্মরণ করতে হয়, নিজ-ঘর থেকে এবার বেরিয়ে চালানো হোক বোধের জগতে শানিত আক্রমন।
যারা বেঁচে আছে, তারা যেন মানুষ হয়ে বাঁচতে পারে।
@স্বপন মাঝি,
(Y)
হে ইমানদার গন ধৈর্য ধর। ধৈর্য ধারিদের সহিত আমি আছি। তোমরা কেন বুঝিতে পার না যে সবই আমার খেলা!। ৫/৭ টি মুণ্ডুর বিনিময় এ আমি কি তোমাদের কিছুই দেই নাই?।৫০ লক্ষের উপরে তোমাদের স্বদেশী রা আমার পুণ্য ভূমিতে করিয়া খাইতেছে,তাহা কি তোমাদের দৃষ্টি গোচর হয় না?। তোমরা অন্তর্যামী নহে,আমি যাহা জানি তোমরা তাহা জান না, নিশ্চই আমি সবজান্তা !। আমি তোমাদের এমন নিম্ন মুণ্ডু দিয়াছি যাহার দারা তোমরা পৃথিবীর সবচেয়ে ঘন বসতির দেশে পরিনত হইয়াছ, তাহার মধ্য হইতে ৫/৬ টি মুণ্ডুই কি মূল্যবান হইয়া গেল?। তোমাদের জন্য রহিয়াছে বেহশ তের হুর আর মিস্ট পানিয় যাহা হেনিকেন বিয়ার এর চাইতেও উপাদেও। যাহাদের মুণ্ডু কর্তন করা হইয়াছে তাহারাও সেই বেহেশতেই যাইবে,কারন তাহারা আমার ই উম্মত। নিজেদের মাঝে কলহে প্রবৃত্ত হইও না। আমার বিরুদ্ধে কুৎসা করিও না। ইস্রাফিল এর ধৈর্যের বাঁধ ভাঙ্গিয়া গেলে কেহ তোমাদের রক্ষা করিতে পারিবে না, এমন কি আমিও না। জিব্রাইল অবসর কালীন জীবন যাপন করিতেছে বিধায় তোমাদের কাছে সরাসরি কোন প্রকার বানী পাঠাইতে পারিতেছি না,কিন্তু অচিরেই মেহদি আসিবেন, তখন আবার বানী বর্ষিত হইবে, যদিও তোমরাও মেহদি কে মানিবে না, যেমন ইহুদি রা মানে নাই যিশু কে , নাসারা রা মানে নাই মুহাম্মাদ কে। তাতে কি আমি দজ্জাল কেও পাঠাইব। ধৈর্য ধর, আমি মহান এবং সবজান্তা।
*** ঈশ্বরের পক্ষে সপ্তক।
অনুলিপিঃ সউদির বাদশা, আমার খাদেম
@সপ্তক,
হুজুউউউউর, আফনে একটা বিচি ছাড়া খেজুর। আমগোর দিকে একটু লখ্য রাইখ্যেএএএএএএএন। :))
@সাইফুল ইসলাম,
নাদান :guli:
**ঈশ্বরের পক্ষে সপ্তক
ভাই শুধু আপনার না, আপনার বাপেরও শিশ্ন ছিলনা, তাই এমন অজন্মা আপনে জন্মাইলেন। :))
পুরাই আগুন… :guru: :guru: :guru:
আফসোস একটাই, দেশী কিছু জারজ নবী-শিশ্নের এহেন ধর্ষন ক্রিয়া দেখে উত্তেজনায় শিৎকার করছে… মন চায় এদের তরবারি দিয়ে পোন্দায়… :guli: :guli:
@বাঙ্গালী,
থাউক, অনেকের আবার সুশীল বক্তব্য না শুনলে ভালো লাগে না। মাইন্ড খায়। কয়েকজনের জীবন চইলা যাউক সমস্যা নাই, মাগার ভাষা থাকতে হইব রাবীন্দ্রিক।
বেগম রোকেয়ার ঐ গল্পটা জানেন না? হিজাব ভাঙব দেইখ্যা আগুনে পুইড়া মরল কিন্তু খাটের তলার আগুন থিকা বাইর হইল না। ইজ্জত বইলা কথা!!
এহেন বর্বর, নিষ্ঠুর, পৈশাচিক হত্যাকান্ড ঘটনোর জন্য সৌদি আরবকে ঘৃনা জানাবার ভাষা আমার জানা নাই। আমি স্তব্দ। এই সৌদি ইসলাম ধর্মের ধারক ও বাহক, সব মুসলমানদের তীর্থস্থান, আর খাঁটি ইসলাম ধর্ম অনুসরন করেই সে পৃথিবীর জঘন্যতম এই হত্যাকান্ড ঘটালো। ইসলাম নাকি শান্তির ধর্ম! ধাপ্পাবাজির একটা সীমা থাকা উচিৎ।
@ব্রাইট স্মাইল্,
বলেন আলহামদুলিল্লাহ!!!
@সাইফুল ইসলাম ভাইয়া, আলহামদুলিল্লাহ। জনসংখ্যার বিস্ফোরণ একটা মারাত্মক অশান্তি, তাইতো মুসলিম শরীরে বোমা বেঁধে আল্লাহু আকবর বলে গনহত্যা করে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনে রাখছেন।এটাই তো সবথেকে বড় প্রমান যে ইসলাম শান্তির ধর্ম। 🙁
@অচেনা, সান্তির সঙ্গা আরবদের কাছে নতুন করে শেখা লাগবে মনেহয়।
@মহন,
ওরা তো এটা ১৪০০ বছর ধরেই শেখাচ্ছে তাই না?
@ব্রাইট স্মাইল্,
বানানে ভুল আছে। হবে শাস্তির ধর্ম।
এই ব্যাপারে বিপ্লব পালের লেখায় আমি বেশ কিছু মন্তব্য করেছি। ঐ মন্তব্যগুলো এখানেও সম্পূর্ণ প্র্যযোজ্য।
মন্তব্যগুলো পড়ে নিতে পারেন।
আফনে যা লিখসেন তাহার সাথে আমি একমত জানাইতেসি।
@আবুল কাশেম,
কাশেম ভাই অনেক ধন্যবাদ পাঠের জন্য।
বাষট্টি বছর বয়েস হোল। ‘শুভাথর্ীরা চান ঐ চ্যাটের দেশে যাইয়া হজ নামক একটা জালিম প্রথা পালন করে আিিস। অনেক বন্ধু-বান্ধব ইতিমধ্যে সেরে ফেলেছেন। দরকার নাই -লের হজ-এর।
@কর্মকারক,
বলেন কি? কোন মিস দিয়েন না। আল্লার নবী যেই দ্যাশে কোষ্টপরিষ্কার করছে মরুভুমিতে প্রাকৃতিক পরিবেশে হেই দ্যাশে যাইবেন না? :)) :)) 😀 😀
১৪শ বছর ধরে যারা মানুষের হাত, পা, মুন্ডু কেটে আসছে তাদের কাছ থেকে মানবতা আশা করাই অপরাধ। ক্ষমা নয় হত্যাই তাদের কাছে মহৎ কাজ, তৃপ্তির কাজ, বাহাবার কাজ :-Y
সময় উপযোগি লেখা। (Y)
@রাজেশ তালুকদার,
কথা সইত্য।
আরো পাঁচ বাংলাদেশী লাইনে আছে। তাদেরকেও একইভাবে জবাই করে হত্যা করা হতে পারে। এবার কিন্তু এটা রুখতেই হবে, যে কোনোভাবেই হোক।
খবর- http://news.priyo.com/national/2011/10/10/5-more-bangladeshis-saudi-deat-39776.html
@নিটোল,
(Y)
৮ হতভাগ্য স্বজনদের দেশে আত্ববিলাপের ধ্বনি বাংলার আকাশে-বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে।
দেখুন এখানে
মুক্তমনায় এ ধরণের পোস্ট দেখে অবাক হলাম। তবে সাইফুল ভাই, আপনার লেখার সাথে সহমত পোষণ করছি।
আমার এখন শুধু একটাই চাওয়া। আমি এই বর্বর শরীয়া আইন প্রবর্তকের প্রকাশ্যে শিরোচ্ছেদ দেখতে চাই। (গলা কাইটা ফালানোর ইমো হবে)
@অভীক,
কেন কী মনে করেছিলেন? মুক্তমনা শাড়ীচুরিলিপিস্টিকময় পুতুপুতু নাক উঁচু ব্লগ যারা থাপ্পর খেয়ে রাবীন্দ্রিক ভাষায় বলবে ” ভ্রাত, আমার গালে কেন তোমার নরম হাতের শক্ত ছোঁয়া লাগাইলে? আমি তো যারপরনাই ব্যাথা পেলুম। ” 😕
@সাইফুল ইসলাম,
আমি এ ধরণের চড়া ভাষায় লেখা সবসময়ই মুক্তমনায় দেখতে চেয়েছি। কিন্তু কখনো দেখতে পাব এমনটা আশা করি নাই। আপনার এই লেখা আমাকে অনেক আনন্দ দিয়েছিল। কিন্তু আপনার মন্তব্যও আমাকে ব্যাথা দিয়েছে (U) ।
@অভীক,
ভাই, কোনভাবেই মনোকষ্ট পাবেন না, আমার মাথা কালকে রাতে একটু গরমই ছিল বেশীরকম। মন্তব্য একটু ফালতু টাইপ হইছে। আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। কিছু মনে করবেন না।
এইযে ফুল নেনঃ
(F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F)
:)) :))
@সাইফুল ইসলাম,
কা্লো গোলাপ দিলে খুশি হইতাম।
এমনিতেই এই দেশ গুলো পছন্দ করতামনা।
ওদের ওপর ঘৃণা ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই!
বর্বর, অসভ্য, কপট এই জাতির পতন কবে হবে?
বোধ করি বেশী দিন নেই!
@লাইজু নাহার,
সহমত।
ওদের মরুভুমির ডায়রিয়াটা শেষ হলেই খেল খতম।
সাইফুল ইসলাম, আগুন ঝরা লেখাটার জন্য আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। জমাট যে বেদনা তাঁর তীব্রতা একটু হলেও কমলো।
অদ্ভূত প্রহসনের বিচারের বলি আট আটটা তাজা প্রাণ। এস্লামি তরবারির আঘাত ক্ললা কাটা, প্রকাশ্য দিবালোকে। একটা ব্যাপার খেয়াল করেছেন, আমাদের এস্লামি নামগুলো, কজনাই বা অর্থ জেনে নাম রাখে? সমাজ বাবা মা আর অমনোযোগে আমাদের নামগুলো অদ্ভূত। আমি যদ্দুর জানি, সাইফ মানে তরবারি। তা ই যদি হয়, সাইফ-উল ইস্লাম মানে হতে পারে সেই ক্ললা কাটা ইসলামী তরবারি। সমাজ মা বাবা পরম সব আত্মীয় স্বজনের ভালবাসাসিক্ত এস্লামি নাম, যা একটি নির্দোষ শিশুর ওপর চাপিয়ে দেয়া হয় ধর্মের মত। সেই শিশুটিকে যা বয়ে নিয়ে চলতে হয় সারাটা জীবন।
মনখোলা সব মা বাবাদের কাছে সবিনয় আবেদন, নতুন প্রজন্মের বাচ্চাদের নাম যেন বাংলা নাম হয়। বীভৎস নিষ্ঠুর এস্লামী নাম রাখার কি অর্থ? অন্তত মা বাবারা, অনুগ্রহ করে সজ্ঞানে অজ্ঞানে প্রধান অপ্রধান কোন ধরনের শিশু নির্যাতনকারী হয়েন না।
@কাজী রহমান,
ধন্যবাদ কবি পাঠের জন্য। 🙂
আমরা প্রকৃত ইচলাম দেখলাম।
[img]http://a4.sphotos.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-snc7/316807_2186771262898_1055540337_31977347_293901260_n.jpg[/img]
[img]http://media.somewhereinblog.net/images/thumbs/orbachin2010_1318168747_2-Cartoon.jpg[/img]
উভয়টিই সন্ধি ভাইয়ের করা।
শুনলাম আরো ৩ জন বাংলাদেশী নাকি এখনো শিরোচ্ছেদের বাকি রয়েছেন যা খুব তাড়াতাড়ি কার্যকর করা হবে।
@সৈকত চৌধুরী,
আমিও কোথায় যেন দেখলাম বাকি তিনজনকেও আটজনের মতই কোরবানী দেওয়া হবে। মানে কেমনে কী? :-X :-X
হতভাগ্য ঐ ৮ বাংলাদেশী যুবকের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। ইসলাম কোন ধর্ম (“তথাকথিত পবিত্র জীবন বিধান”) নয়, এটা একটি বিষফোঁর “কাল্ট (Cult)”। প্রতিটি বিশ্বাসী মুসলীম এই কাল্টের অসহায় বলী। ইসলাম নামের এই “কাল্ট” টা যতদিন পৃথিবিতে বেঁচে থাকবে, পৃথিবীর কোন না কোন স্থানে এরুপ বর্বর অমানুষিক ‘বিভৎসতা’ চলতেই থাকবে। মানবতার স্বার্থেই এর বিলুপ্তি প্রয়োজন। সাধারন মুসলমানেরা যত তাড়াতাড়ি এই সত্যটা বুঝতে পারবে, তত শিঘ্রই তাদের মুক্তি মিলবে।
লেখক কে (F) ।
@গোলাপ,
@গোলাপ, পারবেন না এর বিলুপ্তি সাধন করতে। কেউ পারবে না। কারন এটা এমন এক ভাইরাস যার কোন চিকিৎসা নেই।আর এই ভাইরাস একদিন দুনিয়াকে আবার আদিম যুগে ফিরিয়ে নিতে বদ্ধ পরিকর।সংখ্যায় মুসলিম রা ১.৫ বিলিওন। কয়জন যে বুঝাবেন? আমি নিজের লোক দের অনেক এরর দেখিয়েছি কোরানের। তারা উত্তর দেয় যে এর নিশ্চয় কোন ব্যাখা আছে যা আমি বা তুমি ধরতে পারছি না!!!বলুন ভাইয়া আশা আমি কিভাবে বাঁচিয়ে রাখব নিজের ভিতরে? ;-( ;-(
একটা ব্যানার করার চেষ্টা করলাম –
[img]http://blog.mukto-mona.com/wp-content/themes/neobox/headers_backup/saudi/saudi_banner.jpg[/img]
@অভিজিৎ,
চমৎকার হইছে কিন্তু!! অনেক ধন্যবাদ।
@অভিজিৎ,
৮ বাংগালীর স্মরণে মুক্তমনার ব্যানারটি এককথায় দারুন হয়েছে।(Y)
(F)
@অভিজিৎ,
অ,ট ঃ
মুরশেদকে ই-বার্তা দিয়ে লিখেছিলাম যে ওনার লেখার পোষ্টে কোন মন্ত্যব্য লিখে পাঠালে যাচ্ছে না।বা মন্ত্যব্যের ঘর দেখা যাচ্ছে না।
কোনো উত্তর পাই নি।
@মাহবুব সাঈদ মামুন, মুরশেদ অতিশয় হতবাগ। আমার মনে হয় সউদী যেমন আছে তাদের সেভাবেই থাকতে দেয়া উচিত। বর্বরতার একটা জীবন্ত যাদুঘর হিসেবে।
আপনি কি চান না আজকের শিশুরা সভ্য মানব আর অসভ্য মানবের পার্থক্যটা লাইভ মডেল দেখে শিখুক।
যে সকল সৌদি জনতা গলাকাটার দৃশ্য দেখে আনন্দে আত্নহারা হচ্ছিল, তাদের ছবি সকল যাদুঘরে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হোক।
@ সাইফুলঃ আমাদের যত দুঃখ, শোক আর লজ্জা আপনার লেখায় পুরোপুরি এসেছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
@মুরশেদ,
ধন্যবাদ জানবেন।
সৌদিদের প্রতি ভার্চুয়াল থুথু নিক্ষেপ করলাম!!
@জাহিদ রাসেল,
আকাশ মালিক ভাইয়ের কথা কোট করিঃ
পচিশ লক্ষ বাঙালি আদম শুধু কায করে সৌদি আরবে। দখল কইরা নেয় না কেন দেশটা। বঙ্গ নাকি খিলজি সাব দখল করছিল মাত্র সতের জন সৈন্য নিয়া?। আল্লার নামে দেশটা দখল করার সফটওয়্যার আদমদের সাপ্লাই দেয়া হউক।
:guli:
@সপ্তক,
আল্লার নাম আর কেউ লয়নারে ভাই! ঘোরতর কলিকাল থুক্কু, কেয়ামত আসন্ন।
শব্দে শব্দে মনের ঝাল জুড়ানো ছাড়া এই মুহুর্তে আমাদের আর কিছু করার নেই। এই লোকগুলো ভিটেমাটি বিক্রি করে দালালের হাতে পয়সা দিয়ে পবিত্র দেশে যায় পেটের দায়ে অথবা বিজ্ঞাপনে প্রতারিত হয়ে। ওখানে গিয়ে তারা প্রতারিত হয় চরম ভাবে। একটা সম্পুর্ন জীবন-মরন অবস্তার ভিতরে তারা কেউ কেউ অপরাধ করে বসে। আর পরিনতি যা হবার তাতো হলো। আর ঐ দালাল কারা। ঐ অসম্ভব পয়সাগুলো কাদের পকেটে যায়। কাজেই এই হত্যার অগ্রীম বেনিফিশিয়ারী তারাও। কাজেই তারা এর প্রতিবাদ করবে না বরং প্রসংসাই করবে। আর ঐ বিচারের কথা কেনা জানে, এক মাত্র নবীর চেলারা ছাড়া। কারন কুকুরের কাছ থেকে মানবীক কোন বিচার আশা করা ভুল। ভাবতে অবাক লাগে ঐ দেশে আট লাখ বাঙালী কাজ করে। নিজেদের আত্তসন্মান নষ্ট হয়ে গেছে আমাদের তাই কুকুরে কামড়াচ্ছে। আর এর জন্য দায়ী দেশের ক্ষমতাওলারা। এসলাম ধর্ম সম্পর্কে কিছু তেমন বলার নেই। এইটুকুই বলার আছে, এই বিচারটা মুহাম্মদের আবিস্কার- আসমানি আদেশ থেকে পাওয়া।
@শাখা নির্ভানা,
এইটা মাইন্যা নিতেই তো কষ্ট হয়রে ভাই। 🙁 🙁
বিভিন্ন জায়গায় কিছু ২০ ফিট বাই ৮ ফিট মেগা শিশ্নধারী বাঙালি দেখলাম ,রীতিমতো সাফাই গাইছে এই হত্যাকাণ্ডের পক্ষে । প্রতিবাদ কী করবো ,তার থেকে বেশি মুষড়ে পড়লাম । এতোটা নিষ্ঠুর বিবেকহীন কীভাবে হওয়া সম্ভব !!!ইসলামি আইনের দোহাই দিয়ে তারা এটাকে খুব স্বাভাবিকভাবেই দেখছে ।
কতোটা বিকৃত রুচির মগজহীন পশু এরা ।
@শফিউল জয়,
স্বাভাবিক।
আপনার লেখা পইড়া একটু মনের ঝাল মিটলো। আমার এক বন্ধু ছিলো, সে চৌদিদের খুব প্রশংসা করতো, মুহম্মদের প্রশংসা করতো। বলতো, আসলামু-আলাইকুম মানে শান্তি বর্ষিত হোক, মানে ইসলাম মানে শান্তি, প্রথা-রীতিতেও শান্তি। সব জায়গায় শান্তি-সাম্য…….আমি অমুসলমান বইলা কিছু কইতাম না পাছে ধর্মের অবমাননা হয়। আইজক্যা আট বাংলাদেশীর শিরোশ্ছেদের দৃশ্য দেইখ্যা খুব খারাপ লাগলো। মনে মনে ঐ বন্ধুকে প্রশ্ন করতাছি, ইসলাম কেমন শান্তির ধর্ম………কেমন চৌদির আইন?
@অডঙ চাকমা,
দুই চাইর অক্ষর কোরান পইড়া দেখতে কইয়েন। মাল খাইয়া টাল অইয়া না। ঠান্ডা মাতায় পইড়া দেখতে কইয়েন। তাইলে যদি কিছু কাম অয়।
এই অসভ্যতা কবে পৃথিবী থেকে দূর হবে কে জানে। আরবদের সব টাইম মেশিনে করে মধ্যযুগে পাঠায় দেয়া দরকার। আমেরিকার গুয়েতনামা কারাগারও কম অসভ্যতা নয়।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
গুয়েন্তানামো।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
হেরা তো ঐহানেই যাইতে চায়। ইসলামের সোনালী দিনে ফেরত যাইতে হেগোর বুক খালি ধুকপুক ধুকপুক করে।
@শাফায়েত,
আরবরা মধ্যযুগেই আছে। সময়কে স্থির করে দিয়েছে তারা। আমাদের কিছু বাঙাল মুসলমানই বরং ওই মধ্যযুগে ফেরার জন্য আঁকুপাঁকু করছে। এই সব আঁকুপাঁকু করা প্রলাপ বকা আলাপিগুলারে ধইরাই টাইম মেশিনে কইরা মধ্যযুগে চালান কইরা দেওয়া প্রয়োজন। ওগো পেয়ারের নবীর পূন্যভূমিতে গিয়া সৌদিগো শক্ত কিছু একটা চাটুক।
@ফরিদ আহমেদ, ঠিক বলেছেন ভাইয়া। ওদের নতুন করে মধ্যযুগে পাঠানোর দরকার নেই। বরং প্রাক ইসলামী যুগে পাঠালেই ওরা ভাল মানুষ হবার একটা সুযোগ পাবে। তবে বাংলাদেশিদের ৫৭০ সালে ফেরত পাথান যেতে পারে। এমনিতেই আমরা যেমন আবেগ প্রবন, তাতে যদি আমাদের স্বদেশী ধার্মিকগন মহাম্মদের সময় ফিরে যান, তবে আশা রাখি উনারা মহাম্মদের মুত্র মোবারক ও পান করবেন আর পবিত্র হবেন। সরি কিছু মনে করবেন না ভাইয়া, কারন আমি এক হাদিসে অনেক দিন আগে পরেছিলাম যে নবীজি তাঁর থুতু মোবারক লাগিয়ে দিলেন ( কোন হাদিস তা মনে করতে পারছি না, পড়তে থাকলে পেয়ে যাবেন,যতদুর মনে আছে একজনের শরীরের কোন অংশ কেটে গিয়েছিল, তখন মহাম্মদ এই কাজ করে, তাই হাদিসে সেই থুতু কে থুতু মোবারক বলা হয়েছে!!!)। আর তাছাড়া উটের মুত্র ত মহাম্মদ নিজেই পান করত।
আসলেই বারুদ লেখা। আসলেই আমার দেশেরই কারো শিশ্ন নাই। বাংলাদেশের শ্রমিক বলেই এভাবে প্রকাশ্যে রাস্তায় শিরচ্ছেদ ঘটাতে পারলো। শিশ্নওয়ালা আমেরিকান নাগরিকদের যদি এইটা করতো তাইলে এতক্ষণে সাড়া দুনিয়ার মিডিয়ায় রীতিমত হাউকাউ পইড়া যাইতো। শিশ্ন ছাড়া দেশের খোঁজা নাগরিকদের কেউ পুছে না।
@অভিজিৎ,
২০০১এ বৃটিশ একজনরে এইরম বিচারের সম্মুখিন করা অইছিল। কিন্তু হেই বৃটিশ পাবলিক এহন কী করে জানেন? এহন বাজে, ১টা তো, মনে অয় বারে বইয়া মদ খাইতাছে। সৌদির লৌহশিশ্নের রাজা ইস্পাতের শিশ্নের অধিকারী মোহাম্মদের ইসলামিক রুল রাইখ্যা বৃটিশরে ছাইড়া দিছিল। কারন কী জানেন? কারন অইল বৃটিশ সরকারের শিশ্ন টাইটেনিয়ামের। সৌদির মাটি এফোর ওফোর কইরা দিত এমনে অসহায় বাঙালিগুলার লাহান মারলে।
@সাইফুল ইসলাম,
শুধু ব্রিটিশ না, একজনের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেইকা দেখলাম – আরব আমিরাতে নাকি ১৭ জন ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যুদন্ড হইছিলো এক মিশরীয় আর একজন পাকিস্তানীকে হত্যা করার দায়ে।কিন্তু ভারতীয় পররাস্ট্র মন্ত্রনালয়ের চাপে তা এখন পর্যন্ত স্থগিত আছে। আর গত ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১০ সালে নাকি সৌদি আরব ভারতের সাথে চুক্তি করেছে যে, কোন ভারতীয় নাগরিক কোন অপরাধে সৌদি আরবে শাস্তিপ্রাপ্ত হলে তাকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করবে, দন্ডপ্রাপ্ত কোন ভারতীয় নাগরিকের শাস্তি সৌদিআরব কার্য্যকর করতে পারবে না। যত মামদোবাজি খালি শিশ্নবিহীন বাংলাদেশের লগেই। আর শিশ্নবিহীন বাংলাদেশীরাও প্রতিবছরই পঙ্গপালের লাহান খালি আরবে গিয়া হজ করবার যায় আর পাথর চুমাইয়া সোয়াব হাসিল করে। কবে যে বুঝব যে ইসলামের পূন্যভূমির সৌদিরা তোগো পুইছাও দেখে না।
আপনার সেরা লেখার একটি (Y)
@রৌরব,
পড়ার জন্য ধন্যবাদ জানবেন।
তথ্য-প্রযুক্তির যুগে ইমানদাররা একটু অসুবিধায়ই পড়ে গেছে। দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন ৮টা রক্তাক্ত মাথা দেখে সইতেও পারেনা কিছু কইতেও পারেনা। সইতে পারেনা, নিজের চোখের সামনে জাতি ভাইয়ের গলা কাটা লাশ, কইতে পারেনা, মুহাম্মদকে নবী মানে। মিশ্র প্রতিক্রীয়া দেখা যায় বিভিন্ন ব্লগে, কেউ কেউ আবার সরাসরি সমর্থনও করেছে ইমান নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে। অমুসলিম আর নাস্তিক ছাড়া কেউ অন্তর থেকে এই নৃশংস হত্যার প্রতিবাদ করবেনা। আর যদি কিছু করতে না পারা যায়, একদিনের জন্য বাংলাদেশের সকল পেশাবখানা-পায়খানা পশ্চিমমূখী করে দিয়েও প্রতিবাদ জানানো যায়। বলা যায় আমরা সৌদি আরব ও শরিয়া আইনের মুখে মুতি।
[img]http://i1088.photobucket.com/albums/i332/malik1956/rje0033l-1.jpg[/img]
@আকাশ মালিক, (Y) (Y)
সব ধর্মই মানবতা বিরোধী। কন্তু এই ধর্মটি জঘন্যতম। অচিরেই এর বিলুপ্তি প্রয়োজন।
@আকাশ মালিক,
আমি ফিরি কাম করমু। মজুরী লাগব না।
@আকাশ মালিক,
এই অমানবিক হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে আমাদের তো কিছুই করার নেই। তাই প্রতিবাদের আইডিয়াটা সত্যিই দারুন। (Y)
এই বর্বর দেশের জন্য বাংলাদেশের মুসলমানদের ঘোর দেখলে মেজাজটাই মাঝে মাঝে বিগড়ে যায়। এইটা নাকি পবিত্রভূমি। লাফ ঝাপ করে হজ্জ করতে যায় তারা, ওমরাহ করতে যায়। কেউ কেউ আবার লাইভ ক্যামেরায় মক্কার ছবি দেখতে থাকে নেশাখোরের মতন।
বারুদ লেখা হইছে কবি। শুধু দুঃখ যে এই বারুদটা সব বাংলাদেশির মধ্যে নাই। থাকলে সৌদি, পাকি এই সমস্ত পাষণ্ডগুলারে মাথায় তুলে নাচতাম না আমরা।
@ফরিদ আহমেদ,
কারন ঐখানে আছে মোহাম্মদের রক্তঘামহাগু আর তার মহান গাম্ভীর্য(গামলা ভরা বীর্য)মিশ্রিত মাটি।
সাইফুল,
আমারও জবাব নাই,বোবা/বধির হয়ে রইছি।তোমার এমন তীক্ষ্ণ মাথা ও বুকের মধ্যে সেলমারা লেখাটি কি আমাদের ভন্ড,মাফিয়াচক্রধারী রাজনীতিবিদ ও
দশটন মোটামাথায় যদি ঢোকে তাইলে একটু শান্তি পাইমু।
:guli:
বিপ্লব পালের লেখাটিও যেহেতু একই বিষয় নিয়া এবং ওইখানের আমার কমেন্টসটি এখানে প্রযোয্য বলে তাই পেষ্ট করে দিলাম।
অত্যাবশ্যকীয়ভাবে এই খুনের প্রতিবাদ হওয়া দরকার কিন্তু ফকির-মেসকিনদের পক্ষে যে আইন-কানুন অন্ধ,বধির ও চোখবাঁধা,এদের পক্ষে কেউ থাকে না।আর আজকের বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির সে-ই হেডাম নাই যে এরা এর বিচার চাইবে বা করবে।অথচ আমরা এমন মেসকিনের দেশ চাই নি যার জন্য ৭১এ ৩০ লাখ মা-বাপ,ভাই-বোন, কৃষক-শ্রমিক,বুদ্ধিজীবিসহ আপামর আমজনতা রক্তদিয়ে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম দিয়েছিল। হায়রে আমার সোনার বাংলা কবে হবে তোমার মানুষের মত মানুষের উন্নত মম চির শির।
দেশ স্বাধীন করেছি ফকির-মেসকিন হয়ে অন্যদেশে ভিক্ষা করার জন্য নয়,অথচ আমাদের ভাগ্যের এমন নির্মম পরিহাস অসভ্য,ভন্ড রাজনীতির স্বীকার হয়ে আমাদেরকে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিনত করা হয়েছে।যাদের বিরুদ্ধে জাতি যুদ্ধ করেছে তারাই আজ দেশের মালিক।আর ওই মালিকরা তাদের মহাপ্রভুর বিচার চাইবে তা আশা করা যে একেবারে গুঁড়েবালি।
৮ হতদরিদ্র ভাগ্যান্নেষী বাংলাদেশীর পরিবারের প্রতি রলো গভীর সমবেদনা ।
:candle:
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
৮ হতদরিদ্র ভাগ্যান্নেষী বাংলাদেশীর পরিবারের প্রতি রলো গভীর সমবেদনা । সহমত।
কড়া লেখা সাইফুল মিয়া। সৌদিগো এ বর্বরতাকে ধিক দিতে আমি ভাষা খুইজা পাইতেছিলাম না। এ লেখাটে কিছুটা কাছাকাছি অইছে।
@অবিশ্বাসী,
ভাইগো, সারাদিন মাথার ভিতরে আমার এই একই কথা ঘুরতেছে।
কেমনে কী ভাই কন? :-X
@সাইফুল ইসলাম,
দুঃখ কিসের? হাতাশ কেন, আল্লার কাজ আল্লা করেছে, ৮ বাংলাদেশীর শিরোচ্ছেদ তে আল্লারই হুকুমে এবং যথানিয়মেই হয়েছে! যদি ইসলাম অন্য কোনভাবে সর্বশ্রেষ্ঠ নাও হতে পারে তবে, মূর্খতায়, ঘৃণ্যতায়, হীনতায়, দীনতায, বর্বরতায়, জঘন্যতায়, হিংস্রতা… যে সর্বোৎকৃষ্ট তার সর্বশ্রেষ্ঠ প্রমাণ যেখানে বহুলোকের সামনে আল্লার বান্দারা উল্লাসিত হয়ে মানুষ বলি দিচ্ছে। এটি তো সর্বোৎকৃষ্ট ধর্মের মহিমা! যে ধর্মের সিম্বল তরবারি সেই তরবারি যদি এমন কাজ না করে তবে ওই সিম্বল রেখে লাভ কি? খোদার সর্বশ্রেষ্ঠ শান্তির বাণী অনুসারে, শান্তির চিহ্ন যদি কাফের, অবিশ্বাসী, ইহুদি, নাছাড়ারা না-ই দেখলো তাহলে কিসের শান্তির ধর্ম?
যথার্থই বলেছেন মজিবুর রহামন ফকি (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী), “ধর্ম মতে মুসলমানদের কোনো অকাল মৃত্যু নেই। তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীর নির্ধারিত সময়েই মারা গেছেন। তাদের জন্য দুঃখ লাগতে পারে। তবে এটাই বাস্তব।” মাথামোটা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেনও বলেছিলো, “আল্লার মাল আল্লায় নিয়া গেছে।”
@কফিল কাঙ্গাল,
আসলেই আল্লার মাল আল্লায় নিছে।
তবে মজার কথা হইল, বৃটিশ আমেরিকান নাগরিকদের বেলায় আল্লার হাতটানের অভ্যাসটা নাই হইয়া যায়। সর্বজ্ঞ্যানে গুণান্বিত আল্লাহ এইটা জানে আমেরিকান বৃটিশগুলারে উঠাইয়া নিতে চাইলে আল্লার লুঙ্গি ধইরা এমন টানই দিব লিঙ্গবিহীন সত্বা(হেয় বেডাও না বেডিও না 🙁 ) উন্মোচিত হইয়া পরব। :))
(Y)
@ডারউইন এর ভুত,
🙂