সৌদি আরবে প্রকাশ্যে মুন্ডচ্ছেদের শাস্তি চালু আছে-এমনটা জানতাম। কোনদিন এই নিয়ে খুব ভেবেছি তা না।
আজকে হঠাৎ এই সংবাদটা পড়ে কিছু না লিখে পাড়লাম না। ছবিতে দেখুন কিভাবে প্রকাশ্যে ৮ জন বাংলাদেশী অভিবাসীর মুন্ডচ্ছেদ হয়েছে সৌদি আরবের উচ্চআদালতের আদেশে। এরা ২০০৭ সালে
রিয়াধের একটা ওয়ার হাউসের ইলেকট্রিক কেবল চুরি করার সময় সেখানকার একজন মিশরীয় গার্ডকে হত্যা করে বলে “অভিযোগ”।
এদের বিচার কিভাবে হয়েছে কেও জানে না। ২০০৯ সালে এদের মৃত্যুদন্ড দেওয়ার পর বাংলাদেশের সরকারের অনেক কবারের এপিল, সৌদি সরকার বাতিল করে এবং গতকাল প্রকাশ্য রাজপথে চারজন জল্লাদ তলোয়ার দিয়ে এদের মুন্ডচ্ছেদ করে। যদ্দুর জানা যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান সৌদির রাজাকে অনুরোধ করেছিলেন সাধারন ক্ষমার জন্যে। কিন্ত কিশোর গঞ্জের সুমন মিয়া বা টাঙ্গাইলের মামুন আব্দুল মান্নানদের ভাগ্যে তাতে শিঁকে ছেঁড়েনি।
এমনেস্টি ইন্টারন্যাশানাল পরিষ্কার ভাবে বলেছে, বিচার পক্রিয়া মোটেও সুষ্ঠ ভাবে হয় নি। এই আটজন বাংলাদেশী দোষী না নির্দোষ বা দোষ করে থাকলেও কিসের জন্যে ইজিপসিয়ান রক্ষীকে খুন করল-কিছুই পরিষ্কার না।
একটু ঘেঁটে আরো জানলাম রিয়াধের দীরা স্কোয়ারে এই প্রকাশ্যে মুন্ডচ্ছেদ করা হয় এবং গত তিন বছরে সাড়ে তিনশোর বেশী লোকের এখানে মুন্ডচ্ছেদ হয়েছে। শুধু তাই না , সৌদি আরবে ক্রসিফিকেশন এখনো চালু আছে। হাত পা কাটা বা চোখ খুবলে নেওয়া স্বাভাবিক “শাস্তি”।
আমার আরো রাগের কারন এমন একটা বর্বর দেশের বর্বর রাজাকে আমেরিকা, ভারত সহ পৃথিবীর সব দেশে যেভাবে সন্মান দেওয়া হয়, তা কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য না। রাজা আবদুল্লা ভারতের প্রজাতান্তিক দিবসের চিফ গেস্ট হিসাবে আমন্ত্রিত হয়েছেন। ইনি আবার বুশ এবং ক্লিনটন ফ্যামিলির ঘনিষ্ঠ কারন এদের ফাউন্ডেশনে রাজা প্রচুর টাকা ঢালেন। মুসলিমদেশগুলোর কথা ছেড়েই দিলাম-তাদের ব্যপার স্যাপার যুক্তিবুদ্ধির মধ্যে না আনাই ভাল। কিন্ত ভারত বা আমেরিকার মতন গণতান্ত্রিক দেশগুলি নানান কারনে যেভাবে এই রকম একটা বর্বর রাজাকে সন্মান দিয়ে থাকে তা যুক্তি বুদ্ধি রহিত। রাজা আবদুল্লা সংস্কার করার চেষ্টা করেও পিছু হটেছেন নানান সময়ে-কারন উলেমাদের ভয়। বিচার এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে উলেমাদের হাতে একচ্ছত্র ক্ষমতা ছাড়তে তিনি বাধ্য হয়েছেন প্রায়।
আমি মনে করি সৌদি আরবের উলেমা এবং রাজা এই ৮ জন বাংলাদেশীকে খুন করেছে এবং এর প্রতিবাদ হওয়া দরকার। পৃথিবীর সব দেশের সরকারের এদের বয়কট করা উচিত যদ্দিন না এরা এদের আইন কানুন সভ্য না করে।
বিপ্লব,
দুঃখিত যে সুন্দর লেখাটি আগে পড়ার সুযোগ হয়নি। মুসলিম বিশ্ব তো এমন এক জায়গা যেখানে খুন কোনও দোষের ব্যাপার নয়, ধর্ষণ কোনও অপরাধ নয়, অগ্নিসংযোগ নয় নিন্দনীয়, যতনা অপরাধ নাস্তিক হওয়া বা সমকামী হওয়া। এরকম বিশ্বে সুবিচার কখনোই সম্ভব নয়। যতদিন সেই অভিশপ্ত গ্রন্থখানা তাদের মস্তকের উর্ধপ্রদেশে সূর্যের তাপে দণ্ডায়মান ততদিন তাদের জীবনে ‘উন্নতি’ বা ‘আধুনিকায়ন’ নামক কোনও বিধর্মী আগন্তুকের অনুপ্রবেশ একেবারেই সুদূরপরাহত। এবারের বসন্তঋতুতে ‘আরব বসন্ত’ বলে একটা হাস্যকর ধূয়া উঠল পশ্চিমে—আহা, এই বুঝি গণতন্ত্র এসে গেল মধ্যপ্রাচ্যে, বাজাও বাজাও ঢোলক বাজাও বিশ্ববাসী, গণতন্ত্র এসে গেছে ইসলাম জাহানে। হাহ্, গণতন্ত্র! ‘হাসরের’ দিন পর্যন্ত সেটা কখনোই হবে না সেজগতে। টিকসইমারা ভোট আর গণতন্ত্র একজিনিস নয়—-এমনকি ব্যলটমার্কা ভোটও নয়।
আটজন হতাভাগ্য বাঙ্গালির প্রাণ গেল এমন অকথ্যভাবে—-এদুঃখ আমাদের সয়ে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। এই গ্রন্থের বিরোধিতা করার সাধ্য সংসারে কারো নেই। নরহত্যা তো এই গ্রন্থেরই পবিত্র বিধান। একে খণ্ডাবে কে। তবে কি জানেন? সবচেয়ে বিস্ময়কর ঘটনা হল যে আমরা যারা পশ্চিম বিশ্বের অপেক্ষাকৃত নিরাপদ আশ্রয়ে বসে বড় বড় বুলি আওড়াতে সাহস পাচ্ছি তাদের জীবনেও সেই বুলির পরিণতি প্রায় অনিবার্যতার পর্যায়ে পৌঁছুবার উপক্রম। চারদিকে এই যে ঘনায়মান ত্রাসের আবহাওয়া, তার অর্ত্থ সেই পবিত্র জল্লাদবাহিনী আজকে শুধু সৌদি আরবের আদালত অঙ্গনেই সীমাবদ্ধ নয়, সারা বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়েছে। সুতরাং ‘মুক্তমনা’র সহযাত্রীগণ, যেখানেই যান পেছনদিকে তাকাতে ভুলবেন না।
@মীজান রহমান,
কোন ধর্মকে আলাদা করে দেখা বোধ হয় যুক্তিবাদের দৃষ্টিতে ঠিক না। কোরানের বক্তব্য অন্য ধর্মগ্রন্থ থেকে খুব বেশী কিছু আলাদা না-কারন এগুলি সবই আমাদের নৃতাত্বিক বিবর্তনের ফসল।
কোরানে সমস্যা থাকলে বাইবেলে আরো বেশী সমস্যা আছে-হিন্দু ধর্মগ্রন্থে তস্য বেশী সমস্যা আছে। কিন্ত খ্রীষ্ঠানরা মধ্যযুগীয় রীতি ছাড়তে পেরেছে, ভারতের আইন জারি করে হিন্দুদের পৈশাচিক প্রথাগুলি যেমন সতীদাহ , জাতিভেদ এগুলো বন্ধ করা হয়েছে। সেখানে মুসলমানরা মধ্যযুগকে আঁকড়ে ধরে থাকতে চাইছে। অধিকাংশ মুসলমান তাতে অন্ধ সমর্থন দিচ্ছে। সমস্যাটা এখানেই যে মুসলিমদের মধ্যে কামাল আতার্তুকের মতন নেতা জন্মাচ্ছেন না। সাম্রাজ্যবাদি শক্তিগুলিও গত ৬ দশকে ইসলামিক বিশ্বের প্রগতিশীল আন্দোলনের পেছনে ছুড়ি মেরেছে। যদ্দিন বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আরব এরা ইসলামিক আফিঙে চুর হয়ে থাকবে, এদের উন্নতি হবে না। ফলে এরা আমেরিকা সহ উন্নত বিশ্বের পদলেহী হয়ে থাকবে,।
আমার মনে হয় না ভারতে কেও হিন্দু ধর্মগ্রন্থের বিরোধিতা করে-কিন্ত আইনের ক্ষেত্রে রাজনীতির ক্ষেত্রে হিন্দু আইনকে নেহেরু কবরে পাঠিয়ে ছিলেন। সেটা বিজেপি ও বার করতে পারে নি। আর পারবেও না। কারনের ভারতের রাজনীতি এখন বিবর্তিত হচ্ছে “বস্তুবাদি উন্নতির” ওপর-কারন জনগণ ভালো জীবনের স্বাদ পেয়েছে। সেজায়গায় বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের মতন দেশগুলির রাজনীতিতে ইসলাম একটা বড় ফাক্টর। এই জায়গা থেকে না বেড়োতে পাড়লে মুশকিল আছে।
@বিপ্লব পাল,
মানলাম বাইবেলে, হিন্দু ধর্মগ্রন্থে সমস্যা আছে, কিন্তু যেখানে আপনার বক্তব্য অনুযায়ী খ্রীষ্ঠানরা মধ্যযুগীয় রীতি ছাড়তে পেরেছে, আইন জারি করে হিন্দুদের পৈশাচিক প্রথাগুলি বন্ধ করা হয়েছে সেখানে মুসলমানরা মধ্যযুগকে আঁকড়ে ধরে থাকতে চাইছে কেন? এর নিশ্চয়ই একটা কারন আছে, তাইনা? পৃথিবীর অন্য ধর্মালম্বিরা মধ্যযুগীয় রীতি ছাড়তে পারছে বা পারার মানসিকতা তৈরী করছে শুধু মুসলমানরা এই ব্যাপারে অপরাগ বা ব্যর্থ হচ্ছে কেন?
মুসলমানরাতো আর অন্য গ্রহের বাসিন্দা নয় যে তাদের ক্যারেক্টারিস্টিক্স অন্যান ধর্মালম্বিদের থেকে আলাদা কিছু, আর তাই শুধু মুসলমানদের দুষতে হবে, তাদের পালন করা ধর্মটিকে নয়। বরং অন্যান্য ধর্ম ও ধর্মালম্বিদের পরিপ্রেক্ষিতে এটা বলাই যুক্তিসংগত হবে যে ইসলাম ধর্মটিতে অন্য ধর্মের থেকে আলাদা কিছু মাল-মসলা আছে যেটা মুসলমানদেরকে মধ্যযুগের থেকে বের হয়ে আসতে বাঁধা প্রদান করছে।
@ব্রাইট স্মাইল্,
বাধা নেহেরু, বিদ্যাসাগর রামমোহন সবার বিরুদ্ধেই এসেছে।
আবার এটাও দেখা যাবে, তুর্কী একটি আধুনিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাতে সমর্থ হয়েছে যে রাষ্ট্রএর আইনে
ইসলামকে ঢোকানো হয় নি।
সুতরাং ইসলাম আলাদা কোন স্পেশাল ধর্ম না। বাংলাদেশে শেখ মুজিবর না জন্মিয়ে কামাল আতার্তুক জন্মালেই, রাষ্ট্রটি আধুনিক রাষ্ট্র হতে পাড়ত। তুরস্কের মতন শক্তিশালী ধর্মনিরেপেক্ষ আইন প্রবর্তন করলে, এই ধর্মের উৎপাত কমত। আসলে ইসলামের টিকে থাকার কারন রাজনৈতিক-কারন তা শ্রেনী বিভাজিত সমাজে শোষক শ্রেণীকে টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করছে।
@বিপ্লব পাল,
পার্থক্য হলো সেই বাধা অতিক্রম করতে অন্য ধর্মের বেশীরভাগ লোকজনের সদিচ্ছা কাজ করেছে, তা না হলে বাধা দূর হলো কি করে? কিন্তু ইসলাম ধর্মের বেলায় তা উল্টোটি ঘটছে যেটা আপনি, আমি, পৃথিবীর সবাই প্রত্যক্ষ করছি, আর এখানেই হলো অন্য ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্মের বিশেষত্ব। সত্যকে অস্বীকার করার কোন উপায় নাই।
@ব্রাইট স্মাইল্,
না। রামমোহন এবং বিদ্যাসাগরের বিপক্ষের লোকই সংখ্যায় অনেক বেশী ছিল। বরং ইসলামে সংস্কারপন্থী লোক এখন অনেক বেশী।
কিন্ত পার্থক্য হচ্ছে এই যে প্রথমে বৃটিশ, তারপরে নেহেরু ভারতের হাল ধরেছেন, যারা ধর্ম এবং আইন সংস্কারকে সমর্থন করেছে। নেহেরুর যায়গায়, তার নাতি রাজীব থাকলে, আজকে হিন্দুরা যতখুশী বিবাহ করতে পাড়ত :lotpot:
অর্থাৎ রাজনৈতিক সিস্টেম ভারতে সর্বদা ধর্মনিরেপেক্ষতার পক্ষে থেকেছে।
এখানেই হাসিনা বা শেখ মুজিবের রোলটা গুরুত্বপূর্ন। বিপক্ষে জামাত বা বি এন পি থাকবেই। গণতন্ত্রে ধর্মের , ধর্মীয় আইনের পক্ষের একটা গ্রুপ থাকবেই। ভারতে বিজেপি আছে। তারা তাদের রোলটা ঠিকই প্লে করছে। কিন্ত হাসিনা, নেহেরুর মতন বা আতার্তুকের মতন সাহসী হয়ে ধর্ম নিরেপেক্ষতা রাষ্ট্রএর আইনে ঢোকাতে পারছেন না।
পাকিস্তানের ক্ষেত্রে আরো সমস্যা-সেখানে রাষ্ট্রটাই অস্তিত্বহীন প্রায়।
হাসিনা বা মুজিব ইতিহাসে একজন সাধারন মানের দেশনেতা হিসাবেই স্থান পাবেন। কামাল আতার্তুক বা নেহেরুর মানে এরা উঠতে পারবেন না কারন এদের সেই রাজনৈতিক শিক্ষা বা দূরদর্শিতাটা নেই।
@বিপ্লব পাল,
ইসলাম ছাড়া অন্য যে কোন যে ধর্মের আওতায় সাহসী হওয়ার অবকাশ আছে বলেই আজ পৃথিবীতে অন্য ধর্মে একস্ট্রেমিজম কমে যাচ্ছে, আর সেই সব ধর্মের লোকজনদের জন্য ধর্ম নিরেপেক্ষ রাষ্ট্রও গড়ে উঠা সম্ভব হচ্ছে। ব্যতিক্রম শুধু ইসলামিজম, এই ধর্মের আওতায় হাসিনা বা শেখ মুজিবতো কোন ছাড় সাহসী নেহেরু বা নেহেরুর গুরু আসলেও কোন কাজ হবেনা, কারন সাহসী হয়ে এই ধর্মের বিরুদ্ধে কিছু বলতে গেলে বিপ্লবতো দুরের কথা নিজের অস্তিত্ব নিয়েই টানাটানি হয়ে যাবে। এটা সবাই খুব ভালোভাবেই জানে। আতার্তুকের মতো দুই এক জন ব্যতিক্রম দিয়েতো আর সব বিচার হয়না, গোটা দুনিয়া জুড়েইতো ইসলাম পালনকারি দেশগুলো আর সেই দেশের লোকগুলো ধর্মের আফিম খেয়ে, ধর্মান্ধ হয়ে মধ্যযুগীয় চিন্তা চেতনা নিয়ে বসে আছে। তা না হলে কি আর প্রকাশ্যে শিরোচ্ছেদের মতো এইরকম পৈশাচিক ব্যবস্থার সমর্থন পায়?
@ব্রাইট স্মাইল্,
ইসলামি বিশ্বের ইতিহাস যদ্দুর পড়েছি-তাতে আমি ভাই একমত না। ১৯৮০ সালের আগে যখন পেট্রোডলার ছিল না-এই উৎপাত কি ছিল? তেল তুলে নাও, শেষ হতে দাও, ইসলামের উৎপাত ৯৫% কমে যাবে।
@বিপ্লব পাল,
দুনিয়াতে পেট্রোডলার ছাড়াও আরো ডলার আছে, আর সেই সব ডলারওয়ালা দেশের বা দেশের লোকজনের ধর্ম নিয়ে উৎপাততো চোখে পরেনা। পেট্রোডলারের দোহাই দিয়ে ইসলাম ধর্মটির মুল সমস্যা পাশ কাটিয়ে যাওয়ার কোন উপায় নাই। দুঃখজনক হলেও বাস্তবতা তাই।
@ব্রাইট স্মাইল্,
সতীদাহ সমর্থনের লোক হিন্দু ধর্মে কম নেই :hahahee: আজো :guru:
ধর্মে বিশ্বাস করলে, তাকে কমবেশী ফানাটিক হতেই হয়-এটাই বাস্তব। সব ধর্মবিশ্বাসীই একটা পর্যায়ের পর উন্মাদ-তাই এক্ষেত্রে কোন বিশেষ ধর্মকে আলাদা করার কারন দেখি না-কারন হিন্দুত্ববাদিদের মধ্যেও আমি যথেষ্ট সময় কাটায়।
@বিপ্লব পাল,
আপনার এই ‘কম’ আর ‘বেশীর’ মধ্যে ইসলাম ধর্মটিকে ‘বেশীর’ চুড়ান্ত পর্য্যায়ে রাখাটাকে বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তির মধ্যে পরে।
” কিন্ত ভারত বা আমেরিকার মতন গণতান্ত্রিক দেশগুলি নানান কারনে যেভাবে এই রকম একটা বর্বর রাজাকে সন্মান দিয়ে থাকে তা যুক্তি বুদ্ধি রহিত। রাজা আবদুল্লা সংস্কার করার চেষ্টা করেও পিছু হটেছেন নানান সময়ে-কারন উলেমাদের ভয়। বিচার এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে উলেমাদের হাতে একচ্ছত্র ক্ষমতা ছাড়তে তিনি বাধ্য হয়েছেন প্রায়।”
-খুবই সত্যি কথা। লক্ষ্যণীয় যে বিপ্লব পালের এই সংক্ষিপ্ত লেখাটি এবং এ নিয়ে আলোচনায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে এসেছে। এবং আশ্চর্যের বিষয় যে কোন গালিগালাজ এবং অশালীন বাক্য প্রয়োগ ছাড়াই।
@মোহিত,
“লক্ষ্যণীয় যে বিপ্লব পালের এই সংক্ষিপ্ত লেখাটি এবং এ নিয়ে আলোচনায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে এসেছে। এবং আশ্চর্যের বিষয় যে কোন গালিগালাজ এবং অশালীন বাক্য প্রয়োগ ছাড়াই।”
যখন হরর ছবি বানান হয় তখন ভয়াবহ সব দৃশ্য থাকে, যখন যুদ্ধের ছবি বানানো হয় তখন যুদ্ধের ভয়াবহতা থাকে,যখন প্রেমের ছবি বানানো হয় তখন বেড সিন থাকে। তার মানে কি তাবৎ সব ছবিই ভয়াবহ?,সব ছবি প্রেমে ভরা?। যখন যে বিষয় আসে তার উপর ভিত্তি করেই বাস্তবতা আসে। বিপ্লব লিখেছেন বিপ্লবের মত,সাইফুল লিখেছেন সাইফুলের মত, সাইফুল ঘৃনা প্রকাশের জন্য ভাল্গার ব্যাবহার করেছেন(আপ্নার মতে), যেমন চলচিত্রে বেড সীন আপনার কাছে ভাল্গার মনে হতে পারে। এখন আপনি বলতে পারেন, বেড সীন ছাড়া কি প্রেম দেখান যায় না, যায় কি যায় না সে সিদ্ধান্ত দেবার ক্ষমতা যেমন আপনার উপর বর্তায় না তেমনি এখানে কোন লেখা অশ্লিল সে সিদ্ধ্যন্ত দেবার দায়িত্ত আপনাকে কে দিল?। মুক্তমনার নিজস্ব নীতি আছে , সেটা জানেন না?। কোনটা রুচিকর আর কোনটা না সেটা বিচার করবে পাঠক। মুক্তমনাতে সারা বছর যেমন সাইফুলের লেখার মত লেখা প্রকাশ হয় না , তেমনি ভাবে হলিউডেও সারা বছর বেড সীন ওয়ালা প্রেমের ছবি বানানো হয় না। সাইফুলের লিখাটি একটি স্যাটায়ার লিখা…ঘৃনা প্রকাশ। প্রয়োজনে বুরখা পড়ে সাইফুলের লিখাটা আবার পরবেন।
***পুনশ্চঃ বানান ভুল থাকতে পারে, নতুন লিখছি বলে। বানান ভুল ধরে আবার দাঁত কেলায়েন না।
যখন এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞের খবর সংবাদ পত্রে পড়ছিলাম, সেখানে একটি শব্দে শিউরে উঠেছিলাম, সেটি হচ্ছে– রক্তের দাম!
—
প্রাসঙ্গিক ব্যনারের জন্য ধন্যবাদ মুক্তমনা। বিপ্লব দা’কেও অনেক ধন্যবাদ।
আচ্ছা অপরাধীরা যদি পরকালে দোজখে শাস্তি পেয়েই থাকে তবে ইহকালে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করার কারন কি? তাহলে কি মোহাম্মদের দোজখ বিষয়ে সন্দেহ ছিল? তাই ইহকালে শাস্তির জন্য বর্বর শরিয়া আইনের ব্যবস্থাও করতে হল?
@রনবীর সরকার,
খুবই যৌক্তিক প্রশ্ন। এবং জান্নাত যেন হাসীল হয়, সে জন্য যে দ্বিতীয়বার সুযোগ দেয়া হয়, তাও নয়। খুনের বদলে খুন, চুরি করলে হাত কাটা।
অন্যান্য দেশে কত অপরাধীদের দ্বিতীয়বার সুযোগ দেবার ফলে তারা একটি সুন্দর জীবন গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে এমন দৃষ্টান্ত প্রচুর।
অনেকেই জানতে চেয়েছেন , দন্ডাজ্ঞা প্রাপ্য ভারতীয়দের ক্ষেত্রে কি করা হয়।
২০১০ সালের আগে পর্যন্ত দন্ডাজ্ঞা প্রাপ্য সব ভারতীয়দের শিরোচ্ছেদ করা হয়েছে। কিন্ত এই নিয়ে ভারতে প্রবল অসন্তোষ থাকায় ২০১০ সালের মার্চ মাসে মনমোহন সিং এর সাথে রাজা আবদুল্লার যে চুক্তি সাক্ষরিত হয়, তার ১০ টি ধারার একটি ছিল, সৌদিতে দন্ডাজ্ঞাপ্রাপ্য ভারতীয়দের ভারতের আদালতে ফেরত পাঠানো। তবে যেহেতু ব্যপারটি জটিল-এই ধারাটি নিয়ে জল ঘোলা হচ্ছে এবং এর পর থেকে সৌদি আরব এখনো কোন ভারতীয়্র শিরোচ্ছেদ করে নি।
@বিপ্লব পাল,
এটা একটা ভাল পয়েন্ট। আমিও তাই জানতাম। গত ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১০ সালে নাকি সৌদি আরব ভারতের সাথে চুক্তি করেছে যে, কোন ভারতীয় নাগরিক কোন অপরাধে সৌদি আরবে শাস্তিপ্রাপ্ত হলে তাকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করবে, দন্ডপ্রাপ্ত কোন ভারতীয় নাগরিকের শাস্তি সৌদিআরব কার্য্যকর করতে পারবে না। অথচ ফারুক সাহেব আরেক পোস্টে গিয়ে ভারতীয়দের বিহেডিং এর একটা খবর দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করছিলেন যে, সৌদি আইন নাকি সবার জন্যই সমান। ব্রিটিশ আমেরিকানরা তো একই ধরণের অপরাধ করে ছাড়া পেয়ে গেছে তার অনেক দৃষ্টান্তই আছে। এটা একটা।
এই সৌদি বিচারের দ্বিচারিতা নিয়ে আরো কোন তথ্য পেলে জানিও।
এই ধরণের অমানবিক শরীয়া আইনের তীব্র নিন্দা জানাই। মহাত্মা গান্ধীর একটা উক্তি এক্ষেত্রে দিতে চাই,”চোখের বদলে চোখ নেয়ার নীতি গোটা মানবজাতিকেই অন্ধ করে দিয়েছে।” 🙁
পড়লাম।
সদালাপীরা যে ভাবে বাঙলাদেশ এবং বাঙালি জাতীকে গালিগালাজ দিয়েছেন তাতে মনে হল উনারা আরব প্রথমে, তারপর বাঙালি বা অন্য কিছু।
যেভাবে সৌদিদের নন্দনা গাইছেন তাতে মনে হল যত দোষ, নন্দ ঘোষ, অর্থাৎ সৌদিদের এই বর্বর শাস্তির জন্য শুধু বাঙলাদেশ নয়, অর্থাৎ সমগ্র কাফির দেশ দায়ী। উনারা চাইছে, সৌদেদের মত ইসলামী শান্তি কায়েম করতে বিশ্বময়।
মনে হচ্ছে অনেক সদালাপীই বহুদিন সৌদিতে নোকরী করেছেন। কিন্তু সৌদিরা তাঁদের অনেককে অন্যান্যদের মত মাইনে দেয় নি তার জন্য কুলাঙার বাঙ্গালী জাতিই দায়ি। অনেকে নিজেকে বাঙলি পরিচয় দিতেও লজ্জিত।
আশ্চর্যের ব্যাপার হল, যেই সৌদিদের এত গুনগান করছেন, সেই সৌদিরা কিন্তু ইনাদের সৌদিতে বসবাস করতে দেয় নি। কাজ ফুরার সাথে সাথে সৌদি থেকে ঝাড়ু দিয়ে বিদায় দিয়েছে।
তারপর গিয়েছেন কোথায়? এখন ইনারা কিন্তু কাফেরদের দেশে–স্বপ্ন দেখছেন কাফেরদের দেশে ইসলামী স্বর্গ তৈরী করবেন।
কিন্ত আরদের দান খয়রাত আর ভিক্ষা ভুলেন নাই তাই অকুণ্ঠ ভাষায় সৌদিদের প্রশংসা করে যাচ্ছেন আর কাফেরদের দেশের হাওয়া বাদল টেনে আর হারমি কাফেরদের দেশের নিমক খেয়েও তাদেরকে তুলা ধুনা করছেন।
এইই হল ইসলামি কৃতজ্ঞতা।
সাফাই নয় বিপ্লব, সদালাপ শীৎকার দিচ্ছে। পাকি বা সৌদিদের সুঠাম শরীরের নীচে চাপা পড়লে অনেক বাঙাল মুসলমানই শয্যায় এরকম শীৎকার দিয়ে থাকে।
@ফরিদ আহমেদ,
এটা খুব লজ্জার ব্যপার যে এরা বাংলাদেশের এই আট জনের সম্মন্ধে কিছু জানার চেষ্টা না করে, ইসলাম বাঁচাতে মাঠে নেমেছে। এরা জানে না, সৌদিতে কোন ভারতীয় অপরাধ করলে, সৌদি আইনে তাকে বিচার করা যায় না। ভারতে পাঠাতে হয়। নইলে ভারত সৌদি আরব থেকে তেল কেনা বন্ধ করে দেবে। এটাও জানে না, আমেরিকা সহ বহুদেশের নাগরিককে সৌদি আইনে সৌদি আরব বিচার করতে পারে না। এটাও জানে না, যেসব লোকেদের শিরোচ্ছেদ হয়েছে, তারা সব গরীবদেশের গরীব নাগরিক।
এত কিছু এরা যে জানে না-তার কারন একটাই-ধর্মভীরুতার কারনে এরা অন্ধ হয়েছে। কোন ভারতীয়কে দেখি নি, এই ধরনের আন্তর্জাতিক ঘটনায় ভারতীয়দের পাশে না দাঁড়াতে। মনে হচ্ছে বাংলাদেশী মুসলিমদের মধ্যে দুটো ন্যাশানালিজম কাজ করে-একট ইসলামিক জাতিয়তাবাদ, অন্যটা বাংলাদেশী জাতিয়তাবাদ। এবং এরা ইসলামিক জাতিয়তাবাদকেই বেশী মানে। এই সমস্যাটা ভারতীয় মুসলিমদের মধ্যেও আছে-তবে ওরা চাপে থাকে বলে, এর বহিঃপ্রকাশ কম। কিন্ত বাংলাদেশের বেশ কিছু মুসলিম যেভাবে সৌদি আরবের সাফাই গাইছে, তাতে ওদের সৌদি আরবে আজীবন কাটানোর ব্যবস্থা করে দিন প্লিজ :guru:
নইলে কেও রয়াবের ক্রসফায়ারের সাথে এর তুলনা টানে? ক্রস ফায়ারে কাওকে মারা কি বাংলাদেশের আইন? সেটা সংবিধান বহির্ভুত কাজ যা নিয়ে বাংলাদেশের প্রতিটা ব্লগেই অনেকেই লিখেছে। এটাত সৌদি আরবের সংবিধান সম্মত আইন। দুটোর মধ্যে পার্থক্য একটা শিক্ষিত মুসলিম বুঝতে পাড়ছে না-কারন সে ধর্মান্ধ।
@বিপ্লব পাল,
মনে হওয়ার কিছু নেই, এটাই জ্বলন্ত সত্যি। আমাদের দেশের লোকেরা জাতীয়তাবোধের ক্ষেত্রে দ্বিধাবিভক্ত। একদল মুসলিম জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী, অন্য দল বাঙালি জাতীয়তাবাদে আস্থাবান।
পাঠাতে পারলেতো খুশিই হতাম আমরা। কিন্তু ওদের সৌদি আব্বাজানেরা আবার তাদেরকে মিসকিন ছাড়া কিছু ভাবে না। কাজেই, নিতে চায় না। পূণ্যভূমিতে না যেতে পারার দুঃখ ভোলার চেষ্টা করে বাংলাদেশকেই পূণ্যভূমির আদলে গড়ে তোলার চেষ্টার মাধ্যমে। সে কারণে আমাদের দেশটাকে খেজুরগাছশোভিত মরুদ্যানে পরিণত করতে চায় তারা।
@বিপ্লব পাল,
”এটা খুব লজ্জার ব্যপার যে এরা বাংলাদেশের এই আট জনের সম্মন্ধে কিছু জানার চেষ্টা না করে, ইসলাম বাঁচাতে মাঠে নেমেছে। ”
– সহমত।
সদালাপ নামে “একটি প্রোইসলামিক বাঙালী” সাইটে যেভাবে কিছু বাংলাদেশী, এই হত্যাকান্ডের সমর্থনের সাফাই গাইছে, তা রীতিমত আতঙ্কের কারন।
কারন দেখা যাচ্ছে, তাদের দেশত্ব ভাতৃত্ববোধের ওপরে, তারা ইসলামকে স্থান দিচ্ছে।
ব্যপারটা সাংঘাতিক, মারাত্মক এবং সর্বনাশা।
কারন এই ধরনের ইসলামিক ধর্মভীরুতার কারনে, এরা দাঙ্গার সময় হিন্দু নিধন সমর্থন করবে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ধর্ষকদের পাশে দাঁড়াবে ইসলামিক ভাতৃত্ববোধের নামে।
আমি আবার লিখছি ধর্ম হিসাবে ইসলাম বিচ্ছিন্ন কিছু না-এই ধরনের বর্বর আইন বৌদ্ধ ধর্ম বাদে পৃথিবীর সব ধর্মেই বিদ্যমান। কারন ধর্ম একটি সামাজিক বিবর্তনের ফসল যা ধর্মটির জন্মের সময়ের ইতিহাস এবং ভূগোলের রাবার স্টাম্প নিয়েই জন্মাবে।
কিন্ত অন্য ধর্মের লোকেরা ধর্মের সাথে নাড়ীর যোগ আস্তে আস্তে দুর্বল করেছে-ইসলামে সেই সংস্কার পক্রিয়া এখনো হয় শুরু হয় নি। সদালাপে যেভাবে কিছু উচ্চশিক্ষিত মুসলমান এই ধরনের মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে সমর্থন করছে, তাতে সামগ্রিক মুসলিম সমাজের মনন এবং মানসিকতা দেখে মনে রীতিমত আতঙ্ক জাগছে।
সদালাপ থেকে দেখা যাচ্ছে মডারেট মুসলিম নামে যে সোনার পাথর বাটি শব্দটি মিডিয়া আবিস্কার করেছে-সেটি আসলে অস্তিত্বহীন রাজনৈতিক গিমিক যা অন্যধর্মের লোককে ধোঁকাবাজি দেওয়ার জন্যে রাজনৈতিক গেম ছারা কিছু না।
অপরাধ করলে শাস্তি নিশ্চয় দরকার। কিন্ত এই ধরনের অমানবিক হত্যাকান্ড বা চোখের বদলে চোখ খুবলে নিয়ে কি ধরনের সমাজের প্রতিষ্ঠা হয়?
মানুষ পরিবর্তনশীল। আজকে যে খুনী- সে খুনী হয়ে জন্মায় নি, পরেও খুন করবে এমন না।
আর্থ সামাজিক অবস্থা একজন মানুষকে খুনী বানায়।
যেসব বাংলাদেশীরা “ডাকাতির” সাথে যুক্ত ছিল-অধিকাংশরই সৌদি আরবে কোন স্টেবল ইনকাম ছিল না। তারা দালার দ্বারা প্রতারিত। পেটের দায়ে ডাকাতি করছে। তাদের শাস্তি কাম্য-কিন্ত প্রকাশ্যে রাজপথে গলাকাটা-এটা মধ্যযুগে ফিরে যাওয়া। বাংলাদেশে তাদের কোন ক্রিমিন্যাল রেকর্ড নেই। এটা বুঝতে আইনস্টাইন হতে হয় না যে, লোকগুলো অভাবের জ্বালায় এমন কাজ করেছে এবং স্বাভাবিক আর্থ সামাজিক অবস্থানে তারা আমাদের মতন একজন সাধারন মানুষ হয়েই বাঁচতে চাইত। সেই সুযোগ তাদের কোথায় দেওয়া হল?
ধর্ম বা কমিনিউজমের মতন আদর্শবাদ মানুষকে জানোয়ার বানায় ( কোন ধর্ম ব্যতিক্রম না) -এটা আমি বহুবার লিখেছি। কারন বহুবছর ধরে এটাই আমি দেখছি। সদালাপে কিছু শিক্ষিত মুসলমানের ধর্মান্ধতাতে আমি একাধারে ক্রুদ্ধ এবং আতংকিত।
ধর্ম মানুষের সৃষ্টি-সেই ধর্ম পালন তার ব্যক্তিগত ব্যপার। কিন্ত এটা আমি বারবার লিখেছি, আজও লিখছি-একজন মানুষ যখন ধর্মকে মানুষের ওপরে বসাতে চাইবে, সে নিজের কবর নিজে খুঁড়বে। এটা কমিনিউস্টদের জন্যে সব থেকে বেশী বার লিখতে হয়েছে-হিন্দুদের জন্যেও লিখেছি- মুসলমানদের জন্যে আরো একবার লিখলাম।
সবার ওপরে মানুষ সত্য-তাহার উপর নাই।
@বিপ্লব পাল,
উচ্চ শিক্ষিত বলুন আর নিম্ন শিক্ষিত বলুন এতো শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কিন্তু ধর্ম শিক্ষায় এরা সমান শিক্ষিত। ধর্ম চিন্তায়, মনন এবং প্রতিফলনে এদের পার্থক্য ঊনিশ বিশ।
উচ্চ শিক্ষিতদের আচরণে মনে হয় ধর্ম রক্ষায় তারা আরো বেশি গোড়া।
আপনাকে ধন্যবাদ আমাদের পাশে থাকার জন্য।
@বিপ্লব পাল,
”ধর্ম বা কমিনিউজমের মতন আদর্শবাদ মানুষকে জানোয়ার বানায় ( কোন ধর্ম ব্যতিক্রম না) -এটা আমি বহুবার লিখেছি। ”
– কিন্তু বিকল্প কী ?
@মোহিত,
বিকল্প নিয়েই আমরা বেঁচে আছি।এই পৃথিবীর রাজনৈতিক ব্যবস্থা মোটেও সমাজতন্ত্র, ধনতন্ত্র বা ধর্মতান্ত্রিক না। সর্বত্রই তা বাস্তব সম্মত একট সিস্টেম, যা ক্রমাগত বিবর্তিত হচ্ছে।
কোন সিস্টেমই আদর্শ না। গণতন্ত্র একটি সিস্টেম যা কোন একটি সিস্টেমের বিবর্তনকে নিশ্চিত করে। শুধু এটুকুই দরকার- একটি সিস্টেম যা জনগণ বদলানোর ক্ষমতা রাখে।
@বিপ্লব পাল,
যেসব বাংলাদেশীরা “ডাকাতির” সাথে যুক্ত ছিল-অধিকাংশরই সৌদি আরবে কোন স্টেবল ইনকাম ছিল না। তারা দালার দ্বারা প্রতারিত। পেটের দায়ে ডাকাতি করছে। তাদের শাস্তি কাম্য-কিন্ত প্রকাশ্যে রাজপথে গলাকাটা-এটা মধ্যযুগে ফিরে যাওয়া। বাংলাদেশে তাদের কোন ক্রিমিন্যাল রেকর্ড নেই। এটা বুঝতে আইনস্টাইন হতে হয় না যে, লোকগুলো অভাবের জ্বালায় এমন কাজ করেছে এবং স্বাভাবিক আর্থ সামাজিক অবস্থানে তারা আমাদের মতন একজন সাধারন মানুষ হয়েই বাঁচতে চাইত। সেই সুযোগ তাদের কোথায় দেওয়া হল?
– খুবই যৌক্তিক চিন্তা।
@বিপ্লব পাল,
” মানুষ পরিবর্তনশীল। আজকে যে খুনী- সে খুনী হয়ে জন্মায় নি, পরেও খুন করবে এমন না।
আর্থ সামাজিক অবস্থা একজন মানুষকে খুনী বানায়।”
– সুন্দর।
মানবিক মানুষদের কাছে ছোট্ট একটা অনুরোধ, বিভিন্ন ব্লগ বা পত্রিকায় যেখানেই, ‘বর্বরতার সপক্ষে’ কোন মন্তব্য বা লেখা দেখবেন, শানিত আক্রমন চালান। মুক্তমনা আমাদের ঘর, এ ঘর থেকে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ার, সময় কড়া নাড়ছে। মতাদর্শগত লড়াইটাকে তীব্র করে তুলতে না পারলে, আট বাঙালীর গলা-কাটাকে সমর্থনকারীর সংখ্যা বেড়ে যাবে। না, আমরা কোন নরকে বসবাস করতে চাই না। আমরা হত্যাকান্ডকে সমর্থন করে স্বর্গেও যেতে চাই না। আমরা মানুষ হিসাবে মানুষের মত মানুষকে ভালবেসে, এই মর্তে জীবনের ইতি টানতে চাই।
@স্বাধীন Forgiveness is better than “kesas”- which means “eye for an eye”- that is also in Quran. I do not understand what the fuck these guys are doing in the name of Islam!!!!!!! This is insane!!! If you even kill a people, this is not the way you should do it. Death penalty still exists in many of the western countries including USA; but they do it using lethal injection following a 99% accurate trial.
বিপ্লব, লেখাটার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ!
দেশটিকে বর্বর বলে কী লাভ? ভূখণ্ডের কী দোষ? তারা ত ধর্মপ্রাণ মুসলিম জাতি। ইসলাম ধর্ম পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পালন করছে। দেশ বর্বর নয়, বর্বর হচ্ছে ইসলাম. তাই সারা পৃথিবীর পক্ষ থেকে একযোগে এই ধর্মটিকে বয়কট করা হোক।
@তামান্না ঝুমু,
হাঁ, একেবারে খাঁটি কথা।
এইটা হবেনা এত সহজে। মর্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা যখন সৌদি বাদশার পা ধরে মাফ চান, আর কায়রতে গিয়ে ইসলামের সাফাই গান আর বুর্খা, হিজাব, নিকাবের প্রশংশায় কাতর হয়ে পড়েন, তখন আমরা কী বুঝি?
ইসলামকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করা সহজ নয়। এ হতে অনেক সময় লাগবে। তার জন্য দরকার আপনার মত সাহসী নারী এবং পুরুষ। সে তৃণমূল আন্দোলন না হলে ইসলামকে বাগে আনা সহজ হবে না।
তারপরে বাংলাদেশে ইসলাম অনেক পুষ্টি পাচ্ছে। দেখুন আমাদের নেতারা–সে যেই দলেরই হউকা–কেমন করে ঘনঘন সৌদিদের পা ধরে চুমু খাচ্ছেন, বৎসরে প্রায় ৩০০-৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এই বর্বর সৌদিদের পায়ে ঢেলে দিচ্ছে–কিছু পূণ্য পাবার জন্য, যাকে আমরা হজ্জ বলে থাকি।
এর পরেও কী আমরা আশা করতে পারি বাঙ্গলাদেশের কোন নেতার সাহস আছে সৌদিদের বিরুদ্ধে টুঁ শব্দটি করে? মনে করুন এই শিরচ্ছেদ আমেরিকা অথবা ইউরোপের দেশে হল। কী মনে করেন প্রতিক্রিয়া হত? আমার ত মনে হয় সমগ্র বিশ্ব এক হয়ে যেত এর নিন্দা করার জন্য।
অথচ, এই সৌদি বর্বরাতার বিরুদ্ধে সমগ্র বিশ্ব নিশ্চুপ, নিরব, যেন কিছুই হয় নি। এটাই হল আরবদের তথা ইসলামের দাসত্ব করা।
@আবুল কাশেম,
ওবামা ইসলামের মাঝে এত প্রশংসার বস্তু খুঁজে পেলে তিনি নিজে ইসলাম কবুল করছেন না কেন? এটা হচ্ছে রাজনীতি। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি শুধু তৃতীয় বিশ্বেই নয়, উন্নত বিশ্বেও হয়।
@তামান্না ঝুমু,
হ্যা রাজনীতি বড়ই রহস্যময়। তবে ওবামা না হয় ইস্লামের প্রতি নরম, অন্ততঃ ওবামার সমালোচনাকারীদের তাই অভিমত, যদিও প্যালেস্টাইন -ইস্রাইল সহ নানা ইস্যুতে আমি আগের প্রেসিডেন্টদের সাথে ওবামার কোনই পার্থক্য আমি পাইনি; কিন্তু কথা হল –
ওবামা সৌদি বাদশাহের পা চাটেন কতটুকু সে বিতর্কে না গিয়েও বলা যায় – তথাকথিত রিপাবলিকানরা যারা ইস্লামের কট্টর সমালোচক থাকার কথা ছিল, তাদের প্রেসিডেন্টই পা চাটায় ইতিহাস তৈরি করে গেছেন –
[img]http://www.hermes-press.com/BushKiss2.jpg[/img]
[img]http://amboytimes.typepad.com/.a/6a00d8341c62f553ef01156fc37a6a970b-800wi[/img]
[img]http://1.bp.blogspot.com/-HR_quR3Iz5g/Tmjc5gRAQiI/AAAAAAAACA0/Y0qtCEIi0mQ/s400/bush_holding_hands.jpg[/img]
এমনকি সেপ্টেমর ইলেভেনের ঘটনার পরেও সৌদি ডেলিকেটরা (তাদের মধ্যে বিন লাদেনের আত্মীয়রাও ছিল) যাতে নির্ভয়ে আমেরিকা ত্যাগ করতে পারেন তার সব ব্যবস্থাই বুশ করে গিয়েছিলেন। খালেদ বিন মাহফুজের মত সন্দেহভাজনদের যেন জিজ্ঞাসাবাদ না করা হয়, সেটার দিকেও বুশের কড়া নজর ছিল।
কি বুঝলেন?
@অভিজিৎ,
সৌদি বাদশাকে বুশের চুমু খাওয়ার দৃশ্যটি অপূর্ব। হাত ধরার দৃশ্যটিও কম অপূর্ব নয়। আমেরিকায় সমলিঙ্গের কারো হাত ধরে হাঁটার মানে তো—
@তামান্না ঝুমু,
আমি দেখছি বুশ সৌদি বাদশার মুখ চাঁটছেন!!
এটা কোন প্রানী সাধারণত করে থাকে তাদের মনিবের সাথে? তা’হলে বুশ কি সৌদি বাদশার গৃহে পোশা পুডল না অ্যালসেশিয়ান। থুক্কু, ইসলামে কুকুর নিষেধ–বিড়াল চলতে পারে।
আর ওবামা বোধ হয় চেঁটেছিলেন, খুক্কু প্রণাম করেছিলেন, বাদশার পায়ে। কোন প্রাণী তাদের মনিবের পায়ে লুটোপুটি করে?
আসল কথা হল, ইসলামী তেলের জন্য আমেরিকার সমস্ত সরকারই সৌদিদের হাতে, পায়ে, মুখে লুটোপুটি যেতে প্রস্তুত।
আর ওবামার পিতা ত এক কেনিয়ান মুসলিম। ওবামা ত ইন্দোনেশিয়ার কোন এক মদ্রাসা না কোন খানে ভালভাবেই ইসলাম শিখেছিলেন।
ইসলামী আইন অনুযায়ী ওবামা আমৃত্যু পর্যন্ত একজন মুসলিম। তবে ইসলাম যে উনি ছেড়েছেন তা কোনদিনই পরিষ্কার দ্যার্থহীন ভাবে বলেন নাই। শুধু মিন মিন করে আবোল তাবোল অবান্তর কথা বলে যাচ্ছেন।
পরিষ্কার বললে যে উনি যে একজন মোরতাদ তাতে কোন সন্দেহ থাকা নয়। এর ইসলামিক শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদণ্ড।
সেদিন খবরে জানলাম স্টিভ জবসের পিতাও ছিলেন এক সিরিয়ান মুসলিম। স্টিভ পরে নাকী ভারতে গিয়ে আলখাল্লা পরে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহন করেন। তাঁর বিবাহও নাকি বৌদ্ধধর্ম অনুযায়ী হয়েছিল।
স্টিভ জবস তা’হলে মুসলিম–জন্মগত সুত্রে। দেখবেন কিছুদিনের মধ্যেই ইসলামীরা চিৎকার করবে স্টিভ জবস ছিলেন একজন মুসলিম, যেমন তারা দাবি করে মাইকেল জ্যাক্সন নাকি এক জন মুসলিম। এরা এমনকি দাবি করে যে শাবানা আজমীর পিতা কায়ফি আজমি নাকি মুসলিম ছিলেন। অথছ আমরা জানি কায়ফি আজমি ছিলেন পাঁড় কমুনিস্ট।
@তামান্না ঝুমু,
“আমেরিকায় সমলিঙ্গের কারো হাত ধরে হাঁটার মানে তো—”
মানে সমকামি। বেটারা ত তাই। একবার আমিরাত এ দুবাই হয়ে এসছিলাম , দেখি সব বেটারা বেটাদের চপ চপ করে চুমা দিচ্ছে। প্রকাশ্যে যেহেতু প্রকিৃতির নীচে মেয়েদের চুমা দিতে পারে না তাই বেটা রা বেটাগো চুমা দিয়া দুধের স্বাদ ঘোলে মিটায়। সব বেজন্মার দল হইল আরব ।
অবশ্যই সৌদি আরব ৮ জন বাংলাদেশীকে খুন করেছে এবং এর জন্য সারা পৃথিবীর সব সভ্য মানুষ সৌদি আরবকে ঘৃনা করতে শিখুক। এই অমানুষিক জঘন্য কাজের প্রতিবাদ স্বরুপ বাংলাদেশের সৌদি আরবে এখন থেকে হজ বয়কট করা হউক।
Amnesty said,
“According to reports, the Egyptian man was killed during a clash between the Bangladeshi workers and a group of men who allegedly were stealing electric cable from a building complex where the Bangladeshis worked.”
— এটা অনুবাদ করলে কী দাঁড়ায়??
সৌদি আরবের এক রাজকুমার একবার ইউরোপ হীরা চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছিল ঐ শালার ত মুণ্ডু ছেদ করা হয় নাই। পত্রিকায় পরলাম এক বাংলাদেশি মেয়ে গৃহ পরিচারিকার কাজ করতে গিয়েছিল তার মালিক তাকে ধর্ষণ করার সময় সে মালিকের লিঙ্গ ব্লেড দিয়ে কেটে নেবার চেষ্টা করে, পুরটা কাটতে পারে নাই, তারপরও ঐ মেয়ের দু বছরের জেল হয়। এই হোল বর্বর দেশের কাজ। এদের রপ্তানি করা ধর্ম আমরা গিলেছি। যদি ধর্ম মান্তেই হয় তবে একজন বাঙালি নবি নয় কেন?। একজন বাঙালি নবি তৈরির প্রজেক্ট নেয়া হোক মুক্তম্নার পক্ষ থেকে!!!!,নবি যদি মান্তেই হয় একজন বাঙালি নবি বানান হক,আমি ও একজন নবি দাবিকারি হতে চাই,এত সস্তা ব্যাবসা আর নাই। আমি নবি হতে চাই।!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
@সপ্তক,
খুব সুন্দর লাগলো কথাগুলো। আমারেও ধইরা রাখেন নবী পদের একজন প্রার্থী হিসাবে। আর ও অনেকে আছে এই পদে দাড়াবার, তবে মার্কা কি হবে? এছলাম বলে কথা!
@সপ্তক,
একজন নয় দুই জন দরকার–এক মহিলা আর এক পুরুষ। আমি এই পরিকল্পনাকে স্বাগত জানাব। যত অহি, কিতাব, হাদিস লাগে সরবরাহ করব।
আসলে এই দুই নবী আমাদের মাঝে এসে গেছেন–নবী কাজী রহমান আর নবী নিসা তামান্না ঝুমু। উনাদের শুধু দরকার মুরিদের।
আমাদের সবাই কে উনাদের মুরিদ হবার জন্য আহবান করছি।
ডঃ পাল,
আমার এক বন্ধু you tube থেকে এই ঘটনার ভিডিও আমাকে দেখিয়েছে! তারপর থেকে খুব অসুস্থ বোধ করছি। আমি ভাবতে পারছি না যে এই একবিঙশো শতকেও এমন বর্বরতা সম্ভব! এই হতভাগ্যেরা ইউরোপ আমেরিকা কিঙবা কানাডার অধিবাসী হলেও কি এক-ই ফল হতো? এই সব বর্বর শরিয়া আইন, ধর্মীয় উন্মাদনা বন্ধ করা হোক। পৃথিবীর মানুষের বিবেক জাগ্রত হোক। অসঙখ্য ধন্যবাদ ডঃ পাল, বিষয়টা তুলে আনার জন্যে।
বিপ্লব-দা,
আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানাই আমাদের এই রাষ্ট্রীয় অপমানের সময় আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।
আপনার এই কথায় কিছুটা অপমানবোধ জেগে উঠেছিল; কিন্তু পরক্ষনেই সম্বিত ফিরে পেলাম। আসলেই তো মুসলিম দেশগুলোর কাছে সৌদি হলো ”অঘোষিত সম্রাট”। সুতরাং, তাদের সৌদির সব অন্যায়/চাপ মুখ বুজে সহ্য করাই হল এই রাষ্ট্রগুলোর ধর্মিয় দায়িত্ব। তদুপরি, বাংলাদেশের বৈদেশিক রেমিটেন্সের সিংহভাগ আসে সৌদি থেকে। সুতরাং, দুর্বল বাংলাদেশের মুখে কোন রা নেই! সৌদির লেবার মার্কেট হাতছাড়া হলে (যে হুমকি হুজুরেরা প্রায়ই দিয়ে থাকে) যে বাংলাদেশ পথে বসবে!
দুঃখজনক হলেও সত্য, অনেক বাংলাদেশীই তা মনে করে না। এই শ্রেণীর বাংলাদেশীরা ভারত কর্তৃক নিরীহ ‘ফেলানি’ হত্যায় আকাশ-বাতাস মুখরিত করে ফেলেছিল; কিন্তু পাকিস্তান-সৌদি আরবের হাতে নিহত হওয়া এদের কাছে পুণ্যের কাজ। ১৯৭১ সনে পাকিস্তান যখন ধর্মের নামে লাখ লাখ নিরীহ বাংলাদেশীকে হত্যা করেছিল, তখনও এক শ্রেণীর বাংলাদেশী একে অশেষ সওয়াবের কাজ মনে করছিল!
তবু এ দেশের পা চাটা সরকার সেখানে যাবে ভিক্ষে করতে। আর ওখানে সরাসরি মারছে, এখানে তো সরকার অন্য ভাবে মারছে। পদ্ধতি আলাদা এই যা। কদিন পরে এখানে ও যে শুরু হবেনা তা বলা যায়না।
কেউ প্রতিবাদ করল না। আশ্চর্য !
এই লেখার জন্য বিশাল একটা ধন্যবাদ প্রাপ্য তোমার বিপ্লব।
অসভ্য, বর্বর এই দেশটার প্রতি মোহভঙ্গ হোক বাঙালি মুসলমানের।
বহু আগে প্রকাশিত গার্ডিয়ানের একটা প্রাসঙ্গিক ব্লগ- How I survived chop chop square।
@পৃথিবী,
গার্ডিয়ানের লিংক টা পড়ে দেখলাম। ধন্যবাদ একটা মৃল্যবান তথ্য সম্বলিত লিংক দেওয়ার জন্য।
আমরা আন্তরিক ভাবে চরম ঘৃনা জানাই এই বর্বরতাকে।
এই দেশটাই আমাদের ইসলাম ধর্মের জন্মভূমি ও সমগ্র মুসলমানদের সর্ব শ্রেষ্ঠ পবিত্র তীর্থভূমি।
ধন্যবাদান্তে,
আঃ হাকিম চাকলাদার
নিউ ইয়র্ক
হত্যার স্থানের ফটো সহ এবং আরো কিছু বিস্তারিত তথ্য সহ আমাদের সম্মুখে তুলে ধরার জন্য ডঃ বিপ্লব পাল কে অশেষ ধন্যবাদ। একটু ঘেটে দেখুন তো এদের অপরাধের বিরুদ্ধে সত্যিকারেই কোন উপযুক্ত প্রমান পাওয়া গিয়েছিল কিনা? নাকি শুধু নিজেদের খামখেয়ালিপনা মতই বিচারে মৃত্যু দন্ডের রায় দিয়ে তা কার্যকর করা হল।
কত বড় বর্বরতা ও নিষ্ঠুরতা এই যুগে!!!
আমরা ধিক্কার ও নিন্দা জানাই এই বর্বরতাকে।
ধন্যবাদান্তে,
আঃ হাকিম চাকলাদার
নিউ ইয়র্ক
অত্যাবশ্যকীয়ভাবে এই খুনের প্রতিবাদ হওয়া দরকার কিন্তু ফকির-মেসকিনদের পক্ষে যে আইন-কানুন অন্ধ,বধির ও চোখবাঁধা,এদের পক্ষে কেউ থাকে না।আর আজকের বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির সে-ই হেডাম নাই যে এরা এর বিচার চাইবে বা করবে।অথচ আমরা এমন মেসকিনের দেশ চাই নি যার জন্য ৭১এ ৩০ লাখ মা-বাপ,ভাই-বোন, কৃষক-শ্রমিক,বুদ্ধিজীবিসহ আপামর আমজনতা রক্তদিয়ে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম দিয়েছিল। হায়রে আমার সোনার বাংলা কবে হবে তোমার মানুষের মত মানুষের উন্নত মম চির শির।
দেশ স্বাধীন করেছি ফকির-মেসকিন হয়ে অন্যদেশে ভিক্ষা করার জন্য নয়,অথচ আমাদের ভাগ্যের এমন নির্মম পরিহাস অসভ্য,ভন্ড রাজনীতির স্বীকার হয়ে আমাদেরকে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিনত করা হয়েছে।যাদের বিরুদ্ধে জাতি যুদ্ধ করেছে তারাই আজ দেশের মালিক।আর ওই মালিকরা তাদের মহাপ্রভুর বিচার চাইবে তা আশা করা যে একেবারে গুঁড়েবালি।
৮ হতদরিদ্র ভাগ্যান্নেষী বাংলাদেশীর পরিবারের প্রতি রলো গভীর সমবেদনা ।
:candle:
আট বাংলাদেশির প্রাণদণ্ডের দোহাই দিয়েছে সৌদি সরকার—‘ইসলামি শরিয়া আইনে হত্যাকারীকে একমাত্র মাফ করতে পারে নিহতের পরিবার, আর কেউ নয়।’ সুন্দর কথা! তয় আমাগো সাফ কথা শুইন্না রাখেন জাহাপনা… যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে আপনারা আর নাক গলাবেন না… ৭১-র ঘাতক দালালের হয়ে সওয়াল করার আফনাগো কোনো নৈতিক অধিকারও নাই, ধর্মীয় অধিকারও নাই!!
@অনন্ত বিজয় দাশ,
খুবই প্রাসঙ্গিক মন্তব্য এবং একমত।
প্রতি বছর হজ্ব বাবদ যে টাকা বাংলাদেশিরা দিচ্ছে হয়তো সেই টাকা দিয়েই ঐ ৪ জল্লাদের বেতন দেয়া হয়! আসলেই কিছু বলার ভাষা খুজে পাচ্ছিনা।
কিছু বলার ভাষা নেই…
পত্রিকায় পড়েছি, যে মিশরীয় গার্ডকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে, তার পরিবারের কাছ হতে ক্ষমা পাওয়া যায়নি বলে সৌদী এ সিদ্ধান্তে অটল ছিল। ওই পরিবার “খুনের বদলে খুনে” বিশ্বাসী।
“চোখের বদলে চোখ এ পৃথীবিকে অন্ধ করে ছাড়বে”…
এ কথাটা বোঝাতে ওই বর্বর অমানুষদের কোন পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে? ওদের মতন পুরো বিশ্ব অমানুষে পরিণত হয়ে ওদেরই চোখ খুবলে নিলে?
হায় মানুষের চিন্তা চেতনা। গালির বদলে গালি, প্রমানের বদলে পাল্টা প্রমান, তর্কের বদলে উচ্চস্বরে তর্ক, অপমানের বদলে অপমান, চোখের বদলে চোখ…
@ছিন্ন পাতা,
এই-ই যে ইসলামী শারিয়ার ভিত্তি। কোরান খুলে দেখুন—এই কথাই লেখা আছে। এদেরকে বর্বর না বলে কোরান তথা ইসলামকে বর্বর বলা উচিত।
বাঙ্গলাদেশে শারীয়া আইন চালু হলে এই ধরণের শাস্তি প্রতিটি রাস্তার মোড়ে মোড়ে দেখা যাবে। তালিবানরা ক্ষমতা দখল করার পর পরই এই শাস্তি চালু করেছিল–যাদেরকেই সন্দেহ করেছিল নাস্তিক, ধর্মনিরপেক্ষ, অথাব ইসলামের এবং নবীর সমালোচক।
আর মুণ্ডুপাতের স্থলে তালিবানরা মাথায় একটা গুলি চালিয়েই কাজ সমাধা করত।
কিন্তু এদের সমালোচনা করে কী লাভ? এরা যে কোরানের আইন একশত ভাগ মেনে চলছে।
আর আমাদের দেশের নেতারা সৌদি বাদশাহের পদধুলি নিতে ঘনঘন সৌদি যাচ্ছেন—যদি মিসকিনদের তাদের কিছু উছিষ্ট দেয়।
@আবুল কাশেম,
ঠিক বলেছেন। ফেসবুকে একজন বাংলাদেশী এই পোষ্টের জবাবে কি লিখেছেন দেখুনঃ
Masood Hossain Bashir এই আট জনের পরিবারের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা রইল । কিন্ত দোষ করলেতো সাজা পেতেই হবে । এমনেস্টি ইন্টারন্যাশানাল’র দৃষ্টিতে এই দণ্ডাদেশ গ্রহন না করাই স্বাভাবিক । কিন্ত মুসলমান হয়ে আমরা এর বিরোধিতা করতে পারি না । এই দণ্ডাদেশ সম্পূর্ণ রুপে পবিত্র কুর’আন অনুমোদিত । তবে বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রতিবাদ করা যেতে পারে ।কিন্ত দোষী হলে এই শাস্তি মানতেই হবে । যে কিনা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হত্যা করেছে তার প্রতিতো করুনা প্রদর্শণ করা যায় না ! কাজেই এর শান্তিতো একটু নিষ্ঠুর হবেই । আমরা দোয়া করি আল্লাহ যেন তাদের ক্ষমা করেন ।
@বিপ্লব পাল,
হত্যার বদলে হত্যা, হাতের বদলে হাত, চোখের বদলে চোখ… এসব তো আর অন্য কোন ধর্মে পাওয়া যায় না, কেবলমাত্র সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মেই রয়েছে, অতএব একে ছোট করে দেখার কোন সুযোগ নেই। ইসলামিক আইন যদি বর্বর আইন হবে তাহালে ইসলাম ধর্মটাও তো বর্বর হয়ে যাবে! তাই নয় কি? এ আইন স্বয়ং নবী অনুসরণ করেছে, কথিত আছে, পেয়ার নবী তার একহাতে তরবারি অন্য হাতে কোরনা নিয়ে আল্লার এতো বড় সাম্রাজ্য গড়ে গেছে, তার অনুসারীরা একই পদ্ধতিতে আরো বাড়িয়েছে, একি মিথ্যা হতে পারে! খোদা যা করে মঙ্গলের জন্যই করে! রাজ্য দখল করো, লুটপাট করো, নারী আটক করে ভোগ কর, এসব শিক্ষা তো আর বিফলে যেতে দিতে পারে না খোদার বান্দারা। আল্লা নিজে তার পেয়ারা নবীর কাছে এ আইন নাযেল করেছে, একে মিথ্যা বলার সাহস কার? অতএব যেসব ইসলামিক দেশে এসব আইন চালু নেই, সেসব দেশ নিজেদের ইসলামি বিশ্বের, ইসলামি উম্মার সমর্থক বলে দাবি করতে পারে না! তাদের উচিত অতি শীঘ্র এমন আইন আরো বেশি বেশি চালু করা। তবে আর যাই বলি না কেন, ইসলামি আইনের একটি ভালো দিক আমি দেখতে পাচ্ছি। যা আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত জরুরি। এ আইনটি চালু হলে এদেশের রহমান গংসহ বড় বড় রাজনীতিবিদ, আমলা এবং বড় বড় ব্যবসায়ী, এককথায় দুর্নীতিবাজাদের হাত, পা, চোখ, কান এমনকি শিরচ্ছেদ হতেই থাকতো, ওদের দাপট কমতো, যদিও দেশ পঙ্গু দিয়ে ভরে যাতো, তথাপিও ভালো হতো।
@কফিল কাঙ্গাল,
আমি “শুধু” মহম্মদ এবং ইসলামকে এই ব্যাপারে দোষ দিতে রাজী নই। সব ধর্মই ধার্মিককে কানা করে, ইসলাম কোন ব্যতিক্রম না। মহম্মদ ১৪০০ বছর আগে, তার সময়ের আইন মেনে আইন বানিয়েছেন। ওই রকম কড়া আইন ছারা, “হয়ত” সাম্রাজ্য হয় না। সেটা যদি কোন মুসলমান আজ মানতে চাই, সেটা তার দোষ।
সব ধর্মের লোকেরাই আস্তে আস্তে ধর্মের ব্যপারটা “লাইট” করে দিয়েছে। বাঙালী হিন্দুদের মধ্যে ধর্ম আজকে অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিছক উকেন্ড আমোদ বা সামাজিক সেলিব্রেশন। খ্রীষ্ঠানদের মধ্যে এই চেতনা আরো আগে এসেছে-তারাও আস্তে আস্তে ধর্ম থেকে সরে এসেছে।
মুসলমানরা ইসলামের কারাগাড় থেকে মুক্ত হতে পারছে না রাজনৈতিক কারনে। প্রতিটা মুসলিম দেশের রাজনীতিতে ইসলাম গুরুত্বপূর্ণ। কেন?
একমত। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই যে সাধারন মুসলমানদের এক দল শরীয়া আইনকে সমর্থন করে, কারন এটা আল্লাহ-নবীর নির্দেষ। আর তদের আরেকদল মনে করে “শরীয়া আইন” কুরান-হাদিসের পরিপন্থি। শেষোক্ত দল স্বপ্নেও চিন্তা করতে পারে না যে এমন একটি বর্বর আইনের আদি উৎস “আল্লাহ-নবীর” শিক্ষার ফলশ্রুতি।
@কফিল কাঙ্গাল,
ইহুদী তৌরাত খৃষ্টান ওল্ড টেস্টামেন্ট পড়ে দেখুনঃ
হিজরত বা Exodus: 21:23, 24, 25
লেবীয় Leviticus: 24:16
দ্বিতীয় বিবরণ Deuteronomy: 19:21
এগুলোর সব কটাতেই হত্যার বদলে হত্যা, হাতের বদলে হাত, চোখের বদলে চোখ, দাঁতের বদলে দাঁত পায়ের বদলে পা ইত্যাদি ইত্যাদি আরো অনেক আছে। কাজেই নামকরা সব ধর্মই সব এক।
@কাজী রহমান,
আপনার সাথে আমি কিঞ্চিৎ এডাইয়া দিলাম-
Numbers 21:27-35 God abetted Moses in utterly destroying the Amorites at Heshbon – “…the men, the women, and the little ones.”
Numbers 31:17-18 God commands Moses to kill all the Medianite people including children and women. To top it off he commands that the virgins be saved for later raping by Moses’ soldiers.
Deuteronomy 3:3-7 God ordered Moses’ army to “utterly destroy” 60 cities, killing all the women and children within!
Deuteronomy 7:12 God ordered the Israelites to kill all the people of seven nations. He even adds, “show no mercy unto them”.
Deuteronomy 20:16 God orders that we kill everything that breathes in the cities that he gives us for an inheritance
9:5. Then when the Sacred Months (the 1st, 7th, 11th, and 12th months of the Islamic calendar) have passed, then kill the Mushrikun {unbelievers} wherever you find them, and capture them and besiege them, and prepare for them each and every ambush. But if they repent and perform As-Salat (Iqamat-as-Salat {the Islamic ritual prayers}), and give Zakat {alms}, then leave their way free. Verily, Allah is Oft-Forgiving, Most Merciful।
এত হত্যার পরেও ঈশ্বর কিন্তু খুবি দয়ালু ও ক্ষমাশীল!
@বিপ্লব পাল,
এর চাইতে বেশী নিষ্ঠুর এবং বর্বরতা আর কী হতে পারে? এইসব ইসলামীরা আবার প্রচার করে বেড়াচ্ছে ইসলাম নাকি শান্তির বাণী, আল্লাহপাক নাকি ক্ষমাশীল, দয়ালু।
আর মিশরীয় আত্মীয়রা ক্ষমা করেনি—তার কারণ খুব সুস্পষ্ট, এই হত দরিদ্র বাঙ্গালিদের ছিলনা কোন সহায়, টাকা পয়সা, বাঙ্গলাদেশের সরকারেরও ছিলনা কোন সঙ্গতি। ধরা যাক এরা আমেরিকান অথবা অন্য কোন ধনী দেশের, তাহলে কী দেখতাম আমরা–দেখতাম ঐ মিশরীয় আত্মীয়রা ঠিকই সুড়সুড় করে লাখ টাকার বিনিময়ে মাফ করে দিচ্ছে।
আল্লাহকে ঘুষ দেওয়া তেমন কঠিন নয়।
ইদানিং আফগানিস্থানে এক মার্কিন সৈনিক একজন আফগানী লোককে নিহত করলে আমরা ঠিকই দেখলাম আল্লাহপাক উৎকোচ গ্রহণ করলেন এবং ঐ মার্কিন সৈনিককে আফগানীস্থান থেকে সরিয়ে নিলেন।
এই-ই হচ্ছে ইসলামী বিচার ব্যবস্থা–টাকা থাকলেই বিচার পাওয়া যাবে।
কি বলব, আমরা খুব দরিদ্র। তাই মুখ বুজে এসব সহ্য করছি। আজ যদি এই আটজন মার্কিন নাগরিক হত, তাহলে সৌদি কি পারত এই জংলী শাস্তি প্রয়োগ করতে? মনে হয় না। কেননা সেটা তাদের আব্বা হুজুরদের দেশ!
যতদূর জানা যায় বিচার প্রক্রিয়া সঠিক ছিল না। বিবাদীগণ আত্নপক্ষ সমর্থনের পর্যাপ্ত সুযোগ পায়নি। এমন গুজবও শোনা যায় ডাকাতি আসলে করছে স্থানীয়রাই। হতভাগ্য শ্রমিকেরা পরিস্থিতির শিকার।
সত্য যেটাই হোক, যে বিচার প্রক্রিয়ায় বিবাদী তাঁর আত্মপক্ষ সমর্থনের পর্যাপ্ত সুযোগ পায় না, তা সভ্য সমাজের বিচার না। একথাও শুনি আরবী না জানলে সেখানকার বিচারক নাকি বিবাদীর কোন কথাই শোনেন না। যদি তা সত্য হয়- তো ভয়াবহ ব্যাপার।
আমরা আমাদের ভাই বোনদের কোন জঙ্গলে কাজ করতে পাঠাই?
@মুরশেদ,
(Y)
হায় সভ্যতা।