শুভেচ্ছা নেবেন।
জেনে আনন্দিত হবেন যে, আগামী অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১২ উপলক্ষে ‘ধর্ম বিধর্ম সংশয়’ শিরোনামে মুক্তচেতনা ও যুক্তিবাদী লেখা সংবলিত একটি বই প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বইটির সম্পাদনার দায়িত্বে আছেন অঞ্জন আচার্য ও অনন্ত বিজয় দাশ। সম্পাদকদ্বয় এ মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, ‘রোদেলা প্রকাশনী’-এ বইটি প্রকাশ করবে।
আমাদের এ প্রয়াসকে সার্থক করার জন্য আপনি যদি মুক্তচেতনায় ঋদ্ধ যুক্তিবাদী পূর্বে-অপ্রকাশিত একটি মৌলিক লেখা প্রদান করেন, তবে আমরা সবিশেষ আনন্দিত ও বাধিত হবো। আমরা বিশ্বাস করি, এ বিষয়ে লেখার জন্য আপনি একজন বিশেষভাবে যোগ্য ব্যক্তি।
আমাদের এ চিঠির সঙ্গে ‘লেখকের প্রতি অনুরোধ’ শিরোনামে একটি সহায়িকা সংযুক্ত করা হলো। সহায়য়িকায় লেখার বিষয়টি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। সর্বোপরি এ উদ্যোগে আমরা আপনার সাহায্য, সহযোগিতা, সমর্থন কামনা করি। আপনাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই কেবল এ উদ্যোগকে সফল করে তোলা সম্ভবপর হতে পারে। আশা করি আপনার সুলিখিত লেখা থেকে আমরা বঞ্চিত হব না।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
বিনীত
অঞ্জন আচার্য
অনন্ত বিজয় দাশ
সম্পাদক
‘ধর্ম বিধর্ম সংশয়’
*********************************************
‘লেখকের প্রতি অনুরোধ’-এ যেভাবে বলা আছে, সেভাবে আপনার লেখাটি আমাদের কাছে সর্বশেষ ৩০ আগস্ট ২০১১-এর মধ্যে পৌঁছে দিতে সবিনয় অনুরোধ জানাই। যতো তাড়াতাড়ি লেখা পাবো, বইটি সময়মতো প্রকাশ করার কাজ ততো সহজ হবে। লেখার জন্য সময় আরও বেশি দিতে পারলে আমরা খুশি হতাম, কিন্তু যেহেতু এ বইটি আগামী একুশে বইমেলায় প্রকাশ করার জন্য চেষ্টা করা হবে, সেহেতু সর্বশেষ নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি থেকে বইয়ের মুদ্রণ-কাজ অবশ্যই হাতে নেওয়া প্রয়োজন। যে-বিষয়ে আপনাকে লিখতে অনুরোধ করা হয়েছে, সে-বিষয়ে আপনার সম্যকভাবে জানা আছে বলে আমরা মনে করি। সেক্ষেত্রে একটু কষ্ট হলেও বইটি প্রকাশের স্বার্থে এ স্বল্প সময়ের মধ্যেও আপনার পক্ষে লেখা কঠিন কোনো কাজ নয়।
লেখকের প্রতি অনুরোধ
১. ‘ধর্ম বিধর্ম সংশয়’ গ্রন্থের জন্য আপনার যে কোনো একটি ‘পূর্বে-অপ্রকাশিত’ প্রগতিশীল, বিজ্ঞানমনস্ক ও যুক্তিবাদী মৌলিক প্রবন্ধ দিতে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
২. এই বইটির উদ্দেশ্য দেশের বাংলা ভাষী পাঠকদের মুক্তচেতনায় উদ্বুদ্ধ করা, চিন্তা-চেতনায় শানিত হতে সাহায্য করা।
৩. লেখাগুলো মূলত সহজপাঠ্য হবে যাতে করে সকল পাঠকের কাছে তা বোধগোম্য হয়। লেখার মধ্যে প্রাসঙ্গিকভাবে বিভিন্ন বই বা উক্তি উদ্ধৃত হতে পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে লেখা যেন উদ্ধৃতি বহুল বা একান্ত উপদেশমূলক হয়ে না-পড়ে। অন্যদিকে লেখা জটিল গবেষণামূলক, মৌল সমালোচনামূলক, দুর্বোধ্য ভাষা বা বাক্যে গঠিত না হয় সে ব্যাপারে সচেতন থাকা প্রয়োজন।
৪. প্রতিটি লেখা কম্পিউটার কম্পোজের ১০ থেকে ১২ পৃষ্ঠা পর্যন্ত সীমিত থাকবে। লেখার মোট শব্দসংখ্যা ১ হাজারের কম কিন্তু ৩ হাজারের বেশি হবে না।
৫. লেখা যেকোনো মাধ্যমে সফ্ট কপি আকারে দিতে পারলে উত্তম। তবে যে লেখকদের একান্ত অপারগতা রয়েছে তারা হাতে লেখা কপি দিতে পারেন। এক্ষেত্রে লেখা স্পষ্ট ও পর্যাপ্ত মার্জিন রেখে পৃষ্ঠার একপাশে লেখার জন্য বলা যাচ্ছে।
৬. বইটির সাযুজ্য বজায় রাখার স্বার্থে এর বানানের ক্ষেত্রে বাংলা একাডেমীর সর্বশেষ বাংলা বানানরীতি অনুসরণ করা হবে। তবে লেখকের যদি কোনো শব্দের বানানের প্রতি কোনো রকম দুর্বলতা থাকে তাহলে সেটা শ্রদ্ধার সাথে বিবেচনা করা যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে বানানটি ব্যাকরণগতভাবে ঠিক কিনা, বাক্যগঠন নির্ভুল কিনা, বাক্যে অযথা পুনরাবৃত্তি আছে কিনা ইত্যাদি বিষয় সম্পাদনায় বিবেচ্য হবে।
৭. লেখার কোথাও সংযোজন বা বিয়োজন করার প্রয়োজন পড়লে বা তথ্যগত অসংগতি দেখা দিলে লেখকের সঙ্গে তা আলোচনার মাধ্যমে সম্পাদনা করা হবে।
৮. প্রতিটি লেখার সাথে লেখকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি থাকবে। লেখক অনুগ্রহ তিনি তাঁর তথ্য লিখে দেবেন। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোনো লেখক যদি ছদ্মনামে কোনো লেখা প্রকাশ করতে চান তবে লেখককে সেক্ষেত্রে অবশ্যই তার পুরো নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বরসহ যাবতীয় তথ্যাদি সম্পাদককে অবহিত করবেন।
৯. লেখক তাঁর লেখার ক্ষেত্রে যেসকল দেশি-বিদেশি ওয়েব সাইট, বই, পত্রিকা, ম্যাগাজিন, জার্নাল বা অন্যান্য মাধ্যম থেকে তাঁর লেখার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করবেন, লেখাটির বস্তুনিষ্ঠতা ও গ্রহণযোগ্যতার স্বার্থে তা লেখার শেষে তথ্যসূত্র হিসেবে সংযুক্ত করবেন।
১০. নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লেখা সম্পাদকদ্বয়ের যে কোনো একজনের কাছে লেখা পৌঁছে দেওয়া খুবই জরুরি। লেখা দেরিতে পাওয়া গেলে বইটি যথাসময়ে প্রকাশ করা কঠিন হয়ে যাবে-এ বিষয়টি লেখককে সহৃদয়ভাবে অনুধাবন করার জন্য সবিশেষ অনুরোধ করা হলো।
ইতি
অঞ্জন আচার্য
অনন্ত বিজয় দাশ
প্রয়োজনে নিম্নোক্ত ই-মেইলে যোগাযোগ করা যেতে পারে :
অঞ্জন আচার্য : [email protected]
অনন্ত বিজয় দাশ : [email protected]
খুব চমৎকার একটি উদ্যোগ।বর্তমানে প্রায় সবকটি টিভি চ্যানেলেই ধর্মীয় অনুষ্ঠান প্রচারিত হয় বিশেষ করে ইসলাম ধর্ম। এবং তাতে যার পর নেই ইসলামের গুণগান গাওয়া হয়।এমনকী তাদের নিজস্ব চ্যানেলও রয়েছে যেমন ইসলামী টিভি ও দিগন্ত টিভি।এগুলো দেখে শুনে দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া আর কোন উপায় থাকেনা।তাই টিভিতে কি কোন প্রগ্রামের ব্যবস্থা যায়? যাতে ধর্মের অমানবিক ও অবৈজ্ঞানিক দিকগুলো সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরা যায়?
@তামান্না ঝুমু,
অনেক ধন্যবাদ। আপনার বক্তব্যের সাথে পুরোপুরি একমত।
আমাদের গণমাধ্যমগুলির মধ্যে বিশেষ করে রেডিও-টিভি’র চ্যানেলগুলোতে ধর্মীয় ভাবধারার অতিমাত্রায় ছড়াছড়ি। ভক্তিরসের ফলগুধারা যেন সময়ে সময়ে বেয়ে পড়ে।
শুক্রবার এলে সরকারি-বেসরকারি সব চ্যানেলে শুরু হয় খুৎবা না হয় আখেরাতের ফজিলতের বয়ান। ইসলামি জিজ্ঞাসা! ধর্ম নিয়ে যে কত ভড়ঙের অনুষ্ঠান যে আছে!!
হিন্দুদের পূজা-টূজা কিংবা অন্য ধর্মাবলম্বীদের দিবস এলে তো শুরু হয়ে যায় বস্তাপঁচা সব অনুষ্ঠান। মনে আছে দূর্গাপূজার দশমীর রাতে বিটিভিতে রাত দশটার পর একটা অনুষ্ঠান দেখাতো একসময়। ভক্তিমূলক গানের ফাঁকে ফাঁকে টুকটাক নাটিকাও থাকতো। দূর্গার মহিষাসুর বধ। (এখনও দেখায় কিনা জানি না? ছোটবেলায় ঢুলুঢুলু ঘুমকাতরে চোখ নিয়ে দেখতাম) দূর্গা, মহিষাসুর, শিবের যে মেকআপ, গেটআপ দেয়া হতো, ওরে বাবা!!
ভাড়ামি আর কাহাতক সহ্য করা যায়!
দূর্গার অট্টহাসি আর মহিষাসুরের ভুড়ি চোখে-কানে লেগে আছে তবু!
আবার প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ দেখা দিলে আগা নেই, মাথা নেই শুরু হয়ে যায় হামদ্ নাতসহ আরো কত কী!! এই সব ছহি-অনুষ্ঠানগুলো যেন রিজার্ভ করা থাকে বিশেষ দিনগুলোর জন্য!!
দিগন্ত টিভি দেখাই হয় না বলতে গেলে আমার, ইসলামি টিভিতে মাঝে মাঝে চোখ যায়। ওদের জোকার নায়েকের প্রোগ্রাম থেকেও বেশি বিনোদন পাই নওমুসলিমদের মুসলিম হওয়ার কাহিনি প্রোগ্রামে!! মাঝে মাঝে ভাবি, আহারে কবে যে আমরাও একটা অনুষ্ঠান করতে পারবো আমাদের নিরীশ্বরবাদী হওয়ার কাহিনি নিয়ে!!
খুবই ভালো উদ্যোদ নিয়েছো………… আশা,সফলতা একান্ত কাম্য। (Y)
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই।
আমাদের চেষ্টা থাকবে ভালো মানসম্পন্ন কিছু করার।
দেখা যাক, কী হয়!
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই।
আমাদের চেষ্টা থাকবে ভালো মানসম্পন্ন কিছু করার।
দেখা যাক, কী হয়!
বাপরে ! তুখোড় দুই সম্পাদকের নিষ্পৃহ চেহারার কথা মনে এলেই তো রক্ত হিম হয়ে আসে, লিখবো কী !!
তবে চমৎকার এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি। উদ্যোক্তাদের অভিনন্দন।
@রণদীপম বসু,
দাদা,
লেখা আহ্বানের বক্তব্য কি খুব বেশি কাটখোট্টা হয়ে গেছে? তাহলে তো মস্ত ভুল হয়ে গেল!
লেখা যে দিতেই হবে, কোনো ফাঁকি চলবে না। অপেক্ষায় থাকবো।
অনন্ত যুক্তি নামেই বইটা খুব ভাল সংকলন করেছিল-প্রিন্টিং কোয়ালিটিও ছিল বেশ উন্নত-চমকে দেওয়া মতন। আশাকরি এবার ও খুব ভাল কাজ করবে।
আরেকটা জিনিস মাথাতে এল। অবিস্বাসের জবাবনন্দী-মানে আমরা কেন নাস্তিক-সেটা যদি সবাই ইউটিউবে নিজেদের কথা বলেন খুব ভাল হয়। ইউটিউবে আজকাল নিজের বক্তব্য রেকর্ড করা খুব সহজ আগের থেকে। ওয়েব ক্যাম থেকে সরাসরি ইউটিউবে আপলোড করে দিতে পারেন। বা নিজের মোবাইল ক্যামেরা ব্যাবহার করুন বক্তব্য রেকর্ড করতে। এগুলো যত ছড়াবে, তত ভাল।
@বিপ্লব দাদা,
অনেক ধন্যবাদ।
যুক্তি’র আরেকটা সংখ্যা বের করার ইচ্ছে আছে। দেখি করতে পারি কি-না!
তবে একটা কথা এখনও ভুলিনি আমি। যুক্তি’র তৃতীয় সংখ্যা নিয়ে একটা রিভিউ দিবেন বলেছিলেন একবার, সেটা কিন্তু এখনও আসে নি মুক্তমনায়!!
আর ধর্ম বিধর্ম সংশয় গ্রন্থের জন্য আপনার লেখা চাই। আশা করি এবার নিরাশ করবেন না।
আপনাদের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। আশা করি, এ উদ্যোগের মাধ্যমে অনেক লেখক উঠে আসতে পারবে। বইটির সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করি। ধন্যবাদ।
@তুহিন তালুকদার,
আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে মুক্তচিন্তা সম্পর্কিত ভালো মানের একটি সংকলন গ্রন্থ প্রকাশের।
আপনাদের সকলের সহযোগিতা পেলে এ কাজটি করা মোটেও কঠিন কিছু হবে না বলেই বিশ্বাস করি।
ধন্যবাদ আপনাকেও।
অঞ্জন আচার্য ও অনন্ত বিজয় দাশকে এ উদ্যোগের জন্য শুভেচ্ছা।পূর্বে-অপ্রকাশিত শর্তটি একটু শিথিল করে মুক্ত মনায় প্রকাশিত লেখাকে বিবেচনা করা যায় নাকি?
এতে আপনাদের সম্পাদিত বইয়ের ভবিষ্যত পাঠকরা দুয়েকটি লেখার স্বাদ পেতেন।
@গীতা দিদি,
‘পূর্বে-অপ্রকাশিত’ বলতে আপাতত অন্য কোনো গ্রন্থ, ছোটকাগজ, ম্যাগাজিন, পত্রিকায় প্রকাশিত লেখাকেই বুঝাচ্ছি।
তবে বাংলা ওয়েব সাইট বা ব্লগে প্রকাশিত হয়ে থাকলে লেখনশৈলী, বিষয়ের প্রাসঙ্গিকতা, প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় পরবর্তীতে লেখকের সাথে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
উল্লেখিত পয়েন্টগুলিকে আসলে ঠিক শর্ত হিসেবে দেখছি না আমরা। একটি ভালো মানের যুক্তিবাদী সংকলন গ্রন্থের জন্য পয়েন্টগুলিকে বলতে পারেন আমাদের প্রস্তাব বা পরামর্শ। এর বাইরে যদি আপনার কোনো পরামর্শ থাকে তবে অবশ্যই অবশ্যই জানাবেন।