স্টিফেন হকিং খুব সাহসী একটা কাজ করে ফেলেছেন – যেটা তার স্বভাবের সাথে একদমই যায় না। তিনি সরাসরি বলেছেন – মহাবিশ্ব ‘সৃষ্টি’র পেছনে ঈশ্বরের কোন ভূমিকা নেই। মহাবিশ্ব পদার্থবিজ্ঞানের নিয়ম নীতি অনুসরণ করে স্বতস্ফুর্তভাবে তৈরি হয়েছে। মহাবিশ্বের উৎপত্তি এবং অস্তিত্বের ব্যাখ্যায় ঈশ্বরের আমদানি একেবারেই অযথা।
সাহসী কাজটা করলেন বটে – কিন্তু ব্যাপারটি তার স্বভাববিরুদ্ধ, প্রথমেই সেটা বলে নিয়েছি। স্বভাবের সাথে যায় না বলেছি কারণ, হকিং তার পাঠকদের বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচলে ঠেলে দিয়ে ঈশ্বরকে নিয়ে মায়াবী কাব্য করতে পছন্দ করতেন। ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত তার বিপুল জনপ্রিয় বই – ‘ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম’ বৈজ্ঞানিক যুক্তিতে ভরপুর, এমনকি শূন্য থেকে কী ভাবে মহাবিশ্ব উদ্ভুত হতে পারে তারও সম্ভাব্য ধারনা আছে ওতে – কিন্তু বইয়ের শেষ লাইনটিতে এসেই প্যান্ডোরার বাক্সের মতোই রহস্যের ঝাঁপি মেলে দিয়েছিলেন হকিং ; বলেছিলেন – যেদিন আমরা সার্বজনীন তত্ত্ব (Theory of every thing) জানতে পারব, সেদিনই আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে ‘ঈশ্বরের মন’ (mind of god) কে পরিপূর্ণভাবে বোঝা[1]।
তারপর থেকে হকিং এর বলা এই ‘মাইণ্ড অব গড’ নিয়ে হাজারো ব্যাখ্যা আর প্রতিব্যাখ্যা করা হয়েছে। কেউ বলেছেন ‘মাইণ্ড অব গড’ ব্যাপারটা হকিং তার বইয়ে কেবল কাব্যময় রূপক হিসেবে ব্যবহার করেছেন, সত্যিকার ঈশ্বরকে বোঝাননি, আবার আরেকদল বললেন, ‘মাইণ্ড অব গড’-এর মাধ্যমে হকিং ঈশ্বরের ব্যাপারটাতে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছেন। এতে নাকি প্রমাণিত হয়েছে যে বিজ্ঞানের দরবারে ঈশ্বর বলে সত্যই কিছু একটা আছে। তর্ক-বিতর্কে রঙ্গমঞ্চ জমজমাট ছিলো পুরোটা সময়েই কিন্তু কোন সমাধান পাওয়যা যায়নি। জ্যোতির্পদার্থবিদ পল ডেভিস তো একখানা ঢাউস বইই লিখে ফেলেছেন ‘মাইণ্ড অব গড’ শিরোনামে ১৯৯২ সালে[2]। তবে হকিং কথিত ‘মাইণ্ড অব গড’ এর অন্তর্নিহিত তাৎপর্য কি ছিলো, উহা দ্বারা কি কি ব্যাখ্যা করা হইয়াছে – তাহা শুধু হকিং এর মস্তিস্কই বলিতে পারে। তবে দুর্মুখেরা বলেন, ‘মাইণ্ড অব গড’ নিয়ে অনর্থক ধোঁয়াশা সৃষ্টি করেছিলেন তার প্রথম বইয়ের পাবলিসিটি তথা প্রচারের স্বার্থে। ঐ মাইণ্ড অব গড নামক একটি বাক্যবন্ধের জন্যই নাকি বইয়ের কাটতি বেড়ে গিয়েছিলো বিশগুণ!
অবাক ব্যাপার হচ্ছে এবারে কিন্তু এই ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ অবস্থান থেকে পুরোপুরি সরে এসেছেন হকিং। তার নতুন বই ‘গ্রাণ্ড ডিজাইন’ (বিজ্ঞানী লিওনার্ড ম্লোডিনোর সাথে যুগপৎ ভাবে লেখা, এবং এই সপ্তাহেই প্রকাশিতব্য) -এ খুব চাঁচাছোলা ভাবেই বলেন –
‘অভিকর্ষ শক্তির সূত্রের মতো পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন সূত্র কার্যকর রয়েছে, তাই একদম শূন্যতা থেকেও মহাবিশ্বের সৃষ্টি সম্ভব এবং সেটি অবশ্যম্ভাবী। ‘স্বতঃস্ফূর্তভাবে সৃষ্টি’ হওয়ার কারণ থেকেই মহাশূন্যে অনেক কিছুর অস্তিত্ব দেখতে পাচ্ছি আমরা। মহাবিশ্বে আমাদের অস্তিত্ব থাকার কারণ হচ্ছে ‘স্বতঃস্ফূর্তভাবে কোনো কিছু সৃষ্টি’ হওয়ার এই নিয়ম। এ কারণেই মহাবিশ্ব টিকে আছে। মহাবিশ্ব সৃষ্টির জন্য কোন প্রয়োজন নেই ঈশ্বরের।’
আসলে হকিং এর বক্তব্যটা তিনি আলাদা করে কোথাও দেননি। লণ্ডনের টাইমস পত্রিকা তার এ সপ্তাহে প্রকাশিতব্য নতুন বইটি ফীচার করতে গিয়ে বইয়ের কিছু অংশ প্রকাশ করে সেপ্টেম্বর মাসের দুই তারিখে। সেখানেই ঈশ্বর সম্বন্ধে হকিং এর পরিবর্তিত ধারণা পাঠকদের সামনে উঠে আসে। টাইমসে প্রকাশিত সেই অংশবিশেষ থেকে দেখা যায়, হকিং বলছেন যে, বিগ ব্যাং কোন স্বর্গীয় হাতের ফসল কিংবা ফ্লুক ছিলো না। পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র মেনেই প্রাকৃতিকভাবে বিগ ব্যাং এর মাধ্যমে অনিবার্যভাবেই শূন্য থেকে মহাবিশ্ব উদ্ভুত হয়েছে।
(ছবিতে ক্লিক করে বড় করে দেখুন)
শূণ্য থেকে মহাবিশ্বের উদ্ভবের ধারণাটি কিন্তু নতুন কিছু নয়। আমি আমার প্রথম বই ‘আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী’ (২০০৫) বইটিতে তথাকথিত শূন্য থেকে কিভাবে জড় কণিকা সৃষ্টি হয় তা নিয়ে বিশদভাবে বাঙ্গালী পাঠকদের জন্য আলোচনা করেছিলাম[3]। আসলে খুব কম কথায় বললে, কোয়ান্টাম তত্ত্বানুযায়ী শূন্যতাকে আনেক তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হয়। শূন্যতা মানে আক্ষরিক অর্থে শূন্য নয়- পদার্থ বিজ্ঞানীদের মতে যে শূন্যদেশকে আপাতঃ দৃষ্টিতে শান্ত, সমাহিত মনে হচ্ছে, তার সূক্ষস্তরে সবসময়ই নানান প্রক্রিয়া ঘটে চলেছে। এর মধ্যে নিহিত শক্তি থেকে পদার্থকণা স্বতঃস্ফুর্তভাবে তৈরী হচ্ছে, আবার তারা নিজেকে সেই শক্তিতে বিলীন করে দিচ্ছে। যেমন, শূন্যাবস্থা থেকে সামান্য সময়ের ঝলকানির মধ্যে ইলেকটন এবং পজিটন (পদার্থ-প্রতি পদার্থ যুগল) থেকে পদার্থ তৈরী হয়েই আবার তা শূন্যতায় মিলিয়ে যেতে পারে। এই ইলেকট্রন এবং পজিট্রনের মধ্যকার ব্যবধান থাকে ১০-১০ সেন্টিমিটারেরও কম, এবং পুরো ব্যাপারটার স্থায়িত্বকাল মাত্র ১০-২১ সেকেণ্ড [4]। ব্যাপারটাকে বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলে ‘ভ্যাকুয়াম ফ্লাকচুয়েশন’। ভ্যাকুয়াম ফ্লাকচুয়েশন কোন রূপকথার জীব নয়, নয় কেবল গানিতিক বিমূর্ত মতবাদ; বিজ্ঞানীরা কিন্তু ব্যবহারিকভাবেই এর প্রমাণ পেয়েছেন। একটি প্রমাণ হচ্ছে ‘ল্যাম্ব শিফট’, যা আহিত পরমাণুর মধ্যস্থিত দুটো স্তরে শক্তির তারতম্য প্রকাশ করে। তবে কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনের সবচেয়ে জোরদার প্রমাণ পাওয়া গেছে বিখ্যাত ‘কাসিমিরের প্রভাব’ থেকে (আমি ব্লগের এই হাল্কা লেখায় এ নিয়ে বিষদ কারিগরী ডিটেলে যাচ্ছি না, যারা পদার্থবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোন থেকে আরো গভীরে পড়তে চান, তারা পড়ে নিতে পারেন আমার আগেকার এই লেখাটি)।
উপরের এই ধারণাটিকেই সম্প্রসারিত করেছেন সম্প্রতিকালে বহু বিজ্ঞানী। তারা মনে করেন এক কারণ বিহীন কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনের (Quantum Flactuation) মধ্য দিয়ে এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি হতে পারে, যা পরবর্তীতে সৃষ্ট মহাবিশ্বকে স্ফীতির (Inflation) দিকে ঠেলে দিয়েছে, এবং আরো পরে পদার্থ আর কাঠামো তৈরির পথ সুগম করেছে[4]। এগুলো কোন বানানো গল্প নয়। মহাবিশ্ব যে শূন্য থেকে উৎপন্ন হতে পারে প্রথম এ ধারণাটি ব্যক্ত করেছিলেন এডওয়ার্ড ট্রিয়ন ১৯৭৩ সালে ‘নেচার’ নামক বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক জার্নালে[5] । এর পর আশির দশকে স্ফীতি তত্ত্বের আবির্ভাবের পর থেকেই বহু বিজ্ঞানী প্রাথমিক কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশরে ধারণাকে স্ফীতি তত্ত্বের সাথে জুড়ে দিয়ে মডেল বা প্রতিরূপ নির্মাণ করেছেন[6]। শূন্য থেকে এই মহাবিশ্ব সৃষ্টির ধারণা যদি অবৈজ্ঞানিক এবং ভ্রান্তই হত, তবে সেগুলো প্রখ্যাত বৈজ্ঞানিক সাময়িকী (Scientific Journal) গুলোতে কখনই প্রকাশিত হত না। মূলতঃ স্ফীতি-তত্ত্বকে সাম্প্রতিককালে বেশ কিছু পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়েছে, এবং প্রায় সবগুলোতেই এই তত্ত্ব অত্যন্ত সাফল্যের সাথে এ পর্যন্ত উত্তীর্ণ হয়েছে[7]। স্ফীতি তত্ত্ব গ্যালাক্সির ক্লাস্টারিং, এক্স রশ্মি এবং অবলোহিত তেজস্ক্রিয়তার বিন্যাস, মহাবিশ্বের প্রসারণের হার এবং এর বয়স, মহাবিশ্ব গঠনে এর উপাদান গুলোর প্রাচুর্য – সব কিছুই ব্যাখ্যা করতে পেরেছে নিখুঁত সৌন্দর্যে। আমি এর কারিগরী দিকগুলো এখানে আলোচনা করছি না, এগুলো নিয়ে বিস্তৃতভাবে গিয়ে মুক্তমনায় আগে একটা লেখা লিখেছিলাম ‘স্ফীতি তত্ত্ব এবং মহাবিশ্বের উদ্ভব’ শিরোনামে[8]। সম্প্রতি রায়হান আবীরও প্রাকৃতিক উপায়ে মহাবিশ্বের উৎপত্তির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করে ততোধিক সুন্দর একটা প্রবন্ধ লিখেছে – ‘নির্ধর্মকথাঃ ইন দ্য বিগিনিং …‘ শিরোনামে। প্রবন্ধটিতে মহাবিশ্বের সূচনার জন্য একটি ঐশ্বরিক আদি কারণ, স্বতস্ফুর্তভাবে মহাবিশ্ব সৃষ্টির পেছনে মিরাকলের খণ্ডন ছাড়াও পদার্থের উৎপত্তি, শৃঙ্খলার সূচনা এবং মহাবিশ্বের সূচনার প্রাকৃতিক ব্যাখ্যা আছে। যেহেতু হকিং এর ‘গ্র্যাণ্ড ডিজাইন’ নামের নতুন বইটি এখনো আমার হাতে আসেনি,কাজেই আমি বলতে পারছি না তার স্বতঃস্ফুর্তভাবে মহাবিশ্ব উৎপত্তির ব্যাপারটা পুরোটাই কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনের ধারণার উপর ভিত্তি করেই বলা, নাকি আরো কিছু নতুন গাণিতিক মডেলের সংযুক্তি আছে। তবে খোঁজখবর নিয়ে যতদূর মনে হয়েছে, তিনি ‘এম থিওরী’র সাথে ফ্লাকচুয়েশনের একটি যোগসূত্র স্থাপন করেছেন (বইটি এই সপ্তাহ শেষে হাতে পেলে পুরো বইটি পড়ে আরো একবার মন্তব্য করব এ নিয়ে, নীচে আপডেট -২ দ্রঃ) ।
অনেক বিজ্ঞানী এবং দার্শনিকেরাই মনে করেন, আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান যখন একেবারে শূন্য থেকে বিশ্বসৃষ্টির একটি প্রাকৃতিক এবং যৌক্তিক সমাধান দিতে পারছে, তখন ঈশ্বর সম্ভবত একটি ‘বাড়তি হাইপোথিসিস’ ছাড়া আর কিছু নয়। বিজ্ঞানী ভিক্টর স্টেঙ্গর, লরেন্স ক্রাউস, এলেন গুথ, আদ্রে লিন্ডেরা সেটা অনেক আগে থেকেই বলে আসছিলেন (মুক্তমনাতেও এ নিয়ে বহু লেখা প্রকাশিত হয়েছিল )। হকিংও শেষপর্যন্ত সেই একই সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন। ঈশ্বর হাইপোথিসিস মোটা দাগে অক্কামের ক্ষুরের পরিস্কার লংঘন। তিনি নিজেই সেটা বলেছেন এভাবে,
‘It is not necessary to invoke God to light the blue touch paper and set the universe going.
স্টিফেন হকিং এর এই ‘স্বভাববিরুদ্ধ’ বক্তব্য নিয়ে সারা মিডিয়া এখন তোলপাড়। ধার্মিকরা স্বভাবতই আশাহত হয়ে গালির তুবড়ি ছুটিয়ে চলেছেন খবরটি প্রকাশের পর থেকেই। পাদ্রী সন্ন্যাসী ঠাকুর পুরুতেরা একজোট হয়ে স্টেটমেন্ট দিচ্ছেন তাদের মহাপতন ঠেকাতে। তারা বলছেন, মহাবিশ্ব কিভাবে শূন্য থেকে তৈরি হতে পারে বিজ্ঞান না হয় এখন তা ব্যাখ্যা করতে পার, কিন্তু কেন মহাবিশ্বের সৃষ্টি – তা নাকি বিজ্ঞান বলতে পারে না। আর অবধারিতভাবেই তাদের কাছে একটাই উত্তর – ‘ঈশ্বর’! দেখুন এই কার্টুনটি –
(ছবিতে ক্লিক করে বড় করে দেখুন)
তবে যে যাই বলুক, ব্যাপারটা কিন্তু দেখতে খুবই আমোদজনক। এপলোজিস্টদের জন্য খারাপ খবরের সংখ্যা প্রতিদিনই বেড়ে চলছে। প্রতিদিনই একটা করে নতুন বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি ঘটে, আর ধার্মিকদের ‘গড’ এর আকার আরো সংকুচিত হয়ে পড়ে। উইলিয়াম প্যালে ১৮০২ সালে প্রকাশিত বই ‘Natural Theology, or Evidence of Existence and Attributes of the Deity, collected from the Appearences of Nature’ এর মাধ্যমে যে ‘ডিজাইন আর্গুমেন্ট’ বা সৃষ্টির পরিকল্পিত যুক্তির অবতারণা করেছিলেন ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্ব এসে সেই ডিজাইন আর্গুমেন্টকে বাতিল করে দিয়েছিলো সত্তুর বছরের মধ্যেই। তারপর যত দিন গেছে বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির ইতিহাস মানে জ্ঞানের ফাঁক-ফোঁকর থেকে ঈশ্বরকে হটানোরই ইতিহাস – ‘গড ইন গ্যাপ্স’ এবং ‘আর্গুমেণ্ট ফ্রম ইগনোরেন্স’ থেকে মুক্তির প্রচেষ্টাই বলা যায়। এ বছর ক্রেগ ভেন্টর তার গবেষণায় দেখিয়েছেন কৃত্রিমভাবে প্রাণের সৃষ্টি করাও আজ আর বিজ্ঞানীদের আয়ত্বের বাইরে নয়। ডারউইন থেকে শুরু করে আজকের ডকিন্সের ক্রমিক প্রচেষ্টায় জীববিজ্ঞানের কাঠামো থেকে ঈশ্বর হটে গেলেও ঈশ্বর সাহেব একটা অন্ধকার গুহা খুঁজে পেয়েছিলেন পদার্থবিজ্ঞানের তথাকথিত ফাইনটিউনিং, এন্থ্রোপিক আর্গুমেন্ট এবং সর্বোপরি হকিং এর ‘মাইণ্ড অব গড’ -এর মধ্যে। বড়ই দুর্ভাগ্য, সেখান থেকেও ঈশ্বরকে ক্রমশঃ হটে যেতে হচ্ছে। সেজন্যই লণ্ডন টাইমসে লেখা হয়েছে –
Modern physics leaves no place for God in the creation of the Universe, Stephen Hawking has concluded. Just as Darwinism removed the need for a creator in the sphere of biology, Britain’s most eminent scientist argues that a new series of theories have rendered redundant the role of a creator for the Universe.
ক্রেগ ভেন্টরের কৃত্রিম প্রাণের সৃষ্টি সংক্রান্ত পোস্টটি দেয়ার সময় বলেছিলাম,
‘ধর্মবাদীরা থেমে থাকবেন না, জানি। নানা ধরনের প্যাচ-ঘোচ খুঁজে বের করবেন। হয়তো বলবেন, এটা আসল প্রাণ নয়, কারণ মাল মশলা প্রকৃতি থেকেই যোগাড় করা; ঈশ্বরের প্রাণ আরো নিঁখুত। কেউ বা বলবেন – এতে প্রমাণিত হল আসলেই ডিজাইনার লাগে। আবার কেউ কেউ হয়তো এখন প্রাসঙ্গিক নানা আয়াত কিংবা শ্লোক ধর্মগ্রন্থে পেয়ে যাবেন। মৌলভী, পোপ, পাদ্রী এবং পুরুত ঠাকুরেরা এই ধরনের গবেষণার নৈতিকতা আর মূল্যবোধ নিয়ে নরকগুলজার শুরু করেবেন অবধারিতভাবেই।’
আমার অনুমান সত্য হয়েছিল। আমার প্রবন্ধটি মুক্তমনায় প্রকাশের পর থেকেই নানা ধরণের ‘ত্যানা-প্যাচানো’ শুরু হয়ে গিয়েছিলো কিছু মহল থেকে। বিজ্ঞানের গদাঘাতে চূর্ণ মস্তক এপোলজিস্টরা বিশ্বাস-নির্ভর সাইটগুলোতে প্রবন্ধ লিখতে শুরু করেছিল, ‘কৃত্রিম প্রাণ ও বদ্ধমনাদের আস্ফালন’ কিংবা ‘কৃত্রিম প্রাণ তৈরির খবরে মুক্তমনাদের দেহে প্রাণের সঞ্চার’ জাতীয় নিচুমানের হাস্যকর সব প্রবন্ধ। কিন্তু অন্ধ হলেই প্রলয় বন্ধ থাকেনা। বিজ্ঞান কিন্তু বিজ্ঞানের কাজ করেই যাবে, আর বিশ্বাসীদের ভবিষ্যত-ঈশ্বর বিজ্ঞানের কেমোথেরাপির প্রভাবে হয়ে উঠবেন আরো শীর্ণকায়।
এবিসি নিউজের সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে স্টিফেন হকিংকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো ধর্মান্ধতা আর বিজ্ঞানের এই লাগাতার সংঘাতে কে জয়ী হবে? হকিং এর দ্বিধাহীন উত্তর ছিল – সায়েন্স উইল উইন! হকিং সেই সাক্ষাৎকারে পরিস্কার করেই বলেছেন,
ধর্ম আর বিজ্ঞানের মধ্যে একটি পরিস্কার জায়গায় পার্থক্য আছে। ধর্ম মূলতঃ ঐশী -বানী আর রিলিজিয়াস অথরিটির উপরই নির্ভরশীল , সেখানে বিজ্ঞান নির্ভর করে যুক্তি আর প্রমাণে। শেষ পর্যন্ত বিজ্ঞানই জয়ী হবে, কারণ বিজ্ঞানের এই পদ্ধটিটাই উৎকৃষ্ট বলে প্রমাণিত হয়েছে।
ইউটিউব থেকে সাক্ষাৎকারটি পাঠকদের জন্য দেয়া হল – httpv://www.youtube.com/watch?v=7LrrpIDXuw4
ধারণা করা ভুল হবে না যে, হকিংকে নিয়েও অবধারিতভাবে ত্যানা-প্যাচানো করবেন চূর্ণমস্তক ধর্মান্ধরা। তারা দেখানোর চেষ্টা করবেন, হকিং পদার্থবিজ্ঞানের কিছুই বোঝে না। তার চেয়ে বরং হারুন ইয়াহিয়া এবং জোকার নায়েক কিংবা কোন এক রামকানাই অনেক জ্ঞানী। তারাই হকিং-কে ভালো বিজ্ঞান শেখাতে পারবেন। আপনারা এও অবধারিতভাবেই শুনবেন, সৃষ্টিকর্তা ছাড়াই মহাবিশ্ব সৃষ্টির ধারণা আসলে ইহুদী-নাসারাদের প্রপাগাণ্ডা ছাড়া আর কিছুই নয়। আমি সেই সার্কাস আবারো দেখতে আগ্রহী।
যে লাইনটি ক্রেগ ভেন্টররের উপর প্রবন্ধ লেখার সময় লিখে শেষ করেছিলাম, সে লাইনটা আবারো বলি –
লেট দেম বার্ক ফর এ হোয়াইল, এন্ড দ্য ক্যামেল অফ সায়েন্স সাইলেন্টলি পাসেস!
জয়তু স্টিফেন হকিং। জয়তু বিজ্ঞান। তার নতুন গ্রাণ্ড ডিজাইন বইটি প্রকাশের পর তা পাঠকের ঘরে ঘরে পৌছিয়ে যাক।
—————
তথ্যসূত্রঃ
[1] Stephen Hawking, A Brief History of Time, Bantam Dell Publishing Group, 1988
[2] Paul Davies, The Mind of God: The Scientific Basis for a Rational World, Simon & Schuster, 1993
[3] অভিজিৎ রায়, আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী (অঙ্কুর প্রকাশনী, ২০০৫) -মূল বইয়ের সপ্তম অধ্যায় দেখুন।
[ 4] আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী, পূর্বোক্ত।
[5] E.P. Tryon, “Is the Universe a Vacuum Fluctuation?”, Nature 246 (1973): 396-97.
[6] উদাহরণ হিসেবে এখানে কিছু সাম্প্রতিক পেপারের উল্লেখ করা যেতে পারে :
* David Atkatz and Heinz Pagels, “Origin Of The Universe as a Quantum Tunneling Event” Physical review D25 (1982): 2065-73;
* S.W. Hawking and I.G.Moss “Supercooled Phase Transitions in the Very Early Universe “, Physics letters B110 (1982):35-38;
* Alexander Vilenkin, “Creation of Universe from Nothing” Physics letters 117B (1982) 25-28,
* Alexander Vilenkin, “Quantum Origin of the Universe” Nuclear Physics B252 (1985) 141-152,
* Andre Linde, “Quantum creation of the inflationary Universe,” Letter Al Nuovo Cimento 39(1984): 401-405
* Victor Stenger, The Universe: The Ultimate Free Lunch,” European Journal of Physics 11 (1990) 236-243. ইত্যাদি।
[7] বিস্তারিত তথ্যের জন্য The Inflationary Universe: The Quest for a New Theory of Cosmic Origins, Alan H. Guth, Perseus Books Group (March 1, 1998) দেখুন।
[8] একই লেখা একটু পরিবর্তিত আকারে মাসিক সায়েন্স ওয়ার্ল্ডের ডিসেম্বর সংখ্যায় (বর্ষ ৫, সংখ্যা ৬০, ডিসেম্বর ২০০৬) ‘ইনফেশন থিওরি : স্ট্যান্ডার্ড বিগ ব্যাং মডেলের বিদায় কি তবে আসন্ন?’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছিল।
————————
আপডেট-১ : কিভাবে মহাবিশ্ব প্রাকৃতিক নিয়মে স্বতস্ফুর্তভাবেই তৈরি হতে পারে – যারা খুব কম সময়ে হকিং এর প্রস্তাবিত এই তত্ত্ব সম্বন্ধে জানতে চান, তারা ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির অধ্যাপক, পদার্থবিজ্ঞানী শন ক্যারলের তিন মিনিটের ভিডিওটি পর্যপেক্ষণ করতে পারেন –
httpv://www.youtube.com/watch?v=GCVqJw7T1WU
* গ্রান্ড ডিজাইন বইটিও হাতে পেয়েছি (আজকেই বেরুলো) । এর উপর ভিত্তি করে আর্টিকেলটি আপডেট করার চিন্তা করছি কিছু জায়গায় (সেপেটেম্বর ৭, ২০১০) ।
আপডেট-২ : গ্র্যান্ড ডিজান বইটির রিভিউ লিখেছি অবশেষে, পোস্ট দেয়া হয়েছে এখানে –
আমাকে দয়া করে ভূল বুজবেন না। আপনাদের ‘ইনফ্লেসন’ কিন্তু এখনও একটি তত্ব মানে প্রতিষ্ঠিত কোন বিজ্ঞান নয়। আর সৃষ্সিকর্তা নিজে দাবী করেন সব প্রানের তিনি সৃষ্টিকর্তা কিন্তু কোথাও বলেননি মানুষ প্রান সৃষ্টি করতে পারবে না। বরং কিছু কিছু ব্যাখা আছে যার থেকে মনে হবে মানুষ প্রান সৃষ্টি করতে সক্ষম। আর আপনি সৃষ্টিকর্তার আকার ছোট হয়ে আসছে বলছেন, আমি যতটুকু সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে জেনেছি তাতে পেয়েছি তিনি নিরাকার। তাই আকার ছোট হয়ে যাওয়ার ভয় এখানে নেই। (F)
‘গ্রাণ্ড ডিজাইন’ কোনও গুরুত্বপূর্ন অংশ কি আমাদের শাশ্বতিকীর অনুবাদ-প্রবন্ধ সংখ্যার জন্যে অনুবাদ করে দিতে পারবেন। তাহলে খুব উপকার হয়।
Thanks a lot @ Avijit da……..
ধন্যবাদ মুক্তমনাকে
জয়তু স্টিফেন হকিং!
@তানভী,
আপনার সেই আস্তিক বন্ধুর মনটি কিন্তু সৃষ্টিকর্তার ( যদি কেউ থেকে থাকে !!!) ত্রুটিপূর্ণ সৃষ্টির একটা ভালো উদাহরণ । @লজ্জিত হলাম, নিশ্চয়ই এই উদাহরণ থেকে স্বীকার করবেন যে , আপনার আল্লাহর সৃষ্টিতে কতো ত্রুটি এবং অস্বাভাবিকতা রয়েছে। একজন আল্লাহ বিশ্বাসী মানুষের মনে একটি হিজড়ার জীবনের অসহ্য দুঃখ দাগ কাটে না। তার জন্য কিছু করার চিন্তা মনে আসে না । সবচেয়ে আশ্চর্যজনক হল যে, কোন সমবেদনাও Feel করে না। বরং হিজড়াদের প্রতি তার সামাজিক দায়িত্ব অস্বীকার করে এক কথায় হিজড়াদেরকে আল্লাহ এর নেয়া ঈমানের পরীক্ষার নামে বলি করে দিলো ঠিক তেমন ভাবে যেভাবে কুরবানির নামে একটি অসহায় পশুকে ১০/১২ জন ধরে জবাই করে । এইসব আস্তিকদের আমি মানসিক প্রতিবন্ধী বলি । এদের নিয়ে ইহকাল কাটানোই অসম্ভব । কারন এরা নিজেরাও মানুষের ভালো করে না, আবার অন্য কাউকেও করতে দেয় না। সারাক্ষণ আল্লাহর নামে দায়িত্ব এড়ায় আর যুক্তিপূর্ণ সোজাসুজি উত্তর না দিয়ে নানা কৌশলে Brain wash এর ধান্দায় থাকে। আপনি এদের নিয়ে পরকালের বেহেস্তে কিভাবে থাকবেন ? জানতে খুব ইচ্ছে জাগে।
হে বোন আপনি যদি বুদ্ধিমতি হন, তাহলে কুরআন পড়ে দেখুন, আর আপনি বলছেন হিজড়া দের কথা, কেউ যদি তাদের সাথে খারাফ আচরন করে সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যপার। ইসলামে হিজড়াদের ব্যপারেও হুকুম আছে, শুনেন কোন একটা ব্যপার না জেনে মন্তব্য করা সহজ, ভালো করে জানুন, আবার অল্প জানলে আরো মহাবিপদ।
ঈশ্বর রহস্য ভেদ করার পর শেষ পর্যন্ত স্টিফেন হকিং মত দিলেন যে , সমগ্র মহাবিশ্বের সবচাইতে বড় রহস্য আর কিছু নয় – ‘নারী’ ।
Stephen Hawking reveals the biggest mystery in the universe: women
@সংশপ্তক, নারীর মন বুঝতে হলে বইজ্ঞানিক বুদ্ধি নয়, Sherlock Holmes এর মত গোয়েন্দা বুদ্ধি দরকার । মনোবিজ্ঞান জানা দরকার । যে যার বুদ্ধি যেভাবে ব্যবহার করে আর কি । নারীর মন বুঝা তেমন কোন আহামরি ব্যাপার না ।
“ব্যাহিক কোন বল প্রয়োগ না করলে স্থির বস্তু চিরকাল স্থিরই থাকবে এবং গতিশীল বস্তু সুষম গতিতে সরল পথে চলতে থাকবে।”
তাই যদি হয়, তাহলে হটাৎ বিস্ফোরণ কাম্নে ঘটলো? :-s
স্টিফেন হকিং বললেন, স্বর্গ ও পরকাল বলতে কিছু নেই
আজকে স্টিফেন হকিং এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে গার্ডিয়ানে। সেখানে তিনি বলেছেন, স্বর্গ ও পরকাল বলতে কিছু নেই। মানুষের ব্রেন অনেকটা কম্পিউটারের মতো। কম্পিউটারের যেমন বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে গেলে তা কাজ করা বন্ধ করে দেয়, মানুষের ব্রেনও তেমনি। এ বিভিন্ন অংশ কাজ করা বন্ধ করে দেওয়াটাই মৃত্যু। এ ছাড়া এর বাইরে আর পরকাল বলে কিছু নেই। পুরো সাক্ষাৎকারটি এখানে –
Stephen Hawking: ‘There is no heaven; it’s a fairy story’
@মুক্তমনা অ্যাডমিন,
আমার লেখক নাম ‘সংশপ্তক” ব্যবহার করা একটা মন্তব্য উপরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যা আমার করা মন্তব্য নয়। বিষয়টির দিকে আপনাদের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ধন্যবাদ।
বিষয়টি আমাদের নজরে আনার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। অনিচ্ছাকৃতভাবে এই ভুলটি ঘটেছে। ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে সংশপ্তক নামে করা অন্য মন্তব্যটি মুছে দেওয়া হয়েছে। একাধিক ব্যক্তি এক নামে মন্তব্য করাকে মুক্তমনায় সম্পূর্ণভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়। আশা করি সংশপ্তক নামে ওই মন্তব্য করা ব্যক্তিটি বিষয়টি বুঝতে পারবেন এবং ভবিষ্যতে ভিন্ন একটি নামে মুক্তমনায় মন্তব্য করবেন। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি।
যদি কখনো ব্ল্যাক হোল নিয়া সম্মক ধারনা পাই…তবেই ঈশ্বর অস্তিত্ত নিয়ে অবিশ্বাসের মূল্য দিব…
@ অভিজিত
অনুরোধ রইলো গ্রান্ড ডিজাইন বইটি বাংলায় অনুবাদ । আপনার আলো হাতে চলিয়াছে আধারের যাত্রী খুব ভাল লেগেছে।
@শিরোনামহীন,
অনুবাদ করার সময় পাবো কিনা জানি না, তবে আপাততঃ রিভিউ লেখার ইচ্ছে আছে পুরো বইটির বিভিন্ন অধ্যায়গুলো আলোচনায় এনে। তারপরেও খুব তাড়াতারি হবে না বধ হয়।
আলো হাতে ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম। মুক্তমনায় মন্তব্যে নিয়মিত হবেন আশা করছি।
হকিন্স সাহেব ভালোই সাড়া ফেলেছেন। তার অকপট স্বীকারোক্তিতে ঈশ্বরে অবিশ্বাসীরা উল্লসিত হবেন সেটাই স্বাভাবিক, আমি সেজন্য তাদের দোষ দেই না। কারন তাদের এই উল্লাসের ভিত্তি জোগান দিয়েছেন বিশ্বাসীরাই কিছু হাস্যকর যুক্তি আর অজানাকে ঈশ্বরের নামে ব্যাখ্যা করার বিপদজনক প্রবনতা দিয়ে।
বিশুদ্ধ যুক্তির খাতিরে; কোন বিজ্ঞানী পালটা যদি দাবী করেন যে ঈশ্বর বা স্রষ্টা ছাড়া সৃষ্টি সম্ভব নয় তাহলে কি ধর্মবাদী লোকজনেররাও একইভাবে উল্লসিত হবেন না (এই যুক্তিটা প্রবীর ঘোষের, তিনিই সাবধান করেছিলেন কতজন বিজ্ঞানী নাস্তিক এ ধরনের যুক্তি দিয়ে ঈশ্বরের অস্তিত্বকে চ্যালেঞ্জ না দিতে)? ক্রেইগ ফ্লুর কথা এক্ষেত্রে বলা যেতে পারে। বিবর্তনে বিশ্বাসী নাস্তিক থেকে আস্তিক বনে যাওয়ায় তিনি ধর্মবাদী ভাইদের খুবই প্রিয় বিজ্ঞানী।
হকিংস এর মত বিজ্ঞানীদের সাধুবাদ জানাই জটিল বিষয়গুলি ব্যাখা করার জন্য, সাথে সাথে মানুষের জড় চিন্তা জগতে আলোড়ন তোলার জন্য।
কোয়ান্টাম মেকানিক্সের মত জটিল বিষয় নিঃসন্দেহে ব্লগের কিছু লেখা পড়ে বোঝা যাবে না। শূন্য বা ভ্যাকুয়াম পরম অর্থে শূন্য নয়। তার মানে কি জগতে পরম অর্থে শূন্য বলে কিছুর অস্তিত্ব থাকতেই পারে না? শূন্যের ভেতরের সেই রহস্যময় এনার্জি ফিল্ডের সৃষ্টি কোথা থেকে হল তার কি কোন হাইপোথিসিস আছে?
মহাবিশ্বের নানান প্রায় নিখুত নিয়ম কানুন (যেমন গ্রহ নক্ষত্রের সুশৃংখল আবর্তন) এসবের ব্যাখ্যা বিজ্ঞান কিভাবে দেয়?
@আদিল মাহমুদ,
আপনার উপরের মন্তব্যের সাথে মোটামুটিভাবে একমত পোষণ করছি, কিন্তু কিছু জায়গায় তথ্যগত কিছু ভুল আছে।
ভদ্রলোকের নাম ছিলো এন্থনি ফ্লু, ক্রেইগ ফ্লু নয়। সম্প্রতি (এ বছরের এপ্রিল মাসে) পরলোক গমন করেছেন। উনার পড়াশুনা ছিলো দর্শন শাস্ত্রে। উনি কিন্তু কোন ‘বিজ্ঞানী’ ছিলেন না। শেষ বয়সে এসে আস্তিক বলে গেলেও তার আস্তিকতা ছিলো খুব মিনিমাল লেভেলের ডিইজম। কিন্তু ইসলামিস্ট ভাইয়েরা যেভাবে উল্লসিত হন সেটা নিয়ে সেটা আমোদজনক, কারণ ফ্লু এমনকি তার সোকল্ড কনভার্শনের পরেও ইসলামকে সত্য ধর্ম বলে মনে তো করতেনই না, বরং উলটো পৃথিবীর সবচেয়ে হোস্টাইল ধর্ম বলে মনে করতেন, আর আল্লাহকে মনে করতেন মুহম্মদের বানানো সত্ত্বা।
আস্তিকতার ব্যাপারটাও যদি ধরি – ফ্লু তার অবস্থান পরিবর্তন করেছিলেন ৮১ বছর বয়সে। তিনি নিজেই সে সময় স্বীকার করেছিলেন যে সাম্প্রতিক বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির সাথে তিনি আর তাল মিলাতে পারছেন না। শ্রোডারের বাইবেলের সাথে বিজ্ঞানের মিল দেখানো বিজ্ঞানকে তিনি সত্য বলে ভেবে নিয়েছিলেন। পদার্থবিদ ভিক্টর স্টেঙ্গর তার ভুল্গুলো নিয়ে তখনই লিখেছিলেন – Flew’s Flawed Science। বিজ্ঞানী মার্ক পেরাখও লিখেছিলেন – Not a Very Big Bang About Genesis
আরেকবার মাইকেল বিহের ‘ডারউইন’স ব্ল্যাক বক্স’ পড়ে একইভাবে সমর্থন সচূক একটি লেখা লিখতে গিয়েছিলেন ‘ফিলোসফি টুডে’ ম্যাগাজিনে। কিন্তু রিচার্ড ডকিন্স তার প্রকাশিত রিবিউটালটি তাকে পাঠানোর পরে তিনি তার মত পরিবর্তন করেন। আমার নিজেরও একটা বিশ্লেষণ আছে এখানে।
নিখুঁত কিনা সন্দেহ আছে। তারপরেও ফাইন টিউনিং সহ অন্যন্য যুক্তিগুলো যে ‘নিখুঁত নিয়ম কানুন’ এর অস্তিত্বের প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হয় – সেগুলো খুব বেশি পোক্ত নয়। এই লেখাগুলো দেখতে পারেন-
পরিকল্পিত মহাবিশ্ব? স্টিভেন ওয়েইনবার্গ
অনন্ত মহাবিশ্বের সন্ধানে
বিজ্ঞান কি ঈশ্বরকে খুঁজে পেয়েছে? : ভিক্টর স্টেঙ্গার
আইডি নিয়ে কূট কচালি
আমেরিকায় ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইনের নামে কি হচ্ছে?
কিছু উত্তর এর মধ্যে থেকেই পেয়ে যাবেন আশা করি।
@অভিজিৎ,
ফ্লু সাহেবের নাম সবসময়ই ভুল করি। তবে উনি যে বিজ্ঞানী ছিলেন না, কেবলই দার্শনিক সে সম্পর্কে সচেতন ছিলাম না। বিবর্তন খন্ডনে ওনার রেফারেন্স প্রায়শই দেন এমন একজনকে একবার ইসলাম সম্পর্কে ফ্লু সাহেবের বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে তার কি মতামত জানতে চেয়েছিলাম। বলাই বাহুল্য তিনি জবাব দেননি 🙂 ।
লেখাগুলির জন্য ধন্যবাদ, বেশীরভাগই আগে পড়িনি। নাস্তিক না বানায় দেখি ছাড়বেনই না।
আপনারা দুজনে মিলেত নাটকটা ভালোই সাজিয়েছেন। শুন্য থেকেই যখন একবার সৃষ্টি হইছে তাহলে, চাঁদে এত উপকরণ থেকেও কেন প্রানের সৃষ্টি হচ্ছেনা।
গ্রান্ড ডিজাইন বইটি হাতে এসেছে। পড়ছি। খুব একটা বড় বই নয়। কিন্তু খুবই চমৎকার। ভাষার গতিশীলতা দুর্দান্ত। ছবিও সুন্দর। কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা হল পদার্থবিজ্ঞানের (এবং দর্শনের) প্রান্তিক সমস্যাগুলো নিয়ে চমৎকার আলোচনা আছে বইয়ে-
কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনের মাধ্যমে কিভাবে শুন্য থেকে মহাবিশ্ব তৈরি হতে পারে তার বেশ বড় সড় বর্ণনা আছে বইয়ে।
কিছু উদ্ধৃতি দেই বই থেকে।
বইয়ের মলাটে লেখা আছে –
137 পৃষ্ঠায় মাল্টিভার্সকে বাবলের সাথে তুলনা করে একতা চমৎকার একটা ছবি সংযুক্ত হয়েছে। নীচে লেখা আছে –
শুধু তাই নয়, কেন প্রাত্যহিক জীবনে শূন্য থেকে কিছু সৃষ্টি হয়না, কিন্তু মহাবিশ্ব শূন্য থেকে তৈরি হতে পারে তাও ব্যাখ্যা করেছেন। ১৮০ পৃষ্ঠায় লিখেছেন –
আমার অনুমানই ঠিক, তিনি বইয়ে কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনকে ‘এম থিওরী’র সাথে যুক্ত করেছেন। যেমন ৮ নং পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে –
বইয়ের বহু জায়গায় তিনি ঈশ্বর দ্বারা যে এই মহাবিশ্ব সৃষ্ট হয়নি তার পক্ষে জোড়ালো যুক্তি উপস্থাপন করেছেন। আর উপসংহার টেনেছেন সেই কথাটি দিয়েই –
হকিং এর সেলিব্রেটি সিন্ড্রোম আছে! এর আগে ব্রীফ হিস্ট্রি অফ টাইম-এ বলছে ব্ল্যাকহোল থেকে রেডিয়েশন হতে পারে, যেটা দিয়ে ব্ল্যাক হোল ডিটেক্ট করা সম্ভব! এটা নিয়া বিজ্ঞানী মহলে ব্যাপক বিতর্ক হওয়ার বেশ কিছুদিন পর তিনিই ভুল স্বীকার করে বলছেন ব্ল্যাকহোল থেকে রেডিয়েশন হওয়া সম্ভব না! আসল কথা হচ্ছে বিষয় গুলো তাত্ত্বিকই বলা চলে, এগুলোকে একেবারে প্রমাণসিদ্ধ বলার উপায় আছে কি?!
আপনি বিরাট বিরাট মন্তব্য করা শুরু করেছেন। এবং মন্তব্যগুলোর অধিকাংশই অতিকথন। এগুলোর লাইন বাই লাইন উত্তর দিতে গেলে আসলেই দিন পার হয়ে যাবে। 🙂 আপনি যদি মনে করেন মন্তব্যের ফ্লাডিং শুরু করলেই আপনি জিতে যাবেন, তাহলে আপনার জন্য ঘোর দুর্দিন।
চমৎকার সূচনা। কোরানের আয়াত দিয়ে যদি আপনি আমার মন্তব্যের রিবিউটাল শুরু কলেন। আসলে ‘তুমি সৃষ্টিতে কোন ক্রটি দেখতে পাবে না’ বলে জাহির করলে কি হবে, আমরা তো অসংখ্য ত্রুটি দেখতে পাই। মহাবিশ্বের প্রকৃতি বস্তুনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে এটি কোন নিখুঁত সৃষ্টি নয়, বরং বহু কিছুতে অপচয়প্রবণতাই মূখ্য। সৃষ্টিবাদী এবং ধর্মবাদীরা দাবী করেন, প্রাণ এবং মানুষ তৈরি করাই যদি ঈশ্বরের মূখ্য উদ্দেশ্য ছিলো। তাই যদি হয়, তাহলে বিগ-ব্যাংয়ের পর তিনি কেন নয় বিলিয়ন বছর লাগিয়েছিলেন এই পৃথিবী তৈরী করতে, আর তারপর আরও বিলিয়ন বছর লাগিয়েছিলেন প্রাণ তৈরি করতে, আর তারপরে আরো চার বিলিয়ন বছর লাগিয়েছিলেন পৃথিবীতে ‘মানুষের অভ্যুদয়’ ঘটাতে- এর কোন যৌক্তিক ব্যাখ্যা মেলে না, বরং পুরো প্রক্রিয়াটি অপচয় প্রবণতাকেই তুলে ধরে। কোটি কোটি বছর পর পৃথিবী নামক সাধারণ একটি গ্রহে প্রাণ সৃষ্টি করতে গিয়ে অযথাই সারা মহাবিশ্ব জুড়ে তৈরি করা হয়েছে হাজার হাজার, কোটি কোটি, ছোটবড় নানা গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহানুপুঞ্জ- যারা আক্ষরিক অর্থেই আমাদের সাহারা মরুভূমির চেয়েও বন্ধ্যা, উষর আর প্রাণহীন। শুধু কোটি কোটি প্রাণহীন আর নিস্তব্ধ গ্রহ, উপগ্রহ তৈরি করেই এই মহান কারিগর ক্ষান্ত হননি, তৈরি করেছেন অবারিত শূন্যতা, গুপ্ত পদার্থ এবং গুপ্ত শক্তি- যেগুলো নিষ্প্রাণ তো বটেই, প্রাণ সৃষ্টির কল্পিত মহান উদ্দেশ্যের প্রেক্ষাপটে নিতান্তই বেমানান।
ঠিক একই ভাবে, শুধু মহাবিশ্ব নয় – আমাদের দেহের ডিজাইনেও মন্দ ও ত্রুটিপূর্ণ নকশার উদাহরণ বিদ্যমান। আমাদের অক্ষিপটের ঠিক সামনে এই স্নায়ুগুলো জালের মত ছড়ানো থাকে বলে অন্ধবিন্দুর (blind spot) সৃষ্টি হয়। আমাদের প্রত্যেকের চোখেই এক মিলিমিটারের মত জায়গা জুড়ে এই অন্ধবিন্দুটি রয়েছে, আমরা আপাততভাবে বুঝতে না পারলেও ওই স্পটটিতে আসলে আমাদের দৃষ্টি সাদা হয়ে যায়। এছাড়া আছে পরিপাকতন্ত্রের অ্যাপেন্ডিক্স কিংবা পুরুষের স্তনবৃন্তের মতো বিলুপ্তপ্রায় নিষ্কৃয় অঙ্গ। এগুলো দেহের কোন কাজে লাগে না, বরং বর্তমানে অ্যাপেন্ডিসাইটিস রোগের বড় উৎসই হল অ্যাপেন্ডিক্স নামের বাড়তি প্রত্যঙ্গটি। মহিলাদের জননতন্ত্র প্রাকৃতিকভাবে এমনভাবে বিবর্তিত হয়েছে যে অনেকসময়ই নিষিক্ত স্পার্ম ইউটেরাসের বদলে অবাঞ্ছিতভাবে ফ্যালোপিয়ান টিউব, সার্ভিক্স বা ওভারিতে গর্ভসঞ্চার ঘটায়। এ ব্যাপারটিকে বলে ‘একটোপিক প্রেগন্যান্সি’। ওভারী এবং ফ্যালোপিয়ান টিউবের মধ্যে অতিরিক্ত একটি গহবর থাকার ফলে এই ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মানুষের ডিএনএ তে ‘জাঙ্ক ডিএনএ’ নামের একটি অপ্রয়োজনীয় অংশ আছে যা আমাদের আসলে কোন কাজেই লাগে না। ডিস্ট্রফিন জিনগুলো শুধু অপ্রয়োজনীয়ই নয়, সময় সময় মানবদেহে ক্ষতিকর মিউটেশন ঘটায়। ডি এন এ -এর বিশৃংখলা ‘হান্টিংটন ডিজিজের’ এর মত বংশগত রোগের সৃষ্টি করে। আমাদের গলায় মুখ গহব্ব বা ফ্যারিংস এমনভাবে তৈরি যে একটু অসাবধান হলেই শ্বাস নালীতে খাবার আটকে আমরা ‘চোক্’ করি। এগুলো সবই প্রকৃতির মন্দ নকসার বা ‘ব্যাড ডিজাইনের’ উদাহরণ। এ ধরণের ব্যাড ডিজাইন নিয়ে মুক্তমনায় বিস্তৃতভাবে আলোচনা করা হয়েছে এখানে এবং এখানে। কোরানের আয়াত বাদ দিয়ে একটু বিবর্তন তত্ত্ব নিয়ে নাড়াচাড়া করলে বুঝতে পারতেন কেন এই ক্রুটিগুলো আমাদের মধ্যে রয়ে গেছে।
কাল্পনিক স্রষ্টাকে মাথায় তুলে রেখে কত ক্ষমা চাওয়াচাওয়ির নাটক শুরু করেছেন! কিন্তু মানুষকে অপমান করলে সম্ভবতঃ আপনার গায়ে লাগে না। আপনি মন্তব্য করতে এসেই আমাকে আর আর আমার লেখা নিয়ে অনর্থক তামাসা, সার্কাজম, গুতাগুতি কিছুই বাদ দেন নাই। আমার অস্তিত্ব কিন্তু বাস্তব। অথচ বাস্তব মানুষগুলোকে অপমান করতে আপনার গায়ে লাগে না, কিন্তু অলীক সৃষ্টিকর্তা – যার কোন বাস্তব প্রমাণ নেই, এবং একটি ফ্লাইং স্পেগেটি মনস্টারের চেয়ে যে কিনা একবিন্দু বেশি গুরুত্ব দাবী করে না – তাকে নিয়ে আপনার দারুণ মাথা ব্যাথা শুরু হল। আমার হয়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে খহমা চাওয়ার ওকালতি করার চেয়ে আপনার স্রষ্টাকেই বরং ক্ষমা চাইতে বলুন না – তার ‘নিঁখুত সৃষ্টি’র মাধ্যমে ক’দিন পর পরই সুনামী, ভুমিকম্প সহ হাজার বিপদ আপদে নিরিহ মানুষ, শিশুদের হত্যার জন্য। ক্ষমাচাইতে বলুন ইথিওপিয়ার খেতে না পাওয়া আর্তনাদ করা শিশিটির জন্য। ক্ষমা চাইতে বলুন বন্যায় ভেসে যাওয়া আমিনা রহিমাদের জন্য। সেটাই বরং বেশি গুরুত্বপূর্ণ হবে।
কেন আপনার স্রষ্টার জন্য আলাদা নিক্তি লাগবে সেটা বলুন, এবং কেন সেই নিক্তিটি স্পেগেটি মন্সটার, রামগরুরের ছানা, ডিব্বা ডাব্বা, থর জিউস, কালির অস্তিত্ব প্রমাণের জন্যও প্রযোজ্য হবে না সেটারও ব্যাখ্যা দরকার।
তো? এতে করে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব কিভাবে প্রমাণিত হয়?
কোন সমস্যা নেই। কেবল মহাবিশ্ব আদি হতে এমনিতেই থাকলে কিংবা প্রাকৃতিক নিয়মে স্বতস্ফুর্তভাবে তৈরি হতে পারলে – মহাবিশ্ব তৈরির জন্য ঈশ্বরের আর প্রয়োজন থাকছে না। অর্থাৎ সোজা বাংলায় মহাবিশ্বে অস্তিত্বের পেছনে ‘ডিজাইন আর্গুমেন্ট’ ভেঙ্গে পড়ে। তারপরেও হুকাটানা সৃষ্টিকর্তা থাকতে পারে – যিনি মহাবিশ্ব না বানিয়ে কেবল হুকা টানছেন। তাকে নিয়ে আপাততঃ আমার মাথাব্যাথা নেই। কিন্তু সেরকম কোন ঈশ্বরের অস্তিত্বের দাবী করলে যিনি দাবী করছেন, তাকেই এর যৌক্তিক প্রমাণ দিতে হবে। একে দর্শনের ভাষায় বলে বার্ডেন অব প্রুফ। এটাকে এড়িয়ে যাওয়া একটা ফ্যালাসি।
খুব একটা অর্থবোধক প্রশ্ন মনে হল না। রহস্যময়তায় যেমন আমরা অভ্যস্ত, ঠিক তেমনি অভ্যস্ত রহস্যের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা পেতেও। বিজ্ঞানীদের অনুসন্ধিৎসু মন তো এভাবেই কাজ করে।
এটার কারণ হচ্ছে মহাবিশ্বের উৎপত্তি আর ই-মেইল একাউন্ট তৈরি এক নয়। কেউ মহাবিশ্বকে ঘড়ি, কেউ মোবাইল সেট কেউ বা ইমেইল একাউণের সাথে তুলনা করতে পারেন। এগুলো সবই ফ্যালাসি। এর উত্তর দেয়া আছে এখানে এবং এখানে । মহাবিশ্বের উৎপত্তি নিয়ে আপনার প্রশ্ন বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোন থেকেই দেয়া হয়েছে।
🙂 । কি চমৎকার ‘দুঃখ প্রকাশ’। বান্দর শব্দের ব্যবহারের জন্য দুঃখিত, আবার অন্যের আচরণকে দিয়ে ঠিকই বাঁদর প্রমাণ করে দেয়া। 🙂
তাও ভাল। আমাকে আপনি ঈমান্দার আদমী বানিয়ে ছেড়ে দেন নাই। আমি আপনার প্রশ্নের লাইন বাই লাইনই জবাব দিচ্ছি।
দেখুন আপনি ছাড়া আর কারো মন্তব্যেই কিন্তু আমি খোঁচাখুঁচি করিনি। আপনি শুরুটা না করলে তাও হত না।
আপাততঃ এটুকুই থাকুক। উত্তর দিতে দিতে হাপিয়ে গিয়েছি। বাকিগুলো আবার পরে দেওয়ার জন্য তুলে রাখছি।
ফের মোলাকাত হবে! তবে মন্তব্যের ফ্লাডিংটা একটু কম করলে খুশি হব। একই মন্তব্য আপনি অনেকবার পোস্ট করছেন দেখতে পাচ্ছি।
@অভিজিৎ,
জন্ম থেকেই যারা প্রতিবন্ধী, তাদের শরীরের পারফেকশন দেখে ভক্তিতে আমার চউক্ষে পানি চলে আসে। এইডস আক্রান্ত মায়ের শিশু যখন কোন দোষ না করেই এইডস আক্রান্ত হয়, তখন ভক্তিতে আমার দুই রাকাত নফল নামায পড়ার খায়েশ হয় :laugh: সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানের বিকারগ্রস্ত মানুষও তার বিকৃত আচার-আচরণ নিয়ে এরকম গর্ব করে না। আমাদের অন্তত এটুকুতে খুশি থাকা উচিত ঈশ্বরের বান্দারা ঈশ্বরের মত এমন বিকারগ্রস্ত না(কিছু দুঃখজনক ব্যতিক্রম বাদ দিলে)।
@পৃথিবী,
হু…
ঈশ্বর কতো ভাল,
অপরের চোখ অন্ধ করেও
আমায় দিলেন আলো! 🙂
ঈশ্বরের নিঁখুত সৃষ্টিতে সুনামী, বন্যা, মহামারীতে মৃত্যু, মানসিক প্রতিবন্ধী, পক্ষাঘাতগ্রস্ততা, হিজড়াদের দুঃসহ জীবন, এইডসাক্রান্ত শিশু সবই আছে। নিখুঁত সৃষ্টি বলে না কথা!
অবশ্য এটা ‘ঈশ্বরের পরীক্ষা’ হতে পারে এটা, কিংবা এও হতে পারে যে, ঈশ্বরের লীলা বোঝার মত ব্রেন তোমাকে আমাকে উনি দেননি।
@অভিজিৎ,
আমার এক আস্তিক বন্ধুকে জিজ্ঞেস করেছিলাম তোদের যে এই আল্লাহ তিনি এত দয়াবান মহান, তিনি কি যুক্তিতে হিজড়া সৃষ্টি করেছেন? কি যুক্তিতে কতগুলো মানুষের জীবন কে তিনি পুরো নরক বানিয়ে রেখেছেন?
তার উত্তর হল এই যে, আমাদের সবার শরীরেই কিছুনা কিছু সমস্যা আছে। তেমনি হিজড়াদেরটাও অমনই একটা ব্যপার। এর মধ্য দিয়ে আল্লাহ তাদের ঈমানের পরীক্ষা করছেন!!! সে আরো বলে, হিজড়ারা তাদের কমিউনিটিতে নাকি বেশ সুখেই আছে!! সাধারন মানুষরা যে তাদের ঘৃণা করে এ নিয়ে তাদের নাকি কোন দুঃখ বোধ নেই!!
কি রকম উদ্ভট যুক্তি!! ইচ্ছা করছিল তখন ঐ হারামজাদারে থাপরায়ে তার দাঁতের মাড়িসুদ্ধ তুলে নিয়ে আসি। :-Y এসব যুক্তি দেখানোর পর তার সাথে এই বিষয় নিয়ে নূন্যতম ঝগড়া করার আগ্রহটুকুও আমি হারিয়ে ফেলি।
দ্বিমত: সর্বশেষ-প্রতিউত্তর
জনাব অভিজিৎ এবং অপার্থিব এর উত্তরে এত স্ববিরোধিতা কেন? আগে তো মনে করতাম কেবল একটা গোষ্ঠী তাদের ধর্মবিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য, মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য অর্থনৈতিক সাহস্য এবং কারিগরি সহযোগিতা পায়। এখন মনে হচ্ছে, একটা না। এমন একাধিক গোষ্ঠী জড়িত। যাই হোক, আপনাদের দু’জনে অন্ততো একটা মিটিং করা প্রয়োজন ছিল। তাহলে এত স্ববিরোধিতা থাকতো না।
অপার্থিব এর উত্তর গুলো কাঁচা, অপরিপূর্ণ এবং বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা। তবে অভিজিৎ সাহেবকে ধন্যবাদ। আপনার প্রচেষ্টা প্রশংসাযোগ্য। তবে আপনি পন্ডিত এটা বোঝানোর জন্য এত এত রেফারেন্স দেবার দরকার ছিল না। এত এত থিওরিতো দাদা আমি জানতে চাইনি। জানিনা, সহজ জিনিস এত প্যচাঁনোর কারণ কি? এটা কি গোজামিলের চেষ্টা না।
প্রথম প্রশ্ন ছিল, শূন্য থেকে যদি মহাবিশ্ব তৈরী হয় পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র মেনে, এবং এটা হকিং প্রথম বারের মতো প্রমাণ করেছেন, তাহলে এই সূত্র গুলো কোথায় ছিল? শূণ্যে? নাকি স্বত:স্ফুর্ত ভাবে মহাবিশ্বের মতো সূত্রও এমনি করে তৈরী হয়েছে? ঘোড়ার আগে তাহলে গাড়িটা জুটলো কি করে?
১ম এর জবাবে আপনি বলেছেন, গাণিতিক ভাবে প্রমান করা সম্ভব নিয়মগুলো
এম্নিতে তৈরী হওয়া সম্ভব। আবার গুথের মডেল টেনে বলছেন একাধিক মহাবিশ্ব থাকা সম্ভব…… তাহলে কি এই নিয়ম গুলো অন্য কোন মহাবিশ্বে তৈরী হবার কোন সম্ভাবনা আছে? আবার বলছেন বিজ্ঞান এর নিয়ম গুলো ধ্রুব নয়। তাহলে কি করে বলবেন যে অন্য মহাবিশ্বের অন্য কোন বুদ্ধিমান সত্তা গাণিতিক ভাবে প্রমান করেনি যে নিশ্চিত কার্যকারণ ছাড়া কোন তত্তের উদ্ভব সম্ভব নয় এবং তারা আমাদের বোকামি দেখে হাসছে না? আর পদার্থের সূত্রগুলো যদি তাদের ব্যবহার জনিত নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করে, তাহলে ইচ্ছা করলেই কেন যে কোন পদার্থ দিয়ে যা ইচ্ছা করা যায় না। মডেল এর ব্যপারটা কি পদার্থের ব্যবহারকে ব্যতিরেখেই সম্ভব? তাহলে, সার্কিট তৈরীতে যে পদার্থ ব্যবহার করি, তা কেন কালি তৈরীতে ব্যবহার সম্ভব নয়? নিউট্রিনো তারকা যে পদার্থ দিয়ে তৈরী, তা দিয়ে কেন কম্পিটারের হার্ডডিস্ক বানানো যায় না? লোহা দিয়ে কেন পারমানবিক বোমা বা চুল্লি বানানো যায় না? ডিএনএ গঠনে দায়ী পদার্থদিয়ে কেন জেট বিমানের ইঞ্জিন বানানো হয় না? এমন একটা মডেল দেখান যার জন্য পদার্থের চরিত্রগত বিধি নির্ণয় কারী কারণ সমূহকে বিবেচনায় আনা হয় না।
২য় প্রশ্নের জবাবে গুথকে আবারো টেনে আনলেন। আমি বললাম কি করে তারা তাদের চরিত্র পরিবর্তন করলো? কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনে ঘটনাটা কারো অজানা নয়। কিন্তু আমার প্রশ্ন ছিলো, কেন এঘটা অনন্য? কেন এক ঘটনা বার বার ঘটেনা? আর ফ্লাকচুয়েশনের শুরু থেকে তার স্ফীতি এবং পরিপূর্ণতা সবই কি একটা পরিকল্পনার অংশ নয়? (পূর্বেই এর হিন্টস দেয়া আছে)। স্ফীতির পূর্বে ফ্লাকচুয়েশন বা ফ্লাকচুয়েশনের পূর্বে সেই আদি ঘনত্বের বিন্দুতে স্ফীতি কেন হলো না? আমি এটাই জানতে চেয়েছিলাম।
৩য় প্রশ্নের জবাবটি প্রেক্ষিতে বলা যায়, হ্যাঁ। ইনফ্লেশনারী থিওরি বলে কিভাবে এই বিধি সমূহ তৈরী হয়েছে এবং স্থিতি লাভ করেছে। আমার মনে হয় এর চেয়ে এডুয়ার্ড এর ডিজিটাল ফিজিক্স বেশি বাস্তব ধর্মী। কিন্তু কোথায় এবং কেন, এর জবাব পরিস্কার হয়নি।
৪র্থ প্রশ্ন ছিল, কার্যকারণ ছাড়া কোন কিছু এমনিতে সৃষ্টি হচ্ছে এবং তা গাণিতিকভাবে বিন্যাসের সাধারণ নিয়ম মেনে চলছে, এমন একটি উদাহরন দিলে ভালো হয় ।
আমি জানতে চাইলাম সৃষ্টির উদাহরণ, আর আপনি দিলেন ধ্বংসের উদাহরণ? কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন কি এমনিতে সৃষ্টি হওয়া ‘বস্তু’ নাকি কোন কিছু সৃষ্টির জন্য এটা ঘটে থাকে? আর কোয়ান্টাম না হলে সেখানে ফ্লাকচুয়েশনের প্রশ্ন আসবে কেন?
আবার বললেন, আণবিক পরিবৃত্তি। আরে বাবা যেখানে আমি ‘বুঝিই না’ অনুটা আসলো কোন স্বত:স্ফুর্ত পদ্ধতিতে আর সেখানে আপনি বলছেন এর পরিবৃত্তি! আর এটা কিসের উদাহরণ দিলেন? তেজস্ক্রিয়তা! বলেন দেখি এর ফলে কয়টা মৌল সৃষ্ট হয়েছে(একে বারে নতুন) আর এর ফলে রুপান্তরিত হয়ে কয়টা মৌল তৈরী হয়েছে?
যাই হোক। আপনাদের সাথে গত ৪৯ ঘন্টা আমার খারাপ কাটেনি। এর প্রেক্ষতে বলছি,
১. অভিজিৎ সাহেব। আপনি বুদ্ধিমান। কেন নিজেই স্ববিরোধিতার জালে আবদ্ধ হচ্ছেন। এতে না আছে কল্যান আর না আছে মুক্তি। কেন অন্ধকারে সাতাঁর কেটে আলোর অস্তিত্বকে অস্বীকার করবেন। আসুন আলোর পথে। কল্যানের পথে। চির মুক্তির পথে।
২. একবার কি নিজেকে জিজ্ঞেস করা যায় না, আমি কে?
৩. আমার অবস্থান পদার্থবিদ্যার জগৎ থেকে অনেক দূরে। আমি এখানে নাক গলাতাম না যদি না হকিং তার জগৎ থেকে অন্য জগতের সিদ্ধান্ত দিতেন এবং তা নিয়ে আপনারা মাতামাতি করতেন।
৪. আপনাদের সাথে আমার কখনই মতের মিল হবে না বা আপনাদের নীতি-মালাকে আমি কখনই মেনে নিতে পারবো না। তবু বলছি, আপাদের সাইটটা সুন্দর, আকর্ষনীয়। এখানে এমন কিছু মানুষ আছে যারা সত্যিই জানতে চায় এবং জ্ঞানের চর্চা করে।
৫. রেটিং এর ব্যাপারটা ভাল(?) করেছেন। তার উদাহরণ আমার লেখার আধাঘন্টার মধ্যে পজিটিভ ৭ আর নেগেটিভ ১ যেখানে আমার একটা। আমার একটা সহ। কিন্তু দু’দিন পরে আজ ঢুকে দেখলাম পজিটিভ ৮ আর নেগেটিভ ৯!!!!! এটা বোধহয় উন্মুক্ত রেটিং বন্ধের পরেই হয়েছে।
৬. যত খুশি আমাকে মন্তব্য, রেটিং দিতে পারেন আমি মাইন্ড করবো না। কারন এখানে প্রবেশের হয়তো আর সুযোগ হবে না।
সবাইকে ধন্যবাদ আর পবিত্র ঈদের শুভেচ্ছ।
৭. অবশেষে,
…উহারা প্রচার করুক হিংসা বিদ্বেষ আর নিন্দাবাদ
আমরা বলিব “সাম্য, শান্তি, এক আল্লাহ জিন্দাবাদ”।
…………………………………………….
ওরা বলে, হবে নাস্তিক সব মানুষ, করিবে হানাহানি।
মোরা বলি, হবে আস্তিক, হবে আল্লা-মানুষে জানাজানি।
…………………………………………………….
উহারা চাহুক দাসের জীবন, আমরা শহীদী দর্জা চাই;
নিত্য মৃত্যু-ভীত ওরা, মোরা মৃত্যু কোথায় খুঁজে বেড়াই।
……কাজী নজরুল ইসলাম। (এক আল্লাহ, “জিন্দাবাদ”)
@লজ্জিত হলাম,
ঠিক, সহজ জিনিস প্যাচানোর কোন কারন নাই। এখন একটা সহজ কথার সহজ জবাব পেলে ভালো হয়। আপনার শ্লোগান হলো “এক আল্লাহ, “জিন্দাবাদ”। আপনার বক্তব্য
তা হলে আপনার ধারনা ঘোড়ার আগের গাড়িটা বা সেটার প্রস্তুতকারী হলো আপনার “এক আল্লাহ”। সে আল্লাহকে আপনি নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন আপনার ধর্ম ইসলাম থেকে। তো আমার প্রশ্ন আপনার বর্ণিত ইসলামের “এক আল্লাহ”-ই যে মহাবিশ্ব বানিয়েছে সেটা নিশ্চিত হলেন কি করে? এই মহাবিশ্ব সৃষ্টিকারী তো অন্য কোন ধর্মের অন্য কোন আল্লাহ হতে পারে বা এক আল্লাহ না হয়ে কয়েকজন আল্লাহর মিলিত প্রচেষ্টাও হতে পারে।
@ব্রাইট স্মাইল্, বড়ভাই, আপনার ডায়ালগটা পইড়া বড়ই আনন্দ লাগতেছে। মনে হইতেছে আপনে আল্লায় বিশ্বাস করতেছেন। তা না হইলে আল্লাহর সংখ্যা নিয়া গবেষণা করার খায়েস কেন জাগলো? :laugh: ইসলাম ধর্মের আল্লাহ যে অন্য কোনো ধর্মের খোদা বা গড না এইটা আপনেরে কে কইলো? এইখানে কি আল্লার জাত নিয়া কোনো প্রবলেম, যে ইসলাম ধর্মের আল্লাহ যে সে অন্য ধর্মের গড হইতে পারবে না? আর আল্লার সংখ্যা বেশী হইলে যে কি প্রবলেম সেইটা বুঝার জন্য হিন্দু ধর্মের পুরাণ(বিপ্লবদারে জিগাইলেও চলবো) নাইলে গ্রীক দেবতাদের সম্পর্কে কিঞ্চিত জানলেই আপনে বুঝতে পারবেন ঐ একাধিক সংখ্যক খোদারা কি পরিমাণ মারামারি করে নিজেদের মধ্যে :guli: (মানুষের চাইতেও বেশী) সেই হিসাবে তো মনে কয় যে মুসলমানদের এক খোদাই ভালো। মারামারি বা দ্বিমত করার মতো কোনো অপনেন্ট নাই। :rotfl:
লজ্জিত হলাম ভাইয়ের আল্লাহ আছে বইলাই তিনি এক আল্লাহ জিন্দাবাদ কইতে পারছে, আপনার তো কেউ নাই, এই জন্য কি চুলকায়? 😛
@আজব পাবলিক,
শুধু তা হলে আর কোনই সমস্যা থাকত না। কিন্তু উনি আমাদের গেলানোর চেষ্টা করছেন। আর আমরা তো সেক্ষেত্রে প্রমান চাবই। আর যদি তা দিতে না পারেন তাহলে বলব নিজের বিশ্বাসের বিষ্ঠার গন্ধ এখানে না ছড়ানোই ভাল। হয়রান মোল্লাদের সাইটে যান। ওখানে অনেক মুরিদ পাবেন, আপনাদের থেকে বড় পীড় আলেমরাও থাকবেন আশা করি আপনাদের ঈমান মজবুত করার জন্য। এখানে এসে চুলকাচুলকি না করাই ভাল কারন এখানে ব্যক্তিগত বিশ্বাসের কোন মূল্য দেয়া হয়না।
@আজব পাবলিক,
আপনাদেরকে আনন্দ দান করবার উদ্দেশ্যেই আল্লাহর সংখ্যা নিয়া গবেষণা করার খায়েস জাগলো। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে আপনার আশা পুরন হবার কোন কারন এই পর্য্যন্ত খুঁজে পাওয়া গেলোনা। 🙁
ঠিক আছে তা হলে বলতে হয়, ইসলাম ধর্মের আল্লাহ যেমন অন্য ধর্মের খোদা বা গড, অন্য যে কোনো ধর্মের খোদা বা গডই ইসলাম ধর্মের আল্লাহ। মানলাম। তাই যদি হয়, অন্য ধর্মের গড যেখানে মুর্তি পুজা করায় খুশী হন সেখানে ইসলাম ধর্মের আল্লাহর কাছে সেটা অপরাধ কেন? :-/
“একাধিক সংখ্যক খোদারা মারামারি করে” এই জন্যই কি ইসলাম একাধিক সংখ্যক খোদাকে এক খোদাতে রুপান্তরিত করে খোদাদের মারামারি বন্ধ করবার চেস্টা চালিয়েছে? আর একাধিক সংখ্যক খোদা পালনকারী ধর্মের “খোদারা” আর ইসলামের “এক খোদা” কি করে এক হয় বুঝতে অক্ষম। নাকি অসংখ্য খোদার লিডারই ইসলামের এক খোদা। 😕
@ব্রাইট স্মাইল্,
:lotpot: :guli: :guli:
@লজ্জিত হলাম,ছালামুন আলাইকুম। মুগ্ধ হলাম , আপনার মন্তব্য গুলো পড়ে। :clap2:
আমার সাথে যদি একটু যোগাযোগ করেন তো খুব খুশি হব। আমার ইমেইল- [email protected]
@ফারুক, আপনি প্রায়ই মুক্তমনায় মন্তব্য করেন, তাই আপনার মুগ্ধতাটা নিয়ে একটা ছোট্ট উপদেশ না দিয়ে পারছি না। আপনি যার মন্তব্যে চোখ বন্ধ করে লাফ দিয়ে এসে এমন মুগ্ধ হয়ে গেলেন তার লেজ তুলে দৌড় দেওয়ার নমুনাটা একটা খাতায় নোট করে রাখেন, ভবিষ্যতে হয়তো কাজে লাগবে। মুগ্ধ হয়ে গলে গলে পড়ার আগে এই ধরণের হাস্যকর ক্লাউন মার্কা লজ্জিত হওয়াদের জ্ঞানের পরিমাপটা করে নিয়েন, তা তে করে হয়তো এভাবে পাব্লিকলি সবার সামনে হাসির খোরাক হওয়া থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারবেন। বিবর্তন বিষয়ে ওনার জোকের তেল বিক্রেতাদের মত জ্ঞানের বহরটা দেখেছেন বোধ হয়। হাই স্কুলের বায়োলজির ছাত্রদের সমান জ্ঞান পর্যন্ত নেই, এখানে এসেছেন গলাবাজি করতে। আপনার সাথে যোগাযোগ হয়েছে নিশ্চয়ি এতদিনে, ওনাকে কিছু হাইস্কুলের পাঠ্যবই রেকমেন্ড করতে পারেন। ধার্মিক হলেই অজ্ঞ হতে হবে এমন তো কোন নিয়ম নেই, দ্বিমত করবেন, বিতর্ক করবেন ভালো কথা, কিন্তু পৃথিবীর জ্ঞান বিজ্ঞান সম্পর্কে নূন্যতম জ্ঞানটাও থাকবে না সেটা তো গ্রহণযোগ্য হতে পারে না ।
@ফাহিম রেজা, Great men think alike.
ধন্যবাদ উপদেশের জন্য। আপনার মতো বিজ্ঞ নই বলেই আপনার সাথে আমার চিন্তার মিল নেই। আমি মুগ্ধ হয়েছি এই মন্তব্যে। কে এই মন্তব্য করেছে সেটা বিবেচ্য ছিল না , যখন আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম। আমার মুগ্ধ হওয়ার স্বাধীনতা আছে , এটা নিশ্চয় স্বীকার করবেন!!
ভাল থাকুন , শান্তিতে থাকুন।
@লজ্জিত হলাম,
হকিন্স সাহেব বৈজ্ঞানিক গবেষনার মাধ্যমে অন্য জগতের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তাতে দোষ হয়ে গেল আর আপনি যে সিদ্ধান্ত দিলেন এক আল্লাহ জিন্দাবাদ এটা অন্য জগতের সিদ্ধান্ত হয়নি? এতে দোষ হয় না? ভাইসাহেব এত লজ্জিত হওয়ার কি আছে? আপনি কি আপনাার আল্লাহর অস্তিত্ব প্রমান করতে পেরেছেন? এ সম্পর্কিত কোন গানিতিক এবং ব্যবহারিক প্রমান কি আপনি আবিস্কার করতে পেরেছেন? বৈজ্ঞানিক প্রমান সম্বলিত কোন পেপার পিয়ার রিভিউড হয়ে কোন বজ্ঞৈানিক জার্নালে কি কখনও প্রকাশিত হয়েছে? আপনি তাহলে কিভাবে জানলেন আপনার আল্লাহ(ইসলামের আল্লাহ) আছে? আপনি এ সব প্রমান না দিয়েই ঘোষনা দিয়ে দিচ্ছেন আপনার আল্লার অস্তিত্ব!! ভাইসাব আপনি কি অন্য জগত নিয়ে সিদ্ধান্ত দিয়ে দিচ্ছেন না জাস্ট শুধু আং সাং বকেই?
যাই হোক একটু আগেই আপনাকে আপনার একটা স্ববিরোধীতা চোখে আংুল দিয়ে দেখিয়ে দিলাম। তারপরও মানছি আপনি অনেক জানেন। পদার্থবিজ্ঞানে আপনার অসীম জ্ঞান। তা আপনার কোন থিওরী বা কোন জার্নালে পাবলিশড পেপার আছে কি? থাকলে একটু দিবেন যাতে আমি আপনার আল্লাহর অস্তিত্বের প্রমান পাই। আপনার অবগতির জন্য বলছি যে সৃস্টিকর্তা জাতীয় কোন শব্দের সাথে আমার কোন পরিচয় নাই। আমি জানিনা ঐ বস্তু কি? আমাকে দয়া করে সুনির্দিস্ট সংগা আর তার ব্যাবহারিক প্রমান সহ বুঝিয়ে দিবেন যে আল্লাহ কাাকে বলে কি তার গুনাগুন। আপনি নিশ্চয়ই জানেন নতুন কোন টার্ম সম্পর্কে শুধুমাত্র যে অবতারনা করেন সেই জানেন, বাকিদের জানার প্রশ্ন আসেনা। এই কারনে আমি আপনার মুখ থেকে আল্লাহর কথা প্রথম জানতে পারলাম। এবার আমাকে প্রমান দিন।
বিশ্বের তাবত বড় বড় বিজ্ঞানীরা বলছেন এক কথা আর আপনি আইসা কি সব বলা শুরু করছেন!! আপনি কি বলেন? ঐ সব প্রথিতযশা বিজ্ঞানীর চেয়ে আপনার কাছ থেকে পদার্থবিজ্ঞান শেখা উচিত? :lotpot: আপনাকে একটা সহজ কথা বলি। আপনি একটা জিনিস না বুঝলেই তো আর সেটা ভূল হয়ে যাবেনা। আকাশ মালিক ভাইয়ের মত করে বলি- পুকুর পাড়ে কোরবানীর জবাইয়ের জন্য অপেক্ষা করতে করতে উদাস নয়নে আকাশের চাদের দিকে তাকিয়ে কাঠাল পাতা চিবানো ছাগলটিও জানেনা, বোঝেনা যে কাল তার কোরবানী হবে। তাই বলে কোরবানী তো আর না হয়ে থাকেনা কি বলেন?
আপনি নিজেই বলেছেন পদার্থবিজ্ঞান থেকে আপনি বহু দূরে। তা আপনার কি মনে হয় না এ বিষয়ে মন্তব্য করার জন্য আগে কিছু জেনে আসা প্রয়োজন। ও আচ্ছা আপনি তো তা মনে করেন না। আপনি তো মনে করেন বর্তমান বিজ্ঞানীরা সব আবুল আর পেইড এজেন্ট। নইলে কেমনে যে হকিন্স এইরকম বলদের মতন একটা কথা কইয়া ফেলল!! ভূল হইছে হকিন্সের। আগে আপনারে দিয়া পিয়ার রিভিউড করাইয়া নেয়া লাগত :rotfl:
পদার্থবিজ্ঞানের সূত্রগুলো কারো থেকে উদ্ভুত হতে হবে কেন? কেন এটা স্বয়ম্ভু হতে পারেনা? যদি এর উদ্ভুত হতে আপনার আল্লার প্রয়োজন হয় তবে আল্লাহ কোথা হতে কেন কার জন্য কখন কোথায় কিভাবে উদ্ভুত হলেন? আর যদি বলেন আল্লাহ স্বয়ম্ভু তবে পদার্থবিজ্ঞানের সূত্রগুলো কেন স্বয়ম্ভু হতে পারবে না? স্পস্ট জবাব দিবেন আশা করি। না পারলে আমি বলব- আপনার আল্লার প্রচারের অধীকার আপনাকে কে দিয়েছে?
আর যে আল্লাহকে জিন্দাবাদ বলছেন সেই আল্লার লেখা বই কোরানের পাতায় পাতায় অজস্র ভুল আর অমানবিক ক্রিয়াকলাপ নিয়ে বহু আলোচনা এই মুক্তমনাতে হয়েছে। ওগুুলো নিয়ে আর না বলি এখানে। কারন সেটা প্রাসং্গিক নয়। আপনাকে আমি শুুধুু বলব একটা জার্নালের রেফারেন্স দিন যেখানে বিজ্ঞানিরা কোরানের আল্লার পক্ষে প্রমান পেষ করেছেন বা আল্লাকে বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত বলেছেন। আপনি জ্ঞানের শেষ নেই বলতে চাচ্ছেন। তাহলে ভাই কেন বার বার আল্লাহতে এসে সমর্পিত হচ্ছেন? এটা কি আপনার অজ্ঞানতাকে আল্লার ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া নয়? আপনি অপার্থিব জামান, অভিজিত রায় এনাদেরকে বলছেন স্ববিরোধীতায় ভরপুর আর আপনি তাহলে কি? আপনার কথার লাইনে লাইনে আমি স্ববিরোধীতা দেখিয়ে দিলাম। আর আপনাকে দেখে আরও বুঝলাম পদার্থ বিজ্ঞান নিয়ে জানতে প্রথিতযশা পদার্থবিজ্ঞানীদের রেফারেন্সের বিকল্প নেই। না হলে তা অপজ্ঞানে পরিনত হয়।
ভাল থাকবেন।
@লজ্জিত হলাম, এই ব্যাপারে কিন্তু আমরা চোখবন্ধ করে মতৈক্যে পৌছতে পারি যে- বাংলা ব্লগস্ফিয়ারে এইটাই আপনার প্রথম পদার্পন নয়। ইতর-বিতর চতুর্দিকে আপনার বিচরণ রয়েছে, এবং আমার মতো অন্যান্য যাদেরও কিনা এদিক-সেদিক বিভিন্ন বাংলা ব্লগগুলোতে বিচরণ রয়েছে তারা আপনাকে আগেও দেখেছে। এই নতুন নেওয়া ‘লজ্জিত হলাম’ নামে হয়তো দেখেনি, তবে অন্য কোন নামে দেখেছে। আপনার কাছে আমার প্রথম প্রশ্নই হবে, মুক্তমনায় আলোচনাতে নামার আগে আপনাকে একটা মুখোশ পড়ে নামতে হলো কেনো? আমার একটা হাইপথেসিসও আছে কি এর কারণ এই ব্যাপারে, সেটা হলো- আপনি চেহারা লুকিয়ে এসেছেন কেননা আপনি জানেন আপনার আগের নামটি মুক্তমনায় উচ্চারিত হলে মানুষ হাসতে হাসতেই আপনাকে রিজেক্ট করবে। ব্লগবিখ্যাত পাগল-ছাগল হিসেবে আপনার যে খ্যাতি রয়েছে এটা বুঝার জন্য আইনষ্টাইন হতে হয় না। যাই হোক দেখা যাচ্ছে বিবর্তন আপনার একেবারেই ভালো লাগে না। আপনার সবগুল মন্তব্য অয়ামি পড়িনি, পেইনফুল জিনিষপত্র পড়তে আমার ভালো লাগে না। আর যত্রতত্র পাগল-ছাগল নিয়ে সমারোহ করাটাও আমি আমার ব্যক্তিত্বের জন্য ক্ষতিকর মনে করি। তারপরও আপনাকে উত্তর করছি কেননা একজন মুক্তমনা সদস্য হিসেবে পাগল-ছাগলের উপদ্রব বাড়লে দুই-একটা কটু কথা বলে দেওয়াটাকে নিজের দায়িত্ব মনে করি আমি।
[img]http://www.flickr.com/photos/49962850@N08/4973887993/[/img]
দেখা যাচ্ছে বিবর্তন আপনার একেবারেই ভালো লাগে না। যদিও একটি বায়োকেমিস্ট্রি টেক্সটবুক লেখকের কিছুটা ভালো লাগে। কনই সন্দেহ নাই বিবর্তন কি তাকে আপনি তা ব্যাখ্যা করতে বললে লেজ গুটিয়ে পালাবে, সম্ভবত বোমার ভয়ে। আর এখানেও দেখতে পারেন এই রকম আরও কিছু বইয়ের স্ক্রীনশট যারা সকলেই কিনা এনসিবিয়াই নিবন্ধিত পাঠ্যপুস্তক, পিয়ার রিভিউড এবং যেইসব ব্যাপারে তারা কথা বলেছে এর প্রত্যেকটি কথা অ্যাকাডেমিয়াতে অথারেটিভ। আপনার মতোই অন্য একটি জার্ককে আপনার মতোই একটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য ঐ মন্তব্য আমি করেছিলাম। আমি জানি এখন আপনি কি বলবেন। আপনি এখন যুক্তি দেখাবেন কেনো এইসকল বিজ্ঞানীদের কথার কোন মূ্ল্য নেই, কেনো বিজ্ঞানীরা কিচ্ছু জানে না ও পারে না। কেনো এদের সকলের সম্মিলিত জ্ঞানের চেয়ে আপনার জ্ঞান কয়েক অর্ডার অফ ম্যাগ্নিচিউড বেশী। আপনাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় কেনো আপনার কথা এইসকল সমস্ত হাইলি প্রডাক্টিভ নোবেল-জইয়ী বিজ্ঞানীদের চেয়েও বেশী, কি আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা? আপনি বলবেন আপনি আক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে জিববিদ্যা পড়ান। আপনার যদি মনে হয়ে থাকে কোনভাবে এই ধরণের জার্ক মুক্তমনায় আপনি প্রথম, তাহলে আপনার অনুমান ভুল। আপনার মতো জার্কেরা মাস দুয়েকেই একটা করে আসে যায়। নিজেকে সার্কাসের সং প্রমান করার মধ্যে কোন যোগ্যতা নেই। আপনার কি মনে হয় মুক্তমনার অন্তত কিছু সদস্য এটা অনুধাবন করার জন্য যথেষ্ট বুদ্ধিপ্রাপ্ত যে আপনি যা করতে চাচ্ছেন তা হচ্ছে না। নিজেকে সকলের উপর স্মার্ট প্রমানিত করতে যেয়ে নিজেকে যে একটা সার্কাসের সং হিসেবে প্রমান করেই আপনি লোক হাসিয়ে দিয়েছেন। আর যতোবড় মুখ নয় ততোবড় কথা বলবেন না প্লিজ। এটা মানুষকে রাগান্বি্ত করে। বেশীরভাগ ইসলামিস্টই একটি সুসভ্য সম্মেলনস্থলে নিজে যে নিছকই আরেকটি পাগল-ছাগল এই সত্য মেনে নিয়ে চলে। আপনার দেখা যাচ্ছে নিজেকে পাগল-ছাগল হিসেবে স্বীকার করে নিতেও আপত্তি রয়েছে, যেটা কিনা আপত্তিজনক।
অন্য মানুষ বিবর্তন সম্পর্কে কতোটুকু পড়েছে সেটা নির্ধারণ করার আগে আপনি আপনাকে প্রশ্ন করুন আপনি নিজে বিবর্তন কতোতুকু পড়েছেন? বা পড়াশুনাই আপনি কতোটুকু করেছেন সেটাও ভাবুন। প্রাণ কিভাবে অবির্ভুত ও বিকশিত হলো এই ব্যাপারে শত শত বিজ্ঞানী ও একাডেমিক যারা কিনা আপনার চেয়ে কয়েক অর্ডার অফ ম্যাগ্নিচিউড বেশী বুদ্ধিমত্তা ধারণ করে তাদের গবেষণাকর্ম আপনার পছন্দ হয় না। আপনার তাহলে পছন্দ হয়টা কি? আপনার পছন্দ হয়- আল্লা একেবারে শুরুতে ‘চিচিং ফাক’ মন্ত্র পড়ে প্রাণ সৃষ্টি করেন!!! আপনি এটা চোখ বন্ধ করে কিনতে পারেন, কিন্তু একজন বুদ্ধিমান মানুষ জীবনে যে কিনা দুই একটি বই পত্র তুলে নেড়েচেড়েছেন তিনি কেনো কিনবেন? আমি জানি খুব সম্ভবত এখন আর আপনাকে খুঁজে পাওয়া যাবে না, আপনি আলোচনা শেষ মনে করে অন্যদিকে মনোনিবেশ করবেন। যেমন এটিও কিনা আমরা জানি যে- এই মুহুর্তে এই পোস্ট আপনি পড়ছেন, আপনার মন্তব্যের উত্তরে অন্যান্যরা কি মন্তব্য করছে তা দেখার জন্য দিনে ডজনখানেকবার এই থ্রেডে ঢুকছেন। আপনাকে আমি উপদেশ দিবো, পৃথিবীর অন্যান্য সকল মানুষকে বোকার হদ্দ ঠাওরে নিয়ে নিজেকে সবার উপরে এবং জাস্ট আল্লার পরে সবচেয়ে বেশি বুদ্ধিমান হিসেবে ঠাওরে নিয়ে বসে না থাকতে। আর আমার প্রশ্ন কিন্তু আপনার কাছে থেকেই যাচ্ছে- কেনো পৃথিবীর স্বর্ণোজ্বল ট্রাকরেকর্ডধারী সকল সাইন্টিস্ট ও অ্যাকাডেমিকের থেকে আপনার বক্তব্য বেশী গ্রহনযোগ্য বলে আপনি মনে করেন, কি শিক্ষাগত যোগ্যতা আপনার রয়েছে।
@আল্লাচালাইনা, আমি ছবি এমবেড করতে পারছি না। এই ঠিকানায় গিয়ে দেখে নিন। http://www.flickr.com/photos/49962850@N08/4973887993/
দ্বিমত: ২-বিবেচনা
দিৱ১. প্রমিত বিশ্বচিত্র এখন পর্যন্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ পর্যবেক্ষণলদ্ধ তথ্যের ব্যাখ্যা দিতে সক্ষম এবং এর চেয়ে ভালো কোনো বিশ্বচিত্র আমাদের জানা নেই।……নিত্য নতুন ধারনা আসবেই এবং প্রমান মডেলের সংশোধনও আনতে হবে।…….ছায়াপথ এবং তাদের স্তবক ঠিক কিভাবে তৈরি তা সুনির্দিষ্টভাবে আমরা জানি না। কয়েকটি প্রস্তাবিত মডেল রয়েছে এবং প্রত্যেকের রয়েছে নিজস্ব সুবিধা-অসুবিধা।……….বিশ্বের আদি ব্যতিক্রমী বিন্দুতে সব জ্ঞাত ভৌতবিধিগুলি ভেঙ্গে পড়ে। এর একটা সহজ কারণ হচ্ছে: মহাবিস্ফোরণের ‘আগে কি ঘটেছিল’ তার সম্পর্কে কোনো তথ্যই এটি দিতে পারে না। ( জোত্যি:পদার্থবিজ্ঞান পরিচিতি, ফারসিম মান্নান, পৃষ্ঠা ৮) আমরা বিশ্বাস করি হকিং এর প্রস্তাব অন্য যে কারো থেকে বেশি গ্রহন যোগ্য কিন্তু শেষ কথা নয়।
২. আসলে কেবল পর্যবেক্ষননির্ভর তথ্য থেকে একটি সম্পূর্ণ বোধগম্য চিত্ররুপ খাড়াঁ করা যায় না-অন্তত বিজ্ঞানের একটি বিকশিত শাখার জন্য তো নয়ই।………যেমন পর্যবেক্ষণলদ্ধ তথ্য থেকে কখনই কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞান এবং তার প্রত্যক্ষ ফল কঠিনাবস্থার পদার্থবিজ্ঞান সম্ভব হতো না। বিশেষ করে কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞানে অপারেটর ও স্টেট ভেক্টরদের নীতিগতভাবে কখনোই দেখা সম্ভব নয়। এরা কি কেবল গাণিতিক হিসাবের সুবিধার্তে তৈরি, নাকি এদের কোনো ভৌত বাস্তবতা আছে তা নিয়ে এখনো সন্দেহের নিরসন ঘটেনি।……….বিশ্বসৃষ্টিতত্ত্ব আজ বিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ, পুর্ণ বিকশিত শাখা এবং এ ধরনের বিকশি কাঠামোতে বিস্ময়কর ঘটনা কিঞ্চতৎ কমই ঘটে এবং সেটাই কাম্য। (ঐ, পৃষ্ঠ ৭) আশা করি এর কেন উল্লেখ করলাম বুঝতে পেরেছেন।
৩. স্থিতিবস্থার তত্ত্ব, গোডেল বিশ্ব, নাট বিশ্ব, প্লাজমা বিশ্বচিত্র, ফ্রাকটাল বিশ্ব, কোয়ান্টাম বিশ্ব, এবং ডিজিটাল পদার্থবিজ্ঞানের প্রবক্তা এডুয়ার্ড ফ্রাঙ্ককিন এর ইনফরমেশন বেইস্ড ইউনিভার্স তত্ত্ব, এসব কি গাণিতিক ভাবে প্রমাণিত নয়? তাহলে কেন বাস্তবতার সাপেক্ষে এদের বেশিরভাগকে বাতিল হতে হলো? কে বলবে যে হকিং এর প্রস্তাবও এদের পরিণতি বরণ করবে না?
৪. “……..কাজেই যারা বিজ্ঞান চর্চা করে তারা ধরেই নিয়েছে আমরা যখন বিজ্ঞান দিয়ে পুরো প্রকৃতিটাকে বুঝে ফেলব তখন আমরা সবসময় সবকিছু সঠিক ভাবে ব্যাখ্যা করতে পারবো। যদি কখনো দেখি কোনো-একটা-কিছু ব্যাখ্যা করতে পারছি না তখন বুঝতে হবে এর পিছনের বিজ্ঞানটা তখনো যানা হয়নি, যখন জানা হবে তখন সেটা চমৎকারভাবে ব্যাখ্যা করতে পারব। এক কথায় বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা বা ভবিষ্যদ্বাণী সবসময়েই নিখুঁত এবং সুনিশ্চত।……….কোয়ান্টাম মেকানিক্স বিজ্ঞানের এই ধারনাটাকে পুরোপুরি পাল্টে দিয়েছে। বিজ্ঞানীরা সবিস্ময়ে আবিষ্কার করেছেন যে, প্রকৃতি আসলে কখনোই সবকিছু জানতে দেবে না, সে তার ভেতরের কিছু-কিছু জিনিস মানুষের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখে। মানুষ কখনোই সেটা জানতে পারবে না- সবচেয়ে চমকপ্রদ ব্যাপার হচ্ছে এটা কিন্তু বিজ্ঞানের অক্ষমতা বা অসম্পুর্ণতা নয়। এটাই হচ্ছে বিজ্ঞান। বিজ্ঞানীরা একটা পর্যায়ে গিয়ে কখনোই আর জোর গলায় বলবেন না ‘হবে’ তারা মাথা নেড়ে বলেন, ‘হতে পারে’।………(কোয়ান্টাম মেকানিক্স: মুহম্মদ জাফর ইকবাল, পৃষ্ঠা ১০)। এই যদি হয় অবস্থা তাহলে কি করে আপনারা হকিং এর একটা প্রস্তাবকে চুড়ান্ত ধরে নিলেন? আর যখন প্রকৃতিকেই পুরোপুরি জানা সম্ভন নয়, তখন প্রকৃতির স্রষ্টার দাবিদার কোন সত্তাকে কি করে জানা সম্ভব হবে? স্রষ্টা যদি কখনোই সেটা তার সৃষ্টিকে জানতে না দেয় তাহলে কেন আমরা বলবো এটা বিশ্বাসীদের বা মানুষের অক্ষমতা? এটাই তো বিশ্বাসের চমৎকারিত্ব।
৫. ফার্মিওন ( প্রথম প্রজন্ম, দ্বিতীয় প্রজন্ম, তৃতীয় প্রজন্ম) এবং বোজন আর তাদের শ্রেণীবদ্ধ কোয়ার্ক আর লেপটন ব্যবহার করে পদার্থবিজ্ঞানের যে-মডেল দিয়ে প্রকৃতিকে (লেখকের ভাষায় মহাবিশ্ব) ব্যাখ্যা করা হয়, সেটাকে বলা হয় স্ট্যান্ডার্ড মডেল। যে কণাগুলো দেখানো (এখানে উল্লেখ করা হয়েছে) তাদের ভর নির্ধারণ করার জন্য হিগস বোজন নামে আরও একটি বোজনের অস্তিত্ব অনুমান করা হয়েছে- তবে প্রকৃতিতে আসলেই সেটা আছে কি নেই এখনো কেউ যানে না। ( ঐ, পৃষ্ঠা ৮৫) …..মহাবিশ্বের গঠনগত পদার্থসমূহের ভর নির্ণয়ের জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে একট কাল্পনিক কণার উপর। তাহলে, যদি বলা হয় এই মহাবিশ্বের সৃষ্টির প্রারম্ভিক অবস্থা জানার জন্য বা ব্যাখ্যা করার জন্য তো তাদের গঠনগত উপাদান সমূহের ভর জানা একান্ত দরকার। আর তার জন্যও নির্ভর করতে হচ্ছে একটা কল্পার উপর তাও প্রমান করা হয়েছে গনিত দিয়ে ! এটা বিজ্ঞানের ব্যর্থতা নয়। এমন সময় আসবে যখন সত্যিই হিগস বোজেনের অস্তিত্ব আমরা জানবো। তাহলে স্রষ্টা জন্ম কে দিল এটা জানার জন্য এত তাড়া কিসের?
৬. “………একটি প্রবন্ধে হকিং আশা করেছেন ঐক্যবদ্ধ তত্ত্ব আবিষ্কার হলে মানুষ মহাবিশ্বের উপর প্রভুত্ব স্থাপন করতে পারবে। অপরের উপর করতে মানুষ ভালবাসে। এমনকি ভবিষ্যতে প্রভুত্ব করার সম্ভাবনা কিংবা অতীতে প্রভুত্ব করার স্মৃতিও মানুষকে আনন্দ দান করে। কিন্তু কোন জাতি কিংবা গোষ্ঠীর উপর প্রভুত্ব শুরু হয় আগ্রাসন দিয়ে। দিনের পর দিন সেই প্রভুত্ব বজায় রাখতে হলেও প্রয়োজন হয় দৈনন্দিন আগ্রাসন।
অন্য জায়গায় লেখক (হকিং) একাধিক বার বলেছেন, মানুষের আগ্রাসন প্রবৃত্তি প্রোথিত রয়েছে মানুষের জিনে অথাৎ বংশগতিতে এবং এই আগ্রাসন প্রবৃত্তির অস্তিত্বের ফলেই মনুষ্যজাতির অদূর ভবিষ্যতে পৃথিবী নামক গ্রহ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মানুষে মানুষে দ্বন্ধ, যুদ্ধ-বিগ্রহ, আগ্রাসন ইত্যাদির বিরুদ্ধে অধ্যাপক হকিং বারবার মতপ্রকাশ করেছেন। তাহলে এই স্ব-বিরোধিতার কারণ কি?” ( কৃষ্ণগহ্বর এবং শিশুমহাবিশ্ব ও অন্যান্য রচনা: স্টিফেন হকিং: ভাষান্তর শত্রুজিৎ দাশগুপ্ত: বাউলমন প্রকাশন, কলকাতা, পৃষ্ঠা: আ)
৭. “শ্বেতাঙ্গরা দু-তিন শতাব্দি পৃথিবীর উপর প্রভুত্ব করেছে। এই প্রভুত্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্য তারা এর আগে দু-তিন শতাব্দী পৃথিবীতে লুন্ঠন এবং নরহত্যা চালিয়েছে। নরহত্যা না বলে গণহত্যা……..এই হত্যা কান্ডের কি নামকরণ করা যায়? মহাহত্যা? মহামহাহত্যা?………এই ব্যাপারে গুরুত্বের দিক দিয়ে শ্বেতাঙ্গেরদের ভিতর ইংরেজ জাতিই সবচাইতে উল্লেখযোগ্য এবং তাদের ভিতরে উল্লেখযোগ্য উচ্চশ্রেণী। অধ্যাপক হকিং এর আত্মজীবনীমূলক প্রবন্ধে দেখা যায়, তারঁ জন্ম ইংরেজ উচ্চ শ্রেণীতে এবং ঐ শ্রেণীতেই তিনি লালিত।……শ্বেতাঙ্গ উচ্চশ্রেণীর মানুষদের মতো প্রভুত্বের এই আকাঙ্খা কি অধ্যাপক হকিং-এর রক্তেও জন্মসূত্রে প্রোথিত? (ঐ,
পৃষ্ঠা: ই)
৮. “…এই বইয়ের প্রবন্ধগুলি লেখা হয়েছে এই বিশ্বাসে যে, মহাবিশ্ব এমন একটি নিয়মে বাঁধা, যে নিয়ম আমরা এখন অংশত বুঝতে পারি এবং অদূর ভবিষ্যতে হয়তো আমরা সম্পূর্ণ বুঝতে পারবো। হতে পারে এ আশা নেহাৎই মরীচিকা। চরম তত্ত্ব হয়তো কিছুই নেই: থাকলে হয়তো সেটা আমরা খুজেঁ পাব না। কিন্তু মানুষের মন সর্ম্পকে হতাশ হওয়ার চাইতে সম্পূর্ণ বোঝার চেষ্টা করা অনেক ভাল। ( ঐ: স্টিফেন হকিং, পৃষ্ঠা ক)………এটা বলা কি সম্ভব নয়, “কোন কিছু সম্পর্কে হতাশ হবার চাইতে তাকে বোঝার চেষ্টা করা”। এটা কি নেহাৎই মন্দ?
৯. “সীমানাহীনতার প্রস্তাবের মহাবিশ্বের ব্যাপারে ঈশ্বরের ভূমিকা বিষয়ে গভীর তাৎপর্য রয়েছে। এখন সাধারণত মেনে নেয়া হয় সুসংজ্ঞিত বিধি অনুসারে মহাবিশ্ব বিবর্তিত হয়। এই বিধিগুলি ঈশ্বরের আদেশে হয়েছে- এটা হতে পারে। কিন্তু তিনি আর আইনভঙ্গ করার জন্য মহাবিশ্বে হস্তক্ষেপ করেন না। তবে আধুনিক কাল পযর্ন্ত এই বিধিগুলি মহাবিশ্বের আরম্ভের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।…………সুতরাং মহাবিশ্বের বর্তমান অবস্থা হবে ঈশ্বরের প্রাথমিক অবস্থা নির্বাচনের ফল।………..যদি সীমানাহীনতার প্রস্থাব নির্ভুল হয় তাহলে কিন্তু পরিস্থিতিটা খুবই পৃথক হবে। সেক্ষেত্রে পদার্থবিদ্যার বিধিগুলো মহাবিশ্বের আরম্ভেও প্রযোজ্য হবে। সুতরাং ঈশ্বরের প্রাথমিক অবস্থা নির্বাচনের স্বাধীনতা থাকবে। তবে নির্বাচনের খুব বেশি কিছু হয়তো থাকতো না, হয়তো খুব অল্পসংখ্যক বিধি থাকত। সে বিধিগুলো নিজের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং আমাদের মতো জটিল জীব সৃষ্টির পথিকৃৎ। সেই জীবেরা প্রশ্ন করতে পারে ঈশ্বরের চরিত্র কিরকম”। ( ঐ, পৃষ্ঠা ৯২) …….হয়তো হকিং সৃষ্টির সময় স্রষ্টার সাথে ছিলেন…..হয়তো স্রষ্টা হকিংকে কোন দৈব বাণী দিয়েছেন…………..হয়তো নির্বাচনের জন্য বিধি অনেক, প্রয়োগ করা হয়েছে কেবল সেগুলো যা চুড়ান্ত ভাবে মানুষ সৃষ্টির জন্য প্রযোজ্য অথবা যেটাই নির্বাচন করা হতো সেটার শেষ হতো এমন মানুষ এর সৃষ্টিতে যারা প্রশ্ন করতে পারে ‘ আর কোন বিধি ছিল না?’ স্ববিরোধিতার কথা নাই বা বললাম। আর স্রষ্টার হস্তক্ষেপ এর ব্যপারে বলা যায়, যিনি মহাবিশ্ব বিবর্তনের জন্য সুসংজ্ঞত বিধি দিয়েছেন, তিনিই তাদের রক্ষণাবেক্ষন করছেন।
১০. “যদি অদ্বিতীয় এক কেতা বিধিই থাকে সেটা শুধামাত্র এক কেতা সমীকরণ। সেই সমীকরণগুলিতে প্রাণসঞ্চার করে কে? কে তা থেকে একটা মহাবিশ্ব সৃষ্টি করে, যে মহাবিশ্ব তারা পরিচালনা করতে পারে? পরম ঐক্যবদ্ধ তত্ত্ব কি এমনই শক্তিশালী যে সে নিজেই নিজের অস্তিত্ব সৃষ্টি করে? যদিও বিজ্ঞান হয়তো মহাবিশ্ব কি করে সৃষ্টি হয়েছে সে সমস্যার সমাধান করতে পারে, কিন্তু এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে না: মহাবিশ্ব অস্তিমান হওয়ার ঝামেলা কেন নিয়েছে? আমিও তার উত্তর জানি না”।
(ঐ, পৃষ্ঠা ৯২-৯৩) লক্ষ্য করুন, হকিং বিজ্ঞানে চিরন্তন নিয়ম হতে এখানে বিচ্যুত হননি। সেই নিয়ত হলো, বিজ্ঞান কেবল জবাব দিবে ‘কি করে হলো’ এবং ‘কেন’ হলো সে জবাব বিজ্ঞানের নয়। অধিবিদ্যার। আর এর পরেও কি কেউ বলবেন, হকিং ঈশ্বরে বিশ্বাস করে না?
১১. “যেহেতু কৃষ্ণগহ্বর থেকে উৎসর্জিতত কণিকাগুলি এমন অঞ্চল হতে আসে, সে সম্পর্কে পর্যবেক্ষকের জ্ঞান অত্যন্ত সীমিত, সেই জন্য……………….তিনি শুধু পারেন কতগুলি কণিকা নির্গত হবে তার সম্ভাব্যতা সম্পর্কে ভবিষ্যত বাণী করতে। সেইজন্য মনে হয় আইনস্টাইন যখন বলেছিলেন ‘ঈশ্বর জুয়া খেলেন না’ তখন ভুল হয়েছিল দ্বিগুণ। কৃষ্ণগহ্বর থেকে উৎসর্জিত কণিকাগুলো বিচার করলে মনে হবে ঈশ্বর শুধুমাত্র জুয়া খেলেন তাই নয়, অনেক সময় তিনি জুয়ার ঘুটিঁ গুলো এমন জায়গায় নিক্ষেপ যে সেগুলিকে আর দেখতে পাওয়া যায় না”।(ঐ, পৃষ্ঠা ১০৫) …..এখানে হয়তো হকিং বলতে চেয়েছেন ঈশ্বর মাঝে মাঝেই এমন হস্তক্ষেপ করেন, যা বুঝা একটু কঠিন।
১২. “……….কিন্তু সত্যিই কি আমরা নিজেদের ভাগ্যবিধাতা? আমরা যা করি সবই কি পূর্ব নির্ধারিত? আগেই ভাগ্যে লেখা ছিল? পূর্বনির্ধারিত ভাগ্যের সপক্ষে যুক্তি ছিল- ঈশ্বর সর্বশক্তিমান এবং কালের অতীত, সুতরাং কি হতে চলেছে ঈশ্বর সেটা জানেন। কিন্তু তাহলে স্বাধীন ইচ্ছা আমাদের কি করে থাকতে পারে? নিজেদের কৃতকর্মের জন্য আমরা কি দায়ী হতে পারি?………..মনে হয় মহাবিশ্ব এবং তার ভিতরকার সবকিছু কালানুসারে কিভাবে বিকাশলাভ করবে সে সম্পর্কে সুসংজ্ঞত বিধি আছে। যদিও আমরা এই সমস্ত বিধির একেবারে নির্ভূল গঠন আবিষ্কার করতে পারিনি…..মহাবিশ্বের প্রাথমিক নক্সা হয়ত ঈশ্বর বেছে নিয়েছিলেন কিংবা হয়ত সেটাও নির্ধারিত হয়েছিল বিজ্ঞানের বিধিগুলো দিয়ে। ….সবকিছু নির্ধারিত নির্ধারিত হবে বিজ্ঞানের বিধিসম্মত বিবর্তনের দ্বারা। সুতরাং আমরা কি করে আমাদের নিজেদের ভাগ্যবিধাতা হব সেটা বোঝা কঠিন।………এমন কোনও মহান ঐক্যবদ্ধ তত্ত্ব আছে যে তত্ত্ব মহাবিশ্বের সব কিছু নির্ধারন করে- এ কল্পনের কতকগুলি সমস্যা সৃষ্টি করে।………….অথচ একটি সমীকরণ কি করে- আমাদের চারপাশে যে জটিলতা এবং খুটিঁনাটি বিশদ বিস্তার দেখতে পাই তার কারণ দেখাতে পারে?……….এই নিয়তিবাদের কারণ সর্বশক্তিমান ঈশ্বর কিংবা বৈজ্ঞানিক বিধি যাই হোক না কেন, তাতে কিছু পার্থক্য হবে না। সত্যিই সব সময় বলা যেতে পারে বিজ্ঞানের বিধিগুলি ঈশ্বরের ইচ্ছার প্রকাশ।……….সমস্তই যদি কোন মূলগত তত্ত্ব দ্বারা নির্ধারিত হয়ে থাকে তাহলে তত্ত্বটি সম্পর্কে আমরা যা বলি সেটাও ওই তত্ত্ব দ্বারাই নির্ধারিত এবং কেন সেগুলি সোজাসুজি ভূল কিংবা অবান্তর না হয়ে সঠিক হবে- এ প্রশ্নে আমার উত্তর ছিল ডারউইনের প্রাকৃতিক নির্বাচন তত্ত্বের দ্বারস্থ হওয়া। যারাঁ বিশ্বে সবদিক সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্ত নেন শুধুমাত্র তাদেঁরই বেচেঁ থাকা এবং বংশ রক্ষা করার সম্ভাবনা।………….সেই জন্য আমরা এই কার্যকর তত্ত্বটি গ্রহন করতে পারি: মানুষ স্বাধীন নিযুক্তক তবে তারা কর্তব্য নির্বাচন করতে পারে।……….প্রবন্ধের শিরোনাম ছিল একটা প্রশ্ন: সবকিছুই কি পূর্বনিধারিত? আমার উত্তর ‘হ্যা’। কিন্তু উত্তরটা ‘না’ হতে পারে কারণ কি পূর্বনির্ধারিত সেটা আমরা কোনদিনই জানতে পারবো না”। (ঐ, পৃষ্ঠা, ১১৭-১২৮)……….একটা কথাই বলবো, ধরে নেয়া হয়েছে স্রষ্টা সর্বশক্তিমান এবং কালের অতীত এবং তিনি জানেন কি হতে চলেছে আর মানুষকি করবে। যদি বলা হয় ‘মানুষের স্বাধীন ইচ্ছায় এবং কতর্ব্য নিধারণে স্রষ্টা হস্তক্ষেপ করেন না বলেই তার চলার জন্য পথনির্দেশ এবং কৃতকর্মের জন্য শাস্তির ব্যবস্থা’ তাহলে কি বেশি বলা হবে?
১৩. “……আমার গবেষনা যা দেখিয়েছে সেটা হলো মহাবিশ্ব কিভাবে শুরু হয়েছিল সেটা ঈশ্বরের ব্যক্তিগত খেয়াল- এ কথা বলার কোনও প্রয়োজন নেই। কিন্তু তবুও আপনার একটা প্রশ্ন থেকে যায়- মহাবিশ্ব অস্তিত্বে ঝামেলা কেন নিল? আপনার পছন্দ হলে আপনি বলতে পারেন এই প্রশ্নর উত্তরই ঈশ্বরের সংজ্ঞা”। (ঐ, পৃষ্ঠা, ১৫৮) …….আমরাও তো সে কথাই বলি। স্রষ্টা এ মহাবিশ্ব খেলাচ্ছলে বানান নি। তিনি একটা নির্দিষ্ট পরিকল্পনার আলোকে এ মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন এবং সেই উদ্দেশ্যেই তা রক্ষণাবেক্ষণ করেন। উত্তর জানতে চান কি সেই পরিকল্পনা? হিন্টস দিচ্ছি। খুজে বের করেন। ‘১৫০০ বছরের এক পুরাতন কিন্তু চির আধুনিক এক গ্রন্থ’।
১৪. “………..এই রকম একটা শুরুর সপক্ষে ছিল এই বোধ যে মহাবিশ্বের অস্তিত্বের জন্য একট “প্রথম কারণ” প্রয়োজন।(মহাবিশ্বের ভিতরে আপনি সব সময়ই একটা ঘটনার ব্যাখ্যা হিসেবে অন্য একটি র্পূবতন ঘটনাকে কারণ হিসাবে উল্লেখ করেন। কিন্তু মহাবিশ্বের নিজের অ্স্তিত্ব ব্যখ্যা করার একমাত্র উপায় হল তারও একটা শুরু আছে এই অনুমান।)………………..তার বদলে তারঁ(অগাস্টিনের) উত্তর ছিল মহাবিশ্বের কাল ঈশ্বরসৃষ্ট। মহাবিশ্বের আরম্ভের আগে কালের অস্তিত্ব ছিল না।……….পরিবর্তনহীন মহাবিশ্বে আরম্ভ এমন একটা জিনিস যা মহাবিশ্ব বর্হিভূত কোনো সত্তা আরোপ করেছে। এই আরম্ভের কোন ভৌত প্রয়োজনীয়তা নেই। কল্পনা করা যেতে পারে আক্ষরিক অর্থে অতীতের যে কোন কালে ঈশ্বর মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন। কিম্বা সৃষ্টি করেছেন বৃহৎ বিস্ফোরনের পরে। কিন্তু এমনভাবে সৃষ্টি করেছেন যেন মনে হয় একটা বৃহৎ বিস্ফোরণ হয়েছিল। তবে বৃহৎ বিস্ফোরনের আগে সৃষ্টি হয়েছিল এ রকম অনুমান করা হবে অর্থহীন। প্রসারমান মহাবিশ্ব স্রষ্টাকে অস্বীকার করে না। কিন্তু সম্ভবত কবে তিনি কাজটি করেছেন তার উপর একটা সময়সীমা আরোপ করে”।( কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস: স্টিফেন ডব্লু. হকিং: অনুবাদ, শত্রুজিৎ দাস গুপ্ত: বাউলমন প্রকাশন, কলকাতা পৃষ্ঠা ২৯-৩০)…………১৫০০ বছরের পুরনো সেই পুস্তকেই কিন্তু বলা আছে যে স্রষ্টা অনস্তিত্ব থেকে মহাবিশ্বকে অস্তিত্বে এনেছেন একটা নির্দিষ্ট সময়ে।
১৫. “….তারা বলবেন ঈশ্বর সর্বশক্তিমান। তিনি ইচ্ছা করলে যেভাবে খুশি মহাবিশ্ব সৃষ্ট করতে পারতেন। তা হতে পারে, কিন্তু সেক্ষেত্রে তিনি মহাবিশ্বকে সম্পূর্ণ সাদৃচ্ছিক পদ্ধতিতে বিকশিত করতে পারতেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, মহাবিশ্বকে তিনি বেশ নিয়মবদ্ধ রূপে কতগুলি বিশেষ বিধি অনুসারে বিকশিত করেছিলেন। সুতরাং মনে হয় প্রারম্ভিক অবস্থার নিয়ামক বিধির অস্তিত্ব অনুমান করাও একই রকম যুক্তিযুক্ত হবে”।(ঐ, পৃষ্ঠা ৩২) ……মনে করি স্রষ্টা ইচ্ছা করলেন তারঁ হাতে থাকা একাধিক বিধি, যার প্রত্যেকটি আমরা যেমন দেখি ঠিক সেভাবে ব্যখ্যা করা সম্ভব, এর মধ্য হতে ইচ্ছা মতো যে কোন একটি নিলেন। হয়তো সেগুলো বর্তমান বিধির মতো নয়, কিন্তু তখনও কি আমরা প্রশ্ন করতাম না, কেন তিনি এ পদ্ধতি নিলেন? তার মানে কি তার ইচ্ছার ব্যাপারে স্বাধীনতা ছিল না? এ প্রশ্নের উত্তর দেয়া সম্ভব শুধু তখন, যখন আমরা স্রষ্টার মন বুঝতে পারবো।
১৬. “……আমাদের এবং মহাবিশ্বের অস্তিত্বের কারণ কি? আমরা যদি এ প্রশ্নের উত্তর খুজেঁ পাই তাহলে সেটাই হবে মানবিক যুক্তির চূড়ান্ত জয়- তার কারণ তখন আমরা জানতে পারবো ঈশ্বরের মন”।(ঐ, পৃষ্ঠা ১৭৮)………..দু’ভাবে দেখা যাক। প্রথমত, বিজ্ঞান কেবল উত্তর দেয় ‘কি ভাবে হলো’ কিন্তু উত্তর দেয় না ‘কেন হলো’। সুতরাং বিজ্ঞান কখনোই বলতে পারবে না আমাদের অস্তিত্বের কারণ। তাহলে কি স্রষ্টার মন বুঝা হবে না? বস্তুকেন্দ্রিক বিজ্ঞান নির্ভর যুক্তির কি তাহলে পরাজয় হবে? দ্বিতীয়ত, যারা স্রষ্টায় বিশ্বাস করে তাদের একটা বৃহৎ অংশ একটা ১৫০০ পুরাতন কিন্তু চির আধুনিক পুস্তকে বিশ্বাস করে। সেটা যুক্তিতে প্রমাণিত হলে ভালো, না হলে নেই। সেখানে বলা আছে আমাদের এবং মহাবিশ্বের অস্তিত্বের কারণ কি। তাহলে কি সেই বিশ্বাসীরাই স্রষ্টার মন বুঝতে পেরেছে? তাহলে কি বিশ্বাসেরই চূড়ান্ত জয় হলো? হয়তোবা।
পরিশিষ্ট:
১. এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে বলছে, জানিস হকিং কতটা সৎ! তিনি বাজিতে হেরে তার একটা পুরনো তত্ত্বকে বাতিল করে দিয়েছেন। তার বদলে নতুন তত্ত্ব দিয়েছেন। আরেক বন্ধু: আরে সেই জন্যই তার নতুন দেয়া মহাবিশ্বের সৃষ্টি সম্পর্কিত তত্ত্ব নিয়ে ভয়ে আছি। ( হা হা হা)
২. হকিং দেখিয়েছেন মহাবিশ্ব সৃষ্টির জন্য স্রষ্টার প্রয়োজন নেই। কারণ সেখানে স্রষ্টার উপস্থিতির কোন প্রমান পান নাই। এটা কোন ল্যাবে কি হাতে-কলমে প্রমাণ করা যাবে? জানি না। আসুন দেখি আমরা এমন কিছু তত্ত্ব দেই, যে গুলো গাণিতিকভাবে, হাতে-কলমে প্রমান করা সম্ভব।
ক. বৃহৎ বিস্ফোরনের জন্য গ্যলিলিওর পড়ন্ত বস্তুর সূত্রের প্রয়োজন নেই।
খ. পড়ন্ত বস্তুর ক্ষেত্রে হকিং রেডিয়েশনের কোন প্রভাব নেই।
গ. হকিং রেডিয়েশনের জন্য নিউটনের তৃতীয় সূত্র প্রয়োজন নেই।
ঘ. নিউটনের তৃতীয় সূত্রের জন্য স্টোকসের সূত্রের প্রয়োজন নেই।
ঙ. স্টোকসের সূত্রের জন্য রামফোর্ড এর সূত্রের প্রয়োজন নেই।
চ. রামফোর্ডের সূত্রের জন্য আপেক্ষিকতার সূত্রের প্রয়োজন নেই।
ছ. আপেক্ষিকতার সূত্রের জন্য হোবলের হাইপোথিসিস প্রয়োজন নেই।
জ. হোবলের প্রমানের জন্য নীলস্ বোরের পরমানু মডেলের প্রয়োজন নেই।
ঝ. বোরের জন্য ডারউইনের তত্ত্বে প্রয়োজন নেই।
ঞ. ডারউইনের জন্য মিলারের তত্ত্ব প্রয়োজন নেই।
ট. মিলারের জন্য গে-লুস্যাকের তত্ত্বের প্রয়োজন নেই।
ঠ. গে-লুস্যাকের জন্য প্রানের আবির্ভাব এর প্রয়োজন নেই।
ড. প্রাণের আবিভার্বের জন্য মানুষের প্রয়োজন নেই।
এভাবে n বারের জন্য দেখানো যাবে যে হকিং এর তত্ত্বে উপর বিশ্বাস স্থাপনের জন্য কোন যুক্তির প্রয়োজন নেই। আর প্রতিবারেই যাদের প্রয়োজন নেই, তাদেরকে অনুপস্থিত বা তারা নাই প্রমান করা সম্ভব। যুক্তি, গণিত এবং নির্ভূল পরীক্ষার মাধ্যমে।
৩. অনেকে বলে হকিং তার কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস এর বিক্রী বাড়ানো এবং পাবলিসিটি করার জন্যই স্রষ্টার মন নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। এমন নৈতিকতা সম্পন্ন ব্যক্তির তত্ত্বে উপর কতটা আস্থা রাখা সম্ভব যতক্ষণ না প্রমাণিত হচ্ছে যে এবার ও তিনি তার পাবলিসিটির জন্য এমনটা করেন নি?
৪. আইনস্টাইন একটা কথা বলেছিলেন, “তোমার মস্তিস্কের ব্যস কি ২০,০০০০ আলোক বর্ষ? যদি না হয় তবে তুমি স্রষ্টা সম্পর্কে কোন প্রশ্ন করার অধিকার রাখো না”।
৫. রজার বেকনের একটা বিখ্যাত উক্তি হলো, “অল্প জ্ঞান মানুষকে করে তোলো অবিশ্বাসী নাস্তিক, আর গভীর জ্ঞান মানুষকে করে বিশ্বাসী আস্তিক”।
৬. হকিং একজন পদার্থবিদ হয়ে কেন অধিবিদ্যার জগতে পন্ডিতি করতে গেলেন? আর তার সিদ্ধান্ত তো পর্দাথবিদ্যা গন্ডি ছাড়িয়ে অধিবিদ্যায় গিয়ে পড়েছে (ঈশ্বরের জুয়ার গুটি কি?) তাই আমি চেষ্টা করেছি সেই পথেই তাকে বোঝার। সে তার ‘কোন’ পূর্ব ধারণা থেকে প্রত্যাবর্তন করেছে বুঝিনি। তাই অনেকগুলো উদ্ধৃত্তি দিলাম। একেকটা কিন্তু একেক প্রেক্ষাপটের।
@লজ্জিত হলাম,
আপনি বিজ্ঞানের জনপ্রিয় বই পড়ে বিজ্ঞান চর্চা করতে গিয়ে ভীষন বদ হজমে ভুগছেন। আপনার পুরো এই পোস্ট পড়ে বুঝলাম পপুলার সায়েন্স পড়ে ভুলভাল বুঝে বেসিক জিনিস আপনার পরিস্কার নেই।
আগে দুটো ব্যাপার ক্লিয়ার করে জানুন।
প্রথমত ঈশ্বরের ধারনা দু ধরনের-একজন সৃষ্টিবাদি, যা আব্রাহমিক একেশ্বরবাদি ঈশ্বর বা কোরানের আল্লা। অন্য ধারনায় প্যান্থেওনিক। অর্থাৎ যিনি আছেন সর্বব্যাপি কিন্ত কিছু করেন না। বিজ্ঞান নাকচ করছে সৃষ্টিবাদি ঈশ্বরকে। কারন সৃষ্টি রহস্য আস্তে আস্তে বিজ্ঞানের কাছে পরিস্কার হচ্ছে। প্যান্থেওনিক ঈশ্বরকে নাকচ করা সম্ভব ন।
এখানে আপনার বক্তব্য হচ্ছে বিজ্ঞানের এই তত্ত্বগুলিত বাতিল ও হয়। হকিন্সের তত্ত্ব বাতিল হবে না তার নিশ্চয়তা কি আছে?
নিশ্চয় হবে। বিজ্ঞান একধরনের রিডাকশনিজম বা সরলীকরন-এবং সেটা বিজ্ঞানের দর্শ নেই মানা হয় যে প্রতিটা তত্ত্বের মধ্যে ভূল থাকলে তবেই সেটি বিজ্ঞানের তত্ত্ব বলে মানা হয়। অর্থাৎ প্রতি তত্ত্বের উন্নতি করা স্কোপ আছে এটি প্রমানিত হওয়ার পরেই বৈজ্ঞানিক সত্যের জন্ম হয়। বাই ডেফিনিশন বৈজ্ঞানিক সত্য একটি ভেজাল সত্য।
কিন্ত হকিংস বলছেন না সূত্রের কথা। উনার বক্তব্য হচ্ছে আমরা কোথা এলাম, মহাবিশ্বের সৃষ্টির জন্যে স্রষ্টার দরকার নেই। কারন শুন্য থেকেই সব কিছু সৃষ্টি হতে পারে-এটা জলের মতন পরিস্কার হচ্ছে বিজ্ঞানীদের কাছে। আস্তে আস্তে আরো যত প্রমান আসবে, সৃষ্টি রহস্য আরো পরিস্কার হবে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে বিজ্ঞানের নিয়মেই আমাকে মানতে হবে-এই চিন্তাধারার মধ্যেও ভুলে সম্ভাবনা আছে-তবে খুব কম। বিজ্ঞানে নিশ্চিত বলে কিছু হয় না-তাই সঠিক ভাবে বললে এভাবে বলা উচিত বর্তমানে বিজ্ঞান সৃষ্টিবাদি ঈশ্বরের ধারনা ৯৯% বাতিল করছে-১% সম্ভাবনা থাকলেও থাকতে পারে।
আর আল্লাভজনা করে লাভ কি? আপনাদের দেশের ৩০ লক্ষ লোককে আল্লার সন্তানেরাই খুন করেছিল-শুধু আমেরিকা, বৃটেনদের আনছেন কেন? তারাও করেছে গডের নামে বা করছে। আমিত শয়তান আর আল্লা/ঈশ্বরে পার্থক্য দেখি না। বরং শয়তানের নামে কোন মানব হত্যা হয়েছে বলে জানা নেই। কিন্ত ঈশ্বর/আল্লা/গডের নামে নরমেধ প্রচুর হয়েছে।
তাই স্যার কার্ল পপারের একটি অমোঘ বানীকে জানুন। সেটা হচ্ছে স্বর্গের খরিদ্দাররা হচ্ছে নরকের ব্যাবসাদার। স্বর্গ সৃষ্টির প্রতিশ্রুতিতেই সব থেকে বেশী নরক এসেছে পৃথিবীতে-ইসলাম, ক্রীষ্টান, ব্রাহ্মন্য ধর্ম এবং কমিনিউজমের ইতিহাস সেই নরকের সাক্ষী।
@লজ্জিত হলাম,
আপনার প্রথম পর্বের উত্তর নীচে দিয়েছি। এবারে দ্বিতীয় পর্বের কিছু উত্তর দেয়ার চেষ্টা করা যাক।
আপনি শুরু করেছেন এই বলে –
অনেকগুলো ভুল আছে এই উক্তিতে। বিশ্বের আদি ব্যতিক্রমী বিন্দু বলে কিছু নেই। যদি ফারসিম মান্নান সাহেব বিশ্ব বলতে ‘মহাবিশ্ব’ বুঝিয়ে থাকেন, তাহলেও বলব উনার জ্ঞান আপডেটেড না। আদি ব্যতিক্রমী বিন্দুটি যদি সিঙ্গুলারিটি হয়ে থাকে, তবে সেটা আর সত্য নয় এখন। হকিং হার্টলে মডেলে তারা সিঙ্গুলারিটিকে পরিত্যাগ করেছেন। দেখুন তার ‘ইউনিভার্স ইন নাটশেল’ বইটায় পরিস্কার করেই তিনি বলেন –
‘ I am now trying to convince other physicists that there was in fact no singularity at the beginning of the universe – as we shall see later, it can disappear once quantum effects are taken into account’
ফারসিম মান্নান সহ বাংলা বিজ্ঞানেরলেখকেরা সেই আদিম সিঙ্গুলারিটির যুগেই পড়ে আছেন, অথচ পদার্থবিদ্যা এগিয়ে গিয়েছে অনেক সামনে। আপনাকে জ্যোতির্পদার্থবিদ্যা সংক্রান্ত যে কোন আধুনিক বই পড়তে অনুরোধ করি। এমনকি ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইমেও তিনি লিখেছেন –
There was infact no singularity at the beginning of the Universe. (page 50).
কেন একটি বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব বাতিল হয় তা নিশ্চয় আপনি জানেন। যদি পর্যবেক্ষণলব্ধ ডেটার সাথে না মিলে, কিংবা যে তত্ত্বের দিয়ে আজকে বাস্তবতা ব্যাখ্যা করা হচ্ছে অন্য কোন তত্ত্ব যদি তার চেয়ে ভালভাবে বাস্তবতাকে ব্যাখ্যা করতে পারে, তাই না? হকিং এর প্রস্তাবও বাতিল হতেই পারে। কিন্তু সেটা বাতিল হতে হবে বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই। কোন অপ্রাকৃত সত্ত্বার অস্তিত্বের কারণে তা হবে না সেটা নিশ্চিত। আজকে কারণ বিহীন কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনের (Quantum Flactuation) মধ্য দিয়ে এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি হতে পারে, যা পরবর্তীতে সৃষ্ট মহাবিশ্বকে স্ফীতির (Inflation) দিকে ঠেলে দিয়েছে, এবং আরো পরে পদার্থ আর কাঠামো তৈরির পথ সুগম করেছে -এইটাই মহাবিশ্বের অস্তিত্বের সবচেয়ে জোরালো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা। হোমোজিনিটি, গ্যালাক্সির ক্লাস্টারিং, এক্স রশ্মি এবং অবলোহিত তেজস্ক্রিয়তার বিন্যাস সহ অনেক কিছুতেই এই তত্ত্বের পরোক্ষ প্রমাণ পাওয়া গেছে। গ্র্যান্ড ডিজাইন বইটিতেও এর স্বপক্ষের প্রমাণগুলো নিয়ে ভাল আলোচনা আছে। আরেকটি নতুন তত্ত্ব দিয়ে এটি প্রতিস্থাপিত হতে হলে অবশ্যই তাকে বলতে হবে কেন নতুন তত্ত্বটি তারচেয়েও ভালভাবে পর্যবেক্ষণলব্ধ ফেনোমেনা ব্যাখ্যা করবে। তা না করে ‘উহাও বাতিল হয়ে যেতে পারে’ বললে, যে কেউ এও বলতে পারে যে কোন দিনই আবার বিজ্ঞান বলতে পারে ‘পৃথিবী গোলাকার’ বা ‘সূর্যের চারিদিকে ঘুরছে’ এগুলোও বাতিল হয়ে যেতে পারে, কি বলেন?
চূড়ান্ত ধরে নেই নি। ধরে নেওয়া হয়েছে যে, এই তত্ত্বই এই মুহূর্তে বাস্তবতাকে খুব সফলভাবে ব্যাখ্যা করতে পারছে অন্য যে কোন তত্ত্বের চেয়ে অনেক ভালভাবে।
হিগস কণা আছে কিনা তা আমরা জানতে পারব Large Hadron Collider থেকে কি ফলাফল বেরিয়ে আসে। এ থেকে পর্যবেক্ষণের গুরুত্ব বোঝা যায়। স্রষ্টার অস্তিত্ব প্রমাণের জন্য কোন Large Hadron Collider এর খোঁজ দিতে পারলে সেটাও গ্রহণযোগ্য একটা তত্ত্ব হবে বৈকি! চেষ্টা করে দেখুন না সেরকম কোন পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে পারেন কিনা।
আপনি কি ডকিন্সের সেলফিশ জিন বইটা পড়েছেন? পড়লে হকিং এর উক্তির তাৎপর্য উপলব্ধি করতে পারতেন। জিন লেভেলে আমরা সবাই আসলে সেলফিশ। কিন্তু জিনগত স্তরে স্বার্থপরতা কিংবা প্রতিযোগিতা কাজ করলেও, জিনের এই স্বার্থপরতা থেকেই পরার্থতার মতো অভিব্যক্তির উদ্ভব ঘটে। এটা শুধু মানুষের মধ্যেই নয়, অন্য প্রানীজগতের জনও প্রযোজ্য। ব্যাপারটা না বুঝলে দেখতে পারেন এই লিঙ্কটি। হকিং এর উক্তিতে কোন স্ববিরোধিতা নেই, বরং লিমিটেশন দেখতে পাচ্ছি আপনার চিন্তাতেই।
বিষয়বস্তুর সাথে একেবারেই অবান্তর আর সঙ্গতিহীন প্রশ্ন।
না, মন্দ নয়! তো?
স্রষ্টার সংজ্ঞাই যেখানে সংজ্ঞায়িত করা যাচ্ছে না, তার জন্য আবার সুসংজ্ঞত বিধি দিয়েছেন, তিনিই তাদের রক্ষণাবেক্ষন করছেন- এগুলো বলাটা কেমন শোনায় জানেন? অনেকটা আমার পাশের খালি চেয়ারটাতে একটা ইনভিজিবল লোক বসে আছেন, তিনি তার ১২ ইঞ্চি লম্বা নাকটিকে ইনভিজিবল টিস্যু দিয়ে মুড়ে রেখেছেন, আর তা রক্ষণাবেক্ষণ করেছেন – বলার মত শোনাচ্ছে!
গ্রান্ড ডিজাইন বইটিতে এর উত্তর দিয়েছেন হকিং – Because there is a law such as gravity, the Universe can and will create itself from nothing. Spontaneous creation is the reason there is something rather than nothing, why the Universe exists, why we exist,”
এতক্ষণে অরিন্দম কহিল বিষাদে! ১৫০০ বছরের এক পুরাতন কিন্তু চির আধুনিক এক গ্রন্থ’ – এর জন্য তাহলে এতো আয়োজন। সাবাস! সারা নোভোমন্ডলে পৃথিবী তো একটা বিন্দুর চেয়েও ক্ষুদ্র। বিগ-ব্যাংয়ের পর তিনি নয় বিলিয়ন বছর লাগিয়েছিলেন এই পৃথিবী তৈরী করতে, আর তারপর আরও বিলিয়ন বছর লাগিয়েছিলেন প্রাণ তৈরি করতে, আর তারপরে আরো চার বিলিয়ন বছর লাগিয়েছিলেন পৃথিবীতে ‘মানুষের অভ্যুদয়’ ঘটাতে, আর তারপর আরো লক্ষ বছর পরে ইসলাম কায়েম করে এক মহাগ্রন্থ পাঠাবেন। কি দারুণ পরিকল্পণা। সেই পরিকল্পণা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে অযথাই সারা মহাবিশ্ব জুড়ে তৈরি করা হয়েছে হাজার হাজার, কোটি কোটি, ছোটবড় নানা গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহানুপুঞ্জ- যারা আক্ষরিক অর্থেই আমাদের সাহারা মরুভূমির চেয়েও বন্ধ্যা, উষর আর প্রাণহীন। আর এমন এক গ্রন্থ তিনি দিয়েছেন, যা নানা পরস্পরবিরোধিতা শুধু নয়, নানাবিধ হিংসাত্মক ভার্সে ভরপুর। ১৫০০ বছর পরেও জিহাদিরা সেখানে পায় জিহাদ করার প্রেরণা। বিন লাদেনেরা পায় টুইন টাওয়ার উড়িয়ে দেয়ার অনুপ্রেরণা। ভালই। আর ‘সমতল’ পৃথিবীর ধারণা কিংবা ‘অনড়’ পৃথিবীর ধারণা জুলকার্নাইনের পঙ্কিল জলাশয়ে সূর্যকে ডুবার বর্ণনার মত অবৈজ্ঞানিক ধারণার কথা না হয় নাই বা বললাম। নিঃসন্দেহে চির আধুনিক এবং বিশুদ্ধ গ্রন্থ।
আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে আবারো হাপিয়ে গিয়েছি। একেবারে শেষে চলে যাই।
এর কারণ কি আপনার অজানা? আজকের দিনে কয়েকজন বিখ্যাত বিজ্ঞানের দার্শনিকের নাম বলতে বললে হকিং, ওয়াইনবার্গ, ডকিন্স -এদের কথা সবার আগেই চলে আসে। একটা সময় ছিল দর্শন জ্ঞান চর্চার মধ্যমনি। প্রাকৃতবিজ্ঞান ছিল তার সহচরী। এখন দিন বদলেছে – বিশ্বতত্ত্ব, জ্ঞানতত্ত্ব এমনকি অধিবিদ্যার জগতেও প্রাকৃতবিজ্ঞান বিশেষ করে পদার্থবিদ্যা শুধু প্রবেশ করেনি, দর্শনকে প্রায় স্থানচ্যুত করে দিয়েছে। আপনার অধিবিদ্যা জানতে হলে তো এখন আর ‘স্পেশাল কোন জ্ঞান’ লাগে না। কেবল ধর্মের ইতিহাস, নদন তত্ত্ব আর ভাষার মধ্যে আশ্র্য নেয়া ছাড়া আর কোন পথ পায়নি আধুনিক অধিবিদ্যা। এর কারন হচ্ছে পদার্থবিদ্যা আজকে যে জায়গায় পৌছেছে – সেটি অধিবিদ্যার অনেক প্রশ্নেরই উত্তর দিতে পারে। মহাবিশ্বের উৎপত্তি আর পরিণতি নিয়ে একজন দার্শনিকের চেয়ে অনেক শুদ্ধভাবে লেকচার দিয়ে সক্ষম হবেন একজন হকিং কিংবা ওয়াইনবার্গ। ডিজাইন আর্গুমেন্ট নিয়ে অধিবিদ্যা জানা পন্ডিতের চেয়ে বিজ্ঞান থেকেই অনেক ভাল দৃষ্টান্ত দিতে পারবেন ডকিন্স বা শন ক্যারল। আজকে সেজন্য মহাবিশ্ব এবং এর দর্শন নিয়ে যে কোন আলোচনাতেই পদার্থবিজ্ঞানীদেরই আমন্ত্রণ জানানো হয়, এরিস্টটলের ইতিহাস কপচানো কোন দার্শনিককে কিংবা সনাতন ধর্ম জানা কোন হেড পন্ডিতকে নয়। মানুষও তাদের কথাই শুনতে চায়, তাদের কথাকেই গুরুত্ব দেয়। গ্রান্ড ডিজাইন বইয়েও ভবিষ্যদ্বানী করা হয়েছে – সনাতন দর্শনের প্রয়োজন দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে, আর তার স্থান নিতে চলেছে আধুনিক বিজ্ঞান! আমার কথা যদি বিশ্বাস না করেন তবে সাম্প্রতিক বই গুলো – গড – দ্য ফেইল্ড হাইপোথিসিস, গড ডিলুশন, নিউ এথিজম থেকে শুরু করে গ্র্যান্ড ডিজাইন -এর মত বইগুলো কারা লিখছেন তা দেখলেই ট্রেন্ডটা উপলব্ধি ককরতে পারবেন।
ভাল থাকুন!
দ্বিমত: ১-প্রার্থনা
১. প্রভু, এদের তুমি ক্ষমা করে দাও। এরা তোমাকে বুঝতে পারে নাই। তুমি তো ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। তুমি তো বলেছ,” তুমি সৃষ্টিতে কোন ক্রটি দেখতে পাবে না।। তুমি আবার দৃষ্টি নিক্ষেপ করো, তোমার দৃষ্টি তোমারই কাছে ফিরে আসবে ব্যর্থ ও পরিশ্রান্ত হয়ে।(৬৭:৩৯)” প্রভু, আমরা তোমার সৃষ্টি, তার নিখুঁততা এবং তাদের রক্ষনাবেক্ষনে তোমার অতিসূক্ষ সামঞ্জস্যশীল বিধান দেখে ঈমান এনেছি তোমরা উপর, আর ওরা ঈমান এনেছে তোমার সৃষ্টির উপর। কতইনা ক্ষুদ্র মানুষের জ্ঞান! কতইনা তুচ্ছ মানুষ।
২. অভিজিৎ সাহেব, আপনি যে স্রষ্টাকে গালি দিলেন আমরা তার কাছে আপনাদের জন্য ক্ষমা চাইলাম।
৩. স্রষ্টার জন্য সময়, বেগ, জড় কাঠামো, অনিশ্চয়তা নীতি, প্রত্যক্ষ উপস্থিতি ইত্যাদি নীতি কি কার্যকর হবে? এগুলো তো তার সৃষ্টির জন্য। তাহলে সৃষ্টির জন্য অস্তিত্বশীল বিধান যদি স্রষ্টার উপরও কার্যকর হতে হয়, তাহলে কি তিনি আর স্রষ্টা থাকবেন? সৃষ্টি আর স্রষ্টাকে এক নিক্তিতে মাপা যেন কেমন।
৪. জন্মের প্রশ্ন আসে জীব হতে। যে জীব তার জন্মের জন্য পিতা-মাতা প্রয়োজন।(অবশ্য এমন অনেকে আছেন যাদের পিতৃ-পরিচয় নেই, এজন্য যে কারও পিতৃ পরিচয় যানার তারা জন্য বড় উদগ্রীব থাকে।) যে জড় তার অস্তিত্বে জন্য পদার্থের সম্মিলন বা রুপান্তর প্রয়োজন। উভই লয় প্রাপ্ত হয়। কিন্তু যে জীব বা জড় নয়? নিশ্চিত করে কি এমন বস্তু অনুপস্থিতি কেউ দেখিয়েছে?
৫. মহাবিশ্ব যদি আদি হতে এমনিতেই থাকতে পারে তাহলে স্রষ্টার জন্য সমস্যা কি? যখন আমরা মহাবিশ্ব আর নিয়ম গুলো বুঝতাম না, তখন কতইনা বোকার মত তত্ত্ব কথা বলেছি। আর এখন সেগুলো নিয়ে নিজেরাই লজ্জিত হই। ভেবে দেখুন তো, এ স্বভাব কি আমরা লালন করি না?
৬. কেন আপনি এমন একজনকে স্রষ্টা বলে মানবেন, যাকে আপনি পুরোপুরি বুঝতে পারেন। কেন তাঁর উপর বিশ্বাস আনবেন যার উপস্থিতি, অবস্থান, ক্ষমতা, নিয়ম আপনি নির্ণয় করতে পারবেন? আমরা বিজ্ঞানের উপর অগাধ বিশ্বাস করি কারন আমরা বিজ্ঞানকে পুরোপুরি বুঝতে পারি না বলে। কিন্তু আপনি নিশ্চিত থাকুন, মানুষ যদি তার প্রভুকে, তার মনকে বুঝে যায় তখন তারা আর তাকে প্রভু মানবে না। এমন কিছুর পেছনে ছুটবে যাকে তারা পুরোপুরি কখনই বুঝবে না। আমরা কি রহস্যময়তায় অভ্যস্ত নই?
৭. আমার ই-মেইল সমস্যার জবাব ইচ্ছে করলে যে কেউ দিতে পারতো। দেয় নাই। তবে এমন প্রোগ্রাম বানানো সম্ভব যাকে আপনি কেবল আইডি আর পাসওয়ার্ড দিলে সে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই আপনাকে একটি একাউন্ট খুলে দেবে।
৮. বান্দর শব্দের ব্যবহারের জন্য দু:খিত। এটাকে নিয়ে যে কেউ বান্দরামি করবে বুঝি নাই।
৯. অভিজিৎ সাহেব। আমার অনুমান সত্য। যারা নিজেদের অবিশ্বাসী দাবি করে তাদের মধ্যে প্রকৃত অনুসন্ধানি, পড়াশুনা জানা আসলেই অল্প। আমার প্রশ্নের উত্তরে আপনি আর দু’ই একজন ছাড়া বেশির ভাগই নিছক বিরোধিতার জন্য বিরোধিথা করেছেন। এই জায়গায় মনে হয় ঈমানদার আর যারা ঈমানদার নয় তাদের ভালো মিল আছে।
১০. নোবেল প্রাইজের প্রবক্তারা কেন, স্বয়ং নোবেলের কিন্তু এটা পাবার সুযোগ হয় নাই। আর আমার তো কোন গোবেল।
১১. আপনাকে ধন্যবাদ। আমার প্রশ্নগুলো কেবল আপনাদের বিরোধিতার জন্য করি নাই। আসলেই এই প্রশ্নগুলো উত্তর জানা ইচ্ছে ছিলো বলেই প্রশ্ন করেছি। তবে খোটা দিয়েছি কারন নাহলে আপনারা পাত্তা দিতেন না। একটিা সত্যি কথা বলি। আপনি সত্যিই জিনিয়াস, সন্দেহ নাই। প্রথম থেকে আপনার উত্তর পড়তে পড়তে যত নিচে নামছিলাম, আপনার প্রতি শ্রদ্ধা বাড়ছিল। কিন্তু একেবারে শেষের দিকে যা করলেন, তাতে সব শ্রদ্ধা………
১২. কি লাভ, ভলগার ম্যটেরিয়ালিস্ট হয়ে গ্রীক সোফিস্টদের মত প্রশ্ন করে। কখনোকি একটু ভেবে দেখেছেন, কে এই আমি। কি আমার পরিচয়। কেন আমি এখানে অস্তিত্বশীল হলাম। সসীম জ্ঞান নিয়ে অসীমের অস্তিত্বকে চ্যলেঞ্জ করা কি কেবল নিজের ক্ষুদ্র জ্ঞানের অহংকারের প্রদর্শনী নয়?
@লজ্জিত হলাম,
স্রষ্টাকে বস্তুজগত বহির্ভূত একটি সত্ত্বা হিসেবে ঠিক কিসের ভিত্তিতে সংজ্ঞায়িত করেছেন? মনের মাধুরি মিশিয়ে কোন ফেনোমেননকে সংজ্ঞায়িত করা যায় তা জানতাম না। এখন থেকে আমি তাহলে মূর্খতাকেও এক প্রকার “জ্ঞান” হিসেবে সংজ্ঞায়িত করব।
জীব বা জড়ের বাইরে যে অন্য কিছু থাকতে পারে, তার প্রমাণ কি? আর আল্লাহ যদি জীব না হয়, তবে জীবের মত হিংসা-বিদ্বেষ-দয়া-করুণা প্রভৃতি অনুভূতি প্রদর্শন করে কেন?
মহাবিশ্ব চিরায়ত কিনা সেটা যুক্তি-প্রমাণের উর্ধ্বে না। অন্যদিকে ঈশ্বরকে ডেলিবারেটলি যুক্তি-প্রমাণের উর্ধ্বে রাখা হচ্ছে। একারণে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে অন্তত দু’টি অভিযোগ দাঁড়া করানো যায়,
১) অক্কামের ক্ষুর
২) বিনা প্রমাণে উত্থাপিত কোন প্রস্তাবনাকে বিনা প্রমাণেই বাতিল করে দেওয়া যায়
বিজ্ঞান তো কোন ফেনোমেনন বা অবভাস না যে একে বুঝতে হবে(আপনি যে অর্থে বুঝিয়েছেন), এটা একটা মেথোডলজি। মেথোডলজি বোঝার বিষয় না, সম্পাদন করার বিষয়।
আর আপনি এমনভাবে কথা বলছেন যে ঈশ্বরকে স্বীকার না করলে কোন মহাবিপর্যয় ঘটে যাবে। ঈশ্বরকে স্বীকার করা যদি অপ্রয়োজনীয় হয়, তবে কেন ঈশ্বরকে স্বীকার করব?
বিশ্বাসীদের তো আরও পড়াশুনাবিমুখ হওয়ার কথা, তারা তো দাবি করে দুনিয়ার তাবৎ সত্য তাদের ধর্মগ্রন্থে লুকায়িত রয়েছে(যেমন, আল্লাহ পৃথিবীকে গালিচার মত ছড়িয়ে দিয়েছেন- সূরা তোয়াহা ৫৩)। আপনি দাবি করছেন আপনার ব্যাপক পড়াশোনা আছে, কিন্তু আপনার তিনটি মন্তব্যেই অবজেকটিভ বিষয়ের চেয়ে “প্রয়োজন”, “মুক্তমনা সদস্যদের জ্ঞানগম্যি”, “অভিজিত-অপার্থিবের পরস্পরবিরোধীতা” এবং “সব কিছু ইহুদি-নাছারাদের ষড়যন্ত্র” প্রভৃতি সাবজেকটিভিতে ভরপুর। আমাদের হয়ে আপনি যেমন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলেন, আমিও আপনার এহেন নগ্ন স্ববিরোধীতার কারণে আপনার হয়ে লজ্জিত হলাম, আশা করি মাইন্ড করবেন না 🙂
নাস্তিকতাকে ধর্মের সাথে তুলনা করাটা আত্মঘাতী। ধার্মিক হিসেবে ধর্ম আপনার কাছে সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ হওয়ারই কথা। আপনি যদি এখন নাস্তিকতাকে একটি ধর্ম আখ্যা দিয়ে একে সরাসরি বাতিল করে দেন, তাহলে আপনি পারতপক্ষে imply করছেন যে ধর্মও সরাসরি বাতিল করে দেওয়ার মতই একটি বিষয়।
আপনার প্রশ্নগুলোর ধর্মীয় উত্তরগুলো হল এমন- বিশ্ব সৃষ্টির আগে আল্লাহর উপাসনা শুধু ফেরেস্তারাই করত। কিন্তু ফেরেস্তারা একসময় একঘেয়েমির কারণ হয়ে যাওয়ায় আল্লাহ মানুষ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নিলেন। প্রথম মানুষ আদম ও তার দেহ থেকে সৃষ্ট হাওয়া(নর-নারীর সমধিকারের উজ্জ্বল উদাহরণ বটে) শয়তান নামক এক বিদ্রোহী ফেরেস্তার দ্বারা প্রতাড়িত হয়ে আল্লাহর রোষানলে পড়েন(যদিও একজন omniscient আল্লাহর পক্ষে এসব ভারতীয় ড্রামা সম্পর্কে অনেক আগে থেকেই অবগত থাকার কথা) এবং এর ফলে স্বর্গ থেকে মর্ত্যে নির্বাসিত হন। এখন আমাদের কাজ হল আল্লাহর উপাসনা করা, যদিও এহেন নগণ্য একটি প্রাণীর ভালবাসা না পেলে আল্লাহর এত পীড়া হয় কেন তা এখনও একটা রহস্য।
এই “উত্তর” আসলে কোন উত্তর না, তথ্যসমৃদ্ধ হওয়ার চেয়ে এগুলো বরং লোকসাহিত্যের মত বিনোদনে ভরপুর। আপনার মত স্বঘোষিত পড়াশোনা করা ব্যক্তি এসব প্রশ্নের উত্তর খুজতে গিয়ে কি উত্তর পেয়েছেন তা এই ব্লগের প্রাকৃতজনদের জানালে আমরা সবাই উপকৃত হব।
বিনা প্রমাণে প্রস্তাবিত একটি সত্ত্বার অস্তিত্বকে চ্যালেঞ্জ করা একটি অতি সাধারণ বৌদ্ধিক ক্রিয়া। একে যদি আপনার কাছে দম্ভ মনে হয়, তবে শাকচুন্নী-মেছো ভূত-ফ্লাইং স্প্যাগেটি মন্সটারের মত অসীম ও সর্বশক্তিমান সত্ত্বাকে(এবং অবশ্যই ঈশ্বরের মত একটি মিথ্যা-প্রতিপাদনের বা falsification এর অযোগ্য সত্ত্বা) অস্বীকার করার জন্য আপনাকেও একই দোষে দুষ্ট করা যায়।
@পৃথিবী, ভাষার আবেদন বিশেষ মস্তিষ্কের কাছে। সাধারণ মস্তিষ্কের কাছে নয় কিন্তু। বিজ্ঞানমনষ্কতা বিষয়টা একজন বিজ্ঞান্মনষ্কের কাছে যতটা পরিষ্কার, গডফাদারকে আশ্রয় করেন যিনি, তাঁর কাছে মোটেই ততটা নয়। এখন, ভাষা কি পারে, তাঁকে বিজ্ঞানমনষ্ক করে তুলতে? ‘প্রব্লেম সলভিং অয়াটিচ্যুড’ তো সবার মানসে নেই। বিজ্ঞানীদের মধ্যেও অনেকেই বিজ্ঞানকে ফলো করেন, মাস্টারিং করেন না। স্টিফেন হকিং-এর বইকে ছাগোলের কাছে যতোই মূল্যবান প্রতিপণ্য করার চেষ্টা করবেন, ওর পৃষ্ঠাগুলোর খদ্যমূল্য ততই বাড়বে। বিজ্ঞান মনষ্কতা তৈরি হয় মস্তিষ্কের গঠনপ্রক্রিয়ার যে স্তরে, সেখানে পৌছনর সামাজিক, জিনগত(মেন্টাল রিটারডেশন ইত্যাদি), আঘাতজনিত ইত্যাদি নানা বাধা রয়েছে। কাজেই, দু তরফে দুই ভাষা (কোনও এক তরফ দুটো ভাষা জানলেও) চালিয়ে বিনিময় হবে না। বরং সমাজবিজ্ঞানকে বুঝে নেওয়া দরকার। বিজ্ঞানকে সামাজিক সেই সব কাজে লাগাতে হবে যাতে পরবর্তি প্রজন্ম বিজ্ঞানমনষ্ক হয়ে ওঠার আরও বেশি সুযোগ পায়।
আপনারা এই ধরনের বাদানুবাদ বাড়াবেন না। জঞ্জাল জমবে।
@লজ্জিত হলাম,
ভাই আপনার সাথে আমি এত বিশাল বাতচিতে যেতে রাজি নই।
আসেন আপনার সাইড থেকেই শুরু করি। আপনার অতশত যুক্তির সাপেক্ষে ধরেই নিলাম যে ঈশ্বর বর্তমান। তাহলে,
প্রশ্ন ১- সে কোন ধর্মের ঈশ্বর? আপনি কিভাবে সুনিশ্চিত হলেন যে সারা পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ ধর্মের ঈশ্বরের মধ্যে সে আপনার ইসলাম ধর্মেরই ঈশ্বর? আপনি কোন যুক্তিতে সুনিশ্চিত হলেন যে পাগান ধর্মের ঈশ্বর মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেন নি? আপনি কি ভাবে নিশ্চিত হলেন যে আপনার ঈশ্বর একা? তার কোন সঙ্গী নেই? সঙ্গী থাকলেই যে দাঙ্গা বাধবে এটাতো জঙ্গীবাদি চিন্তা ভাবনা! (অন্তত এই চিন্তা থেকেই পুরোপুরি বোঝা যায় যে মানুষ ঈশ্বরকে তার মত করে কল্পনা করে নিয়েছে। নাহলে যে এত কিছুর সৃষ্টি কর্তা, এত মহান!! এত মহীয়ান!! তার মনেও সম্পত্তি লইয়া মারামারির চিন্তা ভাবনা আসবে এমন আজগুবি টাইপ চিন্তা ক্যামনে আসে!!!!)
প্রশ্ন ২- আবারও আপনাকে এগিয়ে দেই। ধরেই নিলাম যে সে ইসলামের আল্লাহ, তাহলে প্রথম কথা হল যে বেহেশতে যেতে হলে তাকে তৈল মর্দন করতে হবে কেন? পৃথিবীতে মানুষের কৃতকর্মের কি কোন দাম নেই তার কাছে? যদি কৃত কর্মের দাম থেকেই থাকে তবে ধর্ম ভেদের অর্থ কি? কে কাফের কে মুসলিম এইটা বিবেচনার থেকে তার কাছে কি কাজের মূল্যই বেশি হওয়া উচিত না?
যা হোক, এখানে কথাবার্তা বেশি লম্বা না করি, এমনিতেও সবাই আপনার অসীম সাইজ সব কমেন্টের বিশাল বিশাল জবাব দিতে গিয়ে এই পেইজের (সাথে সাথে আমার ধৈর্যেরও!!) পুরো বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে!!! তার চেয়ে বরং আপনি আমার প্রোফাইলে গিয়ে আমার শেষ কয়েকটি পোস্ট পড়েন, এবং কমেন্ট করেন। আশা করি আপনার সাথে আমার জমবে ভালো!!!
লেখটা যা হয়েছে তার থেকে আসলেই আকর্ষন হল লেখকের উপর অনেকের বিশ্বাস আর তালি দেয়ার মন্তব্য। অনেকেই বুঝে ফেলেছেন, আর অনেকে দেখি এই সামান্য সূত্র, ব্যাখ্যার ভিতরে বিশ্বাস করেই বসেছে ঈশ্বর সৃষ্টি করেনি। ঠিক এমনি এক চিত্র দেখা যায় মোল্লাদের বাজারে, একজন একটা কোরানের আয়াত পড়েন আর চারিদিক থেকে না বুঝেই অথবা দুই একটা শব্দ শুনেই বলে বসে সোবাহানাল্লা, আলহামদুলিল্লা…আর এখানেও ঠিক তেমন রুপটি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে, গবেষনার কি শেষ আছে? আজ ইহা বের হল কাল আর কিছু হবে, আবার পরে যখন নতুন করে বিজ্ঞান নতুন কথা বলবে তখন এরাই বলবে ঐসময় আমার মনেও খটকা লেগেছিল। যাইহোক লেখকের লেখা নিয়ে কিছু বলছিনা, এখানে মন্তব্যকারী অনেকের কথাইয় যে মাধুর্য ফুটে উঠেছে সেটাই বললাম, তবে খারাপ উদ্দেশ্যে বা খোটা দিয়ে বলছিনা। এমনি কত ধরনের মানুষ, তাই ভাল লাগল বলে লিখলাম।
এই হকিং ভাইজান দুই দিন আগে বলেছিলেন কেউ না কেউ একজন আছে, এখন বলছেন কেউ নাই। যাইহোক পরবর্তিতে তার গবেষনার ফল। আবার কোন এক গবেষক বিজ্ঞানী হয়ত আবার বলে বসবেন সূত্র মিলছেনা, তার অর্থ ঈশ্বর আছে মনে হয়। দুনিয়ার অভিকর্ষকজ ত্বরন আর মহাবিশ্বে অমক গ্রহের ত্বরন আবার শক্তির ধ্রুবকের পরিবর্তনের কারনে অনেক ধরনের উত্তর আসছে…কত কি হবে কে জানে বাপু। এই কারনে সৃষ্টির শেষ হয়না, না হয় আবিষ্কারের,- প্রতিটি ভুল হোক তাও গবেষনার পরে কিছু না কিছু মনে হয় ভাল দিক মানুষ পায়। তাই ইনারা বের করতে থাক। মানুষ ভাল আছে তার মানে আমিও ভাল আছি। আর যাকে দেখাই যায়না সেই ঈশ্বর আপাতত থাকলেও কি আর না থাকলেও কি? পেটে আমার ভাত পড়ছে কিনা সেইটাই আগে, আমি ভাল থাকলে তখন আমার ঈশ্বর ভাল থাকে এইটাই মনে করি। আমি নাই আমার ঈশ্বরও নাই। আমারে দিয়ে আমার ঈশ্বর। আর বিশ্ববিধাতা তিনি কই আছেন সেইটা জানিনা, আমার ভিতরে বাস করে এক ঈশ্বর যাকে শক্তি বলা হয়। সকল শক্তির আধার। এই শক্তি বিশ্বভ্রাম্যান্ডে বাকি সকল শক্তির সাথে মিলিত হয়ে হয় বিশ্ববিধাতা, এই শক্তি যখন আকারে/মাধ্যমে যায় তখন বস্তুতে গুন উতপন্ন হয়, (ইহা পৃথিবীর জন্য)…যাইহোক ভাল থাকবেন সবাই।
@Russell,
কই, আপনি তো তালি দিচ্ছেন না বরং বিজ্ঞান আর দর্শন জগতে আবির্ভূত হয়েছেন বিদ্রোহী ব্রুণো হিসেবে, কিংবা হয়েছেন যাজক সভার শার্লক হোলমস, ওয়াটসনের সাহায্য ছাড়াই মরিয়ার্টি আর সাঙ্গপাঙ্গদের কেরামতি ফাঁস করে দিলেন, কী অবলীলায়। লেখক বিজ্ঞানের লেখা লিখেও হয়ে যায় যথারীতি মোল্লা, আর সে লেখা কারো পছন্দ হলে কিংবা এর পক্ষে কোন মন্তব্য করলে তা সেই ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা চ্যালা। আপনার মন্তব্যের আকর্ষণও কিন্তু নেহাত কম নয়। স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড আপনারই অপেক্ষায় নিদ্রাহীন প্রহর গুনছে, জনাব।
ঠিক বলেছেন। আজ এটা বের হয়েছে, কাল হয়তো অন্য কিছু বের হবে। এটাই তো বৈজ্ঞানিক গবেষণার নিয়ম। বিজ্ঞান সততঃ গতিশীল বলেই মানুষের মনে খটকা লাগে, তা নিয়ে গবেষণা হয়, নতুন নতুন জিনিস বেরোয়। বিজ্ঞান ঐশী কিতাবে বিশ্বাসের মতো কিছু হলে আর খটকা লাগালাগির কোন ব্যাপার থাকতো না। কোন এক পয়গম্বর বা মোসাইয়া প্রাচীন কালে কোন সবক দান করে যেতো, আর সবাই মাথা নুয়ে নুয়ে তা গলাধঃকরণ করে যেত। তা হলেই মনে হয় ভাল হত। নিত্য নতুন গবেষণার আর দরকার পড়তো না। আমীন বলেই ঘুমিয়ে থাকা যেত! কি ভাল হত, তাই না।
আপনিও!
স্বতস্ফুর্তভাবেই কিভাবে মহাবিশ্ব প্রাকৃতিক নিয়মে তৈরি হতে পারে – যারা খুব কম সময়ে হকিং এর প্রস্তাবিত এই তত্ত্ব সম্বন্ধে জানতে চান, তারা ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির অধ্যাপক বিজ্ঞানী শন ক্যারলের তিন মিনিট ভিডিওটি পর্যপেক্ষণ করতে পারেন (ইটস এ মাস্ট সি ভিডিও)-
httpv://www.youtube.com/watch?v=GCVqJw7T1WU
শন ক্যারল লছেন, মহাবিশ্ব উৎপত্তির পেছনে ঈশ্বরের কোন ভুমিকা আসলেই নেই (অন্ততঃ আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের ফলাফল সেদিকেই), তারপরেও কোন এক ঠুটো জগন্নাথ ঈশ্বর থাকতেই পারে – যিনি এই মহাবিশ্ব বানাননি, কেবল (সৈকতের বর্ণনা মত) কোন এক নির্জনে আপন মনে হুকো টানছেন। সেরকম কোন ঈশ্বরকে অবশ্য হকিং বাতিল করতে পারেন নি। 🙂
@অভিজিৎ,
কিন্তু তাতেই বিশ্বাসীদের পুলকিত হওয়ার কারণ নেই। কারণ সেই ঈশ্বরটি জগন্নাথ, হরি, কৃষ্ণ বা শিব, বুদ্ধ বা যিশু বা ইত্যাকার কেউ নন।
@মডারেটর,
ব্যক্তিগত বার্তার উত্তর দিতে পারছি না, উত্তর পোস্ট হচ্ছে না, কোন কনফার্মেশন বার্তাও পাচ্ছি না, বরং বলছে ‘recipient id an user id doesn’t match. Cheating huh!’ প্রেরিত বার্তা বাক্সেও উত্তর দেওয়া বার্তা যোগ হচ্ছে না। :-/
@আল্লাচালাইনা,
আপনি আরেকবার চেষ্টা করুনতো। এক কাজ করুন,সরাসরি উত্তর না দিয়ে নতুন বার্তা পাঠান। আমিও একবার দেখেছিলাম এ সমস্যা হতে কিন্তু এর উৎস ধরতে পারিনি। নতুন বার্তা পাঠান,সমস্যা হবেনা। আমি আজকেও বার্তা পেলাম একটা।
এখন পর্যন্ত অভিজিৎ রায় যে এক পিসই তা কি অভিজিৎ দা’কে আবারও বলতে হবে ? হা হা হা !
বিজ্ঞানের ধারাবাহিকতায় পদার্থবিজ্ঞানীয় ব্যাখ্যায় এই অনুসিদ্ধান্ত আসাটা অনিবার্য ছিলো। হকিং না হলে অন্য কোন বিজ্ঞানী তা করতেন। তবু তা এসে গেছে দেখে অনেক ভালো লাগছে। বিজ্ঞানমুখী মুক্ত চিন্তা আর যুক্তিবোধে জারিত স্বাভাবিক কাণ্ডজ্ঞান ব্যবহার করেই যে সত্যটা মানুষের উপলব্ধিতে এসে গেছে অনেক আগেই, এখন তার বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যাখ্যা তাকে প্রতিষ্ঠিত করে দিলো। সত্য এমনই।
তবে হকিং-এর প্রকাশিতব্য বইটার ধারাবাহিক বাংলা অনুবাদ সিরিজ পাঠের অপেক্ষায় থাকলাম। আশা করি মুক্তমনার কাছে আমার এ চাওয়াটা অভাবনীয় কোন কিছু নয় !
অফটপিক: ক’দিনের ব্যবধানে মুক্তমনায় এসে সেই চমৎকার ছেলেটি, যার নাম রামগড়ুড়ের ছানা, তাঁর কারিশমা দেখে অভিভূত ! ওর বুকের ভেতরে যে কোড-ডিকোডিং-এর আড়ালে এমন নানান রঙের খেলা ঝলমল করছে, তা কি আর বুঝতে বাকি থাকে ! হা হা হা ! অভিনন্দন রামগড়ুড়ের ছানা, সাইটটা আরো নান্দনিক হয়ে উঠেছে।
@রণদীপম বসু,
🙂 ধন্যবাদ। আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগল।
আভিজিৎ দা,
কদিন আগে খবরের কাগজে হকিং এর ব্যাপারটা পড়ার পরই মন বলছিল এটা নিয়ে মুক্তমনা তে কেউ না কেউ লিখবে। সংগঠনের দু একটা কাজে ব্যস্ত থাকায় নেট খোলা হয়নি, তাই আজ আপনার লেখাটা পড়লাম। অসাধারন। আমার কাছে এই লেখাটির মূল্য অনেক। এখান থেকে প্রচুর পয়েণ্ট পেলাম যেগুলো আমার বিভিন্ন বক্তব্য রাখার সময় কাজে লাগবে।
লেখাটা নিসন্দেহে ভাল ও সময়োপযোগী!
বিজ্ঞানের অনেক জানা অজানা তথ্য উঠে এসেছে বিভিন্ন মন্তব্যে।
আমার মত একজন এভাবেই মুক্তমনা থেকে শিখছে প্রতিদিন!
মুক্ত পাঠশালার ছাত্রের মত!
আসলে কোন কিছুই ধ্রুব নয়!
সেটা জ্ঞান বিজ্ঞানের বেলায় চরম সত্য!
কথাটা ভেবে দেখবার মত!
@লাইজু নাহার, ‘আসলে কোনও কিছুই ধ্রুবক নয়’ — বাক্যটি যেন নিজে ধ্রুবকধর্মী। এ নিয়ে গয়ডেল বিস্তর খেটেছেন।
মোটামুটি ভাবে সকল ধার্মিকদের বক্তব্য বা প্রশ্ন
[১] কোথা থেকে এল এই মহাবিশ্ব?
[২] কোথা থেকে এল পদার্থবিদ্যার সূত্র সমূহ যার ভিত্তিতে এই মহাবিশ্ব চলছে…
এর উত্তর একটুঅন্যভাবে ভাবুন। আমাদের মহাবিশ্ব একমাত্র মহাবিশ্ব না। আমাদের সমান্তরাল আরেকটি মহাবিশ্ব থাকতে পারে আবার অসংখ্য মহাবিশ্বও থাকতে পারে এই শুন্য মাঝারে। আমাদের মহাবিশ্বের যে প্রাকৃতিক সূত্র যেমন আইনস্টাইনের সমীকরন বা ডিরাক সমীকরন, যার ভিত্তিতে আমরা কার্য কারন ব্যাখ্যা করি-তা অন্য মহাবিশ্বে নাও থাকতে পারে। কারন এই সব মহাজাগতিক সূত্রগুলির ও জন্ম হয়েছে সেই বিস্ফোরন থেকে-বিষ্ফোরনের পূর্বে এই সূত্র গুলির অস্তিত্ব ছিল না-এবং অন্য মহাবিশ্বেও এদের অস্তিত্ব না থাকার সম্ভাবনাই বেশী। তারা চলবে পদার্থবিদ্যার অন্য আইনে। তাদের বিল্ডিং ব্লক ইলেকট্রন প্রোটন নিউট্রন নাও হতে পারে। তাদের অভিকর্ষজ আইন ও আলাদা হবে।
অর্থাৎ এই মহাবিশ্ব কোথা থেকে এল-এই মহাজাগতিক আইনগুলি কোথা থেকে এল-সব কিছুই পদার্থ বিদ্যার গবেষনার অংশ। এর সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই-আর এসব কিছু এখনো সব কিছু ঠিক ঠাক জানা যায় নি– মানে ঈশ্বর এসব আইন দিয়েছে-এসব ভাবা অজ্ঞতা এবং বালখিল্যতা কারন এসব কিছু রহস্য উৎঘাটন পদার্থবিজ্ঞানের অংশ।
এককালে হ্যালির ধূমকেতুকে লোকেরা মনে করত ঈশ্বর প্রেরিত শাস্তি। কারন তারা জানত না হ্যালি কি করে প্রাকৃতিক নিয়মে বারে বারে আসে। তাই তারা মনে করত হ্যালিকে পাঠিয়েছে ঈশ্বর। এখন দিন বদলেছে। ধার্মিকদের বিজ্ঞান জ্ঞান এটুকু বেড়েছে যে তারা জানে হ্যালি আসে বিজ্ঞানের নিয়মে-ঈশ্বর তাকে পাঠায় না। কিন্ত তাদের জ্ঞান এতটা বাড়ে নি-যে তারা বুঝতে পারে পদার্থ বিজ্ঞানের সূত্রগুলোর ও জন্ম মৃত্যু সম্ভব।
এখানেও ব্যাপারটা তাই। অধিকাংশ ধার্মিক লোকের বিজ্ঞানে জ্ঞান গম্যি একটু [ মতান্তরে অনেকটা] কমই থাকে-ফলে তাদের জানা নেই বস্তুর উৎপত্তি, প্রাকৃতিক আইনের উৎপত্তি সব কিছুই গবেষনার বিষয়। এর সাথে কোন অতিপ্রাকৃতের ( আল্লা বা ঈশ্বরের ) যোগ নেই। এমনটা ভাবাই চূড়ান্ত অজ্ঞতা।
@বিপ্লব পাল,
ভালো বলেছ! :yes:
@বিপ্লব পাল,
এটা ভুল বলেই আমার বিশ্বাস। বহুবিশ্ব বা সমান্তরাল বিশ্বের সৃষ্টিটা পদার্থবিজ্ঞানের নিয়মের মধ্যেই পড়ে। বহু বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্বে পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র ভিন্ন নয়, তাহলে তো পদার্থবিজ্ঞানের সূত্রের কারণে (সেটা কেওটিক ইনফ্লেশনই হোক বা স্ট্রিং তত্বের এম থিওরী অনুযায়ী হোক) বহুবিশ্ব সৃষ্টির কথা বলা অর্থহীন হয়ে যেত। যেটা পদার্থবিজ্ঞানীরা বলেন সেটা হল বিভিন্ন সমান্তরাল বিশ্বে পদার্থবিজ্ঞানের ধ্রূবকগুলি ভিন্ন, সূত্রগুলি বা সমীকরণ গুলি নয়। ধ্রূবকগুলি ভিন্ন হবার কারণে কোন কোন বিশ্বে প্রাণ সৃষ্টি হয় না, গ্যালাক্সি ফর্ম করেনা, আবার কোনটায় করে, যেমন আমাদের বিশ্বটা। কিন্তু একই সমীকরণ সব বিশ্বে প্রযোজ্য।
আর পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র মহাবিস্ফোরনের পরে এসেছে বলা আরও বড় ভুল। তাহলে তো হকিং এর তত্বই অর্থহীন হয়ে পড়ে। হকিং তো বলছেন পদার্থবিজ্ঞানের কারণেই মহাবিশ্বের সৃষ্টি। কারণটা কার্যের পরে আসে কি করে ? আর তা ছাড়া পদার্থ বিজ্ঞানের সূত্র যদি মহাবিস্ফোরণের পর আসত তাহলে মহাবিস্ফোরণের ব্যাখ্যা পদার্থবিজ্ঞানের দ্বারা সম্ভব হত না। হকিং কে নিয়ে হৈচৈ হওয়ার কারণই তো পদার্থ বিজ্ঞানের সূত্রের কারণে মহাবিশ্ব সৃষ্ট হবার দাবীর জন্য। যে কারণে মহাবিস্ফোরণকে অপ্রাকৃত (পদার্থবিজ্ঞান বহির্ভূত) বলে ইশ্বরকে আর টানা যায় না। মহাবিস্ফোরণ যেটা করে সেটা হলে আমাদের বিশ্বের জন্য পদার্থবিজ্ঞানের ধ্রূবক নির্ধারণ (Instantiate) করে দেয়, পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র/সমীকরণ নয়, সেটা সদাবিরাজমান ছিল। এই গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্যটা বোঝা দরকার।
@অপার্থিব,
স্ট্রিং থিয়োরি বা সমান্তরাল বিশ্ব, এর কোনটাই তো প্রমাণিত না। আমি এই কাঁদুনি আগেও গেয়েছি, কিন্তু আবারো বলতে বাধ্য হচ্ছি।
“সমীকরণ” ও “ধ্রুবক” বিষয়ক একটি কথা। একটি সমীকরণকেও একটি ধ্রুবক হিসেবে দেখা চলে। কাজেই পদার্থবিদ্যার সূত্রগুলি যদি মেটা-সমীকরণ হয়, তাহলে তাদের instantiate করার জন্য যেসব parameter দিচ্ছেন সেটা আরেকটি সূত্র হতে পারে — ফলশ্রুতিতে বিভিন্ন বিশ্বে বিভিন্ন আইন থাকতে পারে। এরকমটাই বাস্তব, বা বিজ্ঞানীরা এরকম দাবী করেন — এমনটা আমি বলছি না। শুধু apriori এখানে কোন সমস্যা নেই সেটি বলছি। ধ্রুবক শুধু real number হতে হবে, এটা একটা arbitrary অনুমান।
আর শেষের দিকে যা লিখেছেন, ওটার ব্যাপারে একসময় আপনার সাথে ময়দানে জঙ্গ-এ নামতেই হবে 😀 — কিন্তু এখানে নয়।
@অপার্থিব,
আপনার সাথে একমত নই।
দৃশ্যমান জগতের বাইরে যে মহাবিশ্ব আছে, তাদের প্রাকৃতিক সূত্র কি হবে, তা বিতর্কিত বিষয়।
টেগমার্কের ট্যাক্সোনমিতে যে ৪ ধরনের সম্ভাবনার কথা লেখা আছে
লেভেল-১ঃ প্রাকৃতিক সূত্র এবং ধ্রুবকগুলি একই থাকবে
লেভেল-২ঃ সূত্র একই থাকবে কিন্ত ধ্রুবকগুলি আলাদা হবে
লেভেল-৩ঃ কোয়ান্টাম মেকানিক্সের মেনি ওয়ার্ল্ড ইন্টারপ্রেটাশন দিয়ে তৈরী মাল্টিভার্স
লেভেল-৪ঃ আলটিমেট এনসেম্বল-যেখানে প্রাকৃতিক সূত্রগুলিও আলাদা হবে
সুতরাং কোন একটি হাপোথিসিসকে অন্যটার ওপর গুরুত্ব দেওয়ার কোন দরকার নেই। আপনি যেটা লিখেছেন, সেটা লেভেল-২ মাল্টিভার্স।
@বিপ্লব পাল,
লেভেল ১-৩ পর্যন্ত পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র একই ভিন্ন বিশ্বে। আমি লেভেল ৪ কে ধর্তব্যের মধ্যে আনিনি। কারণ তা সম্পুর্ণ একজন মানুষের (টেগমের্ক) এর তত্ব। সেটা পদার্থবিজ্ঞানের মূলধারার মধ্যে নয়। লেভেল ৪ এ টেগমার্ক কি বলছেন? তিনি বলছেন যে পুরো মহাবিশ্বকে একটা গাণিতিক অবয়ব হিসেবে দেখলে এক একটা বিশ্বে পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র একে এক রকম দেখাবে। কিন্তু গাণিতিক স্ট্রাকচার একটাই। বস্তুত উনি পদার্থবিজ্ঞানের সূত্রের আর এক ধাপ উঠে এক গাণিতিক বিশ্বের ধারণার কথা বলছেন। এটা প্ল্যাটনিজমের এক চরম রূপ।
@অপার্থিব,
অন্যমহাবিশ্বের সূত্রগুলি কি হবে, তা আমরা কোনদিনই জানব না-অনন্ত ভবিষ্যতেও না। সুতরাং এই নিয়ে কে ঠিক বা বেঠিক-সেই বিতর্ক মূল্যহীন। শুধু সম্ভাবনা হচ্ছে সেখানে পদার্থের নিয়মগুলি আলাদা হতেই পারে।
আমি ভাবছিলাম কখন আসবে এ নিয়ে একটা লেখা। তবে, মজা পাই যখন এর সাথে সাথে ধর্মধ্বজীরা ডিফেন্ড করতে গিয়ে এই পবিত্র মাসেও নানাবিধ অপবিত্র কথা বলতে ছাড়েন না।
অপ্রা: আমার এক বন্ধু স্টেম সেল নিয়ে গবেষণা করে পিএইচডি সেরে তার ইমান আরো সুদৃঢ় করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সে। এমনিতে প্রো-শিবির। এবার বুঝুন, তার কথা মানুষ শুনবে, না আমার মতো ফালতু ব্লাডি সিভিলিয়ানের কথা। বিজ্ঞান গবেষকদের এহেন ঈশ্বরপ্রেমে গদগদ হওয়াটা কিভাবে আটকাবেন? শমসের আলীরা বাংলাদেশেই জন্ম নেয়।
@ব্লাডি সিভিলিয়ান, আমি একটা জিনিস খেয়াল করেছি, মানব জিনোম প্রকল্পের ফ্রান্সিস কলিনের মত কয়েকটি ব্যতিক্রম বাদে খুব কম ধর্মপন্থী বিজ্ঞানীই আছে যাদের উল্লেখযোগ্য বৈজ্ঞানিক কর্ম আছে। ধার্মিক বিজ্ঞানী অনেক আছেন, কিন্তু তারা প্রায় কেউই দিনরাত ধর্মকে বিজ্ঞান দিয়ে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করেন না।
@ব্লাডি সিভিলিয়ান,
বর্তমানে তৃতীয় বিশ্বের গরীব দেশগুলোতে মুক্তবুদ্ধি চর্চার পথে, প্রগতির পথে এরাই তো প্রধান অন্তরায়। এরা বিজ্ঞান মানে শর্ত সাপেক্ষে, এরা তর্ক করে যুক্তি বুঝেনা। যারা জেগেজেগে ঘুমায়, তাদেরকে জাগানো যায়না।
আমার মন েহচ্ছ েখুব তাড়াতাড় িকোরান েখুজ েপাওয়া যাব ে স্টিফনে হকংি এর তত্ত্ব ।
@ভবঘুরে,
এবারে মনে হয় সে গুড়ে বালি। উপরে মিথুনের একটা মন্তব্যের জবাবে বলেছিলাম – এবারে নিশ্চয় মোল্লারা বলতে পারবে না যে, ‘আল্লাহ ছাড়াই মহাবিশ্ব হইছে’ -এইটা হকিং ব্যাটা কোরান থেইকা পাইছে। 😛
কালকে ফেসবুকে গিয়া দেখি মাননীয় হোরাস সাহেব সেইটা উদ্ধৃত করে তার ফেসবুকের স্ট্যাটাস দিয়েছেন –
মোল্লারা এখন কিভাবে বলবে ‘আল্লাহ ছাড়াই মহাবিশ্ব হইছে’ – এই ধারণাটা হকিং ব্যাটা কোরান থেইক্যা পাইছে? (কপিরাইটঃ অভিজিত)
:hahahee: আমি অভিভূত!
@অভিজিৎ,
এবার আর কোরানে খুজে পাওয়া যাবেনা । এবার যেটা হবে তা হল, হকিন্স বেটার গুষ্ঠি উদ্ধার। এত বড় এক মানব প্রতিভার সম্পর্কে কি কুত্শীত ভাষায় অশালীন গালীগালাজ করে চলেছে ধর্মবাদী ছাগল রা- আমি ভাবী এরা ছাগল বলেইতো তা পারে। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায় এদের যেমন ছাগলের মত বুদ্ধি তেমনি এরা হায়েনার মত হিংস্র। :-Y
হকিং এর কাছে অনেক কৃতজ্ঞ। সে এই সময়ে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যটিই প্রকাশ করেছেন।
উফফ, অভিজিৎ দা বাচাঁ গেলো। রেটিং এমন ভাবে দেয়া হচ্ছিল মন্তব্য দিতে খুবই বিরক্ত লাগছিল।
আপনার লেখার ব্যাপারে কোন পেরেশংসা করব না বলে আমি পণ করেছি। একজন মানুষ এত ভালো লিখবে কেন? মাঝে মাঝে ভালো লিখবে সেটা মেনে নেয়া যায়। কিন্তু সবসময়? না মাইন্যা নিতে পারতেয়াছি না। পাইনস্যা হইয়া গ্যাছে গিয়া।
রামগড়ুড়ের ছানা তোমারে ধইন্যা ভাইডু, রেটিং দিতে দিতে বলদ গুলা( এটা পুরিষ এর বহুবচন হিসেবে ব্যাবহার করা হইল) যা করতেছিল মাথা গরম হইয়া গ্যাছে পুরা। এদের কাজ কারবার দেখে কি হাসব নাকি কাঁদব ঠিক বুঝি না।
আবার মাওলানা ফারুক বোগদাদী দলে নাম না লিখিয়েই খেলতেও চায়, আবার গোলও দিতে চায়। হা মোর কফাল। :-Y
@সাইফুল ইসলাম,দলে নাম লেখানো কি আর এত সহজ? ৬ মাস ধরে চেষ্টা করেও নাম লেখাতে পারিনি। আপনার মতো প্রশংসা করতে পারলে ভিন্ন কথা।
@ফারুক,
ধৈর্য ধারণ করতে পারেন। আল্লাহ ধৈর্যধারণকারীদের সাথেই থাকেন 🙂
ফুয়াদ, আল মুর্শেদ, আইভি, মুহাইমীন প্রভৃতি উদাহরণগুলো দেখলেই বুঝবেন সদস্যপদ পেতে প্রশংসা না করলেও কিন্তু চলে।
তবে একটাই অনুরোধ আমাদের শত্রু বানিয়ে ফেলবেন না। শত্রুতা নিয়ে সদস্য হলে আপনার প্রতিটি লেখায় আর মন্তব্যে এর ছাপ থাকবে। এটা প্রকারান্তরে ব্লগের জন্য ক্ষতিকরই। আপনি নিশ্চয় লক্ষ্য করেছেন যে, এখানে আমরা অন্ততঃ গালিগালাজ করি না, আপনি নির্ভয়েই নিজের কথা বলতে পারছেন। বহু ধার্মিক সাইটে আপনি এর চেয়ে ঢের বেশি কুৎসা আর গালাগালির সম্মুখীন হয়ছেন, সেটা বোধ হয় আপনিও জানেন। একটু বন্ধুসুলভ থাকুন, আপনার নাম তালিকায় চলে আসবে ইনশাল্লাহ! 🙂
@অভিজিৎ, মুর্শেদ সাহেবের চেয়ে ফারুক সাহেব সদস্যপদের জন্য বেশি যোগ্য বলে মনে করি। আল-মুর্শেদ আর ফারুক সাহেবের মন্তব্য করার ফ্রিকোয়েন্সী তুলনা করলে ফারুক সাহেবই এগিয়ে থাকবেন(আমার যতদূর মনে পড়ে, মুর্শেদ এর চেয়ে অনেক কম সময়ের মধ্যে একাউন্ট পেয়ে গিয়েছিলেন)। তাছাড়া মুর্শেদ সাহেব মন্তব্য করার চেয়ে গীবত করতে একটু বেশিই পছন্দ করেন, ঈমান বেশি কিনা।
@অভিজিৎ,
সুবহানাল্লাহ, কোরান থেকে উদ্ধৃত আপনার এই বাক্যটির আরবি হলো- ইন্নাল্লাহা মা’আসসাবিরিন।
আমি আপাতত আপনার আয়াতটির আরবি দিলাম, পরের বার কিন্তু আপনি নিজেই দিবেন। কারণ মানুষ সরাসরি রেফারেন্স চাইতে পারে।
উল্লেখ্য, পাক-ভারত উপমহাদেশে সর্বপ্রথম কোরান বাংলায় লিখেছিলেন গিরিশ চন্দ্র সেন ১৮৮৬সালে।
@অভিজিৎ,
অবশ্যই। কোরানের বাণীকে তো আর উপেক্ষা করতে পারিনা। আমার ধৈর্য্যের অভাব হবে না ইনশাল্লাহ।
কাউকে শত্রু বানানো আমার নীতির বাইরে। আমার কমেন্টগুলৈ তার প্রমান।
ভাল থাকুন।
@all,
ছোটবেলা থেকেই তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে আমার আগ্রহ অপরিসীম। class 10 এ পড়ার সময় Stephen Hawking A Brief History of Time বইটা যেরকম মন্ত্রমুগ্ধের ন্যায় পড়েছিলাম জীবনে আর কোন বই এভাবে পড়েছি বলে মনে হয় না। যাহোক জীবনের অনেক ঘাত প্রতিঘাতে এ সে আকর্ষণ আজ অনেকটাই ম্রিয়মান। কিন্তু হঠাৎ Facebook এ এক friend পাঠানো এক Link থেকে এই Blog এর সন্ধান পেলাম। একে একে সব post, comment পালটা comment পড়ে বেশ ভালই লাগল। scientific কোন তর্ক বিতর্কে যাব না, কারণ in Physics as long as something is not proved it cannot be considered as a theory, it’s just an assumption or postulate. কিন্তু scientific তত্ত্বের উৎকর্ষ নয় বরং যেটা আমাকে আশ্চর্যান্বিত করেছে সেটা হচ্ছে একটা বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের হঠাৎ করে সর্বজনিন হয়ে ওঠার প্রয়াস পাবা এবং এর scientific implication এর তুলনায় religious implication নিয়ে মানুষে উদ্বাহু আগ্রহ। ধর্মকে science এর against এ দাঁড় করিয়ে দিয়ে সৃষ্টিকর্তার অনুপস্থিতি প্রমাণে সচেষ্ট হওয়া।
এর একটা কারণ তো অবশ্যই সত্যের অনুসন্ধান, তবে এর বাইরেও যেটা মানুষের স্বভাবজাত কারণ তা হচ্ছে নিজের মতামতকে প্রতিষ্ঠা করা। তবে এ সবের বাইরেও একটা কারণ আছে যেটা অবশ্য কেউ অনুধাবন করে না, সেটা হল FEAR. We are always afraid of where we stand and belong. যারা আল্লাহতে বিশ্বাস করেন তারা ভাবেন হায় আমার সারা জীবনের আরাধনা মনে হয় বৃথাই গেলো! আর যারা বিশ্বাস করেন না তারা ভাবেন ধর্মবাদীরা মনে হয় জিতে গেলো, আর সব সাফল্য অর্জন করে নিলো।
যাহোক আমি scientific মানসিকতার হলেও একজন true believer. আর পাঁচটা মানুষের মত আমারও বিশ্বাসে মাঝে মাঝে চিড় ধরে। এমনি ইসলাম ধর্মটা বেশ কঠিন, অনেক restricted, তার মধ্যে চারপাশে আনন্দ বিনোদনের এতো উপাদান। ভাবি, যে অনিশ্চিতের আশায় এই নিশ্চিৎ বর্তমানকে পরিত্যাগ করছি তা কি আসলেও সত্য হবে? তখনই মনে হয় আমি আর কে। পৃথিবীতে দুঃখ-দুর্দাশা আর হতাশাগ্রস্থ মানুষের কি অভাব আছে। মানুষ চাইলেই কি জীবনটাকে সুন্দরভাবে উপভোগ করতে পারে। পৃথিবীতে কতজন মানুষ সুস্থ সুন্দর সফল জীবন সমাপ্ত করে হাসিমুখে মরতে পেরেছে সেই হিসেব কি কেউ দিতে পারবে? আপনারা সবাই তো একটা সুস্থ জীবন পেয়েছেন, সেখানে ক্ষুদ্র সামর্থ দিয়ে ঐশ্বরিক বিষয়ে মন্তব্য করছেন আর ভাবছেন যুক্তিবাদী মানুষের চিন্তাজগৎ আজ কতো প্রসারিত। হায় রে মানুষ আর হায় রে তার চিন্তার প্রসারতা। জীবন জগতের প্রতিটি মুহূর্তে কতো মানুষ যে কতোটা দুঃখ যন্ত্রণা আর বেদনা ভারাক্রান্ত জীবন অতিবাহিত করছে তার খোঁজ কয়জন রাখে।
পৃথিবীর বিভিন্ন গোষ্ঠী সম্প্রদায় অথবা একক মানুষের উপর যত অন্যায় অবিচার সংঘটিত হয়েছে তার কয়টির বিচার আমরা করতে পেরেছি বা করা সম্ভব। হিটলার, মুসোলিনি অথবা অতদূর যাব কেন আমাদের বাংলাদেশের মানুশের উপর পাক হানাদার বাহিনীর যে নির্মমতা বর্বরতা নিষ্ঠুরতা তার বিচার আমরা কেমন করে করবো। এই প্রত্যেকটি মানুষ মৃত্যুর পূর্বে ঊর্ধলোকে কেবল একটি আর্তনাদ নিয়ে হাত তুলেছে যে, “আল্লাহ, যারা আমাদের সাথে এমন করলো তাদের কসুর যেন মাফ না কর।” কাজেই যারা আল্লাহতে বিশ্বাস করেন না then go ahead deny Allah and deny these people justice or find some other ways to provide them the justice they deserve. If you can’t then don’t dare justify yourself sitting in some air-conditioned room trashing other people’s believe upon Allah as some irrational misconceived thought of some prehistoric nonsense and hope that what is promised in religion is realized and executed at some time in the future. I don’t have anything else to say…
@রক্তিম,
আমরা কে কোন ধরণের রুমে বসে কি লিখছি সেটা অপ্রাসঙ্গিক। এখানে যেসব বক্তব্য দেয়া হয়েছে পারলে তার যুক্তিভিত্তিক আলোচনা করুন, কাঁদুনি না গেয়ে। আমার রুমের এসি-টা নষ্ট থাকায় এমনিতেই গরমে অতিষ্ঠ 😉
@রক্তিম,
বিজ্ঞান ধর্ম নিয়ে মাথা না ঘামালেও বস্তু জগত নিয়ে মাথা ঘামায়, আর ধর্ম বস্তু জগত সম্পর্কে অনেক দাবিই করে যা মিথ্যা-প্রতিপাদনযোগ্য(প্রজাতির উৎপত্তি একটি উদাহরণ)। বিজ্ঞান আর ধর্মকে আলাদা রাখার চেষ্টা করা তাই অর্থহীন। এটা ঠিক যে হকিংয়ের বক্তব্যের বৈজ্ঞানিক ইমপ্লিকেশনের চেয়ে ধর্মীয় ইমপ্লিকেশন নিয়েই সবাই বেশি উত্তেজিত, এর কারণ পৃথিবীটা এখনও ধর্মের কাছে বন্দী।
ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণিত হলে নাস্তিকরা আমার মনে হয় খুশিই হবে, কে না চায় মৃত্যুর পর সে কোন না কোনভাবে বেঁচে থাকুক! পরকালের সুখের কাছে ইগোর সংঘাতটা কিছুই না।
এরপর আপনি যা বলেছেন তার সাথে পোষ্টের বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই। এখানে ঈশ্বরের অস্তিত্বের বৈজ্ঞানিক সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, দার্শনিক সম্ভাবনা নিয়ে না। পোষ্টের সাথে প্রাসঙ্গিক হলে আপনার মন্তব্যের শেষ অংশের একটা দীর্ঘ জবাব দেওয়া যেত। আপাতত এটুকু বলতে পারি যে ঈশ্বর যদি থেকেও থাকে, তার মানুষের মত অনুভূতি না থাকারই কথা কারণ অনুভূতি আমাদের মস্তিস্ক ও এনডক্রিন সিস্টেমের ফসল। আর ঈশ্বর থাকলেই পৃথিবীর নিপীড়িত মানুষ বিচার পাবে এমন মনে করার কোন কারণ নেই। ইসলামের ঈশ্বর সত্য হলে ইহুদিরা হিটলারের হাতে মরে জাহান্নামে যাবে, স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করেও জাহান্নামে যাবে। ইহুদি-বিদ্বেষ হল ইসলামের আনঅফিসিয়াল ষষ্ঠ স্তম্ভ। খ্রীষ্ট ধর্মের ঈশ্বর সত্য হলে আমি-আপনি আমরা সবাই জাহান্নামে যাব, একমাত্র খ্রীষ্টানরা বাদে। ইহুদি ধর্মের ঈশ্বর সত্য হলে সবাই মিলে একসাথে জাহান্নামে যাব, খোদ ইহুদিদের পক্ষেও ইহুদি ধর্মের psychotic ঈশ্বরকে খুশি করা সম্ভব না।
@পৃথিবী,
Well I agree with your point entirely. There’s nothing to deny actually, my writing is from a completely different perspective actually and I agree that is not really coherent with this topic either.
And I’ve gone through quite a bit of study in these arena particularly in my teen age, so I know every bit of explanation you’ve given. And it’s, true sometimes FEAR creep into my mind that you might be right! And then again I think of those unfortunate people and can’t leave my believe! It’s a sort of recursive paradox!
However all through my life I’ve time and again gone down the barrel then I’ve revived out of nowhere. I think Allah helps me. There are other possibilities that I’m lucky and that is my ability. But it’s a 50-50 chance and I can go either way. So why shouldn’t go along the path that brings justice to everyone. I go with my believe.
And for your last para:
ইসলামের ঈশ্বর সত্য হলে ইহুদিরা হিটলারের হাতে মরে জাহান্নামে যাবে, স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করেও জাহান্নামে যাবে। ইহুদি-বিদ্বেষ হল ইসলামের আনঅফিসিয়াল ষষ্ঠ স্তম্ভ। খ্রীষ্ট ধর্মের ঈশ্বর সত্য হলে আমি-আপনি আমরা সবাই জাহান্নামে যাব, একমাত্র খ্রীষ্টানরা বাদে। ইহুদি ধর্মের ঈশ্বর সত্য হলে সবাই মিলে একসাথে জাহান্নামে যাব, খোদ ইহুদিদের পক্ষেও ইহুদি ধর্মের psychotic ঈশ্বরকে খুশি করা সম্ভব না।
Don’t believe in the bullshits taught by some damn Mollahs or religious aggravators and their narrow vision of God. NO ONE can be taken to heaven only for his religion, ’cause it would be irrational, some sort of BORN-SUPREMACY! I come from that religion so I should step onto heaven first and so so!
However I can defy all the scientific logic you’ve provided, but it’s irrelevant I guess.
Thank you…
@রক্তিম,
আপনাকে বাংলায় মন্তব্য করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। ভবিষ্যতে ইংরেজিতে মন্তব্য করলে তা প্রকাশ করার নিশ্চয়তা দেওয়া যাচ্ছে না।
@মুক্তমনা এডমিন,
আমি দুঃখিত, আমি নিয়মটি জানতাম না…
@রক্তিম,
সমস্যা হল, মোল্লারা বাতাস থেকে তাদের ধর্মীয় জ্ঞান পায় না। আমাদের মিডিয়ায় সবসময় ধর্মগ্রন্থের সহিংস চরণগুলো এড়িয়ে যাওয়া হয়। আপনার কথা ঠিক, ধর্মের ভিত্তিতে জাহান্নামে পাঠানোটা “born supremacy” এর মতই, কিন্তু বাস্তবতা হল ধর্মগ্রন্থে ঠিক এটাই বলা আছে। কোরানে অনেকগুলো আয়াত আছে যেগুলো কাফিরদের জাহান্নামে যাওয়ার কথা বলে, আবার অনেক আয়াত আছে যেখানে ইহুদি-খ্রীষ্টানদের স্বর্গে প্রেরণের কথা বলা হয়েছে। নিচের দু’টো আয়াত দেখুন,
2:62; Those who believe (in the Qur’an), and those who follow the Jewish (scriptures) , and the Christians and the Sabians, – any who believe in Allah and the Last Day, and work righteousness, shall have their reward with their Lord; on them shall be no fear, nor shall they grieve.
3:81-85: And whoever seeks a religion other than Islam, it will never be accepted of him, and in the Hereafter he will be one of the losers.”
এখানে উল্লেখ্য যে সূরা ইমরানের আয়াতটা বদরের যুদ্ধে বিজয় লাভের ঠিক পরপরই নাযিল করা হয়েছে। “Born supremacy” মনে হচ্ছে এখান থেকেই শুরু হয়েছে। অবশেষে মোহাম্মদের বক্তব্যই শুনুন,
আপনি বলেছেন,
জানেন নিশ্চয়ই মোহাম্মদ বনু কুরায়জা গোত্রের পুরুষদের কচুকাটা করেছিল। আপনার বিশ্বাস কিভাবে বনু কুরায়জা গোত্রের পুরুষদের সাহায্য করবে জানালে খুশি হতাম।
তাছাড়া একটু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখুন তো, ইসলামে বিশ্বাস না করেই যদি ইহুদি-নাছারারা স্বর্গে যেতে পারে তবে ইসলামে বিশ্বাস করার দরকার কি? সবাই তো তাহলে নিজেদের ধর্ম(যা ইসলামের দৃষ্টিতে “বিকৃত”) পালন করে চলবে, কেউ মোহাম্মদকে পাত্তা দিবে না, মোহাম্মদকে পাঠানোর উদ্দেশ্যটাই তো বিফলে যাবে!
@পৃথিবী,
আপনাকে আসংখ্য ধন্যবাদ, আপনি এসকল ব্যাপারে যথেষ্ঠ জ্ঞান রাখেন। আরও ধন্যবাদ আমার বক্তব্যের জবাবে এত শ্রম দান করার জন্য। আমার নিজেরই আসলে সামনে exam, আমিই কেটে পড়ার সুযোগ খুঁজছিলাম!
ভাই আমি দুঃখিত, কিন্তু আপনার পবিত্র কুরআনের উদ্ধৃত আয়াতসমূহ অসম্পূর্ণ। আলোচনার সুবিধার্তে আমি সূরা আল ইমরান এর কিছু অংশ উদ্ধৃত করলাম
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
بَلَى مَنْ أَوْفَى بِعَهْدِهِ وَاتَّقَى فَإِنَّ اللّهَ يُحِبُّ الْمُتَّقِينَ 76
যে লোক নিজ প্রতিজ্ঞা পূর্ন করবে এং পরহেজগার হবে, অবশ্যই আল্লাহ পরহেজগারদেরকে ভালবাসেন।
إِنَّ الَّذِينَ يَشْتَرُونَ بِعَهْدِ اللّهِ وَأَيْمَانِهِمْ ثَمَنًا قَلِيلاً أُوْلَـئِكَ لاَ خَلاَقَ لَهُمْ فِي الآخِرَةِ وَلاَ يُكَلِّمُهُمُ اللّهُ وَلاَ يَنظُرُ إِلَيْهِمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلاَ يُزَكِّيهِمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ 77
যারা আল্লাহর নামে কৃত অঙ্গীকার এবং প্রতিজ্ঞা সামান্য মুল্যে বিক্রয় করে, আখেরাতে তাদের কেন অংশ নেই। আর তাদের সাথে কেয়ামতের দিন আল্লাহ কথা বলবেন না। তাদের প্রতি (করুণার) দৃষ্টিও দেবেন না। আর তাদেরকে পরিশুদ্ধও করবেন না। বস্তুতঃ তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব।
وَإِنَّ مِنْهُمْ لَفَرِيقًا يَلْوُونَ أَلْسِنَتَهُم بِالْكِتَابِ لِتَحْسَبُوهُ مِنَ الْكِتَابِ وَمَا هُوَ مِنَ الْكِتَابِ وَيَقُولُونَ هُوَ مِنْ عِندِ اللّهِ وَمَا هُوَ مِنْ عِندِ اللّهِ وَيَقُولُونَ عَلَى اللّهِ الْكَذِبَ وَهُمْ يَعْلَمُونَ 78
আর তাদের মধ্যে একদল রয়েছে, যারা বিকৃত উচ্চারণে মুখ বাঁকিয়ে কিতাব পাঠ করে, যাতে তোমরা মনে কর যে, তার কিতাব থেকেই পাঠ করছে। অথচ তারা যা আবৃত্তি করছে তা আদৌ কিতাব নয়। এবং তারা বলে যে, এসব কথা আল্লাহর তরফ থেকে আগত। অথচ এসব আল্লাহর তরফ থেকে প্রেরিত নয়। তারা বলে যে, এটি আল্লাহর কথা অথচ এসব আল্লাহর কথা নয়। আর তারা জেনে শুনে আল্লাহরই প্রতি মিথ্যারোপ করে।
مَا كَانَ لِبَشَرٍ أَن يُؤْتِيَهُ اللّهُ الْكِتَابَ وَالْحُكْمَ وَالنُّبُوَّةَ ثُمَّ يَقُولَ لِلنَّاسِ كُونُواْ عِبَادًا لِّي مِن دُونِ اللّهِ وَلَـكِن كُونُواْ رَبَّانِيِّينَ بِمَا كُنتُمْ تُعَلِّمُونَ الْكِتَابَ وَبِمَا كُنتُمْ تَدْرُسُونَ 79
কোন মানুষকে আল্লাহ কিতাব, হেকমত ও নবুওয়ত দান করার পর সে বলবে যে, ‘তোমরা আল্লাহকে পরিহার করে আমার বান্দা হয়ে যাও’-এটা সম্ভব নয়। বরং তারা বলবে, ‘তোমরা আল্লাহওয়ালা হয়ে যাও, যেমন, তোমরা কিতাব শিখাতে এবং যেমন তোমরা নিজেরা ও পড়তে।
وَلاَ يَأْمُرَكُمْ أَن تَتَّخِذُواْ الْمَلاَئِكَةَ وَالنِّبِيِّيْنَ أَرْبَابًا أَيَأْمُرُكُم بِالْكُفْرِ بَعْدَ إِذْ أَنتُم مُّسْلِمُونَ 80
তাছাড়া তোমাদেরকে একথা বলাও সম্ভব নয় যে, তোমরা ফেরেশতা ও নবীগনকে নিজেদের পালনকর্তা সাব্যস্ত করে নাও। তোমাদের মুসলমান হবার পর তারা কি তোমাদেরকে কুফরী শেখাবে?
وَإِذْ أَخَذَ اللّهُ مِيثَاقَ النَّبِيِّيْنَ لَمَا آتَيْتُكُم مِّن كِتَابٍ وَحِكْمَةٍ ثُمَّ جَاءكُمْ رَسُولٌ مُّصَدِّقٌ لِّمَا مَعَكُمْ لَتُؤْمِنُنَّ بِهِ وَلَتَنصُرُنَّهُ قَالَ أَأَقْرَرْتُمْ وَأَخَذْتُمْ عَلَى ذَلِكُمْ إِصْرِي قَالُواْ أَقْرَرْنَا قَالَ فَاشْهَدُواْ وَأَنَاْ مَعَكُم مِّنَ الشَّاهِدِينَ 81
আর আল্লাহ যখন নবীগনের কাছ থেকে অঙ্গীকার গ্রহন করলেন যে, আমি যা কিছু তোমাদের দান করেছি কিতাব ও জ্ঞান এবং অতঃপর তোমাদের নিকট কোন রসূল আসেন তোমাদের কিতাবকে সত্য বলে দেয়ার জন্য, তখন সে রসূলের প্রতি ঈমান আনবে এবং তার সাহায্য করবে। তিনি বললেন, ‘তোমার কি অঙ্গীকার করছো এবং এই শর্তে আমার ওয়াদা গ্রহণ করে নিয়েছ? তারা বললো, ‘আমরা অঙ্গীকার করেছি’। তিনি বললেন, তাহলে এবার সাক্ষী থাক। আর আমিও তোমাদের সাথে সাক্ষী রইলাম।
فَمَن تَوَلَّى بَعْدَ ذَلِكَ فَأُوْلَـئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ 82
অতঃপর যে লোক এই ওয়াদা থেকে ফিরে দাঁড়াবে, সেই হবে নাফরমান।
أَفَغَيْرَ دِينِ اللّهِ يَبْغُونَ وَلَهُ أَسْلَمَ مَن فِي السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ طَوْعًا وَكَرْهًا وَإِلَيْهِ يُرْجَعُونَ 83
তারা কি আল্লাহর দ্বীনের পরিবর্তে অন্য দ্বীন তালাশ করছে? আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে স্বেচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক, তাঁরই অনুগত হবে এবং তাঁর দিকেই ফিরে যাবে।
قُلْ آمَنَّا بِاللّهِ وَمَا أُنزِلَ عَلَيْنَا وَمَا أُنزِلَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَقَ وَيَعْقُوبَ وَالأَسْبَاطِ وَمَا أُوتِيَ مُوسَى وَعِيسَى وَالنَّبِيُّونَ مِن رَّبِّهِمْ لاَ نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّنْهُمْ وَنَحْنُ لَهُ مُسْلِمُونَ 84
বলুন, আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর উপর এবং যা কিছু অবতীর্ণ হয়েছে আমাদের উপর, ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব এবং তাঁদের সন্তানবর্গের উপর আর যা কিছু পেয়েছেন মূসা ও ঈসা এবং অন্যান্য নবী রসূলগণ তাঁদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে। আমরা তাঁদের কারো মধ্যে পার্থক্য করি না। আর আমরা তাঁরই অনুগত।
وَمَن يَبْتَغِ غَيْرَ الإِسْلاَمِ دِينًا فَلَن يُقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِي الآخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ 85
যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতি গ্রস্ত।
كَيْفَ يَهْدِي اللّهُ قَوْمًا كَفَرُواْ بَعْدَ إِيمَانِهِمْ وَشَهِدُواْ أَنَّ الرَّسُولَ حَقٌّ وَجَاءهُمُ الْبَيِّنَاتُ وَاللّهُ لاَ يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ 86
কেমন করে আল্লাহ এমন জাতিকে হেদায়েত দান করবেন, যারা ঈমান আনার পর এবং রসূলকে সত্য বলে সাক্ষ্য দেয়ার পর এবং তাদের নিকট প্রমাণ এসে যাওয়ার পর কাফের হয়েছে। আর আল্লাহ জালেম সম্প্রদায়কে হেদায়েত দান করেন না।
أُوْلَـئِكَ جَزَآؤُهُمْ أَنَّ عَلَيْهِمْ لَعْنَةَ اللّهِ وَالْمَلآئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ 87
এমন লোকের শাস্তি হলো আল্লাহ, ফেরেশতাগণ এবং মানুষ সকলেরই অভিসম্পাত।
ধারাবাহিকভাবে আয়াতগুলো পড়লে আর অর্থ অনুধাবন করলে আমার মনে হয় না আল্লাহর বক্তব্য আর উদ্দেশ্য বুঝতে খুব বেশি সমস্যা হওয়ার কথা। লক্ষ্য করুণ ৮০ নম্বর আয়াতে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে আল্লাহ মুসলমান বলতে এমন কাউকে বুঝাচ্ছেন যিনি নবী-রাসূলগণের নিকট আগত আল্লাহর বাণীকে অনুসরণ করেন এবং আল্লাহকে বিশ্বাস করেন। আসলে ইসলাম কোন discrete finite ধর্ম নয়। সৃষ্টির শুরু থেকেই এর আগমন। It’s just been refined and renewed. একজন প্রকৃত মুসলমান যেমন এই ক্রমধারাতে বিশ্বাস করে তেমনি বিশ্বাস করে মহানবী (সাঃ) এর মাধ্যমে এর পুর্ণতা প্রাপ্তিতে। What we know as Islam is actually the last chapter of an event, the last and the concluding part. আপনি ৮৪ নম্বর আয়াতটি পড়ুন। আপনার কাছে ব্যাপারটি আরও পরিস্কার হবে।
আরও খেয়াল করুন ৮৩ নম্বর আয়াতটিতে “তারা কি আল্লাহর দ্বীনের পরিবর্তে অন্য দ্বীন তালাশ করছে?” এখানেও দ্বীন বলতে এই discrete but coherent chain of revelation কেই নির্দেশ করা হয়েছে। এরপর ৮৫ নম্বর আয়াতে ইসলাম বলতে আবারও এই দ্বীনকেই নির্দেশ করা হয়েছে।
আমার মনে হয় এখন আপনি আল্লাহর কি বলতে চেয়েছেন তা বুঝতে চেয়েছেন। আপনাকে একটা request করি। কোন বিষয়ে preconceived idea রাখবেন না। that doesn’t help too much. এখন আরেকটা ব্যাপারে আসি। যদি সব ধর্মই আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হয় তাহলে ইসলাম গ্রহণ করার দরকার কি? উত্তরটা খুব সহজ ইসলাম গ্রহণ না করলে সে তো তার পূর্বতন ধর্ম পালন করবেন কি করে? প্রায় সব ধর্মেই তো এই ক্রমধারা অনুসরণ করার কথা বলা আছে। ব্যাপারটা একটা উদাহরণ দিলে পরিস্কার হবে। ধরুন SSC certificate এর কথা। আপনি class 10 পর্যন্ত যা পড়লেন সব knowledge এর cumulative performance হবে SSC Exam. আপনি class 10 পর্যন্ত যত ভাল ছাত্রই হন অথবা লেখাপড়া করেন, কিন্তু SSC Exam দিয়ে pass না করলে তো আপনি SSC এর certificate পাবেন না। যদি ব্যাপারটা এমন হয় আপনার জীবনে SSC Exam দেওয়ার কোন সুযোগই ছিলো না তাহলে তো আর বলার কিছু নেই। তেমনিভাবে কারও কাছে যদি ইসলাম সম্বন্ধে কোন তথ্যই না আসে তাহলে সে তার ধর্মই পালন করবে। আল্লাহ নিশ্চই তাকে ভালবাসবেন যদি সে সৎকর্মশীল হয়।
ব্যাপারটা আরেকভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। নতুন প্রযুক্তিগত উৎকর্ষে আমাদের আগ্রহ অপরিসীম। আমরা কি Windows 7 বা Vista ছাড়া virus infected Windows 95 বা DOS use করতে চাইব। কোনকালেই না। স্বাভাবিকভাবেই আমি পুরাতন অবিশুদ্ধ নয় এমন কোন ধর্ম আকঁড়ে ধরে বসে থাকতে পারব না।
আমি জানি কথার পিঠে কথা উঠবে। এরপরে প্রশ্ন আসবে ইসলাম এর পর আল্লাহ কেন আর কোন ধর্ম পাঠালেন না। খুবই স্বাভাবিক। ধর্ম কোন বিজ্ঞান নয়। এটা মানবজীবনের মানবিক ও অবস্তুগত উৎকর্ষ নিয়ে কাজ করে। রবীন্দ্রনাথ তার সৃষ্টিশীল কর্ম আজ থেকে ১০০ বছর আগে লিখে গেছেন, তাই বলে আমরা বলতে পারি না তাঁর লেখা পুরান হয়ে গেছে ওগুলো এখন museum এ পাঠানো দরকার, এখনকার লেখকরা ঢের ভালো লেখেন! তাও তো তিনি একজন মানুষ। সুতরাং আল্লাহ মানুষের জীবনকে পরিচালনার জন্য যা দরকার তা already জানিয়ে দিয়েছেন বাকিটুকু মানুষের conscientious judgment and already known fact থেকে derived information.
ধর্মীয় তথ্য যদি সঠিক হয় এবং মানুষের interpretation যদি যথার্থ হয় তাহলে আসলে ধর্ম মানুষের জীবনকে সহজ করে। আর ধর্ম মানুষের জ্ঞানকে সীমিত করে না বরং সঠিক পথে বিস্তৃত করে। মহানবী (সাঃ) বলেছেন, “তোমরা পরস্পরের সাথে যুক্তিতর্কের মাধ্যমে জ্ঞানের অনুসন্ধান কর, যদি সঠিক সিধান্তে উপনীত হও তাহলে দ্বিগুন সওয়াব পাবে, যদি ভুল সিদ্ধান্তে উপনীত হও তাহলেও একগুন সওয়াব পাবে।”
ধর্ম মানুষকে সবকিছু বলে দেয় না, কিন্তু একটা starting point দেয় from where we can expand our knowledge properly. একাদশ শতকের একজন ধার্মিক মানুষের তুলনায় একবিংশ শতকের মানুষের ধার্মিক মানষ অনেক জ্ঞানী হবেন এটাই স্বাভাবিক। ধর্ম বিজ্ঞান নয়, কিন্তু জ্ঞানের একটা মুল্যবান শাখা। এটা আমকে জীবনের অনেক মৌলিক বিষয়ে নিশ্চিত থাকতে দেয় যাতে অন্যান্য বিষয়ে আমি সহজে এগিয়ে যেতে পারি।
আমি দুঃখিত আমি পরবর্তী অংশগুলোর যুক্তি খণ্ডন করতে পারলাম না, আসলে সামনে আমার exam, পর্যাপ্ত সময় নাই আমার হাতে! সময় পেলে পরবর্তীতে অবশ্যই করব। যাইহোক আপনার প্রথম অংশ যে সঠিক ছিল না এতটুকু নিশ্চই পরিস্কার করতে পেরেছি। ভাল থাকুন…
@রক্তিম, আমার যুক্তির premise যদি হয় যে ইসলাম একটি আলাদা ধর্ম, তবে অবশ্যই আমার প্রথম অংশ ভুল ছিল। আমার premiseটা যেহেতু আপনি মানছেন না, তাই আপনার প্রস্তাবিট premise নিয়ে আলোচনা করা যাক।
আসলে আমি সন্দেহ করেছিলাম যে বিতর্কের কোন না কোন পর্যায়ে আপনি দাবি করবেন যে আদমকে দিয়েই ইসলামের জন্ম হয়েছিল। এখন এই premise এর সমস্যাগুলো দেখা যাক:-
১) প্রথমত, “প্রথম মানুষ” এর ধারণাটাই একটা ভুল ধারণা। মানুষ বিবর্তনের মাধ্যমে উদ্ভূত হয়েছে, এটা একটা ফ্যাক্ট। আমি গায়ের জোড়ে এ দাবি করছি না, পৃথিবীর সকল প্রতিষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক সাময়িকীতে বিবর্তনবিদ্যা নিয়ে গবেষণামূলক প্রবন্ধ ছাপা হচ্ছে। বিজ্ঞানী সমাজে ডারউইনের decent with modification তত্ত্বটা নিউটনের মহাকর্ষের তত্ত্বের মতই একটা ফ্যাক্ট। তুরস্কের ইসলামী মৌলবাদ ও বিবর্তনবিদ্যার উপর সেন্সরশীপ নিয়ে নেচার সাময়িকীর এই প্রবন্ধে এর আলামত পাবেন। বিবর্তনবিদ্যাকে অস্বীকার করা মানে আপনি সমগ্র বিশ্বের বিজ্ঞানীদের কনসেন্সাসকে অস্বীকার করছেন। এখন চয়েসটা আপনারই।
২) বিবর্তনের প্রসঙ্গ যাক, “আদম” নামের কোন ব্যক্তির অস্তিত্বের কোন ঐতিহাসিক প্রমাণ নাই(এবং বলাই বাহুল্য, কোন এক অলৌকিক ঘটনাবলে বিবর্তন মিথ্যা হলেও আদমের অস্তিত্ব প্রমাণিত হবে না)। আপনি চাইলে প্রমাণ উপস্থাপন করার চেষ্টা করতে পারেন। অতএব, “ইসলাম আদিকাল থেকেই ছিল” দাবিটাও একটা ভিত্তিহীন দাবি। ধর্ম এই দাবি করতেই পারে, কিন্তু এটিও ধর্মের অন্যসব দাবির মত অপ্রমাণিত দাবি। একইভাবে খ্রীষ্টান-ইহুদিরাও দাবি করতে পারে তাদের ধর্মই একমাত্র সত্য ধর্ম, ইসলাম মোহাম্মদ ব্যবসা করার জন্য উদ্ভাবন করেছে।
৩) ইসলাম যদি আদি ধর্ম হয়, তবে বর্তমানের সব বিধর্মীরা তো তাহলে মুরতাদ! এই মন্তব্য লেখার মুহুর্তে পৃথিবীর কোটি কোটি বিধর্মী পরিবারে যতসব শিশু জন্মাচ্ছে, তারা সবাই অবধারিতভাবে মুরতাদ হবে, তাদের এই ব্যাপারে কোন চয়েজও নেই। আসলে আমরা আবার আমার প্রথম যুক্তিতেই চলে গিয়েছি- ইসলামের ঈশ্বর সত্য হলে পৃথিবীর সব বিধর্মীই জাহান্নামে যাবে, তা তারা গরীব-দুঃখী হোক অথবা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের সিইও হোক। এমনিতেই বিধর্মীরা কাফের বা ইসলামে অবিশ্বাসী, এখন ইসলাম “আদি ধর্ম” হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলে তো এরা কাফের+মুরতাদ হয়ে যাবে। এতে পৃথিবী অসংখ্য মানুষের উপকার তো হচ্ছেই না, উল্টো তাদের আরও বড় সর্বনাশ হচ্ছে!
আপনার পরীক্ষা শেষ হতে হতে হয়ত এই পোষ্ট মৃত হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে আপনি ফিরে এসে মুক্তমনার ইমেইল এড্রেসে অতিথি লেখক হিসেবে একটা আলাদা লেখা পাঠাতে পারেন। তার আগে অবশ্য মুক্তমনার বিবর্তন আরকাইভ এবং পুরনো সাইটের লেখাগুলো পড়ে নিলে ভাল হয়। আপনি যেসব যুক্তি পেশ করছেন, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা অনেক আগে মুক্তমনায় হয়েছে, যখন সাইটটি কেবল একটি ইয়াহু ডিসকাশন গ্রুপ ছিল।
@পৃথিবী,
ভাই, দেখুন আমি যথেষ্ট যুক্তিবাদী মানুষ। কিন্তু আপনি আমার লেখায় আদম (আঃ) আর বিবর্তনবাদ কোথায় পেলেন বুঝলাম না। আমি শুধু এটুকু লিখেছিলাম যে, আপনি কুরআনের যে আয়াতগুলোকে নিজের সমর্থনে ব্যবহার করেছহিলেন সেগুলো সঠিক নয়। আমার উপস্থাপিত তথ্য-উপাত্তে যদি কোন ভুল থাকে তাহলে তা উল্লেখ করুন।
আর বলা বাহুল্য, আমি একজন একনিষ্ঠ বিজ্ঞানের অনুরাগী। আমি বিবর্তনবাদে বিশ্বাস করি। বিবর্তনবাদ নিয়ে এত যুক্তি উপস্থাপনের দরকার ছিল না। যাইহোক আদম (আঃ) এর কাহিনী প্রায় সব ধর্মেই উল্লেখ আছে। এটা আসলে কিভাবে ঘটেছিল আমি জানি না। তবে আমার বিশ্বাস আল্লাহর ক্ষমতা অসীম হলেও পৃথিবীতে সবকিছু বাস্তবরূপেই ঘটে থাকে আল্লাহ সচরাচর প্রকৃতির নিয়মের ব্যত্যয় ঘটান না। যেমন বিবর্তনবাদের সাথে ধর্মের সম্মিলন এর ব্যাপারে আমার একটা ব্যাখ্যা আছে। আপনার কাছে হয়ত বা হাস্যকর মনে হবে। ধরুন পৃথিবীতে প্রাণের যখন বিবর্তন চলছিল তখন তখন parallelly some other place in the universe may be in some other dimension আদম (আঃ) এর ঘটনাবলীও ঘটে চলছিল। তারপর আল্লাহ যখন তাদের পৃথিবীতে পাঠালেন সেটা অবশ্যই শারীরিকভাবে না আত্মিকভাবে। আল্লাহ নির্বাচন করলেন একজোড়া প্রাণীকে এবং তাদের মধ্যে তাঁদের আত্মা প্রবেশ করালেন। তাদের সৃষ্ট বংশধর একই প্রজাতির অন্য প্রাণীকূল থেকে পৃথক হল এবং তারাই বিবর্তিত হয়ে আজকের মানুষে রূপলাভ করেছে। জানি হাস্যকর theory but this is one of million other probabilities.
আপনার এই মন্তব্যটা আমাকে সত্যিই হতাশ করেছে। আপনি কি আমার কথাগুলো কিছুই পড়েন নি?
আমার এই কথাগুলো কি আপনার কর্ণকূহরে প্রবেশ করে নি। একজন প্রকৃত মুসলমান আল্লাহ প্রেরিত সকল নবী-রাসূল এ বিশ্বাস করে। সেই সাথে এটা বিশ্বাস করে যে ইসলাম এর মাধ্যমে আল্লাহর পৃথিবীতে দীন পাঠানোর পরিসমাপ্তি। আপনি কি জানেন পবিত্র বাইবেলে যীশু খ্রিষ্ট বলছেন, “আমার পরে আরও একজন রাসূল আসবেন, আমি যার পায়ের জুতা বহন করারও যোগ্য নই।” কেউ যিশুকে মানবেন মুহাম্মদ (সাঃ) কে মানবেন না সেটা কি করে সম্ভব?
যাইহোক আমার মাথায় একটা ব্যাপার ঢুকছে না আপনি বারবার fanatic হয়ে কিছু misguided extremist এর বক্তব্য তুলে ধরছেন কেন???? এত কিছু বলার পরেও
এ ধরনের অযৌক্তিক কথা টেনে আনার মানে কি? প্রতিটি শিশু জন্মের পরপরেই বিশুদ্ধ ও পবিত্র। সে জাহান্নামে যাবে কেন? আপনি আমার কোন কথা থেকে এটা খুজে পেলেন বুঝলাম না। আপনি আমার কথার প্রেক্ষিতে কথা বলছেন, এখন কোথাকার কোন গরুছাগল কি মন্তব্য করল সেটাই ইসলাম এর মূল কথা আপনার এমন বিশ্বাসের কারণ কি? এদের সাথে হয়ত ৯০% প্রকৃত মুসলমান এক নয়। আর তাছাড়া কেউই ধোয়া-তুলসী পাতা নয়। একথা কে বলেছে যে মুসলমান হলেই তার সব কথা সঠিক and he/she is not susceptible to any misdeed.
@রক্তিম,
আপনি কি বুঝতে পারছেন না যে আপনি যে গল্প বলছেন তা রুপকথায় মানায়? কোন যুক্তিবাদী মানুষ কি যুক্তির ছাঁচে আপনার এই কথাটা হজম করতে পারবে? আপনি নিজে বলছেন যে আপনি যুক্তিবাদী বিজ্ঞান মনষ্ক মানুষ। বিজ্ঞান কি এরকম বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে চলে? বিজ্ঞানের মূল মন্ত্রই তো হচ্ছে বিশ্বাস হতে মুক্তি বা অবিশ্বাস। দেখুন বিজ্ঞানীরা কিন্তু প্রমান না পাওয়া পযর্ন্ত কোন কিছু সত্য বলে গ্রহন করে না। আর বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে পরম সত্য বলে কিছু হয়না। কখনও কোন বিজ্ঞানীকে দেখেছেন কি তাদের নিজেদের কোন প্রমান বিহীন বিশ্বাসের পক্ষে ঢোল পিটাতে, যে না আমার বিশ্বাসটাই সত্য? তারা তা করেন না কারন তারা জানেন ওটা তাদের জাস্ট ব্যাক্তিগত বিশ্বাস। আপনি নিজের বিশ্বাসের দ্বারা এমন মোহগ্রস্ত হয়ে কিভাবে নিজেকে বিজ্ঞান মনষ্ক দাবী করেন? বিজ্ঞান মনষ্ক হতে হলে বিজ্ঞান কিভাবে কাজ করে তা আপনাকে বুঝতে হবে। ধর্মের মূলমন্ত্র যেহেতু বিশ্বাস সেহেতু বিজ্ঞানের সাথে ধর্মের এই অনিবার্য সংঘাত আপনি ঠেকাবেন কিভাবে?
আমার কেন জানি মনে হচ্ছে বিবর্তনবাদ আপনি ঠিকমত বুঝতে পারেন নি। কারন এটা বুঝতে পারলে আদম হাওয়ার কাহিনী বোঝা সত্যিই দু:ষ্কর হয়ে ওঠে। আচ্ছা আপনি কি বন্যা রায়ের ‘বিবর্তনের পথ ধরে’ বইটি পড়েছেন? ওটা আপনাকে সাহায্য করতে পারে। তবে সবার আগে আপনাকে বিজ্ঞান মনষ্ক হয়ে গড়ে উঠতে হবে। বুঝতে হবে বিশ্বাস বিবর্জিত হয়ে বিজ্ঞান কিভাবে কাজ করে। বিজ্ঞান কখনও সৃষ্টির কর্তাকে খোজেনা। বিজ্ঞান খোঁজে সৃষ্টির নিয়মকে। কারন সৃষ্টির নিয়ম জানলে সৃষ্টির কর্তা অক্ক্বামের ক্ষুর সূত্রমতে এক ঠুটো জগন্নাথে পরিনত হয়। এ বিষয়ে জানতে এখানে দেখতে পারেন। তার মানে যদি কোন সৃষ্টি কর্তা থাকেনও তিনি হবেন ঠুটো জগন্নাথ। বিজ্ঞানের চোখে এই নিয়মই ঈশ্বর। এর আর আলাদা করে কোন সৃষ্টিকর্তার দরকার নাই। এরকম এক ঈশ্বরবিশ্বাসের সাথে তো ধর্মের ঈশ্বরের পুরো অমিল। বিজ্ঞানীদের কাছে তাই প্রমান বিহীন বিশ্বাস, ধর্মবিশ্বাসের কোনই মূল্য নাই। পৃথিবীর কোন প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞানীকে কি দেখেছেন নিজের প্রমান বিহীন ব্যাক্তিগত ধর্মবিশ্বাসের স্বপক্ষে আজগুবী রুপকথার গল্প বানিয়ে প্রমান হিসেবে কোন জার্নাল, কোন পেপার বা নিদেনপক্ষে কোন আলোচনা সভায় তথ্য পেষ করেছেন?আপনি আপনার ধর্ম বিশ্বাসের একজন প্রচারক হয়ে নিজেকে কিভাবে বিজ্ঞান মনষ্ক দাবী করেন?
@মিঠুন,
আপনার বক্তব্য আমার ভাল লেগেছে। আমি কোন ক্ষেত্রেই আপনার সাথে দ্বিমত পোষণ করি না। ধর্মকে বিজ্ঞানের কষ্টিপাথরে যাচাই করলে হয়ত বা অনেক কিছুই ধোপে টিকবে না। আর বিবর্তনবাদ সম্বন্ধে আমার যে বলতে পারেন assumption তা সত্য হতে হবে এমন কোন দাবী আমি করি না। আসলে আমি একটা possibility দেখিয়েছি যেটা বিবর্তনবাদ সম্বন্ধে ধর্ম ও বিজ্ঞানের apparent contradiction কে কিছুটা লাঘব করে। আমি নিজেও আসলে জানি না আসলে কি ঘটেছিল। আমি শতভাগ বিজ্ঞানমনস্ক হয়েও কেন ধর্মকে ছাড়তে পারি না তার কারণ অন্যখানে সেটা আমার প্রথম post এ আলোচনা করেছি।
আর আরেকটা কথা বলি বিজ্ঞান বিষয়ক ধারনা আমার একেবারে সামান্য নয়। আমি computer science & engineering এর student। আমার under graduate level এ IEEE (Institute of Electrical & Electronics Engineers, Inc.) থেকে একটা conference paper আর Springer এ একটা Journal publication এর জন্য আছে। বৈজ্ঞানিক কাজের ধারা সম্বন্ধে ধারণা না থাকলে এগুলো পারার তো কথা না। অবশ্য আমি বিবর্তনবাদ সম্বন্ধে আমার ধারনা নিয়ে কোন journal প্রকাশ করতে যাব না! যাইহোক এসব কথাবার্তা এখানে অপ্রাসঙ্গিক। তবে বিজ্ঞানের বিষয়ে কাজ করতে গেলে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই কাজ করতে হবে সেখানে সেখানে আসলে অন্ধবিশ্বাস হবে আত্মঘাতী। প্রশ্ন হচ্ছে ধর্ম-বিশ্বাস কি সেই মানুষের জন্য বৈজ্ঞানিক হয়ে ওঠার অন্তরায়। ব্যাপারটা man to man vary করবে। আমার ক্ষেত্রে কখনো হয় নি। আরেকজনের ক্ষেত্রে হবে না তা বলতে পারি না। কিন্তু সেক্ষেত্রে অবশ্যই তার বিশ্বাসে ভ্রান্তি আছে। আমার আর তার বিশ্বাস নিশ্চই এক নয়…
@রক্তিম,
আপনার এই উত্তরটা দেখে ভালো লাগলো (যদিও আগের উত্তরগুলো পড়িনি, মিঠুনকে উত্তর দিতে গিয়ে আপনার মন্তব্যটা চোখে পড়লো)। ধর্মকে ছাড়তেই হবে এমন কোন কথা তো নেই। যাদের কাছে ছাড়াটা যৌক্তিক মনে হবে তারাই ছাড়বেন অন্যরা হয়তো ছাড়বেন না। শুধু ধর্মগ্রন্থের স্থবির যুক্তিগুলোকে টেনে এনে বিজ্ঞানকে ভুল প্রমাণ না করলেই হল। আমার চারপাশে এমন ধার্মিক ব্যক্তিও আছেন যারা মনে করেন যে তাদের যেমন ধর্ম মানার অধিকার আছে তেমনি অন্যদের না মানারও অধিকার আছে, (যেটা আবার বেশীরভাগ ধার্মিক মানুষই আবার মানতে চান না)। নিজের বিশ্বাসকে আলাদা করে ব্যক্তিগত বিশ্বাসের জায়গায় রেখে বিজ্ঞানকে বিজ্ঞানের জায়গায় রাখা হয়তো সম্ভব, স্টিফেন যে গুল্ড একেই মনে হয় Nonoverlapping Magisteria বলেছিলেন। বিজ্ঞানমনষ্ক হয়ে যারা ধর্ম মানেন তারা ধর্মের বিভিন্ন কন্ট্রাডিকশানের সাথে কোন না কোন ভাবে আপোষ করেই সেটা মানেন। বায়োলজিষ্টদের মধ্যে যৌক্তিক কারণেই সবচেয়ে কম ধার্মিক পাওয়া যায়, কিন্তু যারা ধার্মিক তারাও কিন্তু বিবর্তনকে সঠিক বলেই মনে করেন, এখানে ধর্মীয় ব্যাখ্যা টেনে নিয়ে আসেন না বরং ধর্মকে বিজ্ঞানের মধ্যে নিয়ে আসলে সেটাকে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে রিফিউট করেন। ড্যানিয়েল ফেরায়ব্যাঙ্কসের একটা চমৎকার পপুলার সাইন্সের বই আছে মানুষের বিবর্তন এবং জেনেটিক্সে নিয়ে। তিনি এই (রেলিক্স অফ এডেন) বই এ বিবর্তনবাদ, নরবানর থেকে মানুষের বিবর্তন এবং জেনেটিক্সের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন এবং শেষে গিয়ে খুব স্ট্রংলি ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন রিফিউট করেছেন। উনি বইটার মুখবন্ধে বলেছেন, ‘ I hold deep religious convictions. However, along with them, I strongly believe that attempts to discredit the powerful evidence of evolution actually harm faith rather than promote it.’
@বন্যা আহমেদ,
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এতক্ষণ I’ve just been fish out of water! আপনার লেখাটা পড়ে ভাল লাগলো। আমি আপনার সাথে সম্পুর্ণ একমত। আমার এখানে আর বিশেষ কিছু add করার নেই…
@মিঠুন,
বন্যা রায় লিখেছেন ‘বিবর্তনের পথ ধরে’ বইটা? তাহলে তো মামলা করতে হয় একই নামের আরেকটা বই লেখার জন্য :-X ! আপনি একটু খোঁজ নিয়ে দেখুন তো বন্যা আহমেদ এর লেখা বইটা এভাবে হাইজ্যাক হয়ে গেল কিভাবে :laugh: ।
@বন্যা আহমেদ,
:-X :-Y
উফফ, কেমনে যে ভুলটা হল!! এইবারে আমারে ছাইড়া দেন।
তয় অভিদার নামের সাথে আপনার নাম হাইব্রিড হওয়াতে মনে হয় অভিজিৎ আহমেদ খুশীই হয়েছেন.. 😉 😉
@রক্তিম,
ভাই
তোমার লেখা পড়ে বুঝলাম তুমি যুক্তিবাদি বা বিজ্ঞান মনস্ক কোনটাই নও। তবে তোমার মাথায়া এনালাইটিক বুদ্ধি আছে আবার একই সাথে ধর্মভীরু পরিবারে বড় হওয়ায়, আল্লা এবং আল্লার আইন নিয়ে নিদারুন ভীতি তোমার মাথায় কাজ করছে। ফলে তোমার লেখা থেকেই স্পষ্ট তোমার মাথার মধ্যেই বিজ্ঞান বনাম ধর্মের একটা দ্বন্দ আছে-যেটা ধর্মভীরু পরিবার থেকে উঠে আসা লোকজনের মধ্যে থাকে। এবং সেই দ্বন্দে তুমি কোন একটি দিক নিতে ব্যার্থ হওয়াতে কিছু কাল্পনিক সংশ্লেষের চেষ্টা করছ। যা হাস্যকর এবং অপ্রয়োজনীয় ও বটে।
রুল নাম্বার ওয়ান হচ্ছে বিজ্ঞানে গোঁজামিলের কোন সুযোগ নেই। ওসব ধর্মের জন্যে।
রুল নাম্বার টু হচ্ছে বিজ্ঞানের জার্নালে পেপার পাবলিশ করলেই কেও বিজ্ঞান শেখে না-এখানে যারা লেখা লেখি করে অনেকেই কিছু কিছু না কিছু জার্নাল পাবলিকেশন করে। আমিও করি। তাতে বিজ্ঞানের দর্শন গভীরে শেখা যায় না। বিজ্ঞানের দর্শন একটা আলাদা ফিল্ড-এবং তা দর্শনের মতন আলাদা ভাবেই চর্চা করতে হয়। তাই আমার দু চারিটি পাবলিকেশন আছে-তাই আমি বিজ্ঞান বুঝিয়াছি এই ধরনের দাবি হাস্যকর। কে বিজ্ঞান বোঝে আর বোঝে না, সেটা তার লেখা থেকেই প্রতিভাত হবে। দাবী থেকে না।
@বিপ্লব পাল,
আমি যথেষ্ট ধৈর্য্য ধারণ করে এতক্ষণ এই blog এ comment করছিলাম। এখন মনে হচ্ছে আমি মস্তবড় গাধামি করেছি। মানুষের বিশ্বাস-অবিশ্বাস এ মতবিরোধ থাকতে পারে, কিন্তু আপনি যাকে চেনেন না জানেন না কোনদিন দেখেন নি, তার capability নিয়ে মন্তব্য করার ধৃষ্টতা দেখান কোন সাহসে। আপনি সম্পূর্ণ অপ্রত্যাসশিতভাবে যে মন্তব্য করলেন, তা অনেক নিম্নমানের সভা-সমিতিতে শোভা পায়। আমি অন্ততপক্ষে এরকম blog এ এরূপ ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণাত্মক মন্তব্য পাব তা আশা করি নি।
আপনার এত গাত্রদাহের কারণ আমার ঠিক বোধগম্য হল না। শুধু আমি ধর্মে বিশ্বাস করি বলে আমার সমস্ত জ্ঞান, মেধা, প্রতিভা বিফলে যাবে? আর এই হচ্ছে আপনার বিজ্ঞান-মনস্কতা, আপনি একজন মানুষের একটা ক্ষুদ্র blog এর একটা ক্ষুদ্র শাখায় কিছু ক্ষুদ্র comment আর পালটা comment দেখে তার পুরা জীবন বৃত্তান্ত আবিস্কার করে ফেললেন! আশ্চর্য আপনার biased prejudice, মূদ্রার ওপিঠ দেখার সামর্থই তো আপনার crippled.
যাইহোক আপনার জ্ঞাতার্থে জানিয়ে দেই, আপনার ধারণা সবৈর্ব মিথ্যা। আমি কোন religious গোঁড়া, ধর্মভীরু পরিবারে জন্মাই নি, আমার পিতা ৪০ বছর পর্যন্ত কোন ধর্মীয় বিধি-বিধান মেনে চলেন নি। আমার মা ও ধর্মও করেছেন অনিয়মিত। আমাকে কেউ ধর্ম বিশ্বাস অথবা পালনে উৎসাহিত করেনি। তারপরও আমার ধর্ম বিশ্বাসের তুলনায় আমার পিতা-মাতা এখনও শিশু। আমি জীবনে কখন ওয়াজ-মাহফিল ইত্যাদি কিছু থেকে জ্ঞান ধার করি নি। I accumulated the fact যা অভিজ্ঞতা থেকে বুঝেছি and what I felt right of course.
paper, publication থাকলেই শুধু বিজ্ঞান-মনস্ক হওয়া যায় না, সেটা আমিও জানি। কিন্তু তাহলে নিজেকে বিজ্ঞান-মনস্ক হিসেবে প্রমাণ করার জন্য কি করতে হবে? একটা blog এ এসে Hawking এর theory নিয়ে জ্ঞানগর্ভ বুলি আউড়িয়ে তার সাথে ধর্মকে অকারণ গুলিয়ে ফেলে নিজের নাস্তিকতার চূড়ান্ত প্রমাণ প্রতিপাদনের মাধ্যমে। এমন অনেকেই আছে নিজের standard উন্নত করার জন্য বিজ্ঞানের চর্চা করে। কিন্তু তাদের মধ্যে কোন দর্শন থাকে না। তারা ব্যক্তিগত স্বার্থ-সিদ্ধির কোন হেতু ছাড়া অকারণ এরকম blog এ লিখে সময় নষ্ট করবে না। আর আমি এখানে বৈজ্ঞানিক বিষয়ে তর্ক করতে আসিনি এ তো আগেই বলেছি। তাহলে আপনি এখানে আমার বৈজ্ঞানিক দর্শণ আর যুক্তিবাদীতার প্রমাণ পাবেন কি করে? যাহোক আমার নিজেকে প্রমাণের এতো ইচ্ছা নেই। আপনাদের blog এ আপনারা লিখুন। আমি এখানে আর কোন post দিব না।
@রক্তিম,
ভাই রেফারেন্স দিলে ভাল হয়। কোথায় পাব যে যীশু খ্রিষ্ট এ কথা বলেছেন?
@সীমান্ত ঈগল,
আমি ঠিক করেছিলাম এই ব্লগে আর আসব না!!!
তবে আসলে আপনি ঠিকই বলেছেন কোনকিছু স্মৃতির উপর ভরসা করে লিখতে নাই! কথাটি বলেছিলেন John the Baptist কিন্তু সেটা যীশু খ্রিস্ট (pbuh) সম্পর্কে।
তবে মুহাম্মাদ (pbuh) সম্বন্ধে বাইবেল এর ভবিষ্যতবাণীর অজস্র প্রমাণ আপনি পাবেন এই website থেকে-
আপনি আগ্রহী হলে দেখে নিতে পারেন…
@রক্তিম,
বিশ্বাসের উপর আপনার ভাল যুক্তি আছে। আপনার লেখার Style ভাল। আপনার সাথে আদান-প্রদান করা যায়। নীচে পৃথিবী আপনার যুক্তি নিয়ে ভাল আলোচনা করেছেন। নিশ্চয় পড়েছেন।
অসহায় মানুষের একমাত্র আশ্রয় নিজ নিজ ঈশ্বর। এই অন্ধ বিশ্বাস একরকম মাদকতা। এতে কষ্টমুক্তির শক্তিশালী ঔষধও আছে। বিশ্বাসীদের জন্য কাজ হয়। কিন্তু ওই কাজ পর্য্যন্তই। প্রশ্ন থাকে – ঈশ্বর কি আদৌ আছে? থাকলে তার সৃষ্টিতে পাকীদের অরাজকতায় কেন তিনি নিশ্চুপ থাকলেন? আমাদের এসব চিন্তা করতে হবে।
এই প্যারাগ্রাফে এসে আপনার সাথে আলাপ করা যাচ্ছে না। এখানে
কোটায় কিন্তু আমি পড়ি না।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
Apology for my last para, I usually don’t write in that way. Probably I got too emotional.
অসহায় মানুষের একমাত্র আশ্রয় নিজ নিজ ঈশ্বর। এই অন্ধ বিশ্বাস একরকম মাদকতা। এতে কষ্টমুক্তির শক্তিশালী ঔষধও আছে। বিশ্বাসীদের জন্য কাজ হয়। কিন্তু ওই কাজ পর্য্যন্তই।
Probably you are right. Once I read an article on “Creation of God in Our Mind”. But that is not my point. My point is should we let the departed soul be unattained and bereft of justice for eternity, ’cause I don’t see any other way. Yep you can ensure future order and peace, but what about the past? I think we need a time machine.
Now for your last comment
প্রশ্ন থাকে – ঈশ্বর কি আদৌ আছে? থাকলে তার সৃষ্টিতে পাকীদের অরাজকতায় কেন তিনি নিশ্চুপ থাকলেন?
If God’s presence was so obvious then neither we would argue on this topic nor Paki soldiers could bring hell on the people of Bangladesh! God’s lack of presence gives us the chance to show what we truly are when without any control or restriction.
I’m sorry for introducing a ethical question in a scientific blog. I just wanted to present some points to ponder.
দারুণ একটা খবর! শেয়ার করার ধন্যবাদ।
কমেন্ট পরতে পরতে হাপিয়ে গেলাম সত্যি বেশ ভালো লেখা। আমার কথা হয়তো এখানে অনেকেরই অপছন্দ হতে পারে, বান্দর ধর্মবাদি টাইপ মনে হতে পারে কিন্তু একটু সুনে নিলে খুশি হতাম 🙂 আমি কোনো এক্সট্রিম কথা না বলার চেস্টা করব এবং কারও আঘাত না লাগানোর চেস্টা করব। সত্যি বলতে আমি টিভি দেখা হারাম বলা হুজুর, ধর্ম মানা কারি রা প্রগতিবিরোধি বলা প্রগতিবাদী আর ৪ বছরের মহানবী(সাঃ) কে এক খ্রীস্টান পন্ডিত সব কুরান মাজিদ শিখিয়ে দিয়েছে বলা বিজ্ঞ তিন জনকেই হাসির পাত্র ভাবি।
১ম স্টিফেন হকিং অনেক বড় বিজ্ঞানি এবং অব্শ্যই আমার উর্দ্ধে তাতে কোনো সন্দেহ নেই কিন্তু তিনিও যা বলবেন তার সব ঠিক একথা কি কেউ বলতে পারবেন। প্রাচীন গ্রিসে যখন পৃথিবী সমতল এবং মহাবিশ্ব এক চাদর বলা হত তখনকার কথাগুলোও তখন বিজ্ঞানই ধরা হতো। তখন অন্য কথা বললে তাকে মৌলবাদি টাইপ কিছু একটা ই বলা হতো 😉
তেমনই আজ থেকে ৫০০-১০০০ বছর পর বিজ্ঞানীরা বর্তমান বিজ্ঞানীদের উক্ত কথাগুলোকে হাসির খোরাক বানাবেনা তার কোনো গ্যারান্টি আছে। আসল কথা এই জিনিসগুলা এতই জটিল যে তাতে বের হয়া তথ্য ভুল প্রমানীত হতে বাধ্য। জদিও এই তথ্য আমাদের প্রয়োজন নতুন তথ্য বের করার জন্য।
২য় বিজ্ঞান যাই বের করুক তাতে ধর্ম ভুল আল্লাহ নাই একথা টানার কি দরকার। যারা ধর্ম বিলিভ করি তারা বোকা জানেনা কিছুই , অন্ধ বলার দরকার কি। আমি ধর্ম বিলিভ করি এবং আল্লাহ উপর ভরসা আছে তার অর্থ আমি বিগ ব্যাঙ্গ কে ব্যাঙ্গাচি বানাছি তা তো না। বিজ্ঞান অবশ্যই প্রয়োজন কিন্তু সেটা ধর্ম মেনেও করা জায় এবং আরো ভালো ভাবেই ্যায়। কিভাবে সেটা জারা দুই টা ই মেনে চলে তারা ই বলতে পারবে। এবং মানুন বা নাই মানুন স্রস্টা এই দুনিয়া আমাদের দিয়েছেন এর রহস্য ভেদ আমাদের কাজে লাগানোর জন্য এবং ইহাই বিজ্ঞান আমার মতে।
৩য় কেউ কেউ বল্লেন ধর্মে বিজ্ঞান আনা নিয়ে। তো ধরেন(একটু ধরেন 🙂 আপনি বিজ্ঞান আর ধর্ম উভয়ে বিশ্বাসি। তো আপনি মানবেন যে আল্লাহ সবকিছু তৈরি করেছেন আর বিজ্ঞান তৈরি এর রহস্য ভেদ করছে। তো আপনি ধর্মের জিনিসগুলো কি দেখবেননা বিজ্ঞান দিয়ে বের করা যাচ্ছে কিনা। বিজ্ঞানে নতুন তথ্য তো সরবদাই আসছে কিন্তু ধর্মে তো স্থির । তাই আমার মত পাবলিক রা যখনই দেখি বিজ্ঞানের টপিকটা মিলে যাচ্ছে ধর্মের সাথে তখন বুঝি না বিজ্ঞান এখন একটা স্থির কথা বের করতে পেরেছে। বিজ্ঞান আরেক দফা এগালো(লাইক আমি বিগ ব্যাংগ কে মেনেছি এর পক্ষে কুরানের আয়াত দেখে)
যাক কেউ যদি আমার ক্যাচাল পরে থাকেন যানি এক গাদা মাইনাস দিবে এবং বহুত কথা বলবেন, আর যারা যা মানেন তারাও তাই মানতে থাকবেন কিন্তু তাও আমার প্রথম মুক্ত মনা কমেন্ট দিলাম আর কি 🙂
অফটপিক: সাফায়েত ব্লগ সুন্দর হয়েছে। কিন্তু প্রভাতের স্ক্রিপ্ট টায় একটু প্রবলেম মনে হলো। য টা মাঝে মাঝে প্রবলেম করছে।
Keep It Up 🙂
@রিদোয়ান, মানুষের অনুভূতিকে নিরাপদ রাখার জন্য “বিজ্ঞান আর ধর্ম আলাদা ব্যাপার” কথাটা বলা যায় ঠিকই, কিন্তু কোন না কোন পর্যায়ে দু’টোর মধ্যে সংঘর্ষ লাগতে বাধ্য। জীববিজ্ঞানের জগত থেকে ডারউইন ঈশ্বরকে তাড়িয়ে দিয়েছেন, এখন এটা দাবি করা অযৌক্তিক যে ঈশ্বর নিজ হাতে সযত্নে প্রত্যেকটি প্রজাতির নকশা করেছেন। আপনি ঈশ্বরে বিশ্বাস করলে আপনার ঈশ্বর হবে এমন এক সত্ত্বা যিনি মহাবিশ্ব তৈরী করে হাত-পা গুটিয়ে বসে আছেন। এখন পদার্থবিদরা যদি দেখান যে মহাবিশ্ব সৃষ্টির জন্য কোন “এজেন্ট” এর প্রয়োজন নেই, তাহলে ঈশ্বরের ভূমিকা একদমই বিলীন হয়ে যাবে। পদার্থবিদরা যদি মুখ ফুটে কথাটা নাও বলেন, তবুও সিদ্ধান্তটা থেকে কিন্তু আমরা মুখ ঘুরিয়ে নিতে পারব না।
মোদ্দা কথা হল, ধর্মকে আগলে রাখার কোনই কারণ নেই। ধর্মকে অবশ্যই বিশ্লেষণ করতে হবে, এর দাবিগুলোকে যাচাই করতে হবে। বিজ্ঞানীদেরকে কেন ধর্মের ব্যাপারে নিশ্চুপ থাকতে হবে, আমি এটা কিছুতেই বুঝি না। বিজ্ঞানের সাথে যখন ধর্মের সংঘাত হচ্ছে, তখন বিজ্ঞানীদেরকে তাঁদের ইনটেগ্রিটি বজিয়ে রাখার জন্য কি দোষারোপ করা যায়?
সমস্যাটা তো এখানেই, ধর্ম এখনও সমতল পৃথিবী আর জীন-পরী-যাদুর জগতে আটকে আছে যেখানে মানুষ কৃত্রিম ডিএনএ তৈরী করছে, চাঁদে পা রাখছে। পরিবর্তনশীল জগতে স্থিতিশীলতা মোটেই কোন কাজের কথা না। বিজ্ঞান-প্রযুক্তি যদি শুধু পাথর ঘষে আগুন তৈরী করাতে সীমাবদ্ধ থাকত, ধর্মের মত “স্থিরঃ হয়ে থাকত(ধর্ম কিন্তু স্থির বসে নেই, এখন কোরান-বাইবেল থেকে আয়াত উদ্ধৃত করলেও মানুষ স্বীকার করবে না যে এগুলোতে কোনভাবেই গোলাকার পৃথিবীর কথা বলা হয়নি), তাহলে এই মুহুর্তে আপনি কি করতেন শুধু একটু কল্পনা করুন। তাছাড়া খুটিনাটি বিষয়াদি বাদে বিজ্ঞানের তত্ত্বগুলো কিন্তু খুব একটা পরিবর্তিত হচ্ছে না। পৃথিবী সবসময়ই সূর্যের চারদিকে ঘুরত, ঘটছে এবং কোন অঘটন না ঘটলে ভবিষ্যতেও তাই করবে 🙂
@পৃথিবী, আমি শুধু ধর্মের উপর সরাসরি এটাকগুলো দেখে একটু বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু এখন সরি একটু আপনাদের কথার পালটা যুক্তি দিতে হচ্ছে।
যাক আপনি যদি এই কথা মনে করেন তো আর কি বলবো 😀 । একটা ঘটনা মনে পরলো ; গনিত অলিম্পিয়াডে আবেদ চৌধুরি ( বর্তমানের ওয়ান ওফ বেস্ট জীন বিজ্ঞানি ) কে জীগেস করেছিলাম “আচ্ছা সার যদি ভাইরাস আদি জীব হয়ে থাকে তো আমরা জানি ভাইরাস কোনো জীবদেহের বাইরে জড় এবং বংশবিস্তার করতে পারেনা। তো প্রথম ভাইরাস কিভাবে বংশবিস্তার করলো। ওনার তিন মিনিটের আমতা আমতার মধ্যে মেইন দুটো কথা কিভাবে হলো সেটাতো আসলে দর্শনের ব্যাপার,আমরাতো ওখানে ছিলাম না আর ক্যামিস্টি তে পরেছনা সবকিছু আসলে সাম্যতার দিকে যায়। এজন্যই এটাও সাম্যতার দিকে গেছে।”( স্মাইলি আর ওনাকে সম্মান করে বসালম না )
ইন্টারে বাইওলোজি না পরায় হয়তো যানিনা সত্যিই হয়ত সব জীনের বিকাশের বিবর্তন ট্রি এর প্রত্যেক প্রজাতি চিন্হিত করে আমার এরকম প্রশ্নের উত্তর বের হয়ে গিয়েছে কিনা। সত্যি হয়ে গেলে আমার জানতে হবেতো ভাইরাস থেকে শুধু আলোর উজ্জলতা ডিটেক্টর পুন্ঞ্ঝাক্ষি আর তার থেকে আলো ও রং বিশ্লেষক আমাদের চোখের বিবর্তন।
অবশ্যই ধর্মকে বিশ্লেষন করতে হবে। এবং সেটা সত্যি বিজ্ঞান দারা করতে হবে। সত্যি কি করা হচ্ছে। কেউ একজন বললো (যদিও সে মহান পদার্থবিদ) ইশ্বর লাগেনা সবকিছু সৃষ্টি করতে আর খবর মিডিয়া মিডিয়ায় প্রচারিত। কিন্তু কেউ যদি ধর্মগ্রন্থের কোনো কিছু বিশ্লেষন করে বৈজ্ঞানিক কিছু পায় তো তার পাত্তাও নাই। ধর্মকে বিশ্লেষন করুন প্রত্যেক লাইনকে এর পর দেখুন আসলে বিজ্ঞান আর ধর্মে পার্থক্য কততুকু। আর ধর্ম স্থির বলতে ভুঝিয়েছি এর কথাগুলো আগে থেকেই আসে। তবে বিজ্ঞানের সাথে মানুষের বুঝার খমতা বারার সাথে সাথে একই কথার মধ্যে নতুনত্বতো পাবেন ই। আল্লাহ নুরের তৈরী কথার দারা আল্লাহ নুরের দারা ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ জাতীয় কোনো শক্তির কথা বুঝিয়েছেন এটা বর্তমানের সাইন্স পরা কেউ সহজেই বুঝবে।
কথাটার জন্য একটি কুরানের বর্নিত ঘটনা আছে সংক্ষেপে বলি(যদিও হয়তো ইহা যুক্তি নাও লাগতে পারে অনেকের কাছে)
মুসা(আঃ) একবার আল্লাহকে বলেন তুমি কি কখনও ঘুমাও না। আল্লাহ ওনাকে বল্লেন দুই গ্লাস পানি নিয়ে রাত্রে দারিয়ে থাকতে। রাত্রে দারিয়ে থাকতে থাকতে এক সময় উনি ঝিমিয়ে গেলেন আর গ্লাস দুটি লেগে ভেঙ্গে গেলো। আল্লাহ বল্লেন আমি যদি ঘুমাই তো এই অবস্থাই হবে ।( কাহিনিটি একুরেট কুরানের না কারোন হুবহু আমার কথাগুলো মনে নাই সরি তবে ভাব এরকম ই)
আসা করি কোনো কথায় মাইন্ড করবেন না 🙂
@রিদোয়ান,
আপনি কি জানেন অ্যাটম বোমার কথা বেদে বলা আছে, এবং পৃথিবীর যাবতীয় জ্ঞান বিজ্ঞান মহাভারত থেকে আহৃত?
:-X
@রিদোয়ান,
কিন্তু আপনি পরে বলছেন,
স্ববিরোধীতা হয়ে গেল না? যাই হোক, ধর্মকে সরাসরি আক্রমণ করলে সমস্যা কি?
এর কারণ হল বিজ্ঞানীরা আগে সিদ্ধান্ত নিয়ে পরে প্রমাণ খুজেন না, আগে প্রমাণ খুজে তারপর সিদ্ধান্তে উপনীত হন। এটা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির খুব মৌলিক একটা অংশ। ধর্মগ্রন্থে বিজ্ঞান খোজা লোকজন আগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে তারপর জোড়জবরদস্তি করে ধর্মগ্রন্থের বাক্যের সাথে বিজ্ঞানকে মিলিয়ে দেন। এগুলো ধর্মগ্রন্থের বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ না, বৈজ্ঞানিক গবেষণা তো নয়ই- এগুলো হল মিথ্যাচার।
ভাইরাসের প্রজননের জন্য কোন “দেহ” লাগে না, শুধু একটা জীবিত কোষ লাগে। ভাইরাসের সাথে কোষের জেনোমের কিছু সাদৃশ্য দেখে ধারণা করা হচ্ছে কোষের জেনোম থেকে কিছু runaway ডিএনএ দিয়েই ভাইরাস গঠিত হয়েছে।১ অর্থাৎ, জন্মের পর থেকেই ভাইরাস প্রজননের জন্য কোষ পাচ্ছে।
ভাইরাস থেকে চোখের বিবর্তন হয়েছে, এমন তথ্য কোথায় পেলেন জানালে ভাল হত। চোখের বিবর্তনের সচিত্র ব্যাখ্যা আপনি বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞানের উপর অনেক তথ্যচিত্রে পাবেন। আপাতত ইউটিউবে স্যার ডেভিড এটেনবরোর “Charles Darwin and the Tree of Life” তথ্যচিত্রটা দেখতে পারেন। তথ্যচিত্রের দৈর্ঘ্য হল ৫৯ মিনিট ৩০ সেকেন্ড। চোখের বিবর্তনের অংশটা পাবেন ৪১ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডে 🙂
তাই নাকি? ইলেকট্রনিক ম্যাগনেটিক তরঙ্গের কোন কোন বৈশিষ্ট্য নূরের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায় সেটা পয়েন্ট আকারে পোষ্ট করলেম বাধিত হব। কথা প্রসঙ্গে বলে রাখি, আমাদের বাসার বুয়াটা ভূতে বিশ্বাস করে। গ্রামের লোকদের জিজ্ঞেস করলে জানতে পারবেন যে ভূতগুলো বেশিরভাগ সময় কোন মৃত ব্যক্তির রুপ নিলেও মাঝে মাঝে রহস্যময় এক জ্যোতির রুপে আবির্ভূত হয়। এ থেকে আধুনিক বিজ্ঞানের আলোকে কি আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি যে পল্লী বাংলা মানুষ ভূত বলতে আসলে একটা বিশেষ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের ইলেকট্রম্যাগনেটিক ওয়েভ বুঝাচ্ছে?
কোরান-হাদিসের কাহিনী দিয়ে কোরান-হাদিসের বৈধতা প্রমাণ করা যায় না, একে বলে tautology।
মাইন্ড করার প্রশ্ন আসে না, একই মতাদর্শের মানুষের সাথে আলোচনা করে কোন মজা নেই। তবে উপরে “লজ্জিত হলাম” এর মত অতিরিক্ত ব্যাঙ্গাত্মক মন্তব্য করলে মেজাজ ঠিক রাখাটা কঠিন হয়ে পড়ে। ব্যাঙ্গ মাত্রা অতিক্রম করলে যৌক্তিক আলোচনা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
@পৃথিবী, ভাইরাসের ব্যাপারে তথ্যসূত্র দিতে ভুলে গিয়েছি- http://www.scientificamerican.com/article.cfm?id=experts-where-did-viruses-come-fr
@পৃথিবী,
অপার্থিব এর জবাব:
সেপ্টেম্বর ৬, ২০১০ at ১:৪৮ অপরাহ্ণ
@হাসানআল আব্দুল্লাহ,
ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে বৈজ্ঞানিক বিশ্বাসকে (প্রকল্প/Hypothesis) গুলিয়ে ফেলা হয়েছে। আইন্সটাইনের ১৯৩৬ ঐ উক্তি সব সময়েই বিজ্ঞানীদের দিকনির্দেশনা হয়ে থাকবে। প্রকৃতি যে একটা বিধির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এই বিশ্বাসই বিজ্ঞানের চালিকা। এই বিশ্বাস না থকলে বিজ্ঞানের থাকার প্রয়োজন নেই। মেরুজ্যোতির ব্যাখ্যা জানার আগে বিজ্ঞানীরা এর একটা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে বলেই “বিশ্বাস” করতেন। এই বিশ্বাসই বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের তাড়না। হিগ্স বোসন আছে এই বিশ্বাসের জোরেই সালাম ওয়াইনবার্গ তাদের যুগান্তকারী ঐক্যবদ্ধকরণ তত্বের অবতারণা করেছিলেন। হিগ্স বোসন খুঁজে বের করাই এখন LHC র পদার্থবিজ্ঞানীদের লক্ষ্য। পেয়ে যাবেন শিঘ্রই আশা করা হচ্ছে।
@ফারুক, সালাম-ভাইনবার্গ “সিদ্ধান্ত” নেন নাই, একটা ব্যাখ্যা প্রস্তাব করেছেন, এখন এলএইচসির মাধ্যমেই বিজ্ঞানীরা তাঁদের প্রস্তাবনাকে যাচাই করছেন। আপনি যদি দেখাতে পারেন যে ইতিহাসে কোন বিজ্ঞানী আপনাদের নবীর মত “আমার তত্ত্ব সত্য, এই সত্য না মানা হল কুফর” মার্কা বক্তব্য দিয়েছেন তবে আমার মন্তব্য মুছে দিব।
বিজ্ঞানের প্রকল্পকে আপাতঃদৃষ্টিতে ধর্ম বিশ্বাসের মত মনে হতে পারে, কিন্তু আসলে সেটা মোটেই তা নয়। বিজ্ঞানীরা প্রকল্প প্রস্তাব করেন সেগুলোকে যাচাই করার জন্য। কোন বিজ্ঞানী যদি তাঁর প্রকল্পকে যাচাই না করতে বদ্ধপরিকর থাকেন, তবেই কেবল সেটা ধর্মবিশ্বাসের ক্যাটাগরীতে পড়বে। আজ পর্যন্ত্য ধর্মবিশ্বাস কি এমপিরিক্যালি প্রমাণিত হয়েছে অথবা কেউ কি প্রমাণ করার চেষ্টা করেছে? ধার্মিকরা তো ধর্ম বিশ্বাসকে ব্যাখ্যাই করেছেন এমনভাবে যাতে সেটা মিথা-প্রতিপাদনযোগ্য না হয়, একদম বারট্রান্ড রাসেলের চায়ের কেতলির মতন।
@পৃথিবী, যদি ধর্ম আর অন্ধবিশ্বাস এবং কুসংস্কারকে আপনার কাছে একই লেগে থাকে তাহলে সরি, আমি আর কথা না বললেই ভাল। আর ধর্মকে বিশ্লেষন আর এটাক কি ভাবে একই হল? একই হলে তো জীববিজ্ঞানি আর জীবশিকারি একই হল 😛
সরি এই কথা আগে জানতাম না। কারন আমি যতদুর দেখি আগে সর্বদা পর্যবেক্ষন দারা মানুষ একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে সেটা প্রমানের চেস্টা করে।
আর নুর বা আলো নিজেই ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ। সাথে ভুতের মত কুসংস্কার আর ধর্মকে এক করে আশ্চর্য করলেন। মানি ধর্ম নামে অনেক কুসংস্কার আছে কিন্তু সেগুলো আর ইসলামকে আমার মতে এক করার সুজোগ নাই। নাই যে এটা ও অবশ্য বিজ্ঞান দ্বারা ই বুঝা যাবে 😉
আর কুরানকে প্রমানের চেস্টা আমার করা ব্যার্থ। সেটা আমার মতে কেউ সত্যি মুক্তমন নিয়ে কুরান যদি পরেন(পরেন বলতে অর্থটা) তাহলে তার নিজের ই প্রমান পাওয়ার কথা। আমি বল্লাম আপনার কথারই জন্য যে স্রস্টা আমার জানা মতে কেমন।
আর চোখের ব্যাপারটা হলো আমি বলতে চেয়েছি যারা ক্যামেরা এবং ইমেজ প্রসেসিং সম্পর্কে জানেন তারা বুঝেন এই জিনিসটা কত জটিল। আর কিছু আমাইনো এসিড থেকে বিবর্তনের ফলে আমাদের চোখের মত এত কম্প্লেক্স ক্যামেরা আর ব্রেনের মত কম্প্লেক্স ইমেজ প্রসেসর এর তৈরী হয়েছে তা সরি আমার যুক্তিবাদি মন মানতে চেলনা। ট্রিতে দেখানো সোজা এর পর ওর চোখের এই উন্নতি হয়েছে কিন্তু ব্যক্ষা আছে এই প্রানির সরীর কিভাবে বুঝলো তার ৩টা নার্ভ ৩ মৌলিক কালারের জন্য লাগবে। এককোষি প্রানি কিভাবে ভুঝলো কোন এনার্জি ইউজ করার জন্য কিভাবে তার ক্রোমোজোম গুলোর বিবর্তন করতে হবে।
আর সরি একটু কস্ট করে নিচের রৌরবের পর কমেন্টাও একটু পরবেন।
@রিদোয়ান,
“এটাক” বলতে কি বোঝাচ্ছেন সেটা পরিস্কার করুন। সমালোচনা যদি “এটাক” হিসেবে বিবেচিত হয়, তবে তো বলতে হয় ধর্ম বেজায় ঠুনকো!
জীববিজ্ঞানী-জীবশিকারীর উপমাটা ঠিক হল না। profession এর সাথে ontogeny এর তুলনা তো হাতির সাথে পোলাওয়ের তুলনার মত হয়ে গেল।
ধর্ম কেন কুসংস্কার হিসেবে পরিগণিত হবে না একটু ব্যাখ্যা করবেন কি? কুসংস্কার মানুষ অন্ধভাবে বিশ্বাস করে, কুসংস্কার বিজ্ঞান বিরোধী। ধর্মও মানুষ অন্ধভাবে বিশ্বাস করে, ধর্মের অনেক বক্তব্যও বিজ্ঞান বিরোধী। আপনি যখন জোড়াতালি লাগিয়ে ধর্মকে বিজ্ঞানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার চেষ্টা করেন, তখন আপনি আসলে মানবিক জ্ঞান দিয়ে ঐশী ব্যাপার-স্যাপারকে সংজ্ঞায়ন করার চেষ্টা করেন। ঐশী জ্ঞানের সংজ্ঞায়নের জন্য যদি মানবিক(অর্থাৎ, বৈজ্ঞানিক জ্ঞান) জ্ঞানের প্রয়োজন পড়ে, তাহলে এখন একটু ভেবে দেখুন তো কোনটা বেশি শক্তিশালী ও প্রয়োজনীয়।
আমি ধর্মকে কুসংস্কার মনে করি কারণ ধর্ম কুসংস্কারের মতই মিথ্যা-প্রতিপাদনযোগ্য না। একে ইচ্ছেমত সংজ্ঞায়িত করে বাস্তবতার সাথে মেলানো যায়। ধর্ম-কুসংস্কার হল রাসেলের চায়ের কেতলির মত। আপনি যদি প্রমাণ করতে পারেন যে রাসেলের কেতলির অস্তিত্ব আছে, তবে আমি খুশি মনেই আমার ধর্মের সাথে কুসংস্কারের তুলনাটা এক্সপাঞ্জ করব।
উদাহরণ?
আল্লাহর নূর ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ, এটা আপনি জানলেন কিভাবে? আপনি কি আল্লাহকে স্বচক্ষে পর্যবেক্ষণ করেছেন? আর আপনি যদি জেনেই থাকেন যে নূর আসলে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ, তাহলে আপনি নূর আর ইলেকট্রম্যাগনেটিক ওয়েভের বৈশিষ্ট্যসমূহের মাঝে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারছেন না কেন? আমার মূল প্রশ্নে উত্তর কিন্তু আপনি এখনও দেননি।
ভূত আর ধর্মকে কেন এক করা যাবে না একটু বুঝিয়ে বলবেন কি? আমি কিন্তু ব্যঙ্গ করে ভূতের প্রসঙ্গ আনি, সিরিয়াসলিই বলেছি।
আপনার দৃষ্টিতে কয়েকটি কুসংস্কারের উদাহরণ দিন।
অথচ আপনিই কনফিডেন্সের সাথে বলছেন যে নূর আসলে ইলেকট্রম্যাগনেটিক ওয়েভ, আপনিই বলছেন যে কোরানকে আধুনিক বিজ্ঞানের আলোকে “বিশ্লেষণ” করা দরকার। স্ববিরোধীতা হয়ে গেল না?
এই বক্তব্যতি বহুল ব্যবহৃত এবং সম্পূর্ণ vague। আপনি “মুক্তমন” দিয়ে কোরান পড়ে বিজ্ঞান খুজে পেয়েছেন, কিন্তু আমি আপনাকে প্রশ্ন করলে সেটার সরাসরি কোন উত্তর দিতে পারছেন না। কোরানে যদি আদৌ কিছু থেকে থাকে, তবে আপনি ঠিকই নিজেকে ডিফেন্ড করতে পারতেন।
এটা অল্প কথায় ব্যাখ্যা করা কঠিন। আমার সাজেস্ট করা তথ্যচিত্রটি দেখলে এর উত্তর পেতেন। চোখের বিবর্তন নিয়ে কথা বলার আগে আপনাকে আগে বিবর্তনের কার্যপদ্ধতিটা বুঝতে হবে। আমাদের সাইটের বিবর্তন আরকাইভে বিবর্তন নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্নের তালিকা দেওয়া আছে। আশা করি সেই প্রশ্নগুলোর উত্তরগুলো পড়লে আপনার বিভ্রান্তি দূর হবে। সবগুলো প্রশ্ন পড়তে অনেক সময় লাগবে, কিন্তু কার্যপদ্ধতিটা বুঝতে হলে এর কোন বিকল্প নেই।
আপনার ওই মন্তব্যের অধিকাংশ অংশই ব্যাকরণগত ক্রুটির বাহুল্যের কারণে বুঝতে পারিনি। শেষের দিকে র্যানডমনেস নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তার জবাবটা আমাদের বিবর্তন আরকাইভ থেকে দেখে নিলে ভাল হয়।
আরেকটা কথা,
এমাইনো এসিড থেকে যদি একদিনে চোখ বিবর্তিত হত, তবে আপনার কথা মানতাম। কিন্তু এমাইনো এসিড থেকে লক্ষ্য লক্ষ্য কোটি কোটি মধ্যবর্তী পর্যায়ের মাধ্যমে লক্ষ্য লক্ষ্য বছর ধরে যখন ট্রায়াল এন্ড এরর পদ্ধতিতে চোখ বিবর্তিত হয়েছে, তখন আপনার অবিশ্বাসটাকে গুরুত্ব দিতে কষ্ট হয়।
আর মন মানতে না চাইলে আসলে কোন কিছুই প্রমাণিত হয় না। আমার মনও মানতে চায় না যে আল্লাহর মত একটা সত্ত্বা মানুষের মত অতি তুচ্ছ ও নগণ্য প্রাণীর ভালবাসা ও মনযোগ পাওয়ার জন্য এত ব্যাকুল হয়ে থাকেন, ভিন্ন কোন ধর্মের ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস ব্যক্ত করলে তিনি একজন প্রতারিত গৃহিণীর মত ফুসে উঠেন। আমার এও বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে সব কিছুর স্রষ্টা থাকা লাগলেও আল্লাহর কোন স্রষ্টা থাকা লাগে না।
@রিদোয়ান,
আপনাকে ধন্যবাদ ভালো কমেন্ট এর জন্য। যারা বিবর্তন আর ডা্রইউন নিয়ে লাফায় ( ডারউইন আর বির্বনত ভিন্ন ব্যাপার কিন্তু। ডারউইন, বিবর্তন কি এবং কিভাবে হতে পারে তার বিন্দুমা্ত্র ধারনা রাখতেন না। দেখতে পারেন: প্রজাতির উৎপত্তি: চালর্স ডারউইন) তাদেরেক জিজ্ঞেস করেন তো তারা কখনো তার থিউরি নিজে পড়েছে কিনা? আসলে তার থিউরি হলো কিছু নীতি আর বিধির সমষ্টি। এগুলো এমন যে, একটা ভুল প্রমাণিত হলে পুরো তত্ত্বটাই ব্যর্থ আর ভুল প্রমাণিত হবে। সেখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ছিল যে, জীবের অর্জিত অভিজ্ঞতা তার পরবর্তী বংশধর এর মাঝে সঞ্চিত হয়। আর এভাবেই যোগ্যতমের উদ্ধতন হয়। তো এখন এই ডারউইউ বাদি জিজ্ঞেস করেন তো, কোন বিজ্ঞানি এটা প্রমাণ করেছে যে এভাবে অভিজ্ঞতা বা বৈশিষ্ট্য প্রজন্ম হতে প্রজন্মে প্রবাহিত হয়। অথবা বংশধর এর মাঝে প্রকাশ ঘটে। দেখবেন, কিভাবে মূখ লুকিয়ে পালায়। আর নতুন প্রজাতি http://blog.mukto-mona.com/wp-content/plugins/tango-smileys-extended/tango/wink.gifতো বহুত পরে।
ধন্যবাদ।
@লজ্জিত হলাম,
এই মুহুর্তে আপনার তিনটা মন্তব্য প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। একই লেখায় হুবহু এক মন্তব্য আপনি করেছেন ফাহিম রেজা, মিঠুন এবং অভিজিৎকে। এ ধরনের মন্তব্যের প্লাবন না করার জন্য আপনাকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে। যদি একাধিক ব্যক্তিকে একই উত্তর দিতে চান তবে দয়া করে তাঁদের নামগুলো উল্লেখ করে একটা মাত্র মন্তব্য করুন।
মন্তব্যের প্লাবন বন্ধে সকলের সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে।
@লজ্জিত হলাম,
বোঝা যাচ্ছে, আপনি বিবর্তন তত্ত্ব সম্বন্ধে বিন্দুমাত্র জ্ঞান না রেখেই পিঠ চাপড়াচাপড়ি করতে এসেছেন। জীবের অর্জিত অভিজ্ঞতা তার পরবর্তী বংশধর এর মাঝে সঞ্চিত হয় – এটা ডারউইন নন, ল্যামার্ক বলেছিলেন। ল্যামার্কিজম বহু আগেই বিজ্ঞানের জগতে পরিত্যক্ত হয়েছে। ল্যামার্কিজম আর বিবর্তন তত্ত্বের মধ্যে পার্থক্য আছে। আপনি যদি ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্ব (যা আধুনিক সংশ্লেষণী তত্ত্বের মাধ্যমে বহু আগেই বহুভাবে প্রমাণিত হয়েছে), কোন ধারণা না রেখেই মন্তব্য করতে থাকেন তাহলে আপনার নামের সত্যিকার সার্থকতা খুঁজে পাবেন নিঃসন্দেহে।
@লজ্জিত হলাম,
আপনার তো দেখি সারা রাত রামায়ণ পড়ে সীতা কার বাপ জিগানোর মত অবস্থা। এত ‘বৈজ্ঞানিক’ সব মন্তব্য করে শেষমেষ এইখানে এসে ঠেকলেন? আপনি তো মনে হয় প্রজাতির উৎপত্তি বইটা পড়েছেন, এক কাজ করুন, বইটির কোন এডিশনে, কোন পাতায় এই কথাটা লেখা আছে সেটা একটু দয়া করে জানান। আর যদি এই কথাগুলো খুঁজে না পান ( বা বইটা কোনদিন চোখে সামনে না দেখে থাকেন) তাহলে দয়া করে সেটাও একটু আমাদের সবাইকে জানিয়ে দেবেন। বাকি কথাগুলোর উত্তর না হয় তারপরই দেওয়া যাবে।
@লজ্জিত হলাম, ভাইজানের জ্ঞানের বহর দেইখাতো নিজেই লজ্জা পাইবার শুরু করছি আমি। আপনেরে একখান ফ্রি উপদেশ দিবার চাই। এই সব স্ট্যান্টবাজি কইরা আর কয়দিন চলবো ব্রাদার। জ্ঞানপাপীগো লাহান ইচ্ছা কইরা পাবলিকরে আবুল ভাইবা ভুল বোঝাইয়া ধাপ্পাবাজি কায়কারবার এইবার বাদ দ্যান। এর থেইকা আরেকটু লজ্জিত হইয়া নিজের মূর্খামিটারে মাটি চাপা দিয়া রাখেন। সেইডাই বেশি ভালা। আপনে এইখানে বিবর্তনবাদের ‘ব’ ও না জাইনা যে বিষয়গুলা নিয়া ঘোট পাকাইতে আইসিলেন সেইগুলান তো আদিম যুগের খবর, ডারউইনের বিবর্তনের তত্ত্ব তো ৬০-৭০ বছর আগে (মডার্ন সিন্থেসিসের কথা কই, এর মানে কি ইন্টারনেট থেইকা দেইখ্যা নিয়েন) প্রতিষ্ঠিত হইয়া গেসিল। মাত্র ৭০ বছর পিছাইয়া আছেন ভাইজান, জ্ঞানবিজ্ঞানের এই গ্যাপ তো আর এই জীবনে মেক আপ করবার পারবেন না, এইবার ধান্দাবাজিটা ছাড়েন তাইলে যদি আখেরে কাম হয়।
হে হে হে, ডারউইন ব্যাটা তো এইডা কনই নাই, বিজ্ঞানীরা কইবো কেম্নে?আপনের নিজের দেওয়া উদ্ধৃতিরই রেফারেন্স চাওয়া হইসিলো আপনের কাছে, তাতেই এরকম দৌড়ডা দিলেন। প্রজাতির উৎপত্তি বইডা না পইড়া উল্টাইসিলেন? কে যে লজ্জা পাইয়া ল্যাঞ্জাখান গুটাইয়া মুখ লুকাইয়া পিছন পথে পালাইছে হেইডা হগগলেই দেখছে।ধান্দবাজি করতে হইলে অন্য কোথাও গিয়া করেন। এই ব্লগে বেশী সুবিধা করবার পারবেন বইলা মনে হইতাছে না।
@রিদোয়ান,
জানেন? এই কমেন্টার লিঙ্ক খুজছিলাম অনেক। কোথায় যে এর লিঙ্ক পাই। আপনি পারলে দিয়েন। কারণ এক আস্তিককে আমি বলেছিলাম যে আল্লা ব্যাটা যদি অটো প্লে জানত অথবা প্লে ফ্রম লাস্ট সেভ। তাহলে তারে জাইগা থাইকা এত কষ্ট করতে হইত না। সে বলসিল এটা কুরনে নাই। আমার কাছে লিঙ্ক চাইসিল, আমিও আপনাদের মত কারো কাছ থেকে শুনে বলেছিলাম।
@রিদোয়ান,
বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি সম্বন্ধে আপনার কিছুটা ধারণা রয়েছে বলেই মনে হচ্ছে, তাই যখন বলেন
তখন হাসব বা কাঁদব বুঝতে পারিনা। আপনার কাছে প্রশ্ন:
১. প্রতিটি বৈজ্ঞানিক তথ্যের ক্ষেত্রেই কি একই সুত্র ব্যবহার করেন? না করলে, কেন? ওসব তথ্যে আপনার বিশ্বাস কিভাবে এল?
২. আপনি একবার বললেন বৈজ্ঞানিক তথ্য যুগে যুগে পরিবর্তিত হয়। চমৎকার, ঠিকই বলেছেন। এখন প্রশ্ন, যদি বিগ ব্যাং তত্ব ৫০০ বছর পরে ভুল প্রমাণিত হয়, ওই আয়াতটির কি হবে? সেটির মানে কি জাদুকরি ভাবে ও সময়কার বৈজ্ঞানিক তথ্যের সাথে মিলে যাবে?
@রৌরব,
প্লিজ হাসেন 🙂 কান্না আমার ভলো লাগেনা।
১ম না এবং তার কারন আমি আমার প্রথম কমেন্টেই বলেছি আমরা ভুল হলেও তথ্যগুলো চাই কারন সেগুলো আমাদের বর্তমান কাজে লেগে জাবে এবং ভবিসৎ এ আরো নিখুত সুত্র দিতে লাগবে। আলো কনা না তরঙ্গ নিয়ে যত দিন আলোর দুই ধারনা ছিলো তখনও দুটোকে নিয়েই অনেক কাজ হয়েছে। সেগুলো ভবিসৎ ধারনা আর কাজ কে সাহায্য করেছে। আর ইন্জিনিয়ারিং এর স্টুডেন্ট হয়ায় জানি একুরেট এর থেকে প্রাকটিকালে আপ্রক্সিমেট বেসি কাজের। তাই তথ্য ভুল না সুদ্ধ সেটা জানার থেকে ইউজের কাজ ই বেশি করি(আর সকল তথ্য কুরান ঘেটে ঠিক বেঠিক বের করাও একার পক্ষে ইম্পসিবল)।
২য় এই আয়াততা একুরেট দিতে পারলে ভালো হত কিন্তু সরি আমার একুরেট আজকাল কাজের ঝামেলায় মনে থাকেনা। তাহলে হয়তো আমার কথাতা বুঝতেন। আর জেনারালি যদি বলি বিজ্ঞান নতুন একটা বের করুক আর কুরানের কিছুকে ভুল প্রমানিত করুক। কিন্তু করুক ডাইরেক্ট সম্পুর্ণ বিপরীত কথা আর এমন প্রমান সহ যা ২+২=৪ এর মত তো হলোই বাহবা ভুল প্রমান করেছেন। কিন্তু আসলে করা সম্ভব না আর করলেও দেখা যায় যে এমন প্রমান সহ আসছেন যে আবার ২+২=১১ ও করা যায়(৩ বেইস এর সংখা ধরুন 😛 )।
আর শেষে গনিতের একটা যুক্তি বলবো র্যানডম ভাবে তৈরী মহাবিশ্বে র্যানডম ভাবে তৈরী একটা নক্ষত্রে র্যানডম ভাবে তৈরী প্রানের সকল সুবিধা আর বৈশিষ্ট্য থাকা এক গ্রহে র্যানডম ভাবে তৈরী আমাইনো আসিড থেকে র্যানডম ভাবে বিবর্তিত এক প্রানী র্যানডম ভাবে গঠিত আলো আর ইমেজ বিশ্লেষন করা চোখ আর র্যানডম ভাবে গঠিত পারফেক্ট ভাবে চলার এক সরীর নিয়ে র্যানডম ভাবে আসা আরেক তার মত প্রানীর সাথে র্যানডম ভাবে কিছু যুক্তি নিয়ে কিছু র্যানডম কথা বলছে। বাপরে আপনি সত্যি এটা ভাবেন :guru:
@রিদোয়ান,
এবার কাঁদতেই হবে। 😥
বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি সম্পর্কে আপনার ধারণা আছে একথাটা ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হব অচিরেই মনে হয়। আপনি বলতে চাচ্ছেন সত্য সম্বন্ধে আপনি আগ্রহ-শূণ্য, খালি হাতে আইপড পেলেই চলবে? হা হতোস্মি! আপনার ওই অনুচ্ছেদটি সত্যিই বিস্ময়কর।
কাজে আসবে, এরকম approximation ই বের করুন না দু-একটা। একটা বের করুন।
আমি দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে সুডো-বৈজ্ঞানিক কথাবার্তা বলেছেন, যার একটি লাইনও আমি বুঝতে অক্ষম। ৩ বেস সংখ্যার ভেলকি অন্য জায়গায় কাজে আসতে পারে, এখানে স্রেফ লোক হাসাবেন।
আপনি এখানে নতুন, অতএব বিজ্ঞান বিষয়ক আমার মতামত আপনার পুরো জানা না থাকারই সম্ভাবনা। তারপরও অনুমান ভিত্তিক অবান্তর কথা বলতে দ্বিধা করলেন না। দয়া করে আমাকে কোট করে দেখান যে উপর্যুক্ত মতামতে আমার আস্থা আছে, তারপর কথা হবে।
@রৌরব,
না আমি বলছি অনেক বৈজ্ঞানিক তথ্য সম্পুর্ণ সত্য প্রমান করা প্রায় অসম্ভব। ব্ল্যাক হোলের কথাই ধরুন। এর সম্পর্কিত ধারনা গত ১০০ বছরে বেশ কয়েকবার অনেক বদলিয়েছে। কারন একটাই এগুলো ধারনা। ধারনা করা এবং গানিতিক ভাবে এটা মিথ্যা না এবং অন্য সত্বসিদ্ধান্তের সাথে বিরোধ হয়না এটাই মেইনলি বর্তমান সাইন্সের চেস্টা। মাইকেলশন মলি অনেক কাজ করেছিলেন ইথার নিয়ে কিন্তু তাদের পরীক্ষায় ই যখন ইথার ভুয়া প্রমানিত হলো তাতে তাদের কাজ ব্যার্থ হয়নাই । বরং এরকম ই তথ্য সত্য মিথ্যার টেস্ট এর সাথে সাথে সেগুলো প্রয়োগের কাজ করা হয়। আর কথা গুলো এসেছিলো আপনার বলা কথা
এর ভিত্তিতে। বিশ্বাস করা আর না করা নয় বরং বর্তমান জানা তথ্য নিয়ে এগানো হলো জরুরী। ব্ল্যাকহোল সম্পর্কে ধারনা সত্য মিথ্যা যাই হোক মহাকাশ ভ্রমনে তাকে পেট্রল পাম্প হিসেবে ধরতে ক্ষতি কি? না হয় একজনের ই প্রান গেল কিন্তু জানা তো গেলো তথ্য মিথ্য 😀
আর এই ক্ষেত্রে আমরা বিশ্বাসিরা যদি দেখি চিন্তা কুরানের সাথে মিলতেছে বুঝবো ঠিক পথে আছি। এই ভাবে ই করলে এগাতে পারবো। কিন্তু যদি দেখি সাংঘর্ষিক তবে ঠিক আছে ভুল চিন্তা করছিলাম আরও ভুল চিন্তা করার থেকে বাচলাম। আর কোনো রুপ না মিললেতো হলোই আল্লাহর রহস্য ভেদে এগিয়ে যাও। মুলত কুরানের অনেক যায়গায় বিভিন্ন নিদর্শনের কথা বলে বলা হয়েছে এতে চিন্তাশিল, বিজ্ঞ লোকেদের যন্য নিদর্শন আছে। উনি সবকিছু কে উদ্দেশ্যে তৈরি করছেন এবং মানুষের সেবায় রেখেছেন। মানে বিজ্ঞানিরা তোমাদের যন্য চিন্তার খোরাক রেখে দেয়া হয়েছে দেখ,চিন্তা কর, আর তাকে মানুষের উপকারে নিয়ে আস। বলা হয়েছে একজন অমুসলিম বিজ্ঞ ১০ জন মুসলিম অজ্ঞ থেকে বেটার। হকিং ও যা বলুক মানি উনি ও এই জন্য অনেক মুসলিম থেকে বেটার। করন উনি এই রহস্যভেদের চেস্টা করছেন আমাদের মত অনেক মুসলিম থেকে ভালো(আমি সত্যি ই মানছি বর্তমান কালের মুসলিম বিজ্ঞানিরা মধ্যযুগেদের মানইজ্জত নষ্ট করছি গবেষনা না করে 🙁 )
আর পরের প্যারা সরাসরি কথা আপনি সম্পুর্ণ প্রমান সহ কুরানের একটা কথা মিথ্যা প্রমান করুন। হকিং ও বলেছেন স্রস্টা লাগবেনা ওনার মতে কিন্তু থাকা যে বিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্সিক এটা তো বলেন নাই(আর বল্লেই বা প্রমান কি?)। পাক্কা প্রমান সহ আসুন আর ধংস করুন বিশ্বাশ কে। তবে হকিং এর ব্ল্যাক হোলের বেটের মত তথ্য নিয়ে আসবেননা। আর এই আসার আহবান আমার না আজ হতে ১৪০০ বছর আগেই মহানবী(সঃ) করে গেছেন। কুরানকে ভুল প্রমান করার এই চ্যালেন্জ আজ হতে ৫০০ বছর পরেও ওপেন
নিচে কুরানের তিন টা লাইন দিলাম। একটু দয়া করে চিন্তা করে দেখেন, আরেকটা আয়াত আরো স্পস্ট ছিলো কিন্তু ওইটা SSC পদার্থ খাতার সাথে হারিয়ে গেছে 🙁
GOD in GAP আমিও মানি না। যা গ্যাপ টা আসলে বর্তমানের তথ্যের অভাব। আল্লাহর তৈরি দুনিয়া নিখুত। তার নিয়ম কানুন নিখুত। এতে কোনো GAP নাই।
শক্তি থেকে তৈরি এবং বিস্তার হচ্ছে। এই ১৪০০ বছরের আগের আপনাদের কুসংস্কারের সাথে বর্তমান কোনো বিগ তথ্যের কেমন যেন মিলে যাচ্ছেনা???
সব একসাথে ছিলো আর তার থেকে পার্ট করেছেন। সত্যি আমরা স্টিফেনের আগে না বের করতে পারায় ব্যার্থ। আপনি বলেছেন কুরানের থেকে একটা কাজের সুত্র বের করতে ভাই করতে পারলে তো হোতই। তাহলে পরে এমন না মিল দেখিয়ে আগেই জয় জয় করতে পারতাম। কিন্তু আসলে সত্যিই বর্তমান বিজ্ঞানিরা ধর্ম পালন করতে চিন্তা করেন অন্যরা তাদের বলবেন অনেকের উপরে দেয়া গালি গুলো। এই ভয়ে তারা কুরান ধরেন না আর চিন্তা করা হয় কুরান এর এই সাইন্স বুঝাবেন ২ পাস হুজুররা। আর সত্যি কথাও যদি কেউ এই কুরান দেখিয়ে আবিস্কার বলে তো তাদের বলা হয় বেকুব(ঢাবির এক শিক্ষকের কথা শুনেছিলাম এমন কিন্তু নির্ভরশিল কোনো প্রমাননের অভাবে আর বারালাম না)
@রিদোয়ান,
seven heavensটা ব্যাখ্যা করুন তো।
মহাবিশ্বকে বিস্তৃত করা হয়েছে বলা হয়েছে, মহাবিশ্ব যে ক্রমশঃ বিস্তৃত হচ্ছে এ কথা কিন্তু বলা হয়নি। আপনি শক্তির কথা বলেছেন, কোরানের নয়টা অনুবাদের কোনওটাতেই শক্তির কথা পেলাম না।
আসমান আর জমিন কখনওই একসাথে ছিল না। মহাবিষ্ফোরণের অনেক অনেক পরে পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে।
আর আপনি কিন্তু এখনও বলেননি যে কোরানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কোন বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব যদি পরে বাতিল হয়ে যায়, তাহলে কোরানের কি হবে 🙂
@রিদোয়ান,
দেখুন, বিজ্ঞানের প্রকৃতি (তার ভুল-ভ্রান্তি, ক্রম-পরিবর্তন) নিয়ে আপনি যে কথা গুলি বললেন সেগুলি যেমন সত্য, তেমনি আবার সাধারণ কাণ্ডজ্ঞানের বিষয়। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি সম্বন্ধে সাধারণ ধারণা যার আছে, সে জানে বিজ্ঞান সর্বকালীন গ্যারান্টি দেয়ার মত দার্শনিক ভাবে নিম্নমানের কাজ করেনা।
কিন্তু এখান থেকে লাফ দিয়ে আপনি ধর্মে, এবং একটি বিশেষ ধর্মে পৌঁছাচ্ছেন কিভাবে, সেটা জানতে পারি কি? বিজ্ঞান সব কিছু জানেনা, অতএব শ্রীকৃষ্ণ ভগবানের অবতার, কি বলেন?
আপনার লেখা পড়ে আমি এই লংজাম্পের দুটি সম্ভাব্য উত্তর পেলাম। এক, বিশ্বাস। আপনি যা ইচ্ছা তাই বিশ্বাস করতে পারেন, কিন্তু নিশ্চয় স্বীকার করবেন, ওটা কোন যুক্তি নয়। কাজেই ও অংশটা বাদ দিলাম।
দ্বিতীয় যুক্তিটি বিধৃত এখানে —
প্রথমত আমার কথার জবাব আপনি দিতে পারেননি। আমি একটা logical inconsistency প্রদর্শন করেছিলাম আপনার কথায় — আপনি একদিকে বলছেন বিজ্ঞান পরিবর্তনশীল, আবার বলছেন একটা বিশেষ বৈজ্ঞানিক তথ্য কোরানে আছে, যেটা কিনা আবার সর্বদা সত্য ও অপরিবর্তনশীল। আপনি বুদ্ধিমান ব্যক্তি। এ ব্যাপারটি কি দেখেও না দেখার ভান করছেন?
তার পরেও ওটা বাদ দিন। আপনার লাইনটা সরাসরি দেখি আসেন। কোরানের ভুল বের করার চেষ্টা করে আমি সময় নষ্ট করব না, ও কাজ অনেকেই আমার চেয়ে অনেক ভাল ভাবে করতে সক্ষম। আপনি তো বিজ্ঞানের ছাত্র, যুক্তিবিদ্যা বোঝেন, আসেন আরেকটু গভীরে ভাবি।
আপনি প্রথমে বলছেন মানুষের তথা বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কথা। আপনি আমাদের একটা মৌলিক দুর্বলতার কথা পরিষ্কার করছেন — আমাদের সবচেয়ে আধুনিক যুক্তি, সবচেয়ে কন্ট্রোলড পরীক্ষা, সবচেয়ে দুর্দান্ত গণিত, পরে ভুল প্রমাণ হতে পারে।
চমৎকার। এখন ধরেন, আমি কোরানে কোন ভুল বাইর করতে পারলাম না। আপনি কি এই ঘটনাটায় উপরের অনুচ্ছেদের criteria প্রয়োগ করতে রাজি আছেন? পরিষ্কার করে বলছি, আপনি কি স্বীকার করেন
১) এখন ভুল না হলেও আমাদের জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে পরে ভুল বের হতে পারে?
২) বৈজ্ঞানিক তথ্যের মত কোরানের নির্ভুলতার ব্যাপারটি পরিবর্তনশীল?
৩) কোরানের নির্ভুলতার দাবী যেকোন বৈজ্ঞানিক দাবির মত সাময়িক, এবং বৈজ্ঞানিক সন্দেহবাদের আওতার মধ্যে পড়ে?
আমি কি বলছি, আশা করি বুঝতে পারছেন?
@রিদোয়ান,
ভাইছাব, ইঞ্জিয়ারিং কৌর্সখান এংরাজি না বাংলায় নিছইন? বাংলা বানানর ই দশা খেনে? আগা মাতা খাটা লাগে, আজাম বাড়ি নিয়া মুসলমানি খরাইলাইছইন না কিতা?
আরে ভাই, ঘাটঘাটি করে তকলিফ করবেন কেন? চোখ বুঝে শাহাদত আঙ্গুল কোরানের পাতার উপর রেখে বলুন -ইনি মিনি মিনি মা…তারপর যে আয়াতের উপর আপনার আঙ্গুল পড়বে সেটাই হবে বিজ্ঞানের সংশ্লিষ্ট সেই সুত্র যা আপনি খুঁজছেন।
@রৌরব,
আপনি নিশ্চয় একটি সমাজে বসবাস করতেছেন? সমাজে সব কিছু কিন্তু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়। না মানলে বিসৃংখলা সৃষ্টি হয়। দেশ চালাতে সংবিধান থাকতে হয়। আপনি একটি সমাজে বা দেশে সব কিছু নিজের ইচ্ছা মত করতে পারেন না। যাই করেন নিয়ম কানুন এর মধ্যে থেকে করতে হয়।
এখন এই নিয়ম কানুন্ গুলো কিন্তু প্রকৃতি তৈরি করে দেয়নি । মানূষকেই করতে হয়েছে।
বিগ্ ব্যাং বা এর পরবর্তি সব ঘটনা, সবই পদার্থবিদ্যার সূত্রমতে হয়েছে।
এই সূত্রগুলো বা নিয়মকানুন গুলো কোথা থেকে আসলো? কে এই সংবিধান তৈরি করে দিল ?
উত্তর টা কেও দিলে খুশি হব।
একটা সম্ভাব্য উত্তর হইতে পারে, এই সূত্রগুলোকে তার পূর্ব পুরুষ কিছু সূত্র জন্ম দিয়ে মারা গেছে।
@Shiplu,
বিজ্ঞানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে এই সাইটে আমার বহু মন্তব্য এখানে পুনর্ব্যক্ত করার সুযোগ নেই। এক কথায় বলি যে এই প্রশ্নগুলিকে ১) বিজ্ঞানের আওতা বহির্ভূত, এবং ২) অবান্তর মনে করি। সে অনেক কথা…
যাহোক। আপনার প্রশ্নের জবাব আমার জানা নেই, এবং একটা পর্যায়ে এটা জানা সম্ভব নয়, এমন ভাবার কারণ আছে। উপরে অপার্থিব ও আমার কথোপকথন এবং সেখানে একটি ভিডিও লিংক আছে, সেটা দেখতে পারেন।
মূল কথা হল, কিছু প্রশ্ন থাকতে পারে, যার জবাব বিজ্ঞান এখন (বা এমনকি কখনই) দিতে পারবে না। কিন্তু সেটি বিকল্প কোন তত্বের প্রমাণ নয়। বিকল্প তত্বকে বিজ্ঞানের ব্যর্থতা নয়, নিজের সফলতার ওপর দাঁড়াতে হবে।
@Shiplu,
আরে ভাই আমরাও কি সব জানি নাকি ছাই। আপনার প্রশ্ন দেখে আমারও মনে কিছু প্রশ্ন জেগেছে।
আচ্ছা ব্রাদার, এই সুত্রগুলো বা নিয়মকানুন গুলো কোথাও থেকে আসতে হবে বলে আপনার যে মনে হচ্ছে, এটার পেছনের কারন কি? আমি কি বোঝাতে পারলাম? মানে হল আপনার কেন মনে হল এই সুত্র বা নিয়মগুলোকে কারো দ্বারা সৃষ্টি হতে হবে? কেনও একজনকে মহাবিশ্ব চালানোর জন্য নিয়ম সৃষ্টি করতে হবে? আপনার মনে কেন এই প্রশ্ন উদয় হল?
আমি প্রশ্ন করার ইচ্ছাকে, করাকে সবসময়ই শ্রদ্ধার দৃষ্টিতে দেখি। সুতরাং আপনি নির্দ্বিধায় কথা বলতে পারেন।
আর শিপলু সাহেবের এত সুন্দর করা প্রশ্নে কেন যে একজন :no: দিল বুঝতে পারছি না। মুক্তমনা কারও কিন্তু এমন হওয়া উচিত না। উত্তর দিতে না পারলেই যদি ক্ষেপে যেতে হয় তাহলে কিন্তু মওদুদির সাথে আমাদের কোন পার্থক্য থাকল না। তাই না?
@সাইফুল ইসলাম, আপনার প্রশ্ন এই সূত্রগুলো তৈরি করতে হবে কেন?
আমার আপনার কাছে প্রশ্ন, আপনি কি এই মহাবিশ্বে এমন কিছু দেখেছেন যা কোন না কোন ভাবে তৈরি বা সৃষ্টি হ্য়নি?
এইটা কি স্বাভাবিক না, আমার মনে প্রশ্ন জাগবে এইগুলা আসলো কোথা থেকে?
আপনারা সব লজিক এর কথা বলতেছেন, এইটা কি একটা লজিক হল, এইগুলা কোথাও থেকে আসে নাই, এইভাবেই চলতেছে?
@রৌরব, ভালো লাগলো আপনার উত্তর দেখে। আপনারা সব ধর্ম উরিয়ে দিচ্ছেন বিজ্ঞানের সাহায্যে। অথচ এখন বলতেছেন, বিজ্ঞান কিছু প্রশ্নের জবাব দিতে পারবে না। কেন?
সব প্রশ্নের উত্তর জেনে আপনাদের এই দাবিগুলা করা উচিত ছিলো না?
না জানলে দাবি করবেন কেন?
@Shiplu,
বিজ্ঞান সব প্রশ্নের উত্তর দেবে, এই শিশুতোষ ও ধর্মসুলভ গ্যারান্টি কে কবে দিয়েছে? বিজ্ঞান সত্যের সন্ধানী, জবাব খোঁজে, অনেক সময়ই পায়, যখন পায়না তখন স্বীকার করে। ধর্ম বাস্তবতার ব্যাখ্যা হিসেবে বিজ্ঞানের তুলনায় হাস্যকর রকমের পশ্চাৎপদ, বিজ্ঞানের শ্রেষ্ঠত্ব ও ধর্মের অপ্রাসঙ্গিকতা প্রমাণের জন্য সেটাই যথেষ্ট। তার জন্য বিজ্ঞানের সব প্রশ্নের জবাব দেয়ার প্রয়োজন নেই।
@Shiplu,
সূত্র তৈরি বলতে আপনি যা বুঝে থাকেন, পদার্থবিজ্ঞানীরা ঠিক সেভাবে দেখেন না। সূত্রগুলো অলৌকিক কারো দ্বারা তৈরি হয়নি, সেগুলো প্রাকৃতিকভাবেই উদ্ভুত হওয়া সম্ভব। আপনি ভিক্টর স্টেঙ্গরের এই বইটা পড়ে দেখতে পারেন –
The Comprehensible Cosmos: Where Do the Laws of Physics Come From?
আর তার পেপার আছে এখানে।
তার বই থেকেই উদ্ধৃত করি –
So where did the laws of physics come from? The came from nothing! Most are statements composed by humans that follow from the symmetries of the void out of which universe spontaneously arose. Rather than being handed down from above, like the Ten Commandments, they look exactly as they should look if they are not handed down from anywhere” (page 131)
আর আমি ‘লজ্জিত হলাম’ কে উত্তর দিতে গিয়ে বলেছি (উপরে দেখুন) যদি মাল্টিভার্স হাইপোথিসিস ঠিক হয়ে থাকে তবে এই সূত্রগুলো একেক মহাবিশ্বে একেক রকম হতে পারে, কাজেই সূত্রগুলোকে যেভাবে ধ্রুবক ভাবা হয় সেরকম হয়তো নয়। যেমন, লজ্জিত হলামকে উত্তর দিতে গিয়ে আমি বলেছিলাম – এমনকি মাল্টিভার্স তার্স বাদ দিলেও, স্রেফ চারপাশে চোখ রাখলেই দেখা যাবে- কনজারভেশন অব লিনিয়ার মোমেন্টাম নামক সূত্রটি আর কনজার্ভড থাকে না যখন স্পেস ট্রান্সলেশন সিমেট্রি ভেঙ্গে যায়। ঠিক একইভাবে এংগুলার মোমেন্টামও যে কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে লংঘিত হয়, তা পদার্থবিজ্ঞানের দৃষ্টান্ত খুঁজেই দেখানো যায়। কোয়ান্টাম টানেলিং এর সময় নিউটোনিয়ান ব্যারিয়ার কাজ করে না, সেট আমরা জানি। এমনকি, যে শক্তির নিত্যতার সূত্রকে আমরা ধ্রুব সত্য বলে জানি, সেটারও বত্যয় ঘটে কোয়ান্টাম স্কেলে। কাজেই সূত্রগুলো অনড় কিছু নয়।
কাজেই, পদার্থবিজ্ঞানের সূত্রগুলো রাষ্ট্রের আইন বা মূলনীতিগুলোর মতো কোন নিয়ম নয় যে রাষ্ট্রের কর্ণধরেরা বানাবেন, রাষ্ট্র পরিচালিত হবে সেই আইনের নিরিখে। কিংবা প্রাকৃতিক নিয়ম গুলো কোন সামাজিক নিয়মও নয় যে, ট্রাফিকের নিয়ম লঙ্ঘন করলে আমরা কোন টিকেট পাব। পদার্থবিদদের একটা অংশ মনে করেন যে, পদার্থবিজ্ঞানের সূত্রগুলো আসলে পদার্থের ব্যবহারজনিত কোন নিষেধাজ্ঞা তৈরি করে না, বরং পদার্থবিদরা কিভাবে তাদের মডেল তৈরি করবেন তার নিষেধাজ্ঞা তৈরি করে এই প্রাকৃতিক সূত্রগুলো। আমিও ব্যাপারটাকে অনেকটা সেভাবেই দেখি।
এখন, এই সূত্রগুলো তৈরি করতে হবে কেন – এটি ‘কেন’ একটি ফিলোসফিকাল প্রশ্ন। হোয়াই দেয়ার ইস সামথিং র্যাদার দ্যান নাথিং- এ ব্যাপারটা নিঃসন্দেহে চিন্তার উদ্রেককারী। আপনি বাই ডিফল্ট ‘নাথিং’কেই ডিফল্ট ধরে নিয়েছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক বেশ কিছু গবেষনায় দেখা গেছে আসলে ‘নাথিং’ ব্যাপারটা ছিলো আনস্টেবল। যেমন, নোবেল বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী ফ্রাঙ্ক উইলজেক (Frank Wilczek) তার একটি গবেষণায় দেখিয়েছেন পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র এবং সেই সাথে মহাবিশ্ব উদ্ভুত হওয়াটা অবশ্যাম্ভাবী ছিলো আনস্টেবিলিটিকে অতিক্রম করতেই। পুরো ব্যাপারটা এখানে আলোচনা করা শ্রম এবং সময় সাপেক্ষ, আপনি চাইলে সায়েন্টিফিক আমেরিকানের (২৪৩ ইস্যু, নং ৬) থেকে ফ্রাঙ্ক উইলজেকের লেখা ‘দ্য কস্মিক এসিমেট্রি বিটুইন ম্যাটার এন্ড এন্টি ম্যাটার’ প্রবন্ধটি পড়ে নিতে পারেন।
আপনি যা কিছু দেখছেন তা মানবীয় অভিজ্ঞতার নিরিখে। আপনি আমাদের চারপাশে দেখা বিভিন্ন দ্রব্যের সাথে এটাকে মিলাতে পারবেন না বোধ হয়। যেমন আপনি আপনার পাশে অসংখ্য ঘড়ি দেখেছেন, দেখেছেন অগণিত ক্যালকুলেটর। আপনি দশটা আগের বানানো জিনিস দেখেছেন, তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন কেউ না কেউ সেটা বানিয়েছে। কাজেই আপনি ধরে নিয়েছেন, সব কিছুর জন্যই এমন কেউ লাগবে যে কিনা বানায়। কিন্তু মহাবিশ্বর ক্ষেত্রে ব্যাপারটা চিন্তা করুন। আপনি একটি মাত্র মহাবিশ্বের সাথেই পরিচিত। আপনার স্যাম্পল সাইজ কিন্তু লিমিটেড। এমন নয় আপনি আরেকটি কোন মহাবিশ্ব আগে দেখেছেন যেটা কেউ না কেউ বানিয়েছিল, যার সাপেক্ষে আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন যে এই মহাবিশ্বটিও কেউ বানিয়েছে। কাজেই আপনি যদি ধরে নেন ঘড়ি বা ক্যালকুলেটরের মতো মহাবিশ্বও কেউ বানিয়েছে সেটা আপনার অভিজ্ঞতাপ্রসূত ভুল হবে। আমি আমার প্রবন্ধে দেখিয়েছি যে, বহু বিজ্ঞানীই গানিতিকভাবে বৈজ্ঞানিক জার্নালগুলোতে দেখিয়েছেন যে, মহাবিশ্ব প্রাকৃতিকভাবেই শূন্য থেকে উদ্ভুত হতে পারে (যেমন আপনি ভিলেঙ্কিনের এই পেপারটি দেখুন – Alexander Vilenkin, “Creation of Universe from Nothing” Physics letters 117B (1982) 25-28, এরকম অনেক পেপারই আপনি জার্নালে খুঁজলে পাবেন)। আমরা এখন দেখছি কিছু না বলেই কখনো সেটা কখনো ঘটেনি বা ঘটতে পারবে না তা মনে করা ভুল। আমরা চোখের সামনে জড় পদার্থ থেকে জীবন তৈরি হতে দেখছি না (এটার কারণ এখনকার আবহাওয়ামণ্ডলে অক্সিজেনের প্রাচুর্য ইত্যাদি সহ বহু কারণ আছে), কিন্তু চারশো কোটি বছর আগে এই পৃথিবীতেই বিজারকীয় পরিমন্ডলে এবায়োজেনেসিস এর মাধ্যমে বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে প্রথম প্রাণ তৈরি হয়েছিল অজৈব জড় পদার্থ থেকেই। কাজেই এখন হচ্ছে না – ফলে কখনোই হয় নি – এটা বোধ হয় খুব একটা ভাল যুক্তি নয়।
বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা প্রতিটি যুগেই ছিলো, ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু তারপরেও বিজ্ঞানই পারে অন্তিম রহস্যগুলোর সমাধান হাজির করতে। ধর্মগুরুরা কিংবা অন্যান্যরা নয়। নিউটনের অভিকর্ষ সূত্রের আগে আমরা জানতাম না কিভাবে আমাদের এই পৃথিবীটা শূন্যে ঝুলে সূর্যকে পাক খেয়ে চলেছে, ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্বের আগে আমরা জানতাম না যে কিভাবে এক জীব থেকে আরেক জীব বিবর্তিত হয়। এগুলোর মাধ্যমেই আমরা বিভিন্ন রহস্যের উত্তর খুঁজে পাচ্ছি। ইটস এ কন্টিনিউয়াস জার্নি, নট এ ডেস্টিনেশন। নিউটনের পক্ষে সম্ভব হয়নি আইন্সটাইনের রিলেভিটি বোঝার মত জায়গায় পৌছুতে, আবার আইন্সটাইনের সময় তার পক্ষে সম্ভব ছিলো না স্ট্রিং তত্ত্বকে বোঝার মত জায়গায় যেতে। কালের সীমাবদ্ধতার জন্যই এটা অসম্ভব ছিলো। আজকের দিনেও আমরা বহু কিছুর উত্তর জানি না। কিন্তু আমরা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির উপর আস্থা রেখে যৌক্তিকভাবেই এর সমাধান খুঁজছি। আজকে আমরা যেটা জানি না, ভবিষ্যতের বিজ্ঞানীরা তা সমাধান করবেন, এবং তা করবেন বিজ্ঞানকে ব্যবহার করেই। এভাবেই আমাদের জ্ঞান বিজ্ঞান এগুচ্ছে। কিন্তু এটা বাদ দিয়ে রূপকথায় বিশ্বাস করা কিংবা ‘ঈশ্বর বানাইছে’ জাতীয় সমাধান আসলে কোন সমাধান নয়, স্রেফ আর্গুমেন্ট ফ্রম ইগনরেন্স।
@অভিজিৎ, আমি আর তর্ক বিতর্কে যাবো না। আপনি আমাকে অনেক গুলা লিঙ্ক এবং বই দেখাইলেন। আমি এইগুলার অনেক কিছই পরছি।
আমিও আপনাকে একটা লিঙ্ক বা বই পরতে বলবো। আপনি পবিত্র আল-কোরআন পইরেন।
আমি জানি আপনি কি বলবেন। কিন্তু, আপনি যেমন বিশ্বাস করবেন না, তেমনি আমিও আপনার এইসব কথায় বিশ্বাস করব তাও আপনার ভাবার কোন কারন নাই।
আল্লাহ তায়ালা, আল-কোরআন এ বলেছেন, কিছু মানুষ কে তিনি সৃষ্টি করেছেন চোখ, কান, নাক ও মনে তালা দিয়ে, যত্ই তাদের বুঝানো হোক তারা বিশ্বাস করবে না।
এখন এই বিশেষ শ্রেনীর মানুষের মধ্যে কে পরতেছে? হ্য় আমি অথবা আপনি। দুই খেত্রেই আল-কোরআন এর কথা সত্য।
আর তর্কের কথা, আমি আসলে পালিয়েই যাচ্ছি বলতে পারেন, আমার অনেক কাজ থাকে। এত পেচালের সময় আসলে ভাই আমার নাই।
@Shiplu,
ভাল হল তর্কটা ভালোয় ভালোয় শেষ হল। এনিয়ে তর্ক করার আমারো আর খুব বেশি ইচ্ছে নেই।
আপনি বোধ হয় ‘অভিজিৎ’ নাম থেকেই ধরে নিয়েছেন যে, আমি আল-কোরান পড়িনি। আসলে কিন্তু ছোটবেলা থেকেই আমি কোরান পরেছি, এবং সম্ভবতঃ এই ব্লগে অনেকের চেয়েই বেশি। তবে সে নিয়ে লিখি না এখন আর।
🙂 আপনার কাজের সফলতা কামনা করছি।
আপনি যদি প্রথমেই এই উত্তর দিতেন তাহলে এই সমস্ত তর্কে বিতর্কের দরকার হতো না। আপনি আপনার বিশ্বাস নিয়ে থাকলে আমার কোনঅই অসুবিধা ছিলো না, কিন্তু সসস্যা হয়েছিল যখন আপনি আপনার বিশ্বাসগুলোকে আবার যুক্তির মোড়কে পুরে উপস্থাপন করতে চাচ্ছিলেন। সেটা না করলে বাকিটুকুতে আপনার অবস্থান ঠিকই আছে।
মুক্তমনায় লিখতে এবং আলোচনায় অংশ নিতে পারেন সব সময়েই।
@অভিজিৎ,
:guru: :clap2:
@Shiplu,
আপনিও একটু কোরান পড়ে আমাদের জানান কি শিখলেন। হিজিবিজি কথাকে মনের ইচ্ছেমত ব্যাখ্যা করে তাকে বিজ্ঞানের মোড়কে উপস্থাপন না করে নিজের সততা ধরে রেখে যথাযথভাবে একে উপস্থাপন করেন দেখি।
আরেকটি ব্যাপার আপনাকে না বলে পারছি না। কোনো কিছু ব্যাখ্যা করতে না পারার মানে এই নয় যে এটা কোনো কালেই ব্যাখ্যা করা যাবে না। বরং এর ব্যাখ্যার জন্য আমাদেরকে ভবিষ্যতের জন্য অপেক্ষা করা বা ক্ষমতা থাকলে নিজে গবেষণা চালিয়ে যাওয়া উচিত। আর এই অপেক্ষা করাটা কোনো অজানা কারণে মানুষ করতে চায় না বলেই যত বিপত্তি। জোয়ার-ভাটার কারণ ব্যাখ্যা করতে পারছেন না বলে এর কারণ হিসেবে কোনো দেব দেবী কল্পনা করে নিয়ে তা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা সব কালেই ভুল ছিল।
আমাদের ও অন্যান্য প্রাণিদের অস্তিত্বের ব্যাখ্যার জন্য আপনাকে ধৈর্য ধরে বিবর্তন সম্পর্কে জানতে হবে। আপনি বিশ্বাস করেন আর না করেন কোনো
সমস্যা নেই আস্তে আস্তে পড়া শুরু করেন। বিবর্তন সম্পর্কে জানতে পারবেন এখান থেকে।
ঈশ্বর সম্পর্কে বেশি কিছু বলতে ইচ্ছে করছে না। আমার একটি লেখা থেকে কপি পেস্ট-
ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন আর না করেন প্রায় সবাই ঈশ্বরের ধারণাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন। বস্তুত ঈশ্বর একটা অতি হাস্যকর ফালতু ধারণা। ঈশ্বর দিয়ে সব প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা বা ঈশ্বরকে সব কিছুর কারণ বলার কোনো অর্থই হয় না। কেউ যদি বলেন পানিচক্র বলতে কিছু নেই এবং বৃষ্টি ঈশ্বরের আদেশে কোনো এক ফেরেসতা মিকাইলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয় তবে এ থেকে আমি কি এমন কিছু জানলাম বা পেলাম যা আমার বিন্দুমাত্র কোনো প্রয়োজনে আসবে বা যাকে আমি জ্ঞান বলতে পারব ? মহাবিশ্বের সব কিছুর কারণ হিসেবে ঈশ্বর নামক এক অদ্ভুত যার নাকি আকার আকৃতি কিছু না থাকা সত্ত্বেও তিনি সচেতন এবং অসীম ক্ষমতার অধিকারী তাকে ধরে না নিয়ে এর পরিবর্তে একটা অশ্বডিম্বকে বসিয়ে দিলে সমস্যা কোথায়?
আবার ঈশ্বর থাকা মানেই ঈশ্বর মানুষের জন্য ধর্ম পাঠাবেন বা ঈসলামই সঠিক ধর্ম এমন কিন্তু না। অনেকেই ঈশ্বর আছেন মানেই তার ধর্ম সঠিক এসব আবালীয় যুক্তি দেখান।
এবার কোরান প্রসংগ। আপনি কি কখনো নিজেকে প্রশ্ন করেছেন কেন কোরানকে আপনার কাছে অলৌকিক বলে মনে হয়? কেন অন্য ধর্মাবলম্বীদের কাছে তা মনে হয় না। শিশুকালের ব্রেন-ওয়াস নাকি অন্য কিছুর ফল ওটা? আমি নিজে আরবিতে এবং বাংলা ও ইংরেজি অনুবাদ ও তফসির এত পড়েছি যে আমার মনে হয় ইসলামে বিশ্বাসীদের খুব কমই এতটা পড়ে। আমার তো মনে হয় না এটা কোনো অলৌকিক গ্রন্থ। এ বিষয়ে সিরিজ লেখায় হাত দিয়েছিলাম কিন্তু কোরান-টোরান এগুলোকে এতটা হাস্যকর মনে হয় যে এমন কি এগুলোর অলৌকিকতার দাবীর বিপক্ষেও কিছু লেখার রুচি হচ্ছে না। প্রথম পর্বটা একটু দেখেন।
কিছু মানুষকে আপনি বলেছেন আল্যা সৃষ্টি করেছেন নাক কান তালা দিয়ে। তাহলে ঐ কিছু মানুষের দোষটা কোথায়? আমি অনেক কাল ধার্মিক মুসলমান ছিলাম, তখন কি আমার নাক, কান খোলা ছিল? 🙂 তবে আবার কোন দোষে বন্ধ হল?
পালিয়ে বেড়ানোর ইচ্ছে থাকলে বিতর্কে আসলেন কেন? না আপনাকে মন্দ বলছি না। এ যুগে জ্ঞানের সব রাস্তাই সবার জন্য উন্মুক্ত। তাই আপনি ইচ্ছে করলে পালিয়ে না বেড়িয়ে নিজেকে এখানে তুলে ধরতে পারেন। আর হ্যা, যেকোন বিষয়ে ঠাণ্ডা মাথায় বুঝে-শোনে-জেনে কথা বললে সবারই সুবিধা।
@সৈকত চৌধুরী, এইসব তর্কবিতর্ক করতে কেউ আমাকে টাকা দেয় না, যে আমি আপনার এইখানে পরে থাকব তর্ক করতে।
আর পবিত্র কোরআন থেকে কি শিখেছি, সময় পেলে অবশ্যই একদিন বলব, আপনিতো আছেন ই।
আপনার কাছে যেমন কোরআন এর কথা হাস্যকর লাগে, আমার কাছেও লাগে, তবে আপনাদের কথা।
আপনাদের ব্লগ গুলোতে যা লেখা থাকে, তাতে আমার কাছে মনে হয়, জিম ক্যারি যেমন অংগ ভংগি করে মানুষকে হাসাতে ব্যর্থ চেষ্টা করে, আপনারাও তাই করেন।
আর পারলে এইটার রিপ্লাইটা দিয়েন না।
@Shiplu,
আরে ব্রাদার এতো তাড়াতাড়িই সিদ্ধান্তে আসছেন কেন? আমি কি আপনাকে এই ব্যাপারে কিছু বলেছি?
অবশ্যই প্রশ্ন আসাটা স্বাভাবিক। বরঞ্চ না আসাটাই অস্বাভাবিক। কোন কিছু না জানা থাকলে জিজ্ঞেস করাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু প্রশ্ন হল জিজ্ঞেস করার ভিতরেও কিন্তু ব্যাপার আছে। আমি যদি আপনাকে জিজ্ঞেস করি হাসজারু, সোনারপাথর বাটি, হাট্টিমাটিম টিম, এগুলো কে তৈরী করেছে? আপনার উত্তর কি হবে ব্রাদার? আল্লাহ, ঈশ্বর?? নাকি আপনি আমার মস্তিষ্ক সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করবেন? যদি করেন তাহলে কি খুব বেশি অস্বাভাবিক হবে? কারন যেখানে এই জিনিস গুলোর অস্তিত্বই নেই সেখানে কিভাবে আপনি এগুলোর উৎপত্তির কথা বলবেন তাই না?
এখন আমরা আসি পৃথিবী যে চলছে, মহাবিশ্ব যে চলছে তার কি কোন নিয়ম শৃংখলা আছে নাকি? আমরা জানি আছে। তাহলে নিয়ম গুলো কে তৈরী করল?
আমাদের সমস্যা আসলে এই খানেই।
বুঝিয়ে বলছি, আপনি বলেছেন পৃথিবীতে যত কিছু সৃষ্টি করা হয়েছে তার কেউ না কেউ আবিষ্কারক বা সৃষ্টি কর্তা আছে। মানছি, কারন আমরা সবাই তাই জানি। একটা ফ্যান তৈরী করেছে ফ্যানের নির্মাতা, চেয়ার তৈরী করেছে কাঠমিস্ত্রী, এমন কি এই যে এখন মুক্তমনাতে যে বকর বকর করছি, এই প্লাটফর্মটাও একজনকে তৈরী করতে হয়েছে। সেজন্য আপনি সিদ্ধান্তে এসেছেন যে পৃথিবীতে যাই কিছু সৃষ্টি হয় তার একজন মেকার থাকে। এখন আমি বলছি আপনি যা ভাবছেন তা আংশিক ভুল। কিভাবে?
ভাবুন তো, চেয়ার যে তৈরী করেছে সে কি ফ্যান তৈরী করেছে, মুক্তমনার প্ল্যাটফর্ম যে তৈরী করেছে সে কি নাটকের মঞ্চ তৈরী করেছে? না। তার মানে হল একজন মেকার সব কিছু তৈরী করেনি। সোজা কথা হল, আমাদের সামনে এমন কোন উদাহরন নেই যা দেখে আমরা বলতে পারি যে, একজন মেকারকে সব কিছু তৈরী করতে হবে। আমি কি বুঝাতে পারলাম?
আপনি কি এমন কোন গ্রহের কথা জানেন যেখানে একজন মেকার সেই গ্রহের সব কিছু তৈরী করেছে? সেই গ্রহের পদার্থবিদ্যার সমস্ত সুত্র প্রয়োগ করেছে? জানেন না। কারন তেমন কোন গ্রহের কথা এখনও জানা যায় নি। যদি আমরা জানতাম যে মঙ্গলে কিংবা বুধে কিংবা মহাবিশ্বের যেকোন একটি গ্রহে সমস্ত কিছু তৈরীর পেছনে একজনের হাত রয়েছে তাহলে আমরা বলতে পারতাম যে, আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীটা তৈরীর জন্য কারো প্রয়োজন হতেও পারে। আমরা কিন্তু তা জানি না। তাহলে আমরা কিভাবে বলি যে সব কিছু তৈরীর জন্য আমাদের একজনকে লাগবে?
আমরা এখন মুদ্রার ওপর পিঠে তাকাই। আপনার কথা অনুযায়ী ধরে নিলাম এমন একজন সত্বা আছে যিনি এই সমস্ত কিছু তৈরী করেছে। এখন আপনার যুক্তি অনুযায়ী কিন্তু সেই সত্বাকে অস্তিত্বে আসতে হলে তাকেও সৃষ্টি হতে হবে। তাই না? এখন আমার প্রশ্ন সে কিভাবে সৃষ্টি হল?
আপনার যুক্তি যদি মানতে যাই তাহলে কিন্তু বলতে হবে তাকে সৃষ্টির জন্য কাউকে না কাউকে প্রয়োজন, আবার সেই কাউকে সৃষ্টির জন্য আবার অন্য কাউকে প্রয়োজন। এভাবে কিন্তু চলতেই থাকবে। তাই না? কিন্তু আসলেই কি তাই? আপনার কি মনে হয়?
এখন সাধারনত বিশ্বাসী মানুষেরা যা বলে থাকে তা হল, ঐ বিশেষ সত্বার সৃষ্টির জন্য আর কাউকে প্রয়োজন নেই। আমি বলব কেন? আপনি নিজেই বলেছেন যে সব কিছুর জন্য একজন সৃষ্টিকর্তা প্রয়োজন। তাহলে এইখানে আপনি কেন আপনার কথারই স্ববিরোধীতা করছেন? এটা কি কপটতা নাকি সুবিধাবাদ? আপনার কথা প্রতিষ্ঠিত করতে আপনি কি ভন্ডামী করছেন না?
অথচ আমি কিন্তু আগেই বলেছি যে, আমাদের কাছে এমন কোন উদাহরন নেই যা দেখে আমরা বলতে পারি যে সব কিছুরই সৃষ্টিকর্তা থাকতে হবে। তার মানে আমি জানি না সব কিছুর জন্য সৃষ্টিকর্তা লাগবে কি না। বলেছেন আপনি। আবার সেই আপনিই বলছেন যে একটা বিশেষ সময়ে সেই নিয়মের ব্যতিক্রম হতে পারে। আমি যদি বলি তাহলে সেই ব্যতিক্রম পৃথিবীর বেলাত খাটবে না কেন? মেনে নেবেন, নাকি কূটতর্ক চালিয়ে যাবেন?
এখন স্বাভাবিক ভাবে যুক্তিতর্কের বাহিরে যেয়ে আলোচনা করি। আমরা মানুষ জাতি আজকের এই অবস্থানে এসেছি কিন্তু এক দিনে না। হাজার বছরের প্রচেষ্টা আমাদেরকে আজকের সাফল্যের চূড়ায় এনে দিয়েছে। আজকে আপনি যে বলছেন যে সৃষ্টিকর্তা প্রয়োজন কারন আপনি এমন একটা অবস্থানে এসেছেন যেখানে থেকে এই প্রশ্ন করা যায়। প্রানিজগতের অন্যান্য প্রানীদের দিকে চেয়ে দেখুন তো? তারা কিন্তু সেই ভাবনায় ব্যাস্ত না।
মানুষের মনে প্রশ্ন আসতেই পারে এবং আগেও বলেছি সেটাই স্বাভাবিক, কিন্তু সেই প্রশ্নের উত্তর যে করা মাত্রই পেয়ে যাবেন সে কথা কেন ভাবছেন? আজকে যে কম্পিউটারের সামনে বসে আপনি এই আলোচনা করে যাচ্ছেন সেটা কি ২০০ বছর আগে সম্ভব ছিল? তখন যদি আপনি বলতেন কম্পিউটারের কথা কেউ কি বিশ্বাস করত? এখন সেটা খুবই স্বাভাবিক।
আমাদেরকে মেনে নিতে হবে আমরা এখনও অনেক কিছুই জানি না। তারমানে কিন্তু এই নয় যে একজনের দাবী করা একটা জিনিস নাই অথবা আছে। থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে। কিন্তু জানার আগেই যদি আমরা বলি না সেটা আছে তাহলে কিন্তু অন্য লোকজন আপনাকে নিয়ে মজা করতেই পারে। এমন হতে পারে ঈশ্বর একদিন আবিষ্কার হবে(যদিও আমি শিওর হবে না) আবার নাও হতে পারে। কিন্তু সবকিছু জানার আগেই যদি আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে থাকি তাহলে কিন্তু লাভ হবে না। বরঞ্চ লস হবার সম্ভবনা ১০০ ভাগ।
আপনি মনে মনে বিশ্বাস করতেই পারেন হাট্টিমাটিম টিম নামে কোন প্রানী হয়তোবা থাকতে পারে। সেটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। সমস্যার কিছু নেই। সমস্যা হ্য তখন যখন আপনি আপনার ব্যক্তিগত বিশ্বাসকে অন্যের উপরে যুক্তিহীন ভাবে চাপিয়ে দিতে চাইবেন।
আমি কি বোঝাতে পেরেছ ব্যাপারটা?
ধন্যবাদ।
বিজ্ঞানের জটিল জটিল বিষয়গুলো এত সহজ ভাবে লেখার এমন গুন কোথা থেকে পেয়েছেন?
Avijit da
I was expecting an article on this book from you,especially when i first found that this book will be published in the weekend. Thank you very much. we do expect more from you when the wil be published.
SIDDHARTHA
আমি ৬৯ পূর্ণ করলাম মন্তব্য পোষ্ট এ। এই না হলে অভিজিৎ দার পোষ্ট। :guli:
কিছু বুঝলাম কিছু বুঝলাম না। তবু অসুবিধা নাই। অনেক দিনপরে একটা লেখার মত লেখা পেলাম।
:rose2:
আরো আগেই আশা করেছিলাম এই পোস্টটি।
ক্রেগ ভেন্টরের জেনেটিক ইন্জিনিয়ারিংকে যেভাবে কৃত্রিমভাবে প্রাণের সৃষ্টি বলে দুয়েকদিন মাতামাতি করার পরে সব শান্ত হয়ে গেছে , তেমনি হকিংয়ের সর্বশেষ (প্রমানবিহীন) ধারনার ও একি পরিনতি হবে (মাতামাতি করার পরে সব শান্ত হয়ে যাওয়া) বলেই আমার বিশ্বাস।
শুন্য থেকে এই মহাবিশ্বের সৃষ্টি , এটা নিয়ে আমার মনে হয় আস্তিক নাস্তিক কারো দ্বিমত নেই। পার্থক্য যেটুকু , তা হলো এটা আল্লাহর ইচ্ছায় নাকি স্বতস্ফুর্তভাবে সৃষ্টি হয়েছে। আসলেই স্বতস্ফুর্তভাবে সৃষ্টি হওয়ার সময়ে আল্লাহ ‘হও’ বলেছিলেন কিনা , সেটা যার যার বিশ্বাস। স্বতস্ফুর্তভাবে যে প্রক্রিয়ায় এই মহাবিশ্বের সৃষ্টি , সেই একি প্রক্রিয়ায় আল্লাহ ‘হও’ বলার পরে মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়ে থাকলে , বিরোধটা কোথায়? কেউ কেউ আবার ৬ দিনের বা ১৪৪ঘন্টার প্রসঙ্গ আনতে পারেন। তাদের জন্য ভিন্ন ব্যাখ্যা আছে।
হকিংয়ের সর্বশেষ বক্তব্যে যৌক্তিক ভুল আছে। উনি বলছেন, ” মহাকর্ষ আইন (law of gravity) ও অন্যান্য আইনের কারনেই শুন্য থেকে মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়েছে। ” মহাকর্ষ আইন নিজেই ‘কিছু একটা’ এবং নিশ্চয় ‘শুন্য’ নয়।
শূণ্য থেকে ভর সৃষ্টির বিষয়টি বাস্তব কিন্তু এই বাস্তবতার সাথে বস্তুর কিংবা ভরের স্থায়িত্বের প্রশ্নটিও রয়েছে, যত ভর বাড়বে, স্থায়িত্ব তত কমবে, সেটা পর্যবেক্ষণযোগ্য কি না এখানেই যে সংশয়- সেটা কোনো উপায়ে অস্তিত্বশীল রেখে ১৫ বিলিয়ন বয়সের মহাবিশ্ব নির্মাণের সংশয়টুকু তার তুলনায় অনেক বেশী। হাইজেনবার্গ অনিশ্চয়তা তত্ত্ব মহাবিশ্বের সমপরিমাণ পদার্থ কণা শূণ্য থেকে তৈরি করতে সক্ষম হলেও সেটার স্থায়িত্ব কি আদৌ প্লাঙ্ক সময়ের চেয়ে বেশী হবে?
সবচেয়ে বড়কথা , হকিং কি নিশ্চিত প্রমান নিয়ে হাজির হয়েছেন , নাকি প্রচলিত ধারনাগুলোর উপরে ভিত্তি করে নুতন কোন হাপোথেসিস খাড়া করেছেন?
@ফারুক,
মানুষের তৈরী ডিএনএ একটি ডিএনএবিহীন ব্যাকটেরিয়া কোষে স্থানান্তরিত করে তাকে দিয়ে বংশবৃদ্ধি করানো হয়েছে, একে যদি আপনার কৃত্রিম প্রাণ সৃষ্টি মনে না হয়, তবে আপনার আগে খোলাসা করা দরকার আপনি “প্রাণ” বলতে কি বুঝেন। আর এটা মাতামাতি করার কিছু না। আপনার মিরাকল শিশু নিয়ে তো বিশ্ব মিডিয়ায় কারও তেমন একটা মাথা-ব্যথা দেখলাম না, সেটার আপডেট কি 😀
অক্সিডেশনের কারণে আগুন জ্বলে নাকি আল্লাহর ইচ্ছায় আগুন জ্বলে, সেটা নিয়ে লোকে জল ঘোলা করতেই পারে। তবে আল্লাহর ইচ্ছায় আগুন জ্বলাটা বৈজ্ঞানিক ও জ্ঞানতাত্ত্বিকভাবে একটা অর্থহীন প্রস্তাবনা, কারণ একে মিথ্যা-প্রতিপাদন করার কোন উপায় নেই। এক্ষেত্রে কেউ যদি দাবি করে যে আগুন জ্বালানোর জন্য ঈশ্বরের চেয়ে অক্সিজেনের প্রয়োজন বেশি, তাহলে কি তাকে দোষ দেওয়া যায়?
“আইন” আর বস্তু কি এক? দু’টো অমসৃণ পৃষ্ঠকে একে অপরের সাথে ঘষলে তাপ উৎপন্ন হতেই পারে। এখন “ফ্রিকশনের কারণে তাপ উৎপন্ন হওয়ার রীতিটা কে চালু করেছে?” প্রশ্নটা কি কোন অর্থ বহন করে? এটা তো অনেকটা “পাথরের আইকিউ কত” জাতীয় অর্থহীন প্রশ্ন হয়ে গেল।
@ফারুক,
কারণ “হও” বলার ব্যাপারটা খুব সুনির্দিষ্ট একটা দাবী। সেটা প্রমাণ সাপেক্ষ। প্রমাণটি কি?
ধর্ম সবসময়ই বিজ্ঞানের ছেড়ে রাখা জায়গাটিতে নিয়ে ঈশ্বরকে ঢুকায়, God in the gaps বলে যে প্রবণতা সংগত কারণেই কুখ্যাত। এই মনোভাবটি পরিহার করে যদি ধর্ম সরাসরি তার দাবীগুলি প্রমাণের চেষ্টা করত, বিজ্ঞানের মত, তাহলে সেটিকে বান্তর হিসেবে গ্রহণ করা চলত। আইনস্টাইন যদি বলতেন, ম্যাক্স প্লাংক তো এখনও ভাল কোন ব্যাখ্যা দিতে পারছেন না, কাজেই প্রমাণিত হল আলোর ফোটন আকারে ঘোরাঘুরি করছে, এখানে “বিরোধটা কোথায়”, তাহলে তাকে আপনি কি মনে করতেন?
@ফারুক,
ফারুক, একটা কাজ করেন ‘বিজ্ঞান কাহাকে বলে এবং ইহা কিভাবে কাজ করে’ এর উপরে একটা ক্লাস নেন বা এইটা নিয়ে প্রথমে একটু লেখাপড়া করে নেন, তারপর না হয় এভাবে হামলিয়ে পড়ে মন্তব্য করবেন।
প্রথম কথা হল ক্রেগ ভেন্টর যেটা তৈরি করেছেন তাকে আপনি যা ইচ্ছে তাই বলেন না কেন ওইটা কৃত্রিম প্রাণই ছিল, সেটা নিয়ে আপনার সাথে তর্ক করে আর কি লাভ? পৃথিবীই ঠিক বলেছেন যে আগে প্রাণের সংজ্ঞা কি তা বুঝতে হবে, এক্ষেত্রেও ‘বিজ্ঞান কাহাকে বলে’ জেনে নিলে হয়তো উপকৃত হবেন। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, যখন কোন একটা বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের কথা ঘোষণা করা হয় তখন প্রেস রিলিজ বের হয়, বিভিন্ন মিডিয়া থেকে পক্ষে বিপক্ষে বিভিন্ন মতামত প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞান কিন্তু বিজ্ঞানের কাজ করেই যেতে থাকে, ভবিষ্যতের কোন আবিষ্কার যদি এটাকে ভুল প্রমাণ করতে পারে তাহলে তা বর্জন করা হয় আর না হলে তাকে একসময় গ্রহণ করা হয়। আপনার কি ধারণা যে বিজ্ঞানের কাজ মিডিয়ায় মিডিয়ায় গিয়ে মুখ পেটানো? আপনি যদি ভেন্টরের কোন ইন্টারভিউ দেখে থাকেন তাহলে দেখবেন যে উনি ( এবং আরও অনেক বিজ্ঞানী) তার প্রজেকটকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছেন। বিজ্ঞান কিভাবে কাজ করে সেটা না বুঝলেই শুধুমাত্র আপনার মত করে ‘মাতামাতি করার পরে সব শান্ত হয়ে যাওয়ার’ মত কথা বলা যায়। এটা কি ধর্ম নাকি যে দেড়-দুই হাজার বছরের পুরনো কাসুন্দিই চটকাতে থাকবে?
@ফাহিম রেজা,
ভাল বলেছেন। নিম্নের পোস্টের মন্তব্যগুলো পড়ুন।
অবশেষে মানুষের ঈশ্বর হয়ে ওঠা : তৈরি হল প্রথম কৃত্রিম প্রাণ
ফাহিম রেজা ঠিকই বলেছেন। ক্রেগ ভেন্টর সিন্থেটিক লাইফের ফলাফল প্রকাশ করে তো চুপ হয়ে যাননি, বরং ভবিষ্যতের টার্গেটগুলোও নির্ধারণ করেছেন। হয়তো অচীরেই দেখবেন খবরে এসেছে – প্রকৃত কোষ বা ইউক্যারিয়ট বানানো সম্ভব হয়েছে, কিংবা আরো জটিলতর জীব, কিংবা আরো বড় কোন সফলতার খবর। বিজ্ঞান তো এভাবেই এগোয়। সেটা না বুঝে ‘চুপ হয়ে যাওয়া’র উপমা হাস্যকর।
ভালোই হয়েছে লিঙ্ক দেওয়ায়। লিঙ্কে গিয়ে ফারুক সাহেবের আর্গুমেন্টগুলো যেমন পাঠকেরা পড়তে পারবেন, তেমনি আমার উত্তরগুলোও।
@ফারুক,
ঐ পোস্টের মন্তব্যগুলো পড়লে খুব ভাল ভাবেই বোঝা যায় যে আপনি প্রানের বৈজ্ঞানিক সংজ্ঞাই বুঝতে ব্যার্থ হয়েছেন। একটি মরা কোষকে সচল করাকে যদি প্রান সৃষ্টি না বোঝেন তবে আপনার সাথে এ এ বিষয়ে তর্ক অর্খহীন। আপনাকে ঐ পোস্টেই প্রান বলতে কি বোঝেন প্রশ্ন করা হয়েছিল। আপনি সেদিকে গেলেনই না। শুধু গায়ের জোড়ে তর্ক করার খাতিরে তর্ক করেছেন। আপনাকে দেখলেই বোঝা যায় আপনি এখানে শেখার জন্য আসেননা..আসেন কুটতর্ক করতে। তা না হলে, এতদিনে প্রান বলতে কি বোঝায় তা আপনার বোধগম্য হত। আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করেছি পৃথিবী এখানেও আপনাকে একই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছে । আর আপনি বরাবরের মতই পাশ কাটিয়ে চলে গেছেন।
আবারও বলছি আপনাকে দেখলে মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না… :rose2:
প্রবন্ধ পড়ে যতটা না বিনোদন পেয়েছি, তার চেয়ে বেশি মজা পেয়েছি কমেন্ট এ। বিশ্বাস করেন, ভবিষ্যতে যখন আমি গোবেল প্রাইজ চালু করবো সেখানে যুক্তিবাদী দাবিদার কে কত বেশি অযৌক্তিক বাণী বয়ান করতে পারে তার জন্য একটা বিশেষ কোটা অবশ্যই রাখবো। কথা দিলাম। ইচ্ছা করলে এখনই রেজিষ্ট্রেশন করতে পারেন। যাই হোক, তিনখান প্রশ্ন এবং দুই খানা প্যাচাল দিলাম। ফাজলামি না। কসমোলজি নিয়ে ভাবছি বই লিখবো। তার জন্য উত্তর দরকার।
১. যে বিধি গুলো অভিকর্ষের পূর্বে কার্যকর ছিল, তারাই মহাবিশ্ব গঠনে ভূমিকা রেখেছে। প্রশ্ন হলো, প্লাঙ্ক টাইমের পূর্বে এই বিধি নাজিল হলো কেমনে?
২. স্বত:স্ফুর্ত সৃষ্টির জন্য যে নীতি প্রয়োগ হয়েছিল সেই নীতি কিকরে স্থিতিশীল কাঠামোয় প্রযোজ্য হলো?
৩.মহাবিশ্ব সৃষ্টি এবং তার পরিণতিতে যে বিধিগুলো কার্যকর সে বিধি কোথায় তৈরি হয়েছিল, কি ভাবে এবং তারা কি করে একটি বৃহৎ, আপাত সামঞ্জস্যশীল কাঠামোতে স্থিতি লাভ করেছিল?
৪. কার্যকারণ ছাড়া কোন কিছু এমনিতে সৃষ্টি হচ্ছে এবং তা গাণিতিকভাবে বিন্যাসের সাধারণ নিয়ম মেনে চলছে, এমন একটি উদাহরন দিলে ভালো হয়।
৫. এটা একটু ঝামেলা। কোন বান্দর মওলানা যদি বলে যে, পদার্থবিজ্ঞানের নিয়মগুলো আগেই কেউ তৈরী কইরা রাখছে, অথবা এগুলা কেমনে জীববিজ্ঞানের ভিতরে ঢুইকা জীবন তৈরী করবে, তাও কেই আগেই বানাইয়া রাখছিল। সে জন, সময় এবং গতির সাধারণ শৃঙ্খলের উর্ধ্বে বইলাই এসব পারছে। সে ব্যটারে কেমনে টাইট দেওয়া যায় সে পদ্ধতি সহ যদি উত্তর গুলা আমারে কেউ ই-মেইল কইরা দেন, বহুত কৃতজ্ঞ থাকবো।
বি:দ্র : আমার ই-মেইলের জন্য একটু ধৈয্য ধরতে হবে। আমার ল্যপটপ আমারে কথা দিছে যে, ইয়াহুর সাথে তার কথা হইছে। সেখানে নাকি আমার জন্য একটা আইডি তৈরি হইতেছে। বদমাইশটারে বললাম কেমনে, সে বলে এমনিতেই হইবো। মহাবিশ্ব এমনিতে হইয়াগেল, আর একটা আইডি?
কথায় যুক্তি আছে, কি বলেন? ওয়ান মিনিট প্লিজ। :rotfl:
@লজ্জিত হলাম,
অপেক্ষায় আছিইতো………….
@লজ্জিত হলাম, এই হয়রান পাগলার অবতার জার্কটিকে কি কেউ কিছু বলবেন, নাকি আমিই বলবো।
@লজ্জিত হলাম,
চেনা চেনা লাগে তবু অচেনা———————– থাক।
আরো টাইট দেয়া লাগবো নি?
কথাগুলো সাঈদির মিথ্যে বানোয়াট ওয়াজ নয় তো?
আপনা আপনি জলে ভাসা তক্তা দিয়ে তৈরি নৌকার কেচ্ছা এখানে বোধ হয় চলবেনা। তবুও নিয়ে আসুন দেখি কী আছে ঝুলিতে, আমরা অপেক্ষায় আছি।
@আকাশ মালিক,
আপনা আপনি জলে ভাসা তক্তা দিয়ে তৈরি নৌকার কেচ্ছা এখানে বোধ হয় চলবেনা। তবুও নিয়ে আসুন দেখি কী আছে ঝুলিতে, আমরা অপেক্ষায় আছি।
:lotpot: :guli: :rotfl:
@আকাশ মালিক,
এ কে এই ব্যাপারে আপনার অনুমান শোনার জন্য আমি প্রচন্ড প্রচন্ড উদগ্রীব। আপনার অনুমানটি কি আমাকে ব্যক্তিগত বার্তা হিসেবে পাঠিয়ে দিতে পারেন? অবশ্যই আমি সেট ডিসক্লোজ করবোনা আর কারও কাছে। feeling nosy :-/
@লজ্জিত হলাম,
আপনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করেছেন। আমার সীমিত জ্ঞান থেকেই সেগুলোর উত্তর দেয়ার চেষ্টা করছি। উত্তর আপনার মনঃপূত হবে কিনা জানিনা। তবে আমি চেষ্টা করছি যতদূর সম্ভব আপনার কৌতুহল মেটাতে।
তবে এ ধরণের আলোচনায় অযথা সার্কাজম এবং গুতাগুতি না করলেই ভাল, আমাদের দুজনের জন্য, এবং পাঠকদের জন্য। যেমন, আপনি শুরুই করেছেন এই বলে –
আপনি যে মজা পেয়েছেন সেজন্য আমরা কৃতার্থ।
আপনার স্বপ্ন সফল হোক। তবে দুর্মুখেরা আবার বলতে পারে, এ ধরণের পুরস্কার চালু করা সাথে সাথে আপনিই সেটা সবার প্রথমে পেয়ে যেতে পারেন। 🙂
ভাই আপনার উত্তর থেকে যে কেউ মনে করবে, পদার্থবিজ্ঞানের নিয়ম নীতিগুলো বোধ হয় রাষ্ট্রের শরিয়া আইনের মত কিছু, যা কারো দ্বারা ‘নাজিল’ (শব্দটি খেয়াল করুন) হতে হবে। পদার্থবিজ্ঞানীরা কিন্তু বলেন নাই বিধিগুলা কারো দ্বারা নাজিল হতে হবে, কিংবা হয়েছে। কি ভাবে পদার্থবিজ্ঞানের নিয়মগুলো তৈরি হল তা জানার জন্য আপনি এই পেপারটা দেখতে পারেন। এছাড়া আমি আরেকটি বইও সাজেস্ট করব,
‘The Comprehensible Cosmos: Where Do the Laws of Physics Come From?’ Prometheus Books; (July 5, 2006)
ওয়েভ ফাংশন, কোয়ান্টাম টানেলিং কিংবা হার্টলে-হকিং মডেলে গাণিতিকভাবেই দেখানো হয়েছে যে মহাবিশ্বের বিধিগুলো প্রাকৃতিকভাবেই তৈরি হওয়া সম্ভব এবং মহাবিশ্বের জন্য পরবর্তীতে কার্যকরি হতে পারে।
আবার, লিন্ডে গুথের কেওতিক ইনফ্লেশনারি মডেলকে গোনায় ধরলে, বলতে হয়, এই মহাবিশ্বের বাইরেও অসংখ্য মহাবিশ্বের উপস্থিতি থাকতে পারে, এবং একেক মহাবিশ্বের জন্য হয়তো একেক রকম নিয়ম তৈরি হয়েছে। অর্থাৎ, আমাদের মহাবিশ্বের নিয়মগুলোকে যেভাবে ‘চিরায়ত’ বলে ভাবা হয়, অন্য মহাবিশ্বে একই রকম হবে না। তা না হওয়াটাই বরং অধিকতর সম্ভাব্য।
আর তা ছাড়া যে নিয়মগুলো ‘ধ্রুব’ বলে ভাবছেন, সেগুলো সত্যই সেরকম কিনা তাও প্রশ্নসাপেক্ষ। কনজারভেশন অব লিনিয়ার মোমেন্টাম নামের সূত্রের কথা যে আমরা জানি, তা আর কনজার্ভড থাকে না যখন স্পেস ট্রান্সলেশন সিমেট্রি ভেঙ্গে যায়। ঠিক একইভাবে এংগুলার মোমেন্টামও যে কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে লংঘিত হয়, তা পদার্থবিজ্ঞানের দৃষ্টান্ত খুঁজেই দেখানো যায়। কোয়ান্টাম টানেলিং এর সময় নিউটোনিয়ান ব্যারিয়ার কাজ করে না, সেট আমরা জানি। এমনকি, যে শক্তির নিত্যতার সূত্রকে আমরা ধ্রুব সত্য বলে জানি, সেটারও বত্যয় ঘটে কোয়ান্টাম স্কেলে। এখন ইন্টারপ্রেটেশনের ব্যাপারটা বলি – পদার্থবিদদের একটি অংশ আছেন যারা মনে করেন যে, পদার্থবিজ্ঞানের সূত্রগুলো আসলে পদার্থের ব্যবহারজনিত কোন নিষেধাজ্ঞা তৈরি করে না, বরং পদার্থবিদরা কিভাবে তাদের মডেল নির্মাণ করবেন তার নিষেধাজ্ঞা তৈরি করে এই প্রাকৃতিক সূত্রগুলো। আপনি কেবল ‘এই বিধি নাজিল হলো কেমনে?’ বলে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলে তো হবে না, বিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো কি বলছে সেটাও জানতে হবে।
এলেন গুথের ইনফ্লেশন তত্ত্ব তো এর উত্তর দিয়েছেই অনেক আগে। কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনের মধ্য দিয়ে এই মহাবিশ্ব উদ্ভুত হবার পর পরবর্তীতে সৃষ্ট মহাবিশ্বকে স্ফীতির (Inflation) দিকে ঠেলে দিয়েছে, এবং আরো পরে পদার্থ আর কাঠামো তৈরির পথ সুগম করেছে। এগুলো তো বৈজ্ঞানিকভাবেই প্রমাণিত। স্ফিতি তত্ত্বের পক্ষে একগাদা প্রমাণও পাওয়া গেছে বিভিন্ন অবজার্ভেশন থেকে। গ্যালাক্সির ক্লাস্টারিং, এক্স রশ্মি এবং অবলোহিত তেজস্ক্রিয়তার বিন্যাস, মহাবিশ্বের প্রসারণের হার এবং এর বয়স, মহাবিশ্ব গঠনে এর উপাদান গুলোর প্রাচুর্যের ডেটার সাথে না হলে তত্ত্বের ফলাফল মিলতো না। আপনি যদি না জানেন ব্যাপারটা তা হলে পড়ে নিতে পারেন এলেন গুথের এই বইটি –
Alan Guth, The Inflationary Universe, Basic Books (1998)
এছাড়া আমার লেখাতেও আমি কিছু পেপারের রেফারেন্স দিয়েছি, সেগুলো দেখতে পারেন। কতগুলো পেপার অনলাইনেই আছে।
আগেই উত্তর দেয়া হয়েছে। ইনফ্লেশনারী তত্ত্বেই এর উত্তর পাওয়া গেছে।
সার্বিকভাবে পদার্থবিজ্ঞানের নিয়ম মেনে চললেও কোয়ান্টাম স্কেলে এমন অনেক উদাহরণ দেওয়া যাবে – যেগুলো ‘আপাতভাবে’ কার্যকারণ মেনে চলে না, (কিন্তু পারিসাংখ্যিক প্রোবাবিলিটি মেনে চলে)। কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন, আণবিক পরিবৃত্তি (Atomic Transition), আণবিক নিউক্লিয়াসের তেজষ্ক্রিয় অবক্ষয়ের (Radio active decay of nuclei) মতো কোয়ান্টাম ঘটনাসমূহ ‘কারণবিহীন ঘটনা’ হিসেবে ইতিমধ্যেই বৈজ্ঞানিক সমাজে স্বীকৃত। হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা তত্ত্ব (uncertainty principle) অনুযায়ী সামান্য সময়ের জন্য শক্তি (যা E = mc^2 সূত্রের মাধ্যমে শক্তি ও ভরের সমতুল্যতা প্রকাশ করে) উৎপন্ন ও বিনাশ ঘটতে পারে- স্বতঃস্ফুর্তভাবে- কোন কারণ ছাড়াই। এগুলো সবগুলোই পরীক্ষিত সত্য। আমার কথা বিশ্বাস না হলে কিছু খ্যাতনামা পদার্থবিদের বই থেকে উদ্ধৃতি দেই –
‘In the everyday world, energy is always unalterably fixed; the law of energy conservation is a cornerstone of classical physics. But in the quantum microworld, energy can appear and disappear out of nowhere in a spontaneous and unpredictable fashion’ (Davies, Paul. 1983. God and the New Physics. London: J.M. Dent & Sons).
‘…the idea of a First Cause sounds somewhat fishy in light of the modern theory of quantum mechanics. According to the most commonly accepted interpretation of quantum mechanics, individual subatomic particles can behave in unpredictable ways and there are numerous random, uncaused events.’ (Morris, Achilles in the Quantum World. New York: Henry Holt & Co1997, 19)
In modern physics, there is no such thing as “nothing.” Even in a perfect vacuum, pairs of virtual particles are constantly being created and destroyed. The existence of these particles is no mathematical fiction. Though they cannot be directly observed, the effects they create are quite real. The assumption that they exist leads to predictions that have been confirmed by experiment to a high degree of accuracy. (Morris, The Edges of Science, 1990, 25)
“Quantum phenomenon, such as atomic transitions and radioactive decay of nuclei, seem to happen without prior cause.”, Victor Stenger, Has Science Found God? : The Latest Results in the Search for Purpose in the Universe , pp 173
ইত্যাদি। বাকিটুকু আপনার পড়ে নিতে হবে।
আপনার বাকি মন্তব্যগুলো স্রেফ সার্কাজম এবং অহেতুক গুতাগুতি। কাজেই সেগুলোর লজিকাল উত্তর আশা না করাই ভাল। তারপরেও কিছু বলি। মহাবিশ্ব প্রাকৃতিকভাবেই উদ্ভুত হয়েছে হয়েছে সেটা মানতে আপনার এত আপত্তি কিন্তু মাঙ্কিগডের লাহান ‘কেউ বানাইছে’ এইটা মানতে কোন লজিকাল সমস্যা দেখেন না (আজীব ব্যাপার)। যদিও যে কেউ আপনার মতই প্রশ্ন করতে পারে, যে বান্দরের লাহান ব্যাটা এত বড় একখান মহাবিশ্ব বানাইছে সে ব্যাটা আইলো কোইত্থন? উনি যদি বিনা কারনে, বিনা পিতা মাতায় বিনা যুক্তিতে আবির্ভুত হইতে পারেন, আর হঠাৎ কইরা শখের বশে এই মহাবিশ্ব বানায় ফেলতে পারেন, তবে উনারে দুই হাত তুইলা ডাকলে আপ্নের ইয়াহু আইডিও পাইবেন ইনশাল্লাহ। আসল কথা হইলো, মহাবিশ্ব শূন্য থেকে ক্যামনে আসলো তার বহু গানিতিক মডেল আছে বিজ্ঞানের জার্নালে (যেমন, * Alexander Vilenkin, “Creation of Universe from Nothing” Physics letters 117B (1982) 25-28, * Alexander Vilenkin, “Quantum Origin of the Universe” Nuclear Physics B252 (1985) 141-152, * Andre Linde, “Quantum creation of the inflationary Universe,” Letter Al Nuovo Cimento 39(1984): 401-405 * Victor Stenger, The Universe: The Ultimate Free Lunch,” European Journal of Physics 11 (1990) 236-243. ইত্যাদি।), আর তারপর একটা সময় পরে কিভাবে জীবনের উদ্ভবসহ জীবজগতের বিবর্তন ঘটল তার পরিস্কার ব্যাখ্যা আমরা পাই ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্বে। কাজেই আপনার উপমাকে কেন্দ্র করে আপনি ইয়াহুর আইডির জন্য যত ইচ্ছা মজা করতে পারেন, তাতে কিছু বদলে যাবে না।
@লজ্জিত হলাম,
কয়েকটা ভাল প্রশ্ন আছে। কিন্তু এমন ভাষায় সেটা ব্যক্ত করার প্রয়োজনীয়তা ছিলনা।
কোয়ান্টাম কস্মোলজী এবং এম থিওরী সময়বদ্ধ বিধি নয়। প্লাঙ্ক টাইমের পূর্বেও তা বলবৎ ছিল। আর নাজিল হওয়া মানে এর উৎস কি বোঝালে অবশ্যই বলতে হয় পদার্থবিজ্ঞানের নিয়মের কারণ বা উৎস জানা সম্ভব নয়। এটাই জ্ঞানের প্রকৃত সীমা। কারণ জ্ঞানার্জনের একমাত্র সাধনী হিসেবে পদার্থবিজ্ঞানের সূত্রই মানুষের জানা। পদার্থবিজ্ঞানের নিয়মের কারণ জানতে হলে অন্তত পদার্থবিজ্ঞানের নিয়ম কোন সাহায্যে আসবে না। এটা চক্রাকার হয়ে যাবে তাহলে। আর কোন সাধনী মানুষের জানা নেই। মানুষের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা থাকাটা স্বাভাবিক ভাবেই নেয়া উচিত। এই সীমাবদ্ধতা শুধু বিজ্ঞানীদের নয়, ধর্মীয় গুরুদেরও। সব মানুষের। এই সীমাবদ্ধতা কাটাবার জন্য রূপকথার জাল বুনে কৃত্রিম ব্যাখ্যা দাঁড় করান হাস্যকর।
কার্যকারণ ছাড়া কিছু এমনিতে সৃষ্টি হয়েছে এই কথা বিজ্ঞান বলে না। সব কিছুর পেছনেই আছে পদার্থবিজ্ঞানের নিয়ম। হকিং এর মহাবিশ্ব সৃষ্টির কারণ সেই পদার্থবিজ্ঞানের সূত্রই। মহাবিশ্ব সৃষ্টির পর বাদ বাকী যা কিছু তৈরী হচ্ছে তা সে সুত্রেরই নানান অভিব্যক্তি।
পদার্থবিজ্ঞানের নিয়মগুলো আগেই তৈরী করা আছে সেটাত সাধারণ জ্ঞানের ব্যাপার। পদার্থবিজ্ঞানীরা তো তৈরী করা সেই নিয়মগুলোই আবিষ্কার করছেন। এটা সহজ কাজ নয়। বহু বিজ্ঞানীদের বহু বছরের পরিশ্রমের ফলে। আর এটা চলমান ক্রিয়া। এই আবিষ্কারের শেষ নেই। তবে কেউ যদি বলে পদার্থবিজ্ঞানের নিয়ম “কেউ” তৈরী করেছিল, তাহলে তাকে পালটা প্রশ্ন করা যায় কি করে জানল সে যে “কেঊ” তৈরী করেছে? আর এই “কেউ” টা কি? এর ব্যখ্যা বা বর্ণনা খুব পরিস্কার আর বৈজ্ঞানিক ভাষায় ব্যক্ত করতে হবে। তা না হলে এটা এক অর্থহীন বাক্য হবে।
@অপার্থিব, :yes:
ডকিন্সের সাথে কথোপকথনে একজায়গায় ওয়াইনবার্গ একথাটা বলেছেন, যার ফলে তার প্রতি আমার শ্রদ্ধা বেড়ে যায়। এটা এড়াবার চেষ্টা যদিও অনেকেই করেছেন এ পর্যন্ত, যার মধ্যে টেগমার্কের প্রচেষ্টা সবচেয়ে ..উমম… সফিস্টিকেটেড, তবুও সকলি গরল ভেল। যাহোক, আসল কথাটাও আপনার মন্তব্যের মধ্যেই আছে
:clap2:
@রৌরব,
ধন্যবাদ একই মনোভাব ব্যক্ত করে মন্তব্যের জন্য।
কোথায় পাওয়া যাবে বলতে পারেন। ইউটিউবে ডকিন্স আর ওয়াইনবার্গের ডায়ালগের ৮ টা ভিডিও আছে। কোন পর্বে এটা আছে জানালে ভাল হয়।
@অপার্থিব,
আমাকে দিয়ে পুরোটা আমার শুনিয়ে ছাড়লেন 😥
না না 🙂 , শোনা শুরু করার পর দেখি প্রথম দিকেই আছে। ইউটিউবে প্রথম ভিডিওর 7:15 মিনিট থেকে দ্বিতীয় ভিডিওর 3:00 মিনিট পর্যন্ত দেখুন। একেবারে পরিষ্কার ভাবে বলছেন দ্বিতীয় ভিডিওর ৩৫ সেকেণ্ডের আশপাশে
http://www.youtube.com/watch?v=U2IisaNC4bE
এটা হচ্ছে দ্বিতীয় ভিডিওটা
@অপার্থিব, আরেকটা ব্যাপার মনে রাখার দরকার যে প্রশ্নের উত্তর বের করার পূর্বে আমাদের আগে দেখে নিতে হবে প্রশ্নটা আদৌ অর্থপূর্ণ কিনা। আমি চাইলেই প্রশ্ন করতে পারি “ক্রোধের রঙ কি?” অথবা “দক্ষিণের দক্ষিণে কি আছে?”, কিন্তু এসব প্রশ্নের উত্তর আশা করাটা নিরর্থক হবে। এখন কথা হল, গাণিতিকভাবে এটা যদি প্রমাণিত হয় যে মহা বিষ্ফোরণের সাথেই সময়ের সৃষ্টি হয়েছে, তাহলে কি “মহা বিষ্ফোরণের আগে কি ছিল?” একটি অর্থহীন প্রশ্ন হিসেবে পরিগণিত হবে না? গাণিতিক প্রমাণ শতভাগ নির্ভুল হয় বলেই জানি, প্রমাণটা যদি পর্যবেক্ষণভিত্তিক হত তবে নাহয় পর্যবেক্ষণের ভুল হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা যেত।
@পৃথিবী,
এটা ঠিকই যে ধর্মবাদীদের বহু প্রশ্নই অর্থহীন, এবং কোন না কোন fallacy আক্রান্ত, আপনার দেয়া উদাহরণগুলোর মতই।
তবে
এটা ঠিক নয়। গাণিতিক প্রমাণ গাণিতিক ভাবে শতভাগ নির্ভুল হলেও সেটা বৈজ্ঞানিক তথ্য নাও হতে পারে — হতে পারে approximation, কিংবা হতে পারে পুরোপুরি শুদ্ধ, আবার হতে পারে চরম ভাবে ভুল। সবগুলোরই উদাহরণ পাওয়া যাবে বিজ্ঞানের ইতিহাসে।
:yes:
অনুাবাদ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
তাই আপনার প্রবন্ধই আমাদের ভরসা।
মনে হচ্ছে পড়তে একটু দেরি করে ফেললাম। এক কথায় চমৎকার। স্টিফেন হকিং -এর ঈশ্বরহীন মহাবিশ্বের খবরটা বাংলাদেশের সংবাদপত্রেও প্রকাশিত হয়েছে। তবে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত জনপ্রিয় বিজ্ঞানীরা- (তিনি জামাল নজরুল ইসলাম হোন, বা মুহম্মদ জাফর ইকবাল হোন, বা মুহাম্মদ ইব্রাহিম হোন) কখনো এরকম বিষয় নিয়ে একাডেমিক আলোচনা করেছেন বলে শুনিনি।
আমার কাছে ব্যাপারটা খুবই বাণিজ্যিক মনে হচ্ছে। তাঁর “ব্রিফ হিস্টী অব টাইম” আমার মাধ্যমিক স্তরের পদার্থবিদ্যার জ্ঞান দিয়ে বোঝা সম্ভব হয়নি, তবে এটুকু অন্তত বুঝেছিলাম যে তিনি বইটিতে ঈশ্বরকে স্রেফ অলংকার হিসেবে ব্যবহার করেছেন। ১৯৮৮ সাল থেকে সবাইকে বোকা বানানোর পর এখন হঠাত করে নাস্তিকতা ঘোষণা করাটা আমার কাছে বেশ বাণিজ্যিক মনে হচ্ছে, বিশেষ করে যখন বর্তমান সময়ে বিজ্ঞান ও ধর্মের সংঘাতটা বেশ বিতর্কিত একটা বিষয়। তবে আলটিমেটলি আমি একে ইতিবাচকভাবেই নিচ্ছি, এখন হয়ত অনেক ধার্মিক তাদের বিশ্বাস নিয়ে নতুন করে চিন্তা করার অনুপ্রেরণা পাবে।
কার্টুনটা একটা দার্শনিক বিষয়কে খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছে। জিসাস এন্ড মো(আসলে মোহাম্মদ, মুসলমানদের কামড় থেকে বাঁচার জন্য নামটা একটু ভিন্নভাবে দেওয়া) আমার খুব পছন্দের একটা কমিক স্ট্রীপ, হাস্য-রসের মাধ্যমে জটিল জটিল বিষয়কে খুব আকর্ষণীয়ভাবে তুলে ধরে।
এ বছরই প্রকাশিত ক্যাল টেক ইনস্টিটিউটের থিউরিটিক্যাল ফিজিশিস্ট ডঃ শন ক্যারলের “From Eternity to Here – The quest for the ultimate theory of time” বইতে উনি বলছেন আমাদের এই মহাবিশ্বটা ছাড়াও আরও অনেক মহাবিশ্ব আছে এবং সেগুলোর কোন কোনটাতে টাইম এ্যারোটা বিপরীত দিকে। যা কিনা এন্থ্রোপিক আর্গুমেন্টকে বাতিল করে দেয়।
মনে হয় স্টিফেন হকিংস না বলেই হয়ত উনি এতটা আলোচনায় আসেন নাই।
@হোরাস,
আপনার মন্তব্যটা বুঝি নাই। উনি সত্যই বলেছেন আরো মহাবিশ্ব আছে, না অনুমান করেছেন? এন্থ্রোপিক আর্গুমেন্ট কেন বাতিল হল তাও ঠিক বুঝলাম না। কি লিখেছেন উনি?
@রৌরব, আমি নিজে এখনও বইটা শেষ করিনি। মাত্র তিন চ্যাপ্টার শেষ হয়েছে। তাই নিশ্চিত করে বলতে পারছি না তিনি কি শুধুই অনুমান করে বলেছেন কিনা। তবে বলেছেন এটা ঠিক।
আর এন্থ্রোপিক আর্গুমেন্ট বাতিল হল কারণ (আমার মতে)
এনথ্রপিক প্রিন্সিপালের সার বস্তু হলো শুধুমাত্র মানুষের অস্তিত্ব নিশ্চিত করবার জন্যই মহাবিশ্বের জন্ম হয়েছে- এখানে পরোক্ষ ভাবে হলেও বলা হচ্ছে – মহাবিশ্ব বিগ ব্যাং এর মাধ্যমে সৃষ্টি হলেও সৃষ্টি পরবর্তী ধ্রুবক ও অন্যান্য পরিস্থিতি এমন ভাবে নিয়ন্ত্রন করা হয়েছিলো যেনো মহাবিশ্বে মানুষের অস্তিত্ব নিশ্চিত হয়। তাই সত্যি সত্যি যদি অসংখ্য মহাবিশ্ব থাকে তবে আর এই আর্গুমেন্টা খাটে না।
@হোরাস,
ধন্যবাদ। আমি জানবার জন্য সত্যিই কৌতুহলী। দয়া করে পরে একটা রিভিউ লিখলে বাধিত হব। অসংখ্য মাল্টিভার্সের মধ্যে আমরাই কেন এই বিশেষটার মধ্যে রয়েছি এটা ব্যাখ্যা করার জন্যও এন্থ্রোপিক আর্গুমেন্ট ব্যবহার হয়। মাল্টিভার্স তত্বেই বিশেষ ভাবে এটার প্রয়োজন। আরো কিছু লেখার ইচ্ছা ছিল, তবে এই পোস্টে এটা অফ টপিক বলে এই খানে ক্ষান্ত দিলাম।
@হোরাস,
ডঃ শন ক্যারলের বইটা বার্ন্স এণ্ড নোবেলে দেখেছি। তবে মালটিভার্সের ধারণা এসেছে অ্যালেন গুথ আর আদ্রে লিণ্ডের ইনফ্লেশনারী তত্ত্বের (আরো ভালমত বললে, কেওটিক ইনফ্লেশন) উপর ভিত্তি করেই। আমি এ নিয়ে আরেকটি ব্লগে একটা লেখা লিখেছিলাম অনন্ত মহাবিশ্বের সন্ধানে। মাল্টিভার্স ছাড়াও প্যারালাল ইউনিভার্স নিয়েও আলোচনা করেছি। প্যারালাল ইউনিভার্সের গাণিতিক সমাধানটা এসেছে ম্যাক্স টেগমার্কের গবেষণা থেকে।
আপনি মুক্তমনায় লেখা একদমই ছেড়ে দিলেন কেন?
@অভিজিৎ, বিজ্ঞান নিয়ে আমার আগ্রহ যথেস্ঠ কিন্তু গানিতিক মডেলগুলা খুব ভাল বুঝিনা। তাই আগ্রহ থাকলেও লেখা হয়ে ওঠেনা। এখানে তো চিন্তা ভাবনা ছাড়া যা কিছু একটা লিখে দিলেই হবে না। তবে কিছু ছোট ছোট অনুবাদ দেয়ার ইচ্ছা আছে। তাছাড়া কাজ, ফ্যামিলি নিয়ে সময় ম্যানেজ করা অনেক টাফ হয়ে যাচ্ছে।
আপনি যে আমার খোজ খবর নিচ্ছেন এই জন্য কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ। :rose2:
@হোরাস, এই অধমের একখানা মন্তব্য ছিল। মনে হয় মডারেশনের দেয়াল ডিঙ্গাইতে গিয়া খাদে পড়বো। একটু উদ্ধার কইরা দিবেন?
ঈশ্বর আছে কি নেই তার সাথে হকিংস কি বললো কিছু যায় আসে বা। ঈশ্বর একটি নৃতাত্বিক এবং সামাজিক প্রয়োজন- কমপ্লেক্স সেলফ অর্গানাইজেশনের জন্যে এক কালের দরকারি একটি মেমেটিক্স। ঈশ্বর বিবর্তনের পথে উঠে আসা একটি মেমেটিক্স যা সামাজিক সংবন্ধনের জন্যে জরুরূ ছিল। ঈশ্বর আছে কি নেই-সেটা বোঝার জন্যে হকিংস বা পদার্থবিদ্যা কিছুরই দরকার নেই-শুধু এই প্রশ্নটা করলেই হল যদি থেকেও থাকেন করেতেছেন টা কি? বা তার থাকার দরকারই বা কেন? মানুষকে নৈতিকতা দিতে? তাহলে কোরান না লিখে সেই কোড জিনের মধ্যে দিয়ে পাঠাতেন-আফটার অল তিনি সর্বজ্ঞ! আরো গভীর প্রশ্ন-তিনি ত পশু পাখীদের ও ঈশ্বর। কিন্ত তারাত কোরান পড়তে পারে না-ঈশ্বর আছে কিনা তাও জানে না-ভজন পূজন নামাজ কিছুই করে না! তাদের কি হবে!!!
সামান্য জ্ঞান থাকলেই বোঝা যায় ঈশ্বরের কল্পনা ঠাকুরমার ঝুলির গল্প ছারা কিছুই না। এটা আমি কেন -আমার ৩০০০ বছর আগে ভারতের সব উচ্চ মানের দার্শনিক রাও জানতেন। যার জন্যে হিন্দু ধর্মের প্রায় সব শাখাতেই
দর্শনের সর্বোচ্চ স্তর নাস্তিকতা [ সেটা অবশ্য কজন হিন্দু জানে, আমি জানি না] যার পোষাকি নাম অদ্বৈতবাদ। অর্থাৎ সেখানে মূল প্রশ্নটা এই বিশ্বজগতে আমার স্থান এবং সেই স্থানের বাস্তবতা নিয়ে।
একথা অনেকেই জানে না-বৈষ্ণব ধর্মও নাস্তিক ধর্ম। তাহলে অনেকেই বলবে, যারা কৃষ্ণের উপাষক তারা নাস্তিক হবে কি করে?
বৈষ্ণব ধর্ম, ভারতীয় দর্শনের শ্রেনী বিভাগে আসে দ্বৈত অদ্বৈত বাদ হিসাবে। এটা খুব মজার। এদের বক্তব্য, আসলেই ঈশ্বরের অস্তিত্ব নেই ঠিকই-কিন্ত নাস্তিকতাও নিরস। তাই ঈশ্বর আছেন, এটা শুধু রস আস্বাদনের জন্যে আমাদের আহ্লাদ! সময় পেলে পরে কোন এক সময়ে ভারতীয় দর্শনে নাস্তিকতা নিয়ে লিখব। এটি বিরাট বিষয়। রামকৃষ্ণ মিশন বা বৈষ্ণব ধর্মের মূল কিন্ত ঈশ্বরের অনস্ত্বিত্বে-সাংখ্য বা মিমাংসা দর্শনের ভিত্তিও নাস্তিকতা। বলতে গেলে ভারতীয় দর্শনের বিশাল অংশই নাস্তিকতা-কিন্ত এই ব্যাপারটি গুটিকয় লোক ছারা জানে না। এগুলো নিয়ে চর্চা হলে আমরা দেখব -ঈশ্বর নেই এটা জানার জন্যে হকিংসের স্বরণাপন্ন হতে হয় না।
@বিপ্লব পাল,
এখনও সামাজিক সংবন্ধনের জন্য জরুরী বলে মনে হয়। “ঈশ্বর” এই শব্দ ব্যবহার বিহীন সমাজ পরিচালনা সম্ভব নয় বলে মনে করি।
আপনার
লেখা পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।
ধন্যবাদ
@বিপ্লব পাল,
আশা করছি খুব দ্রুত এই নিয়ে লিখবেন। আমি যতটা পড়েছি আমার কাছে মনে হয়েছে , সবকিছুর পেছনেই নাস্তিকতা কাজ করেছে হিন্দু দর্শনে, যদিও এর ওপরের প্রচ্ছদটা একেবারে আলাদা।
@অনন্ত নির্বাণ,
হ্যাঁ, নাস্তিকতাই অদ্বৈতবাদের ভিত্তি। আর অদ্বৈতবাদ হচ্ছে হিন্দু দর্শনের কোর। আবার এটাও ঠিক, এগুলো নিয়ে কোন প্রচার নেই। রামকৃষ্ণ মিশন একদিকে পূজ়োও করে-আবার জনসেবাও করে। এসব আমি রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীদের কাছ থেকেই জেনেছি-কিন্ত তারা সাধারন মানুশকে “ঈশ্বর নেই” এটা বলে না-খুব সম্ভবত আধ্যাত্মিকতার বাজার ধরে রাখতে।
ঈশ্বরের ধারনা দূরকমের-সৃষ্টিবাদি ( ঈশ্বর সাব কিছু সৃষ্টি করেছেন-ইসলাম, খ্রীষ্ঠান, ইহুদি ) এবং প্যানথিওনিক। শেষেরটির মানে হল-এই সৃষ্টিই ঈশ্বর। সেখানে ঈশ্বরের উপলদ্ধি মানে নিজের সাথে এই সৃষ্টির বন্ধন উপলদ্ধি করা। এখানে ঈশ্বর সৃষ্টিকর্তা না। ঈশ্বরসেবা মানেও ভজন পূজন না-ঈশ্বর সেবার সংজ্ঞা সেখানে পালটে হবে জনসেবা করা। নিজেকে এই প্রকৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ ভেবে, প্রকৃতির ভারসাম্যকে রক্ষা করা। শেষেরটিই ভারতীয় দর্শনে অর্থডক্স নাস্তিকতা -যার মূল ধারা তিনটি-মিমাংসা, সাংখ্য এবং অদ্বৈতবাদ। এর বাইরে বৌদ্ধ, জ়ৈন এবং চার্বাকরা হচ্ছে ভারতীয় দর্শনে হেটারোডক্স নাস্তিকতা।
বিবেকানন্দ এটাকেই সুগারকোট করে-জীবসেবাই আসল শিবসেবাকে মিশনের মূলমন্ত্র করতে বলেন। কিন্ত তার পাশাপাশি আস্তিকতার চর্চা বন্ধ না করায়, মিশনের ৯৯% শিষ্য বা ভক্ত-তিনি কি বলেছেন, কেন বলেছেন, তা নিয়ে ভাবিত বা চিন্তিত না। তারা আস্তিকতার যে তিমিরে ছিল-সেখানেই আছে। আর মিশন ও এই নিয়ে ঘাঁটাবে না-কারন মিশন চলে দানে। আর দাতাদের প্রায় সবাই আস্তিক। ফলে বাজারে চিন্তায়, মিশন ও ঘটা করে পূজো করে।
বৃহৎ অর্থে সবই বাজার। ঈশ্বরের একটা বাজার আছে। তাই এই ভূসিমালটি টিকে আছে।
@বিপ্লব পাল, ঈশ্বর নেই এই কথা হকিং এর কাজ থেকে শোনার প্রয়োজন পড়েনা হয়ত সত্যি। কিন্তু এই কথা ভারতীয় দর্শনের কাছ থেকে শোনার চেয়ে হকিং এর কাছ থেকে শোনাটাই বোধহয় বেশী পছন্দ করবো। হিন্দু ধর্মের শাখায় শাখায় শত নাস্তিকতার ছড়াছড়ি থাকলেও সেটা কিন্তু হিন্দু ধর্মই। আমি মনে করি একটি ধর্মের দার্শনিক আবেদনকে কখনও ওই ধর্মের পক্ষে মানুষের সহানুভুতি জয় করে নিতে দেওয়া উচিত নয়। স্তুপ স্তুপ দর্শনে ঠাঁসা হিন্দুধর্ম কি মানুষ মারেনি, সতীদাহ করেনি, কাস্ট সিস্টেম করে হাজার হাজার বছর ধরে কোটি কোটি মানুষের জীবনকে বংশ পরম্পরায় বিষিয়ে তুলেনি? ‘ঈশ্বর নেই সত্যি, আবার নাস্তিকতাও নিরস, তাই মজা লাগে বলে ঈশ্বর করি’- এইটা যদি হয় সর্বোচ্চ দার্শনিকতা, তাহলে তো ঝামেলায় পড়ে যেতে হয়, তাই না?
@আল্লাচালাইনা,
কেন?
এমন হলে ত আস্তিক নাস্তিকে বিভেদ মুছে যায়। অধিকাংশ লোকই ঈশ্বর ভজনা করে একটু মানসিক শান্তির জন্যে। তারা যদি এটুকু জেনে করে আসলে ঈশ্বর নেই-কিন্ত সকলই এ শান্তনা-ক্ষতি কি?
@আল্লাচালাইনা,
হুম। এর কারন ভারতীয় দর্শনে অজ্ঞতা। ঈশ্বরের সাথে পদার্থবিজ্ঞানের কি সম্পর্ক আমি এখনো জানি না। শুন্য থেকে পদার্থের জন্ম-এত বহুদিন আগেই পরীক্ষামূলক ভাবেই প্রমানিত।
আমি একটা প্রশ্ন তোমাকে জিজ্ঞাসা করছি-এই মহাবিশ্ব অসীম -তাহলে সসীম বাস্তবতার মধ্যে থেকে, সেই অসীম রহস্যর সত্য জানবে কি করে? আমাদের মহাবিশ্বের মতন অসংখ্য মহাবিশ্ব থাকতেই পারে। আছেও হয়ত।
তাদের নিয়ে আমরা কোনদিনই জানব না।
শেষোক্ত প্রশ্নটা ভারতীয় দর্শনের একটি মূল পিলার। এটির উত্তর খুঁজলে-কেঁচো খুজতে অনেক সাপ বেড়োবে।
আরেকটি অভিজিতীয় অনন্য লেখা। এই রকম লেখা এই মুহুর্তে বাংলায় আর কারো পক্ষে লেখা সম্ভব নয়। আমার মত বিজ্ঞানমূর্খ মানুষও এই ধরনের লেখা পড়তে বাধ্য হয় এবং আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে বিজ্ঞানের কোনো জ্ঞান না থাকার পরেও ঈশ্বরের অশেষ কেরামতিতে কেমনে কেমনে যেন সব বুঝেও ফেলে। 🙂
স্টিফেন হকিন্স এর সাথে রিচার্ড ডকিন্সের আলোচনার এই ভিডিওটা এখানে দেবার লোভ সামলাতে পারলাম না।
httpv://www.youtube.com/watch?v=rbdAe9kmkZ8&feature=player_embedded#!
http://www.somewhereinblog.net/blog/yazid/29232465
@মিথুন,
লিংক অনুসরণ করে পড়ে একটা বিষয় ভালোমতই উপলব্ধি করলাম। লেখকের মতের সাথে একমত না হলেই বলছেন- ‘আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত দিন, আমীন।’
এই ধরনের লোকের নিকট থেকে বিজ্ঞানের বিষয় শেখা যায় না; শেখা যায় অপবিজ্ঞান।
কিছুক্ষন আগে মন্তব্য করেছিলাম হকিং এর মন্তব্যে কিছু ধার্মিকের প্রতিক্রিয়া সম্বন্ধে।জানতাম, ধার্মিকেরা লাফালাফি শুরু করবেন এ মন্তব্যে কিন্তু কখনও ভাবিনি নিচের কমেন্টের মত কোনো কমেন্ট আসতে পারে। :-Y :-Y
মূল লেখাটি নিচের লিঙ্কে। এই ব্যাঙ্ক কর্মকর্তা ভদ্রলোক অবশেষে ঈশ্বর প্রমাণ করেই ছেড়েছেন।
http://www.somewhereinblog.net/blog/yazid/29232465
@মিথুন, এক রামছাগলের নাক-ড্যাঙ্গা-ড্যাং-ড্যাং প্রবন্ধ পড়িয়ে অযথা সময় নষ্ট করালেন। আবার নামও দিয়েছে বৈজ্ঞানিক আলোচনা! পড়তে পড়তে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায় এমন প্রবন্ধ লিঙ্ক না করাই বোধহয় ভালো।
@আল্লাচালাইনা,
কি সুন্দর মুরগি,ডাব,ধানগাছ,কমলার ছবি দিয়ে ঈশ্বরের প্রমাণ করে ফেলেছেন তিনি। কোনো সমীকরণ ও দেননি, বন্যা আপুর মত ক্রোমোসম,ডিএনএ আর কি সব শক্ত শক্ত কথাও বলেনি।
আচ্ছা বলেন, “”বিজ্ঞানিরা নারিকেল তৈরি করতে পারেনা == ঈশ্বর আছেন””,এই যুক্তি আপনি,অভিজিৎ রায়,আকাশ মালিক মিলে খন্ডন করতে পারবেন?
@আল্লাচালাইনা, দুঃখিত।আমার মনে হয় কমেন্টের উপর লেখে দেয়া উছিত ছিলো ‘সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ এটি একজন ব্যাঙ্ক কর্মকর্তা রচীত বিজ্ঞান আলোচনা। নিতান্ত বেকার না হলে পড়ে সময় নষ্ট না করার অনুরোধ করা হচ্ছে’ 😛
@মিথুন, অবশ্যই এইটা আগেই আপনার করা উচিত ছিলো, সিরিয়াসলি। :-Y
স্টিফেন হকিং এমন সময়ে এমন এক মন্তব্য করলেন যখন আমার এক নাস্তিক বন্ধু বিগ ব্যং এর পূর্ববর্তি সময়ের ব্যখ্যা খুঁজতে গিয়ে আবার আস্তিক হয়ে পরছিল (ঈশ্বর বিশ্বাসী ধর্মে না)!!!
বিজ্ঞানের সাফল্যে আনন্দিত । কিন্তু প্রগতিশীল আভিজিতের অতিরিক্ত লাফালাফি প্রগতিশীল সমাজ ও রাজনৈতিক কর্মীর জন্য সংকট সৃষ্টি হতে পাড়ে বিধায় সংকিত ।
@আ. হা. মহিউদ্দীন,
কয়েক দিন থেকে আপনার মন্তব্য দেখতেছি। মন্তব্যগুলো পড়ে মনে হয় সকল বিষয়ে আপনার জ্ঞান উপচাইয়া পড়ছে। এত জ্ঞান নিয়ে ঘুমান ক্যা?
বিজ্ঞানের সাফল্যে আপনি আনন্দিত হোন বলে মনে হয় না। কারণ আপনি না আবার “সনাতন” বিজ্ঞানের চর্চা করেন!
অভিদা এখানে কোন বিষয়টা নিয়ে “অতিরিক্ত লাফালাফি” করছেন বলে আপনার মনে হয়?
আপনার প্রগতির নমুনা দেখে আমি অবাক না হয়ে পারছি না। আপনি কোন প্রগতিশীল সমাজ বা রাজনীতির সাথে আছেন তা বুঝতে খুব একটা কষ্ট হয় না।
আমি পরিষ্কার আপনাকে জানিয়ে দিতে চাচ্ছি- মুক্ত-মনা কোনো ইতরামির জায়গা নয়, এ কাজের জন্য বর্তমানে ব্লগের অভাব নেই। প্রয়োজনে নিজেই একটা ব্লগ খোলে ফেলতে পারেন।
@সৈকত চৌধুরী,
উনি যে ‘সংকিত’ তাতেই আমি বেশি আনন্দিত। উনি ‘সঙ্কিত’ না হলেই বরং আমি শঙ্কিত হতাম। 😀
@অভিজিৎ,
তিন প্রকারের ‘সংকিত’ ‘সঙ্কিত’ শঙ্কিত বানান দেখিয়া আমিও শংকিত হইলাম।
আর আজ বলিতে বাধ্য হইলাম যে, প্রবীণ মহিউদ্দিন সাহেবের অবস্থা দেখে তার জন্যে দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া আমার আর কিছুই বলার নাই।
@সৈকত চৌধুরী,
প্রগতিশীলতা যেদিন ফরহাদ মগবাজারদের হাতে চলে যাবে, সেদিন আমি সৌদি আরবে হিজরত করব। সফিস্টিকেশনের মুখোশ পড়া এসব প্রগতিশীলদের তত্ত্ব কপচানি শোনার চেয়ে হারাম শরীফের হুজুরদের শ্রুতিমধুর কিরাত শোনা অনেক ভাল।
@সৈকত চৌধুরী,
মুক্তমনায় আমার সবচেয়ে পছন্দের পাঁচটা কমেন্টের মধ্যে দুটাই আপনার। একটা হচ্ছে এইটা, আরেকটা হচ্ছে মঙ্গল গ্রহে সফেদ আলখাল্লা-দড়ি সমেত একাকী হুক্কাখোর ঈশ্বরের মন্তব্যটা। আহা! মহিউদ্দীন নামক এই জার্কটিকে এইরকম কিছু কটু কথা কেউ খুব তাড়াতাড়ি বলে দিবে এই অপেক্ষাতেই ছিলাম।
@আ. হা. মহিউদ্দীন,
আপনার বানানের অবস্থা দেখে আমার দ্বিগুণ তালে লাফালাফি করতে ইচ্ছা করছে। বানানে যত্নশীল না হলে আপনার সংকট সন্নিকট 😥
আহা! বড়ই দু:খের বিষয়। এই সংখ্যাগরিষ্ঠ পাঠকরা কোন সমাজের অন্তর্ভূক্ত, প্রগতিশীল সমাজ নাকি মৌলবাদী? ভাবুন ভাবুন আর ভাবুন। :rotfl:
@মাহফুজ, :hahahee: :hahahee: :hahahee:
@আ. হা. মহিউদ্দীন,
দিন দিন আপনার ইতরামীর মাত্রা বৃদ্ধি দেখে ভীষন অবাক হচ্ছি। আপনাকে হঠাৎ করে দেখলে মনে হয় বিশাল কোন বোদ্ধা আপনি। আপনার মত ইতর বোদ্ধার জন্য উপযুক্ত প্লাটফর্ম মুক্তমনা নয়।
কাল ফেসবুকে দেখলাম কয়েকজনকে স্টিফেন হকিং কে নিয়ে জঘন্য অশ্লীল মন্তব্য করতে। এত বড় একজন বিজ্ঞানীকে কিভাবে মানুষ এভাবে অশ্রদ্ধা করতে পারে আমার মাথায় ঢুকেনা। একটুও কেন চিন্তা করে দেখেনে স্টিফেন হকিং কেন এমন কথা বলছেন? হুট করে তাকে পাগল,ইহুদি-নাসারাদের চর বানিয়ে দেয়। আর “গড ইন গ্যাপ” এর প্রয়োগতো আছেই।
অভিজিৎদাকে ধন্যবাদ এ বিষয়ে লেখার জন্য। আমি তাকে অনুরোধ করেছিলাম এটা নিয়ে লিখতে,তাই আমারও ক্রেডিট আছে 😀 ।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
অবশ্যই। তুমি ফেসবুকে না বললে এইটা কখনোই লিখতাম না।
অফটপিক – সাইটের চেহারাটা দুর্দান্ত হয়ে উঠছে। গ্রেট জব!
@অভিজিৎ,
ধন্যবাদ 🙂 । অনেক সময় লেগেছে কাজটা করতে,আপনাদের প্রশংসা পেয়ে ভালো লাগছে।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
:clap2:
বুঝলুম, আমার সব প্রশ্নের জবাব বিজ্ঞান দিয়ে দিয়েছে! এই জবাবগুলোর জন্য আমি সারাজীবন অপেক্ষা করতেও রাজি ছিলাম, এতো দ্রুত পেয়ে যাব, ভাবিনি, আমি অভিভূত। স্টিফেন হকিং এর নতুন বইটা পড়ার সৌভাগ্য হোক, তারপর নাহয় স্বর্গের বাগানের কারিশমা দেখে আসবো সময় করে।
লিস্টে দুইটা বই যোগ হল… পড়া শেষ করার আগে মরেই না গেলেই হল। 🙂
লেখার জন্য অভিনন্দন। :rose2:
যতোদূর মনে পড়ে “ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইমস” গ্রন্থে স্টিফেন হকিং ভেটিকান সিটির একটি গল্প বলেছিলেন। বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন পোপ, বিগব্যঙ্গ থিয়রি বোঝানোর জন্যে। সব শুনে পোপ জানালেন, ঠিক ওই সময়ই গড বলেছিলেন, হও। তাই-ই এই বিগব্যঙ্গ। এর পর হকিং বইয়ে লিখছেন যে, পোপ-এর এই মন্তব্যের পর আমি আর আগ বাড়িয়ে বললাম না যে এখন আমি বিগব্যঙ্গ থিয়রিকেও অতোটা পছন্দ করছি না। আমি ভাবছি মহাবিশ্বের কোনো শুরু বা কোনো শেষ নেই। কিন্তু আমি সেকথা পোপকে বললাম না কারণ আমি গ্যালেলিও’র ভাগ্য বরণ করতে চাইনি!
মজার ব্যাপার হলো হকিং তাঁর কোনো লেখায়ই সরাসরি গডকে নাকচ করে দেননি, নিউটন ও আইনেসটাইনের বেলায় একই কথা খাটে। শেষোক্ত দু’জন তো শেষ জীবনে বেশ ধার্মিক হয়ে উঠেছিলেন। সে যাই হোক, আপনি লিখেছেন, “‘মাইণ্ড অব গড’ নিয়ে অনর্থক ধোঁয়াশা সৃষ্টি করেছিলেন তার প্রথম বইয়ের পাবলিসিটি তথা প্রচারের স্বার্থে।” যে বইটি নিয়ে আলোচনা করেছেন, এটি যেহেতু আমার হাতেও নেই, আপনার অনুবাদ থেকে পাচ্ছি:
ঈশ্বর যে মানুষের তৈরী সে কথাটি কিন্তু বলছেন না। “মহাবিশ্ব সৃষ্টির জন্য কোন প্রয়োজন নেই ঈশ্বরের,” এ কথাটিও যে ধোঁয়াশা সৃষ্টি ছাড়া অন্যকিছু মনে হচ্ছে না। আপনার সাথে এক মত হয়ে বলি, এটাও বোধ হয় বইয়ের কাটতি ঠিক রাখার জন্যে।
তবে আপনার নিম্মোক্ত মন্তব্যটি দারুণ:
“ঈশ্বর সাহেব” একটি চমৎকার ব্যবহার। সাথে সাথে গুহার ভেতর লুকানো ঈশ্বর নিয়ে আমার একটা কবিতা:
১৯৯৩ সালে লেখা এই কবিতাটি । সম্ভবত, ঈশ্বরের করোটি ভাঙতে না পারার জন্যে বড়ো বড়ো বিজ্ঞানিদের ধোঁয়াশা মিশ্রিত কথাগুলো কম দায়ী নয়।
প্রবন্ধটির জন্যে আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
@হাসানআল আব্দুল্লাহ,
চমৎকার মন্তব্য করলেন হাসান! আর কবিতাটা ততোধিক অসাধারণ!
তবে, একটি বিষয়ে একটু দ্বিমত করব। আপনি অভিযোগের সুরে বলেছেন – ‘ঈশ্বর যে মানুষের তৈরী সে কথাটি কিন্তু বলছেন না’। সেটা কিন্তু হকিং এর বলার দরকার নেই। তিনি পদার্থবিদ। তিনি যদি দেখাতে পারেন মহাবিশ্ব প্রাকৃতিকভাবেই (কোন ঈশ্বরের হস্তক্ষেপ ছারাই) উদ্ভুত হতে পারে, তাহলে আর খুব বেশি গ্যাপ খোলা থাকে না। আর মানুষকে যে ঈশ্বর আলাদাভাবে তৈরি করেননি (কিংবা মানুষ বানাতে যে ঈশ্বর লাগেনি) – তা তো ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্ব রঙ্গমঞ্চে আসার পর থেকেই মোটামুটি প্রমাণিত। মহাবিশ্বের উৎপত্তিটাই কেবল বাকি ছিলো। এখন বোধ হয় সেটাও …
@হাসানআল আব্দুল্লাহ,
আইনেসটাইন ধর্মে বিশ্বাসি হয়ে উঠেছিলেন জানতাম নাতো।
@আসরাফ,
১৯৩৬ সালে নিউইয়র্কের এক স্কুল ছাত্রের প্রশ্নের জবাবে আইনেসটাইন চিঠিতে লিখেছিলেন,
However, it must be admitted that our actual knowledge of these laws is only imperfect and fragmentary, so that, actually, the belief in the existence of basic all-embracing laws in Nature also rests on a sort of faith. All the same this faith has been largely justified so far by the success of scientific research.
শেষের দিকে তাঁর বক্তৃতা ও চিঠিপত্রে এ ধরনের আরো আলামত পাওয়া যায়।
@হাসানআল আব্দুল্লাহ,
ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে বৈজ্ঞানিক বিশ্বাসকে (প্রকল্প/Hypothesis) গুলিয়ে ফেলা হয়েছে। আইন্সটাইনের ১৯৩৬ ঐ উক্তি সব সময়েই বিজ্ঞানীদের দিকনির্দেশনা হয়ে থাকবে। প্রকৃতি যে একটা বিধির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এই বিশ্বাসই বিজ্ঞানের চালিকা। এই বিশ্বাস না থকলে বিজ্ঞানের থাকার প্রয়োজন নেই। মেরুজ্যোতির ব্যাখ্যা জানার আগে বিজ্ঞানীরা এর একটা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে বলেই “বিশ্বাস” করতেন। এই বিশ্বাসই বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের তাড়না। হিগ্স বোসন আছে এই বিশ্বাসের জোরেই সালাম ওয়াইনবার্গ তাদের যুগান্তকারী ঐক্যবদ্ধকরণ তত্বের অবতারণা করেছিলেন। হিগ্স বোসন খুঁজে বের করাই এখন LHC র পদার্থবিজ্ঞানীদের লক্ষ্য। পেয়ে যাবেন শিঘ্রই আশা করা হচ্ছে। ধর্মীয় বিশ্বাস একেবারে অন্য ব্যাপার। অন্ধ ভাবে এক মানুষের মত চেতনাসম্পন্ন গুরুজনের মত কারো অস্তিত্বে বিশ্বাস করা, যিনি সব কিছু নিয়ন্ত্রন করছেন, এটাই ধর্মের মূল বিশ্বাস। আইন্সটাইনে কখনো এই ধর্মীয় বিশ্বাসে বিশ্বাসী ছিলেন না।
@অপার্থিব,
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। চমৎকার বলেছেন। তবে আইনেসটাইন যে এধরণের ধার্মিক সে কথা আমিও বুঝাতে চাইনি। তাঁর বিভিন্ন লেখা থেকে পাওয়া যায় যে তিনি ব্যক্তির ঈশ্বর থেকে সমষ্টির ঈশ্বরের উপর বেশী জোর দিয়েছেন, যে ঈশ্বর বৈজ্ঞানিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। ঈশ্বরে বিশ্বাসি কি না এই প্রশ্নের সরাসরি কোনো জবাব তিনি দেননি।
আমার কাছে অবাক লাগে যখন তাঁকে ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্যে আহ্বান জানানো হলো, “দ্য গ্রেটেস্ট জু এলাইভ” বলে, তিনি যদিও সেই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন কিন্তু তিনি যে গ্রেটেস্ট জু নন তা স্পষ্ট করেননি। তাই আমি আমার প্রথম মন্তব্যে শুধু বলতে চেয়েছি:
এখনো তাই-ই বলছি। আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।
প্রবন্ধটি আমার বিশ্বাসকে আরও শক্ত করল।
একটা জিনিষে আমার বড় আপত্তি – বিজ্ঞানের সাথে ধর্মকে টেনে আনার আর কি কোন দরকার আছে?
Let them bark, who cares.
@নৃপেন্দ্র সরকার,
বিশ্বাসকে নাকি অবিশ্বাসকে? নাকি অবিশ্বাসের বিশ্বাসকে? 🙂 :-/
@অভিজিৎ,
ধরা খেয়ে গেছি। :-Y আপনার ‘অ’ নিয়ে যা হয়েছিল আমারও তাই হয়েছে এবার।
@নৃপেন দা,
দুই দিন পর পরই যখন দল বেধে আসে সওয়াব হাসিলের উদ্দেশ্যে, তখন ওদের ঘ্যনর- ঘ্যানর প্যানর-প্যানর শুনতেই হয়! সামাজিক জীব বলেই মাঝে মধ্যে কথা রক্ষা করে চলি। অনুরোধে ঢেকি গিলি। সেই ঢেকি গেলার পর নিজেকে বড় ভণ্ড মনে হয়। ভেতরে রাখি নাস্তিকতা আর বাইরে দেখায় আস্তিকতা!!
এই যে রমজান মাস চলছে, রাত তিনটা বাজতে না বাজতেই শুরু হয় মাইকের আওয়াজ। ঘুমের বারোটা বাজে। তারপরও সেহরী খেতে হয়। অবশ্য পর্দা দেয়া হোটেলে চুপি চুপি ঢুকি। আবার ইফতারের সময় ঠিকমত হাজির হই। সামাজিকতা মেনে চলতে হয়। এখানেও আমি নিজেকে দেখতে পাই একজন বড় ভণ্ড হিসেবে।
যারা দেশের বাইরে অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করছেন, তাদের জন্য সেটা তেমন কিছু না। কিন্তু আমার মত সমাজের কিছু নিয়ম শৃংখলের মধ্যে যারা আষ্টেপিষ্টে বাধা তারা কী করবে?
এখন বলুন এসব পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের উপায় কি?
@মাহফুজ,
আমি নিজেও একজন ভড় ভন্ড। আমার বাবার শ্রাদ্ধ করিনি। সেই কথাটি মাকে বলিনি। বছর খানেক নাও টিকতে পারেন। কী হবে তাঁকে বুঝায়ে! তিনি ছাড়া আমাকে কে বেশী বুঝবেন? নিশ্চয় বুঝে গেছেন কাজটি আমি করিনি এবং তাঁর শ্রাদ্ধও আমি করব না। এরকম অনেক ভন্ডামী হামেশাই আমাদের করতে হয় ক্যাচাল এড়ানোর জন্য। মনে হয় এটা ফরজ।
আকাশ মালিক একগাদা Homework দিয়েছেন। Weekend ছাড়া এগুলো শেষ করা সম্ভব না এখন।
@নৃপেনদা,
আলহামদুলিল্লাহ, সুবহান-আল্লাহ, মাশাআল্লাহ, হরেকৃষ্ণ 😀
ঐ বিশ্বাসেই দেহটাকে উৎসর্গ করে দিয়ে এলেন বুঝি?
@মাহফুজ,
ছয় ঘন্টা লাগল জিনিষটা বুঝতে।
নাহ্। ওটা আরজ আলী মাতুব্বরকে অনুসরণ করে।
@নৃপেন দা,
এমন এক ব্যক্তির অনুসরণ করেছেন, যার সম্পর্কে বলা হয়:
স্বশিক্ষিত বিজ্ঞানমনস্ক প্রগতিবাদী এই অভিধাগুলো যথার্থভাবে যার ক্ষেত্রে প্রয়োগ্য তিনি দার্শনিক আরজ আলী মাতুব্বর। ১৩০৭ বঙ্গাব্দের ৭ পৌষ জন্মগ্রহণের পর হতে নিরন্তর সংগ্রাম সংঘাত প্রতিকূলতার ভেতর দিয়ে আপন জীবনাভিজ্ঞতায় পরিচ্ছন্ন বোধ অর্জন করেছিলেন। কৃষি কাজ ও আমিন পেশায় রত থেকেও এই অগ্রগামী মহাপুরুষ অবিচল আস্থায় সংস্কার ও অন্ধ আবেগের পশ্চাদমুখিতাকে ক্রমাগত শনাক্ত করেছেন। ফলে তার উপর পাকিস্তানি শাসনামলে গ্রেফতারি মামলা ও মতপ্রকাশে নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়েছিল। স্বাধীন বাংলাদেশেও মৌলবাদীসহ সমাজের বিভিন্ন মহল কর্তৃক নিগৃহীত হতে হয়েছে তাকে। সংস্কার বিমুখ মুক্তবুদ্ধির চর্চার জন্য পাঠাগার স্থাপন, মানবকল্যাণে চক্ষু ও শরীর দান এবং দর্শন, ইতিহাস, বিজ্ঞান, গণিত, কবিতা ও আত্মজীবনীসহ মোট ১৮ টি পাণ্ডুলিপি রচনা_ ইত্যবিধ অবদানে মানবমণ্ডলীকে ঋণী করে গেছেন তিনি। ৭ কন্যা ও ৩ পুত্রের জনক এই মহতী ব্যক্তিত্বের মৃত্যু ঘটে ১ চৈত্র ১৩৯২ বঙ্গাব্দে।
আপনার মহতী উদ্যোগের জন্য শুভেচ্ছা ও নত শিরে শ্রদ্ধা জানাই… :rose2:
@মাহফুজ,
আমার মন্তব্য এখানে নয়। নিশাচরের পোস্টিং এ দিলাম সংগত কারণে।
@মাহফুজ,
আপনার এই কমেন্টেও মাইনাস রেটিং!!
@নৃপেন্দ্র সরকার,
আপনার সাথে একমত। বিজ্ঞানের সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নাই।
বিজ্ঞান আলোচনায় তাই ধর্ম আসার কোন কারন নাই।
কিন্তু আস্তিকরা যখন ধর্মের ব্যাখ্যায় বিজ্ঞান ব্যবহার করে তখন বিজ্ঞানের ভুল ব্যাখ্যা
দেয়ার একটা প্রবনতা থাকে।
এ ক্ষেত্রে নিশ্চুপ থাকলে ভুল ব্যাখ্যার একটা নিরব সম্মতি মনে করা হয়। আমার এমনটিই ধারনা।
তাই মাঝে মাঝে ধর্ম চলে আসে।
@আসরাফ,
কথা ঠিক। চলে আসে। উপেক্ষা করতে পারলেই ভাল।
পাহাড়-পর্বত, গ্রহ-সূর্য ইত্যাদি ঈশ্বর গুলো আর নেই সভ্য সমাজে। তারপরেও কিছু মিথ্যা হাজার বছর ধরে সত্য হয়ে টিকে আছে। যে গুটি কতক ঈশ্বর এখনও অবশিষ্ট আছে সেগুলো এখন এই আছে তো এই নেই অবস্থায় হাবুডুবু খাচ্ছে।
বিশ্বাসীদের বুদ্ধি আছে। বুঝে গেছে বিজ্ঞানের সাথে সংঘাত করে টিকে থাকা যাচ্ছে না। তাই ধর্মে বিজ্ঞান বের করছেন। উলটো স্রোত ছেড়ে এখন ভাটির টানে চলছে। A drowning man catches at a straw. হাল ছেড়ে দেওয়ার সময় এসেছে। তারই মরণ কামড় বসাচ্ছে।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
দাদা
এক সময় হয়তো বিবর্তনবাদকেও ধর্ম হিসেবে মানা হবে।
অথবা ধর্ম বিবর্তনবাদকে মেনে নিবে।
@আসরাফ,
ধর্মে ঈশ্বর থাকে। বিবর্তনের ঈশ্বর নেই।
ধর্ম হাবুডুবু খাচ্ছে। টিকে থাকার জন্য ধার্মিকরা ধর্মে বিজ্ঞান খুঁজে পাচ্ছে। বিবর্তনও পাওয়া যাবে। পাওয়া শুরু হয়ে গেছে।
ভাল লাগলো লেখাটি পড়ে। তবে হয়ত আমাদের এখনই এটাকে খুব গুরূত্ব দেয়া ঠিক হবেনা। হকিং যদি পাব্লিসিটির জন্য মাইন্ড অফ গদের অবতারণা করতে পারেন, তাহলে হয়ত এটাও কোনো পাব্লিসিটি স্টান্ট হতে পারে। আমাদের মনে হয় অপেক্ষা করা উচিত মূল বইটি প্রকাশের আগপর্যন্ত।
এখানে ভবিষ্যত কাল ব্যাবহার ঠিক হয়নি। এ কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। গতকাল এক বাংলা ব্লগে দেখলাম এক ব্লগার যিনি পেশায় ব্যাঙ্ক কর্মকর্তা, বলছেন হকিং এর ব্যাপারে বললেন যে, মুস্লিমদের ঈমান ধ্বংস করার জন্য ইহুদি নাসারা বিজ্ঞানীরা প্রায়ই এসব অপপ্রচার চালায়। মুস্লিম বিজ্ঞানীদের উচিত এসব অপপ্রচারের প্রতিবাদে এগিয়ে আসা। :-X
আরেক ব্লগার বললেন বেশী জানতে গিয়ে হকিং এর মাথা খারাপ হয়ে গেছে। কী অসাধারণ ধৃষ্টতা!!! পৃথিবীর অন্যতম সেরা প্রতিভাকে উন্মাদ বলে এক ব্লগীয় ছাগল।
আরো প্রচন্ড রাগ লাগে যখন দেখি বিজ্ঞানের সীমা নির্ধারণ করতে আসে পুরোহিতরা। অপদার্থের দল :-X
@মিথুন,
একটা দিক থেকে খারাপ হয়নি কিন্তু! এখন নিশ্চয় এইটা অন্ততঃ তারা বলতে পারবেন না যে, ‘আল্লাহ ছাড়াই মহাবিশ্ব হইছে’ – এই ধারণাটা হকিং ব্যাটা কোরান থেইক্যা পাইছে। 😛
@অভিজিৎ, :laugh:
@অভিজিৎ,
Arrogant theist রা আপনার কমেন্টে ভাল রেটিং দিয়ে যাচ্ছে আপনাকে! :laugh:
@নিশাচর,
কমেন্ট এডিট করার অপশনটা কোথায় যেন হাওয়া হয়ে গেছে। যাই হোক, কারা যেটা বলতে চাচ্ছিলাম কারা যেন সব কমেন্টে thumbs down দিয়ে যাচ্ছে কিন্তু আপনারটাতে thumbs up
@নিশাচর,
এদের মাইনাস দেয়ায় কিই বা আসে যায়? এদের মাইনাস দেয়ার বহর দেখলেই বোঝা যায়, এরা কিছু না পড়েই শুধু মাইনাস দেয়ার জন্যই এখানে আসে। এ নিয়ে এত মাথাব্যাথার কিছু নেই 😀
@মিঠুন,
আমিও তামসা দেখতেসিলাম। ফ্রি পাইয়া ইচ্ছা মত রেটিং দিয়া যাইতেসে। আবুলের মত প্রশ্ন করলে রেটিং হাই, আর সেই প্রশ্নগুলার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিলে মাইনাস! ভালোই সার্কাস। এদের আর্গুমেন্ট ট্যাকেল করার মুরাদ নাই, নিজের বিশ্বাসের বিরুদ্ধে গেলেই লুকায় লুকায় রেটিং দিয়া কাইটা পড়তেছে।
যাক রামগড়ুড়ের ছানারে বলসি – এখন থেকে লগ ইন ছাড়া রেটিং দেয়া যাবে না। দেখা যাক, কই যায়!
@অভিজিৎ,
:clap2: :clap2: :clap2:
@অভিজিৎ, মাইনাস দিতে দিতে ইসলামিস্টরা আমার একটা ম্নন্তব্যই হাপিশ করে দিলো?
লগইন করা সদস্যরা ছাড়া আর কেও কমেন্ট রেটিং করতে পারবেনা। এই পোস্টের কমেন্টগুলো দেখতেসি সব রঙিন হয়ে গিয়েছে! ফ্রি অফার শেষ।
যেটা ছিলই না ওটা হাওয়া হবে কেমনে??
@রামগড়ুড়ের ছানা ভাই,
কোনদিন ঘোষণা দিয়ে ফ্রি অফার দেয়া হয়েছিল, সেটাই তো জানতাম না। হঠাৎ করে “ফ্রি অফার শেষ” ঘোষণা আসছে কেন?
মৌলবাদী চক্র এখনও যে সক্রিয় তা বুঝা যাচ্ছে। প্রতিরোধ করার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মুক্তমনা প্লাটফর্মকে ধ্বংস করার কাজে এরা চুপি চুপি আসবে, কখন কাকে গ্রাস করবে টেরও পাওয়া যাবে না। আবার যখন টের পাওয়া যাবে তখন দেখা যাবে বড্ড দেরী হয়ে গেছে। এরা গর্জনকারী সিংহের ন্যায় ওত পেতে থাকে কখন কাকে গ্রাস করবে।
@আল্লাচালাইনা,
পাঠকরা মাইনাস দিয়ে মন্তব্য হাপিশ করে কেমনে? প্লাস-মাইনাস, রেইটিং-ডেইটিং এই সমস্ত কী? এখানে রেইটিং এর মাধ্যমে ফাঁকা মাঠে ভরা মাঠে গোল করার মা’রেফতি কায়কারবার আমি সত্যিই বুঝি না।
এই রেটিং সিস্টেমটা মাসখানেক আগে চালু করেছিলাম। তখন যে কেও রেটিং দিতে পারত। php এর প্রতি অ্যালার্জি থাকার কারণে এতদিন ঠিক করা হয়নি,কিন্তু যা শুরু হলো তাতে আমার অ্যালার্জি ভাল হয়ে গেছে,তাই কাল ঠিক করে দিয়েছি।
কোনো কমেন্টে বেশি মাইনাস পড়লে সাময়িক ভাবে hide হয়ে যায়, অবশ্য কমেন্ট হাপিশ হয়না,চাইলে যে কেও দেখতে পারে।
@অভিজিৎ,
ভালৈ হলো , ফাকা মাঠে গোল দেন।
@ফারুক,
মাঠে তো কাউকেই গোল দিতে নিষেধ করা হয়নি। কিন্তু খেলায় অংশ না নিয়ে কেবল চোরের মত রেটিং দিয়ে পালিয়ে যাওয়াটাই বন্ধ করা হয়েছে। মন্তব্যে যে কেউ এখনো অংশ নিতে পারেন বিনা বাধায়।
আর তাছাড়া সব ব্লগেই কেবল রেজিস্টার্ড সদস্যরাই প্রবন্ধের রেটিং দিতে পারে (সচলায়তনে আমি কিছুদিন ব্লগিং করেছিলাম, সেই অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি), অন্যরা নয়। মুক্তমনায় যে এখানে বারোয়ারিভাবে হাবুল কাবুল সবাইরেই রেটিং করতে দেওয়ার ব্যবস্থা ছিলো, সেইটাই তো বরং ছিলো অনিয়মতান্ত্রিক।
@অভিজিৎ,সকলেই খেল্লে , দেখবে কে? হাততালি বা দুঁয়ো দেবে কে?
@ফারুক,খুব সুন্দর একটা মন্তব্য করে বসলেরন। কিছু লোক স্প্যামিং করতে থাকবে আর আমরা সেটা সহ্য করতে থাকব? এই কয়দিন যে লগইন ছাড়া রেটিং করা গিয়েছে এটাই অনেক বেশি। দোষটা আমারই,অভিদা আগেই বলেছিল,কিন্তু আমি আলসেমি করে ঠিক করিনি,আর ভেবেছিলাম এ ধরণের সমস্যা হবেনা।
@অভিজিৎ দা,
৬৪ টি জেলায় একযোগে বিস্ফোরণ ঘটার কথা মনে পড়ছে। ঐ কাজ লুকায়ে লুকায়ে করেছিল জেএমবি। সতর্কদৃষ্টি না থাকলে আর ব্যবস্থা না নিলে অঘটন ঘটে। কয়েকদিন আগে আপনার সাধারণ একটা টাইপো নিয়ে আমি যে দিকে দৃষ্টি ফেরাতে চেয়েছিলাম সেটার প্রতি কেউ তেমন গুরুত্বই দিল না। রেটিং ডাউন দিয়ে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল। বাংলায় একটা প্রবাদের কথা স্মরণ করি- কাঙালের কথা বাসি হলে ফলে। ফরিদ ভাই পরে ঠিকই বুঝতে পেরে বলেছিলেন- “আখেরে লাভ হবে মুক্তমনারই। সিরিয়াসলি বলছি, মজা করে নয়।”
@অভিজিৎ,
আবুলদের বাস্তববুদ্ধি হোক।
অভিজিৎ বাবু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, সুন্দর প্রবন্ধ লিখলেন। তবে ধর্মীয় গুরুরা সহজে হার মানতে চাইবে না। নিশক্তির কুযুক্তি উঠে আসবেই। আর তা বন্ধ হবে যেদিন সাধারণ মানুষ বিজ্ঞানকে সঠিকভাবে উপলব্দি করবে। যেদিন সত্য মানুষের মস্তিষ্কে মুক্তভাবে প্রবেশ করবে।
‘ব্রিফ ফিস্ট্রি অব টাইম’ হিস্ট্রি কী করে ফিস্ট্রি হলো, নিজেকেই জিজ্ঞেস করছি, উত্তর এলো মনের মধ্যে- নামাজ টামাজ, কলম টলম, বই টই। ঠিক তেমনি হিস্ট্রি ফিস্ট্রি হয়েছে। 😉
আপনার এই ধারণা সত্য হয়েছে। শুনলে পিলে চমকে ওঠে। ঘটনাটি সংক্ষেপে বয়ান করি- কয়েকদিন আগে তবলিগ জামাতের এক আমির দলবল নিয়ে বাসায় এলো দাওয়াত দিতে। মাগরিবের পর মসজিদে বয়ান হবে। বয়ান শোনার দাওয়াত। এই আমির সাহেব একজন এম বি বি এস। কথায় কথায় স্টিফেন হকিং এর কথা বললাম। উনি বললেন- “আল্লাহকে মানে না বলেই তো এমন পঙ্গু হয়ে আছে। আল্লাহই হচ্ছেন মহাবিজ্ঞানী। আল্লাহর উপর ঈমান আনলে ওনার পঙ্গুত্ব সেরে যাবে ইনশাল্লাহ্।”
আপনার ধারণা বা ভবিষ্যদ্বাণী ভুল নয়, একদম খাপে খাপে মিলে গেছে। ভবিষ্যদ্বাণীর পরিপূর্ণতার জন্য অভিজিৎ রায়কে শত শত অভিনন্দন- :rose2: :rose2: :rose2:
@মাহফুজ,
ওটা টাইপো ছিলো। ঠিক করে দিয়েছি, যদিও নীচে ইংরেজীতে সঠিক বানানটি লেখাতে ছিলোই। ধন্যবাদ জানাচ্ছি টাইপোটি ধরিয়ে দেবার জন্য।
আবার -‘প্রশ্নে প্রশ্নে জর্জরিত করে এর ভেতরের মর্ম উপলব্ধি করা উচিত’ বলে এটা নিয়ে পুরো একটা পোস্ট দিয়ে দেন কিনা এই ভয়ে তাড়াতাড়ি ঠিক করে আপনাকে উত্তর দিয়ে দিলাম!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
@মাহফুজ,
আমার মনে হয় শরীরের পঙ্গুত্ব নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই। কারণ মগজ দিয়েই সে ঈশ্বরকে এত ভাল ফাইট দিচ্ছে যে ঈশ্বরের এখন ছেড়ে দে বাবা কেঁদে বাঁচি অবস্থা। হকিন্সের “মাইন্ড অব গড” নামক ধোয়াশা পড়ে অনেক ধার্মিক গাধারা হকিন্সের এই উক্তি ব্যবহার করে বলার চেষ্টা করত যে হিকিন্সের মত বড় বিজ্ঞানী ঈশ্বরের থাকার সম্ভাবনা রেখে দিয়েছেন। কিন্তু হকিন্স এখন ঈশ্বরের থাকার জন্য কোন মাইনকার চিপা রাখেনাই বলে এখন হকিন্সকে বিজ্ঞানী বলেই স্বীকার করছেনা। ধার্মিকদের মত হিপোক্রেট মনে হয় আর কেও হতে পারেনা। :guli:
@লীনা রহমান,
ঠিকই বলেছেন। এ প্রসঙ্গে ড. হুমায়ুন আজাদের কথা মনে পড়লো:
ধার্মিকদের প্রশংসা করার রীতি প্রচলিত রয়েছে; বলা হয় যে প্রকৃত ধার্মিক মানুষ খুব ভালো মানুষ; কিন্তু সত্য তার উল্টো। প্রকৃত ধার্মিক মানুষ প্রকৃত খারাপ মানুষ। সে অবিকশিত এবং মানুষের বিকাশে বিরোধী। যে কোন নির্বোধের পক্ষে ধার্মিক হওয়া সহজ।
@মাহফুজ,
একদম ঠিক বলেছেন ভাই,ধার্মিক মানুষ সত্যকে ভয় পায়। কারণ সত্যর চেয়ে
কল্পনায় তারা বিশ্বাসী।
@সত্যবাদী,
আপনার কথার সাথে দ্বিমত পোষন করছি। প্রক্রিত পক্ষে যারা ভই পাই তারা সত্য জানেনা, আর যে সকল ধার্মিক রা সত্য জানে তারা সুবিধা বাদি, বিশেষ করে ধর্ম গুরুরা, যারা ধর্ম ভিরু দের লীড দেই।
@মাহফুজ, “যে কোন নির্বোধের পক্ষে মহাপন্ডিত সাজার সহজ উপায় হচ্ছে ঈশ্বর মানি না বলে জাহির করা” (I)
@অরণ্য, নির্বোধের উপযুক্ত কাজ বটে। কারন, ধার্মিকদের মতো জাহির করার জায়গায় বৈজ্ঞানিক যুক্তি দিয়ে প্রতিষ্ঠা করা আবার নির্বোধের কাজ নয় কি না; ও কাজে বোধ প্রয়োজন, যে বোধ থাকলে ‘জাহির’ আর ‘প্রতিষ্ঠা’ শব্দের অর্থ আলাদা করা যায়।
@মাহফুজ, সত্য হল আমাদের কাপুরুষতা। মনের গহীনে এমন নাস্তিক্য সবাই পোষণ করি। সাথে সাথে বুকে থুথুও দিই। কেউ দেখে ফেলল কিনা সে ভয়ে। আর ড. হুমায়ুন আজাদ স্যারদের মত সাহসী সৈনিকদের মত করে দৌর্দন্ড প্রতাপের সাথে নির্ভিক উচ্চারণে সবাই যদি ধর্মের ন্যায় এত ব্যায় বহুল, সময় বহুল, কথা ও মাথা ব্যাথা বহুল, জীবনসংহারি, নৃশংস, জিঘাংসাত্মক, জরুরী ও অত্যাবশ্যকের বিপরীত জিনিসটাকে ভষ্ম করে উড়িয়ে দেয়া যেত তবে কত বেশী সাশ্রয় হত। এত মেধা, সময় ও খরচ মানব সভ্যতার প্রকৃত কল্যাণকর্মে বিনিয়োগ করা গেলে সভ্যতা নিসন্দেহে হাজারগুন অগ্রসর হতে পারত। কিন্তু লক্ষ বছরের জিনের সাথে মিশে থাকা সন্দেহের দোলাচালের মধ্যে অনিশ্চতার অমানিষাকে মোকাবিলা করার একমাত্র অন্ধকার পন্থাস্বরূপ ঈশ্বর-গডদের নামে যুগের চালাক ধর্মাবতারদের পেছনে সর্বস্ব ব্যয় করে আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তুলছি। বিধায় এ থেকে মুক্তির মন্ত্র ধীরমন্থর। তবে বিজয় বিজ্ঞানেরই হবে ও হচ্ছে। ধর্মেও আছে সত্য কখনো চাপা থাকে না। তো প্রমাণ ভিত্তিক বিজ্ঞান সত্য নাকি কুসংস্কারের উপর নির্ভরশীল ধর্ম সত্য তা কালই নিশ্চিত করছে ধাপে ধাপে। যারা একটু আগে খায়, অগ্রগামির তৃপ্তি সে পায়। তা ছাড়া ঈশ্বর যদি থাকেনও তিনি আমাকে দুষবেন কিভাবে? তিনি তো তার অস্তিত্বের কোন বাস্তবসম্মত প্রমাণ উপস্থাপন করেন নি। আছেন কি নাই অন্ধের ন্যায় বিশ্বাস স্থাপন করে তাকে আরাধনা করতে বলবেন, এ তো অন্যায়। তিনি আত্ম প্রকাশ করুণ। সবাই তখন বিজ্ঞান আর ঈশ্বর একই জ্ঞান করে নিজেকে সুধরে নেব। সে সুযোগ তো দিতে বা আমাদের পেতে হবে।
@লীনা রহমান,
সুন্দর বলেছেন। আপনার ধর্মদর্শন আরও বিস্তারিতভাবে জানার আগ্রহ বোধ করছি। এই ব্যাপারে পোস্ট দিতে পারেন একটা এক সময়। :rose: :rose:
বিজ্ঞানের ছাত্রী ছিলাম না।তাই পদার্থ বিজ্ঞানের থিওরি বুঝি না বলে পড়িও না। কাজেই বিজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধের প্রতি আগ্রহও তেমন ছিল না। এখনও তেমন নেই। তবে অন্যান্য পড়া ঈশ্বর বিষয়ক ধারণাকে নিয়ে ভাবায়। ধর্ম নিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়তে উদ্ধুদ্ধ করে।
কিন্তু অভিজিৎ রায়ের লেখা পড়ি মনোযোগ দিয়ে। বিজ্ঞানকে কীভাবে সাহিত্য রস দিয়ে উপস্থাপন করে যায় তা অভিজিৎ না পড়লে বুঝতাম না।
বিজ্ঞানকে সহজ করে, আমার মত করে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
এ লেখাএগুলোকে কীভাবে যে বাংলাদেশের জনমনে ঢুকানো যায় সে বিষয়ে পরিকল্পনা প্রয়োজন। অবশ্য জনমনে তো পরে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানের শিক্ষকরাই তো এসব থিওরিতে বিশ্বাস করে না।
দৈনিক পত্রিকার বিজ্ঞানের পাতায় এসব প্রকাশ করার ব্যবস্থা করা উচিত।
@গীতা দাস,
যে দেশে ধর্ম বই পড়ানো হই ৪টা। সে দেশে কোন পত্রিকা এই রিস্ক নিবে বলুন ?
হয়রান পাগলা আর শাহাবাবা নরজুলের মতো কলোরেক্টাল কার্সিনোমাদের জন্য কিমোথেরাপি প্রস্তাব করার জন্য :yes:
আর অফটপিকে একটা কথা বলতে চাই। মুক্তমনার বিবর্তন আর্কাইভে আমার একটি কথা আপনি লিখেছিলেন, অবশ্যই সন্মানিত বোধ করছি এই জন্য, কিন্তু আমি খুব বাজে একটা ভুল করেছিলাম ঐখানে। ডোর্সাল অ্যাক্সিসে স্ক্যাপুলার রিগ্রেশন লিখতে গিয়ে আমি ভেন্ট্রাল অ্যাক্সিসে লিখেছি। ঐটা ভেন্ট্রাল হবে না, ডোর্সাল হবে। অ্যাক্সিস আমি সবসময় প্যাচ লাগাই। দুঃখ প্রকাশ করছি। মুক্তমনায় পিয়ার রিভিউ ব্যাবস্থা থাকা দরকার বোধহয় একটা :-X
@আল্লাচালাইনা, ভালোই হল আপনি পিয়ার রিভিউ এর কথা বললেন, আপনাকে অনেকদিন ধরেই এব্যাপারে একটা ইমেইল করবো করবো করেও করা হয়নি। ভালোই হল আপনি নিজেই এ প্রসংগটা তুললেন। ইনফরমালভাবে পিয়ার রিভিউ করা শুরু হয়েছিল, প্রথম ২-৩ টা প্রশ্নের উত্তর ৩ দফা রিভিউ এর মধ্যে দিয়ে গিয়েছিল, কিন্তু তারপর সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়ায় সব কাজই বন্ধ হয়ে যায়। আপনাকে মুক্তমনার বার্তাবক্সে একটা ইমেইল করছি বিস্তারিত তথ্যসহ কিছু তথ্যসহ।
@আল্লাচালাইনা,
দুঃখিত, উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেল। বিবর্তন আর্কাইভে আপনার সংশোধনীটার জন্য ধন্যবাদ। ঠিক করে দিয়েছে। তারপরও দেখুন কোথাও ভুল আছে কিনা – এখানে।
বন্যার কথা মত আপনাকে বিবর্তন আর্কাইভের জন্য পেলে কিন্তু বেশ হয়। এর মধ্যেই রায়হান আবীর, তানভী, পৃথিবী, ইরতিশাদ আহমদ এই আর্কাইভের জন্য কাজ করছেন। বন্যা আর আমি তো আছিই। সব কিছু ঠিক থাকলে বিবর্তনের ভুল ধারণাগুলো নিয়ে মুক্তমনার পক্ষ থেকে একটি বই প্রকাশের কাজে হাত দেয়া যেতে পারে। প্রকাশকেরা খুবই আগ্রহী। লেখকের তালিকায় আপনার নামটি থাকলে আমরা সত্যই আনন্দিত হব। আশা করছি আপনি থাকবেন, আর কোথাও ভুল টুল থাকলে এমনিভাবে ঠিক করে দেবেন। সার্বিভাবে পরে জীববিতজ্ঞানের কোন অধ্যাপককে দিয়ে রিভিউ করিয়ে নেয়া হবে।
:yes: :yes: :yes:
জয়তু অভিজিৎ! জয়তু স্টিফেন হকিং! গ্রাণ্ড ডিজাইন ধর্মবাদী ঈশ্বরপ্রবক্তাদের গালে একটা গ্রান্ড থাপ্পর।