জীবনকে ফিরে দেখা
সুমিত দেবনাথ
আমরা মানুষ পশু থেকে আলাদা কেন ? কারণ আমাদের মনুষ্যত্ব আছে, বোধ শক্তি প্রখর, আমরা প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে আমাদের সুবিধা টুকু আদায় করতে পারি। কিন্তু ্ আমরা যখন পশু থেকে অধম হয়ে যাই প্রতিদিনে সংবাদপত্র খুলে যখন দেখা যায় ধর্ষণ, খুন ৪০ বৎসরের একজন ব্যক্তি যখন ৪ বৎসরের শিশুকে ধর্ষন করে এই শব্দ তো পশুদের জানা নেই। লজ্জা লাগে একটা গরীব মেয়ে যখন নিরুপায় হয়ে নিজের দেহ বিক্রি করতে বাধ্য হয়। তার সুস্থ জীবনের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো থেকে নারী, শিশুদের এনে নিষিদ্ধ পল্লিগুলিতে স্থান হয়। আমি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ওদের দুর্বিসহ জীবনের কথা পড়েছি। লজ্জা লাগে আমাদের লালসা যে লালসা অন্যকে পন্য করে তুলে। এই দেশে যৌনশিক্ষার কথা উঠলেই গেল গেল রব উঠে। কিন্তু এই কথা চিন্তা করা হয় না যে যৌন কৌতুহল দূর করতে গিয়ে কিশোর কিশোরীদের হাতে পৌছে যায় বিকৃত কোক শাস্ত্র যা তাদের মনকে বিকৃত করে তুলে, আমার মনে হয় না প্রকৃত শিক্ষা মানুষকে খারাপ বা অসামাজিক করতে শিখায়। এমন অনেক বিবাহিত নারী পুরুষ আছেন যাদের প্রকৃত যৌন জ্ঞানের অভাব। আমি ব্যক্তিগত ভাবে দেখেছি এই যৌন জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা তাদের দাম্পত্য জীবনকে দূর্বিসহ করে তুলেছে। এখন আমি আসছি যৌন বৈষম্যের কথায়। পাঠকবৃন্দ আপনারা আমাকে ভূল বোঝবেন না। আমি ব্যক্তিগত ভাবে Sexualityকে জীবনের মূল বিষয় মনে করি না। আমি যা বলতে চাইছি কেউ কারও ব্যবহারের শিকার হবে তা দুভার্গ্যজনক। প্রকৃতিগত নারী-পুরুষের Sexuality একটা বৈষম্য আছে যাকে বলে orgasm gap . প্রকৃতি কেন এই বৈষম্য তৈরী করেছে তা আমি জানি না। তবে আমি আগেই বলেছি ্আমরা প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে আমাদের জীবনকে সুন্দর করতে পারি বলেই আমরা মানুষ। হ্যাঁ এই বৈষম্যকে দূর করার জন্য শুধু আধুনিক বিজ্ঞান নয় প্রাচীন বিশ্ব চেষ্টা করেছে যার আলোচনায় পরে আসছি। তার আগে কিছূ Report এর দিকে দৃষ্টিপাত করি ডাঃ রঞ্জন ভোঁসলে ও ডাঃ মিনু ভোঁসলে বিভিন্ন গ্রামীন অঞ্চলে কাজ করেছেন তাদের মতে
“Female orgasms are misunderstood and underplayed in Indian society. It is important to realise the needs of female partners in sexual relationships.
Surprisingly, a majority of the rural and illiterate masses seemed to talk of sex as a male domain, and the woman as a “passive” partner who allowed the man sexual gratification. A very small percentage spoke about sexual satisfaction of the female partner too.
It is said that many Indian women pass their entire married life without even once experiencing orgasm. The consequences could be as mild as a nagging wife and complaints like migraines, extramarital affairs, and obsessive indulging in masturbation; or as severe as depression, suicidal tendencies, violent outbursts and complete madness i.e. complete loss of sanity of the mind [often labelled in rural areas as a case of black magic].”
সমাজবিদ অঞ্জনা সারোলিয়ার মতে -“In India still Indian women don’t know what is orgasm for them sex means only to entertainment their husband or making babies.”
১৯৮৫ সালে দিল্লিতে যৌন বিজ্ঞান সন্মেলনে বিশিষ্ট যৌন বিশেষজ্ঞ ডাঃ প্রকাশ কোটারী বলেছিলেন ‘‘আমি নিজস্ব অভিজ্ঞতায় দেখেছি ভারতের খুব কম নারীই orgasm এর অভিজ্ঞতা অর্জনে সক্ষম কিন্তু তারা যদি প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হতেন তা হলে তাদের orgasm আহরণে কোন অসুবিধা হত না।” এত গেল ভারতের কথা এবার আমরা একটু ভারতের বাইরে দৃষ্টি দেই – কয়েক বৎসর আগে পরিবর্তন পত্রিকায় একটা প্রতিবেদন পড়েছিলাম প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল ‘‘যে দেশে প্রেম নিষিদ্ধ” প্রতিবেদক লিখেছিলেন আরব দুনিয়া তথা লিবিয়ার কথা সেখানে প্রেম বলতে কিছু নেই। বিবাহ ব্যবস্থা বলতে যে ব্যক্তি বিবাহ করতে ইচ্ছুক মেয়ের বাবার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে মেয়ে কিনে আনতে হয়। আর যে ব্যক্তি মেয়ে কিনে আনলো সে মনে করে ঘরে একটা পন্য সামগ্রী এনেছে। প্রতিবেদকের ভাষায় সেখানে স্ত্রী স্বামীর কাছে যৌনযন্ত্র আর সন্তান উৎপাদনের উৎস মাত্র। যে মহিলার সন্তান সংখ্যা বেশী তার সমাজে কদর বেশী। যদিও গদ্দাফি ক্ষমতায় আসার পর কিছুটা সংস্কার এনেছেন। এখন আমি যে বিভৎস চিত্র আপনাদের সামনে তুলছি তা সাব সাহারান আফ্রিকান দেশগুলি তথা জিম্বাবোয়ে, জামবিয়া, মালায়ই, উগান্ডা সুদান, নাইজেরিয়া, ঘানা, কেনিয়া বোটসওয়ানা, তাজানিয়া, চাঁদ, সোমালিয়া এই দেশগুলিতে এখানে সংস্কৃতি পুরোপুরি পুরুষ প্রধান এখানে মেয়েদের পুরুষের যৌন পরিতৃপ্তির নিষ্ক্রিয় সঙ্গি হিসাবে ধরা হয়। এবং সেখানে male orgasm সম্পর্কে জানা থাকলেও female orgasm পুরোপুরি অজানা বিষয় এবং female orgasm স্ত্রী – পুরুষ উভয়ের জন্য অস্বাভাবিক, অস্বাস্থ্যকর এবং বিপজ্জনক বলে ধরা হয়। শুধু তাই নয় সবচেয়ে অমানবিক যা এখানে মহিলাদের বিভিন্ন যৌন অনুভূতি অঞ্চল গুলি কেটে ফেলা হয় (সাধারণত কোন এনেস্থেসিয়া ছাড়াই) তাতে যে শুধু যৌন অনুভূতি নষ্ট হয় তা নয় তা থেকে বড় ধরণের ইনফেকশন, প্রসব কালীন সমস্যার সৃষ্টি হয় যৌন সহবাসও কষ্টকর হয় এমন কি অসম্ভব পর্যন্ত। এবার আসি Dry sex এর কথায় Dry sex এটা আরেকটা অমানবিক প্রথা এতে মেয়েদের vegina তে পাউডার, ডিটারজেন্ট, লবন ইত্যাদি ব্যবহার করে Dry করা হয়। তাতে মহিলাদের সহবাস প্রচন্ড কষ্টকর হয় আর তা নাকি পুরুষের যৌন আনন্দ কয়েকগুন বাড়িয়ে দেয় ! সেখানে মহিলাদের ভাষায় “sexual intercourse is very painful … but our African husbands enjoy sex with a dry vagina” এখানে উল্লেখ্য প্রতি বৎসর ২৮ টি দেশে মোট ১৩০ মিলিয়নেরও বেশী মহিলাদের Genital cutting করানো হয়। আফ্রিকাতে মুসলমান ও খ্রীষ্টানের সংখ্যা বেশী কিন্তু কোন ধর্মেই এই ধরণের প্রথার কথা উল্লেখ নেই। প্রাচীন ভারত তথা প্রাচীন বিশ্ব এই বৈষম্য সমাধানের চেষ্টা করেছে তার নিদর্শন আজ থেকে ১৬০০ বৎসর আগের রচয়িত বৎসায়নের কামসূত্র যা আমরা উপলব্দি করতে পারি নি। বুদ্ধ ধর্মে বলা হয়েছে মেয়েরা যৌন আনন্দ লাভে স্বক্রীয়। গ্রীক উপকথায় বলা হয়েছে দেবতা যৌন আনন্দ ও সৌন্দর্য্যকে দশভাগ দিয়েছেন এর মধ্যে একভাগ পুরুষের জন্য বাকী নয় ভাগ মেয়েদের জন্য রেখেছেন। পাঠকবৃন্দ সংক্ষেপে সমস্যাগুলি তোলার চেষ্টা করলাম। সমস্যাগুলি সমাজে আছে কিন্তু নিরবে নিভৃতে কাঁদে, উঠে আসে না। আমি আমার মত প্রকাশ করলাম। আপনাদের মতামত গঠন মূলক সমালোচনা কাম্য।
good
নারীখতনার কথা প্রথম পড়ি হুমায়ুন আজাদের “নারী” বইতে। পড়ে শিউরে উঠেছিলাম। নারীবাদীদের আন্দোলনের প্রধান বিষয়বস্তু হিসেবে গুরুত্ব পেয়েছে নিজের শরীরের উপর নারীর অধিকার ও ক্ষমতা। যদিও অনেক নারীরাই এ ব্যাপারটি বোঝেনা বা বুঝতে চায়না, পুরুষদের কথা আর কি বলব।
আর আপনি যা বললেন
শুধু ছোট শহর বলে নয় বড় শহরের তথাকথিত শিক্ষিত মানুষের মাঝেও এ ধরণের প্রবণতা দেখা যায়। আর যৌনশিক্ষা সম্পর্কে অজ্ঞতা ব্যক্তিগত ও সামাজিক উভয়ভাবে ভোগায়। হুজুরদের কুকীর্তিও অতৃপ্ত যৌনকামনার বিকৃত প্রকাশ বলেই আমি মনে করি। ঐ হুজুরের কতটুকু শাস্তি হবে জানিনা, তবে এটা জানি সমাজ অবধারিতভাবেই ভোগাবে ধর্ষিতা মেয়েটিকে। এটা হল দুঃখজনক ও লজ্জাজনক সত্য।
@লীনা রহমান, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। FGM সম্পর্কে তো আপনি পড়েছেন আর আমি U tube এ সেই বিভৎস চিত্র দেখেছি। আর যেদিন দেখেছি সেইদিন রাতে আমি ভাত পর্যন্ত খেতে পারি নি। আমার এত খারাপ লেগেছিল। আমার বাংলাদেশের সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে তেমন ধারণা নেই। যা জানি তা ইন্টারনেটের বিভিন্ন সাইটের মাধ্যমে। হ্যাঁ আমি বাংলাদেশের অনৈতিক ফতোয়া সম্পর্কে পড়েছি। তা অত্যন্ত দুভার্গ্যজনক।
একথা বলার প্রয়োজন ছিলনা। মূল বিষয় না হলেও অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তো বটেই। এ প্রসঙ্গে লেখার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ :rose: ।
@রৌরব, দেখুন আমি যে জায়গায় আছি তা একটা ছোট শহর মানুষের মনও ছোট। এই লেখা লেখার পর কয়েক জনকে পড়ে শুনিয়েছিলাম কিন্তু প্রচন্ড সমালোচনার মধ্যে পড়তে হয়েছিল। অনেকে আমার লেখাকে অশ্লীল বলতেও দ্বিধা করেনি। তাই কিছু ভূমিকা না দিয়ে লেখা অনেক সমস্যার ব্যাপার। আসলে অশ্লীলতা যেখানে শুরু হয় সেখানে মানুষ সমাজ পৌঁছায় না……
প্রবন্ধটি আরেকটু গোছিয়ে ও বিস্তারিত লেখলে ভাল হত। আপনাকে ধন্যবাদ।
নিম্নোক্ত খবরটি দেখে মেজাজটা একদম বিগড়ে গেল। আসুন নিচের খবরটা পড়ি আর ধর্মের কাছ থেকে নৈতিকতা শিখি যেমনটা শিখেন মোল্লা-পুরুত-পাদ্রীরা।
ছিঃ
মেয়েটির বয়স মাত্র ১০ বছর। আর সব শিশুর সঙ্গে প্রতিদিনকার মতো বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টার দিকে সে মসজিদে হুজুরের কাছে কোরআন শরিফ পড়তে যায়। কিন্তু এ দিন পড়াশেষে অন্য শিশুদের বিদায় দিলেও তাকে বসতে বলে হুজুর। সবাই চলে গেলে হুজুর গামছা দিয়ে মেয়েটির মুখ বাঁধে, দড়ি দিয়ে বাঁধে হাত। এরপর হুজুর তাকে ধর্ষণ করে। মেয়েটিকে রক্তাক্ত অবস্থায়ই কোরআন ছুঁয়ে হুজুর শপথ করায় যাতে এ ঘটনা আর কাউকে না জানায়। পরে মেয়েটি কোনোরকমে বাসায় ফিরেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। ওইদিন সন্ধ্যায়ই মেয়েটিকে ভর্তি করা হয় স্থানীয় চৌধুরী ক্লিনিকে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে গতকাল শুক্রবার সকালে তাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসব কথা এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন মেয়েটির মা।
এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের হোগলপাতিলা গ্রামের মসজিদে। অভিযুক্ত ধর্ষণকারী ওই হুজুরের নাম আব্বাস আলী (৪৫)। তাঁর বাড়ি বরিশালের বাগেরহাট গ্রামে। ঘটনার পর থেকেই সে পলাতক।
গতকাল মাদারীপুর সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছে মেয়েটি। পাশে বসে আছে তার মা। মেয়েটির মাথায় হাত বুলাচ্ছেন আর একটু পর পর আঁচল দিয়ে নিজের চোখ মুছছেন তিনি। বেডের পাশে লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে চোখ খোলে মেয়েটি। ঘটনা জানতে চাইলে নির্বাক কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে সে। এরপর মায়ের আশ্বাস পেয়ে বলতে লাগল, ‘সেদিন কোরআন শরিফ পড়তে মসজিদে গেছিলাম। হুজুর সবাইকে বিদায় দিয়ে আমাকে বসতে বলল। সবাই চলে যাওয়ার পর মসজিদের মধ্যেই হুজুর আমার মুখ ও হাত বাঁধে…।’ এরপর মেয়েটির মা পুরো ঘটনাটি জানান। তিনি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।
এ বিষয়ে চৌধুরী ক্লিনিকের ডাক্তার দিলরুবা জানান, মেয়েটিকে যখন ক্লিনিকে আনা হয়, তখন প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। পরে তার শরীরে দুই ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়। সেলাইও করতে হয়েছে।
সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার আলতাফ হোসেন ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মেয়েটির অবস্থা এখন একটু ভালো। তবে প্রচুর রক্তক্ষরণে তার শরীর অনেক দুর্বল হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কায়ুম আলী সরদার জানান, এ বিষয়ে এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। মেয়েটির বাবা মামলা দায়ের করবে বলে শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লিংক
@সৈকত চৌধুরী,
আপনার দেয়া কালের কণ্ঠ থেকে নেয়া ঘটনাটি পড়ার পর মজিবর রহমান তালুকদার-এর লেখা ‘মহি’ মনে পড়লো। লেখাটি মুক্তমনার আর্কাভে আসে।
ড. আহমেদ শরীফ বলেন- প্রলোভন প্রবল হলে আস্তিক হেন অপকর্ম বা অপরাধ নাই যে করে না; সে-মুহূর্তে ভূত-ভগবান-সমাজ শাসক নিন্দা-শাস্তি প্রভৃতির অস্তিত্ব ওই লোভ তরঙ্গের তোড়ে ভেসে যায়।
@সৈকত চৌধুরী,
তারিখ পরিবর্তনের সাথে পত্রিকাটির উপরোক্ত লিংক পরিবর্তিত হয়েছে।
এখন এই লিংক দেখুন-
কালের কণ্ঠ, ১ম পাতা, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১০
@সৈকত চৌধুরী, মন্তব্যের জন্য আপনাকে ও ধন্যবাদ। আর যে ঘটনা বললেন তা চোখে জল এনে দেওয়ার মত। কত ঘটনা বলবেন ? তবু তো আমাদের দেশে ধর্ষকের শাস্তি হয়। কিন্তু আরব দেশগুলির দিকে ফিরে দেখুন।
নারীর যৌন অধিকার নিয়ে তাই তো এখন নারীবাদীরা সোচ্চার।