বিচ্ছিন্ন ভাবনা
আকাশ মালিক
কিছু এলোমেলো প্রশ্ন, কিছু এলোমেলো ভাবনার কোন সঠিক উত্তর না পেয়ে শেষ পর্যন্ত ব্লগের দ্বারস্থ হলাম। পৃথিবীতে ইসলামের নামে কোটি কোটি নিরপরাধ নারী পুরুষ শিশুকে খুন করা হয়েছে, তলোয়ার দিয়ে গলা কাটা হয়েছে, আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়েছে, আমরা সে সকল ঘটনা স্বচক্ষে দেখি নাই তবে বই কেতাব পড়ে অবগত হয়েছি। সঙ্গত কারণেই অন্যান্য ধর্ম এখানে আলোচ্য নয়। আমরা কি কোনদিন নিজেকে প্রশ্ন করেছি ১৪শো বছর পূর্বে সত্যই কি ইসলামের কোন স্বর্ণালি যুগ ছিল, যেখানে মারামারি কাটাকাটি, নারী নির্যাতন, অবৈধ ক্ষমতা দখল, খুন, অনাচার, অবিচার অত্যাচার ছিলনা। সত্যই কি মুহাম্মদের কোরান হাদিস চষে মক্কা মদীনার কোন লোক বৈজ্ঞানিক, দার্শনিক হতে পেরেছিলেন? আমরা কি জানতে পেরেছি মানুষের গলা কেটে লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখার উৎস কোথায়? পরিবারে ভাই বোনের মধ্যে অসম সম্পত্তি বণ্টনে কলহের উৎস কোথায়? ফতোয়ার মাধ্যমে নারীকে বেত্রাঘাত করা, নারী নির্যাতন, স্বামী কর্তৃক স্ত্রী ধর্ষণ এর উৎস কোথায়? এই নির্দিষ্ট প্রশ্নের সব সময়েই একটা উত্তর দেয়া হয় আর তা হলো- ‘কোরানের ভুল ব্যাখ্যা’। বর্তমান বিশ্বে আমাদের চোখের সামনে বিগত কয়েক বছরে যে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড প্রত্যক্ষ করলাম, রাশিয়ার বসলান স্কুল থেকে আমেরিকার টুইন টাওয়ার পুড়তে আমরা দেখেছি, দেখেছি ভারতের মুম্বাইএর রক্ত, বাংলাদেশের ৬৪জেলার রক্ত, আমরা এসব ঘটনার কারণ বা উৎস খুঁজেছি। এখানে আমরা সাধারণত দুই প্রকার উত্তর দেখতে পাই যথা- (১) এর উৎস মুসলমানের ধর্ম গ্রন্থ কোরান।(২) জগতের সকল প্রকার সমস্যার মূলে রয়েছে আমেরিকা, বৃটেন এবং ইসরায়েল।
আমাদের কেউকেউ দাবী করেন ৯/১১ এর আগে, ইরাক যুদ্ধের আগে, বা আফগান যুদ্ধের আগে মুসলমান কোন সন্ত্রাসী দুনিয়ায় ছিলনা। মুসলমান নামের সকল সন্ত্রাসী আমেরিকার সৃষ্টি, নতুবা এরা মুসলমান নামধারী অমুসলিম আমেরিকার এজেন্ট। অন্যদিকে কেউকেউ ইতিহাস ঘেঁটে প্রমাণ করেন ইসলাম জন্মের পর থেকে জগৎটাকে, অমুসলিম তো দূরের কথা, নিজেদেরকেই একটা দিনের জন্যেও শান্তিতে থাকতে দেয় নাই। আমরা এসকল প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছি, তর্ক করেছি, একমত হয়নি, আজও আমরা বহুধারায় বিভক্ত আছি।
ইদানিং মুক্তমনায় গ্রাউন্ড জিরো মসজিদ বিতর্কে শ্রদ্ধেয় পাঠকবৃন্দের মন্তব্যসমুহ থেকে তিনটি মন্তব্য সামনে রেখে কিছু ভিডিও চিত্র তুলে দেয়া হলো। অনেকেই এর আগে এই ছবিগুলো হয়তো দেখেছেন, আবার অনেকেই হয়তো বলবেন এরকম খন্ডচিত্র একটি সমাজ বা জাতি বা দেশ রিপ্রেজেন্ট করেনা। তবুও ছবিগুলোর উপর আলোচনা পর্যালোচনার মাধ্যমে চেষ্টা করে দেখা আমাদের মাঝে ভিন্নধারার চিন্তা বা ভিন্ন ভাবনার প্রশ্ন জাগে কি না। প্রথমে পাঠক তিনজনের মন্তব্য পড়ে নিই-
আমেরিকা ( এবং পশ্চিম) যখনই দরকার পড়েছে ইসলামকে ব্যবহার করেছে নিজের স্বার্থে একথাটা তো কারও অজানা থাকার কথা নয়। রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক উদ্দেশ্যগুলো এখানে খুব বড় ভূমিকা পালন করে।
সবচাইতে বড় সমস্যা হলো- আমেরিকার অধিকাংশ মানুষই জানে না ইসলাম কি বস্তু।
ইসলাম সম্পর্কে বিরাট অজ্ঞতার সুযোগে কিছু সুযোগ সন্ধানী মোল্লা সৌদি পেট্রো ডলারের ক্ষমতায় বলীয়ান হয়ে আমেরিকা তথা পশ্চিমা সমাজকে ধ্বংশ করার নীল নকশা এটেছে। পশ্চিমারা তা এখনও বুঝতে পারছে না ।
ইসলাম ও মুসলমানদের মধ্যে যারা জঙ্গী খোঁজ করেন তারা বোকার স্বর্গে বাস করেন ।
ষষ্ঠ শতাব্দিতে আরবে ইসলাম ও মুহাম্মদ যা কিছু করেছে, তা তদকালীন আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে করেছে ।
এই ছিল আমেরিকার গ্রাউন্ড জিরো মসজিদ বিতর্কে মুক্তমনার সুহৃদ তিনজন পাঠকের তাতক্ষণিক সংক্ষিপ্ত মন্তব্য। এবার ভিডিও চিত্রগুলো দেখুন। এখানে আমরা একটা প্রশ্নেরই উত্তর আশা করতে পারি- ‘সারা বিশ্ব জুড়ে যে সন্ত্রাস চলছে এর সাথে মুসলমান জঙ্গীবাদের সম্পৃক্ততা আছে কি না, অথবা মুসলিম জঙ্গীবাদের উৎস কোথায়, পশ্চিমে না আমেরিকায় না কোরানে না অন্য কোথাও’?
Islam: What the West Needs to Know
@যাযাবর,
অনেকদিনপর কথা বলছি, আশা করি ভালো আছেন।
আপনার এই ধারণাটা ঠিক না। দেখুন: Murder in the Bible
১. Kill People Who Don’t Listen to Priests
২. Kill Witches
৩. Kill Homosexuals
৪. Kill Fortunetellers
৫. Death for Hitting Dad
পাঁচটা দিলাম স্যাম্পল হিসেবে। এই সাইটে গেলে আরো বহু পাবেন।
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা।
বস্তুর তিনটি গুনাগুনের মধ্যে দ্বৈত চরিত্র (বিপরীতের ঐক্য) একটি । যেহেতু সকল মানুষই বস্তু, সেহেতু নৃপেন্দ্র সরকার, রবিন হুড ও মহিউদ্দীনসহ সকলের মধ্যেই দ্বৈত চরিত্র বিদ্যমান ।
দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের আর একটি তত্ত্ব হলো, যার শুরু আছে, তার শেষও আছে । সামন্তবাদকে হটিয়ে অষ্ট দশ শতাব্দিতে পুজিবাদের আগমন ঘটে । চলার পথে পুজিবাদ বহু বাধা-বিপত্তি অতিক্রম এবং মুনফার লক্ষ্যে সমাজকে অনেক কিছু দান করে বর্তমান অবস্থায় উপনীত হয়েছে । সমাজকে অধিক কিছু দেয়ার তার ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে । চাকুরীর বাজার সংকুচিত হচ্ছে । দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের নয়ম অনুযায়ী বর্তমানে বৃদ্ধ পুজিবাদ নিজ কবর খোঁড়ছে ।
ব্লগে আমি কি প্রচার করি তা আমার চেয়ে নৃপেন্দ্র সরকার ভাল জানেন বলে প্রতীয়মান হচ্ছে । আমি নাগরিগত্ব পাব কিনা তা নিয়ে ওনার ঘুম হারাম হয়ে গেছে । অন্যের ব্যক্তিগত ব্যাপারে নাক গলানো ভদ্রলোকদের কাজ না । একটা উন্নত পুজিবাদী দেশে এসে পুজিবাদকে সমর্থন করেও পুজিবাদের ভদ্রতা শিক্ষতে ব্যর্থ হলেন দেখে ওনার জন্য করুণা হয় ।
চলার পথে অনেক লোকের সাথে সাক্ষাত হয়, যেমন আপনার সাথে হলো । অতএব আমরা কেউ কারো চামচা নাই । আপনি বা জিয়াউদ্দীন কি করবেন বা না করবেন সেটা আপনাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার । কারও ব্যক্তিগত ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা অভদ্রতামি । কাউকে পাগল বলাটাও অভদ্রতামি । তাই অনুরোধ একটু ভদ্রতা শিখুন ।
হ বুজলাম। স্টিপেন হকিং এর থেইকা আমগো কমি পাগলা মহীউদ্দিনের বুদ্ধি অনেক বেশি। কিন্তু ক্যানে যে সবাই খালি মহীউদ্দিনেরে থুইয়া হকিং ছাবের কতা বেশি পাত্তা দেয় কেডা জানে। মনে অইতাছে মার্কিন কোন চাল অইব।
কমিউনিস্ট মহীউদ্দিন সাব, আপনের জন্যি একটা গরম খব্র আছে। আপনে একসময় যেই পীরের চামচা আচিলেন, সেই পীর আবু সাঈদ জিয়াউদ্দিন ছাবে আমার ব্লগে গিয়া আপনের মত কমিউনিস্ট গো গুষ্টি উদ্দার কইরা সিরিজ লিক্তাচে, স্ট্যালিন পল্পুট কেউই বাদ যায় নাই, গিয়া দেহেন –
স্টালিনের “মুসলিম” নিধন – একটা অকথিত কালো ইতিহাস – আবু সাঈদ জিয়াউদ্দিন
কি পীরের মুরিদ আচিলেন গো বাহে।
“বটতলার জ্বলাময়ী ভাষণ থুক্কু মন্তব্য” এর উপর প্যারোডি লিখে “বটতলা”কে ধন্য করার জন্য ধন্যবাদ ।
রামগড়ুড়ের ছানা বা অন্যান্য মডুদের ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টির জন্য অনুরোধ করা প্রয়োজন হবে না । তারা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি নিয়ে বসে আছেন ।
ধনীর টাকা লুট করে গরিবকে দেয়ার ইংলিশ ফোকলোরের “রবিন হুড” কলিকালে এসে চেগুয়েভেরা না হয়ে বিবর্তনের মাধ্যমে হলেন পুজিবাদের চাটুকার । পুজিবাদের কাছে নারী হলো ভোগের সামগ্রী, অর্থ্যাৎ বাজারের পন্য । পুজিবাদে আলোচ্য এই পন্যটি ব্যবহার হয় আনন্দের ও সন্তান উৎপাদনের জন্য । তাই পন্যটির নামের প্রতি তাদের এলার্জি ।
মানুষের গীবত গাওয়া বিকৃত মনের পরিচয় । কেউ কেউ আবার বিকৃত মনকেই এক নম্বারি এবং যারা নর ও নারীর মধ্যে পার্থক্য করেন না তাদেরকে দুই নম্বারি ভাবেন । বিচিত্র এদের মানসিকতা ।
দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ আদর্শ গ্রহনকারীরা যুক্তরাষ্ট্রে আসতে পারবে না বা নিজ জন্মভূমির মেহনতি মানুষের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করা যাবে না, এই কথা কোন কেতাবে লেখা আছে, তা জানানের জন্য অনুরোধ করা গেল ।
ভবিষ্যতে ব্যক্তি গীবতের কোন উত্তর দেয়া হবে না ।
বিপ্লব পাল একটি মুল্যবান কথা বলেছেন যে “বুদ্ধি থাকলে ঈশ্বরের অনাস্তিত্ব প্রমানের জন্য স্টিফেন হকিং এর প্রয়োজন হয় না” । বস্তুবাদী দার্শনিকেরা বহু পূর্বেই কাজটি করে গেছেন ।
@আ. হা. মহিউদ্দীন,
<a href=”http://www.uscis.gov/files/form/n-400.pdf” target=”_blank”কেতাব এখানে
cut & paste করতে পারলাম না, তাই type করলাম আপনার জন্য। লিঙ্কে কেতাবখান মিলিয়ে নিবেন –
9. Have you ever been a member of of in any way associated (either directly or indirectly) with:
a. The Communist Party? Yes No.
তবে আপনার অসুবিধা হবে না। কারণ আপনার নানা নাম – নানা অবয়ব। ফাঁকি দেওয়ার ইতিহাস পড়লাম। USA কে ফাঁকি দেওয়া আপনার জন্য ডালভাত।
আজকে কম্পিউটার ওপেন করেই সেতারা আপা ওরফে মহীউদ্দিন ভাইজানের বটতলার জ্বলাময়ী ভাষণ থুক্কু মন্তব্য দেখেই একটা ছোট প্যারোডি করার লোভ সামলাতে পারলাম না। আশা করি রামগড়ুড়ের ছানা এবং মুক্তমনার অন্যান্য মডুরা আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে গ্রহণ করবেন।
——————————————————
যুক্তি দিয়া মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হলে, সেতারা হাসেম, চালাক মাইয়া প্রভৃতি মেয়েলী নাম ধারণ করতঃ মানুষকে বিভ্রান্ত করা বোকাদের একটি কৌশল । আশা করি শিক্ষিত মধ্যবিত্ত, যারা নিজেদেরকে গণতান্ত্রিক ও মার্ক্সবাদী বলে দাবী করেন, তারা উক্ত কৌশলটি ব্যবহার করবেন না ।
অনাদিকাল হইতেই ইসলামের নামে হত্যা, লুন্ঠণ, ধর্ষণ, বদরের যুদ্ধ, অহুদের যুদ্ধ, খলিফায় খলিফায় মারামারি, সুইসাইড বোম্বিং, জিহাদ, মুহম্মদ(সাঃ), বিন লাদেন, খোমেনি, নাইন-ইলেভেন এইগুলি হইলেও এইগুলি কোন সমস্যা নয়, সমস্যার উপসর্গ । মূল সমস্যা হলো সাম্রাজ্যবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা । এই অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য হলো অধিক মুনফা । অধিক মুনফার প্রতিযোগীতায় মার্কিন অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়ছে । চাকুরীর বাজার সংকুচিত হচ্ছে । মানুষ যত চাকুরী হারাচ্ছে,ততই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠছে । তাদের রাগকে ভিন্নমূখী করার জন্য ইসলামী জঙ্গীবাদকে সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে, আর আমেরিকায় বসে বসে সুশীল মার্ক্সবাদীরা সব কিচু বুইঝ্যা লাইছেন আর ব্লগ কাঁপাচ্চেন।
সমাজ বিভিন্ন উপাদান নিয়ে গঠিত । বাংলাদেশের পশ্চাদপথ সমাজে মৌলবাদ, রক্ষনশীল, প্রতিক্রিয়াশীল, লুটেরা শ্রেনী যেমন আছে, তেমনি প্রগতিশীলেরাও বিদ্যমান । সাধারণ মানুষের অংশ গ্রহন ছাড়া কোন ভাল কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব নয় । জনতার সাথে যাদের সমান্যতম যোগাযোগ আছে, তারা জানেন প্রগতিশীলেরা কি প্রতিকুল পরিবেশে ধর্মপ্রান সাধারণ মানুষের মধ্যে কাজ করেন । মৌলবাদ, রক্ষনশীল, প্রতিক্রিয়াশীল ও লুটেরা শ্রেনী সব সময় প্রচার করে থাকে যে প্রগতিশীলেরা হলো কমিউনিস্ট । এদের থেকে দূরে থাকার জন্য তারা জনতাকে পরামর্শ দিয়ে থেকে । আমেরিকায় বসে সিটিজেনশিপ নিয়েও মার্কবাদে বিশ্বাস করা হলো ব্যক্তিগত বিষয়, যা প্রচারযোগ্য নয় । তাই কোন মার্ক্সবাদী ব্যক্তি যখন নিজেই ব্লগে প্রচার করেন যে তিনি মার্ক্সবাদী কমিউনিস্ট, তখন তিনি মৌলবাদ, রক্ষনশীল, প্রতিক্রিয়াশীল ও লুটেরা শ্রেনীর কাজটা করে দিচ্ছেন ।
@রবিন হুড,
আমেরিকায় কমিউনিস্টের নাগরিকত্বে পাওয়ায় ঝামেলা আছে বলেই মনে পড়ে। দরখাস্তে উল্লেখ করতে হয় দরখাস্তকারীর কমিউনিস্ট সংগঠনের সদস্য কিনা। কমিউনিজমের প্রতি নিবেদিত প্রাণব্যক্তি কি আমেরিকার নাগরিকত্ব পেয়ে থাকেন?
যুক্তি দিয়া মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হলে, ব্যক্তি কুৎসা, গালাগালি ও অভদ্র আচরণ করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে অকেজো করা বোকাদের একটি কৌশল । আশা করি শিক্ষিত মধ্যবিত্ত, যারা নিজেদেরকে গণতান্ত্রিক ও মুক্তমনা বলে দাবী করেন, তারা উক্ত কৌশলটি ব্যবহার করবেন না ।
কোন ধর্ম বা ইসলামী জঙ্গীবাদ মূল সমস্যা নয়, সমস্যার উপসর্গ । মূল সমস্যা হলো সাম্রাজ্যবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা । এই অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য হলো অধিক মুনফা । অধিক মুনফার প্রতিযোগীতায় মার্কিন অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়ছে । চাকুরীর বাজার সংকুচিত হচ্ছে । মানুষ যত চাকুরী হারাচ্ছে,ততই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠছে । তাদের রাগকে ভিন্নমূখী করার জন্য ইসলামী জঙ্গীবাদকে সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে ।
সমাজ বিভিন্ন উপাদান নিয়ে গঠিত । বাংলাদেশের পশ্চাদপথ সমাজে মৌলবাদ, রক্ষনশীল, প্রতিক্রিয়াশীল, লুটেরা শ্রেনী যেমন আছে, তেমনি প্রগতিশীলেরাও বিদ্যমান । সাধারণ মানুষের অংশ গ্রহন ছাড়া কোন ভাল কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব নয় । জনতার সাথে যাদের সমান্যতম যোগাযোগ আছে, তারা জানেন প্রগতিশীলেরা কি প্রতিকুল পরিবেশে ধর্মপ্রান সাধারণ মানুষের মধ্যে কাজ করেন । মৌলবাদ, রক্ষনশীল, প্রতিক্রিয়াশীল ও লুটেরা শ্রেনী সব সময় প্রচার করে থাকে যে প্রগতিশীলেরা হলো নাস্তিক । এদের থেকে দূরে থাকার জন্য তারা জনতাকে পরামর্শ দিয়ে থেকে । বিশ্বাস হলো ব্যক্তিগত বিষয়, যা প্রচারযোগ্য নয় । তাই কোন প্রগতিশীল ব্যক্তি যখন নিজেই প্রচার করেন যে তিনি নাস্তিক, তখন তিনি মৌলবাদ, রক্ষনশীল, প্রতিক্রিয়াশীল ও লুটেরা শ্রেনীর কাজটা করে দিচ্ছেন ।
@আ. হা. মহিউদ্দীন,
আপনার পছন্দের সাইটটির প্রাক্তন এডমিন মনে করেন কমিউনিস্ট মানেই নাস্তিক। আমারব্লগ ওয়েবসাইটে সাম্প্রতিককালে উনার প্রোফাইলে গিয়ে সাম্প্রতিককালে উনার লেখা পোষ্টগুলো দেখতে পারেন। এই বিষয়ে আপনার মতামত কি?
@পৃথিবী,
দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের তত্ত্ব অনুযায়ী বস্তু ভাব সৃষ্টি করে । অর্থ্যাৎ মানুষ রূপী বস্তু নিজ প্রয়োজনে “অস্তিত্বহীন সৃষ্টিকর্তা”কে নিজ কল্পনায় সৃষ্টি করে তার উপর বিশ্বাস স্থাপন করেছে । মানুষের এই বিশ্বাস ব্যক্তিগত । কমিউনিষ্টরা কারো ব্যক্তিগত বিষয় হস্তক্ষেপ করে না ।
একজন শিক্ষিত মধ্যবিত্ত যেখানে দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ না বুঝে কমিউনিষ্টদেরকে গালাগালি করে, সেখানে অশিক্ষিত একজন সাধারণ মানুষের বুঝা আশা করাটা বাতুলতা ।
অশিক্ষিত সাধারণ মানুষ ধর্মপ্রান, তারা ধর্মান্ধ নয় । ধর্মের প্রতি সাধারণ মানুষ কতখানি শ্রদ্ধাশীল তা জানতে হলে যোগেন্দ্রনাথ গুপ্তের “বিক্রামপুরের ইতিহাস” পড়তে হবে । বাংগালিরা মূলত ছিল বৌদ্ধ । পালদের পতনের পর চাবুক মেরে তাদেরকে হিন্দু বানানো হয়েছিল । কিন্তু তাদেরকে মন্দিরে প্রবেশের আধিকার থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছিল । মুসলমান রাজন্যদের ভারত দখলের পর ইসলাম ধর্ম যাজকদের আগমন ঘটে । এই সুফীদের বদৌলাতে বঙ্গের নিম্নজাতের হিন্দুরা ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে মসজিদে প্রবেশ আধিকার পায় ।
ধর্মপ্রান সাধারণ মানুষেরা নাস্তিকতাকে ঘৃণা করে । ফলে মৌলবাদীরা অতি সহজে তসলিমা নাসরিনকে দেশ থেকে বেড় করতে এবং হূমায়ন আজাদকে হত্যা করতে পেরেছে ।
কমিউনিষ্টরা সাধারণ মানূষের বিশ্বাসকে শ্রদ্ধা করে বিধায় বলে “যার যার ধর্ম তার তার, রাষ্ট্র সবার” । কমিউনিষ্টরা আরো মনে করে নাস্তিকতা প্রচার হলো শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেনীর ইয়ং গ্রুপের রোমাঞ্চাভিলাষ, যা ভাগ্যহীন মানুষকে ক্ষিপ্ত করে ।
@আ. হা. মহিউদ্দীন,
অধিক মুনাফাই বিল গেইটস এবং ওয়ারেন বাফেট তৈরী করেছে। মিলিয়ন লোকের চাকুরী হয়েছে। আপনি এবং দেশ ছেড়ে রাশিয়া না যেয়ে এই দুষ্ট আমেরিকাতে পাড়ি জমিয়েছি।
আপনার মধ্যে কি দ্বৈত চরিত্র দেখা যাচ্ছে না?
@ আকাশ মালিক,
আপনার এই পোসটে গতকাল (০৪,০৯,২০১০) দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা সম্পাদক কলামে
ড. এ কে এম আজহারুল ইসলামের একটি লেখা দিলাম। লেখাটি পড়ে আমার কাছে মনে হল আপনি এর সুন্দর জবাব দিতে পারবেন তাই দিলাম। এছারা অন্ন্য কিছু না
নগ্নতাশ্রয়ী আচরণ বনাম শালীন জীবনাচার
ড. এ কে এম আজহারুল ইসলাম
সূচনা : পশ্চিমা শহরগুলোতে রাস্তাঘাটসহ যত্রতত্র শর্ট স্কার্ট পরিহিতা নারী সহজেই নজরে পড়ে। প্রতিবেশী দেশ ভারতে ব্যাপক আকারে না হলেও এর নমুনার অভাব নেই। এসব সমাজে সব বয়সীদের মধ্যে সংক্ষিপ্ত পোশাক পরিধান জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সাময়িক বিনোদন কিংবা জীবনযাপন প্রণালী উভয় পর্যায়ে পশ্চিমা সমাজে নগ্নতাবাদী আচরণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ করা হয় যে, মানবদেহ নিয়ে মুসলমানরা অতিমাত্রায় সংবেদনশীল। ফলে শরীর আচ্ছাদনকারী পোশাক-পরিচ্ছদের ব্যাপারে ইসলাম মুসলিম নারীদের কঠোর নিয়ন্ত্রণে রাখে। কিন্তু সাম্প্রতিককালে যে মাত্রায় ইভটিজিংসহ যৌন হয়রানি হচ্ছে তাতে একথা প্রমাণিত হয়েছে যে, ধর্মনিরপেক্ষ জীবনের মায়াবী স্বাধীনতার বিপরীতে শালীন পোশাকের প্রয়োজনীয়তা বা ইসলামী জীবনাচার অনস্বীকার্য।
ইসলামের অনুসারী মুসলমানরা তাদের সংস্কৃতিতে পশ্চিমা প্রভাবকে কখনও স্বাগত জানায়নি। ফলে ইসলাম পশ্চিমাদের নির্ভেজাল শত্রুতে পরিণত হয়। ১৯৮৯ সালে সোভিয়েত সাম্রাজ্য এবং বার্লিন দেয়ালের পতনের পর এই বিদ্বেষ তীব্রতর হয়। পুঁজিবাদি বিশ্ব অপ্রতিদ্বন্দ্বী বিশ্ব-শাসকে পরিণত হয়। এরপর ৯/১১ ঘটনার পর থেকে পশ্চিমে ইসলামের বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে কুত্সা চালানো হচ্ছে। সেখানে ইসলাম সম্পর্কে একটি ভ্রান্ত ধারণা প্রতিষ্ঠিত আছে, কারণ দুর্ভাগ্যজনকভাবে সাধারণ জনগণ প্রকৃত বিষয় সম্পর্কে অবহিত নয়। ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং টেলিভিশনে প্রচারিত তথ্য-উপাত্তকে তারা পুরোপুরি সঠিক বলে গ্রহণ করে। সাধারণত, সেখানে ইসলামকে ‘অন্য’ ধর্ম তথা মিথ্যা ও মেকি ধর্ম হিসেবে উপস্থাপন করা হয় যা তাদের ভাষায় গোঁড়া ও হুমকিস্বরূপ। ইসলামের প্রকৃত শিক্ষাগুলো কদাচিত্ অবিকৃতভাবে উপস্থাপিত হয়। আমাদের দেশেও ইসলামবিরোধী শক্তি ও কিছু রাজনৈতিক দল এ ধরনের কুপ্রচেষ্টার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।
বিকিনি বিপ্লব : জনসম্মুখে শরীরের কোন কোন অংশ উন্মুক্ত থাকবে সে ব্যাপারে পশ্চিমের ব্যক্তিগত ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিতে ব্যাপক মতপার্থক্য রয়েছে। সেখানে নারীর প্রদর্শন যোগ্য অঙ্গাদি কী হবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা নারী নিজে নয় বরং নির্লজ্জ পুরুষ অথবা তাদের প্রতিভূ তথাকথিত নারীবাদীরা স্থির করে থাকে। ইসলামে নারী-পুরুষ সবাইকে শালীন পোশাক পরিধান করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং শুধু নারী কিংবা শুধু পুরুষের উপস্থিতিতেও নারী-পুরুষ কেউ নগ্ন হতে পারবে না।
বিদেশিদের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দেশি কিছু ব্যক্তির ভ্রান্ত চিন্তাসত্ত্বেও পৃথিবীর বিরাট জনগোষ্ঠী মনে করে মায়াবী ও জাঁকজমকপূর্ণ বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতা মূলত, একটি অন্ত:সারশূন্য আয়োজন। কারণ, বাইরের রূপ দেখে কোনো কিছুরই বিচার করা চলে না। বলা হয়ে থাকে সামাদজাই নাম্নী এক আফগান বালিকা ১৯৯৬ সালে স্বদেশ থেকে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের দেশে পালিয়ে যায়। তারপর সে বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় আফগানিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করে এবং ২০০৪ সালে প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো ‘বিউটি ফর এ কজ’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত হয়। বিবিধ সামাজিক, ব্যক্তিগত ও ধর্মীয় প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে নারী অধিকার রক্ষার প্রতিভূ হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার জন্য এবং সমকালীন বিশ্বের ‘নারী সম্প্রদায়ের নবলব্ধ আত্মবিশ্বাস, সাহস ও চেতনার ধারক’ হওয়ার কারণে সামাদজাই সুইমস্যুটসহ প্রতিযোগিতার প্রত্যেকটি পর্বে বিচারকদের চমত্কৃত করতে সক্ষম হয়। সমগ্র বিশ্বের সম্মুখে নিজ বস্ত্র উন্মোচন করাই যেন মুক্তি ও স্বাধীনতার সমার্থক হিসেবে পরিগণিত হয়েছে।
যদি সাহস, সহিষ্ণুতা, চেতনা কিংবা শিক্ষাগত অর্জন বিবেচনায় পুরস্কৃত করা হতো তাহলে মিস আফগানিস্তানকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের প্রতিযোগীদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ততম পোশাকে প্যারেডে অংশগ্রহণ করতে হতো না। নগ্নতার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী রমণীরা ‘মুক্ত’ হওয়ার পরিবর্তে নিজেদের ভোগযোগ্য সামগ্রীতে পরিণত করছে।
বিকিনিও ছুড়ে ফেলার নগ্নতা : পশ্চিমা সমাজে বিশেষ করে আমেরিকায় নগ্নতাবাদী আচরণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় কেউ কেউ মনে করে অবকাশ যাপন কেন্দ্রগুলোতে বিকিনি পরা পুরাতন রীতি—এখন তা পরা অনাবশ্যক। ‘ওয়ার্ল্ড গাইড টু ন্যুড বীচেস অ্যান্ড রিসোর্ট’ গ্রন্থের লেখক এবং ২৫ হাজার সদস্যবিশিষ্ট নগ্নতাবাদী সোসাইটি’র সভাপতি লি ব্যাক্সানডল বলেন, মায়ামীর ‘হলওভার কাউন্টি বিচ’ এবং ক্যালিফোর্নিয়ার পাম স্প্রিং-এর ‘ডেজার্ট শ্যাডোজ ইন’ এ ব্যাপারে সাফল্যের চমত্কার উদাহরণ। শেষোক্ত নগ্ন অবকাশ কেন্দ্র উন্নয়নে সিটি কর্তৃপক্ষ উত্সাহ যুগিয়েছে।
পশ্চিমা বিশ্বে আজকাল নগ্নতাবাদীদের পক্ষে কিছু গোষ্ঠী ওকালতি করছে। এমন একটি গোষ্ঠীর সদস্য হচ্ছে হেরাল্ড প্রাইম ফারিনগার। তিনি নারী অধিকার সম্পর্কে প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণাগুলো অপনোদনের জন্য দৃঢ়ভাবে নগ্নতাকে সমর্থন করেন। তিনি লিখেছেন, ‘পুরুষরা নিজেদের সুবিধামত বক্ষ উন্মোচন করতে পারে অথচ নারীরা সে সুযোগ পায় না। … জনসমক্ষে নারীদের তাদের বক্ষ ঢেকে রাখতে হয়। এটা হচ্ছে নারী-পুরুষের মধ্যে এক বিরাট বৈষম্য। এসব বিধান আরোপ করে নারীদের মর্যাদাকে খাটো করা হচ্ছে। … শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে পুরুষরা নারীদের ব্যাপারে এসব দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিষ্ঠিত করে আসছে।’ নারীদের সংজ্ঞায়িত ও চিহ্নিত করার কৌশল হিসেবে পুরুষরা নারীদের বক্ষ উন্মোচন রহিত করার আইন জারি করে আসছে। এসব পুরুষালি আইন নারীদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকের মর্যাদায় অবনত করেছে। সুতরাং একজন ‘মুক্ত’ নারী হাত ও মুখের মতো তার বক্ষ ও নিতম্ব উন্মুক্ত রাখতে পারে—আর এটিই স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক।
৫০ বছর আগে জাপানে সাঁতারের পোশাক পরে সাঁতরানোকে অশ্লীল বিবেচনা করা হতো। কিন্তু এখন বিকিনি পরিধান করাই নিয়মে পরিণত হয়েছে। সেখানে এখনো কারো খোলা বুকে সাঁতার কাটাকে নির্লজ্জ ঘটনা বিবেচনা করা হয়। কিন্তু ফ্রান্সের দক্ষিণ উপকূলে টপলেস (নগ্ন বক্ষ) অবস্থায় সাঁতরানোই নিয়ম। আমেরিকার কিছু সমুদ্র বিচে ন্যুডিস্টরা জন্মদিনের অবস্থায় শুয়ে থাকে। জার্মানিতে অফিস কর্মীরা লাঞ্চ করার সময় নিকটস্থ পার্কগুলোতে বস্ত্র উন্মোচন করে ফেলে এবং একঘণ্টার জন্য সূর্যালোকে অবকাশ যাপন করে। ইউরোপের সব দেশেই এ দৃশ্য অতি সাধারণ ঘটনা।
আমেরিকায় প্রায় ১০০টির মতো ব্যক্তিগত নগ্ন অবকাশ কেন্দ্র রয়েছে। ওয়াশিংটন স্টেটে নগ্নতাবাদীরা ইনডোর সুইমিং পুল ভাড়া করে সপরিবারে বস্ত্রহীন অবকাশ যাপন করে। টেক্সাস ও ফ্লোরিডায় ন্যুডিস্টরা স্কেটিং করার সুযোগ পায়। ন্যুডিস্ট সোসাইটি এবং আমেরিকা অ্যাসোসিয়েশন ফর ন্যুড রিক্রিয়েশনের সদস্য সংখ্যা প্রায় ৭৫ হাজার। কিন্তু বিপুলসংখ্যক মার্কিন নাগরিক নগ্নতাবাদী কোনো সংগঠনের সঙ্গে জড়িত নয়।
পশ্চিমা নৈতিকতার বিবর্তন : পশ্চিমা যৌন নৈতিকতার বিবর্তন সম্পর্কে আলোচনা এখানে অপ্রাসঙ্গিক হবে না। প্রতিটি পশ্চিমা জীবনাচার সঠিক বৈজ্ঞানিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত—এটি একটি কল্পকথা ছাড়া আর কিছুই নয়। পশ্চিমের এই নৈতিকতার বিবর্তনের পেছনে ধর্মীয় ও সামাজিক পটভূমি কোনো বিজ্ঞান-প্রযুুক্তিজাত বিষয় নয়; যদিও এটি ঠিক যে, জন্ম নিরোধকারী উপাদানের মতো কিছু বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি এই বিবর্তনের সহায়ক। আসলে খ্রিস্টান চার্চ কর্তৃক যৌন নৈতিকতা অবদমনের ফলেই পশ্চিমা যৌন নৈতিকতার বিবর্তন ঘটেছে। এই বিবর্তনের ফলে পশ্চিমা সমাজ একটি প্রান্তিক অবস্থা থেকে অন্য আরেকটি প্রান্তিক অবস্থায় পৌঁছেছে। অর্থাত্ চার্চ কর্তৃক আরোপিত কঠিন যৌন অবদমন থেকে সমাজে অবাধ যৌনতার উত্তরণ ঘটেছে। শক্তিশালী চার্চ ‘মানুষের স্বাভাবিক প্রাকৃতিক দাবিকে উপেক্ষা করে চির কৌমার্যের ধারণা প্রবর্তন করেছে। কিছু মানুষ চার্চের এই ধারণাকে গ্রহণ করে সন্ন্যাসব্রত পালন করেছে। কিছুদিনের জন্য এই পরিকল্পনাটি ভালো কাজ করেছে। কিন্তু প্রকৃতি তার প্রতিশোধ নিয়েছে। কিছুদিন পরই সন্ন্যাসীরা নিজেদের যিশুর প্রতিভূ হিসেবে দাবি করা শুরু করল এবং সন্ন্যাসিনীরা যিশুর স্ত্রী খেতাব পেল। সুতরাং এটি সহজবোধ্য যে মঠগুলো যৌন স্বাধীনতার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হলো।’
খ্রিস্টান চার্চ শেষাবধি রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে প্রভাব ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়। যৌন অবদমনের পরিণাম হিসেবে খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারীরা অবাধ যৌনতার পক্ষে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এতে খ্রিস্টানরা পৃথিবীর সবচেয়ে উদার ও যৌন-স্বাধীন জাতিতে পরিণত হয়। ফলে অন্য দেশ ও জাতির তুলনায় পশ্চিমে অবাধ যৌনতার ব্যাপকতর প্রভাবের কারণে পিতৃপরিচয়হীন সন্তান ও কুমারী মাতার সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি।
শালীন পোশাক বিধান ও পারিবারিক নৈতিকতা-ইসলামী জীবনাচার : ইসলামে মেয়েদের জন্য পোশাক বিধান এবং পরপুরুষ থেকে পৃথক থাকার শিক্ষা ও নির্দেশ সম্ভবত পশ্চিমা সমাজে সবচেয়ে বিভ্রান্তিকর ও অবোধ্য বিষয় হিসেবে বিবেচিত। বিনয়, চারিত্রিক শুদ্ধতা, নগ্নতা থেকে লজ্জা এবং অশালীনতা পরিহার ইত্যাদি হচ্ছে ইসলামী পোশাক বিধানের মূলনীতি। ‘‘নারী-পুরুষ সম্পূর্ণ পৃথক থাকলে, তাদের বিশেষ কোনো পোশাক বিধান মেনে চলার কিংবা চোখ নিয়ন্ত্রণ করে চলার আবশ্যকতা নেই। কিন্তু আল্লাহ্ নারী-পুরুষের নিরঙ্কুশ বিচ্ছিন্নতা নয় বরং ‘নিয়মানুবর্তী সহযোগিতার’ কথা বলেছেন। কোরআনে ‘নিয়মতান্ত্রিকতা’ অংশের উপর জোর দেয়া হয়েছে এবং হাদিস শরিফে বিপরীত লিঙ্গের কারোর ব্যাপারে চোখকে নিয়ন্ত্রিত করার তাগিদ দেয়া হয়েছে। এছাড়া শালীন পোশাক পরিধান এবং যথানিয়ম ব্যতিরেকে পারস্পরিক নিবিড় সান্নিধ্যও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’’ শুধু নারীর চুল ঢাকা নয় বরং তার যৌন সৌন্দর্য আড়াল করাও হিজাবের উদ্দেশ্য। এটি পরার কারণে মেয়েদের ওইসব বিষয় পুরুষদের দৃষ্টিগোচর হবে না, যেগুলো ধর্মনিরপেক্ষ সমাজে অনুমোদিত। ইসলামে ধর্মান্তরিত বিখ্যাত মার্কিন নাগরিক জার্মেইন জ্যাকসন পশ্চিমা নারীদের পোশাকের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘মার্কিন নারীরা এমন পোশাক পরিধান করে যে ছেলেরা তাদের উত্ত্যক্ত করার জন্য প্রলুব্ধ হয়। কিন্তু এ ধরনের ব্যাপার ইসলামী সমাজে চিন্তাই করা যায় না।’
হিজাব হচ্ছে আল্লাহর প্রতি আনুগত্য এবং বিশ্বাসের ঘোষণা। ইসলাম সম্পর্কে কোনো জ্ঞান না থাকলে কিংবা পশ্চিমা প্রচার মাধ্যম থেকে লব্ধজ্ঞান থেকে যে কোনো ব্যক্তি ইসলামকে নারী নির্যাতনকারী ধর্ম মনে করবে এবং তার কাছে হিজাব হচ্ছে এই নির্যাতনের প্রতীক। মুসলিম নারীদের এই তথাকথিত ‘নির্যাতন’ থেকে ‘মুক্তি’ দেয়াই গণমাধ্যম পণ্ডিত, ইসলামের পশ্চিমা বিশেষজ্ঞ এবং নারীবাদীদের লক্ষ্য।
ইসলাম সম্পর্কে যাদের খুব অল্প জ্ঞান কিংবা একেবারেই কোনো জ্ঞান নেই, তাদের উচিত পশ্চিমে বেড়ে ওঠা শিক্ষিত মুসলিম রমণীদের সঙ্গে কথা বলা। পশ্চিমে নারীদের মর্যাদা কী সে বিষয়ে তাদের প্রত্যক্ষ ধারণা থাকা উচিত। শত অপপ্রচার সত্ত্বেও এই রমণীরা ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে পড়াশোনা করে এর সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় নিয়ে পর্দার জীবন-যাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অগণিত আধুনিক শিক্ষিত তরুণী হিজাব-এর পক্ষে মতামত দিয়েছে। ইসলামে দীক্ষিত বিদেশি তরুণী নাকাতা খাওলা বলেন, ‘‘ক্যাথলিক যাজিকারা স্কার্ফ পরলে কারও আপত্তি নেই; কিন্তু মুসলিম রমণীরা হিজাব পরিধান করলে তা ‘সন্ত্রাস’ আর ‘নিগ্রহ’-এর প্রতীক হিসেবে তীব্র সমালোচনা করা হয়, এটা সত্যিই খুব বিস্ময়কর ব্যাপার।” তিনি আরও বলেন—“আমি একজন মেয়েকে তার বান্ধবীকে বলতে শুনেছি যে, সে ছিল একজন বৌদ্ধ যাজিকা। মুসলিম নারী এবং বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান যাজিকাদের মধ্যে কী সাদৃশ্য। আমি শর্টস পরিহিতা আমার বোনের পায়ের দিকে তাকিয়ে অস্বস্তিবোধ করলাম। ইসলাম গ্রহণের আগেও পাতলা কাপড়ের আঁটসাঁট পোশাক পরিহিতা মেয়েদের বক্ষ ও নিতম্ব দেখে আমি বিব্রতবোধ করতাম। আমার মনে হতো আমি যেন গোপনীয় কিছু দেখছি। এসব দৃশ্য যদি সমলিঙ্গের একজন মানুষকে বিব্রত করে তবে একজন পুরুষকে তা কতখানি প্রভাবিত করে তা সহজেই অনুমেয়।” যদি ইসলাম নারী নিগ্রহের ধর্ম হবে তবে কেন তথাকথিত ‘স্বাধীনতা’ ও ‘মুক্তির’ অবলম্বন ছেড়ে ইউরোপ, আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়াসহ সারা বিশ্বের উচ্চশিক্ষিত তরুণীরা ইসলাম গ্রহণ করছে? ১৯৯৪ সালের অক্টোবরে লস এঞ্জেলস-এর ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার এক ম্যাগাজিনে ক্যাথি চিন লিখিত একটি প্রবন্ধ “A Chinese Non-Muslim Woman Experiments with Hijab” বই আকারে প্রকাশিত হয়। বইটি প্রকাশকালে তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সাইকোবায়োলোজি অ্যান্ড উইমেন স্টাডিজ’-এর ছাত্রী ছিলেন। এই বইতে তিনি নারী হিসেবে তার তিক্ত অভিজ্ঞতা এবং মুসলিম পোশাক ‘হিজাব’ পরিধান শেষে তার অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন। তার পুরো বক্তব্যকে সংক্ষেপে নিম্নোক্তভাবে উল্লেখ করা যায় : “যেসব মানুষ নারীদের শুধু যৌন জীব মনে করে তারাই নারীদের প্রতি হয়রানি, ধর্ষণসহ বিবিধ সহিংসতা ঘটায় বলে আমি মনে করি। যৌন হয়রানি আমার আতংক নয় অভিজ্ঞতা। আমি উত্ত্যক্ত ও ধর্ষিতা হই। যেসব লোক আমাকে ধর্ষণ করেছে তারা আমাকে ক্রুদ্ধ ও হতাশ করেছে। আমি কীভাবে সহিংসতা বন্ধ করব? আমি কোনো বস্তু নই বরং একজন পূর্ণ সত্তার মানুষ—একথা আমি তাদের কীভাবে বোঝাব? সবাই যে জিনিস ভয় পায়, সেটার অভিজ্ঞতা হওয়ার পর আমি কীভাবে বাকি জীবন কাটাব? আমি সচেতনভাবে ‘হিজাব’ গ্রহণ করেছি, কারণ আমি পুরুষদের শ্রদ্ধা অর্জনের চেষ্টা করে আসছি। শুরুতে আমি এই পশ্চিমা ধারণা লালন করতাম যে স্কার্ফ পরিধান করা নিবর্তনমূলক বিষয়। কিন্তু ওই কঠিন অভিজ্ঞতার পর গভীর ভাবনা শেষে আমি এই বিশ্বাসে উপনীত হয়েছি যে হিজাব সম্পর্কিত পশ্চিমা দৃষ্টিভঙ্গি অগভীর ও ভ্রান্ত এবং সঠিকভাবে বুঝিয়ে বলতে পারলে হিজাব কোনোভাবেই নিপীড়ন বিশেষ নয়। যে দিন আমি প্রথম ‘হিজাব’ গ্রহণ করলাম সে দিনই আমি জীবনের সবচেয়ে বড় স্বাধীনতার অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম। আমি প্রথমবারের মতো অনুভব করলাম যে, আমার প্রতি অন্যদের আচরণ কেমন হবে, আমার পোশাকই তাদের সে নির্দেশ দিচ্ছে। আমার অভিজ্ঞতা এই যে আগে আমি বিজিত হতাম, আজ আমি নিজেই জয়ী। আমি আমার যৌনতাকে ঢেকেছি, নারীত্বকে নয়। যৌনতার অবগুণ্ঠন আমার নারীত্বকে মুক্তির স্বাদ এনে দিয়েছে।’’ পারিবারিক জীবনের সব দিক সম্পর্কে কোরআন ও হাদিসে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। পারিবারিক কাঠামো আলোচনায় কোরআন-হাদিসে বিয়ে, বিয়ে-বিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার, সুযোগ, অধিকার ও কর্তব্য, বৈবাহিক সম্পর্ক ইত্যাদি ইস্যু নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। পরিবার হচ্ছে সমাজের প্রধান প্রকোষ্ঠ এবং পরিবার কাঠামো পুরো সমাজ কাঠামোকে প্রভাবিত করে। সেজন্যই ইসলামে পরিবার রক্ষা ও যত্ন নেয়ার উপর অধিক জোর দেয়া হয়েছে। ইসলাম একই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ও ভিন্ন ভিন্ন পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সম্পর্কের নীতিমালা নির্ধারণ করে দিয়েছে। ইসলাম বিয়েকে একটি পুণ্যময় অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিবারের ভিত্তি মনে করে। স্বামী-স্ত্রীর প্রণয়পূর্ণ সম্পর্ক কীরূপ হবে এ বিষয়েও ইসলামের অনেক নির্দেশনা রয়েছে। ইসলামের দৃষ্টিতে বিয়ে নিছক অর্থনৈতিক বা জৈবিক প্রয়োজন মেটানোর পন্থা নয় বরং সুখ ও আনন্দময় জীবন-যাপনের অভিপ্রায়ে পারস্পরিক দায়িত্ব ও অধিকার রক্ষার এক পবিত্র প্রতিশ্রুতি। ইসলাম মানুষের জৈবিক চাহিদা তাড়িত জীবন অনুমোদন করে না। মানুষ যদি নিছক প্রবৃত্তি তাড়িত জীবনযাপন করে তা হবে পশুর জীবনের সদৃশ। মানবতার লক্ষ্য হচ্ছে আত্মোন্নয়ন। এই উন্নয়ন কখনোই ঘটবে না যদি কেউ বেপরোয়া রিপু-তাড়িত জীবনযাপন করে। সে জীবন বরং মানুষকে পশুত্বের পর্যায়ে নামিয়ে দেয়। ইসলাম তাই বলে অবদমন নীতিতে বিশ্বাস করে না এবং প্রবৃত্তির এই সাধারণ দাবিকে অবৈধও মনে করে না। এমনটি করা হলে শুদ্ধতা ও আত্মোন্নয়নের নামে মানুষের প্রাকৃতিক অনুভূতিকে দমিয়ে রাখা হবে। বিয়ে করার জন্য মুসলমান যুবকদের ব্যাপকভাবে উত্সাহিত করা হয়েছে। বিয়ের মাধ্যমে মানুষ প্রশান্তি লাভ করবে, আরও ভালো মুসলমান হবে এবং মুসলিমদের পরবর্তী প্রজন্ম সৃষ্টি হবে। ইসলাম নীতিগতভাবে মানুষের স্বাভাবিক প্রাকৃতিক দাবিসমূহ লালনের পক্ষে। তবে প্রবৃত্তির সেই দাবি পূরণে যেন কোনো সীমা লংঘন না হয় এবং এর দ্বারা কারও কোনো ক্ষতি না হয় সে বিষয়েও ইসলাম ভারসাম্যপূর্ণ থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
পারিবারিক জীবনে নৈতিকতার বন্ধন অটুট রাখার স্বার্থে ইসলামে ব্যভিচার কঠিনভাবে নিষেধ করা হয়েছে। ব্যভিচারকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করার ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি ইউরোপে ব্যাপকভাবে সমালোচিত। সেপ্টেম্বর ২০০৪ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও তুরস্ক এক বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। বিরোধের কারণ এই যে, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন মনে করে, তুরস্ক পার্লামেন্টে ব্যভিচারকে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করার বিধান গৃহীত হওয়ার ঘটনা ইউরোপীয় ইউনিয়নে তুরস্কের যোগ দেয়ার ক্ষেত্রে একটি অন্তরায় হিসেবে আবির্ভূত হবে।’ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার চেষ্টা এবং ব্যভিচারকে দণ্ডনীয়/ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করার মধ্যে যে কোনো একটিকে বেছে নেয়ার ভ্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করা মানব জাতির জন্য অবমাননাকর।
শেষ কথা : শেষ করার আগে অদ্যকার (নয়াদিগন্ত ২৬ আগস্ট ২০১০) দৈনিকে প্রকাশিত একটি খবর নজরে এলো। আর তা হচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত একটি প্রজ্ঞাপন। এ সম্পর্কে মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। প্রজ্ঞাপনের বিষয়বস্তু পত্রিকার ভাষায় নিম্নরূপ : শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বোরকা পরতে বাধ্য করা যাবে না। একই কারণে কোনো ছাত্রীকে নির্যাতন, হয়রানি ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও গ্রহণ না করার নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে বোরকা কিংবা ধর্মীয় পোশাক পরতে বাধ্য করা এবং ছাত্রীদের খেলাধুলা ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বাধা দেয়া অসদাচরণ হিসেবে গণ্য করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয় ওই পরিপত্রে। ২৫ আগস্ট শিক্ষা সচিব সৈয়দ আতাউর রহমান স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে এ কথা বলা হয়েছে। পরিপত্রে বলা হয়, সরকারি-বেসরকারি কোনো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ছাত্রীদের বোরকা পরতে বাধ্য করা হচ্ছে মর্মে সম্প্রতি কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ সরকারের দৃষ্টিগোচরে এসেছে। পরিপত্রে আরও বলা হয়, ছাত্রীদের সুশিক্ষা ও মেধা বিকাশের জন্য বোরকা পরতে বাধ্য করা এবং খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কাজকর্মে অংশগ্রহণে বাধা দেয়া কোনোক্রমেই কাম্য নয়। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ সংবিধানের ২৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মানবাধিকার সংরক্ষণের লক্ষ্যে এসব নির্দেশনা জারি করা হলো। এই নির্দেশ অমান্যের অভিযোগ পাওয়া গেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা অধিদফতর ও শিক্ষা বোর্ড তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে বোরকা পরতে বাধ্য করা যাবে না বলা হলেও যারা ধর্মীয় বিধান মান্য করে স্কার্ফ বা বোরকা পরিধান করতে চায় সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কোনো দিকনির্দেশনা নেই। এটি যথাযথ হয়নি। এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একশ্রেণীর শিক্ষক কর্তৃক মধ্যযুগীয় পোশাক পরিধানের জন্য নানান গঞ্জনাসহ ছাত্রীদের ক্লাসে আসতে বিভিন্ন সময়ে নিষেধ করা হয়েছিল, যা প্রতিবাদসহ বেশকিছু জাতীয় দৈনিকে এর আগে প্রকাশিত হয়েছে। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বলতে অসুবিধা হলে বাংলাদেশ সংবিধানের স্থিরিকৃত মানবাধিকার সংরক্ষণের লক্ষ্যে এসব কাজকেও অসদাচরণ এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচিত হবে নতুন পরিপত্র জারি করা। শালীন পোশাক পরিধানে বিমুখতার জন্ম দিলে ধীরে ধীরে প্রতিবেশী দেশ ভারতের মতো আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও ওড়নাবিহীন টাইট সালোয়ার-কামিজ বা গেঞ্জি পরিহিতা ছাত্রীদের পদচারণা বেড়ে যাওয়া বিচিত্র কিছু নয়।
লেখক : সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম
আমি লিঙ্কের ভিডিও গুলো দেখলাম। Ignore করার মত নয়। শঙ্কিত হওয়ার মতই অবস্থা। যথারীতি, একই পদ্ধতি “শান্তির ধর্ম” করতে করতেই ধীর গতিতে এগুচ্ছে। আমেরিকাতেও যদি শরীয়া আইন চালু হয়, যাবটা কোথায়?
মনে হচ্ছে আমি এবং আমার ছেলেমেয়েরা পার পেয়ে যাব। কিন্তু আমার নাতিপুতিদের হয়তো বা শরীয়া আইনেই বসবাস করতে হবে।
রামগড়ুড়ের ছানা,
আপনে মনে হয় এই মহিউদ্দিন সাবেরে চিনবার পারেন নাই। উনি পুরান পাপী। যখন ভিন্নমত, সদালাম আর মুক্তমনা ব্লগ ছাইট আছিল না, তখন এই মহীউদ্দিন সেতারা হাশেম নাম নিয়া বহুত কুকীর্তি কর্চে। মুক্তমনার মোডারেটর গো কুত্তা বইলা গালি দিতেন, আর সদালাপের জীয়াউদ্দিন সাবের পা চাটতেন ওইখানে। পরে একদিন ধরা পইরা গিয়া সেতারা হাশেম নাম বাদ দিছেন। এইগুলা মুক্তমনার অনেকেই জানেন। হয়ত তারা এইগুলা নিয়া ভদ্রতা কইরা কথা বলেন না। আপনে মুক্তমনার পুরানা মেম্বার গো জিগায় দেহেন আমি হাসা কইতাছি নাকি। উনি এইকানে আইছেন এক মিশন লইয়া। কমি রাজ্য কায়েম কর্বেন। দেকেন উনি সব্ব পুস্টে গিয়াই অযথা জ্ঞান বিতারণ করতাছেন। এমনকি অভিজিৎদার পোস্টে গিয়াও আবোল তাবোল কথা কইয়া আইচে। আরেকবার দেখিছি আল্লাচালাইনা আর অসীম সাবের পুস্টে গিয়া কইছে মানুষের ব্রেন লইয়া লেখনের দরকার নাই – এতে নাকি দ্যাশের কৃষক শ্রমিকগো কুন উন্নতি অয় না। দেখেন কান্ড। লোকজন কষ্ট কইরা লেখা লিখব, আর তারপরে এই কমি পাগলার গাইল খাইব। অসীম সাবে ব্রেন নিয়া লিখা লিখলে সমিস্যা, কিন্তুক, মুক্ত-মনায় দিন রাত পইড়া তাইকা অবুল মার্কা মন্তব্য করলে দেশের কৃষক শ্রমিক গো কি উন্নতি অয় সেইটা আপনি মহীউদ্দিন সাহেবেরে একটু জিগাইবেন নাকি?
আমি বদ্রলোকের সাথে ভদ্র তাকম, কিন্তুক …
@রবিন হুড,
ঠিক না। ভাষার প্রতি যত্ন থাকা ভাল। আপনি কিছু মনে নিবেন না। রামগড়ুড়ের ছানা ঠিক বলেছেন।
@নৃপেন দা,
আমিও একমত।
আরজ আলী মাতুব্বরেরে ‘উপদেশ’ নামক কবিতা থেকে দুটি লাইন তুলে দিচ্ছি:
হাতে, মুখে, কাজে যেন থাকে এক যোগ।
সহসা না হয় যেন ‘কটুভাষী’ রোগ।
@রবিন হুড,
মুক্তমনার অনেকেই উনাকে চেনেন, এবং ভালভাবেই চেনেন, বিশেষ করে যারা আপনার উল্লেখিত ওয়েব-সাইটগুলোর সাথে গোড়া থেকে পরিচিত। তবে সময় বদলেছে, ব্লগ বদলেছে, আমাদের চিন্তা ধারণা বদলেছে, বদলেছে এই পৃথিবী। আপনি জানেন মুক্তমনা অনেক দিক থেকেই, বিশেষ করে ভাষা ব্যবহারে অন্যান্য ব্লগ থেকে কিছুটা ব্যতিক্রমধর্মী। পরিস্থিতির শিকার হয়ে যদিও আমরা অনেকেই মাঝেমাঝে আবেগ ক্রোধের বশবর্তি হই, তারপরও ব্লগের পরিবেশ সুস্থ সুন্দর রাখতে আমরা চেষ্টা করবো সকলে সকলের প্রতি শালীন, ভদ্র ভাষা ব্যবহার করার। আপনার মন্তব্য পড়ে বারবার মনে হচ্ছে কথার সুরটা যেন আমার পরিচিত। যাক, অনুমান করছি আপনি ভাল লিখতে পারে, একটি লেখা আমাদেরকে উপহার দিন।
@আকাশ মালিক,
বছর পাঁচেক আগে মুক্তমনার সেই আদিযুগে সেতারা হাশেমের লোকজনকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করার প্রবনতা এবং অশ্লীল গালিগালাজ দেওয়ার ঝোঁক দেখে একটা লেখা লিখেছিলাম ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং অশালীনতা প্রসঙ্গে নামে।
জাফর উল্লাহ সাহেবেরও একটা লেখা আছে সেতারা হাশেমকে নিয়ে, যেটা আমার ওই লেখার প্রতিক্রিয়ায় লেখা হয়েছিল। ওটাতে সেতারা হাশেমের সব কুকীর্তির লিংক টিংক দেওয়া আছে। সেটা পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
@ফরিদ আহমেদ,
ধন্যবাদ ফরিদ ভাই। আমরা যারা মুক্তমনার নতুন পাঠক তাদের জন্য এই লিংকগুলো খুবই সহায়ক হবে আ. হা. মহিউদ্দিন নামধারী এই সেতারা হাশেমের আসল চেহারা বুঝতে। ধন্যবাদ মহিউদ্দিনের মুখোশ উন্মোচন করে দেয়ার জন্য।
@ফরিদ আহমেদ, এই আঃ হঃ মহিউদ্দিনের ব্যাপার স্যাপার কিন্তু খুবই হাস্যকর। কয়দিন আগে দেখলাম উনি বিভিন্ন আইপি নিয়ে মন্তব্য শুরু করলেন, আজকে আপনার লিঙ্কগুলো পড়ে বুঝলাম উনি বহুদিন ধরেই এসব দুই নম্বরি কাজ করে আসছেন। উনি নিজে আমেরিকায় বসে বসে দেশের কৃষক শ্রমিক উদ্ধার করেন, আমেরিকাকে গালি দেন, আর মুক্তমনায় এসে মাঝে মাঝে বিজ্ঞের মত দুই চারটা সমালোচনামূলক কথা বলে যান!!!! ধরা পড়লেই ডুব মারেন, তারপর আবার দুদিন পরে স্বমূর্তিতে ফেরত আসেন! এ তো এক দেখি বিশ্ব বেহায়া। মুক্তমনা বলে ওনাকে ছেড়ে দেওয়া হয়, সচলায়তন, আমার ব্লগ, সামু বা অন্য কোন বাংলা ব্লগসাইট হলে এতক্ষণে মনে হয় বারোটা বাজিয়ে দেওয়া হত, মুক্তমনাদের সহ্যশক্তি দেখে মাঝে মাঝে মুগ্ধ হয়ে যাই।
@রবিন হুড, আসলেই ভাষায় ভদ্রতা আশা করি। ডিফেন্ড করতে চাইলে ভদ্র ভাষায়ও করা যায়। সুব্দর ভাষা ব্যাবহার করলে যুক্তির ধার কমে যায় না। আর আমরা এইখানে যুক্তির বাইরে গিয়ে অন্ধবিশ্বাসীর মত কিছু প্রমাণ করতে চাই না, সে আপনিও জানেন।
আ. হা. মহিউদ্দীন,
আপ্নে তো ইসলামি সন্ত্রাসবাদ সহ সব কিছুতেই খালি মার্কিন ষড়যন্ত্র খুইজ্যা পাইতাছেন দেহি। আচলে আপনের সিন্ড্রোমগুলা হইল এইরকমের –
১ > সকালে ঘুম থেকে উঠে পেট ক্লিয়ার না হওয়া : ইঙ্গ-মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্ত ।
২ > রাস্তায় হাঁটতে গেলে ভুল করে ড্রেনের পানিতে পা দিয়ে দেওয়া : সিআইএ মোসাদের ষড়যন্ত্র ।
৩ > বউএর জাঙ্গিয়া ময়লা : স্থানীয় জাঙ্গিয়া শিল্পের বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদী কর্পোরেট বেনিয়াদের আক্রমণ ।
৪> ইরানে শরিয়া মোতাবেক পাথর মারা অইতেছে – নিশ্চই বুশ বা ওবামার চাল।
৫>আপনে ধ্বজভঙ্গ রোগে আক্রান্ত – আমেরিকার ওষুধ শিল্পই এর জন্যি দায়ী…
আইচ্ছা আপ্নারে দুইটা প্রশ্ন করি।
১) আপনে যে সেতারা হাসেম সাইজ্জ্যা সদালাপে গিয়া মুক্তমনা গো ইচ্চামত জাইত তুইল্যা গালিগালাজ কইরতেন, সেইটা কি মার্কিন নীতির ফল আচিল?
২) দুই দিন আগে যে বোকা মেয়ের পোস্টে গিইয়া ‘চালাক মাইয়া’ নাম নিয়া বীৎলামি শুরু করলেন, সেইটাই বা কোন মার্কিন নীতির কুফল আচিল?
আরেকটা এডেড কুইচ্চেন করি –
আপ্নের মার্কিন দেশটা এত অপচন্দের, মাগার মার্কিন দেশেই পইড়া থাহেন কিয়ের লোভে? নুনও খাইবেন, আবার গাইলও দিবেন, এইডা খেমুন কতা, সিতারা আফা?
উপরের মন্তব্যের ধরণ একদম পছন্দ হলোনা। আরো ভালো ভাষায় কথাগুলো বলা যেত।
সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন যতদিন বন্ধ হবে না। আপনার উত্তরো ততদিন পাওয়া কষ্ট হবে। আর নারীদের ব্যাপারে কি বলব ভাই? ধর্মীয় আইনের নামে যা চলছে তা তো বলে লাভ নেই।সাধারণ মানুষ যেদিন বুঝবে কোরান আলাহ এর বাণী নয় মানুষের লেখা সেদিনই একটা আমুল পরিবর্তন হবে। :-Y
আকাশ মালিকের কাছে উত্থাপিত প্রশ্নের উত্তরের পরিবর্তে আমার লেখার উপর মালিকসহ বিভিন্ন মন্তব্যকারী যে বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন তা পড়ে বাংলা পুথী সাহিত্যের নিম্নে উদ্ধৃত অবাস্তব পন্থিগুলোর কথাই মনে হয়েছে ।
(১) ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাটিয়া চলিল/কিছুদূর গিয়া মর্দ রওয়ানা হইল; (২) লাক্ষে লাক্ষে সৈন্য মরে কাতারে কাতার/ শুমার করিয়া দেখি চল্লিশ হাজার ।
@তানভী,
যে বক্তব্য আপনার কাছে হাস্যকর মনে হয়েছে, তা দর্শনশাস্ত্র থেকে উদ্ধৃত । উক্ত শাস্ত্রে আপনার জ্ঞানের বহর দেখে হাসবো না কাদবো বুঝতে পারছি না । 🙂 😥
@যাযাবর,
ইসলামের আহবান প্রত্যাখ্যান করায় মোহাম্মদ কত আক্রমণ ও হত্যা চালিয়েছেন ইতিহাসই তার সাক্ষ্য দেয়।
উক্ত ইতিহাস বইটির নাম উল্লেখ করবেন কি? ইতিহাসের উপাদান হলো সংশ্লিষ্ট সময়ের সংশ্লিষ্ট দেশের পরিবেশ, আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা ও সংশ্লিষ্ট মানুষের আচরণ । ইতিহাস অতীত বর্ণনার বিষয় নয় । ইতিহাস হলো চলমান প্রক্রিয়া, গতি পথ সরলরৈখিক নয়, আকাবাকা । ইতিহাসের গতিপথের বাধা সংশ্লিষ্ট সময়ের সংশ্লিষ্ট মানুষ কর্তৃক অপসারিত হয় ।
ইতিহাসে মুহাম্মদ সম্পর্কে নিম্ন মন্তব্য পড়ুন । The Doubleday Pictorial Library of World History Civilization from Its Beginnings, পৃষ্ঠা ১০০ থেকে উদ্ধৃত, In A.D. 600 Arabia was a land torn by warring tribes. Less than a century later, members of these tribes united to rule a mighty Arab Empire. One man –Mohammed—made these changes possible; and he did so by means of a new religion: Islam.
To see how this happened, we should first look at Arabia itself—a giant oblong as big as Western Europe. Much of Arabia is desert and barren rock, parched by a scorching sun. Only the mountainous south has enough rain to make the valleys fertile.
As a result of this contrast between North and South, the Semitic Arabs early on built up two patterns of life. Northerners were forced to live as small nomad tribes, always moving in search of pasture for their sheep and goats. Southerners settled in fertile valleys where they farmed, built towns and traded. The two groups spoke different forms of Arabic, and worshiped different groups of gods. Southern kings inherited their power; Northern sheikhs (elders) ruled by tribal consent.
So Arabia’s two halves lacked unity. And in each half the people were divided—in North as separate and often warring nomad tribes, in South as the scattered inhabitants of an ancient kingdom.
Into this divided land burst a new force: a religious message destined to reshape the lives of Arabs everywhere. The man who brought this message was a preacher called Mohammed.
কোরানে ঘৃনামূলক আয়াত থাকা সত্ত্বেও ইতিহাসে মুহাম্মদের মূল্যায়ন দেখলেন । ইসলাম পূর্ব নারীদের অবস্থা আরো জঘন্য ছিল । নারী মুক্তির কথা কমিউনিষ্টরাই প্রথম উত্থাপন করে । প্রথম আন্তর্জাতিকের ঘোষণাপত্র “কমিউনিষ্ট ম্যানুফেষ্ট” দেখুন । প্যালেষ্টাইন-ইসরাইল সমস্যা ১৯৪৮ সালে বৃটিশ ও মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ কর্তৃক সৃষ্ট । সোভিয়েতের সাথে ঠান্ডা লড়াইয়ের সময় কমিউনিষ্ট দমনের জন্য ইসলামী জঙ্গী সৃষ্টি । সোভিয়েত পতনে ইসলামী জঙ্গীদের প্রয়োজনীয়তা শেষ হলে অর্থ সরবরাহ বন্ধে অর্থের উৎসের উপর তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে, যার প্রতিক্রিয়া আমরা বর্তমানে দেখছি । ধর্ম নিরাপেক্ষ আর ধর্ম পক্ষ হত্যার মধ্যে কোন পার্থক্য আছে বলে মনে হয় না । কারণ সকল হত্যা হত্যাই । রোগের উৎসে না গিয়ে উপসর্গ দেখে যারা ব্যবস্থাপত্র দেয় তাদের জন্য করুণা হয় ।
@আকাশ মালিক,
ইতিহাস কোন প্রচারপত্র বা ভিডিও ও অডিও প্রোপাগান্ডা অথবা বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা নয় । ইতিহাস বিজ্ঞান সম্মত মানব জ্ঞানের একটি শাখা । প্রচারপত্র পড়ে, ভিডিও দেখে, অডিও শুনে এবং বিচ্ছিন্ন ঘটনা অবলোকন করে আপনি ফিট হয়ে যান । ঘটনার গভীরে প্রবেশ করে মূল কারন উদ্ঘাটনে আপানার অনীহা । ফলে আমার কাছে আপনি ইসলামী জঙ্গীবাদ মুদ্রার অপর পিঠ হয়ে যান ।
শরিয়া আইন নয় বাংলাদেশ পরিচালিত হয় মানব রচিত সংবিধানের মাধ্যমে । ফতোয়া আইন দ্বারা নিষিদ্ধ । যেমন চুরি করা আইন দ্বারা নিষিদ্ধ । কিন্তু চুরি হয় এবং সাজাও হয় । নূরজাহানের বিচ্ছিন্ন ঘটনা অবলোকন করেই আপনি গদা ঘুরাতে লাগলেন এবং ইসলাম ও মুসলমানদের চৌদ্দ পুরুষ উদ্ধার করতে লাগলেন । কিন্তু নূরজাহানের শাস্তির মাধ্যমে কোন ব্যক্তির স্বার্থ উদ্ধার হলো তা খোঁজ করলেন না ।
বাংলায় একটা প্রবাদ আছে “স্থান, কাল ও পাত্র ভেদে কথা বলো” । দর্শনশাস্ত্রে এই কথাকে বলে সব কিছু স্থান, কাল ও শর্ত নির্ভরশীল । অতএব শরিয়া আইন বর্তমান কালে বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য নয় । কারন আমরা একটা মুক্তিযুদ্ধ করে এসেছি এবং অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সংগ্রাম করছি । পোষাকশিল্পের নারী শ্রমিকদের সংগ্রামের প্রতি দৃষ্টি রাখুন ।
@রাসেল,
ছোট বেলায় নিশ্চয়ই বাইস্কোপ দেখেছেন এবং আর একবার দেখার জন্য আমার মতো মায়ের পয়সা চুরি করেছেন । সমাজটা হলো অনুরূপ একটি বাইস্কোপ, তবে দেখতে পয়সা লাগে না । সব রোশন কোয়ার গোড়া যেমন এক, তেমনি সমাজের বিচিত্র এই ঘটনাগুলির মূল কারন এক । বিষয়টি হলো শ্রেনী সংগ্রাম ।
@সাইফুল ইসলাম,
ভাইছাব মোগো আল্লাহ হইলো হিন্দু-মুসলিম-খৃষ্টান-বৌদ্ধ –আদিবাসী জনতা । এই আল্লাহগো বিরুদ্দে কথা কইলে রক্ত টকবক কররা ওডে । তহন উস থাহেনা । গারমেন্টসের মাইয়া আল্লাহরা ও গ্রামের ক্ষেত মজুর আল্লাহরা ভদ্দলোকদের চালচলন দ্যাইক্ষা ক্ষাইপ্পা ওটতেছে । যেকোন সময় একাত্তুরের মতো অবস্থা অইয়া যাইতে পারে । একাত্তুর সনে তলোয়ার লাগে নাই, এবারও লাগবে না । অতেব আপনাকে কষ্ট করতে ওইবে না ।
@আ. হা. মহিউদ্দীন,
জি ভাই ধর্ষণশাস্ত্র আমাদিগের তুলনায় ভালোই বুঝেন, তাহা আর বলিতে!! আপনি দর্শন কে ধর্ষণ করিয়া আমাদের নিকট প্রদর্শন করিলে আমাদের কিছুই করার নাই।
:-Y
কোন ইছলামি ধার্ষণিক অমনতর ধর্ষণ রচনা করিয়াচ্চেন তাহা জানাইয়া বাধিত করিবেন!! আমরা তাহা জানিয়া নিজেদের ধইন্য মনে করিব!!
@আ. হা. মহিউদ্দীন,
নাস্তিক তবে মৌলবাদী নই। যেই মুহুর্তে আল্লাহর একটুখানি লেঙ্গুর (লেজুড়) আকাশে দেখা যাবে, সাথে সাথে আস্তিক হয়ে যাবো। এতদিন ইসলামের সাথে থাকলেন, তাদেরকে দেখলেন, তর্ক করলেন তারা আপনার কী মুল্যায়ণ করলো? যেই মুহুর্তে আপনি বললেন- সুন্দরী সায়েরা নবী ইব্রাহিমের আপন বোন, তারা আপনাকে জীবন্ত গিলে ফেলতে চাইলো। ইসলামের নামে আপনি নিজে যদি আতঙ্কগ্রস্থ না হতেন, নাম বদলাবেন কেন, ছদ্ম নামে লিখবেন কেন দাদা? আমরা তো বাধ্য হয়ে ছদ্মনাম ব্যবহার করি, কারণ নিজের চোখে দেখেছি আপনাদের পোষ্য জিহাদীদের গলা কাটার দৃশ্য। আমি আপনাকে শ্রদ্ধা করি, এভাবে কথাগুলো বলার ইচ্ছে ছিলনা, কিন্তু আপনি নিজেই বারবার তর্কটা ব্যক্তি পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছেন কেন বুঝলাম না। আমি শুধু প্রশ্ন রেখেছি, এত খুন, এত রক্ত, অবিচার-অনাচার, নির্যাতনের উৎস কোথায়। ধর্মে বা আল্লায় বিশ্বাস রেখেও আজকাল অনেক বিশ্বাসী ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত বিধি-নিষেধ প্রত্যাখ্যান করেন, ধর্মগ্রন্থে উল্লেখিত সাম্প্রদায়ীক বর্ণবাদী বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেন, অথচ আপনি এখনও সেই একই সুরের পুরনো রেকর্ডটাই বাজিয়ে যাচ্ছেন। আমিতো খুব সংক্ষেপে বদর থেকে কারবালা পর্যন্ত কিছু ঘটনার প্রতি আপনার সৃষ্টি আকর্ষণ করলাম, ঠিক একজন অন্ধবিশ্বাসীর মত আপনি সেদিকে তাকাতেই রাজি নয়। আমরা যদি শরিয়া আইনের কুফল, ইসলামের ঐতিহাসিক সত্য ঘটনাগুলো প্রকাশ না করি তাহলে লাভটা কী হবে?
আচ্ছা কাল ঘুম থেকে জেগে উঠে আমরা যদি জানতে পারি যে, আমেরিকা নামক দেশটি পৃথিবীর মানচিত্র থেকে বিলীন হয়ে গেছে, মুসলমানরা কি তাদের নিজের মাথায় নিজে বোমা নিক্ষেপ করা বন্ধ করে দিবে? আর কি নুরজাহানদেরকে মাটিতে পোতা হবেনা? আর কি আযাদ, আরিফ, দাউদ হায়দার, তসলিমাদের কল্লার দাম কেউ ধরবেনা? আমরা ধর্মগ্রন্থে বর্ণীত অবৈজ্ঞানিক, অমানবিক, মানুষের জন্যে অকল্যাণকর দিকগুলো তুলে ধরি,
ইসলামের সমালোচনা করি মুসলমানদের স্বার্থেই, কারণ আমরাও সেই আপনার কথিত ৮৫% মানুষের সমাজের অন্তর্ভুক্ত। কোরানের সমালোচনা করার নাম মুসলমানকে ঘৃণা করা নয়।
পৃথিবী গোল, সে সূর্যের চারিদিকে ঘোরে এই কথা বললে কারো ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত লাঘতে পারে বলে কি সত্যকে চিরদিন লুকিয়ে রাখবেন?
@আ. হা. মহিউদ্দীন,
মনের মাঝে যাহা আসে সবই কি আলো?
হিসাব করে কথা বলা তার চেয়ে ভালো।
@আ. হা. মহিউদ্দীন,
ইসলামের ইতিহাসের এই জ্ঞান নিয়ে আপনি আবার ইসলামকে ডিফেন্ড করেন? ইবনে ইশাকের সিরাতে রসুলএর নাম শুনেছেন? এই সিরাতই নবীর জীবনের প্রচীনতম ও একমাত্র সুত্র। ইবনে ইসাক একজন সাচ্চা মুসলমানও ছিলেন।
:lotpot:
ইতিহাস তো অতীত বর্ণনার বিষয় নয় বললেন। মুহম্মদ তো অতীত। ও, যে অতীতের বর্ণনা নিজের পছন্দসই, যেটা কাজে আসে সেটা ইতিহাস। বুঝলাম। আরে একটা কথা। মুহম্মদকে জানার জন্য নসরা ও পুঁজিবাদী পশ্চিমাদের বই বেছে নিলেন কেন? ইসাকের সিরাত থাকতে? আর ঐ বইতে তো নতুন কি বলছে?। মুহম্মদ কিছু বেদুইন গোষ্ঠিকে ঐক্যবদ্ধ করে ইসলামের ঝান্ডার অধীনে এনেছিলেন সেটা কি ঐ বই পড়ে জানতে হবে? আর ঐক্যবদ্ধ করে কি করলেন তিনি? ইসলামী সাম্রাজ্যবাদ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই ত সেই ঐক্যবদ্ধকরণ। সেই লক্ষ্যে যে আক্রমণ, যুদ্ধু তিনি চালিয়েছিলান তার ফলে কত নারী বিধবা (গণিমতের মাল), কত শিশু এতিম হয়েছিল তার হিসাব কে রাখে? বরং আমি বলব ঐ সময় যদি তিনি তাদের ঐক্যবদ্ধ না করতেন, ও ইসলামের প্রতিষ্ঠা না করতেন, তাহলে আজ পৃথিবীটা অনেক ভাল হত, ইসলামী সন্ত্রাসের হাত থেকে রেহাই পেত। আর ঐ বিবদমান বিভক্ত বেদুইন সম্প্রদায় আজ বিজ্ঞান ও শিক্ষার আলো ঠিকই পেত, সময়ের টানে। থেমে থাকত না মুহম্মদের অবর্তমানে।
@আ. হা. মহিউদ্দীন,
ব্রাদার/সিস্টার,( আপনি যাই হইয়া থাকেন)
আমিতো উত্তর দিয়েছিলাম রাসেলকে, আপনি নিজের ঘাড়ে ঝামেলা তুলে নিচ্ছেন কেন? কাপুরুষ/ কানারীদের সংগে কথা বলে আমি ঠিক আরাম পাই না। খ্যামা দেম আমারে আফা/ভাই।
আকাশ মালিক, আপনার “যে সত্য বলা হয়নি” বইটি কী বাংলাদেশে প্রকাশিত হয়েছে? হলে,কোথায় পাওয়া যাবে?
হুজুরের বক্তব্যের রেফারেন্স কি? নাফরমানেরা ইসলাম সম্পর্কে কিছু কইলেই আফনের দেখতেছি গাত্রদাহ হয়। হেরা কিছু কইলেই আফনের কাছে নতুন ডাইমেনশনের কথাবার্তা শুনতে পাই। আফনে এতগুলা বয়ান দিলেন, আমি যদি এই কথার রেফারেন্স চাই তাইলে কি করবেন? যদি এইগুলা আফনের ব্যক্তিগত বিশ্বাস হইয়া থাকে তাইলে আমি কমু আমি মডারেটরর হইলে অনেক আগেই আফনের আইপি ন্যান কইরা দিতাম। আফনের প্রলাপ শুইনা উদরে পূরীষের চাপ ছাড়া আর কিছুই অনুভব করি না। আফনে না কোন যুক্তি দেহাইতেয়াছেন, না স্বীকার করতেয়াছেন যে আফনে ভুল জানেন। কাহিনী কি ভাইডু?? আর যদি এইসব কতার কোন রেফারেন্স থাকে তাইলে দেহান, কাইন্দা বাচি।
আফনের কতা শুইন্যা মনে হইতাছে আফনে এইগুলা বিশ্বাস করেন না। পেরেশ্ন হইল করেন না কেন? কিসের ভিত্তিতে আফনের মনে হইল মুহাম্মদ নামের পাডাডার মাতায় অনেক অনেক গোবর থাকতে অইব? হাদিস? নাকি ইতিহাস? আফনের বাত চিত শুইন্যা কিন্তুক মনে হয় আফনে আফনের মাতার তেই এত জ্ঞ্যান বাইড় করছেন?
যদি হাদিসের জোরে আফনে লাফ মারেন তাইলে তো এই কতা অবিশ্বাস করার কিছু দেখতেয়াছিনা। কারন আফনে কোন হাদিসের বইডারে আসল কইবেন আর কোনডারে মিছা কইবেন? আফনে নিশ্চই হেই হানে হেই সুমকা আছিলেন না? নাকি আছিলেন?
আর যদি আফনে ইতিহাসের কতা কন তাইলে কোন ইতিহাসের কতা আমরা মাইন্যা লমু? আফনের মারফতি ইতিহাস? মানুম না। আমার ইচ্ছা। আফনের সমস্যা আছে? আফনে আমারডা কোন পেরকার যুক্তি ছাড়াই অস্বীকার করতেয়াছেন আমি আফনেরডা মাতায় লইয়া নাচুম এইডা ভাবেন ক্যা?
খাইছেরে ভাইডু, আফনে মুয়াবিয়া এজিদরে য্যমনে খারাপ কইতেয়াছেন রেফারেন্স ছাড়া হেইয়াতে মনে অইতেয়াছে আফনে না যানি ইতিহাসের কোন গোড়া। হেরেডোটাসও আফনের কাছে হার মানব, হাচা কইতেয়াছি।
তা ভাইডু, নাফরমানেরা যহন কোন কতা কয় তহন রেফারেন্স দেয়। আফনে হেই রেফারেন্সের পরেও আফনার মারফতি ব্যখ্যা লইয়া আহেন। তো আফনে এহন যে বক্তব্য দিলেন হেইয়ার রেফারেন্স কি? অবশ্য আফনে যদি মনে করেন যে আফনের নুরানী মুহের কতাই যথেষ্ট তাইলে কোনো কতা নাই।
আল্লায় পাডায়নাই বুঝলাম, মাইন্যাও লইলাম। কিন্তু পেরেশ্ন যাগে মনে, আফনেরেও তো আল্লায় কয়নাই কোরানের ব্যখ্যা দিতে, নাকি কইছে?? ভাইডু আমি মুখ্যু সুখ্যু মানুষ, কম জানি। আফনেরে যদি জেব্রাইল ফ্যারেস্তার মাইধ্যমে আল্লায় কোন অহি দিয়া থাহে তাইলে পেরকাশ কইরা দেন। আমি আফনের পেরথম আবু বক্কর অমুনে।
মুল ইসলাম যানি কি? ওহহ, বুইঝতে পাইরেছি, আফনেরে আল্লায় যে ইসলাম পাডাইছে হেইডা। তয় ভাইজান ডারাইতে আছেন ক্যা? নাকি মুহাম্মদ পাডাডার লাহান এহন আমনে মক্কায় আছেন? মদিনায় গ্যালে শুরু করবেন? হেরম কিছু আছেন নি ভাইডু। তাইলে আগেই কইয়েন, কামার বাইত্তে তড়োয়াল বানাইতে দিতে অইব??
সমানে :no: দিয়া যাচ্ছে কিন্তু কারও সাহস হচ্ছে না সরাসরি ডিফেন্ড করার। আমি হতাশ।
১৫০০ বছর পূর্বে “মোহাম্মাদি ইসলাম” শান্তির বার্তা নিয়ে এসেছিল, কিন্তু ৬৩ বছর পর থেকে সেই শান্তির বার্তা শান্তিতে পরিনত হতে পারেনি।
ক্ষমতার রাজনীতির যাতাকলে পড়ে শিশু ইসলাম তখনই নষ্ট হয়ে যায় মোহাম্মদ (সাঃ) এর মৃত্যুর সাথে সাথে।
বলা যেতে পারে বকরের ক্ষমতা লোভের যাতাকলে পড়ে ও মোল্লাদের হৃদয়ের খলিফা মোয়াবীয়ার কুচক্রে ইসলাম আর বেড়ে উঠতে পারেনি, শুধু তাই নয় বরং তখন থেকেই এই ইসলামের শুধু নাম রেখে ভিতরে সব পরিবর্তন করে দেওয়া হল। এই জেহাদ এর এত ঘৃন্য বর্ননা তাদেরই রচিত, তারাই নবী (সাঃ) এর নামে জিহাদ করে ক্ষমতা দখল করেছে, ওমরের সময় যত যুদ্ধ হয়েছে, যত বর্বতা হয়েছে আর কারও বাকি চারজনের সময় এইরুপ হয়নি। বকর, ওমর, ওসমান আয়শা এরুপ ইসলামের ক্ষমতা লোভি ব্যক্তিত্বদের দ্বারা সত্যকে হত্যা করা হল আর সব থেকে ভয়ংকর হল ইয়াজিদের আমল থেকে ইতিহাস বিকৃত করে দেওয়া হল। সবই স্বার্থ সিদ্ধি, ক্ষমতা দখল।
আয়শার ঘরে আলী (আঃ) এর হত্যার পরিকল্পনা করা হল- রাতে কুকুর ডাকা ডাকি করছিল, তাই দেখে পরের দিন হাদিস বের হয়ে গেল- ঘরে কুকুর রাখা না জায়েজ। নাম হয়ে গেল মোহাম্মদ (সাঃ) এর হাদিস।
কোরান সংকলনই ছিল একটা জগাখিচুড়ি ঘটনা, এই সংকলন নিয়েই ওসমান হত্যা হইল, হাফসার কোরানের খবর নাই, আলী (আঃ) – একটি কোরান পেশ করেছিলেন তার হদিস পাওয়া যায়না, তখন রাজা ইয়াজিদ মামা অস্ত্র, অর্থের ক্ষমতার মুখে, বা আবেগ দিয়ে অশিক্ষিত, দূর্বল মানুষকে যা বুঝিয়েছে, শিখিয়েছে আজও তাই সবাই গিলে যাচ্ছে। কোরানের বানী রহস্য লোক থেকে আগত, মানলাম আল্লাহই পাঠাইলেন – কিন্তু এর শানে নজুল আর ব্যাখ্যাত আল্লাহ পাঠাননি। আর এই, ইতিহাস, ব্যাখ্যা পড়েই আজ বড় আলেম, স্কলার, আস্তিক নাস্তিক পয়দা হল। মূল ইসলাম, সত্য ইসলাম গভিরে দুই-একজনের হেফাজতে আজও রয়ে গেল গোপনে। তারা গোপনে আজও পালন করে যায়।
একটা গল্প বলিঃ
গত বছর এস, এস সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করার কথা ছিল- ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস তাবলীগের মত এক হিংস্র, বোকা দলের ভিতর ঢুকে এই বছরেও এস, এস, সি ভাগ্যে জুটলনা একটি ছেলের- দীর্ঘ এক ঘন্টা অনেক কষ্টে কথা চলার পরে , তার পোশাক, তার কথার ভঙ্গি, তার আবেগ তথাকথিত ইসলামের উপর দেখে বুঝতেই পেরেছিলাম ছেলে আর মানুষ নাই, সে পশুর দিকে চলে যাচ্ছে-এবং সে একশত ভাগ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তার তাবলীগের ঈমাম যদি বলেন জিহাদ করতে তা করা ফরজ। এই কথাটা শুনার পর “থ” মেরে তাকায় থাকলাম তার দিকে, ছেলেটার চেহারাটা অতিব সুন্দর আছিল, সাথে মাসুম একটা ছাপ ছিল, এই বছর তাকে দূর থেকে একবার দেখেছিলাম- ছেলেটার ভিতর একটা হিংস্র ভাব চলে আসছে। তার আর বাকি সব সুস্থ বন্ধুদের জিজ্ঞাসা করার পর জানতে পারলাম- তার সাথে এখন কোন ছেলেই থাকেনা। তারা সরে আসছে। অনেক কষ্টে ছেলেটার সাথে কথা হতে পেরেছিল, ছেলেটা আমাকে খুব কম সময় দিতে পারল; কারন মাগরীবের সময়, আর এর পরেই পাকিস্তান থেকে মুমীন ব্যক্তি নাকি সফরে এসেছে তাবলীগে, তাদের খেদমতের দায়িত্ব পরেছে তার উপরে। আমার একটু হাসি দিয়ে তাকে বিদায় দেয়া ছাড়া কোন উপায় ছিল না। কেননা সে মরফিয়া ডোজড।
তাবলীগের এরা জিহাদে বিশ্বাসী, এরা খুব গোপন থাকে, এদের মিষ্ট ভাষা আর বাহ্যিক মুখের হাসি একটা প্রলেপ মাত্র, ভিতরের হিংশ্রতা ঢেকে রাখার।অথচ তাবলীগের এই প্রথা চালু করে সম্ভবত বকর।
যাইহোক অফ টপিকে বেশি বলে ফেললুম।
ইসলামে জঙ্গিবাদে তাবলীগের হাত অনেক। এদের প্রচুর অর্থ। বাংলাদেশের মাটিতে আর এক ‘হযবরল’ বিশ্ব এস্তেমা। শান্তি নামটা মুখে, ভিতর দিয়ে ঠিকি অশান্তির মূল চালিকা শক্তি। আর এদের কোন যুক্তিতে বুঝানো সম্ভব না। যুক্তি এদের কাছে বোবা।
চুম্বকের দুই মেরু অবিচ্ছেদ্য, অন্ধকার না থাকলে আলোর প্রয়োজন হয় না, তেমনি হ্যা ও না এবং আস্তিক ও নাস্তিক । অস্তিক ও নাস্তিক হলো যথাক্রমে বিশ্বাসের এপিট ও ওপিট । অর্থ্যাৎ উভয়ই বিশ্বাসী । ফলে মৌলবাদী আস্তিক ও মৌলবাদী নাস্তিকের মধ্যে কোন পার্থক্য থাকে না । কারন তারা কেউই যুক্তিতে বিশ্বাসী নয় । তাই ইসলামী জঙ্গী নিজ ধর্মের প্রতি গভীর ভালবাসার কারণে যা করে, তা ইসলামকে ঘৃনাকারী ও ইসলামের নামে আতঙ্কগ্রস্থ মৌলবাদী নাস্তিকও সেই কাজ করতে পারে ।
নৃ-বিজ্ঞান, সমাজ-বিজ্ঞান, দর্শনশাস্ত্র ও ইতিহাস প্রভৃতি মানব জ্ঞানের শাখায় বর্ণিত যুক্তি সমূহের উপর আকাশ মালিকের যদি আস্থা থাকতো, তা হলে তার বিচ্ছিন্ন ভাবনার উদ্রেক হোত না । ইতিহাসের দু’টি বই এর নাম ইতিপূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে । কিন্তু তিনি সন্তুষ্ট হোতে পারেন নাই ।
উল্লেখ করা হয়েছে, বই পড়ে তিনি জেনেছেন যে ইসলামের নামে কোটি কোটি লোক হত্যা করা হয়েছে । এখন তার কাছে আমার প্রশ্ন, (১) মিসরের ফেরাউরা পিরামিট বানাতে কত ক্রিতদাসকে হত্যা করেছে, (২) রোম সম্রাটেরা কত ক্রিতদাসকে হত্যা করেছে, (৩) আর্য্যরা ভারত আক্রমন ও দখল করে কত লোক হত্যা করেছে; (৪) আপনি যুক্তরাজ্যে থাকেন, বলুন, বৃটিশ রাজা, ফ্রান্সের রাজা ডেনমার্কের রাজা কত মানুষকে হত্যা করেছে; (৫) উত্তর ও দক্ষিন আমেরিকা মহাদেশের আদিবাসিন্দা ছিল রেড ইন্ডিয়ান । এদেরকে কারা হত্যা করলো, যার ফলে রেড ইন্ডিয়ান মাইক্রস্কোপ দিয়ে খুঁজতে হয়, (৬) দুইটি বিশ্ব যুদ্ধে কত লোক হত্যা করা হয়েছে; (৭) দুটি এটোম বোম দিয়ে কয়েক সেকেন্ডে জাপানের দুটি শহরের কত লোককে হত্যা করা হলো । (৮) তিনি কোন বই পড়ে জানলেন যে ইসলামের নামে কোটি কোটি লোক হত্যা করা হয়েছে । তালিকা আর দীর্ঘায়িত করবো না ।
আপনার ভাষ্য অনুযায়ী ইসলাম নিকৃষ্টতম ধর্ম । কিন্তু বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ এই নিকৃষ্টতম ধর্মে বিশ্বাসী । তা হলে কি এই নিকৃষ্টতম মানুষগুলোকে মেরে ফেলবো । আপনার উপদেশ কি? তবে উপদেশ দেয়ার আগে নেহেরুর Glimpse of the World History বইটি পড়ুন ।
@আ. হা. মহিউদ্দীন,
:lotpot:
অতীব ভালু কতা বুলিয়াচ্চেন!! শুনিয়া বড়ই আমোদ পাইলাম!!! স্ব-আরোপিত ব্যখ্যা মানুষকে শোনাইতে সর্বদাই একটু বিশেষ আনন্দ অনূভুত হয়, হউক তাহা ভুল অথবা হউক তাহা হাস্যকর!!!
যা হউক, বৃথা তর্ক করা লোকসান বিধায়, আপনার রম্য নিয়া কোন মন্তব্য করিলাম না! যাহার ধৈর্য কিঞ্চিত বেশি, সে আসিয়া রম্য ঝগড়া শুরু করিতে পারেন!! আমার অত ধৈর্য নাই!
@তানভী,
:yes:
@তানভী,
:laugh:
@আ. হা. মহিউদ্দীন,
শুধু ভিন্নধর্মাবল্বী হবার জন্যই হত্যা করার ঘটনা কেবল ইসলামেই আছে। আপনি যে সব উদাহরন দিয়েছেন তার কোনটাই ধর্মভিত্তিক হত্যা নয়। ধর্মভিত্তিক নয় এরকম হত্যার ঘটনা ইতিহাসে সব জাতি ধর্ম (ইসলাম অন্তর্ভুক্ত) করেছে। বাংলাদেশ ও করেছে/করছে চাকমাদের উপর। এই কমন ডিনমিনেটর বাদ দিলে ইসলামে শুধু ধর্মীয় তাগিদেই হত্যার ঘটনা আছে যেটা বাড়তি, যেটা অন্য ধর্মে দেখা যায় না। ইসলামের আহবান প্রত্যাখ্যান করায় মোহাম্মদ কত আক্রমণ ও হত্যা চালিয়েছেন ইতিহাসই তার সাক্ষ্য দেয়। আর কোন ধর্মের নবী এই কাজ করেছেন? আর কোন ধর্মের বইএ অন্য ধর্মের অনুসারীদের প্রতি স্পষ্ট করে ঘৃণামূলক আয়াত লেখা আছে ? আর আপনার উদাহরন সব অতীতের ইতিহাস। আর ইসলামের ঠান্ডা মাথায় হত্যা শুধু অতীত নয়, বর্তমান এবং ভবিষ্যতেও চলবে। আর এর তাড়না আসে কোরান, হাদিস থেকে। গোটা পৃথিবী ইসলামের দীনের আওতায় না আস পর্যন্ত ইসলামিস্টরা ক্ষান্ত হবে না। তাদের অজুহাতের অভাব হবে না। প্যালেস্টাইন-ইস্রাইল সমস্যা সমাধান হলেও তারা অন্য অজুহাত আনবে। আর নারীদের প্রতি নিপীড়নের কথা নাই বা বললাম। গোটা বিশ্ব আজ ইসলামী সন্ত্রাসে সন্ত্রস্ত। অন্য কোন সন্ত্রাসে নয়। ইসলামের সাথে নাড়ির যোগ আস্বীকার না করতে পেরে বালিতে মাথা গুঁজে অতীতের ধর্মনিরপেক্ষ হত্যার কথা তুলে সান্তনা পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু এটা আত্মপ্রবঞ্চনা।
@যাযাবর,
“অতীতের ব্যাপার” এটাই বোধহয় সবচেয়ে শক্তিশালী যুক্তি। নইলে খ্রীস্টধর্মও অন্যদের উপর চাপিয়ে দেয়ার জন্য ধর্মযুদ্ধ করেছে। শার্মেলেন এই কাজ করে সেইন্ট উপাধি পান।
@রৌরব,
দূর, বানান ভুল। শার্লেমেন হবে। নিজের মন্তব্যের জবাব দেয়ার জন্য দুঃখিত।
@রৌরব,
গায়ের জোরে যুদ্ধ সেটা। বাইবেলের জোরে নয়। বাইবেলে কুরানের মত কাফেরদের হত্যা কর যতক্ষন না তারা আত্মসমর্পণ না করেছে এ ধরনের আয়াত নেই। গণতন্ত্র ও রেনেসাঁ পূর্ব ইউরোপে এই বর্বরতা সম্ভব হয়েছিল। বাইবেলে সহিংস আয়াত থাকলে এখনো এই গণতন্ত্রের যুগেও শার্লামেনের মত ধর্মযুদ্ধ করার প্রাসঙ্গিকতা থাকত। কিন্তু হায় ইসলামে কুরানই চিরকালের সহিংসতার ফর্মূলা দিয়ে দিয়েছে। এটা কখনই অবসলীট হয়ে যাবে না।
@আ. হা. মহিউদ্দীন,
ভাল লাগল আপনার মন্তব্য। :rose2:
অনেক কিছুই বলা যায়। ইনাদের মস্তিষ্কে প্রবেশ করবে না। আসলেই ইনারাও মোল্লাদের মত খোড়া যুক্তি নিয়ে তর্ক করতে পছন্দ করে, আর তর্ক করেই সময় কাটায়। যদিও ভালই লাগে। সব ধরনের মানুষের প্রয়োজন আছে। মোল্লাদের মত গোড়া অন্ধ আস্তিক পৃথিবীতে থাকলে, তথাকথিত শিক্ষিত দেখানো বিদ্যার জাহাজ ওয়ালা আস্তিকও দরকার আছে।
@আ. হা. মহিউদ্দীন,
ভিডিওতে শান্তির ধর্ম ইসলাম সম্মন্ধে ইরাক আফগানিস্থান আক্রমনকারী, কোরান বিশেষজ্ঞ দুই আলেম হজরত বুশ ও ব্লেয়ারের উক্তি আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন। তারা কোরান বুঝেছেন বেশ ভাল। আবার এখানে আমরা তাদেরকেও দেখেছি যারা প্রকাশ্যে খোলা মাঠে সমাবেশ করে দাবী করেছে ইংল্যান্ড সহ সারা পৃথিবীতে শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠা করা, ইসলাম ও কোরানের আদর্শ বাস্তবায়ন করা মুসলমানের ঈমানী দায়ীত্ব। ওদিকে ১৪শো বছর পূর্বে ইসলামের চারজন খলিফার তিনজনই মুসলমানের হাতে খুন হলেন। মুহাম্মদ উসমানকে, আয়েশা আলীকে, আলী মুয়াবিয়াকে হত্যা করতে লক্ষ কোটি মানুষ খুন করেছেন, এ সব তো ইতিহাসের কথা। আপনি কি সেখানেও আমেরিকার ছায়া সন্ধান করেন? আপনার সম্পূর্ণ মন্তব্য আরো বহুবার বহু যায়গায় পড়েছি, প্রায় মুখস্ত হয়ে গেছে। আমি অবাক হলাম একজন শিক্ষিত মানুষ হয়ে শুধুমাত্র জিদের বসে আপনি মুসলমানদের জীবনে অশান্তির কারণ হিসেবে সর্বত্রই আমেরিকার ছায়া দেখতে পান। জমিনের আইলের মালিকানা নিয়ে খুন হওয়া আর নুরজাহানদেরকে মাটিতে গর্ত খুঁড়ে পাথর মেরে খুন করার উৎস এক হয় কীভাবে? একটি আদর্শ বাস্তবায়নের লড়াই (শরিয়া আইন) আর একটি স্বাধিকারের লড়াই (বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ) সমান হয় কী করে? শেষের ভিডিওতে আমরা একজন মুসলমান মন্ত্রীকে বলতে শুনলাম যে, তিনি আশা করেন একদিন বৃটেনের পার্লামেন্টের সকল মন্ত্রীই মুসলমান মন্ত্রী হবে। তার আশাবাদের কারণ জানার আগ্রহ থাকাটা কি অন্যায়?
@আকাশ মালিক,
বিচ্ছিন্ন ভাবনা নয়, পরিচ্ছন্ন চেতনা।
@আ. হা. মহিউদ্দীন,
মাঝে মাঝেই দেখি এটা পড়ুন ওটা পড়ুন বলে উপদেশ দেন। আপনি দয়া করে tu quoque fallacy কাকে বলে পড়ুন।
এ কথা আপনার মনে উদয় পর্যন্ত হল কি করে? পৃথিবীর কোন না কোন ধর্ম (বা আদর্শ) নিশ্চয় “নিকৃষ্টতম”, তার সাথে মানবাধিকারের সম্পর্ক কি? আপনার মতে নিকৃষ্টতম অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কি? সে ব্যবস্থায় যারা বিশ্বাসী তাদের কি আপনি মেরে ফেলতে চান? যদি না চান, তাহলে অন্যরা একই ধরণের কারণে মুসলিমদের মেরে ফেলতে চায় এটা কেন বললেন?
ও ভাল কথা, আর্যরা ভারত দখলে কত লোককে খুন করেছে রেফারেন্স সহ সংখ্যা দিন। ধন্যবাদ।
@রৌরব,
আর্যরা ভারত দখল করতে কত মানুষ হত্যা করেছে তা জানতে আকাশ মালিককে প্রশ্ন করেছিলাম । উত্তর পাওয়া গেলে রেফারেন্স সহ জানাবো । আপনাদের রেফারেন্স চাওয়ার কারনে আমার বক্তব্যের সমর্থনে সংশ্লিষ্ট পুস্তকটি পড়তে অনুরোধ করা হয় ।
কোন বিষয় আলোচনায় অংশ গ্রহনকারীরা পরস্পরের কাছ থেকে সৌজন্যমূলক আচরণ আশা করে । আমার কোন আলোচনায় আপনি ভন্ডামি পেলেন যার জন্য আমাকে tu quoque fallacy কাকে বলে জানার উপদেশ দিলেন ।
প্রথমতো ধর্ম ও আদর্শ এক বিষয় নয় । আদর্শ পরিবর্তনশীল । কিন্তু ধর্ম তা নয় । মানবাধিকারের ধারণা খুবই আধুনিক । ৭০-৮০ বছর আগেও জমিদারের কাচারিবাড়ীতে প্রজাকে জুতা-পিটা করা হতো । প্রজা জুতা পড়ে বা লাঠি হাতে নিয়ে কাচারিবাড়ীর সামনে দিয়ে যেতে পাড়তো না । আকাশ মালিকের বক্তব্য পড়ে মনে হয়েছিল, তিনি ইসলামকে নিকৃষ্টতম ( যদিও শব্দটি আপেক্ষিক) ধর্ম বলে মনে করেন । তাই তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, নিকৃষ্টতম ধর্ম ও ঐ ধর্মে বিশ্বাসী মানুষগুলোকে তিনি কি করতে চান ?
নিকৃষ্টতম কোন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নাই । সব অর্থনৈতিক ব্যবস্থাই ঐতিহাসিক প্রয়োজনে আসে এবং প্রয়োজন ফুরালে বিদায় গ্রহন করে । যেমন সামন্তবাদের প্রয়োজন ফুরিয়েছে বলে বিদায় নিয়েছে । এটা হলো দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের একটি তত্ত্ব ।
@আ. হা. মহিউদ্দীন,
আকাশ মালিক উত্তর দেবেন আর রেফারেন্স দেবেন আপনি? চমৎকার। :-Y
আপনি শুধু জানতে চাননি, সম্ভাব্য উত্তর insinuate করেছিলেন।
অর্থাৎ যেকোন বিশেষ সময়ে একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিকৃষ্টতম, বা অন্তত অন্য কিছু বিকল্পের তুলনায় নিকৃষ্টতর। ধরা যাক, এই মুহূর্তে সামন্ততন্ত্র এই নিকৃষ্টতর বৈশিষ্টের অধিকারী — আমার প্রশ্ন বৈধ থাকছে।
বুঝলাম না। এখানে দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ হঠাৎ কাজ করা বন্ধ করে দিল কেন?
এবং আকাশ মালিক এই জমিদার আদর্শের একজন মানুষ বলে আপনি সন্দেহ করেন?
Radical Islam’s War Against the West আমি দেখেছি। এটার hq ভার্সন আমার কাছে আছে। ভাল লেগেছে এবং দু:খও লেগেছে।
আমরা কি কোনদিন নিজেকে প্রশ্ন করেছি ১৪শো বছর পূর্বে সত্যই কি ইসলামের কোন স্বর্ণালি যুগ ছিল, যেখানে মারামারি কাটাকাটি, নারী নির্যাতন, অবৈধ ক্ষমতা দখল, খুন, অনাচার, অবিচার অত্যাচার ছিলনা।
সত্যই ভাবনার কথা। আপনার লেখা আমাকে অনেক ভাবিয়ে তুলেছে।