প্রথম র্পব-
You may fool all the people some of the time; you can even fool some of the people all the time; but you can not fool all of the people all the time. অর্থাৎ, সকল মানুষকে কিছু সময়ের জন্যে বোকা বানানো যায়। কিছু কিছু মানুষকে সকল সময়ের জন্যে বোকা বানানো যায়, কিন্তু সকল মানুষকে সকল সময়ের জন্যে বোকা বানানো যায় না।– (মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন, ১২ ফেব্রুয়ারি, ১৮০৯—১৫ এপ্রিল, ১৮৬৫)
প্রতিটি মানব সমাজে বিশৃঙ্খলা, মারামারি, হানাহানি, খুনোখুনি, আর্থ-সামাজিক অবনতির অনেকগুলো কারণের মধ্যে প্রধান ও অন্যতম কারণ হচ্ছে ‘ধর্ম’ (Religion)। সমাজবিজ্ঞান আর নৃবিজ্ঞানের আধুনিক গবেষণা থেকে আমরা জানতে পারি আদিম-অসহায় মানুষদের অজ্ঞতা, কল্পনা আর ভয়ভীতি থেকে একদা ধর্মের উৎপত্তি; এবং এর যাত্রা শুরু আজ থেকে প্রায় চল্লিশ থেকে পঁচিশ হাজার বছর আগের মানুষের পূর্বপ্রজাতি নিয়ান্ডার্থাল প্রজাতির মধ্যে। আস্তে আস্তে সময়ের পরিক্রমায় মানুষের যেমন ক্রমবিকাশ ঘটেছে, চিন্তাচেতনার নানা স্বরূপ প্রস্ফুটিত হয়েছে বিভিন্ন আঙ্গিকে, বিভিন্ন দর্শনে, তেমনি ধর্মীয় চেতনারও বিস্তৃতি ঘটেছে ভিন্ন ভিন্নরূপে। বিচ্ছিন্ন মানুষ বনে-জঙ্গলে বন্য-হিংস্র পশুর আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য, বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য সংগ্রহের সুবিধার্থে আর ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ (বন্যা, খরা, অধিক বৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, দাবানল ইত্যাদি) থেকে বেঁচে থাকতে গিয়ে গোষ্ঠীবদ্ধ হয়েছে, গোষ্ঠীবদ্ধ থেকে সমাজবদ্ধ হয়েছে, সমাজ থেকে রাষ্ট্রীয় কাঠামো তৈরি করেছে। এই সমাজ কাঠামো টিকিয়ে রাখার জন্য নিজেদের মতো করে কিছু নিয়ম-কানুন, রীতি-নীতি তৈরির প্রচেষ্টা চালিয়েছে। সে সময়কার মানুষের জীবন-জগৎ সম্পর্কে পরিপূর্ণ কিংবা বিশ্লেষণী জ্ঞান না থাকার দরুন তাদের মধ্যে প্রাকৃতিক বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য, বন্য পশুর হাত থেকে নিজেদের রক্ষার জন্য, পেটপুরে কিছুটা খাবার সংগ্রহের নিশ্চয়তা লাভের উদ্দেশ্যে মানুষের মধ্যে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে প্রাক-ধর্মীয় চেতনা বিস্তার লাভ করে। প্রাক-ধর্মীয় চেতনার ধারণার মধ্যে রয়েছে দীর্ঘ সময়ে আত্মার ধারণা থেকে টোটেমবাদ, টোটেমবাদ থেকে সর্বপ্রাণবাদ, সর্বপ্রাণবাদ থেকে সর্বেশ্বরবাদ, সর্বেশ্বরবাদ থেকে বহুঈশ্বরবাদ-এ মোড় নিয়েছে, সমন্বয় ঘটেছে; তবে এগুলো সবসময় সবজায়গায় কখনো একরৈখিক ছিল না। স্থান-কাল-পাত্রভেদে পরিবেশ-পরিস্থিতির সাথে পরিবর্তিত হয়েছে, সমন্বিত হয়েছে। ধীরে ধীরে বহুঈশ্বরবাদ থেকে আবার একেশ্বরবাদে পৌঁছেছে। এখন সময় এসেছে ধর্মীয় একেশ্বরবাদকে ছেঁটে ফেলে নিরীশ্বরবাদের দিকে যাত্রা শুরু করার। এগুলো আজ নৃবিজ্ঞান, প্রত্নতত্ত্ব, মনোবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞানের গবেষণা দ্বারা প্রমাণিত সত্য। বর্তমানে প্রচলিত একেশ্বরবাদ বা বহুঈশ্বরবাদের ধর্মীয় শাস্ত্রগুলো কঠোর পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিতে রচিত, যেখানে নারী নরকের কীট। শাস্ত্রগুলি স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েই রেখেছে, নারী পুরুষের অধীন, নারী শয়তানের বেশ ধরে আসে, শয়তানের বেশ ধরে যায়! নারীর কোনো গুণ নেই, তার কাজ শুধু পুরুষদের দূষিত করা ইত্যাদি। বাইবেলে ঈশ্বর বলেন, তিনি তার মতো করেই মানুষ সৃষ্টি করছেন (God created man in his own image) (জেনেসিস, ১:২৭)। কিন্তু তৌরাত, ইঞ্জিল, বেদ, গীতা, রামায়ণ, মহাভারত, কোরান ইত্যাদি বর্তমানে প্রচলিত তথাকথিত ধর্মীয় শাস্ত্রগুলো নির্মোহভাবে পাঠ করলে বোঝা যায় এগুলো চরম পিতৃতান্ত্রিকতার ধ্বজাধারী পুরোহিত-মোল্লা-পাদ্রিরাই ‘ভগবান’, ‘ঈশ্বর’, ‘আল্লাহ’, ‘গড’-এর মুখ দিয়ে তাঁদের নিজস্ব চিন্তাধারা, দৃষ্টিভঙ্গি ব্যক্ত করেছেন। নিজেরা যেভাবে জগতকে দেখতেন, বিচার করতেন, তেমনি কায়েমী স্বার্থ রক্ষা করার তাগিদ থেকে হোক কিংবা নিজের উদরপূর্তির জন্যই হোক, অথবা নিজের ভয়-ভক্তি-বিশ্বাস থেকে উদ্ভূত ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী হয়ে সৎ উদ্দেশ্য থেকেই হোক, তারা শাস্ত্রগুলোর বক্তব্যকে ‘সৃষ্টিকর্তা’, ‘সর্বশক্তিমান’ ঈশ্বরের নামে রটিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। যে ধর্ম ছিল একসময় মানুষের কল্পিত আশ্রয়, হতাশ মানুষদের নিরাপত্তার আচ্ছাদন, সভ্যতার আলো না-পাওয়া, যুক্তি-বিবেকের সমন্বয় ঘটাতে না-পারা কতিপয় দুর্বল মানুষের ভ্রান্ত অবলম্বনমাত্র; সেই ধর্মই আজকের যুগে গোটা সমাজের জন্য দানবরূপে দেখা দিয়েছে। শোষিত মানুষের চোখে ধুলো দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার স্বার্থে, ধর্মকে শাসকগোষ্ঠীর সর্বনাশা ব্যবহার আর বোকার স্বর্গে বাস করা কতিপয় কাণ্ডজ্ঞানহীন (কিংবা শাসকগোষ্ঠীর সহযোগী অতি ধুরন্ধর) লোকের তথাকথিত আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা-চর্চার দ্বারা ধর্ম আজ গোটা মানবজাতির জন্যে এক বিরাট বিষবৃক্ষ। গোটা ধর্মটাই ‘মৌলবাদ’ আর ‘রাজনীতি’র মিশেলে তৈরি; এই দুটি ধারণা ব্যতীত পৃথিবীতে কোনো ধর্মের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া বর্তমানে দুষ্কর এবং তা কোনো ধর্ম থেকেই কোনোকালে বিচ্ছিন্ন ছিল না। ফলে অত্যন্ত স্বাভাবিক কারণেই সৃষ্টি হয়েছে নানা মতভেদ, নানা বিভ্রান্তি, নানা বিদ্বেষ। নিজ নিজ ধর্মের প্রসার আর তালুক দখলের লোভ সবই একসূত্রে গাঁথা; যা মানুষে-মানুষে শুধু জিঘাংসাই বৃদ্ধি করেছে। ধর্মগুলো তাদের নিজস্ব গ্রন্থে (যেমন হিন্দুদের বেদ, মনুসহিংতা, গীতা ইত্যাদি, ইহুদিদের ওল্ডটেস্টামেন্ট, খ্রিস্টানদের ওল্ড ও নিউ টেস্টামেন্ট, মুসলমানদের কোরান-হাদিস) যেসকল সদাচার-ধর্মাচারের সুনির্দিষ্ট নির্ঘণ্ট বয়ান দিয়েছে, তা’ই আজকের যুগে ধর্মীয় বিশ্বাসের মূল উৎস। ধর্মবাদীদের দৃষ্টিতে সেখান থেকে এক চুল পরিমাণ নড়বার উপায় নেই! প্রতিটি ধর্মই কর্তৃত্ববাদ বা প্রভুত্ববাদ (Authoritarianism)-এর পরিচায়ক। এক ধর্মের সাথে আরেক ধর্মের এই যে এতো মতভেদ-বিভেদ বিদ্যমান, এগুলোকে মনীষী রাহুল সাংকৃত্যায়ণের ভাষায় চিহ্নিত করা যায় এভাবে :
“একজন যদি পুবমুখো হয়ে পূজার বিধান দেয় তো অন্যজন পশ্চিমে। একজন মাথার চুল বড়ো রাখতে বলে তো অন্যজন দাড়ি। একজন গোঁফ রাখার পক্ষে তো অন্যজন বিপক্ষে। একজন পশুর কণ্ঠনালী কাটার নিয়মের কথা বলে তো অন্যজন মুণ্ডচ্ছেদ করতে বলে। একজন জামার গলা ডানদিকে রাখে তো অন্যজন বাঁ-দিকে। একজনের যদি এঁটোকাঁটার বাছ বিচার না থাকে তো অন্যজনের নিজের জাতের মধ্যেও তেরো হাড়ি। একজন পৃথিবীতে শুধু খোদার নাম ছাড়া আর কিছু থাকতে দিতে রাজি নয় তো আর-একজনের দেবতার সংখ্যা অগণিত। একজন গো-রক্ষার জন্য জান দিতে রাজি তো অন্য জনের কাছে গো কোরবানি অত্যন্ত পুণ্যের কাজ।” (দ্রষ্টব্য : তোমার ক্ষয়, পৃষ্ঠা ২০)।
‘বাংলাদেশের সক্রেটিস’ হিসেবে পরিচিত অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ তার বিখ্যাত প্রবচনগুচ্ছে বলেছিলেন, “হিন্দুরা মূর্তিপূজারী; মুসলমানরা ভাবমূর্তিপূজারী। মূর্তিপূজা নির্বুদ্ধিতা; আর ভাবমূর্তিপূজা ভয়াবহ।” অধ্যাপক আজাদ মুসলমানদের ভাবমূর্তিপূজারী হিসেবে অভিহিত করলেও আরো অনেক আগেই আরবের (উত্তর সিরিয়া) অন্ধকবি আবু-আল-আলা আল মারি (৯৭৩-১০৫৭) তাঁর ‘লুজুমিয়াত’ কাব্যে মুসলমানদের হজের সময় কাবা শরিফকে বাঁ দিকে রেখে ডাইনে থেকে বাঁয়ে সাতবার প্রদক্ষিণ করা, কালো পাথরে চুম্বন বা মাথা নোয়ানো, সাফা-মারওয়া পর্বতের মাঝখানে দৌড়াদৌড়ি করা, মিনাতে ‘শয়তান’ লক্ষ্য করে পাথর মারা ইত্যাদি কর্মকাণ্ডকে ইসলামের (মুসলমানদের) ‘পৌত্তলিক ভ্রমণ’ হিসেবেই উল্লেখ করেছেন। ধর্ম কিংবা ধর্মবাদীদের কাছে একজন ব্যক্তির চিন্তার স্বাধীনতা, কর্মের স্বাধীনতার মূল্য অত্যন্ত গৌণ; গুরুতর গর্হিত কাজ! গণতান্ত্রিক রীতিনীতির চর্চাতো ধর্মবাদীদের কাছে ঈশ্বরদ্রোহের সমতুল্য! আজকের যুগেও স্বাধীনতার সংজ্ঞা এখানে নির্ধারিত হয় কিংবা নিয়ন্ত্রিত হয় কতিপয় প্রাগৈতিহাসিককালের ধ্যান-ধারণাকে অবলম্বন করে। বসে থাকা অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত মোল্লা-পুরোহিতরা, একজন সাধারণ ব্যক্তির নিজস্ব বোধ-অনুভূতি, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করেন প্রতিনিয়ত, কিংবা চাপিয়ে দিতে চান নিজেদের মত। কোনো ব্যক্তির জন্মের পর থেকে তার কী নাম হবে, সে কী কাপড় পরবে, কাপড় কতটুকু লম্বা হবে, গোড়ালির উপর উঠবে কি উঠবে না, মাথায় টুপি না টিকি দিবে, সে কী খাবে, গরু না শূকরের মাংস, কাকে বিয়ে করবে, কীভাবে করবে, কোন্ জাত-গোত্র-বর্ণের সাথে আত্মীয়তা হবে, তার সন্তানকে মসজিদ-মাদ্রাসা না গীর্জা মন্দিরে পাঠাবে, সে মারা গেলে সৎকার কীভাবে হবে, কবর দেয়া হবে, না আগুনে পোড়ানো হবে ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়ে ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত বক্তব্যই ধর্মবাদীদের কাছে একমাত্র অনুসরণ ও অনুকরণের বিষয়; এর বাইরে কোনো ভিন্নমত কোনোভাবেই বরদাশত যোগ্য নয়।
আজ থেকে অনেক আগে রোমান দার্শনিক-রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত লুসিয়াস আনায়েউস সেনেকা (৪ খ্রিস্টপূর্ব-৬৫ খ্রিস্টাব্দ) ধর্মের স্বরূপ উন্মোচন করেছিলেন এভাবে :
“সাধারণ মানুষের কাছে ধর্ম সত্য বলে বিবেচিত, জ্ঞানীর কাছে মিথ্যে আর শাসকগোষ্ঠীর কাছে তা শোষনের হাতিয়ার।” আমাদের প্রাচীন ভারতের লোকায়ত দার্শনিক চার্বাকবাদীরা প্রকাশ্যেই ব্রাহ্মণ্যবাদীদের দ্বারা প্রচারিত ঈশ্বর-স্বর্গ-নরক-আত্মা-পাপ-পূন্য-যজ্ঞ ইত্যাদির বিরোধিতা করে বলতেন: “ন স্বর্গো নাপবর্গো বা নৈবাত্মা পারলৈাকিকঃ/নৈব বর্ণাশ্রমাদীনাং ক্রিয়াশ্চ ফলদায়িকাঃ”। অর্থাৎ, “স্বর্গ বলে কিছু নেই; অপবর্গ বা মুক্তি বলেও নয়, পরলোকগামী আত্মা বলেও নয়। বর্ণাশ্রম-বিহিত ক্রিয়াকর্মও নেহাতই নিষ্ফল।” (ভারতে বস্তুবাদ প্রসঙ্গে, পৃষ্ঠা ১৬-১৭) তারা আরো বলতেন; “যাদের না-আছে বুদ্ধি, না খেটে খাবার মুরোদ, তাদের জীবিকা হিসাবেই বিধাতা যেন সৃষ্টি করেছেন অগ্নিহোত্র যজ্ঞ, তিন বেদ, সন্নাসীদের ত্রিদণ্ড, গায়ে ভষ্মলেপন প্রভৃতি ব্যবস্থা; চোরেরাই মাংস খাবার মতলবে যজ্ঞে পশুবলির বিধান দিয়েছেন; ব্রাহ্মণদের জীবিকা হিসেবেই মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে (শ্রাদ্ধাদি) প্রেতকার্য বিহিত হয়েছে। তাছাড়া এসবের আর কোনো উপযোগিতা নেই। যারা তিনবেদ রচনা করেছেন তাঁরা নেহাতই ভণ্ড, ধূর্ত ও চোর। জর্ফরীতুর্ফরী প্রভৃতি অর্থহীন বেদমন্ত্র ধূর্ত পণ্ডিতদের বাক্যমাত্র।”
বৈদিক ধর্ম ও ব্রাহ্মণ সম্পর্কে চার্বাকবাদীদের এরকম চাঁছাছোলা সমালোচনার কারণেই আমরা রামায়ণ-মহাভারতে পাই চার্বাকদের ‘রাক্ষস’, ‘দুর্বৃত্ত’, ‘কূটকৌশলী’ হিসেবে চিহ্নিত করে তাদেরকে নানাভাবে হেনস্থা করার কথা; তাদের বইপত্র পুড়িয়ে ফেলা, সমুদ্রে নিক্ষেপ করা, চার্বাকবাদীদের আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা ইত্যাদি। প্রতিটি ধর্মের ইতিহাস পাঠ করলে দেখা যায়, তাদের স্ব-স্ব ধর্মীয়-সমালোচকগনকে কী নির্দয়ভাবে দলন, দমন পেষণ করা হয়েছে এবং আজ ও করা হচ্ছে। রোমান সম্রাট সেনেকার বক্তব্য থেকে আরো স্পষ্টভাবে খোলাখুলি বলেছেন, হিন্দুদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ মহাভারতের কুরু-পাণ্ডবের গুরু ভীষ্ম; তিনি বলেন :
“রাজাদের পক্ষে ধর্মকর্মের অনুষ্ঠানই লোকসাধারণকে বশীভূত রাখার শ্রেষ্ট উপায়। রাজদণ্ডের প্রভাবেই পৃথিবীতে ধর্মের প্রচার সম্ভব হয়েছে। রাজার দণ্ডনীতি না থাকলে বেদ ও সমুদয় ধর্ম এক কালে বিনষ্ট হয়ে যায়। রাজধর্মের প্রাদুর্ভাব না থাকলে কোনো মানুষই নিজ ধর্মের প্রতি আস্থা রাখে না।” (দ্রষ্টব্য: ধর্মের ভবিষ্যৎ, পৃষ্ঠা ১১০ (মহাভারতের শান্তিপর্ব, ১২/৫৮-৫৯, ১২/৬৩))।
রাজদণ্ডের সাথে ধর্মপ্রচারের সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, যেসকল ধর্ম রাষ্ট্র- ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে পেরেছে বা ধর্মবাদীদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়ণ ঘটেছে, কিংবা রাষ্ট্র বা শাসক গোষ্ঠী কর্তৃক পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, তারাই আজ প্রবল বিক্রমে বেঁচে রয়েছে; আর যারা প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকতে পারেনি তাদের ইতিহাস বা বর্তমান অবস্থা জানতে আজ আমাদের মিউজিয়ামে যেতে হয়! আলোচনার পরিসর সীমিত রাখার স্বার্থে আমরা এখানে সংক্ষেপে হিন্দু ধর্মবাদীদের ক্ষমতায়ণের ধারাটি জেনে নেই : এখন পর্যন্ত অর্জিত জ্ঞান থেকে জানা যায়, হিন্দু ধর্মের প্রবর্তক আর্যরা মোটামুটি খ্রিস্টপূর্ব পনেরশো শতাব্দীর দিকেই ইরান-আফগানিস্তান অঞ্চল থেকে ভারতীয় অঞ্চলে আসে এবং আস্তে আস্তে এ অঞ্চলের আদি অধিবাসী ভূমিপুত্র অনার্যদের (শূদ্র) হটিয়ে দিয়ে ক্ষমতা দখল করতে শুরু করে, এবং একসময় তারা সফল হয় প্রচার করতে, বেদভিত্তিক বৈদিক ধর্ম। কিন্তু খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীর দিকে সম্রাট অশোক (২৬৪-২৩৮ খ্রিস্টপূর্ব) রাষ্ট্রশক্তির দ্বারা বৌদ্ধ ধর্মের বিস্তৃতি ঘটলে, বৈদিক ধর্মের সাথে তীব্র দ্বন্দের সৃষ্টি হয়। মৌর্য বংশের পতন, খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতাব্দীতে সুঙ্গ বংশের অভ্যুত্থান এবং খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতাব্দী সাতবাহন এবং গুপ্ত রাজাদের রাষ্ট্রীয় সমর্থন-পৃষ্ঠপোষকতা এবং ব্রাহ্মণ শ্রেণীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বৈদিক বা ব্রাহ্মণ্য বা হিন্দু ধর্মের পুনরুত্থান ত্বরান্বিত হয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে সেনরাজারা হিন্দুধর্মের গাছে জল-সার দিয়ে চাষাবাদ করেছেন। কিন্তু যখন রাষ্ট্রশক্তি পুনরায় ইসলাম ধর্মাবলম্বী আফগান-তুর্কিদের হাতে চলে যায় তখন আবার হিন্দু ধর্মটি অস্তিত্বের সংকটে ভোগতে শুরু করে। পরে ব্রিটিশরা এ অঞ্চলে মুসলমানদের হটিয়ে ক্ষমতা দখল করলে কিছুটা হলেও প্রাণশক্তি ফিরে পায় ব্রাহ্মণ্যবাদের দোসর এই ধর্ম। বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে পরিচিত ভারতে প্রকাশ্যে এবং পরোক্ষভাবে সুবিধা পেয়ে চলছে হিন্দু ধর্মটি!
ধর্ম আর ধর্মবাদীদের ব্যাপারে ‘মানবজাতির বিবেক’ বলে পরিচিত ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ারের (১৬৯৪-১৭৭৮) একটি উক্তি প্রণিধানযোগ্য। দার্শনিক ভলতেয়ার বলেন : ‘The first clergyman was the first sly rogue that met the first fool…, অর্থাৎ পৃথিবীর প্রথম পুরোহিত বা মোল্লা ব্যক্তিটি হচ্ছে পৃথিবীর প্রথম ধূর্ত বাটপাড়, যার মোলাকাত হয়েছিল প্রথম বোকা-নিবোর্ধ ব্যক্তিটির সঙ্গে; বাটপাড় ব্যক্তিটি নির্বোধ ব্যক্তিকে বুঝিয়ে-পাড়িয়ে নিজের অনুগত প্রথম ভক্ত বানিয়ে ফেলে। ক্রমে পুরোহিত তথা ধর্মযাজকেরা নতুন নতুন সুযোগ বুঝলো—সৃষ্টি হল পুরোহিততন্ত্র (Priestcraft); তারা সহজ সরল মানুষের অন্ধবিশ্বাসের সুযোগে সাধারণ মানুষ অপেক্ষা উৎকৃষ্টতা ও ডিভিনিটি দাবি করলো। মানুষ তাদের দাবি মেনে নিল, সঙ্গে সঙ্গে ধর্মযাজকেরা উৎপাদনশ্রম থেকে রেহাই পেল। পুরুষ মৌমাছি (Drone) মধুমক্ষিকার মতো তারা সাধারণের কষ্টার্জিত সম্পদ শুয়ে-বসে ভোগ করতে লাগলো। মানুষের ধর্ম-বিশ্বাস, দুর্বলতা, বিশ্বাসপ্রবণতা, সরলতা ইত্যাদিকে হাতিয়ার করে নিজেদের স্বার্থের অনুকূলে যুগে যুগে অনাচার, রক্তপাত, ডাইনি শিকার, শোষণ, নিপীড়ণ প্রভৃতির মহড়া চালিয়ে আসছে তথাকথিত ডিভিনিটির দাবিদার ডিভিন পুরোহিতেরা।” (দ্রষ্টব্য : পার্থিব জগৎ, পৃষ্ঠা ১২৭)। খ্রিস্টধর্ম, পুরোহিত শ্রেণী ও রোমান ক্যাথলিক চার্চকে লক্ষ্য করে ভলতেয়ারের একটি বিখ্যাত স্লোগান ছিল এরকম, “এই কুখ্যাত বস্তুটাকে গুড়িয়ে দাও!” (Crush the Infamy!)| শুধু ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ার নয়, পৃথিবীর অনেক দার্শনিক, চিন্তাবিদ, মনীষী, জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তি যুক্তিসঙ্গত কারণে কঠোর ভাষায় ‘ধর্ম’কে আক্রমণ করেছেন। ইউরোপের অষ্টাদশ শতকের জ্ঞানবাদী আন্দোলনের তাত্ত্বিক নেতা Baran D Holbach (১৭২৩-১৭৮৯) বলেছিলেন : ‘We find in all the religions of the earth, ‘a God of armies’, ‘a jealous God’, ‘an avenging God’, ‘a destroying God’, ‘a God who is pleased with Carnage’… এ জ্ঞানবাদী আন্দোলনের অসীম সাহসী নেতা ও পণ্ডিত হিসেবে পরিচিত ডেনিস দিদেরো (১৭১৩-১৭৮৪) পোপ তৃতীয় ক্লেমেন্ট রাষ্ট্রের প্রবল বাধা অতিক্রম করে ষোল খণ্ডে পৃথিবীর প্রথম বিশ্বকোষ বা এনসাইক্লোপেডিয়ার সম্পাদনা ও প্রকাশ করেন। দিদেরো মনে করতেন, “ধর্মের প্রতি যেকোনো ধরনের সহানুভূতি প্রকৃতপক্ষে অজ্ঞতা ও কুসংস্কারের সঙ্গে আপোষেরই নামান্তর।” (দ্রষ্টব্য : ধর্মের ভবিষ্যৎ, পৃষ্ঠা ১৬১)। শ্রমজীবী মানুষের মুক্তির দিশারী-বস্তুবাদী দার্শনিক মনীষী কার্ল মার্কস (১৮১৮-১৮৮৩) ইউরোপের ভাববাদী দার্শনিক হেগেলের (১৭৭০-১৮৩১) আইনের দর্শনের পর্যালোচনার ভূমিকাতে বলেন : “ধর্ম হল নিপীড়িত জীবের দীর্ঘশ্বাস, হৃদয়হীন জগতের হৃদয়, ঠিক যেমন সেটা হল আত্মবিহীন পরিবেশের আত্মা। ধর্ম হল জনগণের জন্য আফিম। মানুষের মায়াময় সুখ হিসেবে ধর্মকে লোপ করাটা হল মানুষের প্রকৃত সুখের দাবি করা। বিদ্যমান হালচাল সম্বন্ধে মোহ পরিত্যাগ করার দাবিটা হল যে-হালচালে মোহ আবশ্যক, সেটাকে পরিত্যাগ করার দাবি। তাই ধর্মের সমালোচনা হল ধর্ম যার জ্যোতির্মণ্ডল সেই অশ্রু উপত্যকার (এই পার্থিব জীবনের) সমালোচনার সূত্রপাত।” (দ্রষ্টব্য : ধর্ম প্রসঙ্গে, পৃষ্ঠা ৩১-৩২)। ‘ঈশ্বর মৃত’ (God is dead) ঘোষণাকারী হিসেবে খ্যাত জার্মান দার্শনিক ফ্রাহিদ্রিশ ভিল্হ্লেম নীট্শে (১৮৪৪-১৯০০) বলেন: “যারই ধমনীতে ধর্মতাত্ত্বিকের রক্ত আছে তিনি একেবারে প্রথম থেকেই সবকিছুর প্রতি ভ্রান্ত ও অসৎ দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন।… ধর্মতাত্ত্বিক যাকে সত্য বলে মনে করেন তা অবশ্যই মিথ্যা; এটিই সত্যতা নির্ণয়ের একটি মাপকাঠি।” এলবার্ট হিউবার্ট (১৮৫৯-১৯১৫) বলেন : “ধর্মতত্ত্ব হলো কিছু লোকের একটি বিষয়ের ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রচেষ্টা, যে বিষয়টি তাঁরা বোঝেন না। সত্য কথা বলা ধর্মতাত্ত্বিকদের উদ্দেশ্য নয়, ধর্মানুসারীদের খুশী করাই তাঁদের উদ্দেশ্য।” (দ্রষ্টব্য : পার্থিব জগৎ, পৃষ্ঠা ১৭)। আলবেয়ার কাম্যু (১৯১৩-১৯৬০) তাঁর ‘The Rebel’ গ্রন্থে বলেন : ‘One must learn to live and to die and in order to be a man, to refuse to be a God’. (অর্থাৎ একজনকে বাঁচা এবং মরার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে এবং মানুষের মতো বাঁচতে হলে ঈশ্বরকে অস্বীকার করতেই হবে।) ভারতীয় বস্তুবাদী পণ্ডিত রাহুল সাংকৃত্যায়ণ (১৮৯৩-১৯৬৩) ‘ঈশ্বরের অস্তিত্ব’ সম্পর্কে বলেন :
“অজ্ঞানতার অপর নাম ঈশ্বর”। আমরা আমাদের অজ্ঞানতাকে স্বীকার করতে লজ্জা পাই এবং তার জন্য বেশ ভারী গোছের একটা নামের আড়ালে আত্মগোপন করি। সেই ভারী গোছের আড়ালটির নামই ঈশ্বর। ঈশ্বর বিশ্বাসের আরও একটি কারণ হল বিভিন্ন বিষয়ে মানুষের অপারগতা ও অসহায়ত্ব। …অজ্ঞানতা আর অসহায়ত্ব ছাড়া আর কোনো কারণ যদি ঈশ্বর বিশ্বাসের পিছনে থেকে থাকে তা হল ধনী ও ধূর্ত লোকদের নিজ স্বার্থ রক্ষার প্রয়াস। সমাজে চলতে থাকা সহস্র অন্যায় অবিচারকে বৈধতা দেবার জন্য তারা ঈশ্বরের অজুহাতকে সামনে এনে রেখেছে। …ঈশ্বর বিশ্বাস এবং একটি সহজ সরল ছোটো শিশুর নিজস্ব বিশ্বাস, বস্তুত একই। পার্থক্য শুধু এইটুকুই ছোটো শিশুটির যুক্তি ভাঙার, উদাহরণ ইত্যাদির পরিমাণ খুবই সামান্য, আর বড়োদের ওগুলো খানিকটা বিকশিত।” (দ্রষ্টব্য : তোমার ক্ষয়, পৃষ্ঠা ৩৫)।
এখানে একটি বিষয় পরিষ্কার করা দরকার, এ প্রবন্ধের শিরোনাম ‘বোকার স্বর্গ’। এই শিরোনাম দেখে ধর্মবিশ্বাসীদের উত্তেজিত হওয়ার কিছু নেই, কারণ এর দ্বারা ধর্মবিশ্বাসীদের কোনোভাবেই বোকা বা নির্বোধ বলা হচ্ছে না। ‘বোকার স্বর্গ’ বলতে বোঝানো হচ্ছে শুধু ‘ধর্ম’ নামক ব্যবস্থাকেই; যার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ঈশ্বর/আল্লাহ/ভগবান ইত্যাদি ধারণা, উপাসনার নিয়ম-নীতি, রীতি-নীতি, বৈশিষ্ট্য, প্রথা ইত্যাদি। সোনার পাথর বাটি বা অশ্বডিম্ব যেমন অসম্ভব, তেমনি ধর্ম নামক সিস্টেমটি সমাজের জন্য মঙ্গলময়, কল্যাণকর ইত্যাদি মিথ্যে ধারণার খোলস উম্মুচন করে দেওয়ার জন্যই ‘বোকার স্বর্গ’ নামটি বেছে নেওয়া হয়েছে। এই ‘বোকার স্বর্গ’ ধর্ম নামক ব্যবস্থার কারণেই মানুষ কীরকম নির্বিবেক, অপরিণামদর্শী, কাণ্ডজ্ঞানহীন, অবৈজ্ঞানিক, কুসংস্কারাচ্ছন্ন হয়ে যায় তার ভুড়িভুড়ি উদাহরণ আমাদের চোখের সামনেই ঘটে চলছে সুদীর্ঘকাল ধরেই। দু-একটি উদাহরণ দেয়া যাক: খ্রিস্টানরা চতুর্থ শতাব্দীর দিকে প্রাচীন প্যাগান (Pagan) জার্মানদের ‘সভ্য’ করার নামে, ধর্ম প্রচারের নামে গণহত্যা চালিয়েছিল বিভৎস পন্থায়। ঐ সময় কোনো কোনো প্যাগান জার্মান গোষ্ঠী ওক গাছের পূজা করতো। যদি ওক গাছ সভ্য! হওয়া জার্মানদের পুরানো দিনের কথা মনে করিয়ে দেয়, আবার তাদের পথভ্রষ্ট করে ফেলে, সেজন্য খ্রিস্টধর্মাবলম্বী রোমান সৈন্যরা জার্মানিতে প্যাগানদের হত্যা করার পাশাপাশি একটি ওক গাছও আস্ত রাখেনি, কেটে সাফ করে দিয়েছিল! ধর্ম নামক ব্যবস্থা বলবৎ থাকার কারণে কিংবা ধর্মে বিশ্বাস রাখার কারণেই তো শিক্ষিত-অশিক্ষিত হিন্দুরা নিজেদের বিদ্যাবুদ্ধি, কাণ্ডজ্ঞান ‘সিন্ধুকে তালা মেরে দিয়ে’ সাপের পূজা করে (মনসা দেবী), নদীর পূজা করে (গঙ্গা), গরুর পূজা করে, গরুকে নিজের মায়ের সঙ্গে তুলনা করে, গরুর মলমূত্র দিয়ে ঘরবাড়িসহ নিজেদের পবিত্র করে, বাঁদরের (হনুমান) পূজা করে! মুসলিমরা অন্য ধর্মের উপাসনার রীতিনীতিকে কঠোর ভাষায় নিন্দা-সমালোচনা করলেও নিজেদের বোধবুদ্ধি, জ্ঞানকে ‘বগলদাবা’ করে কোরান শরিফের বাণী অনুসরণ করে পরম পুণ্যের কাজ ভেবে প্রতি বছর সৌদি আরবে হজের সময় কাবা ঘরকে কেন্দ্র করে সাতবার প্রদক্ষিণ (তাওয়াফ) করে, বহু শতাব্দী প্রাচীন ‘হজরে-আসওয়াদ’ বা কালো পাথরে (ঐতিহাসিকগণ ধারণা করেন, এটি একটি উল্কাপিণ্ড) আধ্যাত্মিক উল্লাস লাভের জন্য হুমড়ি খেয়ে চুমো খায়; হাজিদের কাছে এ-তো শুধু পাথরে চুমু খাওয়া নয়, নবী মুহাম্মদের হস্ত মুবারকেই চুমু খাওয়া! যদিও খলিফা ওমরের একটি বক্তব্য অনেক মুসলমানের জানা আছে; ওমর (রাঃ) একদা কাবা ঘরের ঐ কালো পাথরকে সম্বোধন করে বলেছিলেন : “আমি জানি তুমি একটা পাথর ছাড়া কিছুই নও, মানুষকে সাহায্য করা বা ক্ষতি করার তোমার কোনো ক্ষমতা নেই। যদি আমি আল্লাহর রসুলকে না দেখতাম তোমায় চুম্বন করতে, আমি তোমাকে কখনো চুম্বন করতাম না; বরং কাবাঘর হতে বহিষ্কৃত করে তোমাকে দূরে নিক্ষেপ করতাম।” (দ্রষ্টব্য : ফাউন্ডেশন অব ইসলাম, পৃষ্ঠা ৪১ এবং আরজ আলী মাতুব্বর রচনা সমগ্র ১, পৃষ্ঠা ১০৬)।
ধর্মের ইতিহাস থেকে আমরা দেখেছি, একশ্বেরবাদী ধর্মগুলো সংগঠিত এবং বিস্তৃত হওয়ার পূর্বে মানুষ বিভিন্নভাবে প্রাক-ধর্মীয় ‘টোটেম-প্রথা’ (Totemism) অনুসরণ করতো। টোটেম অর্থ সাধারণভাবে বিশেষ প্রজাতির প্রাণী; তবে বিশেষ প্রজাতির উদ্ভিদ এবং জড়বস্তুকেও টোটেম হিসেবে পূজা করা হয়; যেমন হিন্দুরা নির্দিষ্ট ধরনের কালো রঙের পাথরকে ‘শিবলিঙ্গ’ বানিয়ে পূজা করে। ইসলামপূর্ব আরবেও কাবা ঘরের এই পাথরকে পবিত্র মনে করা হতো, পূজা করা হতো। বর্তমানে হাজিদের কাবা শরিফে তাওয়াফের সময় পাথরে চুম্বন করা টোটেম-প্রথারই রূপান্তর মাত্র। হজের সময় হাজিরা মাথার চুল কামিয়ে ফেলেন, সাদা কাপড় (ইহরাম) পরিধান করেন, মক্কার কাবা ঘর থেকে কয়েকশো গজ দূরে সাফা-মারওয়া পাহাড়ের মধ্যবর্তী উপত্যকা অঞ্চলে সাতবার দৌড়াদৌড়ি করেন, মিনাতে কংক্রিটের তিনটি স্তম্ভকে ‘শয়তান’ বানিয়ে সাতবার করে মোট একুশটি ঢিল ছোঁড়েন। সেই ঢিলে আহত হয়ে এতোদিনে শয়তান মারা গিয়েছে কিনা জানা যায়নি, তবে শয়তানকে মারতে গিয়ে নিজেদের প্রচণ্ড অন্ধবিশ্বাস আর আবেগের আতিশয্যে সৃষ্ট হুড়োহুড়ির কারণে পদপিষ্ট হয়ে নিরীহ হাজিরা প্রায়শঃই মারা যান! ২০০৫ সালে ‘শয়তান’কে মারতে গিয়ে অর্ধশতাধিক বাংলাদেশিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তিনশতাধিক হাজি মারা গেছেন! হিন্দুরা প্রতি বছর দুর্গা পূজা কালী পূজাতে মহাধূমধামের সাথে পাঠা বলি দিয়ে থাকেন। বৃটিশ রাজত্বেই এই অঞ্চলে হিন্দু রাজা-জমিদারেরা এই দুই পূজাতে আয়োজন করে নরবলি দিতেন! বর্তমানে নরবলি দেওয়ার প্রথা রহিত হয়ে গেলে পূজা উপলক্ষে পাঠা বলি দেওয়া বেশ প্রচলিত। ইহুদি-খ্রিস্টান-ইসলামের ধর্মগ্রন্থ থেকে জানা যায়, আব্রাহাম বা ইব্রাহিম একটি স্বপ্ন দেখেই অন্ধের মতো নিজের সন্তানকে কোরবানি দিতে নিয়ে যান, তবে শেষমেশ ঐশীবাণী পেয়ে সন্তানকে কোরবানি না দিয়ে একটি দুম্বাকে কোরবানি দেন! আব্রাহামের এই বাণী-কর্মকে বিশ্বাস করে সারা বিশ্বের মুসলমানরা প্রতি বছর কোরবানির ঈদে লক্ষ লক্ষ নিরীহ পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন। এতে তাদের মন বিন্দুমাত্র চিত্তবিচলিত হয় না, মনে কোনো সংশয় জাগে না; এ অপচয়-বাহুল্য ধর্তব্যের মধ্যে আনা হয় না। বাংলাদেশের অন্যতম লোকায়ত দার্শনিক আরজ আলী মাতুব্বর এ নিয়ে অত্যন্ত স্পষ্টভাবে প্রশ্ন তুলেছিলেন :
“কোরবানি প্রথার ভিত্তিমূল সুদৃঢ় নয়। একটি স্বপ্নের উপর ভিত্তি করিয়া প্রতি বৎসর লক্ষ লক্ষ পশুর জীবন নষ্ট হইতেছে। উপন্যাসকে ইতিহাস বলিয়া গ্রহণ করিলে যেরূপ ভুল করা হয়, স্বপ্নের রূপককে বাস্তব বলিয়া গ্রহণ করিলে সেইরূপ ভুল হইতে পারে না কি?… বর্তমান কোরবানি প্রথায় পশুর কোনো সম্মতি থাকে কি? একাধিক লোকে যখন একটি পশুকে চাপিয়া ধরিয়া জবেহ করেন, তখন সে দৃশ্যটি বীভৎস বা জঘন্য নয় কি? মনে করা যাক, মানুষের চেয়ে বেশি শক্তিশালী এক অসুর জাতি পৃথিবীতে আবির্ভূত হইয়া, তাহারা পুণ্যার্থে মহেশ্বর নামক এক দেবতার নামে জোরপূর্বক মানুষ বলি দিতে আরম্ভ করিল। তখন অসুরের খাঁড়ার (ছুরির) নীচে থাকিয়া মানুষ কি কামনা করিবে? ‘মহেশ্বরবাদ ধ্বংস হউক, অসুর জাতি ধ্বংস হউক, অন্ধ বিশ্বাস দূর হউক’―ইহাই বলিবে না কি?… কোরবানি প্রথায় দেখা যায় যে, কোরবানিতে পশুর হয় ‘আত্মত্যাগ’ এবং কোরবানিদাতার হয় ‘সামান্য স্বার্থত্যাগ”। দাতা যে মূল্যে পশু খরিদ করেন, তাহাও সম্পূর্ণ ত্যাগ নহে। কেননা মাংসাকারে তাহার অধিকাংশই গৃহে প্রত্যাবর্তন করে, সামান্যই হয় দান।… বলির পশুর আত্মোৎসর্গ না মাংসোৎর্গ? মাংস তো আহার করি এবং আত্মা তো ঐশ্বরিক দান। উৎসর্গ করা হইল কি?”
কতো সাধারণ প্রশ্ন অথচ কী তার গভীরতা। নৃতত্ত্ববিদ Robertson Smith তাঁর Religion of The Semites গ্রন্থে দেখিয়েছেন, পশু কোরবানি প্রথার মূলে রয়েছে মানুষের টোটেম-প্রথার অনুসরণ। বিশেষ অনুষ্ঠানে বা উৎসবে টোটেম প্রাণীকে হত্যা করে তাকে খাবার হিসেবে গ্রহণ করার রীতি বিভিন্ন ধর্মে বেশ প্রচলন রয়েছে। প্রাক ইসলামি আরব-সমাজেও পশু ও মানুষ কোরবানির ব্যাপক প্রচলন ছিল; কিন্তু, সমাজ বিকাশের সাথে-সাথে এবং সামাজিক প্রয়োজনে ‘মানুষ’ কোরবানির রীতি ধীরে ধীরে রহিত হয়ে গেছে কিন্তু আদিম সংস্কৃতির কিছু কিছু অবশেষ যেমন পশু কোরবানির প্রথা এখনো টিকে রয়েছে। Samuel M. Zwemer তাঁর The Influence of Animism on Islam: An account of Popular Superstitions গ্রন্থে অত্যন্ত চমৎকারভাবে দেখিয়েছেন মুহাম্মদ একেশ্বরবাদের চর্চার অংশ হিসেবে ইসলাম ধর্ম তৈরি এবং প্রচার করলেও সম্পূর্ণরূপে সফল হতে পারেননি; তিনি সময় এবং পরিবেশ দ্বারা মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হয়েছেন। ইসলাম ধর্মের প্রচুর উপাদান যেমন নামাজ পড়ার রীতি, সন্তান জন্মের পর আকিকা করা, শয়তান-ফেরেশতা-জীনের ধারণা, হজ, কোরবানি ইত্যাদি সর্বপ্রাণবাদী (Animist) রীতি ইসলাম পূর্ব আরবে বহুল প্রচলিত ছিল এবং এগুলো মুহাম্মদ দু’হাতে ইসলামে আত্তীকরণ ঘটিয়েছেন; আবার কিছু কিছু বাদও দিয়েছেন। ইসলামপূর্ব আরবে সার্বিয়েনরা ছিল নক্ষত্র পূজারী, হিমিয়ারবাসীরা সূর্যের উপাসনা করতো, আসাদ ও কিয়ানা গোত্রের লোকেরা ‘আল্লাত’ দেবী হিসেবে চন্দ্রের, ‘মানাত’ দেবী হিসেবে ভেনাসের (শুক্র গ্রহ) ও ‘উজ্জা’ দেবী হিসেবে সাইরিয়াসের (লুব্ধক নক্ষত্র) পূজা করতো। কোরানে আমরা দেখি, সুরা নজমে স্পষ্টভাষায় বলা হয়েছে, তিনি শিরা নক্ষত্রের মালিক That He is the Lord of Sirius (the Mighty Star) “আল্লাহ সাইরিয়াসের প্রভু।” (সুরা নজম ৫৩, আয়াত ৪৯)। অনেকগুলির সুরার নামকরণ হয়েছে প্যাগান দেব-দেবীর নামে, যেমন : সুরা ৮৬ ‘তারিকা’ নক্ষত্র দেবতার নাম, সুরা ১১০ ‘নসর’ প্রাচীন আরব্যগোষ্ঠী হিমিয়ারদের দেবতার নাম, সুরা ৯১ ‘শামস্’ মধ্যপ্রাচ্যে এক সময় ব্যাপকভাবে পূজিত সৌরদেবীর নাম।
আজকের যুগে কোরবানির জন্য কেউ কেউ অজুহাত খাড়া করেন, এই কোরবানির ফলে নাকি গরীবের মাংস চাহিদা মিটবে কিছুটা হলেও। সারা বছর খোঁজ নেই, আর বছরে একবার মাংস খেয়ে গরীবেরা তাদের শরীরের প্রোটিন-চাহিদা মিটিয়ে ফেলবে। আরো বলা হয়, মুসলিমদের রোজা কিংবা হিন্দুদের উপবাসের কথা। এ নিয়ে উভয় ধর্মাবলম্বীরা প্রায় সমার্থক ‘বৈজ্ঞানিক যুক্তি’ প্রদান করে থাকেন। মুসলিম বুজুর্গরা আমাদের জ্ঞান দেন, বছরে একমাস দিনের বেলায় উপবাসী থাকা (সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খাদ্য-পানীয় গ্রহণ থেকে বিরত থাকা) স্বাস্থ্যপ্রদ এবং সে কারণে ইসলাম ধর্মের এই বিধান ‘বিজ্ঞানসম্মত’। এমনও প্রচার আছে যে, রোজা রাখলে নাকি পেটের আলসার (পেপটিক আলসার, যা মূলত খাদ্যগ্রহণের অনিয়ম থেকে হয়) সেরে যায়! এ ধরনের অবৈজ্ঞানিক ‘গুজব’ সম্পর্কে ডা. মনিরুল ইসলাম তাঁর ‘বিজ্ঞানের মৌলবাদী ব্যবহার’ গ্রন্থে বলেছেন :
“রোজাকে মোটা দাগে স্বাস্থ্যপ্রদ বলা মোটেও সঠিক নয়। মানুষের যে জৈবিক ঘড়ি (Biological Clock) থাকে, রোজার সময় তার হেরফের হয় এবং শরীরে এক ধরনের ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়, অবশ্য অধিকাংশ মানুষের শরীর এই অবস্থার সাথে খাপ খাইয়ে নেয়। দিনের বেলায় মানুষ যখন জেগে থাকে এবং কাজ করে তখন শরীরে ক্ষয়মূলক অপচিতির (Catabolism) মাধ্যমে প্রচুর ক্যালরি (শক্তি) নির্গত হয়। এ সময় বিশেষত যারা কায়িক পরিশ্রম করেন তাদের পক্ষে খাদ্য গ্রহণ না করা মোটেও স্বাস্থ্যপ্রদ নয় বরং স্বাস্থ্যহানিকর। বলা হয়, রোজার সময় খাদ্যনালী বিশ্রাম লাভ করে এবং সবল হয়ে ওঠে। এটি কোনো পরীক্ষিত ব্যাপার নয়। দীর্ঘ উপবাস (৮ ঘণ্টার উপরে) অন্ত্রের আলসার বা ঘা বাড়িয়ে তোলে। কিছু কিছু পেটের রোগে সাময়িক উপবাস চিকিৎসার একটি অঙ্গ কিন্তু সে সব রোগগ্রস্ত ব্যক্তি স্বাভাবিক মানুষের সাথে তুল্য নয়। এবং এদের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় খাদ্যপুষ্টি ও ঔষধ শিরার মাধ্যমে প্রদান করা হয়ে থাকে” (‘বিজ্ঞানের মৌলবাদী ব্যবহার’ পৃষ্ঠা ৩০-৩১)।
চলবে-
Mr. Monawwar,
Please do not consider this conversation as a personal attack. This is debate with you. You have cited examples of religious people, who are donating and meditating. That’s very good. The compassion for others is a basic human characteristic, and we do not have to be religious minded to do so. When religion comes in, there is chance that it will introduce bias. A religious person may be inclined to extend his hands for others normally with the same religious affiliations. That’s where the problem is. It creates artificial walls in the society. This is not to say that it never happens across the religious boundaries; it does. But the wall will sometime be an obstacle to this great human endeavor. Compassion is a human characteristic, not a property of the contemporary religion. In fact, compassion for others is a part of human religion, which we all should believe in.
Dear Dr. Roy
You have come back to argue the same very points with the same kind of list. In the first instance one of us were either right or wrong or partially right or partially wrong. If you were right and I was wrong or the visa virsa –that standing would have sufficed as an ending of the conversation. I clearly pointed out that the most the list could pursue was that within it some cases could be argued as religious battles, but that point had not been over looked in the first place when I posted my comments. Then you produced a second list.
What exactly is the supposition behind the production of the lists? Is it that we are not aware of the issues and the citations are the ‘indisputable’ evidence to convince us that all ‘religions’ are evil and the quicker we get rid of them, the better it is? Well, I disagreed with you and still do. When a huge range of complexities of social, religious, economic and other factors involved in a phenomenon called ‘religion’ which developed over thousands of years with enormous verities and practices within it, there is no point for me to engage into a generalised discussion. If all ‘religions’ have a straight forward, singular, meaning to you (across time and space), which is that they (the religions) are the embodiment of cruelty, superstition and insanity, it’s your view, live with it. To me this indiscriminate, generalised notion of religion is not only dangerous, but it embodies ‘all the evils’ it projects onto the religions at large. Moreover, there is a fundamentalist spirit in it which tries to eliminate them (the religions).
Well, since you have come back, let me tell you this; I have a neighbour who meditates everyday, calls himself a religious man, helps people in the neighbourhood, prays to a God, seeks courage from Him to do more good. Do I go and tell him to stop these because what he is doing is religion and the religion is bad? Do I insist he should stop it because the remains and archaeological evidences suggest that the Maya civilisation had the practice of human sacrifice in their religion? Or instead I give him the two lists you so kindly and laboriously produced to me as ‘documentary evidences’ of why he should stop?
Let me give you two more examples. I live in a multi-religious community here in the UK and I cannot recognise the lists befitting their religious standing. I am very sure they will condemn the cruelty and brutality portrayed in them. I have observed also over years people donating through Bengali TV’s furnrasing programmes for the victims of tsunami, floods, earth quakes, orphanages, for the victims of war and they paid their money with the good faith that God would accept their charitable deeds and reward them with ‘Heaven’. Are all these evil things they are doing? I have seen poor individuals and families in Bangladesh who have no support from anywhere but under all severe difficulties they cope with the only thing they have, which is faith in God. Should they be told to give it up, because Islam is a religion of terror? Can I just possibly ask you, (no emotion attached to the questions), what right do you have to dismiss people’s faith and their pious practices through your generalised views of religions? What right do you have to stop them? Do you feel ‘illuminated’, enlighten?
Over the few comments that I made in this forum, I tried to indicate some specificity by using such terms as spirituality, the human heritage in exploring the grand question of our existence, living a mode of spiritual life, so as to separate from the dogmatic characters of religion and to find common area for a meaningful conversation when there was no agreed terms of reference for using the word ‘religion.’
Our humanity has been exploring our conditions of what we are, our nature, our violence, our crimes, our hopes, our love, our hetred and our frustration. Through examining and experiencing our innate nature we have sought, amongst many other ways, to address some of the threats and challenges posed in living a life. This exploration had assumed many names and alternated between spirituality and religion, but dogmatism and state use of it as terror element had suffocated it time and again. But these latter two elements are not endemic to religion, they exist outside it too. Dogmatism can be in seen in state apparatuses, governance, bureaucracy and aristocratic tradition. Terror has been the ‘whip’ to control the mob and it hasn’t ceased in the 21st century. If all religions are stopped, in spite of the logical absurdity and the impossibility, the use of dogmatism and terror will continue.
Finally, the destructive power of ‘religion’ is not unknown me, and the statement, that … people over the ages fought for all kind of interests … hadn’t caught any red herring, and as for the word ‘sequitur’, let me acknowledge my ignorance of its meaning. Surely the ‘palm-tree’ argument can be thrown by any side. I accept that two wrongs do not make a right –people’s misuse of religions cannot not be put right by dismissing other people’s good deeds as evil. Since your last posting is not a progression from the previous thematic state, as much as it is an expansion of it, my previous two comments hold.
I, hope, have made my position clearer to you, if it was not so before. And if there is no shift of understanding, you need not come back to me, for our standing will be irreconcilable.
I guess I did not miss the point. Definitely politics played a significant role for violence using religion, however it would be naive to forget the power of religious belief can also cause destruction. It has enormous capability by itself. Humanity has had a long satisfaction with blood sacrifice. In fact, it has been by no means uncommon for a child to be born into this world only to be patiently and lovingly reared by religious maniacs who believe that the best way to keep the sun on the course or to ensure a rich harvest is to lead him by tender hand into a field or to mountaintop and burry, butcher, or burn him alive as an offering to an invisible God. In fact almost no culture has been exempt from evil: if the history read properly – the Sumerians, Phoenicians, Egyptians, Hebrews, Canaanites, Maya, Inca, Astes, Olmecs, Greeks, Romans, Carthaginians, Teutons, Celts, Druids, Vikings, Gauls, Hindus, Thais, Chinese, Japanese, Maoris, Melanesians, Tahitians, Hawaiians, Balinese, Australian aborigines, Iroquois, Huron, Cherokee, and innumerable other societies ritually murdered their fellow human beings because they believed that invisible gods and goddesses having an appetite for human flesh, could be so propitiated. Take these specific examples –
– In many societies whenever a new building was constructed, it was thought only prudent to pacify the local deities by burying children alive beneath its foundations
– Many societies regularly sacrificed virgins to ward off floods.
– Others killed their firstborn children, and even ate them as a way of mother’s ongoing fertility.
– In some courtiers, infants were ritually fed to sharks as their part of festivals.
– Indians burned hundreds and thousands of widows so that they could follow their husbands into next world.
– In some cultures, whenever a nobleman died, other men and women are allowed themselves to be buried alive so as to serve as his retainers in the next world.
– In ancient Rome children were occasionally slaughtered so that future could be read in their entrails.
– Some Fijian prodigy devised a powerful sacrament called “Vakatoga” which required that victims limbs be cut off and eaten while he watched.
– Some African tribes have a long history of murdering people to send as couriers in a one-way dialogue with their ancestors or to convert their body parts into magical charms.
– Many Islamic societies have the culture of honor killing and stoning to death for ‘jena’ supported by holy books.
It is essential to realize that such obscene misuses of human lives have always been explicitly religious. For more on human sacrifice for religion, I would recommend the following book: Human Sacrifice, In History and Today by N. Davies.
It’s a classic case of Red Herring or Non sequitur. Many of the members here are aware of the killing in name of communism or capitalism etc. Two wrongs do not make a right. If President Roberts lied in his Congressional testimony, that does not make it acceptable for President Obama to do so as well. It is an attempt to change or distract from the issue. Since you are defending religion, it’s your duty of clarify how religion is any better than other ideologies which you are pointing to.
If religions (or its violent parts) go away it will not diminish all the evils for sure, but at least we will be able to prevent some of those. We can certainly prevent those people who justify their actions using holly books claiming those are the direct word of God. Nevertheless, I agree that there will be always a political struggle or fight and there will be always remain some evil due to that, but at least we can truncate those evil which punishes the girls from stoned to death or getting beheaded for changing or criticizing a particular faith etc. Look at the example how we saved humanity against blasphemy when we started worldwide movement to save the life of the free thinker Dr. Yunus Sheikh. We we did not carry out the movement he would have been hanged by now. Take a look how we pressurized the government to save the life of Amina Lawal Kurami who was sentenced to death by stoning, after being charged with having a baby out of wedlock, after divorcing. We were able to set her free. No one can denary the significance of such significant achievement. Nevertheless, you are also free to point out evil that comes from other events such as imperialism, communism, capitalism or anything else (and many people are also writing on those issues). These are not mutually exclusive, I guess.
I am not sure whom you are pointing too, but anybody can accuse you in the same way for having ‘missionary zeal’ to prevent religion from any kind of criticism or even call you a fundamentalist for having ‘palm-tree is mine’ attitude. Using of such adjectives in a meaningful debate will lead us to nowhere for sure.
Avijit
Look, when I have responded to an issue twice, why is it that you have to ‘nag on and on’ over the same? If you can’t agree with me, fine. You are determined to follow the ‘fools’ paradise’ as I stated in my earlier response and if Mr. A. Malik is able to lead to that –that’s also fine. You have my complete response on the issue. If you don’t understand it, read it again. Still, if you think you are right, then live with your right.
“If religion bestows divinity and spirituality in the mind of its followers, they all should be doing the right things. Isn’t it?” What do think you are saying? Does religion bestows ‘divinity’ on anyone? What religion are we talking about?
And when you say, “The spiritual life you are talking about is a life of faith, which can only be 50% correct”, how do you arrive at that calculation? And especially when you want to create a world of peace, (the fools’ paradise, as has been the unwitting title of Mr. Malik’s essay), by destroying the religions, are you fighting against the 50% or the whole of 100%?
Keep well and keep fighting. There is no point for us to continue, because either I am not at your level of understanding or you are not at my level. The standpoints are widely apart. Thank you.
Mr. Monawwar Said:
Reply:
You are saying that religion is not to blame for whatever people do with it. If your inference is correct, then tell me why so many wars were faught during the initiation of Islam around the world? Are you telling me that they all misued the religion? If religion bestows devinity and spirituality in the mind of its followers, they all should be doing the right things. Isn’t it?
The spiritual life you are talking about is a life of faith, which can only be 50% correct, at best, because no one knows the truth. So far proven facts are found to be against our established faiths. Therefore, we should be mindful of that fact when we believe in something.
Response: Dr. A. Roy and Mr. J. Roy.
Dr. Roy seems to have missed the point by producing a tall list which only confirms how religions have been used for territorial gains and usurping of power, one by another, which nevertheless include the Muslims killings Muslims, the expansion of the Islamic empire, the crusades of repelling the Muslim advances in Europe and the conquest of Jerusalem. We carefully considered all these before making our point –if a large number of Muslims kill another large number for who should have the control over a territory, does it become a religious war? We stated that people over the ages fought for kind of interests such of which include ideologies: communism, capitalism, democracy, notwithstanding religions in some cases (still arguably whether for religion or power) and cited many examples from classical to modern ending with the first question: “why then is the exclusive and gross generalisation of religions in this?” and the next, ‘Of course the lunatics, opportunists, warmongers, fear-mongers, racists, royalists, anti-royalists, politicians and many others have found easy home into religions but is this a logical case against belief and living a mode of spiritual life?’
After all this, when someone comes along with a tall list which, for the sake of politeness if taken on board, the most it can pursue is that within it some cases could be justified as religious battles, but this point has not been over looked in the first place, what can you do? When a discussion deviates from its original premises, and everyone adamantly throws anything to everything under one’s disposal, it becomes a ‘quarrel’ rather than an argument.
If someone is determined to believe that all ills of the world will simply vanish, if the religions are destroyed –right or wrong, metaphorically of course, this is a dream of paradise and, pardon me to add, ‘it’s a fool’s paradise’. This is a metanarrative of fundamentalist type, which Islam, Christianity, Communism (I am not sure of Hiduism) had employed by saying if the people had swallowed their pills, all ills of the world will be over. The point that is grossly overlooked here is that this narrative doesn’t consider the sociological reality that human beings are ‘believing animals’ and the fact that ‘belief’ is not ‘rational.’ And what is not rational cannot be fought with rationality – how on earth, then, one group of fools convince the other of their paradise being better?
I suppose I have now seen enough of the type of ‘arguments’ here – here it’s more about ‘missionary zeal’ than logical discussion whose final point is more like, ‘I will participate in the discussion, but the palm-tree is mine’ –that is also the nature of fundamentalism. In such remit, no matter how many years you argue, the one who likes to destroy the religion and the one who wants to preach for its expansion will continue –so Good luck.
I agree with the above comment of Dr. Jiten Roy. If we give an impartial look at the history book, we will see how the ‘holy hate’ not only discriminated people, but acted as a major source of violence and impation. Here are some examples:
— In ancient Arab, 10,000 Muslims were killed by Muslims themselves by civil war of Jamal. Another 70,000 were killed in siffen war between Hazrat Ali and Hazrat Muaiba, mind it – people were very less in number in Arab at that time. Earlier, the prophet of the Islam, also on one occasion killed 700 surrendered people (grown up men of the Jew tribe Banu Quraiza) and had captured the women and children as slaves (including young pretty women as sex-slaves). Besides these, there are plenty evidences on Muslim’s genocide on Muslims. You can find some of these here.
— In Bible (see verse Numbers 31:16-18 etc.), Moses commands the murder of approximately 100,000 young males and, roughly, 68,000 helpless women.
— In Ramayan, Rama killed Shamvuka, a schedulecast sudra for reciting Vedas. There are a lot of incidents like this. You can find several other incidents here.
— Human sacrifice blossomed in the Mayan theocracy of Central America between the 11th and 16th centuries. To appease a feathered-serpent god, maidens were drowned in sacred wells and other victims either had their hearts cut out, were shot with arrows, or were beheaded. Elsewhere, sacrifice was sporadic. In Peru, pre-Inca tribes killed children in temples called “houses of the moon.” In Tibet, Bon shamans performed ritual killings. In Borneo builders of pile houses drove the first pile through the body of a maiden to pacify the earth goddess. In India, Dravidian people offered lives to village goddesses, and followers of Kali sacrificed a male child every Friday evening.
— In the Third Crusade, after Richard the Lion-Hearted captured Acre in 1191, he ordered 3,000 captives — many of them women and children — taken outside the city and slaughtered. Some were disemboweled in a search for swallowed gems. Bishops intoned blessings. Infidel lives were of no consequence. As Saint Bernard of Clairvaux declared in launching the Second Crusade: “The Christian glories in the death of a pagan, because thereby Christ himself is glorified.”
— The Assassins were a sect of Ismaili Shi’ite Muslims whose faith required the stealthy murder of religious opponents. From the 11th to 13th centuries, they killed numerous leaders in modern-day Iran, Iraq and Syria. They finally were wiped out by conquering Mongols — but their vile name survives.
— Throughout Europe, beginning in the 1100s, tales spread that Jews were abducting Christian children, sacrificing them, and using their blood in rituals. Hundreds of massacres stemmed from this “blood libel.” Some of the supposed sacrifice victims — Little Saint Hugh of Lincoln, the holy child of LaGuardia, Simon of Trent — were beatified or commemorated with shrines that became sites of pilgrimages and miracles.
— In 1209, Pope Innocent III launched an armed crusade against Albigenses Christians in southern France. When the besieged city of Beziers fell, soldiers reportedly asked their papal adviser how to distinguish the faithful from the infidel among the captives. He commanded: “Kill them all. God will know his own.” Nearly 20,000 were slaughtered — many first blinded, mutilated, dragged behind horses, or used for target practice.
— Muslim holy wars spread Islam westward across North Africa and up through Spain – and eastward into India – and northward through the Balkans into Austria. The horror in the Balkans (between Catholic Croatians, Orthodox Serbs and Muslim Bosnians and Kosovars) is historic fallout from the ancient Muslim conquest.
— The Fourth Lateran Council in 1215 proclaimed the doctrine of transubstantiation: that the host wafer miraculously turns into the body of Jesus during the mass. Soon rumors spread that Jews were stealing the sacred wafers and stabbing or driving nails through them to crucify Jesus again. Reports said that the pierced host bled, cried out, or emitted spirits. On this charge, Jews were burned at the stake in 1243 in Belitz, Germany — the first of many killings that continued into the 1800s. To avenge the tortured host, the German knight Rindfliesch led a brigade in 1298 that exterminated 146 defenseless Jewish communities in six months.
— In the 1200s the Incas built their empire in Peru, a society dominated by priests reading daily magical signs and offering sacrifices to appease many gods. At major ceremonies up to 200 children were burned as offerings. Special “chosen women” — comely virgins without blemish — were strangled.
— Also during the 1200s, the hunt for Albigensian heretics led to establishment of the Inquisition, which spread over Europe. Pope Innocent IV authorized torture. Under interrogation by Dominican priests, screaming victims were stretched, burned, pierced and broken on fiendish pain machines to make them confess to disbelief and to identify fellow transgressors. Inquisitor Robert le Bourge sent 183 people to the stake in a single week.
— In Spain, where many Jews and Moors had converted to escape persecution, inquisitors sought those harboring their old faith. At least 2,000 Spanish backsliders were burned. Executions in other countries included the burning of scientists such as mathematician-philosopher Giordano Bruno, who espoused Copernicus’s theory that the planets orbit the sun.
— When the Black Death swept Europe in 1348-1349, rumors alleged that it was caused by Jews poisoning wells. Hysterical mobs slaughtered thousands of Jews in several countries. In Speyer, Germany, the burned bodies were piled into giant wine casks and sent floating down the Rhine. In northern Germany Jews were walled up alive in their homes to suffocate or starve. The Flagellants, an army of penitents who whipped themselves bloody, stormed the Jewish quarter of Frankfurt in a gruesome massacre. The prince of Thuringia announced that he had burned his Jews for the honor of God.
— The Aztecs began their elaborate theocracy in the 1300s and brought human sacrifice to a golden era. About 20,000 people were killed yearly to appease gods — especially the sun god, who needed daily “nourishment” of blood. Hearts of sacrifice victims were cut out, and some bodies were eaten ceremoniously. Other victims were drowned, beheaded, burned or dropped from heights. In a rite to the rain god, shrieking children were killed at several sites so that their tears might induce rain. In a rite to the maize goddess, a virgin danced for 24 hours, then was killed and skinned; her skin was worn by a priest in further dancing. One account says that at King Ahuitzotl’s coronation, 80,000 prisoners were butchered to please the gods.
— In the 1400s, the Inquisition shifted its focus to witchcraft. Priests tortured untold thousands of women into confessing that they were witches who flew through the sky and engaged in sex with the devil — then they were burned or hanged for their confessions. Witch hysteria raged for three centuries in a dozen nations. Estimates of the number executed vary from 100,000 to 2 million. Whole villages were exterminated. In the first half of the 17th century, about 5,000 “witches” were put to death in the French province of Alsace, and 900 were burned in the Bavarian city of Bamberg. The witch craze was religious madness at its worst.
— The “Protestant Inquisition” is a term applied to the severities of John Calvin in Geneva and Queen Elizabeth I in England during the 1500s. Calvin’s followers burned 58 “heretics,” including theologian Michael Servetus, who doubted the Trinity. Elizabeth I outlawed Catholicism and executed about 200 Catholics.
— Protestant Huguenots grew into an aggressive minority in France in the 15OOs — until repeated Catholic reprisals smashed them. On Saint Bartholomew’s Day in 1572, Catherine de Medicis secretly authorized Catholic dukes to send their soldiers into Huguenot neighborhoods and slaughter families. This massacre touched off a six-week bloodbath in which Catholics murdered about 10,000 Huguenots. Other persecutions continued for two centuries, until the French Revolution. One group of Huguenots escaped to Florida; in 1565 a Spanish brigade discovered their colony, denounced their heresy, and killed them all.
— Members of lndia’s Thuggee sect strangled people as sacrifices to appease the bloodthirsty goddess Kali, a practice beginning in the 1500s. The number of victims has been estimated to be as high as 2 million. Thugs were claiming about 20,000 lives a year in the 1800s until British rulers stamped them out. At a trial in 1840, one Thug was accused of killing 931 people. Today, some Hindu priests still sacrifice goats to Kali.
— In 1583 in Vienna, a 16-year-old girl suffered stomach cramps. A team of Jesuits exorcized her for eight weeks. The priests announced that they had expelled 12,652 demons from her, demons that her grandmother had kept as flies in glass jars. The grandmother was tortured into confessing that she was a witch who had engaged in sex with Satan. She was then burned at the stake. This was one of perhaps one million such executions during three centuries of witch-hunts.
— The Anabaptists, communal “rebaptizers,” were slaughtered by both Catholic and Protestant authorities. In Munster, Germany, Anabaptists took control of the city, drove out the clergymen, and proclaimed a New Zion. The bishop of Munster began an armed siege. While the townspeople starved, the Anabaptist leader proclaimed himself king and executed dissenters. When Munster finally fell, the chief Anabaptists were tortured to death with red-hot pincers and their bodies hung in iron cages from a church steeple.
— Oliver Cromwell was deemed a moderate because he massacred only Catholics and Anglicans, not other Protestants. This Puritan general commanded Bible-carrying soldiers, whom he roused to religious fervor. After decimating an Anglican army, Cromwell said, “God made them as stubble to our swords.” He demanded the beheading of the defeated King Charles I, and made himself the holy dictator of England during the 1650s. When his army crushed the hated Irish Catholics, he ordered the execution of the surrendered defenders of Drogheda and their priests, calling it “a righteous judgment of God upon these barbarous wretches.”
— Ukrainian Bogdan Chmielnicki was a Cossack Cromwell. He wore the banner of Eastern Orthodoxy in a holy war against Jews and Polish Catholics. More than 100,000 were killed in this 17th-century bloodbath, and the Ukraine was split away from Poland to become part of the Orthodox Russian empire.
— The Thirty Years’ War produced the largest religious death toll of all time. It began in 1618 when Protestant leaders threw two Catholic emissaries out of a Prague window into a dung heap. War flared between Catholic and Protestant princedoms, drawing in supportive religious armies from Germany, Spain, England, Holland, Denmark, Sweden, France and Italy. Sweden’s Protestant soldiers sang Martin Luther’s “Ein ‘Feste Burg” in battle. Three decades of combat turned central Europe into a wasteland of misery. One estimate states that Germany’s population dropped from 18 million to 4 million. In the end nothing was settled, and too few people remained to rebuild cities, plant fields, or conduct education.
— When Puritans settled in Massachusetts in the 1600s, they created a religious police state where doctrinal deviation could lead to flogging, pillorying, hanging, cutting off ears, or boring through the tongue with a hot iron. Preaching Quaker beliefs was a capital offense. Four stubborn Quakers defied this law and were hanged. In the 1690s fear of witches seized the colony. Twenty alleged witches were killed and 150 others imprisoned.
— In 1723 the bishop of Gdansk, Poland, demanded that all Jews be expelled from the city. The town council declined, but the bishop’s exhortations roused a mob that invaded the ghetto and beat the residents to death.
— Islamic jihads (holy wars), mandated by the Koran, killed millions over 12 centuries. In early years, Muslim armies spread the faith rapidly: east to India and west to Morocco. Then splintering sects branded other Muslims as infidels and declared jihads against them. The Kharijis battled Sunni rulers. The Azariqis decreed death to all “sinners” and their families. In 1804 a Sudanese holy man, Usman dan Fodio, waged a bloody jihad that broke the religious sway of the Sultan of Gobir. In the 1850s another Sudanese mystic, ‘Umar al-Hajj, led a barbaric jihad to convert pagan African tribes — with massacres, beheadings and a mass execution of 300 hostages. In the 1880s a third Sudanese holy man, Muhammad Ahmed, commanded a jihad that destroyed a 10,000-man Egyptian army and wiped out defenders of Khartoum led by British general Charles “Chinese” Gordon.
— In 1801 Orthodox priests in Bucharest, Romania, revived the story that Jews sacrificed Christians and drank their blood. Enraged parishioners stormed the ghetto and cut the throats of 128 Jews.
— During 1815 to 1828 about 8135 women (average of about 507 to 567 documented incidents per year) were burned alive due to the Hindu religious custom- Sati. Some incidents can be found here.
— When the Baha’i faith began in Persia in 1844, the Islamic regime sought to exterminate it. The Baha’i founder was imprisoned and executed in 1850. Two years later, the religious government massacred 20,000 Baha’is. Streets of Tehran were soaked with blood. The new Baha’i leader, Baha’ullah, was tortured and exiled in foreign Muslim prisons for the rest of his life.
— Human sacrifices were still occurring in Buddhist Burma in the 1850s. When the capital was moved to Mandalay, 56 “spotless” men were buried beneath the new city walls to sanctify and protect the city. When two of the burial spots were later found empty, royal astrologers decreed that 500 men, women, boys, and girls must be killed and buried at once, or the capital must be abandoned. About 100 were actually buried before British governors stopped the ceremonies.
— In 1857 both Muslim and Hindu taboos triggered the Sepoy Mutiny in India. British rulers had given their native soldiers new paper cartridges that had to be bitten open. The cartridges were greased with animal tallow. This enraged Muslims, to whom pigs are unclean, and Hindus, to whom cows are sacred. Troops of both faiths went into a crazed mutiny, killing Europeans wantonly. At Kanpur, hundreds of European women and children were massacred after being promised safe passage.
— Late in the 19th century, with rebellion stirring in Russia, the czars attempted to divert public attention by helping anti-Semitic groups rouse Orthodox Christian hatred for Jews. Three waves of pogroms ensued — in the 1880s, from 1903 to 1906, and during the Russian Revolution. Each wave was increasingly murderous. During the final period, 530 communities were attacked and 60,000 Jews were killed.
— In the early 1900s, Muslim Turks waged genocide against Christian Armenians, and Christian Greeks and Balkans warred against the Islamic Ottoman Empire.
— In the Cristero War, about ninety thousand Mexicans were killed in the 1920s.
— The Nazi Holocaust was rooted in centuries of religious hate. Historian Dagobert Runes said the long era of church persecution killed three and a half million Jews. Hitler justified his fight for the German people and against Jews by using Godly and Biblical reasoning. He said in his book Mein Kampf:
Here is a site that documents how Christianity inspired Hitler for killing Jews relentlessly : http://www.nobeliefs.com/Hitler1.htm
— When India finally won independence from Britain in 1947, the “great soul” of Mahatma Gandhi wasn’t able to prevent Hindus and Muslims from turning on one another in a killing frenzy that took perhaps 1 million lives. Even Gandhi was killed by a Hindu who thought him too pro-Muslim.
— In the 1950s and 1960s, combat between Christians, animists and Muslims in Sudan killed more than 500,000.
— In Jonestown, Guyana, in 1978, followers of the Rev. Jim Jones killed a visiting congressman and three newsmen, then administered cyanide to themselves and their children in a 900-person suicide that shocked the world.
— Islamic religious law decrees that thieves shall have their hands or feet chopped off, and unmarried lovers shall be killed. In the Sudan in 1983 and 1984, 66 thieves were axed in public. A moderate Muslim leader, Mahmoud Mohammed Taha, was hanged for heresy in 1985 because he opposed these amputations. In Saudi Arabia a teen-age princess and her lover were executed in public in 1977. In Pakistan in 1987, a 25-year-old carpenter’s daughter was sentenced to be stoned to death for engaging in unmarried sex. In the United Arab Emirates in 1984, a cook and a maid were sentenced to stoning for adultery — but, as a show of mercy, the execution was postponed until after the maid’s baby was born.
— In Nigeria in 1982, religious fanatic followers of Mallam Marwa killed and mutilated several hundred people as heretics and infidels. They drank the blood of some of the victims. When the militia arrived to quell the violence, the cultists sprinkled themselves with blessed powder that they thought would make them impervious to police bullets. It didn’t.
— In 1983 in Darkley, Northern Ireland, Catholic terrorists with automatic weapons burst into a Protestant church on a Sunday morning and opened fire, killing three worshipers and wounding seven. It was just one of hundreds of Catholic-Protestant ambushes that have taken 2,600 lives in Ulster since age-old religious hostility turned violent again in 1969.
— Hindu-Muslim bloodshed erupts randomly throughout India. More than 3,000 were killed in Assam province in 1983. In May 1984 Muslims hung dirty sandals on a Hindu leader’s portrait as a religious insult. This act triggered a week of arson riots that left 216 dead, 756 wounded, 13,000 homeless, and 4,100 in jail.
— Religious tribalism — segregation of sects into hostile camps — has ravaged Lebanon continuously since 1975. News reports of the civil war tell of “Maronite Christian snipers,” “Sunni Muslim suicide bombers,” “Druze machine gunners,” “Shi’ite Muslim mortar fire,” and “Alawite Muslim shootings.” Today 130,000 people are dead and a once-lovely nation is laid waste.
— Shi’ite theocracy in Iran — “the government of God on earth” — decreed that Baha’i believers who won’t convert shall be killed. About 200 stubborn Baha’is were executed in the early 1980s, including women and teenagers. Up to 40,000 Baha’is fled the country. Sex taboos in Iran are so severe that: (1) any woman who shows a lock of hair is jailed; (2) Western magazines being shipped into the country first go to censors who laboriously black out all women’s photos except for faces; (3) women aren’t allowed to ski with men, but have a separate slope where they may ski in shrouds.
— The lovely island nation of Sri Lanka has been turned hellish by ambushes and massacres between Buddhist Sinhalese and Hindu Tamils.
— In 1983 a revered Muslim leader, Mufti Sheikh Sa’ad e-Din el’Alami of Jerusalem, issued a fatwa (an order of divine deliverance) promising an eternal place in paradise to any Muslim assassin who would kill President Hafiz al-Assad of Syria.
— Sikhs want to create a separate theocracy, Khalistan (Land of the Pure), in the Punjab region of India. Many heed the late extremist preacher Jarnail Bhindranwale, who taught his followers that they have a “religious duty to send opponents to hell.” Throughout the 1980s they sporadically murdered Hindus to accomplish this goal.
— In 1984, after Sikh guards riddled prime minister Indira Gandhi with 50 bullets, Hindus went on a rampage that killed 5,000 Sikhs in three days. Mobs dragged Sikhs from homes, stores, buses and trains, chopping and pounding them to death. Some were burned alive; boys were castrated.
— In 1984 Shi’ite fanatics who killed and tortured Americans on a hijacked Kuwaiti airliner at Tehran Airport said they did it “for the pleasure of God.”
— In 1989 in Moradabad, India, a pig caused hundreds of people to kill one another when the animal walked through a Muslim holy ground. Muslims, who think pigs are an embodiment of Satan, accused Hindus of driving the pig into the sacred spot. Members of both faiths went on a rampage, stabbing and clubbing. The pig riot spread to a dozen cities and left two hundred dead.
— A squad of armed Islamic zealots raided a Christian church at Behawalpur, Pakistan, on October 28, 2001, killing the minister, fourteen worshipers, and the church’s police guard.
— In Bangladesh (former East Pakistan), hindu population was 28% in 1941. Following the partition of India in 1947, the hindu population in east Pakistan went down to about 22% by 1951. After that, due to unabated persecution, intimidation, and forcible conversion to Islam, the Hindu-Minority population kept on dwindling and now stands at a meager 10.5% of the total population in Bangladesh.
— In 1971, Pakistan created one of the cruelest genocides in world history by killing 3 million Bangalees in then East Pakistan (present Bangladesh). Jamate-Islami, Albadars and Razakars supported that genocide in the name of protecting religion.
— The September 11, 2001 a series of coordinated suicide attacks by al-Qaeda upon the United States about 2,974 people died as an immediate result of the attacks with another 24 missing and presumed dead; the number of immediate victims totaled 2,998, the overwhelming majority of whom were civilians. The dead included nationals from over 80 different countries.
— In 2002 Gujarat riots around two thousand people, were killed. More than 150,000 people were displaced. The riots were noted for excesses against women: -Scores of Muslim girls and women were brutally raped in Gujarat before being killed.
— Minority oppression in a severe form occurred in Bangladesh aftermath the October 1, 2001 election. Many minor hindu girls including Purnima was gang raped by the cadres of BNP. Detailed report is kept here.
— During Jamat-BNP coalition government, Jagrata Muslim Janata or JMJ under the leadership of person who goes by the name “Bangla Bhai” (Bengali Brother) created havoc among the masses in the western and southwestern parts of Bangladesh. In most cases, they killed the villagers in gruesome way often mutilating the victims’ body. In a particular case, one of the villagers was beaten dead by vigilante outfit and then hanged upside down from a roadside tree. Another act of cruelty of the gang of Bangla Bhai came to light as the three pieces of sliced body of a villager was dug out of a grave near the Islamist outfit’s main camp in Naogaon. Several hundreds and thousand similar incident happened. Mukto-Mona featured some of the incidents, here.
The list can go on. The history of religion is indeed a horror story. Mind it, the above list documents only few incidents of killing, raping, and mass murder from religious hatred – the real horror story is far beyond imagination. If anybodydoubts it, I will ask him or her to just review this chronicle of religion’s gore during the last 1,000 years or so. I would like to recommend the following book:
‘Holy Horrors: An Illustrated History of Religious Murder and Madness’ by James A. Haught and
‘God Is Not Great: How Religion Poisons Everything’ by Christopher Hitchens.
I have recently read another book, ‘Is religion killing us?’ where the author Jack Nelson-Pallmeyer explores the relationship between religion and violence in Christianity, Judaism and Islam. He concluded, “Violence is widely embraced because it is embedded and sanctified in sacred texts and because its use seems logical in a violent world”.
Correction: … And is this the strength of the logical as well as academic capacity to which you want us to succumb, insinuating that we are living in fools’ paradise?
In response to Jiten Roy, posting date, 21 January 2009.
Is it the ‘history of religion’ that divided the humanity? What are you talking about? Has it always been that battles were fought for religions and not over territorial gains in which the religious sentiments used? With what understanding of ‘religions’ do you say that ‘they were proven’ to be false? Who and with what epistemological grounding did they prove them wrong? Do you mean those writings by ‘fundamentalists in the religion of no-god,’ which jumps from place to place, like magpies, picking on cultural biases and views clustered in the name of religions which we all argue against? When numerous battles over numerous reasons, notwithstanding social and commercial interests, eroded much of social peace and harmony, why then is the exclusive and gross generalisation of religions in this?
Are you so sure that ‘We are fighting each other because of religion?’ Were all the colonial battles fought over religions? Were the American native- races of Soux, the Cheynenne, the Commanche, the Crow, the Apache, the Kiowa, the Araphao and many others exterminated (just one and a half century ago) over religions? Of the Classical, what of the Aryan invasion of India –for religions? Why go that far, what of the First and Second World Wars? Of the most recent, the Iraq war –what of it? Was Saddam a religious man planning to take over the USA for Islam? Is that the kind of historical understanding you are bringing to bear against religions to dismiss them? And is the strength of the logical as well as academic capacity to which you want us to succumb, insinuating that we are living in fools’ paradise?
Of course the lunatics, opportunists, warmongers, fear-mongers, racists, royalists, anti-royalists, politicians and many others have found easy home into religions but is this a logical case against belief and living a mode of spiritual life?
Mr Manwwar said:
Reply: The objection is that, we are fighting each other because of religion. No religion is innocent in this regard. The concept of religion has been proven to be false because it failed to bring harmony and peace on earth, as was meant to be, in thousands of years. If religion could fulfill that promise, no one would be in doubt about it today. The history of religion is that it has divided humanity and induced hostility among human-beings. Those who still cannot see this simple fact are definitely living in the fool’s paradise, and may never be able to come out if it.
Dear Adnan Lermontov,
Thank you. Salman Rushdie was a visiting Professor at my university. He gave two talks in the auditorium for general public. I attended one. It was based on paintings of Mughal period. He is very jovial, and definitely he is a scholarly person. You can feel it.
Regards.
This article seems to ‘jump’ from issues to issues which humankind has been attempting to understand since they became aware of themselves and the world around them. Philosophers from the time before Socrates till our own, and spiritualists, as well as scientists, have tried in their own ways to understand the same. This long and arduous exploration into what constitutes the ‘reality’, (the grant phenomenon) has not yet ceased –we are still trying to understand with every possible means at our disposal. It would be absurd for anyone, or foolish to use a stronger word, to dismiss the entire religious endeavour of understating the reality outright. It would be even astonishing if there is an underlying “pretence”, (in the act dismissal), of having a full grasp of the problematic which the humanity so far has failed to understand.
The article, without exposing its logical structures of realisation against the religious, has given us old thinking just through the medium of translation.
Is there an expectation through the ‘bits’ and ‘chunks’ of quotes thrown here and there, that the arguments would suffice? Do we not want him to tell us through what logical framework he had arrived at his new understanding of reality which renders the religious understanding totally obsolete? We really want to be illuminated by what is with this new ‘great master.’ So far we are in presence of the old thoughts, translated into Bengali. Signing out hostile lyrics against religions, like the ‘programmed’ preachers of Islam and Christianity, only proves another form of lunacy –this time in the opposite direction.
The article suffers from the incoherence between logical frame of protasis and apodosis –an argument starting with a sound basis but finally ending up with wrong conclusions, irrespective of the first part. For example, the use of religion by kings and monarchs to incite public sentiment and support for territorial gain is not a logical case against the religion per se, but a deceptive ploy in which religion was a victim. Hundreds of cases of this and other kind can be cited. So when the article cites examples of this kind, is it underestimating the logical calibre of the readership?
Let me respond to the article’s citation of some Quranic references. All religions have significant components to its previous or present cultural understanding, without which it cannot have any communication value. If a God or Goddess were to speak to a people, S/He had to use their language, knowing that language is socially constructed, thereby the meaning communicated will be social, after all. This is not a case against religion, as much as it is a case of misunderstanding of what religion is all about. Furthermore, when a new religion uses certain words and phrases from its previous religious setting, it may give them a new twist, engendering new meaning. This reality of change and transformation is not endemic to religion, but common to lingual and cultural development. Words can have clustering of new meanings over a single period of time and it can have the same cluttering over a long period of time. The semantic study of the first is known as synchronic and the second is diachronic. When the Quran mentioned the names of Lat, Manat and Uzza what did it intend –to re-engender the practice of their worship? Did the Quran ‘usurp’ the pagan practice to add into its new religion?
It is well known that many spiritual practices of the past found their new home into Islam and some of the rituals found new spiritual expressions and realisation through the adaptation into Islam. The units of rituals are like the elements of language, they have symbolic communicative character to change and transform, as cloth cut to create new styles. Religion is part of us, it expresses our ‘knowledge’, and if a god wanted to communicate with us through our medium, our culture and language –what was so objectionable in this?
One more point. All names of days and months and many other things can be traced diachronically to the pagan cultures, referring to the idols people had worshipped in the past. Does it mean that when we say Sunday; we have anything to do with the worship of Sun God? Should the author now object to all Bengali words signifying religious beliefs and rituals, including the days of the week? The more it comes from ‘Akash’, the more the religious devil becomes visible. Many streams of religions lost their way into fundamentalism, lunacy, arrogance, having the ‘full’ conviction of knowing all! Religion has no name and so too its opposite –they exist in features pertaining to what they are.
Dear Truthseeker,
i met Salman Rushdie in 2007, and did talk to him for about 10/12 minutes. he signed 8 books for me. He is extremely funny. And the kind of books he writes, you cannot write them just to get publicity.
thanks
adnan lermontov
চমৎকার লেখা,চালিয়ে যান,পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
মামুন।
Mr.Adnan Lermontov, thanks. I did not read the book of Humayun Azad.
I forgot to add. One of my friend from Kashmir, a Ph.D. degree holder and doing research once told me in a discussion, “If I get Salman Rushdie, then I will kill him”. I asked ‘why’. He replied “Rushdie did disgrace to Rasul Mohammad Salalla Salam”. I asked “have you read the book written by Rushdie”. My friend replied “No”. Another muslim friend, Ph.D. degree holder, doing research was saying bad about Salman Rushdie, and Taslima Nasreen. He said that Taslima and Rushdie write bad about of islam to get publicity etc. I asked him “have you read the book of Taslima Nasreen”. His reply was “No”.
It is a no brainer. It is common sense. We dont need too many books to understand this. We can use our brain. I think even spending time discussing this too much is not worth.
Read the following article.
http://www.asiantribune.com/?q=node/14815
Thank you dear truthseeker; I agree with you.
Dr. Humayun Azad talked about these issues in his book, “Mahabishava (The Universe)”
“The Universe” is a great book. I have all of Dr. Azad’s books in my collection; if you ever need any quote or information from any of his books, let me know.
Thank you
Adnan Lermontov
Guys, too much serious discussion going on. Watch a video cartoon involving Durga, Ashur, Narod, Brahma, Bishnu, Indra….Mahishasur Pala…
http://www.anandautsav.com/anandautsav/en/jsps/mahishasurpala/mahishasur.jsp
I agree with Atiq’s comment. Hindus, Christians, Jewish openly accept that there are lots of garbage in their religious books. It was written long time ago. And, they are not bothered with religious garbage. They are not into religious issues too much. I talked to muslims, all of them having Ph.D. degree in science. They are not mentally prepared to critically analyze their religion. They become very angry on any such religious issues about their religion. It will take a long time for them to reach a stage when they will not be bothered by religion any more. Good luck to humanity.
Really a nice presentation! From my early age I like to think about the religion as you expressed here. It is very clear that all the religions are created by human only. But the greater part of the educated society doesn’t believe it. It is exactly true that these religions just make distance between the human beings. I think, people of the world should be unified as Global Human, the borderless earth. And it is not so far that the unified and Godless World is communicated with the distant part of the universe or others.
অসাধারণ একটা লেখা। পরের পর্বর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রইলাম।
ছোট্ট একটু আপত্তি জানিয়ে রাখি অবশ্য এই ফাঁকে। অনুচ্ছেদগুলো অপ্রয়োজনীয়ভাবে অনেক বেশি দীর্ঘ মনে হয়েছে আমার কাছে। ছোট ছোট অনুচ্ছেদে লিখলে পড়তে মনে হয় বেশি আরাম লাগতো।
সব ধর্মগ্রন্থই মানষের লেখা। এই মত সবচেয়ে কম জনপ্রিয় ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে।
আর সে জন্যই এই সম্প্রদায় আজকে সবচেয়ে বেশী বিপদগ্রস্থ।
Convincing article. I request you also publish/translate your book in english for non-bengali readers. It will enlighten them. Thanks.
সত্যই চমৎকার লেখা হচ্ছে। এ বইটা সংগ্রহে রাখার মত একটি বই হবে। শুধু ইসলাম নয়, এই প্রবন্ধে হিন্দু ধর্মের বিভৎসতা যেভাবে অথেন্টিক রেফারেন্স থেকে তিনি তুলে ধরলেন তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
Dear Mr. Malik,
how are you?
i read this piece with great joy.
let us know, when the book will be out, and how we can buy a copy.
thank you.
adnan lermontov
খুব ভাল লেখা। যেসব হিন্দুরা নিজেদের ধর্মকে মহান ভাবে-তাদের সবার পড়া উচিত।