পাঠ প্রতিক্রিয়া: মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে

অভিজিৎ রায় ও ফরিদ আহমেদের ‘মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে’ বই আকারে বেরিয়েছে ২০০৭ সালে। পরের বছর বেরিয়েছে এর পরিবর্ধিত দ্বিতীয় সংস্করণ। মুক্তমনায় যখন ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হচ্ছিল - তখনই পড়েছিলাম সবগুলো পর্ব। কিন্তু আমার স্বভাব কুঁড়েমির কারণে কোন প্রতিক্রিয়াই লিখে রাখা হয়নি তখন। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে দেশে গিয়ে ঢাকার আজিজ সুপার মার্কেটের প্রায় সবগুলো [...]

রবি ঠাকুর, রাহাজানি এবং রবীন্দ্র পূজারীবৃন্দ

ফরিদ আহমেদ এবং অভিজিৎ রায় এটি একটি যৌথ রচনা, আমার (ফরিদ আহমেদ)  এবং অভিজিৎ এর। সেই পাঁচ বছর আগে মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে বইটা এক সাথে লিখেছিলাম আমরা। তারপর আর একসাথে কোনো কিছু লেখা হয় নি দুজনে। অনেকদিন পরে আবার আরেকটা প্রচেষ্টা নিলাম। কেমন হয়েছে জানি না। পাঠকদের কাছ থেকে আগ্রহ  এবং সাড়া মিললে [...]

অসীম আদি মহাবিশ্ব?

বেশ কয়েক মাস আগে মুক্তমনায় একটা লেখা লিখেছিলাম – “মহাবিশ্বের শেষ প্রান্তে পৌঁছে।” লেখাটা সবচেয়ে দূরবর্তী গ্যালাক্সী আবিষ্কারের ওপর ছিল, গ্যালাক্সীটি বিগ ব্যাংগের মাত্র ৬০০ মিলিয়ন বছরের মধ্যেই সৃষ্টি হয়েছিল। ঐ লেখাটার সূত্র ধরে ও কিছু প্রশ্নের আলোকে কিছু বক্তব্যকে পুনরায় উপস্থাপনা করছি। সবচেয়ে দূরবর্তী গ্যালাক্সীগুলো পার হলে আমরা পাই নিউট্রাল হাইড্রোজেনের একটা স্তর, তার [...]

অদৃশ্য পদার্থ যেভাবে দৃশ্যমান হলো

ডার্ক ম্যাটার বা অদৃশ্য পদার্থের আবিষ্কারের ঘটনা পরম্পরাকে, জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানের সবচেয়ে নাটকীয় এক অধ্যায় হিসেবে গণ্য করা হয়। সেই ১৯৩০ সালে ক্যালটেকের প্রথাবিরোধী সুইডিশ জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফ্রিটয উইকি (Fritz Zwicky) কোমা ছায়াপথগুচ্ছ (Coma cluster of galaxies) নিয়ে গবেষণা করতে যেয়ে অদ্ভুত এক ব্যাপার লক্ষ্য করেন। তিনি হিসেব করে দেখেন, এই ঝাঁকে অবস্থিত ছায়াপথগুলো (Galaxies) নিউটনের মহাকর্ষ তত্ত্ব [...]

স্ট্রিং তত্ত্ব

মোটামুটি গ্রিকদের সময় থেকেই দার্শনিকদের ধারণা ছিলো সকল পদার্থ, পরামানু (Atom) নামক অতিক্ষুদ্র, অবিভাজ্য কণা দ্বারা গঠিত। অর্থাৎ যেকোনো পদার্থকে ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে সর্বশেষ যে অবস্থা পাওয়া সম্ভব তাই পরমানু। কিন্তু বর্তমানে আমাদের ভাঙ্গার দৌড় পরমানু পর্যন্ত আটকে থেকে নেই। পরমানুকে ভেঙ্গে আমরা এর ভেতর থেকে বের করে এনেছি ইলেক্ট্রন, নিউক্লি (Nuclei)। শুধু তাই নয়, বিজ্ঞানীরা [...]

‘দ্য গ্রান্ড ডিজাইন’ – স্টিফেন হকিং [অধ্যায় ৮] (অনুবাদ) (সমাপ্ত)

৮ সেই মহান নকশা এই বইয়ে আমরা বলেছি কীভাবে নভোমন্ডলের বস্তুসমূহ, যেমন- চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, তারাদের, ছন্দবদ্ধ গতি থেকে বোঝা যায় এগুলো সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে পরিচালিত হচ্ছে, কোনো দেব-দেবী বা অসুরের খেয়াল খুশি মত নয়। এ ধরণের কিছু নিয়মের যে অস্তিত্ব আছে সেটা শুরুতে সামনে আসে জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার মাধ্যমে (আসলে জ্যোতিসশাস্ত্র, কারণ সে যুগে এ [...]

‘দ্য গ্রান্ড ডিজাইন’ – স্টিফেন হকিং [অধ্যায় ৭] (অনুবাদ)

(missing image) ৭ দৃশ্যত অলৌকিক চৈনিক উপকথায় আছে, হিসা সম্রাটদের রাজত্বকালে (খ্রিষ্টপূর্ব আনুমানিক ২২০৫ -১৭৮২) একদিন আমাদের এই মহাজাগতিক পরিবেশ ওলট পালট হয়ে গেলো। হঠাৎ করেই আকাশে দেখা যেতে লাগলো দশটা সূর্য। তাদের তাপে মানুষের দুর্ভোগের সীমা নেই। এসব দেখে সম্রাট এক বিখ্যাত তীরন্দাজকে বললেন সে যেন অতিরিক্ত সূর্যগুলোকে তীর মেরে ধ্বংস করে ফেলে। বিনিময়ে [...]

‘দ্য গ্রান্ড ডিজাইন’ – স্টিফেন হকিং [অধ্যায় ৬] (অনুবাদ)

(image missing) ৬ আমাদের এই মহাবিশ্ব নির্বাচন মধ্য আফ্রিকার বোসোঙ্গো জাতির লোকদের মতে, একদম আদিতে ছিলো শুধুই অন্ধকার, পানি এবং মহান ঈশ্বর বুমবা। একদিন বুমবা প্রচণ্ড পেটের ব্যাথা সইতে না পেরে বমি করে দিলেন, সৃষ্টি হলো সূর্যের। এরপর সূর্যের তাপে আস্তে আস্তে পানি শুকাতে লাগলো, দেখা গেলো ভূমি। কিন্তু বুমবার পেটব্যাথা তখনো সারেনি। তিনি আবারো [...]

‘দ্য গ্রান্ড ডিজাইন’ – স্টিফেন হকিং [অধ্যায় ৫] (অনুবাদ)

৫ সবকিছুর তত্ত্ব মহাবিশ্বের সবচেয়ে দুর্বোধ্য ব্যাপার হচ্ছে, এটাকে বোঝা সম্ভব। - আলবার্ট আইনস্টাইন মহাবিশ্বকে বোঝা যায় কারণ এটা বৈজ্ঞানিক নিয়মে চালিত হয়; অর্থাৎ এর আচরণের গাণিতিক রূপায়ণ সম্ভব। কিন্তু সেই রূপায়ণ বা নিয়মাবলি কী? সর্বপ্রথম যে বলকে গাণিতিক ভাবে বর্ণনা করা সম্ভব হয়েছিলো সেটা হল মহাকর্ষ। ১৬৮৭ সালে নিউটন যে মহাকর্ষের সূত্র প্রকাশ করেন [...]

মাল্টিভার্স : অনন্ত মহাবিশ্বের খোঁজে

আপনার উর্বর মস্তিষ্কের রঙিন কল্পণায়ও কি কখনও - একটি বারও মনে হয়েছে, আকাশের বুকে হাজারো লক্ষ কোটি গ্রহ-তারা-নিহারীকা আর গ্রহানুপুঞ্জ নিয়ে তৈরী এই যে আমাদের এত পরিচিত বিশাল মহাবিশ্ব, এর বাইরেও এমনি ধরনের অসংখ্য মহাবিশ্ব ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে?  আপনার আমার কাছে তা যতই অবিশ্বাস্য ঠেকুক না কেন, পদার্থবিজ্ঞানীরা কিন্তু খুব গুরুত্ব দিয়ে এই সম্ভাবনার ব্যাপারটি [...]

Go to Top