ভোট ও এক ভিখিরীর গল্প
সকালে উঠেই দেখি বাড়ির সামনে ভোটকেন্দ্রে বিরাট লাইন আগেরবার এত তরুন এবং আফ্রিকান আমেরিকান চোখে পড়ে নি। বুঝলাম আজ ইতিহাস তৈরী হবে। এদিক ওদিক ক্যামেরা নিয়ে ঘুরলাম।
তবে শেষে বাজিমাত করল এক ভিখিরি! বাইরে শীত-বৃষ্টি-এর মধ্যে জাংশনে দাঁড়িয়ে ভিজ্ঞা চাইছে এক ষাটার্ধ বৃদ্ধ-ওবামা তখন জিতে গেছেন-এরাই আজ আমেরিকাতে ক্রম বর্ধমান-এরা কি আজ বলছে “ইয়েস উই ক্যান” ? [ভিডিওটা দেখুন]
আজ ছিল আফ্রোআমেরিকানদের আবেগে ভাসার দিন। সারাদিন রেডিওতে, ফেসবুকে, ফোনে ওরা ব্যাস্ত। যাতে প্রতিটা ওবামাসাপোর্টার আজ ভোট দিতে যায়। দিনবদল সম্ভব নয় বলে, আগে এরা কোনদিনও ভোট দিতে আসে নি। কিন্তু আজত অন্যদিন?
তবুও প্রশ্ন থাকে। ওবামা সেই অর্থে দাসউদ্ভুত আফ্রিকান আমেরিকান নন। অথচ তাকে নিয়ে আজ যেভাবে কালো মানুষরা বাঁধন ছাড়া উল্লাসে ভাসল, যেন শতাব্দির পাপ ঝড়ে গেল-সেটা একটু বাড়াবারি মনে হল।
যাইহোক আমি আজ শাপমুক্ত। বুশের বাচ্চাটা সিংহাসনে বসার একমাস বাদে আমেরিকায় এসেছিলাম। বুশের অভিসপ্ত আমেরিকার আট বছরের প্রতিটা দিন ছিল নরক যন্ত্রনা। আজ মনে হচ্ছে রাহুমুক্ত।
আমেরিকার বিরাট কিছু পরিবর্তন হবে বলে মনে হয় না। তবে ধনতন্ত্রের চাকায়, জাতিভেদ ভুলে, মানুষের যৌত্বিক এবং প্রতিভার সঠিক মুল্যায়ন হয়-সেটা আবার প্রমান হল।
বারাক ওবামা আজ শুধু প্রেসিডেন্ট নন-গণতন্ত্রে মানুষের ক্ষমতায়নের উজ্জ্বল দ্বীপশিখা।
BIPLAB PAL er mot e ki nanan alternative er moddhe serata hotchhe pujibaad?
“পারফেকশনের” আইডিয়া টাই ভুল–কোন সিস্টেম কোনদিন পারফেক্ট হতে পারে না–
আমরা নানান অলটারনেটিভের মধ্যে সেরাটা বাছি-এটাকেও সেই ভাবেই দেখতে হবে–
সবকিছু মেনে নিয়েও বলা যায়, এর চেয়ে ভালো কিছু আর হতে পারতো না । ওবামার জয় সারা পৃথিবীর মানুষকেই কম বেশী আশাবাদী করে তুলেছে এটা বলতেই হবে। এখন দেখার পালা শুরু…
আমি যে খুব একটা আশাবাদী, তা না। পুঁজিবাদী সিস্টেম আল্টিমেটলি লিবারেল প্রেসিডেন্টকেও সাম্রাজ্যবাদের দিকে ঠেলে দেয়। এটাই এই সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য। ক্লিন্টন কি যুগোশ্লাভিয়ায় আর ইরাকে বোমা মারেনি? দ্যাখেন না ওবামা সামনে কি করে।