মহুয়ার বন, কোয়েল নদী, হিমালয় গড়ানো ঝাউবন।
চকচকে সাঁওতাল মেয়ে, দোলে আর দোলে, বাজেরে মাদল।
চমকায়। বুনো গন্ধে বিবিধ ডুব সাঁতার, আহা, নেবে যাই,
ভিজে যাই, আকণ্ঠ ডুবে যাই, এই দূরান্তেও। তন্ময়, আহা।
মন ক্যালেন্ডারের পাতায় লেগেছে যুগান্ত বছরের ছাপ,
অজান্তে এবং, জেনেশুনে, পেন্সিল, মার্কারের আনমনা দাগ।
বাতাসের সোঁদা গন্ধ ছাপানো পোড়া পাতার বিবর্ণ হাওয়া,
এত বছর পরে হার মানে সব। কি এক বসন্ত দাপট।
মুক্তি নেই। অসীম যে ইলাস্টিক ব্যাসার্ধ এখানে, মুক্তি নেই।
নীলগ্রহ, তোমার নাগরিক আমি, আমার কোন মুক্তি নেই।
আমি সসীম প্রাণ এক। তারাভৃত্য সামান্য যে একটা গ্রহ,
সেখানেও আছে কৃষ্ণগহব্বরীয় টান। আমার মুক্তি নেই।
আসলে যুগ যুগ ধরে মানবতার বাণী উপেক্ষিত হচ্ছে কিছু স্বার্থেন্বষী মহলের অনাকাঙ্কিত পদচারণায়।
@উদয় শংকর চাঙমা,
মন্তব্য করে অংশ নিয়েছেন, সেজন্য অনেক ধন্যবাদ।
ছিলেন তো কবিতা আর সুন্দরী নারী নিয়ে। গ্রহের ফেরে পড়লেন ক্যান আবার?
@ফরিদ আহমেদ,
সবই বয়েসের দোষ;
‘বয়স বৃদ্ধকাল,
হরিন চাটিছে
বাঘের গাল’
গ্রহ হইলো গিয়া রিস্ক ফ্রি বিজনেস; ভালো না? :))
@কাজী রহমান,
গ্রহ-ট্রহো কোনো কিছুই গৃহে রিস্ক ফ্রি না কবি। গৃহিণীই হচ্ছে একমাত্র গ্রহণযোগ্য জিনিস। ওতেই মন দেন।
@ফরিদ আহমেদ,
র-ফলা আর রি-কার কি এক হৈলো? কইলেই হৈলো?
আসলেই আমাদের মুক্তি নেই। মানবের মুক্তি নেই।
@গীতা দাস,
সেই তো এমন মায়ার জালে জড়ানো এই পৃথিবী, চাইলেই কি আর উড়াল দেয়া যায়?
মন ক্যালেন্ডারের পাতায় যুগান্ত বছরের ছাপ,
অজান্তে, জেনেশুনে; পেন্সিল; মার্কারের আনমনা দাগ।
বাতাসে সোঁদা গন্ধ ছাপানো পোড়া পাতার হাওয়া,
অনেক বছর পরেও হার মানে সব, কি এক বসন্ত দাপট।
আপনি এলেই কফি খাওয়াতে ইচ্ছে করে; এই যে (C)
নীলগ্রহ, তোমার নাগরিক হয়েও, আমার মুক্তি নেই!
@অরণ্য,
আমাদের সব স্বার্থ এই নীলগ্রহ ঘিরেই আবর্তিত যেন। জ্ঞানভাবনার দিগন্তও কোন এক দিগন্তরেখায় থেমেই যায়। আমরা ভেবেই চলেছি, অথচ সবটাই যেন চেনা এই পৃথবী কেন্দ্রিক। এমনি পূর্বশর্ত মেনে নিয়ে ভাবনা আমাদের। এই কি মুক্তি? অন্য কোথাকার নাগরিক যদি হতেও পারতাম, তাও কি এড়ানো যেত এই প্রিয় আর চেনা পৃথিবী? তুলনার জন্য গ্রহান্তরের আগন্তক কিংবা অনেক তথ্য মেলেনি যথেষ্ট এখনো। সসীম প্রাণমন আমাদের। অন্য কিছু ভাবতে, কেউ বা কিছু হতে মন চায় হয়ত। তবু নীলগ্রহ এখনো সকল অনুভবের কেন্দ্রবিন্দু।
(C) চলবে? নাকি (D)
মুক্তি নেই, অসীম ইলাস্টিক ব্যাসার্ধে মুক্তি নেই,
নীলগ্রহ, তোমার নাগরিক হয়েও, আমার মুক্তি নেই।
আমি সসীম প্রাণ এক। তারাভৃত্য সামান্য একটা গ্রহ,
সেও টানে কৃষ্ণগহব্বরীয় টান, মুক্তপ্রানে আমার মুক্তি নেই।
— এই শেষ অংশটা খুব সুন্দর হয়েছে। মুক্তির একটা উপায় তো বলবেন! হোক তা যতই অসম্ভব।
কবিতার শক্তি অফুরান। চেষ্টা যেন অব্যাহত থাকে। ধন্যবাদ।
@শাখা নির্ভানা,
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
চেষ্টাটা কিসের? মুক্তির না অন্য কিছুর?