মাঝখানে বাতাসে উড়া কথা শুনেছিলাম যে বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দাবি করা শেখ হাসিনার ক্যান্সার হয়েছে। ইদানিং এই মহিলাকে সংবাদ সম্মেলন কিংবা বিভিন্ন মিটিং এ দেখে কেমন যেন বিমর্ষ ও আত্মবিশ্বাসহীন মনে হয়। তার বক্তব্যে আগের মত আর জোর নেই। এটিচিউডে আগের সেই দাম্ভিকতা নেই। ছেড়ে দেই মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা। সে ছাড়তে চাইলেও মনে হয়না তাকে ঘিরে যে একটা সুবিধাভোগী এস্টাবলিশমেন্ট তৈরি হয়েছে তারা তাকে ছাড়তে দিবে। আমার কাছে মনে হয় হাসিনা আর এসব ক্ষমতা, অর্থবিত্ত এবং অল টাইম একটা গুরুত্বপূর্ণ পার্সনের রোল প্লে করে যাওয়া এই ব্যাপারটাকে চায়না। বোরিং লাগে। সে চায় সবকিছু ছেড়েছুড়ে গহীন অরণ্যে গিয়ে কোন সঙ্গির সাথে নিভৃতে একজন সাধারণ মানুষের টিপিক্যাল জীবনযাপন করতে। যেখানে ডিজিএফআই প্রধান তাকে প্রতিদিন সকালে আজকের অমুক উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে বিএনপি কে আক্রমন করে এটা বলতে হবে, পাবলিক সেন্টিমেন্ট এদিকে চলে যাচ্ছে তাই বিকেলের সংবাদ সম্মেলনে পশ্চিমা বিশ্বকে শাসানি দিয়ে তমুক স্টেটমেন্ট দিতে হবে কিংবা এনএসআই প্রধান রাতে পার্লামেন্ট অধিবেশনে ইসলামকে খেদমত করে আমি ব্লা ব্লা করে দিছি বলে স্টেটমেন্ট দিতে বলবেনা। উফফ আর রোল প্লে ভাল লাগছেনা তার। এই “হুবাইদুল” কাদের টা যা না! জোর করে তাকে ধরে রাখছে। “আপো আপনি এভাবে চলে গেলে ক্যাওস ছড়িয়ে পড়বে। আমাদেরকে বিএনপি, জামাত, নূরার দল আর পল্টি নেয়া বামরা মিলে একাট্টা হয়ে কচুকাটা করবে”। আচ্ছা এমন তো না যে অরিজিনাল হাসিনা অলরেডি মরে গেছে এখন তার বডি ডাবল খাড়া করিয়ে রাখছে তোফায়েল, আমো আর হানিফ গং রা মিলে? আমার কেন যেন ডাউট হচ্ছে সবকিছু!
যদি সত্যি সত্যি এরকম কিছু ঘটে থাকে তাহলে তো এভাবে বেশিদিন কন্টিনিউ করতে পারবেনা। কিছুদিন পরেই ধরা খেয়ে যাবে। এর মাঝে যতটুকু সময় পায় রেহানা, হাসান মাহমুদ, হুবাইদুল কাদের, আমো আর তোফায়েল রা টাকাপয়সা সরিয়ে চার্টার বিমান ভাড়াটারা করে সেইফ এস্কেপের পরিকল্পনা করছে। পরে কানাডা বা আমেরিকার মাটিতে নেমে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জাতির কাছে মাফ চেয়ে সত্যটা উন্মোচন করবে। “দুঃখিত প্রিয় দেশবাসি। আমাদের আসলে কিছু করার ছিল না। হাসিনা এভাবে আমাদের না বলে ওপারে চলে যাবে আমরা ভাবিনাই। কথা তো ছিল মরলে একসাথে মরবো আর পালালে একসাথেই পালাবো। তো তার মৃত্যু সংবাদ টা এতদিন আমরাই আপনাদের কাছে গোপন রেখেছিলাম সিভিল আনরেস্ট এর ভয়ে। আমাদের সেইফ এক্সিট না নিশ্চিত করা অবধি আমরা হাসিনার একটা ডামি খাড়া করায়া রাখছিলাম। আসলে ঐটা হাসিনা না, ঐটা একটা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। তাকে আটকান, নাহলে আপনাদের সবাইকে মেরে ফেলবে। অতিসত্বর এটাকে নিষ্ক্রিয় করে কোন হিউম্যানের কাছে ক্ষমতা দিন।”