লিখেছেন: বকশালিক
আজ অনন্ত বিজয় দাশের ষষ্ঠ মৃত্যু দিবস। ২০১৫ সালের এদিনে প্রিয় এই বন্ধুকে হত্যা করা হয়। তাকে প্রাণের গভীর স্পন্দন থেকে স্মরণ করি।
আমরা যখন সক্রেটিসের কথা বলি
অকুতোভয় হাইপেশিয়াকে নিয়ে উচ্ছসিত হই
জিওর্দানো ব্রুনোর আত্মত্যাগের গল্পে আলোড়িত হই
অথবা যখন অ্যালান টুরিং আমাদের বিদ্রোহী করে তোলে
‘অনন্ত বিজয়’ তখন মূর্তমান হয়
সকল পূর্বসুরীর নির্যাস হয়ে-
এ যেন অনন্তের মধ্যে অনন্ত বহমান।
ছোট্ট একটা জীবন পেয়েছিল অনন্ত,
হত্যা করা হয় তাঁকে মাত্র ৩৩ বছর বয়সে
অসীম সম্ভাবনা নিয়ে যার জন্ম হয়েছিল
কিন্তু যে নষ্ট-ভ্রষ্ট সময়ে সে এসেছিল
পৃথিবীর মানচিত্রের এক ক্ষুদ্র অন্ধকূপে
সেটা তারজন্য জ্ঞানের চারণভূমি ছিল না
ছিল ঘন-কালো তমসাকীর্ণ অমানিষা
অথচ হতে পারত ভিন্ন কোনো ইতিহাস।
‘অনন্ত বিজয়’ নশ্বর জীবন
ক্ষণিকের হলেও তার মননের ব্যাপ্তি সর্বত্রস্থিত।
অনন্ত এ সময়ে জন্ম নিলেও
চিন্তা-চেতনায় বেঁচেছিল
অন্য এক সম্ভাবনার ভবিষ্যতে।
আপনার চমৎকার লেখাটির জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
কিছু ক্ষেত্রে মাত্রাবৃত্ত স্বরবৃত্ত নিয়ে বিবাদ উপস্থিত হয়।
যেমন শক্তি চট্টোপধ্যায়ের পরস্ত্রী কবিতাটি।একে আপনি কি বলবেন স্বরবৃত্ত না মাত্রাবৃত্ত?
আর একটা জিজ্ঞাসা ‘ ধরে বেঁধে নিতেও পার তবু সে মন ঘরে যাবে না ‘ এখানে নিতেও পার কয় মাত্রা?
আপনি অনুগ্রহ করে সন্দেহ নিরসন কোলে বড়ো উপকৃত হব। ধন্যবাদ।
pH. No.919831128629
কবিতাটি লেখার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। এ কথা সত্যি যে, যুক্তিবাদী লেখক অনন্ত বিজয় দাশকে হত্যা করা হলেও ওনার চিন্তা ও আদর্শকে কেউ হত্যা করতে পারবে না। যুক্তিবাদের পথ চলা থেমে যাবে না। যুক্তিবাদ এগিয়ে যাবেই।
অনন্ত বিজয় দাস ও যুক্তি ছোট কাগজের প্রথম সংখ্যার সাথে আমার স্মৃতি জড়িয়ে আছে – বছর ছয়েক আগে একটা ও বছর দুয়েক আগে একটা মোট দুইটা স্মৃতিচারণ লিখে ছিলাম – অনন্তের সাথে আমার কয়েকবার কথা হয়েছে যুক্তি ছোট কাগজ বিষয়ে । ঢাকার শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেট থেকে যুক্তি ছোট কাগজের শতখানেক কপি বিক্রি করে প্রচার করেছিলাম নিজের স্ব-উদ্যোগে স্ব-প্রণদিত হয়ে । যুক্তি ছোট কাগজটা পড়ার পর ফোন করে আমিই অনন্তকে খুঁজে এনেছিলাম । অনন্ত বিজয় দাস ছিলো আমার কাছে একটা আলোর প্রতিক হিসেবে । অনন্তকে ভুলতে পারবো না ।