৫ই ফেব্রুয়ারি গণজাগরণ মঞ্চ সৃষ্টি হওয়ার ১০ দিন পর রাজিব হায়দার যখন নিজ বাসার সামনে চাপাতির আঘাতে নিহত হলেন তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর রাজিব হায়দারের বাসায় যান এবং খুনিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবেন বলে তারা প্রতিশ্রুতি দেন। রাজিব হায়দার খুন হওয়ার পরই ‘আমার দেশ’ পত্রিকা ও ডানপন্থী পত্রিকাগুলো ব্লগার বিভিন্ন লেখা কাটছাঁট করে পত্রিকায় প্রকাশ করে ব্লগারদের বিরুদ্ধে একটা জনমত গঠন করতে সক্ষম হয়। রাজীব সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘ফেসবুকে ও ব্লগে রাজীবের লেখায় ধর্মের এতো অবমাননা হয়েছে তা বলার মতন না। তাদেরই প্ররোচনায় হেফাজত ইসলাম মাঠে নামে। হেফাজতে ইসলাম সৃষ্টি হইছে ২০১০ সালে নারী নীতির প্রতিবাদে, ২০১৩ তে ব্লগার ইস্যুতে লাইমলাইটে আসে। ব্লগারদের গ্রেফতারের দাবী তোলে বিভিন্ন ইসলামিক সংগঠন। তাদের দাবীর প্রেক্ষিতে সরকার ধর্মঅবমাননাকারী বিশেষ করে ইসলাম অবমাননাকারী ব্লগারদের লিস্ট জমা দিতে আদেশ দেয়। ৩১ মার্চ ২০১৩তে ডিজিএফআই ও ওলামালীগের নেতারা বসে ব্লগারদের নিয়ে একটা লিস্ট তৈরি করে। যা ৮৪ ব্লগার লিস্ট হিসেবে পরিচিত। গত ২৪ মে ২০১৫ তে হেফাজত ইসলামের মহাপরিচালক শাহ আহমদ শফী বলেন- হেফাজতে ইসলাম ধর্ম অবমাননার ঘটনায় কোনো ব্লগারের তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেয়নি। এছাড়া ২০১২ সালে ‘ধর্মকারী’, ২০১৩-এর মার্চ মাসে ‘নবযুগ’ ব্লগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়া ২০১১/১২ সালে জামাতপন্থীদের ‘সোনার বাংলা’ ব্লগ বন্ধ করে দেয় সরকার।। ২০১৩ এর সেপ্টেম্বর থেকে সরকারী বিটিসিলে “আমার ব্লগ” বন্ধ আছে। (পড়ুন-আলোচিত সেই হিটলিস্ট যেভাবে তৈরি হয়)

২০০৯ সালে নির্বাচনের পূর্বে খেলাফত মজলিসের সাথে আওয়ামী লীগের চুক্তি। সেখানেও ধর্মের সমালোচনাকারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে বলে আওয়ামী লীগ প্রতিজ্ঞা করে।”

হেফাজত ইসলাম ব্লগারদের লিস্ট জমা না দিলেও ১৯ এপ্রিল ২০১৪ সালে ব্লগারদের হত্যা ওয়াজীব ঘোষণা, ৮ এপ্রিল ২০১৬ তে নাস্তিকদের বিরুদ্ধে মুমিনদের জিহাদ করার জন্যে প্রস্তুত হওয়ার ঘোষণা দিলেও সরকার হেফাজতের এসব বক্তব্যের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো ব্লগার হত্যার পর সরকার ও রাষ্ট্রের অঙ্গ-সংগঠনগুলো ব্লগারদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করার একটা চেষ্টা চালায়। এই ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী’ও বেশ এগিয়ে। ৩ জুলাই ২০১৫, লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়ের বাবা অধ্যাপক অজয় রায় বলেছিলেন- ব্লগার হত্যায় সরকারের প্রচ্ছন্ন সমর্থন রয়েছে। এছাড়া ব্লগার ও জাগৃতি প্রকাশনীর কর্ণধার ফয়সল আরেফিন দীপন খুন হওয়ার পর তার পিতা অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন‘হত্যাকারীদের প্রতি আমার কোনও অভিযোগ নেই। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই না। কেননা বিষয়টি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক, সম্পূর্ণ সাংস্কৃতিক। আমি জানি, বিচার চেয়ে কোনো প্রতিকার হবে না।’ বিষয়টি স্পষ্ট সরকার ব্লগার হত্যাকারীদের ধরার জন্যে আন্তরিক নয়। উল্টো ব্লগারদের অপরাধী হিসেবে দেশবাসীর সামনে উপস্থাপন করে হীন রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের চেষ্টায় লিপ্ত আছে। ৫৭ ধারা নামক কুখ্যাত আইন সংশোধন করে সামান্য ব্লগ পোস্ট কিংবা ফেসবুক পোস্টের কারণে ৭-১৪ বছরের জেল ও ১ কোটি টাকা জরিমানা শাস্তি হিসিবে কার্যকর করা হয়েছে। ফলে অনলাইনে শুধু ধর্ম নয় সরকারের সমালোচনা করার জায়গাটিও ছোট হয়ে গেছে। ব্লগার হত্যায় দিন শেষ ইসলামিক দলগুলো ও সরকারই লাভবান হচ্ছে। এছাড়া ব্লগারদের বিপক্ষে প্রকাশ্যে অবস্থান নেয় তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তাদের পত্রিকা আমার দেশ। ১৫ মার্চ (২০১৩) খালেদা জিয়া বলেন-“শাহবাগে আন্দোলনকারীদের নাস্তিক, নষ্ট ও আওয়ামী ঘরানার।অবিলম্বে মঞ্চ-ফঞ্চ বন্ধ করুন।” তিনি আরো বলেন-“শাহবাগে এরা কারা? এরা নিরপেক্ষ নয়। এরা সব আওয়ামী ঘরানার আর নাস্তিক। যারা মুসলিম-হিন্দু-খ্রিস্টান কোনো ধর্মে বিশ্বাস করে না। নাস্তিকদের নিয়ে বিচার বিচার খেলা শুরু হয়েছে। এরা বিচার মানে না, আইন মানে না। রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে আন্দোলন করছে। তিনি আরো বলেন-মসজিদের গেট তালাবন্ধ করে শাহবাগিদের পাহারা দেবেন, এটা হতে পারে না।” ৪ মে (২০১৩) শাপলা চত্বরে ১৮-জোটের সমাবেশে খালেদা জিয়া বলেন, “আর জেল-জুলুম , নবীর (সাঃ) অবমাননা সহ্য করব না।…(শেখ হাসিনার উদ্দেশ করে) তিনি সৌদি আরবে গেলে জোব্বা পরেন, তজবি টিপেন আর ভারতে গেলে তিলক আঁকেন। তাঁর বেশভূষার ঠিক নেই। তাঁকে বিশ্বাস করা যায় না।..পরেরদিন ছিল ৫ শে হেফাজতের সমাবেশ। তাই এর আগের দিন বেগম জিয়া ব্লগারদের বিরুদ্ধে উস্কানির সাথে সাথে সমাবেশে সাম্প্রদায়িক উস্কানিও দেন। জাতীয় পার্টির সাবেক স্বৈরাচার এরশাদ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা হেফাজতের পক্ষে অবস্থান নেয়। সুতরাং স্পষ্ট রাজনৈতিক স্বার্থে বাংলাদেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দল বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে ব্লগারদের বিরুদ্ধে মানুষকে উস্কিয়ে দিতে চেষ্টা করেছে। পরোক্ষভাবে খুনিদের পক্ষে বক্তব্য দিয়েছে।

মজার ব্যাপার হল, হেফাজতের জন্ম আওয়ামী লীগের নারী নীতিকে বিরোধীতা করে। অথচ বর্তমানে আওয়ামী লীগের সাথে হেফাজতের খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। সরকার তাদের সব দাবী দাওয়া মেনে নিয়েছে এর বিনীময়ে শফি হুজুর শেখ হাসিনাকে প্রকৃত মুসলিমের সার্টিফিকেট দিয়েছে, ছাত্রলীগ হেফাজতের বন্ধু হিসেবে ঘোষণা করেছে। অথচ হেফাজতের ইস্যুতে শফির সাথে বিএনপির রাজনৈতিক সু-সম্পর্ক তৈরি হতে পারে বলে হেফাজতের শফিকে শেখ হাসিনা জনসম্মুখে ব্যক্তিগত আক্রমণও করেছেন। শফির সেই আলোচিত মাহফিল যেখানে শফি নারীদেরকে তেঁতুল বলে সম্বোধন করে সেই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর শেখ হাসিনা শফি ও খালেদাকে জড়িয়ে অশ্লিল রসিকতা করেন। তিনি বলেন-খালেদা জিয়া যদি শফি সাহেবের তেঁতুল হতে চান তাহলে আমার কিছু বলার নেই। বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে দেখলে হয়ত শফি হুজুরের তেঁতুল দেখার মত জিব্বায় পানি আসতে পারে। রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই তাই শফির তেঁতুল খালেদা হতে পারেনি, হয়েছে অন্য কেউ। খুনের উস্কানিদাতার সাথে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক মিত্রতা ও অন্যান্য দলের দৌড় ঝাপ ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে।

ব্লগটি অবিশ্বাসী ব্লগার ইস্যুতে সরকার ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর বক্তব্য কী তা লিপিবদ্ধ করা। প্রতিটি বক্তব্য এখানে আপডেট করা হবে।

যারা দেশের ইমেজ নষ্ট করবেন, তাদের জামিনের বিষয় বিবেচনা করব না: প্রধান বিচারপতি

৭ই মার্চ ২০২১

তিনি আরও বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, দেশের ইমেজ সবার আগে। সাবধান করে বলছি, যারা দেশের ইমেজ নষ্ট করবেন, তাদের জামিনের বিষয়ে আমরা বিবেচনা করব না

সূত্র: ডেইলি স্টার

মুশতাকের গা থেকে প্রস্রাবের তীব্র গন্ধ আসছিলো। কিছুদিন আগে তাকেও তোলা হয়েছিল, এবং প্রচুর মারধরও করা হয়েছিল। তার যৌনাঙ্গে ইলেক্ট্রিক শক দেয়া হয়েছিল। মেঝেতে সংবাদপত্র ছিল এবং আমি মুশতাককে নিজেকে পরিষ্কার করার জন্য এটি ব্যবহার করতে বলেছিলাম। তিনি তার অন্তর্বাসটি খুলে ফেলে দিলেন – আমি দেখেছি এটিতে মলমূত্র রয়েছে। তিনি অত্যাচারের সময় নিজের প্যান্টে মলত্যাগ করেছিলেন, তিনি আমাকে বলছিলেন, -কিশোর ।(দ্য ডেইলি স্টার) কেউ পুরো সাক্ষাৎকার পড়তে চাইলে ডেইলিস্টারের টা পড়বেন কারণ প্রথম আলো অনেক কিছু বাদ দিয়ে সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করে।। লিংক- এখানে

প্রধানমন্ত্রী: কারাগারে কেউ অসুস্থ হয়ে মারা গেলে কী করার আছে?

আইনের অপপ্রয়োগ হচ্ছে কিনা, এটা হলো দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার: প্রধানমন্ত্রী

২৭ ফেব্রুয়ারি , ২০২১

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আইন তার আপন গতিতে চলে। আইনের অপপ্রয়োগ হচ্ছে কিনা, এটা হলো দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার। কোনটা আপনার কাছে অপপ্রয়োগ আর কোনটা অপপ্রয়োগ না, এটাও একটা আপেক্ষিক ব্যাপার। আমি মনে করি, আইন তার নিজ গতিতে চলছে এবং চলবে। যদি কেউ অপরাধ না করে, তার বিচারে শাস্তি হবে না। আদৌ অপরাধ হচ্ছে কিনা, বা এমন কোনো কাজ করছে কিনা, দেশের ক্ষতি হচ্ছে বা জনগণের ক্ষতি হচ্ছে, সে কাজ থেকে বিরত রাখা উচিত।

তিনি আরো বলেন, সমালোচনা যারা করছে, তারা সবকিছু কি অনুধাবন করছে? আজকের এই দিনে আমি অন্য কিছু বলতে চাই না। শুধু এটুকুই বলবো, কারো মৃত্যুই কাম্য নয়। তবে সেটাকে উদ্দেশ্য করে অশান্তিও কাম্য নয়। অসুস্থ হয়ে মারা গেলে কী করার আছে?

সূত্র: প্রথম আলো, কালেরকণ্ঠ

লেখক মুশতাক আগেও অন্যের বিশ্বাসের প্রতি আঘাত করেছিলেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (প্রথম আলো)

অন্যের বিশ্বাসের প্রতি আঘাত করে লিখতেন মুশতাক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

২৬ ফেব্রুয়ারি , ২০২১

গাজীপুরের কাশিমপুর হাই-সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুবরণকারী লেখক মুশতাক আহমেদ অন্যের বিশ্বাসের প্রতি আঘাত করে লিখতেন। এজন্য তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটা মামলা ছিল।

কারাগারের ভেতর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান বলে জেনেছি। তার মৃত্যুতে কারা কর্তৃপক্ষের কোনও গাফিলতি আছে কি-না তদন্ত করা হবে। শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরের ষোলশহর ২ নম্বর গেট মোড়ে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এসব কথা বলেন।

সূত্র: বাংলানিউজ২৪

ডিজিটাল আইনে প্রথম শহীদ মুশতাক আহমেদ

২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১

লেখক মুশতাক আহমেদ কারাগারেই মারা গেলেন। সরকার বিরোধী পোস্টের জন্য (কার্টুন ও স্ট্যাটাস) মুশতাক আহমেদের সাথে কার্টুনিস্ট কিশোরকেও গ্রেফতার করা হয়। কিশোর প্রায় ১০ মাস ধরে কারাগারে আছেন। রিমান্ডে তাদের উপর নির্যাতন করা হয়। জেলে মারা যাওয়ার আগের দিনও তার মুশতাক আহমেদের জামিন বাতিল করা হয়। সরকার প্রত্যক্ষভাবে মুশতাককে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।

শিশু ধর্ষণ নিয়ে লেখা উপন্যাস ‘বিষফোঁড়া’ নিষিদ্ধ

২৭ অগাস্ট ২০২০

কওমী মাদ্রাসায় শিশু ধর্ষণ নিয়ে লেখা উপন্যাস ‘বিষফোঁড়া’ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বৃহস্পতিবার উপন্যাসটির প্রকাশক বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ব্যাপারে আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করবেন তাঁরা।

সূত্র: প্রথম আলো

বই মেলায় দুটি বই নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে হাই কোর্ট

২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

ধর্মীয় ও ব্যক্তি স্বাধীনতায় ‘আঘাতের’ অভিযোগে দুটি বইয়ের প্রকাশ,বিক্রি, বিতরণ ও বিপণন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে হাই কোর্ট। বই দুটির নাম ‘দিয়া আরেফিন’ এবং ‘দিয়া আরেফিন’র নানীর বাণী’, লেখক দিয়ার্ষি আরাগ নামের এক ব্যক্তি যিনি মূলত ব্লগ ও ফেইসবুকে লেখালেখি করেন। বই দুটি প্রকাশ করা হয়েছে সৃষ্টিঘর প্রকাশনা থেকে।

আবারও বাংলাদেশ থেকে ইস্টিশন ব্লগে প্রবেশ বন্ধ (ব্লক)
২ অগাস্ট, ২০১৯

২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশে বিটিআরসি ইস্টিশন ব্লগে বাংলাদেশ থেকে প্রবেশ বন্ধ (ব্লক) করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ইস্টিশন ব্লগ ইস্টিশন ডট কমের বদলে  http://istishon.blog নামে নতুনকে আত্মপ্রকাশ করে ব্লগ প্রকাশ করে আসছিল।

পাস হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল, ২০১৮
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারাসহ কয়েকটি ধারা বাতিল করে সংসদে পাস হয়েছে নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল। বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সংসদে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন এবং এটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।
এর আগে বিলের উপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করা হয়। গত ২৯ জানুয়ারি ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এরপর গত ৯ এপ্রিল তা সংসদে উত্থাপন করেন মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।

২৮ ধারায় ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য শাস্তি কমানো হয়েছে। সংসদে উত্থাপিত বিলে ৭ বছরের জেল বা ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান ছিল। পাস হওয়া জেল কমিয়ে ৫ বছর করা হয়েছে। বিলের ২১ ধারায় মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা জাতির পিতার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা বা প্রচারণার দণ্ডের বিধানের অংশে সংসদীয় কমিটির মতানুসারে ‘জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকা’ যুক্ত করা হয়েছে। এখানে শাস্তিও কমানো হয়েছে। আগে ১৪ বছরে জেল বা এক কোটি টাকা কিংবা উভয়দণ্ডের বিধান ছিল। কারাদণ্ড এখন ১০ বছরের করার বিধান রয়েছে।

সূত্র: ঢাকা ট্রিবিউন

আল্লাহকে বিশ্বাস করে না এমন মুক্তমনা চাই না’-প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ
১৫ মার্চ, ২০১৮

ইসলাম ছাড়া শান্তির পথ নেই। একমাত্র শান্তির পথ ইসলাম। এত অত্যাচার আল্লাহ সহ্য করবেন না। মুক্তমনা মানে কি যারা আল্লাহকে বিশ্বাস করে না? এমন মুক্তমনা মানুষ চাই না। আমরা চাই সবাই আল্লাহ বিশ্বাস করুক। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিশনের জাতীয় ইসলামী মহাজোটের সভায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ এ কথা বলেন।

সূত্র: যমুনা টিভি

এমপিদের মান-ইজ্জত রক্ষা করতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন: তোফায়েল

৩০ জানুয়ারি ২০১৮

সংসদ সদস্যদের মান-ইজ্জত রক্ষা করতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আপনারা (সাংবাদিকরা) গণমাধ্যমে যেভাবে বিভিন্ন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করেন, তাতে তাদের মান-ইজ্জত থাকে না। তাদের সম্মান ক্ষুণ্ন হয়। তারা তো জনপ্রতিনিধি। তাই এগুলো ঠেকাতেই এ আইন করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ চিন্তা ভাবনা করেই করা হয়েছে। অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে এ আইন করা হয়েছে। আগের আইসিটি অ্যাক্টটি বিএনপির সময়ে করা ছিল। যেখানে অনেক বিষয় অস্পষ্ট ছিল। নতুন আইনে বিষয়গুলো আরও স্পষ্ট করা হয়েছে।’

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

৫৭-র চেয়ে ৩২ বড়
৩০ জানুয়ারি, ২০১৮

আইনটিতে ১৪টি ধারায় উল্লেখ করা বিভিন্ন অপরাধকে জামিন অযোগ্য করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩২ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা সংবিধিবদ্ধ কোনো সংস্থার গোপনীয় বা অতিগোপনীয় তথ্য-উপাত্ত ইলেকট্রনিক মাধ্যমে কেউ ধারণ করলে তা হবে ডিজিটাল গুপ্তচরবৃত্তির শামিল। শাস্তি প্রথমবার অপরাধে ১৪ বছরের কারাদণ্ড বা ২৫ লাখ টাকা জরিমানা, দ্বিতীয়বার অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা এক কোটি টাকা জরিমানা। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যেসব ধারার অপরাধকে আমলযোগ্য ও জামিন অযোগ্য করার প্রস্তাব করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে ১৭, ১৯, ২১, ২২, ২৩, ২৪, ২৬, ২৭, ২৮, ৩০, ৩১, ৩২, ৩৩ ও ৩৪। খসড়া আইনটিতে ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক প্রতারণার ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে অনুমতি ছাড়া কম্পিউটার প্রগ্রাম, কম্পিউটার সিস্টেম, নেটওয়ার্ক ডিজিটাল ডিভাইস, ডিজিটাল সিস্টেম, ডিজিটাল নেটওয়ার্ক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কোনো তথ্য পরিবর্তন, মুছে ফেলা বা বিকৃতি ঘটালে তা হবে ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক প্রতারণা। এতে বলা হয়, এ অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হবে। কেউ যদি এই অপরাধ দ্বিতীয়বার বা বারবার করেন, তাহলে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড ভোগ করতে হবে।

সূত্র: কালের কন্ঠ, আরটিভি

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের বই প্রকাশে ব্যবস্থা-ঢাকার পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া
৩০ জানুয়ারি, ২০১৭

সূত্র:বিডিনিউজ.কম

বইমেলায় আসা বইয়ের মধ্যে ‘উসকানিমূলক’ কোনো উপাদান থাকছে কী না- সে দিকে নজর রাখার কথা বলেছেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। একুশে গ্রন্থমেলা সামনে রেখে মঙ্গলবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলা প্রাঙ্গণের নিরাপত্তা প্রস্তুতি ঘুরে দেখার পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন, যে কোনো নতুন বই মেলায় এলে বাংলা একাডেমি তা যাচাই বাছাই করে দেখবে, যাতে কোনো বই ‘ধর্মীয়, সামাজিক ও জাতীয় মূল্যবোধে’ আঘাত না করতে পারে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আনে এমন বই প্রকাশ করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শূকরের মাংস, মদ ও গাঁজা খেয়ে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা যারা বলেন, তারা পারভারটেড -প্রধানমন্ত্রী (ভাষ্কর্য ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী)
৫ জুন, ২০১৭

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মকে অস্বীকার করা নয়। শূকরের মাংস, মদ ও গাঁজা খেয়ে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা যারা বলেন, তারা পারভারটেড।’ ‘আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। হেফাজত কিংবা অন্য যেকোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আদর্শে ভিন্নতা ও মতবিরোধ থাকলেও সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রেখে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী (দেশের অভিভাবক) হিসেবে যা ভালো মনে করেছি তাই করেছি।

প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি অনেক অপমান সহ্য করেছেন। এখন যারা এর বিরোধীতা করছেন আর যারা পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন তিনি দু’পক্ষের কারও পক্ষে থাকবেন না। তারা আগে মারামারি ও মল্লযুদ্ধ করে শক্তির পরীক্ষা করুক। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও এ ব্যাপারে দু’পক্ষ মুখোমুখি হলে কিছু করতে মানা করেছেন। দু’পক্ষের শক্তির পরীক্ষায় যারা আহত হবেন তাদের চিকিৎসা দেবেন।
বাস্তবতা বিবেচনা না করে অনেক মন্ত্রী তার বিরুদ্ধে বক্তব্য-বিবৃতি দিয়েছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এ সময় তার পাশে বসে থাকা তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ছাড়াও রাশেদ খান মেনন ও আসাদুজ্জামান নূরের নাম উল্লেখ করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে কথা বলার আগে তারা পদত্যাগ করতে পারতেন। প্রধানমন্ত্রীর এধরনের সাহসী ও সময়োপযোগী বক্ত্যব দেশের আলেম ওলামা ও র্ধমপ্রান মুসলিম সমাজের মধ্যে ব্যাপক ইতিবাচক সাড়া জাগিয়েছে।

সূত্র:ইনকিলাব

আবারও নাস্তিকদের খুঁজে বের করার আহ্বান সেলিম ওসমানের
১২ নভেম্বর, ২০১৬

ধর্ম নিয়ে কটূক্তির ঘটনায় শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কানে ধরে ওঠবস করানোর রেশ না কাটতেই এবার নাস্তিকদের খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর ও বন্দর) আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান। শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা প্রাঙ্গণে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

২০১৪ সালের জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বলেন-নাসিম ওসমানের পরিবারকে দেখাশোনা করবেন তিনি।

সূত্র:বাংলা ট্রিবিউন ডট কম

বাংলাদেশ থেকে ইস্টিশন ব্লগে প্রবেশ বন্ধ (ব্লক)
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশে বিটিআরসি ইস্টিশন ব্লগে বাংলাদেশ থেকে প্রবেশ বন্ধ (ব্লক) করে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের আইএসপি প্রোভাইডারদের সংগঠন আএসপিবিএ-এর সভাপতি আমিনুল হাকিম মঙ্গলবার ডিডাব্লিউ-কে বলেন, ‘‘বাংলাদেশ টেলিকম রেগুলেটরি কমিশন-এর (বিটিআরসি) লিখিত নির্দেশে সোমবার থেকে ইস্টিশন ব্লগ নামের ওয়েবসাইটটি বন্ধ করে দিয়েছি আমরা৷ ব্লগটির ওয়েব অ্যাড্রেসসহ সব ধরনের লিংক ব্লক করা হয়েছে৷ তবে বিটিআরসি আমাদের সাইটটি বন্ধ করতে লিখিত নির্দেশ দিলেও, কোনো কারণ জানায়নি৷’

সূত্র-DW.com

‘মুক্তমনাদের’ও দুষলেন আইজিপি
ব্লগার ও জঙ্গিরা সমাজ ও মানবতার বিকাশ বাধাগ্রস্ত করছে: আইজিপি-বাংলা ট্রিবিউন
০৬ অগাস্ট, ২০১৬

জঙ্গিবাদের বিস্তারের কথা বলতে গিয়ে ধর্ম নিয়ে কথা বলাকেও দায়ী করেছেন পুলিশ প্রধান এ কে এম শহীদুল হক। তিনি শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, “অতিরিক্ত মুক্তচিন্তা করতে গিয়ে ব্লগাররা আবার বিপদ ডেকে আনছে। “ব্লগাররা ধর্মকে-ইসলামকে তারা তাদের মুক্তচিন্তার বিষয় হিসেবে নিয়ে যেভাবে ধর্মের বিরুদ্ধে এবং নবীজীর বিরুদ্ধে কটূক্তি, কদাচার… যেগুলো ভাষায় প্রকাশ করা যায় না, পড়া যায় না, এগুলো তারা করছে।”একটি সংবাদপত্রের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রেস ক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক আইজিপি শহীদুল বলেন, “ব্লগাররা লেখনীর মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানছে, আর জঙ্গিরা মানুষ হত্যা করে সমাজের, রাষ্ট্রের, মানবতার ক্ষতি করছে।”

সূত্র-বাংলা বিডিনিউজ২৪.কম

Govt blocks 2 messaging services
20 May, 2016

Bangladesh telecom regulator has blocked Threema and Wickr, two highly secured messaging services, along with some blog and Facebook links after receiving requests from intelligence agencies that claimed they spread atheism and criticise Islam.

On Monday, the Bangladesh Telecommunication Regulatory Commission (BTRC) blocked the services on suspicion that they were being used by extremists in their networking.

The telecom watchdog had asked all international internet gateway (IIG) operators to block some URLs that link to Somewherein, Muktomona, Nagorik and Nobojug blogs earlier this month, said a source at the BTRC.

সূত্র-http://www.thedailystar.net/


গোয়েন্দা সংস্থার পরামর্শে ব্লগসাইটে (সামহোয়্যার ইন ব্লগ) নিয়ন্ত্রণ

১৬ মে, ২০১৬

বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ব্লগ-সাইট সামহোয়্যার ইনের ওপর নিয়ন্ত্রণের আরোপের কথা স্বীকার করেছে সরকারী কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষ বিটিআরসির একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিবিসিকে বলেছেন, বেশ কয়েকজন ব্লগারের ইউআরএল ব্লক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে তাদের লেখা পড়া না যায়। কর্মকর্তা বলেন কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা মনে করছে, কিছু কিছু লেখা বাংলাদেশের “স্বার্থ-বিরোধী এবং ধর্মীয় উস্কানিমুলক” যা দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্ট করতে পারে।

সূত্র-বিবিসি

Govt dislikes killings, anti-religious bloggers: Minister
5 May, 2016

Home Minister Asaduzzaman Khan today cleared that the government dislikes both “bloggers who demean religion” and the killings that are being carried out targeting them.

“Bloggers should restrain from hurting religious sentiments,” the minister said. “It is a criminal offence when bloggers hurt religious sentiments of the public.”

সূত্র-www.thedailystar.net

সমকামীদের পক্ষে লেখা-লেখি ফৌজদারি অপরাধ পর্যায়ে পড়ে-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
Kamal: Writing for unnatural sex is criminal offence
সমকামিতা ও ধর্মবিরোধী লেখালেখি ফৌজদারি অপরাধ-বাংলা মেইল
সমকামিতা ফৌজদারি অপরাধ, নিশাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-NTV News
৫ মে, ২০১৬

“Our society does not allow any movement that promotes unnatural sex. Writing in favour of it is tantamount to criminal offence as per our law.

“We do not want any killing in the country and our government has adopted every kind of measures required to stop the killings,” said Home Minister Asaduzzaman Khan Kamal.

সূত্র-http://www.dhakatribune.com/

সমকামিতা আমাদের সমাজের সঙ্গে মানানসই না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
২৬ এপ্রিল, ২০১৬

মার্কিন দূতাবাসের সাবেক কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নানসহ দু’জন হত্যার ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘আমরা যতটুকু জেনেছি জুলহাজ রূপবান নামে একটি পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। আর তিনি সমকামীদের অধিকার রক্ষায় কাজ করতেন। এটা আমাদের সমাজের সঙ্গে মানানসই না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আর আমিও আগেই বলেছি কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে বা বিশ্বাসে আঘাত দেওয়ার অধিকার অন্য কারো নেই। সবাইকে সংযত হয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করার অনুরোধ করছি ।’

সূত্র-প্রিয়.কম

ফ্যাশন দাঁড়িয়ে গেছে যে ধর্মের বিরুদ্ধে লিখলেই তারা হয়ে গেলো মুক্তচিন্তা : প্রধানমন্ত্রী

মুক্তচিন্তার নামে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত বিকৃত রুচি: প্রধানমন্ত্রী-দৈনিক প্রথম আলো
১৪ এপ্রিল ২০১৬

শেখ হাসিনা বলেন এখন একটা ফ্যাশন দাঁড়িয়ে গেছে যে ধর্মের বিরুদ্ধে কিছু লিখলেই তারা হয়ে গেলো মুক্তচিন্তা। “আমি তো এখানে মুক্তচিন্তা দেখিনা,আমি এখানে দেখি নোংরামি”। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি একজন মুসলমান হিসেবে প্রতিনিয়ত আমার ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলি। সেখানে কেউ যদি লেখে, এতে আমার নিজেরও কষ্ট হয়। আর এই লেখার জন্য কোনো অঘটন ঘটলে দোষ সরকারের ওপর আসবে কেন? সবাইকে সংযমতা নিয়ে চলতে হবে। সবাইকে একটা শালীনতা বজায় রেখে চলতে হবে। অসভ্যতা কেউ করবেন না। অসভ্যতা করলে তার দায়িত্ব কে নেবে? আমরা নেব না।’

সূত্র-বিবিসি বাংলা

ধর্মের বিরুদ্ধে লিখে কোনো অঘটন ঘটলে দায় সরকার নেবে না
১৪ এপ্রিল ২০১৬

এসব লেখার জন্য কোনো অঘটন ঘটলে তার দায় সরকার নেবে না, উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সবাইকেই সংযম নিয়ে চলতে হবে, শালীনতা বজায় রেখে চলতে হবে। অসভ্যতা কেউ করতে পারবে না। আর তা করলে তার দায়িত্ব আমরা নেবো না। তবে এটাও বলছি, মানুষকে খুন করার মধ্য দিয়ে কোনও সমস্যার সমাধান নেই। যারা এগুলোর জন্য খুন করছে তাও ইসলাম বিরোধী। বিচারের দায়িত্ব আল্লাহ তাদের দেয়নি। যাদের কথা পছন্দ হল না, তাদের খুনের ঘটনাও সরকার বরদাশত করবে না।

নাজিমুদ্দিনের ব্লগে আপত্তিজনক লেখা লিখেছে কিনা তা সরকার খতিয়ে দেখবে-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (নাজিমুদ্দিন খুন হওয়ার পর সরকারের বক্তব্য)
৭ এপ্রিল ২০১৬

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বিবিসিকে বলেছেন নিহত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র নাজিমুদ্দিন সামাদ ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর লেখালেখি করতেন কিনা তা দেখা প্রয়োজন। এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে বিবিসিকে তিনি বলেন, “কেন এটা হয়েছে, কি হয়েছে, এখনই তা বলতে পারবো না। আগে জেনে নেই।”

তবে একই সাথে মন্ত্রী বলেন, “ব্লগে আপত্তিজনক লেখা লিখেছে কিনা তা দেখার প্রয়োজন আছে”।

আপত্তিকর লেখা লিখলেই কি হত্যা গ্রহণযোগ্য হতে পারে? এই প্রশ্নে বিরক্তি প্রকাশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

“আমি সে কথা বলতে চাইনি…আগের যে হত্যাকাণ্ডগুলো হয়েছে তাদের ব্লগ যদি দেখেন, এভাবে মানুষের ধর্মে আঘাত দেওয়া, বিশ্বাসে আঘাত দেওয়া, পৃথিবীর কোনো দেশেই তা গ্রহণযোগ্য নয়”।

সূত্র- বিবিসি বাংলা


ইসলাম-বিরোধী কথা বলা সহ্য করা হবে না: আইজিপি

২৭ মার্চ,২০১৬

জঙ্গিবাদ একটি সামাজিক ব্যাধি উল্লেখ করে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক বলেছেন, ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলায় সেন্টিমেন্টে লাগে। তাই বলে কেউ জঙ্গিবাদের নামে ইসলামের ক্ষতি করার চেষ্টা করলে তা সহ্য করা হবে না। ব্লগার হবেন, লিখবেন। কিন্তু ইসলাম ও নবীকে নিয়ে কটূক্তি ফৌজদারি অপরাধ। তা সহ্য করা হবে না।

সূত্র-জাগো নিউজ২৪

ধর্মানুভূতিতে আঘাত দিয়ে না লেখার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর
৮ নভেম্বর ২০১৫

কারও ধর্মানুভূতিতে যেন আঘাত না লাগে- লেখালেখির ক্ষেত্রে এই সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সূত্র-বাংলা বিডি নিউজ২৪ ডট কম

ভয় পাবেন না, লেখালেখি চালিয়ে যান: ইনু
২ নভেম্বর ২০১৫

লেখকদের পর প্রকাশককে হত্যা করা হলেও ভয় না পেয়ে লেখালেখি চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। এক প্রকাশককে হত্যা এবং আরেক প্রকাশককে কুপিয়ে আহত করার একদিন বাদে রোববার রাজধানীর রমনা রেস্তোরাঁয় এক প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।

জাসদ সভাপতি ইনু বলেন, “মানুষের জীবনে দুর্ঘটনা আছে। সভ্যতাও হোঁচট খেতে খেতে এগিয়ে যায়। সমাজ বিকাশের ধারায় দুর্ঘটনা আছে। এটাকে সহ্য করতে হয়। “ভয় পেলে হবে না। দুই-একটি অতর্কিত আক্রমণে ভড়কে না গিয়ে আপনারা শিল্প সাহিত্যের চর্চা করুন। এভাবেই তারা শেষ হয়ে যাবে। আপনারা ভয় পাবেন না। লেখালেখি চালিয়ে যান।”

সূত্র-বাংলা বিডি নিউজ২৪ ডট কম

Prime Minister Hasina says hurting religious sensitivities will not be accepted
3 September, 2015

After the murder of Niloy Neel, Prime Minister Hasina stated, “You can’t attack someone else’s religion. You’ll have to stop doing this. It won’t be tolerated if someone else’s religious sentiment is hurt.” She also said; “No one in this country has the right to speak in a way that hurts religious sentiment,” she said while exchanging greetings with Hindu leaders on Thursday. You won’t practise religion – no problem. But you can’t attack someone else’s religion. You’ll have to stop doing this.

সূত্র-http://bdnews24.com/

র‌্যাবের নজরদারিতে আসছে ব্লগার
২৭ আগস্ট ২০১৫

ব্লগারদের গতিবিধির ওপর নজর রাখছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‌্যাব)। ব্লগ বা অন্য কোনো মাধ্যমে কেউ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে কিছু লিখছেন কিনা এদিকটা দেখছে র‌্যাব। একই ভাবে লেখাকে কেন্দ্র করে উগ্রপন্থীদের প্রাণঘাতি হামলা থেকেও তাদের সুরক্ষা দেয়ার চেষ্টা করবে বিষেশায়িত সংস্থাটির সদস্যরা। দেশের আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে সংস্থাটিকে এই কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়। পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকেও নজরদারি এবং অনুসন্ধান বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করে যে লিখবে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। অন্যদিকে উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে আইনশৃংখলা বাহিনীকে। সরকারের এ ধরনের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতেই র‌্যাবের কর্মকর্তারা এই বিষয়টি নিয়ে মাঠে নেমেছেন। তারা উগ্রপন্থীদের ধরতে জোরদার অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এর পাশাপাশি তারা প্রয়োজনে ব্লগারদেরও আইনের আওতায় আনবেন।

সূত্র-দৈনিক যুগান্তর


ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দিলে ব্লগারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

১১ আগস্ট ২০১৫

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে ব্লগে লেখালেখি করলে দেশের সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী ব্লগারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। মঙ্গলবার রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকার আঞ্চলিক কার্যালয় উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ সব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

সূত্র-নয়াদিগন্ত

ধর্মের বিরুদ্ধে লিখলে গ্রেপ্তার করা হবে-আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি
১০ অগাস্ট ২০১৫

যেসব ব্লগার মুক্তমনা পরিচয় দিয়ে ধর্মের বিরুদ্ধে লেখালেখি করে তাদের অপরাধী হিসেবে গণ্য করে গ্রেপ্তার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে ব্লগাররা ব্লগে কী লেখেন সে বিষয়ে খোঁজ রাখবেন গোয়েন্দারা। যাঁদের ব্লগে ধর্ম বিষয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, কটূক্তি পাওয়া যাবে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হবে। গতকাল রবিবার আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র- কালেরকন্ঠ

‘সীমা লঙ্ঘন’ না করতে ব্লগারদের পরামর্শ আইজিপির
৯ আগস্ট ২০১৫

ছয় মাসের ব্যবধানে চার ব্লগার হত্যাকাণ্ডের কোনোটিরই সুরাহা করতে না পারার জন্য সমালোচিত পুলিশ বাহিনীর প্রধান ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার মতো লেখা না লেখার পরামর্শ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে কারও লেখা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার মতো হলে সে ক্ষেত্রে পুলিশকে তা জানানোর পরামর্শও দিয়েছেন এ কে এম শহীদুল হক।

সূত্র-বাংলা বিডিনিউজ২৪ ডট কম


আমরা (আওয়ামী লীগ) নাস্তিক হিসেবে পরিচিত হতে চাই না-রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জয়

১১ মে ২০১৫

“আমরা (আওয়ামী লীগ) নাস্তিক হিসেবে পরিচিত হতে চাই না। তবে এতে আমাদের মূল আদর্শের কোনো বিচ্যুতি হবে না। আমরা ধর্ম নিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী।” তিনি আরো বলেন ” অভিজিৎ একজন ঘোষিত নাস্তিক ছিলেন ” তাই আমার মা (প্রধানমন্ত্রী) অভিজিৎ রায়ের বাবাকে ব্যক্তিগতভাবে সমবেদনা জানিয়েছেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এতটাই অস্থির যে প্রকাশ্যে তার পক্ষে কোনো মন্তব্য করা সম্ভব হয়নি বলে মন্তব্য করেন জয় ।

সূত্র-রয়টার্স

‘হেফাজতের দাবি মানা হয়েছে, হচ্ছে’ (উল্লেখ্য-হেফাজতের ১৩ দফা ছিল-নারী শিক্ষানীতি বিরোধী, ব্লগাদের ফাঁসি, আহমদিয়া সম্প্রদায়কে পাকিস্তানের মতন অমুসলিম ঘোষণাসহ মধ্যযুগীয় দাবী)
৩ মে ২০১৩

ঢাকা অবরোধের ঘোষণা দেয়া হেফাজতে ইসলামের বেশিরভাগ দাবিই বাস্তবায়ন করা হয়েছে উল্লেখ করে এ কর্মসূচি বাদ দেয়ার অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সাভারে উদ্ধার অভিযান ও পুনর্বাসন কাজের স্বার্থে হেফজতে ইসলামের রোববারের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি স্থগিতের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী হেফাজতের ১৩ দফা দাবির ১২টি পড়ে শোনান। “হেফাজতে ইসলামের নেতারা বেশ কিছু দাবি-দাওয়া পেশ করেছেন। এ ব্যাপারে আমি কিছু কথা বলতে চাই। যে দাবিগুলো তারা করেছেন তার অনেকগুলোই কিন্তু ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আমরা কিছু কিছু করেছি। কিছু দাবি বাস্তবায়নের পথে যেগুলোর যৌক্তিকতা রয়েছে। যদি কিছু থাকে, তা আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করা যেতে পারে।” হেফাজতে ইসলামের সংবিধানে ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপনের দাবি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সংবিধানে বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম দেওয়াই আছে। এটা ইতিমধ্যেই আছে। তাছাড়া সংবিধানের রাষ্ট্রধর্ম ইসলামও লেখা আছে। সুতরাং ইসলাম ধর্ম সংবিধান থেকে বাদ যায় নাই।”

আল্লাহ, রাসুল (সা.) ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসা রোধে শাস্তির দাবিতে হেফাজতের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে শেখ হাসিনা বলেন, “ধর্মের অবমাননার বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান রেখে দেশে আইন কিন্তু বিদ্যমান আছে।”

সূত্র-বাংলা বিডি নিউজ২৪ ডট কম


দেশ চলবে নবীজীর দেখানো পথে, ধর্মের অবমাননা বরদাশত করব না: শেখ হাসিনা

যে কোনো ধর্ম অবমাননার বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “কোনো ধর্মের অবমাননা বরদাশত করব না।
“নবী করিম (স.)কে কটূক্তি করলে আমরা মানব না। ব্যবস্থা নেবোই।”

সূত্র-বিডিনিউজ২৪.কম


‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানলেই ব্যবস্থা’

আইন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর যৌথ সংবাদ সম্মেলন: ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারীদের শাস্তি দেবে সরকার-প্রথম আলো
০২ এপ্রিল ২০১৩

মঙ্গলবার এই সংবাদ সম্মেলনেই দুই মন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও শফিক আহমেদ বলেছেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে কেউ আঘাত হানলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেউ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানলে তার বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সরকার জানিয়েছে। ব্লগারদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হেফাজতে ইসলামসহ কয়েকটি ইসলামী দলের দাবির মধ্যে মঙ্গলবার সরকারের দুই মন্ত্রী একথা জানিয়েছেন।

আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেছেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী সবাইকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হবে। এ জন্য প্রচলিত দণ্ডবিধি পরিবর্তন করে সাজা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেছেন, যারা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে কিছু করছে, তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ধরনের অপরাধের অভিযোগে গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।

সূত্র-বাংলা বিডিনিউজ২৪.কম

ইসলাম অবমাননার অভিযোগে তিনজন ব্লগার গ্রেফতার, পরবর্তীতে আরো ১ জন গ্রেফতার হয়
১ এপ্রিল ২০১৩

ইন্টারনেটে ইসলাম ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর লেখালেখির অভিযোগে রাজধানীতে তিনজন ‘ব্লগারকে’ গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারের পর তাদেরকে ঢাকার মহানগর মুখ্য আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদেরকে সাত দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছে।

সূত্র- বিবিসি

‘নাস্তিক’ ব্লগারদের তওবার দাবিতে সায় কমিটির
৩১ মার্চ ২০১৩

ফেইসবুক ও ব্লগে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যকারীদের ‘তওবা’ করানোর সুপারিশ করেছে ইসলামী চিন্তাবিদ ও আলেমরা, যাতে সায় জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কর্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি।

রোববার কমিটির সঙ্গে বৈঠকে ব্লগ ও ফেইসবুক ইসলাম ও মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে মামলা করে কঠোর শান্তি দেয়ার সুপারিশ করেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ইসলামী চিন্তাবিদ ও আলেমদের সঙ্গে বৈঠকে এ সুপারিশের প্রেক্ষিতে কমিটির সভাপতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাইনউদ্দিন খন্দকার বলেন, “তওবা পড়ার সুযোগ দেয়া যেতে পারে, এর পরও তারা এ অপপ্রচার চালালে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

সূত্র-বাংলা বিডিনিউজ২৪ ডট কম

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ধর্মবিদ্বেষী ৮৪ ব্লগারের নথি জমা
৩১ মার্চ ২০১৩

ইসলাম ধর্ম ও মহানবী হজরত মোহাম্মদ সা. সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্যকারী ব্লগার ও ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে নয়টি ব্লগের ৮৪ জনের তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে। রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কটূক্তিকারীদের শনাক্তে গঠিত নয় সদস্যের কমিটির সঙ্গে দেশের আলেম সমাজের বৈঠকে এ তালিকা হস্তান্তর করা হয়।

সূত্র-নতুন বার্তা ডট কম


ব্লগারদের সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার জন্যে আমার ব্লগকে সরকারের নির্দেশ

২১ মার্চ, ২০১৩

২২ মার্চ, ২০১৩ বাংলাব্লগ নিয়ন্ত্রনে বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
আমারব্লগ ডট কম (www.amarblog.com) ২১ মার্চ ২০১৩ সকালে বাংলাদেশ বিটিআরসি(www.btrc.gov.bd) থেকে একটি ইমেইল নির্দেশ পেয়েছে। সহকারী পরিচালক স্বাক্ষরিত এ নির্দেশনায় আমার ব্লগকে বেশ কয়েকজনের ব্লগ একাউনট বাতিল এবং উল্লেখিত ব্লগারদের ব্যাক্তিগত তথ্যাদি- আই পি এড্রেস, লোকেশন, ইমেইল, মোবাইল নম্বর এবং ব্যাক্তিগত নাম পরবর্তী ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিটিআরসি কার্যালয়ে ইমেইলে জমা দিতে বলা হয়েছে! নির্দেশনামায় বিটিআরসির সহকারী পরিচালক কোন আইন কিংবা আদালতের আদেশের ভিত্তিতে এ নির্দেশ দিচ্ছেন তা উল্লেখ করেননি!

সূত্র-আমার ব্লগ

ইসলাম ধর্মের সমালোচনাকারীদের বিষয়ে তথ্য দিতে আহবান
১৩ মার্চ, ২০১৩

ইসলাম ধর্মের সমালোচনাকারীদের বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর জন্যে সরকার বিটিআরসির সহায়তায় মেইল-ওপেন করে।([email protected])। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাইনউদ্দিন খন্দকার সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি আরো বলেন-ইসলাম ধর্ম ও মহানবীকে নিয়ে যারা আপত্তিকর মন্তব্য করে তাদের বিরুদ্ধে তথ্য চাওয়া হয়েছে আলেম সমাজের কাছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি অভিযোগ জমা পড়েছে। এগুলো দ্রুত আইন সংস্থাকারীর কাছে পাঠানো হবে অনুসন্ধানের জন্যে পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ দেওয়া হবে।

সূত্র-দৈনিক যুগান্তর

১৯ ব্লগারের নিরাপত্তা দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্লগারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ ও গোয়েন্দা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন । বিশেষ করে ১৯ জন ব্লগারের নাম উল্লেখ করে তাদের সার্বিক নিরাপত্তার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে নির্দেশপত্রও পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে পুলিশ প্রশাসন থেকে ব্লগারদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, ১৯ জন ব্লগারের সার্বিক নিরাপত্তার ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শুক্রবার রাতে পল্লবীতে ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার শোভন খুন হওয়ার পর শাহবাগের আন্দোলনকারী ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের তালিকা নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থা মাঠে কাজ শুরু করে। তারা ১৯ জন ব্লগারের নামের একটি তালিকা করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এসব ব্লগারদের নিরাপত্তা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক

জামায়াতের রাজনীতি করার অধিকার নেই (ব্লগার রাজীব হায়দার খুন হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী)
১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাজীবকে হত্যা করে জামায়াত-শিবির প্রমাণ করেছে, ওরা একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। স্বাধীন বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই জামায়াতে ইসলামীর। ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারের শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সান্ত্বনা ও সমবেদনা জানাতে গিয়ে গতকাল শনিবার প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, রাজীব শাহবাগ আন্দোলনের প্রথম শহীদ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শাহবাগের এই তরুণ প্রজন্ম সমগ্র বাংলায় নবজাগরণের চেতনা সৃষ্টি করেছে। তরুণ সমাজের আকুতির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে আমি জাতীয় সংসদেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে কথা বলেছি। একাত্তরের পরে আবার সমগ্র বাঙালি জাতির চেতনায় একটা উন্মেষ ঘটাতে পেরেছে আজকের তরুণ সমাজ। আবার স্বাধীনতার চেতনায় তারা জেগে উঠেছে। আর সেই চেতনায় যখন তারা জাগ্রত করল জাতিকে সে সময় প্রথম শহীদ হলো রাজীব এবং এটা সবাই ধরেই নিতে পারে কারা করেছে।’ রাজীবের মৃত্যু নিয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আসলেই আমি কয়েক দিন থেকে খুব খারাপ সংবাদ পাচ্ছিলাম। যে কারণে ওদের নিরাপত্তার জন্য শাহবাগে যত রকম ব্যবস্থা করার দরকার আমি করেছি। শেষ পর্যন্ত তা-ই ঘটে গেল। তবে আমি কথা দিতে পারি, ওদেরকে আমরা ছাড়ব না।’

সূত্র: দৈনিক কালের কণ্ঠ

রাজীবের বাসায় প্রধানমন্ত্রী
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩

আততায়ীর হাতে নিহত ব্লগার রাজীব হায়দার শোভানের বাসায় গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার বিকাল সাড়ে তিনটায় রাজীবের মিরপুরের বাসায় উপস্থিত হন তিনি। এসময় রাজীবের বাবা-মাকে সান্ত্বনা ও হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল শুক্রবার রাত নয়টার দিকে নিজ বাসার সামনে খুন হন রাজীব।

সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক

সোনার বাংলা (জামাত-শিবির পন্থী) ব্লগ বন্ধ
১৬ ফেব্রুয়ারি,২০১৩

মানবতাবিরোধী অপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলনকারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সোনার বাংলা ব্লগ বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের মূল মঞ্চ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় জনতা করতালি দিয়ে সরকারের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায়।

সূত্র: প্রথম আলো

প্রাসঙ্গিক পোস্ট: আলোচিত সেই হিটলিস্ট যেভাবে তৈরি হয়