ধর্ম মানেই অশান্তি, অবাস্তব, বানোয়াট, ভুয়াবাজির ব্যবসা। শান্তির ধর্ম বলে কিচ্ছু নেই। উপরে শান্তির লেবেল লাগানোর মানে হচ্ছে, ভেতরে তা অসম্ভব বাজে।
প্রতিটি ধর্মই বাজে। ভাল ধর্ম বা শান্তির ধর্ম বলতে কিছু নেই। ধর্মগ্রন্থগুলি রূপকথা, গাঁজাখুরি, মিথ্যা, প্রতারণা ও অমানবিকতার ডিপো। পৃথিবীতে প্রতিটি ধর্মেরই প্রচার ও প্রসার ঘটেছে মানবরক্তসাগর পেরিয়ে। ইতিহাস তার সাক্ষী। ধর্ম মানেই ধোঁকাবাজি, ভণ্ডামি, হিংস্রতা, জ্ঞান-বিজ্ঞান বিমুখতা, লোভ-লালসা ও আতঙ্কবাদের চূড়ান্ত। আমরা যারা আজ সেই অন্ধকার গহ্বর থেকে বেরিয়ে এসেছি, তাদের কাছে ধর্মের ইতিহাসগুলি ভয়াবহ রকমের রূপকথা মনে হয়। ওসব পড়লে ভয়ে আমাদের গা শিউড়ে ওঠে, বিবমিষা লাগে প্রবল ঘৃণায়। পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘোরে – এই অপরাধে খ্রিস্টানরা বিজ্ঞানী ব্রুনোকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল, চিরবন্দি করে রেখেছিল বিজ্ঞানী গ্যালিলিওকে। ধর্মগুরুরা নির্বিচারে পুড়িয়ে মেরেছে নিরপরাধ মানুষকে রূপকথার ডাইনি আখ্যা দিয়ে। মুসলিম বিজেতারা কচুগাছের মতন মানুষ কেটেছে, জনপদ ধ্বংস করেছে, নিশ্চিহ্ন করেছে জ্ঞান-বিজ্ঞান শিল্প-সংস্কৃতির ভাণ্ডার। অহিংস বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার ও প্রসারের জন্যও সম্রাট অশোক হত্যা করেছিল অগণিত মানুষ। এরকম ইতিহাস রয়েছে প্রায় সকল ধর্মেরই।
জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিল্প-সাহিত্য, মানুষের মনোভাব, চিন্তা-চেতনা ইত্যাদির উন্নতি ও উন্মেষ ঘটতে দেখলেই ধর্মের দোহাই দিয়ে লোভী ও ভীতু কাপুরুষ অমানুষ ধার্মিকেরা তার গলা টিপে হত্যা করতে চেয়েছে, করেছেও অনেক। এইভাবে কেটেছে শত শত বছর। পৃথিবীতে হাজার হাজার ধর্ম এখনো বিদ্যমান। এখনো রয়েছে হাজার হাজার প্রকারের অন্ধবিশ্বাসী। সবগুলিই প্রগতি-বিরোধী, মানবতা-বিরোধী, জ্ঞান-বিজ্ঞান বিরোধী। তবুও মানুষের মন-মানসিকতার উন্নতি হচ্ছে, পৃথিবীর নানাবিধ উন্নতি হচ্ছে। হুমায়ুন আজাদ এর কারণ বলেছেন, পৃথিবীতে ধর্ম থাকার পরেও পৃথিবীর উন্নতি হচ্ছে, কারণ মানুষ কখনোই পুরোপুরি ধার্মিক নয়। ধর্মগুলিতে এত এত বাজে কথা আছে যে, ধার্মিকদের পক্ষেও সেসব পুরোপুরি মেনে চলা সম্ভব নয়। অনেক বিশ্বাসী তাদের ধর্মের বাজে কথাগুলি কারুর কাছে শুনতে পেলে বলে থাকে, না, না, অসম্ভব, এমন খারাপ কথা আমার ধর্মে থাকতেই পারে না।
ধর্ম নিয়ে হানাহানি খুনাখুনির অনেক অনেক যুগ ত পেরিয়েছে। আজকের যুগকে আমরা সভ্য যুগ বলে দাবি করে থাকি। আজ মানুষের জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিক্ষা-দীক্ষা, মানসিকতা ইত্যাদির অনেক উন্নতি হয়েছে। পৃথিবীর গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে মানুষের জ্ঞান-বিজ্ঞান। আগের তুলনায় অনেকাংশে সহনশীল হয়েছে অনেক ধর্মের অনুসারীরা। অন্য ধর্মের সমালোচনা করলে, বা বিদ্রুপ করলে তা নিয়ে তেমন একটা কিছু এসে যায় না। শুধু একটা ধর্ম ও তার প্রবর্তককে নিয়ে কিছু বললেই খবর আছে। মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা একটা সাধারণ ব্যাপার। পত্রপত্রিকা ও ম্যাগাজিনে কার্টুন আঁকা একটা অতি সাধারণ ব্যাপার। আইন পরিপন্থী ত অবশ্যই নয়। যেকোনো ঘটনা বা ব্যক্তিকে নিয়েই ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন আঁকা যেতে পারে। তাতে কারুর ঠুনকো অনুভূতিতে আঘাত লেগে গেলে সেও লেখা বা বিদ্রুপের মাধ্যমে তার প্রতিউত্তর দেবে। এটাই ত হবার কথা। শুধুমাত্র একজনের কার্টুন আঁকার জন্য ১২জন মানুষকে প্রকাশ্য দিবালোকে খুন করে ফেলা হয়েছে। এটা ভাবা যায়? শুধু অন্ধবিশ্বাসের জন্য এতোটা জঘন্য অমানুষ হতে পারে কেউ? হ্যাঁ, অন্ধবিশ্বাস মানুষকে অন্ধ অমানুষই করে দেয়। নবীকে নিয় মুভি বানালে মানুষ মেরে ফেলে তার অনুসারীরা, নবীর কার্টুন আঁকলে মানুষ মেরে ফেলে তার অনুসারীরা। ভাবুন, দেড় হাজার বছর আগে মারা যাওয়া একটা লোকের এখনো পর্যন্ত কতোটা বাজে প্রভাব রয়ে গেছে পৃথিবীতে।
কয়েকজন খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারক আসতো বাইবেল নিয়ে আমার বাসায়। আমার চারপাশে বাইবেল খুলে বসতো ওরা। সুর করে পড়ে শোনাতো বাইবেলের বাণী। আমি ওদের পড়া বাইবেলের বাণী শুনে হেসে কুটি কুটি হতাম। আমি বাইবেলের বাণীর ভিত্তিতে কোনো পালটা প্রশ্ন করলে ওরা উত্তর দিতে পারতো না। আমাকে খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত করানোর জন্য প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল ওরা। একদিন আমি ওদের জিজ্ঞেস করলাম, তোমাদের খ্রিস্টান ধর্মে কি বিয়ে না করে শারীরিক সম্পর্ক করার বিধান আছে? ওরা একসাথে সুর করে বলে উঠলো, না, না, বিয়ে ছাড়া শারীরিক সম্পর্ক অবৈধ,পাপ। আমি বললাম, বিয়ে ছাড়া যদি কারুর বাচ্চা হয়? ওরা একসঙ্গে বললো, ওটা অবৈধ পাপের সন্তান হবে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, তোমাদের গড আর মেরীর কি বিয়ে হয়েছিল? ওরা বললো, না তো! আমি বললাম, যিশু ত তাহলে গড আর মেরীর জারজপুত্র। ওদের চেহারা একটু মলিন হয়ে গেল। তার পর থেকে যেকেউ আমার কাছে খ্রিস্টান ধর্ম প্রচার করতে আসলে আমি শুধু একটা কথাই বলি, যিশু ত মেরী ও গডের জারজপুত্র। এতেই ওরা অপ্রস্তুত মুখে একটু হাসি হাসি ভাব নিয়ে বিদায় নেয়। ভেবে দেখুন, এইভাবে কি কেউ কোনো ইসলাম ধর্ম প্রচারককে বলতে পারবে? এরকম বললে সে নিজে খুন করবে বা অন্য কারুর হাতে করাবে। একথাগুলি আমি খ্রিস্টান ধর্মের কোনো মাহাত্ম্য প্রচারের জন্য বলিনি। আমি বলতে চেয়েছি ধর্মগুলি খারাপ হওয়া স্বত্বেও তাদের অনুসারীরা আগের তুলনায় হয়েছে অনেকটা সহনশীল ও মানবিক। আর ইসলাম ধর্ম ও ধার্মিকেরা এখনো রয়ে গিয়েছে সেইখানে, সেই দেড় হাজার বছর আগের গুহায়।
ইসলামি সন্ত্রাসবাদীরা কোথাও সন্ত্রাস করলে মডারেট মুসলিমরা বলে থাকে, ওটা ত সহী ইসলাম নয়। আমি তাদের সাথে একমত। এসব আসলেই সহী ইসলাম নয়। নবী মানুষ জবাই করতো তলোয়ার দিয়ে। নবীর উম্মত হয়ে ওরা মানুষ খুন করে বোমা দিয়ে, AK 47 দিয়ে, বিমান দিয়ে। সহী ইসলাম এসবকে কেমন করে বলি।
সব ধর্মই জঘন্য, বিষাক্ত। কালের বিবর্তনে অন্যান্য ধর্মের বিষের সিংহভাগই শুধু পুঁথিগত হয়ে পড়ে রয়েছে। বাস্তবে তার তেমন একটা প্রয়োগ নেই। দুর্গন্ধময় গার্বেজগুলি অনেকটা বইয়ের পৃষ্ঠায় বন্দি হয়ে আছে। অনেকের কাছে ধর্ম এখন শুধু উৎসব হয়ে ব্যবহৃত হচ্ছে। কেবল ইসলাম একমাত্র ব্যতিক্রম। এখনো সেই রকম বিষাক্ত, সেই রকম কালকেউটে, সেই রকম ফণা তুলে ফোঁস ফোঁস করছে, ছোবল মারছে সভ্যতার গায়ে, ছোবল মারছে মানবতায়, বিষ ছড়াচ্ছে, নিরীহ মানুষদের অকাতরে হত্যা করছে।
এটা কি সত্যি?
চরম সুন্দর পোষ্ট ।আমি সত্যিই আশাবাদি যে ব্লগে দিনদিন সাহসী এবং মুক্তমনা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।
@টুটুল,
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
এই লেখার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত. ধর্ম যত সংকীর্ণতা ও হিংসার জন্ম দেয়. প্রায় সব ধর্মই একইরকম.
@অতিথি লেখক,
ঠিক বলেছেন।
এ ধরনের ছাগলামি দেখে মজা পেলাম। কথা বলবার থাকলে তামান্নার মূল বক্তব্য নিয়ে কথা বলুন, কিন্তু এরকম নির্লজ্জ অপ্রাসঙ্গিক ব্যক্তিগত আক্রমণ কেন ভাই?
@ তামান্না ঝুমু,
যুক্তিপুর্ন গোছানো লেখা। ছাগুদের ম্যা ম্যা শুনে মনে হচ্ছে ইউ আর হিটিং অন দ্যা রাইট স্পট। লেখার জন্য ধন্যবাদ।
@সুমন,
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ লেখাটি পড়ে মতামত জানানোর জন্য।
@ বিরল,
তামান্না ঝুমুর পারিবারিক ও একান্ত ব্যক্তিগত মিথ্যা সত্য কোন কিছু নিয়ে আক্রমন বা নোংরামি করবার জায়গা এটি নয়।
লেখাটির বিষয়ে যুক্তি তথ্য থাকলে সে সব নিয়ে আলোচনা করুন।
@ বিরল,
এটা একটা ছাগলামী হয়ে গেলনা? পোষ্টের বিষয়বস্তু নিয়ে কিছু না বলে আপনি তামান্নার পারিবারিক ও ব্যক্তি জীবন নিয়ে কুৎসিত মন্তব্য শুরু করে দিলেন। কোরান না হয় না বুঝে পড়েন, বাংলা লেখাও কি বুঝেন না? তামান্নার নিচের কথাগুলো কি প্রমাণ করে তিনি খৃষ্টান হয়ে গেছেন?
ব্যক্তি আক্রমন না করে পোষ্টের বিষয় নিয়ে আলোচনা করুন।
@আকাশ মালিক,
ছাগুকুল বাংলা ভাষা বোজে না।
@ তামান্না ঝুমু,
আপনি ঠিকই বলেছেন। সব ধর্মই এক একটা মানুষ খেকো বাঘ। শুধু তফাত হলো অন্য বাঘ গুলোকে খাঁচায় বন্দী করা গেছে। যদিও সে গুলো খাঁচা থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ খুজছে। কিন্তু ইসলাম নামক মানুষ খেকো বাঘটি এখনো খাচার বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এখন প্রধান কাজ এই মানুষ খেকো বাঘটিকে খাচায় ঢোকানো। তবে দেখতে হবে ইসলামী মানুষ খেকোটিকে ঢোকাতে গিয়ে অন্য বাঘ গুলো যেন বেরিয়ে না পড়ে।
@ বিরল বাক্তিগত আক্রমন না করে আপনার যুক্তি গুলো তুলে ধরলে ভালো হত না?
@অনিন্দ্য পাল,
ঠিক বলেছেন। অন্য ধর্মগুলি অনেকটা অথর্ব বাঘ। ইছলামই শুধু এখনো সেই আগের মত বিষাক্ত।
তামান্না ঝুমু! আমেরিকা গিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে খৃষ্টান হয়েছেন, এটা ব্লগে জানান দিয়েছেন তো ? আপনার পোষ্ট দেখে মনে হয় বিশিষ্ট কোন বিশিষ্ট গবেষক! , অথচ আপনার পড়াশোনা উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্তই!
অন্যদের কথা বাদ দিলাম, আপনার আপন মা ও আপনাকে ঘৃণাভরে দূরে ঠেলেছে কারণ ঐ একটাই বেপোরোয়া জীবনাচার আর ধর্মান্তর। আপনারা সমাজ পরিবর্তন করতে চান? হাস্যকর। আপনার পারিবারিক জীবনের কথা না হয় আজ থাক।
@বিরল,
এই পোস্টের কোন জায়গায় আমি লিখেছি যে আমি ইসলাম বর্জন করে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেছি? অতি সহজ বাংলাও বুঝতে পারেন না? এতটাই মূর্খ? আপনি এই তথ্য কোথায় পেলেন যে আমার পড়াশোনা উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত? আমি জীবনে স্কুলেও যাইনি। তাতে আপনার কি সমস্যা?
আমি কাকে কি কারণে দূরে ঠেলেছি, কে আমাকে দূরে ঠেলেছে কি কারণে, তাতে আপনার কি? যোগ্যতা থাকলে পোস্টের প্রাসঙ্গিক ব্যাপারে কথা বলুন।
পোস্টের সাথে সম্পুর্ন অপ্রাসংগিক, ব্যক্তি আক্রমনমুলক এই কমেন্ট মডারেশনের জালের ফাঁক দিয়ে কিভাবে এল তা এক বিস্ময়।
@বিপ্লব কর্মকার,
একমত।
@বিরল,
শুনলাম, আপনি ইহুদি হয়ে গেছেন। বাঃ, নতুন ধর্ম গ্রহণের জন্য অভিনন্দন।
আরে, আমাকে এত উচ্চ শিক্ষিত বানিয়ে দিলেন কেন? আমি স্কুলেই যাইনি জীবনে। আপনি ত তবুও ক্লাস ওয়ান ফেইল। সেই ফেলু সার্টিফিকেট গলায় ঝুলিয়ে এখানে এসেছেন দুম্বামি করতে? আপনার ফেলু সার্টিফিকেট আপনি অন্য কোথাও গিয়ে খেজুরপাতা সহযোগে চিবিয়ে খান। এটা সার্টিফিকেট প্রদর্শনি নয়।
আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার নিয়ে ছাগুমি করার জন্য আপনাকে চাকরি দিয়েছি আমি। নিষ্ঠার সাথে সেই কাজ করুন। নইলে কিন্তু চাকরি নট। আপনার মত নিষ্ঠাবান বিরল প্রজাতির ছাগুর অভাব আছে এই পৃথিবীতে।
@বিরল,
সার্টিফিকেট যদি জ্ঞানের মানদন্ড হয়, তবে তোগো নিরক্ষর নবী মোহাম্মদতো সবার আগে ডিসমিস!
@সুমন,
ছহী কথা বলেছেন।
খুব সাধারণ কথায় অসাধারণ যুক্তি ঝুমু। ধর্ম নামের রূপকথা; এক কথা; ভ্যাটাশ। যে কোন পাদ্রী মোল্লা পুরুত এসব কথা শুনলেই ফুরুৎ 🙂
@কাজী রহমান,
পাদ্রীরা এখন ফুরুৎ হয়ে যায়। মোল্লারা হত্যা করে বা করতে চায়।
@তামান্না ঝুমু,
সহি মুসলমান তা’তো করবেই বা চাইবেই। আর মডারেট কোরানকে অতিক্রম করে নিন্দা ফিন্দাও করবে। কোরানের ৪ নম্বর সুরা নিসার ৮৯ তম আয়াতে পরিস্কার ভাবে লেখা আছে যে:
তারা চায় যে, তারা যেমন কাফের, তোমরাও তেমনি কাফের হয়ে যাও, যাতে তোমরা এবং তারা সব সমান হয়ে যাও। অতএব, তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহর পথে হিজরত করে চলে আসে। অতঃপর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে তাদেরকে পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা কর। তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না এবং সাহায্যকারী বানিও না।
খুব সুন্দর লিখেছেন। আমার সাথেও এমন ঘটনা বেশ কয়েকবার ঘটেছে।
প্রায়ই শুরু হতো “যীশু তোমার পাপের কারনে শূলে চড়েছিলেন” -এই ধমক দিয়ে। আমি তখন অবাক গলায় বলতাম ওহ! তিনি জানতেন যে আমি আজ গোটা-তিনেক খুন-ডাকাতি করবো, তাই আমার শাস্তি নিজের কাঁধে নিয়েছিলেন! যাক, আমার তাহলে আর কোনো শাস্তির ভয় নেই এই পৃথিবীতে কি বলো? তুমি তৈরী? দৌড়ে পালাতো তখনই বাইবেল ফেলে রেখে!
কিন্তু মোল্লাদের যখন আমি বলি যে আপনাদের আল্লাহ অবশ্যই অপ্রকৃতস্থ এবং সমকামী-নাহলে কেনো তিনি ইব্রাহীমকে তার প্রতি ভালবাসার প্রমাণ হিসেবে নিজের ছেলেকে বলী দিতে আদেশ করবেন? তখন শুধু জানের হুমকি পাই, সাথে হালাল খিস্তি-খেউড় ফ্রি!!!
@আরফিন পিয়াল চৌধুরী,
ওদের উপদ্রব হতে বাঁচার একমাত্র উপায় হচ্ছে, যিশুকে জারজ বলে দেওয়া।
@তামান্না ঝুমু, আমিও তাই করি! যীশুর সাথে লেডি ম্যাকডোলিনের সম্পর্ক নিয়ে কথা তুললেও কিন্তু তাদের মুখবন্ধ হয়ে যায়।
@আরফিন পিয়াল চৌধুরী,
মুখটা মলিন করে চলে যায়। দেখতে মায়াও লাগে।
জঙ্গিপনা দমনের আগে কিছু বিষয় পরিস্কার করা দরকার। মুসলিম লিডার ও মুসলিম দেশগুলোকে স্বীকার করানো দরকার যে- যে কেউ যে কোন ধর্ম নিয়া সমালোচনা করার অধিকার আছে। সমালোচনা ব্যাঙ্গ-বিদ্রোপ হোক, লেখা-লেখি হোক, ভাস্কর্য হোক তার প্রতি উত্তর কখনো হুমকি, শারিরিক আঘাত, অর্থনৈতিক আঘাত ইত্যাদি করা যাবেনা। যদিও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে রাজি করানো এত সহজ হবেনা। এতে তাদের রাজতন্ত্রে ধ্বস নামতে দেরি হবেনা।
আর যে শব্দগুলো পুনরায় বিবেচনা করা দরকার তা হল-
# জঙ্গি আর উগ্র নাস্তিকদের (যারা হুমকি বা শারিরিক আঘাত দেয় না শুধু কলম দ্বারা ইসলামের সমালোচনা করে) মধ্যে কোন তফাৎ নাই। আজও একজন ফেইসবুক সেলিব্রেটি নাস্তিকদের সমালোচনা করতে করতে আবেগে দুই দলকেই একই কাতারে ফেলেছেন। এবং তার অনুসারিরা নাস্তিকদের নাম দাম চাইছেন কিছু একটা করার জন্য।
# “ইহা সহি ইসলাম নহে” যারা বলবে, তাদের দ্বায়িত্ব দেয়া জঙ্গিদের বিরোদ্ধে মিছিল-মিটিং করা এবং কোনটা সহি ইসলাম তা প্রচার করা। শুধু সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করলে তোতা পাখির মত বলে দেয়া ইহা সহি নহে তা হবেনা। ফিলিস্তিনে ইজরাইল মানুষ মারলে যেভাবে সরকার উড়াইয়া দেয়ার আন্দোলন করে সেভাবে জঙ্গিদের বিরো্দ্ধে আন্দোলন করা সেই মুমিনদেরই দ্বায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
তাছাড়া মসজিদ, মাদ্রাসাগুলোতে অনুদান বন্ধ না করে ড্রোন দিয়ে নিরিহ মানুষ মারলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে।
তামান্না ঝুমুকে ধন্যবাদ
@হেলাল,
এ কাজগুলি বাস্তবায়িত করা গেলে ভালো হতো। কিন্তু তা কি আদৌ সম্ভব হবে?
বেশ কিছুদিন আগে একজন সুপরিচিত ব্লগারও একই কথা বলেছিল। সে বলেছিল, তলোয়ার দিয়ে মানুষ খুন করা আর কীবোর্ডে ধর্মকে বিদ্রুপ করা একই কথা।
এরা সন্ত্রাসীদের চেয়ে ভয়ানক।
সহমত।
@আশরাফুল আলম, 🙂
খ্রিস্টধর্মকে এখন কাজে মৃত, নামে জীবিত বলা যায়। একই পরিণতি হবে ইসলামেরও। যেকোনো ধর্মের জীবনকালে শেষের আগের অধ্যায়ের নাম “উগ্রতম রূপধারণ” আর শেষ অধ্যায়ের নাম “অবধারিত মৃত্যু”।
@লাবিব ওয়াহিদ,
একমাত্র ইসলাম ধর্মেরই জীবন্মৃত পরিণতির কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
@তামান্না ঝুমু, আমার ধারণা লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। যত মানুষ ইসলাম গ্রহণ করছে, তার চেয়ে বেশি ইসলাম ত্যাগ করছে। এবং ইসলামত্যাগীদের মধ্যে তরুণরাই অধিক সংখ্যক। ইসলামিস্টরা আরো কিছুকাল নৃশংসতা চালাবে, সন্দেহ নেই। তবে এরাই তো ইসলামের কফিনের পেরেকগুলো শক্তপোক্ত করে গেঁথে দিচ্ছে। এখন শুধু প্রয়োজন মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে শিক্ষা ও বিজ্ঞানচেতনার প্রসার-এটা সহজ কম্ম না হলেও এখন আমাদের হাতেই আছে ইণ্টারনেট।
@লাবিব ওয়াহিদ,
এখনো ইসলাম নিয়ে কথা বললে খুন হতে হয়। তবে সুদিনের স্বপ্ন দেখে দেখেই ত আমরা বেঁচে থাকি।
@লাবিব ওয়াহিদ,
হ্যাঁ ঠিক বলেছেন। এটিই ধর্ম গুলোর শেষ গন্তব্য।
@লাবিব ওয়াহিদ,
এর স্বপক্ষে তথ্য চাই।
বরং উল্টো তথ্য আছে।
এখনো জাকির নায়েকের বক্তব্য শুনে দলে দলে মানুষ ধর্মান্তরিত হয়।
অন্ধকার আফ্রিকার মানুষ ধর্ম পালন করে বলে কোনকালে শুনিনি, সেখানেও বোকা হারেম মানুষের ঘরে ঘরে ধর্মের আলো জ্বালাচ্ছে।
@বিপ্লব কর্মকার,
আপনি ঠিক বলেছেন। অনেক পড়াশোনা জানা অমুসলিমকে আমি ইসলাম গ্রহণ করতে দেখেছি। মুসলিম তরুণদের মধ্যেও অনেককে দেখেছি যারা আগে ধর্মের ব্যাপারে উদাসীন ছিল এখন তারা কট্টর মুসলিম হয়ে গেছে, বিশ্বাসে ও কাজেকর্মে। তবে বিপরীত ঘটনাও যে ঘটছে না তাও কিন্তু নয়।