খৃস্টান পরিবারে জন্ম ও দাদু চার্চের পাদ্রী হবার সুবাদে যীশুর প্রতি ভালোবাসা আর ঈশ্বরের আগুনের ভয় ছোটবেলায় বেশ প্রকট ছিল আমার। একটু বড় হতে না হতেই যীশু ঈশ্বর ও বাইবেলের প্রতি প্রচণ্ড ভালবাসাই কিনা শেষপর্যন্ত সেই ভালবাসার কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলো ক্লাস ৮-৯এ থাকতেই। সময় পেলেই বাইবেল নিয়ে শুয়ে যেতাম; দাগাতে দাগাতে কখন যে বাইবেলের এ মাথা টুঁ ও মাথা চষে ফেলতাম টেরটাও পেতাম না।
কোন কিছু অবিশ্বাস করতে হলে জানতে হয় অনেক বেশি। জানার ফলে প্রশ্নের উদ্ভব হয়। আর প্রশ্নের সঠিক উত্তর না পেলে জন্ম নেয় অবিশ্বাস।
অবিশ্বাস জিনিসটা খারাপ কিছু না। অবিশ্বাসেই জন্ম নেয় জানার আগ্রহ, অবিশ্বাসই খুলে দেয় মনের গোপন সব দরজা।
পরিবার আর চার্চে সবসময় শুনে এসেছি যীশু ঈশ্বরপুত্র বিশুদ্ধতম মানব। মুসলিম সাথে ইসলামের নবী লম্পট; যাদের বাইবেলে “বন গর্দভ বা বন্য গাধার বংশধর” বলা হয়েছে (আদিপুস্তক ১৬ অধ্যায় ১২ পদ “ইশ্মায়েল স্বাধীন এবং উদ্দাম হবে যেমন উদ্দাম হয় বন্য গাধা। সে সবার বিরুদ্ধে দাঁড়াবে এবং সবাই হবে তার প্রতিপক্ষ। সে স্থান থেকে স্থানান্তরে ঘুরে বেড়াবে এবং ভাইদের বসতির কাছে তাঁবু গাড়বে।”)। আমার দাদু বেশ মজা করে বলতেন “বাইবেল যে সত্য তার প্রমান খুব সহজে কিভাবে প্রমান করা যায় জানো দাদু??? বাইবেলে মুসলমানদের বন্য গাধার সাথে তুলনা করা হয়েছে। এই যে পৃথিবীতে যত অশান্তি সব তো করছে এই গাধারাই। বন্য গাধার সাথে মুসলমানদের চরিত্রের কোন পার্থক্য আছে কি ??? এটাই প্রমান করে বাইবেল সত্য। যীশু দেখো কত শান্ত; মহম্মদের মতন বন্য জংলী গাধার মতন মেজাজ ছিলনা তার। তিনি ছিলেন শান্ত মেষের মতন। কারন তিনি ঈশ্বরের পুত্র। দুনিয়ার সব অশান্তি করে শুধু মুসলিমরা; পৃথিবীতে যত ভালো কাজ হয় করে সব খৃস্টানরা; তারা মিশনারি করে, অনাথ আশ্রম বানায় হাসপাতাল বানায়। গরীব দেশকে সাহায্য করে। খৃস্টান ধর্মই ঈশ্বরের মনোনীত ধর্ম; মানব সেবার ধর্ম”।
কথাগুলোয় তখন বেশ মজা পেতাম।
আজ দাদু বেঁচে নেই; থাকলে তার করা ২ টি দাবী নিয়ে এই লেখাটা অবশ্যই তাকে পড়তে দিতাম।
খৃস্টানদের করা ২ টি দাবী নিয়ে একটু আলোচনা করি।
১। যীশু নিষ্পাপ এবং রাগহীন; তিনি শ্রেষ্ঠ মানব।
২। বাইবেল একটি মানবতার বই; মানবতার জন্য বই।
বাইবেলে যীশুর জীবনের সে ক্ষুদ্রাটিক্ষুদ্র সময়ের বর্ণনা পাওয়া যায়; তা কখনোই একজন মানুষের সম্পর্কে সব কিছু ধারনা করার জন্য যথেষ্ট নয় সেটা বুঝতে বেশী বড় হতে হয়নি আমাকে।
বাইবেলে যীশুর ২ টি কাজ যা আমার কাছে মনে হয়েছে দুধে গরুর ২ ফোঁটা প্রসাবের মতন যীশুর প্রতি সম্মান বোধকে চুরচুর করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। তার সারা জীবনের ইতিহাস জানতে পারলে হয়তো আরও অনেক কিছুই বের হত কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে।
*** সংশয় ১। মার্ক ৫ অধ্যায় ১-১৩ পদঃ
“এরপর যীশু এবং তাঁর শিষ্যরা হ্রদের ওপারে গেরাসেনীদের দেশে এলেন। তিনি নৌকা থেকে নামার সাথে সাথে একটি লোক কবরস্থান থেকে তাঁর সামনে এল, তাকে অশুচি আত্মায় পেয়েছিল। সে কবরস্থানে বাস করত, কেউ তাকে শেকল দিয়েও বেঁধে রাখতে পারত না। লোকে বারবার তাকে বেড়ী ও শেকল দিয়ে বাঁধত; কিন্তু সে শেকল ছিঁড়ে ফেলত এবং বেড়ী ভেঙ্গে টুকরো করত, কেউ তাকে বশ করতে পারত না। সে রাত দিন সব সময় কবরখানা ও পাহাড়ি জায়গায় থাকত এবং চিৎকার করে লোকদের ভয় দেখাত এবং ধারালো পাথর দিয়ে নিজেকে ক্ষত-বিক্ষত করত। সে দূর থেকে যীশুকে দেখে ছুটে এসে প্রণাম করল। আর খুব জোরে চেঁচিয়ে বলল, ‘হে ঈশ্বরের সবচেয়ে মহান পুত্র যীশু, আপনি আমায় নিয়ে কি করতে চান? আমি আপনাকে ঈশ্বরের দিব্যি দিচ্ছি, আমাকে যন্ত্রণা দেবেন না!’ কারণ তিনি তাকে বলেছিলেন, ‘ওহে অশুচি আত্মা, এই লোকটি থেকে বেরিয়ে যাও।’ তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার নাম কি?’ সে তাঁকে বলল, ‘আমার নাম বাহিনী, কারণ আমরা অনেকগুলো আছি।’ তখন সে যীশুর কাছে মিনতি করতে লাগল, যেন তিনি তাদের সেই অঞ্চল থেকে তাড়িয়ে না দেন। সেখানে পর্বতের পাশে একদল শুঁয়োর চড়ছিল, আর তারা (অশুচি আত্মারা) যীশুকে অনুনয় করে বলল, ‘আমাদের এই শুয়োরের পালের মধ্যে ঢুকতে হুকুম দিন।’ তিনি তাদের অনুমতি দিলে সেই অশুচি আত্মারা বের হয়ে শুয়োরদের মধ্যে ঢুকে পড়ল। তাতে সেই শুয়োরের পাল, কমবেশী দুহাজার শুয়োর দৌড়ে ঢালু পাড় দিয়ে হ্রদে গিয়ে পড়ল এবং ডুবে মরল।”
একই ঘটনার বিবরন বাইবেলের মথি ৮ অধ্যায় ২৮-৩২ পদ এবং লুক ৮ অধ্যায় ২৬-৩৩ পদে লিপিবদ্ধ রয়েছে।
# যীশু কেন নিস্পাপ শুঁয়োর গুলোকে মন্দ আত্মা ধুঁকিয়ে সমুদ্রে ডুবিয়ে মাড়লো (প্রায় ২ হাজার শুঁয়োর) সেটা তখনের সেই ছোট্ট মাথায় ঢুকলো না; তিনিতো মন্দ আত্মা গুলোকে শুয়োরে না ভড়ে বাতাসে খোলা প্রকৃতিতে ছেড়ে দিতে পারতেন যা তিনি করছেন অন্য সময়। তবে শুধু শুধু নিস্পাপ শুঁয়োর গুলোকে হত্যা করার দরকার কি ছিল ??? এটা কি অযথা প্রাণী হত্যা নয়??? যে অযথা প্রাণী হত্যা করতে পারে সে পবিত্র হয় কিভাবে ???
*** সংশয় ২। মার্ক ১১ অধ্যায় ১২-১৪ এবং ১৯-২১ পদঃ
“পরের দিন বৈথনিযা ছেড়ে আসার সময় তাঁর খিদে পেল। দূর থেকে তিনি একটি পাতায় ভরা ডুমুর গাছ দেখে তাতে কিছু ফল পাবেন ভেবে তার কাছে গেলেন, কিন্তু গাছটির কাছে গেলে পাতা ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেলেন না; কারণ তখন ডুমুর ফলের মরশুম নয়। তখন তিনি গাছটিকে বললেন, ‘এখন থেকে তোমার ফল আর কেউ কোন দিন খাবে না!’ এই কথা তাঁর শিষ্যেরা শুনতে পেলেন। সেই দিন সন্ধ্যে হলেই যীশু ও তাঁর শিষ্যরা মহানগরীর বাইরে গেলেন। পরের দিন সকালে যেতে যেতে তাঁরা দেখলেন, সেই ডুমুর গাছটি মূল থেকে শুকিয়ে গেছে। পিতর আগের দিনের কথা মনে করে তাঁকে বললেন, ‘হে গুরু, দেখুন, আপনি যে ডুমুর গাছটিকে অভিশাপ দিয়েছিলেন সেটি শুকিয়ে গেছে।’
একই ঘটনা বাইবেলে মথি তার ২১ অধ্যায় ১৮-২০ পদে লিপিবদ্ধ করে রেখে গিয়েছেন।
(যদিও ২ টি বর্ণনায় বিপরীত কথা বলা হচ্ছে; এক জায়গায় বলা হচ্ছে পরদিন তারা দেখলো গাছটি মড়ে গেছে আরেক জায়গায় বলা হচ্ছে সঙ্গে সঙ্গে গাছটি মড়ে গিয়েছিল সেটা তারা দেখেছিল। যদিও আজকের টপিক বাইবেলের বিপরীত বাক্য নিয়ে নয় তাই সে আলোচনা ভবিষ্যতের জন্য তোলা রইলো)।
# অসময়ে ডুমুর গাছে ডুমুর না পেয়ে সেই ডুমুর গাছকে অভিশাপ দিয়ে মেড়ে ফেলার যুক্তি টা কি??? অসময়ে ডুমুর হবে কেন??? অসময়ে ডুমুর না ফলিয়ে ডুমুর গাছের দোষ টা কি??? এই যদি হয় বিচারের নমুনা তবে যীশুর কাছে পুনুরুত্থানের দিনে সঠিক বিচার কিভাবে কাম্য??? গাছের তো প্রান আছে। যীশু কি অকারনে গাছটিকে হত্যা করলেন না ???
যীশু নিষ্পাপ আর রাগহীন সেই বিশ্বাস তখনি ঘুচে গিয়েছিল। বেশ মনে আছে একদিন পারিবারিক প্রার্থনা সভায় যীশু নিষ্পাপ রাগহীন এই কথার প্রতিবাদ করায় এক বেলা না খাইয়ে রাখা হয়েছিলো আমাকে। যীশুকে অবিশ্বাস পাপ সেটাও শতবার শুনতে হয়েছিলো।
উপরের অংশটুকু লিখতে গিয়ে হঠাৎ করে বাইবেলের আরেক নবীর কথা মনে পড়ে গেল।
২য় রাজাবলি ২ অধ্যায় ২৩-২৪ পদঃ
“সেখান থেকে ইলীশায় বৈথেল শহরে গেলেন। তিনি যখন শহরে যাবার জন্য পর্বত পার হচ্ছিলেন তখন শহর থেকে একদল বালক বেরিয়ে এসে তাঁকে নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা শুরু করলো। তারা ইলীশায়কে বিদ্রূপ করল এবং বললো, “এই য়ে টাকমাথা, তাড়াতাড়ি কর! তাড়াতাড়ি পর্বতে ওঠ! টেকো!!”। ইলীশায় মাথা ঘুরিযে তাদের দিকে দেখলেন, তারপর প্রভুর নামে তাদের অভিশাপ দিলেন। তখন জঙ্গল থেকে হঠাৎ দুটো বিশাল ভাল্লুক বেরিয়ে এসে সেই ৪২ জন বালককে তীব্র ভাবে ক্ষত-বিক্ষত করে দিল।”
বাহ!!! কত্ত সুন্দর ঘটনা। ক্ষুদ্র কারনে যাদের মেজাজ এমন আগ্নেয়গিরি হয়ে যেতে পারে যে বাচ্চাদের অভিশাপ দিয়ে ভালুক দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করতে পারে; যুগে যুগে এদেরকেই কিনা শ্রেষ্ঠ মানব বা নিষ্পাপ মানব (ইসলাম মতে সকল নবী নিষ্পাপ ছিলেন) হিসেবে আস্তিকেরা ভক্তি করে আসছে।
নবীরা যদি নিষ্পাপ হন তবে “আকামের ঢেঁকি” কারা???
ইতিহাসে নবী ভং ধরা মানুষ গুলোর চাইতে বেশী কলঙ্কিত মনমানসিকতার অধিকারী আর কেউ আছে কি ইতিহাসে???
এখন আসুন মানবতার প্রশ্নে আসি।
মানবতা বললেই সবার আগে আমার মনে কি আসে জানেন ??? আমার মনেহয় অনেকেই আমার সাথে একমত হবেন; সেটা হল রক্ত দান।
প্রতিদিন ফেসবুকে রক্তের আবেদন চোখে পড়ে। যারা আমাকে চেনে তারা ভালোই জানে যে আমি একজন নিয়মিত রক্তদাতা। আমার রক্ত যদিও খুব কমন একটু গ্রুপের (B+) তবুও আমি রক্ত দেই। মানুষকে ভালোবেসেই দেই।
আমার অনেক বাইবেলে বিশ্বাসী বন্ধুও এমন আবেদন শেয়ার করে; কিন্তু খৃস্টানদের কি আদৌ রক্ত দেয়ার অধিকার আছে ??? রক্ত দেয়া কি মানবতা নাকি ঈশ্বরের বিরুদ্ধে যাওয়া ???
আসুন খুজে দেখি।
এই বিষয়ে কোন সরাসরি পদ খোঁজা কিছুটা বোকামি হবে। রক্ত দেয়ার বা নেয়ার সুবিধা বাইবেলীয় পিরিয়ডে সম্ভব ছিলনা।
আসুন দেখি বাইবেল রক্ত সম্পর্কে কি বলে।
প্রেরিত ২১ অধ্যায় ২৫ পদ, আদি পুস্তক ৯ অধ্যায় ৩-৪ পদ, লেবীয় ১৭ অধ্যায় ১৩-১৪ পদ ও প্রেরিত ১৫ অধ্যায় ২৮-২৯ পদ গুলো দেখুন।
রক্ত ঈশ্বরের কাছে পবিত্র। তাই এটা খাওয়া জায়না; রক্ত নিষিদ্ধ। বলির রক্ত ঈশ্বরের কাছে পাপের বদল। তাই তিনি তার পুত্রর রক্তে যীশুর রক্তে বিশ্বাসী সবার পাপ মুছে দিয়েছেন।
এখন আসুন দেখি খৃস্ট ধর্মের স্কলাররা এই বিষয়ে কি বলেন।
# What Does God Require Of Us (Watch Tower Bible and Trect Society Of Pennsylania থেকে প্রকাশিত ব্রোশার যা আমাকে চার্চ থেকে দেয়া হয়েছিলো) নামের বইয়ে লেখক বলেছেন “শরীরে রক্তগ্রহন কি অন্যায়? স্মরণ করুন, যিহোবা আবশ্যক বলেন যে আমরা রক্ত থেকে বিরত থাকি। এর অর্থ এই যে আমরা কখনোই কোন উপায়েই অন্য বেক্তির রক্ত এমনকি আমাদের নিজেদের রক্তও যা সঞ্চিত করা হয়েছে আমাদের শরীরে অবশ্যই গ্রহন করবো না”।
# New Apostolic Church International, Zurich থেকে প্রকাশিত বইটির অনুবাদ “জীবন বাক্য” বইয়ের ১০ম খণ্ডের “রক্ত” সম্পর্কিত অধ্যায়টিতে বলা হয়েছে “সত্য খৃস্টানেরা শরীরে রক্তগ্রহন সমর্থন করবে না। তারা অন্যান্য প্রকার চিকিৎসার বাবস্থাকে সমর্থন করবে, যেমন শরীরে রক্তবিহীন দ্রব্যাদি গ্রহন। তারা বাঁচতে চায়, কিন্তু ঈশ্বরের আইন ভঙ্গ করে তারা নিজের বা অন্যের জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করবে না। যার মড়ার সে এমনিই মড়বে ঈশ্বরের ইচ্ছায়। ঈশ্বরের বিপক্ষে গিয়ে বাঁচার চেষ্টা তাই পাপ।-মথি ১৬ অধ্যায় ২৫ পদ”।
একই রকম কথা পড়তে থমাস হোয়াং এর লেখা “খৃস্টিয়ান জীবনের ভিত্তি” নামের এমি পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিত বইটি এবং বাইবেল ডিকশনারির “রক্ত” অধ্যায়টি পড়ে নিতে পাড়েন।
এখন বলুনতো; রক্ত দেয়ার মতন মানবিক একটি পন্থাকে যে বই নিষিদ্ধ করে দেয় সেই বই কি কোন ভাবে মানবতার বই মানবতার জন্য বই হতে পারে?
যীশুর রক্ত যীশুর রক্ত চিৎকার করে গলায় রক্ত উঠিয়ে ফেলেও মানবতার জন্য ১ ফোঁটা রক্ত দেয়া যাবেনা মৃত্যু পথযাত্রী কোন মানুষকে; অন্যদিকে যীশুর রক্ত দিয়ে মানবতার কি লাভ হয়েছে???
খুজলে হয়তো আরও অনেক পয়েন্ট মনে পড়তে পারে; কিন্তু খটকা লাগার জন্য বিন্দুই যথেষ্ট। যাদের মনে “বিন্দু” খটকার জন্ম দিতে পারে না; নিশ্চিত থাকুন সমুদ্র সম খটকাও তাদের মনে খটকার সৃষ্টি করবে না।
অন্ধকারে যাদের জন্ম তারা অন্ধকারকেই আলো বলে মনে করে। আলো তাদের কাছে পাপ।
বাইবেলের প্রথম “দীপ্তি হোক”।
কিন্তু বাইবেলের সেই লেখকেরা এই দীপ্তি (!!!) দিয়ে বিশ্বকে যে অন্ধকারে নিমজ্জিত করে দিয়ে গিয়েছেন তা আজ যদি তারা দেখতে পেতেন; তবে নির্ঘাত “দীপ্তি হোক” না লিখে “অন্ধকার হোক” বাক্য দিয়ে বাইবেল লেখা শুরু করতেন।
জয় হোক কলমের; জয় হোক আলোর।
জয় হোক মানবতার; ধ্বংস হোক ভণ্ডদের ভণ্ডামির।
ভাল লেগেছে লেখাটি । ভাল লিখেছ। 🙂
@অর্চিতা বাড়ৈ, ভালো লাগলেই ভালো 🙂
বাইবেলের গল্পগুলো খুব সুন্দর। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, সেগুলো নিছকই গল্প। বলা ভালো, বড়োদের রূপকথা! 😉
@বিপ্লব রহমান, হুম; কথা সত্য।
একটু বড় হলেই সবার সেগুলোর জগাখিচুড়ি ধরে ফেলার কথা ছিল। কিন্তু আশ্চর্যের কথা বুড়ো হয়ে মড়ে যায় তবুও শিশুসুলভ গল্পগুলকে আজীবন সত্য বলে মানে। স্পাইডারম্যান সুপারম্যানকে একটু বড় হয়েই পানসে লাগে। পড়লে হাসি পায়। কিন্তু এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে তারা বাইবেলের গল্প ছড়িয়ে দেয়। হাসির কিছু খুজে পায়না।
আজব!!!
অবাক লাগে খুব।
@এম এস নিলয়,
এতদিন জানতাম যে শুয়োর শুধুদমাত্র মুসলিমদের জন্য হারাম,কিন্তু কারণ জানা ছিল না। ঈশ্বরপুত্র যিশু যেহেতু শুয়োর পছন্দ করতেন না, তাই ঈশ্বরের বন্ধু মোহাম্মদও শুয়োরকে পছন্দ করবেন কিভাবে? বন্ধুষ্পুত্রের অপছন্দের প্রাণীকে এই কারণে নিজের ধর্মে সরাসরি হারাম বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
(”আদিপুস্তক ১৬ অধ্যায় ১২ পদ “ইশ্মায়েল স্বাধীন এবং উদ্দাম হবে যেমন উদ্দাম হয় বন্য গাধা। সে সবার বিরুদ্ধে দাঁড়াবে এবং সবাই হবে তার প্রতিপক্ষ। সে স্থান থেকে স্থানান্তরে ঘুরে বেড়াবে এবং ভাইদের বসতির কাছে তাঁবু গাড়বে।”)
উপরের উক্তিতে বন্যগাধাকে যদি মোহাম্মদ বা তার অনুসারীদের সাথে তুলনা করা হয়। তবে ঘটনার বিবরনে মনে হয় ইশ্মায়েল এর জন্ম মুহাম্মদের পরে। অর্থাত কোরআনের পরে বাইবেল। সময়কালে গোঁজামিল হলো না ?
আপনার লেখা আরো পড়তে চাই।
@বাকীদুল ইসলাম, আপনি বললেন
না তা কিন্তু হলনা। খেয়াল করুন আমি বলেছি বাইবেলে ইশ্মায়েলকে বন্য গাধার সাথে তুলনা করা হয়েছে। মুহাম্মদ ইশ্মায়েলের বংশধর। তাই মুহম্মদকে যীশুর অনুসারীরা বন্য গাধার বংশধর বলে থাকে। বলা হয়ে থাকে ইসহাকের বংশধররা খিস্তান আর ইশ্মায়েলের বংশধরেরা মুসলিম। আশা করি সেটা জানেন। এখন তবে বলুন তো বাইবেল মতে মুসলমানদের বন্য গাধার বংশধর বলা কি গোঁজামিল হল???
আরেকবার ঠিক করে পড়ুন আশা করি জট খুলে যাবে 🙂
নিচে দেখেন উইকি লিঙ্ক এবার,
The New Apostolic Church does not have any objections to blood or organ donation, provided that either the donor consents or that brain death has already taken place
এবার বলতে পারেন যে কোনটা গ্রহন করবে পাঠক? আপনার উল্লেখ করা বইটি অনেকেই হয়ত পড়েননি। উইকি কিন্তু বেশিরভাগ লোকেই পড়ে থাকে।
@অর্ফিউস, আমি রেফারেন্স দিয়েছি আমার হাতের কাছে থাকা বই গুলো থেকে।
মূলত আমি “এ জি” (অ্যাসেম্বিস অফ গড) চার্চের সদস্য। আমার বাবার দিক থেকে আমি ক্যাথলিক (কিন্তু আমি ছোটবেলা থেকেই ক্যাথলিক চার্চ এড়িয়ে চলতাম; টুঁ মাচ বোরিং বলে) আর আমার মায়ের বাবা New Apostolic Church এর পালক ছিলেন। আমার খৃস্ট ধর্মীয় শিক্ষা মূলত তার কাছেই। কিন্তু চার্চ হিসেবে এজি চার্চ আমার পছন্দের ছিল।
উক্ত বইয়ের পৃষ্ঠার ছবি পাঠাবো আপনাকে সময় করে।
বইটি মূলত পালকদের চার্চের সদস্যদের শিক্ষা দেয়ার উদ্দেশে লেখা।
@এম এস নিলয়,
ধন্যবাদ।তবে উইকি কে ব্যাপারটা জানালে ভাল হয়। আপনার যদি অ্যাকাউন্ট থাকে তবে প্রমান সহকারে উইকি কেও জানাতে পারেন; উইকি ওপেন সোর্স বলেই জানি, প্রমান সহ যে কেউ এডিট করতে পারবে।
কোন চার্চের সদস্যদের শিক্ষা দিতে চাইছেন সেটা বলেন নি। ক্যাথলিক চার্চ, ইস্টার্ন অর্থোডক্স চার্চ বামুল ধারার প্রটেস্টাণ্ট চার্চ সদস্যদের শিক্ষা দেয়ার সময় এমন জিনিস ব্যবহার করছেন যে জিনিস তারা কোনদিন মানত না, এবং যে জিনিস আসলে পরবর্তীতে নন ট্রিনিটারিয়ানদের তৈরী করা; এমনকি ট্রিনিটারিয়ানরা যাদের কে খ্রিষ্টান বলেই স্বীকার করে না? নন ট্রিনিটারিয়ান আরো আছে যেমন নেস্টোরিয়ান, ওয়াননেস পেন্টাকোস্টাল। এদের কে কিন্তু হেরেটিক হিসাবে দেখা হলেও অখ্রিষ্টাণ বলে না ত্রিত্ব বাদীরা। JW দের সেটা বলা হয় কারন এরা যীশুর ঈশ্বরত্ব অস্বীকার করে এবং তাকে অ্যাঞ্জেল মাইকেলের পৃথিবীর রুপ বলেই মনে করে।
অবশ্য কোন কারনে দা ভিঞ্চি কোড থেকে উৎসাহিত হলে সেটা অন্য কথা। সেখানে যীশুর যে বাস্তব মরণশীল মানবরুপ দেখানো হয়েছে সেক্ষেত্রে খ্রিষ্টান ধর্ম বাতিল হয়ে যাবার পাশাপাশি ইসলাম ধর্মেও হানা পড়ে যা মুসলিম ভাইবোনেরা বুঝেন না। যেমন ভার্জিন বার্থ ইসলামও সমর্থন করে! আর এটা ভুল মানেই কোরানে আয়াত ভুল, আর তার মানেই ইসলাম বাতিল 😉 ।
যা হোক আরো কিছু উইকি লিঙ্ক দিচ্ছি এতে আপনার পাঠকরা Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania এবং
Jehovah’s Witnesses
এবং Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania ( যাকে Zion’s Watch Tower Tract Society ও বলা হয়) এর কো ফাউন্ডার
Charles Taze Russell
সম্পর্কে জানতে পারবেন। ক্যাথলিক ওয়েব সাইট অনেকের কাছে গ্রহনযোগ্য নাও হতে পারে। তবে উইকির ক্ষেত্রে সেটা না হবারই কথা।
@এম এস নিলয়,
আমি নিজেও সুন্নী এবং এর সবচেয়ে গোড়া শাখা আহলে হাদিস নামের শাখার ( চার মাজহাবী রা আহলে হাদিসদের কে অনেক সময় লা মজহাবি বলে থাকে!) অনুসারী পরিবারে জন্ম নিয়েছি। এখন আমি যদি এমন কিছু রেফারেন্স দিয়ে ( যেমন ধরুন মুলধারা নয় মানে কাদিয়ানী মতবাদ অথবা আরেক মুলধারা শিয়া মতবাদ দিয়ে) সুন্নী মতবাদকে ধুতে যাই, যে জিনিসকে সুন্নীরা সব সময়েও অস্বীকার করে থাকে, সেটা কি সঠিক অস্ত্র হবে? 🙂 । ধর্মগুলিকে যে অস্ত্রে আপনি শিক্ষা দেবেন সেগুলো কিন্তু অনেকটা বুমেরাং এর মত, সঠিক ভাবে না লাগাতে পারলে নিজের দিকে ফিরে এসে নিজের গায়ে লেগে যেতে পারে।
@অর্ফিউস, চার্চে চার্চে তর্কে যাওয়ার অভিজ্ঞতার সুবাদে আমি জানি যে এক চার্চ অন্য চার্চের রেফারেন্স কে উরিএ দেয়না। তাদের মধ্যে নীতিগত পার্থক্য অল্প বিস্তর থাকে। যেমন ধরেন এজি চার্চের মুল বিশ্বাস সবার মাঝে ঈশ্বর উপস্থিত। এই কচু বিশ্বাসের যের ধরেই হয়তো নতুন একটি মণ্ডলী তারা পয়দা করে ফেলেছিলেন। এরকম নতুন নতুন ছোট ছোট হাবি জাবি নিতি আবিস্কার করে নতুন একটা বন্দলির জন্ম দেয় তারা। ওয়াচ টাওয়ারের বই কিন্তু আমি এজি চার্চ থেকেই পেয়েছিলাম।
আহলে হাদিস আর মালেকি মাজহাব মুসলিমদের মধ্যে পিওর মুসলিম।
মুহাম্মদ বলেছিলেন “আমার মৃত্যুর পর আমার উম্মত ৭১ ভাগে বিভক্ত হবে। তাদের মধ্যে ১ ভাগ বেহেস্তে যাবে। এক সাহাবি প্রশ্ন করলেন কস ষে দল? নবী বললেন যে আল্লার কালাম (কোরআন) আর আমার আমার সুন্নতে (সহি হাদিস) আমল করে “।
মুহাম্মদিও বেহেশত বলে কিছু থাকলে আহলে হাদিস ই সেই বেহেস্তি উম্মতের দল 🙂
@এম এস নিলয়,
ঠিক, এরা কিন্তু মোটামুটি কোরান অনলিদের কাছা কাছা।কোরানের পাশাপাশি, সিয়াহ সাত্তাহ ( যেগুলোতে কিছু দুর্বল হাদিল উল্লেখ আছে সেইগুলা ছাড়া), মুয়াত্তা নামে এক হাদিস বই, আর বায়হাকী নামে এক হাদিস বই ছাড়া কিছু মানে না।
ইমাম গাজ্জালী কি ফেরকায় নাজিয়া টাইপ কিছু কথা বলে গেছে? এই আহলে হাদিসরা আগে নিজেদে সরাসরি ফেরকা নাজিয়া, মানে ইসলামের ৭৩ দলের ( ইহুদীদের তথাকথিত ৭২ ফেরকার চেয়েও বেশি বিভাজন) যেই দল, যারাই একমাত্র জান্নাতি, বাকি সয়াবি জাহান্নামী।অবশ্য কেন জানি এদের ভাবধারা বদলেছে।
এদের মধ্যে প্রথম দলের নেতা হলে ড: আব্দুল বারী, পরে এখান থেকে ভেঙ্গে ড আসাদুল্লাহ আল গালিব ( রা.বি র এক অধ্যাপক যাকে বাংলা ভাইয়ের সহযোগী সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছিল), পরে গালীব ভেঙ্গে রেজাউল করিম নামের বগুড়ার আজিজুল হক কলেজের এক অধ্যপকের নেতৃত্বে আরেক ধারায় ভাগ হয়( এরা সংখ্যায় গালীব পন্থীদের চেয়ে বেশি) , জানেন কি? আমার পরিবার আর আত্মীয় স্বজনের বেশিরভাগ এই ৩ নং ধারায় পড়ি, যদিও এখন ধারাগুলো চুপচাপ আছে, এবং নিজদের সব বাদ দিয়ে শুধুই মুসলিম বলছে ( এমন লোক ঢের আছে সব ভাগেই) এরা আবার পরস্পরকে ভন্ড বলে থাকে। কাজেই এদের নিয়ে লাগলে সারা জীবনেও শেষ করা যাবে না। ওরচেয়ে মোটামুটি কাছাকাছি হিসাবে সুন্নী শিয়া এইসব বৃহত্তর জিনিস নিয়ে ভাবলেই সময় কম লাগবে, আর একটা কুল কিনারা পাবেন।
সেটা পেতেই পারেন, তবে সেই চার্চ নিশ্চয়ই আপনাকে হেরেটিক হতে সাবধান থাকার জন্যেই দিয়েছিল নাকি? 😛
অদ্বৈত বাদের মত শোনাচ্ছে। মানে এরা তাহলে আরেক নতুন ধারা মুল ধারা ভেঙ্গে? আসসেম্লীস অব গড সম্পর্কে তেমন ধারনা নেই। তবে এরা ত্রিত্ববাদী বলেই জানতাম।
@অর্ফিউস, এরা তিন ঈশ্বরে বিশ্বাসী।
আমি এজি চার্চে যেতাম বলে আমার দাদু আমাকে ভৎসনা করতেন। তার বিশ্বাসের সাথে এজি চার্চের মতের কি কি জানি অমিল আছে; আমি সেইগুল ভুলে গিএছি। বাইবেল খুলে তিনি এজি চার্চের মুল নীতির একটা ভুল বের করে দেখেছিলেন যা এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না। বইয়ের গাঁদায় এজি চার্চের মূলনীতির একটা বই থাকার কথা দাড়ান একটু খুজে দেখি।
যেহেতু আমার ধর্মীয় শিক্ষার বেশীরভাগ এজি চার্চ থেকে পাওয়া তাহলে এখন থেকে এটাকেই ষ্ট্যাণ্ডার্ড হিসেবে ধরে লিখব 🙂
আপনাকে ধন্যবাদ আমার লেখার দুরবল দিক চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার জন্য 🙂
এজি চার্চ ভালো লাগার সবচাইতে প্রধান দিক হল আনন্দ। ব্যাপ্টিস্ট চার্চ গুলোর মধ্যে এই চার্চ সবচাইতে ধনী। এদের নিজেদের কয়ার দল আছে (আমি নিজেও কয়ারে বেইজ গীটার বাজাতাম) যেখানে নিজস্ব ডিজে মেসিন পর্যন্ত আছে। কিশোর কিশোরীদের অবাধ মেলামেশার সুযোগ এবং উন্নত ইন্সট্রুমেন্ট মূলত যুবক যুবতীদের আকর্ষণের মুল চাবিকাঠি বলে মনে করি 🙂
@এম এস নিলয়,
আপনি যে কোন কিছুকেই স্টান্ডার্ড ধরতে পারেন, তবে আপনাকে সেই ধারাটি উল্লেখ করতে হবে, না হলে বাকিরা আপনার বিরুদ্ধে লাগবে আর জবাব দিতে না পারলে কিন্তু বুঝতেই পারছেন যে আপনি ব্যর্থ হবেন। এখানে হয়ত বাংলা ভাষী খ্রিষ্টান নেই বললেই চলে সেখানে আপনাকে হয়ত চ্যালেঞ্জ করা হবে না, কিন্তু দেখেন খ্রিষ্টান প্রধান দেশ হলে কিন্তু আপনাকে চ্যালেঞ্জ করা হত, আর আপনাকে নিজের যুক্তির ডিফেন্ডও করতে হত তাই না?
কাজেই আপনি যদি পুরা খ্রিষ্টান ( ধরে নিন সংখ্যাগুরুরাই) জগতকে নিয়ে লেখেন, সেখানে আপনাকে প্রতিপক্ষের চেয়ে জানতে হবে বেশি, আর আপনার প্রধান প্রতিপক্ষ হতে পারে কিন্তু ক্যাথলিক, প্রোতেস্টান্ট আর অর্থোডক্স রা। আর নন ট্রিনিটারিয়ান পয়েন্ট অফ ভিউ নিয়ে লিখলে ওরিয়েন্টালদের কেও পাবেন প্রতিপক্ষ হিসাবে 🙂
এখানে দেখেন মুক্ত মনাতে যারা ইসলামকে ( অবশ্যই গঠিন মুলক লেখা, নিকট অতীতে যেমন কাদাছোড়াছুড়ি আর বিদ্বেষ শুরু হয়েছিল তেমন টা নয়) নিয়ে লিখছেন তাঁরা কিন্তু মোটামুটি ভাবে সুন্নীদের বইপত্রকেই চ্যালেঞ্জ করছেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিয়াদেরটা চলে আসছে, কিন্তু তাঁদের কিন্তু প্রতিটি চ্যালেঞ্জকে ডিফেন্ড করতে হচ্ছে। তাই এখন যদি কেউ কাদিয়ানীদের সমালোচনা করে লেখেন, তবে উল্লেখ করার দরকার আছে যে তিনি মুসলিমদের কাদিয়ানী ধারার বিরুদ্ধে লিখছেন, না হলে কিন্তু মুসলিমরা গায়ে মাখবে না বলেই মনে হয়। 🙂
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ এটাকে ভালভাবে নেবার জন্য। আসলে লেখক যদি কিছু সিমাবদ্ধতা স্বীকার করার মত সৎ সাহস দেখাতে পারেন, যেমনটা আপনি দেখাচ্ছেন, এতে সব আলোচনাই অনেকটা বেগ পাবে আর পাঠকরা জানতেও পারবে সঠিক জিনিসটা। আপনার উদার মনের জন্য আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা (F) ভাল থাকেন আর এজি চার্চ নিয়ে কিছু লেখেন এই অনুরোধ। নতুন ধারার কিছু জিনিস জানলে ভাল লাগে।এখন যেতে হয়, ঘুম ধরেছে, শুভ রাত্রি 🙂
@এম এস নিলয়,
কিন্তু দেখেন নেটে সার্চ দিলে কিন্তু আমরা দেখতে পাই যে প্রায় সমমনারাই এক থাকে। ত্রিত্ববাদীরা Jehovah’s Witnesses দেরকে তো নন খ্রিস্টান বলে থাকে। কাজেই এখানে পাত্তা দেয়ার প্রশ্নই আসে না। এদের হয়ত মর্মন রা পাত্তা দিতে পারে, যেহেতু এরাও ত্রিত্ববাদী নয়। আসলে আমি মুল ধারার ট্রিনিটির কথা বলছিলাম, মরমন কায়দার ৩ জন ঈশ্বর নয়। যদিও ত্রিত্ববাদ কেও আমার কাছে একই রকম মনে হয়, তবু যেহেতু তাদের দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার, তাই তাদের কোর্টেও বল আপনাকে দিতে হবে খেলতে হলে 🙂
প্রথমত, শুয়োরগুলি নিশ্চয়ই কোন না কোন কারনে এমনিতেই ঝাপদিয়েছিল পানিতে। আর যীশুর ভুত তাড়ানোও বিজ্ঞানসম্মত না। তবু ধরে নিলাম যে ভুত আছে, যদি ঈশ্বর থাকেন। এই যুক্তিটা আপনার খুব ধারাল হয়নি, কারন মন্দ আত্মাকে তো মারতে হবে নাকি? প্রকৃতিতে একবার ছেড়েছিলেন আর তাই বারবার ছাড়তে হবে এর কোন মানে নেই। :)) তাছাড়াও তখন মনে হয় না প্রানীদের প্রতি মানুষের এত দরদ ছিল। বিজ্ঞান তখন কোন স্তরে ছিল বলতে পারেন?কাজেই শুয়োর মারার উপমা সেই সময়ের ক্ষেত্রে মোটেও অমানবিক এই যুক্তি খাটার চান্স কম।
এখানে একটা কথা আছে আমার। ডুমুর গাছে ফল না ধরলে সেটাকে অভিশাপ দিতে হবে কেন? জিনি অন্ধকে চক্ষু দান করেন। তাঁর পক্ষে ডুমুর গাছকে আদেশ করে সেখান থেকে অসময়ে ফল ধরানোর মাজেজা বাইবেল লেখক দিলে এটা পানি কে মদে পরিনত করার মতই মিরাকল হতে পারত। না করে যীশু অভিশাপ দিলেন।
তার মানে বাইবেলের লেখক এখানে মনে হয় ভুলে গেছিলেন যে যীশু স্বয়ং ঈশ্বর। মানে যীশুকে ঈশ্বরে প্রমোশন দেবার সময় এইভাবে ভুল করা ঠিক হয়নি মথির।
ভাল কথা প্রকাশিত বাক্যেই যীশু এমন কিছু বলেছিলেন যা কিনা তার মধ্যেও যে রাগ আর প্রতিশোধ স্পৃহা বেশ ভাল করেই ছিল, সেটা প্রমান হয়। এছাড়া সম্ভবত লুকের গস্পেলে কিছু রাগের নমুনা আছে, পরে পরে নিয়ে নিশ্চিত হব।
কাজেই বিশ্বাস মনে হয় না আপনার খুব বেশি ছিল। কারন কড়া বিশ্বাস এরচেয়েও অমানবিক ব্যাপারেও ঘুচে যায় না, তার প্রমান আমরা চোখের সামনে দেখতে পাই। 🙂
আপনার লেখাতে এটাই হল সবচেয়ে বড় জিনিস। ৪২ টা মানব সন্তান কে ভালুক দিয়ে খাওয়ানো। এছাড়া আরো কতই না আকামের কথা আছে বাইবেলে, সেগুলোর রেফারেন্স দিলে আরো শানদার হত লেখাটা। তা না করে শুয়োর আর গাছ নিয়ে প্রথমেই শুরু করলেন।
আপনি মনে হয় jehovah’s witnesses সম্প্রদায় ভুক্ত তাই না? না হলে এইসব জিনিসের রেফারেন্স দিলেন যে? যাই হোক Mormon বা jehovah’s witnesses দেরকে মুলধারার ত্রিত্ববাদী খ্রিষ্টানরা খ্রিষ্টান হিসাবেই স্বীকার করেনা, সেখানে তাদের কাছ থেকে নেয়া রেফারেন্সের বাইরেও খ্রিষ্টান ধর্মকে অনায়াসেই চাবকানো যায়। কিন্তু JW দের ভাবধারা টেনে আনলে আপনি তেমনভাবেই ব্যর্থ হবেন যেমনটা কাদিয়ানী রেফারেন্স দিলে মূলধারার মুসলিমদের কাছে হতে হয়। JW রাই রক্ত দেয়া নেয়া নিষিদ্ধ করেছে তাদের মধ্যে, বাদবাকি খ্রিষ্টান বিশ্ব নয়। এখানে দেখেন, ৪নং এ আছে । আর এই ফোরামের পোস্টে।
Watch Tower Society এবং Does the Watch Tower Society Speak for God?
কাথলিক ওয়েবসাইট আর ফোরাম এটা। আরো লিংক দেয়া যায়,কিন্তু মনে হয় আর দরকার নেই।
বাংলাদেশে সম্ভবত বেশিরভাগ মানুষ খ্রিষ্টান ধর্ম সম্পর্কে খুবই কম জানে, আর তাই মোল্লারা এমনকি মডারেটরাও যিশুর মা মেরীকে ট্রিনিটির মধ্যে টেনে আনে, আর খায় ঘোল। সুরা আল এমরানেও দেখবেন একথাই বলা হয়েছে, যে যীশু ঈশ্বরের পুত্র আর মেরী ঈশ্বরের স্ত্রী, যে কথা খ্রিষ্টান ধর্মে সম্পুর্ন অস্বীকার করা হয়েছে, কারন মেরী কোনদিনই ট্রিনিটির অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না।
যাই হোক ত্রিত্ববাদী রা অস্বীকার করলেও নিজেদের খ্রিষ্টান হিসাবে দাবী করা অন্যায় নয়, কিন্তু কথা হল এই ধর্মের ছোট একটা অংশের রেফারেন্স দিয়ে কিন্তু পুরা ২.৩ বিলিওন লোককে বিচার করতে পারেন না। যেমন কাদিয়ানীদের দিয়ে সুন্নী বা শিয়াদের বিচার করাটা অর্থহীন।
মানে সবচেয়ে শক্তিশালী যুক্তি যা খন্ডানো অসাধ্য, এটাই বুঝিয়েছি।
@অর্ফিউস, ভাই কি সিরিয়াস ভাবে বললেন নাকি আমারে নিয়া মজা নিলেন সেটা বুঝলাম না 😛
মরমনের বই কয়েক পৃষ্ঠা উল্টে পাল্টে দেখেছি কিন্তু আমার কাছে নেই। আমি মরমনদের সম্পর্কে জানি কারন আমার এক খালা এই ধর্মে বিশ্বাসী। তার বাসায় গেলে মরমনের বাইবেলের পাতা উল্টাই 🙂
ঈশ্বরের বান্দারা কোন ভাগ কি বলতেসে সেইটা নিয়া মাথা ঘামাইনা। সব গুলাই তো ধর্ম বেবসা করে আর সব গুলাই তো ভণ্ড। একটা ভাগ অন্য ভাগকে “ভুয়া” বলে; কিন্তু আমরা তো জানি সব গুলাই “ভুয়া”। সবাই নিজের জন্য আলাদা আলাদা দোকান সাজাইয়া বসছে কিন্তু পণ্য একটাই; “ঈশ্বর আর বিশ্বাস”। “সেভেন ডে আদ্ভেন্টিস্ট” নামে খ্রিষ্টানদের একটা ভাগ আছে যারা ইহুদিদের একদম কাট পেস্ট। তারা শুঁয়োর খায়না আর শনিবার চার্চ করে। এখন তবে বলেন তো “প্রকৃত খ্রিষ্টান” বলতে আপনি কোন খ্রিষ্টান বোঝেন ??? আমার কাছে প্রকৃত খ্রিষ্টান কারা জানেন ??? যারা “কারস্টেন হোলগার” রচিত “জিসাস লিভড ইন ইন্ডিয়া” বইটির তথ্য প্রমান শিকার করে নেয় তারাই প্রকৃত খ্রিষ্টান; ষে দিক বিবেচনা করলে আমিও একজন প্রকৃত খ্রিষ্টান 😛
আপনি কি জানেন হানাফি মাজহাবের অনুসারী সুন্নি মুসলমান অপেক্ষা শিয়ারা অধিক শুদ্ধ আর মুহাম্মদের শেখানো নামাজ রীতি অনুসরন করে নামাজ পড়ে।
নামাজের কথা আনলাম কারন এইটা প্রমান করা সহজ। যে কোন হাদিসের বই হাতে নিয়ে নামাজের অধ্যায় টা পড়ে দেখুন। হানাফি সুন্নিরা পুরাই ভুল ভাবে নামাজ পড়ে। এখন বলুন তো হানাফি সুন্নিরা সঠিক মুসলমান নাকি শিয়ারা ??? সহি হাদিস মান্য যদি মাপকাঠি হয় তবে শিয়ারাই প্রকৃত মুসলমান। মুহাম্মদ বলেছিলেন তার মতন করে নামাজ পড়তে; সুন্নিরা নবীর সেই কথাকে কচু দেখিয়ে নিজেদের মতন নামাজ বানাইয়া নিসে। এখন আপনি বলুন প্রকৃত মুসলমান কারা ???
এবার বলি কাদিয়ানির কথা। আপনি কি তার বইগুল পরেছেন ??? কাদিয়ানির মতন জ্ঞানী মানুষ ইসলামের ইতিহাসে অনেক কম আছে। যীশু সম্পর্কিত যত মনিষী (মুহাম্মদ সহ) কথা বলেছেন তার মধ্যে কাদিয়ানির লেখা বই আমার কাছে সবচাইতে সঠিক বলে মনে হয়েছে। কারস্টেন হোলগার আর কাদিয়ানির যীশু সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত প্রায় কাছাকাছি। যা আমার কাছে সবচাইউতে বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হয়েছে।
এই বিষয়টা আমাকেও অবাক করেছে অনেকবার। কোরআনের এই অংশটা আসলেই ভুয়া। মুহাম্মদের ভুল ধারনা কোরআনে ঢুঁকে গেসে আরকি। দুনিয়ার কোন খ্রিষ্টান কোনদিন মেরীকে ঈশ্বরের বউ বলসে বইলা কোনদিন শুনিনাই আমি। মুহাম্মদ এই কথা পাইল কই ???
@এম এস নিলয়,
নাহ মজা করি নাই। উইকি তে অনেক সময় ভুল থাকে। আমি নিজেই তো বাংলাদেশ আর্মড ফোর্স নিয়ে দু রকম তথ্য পেয়েছি। একটায় আছে পুরা মিলিটারী হল ২ লাখ ৮০ হাজার, আরেকটায় আছে, ৪ লাখের বেশি, যার মধ্যে ৩ লাখের বেশি শুধুই আর্মী মানে স্থল বাহিনী। উইকি ভাল সন্দেহ নেই, কিন্তু পারফেক্ট না। আসলে পারফেক্ট জিনিস বলে কিছু নেই।
বুক অব মরমন পড়েছেন? এই জিনিস আমি পড়তে নিয়া থেমে গেছিলাম মেলা আগে।
শুনেন ভাই, আমিও গোলাম আহমদ কাদিয়ানীকে পছন্দ করি। কথা এটা না। কথা হল আপনি যদি উনার মতবাদ দিয়ে সুন্নীদের ধুতে চান তাহলে চলবে কেন? বি এন পি জামাত সরকার দেখেন না কাদিয়ানীদের সাথে কি আচরন করল যখন মৌলবাদীরা “আমরা ঢাকাবাসী” নাম নিয়ে তাদের আক্রমন করে, আর পুলিশ পর্যন্ত তাদের মসজিদে উপাসনালয় ব্যানার লাগিয়ে দেয়?
আপনার আমার বিশ্বাস যোগ্য হলেই চলবে না। অন্যদের সেটা নাও হতে পারে। কাদিয়ানী সাহেব নিজেকে ইমাম মেহেদী দাবী করেছিলেন না? এই ইমাম মেহেদী ইসলামিক টার্ম। যার নাকি শেষ জামানায় আসার কথা। এটা আমি বিশ্বাস করি না যার আশায় মুসলিম রা বসে থাকে, বা কাদিয়ানী সাহেব নিজেকে ওই ইমাম হিসাবে যদি দাবী করে থাকেন সেটাও আমার কাছে গ্রহনযোগ্য নয়। এইসব বিশ্বাস করলে মুহাম্মদকেও তো নবী হিসাবে মানা যায় তাই না?
এটা তারাই ভাল বলতে পারবে। তবে আপনি যখন লিখবেন তখন সেই লেখার পাঠকদের দিয়েও নজর দিতে হবে আপনাকে। যদি কোন খ্রিস্টান এসে বলে এখন যে আপনি নন খ্রিষ্টানদের উপমা দিয়ে খ্রিষ্টানদের বাঁশ দিতে চাইছেন, পারলে খ্রিষ্টান ( ত্রিত্ববাদী) দের টা দিয়া দেন, সেক্ষেত্রে আপনার করনীয় কি হবে? আপনার কি উচিত হবে না তাদের দাবী পুরন করা? যেহেতু আপনার লেখার পাঠক রা কিন্তু বেশিরভাগই মুলধারার হতে বাধ্য। তাদের জন্য উত্তর আপনার রেডি রাখতেই হবে, না হলে আপনারই কিন্তু ডিফেন্স নষ্ট হয়ে যাবে, আর এতে ধর্মটিকে নিয়ে যে ব্যবচ্ছেদের প্রচেষ্টা এটা কিন্তু মাঠে মারা যাবে, যা মোটেই আপনার সমমনা পাঠক বা মুক্ত মনা ব্লগের কাম্য নয় তাই না? 🙂
@এম এস নিলয়,
আমি প্রকৃত খ্রিষ্টান কথাটি কি উল্লেখ করেছি? আমি তো বলেছি মূলধারার খ্রিষ্টান, হয় যীশুর সময় থেকে অথবা পরবর্তীতে নিসেনক্রিডের সময় থেকে ত্রিত্ববাদী। আমি সংখ্যাগুরুদের কথা বলছি।
এখন আমি যদি নিজেকে নবী দাবী করে বলি যে আমার ইসলামই প্রকৃত ইসলাম আর আপনিও তাতে সাড়া দেন এবং সেই ধর্ম গ্রহন করেন তাহলেও কিন্তু বলা যায় যে আমিই প্রকৃত ইসলাম প্রবর্তন করেছি, বাকিরা সংখ্যাগুরু হলেও প্রকৃত নয়। এভাবে কিন্তু হাজারটা কথা বলা যায়। প্রোটেস্টান্টদের মধ্যে আমার জানামতে প্রত্যেকদিন একটা না একটা মতবাদ তৈরী হচ্ছে। এখানে কথা হল, প্রচলিত ধারার সম্পর্কে। এখানে আমি আর আপনি যদি ওয়ার্ডগেম খেলতে থাকি, সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনার লেখার উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হয়ে যাতে পারে।
এখানে আমি ত্রিত্ববাদিদের স্টান্ডার্ড হিসাবে ধরে নিয়ে বলেছি, শুধু ক্যাথলিকদের কথা নয়!!
@অর্ফিউস, হুম বুঝলাম।
অনির্দিষ্ট কোন বইয়ের রেফারেন্স দিলে এমন নাজেহাল হতে হবে সেটা আসলেই অনুমান করিনাই 😛
প্রতি চার্চেই আপনি আলাদা আলাদা ধারার তথ্য বই পুস্তক পাবেন। আমি বইয়ের ব্যাপারে বাছ বিচার করিনা। কোন একটা চার্চ থেকে বের হয়েছে তবেই আমি সেটাকে ধর্মের মত হিসেবেই ধরে নেই। মুল ধারার আসলে সব গুলই। কারন একচার্চ আরেক চার্চকে এবং তাদের চিন্তা চেতনা বিশ্বাসকে ভুল বলতেই পারে। কিন্তু দিন শেষে সবাই ক্রিস্তান।
ক্যাথলিক চার্চ কে কখনোই আমি প্রকৃত ধারার ক্রিস্তান বলে মনে করিনা।
কিন্তু তারাই কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ 🙂
এই পর্যন্ত যত গুলো মণ্ডলীর মূলধারার পয়েন্ট গুলো পড়েছি বেসির ভাগই কমন কিন্তু ২-১ টা পয়েন্ট এমন যা বাইবেলের বিরোধী। সব চার্চের এইটা কমন বিষয়।
ফু দিয়ে উড়িয়ে দেয়ার বা কথা বললে ফুঁসে ওঠার মতন সংস্কৃতি আমি কোন প্রটেস্টাণ্ট চার্চে আমি পাইনি; সবাই ফ্রেন্ডলি। যদিও তারা ভুল সেটা শিকার করে নেবার পরেও তালগাছটা তাদেরই থাকে 😀 ক্যাথলিক চার্চের কথা জানিনা; কারন আমি ওদের খিস্তান রূপী হিন্দু বলেই মনে করি। যীশুর দেখানো রাস্তার সাথে ক্যাথলিকদের হাজার মাইলেরও কোন সম্পর্ক নাই।
@এম এস নিলয়,
এটা ঠিক। চার্চে মাত্র গেছিলাম একবার জাস্ট ঘুরে দেখতে। তাও আবার ক্যাথলিক চার্চ। আমার কাছে পিঠে প্রোটেস্ট্যান্ট চার্চ নেই। তবে হ্যাঁ ফুঁসে ওঠার সংস্কৃতি নেই বলেই আজ খ্রিষ্টান রা মুসলিম চেয়ে সবদিকেই অনেক এগিয়ে আছে।
এটা আংশিক সঠিক। আসলে মেরীর মুর্তির কাছে বসে বা সাধুদের মুর্তির কাছে বসে প্রার্থনা করা, যেটাকে তারা পুজা করে না, সেটার কোন গ্রহনযোগ্য ব্যখা তাদের কাছে নেই। একেবারেই প্যাগান রিচুয়ালের মত্ন ব্যাপারটা। তবে পুরা খ্রিষ্ট ধর্মেই কিন্তু একেশ্বর বাদের আড়ালে প্যাগান গন্ধটি আসে, বেশ ভাল ভাবেই আসে। প্রটেস্টাণ্টরাও অন্তত ট্রিনিটিতে বিশ্বাস তো করে। থিওরী অনুসারে তারা ৩ ঈশ্বর না, কিন্তু বাস্তবে কিন্তু অনেকটা তেমনই। তবে আমি আবারো বলছি যে সংখ্যা গুরু যারা নিসেনক্রিড এর সাথে একমত তাদের কথাই বলছিলাম।
এদের মধ্যে দেখেন না, The Council of Chalcedon মানছে ক্যাথলিক, ইস্টার্ন অর্থোডক্স, আর প্রটেস্টাণ্টরা, অথচ, ওরিয়েন্টাল অর্থডোক্সরা ( কপ্টিক, ইথিওপিয়ান চার্চ, আর্মেনিয়ান চার্চ এরা; জানেনই তো নিশ্চয়ই) মানছে না, তাই একে অন্যকে হেরেটিক বলছে। আমার মত না মানলে আপনি হেরেটিক;পার্থক্য এক্টাই আর তা হল কে কম আর কে বেশি হেরেটিক হাহাহাহা। কিন্তু এরা সবাই কিন্তু আবার ত্রিত্ববাদ না মানলে খ্রিষ্টান না এটাই জোর দিয়ে বলছে। কাজেই কারা প্রকৃত আমি সেই বিচার করি না। এটা আকাশের তারা গোনার মতই অবাসত চিন্তা। আমি শুধু কারা কাছাকাছি এবং এরাই সংখ্যায় বেশি এই নিয়ে বলেছিলাম 🙂
বেশির ভাগ ধার্মিকেরই ধর্মগ্রন্থে কি লেখা আছে সে সম্বন্ধে কোনো ধারণা নেই। আমার কয়েকজন খ্রিস্টান বন্ধুকে আমি বাইবেলের কয়েকটি ভয়াবহ বাণী বলাতে ওরা বলেছিল, বাইবেলে এসব থাকতেই পারে না।
@তামান্না ঝুমু, না পড়েই তারা বলে দেয় “অমন কথা বাইবেলে বা হাদিসে থাকতেই পারেনা”।
যারা যুক্তি প্রমান ছাড়া সিদ্ধান্তে উপনীত হয় তাদের আমি কখনোই গোনায় ধরিনা।
আমার পয়েন্ট আমি বলে দেই বাকিটা তার নিজের ইচ্ছার উপরে।
কেউ যদি দাঁতে খিছ মেড়ে অন্ধকারেই থাকতে চায় কি দায় পড়েছে আমার টর্চের ব্যাটারি খরচ করে তাদের আলো দেখানোর???
আমরা তো আর নবী নই; নবীদের থেকে হাজার গুন উন্নত আমরা।
নিজেদের চিন্তা তো আর গলায় তলোয়ার চেপে কাউকে গেলাতে পারিনা।
আমরা তো আর নবী নই 😛
যার বোঝার ষে এমনিতেই নিজের ইচ্ছাতেই বুঝবে; যে বুঝতে চায়না তাকে আপনি বা আমি আমরা কেউই বোঝাতে পারবো না; নবীদের জিন্দা করে তারা যে ভণ্ড সেই স্বীকারোক্তি শুনলেও তারা বিশ্বাস করবেনা।
বিশ্বাসের ভাইরাস; ইহা বড়ই কঠিন রোগ; কঠিন ভাইরাস।
ভাল লেগেছে লেখাটি ।
খুব ভাল লেগেছে …
” খুজলে হয়তো আরও অনেক পয়েন্ট মনে পড়তে পারে; কিন্তু খটকা লাগার জন্য বিন্দুই যথেষ্ট। যাদের মনে “বিন্দু” খটকার জন্ম দিতে পারে না; নিশ্চিত থাকুন সমুদ্র সম খটকাও তাদের মনে খটকার সৃষ্টি করবে না।”
@পাতাবাহার, ভালো লেগেছে শুনে ভালো লাগলো 🙂
বাইবেল সম্পর্কে এমন বিশ্লেষণী যুক্তিপূর্ণ লেখা আরো পড়তে চাই।
@মাহফুজ, আশা করি সামনে আরও পাবেন;
পাশেই থাকুন 🙂