দেউটির শিখাটিরে জ্বেলেছিলে তুমি-
সব্যসাচী তুমি, ভোলেনি তা কেউ।
প্রেমিকারা পেয়েছিল বিশ্বাসী হাত,
ঘুটঘুটে আঁধারেও ভালোবাসা জ্বলে-
জ্বেলেছিল তারা সেই কোমল আলো,
অবিকল লাল সেই শিখাটির মত।

শিখাটির পেলবতা ধুয়ে গেছে তবু,
মুছে গেছে আগুনের নিদাঘ ঘায়ে।
জোনাকিরা ধার করে নিয়ে গেছে প্রেম,
জোসনাও ছুরি হাতে খুড়েছিল হৃদ।
ব্যাথাটুকু পড়ে আছে শিখা মনোবীণে।
আঁধারের গাঢ়তাকে বুকে নিয়ে হায়,
শিখাটির পদপাতে লুটায় নিরেট।

কত সুর-ঝংকারে তারে দেখি শেষে,
সুরগুলো আলো হয়ে লোটে চারিধার।
শাণিত তর্কে তবু আলো পায় ঠাই।
চোখে না দেখিলে বোধ, দেখে মনোরথে।
শিখা হতে সূর্য্যটা নিয়ে কিছু ধার
আনমনে গড়েছিল প্রথম বাসর।
ফসলের হিস্যাটা পেয়ে চাষামন,
বুঝেছিল চোখে তার সূর্য্যটা জ্বলে।
নেতৃহীনতা তবে পোড়ায় বিবেক!
আধপোড়া গীতারাণী বলেছিল নির্ভীক।
ফুল দেখে ভয় পায় শকুনীর দল-
পুস্পশিখাতে ওরা পুড়বে দানব।
কন্ঠেতে বিপ্লবী ধরেছিল অগ্নি,
পায়নিক পিশাচেরা নীতিহীন আশ্রয়।
যুদ্ধটা প্রেম তার, সূর্য্যটা হস্তে-
শিখা হতে বিপ্লবী বুঝে নিলো পৃথ্বি।
শিখা তবু আলো হয়ে বিলায় আপন।
পুড়ে পুড়ে কাই তার ঊষর হৃদয়,
পদতলে পড়ে থাকে আঁধার কাহন।