সমস্যাটা অনেক পুরোনো। এ নিয়ে লেখালেখিও হয়েছে অনেক। গত কয়েকদিন ধরে এ নিয়ে আবার লেখালেখি শুরু হয়েছে ব্যাপক হারে। বুঝতেই পারছেন বাংলাদেশে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে হিন্দুদের উপর মৌলবাদী মুসলমানদের হামলার কথাই বলছি। এই যাহ, হামলার সঙ্গে মুসলমানদের নাম চলে আসলো। বুঝতেই পারছেন মুসলমানদের সমালোচনা করবো। ধর্মের সমালোচনা করি, কারন ধর্মকেই এই সভ্য পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমস্যা মনে হয়। তাই যে কোন সমস্যা বা অপ্রীতিকর ঘটনার পেছনে কোন ধর্মবিশ্বাস জড়িত আছে কিনা- সেটাই আগে তলিয়ে দেখি। বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণের জন্য জামাতে ইসলামী বা তাদের সমমনা মুসলিম মৌলবাদীরাই দায়ী,- এটা আমাদের সবার জানা। এটা নতুন করে প্রমাণ করার কিছু নেই। এ হামলার পিছনে রাজনৈতিক কি উদ্দেশ্য বা কোন দলের কি স্বার্থ আছে, সে আলোচনায় যাচ্ছি না। তবে এই সাম্প্রদায়িক হামলার পেছনে ইসলাম আসলেই দায়ী কিনা তা তলিয়ে দেখা যাক।
বছরের শুরুতেই হিন্দুদের উপর হামলা শুরু হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে লিখেছিলাম,- বাংলাদেশে এরকম মুসলমানের অভাব নাই, যাদের অনেককে বলতে শুনেছি, প্রায়ই শুনি, মৌলবাদী মুসলিমরা বা জামাতের মতো সন্ত্রাসী ইসলামী দলগুলো যে হিন্দুদের উপর আক্রমন করছে, তাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে,-এসব নাকি ইসলাম সম্মত নয়। ইসলাম নাকি অন্য ধর্মের মানুষের উপর আক্রমন করাকে সমর্থনই করে না। ভালো কথা। যারা এসব মন ভুলানো সুন্দর কথায় বিশ্বাস করেন, আমি তাদেরকে অনুরোধ করেছিলাম, ইসলাম অন্য ধর্মের মানুষদের সঙ্গে কেমন আচরণ করতে বলেছে,- এ সম্মন্ধে কোরাণের কিছু আয়াত বা হাদিস বের করে আমাকে দেখান।
সাড়া পেয়েছি ভালই। বিশাল হাদিসের ভান্ডার থেকে বের হয়ে এসেছে তিন চারটা সুন্দর সুন্দর হাদিস। ভালই মার্কেট পেয়েছে এই হাদিস গুলো। মডারেটরা খুব খেয়েছে। মডারেটদের গণহারে হাদিস কয়টা পোষ্ট করা দেখে মনে হলো,- এই হাদিস গুলো পড়ে দুনিয়ার মুসলিম উম্মাহ সভ্য আর মানবিক হয়ে যাবে একদিনেই। সমাধান হয়ে যাবে দেশের হিন্দুদের সব সমস্যা। কিন্তু ওনারা হাদিসগুলোকে পেয়ে এতই আনন্দিত হয়েছেন যে সেগুলোকে এ সম্পর্কিত কোরাণের আয়াতগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে দেখার প্রয়োজন বোধ করেননি। এই কয়েকটা হাদিসের দাপটে কোরাণের অনেকগুলা আয়াত গুরুত্ব হারিয়েছে। কোরাণের প্রায় ৪০টার মতো আয়াতকে মিথ্যা প্রমাণ করতে সক্ষম এই তিন চারটা হাদিস তা মডারেটরা খেয়ালই করেননি। আমি বেচারা পড়েছি বিপদে। গতকাল কোনোরকম মন্তব্য ছাড়াই এই কোরানের আয়াতগুলা কপি-পেষ্ট করে যারপর নাই মৌলবাদিদের আক্রোশের শিকার হয়েছি। অনলাইনে সহী ইসলামিক গালাগালিও খেয়েছি আমাদের দেশের মডারেট মুসলিমদের কাছ থেকে। এদের কেউ কেউ আবার হৃদয়ে সৌদি আরব নিয়ে ডাক্তারী আর ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত কাফেরদের দেশে। কিন্তু এদের যুক্তিজ্ঞান বা ভাষা উন্নত হয়নি।
ইসলামের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠলে মডারেটরা যে কথাগুলো বলেন,-হিন্দুদের উপর সাম্প্রদায়িক হামলার জন্য ইসলাম দায়ী নয়, জামাত দায়ী।
জামাত তাহলে অন্য ধর্মের মানুষের উপর হামলা করা কোত্থেকে শিখলো?
জামাত পাকিস্তানী দল, অবশ্যই পাকিস্তানীদের কাছ থেকে শিখেছে।
পাকিস্তানীরা কার কাছে শিখেছে?
পাকিস্তানীরা শিখেছে আফগানিস্তানের তালেবানদের কাছে আর আফগানিস্তানের তালেবানরা কার কাছে শিখেছে?
তাদেরকে কেউ শিখায় নাই, আমেরিকা তাদেরকে সন্ত্রাসী হতে বাধ্য করেছে।
ভাই আমেরিকা তো মাত্র তিনশ বছরের পুরানা দেশ। আমেরিকানরাই কি কোরানেরা আয়াত গুলো লিখে দিয়েছিল।
আমেরিকার জন্মের আগে মুসলমানদেরকে কোন দেশ সন্ত্রাসী হতে বাধ্য করেছে?
মোহাম্মদের মৃত্যুর ২শ বছর পর হাদিস সংরক্ষণ শুরু হয়েছিল বলে যে মডারেটরা হাদিসই বিশ্বাস করেনা বলে এতদিন শুনে এসেছি, সেই তাদের কাছে ইসলামকে শান্তির ধর্ম প্রমাণ করার জন্য অতি মূল্যবান হাদিসগুলো দেখুনঃ-
১.সাবধান, যদি কোনো মুসলিম কোনো অমুসলিম নাগরিকের ওপর নিপীড়ন চালিয়ে তার অধিকার খর্ব করে, কষ্ট দেয় এবং তার কোনো বস্তু জোরপূর্বক নিয়ে যায়, তাহলে কিয়ামতের দিন আমি তার পক্ষে আল্লাহর দরবারে অভিযোগ উত্থাপন করব। -আবূ দাঊদ : ৩০৫২
২.যে মুসলিম কর্তৃক নিরাপত্তা প্রাপ্ত কোনো অমুসলিমকে হত্যা করবে, সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না। অথচ তার ঘ্রাণ পাওয়া যায় চল্লিশ বছরের পথের দূরত্ব থেকে। -বুখারী : ৩১৬৬
৩.রাসূলুল্লাহ (সাঃ)বলেছেন,- “মনে রেখো যদি কোন মুসলমান কোন অমুসলিম নাগরিকের উপর নিপীড়ন চালায়, তাদের অধিকার খর্ব করে, তার কোন বস্তু জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়, তাহলে কেয়ামতের দিন আমি আল্লাহর আদালতে তার বিরূদ্ধে অমুসলিম নাগরিকদের পক্ষ অবলম্বন করব।” -আবু দাউদ
আর কোরাণের আয়াত পেয়েছি সেই দুটাই, যা সব মুসলমানদেরই ছোটবেলা থেকেই মুখস্থ,-
“ধর্মের ব্যাপারে কোন জোর জবরদস্তি নেই” -সূরা আল বাকারা, আয়াত ২৫৬।
“তোমার ধর্ম তোমার কাছে আর আমারটা আমার”,- সূরা কাফিরুন, আয়াত ৬।
প্রশ্ন হচ্ছে, কোরাণের এই দুইটা আয়াত আর হাদিসগুলো যদি সত্যি হয়, তাহলে নীচের আয়াতগুলো মিথ্যা হবে না কেন?
কোরাণের এ সম্পর্কিত আয়াতগুলো দেখুন,-
-আর তাদেরকে হত্যাকর যেখানে পাও সেখানেই এবং তাদেরকে বের করে দাও সেখান থেকে যেখান থেকে তারা বের করেছে তোমাদেরকে।বস্তুত: ফেতনা ফ্যাসাদ বা দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করা হত্যার চেয়েও কঠিন অপরাধ। আর তাদের সাথে লড়াই করো না মসজিদুল হারামের নিকটে যতক্ষণ না তারা তোমাদের সাথে সেখানে লড়াই করে। অবশ্য যদি তারা নিজেরাই তোমাদের সাথে লড়াই করে। তাহলে তাদেরকে হত্যা কর। এই হল কাফেরদের শাস্তি। ২-১৯১
-আর তারা যদি বিরত থাকে, তাহলে আল্লাহ্ অত্যন্ত দয়ালু। ২-১৯২-আর তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর, যে পর্যন্ত না ফেতনার অবসান হয় এবং আল্লাহ্র দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়। অত:পর যদি তারা নিবৃত হয়ে যায় তাহলে কারো প্রতি কোন জবরদস্তি নেই, কিন্তু যারা যালেম (তাদের ব্যাপারে আলাদা)- ২-১৯৩
-তোমাদের উপর যুদ্ধ ফরয করা হয়েছে, অথচ তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয়। পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর।বস্তুত: আল্লাহ্ই জানেন, তোমরা জান না।- ২-২১৬
-আল্লাহ্র পথে লড়াই কর এবং জেনে রাখ, নি:সন্দেহে আল্লাহ্ সবকিছু জানেন, সবকিছু শুনেন।- ২-২৪৪
-অতএব যারা কাফের হয়েছে, তাদেরকে আমি কঠিন শাস্তি দেবো দুনিয়াতে এবং আখেরাতে-তাদের কোন সাহায্যকারী নেই।- ৩-৫৬
-খুব শীঘ্রই আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করবো। কারণ, ওরা আল্লাহ্র সাথে অংশীদার সাব্যস্ত করে যে সম্পর্কে কোন সনদ অবতীর্ণ করা হয়নি। আর ওদের ঠিকানা হলো দোযখের আগুন। বস্তুত: জালেমদের ঠিকানা অত্যন্ত নিকৃষ্ট।-৩-১৫১
-কাজেই আল্লাহর কাছে যারা পার্থিব জীবনকে আখেরাতের পরিবর্তে বিক্রি করে দেয় তাদের জেহাদ করাই কর্তব্য। বস্তুত: যারা আল্লাহ্র রাহে লড়াই করে এবং অত:পর মৃত্যুবরণ করে কিংবা বিজয় অর্জন করে, আমি তাদেরকে মহাপুর্ণ্য দান করব।- ৪-৭৪
-তারা চায় যে, তারা যেমন কাফের, তোমরাও তেমনি কাফের হয়ে যাও, যাতে তোমরা এবং তারা সব সমান হয়ে যাও। অতএব, তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহ্র পথে হিজরত করে চলে আসে। অত:পর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে তাদেরকে পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা কর। তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না এবং সাহায্যকারী বানিও না।- ৪-৮৯
-গৃহে উপবিষ্ট মুসলমান-যাদের কোন সঙ্গত ওযর নেই এবং ঐ মুসলমান যারা জান ও মাল দ্বারা আল্লাহ্র পথে জেহাদ করে,-সমান নয়। যারা জান ও মাল দ্বারা জেহাদ করে, আল্লাহ্ তাদের পদমর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছেন গৃহে উপবিষ্টদের তুলনায় এবং প্রত্যেকের সাথেই আল্লাহ্ কল্যাণের ওয়াদা করেছেন। আল্লাহ্ মুজাহেদীনকে উপবিষ্টদের উপর মহান প্রতিদানে শ্রেষ্ঠ করেছেন- ৪-৯৫
-যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের সাথে সংগ্রাম করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি।- ৫-৩৩
-যখন নির্দেশ দান করেন ফেরেশতাদিগকে তোমাদের পরওয়ারদেগার যে, আমি সাথে রয়েছি তোমাদের, সুতরাং তোমরা মুসলমানদের চিত্তসমূহকে ধীরস্খির করে রাখ। আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব। কাজেই গর্দানের উপর আঘাত হান এবং তাদেরকে কাট জোড়ায় জোড়ায়।-৮-১২
-হে ঈমানদারগণ, তোমরা যখন কাফেরদের সাথে মুখোমুখী হবে, তখন পশ্চাদপসরণ করবে না।- ৮-১৫
-আর তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাক যতক্ষণ না ভ্রান্তি শেষ হয়ে যায়; এবং আল্লাহ্র সমস্ত হুকুম প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। তারপর যদি তারা বিরত হয়ে যায়, তবে আল্লাহ্ তাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করেন।-৮-৩৯
-সুতরাং যদি কখনো তুমি তাদেরকে যুদ্ধে পেয়ে যাও, তবে তাদের এমন শাস্তি দাও, যেন তাদের উত্তরসূরিরা তাই দেখে পালিয়ে যায়; তাদেরও যেন শিক্ষা হয়।- ৮-৫৭
-আর কাফেররা যেন একা যা মনে না করে যে, তারা বেঁচে গেছে; কখনও এরা আমাকে পরিশ্রান্ত করতে পারবে না।-৮-৫৯
-আর প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের শক্তি সামর্থ্যরে মধ্যে থেকে এবং পালিত ঘোড়া থেকে, যেন প্রভাব পড়ে আল্লাহ্র শুত্রুদের উপর এবং তোমাদের শত্রুদের উপর আর তাদেরকে ছাড়া অন্যান্যদের উপর ও যাদেরকে তোমরা জান না; আল্লাহ্ তাদেরকে চেনেন। বস্তুত: যা কিছু তোমরা ব্যয় করবে আল্লাহ্র রাহে, তা তোমরা পরিপূর্ণভাবে ফিরে পাবে এবং তোমাদের কোন হক অপূর্ণ থাকবে না।- ৮-৬০
-অত:পর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ্ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।- ৯-৫
-যুদ্ধ কর ওদের সাথে, আল্লাহ্ তোমাদের হস্তে তাদের শাস্তি দেবেন। তাদের লাঞ্ছিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের জয়ী করবেন এবং মুসলমানদের অন্তরসমূহ শান্ত করবেন। -৯-১৪
-যারা ঈমান এনেছে, দেশ ত্যাগ করেছে এবং আল্লাহ্র রাহে নিজেদের জান ও মাল দিয়ে জেহাদ করেছে, তাদের বড় মর্যাদা রয়েছে আল্লাহ্র কাছে আর তারাই সফলকাম।- ৯-২০
-তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ্ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ্ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে।- ৯-২৯
-ইহুদীরা বলে ওযাইর আল্লাহর পুত্র এবং নাসারারা বলে ”মসীহ আল্লাহর পুত্র।” এ হচ্ছে তাদের মুখের কথা। এরা পূর্ববর্তী কাফেরদের মত কথা বলে। আল্লাহ্ এদের ধ্বংস করুন, এরা কোন উল্টা পথে চলে যাচ্ছে।- ৯-৩০
-হে ঈমানদারগণ, তোমাদের কি হল, যখন আল্লাহ্র পথে বের হবার জন্যে তোমাদের বলা হয়, তখন মাটি জড়িয়ে ধর, তোমরা কি আখেরাতের পরিবর্তে দুনিয়ার জীবনে পরিতুষ্ট হয়ে গেলে? অথচ আখেরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবনের উপকরণ অতি অল্প।- ৯-৩৮
-যদি বের না হও, তবে আল্লাহ্ তোমাদের মর্মন্তুদ আযাব দেবেন এবং অপর জাতিকে তোমাদের স্খলাভিষিক্ত করবেন। তোমরা তাঁর কোন ক্ষতি করতে পারবে না, আর আল্লাহ্ সর্ববিষয়ে শক্তিমান।- ৯-৩৯
-তোমরা বের হয়ে পড় স্বল্প বা প্রচুর সরঞ্জামের সাথে এবং জেহাদ কর আল্লাহর পথে নিজেদের মাল ও জান দিয়ে, এটি তোমাদের জন্যে অতি উত্তম, যদি তোমরা বুঝতে পার।- ৯-৪১
-হে নবী, কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করুন এবং মুনাফেকদের সাথে তাদের সাথে কঠোরতা অবলম্বন করুন।- তাদের ঠিকানা হল দোযখ এবং তাহল নিকৃষ্ট ঠিকানা।-৯-৭৩
-কিন্তু রসূল এবং সেসব লোক যারা ঈমান এনেছে, তাঁর সাথে তারা যুদ্ধ করেছে নিজেদের জান ও মালের দ্বারা| তাদেরই জন্য নির্ধারিত রয়েছে কল্যাণসমূহ এবং তারাই মুক্তির লক্ষ্যে উপনীত হয়েছে।- ৯-৮৮
– আল্লাহ্ ক্রয় করে নিয়েছেন মুসলমানদের থেকে তাদের জান ও মাল এই মূল্যে যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা যুদ্ধ করে আল্লাহ্র রাহে: অত:পর মারে ও মরে। তওরাত, ইঞ্জিল ও কোরআনে তিনি এ সত্য প্রতিশ্রুতিতে অবিচল। আর আল্লাহ্র চেয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কে অধিক? সুতরাং তোমরা আনন্দিত হও সে লেন-দেনের উপর, যা তোমরা করছ তাঁর সাথে। আর এ হল মহান সাফল্য।- ৯-১১১
-হে ঈমানদারগণ, তোমাদের নিকটবর্তী কাফেরদের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাও এবং তারা তোমাদের মধ্যে কঠোরতা অনুভব করুক্ আর জেনে রাখ, আল্লাহ্ মুত্তাকীদের সাথে রয়েছেন।- ৯-১২৩
-বরং আমি তাদেরকে এবং তাদের বাপ-দাদাকে ভোগসম্বার দিয়েছিলাম, এমনকি তাদের আয়ুস্কালও দীর্ঘ হয়েছিল। তারা কি দেখে না যে, আমি তাদের দেশকে চতুর্দিক থেকে হন্সাস করে আনছি। এরপরও কি তারা বিজয়ী হবে? ২১-৪৪
-অতএব আপনি কাফেরদের আনুগত্য করবেন না এবং তাদের সাথে এর সাহায্যে কঠোর সংগ্রাম করুন। ২৫-৫২
-অত:পর যখন তোমরা কাফেরদের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হও, তখন তাদের গর্দার মার, অবশেষে যখন তাদেরকে পূর্ণরূপে পরাভূত কর তখন তাদেরকে শক্ত করে বেধে ফেল। অত:পর হয় তাদের প্রতি অনুগ্রহ কর, না হয় তাদের নিকট হতে মুক্তিপণ লও। তোমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে যে পর্যন্ত না শত্রুপক্ষ অস্ত্র সমর্পণ করবে! একথা শুনলে। আল্লাহ্ ইচ্ছা করলে তাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তোমাদের কতককে কতকের দ্বারা পরীক্ষা করতে চান। যারা আল্লাহ্র পথে শহীদ হয়, আল্লাহ্ কখনই তাদের কর্ম বিনষ্ট করবেন না।- ৪৭-৪
-অতএব, তোমরা হীনবল হয়ো না এবং সন্ধির আহবান জানিও না, তোমরাই হবে প্রবল। আল্লাহ্ই তোমাদের সাথে আছেন। তিনি কখনও তোমাদের কর্ম হন্সাস করবেন না।- ৪৭-৩৫
-অন্ধের জন্যে, খঞ্জের জন্যে ও রুগ্নের জন্যে কোন অপরাধ নাই এবং যে কেউ আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের অনুগত্য করবে তাকে তিনি জান্নাতে দাখিল করবেন, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত হয়। পক্ষান্তরে যে, ব্যক্তি পৃষ্ঠপ্রদর্শন করবে, তাকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দিবেন।- ৪৮-১৭
-মুহাম্মদ আল্লাহর রসূল এবং তাঁর সহচরগণ কাফেরদের প্রতি কঠোর, নিজেদের মধ্যে পরস্পর সহানুভূতিশীল। আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় আপনি তাদেরকে রুকু ও সেজদারত দেখবেন। তাদের মুখমন্ডলে রয়েছে সেজদার চিহ্ন। তওরাতে তাদের অবস্খা এরূপ এবং ইঞ্জিলে তাদের অবস্খা যেমন একটি চারা গাছ যা থেকে নির্গত হয় কিশলয়, অত:পর তা শক্ত ও মজবুত হয় এবং কান্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে-চাষীকে আনন্দে অভিভুত করে-যাতে আল্লাহ্ তাদের দ্বারা কাফেরদের অন্তর্জবালা সৃষ্টি করেন। তাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্খাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ্ তাদেরকে ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের ওয়াদা দিয়েছেন।- ৪৮-২৯
-আল্লাহ্ তাদেরকে ভালবাসেন, যারা তাঁর পথে সারিবদ্ধভাবে লড়াই করে, যেন তারা সীসাগালানো প্রাচীর।- ৬১-৪
-মুমিনগণ, আমি কি তোমাদেরকে এমন এক বানিজ্যের সন্ধান দিব, যা তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে মুক্তি দেবে?- ৬১-১০
-তা এই যে, তোমরা আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্খাপন করবে এবং আল্লাহর পথে নিজেদের ধন-সম্পদ ও জীবনপণ করে জেহাদ করবে। এটাই তোমাদের জন্যে উত্তম; যদি তোমরা বোঝ।- ৬১-১১
-তিনি তোমাদের পাপরাশি ক্ষমা করবেন এবং এমন জান্নাতে দাখিল করবেন, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত এবং বসবাসের জান্নাতে উত্তম বাসগৃহে। এটা মহাসাফল্য।- ৬১-১২
-হে নবী! কাফের ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জেহাদ করুন এবং তাদের প্রতি কঠোর হোন। তাদের ঠিকানা জাহান্নাম। সেটা কতই না নিকৃষ্ট স্খান।-৬৬-৯
আয়াত গুলোর শুধু কপি-পেষ্টে মডারেটরা মানতে রাজী হলেন না। কোনো আলোচনায় এই আয়াতগুলো কপি পেষ্ট করে দিলেই যে কথাগুলো শুনতে হয়,-
-আমরা নাস্তিকরা কোরাণের আয়াতের মর্ম বুঝি না।
-কোরাণের আয়াতের মর্ম বুঝতে হলে আফগানিস্তান, পাকিস্তান আর বাংলাদেশের মুসলমানদের মতো অশিক্ষিত হতে হয়, যারা জন্মের পর পরই লিখতে পড়তে শিখার আগেই কোরাণের আয়াতের মর্ম বুঝে ফেলে।
-কোরাণের আয়াত এমনি এমনি বুঝা যাবে না, শানে নজুল ও তফসির পড়তে হবে।
-তার মানে আল্লাহ মিথ্যা কথা বলেছে। আল্লাহ বলেছে,- ”আমি কোরাণ তোমাদের জন্য সহজ করে নাজিল করেছি যেন তোমরা তা বুঝতে পারো।”
-আলাদা আলাদা আয়াত দিলে হবে না, আগের আয়াত এবং পরের আয়াত দিতে হবে।
-আরে ভাই পুরা কোরাণ কি একসাথে নাজিল হয়েছিল? এইটুকু একটা বই লিখে শেষ করতে মোহাম্মদ তার জীবনের ২৩ বছর সময় ব্যয় করলে
আমাকে একদিনে পুরো কোরাণ কপি পেষ্ট করতে হবে কেন?
আরো সমস্যা আছে। দেশে মুসলমানরা যখন হিন্দুদের ঘরবাড়ি পোড়ায়, তখন মন্তব্যহীন কোরাণের আয়াতও ফেসবুকে কপি পেষ্ট করা যাবে না। এতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা আরো বেড়ে যেতে পারে। তাহলে আমরা কি শিখলাম? আমরা শিখলাম, দেশের রাজনৈতিক অবস্থা বুঝে কোরাণের এই সহিংসতা পূর্ণ আয়াত লুকিয়ে রাখতে হবে, যখন তখন পোষ্ট করা যাবে না। বছরের প্রতিদিন ধর্ম-কর্ম করা যাবে, কিন্তু প্রতিদিন ধর্মের সমালোচনা করা যাবে না। আর বাসায় কোরাণ সাজিয়ে রাখতে হবে, বিদেশে যাওয়ার সময় স্যুটকেসে একটা কোরাণ নিয়া যেতে হবে নিরাপদ ফ্লাইটের জন্য, আয়াতগুলা প্রতিদিন ৫ বার নামাজে বিড়বিড় করে আরবীতে পড়া যাবে, কিন্তু বাংলায় পড়া যাবে না। আর কোথাও কোরাণের আয়াত দেখলে সেটা নিয়া আলোচনাও করা যাবে না। আর নাস্তিকদের সঙ্গে যুক্তি-তর্কে না পারলে যুক্তিহীন আর অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার করে ইসলাম রক্ষা করতে হবে। আফিম খেয়ে দম বন্ধ করে বসে থাকতে হবে। আচ্ছা, কোরাণের আয়াত কি লুকিয়ে রাখার জিনিস? নাকি ধর্মান্ধ আর মূর্খ্য মানুষগুলোকে লুকিয়ে আফিম খাওয়ালেই আপনাদের ব্যবসা চলে ভালো? সরকার বাংলা কোরাণের ওয়েবসাইট খুলছে, পারলে সেটা বন্ধ করুন।
-আপনারা নাস্তিকরা কোরাণের এই কয়েকটা আয়াতই বার বার দেখান, ভালো আয়াতগুলা আপনাদের চোখে পড়েনা?
-কোরাণের সব আয়াত খারাপ,-এ কথা আমরা নাস্তিকরা কখনোই বলি না। আমাদের আপত্তি হচ্ছে কোরাণের সাম্প্রদায়িক, হিংস্র, অবৈজ্ঞানিক আর অসংলগ্ন আয়াত গুলো নিয়ে। কোরাণে কোথাও মুসলমানদেরকে মানবিক আর সভ্য হতে বলা হয়নি। বার বার মুসলমান হতে বলা হয়েছে, মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে, অন্য ধর্মকে আঘাত করতে বলা হয়েছে, তাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিতে বলা হয়েছে, ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ ফরজ করা হয়েছে। বোকা-সোকা মানুষগুলোর আর কি দোষ? কোরাণই যেখানে ভুত। বুঝলাম, ইসলাম কখনো অন্য ধর্মের মানুষদের উপর অত্যাচার করতে বলেনি, তাদের খুন করতে বা ঘরবাড়ি পোড়াতেও বলেনি। তাহলে মুসলমানরা গত দেড় হাজার বছর ধরে সারা বিশ্বব্যাপি ইসলামের নামে এসব সন্ত্রাসী কাজ করার স্বভাব পেল কোন্ ধর্ম থেকে? আপনার ধর্মগ্রন্থ যদি মধ্যযুগীও, বর্বর আর হিংস্র হয়, তাহলে সে গ্রন্থকে বুকে ধারণ করে আপনি ভালো মানুষ হবেন কিভাবে?
এই মডারেটরাই আবার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলেন, অথচ তাদের অনেকে নিজেই সাম্প্রদায়িক মনোভাব মুক্ত নন, অথবা ”সাম্প্রদায়িকতা” শব্দের অর্থ বুঝেন না। যেমন,-তাদের প্রধান শ্লোগান হচ্ছে,- বাংলার হিন্দু, বাংলার বৌদ্ধ, বাংলার খ্রিষ্টান, বাংলার মুসলমান, আমরা সবাই বাঙালি। শ্লোগানে ধর্মহীন বা নাস্তিকদের কথা বলা হয় না। তারমানে নাস্তিকরা বাঙালি না, অথবা বাঙালি হতে হলে তার একটা ধর্মে বিশ্বাস থাকতেই হবে। আমার বন্ধুরা কেউ কেউ হয়ত বলবেন,- নাস্তিকদের অধিকারের কথা উচ্চারণ করার পরিবেশ এখনো দেশে তৈরী হয়নি অথবা অতটা সাহস আমাদের হয়নি। আপনারা না করলে নাস্তিকদের অধিকারের কথা বলার পরিবেশ তৈরী করবে কারা? আর সাহস না থাকলে ”সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী” আন্দোলনের নামে ভুল কথা বলার কি দরকার?
দেশে হিন্দুদের উপর জামাতী ও ধর্মীয় মৌলবাদীদের নির্বাচনোত্তর হামলার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কোরাণের আয়াত লুকিয়ে রেখে তিন চারটা শান্তির হাদিস পোষ্ট করে ইসলামকে রক্ষা করতে আমরা দেখেছিলাম বেশ কিছু মডারেট মুসলমানদেরকে। এবার যশোরের অভয়নগরে মালোপাড়ায় মণিরামপুর উপজেলায় দুই হিন্দু গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় তারা কি ধরণের হাদিস পোষ্ট করেন,- তা দেখার অপেক্ষায় আছি। বিধর্মী নারীদের প্রতি ইসলাম মুসলমান পুরুষদেরকে কি আচরণ করতে বলেছে,- সে বিষয়ে কোরাণের সুনির্দিষ্ট আয়াত বা হাদিস থাকবে না- তা তো হতে পারে না।
ওমর ফারুক লুক্স
হাহাহা। এই আয়াতগুলোর সবগুলোই যুদ্ধের আয়াত। যুদ্ধের সময় কি যুদ্ধ করতে না বলে আঙুল চুষতে বলবে?
৭১ এ পাকিরা এদেশ আক্রমন করেছিলো। সেইসময়ে “ওদেরকে ভাতে মারবো, পানিতে মারবো, এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো। যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে” ইত্যাদি বক্তব্য যদি না বলা হতো, তবে বাঙালিরা কোনো ইন্সপাইরেশনই পেতো না
১৪০০ বছর আগের কোনো যুদ্ধ হইছে। সে জন্য আয়াত নাজিল হইছে। কিন্তু ১৪০০ বছর পর এটাকি আমার জীবন বিধান হতে পারে?
যদিও আমি পুরপুরি আস্তিক তার পরেও আপনার লিখা ও যুক্তি গুলো আমার কাছে খুব সুন্দর ও খুবই যুক্তি যুক্ত মনে হয়েছে।
আমি আশা করব আপনি কোরানের উপর আরো বেশি বেশি গবেষনা করবেন, আর এই রকম জটিল প্রশ্ন করে মূর্খ মুসলিমদের মনে কোরান পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারবেন এবং নিজেও কিছু উত্তম জ্ঞান অর্জন করতে পাবেন।
মন্তব্য…কালা মানিক , প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে যদি আয়াত নাজিল হয়,তবে আমাদের বর্তমান সময়ের জন্য তা প্রযোজ্য কেন?আজকে সেটা কি সহিংসতা নয়?
আপনি যা বলতে চেয়েছেন তা হলো এমন……”কোন আইন যদি বলে খুনিকে ফাসি দাও তার ব্যাখ্যা হচ্ছে আইনটা খুব খারাপ মানুষ মারতে বলছে”
যেই আদেশ কাফেরদের উপর বা নির্দিষ্ট কোন অপরাধীর বিরুদ্ধে দেয়া হয়েছে তা আপনি সমগ্র অমুসলিমদের উপর বলে মিথ্যাচার বা অপপ্রচার করেছেন……
আপনি বলছেন কোরআন দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে নাযিল হয়েছে কিন্তু আবার কোন আয়াতের অর্থ জানতে ঘটনা বা তাফসির জানতে বল্লে আপনি বলছেন “আমাকে একদিনে পুরা কোরাণ কপি করতে হবে কেন?”……পুরো না শুধু ঐ আয়াত অবতীর্ন হওয়ার কারন বা ঘটনা উল্লেখ করলেই হয় যা আপনি তুলে ধরছেন…
আসলে আপনি মিথ্যাচার করার দৃঢ় ইচ্ছা নিয়েই এসব লিখেছেন কারন নাম হিসেবে আপনার একটি মুসলিম নাম ব্যবহার করা দেখেই তা বোঝা যায়……
পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মিথ্যাচার করা হয়েছে ইসলাম আর মুহাম্মাদ (সঃ) কে নিয়ে কিন্তু সবচেয়ে বেশি প্রসারিত হয়েছে এই ধর্মই……এর কারন এর প্রচারের দায়িত্ব তিনি নিজেই নিয়েছেন যে এই ধর্ম আর বিশ্বজগত সৃষ্টি করেছেন…
আমি এই বলে দোয়া করি যিনিই আপনাকে আমাকে সৃষ্টি করেছেন তিনি আপনাকে সত্যি জানতে দয়া করেন……
@শামীম,
আসলে উচ্চজন্মহার থাকলে বংশবৃদ্ধি করে সংখ্যা গুরু হয়েছে সবাই। আর তাছাড়াও যদি ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করতে গেলেই খুন হয়ে যায় কেউ, তবে কে আর ইসলাম থেকে অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হবার দুঃসাহস দেখাবে বলেন?
বড় বড় কথা বলাটা খুব সহজ, পিছলে যাওয়াটাও খুবই সহজ, কিন্তু আপনাদের কি হিম্মত আছে মুসলিম দেশগুলিতে অবাধে মুসলিমদের মধ্যে খ্রিষ্টান ধর্ম প্রচার করতে দেয়ার, যেভাবে মুসলিমরা সারা দুনিয়াতে অন্য ধর্মকে গালাগালি করে এবং সমানে ধর্ম প্রচার করে বেড়ায়?
এত যাদের ধর্ম প্রচারের সুবিধা, আর শান্তির ধর্ম আর সহনশীলতার ধর্ম বলে খালি গলা ফাটালেই হয়? কিছু কাজ করে দেখাতে হয়। নির্ভয়ে মুসলিমদের মধ্যে অন্যদের ধর্ম প্রচার করতে দিন, দেখবেন অনেক লোকই ইসলাম ছেড়ে দেবে, কেন জানেন? কারন ধর্ম বিশ্বাস জিনিসটা হল আসলে একধরনের মানসিক রোগের মত, যার চিকিৎসা আছে, তবে রোগিদের সদিচ্ছা থাকতে হয়। যদি সবাই মিলে হরর সিনেমার যম্বিদের মত আচরন করেন তবে কে আর আপনাদের অগ্রগতি থামাতে পারবে?
জম্বির মত ব্যবহার বাদ দিয়ে মানুষের মত ব্যবহার করতে শেখেন, তাতেই আর গলাবাজী করার দরকার পড়বে না।
যদি তিনি নিজেই নিজের দায়িত্ব পালন করে ধর্ম প্রচার করা আর এর রক্ষা করার দায়িত্ব নিয়ে থাকেন তবে আপনাদের এত কেন গলাবাজি আর ফালাফালির দরকার হয়? কেনই বা সব কিছুর মধ্যে মিথ্যাচার আর ষড়যন্ত্রের গন্ধ পান? নিজের লেজে প্যাঁড়া পড়লেই যদি ফনা তোলেন তাহলে তো বলতেই হয় যে সেই তিনি টা নিজের কাজটা ভাল করে বোঝেন না আর তাই নিজের অনুসারীদের কে প্লেগের মত অন্যদের ঘৃণা করতে শিখিয়েছেন? এমন তিনি জিনিসের উপাসনা করেন কেন যিনি নিজেই নিজের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়ে আপনাদেরকে ঠিকা দিয়ে রেখেছেন?
@অর্ফিউস,
😀 :hahahee:
মানবের মাঝে শ্রেষ্ঠ মানব যিনি তার নেতিবাচক সমালোচনা করবেন না দয়া করে ৷ উনার মহানুভবতা সবার উপরে ছিল ৷ উনার জীবনী পরুন ৷ মানবতার কথা উনিই বলেছেম প্রকৃষ্ট রুপে ৷
আমার লেখা কি এখানে পোষ্ট হবে না?
আর তাদেরকে হত্যাকর যেখানে পাও সেখানেই এবং তাদেরকে বের করে দাও সেখান থেকে যেখান থেকে তারা বের করেছে তোমাদেরকে।বস্তুত: ফেতনা ফ্যাসাদ বা দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করা হত্যার চেয়েও কঠিন অপরাধ। আর তাদের সাথে লড়াই করো না মসজিদুল হারামের নিকটে যতক্ষণ না তারা তোমাদের সাথে সেখানে লড়াই করে। অবশ্য যদি তারা নিজেরাই তোমাদের সাথে লড়াই করে। তাহলে তাদেরকে হত্যা কর। এই হল কাফেরদের শাস্তি। ২-১৯১
-আর তারা যদি বিরত থাকে, তাহলে আল্লাহ্ অত্যন্ত দয়ালু। ২-১৯২
আর তাদেরকে হত্যাকর যেখানে পাও সেখানেই এবং তাদেরকে বের করে দাও সেখান থেকে যেখান থেকে তারা বের করেছে তোমাদেরকে—- খুবই যৌক্তিক কথা এবং স্বাভাবিক কথা।
অবশ্য যদি তারা নিজেরাই তোমাদের সাথে লড়াই করে। তাহলে তাদেরকে হত্যা কর। এই হল কাফেরদের শাস্তি। ২-১৯১
-আর তারা যদি বিরত থাকে, তাহলে আল্লাহ্ অত্যন্ত দয়ালু। —- এই কথাগুলোতে স হিংসতার কি আছে একটু বুষিয়ে বলুন
তার আগে আপনি বুঝিয়ে বলুন যে এই কথাগুলোর মধ্য কিসে অহিংস বানী লুকিয়ে আছে?
সুরা তওবার সবটাই তো হিংসা, ঘৃণা আর বিদ্বেষে ভরা, এইটা কি পড়ে বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন? নাকি ওই সুরাকে কোরান থেকে বিয়োগ করেছেন? 🙂
@অর্ফিউস,
তার আগে আপনি বুঝিয়ে বলুন যে এই কথাগুলোর মধ্য কিসে অহিংস বানী লুকিয়ে আছে?
কেউ যদি আপনাকে আপনার দেশ থেকে বিতারন করে, আপনাকে হত্যা করতে চায়, আপনাকে আপনার ধর্ম প্রচারে বাধা দেয়– তাহলে তার সাথে যুদ্ধ করা বা সেই ব্যাক্তিকে হত্যার অনুমতি দেয়া অন্যায় হবে কেন?
৭১ সালে পাকিস্তানী হানাদারদের হত্যা করা বাঙ্গালীদের জন্য কি অন্যায় ছিল?
খুব ভালমত খেয়াল করুন এই আয়াতে কি বলা হচ্ছে। তারপর মন্তব্য করুন এই আয়াতে কি হিংসার বাণী খুজে পাচ্ছেন?
আমি যতটুকু জানি মুহাম্মদ (সা) কে আল্লাহ এক বিশেষ দায়িত দিয়ে পাঠিয়েছিলেন — তা হল আল্লাহর একতবাদ প্রতিষ্ঠা করা।
কিন্তু কাফের মুশরিকরা মুহাম্মদ সা কে মক্কা থেকে বিতারন করে ও ইসলাম যেন প্রতিষ্ঠা পেতে না পারে তার জন্য সর্বাত্নক চেষ্টা চালায়। আর এসব কাফের-মুশরিক যারা ইসলাম প্রতিষ্ঠায় বাধা দিয়েছিল – তাদের বিরুদ্ধেই মুলত যুদ্ধ করতে ও অস্ত্র ধারন করতে বলে।
প্রেক্ষাপট না দিয়ে– শুধু কোরানের আয়াত দিয়ে মুল বক্তব্য বুঝা যায় না।
যেমন দেখুন–
যদি প্রেক্ষাপট যানা না থাকে তাহলে কি এই কথাগুলোকে একজন সন্ত্রাসীর কথে মনে হবে না?
এই কথা যিনি বলেছিলেন তিনি কি সন্ত্রাসী ছিলেন?
@বিদ্রোহী,
খুবই যৌক্তিক কথা। এই উদাহরন আমি নিজেই একাধিকবার এসব প্রসংগে দিয়েছিলাম। এসব নিয়ে সমস্যা বন্ধ করার এটাই উপায়।
এই উদাহরনের মূল কথা দাঁড়ায় এ জাতীয় কথাবার্তাকে সে সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে সীমাবদ্ধ রাখা। প্রচলিত ইসলামী বিশ্বাসে কি সেটা সম্ভব?
কোরানের কোন আয়াত কেবলমাত্র সে সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে সীমাবদ্ধ, বর্তমানে কার্যকর নেই এটা মানসিকভাবে ইসলামে পূর্ন বিশ্বাসী কেউ মেনে নেবে? শ্রেষ্ঠ এবং পূর্নাংগ জীবন বিধান নয়, ইতিহাসের অংশ হিসেবে এসব ধর্মীয় সূত্র দেখা গেলে সমস্যা থাকে না। কোরানেই আছে যে এর একটি আয়াতও অগ্রাহ্য করার ফল পরকালে ভয়াবহ শাস্তি। কোরানে কিছু আয়াত কেবলমাত্র স্পেসিফিক কেস, বা নবী স্পেশাল হিসেবে আছে। সে সব কিছু ব্যাতিক্রম ছাড়া আর সব আয়াতই সার্বজনীন এভাবেই গন্য করা হয়।
কোরানে বিবি পেটানোর অনুমোদন আছে। এই আয়াতকে ততকালীন আরব সমাজের সাথে মিলিয়ে বর্তমানে আর কার্যকর নেই ভাবা যায়?
মানসিকভাবে যতদিন বা ইসলামী সমাজে কোরানের সব আয়াত যে সার্বজনীন নয়, ইতিহাস/স্থানে সীমাবদ্ধ এটা মানতে পারবে ততদিনই যত যাইই বলেন, মডারেট ব্যাখ্যা হাজির করেন সমস্যা চলতেই থাকবে।
@আদিল মাহমুদ,
কোরানের জেহাদের আয়াতে সেইসব মুশরিক ও বিরুদ্ধচারীদের সর্বাত্নক যুদ্ধ করা ও হত্যা করার অনুমতি দেয়া হয়েছে যারা ইসলামকে সস্পুর্নভাবে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিল। সেই অনুমতি এখনো বহাল আছে এবং থাকবে।
মুহাম্মদ সাঃ কে কি মক্কা থেকে বিতারন করা হয় নাই?
তাকে হত্যা করার সর্বাত্নক চেষ্টা করা হয় নাই?
মুশরিকরা সম্মিলিত ভাবে ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চায় নি?
কাফেররা কি মুসলিমদের সাথে চুক্তি ভঙ্গ করে মুহাম্মদ সা ও তার অনুসারীদের সম্পুর্নভাবে শেষ করে দিতে চায় নি?
—– আর এসব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে কোরানে যুদ্ধ ও হত্যার অনুমতি অন্যায় কেন হবে?
@কালা মানিক,
আপনার নীচের প্রশ্নগুলির ১০০ ভাগ সঠিক জবাব আমার জানা নেই, জানার দরকারও তেমন নেই। আপনার খাতিরে ধরেই নিলাম যে সবগুলির জবাবই “হ্যাঁ”। সোজা কথায় নবী মোহাম্মদের প্রতি ততকালীন মক্কার মুশরিকরা অন্যায় করেছিল, তাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল…ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিল…চুক্তি ভংগ করতে চেয়েছিল…সাথে এ জাতীয় আরো অভিযোগ থেকে থাকলে সেগুলিও সত্য।
যে কোন বিচারেই কেউ কারো ওপর হামলা করলে আক্রান্তের আত্ম্ররক্ষার্থে অস্ত্র ধারনের পূর্ন অধিকার থাকে। এর মাঝে অমানবিকতা, বিদ্বেষের কোন ব্যাপার নেই, অন্যায়ের প্রশ্নই আসে না।
আপনার তোলা পয়েন্টিগুলি ইতিহাসের এক বিশেষ সময়ের কিছু ঘটনা।
ন্যায় অন্যায়ের কথা নয়, এ জাতীয় আয়াত সমূহ ইতিহাস হোক আর যাইই হোক শান্তিপূর্ন মোটেও নয়। কারো মৃত্যুদন্ডাদেশ বা ফাঁসীর দৃশ্য বর্ননা অন্যায় নয়, তবে সেসব শ্রবন করে আপনার কেমন অনুভূতি হয় জানি না, আমার মনে তেমন শান্তিভাব হয় না। আমি নিশ্চিত বার বার এমনকি গোলাম আজম বা ইয়াহিয়া খানের ফাঁসীর আদেশও শুনতে চাইবো না। মূল সমস্যা অবশ্য এখানে নয়।
এবার সমস্যার মূল অংশে আসি।
এসব আয়াত ধ্রুব সত্য ধরে নেবার মূল সমস্যা হল ইসলামী মূল্যবোধে ১৪০০ বছর আগেকার আরব দেশের কিছু বিধর্মীর অসদাচরনের পরিপ্রেক্ষিতে রচিত এসব আয়াতের প্রতিক্রিয়ায় এই যুগেও বিধর্মীদের প্রতি তীর্যক দৃষ্টি পোষন করার মানসিকতা দেখা যায়, যার জন্য কোন যুদ্ধ ফুদ্ধর দরকার হয় না। এর কারন হল কোরানে যুদ্ধ বিষয়ক অসংখ্য আয়াত আছে। এসব আয়াত সমূহ পড়লে, বিশেষ করে সর্বযুগে ধ্রুব সত্য ধরে নিলে যে কারোই মনে হবে বিধর্মী মানেই ইসলাম এবং মুসলমান জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র পাকাচ্ছে। কোরানে আল্লাহ মুসলমান মুসলমানে যুদ্ধ হতে পারে এমন সম্ভাবনা মাথায় আনেননি। কেন তা তিনিই ভাল জানেন, আমরা সামান্য মানুষ মাত্র। তার চোখে যুদ্ধ হয়ই কেবল মুসলমান বনাম অমুসলমান, এবং অতি অবশ্যই তাতে ভিলেন হল অমুসলমান। এতে কি আপনার দ্বি-মত আছে? সমস্যার আসল যায়গা হল এখানেই।
এই সব বানীর ততকালীন পরিপ্রেক্ষিত যাইই হোক, কোরানে পূর্ন বিশ্বাস আনয়নকারীর মনে এই চেতনা জাগ্রত হবার সম্ভাবনা অতি প্রবল। কোরানের সব আয়াত সর্বযুগে পালনীয় এই বিশ্বাসের বিশ্বাসীরা ১৪০০ বছর আগের আরবের বিধর্মীদের অপরাধে আশেপাশের নিরীহ বিধর্মীদেরও সে পাল্লায় মাপা শুরু করে, সকলে একই ভাবে শুধু প্রকাশ করে না এই যা। যেমন আমাদের দেশের মত আপাত ধর্মনিরপেক্ষ দেশের স্কুলেও ছেলেমেয়েদের স্কুলে শিক্ষা দেওয়া হয় ইহুদী নাছারারা ইসলাম বিনাশের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে (এখানে যুদ্ধ ফুদ্ধর কোন ব্যাপার নেই, স্রেফ জাতিগতভাবে বিদ্বেষ প্রচার।
বিশ্বাস না হলে প্রাচীন আমল থেকে আধুনিক কালের কিছু তাফসির আমরা আলোচনা করব যেসবে কোন রকম যুদ্ধ ফুদ্ধ ছাড়াই বিধর্মীদের বিরুদ্ধে স্রেফ ধর্মগত পরিচয়ের কারনেই বিদ্বেষ এবং কখনোবা ইসলাম প্রচারের নামে সরাসরি যুদ্ধ, জোর করে অর্থ আদায় নইলে হত্যার নিদান দেওয়া আছে। দয়া করে এসব আসল ইসলাম নহে এই জাতীয় কথা বলবেন না, সে কথা বললে প্রথম অনুরোধ থাকবে সেসব সূত্র আসল ইসলাম নয়, উক্ত ব্যাখ্যাকারীগন ইসলামের নামে মিথ্যা কথা ছড়িয়েছে এবং মুসলমান সমাজ শত শত বছর ধরে সেসব মিথ্যা লালন পালন করে আসছে, সরকারী পর্যায়ে বই ছাপিয়ে ভুল ইসলাম প্রচার করছে তা মেনে নিতে।
আপনার দ্বি-মত থাকলে কোরান থেকে মুসলমান বনাম অমুসলমান যুদ্ধ সংক্রান্ত কোন উদাহরন এবং তাতে করনীয় সম্পর্কিত আয়াত কোট করলে খুশী হব।
আপনার নিকট ছোট কিছু সহজ প্রশ্ন, জাষ্ট কমন সেন্স।
মুসলমান বনাম মুসলমান লড়াই হয় না? কোরানে মুসলমান বনাম মুসলমানে লড়াই হলে করনীয় কোন নির্দেশনা আমার জানা মতে নেই (যেমন ধরেন হত্যা কর যেখানেই পাও…জোড়ায় জোড়ায় মারো কাটো, বিপরীত দিক থেকে কাটো……)। তাই বলে কি মুসলমান বনাম মুসলমান লড়াই হলে কোরানের নির্দেশনার অভাবে কেউ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মার খায়? ‘৭১ সালে পাকিস্তানী মুসলমানের মার বাংগালী মুসলমান দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হজম করেছিল, নাকি কোরান খুলে পাতার পর পাতা খুলে নির্দেশনা তালাশ করছিল?
আধুনিক কালে সব সভ্য দেশেই ধর্ম পালন, প্রচারের অধিকার যে কারোই থাকে, সেটা নিশ্চিত করতে কোন ধর্মগ্রন্থের দরকার হয় না।
আপনার কথায় পরিষ্কার মনে হয় ততকালীন আরব মুশরিকরা নবী মোহাম্মদের নুতন ধর্ম ইসলাম প্রচারে বাধা দিয়ে মহা অন্যায় করেছিল। এতে তো দ্বি-মত নেই? তারা মহা পাপী, তাই না?। মুক্তকন্ঠের সমর্থক হিসেবে আমারো এতে দ্বি-মত তেমন নেই। নুতন পুরনো যাইই হোক, সকলেরই ধর্ম প্রচারের অধিকার থাকা উচিত। আচ্ছা, আমি যদি আজ বাংলাদেশে অতীতের সব ধর্ম বাতিল (ইনক্লুডিং ইসলাম) ঘোষনা করে নুতন ধর্ম ধরা যাক ধমাধম ধর্ম প্রচার শুরু করি তো বাংলাদেশের ঈমান্দার ভাইরা আমাকে কি চিকিতসা দেবেন? তারা আমাকে বাধা দিলে, হত্যার প্রচেষ্টা চালানো সহি মনে হলে নিরপেক্ষ চোখে ততকালীন আরব মুশরিকদের কিভাবে দোষ দেওয়া যায়?
@আদিল মাহমুদ,
তাড়াহুড়ায় ছোট ভুল হয়েছেঃ
পড়তে হবেঃ
আপনার দ্বি-মত থাকলে কোরান থেকে মুসলমান বনাম মুসলমান যুদ্ধ সংক্রান্ত কোন উদাহরন এবং তাতে করনীয় সম্পর্কিত আয়াত কোট করলে খুশী হব।
অভিজিৎ দা ও আবুল কাশেমকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার ব্লগে উল্লেখিত, ইসলামকে শান্তির ধর্ম প্রমাণ করার উদ্দেশ্যে প্রচার করা হাদিস তিনটির রেফারেন্স নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন প্রিয় অভিজিৎ রয়। তিনি এই হাদিস গুলোর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য যোগাযোগ করেন বিশিষ্ট হাদিস গবেষক আবুল কাশেমের সঙ্গে। এই হাদিস তিনটি সম্পর্কে আবুল কাশেমের মন্তব্য পড়ে দেখুন।
প্রথম হাদিস
১.সাবধান, যদি কোনো মুসলিম কোনো অমুসলিম নাগরিকের ওপর নিপীড়ন চালিয়ে তার অধিকার খর্ব করে, কষ্ট দেয় এবং তার কোনো বস্তু জোরপূর্বক নিয়ে যায়, তাহলে কিয়ামতের দিন আমি তার পক্ষে আল্লাহর দরবারে অভিযোগ উত্থাপন করব। -আবূ দাঊদ : ৩০৫২
আমার মনে হয় হাদিস নম্বর সঠিক নয়।
আমি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ প্রকাশিত আবূ দাউদের উদ্ধৃতি দিচ্ছি।
আবূ দাউদ শরীফ খণ্ড ৪, হাদিস নম্বর ৩০৪১
সুলায়মান ইব্ন দাউদ মাহ্রী (র।)…রাসূলুল্লাহ –এর সাহাবীদের কিছু ছেলে তাদের পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন, যারা পরস্পর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তারা রাসূলুল্লাহ-এর সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তোমাদের যে কেউ কোন যিম্মীর অত্যাচার করবে, বা তার হক নষ্ট করবে, কিংবা তার সামর্থ্যের বাইরে তাকে কষ্ট দিবে, অথবা ইচ্ছার বিরুদ্ধে (জোরপূর্বক) তার কোন জিনিষ নিবে আমি কিয়ামতের দিন তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করব।
এই হাদিসে লক্ষ্য করার বিষয়
এটা হিন্দু কিংবা অন্য কোন পৌত্তলিকদের উপর প্রযোজ্য নয়। এই হাদিসে যাদের উল্লেখ করা করা হয়েছে তারা হচ্ছে যিম্মী (Zimmis ) —অর্থাৎ মূলত খ্রিষ্টান অথব ইহুদিরা, এবং অনেকের মতে অগ্নি-উপাসকরা। এরা হচ্ছে মুসলমানদের সাথে চুক্তিবদ্ধ লোক।
মুহাম্মদ বলছেন কিয়ামতের কথা। তার অর্থ, এই দুনিয়াতে কিছুই করবেন না—তা যিম্মী হলেও।
চালাকির সাথে উপরে যিম্মী শব্দটি বাদ দিয়ে ‘অমুসলিম নাগরিক’ বানানো হয়েছে। এটা হচ্ছে ইসলামি শঠতা।
এই প্রসঙ্গে ইংরাজি অনুবাদ এবং বিশিষ্ট ইসলামি পণ্ডিত অধ্যাপক আহমদ হাসানের মতামত জানা যাক
Sunaan Abu Dawud, vol. II, hadis 3046
Safwan reported from a number of Companions of the Apostle of Allah (may peace be upon him) on the authority of their fathers who were relatives of each other. The Apostle of Allah (may peace be upon him) said: Beware, if anyone wrongs a contracting man, or diminishes his right, or forces him to work beyond his capacity, or takes from him anything without his consent, I shall plead for him on the Day of Judgment (footnote 2501).
Footnote 2501: The Prophet (may peace be upon him) gave instructions to Muslims not to enter the houses of Jews and Christians and not to take their property without their permission. Their women should be respected. Muslims should not take anything more than what is due from them.
(My comment): The context of the above hadis is that when Muhammad conquered Khaybar, the land of the Jews, Muhammad’s Jihadists entered the houses of the Jews and looted and plundered their articles and slaughtered their donkeys. When the Jews complained, Muhammad had to instruct his soldiers to refrain from entering and plundering Jewish homes because he had a contract with them. (ibid hadis number 3044, p. 866, Bangla hadis Abu Dawud 3039)
Evidently, the hadis does not apply to the Hindus or idolaters; it is strictly applicable to the people of contract, that is, the Jews and the Christians. Accordingly, the Hindus and the Buddhists of Bangladesh are fair games for the Muslims. The Muslims are free to kill them, loot them and rape their women.
Please note, despite their very small number the Christians of Bangladesh are relatively free from the attacks of Islam.
Of course, as I understand, there are no Jews, Magians (fire worshippers or Persiks) or Sikhs in Bangladesh.
I think this suffices.
দ্বিতীয় হাদিস
২.যে মুসলিম কর্তৃক নিরাপত্তা প্রাপ্ত কোনো অমুসলিমকে হত্যা করবে, সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না। অথচ তার ঘ্রাণ পাওয়া যায় চল্লিশ বছরের পথের দূরত্ব থেকে। -বুখারী : ৩১৬৬
মনে হচ্ছে হাদিস নম্বর সঠিক নয় অথবা অন্য কোনো বুখারি শরীফ ব্যবহার করা হয়েছে।।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বুখারি শরীফ ঘাঁটাঘাঁটি করে আমি যা পাচ্ছি তা এই প্রকার:
বুখারি শরিফ, খণ্ড ৫, হাদিস ২৯৪২
কাইস ইবন হাফ্স (র)…আবদুল্লাহ ইব্ন আমর থেকে বর্ণিত, নবী বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোন জিম্মিকে হত্যা করে, সে জান্নাতের ঘ্রাণ পাবে না। আর জান্নাতের ঘ্রাণ চল্লিশ বছরের দূরত্ব থেক পাওয়া যাবে।
এখানেও লক্ষণীয় যে হিন্দু এবং বৌদ্ধরা এই হাদিসের বাইরে, কেননা তারা জিম্মী বা চুক্তিবদ্ধ লোক নয়। আরও লক্ষণীয় যে মোহাম্মদ ধূর্ততার সাথে জান্নাতের কথা বলছে; ইহ-জগতে তার করার কিছু নাই।
তৃতীয় হাদিস
৩.রাসূলুল্লাহ (সাঃ)বলেছেন,- “মনে রেখো যদি কোন মুসলমান কোন অমুসলিম নাগরিকের উপর নিপীড়ন চালায়, তাদের অধিকার খর্ব করে, তার কোন বস্তু জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়, তাহলে কেয়ামতের দিন আমি আল্লাহর আদালতে তার বিরুদ্ধে অমুসলিম নাগরিকদের পক্ষ অবলম্বন করব।” -আবু দাউদ
হাদিস নম্বর উল্লেখ করা হয় নাই।
এই হাদিসটা মোটামুটি আগে উল্লেখিত আবূ দাউদ হাদিসের অনুরূপ। তাই আগের মন্তব্য প্রযোজ্য। লক্ষণীয়—জিম্মী শব্দ বাদ দিরে ‘অমুসলমান নাগরিক’ করা হয়েছে।
মোদ্দা কথাঃ ইসলামি বাংলাদেশ কায়েম হলে—অর্থাৎ বাঙলাস্থান হলে, শরিয়া আইন অনুযায়ী হিন্দু এবং বৌদ্ধদের এই দেশে থাকতে হ’লে ইসলামি আইনের বশ্যতা স্বীকার করে, মুসলিমদের অনুগ্রহ, দয়া এবং কৃপা নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে। নতুবা তাদেরকে হত্যার সম্মুখীন হ’তে হ’বে। এই প্রসঙ্গে দীর্ঘ লেখার অনেক কিছু আছে। কাউকে দেখছি না এই ব্যাপারটা খোলাসা করে কিছু লিখছেন।
আশা করি আমি হাদিস গুলির বিস্তারিত প্রসঙ্গ বর্ণনা করতে পেরেছি।
ইতি;
আবুল কাশেম
Center for Muslim-Jewish Engagement
http://www.usc.edu
Center for Muslim-Jewish Engagement
http://www.usc.edu
আমার মতে কোরান, বাইবেল, গিতা, বেদ, তাওরাত, ইঞ্জিল, ত্রিপিটক সব ধর্ম গ্রন্থের বানী গুলো একত্রে ব্যবচ্ছেদ না করে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যুক্তি সংগত হবেনা।
@গৌমূমোকৃঈ, তাওরাত আর ইঞ্জিল কি বাইবেলের বাইরে নাকি? নাকি তাওরাত বলতে হিব্রু বাইবেল বুঝিয়েছেন? সেক্ষেত্রে ইঞ্জিল কোথা থেকে আসে, ওটাতো বাইবেলের নতুন নিয়মের অংশ!
ধর্মসমূহ (বোধিতত্ব বা বুদ্ধিজম কোনো তথাকথিত ধর্ম নয়) এই বিশ্বব্রম্মান্ডের সাথে মানুষের কসমিক সম্পর্ক নির্ণয়ের আপাত: প্রচেষ্টা-ভুলভাবে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যর্থ এবং বিপথগ্রস্ত হলেও এগুলো হাজার বছরের পুরনো।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ধর্মসমূহের সাথে মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের সম্পর্ক খুবই সীমিত পর্যায়ে। একমাত্র যথাযত শিক্ষা এবং অর্থনৈতিক স্বাধীনতাই ধর্মের সাথে এই সার্বস্তুহীন সম্পর্ককে ক্ষীন করে তুলতে পারে যাতে তা আক্রমনমূলক কর্মকান্ডের জন্য উত্সাহে পরিনত হতে না পারে।
ধর্মের সাথে মানুষের সম্পর্ক বিশ্বাসের। এবং বিশ্বাস যুক্তির উর্ধ্বে। এবং বিশ্বাসের সম্পর্কের ভাঙ্গনের স্বরূপটা প্রেমিকের সাথে তৃতীয় ব্যক্তির আতাঁত সম্পর্কে অবহিত হবার মতই স্থম্ভিতকারী।
বাংলাদেশে হিন্দু মুসলমান ভাই ভাই রূপের অন্ত:সাম্প্রদায়িক সম্পর্ক থেকে আজকের অবস্থানে পৌছানোর ইতিহাসটি প্রাচীন। বিশেষত: স্বাধীনতা লাভের পর প্রথমে সংবিধানের পরে শিক্ষাব্যবস্থার ধর্মীয় সংকরায়ন ও মধ্যপ্রাচ্যের অঢেল অর্থ সরবারহে মাদ্রাসা শিক্ষার বল্গাহীন ছড়িয়ে পড়া বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিকাশ তরান্বিত করেছে।
ব্লগ সংস্কৃতির এই যুগে সচেতন চেষ্টার মাধ্যমে, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্করণের মাধ্যমে মানুষের হাজার বছরের পুরোনো ধর্মীয় ভাবাবেগকে আঘাত না করে বরং তার সরূপ উম্মোচন করে অসাম্প্রদায়িক সমাজের স্বপ্নের পথে এগিয়ে যাওয়া উচিত বলেই মনে হয়।
সেক্ষেত্রে ইসলামের ঐতিহাসিক দুর্বলতাকে সামনে টেনে এনে এবং সরাসরি আক্রমন পরিহার করে অসাম্প্রদায়িকতার মাধুর্যের যে আবেদন আমরা অনেকের কাছে হারিয়েছি, তা পুনুরুদ্ধার বা সংরক্ষণ সম্ভব হবে।
একটা মানুষ মনে যা বিশ্বাস করে ও ধারন করে সেটাই তার ধর্ম। ইসলাম যেমন ধর্ম , নাস্তিকতাও একটা ধর্ম , সেকুলারিজম ও তেমনি একটি ধর্ম ……… কাজেই একজন সেকুলার হয়ে উন্নত প্রজাতির দিকে বিবর্তিত হাওয়ার কোন কারন নাই। বলতে পারেন আমি সেকুলার না তাই আমি এই কথা বলছি, কেন বলব না সেকুলারিজম কি সমালচনার উরধে ? সংখ্যা লঘুদের উপর হামলার ঘটনায়ে হিন্দু নেতাদের বক্তব্য , মনবাধিকার কমিশনারের বক্তব্ব, আর পত্রিকার খবর যা বলছে …… আপনি দেখি তার উল্টা বলছেন …… এতে হাম্লাকারিরা আরও উৎসাহিত হবে ………… হতে পারে এটা আপনার সমস্যা অথবা এক চক্ষু দিয়ে দেখার সমস্যা। আমি যদি বিশ্বাস করি যে পরলোকে আমার কাজের জবাবদিহি করতে হবে তাহলে এটাই আমার বিবেকের সবচেয়ে বড় পাহারাদার নয় কি ? সভ্য জগতে পুলিশ ,সিসি কামেরা , গোয়েন্দা দের চোখ ফাঁকি দিতে পারলেই আপনারা মুক্ত কিন্তু আমি ? আমি মুক্ত না । আমরা মুক্ত মনে চিন্তা করতে পারি না বলে আস্তিক-নাস্তিক, ধার্মিক-সেকুলার এই ভেদাভেদ টিকিয়ে রাখি…… ইসলাম বলেন খ্রিস্টান বলেন আর বৌদ্ধ বলেন সবই ঐশী বিধান বলে জ্ঞাত এবং সমসাময়িক অত্যাচারীদের সরিয়ে নতুন সভ্যতা গড়ে তুলেছে …… এখনকার ধার্মিকরা আর মনে হয় এই বিষয় জানে না বুঝে না , ফলে তাঁদের কারনেই ধর্মের ইমেজ নষ্ট হচ্ছে ।
@ফয়সাল,
এই কথাটি “পানির রং হীনতাও একটি রং” এরকম শোনায় । সুতরাং নাস্তিকতা হল ধর্মে অবিশ্বাস যা কোন বিশ্বাস নয়। বিশ্বাস হল যুক্তিহীন আস্থা। যুক্তি যুক্ত আস্থাকে বিশ্বাস বলে ডাকা হয় না। আর নিঃসন্দেহে কেউই সমালোচনার উর্ধে না। সেকুলার হওয়ার প্রথম শর্ত সমালোচনা ।
এটা এক রকম পাহারাদার বটে। তবে সেই পাহারার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই । সেটা নিয়েই নাস্তিকদের যুক্তি হবে। পরলোক ইহলোক একটি বৈজ্ঞানিক যুক্তির আওতায় আসবে তর্কের সময়। যা নেই তাতে আস্থা স্থাপন করা অবৈজ্ঞানিক ।
এটাই আমার বিবেকের সবচেয়ে বড় পাহারাদার নয় কি ?
@ফয়সাল,
আপনের কথা শুনে মনে হচ্ছে টাককে আপনি চুলের রং বলবেন, কিংবা টিভির অফ বাটনকে আপনি ‘চ্যানেল’ বানাবেন, কিংবা কে জানে, সিগেরেট না খাওয়াটাও হয়তো আপনার চোখে নেশা করা। কেজানে!
নাস্তিকতা কোন বিশ্বাস না, বরং ‘বিশ্বাসের অভাব’। দেখেন এখানে।
@ফয়সাল,
ভাইজান আমি আবার এই ধর্ম কর্মের ব্যাপারটা একটু কম বুঝি। কাজেই দয়া করে যদি বুঝিয়ে দিতেন যে কেন এইগুলাও ধর্ম তাহলে বড়ই উপকার হত এই অধমের।
নাস্তিক ধর্মের ঈশ্বর বা দেবতা কে, এই ধর্মের কিছু নবী রসুলদের নাম ধাম, এবং কিছু ঐশী ধর্মগ্রন্থের নাম, এবং এইগুলা কোথায় পাওয়া যাবে তা যদি বলতেন, তবে এই অধমের খুবই উপকার হত। এইসব মালমশলা পেলে আমি আপনার এই নাস্তিক ধর্ম গ্রহণ করতে চাই। নেন বিসমিল্লাহ বলে শুরু করি আমরা। আপনি গুরু আর আমি শিষ্য 🙂
ওহ ফয়সাল ভাই, আমার একটা নেশা আছে আর সেইটা হইল পানি খাওয়া। খুব বেশি ঠান্ডা পানি খাই আমি, এই ঠান্ডা পানি না হইলে আমার শরীর জলে। কিযে করি এই জিনিস ছাড়া বাচিনা, পিপাসা লাগলে সহ্য করতে পারিনা একেবারেই( এইটা স্বাভাবিক না, পানি সবাই খায়, পিপাসাও কমবেশি সবাই চেক দিতে পারে) ,পানি কাছে না থাকলে দুনিয়াডা তুইলা আছাড় দিতে মঞ্চায়। কি কইরা যে নেশাটা ছাড়াই একটু সবক দিয়েন নাস্তিক ধর্মে দীক্ষিত করার পুর্বে।
সময় উপযুক্ত পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। সত্যিকারে মানুষ হওয়ার আবেদন যে ধর্ম গ্রন্থে থাকে না, থাকে ধার্মিক হওয়ার আবেদন তাও আবার মুসলমান, চার কলেমার জানা মুসলমান। কি করে এই বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মান্ধ মানুষ আধুনিক মানবিক সম্পন্ন মানুষের কাতারে আনা যায় তা ভাববার বিষয়। কোন দিন যেতে যদি না পারে তা হলে বিলুপ্ত হবে অথবা নিজের অস্তিত্বে জন্য দাত নোখের ব্যবহার বেড়ে যাবে। যেটি সভ্যতার জন্য হুমকি, মানবতার জন্য হুমকি সেই আয়াত গুলো বেশী করে তুলে সমালোচনার প্রয়োজন হয়েছে। কোরায়নের আয়াতের সমস্ত অসংগতি গুলো তুলে ধরার জন্য আবার ও ধন্যবাদ।
মোহাম্মদের মানসিক রোগ ঘটা করে পালন করাই হলো ইসলাম।
1. বাংলাদেশে সাম্প্রদ্বায়িক হামলাগুলোর জন্য কুরআন কতটা দ্বায়ী তা নিয়ে সন্দেহ আছে. আমার ধারণা বাঙ্গালি যদি বৌদ্ধ হত, তাহলেও হামলাগুলোর ধরন এমনি হত. আরেকটা বিষয় কুরআন কিন্তু খ্রিস্টানদের উপর হামলা না করা বা কম করার কথা বলেনি, কিন্তু বাস্তবে তাদের উপর হামলা তুলনামূলকভাবে কম হয়.
2. অন্য ধর্মের বা নিধর্মিয় একজন স্বল্প শিক্ষিত লোকের কাছে কুরআন যেখানে একটি ভয়ংকর গ্রন্থ হিসেবে চিন্হিত হতে পারে, পিএইচডিধারী লোকের কাছে তা শান্তির গ্রন্থ হয়ে যায়. আবার যে বাঙালি দেশে থাকতে ধর্ম-কর্মের সুযোগ সুবিধা থাকা স্বত্তেও মসজিদের ত্রিসীমানায় যেত না, নাস্তিকের দেশে এসে দাড়ি রেখে পরিপূর্ণ আস্তিকে পরিনত হয়. নাফিজদের মত সন্ত্রাসী ছাড়া বাকিগুলির ক্ষেত্রে মনে হয় কুরআন কত ভয়ংকর বা কত মানবিক তার খুব একটা ভুমিকা নেই.
লুক্স ভাইকে মূক্তমনায় দেখে ভাল লাগলো. ধন্যবাধ
@হেলাল,
শান্তির গ্রন্থ হয়ে যায় কি?? অবশ্যই শান্তির ধর্ম, এটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সামনের বছর নোবেল কমিটি সিদ্বান্ত নিয়ে ইসলাম কে শান্তির ধর্ম হিসাবে নো-বেল প্রাইজ দিবে এবং মুসলিম উম্মার পক্ষ থেকে এই পুরুষ্কার গ্রহণ করবে “সৌদিয়ারব”
কাফের দের দেশে গিয়ে আস্তিক হইছে, লজ্জার বিষয়। দেশের মসজিদে যেত তবে নামাজ পড়তে না, অন্য কাজ করতে।
অনেক প্রশ্নের জবাব হয়ে গেছে এক পোষ্টে ভাইয়া। রক লুক্স রক। অসাধারণ লেখা ভাইয়া।
অভিজিৎ দাদার একটা লেখায় নিচের কথাগুলো পড়েছিলাম আজ মন্তব্যের মধ্যে সেই কথাগুলো পড়ার সুযোগ পেলাম। কথাগুলো আমি মুখস্ত ঠোটস্থ আর আত্মস্থ করেছি। সেই কথাগুলো হচ্ছে:
বর্তমান সময়ের পরিস্থিতিতে আজকের এই লেখাটি গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। যদিও মুক্তমনার অধিকাংশ পাঠকই এ বিষয়ে অবগত রয়েছেন। তবে প্রবন্ধের শিরোনামটি একটু কেমন যেন মনে হচ্ছে- ইসলাম সহিসংতায় বিশ্বাস করে না, কিন্তু কোরান করে। কোরান ছাড়া কি ইসলাম হয়? কোরান করা মানেই তো ইসলাম করা।
তারপরেও লুক্সকে ধন্যবাদ। ধর্মকারীতে লুক্স লিখিত সুসমাচার সিরিজটি পড়েছি। সেটার জন্য ওমর ফারুক লুক্সকে এখানেই ধন্যবাদ জানিয়ে রাখলাম।
সবচেয়ে পেইন দেয়, ” আগের ও পরের আয়াতটিও পড়তে হবে। ” এই কথাটি। যতই বুঝাই, দুই একটা দয়ার বাণীর পিছনেও যে স্বার্থ ছাড়া কিছুই নেই, তবুও বুঝে না। তখন ইচ্ছাটা করে… :guli: :guli:
যাই হোক, সুন্দর লিখেছেন লুক্স ভাই (F)
অনেক যুক্তিপূর্ণ লেখা, শৈশবে বা কৈশোরে মাথাতে ঢুকিয়ে দেয়া বিভাজনগুলো কেউ বড় হয়ে আরও শক্ত করে ধরে রাখে, আবার কেউ কেউ জীবনের শান্তির জন্য শান্তিপূর্ণ আয়াতগুলোকে আকড়ে বেচে থাকে। প্রত্যেক মানুষ তার পুর্বনির্ধারিত লক্ষ্যে যাওয়ার জন্য কোরানকে ব্যবহার করে। কোরানের রচিয়তাও অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সাথে সবার গন্তব্যে যাওয়ার ব্যাপারে আঁচড় দিয়া গেছে। অনেকটা সবাইকে খুশি রাখার বিফল চেষ্টার মত। কিন্তু, সে বুদ্ধিমান এই কারণে যে, একটা জায়গায় সে খুবই অনড় থেকেছে। সেটি হল, ভুলেও যেন তার অনুসারীরা পথ থেকে সরে না যায় এবং তার দল ভারী করার ব্যাপারে যেন সবসময় সচেষ্ট থাকে। আর, এইটা করতে গিয়ে কঠোরতম পন্থা অবলম্বন করেছে-যেটা সব কট্টরপন্থী নেতাদেরকেই করতে হয়। এইটাই যে কাল হয়ে দাড়ায় এই হিসাবটা করতে ভুল করেছে। (Y) (Y) (Y)
ধর্মের প্রধানতম সমস্যা হল মানুষকে শুধু বিশ্বাস করতে শেখায়। সুতরাং যে ধর্মেরই সে হোক সে তার ধর্মের খারাপ দিক দেখতে পায় না কোন মতেই। আমাদের দেশে প্রায় কারোরই তার নিজের ধর্ম গ্রন্থ মানে করে পড়ার মত মানসিকতা নেই। সেভাবে পড়া হলে এত বৈষম্য তৈরি হত না । এমনকি তাহলে ধার্মিকেরা অকারণে নাস্তিকদেরকে নামানুষের কাতারে রাখতো না। তাদের বদ্ধমূল ধারনা যে নাস্তিকরা বানিয়ে বানিয়ে কুৎসা রচনা করছে। অথচ রেফারেন্স ছাড়া এমন কথা বলাই হয় না ।
শুধু মাত্র একটি ধর্মের পরিবারে জন্মানোর কারনে তারা সে ধর্মের মালিক হয়ে যায়। অথচ প্রায় কারোরই নিজের ধর্ম সম্পর্কে নুন্যতম জ্ঞান নেই। এমন জ্ঞান নেই যেটা দিয়ে সে যুক্তি দেখিইয়ে বের হয়ে যাবে। অথচ আবার নিজেদের ধর্মকে বিজ্ঞানসম্মত বলার সময় যুক্তি(ভুল) নিয়ে আসবে । আবার সেই বৈজ্ঞানিক যুক্তি দিয়ে তাদের যুক্তি খণ্ডাতে গেলে আবার সেটা বিশ্বাসকে আঘাত করা হয়ে যাবে কারন হাতে তাদের যুক্তি নেই। এরকম মানুষ তৈরি হলে সে ব্যাবস্থা থেকে উগ্র মানুষ তৈরি হবেই। সেটা যে ধর্মেরই হোক। আমাদের মডারেটদের এই সমস্যা প্রবল।
@ওমর ফারুক লুক্স
স্বাগতম (C)
মডারেটর দাবি করা বেশিরভাগই মুখে মুখে মডারেট। পড়ে বুঝে নিজেদের জন্য যুক্তি দাঁড়া করলে ওদের আর এই বস্ত্রহারা হবার লজ্জা পেতে হত না। ওরা যে লজ্জিত হয়, তেমন আলামত খুব একটা দেখিনি অবশ্য। এইসব দাঁড়িয়ে ঘুমানো মানুষরা অন্ধ আবেগে যখন কেঁপে কেঁপে কথা বলে, তখন বিরক্ত হয়ে ওই বিখ্যাত আয়াতই কিন্তু কাজে লাগাই :
“ধর্মের ব্যাপারে কোন জোর জবরদস্তি নেই” -সূরা আল বাকারা, আয়াত ২৫৬
:))
@কাজী রহমান,
ওপরে টাইপো, বলতে চেয়েছি: মডারেট দাবি করা বেশিরভাগই মুখে মুখে মডারেট।
লুক্স সাহেবকে মাঝে মাঝে ফেসবুকে দেখি, এখানে দেখে ভাল লাগছে।
লেখার শিরোনাম বেশ জুতসই হয়েছে। কোথায় যেন একবার ধর্ম সম্পর্কে একজনের কথা শুনেছিলাম অনেকটা এই রকমঃ ধর্ম হল দেশের বাড়ির মতন, সেখানে বসবাসও করা যায় না আবার বাপ দাদার ভিটা ফেলেও দেওয়া যায় না।
– এ জাতীয় আয়াত আরো আছে মনে হয়। যেমনঃ
“Allah does not forbid you from showing kindness and dealing justly with those who have not fought you due to your faith or driven you out of your homes. Allah loves those who deal justly. Allah only forbids you from those people that fought you because of your faith, drove you out of your homes and helped in your expulsion, that you take them as intimate associates. And whosoever takes them as intimate associates, then it is they who are the wrongdoers.” al-Quran, 60:8-9
বিধর্মীদের সাথে ডিল করার ব্যাপারে কোরানে সেই দুটো কিংবা এই একটি আয়াত থাকলেও এত গোল বাঁধতো না। গোল বাঁধে পরস্পর বিরোধী দুই ভাব ওয়ালা আয়াতের কনফ্লিক্টের যা রিজল্ভের যৌক্তিক উপায় নেই। যার মানসিকতা যেমন সে সেই ধরনের আয়াতকে ধরে নেয় প্রকৃত ভাব, অন্য আয়াতের বিপরীত ভাবকে নানান ভাবে নিজের কাছেই চাপা দেয়। যাদের মৌলবাদী বলা হয় তাদের অবশ্য এ সমস্যা নেই। তারা সরলভাবে যা বুঝেছে তাই প্রকাশ করে, নানান চাতূরীপূর্ন ধানাই পানাই এ যায় না।
ধার্মিকদের এটা বোঝানো অসম্ভব যে একই সূত্রে এই রকম পরস্পর বিরোধী ভাবের সহাবস্থানই একটি বড় ধরনের দূর্বলতা। এই ধরনের কনফিউজিং সূত্র শতভাগ সঠিক এবং সেই মূল্যবোধ নির্দেশনায় জীবন যাত্রা চালানো যে চুড়ান্তভাবে নিজেদেরও চরম ভাবে কনফিউজ করে এটাও ওনারা কোনদিন বুঝবেন না।
অসংগতি চাপার জন্য, নিজের মনকেই বুঝ দেবার জন্য আশ্রয় নিতে হয় নানান অদ্ভূত, স্ববিরোধী নিজ কোল ঝোল টানা যুক্তি……যার যার ধর্ম তার তার, ধর্ম জোর জবরদস্তি নেই এ জাতীয় আয়াত হয়ে যায় ইউনিভার্সেল। এসব আয়াতের পেছনের ঘটনা অনুসন্ধান করে কেবলমাত্র সেসময়ের অল্প কিছু বিধর্মীর জন্যই এসব প্রযোজ্য, বর্তমান কালের বিধর্মীদের জন্য প্রযোজ্য নয় এ জাতীয় কনক্লুশন বার হয় না। কিন্তু উত্তেজক অশান্তিময় আয়াতগুলি নানান কায়দায় হয়ে যায় কেবল মাত্র ততকালীণ আরব দেশের বদ কিসিমের বিধর্মীদের জন্যই প্রযোজ্য। এতেও অনেক সময় হয় না, খোলা ব্লগে একই আয়াত কেউ নানান কায়দায় নরম ব্যাখ্যা দিয়ে আবার নিজেদের নিরাপদ আবাস স্থকে চেহারা পালটে চরম ব্যাখায়ও ওনারা বিনা দ্বিধায় চলে যেতে পারেন।
ধর্মে যাইই থাক, যতই ভায়োলেন্ট আয়াত ফায়াত থাক সহিংসতার কারন আসলে সেখানে নয়। অন্যান্য ধর্মগ্রন্থেও কম বেশী ভায়োলেন্ট ভার্স আছে। যেমন বাইবেল থেকেঃ
Ezekiel 9:6 “Slay utterly old and young, both maids, and little children, and women . . . ”
বড় প্রশ্ন হল খ্রীষ্টান সম্প্রদায় এসব আয়াত ভর করে কেন হিংস্র হয়ে ওঠে না? কেন নিজেদের ভেতর মডারেট বা উগ্র ভাগ হয় না…।। কেন খ্রীষ্টান জেহাদি তৈরী হয় না……সেখানে। এর কারন হল ধর্মগ্রন্থ শতভাগ সঠিক এবং সেটার সব নির্দেশনা মানতে হবে এই অবাস্তব ধারনা থেকে বহু আগে মুক্তি লাভ করেছে; মুসলমান সমাজে যার বাত্যয় অচিন্তনীয়। ফলে মুসলমান সমাজে অবস্থান করে বাস্তব এবং অবাস্তব দুই বিপরীত ধরনের মূল্যবোধের। মডারেট দাবীদাররা ফাঁক বুঝলেও স্বীকার করে না, তাহলে আবার কোরান অস্বীকারের পাপে বেহেশতই না শেষে হাতছাড়া হয়ে যায়। তাই আশ্রয় নিতে হয় নানান ছল চাতূরীর। যে লোকে শুধু কোরান পড়লে হয় না, তাফসির পড়তে হয় সবক দেয় সেইই দেখা যায় বিখ্যাত তফসির হাজির করলে আবারো কথা ঘোরায়। তখন হাজার বছর ধরে প্রচলিত ব্যাখ্যাকারকও ইসলাম জানে না, ইসলাম জানার জন্য আশ্রয় নিতে হয় আধুনিক কালের অন্য কোন সূত্রের। হাসিও পায় আবার খারাপও লাগে। খারাপ লাগে এ কারনে যে মৌলবাদ টিকে থাকে আসলে এ ধরনের লোকের আশ্রয় প্রশয়তেই। যে সূত্র সে মুখে সহি সূত্র স্বীকার করে না সে সূত্র বাতিলের ব্যাপারে আবার কোনদিন রাও কাড়ে না।
প্রতিটা মতবাদ, মূল্যবোধেরই কিছু কোর ভ্যালু থাকে। ইসলামের হল সে বাদে অন্য আর সব ধর্ম বাতিল, এমনকি কিছু আদৌ ধর্মই নয়। এই কোর ভ্যালু যে মনেপ্রানে ধারন করে তার পক্ষে অন্য ধর্মগুলির সহাবস্থান মানা কতটা সম্ভব সে প্রশ্ন অত্যন্ত যৌক্তিক। এই কোর ভ্যালুর কারনেই কোরান হাদীসের অপেক্ষাকৃত নমনীয় আয়াতগুলির কার্যকারিতা ব্লগে বিদ্বেষীদের জবাব দেবার মাঝেই সীমিত থাকে। মোল্লা আলেমের দল তো দুনিয়াময় মুসলমানদের ওপর চলা অত্যাচার নিয়ে সর্বদা উত্তেজিত থাকেন। নিজ দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যে যে অত্যাচার চলে তার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের মোল্লারাও নীরব থাকেন, বাংলাদেশের মোল্লারাও নীরব থাকেন। এই চক্রের শিক্ষিত ব্লগীয় প্রতিনিধিদেরও একই অবস্থা, আমরাও তীব্র নিন্দা জানাই……।এসবের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই, কিংবা বড়জোর সবই জামাত শিবিরের কাজ।
এটাও বুঝতে হবে যে সাম্প্রদায়িক হামলার সাথে কোরান হাদীসের নির্দেশনার তেমন সরাসরি সম্পর্ক নেই। যারা এসব হামলা করে তারা কোরানের কয়টি আয়াত জানে তা প্রশ্ন স্বাপেক্ষ। আসল সমস্যা হল ধর্মের নামে সমাজে যে বিভাজন তৈরী করে রাখা হয়েছে, আমরা গুরু এবং অপরে ধর্মীয় আইডেন্টিটির কারনে লঘু এখানে। সমাজই ছোটবেলা থেকে ধর্মীয় বিভাজন শিক্ষা দেয়, যা থেকে মুক্তি লাভ বয়স হলেও অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। সকলে হামলা করার মত দুবৃত্ত হয় না, কিন্তু সাম্প্রদায়িক বিভাজন লালন পালন করে অধিকাংশ লোকেই। সাম্প্রদায়িক বিভাজন নানান ভাবে এখন এতই তীব্রতায় পৌছেছে যে এককালের স্যেকুলার আওয়ামী লীগের লোকজনও আজকাল জড়িত হচ্ছে সাম্প্রদায়িক হামলার সাথে। এক জামাত শিবিরই যত নষ্টের গোড়া এই রকম হাস্যকর আর্গুমেন্টের দিনও শেষ
@আদিল ভাই,
সহমত। অসাধারন বিশ্লেষন। পুরোপুরি আমার মনের কথা। (Y)
@তারিক, ///এটাও বুঝতে হবে যে সাম্প্রদায়িক হামলার সাথে কোরান হাদীসের নির্দেশনার তেমন সরাসরি সম্পর্ক নেই। যারা এসব হামলা করে তারা কোরানের কয়টি আয়াত জানে তা প্রশ্ন স্বাপেক্ষ।/// আপনার কথা ঠিক হলে সারা বিশ্বের মুসমানদের চরিত্র একই রকম কেন? আর তারা যে সাম্প্রদায়িক হামলা বা সহিংসতাগুলো ঘটায়, সেটা কোন ধর্ম মতে ঘটায়?
@ওমর ফারুক লুক্স,
আবদুল্লাহ বিন মুহাম্মদের ইসলাম ৰ্ধম তৈরি মূল উদ্দেশ্য হল রাজনীতি। আর এই রাজনীতি ছড়ানো হয়েছে ৰ্ধমের মোড়কে। ইসলাম ৰ্ধমের মূল উদ্দেশ্য হল সৰ্ম্পূন পৃথিবীতে এক ইসলামী সাম্রাজ্য/আরব সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা। তাই দেখা যায় বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ সে যে দেশেরই নাগরিক হোক না কেন, সে তার নিজের দেশে ঐ ১৪০০ সাল পুরানো বস্তাপঁচা ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ৰ্ধমের আফিমের নেশায় তারা বুঝতেই পারে না যে পক্ষান্তরে আরব সাম্রাজ্যবাদের আগ্রাসনের শিকার। আর তাদের এই সমগ্রতাবাদী আন্দোলনের জন্য তারা যে সম্প্রদায়গুলোকে প্রতিবন্ধক মনে করে তাদের উপর হামলা করে। এই কারনেই সারা বিশ্বের মুসমানদের চরিত্র একই রকম।
অবশ্যই ইসলাম ৰ্ধম অনুসারী। কিন্তু তারা কোরান হাদিস ঐ সাম্প্রদায়িক আয়াতগুলোর কতটুকু জানে সেটা প্রশ্ন সাপেক্ষ !!
আপনার কাছে একটি প্রশ্ন: সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে যে সাম্প্রদায়িক হামলা হচ্ছে এর পিছনে কি দায়ী?
১.কোরানের কিছু আয়াত, নাকি
২.সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও সমাজের ধৰ্মীয় বিভাজন ।
আপনি কি চিন্তা করেন জানি না কিন্তু আমার মতে সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে যে সাম্প্রদায়িক হামলা হচ্ছে এর পিছনে মূলত সাম্প্রদায়িক রাজনীতি দায়ী, যেটা চলে আসছে ১৯৭৫ পরবৰ্তী সময় থেকে।
ধন্যবাদ।
@তারিক, ///সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে যে সাম্প্রদায়িক হামলা হচ্ছে এর পিছনে কি দায়ী?
১.কোরানের কিছু আয়াত, নাকি
২.সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও সমাজের ধৰ্মীয় বিভাজন।///
এক কথায় ধর্ম দায়ী। ধর্ম আছে বলেই কোরান, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি, সমাজের ধৰ্মীয় বিভাজন,- এসব আছে। বাংলাদেশে বা আর সব মুসলিম রাষ্ট্রে তো আর অন্য ধর্ম নাই বা থাকলেও সংখ্যালঘু হয়ে আছে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ইসলাম দায়ী। মুসলিমরাই অন্য ধর্মরে পিটায়। অন্য ধর্মরে না পাইলে নিজেরা শিয়া আর সুন্নী হয়ে মারামারি করে। যেখানে ইসলাম সেখানেই সন্ত্রাস।
@ওমর ফারুক লুক্স,
ষ্টেপ বাই ষ্টেপ মূল খূঁজতে গেলে ধর্ম অবশ্যই শেষ ধাপে বের হবে, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই।
মুশকিল হল ধর্ম মানুষের ব্যাক্তিগত মানবাধিকারের অন্তর্ভুক্ত, এটাকে আইন করে নিষিদ্ধ করা যায় না, তার ফল আরো খারাপ হতে পারে।
ধর্মগ্রন্থ সে যতই ভায়োলেন্ট হয়ে থাক তার নিজের নখদন্ত নেই, চুড়ান্তভাবে সেই মানুষই কতটা এবং কিভাবে ধর্মকে ইন্টারপ্রেট করে সেটার ওপরেই নির্ভর করে এর আউটপুট।
ে কারনেই ধর্মগ্রন্থে কি আছে না আছে সেটার চেয়েও বড় ফ্যাক্টর হল তার ইউজার যারা তারা। আমেরিকাতেও ধর্ম বহাল তবিয়তে আছে, সে দেশেও এখনো কোন নাস্তিকের পক্ষে প্রেসিডেন্ট হওয়া মনে হয় না সম্ভব বলে। সেখানে ভায়োলেন্ট ভার্সওয়ালা বাইবেল পড়ে কেন বাইবেল ব্যাবহারকারীরা হিংস্র হয় না আর মুসলমান দেশগুলিতে ধর্মগ্রন্থ পাঠ করে সন্ত্রাসী বার হয় এই দুই সিনারিও নিরপেক্ষ ভাবে তূলনা করা গেলেই পরিষ্কার হবে সমস্যা ধর্মগ্রন্থে নাকি ব্যাবহারকারিতে।
চুড়ান্তভাবে যেটা বার হবার কথা সেটা হল মুসলমান বিশ্বে তাদের যাবতীয় ধর্মীয় সূত্রকে এবসোলিউট ট্রুথ যার সাথে কোন আপোষ করা যাবে না, জীবনের প্রতি পদক্ষেপ ধর্মগ্রন্থ ম্যাচ করে চালাতে হবে এই মূল্যবোধের চর্চা যুগ যুগ ধরে করে যাওয়া। এই মানসিকতা জন্ম দেয় চরম একপেশে সব নীতিবোধ যার কারনে মুসলমান সমাজে সংখ্যালঘুরা হয় বিলীন আর নয়ত সেকেন্ড ক্লাস।
বাংলাদেশ, পাকিস্তান এসব দেশ থেকে আজ কোরান হাদীস গায়েব হয়ে গেলে কিংবা হেফজকারি মোল্লা আলেমের দল উধাও হয়ে গেলেও সাম্প্রদায়িকতা বহাল তবিয়তেই থেকে যাবে।
@ওমর ফারুক লুক্স,
আমি প্রশ্ন করেছিলাম বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস নিয়ে আর আপনি বলছেন বিশ্বের মুসলিমকে একত্রে নিয়ে, সেকারনে হয়ত আমি আমার মনোভাব বুঝাতে পারি নাই। আমার মতে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সাম্প্রদায়িক হামলার পিছনে ৰ্ধমীয় কারনের(কোরানের আয়াতের) চেয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বা ব্যক্তিগত স্বাৰ্থ হাসিল অনেক বেশী ভূমিকা রাখে।
আপনার ধারনা জামাত-বিএনপি সমৰ্থকেরা কোরানের আয়াত পড়ে ঐসব সাম্প্রদায়িক হামলা উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। আচ্ছা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের কিছু সমৰ্থকের সাম্প্রদায়িক হামলার সাথে যোগসূত্রতার খবর আমরা দেখেছি তাহলে তারাও কি কোরানের আয়াত পড়ে ঐসব সাম্প্রদায়িক হামলা উদ্বুদ্ধ হয়েছিল। এই দুই ঘটনা চিন্তা করলে মূল বিষয়টা ধরতে পারবেন।
@তারিক, কারণটা যদি কেবল রাজনৈতিকই হয়, তাহলে আক্রমণটা হিন্দুদের উপর হলো কেনো??
@Asif H Tamim,
তারিক ভাইকে প্রশ্নটা করেছেন, তবে আমি কিছু বলার লোভ সামলাতে পারছি না।
অন্যতম বৃহৎ কারন যে রাজনৈতিক শুধুমাত্র হিন্দুদের উপর আক্রমন হওয়াটাই কিন্তু আসলে এর একটা প্রমান। কেন জানেন? হিসাব খুবই সোজা। হিন্দু আছে ৮.৭% মত, যারা লীগের ভোট ব্যঙ্ক। বাংলাদেশে খ্রিষ্টান কয়জন আছে? দেখেন তো চশমা দিয়ে খুঁজে পান কিনা!! ১৬ কোটি মানুষের দেশে ৪ লাখের কিছু বেশি খ্রিষ্টান যারা কাকে ভোট দিল বা না দিল এতে কিছুই যায় আসে না।
@অর্ফিউস, এখানে ঢালাওভাবে হিন্দুদের আওয়ামীলগের ভোট ব্যাংক বলাটা আমি সমর্থন করতে পারছি না। কারণ আওয়ামীলীগ কি কেবলি হিন্দুদের ভোট নেয়?? ৮.৭ শতাংশের ভোট নিয়ে তারা পূর্বে গদিতে বসতে পারতো না।
উল্লেখ্য, আমি বলেছি কারণটা কেবল রাজনৈতিক নয়, বলা যায় ”রাজধর্মনৈতিক ” 😉
@Asif H Tamim, বাংলাদেশে ইসলামী ডেমোক্রেটিক রাজনৈতিক দলগুলো জানে যে এদেশের সকল হিন্দু ৰ্ধমাবলম্বী মানুষ আওয়ামী লীগের সাৰ্পোটার না হলেও অধিকাংশ হিন্দু ৰ্ধমাবলম্বীর কাছে সেক্যুলার ডেমোক্রেটিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিকল্প নাই। তাই ঐ ইসলামী ডেমোক্রেটিক দলগুলোর টাৰ্গেট হল হিন্দু ৰ্ধমাবলম্বী মানুষদের ভয়ভীতি দেখিয়ে দেশ থেকে বিতাড়িত করা।
বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার (৮-৯)% জনগনের ভোট, যেকোন নিৰ্বাচনের রেজাল্ট নিৰ্ধারন করে দিতে পারে। এটা আপনি না জানলেও ঐ ইসলামী ডেমোক্রেটিক দলগুলো খুব ভাল করেই জানে।
আপনি যদি বলেন কিছু মুসলিম যারা কোরানের কিছু জিহাদী আয়াত পড়ে জিহাদী জোশে ভিন্ন ৰ্ধমাবলম্বীদের উপর হামলা করতে গেছে তাহলে সেটা ভুল কারন নিৰ্ধারন করা হবে। হিন্দু ৰ্ধমাবলম্বীদের উপর নিৰ্যাতন হচ্ছে কেবল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সেটাতো কেউ বলছে না, তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটা অন্যতম কারন। এই ধরনের সাম্প্রদায়িক হামলার পেছনে ব্যক্তিগত স্বাৰ্থ হাসিল কিংবা ৰ্ধম সংক্রান্ত ব্যাপারও থাকতে পারে।
ধন্যবাদ।
@তারিক,
আমি আসলে আপনার এবং তামিম সাহেবের বক্তব্য মিচুয়ালি এক্সক্লুসিভ মনে করছি না। আওয়ামী ভোট ব্যাংক হিসেবে চিহ্নিত হবার কারণে এবং অন্যান্য সামাজিক এবং রাজনৈতিক কারণে অত্যাচারের নমুনা যেমন আছে, তেমনি আছে কোরানের আয়াতে বলীয়ান হয়ে আক্রমণের ব্যাপারস্যাপারও। ব্যাপারগুলো অনেক সময় প্রচ্ছন্ন থাকে, কিন্তু একটু গভীরে ঢুকলে ধর্মকেন্দ্রিক ঘৃণার পরিমাণটা বুঝতে পারা যায়। প্রদীপ দেব যেমন তার লেখায় লিখেছেন, বাংলাদেশের প্রতিটি হিন্দুকে জীবনে কখনো না কখনো ‘মালাউন’ শব্দটির মুখোমুখি হতে হয়েছে। এমন নয় যে দূরের কেউ সেটা দিয়েছে, প্রায়শই খুব কাছের বন্ধু বান্ধবদের কাছ থেকেই আসে – খুব আশ্চর্যজনকভাবে। আপনাদের অনেকে হয়তো এটাও মনে করতে পারবেন, স্কুলে বাচ্চারা জানে – হিন্দুদের তুলনা করা হত লাল পিঁপড়ার সাথে, মুসলমানদের কালো পিঁপড়ার সাথে। গীতা দি সম্ভবত তার একটা লেখায় উল্লেখ করেছিলেন, যে রাস্তায় বেরুলে তাকে শুনতে হত – ‘নমও নমো তুলসি পাতা, হিন্দুরা খায় গরুর মাথা’। ইত্যাদি। ব্যাপারগুলো একজন হিন্দুর জন্য এতোটাই সাধারণ যে, এ নিয়ে কথা বলারও কেউ প্রয়োজন মনে করে না। আমার মনে আছে, একবার আমাদের স্কুলে ইসলামিক ফাউণ্ডেশন থেকে এক বুজুর্গ মোল্লা নিয়ে আসা হল লেকচার দেয়ার জন্য। লেকচারে উনি ইনিয়ে বিনিয়ে বলে দিলেন রবীন্দ্রনাথ হিন্দু, তার সাহস ছিল কম, ব্রিটিশের দালালী করেছেন, দেব দেবী আরাধনা, আর নজরুল মুসলিম বীর। তিনি ব্রিটিশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন। এই যে ছোটবেলা থেকেই হিন্দু মুসলিমদের মধ্যে বিভেদের দেওয়াল তুলে কিংবা রবীন্দ্রনাথ বড় না নজরুল – এইসব ভ্রান্ত তর্ক সামনে নিয়ে এসে সূক্ষ্মভাবে সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দেওয়া হয় – এগুলো কোনটাই আওয়ামী ভোট ব্যাংক বা অন্য কোন রাজনৈতিক কারণে ঘটে না, ঘটে ধর্মজাত শিক্ষা এবং সংস্কৃতির কারণে।
আসলে ধর্ম অনেকটা ভাইরাসের মতো কাজ করে। আগে যেমন মানুষ গোত্রাধিপতি দের কথায় বিশ্বাস করত, তাদের আহবানে যুদ্ধে যেত, একই ধারা বজায় রেখে এখনও কিছু মানুষ পোপ, মাওলানাদের কথা উঠে বসে। কেউ বিন লাদেনের কথায় উজ্জীবিত হয় আল কায়দায় যোগদান করে তাদের কথা শিরোধার্য করে জিহাদ করে। আপনার মনে আছে নিশ্চয় তেঁতুল শফির ডাকে হাজার হাজার মাদ্রাসা ছাত্র এসেছিল ব্লগারদের ফাঁসির দাবীতে। একজন মাদ্রাসার ছাত্র পেপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেওছিলেন, ‘ব্লগ কি জিনিস জানিনা, হুজুরের কথায় আইছি’। ধর্মের মধ্যে সংক্রমণের প্রচ্ছন্ন উপাদান আছে, আমরা সেটা স্বীকার করি আর নাই করি। উপাদান আছে বলেই এটা তৈরি করে মহামারী – কখনো নাস্তিক ব্লগারদের বিরুদ্ধে, কখনো বিধর্মীদের বিরুদ্ধে, কখনো হিন্দু বাড়িঘর পোড়ানোতে ঝাঁপিয়ে পড়ে এর অনুগামীরা। দুর্ভাগ্যজনক হল, তেঁতুল শফি, লাদেন, আনওয়ার আলাকিরা কেবল ভায়োলেন্ট ভার্সগুলোর চর্চাই করে এসেছেন, মসজিদের খতিবেরা খুতবার সময় কেবল ইহুদি নাসারাদের বিরুদ্ধে জিহাদেরই ডাক পেড়েছেন। এটার কারণ আমি বুঝতে পারি। এগুলো ব্যাপার হয়তো একটা সময় সার্ভাইভালে সহায়তা করেছিল, নিজের গোত্রকে টিকিয়ে রাখতে, কিংবা গোত্রের সেনাদের সাহসের যোগান দিতে, কিন্তু এখন সেগুলো হয়েছে মরণ বিষ। ট্রোজান হর্স ভাইরাসের মতো অনেকটা। এটা যতদিন না বুঝবে সাধারণ মানুষ সমস্যার সমাধান আমি খুব একটা দেখছি না।
@Asif H Tamim, প্রথমত, ৮-৯ % ভোট অনেক বেশি। আপনি ৯ম সংসদে লীগের ভোট প্রাপ্তির হার দেখুন। প্রায় ৪৯%। এদেরমধ্যে ৮% কে বাদ দিলে নেমে আসে ৪১ % এ।
আর হিন্দুরা আওয়ামী লীগ কে ভোট দেয় তার কারন হল লীগ সেক্যুলার এবং মন্দের ভাল;অদুর ভবিষ্যতে জিজিয়া কর চালু করার চিন্তা করা হলে লীগ তাতে কোন মন্তেই সায় দেবে না, বি এন পি দিতে পারে।
কাজেই ধর্মীয় সংখ্যালঘু থেকে শুরু করে যেকোন অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষের ভোট ডানপন্থী বি এন পির চেয়ে বাম ঘেঁষা লীগের দিকে যাবে এটাই স্বাভাবিক, এতে দোষের কিছু নেই। কিন্তু সমস্যা হল ধর্মপন্থী দলগুলো মানবাধিকারের এই ব্যাপারটাই যেমন স্বীকার করে না, তেমনি অন্যধর্মের লোকদের কে তেলাপোকা টাইপ মনে করে,আর ভোট প্রাপ্তির খাতিরে এদের লেজুড়বৃত্তি করা বৃহৎ ডানপন্থী দল বি এন পির এইসব নিয়ে কোনপ্রকার মাথা ব্যাথা আছে বলে মনে হয় না( বি ন পির চুড়ান্ত অধপতনের আগেও নি এন পি সেক্যুলার দল ছিল না)।
কাজেই হিন্দু সম্প্রদায় যদি লীগ কে না ভোট না দিয়ে পাইকারীহারে বি এন পি কে ভোট দেয়, তবু ডানপন্থীদের কাছে এরা ২য় শ্রেনীর মানুষ হিসাবে গন্য হবে, কারন এটাই যে ধর্ম গ্রন্থগুলাই তাদের এইসব শিখিয়েছে( আর যেহেতু বর্তমানে অন্য ধর্মগুলো প্রায় নির্বিষ হয়ে পরেছে আর ইসলাম সবেগে বিষ সংক্রমন করে চলেছে, কাজেই ইসলামের সমালোচনা এখন অনেক বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক)।
কাজেই কারো কাছে ২য় শ্রেণির মানুষ এবং এদের মধ্যে এক্সট্রিম পার্টের কাছে তেলাপোকার মর্যাদা পাওয়া হিন্দুরা নির্যাতিত হতেই থাকবে যদি না সামাজিক ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়। তবে অন্য ধর্মাবলম্বীদের তুলনায় হিন্দু নির্যাতনের হার আশঙ্কাজনক হারে বেশি, এর কারন হল ধর্মদ্বারা দূষিত রাজনীতি, এবং অবশ্যই বিজাতীয় বিদ্বেষ।
@অর্ফিউস, আমি এই ৮-৯% কে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছি না। কারণ মোল্লারা প্রায় সব বিএনপি জামাতের সমর্থক। সে হিসেবে বিএনপি জামাতও বাড়তি সুবিধা লাভ করে।
যাই হোক, এ আমার ব্যাক্তিগত ধারণা। বিশেষজ্ঞরাই বরং ভাল বলতে পারবেন। 🙂
@আদিল মাহমুদ, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমাকে অনুপ্রেরণা দেবার জন্য।
@আদিল ভাই,
হজরত যাকির নায়েক আঃ হল সেরকম একজন ব্যক্তিত্ব জিনি কিনা তরুনদের মগজ ধোলাই থেকে শুরু করে বুড়াদেরগুলাও ধোলাই শুরু করেছেন।
রক স্টারদের নবীন রা পছন্দ করেন, কিন্তু হযরত যাকির নায়েক এমনই জনপ্রিয় রকস্টার যে ইনার মায়ের দা নানীর বয়সী বুড়িরাও এই লোকের ভক্ত। পিস ( piece :P) টিভিতে যে কি মধু আছে যার জন্য পিস টিভি চলাকালীন মানুষ খাওয়া দাওয়া এমনকি মাঝে মাঝে ইফাতার করার কথাও ভুলে যায় এইটা আমার কাছে কোনদিন পরিষ্কার হয়নি।
আপনি কি ফেসবুকে জাকির বাবার ফ্যান ফেজ দেখছেন? রকস্টারদেরও কপালেও এতো ভক্ত জোটে না।
এরে দেখলে আমার মাঝে মাঝে মনে হয় যে কেন মানুষ সঙ্গীত চর্চা করে, খেলাধুলা করে! এইসব না করে হুজুরবৃত্তি গ্রহন করলেই পারে ( সবাই না যারা নামের আশা করে) । এতে নাম আর লাভ দুইটাই আছে।
পড়েন, কিন্তু হযরত যাকির নায়েক এমনই জনপ্রিয় রকস্টার যে ইনার মায়ের বা নানীর বয়সী বুড়িরাও এই লোকের ভক্ত।
ধন্যবাদ। অনেক বস্তুনিষ্ঠ লেখা। নিরন্তর শুভকামনা রইলো।
@মুমু, আপনাকে ধন্যবাদ।
আসলে শুধু ইসলাম একা না, দুনিয়ার সব ধর্মই সহিংসতা আর অমানবিকতার শুধু যে সমর্থনই করে তা নয় বরং এগুলোর ( সহিংসতা) অন্যতম ইন্ধনদানকারী
@অর্ফিউস, আপনার কথা ঠিক। তবে ইসলাম এ ব্যপারে এগিয়ে। আর আমি বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া হিন্দুদের উপর সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনাগুলোর কথা বলছি। এক্ষেত্রে অন্য কোনো ধর্ম দায়ী নয়।
মুক্তমনায় স্বাগতম। লেখার ব্যাপারে কিছু বলার নাই আপনার লেখায় সবসময় প্রাধান্য পায় যুক্তি।
আশাকরি এবার থেকে মুক্তমনায় নিয়মিত পাবো। আনন্দম। (F) (F) (F)
@রতন কুমার সাহা রায়, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমাকে অনুপ্রেরণা দেবার জন্য।
:-Y :-Y :-Y কি করতে ইচ্ছা করতেছে বললাম না। কারন আমি একা এটা করতে পারিনা , পারবনা । কোনভাবেই সম্ভব না শুধুমাত্র একটা জিনিস ই পারে, বিজ্ঞান সচেতননা। Yes ~! Science Can Change Those Funky Things. :clap Thanks @Lux Sir.
@সমীর, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
এই সব টেম্পপ্ল্যাট কোরান থেকে কপি পেষ্ট করা হয়েছে, লুক্স নিজে লিখে নাই। সারা বিশ্বটাকে অশান্ত করে রাখা রয়েছে এই আয়াত গুলো দিয়ে দেড় হাজার বছর ধরে। যে কারনে অনেকের কাছে পরিচিত আর পুরানো মনে হচ্ছে। এই আয়াত গুলোর বিরুদ্ধে কথা বলে বলে এই আয়াত গুলোকে কোরান থেকে মুছে দিতে হবে। নাস্তিকদের যৌক্তিক লেখার সমালোচনা না করে, খুত না ধরে, ধর্মান্ধতা আর ধর্ম ব্যবসার বিরুদ্ধে কথা বলা উচিত।
@ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা, আপনাকে ধন্যবাদ।
@ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা,
মনে হয় না কোরান থেকে আয়াত কেউ মুছে ফেলতে রাজী হবে। তারচেয়ে বরং কেউ যদি এইগুলো কোরানে রেখেই অন্য রকম ব্যখ্যা দিয়ে, এমনকি ইসলাম বা কোরানে এইসব নাই এইসব কথাবার্তা মনে প্রানে বিশ্বাস করে ঝামেলা এড়িয়ে চলতে চায় তবে চলতে দেয়া উচিত বলেই মনে করি।
বাইবেলেও অনেক বিটকেলে ভার্স আছে,অসম্ভব রকমের বাজে এবং রগরগে ( উদাহরন দেবার আপাতত দরকার দেখছি না আগে অনেকবার অনেকেই দিয়েছেন, আমি নিজেও ভার্সগুলো কপি পেস্ট মেরেছি, তবে judges 21 পুরা চ্যাপ্টারতা পড়তে পারেন, তাহলেই আর বাইবেল পড়ার ইচ্ছা হবে না) । খ্রিস্টানরা হয় এইসবের নতুন ব্যখ্যা করে নিয়ে এইসব মানা বন্ধ করেছে, অথবা ধর্ম মানাই ছেড়ে দিয়েছে অনেকে।দুটো পদ্ধতিই প্রায় সমান কার্যকর।
কাজেই এই জিনিস গুলো যা নিয়ে আগেও এই মুক্ত মনাতেই খুবই বেশি রকম কচলাকচলি হয়েছে, এবং তিতা আকার ধারন করেছে, সেখানে এই সব জিনিস নিয়ে নতুন করে পুরানো ধারার কচলাকচলি ফিরিয়ে না এনে নতুন দিকে কচলানো শুরু করা দরকার ( সবচেয়ে ভাল হয় লেবুটাকে আর বেশি না কচলালে, তবে এটা অনেকেই কান দেবেন না তাই নতুন টাইপে কচলানোই সই), পুরোনো জিনিস নতুন মোড়কে দিলে ব্যাপারটার মধ্যে আসলে নতুনত্ব কিছু থাকে না, অনেক ক্ষেত্রেই খেলো হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে যারা পুরোনো লেখাগুলি পড়েনি তাদেরকে সেগুলো পড়ানো যেতে পারে।
অনর্থক পুরাতন জিনিস যেগুলো প্রায় হুবহু অন্যআগের জিনিস গুলির নকল করা এবং ঈষৎ রদবদল করে নতুন করে লেখার আকারে দিলে তিক্ততা বাড়ানো ছাড়া বিশেষ কোন কাজে দেবে না বলেই আমার বিশ্বাস।
যাইহোক আমাদের চিন্তাভাবনা মিলতেই হবে এমন দাবী কখনও করব না, তবে একটু ভেবে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি, আর কোরানের আয়াত মুছে ফেলার অদ্ভুত দাবীর অযৌক্তিকতা নিয়েও একটু ভাবার অনুরোধ জানাচ্ছি।
কোরানের ( প্রচলিত ভার্সন) আয়াত না মানলেই চলে, এর আয়াতকে বর্তমানে মুছে ফেলা আর ধর্মটিকেই মুছে ফেলা প্রায় এক কথা। আর ধর্ম নামক জিনিসকে মুছে ফেলা যায় না, বড়জোর এটার কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়া যায়। সেখানে কিছু কথাবার্তা যেগুলোকে মুসলিমরা উস্কানীমুলক ধরে নিয়ে হয়ত লেখাগুলি পড়বেই না, তেমন কথাবার্তা না বলাই কি একদিক দিয়ে ভাল নয়?
পড়ুন, অনর্থক নতুন মোড়কে পুরাতন জিনিস
মনে হচ্ছে ইদানিং ব্লগেরও টেমপ্ল্যাট আগে থেকেই করা থাকে – একটু এদিক ওদিক করে কেউ কেউ ছাপিয়ে দেয়……
সমসাময়িক সাম্প্রদায়িক হামলাগুলো কারা চালিয়েছে এবং কেন চালিয়েছে এ সম্পর্কে কোন ধারনা আছে আপনার ?? যদিও প্রবাসী – গুগল তো আছে – ফার্স্ট হ্যান্ড না পারলে অন্তত ডেস্ক রিসার্চতো করতে পারেন অন্তত কিছু দেওয়ার আগে……
এখানে আর লিঙ্ক দেওয়ার সময় নষ্ট করছিনা।
@সংবাদিকা, আপনার প্রশ্নের উত্তর দিয়েই আমি লেখাটা শুরু করেছিলাম, যে আমি এ বিষয়ে রাজনৈতিক আলোচনায় যাবো না। আপনি সেটা না দেখার ভান করে কমেন্ট করেছেন। প্রবাসী বলে দেশের অবস্থা যদি নাই জানি, তাহলে দেশকে নিয়ে এত বছর লিখছি কিভাবে? আর ”টেমপ্ল্যাট আগে থেকেই করা” কারন, ইসলামের সহিংসতা হাজার বছরের পুরোনো, তা নিশ্চয়ই আপনিও জানেন।
@সংবাদিকা,
কোরানের নোতুন কোন টেমপ্ল্যাট বাজারে আসছে নাকি? জানাইলে কৃতার্থ হইতাম কারণ আমার জানামতে লুক্স ভাই এইগুলা কোরান থাইকাই নিছে যেমন আর সবাই নিই।সমসাময়িক সাম্প্রদায়িক হামলাগুলো কারা চালিয়েছে এবং কেন চালিয়েছে এ সম্পর্কে আপনার ধারনাটা কিন্তু জানতে পারলাম না? আশারাখি জানাবেন। কেন প্রবাসে কি সমস্যা ? প্রবাসীদের কি লিখতে নাই? উনি ডেস্ক রিসার্চ করেনি তার কোন যৌক্তিক প্রমাণত আপনি দিলেন না? মুক্তমনায় সমালচনা হয় যুক্তির নিরিখে, কে প্রবাসী আর কে নয় তা দিয়ে নয়।আর বাংলাদেশে বসে যদি এই ধরনের লেখা স্বনামে লেখে তাহলে তাঁর জীবিত থাকার নিরাপত্তা কে দেবে? ভালো থাকুন।
@রতন কুমার সাহা রায়, আপনাকে ধন্যবাদ। :hahahee:
@রতন কুমার সাহা রায়,
সমসাময়িক বলতে জানুয়ারী ২০১৪ বোঝানো হচ্ছে – পত্রিকা-খবরের কি খবর রাখেন না ??? এর আগে অন্য একটি লেখায় লিঙ্ক দিয়েছি – কষ্ট করে দেখে নেবেন। কিংবা কেউ জানলে তার থেকে জেনে নেবেন।
বোঝাই যাচ্ছে – কি ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন। আমার লেখায় আমি এমন কিছু বলিনি। আপনি যা দাবি করতে চেয়েছেন যে “আমি ইঙ্গিত করেছি” আমি এমন কিছুই বলিনি – খামাখা বাম হাত ঢুকাতে চাচ্ছেন!!
উনি নিজেই বলছেন তার লেখা সমসাময়িক সাম্প্রদায়িক আক্রমণ নিয়ে আবার এ সম্পর্কে আলোচনা করতেও আগ্রহী নন – সেলফ কন্ট্রাডিকটরি হয়ে গেলনা ??
এটাই আমি বলতে চেয়েছি – লেখক আলোচনা করছেন সাম্প্রতিক বিষয়ে কিন্তু এর আশে পাশের কিছু টানতে নারাজ।
ভালো থাকুন।
@সংবাদিকা, আপনার কি মনে হয় যে এগুলু অন্য কোন কারনে ঘটেছে? আমার কাছে এই ঘটনাগুলু খুবই স্বাভাবিক মনে হয়েছে। কারণ কোন ধর্মই অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে শেখায় না । যতদিন যুক্তিহিন ধর্মগুলু থকবে, মানুষ সুশিক্ষিত না হবে, বিজ্ঞান না জানবে ততদিন এই ধর্মীয় সহিংসতা বজায় থাকবে।
ফেলো মুসলিম ব্রাদারদের কাছ থেকে এই ঘ্যানর ঘ্যানর গুলা শুনতে শুনতে একরকম বিরক্তই !
@রিফাত, আপনাকে ধন্যবাদ।
পুরুষদের প্রতি হার্শ হওয়া যায় গলা খানি নামিয়ে দিয়ে। আর নারীদের প্রতি কিভাবে হার্শ হতে হয় তা মুমিনেরা ভালো করেই জানে!!!
@অগ্নি, আরো অনেক আয়াত আছে, সময় মতো সেগুলো নিয়েও লেখা যাবে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ইসলাম নাকি ভয় দেখায় না; কিন্তু কোরআন দেখায়। কাছের বন্ধুরা হয়তো আপনার প্রতি সহিংস হবে না; কিন্তু সেই কোরআনের আয়াত থেকে শাস্তির ভয় দেখাতে ভুলবে না।
আল্লার আর দোজগের ভয় দেখানো কিন্তু এক ধরনের অপরাধ; যেমন অপরাধ কোন সন্ত্রাসীর নামে ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করা। আল্লা যদি এতই ভালো প্রাণী হতেন তবে সবাই তাকে এমনিতেই ভয় পেত; গুটিবাজি করে অথবা কোরআন রচনা করে ভয় দেখানো লাগতো না।
আমরা বাবা-মা বা সম্পর্কে-বয়সে বড়দের এমনিতেই ভয় পাই; সেই ভয় আসে সম্মান থেকে। আরেক ধরনের প্রাণী ভয় পাই; যাদের হিংস্র প্রাণী বলা হয় তাদের।
কোরআন যদি আল্লা নামক প্রানির লেখা হয়ে থাকে; তবে তা অবশ্যই কোন দয়ালু বা শান্ত স্বভাবের প্রানির লেখা নয়। তাকে আস্তিকরা ভয় পায় বা সম্মান দেয়ার ভাব দেখায় যেমন আমরা দেখাই কোন নিকৃষ্ট সন্ত্রাসীর ক্ষেত্রে।
ইসলাম সহিংসতায় বিশ্বাস করে না কথাটা আর সানি লিওন এখনো ভার্জিন কথাটার মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য আছে কি ???
মুক্তমনায় স্বাগতম লুক্স ভাই 🙂
বেশী বেশী লেখা চাই 🙂
@এম এস নিলয়, ইসলাম যদি সহিংসতায় বিশ্বাস না করতো তাহলে আজ পৃথিবী থেকে অনেক সমস্যাই কমে যেত। মানুষকে এতটাই প্রভাবিত করে রেখেছে যে নারীরা আজ যৌন জিহাদ করতে যেত না। বেহেশতের লোভে সবাই মত্ত। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। 🙂
বিধাতাদ্রোহী লুক্স :guru: :guru: :guru:
@দিগ্বিজয় শুভ, 😀 ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
মুক্তমনায় স্বাগতম লুক্স। আপনাদের দু’জনকে মুক্তমনায় দেখে খুব ভালো লাগছে। এই বিষয়ে অনেকদিন কোনো লেখা আসেনি মুক্তমনায়। শান্তির বাণীগুলোতে আবরণ পড়ে গিয়েছিল অনেকটা। ধন্যবাদ লেখাটির জন্য। নিয়মিত লিখুন। (F) (F)
@তামান্না ঝুমু, অনেক ধন্যবাদ। আর অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো। (F)
আপনাকে ফেসবুকে যেমন নিয়মিত দেখি এখানেও নিয়মিত আশা করি।
ধর্ম হচ্ছে শাঁখের করাতের মতো। আগারটাও খাব, তলারটাও কুড়াবো। সেজন্যই আমি বলি – ধর্ম এবং ধর্মগ্রন্থের একটা বড় সমস্যা হল এর ভাল ভাল বানীগুলো থেকে ভালমানুষ হবার অনুপ্রেরণা পায় কেউ, আবার সন্ত্রাসবাদীরা একই ধর্মগ্রন্থের ভায়োলেন্ট ভার্সগুলো থেকে অনুপ্রেরণা পায় সন্ত্রাসী হবার। সেজন্যই তো ধর্মগ্রন্থগুলো –একেকটি ট্রোজান হর্স – ছদ্মবেশী ভাইরাস! এই জন্যই একই ধর্মগ্রন্থ পাঠ করে ইহুদী নাসারাদের সাথে যুদ্ধ করার লক্ষ্যে ‘বিন লাদেন’ হয়ে যায়, আবার কেউ বা পরিণত হয় সুফি সাধকে।
যে মুমিন বান্দারা বাটি চালান দিয়ে দুই চারটা শান্তির হাদিস আর কোরানের আয়াত উপস্থাপন করছে, তার চেয়ে ঢের বেশি পাওয়া যায় ভায়োলেন্ট আয়াত ও হাদিস। এই যে ধরেন, অমুসলিমদের সাথে কিরকম ব্যবহার করতে হবে, তার পরিষ্কার উল্লেখ কোরানে আছে –
এখন কেউ যদি উপরের এই আয়াতের মহিমায় উদ্বুদ্ধ হয়ে অমুসলিমদের বন্ধু হিসেবে না গ্রহণ করেন তাইলে কাকে দোষ দেয়া যায়, বলেন তো?
কিংবা কি বলবেন, কেউ যদি সুরা আল বাকারা থেকে আয়াত তুলে দেখায় –
অথবা সুরা আন নিসা থেকে উদ্ধৃত করা যাক –
যারা কোরান আগাগোড়া পড়েছেন তারা সকলেই জানেন, পবিত্র কোরানের বেশ অনেকটা জুড়েই রয়েছে উত্তেজক নির্দেশাবলী। ভায়োলেন্ট আয়াতের কিছু কিছু তো আপনিই লেখায় উল্লেখ করেছেন। কিন্তু এগুলো উল্লেখ করলেই বিশ্বাসী মুমিন বান্দারা বলতে শুরু করেন – ওগুলো নাকি যুদ্ধের সময় প্রযোজ্য, এমনিতে নয়। এমনিতে হচ্ছে শান্তির ফুরফুরা আয়াতগুলো, যেগুলো এমনিতে চিপা চুপায় দীন হীন ভাবে পড়ে থাকে, কিন্তু সন্ত্রাস বা হামলার ঘটনা ঘটলেই ঢাল হিসেবে সামনে চলে আসে।
এখন, মুশকিল হচ্ছে কোনটা যুদ্ধের প্রেক্ষাপট আর কোনটা নয় সেটা কেউ পরিষ্কার করেনি। বিন লাদেনের মত লোকেরা জীবনটাকেই যুদ্ধক্ষেত্র ভেবে নিয়েছে। কাফিরদের বিরুদ্ধে চলমান তাদের যুদ্ধ। এই যে নাফিস নামের ছেলেটা আমেরিকায় পড়তে গিয়ে ফেডারেল ভবন উড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন, তিনি জিহাদ করাকে নিজের ‘কর্তব্য’ মনে করেছেন, আমেরিকাকে ‘দার আল-হারব’ হিসেবে দেখেছেন, এবং আমেরিকার মুসলিমদের বলেছেন ‘তালাফি’। তিনি কি ভাবে তিনি বিন লাদেনকে প্রাণপ্রিয় নেতা মনে করেছেন, ইয়েমেনে নিহত আলকায়েদা নেতা আনোয়ার আল আওলাকির ভিডিও লেকচারগুলো তাকে উদ্বুদ্ধ করেছে – এ সবকিছু আমাকে ব্যথিত এবং উদ্বিগ্ন করে তুলেছিল। নাফিসের মত বিশ্বাস-নির্ভর যুবকেরা যেন একেক জন টাইম-বোমা। অনেক সময়ই তারা ধর্ম থেকে অনুপ্রেরণা পায় কিন্তু। প্রায় সব জিহাদিরাই মনে করেন যতদিন পর্যন্ত কাফির রাষ্ট্রগুলো ইসলামের পতাকা-তলে না আসছে ততদিন এ সমস্ত দেশগুলোকে ‘দার আল-হারব’ বা ‘যুদ্ধক্ষেত্র’ হিসেবে দেখতে হবে। শুধু মুসলিমদের নয়, ইসলামে ধর্মান্তরিত কাফিরদের জন্যও এ কথা প্রযোজ্য। এপ্রসঙ্গে বিখ্যাত ইসলামী গবেষক আনোয়ার সাইখ লিখেছেন,
জিহাদ সম্বন্ধে গাজ্জালীর বাণী ছিল –
উদ্ধৃতি দেয়া যায় মুসলিম পণ্ডিত এবং ইতিহাসবিদ ইবনে খালদুনের ‘মুকাদ্দিমা’ থেকেও –
এই সমস্ত প্যারাসাইটিক ধারনা দিয়ে কিছুটা হলেও যে মানুষেরা সম্মোহিত হচ্ছে, সেটাই সেটাই আশঙ্কার কথা। হিন্দুদের উপর যখন আক্রমণ শুরু হল, বাশের কেল্লাও কোরানের আয়াত উল্লেখ করে ফতোয়া দিয়েছিল হিন্দু বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া জায়েজ আছে। পরে অবশ্য ভোল্পাল্টিয়ে তারাই আবার সেজে গেল শান্তির সফেদ দূত। জামায়াতও দেখলাম গতকাল সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন বন্ধের ডাক দিয়েছে, আন্তর্জাতিক সহায়তা কামনা করছে।
কি বুঝলেন? এখন বললেই তো বুইলবেন যে বুইলতেসে …
আর বাই দ্য ওয়ে, মুক্তমনায় স্বাগতম। এতদিন ফেসবুকে দেখতাম, এখন ব্লগেও নিয়মিত দেখার আশা করি।
@অভিজিৎ, ধন্যবাদ, অভিজিৎ দা। আপনার উৎসাহের কারনেই আজ এ পর্যন্ত আসা।
@অভিজিৎদা, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমাকে অনুপ্রেরণা দেবার জন্য।