২০৫১ সনে হিন্দুদের সংখ্যা ১৯৭৪ সনে যা ছিল তাই হতে পারে
বাংলাদেশে সমগ্র জনসংখ্যার তুলনায় হিন্দু সংখ্যার আনুপাতিক অবস্থান ক্রমাগতই নিম্নমুখী হচ্ছে সেটা এতদিনে আমরা সবাই জানি। সাধারণ ভাবে বলা যায় যে এই অবক্ষয়ের প্রক্রিয়াটি ১৯৪৭ সনের দেশভাগের ও পরবর্তীকালের সরকারদের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিত না করার পরিণতি। অন্যাদিকে ভারতে বিজেপি ও অন্যান্য চরমপন্থী দলের উপস্থিতি সত্ত্বেও মুসলিম জনসংখ্যার আনুপাতিক হার ১৯৫১ সনের ১০% থেকে ২০১১ সনে ১৪% এ উঠে এসেছে। ঐ একই পর্যায়কালে (১৯৫১-২০১১) বাংলাদেশে হিন্দুদের শতকরা অংশ ২২ থেকে কমে হয়েছে ৮.৫, আর পাকিস্তানে আরো প্রকটভাবে ১৯৪৭ সনের ২০ থেকে ২৫% হিন্দু-শিখ জনসংখ্যা কমতে কমতে এখন ২%এর নিচে নেমে আসেছে।
এই লেখাটিতে বাংলাদেশের ক্রম-নিম্নগামী হিন্দু জনসংখ্যাকে একটি খুবই সাধারণ গাণিতিক সমীকরণ বা বক্ররেখা দিয়ে দিয়ে মিলিয়ে (বা fit করে) ভবিষ্যতে তার সংখ্যাটা কততে গিয়ে দাঁড়াবে তার একটা হিসাব করা হয়েছে। এই পদ্ধতির পদ্ধতিগত কোন বিশুদ্ধতা দাবি করছি না – সংখ্যাগুলোর যথাযথতায় কিছু বিচ্যুতি থাকতে পারে, তবে মোটা দাগে দেখলে এই লেখার ভাবিকথন বাস্তবতা থেকে খুব দূরে হবে না। আর একটি ব্যাপার – এই গণনায় অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘু বা আদিবাসীদের ভবিষ্যত ধরা হয় নি, তাদের সংখ্যাগুলোও এই অবক্ষয় প্রক্রিয়ার অংশ। এই লেখায় কোন গভীর সামাজিক বা রাজনৈতিক বিশ্লেষণের চেষ্টা করা হয় নি।
১ নম্বর টেবিলে ১৯৫১ থেকে ২০১১ পর্যন্ত জরীপের নম্বরগুলো দেখানো হল। চার নম্বর কলাম বা স্তম্ভ থেকে হিন্দু জনসংখ্যার ক্রমান্বয় আনুপাতিক ক্ষয়িষ্ণুতা খুব স্পষ্টভাবেই বোঝা যাচ্ছে। সাথে সাথে তিন নম্বর কলাম থেকে ২০১১ নাগাদ এই সমগ্র জনগোষ্ঠী যে সংখ্যাগত ভাবে আর বৃদ্ধি পাচ্ছে না সেটারও একটা ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
টেবিল ১. সমগ্র জনসংখ্যা, হিন্দু জনসংখ্যা ও হিন্দু আনুপাতিক শতকরা জনসংখ্যা (মিলিয়ন এককে)
বছর | সমগ্র জনসংখ্যা | হিন্দু জনসংখ্যা | হিন্দু আনুপাতিক জনসংখ্যা |
১৯৫১ | ৪১.৯৩ | ৯.২২ | ২২ |
১৯৬১ | ৫০.৯৫ | ৯.৪২ | ১৮.৫ |
১৯৭৪ | ৭০.৮৮ | ৯.৫৭ | ১৩.৫ |
১৯৮১ | ৮৪.৭৬ | ১০.২৮ | ১২.১ |
১৯৯১ | ১০৯.৯ | ১২.৭৭ | ১১.৬ |
২০০১ | ১৩৪.৭ | ১২.৯৩ | ৯.৬ |
২০১১ | ১৫২.৯ | ১২.৯৯ | ৮.৫ |
এবার আমরা জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বের করব। ১৯৫১ থেজে ২০১১ পর্যন্ত সমগ্র জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার হল ৪.৪%, অথচ এই সময়ে হিন্দু জনসংখ্যার বৃদ্ধিহার হচ্ছে মাত্র ০.৭%।
টেবিল ২. জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার
পর্যায় কাল | সমগ্র জনগোষ্ঠী | হিন্দু জনগোষ্ঠী |
১৯৫১ – ২০১১ | ৪.৪% | ০.৭% |
ওপরের সারণীর পর্যায়কালটিকে আরো ক্ষুদ্র অংশে ভাগ করে দেখলে হিন্দু জনগোষ্ঠীর বৃদ্ধি হার যে কতখানি মুখ থুবড়ে পড়েছে সেটা আরো স্পষ্ট হয়।
টেবিল ৩. জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার
পর্যায় কাল | সমগ্র জনগোষ্ঠী | হিন্দু জনগোষ্ঠী |
১৯৭৪-১৯৮১ | ২.৮% | ১.০৬% |
১৯৮১-১৯৯১ | ৩.০% | ২.৪২% |
১৯৯১-২০০১ | ২.২৫% | ০.১২% |
২০০১-২০১১ | ১.৩৫% | ০.০৫% |
২০০১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত হিন্দু জনগোষ্ঠী ০.০৫% মত নিতান্তই দুর্বল একটা হার নিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে, বলতে গেলে ১৯৯১ থেকেই মনে হয় এই গোষ্ঠীর বৃদ্ধিতে একটা বড় ব্রেক কষা হয়েছে। ১ নং টেবিলের ৪ নং স্তম্ভের ক্রমান্বয় পতনকে যদি একটা গাণিতিক সূচক (power) রেখা দিয়ে মেলানো (fit) যায় তবে আমরা নিচের টেবিলের নিম্নভূমি নম্বরগুলো পাব।
টেবিল ৪. আগামীতে সমগ্র জনসংখ্যার তুলনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের আনুপাতিক মান
বছর | আনুপাতিক শতকরা মান |
২০২১ | ৬.৩ |
২০৩১ | ৫.৩ |
২০৪১ | ৪.৪ |
২০৫১ | ৩.৭ |
২০৬১ | ১.৫ |
এবার আমরা ভবিষ্যতের দুটি বছরকে লক্ষ করি। একট ২০৩১, অপরটি ২০৫১। ২০১১র বাংলাদেশের জনসংখ্যাকে ভিত্তি করে ও বর্তমানের আনুমানিক ১.৩৫% বৃদ্ধির হার ধরে নিয়ে হিসাব করলে ২০২১ সালের জনসংখ্যা হবে ২০০ মিলিয়ন বা ২০ কোটি এবং ২০৫১ সনে হবে ২৬১.৪ মিলিয়ন বা ২৬ কোটির কিছু ওপরে। অবশ্য দেশের জনসংখ্যা ২৫০ মিলিয়নে স্থিত হতে পারে এরকমও একটা মতামত আছে, তবে সেই আলোচনাটা আর এক দিনের জন্য তোলা থাকল।
টেবিল ৪’র নম্বরগুলো ব্যবহার করলে ২০৩১য়ে হিন্দু জনসংখ্যা হবে ১০.৬ মিলিয়ন ও ২০৫১তে হবে ৯.৬৭ মিলিয়ন। অর্থাৎ ২০৫১তে সংখ্যাগত ভাবে হিন্দুদের পরিমাণ ১৯৭৪ সনে যা ছিল তাই হবে। এর মানে হল সংখ্যাবৃদ্ধির হার হবে ঋণাত্মক। খুবই মোটা দাগের একটা হিসাবে বলা যেতে পারে ২০১১ থেকে ২০৫১ পর্যন্ত বৃদ্ধির হার হবে -০.৬৪%।
টেবিল ৫. ভবিষ্যৎ জনসংখ্যা (মিলিয়ন হিসাবে)
বছর | সমগ্র জনসংখ্যা | হিন্দু জনসংখ্যা | বৃদ্ধির হার |
২০১১ | ১৫২.৯ | ১২.৯৯ | +০.০৫% |
২০৩১ | ২০০.০ | ১০.৬০ | -০.৯২% |
২০৫১ | ২৬১.৪ | ৯.৬৭ | -০.৪৪% |
অনেক শিল্পোন্নত দেশের জনসংখ্যার কম প্রবৃদ্ধির কম, অনেক ক্ষেত্রে সেটা ঋণাত্মক। স্কান্ডানেভীয় দেশগুলোতে এই বৃদ্ধির হার ০.৫ থেকে ০.৭%, জাপানে – (নেগাটিভ) ০.২%। কিন্তু বাংলাদেশের হিন্দু সমাজ নিঃসন্দেহে এই ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত নয় ।
কয়েক বছর আগেও আমি বিশ্বাস করতাম যে যদিও হিন্দু জনগোষ্ঠীর আনুপাতিক হার কমছে কিন্তু তাদের সংখ্যা কম হার হলেও বাড়ছে। এবং ভবিষ্যতেও বাড়বে। কিন্তূ কার্যতঃ দেখা যাচ্ছে এই বৃদ্ধির হার ক্রমাগতই ঋণাত্মক মানের দিকে যাচ্ছে। আগামী ৪০ বছর হিন্দুদের সংখ্যা ২০১১ সনের সর্বোচ্চ ১৩ মিলিয়ন থেকে ধীরে ধীরে ১০ মিলিয়নে পরিণত হবে। ২০৫১র পরে জনসংখ্যা সাংঘাতিক ভাবে কমে যাবে কিনা এখনো বোঝা যাচ্ছে না। কিন্তু কার্য্তঃ রাষ্ট্রের সমস্ত কাজে এই সমাজের কোন ভূমিকা থাকবে না। যদি বাংলাদেশ তার জনসংখ্যা ২৫০ মিলিয়ন স্থিতি করতে পারে, একটা সাধারণ হিসাবে ২১০১ সনে হিন্দু জনসংখ্যা ৩.৭৫ মিলিয়নে (৪০ লক্ষের নিচে) নেমে যেতে পারে।
চিন্তকদের মতে হিন্দু জনসংখ্যার এরকম নিম্নমুখী প্রক্রিয়ার কারণ বিবিধ। এর মধ্যে আছে (১) ভারতে ব্যাপক আকারে অভিবাসন, (২) বিভিন্ন কারণে পারিবারিক গঠনের অবক্ষয় এবং (৩) জরীপে হিন্দুদের ইচ্ছাকৃত ভাবে কম দেখানো।
তৃতীয় কারণটিকে নিয়ে আমি আপাততঃ কিছু বলছি না। সরকারি ভাবে যদি আদমশুমারীতে হিন্দুদের কম করে দেখানো হয় তবে এই লেখার সব বিশ্লেষণই বাতিল। আমি আপাততঃ জনগণনার প্রকাশিত সংখ্যাগুলোকে সঠিক বলে ধরে নিচ্ছি।
অনেকে বলেন ভারতে গমন নিতান্তই অর্থনৈতিক একটি পদক্ষেপ, সম্পত্তি নিয়ে কাড়াকাড়ি সারা পৃথিবীতেই আছে, তো বাংলাদেশে থাকবে না কেন, এর সঙ্গে ধর্মীয় বৈষম্য টেনে আনা কেন? সামাজিক ক্ষমতা কাঠামোয় ধর্মীয় ঐক্য যে এক ধরণের দল গঠন করতে পারে সেটা যেন তাঁরা দেখেন না। নরম গরম হুমকি, চাঁদা তোলা, পারিবারিক গঠনের ওপর জুলুম, সম্পত্তি ও জমি দখলে রাখা, আর তারপরে সম্পত্তি ও মন্দিরে আগুন ও লুট, এত কিছুর পরে সেই গোষ্ঠী চলে যাবার কথা তো ভাববেই। ক্ষমতার কেন্দ্রে তাদের কোন ভাগ নেই, বলার জন্য কেউ নেই।
বাংলাদেশের প্রতিটি হিন্দু পরিবার এক ধরণের হুমকির মুখে থাকে। আর এই তিনদিন আগে যশোরে একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটল। পরিবারটি ভিটে-মাটি ছেড়ে চলে গেল। থানা, পুলিশ, কোর্ট সেখানে যেন অসহায়। ওপরে যতই সমন্বয়ের কথা বলা হোক না কেন, কার্যক্ষেত্রে এসে কেউই আসলে সাহায্য করতে পারেন না। অর্পিত সম্পত্তি কেউ কি যথাযথ ভাবে ফেরত পেয়েছেন? কোর্ট ন্যায্য অধিকারীর কাছে সম্পত্তি হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছে, কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন দখলদারকে কেন যেন ওঠাতে পারেন না।
ভবিষ্যতের এই অবক্ষয় ধারাকে কি সামলানো যাবে? গতি জড়ত্বে যে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে তার কি আর শেষ আছে? উচ্চ হারে মাদ্রাসা শিক্ষা বোধহয় জনগণের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিভাজনকে আরো প্রকট করে তুলছে। বাংলায় ধর্ম সমন্বয়ের একটা syncretist ধারা বজায় ছিল, এর একটা প্রমাণ হল আমাদের বাউল ফকিরদের গানের মধ্যে দিয়ে। এই বাংলার বেশীরভাগ হিন্দু, মুসলমানের পূর্ব পুরুষ একই ছিল। হতে পারে ২০৫১ সনের উন্নত সমাজে যেমন সবার নাগরিক ও সম্পত্তি আধিকার বজায় হবে তেমনই একটা syncretist ধারা সবাইকে এক করবে। তবে ইতিহাসের পরিসংখ্যানের চাকা এই সব ভাল চিন্তার ধার ধারে না। মনে হয় আজ থেকে ৪০ বছর পরে এই ধরনের আলোচনার কোন অর্থ থাকবে না।
এই লেখার একটি দ্বিতীয় কিস্তি হলে ভাল হয়, আজকের ছবি ও তার বিশ্লেষণ।
মুক্তমনায় আমার উপস্থিতি খুব বেশি দিনের নয় তাই লিখাটি আমার পড়া হয়নি । বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ মনে হওয়ায় মতামত দিতে ইছে হলো । এ দেশে হিন্দু মুসলমানের মধে যে বিরোধ তার সৃষ্টি কবে থেকে, কি ভাবে, তা আমাদের কম বেশী প্রায় সবাই জানি যেখানে সাধারণ জনগণের কোন হাত ছিলোনা । অবিভক্ত ভারতে হিন্দু মুসলমানের শান্তিপূর্ণ সহবস্থানের হাজার বছরের উজ্জল ইতিহাস থাকার পরও স্বাধীন ভারতের রাষ্ট্র ক্ষমতার অধিকার নিয়ে সে সময়কার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে মতপার্থক্যই মুলত ৪৭এর দাঙ্গা এবং দেশবিভাগের অন্যতম কারণ ।
অবিভক্ত ভারতে পূর্ব বাঙলায় বসবাসকারী জনগণের মধ্যে শিক্ষায় ও সম্পদে সবচেয়ে বেশী সমৃদ্ধশালী ছিল হিন্দু সম্প্রদায় । সে সময় এই অঞ্চলের শিক্ষিত এবং বিত্তবান হিন্দু মুসলমানদের মুল কেন্দ্রবিন্দু ছিল কলকাতা শহর । দেশ বিভাগের পর স্বাভাবিক ভাবেই এই দেশের বেশীরভাগ শিক্ষিত ও ধনি হিন্দুরা স্বেচ্ছায় পাড়ি জমায় ভারতে । এ দেশে থেকে যায় শুধু দরিদ্র আর নিম্নবর্ণের হিন্দুরা এদের মধ্যে অল্পকিছু সংখ্যক যারা গেছেন তারা বাধ্য হয়েছিলেন সীমাহীন কষ্টের এক জীবনযাপনে ।
তখনকার পূর্ব পাকিস্তানে হিন্দু জনগণের উপর কিছু নির্যাতন ঘটেনি এমন নয় তাও আবার পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠির ইন্দনে, তাই মাঝে মাঝেই হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু কিছু পরিবারের দেশত্যাগ অব্যাহত ছিল । তবে নিম্নবর্ণের হিন্দুদের মধ্যে যেমন ধোপা, নাপিত, কামার, কুমর ও জেলে সম্প্রদায়ের লোকজন বেশ নিরাপদেই ছিলো, সেটি অবশ্য মুসলিমদের নিজ স্বার্থেই বলা চলে ।
অবিভক্ত ভারতে বর্ণ হিন্দু দ্বারা নিগৃহীত নিম্নবর্ণের বাঙ্গালী হিন্দু জনগোষ্ঠীর একটি বিরাট সংখ্যা আজ স্বাধীন বাংলাদেশে শিক্ষা, সম্পদ আর স্মমানের অধিকারী হয়েছে এটি অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই । শিক্ষা আর সম্পদের অধিকারী হওয়ার সাথে সাথে তাদের মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে সমাজ সচেতনতা তাই পরিবার হচ্ছে যথানিয়মে ছোট হিন্দু জনসংখ্যা রাসের এটাই অন্যতম কারণ ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা এ দেশে বর্তমানে বসবাসকারী বাঙ্গালী হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য স্রষ্টার এক বিশেষ উপহার । তাই নিজেদের সংখ্যালঘু ও দুর্বল ভাবা কখনও উচিৎ হবে না । মনে রাখতে হবে এই বাংলা আমাদের পূর্বপুরুষদের আমরা তাদের উত্তরাধিকারী ।
একটা কাজের জাতি, কাজের প্রয়োজনেই মৌলবাদি হয় না। আমেরিকানরা সারাদিন এত নানান কাজে ব্যস্ত-অধিকাংশই বিশ্বের খবর রাখে না।
মৌলবাদি মূলত তিন শ্রেনীর মানুষ
-ডাকাত গুন্ডা, পোষাকি নাম রাজনীতিবিদ, যারা মৌলবাদের সাহায্য নিয়ে হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করতে চায়ছে
– সরকারি কর্মী, শিক্ষক সম্প্রদায়, যাদের হাতে অনেক সময় আছে এই সব মৌলবাদি কাজ চালানোর জন্য। এখন জুটেছে আই টির কুলি গুলো-যারা দু ঘন্টার প্রোগ্রামিং করে জীবনধারনের টাকা তুলে নিচ্ছে।
-শিক্ষিত ছাত্র, বেকার সম্প্রদায় যারা এখনো কাজ পায় নি। ফলে নানা জায়গায় আদর্শবাদি প্রস্রাব করে বেড়াচ্ছে।
আমি অনেক হিন্দুত্ববাদি দেখেছি। কমিনিউস্ট ও দেখেছি। মোটামুটি একবার কাজ পেয়েগেলে, বিয়েশাদি করার পর-কারুর হাতেই আদর্শবাদের ঝান্ডা ধরার আর সময় থাকে না।
জেনারালি, কাজ পাওয়ার পর আদর্শবাদের ভূত একটু কমে।
বিয়ে করার পর বৌকে খুশি রাখতে আরো একটু কম সময় যায় আদর্শবাদের পেছনে।
ছেলে মেয়ে হওয়ার পর-কারুর এসবে সময় থাকে না। সবাই লাইনে আসে।
এটা আমার দেখা অভিজ্ঞতা।
@বিপ্লব পাল,
আপনার অবজার্ভেশনগুলি সম্ভবত ভারতীয় সমাজের প্রেক্ষাপটের। বাংলাদেশ বা মুসলমান সমাজে মৌলবাদী হওয়া এসব জেনারেলাইজড প্যাটার্নের ভেতর পড়বে এমন কথা নেই। জামাতের এক উল্লেখযোগ্য কোর সদস্যগন উচ্চ শিক্ষিত প্রফেশনাল শ্রেনীর যারা স্বামী স্ত্রী সহ সপরিবারে কাল্ট লাইফের মত চলে (তাদের ভাষায় দ্বীনের সেবা করে)। এছাড়া আগে আরো বহু উদাহরন দিয়েছি। অজামাতি, যাদের সাথে জামাতের দূরতম সম্পর্কও নেই তাদেরও অনেকে চরম মৌলবাদী দৃষ্টিভংগী পোষন করে, শুধু অভিনয় করে চেপে রাখার। বিদেশে চেপে রাখতে বাধ্য হয় কারন মৌলবাদী হলেও আবার বিদেশের লোভও ছাড়তে পারে না। এরা সকলে বোমাবাজি করতে যাবে না বলেই মৌলবাদী নয় বলা যায় না। এদের চেনার প্রাথমিক উপায় হল একই সাথে ইসলাম এসব সমর্থন করে না চেঁচানো এবং নাফিস জাতীয় ঘটনায় নানান রকমের ষড়যন্ত্র তত্ত্ব আবিষ্কার করে মত্ত থাকা।
শুধু কাজ কর্ম নেই, হতাশাময় জীবনের কারনে মৌলবাদী হয়ে যাচ্ছে এই প্যাটার্ন এসব ক্ষেত্রে পড়ে না। এ কারনে ভারতীয় মৌলবাদের চেয়ে এ ধরনের মৌলবাদ আরো অনেক বেশী দূশ্চিন্তার।
কোন সমস্যার সমাধান তখনই সম্ভব যখন সমস্যার গভীরতা চিহ্ণিত করা হয় এবং সমস্যা আছে বলে স্বীকার করা হয়। বাংলাদেশে বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের অস্তিত্বের যে সংকট বিগত এক শতাব্দী যাবৎ ক্রমশঃ কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে চলছে , তা স্বীকার করার মত উদারতা ১৫ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশে হাতে গোনা কিছু ব্যক্তি ব্যতীত কারও নেই। কেউ কেউ আবার সমস্যা আছে স্বীকার করেন কিন্তু সমস্যার মূলে যেতে চান না প্যান্ডোরার বাক্স খুলে পড়ার ভয়ে। তারা ভুল পক্ষকে দায়ী করে থাকেন অথবা কে দায়ী সে ব্যপারে নিশ্চুপ থাকেন যতক্ষণ না নিজের কোন স্বার্থে আঘাত আসে। এ ধরনের অস্বীকার করার প্রবণতা অত্যন্ত বিপজ্জনক।
দেশের ৯০% এরও বেশী জনসংখ্যা মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত হওয়ায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সমস্যা সম্পর্কে তারা লুকোচুরি খেলে দায়িত্ব এড়াবেন না বলেই আশা করি। এটা কোন রাজনৈতিক সমস্যা নয় , বরং এই সমস্যার বীজ বাংলাদেশের সমাজে বিগত এক হাজার বছর ধরে ধীরে ধীরে বেগবান হয়েছে – এই বাস্তবতা বাংলাদেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীকে স্বীকার করতে হবে। সমস্যা অস্বীকার করা কোন গ্রহনযোগ্য বিকল্প নয়।
@সংশপ্তক,
সার কথা এখানেই। অসাধারন সারমর্ম।
@সংশপ্তক, হ্যাঁ, ঠিকই। সমস্যা আছে এবং কি মাত্রায় আছে সেটা অনুধাবন না করলে আর সামনে কেমন করে এগোনো যাবে। নতুন মন্ত্রীসভায় হিন্দু নাম খুঁজলাম, আগে হলে খুঁজতাম না। আসলে যে কোন ভাবে অরক্ষিত সমাজকে শক্ত করে গড়ে তুলতে তাকে ভিত্তি দিতে হবে। বাংলাদেশে ক্ষমতার বিতরণে সেই দুর্বল সমাজের কোন ভাগ নেই। হিন্দু বা বৌদ্ধ বা আদিবাসী বা খ্রীষ্টান কেউ মন্ত্রী হলে যে রাজকার্য উদ্ধার হবে এমন নয়। হয়তো ঐ সব সমাজের কিছুই হবে না। কিন্তু প্রতীক ব্যাপারটিকে আমি অস্বীকার করতে পারি না। যেমন সংবিধানের শুরুতে আগে ছিল
বিস্মিল্লাহির-রহ্মানির রহিম
(দয়াময়, পরম দয়ালু, আল্লাহের নামে)
১৫তম সংশোধনীতেও তাই আছে। শুধু যোগ হয়েছে ঐ দুটো বাক্যের পরে
পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার নামে।
এটা হচ্ছে আওয়ামি লীগ সরকারের secular concession 🙂 । যাতে অন্যান্য ধর্মালম্বীরা – তা তারা এক ঈশ্বরেই বিশ্বাস করুক বা কোটি ঈশ্বরেই করুক – সংবিধানটা হাতে নয়ে শপথ করতে পারে। অন্যাদের কথা ছেড়েই দিলাম, আর রাষ্ট্র ধর্মের কথাও তো ছেড়েই দিলাম। এই সংবিধান কি আমার? সংবিধানও তো এক ধরণের প্রতীক।
@সংশপ্তক,
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ একথা ভুল; সাম্প্রতিক সময়গুলোতে অমুসলিমদের উপর নির্যাতনের হার বেড়ে চলেছে বলেই মনে হয়। আমি আপনার সাথে একমত যে এই সমস্যার জড় গভীরে।
যেহেতু অতীতে সংখ্যালঘু-নির্যাতনকারীদের তেমন কোন শাস্তি হয় নি, তাই নির্যাতনকারীরা বার বার এধরনের অপরাধ করার সাহস পাচ্ছে। এ ধারার পরিবর্তন আনতে অতীতের নির্যাতনের ঘটনাগুলোতে জড়িতদের এবং এর পেছনের শক্তিকে আইনের আওতায় আনা খুবই জরুরী। এজন্য ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক শক্তির সদিচ্ছা আর দৃঢ়তার প্রয়োজন। তবে, সার্বিকভাবে দেশে আইনের শাসনের বেশ অভাব রয়েছে; আইনের প্রয়োগ সবার জন্য সমান হলে এই অবস্থার উন্নতি হবে বলে আমি মনে করি। এছাড়া আমাদের স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও এর সুফল তুলে ধরে এমন সব গল্প, প্রবন্ধ বা সত্য ঘটনার অন্তর্ভুক্তি খুবই প্রয়োজন, যাতে করে অল্প বয়সেই শিক্ষার্থীরা বুঝতে শেখে যে অমুসলিমরাও আমাদের দেশ ও সমাজের সমান অংশীদার। তাদের শেখাতে হবে আমাদের শেকড় কোথায়; জানাতে হবে যে আমাদের পূর্বপুরুষদের বেশীরভাগই মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসেন নি, তাঁরা এ মাটিরই সন্তান এবং সনাতন ধর্মের অনুসারী ছিলেন। ধর্ম-বিশ্বাসের কারণে সনাতনধর্মীদের উপর যে অত্যাচার হচ্ছে তাতে আমাদের পূর্ব-পুরুষদের প্রতি অশ্রদ্ধাই প্রকাশ পাচ্ছে।
হাজার বছরের সমস্যা দূর হতে সময় লাগবে। ততদিনে দেশের হিন্দু জনগোষ্ঠীর অবস্থা ‘বিপন্ন’ থেকে ‘বিলুপ্ত’ না হয়ে গেলেই হয়। লেখক যা পরিসংখ্যান দিয়েছেন তাতে আশাবাদী হবার উপায় নেই, তবে আশা করতে দোষ নেই যে উনি ভুল প্রমাণিত হবেন !
নৌকায় ভোট পড়েনি? দাও হিন্দু পাড়ায় আগুন!
নৌকায় ভোট পড়েছে? দাও হিন্দু পাড়ায় আগুন!
সাঈদীকে চাদেঁ দেখা গেছে? দাও হিন্দু পাড়ায় আগুন!
হরতাল-অবরোধে জেহাদী জোশ চাই? দাও হিন্দু পাড়ায় আগুন!
— ক্ষমতা ও ভোটবাজীর এই ফ্যাসিবাদী সংস্কৃতি যতদিন টিকে থাকবে, ততোদিন ধর্মীয় সংখ্যালঘুর মুক্তি নেই। এটিই বোধহয় এখন নির্মম বাস্তব। 🙁
সমসাময়িক ভাবনার জন্য দীপেন দা’কে সাধুবাদ।
@বিপ্লব রহমান,
সহমত। ক্ষমতা ও ভোটবাজীর এই ফ্যাসিবাদী সংস্কৃতি বিলুপ্ত হলে সংখ্যালঘুদের সাময়িক মুক্তি মিলবে, কিন্তু সমাজের এই ৰ্ধমীয় বিভাজন রোধ করতে সাম্প্রদায়িক সমস্যার মূলে পরিবৰ্তন আনতে হবে।
@বিপ্লব রহমান, ধন্যবাদ। ফেসবুকে শাহজাদপুরে রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে আপনার ছবিটা ভাল লাগল।
আপনার ও তরিকের কথার সাথে সহমত। আরো দু-তিনটি ক্ষোভের কথা যুক্ত করলাম। ভোটবাজিটা ধর্মীয় বিভাজনের দুর্বলতাকে পুঁজি করে, সেটাকে অতিক্রম করতে এই সমাজের ভিত্তিভূমিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে। কিন্তু রাজনৈতিক ক্ষমতা সামান্যতম ছাড় দিতে নারাজ, আর তাদের ক্ষমতার ভিত্তিভূমি হচ্ছে আমাদের সমাজ। সেই সমাজের সমস্ত দুর্বলতার প্রতিভূই হচ্ছেই আজকের অচলাবস্থা। যে মানুষ পাঁচ বছরে তার সম্পদ ৩০০ গুণ বাড়াতে পারে, সে কি আমার অধিকারের দায় দায়িত্ব নেবে? যদি নিতে পারে তো খুব ভাল কথা। কিন্তু সে কি জামাত ও মাদ্রাসা শিক্ষার সুদূরপ্রসারী ঋণাত্মক ফলাফলকে জ্ঞানের আলোকে দেখবে, নাকি তার কলাগাছ ব্যবসাকে বজায় রাখতে যখন যা করার তখন তাই করবে?
@দীপেন ভট্টাচার্য,
খুব সময়োপযোগী লেখা। এমন লেখা দীপেনদার কাছে থেকেই আশা করেছিলাম। মুক্ত-মনায় অনেক দিন পর এসে লেখাটা পড়ে দীপেন দা’কে ধন্যবাদ না দিয়ে পারা গেলো না। আর যা লিখেছেন আমি তার সাথে সম্পুর্ণ
একমত। দুই’দেশের ভারত বাংলাদেশ সব কিছুই দেখছি তো। আমাদের মত ছাপোষা মানূষের কী করার আছে
বুঝতে না পেরে অসহায় লাগে। আপনার অনুমতি পেলে এই লেখটার লিঙ্ক কী ফেস বুকে দিবো? জবাবের অপেক্ষায় রইলাম।
লেখাটি ফ্যালাসিতে পরিপূর্ন – সামগ্রিক কতগুলো বিষয়ের কিছু কিছু নেওয়া হয়েছে আর কিছু কিছু চেপে যাওয়া হয়েছে…
@সংবাদিকা,
আপনাকে অধিকাংশ সময় দেখি এ জাতীয় দুই এক লাইন মন্তব্য করে নানান রকমের ইমো কিংবা “……… ” ব্যাবহার করে শেষ করে দিতে। বিস্তারিত কোন ব্যাখ্যা প্রায়ই দেন না। এভাবে আলোচনা হয় না। কোন অভিযোগ থাকলে তা ব্যাখ্যা ছাড়া দেওয়ার মানে নেই।
@আদিল মাহমুদ,
এক্সাকটলি। উনাকে প্রায়ই দেখি বিভিন্ন লেখায় একে ওকে উস্কে দিয়ে চলে যান। ফ্যালাসিতে পরিপূর্ন বললেই তো হয় না, এর উদাহরণ তো লাগবে।
@অভিজিৎ,
আমি যদি সত্যি আমার মন্তব্য দিয়ে আপনাদের মত অভিজ্ঞ এবং পাইওনিয়ার ব্লগারদের উস্কাতে পারি – তাহলে এটা আমি কমপ্লিমেন্ট হিসেবে নিলাম 🙂
@আদিল মাহমুদ,
ঠিকাছে, আমার আর্গুমেন্ট নিম্নে দিলাম –
আসলে এই লেখক অনেক সিনিয়র (বয়সে) মানুষ। এই ব্লগের পূর্ব অভিজ্ঞতায় বলে – এমন সিনিয়ররা যারা মাঝে মাঝে ব্লগে লেখেন তাঁরা কোন মন্তব্যর সামগ্রিক পাল্টা উত্তর দেন না। দিলেও দুয়েক লাইনে তাদের মত কিংবা দ্বিমত পোষণ করেন… এজন্য
@সংবাদিকা,
এটা খুব ভাল ব্যাখ্যা হল না। তেমন অভ্যাস কোন কোন ব্লগার আছে জানি যা যথেষ্ট বিরক্তিকর মানতে হবে। এই ভদ্রলোকের কথা আমি জানি না, উনি শেষ পোষ্ট দিয়েছিলেন দুই বছরেরও আগে। আপনাকে বেশ কিছু লেখাতেই এ জাতীয় কান্ড করতে দেখি।
তাছাড়া কোন আর্গুমেন্ট দেওয়া শুধু লেখকের জন্যই নয়, অন্য পাঠকদেরও রাইট থাকে তা জানার। মুক্তমনা বেশ সিরিয়াস ব্লগ, ফেসবুকিয় খোঁচাখুচি মজাকের জন্য আমরা এখানে আসি না।
@আদিল মাহমুদ,
আছে বৈকি 🙂
দুই-এক লাইনে মন্ত্যব্য হলেই যে কোন মানে থাকবেনা তা কি ??? ধরুন কেউ কোবতে লেখল সাধু-চলিত একাকার করে – আমি মন্ত্যব্য করলাম “লেখায় সাধু-চলিত মিশ্রণ” এর চেয়ে বেশি আর কি বলা যায়!!!
আপনাকে ধন্যবাদ 🙂
@সংবাদিকা,
এভাবে সোজাসাপ্টা অভিযোগ করাটা খুবই ভাল সন্দেহ নেই, তবে এটা করলে আপনার উপর একটা নৈতিক দায়িত্ব বর্তায় আর সেটা হল আপনার কথাটিকে প্রমান করা। প্রমান করার সময় আপনি কিন্তু ছোট থেকে অনেক বড় বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবেন, যেগুলোকে আপনার ডিফেণ্ড করতে হবে, প্রত্যেকটি চ্যালেঞ্জকে, না হলে ব্যাপারটা হাস্যকর হয়ে যাবে।
এই কথাটার জন্যেও উপরের কথাগুলো প্রযোজ্য আরো বেশি করে। যেহেতু লেখক পক্ষপাত দোষে দুষ্ট ( আপনার মন্তব্যে পরোক্ষ ভাবে এই দাবীটাই করা হয়েছে), কাজেই এটার প্রমাণও আপনাকে করতে হবে লেখকের প্রতিটি চেপে যাওয়া ঘটনাকে পাঠকদের সামনে তুলে ধরার মাধ্যমে। সেটা করতে ব্যর্থ হলে এইসব মন্তব্য করার গাএ আরেকটু সতর্ক থাকা খুবই দরকার বলে আমার মনে হয়। ধন্যবাদ।
পড়ুন, মন্তব্য করার আগে
@অর্ফিউস,
১. আমি এই লেখায় কেন দুই লাইনের মন্তব্য করেছিলাম এটা পূর্বে দ্রষ্টব্য।
২. আমি লেখকের ‘পক্ষপাত” বিষয়ে কিছুই বলিনি – আমি বলতে চেয়েছি এখানে তিনি সামগ্রিক অবস্থা হলিস্টিক্যালি আলোচনা করেননি। মনে করুন – ক, খ, গ কারণে শুধু “খ” নিয়ে আলোকপাত করেছেন।
১. লেখক এখানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে “কালচারাল” পরিবর্তন সম্পর্কে কোন ধরণের আলোকপাত করেননি। আমাদের দেশে সরকারী ভাবে অনেক বছর যাবত ফার্টিলিটি রেট কমানোর জন্য সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন মুভমেন্ট হয়ে আসছে (যেমন ফ্যামিলি প্ল্যানিং, কনডম ব্যবহার কিংবা বিভিন্ন স্থায়ী-অস্থায়ী কন্ট্রাসেপ্টিভ ব্যবহার). দেশের অনেক এলাকায় এটা অনেক মোটামুটি আশাব্যঞ্জক কার্যকর হয়েছে যেমন খুলনা অঞ্চল আবার অনেক এলাকায় আরেকটু কম ফল হয়েছে, যেমন চট্টগ্রামের কথা বলা যায়। লেখক এখানে আলোকপাত করেননি – ধর্ম কিংবা জাতি গত ভাবে এর ফলাফল কি কিংবা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে এই ফার্টিলিটি রেট এবং বার্থ রেট কমার হারই বা কতটুকু এবং সরকারের জন্ম নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত আন্দোলনের প্রভাব তথা সফলতাই বা কতটুকু ।
২. তাছাড়া সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে রিপ্রডাক্টিভ এজ গড় কত, জন্ম হার কেমন এসবও লেখক উল্লেখ করেননি – এবং এর পরিবর্তনের বিভিন্ন কারন কি কি হতে পারে। লেখক প্রি কন্সিভড একটি কারন (অস্বীকার করা যাবেনা এটাও অন্যতম কারন হতে পারে তবে প্রধান কারন নয়) ধরে এগিয়েছেন।
৩. ভারতে গমনের (অভিবাসন কিংবা নির্বাসন কিংবা কাজে গমন) ব্যাপারে কতজনের কারণ সাধারণ (যার মাঝে অন্যান্য ধর্মাবলম্বী মানুষও আছেন), কতজনের কারণ নিরাপত্তা জনিত এটাও আলাদা ভাবে আসা উচিত।
@সংবাদিকা, ক্লান্তি নামে একটা জিনিস আছে, এই কথাগুলোর উত্তর দিতে গেলে এক গভীর ক্লান্তি নেমে আসে। কারণ কথায় কথা বাড়বে এবং তার মাঝে জড়িয়ে পড়ার কোন ইচ্ছাই আমার নেই। আমি ধরে নিছি হিন্দু সংখ্যার যে একটা অস্তিত্বের সমস্যা আছে সেটা নিয়ে আপনি মন্তব্য করছেন না, আপনার মন্তব্য কার্যকারণের ওপর।
তাহলে আপনার যদি মনে হয়, ধরে নিন পরিবার পরিকল্পনার অভিযান বাদবাকি বাংলাদেশে মিশ্রিত ফল দিলেও হিন্দু জনগোষ্ঠীর ওপর তা এতখানিই সফল হয়েছে যে তাদের ফার্টিলিটি রেট দুটি সন্তানের নিচে নেমে এসেছে। তারপর ধরে নিন তারা শুধুমাত্র অর্থনৈতিক কারণে ভারতে গমন করছে। এই সব কারণে ২০০১ থেকে ২০১১ সনে তাদের বৃদ্ধির হার মাত্র ০.০৫% যেখানে সমগ্র দেশ ১.৩৫% হারে বেড়েছে। ভবিষ্যতে এই হারটি ঋণাত্মক হবে। ২০৫১ সনে ১৩ কোটি থেকে কমে হিন্দু সংখ্যা ১০ কোটি হবে। আপনি যদি মনে করেন একটা দেশের সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য বৈচিত্রের দরকার আছে তাহলে এই সংখ্যাগুলো আপনাকে ভাবাবে। আর যদি মনে করেন হিন্দুরা স্বেচ্ছায় এটা কমাচ্ছে, এবং বাংলাদেশে শেষাবধি তাদের উপস্থিতির দরকার নেই তাহলে তাই সই। আমি সমাজবিজ্ঞানী নই, এই নিয়ে বাড়তি গবেষণা করার আমার ইচ্ছা নেই। যদি মনে হয় বাংলাদেশে হিন্দুদের অস্তিত্বের সংকট থাকলেও তার পেছনে অন্যায় কোন কারণ নেই, আমি সেই নিয়ে কোন তর্কে যাব না। কয়েক দিন আগের যশোরে ধর্ষণের ঘটনার পর প্রায় ছিন্নমূল মানুষের ভিটে মাটি ত্যাগ করার মত ঘটনাকেও অগ্রাহ্য করব। আপনি যদি এতে কোন সমস্যা না দেখতে পান, তাহলে এটা একটা মতামত। সেটা না হয় আপনারই রইল।
@দীপেন ভট্টাচার্য,
আমি কিন্তু আপনার দেওয়া পয়েন্ট গুলোর মোটেও বিরোধিতা করিনি। আমি শুধু বলতে চেয়েছি লেখায় অনেক গুলো কারণের একটি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে… সবগুলো আলোচনা হয়নি।
এজন্যই মনে হচ্ছে লেখায় আসলে সামগ্রিক ব্যাপারটা আসেনি। আসলে অনেক ঘাটাঘাটির ব্যাপার চলে আসে।
আপনাকে ধন্যবাদ 🙂
@সংবাদিকা, আপনি যদি একটা লেখা দিতে গিয়ে লেখককে বিষয়টার উপর রীতিমত থিসিস করতে বলেন, সেক্ষেত্রে মনে হয় না কেউই সেটা করতে চাইবেন। সেক্ষেত্রে সবকিছুর চুলচেরা হিসাব করে একটা লেখা যদি আপনি নিজে দিতেন তবে আমরা পড়তে পারতাম, অনেক কিছু জানতেও পারতাম। যেহেতু আপনি কথাটা তুলেছেন তাই একটু যদি কষ্ট করে নিজে কাজটা করতেন সেটাই ভাল হত না? আপনার কাছ থেকে এমন একটা লেখা পাব, এই আশায় রইলাম।
:))
যদি বিভিন্ন বিষয়ে লিখতে গেলে কাউকে সেই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হতে হয়, তবে মনে হয় লেখকরা সবাই ব্লগ ছেড়ে পালাবেন, যেমন এই লেখাটা লিখতে গেলে সমাজবিজ্ঞানী,বা অর্থনৈতিক সমস্যা নিয়ে লিখতে গেলে লেখক ( দের) কে অর্থনীতিবিদ হতে হয়।
@অর্ফিউস,
আমি চুলচেরা গবেষণার বিষয়টি মোটেও বলিনি!! আমি বলেছি – উদাহরণ সরূপ – ৫ টি কারণের ৩ টি চেপে কিংবা এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে!!
আরেকটি ব্যাপার – ব্লগ মোটেও বিশেষজ্ঞদের বিশেষায়িত বিষয়ে লেখার জায়গা নয় – তার জন্য টেকনিক্যাল ফোরাম / জার্নাল আছে। ব্লগে সবাই যার যার ভাবনা স্বাধীনভাবে প্রকাশ করবে এবং অন্যরা এতে আলোচনা/সমালোচনায় অংশ নিবেন।
লেখক অনেক সিনিয়র সিটিজেন এবং নিশ্চয়ই আমার থেকে অনেক বেশি জানেন এবং জীবন সম্পর্কে তাঁর অভিজ্ঞতা অনেক – তবে আমি এখানে আমার আর্গূমেন্ট উপস্থাপন করেছি মাত্র!
সংবাদিকা, পোষ্টের নামেই দেখলাম বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংখ্যাগত ভবিষ্যৎ হিসাবে এমন এক ভবিষ্যতের কথা বলা হয়েছে সেখান হিন্দু জনসংখ্যা প্রায় শূন্যের কাতারে পৌছে গেছে । শুধু মাত্র জন্ম নিয়ন্ত্রণের মধ্য দিয়ে এই সংখ্যায় পৌছানো একটু উদ্ভটই মনে হবে এই বিরাট জনসংখ্যা এক ধাক্কায় শুধু মাত্র জন্ম নিয়ন্ত্রণে এভাবে কমে যাবে এটা ঠিক হজম যজ্ঞ নয় বিশেষ করে মুসলিম জনসংখ্যা যেখানে কার্যত বাড়েছে ।
১৯৭১ সালথেকে মোট চার বার হিন্দুরা মোট হিন্দুরা দেশ ছাড়ে ব্যাপক হারে শেষ বার ছিল ২০০১ সাল হিউম্যানরাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশ মাইনরিটিস এর পরিসংখ্যানে চারবারই হিন্দু জনসংখ্যার % এ নেমেছিল ধস । তাদের পরিসংখ্যানে অষ্টম জাতীয় নির্বাচনের দুবছরের ভিতর ৬,০০,৩৯০ জন দেশ ছেড়েছিল পুর পাচ বছর আরও ছাড়ে এখনও ছাড়ছে । এই ভাবে ব্যাপক হারে এত দ্রুত হিন্দু কমার এটাই মুল কারন যা ভবিষ্যতে মাইনাসে পড়বে জনসংখা নিয়ন্ত্রণের জন্য নয় । লেখক তার লেখায় এই বিষয়টাই বলতে চেয়েছেন । এখানে তাই তিনি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিশেষ ভাবে আনেন নি । এমনিতেও বিষয়টা শুধু হিন্দুদের উপর লাগু হয় না মুসলমানদের উপরও হয় ।
ডেমোগ্রাফিক প্রেডিকশনের ভিত্তি কি? যদি সাধারন রিগ্রেশন হয়, এই ধরনের ভবিশ্যতবানী ঠিক না। প্রেডিকশন খুব কঠিন কাজ। যদি আগামী দশ বছর হাসিনা সরকারের স্বৈরতন্র বজায় থাকে, বাংলাদেশের চাকরির বাজারের উন্নতি হয়, মৌলবাদ অনেকটাই কমবে। লোকে কাজে ব্যস্ত থাকলে, অতটা মৌলবাদি হয় না।
@বিপ্লব পাল, ঠিক কথা, প্রেডিকশন সহজ নয়। আর ভবিষ্যতে কি হবে কে বলতে পারে!
তবে গত ৬৬ বছরের পথ যে ভাবে এগিয়েছে সে ভাবে এগুলে আগামীতে এই হবে অবস্থা। ১৭ কোটি লোকের দেশে এখন ১ কোটির কিছু ওপরে কিছু লোক আছে। মৌলবাদ থাকুক বা না থাকুক এই সংখ্যাটা নিয়ে বিশাল কিছু করা সম্ভব নয়, আর যদি করা যায় তো খুব ভাল কথা।
@বিপ্লব পাল,
একনায়কতন্ত্র হলেতো ভালই – ভারতে থাকলেও ৩০ কোটির উপর মানুষ আজ দারিদ্র সীমার নিচে থাকতো না মনে হয় 😕 যেখানে বিশ্বের কয়েকজন শীর্ষ বিলিয়নেয়ার আছে যার বেশিরভাগ লাইসেন্স বিলিয়েনেয়ার… অন্তত গিনি ইনডেক্সে কিছু উন্নয়ন করত। এসব আসলে প্রেদিকশন!!
“স্বৈরতন্র বজায় থাকে, ________ চাকরির বাজারের উন্নতি হয়, মৌলবাদ অনেকটাই কমবে। লোকে কাজে ব্যস্ত থাকলে, অতটা মৌলবাদি হয় না।” এই তত্ত্ব অনুযায়ী…
তাছাড়া একনায়ক থাকলে আশে পাশের দেশগুলোরো খানিকটা সুবিধা হয় – একনায়ককে নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সোজা গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত প্রতিনিধি থেকে – কোল্ড ওয়ারে তাই প্রমানিত হয়েছিল!!
@বিপ্লব পাল,
হাসিনা সরকারের আমলে মৌলবাদ কমে যাবে, হিন্দু বিতাড়ন/নিধন কমে যাবে এমন আশাবাদ খুব বাস্তব নয়। বরং ব্যাকফায়ার হতে পারে তার সমূহ সম্ভাবনা আছে। হাসিনা আমলেই গত বছর দুয়েক বিনা বাধায় সংখ্যালঘুদের ওপর চলছে একের পর আক্রমন। মৌলবাদ এখানে এত রুট লেভেলে আছে বল প্রয়োগে দমন করা এক রকম অসম্ভব, এটা পশ্চীম বাংলার নকশাল নিধন অভিযানের মত সরল নয়। বল প্রয়োগে মৌলবাদ তাড়াতে যে পরিমান নির্মমতা দেখাতে হবে তা সম্ভব নয়। মৌলবাদী শুধু জামাতে নয়, আরো বহু শিবিরে আছে। এই সরকার মোটে জামাতকেও নিষিদ্ধ করতে পারছে না এ কারনেই।
আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় থাকলে মৌলবাদীরা উলটা উদ্দীপনা লাভ করে। হাসিনা সরকার যতদিন থাকবে এমন আক্রমন চলতেই থাকবে, কারন সরকার বিরোধী যে কোন প্রতিবাদ আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ন পদক্ষেপ হল সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমন।
মোদ্দা কথায়, সরকারে যেইই থাকুক, যা ঘটার তা ঘটবেই। সংখ্যালঘু (ধর্মীয়/আঞ্চলিক) সবই বিলীন হয়ে হয়ে এবসলিউট শূন্য হয়ত হবে না, তবে বিরল প্রজাতির প্রানী হয়েই থাকবে।
@বিপ্লব পাল,
এসব তত্ত্বীয় কথা বাস্তবে খাটে না। বাংলাদেশে বহু তথাকথিত বুদ্ধিজীবী সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে।
@গীতা দাস,
বিপ্লব এই কথাটা বেশ বিশ্বাস করেন, সব সময়ই বলে থাকেন। আমার মনে হয় ভারতীয় মৌলবাদ বিশ্লেষনের ফলে উনি এই জেনারেলাইজেশন করেন।
আমাদের দেশে বর্তমানে জামাত শিবিরেও বাবা মৌলবাদী হিজবুত তাহরীরের সাথে জড়িত উচ্চ শিক্ষিত প্রফেশনাল শ্রেনীর লোকজন, মাদ্রাসা পড়ুয়া বা শিক্ষিত হতাশ মোল্লারা নয়, আধুনিক পশ্চীমা ধাঁচের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা এর মূল অংশ।। নাফিস আমেরিকায় বেকার অসহায় ইমিগ্র্যান্ট হয়ে যায়নি……আমি নিজে বাংলাদেশের যে শ্রেষ্ঠ দাবীদার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি তার অনেক ছাত্রছাত্রী যাদের কাযে ব্যাস্ত থাকা জাতীয় হতাশার কোন কারন নেই সেখানে আজ মৌলবাদের শক্ত ঘাঁটি। আমার নিজের কিছু শিক্ষক যারা ১৫ বছর আগেও সাধারন ধার্মিকই ছিলেন আজ বিবর্তিত হয়েছেন মৌলবাদীতে।
@বিপ্লব ভাই,
সহমত। অনেক মানুষ তার বেকারত্ব জনিত হতাশা কিংবা ব্যৰ্থতার কারনে অতিরিক্ত ৰ্ধমভীরু হয়ে যায়, আর ৰ্ধমভীরুতার চরম পৰ্যায়ে পৌছালে তাদের স্বাভাবিক বিবেকবুদ্ধি লোপ পায় এবং এরা পরিনত হয় সহী মৌলবাদীতে !!!
একটা কাজের জাতি, কাজের প্রয়োজনেই মৌলবাদি হয় না। আমেরিকানরা সারাদিন এত নানান কাজে ব্যস্ত-অধিকাংশই বিশ্বের খবর রাখে না।
মৌলবাদি মূলত তিন শ্রেনীর মানুষ
-ডাকাত গুন্ডা, পোষাকি নাম রাজনীতিবিদ, যারা মৌলবাদের সাহায্য নিয়ে হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করতে চায়ছে
– সরকারি কর্মী, শিক্ষক সম্প্রদায়, যাদের হাতে অনেক সময় আছে এই সব মৌলবাদি কাজ চালানোর জন্য। এখন জুটেছে আই টির কুলি গুলো-যারা দু ঘন্টার প্রোগ্রামিং করে জীবনধারনের টাকা তুলে নিচ্ছে।
-শিক্ষিত ছাত্র, বেকার সম্প্রদায় যারা এখনো কাজ পায় নি। ফলে নানা জায়গায় আদর্শবাদি প্রস্রাব করে বেড়াচ্ছে।
আমি অনেক হিন্দুত্ববাদি দেখেছি। কমিনিউস্ট ও দেখেছি। মোটামুটি একবার কাজ পেয়েগেলে, বিয়েশাদি করার পর-কারুর হাতেই আদর্শবাদের ঝান্ডা ধরার আর সময় থাকে না।
জেনারালি, কাজ পাওয়ার পর আদর্শবাদের ভূত একটু কমে।
বিয়ে করার পর বৌকে খুশি রাখতে আরো একটু কম সময় যায় আদর্শবাদের পেছনে।
ছেলে মেয়ে হওয়ার পর-কারুর এসবে সময় থাকে না। সবাই লাইনে আসে।
এটা আমার দেখা অভিজ্ঞতা।
অনেক মূল্যবান একটি লেখা দীপেনদার। আমরা কথায় কথায় ইহুদি নিধনে হিটলারকে দোষারোপ করি, কিন্তু নিজেদের দেশেই একটা অংশের উপর যা হয়েছে, যা হচ্ছে সেটা নাৎসীবাদের চেয়ে কম কিসে?
আর প্রতিকার কার কাছেই বা চাওয়া যাবে? যেখানে লেখক নিজেই উল্লেখ করেছেন –
কেবল একটা দুইটা ঘর উঠিয়ে আর স্কুল পুনর্বাসন করে অবস্থার আশু পরিবর্তন ঘটবে না বলেই মনে হয়, যেখানে মানুষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে খেলা করছে ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’।
আবারো ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
@অভিজিৎ, অনেক ধন্যবাদ মুক্তমনায় এই লেখাটা দিতে উদ্বুদ্ধ করবার জন্য।