কয়েক মাস আগে মুক্তমনায় একটি লেখায় মন্তব্যের থ্রেডে জাতীয় পতাকার অবমাননা নিয়ে একটা বিতর্ক হয়েছিলো। সেই সময়ে জামাত-শিবির দেশের দেশের কোনখানে জাতীয় পতাকা পোড়ানোতে অনেকে খুব উজ্জীবিত হয়ে উঠেছিলো। স্বাধীন দেশে এতোবড়ো একটা তীব্র অপমান সহ্য না করতে পেরে কীবোর্ড আর ব্লগে ঝড় তুলে ফেলেছিলো চেতনাধারীরা। সে সময়ে আমি মন্তব্য করেছিলাম যে একজন মুক্তমনা কখনোই একটি সিম্বলকে, সেটা জাতির কাছে যতই সম্মানীয় হোক, সেটাকে ফ্রীডম ওফ এক্সপ্রেশনের আওতার পুরোপুরি বাইরে রাখতে পারে না। বিভিন্ন দেশে পতাকা পোড়ানো ও পতাকা অবমাননা কতটুকু জায়েজ না জায়েজ সেটা নিয়ে একটা জমাট বিতর্কও হয়েছিলো।
সেমসময়েই আমি বুঝেছিলাম যে চেতনাধারীদের তীব্রজ্বালার মূল কারন পতাকার অবমাননা নয়, কে অবমাননা করছে সেটাই আসল। যারা চেতনার বিচারে সহি পথে আছেন, তারা পতাকা নিয়ে যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন, এতে চেতনানুভূতিতে তেমন আঘাত লাগবে না। নীচে ২৯শে ডিসেম্বর ঢাকার কিছু দৃশ্য যেটি ইন্টারনেটের কল্যানে মোটামুটি সবাই দেখেছেন। ছবিগুলির সাথে একজন বিখ্যাত চেতনাসৈনিকের প্রতিক্রিয়াও দেয়া আছে একটি শটে।এই অশ্লীল ছবিগুলি দেয়ার জন্যে নিজেকেই ময়লা লাগছে কিন্তু কারো কারো চোখে আংগুল দিতে হলে পরিশীলতার মোড়কে কোনো কাজ দেয় না।
ছবিগুলির পরে একটি ইংরেজী আর্টিকেল দেয়া আছে, যেখানে আমার মনে হয় লেখক অত্যন্ত ভালভাবে তুলে ধরেছেন যে কেনো পতাকা অবমাননা’র স্বাধীনতাকে প্রত্যেক মুক্তমনার সমর্থন করা উচিৎ।
http://www.policymic.com/articles/15574/flag-burning-is-a-freedom-that-we-must-respect
Flag Burning is a Freedom That We Must Respect
Matt Nagin, Sep 30, 2012
Although the U.S. has sent Syrian rebels millions of dollars to help them overthrow President Bashar Al-Assad, a recent video showed these same rebels burning an American flag. The consulate attacks in Libya also involved American flag burning, as did recent protests in Pakistan, where, rather eerily, a protester died from inhaling the flag’s fumes. The source of all this rage is the film Innocence of Muslims, which has led mobs around the world to protest harsh depictions of the Prophet Muhammad.
While this rise in Anti-American sentiment is incredibly troubling, we must continue to protect free speech rights at home, particularly the right to burn the American flag. The flag may symbolize important American ideals but it does not embody them. We should allow protesters in our own country to continue to burn the flag since we need to protect individual liberties, provide a safe means for dissidents to express rage, and because it is better to defend the rights the flag represents rather than the piece of cloth itself.
The importance of individual liberty cannot be overstated: America was founded on these notions. After all, Puritans like Cotton Mather came to Massachusetts in 1620 to escape religious persecution. The same could be said of other groups like the Pilgrims, Jews, and Quakers, all of whom faced intense religious persecution in England. This persecution was very real. By 1680, to take one example, “10,000 Quakers had been imprisoned in England, and 243 had died of torture and mistreatment in the King’s jails.”
Notions of individual liberty, of the right to worship and express ourselves are so fundamental to America’s identity that they were highlighted in the First Amendment to the Constitution, which emphasizes that “congress shall make no law… abridging the freedom of speech, or of the press; or the right of the people peaceably to assemble, and to petition the Government for a redress of grievances.”
Hence, troubling as some may find flag burning it is a privilege all but guaranteed by our founding fathers. The most recent Supreme Court case on the matter, Texas vs. Johnson, confirmed as much, overturning Gregory Johnson’s sentence of one year in prison and a $2000 fine for dousing a flag in kerosene and setting it ablaze since the justices felt flag burning is symbolic speech, which the First Amendment protects.
Burning the American flag can further be a relatively safe way to express rage. Many fringe groups have a pressing need to express discontent with various elements of our society. While few of us like to see our flag desecrated it certainly beats these radical groups or lone wolfs engaging in the kinds of mass shootings that dominated the news cycle this summer.
In On Liberty, John Stuart Mill proposed the harm principle, which suggests that each individual should be allowed to act as he wants so long as those acts don’t harm others. This seems pertinent when considering flag burning. So long as the burning of a flag takes place as part of a peaceful protest it does not violate Mill’s harm principle, and, as such, should be tolerated.
Interrelated with the above idea is the suggestion by Ryan Martin, Ph.D. (in Psychology Today), that anger is a very distinct from aggression. While many of us tend to read the anger expressed through the burning of the flag as an act of aggression Martin’s article seems to imply this is not necessarily the case. Flag burning can instead often be an outlet for frustrations, a way of actually staunching aggression — since the rage gets directed into the destruction of the flag rather than potentially far more toxic acts. Martin goes on to point out that most of us become angry when faced with situations we find inequitable and unjust. This seems the case with flag burning. It is quite often justly inspired by dissatisfaction with unfair governmental policies. To ban this outlet is to, ironically, ban a greater idea — the ideal that we should all have the right to peacefully express ourselves.
A third reason to allow the burning of the flag is we need to protect what the flag represents rather than the cloth itself. While many declare the flag a sacred symbol more flags can always be reproduced. 300 million dollars worth of flags are manufactured each year. A typical flag can be purchased for less than $20. Out of this blitzkrieg of American flag production it should be expected that a few flags will be desecrated. We should consider it a write-off and move on. After all American flag burnings have been taking place within our country for more than a hundred years without any great loss of national pride. Yet opponents of flag burning speak about it as if the protesters were destroying the national character and/or desecrating the one and only Mona Lisa.
What separates our nation from totalitarian states ruled by despots like Pol Pot, King Leopold II, and Adolph Hitler is the right to express dissent in a public forum in an effort to minimize government malfeasance. Hence, it seems less important that we protect the cloth and more important that we protect the right to protest, to express ourselves, and to keep our nation from turning into a massive genocide factory ruled by a madman in a funny hat.
Given these facts, any further attempts to pass a flag-burning amendment, such as the one that nearly succeeding in June 2006, seem misguided at best, unpatriotic at worst. Our founding forefathers liberated themselves from English rule by dumping tea into the Boston Harbor and demanding an end to an unjust taxation system. We should be granted the same privilege. Burning the flag needs to be allowed since it is a fundamental expression of our individual liberty, a healthy outlet for communal discontent, and because we need to defend what the flag represents rather than the cloth itself.
দুটি ঘটনাতেই জাতীয় পতাকার অসম্মান হয়েছে।
তবে অবমাননা হয়েছে কোনটি তে?
জামাতীরা যখন পতাকায় আগুন দিয়েছিল, তখন তারা পতাকেতেই আগুন দিয়েছিল। তাদের ক্রোধের কেন্দ্র বিন্দু ছিল এই অভাগা পাতাকাটিই। অন্য কিছু নয়।তাদের হাতের নাগালে দাহ্য অনেক কিছুই ছিল। কিন্তু তারা পতাকাটিকে দন্ড থেকে নামিয়ে মহা আনন্দে ছিড়ে আর পুড়িয়ে জান্নাতি সুখে উল্লাস করেছে!
আর লীগের বনবালকেরা পতাকা হতে নিয়ে অসম্মান জনক নানা কীর্তির জন্ম দিয়েছে ! তারাও উল্লাস করেছে। এবং সেটাও নারকীয়। তবে তা পতাকার জন্যে নয়। একজন নারী আইনজীবী পেটানোর উত্তেজনায়! কিম্বা লুটে পড়া নারীদেহের সৌন্দর্য্যও ভোগের উত্তেজনাও হয়ত ছিল!
ছোট ছোট পার্থক্যগুলোতেই মানুষের মনোগঠনের ধরনটা ধরা পরে।
দেশের জনগন তো এবার বিএনপি কে ভোট দেয়ার জন্য রেডী। তাহলে তারা নির্বাচনে আসলো না কেন?
আমাদের গনতন্ত্র মানে তো পরপর দু’বার কাউকে ক্ষমতায় রাখা যাবেনা, তাইনা? বিম্পি জামাত ক্ষমতায় আসতে চাইলে পরের বার আসুক। এবার আওয়ামী লিগকেই দরকার, তা যদি দেশের বেশির ভাগ মানুষের মতের বিরুদ্ধেও হয়। জামাতের ডানা ছাঁটতেই হবে। দেশে জিহাদী নামে নতুন একটা উপসর্গ যুক্ত হয়েছে। বিম্পি জামাত ক্ষমতায় আসলে তারা চালের পোকার মত সমাজের ভেতরে এমনভাবে সেঁধিয়ে যাবে কোনভাবেই আর আলাদা করা যাবেনা।
আর মানুষ পোড়ানোর কথা? অতীতে আওয়ামী লীগ কতোবার মানুষ পুড়িয়েছে সে প্রসংগ বাদ দিলাম এই বারই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকেই ফলস ফ্ল্যাগ ওপারেশন করে কতবার যে নিজেই বাসে আগুন দিয়েছে তা কেবল এই সরকার পতনের পরই জানা যাবে।
গতকালের এই সংবাদ নিশ্চই পাঠকেরা খেয়াল করেছে।
বাসে আগুনের চেষ্টা, ছাত্রলীগের ৩ নেতা-কর্মী আটক
মাগুরা প্রতিনিধি | আপডেট: ২৩:২১, জানুয়ারী ০১, ২০১৪
৩০
মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালি কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে ছাত্রলীগের তিন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁরা বাসে আগুন ধরানোর চেষ্টা করছিলেন বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। আজ বুধবার রাত পৌনে আটটার দিকে তাঁদের আটক করা হয়।
আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন, জেলা ছাত্রলীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সাজ্জাদ মোল্লা (২৪), ছাত্রলীগকর্মী লিমন (২২) ও রানা (১৯)/ তাঁদের কাছে পেট্রলভর্তি দুটি বোতল ও দিয়াশলাই পাওয়া গেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাত পৌনে আটটার দিকে বাস টার্মিনালের পাশে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে চলাচলকারী গাড়িতে পেট্রল ছুড়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন ওই তিন যুবক। এ সময় পুলিশ তাঁদের হাতেনাতে আটক করে।
জানতে চাইলে মাগুরা পুলিশ সুপার জিহাদুল কবীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের কাছে মাম ব্রান্ডের পানির বোতলে ভরা পেট্রল এবং সঙ্গে দিয়াশলাই পাওয়া গেছে। এটিকে পেট্রল বোমা বলা ঠিক হবে না। পেট্রল বোমা কাচের বোতলে তৈরি করা হয়। এর সঙ্গে আগুন ধরানোর সলতে থাকে। তিনি বলেন, আটক নেতা-কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
রাত ১০টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার সুদর্শন রায়, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ হাসেমসহ পুলিশ কর্মকর্তারা আটক নেতা-কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন।
মাগুরার সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) সুদর্শন রায় বলেন, সাজ্জাদ, লিমন ও রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, নাশকতা সৃষ্টিই তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল।
ওই তিন ছাত্রলীগকর্মীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা স্বীকার করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ রেজাউল ইসলাম। তিনি বলেন, মোটরসাইকেলে ব্যবহারের জন্য তাঁরা পেট্রল কিনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি এই প্রতিবেদককে ভালো করে জেনে-শুনে ওই ব্যাপারে প্রতিবেদন করার পরামর্শ দেন।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর মেহেদী হাসান বলেন, ‘পেট্রলবোমাসহ জেলা ছাত্রলীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সাজ্জাদ মোল্লা ও ছাত্রলীগকর্মী লিমন ও রানাকে পুলিশ আটক করেছে বলে শুনেছি। বিষয়টি দুঃখজনক।’
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/113167/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%87_%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE_%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A7%A9_%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%BE_%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%80_%E0%A6%86%E0%A6%9F%E0%A6%95
@সফিক,
আপনি নিজে প্লস্টিকের বোতল দিয়ে পেট্রল বোমা বানাতে পারবেন?
পেট্রোল বোমা সম্পর্কে জানতে, Molotov cocktail লিঙ্ক থেকে ঘুরে আসুন।
আরেকটা কথা,
আপনি কখনো মফস্বল শহরে থেকেছেন কিনা জানিনা, ঢাকার মত রাস্তার মোড়ে মোড়ে ফিলিং স্টেশন মফস্বলে থাকে না। হঠাৎ পেট্রল শেষ হয়ে গেলে ঐ মামের বোতল কোকের বোতলই ভরসা।
দেয়াশলাই কি পেট্রল বোমায় আগুন ধরানো ছাড়া আর কোন কাজে লাগে না? সিগারেট কি চোখের আগুনে ধরানো হয়?
একাত্তুরে দেশে পাকিপন্থী লোক ছিলো বড়োজোড় ২০-২৫%/ সারা দেশ বিপুল পরিমানে ভোট দিয়েছিলো সার্বভৌমত্বের পার্টি আওয়ামী লীগকে। আজকে এই পাকি পন্থী রাজাকার বেড়ে এতো সংখ্যক হয়েছে যে এই চেতনাবাদী ধর্মোন্মাদ মুনতাসীর মামুন স্পষ্ট বলছে যে গনতন্ত্রের কোনো দরকার নেই। আজকে বাংলাদেশে কোন দল গনতন্ত্র আর স্বাধীনতার বিপক্ষে এটা সারা দেশ দেখছে।
নিজের দল সরকারে থেকে, লাখ লাখ অস্ত্র-বর্মসজ্জিত পুলিশ, র্যাব, বিজিবি দিয়ে দেশকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি রেখে যখন কেউ লাখ লাখ হত্যার আহ্বান জানায় তখন বুঝতে অসুবিধা হয় না এই কোথা থেকে এই লাখ লাখ রক্ত চায় এই রক্তপিপাসুরা। এই ধর্মান্ধটি যদি বিরোধী দলে থেকে লাখ লাখ মৃত্যুর কথাবলতো তখন বুঝতাম সে নিজ পক্ষের রক্ত দিতে কতোটা উৎসুক।
দেশে একটাই কথা। ইলেকশন, ইলেকশন, ইলেকশন। যাবতীয় আওয়ামী মৌলবাদীরা জনগনের রায় নিয়ে তীব্র আতংকে রয়েছে। তারা স্পষ্ট জানে এই দেশের লোক এই মুহুর্তে কোন চেতনা ধারন করে আছে। এই জনরায়ের ভীতির জন্যেই ফ্যাসীবাদী কাল্টটির অনুগামীরা দুনিয়ার একশটা কথা বলবে কিন্তু গনতন্ত্রের কথা বলবে না।
প্রাক্তন আধাঁরে আপনাকে ধন্যবাদ। সফিক,১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানিরা এদেশের ত্রিশ লক্ষ লোককে হত্যা করেছিল এবং বর্তমানে আন্দোলনের নামে যারা পেট্রোল বোমা মেরে জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে মারছে , আপনি সেইসব পাকি ও তার দোসরদের কুকুর বলে না কেনো?
বোঝায় যাচ্ছে সফিক সাহেব মুনতাসির মামুনের উপর বেশ ক্ষেপে আছেন,পাকিস্তানপন্থীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করায়,এবং এই যুদ্ধ করতে গিয়ে যদি লাখ লোক মারা যায়,তাতেও ম.মামুন এর আপত্তি নেই।মুনতাসির মামুন তার নিজস্ব চিন্তা চেতনা আদর্শ থেকে এই কথা বলেছেন।তার এই মতের পক্ষে ও বিপক্ষে আরও মত থাকতে পারে। [উপরে আদিল মাহমুদ মুনতাসির মামুননের মন্তব্যের একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন যেটা খেয়াল করার মত]
তবে পাকিস্তানপন্থীদের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ ঘোষণা সফিক সাহেবের কছে কুকুরের মত লেগেছে।মানবতাবাদী সফিক সাহেবের এই যুদ্ধে তীব্র আপত্তি আছে।কারণটা সহজেই আনুমেয়..!যুদ্ধ মানেই মনবতার ক্ষতি।
তবে অন্য এক যুদ্ধে সফিক সাহেবের কোন আপত্তি নেই।সেই যুদ্ধ হল ইলেকশনের জন্য যুদ্ধ,সেই যুদ্ধে হেফাজতের মত চরম ধর্মান্ধ গোষ্ঠিকে সাথে নিতেও তার আপত্তি নেই।কিছুদিন আগে আদিল মাহমুদের এক পোষ্টে সফিক সাহেব মন্তব্য করেছিলেন
এই যুদ্ধে মানবতার ক্ষতি তথা বিম্পি জামাত দ্বারা বাসে আগুন দিয়ে মারার কথা তুলে ধরায় দারুচিনি দ্বীপকে তিনি বলেন
মানে এই যুদ্ধে মানুষ মারলে কান্নাকাটি করা অর্থহীন।ইলেকশনের জন্যে যুদ্ধে তার আপত্তি নেই,তবে তীব্র আপত্তি আছে পাকিস্তানপন্থীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করায়।খেয়াল করলে দখবেন ম.মামুন যাদের পাকিস্তানপন্থী বলেছেন সফিক সাহেব কিন্তু একবারও বলেননি যে তারা পাকিস্তানপন্থী না।
পাকিস্তানপন্থী লক্ষ লক্ষ লোকের মৃত্যু হলেই বা আপনার সমস্যা কোথায়। দুয়েক লাখ জামাতী মারতে যদি আরো কিছু প্রাণ যায় তাতে তো দেশের উপকারই হবে নাকি। দেশ থেকে জামাত নামক ক্যান্সার দূর করতে এ কি অনেক বেশী খরচ পড়ছে? আপনারা কি দেশের জন্য বুকের রক্ত ঢেলে দিতে চান না? কেউ কেউ পাকিস্তানের জন্য ঢাললেন, আমরা নাহয় বাংলাদেশের জন্য ঢাললাম
এই হলো চেতনাবাদী কুকুরগুলোর স্বরূপ। এরপরও চেতনা মাথায় তুলে রাখবো?
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=13&dd=2014-01-01&ni=159409
খালেদা জিয়ার গোস্্সা আর নতুন বছরের প্রতিজ্ঞা
মুনতাসীর মামুন
পাকিস্তানের প্রতিনিধি হিসেবে বিএনপি দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকেছে, তাদের প্রতিনিধি হিসেবে খালেদা তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, যা ছিল কল্পনার অতীত। তাঁর জন্য সম্মানজনক হবে এখন রাজনীতি থেকে অবসর নেয়া। বাংলাদেশে নতুন বছরে বাংলাদেশকে যাঁরা ভালবাসেন তাদের মনোবাঞ্ছা হওয়া উচিত, যথেষ্ট হয়েছে, যথেষ্ট মেনেছি। পাকিস্তানী ও তার দালালদের আর নয়। এর জন্য যদি আরও কয়েক লাখের মৃত্যু হয়, হবে। কিন্তু একেবারে এদের শেকড়সহ উপড়ে ফেলতে হবে। ১৯৭১ সালের ভুল আর করা যাবে না।
সুশীল বাটপাড়, মিডিয়ার একটি বিরাট অংশ চাচ্ছে পাকিস্তানপন্থীদের আধিপত্য থাকবে কিন্তু সেটা পাকিস্তানপন্থী ‘আন্দোলন’ বলা যাবে না, বলতে হবে মৌলিক অধিকার ক্ষুণœ হচ্ছে, ‘স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম’ ইত্যাদি। এতদিন সমন্বয়ের রাজনীতি ও নিরপেক্ষতার রাজনীতির নামে পাকিস্তানপন্থীরা আধিপত্য বিরাজ করেছিল। সেই আধিপত্য এখন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। পাকিস্তানীরা তাই মরিয়া হয়ে লড়বে, সেটিই স্বাভাবিক। বাংলাদেশপন্থীদের সেই লড়াই প্রতিরোধ করতে হবে। নতুন বছরেও এ লড়াই চলবে।
পাকিস্তানীরা নির্বাচনে না এলে গণতন্ত্র বিপন্ন হবে, এমন মনে করার কোন কারণ নেই। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নাজি বা ফ্যাসিস্ট পার্টি ছাড়া নির্বাচন হয়েছিল তাতে গণতন্ত্র বিপন্ন হয়নি বরং দৃঢ় হয়েছে। অথচ জার্মানি, ইতালি ও অনেক দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল নাজি বা ফ্যাসিস্টরা।
@সফিক,
একজন মুনতাসির মামুনের লেখা বা সংগ্রাম বা চেতনার স্তর বুঝতে হলে আপনার মত চেতনাহীনকে কয়েকবার জন্ম নিতে হবে!
@মুক্তমনা এডমিনঃ
মুনতাসির মামুনকে ‘চেতনাবাদী কুকুর’ আখ্যায়িত করার পরও এ লেখা কি করে এখনো সগৌরবে ভূষিত হচ্ছে মুক্তমনার পাতায়, তা বোধগম্য নয়। দ্রুত এ লেখাকে অপসারণ না করা হলে যে কেউ ভাবতেই পারে মুক্তমনা বাঁশের কেল্লার সঙ্গে দোস্তি পাতিয়েছে!
@কাজি মামুন,যে অমানব সরাসরি লক্ষ লক্ষ লোককে হত্যার আহ্বান জানায় তাকে কুকুর বলা মুক্তমনা’র পরিপন্থী হবে? সত্যি, বিষাক্ত আওয়ামী ধর্মীয় কাল্ট টি বাংগালীর মগজকে কেমন করে ভাইরাস আক্রান্ত করতে পারে, তার একটি উৎকৃষ্ট উদাহরন।
আমি সফিকের বক্তব্যের সাথে একমত নই, কিন্তু সফিকের নিজের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করার অধিকার তো অবশ্যই আছে। আর মুনতাসির মামুনের মন্তব্যটা [“এর জন্য যদি আরও কয়েক লাখের মৃত্যু হয়, হবে“] খুবই বিপজ্জনক, এভাবেই আদর্শের নামে অতীতে বহু মানুষকে মারা হয়েছে স্ট্যালিনের জামানায়, কিংবা নানা ধর্মীয় আদর্শের নামে। সেই সব আদর্শের অনুসারীরা এখনো তাদের নিজ নিজ পয়গম্বরদের (কমি পয়গম্বর, ধর্মীয় পয়গম্বর সবাই আছে এর মধ্যে) কৃতকর্মের সাফাই গায় নিজ নিজ ‘আদর্শ’ বা ডগমাকে জাস্টিফাই করার জন্য। এ এক ধরণের ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ই বটে। সে হিসেবে, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে’ বিনা বিচারে কিংবা কোন অপরাধের বিচার ছাড়া লক্ষ লক্ষ লোক মেরে ফেলা মোটেই সুবিবেচনাপ্রসুত নয়।
এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার পর পরই আমি ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম –
অনেকে জিজ্ঞাসা করেছেন আমি ওখানে থাকলে কী করতাম। কেউ বলেছেন, ওরা যখন এতোদিন মিছিলে, বিক্ষোভে নারী আর শিশুদেরকে ঢাল হিসেবে ব্যাবহার করেছিলো আর পুলিশ ও লীগের ছেলেরা যখন এদের সহানুভুতি দেখাইতে গিয়ে পরে পরে মার খাইতো তখন এসব মানবাধিকার, আর সহানুভুতি কোথায় ছিল ? কেউ বলেছেন, লীগ যা করেছে সেটা ছাড়া নাকি আর উপায় ছিল না।
আমি দ্বিমত করেছি। কোন কিছু করার মানে যদি হয় নারীদের রাস্তায় ফেলে চারিদিকে চক্রবুহ্য রচনা করে বেধরক পেটানো, আর প্যান্টখুলে নিজের লিঙ্গ উচিয়ে জানান দেয়া (যেটার ছবিও ফেসবুকে এবং অন্যত্র প্রকাশিত হয়েছে) – নিজের পৌরুষ কত বড়, তাহলে বলতেই হয় লীগ ইজ ইন এ লুজিং গেম। এটা ছাড়া আর কিছু করার না থাকলে সত্যিই এ দলটির প্রতি করুণা করা ছাড়া আমার আর কিছু নেই। মিছিলের সামনে নারীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার লীগ, বিএনপি, জামাত, কমিনিস্ট সবাই করে। কাজেই রাস্তায় ফেলে পেটানোর জন্য কিংবা তামাম বিশ্ববাসীকে লিঙ্গপ্রদর্শনের সেটা কোন যুক্তি হতে পারে না। যারা এগুলো করেছে, তাদের চেহারা ছবি খুব প্রকটভাবেই পরিস্কার। তাদেরকে গ্রেফতারই হতে পারে এই লুজিং গেম থেকে মুক্তির পথ। আমার বক্তব্য এটাই। বিশ্বজিত হত্যার সুবিচার করে হাসিনা জনমানুষের সমর্থন পেয়েছেন, কাজেই তিনি যে পারেন না তা তো নয়। ভাল কাজ করলে আমাদের মত সাধারণ মানুষ এমনিতেই সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দেবে, কাজেই দয়া করে অপকর্মগুলোকেও ‘ছাগুর বিরুদ্ধে আদর্শিক যুদ্ধ’ হিসেবে প্রদর্শন করে সাইফাই গাওয়ার চেষ্টা করবেন না কেউ। যেটা খারাপ সেটা খারাপই।
তবে সফিকের প্রতি একটাই অনুরোধ, কুকুর টুকুর বিশেষণ প্রয়োগ করলেই দেখবেন, যত বড় যুক্তি থাকুক না কেন, সেগুলো আপনার অজান্তেই লঘু হয়ে যায়। সবাই তখন বিশেষণ নিয়েই পড়ে যাবে। যুক্তি শক্তিশালী হলে বিশেষণের খুব একটা দরকার নেই।
@অভিজিৎ,অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে। যতদিন আপনার এই উপলদ্ধি করার মতো লোক বাংলাদেশে থাকবে ততোদিন দেশটাকে নিয়ে আশা করা যায়।
আমি নিজে মনে করি মুনতাসীর মামুন একজন সম্মানীয় ব্যাক্তি। তার রাজনীতিকে আমি তীব্র অপছন্দ করি কিন্তু তার চরিত্র ও মূল্যবোধকে আমি কখোনোই জিহাদের জন্যে বিধর্মীর কল্লা কাটা জায়েজ ফতোয়া দেয়া হিংস্র মোল্লার সাথে একত্র করবো না। একদিকে একজন বিভ্রান্ত মানুষের উত্তেজিত উক্তি, অন্যদিকে একজন প্রকৃতই অমানুষ যে হিংস্রতাকে শুধু উস্কায়ই না বরং নিজেও অংশ নিতে পারে।
আমরা একটা চরম অসুস্থ সময়ে বাস করছি। এই সময়টাতে হিংস্রতা, অসুস্থতা কে যে উস্কাবে, তার বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান অবশ্যই নেয়া উচিৎ। মুনতাসীর মামুন একজন সম্মানীয় ব্যাক্তি কিন্তু যখন তিনি এমন লেখা লেখেন দেশের একটো বহুল প্রচারিত পত্রিকার সম্পাদকীয় পাতায়, তখন কোন রকম নিন্দার ভাষাই এর বিপরীতে অশোভন নয়। কেউ যদি কোনো একসকালে উঠে পত্রিকায় পড়ে যে তার প্রিয়তম সাহিত্যিক, সবচেয়ে চেনা পরিশীলিত মানুষ, বাসায় শিশু কাজের মেয়েকে ধর্ষন করে ধরা পরেছে তবে তার সম্মানের দিকে খেয়াল করে কি আপনি তার কুকর্মের উপযুক্ত বিশেষণ ব্যবহার থেকে বিরত থাকবেন?
আমি আবারো বলছি যে পাঠকেরা কথাগুলির অনুপাত খেয়াল করুন। লক্ষ লক্ষ লোকের হত্যার আহ্বান (তিনি শুধু জামাত মীন করেন নি তার কথায় স্পষ্ট যে বিএনপিকেই তিনি মূল প্রতিপক্ষ দেখছেন, তিনি বিএনপি’র রক্ত চান) বনাম আহ্বানকারীকে কুকুর বলা।
@সফিক,
– এ ধরনের কথাবার্তা না বলাই উত্তম। কিন্তু এটা অতি অবশ্যই শুধুমাত্র লাখ লাখ বিএনপি/জামাতি (ওনার ভাষায় পাকিস্তানপন্থী) হত্যা কর এভাবে নাও বোঝাতে পারেন। সাঈদীর বিচারের রায়ের পর থেকেই দেশে রক্তের হোলিখেলা শুরু হয়েছিল, শুরুটা করেছিল জামাত। এখন কোন পক্ষে কত জন মারা যাচ্ছে তার চুড়ান্ত হিসেব রাখা যাচ্ছে না। উনি লাখ লাখ বলতে নিজ পক্ষও বোঝাতে পারেন। মানে চলমান লড়াই এ নিজেরাও দরকার হয় জান দেবেন এভাবেও বোঝাতে পারেন। আপনি যাদের ওপর চরম ক্ষিপ্ত মানে সেই চেতনাধারী লোকজনরা সকলেই দরকার হয় নিজের প্রানও উতসর্গ করে দেবেন বলে থাকেন। এনারা, জামাতি সকলেই নিজেদের আক্ষরিক অর্থেই যুদ্ধে আছেন ধরে নিয়েছেন।
আজ দেখলাম মার্কিন ফরেন পলিসির সাময়িকীতেও বাংলাদেশ গৃহযুদ্ধের সম্মুখীন বলে আশংকা প্রকাশ করা হয়েছে। অস্থিতিশীল দেশগুলির তালিকা থেকে পাকিস্তান সরে গেছে, যোগ হয়েছে বাংলাদেশ। গৃহযুদ্ধ হবে ঠিক কিভাবে তা জানি না, যদিও সার্বিক পরিস্থিতিতে হতাশা তীব্র থেকে তীব্রতর হওয়া ছাড়া আর কিছু করার নেই। অর্থনীতিতে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে তা এখনো সেভাবে শুরু হয়নি, শুরু হলে হার্ডলাইনাররা কিভাবে পরিস্থিতির মূল্যায়ন করে দেখা দরকার।
@আদিল মাহমুদ,
‘পারেন’ বললে ভুল হবে, আসলে উনি এটাই বুঝিয়েছেন। (আমি এ কথাটাই বলতে চেয়েছিলাম, কিন্তু দেখি আপনি আগেই বলে ফেলেছেন। আবারও আপনার সাথে চিন্তার নিদারূন মিল খুইঁজা পাইলাম)।
মুনতাসির মামুন কে? উনি কি রাজাকার? উনি কি পাকিস্তানী হানাদার? উনি কি মৌলবাদী জঙ্গি? উনি কি দলীয় গুন্ডা? ক্ষমতান্ধ বা অর্থলোভী পিচাশ?
আমরা জানি, মুনতাসির মামুন এর কোনটিই না। মুনতাসির মামুন একজন সাধারণ লেখক, গবেষক। যাদের কমন সেন্স আছে, তারা বোঝে মুনতাসির মামুন লাখ লাখ নীরিহ বা এমনকি বিরোধী পক্ষের মানুষের মৃত্যু চাইতে পারেন না। কখনই না। আর এজন্যই আমাদের মত সাধারণ মানুষদের বুঝতে ভুল হয়নি তার কথা। অবশ্য সফিক সাহেবের মত বিজ্ঞতার সপ্তাকাশ ছুঁয়ে ফেলা মানুষ হলে হয়ত অন্যরকম ভাবতাম।
উনার কথায় ভুল বোঝার অবকাশ আছে মানছি। কিন্তু সাম্প্রদায়িক সোনারা সবসময় ওৎ পেতে থাকে কথাকে ডিসটর্ট করতে, লাখ লাখ লোককে উত্তেজিত করতে। অসংখ্য উদাহরণ আছে। অসংখ্য।
তাহলে মুনতাসির মামুন আসলে কি বলতে চেয়েছিলেন? বাংলাদেশ আজ স্বাধীণ হয়েছে। আমরা কি চেয়েছি? দরকার হলে সবাই শহীদ হয়ে যাব, তবু পরাধীন দেশে থাকব না, দেশকে পাকি-রাজাকার মুক্ত করবই করব। আমাদের আত্মত্যাগ ও সংকল্পের নমুনা দেখুন! তিরিশ লক্ষ মানুষকে প্রান দিতে হয়েছে।
মুনতাসির মামুন সারাটি জীবন ইতিহাস নিয়ে কাজ করেছেন, সবচেয়ে বেশী মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে। আজ দেশ ছেয়ে গেছে পাকি-রাজাকার বশংবদ দিয়ে। গত একটি বছর তারা কি পারে, তার জানান ভালমতই দিয়েছে। মুনতাসির মামুন চান আর একটি যুদ্ধ। দরকার হলে আবার তিরিশ লাখ শহীদ হোক, তবু দেশটি তো সম্পূর্ণভাবে স্বাধীণ হোক। খেয়াল কইরা, তার শেষের লাইনটাঃ
তাই বলে রাজাকার-পাকি-মৌলবাদী বশংবদ ছাড়া দেশের আর কোন সমস্যা নাই??? সরকারী গুন্ডারা কোর্টে যা করেছে তা কি কোন সুস্থ মানুষ সমর্থন করতে পারে? এই দলীয় গুন্ডাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ দরকার নাই?
আছে, কিন্তু সেই যুদ্ধের ভার কি মুনতাসির মামুনের উপরই চাপাতে হবে? উনি কি একটা যুদ্ধ করছেন। সবাই তো একসাথে সবদিকে কনসেন্ট্রেইট করতে পারে না। এই যুদ্ধটা না হয় সফিই সাহেবই করতেন!
কিন্তু আফসোস সফিক সাহেবরা যুদ্ধ করবেন না, একটি যুদ্ধের ভারে যে মুনতাসির মামুনরা ক্লান্ত, তাদের ঘাড়ে অন্য সব যুদ্ধও চাপাবেন। আমরা বুঝতে পারি না, সফিক সাহেবরা আসলে কি চান? সত্য সত্যই সরকারী গুন্ডাদের বিনাশ? নাকি এই ইস্যুকে পুঁজি করে মুনতাসির মামুনদের যুদ্ধকে থামিয়ে দেয়া?
কিছু ক্ষুদ্র প্রশ্ন করার আগে কিছু কথা বলে নেয়া দরকার।
বাংলাদেশে কিছু সাম্প্রদায়িক ব্লগ আছে, যেখানে ‘চেতনাধারী’ শব্দটির জন্ম। কাদের জন্য এই নামটির উদ্ভব ঘটিয়েছিল সাম্প্রদায়িক সেনারা? বাংলাদেশের এক শ্রেণীর বুদ্ধিজীবিরাই ছিল এই নামকরণের টার্গেট। কিন্তু এই বুদ্ধিজীবিরা কারা?
আরও পেছনে যেতে হবে এবার। পঁচাত্তর পরবর্তি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভুগোল পুরো পাল্টে দেয়া হয়, একাত্তর পরবর্তী সংবিধান সামরিক ছুরিতে ছিন্নভিন্ন করা হয়, আত্মগোপনে থাকা রাজাকারদের মাঠে নামার সুযোগ করে দেয়া হয়, প্রতিষ্ঠিত রাজাকারকে প্রধানমন্ত্রী করা হয়, ইতিহাস বই থেকে মুক্তিযুদ্ধ ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর হতে থাকে, রাজাকার, পাকিস্তানী হানাদার, বঙ্গবন্ধু ইত্যাদি শব্দ আস্তে আস্তে অপসৃত হতে থাকে। বন্ধ যায় বঙ্গবন্ধুর আমলে শুরু করা রাজাকারদের বিচার।
তো একদল স্বাধীনতাপ্রিয় মানুষ এগুলো কখনই মেনে নিতে পারেননি। তাদের ‘বুদ্ধিজীবি’র পরিবর্তে ‘দায়িত্বশীল নাগরিক’ বলাই শ্রেয়। এই লোকগুলি যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে যতটা সরব ছিল, ততটা সরব হয়ত সব বিষয়ে হয়নি। আর সবাই সব বিষয়ে সমান সরব হবে, তাও আশা করা যায় না। এদের মূল ফোকাসটা মুক্তিযুদ্ধ নিয়েই ছিল। আর তাই দীর্ঘ চল্লিশ বছর পরেও রাজাকারেরা ফাঁসি এড়াতে পারে না। আর সে কারণেই এদেরকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ঘৃনা করে যুদ্ধাপরাধীদের বশংবদেরা। এই ঘৃনারই প্রতিফলন ‘চেতনাধারী’ টাইটেল।
এই টাইটেলের অর্থঃ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে চিৎকার করা, কিন্তু অন্য সব বিষয়ে চেতনা ঘুম পাড়িয়ে রাখা।
প্রশ্ন হচ্ছেঃ
১.মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে সরব মানুষরা এই পোস্টে উল্লেখিত নির্যাতনকে সমর্থন করেন, এমনটা কই পেলেন?
২.পতাকা নিয়ে অশ্লীলভঙ্গিকারী মানুষটি কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে সরব মানুষগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে?
৩.চেতনাধারী বলতে আপনি কি বোঝেন, তা দয়া করে ব্যাখ্যা করবেন? মানে, সরকারী দলের গুন্ডারা? নাকি অন্য কেউ? আসলে কি কি বৈশিষ্ট্য থাকলে একজন লোক ‘চেতনাধারী’ হয়, তা জানাবেন প্লিজ? বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সাম্প্রদায়িক ব্লগগুলোতে শাহরিয়ার কবির, মুনতাসির মামুন বা শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চকে ‘চেতনাধারী’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়, আপনার ‘চেতনাধারী’ তা থেকে ভিন্ন কিনা বুঝতে সাহায্য করবে আমাদের।
@কাজি মামুন, জী ভাইয়া। আমি চেতনাধারী বলতে কাজী জাফর ইকবাল, শাহরিয়ার কবির, মুনতাসির মামুন বা শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চ প্রমুখকেই সবচেয়ে বেশী মীন করি। আপনি সম্ভবত আমার বাংলা ও ইংরেজীতে অনত্র লেখালেখির সাথে পরিচিত নন। চেতনা’র বিরুদ্ধে আমার লড়াই বেশ পুরোনো। চেতনা শব্দটিকে বাংলা ভাষার অন্যতম নোংরা শব্দে পরিনত করা আমার লেখালেখির একটা বড়ো উদ্দ্যেশ্য।
সফিক ভাই, প্রথমত আপনার প্রায় সব লেখাতেই খুবই স্থুলভাবে আপনি প্রমান করে দেন যে আপনি তালগাছের দাবীদার। এবার ভাল করে একটা কথা শুনে রাখেন, পতাকা যেই অপমান করুক, তাকে আমি নুন্যতম ধোলাই থেকে শুরু করে বাংলাদেশের আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়ার পক্ষপাতী। আপনার লেখাটি পড়ার আগে আমি এই ছবিগুলো দেখিনি,হয়ত চোখ এড়িয়ে গিয়ে থাকবে। তবে দেখার পরে মোটেও আনন্দ পাচ্ছি না।
তবে আপনার আগের মন্তব্যের সুত্র ধরে, এবং আপনার এই মানসিকতা যেটা কোনদিন পরিবর্তন হবে না ( মানুষের সেন্টিমেন্ট নিয়ে খেলা করা) সেটার তীব্র নিন্দা জানিয়ে আপনার এই নিচের মানসিকতার কারনে
লেখাটা আমি প্রত্যাখ্যান করলাম। অবশ্য আপনি তো আবার মানবতা আর গনতন্ত্রের ধ্বজাধারী, এতটাই বেশি যে বেশিরভাগ মানুষকেই আপনি আপনার লেভেলের মনে করেন না ( জানি না আপনার লেভেল টা কি), এবং আলোচনা করার যোগ্য বলে মনে করেন না; আরো ভালভাবে বললে বলতে হয় যে মানুষকে আপনি তার বা তাদের প্রাপ্য সম্মানটা দিতে ব্যর্থ হন, যদিও আপনি মানবাধিকার নিয়ে খুবই সোচ্চার ভাব ধরেন। আপনার এই দুটি পরস্পর বিরোধী চেতনাকে আমি দ্বিচারিতা/ এবং ভন্ডামী আখ্যায়িত করে আপনার এই মানসিকতা কে তীব্র নিন্দা জানিয়ে গেলাম।
@অর্ফিউস,আপনি বাচ্চাদের মতো এক লাইন দুই লাইন খেলো বাক্য লিখে শত শত ইমটিকন দিয়ে লাফালাফি করা থেকে বিরত থেকে সিরিয়াসলি প্রশ্ন করুন, আপনার প্রশ্ন এবং মতামতের সম্মান আমি নিশ্চই দেবো। আমি আপনাকে চিনি না। হয়তো শিক্ষা ও অর্জনে আপনি আমার চেয়ে অনেক এগিয়ে। আপনাকে ছোট করার কোন চেষ্টা আমার নেই। আমি আমার কাছে মনে হওয়া খেলো আইডিয়া-চিন্তাকে হেয় করি অনেক সময়ে, এর পিছনে মানুষটাকে নয়। আমি ফেসবুক ইন্টার-অ্যাকশনে বিখ্যাত পত্রিকার সম্পাদক, বিদগ্ধ আন্তজাতিক বুদ্ধিজীবি, তাদের আইডিয়াকে ব্যংগ করেছি তাদের সাথে সরাসরি মতবিনিময়ে। আমি এই একটা দুটো কমেন্ট করে এই সব বড়ো বড়ো অর্জন সম্পন্ন মানুষকে কোনরকম হেয় করতে পেরেছি বা নিজে তাদের চেয়ে উপরে উঠে গেছি? মোটেই না।
ইন্টারনেটের সবচেয়ে বড়ো অবদান হলো যে এটি আইডিয়ার উপযুক্ত বিচরণক্ষেত্র, ব্যাক্তির নয়।
পতাকার অবমাননা যেই করুক সেটা ভাবেই মেনে যায় না।
পতাকা আমাদের গৌরব, রক্ত দিয়ে কেনা এই পতাকা। পতাকার অবমাননা মানে সেই রক্তের সাথে বেঈমানি করা।
যাহোক, মুক্তমনা হতে গিয়ে নিজের বাবা মা কে ভুলে গেলেতো বিপদ!
দেশতো আমাদের মায়ের মতই
গনতন্ত্র, মুক্তকন্ঠ এসব কিছুরই ইউনিভার্সেল ডেফিনিশন নেই। লোকাল কালচার অনুযায়ী কিছু না কিছু পার্থক্য এসেই যায়। আমেরিকান পতাকা আইনের সাথে আমাদের পতাকা আইন নাও মিলতে পারে। আমার নিজের দেশপ্রেম চেতনা, এসব তেমন নেই। পতাকা পুড়িয়ে কেউ সত উদ্দেশ্যে প্রতিবাদ জানালে আমার তাতে আপত্তি নাই, কিন্তু দেশে এ সম্পর্কিত সুনির্দিষ্ট আইন আছে। সে আইন হয়ত কোনদিন বদলাবে। কিন্তু তার আগে
তাই সে আইন বদল করার আগে পতাকা অবমাননার কারনে শাস্তি হতেই পারে।
আমেরিকানরা এ দিকে অনেক ভাগ্যবান, তাদের দেশ এক উল্লেখযোগ্য সংখ্যল লোকের মতের বাইরে স্বাধীন হয়নি, দেশের বা জাতির পরিচয় নিয়ে তাদের মধ্যে তেমন কনফিউশন নেই। আমাদের আছে, আমাদের এক উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোকে স্বাধীন বাংলাদেশ চায়নি, তাদের আওলাদরা আজো বহাল তবিয়তেই আছে, উলটো রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বংশবৃদ্ধি করে চলেছে। এরা সুযোগ পেলে কোন মহত উদ্দেশ্যে নয়, স্রেফ মনের জ্বালা মেটাতে এবং বাংলাদেশকে অপমান করতেই পতাকার অপমান করবে।
– সে সময়ই আপনি কেমন করে বুঝেছিলেন তা জানি না। তবে মূল আর্গুমেন্টে সত্যতা আছে সন্দেহ নেই। চেতনা জাতীয় আবেগ তীব্রভাবে মনে গেঁথে গেলে তখন এমনই হয়। কে অপমান অবমাননা করেছে তার ওপর নির্ভর করে অনুভূতির আঘাত পাওয়ার মাত্রা। এটা ধর্মানুভূতির ক্ষেত্রেও দেখা যায়।
অনেক আগেই বলেছিলাম যে অসূস্থ পরিবেশে দীর্ঘদিন বসবাস করলে সূস্থ মানবিক চেতনা ধীরে ধীরে লোপ পায়। নইলে প্রকাশ্য রাস্তায় মহিলাকে পেটানো হচ্ছে সেটাকে যেভাবে শিক্ষিতা মহিলারাও দেখেছি হালাল করার চেষ্টা করেছেন তা সম্ভব নয়। একটা সরল সত্য কেউই মনে রাখছে না, বাংলাদেশ খুব ছোট দেশ, এ দেশ এখন আর পাকিস্তান ভাংগার মত বিএনপিদেশ আওয়ামী দেশ ভাগ করা সম্ভব নয়। বসবাস করতে হবে সকলেরই এক সাথে, একই বাড়িতে বিএনপি আওয়ামী লীগ অবস্থান করবে। এত তীব্র ঘৃনাবোধ লালন পালন করা গৃহযুদ্ধ থেকেও খারাপ।
এসব ঘটনার জন্ম এবং সমর্থন দিয়ে যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অসাম্প্রদায়িক শক্তির কি ক্ষতি ওনারা করছেন তা ওনাদের বলা সময়ের অপচয়।
@আদিল মাহমুদ, আমি জানি এটা একটা অত্যেন্ত স্থুল লেখা হয়েছে এবং এটি লিখে গর্ব করার মতো বা আনন্দ পাওয়ার মতো কিছু নেই। কিন্তু আমরা একটা অত্যন্ত স্থূল সময়ে বসবাস করছি।
যে চেতনাধারীরা ঐ সময় তীব্র জ্বালায় জ্বলেছিল তারা এখন জাতীয় পতাকার এ হেন ব্যবহারে পরম শান্তিতে আছে এ সিদ্ধান্তে আপনি কীভাবে এলেন?
মুক্তমনায় একটি লেখায় মন্তব্যের থ্রেডে জাতীয় পতাকার অবমাননা নিয়ে যারা ঝড় তুলেছিল তাদের কেউ কি এখন আনন্দ প্রকাশ করছে?
@গীতা দাস,উল্লাস প্রকাশ করেনি কিন্তু নীরবও (শুধু এই ব্লগকে বলছি না) ছিলো সামান্য কিছু উজ্ব্ল ব্যাতিক্রম ছাড়া। অনেক সময় নীরবতাই অনেক কিছু প্রকাশ করে।
@সফিক,
কে কে নীরব ছিল, বলুন। আর যারা নীরব ছিল, তারা পূর্বেকার এমন ঘটনায় সরব ছিল, এমনটাও প্রমাণ করুন।
আর যদি প্রমাণ করতে না পারেন, তাহলে আপনার এই ব্লগটি দয়া করে কোন সাম্প্রদায়িক ব্লগে ছুঁড়ে ফেলুন। কারণ প্রমানহীন কুৎসাব্লগ মুক্তমনার জন্য নয়, বরং ঐ সাম্প্রদায়িক ব্লগগুলো দেখবেন কেমন লুটেপুটে নেবে।
এই লাইন দুটো পড়ে আমার কেবলই দুটো জিনিস মনে হয়েছে।
একবার মনে হয়েছে, আপনি মুক্তমনা হতে গিয়ে নিজের দেশকে ভুলে গেছেন, আবার মনে হয়েছে আপনি কিছু না বুঝেই লিখেছেন।
অবশ্যই আমাদেরকে দেখতে হবে কারা আমাদের পতাকাকে অবমাননা করছে? যারা করছে, তাদেরকে অবশ্যই শাস্তি দিতে হবে বিচারের মাধ্যমে।
লেখাটা আপনি বুঝে বুঝে লিখেছেন নাকি না বুঝে?