১.
দেশ স্বাধীনের পর থেকেই বাঙলাদেশের রাজনৈতিক মাঠ গর্দভ আর ভেড়াদের পদভারে প্রকম্পিত। দেশের সমস্ত সমস্যার সমাধান এরা ম্যাঁ ম্যাঁ কিংবা হাম্বা হাম্বা রবের মাধ্যমেই করে থাকেন, এবং করছেন। সেই কিংবদন্তিতে নতুন সংযোজন আন্দালিব পার্থ। এই পার্থ তার স্বার্থের কারনে গলাবাজি করে তরুন প্রজন্মের পাঞ্জেরী সাজার খায়েস নিয়ে রাজনৈতিক পায়েস বিলিয়ে যাচ্ছে গত কয়েকবছর যাবত। এবং আমরা বাঙালি তরুনদের বেশির ভাগই যেহেতু উপরে বর্ণিত রাজনৈতিক নেতাদের বিচারে খুব একটা উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিত্ব করি না সেহেতু বাঙলার স্বাধীনতা পরবর্তী একমাত্র সাহসী সৈনিক, বর্তমান বাঙলাদেশের একমাত্র উদীয়মান রাজনীতিবীদ, তরুণ প্রজন্মের পাঞ্জেরী, দেশের ক্রান্তিলগ্নে হাল ধরার একমাত্র নাবিক, সুদর্শন শাখামৃগ, তুখোর আইঞ্জীবি, সাকা চৌধুরীর প্রানের পাখি সুইট আন্দালিবের সংসদে অনলবর্ষী স্ট্যান্টবাজির প্রক্রিয়ার আঘাতে আমরা বহু তরুনরা কুপোকাত হয়েছি। সেই আন্দালিব, বাঙলাদেশের এই ক্রান্তিলগ্নে নেতৃত্ব দানে সক্ষম একমাত্র লিডারশিপ, কোটি হেফাজতির ইস্তেঞ্জা করার একমাত্র ঢিলা, জামায়াতে ইসলামির অন্তর্গত অবদমিত যৌনবাসনায় আক্রান্ত দল শিবিরের পুটুমারার মারার একমাত্র আশ্রয়স্থল, বিম্পির অপর্যাপ্ত সদস্য বিশিষ্ট গেলমান দলের নেতৃত্বদানকারী গেলমানকুলশিরোমনি, ধলাপুটুর অধিকারী গেলমানরাজ মোহাম্মদ(মোহাম্মদ কথাটায় লাম আলিফ আছে, একটু জোর দিয়ে উচ্চারন করতে হবে পাঠক!) আন্দালিব পার্থ সেদিন বলেছেনঃ
ভিডিওটা এখানে পাবেন।
“অনেকেই বলছেন, ওদেরকে যেভাবে ধরা হচ্ছে, দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে ওরা জঙ্গি। … জঙ্গি! ওদের তো কান ধরে বসায় রাখার দরকার ছিল, নাকে খত দেওয়া দরকার ছিল। তারা কী এক্সপেক্ট করেছিল, তাদের হাতে রজনীগন্ধা স্টিক দেওয়া হবে।”
হে সুদর্শন আইঞ্জিবী, এই কথা বলার পরে তো তোমার পোঁদে তোমারই বৃদ্ধাঙ্গুল দিয়ে রাখার দরকার ছিল, তোমাকে তো পোঁদে খত দেয়ার দরকার ছিল। অনেকেই বলতে পারে নিজ পোদে নিজেই আঙ্গুল দিয়ে রাখলে স্বাস্থবতী “হাটু ভাঙা দ”এর মতন লাগবে। দ! কী এক্সপেক্ট করছ তুমি, এই কথা বলার পরে রজনীগন্ধার স্টিক দিবো তোমার পোঁদে??? কেন? আমরা কি জানি না বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার সমকামী নায়েবে আমীর( কার্টেসীঃ দৈনিক মতিকন্ঠ) সাকা চৌধুরী কারাগারে বসে তোমার জন্য কত শোকাতুর, কত কামাতুর বিনিন্দ্র রজনী কাটিয়েছে? আমরা কি জানি না হতাশার দরিয়া পার করে অবদমিত যৌনতার নদীর কিনার থেকে সাক-আ চৌধুরী বলেছিল সেই অমোঘ উক্তি “আন্দালিব পার্থ সুইট আছে”?
বাঙলাদেশের রাজনীতির মাঠ ব্যাঁ ব্যাঁ এবং ম্যাঁ ম্যাঁ করে প্রকম্পিত করে রাখা আন্দালিব পার্থরা দেশের পুটু মারা খাওয়া মেইনস্ট্রিম গেলমানদের প্রতিনিধিত্ব করে। তথাকথিত তরুণরা বস্তুত বৃদ্ধরা এটা যত তাড়াতাড়ি বুজবে ততই রাজনীতির গেলমান সংস্কৃতি আস্তে আস্তে বন্ধ হবে বলে আশা করা যায়। কারন জীববিজ্ঞান বলে গেলমান হয় নিজস্ব যৌনপ্রত্যঙ্গের অভাবের দরুন। প্রাচুর্যতার কারনে নয়।
২.
একসময়ের ডাকসাইটে অনলাইন বাঙলা চটি সাহিত্যিক, অনলাইনে পর্ণ বিনিময়কারী, মুক্তিযুদ্ধ ঘবেষক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ঝান্ডা উত্তলোনকারী একমাত্র জীবিত বাঙালি, আম্লিগের সুবিশাল গেলমানশালার সর্দার, শাহবাগ আন্দোলনে শহীদ রুমি স্কোয়াডের অনশনের একজন সম্পর্কে “সত্য” প্রকাশ করে জাতিকে সঠিক পথে নিয়ে আসার কান্ডারী অমি রহমান পিয়াল মতান্তরে তুমি শিয়ালের কাছে বিডিনিউজ২৪ থেকে ব্লগার ইস্যুতে তার মূল্যবান মতামত জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেনঃ
“শুধু আসিফ মহীউদ্দিনের জন্য গোটা ব্লগার কমিউনিটি একরকম হয়ে যাবে এমন তো হতে পারে না।”
এটাতো বলার কিছু নাই! তুমি চটিবাজ পর্নবিনিময়কারী মাগির দালাল। তারমানে কি ব্লগাররা সবাই তোমার মতন তুমি চলমান শিয়াল? নাতো!
তারমানে কি আমরা ভেবে নেব আসিফকে বর্তমানে যে অবস্থায় রাখা হয়েছে তা ঠিকাছে? অতীতে মাগির বর্তমানে আম্লিগের দালাল অমি রহমান পিয়াল মতান্বরে তুমি চলমান শিয়ালের কাছে জাতি এই কথা জানতে চায়। আরো জানতে চায় পুটুতে কত কত এবং কত ট্যাকা দিলে তুমি “আম্লিগ থেকে হেটে যাবে জনতা পর্যন্ত?”
বলবে আম্লিগাক্রান্ত সর্বনাশী সংক্রামক দালালী থেকে জনতার পক্ষে স্লোগান? কত? কত ট্যাকা চাই তুমার?
পাঠকদের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে লেখাটি নীড়পাতা থেকে সরিয়ে লেখকের ব্যক্তিগত ব্লগে নিয়ে যাওয়া হল। সাময়িক সময়ের জন্য মন্তব্য করার অপশন বন্ধ করে দেয়া হল।
লেখকের অন্যান্য অনেক লেখার মত এই লেখার মূল বক্তব্যের সাথেও একমত। লেখকের বিশ্লেষণ ক্ষমতা ও সমালোচনার তীক্ষ্ণতা ঈর্ষনীয় এবং তার নিরপেক্ষতা অনুকরণীয় হলেও ভাষার ব্যবহারে যথেষ্ট আপত্তি আছে। কোন ব্যক্তির কাজের সমালোচনা করতে গেলে তার নামকে বিকৃত করার কোন প্রয়োজন নেই। অহেতুক গালিগালাজ এবং অশ্লীলতা একটি ভাল যুক্তিসম্পন্ন লেখার মানহানি করে। আমার ধারনা একজন প্রখর যুক্তিবোধ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে লেখক নিজেও এটি ভাল করেই বোঝেন। আশা করি তিনি তার লেখা/ মন্তব্যের ভাষায় সামান্য পরিবর্তন এনে বরাবরের মত সঠিক সময়ে সঠিক লেখা/মন্তব্য দিয়ে আমাদের আলোকিত করে যাবেন।
নুন্যতম একটা মানদন্ড বজায় না রাখলে এই ব্লগের ভবিষৎ খারাপ। একটা মানদন্ড থাকতেই হবে, এর কোন ব্যাতি নেই।
আমাদের অপরিনততার স্পষ্ট উদাহরন হলো যে আমরা যখন ঘৃনিত কাউকে নিয়ে কথা বলি তখন সকল মানদন্ড শিকেয় তুলে রাখি। অথচ সভ্যতা, গনতন্ত্র, মুক্তচিন্তা এসব পরীক্ষিত হয় আমরা কিভাবে ঘৃনিত জিনিষকে কিভাবে হ্যান্ডল করি, সেই সময়ে।
পিয়াল আর পার্থকে এক পাল্লায় তোলাটা হয়তো ঠিক নয়। একজন হলো মতান্ধ এক কট্টর মৌলবাদী, আরেকজন বিষাক্ত রং-পাল্টানো গিরগিটি। আমাদের একেক জনের কাছে এদের একেক জন বেশী ক্ষতিকর।
এর চেয়ে ভাল ব্যবহার পাওয়ার যোগ্য না এদের কোনটাই। এই লেখাটা যদিও আক্রমণাত্মক, তদুপরি যথোচিত। সাহিত্যমান বিবেচনা কিংবা নীতিমালা নিয়া হুড়াহুড়ির কিছু নাই, ব্যতিক্রম ভাল লাগে। মুক্তমনার সাথে যায় না ঠিক আছে কিন্তু ক্রোধ আর কত চেপে রাখা যায়? অবদমনের কি কোন শেষ থাকতে পারে না ?
স্যাটেয়ারের নামে বিভৎস কুরুচিপূর্ণ ও ব্যক্তি আক্রমণমূলক পোষ্ট। হয় মুক্তমনার নীতিমালা বদলানো হোক, না হয় পোস্টটি প্রথম পাতা থেকে সরানো হোক। (N)
@বিপ্লব রহমান,
আরে আপনাকেই তো খুজছিলাম, আপনি না থাকলে হয় নাকি। আপনি না থাকলে কি আর সেন্সরের কথা আসে। প্রমিত বাঙালার ব্যাকরনের জনক, এহলান কি সেহেলান। কেমন আছেন দাদা?
মুক্তমনার সবচেয়ে নিম্নমানের লেখাটাই বোধয় পড়লাম ..লেখক মুক্তমনাকে নিজের ওয়াল বা মন ভেবেছেন হয়ত .
প্রেক্ষাপট বিবেচনায় যে দু’জনের কথা এই লেখায় এসেছে, তাদের নিয়ে আসলেই সমালোচনা করা যায়। কিন্তু লেখাটি পরিস্কার ভাবেই অশ্লীল ভাষায় ব্যক্তিগত আক্রমণের দায়ে অভিযুক্ত যা মুক্তমনা-র নীতিমালার সাথে আমার জানামতে একেবারেই যায় না। মুক্তমনা অ্যাডমিনেরএ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
@রিজওয়ান,
আমিও! 🙁
লেখায় বিষয়বস্তু যাইই হোক, প্রথমেই টেকির সাথে একমত হতে হয় স্রেফ ভাষাগত পয়েন্টে। স্যাটায়ার লিখা আর গালিগালাজ করা এক নয়। কারো নির্দিষ্ট বক্তব্যের সমালোচনা অবশ্যই স্বাগতম, তাই বলে তাকে শিয়াল বিড়াল নামে ডাকাটা মনে হয় বাড়াবাড়ি। লেখার মূল আবেদন, বক্তব্য হারিয়ে যাবে এখানেই।
আসিফ মহিউদ্দিন ইস্যুতে ব্লগ জগতে নানান মত আছে। পিয়ালের বক্তব্য আমার মনে হয় না মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের যারা ব্লগার তাদের মতামত থেকে খুব ভিন্ন কিছু। এটা ব্যাক্তি পিয়ালের বক্তব্য হিসেবে নেওয়া ঠিক নয়। আমি নিজেও এই দলের সাথে একমত নই, আসিফ অতীতে কি করেছে যার কারনে তার ওপর সকলে এমন খাপ্পা তা আমার কাছে পরিষ্কার নয়। তবে এটা বুঝি যে এই সময় এমন বিভাজন কাম্য নয়।
@আদিল মাহমুদ,
শামিম মিঠু আর রিগ্যানকে দেয়া বক্তব্যের বাইরে নতুন কিছু বলার নাই। একটু কষ্টে করে পড়ে নিয়েন।
এখানে মূল আলোচ্য সর্বজনাব –
১. এডভোকেট ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ
২. ব্লগার, বরেণ্য মুক্তিযুদ্ধ গবেষক এবং প্রেমমূলক সাহিত্যের লেখক অমি রহমান পিয়াল
এখানে উপরোক্ত ব্যাক্তিদ্বয়ের কিছু কিছু ভণ্ডামি উন্মোচন করার চেষ্টা করা হয়েছে-
এখানে লেখক নির্মোহের পরিচয় দিয়ে কোন রাকঢাক করেননি। সব “আশেকে পার্থ” কিংবা “আশেকে পিয়াল” এর গাত্রদ্বাহ হওয়া স্বাভাবিক। তবে আমি নিশ্চিত এখানে যদি শুধু একজন এবং কেবল যদি একজনকে নিয়ে লেখা হত তাহলে অপর পক্ষ মুখে কুলুপ এটে মুচকি হাসত। সমালোচক অর্ধেক হয়ে যেত!!!!!
আরও সরাসরি বলি,
এখানে যদি ব্লগার, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক এবং প্রেমমূলক সাহিত্যের লেখক অমি রহমান পিয়াল কে বাদ দিয়ে শুধু এডভোকেট ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, এম পি এর ভন্ডামি এভাবে উন্মোচন করা হত তাহলে এই লেখার সমালোচনা ৯০ শতাংশ কমে যেত। আসলে তাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। সমাজের সকল অংশেই কমবেশি ভন্ড বর্তমান।
@সংবাদিকা,
আপনার এমন ধারনা সঠিক নয়। অতীতে এখানে ‘ছাগু’ বলার বিরুদ্ধেও সতর্ক করা হয়েছে তেমন রেকর্ড আছে। এ মুহুর্তে আমার ঘাটাঘাটি করে দেখানোর সময় নেই।
@সংবাদিকা,
//এখানে যদি ব্লগার, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক এবং প্রেমমূলক সাহিত্যের লেখক অমি রহমান পিয়াল কে বাদ দিয়ে শুধু এডভোকেট ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, এম পি এর ভন্ডামি এভাবে উন্মোচন করা হত তাহলে এই লেখার সমালোচনা ৯০ শতাংশ কমে যেত।//
এই অদ্ভূত তত্ত্ব আপনি কিভাবে বের করলেন? :-s
আমি নিজেও অমি রহমান পিয়ালকে একদমই দেখতে পারিন। সে তো স্পষ্টতই একটা বিশেষ দলের দালাল। তার প্রতিটা কর্মকান্ড সেই দলের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই করা।
না রে ভাই, অমিরে নিয়া না বইলা শুধু পার্থরে নিয়া এই পোস্টটা দিলেও আমি এইটার প্রতিবাদ করতাম। এখনও অতটা ভন্ড হইতে পারিনাই। 🙁
মুক্তমনার নীতিতে পরিবর্তন আসছে মনে হয়
@অনিমেষ শুভ্র,
মুক্তমনার নীতিতে পরিবর্তন আসে নাই, মানুষ ইদানিং বেশি সুশীলতা শিখছে।
টেকি সাফি আর শফিউল জয়ের সাথে সম্পূর্ণ একমত। ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং গালিগালাজের বিরুদ্ধে মুক্তমনার যে সংহত অবস্থান আমরা প্রথম থেকে দেখে আসছি এই লেখা সেই অবস্থানের মুখে একটা তীব্র চপেটাঘাত। গত কয়েকটা বছর ধরে যৌক্তিকতা এবং বিজ্ঞানমনস্কতা ছড়িয়ে দেওয়ায় মুক্তমনা একরকম বৈপ্লবিক ভূমিকা পালন করে এসেছে। এই ধরণের চটুল লেখার মাধ্যমে মুক্তমনার সেই আবেদন যাতে নষ্ট হয়ে না যায়, সেই আশঙ্কা থেকেই মুক্তমনার একজন গুণমুগ্ধ পাঠক এবং অনিয়মিত লেখক হিশেবে এই লেখা প্রত্যাহারের আবেদন জানাচ্ছি।
@সূর্য,
সুজন ভাই, পরবর্তীতে মোহাম্মদের নিকাহ, যৌন জীবন সম্পর্কে কথা বলার সময় আপনার আমাকে দেয়া এই ব্যাক্তি আক্রমনের ছবকটা মাথায় রাইখেন। অবশ্য সমস্যা নাই, আমার চোখে পড়লে আমিই মনে করায়া দিমু নে।
@সাইফুল,
তোমার বক্তব্যের সাথে আমি দ্বিমত পোষণ করি না কোথাও, কিন্তু বক্তব্যপ্রকাশের ধরণটা ভালো লাগে নাই। একজন ব্যক্তির সমালোচনা করা আর সমালোচনা করতে গিয়ে তাকে গালাগাল করা দুইটা এক ব্যাপার না; প্রথমটা অবশ্যকরণীয়, দ্বিতীয়টা অপ্রয়োজনীয় এবং ক্ষেত্রবিশেষে ক্ষতিকর। একই ব্যাপার মোহাম্মদ বা অন্য কোন ধর্মীয় ব্যক্তির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
আন্দালিভ আর পিয়াল এর দুষ্কর্ম নিয়ে কোন বিতর্ক নেই।কিন্তু তাই বলে অন্তত মুক্তমনাতে এ ধরণের অশ্রাব্য শব্দচয়নযুক্ত লেখা প্রত্যাশিত ছিল না। অসভ্যতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে নিজেকে অসভ্য হয়ে যেতে হবে এমনটা যুক্তিযুক্ত না বলেই মনে করি।বিশেষত অন্যান্য নো মডারেশন ব্লগের সাথে মুক্তমনার পার্থক্যটা এখানেই।এখানে অকথ্য গালিগালাজের পরিবর্তে যুক্তি প্রদর্শনকেই প্রাধান্য দেয়া হয়। এই লেখাটিতে অন্তত এটার বিপরীতটাই দেখলাম। মুক্তমনায় এমন লেখা প্রত্যাশা করিনি।
@আমি কোন অভ্যাগত নই,
আপনি অনেক কিছুই মনে করতে পারেন তাতে সূর্য ওঠা বন্ধ হবে না দুনিয়াতে।
শিবিরের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়ার সময় আপনারা কোথায় ছিলেন জানতে ইচ্ছা করে। স্লোগানটা মনে আছে তো?
“একটা একটা শিবির ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর।” অন্যান্য আরো ছিল, অনেক ছিল, সবাই জানে বলে বলমান না।
আপনাকে কেউ একটা থাপ্পর দিলে তার জবাব আপনি যীশুর মতন আরেক গাল পেতে দিয়ে দিতে পারেন, আমার ফর্মূলা ভিন্ন। আমি জবাবে আরেকটা থাপ্পর মারাই যৌক্তিক মনে করি।
সারপ্রাইজ দিলাম আপনাকে একটা!
মুক্তমনার নীতিমালা ২.৯ এ আছে ‘ লেখার মাধ্যমে ব্লগের কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা কিংবা কারো সম্বন্ধে কুৎসা রটানো গ্রহণযোগ্য হবে না। অন্যের বক্তব্যকে যুক্তি দিয়ে খণ্ডন করতে হবে, যুক্তি হওয়া উচিৎ যতদূর সম্ভব হেত্বাভাসমুক্ত। লেখা যদি উত্তেজনাপূর্ণ, ব্যক্তি-আক্রমণপ্রসূত কিংবা গোঁড়ামিপূর্ণ হয় তাহলে লেখা সরিয়ে নেয়ার কিংবা লেখকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়ার অধিকার মুক্তমনা সংরক্ষণ করে। ব্যক্তিগত আক্রমণের প্রসঙ্গে ব্লগের বাইরের সদস্যদের চেয়ে ব্লগ সদস্যদের প্রতি সহনশীলতার ব্যাপারটিই মুক্তমনা কর্তৃপক্ষের কাছে অধিকতর প্রাধান্য পাবে।’
২.১০। সঙ্কীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন, উত্তেজক ভাষায় পরিপূর্ণ কিংবা বিদ্বেষমূলক ভঙ্গিতে লিখিত প্রবন্ধসমূহ কোনভাবেই মুক্তমনায় প্রকাশের জন্য বিবেচিত হবে না। কোন ব্লগার এ ধরণের লেখা প্রকাশ করলে তা তৎক্ষণাৎ সরিয়ে নেয়ার অধিকার মুক্তমনা কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করে। মনে রাখতে হবে যে, লেখকের গ্রহণযোগ্যতা বহুলাংশেই নির্ভর করবে সুষম প্রকাশভঙ্গির উপর। তার মানে অবশ্য এই নয় যে, আমরা লেখককে তার দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপারে আবেগময় হতে নিরুৎসাহিত করছি, বরং সাধারণ কান্ডজ্ঞান এবং ভদ্রজনোচিত আচরণ এক্ষেত্রে অগ্রগণ্য হিসেবে বিবেচিত হবে।
আমার ধারণা এই লেখাটি মুক্তমনা নীতিমালা বিরোধী। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এই ব্যাপারে।
@শফিউল জয়,আমি আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত বা সহমত! আমার ধারণা ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আর ব্যক্তির নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ এক নয়। ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ বা ব্যক্তিগত আক্রমণ করা অনৈতিক, কাপুরুষতা! ব্যক্তির নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকতেই পারে এবং সেটা গঠনমূলক সমালোচনা করা আমার নৈতিক অধিকার।
‘মুক্তমনা’ মানে স্বেচ্ছাচারিতা না; স্বাধীন-চিন্তা-ইচ্ছা শক্তির বলে আপন খেয়ালখুশি মর্জি মাফিক যা ইচ্ছে তা বলা নয়। আবদ্ধ-সঙ্কীর্ণ-সংযুক্ত মন নিয়ে মুক্তচিন্তাবুদ্ধি’র চর্চা করা যায় না।
@শামিম মিঠু,
শামিম মিঠুকে যদি আমি দূর্নীতিবাজ সন্ত্রাস বলি তাহলে সেটা ব্যাক্তি আক্রমন। কিন্তু জয়নাল হাজারীকে সেটা বললে কী হবে সেটা অধমকে জানালে বাধিত হব।
অমি পিয়ালের বিরুদ্ধে আমি যেকয়টা অভিযোগ করেছি তার মধ্যে কোনটা আপনার কাছে মিথ্যা মনে হয়েছে?
মাগির দালাল? যে ইন্টারনেটে পর্ন শেয়ার করত তাকে এর থেকে মধুর কোন বিশেষনে আমি বিশেষায়িত করতে পারলাম না। আপনার কাছে আমি দুঃখিত জনাব।
উপরে শহীদ রুমি স্কোয়াডের একজন সদস্য অমি পিয়ালকে কেন আমি গালাগালি করেছি সেই দুঃখে আমাকে মুক্তমনার নীতিমালা শেখাতে এসেছে, যদিও ও যবে থেকে ইন্টারনেট চেনে তার আগে থেকে আমি মুক্তমনায় ব্লগিং করি। এই অমি পিয়াল রুমি স্কোয়াদের একজন সদস্যের বিরুদ্ধে নির্লজ্যতম মিথ্যা অম্লান বদনে ছড়িয়ে গ্যাছে। বলেছে স্কোয়াডের একজন সদস্য নাকি রাজাকারের ছেলে না আত্নীয় এই ধরনের কিছু।
সেই অমি পিয়ালের মান সম্মান রক্ষার্থে আপনারা যেভাবে চোখের জন্য নাকের জল এক জায়গায় করছেন তাতে করে আমার ধারনা জন্মেছে, যারা এই কাজ করছে তারা দুই শ্রেণীর, সাংঘাতিক রকমের আতেল সুশীল, নয়ত পিয়ালের মতনই কন্সাল্টেন্ট। আপনি কোন দলের জানিয়ে আমাকে দ্বিতীয়বারের মতন বাধিত করবেন।
উপরের জবাবগুলো দিন, তারপরে ভারি আলোচনা করা যাবে।
@সাইফুল ইসলাম,
পিয়াল বা যে কারো বিরুদ্ধেই আপনার অভিযোগ করতেই পারেন। তাতে মনে হয় না এভাবে সমালোচনা হত, একই পয়েন্টে নিকট অতীতে অভিজিতও পিয়ালের সমালোচনা করেছে। আপনার লেখা নিয়ে যারা আপত্তি তুলেছে আপনি মনে হয় তাদের পয়েন্ট পুরো ধরতে পারেননি। তারা পিয়ালের হয়ে ওকালতি করছে এখনো মনে হচ্ছে না। তারা মূলত আপত্তি করছে আপনার শব্দ চয়ন নিয়ে। সংক্ষেপে আপত্তির কারন আপনি পিয়ালের মত বিরাট কিংবদন্তীসম ব্লগারের বিরুদ্ধে কলম তুলেছেন তাই অন্ধ মুরিদদের পিয়ালানুভূতিতে আঘাত লেগেছে এমন নয়।
@শফিউল জয়,
সাফিরে যা বলছি ঐটাই তোমারে বলিঃ
আসলেই যা লিখতাম ঐটা লিখলাম না। কারন তাইলে হুদাই ক্যাচাল বাড়ব। তোমার সাথে ঐটা করার আপাতত ইচ্ছা নাই।
যত দোষ নাস্তিক ঘোষ, ফরহাদ মযহারের মত লোক যদি মুক্তমনাদের বিরুদ্ধে ন্যাংটা হয়ে স্লোগান দিতে পারে তবে তবে পিয়ালের sold হওয়াটাও বিচিত্র কিছু নয়। তবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ঘাঁটাঘাঁটির ব্যাপারে পিয়াল এক ভাল মানের সৈনিক কিন্তু ভিন্নমতের ব্লগারের ব্যাপারে বিশেষ করে আসিফের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত ঝাল ঝাড়ার জন্য তার ওজন অনেক খানি কমে গেছে। মোল্লাদের মধ্যে সহজেই বিভাজন ঘটে কারন তারা মাথামোটা, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ কিংবা মুক্তমনা/নাস্তিকের মধ্যে বিভাজন এই হেফাজতি ক্রান্তিলগ্নে মোটেও কাম্য নয়। আশা করি নিজেদের মধ্যে গু ছোঁড়াছোঁড়ির বিষয়টা পরেও করা যাবে।
@রিগ্যান,
আপনাকে সংকোচের সাথে জানাই, আমি আপনাদের ঐ “মুক্তিযুদ্ধের চেতনা” নামক জিনিসটা খুব একটা বুঝি না, যার ফলে সে চেতনায় আমি উদ্বুদ্ধও নই।
আর নিজেদের মধ্যে বিভাজনের কথা বলছেন কাকে? আমাকে?
তুমি শিয়ালের দুঃখিত ব্যাক্তি আক্রমন হয়ে গেল বলে। আমি বলতে চাইছিলাম অমি পিয়াল ব্লগারদের মুক্তি দাবী সম্পর্কে কী মতামত জানেন? উনি সবার মুক্তি চান কিন্তু “খাসি”র মুক্তি চান না। খাসি কে চেনেন? আসিফ মহিউদ্দিন।
আম্লিগের সেই মহান দালাল থুক্কু কনসাল্টেন্টের পোঁদ মাফ করবেন পেট আর উরুর মাঝে মানব শরীরের যে অংশটা থাকে সেটা বাঁচাতে কেউ আসছেন সভ্যতা শেখাতে, কেউ আসছেন ব্যাক্তি আক্রমন শেখাতে, কেউ আসছেন কারো কথায় ঐক্যমত্ত প্রকাশ করে একজনে ঘাড়ে রাইফেল রেখে নিজের গুলি আরেকজনের নামে চালাতে, কেউ আসছে স্রেফ মামদোবাজি করতে। এত কিছুর পরেও আমি “কিছু বইল্যেই তো বুইলবেন বুইলছে! “
তোমরা যে কতটা সুসন্টান লেখার ধরন দেখেই বুঝা যায়। এ কথা যথার্থই প্রমাণীত হল তোরা সবাই নষ্ট ছেলে। এমন অসভ্য ভাবে না লিখে কি প্রতিবাদ করা যায়না?
@vromor,
সাবধান ব্যাক্তি আক্রমন করবেন না! আপনার নীতিমালাটা দেখান তো,কী দেখে আপনি আমাকে নষ্ট ছেলে বললেন? আপনার নীতিমালায় আছে এটা? সভ্য ভাষায় “অসভ্য” কথাটা লেখা যায় না?
নীচে দেখেন জয় ভাইয়া মুক্তমনার নীতিমালা দিয়েছেন। নীতিমালা পড়ে তারপরে মন্তব্য করুন। ব্যাক্তি আক্রমন করবেন না।
পাঁচ তারা দিয়ে গেলাম। মাঝে মাঝে অশ্লীল(তর্কসাপেক্ষ) কথা ছাড়া মনে হয় মনের ভাব সম্পুর্নরুপে প্রকাশ হয়না। শালার আন্ডারে আন্ডা থেরাপি দেওয়া হউক।
@সুমন,
আপনি ব্যাক্তি আক্রমন করেছেন। সুশীলতার নীতিমালা দেখিয়ে দেব কিন্তু!
লেখার বিষয়বস্তু নিয়ে কোন আপত্তি নেই।
তবে টেকি সাফির মন্তব্যের সাথে একমত। এই লেখা মুক্তমনার চরিত্রের সাথে একদম বেমানান।
এই প্রসঙ্গে আমার একটা বিস্ময়ের কথা না বলে পারছি না। মুক্তমনায় বর্তমান লেখকের কুৎসিত ভাষায় লেখা এবং ক্ষেত্রবিশেষে ব্যক্তিআক্রমণসূচক পোস্ট ও মন্তব্য মোটামুটি নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হলেও সেটার কোন প্রতিবাদ সাধারণত দেখা যায় না কোন এক রহস্যময় কারণে। বিশেষ করে মুক্তমনা কর্তৃপক্ষ অন্য কারো এই জাতীয় আচরণের ক্ষেত্রে স্পষ্ট অবস্থান জানাতে দ্বিধা না করলেও এঁর ব্যাপারে স্পষ্টতই নমনীয় ও নীরব।
এই মন্তব্যটা প্রকাশ পাবে বলে মনে হয় না, তবু আশা করতে দোষ কি?
@সোহেল হক,
জগতের সমস্ত কিছুকে নিজের সাথে মিলাতে চায় কাঠমোল্লারা। আপনি নিজে কাঠমোল্লা কি না সেই প্রশ্ন তোলার অবকাশ থাকল আপনার মন্তব্যের খাতিরে।
কারন আমি মুক্তমার এডমিন, মডারেটরদের নিয়মিত মাসোহারা দেই। সেই জন্য তারা আমার হয়ে কন্সাল্টেন্সি করে।
এবার আল-জ্বিব দেখিয়ে একটা হাসি দিন তো দেখি! অবশ্য তাতে যদি সুশীলতার নিয়ম ভঙ্গ হয় তাহলে দরকার নাই।
আণ্ডালিবরে বরং কান ধরে জেলে নিয়ে আণ্ডা ট্রিটমেন্ট দেয়া হোক। এই চরিত্রহীন লোকটা এখন ইস্লামের হেফাজত করার জন্য নামছে দেখি! ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দেখলাম –
বক্তব্য যা-ই হোক…মার্জিত ভাষা ও ব্যক্তি আক্রমণের উর্ধে উঠে গঠনমূলক আলোচনা ছিলো একসময় মুক্তমনার নীতি…এখন অনেক কিছুই পাল্টায়া গেছে মনে হচ্ছে।
(N)
@টেকি সাফি,
আসলেই যা লিখতাম ঐটা লিখলাম না। কারন তাইলে হুদাই ক্যাচাল বাড়ব। তোমার সাথে ঐটা করার আপাতত ইচ্ছা নাই।
@টেকি সাফি,
ওয়েল, কি পাল্টাইছে আমি জানি না, তবে তোমারে খালি কেবল মুক্তমনার সমালোচনা করার সময়ই হাজির হইতে দেখা যায়, এইটা নজরে পড়ছে। ইদানিং দেখি লেখই না। কি ঘটনা?
আরে মিয়া পুরা দেশটাই তো পাল্টায় গেছে। এখন প্রগতিশীল লেখালিখির জন্য ব্লগারদের জেলে ঢুকানো হয়, হেফাজত শরিয়া আইন চালুর কথা বলে, মেয়েদের কাজ করার বিরুদ্ধে ফতোয়া দেয়, এরে ওরে মুরতাদ ঘোষণা কইরা ফেলাইয়া দেয়ার বৈধতা দেয়া হয়, এর মইধ্যে আন্দালিবের মত চরিত্রহীন টিভির টক শোতে গিয়া ব্লগারদের নাকে খত দেয়ার কথা কয়, … এই ধরণের ক্রিয়া বেশি হলে মুক্তনায় কিছুটা প্রতিক্রিয়া তো আসবেই।
যাকগে দেখি পাঠকদের প্রতিক্রিয়াগুলো পড়ে। আপত্তিকর কিংবা নীতিমালার সাথে সাংঘর্ষিক হলে লেখার ব্যাপারে আগের মতোই ব্যবস্থা নেয়া হবে। চিন্তার কোন কারণ নাই।
আমার পড়া অন্যতম সেরা সমকালীন রাজনৈতিক প্রহসন…… (Y)
@সংবাদিকা,
আপনি সুশীল না। আপনার সাথে কোন আলোচনা নাই। সুশীল হোন, নিদেনপক্ষে কনসাল্টেন্ট হতে চেষ্টা করুন।
সাইফুল জবাব নেই!
@সুষুপ্ত পাঠক,
আপনার যেহেতু এই লেখা ভালো লেগেছে তার মানে হল আপনি ভদ্র প্রজাতির মধ্যে পড়েন না। আপনি সুশীল না। আপনাকে মাইনাস!
ৰ্পাথ একবার এই চ্যানেলে ল্যাদায় আরেকবার ঐ চ্যানেলে ল্যাদায় । ল্যাদায়তে ল্যাদায়তে পুরা বাংলা মিডিয়া ভরাইয়া ফেলতাছে ।তাঁর ল্যাদানো বন্ধ করতে তাঁকে একতোরা রজনীগন্ধা+স্টিক সাথে নিয়া সাকার সাথে মিলিত (L) হবার সুযোগ কইরা দেওয়া হউক ।
চটি পিয়াল তুমি আসলেই শিয়াল । (&)
@তারিক,
আস্তে বলেন। গায়ে লাগে। দালালদের এখন দালাল বলার দিন শেষ। কন্সালটেন্ট বলাই সব দিক থেকে নিরাপদ। কারো অনুভুতিতেই আঘাত লাগে না। সুশীল কুশীল দুই দলই চুপ থাকে তাতে।