শাহবাগের স্বতঃফূর্ত জনরোষ এবং যুদ্ধপরাধী বিচারে কোন ঠাসা জামাত-শিবির এবং তাদের ‘ভদ্র ফ্রন্ট’ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নিয়ন্ত্রণ বর্তমানে কার হাতে – এই প্রশ্নের উত্তরে পাঠক কি বলবেন ? আরেকবার ভাবুন কারণ বাইরে থেকে যা মনে হয় , ভিতরের অবস্থা প্রায়ই সেটা থেকে হয় সম্পূর্ণ অন্যরকম। দেলোয়ার সাঈদীর বিচারের রায় প্রকাশ হওয়ার পর সারা দেশে এই রায়ের প্রতিবাদের নামে যা আরম্ভ হয়েছে সেটাকে জঙ্গিবাদ বলাই উত্তম। এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা অর্ধ শত ছাড়িয়ে গেছে যার মধ্যে পুলিশ সদস্যরাও আছে। এক জায়গায় ১৫ জন পুলিশ সদস্যকে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়েছে।অবস্থাদৃষ্টে প্রতীয়মান হচ্ছে যে , নিজেরা রাজনীতি করতে জামাত-বিএনপি অক্ষশক্তি যত না আগ্রহী তার চেয়েই তারা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে ক্ষমতার মসনদ থেকে বিতারিত করতে বেশী আগ্রহী। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করা যাকে বলে। তারা বিশ্বাস করছে যে, দেশে যদি এমন অবস্থা তৈরী করা যায় যাতে পরিস্থিতি সরকারী নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং ব্যপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে , তাহলে সশস্ত্র বাহিনী ২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারির মত পুনরায় পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য স্বপ্রণোদিত হয়ে হস্তক্ষেপ করতে এগিয়ে আসবে। এর সম্ভাবনা কতটুকু এবং এই সম্ভাব্য সামরিক হস্তক্ষেপ কি ধরণের পটভূমি দাবী করে ?
একটি দেশে সামরিক হস্তক্ষেপ বিভিন্ন কারণে ঘটতে পারে । আমি এখানে প্রধান দুইটি পরিস্থিতির উপর আলোকপাত করতে চাই। প্রথমটি শ্রেফ ক্ষমতা কুক্ষিগতকরণের এবং দ্বিতীয়টি জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত।
সচরাচর উচ্চাভিলাষী সমরনায়কেরা ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য সামরিক বাহিনীর সাহায্যে একটি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। এটাকে সবাই সামরিক অভ্যুত্থান বলে থাকেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এ ধরণের ‘সফল সামরিক অভ্যুত্থানের’ সংখ্যা চারটি। প্রথমটি ঘটে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট যখন জুনিয়র সেনাকর্মকর্তাদের নেতৃত্বে শেখ মুজিবুর রহমানের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। এরপরে একই বছর ৭ই নভেম্বর ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের পাল্টা অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করে দিয়ে আরেকটি অভ্যুত্থান ঘটানো হয় মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের সপক্ষে যেটাকে ‘বেসামরিক রং’ দেয়ার জন্য প্রায়ই ‘সিপাহী জনতার বিপ্লব’ বলা হয়ে থাকে – এটার সামনের কলামে ছিলেন সেনা বাহিনীর নন কন্ডিশন্ড কর্মচারীরা। এরপরে সর্বশেষ সামরিক অভ্যুত্থানটি ঘটে ১৯৮২ সালের ২৪শে মার্চ তৎকালীন সেনা প্রধান লেঃ জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে । গন আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগ পর্যন্ত এরশাদ সাহেব ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে সক্ষম হন।
২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারী বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটে । সামরিক বাহিনী তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইয়াজুদ্দিন আহমেদকে ক্ষমতায় রেখে রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় যা ২০০৯ সালের ৬ই জানুয়ারি বর্তমান নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শপথ নেয়ার আগ পর্যন্ত জারী ছিলো। ২০০৭ এর ১১ জানুয়ারী থেকে ২০০৯ সালের ৬ই জানুয়ারী পর্যন্ত সময়টা ডঃ ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বধীন একটি টেকনোক্র্যাট সরকার বাংলাদেশের রাজনৈতিক ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিলো এবং এর পেছনে ছিল সামরিক বাহিনীর বিশেষ সেল যার নেতৃত্বে ছিলেন তৎকালীন সেনা প্রধান জেনারেল মইন ইউ আহমেদ। সে সময় দেশে জরুরী অবস্থা জারী করা হয় সামরিক আইন বলবতের পরিবর্তে – যেটা বিশেষভাবে লক্ষনীয়। যে অবস্থায় দেশে জরুরী অবস্থা জারী করা হয়েছিল সেটাকে যৌক্তিকতা দেয়া হয়েছিল একটি কারণ দেখিয়ে যে , দেশের জাতীয় নিরাপত্তা ছিল হুমকীর সম্মুখীন। জাতীয় নিরাপত্তা হুমকীর সম্মুখীন হয় বিভিন্ন কারণে। বিদেশী আক্রমণকে অনেকেই প্রধান হুমকী হিসেবে দেখতে চাইলেও জাতীয় নিরাপত্তার ভিত্তিটা আসলে রাষ্ট্রের উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণের উপর নির্ভরশীল। একটি রাষ্ট্রের প্রতিটি ভৌগলিক অংশ এবং প্রতিষ্ঠানের উপর যখন সেই রাষ্ট্রের সরকার কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে তখন সে রাষ্ট্রে অরাজকতা দেখা দেয়। এ প্রসঙ্গে সোমালিয়া এবং আফগানিস্তানের উদাহরণ দেয়া যেতে পারে। এই দুইটি দেশের সম্পূর্ণ ভৌগলিক অংশের উপর কোন কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রন নেই। বিভিন্ন সশস্ত্র দল বা মিলিশিয়া এই দেশ দুটির বিভিন্ন এলাকা নিয়ন্ত্রন করছে। সোমালিয়ায় এমনকি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য কোন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অস্তিত্ব নেই , তারা মার্কিন ডলার বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ব্যবহার করে থাকে। ২০০৭ সালের জানুয়ারী মাসে তৎকালীন তত্বাবধায়ক সরকার রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলে , রাজপথের দ্বারা দেশ শাসিত হতে থাকে। সরকারী কর্মচারীরা হয়ে পড়েন নিষ্ক্রিয়। তারা তাদের নিজ নিজ রাজনৈতিক দলের আনুগত্য দেখাতে থাকেন যার ফলে তৎকালীন তত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে সরকারী আদেশ বাস্তবায়ন অসম্ভব হয়ে পড়ে , দেশ সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এই সময় দেশে সোমালিয়ার মত পরিস্হিতি সৃষ্টি হওয়ার আশংকা দেখা দেয়া যার সূযোগ নিয়ে বিভিন্ন জঙ্গী মিলিশিয়ারা দেশে অরাজকতা কায়েম করার মানসে তৎপর হয়ে উঠে অবাক হওয়ার কিছুই থাকত না। দেশ দাড়িয়ে ছিলো গৃহযুদ্ধের দোরগোড়ায় । ধর্মীয় মৌলবাদী এবং বামপন্থী সশস্ত্র গ্রুপগুলোর জন্য এ এক সূবর্ণ সুযোগ। এমতাবস্থায় জাতীয় নিরাপত্তা সুসংহত করতে সামরিক বাহিনীকে হস্তক্ষেপ করতে হয় বাধ্য হয়েই যদিও তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করা থেকে সেসময় বিরত থাকেন যা সর্ব মহলে প্রশংসিত হয়েছে।
শাহবাগের জন আন্দোলন বর্তমানে তুঙ্গে । লাখো মানুষ ৭১ এর যুদ্ধাপরাধদের বিচারের দাবীতে ঐক্যবদ্ধ যার পেছনে রয়েছে পুরো বাংলাদেশের জনতার সমর্থন। অন্যদিকে জন বিচ্ছিন্ন জামাত- বিএনপি অক্ষশক্তি যুদ্ধপরাধীদের বিচার প্রত্যাখ্যান করে তাদের স্বাধীনতা বিরোধী চেহারা জন সম্মুখে উন্মোচন করেছে। তাদের সরাসরি প্রতিপক্ষ হিসেবে তারা বর্তমান সরকারকে দেখছে যদিও সরকার জনদাবি বাস্তবায়ন করছে। তারা চাইবে এ সরকারে পতন ঘটুক যত শীঘ্র সম্ভব , দেশের গনতন্ত্র এবং জাতীয় নিরাপত্তাকে ধ্বংস করে হলেও। তারা চায় না যুদ্ধপরাধীদের পেছনে ফেলে ইতিবাচক পরিষ্কার রাজনীতি নিয়ে ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হতে। তারা চাইবে এখন দেশে গৃহযুদ্ধে দাবানল ছড়িয়ে পরুক – ১৯৭১ তো এদের কাছে মুক্তি সংগ্রাম ছিলো না , ১৯৭১ ছিলো গৃহ যুদ্ধ ! শাহবাগে চালানো হতে পারে ইতিহাসে নৃশংসতম গণহত্যা। শোনা যায় বিশ্ব সন্ত্রাসের কুখ্যাত খলনায়ক পাকিস্তানী সামরিক গোয়েন্দা আই এস আই এখন জামাত-শিবির এবং তাদের ভদ্র ফ্রন্ট বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছে। কথা সত্যি যদি হয় তাহলে, গাড়ী বোমা , ট্রাকবোমার ব্যবহৃত সেমটেক্সের মত উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিস্ফোরক যে কোন মূহুর্তে বাংলাদেশের উপকূলে খালাস হওয়ার অপেক্ষা করছে।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী শাহবাগের জনতাকে সমর্থন দিয়ে এসেছে , আগামীতেও দেবে বলে আমার বিশ্বাস। সেই শাহবাগে পাকিস্তানী প্রযুক্তিতে তৈরী বিস্ফোরকে গণহত্যা চললে দেশে জাতীয় নিরাপত্তা বলে আার কিছু থাকবে না। এটা হবে একটা গেইম চেঞ্জার। দেশকে নিশ্চিত গৃহযুদ্ধ থেকে বাঁচাতে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর তখন সরাসরি হস্তক্ষেপ করা ছাড়া অন্য কোন উপায় থাকবে না। , তা সে সরকারে আদেশেই হোক আর অনিচ্ছাতেই হোক। এতে আর কিছু না হোক জন বিচ্ছিন্ন জামাত- বিএনপি অক্ষশক্তির নিজেদের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করার যোল কলা পূর্ণ হবে ! অাসুন আমরা সবাই মিলে অক্ষশক্তির এই নীল নক্সা প্রতিহত করি।
শাহাবাগের গনজাগরন মঞ্চকে আওয়ামী করন করার চেষ্টা হচ্ছে, বিনপি এটা করবেই কারন এটা তাদের পলিটিকাল স্ট্যান্ট | কিন্তু কিছু আতেল সাংবাদিক ইনিয়ে বিনিয়ে টকশোতে কল্প কাহিনী বানিয়ে এটাকে আওয়ামীকরন করছে | এই সব সাংবাদিক ভাব দেখান তিনি নিরপেক্ষ , আসলে তারা একটি দলের পরক্ষ সমথক | তারা জনগণকে পাগল ভাবে, আসলে তারাই ছাগল | এটা ২০১৩ সাল। আসলে শাহাবাগে বেশীর ভাগ মানুষ নিরপেক্ষ .
বুঝলাম না। সামরিক বাহিনী শাহবাগকে কিভাবে সমর্থন দিল?
@ডাইনোসর,
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নিজেই যেখানে সংসদের বিধিমালায় দাড়িয়ে সমর্থন ব্যক্ত করছেন , সেখানে তার অধীনস্তদের আলাদা করে বিবৃতি দেয়াটা গঠনতান্ত্রিক রাষ্ট্রে শোভা পায় না। গনতন্ত্রে বিশ্বাসী এবং স্বাধীনতার স্বপক্ষের আধুনিক বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর অন্যতম দিকপাল জেঃ মঈনের সেই বিখ্যাত উক্তি ” the armed forces is subservient to the civilian administration” এক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
এটার কি কোন প্রমাণ আছে? প্রমাণ ছাড়া এ ধরনের কথা অন্ততপক্ষে মুক্তমনায় আশা করা যায় না।
হামলার ভয়ে এমনিতেই বাসা থেকে প্রতিদিন শাহবাগ যেতে নিষেধ করা হয়। আমার মনে হয় এ ধরনের সংবাদ সাধারণ মানুষের মাঝে ভীতি ছড়াবে।
@দীর্ঘশ্বাস,
ভীতি ছড়াবে ? নিজে কতবার শাহবাগে গেছেন সেটার সত্যায়িত ছবি এখানে পোস্ট করে দিন । না থাকলে মগবাজারের ছবি হলেও চলবে।
@সংশপ্তক,
সম্ভবত, বিএনপি-জামাত জোট বুঝে গেছে, গণজাগরণ-গণ বিস্ফোরণের কারণে এবার তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার খুব সম্ভাবনা নেই। তাই আগাম গৃহযুদ্ধের যে সম্ভাবনা তারা দিয়ে রেখেছিলো, তাই বাস্তবায়নে এখন তারা মরিয়া। …এই সূত্রেই তারা হয়তো তৃতীয় পক্ষের আমদানী আশা করে। এটি হচ্ছে, নিজের নাক কেটে অপরের যাত্রা ভঙ্গের কূটকৌশল।
চলতি নোটের সঙ্গে দ্বিমতের খুব অবকাশ নেই। এর মহৎ উদ্দেশ্যকে শ্রদ্ধা জানাই। তবে আপত্তি বিপরীত পাঠে।
গণজাগরণের আন্দোলনে সহিংস হামলার আশঙ্কাটি এ সময় প্রকাশ না করলেই বোধহয় ভালো হতো। আন্দোলন সম্পৃক্ত তথ্য সাংবাদিকতার ব্যস্ততার কারণে আপনার নোটটিও সময় মতো পড়তে পারিনি, তাই এ কথা বলতে বেশ দেরী হয়ে গেলো। এতে যে শুধু আন্দোলন কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে শঙ্কা ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে তা নয়, মৌলবাদ-সন্ত্রাসী গোষ্ঠির ‘সাঁকো নাড়া দেওয়া হয়’। …[খুব খেয়াল করে।]
@সংশপ্তক, আমি আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করছি না। আমার বক্তব্য আপনার কাছে স্পষ্ট না হয়ে থাকলে বিপ্লব রহমান-এর মন্তব্যের ২য় অংশটুকু দেখুন।
শাহবাগে সবাই তো আর প্রোফাইল পিকচার তোলার জন্য যায় না। কিংবা “আমি শাহবাগে ছিলাম,এর প্রমাণ রাখতেই হবে”-এ ধরনের মনোভাব সবার মধ্যে থাকে না। তাই প্রমাণ না দিতে পারার জন্য আমি দুঃখিত।
@দীর্ঘশ্বাস,
(Y)
পুলিশের উপর জামাত শিবিরের নৃশংসতার নমুনা দেখুন। পুলিশ সদস্য ওমর ফারুকের চোখ উপরে ফেলা হয়েছে কুপিয়ে মারার পরে , যাতে মৃত্যু নিশ্চিত হয়।
[img]http://www.thedailystar.net/newDesign/slir/w400-h240-p1/http://www.thedailystar.net/photo/2013/03/04/2013-03-04__fr02.jpg[/img]
@সংশপ্তক, এরপরেও কি সরকার অপেক্ষা করবে? এইটাই কি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জেহাদ না?
এটা মনে হয় একমাত্র ভাল খবর। এইভাবে এলাকা বাসী পালটা মাইর দিতে পারলেই শিবির কোনঠাসা হয়ে পড়বে আশা রাখি।
Interesting:
“২০০৭ সালের জানুয়ারী মাসে তৎকালীন তত্বাবধায়ক সরকার রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলে , রাজপথের দ্বারা দেশ শাসিত হতে থাকে।”
History repeats …
More interestingly, how the intellectuals (like the writers in this blog) attempts to shape and channel perceptions into a self serving direction. Examples:
”সেই শাহবাগে পাকিস্তানী প্রযুক্তিতে তৈরী বিস্ফোরকে গণহত্যা চললে দেশে জাতীয় নিরাপত্তা বলে আার কিছু থাকবে না।” How foolish/intelliegent to connect Pakistan into this to create sensational writing. Any idea how many countries produce small armaments and and which types are mostly available/used worldwide?
”কোন দেশে পরাজিত দেশদ্রোহীদের বাঁচিয়ে রাখা হয় না” is (perhaps) true (since I don’t have any rigorus emperical evidence/study) but see how this notion gets perverted as the writer equates and politicizes it with only one stream of political parties.
and there are many more…
It’s an average attempt to fool some people and most likely get cited and supported by some core supporters, but it definitly doesn’t stand anywhere close to be an objective and impartial view of the current situation under a critical view.
@John Silver,
ডঃ ‘সিলভার’ , বাংলায় প্রশ্ন করুন, আপনার সব প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে। :))
@সংশপ্তক, Sorry, I wasn’t looking for your response.
You only engage in dialouge with people who are ‘মুক্তমনা’ coz you can only pour in something into a bottle if its open and partially empty.
It appears to me that your bottle is closed or you have all the knowledge on this issue. In other words, you have reached the state of being incorregible.
So pl enjoy your status and continue your surmons. By the way, you have typo error while referring me.
এরপরে আর কোন ইংরেজি কিংবা বাঙরেজি মন্তব্য প্রকাশ করা হবে না।
-মুক্তমনা মডারেটর
সফিকের সাথে বাকিদের বিতর্কে বলতে চাই যে বিএনপি কিন্তু বর্তমান আওয়ামী লীগ তক্ত্বাবধয়ক সরকার ফিরিয়ে দিচ্ছে না এর জের ধরে নয়। যুদ্ধপরাধীদের ব্যাপারে বিএনপি কি কোনদিন বিচারের পক্ষে ছিল, যারা তক্ত্বাবধয়ক ইস্যুতে সরকারের সাথে গোস্যা করে জামাতকে ব্যাবহারের স্বার্থে প্রো-জামাতি সাজতে হয়েছে? বাস্তব তো মোটেও তেমন বলে না। বিএনপির অবস্থান বিচারের প্রথম থেকেই যুদ্ধপরাধীদের পক্ষেই ছিল।
সাধারন লোকের মাঝে অনলাইনে সক্রিয় ব্লগাররা যুদ্ধপরাধী ইস্যু সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দিয়ে এসেছে এই সরকারের প্রথম থেকেই। এই ইস্যুর কাছে হারিয়ে গেছে অন্যান্য অনেক গুরুত্বপূর্ন ইস্যু। অনেক সময় সচেতন ব্লগাররা সচেতন বা অচেতন ভাবে যুদ্ধপরাধীদের বিচারের স্বার্থে সরকারের অনেক কুকর্মে নৈতিক সমর্থন দিয়েছেন, আর নয়ত নীরব থেকেছেন। রাজনীতি যখন পোলারাইজড হয় তখন এমনই হয়, এটা কোন ভাল লক্ষন নয়। এই ব্যাপারে বিএনপির ভূমিকা কম নয়, তারা প্রথম থেকেই যুদ্ধপরাধী ইস্যুতে বিরোধী অবস্থান না নিলে পোলারাইজেশনের ব্যাপারটা এতটা প্রকটভাবে ঘটত না বলেই আমি মনে করি। তক্ত্বাবধয়ক ইস্যু সক্রিয় ব্লগার, সুশীল মূলধারার মিডিয়ার কাছে গুরুত্ব পায়নি যুদ্ধপরাধী ইস্যুতে বিএনপির নৈতিক অবস্থানের কারনেই মনে হয়।
দেশের অবস্থা মোটেও ভাল নয়। বিচারের সাথে সাথে এই আশংকাও এখন দেখা দিচ্ছে যে বাংলাদেশ কি সহসা পাকিস্তানে পরিনত হবে কিনা যে দেশে প্রতিদিনের ডালভাত খবর হল অমূক যায়গায় অমূক বোমা হামলায় এত জন নিহত নিঃসন্দেহে বিএনপি জামাত এমনই চায়, সরাসরি ভোটের ঝুকি মনে হয় না তারা নেবে বলে। জামাত ডিসেম্বর মাস থেকেই নানান চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে এসবের মহড়া দিয়েছে। অবস্থা এমন পর্যায়ে আনা হতে পারে যাতে হয় সেনা শাসন নয়ত বিএনপি-জামাতের কাছে ক্ষমতা অর্পন এদিকে যেতে পারে। যুদ্ধে নামার আগে শত্রুর শক্তিকে কোনদিন খাটো করে দেখতে নেই, যা যুদ্ধপরাধী ইস্যুতে সাধারন ব্লগার থেকে শুরু করে সরকার সকলেই করেছে। জামাত শিবিরের ভোট নেই, বিএনপির সাহায্য ছাড়া একটি আসনও তারা পাবে না, মাত্র গুটি কয়েক লোকে টাকা পয়সার লোভে জামাত শিবির করে যাদের নিষিদ্ধ করে দিলেই আর অস্তিত্ব নেই এ ধরনের ভ্রান্ত ধারনা কিভাবে যেন সবাইকে গ্রাস করেছিল। আমি অন্যান্য যায়গায় বহুবার বলার চেষ্টা করেছিলাম যে জামাতের মত আদর্শ ভিত্তিক দলকে এভাবে আন্ডার এষ্টিমেট করা ঠিক নয়, বিএনপি আওয়ামী লীগের সাথে এই দলের পার্থক্য মৌলিক। তারা বিচারের প্রথম দিকে নীরবতা পালন করছিল সঠিক সময় অরাজকতা সন্ত্রাস সৃষ্টির প্রস্তুতি হিশেবে, সেটাকে সকলে ধরে নিয়েছে জামাতের দূর্বলতা। কিভাবে যেন লোকের ধারনা হয়েছে জামাত শিবিরের দৌড় হল কেবল ব্লগ জগতে মাল্টি-নিক ধারন করে কলমবাজির মাঝেই সীমাবদ্ধ। জামাত আদর্শ ভিত্তিক দল শুনলে আবার অনেকে উলটা খেপে ওঠেন ছাগ গন্ধ পেয়ে যান।
– কিভাবে এত নিশ্চিন্ত হলেন, মানে অনুপাতের ব্যাপারে? এভাবে হলে ভাল হয় বলে :)) ? আমি অন্তত এতটা নিশ্চিত নই। অতীতের সব নির্বাচনেই দেখা গেছে যে অধিকাংশ ভোটার ভোট দেয় দলে, কোন নির্দিষ্ট ইস্যু বা ব্যাক্তিকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের দলীয় সমর্থন বদল ঘটে না। ব্রুট মেজরিটির সংসদ হলে সংসদে সিটের হিশেবে আপাত চোখে বিজয়ী পক্ষ ভূমিধ্বস বিজয় অর্জন লাভ করেছে মনে হলেও ভোটের সংখ্যা হিসেব করলে দেখা যায় যে হারু পার্টিও প্রচুর ভোট পেয়েছে, গত সব নির্বাচনেই বড় দুই দলের প্রাপ্ত মোট ভোটের হিসেব আপনার বক্তব্য তেমন একটা সমর্থন করে না।
আপনার কি মনে হয় এ মুহুর্তে অবাধ নির্বাচন হলে ফলাফল ৯০%-১০% জাতীয় কিছু হবে?
বিশেষ করে মনে রাখতে হবে যে বিএনপির ভোট ব্যাংক হল দেশের ধর্মভীরু অধিবাসীদের বড় অংশ যাদের রাজনৈতিক এলাইনমেন্ট কোনদিনই আওয়ামী স্রোতের ন্যূনতম সংশ্রব যেদিকে আছে সেদিকে যাবে না। এরা যে স্বাধীনতা বিরোধীদের সমর্থক তা নয়। নীতিগতভাবে এরা রাজাকারপন্থী নয়, তবে আওয়ামী লীগকে এরা ইসলাম বিরোধী/ভারতপন্থী শক্তি হিসেবে চিরকাল মনে করে এসেছে যে কারনে এরা রাজাকার সংগ নীতিগতভাবে আওয়ামী অপেক্ষা উত্তম মনে করে। এই দলের সদস্যরাই এবারকার আন্দোলনের জোয়ারে যোগ দিলেও ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবীকে নাস্তিক বামদের ষড়যন্ত্র হিশেবে আখ্যায়িত করেছে, থাবা বাবা ইস্যু এদের চুড়ান্তভাবে সুযোগ দিয়েছে আন্দোলন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে। এই দলের সদস্য কিন্তু নেহায়েত কম নয় যাদের কাছে নাস্তিক রাজীব বা আসিফ থেকে রাজাকার গোলাম আজম বা নিজামী সংগ অনেক শ্রেয়। ব্লগ জগতেও এমন দেখবেন, বাস্তব জীবনেও দেখবেন। এদের সংখ্যা কি নেগলেজিবল? আমার মনে হয় না। এদের আন্ডার এষ্টিমেট বা ইগনোর করা আরেকটি বড় ভুল যা সব সময় করা হয়। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির এই বিভাজন হল জামাতিদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র। এই দলের কাছে বর্তমানের পরিস্থিতির মূল্যায়ন চান, খুব সম্ভবত প্রথমেই শুনতে হবে নাস্তিক ব্লগারদের কারনেই জামাত এতটা করার সাহস পেয়েছে……
নানান কিসিমের মানুষ আছে। আপনি না আপোষের কথা বলেছিলেন? আপোষকামী লোকও অনেক আছে যাদের সেভাবে রাজনৈতিক এলাইনমেন্ট নেই। এরা বিচার চায় তবে বিচারের মূল্য হিসেবে বর্তমানে যে পরিস্থিতি হয়েছে সেটা কোনভাবেই চায় না। এদের কাছে রাজাকারদের বিচার হবার চাইতে বর্তমান অবস্থা যেভাবেই হোক এড়ানোই শ্রেয়তর। এরা নিজের নিশ্চিত নিরাপদ জীবনের ঝুকি কোন আদর্শ ফাদর্শের বিনিময়ে বিঘ্নিত হতে দিতে চায় না। এরাও একটা পর্যায়ে পরিস্থিতির জন্য সরকার এবং আন্দোলনকারীদের দায় দেবে। এখন আর ‘৭১ সাল নেই।
@আদিল ভাই,আপনার মন্তব্য গুলো বেশিরভাগ সময় একটা লেখার মতই আলোচনা যোগ্য হয়। এ নিয়ে একটা লেখা আপনি কিন্তু দিলেই পারেন।খুব সুখপাঠ্য হবে বলেই আমার বিশ্বাস।
@আদিল মাহমুদ,
অত্যন্ত বাস্তববাদী আলোচনা, সহমত পোষণ না করার কোন উপায় নেই।
@আদিল মাহমুদ,
চৈনিক (চৈনিক কথাটা বলতে গেলেই টেনিদা’র কথা মাথায় চলে আসে!) দার্শনিক সুন জু (Sun Tzu) এর বিখ্যাত The art of War বইটার কথা নিশ্চই শুনেছেন। বলা হয় যে সামরিক স্ট্র্যাটেজীর এই বইটি ইতিহাসের প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন স্ট্র্যাটেজী’র বই। আজকের দিনেও মিলিটারী, পলিটিক্স, বিজনেস স্ট্র্যাটেজীর ছাত্রদের জন্যে এই বইটিকে অবশ্যপাঠ্য বলা হয়।
The art of War এর একটা বিখ্যাত নীতি হলো যে শত্রুর চেয়ে অনেকগুনে বেশী শক্তিশালী না হলে কখনো শত্রুকে পুরোপুরি ঘেরাও করবে না বা তাকে একটা চারিদিক বন্ধ কোনায় আটকে ফেলবে না। এরকম পরিস্থিতিতে শত্রু একদম মরিয়া হয়ে উঠে যেটা সামলানো সাধারন শক্তিতে সম্ভব নয়। এজন্যে শত্রুদের পিছু হটার জন্যে একটা রাস্তা অন্তত খোলা রাখতে হবে।
এই সংক্রান্তই আরেকটা বিখ্যাত কোটেশন, ” Throw your soldiers into positions whence there is no escape, and they will prefer death to flight. If they will face death, there is nothing they may not achieve,- Sun Tzu”।
বাংলাদেশের বিএনপি-আওয়ামী লীগ এই দুই দলেরই একমাত্র লক্ষ্য ক্ষমতা, কারন তারা হাড়ে হাড়ে জানে ক্ষমতার বাইরে থাকলে কি হয়, ক্ষমতা পেলে কি সম্ভব। অনেকেই বার বার বলছেন যে চারিদিকে এতো নিন্দা সত্বেও বিএনপি কেনো জামাতকে ছাড়ছে না? এটার একমাত্র কারন গন্ডগোল করে তত্বাবধায়ক বা সামরিক হস্তক্ষেপ আনতে হলে বিএনপি’র জামাত ছাড়া কোনো উপায় নেই। তারা একদম cornered হয়ে আছে। বিএনপি মনে করে এই কর্নার থেকে বের হওয়া জামাত ছাড়া সম্ভব নয়। তত্বাবধায়ক সরকার ছিলো বিএনপি’র পশ্চাৎঅপসারনের একমাত্র পথ।
অবশ্য অনেকে মনে করেন বিএনপি’র উচিৎ আওয়ামী লীগের অধীনে অনুগত বি টিম হয়ে কমপক্ষে বছর দশেক প্রায়শ্চিত্ত করা। তারপরে হয়তো তারা বিএনপি’কে রাজনৈতিক বৈধতা দিলে দিতেও পারেন।
আপনি বলেছেন, “তারা প্রথম থেকেই যুদ্ধপরাধী ইস্যুতে বিরোধী অবস্থান না নিলে পোলারাইজেশনের ব্যাপারটা এতটা প্রকটভাবে ঘটত না বলেই আমি মনে করি। তক্ত্বাবধয়ক ইস্যু সক্রিয় ব্লগার, সুশীল মূলধারার মিডিয়ার কাছে গুরুত্ব পায়নি যুদ্ধপরাধী ইস্যুতে বিএনপির নৈতিক অবস্থানের কারনেই মনে হয়”।
আমার তো মনে হয়েছে প্রথম তিন বছর বিএনপি এতটাই অসংলগ্ন ছিলো যে কোনো ইস্যুতেই তারা সক্রিয় হতে পারে নি। কেবল মাত্র তত্বাবধায়ক সরকার তুলে দেবার পরেই তারা বিরোধীতার আন্দোলনে কিছুটা ভিত্তি পেয়েছে। প্রথম আলো ও ডেইলী স্টার এর গত চার বছরের করা বাৎসরিক জরীপগুলো দেখলেও এই প্রবনতার কিছু চিন্হ দেখতে পাবেন। বিএনপি যে যুদ্ধাপরাধের বিচার চায় না এটা নতুন কিছু নয়। ৯৩ এর ঘাতক দালাল নির্মূল আন্দোলন, যখন জামাত বিএনপি’র এতো কাছাকাছি ছিলো না বা এতো শক্তিশালীও ছিলো না, তখনো বিএনপি যুদ্ধপরাধের বিচার সক্রিয় বিরোধিতাই করেছে।
বাংলাদেশের এখনকার সক্রিয় ব্লগার ও চিরাচরিত সক্রিয় বুদ্ধিজীবীরা এটা পরিষ্কার ভাবেই স্পষ্ট করে যে তাদের কাছে ‘৭১ এর বিচারের চেয়ে দেশে গনতন্ত্র বা আইনের শাসন সবই গৌন। এটা তারা ভাবতেই পারে। ‘৭১ এর এর আবেগকে যুক্তির বিচারে সবসময়ে বিবেচনা করা সম্ভব নয়।
তবে আমার কিন্তু মনে হয় যে সাইদী, নিজামী, সাকা চৌধুরী, আজম এরকম ৪/৫টা কে ঝুলিয়ে দিলেই কিন্তু বাংলাদেশীদের ‘৭১ এর আবেগ আর প্রতিশোধস্পৃহা এক্সপোনেনশিয়ালি নেমে যাবে। অন্যদিকে ইসলামী জাতীয়তাবাদী আবেগ এর ভিত্তি কিন্তু অনেক সুগভীরভাবে প্রোথিত হয়ে গেছে। এছাড়াও এর পেছনে রয়েছে দুনিয়াজোড়া সাপোর্ট। সুতরাং আবেগ ভিত্তিক রাজনীতি যদি বাংলাদেশে কন্টিনিউ করে তবে একপক্ষেরই লাভবান হবার সম্ভাবনা অনেক বেশী।
@সফিক, বলেনতো বাংলাদেশে বর্তমানে মহা সমস্যা কোনটি?আপনি বলবেন এক কথা আমি বলব আরেকটা। কারোটাই মতে মিলবে না পুরোপুরো, তাই বলে কি আপনার বা আমার বা এখানে আরো যারা আলোচনা করছি কারো কাছেই কি এইটা( নিচের লিঙ্ক দেখেন) বড় সমস্যা বলে মনে হতে পারে? মনে হলে আওয়াজ দেন প্লিজ। এই ব্লগে আমার যাবার একমাত্র কারন হল এই ভদ্রলোকের আগের লেখাটা!!!!
তাই আমাদের প্রশ্ন- কাদের ইসলাম সহি? জামাত ইসলামের নাকি তার বিরুদ্ধ বাদিদের ? যাদেরটাই সহি বলে দাবী করা হোক না কেন , তাদের দাবীর ভিত্তিটা কি ? কেউ কি আছেন এ মহা সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসবেন ? আমরা সহি ইসলাম জানতে চাই ও তা পালন করতে চাই। আমরা আর বিভ্রান্তির মধ্যে থাকতে চাই না।
@সফিক,
সেনা বিজ্ঞান মনে হয় বলে যে শত্রুপক্ষের ডিফেন্সের ওপর অন্তত ৩ গুন শক্তিশালী না হলে আক্রমন ফল আনে না।
– এটা খুব অবাস্তব আশা।
– এটায় যুক্তি আছে। সোজা হিসেব হল জামাতকে লেলিয়ে নিজেরা লাভের গুড় খাবে। কারন মাঠে ময়দানে নামবে জামাত, মারাও পড়বে জামাতিরাই, নিজেরা কেবল কিছু হরতালে সমর্থন দিয়ে আর দুয়েকটা মিছিল করে ব্যাস। কথা হল, এভাবেই যে সফলতা আসবে তার নিশ্চয়তা কি? গোলযোগ ব্যাপক হয়ে সেনা শাসন আবারো আসলে আমার মনে হয় না তাতে বিএনপি জামাত তেমন সুবিধা পাবে। দেশ এখন যেমন ‘৭১ সালে নেই, তেমনি সেনাবাহিনীও আর ৭৭/৭৮ সালের মত অবস্থানে নেই। আমি ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ফত্ত্ব তেমন না মানলেও বিএনপি জামাতের এই মৌতাতে পাকিস্তানী ছায়ার ভূমিকা দেখি। জামাত নিষিদ্ধ বা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সুবিধে পায় বিএনপি, নীচে সংশপ্তককে বলেছি। সেটা যখন বিএনপি নিচ্ছে না তার মানে সম্ভবত পর্দার আড়ালের অন্য কিছু আছে।
– সেটা ঠিক। এমনকি মূলধারার মিডিয়াগুলিও বিএনপির ওপর কিছুটা সহানুভূতিশীল হচ্ছিল, মির্জা ফখরুলের ওপর সরকারের বেহুদা হাস্যকর মামলা নিয়ে সোচ্চার হচ্ছিল। বিএনপি যুদ্ধপরাধী ইস্যুতে এরকম কাপড় খুলে সরাসরি রাজাকারি অবস্থান না নিয়ে এভাবে একটি অবস্থানে আসতে পারত। দূঃখের বিষয়, তারা এভাবে হিসেব করেনি।
– সঠিক। রাজাকার বিচার এই ইস্যুতে ৯০% লোকের অনুপ্রেরনা হল প্রতিহিংসা। এর বিপদজনক দিক হল,
– আমার সব সময়ই গভীর হতাশা লাগে যে এই বিপদজনক দিকটা সেভাবে কেউ আলোচনা করতে চায় না। দুই চারটা ফাঁসী দিয়ে কোন ঘন্টা হবে যদি আরো গন্ডায় গন্ডায় তেমন জিনিস বেরুতে থাকে? এই নিয়ে সুশীল সচেতন সকলেই কেউ সজ্ঞানে বা কেউ না বুঝে নীরব থাকেন। রাজাকার ফাঁসি এসব নিয়ে আমি এ কারনেই তেমন ভাবে তাড়িত হই না। কয়েকজন ফাঁসি দেওয়া বড় চ্যালেঞ্জ নয়, বড় চ্যালেঞ্জ হল এই ধারার জন্ম বন্ধ করা – এটার গুরুত্ব কাউকে সেভাবে বোঝাতে পারি না। দুই চারটার ফাঁসী হলে আরো খারাপই হবে, কারন তখন মেকি আত্মতৃপ্তিতে ভোগার প্রবনতা এসে যাবে, ‘৭১ এর পর যেমন হয়েছিল। আবারো চক্র চলবে, প্রতি সাইকেলে এই পিশাচরা বিবর্তনের নিয়মে আরো ইমিউন হয়ে শক্তি সঞ্চয় করে আসছে।
@আদিল মাহমুদ, ফাসী হয়ে যাবার পর অবস্থা ভালো হতেও পারে। আজকে এই বিচারের কারনেই অনেককে ভালো মুসলিম এর চেয়েও পাক্কা মুসলিম সাজতে হচ্ছে, ধর্মের বিরুদ্ধে সরাসরি কথা বলা বন্ধ রাখতে হচ্ছে যখন ধার্মিকেরা সারা দেশে নরক গুলজার করছে।
হয়তো বিচার হয়ে গেলে সেকুলারিজমের পক্ষের লোকদের একত্রে সরব হবার প্ল্যাটফর্ম প্রস্তুত হতেও পারে।
সময় থাকলে এক্স নর্থ-সাউথ আ্যামেচার বোমাবাজ নাফিসের স্বীকারক্তি এবং পাচ এক্স নর্থ-সাউথ ইন্জিনিয়ার ছাত্র দের হাতে রাজীবের নির্মম হত্যা নিয়ে একটা লেখা লিখে ফেলুন না। কোন যাদুমন্ত্র বলে এই শিক্ষিত ছেলেগুলোকে এত সহজে ‘ব্রেন ওয়াশ’ করা সম্ভব হচ্ছে এই মূল সমস্যা নিয়ে কথা বলার লোক দেখা যাচ্ছে না, বিশেষ করে এই সময়ে।
@সফিক,
– এটা আমিও গত কিছুদিন ধরে প্রকটভাবে লক্ষ্য করেছি 😀 , শুধু মুক্তমনায় নয়, অন্যান্য ব্লগেও দেখেছি। যেভাবে ব্লগারদের নাম ধরে ধরে শাস্তির দাবী সরলমনা আলেমগন করেছেন তারপর থেকেই দেখেছি ব্লগ জগত কিছুটা হলেও থমকে গেছে, এখন একমাত্র নিরাপদ আউটলেট হল জামাত শিবিরঃ)।
নাফিস, রাজীব হত্যার ৫টা এদের নিয়ে লেখার লোক কম নেই। নাফিসকে নিয়ে এখানেই ভাল লেখা হয়েছিল। মুশকিল হল এসব লেখায় বিতর্ক চলে আসে “ইসলামে আছে” বনাম “আসল ইসলামে নেই” এমন আর্গুমেন্ট যার কোন মীমাংসা সম্ভব নয়। ধর্মে আছে ধর্মে নেই এসবের কোন গুরুত্ব নেই। সতীদাহের মত ভয়াবহ প্রথায় এক সময় হাজার হাজার মানুষ পুড়ে মরেছে, এখন সতীদাহ আসলেই হিন্দু ধর্মে আছে কি নেই সে তর্ক অবান্তর। যে হিন্দু ধর্মের একনিষ্ঠ ভক্ত সে চাইবেই যেভাবে হোক তার ধর্মে এসব নেই, কিছু লোভী পুরোহিত এসব নিজ স্বার্থে বানিয়ে নিয়েছিল এভাবে প্যাঁচানো। যেভাবে আমাদের সমাজেও ধর্ম সমালোচনায় ধার্মিকরা যাবতীয় দায় কাঠমোল্লা, ধর্মব্যাবসায়ী এদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়।
মূল পয়েন্ট হওয়া উচিত ধর্মেরই কোন ধরনের ইন্টারপ্রেটেশনের ফলেই এসব প্রোডাক্ট গন্ডায় গন্ডায় পুরো পৃথিবীরই বিভিন্ন অংশে জন্ম নিচ্ছে, অতএব ধর্মে আছে ধর্মে নেই এসব কচকচানি বাদ দিয়ে যারা ধর্মের সাথে এসবের কোন সম্পর্ক পান না তাদের উচিত সমাধানের পথ বাতলানো, অবশ্যই আমেরিকাকে একমাত্র সত্য ধর্মের ছায়া সুশীতল আরশের নীচে আনা জাতীয় তত্ত্ব কথা বাদ দিয়ে।
দু চারটা ফাঁসী দিয়ে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা ছাড়া আর কি হবে? এসব ফাঁসাফাঁসির পেছনে একমাত্র পুরো শ্রম মেধা সময় দেবার ফলে মুক্তচিন্তার পথে নুতন দিনের আরো বড় বিপদ যে মাথাচাড়া দিচ্ছে সে দিকে কোন খবর নেই, তেমন কারো উতসাহও নেই। পরিস্থিতি এমন যে জামাত শিবির কিংবা মুক্তিযুদ্ধকালীন নৃশংসতার বর্ননা না দেখলে এসব কথাবার্তায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকেরও তেমন আগ্রহ হয় না। হিতা কিভাবে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলিতে, এমনকি স্পেসিফিক্যালি নর্থ সাউথেও প্রভাব বিস্তার করেছে সেটা আমি আমার শেষ লেখায় কিছুটা বর্ননা করেছিলাম। এসবে তেমন কারো আগ্রহ নেই, এবার রাজীব হত্যায় ধরা পড়াদের সাথে মিলিয়ে নেন। আমার কাছে কাদের মোল্লা নিজামী পাজামী এসবের ফাঁসীর চেয়ে এই নব্য ধর্মোন্মাদদের রোখা অনেক জরুরী। কি রকম নৃশংসতার বীজ ধর্মের নামে এদের মনে জমা আছে, আরো কত শত এই জাতের লোকে নিত্য পয়দা হচ্ছে কে হিসেব রাখে। বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকে গবেষনা করলেও আমাদের এত এত আঁতেল সুশীল গবেষক, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক কারো এসবে আগ্রহ হয় না।
@আদিল মাহমুদ,
আদিল সাহেব , আপনি বুঝবেন। সমাধান নিয়ে আলোচনা করতে বেশী মানুষ আগ্রহী নয় কারণ সেটা করতে মগজের দরকার হয়। কে কি করছে এটার চাইতেও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন – কিভাবে সমাধান হবে । উইকি আর আমাজনের বেস্ট সেলার অনুবাদ দিয়ে ব্লগ লিখে ফেইসবুক দিয়ে হাজার রিডার হিট করা এক জিনিস আর বাস্তবের সমস্যা নির্ভর ট্রাবল শুটিং অন্য জিনিস। আমি সমাধানধর্মী মানুষ এবং সমাধান খোঁজাই আমার উদ্দেশ্য। এখানে রিডার হিট করার চাইতে দিক নির্দেশনা দেয়াটা আমার কাছে গুরুত্বপূ্র্ন মনে ।সরকারের যাদের সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার আছে , তাদের কেউ এই লেখা পরার পর যদি চিন্তার খোরাকের মত কিছু পায় , তাহলেই আমি আমার লেখা সার্থক মনে করব।
@সংশপ্তক, (Y) (Y)
@সংশপ্তক,
এখন আর তত্ত্ব কথার সময় নেই……
কিভাবে সমাধান হবে আমারো কোন ধারনা নাই। তবে লোকজন অনেকদিন ধরে ব্লগে ব্লগে যেভাবে জামাত ঠ্যাংগাও ধর মারো নিষিদ্ধ কর এভাবে সমাধানের সহজ পথ চিন্তা করছিল সেসবে বড় ধরনের গলদ ছিল বলেছি। তত্ত্বীয় দিক চিন্তা করার ছিল আগে, করা হয়নি।
বর্তমান পরিস্থিতি ছিল এক অনিবার্য পরিনতি এটাই শুধু বলতে পারি, যুদ্ধপরাধীদের বিচার ইস্যু হল আউটবার্ষ্টের বর্তমান পথ। দুই ধারার সঙ্ঘাত সুনার অর লেটার হতই, দুই পরস্পর বিরোধী ধারার শান্তিপূর্ন সহাবস্থান দীর্ঘদিন সম্ভব নয়। আজকের এই বিপদজনক পরিস্থিতির বীজ বপিত হয়েছিল ‘৭৫ এর পর থেকেই। আরো আগেই এমন হয়নি সম্ভবত এক পক্ষের লোকে দীর্ঘদিন আপোষের পথে ছিল।
যুদ্ধে নামার আগে বিপক্ষ দলের শক্তি সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারনা রাখা ভুল রনকৌশল। শুনতে খারাপ লাগলেও আবারো বলছি যে “লাখো মানুষ ৭১ এর যুদ্ধাপরাধদের বিচারের দাবীতে ঐক্যবদ্ধ যার পেছনে রয়েছে পুরো বাংলাদেশের জনতার সমর্থন। অন্যদিকে জন বিচ্ছিন্ন জামাত- বিএনপি ” এই ষ্টেটমেন্ট আবেগপ্রসূত, বাস্তব সম্মত নয়। বিএনপির সাধারন সমর্থক বাদ দিলেও কর্মী নেহায়েত কম নেই। আজ পর্যন্ত কয়জনকে শুনেছেন যুদ্ধপরাধী ইস্যুতে দলীয় অবস্থান না মানতে পেরে দলের সাথে সম্পর্কে ত্যাগ করেছে? শাহবাগ আন্দোলনের জোয়ার আপামর জনতার কাছে সেভাবে পৌছালে অন্তত ছাত্রদলের তরুনদের থেকে প্রত্যাশিত ছিল না বিএনপি বাদ দিয়ে শাহবাগে যোগ দেওয়া? এটা ইংগিত করে যে বিএনপি ভোট ব্যাংক যুদ্ধপরাধী ইস্যুতে দলের সাথেই আছে। স্যাড রিয়েলিটি, এই সংখ্যা কোনভাবেই নগন্য নয়, যদিও এদের শাগবাগের মত আন্দোলন সমাবেশ করার মত নৈতিক জোর নেই। একটা দেশের জন্য এই চেয়ে দূর্ভাগ্যের আর কি হতে পারে জানি না। এই অংশ কেন বিএনপি সাপোর্ট করে অন্ধের মত আগেই বলেছি, এদের কাছে যুদ্ধপরাধী ‘৭১ এসব কোন ব্যাপার নয়, তাদের ধর্মীয় সুপ্রীমেসি বিএনপিই সবচেয়ে ভালভাবে সুরক্ষা করবে এটাই মূখ্য। সাথে আছে শহুরে মধ্যবিত্ত শ্রেনীর সুশীল।
শুধু জামাত একদিকে থাকলে এটা মানা যেত। আমার ব্যাক্তিগত ধারনা বিএনপি-জামাতের এই মৌতাতে আদর্শ কেন্দ্রিক মহবত ছাড়াও পাকিস্তানের প্রচ্ছন্ন ছায়া আছে। নইলে সরল হিসাব বলে জামাত নেই হলে আওয়ামী লীগ নয়, রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে লাভবান হবে বিএনপি। জামাতি ভোট কোনদিন প্রার্থীর অভাবে লীগের বাক্সে যাবে না, যাবে বিএনপির বাক্সে। আমি বিএনপির নীতি নির্ধারক হলে ওপর ওপর জামাতের প্রতি কিছু হালকা সহানুভূতির কথা বলে নীরবে চাইতাম যেন এই সুযোগে এরা শেষ হয়ে যায়। খামোখা আসনের ভাগ দিতে চাইব কোন আক্কেলে?
@আদিল মাহমুদ,
ধন্যবাদ। আমি কখনই জামাতকে আন্ডার এস্টিমেট করি না। জামাত যথেষ্ট সংঘবদ্ধ একটি দল। তবে, জামাতের কর্মীরা তাদের দলকে বড্ড বেশী ওভার এস্টিমেট করে থাকে। আমাদের এখানে দেখতে হবে যে লড়াইটা শুধু জামাত বনাম আওয়ামী লীগ নয়, এটা জামাত বনাম রাষ্ট্র । রাষ্ট্রের সাথে লড়াই করে জেতা খুবই কঠিন বিষয়। বিশ্বের বড় বড় বিপ্লব সফল হত পারতো না যদি না আর্মির মত শক্তিশালী রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান পক্ষ ত্যাগ করে বিপ্লবীদের দলে যোগ দিত। বাংলাদেশের আর্মিতে ২০০৮ সালের পর থেকে ব্যপক শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়। জামাতের প্রতি সহানুভূতিশীল অংশটিকে প্রায় দন্তহীন করে ফেলা হয়েছে যে কারণে আর্মিতে এ পর্যন্ত একাধিক গোলযোগ সামাল দেয়া সম্ভব হয়েছে। এই আর্মি সঙ্গে ছিলো বলেই ফারুক রশিদদের ফাঁসি দেয়া গেছে , গোলাপীকে ক্যান্টের বাড়ী থেকে উৎখাত করা সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশের আর্মিই এখন জামাতদের ঠান্ডা করার চুরা্ন্ত তুরুপের তাস। তবে, এটা শুরুতেই সরকার খেলতে চায় না যদিও তাদের মাঠে নামানো এখন শুধু সময়ের ব্যপার। এই আর্মি না থাকলে জামাতীরা বহু আগেই তাদের বিপ্লব ঘটিয়ে ছাড়ত। আমি মনে করি যে , এখন ফেরার পথ নেই। যা শুরু করা হয়েছে শেষ করা দরকার। আহত বাঘ ছেড়ে দেয়া বিপজ্জনক। অবস্হা গুরুতর হলে জরুরী অবস্হা ঘোষণা করতে হবে। এই জামাতীদের ক্ষমতায় পুনরায় আসতে দিলে দেশে রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে – এটা নিশ্চিত।
@সংশপ্তক,
সেটা আমিও মোটামুটি আন্দাজ করতে পারি। সত্য বলতে আমি জামাত মোকাবিলার ময়দানে জনতার শক্তির ওপর তেমন ভরসা করি না, জামাতিদের মত নৃশংসতা শাহবাগ আন্দোলনে যারা যায় তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। জনতার ভূমিকা হবে সাপোর্টিভ।
আর্মি মাঠে নামলে আর ফেরার পথ থাকবে না, আক্ষরিক অর্থেই জামাত নির্মুল করা ছাড়া পথ খোলা থাকবে না।
@সংশপ্তক,
কর্তব্যরত পুলিশের গায়ে হাত দিলেই নাকি আসলে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়? সেখানে তো জামাত থানায় হামলা করেছে।আর কি চাই? আমি এখন অস্বস্তিতে ভুগছি সরকারের নিরবতা দেখে।
@সংশপ্তক,
একটু বুঝিয়ে বলবেন কি যে আর্মি আর বিজিবি এর প্রশিক্ষনের তফাৎ টা কি? মানে সোজা কথায় মিলিটারী আর প্যারামিলিটারী( শুধুই বিজিবির কথা বলছি; অন্যরা না) বাহিনীর প্রশিক্ষনের পার্থক্য কি?আর্মি না থেকে শুধুই বিজিবি বা র্যাব, পুলিশ কে শক্তিশালি আর আধুনিক করতে পারলেও তো শিবিরের বিপ্লব ঠেকানো যায় নাকি? সত্যি ব্যাপারটা ভাল জানি না আমি।
@অর্ফিউস,
বিজিবি – কে আধা সামরিক সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বলে পরিচয় করে দেয়া হলেও এটা কোন সনাতন আধা সামরিক বাহিনী নয়। বিজিবি বা সাবেক বিডিআর- কে আসলে গড়ে তোলা হয়েছে একটি লাইট ইনফ্যান্ট্রি বা হালকা পদাতিক বাহিনী হিসেবে যারা যুদ্ধকালীন সময়ে সরাসরি সেনাবাহিনীর পদাতিক বাহিনীর অধীনে কাজ করবে। একটি লাইট ইনফ্যান্ট্রি বাহিনীর সুনির্দিষ্ঠ ভুমিকা আছে যা নিয়মিত পদাতিক বাহিনী থেকে ভিন্ন। এদের ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে না যদিও এদের অপারেশনাল এবং মোবিলিটি নিয়মিত পদাতিক বাহিনীর মতই।
যে কোন দুটি বাহিনীর মধ্যে সহজে পার্থক্য খুঁজতে গেলে কখনই সদস্য সংখ্যার দিকে নজর দেবেন না । এতে ভুলের সম্ভাবনা অনেক বেশী। আপনাকে প্রথমেই নজর দিতে হবে শুধু একটি বিশেষ ক্ষেত্রে – লজিস্টিকস অর্থ্যাৎ রসদ। নিয়মিত সেনা বাহিনীতে যে ধরনের রসদ ব্যবহার করা হয় তা একটি মিলিশিয়া বাহিনীতে পাবেন না , ভারী আর্টিলারী , এবং যান্ত্রিক বাহিনী যেমন ট্যাঙ্ক অথবা এরিয়াল আর্টিলারী যেমন এ্যাটাক হেলিকপ্টারের ব্যবহার উল্লেখ যোগ্য।
শুধু পদাতিক বাহিনী দিয়ে যুদ্ধ করা যায় না , আকাশেও উপস্হিতি দরকার । ৫০ হাজার সশস্ত্র গেরিলাকে আটকাতে এজন্য পুরোদস্তর সামরিক বাহিনী প্রয়োজন। তালিবানদের ঠেকাতে নেইটোর (NATO) মত সামরিক জোটকে আসতে হয়েছে সব কিছু সাথে নিয়ে যাদের দেশে কি না আধুনিক পুলিশ বাহিনী আছে। শিবির কর্মীরা রকেট প্রপেল্ড গ্রেনেড , এবং মর্টার নিয়ে যদি হাজির হয় তখন কি করবেন ? তখন ট্যাঙ্কের প্রয়োজন হবে , এমনকি ক্লোজ এয়ার সাপোর্টের জন্য কপ্টার গানশীপ সহ বিমান বাহিনীকেও ডাকতে হতে পারে। আফগানিস্তানের যুদ্ধটা লক্ষ্য করুন। সেখানে যত আধুনিক পুলিশই হোক না কেন , রাত গড়ানোর আগেই তারা মরে সাফ হয়ে যাবে। মানব ইতিহাসে সেনাবাহিনী হচ্ছে কৃষকের চাইতেও আদিমতম পেশা – এটা কিন্তু এমনি এমনি নয়। এখন বিজিবি বা পুলিশকে -কে আর্মির সরঞ্জাম দিলে তারা আর বিজিবি থাকবে না , তারা তখন আর্মিই !!
@সংশপ্তক, বুঝেছি ভাই,আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ব্যাখ্যা করার জন্য।
প্রত্যেক দিন হরতাল দেখতে দেখতে খুবই বিরক্ত আর ক্লান্ত লাগছে জানি না দেশ কোনদিকে যাবে।লোকমুখে শুনছি যে আগামী রবিবারেও নাকি হরতাল দিতে পারে বিএনপি।
@আদিল মাহমুদ,
এবারে যোগ হল নাস্তিক পন্থী নামে নব্য ডিজিটাল ধারনা 🙂
@রাজেশ তালুকদার,
এটাও নুতন কিছু নয়। আওয়ামী লীগ মালাউনদের দল এই অপবাদ পাকিস্তান আমল থেকেই ছিল, ‘৭২ এর ধর্মনিরপেক্ষতার কারনে নাস্তিকদের দল উপমাও জুটেছে।
মাঝে মাঝে আমি সিরিয়াসলিই আশা করি দেশটা যদি একবার তালেবান জাতীয় কোন দলের হাতে পড়ত তাহলে হয়ত লোকের বোধদয় হলেও হতে পারত আত্ম প্রতারনার ফলাফল কেমন হতে পারে। সমস্যার মূল যেখানে আছে সেই রাহুর গ্রাস থেকে রেহাই পেতে আর সহজ রাস্তা দেখি না। ‘৭১ এ সাময়িকভাবে সেই রাহু দূরে ছিল পাক বাহিনী আর রাজাকার বদরদের দাপটে। এখন তো আর পাক বাহিনী আসবে না, তালেবানই ভরসা……
@রাজেশ তালুকদার,
এইজন্যেই আজ আ’লীগ মোবাইলে মোবাইলে মেসেজ দিয়ে ব্লাসফেমীর বিরুদ্ধে মানুষকে সতর্ক করে দিচ্ছে।কি জামানায় আসলাম রে ভাই।আগে তো এই যন্ত্রণায় পড়ি নাই। ভাবতেসি মোবাইল বন্ধ করে রাখব।
সাবধান!
বুজুর্গ দেলোয়ার ছায়ীদির ছবি কিন্তু এখন বৃক্ষের পাতায় পাতায় দেখা যাচ্ছে!!
গতকাল এখানে (UPSTATE) এ আমার একজনের সংগে টেলিফোনে আলাপ হচ্ছিল। তার সংগে শাহবাগের নেতৃবৃন্দের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব এবং প্রায় প্রতিদিনই তাদের সংগে কথাবার্তা হয়।
কথা প্রসংগে উনিই বল্লেন, তিনি তার এক আত্মীয়ের সংগে কথা বলার সময় বলেছেন, যে সেই আত্মীয় ঘরের ছাদের উপর যখন দাড়িয়ে চতুর্দিকে তাকান তখন তিনি বৃক্ষের প্রতিটা পাতায় পাতায় বুজুর্গ দেলোয়ার ছায়ীদির ছবি দেখতে পান।
আমার পরিচিত ঐ ব্যক্তি অত্যন্ত দুখের সংগে বল্লেন, দেখুন এই একবিংশ শতকে এখনো এমন ও ব্যক্তি বাংলাদেশে বিদ্যমান আছে!!
তা হলে সেখান কী না ঘটতে পারে?
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
এইবার তাহলে উনাকে ইয়া সাঈদি ইয়া সাঈদি বলতে বলতে জায়নামাজে যাইতে বলেন ভাই।
এই বানচোত টা থাকে কই ভাই?এরে একটা থাপ্পর দিতে পারলেন না?
@অর্ফিউস,
হা হা হা …… :lotpot: ভালই বলেছেন ভাই। এইসব ফালতু কথা শুনলেও চান্দি গরম হয়ে যায়।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
চাঁদে সাঈদির ছবি, মানুষের অন্ধবিশ্বাস আর এই লেখা পড়ে অনেক কিছু বলার ছিল কিন্তু কিছুই বলবোনা। নো কমেন্ট শুধু দেখতে থাকেন-
[img]http://i1088.photobucket.com/albums/i332/malik1956/delwarhs_zps59433706.jpg[/img]
@আকাশ মালিক,
চাঁদে তো সাইদীর ছবি থকতেই পারে। চাঁদে কলঙ্ক আছে এটা কে না জানে!
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
জামাতের মিথ্যাচার সফলভাবে প্রচারনার ভিত্তি আসলে কোথায়? শুধু সাইদী আর জামাতি…ধর্মব্যাবসায়ী… ব্লা ব্লা ব্লা…?
যে সমাজের উচ্চশিক্ষিত লোকে মসজিদের গম্ভুজ নিজে নিজে উড়ে বসে যাচ্ছে ভিডিও শেয়ার করে সে সমাজে চাঁদে সাঈদীর ছবির ছাপ অবিশ্বাসের খুব বড় কারন কি থাকতে পারে?
ধর্মব্যাবসায়ীদের ধর্মব্যাবসার ভিত্তি বা সুযোগ আসলে করে দেয় কারা?
বিএনপি বা আওয়ামী লীগ কেউই ধোয়া তুলসী পাতা নয়। খালেদা জিয়া যেমন তার আলাল-দুলাল, সাঙ্গপাঙ্গদের সীমাহীন চুরি করতে দিয়েছেন; শেখ হাসিনাও তেমনি এক আবুলের স্বার্থে জনগুরুত্বপূর্ণ পদ্মা সেতু বিসর্জন দিয়েছেন। রাজনৈতিক সমর্থন ছাড়া শেয়ার বাজার, ডেস্টিনি কেলেঙ্কারীর মত ঘটনা ঘটতে পারে না। এত কিছুর পরও এবারের নির্বাচনে আমার কাছে পছন্দের দল মন্দের ভাল আওয়ামী লীগ। বিএনপি দল হিসেবে তার নিজস্বতা হারিয়ে জামাতের বি টিমে পরিণত হয়েছে; দেশের স্বার্থেই আগামী নির্বাচনে এদের প্রত্যাখান করা উচিত।
জামাত-শিবির সর্বশক্তি দিয়ে সরাসরি রাস্ট্রকে আক্রমণ করছে। অন্যভাবে সরকার হটানোর উপায় না দেখে খুব সম্ভব তারা চরম বিশৃঙ্খলা তৈরী করে দেশকে জরুরী অবস্থা/সেনা শাসনের দিকে ঠেলে দিতে চাইছে।
@মনজুর মুরশেদ,
(Y) আমারো এখন এই অভিমত। বিএনপি নিজেই নিজের সর্বনাশ করলো যদিও জানি না যে ভোট আসলে বাঙ্গালী আবার কোনদিকে যায়।এই দেশের মানুষের রঙ আর রুপ চেঞ্জ হতে সময় লাগে না। :-s
শুধু কি জামাত ! একটা ব্যাপার অনেকেই খেয়াল করছে না তা হল বিগত বি এন পি – জামাত সরকারের সময় বিভিন্ন মৌলবাদী রাষ্ট্রের বিভিন্ন অরগানাইজেশনের টাকায়ে অজস্র মাদ্রাসা গড়ে উঠেছে সারা দেশে (আমি মূলত কউমি মাদ্রাশার কথা বলছি) । এই মাদ্রাসা গুলো তে ছাত্রদের একটা ব্যাপারেই শিক্ষা দেয়া হয়েছে সবচেয়ে জোরালো ভাবে তা হল “মানুষের তৈরি আইন অনুসরন করা হল কুফুরি …… মুসলিম-প্রধান দেশে একমাত্র আল্লার আইন থাকবে,ধর্ম নিরপেক্ষতা হল এক ধরনের ইহুদি চক্রান্ত । ” অর্থাৎ খিলাফত প্রতিষ্ঠিত করতে হবে । খিলাফতে বিশ্বাসকারীদের বড় অংশ জামাত কে ঘৃণা করে তবে যখন তাদের বলা হয় নাস্তিক,কাফের ,মুরতাদরা ইসলামের বিরুদ্ধে লেগেছে তারা ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে । এই বিষাক্ত প্রচারণা তারা দাওয়াতের নামে সাধারণ ধমভীরু মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে দিয়েছে বিগত দশকে । এই মৌলবাদীতা ছড়িয়ে গিয়েছে ক্যান্সারের মত । তারা এখন দলে বেশ ভারী।
@মইন,
একেকটা মাদ্রাসা একেকটা বিষবৃক্ষ, বিষাক্ত ফল ছড়িয়ে দিচ্ছে দেশের আনাচে কানাচে, বিভিন্ন স্তরে। এই বিষাক্ত ফলের চাষ বন্ধ করতে হবে।
@মনজুর মুরশেদ, কিন্তু প্রশ্ন হল চাষ কিভাবে বন্ধ করা যায় ?মাদ্রাসা গুলো বন্ধ করে নাকি এই ছেলেগুলোকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে । এদেরকে বোঝানো খুবই দুস্কর ……… ওরা জানেও না ওরা বিজ্ঞান এবং ইতিহাস নিয়ে কতটা কম জানে। ওরা যুক্তিতে হেরে গেলে অসহায় বোধ করে ও রেগে যায় । যারা ঈশ্বরের আইন কে নিয়ে প্রশ্ন করতে ভয় পায় তাদেরকে ঈশ্বরের আইনের অসঙ্গতি কিভাবে দেখানো যায় আমি ভেবে পাই না। আবার এতগুলা মাদরাসা বন্ধ তো দূরে থাক এদের কারিকুলাম ও রাতারাতি বদলানো সম্ভব না।
:-Y
@মইন,
বন্ধ করতে হবে বলা যত সহজ কাজটা তত সহজ না। এজন্য এগুতে হবে ধীরে, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে। তাড়াহুড়া করতে গেলে ফল হবে হিতে বিপরীত। আমার মতে কিছু বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেয়া যেতে পারে, যেমন,মূলধারার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ানো,কারিকুলামে আধুনিকতা আনা, উগ্রপন্থী দল বা মধ্যপ্রাচ্য থেকে অর্থসাহায্য বন্ধ করা, নতুন মাদ্রাসা খোলার অনুমতি নেয়া কঠিন করা, মাদ্রাসা শিক্ষাকে অজনপ্রিয় করে তোলা ইত্যাদি। এছাড়া কোন মাদ্রাসার বিরুদ্ধে দেশ/সংবিধান-বিরোধী কর্মকান্ডের প্রমান পাওয়া গেলে তা তৎক্ষণাৎ বন্ধ করে দিতে হবে। তবে এসবকিছুর জন্যই রাজনৈতিক সদিচ্ছা আর দূরদর্শী নেতৃত্বর প্রয়োজন, যা বাংলাদেশে অনুপস্থিত।
@মইন,
” কিন্তু প্রশ্ন হল চাষ কিভাবে বন্ধ করা যায় ?মাদ্রাসা গুলো বন্ধ করে নাকি এই ছেলেগুলোকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে ।”
মাদ্রাসা বন্ধের এক মাত্র উপায় এদের অর্থের উত্স বন্ধ করা। তা করতে এদের সরাসরি অডিটের আওতায় আনা। প্রত্যেক ডোনারের বিস্তারিত লিপিদ্ধ করা। যারা ডোনেশন দেয় তাদের কর দেয়ার রেকর্ড চেক করা। ডোনেশনকারি কে তার ডোনেশন আয়কর রিটার্নে প্রকাশ করতে আইন পাশ করা। বিদেশি ডোনার হলে সেটা নিয়ন্ত্রনের ব্যাস্থা করা। সাধারনত দেশি ডোনার যারা তাদের অর্থ বেআইনি হয়। বেআইনি টাকা ধর্মিয় কাজে ব্যায় বা গ্রহন করা হারাম বা না যায়েয এটা সবাইকে জানানো এবং প্রচার করা।
ধন্যবাদ লেখককে। যদিও আতঙ্কিত হলাম লেখাটি পড়ে।
হরতাল, জ্বালাও -পোড়াও, মানুষ মরছে কাতারে কাতারে। নিরাপত্তার অভাব প্রতি মুহূর্তে কুরে খাচ্ছে।
যেই ভাবলাম সব ছেড়ে ছুড়ে চাঁদে চলে যাই- তখন দেখি বেজন্মা সায়েদীটা চাঁদেও পৌঁছে গেছে :-Y
@পাপিয়া চৌধুরী, এইবার দেখবেন যে আসমানে ফেরশ্তারা সাইদির নামে তসবিহ টিপতেসে।এই দেশে সব সম্ভব।
@পাপিয়া চৌধুরী, এই বেজন্মা শিবির থানাতেও হামলা করেছে।
@পাপিয়া চৌধুরী,
পরবর্তী খবরঃ চরকা বুড়ি প্রেগন্যান্ট! তিনি সাঈদী-র বিরুদ্ধে খোরপোষের মামলা করেছেন।
@মনজুর মুরশেদ, :)) এটা খুব স্বাভাবিক, সাইদির হাত থেকে কারো নিস্তার পাওয়া মুশকিল। কাজেই সাইদি হতে সাবধান সবাই।
@পাপিয়া চৌধুরী,
হা চাদে অনেকেই যাচ্ছে। ফেস বুক জুড়ে দেখি চাদে যাবার হিড়িক পড়ে গেছে- কী যে করি :-Y
আমারও মঞ্চায় জেতে :rotfl:
আমি আসলে গতকাল থেকে ভাবছিলাম, বিএনপি কেন এই তান্ডবে যোগ দিল? আর কেনই বা এই হারে তান্ডব চালাচ্ছে এরা? এখন বুঝতে পারছি কিছুটা। ধন্যবাদ আপনার এই পোষ্টটির জন্য। কিন্তু একটা বিষয় এখনও স্পষ্ট নয়। এই সরকার কি সত্যিই পুলিশ বা বিজিবি দ্বারা এই তান্ডব নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ নাকি এর পিছনেও কোন পূর্ব পরিকল্পনা আছে? কেন তারা আইনশৃংখলা বাহিনীর মাধ্যমেও এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে পারছেনা? পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে আসলে সরকারকে এখন কি করা উচিত? পারলে আমারা এই মনের প্রশ্নগুলোর জবাব দিবেন। আমি অনেক ভেবেও বা জিজ্ঞাসা করেও কিছু বুঝতে বা জানতে পারছিনা।
@নাশিদ,
খুব সহজ উত্তর হচ্ছে- বর্তমানে জামাত শিবিরের মরা বাঁচা তথা অস্তিত্বের প্রশ্ন। তাই তারা মরিয়া। বি এন পি মনে করছে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে আওয়ামী লিগ জনমত সম্পূর্ন তাদের পক্ষে নিয়ে ফেলেছে , তাদের জন্য ভবিষ্যৎ খারাপ, অথচ ক্ষমতা পাওয়ার জন্য তারা মরিয়া। ঠিক সেকারনে তারা গণজাগরন আন্দোলনকে প্রথমে কলুষিত করে পরে তার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে, আর এ জন্যে মিথ্যা প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে। অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে সাধারন মানুষের ধর্মীয় সেন্টিমেন্ট ও সাইদীর বেশ ভাল একটা ওয়াজ করার ভাবমূর্তি, অর্থাৎ সাধারণ মানুষের ধর্মীয় সেন্টিমেন্টকে ব্যবহার করে তারা জনমত তাদের দিকে নিয়ে আসার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নিয়োগ করেছে , তাদের হয়ে জঙ্গী হামলা করার জন্য জামাত শিবিরকে লেলিয়ে দিয়েছে , অন্যদিকে জামাত শিবির তো অস্তিত্বের কারনে আক্রমনের জন্য জানবাজী লড়াই করার জন্য নিজেরা আগে থেকে তৈরীই ছিল। কিন্তু তারা মাঠে একাকি নামতে একটু দেরী করছিল, তারা মরিয়া হয়ে বি এন পি এর সমর্থন লাভের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। অন্যদিকে বি এন পি এর জন্য জামাতকে সমর্থন করা ছাড়া করণীয় কিছু ছিল না। কারন তারা নিশ্চিত যে আওয়ামী লিগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবী মানবে না, তা না মানলে তাদের জন্য ভবিষ্যৎ খারাপ। ক্ষমতায় যাওয়া তাহলে সম্ভব নয়। তাই তাদের কাছে এ রিস্ক নেয়া ছাড়া গত্যন্তর ছিল না। তা ছাড়া বি এন পি এর আদর্শও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নয়, তারা বিপদ দেখলেই মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে, তারা আসলে প্রো জামাত। তারা দারুন রকম আদর্শহীন একটা সুযোগসন্ধানী দল। অর্থাৎ তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ইসলাম দুটোকেই ব্যবহার করে জনগনকে এতদিন ধাপ্পা দিয়ে আসছিল। যখন দেখেছে গণজাগরন আন্দোলনকে নাস্তিকতার অপবাদ দিয়ে সাধারন মানুষের মনে কিছুটা সন্দেহ সৃষ্টি করা গেছে, তখনই বি এন পি তাদের খোলস ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছে। অন্যদিকে যখনই বি এন পি ঘোষণা দিয়ে জামাতকে সমর্থন জানিয়েছে তার পর থেকেই শত গুন তেজে জামাত শিবির মাঠে নেমে পড়েছে। উদ্দেশ্য একটাই দেশে একটা অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা, সম্ভব হলে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করা যাতে সরকারের পতন ঘটে ও দরকারে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে। সেনাবাহিনী ক্ষমতায় আসলে তার পরে নতুন করে হিসাব করা যাবে- এটাই হলো বি এন পি এর কৌশল। অথবা এমনও হতে পারে সেনাবাহিনী ক্ষমতায় আসলে কিভাবে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব হবে সে বিষয়ে খালেদা জিয়া তার বৈদেশিক প্রভুদের সাথে একটা ছক এটে দেশে ফিরেছেন আর সেটা যে পাকিস্তান ও আমেরিকার জোগ সাজসে তা বলাই বাহুল্য , নইলে ভারতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সফরে আছে , হরতালের মত তুচ্ছ কারন দেখিয়ে তার সাথে দেখা করতে না যাওয়ার ঔদ্ধত্য তার পক্ষে দেখান সম্ভব হতো না। আমেরিকার যে স্বার্থ তা মনে হয় – যে কোন ভাবে হোক বাংলাদেশকে একটা উগ্র মৌলবাদি ইসলামি দেশ হিসাবে তুলে ধরা যে কারনে দেখা যাচ্ছে তাদের সমর্থন প্রচ্ছন্নভাবে জামাতের প্রতি। তারা চায় না , কোন মুসলমান দেশ গনতান্ত্রিক ধারায় চলে অর্থনৈতিক ভাবে উন্নতি লাভ করুক।
@বিদ্রোহী,
“হরতালের মত তুচ্ছ কারন দেখিয়ে তার সাথে দেখা করতে না যাওয়ার ঔদ্ধত্য তার পক্ষে দেখান সম্ভব হতো না।”
মানে আপনি কি বলতে চাইছেন ভারতকে কিছুতে না বলাটা ঔদ্ধত্য দেখানো ? যেটা আওয়ামীলীগ দেখাতে পারে না ? আপনি কি প্রকারান্তে জামাতের অভিযোগকে স্বীকার করলেন ? যে আমরা ভারতের অধিপত্য মেনে নিয়ছি।
@বিদ্রোহী,
কারন তারা নিশ্চিত যে আওয়ামী লিগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবী মানবে না, তা না মানলে তাদের জন্য ভবিষ্যৎ খারাপ। ক্ষমতায় যাওয়া তাহলে সম্ভব নয়।
ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভাই আমার প্রশ্নগুলোর জবাব দেবার জন্য। কিন্তু আপনি যে বললেন, আওয়ামী লিগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানবেনা, কেন মানবেনা বলে আপনি মনে করেন? আর না মানলে বিএনপি এর জন্য ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব নয় কেন? তাছাড়া, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানলেই যে বিএনপি ক্ষমতায় যেতে পারবে, এটাই বা তারা মনে করছে কেন?
আমেরিকার যে স্বার্থ তা মনে হয় – যে কোন ভাবে হোক বাংলাদেশকে একটা উগ্র মৌলবাদি ইসলামি দেশ হিসাবে তুলে ধরা যে কারনে দেখা যাচ্ছে তাদের সমর্থন প্রচ্ছন্নভাবে জামাতের প্রতি। তারা চায় না , কোন মুসলমান দেশ গনতান্ত্রিক ধারায় চলে অর্থনৈতিক ভাবে উন্নতি লাভ করুক।
আমার কাছে এটা ছাড়াও আরো একটা কারন আছে মনে হয়েছে। যদি বাংলাদেশকে একটি উগ্র মৌলবাদি দেশে পরিনত করা যায়, তাহলে ইন্ডিয়া আরো বড় বিপদে থাকবে, এমনিতেই তারা পাকিস্তানকে নিয়ে বিপদে থাকে, এখন যদি আর একটা প্রতিবেশি রাষ্ট্র বাংলাদেশেও জঙ্গীবাদ কায়েম করা যায়, তাহলে ইন্ডিয়ার মত উন্নয়নশীল দেশের উন্নয়নকে আরো বাধাগ্রস্থ করা যাবে।
@নাশিদ,
সরকার ব্যর্থ হয়েছে তা এখনই বলা যাবে না। আমরা এখন দেশে জঙ্গীবাদ প্রত্যক্ষ করছি যা সামাল দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় জনবল সরকারের হাতে নেই। জঙ্গীবাদ দমন যেহেতু পুলিশের কাজ সেখানে আর্মিকে ডাকাটা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। বাংলাদেশের পুলিশের জঙ্গীবাদ দমনে সক্ষম করতে বেশ কয়েক বছর লেগে যাবে কিন্তু সল্প মেয়াদে তো বর্তমান সংকট অবসানে কিছু করতে হবে। জামাতকে নিষিদ্ধ করা যায় কিন্তু জামাত নিষিদ্ধ করলেই তো হবে না , সে নিষেধাজ্ঞাকে বলবৎ করার মত ক্ষমতা থাকতে হবে , যা বর্তমানে নেই। তাহলে উপায় কি ? সরকারের হাতে উপায় অবশ্য আছে যেটা কিছু দিনের মধ্যে লক্ষ্য করবেন।
@সংশপ্তক,
আমিও সেটা মনে করি শুরু থেকেই কিন্তু দেখেন ভাই পুলিশ অবিরাম মার খাচ্ছে আর এটাই দুশ্চিন্তার ব্যাপার।
এইটাকি ভাই জামাত কে নিষিদ্ধ করার উপায়?নাকি এই চলমান সহিংসতা বন্ধের উপায়?
@অর্ফিউস,
সাময়িক লোক ঘাটতি মেটানোর জন্য সশস্ত্র বাহিনী থেকে পুলিশে অতিরিক্ত জনবল প্রেষণে পাঠানো যায় , যারা পুলিশ কমান্ডের অধীনে কাজ করবে । এটা সরকার ভেবে দেখতে পারে। বেশীরভাগ পুলিশ সদস্যই নিয়মিত অস্ত্র অনুশীনের সূযোগ পায় না যে কারণে তারা সঙ্গে অস্ত্র থাকার পরেও জঙ্গীদের থেকে আত্মরক্ষা করতে পারছে না। এই মূহুর্তে আমি অবশ্য শান্তি রক্ষায় জামাত-শিবিরের সকল মাঝারি থেকে বড় নেতাকে গ্রেফতারের পক্ষপাতি , আইনগত সমস্যা এক্ষেত্রে হবে না তেমন। বি এন পি র যেসব নেতা আগুনে ঘি ঢালছেন তাদেরও গ্রেফতার করা যায় যার জন্য একটা মামলাও ইতিমধ্যে করা হয়েছে। তবে , ক্রাকডাউন আজ ভোরেই শুরু করতে হবে। দেরী করা যাবে না।
@সংশপ্তক, হুম চিন্তার বিষয় ।তাহলে পুলিশের কমান্ডে আর্মি নামানো উচিত বলেই মনে করি, বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসাবে এই আমার মতামত যেহেতু এছাড়া কিছুই করতে পারি না।
আমিও কিন্তু সরকার বাবাজী আদেশ না করলে কেউ কিচ্ছু করতে পারবে না। আর এইজন্যেই আমি হতাশ।
তাহলে সরকার করছে না কেন? তবে কি ইচ্ছে করেই জামাত কে জিইয়ে রাখা?
মামলা করে লাভ কি? এদেশে তো বেশিরভাগ রাজনৈতিক মাম্লাই হয় খারিজ হয়ে যাবার জন্য।খুব হতাশ আমি মোটের উপর।
দেখা যাক সরকার কি করে।এখন তো খুব বেশি অ্যাকশনের খবর পেলাম না।
@সংশপ্তক,
@সংশপ্তক, দেখেন সরকারি দল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও পরিস্থিতি নিয়ে কিছু বলা হচ্ছে না। জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘মানুষ উদ্বিগ্ন। সরকারের বক্তব্য থাকা উচিত।
@সংশপ্তক,
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। এই যে বর্তমানে যে সব গুপ্ত হত্যা চলছে, ১৭ বছরের একটা মেধাবী তরুনকে কুপিয়ে মেরে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দিল, এর প্রতিকার কি? এভাবে যদি পিছন দিক থেকে মারতে থাকে, কোপাতে থাকে, তাহলে তো কারো জীবনেরই নিরাপত্তা নেই। যারা এগুলো করছে, তাদেরকে দমন বা প্রতিহত কিভাবে করা সম্ভব? পরিস্থিতিতো এখন ৭১ এর চেয়েও জটিল। ৭১ এ তো আমরা এক ছিলাম, কে আমাদের শত্রু তা জানতাম এবং তাদেরকে মারার জন্য আমাদের হাতে অস্ত্র ছিল, এখনতো আমরা নিরস্ত্র, চোরা গোপ্তা হামলা চালালে আমরাতো ঠিক একই ভাবে ওদেরকে মারতে পারছিনা, শুধু মার খেয়েই যাচ্ছি। এর প্রতিকার কি? সরকার কেন কিলিং স্কয়াড গঠন করে এদেরকে এদের মত করেই দমন করার চিন্তা করছে না?
কি আর বলব?
@প্রতিবাদ, ??????????????????
১। যে ভয়টি পাচ্ছিলাম তা-ই হলো। দেশের রাস্তায় রাস্তায় মানুষ মরছে। আমার কাছে সব মৃত্যুই মৃত্যু; সব মৃত্যুই দুঃখজনক। মানুষের মৃত্যু ইন্টারনেটে দেখছি আর কষ্টে বুকটা ফেটে যাচ্ছে; শত্রুর মৃত্যুটিকেও সমর্থন করতে পারছিনা। কিন্তু দেশের যে অবস্থা তার থেকে পিছু ফেরাও আর সম্ভব না। আরো অনেক মানুষের মৃত্যু হবে…জনগণকে এগিয়ে যেতে থাকতেই হবে, সরকারকে দূষিত শক্তিগুলোকে দূর করতেই হবে। মূল্য অনেক জানি, কিন্তু এটা না করলে মৃত্যুকে থামানো যাবেনা। শুরুর থেকেই সরকার আলোচনার পথ বাদ দিয়েছে। আন্তর্জাতিক সমর্থন জোগাড়ে তাদের কোনো খেয়ালই ছিলোনা। কাজেই ভেজাল মূলত তাদেরকেই সামলাতে হবে।
২। বি এন পি তার শেষ সু্যোগটাও হারালো। সে জামাতকে এবার বাদ না দিয়ে তাদের সাথে আরো জোরালোভাবে মাঠে নামলো। কাজেই এতদিন পরে আমরা ১০০% একমত হয়ে গেলাম এই দলটি সম্পর্কে। তাছাড়া খালেদার দুইখানা পুত্র আছে। জামাতকে রাখতে পারলে তাদেরও আঁখেরে অনেক জুটবে আরকি? জামাতকে বাদ দিলে তারাও খুন হতে পারে। জামাতের তো ধর্ম নেই, কাজেই জামাতের সাথে কাজ করার বিপদ বি এন পি আমলে না এনে কি ভুলই না করলো। যাহোক নষ্টদের পথ একই, তারা সেই পথ ধরে হেঁটে জাহান্নামে চলে যাক…
৩। সরকার ও জনগণ জামাত ও তাদের উপগ্রহগুলিকে সাম্লাতে পারবে কিনা জানিনা। শেষ পর্যন্ত আবার ৭১ এর মতো ভারতের সাহায্য দরকারও পড়তে পারে। আমি চিন্তাটাকে এখনই উড়িয়ে দিচ্ছিনা।
৪। ডাক্তার ইমরান নামে একজন নেতার জম্ন এই প্রজন্ম দিয়েছে। জামাত তো তাকে পছন্দ করবে না জানি। কিন্তু সরকারের দলও করবে বলে মনে হয়না। মুজিবের দল কখনোই কাউকে সিংহ হয়ে উঠা দেখতে পারেনা। ডাক্তার ইমরানকে নিয়ে আমি খুব দুঃশ্চিন্তায় আছি।
৫। আমি বিশ্বাস করি ধর্ম চিরকাল পৃথিবীতে থাকবে। কারন? কারন ধর্ম মানুষের আবেগ আর বিশ্বাস নিয়ে খেলে। আর মানুষ যুক্তির ব্যবহার জানলেও যুক্তির ব্যবহার সে তার জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে করেনা। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে যুক্তির ব্যবহার তা আর জীবন থাকেনা, হয়ে যায় যান্ত্রিক জীবন। কাজেই পজন্মের উচিৎ হবেনা রাতারাতি সবকিছু পালটে ফেলার স্বপ্ন দেখা। তাদেরকে পরিবর্তনের একটি পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে আর তা তাদেরকে পাহারা দিতে হবে। এটাই হবে তাদের সবচেয়ে বড় অর্জন।
অপশক্তি ধংস হোক! প্রজন্ম সঠিক পথে পথিক হোক! মনুষ্যত্বের জয় হোক!
ধন্যবাদ।
@আদনান আদনান, আরে মিয়া ভাই যে, মেলাদিন পর দেখলাম। ভাল আছেন আশা করি। 🙂
আপনিও একমত হইসেন? আমি কি স্বপ্ন দেখতেসি?যাক তাহলে ২য় শক্তি হিসাবে কারা আসতেসে বলে আপনার ধারনা? গণতন্ত্র তো একদলীয় হতে পারে না।
@অর্ফিউস,
আমার মত যা ছিলো তা-ই আছে। বি এন পি নষ্ট দল এটা আগেও বলেছি। এখন বি এন পি দেয়ালে পোষ্টার মেরে তা সবাইকে জানিয়ে দিলো।
যেহেতু আমাদের দেশ চাটুকারদের দেশ, দেশে এই বর্তমান দুই প্রধান দল-ই থেকে যাবে। কিছুকাল ফাঁটাফাঁটি হবে, তারপর আবার যা তাই। আমাদের কপাল কি আর এতো ভালোরে ভাই!
জ্ঞানীরা যা ভাবছে তা হবেনা। কোনো সমস্যারই সমাধান হবেনা শেষে। কেনো? কারন সরকার আন্তরিক না। শুধু দেখতে থাকেন… এ বছরই দেখবেন হাসিনা ও তার দল কি দেখাই…হতাশ তো প্রজন্ম কিছুটা হয়েছেই, আরো হবে…সেদিন আসছে…
ধন্যবাদ।
@আদনান আদনান, তা আপনার কি মনে হয় যে সরকার জামাত কে নিষিদ্ধ করবে? নাকি করবে না? আমি কিন্তু এখন সত্যি ভরসা করতে পারছিনা সরকারের কথাবার্তায়,কারন যেহেতু শাহবাগের ঘটনা সরকারের না এটা গনজাগরন।
@অর্ফিউস,
আসলে আমি এই প্রশ্নটি নিয়ে কখনই খুব একটা ভাবিনি। কেনো? কারন এটা একটি ভুল ও ফালতু প্রশ্ন। যদিও এটা নিয়েই সবার লাফালাফি দেখছি বেশি। আমি দেখছি আর আবাক হচ্ছি। দেখছি আর হতাশ হচ্ছি। দেখছি আর বমি বমি একটা ভাবে ভুগছি।
শুধু জামাতকে বাদ দিয়ে লাভটা কি হবে? জামাত তো আসল সমস্যা না। আসল সমস্যা হলো ধর্মভিত্তিক রাজনীতি! ধর্মকে রাষ্ট্রনীতি তৈরির ক্ষেত্র থেকে দূরে রাখতে হবে। এটাই আমাদের এক ও একমাত্র স্বপ্ন হওয়া উচিৎ এখন।
জামাতকে বাদ দিলে তারা অন্য নামে, অন্য সংবিধান হাতে নিয়ে, আর অন্য কিছু লোকের লিডারশিপে ভর করে আবার রাতারাতিই রাজনীতিতে এসে পড়বে। এতে লাভ হবেনা। আমি চাই তারা বাদ পড়ুক, কিন্তু অন্য সকল ধর্মভিত্তিক দলগুলোও বাদ পড়ুক।
সুন্দর সুন্দর পলিসি করে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বাদ দিতে হবে, আর কিছু ক্রাইটেরিয়া সেট করে নির্দিষ্ট কিছু মানুষকে রাজনীতি থেকে বাদ দিতে হবে।
শুধু জামাতকে বাদ দিতে পারলে হয়তো কিছু লোকের ব্ল্যাড-প্রেশার কমবে বা ডাক্তার ইমরানের মতো একজন নেতা পাওয়া যাবে; কিন্তু দেশের কোন লাভ বা অগ্রগতি হবেনা।
ধন্যবাদ।
@অর্ফিউস,
যাক তাহলে ২য় শক্তি হিসাবে কারা আসতেসে বলে আপনার ধারনা? গণতন্ত্র তো একদলীয় হতে পারে না।
কেন পারে না ? উদাহরন তো দুটোই আছে, গণতন্ত্র বাকশাল আর গণতন্ত্র এরশাদ !
@রফিক,
আপনি কি এখানে এসেছেন বিএনপির প্রতিনিধি হিসাবে? সেক্ষেত্রে বলব যে প্রতিপক্ষ চিনতে আপনি ভুল করেছেন। আমি আ’লীগের কোন প্রতিনিধি না( পুজারী হবার প্রশ্নই আসে না) \, ধন্যবাদ।
@অর্ফিউস,
আমিও কারো প্রতিনিধি হিসেবে ন্য় উদাহরন দুটি সামনে ছিলো তাই উল্লেখ করলাম। বাই দ্যা ওয়ে, স্লোগান ছারা আ লীগ আর বি পির কোন পার্থক্য আছে বলে মনে হয় না। গনতন্ত্র যদি লগীর গুতোয় মরা আর ট্রেনে পুড়ে মরায় পার্থক্য হয় তবে সে গনতন্ত্রে আমার কিছু যায় আসে ও না।
@রফিক, তবে আপনি ওই দুটা উদাহরন এনেছিলেন কেন?আমার মন্তব্যের কোনকথায় আপনার মনে হল যে আমি ওগুলাকে গনতন্ত্র বলেছি?নাকি শুধু ওই দুটি স্বৈরশাসন কে বিদ্রুপ করার জন্য টেনে এনেছেন?তাহলে ঠিক আছে।তবে আমি কিন্তু আগেই আদনান কে পরিষ্কার ভাবে বলেছি যে একদলীয় গনতন্ত্র হতে পারে না!
আর যদি বিএনপি জেনে বুঝেই রাজাকারদের সমর্থন দেয়, সেক্ষেত্রে তাদের ভোট পাওয়া উচিত না, কিন্তু একদলীয় ভাবে কোনদিন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চলতে পারে না কাজেই এর বিকল্প কি হতে পারে সেটা আলোচনা করতে চেয়েছি। কাজেই আমার মনে হয় যে একটা বিকল্প কিছু আপনি বললে পারতেন বাকশাল বা এরশাদের তথাকথিত গনতন্ত্র ছাড়া।
যাহোক মুজিবের পুজা করা কিছু চাটুকার কিন্তু মুজিবের বাকশাল কেও ভাল বলতে দ্বিধা করছে না, যদিও এরা সংখ্যাইয় খুব কম।
আপডেইট
বগুরায় সেনা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
Breaking News
Army deployed in Bogra after Jamaat-Shibir mayhem
@সংশপ্তক, সেনাবাহিনী মোটামুটি বসেই থাকে, কাজেই এইবার দেশের কাজে লাগুক, এতে তাদের গৌরব বৃদ্ধি পাবে।এই মুহুর্তে জামাত শিবির সোজা করতে আমার মনে হয় সোজাসাপ্টা মার দেয়ার দরকার আছে।তাই সেনাবাহিনী সারাদেশে নামুক,এটাই কাম্য। আর সরকারের যদি চোখ খোলে তবে দেশের আইন পুলিশ বাহিনীকে আরো উন্নত অস্ত্র আর প্রশিক্ষন দেবে সাথে অবশ্যই মাল পানি( ভাল বেতন ইত্যাদি ইত্যাদি)। কারন যাই হোক সেনাবাহিনী নামা ভাল নাও হতে পারে, তবে এই মুহুর্তে যে হারে পুলিশের উপর হামলা হচ্ছে, এতে এর বিকল্পও দেখি না।
এই অক্ষশক্তির নীল নকশা প্রতিহত করার জন্যে উপায় লাগবে। তরুণেরাই সেটা বের করবে যথাযথ সময়ে। নেতৃত্ত্ব আর উপায়ের জন্যে আর একটু সময় বোধ হয় দরকার হবে। তবে কারা কি, কে কি এটি বোধ হয় ইতোমধ্যে অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে গেছে সবার কাছে। কাজেই লড়াইয়ে শত্রু চিনতে আজকের প্রজন্মের বোধ হয় আর আসুবিধে হবে না।
@কেশব অধিকারী,
সময় বেশি নেই হাতে । যে কোন মূহুর্তে যে কোন কিছু ঘটে যেতে পারে। পরিস্থিতি বর্তমানে কারও নিয়ন্ত্রণে নেই। একাত্তরের পরাজিত শক্তিকে যেসব জ্ঞানপাপী আজ খোলস থেকে বেড়িয়ে প্রকাশ্যে সমর্থন দিচ্ছে , জনতার রোষ থেকে এবার কেউ তাদের বাঁচাতে পারবে না। কোন দেশে পরাজিত দেশদ্রোহীদের বাঁচিয়ে রাখা হয় না। আমরা রেখেছিলাম এবং এর মূল্য এখন আমাদের কড় গণ্ডায় দিতে হচ্ছে।
রসুলের “কলমার দায়ে” জামাত…
জামাত দন্ডনীয় অপরাধ করেছে। কেহ ওটা দেখতে পারেন।
এখন যে পরিস্থিতি তাতে আওয়ামেলীগ সংসদে তত্বাধায়ক সরকার পাশ করলেও বোধ হয় স্থিতিশীলতা ফিরে আসবেনা।
তাহলে মানবতাবিরোধীদের সর্বোচ্চ শাশ্তি বিধানের কী হইবে?
জামাত-শিবির তাদের সহযোগী ইছলামিস্ট সহযোগীদের, “ইছলাম চলে গেল” বুলি আউড়িয়ে,অপরাধীদের রক্ষায় রাজপথে,চোরাগুপ্তা হামলায়,সম্পদের ধংসযজ্ঞ্যের জিহাদে সর্বশক্তি লয়ে ধর্মীয় জোশে নেমে পড়েছে। অজ্ঞ মুছলিমেরাও তাদের খপ্পরে পড়ে অপরাধীদের বাচানোর লক্ষে জীবন বাজী রেখে জিহাদে নেমে পড়েছে।
এই মুহূর্তে যতই তত্বাধায়কধায়ক সরকার এর কথাই স্বীকার করে লওয়ার কথা স্বীকার করা হউকনা কেন বিএনপি এই বৃহৎ একটি দলকে রাস্তায় রেখে ঘরে ফিরতে পারে আমার মনে হয়না, যতক্ষননা এবং যেভাবেই হউক না কেন,এই অপরাধীদের পাকা পোক্ত নিরাপত্বার ব্যবস্থা না হয়।
এরা পরাপর্শ করে এবং পলিকল্পনা লয়েই এই আন্দোলনকে বানচাল করার লক্ষে নেমেছে এটা নিসন্দেহ। এদের লক্ষ এখন আর তত্বাবধায়ক সরকার নাই।
এদের এখন একটাই লক্ষ তা হল অপরাধীদের রক্ষা করা। তাতে যদি দেশে চরম বিশৃংখলা নেমে আসে তাও ভাল।
কিভাবে করব? :-Y সকাল থেকেই মারামারি শুরু হবে আশা রাখি, যেমন দেখেছিলাম বৃহস্পতি বারে।
আশা তো অবশ্যই করিনা। এমনটা ঘটার সম্ভাবনা খুবই কম। পাকিস্তান, তালেবান, রোহিঙ্গা ও ভারতের জঙ্গীদের সম্পর্কে আশা করি সরকার সজাগ দৃষ্টি রাখছে।
@আকাশ মালিক,
আসমী উলফাদের কথা ভুলে যাবেন না , এদের সৃষ্টিকর্তা এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক জামাত-বি এন পি। কিবরিয়া সাহেব, আনোয়ার সাহেবের উপরে হামলার কথা মনে আছে ? এটা একটা ক্লাসিক্যাল উলফা অপারেশন ।
@সংশপ্তক,
জামাত বি এন পি জোট সরকারের সেই স্বর্ণালী যুগ, একুশে আগষ্টের গ্রেনেড হামলা , কিবরিয়া হত্যা , আহসানউল্লাহ মাষ্টার হত্যা , বৃটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার সাহেবের উপরে হামলা, আই ভি রহমানের মৃত্যু, হুমায়ুন আযাদ হত্যা, ১৭ আগষ্টে সারা দেশে বোমাবাজি, কমপক্ষে ছয়বার হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা সে কি আর ভুলা যায়? আহা আওয়ামী লীগ, তাকে মরিয়াই প্রমাণ করিতে হইলো সে মরে নাই।
ধন্যবাদ সংশপ্তক আপনার কাছ থেকেই একটা লেখা পাবার অপেক্ষায় ছিলাম!
বলেন কি? সত্যি নাকি?এতক্ষন তো নতুন খবরের জন্য নেট ঘাঁটাঘাঁটি করছিলাম এই সারারাত জেগে, আর এখন দিলেনতো সকালের ঘুমটাও মাটি করে। 🙁
ভাই শুনেন, একজন সাধারন সিভিলিয়ান হিসাবে আমি বেশ ভয়ে আছি( ভয় পাওয়া টা দোষের কিছু না) তখন থেকেই যখন থেকে বেগম জিয়া প্রকাশ্যে জামাতকে সমর্থন দিলেন। এইবার তো আপনি কলিজার কাঁপুনি ধরিয়ে দিলেন।
কাজেই একটু ঠান্ডা করে দেয়ার দায়িত্বটাও নিন।বলেন যে কিভাবে এইটার প্রতিরোধ করা যায়? সত্যি কি সাধারন জনতা আইএসআই এর বিরুদ্ধে পারবে?
@অর্ফিউস,
এদের প্রচুর টাকাপয়সা , হেরোইনের পয়সা ছাড়াও আছে বিলিয়ন ডলারের মার্কিন ডিজইম্বার্সমেন্টের অর্থ। আই এস আই বিশ্বের সবচাইতে ধনী গোয়েন্দা সংস্হার অন্যতম এবং কোন রকম নৈতিকতার ধার এরা ধারে না। দাউদ ইব্রাহীমদের মত বড় বড় গ্যাংস্টাররা তো ‘ডোনেশন’ দেয়ই ! পয়সায় ভরা ‘তারেক ব্যাংক’ আছে ! দেখেন টাকা পয়সার লোভ আগে পাবলিক সামাল দিতে পারে কি না !
@সংশপ্তক, টাকার লোভ নাকি আদর্শ বাদের ভুত?এইযে দেশে বঙ্গবন্ধুর পুজার পাশাপাশি জিয়ার পুজা চালু আছে। অজনেরদিক দিয়ে এই দুই ভদ্রলোকের আকাশ পাতাল পার্থক্য থাকলেও পুজা কিন্তু পুজাই, আর বাঙ্গালী এই জিনিসটা করতে খুবই পারদর্শী।
শেখ সাহেব কে নিয়ে লীগ অতি ভক্তি দেখায় যেটা চোরের লক্ষন, কিন্তু স্বাধীনতা যুদ্ধে এই দুজনের অবদানের পার্থক্যটা চোখে লাগার মত স্পষ্ট। যেখানে মুজিব নেতৃত্ব দিলেন সেখানে জিয়া ছিলেন আর দশটা দেনা অফিসারের মতই একজন অফিসার; বিশেষ কেউ নন। তবু বাঙ্গালীর মগজ ধোলাইয়ের মাধ্যমে এই ভদ্র লোক দেখেন আজ কোথা থেকে কোথায় এসেছেন।
এই জাতিকে নিয়ে বড্ড ভয় হয়।আ’লীগের পাশা পাশি অন্য দল থাকতে পারত কিন্তু বিএনপির মত ভুঁইফোড় দলটার জন্ম হল সেনানিবাসে( সেনানিবাস নিশ্চয়ই রাজনৈতিক দল তৈরি হবার জায়গা নয়!), কিছু বখে যাওয়া অফিসারদের হাত ধরে, আর এরাই কিনা আ’লিগের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী এখন।অথচ পাবলিক এদের গিলেছে এইটাই একমাত্র ভয়। টাকা হয়ত কিছু লোক খাবে বাকিরা পরিষ্কার মগজ ধোলাইয়ের শিকার। আর এইটাই সবচেয়ে চিন্তার বিষয় য আমাদের মগজ ধোলাই সবচেয়ে সহজ।
হুজুগে বাঙ্গালী আসলেই কোন জেনেটিক সমস্যা কিনা জানা নেই আমার, তবে এটা যাই হোক এই এলাকার মানুষদের মধ্যে হল কেন কে জানে!!!
@অর্ফিউস,
পড়ুন,
যেখানে মুজিব নেতৃত্ব দিলেন সেখানে জিয়া ছিলেন আর দশটা সেনা অফিসারের মতই একজন অফিসার; বিশেষ কেউ নন।
@অর্ফিউস,
যেখানে মুজিব নেতৃত্ব দিলেন সেখানে জিয়া ছিলেন আর দশটা সেনা অফিসারের মতই একজন অফিসার; বিশেষ কেউ নন।
বলতে চাইছেন, বড় পীরের চেয়ে সাহাবির পুজা ছোট রাখা ধর্মীয় বিধানের মতো ? এটাও কি এক ধরনের মৌলবাদী ধারনা নয় ? নাকি মৌলবাদ শুধু ধর্মেই সিমাবদ্ধ ?
@রফিক,
একটি বিষয় নিয়ে বহুদিনের কৌতুহল আছে। আপনি বোধহয় বলতে পারবেন। জেনারেল জিয়াউর রহমানের মৃতদেহ সনাক্তকারী ছিলেন একজনই – লেঃ কর্নেল মাহফুজুর রহমান যাকে এর কয়েক মাস বাদে ফাঁসি দেয়া হয়। গুজব আছে যে, হত্যার পরে জেনারেল জিয়াকে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেয়া হয়। প্রশ্ন হচ্ছে , জেনারেল জিয়ার মৃতদেহ ব্যান্ডেজে মুড়িয়ে ঢাকা পাঠানোর আগে সচক্ষে দেখেছেন এমন কেউ কি বর্তমানে জীবিত আছেন ? ধন্যবাদ।
@সংশপ্তক,
” গুজব আছে যে, হত্যার পরে জেনারেল জিয়াকে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেয়া হয়।”
এটা সম্ভবত লীগেরই আরেকটি ক্রিয়েটিভ গুজব। এটা এমন এক ক্রিয়েটিভ কনফিউশন যা হযম করা বা চ্যালেঞ্জ করা দুটোই বি এন পির জন্য বিপদ জনক ! বো্ঝা যচ্ছে নেগেটিভ ক্রিয়েশনে এরা সবাই কম বেশি ওস্তাদ।
“জেনারেল জিয়ার মৃতদেহ ব্যান্ডেজে মুড়িয়ে ঢাকা পাঠানোর আগে সচক্ষে দেখেছেন এমন কেউ কি বর্তমানে জীবিত আছেন ?”
কঠিন কৌতুহল ! আগে দেখাদের কেউ জীবিত আছে কিনা সেটাতো বলা অসম্ভব। তবে পরে যারা ঢাকায় দেখেছে তার মধ্যে খালেদা জীবিত ! এরশাদ অবশ্য না দেখলেও আগে পরে দুটাই জানে মনে হয়।
@রফিক, আপনার মন্তব্য পরিষ্কার বুঝতে পারলাম না দুঃখিত। তবে আমি যেটা বলতে চেয়েছি সেটা আরো পরিষ্কার করে বলার চেষ্টা করছি। আমি বুঝাতে চেয়েছি যে যে কোন কারনেই হোক জিয়া বড় নেতা হয়ে গেছেন পরবর্তিতে।স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর যতটুকু অবদান ছিল ঠিক ততটাই অবদান ছিল যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ কারী অন্যদের ( স্বাধারণ মানুষ এবং সেনা সদস্য)। কাজেই মুক্তি যুদ্ধের অবদান জিয়ার কি ছিল, সেটা নিয়ে বাড়তি কোন চ্যাঁচামেচির অবকাশ নেই।
আর স্বাধীনতার ঘোষক?আচ্ছা বলেনতো জিয়া কি সত্যি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন? নাকি মুজিবের পক্ষ থেকে পাঠ করেছিলেন মাত্র?২য়টাই কিন্তু যৌক্তিক বেশি, যেহেতু জিয়া ওইসময়ে জনগনের নির্বাচিত প্রতিনিধি ছিলেন না।
কাজেই একজন জিয়া স্বাধীনতার ঘোষনা দেয়ার ক্ষমতা পেলেন কোথায় সেটা কিন্তু বিএনপি ব্যাখ্যা দেয় না।
সেক্ষেত্রে একটা জিনিস শেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে( পড়েছিলাম আমার ছোট ভাইয়ের জুনিয়র স্কুল লেভেলের বইয়ে, জামাত যখন ক্ষমতায় ছিল তখন) যে জিয়া নাকি নিজেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন? যদি সেটাও হয় তবে কিসের ভিত্তিতে তিনি নিজেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসাবে ঘোষণা দিয়েছিলেন? তার উচ্চাভিলাষ থেকে? যা কিনা পরে তাকে ক্ষমতায় আসতে সাহায্য করে?
তাহলে বুঝাই যাচ্ছে যে যদি এটাও সত্য হয় তবে জিয়া কে দেশপ্রেমিক না বলে ষড়যন্ত্রকারী আর গদিলোভী ভাবার যথেষ্ট কারণ থেকে যায়!
কিন্তু তার মধ্যেও ঘাপলা আছে,এতে মুজিব নগরের অস্থায়ী সরকারের কি হবে? ওটা কি মিথ? আর জিয়ার নেত্রত্বেই যদি মুক্তি যুদ্ধ হবে, তবে যিয়া নিজে কেন এমন কি সর্বাধিনায়ক না হয়ে একজন ফিল্ড অফিসার হিসাবে কাজ করবেন?
৭১ এর যুদ্ধ আর পৌরানিক ট্রয়ের যুদ্ধ নিশ্চয়ই এক নয় যে আক্রমণকারী গ্রীক দের সাথে মোকাবেলায় ট্রয়ের যুবরাজ হেক্টরকে সামনে থেকে যুদ্ধ করা লাগবে?
তাহলে কিসের জন্য স্বাধীনতার ঘোষক( তথাকথিত) ছিলেন ফিল্ড অফিসার? বর্তমানে যেন এটাকে নিয়ে তুমুল ঝগড়া হয় এই জন্যে?
আমি জিয়া আর মুজিবের ওজনের পার্থ্ক্য বলতে এটাই বুঝিয়েছি যে ,(এবং সাথে এটাই বলতে চেয়েছি যে কোন বিশেষ সময় সুযোগ সন্ধানী যে কেউ বাঙ্গালীদের মগজ ধোলাই সহজেই করতে পারে)।মুক্তি যুদ্ধে তাদের ভুমিকার কথা, কারো পুজা অর্চনাকে বৈধতা দানের জন্যে না।ধন্যবাদ।
@অর্ফিউস,
“আচ্ছা বলেনতো জিয়া কি সত্যি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন? নাকি মুজিবের পক্ষ থেকে পাঠ করেছিলেন মাত্র? ”
আমি যে রেকর্ড শুনেছি সেটা ‘অন বিহ্যাফ অব আওয়ার গ্রেট লিডার শেখ মুজিব’ ই শুনেছি। এখন তারা সেটাকে কি ভাবে প্রচার করে সেটা অবশ্য আমার জানা নেই। তবে আওয়ামী লীগের মুজিব-হান্নান ঘোষণা থিওরী যেমন অযৌক্তিক এবং ব্রান্ডিং রিলেটেড ধাপ্পাবাজি, বি এন পির স্বাধীনতার ঘোষণার অতিরঞ্জনও তাই। যতদুর জানি জিয়া প্রথমবার স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে গিয়ে নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছিলেন যেটা ছিলো স্লিপ অব টাং (অথবা সাময়িক উত্তজনা বশত ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় ভুল) যা তখনই শুধরে নেওয়া হ্য়। মুজিব নগর সম্পর্কে জানতে মাঈদুল ইসলামের লেখা “মূলধারা ৭১” বইটি পড়ে দেখতে পারেন। আমি পুজার ব্যাপারে যেটা বলতে চেয়েছি তা হলো, পুজায় যদি আমরা অভ্যস্ত থাকি তবে মুজিবের চেয়ে অন্য কারো পুজা বেশি হতে পারে না একথায় যুক্তি নেই। কাল যখন হাসিনা-খলেদা পুজা শুরু হবে, তারা যে মুজিব-জিয়াকে ছাড়িয়ে যাবেনা তার কি গ্যারান্টি আছে ?
@রফিক,
খুব ভাল কথা।পুজা পার্বনের আসলেই দরকার হয় না।মুজিব পূজারী বলতে আমি যে পাঁড় আ’লীগ সমর্থক অথবা একশ্রেণীর দালালকেই বুঝাই, আর আমি এদের কোনদিন ভাল মনে করি না।
“মুজিব পুজার পাশাপাশি জিয়ার পুজা শুরু হয়েছে”, এই বাক্যটি দ্বারা আমি কিন্তু মুজিব পুজাকে কোনভাবেই বৈধতা দিতে চাইনি। বরং বিদ্রূপ করেছি।কারন এইভাবে একজনের পুজা করতে গেলেই আরেকজনের পুজা শুরু হবে, যেমন মুজিবপুজার হাত ধরেই জিয়া পুজা শুরু হয়েছে।ধন্যবাদ।
আওয়ামী লীগ সংসদে তত্বাবধায়ক সরকার আইন পাস করলেই তো আর বিএনপি’র কাছে কোনো ইস্যু থাকে না। সুতরাং তত্বাবধায়ক সরকারের জন্যে আওয়ামী লীগের উপরে চাপ দিন। শেখ হাসিনা ২০০৬-৭ এ স্পষ্ট করেই বলেছিলো যে বিএনপি ক্ষমতায় থাকার চেয়ে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখল ভালো। সন্দেহ নেই যে বিএনপি’র মনোভাবও এখন তাই।
@সফিক,
এটা লিখিত গ্যারান্টি কে দেবে ?
@সংশপ্তক,
বাংলাদেশে ৯০ এর পরে যতো রাজনৈতিক অস্থিরতা হয়েছে তার মূলে রয়েছে নির্বাচন আর তত্বাবধায়ক সরকার। আওয়ামী লীগ তত্বাবধায়ক সরকারের নামে যতগুলো হরতাল দিয়েছে আর যত গাড়ী পুড়িয়েছে বিএনপি এখনো তার অর্ধেকেও পৌছতে পারে নি।
একের পর এক মতামত জরীপে দেখা গেছে দেশের অধিকাংশ লোক চায় তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। দেশের সুশীল সমাজ, ব্লগজগতে এ ব্যাপারে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। বিএনপি’র নিজের এতো কোমড়ের জোড় নেই যে তারা নিজে আন্দোলন, হরতাল অবরোধ করে আওয়ামী লীগকে বাধ্য করবে। এক্ষেত্র জামাতের ফ্যানাটিক ক্যাডার বেইসই তাদের একমাত্র ভরসা।
@সফিক,
আপনার কি মনে হয় যে , সরকার বি এন পি নিয়ে খুব চিন্তিত ? দলতো একটাই এবং সেটা জামাত যে কি না বি এন পির প্রাণ ভোমরা – সেন্টার অব গ্রাভিটি। আলোচনা বলুন আর সংঘাতই বলুন , সরকার এখন আসল পক্ষের সাথেই করতে চাইবে। কোন রকম দর কষা কষি হলে সেটা জামাতের সাথেই হবে। জামাতের উচিৎ কিছু নেতাকে ফাঁসিতে ঝুলতে দিয়ে সামনের দিকে তাকানো কারণ এখন এরা যেটা করছে তাতে করে এদের এতদিনের বিনিয়োগ ধুলিস্ম্যাত হতে বসেছে। বি এন পির অনেক নেতাকেই আগামীতে হয় আওয়ামী লীগে যোগ দিতে দেখা যাবে অথবা তারা নতুন দল গঠন করবেন।
@সংশপ্তক,
‘বি এন পির অনেক নেতাকেই আগামীতে হয় আওয়ামী লীগে যোগ দিতে দেখা যাবে অথবা তারা নতুন দল গঠন করবেন’
জি ঠিকই বলেছেন, এটা সকল আওয়ামী লীগ সমর্থকের আজন্ম লালিত সাধ। বিএন পি নামের দলটার জন্মই তো হয়েছে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের বেড়ে দেওয়া ভাতে ছাই দেবার জন্যে।
@সফিক,
বি এন পি যে মুসলিম লীগের বিবর্তিত রূপ এটাতে সন্দেহ আছে ? পাকিস্তানী আই এস আই যে সব বামপন্থী ,জাসদ আর সর্বহারা নেতাদের ১৯৭২-৭৫ পর্যন্ত পূষতো তারা পরবর্তীতে যোগ দিয়ে এটাকে আরো সমৃদ্ধ করে। এরশাদের জাতীয় পার্টিতেই কতগুলো নেতা চলে গেল। জেঃ মাহবুবের মত নেতারাও বেশী দিন থাকবেন না , জাতীয় সম্মেলন হতে দিন আগে। এর নেতারা যে রাজনৈতিক ডিগবাজী দিতে ওস্তাদ সেটা নোয়াখালী সমিতির অগ্রদূত মওদূদ আহমেদকে দেখলে বোঝা যায়। এ দলের জন্মই হয়েছে পাকিস্তানের একত্রীকরণের উদ্দেশ্যে একজন ‘আই এস আই মেজরের’ হাত ধরে।
@সংশপ্তক,তার মানে আপনি মনে করেন বাংলাদেশের ৪৫% লোক চায় বাংলাদেশ পাকিস্তানের সাথে এক হয়ে যাক? আসলে এই ঘৃনিত বিএনপি-ই আপনার প্রাণের লীগকে দুই দুই বার জনগনের রায়ে হারিয়ে দিয়েছে এই যাতনা কোনদিন মনে হয় ভুলবেন না।
@সফিক,
বাংলাদেশের ৪৫% লোক চায় বাংলাদেশ পাকিস্তানের সাথে এক হয়ে যাক- এটা আপনার বানানো স্ট্রম্যান । এ কথা কেউ বলে না। কালের যাত্রী হয়ে একথা কিভাবে বিশ্বাস করেন ! বাংলাদেশের মানুষকে পরিসংখ্যান বিদ্যা দিয়ে যাচাই করতে গেলে বিপদ আছে। এই দেশের মানুষের কোন নির্দিষ্ট মতাদর্শ নেই – এটাই কালের যাত্রীর প্রথম শিক্ষা।
আওয়ামী লীগ আমার প্রানের লীগ হতে যাবে কেন ? বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ , জামাত এবং বি এন পি র চাইতেও বড় শক্তি আছে যা হার্ভার্ড অধ্যাপক গবেষকদের পেপারে আসবে না। এদের জানতে হলে হার্ভার্ড ছেড়ে ল্যাংলী , ভার্জিনিয়াতে আসুন !
আওয়ামী লীগকে কোন কালে দুই দুই বার বেওয়াফা জনগনের রায়ে হারিয়ে দিয়েছে তো কি হয়েছে ? এখন রাজাকারদের নিয়ে তাই বলে নাচানাচি করতে হবে ? সেই বেওয়াফা জনগনই এখন আওয়ামী লীগের শয্যাসঙ্গী ! মানুষের প্রেম করে বিয়ে করা বউ পর্যন্ত অন্যের সাথে পালিয়ে যায় , তাই বলে পুরোন প্রেম নিয়ে এখন কান্নাকাটি করতে হবে ? বর্তমানে দেশ কারা চালাচ্ছে এবং আগামীতে কারা চালাবে সেটাই আসল কথা।
@সংশপ্তক, আপনি নিজে বলেছেন বাংলাদেশে বিএনপি’র জন্ম হয়েছে পাকিস্তানের সাথে এক হয়ে যাবার জন্যে। আপনি একথা বলে বাংলাদেশের কোটি কোটি লোক, যারা বিএনপি’কে ভোট দিয়ে একাধিকবার ক্ষমতায় এনেছে তাদের বুদ্ধিমত্তা আর দেশপ্রেমকে তুচ্ছ করেছেন। এখন পর্যন্ত নগরবাসী এবং মধ্যবিত্ত-উচ্চবিত্ত ভোটারদের মধ্যে বিএনপি’র জনপ্রিয়তা আওয়ামী লীগের চেয়ে বেশী। কদিন আগে করা বাংলাদেশের একমাত্র প্রফেশনাল পোলিং, প্রথম আলো এবং ডেইলী স্টার এর এর দুটি ভিন্ন পোলিং এ দেখা গেছে বিএনপি’র সমর্থন আওয়ামী লীগের চেয়ে বেশী অথবা সম পর্যায়ে।
আপনি আজকে এই সময়ে দাড়িয়ে খুবই কনফিডেন্টলি বলে বেড়াচ্ছেন বিএনপি’র বিলুপ্তি’র কথা। Would you bet your house on it?
আপনার মতো একজন conspiracy theory ফ্যানাটিকের পক্ষেই বলা সম্ভব যে বাংলাদেশের রাজনীতি চালায় CIA.
@সফিক,
দেশে এসে ভোট দিতে যান । ভোট দিতে গেছেন কোনদিন বাংলাদেশে ? ভোটার লিস্টে নাম আছে ?
@সংশপ্তক,ভোট দিয়েছি একাধিকবার। তো?
@সফিক,
বেশ । বাংলাদেশে রাজনীতিতে পয়াসাওয়ালা মানবতাবাদী NGO দের ভুমিকা নিয়ে আপনার কি মতামত ? আপনার এ সম্পর্কে ভাল ধারণা থাকার কথা। সামরিক বাহিনীর ভুমিকা নিয়ে আমার এই লেখা। এদের সম্পর্কে NGO রা কি ভাবছে ?
@সংশপ্তক,কোনো রকম NGO র সাথে আমি কস্মিনকালেও জড়িত ছিলাম না। এরা সামরিক বাহিনী কি ভাবছে না ভাবছে এটা নিয়ে আমার কোনো আইডিয়া নেই।
প্লিজ, প্রশ্ন-উত্তর এর মাধ্যমে লম্বা কোন গল্প গাথার ধৈর্য আমার নেই। কিছু বলতে হলে সরাসরিই বলুন।
@সংশপ্তক,
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
@সফিক,
সংশপ্তককে করা প্রশ্নটির উত্তরে নাক গলানোর জন্যে আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান একটি টেলিফোনালাপে বেশ কয়েক বার বলেছেন, খালেদা জিয়া,পলিটিক্যালি সি ইজ ডেড। শুনতে চাইলে বোধ হয় শোনাতে পারবো।
@আকাশ মালিক,স্বয়ং মাহমুদুর রহমান এ কথা বলেছেন? তাহলে এটা তো আর অবিশ্বাস করার উপায় নেই। কিন্তু এই ডেড হর্স (নাকি ডেড মেয়ার, Mare -old female horse) বিচার-জামাত-গন্ডগোল নিয়ে কি বললো না বললো এটা নিয়ে সবার এতো মাথা ব্যাথা কি জন্যে?
@সফিক,
মানলাম, আপনি কন্সপিরেসি থিয়োরি কেন্দ্রিক ফ্যানেটিসিজম পছন্দ করেন না। তো আপনার কাছে প্রশ্ন: এখন পর্যন্ত নগরবাসী এবং মধ্যবিত্ত-উচ্চবিত্ত ভোটারদের মধ্যে জনপ্রিয়তার দৌড়ে এগিয়ে থাকা বিএনপি (এবং অনেক ব্লগারেরও ভারি আহ্লাদের দল) থেকে বলা হয়েছে: শাহবাগ আন্দোলন তৈরি হয়েছে ভারতের মদদে, উদ্দেশ্য বাংলাদেশের চরম পরিক্ষিত স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করা, ক্রমবর্ধমান অগ্রযাত্রা (যা ইন্ডিয়ার জন্য হুমকি) রুখে দেয়া, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বারোটা বাজানো আর সর্বোপরি আ’লীগকে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আনা। তো প্রিয় সফিক ভাই, জানতে মন চায়, আপনি কি ভাবছেন এই কন্সপিরেসি থিয়োরি নিয়ে? মধ্যবিত্ত-উচ্চবিত্তের এই প্রিয় দলটি কি সঠিক বলেছে? আম-কাঁঠাল জনতা মনে করে দয়া করে আমাদিগকে উত্তর জানার অধিকার থেকে বঞ্চিত না করার আকুল আবেদন থাকল, সফিক ভাই।
@কাজি মামুন, আপনার মতোই বাংলাদেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক সাপোর্টার হলো পুরো ধর্মীয় সাপোর্টার এর মতো। তারা মনে করে যেমন মুসলমান হতে হলে পাচ ইমান নিয়ে মুসলমান হতে হয় তেমনি আওয়ামী-বিএনপি হতে হলে পাচ ছয়টি ইমান আনতে হয় কোনো প্রশ্ন ছাড়া। এরকম ইমান না এনে কেউ একপক্ষ বা অন্যপক্ষকে সমর্থন করতে পারে এ ধরনের চিন্তা আপনার মতো ধর্মীয় সাপোর্টারদের মাথায় কোনভাবেই আসে না।
আমি মনে করি শাহবাগ আন্দোলনকে নিয়ে বিএনপি’র এসব কথা পুরো ননসেন্স। আর ননসেন্স কথাবার্তায় খালেদা-হাসিনা এবং তাদের সব জগৎএর চ্যালাচামুন্ডা কেউ কম যায় না।হাসিনা যেমন ইউনুস, বিশ্বব্যাংক নিয়ে গন্ডা গন্ডা ননসেন্স ঝেড়েছে। শাহবাগ নিয়ে খালেদার এই কথাগুলো যে ননসেন্স এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আমি একটু কৌতুহলী, বাংলাদেশে এখন ” বাংলাদেশের চরম পরিক্ষিত স্থিতিশীলতা রয়েছে, ক্রমবর্ধমান অগ্রযাত্রা হচ্ছে,” এই ধরনের কথা বিএনপি’র লোকজন কেমন করে বলে? তারা তো দিনরাত বলে যে দেশটা রসাতলে যাচ্ছে!
@সফিক,
আপনি তাহলে মানবতাবাদী ফ্যানাটিক।
@সফিক,
আপনার মন্তব্যের প্রথম অংশ কি ২য় অংশের উপর ভিত্তি করে বলছেন? সেক্ষেত্রে বলব যে আপনি বাংলাদেশকে প্রথমথেকেই আমেরিকা ভেবে ভুল করেছেন।
২য় অংশ সম্পর্কে বলতে চাই যে একটা পোলে বিএনপি জিতে গেলেই তারা বেশি জনপ্রিয় এইটাও কি আপনি আমেরিকার পদ্ধতি অবলম্বন করছেন?তাহলে আমি বলব যে আপনি বাংলাদেশকেই ভুলে গেছেন।কবে থেকে দেশের বাইরে আছেন দয়া করা জানাবেন কি?( না জানালেও সমস্যা নেই)।
@সফিক,
এইবার তো দেখতেসি যে এরা জনগনের বাড়াভাতেই ছাই দিচ্ছে।আর যাই হোক জামাতের সাথে এখন গলা মেলানোর মানে কি?গনতন্ত্রের জয়গান করা নয় নিশ্চয়ই?
@সফিক,
আপনি কি নিজে জরিপ করেছেন?এই পরিসংখ্যানটা কোথায় পেলেন জানতে পারি কি?
@অর্ফিউস, আপনার যদি বাংলাদেশের গত দুই দশকের রাজনীতি সম্পর্কে মোটামুটি ধারনা থাকে তবে এই প্রশ্নটি করতেন না। আওয়ামী বিএনপি’র তুলনামূলক হরতালের হিসাব কোনো রাজনীতিসচেতন লোককে দেখাতে হয় এটা বিশ্বাস করা শক্ত।
@সফিক, দেখেন দুই দশকের রাজনীতি সম্পর্কে খোঁজ পাই এর ওর কাছ থেকে শুনে। আমি গত এক দশকের রাজনীতি চোখে দেখছি আর পর্যবেক্ষন করতে পারছি ভালভাবে, তার মানে তো এই না যে আমার জানার অধিকার নেই।আমি তো শুধু সুত্র চাইলাম, ধন্যবাদ।
@সফিক,
৯৬ এর ১৫ ফেব্রুয়ারীর নির্বাচন মনে আছে।একদলীয় নির্বাচন। সেখানে নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিকল্প কিছু ছিল না। জনতা মনে হয় আগের চেয়ে সচেতন।তত্বাবধায়ক তবু দরকার আছে, এখনো আছে ।কিন্তু গাড়ি পোড়ানোর পরিসংখান চুড়ান্ত বাদী হলেই এই প্রশ্ন আসে।
@সংশপ্তক,
আপনার এই লেখাটা পড়ে কেনো জানিনা সেই ইতিহাস কুখ্যাত জালিয়ানওয়ালা হত্যা যজ্ঞের কথা মনে হল। উগ্র পন্থীদের মাঝে সুইসাইড আক্রমন এর আশংকা কে উড়িয়ে দেয়া যায় না।
@আফরোজা আলম,
লাশের রাজনীতির ব্যবহার এই উপমহাদেশে ব্যপক । সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
@সফিক,
দেশ পুড়ছে, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ চাইছে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি, একটি ক্ষুদ্র অংশ সেই শাস্তি প্রতিহত করতে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে; কিন্তু মজার ব্যাপার জানেন কি, এরই মাঝে টকশোগুলিতে বিএনপি নেতাদের শুধু একটা কথাই বলতে শুনছি: তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাই। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে শাহবাগ আন্দোলন করে না কেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে মিডিয়া এত ভূমিকা রাখে না কেন ইত্যাদি ইত্যাদি। তো প্রিয় সফিক ভাই, আপনার কথায় সেই প্রতিফলনই পেলাম। তবে জানেন কি, একটুও অবাক হইনি।
শুধু একটা কথা: আপনি আরেকবার উদ্ধৃতাংশটুকু পড়ে দেখুন। মনে হবে, আপনি নিজেকেই অপমান করেছেন। তা না হলে, বাংলাদেশের রাজনীতি সম্পর্কে সামান্য ধারণা যাদের আছে, তারা জানে, এদেশে রাজনীতি করতে হলে হয় তেমন ইস্যু লাগে না, বা মনমতো ইস্যু বানিয়ে নেয়া যায়। ভেবে দেখুন, আ’লিগ যখন ২০০১ সনে ক্ষমতা ছাড়ে, তখন কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ছিল। কিন্তু বিচারপতি লতিফুরকে মানবে না বলে বিএনপি কিভাবে দিনের পর দিন হরতাল করেছে এবং দেশ অচল করে দিয়েছে, তা তখনকার পত্রিকার পাতায় চোখ বুলালেই টের পাবেন। আ’লীগ সমর্থিত পত্রিকা না, বিএনপির কোন পত্রিকা দেখলেই হবে।
মোট কথা, বিশ্বের শ্রেষ্ঠ নির্বাচন ব্যবস্থাও যদি থাকত, তারপরও তারা আন্দোলন করত। কারণ ঐ্তিহ্যগতভাবেই এদেশের বিরোধী দলের একটা ভয়ানক আন্দোলন গড়ে তোলা চাই-ই চাই। কারণ তাদের অবিচল বিশ্বাস, এই আন্দোলনের মাধ্যমে দেশবাসীকে তাদের শক্তিমত্তা সম্পর্কে জানান দেয়া যায়, যা কিনা পরবর্তী নির্বাচনে পজিটিভ ফল বয়ে আনে।
@কাজি মামুন, ” দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ চাইছে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি”,
দেশের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ কিন্তু তত্বাবধায়ক সরকারও চায়। সুতরাং সর্বোচ্চ শাস্তি দাবীকারী জনগন আর তত্বাবধায়ক চাওয়া জনগন এর মধ্যে বিপুল overlap আছে নিশ্চই। নাকি ভেবে রেখেছেন যুদ্ধাপরাধীদের ফাসি চাওয়া সব লোক আওয়ামী লীগের সুশীতল ছায়ায় ফিরে এসেছে?
আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য ক্ষমতায় থাকা, বিএনপি’র ক্ষমতায় আসা। যারা বিএনপি’কে নিয়মতান্ত্রিক পথে ক্ষমতায় আসার সুযোগ দেবার পক্ষে একটা কথা বলে না, তাদের হাজার পরামর্শ বিএনপি’র লোকজন কেনোই বা নেবে? যেসব লোক মনে প্রানে চায় বিএনপি’র বিলুপ্তি, সেই সব লোকের আছে বিএনপি’র ভবিষৎ এর জন্যে সুপরামর্শ কেনোই বা শুনবে বিএনপি’র লোকজন? তাদের নিজস্ব ইলেকশন ক্যালকুলেশন আছে, যেমন আছে আওয়ামী লীগেরও। যে ইলেকশন ক্যালকুলেশনের জন্যে আওয়ামী লীগ কাদের মোল্লাকে যাবৎ্জীবন দিয়েছিলো, যে ক্যালকুলেশনের জন্যে আওয়ামী লীগ জামাতকে নিষিদ্ধ করতে চায় না, সেই ক্যালকুলেশনই বিএনপিকে জামাত ত্যাগে বাধা দিচ্ছে।
তত্বাবধায়ক থাকলেও বিএনপি’র হরতাল করতো কি না করতো কি না সেটা পরের ব্যাপার, সোজা কথা দুই দুই বার তত্বাবধায়ক সরকারের পথে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ এখন তত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে দিয়েছে। এই নগ্ন হিপোক্র্যাসীটা যাদের মধ্যে ধরা পরে না তাদের কাছে বাংলাদেশের গনতন্ত্র কখনোই নিরাপদ নয়।
@সফিক,
আপনি যে নিজের করা অতি সরলীকরণ করা ও সম্পূর্ণ ওজনহীণ একটা মত থেকে সরে এসেছেন, সেজন্য একটা ধন্যবাদ অন্তত আপনার প্রাপ্য।
না, তা ভাবব কেন, তা ভাবলে তো মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী একদল লোক যারা এখন বিএনপির লু হাওয়ায় পুড়ছে, তাদের কথা ভুলে যাওয়া হয়।
আপনি এখনো ক্যালকুলেশনে পড়ে আছেন? দেখেন, আমার জন্মাবধি দেখেছি, বিএনপিমনাদের শুধু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একটা কথাই বলে, আমরা হয়ত ওদের বিচার করি না, কিন্তু রাজনীতিও করি না। আ’লীগ তো আরো খারাপ, শুধু বিচারের মুলো ঝুলিয়ে রাজনীতি করে, আসল বিচার করলে তো ওদের আর কোন ইস্যু থাকে না। হয়ত আ’লীগ এবারও তাই করতে চেয়েছিল, কিন্তু শাহবাগ তা প্রতিহত করেছে। এখন আর কোন ক্যালকুলেশন নাই।
তবে হ্যা, আপনার দুশ্চিন্তার কারণ নেই। আ’লীগ-জামাত রাস্তায় কাটাকাটি করে মারা পড়ছে, আর শহুরে মধ্যবিত্তদের প্রিয় দল মাঝপজিশন থেকে সুযোগসন্ধানি গোলটা মনে হয় ঠিকই দিয়ে দেবে। সুতরাং, ভয়ের কিছু নেই, সফিক ভাই। দুশ্চিন্তা মাত করুন।
@কাজি মামুন,
” আ’লীগ-জামাত রাস্তায় কাটাকাটি করে মারা পড়ছে, আর শহুরে মধ্যবিত্তদের প্রিয় দল মাঝপজিশন থেকে সুযোগসন্ধানি গোলটা মনে হয় ঠিকই দিয়ে দেবে।”
আপনার এই কথাটির কোন প্রতি উত্তর দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়, মেনে নিতেই হবে। ইচ্ছেয় বা অনিচ্ছায় হোক শেষ পর্যন্ত জামাতের সাথে সরাসরি সংঘর্ষে নেমেছে আওয়ামী লীগই। এই সংঘর্ষের যাবতীয় অনিশ্চয়তা আর রিস্ক জেনেই। সুতরাং এই সংঘর্ষের পুরষ্কার, তিরষ্কার যা হবে সবই আওয়ামী লীগের প্রাপ্য। যুদ্ধের বিজয়মাল্য যোদ্ধারই প্রাপ্য, গা বাচিয়ে চলা দর্শকদের নয়।
আমি শুধু এখনো বলতে চাই এই existential war এর চাপ পরে গনতন্ত্রকে আপাতত স্যাক্রিফাইস করা উচিৎ কি না এ ব্যাপারে আমার দ্বিমত রয়েছে।
@সফিক,
ও, আপনি বুঝতে পারেননি তাহলে? ”বাংলাদেশের চরম পরিক্ষিত স্থিতিশীলতা রয়েছে, ক্রমবর্ধমান অগ্রযাত্রা হচ্ছে,” – এগুলি বিএনপি আমলের করা উন্নতি, তবে ২০০৮ সালে ভারত নিজের সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থে আ’লীগকে বসায় এবং যে মুহুর্তে সারা দেশের মানুষ আ’লীগকে হঠানোর জন্য মরিয়া তখন দেশকে পিছিয়ে দিতে এবং আবার সেবাদাস আ’লীগকে বসাতে তারা নতুন খেলা শুরু করেছে, যার নাম শাহবাগ।
বুঝেছেন এবার?
@কাজি মামুন,
হাহাহা :hahahee: খোঁচাটা ভালই দিয়েছেন।এইবার সফিক ভাই খেপে না গেলে হয়। 😉
@কাজি মামুন,
দেখেন মানবতা বাদীরা এইসব বুঝবেন না।সফিক ভাই যেখানে কে কয়টা গাড়ি পোড়াল এইটার পরিসংখ্যান করে ফেলেছেন, সেখানে কোন রেফারেন্সই উনার জন্যে যথেষ্ট না।তবে উনার পেশা কি সেটা না যেনেই বলছি যে, ওকালতিতে উনি ভাল করতে পারতেন।
@অর্ফিউস, তাছাড়াও অনেকেই লতিফ বিরোধী এই হরতালকে বি এন পির সাজানো নাটক বলে মনে করে।
@সফিক,
আপনি দৃশ্যত যা ভাবছেন সেটা ঠিক না বেঠিক সেটা সময় বলে দিবে। তবে দুটো দলের মধ্যে যদি শুধু তত্যাবধায়ক নিয়ে মতভিন্যতা থাকত তাহলে খুশি হতাম। আওয়ামীলীগ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্যাবসা করে এটা যেমন সত্য তেমনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে কিছু বলার অধিকার থাকলে সেটা তাদের উপরই বর্তায়। কারণ, বিএনপি যেই ধারার রাজনীতির চেতনা ধারণ করে সেটা আওয়ামী বিরোধিতা থেকে হলে ভাল হত। কিন্তু জন্ম যার পংকিলতা থেকে তার কর্ম ভাল হয় কি করে। তাইত আওয়ামিলিগের মতো তারাও ধর্ম ব্যাবসায় জন্ম থেকেই সিদ্ধ হস্ত। জিয়াউর রহমান শুধু ধর্ম ব্যাবসার-ই আশ্রয় করেননি বরং জাতি হিসেবে আমাদেরকে দ্বিতীয়বার পাকিস্তানি নাগরিক বানাবার চেষ্টা করে গেছেন।
তবে সার্বিক অর্থে আমার যেটা মনে হয় সেটা হল, আওয়ামীলীগ কিংবা বিএনপি+জামায়াত সবাই হচ্ছে সেই দুষ্ট চক্র যেটা পেটে গিয়ে হজম হয়না বরং বমি হয়ে যায়। আর, কিছু কুলাঙ্গার রয়েছে যারা সেই বমির মধ্যে খাসির মাংস খুঁজে বেড়ায়। শাহবাগের চেতনা হচ্ছে সেই মৌল চেতনা যা বাঙ্গালির একেবারে হৃদয় উৎসারিত। এই চেতনার যদি অপমৃত্যুও হয় তাহলেও মনে রাখা দরকার যে প্রতিদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে তা নতুনভাবে জাগ্রত হবে, কারণ এটা হতেই হবে। এটা ইতিহাসের আর বাঙ্গালি জাতির পবিত্রতম গন্তব্য।