.
.
রাজীবকে হত্যা করা হলো অত্যন্ত নৃশংসভাবে, কাপুরুষোচিতভাবে, রাতের আঁধারে পেছন থেকে হামলা করে। একদল বর্বর এই হত্যাকান্ডকে জায়েজ করার জন্য নেমেছে অপপ্রচারে, কোথায় রাজীব ইসলামকে নিয়ে কী কটূক্তি করল তার খোঁজে তাদের ঘুম-নিদ্রা নেই। তাদের এ অবস্থা দেখে মানুষ হিসেবে আমি লজ্জিত এবং কারো মধ্যে মানবতা নামক বস্তুটি থাকলে সেও লজ্জিত হতে বাধ্য। রাজীবকে হত্যা করেই তারা ক্লান্ত হয় নি, গুটিকয়েক জনের উদ্দেশ্যে লেখা তার ব্লগ যার সন্ধান কেউ তেমন একটা করে নি সেগুলো তারা তাদের পত্রিকায় প্রকাশ করছে। ধর্মের বিরুদ্ধে লেখেন এমন ব্লগারদের হুমকি দিচ্ছে অনবরত। শহীদ মিনারে একুশে ফেব্রুয়ারিতে দেয়া ফুলগুলো এখনো পুরো শুকিয়ে যায় নি, সেগুলোতে তারা আগুন লাগাচ্ছে, ভাঙচুর করছে। তাদের ধর্মব্যবসা ও ধর্মকে পূজি করে রাজনীতি অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য, দেশময় তান্ডব চালাচ্ছে।
আমাদের দেশের অধিকাংশ নাস্তিকই ধর্মবিশ্বাসী পরিবারের সন্তান। নাস্তিকদের অনেকক্ষেত্রেই যেমন রয়েছে ধর্মবিশ্বাসী পরিবার, তেমনি ধার্মিক আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব। আমার নিজেরও রয়েছে ধার্মিক পরিবার, অনেক ধর্মপ্রাণ বন্ধুবান্ধব। যতই ধর্মবিরোধি লেখা লেখি না কেন কখনও কোনো ধর্মবিশ্বাসীর প্রতি বিন্দুমাত্র ঘৃণা বোধ করিনি বরং বহুবার নিজের রক্ত দিয়ে বাঁচিয়েছি ধর্মবিশ্বাসীদের, বহুবার নিজ হাতে জায়নামাজ পেতে দিয়েছি নামাজের জন্য। আমি জানি ধর্মবিরোধিতা আর ধর্মবিশ্বাসীদের প্রতি বিদ্বেষ সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। একজন মানুষের পরিচয় শুধুমাত্র ’নাস্তিক’ হতে পারে না। রাজিবকে আমরা দেখেছি স্বাধীনতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে, শাহবাগের আন্দোলনে যোগ দিতে যা তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। তার অপরিসীম মেধার স্বাক্ষর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধের নকশা যা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেয়েছে। কিন্তু রাজীবকে নিয়ে যেসব প্রচারণা হচ্ছে তাতে মনে হয় তার যৎসামান্য বিদ্রুপাত্মক লেখা ছাড়া আর কোনো কাজ ছিল না, পরিচিতি ছিল না, দেশের জন্য সে কোনো কাজ করে নি বা তা চায় নি, কোনোভাবেও কোনো ধর্মবিশ্বাসী তার দ্বারা বিন্দুমাত্র উপকৃত হয় নি। আমি একজন নাস্তিক, আমি মনে করি ধর্মগুলো একেবারেই ফেলনা, মারাত্মক ক্ষতিকর, বিশ্বশান্তির ক্ষেত্রে হুমকিস্বরূপ, মানুষের একতার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক, কুসংস্কারস্বর্বস্ব এবং মানুষের সাথে যুগ যুগ ধরে চলে আসা অত্যন্ত জঘন্য প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয়, যা সাধারণ মানুষ তার বিশেষ কিছু দূর্বলতা এবং childhood indoctrination এর ফলে উপলব্ধিতে অক্ষম হয়ে পড়ে এবং তা বুঝতে চায় না। তবে কি এখন আমার উপর নির্ভরশীল যেসব মুমিন-মুসলমান আছেন তাদেরকে কি ধর্ম ছেড়ে দিতে বাধ্য করব অথবা সুযোগ বুঝে আঘাত করব? একদম অসম্ভব, কারণ আমি মানুষ, আমার মানবতা আছে, আমি যেকোনো কিছু মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করি যেখানে উগ্র ধর্মবাদিরা সবকিছুই দেখে ধর্মের চোখ দিয়ে ফলে মানবতা বা মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি বলতে কিছুই আর তাদের অবশিষ্ট থাকে না।
ধর্ম একটি মতবাদ, একটি বিশ্বাস। সত্য অন্বেষণের স্বার্থেই এর বাধাহীন সমালোচনার, নিন্দার, স্যাটায়ারের পথ খোলা রাখতে হবে। মানুষের মত প্রকাশের পথে যেকোনো প্রতিবন্ধকতাই আমাদেরকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিবে – এ হচ্ছে সভ্যতার শিক্ষা। আজ পশ্চিমা বিশ্বে যিশুকে, পোপকে বা যেকোনো ধর্মপুরুষকে উলঙ্গ করেন, যেকোনো কটূক্তি করেন, কার্টুন আঁকুন, সিনেমা বানান তেমন কোনো প্রতিবাদই হবে না, এমনকি অধিকাংশ ক্ষেত্রে সংবাদ মাধ্যমেও এগুলো আসে না গুরুত্বহীন মনে করায়। কোনো মতবাদের সমালোচনার পথ খোলা না থাকলে তা রূপ নেয় ফ্যাসিবাদে। আবার ধরুন পারিবারিক-সামাজিক বা অন্য কোনো কারণে আপনি কোনো একটি মিথ্যা মতবাদে বিশ্বাসী কিন্তু আপনার সমাজে এর সমালোচনা বা নিন্দা করা নিষিদ্ধ। তাহলে আপনি তো আপনার জীবনে কভুও টের পাবেন না যে একটা মিথ্যা মতবাদ নিজের মধ্যে লালন করছেন। ধর্মান্ধ মুমিনরা এমন কোন মতবাদে বিশ্বাস করেন যা তাদের মানুষ হতে দিচ্ছে না, খুনি বানাচ্ছে বিশ্বময়? আমরা মুমিনদের যখন দেখি স্লোগান দিতে ‘Behead those, who insult Islam’ তখন ভাবি ধরণী কেন এখনো দ্বি-ধা হয় নি।
মুমিনদের কে বুঝাবে এভাবে ধর্মরক্ষা হয় না। তরবারি দিয়ে ধর্মরক্ষার যুগ এখন নয়, অবাধ তথ্যপ্রবাহের এই যুগে যে কেউ ইচ্ছে করলে জানতে পারবে ধর্মের মধ্যে সমস্যা কোথায়। নাস্তিকরা প্রায় সবাই আসছে ধর্মবিশ্বাসী পরিবার থেকে। আমি ছোটবেলায় খুব ধর্মপ্রাণ হয়ে গড়ে উঠেছি এবং ধর্মগ্রন্থ পড়েই ধর্মবিশ্বাস ছেড়েছি। রাজীবের বাবাও ছেলেকে ধর্মীয় শিক্ষা দিয়েছেন। অর্থাৎ নাস্তিকদের হত্যা করে তাদের আগমন ঠেকানো সম্পূর্ণ অসম্ভব। হুমায়ূন আজাদকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে কি থামানো গিয়েছে নাস্তিকদের উত্থান? বরং মানুষ নাস্তিকতা সম্পর্কে অধিক আগ্রহী হয়েছে এবং জেনেশোনে ঐদিকেই পা বাড়িয়েছে। রাজীবকে হত্যার পর নাস্তিকদের বিভিন্ন লেখা তাদের অনুমতির তোয়াক্কা না করে দাড়ি-ক্ষমা সহ বিভিন্ন জামাতি পত্রিকায় যেভাবে প্রকাশিত হচ্ছে তাতে করে সাময়িক হুজুগ তৈরী করা গেলেও শেষ পর্যন্ত মানুষ কিন্তু নাস্তিকদের সম্পর্কে জানতে চাচ্ছে, তাদের লেখা অধিক হারে পড়ছে, তাদের মূল্যায়ন করছে। নাস্তিকদের অনেকেই ধর্ম নিয়ে খুব একটা লেখে না বা তা পছন্দ করে না কারণ গোবর্জনা নিয়ে লেখা প্রায়ই আবর্জনায় পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিন্তু ধর্মান্ধদের অব্যাহত উস্কানি তাদের বাধ্য করবে লেখতে।
ধর্ম ও ধর্মপ্রচারকদের নিয়ে যুক্তি-প্রমাণবিহীন বিদ্রুপাত্মক লেখাগুলো নিয়ে কিছু কথা না বললেই নয়; ধর্মান্ধদের ঘিলুহীনতার জন্য তারা উপলব্ধিতে অক্ষম যে এগলো মোটেও ধর্মের জন্য ক্ষতিকর নয়। মানুষ ঠিক কি কারণে এসব পড়ে বিশ্বাস হারাবে আর এমনকি কিছু মানুষ যদি ধর্মবিশ্বাস হারায় তাতেই বা সমস্যা কোথায়? রাজীবের বিদ্রুপাত্মক লেখাগুলোর দায় সকল নাস্তিকদের উপর কোন বিচারে চাপানো হচ্ছে? আমাদের কি কারো ক্ষমতা ছিল তার লেখায় বাধা দেয়ার? কোনো এক ধর্মবিশ্বাসীর কর্মকান্ডের দায় কি তাহলে আমরা চাপিয়ে দেবো পুরো ধর্মবিশ্বাসীদের উপর? ধর্ম থেকে উৎসাহ পেয়ে ধর্মবিশ্বাসীগণ নিত্য যেসব অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন সেগুলোরও দায় তারা নিতে যেখানে রাজি হোন না সেখানে এই দায় আমাদের উপর চাপানো হচ্ছে কেন? কোন যুক্তিতে?
আপনি ধর্মবিশ্বাসী, অপনি মনে করেন সবকিছুই এমনকি অমুসলিম ও নাস্তিকরাও পরলোকে অনন্তকাল শাস্তি পাবার জন্য আপনার এক পরম করুণাময়, অশেষ দয়ালু, সর্বশক্তিমান, সবজান্তা, সর্বজ্ঞানী আল্লাপাকের মহান পরিকল্পনা থেকে এসেছে। আপনার ধর্মই পরম সত্য। আপনি যদি ঠিকই বিশ্বাস করেন আপনার ধর্ম পরম সত্য তবে এটা নিয়ে এত দুশ্চিন্তা কেন? কেন সত্যকে এত পাহারা দিতে হয়? কেন ধর্মগ্রন্থের, ধর্মের সমালোচনা করলেই এত ক্ষেপে উঠেন? কই, কেউতো কখনো বলেনা আপনি জ্ঞান-বিজ্ঞানের এই সূত্র অস্বীকার করলে আপনাকে কতল করা হবে, পৃথিবী গোল না মানলে আপনি মুরতাদ। কারণ এগুলো প্রমাণ-নির্ভর। হাজারো মিথ্যা কোনো সত্যকে টলাতে পারবে না। আপনার ধর্ম যদি সত্য হয় তবে আসেননা তার প্রমাণ নিয়ে, লেখার জবাব লেখা দিয়ে দেন, প্রবন্ধের জবাব দেন প্রবন্ধ দিয়ে, কবিতার জবাব কবিতা দিয়ে, স্যাটায়ারের জবাব স্যাটায়ার দিয়ে, কার্টুনের জবাব কার্টুন দিয়ে। আপনার মহাসত্য ধর্ম এত দূর্বল কিভাবে হলো যে একজন সাধারণ নাস্তিকের কথায়, কটুক্তিতেই তা ধ্বসে পড়ল? আর আপনার মহান ধর্ম আপনাকে কিভাবে এত অমানুষে পরিণত করল, এতটাই জঘন্য পিশাচে পরিণত করল যে তাকে রাতের আঁধারে নৃশংসভাবে হত্যাকে সমর্থন করছেন; যে ধর্ম পালন না করলে নাকি মানুষ ‘নৈতিক’ থাকতে পারে না বলে আবার দাবি করেন। আর আপনার ইমানে যদি গন্ডগোল থাকে, সেটা যদি দূর্বল হয়, নাস্তিকের মন্তব্যে বা লেখায় তা বাতাস-লাগা কুঁড়েঘরের মত কেঁপে উঠে তবে সেটা তো আপনার সমস্যা যার সমাধান কিভাবে করবেন তা আপনাকেই খুঁজে বের করতে হবে। প্রয়োজনে আপনি উপাসনালয়ে পড়ে থাকেন, বড়পীরের মুরিদ হোন, চিল্লায় যান তবলিগে অথবা তপস্যা করেন, তীর্থে যান অথবা অসময়ে ইমান খাড়া হওয়া থেকে রক্ষা পেতে সিয়াম সাধনা করেন – সেটা আপনার ব্যাপার। আপনার দূর্বল ইমান রক্ষার জন্য আরেক জনের উপর ঝাপিয়ে পড়বেন কেন অথবা একে সমর্থন করবেন কেন? আর নাস্তিকরা কাউকে তাদের লেখা পড়তে বাধ্য করছে না, আপনার যদি মনে হয় সেগুলো পড়ে ইমান ভেঙ্গে যাবে, হৃদযন্ত্র পকপক করবে তবে তা না পড়লেই তো পারেন। কিন্তু না, আপনারা এখন ফেসবুকে এগুলো প্রচার করছেন, পত্রিকায় প্রকাশ করছেন আর পড়ে পুনরায় লেখককে কতল করার সংকল্প ব্যক্ত করছেন। ধিক আপনাদের ইমান, ধিক আপনাদের মানবতা!
কথিত ইমানদাররা মিথ্যাচারেরও পাহাড় গড়ে চলছেন। সে মিথ্যাচার ব্লগের, ফেইস বুক গ্রুপের গণ্ডি পেরিয়ে বহু আগে পতিত সংবাদ মাধ্যমে পৌছেছে। এখানে উদাহরণ হিসাবে নব্য রাজাকার মাহমুদুর আর তাদের পোষা আরো কিছু বুদ্ধিজীবীর কথা বলা যায়। কিছুদিনের আমার দেশ, নয়াদিগন্ত, ইনকিলাব ইত্যাদি জামাতি পত্রিকা দেখা যেতে পারে। ‘আমার দেশ’ পত্রিকার ১৮ ফেব্রুয়ারীর খবর দেখুন,
“রাজীবের পাশাপাশি আরও যেসব ব্লগার শাহবাগের আন্দোলনের নেতৃত্বে রয়েছে, তাদের মধ্যে একটা বড় অংশ দীর্ঘদিন ধরে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় ইসলামবিদ্বেষী লেখালেখি চালিয়ে আসছে। এদের মধ্যে অন্যতম হলো ডা. ইমরান এইচ সরকার, অমি রহমান পিয়াল, আরিফ জেবতিক, নিজেকে নাস্তিক দাবিকারী আসিফ মহিউদ্দিন, কট্টর আওয়ামীপন্থী ব্লগার ইব্রাহিম খলিল (সবাক) প্রমুখ”।
এখন বলুন, ইমরান, অমি বা আরিফ জেবতিক ভাই ইসলামবিদ্বেষী লেখা লেখল কখন? আমি জেবতিক ভাইয়ের একটি লেখা পড়েছি যেখানে তিনি বরং ইসলাম বিরোধিতার জবাব দিয়েছেন। আর রাজীব শাহবাগের আন্দোলনের নেতৃত্ব দিলো কখন? ইন্টারনেটের বাইরে থাকা সাধারণ মানুষ ব্লগ সম্পর্কে তেমন কিছু জানেন না, ব্লগাররাও ব্লগিং এর সময় তাদের কথা মনে রেখে তা লেখেন নি। অথচ এরকম কিছু পত্রিকা ধর্মবিরোধী লেখাগুলো প্রকাশ করে সাধারণ মানুষকে ক্ষেপিয়ে তুলছে, দেশে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে এবং মিথ্যাচারের মাধ্যমে অনেকের জীবনকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে।
একদল আছেন যারা মনে করেন নাস্তিকরা কথা না বলে বসে থাকলেই তো পারে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কেন নাস্তিকরা কথা না বলে বসে থাকবে যেখানে তাদের মাথার উপর রাষ্ট্রধর্ম ঘুরবে, বিভিন্ন ধর্মীয় আচারণে তাদেরকে বাধ্য করা হবে, যেখানে সর্বদাই তারা ধর্মের নামে কদাচারের চর্চা দেখবে। ধর্মীয় নিপীড়ন বন্ধ হলে ধর্মবিরোধী লেখার আবেদন শূন্যের কোঁটায় পৌছবে সুতরাং সেগুলো তখন কমে যেতে বাধ্য। ধর্মবিরোধিতা বন্ধ করতে হলে ধর্মীয় নিপীড়ন সর্বাগ্রেই বন্ধ করতে হবে।
নাস্তিক মানেই সে অন্য ধর্মের উপর আঘাত করে এ রকম মনে করেন অনেকেই। অথচ অনেক নাস্তিক ধর্ম বিরোধী কিছুই লেখেন না, অনেকেই ধর্মবিরোধী লেখার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সংযমী যা ব্লগগুলোতে খুঁজলে পাবেন। আবার কেউ কেউ এ প্রশ্নও করেন, নাস্তিকরা কিছুটা দায়িত্বশীল হলে মন্দ কি? কিন্তু লেখালেখির ক্ষেত্রে ব্যক্তি স্বাধীন, তাকে বাধা দেয়া লেখক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ আর সে বাধাটা দেবে কে? যেখানে দায়িত্বশীলতা সবচেয়ে বেশি জরুরী সেই সংবাদপত্রেরই কী অবস্থা তা আমরা সব সময়ই দেখতে পাই। হ্যা, যদি লেখার মাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কারো ক্ষতি করা হয় তবে তার জন্য আইন আছে, আদালত আছে। সুতরাং রাজীবকে পূর্বপরিকল্পিত উপায়ে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করাকে কিভাবে সমর্থন করা যায়, এতে উল্লাস প্রকাশ করা যায় তা বোধের অগম্য; যারা তা সমর্থন করে বেড়াচ্ছেন তাদের কেউ অশিক্ষিত নয়, অন্তত ইন্টারনেট ব্যবহারে তারা অভ্যস্থ, বিশ্বের বৃহৎ তথ্য ভাণ্ডার তাদের হাতের মুঠোয়। অন্ধত্বের চর্চা, প্রশ্নহীন আনুগত্য আর অপবিশ্বাসের চর্চাই বোধ করি মানুষকে এমন বিবেকহীন করতে পারে।
অনেকে ভাবতে পারেন ধর্মের শুধু সমালোচনা করলেই তো হয়, এর নিন্দা না করলে, ব্যঙ্গ না করলেই তো হয়। তাদের জ্ঞাতার্থে বলি। কয়েক বছর আগে একটি ব্লগে একদম সাধারণ একটি বিষয় নিয়ে লেখে স্থায়ীভাবে ব্যান হয়েছি ব্লগটি মারাত্মক অস্থিতিশীল হয়ে পড়ায়। অর্থাৎ ধর্মের সাধারণ সমালোচনাকেও তখন ধর্মবিদ্বেষ মনে করা হতো। ধীরে ধীরে অপেক্ষাকৃত ধারালো সমালোচনাও স্বাভাবিক বলে গণ্য হতে লাগলো। এক সময় শুধু নাস্তিক শব্দটা শুনলেই অনেকে তেড়ে উঠতেন, এটি স্বাভাবিক হতেও সময় লেগেছে। সমালোচনা বা নিন্দার কোনো গ্রহণযোগ্য সীমারেখা নেই। ধর্মের একদম সাধারণ সমালোচনাকেই অনেকে বিশাল নিন্দা বা বিদ্বেষ মনে করতে পারেন। আর স্যাটায়ার অত্যন্ত উন্নত মানের সাহিত্যকর্ম যা অতি অল্প লেখকের দ্বারা সম্ভব হয় এবং বুঝতে হলে ঘিলু প্রয়োজন হয় এবং বিষয়বস্তু ধর্ম হতেই পারে যা সভ্য জগতে স্বীকৃত। তাই শুধু ধর্মের নয়, যতটুকু সম্ভব দায়িত্ববোধ বজায় রেখে যেকোনো মতবাদের এমনকি নাস্তিকতারও সমালোচনা হোক, প্রয়োজনে নিন্দা বা ব্যঙ্গ করা হোক ইচ্ছেমত- লেখকের মনমত। এবং আমাদের বিবেক জাগ্রত হোক, আমরা মানুষ হই।
জামাতিদের বানানো একটি ভিডিও দেখুন,
Why Rajib should die?
ফেইস বুকে
এদের এত সাহসের উৎস কোথায়?
@সৈকত চৌধুরী, আজকে আমার এলাকায় একেবারে কাছে বোমা ফুটেছে।পুলিশ, র্যাব, বিজিবির গাড়ি গত কয়েকদিন ধরে টহল দিতেছে, তারপরেই সন্ধ্যার দিকে মারামারি হইসে মারাত্বক।দোকান পাঠ ভাঙ্গা, গাড়ি ভাংচুর একটাও বাদ যায় নাই।কপাল জোরে বেচে গেছি। ( অবশ্য জামাতের এক নেতার বাড়িতেও আগুন লেগেছে, জানি না কাজটা কারা করল!)বলেনতো সৈকত ভাই, সরকারের কি এখনো জামাত কে নিষিদ্ধ করার সময় আসে নাই?
@সৈকত চৌধুরী,
মারাত্মক ভিডিও। তবে যদি এর প্রতিউত্তরে কোন দল ঠিক একই ভাবে তাদেরও গোপন লিস্ট তৈরী করা আরম্ভ করে এবং নির্বিচারে চোরাগোপ্তা হামলা আরম্ভ করে, এবং একটার পর একটা মারতে থাকে,তখন ওরা কী করবে?
@সৈকত চৌধুরী,
ভাই, আমার মনে হয় এইখানে। আপনার কি মনে হয় দয়া করে বলবেন সবাইকে।ধন্যবাদ।
আপনারা আপনাদের মতবিরুদ্ধবাদীদেরকে আপনাদের পবিত্র গ্রন্থের মাধ্যমে অজস্র গালিগালাজ করতে পারবেন, তাদেরকে হত্যা করতে পারবেন,হত্যার জন্য আপনাদের বাহিনীকে অনন্ত কালের জন্য লেলিয়ে দিয়ে রাখতে পারবেন, আর এর বিপরীতে আপনারা আপনাদের বিরুদ্ধবাদীদের পক্ষ হতে কাগজে কলমে নির্গত সামান্য কিছু টিটকারা-মসকারাও সহ্য করার ক্ষমতা নাই?
তাহলে আপনাদের গালিগালাজ হত্যাযজ্ঞ আপনাদের বিরুদ্ধবাদীরা কী করে ধৈর্য্য সহকারে এ যাবৎ সহ্য করে আসতেছে এবার একটু চিন্তা করে দেখুন?
আপনারা শুধু একতরফা আক্রমনের অধিকার দাবী করবেন এটা কী কোন সমাজে মেনে নিবে?
আপনারা দাবী করবেন এই পৃথিবীতে একমাত্র আপনাদের মতবাদটাই সঠিক। অন্যদেরও তো অনুরুপ ভাবে দাবী করার অধিকার আছে যে তাদেরটাই একমাত্র সঠিক।
তাহলে তাদের সবাইকে কী এই পৃথিবী হতে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চান?
তাহলে তাইই করুন, নবিজীর নির্দেশ অনুসারে।
@আঃ হাকিম চাকলাদার, কিছু কিছু ক্ষেত্রে generalisation করা মারাত্মক ভুল । শুধু একটি নিদির্ষ্ট উদাহরণ দিন।
@মরুঝড়,
তাহলে নিন অসংখ্যের মধ্যে মাত্র একটি।আরো কি দরকার আছে?
@আঃ হাকিম চাকলাদার, ভাই ব্যাখ্যা দিচ্ছি কিন্তু অবাক হবনা যদি আপনিও বিদ্রোহী ভাই এর মত ব্যাখ্যাকে পেস্ট মনে করে ফেলে দেন। নীচে ব্যাখ্যা – দিলাম তবে যদি বুঝতে সমস্যা হয় তো বলবেন-
Does the Qur’an encourage offensive military action?
1. Does the Qur’an encourage offensive military action?
Verse 9.5 (sometimes called Verse of the Sword) is often quoted to state that Islam encourages military expansion. In fact it is possible to misinterpret the verse when it is taken in isolation. As a general rule, every verse in the Qur’an must be read and interpreted against the background of the Qur’an as a whole. This is essential if we are to get a more accurate understanding of the Qur’an.
The following translation and commentary on the verse is from “The Message of the Qur’an” by Muhammad Asad.
(9:5) And so, when the sacred months are over6, slay those who ascribe divinity to other than God wherever you may come upon them7, and take them captive, and besiege them, and lie in wait for them at every conceivable place8.Yet if they repent, and take to prayer, and render purifying dues, let them go their way: for behold, God is much forgiving, a dispenser of grace9.
6. According to pre-Islamic custom prevalent in Arabia, the months of Muharram, Rajab, Dhu’l-Qa’dah and Dhu’l-Hijjh were considered ‘sacred’ in the sense that all tribal warfare had to cease during those months. It is with a view to preserving these periods of truce and thus to promoting peace among the frequently warring tribes that the Qur’an did not revoke, but rather confirmed, this ancient custom. (See also 2:194, 217).
7. Read in conjunction with two preceding verses i.e. (9:3, 4). as well as with (2: 190-194), the above verse relates to warfare already in progress with people who have become guilty of a breach of treaty obligations and of aggression.
8. Do everything that may be necessary and advisable in warfare. The term marsad denotes “any place from which it is possible to perceive the enemy and to observe his movements”.
9. The above verse, which speaks of a possible conversion to Islam on the part of “those who ascribe divinity to other than God” with whom the believers are at war, must, therefore, be considered in conjunction with several fundamental Qur’anic ordinances. One of them, “There shall be no coercion in matters of faith” (2:256), lays down categorically that any attempt at a forcible conversion of unbelievers is prohibited — which precludes the possibility of the Muslims’ demanding or expecting that a defeated enemy should embrace Islam at the price of immunity. Secondly, the Qur’an ordains, “Fight in God’s cause against those who wage war against you; but do not commit aggression, for, verily, God does not love aggressors” (2:190); and, “if they do not let you be, and do not offer you peace, and do not stay their hands, seize them and slay them whenever you come upon them: and it is against these that We have clearly empowered you (to make war)” (4:91). Thus, war is permissible only in self-defence, with the further proviso that “if they desist — behold, God is much forgiving, a dispencer of grace” (2:192), and “if they desist, then all hostility shall cease” (2:193). Now the enemy’s conversion to Islam — expressed in words, “if they repent, and take to prayer (establish prayer) and render the purifying dues (Zakah)” — is no more than one, and by no means only, way of their “desisting from hostility”; and the reference to it in verses (9:5, 11) certainly does not imply an alternative of “conversion or death”, as some unfriendly critics of Islam choose to assume. Verses (9:4, 6) give a further elucidation of the attitude which the believers are enjoined to adopt towards such of the unbelievers as are not hostile to them. (see also 60:8, 9).
In conclusion I would like to quote two other verses with commentary from Dr. Jeffrey Lang’s book “Even Angels Ask”. Publisher: Amana publications Beltsville, Maryland, U.S.A. (see pages 128-129).
To them against whom war is made wrongfully, permission (to fight) is given — and truly, God has indeed the power to defend them –: those who have been driven from their homelands against all rights for no other reason than their saying, “Our Lord is God! For if God had not enabled people to defend themselves against one another, all monasteries and churches and synagogues and mosques — in all of which God’s name is abundantly extolled — would surely have been destroyed. And God will most certainly succour him who succour His cause: for verily God is most powerful, almighty. (22:39-40)
As thess verses show, Muhammad’s military struggle against the Quraysh was from the very start defensive and retaliatory. The Quraysh had already demonstrated by their words and actions their aggressive intentions. It now would be the time to fight back. Eight years later, after a handful of battles with the Quraysh, a great deal of the Prophet’s diplomacy and his continuous and tireless efforts to preach Islam, the Prophet subdued the Quraysh. The details of Muhammad’s military campaigns against the Quraysh and their allies are readily and easily obtained, so I will not recount them here. I only wish to draw the reader’s attention to one crucial fact: Muslim chronicles report not a single case in which Muhammad led an aggressive attack. Historical records show that each tribe with which the Muslims fought had either attacked the Muslims first or else had aided and abetted such an aggressor. In particular, there is absolutely no evidence that Muhammad ever offered a peaceful neighbouring tribe the choice between accepting his rule or war. Yet this fact has not deterred Muslim and non-Muslim writers from scouring the hadith collections and the Prophet’s biographies in search of dar al Islam/dar al harb concept.
Muhammad’s last expedition, in which he led an army of thirty thousand on a very long and difficult journey to Tabuk, the border region between Byzantium and Arabia, is sometimes cited as evidence of the Prophet’s imperialistic plans. However, the expedition was a reaction to reports of Byzantine plans to invade Arabia. Such rumours had been circulating in northern Arabia for some time. When Muhammad reached the frontier and found that the Romans did not contemplate an offensive, he returned without attacking them. His actions, on this occasion demonstrate “that the permission to fight against the Christians contained in — 9:29 was also subject to the condition laid down in 2:190: that Muslims shall not be aggressive in war.”
All these should point out to Islam as the religion of peace rather than a religion of war.
@আকাশ মালিক,
শাবাস বাঙ্গালী। আপনারা আছেন বলেই দেশটা এখনো ভন্ড-নষ্টদের হাতে চলে যায় নি।
আপনারা যদি শক্ত ঈমানে না থাকেন তবে কিন্তু দেশটা ঈমানদারদের দখলে চলে যাবে।
ভাল লাগল। আপনারা এত সময় পান কীভাবে। আমারো লিখতে মন চাচ্ছে। আপনাদের কিছু কিছু অনেক বিদ্যান। কিন্তু কিছু অত্যন্ত যুক্তিহীন। ধন্যবাদ।
৫ তারিখ থেকে আজ পর্যন্ত চিন্তা করলে এই আন্দোলন নিয়ে অনেক ভাবনাই মাথায় আসে।
১ম দাবী কাদের মুল্লার ফাসি
২য় দাবী কাদের মুল্লার ফাসি + ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ
৩য় দাবী রাজীব (থাবা বাবা) হত্যাকারীর ফাসি
৪র্থ দাবী জামাত/শিবির নিষিদ্ধ
৫ম দাবী মাহমুদুর কে প্রেপ্তার
এখন এই আন্দোলেনের নেতা দের মুখে শুনা যায় এই আন্দোলনে নাস্তিকের কোন স্থান নাই
সাইদীয় রায়ের খবর নাই ??
আসলে এখন আমাদের দাবী কি সেটাই বুঝি না ?
ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ না শুধু জামাত/শিবির বন্ধ ???
সব দেখে এখন মাথা ঘুলাইয়া যায় যেমন মাথা ঘুলাইয়া গেছে নেতাদের হয়ত
মুক্ত মনা বলতে যে আসলে কি জিনিষ সেটা সবার লেখা দেখে বুঝতে বুঝতে মাথার চুল প্রায় সব শেষ মাগার কিছুই বুঝলাম না
জামাত/শিবির/রাজাকার এদের জন্যে কোন মানবীয় বা মানবতা বলতে কিছু থাকতে পারে না কখনই নয়
@শান্ত শান, ভাই আমি আপনার মন্তব্যের সাথে একমত।
@শান্ত শান,
ঠিক, আর এদের জন্য যারা মানবতা দাবী করে তারা আসলে আরো ভয়াবহ ধরনের বিষবৃক্ষ।ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যটির জন্য। (Y)
@শান্ত শান,
ঠিকই আছে। ৯০ % মুসলমানের দেশে নাস্তিকদের কোন অধিকার নাই যুদ্ধাপরাধির বিচার চাওয়ার। সকল ব্লগ-নাস্তিকদের তালিকা করে জামাতে ইসলামের অফিসে পাঠিয়া দেয়া হউক আর শাহবাগ থেকে সকল নাস্তিকদের বের করে দেয়া হউক। সকল ইসলামবিদ্বেষী ব্লগ বন্ধ করে দেয়া হউক।
আগে নাস্তিক শুন্য বাংলাদেশ চাই, তারপর যুদ্ধাপরাধীর বিচার।
@আকাশ মালিক,
তাই তো এখন বলতাছে প্রায়। ওলামালীগ সমাবেশ করছে নাস্তিকদের বিপক্ষে । খেয়াল কইরা ওলামালীগ কিন্তু আওয়ামী লিগই এবং যুদ্ধপোরাধীর বিচারে না নাস্তিকদের বিচারের জন্যে। এই বাংলার মানুষের দুভাগ্য যে এই আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কেউ নাই যে এই বিষয়ে কাডাল পাব্লিকের নাকের সামনে মুলা ঝুলাবে
লেখাটি এবং দীর্ঘ মন্তব্যগুলি পড়লাম।
ধর্ম যার যার, দেশ সবার। ১৪ফেব্রুয়ারীতে চারুকলার সামনের রাস্তায় একদল মানুষ বিশাল এক পতাকা নিয়ে দাড়িয়ে ছিল, পতাকাটি অনেকজনে ধরে রেখেছিল যেন মাটিতে না পড়ে। আমি অন্য পাশে যাবার জন্য মাথা নিচু করে পতাকায় হাত ছুঁইয়ে যখন হেটে যাচ্ছিলাম, প্রতি মুহুর্তে শুধু একটা অনুভূতিই কাজ করছিল। “এ আমার পতাকা, আমার ! ” বুকের মধ্যে মোচড় দিচ্ছিলো।
আমার পতাকা যে পোড়াবে তাকে আমি এক বিন্দুও ছাড় দিব না, আমাকে যে অভিধায় অভিহিত করা হোক না কেন, আমার পতাকা, আমার দেশ, আমার মুক্তিযুদ্ধ প্রশ্নে কোনো আপোষ আমি করবো না।
@বিলম্বিতা,
শাবাস বাঙ্গালী। আপনারা আছেন বলেই দেশটা এখনো ভন্ড-নষ্টদের হাতে চলে যায় নি।
@বিলম্বিতা,
(Y) (Y) অসাধারন বলেছেন।এই কোথাগুলির জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা রইল। (F)
@বিলম্বিতা, একমত। কোন কথা হবে না, জাস্ট একমত।
দেশে বাকস্বাধীনতা বলতে কি মসজিদে জুম্মার পর হিন্দু খ্রিষ্টানদের যাচ্ছেতাই গালাগাল, ইন্টারনেটে আল্লাহ রসুল আর ইসলামের নামে মিছেমিছি ফটোশপ আর বিধর্মীদের সুযোগমতো ছোট করার জন্য থাকবে? আর ভন্ডামি খুললেই নাস্তিক ট্যাগসহ তার ধর্মে আঘাতের দোষ নিতে হবে! সভ্য সমাজে এরকম কাম্য না! তার মানে কি???
@শান্ত কৈরী,
(Y)
সহমত।
@শান্ত কৈরী, এরকম যদি কিছু হয় তবে জেনে রাখুন তারা ইসলাম হয়ত কিছু মানে কিন্তু জানেনা।
@মরুঝড়,
আপনে দেখা যাচ্ছে ইসলামের বিশাল স্কলার। কোরান ও হাদিসেই আছে বিধর্মদেরকে সমূলে উচ্ছেদ করে দিতে , তাদেরকে কতল করতে, তাদেরকে বানর ও ইতর প্রানী বলে গালাগালি করতে। তারা মসজিদে সেটাই করছে সুযোগমত, আর আপনি বলছেন তারা ইসলাম জানে না ? ইসলাম সব আপনি জানেন ? সাধারন মানুষ হয়ত এসব জানে না , কিন্তু তাদের ইমামরা তো এসব জানে , তারাই তাদেরকে সেটা শিখাচ্ছে। যেহেতু ইমামরা এসব বলছে সাধারণ মানুষ নির্দ্বিধায় সেটা বিশ্বাস করে তার সাথে তাল মেলাচ্ছে।
তা ভাইজান , আপনি কি নতুন ইসলাম প্রবর্তনের ধান্ধায় আছেন ?
@বিদ্রোহী, সেকি ভায়া চটলেন কেন? আলোচনা হোক আস্তে ধীরে। ভাল করে দেখুন ,আমি কিন্তু মন্তব্য করেছি শান্ত যা লিখেছে তার উপর ভিত্তি করে। অত এব মনে করি যে এবার অন্তত বুঝেছেন। আর আপনি যেসব অভিযোগ ইসলামের বিরুদ্ধে করেছেন , সেগুলো বিস্তর আলোচনার বিষয় তবে আপনি অবশ্য নিজের রায় দিয়েছেন । তবে অবাক হয়েছি এসব অভিযোগে…কোন একদিন আলোচনা হবে এসব নিয়ে…
@মরুঝড়,
আমি চটিনি মিস্টার। আমি আপনার উদ্ভট দাবী শুনে আশ্চর্য হয়েছি মাত্র। ইসলাম ধর্মে কি আছে না আছে তা এই সাইটে বহু নিবন্ধেই সবিস্তারে বলা আছে।একটু খোজ করলেই পেয়ে যাবেন। পারলে সেসব নিবন্ধেই উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবেন। আর ইন্টারনেটের মুক্ত তথ্য প্রবাহের যুগে সবাই সেটা জানতে পারছে। এখন আর সে যুগ নেই যে আপনাদের মত মোল্লা মৌলবিরা যা বোঝাবেন তাই শুনে মানুষ চুপ করে বসে থাকবে। মানুষ এখন এমনি এমনি ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলে না। আর এমনি এমনি মানুষ নাস্তিকও হচ্ছে না। আর আমি আমার রায় দেই নি। কোরান হাদিসে যে সব কিচ্ছা কাহিনী আছে তার মুক্ত মনে পড়লে আপনিও একই রায় দিবেন আশা করি।
মসজিদে ইহুদি খৃষ্টানদেরকে গালাগালি করা হয় – আপনি বলেছেন যারা এটা করে তারা ইসলামের কিছু জানে না। ডাহা মিথ্যা কথা বলেছেন না হয় আপনি নিজেই ইসলামের কিছু জানেন না। কোরানে বেশ কয়েকবার মোহাম্মদের আল্লাহ ইহুদি খৃষ্টানদেরকে বানর ও ইতর প্রানি বলেছে। কোরান না পড়ার কারনে আপনার জানা নাও থাকতে পারে। মুক্তমনা সাইটে যে সমস্ত লোক ঘোরাঘুরি করেন , তারা যে কোন মোল্লাহ মৌলবির চাইতে বেশী ইসলাম জানে -কারন তারা পড়াশুনা করে । আশা করি বোঝা গেছে।
@বিদ্রোহী, ভাই আমার ও প্রশ্ন তাই-গালাগালির ইসলাম তারা কোথায় পেলেন আর আপনি পেয়ে থাকলে আমাকে দেখান তবে একটা শর্তে- এরপর আমি আপনাকে পালটা প্রশ্ন করব আপনার বিশ্বাস নিয়ে। রেডি তো?
@বিদ্রোহী,
ধর্ম নিয়ে সমালোচনা ভাল জিনিস, তবে এতখানি কচলানো মনে হয় ভাল না।পুকুর যতই কাটবেন বড় হবে ।
আর এইবার মুসলিম রা যদি পালটা যুক্তি দিয়ে বলে যে, বানর বলা হয়েছে কারন বিবর্তনবাদ কোরানেই লেখা আছে তবে?কেন এমন ফাঁদ পাতেন যাতে নিজেই ধরা খাবেন? 🙂
@বিদ্রোহী,
এইটা কেউ করলে ভালই হবে। বিষাক্ত ইসলামের থেকে নির্বিষ ইসলাম অনেক ভাল হবে। যেমন খ্রিষ্টান ধর্ম এখন মোটামুটি নির্বিষ।
@অর্ফিউস,
আগে দাবী করুক কোরানে বিবর্তনবাদ লেখা আছে তখন সে বিষয়ে আলোচনা করা যাবে। তার আগে গালাগালির বিষয়টা তো ফয়সালা করা যায়। কিন্তু সে বলছে ইসলামে নাকি অমুসলিমদেরকে গালিগালাজ অভিসম্পাত দেয়া হয় নি। যারা গালিগালাজ করে তারা নাকি ইসলাম জানে না। তাই জানতে চাইলাম সে নয়া কোন নবি নাকি ? এইসব হালকা পাতলা নব্য ইসলামি পন্ডিতরা যে হঠাৎ হঠাৎ করে কোথা থেকে উদয় হয়।
@বিদ্রোহী,
সে যদি এটা বলেই থাকে তবে আপনার সমস্যা কোথায় সেটাই বুঝলাম না আমি। সে হয়ত নিজের অজান্তেই নিজের ধর্মের ভুলত্রুটি গুলো কে শুধরাতে চাচ্ছে,কিন্তু ধর্মের ভুল ধরতে তার শৈশব থেকে চলে আসা সংস্কার বাধা দিচ্ছে,কাজেই সে যদি এটা মনে মনে ভেবে নিয়ে কাউকে অভিসম্পাত করা থেকে বিরত থাকে, সেক্ষেত্রে তার( মরুঝড়ের) দোষটা কোথায় হল, সেইটাই বুঝলাম না আমি।
তো? এটারও একই উত্তর দেয়া যায়।এইসব মনে করে কিন্তু যে নিজেই নিজেকে গালিগালাজের হাত থেকে বিরত রাখছে।
সেক্ষেত্রে,
আপনার এই কথায় কিন্তু বিভ্রান্তি আর বিদ্বেষের জন্ম নিতে সাহায্য করবে।সে কি একবারো দাবী করেছে যে সে নয়া নবী?তার মন্তব্যে আমি তো এমন কিছুই পেলাম না।
@অর্ফিউস,
অভিজ্ঞতা থেকে যতটুকু জানি, এরা ভুল শুধরাতে চাচ্ছে না। এরা মনে প্রানে বিশ্বাস করে কোরান হাদিসে ইহুদি নাসারা কাফের বা বিধর্মীদেরকে হত্যা বা উচ্ছেদ করতে বলেনি, এরা তোতা পাখির মত শুধু ঐ আয়াত দুটি আউড়ে যায় : দ্বীন নিয়ে বাড়াবাড়ি নেই ( কোরান ২:২৫৬) , তোমার ধর্ম তোমার কাছে আমার ধর্ম আমার কাছে( ১০৯:৬)। আর ভাবে ইসলামের চেয়ে শান্তির ধর্ম দুনিয়াতে আর নেই। সিংহভাগই মনে করে ইসলাম মানেই শান্তি , কিন্তু জানে না যে এটা ভুল ইসলাম মানে শান্তি নয় , আত্মসমর্পন। কিন্তু এরা জানে না মক্কায় নাজিল হওয়া শান্তির এ আয়াতদ্বয় পরবর্তীতে মদিনায় নাজিল কৃত আয়াত যেমন ৯:৫ ও ৯:২৯ দ্বারা বাতিল হয়ে গেছে।
সুতরাং এদেরকে একটু আঘাত দিয়ে ভুল ভাঙ্গানো দরকার। মিষ্টি সুরে বললে কোন কাজ হবে না। কারন এদেরকে ভুল পথে চালিত করার জন্য তথাকথিত ইসলামি পন্ডিত জাকির নায়েক , আহমদ দিদাত, হারুন ইয়াহিয়া , বহু ইসলামি টিভি , এসবের তো অভাব নেই।
@বিদ্রোহী, ভাই আপনাকে বলেছিলাম মাথা ঠান্ডা করে আলোচনা করতে, আবার অনুরোধ রইল। এখন উত্তর দিচ্ছি- আপনার একটা আয়াতের ব্যাখ্যা যেটি আপনার কাছে খুব প্রিয় বলে মনে হচ্ছে। ব্যাখ্যা দেখুন- ৯ঃ ২৯-
9:29 (at tauba) OF QURAN DOES’NT ENCOURAGE MUSLIMS TO TERRORISM
9:29 (at tauba) OF QURAN DOES’NT ENCOURAGE MUSLIMS TO TERRORISM
With valuable inputs from brother Sami Zaatari of answering-christianity team
Verse 9:29 of Surah at-tauba is probably the intentionally most misinterpreted verse of the Quran. This is what it says: –
“Fight those who believe not in God nor the Last Day, nor hold that forbidden which hath been forbidden by God and His Apostle, nor acknowledge the religion of Truth , (even if they are) of the People of the Book, until they pay the Jizya with willing submission, and feel themselves subdued.” S. 9:29 Y. Ali
Dear brother mansour, I totally understand you when you say that this verse promotes violence on a cursory glance. But if you read it carefully you’ll find that it doesn’t. I hope you will be patient enough to be with me throughout the end of this article.
The verse says “Fight those who believe not in God nor the Last Day, nor hold that forbidden which hath been forbidden by God and His Apostle, nor acknowledge the religion of Truth”.
My question to you brother. Does this verse stop here? No it doesnt. It continues and gives the actual reason as to the fighting. This is the continuation: – “until they pay the Jizya with willing submission, and feel themselves subdued”.
1. PAYING JIZYA IS THE CONDITION FOR FIGHTING. THIS STATEMENT IS TOTALLY IGNORED OR OVERLOOKED WHEN LEVYING THIS ALLEGATION OF VIOLENCE ON MUSLIMS.
This verse doesn’t ask the Muslims to do mindless slaughter as the media portrays or deceives. It gives the Muslims the permission to fight only those non-Muslims who do not pay jizya – the state tax. And we all know that jizya is applicable only in an Islamic state. Neither India, nor US or Britain are Islamic states. So to put this verse as an excuse for what happened there only shows how biased, unknowledgable and unfair the media is and it hurts us deeply.
I can show whole verses from other scriptures that are truly inhuman, yet no one questions them. Do you want a sample? Ill give it to you at the end. I promise.
2. THE VERSE DOES NOT ASK THE MUSLIMS TO DO FORCEFUL CONVERSIONS.
Again, the verse permits the muslims to fight the non –muslims in an islamic state ONLY and ONLY if they refuse to pay the jizya – Willingly . Re-read the verse from ANY translation if you are not sure. But once they pay the jizya tax they can continue to believe in their atheistic pagan beliefs, but it will be under an Islamic state. You can still forgive them by not forcing them into Islam, nor oppressing them or being bad to them because of their wrong beliefs.
3. QURAN NEVER SAYS TO KILL THE DISBELIEVERS JUST BECAUSE THEY DISBELIEVE.
This is not to you brother coz I consider you as a truly respectable friend. To others who read this article – I openly challenge you to show me ONE verse from the Quran which says to kill the disbelievers just because they are disbelievers. There are verses which permit the Muslims to fight and kill non-Muslims. But every time sensible and reasonable conditions are laid. I can show you all verses from other religious scriptures where slaughtering is done for reasons that are as silly and stupid as honor, glory and greatness. Sometimes for fun too. Wait till the end of the article to have a sample.
4. JIZYA ISN’T A RANSOM OR A BAD THING
Coming back to the verse, now people might say isn’t it unfair that they have to pay the jizya tax? Not really. Since when is punishment for refusal to pay lawful taxes considered as terrorism? Also, the jizya tax is very cheap and affordable, and it grants the non-Muslim’s many benefits, benefits which even the Muslims don’t get! For instance, the non-Muslims who are paying jizya in an Islamic state are not obliged to take part in any battle or war, unless they themselves choose to, the Muslims do not have this choice. Muslims have to actually burn their asses out to protect both Muslims and non-Muslims living in their lands. Also if the Islamic state cannot grant protection to the non-Muslims then the non-Muslims are not obliged to pay the jizya tax, since Muslims themselves must meet expectations for the jizya tax to be implemented. Also, Society today has no problem in paying taxes to the government, so therefore they should have no problem in paying a tax in an Islamic state either.
There you go my friend, verse 9:29 doesn’t encourage the muslims to do terrorism. It is a perfectly fair and just verse. Just throw this article on the face of anybody who tries to misrepresent islam to you in the future.
5. EVERY AUTHENTIC TRANSLATION OF THE QURAN HAS THE WORD “UNTIL” OR “TILL” IN THE VERSE 9:29
I could lay my hands on 7 different english translations of the quran and ALL OF THEM HAVE THE CONDITION:-
1. “[And] fight against those who – despite having been vouchsafed revelation [aforetime] – do not [truly] believe either in God or the last Day, and do not consider forbidden that which God and His Apostle have forbidden, and do not follow the religion of truth [which God has enjoined upon the], till they [agree to] pay the exemption tax with a willing hand, after having been humbled [in war]” 9:29 Asad’s Translation
2. “Fight those people of the Book (Jews and Christians) who do not believe in Allah and the Last Day, do not refrain from what has been prohibited by Allah and His Rasool and do not embrace the religion of truth (Al-Islam), until they pay Jizya (protection tax) with their own hands and feel themselves subdued.” 9:29 Malik’s Translation
3. “Fight those who believe not in Allah nor the Last Day nor hold that forbidden which hath been forbidden by Allah and His apostle nor acknowledge the religion of truth (even if they are) of the People of the Book until they pay the Jizya with willing submission and feel themselves subdued.” 9:29 Yusuf Ali’s Translation
4. “Fight against such of those who have been given the Scripture as believe not in Allah nor the Last Day, and forbid not that which Allah hath forbidden by His messenger, and follow not the religion of truth, until they pay the tribute readily, being brought low.” 9:29 Pickthall’s Translation
5. “Fight against those who believe not in Allâh, nor in the Last Day, nor forbid that which has been forbidden by Allâh and His Messenger and those who acknowledge not the religion of truth (i.e. Islâm) among the people of the Scripture (Jews and Christians), until they pay the Jizyah with willing submission, and feel themselves subdued.” 9:29 Muhsin Khan’s Translation
6. “Fight those People of the Book who do not believe in Allah, nor in the Last Day, and do not take as unlawful what Allah and His Messenger have declared as unlawful, and do not profess the Faith of Truth; (fight them) until they pay jizyah with their own hands while they are subdued.” 9:29 Mufti Taqi Usmani’s Translation
7. “Fight those who do not believe in Allah or in the Last Day and who do not consider unlawful what Allah and His Messenger have made unlawful and who do not adopt the religion of truth from those who were given the Scripture – [fight] until they give the jizyah willingly while they are humbled.” 9:29 Sahih International Translation
6. FIGHTING NEED NOT ALWAYS BE PHYSICAL, IT CAN ALSO BE INTELLECTUAL
Finally, people might now say well isn’t Islam violent because Muslims are commanded to fight those who do not believe in God and so on etc etc. Not really, because fighting in this verse does not explicitly mean physical violence. Observe the words in the above verses like “willingly”, “willing submission”, “readily” etc. Here it is spoken about bringing a change from within the hearts of people which is brought about intellectually. There are many ways in which you fight against somebody that does not involve a physical aspect. You can fight someone with the tongue, using your wisdom and telling him about the truth, you are fighting against the lies that person is propagating and eventually with your tongue you will speak the truth and crush his lies leading him to the truth. So fighting does not have to only be physical.
But alas! We totally over look these things when we mindlessly base allegations on the Quran. I never comment on any religion until I have read and understood ALL their scriptures. I don’t just google out some anti-religious sites to come up with instant allegations. This is so unfair.
আশা করি উত্তর পেয়েছেন। আর ভাল কথা এত আক্রমন করবেন না ভায়া। আস্তে ধীরে আলোচনা হোক।
@মরুঝড়, এইসব কপি পেস্ট না করে নিজে একটা ব্যখ্যা দিচ্ছেন না কেন? দেখেন আমিও একটা কপি আর পেস্ট মারলাম।
সুরা ৯;২৯ قَاتِلُواْ الَّذِينَ لاَ يُؤْمِنُونَ بِاللّهِ وَلاَ بِالْيَوْمِ الآخِرِ وَلاَ يُحَرِّمُونَ مَا حَرَّمَ اللّهُ وَرَسُولُهُ وَلاَ يَدِينُونَ دِينَ الْحَقِّ مِنَ الَّذِينَ أُوتُواْ الْكِتَابَ حَتَّى يُعْطُواْ الْجِزْيَةَ عَن يَدٍ وَهُمْ صَاغِرُونَ
তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে।
@অর্ফিউস, তো ভাই এই আয়াতে সমস্যা কোথায়? ব্যাখ্যা পছন্দ হল কিনা সেটা বলেন/? কেন কপি করলাম ,পেস্ট করলাম তাতে তো কোন সমস্যা দেখিনা । না বুঝলে তখন আমি নিজেই ব্যাখ্যা করব। একটা মুস্লিম দেশে মুস্লিম রা যাকাত দেবে আর অমুস্লিম হলে জিজিয়া দেবে, এইত -আর কি।?
@মরুঝড়,
না অমুসলিম আর মুসলিম দের জন্য একই ট্যাক্স থাকতে হবে।যাকাত না দিলে মুসলিমদের মাথা কেটে রাখার কোন বিধান নেই, যেটা যিযিয়া না দিলে আছে; মানে ইসলামী রাষ্ট্র হয় তাদের নিরাপত্তা দিবে না, না হয় আমৃত্যু লড়াই করে যাবে। সত্যি কি সুরাটি ভাল করে না পড়েই ওই ব্যখ্যাটা মেনে নিলেন? ( আপনার দেয়া)
@মরুঝড়,
পড়ুন,
যেটা যিযিয়া না দিলে অমুসলিমদের ক্ষেত্রে আছে।
ওখানে আর রিপ্লাই দেয়া যাচ্ছে না। আলচনা চালিয়ে যেতে চাইলে সরাসরি মন্তব্য করে উত্তর দিতে পারেন।ধন্যবাদ।
@মরুঝড়,
আপনার অতি দীর্ঘ কপি পেষ্ট দেখে হাসব নাকি কাদব বুঝলাম না। সব চেয়ে বেশী মজা পেয়েছি খৃষ্টান ধর্ম বিদ্বেষী সাইট এ করা কোন এক পাবলিকের ব্যখ্যাকে রেফারেন্স হিসাবে তুলে ধরা দেখে –
তাহলে ইসলাম যে কতপ্রকারে ও কিভাবে একটা অসত্য আর বর্বর ধর্ম তা বুঝতে আ্পনাকে ইসলাম বিদ্বেষী সাইটগুলোতে যেতে হবে, সেখানে কিন্তু লেখকরা কোরান, হাদিস, সিরাত , ইতিহাস থেকে প্রকৃত তথ্য ও দলিল উল্লেখ পূর্বক ব্যখ্যা করেছে। যেমন-
প্রকৃত ইসলাম জানুন
উক্ত সাইটে দি কোরান , সাবমিশন, আল ইসলাম, ইসলামের উত্তর ইত্যাদি কয়েকটি ওয়েব সাইট আছে, সময় থাকলে সেখানে ঢু মারতে পারেন।
এবার আসি আপনার ৯:২৯ আয়াতের ব্যখ্যায়, ৯:২৮-২৯ আয়াতদ্বয় পর পর বসানো যাক-
হে ঈমানদারগণ! মুশরিকরা তো অপবিত্র। সুতরাং এ বছরের পর তারা যেন মসজিদুল-হারামের নিকট না আসে। আর যদি তোমরা দারিদ্রেøর আশংকা কর, তবে আল্লাহ চাইলে নিজ করুনায় ভবিষ্যতে তোমাদের অভাবমুক্ত করে দেবেন। নিঃসন্দেহে আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে।
এখন আপনাকে প্রশ্ন করি ২৮ নং আয়াতে যে বলছে-আর যদি তোমরা দারিদ্রেøর আশংকা কর, তবে আল্লাহ চাইলে নিজ করুনায় ভবিষ্যতে তোমাদের অভাবমুক্ত করে দেবেন
এখানে, কারা দারিদ্রের আশংকা করছে ? কেন দারিদ্রের আশংকা করছে? আল্লাহ কিভাবেই বা ভবিষ্যতে তাদের অভাব মুক্ত করে দেবেন ?
ত্যনা না পেচিয়ে উত্তর দেবেন প্লিজ।
@বিদ্রোহী, ধন্যবাদ আপনাকে শুধু পেস্ট দেখেছেন বলে…ব্যাখ্যা দেখে আর কাজ কি?
@মরুঝড়,
বানিয়ে বানিয়ে মনগড়া ব্যখ্যা দিলেই হবে ? ওসব ব্যখ্যার পটভূমিকা কি ? শানে নুযুল কি ? Answering-Christianity টীম কি এখন ইসলামের নতুন ইতিহাস আর কোরানের নতুন ব্যখ্যা দিচ্ছে নাকি ? খুব ভাল।
আমি উক্ত আয়াত দ্বয় পোষ্ট করে আপনাকে সামান্য দুইটা প্রশ্ন করেছি সেগুলো তো দেখি বেশ এড়িয়ে গেলেন , কি ব্যপার ? উত্তর দিন আর দেখুন উক্ত ৯:২৯ আয়াতের প্রকৃত অর্থ কি । পাকাল মাছের মত সরে পড়তে তো হবে না। ইসলাম যে কত শান্তির ধর্ম সেটা জানবেন না ? না জেনেই সুড়ুত করে চলে যাবার ধান্ধায় আছেন নাকি ? সেটা তো হবে না । ভাবেন আপনারা কোরানের যেমন ইচ্ছা খুশী ব্যখ্যা দিয়ে সরে পড়বেন , অন্যরা কোরান হাদিস পড়ে না , সবাই গবেট , তাই না ? এ প্রশ্নের উত্তর যদি না দেন ভবিষ্যতে ব্লগ সাইটে ইসলাম প্রচার করতে না আসার জন্য অনুরোধ করছি। কারন আপনাদের মত লোক খুব সূক্ষ্মভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করেন তাদের কোমল হৃদয়ের সুযোগ নিয়ে।
@বিদ্রোহী,
এই মরুঝড় হচ্ছে একটা বিনোদন, ভাল মত বিনোদন নেন। দেখবেন উনার একটা স্ট্রেটিজি আছে, আপনারা কোরআন হাদিস দ্বারা যতই ব্যাখ্যা দেন না কেন, এই মহা পণ্ডিত আপনার ব্যাখ্যার গুরুত্ব না দিয়ে, নিজের মন গড়া একটা বক্তব্য দিয়ে আপনার বক্তব্য কে উড়িয়ে দেবে।
আর যদি কোন ইসলামিক রাষ্ট্রের উদাহরণ দিতে বলেন, দেখবেন রকেটের গতিতে চলে গেছে ইরানে। যতই আপনি সৌদিয়ারব কে ইসলামিক রাষ্ট্র বানাতে চান, উনি কোন ভাবেই মানতেই চায় না। ভাই বেশ মজার একটা পাবলিক, ভাল মত মজা নেন।
আর উনি যা আইলশা, এক দুই কথায় উত্তর দেয়। বেশী কথা লিখতেই চান না।আমার বিশ্বাস , ইংলিশ ব্যাখ্যা উনি নিজেই বুঝেন না। আপনারা ব্যাখ্যা দেওয়ার পর বুঝতে পারে ওই ইংলিশের ব্যাখ্যা কি ছিল?? :-O
ভাল মত আপনারা মজা নেন, মজায় মজায় কাটুক আপনাদের দিন।
@(নির্জলা নির্লজ্জ),
কিন্তু মরুঝড় কি জানেন যে সুন্নি মুসলিমরা শিয়াদেরকে মুনাফেক এমন কি মুশরেক বলে ডাকে ? অর্থাৎ সহি ইসলাম মোতাবেক তারা মুসলমানই নয় ?
@(নির্জলা নির্লজ্জ), আমি মুক্তমনায় বেশি দিন নই। এখানে রুপম ধ্রুব , আকাশ মালিক, অর্ফিউস, আর অভিজিত দা সহ অনেকেই আছেন যারা হয়ত ধর্মে নেই কিন্তু খুব সুন্দর ভাবেই ,আক্রমন না করেই আলোচনা করেন। আমার বিশ্বাস হয়ত আপনার ভাল লাগেনা কিংবা আপনার টা আমার ,তাই বলে কি আমরা একজন আরেক জন কে সন্মান টুকু দেবনা। কেন ব্যঙ্গ করতে হবে? বিদ্রোহী ভাই আমার ব্যাখ্যা গ্রহণ করতেও পারেন আবার নাও পারেন, কই আমি তো সে জন্য তাকে কিছু বলিনি। তাহলে আপনাদের ব্যাখ্যা গ্রহণ না করলে কেন আমাকে ব্যঙ্গ করতে হবে? মহা পণ্ডিত বলার কি কোন অর্থ আছে? মুক্তমনায় যেই আসুক , আমি মনে প্রাণে চাই তারা মুক্তমনা হোক , হোক তা বিশ্বাস নিয়ে অথবা অবিশ্বাস নিয়ে। আলোচনা হোক । @ বিদ্রোহী , খুব ভাল হয় আমরা যে বিষয় টি নিয়ে আলোচনা করছিলাম সে বিষয়ে একটি সিধান্তে পৌছা। আপনি আবার একটি নতুন বিষয় নিয়ে এসেছেন, যেটা নিয়ে আমরা পরে আলোচনা করব।
@বিদ্রোহী,
আমার অভিজ্ঞতা দুরকম। এদের কেউ কেউ ভুল শুধরাতে চাইছে না, আবার কেউ কেউ এগুলোর অন্যরকম ব্যাখ্যা দিচ্ছে মানে যেভাবেই হোক তারা ভুল এই কাজগুলো করতে চাইছে না।
এটাকে আমি সবসময় স্বাগত জানাই।সব পরিবর্তন সময় সাপেক্ষ;বিশেষ করে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলে আসা এইসব জিনিস বদলাতে ঢের সময় দরকার।
তাতে সমস্যা কি যদি এইটা আউড়ে কেউ কেউ সত্যি এই ব্যাপারটা মেনে চলে?
মুখে শান্তির ধর্ম বলে চেঁচিয়ে,মুসলিমদের যে দল, দা কুড়াল নিয়ে রাস্তায় নেমে আসে আর অমুসলিমদের(পড়ুন কাফের) কল্লা ফেলে দিতে চাওয়া লোকদের চেয়ে এরা অনেক ভাল।
কাজ যদি সত্যি হয় তবে মিষ্টি কথাতেই হবার সম্ভাবনা বেশি। আঘাত দিলে দেখা যাবে আপনাকে তারা গালিগালাজ করবে আর আপনার কথা শুনবে না। কাজেই মিষ্টি করে, ভুল ধরিয়ে দেয়াটাই বেশি কার্যকর মনে হয় আমার মতানুসারে। কারনটা আপনার নিচের কথাগুলোই,
লেখাটির ছত্রে ছত্রে যেন আমারই কথা।না লিখতে পারলেও পড়ে এবং মন্তব্য করে সমমনার ভাব প্রকাশ করছি। ধন্যবাদ লেখাটির জন্য।
(Y)
একটা মানুষের সাথে কখনই আলোচনা করা যায়,যখন ঐ লোকটার আলোচনা করার ক্ষমতা থাকে। যারা ইন্টারনেট বুঝে না, যারা ব্লগ বুঝে না, যারা ফেসবুক বুঝে না। তাদেকে কি ভাবে বুঝাবো যে এসব হচ্ছে মিথ্যাচার। এই সহজ আলোচনাটি যদি মন দিয়ে পড়তে পারে তাহলে কি আর শহীদ মিনার ভাংতে যায়? দেশের পতাকা পুড়াতে যায়?
অথচ ধর্ম সম্বন্ধে রাজীবের মতামত প্রকাশের স্বাধীনতাকে শক্তভাবে ডিফেন্ড করণের মধ্য দিয়া কিন্তু অর্জিত হইত আরো বড় একটা উদ্দেশ্য, আমাদের জামাত নিষিদ্ধ করনের দাবী বা আরো বৃহদার্থে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের দাবী কিন্তু শুধুমাত্র এই কারণে না যে তারা ৭১-এ বাংলাদেশের বিপক্ষে আছিল, বরং এই কারণেও যে তারা মুক্তিযুদ্ধের সেকুলার চেতনা, নারীর সমানাধিকার, এই অঞ্চলের মানুষের স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাসহ সকল প্রগতিশীল চেতনার বিপরীতে। জামাতে বিরুদ্ধে অন্য ইস্লামী দল, পীর-ফকির বা ব্যক্তির লেজিটিমেসি সংগ্রহের আকাঙ্ক্ষার কিন্তু আর ভয়াবহ এক্টা দিক থাইকা যায় যেইটা নিয়া এই মুহূর্তে আন্দোলনকারী-আন্দোলনসমর্থক কাউরেই তেমন ভাবিত হইতে দ্যাখা যাইতেছে না; এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়া এই দলগুলিরেও একদিক থেইকা লেজিটিমেসি দেওয়া হইতেছে এবং এরাও কিন্তু জামাতের থেইকা কন অংশেই কম প্রতিক্রিয়াশীল নয়। মাঠের আন্দোলনে আরো ভয়াবহ যে জিনিসটা গত দুই দিনে দেখা গেল তা হইলো এরা যত জামাতবিরোধীই হউক না কেন, জামাতের সত্যিকার প্রয়োজনের সময় এরা মাঠে জামাতরে ব্যাক দিতে মোটেও দ্বিধা করে না, শেষ বিচারে এরা জামাতেরই মিত্র, আমাগো না। তাইলে এইগুলিরে জাতে তুইলা আমাগো কি উদ্দেশ্য হাসিল হইতেছে?
রাজীবের অবদান স্বীকার না করার মধ্য দিয়া আরেকটা দিকেও ঝামেলা থাইকা যায়। বৃহত্তর জনগোষ্ঠির বাইরের যে মানুষগুলা এই আন্দোলনে শরিক হইতেছে তাগোর কাছে আমাগো মেসেজটা কি যাইতেছে? তারা মরলে, বিপদে পড়লে, তাগোরে নিয়া মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াইলে, আন্দোলনের সহকর্মীরা মুখ ফিরাইয়া নিব? কোন ভরসায় তারা বাঙালী মুসল্মানের রাজনৈতিক একটা দাবীর সাথে তাইলে একাত্ব হবে? আইজ রাজীব মর্ছে,আপ্নেরা কন, কী দরকার ছিল ওইসব ছাইপাশ লেখনের? কাইল যদি আমার কিছু হয়, কী গ্যারান্টি যে হজ্ঞললতে মিমিল্যা কইবেন না, কী দরকার আছিল এত্ত রাইতে শাহবাগ আসনের? আর নাস্তিকগো নিয়া অযথা চুল্কানীর কথা তো বাদই দিলাম! যত দার্শনিক বা সমাজবৈজ্ঞানিক আলোচনাই করুন না কেন নাস্তিকদের উগ্রপন্থী হিসাবে প্রমাণ কর্তে, নাস্তিকদের মতাদর্শ আপনার কাছে যত রূঢ় বা অপ্রয়োজনীয় লাগুক না কেন, এই গ্রুপ্টা এই দেশে কখনো প্রতিক্রিয়াশীল কোন শক্তির সাথে আপষ করে নি। নাস্তিকদের মইধ্যে ছুপা ছাগু নাই (রিভার্স নিক ডিফরেন্ট জিনিস)।সো কল্ড বুদ্ধিজীবীদের নাস্তিক এলার্জির কারণটা বুঝতে তেমন কষ্ট কর্তে হয় না। যুগের পর যুগ ধরে বহু শ্রমে বানানি আল্লা-ভগবানের মত বিরাট বিরাট শক্তিমা্নকে যারা চ্যালঞ্জের তুড়িতে উড়িয়ে দেবার আস্পর্ধা করে তাদেরকে নিয়া সন্দেহ থাকবই। হজ্ঞলতে ভালা কইরাই জানে নাস্তিক পোলাপান বশে রাখা সম্ভব না, তাদের দিয়া যে টক-শো চর্বিত জ্ঞান গেলানো যাবে না। সো, বেয়াদব নাস্তিক পোলাপাইন্রে বহিষ্কার কইরা বা সাইডলাইনে সরাই দিয়া তেনারা তাদের সাম্রাজ্য আনচ্যালেঞ্জড রাখবেন তাতে আর সন্দেহ কী! বাট, এতে শাহবাগের কী লাভ হইবে? শাহবাগ যুদ্ধের ভালো কমরেডই শুধু হারাবে, আর কিছু হবে না। যে প্ল্যাটফরম তার প্রথম শহীদকে ধারন কর্তে পারে না,সেই প্ল্যাটফরমের উপর ম্যাঙ্গোপিপলের আস্থা কতক্ষণ ধরে রাখা সম্ভব?
রাজীবের ল্যাখা-লেখিকে কেন্দ্র কইরা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রিলেটেড যে সকল আজাইরা ধারনা ও বিশ্বাস লোকের মনে আছে সেগুলি ক্লিয়ার করা যাইত।কোন বিষয়ে নিজের যখন একটা মত থাকে, তখন অন্য মতের প্রতি শ্রদ্ধা থাকার কথা না লজিক্যালি, যারা সেই শ্রদ্ধা দাবী করে তারা অন্যায় দাবী করে; আর যারা সেই শ্রদ্ধা নিজের মইধ্যে আছে বইলা দাবী করে তারা মিথ্যা বলে, ভন্ডামী করে। আমার নিজের ধর্মকে যখন আমি সেরা ধর্ম বইলা দাবী করি (এই দাবীতে সমস্যা নাই, এইটা মনে না কইরা উপায় নাই, কারণ সেইটা মনে না করলে ওই পার্টিকুলার ধর্ম পালনের পক্ষে আমার আরকুনু লজিক থাকে না), তখন অন্য সকল ধর্মের প্রতি আমার সমান শ্রদ্ধা ক্যামতে থাকে? তাইলে ক্যামতে কী! কেউ কিছু কইলে আর সেইটা আমার পছন্দ না হইলে আমি কি ত্য ছুরি-কাঁচি নিয়া ঝাপাই পড়ুম? ডেফিনিটলি নট। এইখানে একটা কথা আছে পরমত সহিষ্ণুতা বইলা, যেটা ‘সকল মতের প্রতি সমান শ্রদ্ধা, বা সকল ধর্মের প্রতি সমান শ্রদ্ধা’ জাতীয় গালভরা বুলির মত ভেক না। আমার মরের সাথে আপনের মিলতে নাও পারে, আমি যেমন আমার মত ব্লগে ল্যাখতে পারি, আপনিও পারেন, আমার পছন্দ না হইলে আমি সমালোচনা করুম, গাইলও দিতে পারি। তয় অপনে ক্যান ব্লগে হাচা-মিছা ল্যাখলেন তার জন্য তো আমি আপনার বাসার সামনে চাপাতি নিয়ে অপেক্ষা কর্তে পারি না—এই সহজ লজিক না দিয়া ‘সকল ধর্ম/মতের প্রতি শ্রদ্ধা’ ইত্যাদি বক্তিমায় যারা মাঠ কাঁপাইতেছেন, রাজীব কেনু যা সে মীন করে তা ল্যাখতে গেলু সেই স্ট্যাটাসে ফেসবুক ভরাইতেছেন, তারা হয় নিজেরা ছাগু, নয়তো ছাগবান্ধব। নতুন একদল ছাগু ম্যাতকার শুরু কর্ছে, রাজীবসহ যারা ধর্মের বিরুদ্ধে ল্যাখে তাদের বিরুদ্ধে এট্টা শক্ত স্টেটমেন্ট মঞ্চ থেইকা আসা উচিত, নইলে এই আন্দোলন যায় যায়! ছুটু মুখে এট্টা অনুরুধ করি, কফিনে শ্যাষ পেরেকটা ঠুইকেন না। যার যার লড়াই তার তার যায়গা থেইকা, এই লড়াই সবার। এই মঞ্চ থেকে যুদ্ধাপরাধীদের এবং তাদের দোসরদের বাইরে অন্য কারুর বিরুদ্ধে কিছু কওন মানে জামাতী ‘ডিভাইড এন্ড রুলের’ ফান্দে পা দেওয়া।
@ফারহানা আহমেদ, (Y) সুন্দর, ২টি মন্তব্যই সুন্দর করেছেন।
এইটাই সমস্যা। আর তাছাড়াও যদি কেউ পার্থক্যটা বুঝেও থাকে তবু যেহেতু ধর্মীয় পত্রিকা লিখেছে, আর যেহেতু হুজুররা মিথ্যা বলতেই পারে না কারন এরা আল্লাহভীতু বান্দা, সুতরাং এদের পক্ষে মিথ্যা বলা কোনভাবেই সম্ভব না, এই অদ্ভুদ ধারনা থেকেই বেশিরভাগ মানুষ পার্থক্য বুঝলেও বুঝতে চায় না। :-Y
@ফারহানা আহমেদ,
আপনার দুটো মন্তব্যই অসাধারন। প্রত্যেকটা যুক্তির সাথে একমত। তবে বাস্তবতা আসলে ভিন্ন। একটু ব্যাখ্যা করি-শাহবাগের আন্দোলন শুরুর পর যখন লাখো আম জনতা যোগদান করলো, আমি ভ্রু কুচকে তাকিয়ে ছিলাম। সত্যি বলতে কি একটু অবাকই হয়েছিলাম। কারন আমি জানতাম এটা কিছু সাহসী, মুক্তচিন্তার অধিকারী ব্লগারদের কাজ। শুধু রাজাকারের ফাসির দাবির কারনে হয়তো আম জনতা এটাতে একাত্ববোধ করেছিল, কিন্তু মোটাদাগে এই বুদ্ধিদিপ্ত, প্রগতিশীল ব্লগারদের নেতৃত্ব মেনে নেবার মত যোগ্যতা এখনো তাদের হয়নি। যেটা রাজীবের মত নাস্তিকের হত্যাকান্ড হবার পর বোঝা গেল। আমার বন্ধু যে কিনা রাজীবের মৃত্যসংবাদ শুনে চরম ক্ষিপ্ত হয়েছিল, নাস্তিক শোনার পর সেই আবার বলে কিনা নাস্তিকদের নেতৃত্ব মানা যাবেনা। তার মত অনেক আম কাঠাল জনতার ধর্মও চ্যাগাইয়া উঠলো। আমি তখন বরং শংকিত ছিলাম শাহবাগের আন্দোলনকারী ব্লগাররা না আবার ধর্ম উন্মাদ উত্তেজিত জনতার কাছে গনধোলাইয়ের স্বীকার হয়। সরকারের রাজনৈতিক সুবিধার কারনে হয়তো তারা প্রটেকসন পেয়েছেন। কারন আমার বাবা যিনি সুশিক্ষিত, আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত এবং ঘোর জামাত বিদ্বেষী, সেই তিনিই যখন জানলেন তার ছেলে নাস্তিক তখন আমাকে ত্যাজ্য করার নীতিগত সিধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন। নাস্তিকতা এখানে এখনো চরম খারাপ একটা বিষয় বলে বিবেচিত। এত ত্যানা আসলে যে জন্যে পেচাচ্ছি- বাংলার মানুষ এখনো প্রস্তুত নয় ধর্মের বিপক্ষে কোন ধরনের সমালোচনা, ব্যাংগ-বিদ্রুপ মেনে নেবার জন্য। তাই আমি মনে করি যতটা সম্ভব তরুন প্রজন্মের কাছে বিজ্ঞান ও যুক্তির বার্তা পৌছুতে হবে, দেখাতে হবে যুক্তি এবং মুক্তচিন্তার সৌন্দর্য। যেতে হবে বহুদুর, পথ এখনো অনেক বাকি। সর্বোপরী এই যাত্রার কোন সর্টকাট নেই। ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।
আমাগো গণজাগরন আন্দোলনের ন্যাতা-কর্মী-সমর্থকদের দেইখা মনে হইতাছে ‘রাজীব হায়দার’ এই নামটা স্মরণ করলেও তাগো ওজু নষ্ট হইতাছে। ‘রাজীব আস্তিক না নাস্তিক আছিল সেইডা আমার প্যাচাল না, বাট, খুন হওয়া রাজীব ছিল আমার ভাই, আমার কররেড’— এই কথাডা কওনের হেডম দ্যাখলাম চুতমারানী ব্লগ-ন্যাতা পাতি-ন্যাতা ব্লগ-বুদ্ধিজীবী কারুরি হইতাছে না। আস্তিক-নাস্তিক বা ধর্ম নিয়া আলুচনা কর্তে যাদের মনে বড় সাধ তাদের ‘হয় আন্দোলনে যোগ দেন, আর নাইলে পরে আসেন, এখন অন্য কাজে বিজি আছি’ এই কথাটা কওনের সুবুদ্ধিটাও কারুর হইলো না। নিজের পিঠ বাঁচানির লাইগা তারা বরং পড়লেন রাজীবের জানাজা পড়াইয়া সুন্নতী খাতনা দানের মাধ্যমে সহী মুস্লিম বানানির কাজে। ‘এইখানে শতকরা ৯৮% আম্রা সহী মুসল্মান, দুই এট্টা রাজীবের মতো ব্যাড এলিমেন্ট সবখানেই থাকে, এইখানেও থাকতে পারে, বাট এইটা আন্দোলনকারীদের মূল ধারা না’—এই রকম ঘোষণা যেইরক্ম আসল মঞ্চ থেইকা, তেমনি দেখলাম ফেইসবুক স্ট্যাটাসে, ব্লগের পাতায় পাতায়।
এই যে সবাই এত্ত ডিফেন্সিভ খেলতাছেন কি হইতাছে তার ফলাফল? জামাতী প্রচার-প্রোপাগান্ডা এক চুল কমানি গেছে তাতে? থামানি যাইবো না, যাওনের কথাও কুনুদিন ছিল না। যারা আমার এই বাংলাদ্যাশে ব্লগ-ফেসবুক কি তা যানা আবার একই সাথে দাবি করে ‘শাহবাগ আন্দোলনের সাথে এদ্দিন ছিলাম, বাট ঐ খানে রাজীব-টাজীব টাইপের নাস্তিক থাকাতে এখন আর শাহবাগে যাইতে ভাল্লাগেনা’—তারা আসলে আন্দোলনের সাথে কুনুদিনই ছিলো না, এদেরি ব্লগের ভাষায় বলা হয় ছুপা ছাগু, আম্নে শাহবাগের মূল মঞ্চে নাস্তিক ধইরা ধইরা সকাল-বিকাল ফাঁসি দিলেও এরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে মাঠে নামব না, বরং নতুন নতুন ত্যানা নিয়া হাজির হইব। আন্দুলুনে যারাই আইছে, তারা কেউ কাউরে দেইখা আশে নাই, রাজীবরে দেইখা অমলেন্দু আশে নাই, অমলেন্দুরে দেইখা বিলকিস আসে নাই, বিলকিসরে দেইখা আসে মাই সেলিম, করিম কিংবা জেনিফার; এরা প্রত্যেকে আসছে নিজ নিজ দাবী আদায়ের তাড়না থেইকা; ঠিক যেমুন আম্নে বা আমিও কাউরে দেইখা বা কাউরে দেখানির লাইগা শাহবাগ যাই নাই। তাইলে এখন চইলা যাওনের সময় কেন রাজিবরে বাহানা হিসাবে উপস্থাপন?
একই ভাবে, ‘পাকি ওয়াতান’ বা ‘নয়া দিগন্তরা’ রাজীবের ব্লগে নাস্তিক ল্যাখা না পাইলে কি তারে নিয়া ভালু ভালু কথা লিখতো? ডেফিনিটলি নট। বানাই বানাই খবর লিখলে কে যাচাই কর্তে যাইত? আপনি আমি তো জানি ওরা মিথ্যা বলে, আর ওদের পাঠকরা যেইটা বিশ্বাস করে বা বিশ্বাস কর্তে চায় সেইটা ল্যাখ্যে বইলাই ওইগুলান পড়ে। তাইলে,শ্যাষবিচারে কি দাঁড়াইলো? জামাতী মিডিয়া আর তাগোর পাঠক কাউরের আসলে বুঝাইয়া-শুনাইয়া পথে আনন যাইব না, ইতিহাস বলে সেইটা সম্ভব না। বাকী থাকল কওমী মাদ্রাসা গ্রাজুয়েট আর অর্থনৈতিকভাবে কিংবা শিক্ষা-দীক্ষায় মার্জিনাল অবস্থানে থেকা ছাগুপাল; এরা আসলেই নাদান।বাট, দ্য কুশ্চেন ইজ দিস, ডু দে নো ওয়াট ব্লগিং ইজ? আসল ছবি আর ফটুশপ বুঝনের ক্ষমতা কি এগোর আছে?
তাইলে ক্যামতে কি? ছাগুপাল বুঝাই-শুনাই দলে আনার প্ল্যানে বা তাদের নিষ্ক্রিয় কইরা রাখার প্রচ্যাষ্টায় রাজীবের মুস্লমানী দেওয়ায় বা রাজীব এই আন্দোলনের শহীদ এইটা প্রথমে বইলে পরে আবার চাইপা যাওনে আন্দুলুনের কি লাভখানা হইলো? কিচ্ছু না। বরং ক্ষতি হইলো অনেকটা। রাজীব এই আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল, সে কুনু আলু পোড়া খাইতে আসে নাই, ধান্দাবাজী কর্তেও আসে নাই। তার গত কিছু দিনের ল্যাখার সাথে যারা পরিচিত তাদের কইয়া দ্যাওনের কিচ্ছু নাই পোলাডা এই আন্দুলুন্টারে, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবীটারে কিরকম মীন কর্তো। সেই রাজীব মইরা গেল, সেই রাজীব খুন হইলো—তার তো হওনের কথা আছিল শাহবাগের আইকন। তা না আম্রা প্রত্থমে তারে সাচ্চা মুসলমান বানাইয়া তার সারা জীবনের বিশ্বাসরে অপমান কর্লাম, অপমান কর্লাম তারে। তারপর হেয় এইখানের কুনু ন্যাতা-সংগঠক আছিলনা, আশপাশ দিয়া ঘুরাঘুরি করনের পাব্লিক আছিল কইয়া রাজীবের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগটারে বানাই দিলাম একটা টপক্লাস প্রহশনে। এত অপনাম বোধহয় ‘পাকি ওয়াতান’ ‘নয়া দিগন্ত’ ‘ইঙ্কিলাব’রাও রাজীবরে কর্তে পারে নাই!
রাজীব দীর্ঘদিন নানা অনলাইন মাধ্যমে লেখালেখিতে সক্রিয় ছিল, এইখানে তার কি কুনু বন্ধু-বান্ধব ছিল না? তাদের কাউকে তো দ্যাখলাম্না রাজীবের পক্ষে শক্ত একটা প্রতিবাদ ল্যাখতে। যা দুই একজনের ট্রিবিউট দেখচি সেইগুলান ভর্তি রাজীব কত ভালা আছিল, কর সরল আছিল, সিগ্রেট্টা পর্যন্ত টাচ কর্তো না—-এইসব বয়ানে ভরপুর। রাজীবের অবস্থান ডিফেন্ড কইরা কেউ কিছু কারুর য্যান কিছু বলার নাই! রাজীবের সাবেক সহযোদ্ধাগো একাংশের মইধ্যে হাহাকার দেখিঃ নাস্তিক তুই মইরা আমাগো গান্ধীবাদী আন্দুলুনের গায় কেন কালি লাগাইতে গেলি? গণ্রায় নামে এট্টা বুলেটিন বার কর্তেছে কিছু সাংবাদিল মিলা, তার তিন নাম্বার সংখ্যায় দ্যাখলাম বিশিষ্ট ফারুক ওয়াসিফের বয়ান (এই ল্যাখা পড়ার পর থেইকা আমার জ্বর জ্বর বোধ হইতে হইতে এখন সত্যি সত্যি জ্বর আয়া পর্ছে)। ফারুক ল্যাখছেনঃ “……নাস্তিক গুটিকয় মানুষের জন্য লাখো-কোটি জনতার বিশ্বাসকে অবমাননা করা বিশ্বাসের গণহত্যার সামিল…….।।তাহলে এইসব ধর্মব্যবসায়ীর সাথে নাস্তিকদের তফাতটা কোথায়? এদের চিনে নিন, রুখে দিন।……নাস্তিক আর রাজাকারের অস্ত্র ঘৃণা।’’ তার মানে কী? রাজীব আর রাজীবের খুনী আসলে একই? এইটা এট্ট ছোট্ট উদাহারণ মাত্র……এই রকম আরো আছে। এইরকম ল্যাখা খুব সোন্দোর হয়, সোন্দর ভাষার ব্যবহার, সোন্দর শব্দ চয়ন, দারুন জ্ঞানের বাণী, সমস্যা শুধু একটাই, বটম লাইনে শুধু কাঁডল পাতা আর লাদির গন্ধ! ফেসবুক বিপ্লবীগোর পত্থম কয় দিনের ‘কাইট্টা ফালামু, মাইরা ফালামু’ স্ট্যাটাস সব গায়েব, অহন সবাই সাচ্চা মুসল্মান হইছেন তওবা করিয়া। এখঙ্কার স্ট্যাটাসের ভাষায়ও এসেছে পরিবর্তনঃ আসুন আমরা ইস্লামের আলোকে জামাত মুকাবিলা করি টাইপ।
নাস্তিক আছিল বইলা রাজীবরে যেমুন আজকে খলনায়ক বানানির চ্যাষ্টা হইতেছে, সেই জামাতী ল্যাদানি নিন্তু নতুন না; ৭১-এও ঠিক এইরকম ভাবে মুক্তিযোদ্ধাগো কাফের, মুনাফেক, ভারতের দালাল ইত্যাদি বানানির চ্যাষ্টা হইছিল। সেই সময় কিন্তু এইসব জামাতী প্রোপাগান্ডা মুকাবিলায় ইস্লামের সহী ব্যাখ্যা দেওনের এইরকম চ্যাষ্টা আছিল না। বরং সেকুলারিজম বাঙালীত্ব জাতীয়তাবাদের মত ধারনাগুলারে ইউজ করা হইছিল পাল্টা প্রোপাগান্ডাও; ওইসময়ের পত্র-পত্রিকা, লিফলেট, পোস্টার, চরমপত্র, গান, রেডিও প্রোগ্রাম সব কিছুই তারই স্বাক্ষী দেয়। সেই প্রোপাগান্ডা ব্যর্থও আছিল না। তাইলে এই ৪২ বছর পরে বাঙালীর সাইকোলজিতে এমন কী পরিবর্তনের আভাস আমাগো আজকের আন্দুলুনের ন্যাতারা আবিষ্কার কর্লেন যে জামাতী ফান্দে পা দিয়া ফাঁসির দাবীর পরিবর্তে নাস্তিক বর্জনের জামাতী দাবীর পক্ষে অবস্থান নিলেন? রাজীবের জানাজার পরের দিন থেইকা শাহবাগ গণমঞ্চের ন্যাতাগো বক্তিমা শুইনা মনে হইছে এইটা রাজাকারে ফাঁসির দাবী মঞ্চ না, এইট অইলো এট্টু উন্নতমানে ইসলামী জলসা। জামাতকে ডিফেন্ড কর্তে গিয়া শাহবাগ গণমঞ্চের কেন প্রয়োজন হইলো অন্য ইস্লামী পীর-ফকিরদের লেজিটিমেশনের। কেন তারা পার্লেন্না পাল্টা জবাব দিতে?
@ফারহানা আহমেদ,
– অসাধারন বলেছেন। মুজিব নগর সরকারও কিন্তু ধর্ম লাইনে খেলার চেষ্টা করছিলেন, তাতে সফলতা আসে নাই। আমরা কোন ধর্মের বিরুদ্ধে নই, আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে এ জাতীয় বক্তৃতায় কোন ফায়দা হয় নাই। ভারত সরকার আরব মুল্লুকে দুই মুসলমান মন্ত্রী পাঠায়ও কোন সুবিধা করতে পারে নাই।
তবে সাইকোলজি ফিলোসপি সব কিছুই কিন্তু ৪২ বছরে পরিবর্তন হয়েছে এটা সত্য কথা, পরিবর্তন হয়েছে বলা যদিও ঠিক না। বলা ভাল যা সাময়িকভাবে সুপ্ত ছিল তা উপযুক্ত সার জল দিয়ে চাষ করে আবারো মহীরূহে পরিনত করা হয়েছে। ৭১ সালেও দেশে যতভাগ স্বাধীনতা বিরোধী ছিল এখন তাদের সংখ্যা তার চাইতে বেশী। তার চাইতেও দূঃখজনক বিষয় হল মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির এক বিরাট অংশই আইডিওলজিক্যালি মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ধর্মনিরপেক্ষতা এখন আর মানে না। যদিও তারা মুক্তিযুদ্ধ স্বপক্ষ শক্তি, অনেকে বংগন্ধুর কড়া সমর্থক কিন্তু তারা আবার শাহবাগের মঞ্চ থেকে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ করার দাবীতে বুঝে ফেলে যে নাস্তিক মুরতাদ ইসলাম বিদ্বেষীরা আন্দোলন ধর্মবিরোধী আন্দোলন বানায় ফেলতেছে। এনাদের বদৌলতেই আন্দোলন আর রাজাকার বিরোধী আন্দোলন নাই, হয়ে গেছে আস্তিক নাস্তিকের লড়াই। এই গ্রুপের মুক্তিযোদ্ধারা অতীতে চিহ্নিত রাজাকারদের সাথে রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তুলেছিল দেশে প্রকৃত ইসলাম কায়েম করবে বলে, আজকেও কিছু বীর মুক্তিযোদ্ধা জামাতি মিডিয়া ছাড়া লেখালেখি করেন না।
এখন কেবল অপেক্ষার পালা কবে ‘৭২ এর ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ কারী সংবিধান প্রনেতাদের ব্লাসফেমি আইনে বিচার দাবী করা হয়। বর্তমানে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করা মানেই বামপন্থী, নাস্তিক, ইসলাম বিদ্বেষীদের ষড়যন্ত্র হলে ‘৭২ সালে যারা এটা করে গেছিল তারা কোন যুক্তিতে নাস্তিক মুরতাদ ইসলাম বিদ্বেষী হবে না কেউ বোঝাতে পারেন?
সকলে আসুন, বংগবন্ধু, তাজউদ্দিন এনাদের ছবিতে ফাঁসির দড়ি লাগায় মরনোত্তর বিচার দাবী করি। বাকি আছে তো শুধু এটাই। এইটা বাদ থাকে ক্যান??? আহা রে আমার বাংলাদেশ আর মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ। এই নিয়ে আমরা সময় নষ্ট করি।
@আদিল মাহমুদ,
আপনাকেও শষ পর্যন্ত পেয়ে বসলো আমার রোগে?
আরেকদল আছেন ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ করার দাবী উঠলেই গনতন্ত্রের সকল আইনি কিতাব নিয়ে হাজির, আব্রাহাম লিঙ্কন তাদের কাছে ফেইল্ড। বাংলাকে যখন আফগান বানানোর দাবী তোলা হয় যখন কোরানকে বাংলার সংবিধান করার দাবী করা হয়, তখন এই আইন বিশেষজ্ঞরা সম্পূর্ণ নীরব নিশ্চুপ।
@আকাশ মালিক,
আমি নিজে কিন্তু ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করাকরির স্বপক্ষে নই। নিষিদ্ধকরন তেমন ভাল সমাধান নয়। সামনের বার বিএনপি জামাত ক্ষমতায় এসে ব্রুট মেজরিটির জোরে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করলে কেমন হবে?
এ ধরনের পদক্ষেপ দীর্ঘমেয়াদে নিঃসন্দেহে টেনে আনবে আরো ব্যাপক গোলযোগ। ধর্মভিত্তিক রাজনীতির প্রতি লোকের সমর্থন বাড়তে থাকবে, মিশরে যেমন হয়েছে। ব্রাদারহুডকে দেশ থেকে খেদিয়ে মেরে কেটেও কোন লাভ হয়নি, ফিনিক্স পাখির মত জন্ম নিয়েছে ঠিকই। আপনি লোককে জন্ম থেকে শিখিয়ে যাবেন ধর্ম ছাড়া জীবন অচল, ধর্মের সব আদেশ নির্দেশ মেনে জীবন চালাতে হবে আর ঐদিকে আইন বানাবেন যে ধর্মকে রাষ্ট্র পরিচালনায় আনা যাবে না সেটা হবে বুমেরাং। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি আসলেই স্বীকৃত অধিকার হিশেবে থাকতে পারে, যে পর্যন্ত না এ রাজনীতির অসারতা লোকে বুঝতে না পারে সে পর্যন্ত গায়ের জোরে ব্যান করে লাভের চেয়ে ক্ষতিই হবে বেশী।
আমার আপত্তি ধর্মভিত্তিক রাজনীতির অধিকার চাওয়াতে নয়। মুক্তকন্ঠ মানি আবার কেউ ধর্মভিত্তিক রাজনীতির চাইতে পারবে না এমন বলাটা ভন্ডামি। আমার আপত্তি হল কেউ এর বিরোধীতা করলে উন্মাদের মত নাস্তিক, ইসলাম বিদ্বেষী, ধর্মব্যাবসায়ী হিশেবে অভিহিত করাতে। যারা ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চান তারা এর সুফল উদাহরন দিয়ে ব্যাখ্যা করেন, আমার কোন আপত্তি নাই। যারা চায় না তাদের বিরোধিতাও করেন ভাল কথা। দুই পক্ষেরই কথা শুনতে হবে। কিন্তু কেউ ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ চাইছে বলে যুদ্ধপরাধীদের বিচারের ছদ্মবেশে নাস্তিকদের ইসলাম বিদ্বেষী ষড়যন্ত্র আবিষ্কারের মত মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়ে জামাতিদের হাতে না চাইতেই জল তুলে দেওয়াতেই আমার আপত্তি।
আন্দোলনকারী ব্লগারদের অধিকাংশই এইদিক সেভাবে চিন্তা করতে পারেন না বলে ফাঁদে পড়ে গেছেন। আনোয়ার হোসেন মঞ্জু একবার মজা করে এক সত্য কথা বলেছিলেন যে আমি মসজিদে গেলে পাক্কা মুসল্লি কিন্তু তোফায়েল আহমেদ যতই সুন্নতী লেবাস লাগিয়ে মসজিদ জ্যাক কোন লাভ নাই।
@আদিল মাহমুদ,
এটাও একদিন হবে, হয়তো আমরা দেখে যেতে পারবোনা। আর তা হবে আওয়ামী লীগের ইসলাম প্রেম (সেটা অন্তর থেকেই হউক আর রাজনীতির স্বার্থেই হউক) আর তাদের অদূরদর্শিতার কারণে। যে কোন ধর্ম সে ইসলাম হউক বা অন্য কেউ, যখন রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছে, অন্য কথায় যে দেশের রাজনীতিবিদদের মাথায় ধর্মের ভুত চড়েছে, ধর্ম রাষ্ট্রের উপর ছড়ি ঘুরাবার সুযোগ পেয়েছে, সেখানে সমস্যা থাকবেই। ধর্মের মূল মন্ত্রনাটাই সাম্প্রদায়ীকতা। একজন মুফতি যিনি ফতোয়া দেন, যিনি শরিয়ার আইন জানেন তিনি ফতোয়া দিয়েছেন- হাসিনা কাফের, মুরতাদ, মালাউনের বাচ্চা, আওয়ামী লীগ যারা সমর্থন করে তারা ফেরাউন, নমরুদ তাদের নামাজ রোজা কোরবানী হজ্জ কিছুই কবুল হবেনা, তারা জাহান্নামী, শেখ মুজিব প্রথম যুদ্ধাপরাধী, আগরতলা থেকে মুজিবকে বাঁচিয়ে এনে মুসলমানরা ভুল করেছিল। সেই ভুল না করলে আজ হজরত সাঈদী হতেন আমাদের প্রেসিডেন্ট, মৌলানা গোলাম আজম হতেন প্রধানমন্ত্রী। সবাই খুশী, হাত তুলে সমর্থন জানান নারায়ে তাকবির ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে ওয়াজ মাহফিল। বেশ কয়েকটি ওয়াজ মাহফিলের বয়ান রেকর্ড করেছি। মুফতি সাহেব গালী দেয়ার সময় শুধু তার লুঙ্গীটা খোলার বাকী রেখেছেন, মুখ দিয়ে অশ্লীল ভাষার কোন শব্দ বাকী রাখেন নাই। এক পর্যায়ে সিলেটি ভাষায় যা বলেছেন তার ইংরেজি হবে- You all Awami leager, come to Altab ali park, we will put you inside the vagina of Hasina inshallah. উল্লেখ্য উনি মূলত জামাতি নন, উনার আন্ডারে পাঁচটি কওমি মাদ্রাসা চলে। খেলাফতে মজলিস, হেফাজতে ইসলাম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, উলামা মাশায়েখ দল, ইসলামী ঐক্যজোটের সমর্থক। দুটো ওয়াজ নিচে দিলাম-
হজরত মৌলানা মুফতি সদরুদ্দীন
ওয়াজ ১
ওয়াজ ২
@আকাশ মালিক,
গত কয়দিন ধরে শাহবাগের সামনের পেছনের কর্মী যাকে যেখানে পেয়েছি একটা কথাই বোজানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি যে, জামাত আর অন্য ইস্লামী দলগুলোর পার্থক্য মূলত নেই বললেই চলে। সেইটা ভালোমতো বুঝা যায় যখন এক গ্রুপ মার খায় তখন আরেক গ্রুপ কিভাবে তার সাহায্যে এগিয়ে আসে তা দেখলে। এই আন্দোলনের দিকেই দেখেন, জামাত যখন একরকম কোনঠাসা হয়ে পড়লো, তখন ঠিকই জামাতের পিঠ বাঁচাতে বাকী সব পীর-ফকির-মুফতি মাঠে নেমে গেল। শুধু মুক্তমনাদের জন্যই না, যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে এদের কোলে বসিয়ে দুধ কলা খাওয়ায়, তাদের জন্যও এরা কালসাপ ভিন্ন কিছু নয়।
অসাধারন!
লেখককে অনেক অনেক ধন্যবাদ সময়োপযোগী লিখাটির জন্য। হাজারও বছর ধরে ভীতি ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে ধর্মের সমালোচনাকারীদের কঠোর হস্তে দমন করা হয়েছে। “আল্লাহ-ইশ্বর-ভগবান, পবিত্র (Divine)’ ইত্যাদি সংবেদনশীল শব্দমালা ব্যবহার করে ভীতি/ প্রলোভনের মাধ্যমে সাধারন মানুষদের বোকা বানানো হয়েছে শত সহস্র বছর। ধর্মগ্রন্থের যাবতীয় অমানবিক শিক্ষাকে বৈধতা দেয়া হয়েছে ‘ইশ্বরের বানী’ বলে। আজকের এই Internet প্রযুক্তির ফলে ধর্মের সেই একনায়কত্ব-বাদের পতন ঘটেছে। তাই ধর্মান্ধরা আজ দিশেহারা! বহু মানুষ আজ ধর্মের যাবতীয় অমানবিক শিক্ষাকে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে কঠোরভাবে সমালোচনা করছেন, প্রশ্ন-বিদ্ধ করছেন । অন্যন্য ধর্মাম্বলীরা যেখানে এই পরিবর্তনকে বাধ্য হয়ে হলেও মেনে নিয়েছেন, সেখানে ধর্মান্ধ ইসলামীষ্টরা মধ্যযুগীয় বর্বরতা চালিয়ে যাচ্ছে পুরাদমে। তাই, সংগত কারনেই ইসলামের সমালোচনাকারীদের সংখ্যা দ্রুত গতিতে বেড়েই চলেছে। সাধারন মানুষ ইসলামের বিভৎসতাকে আরও বেশী বেশী জানার সুযোগ পাচ্ছেন ধর্মান্ধ ইসলামীষ্টদের কল্যাণে। রাজিব হত্যা সহ যাবতীয় সন্ত্রাসী কর্ম কান্ড ও মিথ্যাচারের মাধ্যমে তারা বিশ্ববাসীকে তাদের প্রকৃত পরিচয়ই স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর করছে। ব্লগে বসে হাজারও পৃষ্ঠা নাস্তিকের লিখাতে তা যা কখনই সম্ভবপর হতো না!
@সৈকত চৌধুরী,
(F) (F) (Y) (Y)
@গোলাপ, কেউ নিজেকে ধর্মে অবিশ্বাসী বললে তা মানা যায় কিন্তু একজন যখন নিজেকে নাস্তিক বলেন তখন অবাক হয়ে যাই। কিভাবে নিজেকে আপনারা নাস্তিক বলেন? কোন বিজ্ঞান মেনে? আর ধর্মান্ধ্ রা দিশেহারা নয়। কে দিশেহারা বা কারা দিশেহারা তা বিচার করার সময় এখনও আসে নি। আর আপনারা এমন কিছু বলেন না যে তাতে ধর্ম শেষ হয়ে যাবে। দেখাই যাক শেষ বাজি কারা মারে।
@মরুঝড়,
আপনার প্রশ্নের জবাব এই দুটি ভিডিও তে খুঁজে পাবেন।
Definitions 1 – Atheist
httpv://www.youtube.com/watch?v=42SIMslxIvA&feature=player_embedded#!
http://www.youtube.com/watch?v=42SIMslxIvA&feature=player_embedded#!
The burden of proof
httpv://www.youtube.com/watch?feature=player_embedded&v=KayBys8gaJY
http://www.youtube.com/watch?feature=player_embedded&v=KayBys8gaJY
@গোলাপ, লিঙ্ক গুলো অপেন করা গেল না ভাই, তাই দেখতে পারলাম না।
@মরুঝড়,
অ-ইউটিউব লিঙ্কে চেষ্টা করতে পারেন:
Definitions 1 – Atheist
http://nl.proxfree.com/permalink.php?url=yx%2BhnYCyg4s24iThgBXg7eD%2BgixM%2BhdmOP7qE3TZgUOKyl40xq%2Bljq7T8HxnTLZTiw9P8J%2FsYx6REKpzCstfdtzap%2BoKau1kt56Yjoybcc1%2BQLNxkosSEeSq3Uy3VWlY&bit=1
The burden of proof
http://nl.proxfree.com/permalink.php?url=yx%2BhnYCyg4s24iThgBXg7eD%2BgixM%2BhdmOP7qE3TZgUO39JE1X9PmWP1RmVZRyXHBIBLV%2B7hGjHSvw1owdWQq35g4CHbniW6jCdoEh6cMw4e%2B3F6sP3l6Sj60R6%2FMQaSr&bit=1
@গোলাপ, ভাই এবারো ফেল মারলাম , দেখতে পারলাম না। ভিডিও লিঙ্ক ছাড়া অন্য কিছু দিলে ভাল হত।
@মরুঝড়,http://www.youtube.com এর স্থলে https://www.youtube.com একটা “S” বসান ইউটিউব ওপেন হবে।
@মরুঝড়,
এখানে আমারতো মনে হয় না যে কেউ ধর্ম কে শেষ করতে চাচ্ছে। চাচ্ছে শুধুই ধর্ম সংস্কার করে ধর্মের বিষগুলো কমিয়ে এটাকে নির্বিষ করতে।
@অর্ফিউস, আচ্ছা ইসলামের সংস্কার করতে চাইলে কোনটি করবেন? একটি উদাহরণ দিলেই হবে।
@মরুঝড়, আপাতত ধর্ম ত্যাগীদের ,হত্যা বা হত্যার হুমকি, বা একঘরে না করলেই চলবে। অমুলিমদেরকেও সমালোচনার সুযোগ দিতে হবে আর তাদের কথায় তলোয়ার নিয়ে রাস্তায় বের হওয়া যাবে না ।
তারপরে পর্দা প্রথার রসিকতা বন্ধ করতে হবে।কেউ স্বেচ্ছায় হিজাব না পরতে চাইলে সেটা আলাদা, তবে হিজাব না পরলে অপবিত্র উগ্র মেয়ে,এইসব ফতোয়া বন্ধ আর মগজ ধোলাই বন্ধ করতে হবে।
এতেই যখন কোন মেয়ে জিন্স ফতুয়া টি শার্ট, বা শার্ট পরে বাইরে গেলে কুকুর খুল তাকে তার দিকে তাকিয়ে যেনো একটা প্রসটিটিঊট দেখছে এমনটা মনে করবে না।আর সেক্ষেত্রে নারীদের নিরাপত্তা আরো বেড়ে যাবে।
সোজা কথায় আমরা মুসলিম আর ইসলাম যেহেতু সহনশীলতার প্রকৃত উদারন, এইটা মুখে বলার পাশাপাশি কাজেও কিছুটা প্রমান দিতে হবে।
একটা না তিনটা উদাহরন দিলাম, কারন আপাতত এই তিনটা করলেই হবে।বেশি করতে বলছি না তাতে আবার বদ হজম হবার খুব বেশি সম্ভাবনা থাকে।
@অর্ফিউস, মরুঝড়,
পড়ুন,
কেউ স্বেচ্ছায় হিজাব পরতে চাইলে সেটা আলাদা, তবে হিজাব না পরলে অপবিত্র উগ্র মেয়ে,এইসব ফতোয়া বন্ধ আর মগজ ধোলাই বন্ধ করতে হবে।
@মরুঝড়,
কুকুরের মত জিভ বের করে গিলে ফেলা যেন এইটা বুঝিয়েছি।
@অর্ফিউস, ভাই মন্তব্য গুলো পড়ে মনে হবে মুস্লিমদের সংস্কার দরকার, তবে ভাল হয় যদি বলেন ঠিক কোথায় ইসলামের সংস্কার দরকার?
@মরুঝড়, সুরা নং ৯ মানে তওবাহ, এটা সংস্কার দরকার। আর উত্তরাধিকার আইনের সংস্কার দরকার। সুরা নিসাতে দেখেন ২ যায়গাতে অংকের ভুল আছে। আয়াত নম্বর মনে নাই তবে প্রথম ভুল্টা ১০ থেকে ২০ এই আয়াতের ভিতর। না বুঝলে আমি কাল কোরান দেখে আপনাকে বিশদ ব্যখ্যা দিয়ে দিব। এই ২ জায়গায় প্রত্যেক বারই মুল সম্পদের চেয়ে বেশি হয়ে যায়। একবার হয় ১.১২৫ ,আরেকবার ১.২৫। তবে আপাতত সুরা ৯ এর নিষ্ঠুরতার ব্যাখ্যা দিতে পারেন।
মুক্তচিন্তার জন্যে অবশ্যই ধর্মকে ব্যাঙ্গ করার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেই সাথে বাংলাদেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ-মুক্তিযোদ্ধা, মুজিব-জিয়া-ভাসানী সব নেতা, খালেদা-হাসিনা এদের সবাইকে নিয়ে ব্যাঙ্গ করার অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরব হতে হবে। নিজেরা একটা নতুন জাতীয়তাবাদী ধর্ম তৈরী করে সেই ধর্মানুভূতি রক্ষায় সরব হয়ে অন্যধর্মানুভূতি আঘাতের স্বাধীনতা চাইলে জনগনের মধ্যে মুক্তচিন্তার মূল্যবোধ ছড়ানো কষ্টকর হবে। কয়েকমাস আগেই একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো ফেসবুকে শেখ হাসিনাকে নিয়ে ব্যাঙ্গ (হুমকি নয়) করার জন্যে। এরকম বিভিন্ন রকম সংবাদ প্রায়ই আসে মিডিয়াতে কিন্তু এর বিরুদ্ধে সরব হতে কাউকে তেমন দেখা যায় না।
http://www.ndtv.com/article/world/man-arrested-for-facebook-photos-of-sheikh-hasina-242593
এসব কারনেই বাংলাদেশের মানুষেরা মনে করে ব্যাঙ্গ করার অধিকার মানে ক্ষমতাসীন আর শক্তিশালীদের অধিকার। ক্ষমতা পাল্টে গেলেই শেখ হাসিনা আর শেখ মুজিবকে নিয়ে সারা দেশে ব্যাঙ্গের বন্যা বয়ে যাবে কিন্তু তখন আর কোনো প্রতিক্রিয়া হবে না। ঠিক যেমন এখন খালেদা জিয়াকে নিয়ে ব্যাঙ্গ করা ওপেন সিজন। ক্ষমতাচ্যুত আর দূর্বলদের মান-অপমানের কথা কে পাত্তা দেয়!
মুক্তচিন্তার অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের উৎস হতে হবে মুক্তচিন্তাই। নিজেদের ক্ষমতা অথবা আবেগ নয়।
জাতীয় পতাকা পোড়ানো বা desecration করা কিন্তু আমেরিকা, কানাডা, বৃটেন এসব দেশে ফ্রীডম ওফ স্পীচের আওতাভুক্ত।
@সফিক,
বাংলাদেশের মানুষের ব্যাংগ করার অধিকার সম্পর্কে যা বললেন কড়া সত্য। রাজনৈতিক, ধর্মীয় সব বিবেচনাতেই সেটা খাটে। দূর্বলদের রাজনীতি, ব্যাক্তিত্ব, ধর্মবিশ্বাস, জাতি ধরে যা খুশী বলা মুক্তকন্ঠ বা ধর্মীয় অধিকারের মধ্যে পড়ে, কিন্তু সামান্যতম পালটা হলে সেটা হয়ে যায় ভয়াবহ অবমাননা, হুমকি……
জাতীয় পতাকা পোড়ানো কিন্তু কিছু পশ্চীমা দেশেও আইনত নিষিদ্ধ ও দন্ডনীয়; যেমন মুক্ত ইউরোপের অগ্রদূত ফ্রান্স, জার্মানী। তার চেয়েও বড় কথা যেসব দেশে পতাকা পোড়ানোর অধিকার আইন সম্মত সেসব দেশে দুদিন পর পরই ধর্ম গেল রব তুলে রক্তলোলুপ উন্মাদেরা রাস্তা গরম করে না আর ততোধিক বড় শিক্ষিত সাইকোরা তাদের নৈতিক সমর্থন জোগায় না। মানে অপমান করার আইন শুধু একদিকেই খোলা নয়।
যে যে দেশে তাকে সেই দেশের প্রচলিত আইনই মানতে হয়। বাংলাদেশের আইনে এখনো পতাকা পোড়ানোর অধিকার, শহীদ মিনার ভাংচুর করার অধিকার দেওয়া হয়নি। জাতীয় পতাকা আইন আমাদের দেশে অনেক রিজিড, এমনকি আমাদের সাধারন নাগরিকের সব দিন এই পতাকা প্রদর্শন করারও অধিকার নেই। জাতীয় পতাকা অবমাননার বিরুদ্ধে সুষ্পষ্ট আইন আছে। আপনি পতাকা পোড়ানো তো দুরের কথা, এমনকি বে-দিনে নিজের বাড়িতে ওড়ালেও শাস্তি পেতে পারেন, এমনকি পতাকার ডিমেনশন কিংবা রং ভুল করলেও এই আইনে পড়ে যেতে পারেন।
4A. Whoever Contravenes any provision of this Order or of any rules
made thereunder shall be punishable with imprisonment for a term
which may extend to one year or with fine which may extend to
Taka five thousand, or with both.]
আমাদের দেশে সাম্প্রতিক সময়ে যারা এসব কার্যক্রম করেছে তারা দেশের সরকারের ওপর বিরক্ত হয়ে করেছে এমন তো নয়, এরা দেশের জন্ম থেকেই মানসিকভাবে বাংলাদেশের অস্তিত্বই মেনে নিতে পারেনি সেটা নিশ্চয়ই আমরা জানি। বাংলা ভাষাও এদের কাছে ঘৃনিত, বাংলাদেশের স্বাধীনতাও এদের কাছে অপরাধ। এদের কার্যক্রমের সাথে সাধারন পতাকা পুড়িয়ে বিক্ষোভ প্রকাশ মেলানো যায় না।
@আদিল মাহমুদ,
মুজিবের কয়েকটা মাথা খারাপ মানুষ মিলে বোধ হয় আইন বানাইছিলো তাই এই অবস্তা। দেখেন আরো কয়েকটা পাগল দেশের নমুনা-
France,
According to French law,[22] outraging the French national anthem or the French flag during an event organized or regulated by public authorities is liable for a fine of €7,500 (and six months’ imprisonment if performed in a gathering).
Germany,
Under German criminal code (§90a Strafgesetzbuch (StGB)) it is illegal to revile or damage the German federal flag as well as any flags of its states in public. Offenders can be fined or sentenced for a maximum of three years in prison. Offenders can be fined or sentenced for a maximum of five years in prison if the act was intentionally used to support the eradication of the Federal Republic of Germany or to violate constitutional rights
Hong Kong,
The national laws about flag desecration were incorporated into local laws as the National Flag and National Emblem Ordinance and the Regional Flag and Regional Emblem Ordinance in 1997 as required by Annex III of the region’s Basic Law. The ordinances ban desecration of the regional and national flag.
Israel,
In 2007 six teenagers in the South Tel Aviv suburb of Bat Yam were arrested for burning an Israeli flag. This incident was considered serious by the police and others since the youths were suspected in other acts of vandalism and claimed to be Satanists.[50]
Mexico,
The use of the National Symbols (Coat of Arms, Anthem and National Flag) in Mexico is protected by law [53] In México the desecration of the flag is not only illegal but disapproved by most people. In 2008 a federal judge convicted an individual for ‘desecrating the flag'[54
New Zealand,
In New Zealand, under the Flags, Emblems and Names Protection Act 1981 it is illegal to destroy the New Zealand flag with the intent of dishonoring it.
Portugal,
Currently, according to article 332 of the Penal Code,[59] “Who publicly, by means of words, gestures or print publication, or by other means of public communication, insults the Republic, the Flag or the National Anthem, the coats of arms or the symbols of Portuguese sovereignty, or fails to show the respect they are entitled to, shall be punished with up to two years imprisonment or a fine of up to 240 days”.
Saudi Arabia,
The flag of Saudi Arabia bears the shahada or Islamic declaration of faith. Because the shahada is considered holy, Saudi Arabia’s flag code is extremely strict and even the slightest violation amounts to desecration not only of the flag but also of Islam itself.
প্রত্যাক দিন ক্লাস শুরু হওয়ার আগে ঘন্টা বাজলো, ফ্লাগ তুলো জাতীয় সঙ্গীত গাও, এ কেমন ভদ্রতা? ইউরোপের কোন দেশে এমন নিয়ম নাই। অশিক্ষিত বাঙ্গালী কবে যে আধুনিকতা শিখবে? পতাকা পায়ের নিচে পিশে মাদ্রাসার হুজুরদের কাছ থেকে ফ্রিডম অব স্পিচের সবক নিন, অচল ঘুনে ধরা সেকেলে আইন বদলান।
@আকাশ মালিক,
বহুদিন পর ব্লগে প্রান খুলে হাঁসতে পারলাম।
😀
@আদিল মাহমুদ,
আমি ইসলামি দলগুলোর নাম দেখে অবাক হয়ে গেছি। হেফাজতে ইসলামের সাথে এক সময় ভাল পরিচয় ছিল। সিলেটে ‘বরুণার শেখ সাহেব’ এক নামে সবাই চেনে, তিনি এর প্রতিষ্ঠাতা। সুফী দরবেশ আউলিয়া বলতে আমরা যা বুঝি তিনি সেই একজন। খুব কাছে ছিলাম বহুদিন। তার ছোট ছেলে আর আমি এক জামাতে (ক্লাসে) পড়তাম। মারা গেছেন অনেক বছর আগে। এই দল রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলনা কোনদিন। আজ তাদের তান্ডব দেখে বরুণার শেখ সাহেবের মুরীদ ভক্ত অনেকেই ফোন করে জানতে চেয়েছেন এই দল কি সেই দল।
আমার দেশ পত্রিকার আজকের খবর অনুযায়ী- বেশ কয়েকটি ইসলামি দল মিলে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনে স্বঘোষিত নাস্তিক বলে যেসব ব্লগারের নাম বা ছদ্মনাম উল্লেখ করেছে তারা হচ্ছেন—আসিফ মহিউদ্দীন, আরিফুর রহমান ওরফে নিতাই ভট্টাচার্য, সুব্রত শুভ, আশীষ চ্যাটার্জী, অরুণ মজুমদার, তন্ময় তালুকদার, অরুণাভ মিত্র, অভিজিত্ রায়, সুমিত চৌধুরী, বিপ্লব কান্তি দে, শুভজিত্ ভৌমিক, ডাক্তার আইজুদ্দীন, চিন্তিত সৈকত, শর্মি আমিন, আল্লামা শয়তান, আমিত হাসান, ডা. ইমরান এইচ সরকার, আরিফ জেবতিক রতন, অমি রহমান পিয়াল, প্রিতম আহমেদ, আশফাক সুমন, নূর নবী দুলাল, কামাল পাশা চৌধুরী, রাকিবুল বাশার রাকিব, আলতামাস, ইব্রাহীম খলীল, পারভেজ আলম, আশরাফুল ইসলাম রাতুল, তানজিমা, আহমেদ রাজিব হায়দার শোভন ও আরজ আলী মাতব্বর।
অভিযোগ করা হয়, সামহোয়্যার ইন ব্লগ, আমার ব্লগ, মুক্তমনা ব্লগ, নাগরিক ব্লগ, প্রথম আলো ব্লগ, ধর্মকারী ব্লগ, নবযুগ ব্লগ, সচলায়তন ব্লগ, অগ্নিসেতু ব্লগ ইত্যাদি নামের ব্লগগুলো অনবরত দেশি-বিদেশি এনজিওগুলোর মদতে ইসলাম ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ ছড়িয়ে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে।
এখানে ( প্রথম মন্তব্যে )এক কারবার দেখেন-
@আকাশ মালিক,
আপনি, আবুল কাশেমের মত জেনুউইন মাল বাদ গেলেন কেমনে???
শোকর আল হামদুলিল্লাহ, আমার নাম নাই।
ঠিক করতেছি আবারো ধর্মের ছায়া সুশীতল আরশের নীচে ফিরে আসবো। আজ কালকের মধ্যেই ধমাধম ধর্মগ্রন্থে বিজ্ঞানের আরেক পার্ট লিখে ফেলব।
@আদিল মাহমুদ,
পেন অ্যান্ড টেলারের আম্রিকানপতাকা পোড়ানো ম্যাজিক –
Penn & Teller Burn the Flag
@আদিল মাহমুদ,কোনো দেশই পারফেক্ট মুক্ত সমাজ নয়। একেক দেশে একেক নিয়ম আছে। আমার কাছে সবচেয়ে মজার লেগেছে ডেনমার্কের নিয়ম। ডেনমার্কে বসে ডেনিশ পতাকা নিয়ে যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন কিন্তু অন্য দেশের পতাকা অপমান করলে খারাবি আছে। কারন ডেনিশদের মতে এটা কূটনৈতিক শিষ্টাচারের লংঘন।
আমার কথা হলো ফ্রান্স-জার্মানীতে পতাকা অবমাননার আইন আছে মানে তারা আমেরিকা-বৃটেন-কানাডার মতো অতটা মুক্ত সমাজ নয়। এটা কিন্তু ট্র্যাডিশনালিও, মুক্তচিন্তা আর ব্যাক্তি স্বাধীনতার যে লিবারেল ট্র্যাডিশন আ্যংলো-আমেরিকান (আমেরিকা-বৃটেন-কানাডা) দেশগুলোতে অনেক আগে থেকেই আছে সেই ট্র্যাডিশন ইউরোপের অন্য দেশে ততটা ছিলো না এমনকি এখনো নেই।
আপনি যদি মুক্ত চিন্তা- মুক্ত প্রকাশ এসবের পক্ষে থাকেন তবে কোনভাবেই পতাকা পোড়ানো-অবমাননা নিষিদ্ধের পক্ষে হতে পারেন না। এই জিনিষটি বিশেষ করে ধর্মীয় লোকদের কাছে চরম হিপোক্র্যাসী হিসেবেই ধরা পড়বে। আপনি শতকোটি লোকের প্রচন্ড বিশ্বাসের ধর্মানুভূতি ব্যাংগ করে আঘাত করতে পারবেন কিন্তু কয়েকশ বছরের মধ্যে গড়া কয়েক কোটি লোকের সাময়িক একটা রাজনৈতিক অস্তিত্ব দেশ/রাষ্ট্রের কিছু মানুষের ঠিক করা জিনিশকে পবিত্র বলে সেগুলো অবমাননা করতে দেবেন না, এটা তো ঠিক শোনায় না। ইউরোপের কিছু দেশে আইন আছে যে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময়কার গনহত্যা-হলোকস্ট নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি-মিথ্যা প্রচার করেলে শাস্তি পেতে হবে। এই আইনটি বিশেষ করে রয়েছে জার্মানী ও অস্ট্রিয়ায়, তাদের অতীত ইতিহাসের কলংকের জন্যেই। ইউরোপের অনেক মুসলিমই এই আপত্তি তোলে যে হলোকস্টকে নিয়ে প্রশ্ন করা-অবমাননা করা যদি নিষিদ্ধ হয় তবে ইসলাম এর সংবেদনশীল জিনিষগুলি কেনো নিষিদ্ধ করা যাবে না? এই প্রশ্নের কোনো স্পষ্ট সদুত্তর না দিতে পারায় ইউরোপে প্রশ্ন উঠেছে যে মুক্তচিন্তার উপরে কোনো নিষেধাজ্ঞার বেড়াজাল মুক্তসমাজে আসলেই কি দেয়া উচিৎ কি না এই নিয়ে। অস্ট্রিয়া-জার্মানীতে এখন প্রশ্ন উঠেছে যে হলোকস্ট বিরোধিতার আইন রাখার আদৌ কোনো দরকার আছে কি না এটা নিয়ে।
আমি অন্যদেশের কথা তুলনামূলক অবমাননাতত্ব এই আলোচনার জন্যে আনতে চাই নি। আমার সোজা কথা হলো আপনি যদি মুক্তচিন্তার পক্ষে হন, তবে পতাকার অবমাননা নিয়ে লাফালাফি করবেন না। শহীদ মিনার অন্য কথা, এটা সরকারী, পাব্লিক প্রপার্টি। এটা ভাংচুর করা অবশ্যই যেকোনো আইনে দন্ডনীয় হতে হবে।
এক লেখায় আপনি মুসলমানদের ‘প্রানপ্রিয়’ মুহাম্মদকে ব্যাংগ করার অধিকার নিয়ে কথা বলবেন আবার পরক্ষনেই আরেক লেখায় জাতীয় পতাকা পোড়ানো নিয়ে ‘আকাশ ভেংগে পড়ো, ধরনী দ্বিধা হও’ বলে মাতম করবেন, এ জিনিষটি মুক্তচিন্তার ফোরামে হতে পারে না।
@সফিক,
– ব্যাপারটা কনফিউজিং। আমি ইউরোপে কোনদিন যাইনি, তবে সকলের মুখেই (বাংগালী, আমেরিকান,ইউরোপিয়ান) শুনি যে ইউরোপ আমেরিকা থেকে মুক্তকন্ঠের ব্যাপারে বেশী লিবারেল। আমেরিকান সোসাইটি অনেক বেশী কনজার্ভেটিভ এমনটাই শুনি, উল্টোটা আজ পর্যন্ত শুনিনি। ধর্ম নিয়ে উন্নাসিকতাও ইউরোপে আমেরিকার থেকে কম বলেই শুনি।
নীতিগতভাবে আমি একমত যে ধর্মকে আঘাত করার আইন সংগত ক্ষমতা থাকলে অবশ্যই জাতীয় পতাকা, জাতির পিতা যেইই হোক তাদেরও আঘাত করার অধিকার থাকা উচিত, না থাকাটা হিপোক্রেসির মতই শোনায়। কথা হল বাংলাদেশে কিন্তু শুধু পতাকা অবমাননা আইনই নেই, ধর্ম অবমাননা আইনও আছে। গেইমটা এখনো ফেয়ার। ধর্মোন্মদরা রাস্তাঘাট গরম করে কিছু প্রান অযথা না ঝরিয়ে শান্তিপূর্নভাবে আদালতের দ্বারস্থ হলে বলার তেমন কিছু ছিল না। তসলিমা নাসরিনের সময় পত্রিকায় পড়েছিলাম যে এমনকি ব্রিটেনেও ধর্মানুভূতিতে আঘাতের বিরুদ্ধে আইন আছে।
ভারতেও হেট স্পীচের বিরুদ্ধে কড়া আইন আছে, যেমন আছে পতাকা অবমাননা আইন। সে দেশে সাম্প্রতিক সময়ের দুটি সেলেব্রিটি ফিগারের বিরুদ্ধে ধর্মানুভূতিতে আঘাতের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে, কোন রকমের পাবলিক আউটক্রাই হয়নি বা অকারনে ভাংচুর প্রানহানী এসব হয়নি।
সুপার ষ্টার শাহরুখের বিরুদ্ধে মামলা http://www.hindustantimes.com/Entertainment/Bollywood/FIR-lodged-against-Shah-Rukh-Khan-for-hurting-religious-sentiments/Article1-957128.aspx
একজন সেলিব্রিটি উকিল রাম জেঠমালানির বিরুদ্ধে মামলা, যতদুর মনে পড়ে ইনি ইন্দিরা হত্যা মামলায় আসামী পক্ষের উকিল ছিলেন।
http://www.indianexpress.com/news/petition-against-ram-jethmalani-for-hurting-religious-sentiments/1032416
কথা হল সব সমাজ কি সব ধরনের স্বাধীনতা উপভোগের জন্য একই সাথে প্রস্তুত? আমার মনে হয় না। স্বাধীনতনা যেমন সকলে একই সাথে পাবার যোগ্যতা রাখে না তেমনি মুক্তকন্ঠও সব দেশ সব সমাজ একই লেভেলে উপভোগ করার যোগ্যতা রাখে না। আমাদের সমাজ আমেরিকান ষ্টাইলে মুক্তকন্ঠ উপভোগের যোগ্য এখনো হয়েছে মনে হয় না।
আমি নিজে ধর্মগ্রন্থ বা পতাকা কোনটাই পোড়ানোর বিরুদ্ধে না হলেও সমর্থকও নই। প্রতিবাদের ভাষার চাইতে এসব কাজ ভিন্ন মতালম্বীদের মানসিকভাবে আঘাত করার জন্যই করা হয় মনে হয়। কোরান পোড়ানো, নবী নিয়ে বিকৃত রূচির সিনেমা বানানো, কোন যুক্তি তথ্যর ব্যাবহার ছাড়া ধর্মীয় চরিত্রকে অশ্লীল ভাষায় আক্রমন এসব কোনদিন আমি নিজে সমর্থন করি না, যুক্তিবাদী আন্দোলনের নামে এসবে সমর্থন আমার নেই। এসবের প্রচারনায় কারো কোন জ্ঞানবৃদ্ধি ঘটে না, ভিন্ন মতাবলম্বীদের মাঝে বিভেদই কেবল বাড়ে।
– খুবই যুক্তিপূর্ন আর্গুমেন্ট। রাস্তাঘাটে মাতম সন্ত্রাস সৃষ্টি না করে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে এসব প্রশ্ন উপস্থাপন করলে অবশ্যই মূলধারার লোকের মাঝে আবেদন সৃষ্টি হবে। প্রতিটা সমাজ এক এক মূল্যবোধকে গুরুত্ব দেয়, ইউরোপিয়ানদের কাছে সেটা ধর্ম নয়, হলোকাষ্ট; আবার মুসলমানদের কাছে ধর্ম।
বাংলাদেশের অবস্থাটা আরো ব্যাতিক্রম। আমেরিকা ব্রিটেনে দেশের নাগরিকদের মধ্যেই এক উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোক নেই যারা দেশের স্বাধীনতা মানে না এবং নিজেদের আমেরিকান না ভেবে অস্তিত্ব বিহীন কল্পিত কোন রাষ্ট্রের নাগরিক মনে করে। বাংলাদেশে পতাকা অবমাননা, শহীদ মিনার ভাংচুর এসব করে চিহ্নিত স্বাধীনতা বিরোধী চক্র এবং করেই দেশের স্বাধীনতার চেতনাকে ব্যাংগ করার উদ্দেশ্যে, সরকারী কোন নীতি বা আইনের প্রতিবাদে নয়। আমেরিকায় লোকে পতাকা পোড়াবে, পতাকা দিয়ে জাংগিয়া বানাবে ঠিকই, তবে ষ্ট্যাচু অফ লিবার্টির গায়ে পেশাব করতে যাবে না। আমেরিকা/ব্রিটেনে এখনো রাজাকার বা লয়ালিষ্টরা থাকলে এবং জামাত শিবির জাতীয় লোকের মত রাজাকারি মানসিকতা প্রদর্শন করতে থাকলে সেসব দেশও উদার নীতি পরিহার করতে বাঁধ্য হত বলেই আমার বিশ্বাস।
এসব অনুভূতিতে আঘাত লাগার সবচেয়ে দূর্বল দিক হল ঠিক কোন যায়গায় আপনি ফ্রীডম অফ স্পিচ এবং অনুভূতিতে আঘাত লাগার তফাতটা করবেন? এটা সব সময় সরল নয়। আস্তিকরা দাবী করে যে নাস্তিকতা একটি ধর্ম, তাই হয়ে থাকলে নাস্তিকানুভূতি কেন থাকতে পারে না যা আস্তিকতার প্রচার দ্বারা আহত হয়?
অন্য লাইনে ধরেন জ্বীন ভূতে ধরা ধর্ম সম্মত রোগ যার চিকিতসার বিধান ধর্মীয় ভাবে হতে পারে বিজ্ঞান সম্মত ভাবে যা আবার ক্ষতিকর। এখন কি জ্বীন চিকিতসার বিপদ নিয়ে আমি আর্টিকেল লিখলে ধর্মানুভূতিতে আঘাত করার দায়ে অভিযুক্ত হব? আমি তো কার্যত জ্বীন চিকিতসার বিরোধিতা করে কোটি কোটি মানুষের প্রিয় ধর্মের বিধানকে বাতিল করে দিচ্ছি। আজ দেশে আমিনী হুজুর বা ব্লগীয় কোন হুজুর সৌদী আরবের মত রক্ত আইন চালু করার দাবী জানালো, আমরা তার প্রতিবাদ করলাম। আমরা কি ধর্ম অবমাননার দায়ে পড়ে যাব না? এর সমাধান কি?
@আদিল মাহমুদ,
In 2006, to allow greater police control over extremist Muslim protesters, 17 MPs signed a House of Commons motion calling for burning of the Union Flag to be made a criminal offence.[70]
অবশ্যই পড়বেন। ধর্ম অবমাননা, ধর্মানুভুতিতে (শুধু মুসলমানদের) আঘাত করা মুক্তমনের পরিচায়ক নয়। শুধু মুসলমানদের বললাম এই জন্যে যে, রবীন্দ্রনাথের দাড়ি, বুদ্ধের চোখবন্ধ ধ্যানমগ্নতা, মা কালির জিহবা-কালো রং, হিন্দুদের সকল দেব-দেবীকে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ, দূর্গা দেবীর মুখে শিয়ালের পেশাব, গাভীর যোনীতে মালাউনদের চুমু খাওয়ার কাহিনি বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে আমি নিজে শুনেছি। কোন ভদ্র শিক্ষিত মুক্তমনা লোককে এর বিরোদ্ধে টু শব্দটি করতে এ জীবনে শুনিনি। কারণ ওয়াজ মাহফিলে হাজার পাবলিকের সামনে এই সমস্ত বয়ান ফ্রিডম অফ স্পিচের আওতায় পড়ে। এ ভাবেই বাংলাদেশ এখন একটি ৯৫% মুসলমানের দেশ। বাকি ৫%ও অদূর ভবিষ্যতে শেষ হবে ইনশাল্লাহ।
স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, শহিদ মিনার, মূর্তি, ভাষ্কর্য-স্মৃতিসৌধ এ সব দেখলে আমার ধর্মানুভুতি আহত হয়। গরু হিন্দুদের দেবতা হতে পারে আমাদের নয়, গরু হত্যা উৎসব আমরা করবোই। এতে হিন্দুদের ধর্মানুভুতিতে আঘাত লাগলে আমাদের কিছু করার নেই, কারণ এটা আমাদের ধর্মীয় স্বাধীনতার আওতায় পড়ে।
ভাইরে, মুক্তমনা হওয়া সাধারণ কথা নয়। ধর্মীয় স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা, গনতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতার উপর বড় বড় সমাজবিজ্ঞানীদের বড় বড় কিতাব পড়ুন, তারপর নিজেকে মুক্তমনা দাবী করতে আসুন।
@আকাশ মালিক,
পাগল নাকি? এই বেটাইমে নিজেরে মুক্তমনা দাবী করতে যায় কে। আমার গলার মায়া আছে। জনদাবীর প্রতি সম্মান জানিয়ে দেশে জানি কত ফাঁসী কাষ্ঠ সহসা নির্মান করতে হয়।
@আকাশ মালিক, সৌভাগ্য বশত আপনার মুক্তমনা হওয়ার জন্যে এই কষ্ট টুকু করতে হবে না। একশ বছর বড়ো বড়ো কেতাব পড়লেও আপনার মধ্যে মুক্তচিন্তার ভাইরাসের সংক্রমন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
আরো সম্ভাবনা নেই আপনার মধ্যে কোনদিন মুক্তচিন্তা ধারন ও ডিফেন্ড করার সাহস আসার। মুক্তচিন্তার এই ফোরামে, চারিদিকে বন্ধু পরিবেষ্টিত থেকেও আপনার দৌড় হলো অন্যের মন্তব্যের আড়ালে থেকে লুকোচুড়ি খেলা। সামনে গিয়ে ধরলেই তো গাইগুই করে চম্পট দেবেন।
@সফিক,
কোরানের একটা আয়াতও এ রকম আছে। তা আপনি একাধারে একজন পীর ও সমাজবিজ্ঞানী, নিখুঁত
ভবিষ্যৎবাণী করতেই পারেন।
আমি মানুষটাই এরকম। সুতরাং আতারে ফাতারে ইটা-ইটি খইরা লাভ নাই, খালি সময় নষ্ট, সোজা বুলস আই। জানি কোথায় লেগেছে। তাই বলি, কোন লাভ হবেনা, আমাকে থামাতে পারবেন না। যখনই মনে করবো কেউ স্বাধীনতা বিরোধীদেরকে, রাজনৈতিক ইসলামকে কিংবা ইসলামী মৌলবাদকে কলে কৌশলে কথার মার-প্যাচে বাঁচিয়ে রাখার বা প্রশ্রয় দেয়ার চেষ্টা করছেন আমি প্রতিবাদ করবোই, যে ভাষায় যে ভাবে পারি। এতে মুক্তমনা না হয়ে ক্ষুদে চরমপন্থী জাতীয়তাবাদী হিটলার হতে রাজী আছি।
পুনশ্চঃ আতারে ফাতারে ইটা-ইটি খইরা > এদিক সেদিক ঢিল ছোঁড়াছুড়ি করে-
@আকাশ মালিক,
আপনার অনেক কথার দ্বিমত করলেও এই কথার সাথে আমি শতভাগ সহমত। (Y)
@আকাশ মালিক, কেন জানি আপনি জেনেও না জানার ভান করেন। যারা ওয়ায মাহফিল করেন তারা অন্য ধর্মের মানুষের অনুভুতি নিয়ে কতখানি সতর্ক আর কতটুকু ই বা জানেন? আর গরু জায়েজ বলেই খাই, গরু এ জন্য কোরবানী করি না যে হিন্দুদের ডেকে বলি- আয়রে দেখে যা তোদের ভগবান আমরা কাটছি। আমি শুকর খাইনা তাই বলে কি কোন ক্রিস্টানকে ডেকে বলব -বাদ দাও ওসব। আমি জানি আমার ধর্মে নিষেধ হলেও তাদের জন্য এটা স্বাভাবিক। তেমনি এখন হিন্দু কে বুঝতে হবে যে গরু আমার কাছে নেহাত একটি স্বাভাবিক প্রাণি। আপনি খামাখা জল গরম করছেন।
@মরুঝড়,
বাহ বাহ বাহ। আহলাদের সীমা নাই। এরা যখন রাজপথে মিছিল দেয় বাংলাকে আফগান বানিয়ে ছাড়বে, ওয়ায মাহফিলে হাজার হাজার নারী পুরুষের সামনে, স্কুল মাদ্রাসা পড়ুয়া অবুঝ কিশোরদের সামনে দেবী স্বরসতীর মুখে প্রশ্রাব করে, রবীন্দ্রনাথের দাড়ি ধরে টান দেয়, বৈজ্ঞানিকদের নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করে, হিন্দুর বাড়ি পুড়ায়, বৌদ্ধের মূর্তি ভাঙ্গে, নুরজাহানকে পাথর মারে আপনারা তখন কোথায় থাকেন? শুনেন বিভিন্ন প্রজাতির ইসলাম, তাবলিগী থেকে জামাতী, কওমী থেকে আলীয়া হয়ে তথাকথিত মডারেট মুসলিমদের সাথে ভালই পরিচয় আছে, বেলা শেষে সব শেয়ালের এক রাও, মুদ্রার এপিট আর ওপিট। ওয়াজ মাহফিলের এই না জাননেওয়ালা, অসতর্ক আলেম ছাড়া আর কে কোন দল আছেন যারা সতর্ক ও জানেন? কেউ তো ঘরে বসে রইলোনা সবাই বেরিয়ে এসেছে রাস্তায়। নাস্তিকশুন্য বাংলাদেশ চাই। এরাই একাত্তরের রাজাকার, বাংলাদেশের পতাকা অস্বীকার করে, বুকে অন্তরে চাঁদ তারা পতাকা ধারণ করে, আমাদের সংবিধান অমান্য করে। আমাদেরই আশ্রয় প্রশ্রয়ে তারা আজ এই অবস্থানে এসে পৌছেছে। আমরা দিনে রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ চাই, রাতে এদের পেছনে নামাজ পড়ি, নিজের কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে সন্ত্রাসের ফুয়েল (রসদ) যোগাই। পাড়ায় পাড়ায় গ্রামে গ্রামে ঘরে ঘরে, লক্ষ-কোটি টাকা ব্যয় করে, আমার সন্তানের মগজ ধোলাই করে, আমার বুকে আমার দেশের মগজে গুলি চালাবার জন্যে তালেবান কেন্দ্র তৈরী করি যেখানে মন্ত্রনা দেয়া হয় জিহাদের, পড়ানো হয় নোংরা হাদিস আর কুৎসিত শরিয়া আইন। আপনারা কোনদিন এদের বিরোদ্ধে একটা বাক্য লিখেছেন? আপনারা জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছেন আমাদের চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধারে যারা এর বিরোদ্ধে লিখেন। তো যা হবার তাই হচ্ছে, একদিন সব কিছু চলে যাবে নষ্টের হাতে।
@আকাশ মালিক, ভাই আপনি যাদের সমালোচনা করছেন তাদের ততটূকু আমিও করি যতটুকু অংশ ইসলামের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। আপনার ‘নোংরা হাদিস’ আর ‘কুতসিত শরিয়া ‘ ছাড়া বাকি অংশটুকুর সাথে দ্বিমত নেই। আশা করি এবার অন্তত বুঝেছেন। তবে নাস্তিক ভাইদের ও বুঝতে হবে- কিভাবে সুন্দর ভাবেই ধর্মের খোলামেলা আলোচনা করা যায় অহেতুক গালাগাল বা ব্যংগ না করেই।
@মরুঝড়,
আপানার এই কথাটা আমার বড্ড ভাল লাগলো। আমি গরুর মাংসের পোকা।ওইটা রান্না হইলে আর কিছু মুখে দেয়ার রুচি হয় না। ২য় প্রিয় ইলিশ মাছ আর চিংড়ী। :))
@আদিল মাহমুদ,
“আমেরিকা ব্রিটেনে দেশের নাগরিকদের মধ্যেই এক উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোক নেই যারা দেশের স্বাধীনতা মানে না এবং নিজেদের আমেরিকান না ভেবে অস্তিত্ব বিহীন কল্পিত কোন রাষ্ট্রের নাগরিক মনে করে।” আপনার এই ধারনাটি ঠিক নয়।
১ আমেরিকার ভেতরে অসংখ্য, কোটি কোটি লোক আছে যারা মনে করে ১৮৬১-৬৫ সালের গৃহযুদ্ধে সাউথ বিজয়ী হয়ে আলাদা হয়ে যাওয়াটাই ন্যায় সংগত ছিলো। দক্ষিনের অনেক লোক যে এখনো সাউথের পতাকা গর্বভরে উড়িয়ে বেড়ায় এটা সবাই জানে। এখনো আমেরিকার ভেতরে বিভিন্ন স্টেটে অনেক সেপারেটিস্ট আন্দোলন আছে যারা মনে করে তাদের স্টেট ইউনিয়ন থেকে বেড়িয়ে যাওয়া উচিৎ। ওবামা ক্ষমতায় আসার পরে এই প্রবনতা অনেক বেড়েছে। টেক্সাসে তো এই চিন্তা ও আন্দোলন খুবই জনপ্রিয়। এমনকি টেক্সাসের গভর্নর পর্যন্ত মাঝে মাঝে হুমকি দেন টেক্সাস আলাদা হয়ে যাবে তার প্রদেশের এই লোকগুলিকে খুশী করার জন্যে। আলাস্কায় রিপাবলিকান আর ডেমোক্র্যাট পার্টির পর সবচেয়ে বড়ো পার্টি হলো আলাস্কান ইন্ডিপেনডেন্স পার্টি, যারা আলাস্কাকে আমেরিকা থেকে আলাদা দেখতে চায়। সারা পেলিনের স্বামী এক সময়ে এই পার্টির সদস্য ছিলো বলে ২০০৮ এর ইলেকশনের আগে কিছু কন্ট্রোভার্সি হয়েছিলো।
২- কানাডার অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক পার্টি কুইবেকোয়া ( Parti Québécois) নাম নিশ্চই শুনেছেন, যাদের মূল প্ল্যাটফর্মই হলো ফ্রেন্চভাষী কুইবেক প্রদেশকে আলাদা দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।
৩- বৃটেনে বেশ কিছু বড়ো বড়ো রাজনৈতিক দল আছে যারা বৃটেনের বিভিন্ন অংশকে আলাদা স্বাধীন দেখতে চায়। এর মধ্যে স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি, ওয়েলশ ন্যাশনাল পার্টি বেশ বড়ো। বিশেষ করে স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি তো স্কটল্যান্ডের বৃহত্তম পার্টি এবং বর্তমানে স্কটল্যান্ডের ক্ষমতায়। এবং স্কটল্যান্ড খুব দ্রুতই এগুচ্ছে গ্রেট বৃটেন থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীন স্কটল্যান্ডের পথে।
@আদিল মাহমুদ,
(Y) (Y) (Y)
@আদিল মাহমুদ,
মতের উত্তর মত। মতের উত্তর সহিংসতা হতে পারে কি?
যে মতই হোক না কেনো, তার উত্তর যে সহিংসভাবে দিতে চায়, তাকে কোন মানদণ্ডে মুক্তমতের পক্ষের বলবেন?
আমি মনে করি, সহিংসতা একমাত্র মানুষের শরীর ও সম্পদে আক্রমণের উত্তর তথা প্রতিরোধ প্রতিরক্ষা হিসেবে বৈধ। এর বাইরে সহিংসতাকে কোন মানদণ্ড বৈধ মনে করবেন?
শতকোটি মানুষের প্রাণের নবী মুহাম্মদের অবমাননায় কারও শরীর সম্পদে আক্রমণ হয় না। সেটা মতই কেবল। এর বিপরীতে সর্বোচ্চ নিন্দা জানাতে পারেন। আবার তার মতপ্রকাশের অধিকারকে সম্মানও জানাতে পারেন। তার এই মতের উত্তরে তার শরীর ও সম্পদে আক্রমণ করতে পারেন না। যেমন করা হয়েছিলো হুমায়ুন আজাদ, আসিফ বা থাবা বাবার উপর। যেমন করতে চেয়েছিলো তসলিমা নাসরিন কিংবা সালমান রুশদির উপর। কেনো একক ব্যক্তি তার উপর সহিংসতা আরোপ করতে পারে না। কোনো রাষ্ট্র আইন করে একে অপরাধ হিসেবে নির্ণয় করতে পারে না। সেটা মুক্তমতের সাথে সাংঘর্ষিক। (নয় কী?)
রায়হান আবীর একবার একটা কথা বলেছিলো যার মানে দাঁড়ায় এই যে – জঙ্গি মুসলমান কোমরে বোমা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে অন্যের শরীরের উপর আক্রমণে আর জঙ্গি নাস্তিক কোমরে বিয়ারের বোতল নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে মুসলমানের অনুভূতির উপর আক্রমণে। নাস্তিকের নামের সামনে জঙ্গি নামটি জুড়ে দেয়ায় আমি আহত হয়েছিলাম। দুটোর মধ্যে আমি একসময় নৈকট্য দেখার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু আমি মনে করি এই নৈকট্য দেখাটা ভুল ছিলো। রায়হান আবীর ঠিক ছিলেন। দুটোর মধ্যে মৌলিক পার্থক্য বিদ্যমান। নিচের যে কার্টুনটি, সেখানে টুপি দাঁড়িওয়ালাদের প্রতি একটি প্রচ্ছন্ন অবমাননা আছে ভাবা যেতে পারে, কিন্তু সেগুলোকে উৎরে যদি ভাবেন, তাহলে মূল বক্তব্য কিন্তু সেই অনাক্রমণের মূলনীতিটাই দাঁড়ায়। মতের উত্তরে আপনি মানুষের শরীর বা সম্পদে আক্রমণ করতে পারেন না।
[img]https://fbcdn-sphotos-d-a.akamaihd.net/hphotos-ak-ash4/482532_560580840628462_1908970653_n.jpg[/img]
মুহম্মদের জায়গায় অন্য আরেক বহুল সম্মানিত মতপথকে যদি স্রেফ মুখে অবমাননা করা হয় কিন্তু সেই অবমাননায় যদি কারও শরীর ও সম্পদের কোনো ক্ষতি হয় না, তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যক্তি নিজে বা রাষ্ট্র দিয়ে সহিংসতা আরোপ করে এর উত্তর দিতে পারে কি?
এখন কেউ চাইলে অনাক্রমণের নীতি না মানতেই পারে। ভাবতে পারে যে আস্তিকতার সমালোচনা করা যাবে, কিন্তু বিশেষ জাতি রাষ্ট্র বা ভাষার অনুভূতিকে আঘাত করলে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় সহিংসতা আরোপ করা ঠিক আছে। এখানে মূল ব্যাপার হচ্ছে যুক্তির কন্সিস্টেন্সি। আপনার অবস্থানকে আপনি যাচাই করছেন যৌক্তিক সঙ্গতির সাথে নাকি না। সেটা করা না গেলে মুক্তমতের পক্ষের হওয়া তো দূরের কথা, বৈজ্ঞানিক কিংবা যুক্তিবাদীও দাবি করা কীভাবে সম্ভব হয়?
@রূপম (ধ্রুব),
ভীষণভাবে সহমত। একটু আগে এটা নিয়েই সফিক সাহেব কে প্রশ্ন করেছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
@আদিল মাহমুদ,
এইটাই তো অতি উদারপন্থী লোকদের বুঝানো যায় না রে ভাই।
@আদিল মাহমুদ, আপনার লেখার স্টাইল টা ভাল। আবেগ নেই কিন্তু যুক্তি আছে , ধর্ম নিয়ে আলোচনায় ঠিক এমন লেখাই দরকার- লেখকের আবেগের চেয়ে লেখকের যুক্তি ই যেখানে প্রয়োজন।
@আদিল মাহমুদ, (Y) মন্তব্যটা খুব ভাল লাগল।
@সফিক,
এখানে দ্বিমত করছি আমি।মুহাম্মদ কে নিয়ে ব্যঙ্গ করার যথেষ্ট কারন আছে, এই মহাপুরুষের এমন কিছু রেকর্ড আছে যাতে শুধু বাঙ্গ না, এই যুগে জন্ম নিলে গনপিটুনি খেতে হত। প্রত্যেক ধর্ম গুরুরই কমবেশি সমস্যা হয়ত ছিল, কিন্তু হুজুরে পাকের ক্ষেত্রে এটি চোখে লাগার মত বেশি।
আর এখানে জাতীয় পতাকা কি দোষ করেছে যে সেটা পোড়ানর সাথে নবীজির ব্যাঙ্গ করার ব্যাপারটিকে এক করে দেখা হল? পাকিস্তানের পতাকা সরিয়ে এই জাতীয় পতাকা উড়ানোর মাধ্যমেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধকে পরিচালনা করা হয়েছে।এই পতাকা উড়াতে গিয়েই পাকি আর বর্তমানে পতাকা পোড়ানো বদমাশ গুলোর হাতে ৭১ এ অনেক মানুষ শহীদ হয়েছে।জাতীয় পতাকা যারা পুড়িয়েছে তারা বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছে, তারা বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব কে চ্যালেঞ্জ করেছে এর মাধ্যমে।কাজেই এখানে মাতম না, এই মুহুর্তে সরকারের অ্যাকশনে যাওয়া দরকার। জামাতে প্রত্যেক আস্তানা দরকার হলে সেনাবাহিনী নামিয়ে গুঁড়ো করে মিশিয়ে দেয়া দরকার।তাদের হাতে, ভাতে সব কিছুতেই মারার সময় এটাই।
যখন যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসীর দাবীতে সারাদেশ উত্তাল, সেইসময় এই ঘটনার পরেও যদি জামাত ছাড় পায়, তবে আমরা বুঝতে পারব যে আমরা আসলেই সস্তা দরের হুজুগে জাতি, যে হুজুগ একদিন ” আমরা হচ্ছি তালেবান, বাংলা হবে আফগান” মৌলবাদীদের এই কুৎসিত স্লোগানকে বাস্তবে পরিনত করতে সাহায্য করবে।
আর তাই,
এই কথাটার সাথে প্রবল বিরোধিতা করছি আমি, ধন্যবাদ।
@অর্ফিউস, Don’t worry, সবাইকে মুক্তমনা হতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। কোটি কোটি ধর্মীয় মৌলবাদীদের মোকাবেলায় জাতীয়তাবাদী মৌলবাদীদেরও দরকার আছে।
@সফিক,
সেক্ষেত্রে আপনার দৃষ্টিতে, মুক্ত মনা কি জিনিস, এটা ব্যাখ্যা করতে হবে।আশা করি প্রশ্নটা এড়িয়ে যাবেন না।
@অর্ফিউস,মুক্তচিন্তার অনেক দিক আছে, তবে সবচেয়ে আসল দিক হলো আপনি যেই সব মতকে ঘৃনা করেন, যেগুলি শুনলে আপনার শরীরে আগুন ধরে যায়, মনে হয় তলোয়ার হাতে রাস্তায় বেড়িয়ে পড়ি, সেই সব মতকেও প্রকাশ করার পূর্ন অধিকার এর রক্ষায় কোনো ছাড় না দেয়া।
আপনি এখন যে স্টেজে আছেন সেটা হলো, আমি আমার যেসব বিষয় ভালো লাগে সেগুলো মুক্তচিন্তার পক্ষে, আর যেসবকে ঘৃনা করি সেইসবকে নিষিদ্ধের পক্ষে।
আপনি মনে করছেন বাংলাদেশ পবিত্রতম একটি সত্বা আরেক মুহাম্মদ হলো ইতিহাসের নিকৃষ্টতম ভিলেন, সুতরাং বাংলাদেশের অবমাননা আর মুহাম্মদের অবমাননা এক হয় কেমন করে? কোটি কোটি বাংলাদেশী মনে করে মুহাম্মদ শ্রেষ্ঠতম মানব, বেহেশতে যাওয়ার একমাত্র পথ। তারা আরও মনে করে ইসলাম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম, একসময়ে অর্ধেক দুনিয়ার শাসক, এখন সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম। সেখানে বাংলাদেশ ছোট্ট একটি রাজনোৈতিক অস্ত্বিত্ব, ৫০ বছর আগেও যেটা ছিলো না, একশ বছর পরে না থাকতেও পারে। তাদের কাছে ইসলামের অবমাননা আর বাংলাদেশের অবমাননার তুলনাটা কিন্তু আপনার থেকে পুরো ভিন্ন।
বাংলাদেশের ভেতরেই অনেক লোক আছে যারা কিন্তু বাংলাদেশের পতাকাকে ন্যায়সংগত কারনেই ঘৃনা করতে পারে। জাতীয় পতাকা লাগানো হেলমেট পরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যখন পার্বত্য চট্টগ্রামে হত্যা, ধর্ষন, উচ্ছেদ চালিয়েছে তখন উপজাতিয় লোকেরা বাংলাদেশের পতাকাকে কি চোখে দেখেছে। তারা যদি বাংলাদেশের পতাকা পোড়াতে যায়, তখন তাদের আপনি কি বলবেন?
@সফিক,
সহমত।
সেক্ষেত্রে “মুক্ত মনা” নামক ব্লগের ব্যানারটি দেখুন। “ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে” কাজেই মুক্ত মনা কর্তৃপক্ষও আমার স্টেজেই পড়ে,বরং আমার থেকেও বেশি করেই পড়ে তাই না?
কারন আমিতো আপাতত শুধু মাত্র জামাতি ইসলামীকে নিষিদ্ধ করে, অন্যদের বিষয়ে পরে ভাবলেও চলবে কিন্তু মুক্ত মনা কর্তৃপক্ষের ব্যানার কিন্তু সব ধরনের ধর্মভিত্তিক দলকেই নিষিদ্ধ করতে বলছে।
সেক্ষেত্রে আপনার বক্তব্য অনুসারে মুক্ত মনা ব্লগ টিও কিন্তু, “আমি আমার যেসব বিষয় ভালো লাগে সেগুলো মুক্তচিন্তার পক্ষে, আর যেসবকে ঘৃনা করি সেইসবকে নিষিদ্ধের পক্ষে।” এই স্টেজে আছে, বরং আমার চেয়ে বেশি করেই আছে। কাজেই নিজেকে বিচারকের আসনে বসাবার আগে মনে হয়, সবদিক চিন্তা করেই বসানো ভাল।
আপনার দাবীর তীব্র প্রতিবাদ করছি।মুহাম্মদকে আমি ইতিহাসের নিকৃষ্টতম ভিলেন বলে কোনদিনও মনে করি না।বরং এটা যারা মনে করে, তাদের বিরুদ্ধাচরন আমি অতীতে বহুবার করেছি(ভবঘুরে et all নামের আপনার একটা লেখাতেও; ভুলে গেছেন মনে হয়) ।
এখানে সমালোচনা করার বিষয়টা আলোচনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখার পক্ষপাতি আমি, কোরান পোড়ানোকেও আমি নেহায়েত একটা ঘৃণ্য আর অসুস্থ কাজ বলেই মনে করি্, যদিও আমি ঘোর বিরোধী কোরান নামের জিনিসটির। কাজেই জাতীয় পতাকার যেখানে আমি সমর্থক,সেখানে আমার প্রতিক্রিয়াটা আরো বেশি হওয়াটাই কি স্বাভাবিক না?
সুতরাং আপনি একই মন্তব্যে দ্বিতীয়বারের মত নিজেকে বিচারকের আসনে বসালেন।ধরেই নিলেন যে আমি মুহাম্মদকে আমি ইতিহাসের নিকৃষ্টতম ভিলেন বলে মনে করি;যেটা মোটেই সঠিক না।
এটি পাহাড়িদের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হতে পারে, তবে তারা পতাকা পোড়ালে একই ব্যাপার।সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারকেই পরামর্শ দেব যে পাহাড়ি দের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেয়া হোক।তবে পতাকা পোড়ালে খারাপ লাগবে।
তবে এখানে পাহাড়িরা বাঙ্গালী দের অত্যাচারের স্বীকার,তবু যতক্ষন না পার্বত্য চট্টগ্রাম স্বাধীনতার ঘোষণা দিচ্ছে, ততক্ষন দেশের পতাকা পোড়াতে পারে না।সেটা করলে সেটা তাদের স্বাধীনতা ঘোষণা করার সামিল। সেটা যদি তাদের লাস্ট অপশন হয়( ধরেন যে বাধ্য হল স্বাধীনতা ঘোষণা করতে) তবে আমি মানবিক কারনে তাদের সেই ঘোষণা( পতাকা পোড়ানর শুধু নিন্দা করব তখন; আগে সেটা করেও যদি নিজেদের বাংলাদেশি নাগরিক হিসাবেই দেখতে চায়, তবে বাংলাদেশের আইন অনুসারে বিচার হবে) কে সমর্থন দেব।
আপনাকে বলে রাখি, পাহাড়িরা যেহেতু এখনও বাংলাদেশের নাগরিক( বাঙ্গালী না হল তাতে কি?) সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা এখন তাদেরও পতাকা। ১৯৪৭ এর পর থেকে স্বাধীনতা ঘোষণার আগ পর্যন্ত কিন্তু পাকি পতাকা এই অংশেরও পতাকা ছিল, ওটিকে পুড়িয়ে,অস্বীকার করার মাধ্যমেই কিন্তু আরেক পতাকার জন্ম নিয়েছে। আশা করি বুঝাতে পারলাম আমার বক্তব্য?
@অর্ফিউস,মুক্তমনার অফিশিয়াল ব্যানার হলেই যে সেটা মুক্তচিন্তার গোল্ডেন স্ট্যান্ডার্ড এটা কে বললো? মুক্তমনায় এই দাবী তোলার পর থেকেই বেশ কয়েকজন ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা মুক্তচিন্তা ও গনতান্ত্রিক মূল্যবোধের সাথে সংগতিপূর্ন কি না এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। আপনার সেটা নিশ্চই চোখে পড়েছে।
আপনি মনে করেন মুহাম্মদকে নিয়ে ব্যাংগ করা যায় কারন তার অনেক কন্ট্রোভার্সিয়াল ব্যাপার রয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশকে ব্যাংগ, অবমাননা করা যাবে না। এই জিনিষটি মুক্তচিন্তা নয়। দেশের আইনে থাকলেই সেটা মুক্তচিন্তার পক্ষে, মুক্তসমাজের পক্ষে যায় না। বাংলাদেশ আইনে শত শত বিধান নিশ্চই আছে যেটা মুক্তচিন্তা বিরোধী।
আপনি নিজের ভাষায়, ” জাতীয় পতাকা যারা পুড়িয়েছে তারা বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছে, তারা বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব কে চ্যালেঞ্জ করেছে এর মাধ্যমে।কাজেই এখানে মাতম না, এই মুহুর্তে সরকারের অ্যাকশনে যাওয়া দরকার। জামাতে প্রত্যেক আস্তানা দরকার হলে সেনাবাহিনী নামিয়ে গুঁড়ো করে মিশিয়ে দেয়া দরকার।তাদের হাতে, ভাতে সব কিছুতেই মারার সময় এটাই”।
আমার কাছে এই মুহুর্তে কোনো ছবি নেই তবে আমি মোটামুটি শিওর ‘৭১ এর মার্চে বাংলাদেশে অনেক পাকিস্তানী পতাকা পোড়ানো হয়েছিলো। সুতরাং পাকিস্তানী সেনাবাহিনী লেলিয়ে দিয়ে সকল বাংলাদেশী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আস্তানা গুড়ো করে মিশিয়ে দেয়াটাকে নিশ্চই আপনি সমর্থন করেন?
@সফিক,
অবশ্যই সেটা না, তবে আপনার ধ্যান ধারনার ক্ষেত্রেও কিন্তু একই কথা বলা যায়।গোল্ডেন স্ট্যান্ডার্ড আসলে কিছুই না। আর নিজেকে বিচারকের আসনে বসিয়ে, অন্যে যেটা নয়, তাকে সেটাই বানিয়ে দেয়ার প্রবণতাটাও কিন্তু গোল্ডেন স্ট্যান্ডার্ড না তাই না?
শুধু চোখেই পড়েনি, আমি নিজেও এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছি পরোক্ষ ভাবে, বোধ হয় আপনারই নজর এড়িয়ে গেছে, অথবা আমি বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছি।
যাহোক,যদি ধর্মভিত্তিক দল গুলো শান্তিপুর্ন ভাবে কার্যক্রম চালায়, আর ধর্মের সমালোচনা করলে হারে রে রে করে তেড়ে না আসলেই কিন্তু ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করার দরকার হয় না;কেউ সেটা করলেও কিন্তু ধোপে টেকার সম্ভাবনা কম।তবে যুদ্ধাপরাধের সাথে সরাসরি জড়িত দোলগুলোরও বিচার করতে হবে, সেটা যদি ধর্ম নিরপেক্ষ কোন দলও হয়। সেক্ষেত্রে তাদেরকে নিষিদ্ধ করতেই হবে, যেহেতু দলকে ব্যক্তির মত ফাঁসীতে ঝুলানো যায় না।
অবশ্যই বাংলাদেশ কে নিয়ে ব্যঙ্গ করা যাবে, করাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাংলাদেশ কে নিয়ে ব্যঙ্গ করা, আর যুদ্ধাপরাধী দের দ্বারা বাংলাদেশের পতাকা পোড়ানো মানে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকেই আবার দ্বিতীয় বারের মত আক্রমন করা, এবং আক্রমণ কারীরা একই ব্যক্তি।( পরে যেন বলে বসবেন না যে যদি রাজাকার দের বিচারের পর, যুদ্ধাপরাধী দলগুলো কে নিষিদ্ধ করার পর কেউ এই কাজ করলে কি হবে।কারন এইটা এখন আলোচনার বিষয় না, আপাতত যুদ্ধাপরাধীরা পতাকা পুড়িয়ে ২য় বারের মত ৭১ কে চ্যালেঞ্জ করেছে, এটাই মুখ্য বিষয়।)
কাজেই আমার মনে হয় যে আমি মুক্ত চিন্তাও করছি, অবশ্য সেটার সাথে আপনি একমত নাও হতে পারেন, ওটা আপনার অধিকার। তবে সবিনয়ে প্রশ্ন করতে চাই যে,আপনি যেটাকে মুক্ত চিন্তা বলেন না, সেটির বিরোধিতা করার ( মানে সেটাকেই মুক্ত চিন্তার সাথে গুলিয়ে না ফেলার মতামত কে)অধিকার আপনি নিশ্চয়ই হরণ করার পক্ষপাতি না, তাই না?
এটার উত্তর আমি ইতিমধ্যেই উপরে দিয়েছি বলেই আমার বিশ্বাস।
আপনি মনে হয় আমার আগের মন্তব্যের বক্তব্য ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন,অথবা ইচ্ছা করেই এড়িয়ে গেছেন,অথবা আমি আপনাকে বুঝাতে ব্যার্থ হয়েছি।কাজেই আগের মন্তব্যের অংশবিশেষ নিচে দিলাম।
দয়া করে আরেকবার পড়ে দেখুন এটা।
তাহলেই আপনার এই কথার ,উত্তর পেয়ে যাবেন।
এই নিয়ে আবার না হয় কাল আলাপ করব আমরা। আজ রাত ২টা পার হয়ে গেছে ঘুমাব আমি, আর আপনাকে আমি আমার সীমিত জ্ঞানে যতটুকু পারি আমার মন্তব্যের মুল বক্তব্য বুঝাতে চেষ্টা করব।ধন্যবাদ।শুভ রাত্রি।
@অর্ফিউস,
আমি কিন্তু একবারো এখানে পাহাড়ীদের বিচ্ছিন্নতা বাদী বলিনি, আর জালানো পোড়ানর, কথাও তাই আসে না। সেখানে কি ভেবে আপনার মনে
এই প্রশ্নের উদ্রেক হল, ব্যাপারটা বোধ গম্য না।আর ৭১ এর বাঙালি, বর্তমানের পাহাড়ি কেউই কিন্তু বিচ্ছিন্নতাবাদী নয়, তবে জামাত সহ যুদ্ধাপরাধীরা কিন্তু বিচ্ছিন্নতাবাদী। এটা আপনি বোঝেন বলেই আমার বিশ্বাস সেক্ষেত্রে আপনি কি শুধুই রিভার্স খেলছেন? নাকি আসলেই আমার কথা আপনাকে বুঝাতে ব্যর্থ হয়েছি? যাক আপাতত এইটুকুই।আমি ঘুমাতে যাব কালকে আবার আলোচনা হবে আশা করি। ধন্যবাদ এবং আবার শুভ রাত্রি।
@সফিক,
আপনার সব কথাই মানলাম, মুক্তচিন্তা বিষয়ে যা যা বললেন- ফেয়ার এনাফ। কিন্তু যে প্রসংগে বা যাদের সাথে(জামাত) আমরা এসব চর্চা করার কথা ভাবছি তারাতো এসব বাল দিয়েও খ্যাটখ্যাটায় না। মুক্তচিন্তা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, পলিটিকাল কারেক্টনেস এসব শব্দ ওদের কাছে ম্যান্ডারিন ভাষার মত। সেক্ষেত্রে তাদের সাথে আপনার ব্যবহার কেমন হবে? অন্যভাবে নিয়েন না, স্রেফ কৌতুহল। ধন্যবাদ।
@সুমন,
জামাত, নাৎসীবাদী, তালেবানী এরকম দলগুলো রাজনীতি করুক, রাস্তায় নেমে নিপাত যাক, কল্লা কাটো বলে মিছিল করুক এতে আমার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু যখনই এসব দল বা ব্যাক্তি রাষ্ট্রের অন্য নাগরিকদের শারীরিক ক্ষতির পরিকল্পনা করে বা উদ্যোগ নেয়, রাষ্ট্রের ক্ষমতা অনিয়মতান্ত্রক পথে দখলের ষড়যন্ত্র করে, রাষ্ট্রের ভেতরে প্রাণঘাতী-সম্পদ হানিকর রায়ট বাধানোর উদ্যোগ নেয়, তখনই রাষ্ট্র তার যাবতীয় হিংস্রতা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়বে এদের নির্মূল করতে।
@সফিক,
“কিন্তু যখনই এসব দল বা ব্যাক্তি রাষ্ট্রের অন্য নাগরিকদের শারীরিক ক্ষতির পরিকল্পনা করে বা উদ্যোগ নেয়, রাষ্ট্রের ক্ষমতা অনিয়মতান্ত্রক পথে দখলের ষড়যন্ত্র করে, রাষ্ট্রের ভেতরে প্রাণঘাতী-সম্পদ হানিকর রায়ট বাধানোর উদ্যোগ নেয়”–
জামাততো এর সবি করেছে তাহলে রাস্ট্র কেনো তাকে পিষে ফেলবে না? ধন্যবাদ।
@সুমন,
অন্যভাবে নিলেই বা সমস্যা কি ভাই? আপনার ভিতর আপোষের সুর দেখতে পাচ্ছি কেন এই মন্তব্যে? যদি বাকযুদ্ধ করতেই চান, তবে প্রতিপক্ষ যতই হোমরাচোম্রা হোন না কেন, কাউকে তেমন একটা সমঝে না চলাই বুদ্ধিমানের কাজ বলে আমি মনে করি। এখানে সফিক যখন মাঝে মাঝেই বিচারকের আসনে বসছেন, সেক্ষেত্রে তার মতের সাথে দ্বিমত কারীদেরও উচিত চ্যালেঞ্জ করা। এখানে কেউ অন্যভাবে নিলেও কিছু যায় আসা উচিত না।
যেখানে উনি নতুন কিছুর অবতারনা করছেন, আশা রাখি উনি এটা ভাবছেন না যে তাঁকে বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেয়া হবে। আর যদি উনি( বা যে কেউ) প্রশ্নগুলিকে ইগ্নোর করে যান, তবে নিজেই নিজের ( জিনি প্রশ্ন এড়িয়ে যাবেন তিনি)গ্রহণ যোগ্যতা হারাবেন।যেমন অতিতে কট্টর ইসলাম ও মুসলিম জাতি বিদ্বেষী কিছু লেখক মুক্ত মনা দের কাছে গ্রহনযোগ্যতা হারিয়েছেন;যদিও তাদের লেখা চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করা হয়েছে, আর যারা উৎসাহিত করেছে , তাদের মধ্যে এই অধমও ( আমি) একজন।
@অর্ফিউস,
মুক্তচিন্তাকে কোন নির্দিষ্ট মতবাদের লেবেল লাগিয়ে বাক্সবন্দী করা যায় না। সেখানে সংশয় থাকতে পারে কিন্তু শক্ত শেকড় থাকতে পারে না। আমাজনের জঙ্গলে অনেক নৃ-গোষ্টী আছে যাদের অনেক রীতি নীতি পৃথিবীর অন্য অঞ্চলের মানদণ্ডে ‘অমানবিক’ মনে হলেও ঐ নৃ-গোষ্টীকে ‘অমানুষ’ আখ্যা দেয়া মুক্তচিন্তা নয়। এ কারনে তথাকথিত ‘মানবতাবাদীরাও’ মুক্তমনা নয় কারণ তাদের মানবতার মানদণ্ডও বিশেষ একটি মতমাদের লেবেলে বাক্সবন্দী। বৈজ্ঞানিক চিন্তাকে বরং মুক্তচিন্তার সাথে সম্পূরক বলা যায় যেহেতু বিজ্ঞানে কোন কিছুই পরম সত্য কিংবা নিশ্চিত নয়। মুক্তচিন্তা দিয়ে এ কারণেই এ যুগের রাজনীতি সম্ভব নয় এবং সত্যিকারের মুক্তমনারা রাজনীতি থেকে দূরে অবস্থান করেন। যার একটি সুনির্দিষ্ট এবং সংশয়হীন দৃঢ় মতবাদ আছে সে মুক্তমনা হত পারে না , সে মতবাদ ভাল মন্দ যাই হোক না কেন।
@সংশপ্তক,
ঠিক বলেছেন।
তবে কি নরখাদক দেরও( যদি তারা মানুষ খুন না করে, স্বয়ং মৃত মানুষের মাংস খায়) অমানুষ বলা যাবে না ভাই? আপনি নিশ্চয়ই মজা করে কথাটা বলেছেন তাই না? 🙂 ।
অসাধারন বলেছেন ভাই , আমি শতভাগ সহমত।
আর এইসব তথাকথিত মানবতাবাদীরা এই মুক্ত মনাতেও বেশ কয়কজন আছে,এটা আপনিও নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন।
ঠিক, অতিরিক্ত মানবতাবাদীদের বেলায় হয়ত এটা খাটে।কি জানি এদের বিপরীত পক্ষের ক্ষেত্রেও হয়ত একই কথা সত্য।
@সফিক,
হলোকস্ট নিয়ে প্রশ্ন তোলা যদি হয় এটাকে অস্বীকার করা,সেখানে ইতিহাসের সাথে প্রতারণা করা হবে। সেখানে ৭১ এ ৩০ লাখ শহীদের মৃত্যু আর ৪ লক্ষাধিক মা বোনের সম্ভ্রম হানীকেও অস্বীকার করার রাস্তা থেকে যায়।
কাজেই ইসলামের সংবেদনশীল জিনিসগুলো, আর মানুষের মৃত্যু কে অবমাননা আর ষড়যন্ত্র বোধ হয় এক না।
@অর্ফিউস, সফিক, আপনি নিশ্চয়ই ইনকুইজিশন করে ইহুদী আর মুসলিমদের আগুনে পোড়ানর ইতিহাসের সাথেও দ্বিমত করবে না তাই না?এইগুলাও একই ব্যাপার।
@অর্ফিউস,আমি ইতিহাসের কোনো গনহত্যাকে অস্বীকার করি না কিন্তু কারো অস্বীকার করার অধিকারকে খর্ব করাকে সমর্থনও করি না। কেউ যদি তথ্য-যুক্তি নিয়ে কোনো গনহত্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলে তবে সেই আলোচনায় অংশ নিতে আমি প্রবলভাবে আগ্রহী।
সোজা কথা হলো মুক্তচিন্তার পক্ষে নানা রকম কোয়ালিফিকেশন রাখাটা শেষ পর্যন্ত বুমেরাং হয়ে দাড়ায়। কন্টিনেন্টাল ইউরোপে হলোকস্ট এবং নাৎসী পার্টির উপরে নানা রকম নিষেধাজ্ঞার সুবাদে ইউরোপে নানারকম নাৎসী পন্থী, হলোকস্ট অস্বীকারকারী দল সংগঠন আর সমর্থকে ভর্তি। তারা অনেক ইলেকশনেও জিতছে। কদিন আগে গ্রীসে নাৎসীবাদী গোল্ডেন ডওন পার্টি পার্লামেন্টে ২১ টি সিট নিয়ে জিতেছে। তাদের পার্টি চিন্হ দেখুন, তাদের হলোকস্ট অস্বীকার করার ইতিহাস পড়ুন।
http://en.wikipedia.org/wiki/Golden_Dawn_(Greece)
অন্যদিকে আমেরিকায় সবরকমের মত প্রকাশের অধিকার দেয়া আছে। আপনি ইচ্ছে মতো হলোকস্ট ডিনাই করতে পারেন, হিটলারে প্রতি ভক্তি দেখাতে পারেন, সাদা-কালো-এশিয়ান সবার প্রতি চরম রেসিস্ট মত প্রকাশ করতে পারেন, যতক্ষন না পর্যন্ত আপনি রাষ্ট্রের কোনো শারীরিক ক্ষয়ক্ষতির ষড়যন্ত্র করছেন অথবা উদ্যোগ নিচ্ছেন ততক্ষন পর্যন্ত সরকার ও আইন আমেরিকার ভিতরে আপনাকে কিছুই বলবে না।
আমেরিকাতে নাৎসী পার্টি, প্রকাশ্যে রেসিস্ট পার্টি আছে। তারা আমেরিকার সমাজে গুটিকয়েক পাগল ছাগলের কাজকারবার বলে উপেক্ষিত। সেখানে ইউরোপে অনেক জায়গায় নিওনাৎসীরা ক্ষমতার প্রায় দ্বারপ্রান্তে।
@সফিক,
গ্রেট। দয়া করে মন দিয়ে পুরাটা পড়ুন।
এটা যদি শুধু আমেরিকান আইন হয় তবে ঠিক আছে। তবে বাংলাদেশে এটি আপনি আশা করি চালতে চাইবেন না।তবে যদি সেটা চান ( আপনি বা অন্য কেউ), মানে যদি মনে করেন যে সব কিছুর জবাব এভাবেই দেয়া উচিত,তবে আসেন বাংলাদেশে আবার ইভ টিজিং চালু হোক আশঙ্কা জনক হারে।এইখানে কোন হুমকি দেয়া পর্যন্ত হবে না, শারীরিক আঘাত তো দুরের কথা।
যারা ইভ টিজ করবে, তারা মেয়েদের বলবে, হাই সেক্সী আমি তোমার নিতম্বের দুলুনী দেখে মুগ্ধ ( এই বলেই একটা তীক্ষ্ণ শিস) তার পর সাথের আরো কয়েক জন ছেলে খ্যাঁক খ্যাঁক করে অশ্লীল ভাবে হাসবে,(যেহেতু শারীরিক আঘাত ছাড়া, সম্পদের ধ্বংস ছাড়া,অথবা হুমকি ছাড়া কোন কিছুই বলা যাবে না), এতে স্বাভাবিক ভাবেই বাংলাদেশি মেয়েটি হয়রানী হবে, কিন্তু সে চড় দিতে পারবে না,( দিলেও সমস্যা নেই, তবে এতে তার বিরুদ্ধেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে, আফটার অল টিজার রা তো তার গায়ে হাত দেয় নি),সেক্ষেত্রে তাকে মাথা নিছু করে চলে যেতে হবে, অথবা পালটা চোখ মটকে হাসতে হবে, আর মনে মনে ভাবতে হবে মেয়েটিকে যে ছেলেগুলা কতই না খারাপ।
অবশ্য আরো ভাল হয় সেও ফ্লার্ট শুরু করলে।তার পর হয়ত দিনে দিনে বাড়তেই থাকবে, তারপর ছেলেগুলো টিজ করে একদিন মেয়েটিকে তাদের একজনের সাথে শুতে বলবে, এখানেও মেয়েটিকে আগের কাজ করতে হবে, গায়ে হাত দেয়া মানা কারন টিজার রা গায়ে হাত দেয় নি।অথবা মেয়েটি উলটা ফ্লার্ট করে বলতে পারে যে, দেরি কেন এস আমি তো শোবার জন্য রেডি।তার পর শুক বা না শুক। এইটা চলতে থাকবে। কোন মেয়ে ফ্লার্ট করতে না পারলে মানসিক যন্ত্রনা নিয়ে তাদের এড়িয়ে চলে যাবে কিন্তু চড়টাও মারতে পারবে না। পুলিশে অভিযোগ করে লাভ নেই, যেহেতু ছেলেগুলো মেয়েটির শারিরিক ক্ষতি করে নি বা হুমকি দেয় নি, তাই না?
আচ্ছা জামাইদের ( জামাতি)বাংলাদেশের পতাকা পোড়ানর সাথে এর একটা সম্পর্ক আছে দেখেছেন? যেহেতু পতাকা পোড়ালে কারো সম্পদের ক্ষতি হচ্ছে না কাজেই কোন আঘাত না করে শুধু সমালোচনা করতে হবে, ওই অনেকটা ইভ টিজিঙের শিকার মেয়েটির কায়দায়, কি বলেন? আচ্ছা এটাই কি স্বাধীনতা বাদ? ভুল হলে সংশোধন করে দিবেন, কারন রুপম ভাই বলেছিলেন যে ইভটিজ স্বাধীনতা বাদে দন্ডনীয়। সেক্ষেত্রে এইটা ( যতক্ষন না পর্যন্ত আপনি রাষ্ট্রের কোনো শারীরিক ক্ষয়ক্ষতির ষড়যন্ত্র করছেন অথবা উদ্যোগ নিচ্ছেন ততক্ষন পর্যন্ত সরকার ও আইন আমেরিকার ভিতরে আপনাকে কিছুই বলবে না।)কোন মতবাদ?
যাহোক আমি ঘুমাতে যাবার আগে কিছু মন্তব্য করেছিলাম। ভেবেছিলাম যে আপনি আগের আলোচনাটা চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক। ধন্যবাদ।
@অর্ফিউস,আমার ধারনা আপনি খুবই কম বয়সের। আপনার দুনিয়া সম্পর্কে জানাশোনা বেশ কম। আপনাকে আমি উপদেশ দেবো যে এই সময়টাতে বিভিন্ন বিষয়ে জানাশোনার দিকে মনোযোগ দিন।
আমেরিকায় সেক্সুয়াল হ্যারাসিং, ইভ টিজিং এসব আইন খুবই কড়া। কর্মক্ষেত্রে কাউকে ব্যাক্তিগত ভাবে টিজিং করলে তার ক্যারিয়ারের বারটা বেজে যাবে। মত প্রকাশের অধিকার আর ব্যাক্তিগত আঘাত পুরো ভিন্নভাবে দেখা হয়। যেমন আপনি এই মত প্রকাশ করে বেরাতে পারেন যে মোটা লোকেরা সমাজের শ্ত্রু, লোভের কারনে বেশী বেশী খেয়ে তারা নিজের বারটা বাজায় আবার দেশের মেডিকেল খরচও আকাশে তুলে ফেলে। এই মত প্রকাশে আপনাকে কেউ বাধা দেবে না। কিন্তু আপনি যদি কর্মক্ষেত্রে কোনো কলিগকে মোটকু বলে ক্ষেপান বা অপমান করেন, তবে সে সিভিল বিচার চেয়ে আপনার সারা জীবনের ইনকামের বড়ো অংশটা নিয়ে যাওয়ার সুযোগ রাখে।
যাই হোক, আমি আবার বলছি, আপনি এই সময়টা বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করলে আরও বেশী কাজে দেবে।
@সফিক,
আপনার বয়স কত তা আমি জানি না সরি। তবে আমার বয়স ৩১ পার হয়ছে।
হয়ত।
উপদেশের জন্য ধন্যবাদ।
এটা আমি জানি। আমি শুধু আপনার কথার প্রেক্ষিতে কথাটা বলেছি।গায়ে হাত না দিয়ে,অথবা হুমকি না দিয়ে যদি সব ধরনের কাজ করা যায়, বেইমানরা ২য় বার ৭১ কে লাঞ্ছিত করতে পারে, আর সেটার সাথে যদি ধর্মের সমালোচনা কে এক করে দেখা হয়, তবে আমি কেন শরীরে হাত না দিয়ে বা হুমকি কথার দ্বারা ইভটিজিং কে আপনার বলা ওই কথার সাথে তুলনা করতে পারি না, এটা বুঝিয়ে বলবেন কি?আমেরিকার আইন সম্পর্কে আমার জানার তেমন কোন আগ্রহ নেই। আমি বাংলাদেশেই থাকি, এইদেশে কি চলে আর না চলে সেটাই আমার বিবেচ্য বিষয়।
যদি শারীরিক আঘাত না দিয়ে সব কিছুইতেই প্রত্যাঘাত করা উচিত না বলে মনে করেন, তবে ইগ টিজিং এর বেলায় এটা খাটবে না কেন?আপনি কিন্তু আমার প্রশ্নের জবাব না দিয়ে, অযথাই আমার বয়স নিয়ে কথা তুল্লেন অপ্রাসঙ্গিক ভাবে। মানে আপনার দৃষ্টিত মনে হয়েছে যে আমি আমেরিকার আইন নিয়ে কটাক্ষ করছি? যেটার আমার কোন দরকার নেই?
আমি যেটা নিয়ে কটাক্ষ করছি তা হল, যেহেতু আপনার ভাষ্য অনুযায়ী জাতীয় পতাকা পোড়ালে কারো ব্যক্তিগত সম্পদের হানি হচ্ছে না, বা শারীরিক ভাবে আঘাত প্রাপ্ত হচ্ছে না, তাই যদি রাজাকারদের ফাঁসীর দাবী করার পর রাজাকার রাই পোড়ায় তবে তাদের কে যদি সরকার সর্ব শক্তি প্রয়োগ করে দমন না করতে পারে, তবে কেন গায়ে হাত না দিয়ে ইভ টিজিং করলে সেটা একই জিনিসের আওতায় পড়বে না?
আমেরিকা আইন করেছে বলেই কি? নাকি আপনার মতবাদ এইটা সেই জন্যেই? নিজের মতবাদের অবিচল থেকে অন্যকে বিচার করাও কতটা মুক্ত মনের পরিচয় বলে মনে করেন আপনি? নিজেকে বিচারকের আসনে তখনই বসানো উচিত, যখন কেউ তার নিজের বিচার করত চায়, অন্যের না। ধন্যবাদ।
@অর্ফিউস, আরেকটা কথা, আশা রাখি, আপনি তাদের দলে পড়েন না, যারা মনে করে যে চুল পাকলেই জ্ঞান বাড়ে। ধন্যবাদ।
@অর্ফিউস,আমার নিজের মত হলো বিশ্বাসকে আঘাত করা যায় কারন বিশ্বাস ভুল হতে পারে তা পরিবর্তন করা যায়। কিন্তু কেউ মোটা, কি না কালো, কি না খাটো, কি না মেয়ে, কি না কুৎসিত, কি না সুন্দর, এটা অপরিবর্তনীয় ব্যাক্তিগত উত্তরাধিকার এর ব্যাপার। এই ক্ষেত্রে আঘাত করলে সেটা আইনত হ্যারাসমেন্ট এর পর্যায়ে পরে।
আমি আমার মতে কখনোই অবিচল নই। আমার চিন্তার ভুল ধরিয়ে দিতে পারলে মত পরিবর্তন করতে আমার একমুহুর্ত দেরী হয় না।
তবে আমি কখনোই চাইবো না যে সময় সুযোগে হবো হিটলার, অন্য সময়ে আরজ মাতুব্বার।
আমি এখন আর কথা বাড়াতে চাচ্ছি না, এখন আমার এখানে রাত বাড়ছে। এছাড়া টিভিতে অস্কার নমিনেশন দেখাচ্ছে।
@সফিক,
ঠিক বর্নবাদকেও কিন্তু আপনি শেষ পর্যন্ত হ্যারাসমেন্ট এর পর্যায়েই নিয়ে আসলেন, সেক্ষেত্রে খুনীদের যখন বিচারের দাবী ওঠে, আর তখন খুনিরা একটা দেশের অস্তিত্ব কে চ্যালেঞ্জ করে বসে সেই দেশের প্রতিক জাতীয় পতাকা পুড়িয়ে, সেক্ষেত্রে এটা আরো বড় অফেন্স হিসাবেই ধরা উচিত নয় কি?
এটা খুব ভাল গুন। আমি সত্যি এটাকে খুবই প্রশংশার চোখে দেখি।
আমিও তা চাই না। তবে সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে রাষ্ট্র আক্রমনাত্বক ব্যবস্থা নিলে সেটা মোটেও হিটলারের পর্যায়ে গন্য হয় না।
আচ্ছা আমিও বের হব এখন বাসা থেকে।অস্কার উপভোগ করুন, এবং আপনার শুভ নিদ্রা কামনা করছি।আপনার জন্য শুভ রাত্রি।পরে কথা হবে আশা করি। ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ। 🙂
@সফিক, আরেকটা কথা, বর্নবাদও কি একধরনের ব্যাক্তিগত তথা গোষ্ঠীগত আঘাত নয়?সেটাকে যদি কিছু পাগল ছাগলের কারবার ধরা হয় তবে কাউকে মোটকু বললে কি এমন ক্ষতি হয় যে তাতে মামলা করে তার সারা জীবনের আয়ের বিশাল অংশ হারাতে হতে পারে? খুবই আজব না ব্যাপারটা?আর এইটাই যদি হয় একটা দেশের আইন, তবে সেই আইন কে আমি পুরোপুরি অসমর্থন করি।
আমার জানা মতে পাশ্চাত্যে বর্নবাদ সবচেয়ে জঘন্য অপরাধগুলির একটি। ওইযে অস্ট্রেলিয়ার এক আদিবাসী ক্রিকেটারকে ( নাম মনে নেই) হরভজন সিং বানর বলাতে তাকে ৪ ম্যাচ নিষিদ্ধ করল না আই সি সি? অথচ এরাই কিন্তু নির্বিকার ভাবে বাস্টার্ড বলে ভারতীয় খেলোয়াড় দের আক্রমন করেছিল। ওদের দেশে এতা কমন বলেই আই সি সি কোন ব্যাবস্থাই নেই নাই। এইটা কে কি বলবেন? স্টিভ ওয়াহ ভারত সমপর্কে ভাল ধারনা রাখতেন, তিনি এই জিনিস্টা নিয়ে লিখেছিলেন যে বাস্টার্ড গালিটাকে ভারতীয় উপমহাদেশে কি জঘন্য অফেন্স হিসাবে নেয়া হয়। আশাকরি এটা আপ্নারো অজানা নয়।
মানুষের একমাত্র ধর্মীয় পরিচয় হোক সে মানুষ।
@অন্ধকারে আলোর খোঁজে, ভায়া যত সহযে বলেছেন আর শুনতে যত সুন্দর ই হোক, ততটা সহজ নয়।
@মরুঝড়,
কাজটা খুবই সোজা, যদি না আপনার শরিয়াহ আইন বাধা হয়ে দাঁড়ায়।আর শরিয়াহ আইন যেহেতু কোন মানবিক আইন না, বরং মানুষকে তথা নারীকে আর অমুসলিমদের নির্যাতন করার জন্য তৈরি করা আইন, সেক্ষেত্রে শরিয়াহ আর মানবতা যে বিপরীত মেরুতে অবস্থা করছে, সেটা আপনি নিজেই আজ প্রমান করে দিলেন।
@অর্ফিউস, যদি সময় নষ্ট না হয় তবে আইন পেশায় আছেন এমন একজনের সাথে কথা বলে দেখতে পারেন আমাদের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে। যা শুনবেন তারপর না হয় আমাকে বলেন -শরিয়া আইন দরকার নেই। এখন মনে হয় না বলাই ভাল।
@অন্ধকারে আলোর খোঁজে,
পারফেক্ট (Y)
সৈকত চৌধুরী,
অসাধারণ লিখেছেন ভাই।এটা তো আপনার একটা ফেসবুক নোট আকারেও প্রকাশ করেছিলেন মনে হয় তাই না?ওখানেই প্রথম পড়েছি বলে মনে হচ্ছে।আজকে আরো ভাল করে পড়লাম।অত্যন্ত চমৎকার আর সময়পযগি লেখা। শুভেচ্ছা রইল। (F)
এটা হয়েছে অতি মারাত্বক আর বাস্তব জিনিস। (Y)
অনেক দিন পরে সুন্দর আর বাস্তব ধর্মী লেখা পড়লাম। ভালো লাগল বিশেষ করে-
(Y)
@অর্ফিউস, ভায়া একটা জটিল বিষয় এত সহজ করে দেখালে হবে। তবে এটা মানি অনেক ধার্মিক যেমন অহেতুক কর্মকাণ্ড করেন তেমন অনেক নাস্তিক ও ধর্মের আলোচনা না করে অহেতুক গালাগাল করেন আর ভাবেন বাক স্বাধীনতার সঠিক ব্যবহার হচ্ছে। দুদিক থেকেই ঝামেলা আছে।
@মরুঝড়,
সব নাস্তিক এটা করছেন কি? তাহলে ইনকিলাবে যাদের নাম এসেছে তাদের মধ্যে কিছু হার্ডকোর নাস্তিক( যারা নিজদের লেখায় মুহাম্মদের পাশাপাশি গোটা মুসলিম জাতিকেও এতই ঘৃণা করেন যে বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়ার কথা বলেন) বাদ গেল কেন? আসলে এখানে যারা সক্রিয় ভাবে ধর্মীয় রাজনীতির বিরুদ্ধে কাজ করছেন তারা আছেন।আর অভিদা বাইরে থাকলেও, তিনি যেহেতু মুক্তমনার ফাউন্ডার তাই তার নামটা আসবেই, যদিও তিনি এইসব ধর্মের ক্যাচালে যান না।
এ থেকেও বুঝতে পারছেন না যে গালাগালি টা মুল বিষয় না? গালাগালি যারা করছে, তারা ছদ্মনামে করছে, কাউকে চেনার উপায় নাই। কিন্তু দেখেন আসিফ মহিউদ্দিন সক্রিয় আন্দোলন করছেন।ইনার লেখাতে আমি তো গালিগালাজ পেলাম না( আপনিও পরে দেখেন না; এই ব্লগের তার কিছু লেখা আছে)।কাজেই এতে করেই আপনার বুঝা দরকার যে, এখানে ইসলামের গোঁড়ামির গঠন মুলক সমালোচনা করার জন্যেই মৌলবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে এইসব কান্ড করছে। ইসলাম ধর্মের সহিষ্ণুতা খুবই কম।এখন আপনারা ধার্মিক মুসলিমরা দয়াকরে এদের( ধর্মান্ধদের) সমর্থন করে প্রমান করে দিয়েন না যে ইসলাম শুধুই অসহিষ্ণু নয়,বরং একই সাথে সন্ত্রাসের একমাত্র আখড়া।
@অর্ফিউস, আমিও কিন্তু সবাই বলিনি ,বলেছি অনেকে। দয়া করে শব্দের ভুল প্রয়োগ করবেন না- ইসলাম অসহিষ্ণু নয় ,কিছু মানুষ অসহিষ্ণু। তবে আপনার সাথে একমত- যারা জানেন কিভাবে গালিগালাজ বা ব্যঙ্গ না করেও আলোচনা করা যায়, এমন অনেকেই মুক্তমনায় আছেন।
তারা ঠিকই বলেন ঠিকই ভাবেন সৈকত।
আমাদের যারা ধর্মের সমালোচনা করি, কী এমন ব্যক্তিগত ক্ষতিটা হবে যদি বাংলাদেশে কোরানের বিধান, শরিয়া আইন কায়েম হয়ে যায়? বাদ দাও, কী দরকার ঘরে বাইরে শত্রু তৈরী করার? অন্যরা ধর্মের সমালোচনা না করে সুখে নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন আমরা কেন পারবোনা? ধর্মের সমালোচনা ত্যাগ করো। আত্মসমর্পন করো রাজনৈতিক ইসলামের কাছে। ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করো সদালাপ সহ সকল ইসলামী ব্লগ, ব্লগার ও তাদের কাছে যাদের ধর্মানুভুতিতে আঘাত দিয়েছো। নিজের ও নিজের পরিবার পরিজনের প্রতি মনযোগী হও।
এবার বলো, মা তোমার অনেক খেয়েছি, তুমি অনেক দিয়েছো কিন্তু আমি, মা তোমার পতাকার সম্মান, তোমার শহিদের স্মৃতি রক্ষা করতে পারলাম না, তোমার অযোগ্য ব্যর্থ ভীরু কাপুরুষ অকৃতজ্ঞ সন্তানকে ক্ষমা করো। সুখী হও বাংলাদেশ, তোমাকে আল্লাহর হাতেই সপোর্দ করে দিলাম।
@আকাশ মালিক, ধর্মের সমালোচনা কেউ করেনা, সবাই বলতে গেলে গালি দেয়। তাই অনেকেই সহ্য করতে পারেন না। কারন অনেকের কাছেই ধর্ম নিজের মা-বাবার মত। তাই আপনি বাক স্বাধীনতার নামে গালি দিলে তাদের লাগে, আর আপনারা তা বুঝতেই চান না। আবার বলেন আঘাত করবার অধিকার না থাকলে নাকি বাক স্বাধীনতার মুল্য নেই। কি ক্যাচাল দেখুন। বাক স্বাধীনতার নাম করে আপনি আমার মা তুল্য ধর্মকে গালি দেবেন আর তা আমাকে বসে বসে শুনতে হবে। আপনার মা কে আমি গালি দিলে আপনার খুব লাগবে নিশ্চয়। আঘাত পাবেন তো নাকি? আপনার শেষ লাইনটাই দেখুন কেমন হয়েছে- এটা কি না লিখলেই নয়??
@মরুঝড়,
আপনি প্রলাপ বকছেন।ধর্ম কাউকে জন্ম দেয়নি, আর আমাদের দেশে মানুষের জন্মপরিচয় খুবই স্পর্শকাতর বিষয়,( এজন্য কিন্তু ধর্মই দায়ী) কাজেই যারা এখানে ধর্ম মানে না, তারাও কিন্তু পিতৃ পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুললে সেটাতে অফেন্ড হবে। অন্য ধর্মের মানুষ, যারা মুসলিমদের মত ধর্মোন্মাদনায় ভোগে না, তাদেরও মাম বাবার ক্ষেত্রে এটা খাটে।কাজেই যদি ধর্মের সমালোচনা আর মা বাবা কে গালি দেয়া আপনার কাছে এক মনে হয়,তবে বুঝব যে আপনি নিজেই নিজের বাবা মাকে যথাযথ মর্যাদা দিতে ব্যার্থ হচ্ছেন।
@অর্ফিউস, আমি আর একবার অনুরোধ করব আপনি আর একবার আমার মন্তব্য টি পড়ুন। মা-বাবার উদাহরন দিয়েছি শুধু আমাদের ভাবের গভীরতা বোঝাতে। আপনাকে বা আমাকে কেউ মা-বাবা নিয়ে কিছু বললে আমরা স্বভাবত ই কষ্ট পাব। তেমনি ধর্ম আমাদের অনেকের কাছেই তেমনি একটি বিষয়। এর ব্যাপারে উলটা পালটা বললে -ঝামেলা তাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাই বলে আমি কিন্তু গঠনমুলক সমালোচনার দরজা কিন্তু বন্ধ করতে বলছিনা।
@মরুঝড়,
গাল খেয়ে আহত হলে পাল্টা গাল দিন। মুখের কথার উত্তরে গায়ে মারবেন কেন?
@রূপম (ধ্রুব), মশাই আমি কিন্তু বলেছি অনেকেই সহ্য করতে পারেন না। অনেকের ই সে জ্ঞান নেই বা সহিষ্ণুতা নেই। কেন অনেকের এই গুণ টি থাকে না তা আপনি জানেন। তারা কিছু করলে দায়ভার গিয়ে পড়ে ইসলামের উপর। কিন্তু আমি যা বলতে চাচ্ছিলাম- আপনারা যারা ধর্মের বিপক্ষে বলেন তারা কি সবাই জানেন -কিভাবে একটি স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে কথা বলতে হয়? অনেকেই যুক্তির চেয়ে গালাগাল বা অহেতুক ব্যাংগো করেন। যা স্বভাবত ই অসহিষ্ণু মানুষ কে উসকে দেয়। ফলাফল ; য়াপনার জানা। এ জন্য ই আমি অর্ফিউস কে বলেছিলাম-সমস্যা দুদিক থেকেই আছে। তবে আপনি যা বলেছেন সেটাই নিয়ম হওয়া উচিত।
@মরুঝড়,
না সত্যি এটা সবাই জানে না। এই বিষয়ে আমি আপনার সাথে একমত।স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে কথাবার্তা বলার সময় অনেক সহনশীলতার সাথে বলাই ভাল।সমস্যা হল যে অনেকেই সেটা বুঝে না অথবা বুঝতেও যায় না। এটা সত্যি খুব দুঃখজনক।
আমার প্রশ্ন কেন রাজীবকে ইসলামি কায়দায়ই দাফন করা হলো ? সেতো ইসলামের প্রচন্ড বিদ্বেষী ছিলো ।
@শোয়েব, পছন্দ না হলেও এটাই ভবিতব্য ভায়া।
সৈকত, অনেক ধন্যবাদ, লেখাটা এখানে দেয়ার জন্য।
কিছু বানান ভুল আছে ঠিক করে নিও।
ঠের (টের) পাবেন না
ধরণি (ধরণী) কেন এখনো দ্বি-ধা হয় নি। …
লেখাটার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
@অভিজিৎ,
ধন্যবাদ দাদা। ঠিক করে দিয়েছি।