[ এই কবিতার বিষয়বস্তু মোটেই লেখকের অভিমত নহে ৷ বিভিন্ন সমাজে নারী জাতিকে যে ভাবে দেখা হয়েছে যুগযুগান্ত ধরে তারই কিছু অংশ এখানে সংকলিত হয়েছে মাত্র ]
আদিতে ছিলনা নারী বিধাতা পরে
আদমের পাঁজর হতে নারী সৃষ্টি করে ৷
আদমের নিঃসঙ্গতার হইল বিহিত,
নারীর ভূমিকা তাতে রয়েছে নিহিত ৷
বেহেস্ত উত্তম স্থান না যায় বর্নন,
সুন্দরী নারীরা তার প্রধান আকর্ষন ৷
সৎকাজ করিয়া যার হয় স্বর্গ লাভ,
উর্বশী মেনকা রম্ভার না হয় অভাব ৷
আদিপাপের উৎস তুমি বাইবেলের বানী,
শয়তানের ফাঁদে পরে করেছ বেইমানী ৷
নারী পেটানোর বৈধতা কিতাবের বিধান,
স্বামীর প্রতি শ্রদ্ধা তাতে থাকবে বিদ্যমান ৷
মোহরানায় নারী হয় শস্যক্ষেত্র সম,
যখন ইচ্ছা তখন তাতে করবে উপগম ৷
কালী সিদ্ধ মহাপুরুষ রামকৃষ্ণ গোঁসাই,
স্ত্রীকে মা বলে ডাকিত সদাই ৷
মধ্যাহ্ন ভোজনের পর দিবানিদ্রা চাই,
স্ত্রী পা টীপে দেয় ঘুম আসে তাই ৷
কামিনী কাঞ্চনের সঙ্গ কর পরিহার,
স্ত্রীজাতিকে জেনে নিবে নরকের দ্বার ৷
স্বামীর চিতায় স্ত্রী পুড়ানো প্রেমের লক্ষন,
বৈদান্তিক বিবেকানন্দ করেছেন সমর্থন ৷
মর্ত্তলোকে বহুরূপে নারী বিরাজিতা,
কেহ মাতা কেহ জায়া কেহবা দুহীতা ৷
দেবীরূপে কেহ তোমায় করিছে পূজন,
সন্যাসীরা সাধন করে স্ত্রীসঙ্গ বর্জন ৷
শাস্ত্র্র্রে বলে স্ত্রীজাতি বিশ্বাসের অযোগ্যা,
পণ্য দ্রব্যের ন্যায় কেবল পুরুষের ভোগ্যা ৷
দিল্লীকা লাড্ডু বলে প্রচার করে কেউ,
যে খায় সে পস্তায় যে না খায় সেও ৷
ধূম্রজালে আচ্ছাদিত নারীর রহস্য,
দেবতারাও নাহি জানে কোথায় মনুষ্য ৷৷
নিখিল চন্দ্র্র মজুমদার, কালিফোর্নিয়া
খুব সত্যি কথা ছন্দে ছন্দে…। স্বাগতম।
স্বাগতম,
ভালই লাগল।
স্বাগতম (F)
বিবেকানন্দ যে সতী দাহ প্রথা সমর্থন করত তা তো জানতাম না , এর কোন দলিল আছে, দেখানো যাবে ?
যাহোক, নারীরা সকল ধর্মেই অবহেলিত কারন সকল ধর্মেরই কিতাব রচয়িতারা হলো পুরুষ। আর তাদের কাছে নারীরা একটা ভোগ্যপণ্য ছাড়া আর কিছু ছিল না কোন কালে। এখনো সকল ধর্মের ধার্মিক মানুষের কাছে নারীরা আসলে একটা ভোগ্যপণ্য ছাড়া আর কিছুই নয় , কিন্তু প্রকান্ড মিথ্যা কথা বলে তারা প্রচার করে , নারীদেরকে নাকি মহা সম্মান প্রদর্শন করেছে। যেমন- ইসলামে বলে মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের বেহেস্ত, হিন্দু ধর্মে বলে পিতা মাতাকে ঈশ্বর জ্ঞানে পূজা করতে। কিন্তু এইসব ধার্মিক নামের মিথ্যাবাদী ও বদমাইশরা বলে না যে – সন্তানের সাথে মাতার সম্পর্ক দিয়ে নারী জাতির সম্মান নির্ধারিত হয় না, নারীর সম্মান নির্ধারিত হয় স্বামীর সাথে স্ত্রীর সম্পর্কের ওপর।
@ভবঘুরে,
আমার ‘স্ববিরোধী বিবেকানন্দ’ লেখাটা খুঁজে নিয়ে পড়ে দেখতে পারেন। শুধু সতীদাহ নয়, বাল্যবিবাহ সমর্থন, বিধবা বিবাহ বিরোধিতা সবই পাবেন।
লেখককে ধন্যবাদ, চমৎকার এই কবিতাটি মুক্তমনায় দেওয়ার জন্য। সত্যই অসাধারণ।
@অভজিৎ
The details of Vivekananda Controversy can be found in the following links posted by you. I am adding them here for readers’ convenience.
http://blog.mukto-mona.com/?p=22071
http://blog.mukto-mona.com/?p=22258
@ভবঘুরে,
কেউ বলেন, সতী দাহ প্রথা বিবেকানন্দের জন্মের আগেই রদ হয়ে গিয়েছিল, আবার কেউ বলেন সতী দাহ প্রথা বিবেকানন্দের সমকালিন। তার নিচের চিঠিটার ইংরেজি থেকে তাকে সতী দাহ প্রথা সমর্থক বলে যায় কি না বুঝতে পারি নাই।
What expression of devotedness to a husband is there by forcing a widow to commit Sati? Why make people do virtuous deeds by teaching superstitions? I say, liberate, undo the shackles of people as much as you can…..Again, do you think the way to do it lies through oppression? “Oh, what examples or self-denial are our widows! Oh, how sweet is child-marriage! Is another such custom possible! Can there be anything but love between husband and wife in such a marriage!” such is the whine going round nowadays. But as to the men, the masters of the situation, there is no need of self-denial for them! Is there a virtue higher than serving others? But the same does not apply to Brâhmins — you others do it! The truth is that in this country parents and relatives can ruthlessly sacrifice the best interests of their children and others for their own selfish ends to save themselves by compromise to society;?
এখানে ঐ চিঠির বাংলা ভাব সম্প্রসারণ পেয়ে গেলাম। চিঠিটা আমার বেশ ভালই লাগলো। সমালোচকেরা বলেন, বিবেকানন্দ জোরপূর্বক সতীদাহ সমর্থন না করলেও সেচ্ছা সহমরণে তার কোন আপত্তি ছিলনা।
@ভবঘুরে,
বিবেকানন্দ যে সতী দাহ প্রথা সমর্থন করত তা তো জানতাম না , এর কোন দলিল আছে, দেখানো যাবে ?
It is surprising to know that even long after the ban of Satidah in India , Swami Vivekananda glorified the spirituality of Sati in his lectures in various cities of America during his participation at the Parliament of Religion held in 1893. When asked about the ‘bad condition of women’ in India he spoke in support of Satidah. His speech was reported in Salem Evening News and the Daily Gazette as follows [1]: “He explained the old custom of women being burned on the death of their husbands, on the ground that they loved them so that they could not live without the husband. They were one in marriage and must be one in death.
But alas Swamiji did not explain the fact that if the tie between a husband and his wife/wives is such a strong one that it extends beyond death, then why was a husband never burnt alive when his wife/wives died? It is shocking to find such a gross distortion of truth from a person like Vivekananda!
Reference 1: Marie Louise Burke – Swami Vivekananda in America : New Discoveries, p. 34, 36; Advait Ashram, Calcutta , 1966.”
স্বাগতম (F) (F)।
কাব্যভাবের কমতি আছে; মুক্তমনস্বকতার নেই। (Y)
মুক্তমনায় স্বাগতম নিখিলদা।
অসাধারণ।
অসাধারণ ছড়া (Y)
প্রথম লেখা হলে মুক্তমনায় স্বাগতম। ছড়া ভাল লাগলো, বিশেষ করে এই জায়গা-
আর এখানে-
সে দিন মহাভারতে মেনেকা, শকুন্তলা আর শকুন্তলার পুত্রের জন্ম বৃত্তান্ত পড়ে মাথাটা আউলা জাউলা হয়ে গেছিল। স্বামীকে দেয়া শকুন্তলার দ্বীর্ঘ ভাষনেও এ রকমই ইঙ্গীত দেয়া আছে। স্বামী স্ত্রীর গর্ভে ঢুকে ভিন্নরূপে আবির্ভাব হয়। কে যে প্রথম মাথা খাটিয়ে এতো সুন্দর করে মহাভারতখানা লিখেছিলেন আল্লাহই জানে।
@আকাশ মালিক,
আল্লাহই জানে বলে তাঁর উপর ছেড়ে দিলে নারীদের দশা ঐ কবিতার মতই হয়। উইকিপিডিয়া থেকে জানা যায়- “প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, ব্যাসদেব এই মহাকাব্যের রচয়িতা। তিনি এই আখ্যানকাব্যের অন্যতম চরিত্রও বটে। মহাভারত-এর প্রথম অংশের বর্ণনা অনুযায়ী, ব্যাসদেবের অনুরোধে তাঁর নির্দেশনা মতো গণেশ এই মহাকাব্য লিপিবদ্ধ করার দায়িত্ব নেন। গণেশ একটি শর্তে এই কাজে রাজি হয়েছিলেন। তাঁর শর্ত ছিল ব্যাস একবারও না থেমে সমগ্র মহাকাব্যটি আবৃত্তি করবেন। ব্যাস রাজি হন, কিন্তু তিনিও পাল্টা শর্ত দেন যে গণেশও প্রতিটি শ্লোকের অর্থ না বুঝে লিপিবদ্ধ করতে পারবেন না।”
@মাহফুজ,
“প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, ব্যাসদেব এই মহাকাব্যের রচয়িতা।
বিশ্বাস অনুযায়ী কেন? বহুদিন যাবত বড় শখ ছিল বেদ এর দোয়া দরুদ আর মহাভারতের কেচ্ছা-কাহিনি নিয়ে কিছু লিখবো। সাহসে কুলায়না। এমন গ্রন্থ দ্বিতীয়টি এই ভুবনে আর বোধ হয় কেউ পূর্বে লিখেনি, আগামীতেও লিখতে পারবেনা।
চমৎকার সমাপ্তি। সর্বধর্ম ভ্রমন শেষে নারীকে বর্ণনার জন্য এমন একটা লাইনই দরকার ছিল।
এই কবিতার (বা ছড়ার) সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হল, সবগুলো ধর্মকেই ছোঁয়া হয়েছে, আর সবচেয়ে ক্ষতের জায়গাগুলোই উঠে এসেছে। কবিকে অভিনন্দন!