চোখের ভিতরে যারা আলো জ্বেলেছিল
তাঁরা আজ কেউ নেই।
অন্ধ সূর্য্যটাকে তাঁরা আলো দিয়েছিল,
ধাতব শক্তিমান আকাশ ফুড়েছিল সে আলো,
অনায়াসলব্ধ সে আলোর ঝাঁক।
যারা বিঁধেছিল গভীরে তারাদের শরীরে।

ওঁরা সব মরে গেছে,
মরে গিয়ে সেঁটে আছে প্রেতের শরীরে!
সেসব কিছু ভেবে বুঝে,
অনেক উপরে উঠে শকুন-উড়া উড়েছ-
খুজে পেয়েছ শুধুই মরা ইদুরের শব তবু।
তাই, খুশ দিলে হায়না-হাসি তোমাদের ঠোটে।
কষ্ট করো, একটু কষ্ট করবে কি?
সবশেষে সব কথা ঠিক কথার মতো ক’রে,
গিলে ফেলার আগে গভীরে-
ভেবে দেখবে কিনা বাঁচা-মরার দায়ে অতঃপর-
তোমারই শরীরে পায়ের নিরীহ পাতারা
সামনের দিকে মেলে আছে দেহ-
সামনে যাবে বলে।
আর পিছনে হেটনা তাই, প্রতিজ্ঞায় বলো-
বলো, বলো আরো।
কি ক্ষতি কারো হাত ধরে কথা রাখলে?

মাছরাঙা আলো চেয়েছিল, পেয়েছিল তাই।
টইটুম্বুর রঙিন খুশিতে রং-ধনু হাসে আজও-
চাইতেই পেয়েছিল সহজ আলো সেও।
আর ঐ মজা পুকুরের হেলঞ্চ আর কলমির দঙ্গলেরা?
যোগ্য তারা!
আলো ওদের খুজে নিল ভালবেসে।
এখনও ঐ দাতারা স্মৃতির গহবর থেকে
আলো দিয়ে যায় অযাচিত-
হাতেমতাঈ আর গৌরী সেন ঈর্ষায় মরে।
শেষ কথা বলে কিছু নেই,
তবু আলোর মজদুরেরা ঠিকই আছে বেঁচে।
পথের দাবী ওরা ছাড়বেনা কিছুতেই,
প্রতি ইঞ্চি সুঁচাগ্র মেদিনীর ভাগ তাও।
ব্জ্র-কঠিন স্বার্থপর তারা-
শুধুই আমাদের তরে, সবার জন্য।
আকাশের ছিদ্র দিয়ে ঠিকই একদিন
নেমে আসবে তাঁরা-
শামুকের বেগে হেটে হেটে
কতটুকু এগিয়েছ, তা জানতে।
ছোট্ট ছোট্ট পায়ে তাঁরা আলবত পৌছে যাবে-
তোমাদের ক্ষমতার সিংহাসনের
খুব কাছাকাছি,
মাছরাঙার সাচ্ছন্দ্য হাসিতে।