ওরা হয়ত জানেনা “লাকুম দ্বীনুকুম ওয়ালিয়া দ্বীন” এর মত মহৎ বাণীর মানে। জানে না এর মানে হোল “তোমার ধর্ম তোমার কাছে আর আমারটা আমার”। কোরানের ১০৯ নম্বর সূরা কাফিরুনের ৬ নম্বর আয়াতে লেখা আছে ওই কথা। জানেনা কোরানের ২ নম্বর সূরা আল বাকারার ২৫৬ নম্বর আয়াতে লেখা “ধর্মের ব্যাপারে কোন জোরজবরদস্তি নেই” । পাক কোরানের পাতায় এসব লেখা আছে। কোরান খুলে দেখেন এইসব শান্তির কথা, ঠিকই লেখা আছে। আরো একটু বেশী দেখলে অবশ্য ব্যাতিক্রমও দেখবেন অনেক। অশান্তির কথাও দেখে ফেলবেন। কি দরকার বেশী বেশী দেখা; খামোখা। তার চেয়ে অনেক চতুর মানুষ যা বলে; ধর্ম পালনে স্ববিরোধীতায় জড়ানো কেন; ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করাই ভালো।
আজকাল অর্থসহ কোরান পড়ে অনেকেই বড্ড সুখী, সন্তষ্ট ও তৃপ্ত। সেসব মানুষেরা এখন বলে বেড়ান যে তারা কোরানের মানে জেনে বুঝে পড়েন; মোল্লা নির্ভর পড়া পড়তে হয় না। তারা খুবই খুশী। নামাজ পড়লে আয়াত অথবা সূরা বুঝে বুঝে পড়েন। ইন্টারনেটেও অনায়াসে অর্থসহ কোরান পড়া যায়; সুতরাং ধর্ম পালনে আর কথিত আরবী ভাষা পণ্ডিতদের উপর নির্ভর করতে হয় না। ইন্টারনেটে অনুবাদ ভুল না ঠিক সেটা নিয়ে যদিও প্রশ্ন অবশ্য খুব কমই তোলা হয়। যা হোক, তারা বলেন ইসলাম শান্তির ধর্ম, কোরান শান্তির বানীতে একাকার; নারী অধিকারে আর সন্মানে পরিপূর্ণ; লোকেরা খামোখাই এই ধর্মকে নারীবিদ্বেষী সন্ত্রাসী ধর্ম বলে। হিজাব পরা নামাজ পড়া কি খারাপ নাকি?
নামাজ পড়তে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য যে কোন সূরা বা কোরানের যে কোন আয়াত পড়া যায়। কোরানের ৭৩ নম্বর সূরা মুযাম্মিলের ২০ আয়াতেই লেখা আছে “কাজেই কোরানের যতটুকু তোমাদের জন্য সহজ, ততটুকু আবৃত্তি কর, তোমরা নিয়মিত নামাজ কায়েম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহকে ঋণ দাও যাহা উত্তম ”।
নামাজে ছোট্ট সূরা বা আয়াত অনেকে আবার হৃদয়ঙ্গম না করেই পড়ে থাকেন। এইটা কিন্তু বেশ গোলমেলে। ধরা যাক, এক মহিলা সূরা ফাতিহার পরে ছোট কোন সূরার বদলে সহজ দেখে কোরানের কোন আয়াত পড়বার ইচ্ছা করলেন। বড়ই ভক্তিভরে তিনি কোরানের ২৩ নম্বর সূরা আল মূমিনুনের ১ থেকে ৬ আয়াত পড়লেন:
“মুমিনগণ সফলকাম হয়ে গেছে, যারা নিজেদের নামাযে বিনয়-নম্র; যারা অর্থহীন কথাবার্তায় নির্লিপ্ত, যারা যাকাত দান করে থাকে, এবং যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে, তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না”।
তারপর আল্লাহুআকবর বলে দিলেন সেজদা। অর্থাৎ পাক কালাম অনুযায়ী নারী স্বামীর যৌনদাসী, চাহিবা মাত্র স্বামীর যৌন ক্ষুধা মেটাতে হবে। নারী তা মহানন্দে মেনে নিলেন কারণ স্বামীর কোরানী লাইসেন্স আছে, আর নারীর আছে ধর্মভয়।
ধরা যাক পরবর্তী রাকাতে নারী পড়লেন ৩নম্বর সূরা আল ইমরানের ১৪ নম্বর আয়াত:
“মানবকূলকে মোহগ্রস্ত করেছে নারী, সন্তান-সন্ততি, রাশিকৃত স্বর্ণ-রৌপ্য, চিহ্নিত অশ্ব, গবাদি পশুরাজি এবং ক্ষেত-খামারের মত আকর্ষণীয় বস্তুসামগ্রী। এসবই হচ্ছে পার্থিব জীবনের ভোগ্য বস্তু। আল্লাহর নৈকট্যই হলো উত্তম আশ্রয়”
আল্লাহু আকবর। সেজদা। এখানে নারী নিজেই নিজেকে গবাদি পশুর মত করে ধন্য হয়ে গেলো স্বেচ্ছায়, নেকী কামালো। পাক কোরান থেকেই তো আয়াত পড়লেন, অথচ ব্যাপারটা কেমন হোল? মাথা চুল্কাচুল্কি অবস্থা।
আচ্ছা ধরুন, নারী পড়লেন আন নিসার ৩৪ তম আয়াত:
পুরুষেরা নারীদের হেফজতকারী এ জন্য যে, আল্লাহ তাদেরকেই শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। সে মতে নেককার স্ত্রীলোকগণ হয় অনুগতা এবং আল্লাহ যা হেফাযতযোগ্য করে দিয়েছেন লোক চক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাযত করে। আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সবার উপর শ্রেষ্ঠ।“
আল্লাহু আকবর বলে সেজদা। এখানে কি হোল? মানে স্বামী অবাধ্য স্ত্রীকে পেটাতে পারবে, পুরুষ নারীদের থেকে উত্তম। কারণ তারা রোজগার ও খরচ করে।
সূরা নিসার এই ৩৪ নম্বর আয়াতকে সমুন্নত রাখতে, কোরানের আয়াত মানতে নারীর আয় রোজগার করা তো উচিৎ নয় তাহলে। ঘরে বসে থাকা দরকার। হিজাব পরে বাইরে চাকরি বাকরি ব্যাবসা বানিজ্য করা বা বেরুবার দরকারটাই বা কি? নারীর তো জোরে পায়ের আওয়াজ পর্যন্ত করতে পারবে না পাছে পুরুষের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়? কোথায় লেখা? আচ্ছা তাহলে দেখুন, কোরানের ২৪ নম্বর সূরা আন-নূর, আয়াত ৩১: “ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও”। আল্লাহু আকবর। কোরান তো দেখা যাচ্ছে নারী অধিকারের চেয়ে নারী যৌনতার ব্যপারে অনেক বেশী দায়িত্ববান।
আল্লাহতাআলা পাক কোরানের সূরার পাক আয়াতসমূহে অনেক কথাই বলেছেন; প্রায়শঃই যেগুলি মহা অস্বস্তিকর। আচ্ছা ধরুন নারী নামাজ পড়লেন কোরানের ৬৪ নম্বর সূরা আত্তাগাবুনের ১৪ নম্বর আয়াত আবৃত্তি করে:
“হে মুমিনগণ, তোমাদের কোন কোন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি তোমাদের দুশমন। অতএব তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাক। যদি মার্জনা কর, উপেক্ষা কর, এবং ক্ষমা কর, তবে আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুনাময়”।
তার পর ভক্তিভরে রুকু সেজদা। পাক কোরান থেকে বাণী পড়ে পাক সেজদা। এইটা কি হোল? স্ত্রী নারী ও তার সন্তান মুমিন স্বামীর কোরানী পথের দুশমন? কি মুশকিল। এবার কি? আছে, আরো আছে, অনেক অনেক সূরা আয়াত আছে যেগুলোর মানে জেনে বুঝে পড়লে যায়নামাজ ছেড়ে হিজাব ছুঁড়ে দৌড়ে পালাবেন নারীগন আর বগল বাজাবে সুযোগ সন্ধানী ভোগী পুরুষগন। তারচেয়ে বরং চেপে যাওয়াই ভালো, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করাই তো দেখা যায় ভালো।
বেছে বেছে খারাপ আয়াতগুলি বাদ দিয়ে পড়বেন? পাক কোরানের আবার খারাপ কি? আপনি আমি ওখানে কি করে বলতে পারি কোন আয়াতটা ভালো আর কোনটা খারাপ? ওই রকম চিন্তা করাও তো গুনাহের কাজ। বাদ দেওয়াটার উপায় নেই কারন কোরানের ২ নম্বর সূরা আল বাকারার ৮৫ তম আয়াতে লেখা আছে “তবে কি তোমরা গ্রন্থের কিয়দংশ বিশ্বাস কর এবং কিয়দংশ অবিশ্বাস কর? যারা এরূপ করে পার্থিব জীবনে দূগর্তি ছাড়া তাদের আর কোনই পথ নেই। কিয়ামতের দিন তাদের কঠোরতম শাস্তির দিকে পৌঁছে দেয়া হবে”। মুসিবতের কথা। তবে আশার কথা এই যে, “ধর্মের ব্যাপারে কোন জোরজবরদস্তি নেই”, ওই যে; কোরানেই তো লেখা আছে। চেপেই যান নাহয়। কোরানও মানলেন নারী আবার নিজেকেও রক্ষা করলেন; হিজাব টিজাব এইসব নিয়ে বাড়াবাড়ি করার দরকারটাই বা কি?
নারী একদিন বিদ্রোহ করবেই করবে। কারণ ধর্মভক্ত নারী এক সময় ঠিকই আবিষ্কার করবেন এই দুনিয়াতেও তাদেরকে পুরুষের দাসী বানানো হয়েছে আর কল্পিত বেহেশ্তেও নারীদের পাওনা মেটানোর কোন পরিষ্কার অঙ্গীকার নেই। তাদের প্রিয় নবী নিজেই বলেছে, সকল খারাপ নারী বাড়ী ও ঘোড়াতে। আরো বলেছেন দোজখে নারী সংখ্যাই বেশী। এসব শুনলে নারী হিজাবে আগুন জ্বালিয়ে বিদ্রোহ করবেনই, কারণ তারা একদিন ঠিকই বুঝে ফেলবেন কথিত ওই বেহেশ্ত পুরুষের জন্য হুর, যথেচ্ছ যৌনাচার, হুরে অরুচী ধরলে গেলমান মানে কচি বালককে নিয়ে পুরুষের যৌনলীলা, মদ্যপান, ফুর্তি আর ফুর্তি; এর সবই তো পুরুষের জন্য। নারী তো বিদ্রোহ করবেই। শুধু সামান্য সময়ের ব্যাপার মাত্র। কাজেই হিজাবীরাও বলবেন; ধর্মীয় বাড়াবাড়ীর দরকারটা কি।
ধর্মভক্ত নারীদের একটা খবর দেই। ধার্মিক পুরুষরা কিন্তু তাদের ধন সম্পদ খরচ করবার জন্য নানান হালাল ছুতো খোঁজে। যেমন একাধিক বৌ রাখা। চারটা বৌ রাখা আর তাদের জন্য খরচ; কিংবা প্রায়ই তালাক ও নতুন বৌ এর জন্য খরচ, এগুলি কিন্তু অনুমোদিত। এরা আল্লার রাহে খরচা করার বদলে নিজেদের জন্যই করে। একাধিক বিয়ে করে, যৌন আয়েশে খরচ বাড়ানো ভালো নাকি প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ আল্লার রাহে খরচা করা ভালো; এমন প্রশ্নই তাদের বিবেচনায় অগ্রাধিকার পায়। দেনমোহর, তালাক, হায়েজ, জায়েজ, ভরণপোষণ এসব খরচ বাড়িয়ে ফেললে আল্লাকে আর দেবার মত বেশী কিছু থাকলো না; তাই দেবে আর কতটুকু? আল্লার সাথে ব্যাবসায়িক জোচ্চুরি? না করেই বা করবে টা কি? অন্যদিকে কোরানী সব নির্দেশ মানলে ঘরের নারীরাই বা নতুন সতীনের শুভ আগমন ঠেকাবে কি দিয়ে? অবশ্য ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করলে হয়ত এটা সম্ভব। তাইতো হয়ে চলেছে, নয় কি? তা যদি না হত, তা হলে তো নারীদের আত্মসন্মান নিয়ে টিকে থাকাই দায় হয়ে পড়ত। তাই মনে হচ্ছে আমাদের দেশের নারীরা, ওই হিজাব টিজাব ছাড়া খুব তেমন বাড়াবাড়ি করছে না। অবশ্য কিছু কিছু নারী পাক্কা ধার্মিক হয়ে পুরুষের দাসী হয়ে পড়বার জন্য খুবই ব্যাগ্র। নারী নির্যাতনের কোরানী ব্যপারটা ফাঁস ও প্রচার পেয়ে গেলে তারা আর তা করবে না বলেই মনে হয়। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে সম্ভবত তারা মোটামুটি আচারিক ধর্মই পালন করবে।
বাংলায় আজকাল অনেকের নাকি প্রচূর টাকা পয়সা আর সম্পদ। এখন তাহলে বরং ধনসম্পদের কথা আর ধনীদের নিয়ে দু একটা আয়াত দেখা যাক। এই আয়াত গুলো আবার নিজেই নিজেকে ব্যাখা করে। ধর্মভীরু অথচ বিত্তবান যারা তাদের জন্য এসব আয়াত তো ভয়ঙ্কর। না মানলেও ভ্যাজাল আবার ধর্ম বাড়াবাড়ি করলেও হবে সর্বস্বান্ত। দেখুনঃ
কোরানের ৬৩ নম্বর সূরা আল মুনাফেকুন এর ১০ নম্বর আয়াত:”আমি তোমাদেরকে যা দিয়েছি, তা থেকে মৃত্যু আসার আগেই ব্যয় কর। অন্যথায় সে বলবেঃ হে আমার পালনকর্তা, আমাকে আরও কিছুকাল অবকাশ দিলে না কেন? তাহলে আমি সদকা করতাম এবং সৎকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত হতাম”। তার মানে মনে হয় এই রকম হোলঃ
মাল দার মুমিনের
হতে হবে সাবধান
মালামাল রেখে তিনি
মারা যেন নাহি-যান।
জান মাল সবকিছু
করিবেক তিনি দান
মালামাল রহি গেলে
হবে না মোসল-মান।
কোরানের ৮ নম্বর সূরা আল আনফাল, আয়াত ২৮: আর জেনে রাখ, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি তোমাদেরকে পরীক্ষার উপকরন মাত্র; বস্তুতঃ আল্লাহর নিকট রয়েছে মহা সওয়াব।
কোরানের ৯ নম্বর সূরা আততাওবাহ, ১১১ নম্বর আয়াতঃ আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুসলমানদের থেকে তাদের জান ও মাল এই মূল্যে যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর রাহেঃ অতঃপর মারে ও মরে। তওরাত, ইঞ্জিল ও কোরআনে তিনি এ সত্য প্রতিশ্রুতিতে অবিচল। আর আল্লাহর চেয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কে অধিক? সুতরাং তোমরা আনন্দিত হও সে লেন-দেনের উপর, যা তোমরা করছ তাঁর সাথে। আর এ হল মহান সাফল্য“। ধনীর ধনসম্পদ তার নয়, আল্লার। ধনীরা মানেন না তা? যারা মানেন না, তারা চতুর, তারা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করেন না, তাই চেপে যান। বাড়াবাড়ি করলে তো সম্পদ হাতছাড়া হয়ে যাবে। তাই কি দরকার খামোখা বাড়াবাড়ির?
কোরানের বানী অনুযায়ী সাচ্চা মুসলমানের জীবনযাপন হতে হবে সাধারণ আর বাহুল্যবর্জিত কারন কোরানের ১০২ নম্বর সূরা তাকাসূর তার প্রথম আয়াতেই বলে “প্রাচুর্যের লালসা তোমাদেরকে দিকভ্রান্ত রাখে”। ওই সূরাতেই শেষ আয়াত অর্থাৎ ৮ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে “শেষ বিচারের দিনে তোমাদের দুনিয়ার সম্পদ সন্মন্ধে প্রশ্ন করা হবে”। বেঁচে থাকার মৌলিক চাহিদা পূরনের চেয়ে সকল যা কিছু অতিরিক্ত তার কিছুই মুমিনের নয়, আল্লা ও রসূলের অর্থাৎ ইসলামের। সব কিছু দ্বীনের নামে দান করবেন বা আল্লাহকে ঋণ দিয়ে দেবেন। পড়ুন সূরা আত তাগাবুন, কোরানের ৬৪ নম্বর সূরার ১৭ তম আয়াতঃ “যদি তোমরা আল্লাহকে উত্তম ঋণ দান কর, তিনি তোমাদের জন্যে তা দ্বিগুণ করে দেবেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন। আল্লাহ গুণগ্রাহী, সহনশীল।“ ঋণ দেবেন না? হে ধনবান, আপনার মনে ভয় নাই? কোরানের ৯ নম্বর সূরা আত তাওবার ৩৪ ও ৩৫ আয়াতে লেখা আছে, “যারা স্বর্ণ ও রূপা জমা করে রাখে এবং তা ব্যয় করে না আল্লাহর পথে, তাদের কঠোর আযাবের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন”। “সে দিন জাহান্নামের আগুনে তা উত্তপ্ত করা হবে এবং তার দ্বারা তাদের ললাট, পার্শ্ব ও পৃষ্ঠদেশকে দগ্ধ করা হবে (সেদিন বলা হবে), এগুলো যা তোমরা নিজেদের জন্যে জমা রেখেছিলে, সুতরাং এক্ষণে আস্বাদ গ্রহণ কর জমা করে রাখার”। এত ভয় দেখানোর পরও সম্পদ হাতছাড়া করবেন না? ভরসা পাচ্ছেন না? কোরানে লেখা আছে তো। পছন্দ হচ্ছে না? আচ্ছা তাহলে সম্পদশালীদের একটা গোপন কথা বলি, মরে যাবার একটু আগে তওবা করে ফেলবেন, জান্নাত এক্কেবারে কনফার্ম। কি বিশ্বাস হচ্ছে না? ঠিক আছে সূরা দিচ্ছি। কোরানের ১৬ নম্বর সূরা নাহল, আয়াত ১১৯: অনন্তর যারা অজ্ঞতাবশতঃ মন্দ কাজ করে, অতঃপর তওবা করে এবং নিজেকে সংশোধন করে নেয়, আপনার পালনকর্তা এসবের পরেও তাদের জন্যে অবশ্যই ক্ষমাশীল, দয়ালু”। যা হোক ধনীগন এখন হিসাব নিকাশ করে দেখুন, বাকির ব্যাবসা করবেন, সারা জীবন না বোঝার সাধনা করবেন আর তাওবা করবেন নাকি চেপে যাবেন, মানে যেমন চলছেন আরকি। কোরানে ওটাও লেখা আছে যখন, মানে খামোখা বাড়াবাড়ির দরকারটাই বা কি?
তথ্যসূত্রঃ আল কোরান
আরো লেখা লিঙ্কঃ কোথা থেকে এলো আজকের কোরান,সূরা মোখতাসার ১,সূরা মোখতাসার ২,সূরা মোখতাসার ৩, সূরা মোখতাসার ৪, সূরা আল মূত্ত্যাজিয়া, হিজাবী মেয়ে বেহেস্তি সুখ
-x-x-x-x-x-x-x-x-x-x-x-
রেফারেন্সের পেতে আর মুক্তমনে আরো বেশী বেশী জানতে চাইলে, মুক্তমনাদের লেখা পড়ুন, বিশেষ করে এদেরঃ
আবুল কাশেম, ভবঘুরে, সৈকত চৌধুরী, আকাশ মালিক, সাইফুল ইসলাম, নাস্তিকের ধর্মকথা, কৌস্তভ, আল্লাচালাইনা, সংশপ্তক, সাদাচোখ, টেকি সাফি, রূপম(ধ্রুব), অভীক, গীতা দাস, রাজেশ তালুকদার, তামান্না ঝুমু, বিপ্লব পাল, শিক্ষানবিস, ফরিদ আহমেদ, অভিজিৎ, বন্যা আহমেদ, কাজী রহমান এবং বাকিদের
ভ্রান্ত পথযাত্রী। থামো এবার।
কাজী রহমান, (Y) এই লেখাটাতো রাসায়নিক বোমা রে ভাই। আর লেখেন না কেন এমন জিনিস??
“লাকুম দ্বীনুকুম ওয়ালিয়া দ্বীন”
:guli: 😉
@নিলীম আহসান,
উপরের ইমোনুবাদ আকাশীঃ
যদ্দিনে তোরা দেশী না’হবি
বেহিজাবী এলোকেশে উল্লাসে,
তাড়াবি আকাশী ওদের,
আমি জালিয়ে মারবো তোদের।
ভালো লেখা
@রুদ্র,
ধন্যবাদ রুদ্র (C)
ধর্মজগতের অনেক কিছুই রহস্যময়। অর্থ বুঝে নামাজ পড়তে গেলে যে সমস্যা হতে পারে সেটা ধর্ম সম্পর্কে অন্ধ বিশ্বাস ভাংগার পর টের পেয়েছি।
ছোট সূরা হিসেবে অনেকের মত আমিও নিয়মিত সুরা লাহাব পড়তাম, পরকালের অশেষ নেকি হাসিল হচ্ছে বিশ্বাসে অপরিসীম শান্তিও পেতাম। মুশকিল হল অর্থ জানার পর মনে শান্তি আসা তো দূরের কথা উলটা মনে হয় ১৪০০ বছর আগে মরে ভুত হয়ে যাওয়া আবু লাহাব আর তার স্ত্রীর নামে অভিশাপ কামনায় কিছু লোকে হয়ত শান্তি পেতে পারে কিন্তু আল্লাহর মত মহান সত্ত্বা কিভাবে খুশী হয়। আর মানব জাতির ওপর সর্বকালব্যাপী এই আবু লাহাব দম্পত্তি অভিশাপই বা কেন দিয়ে যেতে হবে সে প্রশ্ন বাদই থাকল।
বিবি পেটানোর অনুমতি পাঠ করে, কাফের নাছারার সাথে বন্ধুত্ব করার নিষেধাজ্ঞা জ্ঞাপনকারি কিংবা তাদের থেকে করজোরে জিজিয়া কর আদায়ের নির্দেশ ওয়ালা আয়াত পঠনেও কি মাধুর্য বা শান্তিভাব মনে আসে তাই বা কে জানে।
@আদিল মাহমুদ,
অথচ দেখুন কোরানের ৬ নম্বর সূরা আল আনআম এর মধুময় সেই ১০৮ নম্বর আয়াতঃ
“তোমরা তাদেরকে মন্দ বলো না, তাদের যারা আল্লাহকে ছেড়ে অন্য কারো আরাধনা করে। তাহলে তারা ধৃষ্টতা করে অজ্ঞতাবশতঃ আল্লাহকে মন্দ বলবে। এমনিভাবে আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের দৃষ্টিতে তাদের কাজ কর্ম সুশোভিত করে দিয়েছি। অতঃপর স্বীয় পালনকর্তার কাছে তাদেরকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। তখন তিনি তাদেরকে বলে দেবেন যা কিছু তারা করত”।
মুমিন মুমিনারা এত আগে মরে যাওয়া আবু লাহাব ও তার স্ত্রীকে এখনো কিভাবে ধংস করে তা এক অদ্ভূত ব্যাপারই বটে :-s
@কাজী রহমান,
আল্লাহ তো এখানে বেশ উদার দেখি, আল্লাহ মনে হয় মাঝে মাঝে হালকা মেজাজেও থাকতেন তখন এ ধরনের কিছু আয়াত নাজিল করতেন। নইলে বিধর্মী অবিশ্বাসীদের প্রতি ওনার ক্রোধের মাত্রা দেখলে আতংকিত হতেই হয়।
অভিশাপ দেওয়া দেওয়ি আরব অঞ্চলে প্রাচীন আমল থেকেই সংস্কৃতির অংশ। মোবাহিলার কথা তো জানেন। শুধু ইসলাম বিদ্বেষী আকাশ মালিক বা হোরাসের কথায় নয়, মারেফুল কোরান নামের এক অতি জনপ্রিয় তাফসীর বইতেও (পৃষ্ঠা -৬৯) দেখেছি যে মতবিরোধ দূর করার এটি একটি ইসলাম সম্মত বিধান, যাতে দুই পক্ষ একে অপরকে অভিশাপ দেয়, যে ব্যাটা মিথ্যা বলে সে অভিশাপে কাবু হয়ে যাবে। সপরিবারে অভিশাপ মাহফিলে যোগ দিলে অভিশাপের জোর আরো বাড়ে। বলাই বাহুল্য যে পশ্চীমা চশমা পরা এক ধরনের মোনাফিক বা কম ইমানের লোকজনে এসব হেকমতি ব্যাপার এখন আর মানতে চায় না, নানান কায়দায় এড়াতে চায়।
@আদিল মাহমুদ,
এইটা একটা মক্কী সূরা তাই এমন মধুমাখা। মদিনায় গিয়েই তো দাঁত নখ বের করা শুরু হয়ে গেল, নেমে এলো হিংস্র ভয়ঙ্কর সব সূরা আর আয়াত। দেখুন কোরানের ৯ নম্বর সূরা আত তাওবার ৫ নম্বর আয়াতঃ অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক।
@কাজী রহমান,
যুদ্ধের সময় কি আর উপায় আছে নাকি??? চুক্তি ভেংগে হামলা করলে কি রসগোল্লা খাওয়াবেন???
@আদিল মাহমুদ,
শান্তির ধর্মে হত্যার হুকুম !
@কাজী রহমান,
হত্যার হুকুম না দিলে যে সেকালের ঈমান্দারগণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শহীদ হত সেটা দেখতে হবে না? গোবেচারাদের আল্লাহ হত্যার হুকুম না দিলে তারা কোনদিন আত্মরক্ষা করত?
@আদিল মাহমুদ,
পরম শুন্য তাপমাত্রায় ও বায়বীয় চাপে আল্লার মেজাজ মহানবীর মেজাজের সামানুপাতিক এবং সময়ের সাথে সাথে তা ব্যস্তানুপাতে পরিবর্তিত হয়।
আল্লার মেজাজ নিয়ে বিশিষ্ট ধর্ম গবেষক ছন্নছাড়ার যুগান্তকারী সূত্র………… :lotpot: :rotfl:
@ছন্নছাড়া,
😀
@আদিল মাহমুদ,
অভিশাপের ব্যাপারটা পৃথিবীব্যাপী জনপ্রিয়তা হারালেও কোরানে হারায়নি, তাই না? তা না হলে ছোট্ট মিষ্টি অভিশাপের সূরা এখনো এত জনপ্রিয় হয় কি করে?
যথেষ্ট কষ্ট করে মারেফুল কোরানের যে বিশাল রেডি রেফারেন্স দিয়েছেন সেজন্য ধন্যবাদ। (C) মাত্র আজকেই বিস্তারিত পড়ার সুযোগ পেলাম। অবাক হয়ে যাবার কি আজব সব তফসির আর ভাবনা। অদ্ভূত।
@কাজী রহমান,
অভিশাপ শুধু আরব অঞ্চলেই না, প্রাচীন কালের সব ইতিহাসেই এর নজির পাওয়া যায়। ভারতীয় প্রাচীন সাহিত্যতেও অসংখ্য নজির আছে। আরব অঞ্চলে অভিশাপ দেওয়া এখনো বেশ চলে শুনেছি।
মারেফুল কোরান জাতীয় কোরানের মূল জনপ্রিয় তাফসিরগুলি সরাসরি ছাপিয়ে দিলে ইসলাম সমালোচনাকারী যেসব অভিযোগ বাজারে প্রচলিত সেগুলি নিয়ে আর বিদ্বেষীদের কষ্ট করে লেখালেখি করতে হবে না। তবে বলাই বাহুল্য একই কথা বড় বড় আলেম পীর স্কলাররা বললে তাদের কোন দোষ নেই, ওনাদের নামের সাথে নানান টাইটেল সহকারে শ্রদ্ধা সমেত নাম নিতে হবে, তাবে আমরা সংশয়বাদী হলে আমরা বিরাট অপরাধী, সব ইসলাম বিদ্বেষী।
@আদিল মাহমুদ,
প্রতিদিন নামাজে আলহামদুর পরে সুরা লাহাব পড়ে, আবু লাহাব ও তার স্ত্রীকে অভিশাপ দিতে দিতে আল্লাহু আকবার বলে রুকুতে যাওয়ার চেয়ে আমার কাছে ফজিলতের আয়াত মনে হয় সুরা তাহরিম, সুরা আজহাব ও সুরা নূরের আয়াতগুলো।
আয়েশার নাম যখন সমাজে অসতী বলে রটনা হলো, নামাজে সেই ঘটনার আয়াত আয়েশা যখন পড়তেন তার অনুভুতিটা কেমন হতো?
(রুকু) আল্লাহু আকবার।
বেচারী আয়েশা! এবার গর্বিত জয়নাবের আয়াত পড়ে রুকুতে যান-
(রুকু) আল্লা—-হুয়াকবার
ম্যারিয়ার সাথে নবির অবৈধ সম্পর্কের প্রেম কাহিনি-
(রুকু) আল্লা—-হুয়াকবার
কেলেংকারী রটনাকারী হাফসা ও আয়েশাকে তাদের ভুলের জন্যে তওবা করার নির্দেশ-
(রুকু) আল্লা—-হুয়াকবার
এবার আয়েশা ও হাফসার প্রতি লাল ওয়ার্নিং-
(রুকু) আল্লা—-হুয়াকবার
১৪ শো বছর পরেও কিছু মানুষ কেমনে বিশ্বাস করে, মুহাম্মদের লুইচ্চামী কেচ্ছা দিয়ে ভরা কোরান আল্লাহর বাণী?
হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) খুব চতুর ও দুষ্ট লোক ছিল বিধায় নারীদের সরাসরি ভোগ করে নি। কারণ এতে তার কামুক চরিত্রটা তার পয়গম্বরদের কাছে ধরা পরে যাবে। আর ধরা পরে গেলে তাকে আর কেও আল্লাহর নবী ও শাসক হিসেবে মানবে না। তাই নারীদের কোন বাধা বিপত্তি ছাড়া ভোগ করার জন্য তার একটা উপায় বের করা দরকার ছিল। আর কোরানের আয়াতই ছিল সবচেয়ে ভালো উপায় কারণ পরকালের ভয়ে কেও এর উপর সন্দেহ পোষণ করতে পারবে না। তাই তিনি যখন যেভাবে ইচ্ছা হয়েছে আয়াত নাজিল করে নারীদের ভোগ করেছে। সে কারণেই কোরান নারী যৌনতার ব্যাপারে অনেক বেশী দায়িত্ববান।
কোরআন পুরুষের নারী ভোগের লিখিত সংবিধান ব্যাতীত আর কিছুই নয়। আর এ সংবিধানের প্রণেতা কোন অলৌকিক কেও নয়, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) নামক এক ভণ্ড ও চরিত্রহীন পুরুষ।
@অপরিচিত,
ইশশ… আপনার তো ভাই হাবিয়া কনফার্ম (C)
দুঃখের কথা হচ্ছে নারীকে সব ধর্মেই অবমাননা করা হয়েছে। তবুও নারী পুরুশের চেয়ে অনেক বেশি ধর্মপরায়ণ।
@তামান্না ঝুমু,
কি অদ্ভূত তাই না? আমি কিন্তু খুবই আশাবাদী নতুন প্রজন্মের ওপর। এই তথ্য প্রযুক্তির দিনে ওরাই সাহায্য করবে, হাটে হাড়ি ভেঙে দেবে। (C)
কোরানের সরল সোজা অনুবাদ জন সমক্ষে তুলে ধরতেও বোধ হয় অনেকে দ্বিধা বোধ করেন।
এখানে دىن (দ্বীন) শব্দের পরিস্কার অর্থ যে “ধর্ম” এটা সবাই জানে। এতে কারো কোন সন্দেহ বা দ্বিমত নাই।
এর পরেও লক্ষ করুন বাংগালী অনুবাদক গন কী ভাবে তা পাল্টিয়ে دىن (দ্বীন) শব্দের অর্থ “কর্মফল” বসিয়েছেন।
এমন কী ইবনে কাথিরের ইংরেজী অনুবাদে বলা হচ্ছে “(6. “To you be your religion, and to me my religion.”) (নীচে দেখুন)
আর ঠিক সেখানে ডঃ মুজিবর রহমান সাহেব ও তার বাংলা অনুবাদে دىن (দ্বীন) শব্দের অর্থ পাল্টিয়ে “কর্মফল” বসিয়ে দিয়েছেন।(নীচে দেখুন)
এটা তিনি কী ভাবে করলেন? কোথায় তিনি পেলেন دىن (দ্বীন) শব্দের অর্থ “কর্মফল”?
এটা একটা অনুবাদের নিয়ম রীতির বহির্ভূত কাজ ও বটে।
এমন কী “কর্মফল” অর্থ টি دىن(দ্বীন) শব্দের মোটেই সমার্থক অর্থ ও নয়।
কারণ دىن(দ্বীন হইল ইহকালের একটি জীবন ব্যবস্থা। এবং ফলাফল আসে পরকালে বিচারের পর।
আল্লাহর কাছে কোন কাজের কি ফলাফল হবে এটা একমাত্র আল্লাহই জানেন। কোন মানুসেরই পক্ষেই এটা জানা বা ভবিষ্যৎ বানী করা সম্ভব নয়। কারণ আল্লাহ মানুষের মন ও উদ্দেশ্য লক্ষ করেন। যেটা কোন মানুষের পক্ষেই জানা সম্ভব নয়।
এভাবে বাংগালী অনুবাদক গন কেন যে আল্লাহর পবিত্র বানীর ভূল অর্থ অজ্ঞ জন সাধারণের কাছে প্রচার করেন-তা আমার মোটেই বোধগম্য হইলনা।
এরুপ করলে তো জন সাধারণ আর বাংগালী কোরান অনুবাদের উপর আস্থাও হারিয়ে ফেলবে।
নীচে তাহলে বিভিন্ন অনুবাদকের অনুবাদ লক্ষ করুন ?
109:6
to top
109:6
Sahih International
For you is your religion, and for me is my religion.”
Muhsin Khan
“To you be your religion, and to me my religion (Islamic Monotheism).”
Pickthall
Unto you your religion, and unto me my religion.
Yusuf Ali
To you be your Way, and to me mine.
Shakir
You shall have your religion and I shall have my religion.
Dr. Ghali
To you is your religion, and to me is my religion!”
IBNEKATKIR ENGLISH-
In the Name of Allah, the Most Gracious, the Most Merciful.
﴿قُلْ يأَيُّهَا الْكَـفِرُونَ- لاَ أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ- وَلاَ أَنتُمْ عَـبِدُونَ مَآ أَعْبُدُ- وَلا أَنَآ عَابِدٌ مَّا عَبَدتُّمْ- وَلاَ أَنتُمْ عَـبِدُونَ مَآ أَعْبُدُ- لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِىَ دِينِ-﴾
(1. Say: “O disbelievers!”) (2. “I worship not that which you worship.”) (3. “Nor will you worship whom I worship.”) (4. “And I shall not worship that which you are worshipping.”) (5. “Nor will you worship that which I worship.”) (6. “To you be your religion, and to me my religion.”)
BANGLA IBNE KATHIR
ড: মুজিবুর রহমান
প্রাক্তন অধ্যাপক ও সভাপতি
আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
“তোমাদের জন্য তোমাদের কর্মফল,আমাদের জন্য আমাদের কর্মফল”।
OUR HOLY QURAN (বাংলা অনুবাদ)
06
তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্যে এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্যে।
TASIE JALALAIN-
{ لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِيَ دِينِ }
You have your religion, idolatry, and I have a religion’,
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান প্রবন্ধের জন্য। কেবল মাত্র প্রথম পড়ার পড়ার পরপরই মন্তব্য টা করতে বাধ্য হলাম।
পরে বাকীটা পড়তেছি।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ঠিক ধরেছেন। ঠিক বলেছেন। বাংলা অনুবাদের উপর এর বিশ্বাস রাখা যাচ্ছে না। আরো অনেক যায়গায় এই রকম করা হয়েছে। কয়েকদিন পর দেখবেন ব্যাপক বিতর্কিত ও আলোচিত আয়াত গুলির অর্থ পালটে ফেলেছে এই সব ধর্ম ব্যাবসায়ীরা।
অনুবাদকারীর ডানা আছে কি না জানেন নাকি? তিনি হয়তো জীব্রাইলের বাঙালি সংস্করণ। কোরানের নতুন সংশোধিত বদলী আয়াত নিয়ে হাজির হচ্ছেন হয়ত। কি বলেন?
চাকলাদার ভাই, আরো কিছু অনুবাদ যেগুলো বিকৃত করা হয়েছে বা হচ্ছে ওগুলোর একটা সংক্ষিপ্ত সংগ্রহ ছাড়েন তো দেখি। মানুষ দেখুক বিভ্রান্তিকারী কারা।
আহ! অন্ধকার জগতের কী আস্ফালন তোমাদের। তমাদেরই বলে জ্ঞানপাপী।
:lotpot: :lotpot: :lotpot: :hahahee: :hahahee:
@অগ্নি,
:))
এই যে ভাই ধনবান, বেশী হাসবেন না বুঝলেন। আপনার ধন আল্লাকে না দিলে আপনার সোনা রূপা গনগনে গরম করে কোথায় কোথায় ছ্যাঁকা দেওয়া হবে; এই যে আবার দেখুনঃ ৯ নম্বর সূরা আত তাওবার ৩৪ ও ৩৫ আয়াতে লেখা আছে, “যারা স্বর্ণ ও রূপা জমা করে রাখে এবং তা ব্যয় করে না আল্লাহর পথে, তাদের কঠোর আযাবের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন”। “সে দিন জাহান্নামের আগুনে তা উত্তপ্ত করা হবে এবং তার দ্বারা তাদের ললাট, পার্শ্ব ও পৃষ্ঠদেশকে দগ্ধ করা হবে (সেদিন বলা হবে), এগুলো যা তোমরা নিজেদের জন্যে জমা রেখেছিলে, সুতরাং এক্ষণে আস্বাদ গ্রহণ কর জমা করে রাখার”।
আচ্ছা বলেন তো ওইটা পৃষ্ঠদেশ না পশ্চাৎদেশ? :-s
@কাজী রহমান,
আমার ধনের ভাগ আল্লারে না দিলে আল্লা তো মইরা যাওয়ার পরে ছ্যাঁকা দিবে। কিন্তু রাষ্ট্ররে না দিলে রাষ্ট্র যে মইরা যাওয়ার আগেই দিয়া দেয়, সেইটা নিয়া আমরা হাসাহাসি করি না বলেন তো? :-s
@রূপম (ধ্রুব),
* সেইটা নিয়া আমরা হাসাহাসি করি না কেন বলেন তো?
@রূপম (ধ্রুব),
রাস্ট্র বাস্তব। কারণ এইটার দাঁত আছে, নখ আছে, রিমান্গু গুম গায়েবের খ্যামতা আছে = খ্যামতা প্রমানিত।
আল্লা অবাস্তব। কারণ এইটার খালি চাপাবাজি আছে, সত্য প্রমানের খ্যমতা নাই = খ্যামতা অপ্রমানিত।
বেশী হাসাহাসি কইরেন না, রাষ্ট্র ধরলে থট এক্সপিরিমেন্টের বদলে হট এক্সপিরিমেন্ট শুরু করব :))
@কাজী রহমান,
তাইলে আল্লাই ভালো। সে না থাইকা তারে নিয়া হাসাহাসি করার আমগোরে সুযোগ কইরা দিছে। সে যদি বাস্তব থাইকা তার খ্যামতা প্রমাণ কইরা দিতো, আজকে তাইলে বাৎসরিক ট্যাক্স ফাইল জমার দেওয়ার লগে আমল নামা জমা দেওয়াও সূর্য পূর্ব দিকে ওঠার মতো সত্য হইয়া যাইতো। 🙂
@রূপম (ধ্রুব),
:))
এই কোরান নাজিল হয়েছিল পবিত্র মক্কা আর মদীনায়। আকাশ থেকে এই মক্কা আর মদীনা দেখেই মুসলমান হয়েছেন সুনিতা উইলিয়ামস, সুবহানাল্লাহ।
মুসলিম ও ইসলাম বিদ্বেষী লেখা আর কোমলমতি মুসলমানদের ধর্মানুভুতিকে আহত করার জন্যে আপনাকে মাইনাস। এ সমস্ত বাদ দিয়ে চিন্তা করুন, কী কারণে দিন দিন মুসলমানের সংখ্যা বাড়তেই আছে, মা-শাল্লাহ। একদিন সারা দুনিয়ায় মুসলমান ছাড়া আর কেউ থাকবেনা ইনশাল্লাহ। খবরটা পড়ুন আর চিন্তা করুন-
Sunita Williams ( First Indian woman who went on a space journey few months back) accepted “ISLAM” Masha Allah, bcoz when they were on the moon, they saw towards EARTH, the entire EARTH looked dark, but 2 places on the EARTH GLITERED & looked like SPARKS (Roshni). They were shocked to see that and saw them with the help of telescope and came to know that those two places were “MAKKAH” and “MADINAH” Masha Allah!. Then they decided that after reaching to earth they’ll accept “ISLAM”. So be proud u’r a muslim.
http://wikiislam.net/wiki/Sunita_Williams_(Conversion_to_Islam)
@আকাশ মালিক,
হা হা হা হা হা ব্যাপক বিনোদন পেলাম।
মহাশূন্যে হেঁটে বেড়ানো সুনিতা উইলিয়ামস জীবনেও চাঁদে যায়নি 😀